• ৩ আষাঢ় ১৪৩২, শুক্রবার ২০ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Son

কলকাতা

করোনার সংক্রমণ রুখতে কড়া কলকাতা পুলিশ, একদিনে গ্রেপ্তার ১৬৭ জন

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত করছে কলকাতাকে। করোনা রুখতে চৈত্র সংক্রান্তির দিন থেকেই কলকাতার প্রত্যেকটি বাজারে শুরু হয়েছে পুলিশের প্রচার। মাইক নিয়ে করোনা সম্পর্কে সতর্কতা প্রচার শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে ধরপাকড়ের উপর আরও গুরুত্ব দিল পুলিশ। বুধবার কলকাতার বিভিন্ন জায়গা থেকে মাস্ক না পরার অভিযোগে ১৫০ জনের উপর পথচারীকে ধরা হয়। এর মধ্যে নিউ মার্কেট এলাকা থেকে হাতেনাতে ধরা পড়ে ১৫ জন। অন্যান্য বাজারেও মাস্ক না পরলেই তাকে ধরেছে পুলিশ। পুলিশের অভিযোগ, করোনা আক্রান্তর সংখ্যা কলকাতায় বৃদ্ধি পাওয়া সত্ত্বেও বহু পথচারী ও গাড়ি, বাস আরোহীর মুখে মাস্ক নেই। মাস্ক নেই বাজারের ক্রেতা ও বিক্রেতাদেরও। এবার সেদিকেও বিশেষ নজর পুলিশের। পুলিশের উপর ভোটের ডিউটির চাপ রয়েছেই। সেই সঙ্গে এবার করোনা রোখারও ব্যবস্থা নিল পুলিশ।গত বছর করোনার ঢেউ কলকাতায় আছড়ে পড়ার পর লাগাতার সচেতনতার প্রচার শুরু করে কলকাতা পুলিশ। কিন্তু আক্রান্তর সংখ্যা কমতে থাকায় সেই প্রচারে ভাটা পড়ে। যদিও সংখ্যায় কম হলেও মাস্ক না পরার অভিযোগে চলছিল ধরপাকড়। গত মাস থেকে ধরপাকড়ের ব্যাপারে আরও গুরুত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু করোনা আক্রান্তর সংখ্যা বাড়তে থাকায় এবার গত বছরের আদলেই প্রচার করতে শুরু করেছে পুলিশ।এদিকে, বুধবার দুপুর থেকেই কলকাতার প্রত্যেকটি বাজারে করোনা বিরোধী সচেতনতার প্রচার শুরু করে প্রায় প্রত্যেকটি থানা। পুলিশের অভিযোগ, এই বছর এখনও পর্যন্ত বেশিরভাগ মানুষই করোনা নিয়ে সচেতন নন। তাই বাজারগুলিতে আসা বেশিরভাগ ক্রেতা, এমনকী, বিক্রেতাদের মুখেও নেই মাস্ক। পারস্পরিক দূরত্বও মানা হচ্ছে না। এদিন নিউ মার্কেট অঞ্চলে মাস্ক না পরে নামতে দেখলেই ওই যাত্রীকে ধরেছে পুলিশ। একই দৃশ্য দেখা গিয়েছে গড়িয়াহাট, যদুবাবুর বাজার, যাদবপুর, হাতিবাগানের মতো বাজারগুলিতেও। এ ছাড়াও ওই বাজারগুলিতে মাস্ক না পরে কেনাকাটা করার অভিযোগেও পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে বেশ কয়েকজন।

এপ্রিল ১৫, ২০২১
কলকাতা

দমদম মেট্রো স্টেশনে উদ্ধার প্রচুর গয়না

ব্যাগ ভর্তি শুধুই সোনার গয়না। দেখে চোখ ধাঁধিয়ে যাওয়ার উপক্রম। সবমিলিয়ে ওজন প্রায় ৪৫০ গ্রাম! বাজারমূল্য কমবেশি ২৫ লক্ষ টাকা। ঘটনা দমদম মেট্রো স্টেশনের। আপাতত সোনাভর্তি ব্যাগ-সহ ওই ব্যক্তিকে সিঁথি থানার পুলিশ আটক করেছে।কলকাতা মেট্রো রেলের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, শনিবার বিকেল প্রায় চারটে নাগাদ দমদম মেট্রো স্টেশনে প্রবেশ করছিলেন এক ব্যক্তি। প্রবেশের মুখে স্ক্যানারে তাঁর ব্যাগটি পরীক্ষা করতে গিয়ে চক্ষুচড়কগাছ নিরাপত্তারক্ষীদের। দেখা যায়, ব্যাগভর্তি সোনার গয়না। প্রায় ৪৩১ গ্রাম সোনা রয়েছে। এরপর তাঁকে প্রাথমিকভাবে এই সোনার উৎস নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাতে তিনি তেমন সন্তোষজনক কোনও উত্তর দিতে পারেননি বলে দাবি নিরাপত্তারক্ষীদের। ওই ব্যক্তির কাছ থেকে সোনা কেনার কোনও বৈধ কাগজপত্রও পাওয়া যায়নি। এরপর মেট্রোর তরফে খবর দেওয়া হয় সিঁথি থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্যাগটি বাজেয়াপ্ত করে, আটক করা হয় ব্যক্তিকেও। যদিও ওই ব্যক্তির নাম-পরিচয় এখনও জানানো হয়নি পুলিশের তরফে। ফলে সোনা পাচারের সঙ্গে তাঁর আদৌ কোনও সম্পর্ক রয়েছে কি না, তাও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। তবে এত বিপুল পরিমাণ সোনার গয়না নিয়ে মেট্রো পথে কোথাও যাওয়ার চেষ্টা আগে কখনও হয়নি বলেই মত কর্তৃপক্ষের। আসলে কলকাতা মেট্রোয় নিরাপত্তা বরাবরই বেশি। তাই কোনও সন্দেহজনক বস্তু নিয়ে স্ক্যানারের নজরদারি এড়িয়ে বেরিয়ে যাওয়া কার্যত অসম্ভব। তা সত্ত্বেও ওই ব্যক্তি কেন এত সোনার গয়না নিয়ে, কোনও নথি ছাড়াই পাতালপথ ধরে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন, তা জানা যায়নি।

এপ্রিল ১২, ২০২১
রাজ্য

সোনারপুর থেকে মমতাকে কটাক্ষ মোদির

আগামী লোকসভা নির্বাচনে বারাণসী থেকে দাঁড়াতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! সম্প্রতি তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছে তৃণমূল। এই সম্ভাবনা নিয়ে সোনারপুরের সভা থেকে তৃণমূল সুপ্রিমোকে খোঁচা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বললেন, নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেরে যাবেন জানেন। তাই রাজ্যে অন্য আসনে দাঁড়াবেন ভাবছিলেন। কিন্তু দলেরই কিছু মানুষ ওঁনাকে বুঝিয়েছেন, দুটি আসন থেকে উনি হেরে গেলে তো দলটাই থাকবে না।এর পর বারাণসী থেকে মমতার প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রসঙ্গে বেনজির কটাক্ষ করলেন প্রধানমন্ত্রী।সোনারপুরের শনিবারের সভা থেকে মোদির খোঁচা, দিদি বলছেন, বারাণসী থেকে লড়বেন। এটা থেকে দুটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এক, উনি বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনে হেরে গিয়েছেন। আর তাই উনি নির্বাচনে লড়াই করার জন্য বাংলার বাইরে খুঁজছেন। বিধানসভা নির্বাচনে হারের পর লোকসভা ভোটে চেষ্টা করে দেখতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী আরও কটাক্ষ, উত্তরপ্রদেশ, বারাণসীর মানুষকে এত ঘেন্না করবেন না। বহিরাগত বলবেন না। ওখানকার মানুষের মন অনেক বড়। আপনাকে খুব স্নেহ করবে। এতটা স্নেহ করবে যে ওখানেই রেখে দেবে। দিল্লি অবধি যেতে দেবে না।হঠাৎ নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বারাণসী কেন্দ্রকে বেছে নিলেন কেন্দ্র মমতা? সভা থেকে সেই জবাবও দিলেন মোদি। বললেন, আমরা হলদিয়া থেকে বারাণসী পর্যন্ত যে জলপথ করে দিয়েছি। সেটা দেখেই হয়তো ওঁনার বারাণসী যেতে ইচ্ছে করেছে। সভামঞ্চ থেকে বিজেপির হেভিওয়েট প্রচারকের খোঁচা, আপনি তো জয় শ্রীরাম শুনলেই রেগে যান। ওখানে কিন্তু দুমিনিট অন্তর অন্তর দরজা-দরজায় হর হর মহাদেব শুনতে পাবেন। মোদির কথায়, নন্দীগ্রাম থেকে মমতার নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ ফ্লপ। এটা ওঁর দলের লোকেরাও এখন বুঝতে পারছে। বঙ্গে নির্বাচন শুরুথেকে ইভিএম, নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। এদিন সেই প্রসঙ্গেও খোঁচা দিলেন মোদি। বললেন, ছাপ্পা দিতে পারছে না। তাই কমিশনের বিরুদ্ধে এত রাগ? সবমিলিয়ে নরমে-গরমে এদিনের সভা থেকেও তৃণমূল সুপ্রিমোকে তীব্র কটাক্ষ করলেন নরেন্দ্র মোদি।

এপ্রিল ০৩, ২০২১
টুকিটাকি

গরমে ত্বকের ট্যান কাটাতে জেনে নিন কয়েকটি সহজ ঘরোয়া উপায়

পার্লারে গিয়ে অনেক টাকা খরচ করে কোনও বিউটি ট্রিটমেন্ট করাতে হবে না। এ বার ঘরে বসেই ত্বকের দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা ট্যান দূর করতে পারবেন অনায়াসে। এমনই কয়েকটি উপাদানের খোঁজ দেওয়া হচ্ছে, যা নিয়মিত ব্যবহার করে আপনি পেতে পারেন নিখুঁত, উজ্জ্বল, ফর্সা ত্বক। ঘরোয়া উপায়ে কী ভাবে ত্বকের ট্যান দূর করবেন একনজরে দেখে নিনগাজর: শুষ্ক এবং ট্যান পড়া ত্বকে গাজর ভাল করে পেস্ট করে মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর মোটামুটি শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা জলে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এতে মুখের ট্যান দূর হবে এবং ত্বক আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।লেবু: লেবু ত্বকের কালো দাগ ছোপ দূর করতে অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান। তুলোর সঙ্গে লেবুর রস মাখিয়ে নিন, তারপর কালো দাগের উপর ৫ মিনিট ধরে ঘষুন। তারপর ঠাণ্ডা জল দিয়ে মুখটা ধুয়ে নিন। তবে মুখে বা শরীরের কোথাও লেবু মাখার পর সরাসরি সূর্যের আলোতে বেরনো যাবে না। পাকা পেঁপে: পাকা পেঁপে হল কালো দাগ বা ট্যান দূর করার ক্ষেত্রে একটি অন্যতম কার্যকরী ঘরোয়া উপাদান। পাকা এক টুকরো পেঁপে নিয়ে শরীরের কালচে বা ট্যান পড়া জায়গায় ভালো করে ঘষুন। আধা ঘণ্টার মতো রেখে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ বার এই মাস্ক ব্যবহার করা যেতে পারে। পেঁপেতে থাকা প্যাপিন মরা কোষ দূর করে ত্বকের রং উজ্জ্বল করে তুলতে সাহায্য করে। পেয়াঁজ: ত্বকের উপর বাড়তে থাকা বয়স জনিত কালচে ছোপ বা ট্যান দূর করতে পেয়াঁজের রস দারুণ কার্যকরী। এক টুকরো পেয়াঁজ নিয়ে শরীরের কালচে বা ট্যান পড়া জায়গায় ৫ মিনিট ধরে ঘষে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দ্রুত ফল পেতে পেয়াঁজের রস প্রতিদিন ব্যবহার করা যেতে পারে। অ্যালোভেরা: কেবল ব্রন কমাতেই নয়, ত্বকের কালো দাগ-ছোপ দূর করতে, ট্যান কাটাতেও অ্যালোভেরা জুড়ি মেলা ভার। প্রথমে অ্যালোভেরা জেল বের করে নিন, তারপর শরীরের ট্যান পড়া অংশে আলতো হাতে মাখুন। একটু সময় নিয়ে এমন ভাবে ম্যাসাজ করবেন যাতে অ্যালোভেরা জেল ত্বক একদম শুষে নেয়। কয়েক ঘণ্টা পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন৷কলা ও লেবুর মাস্ক: পাকা কলা ও লেবু মিশিয়ে প্রথমে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট মুখে, গলায়, হাতে, পায়ে বা শরীরের যে কোনও অংশে ব্যবহার করা যেতে পারে। পেস্টটি শরীরের কালচে বা ট্যান পড়া জায়গায় ১৫ মিনিট মাখিয়ে রাখার পর ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন এই মাস্ক লাগালে ভাল ফল পাওয়া যেতে পারে

এপ্রিল ০৩, ২০২১
রাজ্য

চোখে রং লাগায় কান্নায় ভেঙে পড়লেন লকেট

প্রথম দফা ভোটের দিনই আক্রান্ত লকেট চট্টোপাধ্যায়। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। শনিবার সন্ধেয় চুঁচুড়া রবীন্দ্রনগরের কালীতলা মাঠে কচিকাঁচা ও মহিলাদের সঙ্গে বসন্ত উৎসবে শামিল হয়েছিলেন চুঁচুড়ার বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। অভিযোগ, উৎসব চলাকালীনই লকেটের উদ্দেশে দুষ্কৃতীরা বিষাক্ত রং ছুঁড়ে মারে। রং সরাসরি লকেটের ডান চোখে এসে লাগে। চোখে প্রচণ্ড জ্বালা ধরে। কর্মীরাই তাঁকে গাড়িতে তুলে দেন। চুঁচুড়ার লিচুবাগানের বাড়িতে গিয়েও চোখই খুলতে পারছেন না তিনি।TMC goons led by GP Pradhan Bidyut Biswas, Kodalia No. 2, attacked Locket Chatterjee, a BJP candidate from Chinsurah Assembly.The khela of hatred, violence harassment will be put to an end soon. This cowardly khela of harassing women is triggered by the fear of defeat! pic.twitter.com/yyLBbOMli2 BJP Bengal (@BJP4Bengal) March 27, 2021লকেট জানান, এদিন সন্ধেয় কোদালিয়ায় টোটো করে প্রচারে যাওয়ার সময় মাঠে বসন্ত উৎসব হচ্ছিল। সেখানে অনেক মহিলারা তাঁর সঙ্গে হাত মেলাতে এগিয়ে আসেন। মহিলাদের অনুরোধেই তিনি টোটো থেকে নেমে বসন্ত উৎসবে মাতেন। মহিলারা রং মাখাবেন বলে আবদার করলে করোনা পরিস্থিতিতে তাঁদের রং মাখাতে বারণ করেন লকেট। শেষ পর্যন্ত রঙের পরিবর্তে কপালে একটা টিপ পরেন। মহিলারা যখন তাঁকে টিপ পরাচ্ছিলেন, ঠিক তখন দুজন পুরুষ হঠাৎই সামনে এসে বলে, আজ আপনাকে রং মাখাব, কিছুতেই ছাড়ব না। ওই দুই দুষ্কৃতী মহিলাদের পিছনে চলে যায়। তারপরই হঠাৎ গুড়ো গুড়ো কিছু পদার্থ চোখে এসে পড়ে লকেটের। চশমার জন্য তাঁর চোখ অল্পের জন্য রক্ষা পেলেও কিছুটা হলেও চশমার ফাঁক দিয়ে রং চোখে ঢুকে যায়। প্রথমে চোখে প্রচণ্ড জ্বালা করছিল। তারপর একটু চোখ মেলে তাকিয়ে দেখেন পিছনেই তৃণমূলের ব্যাজ পরা তিন থেকে চারজন যুবক দাঁড়িয়ে সেখানে। তারা অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজও করছিল। লকেটের অভিযোগ, মহিলাদের ভিড়ের আড়াল থেকে তৃণমূলই তাঁর দিকে এই বিষাক্ত রং ছুঁড়েছে। লকেট কাঁদতে কাঁদতে বলেন, একজন মহিলাকে যে এরকমভাবে আক্রমণ করা যায়, আমি ভাবতেই পারি না।এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তেজনা ছড়িয়েছে চুঁচুড়ায়। এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানো হয়েছে। চুঁচুড়ার তৃণমূল প্রার্থী অসিত মজুমদার বলেন, বিরোধী দলনেতা-নেত্রীদের অসম্মান করা তৃণমূলের সংস্কৃতি নয়। আসল কথা লকেট জেনে গিয়েছেন ৫০ হাজারের বেশি ভোটে হারবেন। তাই প্রচারে থাকার জন্য নাটক করছেন।

মার্চ ২৭, ২০২১
রাজ্য

ভ্যাকসিন নেওয়ার পরই রাজ্যে দু’জনের মৃত্যু!

করোনার টিকা নেওয়ার পর রাজ্যে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু করেছে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর। মৃত দুজনেরই ময়নাতদন্ত হয়েছে। তবে স্বাস্থ্যদপ্তরের প্রাথমিক ধারণা, টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নয়, অন্য কোনও সমস্যা ছিল দুজনেরই। তাতেই মৃত্যু হয়েছে।রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর, মৃত দু জনের নাম পারুল দত্ত (৭৫) এবং কৃষ্ণ দত্ত (৬০)। দুজনেরই বাড়ি উত্তরবঙ্গে। পারুল দত্ত ও কৃষ্ণ দত্ত কোভিশিল্ডের টিকা নেন। গত ৮ মার্চ টিকা নিয়েছিলেন পারুল দত্ত। তিনি দার্জিলিং জেলার বাসিন্দা। ঠিক পরদিনই টিকা নেন কৃষ্ণ দত্ত। রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর, কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন নেওয়ার পর কৃষ্ণ বাড়ি চলে যান। কিন্তু কিছুক্ষণ পর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। সন্ধ্যা নাগাদ ডায়রিয়া ও অন্যান্য সমস্যা নিয়ে তাঁকে খরিবাড়ি ব্লকের বাতাসি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। কিন্তু অবস্থার দ্রুত অবনতি হওয়ায় তাকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত সাড়ে নটা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়।এদিকে আবার ধুপগুড়ির হসপিটাল রোডের বাসিন্দা বৃদ্ধ কৃষ্ণবাবু টিকা নেওয়ার পর হঠাৎ অসুস্থ বোধ করেন। তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। ওইদিন রাতেই তাঁর বমি হয়। পরদিন শ্বাসকষ্ট আরও তীব্র হয়। কোনওরকম চিকিৎসা শুরুর আগেই ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়। জেলা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তা্ঁর দেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে।

মার্চ ১১, ২০২১
কলকাতা

তৃণমূলে বাংলার কীর্তন-কন্যা

ভোটের আগে সক্রিয় রাজনীতিতে তারকা এবং বিশিষ্টদের যোগদানের পালা অব্যাহত। এবার সেই তালিকায় নাম লেখালেন সংগীতশিল্পী অদিতি মুন্সি। বৃহস্পতিবারই তৃণমূল ভবনে সৌগত রায়ের হাত থেকে শাসকদলের পতাকা হাতে তুলে নিলেন তিনি। টেলিভিশনের পর্দা থেকে অনুষ্ঠানের মঞ্চ, সর্বত্র কীর্তনের সুরে দর্শকদের মন জয় করেছেন অদিতি। এর আগে রাজ্য সরকারের একাধিক অনুষ্ঠানে গান গেয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ দেন গায়িকা। যোগদান মঞ্চে গানও গাইলেন তিনি। বৃহস্পতিবারই শশী পাঁজার নেতৃত্বে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন টেলিভিশন অভিনেত্রী সুভদ্রা মুখোপাধ্যায়। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন ঊষা চৌধুরী।শাসক শিবিরে যোগ দেন ভোজপুরী অভিনেতা-পরিচালক ধীরজ পণ্ডিতও।এর আগে সায়ন্তিকা ছাড়াও আসন্ন ভোটের আগে তৃণমূল শিবিরে যোগ দিয়েছেন দীপঙ্কর দে, রাজ চক্রবর্তী, মানালি দে, জুন মালিয়া, কাঞ্চন মল্লিক, সৌরভ দাস, সায়নী ঘোষের মত হেভিওয়েট তারকারা। রণিতা দাস, সৌপ্তিক চক্রবর্তী, শ্রীতমা ভট্টাচার্যের মতো টেলিভিশন তারকারাও শাসকদলে নাম লিখেছেন। অন্যদিকে পদ্ম শিবেরে যোগ দিয়েছেন রুদ্রনীল ঘোষ , যশ দাশগুপ্ত , পাপিয়া অধিকারী, সৌমিলী বিশ্বাস, হিরণ চট্টোপাধ্যায়, পায়েল সরকারের মতো তারকারা। ওদিকে আবার শোনা যাচ্ছে বামেদের হয়ে ভোটে লড়তে পারেন বাদশা মৈত্র। কার্যত প্রায় গোটা টলিউড এবারের বিধানসভা নির্বাচনে রাজনীতির ময়দানে নেমে পড়েছে।এবার অদিতিও নেমে পড়লেন সক্রিয় রাজনীতিতে।সূত্রের খবর, প্রার্থীও করা হতে পারে কীর্তন শিল্পীকে।

মার্চ ০৪, ২০২১
প্রযুক্তি

নাসার 'মঙ্গল' কামনায় অ্যালিসার আত্ম-বলিদান

যে বয়সে একরত্তি বাচ্ছা তার বাবা মায়ের কাছে খেলনা, চকোলেট বা পার্কে নিয়ে যাবার বায়না ধরে, সেই ছোট্ট বয়সে, যখন সে সবেমাত্র ৩ বছর তার বাবাকে বলেছিল, বাবা, আমি একজন নভোচারী হতে চাই এবং মঙ্গলগ্রহে যাওয়া লোকদের মধ্যে একজন হতে চাই। খুব স্বাভাবিক ভাবেই তার বাবার এই বিষয়ে কোনও সম্যক ধারনা ছিল না এবং তিনি ভাবতেই পারেননি যে তার ছোট্ট অ্যালিসা তাঁর এই স্বপ্ন সফল করবে।অ্যালিসা কারসন ১০ই মার্চ ২০০১ আমেরিকা লুসিয়ানিয়া প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন। অ্যালিসা রাউজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় তিনি তার সমস্ত বিষয়গুলি ৪ টি ভিন্ন ভাষায় অধ্যয়ন করেন। ৯ ই অক্টোবর, ২০১৩-তে তিনি নাসা পাসপোর্ট প্রোগ্রামে প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন। তখনই তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১৪টি নাসা সেন্টার ঘুরে দেখার অনুমতি পান। মাত্র ১১বছর বয়সে নাসা তাঁর ইচ্ছাশক্তি, অদম্য মনোভাব, নিষ্ঠা দেখে তাঁকে মঙ্গল গ্রহে পাঠাবার সিদ্ধান্ত নেয়। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর তিনি বিভিন্ন সময় বেশ কয়েকটি টিভি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন, অসংখ্য পত্র-পত্রিকায় ও ম্যাগাজিনে তাঁকে নিয়ে লেখা হয়েছে। সমস্ত কিছু ঠিকঠাক থাকলে, ২০৩৩-এ অ্যালিসাই সেই মানুষ যে মঙ্গল গ্রহে প্রথম পদার্পণ করবেন। এবং ভয়ংকর সত্যি এটাই যে মঙ্গল গ্রহে গিয়ে তিনি আর পৃথিবীতে ফিরবেন না জেনেও তিনি নাসার সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর করে দিয়েছেন। যেহুতু নীল গ্রহ থেকে ফেরার সম্ভাবনা প্রায় নেই তাই তাঁকে বিবাহ, যৌনতা, সন্তান ধারন থেকে বিরত থাকতে হবে। এখানেই প্রশ্ন, একজন মানুষের স্বপ্ন কত বড় হলে সেখানে সে তাঁর অস্ত্বিত্ত্বকেও অস্বীকার করতে পারে? অ্যালিসা জানে যে সে আর পৃথিবী-তে ফিরে আসতে পারবে না, আর মাত্র ১৪-১৫ বছর বাদে একেবারে নিঃসঙ্গ ভাবে কিছু যন্ত্রকে সঙ্গী করে কোটি কোটি যোজন দূরে হিমশীতল নীল তারার বুকে বিলীন হয়ে যাবে। এই হারিয়ে যাওয়াতেই তার স্বপ্নপূরণ! আদ্ভুত!! অ্যালিসা ব্যাটন যেন রবি ঠাকুরের কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা গাইতেই গাইতেই সুরের রেশ টুকু রেখে হারিয়ে যেতে চায়।অ্যালিসা কারসন এক স্বপনের ব্যপারি, তাঁর বিখ্যাত উক্তি সর্বদা আপনার স্বপ্ন আপনি নিজে পূরণ করুন এবং কাউকে এটিকে আপনার কাছ থেকে কেড়ে নিতে দেবেন না।Always follow your dream and dont let anyone take it from you.জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়

ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২১
কলকাতা

একই বাড়ি থেকে উদ্ধার বাবা-মা-ছেলের ঝুলন্ত দেহ

দক্ষিণ শহরতলির বেহালার ঠাকুরপুকুর এলাকার একটি বাড়িতে তিনজনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ছড়াল তীব্র চাঞ্চল্য। খুন নাকি আত্মহত্যা, উঠছে প্রশ্ন। ইতিমধ্যেই তিনটি মৃতদেহকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে জোকার মণ্ডলপাড়ায়। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, বুধবার সকালে ওই বাড়িটি থেকে কারো সাড়া-শব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। প্রতিবেশী ডাকাডাকি করেও কোনও আওয়াজ পাননি। তখনই সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা পুলিশে খবর দেন। ঠাকুরপুকুর থানার পুলিশ এসে বাড়িতে ঢোকেন। গোটা বাড়ি তল্লাশি করতেই সামনে আসে চাঞ্চল্যকর দৃশ্য। ছাদের পাশের একটি ঘরে পর সিলিং থেকে ঝুলছে বাবা-মা ও ছেলের মৃতদেহ। মৃতরা হলেন চন্দ্রব্রত মণ্ডল (৫০), মায়ারানি মণ্ডল (৪৫) ও সুপ্রিয় মণ্ডল (২৮)। এমন দৃশ্য দেখে হতভম্ব এলাকার বাসিন্দারাও। দেহ তিনটি নামিয়ে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। তিনজনই একসঙ্গে আত্মঘাতী হয়েছেন নাকি ষড়যন্ত্র করে তাঁদের খুন করা হয়েছে, সেই তদন্তই শুরু করেছে পুলিশ। স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পাশাপাশি খতিয়ে দেখা হচ্ছে কল রেকর্ডও। শেষবার তাঁরা কাকে ফোন করেছিলেন, কিংবা ফোনে কারও সঙ্গে বচসা হয়েছিল কিনা, সেসবই খতিয়ে দেখার চেষ্টা হচ্ছে। প্রতিবেশীদের কাছেও জানতে চাওয়া হচ্ছে, সম্প্রতি এই বাড়িতে পরিবারের মধ্যে কিংবা বাইরের কারও সঙ্গে কোনও ঝামেলা হয়েছিল কি না।

ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২১
কলকাতা

ইন্দ্রনীল সেনের বাড়ির সামনে বোমাবাজি, গ্রেপ্তার ৬

রাজ্যের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের বাড়ির সামনে বোমাবাজির ঘটনায় চলছে ধরপাকড়। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়াও ৩টি বাইক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। বুধবার রাত আটটা নাগাদ ইন্দ্রনীল সেন বাড়িতে ছিলেন না। সেই সময় তিনি ছিলেন চন্দননগরে। অভিযোগ, তারই মাঝে বাইকে চেপে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী আসে। কসবায় মন্ত্রীর বাড়ির কাছে দিল্লি পাবলিক স্কুলের বিপরীতে একটি মুদিখানা দোকানের পাশ থেকে বোমা ছোঁড়ে ওই দুষ্কৃতীরা। বিকট শব্দে বোমা ফাটে। কসবার মতো এলাকায় বোমাবাজির ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সকলে। হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। চন্দননগর থেকে ফেরার পর এই ঘটনার কথা জানতে পারেন ইন্দ্রনীল সেন। থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নামে। স্থানীয় বাসিন্দাদের জেরা শুরু করে। খতিয়ে দেখা হয় এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ। ধৃতদের নাম হল গৌতম মণ্ডল, অশোক বৈদ্য, সোনু সাউ, রাহুল রায়, ভোলা পাসোয়ান। ধৃতদের কাছ থেকে কিছু পরিমাণ বোমা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তিনটি মোটর বাইকও। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

জানুয়ারি ২৮, ২০২১
রাজ্য

কাটআউটে মোদির পায়ের তলায় মনীষীরা! উত্তেজনা বালুরঘাটে

কাটআউটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পায়ের তলায় মনীষীদের ছবি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর থেকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, ক্ষুদিরাম বসু, ঋষি অরবিন্দ রয়েছে সেই কাটআউটে। বালুরঘাটের বিভিন্ন প্রান্তে এমন কাটআউট ঘিরে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। ঘটনার প্রতিবাদে পথ অবরোধ এবং থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। যদিও ছবির নীচে সৌজন্যে সুকান্ত মজুমদার উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁর দাবি, প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করতে তৃণমূল ষড়যন্ত্র করে এমন কাজ করেছে। যদিও তৃণমূল সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে।বিষয়টি জানতে পেরেই ঘটনাস্থলে যান সাংসদ-সহ বিজেপি নেতা-কর্মীরা। চরম উত্তেজনা তৈরি হয়। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল নেতৃত্ব এই ঘটনা ঘটিয়েছে। প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকালে বোল্লা এলাকায় জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা।বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, কাটআউটগুলোতে আমার নাম দিয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যেখানে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর কাটআউটে পায়ের নিচে মনীষীদের ছবি রয়েছে। এটা দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং মনীষীদের অপমান করা হয়েছে। পাশাপাশি আমাকে এবং বিজেপিকে কালিমালিপ্ত করার চক্রান্ত। আগামী নির্বাচনে তৃণমূল এখানে জয়লাভ করতে পারবে না দেখে এই ধরনের কুৎসা করছে। আমরা বালুরঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। অন্যদিকে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক রাজেন শীল বলেন, তৃণমূলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। সাধারণতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা বার্তার কাটআউট বিজেপির তরফে লাগানো হয়েছে। কিন্ত মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখেই তারা তৃণমূলের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে।বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, যে দলই এই কাজ করে থাকুক না কেন, অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ হয়েছে এটি। রাজনীতিতে সম্প্রতি যেভাবে মনীষীদের ব্যহার পরে ফায়দা লোটার চেষ্টা হচ্ছে, তা কখনই গ্রহণযোগ্য নয়।

জানুয়ারি ২৬, ২০২১
রাজ্য

রাজ্যে এখন থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি কৈলাসের, পাল্টা সরব তৃণমূল

রাজ্যে এখন থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি তুললেন বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। এ দিন তিনি বলেন, বাংলায় আতঙ্ক ছড়াতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওঁর পায়ের তলা থেকে জমি সরে গিয়েছে। আতঙ্ক ছড়িয়ে ক্ষমতা দখল করতে চাইছেন। আমার মনে হয়, বাংলার সংস্কৃতিতে আতঙ্ক বা ভয় বেমানান। মানুষ যাতে নির্ভয়ে ভোট দিতে পারে সে জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করব। এও আর্জি করব, আতঙ্ক ও হিংসার রাজনীতি বন্ধ করতে এখন থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করুন। আরও পড়ুন ঃ গোর্খাল্যান্ড ইস্যুকে যে সমর্থন করবে, তাকেই আমারা ভোট দিয়ে জিতিয়ে আনবঃ গুরুং অন্যদিকে বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে রাজ্যে অশান্তি ছড়ানোর পাল্টা অভিযোগ করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর বক্তব্য,ঘুরে ঘুরে প্রলাপ বকছেন। প্ররোচনা দিচ্ছেন বিজেপি নেতারা। দুয়ারে সরকার ও স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা নিচ্ছেন বাংলার মানুষ। তা মসৃণভাবে চলুক তা চাইছে না বিজেপি। তাঁরা ঘুরে ঘুরে অশান্তি ছড়াচ্ছেন। সারা ভারত থেকে নেতা এনে এখানে অস্থিরতা তৈরি করছেন। উন্নয়ন থেকে নজর ঘোরাতে চাইছেন। আমপান ও লকডাউনের সময় ত্রাণশিবিরে পাওয়া যায়নি এদের। এখন ক্ষমতার জন্য এসব করছেন। ডায়মন্ড হারবারের ইট-পাটকেল পড়েছে কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও মুকুল রায়ের গাড়িতে। যাঁরা দিলীপ ঘোষকে সরাতে তৎপর। পরিকল্পিত চিত্রনাট্যে কাজ করছে বিজেপি।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২০
রাজ্য

চলন্ত ট্রেন ও প্ল্যাটফর্মের মাঝে পড়ে যাওয়া যাত্রীকে বাঁচিয়ে সাহসিকতার পরিচয় আরপিএফ কর্মীর

ফের চলন্ত ট্রেনে উঠতে গিয়ে ট্রেন ও প্ল্যাটফর্মের মাঝে পড়ে গেলেন যাত্রী। আরপিএফ কর্মীর চেষ্টায় ওই যাত্রী প্রাণে বেঁচে গেলেন। ডিউটিতে থাকা আরপিএফ কর্মীর নাম মাইকেল সোরেন। যাত্রীর নাম বিপ্লব চ্যাটার্জি। তিনি বর্ধমানের বাসিন্দা। ঘটনাটি ঘটেছে, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ। আরও পড়ুন ঃ হাওড়ায় কেপমারি, প্রায় ২লক্ষ টাকার সোনার গহনা লুট হাওড়া স্টেশনের ওল্ড কমপ্লেক্সের চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে চলতে শুরু করা ৩৬৮৩৭আপ হাওড়া -বর্ধমান(মেন) লোকালে দৌড়ে এসে উঠতে যান তিনি। কিন্তু পা স্লিপ করায় প্ল্যাটফর্মে পড়ে যান বিপ্লববাবু। তাঁর পা কিছুটা চলে যায় ট্রেন ও প্ল্যাটফর্মের ভিতরে। সেই সময়ে ঘটনাস্থলে থাকা আরপিএফ কর্মী মাইকেল সোরেনের নজরে আসে বিষয়টি। সঙ্গে সঙ্গেই ছুটে গিয়ে নিজের জীবন বিপন্ন করে ওই যাত্রীকে উদ্ধার করেন তিনি বলে পূর্ব রেল সূত্রে জানা গিয়েছে। ওই আরপিএফ কর্মীর সাহসিকতার প্রশংসা করেন নিত্যযাত্রীরা।

ডিসেম্বর ০৪, ২০২০
রাজনীতি

মুকুল রায়কে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি করছিঃ কুণাল

চিটফান্ড থেকে নারদা , আসল চক্রীদের দলে নিয়ে আড়াল করছে বিজেপি। আমি সারদা তদন্তে মুকুল রায়ের সঙ্গে যৌথ জেরা চেয়ে চিঠি দিয়েছি। নারদাতে সিআরপিসি ১৬১ অনুযায়ী আইপিএস মির্জার বয়ানের ভিত্তিতে মুকুল রায়কে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি করছি। রবিবার তৃণমূলে ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনই দাবি জানালেন দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, কলকাতার মেয়রের চেয়ারে বসে যিনি ঘুষের টাকা গোনেন , তার বাড়িতে যে বিজেপি নেতারা ছোটেন, তারপর যেন বড় বড় কথা না বলেন। আর সিন্ডিকেটের প্রকাশ্য সমর্থক বিধায়ক এখন বিজেপির রাজ্য সম্পাদক। অথচ মানুষকে ভুল বুঝিয়ে যাচ্ছে বিজেপি। আরও পড়ুন ঃ বহিরাগত রয়েছেন তৃণমূলেওঃ দিলীপ বহিরাগত প্রসঙ্গ টেনে কুণাল বলেন, বহিরাগতদের এনে এখানে গোষ্ঠীবাজি ঠেকিয়ে , উত্তেজনা ছড়িয়ে নজর ঘোরাতে চাইছে বিজেপি। বাংলার মন বোঝার কোনও নেতা বাংলায় নেই। মুকুল রায়ও বাংলা থেকে ভোটার হিসেবে নাম কাটিয়ে দিল্লি চলে গেছেন। শনিবারের সভায় কৈলাস বিজয়বর্গীয়র বক্তব্য নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তিনি বলেন, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ তো বলেন, তিনি ভাববাচ্যে কথা পছন্দ করেন না। বোঝেন না। স্পষ্ট কথা পছন্দ করেন । তাহলে কৈ্লাসবাবু নাম না করে ভাইপো ভাইপো করছেন কেন ? আমি ওঁকে চ্যালেঞ্জ করছি, যদি সাহস থাকে , যার বিরুদ্ধে কুৎসা করছেন, তার নাম বলুন। অন্যথায় মিথ্যা গল্প রটানো বন্ধ করুন। বিজেপি যেভাবে এক তরুণ বাঙালি যুবনেতার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন গুজবের গোয়েবেলসীয় কায়দা নিয়েছে, তাতে দুটো বিষয় স্পষ্ট, এক বিজেপি তাকে ভয় পাচ্ছে। দুই , বাংলার উন্নয়ন বা কাজের বিষয়ে কিছু বলার নেই। কুৎসাই তাদের হাতিয়ার। তিনি আরও বলেন, রাজনীতিতে পেরে না উঠলে ব্যক্তিকুৎসা বিজেপি আর বামেদের পুরনো খেলা। প্রফুল্ল সেন স্টিফেন হাউস কিনেছেন বলে রটানো হয়েছিল। পরে দেখা গেল মিথ্যে। রাজীব গান্ধীর বিরুদ্ধে বোফর্স কেলেঙ্কারির অভিযোগ এনে মানুষকে ভুল বোঝানো হয়েছিল। পরে সেটাও দেখা গেল মিথ্যে। এখন বাংলায় রাজ্য সরকারের উন্নয়নের সঙ্গে পাল্লা দিতে না পেরে তৃণমূলের বিরুদ্ধে, যুবনেতার বিরুদ্ধে কুৎসা চলছে। পরিবারসূত্রে রাজনীতি নিয়ে তিনি বলেন, বহু পেশাতেই পরিবারের পরের প্রজন্ম আসে। কেউ যদি দল ও সংগঠনে মন দেয়, দোষ কোথায়? বেছে বেছে একজনকে নিয়ে কুৎসা কেন ? এই প্রসঙ্গে তিনি কৈ্লাস ও মুকুলের ছেলের কথা বলেন।

নভেম্বর ২২, ২০২০
রাজ্য

বৃদ্ধ দম্পতির দেহ উদ্ধার, গ্রেফতার ছেলে

বন্ধ বহুতলে আবাসনের ভেতর থেকে উদ্ধার হল এক বৃদ্ধ দম্পতির পচাগলা দেহ। বাবা- মায়ের দেহের পাশেই রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ছেলেকে। ঘটনাটি ঘটেছে , হাওড়ার শিবপুরের ১৭, কৈপুকুর লেনের আবাসনে। মৃতের পরিবার ওই আবাসনের চারতলার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। বুধবার দুপুরে শিবপুর থানার পুলিশ দরজা ভেঙে দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধার করে। মৃতদের নাম প্রদ্যুৎ বোস(৭৫), গোপা বোস( ৭০)। বাবা - মাকে হত্যার অভিযোগে ছেলে শুভজিৎ বোসকে (৪২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত শুভজিৎ খুনের কথা স্বীকার করেছে। অসুস্থ রক্তাক্ত অবস্থায় ছেলেকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আনা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের দাবি , মানসিক অবসাদ থেকে ছেলে তার বাবাকে খুন করে নিজেও আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে। আরও পড়ুনঃ স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করছে সমবায়ঃ শুভেন্দু জানা গিয়েছে , মৃত প্রদ্যুৎবাবুর দেহ পড়েছিল খাটে এবং শোফায় পড়েছিল গোপাদেবীর দেহ। পুলিশ আরও জানিয়েছে, মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণজনিত কারণে বেশ কয়েক বছর শয্যাশায়ী ছিলেন তিনি। তাঁর চিকিৎসার জন্য খরচ অনেক বেড়ে গিয়েছিল। একমাত্র ছেলে শুভজিৎ উচ্চশিক্ষিত। তিনি একটি বেসরকারি কলেজ থেকে এমসিএ পাশ করেন। কিন্ত্য তিনি চাকরি করতেন না। এর পাশাপাশি পাড়ায় কারও সঙ্গে কথা বলতেন না তিনি। তার বাড়ির লোক জানিয়েছেন, শুভজিৎ উচ্চশিক্ষিত ছিল। চাকরি না পেয়ে অবসাদে ভুগছিলেন। পরিবার দীর্ঘদিন আর্থিক অনটনে ভুগছিল। এই মানসিক অবসাদ থেকেই খুন বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিশ ওই ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ছেলে স্বীকার করেছে যে বাবা-মাকে খুন করে সে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পুলিশ জানিয়েছে, মা, বাবাকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ছেলে শুভজিৎকে। সে খুনের কথা স্বীকার করেছে। শনিবার রাতে এই ঘটনাটি ঘটায়। এরপর সে আত্মহত্যার চেষ্টাও করে।

নভেম্বর ১৮, ২০২০
রাজনীতি

রাঢ়বঙ্গ বিজেপিকে ক্ষমতায় আসার জন্য পথ দেখাবেঃ রাজু

বিহারের পর বাঙালিকে পাখির চোখ করেছে বিজেপি। বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় আসবে। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই জানালেন বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার দলের কেন্দ্রীয় ও রাজ্য কমিটির নেতাদের উপস্থিতিতে শুরু হল আলোচনাসভা। তার আগে তিনি সাংবাদিকদের বলেন , কংগ্রেস , সিপিএম , তৃণমূল সব এক। তাদের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে মিম। সকলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। তিনি আরও বলেন, রাঢ়বঙ্গের ৫০টি আসনের লক্ষ্যে এগোচ্ছে বিজেপি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে রাঢ়বঙ্গই বিজেপিকে ক্ষমতা দখলের পথে অনেকটা এগিয়ে দেবে দাবি করেন বিজেপির রাঢ়বঙ্গের পর্যবেক্ষক রাজু ব্যানার্জী। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে সাতটি সাংগঠনিক জেলাকে নিয়ে তৈরি রাঢ়বঙ্গ বিজেপিকে ক্ষমতায় আসার জন্য পথ দেখাবে। বুধবার দুর্গাপুরে গুরুত্বপূর্ণ এক সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দিতে এসে এই দাবি করলেন বিজেপির রাঢ় বঙ্গের পর্যবেক্ষক রাজু ব্যানার্জী। দিদি নয় ভোটটা এবার দাদা করাবে। তাই মানুষ ভোট দেবে আর তাতেই মিলবে ৫০টির মতো আসন। এমনই দাবি রাজ্য বিজেপির নেতা রাজু ব্যানার্জীর। এই রাঢ়বঙ্গে ৫৭টি বিধানসভা আছে,আর রাঢ়বঙ্গের এই সাতটি সাংগঠনিক জেলা থেকে গত লোকসভা নির্বাচনে পাঁচ জন সাংসদ পেয়েছে বিজেপি। আরও পড়ুন ঃ সংখ্যালঘুদের জন্য কিছু করেনি তৃণমূলঃ দিলীপ বিজেপি নেতা রাজু ব্যানার্জীর দাবি , লোকসভার নিরিখে ৩৭টি আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি, তাই ৫০টি আসনে এবার জয় নিশ্চিত বলে দাবি বিজেপি নেতৃত্বের। বুধবার সিটিসেন্টারে এক বেসরকারী অতিথিশালায় বিজেপির রাঢ় বঙ্গের সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক বিনোদ সনকার দলের সাতটি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ও পদাধিকারীদের নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসেন, যেখানে দলের কেন্দ্রীয় দল ওয়ান টু ওয়ান বৈঠক করেন বিজেপির জেলা নেতৃত্ব ও পদাধিকারীদের সাথে জানতে চান কোথায় সমস্যা হচ্ছে, আর কোথায় বা প্লাস পয়েন্টে রয়েছে দল। এখন একুশে বাংলা জয়ের লক্ষ্যে বিজেপির রাঢ়বঙ্গের টার্গেট আসন কতটা বাস্তব রূপ পায় সেটাই এখন দেখার বিষয়। আর যার উত্তর সময় ছাড়া আর কেউ দিতে পারবে না।

নভেম্বর ১৮, ২০২০
রাজনীতি

দিলীপ ঘোষের কনভয়ে হামলা , অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কনভয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ভাঙা হয়েছে বিধায়ক উইলসন চম্প্রমারির গাড়ির কাচও।অল্পের জন্য রেহাই পায় দিলীপ ঘোষের গাড়ি। ঘটনাটি ঘটেছে , ভারত-ভুটান সীমান্তে আলিপুরদুয়ারের কালচিনি ব্লকের দলসিংপাড়ার কাছে। অভিযোগ, সেখানে বিজেপি রাজ্য সভাপতির কনভয় লক্ষ্য করে পাথরবৃষ্টি হয়। দিলীপ ঘোষকে ঘিরে চলে গো ব্যাক স্লোগান। তাঁকে কালো পতাকাও দেখানো হয়। এরপর কোনওক্রমে সভায় হাজির হন তিনি। আরও পড়ুন ঃ যারা মমতাদির হাত দুর্বল করছে , তারা বিজেপির হাত শক্ত করছেঃ ফিরহাদ জানা গিয়েছে , বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জয়গাঁতে জনসভায় যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। পুলিশের দাবি, পঁচিশটি বাইক নিয়ে র্যালির অনুমতি নিয়েছিল বিজেপি। অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও কমপক্ষে একশোটি বাইক নিয়ে র্যালি করার চেষ্টা করেন দিলীপ ঘোষ। দলসিংপাড়াতে ওই রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাধা দেয় পুলিশ। এর জেরে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের বচসা বেঁধে যায়। পুলিশের কর্ডন ভেঙে বেআইনিভাবে বাইক র্যালি চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। এরপর জয়গাঁর মঙ্গলাবাড়িতে পৌঁছয় র্যালি। তারপরেই ঘটে এই ঘটনা। বিজেপি রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু এর প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, পশ্চিমবঙ্গে যে আইনশৃঙ্খলা নেই , তা প্রতি মুহূর্তে প্রমাণিত হয়। এটা তৃণমূলের অবসাদের ফল। নির্বাচন কীভাবে হবে , তা নির্বাচন কমিশন বুঝবে। নির্বাচন করার মতো পরিস্থিতি না থাকলে সরকারকে সরিয়ে দিতে হবে। নির্বাচন এগিয়ে এলে বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হবেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। অন্যদিকে বিজেপি যুব মোর্চা সভাপতি সৌ্মিত্র খান বলেন, দিলীপ ঘোষের উপর হামলার প্রতিবাদে সারা বাংলা জুড়ে প্রতিবাদ জানানো হবে।

নভেম্বর ১২, ২০২০
রাজনীতি

রাজ‌্য নেতৃত্বকে উপেক্ষা? মন্ত্রীর সভামঞ্চে হাতের লাঠি বহিষ্কৃত নেতা!

হুগলি জেলায় তৃণমূলের কমিটি গঠন নিয়ে বেড়ে চলা অসন্তোষের মধ্যেই ফের চাঞ্চল্য। এবার দল থেকে বহিষ্কৃত নেতাকেই দেখা গেল মন্ত্রীর সভামঞ্চে। শুধু তাই নয়, তাঁকে বেশ কিছু দায়িত্বও দিলেন মন্ত্রী‌! স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, জেলা বা রাজ্য নেতৃত্বকে কি মন্ত্রী তোয়াক্কা করছেন না? বিতর্ক শুরু হয়েছে রবিবার ৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় সপ্তগ্রাম বিধানসভার ডানলপ তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত বিজয়া সম্মিলনীতে। এদিন হুগলি জেলা কমিটি ঘোষণায় তৃণমূলে ভাঙনের ইঙ্গিত মিলেছে। অনেক নেতা-কর্মীই নন্দীগ্রাম যেতে প্রস্তুত‌। তাঁদের সাফ কথা, শুভেন্দুবাবু আমাদের দলের নেতা, তাঁর সভায় যেতে দল তো নিষেধ করেনি। আর জেলা ও ব্লক কমিটিতে দুর্নীতিবাজরা ঠাঁই পাওয়ায় সিঙ্গুরের বিধায়ক-সহ অনেকেই অসম্মানিত বোধ করে দলত্যাগের কথা ভাবছেন। এর মধ্যেই বহিষ্কৃত নেতা মন্ত্রীর হাতের লাঠি কীভাবে হতে পারেন তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। মন্ত্রী তপন দাশগুপ্তের ঘনিষ্ঠ সত্যরঞ্জন ওরফে সোনা শীলকে আর্থিক অনিয়ম ও দলবিরোধী কাজের জন্য বহিষ্কার করার কথা ঘোষণা করেন হুগলিতে তৃণমূলের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব। শুক্রবার ৬ নভেম্বর তিনি বলেন, সোনা শীলের সঙ্গে দলের কেউ যোগাযোগ রাখতে পারবেন না। অথচ রবিবার সাহাগঞ্জ ডানলপ মাঠে বিজয়া সম্মিলনীতে মঞ্চে দেখা যায় সোনা শীলকে। তিনি বাঁশবেড়িয়ার প্রশাসক অরিজিতা শীলের স্বামী। নতুন পদাধিকারী-সহ দলের বিভিন্ন শাখা সংগঠনের মাথারাও ছিলেন মঞ্চে। মন্ত্রী ভাষণে বলেন, এখানে কিছু কল দরকার। সত্যরঞ্জনকে বলছি সব দেখে আমাকে বিস্তারিত জানাতে। পুরসভাকে আমি টাকা দিয়ে দেব, ওই টাকায় কাজ হবে। প্রশ্ন উঠছে, দল যাঁকে দলবিরোধী কাজ ও আর্থিক অনিয়মের জেরে বহিষ্কার করেছে তাঁকে মন্ত্রী কীভাবে মাথায় তুলে রাখতে পারেন? তাহলে কি পিকের রিপোর্টে ভিত্তি করে কমিটি ঘোষণা, বহিষ্কার সবটাই নাটক। রাজ্য বা জেলা নেতৃত্বকে উপেক্ষার সাহস কীভাবে পেলেন তপন? দলের নীচুতলায় উপরমহলের রাশ কি তবে আলগাই হচ্ছে?

নভেম্বর ০৯, ২০২০
বিনোদুনিয়া

ইনস্টাগ্রামে বড় ঘোষণার আভাস শ্রাবন্তী পুত্রের

শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের রোশন সিংয়ের সঙ্গে থাকছেন না। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই তাদের সম্পর্ক নিয়ে নানাবিধ জল্পনা শুরু হয়েছে। এই প্রশ্নও উঠে গিয়েছে , শ্রাবন্তীর তৃ্তীয় বিয়েটাও কি ভাঙতে চলেছে ? সেই জল্পনার মধ্যেই এবার শ্রাবন্তীর ছেলে অভিমন্যু চট্টোপাধ্যায় ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করে বড় কোনও ঘোষণার ইঙ্গিত দিয়েছেন। সেখানে সে নিজের ও মায়ের একটি পুরনো ছবি শেয়ার করেছে। পাশাপাশি শেয়ার করেছে একটি ভিডিও। যাতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে সংগীতের সৃষ্টি করা হয়েছে। নিজের পোস্টের ক্যাপশনেই অভিমন্যু লিখেছে, বড় কিছু আসছে। আরও পড়ুন ঃ শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গত , নভেম্বরেই শুরুতেই খবর রটে রোশন সিংয়ের সঙ্গে শ্রাবন্তীর তৃতীয় বিয়ে ভাঙতে চলেছে। এমনকী দুজনের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে এখনও একসঙ্গে আর কোনও ছবি নেই। তবে শ্রাবন্তীর ফেসবুক প্রোফাইলে রোশনের সঙ্গেই তাঁর ছবি রয়েছে। এরপরই গুঞ্জন ছড়ায় রোশন আর শ্রাবন্তী নাকি আলাদা থাকছেন। তা নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় শোরগোল পড়ে যায়।

নভেম্বর ০৭, ২০২০
কলকাতা

বাংলা গান বাজানোর আবেদন জানিয়ে ত্রিধারা সম্মিলনীতে স্মারকলিপি বাংলা পক্ষের

বাংলা গান ও সংস্কৃতিকে সকলের সামনে তুলে ধরা ও বাঙালি শিল্পীদের প্রতিভাকে সকলের সামনে তুলে ধরার আবেদন জানিয়ে ত্রিধারা সম্মিলনীতে স্মারকলিপি জমা দিল বাংলা পক্ষ। সংগঠনের পক্ষ থেকে তাঁরা সেখানে আবেদন করেন, পুজো মণ্ডপে বাংলা গান বাজান। চলতি বছরে দূর্গাপুজোয় শিল্পীরা যে বাংলা গানগুলি পরিবেশন করেছেন , সেই গানগুলি ্সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান তারা। আরও পড়ুনঃ সামান্য ছাড় দিয়ে পুজো মামলায় আগের রায়ই বহাল হাইকোর্টের তাদের আবেদন , হিন্দি সাম্রাজ্যবাদকে প্রতিহত করে বাংলা গানকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন। নতুন শিল্পীদের তুলে ধরুন। কলকাতার অন্যান্য পুজো কমিটিগুলিকেও বাংলা পক্ষের তরফ থেকে একই অনুরোধ করা হচ্ছে। স্মারকলিপি প্রদানের সময় বাংলা পক্ষের তরফ থেকে উপস্থিত ছিলেন কৌশিক মাইতি সহ আরও অনেকে।

অক্টোবর ২১, ২০২০
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

দামোদরে বালি তুলতে গিয়ে বিরাট বিপত্তি, জলে ভাসছে ১৫টি লরি

দামোদরে বালি তোলায় কোনও লাগাম নেই। ডিভিসি থেকে জল ছাড়ার খবর থাকা সত্বেও বালি তোলার কাজ চলছিল। লরি নেমেছিল একেবারে নদের ভিতরে। জল ভরে টুইটুম্বুর হওয়ায় ভেসে গেল ১৫টি বালি বোঝাই লরি। পূর্ব বর্ধমানের গলসির গোহগ্রামের এই ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে। পরে লরিগুলিকে উদ্ধারের তৎপরতা শুরু হয়।দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার কথা ডিভিসি ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগাম ঘোষণা করা হয়েছিল। মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে বুধবার জল ছাড়া হয় ৪০ হাজার কিউসেক। এরই মধ্যে নিম্ন দামোদর অববাহিকায় দুদিন ধরে টানা বৃষ্টি চলেছে। এই সব কারণে বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ দামোদর নদে জলের পরিমাণ বেশ বেড়ে যায়। এতেই ঘটে যায় বিপত্তি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ১৫টি বালি বোঝাই লরি দামোদর নদের জলে ভাসতে থাকে। তার উপর বৃহস্পতিবার বেলা বাড়তে নদের জল আরও হু হু করে বাড়তে শুরু হয়। বিপদ বুঝে লরিগুলি নদী থেকে তোলার জন্য তৎপরতা শুরু করে চালকরা । ওই সময়েই সামনে থাকা দুটি লরি বিকল হয়ে যাওয়ায় লরি গুলি নদ থেকে পাড়ে তোলা আর সম্ভব হয়নি। জেসিবি মেশিন ব্যবহার করেও কাজ হয়নি। জল কমা পর্যন্ত লরিগুলো তুলতে অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

জুন ১৯, ২০২৫
রাজ্য

"কেশরী: চ্যাপ্টার ২" তে ক্ষুদিরাম বসু সহ বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অপমান, প্রতিবাদে গর্জে উঠল বাংলা পক্ষ

সম্প্রতি কেশরী: চ্যাপ্টার ২ নামের এক বলিউডি হিন্দি সিনেমায় ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সশস্ত্র সংগ্রামের উজ্জ্বল ইতিহাস তথা বীর বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পরিচয় ও ভূমিকা বিকৃত করে এক মনগড়া মিথ্যা ইতিহাস তুলে ধরার অভিযোগ উঠেছে। সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম সিং ও বারীন্দ্র কুমার নামক দুই বিপ্লবী বৃটিশ পুলিশকর্তা কিংসফোর্ডকে বোমা মেরে হত্যার চেষ্টা করে ও তাদের বোমা তৈরীর প্রশিক্ষণ দেয় কৃপাণ সিং! যার সাথে বাস্তবের কোন মিল নেই। প্রকৃত পক্ষে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে বাঙালি বিপ্লবীদের সশস্ত্র সংগ্রামের ইতিহাসের এক যুগান্তকারী ঘটনা কিংসফোর্ড হত্যার প্রচেষ্টা ও পরবর্তীতে মানিকতলা বোমা মামলার ঘটনার কথা সম্পূর্ণ বিকৃত ভাবে এই সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে।সশস্ত্র সংগ্রামের লক্ষ্যে কলকাতার মানিকতলার যুগান্তর গুপ্ত সমিতিতেই অরবিন্দ ঘোষের নেতৃত্বে বোমা তৈরীর কর্মশালা গড়ে ওঠে, ইউরোপ থেকে বোমা তৈরী শিখে এসে এখানে বোমা তৈরী করে বিপ্লবীদের সরবরাহ করতেন হেমচন্দ্র কানুনগো, যিনি বলিউডের দৌলতে হয়েছেন কৃপাণ সিং। এই গুপ্ত সমিতির পক্ষেই ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকী কিংসফোর্ডকে বোমা নিক্ষেপ করে হত্যার চেষ্টা করেন। মেদিনীপুরের বীর বাঙালি কিশোর ক্ষুদিরাম বসুর পদবী সিনেমায় হয়েছে সিং অন্যদিকে প্রফুল্ল চাকীর নামই মুছে গেছে, শোনা গেছে জনৈক বারিন্দর কুমারের নাম, যেকোন ইতিহাস সচেতন ব্যক্তিই বলতে পারবেন এই নাম আসলে মানিকতলা বোমা মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ও পরবর্তীতে আন্দামানে দ্বীপান্তরিত বারীন্দ্র ঘোষের, যিনি সম্পর্কে অরবিন্দ ঘোষের ভাই। এই মানিকতলা বোমা মামলায় বিপ্লবীদের পক্ষে কোর্টে আইনি লড়াই করেন আরেক মহান বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামী দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ। এই গৌরবজনক অধ্যায় সম্পূর্ণ ভাবে বিকৃত করা হয়েছে, যা বাঙালি জাতি তথা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি চূড়ান্ত অবমাননা।এই বিকৃতির বিরুদ্ধে বাঙালির ক্ষোভের প্রকাশ দেখা যাচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থেকে সংস্কৃতি জগতের নানান ব্যক্তিত্ব এই ইতিহাস তথা মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নাম বিকৃতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। ভারতীয় বাঙলির জাতীয় সংগঠন বাংলা পক্ষও সরব হয়েছে, আজ তারা পথে নেমে প্রতিবাদ করল কলকাতার বাংলা একাডেমী সংলগ্ন রানুছায়া মঞ্চে। এই প্রতিবাদ সভায় বাংলা পক্ষর সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি বলেন, কেশরী ২ সিমেমার মূখ্য অভিনেতা অক্ষয় কুমার, তিনি কাদের স্বার্থে বিকৃত ইতিহাস প্রচার করে সিনেমা তৈরি করেন এটা আমাদের সকলের জানা৷ বিজেপি ও বলিউডের উদ্দেশ্য বাঙালির গৌরবজনক বীরত্বের ইতিহাস মুছে দেওয়া। সেই উদ্দেশ্যেই বারবার এই ধরনের ঘটনা দেখা যাচ্ছে। বলিউড এর আগেও অভয় ২ সিরিজে বীর শহীদ ক্ষুদিরাম বসুকে ক্রিমিনাল, জঙ্গি হিসাবে দেখিয়েছিল। বাংলা পক্ষ তখন Zee5 কে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছিল এবং সল্টলেকে Zee5 এর অফিসে বিক্ষোভ করেছিল। পরবর্তীতে Zee5 ক্ষমা চেয়ে সেই অংশ বাদ দিতে বাধ্য হয়। শীর্ষ পরিষদ সদস্য অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় বলেন যতক্ষণ না পর্যন্ত কেশরী ২ সিনেমার নির্মাতারা ক্ষমা না চায়, বাংলা পক্ষর লড়াই চলবে। ক্ষমা চেয়ে এই দৃশ্য বাদ দিতে হবে। বাঙালি বিদ্বেষীদের কিভাবে ক্ষমা চাওয়াতে হয় সেটা বাংলা পক্ষ ভালো ভাবে জানে।শীর্ষ পরিষদ সদস্য সৌম্যকান্তি ঘোড়ই বলেন, ক্ষুদিরাম বসুকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান। প্রফুল্ল চাকীকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান৷ বীর বিপ্লবী বারীন ঘোষদের অপমানের বিরুদ্ধে এই লড়াই চলবে। অক্ষয় কুমারকে ক্ষমা চাইতেই হবে।এছাড়াও আজকের প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন কলকাতা জেলার সম্পাদক সৌম্য বেরা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক কুশনাভ মন্ডল, শিল্পী পক্ষর অধিকর্তা প্রবাল চক্রবর্তী প্রমুখ। এর আগে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় এই সিনেমা নিয়ে একই ইস্যুতে এফআইআর হয়েছে। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন বাঙালি বীর বিপ্লবীদের ইতিহাস বিকৃতি করার জন্য।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স

লর্ডসে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও রাহুল দ্রাবিড়ের। দিনটা ছিল ১৯৯৬ র ২০ জুন। এই টেস্টের কথা উঠলেই মহারাজকীয় শতরানের কথাই সবার আগে মনে আসে। যা এসেছিল ২২ জুন।তবে ২০ জুন বল হাতে কামাল দেখিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ইংল্যান্ডের তৃতীয় ও চতুর্থ উইকেট পড়েছিল চার রানের ব্যবধানে। দলের ৯৮ রানের মাথায় সৌরভের প্রথম শিকার হন তিন নম্বরে নামা নাসের হুসেন। ১১০ বলে ৩৬ রান করে তিনি ফেরেন বিক্রম রাঠোরের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ১০২ রানে ইংল্যান্ডের চতুর্থ উইকেট পড়ে। ৯ বলে ১ রান করে গ্রেম হিক সৌরভের বলেই জাভাগল শ্রীনাথের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। প্রথম ইনিংসে সৌরভের বোলিং ফিগার ছিল ১৫-২-৪৯-২। বেঙ্কটেশ প্রসাদ পাঁচটি, শ্রীনাথ তিনটি ও সৌরভ ২টি উইকেট পান। পরশ মামব্রে, অনিল কুম্বলে ও সচিন তেন্ডুলকর উইকেট পাননি। দ্বিতীয় ইনিংসে সৌরভ তুলে নিয়েছিলেন প্রথম ইনিংসে শতরানকারী জ্যাক রাসেলের উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে মহারাজ ৩ ওভারে মাত্র ৫ রানের বিনিময়ে একটি উইকেট পেয়েছিলেন। ফলে লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

বৃষ্টির মোকাবিলায় ইডেন সেরা, মাঠ ভরানোর আহ্বান মনোজের

আজও বৃষ্টিতে ব্যাহত বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের খেলা। কয়েক দিন ধরেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি চলছে। যার জেরে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের খেলাগুলি পরিত্যক্ত হচ্ছে। ইডেনে বৃষ্টি থামার পর খেলা শুরু হলেও ফের অবিরাম বর্ষণে ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। তবে গতকাল যা হলো তা অন্য কোথাও আর হতে পারতো না।সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত ভাবনাতেই ইডেনের গোটা মাঠ ঢেকে রাখার বন্দোবস্ত হয়েছে। উন্নতমানের কভার আনিয়ে। এমনকী ইডেনের মতো সল্টলেক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস মাঠেও মাঠ ঢেকে রাখা হয় প্রধান কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন অনবদ্য টিম যার ফলে বৃষ্টি থামার কিছুক্ষণের মধ্যেই মাঠ খেলার উপযুক্ত করে দিতে পারেন। ইডেনের এমন ব্যবস্থাপনা বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়াম আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামেও নেই। সুনীল গাভাসকর-সহ অনেকেই তাই বলে থাকেন মাঠ ঢাকার ব্যবস্থাপনায় ইডেনকে অনুসরণ করতে। এই ব্যবস্থাপনার সুফল মিলল আরও একবার। গতকাল বৃষ্টি একটু ধরতেই রাতে ৯ ওভারের ম্যাচ হলো। হারবার ডায়মন্ডস ৪০ রানে হারাল লাক্স শ্যাম কলকাতা টাইগার্সকে। যে পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে শহরে তাতে অন্য কোথাও এটা সম্ভব হতো না। হলো মাঠ ঢাকার ব্যবস্থা ছিল বলেই। হারবার ডায়মন্ডস অধিনায়ক তথা রাজ্যের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি অনুরোধ করেছেন সকলকে কাজ সেরে মাঠে এসে তরুণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করার জন্য। এই লিগে বিনামূল্যে খেলা দেখা যায়। এমনকী হারবার ডায়মন্ডসের সমর্থকদের জল, ইলেক্টোরাল, কেক দেওয়ার কথাও মনোজ বলেছেন। তার কারণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করতে সমর্থকদের উপস্থিতি দরকার। গ্যালারির সিংহভাগ ফাঁকা থাকছে। যে লিগের সম্প্রচার স্টার স্পোর্টসে চলছে সেখানে এমন ফাঁকা গ্যালারি মোটেই ভালো বিজ্ঞাপন নয়।

জুন ১৯, ২০২৫
দেশ

ওরঙ্গাবাদের এই হৃদয়স্পর্শী কাহিনী আপনার মন ছুঁয়ে যাবেই

মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদের সম্ভাজি নগরে ঘটনা এখন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। ওই হৃদয়স্পর্শী ঘটনা নাড়া দিয়েছে পুরো সমাজকে। সেখানে এক গয়নার দোকানে গিয়েছিলেন অতি সাধারণ এক দম্পতি। স্ত্রীকে কিছু উপহার দেওয়াই ছিল স্বামীর উদ্দেশ্য। গয়নার শোরুমের ম্যানেজার তাদের সঙ্গে গল্প জুড়ে দেন। হাসিঠাট্টার মাঝে কথা বলতে বলতে জেনে নেন তাঁদের জীবনকাহিনী। এবার এল জিনিস কেনার পালা। হাতের ঝোলা ব্যাগ থেকে বেরোল একটা ৫০০ টাকার নোট। একে একে ১০, ২০ টাকার নোট। সবশেষে একটা ছোটখাট বোঁচকা। তাতে ভর্তি খুচরো পয়সা।শোরুমের ম্যানেজার গোটা বিষয়টা বুঝতে পেরে তাঁদের একটি হার উপহার দেন। সঙ্গে একজোড়া কানের দুলও। এরপর বৃদ্ধের কাছে সরল আবদার জানান, নিজে হাতে স্ত্রীর হাতে সেটা তুলে দিতে হবে। উপহার তো দিলেন ম্যানেজার, কিন্তু এত বড় দোকানে এসে কোনও টাকা না দিয়ে চলে যাবেন, এতেও যেন সম্মানে বাধে বৃদ্ধের। সমাজের খেটে খাওয়া মানুষের কাছে আত্মসম্মানই বড় কথা। প্রাণ যাক, সম্মান নিয়ে বাঁচাটাই বড় কথা। তাই সবচেয়ে বড় নোটটি তুলে দিতে চেয়েছিলেন ম্যানেজারের হাতে। কিন্তু তাতে ম্যানেজারের উত্তর, আপনার আশীর্বাদের হাত থাকলেই হবে। পান্ডুরঙ্গ (কর্নাটক, মহারাষ্ট্রের পূজিত দেবতা) আছেন, কিছুর অভাব হবে না কোনওদিন। কিন্তু বৃদ্ধ নাছোড়বান্দা, টাকা তিনি দেবেনই। উপায় নেই বুঝে অবশেষে দুটো ১০ টাকার নোট নেন ম্যানেজার।স্বামীর চোখে জল, ধুতির খুঁট দিয়ে মুছে ফেললেন। তা দেখে স্ত্রীও আটকাতে পারলেন না নিজেকে। ভিডিওতেই স্পষ্ট, এমন এক মূল্যবান উপহার পেয়ে বিশ্বাস হচ্ছে না ওই দম্পতির। কিন্তু যেকজন ভিডিওটি দেখেছেন, তাঁরা সবাই বুঝেছেন এই চোখের জল, অবিশ্বাস শুধু মূল্যবান এক উপহারের জন্য নয়, জীবনের অন্যতম এই দিনটি মনের মণিকোঠায় সাজিয়ে রাখছেন দম্পতি।

জুন ১৯, ২০২৫
দেশ

আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা: শিশুদের শনাক্ত করতে বড় সমস্যা, এখনও হস্তান্তর ১৫৯ দেহ

সুরাটের নানাবাওয়া পরিবার ৩৬ বছর বয়সী আকিল এবং ৩১ বছর বয়সী স্ত্রী হান্না ভোরাজির নামাজ-এ-জানাজা (জানাজা) সম্পন্ন হয়। বুধবার ভোরে ফোন করে জানায় যে বোয়িং ড্রিমলাইনার দুর্ঘটনায় তাদের সাথে মারা যাওয়া তাদের মেয়ে সারার মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। আত্মীয়স্বজনরা চার বছর বয়সী মেয়ের দেহাবশেষ দাবি করতে আহমেদাবাদে ছুটে যান। যাতে তাকে তার বাবা-মায়ের পাশে দাফন করা যায়।আহমেদাবাদ-লন্ডন AI-171 বিমান দুর্ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পর, সারার সন্ধানে দেখা যাচ্ছে যে পুড়ে যাওয়া দেহাবশেষের মধ্যে নাবালকদের শনাক্ত করা কতটা কঠিন। বুধবার পর্যন্ত, ডিএনএ ম্যাচিং এবং শনাক্তকরণের পরে ১৫৯টি মৃতদেহ আত্মীয়দের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সারা ছাড়াও, এই মৃতদেহগুলির মধ্যে কেবল একজন নাবালিকা ছিল ফাতিমা শেঠওয়ালা, যার বয়স ১৮ মাস।বিমান সংস্থার তালিকা অনুসারে, AI-171-এ ১২ বছরের কম বয়সী ১৩টি শিশু ছিল, যার মধ্যে তিনজন এখনও ২ বছর পূর্ণ করেনি। আরও বেশ কয়েকজনের বয়স ১১ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে।এই ধরনের দুর্যোগে অপ্রাপ্তবয়স্কদের শনাক্ত করার জন্য ডিএনএ প্রযুক্তি ব্যবহারে অসুবিধা ব্যাখ্যা করে গুজরাটের সরকারি ডেন্টাল কলেজের ফরেনসিক দন্ত বিশেষজ্ঞ ডঃ জয়শঙ্কর পিল্লাই বলেন, শিশুদের শরীরের ভর কম থাকে এবং তাই টিস্যুর ক্ষতি হয় এবং লম্বা হাড় তাপের সংস্পর্শে আসে। তবে দাঁত বেশি শক্তিশালী হওয়ায় তাপ সহ্য করতে পারে।তবে অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে এটিও জটিল। শিশুদের যে কোনও দাঁত থেকে ডিএনএ বের করা যেতে পারে, কিন্তু আগুন লাগার সময় সামনের দাঁত ব্যবহার করা যায় না কারণ তাপ তাদের নষ্ট করে দেয়। তাই আমরা মোলার থেকে ডিএনএ নিই। ছয় বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে, আমরা স্থায়ী মোলার পেতে পারি না... তাদের বেশিরভাগই দুধের দাঁত থাকে, এবং কখনও কখনও সেগুলিও নষ্ট হয়ে যায়। কারণ খিলানটি খুব ছোট। তাই আমরা চোয়ালে একটি ছেদ তৈরি করি এবং ভিতরে স্থায়ী মোলার তৈরি করার চেষ্টা করি, পিল্লাই বলেন, যার বিভাগের সাথে ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ দাঁতের ডিএনএ বের করতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের দাঁতের চার্ট তৈরি করতে সাহায্য করার জন্য যোগাযোগ করেছিল।একজন ফরেনসিক কর্মকর্তা বলেছেন যে দুর্ঘটনার পরে যে আগুন লেগেছিল তা খুব অল্প সময়ের মধ্যে ১৬০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি তাপমাত্রায় পৌঁছেছিল। সুতরাং, কিছু ব্যক্তির জন্য কেবলমাত্র আংশিক ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়া যায়, যাদের আমরা সন্দেহ করি যে তারা নাবালক, কর্মকর্তা বলেন, আরও বলেন যে আত্মীয়দের সাথে নিঃসন্দেহে নির্ভুলতার সাথে মেলানো কঠিন।আকিলের বাবা আবদুল্লাহ স্মরণ করিয়ে দেন যে তিনজন ৬ জুন, ঈদুল আযহার একদিন আগে, এক আকস্মিক পরিদর্শনে এসেছিলেন। এটা একটা ছোট ভ্রমণ ছিল। আমরা জানতাম না যে এটাই তাদের শেষ হবে, কাঁদতে কাঁদতে আবদুল্লাহ বলেন, যিনি বিমানে পরিবারকে নামিয়ে দিতে আহমেদাবাদ গিয়েছিলেন।ভদোদরায়, আসিফ শেঠওয়ালা তার নাতনি ফাতিমার জন্য শোক প্রকাশ করেছেন। যার দেহাবশেষ বুধবার শনাক্ত করা হয়েছে, যখন তার মা সাদিকার মৃতদেহ এখনও পাওয়া যায়নি। আসিফ বলেন, ফাতিমা তার লন্ডন-ভিত্তিক ছেলের একমাত্র সন্তান। সাদিকা এবং ফাতিমা আমার ছোট ছেলের বিয়েতে বেড়াতে এসেছিলেন। তারা প্রায় ২০ দিন ধরে এখানে ছিলেন এবং তাদের ফেরার টিকিট অনেক আগেই বুক করা হয়েছিল।ডিএনএ সরবরাহ করার পাশাপাশি, দাঁতের দেহাবশেষ একজন ব্যক্তির আনুমানিক বয়স নির্ধারণেও সাহায্য করে। যা শনাক্তকরণের জন্য প্রয়োজনীয় সূত্র প্রদান করে। আহমেদাবাদ দুর্ঘটনায় এটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যও, বিস্ফোরণ এবং আগুনের ফলে উদ্ধার করা বেশিরভাগ ডিএনএ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।ডঃ পিল্লাই বলেন, ফরেনসিক ওডন্টোলজি বিভাগ এক থেকে ছয় বছর বয়সী বেশ কয়েকজন প্রাপ্তবয়স্ক যাত্রীর দাঁতের ডিএনএ সংগ্রহ করেছে অথবা ডেন্টাল চার্টিং করেছে এবং অন্তত কিছু ভুক্তভোগীর বয়স মূল্যায়ন করেছে। এরপর এই বয়সের যাত্রীদের জন্য ফ্লাইট ম্যানিফেস্টের সাথে তুলনা করা হয়েছে। কিছু শিশুর ক্ষেত্রে, আমরা দ্বিতীয় মোলার বিকশিত হতে দেখেছি, যা স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে তারা তিন থেকে ছয় বছর বয়সী। এটি অনুসন্ধানকে সংকুচিত করতে সাহায্য করেছে। তারপর তাদের ডিএনএ নমুনা তাদের আত্মীয়দের সাথে মেলানো যেতে পারে।যারা খবরের জন্য অপেক্ষা করছেন তাদের মধ্যে রয়েছে ভদোদরার ভাহোরা পরিবার। তারা দুর্ঘটনায় তিন সদস্যকে হারিয়েছে। সোমবার ইয়াসমিনের মৃতদেহ হস্তান্তর করা হলেও, পারভেজ এবং তার ৪ বছর বয়সী মেয়ে জুভেরিয়ার দেহাবশেষ এখনও পাওয়া যায়নি। প্রাক্তন আইপিএস অফিসার এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ, ডঃ কেশব কুমার বলেছেন, পরিবারগুলির আশা হারানো উচিত নয়। বিমান দুর্ঘটনাটি প্রায় বোমা বিস্ফোরণের মতো ছিল। যেখানে ৫৪,০০০ লিটার বিমান জ্বালানি এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে জ্বলছিল। উৎপন্ন তাপের পরিমাণ শরীরের জন্য ক্ষতিকর। আমরা ভাগ্যবান হব যদি ভালো নমুনা পাওয়া যায়। কিন্তু যদি একটি দাঁতও পাওয়া যায়, তাহলে ডিএনএ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ফরেনসিক পরীক্ষা খড়ের গাদায় সূঁচ পাওয়ার মতো। কিন্তু একজন তদন্তকারী হিসেবে, আমি বলতে পারি যে ম্যাচ পাওয়ার সম্ভাবনা ১০০%। ডিএনএ হাজার হাজার বছর টিকে থাকতে পারে এবং প্রয়োজনে ধ্বংসাবশেষে ডিএনএর আরও চিহ্ন থাকবে। গুজরাট পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন যে তারা দুর্ঘটনাস্থল থেকে একাধিক নমুনা সংগ্রহ নিশ্চিত করেছেন।

জুন ১৯, ২০২৫
রাজ্য

১০০ দিনের কাজ নিয়ে হাইকোর্টে বড় ধাক্কা কেন্দ্রীয় সরকারকে

গতকালই ওবিসি মামলায় হাইকোর্টে জোরদার ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। এবার ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বড় ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার নজিরবিহীন একটি নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পশ্চিমবঙ্গে ফের ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প চালু করতে হবে, এই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ১ আগস্ট থেকেই এই প্রকল্প চালু করতে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ।উল্লেখ্য, বাংলায় ১০০ দিনের কাজের টাকা বহুদিন ধরে আটকে রেখেছে কেন্দ্র, এই অভিযোগ করে আসছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রাজ্য সরকারের একাধিক মন্ত্রী এই ব্যাপারে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বারবার সমালোচনায় সরব হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে লাগামহীন দুর্নীতি হয়েছে। এই দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্র বেশ কয়েকটি দলও বাংলার জেলায় জেলায় পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী আদালতে জানিয়েছিলেন, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গে মোট ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে গরমিল ধরা পড়েছে।। তার মধ্যে ২ কোটিরও বেশি টাকা পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে। হুগলি, মালদা, বর্ধমান, দার্জিলিংয়ের মতো জেলাগুলিতে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। ১০০দিনের কাজের প্রকল্পে টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে বেনজির দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রের।রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প আটকে থাকা নিয়ে মামলার শুনানি বুধবার ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনেছেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এরপর প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছেন যে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের জন্যই বিশেষ কোনও বেঁধে দিতে পারে কেন্দ্র। এই রায়ের পর সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ১০০ দিনের পুরনো বকেয়া টাকা ফেরত দিতে হবে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর

পাঁচ লক্ষ টাকা তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর এবং সালিশি করে গ্রাম ছাড়া করার অভিযোগ উঠলো স্থানীয় একদল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকায়। এই ঘটনায় আক্রান্ত ব্যবসায়ীর পরিবার কালিয়াচক থানার দ্বারস্থ হলেও চারদিন পরে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে বুধবার ওই ব্যবসায়ী দম্পতি সমস্ত ঘটনার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানালেন পুলিশ সুপারের কাছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব। এদিকে কালিয়াচকের ওই ব্যবসায়ীর ওপর আক্রমণ এবং পাঁচ লক্ষ টাকা তোলাবাজির ঘটনায় রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলার সর্ববৃহৎ ব্যবসায়ীদের সংগঠন মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বারবার যদি ব্যবসায়ীদের ওপর দুষ্কৃতীদের হামলা নেমে আসে, তাহলে আমরা যাব কোথায়। অবিলম্বে পুলিশ সুপার যাতে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে, সেই আবেদন জানাচ্ছি। এদিকে পুলিশকে অভিযোগে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকার পোশাক ব্যবসায়ী মহম্মদ রহিম বিশ্বাস জানিয়েছেন, পুরনো একটি মামলার ঘটনায় গত শনিবার এলাকার এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী জহরুল খান এবং তার দলবল তাকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাদের একটি ডেরায় তাঁকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর পাঁচ লক্ষ টাকার তোলা চাওয়া হয়। সেই টাকা না দেওয়ায় আশেপাশের আরও কিছু সাগরেদদের জুটিয়ে সালিশি ডাকা হয়। সেই সালিশির মাধ্যমে তাদের পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। আর এই ঘটনার পর থেকেই গত চারদিন ধরেই ওই ব্যবসায়ী পরিবার নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন হয়ে রয়েছেন। এমনকি ফতেখানি স্ট্যান্ডের কাছে ওই ব্যবসায়ী তার নিজের পোশাকে শোরুম খুলতে পারছেন না।

জুন ১৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal