• ৫ পৌষ ১৪৩২, মঙ্গলবার ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Footbal

খেলার দুনিয়া

ISL : ‌আবার হার, ঘুরে দাঁড়াতে ব্যর্থ এটিকে মোহনবাগান

ভাল শুরু করেও ছন্দপতন। এবছর আইএসএল অভিযানে প্রথম দুটি ম্যাচে জয়ের পর আগের ম্যাচে মুম্বই সিটি এফসির কাছে বিদ্ধস্ত হতে হয়েছিল এটিকে মোহনবাগানকে। সোমবার জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই। ঘুরে দাঁড়াতে ব্যর্থ আন্তোনীয় লোপেজ হাবাসের দল। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হারতে হল এটিকে মোহনবাগানকে। তবে আগের ম্যাচের মতো লজ্জায় পড়তে হয়ননি সবুজমেরুণ শিবিরকে। জামশেদপুর এফসির কাছে হারল ২১ ব্যবধানে।মুম্বই সিটি এফসি ম্যাচের কথা মাথায় রেখে এদিন রক্ষণ জমাট করে খেলতে শুরু করেছিল এটিকে মোহনবাগান। জামশেদপুর এফসিও যথেষ্ট সতর্ক ছিল। তাই শুরুর দিকে তেমন কোনও সুযোগ তৈরি করতে পারেনি কোনও দলই। তার মাঝেই ম্যাচের ৩৪ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল জামশেদপুর এফসি। ভাল্সকিসের কাছ থেকে বল পেয়ে দারুণ শট নিয়েছিলেন গ্রেগ স্টেওয়ার্ট। তাঁর শট ততোধিক তৎপরতার সঙ্গে বাঁচান এটিকে মোহনবাগান গোলকিপার অমরিন্দার সিং। মিনিট চারেক পরেই অবশ্য এগিয়ে যায় জামশেদপুর এফসি। দ্রুত প্রতিআক্রমণে উঠে এসে এটিকে মোহনবাগানের বক্সের বাইরে থেকে ডানদিকে লেন ডংগেলকে বল বাড়ান জিতেন্দ্র সিং। ডানপায়ের দুরন্ত কোণাকুণি শটে বল জালে পাঠান লেন ডংগেল।৪২ মিনিটে সমতা ফেরানোর সুযোগ এসেছিল এটিকে মোহনবাগানের সামনে। রয় কৃষ্ণার শট জামশেদপুর এফসি গোলকিপার রেহেনেশের হাত থেকে বেরিয়ে গোলে ঢোকার মুখে গোললাইন থেকে ক্লিয়ার করেন এলি সাবিয়া। প্রথমার্ধে এটিকে মোহনবাগানের বলের দখল বেশি ছিল। কিন্তু গোলমুখী আক্রমণ গড়ে তোলার দিকে জামশেদপুর এফসি মুন্সিয়ানা বেশি দেখায়। ভাল্সকিস, লেন ডংগেল, গ্রেগ স্টেওয়ার্টরা পাঁচপাঁচবার গোলমুখী শট নিয়েছিলেন। অন্যদিকে, রয় কৃষ্ণা, হুগো বোমাসরা ৩ বার টার্গেটে বল রাখতে পেরেছিলেন।সমতা ফেরানোর জন্য দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই মরিয়া হয়ে উঠেছিল এটিকে মোহনবাগান। কিন্তু জামশেদপুর এফসির শক্তিশালী ডিফেন্স ভেদ করতে পারছিলেন না রয় কৃষ্ণা, হুগো বোমাসরা। আগের ম্যাচেই মতোই এদিনও ছন্দহীন ছিলেন এই দুই ফুটবলার। তাই আক্রমণের ধার বাড়াতে ৬১ মিনিটে কার্ল ম্যাকাউয়ের পরিবর্তে ডেভিড উইলিয়ামসকে মাঠে নামান হাবাস। উইলিয়ামস মাঠে নামার পর এটিকে মোহনবাগানের আক্রমণের তেজ বাড়ে। সুযোগও তৈরি হয়। ৮০ মিনিটে ডেভিড উইলিয়ামসের দুরন্ত শট ততোধিক তৎপরতার সঙ্গে বাঁচান জামশেদপুর গোলকিপার রেহেনেশ। পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নেমে ৮৪ মিনিটে ব্যবধান বড়িয়ে এটিকে মোহনবাগানের ম্যাচে ফেরার স্বপ্ন শেষ করে দেন অ্যালেক্স লিমা। ৮৯ মিনিটে এটিকে মোহনবাগানের হয়ে ব্যবধান কমান প্রীতম কোটাল।

ডিসেম্বর ০৬, ২০২১
খেলার দুনিয়া

ISL : গোয়ার বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছে চোট–আঘাতে জর্জরিত এসসি ইস্টবেঙ্গল

গত বছরের মতোই কি এবারও আইএসএলে ব্যর্থতাই সঙ্গী হবে এসসি ইস্টবেঙ্গলের? যেমন শুরু করেছে লালহলুদ, তেমনই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। চার ম্যাচ খেলা হয়ে গেল। এখনও জয় নেই এসসি ইস্টবেঙ্গলের। এই চার ম্যাচে যে ফুটবল উপহার দিয়েছে মানোলো দিয়াজের দল, অতিবড় লালহলুদ সমর্থকও দলকে নিয়ে স্বপ্ন দেখবেন না। প্রথম ম্যাচে ড্রয়ের পর ডার্বিতে হার। পরের ম্যাচও পরাজয়। আগের ম্যাচে চেন্নাইন এফসির বিরুদ্ধে ড্র করে কিছুটা হলেও মনোবল ফিরে এসেছে লালহলুদ শিবিরের।মঙ্গলবার এসসি ইস্টবেঙ্গলের সামনে এফসি গোয়া। চেন্নাইন এফসির বিরুদ্ধে ফিরে পাওয়া আত্মবিশ্বাসই ভরসা লালহলুদ শিবিরের কাছে। তবে এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে একেবারেই স্বস্তিতে নেই এসসি ইস্টবেঙ্গল। চোটআঘাতে জর্জরিত লালহলুদ শিবির যেন মিনি হাসপাতাল। গোলকিপার অরিন্দম ভট্টাচার্য ডার্বি ম্যাচে চোট পেয়েছিলেন। এখনও খেলার মতো জায়গায় আসেননি। অঙ্কিত মুখার্জি, বলবন্ত সিং, জ্যাকিচাঁদ সিংরাও চোটের কবলে। মঙ্গলবার এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে মানোলো দিয়াজ পাবেন না মহম্মদ রফিক ও ড্যারেন সিডোয়েলকে। শুধু গোয়া ম্যাচেই নয়, বেশ কিছুদিন মাঠের বাইরে কাটাতে হবে সিডোয়েলকে। মাঝমাঠের এই বিদেশি হ্যামস্ট্রিংয়ে বেশ ভালোই চোট পেয়েছেন।ফুটবলারদের চোটআঘাত নিয়ে চিন্তিত লালহলুদ কোচ মানোলো দিয়াজ। এর জন্য প্রাক মরশুম প্রস্তুতির অভাবকেই দায়ি করেছেন তিনি। দিয়াজ বলেন, প্রস্তুতির জন্য আমরা খুব বেশি সময় পাইনি। ফলে ফুটবলাররা ঘন ঘন চোট পাচ্ছে। কম সময়ের মধ্যে বেশি ম্যাচ খেলতে হওয়ায় ফুটবলাররা ক্লান্ত। ফলে সেরাটা দিতে পারছে না। গোয়ার বিরুদ্ধে প্রথম একাদশ নির্বাচন করাই সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে মানোলো দিয়াজের কাছে।দুটি ম্যাচ ড্র করে এসসি ইস্টবেঙ্গল ঘরে ২ পয়েন্ট তুললেও এফসি গোয়ার অবস্থা আরও করুণ। তিন ম্যাচে একটা পয়েন্টও সংগ্রহ করতে পারেনি। লিগ টেবিলে সবার শেষে থাকলেও এফসি গোয়াকে দারুণ সমীহ করছেন এসসি ইস্টবেঙ্গল কোচ। এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে তিনি বলেন, প্রথম ৩ ম্যাচে হারলেও গোয়া যথেষ্ট শক্তিশালী দল। ওদের গুরুত্ব দিতেই হবে। আমাদের কাছে সব ম্যাচই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জয়ের লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামব। আশা করছি ব্যর্থতা কাটিয়ে গোয়ার বিরুদ্ধে দল ঘুরে দাঁড়াবে। চেন্নাইন ম্যাচ ড্র করে ফুটবলাররা আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছে।

ডিসেম্বর ০৬, ২০২১
খেলার দুনিয়া

ISL Derby : ডার্বিতে হারের হ্যাটট্রিক, বড় লজ্জার হাত থেকে বাঁচল এসসি ইস্টবেঙ্গল

ডার্বিতে হারাটা যেন অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। গত মরশুমে দুটি সাক্ষাৎকারেই জিতেছিল এটিকে মোহনবাগান। এবছর প্রথম ডার্বিতেও ছবিটা বদলাল না। গোয়ার তিলক ময়দানে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে ৩-০ গোলে হারিয়ে আইএসএল ডার্বি জয়ের হ্যাটট্রিক করল এটিকে মোহনবাগান। জয়ের ব্যবধান আরও বাড়তে পারত। লালহলুদকে লজ্জার হাত থেকে বাঁচালেন গোলকিপার অরিন্দম ভট্টাচার্যর পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামা শুভম সেন।প্রথমার্ধে তিন গোল হজম করে লাল হলুদ। এটিকে মোহনবাগানের শক্তিশালী আক্রমণভাগের বিরুদ্ধে ৩ জনকে ডিফেন্সে রাখার মাশুল দিতে হল এসসি ইস্টবেঙ্গলকে। সেই সঙ্গে অরিন্দম ভট্টাচার্যের জঘন্য গোলকিপিংয়ের কথাও বলতে হবে। গত বছর আইএসএলে প্রথম সাক্ষাতে এই দিনেই ডার্বি জিতেছিল আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের দল। কাকতালীয়ভাবে সেই একই দিনে আবার ডার্বিতে জয়।এদিন এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ৩-৪-৩ ছকে আক্রমণাত্মকভাবে শুরু করেছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। অন্যদিকে হাবাস ৪-৩-৩ ছকে শুরু করেন। চেনা ছন্দে ফিরতে দেরি হয়নি এটিকে মোহনবাগানের। ১১ মিনিটের মধ্যে তিন গোল হতোদ্যম করে দেয় এসসি ইস্টবেঙ্গলকে। ১২ মিনিটে রয় কৃষ্ণর প্রথম গোল। মনবীর সিং ডানদিক দিয়ে উঠে এসে বল বাড়ান প্রীতম কোটালের দিকে। এটিকে মোহনবাগানের অধিনায়ক বক্সের কাছে গিয়ে বল বাড়়ান রয় কৃষ্ণকে উদ্দেশ্য করে। দর্শনীয় ভঙ্গিমায় বল জালে জড়ান রয় কৃষ্ণ। এর ঠিক দুই মিনিট পরেই ব্যবধান বাড়ান মনবীর। জনি কাউকোর দুরন্ত থ্রু পাস থেকে অরিন্দম ভট্টাচার্যকে পরাস্ত করে সবুজ-মেরুনকে এগিয়ে দেন মনবীর। ২৩ মিনিটে লিস্টন কোলাসোর গোল। দ্বিতীয় গোলের মতোই তৃতীয় গোলটিও এটিকে মোহনবাগানকে কার্যত উপহার দেন অরিন্দম। বক্সের প্রায় বাইরে গিয়ে কোলাসোর থেকে বল কেড়ে নিতে গিয়েছিলেন অরিন্দম। তাঁকে পরাস্ত করতে সময় নেননি কোলাসো।৩৩ মিনিটে অরিন্দম ভট্টাচার্যকে তুলে নিতে বাধ্য হন লালহলুদ কোচ। নামান শুভম সেনকে। হলুদ কার্ড দেখা লালরিনলিয়ানা হামতেকে তুলে নিয়ে অমরজিৎ কিয়ামকে নামানো হয়। তিন গোল করার পরও প্রথমার্ধে আরও বেশ কয়েকবার গোলের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল সবুজ মেরুন। কিন্তু লাল হলুদের লজ্জা বিরতির আগে আর বাড়েনি।দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য কিছুটা খেলায় ফেরে এসসি ইস্টবেঙ্গল। মানোলো দিয়াজ ডিফেন্স মজবুত করায় এটিকে মোহনবাগান আর ব্যবধান বাড়াতে পারেনি। এদিনের জয়ের সুবাদে ২ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে লিগশীর্ষে চলে গেল এটিকে মোহনবাগান। এসসি ইস্টবেঙ্গল নেমে গেল নবম স্থানে। ২ ম্যাচে লাল হলুদের ঝুলিতে ১ পয়েন্ট। মঙ্গলবার ওডিশা এফসির বিরুদ্ধে খেলবে এসসি ইস্টবেঙ্গল। এটিকে মোহনবাগানের পরবর্তী ম্যাচ বুধবার মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে।

নভেম্বর ২৭, ২০২১
খেলার দুনিয়া

East Bengal vs Mohun Bagan : ছন্দে থাকলেও ডার্বিতে নিজেদের এগিয়ে রাখছেন না হাবাস

গত বছর অল্পের জন্য খেতাব হাতছাড়া হয়েছে। মুম্বই সিটি এফসি-র কাছে ফাইনালে হেরে রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল। এবছর দারুণভাবে আইএসএল অভিযান শুরু করেছে এটিকে মোহনবাগান। আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের দল উদ্বোধনী ম্যাচেই ৪-২ গোলে হারিয়েছে কেরালা ব্লাস্টার্সকে। আজ কলকাতা ডার্বিতে এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ফেবারিট হিসেবেই নামছে এটিকে মোহনবাগান। কারণ ছন্দ ও শক্তির বিচারে অনেক এগিয়ে সবুজমেরুণ শিবির। যদিও কোচ হাবাস নিজেদের ফেবারিট হিসেবে মানতে নারাজ।ডার্বিতে নামার আগে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে সমীহ করে তিনি বলেন, এসসি ইস্টবেঙ্গলের দল এবার একেবারেই নতুন। নতুন কোচ এসেছেন। এমনিতে নতুন দলের থিতু হতে অন্তত এক বছর লাগে। কিন্তু এখানে সব কিছু দ্রুত তৈরি করে নিতে হয়। দুই দলের কাছেই ম্যাচটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ম্যাচ কলকাতার বাইরে হচ্ছে। গ্যালারিতে দর্শক থাকবে না। ফুটবলারদের বাড়তি চাপ নিয়ে মাঠে নামতে হবে না। ফলে এই ডার্বিতে কে এগিয়ে তা আগাম বলা যাবে না।তারকা প্রথায় কখনও বিশ্বাস করেন না এটিকে মোহনবাগান কোচ। তাই হুগো বুমোস, লিস্টন কোলাসো, রয় কৃষ্ণ, জনি কাউকোদের নিয়ে সমর্থক থেকে সংবাদমাধ্যমের মাতামাতি দেখে অসন্তুষ্ট হাবাস। তিনি বলেন,তিন-চারজনকে নিয়ে দল হয় না।বঅমরিন্দর, প্রীতম, প্রবীর, তিরির মতো ফুটবলাররাও রয়েছে। আমার কাছে সব ফুটবলারই গুরুত্বপূর্ণ। গত মরশুমে দুটি ডার্বিতেই জিতেছিল এটিকে মোহনবাগান। অতীতের সাফল্যের কথা মাথায় রাখতে চাইছেন না হাবাস। তিনি বলেন, ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি সবসময় হয় না। নতুন বছর, নতুন ম্যাচ।কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে আগের ম্যাচে দ্বিতীয়ার্ধে দলের খেলায় গা ছাড়া মনোভাব যাতে ডার্বিতে না দেখা যায় সেজন্য ফুটবলারদের সতর্ক করে দিয়েছেন হাবাস। ডার্বিতে তিরিকে পাচ্ছে না এটিকে মোহনবাগান। তিনি বাদে সকলেই সুস্থ। রণকৌশলও গোপনই রাখলেন হাবাস। তিনি বলেন, সব ম্যাচে সমানভাবে খেলা যায় না। পরিবেশ, পরিস্থিতি অনুযায়ী বিপক্ষ কেমন খেলছে সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করাটাই স্বাভাবিক। কার হলুদ কার্ড রয়েছে, কাকে কতক্ষণ খেলানো যাবে এই সব বিষয়ও বিবেচনাধীন থাকে। তৎক্ষণাৎ কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধেও তার ব্যতিক্রম হবে না।পেরোসেভিচ বা চিমাকে বাড়তি গুরুত্ব না দিয়ে গোটা এসসি ইস্টবেঙ্গলকে কীভাবে আটকাবেন সেটাই পরিকল্পনা করছেন।

নভেম্বর ২৭, ২০২১
খেলার দুনিয়া

ISL Derby : ডার্বিতে এগিয়ে কোন দল? নিজেদের আন্ডারডগ ভাবছেন দিয়াজ

দুই দলের মধ্যে পার্থক্য অনেকটাই। গত মরশুমের দল ধরে রাখার পাশাপাশি এটিকে মোহনবাগান শক্তি বাড়িয়েছে অনেকটাই। হুগো বোমাস যোগ দেওয়ায় আক্রমণভাগ অনেকটাই শক্তিশালী হয়েছে। অন্যদিকে, শেষ মুহূর্তে দল গড়তে নেমে তেমন ভাল দল গড়তে পারেনি এসসি ইস্টবেঙ্গল। এই মরশুমে আইএসএল অভিযানের শুরুতেও ছাপ রাখতে পারেনি। অন্যদিকে, দুর্দান্ত শুরু করেছে এটিকে মোহনবাগান। শনিবার মরশুমের প্রথম ডার্বিতে ধারেভারে সবুজমেরুণ শিবিরই যে এগিয়ে, সেকথা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে নতুন কোচের তত্ত্বাবধানে নতুন মুখদের নিয়ে আইএসএলে এবার ডার্বি জিততে মরিয়া লাল হলুদ শিবির।কেরালা ব্লাস্টার্সকে ৪-২ গোলে হারিয়ে এবারের আই এস এল অভিযান শুরু করেছে এটিকে মোহনবাগান। অন্যদিকে, জামশেদপুর এফসির সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করলেও খুব একটা খারাপ খেলেনি এসসি ইস্টবেঙ্গল। ডার্বিতে অন্য খেলা হবে, সে কথা বুঝিয়ে দিয়েছেন লালহলুদ কোচ মানোলো দিয়াজ। তিনি বলেন কলকাতা ডার্বি আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই ম্যাচের গুরুত্ব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। স্পেন, মেক্সিকোতেও অনেক ডার্বি দেখেছি। ডার্বি সব সময় অন্য মাত্রা নেয়। আমাদের কাছে এটা লিগের দ্বিতীয় ম্যাচ। সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব।এটিকে মোহনবাগান দারুণ সমীহ করছেন লালহলুদ কোচ। দিয়াজ বলেন, এটিকে মোহনবাগান খুবই ভালো দল। কোচও খুবই ভাল। বিপক্ষ কোচের আইএলএলেও যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রয়েছে। ভুলভ্রান্তি কম করে বিপক্ষের দুর্বলতাগুলোকে কাজে লাগিয়ে ভাল খেলতে হবে। সবুজমেরুণকে সমীহ করলেও প্রথম একাদশ খোলসা করেননি মানোলো দিয়াজ। ড্যারেন সিডোলকে খেলাবেন কিনা সে ব্যাপারেও নিশ্চিত করে কিছু বলেননি। দলের সব ফুটবলারই ডার্বি খেলতে প্রস্তুত বলে মানোলো দিয়াজ জানিয়েছেন।মরশুমের প্রথম ডার্বিতে নিজেদের আন্ডারডগ হিসেবে দেখছেন মানোলো দিয়াজ। তিনি বলেন, আন্ডারডগ তকমা আমাদের গায়ে লাগিয়ে দেওয়া হলেও কোনও অসুবিধা নেই। আমরা নিজেদের শক্তি অনুযায়ি খেলব। এটিকে মোহনবাগান গত মরশুমে দারুন খেলেছে। বেশ কয়েকজন ফুটবলার কয়েক মরশুম ধরে একসঙ্গে খেলছেন। আমরাও তৈরি অনেক ফর্মেশন তৈরি রয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী ছক বদল করব। রয় কৃষ্ণ, হুগো বুমোসদের কীভাবে আটকাতে চান সেই কৌশলও গোপন রাখলেন লাল হলুদ কোচ। তিনি বলেছেন, ম্যাচের পরিস্থিতির উপর এটা নির্ভর করবে। বল আমাদের বক্সের কাছাকাছি থাকলে ম্যান মার্কিংয়ে যাব। তবে আমরা রয়, হুগোর বিরুদ্ধে খেলছি না। তাঁরা ভালো ফুটবলার, গোল করতে পারেন। তবে তাঁদেরও সতীর্থদের সাহায্যের প্রয়োজন। ফলে শুধু দুজনকে নয়, গোটা দলকেই আটকানোর চেষ্টা করব।অভিজ্ঞতায় এটিকে মোহনবাগান কিছুটা এগিয়ে রয়েছে মানলেও খেলাটা সবুজ মেরুনের আক্রমণ বনাম লাল হলুদের ডিফেন্সের লড়াই হবে বলে মানতে নারাজ দিয়াজ। তিনি বলেন, আমাদের শক্তিশালী হতে হবে। ভালো ও নিখুঁত পাস দেওয়া-নেওয়া করতে হবে নিজেদের মধ্যে। বিপক্ষের গোল এরিয়ায় প্রচুর গোলের সুযোগ তৈরি করতে হবে। সারাক্ষণ যদি ওদের বিরুদ্ধে আমরা রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলি, তা হলে ম্যাচটা আমাদের কাছে আরও কঠিন হয়ে উঠবে।

নভেম্বর ২৬, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Cristiano Ronaldo : প্রাক্তন সতীর্থ ও কোচ সোল্কজায়েরের বিদায় নিয়ে কী বললেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো?‌

বেশ কিছুদিন ধরেই আসন টলমল করছিল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড কোচ ওলে গানার সোল্কজায়েরের। শনিবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের একেবারে নিচের সারির দল ওয়াটফোর্ডের কাছে ৪১ ব্যবধানে হারের পর আর ধৈর্য ধরতে পারেননি ম্যান ইউ কর্তারা। বাধ্য হয়েছেন কোচ ওলে সোল্কজায়েরকে সরিয়ে দিতে। সোল্কজায়ের বরখাস্ত হওয়ায় ষথেষ্ট দুঃখ পেয়েছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। প্রাক্তন সতীর্থ ও কোচ সোল্কজায়েরের জন্য একটি হৃদয়গ্রাহী বার্তা পোস্ট করেছেন তিনি।স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের কোচিংয়ে ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের জার্সি গায়ে খেলেছিলেন ওলে সোল্কজায়ের। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডে যখন সোল্কজায়েরের শেষ মরশুম, তখন এই ক্লাবে যোগ দেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। সোল্কজায়েরের সঙ্গে একমরশুম চুটিয়ে খেলেন। সেই প্রাক্তন সতীর্থ ও কোচ সোল্কজায়ের বরখাস্ত হওয়ার পর ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানিয়েছেনন রোনাল্ডো। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, আমি যখন প্রথম ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে আসি তখন ওলে সোল্কজায়ের আমার স্ট্রাইকার ছিলেন এবং যখন আবার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ফিরে আসি, তখন থেকেই তিনি আমার কোচ ছিলেন৷ তবে সবচেয়ে বড় কথা, ওলে একজন অসাধারণ বড় মনের মানুষ৷ জীবনের যা কিছু ওলের জন্য সংরক্ষিত আছে তাতে আমি মঙ্গল কামনা করি। শুভকামনা রইল বন্ধু। এটা তোমার প্রাপ্য।ফুটবলার হিসেবে ৬ বার ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডকে খেতাব এনে দিয়েছিলেন ওলে সোল্কজায়ের। ১৯৯৯ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখের বিরুদ্ধে ইনজুরি সময়ে গোল করে দলকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন। ৩ বছর আগে হোসে মোরিনহো দায়িত্ব ছাড়ার পর সোল্কজায়ের ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। দায়িত্ব নিয়েই হাল ফিরিয়েছিলেন দলের। গত দুই মরশুমে তাঁর কোচিংয়েই তৃতীয় ও দ্বিতীয় স্থানে শেষ করেছিল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। দল সঠিক পথেই এগোচ্ছিল। এই মরশুমে একেবারেই ছন্দে নেই ম্যান ইউ। একের পর এক পরাজয়ে হতাশ হয়ে পড়ছিলেন কর্তারা। তাই শেষ পর্যন্ত তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল।সোল্কজায়েরের পরিবর্ত হিসেবে কোনও কোচ এখনও খুঁজে পায়নি ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড কর্তারা। মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ভিয়ারিয়েলের বিরুদ্ধে খেলা আছে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের। আপাতত মাইকেল ক্যারিক ওই ম্যাচে কোচিংয়ের দায়িত্ব সামলাবেন। তিনি ওলে সোল্কজায়েরের সহকারী হিসেবে কাজ করছিলেন। যতদিন নতুন কোচ না আসছেন, ততদিন মাইকেল ক্যারিককেই দায়িত্ব সামলাতে হবে।

নভেম্বর ২২, ২০২১
খেলার দুনিয়া

ISL : বোমাস ঝড়ে উড়ে গেল কেরালা ব্লাস্টার্স, বড় জয় দিয়ে আইএসএল অভিযান বাগানের

কেরালা ব্লাস্টার্সকে ৪২ ব্যবধানে হারিয়ে দুর্দান্তভাবে আইএসএল অভিযান শুরু করল এটিকে মোহনবাগান। জোড়া গোল করে ম্যাচের নায়ক হুগো বোমাস, একটা করে গোল করেন রয় কৃষ্ণা ও লিস্টন কোলাসো। ম্যাচের সেরা হুগো বোমাস। গত মরশুমে এই কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধেই আইএসএল অভিযান শুরু করেছিল এটিকে মোহনবাগান। সেই ম্যাচে গোল করে দলকে জয় এনে দিয়েছিলেন রয় কৃষ্ণা। এবছরই সেই আইএসএল অভিযানে প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি কেরালা ব্লাস্টার্স। এবারও জয় দিয়ে অভিযান শুরু। গত মরশুমের তুলনায় এবছর কেরালা ব্লাস্টার্সের শক্তি বেড়েছে। তবে এটিকে মোহনবাগানের শক্তি আরও বেড়েছে। মরশুমের শুরুতে মুম্বই সিটি এফসি থেকে হুগো বোমাসকে তুলে নিয়ে সবুজমেরুণ কর্তারা যে ভুল করেননি, প্রথম ম্যাচেই প্রমাম করে দিলেন হুগো বোমাস। তাঁর দুরন্ত ফুটবলে দাঁড়াতেই পারেনি কেরালা ব্লাস্টার্স। ম্যাচের শুরু থেকেই কেরালা ব্লাস্টার্সের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এটিকে মোহনবাগান। ২ মিনিটে এগিয়েও যায়। কর্ণার থেকে বল পেয়ে লিস্টন কোলাসো বল বাড়ান কেরালা ব্লাস্টার্স বক্সের ডানদিকে দাঁড়ানো হুগো বোমাসকে। বক্সের মাথা থেকে ডান পায়ের দুরন্ত শটে বল জালে জড়িয়ে দেন বোমাস। আইএসএলের প্রস্তুতি সেট পিসের ওপর বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছিলেন এটিকে মোহনবাগান কোচ আন্তোনীয় লোপেজ হাবাস। হুগো বোমাসের গোল সেই প্রস্তুতির ফসল।শুরুতে গোল পেয়ে আরও উজ্জীবিত হয়ে ওঠেন এটিকে মোহনবাগান ফুটবলাররা। বারবার কেরালা ব্লাস্টার্সের রক্ষণভাগে আক্রমণ তুলে নিয়ে আসছিলেন রয় কৃষ্ণা, জনি কাউকো, মনবীর সিং, লিস্টন কোলাসোরা। সমতা ফেরানোরল জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে কেরালার ফুটবলাররাও। ২৪ মিনিটে সমতাও ফেরায়। রাহুল প্রবীনের পাস থেকে ডান পায়ের জোরালো শটে গোল করেন সাহাল আব্দুল সামাদ। মিনিট তিনেক পর আবার এগিয়ে যায় এটিকে মোহনবাগান। বক্সের মধ্যে রয় কৃষ্ণাকে ফাউল করেন কেরালা ব্লাস্টার্সের ডিফেন্ডার আলবিনো গোমস। রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। পেনাল্টি থেকে ২১ করেন রয় কৃষ্ণা। ৩৩ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিলেন রয় কৃষ্ণা। বক্সের মাঝখান থেকে নেওয়া তঁার শট বারের ওপর দিয়ে উড়ে যায়। ৩৯ মিনিটে আবার গোল হুগো বোমাসের। বক্সের বাঁদিকের কোণ থেকে নেওয়া তাঁর শট জালে জড়িয়ে যায়। প্রথমার্ধে ৩১ গোলে এগিয়ে গেলেই রাশ আলগা করেননি হাবাসের দলের ফুটবলাররা। ৫০ মিনিটে ৪১ করেন লিস্টন কোলাসো। রয় কৃষ্ণার পাস থেকে বক্সের বাঁদিক থেকে ডানপায়ের দুরন্ত শটে তিনি গোল করেন। ৪ গোল খেয়ে হতদ্যোম না হয়ে মরিয়া হয়ে ওঠে কেরালা ব্লাস্টার্স। ৬৯ মিনিটে আদ্রিয়ান লুনার ডিফেন্স চেরা থ্রু দুজন ডিফেন্ডারের মাঝখান দিয়ে বেরিয়ে ডান পায়ের শটে গোল করে ব্যবধান কমান জর্জ পেরেইরা। শেষ দিকে চাপ রাখলেও আর গোল করতে পারেনি কেরালা ব্লাস্টার্স।

নভেম্বর ১৯, ২০২১
খেলার দুনিয়া

ISL : আজ আইএসএল অভিযানে নামছে এটিকে মোহনবাগান। প্রথম একাদশে কোন ৪ বিদেশি?‌

শুক্রবার আইএসএল অভিযানে নামছে এটিকে মোহনবাগান। সামনে কেরালা ব্লাস্টার্স। গত মরশুমেও এই কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে আইএসএল অভিযান শুরু করেছিল সবুজমেরুণ ব্রিগেড। এবারও প্রথম ম্যাচে সামনে কেরালা। গত মরশুমের তুলনায় এবছর শক্তি অনেকটাই বেড়েছে এটিকে মোহনবাগানের। তা সত্ত্বেও নিজেদের ফেবারিট হিসেবে মানতে নারাজ সবুজমেরুণ কোচ আন্তোনীয় লোপেজ হাবাস। প্রথম ম্যাচে মাঠে নামার আগে হাবাস দারুণ সমীহ করছেন বিপক্ষ শিবিরকে। কেরালা ব্লাস্টার্স সম্পর্কে তিনি বলেন, গত মরশুমের সঙ্গে এই দলটার আকাশপাতাল পার্থক্য আছে। বিভিন্ন পজিশনে বেশ কয়েকজন ফুটবলার বদল হয়েছে। ফুটবলারদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেছি। কিন্তু ওদের খেলা সম্পর্কে আমার ধারণা নেই। এই নিয়ে আমি ভাবছিও না। কারণ বিপক্ষ শিবিরকে নিয়ে চিন্তাভাবনা করাটা আমার অভিধানে নেই। ৩ পয়েন্টের জন্য যা যা করা উচিত, তাই করব। দলে রয়েছেন ৬ জন বিদেশি। আইএসএলের নতুন নিয়ম অনুসারে ৪ জনের বেশি খেলানো যাবে না। বিদেশি বাছাইয়ের কাজটা যে যথেষ্ট কঠিন, স্বীকার করে নিয়েছেন আন্তোনীয় লোপেজ হাবাস। তিনি বলেন, সবাই প্রথম একাদশে খেলার যোগ্য। কিন্তু কোন চারজনকে খেলাব, মাঠে নামার আগে সিদ্ধান্ত নেব। তবে আমার কাছে দেশিবিদেশি সবাই সমান। সব ফুটবলারকে সেরাটা দেওয়ার জন্য তৈরি থাকতে হবে। গোলে অমরিন্দার সিং খেলবেন এটা নিশ্চিত। ডিফেন্সে সন্দেশ ঝিঙ্ঘানের অভাব সুমিত রথী কতটা মেটাতে পারবেন সেটাই দেখার। উইংয়ে লিস্টন কোলাসো এবং মাঝমাঠে হুগো বোমাসের উপস্থিতি এটিকে মোহনবাগানের আক্রমণভাগকে ধারালো করবে সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। স্ট্রাইকারে রয় কৃষ্ণ নিশ্চিত। রক্ষণে তিরি ও মাঝমাঠে হুগো বোমাস যদি খেলেন তাহলে চতুর্থ বিদেশির লড়াই ডেভিড উইলিয়ামস ও জনি কাউকোর মধ্যে।এটিকে মোহনবাগানকে চ্যালেঞ্জ জানাতে তৈরি কেরালা ব্লাস্টার্স। দলে এবার সব বিদেশিই নতুন। চেন্নাইন এফসিতে খেলা এনেস সিপোভিচ ও ক্রোয়েশিয়ার মার্কো লেসকোভিচরা রয়েছেন। মেলবোর্ন সিটিকে এলিগ জেতানো আদ্রিয়ান লুনা, অ্যালভারো ভাসকুয়েজের পাশাপাশি গোলের জন্য হরমনজ্যোৎ সিং খাবড়ার দিকেও তাকিয়ে থাকবে কেরালা ব্লাস্টার্স। সাহাল আবদুল সামাদ, জিকসন সিং, সাথিয়েন সিংরা কেরালার মাঝমাঠে অন্যতম ভরসা। সবুজ মেরুণ শিবিরকে চ্যালেঞ্জ জানাতে তৈরি কেরালা ব্লাস্টার্স কোচ ইভান ভুকোমানোভিচ। তিনি বলেন, ভাল প্রস্তুতি হয়েছে। বেশ কয়েকটা প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলে দলের আত্মবিশ্বাসও বেড়েছে। কোনও প্রতিপক্ষ আমাদের সহজে হারাতে পারবে না।

নভেম্বর ১৯, ২০২১
খেলার দুনিয়া

ATK Mohun Bagan : আইএসএলের অভিযান শুরুর আগে ডার্বির ভাবনা শুরু এটিকে মোহনবাগান ফুটবলারদের

গতবছর কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে আইএসএল অভিযান শুরু করেছিল এটিকে মোহনবাগান। এবছরও প্রথম ম্যাচে সেই কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে সবুজমেরুণ ব্রিগেড। রয় কৃষ্ণার গোলে গতবছর জয় এসেছিল। এবছর শুধু রয় কৃষ্ণা নয়, হুগো বোমাস, মনবীর সিংদের ওপরও ভরসা করছেন এটিকে মোহনবাগান কোচ আন্তোনীয় লোপেজ হাবাস। কারণ তাঁর ফুটবল দর্শনই আলাদা। তারকা প্রথায় বিশ্বাসী নন সবুজমেরুণ কোচ। প্রতিযোগিতার প্রথম ম্যাচ সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ। জয় পেলে বাকি ম্যাচগুলোর রসদ এসে যায়। সেই দিকেই তাকিয়ে আন্তোনীয় লোপেজ হাবাস। গতবছরের মতো জয় দিয়ে আইএসএল অভিযান শুরু করতে বদ্ধপরিকর। আগের মরশুমে ফাইনালে উঠেও শেষরক্ষা হয়নি। এবার সেই আফশোষ মেটাতে চান। ভাল খেলেও দলকে চ্যাম্পিয়ন করতে পারেননি মনবীর সিং। চ্যাম্পিয়ন না হওয়ার আক্ষেপ থেকেই গেছে। এবার সেই আক্ষেপ মেটাতে চান। কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে মাঠে নামার আগে প্রস্তুতির ফাঁকে মনবীর সিং বলেন, গত মরশুমে ৬ গোল করেছিলাম। দলকে চ্যাম্পিয়ন করতে পারিননি। সেই আক্ষেপ থেকেই গেছে। এই মরশুমে চ্যাম্পিয়ন হতেই হবে। খেতাব জিততে গেলে শুরুটা ভাল করতে হবে। প্রথম ম্যাচ জিতলে আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাবে। তাই জয় দিয়ে শুরু করাটা জরুরি। ডার্বি ম্যাচে জয় এলে মনোবল আরও বেড়ে যাবে। সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছি। গত বছরের তুলনায় এবছর এটিকে মোহনবাগান কোচ আন্তোনীও লোপেজ হাবাসের অনুশীলন বৈচিত্র্যে ভরা। ফুটবলাররা দারুণ উপভোগ করছেন। ফুটবলারদের ফিটনের বাড়ানোর দিকে বাড়তি নজর দিয়েছেন সবুজমেরুণ কোচ। পাশাপাশি চলছে সেটপিস অনুশীলন। আধুনিক ফুটবলে সেটপিস থেকে প্রচুর গোল আসে। ম্যাচের ভাগ্যও নির্ধারণ করে দেয়। গোলকিপারদের দক্ষতা বাড়াতে টেনিস বলে অনুশীলন করাচ্ছেন আন্তোনীয় লোপেজ হাবাস। ফুটবলারদের একাধিক ছকে খেলার জন্য প্রস্তুত রাখছেন তিনি। কোন ছকে খেলবেন, সেটা বিপক্ষকে দেখে ঠিক করবেন তিনি। এবছর বেশ কয়েকজন ফুটবলার এটিকে মোহনবাগান ক্লাবে নতুন এসেছেন। যাদের অতীতে ডার্বি খেলার অভিজ্ঞতা নেই। এর মধ্যে যেমন রয়েছেন জনি কাউকো, হুগো বোমাসের মতো বিদেশি, তেমনই রয়েছেন লিস্টন কোলাসো, দীপক টাংরির মতো স্বদেশীরা। প্রত্যেকেই ডার্বি খেলার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন। সন্দেশ ঝিঙ্ঘাননের অভাব মেটাতে চান দীপক। আর লিস্টন কোলাসোর প্রথম ম্যাচের থেকেই বেশি লক্ষ্য ডার্বি।

নভেম্বর ১৫, ২০২১
খেলার দুনিয়া

T20 World cup : কীভাবে চুক্তি ভেঙে বার্সেলোনাতে প্রত্যাবর্তন করলেন জাভি হার্নান্ডেজ?‌ জানতে পড়ুন

কোচ নিয়োগ নিয়ে চূড়ান্ত নাটক বার্সেলোনাতে। একের পর এক ব্যর্থতায় কোচ রোনাল্ড কোম্যানের ওপর তিতিবিরক্ত ছিলেন বার্সা কর্তারা। লক্ষ্য ছিল জাভি হার্নান্ডেজকে কোচ হিসেবে নিযুক্ত করা। কিন্তু কাতারের আল সাদের সঙ্গে ২০২২ পর্যন্ত চুক্তি থাকায় জাভিকে পাওয়া অসুবিধা ছিল। কোম্যানকে সরিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে সের্জিও বারজুয়ানকে নিয়োগ করেছিলেন বার্সা কর্তারা। কিন্তু জাভি হার্নান্ডেজের আশা ছাড়েননি। অবশেষে লক্ষ্যে সফল বার্সা কর্তারা। যাবতীয় উৎকন্ঠার অবসান ঘটিয়ে আল সাদ ছেড়ে বার্সেলোনার দায়িত্ব নিচ্ছেন জাভি হার্নান্ডেজ। ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের শেষ পর্যন্ত জাভি হার্নান্ডেজের সঙ্গে চুক্তি ছিল আল সাদের। তা সত্ত্বেও ছেলেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য ঝাঁপিয়েছিলেন বার্সা কর্তারা। আল সাদের কর্তাদের কাছে জাভিকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোদ জানিয়েছিলেন। আল সাদ কর্তারা রাজি হননি। শেষ পর্যন্ত বার্সেলোনার ভাইসপ্রেসিডেন্ট রাফা ইউসে এবং ফুটবল ডিরেক্টর মাতেও আলাম্যানি দোয়া উড়ে যান জাভিকে ছাড়ার ব্যাপারে আল সাদ কর্তাদের রাজি করাতে। কিন্তু তাঁরা বার্সেলোনার কর্তাদের প্রস্তাবে রাজি হননি। এরপরই বার্সেলোনার কর্তারা রোনাল্ড কোম্যানকে সরিয়ে অস্থায়ী কোচ হিসেবে সের্জিও বারজুয়ানকে নিয়োগ করেন। তাঁদের পরিকল্পনা ছিল কাতার বিশ্বকাপ শেষ হলেই স্থায়ী কোচ হিসেবে জাভি হার্নান্ডেজকে নিয়োগ করার। তবে জাভিকে পাওয়ার ব্যাপারে হাল ছাড়েননি বার্সা কর্তারা। অন্যদিকে, জাভিও বার্সাতে ফেরার জন্য উদগ্রীব ছিলেন। আল সাদের সঙ্গে কীভাবে চুক্তি ছিন্ন করে বেরিয়ে আসা যায়, সেই রাস্তাও তিনি খুঁজছিলেন। জাভি বলেছিলেন, আমি বার্সাতে ফেরার জন্য মুখিয়ে রয়েছি। কিন্তু আল সাদের সঙ্গে আমার চুক্তি রয়েছে। দুটি ক্লাবকে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে রাস্তা বার করতে হবে। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে জাভিকে নেওয়ার জন্য প্রচুর অর্থ বার্সাকে ব্যয় করতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত বার্সা কর্তারা আল সাদকে ক্ষতিপূরণ দিয়েই জাভিকে নিতে রাজি হন। আল সাদের সিইও তুর্কি আলআলি বলেছেন, জাভির সঙ্গে আমাদের ২০২২ বিশ্বকাপের শেষ পর্যন্ত চুক্তি ছিল। শর্ত ছিল, চুক্তি ছিন্ন করলে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। শর্তানুযায়ী বার্সা কর্তারা অর্থ দিতে রাজি হওয়ায় জাভিকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতেও বার্সেলোনাকে আমরা সাহায্য করব। ২০১৫ সালে বার্সেলোনা ছেড়ে খেলার জন্য আল সাদে যোগ দিয়েছিলেন জাভি হার্নানন্ডেজ। ২০১৯ সালে কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেন। নতুন ভুমিকায় দলকে দারুণ সাফল্য এনে দিয়েছিলেন জাভি। বার্সেলোনার পক্ষ থেকে টুইট করে জানানো হয়েছে, জাভির সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। ঘরে ফেরার জন্য স্বাগত। রবিবারই দোহা থেকে কাতার পৌঁছবেন জাভি। সোমবার বার্সিলোনার নতুন কোচ হিসেবে তাঁকে তুলে ধরা হবে। জাভির প্রত্যাবর্তনে খুশির হাওয়া ন্যু ক্যাম্পে।

নভেম্বর ০৬, ২০২১
খেলার দুনিয়া

ATK Mohun Bagan : বাধ্যতামূলক ৮ দিনের কোয়ারেন্টিন পর্ব শুরু হল এটিকে মোহনবাগানের

দল গঠনে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এসসি ইস্টবেঙ্গলকে টেক্কা দিলেও আইএসএলের প্রস্তুতির ব্যাপারে অনেকটাই পিছিয়ে এটিকে মোহনবাগান। কদিন আগে দলবল নিয়ে গোয়ায় পৌঁছে প্রস্তুতি শুরু করেছেন প্রথম দিকে ফুটবলারদের ফিটনেসের ওপর নজর দিয়েছিলেন। তারপর বল নিয়ে অনুশীলন। বুধবার থেকে ৮ দিনের কোয়ারেন্টিনে ঢুকে গেল এটিকে মোহনবাগান।দেরিতে প্রস্তুতিতে নামলেও সমস্যা হবে না এটিকে মোহনবাগানের। কারণ এএফসি কাপ এবং জাতীয় দলের খেলার সুবাদে অধিকাংশ ফুটবলারই প্রস্তুতির মধ্যে ছিলেন। কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস চেয়েছিলেন সব ফুটবলারকে একসঙ্গে নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করা। সেই কারণে জাতীয় দলের দায়িত্ব পালন করে ফুটবলাররা ফিরে না আসা পর্যন্ত তিনি অপেক্ষা করেছিলেন।জাতীয় দলের ফুটবলাররা ফিরে আসার পরই আইএসএলের প্রস্তুতি শুরু করেন আন্তেনিও লোপেজ হাবাস। হুগো বোমাস এখনও দলের সঙ্গে যোগ দেননি। বাকিদের নিয়ে অনুশীলন করাচ্ছিলেন। বুধবার থেকে কোয়ারেন্টিনে ঢুকে গেল এটিকে মোহনবাগান। দলের সঙ্গে এক হোটেলে না থেকে এতদিন রয় কৃষ্ণা অন্য হোটেলে থেকে অনুশীলন করেছিলেন। রয় কৃষ্ণার সঙ্গে তাঁর স্ত্রী রয়েছেন। সম্তানসম্ভবা স্ত্রীকে দেখাশোনা করবেন বলেই তিনি আলাদা থাকছিলেন। বুধবার থেকে তিনিও সতীর্থদের সঙ্গে কোয়ারেন্টিনে ঢুকে গেলেন। ভিসা সমস্যা মিটিয়ে কয়েকদিনের মধ্যে হুগো বোমাসও দলের সঙ্গে যোগ দেবেন। দলে যোগ দিলেও সতীর্থদের সঙ্গে কোয়ারেন্টিনে থাকতে পারবেন না হুগো বোমাস।বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন পর্ব চলাকালীন ফুটবলারদের হোটেলের মধ্যেই ফিজিক্যাল ট্রেনিং চলবে। কোয়ারেন্টিন পর্ব শেষ হওয়ার পর আবার বল নিয়ে মাঠে নামবেন রয় কৃষ্ণারা। আইএসএলে এটিকে মোহনবাগানের প্রথম ম্যাচ ১৯ নভেম্বর। তার আগে ১৫ দিন পুরোদমে অনুশীলন করতে পারবে এটিকে মোহনবাগান। আন্তেনিও লোপেজ হাবাসকে স্বস্তি দিচ্ছে প্রবীর দাসের চোট সারিয়ে ওঠা। এটিকে মোহনবাগান কোচের আশা প্রথম ম্যাচ থেকেই মাঠে নামতে পারবেন প্রবীর দাস। দেরিতে প্রস্তুতিতে নামলেও কোনও সমস্যা হবে না বলে মনে করছেন এটিকে মোহনবাগান কোচ আন্তেনিও লোপেজ হাবাস। তাঁর মতে, প্রথম ম্যাচে মাঠে নামার আগে ১৫ দিনের প্রস্তুতিই যথেষ্ট। এই সময়ের মধ্যে ফুটবলারদের মধ্যে বোঝাপড়া গড়ে তুলতে কোনও সমস্যা হবে না বলে তিনি মনে করছেন। ২৭ নভেম্বর আইএসএলের ডার্বিতে এসসি ইস্টবেঙ্গলের মুখোমুখি হবে এটিকে মোহনবাগান। প্রথম ম্যাচে দল দেখে নিতে যান। যদিও প্রস্তুতি চলাকালীন প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলারও পরিকল্পনা রয়েছে এটিকে মোহনবাগান কোচ আন্তেনিও লোপেজ হাবাসের।

অক্টোবর ২৭, ২০২১
খেলার দুনিয়া

SC East Bengal : টানা তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচে জয়, দল গুছিয়ে নিচ্ছেন দিয়াজ

এসসি ইস্টবেঙ্গল আদৌও আইএসএল খেলতে পারবে কিনা তা নিয়ে একসময় অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। খুব কম সময়ের মধ্যে দল গঠন করতে হয়েছিল লাল-হলুদ কর্তাদের। দলকে নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সময় যত গড়াচ্ছে দলকে তৈরি করে নিচ্ছেন এসসি ইস্টবেঙ্গল কোচ মানোলো দিয়াজ। ফিটনেস ট্রেনিংয়ের পর বল নিয়ে মাঠে নেমে পড়েছেন ফুটবলাররা। ইতিমধ্যে তিন-তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলে ফেলেছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। তিনটিতেই জয় পেয়েছে। ভাস্কো এবং সালগাঁওকরের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচে জয়ের পর গোকুলাম এফসি-র বিরুদ্ধেও জয় তুলে নিল। তুলনামূলক শক্তিশালী প্রতিপক্ষ গতবারের আই লিগ চ্যাম্পিয়নকে হারাল ২১ ব্যবধানে।গোকুলামের বিরুদ্ধে প্রথমার্ধেই ২ গোলে এগিয়ে যায় এসসি ইস্টবেঙ্গল। গোল করেন বলবন্ত সিং এবং আঙ্গৌসানা। এদিন প্রথমার্ধে দুর্দান্ত ফুটবল উপহার দেন লাল-হলুদ ফুটবলাররা। বিশেষ করে নজর কাড়েন অ্যান্তোনিও পেরোসেভিচ এবং বিকাশ জাইরু। এদিন নাইজেরিয়ার স্ট্রাইকার ড্যানিয়েল চিমাকে শুরু থেকে মাঠে নামাননি মানোলো দিয়াজ। দ্বিতীয়ার্ধে তিনি মাঠে নামান। মাঠে নেমেই নিজেকে মেলে ধরার চেষ্টা করেন। গোল করারও সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর সেই প্রয়াস আটকে দেন গোকুলাম গোলরক্ষক। ম্যাচের ৭১ মিনিটে লাল-হলুদের রক্ষণের ভুলে গোকুলামের রাহিম ওসুমানু ব্যবধান কমান। ম্যাচের শেষদিকে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি ছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল এদিনই প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে মাঠে নামেন চিমা। তিনি বলেন, দলের সঙ্গে কয়েকদিন অনুশীলন করেছি। সতীর্থদের সঙ্গে বোঝাপড়া গড়তে সময় লাগবে। যত সময় এগোবে, বুঝতে পারব সতীর্থরা কীভাবে খেলে। আর তারাও আমার খেলার পদ্ধতি বুঝতে পারবে। তবে এই জয়টা আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।এদিকে গোয়ায় হোটেল পরিবর্তন করছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। প্রস্তুতি পর্বের শুরুতে দক্ষিণ গোয়ার ভিলাজিও রিসর্টে ঘাঁটি গেঁড়েছিল লাল-হলুদ শিবির। হোটেলের এক কর্মী কোয়ারেন্টিন নিয়ম ভাঙ্গায় জৈব সুরক্ষা বলয় নষ্ট হয় এসসি ইস্টবেঙ্গলের। তারপর কোয়ারেন্টিনের বাইরে থেকে অনুশীলনের সিদ্ধান্ত নেয় তারা। তিন সপ্তাহ কোয়ারেন্টিনের বাইরে থেকে আইএসএলের নিয়ম অনুযায়ী ৮ দিনের কোয়ারেন্টিনে ঢুকে যাবে। হোটেল খোঁজার কাজ চলছে। অনেকটা ঠিকও হয়ে গেছে। উত্তর গোয়ায় হোটেল জোন কানেক্ট। এই হোটেল ভিলাজিও রিসর্টের থেকে অনেক উন্নতমানের। হোটেলের সঙ্গে অনুশীলনের মাঠও বদল হবে। নতুন হোটেলে থেকেই চলবে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। সব ঠিক থাকলে ২৪ অথবা ২৫ অক্টোবর নতুন হোটেলে কোয়ারেন্টিন শুরু হবে এসসি ইস্টবেঙ্গলের।

অক্টোবর ২০, ২০২১
খেলার দুনিয়া

India Football Match : মেসির থেকে ১ গোল পেছনে সুনীল, সাফ চাম্পিয়নশিপে ফাইনালে ভারত

দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম শক্তিধর দেশ। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে অন্য দলগুলির তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে। অনেক প্রত্যাশা নিয়ে এবছর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে নেমেছিল ভারত। বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম দুটি ম্যাচ ড্র করে চাপে পড়ে গিয়েছিল। নেপালকে হারিয়ে ফাইনালের আশা জিইয়ে রেখেছিল ইগর স্টিম্যাকের দল। মালদ্বীপকে ৩১ ব্যবধানে হারিয়ে অবশেষে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারত। আগের বারের ফাইনালে হারের মধুর প্রতিশোধ। জোড়া গোল করে ভারতের জয়ের নায়ক সুনীল ছেত্রি। ম্যাচের ৮০ মিনিটে লাল কার্ড দেখে রিজার্ভ বেঞ্চ থেকে বেরিয়ে যেতে হয় ভারতীয় দলের কোচ ইগর স্টিম্যাককে। লিগের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের সঙ্গে ড্র করে ৪ ম্যাচে ৭ পয়েন্টে পৌঁছে গিয়েছিল নেপাল। ভারতের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে মালদ্বীপের ৩ ম্যাচে পয়েন্ট ছিল ৬। আর ভারতের ৫। ফলে ফাইনালে যেতে গেলে শেষ ম্যাচে মালদ্বীপের বিরুদ্ধে জেতা ছাড়া কোনও রাস্তা ছিল না ভারতীয় দলের সামনে। মরণবাঁচন ম্যাচে জ্বলে উঠলেন সুনীল ছেত্রি। ৪ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট পেয়ে শীর্ষে ভারত। সুনীলরা ফাইনালে খেলবে দ্বিতীয় স্থানে থাকা নেপালের বিরুদ্ধে। মালদ্বীপের বিরুদ্ধে ডু অর ডাই ম্যাচে প্রথম একাদশে পরিবর্তন করেননি ইগর স্টিম্যাক। নেপালের বিরুদ্ধে জয়ী দলকেই মাঠে নামিয়েছিলেন। এদিন শুরু থেকেই মালদ্বীপের চাপ ছিল। ম্যাচের ৯ মিনিটে সুবিধাজনক জায়গায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন আলি আশফাক। কোনও রকমে পরিস্থিতি সামাল দেন রাহুল বেকে। ১৩ মিনিটে আবার সুযোগ এসে গিয়েছিল মালদ্বীপের সামনে। সে যাত্রায় দলকে রক্ষা করেন গুরপ্রীত সিং সান্ধু। ম্যাচের ২৬ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছিল ভারতের সামনে। সুনীল ছেত্রির হেড পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ম্যাচের ৩৩ মিনিটে এগিয়ে যায় ভারত। মনবীর সিংয়ের ডান পায়ের জোরালো শট জালে জড়িয়ে যায়। ম্যাচের ৪৩ মিনিটে মালদ্বীপের হামজাকে ফাউল করেন প্রীতম কোটাল। রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। পেনাল্টি থেকে সমতা ফেরান আশফাক। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ধাক্কা খায় ভারত। ৪৮ মিনিটে চোট পেয়ে মাঠ থেকে বেরিয়ে যায় ব্রেন্ডন। তাঁর পরিবর্তে মাঠে নামেন উদান্ত সিং। গোলের জন্য দ্বিতীয়ার্ধে আরও মরিয়া হয়ে ওঠে ভারত। একের পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে আসে মালদ্বীপ রক্ষণে। ম্যাচের ৬২ মিনিটে সুনীল ছেত্রির গোলে আবার এগিয়ে যায় ভারত। ২ মিনিট পরেই সমতা ফেরানোর সুযোগ এসেছিল মালদ্বীপের সামনে। গুরপ্রীত ভারতের পতন রোধ করেন। ৭১ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেন সুনীল ছেত্রি। এদিন ২ গোল করার সুবাদে দেশের হয়ে গোল করার দিক দিয়ে পেলেকে টপকে গেলেন তিনি। পেলের গোল সংখ্যা ৭৭। সুনীলের গোল সংখ্যা ৭৯। লিওনেল মেসির থেকে ১ গোল পেছনে। ম্যাচের একেবারে অন্তিম লগ্নে লাল কার্ড দেখেন ভারতের শুভাশিস বোস।

অক্টোবর ১৩, ২০২১
খেলার দুনিয়া

SAFF Championship : পেলেকে স্পর্শ সুনীলের, ফাইনালের স্বপ্ন ভারতের

বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে পরপর জুটি ম্যাচে ড্র করে দারুণ চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারত। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ফাইনালের আশা জিইয়ে রাখতে গেলে নেপালের বিরুদ্ধে জেতা ছাড়া রাস্তা ছিল না ভারতীয় দলের সামনে। মরণবাঁচন ম্যাচে জ্বলে উঠল ইগর স্টিম্যাকের দল। নেপালকে ১০ ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালের আশা জিইয়ে রাখল। মরণবাঁচন ম্যাচে দেশের মান বাঁচালেন সুনীল ছেত্রি। পাশাপাশি এদিন গোল করে কিংবদন্তি ফুটবলার পেলেকে স্পর্শ করলেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক। ভারতের কাছে যেমন এদিন ছিল মরণবাঁচন ম্যাচ, তেমনই সুনীল ছেত্রির কাছে ছিল পেলেকে ছোঁয়ার ম্যাচ। ব্রাজিলের জার্সি গায়ে পেলে ৭৭ গোল করেছেন। নেপালের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে দেশের জার্সি গায়ে সুনীলের গোল সংখ্যা ছিল ৭৬। ম্যাচের ৮২ মিনিটে নেপালের জালে বল ঢুকিয়ে পেলের পাশে জায়গাআ করে নিলেন সুনীল ছেত্রি। নেপালের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে বেশ কয়েকটা পরিবর্তন করেছিলেন ইগর স্টিম্যাক। তা সত্ত্বেও ভারতের খেলায় খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। প্রথমার্ধে ভারতকে তেমন ছন্দে দেখা যায়নি। বলার মতো একটা মাত্রই সুযোগ পেয়েছিল ইগর স্টিম্যাকের দল। ৩৪ মিনিটে প্রীতম কোটালের কাছ থেকে নেপাল পেনাল্টি বক্সে বল পেয়ে মাইনাস করেন সুরেশ। সুরেশ যখন মাইনাস করেন, সুনীলের সামনে কেউ ছিলেন না। ফাঁকা গোলে বল ঠেলতে ব্যর্থ হন সুনীল। প্রথমার্ধে কোনও দলই আর গোল করার সুযোগ পাননি। দ্বিতীয়ার্ধেও সেই ছন্নছাড়া ফুটবল। নেপালের লক্ষ্য ছিল ভারতকে কোনও রকমে আটকে দিয়ে ১ পয়েন্ট নিশ্চিত করা। তাহলেই ফাইনালের দিকে এগিয়ে যাবে। তাই রক্ষণের দিকে বেশি নজর দিয়েছিল। নেপালের রক্ষণ ভেদ করতে পারছিলেন না সুনীলরা। তার মাঝেই ৫৭ মিনিটে ব্রেন্ডনের কর্ণারে সুবিধাজনক জায়গা থেকে নেপাল গোলকিপারের হাতে হেড করেন মনবীর সিং। ৭৭ মিনিটে আবার গোল করার সুযোগ পেয়েছিল ভারত। ব্রেন্ডনের ফ্রিকিক বক্সের মধ্যে হেড করার চেষ্টা করেন সুনীল ছেত্রি। বল তাঁর মাথার পেছন দিকে লেগে যায় শুভাশিস বোসের কাছে। তাঁর হেড আটকে দেন নেপাল গোলকিপার কিরণ কুমার।শেষদিকে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে ভারত। ৮০ মিনিটে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন সুনীল ছেত্রি। বেশ কয়েকটা সুযোগ নষ্ট করার পর অবশেষে ৮২ মিনিটে লক্ষ্যভেদ ভারতীয় দলের অধিনায়কের। বাঁদিক থেকে ব্রেন্ডনের সেন্টার ফারুখ চৌধুরি হেডে নামিয়ে দিলে বাঁপায়ের সাইড ভলিতে বল জালে জড়িয়ে দেন সুনীল। একই সঙ্গে ভারতের ফাইনালের স্বপ্নও জেগে রইল। ৩ ম্যাচে ভারতের পয়েন্ট ৫। শেষ ম্যাচ খেলবে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা মালদ্বীপের সঙ্গে। জিতলেই ফাইনালে পৌঁছে যাবে ভারত। প্রতিযোগিতায় দেশকে টিকিয়ে রাখতে পেরে খুশি সুনীল ছেত্রি। ম্যাচের পর তিনি বলেন, গোলের সামনে আমরা বারবার ব্যর্থ হয়েছি। ফাইনালের আশা টিকিয়ে রাখতে পেরে ভাল লাগছে। বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে পরপর জুটি ম্যাচে ড্র করে দারুণ চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারত। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ফাইনালের আশা জিইয়ে রাখতে গেলে নেপালের বিরুদ্ধে জেতা ছাড়া রাস্তা ছিল না ভারতীয় দলের সামনে। মরণবাঁচন ম্যাচে জ্বলে উঠল ইগর স্টিম্যাকের দল। নেপালকে ১০ ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালের আশা জিইয়ে রাখল। মরণবাঁচন ম্যাচে দেশের মান বাঁচালেন সুনীল ছেত্রি। পাশাপাশি এদিন গোল করে কিংবদন্তি ফুটবলার পেলেকে স্পর্শ করলেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক। ভারতের কাছে যেমন এদিন ছিল মরণবাঁচন ম্যাচ, তেমনই সুনীল ছেত্রির কাছে ছিল পেলেকে ছোঁয়ার ম্যাচ। ব্রাজিলের জার্সি গায়ে পেলে ৭৭ গোল করেছেন। নেপালের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে দেশের জার্সি গায়ে সুনীলের গোল সংখ্যা ছিল ৭৬। ম্যাচের ৮২ মিনিটে নেপালের জালে বল ঢুকিয়ে পেলের পাশে জায়গাআ করে নিলেন সুনীল ছেত্রি। নেপালের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে বেশ কয়েকটা পরিবর্তন করেছিলেন ইগর স্টিম্যাক। তা সত্ত্বেও ভারতের খেলায় খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। প্রথমার্ধে ভারতকে তেমন ছন্দে দেখা যায়নি। বলার মতো একটা মাত্রই সুযোগ পেয়েছিল ইগর স্টিম্যাকের দল। ৩৪ মিনিটে প্রীতম কোটালের কাছ থেকে নেপাল পেনাল্টি বক্সে বল পেয়ে মাইনাস করেন সুরেশ। সুরেশ যখন মাইনাস করেন, সুনীলের সামনে কেউ ছিলেন না। ফাঁকা গোলে বল ঠেলতে ব্যর্থ হন সুনীল। প্রথমার্ধে কোনও দলই আর গোল করার সুযোগ পাননি। দ্বিতীয়ার্ধেও সেই ছন্নছাড়া ফুটবল। নেপালের লক্ষ্য ছিল ভারতকে কোনও রকমে আটকে দিয়ে ১ পয়েন্ট নিশ্চিত করা। তাহলেই ফাইনালের দিকে এগিয়ে যাবে। তাই রক্ষণের দিকে বেশি নজর দিয়েছিল। নেপালের রক্ষণ ভেদ করতে পারছিলেন না সুনীলরা। তার মাঝেই ৫৭ মিনিটে ব্রেন্ডনের কর্ণারে সুবিধাজনক জায়গা থেকে নেপাল গোলকিপারের হাতে হেড করেন মনবীর সিং। ৭৭ মিনিটে আবার গোল করার সুযোগ পেয়েছিল ভারত। ব্রেন্ডনের ফ্রিকিক বক্সের মধ্যে হেড করার চেষ্টা করেন সুনীল ছেত্রি। বল তাঁর মাথার পেছন দিকে লেগে যায় শুভাশিস বোসের কাছে। তাঁর হেড আটকে দেন নেপাল গোলকিপার কিরণ কুমার।শেষদিকে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে ভারত। ৮০ মিনিটে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন সুনীল ছেত্রি। বেশ কয়েকটা সুযোগ নষ্ট করার পর অবশেষে ৮২ মিনিটে লক্ষ্যভেদ ভারতীয় দলের অধিনায়কের। বাঁদিক থেকে ব্রেন্ডনের সেন্টার ফারুখ চৌধুরি হেডে নামিয়ে দিলে বাঁপায়ের সাইড ভলিতে বল জালে জড়িয়ে দেন সুনীল। একই সঙ্গে ভারতের ফাইনালের স্বপ্নও জেগে রইল। ৩ ম্যাচে ভারতের পয়েন্ট ৫। শেষ ম্যাচ খেলবে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা মালদ্বীপের সঙ্গে। জিতলেই ফাইনালে পৌঁছে যাবে ভারত। প্রতিযোগিতায় দেশকে টিকিয়ে রাখতে পেরে খুশি সুনীল ছেত্রি। ম্যাচের পর তিনি বলেন, গোলের সামনে আমরা বারবার ব্যর্থ হয়েছি। ফাইনালের আশা টিকিয়ে রাখতে পেরে ভাল লাগছে।

অক্টোবর ১১, ২০২১
খেলার দুনিয়া

SAFF Championship : নেপালের বিরুদ্ধে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে মরণবাঁচন ম্যাচে নামছেন সুনীলরা

অনেক প্রত্যাশা নিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে নেমেছে ভারতীয় ফুটবল দল। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে প্রতিযোগিতার অন্য দলগুলির তুলনায় এগিয়ে থাকলেও প্রথম দুটি ম্যাচে সুনীল ছেত্রিদের পারফরমেন্স অনুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে খুঁজতে হচ্ছে। বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে পরপর ড্র করে অস্তিত্ব সংকটে ভারত। ফাইনালে ওঠার আশা জিইয়ে রাখতে গেলে রবিবার নেপালের বিরুদ্ধে জেতা ছাড়া রাস্তা নেই ইগর স্টিম্যাকের দলের সামনে। বলতে গেলে একপ্রকার ডু অর ডাই ম্যাচ।দু ম্যাচে জিতে ৬ পয়েন্ট নিয়ে এই মুহূর্তে গ্রুপ শীর্ষে রয়েছে নেপাল। গ্রুপ শীর্ষে থাকা দলের বিরুদ্ধে লড়াই যে সহজ হবে না, সেকথা নিশ্চিতভাবে বলা যায়। মাস খানেক আগে এই নেপালের বিরুদ্ধে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলেছিলেন সুনীল ছেত্রিরা। একটা ড্র, আর একটা ম্যাচে জিতেছিল ভারত। প্রীতি ম্যাচ আর প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচের মধ্যে আকাশপাতাল পার্থক্য। ফলে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ভারতের কাছে লড়াইটা যে যথেষ্ট কঠিন হবে, সেকথা নিশ্চিতভাবে বলা যায়।ভারতীয় দলের কোচ ইগর স্টিম্যাক অবশ্য মনে করছেন, নেপালের বিরুদ্ধে প্রীতি ম্যাচে তাঁর দল যে ফুটবল উপহার দিয়েছিল, তা তুলে ধরতে পারলে জেতা সমস্যা হবে না। নেপালকে হারিয়ে ফাইনালের লড়াইয়ে থাকার ব্যাপারে তিনি আত্মবিশ্বাসী। মরণবাঁচন ম্যাচে খেলতে নামার আগে স্টিম্যাক বলেন, নেপালের বিরুদ্ধে জিতলে আমরা ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে থাকব। সেপ্টেম্বরে ওদের বিরুদ্ধে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলেছিলাম। একে অপরের সম্পর্কে ধারণা আছে। তবে বিপক্ষের ওপর বেশি ফোকাস করতে চাই না। জিততে গেলে আমাদের নিজেদের খেলায় উন্নতি করতে হবে। আগের দুটি ম্যাচের মতো ভুল করলে চলবে না। গোলের সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। সুনীল ছেত্রি আটকে গেলেই গোল পেতে সমস্যা হচ্ছে ভারতের। প্রথম ম্যাচে মনবীর সিং নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। রিস্টন কোলাসোও ব্যর্থ। বাকিরাও পজিটিভ সুযোগ নষ্ট করছেন। এই অবস্থায় সেই অভিজ্ঞ সুনীল ছেত্রির দিকেই তাকিয়ে ভারতীয় দলের কোচ ইগর স্টিম্যাক। নেপালের বিরুদ্ধে আবার প্রথম একাদশে পরিবর্তন করতে চলেছেন তিনি। মনবীরকে প্রথম একাদশে ফেরাতে পারেন। প্রথম একাদশে ফিরতে পারেন ব্রেন্ডন ফার্নান্ডেজ ও প্রীতম কোটাল। প্রথম দুটি ম্যাচে ড্র করে অনেকটাই ভেঙে পড়ছিল গোটা ভারতীয় শিবির। কোচ ইগর স্টিম্যাক দলকে নতুন করে উদ্দীপ্ত করেছেন। অধিনায়ক সুনীল ছেত্রিও দলকে উদ্বুদ্ধ করার দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন। তিনিও তাকিয়ে পেলের রেকর্ড স্পর্শ করার দিকে।

অক্টোবর ০৯, ২০২১
খেলার দুনিয়া

‌ISL 2021-22 : আইএসএলের শিল্ড উইনারের প্রাইজ মানি কত জানেন?‌ চোখ কপালে উঠবে

ভারতীয় ক্রীড়া জগতে টাকার খেলা বললেই উঠে আসে আইপিএলের কথা। ফুটবল এতদিন অনেকটাই পিছিয়ে ছিল। এবার আর্থিক পুরস্কারের দিক দিয়ে চমক দিতে চলেছে আইএসএল। ২০২১২২ মরশুমে সর্বকালীন রেকর্ড হতে চলেছে আইএসএলের পুরস্কারমূল্য। আইপিএলের ধারে কাছে পৌঁছতে না পারলেও অনেকটাই বাড়ছে শিল্ড উইনারের পুরস্কারমূল্য। শুক্রবারই পুরস্কারমূল্যের অঙ্ক ঘোষণা করেছে আইএসএলের আয়োজক সংস্থা। পুরস্কারমূল্য সবথেকে বেশি বৃদ্ধি হয়েছে লিগ শিল্ড উইনারের ক্ষেত্রে। লিগ পর্বে পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে থাকা দলকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। আগে পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে থাকা দলকে কোনও আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হত না। ২০১৯২০ মরশুম থেকে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা দলকে শিল্ড উইনার পুরস্কার দেওয়া চালু করেছে আইএসএল কর্তৃপক্ষ। যে দল লিগ পর্বে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকবে তারা পাবে সাড়ে ৩ কোটি টাকা। গত মরশুমে পেয়েছিল ৫০ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ ৭ গুন বেশি। পুরস্কারের পাঁচটি বিভাগে পুরস্কারমূল্যে সামঞ্জস্য আনার জন্য এবার লিগ শিল্ড উইনারের প্রাইজমানি আরও তিন কোটি টাকা বাড়ান হল। শিল্ড উইনারের পুরস্কারমূল্য তিন কোটি বাড়ানো হলেও চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সের পুরস্কারমূল্য কমানো হয়েছে। সামনের মরশুম থেকে চ্যাম্পিয়ন দল ৮ কোটির পরিবর্তে পাবে ৬ কোটি টাকা। আর রানার্স দল ৪ কোটি টাকার পরিবর্তে পাবে ৩ কোটি টাকা। সেমিফাইনালে ওঠা বাকি দুই দল পাবে দেড় কোটি টাকা করে। চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স দলের পুরস্কারমূল্য কমলেও সার্বিকভাবে সব দলের কাছেই অন্যবারের তুলনায় বেশি পুরস্কারমূল্য জেতার হাতছানি রয়েছে। লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকা দল যদি চ্যাম্পিয়ন হয় তাহলে সবথেকে তারাই বেশি লাভবান হবে। সবমিলিয়ে তারা পাবে সাড়ে ৯ কোটি টাকা। লিগশীর্ষে থাকা দল ফাইনালে হেরে রানার্স হয় তাহলেও তারা সাড়ে ৬ কোটি টাকা পাবে। যদি লিগ শীর্ষে থাকা দল তৃতীয় বা চতুর্থ স্থান পায় তাহলেও তারা ন্যূনতম ৫ কোটি টাকা পাবে। ২০২১-২২ মরশুম থেকে প্রাইজমানি পুল বেড়ে হচ্ছে ১৫.৫ কোটি টাকা।

অক্টোবর ০৮, ২০২১
খেলার দুনিয়া

S‌AAF Championship : শ্রীলঙ্কার কাছে আটকে গিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে সঙ্কটে ভারত

বাংলাদেশ তবু একটু শক্তিশালী প্রতিপক্ষ ছিল। কিন্তু শ্রীলঙ্কা? বাংলাদেশের তুলনায় অনেকটাই দুর্বল। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ভারতের থেকে ৯৮ ধাপ পিছিয়ে। এইরকম দলের কাছেও আটকে যেতে হল ভারতকে! শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ম্যাচ গোলশূন্য ড্র করে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন থেকে অনেকটাই দুরে সরে গেলেন সুনীল ছেত্রিরা। ফাইনালে যেতে গেলে লিগের বাকি দুটি ম্যাচ শুধু জিতলেই হবে না, অন্য ম্যাচের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে।বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকজন ফুটবলারের পারফরমেন্সে একেবারেই সন্তুষ্ট হতে পারেননি ভারতীয় দলের কোচ ইগর স্টিম্যাক। তাই শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে প্রথম একাদশে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন করেন। ফুটবলারদের পজিশনও বদল করে দেন। আগের ম্যাচে রক্ষণে দলকে একেবারেই নির্ভরতা দিতে পারেননি প্রীতম কোটাল। তাই এদিন রক্ষণ আমূল বদলে দেন। শুভাশিস বসুকে ডিফেন্সে নামিয়ে নিয়ে আসেন ইগর স্টিম্যাক। সেন্ট্রাল ডিফেন্সে প্রীতম কোটালের পরিবর্তে সুরেশ সিংকে নামিয়ে রাহুল বেকেকে তাঁর সঙ্গে জুড়ে দেন। মাঝমাঠে ব্রেন্ডন, আক্রমণভাগে মনদীপ সিংদের প্রথম একাদশে জায়গা হয়নি।একগুচ্ছ পরিবর্তন করেও হাল ফেরেনি ভারতের। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সুনীল ছেত্রিদের যে দাপট ছিল, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথমার্ধে সেই দাপট দেখা যায়নি। তার মাঝেই ম্যাচের ১৪ মিনিটে মন্দার রাওয়ের ক্রস থেকে গোল করার মতো সুযোগ এসে গিয়েছিল সুনীল ছেত্রির সামনে। শ্রীলঙ্কার গোলকিপার সুজন পেরেরা সুনীলের সেই প্রয়াস রুখে দেন। ২২ মিনিটে ডানদিক থেকে ভেসে আসা বলে অরক্ষিত অবস্থায় থেকেও হেডে বল জালে পাঠাতে ব্যর্থ লিস্টন কোলাসো। এটাই ছিল প্রথমার্ধের সবথেকে সহজ সুযোগ। এই দুটি সুযোগ ছাড়া প্রথমার্ধে বলার মতো আর কোনও সুযোগ তৈরি করতে পারেনি ভারত। মাঝমাঠ থেকে সেভাবে বল সরবরাহ না হওয়ায় সুনীল ছেত্রিও জ্বলে উঠতে পারেননি। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য কিছুটা খেলায় ফেরে ভারত। রিস্টন কোলাসো, উদান্ত সিং, অনিরুদ্ধ থাপারা একের পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে আসছিলেন। ৬০ মিনিটে গোল করার মতো পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছিল। রিস্টন কোলাসোর পাস ৬ গজ বক্সের মধ্যে পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন অনিরুদ্ধ থাপা। দ্বিতীয়ার্ধে রিস্টন কোলাসোর জায়গায় আব্দুল সামাদ ও অনিরুদ্ধ থাপার পরিবর্তে ফারুখ চৌধুরিকে নামান ইগর স্টিম্যাক। ৭২ মিনিটে জটলার মধ্যে থেকে শ্রীলঙ্কার জালে বল পাঠান ফারুখ। কিন্তু শুভাশিস শ্রীলঙ্কার এক ফুটবলারকে ফাউল করায় সেই গোল বাতিল হয়ে যায়। ৮৯ মিনিটে কর্ণার থেকে ভেসে আসা বল সুনীল ছেত্রি হেডে নামিয়ে দিলে গোলকিপারের সঙ্গে হাতমেলানো দুরত্ব থেকে অবিশ্বাস্যভাবে বল বারের ওপর দিয়ে উড়িয়ে দেন শুভাশিস বসু। শেষ দিকে প্রবল চাপ রেখেও জয় আসেনি। পরপর দুম্যাচে আটকে গিয়ে গভীর সঙ্কটে পড়ে গেল ভারত।

অক্টোবর ০৭, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Sunil Chetri: শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া ভারত, পেলের কৃতিত্বের সামনে সুনীল ছেত্রি

প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ড্র করায় বেশ বিপাকে ভারত। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠতে গেলে লিগের বাকি ম্যাচগুলোতে জিততে হবে ইগর স্টিম্যাকের দলকে। এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে খেলতে নামছেন সুনীল ছেত্রিরা।আগের ম্যাচে বাংলাদেশকে ১০ জনে পেয়েও হারাতে পারেনি ভারত। সুনীল ছেত্রিদের পারফরমেন্স নিয়ে চারিদিকে প্রশ্ন উঠেছে। বাংলাদেশের কাছে আটকে যাওয়াটা এখনও মন থেকে মেনে নিতে পারছেন না কোচ থেকে ফুটবলাররা। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া। আগের ম্যাচ ড্র করে মনোবলে আঘাত লাগছেও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ভারতীয় শিবির। আর আত্মবিশ্বাসের মূল কারণ বাংলাদেশের থেকে অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল শ্রীলঙ্কা। শক্তির বিচারে ভারতীয় দলের তুলনায় শ্রীলঙ্কা অনেক পিছিয়ে রয়েছে। তা সত্ত্বেও বিপক্ষ শিবিরকে একেবারেই হালকা ভাবে নিচ্ছে ভারতীয় শিবির। পচা শামুকে পা কাটতে পারে, এই আশঙ্কায় ভুগছে ভারতীয় শিবির। তবে আগের ম্যাচের ব্যর্থতা ভুলে গোটা দল নতুনভাবে ঝাঁপাতে চাইছে। ভারতীয় দলের কোচ ইগর স্টিম্যাকও বাংলাদেশ ম্যাচের কথা এখনও মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে পারছে না। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচে আমাদের ভুলের মাশুল দিতে হয়েছে। এবার আমাদের সামনে তাকাতে হবে। গ্রুপ লিগে এখনও তিনটে ম্যাচ বাকি। এই ম্যাচগুলিতে আমাদের আরও ভাল খেলতে হবে। বাকি ম্যাচগুলো জিতলে আমাদের ফাইনালে যেতে সমস্যা হবে না। ফুটবলারদের ধৈর্য ধরতে হবে।বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচে বেশ কয়েকজন ফুটবলারের খেলায় হতাশ ভারতীয় দলের কোচ ইগর স্টিম্যাক। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ম্যাচে প্রথম একাদশে কয়েকটা পরিবর্তন করতে চলেছেন তিনি। তবে প্রথম একাদশ খোলসা করেননি। এই ব্যাপারে তিনি বলেন, আমাদের হাতে এখনও অনেকটা সময় আছে। ম্যাচের আগে প্রথম একাদশ ঠিক করব। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচ নিয়ে ফুটবলারদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমাদের বেশ কয়েকটা জায়গায় উন্নতি করতে হবে। রক্ষণ আরও মজবুত করতে হবে।স্টিম্যাক আরও বলেন, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে জয়ের জন্য যা কিছু করা সম্ভব, সবই করব। দল হিসেবে শ্রীলঙ্কাকে সমীহ করতেই হবে। তবে একটা কথা বলব, দুই ম্যাচ খেলে ওরা ২ পয়েন্ট পেয়েছে ঠিকই। কিন্তু ওদের ১ পয়েন্টও পাওয়া উচিত ছিল না। এটাই ফুটবল। এদিকে, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে পেলের মাইলস্টোন ছোঁয়ার লক্ষ্যে নামছেন সুনীল ছেত্রি। আর ১ গোল করলেই তিনি দেশের হয়ে পেলের করা ৭৭ গোলের রেকর্ড স্পর্শ করবেন।

অক্টোবর ০৬, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Football: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দলের পারফরমেন্সে বিরক্ত ইগর স্টিম্যাক

দারুণ শুরু করেও শেষরক্ষা হয়নি। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম ম্যাচেই বাংলাদেশের কাছে আটকে যেতে হয়েছে ভারতকে। বাংলাদেশকে দ্বিতীয়ার্ধের প্রায় পুরো সময় ১০ জনকে নিয়ে খেলতে হয়েছে। তাসত্ত্বেও জয় না আসায় সুনীল ছেত্রিদের ওপর যথেষ্ট বিরক্ত ভারতীয় দলের কোচ ইগর স্টিম্যাক। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দলের পারফরমেন্স প্রসঙ্গে ভারতীয় দলের কোচ ইগর স্টিম্যাক বলেন, নিজেদের ভুলের জন্যই আমরা বাংলাদেশকে হারাতে পারিনি। সবকিছুই আমাদের অনুকূলে ছিল। গোটা ম্যাচ আমরা নিরঙ্কুশ প্রাধান্য নিয়ে খেলেছি। প্রথমে গোল করে এগিয়েও গিয়েছিলাম। পাশাপাশি বিপক্ষের এক জন ফুটবলারের কম থাকার সুবিধাও আমাদের ছিল। তা সত্ত্বেও কোনও অজ্ঞাত কারণে আমরা ভুল পাস খেলা শুরু করি। অপ্রয়োজনীয় ভুল করতে থাকি। বিপক্ষকে যদি আত্মবিশ্বাস ফেরানোর সুযোগ করে দিই, তাহলে ম্যাচ জেতা কঠিন হয়ে পড়ে। আমাদের ক্ষেত্রে সেটাই হয়ে। ভুলের মাশুল দিয়ে ম্যাচ ড্র করে ফিরতে হয়েছে।বাংলাদেশের তুলনায় ভারতীয় দল অনেক বেশি অভিজ্ঞ। কিন্তু সুনীল ছেত্রিরা অভিজ্ঞতার মর্যাদা দিতে পারেননি বলে মনে করছেন ইগর স্টিম্যাক। ভারতীয় দলের এই কোচ বলেন, আমরা নিজেদের ভুলের মাশুল দিয়েছি। অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে পরিস্থিতির সুযোগ নিতে পারিনি। এই ভারতীয় দল যথেষ্ট অভিজ্ঞ। দলের ফুটবলারদের কাছ থেকে আরও বেশি প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু ফুটবলাররা অহেতুক নার্ভাস পড়ে গিয়েছিল। আমার কাছে এর কোনও ব্যাখ্যা নেই। গ্রুপ লিগে এখনও তিনটি ম্যাচ বাকি রয়েছে ভারতীয় দলের। ফাইনালের ছাড়পত্র পেতে গেলে যেভাবেই হোক বাকি ম্যাচগুলিতে জিততে হবে ইগর স্টিম্যাকের দলকে। ৭ অক্টোবর শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে আবার খেলতে নামবেন সুনীল ছেত্রিরা। বাংলাদেশ ম্যাচের ভুল শুধরে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে মাঠে নামতে চান স্টিম্যাক। তিনি বলেছেন, এখন আমরা পরের ম্যাচের দিকে তাকিয়ে রয়েছি। গ্রুপ লিগে এখনও আমাদের তিনটি ম্যাচ বাকি রয়েছে। বাকি ম্যাচগুলিতে ভাল খেলতেই হবে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৭৫ মিনিটের বেশি সময় দারুণ ফুটবল উপহার দিয়েছিল। বেশ আগ্রাসী ফুটবল খেলেছিল। বারবার বিপজ্জনক জায়গায় পৌঁছে যাচ্ছিল। কিন্তু শেষ ১৫ মিনিটের খেলা আন্তর্জাতিক মানের ছিল না। অনেক ভুল করেছিলাম। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে পরের ম্যাচে সেই ভুলগুলো করা চলবে না। জিততে গেলে ৯০ মিনিট সেরাটা দিতে হবে। পরের ম্যাচে পেলের ৭৭ গোলের রেকর্ড স্পর্শ করার সুযোগ সুনীল ছেত্রির সামনে। জয়ের জন্য দলের এই অভিজ্ঞ স্ট্রাইকারের দিকে তাকিয়ে ইগর স্টিম্যাক।

অক্টোবর ০৫, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Sunil Chhetri : পেলেকে স্পর্শ করতে সুনীল ছেত্রির চাই আর ১ গোল

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ অভিযানে নামার আগে বাংলাদেশকে নিয়ে একটু বেশিই সতর্ক ছিলেন ভারতীয় দলের হেড কোচ ইগর স্টিম্যাক। সুনীল ছেত্রিও বলেছিলেন প্রতিটা ম্যাচেই লড়াই করে জিততে হবে। কথাটা ভুল বলেননি সুনীল। আর স্টিম্যাকের সতর্কতাও একেবারে অমূলক ছিল না। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম ম্যাচে ১০ জনের বাংলাদেশের কাছে আটকে গেল ভারত। ম্যাচের ফল ১১। পেলের রেকর্ড স্পর্শ করতে সুনীল ছেত্রির প্রয়োজন আর ১ গোল। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই আক্রমণে ঝড় তুলেছিল ভারত। বিপক্ষের বক্সে একের পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে আসছিলেন সুনীল ছেত্রি, উদান্ত সিং, রিস্টন কোলাসোরা। অন্যদিকে, প্রতি আক্রমণের রাস্তা বেছে নিয়েছিলেন বাংলাদেশের কোচ অস্কার ব্রুজোঁ। ম্যাচের ২৬ মিনিটে এগিয়ে যায় ভারত। ডানদিক থেকে প্রীতম কোটাল বল বাড়ান উদান্ত সিংকে। বল নিয়ে বাংলাদেশ বক্সে ঢুকে গোল লাইনের কাছ থেকে মাইনাস করেন উদান্ত। ডান পায়ের জোরালো শটে বল জালে পাঠান সুনীল ছেত্রি। এদিন দেশের হয়ে ৭৬টি আন্তর্জাতিক গোল করে ফেললেন সুনীল ছেত্রি। আর ১ গোল করলেই স্পর্শ করবেন কিংবদন্তি ফুটবলার পেলেকে। ব্রাজিলের জার্সি গায়ে ৭৭ গোল করেছেন পেলে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গোলের সঙ্গে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ১৪টি গোল করে ফেললেন সুনীল। সুনীলের গোলের পরের মিনিটেই সমতা ফেরানোর সুযোগ এসেছিল বাংলাদেশের সামনে। কাজে লাগাতে পারেনি।এদিনই পেলের রেকর্ড স্পর্শ করতে পারতেন সুনীল ছেত্রি। ৩৮ মিনিটে তাঁর বাঁপায়ের দুরন্ত শট ততোধিক দক্ষতার সঙ্গে বঁাদিকে উড়ে গিয়ে কর্ণারের বিনিময়ে বাঁচান বাংলাদেশ গোলকিপার আনিসুর রহমান। কর্ণার থেকে ক্লিয়ার হওয়া বল পেয়ে দ্রুত গতিতে প্রতি আক্রমণে উঠে আসে বাংলাদেশ। ভারতের বক্সের মধ্যে বল পেয়ে শট নেন বিপ্লো আহমেদ। বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে সেই শট বাঁচিয়ে দলের নিশ্চিত পতন রোধ করেন ভারতীয় দলের গোলকিপার গুরপ্রীত সিং সান্ধু। সমতা ফেরানোর জন্য দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই মরিয়া হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। ৫১ মিনিটে সমতা ফেরানোর সুযোগও পেয়েছিল। ডানদিক থেকে উঠে গিয়ে বিপ্লো পাস বাড়ান সাহাবুদ্দিনকে। সাহাবুদ্ধিনের মাইনাস ৬ গজ বক্সের মধ্যে সুবিধাজনক জায়গায় পেয়েও বল জালে রাখতে পারেননি রাকিব। ৩ মিনিট পরেই বড় ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। বিশ্বনাথ লালকার্ড দেখায় ১০ জন হয়ে পড়ে। বল নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন রিস্টন কোলাসো। সামনে কেউ ছিলেন না। রিস্টনকে পেছন থেকে টেনে ফেলে দেন বাংলাদেশের ডিফেন্ডার বিশ্বনাথ। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে লালকার্ড দেখিয়ে মাঠ থেকে বার করে দেন রেফারি। আক্রমণ প্রতি আক্রমণে দ্বিতীয়ার্ধে খেলা দারুণ জমে উঠেছিল। ১০ জন হয়ে যাওয়ার পরেও বাংলাদেশ গুটিয়ে থাকেনি। বরং দ্রুতগতিতে বারবার প্রতি আক্রমণে উঠে এসে ভারতীয় রক্ষণকে চাপে ফেলে দিচ্ছিল। তার মধ্যেই ৬০ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ এসে গিয়েছিল ভারতের সামনে। মনবীরের শট বাঁচান বাংলাদেশ গোলকিপার আনিসুর। ফিরতি বলে গোল লক্ষ্য করে শট নেন উদান্ত সিং। আবার বাঁচান আনিসুর। অবশেষে ৭৪ মিনিটে সমতা ফেরায় বাংলাদেশ। কর্ণার থেকে হেডে গোল করেন অরক্ষিত ইয়াসিন আরাফত।

অক্টোবর ০৪, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • 11
  • 12
  • 13
  • 14
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস খু.নের ঘটনায় ১৩ জন দোষী সাব্যস্ত, রায় মঙ্গলবার

সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামে হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস খু.ন কাণ্ডে ধৃত ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করলো জঙ্গিপুর আদালত। চলতি বছর তাঁদের নৃশংস ভাবে খুন করা হয়। এই মামলা রায়দান করা হবে মঙ্গলবার। রায়ের দিকে নজর রয়েছে সাধারণ মানুষের।দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গিপুর আদালতে এই মামলার শুনানি চলে। ফরেনসিক রিপোর্ট, একাধিক সাক্ষী, পুলিশি তদন্ত রিপোর্ট এবং অন্যান্য তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন আদালতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য উঠে আসে। যার ফলে মামলা গুরুত্বপূণ মোড় নেয়। চলতি বছরের ১২ ই এপ্রিল সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামে খুন করা হয় হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাসকে। সেই সময় হিংত্মাক আন্দোলন চলছিল ওই মুর্শিদাবাদের এই এলাকায়। দীর্ঘ শুনানির পর অবশেষে জঙ্গিপুর আদালতে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে ১৩ জনকে। এদিন রায় ঘোষণা ও দোষী সাব্যস্ত করার ঘটনায় ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজনীতি

হুমায়ুন কবীরের নতুন দল ‘জেইপি’, মঞ্চ থেকেই একের পর এক হুঁশিয়ারি, ব্রিগেডে জনসভা জানুয়ারিতে

মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা খাগারুপাড়া মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করল হুমায়ুন কবীরের নতুন রাজনৈতিক দল জে ইউ পি (JUP)। দল গঠনের সঙ্গে সঙ্গেই সভাপতি হিসেবে নিজের নাম ঘোষণা করেন হুমায়ুন কবীর। সভার মঞ্চ থেকেই আগামী বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে একের পর এক বড় রাজনৈতিক ঘোষণা করেন তিনি।হুমায়ুন কবীর জানান, জেইউপি দলের হয়ে তিনি বেলডাঙা ও রেজিনগর, এই দুই বিধানসভা কেন্দ্রেই প্রার্থী হবেন এবং ৩০ হাজার ভোটে দুটি আসনেই জয়লাভ করবেন। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ জেলার আরও ছয়টি বিধানসভা আসনে দলের প্রার্থী ঘোষণা করেন তিনি।সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি আক্রমণ করে হুমায়ুন কবীর বলেন, আপনি সাড়ে সাত লক্ষ কোটি টাকার ঋণের বোঝা বাংলার মানুষের মাথায় চাপিয়েছেন। এর জবাব ২০২৬ সালে বাংলার মানুষ দেবে।কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ব্রিগেডে সভা করব। ফিরহাদ হাকিম বেশি বাড়াবাড়ি করলে ব্রিগেড থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ নিয়ে মেয়র অফিস ঘেরাও করা হবে।সভায় উপস্থিত কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে হুমায়ুন কবীর বলেন, আজ যারা এখানে এসেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে যদি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়, জেলায় হলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ডেপুটেশন, জেলার বাইরে হলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে থানার ইট খুলে নেব।তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করে হুমায়ুন কবীর ঘোষণা করেন, মুর্শিদাবাদ থেকে তৃণমূলকে নিশ্চিহ্ন করে দেব।একই সঙ্গে বিজেপিকেও সতর্ক করে তিনি বলেন, বিধানসভা থেকে মুসলিম বিধায়কদের চ্যাদোলা করে বাইরে ফেলবে, এমন স্বপ্ন দেখবেন না। বিরোধী দলনেতাকেও আক্রমণ করে বলেন, ২০০টি আসনে প্রার্থী দিলে ১০০টি আসন জিতব, তার মধ্যে ২০ জন হিন্দু বিধায়ক থাকবেন।মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হুমায়ুন কবীর বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যদি আপনার সৎ সাহস থাকে, তাহলে আপনার প্রিয় চ্যানেলে বসুন, আমার মুখোমুখি। সেদিন বাংলার মানুষ দেখবে আপনার মিথ্যাচার।সভা শেষে তিনি আগামী দিনের কর্মসূচিও ঘোষণা করেন৪ জানুয়ারি: ডোমকল জনকল্যাণ মাঠে জনসভা৫ জানুয়ারি: হরিহরপাড়া এলাকার একটি মাঠে জনসভাএদিনের সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে বহু কর্মী-সমর্থক জে ইউ পি দলে যোগদান করেন, যা দলটির ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের ইঙ্গিত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজ্য

ভোটের আগে তৃণমূলে বড় ধাক্কা, আজ নতুন দল ঘোষণা হুমায়ুন কবিরের

বঙ্গ রাজ্য রাজনীতিতে আজ, সোমবার নয়া জল্পনা ও চমক। সাসপেন্ড তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর আগামিকাল মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গায় আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করতে চলেছেন। বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তাঁর এই পদক্ষেপ ঘিরে জেলা ও রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনা।জানা গিয়েছে, বেলডাঙ্গায় আয়োজিত ওই জনসভা থেকেই নতুন দলের নাম, প্রতীক ও রাজনৈতিক রূপরেখা প্রকাশ করবেন হুমায়ুন কবির। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিরোধে জড়িয়েছিলেন। দলবিরোধী মন্তব্য ও কার্যকলাপের অভিযোগে তাঁকে দল সাসপেন্ড করে। সেই ঘটনার পর থেকেই আলাদা রাজনৈতিক পথ নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে আসছিলেন তিনি। পাশাপাশি নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছিলেন হুমায়ুন।হুমায়ুন কবিরের নতুন দলে কারা কারা যোগ দেবেন, তৃণমূল বা অন্য দল থেকে কোনও পরিচিত মুখ তাঁর সঙ্গে থাকবেন কি না, এই প্রশ্নগুলো ঘিরেই রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল তুঙ্গে। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ জেলার রাজনীতিতে তাঁর প্রভাব বিবেচনা করলে, এই নতুন দলের আত্মপ্রকাশ স্থানীয় রাজনৈতিক সমীকরণে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য না করলেও পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে বিজেপি ও অন্যান্য বিরোধী দলও হুমায়ুন কবিরের ঘোষণার দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে।গত ৬ ডিসেম্বর হুমায়ুন বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করেছেন। তারপর থেকে নতুন দল গঠনের জন্য প্রস্তুতি বৈঠকও সেরেছেন। ভোটের আগে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, তা অনেকটাই নির্ভর করবে হুমায়ুন কবিরের সংগঠিনক শক্তি ও জনসমর্থনের উপর। আগামিকালের বেলডাঙ্গার সভা থেকেই স্পষ্ট হবে, এই নতুন দল রাজ্য রাজনীতিতে কতটা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। তবে বঙ্গ রাজনীতিতে ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে নবাবের মুর্শিদাবাদ যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে তাঁর ঈঙ্গত রয়েছে।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজ্য

নরেন্দ্র মোদীর পর এবার রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ, ৩০ ডিসেম্বর বৈঠক করবেন নেতৃত্বের সঙ্গে

একদিন আগেই রাজ্যে এসেছিলেন বিজেপির পোস্টারবয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আগামী ৩০ডিসেম্বর বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন। ওই বৈঠকে আগামী ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের কৌশল রচনা করবেন। তারপর সাংবাদিক বৈঠক করবেন অমিত শাহ। যদিও তাঁর এই বঙ্গসফরকে পাত্তা দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁদের বক্তব্য, বাংলায় নরেন্দ্র মোদী হোক বা অমিত ষশাহ হোক, এঁরা কেউ এখানে বিজেপির জয় এনে দিতে পারবেন না। আগেও নির্বাচনের আগে বারে বারে এসেছেন এবারও আসবেন। তবে ব্যর্থ হবেন বলেই দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
রাজনীতি

বর্ধমানে পৌঁছল বিহারের ৫৫টি বাইক, উদ্দেশ্য ঘিরে তৃণমূল–বিজেপি সংঘাত তুঙ্গে

রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির মধ্যেই পূর্ব বর্ধমানে শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক চাপানউতোর। শনিবার বিহারের নম্বর প্লেটযুক্ত ৫৫টি পুরনো মোটরবাইক বর্ধমান জেলা বিজেপি দলীয় অফিসের ঠিকানায় এসে পৌঁছানোকে ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বাইকগুলি ট্রেন থেকে নামিয়ে বর্ধমান রেল স্টেশনের ইস্টার্ন রেলওয়ের পার্সেল অফিসের সামনে রাখা হয়।এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাস। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের একাধিক নেতা ও কর্মী। বর্ধমান রেল স্টেশনে পার্সেল অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে তৃণমূল। বাইকগুলির মালিকানা, পরিবহণ সংক্রান্ত নথি এবং কেন শুধুমাত্র বিজেপির বর্ধমান জেলা অফিসের ঠিকানায় এই বাইক পাঠানো হয়েছে। তা প্রকাশ্যে আনার দাবি তোলেন বিধায়ক।বিক্ষোভে অংশ নেওয়া তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ, বিহারের রাজেন্দ্রনগর থেকে সুনীল গুপ্তা নামের এক ব্যক্তির নামে এই ৫৫টি বাইক পাঠানো হয়েছে। তাঁদের দাবি, বিধানসভা ভোটের আগে পরিকল্পিতভাবেই বাইকগুলি রাজ্যে ঢোকানো হচ্ছে। তৃণমূল নেতৃত্বের আশঙ্কা, আগামী দিনে এই বাইক ব্যবহার করে বাইরের লোকজন বা দুষ্কৃতীদের রাজ্যে ঢোকানোর চেষ্টা হতে পারে। জানা গিয়েছে, এই ৫৫টি নয়, ২৩ জেলা মিলিয়ে প্রায় ৬০০০ মোটর বাইক আসার কথা।বিধায়ক খোকন দাস স্পষ্ট ভাষায় জানান, এতগুলো বাইক বিহার থেকে কী উদ্দেশ্যে বাংলায় আনা হয়েছে, তা পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। ভোটের আগে এই বাইক ব্যবহার করে রাজ্যে অশান্তি ছড়ানোর পরিকল্পনা থাকতে পারে। একই সঙ্গে তিনি রেল ও জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেন। দলের বর্ধমান শহর সভাপতি তন্ময় সিংহ রায়ও বাইকগুলির সম্পূর্ণ তথ্য জনসমক্ষে আনার দাবি জানান। তাঁর বক্তব্য, রেল কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি জেলা ও রাজ্য প্রশাসনকে এই পরিবহণের বিস্তারিত জানাতে হবে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রয়োজনীয় নথি প্রকাশ না হলে বাইকগুলি পার্সেল অফিস থেকে ছাড়তে দেওয়া হবে না।অন্যদিকে, তৃণমূলের সব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে বিজেপি। জেলা বিজেপি নেতা দেবজ্যোতি সিংহরায় বলেন, কিছুদিন আগেই বিহারে নির্বাচন হয়েছিল। সেই সময় দলীয় কর্মীদের কাজে ব্যবহারের জন্য এই বাইকগুলি ব্যবহার করা হয়েছিল। বিহারের ভোট শেষ হওয়ায় সেগুলি এখন পশ্চিমবঙ্গে আনা হয়েছে। তিনি আরও জানান, বর্ধমান জেলা বিজেপি অফিস রাঢ়বঙ্গ জোনের কেন্দ্রীয় অফিস হওয়ায় এখানকার ঠিকানাতেই বাইক পাঠানো হয়েছে। বিজেপির দাবি, প্রতি নির্বাচনের আগেই এভাবেই বাইক আনা হয় এবং বিষয়টি জেনেও তৃণমূল অহেতুক বিতর্ক তৈরি করছে। বাইক বিতর্কে প্রশাসনের ভূমিকা কী হয়, তা নিয়েই এখন রাজনৈতিক মহলে বাড়ছে কৌতূহল।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

এশিয়া কাপ ফাইনালে স্বপ্নভঙ্গ, দুবাইয়ে পাকিস্তানের কাছে লজ্জার হার ভারতের

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়ল ভারত। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩৪৮ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আয়ুষ মাত্রের দল গুটিয়ে গেল মাত্র ১৫৬ রানে। ফলে ১৯১ রানের বড় ব্যবধানে হার স্বীকার করেই শিরোপা হাতছাড়া করতে হল টিম ইন্ডিয়াকে।টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। কিন্তু শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় পাকিস্তান। দলের হয়ে বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন সামির মিনহাস। মাত্র এক ইনিংসেই তিনি করে ফেলেন ১৭২ রান। উসমান খানের সঙ্গে ৯২ রানের এবং আহমেদ হুসেনের সঙ্গে ১৩৭ রানের দুটি বড় জুটিতে ভর করে দ্রুত ৩০০ রানের গণ্ডি পেরিয়ে যায় পাকিস্তান।বিশেষজ্ঞদের মতে, একসময় পাকিস্তানের ইনিংস ২৭০২৮০ রানের মধ্যেই থামতে পারত। কিন্তু মিনহাসের ব্যাটে ভর করেই ৪৩ ওভারের মধ্যেই ৩০০ ছুঁয়ে ফেলে তারা। পরে তাঁর আউট হওয়ার পর পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে ধস নামে। ৩০২/৩ থেকে ৩২৭/৮ মাত্র ২৫ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারালেও ততক্ষণে ম্যাচ কার্যত একপেশে হয়ে গিয়েছিল।লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ভারতীয় ব্যাটিং সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে। বৈভব সূর্যবংশী, আয়ুষ মাত্রে, অভিজ্ঞান কুণ্ডুর মতো পরিচিত নাম থাকলেও কেউই দায়িত্ব নিতে পারেননি। আশ্চর্যজনকভাবে দলের সর্বোচ্চ রান আসে ১০ নম্বর ব্যাটার দীপেশ দেবেন্দ্রনের ব্যাট থেকে। তিনি মাত্র ১৬ বলে ৩৬ রান করে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিলেও তা যথেষ্ট ছিল না।এই হার যেন সাম্প্রতিক সিনিয়র দলের বিশ্বকাপ ফাইনালের স্মৃতি ফিরিয়ে আনল। সেবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে, এবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মঞ্চ ফাইনাল, ফলাফলও প্রায় একই রকম হতাশাজনক।উল্লেখযোগ্যভাবে, ফাইনালে ওঠার আগে টুর্নামেন্টে একমাত্র অপরাজিত দল ছিল ভারত অনূর্ধ্ব-১৯। গ্রুপ পর্বে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, মালয়েশিয়া ও পাকিস্তানকে হারিয়েছিল তারা। অন্যদিকে পাকিস্তান গ্রুপে ভারতের কাছেই একমাত্র হেরেছিল। কিন্তু ফাইনালের মঞ্চে সম্পূর্ণ ভিন্ন রূপে ধরা দেয় তারা। শেষ পর্যন্ত দুবাইয়ে দাপটের সঙ্গে জয় ছিনিয়ে নিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ নিজেদের ঝুলিতে ভরল পাকিস্তান। আর ফাইনালে বারবার হোঁচট খাওয়ার প্রবণতা নিয়ে বড় প্রশ্নচিহ্ন থেকে গেল ভারতীয় যুব দলের সামনে।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
বিদেশ

প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারে হামলার পরও অকুতোভয় কর্তৃপক্ষ, সন্ত্রাসের নিন্দার ঝড় বিশ্বের সর্বত্র

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠল ঢাকায় প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে। দেশের দুটি প্রথম সারির সংবাদপত্রের দফতরে এই হামলার অভিযোগ সামনে আসতেই তীব্র প্রতিক্রিয়া ছড়িয়েছে সাংবাদিক মহল, নাগরিক সমাজ এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলির মধ্যে। বাংলাদেশ ছাড়িয়ে নিন্দার ঝড় বয়েছে অন্যত্র।ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর বাংলাদেশে আসার পর থেকেই উত্তাল হয়ে ওঠে দেশ। পরবর্তীতে হিংসা ছড়িয়ে পরে নানা জায়গায়। নৃশংস ভাবে হিন্দু যুবক খুন থেকে সংস্কৃতি সংগঠনের ওপর হামাল। সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের ওপর ক্রমাগত হামলা চলতে থাকে।প্রাথমিক অভিযোগ অনুযায়ী, ঢাকায় অবস্থিত প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে একদল দুষ্কৃতী হামলা চালায়। তারা অফিসে ঢুকে ভাঙচুর চালায় এবং কর্মরত সাংবাদিক ও কর্মীদের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। আগুন লাগিয়ে দেয় এই অফিসদুটিতে। যদিও এই ঘটনায় বড় ধরনের শারীরিক ক্ষতির খবর নেই, তবে আচমকা হামলায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং কিছু সময়ের জন্য সংবাদকর্ম ব্যাহত হয়। সংবাদপত্র প্রকাশনা বন্ধ রাখতে হয়। বৃহস্পতিবার রাতে অনলাইন পোর্টালেও আর খবর আপলোড করা যায়নি।হামলার ঘটনার পরপরই বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও সম্পাদকীয় মহল একে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত বলে উল্লেখ করেছে। তাদের বক্তব্য, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা গণতন্ত্রের অন্যতম ভিত্তি, আর সংবাদমাধ্যমকে ভয় দেখিয়ে কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা গভীর উদ্বেগজনক। এই দুই সংবাদপত্র গোষ্ঠীও জানিয়ে দেয় তারা ভয় পায় না। খবর প্রকাশ করতে কোনও পরোয় তারা করবে না। এমনকী দফতরের সামনে মানব বন্ধন কর্মসূচি পালন করে।ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রশাসনের তরফে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।এই ঘটনার পর প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের পক্ষ থেকে পৃথক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হুমকি বা হামলার মাধ্যমে সত্য প্রকাশ থামানো যাবে না। তারা দ্রুত, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে প্রশাসনের কাছে।আন্তর্জাতিক স্তরেও এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সাংবাদিক সংগঠন ও মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এবং মুক্ত সাংবাদিকতার পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে। প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে হামলার ঘটনা শুধু দুটি সংবাদপত্রের ওপর আঘাত নয়, বরং বাংলাদেশের সামগ্রিক গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ভবিষ্যৎ নিয়েই বড় প্রশ্ন তুলে দিল। এখন দেখার, প্রশাসনিক পদক্ষেপ কতটা দ্রুত ও কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয়।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

লাইভ মঞ্চে লগ্নজিতা চক্রবর্তীকে হেনস্থার অভিযোগ, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত, ওসির ভূমিকা নিয়েও তদন্ত

লাইভ পারফরম্যান্স চলাকালীন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী লগ্নজিতা চক্রবর্তীকে হেনস্থার অভিযোগে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি ও সাংস্কৃতিক মহল। পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে একটি বেসরকারি স্কুলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করতে গিয়ে এই ঘটনার মুখে পড়েন তিনি। ঘটনার পর পুলিশ অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে, যার নাম তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জড়িয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সন্ধ্যায় ভগবানপুরের একটি বেসরকারি স্কুল প্রাঙ্গণে। অভিযোগ অনুযায়ী, লগ্নজিতা চক্রবর্তী যখন জাগো মা গানটি পরিবেশন করছিলেন, তখন অনুষ্ঠানের প্রধান উদ্যোক্তা ও ওই স্কুলের মালিক মেহবুব মল্লিক আচমকাই মঞ্চে উঠে আসেন। শিল্পীর অভিযোগ, তিনি গালিগালাজ করেন এবং চিৎকার করে বলেন, অনেক হয়েছে জাগো মা, এবার কিছু সেকুলার গান গাও। পাশাপাশি মারধরের হুমকি ও শারীরিকভাবে আক্রমণের চেষ্টাও করা হয় বলে অভিযোগ।পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে উঠলে অনুষ্ঠান কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। পরে লগ্নজিতা চক্রবর্তী ভগবানপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি জানান, প্রথমে থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসার পর মামলা রুজু হয় এবং অভিযুক্ত মেহবুব মল্লিককে গ্রেপ্তার করা হয়।পূর্ব মেদিনীপুরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মিতুন দে জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে ভগবানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক এবং আরও এক পুলিশকর্মীর ভূমিকা নিয়েও বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের গাফিলতির প্রমাণ মিললে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজাও তীব্র হয়েছে। বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য। বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পাণ্ডা অভিযোগ করেন, একজন শিল্পী কি গান গাইবেন, সেটাও শাসক দলের লোক ঠিক করে দিচ্ছে। এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। তিনি আরও দাবি করেন, পুলিশ প্রথমে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেছিল। যদিও এই ঘটনার বিষয়ে এখনও পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।লাইভ মঞ্চে একজন শিল্পীর গান বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিয়ে ওঠা এই প্রশ্ন এখন আর শুধু ব্যক্তিগত অভিযোগে সীমাবদ্ধ নয়। সাংস্কৃতিক পরিসরে মতপ্রকাশের অধিকার, প্রশাসনের নিরপেক্ষতা এবং রাজনৈতিক প্রভাব সব মিলিয়ে এই ঘটনা রাজ্যজুড়ে বড় বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal