• ৪ আষাঢ় ১৪৩২, শুক্রবার ২০ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

ED

রাজ্য

৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পাড়ায় শিক্ষালয় শুরু, ধাপে ধাপে খুলবে স্কুল

আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পাড়ায় শিক্ষালয় চালুর কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন করে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, মোট ১২ হাজার শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে তারাই ক্লাস নেবেন।করোনার সংক্রমণের জন্যই দুবছর বন্ধ স্কুলের দরজা। মাঝে কয়েকবার খোলা হলেও, তা বেশিদিনের জন্য সম্ভব হয়নি। কিছু সময়ের জন্য, আংশিকভাবে স্কুল খোলার কয়েকদিনের মধ্যেই তা ফের বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছিল সরকার। এই পরিস্থিতিতে, দীর্ঘদিন পড়ুয়ারা ঘরে বসে থাকার কারণে অভিভাবকদের মধ্যেও দুশ্চিন্তা বাড়ছে। এই সবের মধ্যেই স্কুল খোলার বিষয়ে মুখ খুললেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বললেন, রাজ্য সরকার স্কুল খোলার পক্ষে।সোমবার পাড়ায় শিক্ষালয় প্রকল্পের ঘোষণা করার সময় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, রাজ্য সরকারও স্কুল খোলার পক্ষে। তবে সব দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে চায় রাজ্য সরকার। যাতে স্কুল খোলার কয়েকদিন পরেই আবার বন্ধ করে দিতে হল, এমন কোনও পরিস্থিতি তৈরি না হয়। করোনা পরিস্থিতি দেখে স্কুল খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোটা বিষয়টির উপর নজর রাখছেন। কবে স্কুল খোলা হবে, সেই কথা মুখ্যমন্ত্রী জানাবেন। শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, সব স্কুলই ধাপে ধাপে খুলতে চাই।

জানুয়ারি ২৪, ২০২২
খেলার দুনিয়া

করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সুরজিৎ সেনগুপ্ত, রয়েছেন বিশেষ পর্যবেক্ষণে

করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি প্রাক্তন ফুটবলার সুরজিৎ সেনগুপ্ত। হালকা উপসর্গ থাকায় সোমবার তাঁকে পিয়ারলেস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা থাকায় এই প্রাক্তন ফুটবলারকে আইসিইউতে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। সেখানে তিনি ডাঃ অজয়কৃষ্ণ সরকারের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন।কয়েকদিন ধরেই সর্দিকাশিতে ভুগছিলেন সুরজিৎ সেনগুপ্ত। কাশির মাত্রা অনেকটাই বেড়ে যায়। শরীরের অক্সিজেনের মাত্রাও ৮০র কাছাকাছি নেমে যায়। পরিবারের লোকজন আর বাড়িতে রাখার ঝুঁকি নেননি। হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে দেন। সেখানেই করোনা পরীক্ষা করা হয়ে তিন প্রধানে দাপিয়ে খেলা এই প্রাক্তন ফুটবলারের। করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। অক্সিজেনের মাত্রা কম থাকায় তাঁকে অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয়েছে। সুরজিৎ সেনগুপ্তর অসুস্থ হওয়ার খবরে বাংলার ক্রীড়ামহল খুবই উদ্বিগ্ন। তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন শুনেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। উন্নতমানের যাবতীয় চিকিৎসার কথা বলেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। সুরজিৎ সেনগুপ্তর চিকিৎসার জন্য একটি মেডিকেল বোর্ডও গঠন করা হয়েছে। শনিবার প্রয়াত হয়েছেন প্রাক্তন ফুটবলার সুভাষ ভৌমিক। এবার করোনায় আক্রান্ত হলেন সুরজিৎ সেনগুপ্ত। তিনি অসুস্থ হওয়ায় উদ্বেগ বেড়েছে বাংলার ক্রীড়ামহলে। সকলেই সুরজিৎ সেনগুপ্তর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছেন। অনেক প্রাক্তন ফুটবলার খেলা ছাড়ার পর কোচিংকে বেছে নিয়েছিলেন। সে রাস্তায় হাঁটেননি সুরজিৎ সেনগুপ্ত। ব্যাঙ্কের চাকরি থেকে স্বেচ্ছাবসর নেওয়ার পর দীর্ঘদিন আজকাল পত্রিকার ডিরেক্টরের দায়িত্ব সামলেছিলেন। একসময় কলকাতার তিন প্রধানে দাপিয়ে খেলেছেন সুরজিৎ সেনগুপ্ত। ফুটবলজীবনে তাঁর প্রথম বড় ক্লাব মোহনবাগান। এরপর সুরজিৎ সেনগুপ্তকে প্রায় হাইজ্যাক করে তুলে নেয় ইস্টবেঙ্গল। তখন থেকেই ইস্টবেঙ্গলের ঘরের ছেলে হয়ে ওঠেন। ১৯৭৭৭৯ পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গলের অধিনায়কও ছিলেন তিনি। ১৯৮০ সালে মহমেডান স্পোর্টিংয়ে যোগ দেন।

জানুয়ারি ২৪, ২০২২
রাজ্য

রেল পুলিশের তৎপরতায় বর্ধমান স্টেশন থেকে উদ্ধার ২২৭ টিয়া পাখি

রেল পুলিশের তৎপরতায় পাচারের আগেই বর্ধমান স্টেশন থেকে উদ্ধার হল দুই শতাধিক টিয়া পাখি। টিয়া পাখি পাচারের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রেল পুলিশ একবাল খাঁন নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। তার বাড়ি শহর বর্ধমানের আলুডাঙা এলাকায়। ধৃতকে সোমবার পেশ করা হয়েছে বর্ধমান আদালতে। রেল পুলিশ এদিন ২২৭টি টিয়া পাখি তুলে দিয়েছে বর্ধমান বন দফতরের হাতে। রেল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, টিয়া পাখিগুলিকে ব্যাগ বন্দি করে ডাউন দানাপুর এক্সপ্রেসের জেনারেল কামরায় চাপিয়ে বর্ধমানে আনা হচ্ছিল। সোমবার সকালে ট্রেনটি বর্ধমান স্টেশনে দাঁড়াতেই রেল পুলিশ ট্রেনের কামরায় চেকিং চালায়। ওই সময়ে একটি কামরায় চটের ব্যাগে বন্দি অবস্থায় কিছু রয়েছে দেখে রেল পুলিশের সন্দেশ হয়। রেল পুলিশ ব্যাগ খুলে তল্লাশি চালাতেই উদ্ধার হয় ২২৭ টি টিয়া পাখি। টিয়া পাখি পাচারের অভিযোগে কামরা থেকেই রেল পুলিশ একবাল খাঁনকে গ্রেফতার করে। বর্ধমান রেঞ্জের বন আধিকারিক নিশা গোস্বামী জানিয়েছেন, আরপিএফ ২২৭ টি টিয়া পাখি উদ্ধার করেছে। টিয়া পাচারের অভিযোগে ধৃতকে এদিন আদালতে পেশ করা হয়েছে। আদালতে নির্দেশ পেলে উদ্ধার হওয়া টিয়া পাখিগুলি ছেড়ে দেওয়া হবে।

জানুয়ারি ২৪, ২০২২
রাজ্য

পূর্ব বর্ধমানে কৃষি ঋণ নিতে গিয়ে প্রতারিত চাষি পুলিশের দ্বারস্থ

ব্যাঙ্ক থেকে কৃষি ঋণ নিতে গিয়ে প্রতারিত হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন এক চাষি। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে। প্রতারিত চাষি সুশান্ত সাহানা প্রতারণার ঘটনার সবিস্তার উল্লেখ করে জামালপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ গ্রহণ করে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনা উদ্বেগ বাড়িয়েছে ব্যাঙ্ক ঋণ নিয়ে চাষ করা জামালপুরের কৃষক মহলের। চাষি সুশান্ত সাহানা জামালপুর থানার হরগোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা। লিখিত অভিযোগে পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, তিনি জামালপুরের শুড়েকালনা স্টেট ব্যাঙ্কের একজন গ্রাহক। প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও আলু চাষের স্বার্থে কৃষি ঋণ পাওয়ার জন্য তিনি নভেম্বর মাসের প্রথম দিকে ব্যাঙ্কে আবেদন করেন। ব্যাঙ্ক ম্যানেজার বিভিন্ন কাগজপত্রে তাঁকে দিয়ে সই করিয়ে নেওয়ার পর কয়েকদিন বাদে লোনের টাকা তুলে নেওয়ার কথা বলেন। ৮৩ হাজার টাকা লোন স্যাংশন হয়েছে বলে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন। সেই মতো আবেদন করার কিছুদিন বাদে সুশান্ত বাবু লোনের টাকা ব্যাঙ্কে তুলতে যান। তখন ব্যাঙ্ক ম্যানেজার তাঁকে বলেন, লোনের টাকা আপনি তুলেনিয়ে গিয়েছেন। আবার কিসের লোন পাবেন।ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের মুখ থেকে এমন কথা শুনে মাথায় হাত পড়ে যায় চাষি সুশান্ত সাহানার। ফের পরেরদিন ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের কাছে গিয়ে তিনি বলেন, ব্যাঙ্ক লোনের টাকা তিনি তোলেননি। তথ্য ভালোভাবে যাচাই করে দেখার জন্য সুশান্ত বাবু ওইদিন ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে পুনরায় অনুরোধও করেন। কিন্তু ব্যাঙ্ক ম্যানেজার সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁকে বসিয়ে রেখে জানিয়ে দেন পরের সপ্তাহে এসে খোঁজ নিতে। অভিযোগ, ব্যাঙ্ক ম্যানেজার এই ভাবে সুশান্ত বাবুকে দুমাস ধরে ঘোরায়।সুশান্তবাবু জানিয়েছেন, এরপর ফের একদিন লোনের টাকা না পাওয়ার কথা জানাতে তিনি ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের কাছে যান। তখন ব্যাঙ্ক ম্যানেজার পুলিশ দিয়ে ব্যবস্থা নেবেন বলে হুমকি দিয়ে তাঁকে ব্যাঙ্ক থেকে একপ্রকার তাড়িয়ে দেয়। সুশান্তবাবু দাবি করেন, ব্যাঙ্ক থেকে কৃষি ঋণ নিতে গিয়ে তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন বুঝতে পরে রবিবার জামালপুর থানার পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন।এই বিষয়ে জামালপুর থানার এক পুলিশ কর্তা বলেন, অভিযোগ জমা পড়েছে। অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রকৃত কি ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখা হবে। স্টেট ব্যাঙ্ক শুড়েকালনা শাখার ম্যানেজার মৃত্যুঞ্জয় কুমারকে এদিন ফোন করা হলে তিনি যদিও নিশ্চিৎ ভাবে বলতে পারেননি সুশান্ত সহানা কেসিসি লোনের টাকা ব্যাঙ্ক থেকে তুলে নিয়েছেন, না তোলেননি। তবে তিনি বলেন , সুশান্তবাবু ব্যাঙ্কে এসেছিলেন। ওনাকে আমি সময় দিতে পারিনি। ব্যাঙ্কের সিসিটিভি টেকনিশিয়ান কোভিড পরিস্থিতির জন্য আসতে পারেনি বলে সিসিটিভি ফুটেজ এখনও দেখা হয়ে ওঠেনি। নথি সহ সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখতে হবে। সঠিক কি হয়ে আছে তা খতিয়ে দেখে ওই গ্রাহককে ডেকে পাঠাবেন বলে ম্যানেজার জানিয়েছেন। ছবি প্রতারিত চাষি ও ব্যাঙ্ক ।

জানুয়ারি ২৩, ২০২২
রাজ্য

বর্ধমানে রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্কে ডাকাতির ২৪ ঘন্টা পরেও অধরা দুস্কৃতিরা

ব্যাঙ্ক ডাকাতির পর পেরিয়ে গিয়েছে ২৪ ঘন্টা। দুস্কৃতীদের বিষয়ে এখনও অথৈ জলে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ। শুক্রবার বর্ধমানের বৈদ্যনাথ ক্যাটরার বাজারের দ্বিতলে থাকা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক শাখায় হানা দিয়ে ৩৩ লক্ষ টাকা লুট করে পালায় সশস্ত্র ডাকাত দল। ঘটনার পর দ্রুত সিট গঠন করে পুলিশ তদন্তে নামে। দুস্কৃতিদের নাগাল পেতে শুরু হয় জেলার বিভিন্ন সড়কপথে নাকা চেকিং। কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছুই হয় না। পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে বেমালুম গায়েব হয়ে যায় দুস্কৃতীরা।জেলা পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন শনিবার জানিয়েছেন, তদন্ত চলছে। ডাকাতির ঘটনায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক বা গ্রেফতার করতে পারেনি । যদিও বর্ধমান থানার এক আধিকারিকের কথায় জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্কে লুট টালিয়ে দুস্কৃতীরা পায়ে হেটে বিসিরোড হয়ে কার্জন গেটের দিকে যায়। তারপর তারা কোন দিকে গেছে বা কোন গাড়িতে করে গেছে তার কোন তথ্য এখনও পুলিশের কাছে নেই। তবে অনুমান করা হচ্ছে দুস্কৃতিরা বাইকে চেপে বর্ধমান থেকে পালিয়েছে।বিভিন্ন জায়গার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে দুস্কৃতিদের চিহ্নিত করার প্রচেষ্টা চলছে সিআইডিও ব্যাঙ্ক ডাকাতির ঘটনার তদন্ত শুরু করতে চলেছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। শুক্রবার দিনে দুপুরে বর্ধমানের প্রাণকেন্দ্রে থাকা ব্যাঙ্কে ঢুকে ৩৩ লক্ষ টাকা লুট করে নিয়ে পালায় হিন্দিভাষী সশস্ত্র ডাকাত দল। এর আগে ২০২০ সালের ১৭ জুলাই বর্ধমানের বিসিরোড এলাকায় থাকা স্বর্ণ ঋণদান সংস্থায় ডাকাতির ঘটনা ঘটায় হিন্দিভাষী দুস্কৃতীরা। তারও আগে ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে বৈদ্যনাথ ক্যাটরায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক শাখা থেকে ৩৫ লক্ষ টাকা লুট হয়।অতি সম্প্রতি এসটিএফের অভিযানে হেরোইনের আন্তারাজ্য কারবারী ডেরার হদিশ উদ্ধার হয় বর্ধমানের বিবেকানন্দ কলেজ মোড় সংলগ্ন এলাকা থেকে। অপরাধের ঘটনা ঘটানোর জন্য কেন বারে বারে হিন্দি ভাষী দুস্কৃতিরা বর্ধমানকেই বেছে নিচ্ছে সেই প্রশ্নই এখন সবাইকে ভাবিয়ে তুলিয়েছে।পুলিশ কর্তারাও বিষয়টি নিয়ে কাঁটা ছেঁড়া চালিয়ে যাচ্ছেন। দুস্কৃতিদের সঙ্গে ভিন রাজ্যের যোগ রয়েছে কিনা সেই বিষয়টিও পুলিশ খতিয়ে দেখছে। বর্ধমানের বৈদ্যনাথ ক্যাটারার বাজারের দোতলায় থাকা ব্যাঙ্কে শুক্রবার পৌনে ১০টার আগেই ঢুকে পড়ে ৫-৬ জনের দুস্কৃতি দল। হিন্দিভাষী দুস্কৃতীদের মুখ ছিল ঢাকা। হাতে ছিল আগ্নেআস্ত্র। তাঁদের সঙ্গে ছিল স্কুল ব্যাগ। ব্যাঙ্কে যে কজন গ্রাহক ছিল তাদের মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে দুস্কৃতিরা আগ্নেআস্ত্র দেখিয়ে বসিয়ে রাখে। এরপর ব্যাঙ্কের অন্য আধিকারিকদের মারধোর করে ব্যাঙ্ক থেকে ৩৩ লক্ষ টাকা লুট করে নিয়ে দুস্কৃতিরা ব্যাঙ্ক থেকে বেরিয়ে পড়ে। ব্যাঙ্কের মূল গেটের দরজায় বাইরে থেকে তালাচাবি দিয়ে দুস্কৃতিরা কাউকে কিছু বুঝতে না দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ব্যাঙ্কের সাইরেন বাজার পর এই দুস্কৃতি হানার বিষয়টি জানাজানি হয় । খবর পেয়ে জেলার পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যান সিংহরায় সহ জেলা পুলিশের অন্য কর্তারা ঘটনাস্থলে পৌছান ।দ্রুত সিট গঠন করে তদন্ত শুরু হলেও পুলিশ দুস্কৃতিদের টিকি এখনও পর্যন্ত ছুঁতে পারেনি।

জানুয়ারি ২২, ২০২২
কলকাতা

নেতাজিনগরে বাড়িতেই ঝলসে মৃত্যু বৃদ্ধার

নেতাজিনগরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক বৃদ্ধার। নাম বকুল অধিকারী। এদিন সকালে কলকাতা পুরসভার ৯৯ নম্বর ওয়ার্ডে বিদ্যাসাগর কলোনি এলাকায় থিম পার্কের কাছে এই আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের দুটি ইঞ্জিন। যায় নেতাজিনগর থানার পুলিশও। জানা গিয়েছে, পুরোপুরি দগ্ধ বকুলদেবীকে বাঘাযতীন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁকে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।কীভাবে এই আগুন লাগার ঘটনা ঘটল তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। কোনওভাবে রান্নাঘরে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুন লেগে গিয়েছে নাকি শর্ট সার্কিটের জেরে এই অগ্নিকাণ্ড তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যে ঘরে আগুন লেগেছে সেখানে শুধু বৃদ্ধাই থাকতেন নাকি আরও কেউ থাকতেন সে বিষয়গুলিও খোঁজ খবর নিয়ে দেখছে পুলিশ। সূত্রের খবর, ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থলে যাবেন। জায়গাটি খতিয়ে দেখবেন তাঁরা। নমুনা সংগ্রহ করবেন তাঁরা।সূত্রের খবর, বিদ্যাসাগর কলোনি এলাকার বস্তির একটি ঘরে আগুন লাগে এদিন। ঘরে সেই সময় এক বৃদ্ধা ছিলেন। পরে দমকলের ইঞ্জিন ও পুলিশ সেখানে পৌঁছলে ঘর থেকে ওই বৃদ্ধার দগ্ধ দেহ উদ্ধার করে।

জানুয়ারি ২২, ২০২২
দেশ

জেলাশাসকদের নির্দিষ্ট সময়ে কাজ সেরে ফেলার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী

শনিবার জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই ভার্চুয়াল বৈঠকে দেশের বিভিন্ন জেলার জেলাশাসকরা উপস্থিত ছিলেন। জেলাশাসকদের এদিন তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী। সরকারি কাজ শেষ করার ক্ষেত্রে দ্রুততাকেই প্রাধান্য দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। নির্দিষ্ট সময় বেঁধে মানুষের কাজ করার ওপর বাড়তি জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।দেশের প্রতিভা ও নতুনত্বের অভাব নেই। প্রত্যেক জেলার জেলাশাসককে, জেলার লুকিয়ে থাকা বিশেষ গুণ খুঁজে বের করার ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। জেলার কর্ম দক্ষতার ওপর নির্ভর করেই বিশ্বে সেই জেলা আলাদা পরিচয় লাভ করতে পারবে বলেই মনে করেন নরেন্দ্র মোদি। জেলাশাসকদের তাঁর বার্তা, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে নিজের জেলাকে তুলে ধরার দায়িত্ব আপনাদের। জেলার বাসিন্দাদের বিশেষ দক্ষতা খুঁজে বের করে সেটা কাজে লাগানোর জন্য জেলাশাসকদের আবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী।বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১০০ শতাংশ পরিষেবা অসুবিধার লক্ষ্যমাত্রা রেখে প্রত্যেকটি জেলায় আমাদের কাজ করতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করার জন্য বিভিন্ন জেলার ক্ষেত্রে রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে যাতে আগামী দুবছরে সব কাজ শেষ হয়ে যায়।জেলাশাসকদের নিয়ে এদিনের বৈঠকে আরও একটি উদ্ভাবনী পদ্ধতির কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পরবর্তী ৩ মাসের মধ্যে মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নততর করতে ১০ কাজকে বেছে নেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। ৩ মাসের মধ্যে ওই ১০টি কাজ অবশ্যই শেষ করতে হবে বলে জানিয়েছেন মোদি। দেশের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব কর্মসূচি নিয়েছে কেন্দ্র। সেই কর্মসূচির আওতায় আরও ৫ টি কাজ বেছে নিয়ে শেষ করার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।এই দিনের বৈঠকে ডিজিটাল পরিষেবার ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ভারতে ডিজিটাল পরিকাঠামোতে নিঃশব্দ উন্নয়ন হচ্ছে। জেলার প্রত্যেকটি প্রান্তে ডিজিটাল সুযোগ-সুবিধা যেন পৌছে যায় সেদিকে নজর দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২২ টি রাজ্যের ১৪২ টি জেলা কাজের ভিত্তিতে পিছিয়ে পড়েছে, সেই জেলাগুলিতে দ্রুততার সঙ্গে কাজ করার আবেদন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

জানুয়ারি ২২, ২০২২
দেশ

মুম্বইয়ের বহুতলে অগ্নিকাণ্ডে মৃত কমপক্ষে ৭, অসুস্থ অনেকে

ফের মুম্বইয়ের বহুতলে অগ্নিকাণ্ড। মুম্বইয়ের তারদেওতে বহুতলে আগুনে লাগে শনিবার সকালে। প্রথমে দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও পরে তা বেড়ে সাত হয়। আহত হয়েছেন অনেকেই। এর মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ধোঁয়া থেকে শ্বাসকষ্টে অসুস্থ হয়ে পড়েন কেউ কেউ। ভাটিয়া হাসপাতালের কাছেই কমলা বিল্ডিংয়ে এদিন সকাল সাতটা নাগাদ আগুন লাগে বলে খবর। দমকলের ১৩টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ঘটনাস্থলে পাঁচটি অ্যাম্বুল্যান্সও রাখা হয়।#UPDATE | Two persons got injured and have been shifted to the hospital. 5 ambulances present at the spot: Brihanmumbai Municipal Corporation pic.twitter.com/qloovBrLIg ANI (@ANI) January 22, 2022সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, এদিন সকাল ৭টা নাগাদ মুম্বইয়ের তারদেও এলাকায় একটি ২০ তলা বিল্ডিংয়ের ১৮ তলায় আগুন লাগে। গান্ধি হাসপাতালের বিপরীতে কমলা বিল্ডিংয়ের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিল্ডিংয়ের অন্যান্য বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে এনে আগুন নেভানোর কাজ চলে বলে খবর। এই আগুনকে লেভেল থ্রি অগ্নিকাণ্ডের ক্যাটাগরিতে রাখা হচ্ছে। আগুন নেভাতে দমকলের ইঞ্জিনের পাশাপাশি সাতটি ওয়াটার জেটিও আনা হয়। কিন্তু ঠিক কী কারণে আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট করে বলা হয়নি।Six old age people needed oxygen support system and have been shifted to the hospital. Fire flame is under control but smoke is huge. All people have been rescued: Mumbai Mayor Kishori Pednekar pic.twitter.com/PFzDDsDTyW ANI (@ANI) January 22, 2022মুম্বইয়ের মেয়র কিশোরী পেডনেকর জানিয়েছেন, ছজন বয়স্ক মানুষের অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ইতিমধ্যেই চলে এসেছে। তবে এখনও কোনও কোনও পকেট থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যাচ্ছে। সকলকেই উদ্ধার করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে ১৫ জনকে স্থানীয় ভাটিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনকে জেনারেল ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। তাঁরা এখন স্থিতিশীল। তবে তিনজনের শারীরিক অবস্থা উদ্বেগজনক হওয়ায় আইসিইউয়ে রাখা হয়েছে। চারজনকে নায়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে দুজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। পরে অসুস্থ আরও ৫ জনের মৃত্যু হয় বলে খবর। মহারাষ্ট্র বিজেপির প্রেসিডেন্ট ও বিধায়ক মঙ্গল প্রভাত লোধা জানান, অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এই ঘটনা।

জানুয়ারি ২২, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌শোকস্তব্ধ ময়দান, ‘‌অপূরণীয় ক্ষতি ভারতীয় ফুটবলের’‌

মারা গেলেন ময়দানের প্রিয় ভোম্বলদা। শোকস্তব্ধ ময়দান। তাঁর সতীর্থ, ছাত্রদের স্মৃতিচারণে উঠে এল নানা কথা। সকলের মুখে একটাই কথা, ভারতীয় ফুটবলের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল।সুব্রত ভট্টাচার্যঃ সুভাষ ভৌমিকের সঙ্গে আমার প্রায়ই ফোনে কথা হত। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগেও কথা হয়েছে। ভোম্বলদা যে আর নেই ভাবতেই পারছি না। খুব কষ্ট হচ্ছে। অনেক বড় মাপের ফুটবলার ছিল। ১৯৭৫ সালে ইস্টবেঙ্গলের কাছে ৫ গোল খাওয়ার পর ধীরেন দাকে বলে সুভাষ ভৌমিকদের ইস্টবেঙ্গল থেকে মোহনবাগানে নিয়ে এসেছিলাম। ১৯৭৬ বড় ম্যাচে আকবরের ১৭ সেকেন্ডের গোলে আমরা ডার্বি জিতেছিলাম। ওই ম্যাচের আগে ভোম্বলদা যেভাবে আমাদের উৎসাহিত করেছিল, জীবনে ভুলব না। একজন আসাধারণ ফুটবল ব্যক্তিত্ব চলে গেল। সত্যিই ভারতীয় ফুটবলের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। শ্যাম থাপাঃ ভোম্বল যে এভাবে চলে যাবে, ভাবতেই পারছি না। কয়েকবছরের ব্যবধানে চুনী গোস্বামী, পিকে ব্যানার্জি মারা গেলেন। এবার সুভাষ ভৌমিক। ভারতীয় ফুটবলের একের পর এক দিকপাল চলে যাচ্ছেন। এটা সত্যিই ফুটবল জগতের কাছে বড় ক্ষতি। এই ক্ষতি কীভাবে পূরণ হবে জানি না। একসঙ্গে দীর্ঘদিন খেলেছি। কত মধুর স্মৃতি রয়েছে। আজ সব চোখের সামনে ভেসে উঠছে।সমরেশ চৌধুরিঃ ২৫ দিন আগেও কথা হয়েছিল। আমাদের সবাইকে ছেড়ে ভোম্বল যে এভাবে চলে যাবে, মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে। ৫৭ বছরের সম্পর্ক। ১৯৬৫ সালে বাংলা স্কুল দলে খেলার সময় থেকে পরিচয়। তারপর ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, বাংলা, ভারতীয় দলে একসঙ্গে কত ম্যাচ খেলেছি। কত ভাল স্মৃতি রয়েছে। সেইসব স্মৃতি কখনও ভোলার নয়। ভোম্বলের মতো বন্ধু পাওয়া সত্যিই কঠিন। গৌতম সরকারঃ শারিরীক ভাবে হয়তো সুভাষ ভৌমিক হয়তো আমাদের মধ্যে থাকবে না। কিন্তু ফুটবলপ্রমীদের হৃদয়ে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকবে। ওর মতো ফুটবলার, কোচ ভারতীয় ফুটবলে খুব কমই এসেছে। আলভিটো ডিকুনহাঃ ইস্টবেঙ্গলে খেলার সময় থেকেই সুভাষ ভৌমিকের সঙ্গে আমার পরিচয়। উনি শুধু আমার কেচ ছিলেন না, আমার অভিভাবকও ছিলেন। বাবার মতো আমাকে আগলে রাখতেন। যখন খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলাম, আমাকে বুক দিয়ে আগলে রেখেছিলেন। আমি আজকে আবার পিতৃহারা হলাম। আমার ফুটবল জীবনে ওনার যা অবদান, কখনও ভোলার নয়। মেহতাব হোসেনঃ ২ দিন আগেও ভৌমিক স্যারের ছেলে রনিকে ফোন করেছিলাম। বলেছিল, বাবা মোটামুটি ঠিক আছে। শনিবার সকালে উঠে মৃত্যুর খবর পেলাম। সত্যিই খুব খারাপ লাগছে। এভাবে চলে যাবেন, ভাবতে পারছি না। ভারতীয় ফুটবলে অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। রহিম নবিঃ আজ আমি যে রহিম নবি হয়ে উঠেছি, সুভাষ ভৌমিকের জন্যই। ওনার জন্যই আজ আমার ওএত নাম ডাক। আমার অলরাউন্ডার ফুটবলার হয়ে ওঠার পেছনে ভৌমিক স্যারের অবদান কখনও ভুলব না। বাঙালীর ফুটবলের একটা আবেগের নাম। সেই আবেগটাই শেষ হয়ে গেল।

জানুয়ারি ২২, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ভারতীয় ফুটবলে ইন্দ্রপতন, চলে গেলেন সুভাষ ভৌমিক

ভারতীয় ফুটবলে ইন্দ্রপতন। মারা গেলেন প্রাক্তন ফুটবলার ও ময়দানের কিংবদন্তী কোচ সুভাষ ভৌমিক। বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। শনিবার ভোরে কলকাতার একটি বেসরকারী হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আশিয়ানজয়ী ইস্টবেঙ্গলের এই কোচ। সুভাষ ভৌমিকের মৃত্যুতে ভারতীয় ক্রীড়াজগতে নেমে এসেছে শোকের ছাড়া। দীর্ঘদিন ধরেই গুরুতর অসুস্থ ছিলেন সুভাষ ভৌমিক। সুগার ও কিডনির অসুখে ভুগছিলেন। নিয়মিত ডায়ালিসিস করাতে হত। প্রতিদিন বাড়ি থেকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ডায়ালিসিস করা কঠিন হয়ে পড়েছিল। তার ওপর ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ায় সমস্যা আরও বেড়ে যায়। শারিরীক অবস্থা এমন অবনতি হয়েছিল যে কিছুদিন আগে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। আরও ভাল চিকিৎসার জন্য শুক্রবার নব মহাকরণে ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের দপ্তরে একটি জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। বৈঠকে ঠিক হয়েছিল উন্নত চিকিৎসার জন্য মেডিকা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হবে সুভাষ ভৌমিককে। কিডনি প্রতিস্থাপনের বিষয়টিও খতিতে দেখা হচ্ছিল। কিন্তু সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে শনিবার ভোরে মারা যান তিনি।ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের জার্সি গায়ে কলকাতা ময়দানে একসময় দাপিয়ে খেলেছেন সকলের প্রিয় ভোম্বলদা। সবুজমেরুণের তুলনায় লালহলুদ জার্সিতেই বেশি সময় কাটিয়েছিলেন। রাজস্থান থেকে ১৯৬৯ সালে প্রথম লালহলুদ জার্সি গায়ে তুলে নিয়েছিলেন। পরের বছরই লালহলুদ জার্সি ছেড়ে যোগ দেন মোহনবাগানে। ৩ বছর মোহনবাগানে কাটিয়ে ১৯৭৩ সালে আবার ইস্টবেঙ্গলে ফিরে আসেন। ১৯৭৬ সালে আবার মোহনবাগানে যোগ দেন। ১৯৭৯ সালে লালহলুদে ফিরে আসেন। ইস্টবেঙ্গল থেকেই ফুটবলকে বিদায় জানান। ভারতীয় দলের হয়েও দীর্ঘদিন দাপিয়ে খেলেছেন সুভাষ ভৌমিক। ১৯৭০ সালে এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জজয়ী ভারতীয় দলের সদস্য ছিলেন, মারডেকা, পেস্তা সুকানের মতো আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাতেও দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। দেশের জার্সি গায়ে দুদুটি হ্যাটট্রিকও করেছিলেন সুভাষ ভৌমিক। তার মধ্যে মারডেকা কাপে ফিলিপাইন্সের বিরুদ্ধে একটা। ওই ম্যাচে ৫১ ব্যবধানে জিতেছিল ভারত। ১৯৬৯ সালে বাংলার সন্তোষ ট্রফি জয়ী দলের সদস্যও ছিলেন সুভাষ ভৌমিক। দীর্ঘ ৬ বছর পর সেবার সন্তোষ ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলা। বাংলার জার্সি গায়ে মোট ৪ বার সন্তোষ ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন সুভাষ ভৌমিক। ২ বার বাংলাকে নেতৃত্ব দিলেও রেলওয়েজের কাছে সেমিফাইনালে হারতে হয়েছিল। কোচ হিসেবেও দারুণ সাফল্য পেয়েছিলেন সুভাষ ভৌমিক। তবে লালহলুদকেই বেশি সাফল্য এনে দিয়েছিলেন। ১৯৯৯ থেকে ২০০০ এবং ২০০০ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গলের কোচ ছিলেন। ২০০২০৩ এবং ২০০৩০৪ মরশুমে তাঁর কোচিংয়েই জাতীয় লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। ২০০৩ সালে লালহলুদকে আশিয়ান কাপে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন সুভাষ ভৌমিক। ২০০৬ সালে মহমেডান স্পোর্টিংয়ের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। পরের বছর সালগাঁওকারে যোগ দেন। ২০০৮০৯ মরশুমে আবার ইস্টবেঙ্গলে ফিরে আসেন। ২ মরশুম লালহলুদে কাটিয়ে মোহনবাগানের দায়িত্ব নেন। চার্চিল ব্রাদার্সের টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের দায়িত্ব পালন করেছিলেন সুভাষ ভৌমিক। তাঁর কোচিংয়েই ২০১২১৩ মরশুমে আই লিগ জেতে চার্চিল।

জানুয়ারি ২২, ২০২২
দেশ

ভারত-বিরোধী খবর ছড়ানোর ৩৫টি ইউইটউব চ্যানেল বন্ধের নির্দেশ কেন্দ্রের

নতুন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে, ভুয়ো এবং ভারত-বিরোধী খবর ছড়ানোর জন্য ফেসবুক, টুইটার-সহ বিভিন্ন নেটমাধ্যম সংস্থাগুলিকে ৩৫টি পাকিস্তানের আর্থিক মদতে পুষ্ট অ্যাকাউন্ট ব্লক করার নির্দেশ দিল কেন্দ্র। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব বিক্রম সহায় শুক্রবার এই ঘোষণা করেন। কেন্দ্রের তরফ থেকে মোট ৪২টি চিহ্নিত করা অ্যাকাউন্ট ব্লক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই অ্যাকাউন্টগুলি মূলত মিথ্যা এবং ভারত-বিরোধী খবর ছড়ানোর জন্যই ব্যবহার করা হত।বিক্রম জানিয়েছেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক ৩৫টি ইউটিউব চ্যানেল, দুটি টুইটার অ্যাকাউন্ট, দুটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট, দুটি ওয়েবসাইট এবং একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্লক করার জন্য নির্দেশ জারি করা হয়েছে। এই সমস্ত অ্যাকাউন্টগুলি পাকিস্তান থেকে পরিচালনা করা হত বলেও তিনি জানান।এই সমস্ত নেটওয়ার্কগুলির একটাই লক্ষ্য ভারত বিরোধী খবর ছড়িয়ে দেওয়া। যে চ্যানেলগুলি একটি নেটওয়ার্কের অংশ ছিল সেগুলি একটি কমন হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করেছিল। তাদের সম্পাদন শৈলীও অনেকটা একই ধরনের। এমনকী এই ভুয়ো খবরগুলি যাতে আরও বেশি করে ছড়িয়ে পড়ে, তার জন্য একটি চ্যানেলে অন্যের কনটেন্টও দেখানো হচ্ছিল। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, এই ইউটিউব চ্যানেল পাকিস্তানি টিভি নিউজ চ্যানেলের সঙ্গে জড়িত একাংশের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছিল।মন্ত্রকের থেকে যে ৩৫ টি ইউটিউব চ্যানেল ব্লক করা হয়েছে, তাতে বিভিন্ন ধরনের ভারত বিরোধী খবর দেখানো হচ্ছিল। সেই তালিকায় রয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী, জম্মু ও কাশ্মীর এবং অন্যান্য দেশের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক। উল্লেখ্য, প্রাক্তন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ প্রয়াত জেনারেল বিপিন রাওয়াতের মৃত্যুর বিষয়টি নিয়েও এই ইউটিউব চ্যানেলগুলিতে ব্যাপক মাত্রায় ভুয়ো খবর ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। উল্লেখ্য, এই ইউটিউব চ্যানেলগুলি পাঁচটি রাজ্যে আসন্ন নির্বাচনের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য পোস্ট করাও শুরু করেছিল।ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি নেটমাধ্যমের কিছু অ্যাকাউন্ট এবং ওয়েবসাইট ঘনিষ্ঠ ভাবে পর্যবেক্ষণ করছিল। তাদের হাতে উল্লেখযোগ্য প্রমাণ উঠে আসার পরই তারা এই বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রককে অবগত করে।

জানুয়ারি ২২, ২০২২
খেলার দুনিয়া

গুরুতর অসুস্থ সুভাষ ভৌমিক, চিকিৎসার জন্য জরুরি বৈঠক, এগিয়ে এলো তিন প্রধান

গুরুতর অসুস্থ ভারতীয় দলের প্রাক্তন ফুটবলার তথা স্বনামধন্য কোচ সুভাষ ভৌমিক। তাঁর শারিরীক অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল, বেশ কিছুদিন আগে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। এই অবস্থায় সুভাষ ভৌমিকের চিকিৎসার জন্য এগিয়ে এল রাজ্য সরকার। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে আইএফএসহ কলকাতার তিন প্রধান। শুক্রবার এক বৈঠকে সুভাষ ভৌমিকের চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় রূপরেখা তৈরি হয়েছে।দীর্ঘদিন ধরেই সুগার ও কিডনির অসুখে ভুগছেন সুভাষ ভৌমিক। নিয়মিত ডায়ালিসিস করাতে হত। প্রতিদিন বাড়ি থেকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ডায়ালিসিস করা কঠিন হয়ে পড়েছিল। তার ওপর ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ায় সমস্যা আরও বেড়ে যায়। তাই কয়েকদিন আগে একবালপুরের এক নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয় সুভাষ ভৌমিককে। তাঁর আরও ভাল চিকিৎসার জন্য শুক্রবার নব মহাকরণে ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের দপ্তরে একটি জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। বৈঠকে ভাস্কর গাঙ্গুলি, মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য, বিকাশ পাঁজি, বিদেশ বসু, মানস ভট্টাচার্যর মতো প্রাক্তন ফুটবলাররা ছাড়াও হাজির ছিলেন আইএফএ এবং কলকাতার তিন প্রধানের কর্তারা। ইস্টবেঙ্গলের পক্ষ থেকে ছিলেন দেবব্রত সরকার, মোহনবাগানের দেবাশিস দত্ত, মহমেডানের কামারুদ্দিন। আইএফএর পক্ষ থেকে হাজির ছিলেন সভাপতি অজিত ব্যানার্জি। এছাড়া সুভাষ ভৌমিকের ছেলে অর্জুন ভৌমিক ছাড়াও বৈঠকে ডাকা হয়েছিল মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হাতপাতালের ডিরেক্টরসহ মেডিকেল টিমকে।সুভাষ ভৌমিকবৈঠকে ঠিক হয়েছে সুভাষ ভৌমিকের উন্নত চিকিৎসার জন্য মেডিকা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হবে তাঁকে। সুভাষ ভৌমিকের কিডনি প্রতিস্থাপনের বিষয়টিও খতিতে দেখছে মেডিকার মেডিকেল টিম। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমেই হবে তাঁর চিকিৎসা। তবে কিডনি প্রতিস্থাপনের বিষয়টা যথেষ্ট খরচ সাপেক্ষ। তাই বৈঠকে ঠিক হয়েছে বাড়তি অর্থর জন্য কলকাতার তিন প্রধানসহ আইএফএ সুভাষ ভৌমিকের পাশে দাঁড়াবে। ব্যক্তিগতভাবে ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই তিনি প্রায় ৪০ হাজার টাকার ঔষুধ সুভাষ ভৌমিকের চিকিৎসার জন্য কিনে দিয়েছেন।

জানুয়ারি ২১, ২০২২
কলকাতা

টেট উত্তরপত্র দেখাতে হবে পর্ষদকে, নির্দেশ হাইকোর্টের

শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা নিয়ে জট যেন আর কিছুতেই পর্ষদের পিছু ছাড়ছে না। এবার টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট বা টেট -এর ওএমআর সিট প্রকাশের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার এক মামলার শুনানি চলাকালীন এই নির্দেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। দ্রুত এই ওএমআর দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।শান্তনু সিট আদালতে গিয়ে দাবি করেন, টেটের ওএমআর সিট বা উত্তরপত্র দেখাতে হবে। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী এই ওএমআর সিট দেখানো হয় না। শান্তনুর পাশাপাশি আরও ২৭ জন আদালতে এই একই দাবি করেন। তাঁদের দাবি, ওএমআর সিট দেখালেই পরিষ্কার হয়ে যাবে কে কেমন পরীক্ষা দিয়েছেন।এই মামলার প্রেক্ষিতেই শুক্রবার বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দেন, মামলাকারীদের ওএমআর সিট দিতে হবে।প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদও জানিয়েছে, আদালতের নির্দেশ মেনে ওএমআর শিট দেখাতে তাদের কোনও সমস্যা নেই। ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষা নিয়ে এর আগেও একাধিক মামলা হয়েছে। সেই তালিকায় আরও এক মামলার সংযোজন হল এবার। শান্তনু সিট নামে এক পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা পুরোপুরি বাতিল করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপরই আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। তাঁর বক্তব্য, টেটের ফল নিয়ে সংশয় রয়েছে তাঁর মনে।প্রাথমিক পর্ষদকে এই প্রথমবার কোনও মামলার প্রেক্ষিতে ওএমআর সিট দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হল। যদিও পর্ষদের ওএমআর দেখাতে কোনও আপত্তি নেই বলেই জানানো হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের দাবি, স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ হচ্ছে। স্পিড পোস্টের মাধ্যমে যথাযথ আবেদন এলে ওএমআর-এর প্রতিলিপি দিয়ে দেওয়া হবে।

জানুয়ারি ২১, ২০২২
বিদেশ

পাকিস্তানে ভরা বাজারে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, মৃত ৩, জখম বহু

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বারবার বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন ও ভারত বিরোধী গোষ্ঠীকে মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রমাণও মিলেছে ভুরি ভুরি। ভারতের বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি নাশকতার সঙ্গে পাকিস্তান যোগ দীর্ঘদিনের। সম্ভবত এবার সেই জঙ্গিদেরই নিশানায় খোদ পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার লাহোরের লোহরি গেট এলাকার আনারকলি বাজার ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে। জানা গিয়েছে, এই বিস্ফোরণের ঘটনায় ৩ জন মারা গিয়েছেন এবং ২৫ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণে ফলে আশেপাশে বাড়িঘর ও দোকানের ক্ষতি হয়েছে। জানালার কাঁচ ভেঙে পড়ছে বিস্ফোরণের তীব্রতায়। বিস্ফোরণস্থলের সামনে থাকা মোটরবাইকগুলিও বিস্ফোরণের তীব্রতায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। লাহোরে ডেপুটি ইনস্পেক্টর জেনারেল অব অপারেশন ডঃ মহম্মদ আবিদ খান জানিয়েছেন, তদন্ত চলছে। তদন্ত এখন প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে, বিস্ফোরণের কারণ জানার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং কী ধরনের বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল তা জানার চেষ্ঠা চলছে। ওই পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যার ফলে মাটি দেড় ফুট গভীরতার গর্ত তৈরি হয়েছে। বিস্ফোরণের ফলে আহতদের স্থানীয় মায়ো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।লাহোর পুলিশের ডেপুটি কমিশনার জানান, দুপুর ১টা ৪৫ মিনিট নাগাদ এই বিস্ফোরণটি ঘটে। বিস্ফোরণের স্থল লাহৌরের সেফ সিটি প্রকল্পের আওতায় পড়ে। লাহোর পুলিশের ডিআইজি (অপারেশন) মহম্মদ আবিদ খান বলেন, ইতিমধ্যেই প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে এবং কী ভাবে এই বিস্ফোরণ ঘটল তাও জানার চেষ্টা চলছে।

জানুয়ারি ২০, ২০২২
দেশ

১৮-র অনূর্ধ্বদের দেওয়া যাবে না রেমডেসিভির, মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি, নয়া নির্দেশিকা কেন্দ্রের

অ্যান্টি ভাইরাল বা মোনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি দেওয়া যাবে না অনূর্ধ্ব ১৮-দের। বাদ দেওয়া হয়েছে রেমডেসিভির। নয়া নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক। এ ছাড়া অনূর্ধ্ব আঠারোদের করোনার কী কী উপসর্গ দেখা যেতে পারে, তা-ও স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে নির্দেশিকায়। সেখানে বলা হয়েছে, এই বয়সিদের জ্বর, সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা, শরীরে ব্যথা, দুর্বলতা, ডায়েরিয়ার মতো একাধিক উপসর্গ দেখা দিতে পারে।কেন্দ্রীয় নির্দেশিকায় শিশুদের শারীরিক অবস্থাকে উপসর্গের প্রকৃতি অনুযায়ী উপসর্গহীন, মৃদু, মাঝারি ও প্রবল এই চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে। উপসর্গহীন ও মৃদু উপসর্গের ক্ষেত্রে বাড়িতে বা কোভিড কেয়ার সেন্টারে বাচ্চাকে রাখা যাবে। তবে দেহের তাপমাত্রা ও রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ নিয়মিত মেপে যেতে হবে। মাঝারি ও প্রবল উপসর্গের ক্ষেত্রে কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করানো আবশ্যিক।নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, পাঁচ বছরের কম বয়স হলে শিশুর মাস্ক ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। ছয় থেকে ১১ বছর বয়স্কদের প্রয়োজনমাফিক মাস্ক পরানো যেতে পারে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যাতে তাঁদের শারীরিক সমস্যা না হয়। ১২ বছর ও তার ঊর্ধ্বের বাচ্চারা প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই সব সময় মাস্ক ব্যবহার করবে। পাশাপাশি সাধারণ কোভিড বিধি, যেমন বার বার হাত ধোয়া ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা এ সব মেনে চলতে হবে।

জানুয়ারি ২০, ২০২২
রাজ্য

ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণ, একদিনে হাজারেরও বেশি আক্রান্ত, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩৮ জনের

রাজ্যে ফের কিছুটা বাড়ল দৈনিক সংক্রমণ। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের সর্বশেষ করোনা বুলটিন অনুযায়ী, দৈনিক সংক্রমণ বেড়ে হয়েছে ১১ হাজার ৪৪৭। মঙ্গলবার এই পরিসংখ্যান ছিল ১০ হাজার ৪৩০। অর্থাৎ, শেষ ২৪ ঘণ্টায় প্রায় এক হাজারেরও বেশি বেড়েছে করোনার সংক্রমণ। সেই সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুও। বুধবারের করোনা বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩৮ জনের। জেলাওয়াড়ি তালিকায় মৃতদের মধ্যে ১৪ জনই কলকাতার।সংক্রমণের নিরীখেও কলকাতায় সংক্রমণ সর্বোচ্চ। শেষ ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় দুই হাজারেরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এরপরই উদ্বেগজনক সংক্রমণ পরিস্থিতি উত্তর ২৪ পরগনায়। সেখানে ১ হাজার ৭৯৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে রাজ্যে পজিটিভিটি রেট কিছুটা কমেছে আগের তুলনায়। রাজ্যে বর্তমানে পজিটিভিটি রেট ১৬.৯৮ শতাংশ। শেষ ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬৭ হাজার ৪০৪ জনের। সেই সঙ্গে সুস্থও হয়ে উঠেছেন অনেকে। সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী রাজ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ। রাজ্যে বর্তমানে সুস্থতার হার ৯১.০৯ শতাংশ।এদিকে স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ২,১৫৪ জন কলকাতার। অর্থাৎ দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে এদিন ফের প্রথমে ওই জেলা। আগের দিনের তুলনায় সামান্য হলেও কমেছে সংক্রমণ। দ্বিতীয় স্থানে উত্তর ২৪ পরগনা। একদিনে আক্রান্ত সেখানকার ১,৭৯৮ জন। আগেরদিন সংক্রমণ ছিল এর থেকে সামান্য কম। নিম্নমুখী কোভিড গ্রাফ স্বাভাবিকভাবেই স্বস্তি দিচ্ছে ওই জেলার বাসিন্দাদের।দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে ফের তৃতীয় স্থানে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। একদিনে ওই জেলায় নতুন করে সংক্রমিত ৮৮৮ জন। চতুর্থ স্থানে নদিয়া। সেখানে একদিনে সংক্রমিত ৬৮১ জন। এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের কম বেশি সব জেলা থেকেই নতুন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। ফলে রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯,২৮, ৯৬১। একদিনে করোনাকে পরাস্ত করে ঘরে ফিরেছেন ১৫, ৪১৮ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট করোনাজয়ীর সংখ্যা ১৭, ৫৭, ০৬৬। গত ২৪ ঘণ্টায় পজিটিভিটি রেট ১৬.৯৮ শতাংশ। বর্তমানে রাজ্যে সেফ হোমের সংখ্যা ২০০। এদিকে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্য। বিভিন্ন এলাকায় তৈরি হচ্ছে কনটেনমেন্ট জোন।অন্যদিকে, ভারতে ফের বাড়ল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৮২ হাজার জন। মঙ্গলবার দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২ লক্ষ ৩৮ হাজার ১৮ জন। বুধবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ল ১৮ শতাংশ। দৈনিক সংক্রমণের হার ১৪.৪৩ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৫.১৩ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ওমিক্রন রূপে আক্রান্ত হয়েছেন ৮,৯৬১ জন। মঙ্গলবারের তুলনায় ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ১ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৪৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৩১০ জন। এই সময়ের মধ্যে দেশে করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৮ লক্ষ ৬৯ হাজার। যা মঙ্গলবারের চেয়ে প্রায় ২ লক্ষ বেশি।

জানুয়ারি ১৯, ২০২২
খেলার দুনিয়া

অনুস্কা শর্মা-র হাত ধরে যাত্রা শুরু চাকদা এক্সপ্রেসের

প্রকাশিত হল এক বহু প্রতীক্ষিত সিনেমার টিজার। যাঁর আত্ম্যত্যাগ ও অনমনীয় মনোবল মিথ-এ পরিণত হয়ে গিয়েছে, বাংলার সেই অবিসংবাদিত মহিলা ক্রিকেট তারকা ঝুলন গোস্বামীর জীবন কহিনী নিয়ে সিনেমার টিজার সামনে এলো। প্রকাশ করলেন প্রযোজক অনুষ্কা শর্মা এবং তার ভাই কর্ণেশ শর্মা। তাঁদের সাংস্থা ক্লিন স্লেট ফিল্মজ এই বায়োপিক-টির প্রযোজনা করছেন। সিনেমাটি পরিচালনা করছেন প্রসিত রায়। চাকদা এক্সপ্রেস নিয়ে বলতে গিয়ে নাম ভূমিকার অভিনেত্রী ও প্রযোজক অনুষ্কা শর্মা বলেন এটা সত্যিই একটি বিশেষ ফিল্ম কারণ এটা মূলত অসাধারণ এক ত্যাগের গল্প। তিনি সামাজিক মাধ্যম নেটফ্লিক্সে সিনেমার টিজার শেয়ার করার সময় লিখেছেন, চাকদা এক্সপ্রেস প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক ঝুলন গোস্বামীর জীবন এবং তাঁর খেলার মাঠের সংগ্রামের ওপর আধারিত এবং অনুপ্রাণিত। তিনি আরও লেখেন, এই সিনেমা সারা বিশ্বে মহিলা হবু ক্রিকেটাদের চোখ খুলে দেবে। ঝুলন এমন এক সময়ে ক্রিকেটার হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এবং ক্রিকেট বিশ্বে তাঁর দেশের নাম উজ্জ্বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, সে সময় মহিলাদের পক্ষে এই খেলাটি খেলার কথা ভাবাও অসম্বভ ছিল। এই ফিল্মটির কাহিনীর নাটকীয় উত্থান পতনের জন্য অনেকের কাছে একটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।ঝুলন যে সময়ে খেলাটা শুরু করেন, একজন মহিলা খেলোয়াড় হিসাবে সাপোর্ট সিস্টেম থেকে শুরু করে, বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা, ক্রিকেট খেলা থেকে নিয়মিত আয় করা, এমনকি ক্রিকেট খেলে নিজের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করা, এই ভাবনাটা মনে করাটাই সম্ভব ছিল না। সে সময়ে খুব কম ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটারই ক্রিকেটকে পেশা হিসাবে নিয়েছিল। ঝুলনের ক্রিকেট ক্যারিয়ার গড়ার অত্যন্ত অনিশ্চিত লড়াই-র সামনে একটাই লক্ষ ছিল দেশকে গর্বিত করা। তিনি সেই লক্ষ্যে অবিচল থেকে পট পরিবর্তন করার জন্য প্রাণপাত প্রচেষ্টা চলিয়ে গেছেন।It is a really special film because it is essentially a story of tremendous sacrifice. Chakda Xpress is inspired by the life and times of former Indian captain Jhulan Goswami and it will be an eye-opener into the world of womens cricket. pic.twitter.com/eRCl6tLvEu Anushka Sharma (@AnushkaSharma) January 6, 2022তিনি এক দৃষ্টান্ত তৈরি করতে সমর্থ হয়েছিলেন যে, ভারতের মত দেশে ক্রিকেট খেলেও মেয়েরা তাঁদের ক্যারিয়ার তৈরি করতে পারে। তাঁর লড়াই ছিল যাতে পরবর্তী প্রজন্মের মেয়েরা আরও ভাল খেলার পরিবেশ পায়, তাঁদের যেন শুধু মহিলা খেলোয়াড় হিসাবে গন্য না করা হয়। অনুষ্কা বলেন, ঝুলনের এই খেলোয়াড় জীবন একটি জ্বলন্ত সাক্ষ্য রেখে যায়, যে আবেগ এবং প্রখর অধ্যাবসায় থাকলে যে কোনও বা কিছু ক্ষেত্রে সমস্ত প্রতিকূলতাকে জয় করা যেতে পারে। চাকদা এক্সপ্রেস হল সেই সময়ের মহিলা ক্রিকেটে একটা রোমাঞ্চকর চরিত্র যা বিশ্ব ক্রিকেটে এক উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক-তে পরিণত হয়েছিল।ঝুলন গোস্বামী ১৯৮২-র ২৫নভেম্বর নদিয়া জেলার ছোট্ট শহর চাকদা-তে জন্ম গ্রহণ করেন। আর পাঁচটা মেয়ের মত ছোটবেলায় পুতুল খেলার থেকে বেশী আকর্ষন ছিল ক্রিকেটের ওই লাল বলটার প্রতি। চাকদা শহরেরই স্থানীয় খেলার মাঠ ফ্রেন্ডস ক্লাব এবং নবারুণ সমিতিতে ঝুলনের ক্রিকেট খেলার হাতেখড়ি। ক্রিকেট খেলার নেশা চেপে বসে ঝুলনের, শুরু হয় এক ভয়ংকর লড়াই। যে ট্রেনে মানুষ স্বাভাবিক নিশ্বাস নিতে পারে না, শ্বাস নেওয়ার জন্য নাক দুটো ওপরের দিকে করে ট্রেন যাত্রা করে। সেই শান্তিপুর-শিয়ালদহ লাইনের ভোরের লোকাল ট্রেন চেপে চাকদা থেকে কলকাতা ময়দান যাত্রা শুরু, খেলোয়াড় তাঁকে হতেই হবে! কলকাতায় এসে নিয়মিত প্র্যাকটিস শুরু। কোচ স্বপন সাধুর কাছ থেকে পেশাগত ক্রিকেটের তালিম শুরু করেন বিবেকানন্দ পার্কে। তিনিই ঝুলনের শারীরিক গঠন দেখে তাঁকে জোরে বোলিং করার পরামর্শ দেন। প্রথম ডিভিশন থেকে এক একটা হার্ডেল বেঙ্গল, ইস্ট-জোন পার করে স্থান করে নেন স্বপ্নের ভারতীয় দলে। শুরু হয় এক স্বপ্নের যাত্রা, ঝুলন অল-রাউন্ডার হিসাবে ভারতীয় দলে সুযোগ পেলেন।When you represent India, thats all that is on your mind. Tum desh ke liye khel rahe ho, apne liye nahi. 11 women playing to place Team Indias name in history.It doesnt matter if they said ladkiyan cricket nahi khel sakti. pic.twitter.com/H7LQ4BEzQP Jhulan Goswami (@JhulanG10) January 6, 2022২০০২-র ৬ই জানুয়ারী ইংল্যান্ডে মহিলা দলের বিরুদ্ধে একদিনের ক্রিকেটে ঝুলনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিষেক হয়েছিল। মহিলা ক্রিকেটার হিসেবে এই মহুর্তে একদিনের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী ভারতের এই ডানহাতি ফাস্ট বোলার। তিনি অস্ট্রেলিয়ার ক্যাথরিন ফিটজপ্যাট্রিকের রেকর্ড ভেঙ্গে এই রেকর্ডের অধিকারী হন। এর পর আর তাঁকে ফিরে তাকাতে হয়নি। তিনি ২০০৭-এ আইসিসি (ICC) বর্ষসেরা মহিলা খেলোয়াড়ের পুরস্কার লাভ করেন এবং ২০১১তে শ্রেষ্ঠ মহিলা ক্রিকেটার হিসেবে এম এ চিদাম্বরম ট্রফি লাভ করেন। বহু মূল্যবান পুরস্কার তিনি পান, ঝুলন ২০২১তে ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান পদ্মশ্রী পুরস্কার লাভ করেন, তৎকালীন ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে পুরস্কারটি গ্রহণ করেন।তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ার-এর দিকে তাকালে যতটা চকচকে লাগে বাস্তবের মাঠ তাঁর থেকে অনেক বেশী রুক্ষ ছিল। তাঁকে নিয়ে বাণিজ্যিক যে উন্মাদনা থাকা উচিত ছিল তিনি তাঁর অনেকাংশেই কম পেয়েছেন। হয়তো তাতে তাঁর কোনও আক্ষেপ নেই, কিন্তু সাধারণ মানুষের আছে। ভারতের ক্রীড়া ইতিহাস ঘাটলে এরকম অনেক চিত্র-ই সামনে আসবে। তথাকথিত নায়িকা সুলভ চেহারা না থাকার জন্য ঝুলনের বাণিজ্যিক মহলে চাহিদা অনেক কম ছিল। সমতুল্য বা উঁচুদরের খেলোয়াড় হওয়া স্বত্তেও তাঁর থেকে অনেক বেশি এন্ডোর্সমেন্ট ছিল মিতালি রাজ, স্মৃতি মান্ধানার। এই চিত্র পি টি ঊষা-র ক্ষেত্রেও দেখা গেছে, আন্তর্জাতিক মানের অ্যাথলেটিক হওয়া স্বত্তেও আশ্বিনী নাচ্চপা বা সাইনি আব্রাহামের ব্র্যান্ড ভ্যালু অনেক বেশী ছিল।এই সিনেমা সম্বন্ধে বলতে গিয়ে প্রযোজক ও অভিনেত্রী অনুষ্কা শর্মা বলেন, ভারতে মহিলা ক্রিকেটে বিপ্লব ঘটানোর জন্য আমাদের সকলের ঝুলন এবং তার সতীর্থদের স্যালুট করা উচিত। এটা তাঁদের কঠোর পরিশ্রম, তাঁদের আবেগ এবং তাঁদের অপরাজিত অদম্য মনোভাব মহিলা ক্রিকেটের প্রতি মনোযোগ আনার জন্য পরবর্তী প্রজন্মের দৃষ্টি ঘুরিয়ে দিয়েছে। একজন মহিলা হিসেবে, ঝুলনের গল্প শুনে আমি গর্বিত হয়েছিলাম এবং তাঁর জীবন দর্শন ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করা আমার কাছে ভীষন সম্মানের। একজন ক্রিকেট প্রেমী হিসেবে আমাদের মহিলা ক্রিকেটারদের তাঁদের প্রাপ্য দিতেই হবে। ঝুলনের গল্প সত্যিই ভারতের ক্রিকেটের ইতিহাসে একটি ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প এবং ছবিটি আমাদের তরফ থেকে তাঁর প্রতি এক উপহার।ঝুলন গোস্বামী নিজেও এই ছবিটির টিজার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেছেন। তাঁর পোস্টে তিনি লিখেছেন, যখন আপনি দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে নামেন, তখন আপনার মনে একটাই কথা থাকে,তুম দেশ কে লিয়ে খেল রহে হো, আপনে লিয়ে নেহি। টিম ইন্ডিয়ার ক্রিকেট ইতিহাসে নাম লেখাতে পেরে তিনি নিজেকে ধন্য মনে করেছেন। তিনি বলেন, মহিলা ক্রিকেট বলে কিছু নেই, খেলাটা খেলাই, সেটা মহিলা বা পুরুষ যেই খেলুক। অনেক সময় স্টেডিয়াম খালি থাকে, তাতে কিছু যায় আসে না। বোলিং শুরু করার জন্য যখন পিচের দিকে দৌড়চ্ছেন, তখন আপনি শুধু বিপক্ষ দলের যে ব্যাট ধরে আছে তাঁকে এড়িয়ে ছিটকে দেওয়ার জন্য যে উইকেট লাগানো তাঁর দিকে আপনার দৃষ্টি নিবদ্ধ থাকে।

জানুয়ারি ১৯, ২০২২
দেশ

রেমডিসিভিরে বিপদ দেখছেন বিশেষজ্ঞরা, নয়া নির্দেশিকায় সতর্কতা কেন্দ্রের

করোনা আবহে ফের একবার একগুচ্ছ নির্দেশিকা প্রকাশ করল কেন্দ্র। করোনা রোগীদের উপর রেমডিসিভির ব্যবহার নিয়ে আগেই নিয়ন্ত্রণের কথা জানানো হয়েছিল। এবার স্টেরয়েড ব্যবহারে লাগাম টানা থেকে রেমডিসিভিরের নিয়ন্ত্রিত প্রয়োগ, কোভিড চিকিৎসায় এক গুচ্ছ বদলের কথা বলা হল কেন্দ্রের কোভিড সংক্রান্ত নয়া নির্দেশিকায়।কোভিড চিকিৎসায় বহুল ব্যবহৃত স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধে দ্বিতীয় পর্যায়ের সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ে বলে অভিমত কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞ দলের। উচ্চ মাত্রার স্টেরয়েড প্রয়োজনের তুলনায় বেশি দিন ব্যবহৃত হলে বেড়ে যায় মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাংগাসে জাতীয় সংক্রমণের আশঙ্কা।কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রীর লোকসভায় দেওয়া তথ্য অনুসারে গত বছরের নভেম্বর পর্যন্ত ভারতে মোট ৫১৭৭৫ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন ব্ল্যাক ফাংগাসে। তাই সেখান থেকে শিক্ষা নিয়েই এই নয়া নির্দেশ বলে ধারণা বিশেষজ্ঞ মহলে।উল্লেখ্য গত সপ্তাহেই সাংবাদিক সম্মেলনে কোভিড চিকিৎসায় স্টেরয়েডের অতিরিক্ত ব্যবহার নিয়ে সতর্কতার বার্তা দিয়েছিলেন নীতি আয়োগের সদস্য ও কেন্দ্রীয় কোভিড টাস্ক ফোর্সের প্রধান ভি কে পাল। এ দিনের নির্দেশিকায় সাফ জানানো হয়েছে মধ্যম ও মৃদু উপসর্গযুক্ত রোগীদের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা নেই ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে দেওয়া স্টেরয়েডের। স্টেরয়েড ছাড়াও রেমডিসিভিরের ব্যবহার নিয়েও মিলেছে সতর্কতার বার্তা। নতুন নির্দেশিকা অনুসারে যে রোগীদের অন্তত দশ দিন ধরে কোভিড উপসর্গ রয়েছে এবং অক্সিজেন প্রয়োজন হচ্ছে কেবল তাঁদের ক্ষেত্রেই ভাবা যেতে পারে এই ওষুধ ব্যবহারের কথা।

জানুয়ারি ১৮, ২০২২
কলকাতা

প্রায় ১ মাস পিছিয়ে গেল কলকাতা বইমেলা

করোনা আবহে প্রায় এক মাস পিছিয়ে গেল কলকাতা বইমেলা। ৩১ জানুয়ারির বদলে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে শুরু হবে বইমেলা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনার পরেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সোমবার সন্ধ্যায় জানিয়েছে বইমেলার আয়োজক সংস্থা পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ড।প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণের কারণে ২০২১ সালে বইমেলা হতে পারেনি। শেষ আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা হয়েছিল ২০২০ সালে। গত বছরের নভেম্বরের গোড়ায় গিল্ডের তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল, কোভিড-১৯ বিধি সম্পূর্ণ মেনে ৩১ জানুয়ারি থেকে সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্কে হবে ২০২২ সালের মেলার আয়োজন।উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণের আবহে রাজ্যের চারটি পুরনিগমের ভোট ২২ জানুয়ারি থেকে পিছিয়ে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি করা হয়েছে। বিধাননগর পুরনিগমও রয়েছে সেই তালিকায়। গিল্ডের একটি সূত্রে জানাচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে সেখানে বইমেলার আয়োজন হলে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ ওঠার আশঙ্কা ছিল। কারণ, ১৫ ফেব্রুয়ারি গণনার দিন পর্যন্ত সেখানে নির্বাচনী আচরণবিধি বলবৎ থাকবে। যা বইমেলার আয়োজনে বাধা হতে পারে। আর সেই কারণেই এই পুরো সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে।

জানুয়ারি ১৭, ২০২২
দেশ

ধর্মীয় আবেগে পিছিয়েই গেল পঞ্জাবের নির্বাচন, ১৪ নয় ভোট হবে ২০ ফেব্রুযারি, ঘোষণা কমিশনের

পঞ্জাবের বিধানসভা ভোট পিছিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। ১৪ ফেব্রুয়ারির বদলে ২০ফেব্রুয়ারি সে রাজ্যে নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছে কমিশন। ১৬ ফেব্রুয়ারি গুরু রবিদাস জয়ন্তী থাকায় একাধিক রাজনৈতিক দল কমিশনের কাছে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানায়। এই দাবি নিয়ে রবিবার একটি বৈঠকও বসে কমিশন। সেই বৈঠকের পরই কমিশন এই দিন পরিবর্তনের কথা জানিয়েছে।এর আগে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নি কমিশনকে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার আবেন জানান। বিজেপি, বিএসপি-র প্রতিনিধিরাও কমিশনের কাছে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানান। এই দাবি মেনে কমিশন পঞ্জাবের নির্বাচন ২০ ফেব্রুয়ারি করে দিয়েছে। সেখানে এক দফাতেই নির্বাচন সম্পন্ন হবে।আসলে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পাঞ্জাবের দলিত শিখদের ধর্মগুরু রবিদাসের জন্মজয়ন্তী। সেই উপলক্ষে ১০ ফেব্রুয়ারি থেকেই বেনারসে তীর্থ করতে যাবেন প্রায় ২০ লক্ষ দলিত শিখ। ১৪ ফেব্রুয়ারি ভোট হলে এই ভোটাররা তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন। নির্বাচন কমিশনের কাছে তাঁর অনুরোধ ছিল, ভোটের দিন অন্তত ৬ দিন পিছিয়ে দেওয়া হোক, যাতে এই ২০ লক্ষ ভোটার বেনারস থেকে ফিরে এসেও নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। একই আর্জি জানিয়েছিল বিজেপিও। তার পরই সোমবার ভোটের নতুন দিন ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী নিজেও এই দলিত শিখ সম্প্রদায়ের নেতা। আগামী নির্বাচন জিতে পঞ্জাবে কংগ্রেসকে ফের ক্ষমতায় আসতে হলে রাজ্যের ৩২ শতাংশ দলিত ভোটারকে সংগঠিত করা জরুরি। কারণ, পঞ্জাবের হিন্দু ভোটারদের একটা বড় অংশের ভোট যাবে বিজেপি এবং অমরিন্দর সিংয়ের জোটের দিকে। আম আদমি পার্টিও সেখানে কিছুটা ভাগ বসাবে। উচ্চবর্ণের জাঠ শিখদের ভোটের একটা বড় অংশ যায় অকালি দলের খাতায়। সেখানেও কংগ্রেসের পাশাপাশি ভাগ বসাবে আম আদমি পার্টি। তাই ক্ষমতায় ফিরতে কংগ্রেসের মূল ভরসা এই ৩২ শতাংশ দলিত শিখদের ভোটই। আবার বিজেপিও চাইছে দলিত শিখদের ভোট নিজেদের দিকে টানতে। তাই স্থানীয় ধর্মীয় আবেগকে মান্যতা দিয়ে ভোট পিছনোর দাবি জানিয়েছিল দুই পক্ষই।

জানুয়ারি ১৭, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 26
  • 27
  • 28
  • 29
  • 30
  • 31
  • 32
  • ...
  • 74
  • 75
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

দামোদরে বালি তুলতে গিয়ে বিরাট বিপত্তি, জলে ভাসছে ১৫টি লরি

দামোদরে বালি তোলায় কোনও লাগাম নেই। ডিভিসি থেকে জল ছাড়ার খবর থাকা সত্বেও বালি তোলার কাজ চলছিল। লরি নেমেছিল একেবারে নদের ভিতরে। জল ভরে টুইটুম্বুর হওয়ায় ভেসে গেল ১৫টি বালি বোঝাই লরি। পূর্ব বর্ধমানের গলসির গোহগ্রামের এই ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে। পরে লরিগুলিকে উদ্ধারের তৎপরতা শুরু হয়।দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার কথা ডিভিসি ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগাম ঘোষণা করা হয়েছিল। মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে বুধবার জল ছাড়া হয় ৪০ হাজার কিউসেক। এরই মধ্যে নিম্ন দামোদর অববাহিকায় দুদিন ধরে টানা বৃষ্টি চলেছে। এই সব কারণে বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ দামোদর নদে জলের পরিমাণ বেশ বেড়ে যায়। এতেই ঘটে যায় বিপত্তি।স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ১৫টি বালি বোঝাই লরি দামোদর নদের জলে ভাসতে থাকে। তার উপর বৃহস্পতিবার বেলা বাড়তে নদের জল আরও হু হু করে বাড়তে শুরু হয়। বিপদ বুঝে লরিগুলি নদী থেকে তোলার জন্য তৎপরতা শুরু করে চালকরা । ওই সময়েই সামনে থাকা দুটি লরি বিকল হয়ে যাওয়ায় লরি গুলি নদ থেকে পাড়ে তোলা আর সম্ভব হয়নি। জেসিবি মেশিন ব্যবহার করেও কাজ হয়নি। জল কমা পর্যন্ত লরিগুলো তুলতে অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

জুন ১৯, ২০২৫
রাজ্য

"কেশরী: চ্যাপ্টার ২" তে ক্ষুদিরাম বসু সহ বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অপমান, প্রতিবাদে গর্জে উঠল বাংলা পক্ষ

সম্প্রতি কেশরী: চ্যাপ্টার ২ নামের এক বলিউডি হিন্দি সিনেমায় ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সশস্ত্র সংগ্রামের উজ্জ্বল ইতিহাস তথা বীর বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পরিচয় ও ভূমিকা বিকৃত করে এক মনগড়া মিথ্যা ইতিহাস তুলে ধরার অভিযোগ উঠেছে। সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম সিং ও বারীন্দ্র কুমার নামক দুই বিপ্লবী বৃটিশ পুলিশকর্তা কিংসফোর্ডকে বোমা মেরে হত্যার চেষ্টা করে ও তাদের বোমা তৈরীর প্রশিক্ষণ দেয় কৃপাণ সিং! যার সাথে বাস্তবের কোন মিল নেই। প্রকৃত পক্ষে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে বাঙালি বিপ্লবীদের সশস্ত্র সংগ্রামের ইতিহাসের এক যুগান্তকারী ঘটনা কিংসফোর্ড হত্যার প্রচেষ্টা ও পরবর্তীতে মানিকতলা বোমা মামলার ঘটনার কথা সম্পূর্ণ বিকৃত ভাবে এই সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে।সশস্ত্র সংগ্রামের লক্ষ্যে কলকাতার মানিকতলার যুগান্তর গুপ্ত সমিতিতেই অরবিন্দ ঘোষের নেতৃত্বে বোমা তৈরীর কর্মশালা গড়ে ওঠে, ইউরোপ থেকে বোমা তৈরী শিখে এসে এখানে বোমা তৈরী করে বিপ্লবীদের সরবরাহ করতেন হেমচন্দ্র কানুনগো, যিনি বলিউডের দৌলতে হয়েছেন কৃপাণ সিং। এই গুপ্ত সমিতির পক্ষেই ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকী কিংসফোর্ডকে বোমা নিক্ষেপ করে হত্যার চেষ্টা করেন। মেদিনীপুরের বীর বাঙালি কিশোর ক্ষুদিরাম বসুর পদবী সিনেমায় হয়েছে সিং অন্যদিকে প্রফুল্ল চাকীর নামই মুছে গেছে, শোনা গেছে জনৈক বারিন্দর কুমারের নাম, যেকোন ইতিহাস সচেতন ব্যক্তিই বলতে পারবেন এই নাম আসলে মানিকতলা বোমা মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ও পরবর্তীতে আন্দামানে দ্বীপান্তরিত বারীন্দ্র ঘোষের, যিনি সম্পর্কে অরবিন্দ ঘোষের ভাই। এই মানিকতলা বোমা মামলায় বিপ্লবীদের পক্ষে কোর্টে আইনি লড়াই করেন আরেক মহান বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামী দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ। এই গৌরবজনক অধ্যায় সম্পূর্ণ ভাবে বিকৃত করা হয়েছে, যা বাঙালি জাতি তথা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি চূড়ান্ত অবমাননা।এই বিকৃতির বিরুদ্ধে বাঙালির ক্ষোভের প্রকাশ দেখা যাচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থেকে সংস্কৃতি জগতের নানান ব্যক্তিত্ব এই ইতিহাস তথা মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নাম বিকৃতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। ভারতীয় বাঙলির জাতীয় সংগঠন বাংলা পক্ষও সরব হয়েছে, আজ তারা পথে নেমে প্রতিবাদ করল কলকাতার বাংলা একাডেমী সংলগ্ন রানুছায়া মঞ্চে। এই প্রতিবাদ সভায় বাংলা পক্ষর সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি বলেন, কেশরী ২ সিমেমার মূখ্য অভিনেতা অক্ষয় কুমার, তিনি কাদের স্বার্থে বিকৃত ইতিহাস প্রচার করে সিনেমা তৈরি করেন এটা আমাদের সকলের জানা৷ বিজেপি ও বলিউডের উদ্দেশ্য বাঙালির গৌরবজনক বীরত্বের ইতিহাস মুছে দেওয়া। সেই উদ্দেশ্যেই বারবার এই ধরনের ঘটনা দেখা যাচ্ছে। বলিউড এর আগেও অভয় ২ সিরিজে বীর শহীদ ক্ষুদিরাম বসুকে ক্রিমিনাল, জঙ্গি হিসাবে দেখিয়েছিল। বাংলা পক্ষ তখন Zee5 কে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছিল এবং সল্টলেকে Zee5 এর অফিসে বিক্ষোভ করেছিল। পরবর্তীতে Zee5 ক্ষমা চেয়ে সেই অংশ বাদ দিতে বাধ্য হয়। শীর্ষ পরিষদ সদস্য অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় বলেন যতক্ষণ না পর্যন্ত কেশরী ২ সিনেমার নির্মাতারা ক্ষমা না চায়, বাংলা পক্ষর লড়াই চলবে। ক্ষমা চেয়ে এই দৃশ্য বাদ দিতে হবে। বাঙালি বিদ্বেষীদের কিভাবে ক্ষমা চাওয়াতে হয় সেটা বাংলা পক্ষ ভালো ভাবে জানে।শীর্ষ পরিষদ সদস্য সৌম্যকান্তি ঘোড়ই বলেন, ক্ষুদিরাম বসুকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান। প্রফুল্ল চাকীকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান৷ বীর বিপ্লবী বারীন ঘোষদের অপমানের বিরুদ্ধে এই লড়াই চলবে। অক্ষয় কুমারকে ক্ষমা চাইতেই হবে।এছাড়াও আজকের প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন কলকাতা জেলার সম্পাদক সৌম্য বেরা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক কুশনাভ মন্ডল, শিল্পী পক্ষর অধিকর্তা প্রবাল চক্রবর্তী প্রমুখ। এর আগে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় এই সিনেমা নিয়ে একই ইস্যুতে এফআইআর হয়েছে। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন বাঙালি বীর বিপ্লবীদের ইতিহাস বিকৃতি করার জন্য।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স

লর্ডসে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও রাহুল দ্রাবিড়ের। দিনটা ছিল ১৯৯৬ র ২০ জুন। এই টেস্টের কথা উঠলেই মহারাজকীয় শতরানের কথাই সবার আগে মনে আসে। যা এসেছিল ২২ জুন।তবে ২০ জুন বল হাতে কামাল দেখিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ইংল্যান্ডের তৃতীয় ও চতুর্থ উইকেট পড়েছিল চার রানের ব্যবধানে। দলের ৯৮ রানের মাথায় সৌরভের প্রথম শিকার হন তিন নম্বরে নামা নাসের হুসেন। ১১০ বলে ৩৬ রান করে তিনি ফেরেন বিক্রম রাঠোরের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ১০২ রানে ইংল্যান্ডের চতুর্থ উইকেট পড়ে। ৯ বলে ১ রান করে গ্রেম হিক সৌরভের বলেই জাভাগল শ্রীনাথের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। প্রথম ইনিংসে সৌরভের বোলিং ফিগার ছিল ১৫-২-৪৯-২। বেঙ্কটেশ প্রসাদ পাঁচটি, শ্রীনাথ তিনটি ও সৌরভ ২টি উইকেট পান। পরশ মামব্রে, অনিল কুম্বলে ও সচিন তেন্ডুলকর উইকেট পাননি। দ্বিতীয় ইনিংসে সৌরভ তুলে নিয়েছিলেন প্রথম ইনিংসে শতরানকারী জ্যাক রাসেলের উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে মহারাজ ৩ ওভারে মাত্র ৫ রানের বিনিময়ে একটি উইকেট পেয়েছিলেন। ফলে লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

বৃষ্টির মোকাবিলায় ইডেন সেরা, মাঠ ভরানোর আহ্বান মনোজের

আজও বৃষ্টিতে ব্যাহত বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের খেলা। কয়েক দিন ধরেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি চলছে। যার জেরে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের খেলাগুলি পরিত্যক্ত হচ্ছে। ইডেনে বৃষ্টি থামার পর খেলা শুরু হলেও ফের অবিরাম বর্ষণে ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। তবে গতকাল যা হলো তা অন্য কোথাও আর হতে পারতো না।সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত ভাবনাতেই ইডেনের গোটা মাঠ ঢেকে রাখার বন্দোবস্ত হয়েছে। উন্নতমানের কভার আনিয়ে। এমনকী ইডেনের মতো সল্টলেক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস মাঠেও মাঠ ঢেকে রাখা হয় প্রধান কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন অনবদ্য টিম যার ফলে বৃষ্টি থামার কিছুক্ষণের মধ্যেই মাঠ খেলার উপযুক্ত করে দিতে পারেন। ইডেনের এমন ব্যবস্থাপনা বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়াম আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামেও নেই। সুনীল গাভাসকর-সহ অনেকেই তাই বলে থাকেন মাঠ ঢাকার ব্যবস্থাপনায় ইডেনকে অনুসরণ করতে। এই ব্যবস্থাপনার সুফল মিলল আরও একবার। গতকাল বৃষ্টি একটু ধরতেই রাতে ৯ ওভারের ম্যাচ হলো। হারবার ডায়মন্ডস ৪০ রানে হারাল লাক্স শ্যাম কলকাতা টাইগার্সকে। যে পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে শহরে তাতে অন্য কোথাও এটা সম্ভব হতো না। হলো মাঠ ঢাকার ব্যবস্থা ছিল বলেই। হারবার ডায়মন্ডস অধিনায়ক তথা রাজ্যের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি অনুরোধ করেছেন সকলকে কাজ সেরে মাঠে এসে তরুণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করার জন্য। এই লিগে বিনামূল্যে খেলা দেখা যায়। এমনকী হারবার ডায়মন্ডসের সমর্থকদের জল, ইলেক্টোরাল, কেক দেওয়ার কথাও মনোজ বলেছেন। তার কারণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করতে সমর্থকদের উপস্থিতি দরকার। গ্যালারির সিংহভাগ ফাঁকা থাকছে। যে লিগের সম্প্রচার স্টার স্পোর্টসে চলছে সেখানে এমন ফাঁকা গ্যালারি মোটেই ভালো বিজ্ঞাপন নয়।

জুন ১৯, ২০২৫
দেশ

ওরঙ্গাবাদের এই হৃদয়স্পর্শী কাহিনী আপনার মন ছুঁয়ে যাবেই

মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদের সম্ভাজি নগরে ঘটনা এখন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। ওই হৃদয়স্পর্শী ঘটনা নাড়া দিয়েছে পুরো সমাজকে। সেখানে এক গয়নার দোকানে গিয়েছিলেন অতি সাধারণ এক দম্পতি। স্ত্রীকে কিছু উপহার দেওয়াই ছিল স্বামীর উদ্দেশ্য। গয়নার শোরুমের ম্যানেজার তাদের সঙ্গে গল্প জুড়ে দেন। হাসিঠাট্টার মাঝে কথা বলতে বলতে জেনে নেন তাঁদের জীবনকাহিনী। এবার এল জিনিস কেনার পালা। হাতের ঝোলা ব্যাগ থেকে বেরোল একটা ৫০০ টাকার নোট। একে একে ১০, ২০ টাকার নোট। সবশেষে একটা ছোটখাট বোঁচকা। তাতে ভর্তি খুচরো পয়সা।শোরুমের ম্যানেজার গোটা বিষয়টা বুঝতে পেরে তাঁদের একটি হার উপহার দেন। সঙ্গে একজোড়া কানের দুলও। এরপর বৃদ্ধের কাছে সরল আবদার জানান, নিজে হাতে স্ত্রীর হাতে সেটা তুলে দিতে হবে। উপহার তো দিলেন ম্যানেজার, কিন্তু এত বড় দোকানে এসে কোনও টাকা না দিয়ে চলে যাবেন, এতেও যেন সম্মানে বাধে বৃদ্ধের। সমাজের খেটে খাওয়া মানুষের কাছে আত্মসম্মানই বড় কথা। প্রাণ যাক, সম্মান নিয়ে বাঁচাটাই বড় কথা। তাই সবচেয়ে বড় নোটটি তুলে দিতে চেয়েছিলেন ম্যানেজারের হাতে। কিন্তু তাতে ম্যানেজারের উত্তর, আপনার আশীর্বাদের হাত থাকলেই হবে। পান্ডুরঙ্গ (কর্নাটক, মহারাষ্ট্রের পূজিত দেবতা) আছেন, কিছুর অভাব হবে না কোনওদিন। কিন্তু বৃদ্ধ নাছোড়বান্দা, টাকা তিনি দেবেনই। উপায় নেই বুঝে অবশেষে দুটো ১০ টাকার নোট নেন ম্যানেজার।স্বামীর চোখে জল, ধুতির খুঁট দিয়ে মুছে ফেললেন। তা দেখে স্ত্রীও আটকাতে পারলেন না নিজেকে। ভিডিওতেই স্পষ্ট, এমন এক মূল্যবান উপহার পেয়ে বিশ্বাস হচ্ছে না ওই দম্পতির। কিন্তু যেকজন ভিডিওটি দেখেছেন, তাঁরা সবাই বুঝেছেন এই চোখের জল, অবিশ্বাস শুধু মূল্যবান এক উপহারের জন্য নয়, জীবনের অন্যতম এই দিনটি মনের মণিকোঠায় সাজিয়ে রাখছেন দম্পতি।

জুন ১৯, ২০২৫
দেশ

আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা: শিশুদের শনাক্ত করতে বড় সমস্যা, এখনও হস্তান্তর ১৫৯ দেহ

সুরাটের নানাবাওয়া পরিবার ৩৬ বছর বয়সী আকিল এবং ৩১ বছর বয়সী স্ত্রী হান্না ভোরাজির নামাজ-এ-জানাজা (জানাজা) সম্পন্ন হয়। বুধবার ভোরে ফোন করে জানায় যে বোয়িং ড্রিমলাইনার দুর্ঘটনায় তাদের সাথে মারা যাওয়া তাদের মেয়ে সারার মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। আত্মীয়স্বজনরা চার বছর বয়সী মেয়ের দেহাবশেষ দাবি করতে আহমেদাবাদে ছুটে যান। যাতে তাকে তার বাবা-মায়ের পাশে দাফন করা যায়।আহমেদাবাদ-লন্ডন AI-171 বিমান দুর্ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পর, সারার সন্ধানে দেখা যাচ্ছে যে পুড়ে যাওয়া দেহাবশেষের মধ্যে নাবালকদের শনাক্ত করা কতটা কঠিন। বুধবার পর্যন্ত, ডিএনএ ম্যাচিং এবং শনাক্তকরণের পরে ১৫৯টি মৃতদেহ আত্মীয়দের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সারা ছাড়াও, এই মৃতদেহগুলির মধ্যে কেবল একজন নাবালিকা ছিল ফাতিমা শেঠওয়ালা, যার বয়স ১৮ মাস।বিমান সংস্থার তালিকা অনুসারে, AI-171-এ ১২ বছরের কম বয়সী ১৩টি শিশু ছিল, যার মধ্যে তিনজন এখনও ২ বছর পূর্ণ করেনি। আরও বেশ কয়েকজনের বয়স ১১ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে।এই ধরনের দুর্যোগে অপ্রাপ্তবয়স্কদের শনাক্ত করার জন্য ডিএনএ প্রযুক্তি ব্যবহারে অসুবিধা ব্যাখ্যা করে গুজরাটের সরকারি ডেন্টাল কলেজের ফরেনসিক দন্ত বিশেষজ্ঞ ডঃ জয়শঙ্কর পিল্লাই বলেন, শিশুদের শরীরের ভর কম থাকে এবং তাই টিস্যুর ক্ষতি হয় এবং লম্বা হাড় তাপের সংস্পর্শে আসে। তবে দাঁত বেশি শক্তিশালী হওয়ায় তাপ সহ্য করতে পারে।তবে অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে এটিও জটিল। শিশুদের যে কোনও দাঁত থেকে ডিএনএ বের করা যেতে পারে, কিন্তু আগুন লাগার সময় সামনের দাঁত ব্যবহার করা যায় না কারণ তাপ তাদের নষ্ট করে দেয়। তাই আমরা মোলার থেকে ডিএনএ নিই। ছয় বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে, আমরা স্থায়ী মোলার পেতে পারি না... তাদের বেশিরভাগই দুধের দাঁত থাকে, এবং কখনও কখনও সেগুলিও নষ্ট হয়ে যায়। কারণ খিলানটি খুব ছোট। তাই আমরা চোয়ালে একটি ছেদ তৈরি করি এবং ভিতরে স্থায়ী মোলার তৈরি করার চেষ্টা করি, পিল্লাই বলেন, যার বিভাগের সাথে ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ দাঁতের ডিএনএ বের করতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের দাঁতের চার্ট তৈরি করতে সাহায্য করার জন্য যোগাযোগ করেছিল।একজন ফরেনসিক কর্মকর্তা বলেছেন যে দুর্ঘটনার পরে যে আগুন লেগেছিল তা খুব অল্প সময়ের মধ্যে ১৬০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি তাপমাত্রায় পৌঁছেছিল। সুতরাং, কিছু ব্যক্তির জন্য কেবলমাত্র আংশিক ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়া যায়, যাদের আমরা সন্দেহ করি যে তারা নাবালক, কর্মকর্তা বলেন, আরও বলেন যে আত্মীয়দের সাথে নিঃসন্দেহে নির্ভুলতার সাথে মেলানো কঠিন।আকিলের বাবা আবদুল্লাহ স্মরণ করিয়ে দেন যে তিনজন ৬ জুন, ঈদুল আযহার একদিন আগে, এক আকস্মিক পরিদর্শনে এসেছিলেন। এটা একটা ছোট ভ্রমণ ছিল। আমরা জানতাম না যে এটাই তাদের শেষ হবে, কাঁদতে কাঁদতে আবদুল্লাহ বলেন, যিনি বিমানে পরিবারকে নামিয়ে দিতে আহমেদাবাদ গিয়েছিলেন।ভদোদরায়, আসিফ শেঠওয়ালা তার নাতনি ফাতিমার জন্য শোক প্রকাশ করেছেন। যার দেহাবশেষ বুধবার শনাক্ত করা হয়েছে, যখন তার মা সাদিকার মৃতদেহ এখনও পাওয়া যায়নি। আসিফ বলেন, ফাতিমা তার লন্ডন-ভিত্তিক ছেলের একমাত্র সন্তান। সাদিকা এবং ফাতিমা আমার ছোট ছেলের বিয়েতে বেড়াতে এসেছিলেন। তারা প্রায় ২০ দিন ধরে এখানে ছিলেন এবং তাদের ফেরার টিকিট অনেক আগেই বুক করা হয়েছিল।ডিএনএ সরবরাহ করার পাশাপাশি, দাঁতের দেহাবশেষ একজন ব্যক্তির আনুমানিক বয়স নির্ধারণেও সাহায্য করে। যা শনাক্তকরণের জন্য প্রয়োজনীয় সূত্র প্রদান করে। আহমেদাবাদ দুর্ঘটনায় এটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যও, বিস্ফোরণ এবং আগুনের ফলে উদ্ধার করা বেশিরভাগ ডিএনএ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।ডঃ পিল্লাই বলেন, ফরেনসিক ওডন্টোলজি বিভাগ এক থেকে ছয় বছর বয়সী বেশ কয়েকজন প্রাপ্তবয়স্ক যাত্রীর দাঁতের ডিএনএ সংগ্রহ করেছে অথবা ডেন্টাল চার্টিং করেছে এবং অন্তত কিছু ভুক্তভোগীর বয়স মূল্যায়ন করেছে। এরপর এই বয়সের যাত্রীদের জন্য ফ্লাইট ম্যানিফেস্টের সাথে তুলনা করা হয়েছে। কিছু শিশুর ক্ষেত্রে, আমরা দ্বিতীয় মোলার বিকশিত হতে দেখেছি, যা স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে তারা তিন থেকে ছয় বছর বয়সী। এটি অনুসন্ধানকে সংকুচিত করতে সাহায্য করেছে। তারপর তাদের ডিএনএ নমুনা তাদের আত্মীয়দের সাথে মেলানো যেতে পারে।যারা খবরের জন্য অপেক্ষা করছেন তাদের মধ্যে রয়েছে ভদোদরার ভাহোরা পরিবার। তারা দুর্ঘটনায় তিন সদস্যকে হারিয়েছে। সোমবার ইয়াসমিনের মৃতদেহ হস্তান্তর করা হলেও, পারভেজ এবং তার ৪ বছর বয়সী মেয়ে জুভেরিয়ার দেহাবশেষ এখনও পাওয়া যায়নি। প্রাক্তন আইপিএস অফিসার এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ, ডঃ কেশব কুমার বলেছেন, পরিবারগুলির আশা হারানো উচিত নয়। বিমান দুর্ঘটনাটি প্রায় বোমা বিস্ফোরণের মতো ছিল। যেখানে ৫৪,০০০ লিটার বিমান জ্বালানি এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে জ্বলছিল। উৎপন্ন তাপের পরিমাণ শরীরের জন্য ক্ষতিকর। আমরা ভাগ্যবান হব যদি ভালো নমুনা পাওয়া যায়। কিন্তু যদি একটি দাঁতও পাওয়া যায়, তাহলে ডিএনএ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ফরেনসিক পরীক্ষা খড়ের গাদায় সূঁচ পাওয়ার মতো। কিন্তু একজন তদন্তকারী হিসেবে, আমি বলতে পারি যে ম্যাচ পাওয়ার সম্ভাবনা ১০০%। ডিএনএ হাজার হাজার বছর টিকে থাকতে পারে এবং প্রয়োজনে ধ্বংসাবশেষে ডিএনএর আরও চিহ্ন থাকবে। গুজরাট পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন যে তারা দুর্ঘটনাস্থল থেকে একাধিক নমুনা সংগ্রহ নিশ্চিত করেছেন।

জুন ১৯, ২০২৫
রাজ্য

১০০ দিনের কাজ নিয়ে হাইকোর্টে বড় ধাক্কা কেন্দ্রীয় সরকারকে

গতকালই ওবিসি মামলায় হাইকোর্টে জোরদার ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। এবার ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বড় ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার নজিরবিহীন একটি নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পশ্চিমবঙ্গে ফের ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প চালু করতে হবে, এই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ১ আগস্ট থেকেই এই প্রকল্প চালু করতে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ।উল্লেখ্য, বাংলায় ১০০ দিনের কাজের টাকা বহুদিন ধরে আটকে রেখেছে কেন্দ্র, এই অভিযোগ করে আসছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রাজ্য সরকারের একাধিক মন্ত্রী এই ব্যাপারে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বারবার সমালোচনায় সরব হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে লাগামহীন দুর্নীতি হয়েছে। এই দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্র বেশ কয়েকটি দলও বাংলার জেলায় জেলায় পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী আদালতে জানিয়েছিলেন, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গে মোট ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে গরমিল ধরা পড়েছে।। তার মধ্যে ২ কোটিরও বেশি টাকা পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে। হুগলি, মালদা, বর্ধমান, দার্জিলিংয়ের মতো জেলাগুলিতে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। ১০০দিনের কাজের প্রকল্পে টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে বেনজির দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রের।রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প আটকে থাকা নিয়ে মামলার শুনানি বুধবার ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনেছেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এরপর প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছেন যে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের জন্যই বিশেষ কোনও বেঁধে দিতে পারে কেন্দ্র। এই রায়ের পর সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ১০০ দিনের পুরনো বকেয়া টাকা ফেরত দিতে হবে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর

পাঁচ লক্ষ টাকা তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর এবং সালিশি করে গ্রাম ছাড়া করার অভিযোগ উঠলো স্থানীয় একদল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকায়। এই ঘটনায় আক্রান্ত ব্যবসায়ীর পরিবার কালিয়াচক থানার দ্বারস্থ হলেও চারদিন পরে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে বুধবার ওই ব্যবসায়ী দম্পতি সমস্ত ঘটনার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানালেন পুলিশ সুপারের কাছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব। এদিকে কালিয়াচকের ওই ব্যবসায়ীর ওপর আক্রমণ এবং পাঁচ লক্ষ টাকা তোলাবাজির ঘটনায় রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলার সর্ববৃহৎ ব্যবসায়ীদের সংগঠন মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বারবার যদি ব্যবসায়ীদের ওপর দুষ্কৃতীদের হামলা নেমে আসে, তাহলে আমরা যাব কোথায়। অবিলম্বে পুলিশ সুপার যাতে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে, সেই আবেদন জানাচ্ছি। এদিকে পুলিশকে অভিযোগে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকার পোশাক ব্যবসায়ী মহম্মদ রহিম বিশ্বাস জানিয়েছেন, পুরনো একটি মামলার ঘটনায় গত শনিবার এলাকার এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী জহরুল খান এবং তার দলবল তাকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাদের একটি ডেরায় তাঁকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর পাঁচ লক্ষ টাকার তোলা চাওয়া হয়। সেই টাকা না দেওয়ায় আশেপাশের আরও কিছু সাগরেদদের জুটিয়ে সালিশি ডাকা হয়। সেই সালিশির মাধ্যমে তাদের পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। আর এই ঘটনার পর থেকেই গত চারদিন ধরেই ওই ব্যবসায়ী পরিবার নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন হয়ে রয়েছেন। এমনকি ফতেখানি স্ট্যান্ডের কাছে ওই ব্যবসায়ী তার নিজের পোশাকে শোরুম খুলতে পারছেন না।

জুন ১৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal