এক রাতেই দূতাবাসে উধাও রাষ্ট্রপতির ছবি! সাহাবুদ্দিনের বিস্ফোরক অভিযোগ—‘আমাকে কোণঠাসা করা হয়েছে’
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তাল। অপমান সহ্য করতে না পেরে নিজের পদ ছেড়ে দিতে চাইছেন দেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের পরই তিনি ইস্তফা দিতে চান বলে জানিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস তাঁকে সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করেছেন এবং কোণঠাসা করে রেখেছেন।রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, তিনি দায়িত্ব পালন করছেন শুধুমাত্র সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে। কিন্তু তিনি পদ ছাড়তে আগ্রহী। তাঁর কথায়, গত সাত মাসে ইউনূস একবারও তাঁর সঙ্গে দেখা করেননি। রাষ্ট্রপতির জনসংযোগ বিভাগও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। সবচেয়ে বড় অপমান, গত সেপ্টেম্বর হঠাৎই বিভিন্ন দেশের বাংলাদেশ দূতাবাস ও কনস্যুলেট থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরিয়ে দেওয়া হয়।সাহাবুদ্দিন বলেন, এক রাতেই সব দূতাবাস থেকে আমার ছবি উধাও হয়ে গেল। মানুষ ভুল বার্তা পেল যে হয়তো রাষ্ট্রপতিকে সরানো হচ্ছে। এটা ভীষণ অপমানের। তিনি জানিয়েছেন, বিষয়টি লিখিতভাবে জানালেও ইউনূস কোনও ব্যবস্থা নেননি। তাঁর অভিযোগ, তাঁর কণ্ঠরোধ করা হয়েছে।২০২৩ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতির পদে আসেন সাহাবুদ্দিন। যদিও এই পদটি মূলত প্রতীকী, প্রকৃত ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার হাতে। কিন্তু ২০২৪ সালের ছাত্র-গণ অভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর, রাষ্ট্রপতিই ছিলেন একমাত্র সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকেই ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে তাঁকে পাশ কাটানোর অভিযোগ উঠছে।তবে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে তাঁর নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। সেনাপ্রধান স্পষ্ট বলেছেন, তাঁর সামরিক ক্ষমতা নেওয়ার কোনও ইচ্ছা নেই। বরং তিনি চান দেশে গণতন্ত্র ফিরুক।বাংলাদেশের রাজনীতিতে এই বক্তব্য যে নতুন ঝড় তুলেছে, তা বলাই যায়।

