• ৪ আষাঢ় ১৪৩২, শুক্রবার ২০ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

ED

কলকাতা

'পুলিশের মেরুদণ্ডে আঘাত’! টুইট ক্ষুব্ধ রাজ্যপালের

রাজ্যকে নিশানা করে ফের একবার টুইট করলেন রাজ্যপাল। পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার অমরনাথ কে-কে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্যে ভর্ৎসনা নিয়ে এ বার সরব হলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। টুইটারে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। ট্যাগ করেছেন, আইএসএস অ্যাসোসিয়েশন, আইপিএস অ্যাসোসিয়েশন, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশকে।শুক্রবার টুইটারে রাজ্যপাল লিখেছেন, কী উদ্বেগজনক দৃশ্য! মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত সংবাদমাধ্যমের সামনে পূর্ব মেদিনীপুর পুলিশ সুপারের কাছে জানতে চাইছেন, রাজ্যপাল কি আপনাকে ফোন করেন! একটি গুরুতর বিষয়, যেদিকে অবিলম্বে নজর দেওয়া প্রয়োজন। দুর্ভাগ্যজনক। পুলিশের মেরুদণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর আঘাত।What a worrisome scenario! CM Mamata Banerjee in full media glare pulls up Purba Medinipur SP by asking Did governor call you is serious issue needing focussed reflection @IASassociation @IPS_Association.Unfortunate- A spinal blow by CM to Police @WBPolice @KolkataPolice pic.twitter.com/dh4FPSJYsd Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) February 4, 2022বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোরে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ভর্ৎসনা করেছিলেন অমরনাথকে। তিনি বলেন, তোমার জেলা সম্পর্কে আমি অভিযোগ পাচ্ছি। কাউকে সাজিয়ে পরিকল্পিত ভাবে দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। অনেকদিন তোমাদের বলেছি। কিন্তু তোমরা কিছু করোনি। তার পর আমি হস্তক্ষেপ করেছি। এই মন্তব্যের পরই স্বভাবতই ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল।

ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২২
খেলার দুনিয়া

যশ, রশিদদের দাপটে চূর্ণ অস্ট্রেলিয়া, বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারত

এভাবেও ফিরে আসা যায়! ভারতকে না দেখলে বিশ্বাস করা সত্যিই কঠিন। ২০২২ অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রত্যাবর্তনের নায়ক হিসেবে ইতিহাসের খাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে অধিনায়ক যশ ধুল ও সহঅধিনায়ক শেখ রশিদের নাম। এই দুই ব্যাটারের দাপটে অস্ট্রেলিয়াকে ৯৬ রানে উড়িয়ে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারত। সামনে এবার ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার দুই জোরে বোলার টম হুইটনি ও জ্যাক নিসবেটের দাপটে তখন থরহরিকম্প ভারতের দুই প্রারম্ভিক ব্যাটার অঙ্গকৃশ রঘুবংশী ও হার্নুর সিংয়ের। রান তোলাই কঠিন হয়ে পড়েছিল এই দুই ব্যাটারের কাছে। শুরু থেকে সতর্ক থাকলেও শেষরক্ষা করতে পারেননি অঙ্গকৃশ রঘুবংশী। ম্যাচের অষ্টম ওভারে উইলিয়াম স্যালজম্যানের দুরন্ত ডেলিভারিতে অঙ্গকৃশের (৩০ বলে ৬) অফস্টাম্প ছিটকে যাওয়ার পর বাইশ গজে আগমন শেখ রশিদের। ভারতের রান তখন ১৬। হার্নুর সিংও খুব একটা সপ্রতিভ ছিলেন না। জ্যাক নিসবেটের বলে মাত্র ১৬ রান করে সাজঘরের পথে পা বাড়ান হার্নুর।১২.৩ ওভারে ভারতের রান তখন ৩৭। এরপর মঞ্চে আবির্ভাব অধিনায়ক যশ ধুলের। বাকিটা ইতিহাস।WHAT. A. PERFORMANCE! 💪 👌India U19 beat Australia U19 by 9⃣6⃣ runs march into the #U19CWC 2022 Final. 👏 👏 #BoysInBlue #INDvAUSThis is India U19s 4th successive 8th overall appearance in the U19 World Cup finals. 🔝Scorecard ➡️ https://t.co/tpXk8p6Uw6 pic.twitter.com/tapbrYrIMg BCCI (@BCCI) February 2, 2022ক্রিজে নেমে শুরু থেকে সতর্ক ছিলেন রশিদ ও যশ। সময় যত গড়িয়েছে ততই চওড়া হয়েছে ভারতের এই দুই ব্যাটারের ব্যাট। শুরুর দিকে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা হুইটনি ও নিসবেট, স্যালজম্যানদের ক্লাব স্তরে নামিয়ে নিয়ে আসেন রশিদ ও যশ ধুল। স্পিনের বিরুদ্ধে দারুণ স্বপ্রতিভ ছিলেন যশ। ব্যাকফুটে লেট কাটগুলো ছিল দেখার মতো। তৃতীয় উইকেটের জুটিতে ৩৩.২ ওভারে যশ ও রশিদ তোলেন ২০৪ রান। এতেই বড় রানের মঞ্চ তৈরি হয়ে যায় ভারতের। দুরন্ত সেঞ্চুরি করেন যশ ধুল। শেষপর্যন্ত ১১০ বলে ১১০ রান করে দুর্ভগ্যজনকভাবে রান আউট হয়ে ফিরে যান ভারতীয় দলের ক্যাপ্টেন। মাত্র ৬ রানের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেন রশিদ। ১০৮ বলে ৯৪ রান করে তিনি জ্যাক নিসবেটের বলে আউট হন। পরপর ২ বলে দুউইকেট হারালেও ভারতের বড় রানে পৌঁছতে অসুবিধা হয়নি। শেষপর্যন্ত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ২৯০ রান তোলে ভারত।ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় ওভারেই টিগু উইলিকে (১) তুলে নেন রবি কুমার। এরপর দলকে টেনে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন ক্যাম্পবেল কেলাওয়ে ও কোরে মিলার। কোলে (৩০) তুলে নিয়ে জুটি ভাঙেন ভিকি অস্তোয়াল। তবে অস্ট্রেলিয়াকে বড় ধাক্কা দেন নিশান্ত সিন্ধু। অধিনায়ক কুপার কনোলিকে (৩) তুলে নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে একেবারে ব্যাকফুটে পাঠিয়ে দেন। ভিকি ও নিশান্তের দাপটে ভেঙে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার মিডল অর্ডার। ১২৫ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে হারিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। সেখান থেকে ৪১.৫ ওভারে ১৯৪ রানে শেষ। একমাত্র লড়াই করেন লাচলান সাউ (৫১)। ভিকি অস্তোয়াল ৪২ রানে ৩টি, নিশান্ত সিন্ধু ২৫ রানে ২টি এবং রবি কুমার ৩৭ রানে ২টি উইকেট নেন।

ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২২
কলকাতা

পিএসসি ভবনের সামনে ফের বিক্ষোভ চাকরিপ্রার্থীদের

ফের চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভে উত্তাল হল শহর কলকাতা। পিএসসি ভবনের সামনে চাকরি প্রার্থীদের বিক্ষোভ। দ্রুত নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান চাকরিপ্রার্থীরা।বুধবার সকালেও তাঁরা পাবলিক সার্ভিস কমিশনের অফিসের সামনে জড়ো হন। প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন কয়েকশো চাকরিপ্রার্থী। দুর্নীতিগ্রস্তদের শনাক্ত করে দ্রুত তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে, মেধা তালিকা প্রকাশের সময়ে রোল নম্বরের পাশাপাশি চাকরি প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশ করতে হবে- এই সব একাধিক দাবি লেখা পোস্টার, প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন চাকরিপ্রার্থীরা। স্লোগান দিতে থাকেন, এই অনাচার আর নয়। জমায়েতকে কেন্দ্র করে যাতে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয়, সেকথা ভেবে আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল টালিগঞ্জ থানার পুলিশ। পিএসসি ভবনের বাইরে পুলিশ মোতায়েন ছিল আগেই।বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্রুত স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ,ধারাবাহিক পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি-সহ নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও বিভিন্ন টালবাহানার বিষয়ে সরব হয়েছেন চাকরি প্রার্থীরা। পাশাপাশি, জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার্স, কেপিএস, ফায়ার অপারেটর্স, লাইভ স্টক ডেভেলপমেন্ট, স্কুল এসআই, ফুড এসআই-সহ বিভিন্ন পদে দ্রুত নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।সমস্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের এক বছরের মধ্যে সম্পন্ন করার দাবিও করা হয়েছে এদিনের বিক্ষোভ থেকে।

ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২২
সম্পাদকীয়

আর্থিক বৈষম্যঃ সঠিক নীতি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি ছাড়া কোনও গতি নেই

যত দিন গড়াচ্ছে তত বাড়ছে আর্থিক বৈষম্য। করোনার প্রকোপ তা আরও স্পষ্ট করেছে। মানুষের দৈন্যদশা বেড়েছে। এক্ষেত্রে দুই সরকারের ভূমিকা এখন প্রশ্ন চিহ্নের মুখে। তবে কারও কোনও হেলদোল নেই। দান-খয়রাতে জনদরদী ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে মরিয়া সরকার। সাধারণের হাল সেই তিমিরেই থেকে যাচ্ছে। বাজেট ভাষণে সাধারণের যে কোনও ফায়দা নেই তা আবার প্রমানিত হবে। হীরের নাকি দাম কমবে? এতে লাভ কাদের।সরকার নির্বাচিত করে জনগণ। তাঁদের ভোটের দ্বারা নির্বাচিত হয়ে জনপ্রতিনিধিদের একটা বড় অংশের জীবনভর চলে ফুটানি। দ্রুত বাড়তে থাকে সম্পদের ভান্ডার। ঘটে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি। চলে বিলাশবহুল জীবনযাপন। আর চলে শাসনের সঙ্গে শোষণ। এটাই এই দেশের আধুনিক গণতন্ত্র। কয়েকটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করলেই বিষয়টা আরও পরিস্কার হবে। আর এদেশে যে সাধারণের হাল ফেরার কোনও সুযোগ নেই তা নিয়ে সন্দেহের কোনও অবকাশ নেই।প্রচন্ড মেধাবী না হলে সরকার বা বেসরকারি ক্ষেত্রে চাকরির তেমন সুযোগ আসবে না। সাধারণ পরিবার কেন ধনী পরিবারের মধ্যে এমন মেধাবী কতজন রয়েছে? তাছাড়া একে একে চাকরির ক্ষেত্রগুলি দেখা যাক। বিশ্ববিদ্যালয়, পুরসভার মতো প্রতিষ্ঠানে চাকরি পাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে শাসকদল বা রাজনৈতিকদলগুলি যথেষ্ট অবগত আছেন। কোন ঝান্ডা ধরলে স্বায়ত্বশাসিত সরকার পোষিত এই সব প্রতিষ্ঠানে হালে পানি পাওয়া যায়, তা-ও জানেন সকলে। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলেই ছাত্রনেতাদের সাক্ষাৎ পাবেন। কোন জাদুবলে অল্প বয়সেই তাঁদের ভাগ্য়ে শিকে ছেড়ে! অন্য নানান প্রক্রিয়ার মাধ্যমেও নিয়োগ চলতে থাকে। নিরপেক্ষ তদন্ত করে দেখতেই পারে সরকার। তবে দেখবে না, এটাও স্বাভাবিক। বামসরকারের আমল হোক বা তৃণমূল সরকারের জমানা হোক, এটাই দস্তুর। সাধারণ মানুষ হাজার আবেদন করলেও তা পড়ে থাকবে ডাষ্টবিনে।স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ নিয়েও অভিযোগের অন্ত নেই। দুএকটি ক্ষেত্রে উদাহরণ তৈরি করা হয়। কিন্তু সার্বিক ক্ষেত্রটা আজ অভিযোগের বাইরে নেই। সাধারণভাবে লড়াই করে টিকে থাকা মানুষগুলি এসব ভালভাবেই উপলব্ধি করতে পারছে। সরকারি চাকরি পাওয়ার সুযোগ ক্রমশ কমছে। গ্রুপ ডি-র চাকরি কীভাবে হয় তার ব্যাখ্যা দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। কলকাতার দফতরগুলিতে কান পাতলেই শোনা যায় মন্ত্রীদের আবার নাকি নিজস্ব কোটা রয়েছে। তাঁরা প্রথমে ক্যাজুয়াল নিয়োগ পায়। তারপর সরাসরি করণিক। না এক্ষেত্রেও কোনও পরীক্ষা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। শুধু প্রয়োজন তেল। এসব নিয়ে কারও মুখে রা নেই। হোক না তদন্ত, এভাবে কারা নিয়োগ পাচ্ছে খতিয়ে দেখা হোক। এমন সরকারি নিয়ম আছে কী? এসব গেল সরকারি ক্ষেত্রে বৈষম্যের চরম ধাপ।আর্থিক বৈষম্য তৈরি করে সরকারি নীতি। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা যে বেতন হাতে পান তার আউটপুট কী আছে। বিশেষত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে অভিযোগ গুরুতর। একজন অধ্যাপক বেতন পাচ্ছেন ২-২.৫ লাখ টাকা। আর তাঁর ওই বিভাগে ছাত্র রয়েছে একজন বা দুজন। রাজ্যজুড়ে কলেজগুলিতে খবর নিলেই এমন নানা তথ্য় মিলবে। একজন ছাত্রকে বছরে কটা দিন তাঁকে পড়াতে হয়? কেন তাঁকে এভাবে বসিয়ে বেতন দেওয়া হবে? এই প্রশ্ন ওঠা কী বড্ড অস্বাভাবিক? তাহলে কী আর্থিক বৈষম্য না ঘটাই তো স্বাভাবিক নয়। লক্ষ লক্ষ টাকা এভাবেই অপচয় হচ্ছে। এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকার পোষিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে লোডার ম্যানেজার হয়ে যাচ্ছে স্রেফ কিছু নীতির জন্য। এমন নানা প্রতিষ্ঠানে ইনক্রিমেন্ট হয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা মাইনে হচ্ছে কয়েকবছরের মধ্যে। কিন্তু সেই টাকা অনুযায়ী তাঁদের কাজ করতে হচ্ছে না। অনেকে তো গায়ে হাওয়া লাগিয়ে জীবন কাটিয়ে দিচ্ছে। যে দেশের কোটি কোটি শিক্ষিত বেকার জীবনযন্ত্রণা বইছে। নুন আনতে পান্তা ফুরিয়ে যাওয়ার যোগার।এরপর তো রয়েছে বহুজাতিক সংস্থা। তাদের জন্য সরকার তো দরাজহস্ত। যত সুযেোগ-সুবিধা তাদের জন্যই বরাদ্দ। সংস্থার ব্যাপ্তির জন্য কেন্দ্রীয় সরকার নানা সুযোগ দিচ্ছে। আর একই পরিষেবার সরকারি সংস্থাকে ডুবিয়ে মারছে। আজ সরকারি টেলিকম সংস্থার কী পরিণতি! অনলাইনে ব্যবস্থায় উৎসাহ যুগিয়ে ডাটাপ্যাকের খরচ যোগাতে মানুষ হিমসিম খাচ্ছে। কি সুন্দর পরিকল্পনা। অসাধারণ দেশপ্রীতি। দুই সরকারই অর্থ রোজগারের জায়গা হিসাবে পেট্রল-ডিজেলকে হাতিয়ার করেছে। তার মাশুল গুনতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এরপরে রেশন-ভাতা দিয়ে সবাই চিৎকার জুড়ছে গরীবে পাশে আমরাই আছি। সেই টাকাটাও তো জনগণেরই। এতো ভাষণ দেওয়ার কিছু নেই। করোনা পরিস্থিতিতে সরকারের ভোগাস নীতি মানুষকে খাদের কিনারায় দাঁড় করিয়েছে। এসব পরিস্থিতি কথা কী দুই সরকার জানে না? আলবাৎ জানে। রাজনৈতিক দলগুলিও জানে। কী একটা কথা আছে না, লঙ্কায় যে যায় সেই হয় রাবন।বাজেটে পেশের নাটক না করে সাধারণের জন্য ভাবা দরকার। দেশের আপামর মানুষ যদি দুঃখ-দুর্দশায় জীবন কাটায় তাহলে আর নির্বাচিত সরকার থাকার প্রয়োজন কী? দলীয় কর্মীদের বাইরেও অসংখ্য পরিবারের ভুখা পেট রোজ আর্তনাদ করে তা অনুধাবন করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। তথাকথিত অর্থনৈতিক বোদ্ধারা সরকারকে নানা পরামর্শ দেন। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির কথা বলেন। সরকার জনগণের কাছ থেকে আদায়কৃত টাকা ভাতা দিতে শুরু করে। তাঁদের মুখে আর কোনও কথা শোনা যায় না। বিভিন্ন সরকারি কমিটিতে তাঁরা আলো করে থাকেন। এটা কোনও ভাবেই সমস্যার স্থায়ী সমাধান হতে পারে না। অর্থনীতিবিদ হয়ে মুখে বড় বড় ভাষণ দিয়ে কোনও খবরে থেকে দেশের সাধারণের কোনও লাভ নেই। গবেষণা যদি বাস্তবে মানুষের সমস্যার সুরাহা না করতে পেরে শুধু বইয়ে লিপিবদ্ধ করে বিখ্যাত হতেই পারে যে কেউ। মোদ্দা কথা সম্মানজনক কাজের প্রয়োজন। উৎপাদন প্রক্রিয়াকরণ শিল্পকে উৎসাহিত করতে হবে সরকারকে। কর্মসংস্থান সৃষ্টিই পারে একমাত্র দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। সেখানে রাজনৈতিক রং বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।

ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২২
কলকাতা

বাংলার ছেলেমেয়েদের বঞ্চিত করে ডোমিসাইল বি-র মাধ্যমে মেডিক্যালে ভর্তির প্রতিবাদে বাংলা পক্ষ-র ডেপুটেশন

বাংলার ছেলেমেয়েদের বঞ্চিত করে অন্য রাজ্যের ছেলেমেয়ের ডোমিসাইল বি-র মাধ্যমে রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজ গুলোয় রাজ্যের কোটায় ভর্তি করা যাবে না। এই দাবিতে আজ দুপুর ১ টায় স্বাস্থ্যভবনে গিয়ে ডেপুটেশন জমা দেয় বাংলা পক্ষ।বাংলা ভাষা ও বাঙ্গালির আস্তিত্ব রক্ষায় বাংলা পক্ষ নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের বহু প্রতিবাদের ফসল-ও ফলতে শুরু করেছে। আজ তাঁরা পশ্চিমবঙ্গের ডাক্তারি পড়ার আসনে পশ্চিমবঙ্গ কোটায় অন্য রাজ্যের ছাত্র ছাত্রীদের ভর্তি আটকাতে ডোমিসাইল বি বাতিলের দাবিতে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন।কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক গর্গ চট্টোপাধ্যায়, শীর্ষ পরিষদ সদস্য কৌশিক মাইতি, ডঃ অরিন্দম বিশ্বাস, উত্তর চব্বিশ পরগনা শহরাঞ্চল সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক পিন্টু রায়, দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার সম্পাদক প্রবাল চক্রবর্তী, উত্তর চব্বিশ পরগনা গ্রামীনের সম্পাদক দেবাশীষ মজুমদার, হাওড়ার সম্পাদক জয়দীপ দে, উত্তর চব্বিশ শিল্পাঞ্চলের সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ সামাজিক মাধ্যম সমন্বায়ক সায়ন মিত্র প্রমুখ।পাঁচ জনের প্রতিনিধি দল (গর্গ চট্টোপাধ্যায়, কৌশিক মাইতি, তড়িৎ দত্ত, পিন্টু রায়, প্রীতি মিত্র) স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা ডঃ দেবাশীষ ভট্টাচার্য এবং স্বাস্থ্য সচিব মাননীয় নারায়ণ স্বরূপ নিগমের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং স্মারকলিপি জমা দেন।

ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২২
রাজ্য

সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি করতে না পেরে ক্ষোভে ফেটে পড়ল বর্ধমানের চাষিরা, পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও

জমিতে উৎপাদিত ধান সরকারি সহায়ক মূল্যে বিক্রি করতে না পেরে পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন চাষিরা। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের গলসি-১ ব্লকের লোয়া রামগোপালপুর পঞ্চায়েতে। কয়েকশো চাষি পঞ্চায়েত অফিসের গেট আটকে অবস্থান বিক্ষোভ করেন। প্রধান ও অফিস কর্মীদের অফিসে ঢুকতে না দিয়ে চাষিরা তাদের পথ আটকে দিয়ে বিক্ষোভও দেখান। চাষিদের এমন আন্দোলন ঘিরে এদিন লোয়া রামগোপালপুর পঞ্চায়েত অফিসের সামনে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া চাষিরা এদিন অভিযোগ করেন, তাঁরা অনেক কষ্ট করে নিজ নিজ জমিতে ধান উৎপাদন করেছেন। সরকার চাষিদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান কেনার ব্যবস্থাও করেছে। গলসির প্রায় সব পঞ্চায়েত সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান কেনা শুরু করে দিয়েছে। কিন্তু গলসির লোয়া রামগোপালপুর পঞ্চায়েত চাষিদের কাছ থেকে সরকারু সহায়ক মূল্যে ধান কেনা শুরুর কোনও ব্যবস্থাই করতে পারেনি। প্রতিবাদী চাষিরা এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তাঁদের জমিতে উৎপাদিত ধান অবিলম্বে পঞ্চায়েত ও প্রশাসন সরকারি সহায়ক মূল্যে কেনার ব্যবস্থা করুক। তা না হলে তাঁরা আরও বৃহত্তর আন্দোলন শুরু করবেন। চাষি কেষ্ট ঘোষ, চন্দন মুখোপাধ্যায় বলেন,গলসির সব পঞ্চায়েত চাষিদের সরকারি সহায়ক মুল্যে ধান বিক্রি করার জন্য টোকেন দেওয়া শুরু করে দিয়েছে। অথচ তাঁদের এলাকার চাষিরা টোকেন প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত রয়ে আছেন। চাষের জন্য বহু চাষির দেনায় পরে আছে। কেউ মহাজনী ঋন নিয়ে আবার কেউ সোনা-গহনা বন্ধক রেখে চাষ করেছেন। তিন বছর ধরে চাষিরা ফলনে মার খাচ্ছে। এবার আবার ধান বিক্রির টোকেন মিলছে না। এমন চললে তাদের মরন ছাড়া পথ নেই। চন্দন মুখোপাধ্যায় জানান, তিনি ত্রিশ বিঘা জমি চাষ করেছেন। সেই ধান এখনও পযন্ত বিক্রি করতে পারেননি। সব জেনেও পঞ্চায়েত উদাসীনতা দেখিয়ে চলেছে। চাষিদের অভিযোগ প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত প্রধান পম্পা রুইদাস বলেন,তিন মাস ধরে বিডিওর সাথে চাষিদের ধান বিক্রি কথা চলেছে। শেষে সমবায় ছাড়া ডিপিসি-র মাধ্যমে ধান নেওয়া হবে না বলে তাঁকে গলসি ১ ব্লকের ব্লকের বিডিও দেবলীনা দাস জানিয়ে দিয়েছেন। সেই কারণেই তাঁদের অঞ্চলের চোদ্দোশো চাষির ধান বিক্রি হয়নি। প্রধান বলেন, এদিন চাষিদের আন্দোলনে নামা দেখে তিনি বিডিওকে ফোন করেছিলেন । কিন্তু কোন সদুত্তর পাননি। যদিও গলসি ১ ব্লকের বিডিও দেবলীনা দাস জানিয়েছেন, লোয়া রামগোপালপুর পঞ্চায়েত এর সব চাষির ধান নেওয়া হবে। তার একটা পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ওই দিন পঞ্চায়েত প্রধান গোটা বৈঠকে না থাকায় তিনি বিষয়টি জানতে পারেননি। তাই তিনি ম্যাসেজটি চাষিদের জানতে পারেননি। বুদবুদ সমবায় সমিতি ও পোতনা এলাকায় চলা ডিপিসি মাধ্যমে ৪ জানুয়ারী থেকে চাষিদের কাছ থেকে সরকারি সহায়ক মুল্যে ধান কেনা শুরু হবে।

জানুয়ারি ৩১, ২০২২
রাজ্য

বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ল ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত, প্রেক্ষাগৃহে ৭৫ শতাংশ দর্শকসংখ্যা ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

করোনা বিধি-নিষেধের মেয়াদ ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়লেও খুশির খবর টলিউডে। প্রেক্ষাগৃহে দর্শকসংখ্যা ৫০ শতাংশ থেকে বেড়ে হল ৭৫ শতাংশ। সোমবার নবান্ন থেকে করোনার নতুন বিধি ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অনুযায়ী, আরও ২৫ শতাংশ বাড়ল প্রেক্ষাগৃহের দর্শকসংখ্যা। এর আগে ওমিক্রনের প্রভাবে প্রেক্ষাগৃহ বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল দিল্লিতে। পশ্চিমবঙ্গে প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ না হলেও ১০০ শতাংশ দর্শকসংখ্যা কমিয়ে করা হয়েছিল ৫০ শতাংশ। যার ফলে, ফের মাথায় হাত পড়েছিল হল-মালিক, পরিচালক, প্রযোজক, অভিনেতাদের। বেশ কিছু ছবি-মুক্তিও পিছিয়েছিল এই কারণেই। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণা কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরিয়ে দিল বিনোদন দুনিয়ায়।অন্যদিকে সরকারি বেসরকারি অফিসে ৭৫ শতাংশ হাজিরা নিয়ে হবে কাজকর্ম।৭৫ শতাংশ নিয়ে সিনেমা হল, থিয়েটার হল, রেস্তোরাঁ এবং বার চালু থাকতে পারবে। স্পোর্টস অ্যাকটিভিজ ৭৫ শতাংশ আসনে লোক নিয়ে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, রাজনৈতিক কর্মসূচিও ৭৫ শতাংশ আসনে লোক নিয়ে করা যাবে। নেতাজি ইনডোরে কোনও অনুষ্ঠান হলে ৭৫ শতাংশ আসন ক্ষমতা নিয়ে অনুষ্ঠান করা যাবে। হলগুলোও ৭৫ শতাংশ লোক নিয়ে চলবে। রাস্তার মিটিং মিছিলে একটু কড়াকড়ি রাখা হয়েছে। সবটা একসঙ্গে ছাড়লে সমস্যা হতে পারে। সিএবিরও আইপিএল আসছে। সুতরাং একটা ভেন্যু থেকে ৭৫ শতাংশ ক্যাপাসিটি রেখে করতে পারবে। সুইমিং পুল খুলে দেওয়া হল। পার্ক খুলে দেওয়া হচ্ছে। বিয়েবাড়িতে ৭৫ শতাংশ উপস্থিতিতে ছাড়। ১৬ ফেব্রুয়ারি ইন্ডাস্ট্রিয়াল মিট হবে। চেম্বার্সগুলোর সঙ্গে। মুম্বই, দিল্লির বিমান নিয়মিত ওঠানামা করবে। ইউকে কলকাতা উড়ান হবে। এখানে নেমে আরটিপিসিআর করতে হবে।

জানুয়ারি ৩১, ২০২২
কলকাতা

মুখ্যসচিবকে ফের তলব রাজ্যপালের

রাজ্যের মুখ্য সচিবকে ফের তলব করলেন রাজ্যপাল। আগামী সোমবার সকাল ১১ টার সময় তাঁকে রাজভবনে তলব করা হয়েছে। টুইট করে তাঁকে রাজভবনে তলব করেছেন রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। টুইটে রাজ্যপাল উল্লেখ করেছেন, গত ৭ ই জানুয়ারি নেতাইয়ে প্রবেশে বারবার বাধা দেয়া হয়েছিল শুভেন্দু অধিকারীকে। এর কারণ জানতেই তলব করা হল রাজ্যের মুখ্যসচিবকে।প্রসঙ্গত, গত ৭ ই জানুয়ারি ঝাড়গ্রামের নেতাইয়ে শহিদ দিবস পালনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ঝিটকার জঙ্গলের কাছে পুলিশ তাঁর পথ রোধ করে। এরপর রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ পত্র পাঠিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এই অভিযোগের ভিত্তিতে তলব করা হয়েছিল রাজ্যের মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজিকে । তবে, তাঁরা কেউই উপস্থিত হননি।রাজভবনে না গিয়ে তাঁরা রাজ্যপালকে চিঠি লিখেছিলেন। সেখানে তাঁরা জানিয়েছিলেন, আধিকারিকদের মধ্যে অনেকেই করোনা আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে আছেন। এর সঙ্গে সঙ্গেই সে সময় একদিকে রাজ্যের পরিস্থিতির দেখভাল, অন্যদিকে গঙ্গাসাগর মেলার কাজে অনেকেই বিশেষ দায়িত্বে রয়েছেন। এ কারণে তাঁরা রাজভবনে যেতে পারছেন না। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে নেতাই নিয়ে রাজ্যপালের কাছে রিপোর্ট পাঠানো হবে।এভাবে তলব অগ্রাহ্য করায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন রাজ্যপাল। রাজ্যের মুখ্যসচিব ও ডিজি কিভাবে বৈঠক বাতিল করলেন? তা নিয়ে হতবাক হয়েছিলেন রাজ্যপাল। এরপর আজ আবার রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে তলব করলেন রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। আগামী সোমবার সকাল ১১ টায় তাঁকে রাজভবনে তলব করা হয়েছে। রাজ্যপালের তলবের পর এবার রাজ্যের মুখ্যসচিব কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, সে দিকেই দৃষ্টি রয়েছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলের।

জানুয়ারি ২৯, ২০২২
রাজ্য

দমদমের পর নদিয়া, শ্লীলতাহানির পর চলন্ত ট্রেন থেকে ধাক্কা মহিলাকে

দমদমের পর এবার নদিয়া। ফের একবার চলন্ত ট্রেনে মহিলাকে শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা। শুধু তাইই নয়, এরপর সেই মহিলা তার প্রতিবাদ করলে সুযোগ বুঝে ধাক্কা দেওয়া হয় সেই ট্রেন থেকেই। বরাত জোরে প্রাণে বাঁচলেও গুরুতর আহত সেই মহিলা হাসপাতালে ভর্তি। ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১ জনকে। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার গাংনাপুরে। আরও একবার লোকাল ট্রেনে মহিলা যাত্রীদের সুরক্ষার নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল।সূত্রের খবর, রানাঘাট-বনগাঁ শাখার গাংনাপুরের কাছে চলন্ত ট্রেনে ছিলেন সেই মহিলা। গাড়ি যখন রায়নগর স্টেশনে ঢুকছে, সেই মুহূর্তে সেই মহিলাকে শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। ক্রমাগত উত্যক্ত করতে থাকেন সেই মহিলাকে। সেই হেনস্থার প্রতিবাদ করায় এরপর চলন্ত লোকাল ট্রেন থেকে ধাক্কা মারেন অভিযুক্ত ব্যক্তি সেই মহিলাকে। প্ল্যাটফর্মে পড়ে যাওয়ার পরে মহিলাকে উদ্ধার করে জেএনএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে তিনি গুরুতরভাবে আহত। ঘটনায় ১ জনকে গ্রেপ্তার করলেও, আরও এক অভিযুক্ত এখনও পলাতক।

জানুয়ারি ২৯, ২০২২
রাজ্য

বর্ধমানে অগ্নিকাণ্ডে কোভিড রোগীর মৃত্যুর কারণ অক্সিজেন সিলিন্ডার না মশা মারার ধূপ? তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা

বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডে আগুন ধরে যাওয়ায় পুড়ে মৃত্যু হয়েছে করোনা আক্রান্ত এক প্রৌঢ়ার। মৃতার নাম সন্ধ্যা মণ্ডল (৭২)। তাঁর বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের গলসির বড়মুরিয়া গ্রামে।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার সকাল থেকে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপালে। হাসপাতাল কর্মীরাই প্রথম আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। পরে খবর পেয়ে দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌছায়। আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখেন দমকলের আধিকারিকরা। ওয়ার্ডে থাকা অক্সিজেন সিলিন্ডার থেকে আগুন লেগেছে নাকি মসা মারার ধূপ থেকে বেডে আগুন ধরে গিয়েছিল তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনা নিয়ে হাসপাতালের তরফে একটি এফআইআর করা হয়েছে। পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। মৃতদেহটি এদিনই ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। ভিসেরা সংগ্রহে রাখারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বর্ধমান হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডে এক রোগীনির মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে বেলা বাড়তেই রাজ্য জুড়ে তোলপাড় পড়ে যায়। ঘটনা নিয়ে সোচ্চার হয় রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা ও বিধায়করা। তড়িঘড়ি রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেয়। স্বাস্থ্য দফতরের তিন সদস্যের কমিটি হাসপাতালে আগুন লাগার ঘটনার তদন্ত করবে। জানা গিয়েছে, ওই কমিটিতে রয়েছেন স্পেশাল সেক্রেটারি অনিরুদ্ধ নিয়োগী, আরজিকর হাসপাতালের ফরেন্সিক মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সোমনাথ দাস ও নার্সিং মেম্বার মণিকা গায়েন। পাশাপাশি বর্ধমান হাসপাতালের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের সমস্ত সরকারী হাসপাতালে ফায়ার অডিটের নির্দেশও দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট উপসর্গ থাকায় পরিবারের লোকজন গত বুধবার প্রৌঢ়া সন্ধ্যা মণ্ডলকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কোভিড ওয়ার্ড অর্থাৎ রাধারানী ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। সেখানেই তাঁর কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ এলে পরদিন সন্ধ্যাদেবীকে হাসপাতালের কোভিড জেনারেল বেডে স্থানান্তরিত করা হয়। তাঁর অক্সিজেন চলছিল। রাতে ওয়ার্ডের বাইরে শুয়েছিলেন রোগীর পরিজনরা। শনিবার ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ সেখানেই ঘটে বিপত্তি। ওয়ার্ডের ৬ নং ব্লকের ৮০ নম্বর বেডে হঠাৎ আগুন ধরে যায়। সেই বেডে থাকা সন্ধ্যাদেবী আগুনে পুড়ে দগ্ধ হন। তাতেই মৃত্যু হয় তাঁর।রাধারানী ওয়ার্ডের বাইরে রাতে শুয়ে থাকা রোগী পরিজনদের একজন হলেন মেমারির নিশিরাগড় নিবসী বাসি হেমব্রম। তিনি জানান, রাধারানী ওয়ার্ডের উল্টোদিকের বপডে তিনি শুয়েছিলেন। হঠাৎ শুনতে পান ওয়ার্ডের ভিতর থেকে আগুন আগুন বলে এক মহিলা চিৎকার করছেন। তেমনটা শুনেই দ্রুত তিনি ছুটে ওয়ার্ডে ভিতর যান। গিয়ে দেখেন ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভিতরের একটি বেডে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। তা দেখে ওয়ার্ডে থাকা বাকি রোগীরা ছুটে বেড়িয়ে আসছে। রোগীদের চিৎকার চেঁচামেচি শুনে হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীরা ওয়ার্ডে পৌছে আগুন নেভায়। তারই মধ্যে আগুনে পুড়ে দগ্ধ হন প্রৌঢ়া রোগী। পরে তিনি মারা যান । অপর এক রোগীর পরিজন সুমিত্রা মাঝি জানান, আগুন দেখে অনেক কোভিড রোগী ভয়ে বাইরে চলে আসে। ঘটনার প্রায় আধঘণ্টা পরে দমকলের একটি ইঞ্জিন হাসপাতালে আসে। তার আগেই হাসপাতালের নিরাপত্তা কর্মীরা আগুন নিভিয়ে ফেললেও প্রৌঢ়া কোভিড রোগী মারা যান। আগুন সম্পূর্ণ নিভে যাওয়ার পর দমকলের আধিকারিকরা ওয়ার্ডে আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা শুরু করেন। দমকলের এক আধিকারিক দীপক সেন জানান, ওয়ার্ডে একটি বেড ছাড়া অন্য কোন বেডে আগুন লাগেনি। মশার ধূপ থেকেই ওই বেডে আগুন লেগেছে বলে তাদের প্রাথমিক অনুমান। ঘটনার পরেই দ্রুত বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পৌছান প্রিন্সিপ্যাল প্রবীর সেনগুপ্ত, সুপার তাপস ঘোষ সহ অন্যা চিকিৎসকরা। বর্ধমান থানার আই সি সুখময় চক্রবর্ত্তীও একই সময়ে হাসপাতালে পৌছান। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে তাঁরা আলোচনা করেন। পরে প্রিন্সিপ্যাল প্রবীর সেনগুপ্ত জানান, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার তদন্তের জন্য ফরেন্সিক দলকে বলা হয়েছে। এছাড়াও একটি পাঁচ সদ্যসের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত কমিটি রিপোর্ট জমা করবে। সুপার তাপস ঘোষ জানান, অক্সিজেন সিলিন্ডার থেকে এই ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক ভাবে আশঙ্কা করাহচ্ছে। মৃতদেহের পাশে গ্যাস লাইটার, দেশালাই পাওয়া গিয়েছে। কোন কারণে ওই রোগীনি আগুন ব্যবহার করেছিলেন কিনা সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।হাসপাতালে উপস্থিত থাকা মৃতার মেয়ে রানু মণ্ডল এদিন বলেন, মায়ের ব্যাগে থালা ও জলের বোতল ছিল। লাইটার, দেশালাই ছিল না। তাঁরাও ওইসব মাকে দেননি। বাড়ি থেকে শুক্রবারই মসারি এনে দিয়ে ছিলেন। তাই মাসা মারার ধূপ জ্বালানোর কোন প্রয়োজনই থাকেনি।বর্ধমান হাসপাতালের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা এদিন রাজনৈতিক মহলেও তোলপাড় ফেলে দেয়। এদিন দুপুরে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান বিজেপির সাত সদস্যদের প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলে ছিলেন দুর্গাপুর পশ্চিমের বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘরুই, বাঁকুড়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানা, বর্ধমান সদর জেলা বিজেপির সভাপতি অভিজিৎ তা সহ বর্ধমান জেলার বিজেপি নেতৃত্ব। বিধানসভার বিরোধি দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নির্দেশেই এই পরিদর্শন বলে জানান বিজেপি নেতারা। এই প্রতিনিধি দল কোভিড ওয়ার্ড পরিদর্শন করতে গেলেও দুর্ঘটনাস্থল সিল থাকার জন্য যেতে পারেননি। পরে তাঁরা হাসপাতাল সুপারের সঙ্গে দেখা করে বিভিন্ন দাবি-দাওয়ার কথা জানান। হাসপাতাল চত্ত্বরে দাঁড়িয়েই রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে বিজেপির প্রতিনিধিরা। মৃতার পরিবারকে ক্ষতিপূরণের দেওয়ার দাবিও তোলেন বিজেপি নেতৃত্ব। বর্ধমান সদর জেলা বিজেপির সম্পাদক অভিজিৎ নন্দী অভিযোগ করেন, সাংসদ কোটার দেড় কোটি টাকা খরচ করেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যের মুখপাত্র তথা পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি দেবু টুডু বলেন, বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার হাল কতটা তলানিতে ঠেকেছে তার রিপোর্ট সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। যা জানার পর লজ্জায় উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দাদের মাথা হেট হয় গেলেও বিজেপি নেতাদের হয়নি। ওদের লজ্জা-শরম নেই বলে বর্ধমান হাসপাতালের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করতে শুরু করে দিয়েছে ।

জানুয়ারি ২৯, ২০২২
রাজ্য

বর্ধমানে আগুনে ঝলসে গেল কোভিড রোগী, কারণ অনুসন্ধানে তড়িঘড়ি তদন্ত কমিট গঠন

বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডে আগুনে পুড়ে মৃত্যু হল এক রোগীর। শনিবার ভোররাতে ওই ওয়ার্ডে আগুন লাগে। সেই আগুনে ঝলসে যায় একজন কোভিড রোগী। মৃতের নাম সন্ধ্যা মণ্ডল(৬০)। বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের গলসির বড়মুড়িয়া গ্রামে। জানা গিয়েছে, শনিবার ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ হাসপাতালের রাধারাণী ওয়ার্ডে আগুন লাগে। বর্তমানে রাধারাণী ওয়ার্ডকে কোভিড রুগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওই ওয়ার্ডে ৬ নম্বর ব্লকে ভর্তি ছিলেন কোভিড রোগী সন্ধ্যা মণ্ডল। কোভিড ওয়ার্ডের অন্য রোগীর আত্মীয়রা দাবী, আগুন লাগার সময় হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষী ও অন্য কর্মীরা ঘুমিয়ে ছিল। যদিও নিরাপত্তার গাফিলতির কথা অস্বীকার করেছে হাসপাতাল কতৃপক্ষ। খবর পেয়ে হাসপাতালে যায় দমকলের একটি ইঞ্জিন। ততক্ষণে হাসপাতালের কর্মীরাই আগুন নিভিয়ে ফেলে। জানা গিয়েছে, এক কোভিড রোগীর আত্মীয় প্রথম আগুন দেখতে পান। তারপর তিনি অন্যদের জানান।এদিকে বর্ধমান হাসপাতালে অগ্নিদগ্ধ হয়ে রোগী মৃত্যুর ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হাসপাতাল কতৃপক্ষ। বর্ধমান মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ প্রবীর সেনগুপ্ত জানান, ফরেন্সিক দলকে খবর দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বর্ধমান থানার পুলিশ।

জানুয়ারি ২৯, ২০২২
কলকাতা

এখনও সংকটজনক সন্ধ্যা, রয়েছেন অক্সিজেন সাপোর্টে

এখনও সংকটজনক গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। ইএম বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে অক্সিজেন সাপোর্টেই রয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, নবতিপর শিল্পীর চিকিৎসার জন্য পাঁচ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হচ্ছে। তাঁর হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসে সংক্রমণ রয়েছে বলে খবর। তার মধ্যে তিনি কোভিড আক্রান্তও। সূত্রের খবর, আজ শিল্পীর চিকিৎসা নিয়ে আলোচনায় বসবে মেডিক্যাল বোর্ড।বৃহস্পতিবার সন্ধে নাগাদ গায়িকাকে দেখতে এসএসকেএমে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিই জানান, সন্ধ্যাকে বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হচ্ছে। অসুস্থ গায়িকাকে গ্রিন করিডর করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে একাধিক শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায় তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণ রয়েছে। নিউমোনিয়াও আছে। একই সঙ্গে বিকেলে সন্ধ্যার কোভিড রিপোর্টও পজিটিভ আসে। চিকিৎসাধীন শিল্পীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছেন শিল্পী মহল থেকে সাধারণ মানুষ।

জানুয়ারি ২৮, ২০২২
ব্যবসা

৭০ বছর পর টাটা'র ঘরে প্রত্যাবর্তন 'মহারাজা'র

শেষ হল এয়ার ইন্ডিয়ার হস্তান্তর প্রক্রিয়া। টাটা সন্সের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেওয়া হল মহারাজা-কে। একসময় টাটা-র হাত ধরেই এয়ার ইন্ডিয়ার পথ চলা শুরু। মাঝে অনেক পথ পেরিয়ে আবারও টাটার ঘরেই ফিরল সেই সংস্থা। টাটার হাতে হস্তান্তর করা হল সংস্থার ১০০ শতাংশ শেয়ার ও দেওয়া হল ম্যানজমেন্টের নিয়ন্ত্রণ।এই হস্তান্তরের পর টাটা সন্সকে অভিনন্দন জানিয়েছেন অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তিনি জানান, সরকারি সংস্থা হস্তান্তরের ক্ষেত্রে এ দিন বড় সাফল্য পেল ভারত। ভবিষ্যতে এই প্রক্রিয়ায় ফের সাফল্য আসবে বলে মনে করেন তিনি।কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। পুরো শেয়ার তুলে দেওয়া হয়েছে টাটার হাতে। সংস্থার ১২ হাজার কর্মীকে বহাল রাখবে টাটা।Shri N Chandrasekaran, the Chairman of Tata Sons called on PM @narendramodi. @TataCompanies pic.twitter.com/7yP8is5ehw PMO India (@PMOIndia) January 27, 2022প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকার লোকসান হয়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার। এই সংস্থার জন্য প্রত্যেকদিন সরকারের ক্ষতি হচ্ছিল ২০ কোটি টাকা করে। এর আগেও একবার এয়ার ইন্ডিয়ার বেসরকারিকরণের চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু বিপুল ঋণের বোঝা থাকার কারণে কোনও সংস্থা উৎসাহ দেখাচ্ছিল না। ফলে, তখন সফল হয়নি কেন্দ্র। বছরের পর বছর লাভের মুখ দেখেনি এয়ার ইন্ডিয়া। কার্যত ঋণের ভারে জর্জরিত হয়ে পড়েছিল। এ ভাবে সংস্থা আর চালানো সম্ভব হচ্ছিল না সরকারের পক্ষে।#FlyAI : Air India Limited, Air India Express AISATS (AI stake) have become part of the Tata Group today.Senior Officials of @TataCompanies , @SecyDIPAM and @MoCA_GoI met at Airlines House New Delhi. pic.twitter.com/HA4aEkVwWX Air India (@airindiain) January 27, 2022গত বছর অক্টোবরে এয়ার ইন্ডিয়াকে ১৮ হাজার কোটি টাকার বিনিময়ে টাটা গোষ্ঠীর অনুসারি সংস্থা টালাস প্রাইভেট লিমিটেডকে বিক্রি করে কেন্দ্রীয় সরকার। এর পর থেকেই শুরু হয়ে যায় বিক্রির সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য প্রক্রিয়া। চুক্তি অনুযায়ী, এয়ার ইন্ডিয়ার পাশাপাশি এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস এবং এয়ার ইন্ডিয়া স্যাটস (গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং বা উড়ান বাদে অন্যান্য বিষয় সামলানো হয় যে সংস্থাকে দিয়ে)-এর ৫০ শতাংশ শেয়ারও টাটা গোষ্ঠীর অনুসারি সংস্থার কাছে হস্তান্তর হয়। বৃহস্পতিবার শেষ হল ১০০ শতাংশ শেয়ার হস্তান্তর প্রক্রিয়া এবং সেই সঙ্গে পরিচালন ক্ষমতা সম্পূর্ণ ভাবে তুলে দেওয়া হল টাটা গোষ্ঠীর হাতে। ফলে এয়ার ইন্ডিয়া নিয়ে টাটা গোষ্ঠীর সঙ্গে সরকারের লেনদেন আনুষ্ঠানিক ভাবে সমাপ্ত হল।

জানুয়ারি ২৭, ২০২২
কলকাতা

গুরুতর অসুস্থ সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, গ্রিন করিডর করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এসএসকেএমে

গুরুতর অসুস্থ সঙ্গীতশিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। তাঁকে গ্রিন করিডোর করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে নিজে ফোন করে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে সময় শিল্পীকে কিছুটা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত বলে হয় মুখ্যমন্ত্রীর। সূত্রের খবর, এর পর শিল্পীর মেয়েকে ফোন করে সন্ধ্যা দেবীর খবরাখবর নেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর চিকিৎসা সংক্রান্ত যে কোনও প্রয়োজনে রাজ্য সরকার সাহায্য করবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।সূত্রের খবর, ফুসফুসে সংক্রমণ রয়েছে তাঁর। বুধবার সন্ধ্যে থেকেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন শিল্পী। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছু দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। কিন্তু বুধবার রাতে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। বৃহস্পতিবার সকালে চিকিৎসকদের পরামর্শ নেয় পরিবার। বিষয়টি জানানো হয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মৌসুমী দাসকে।বুধবার রাত থেকে শ্বাসকষ্টের সমস্যা বাড়ে শিল্পীর। শিল্পীর আরটিপিসিআর টেস্ট করা হয়েছে, চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেই সব পদক্ষেপ করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, সঙ্গীতশিল্পীকে এসএসকেএমের উডবার্ন ভর্তি করা হচ্ছে। সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসকও রয়েছেন। দু দিন আগেই কেন্দ্রের পদ্ম সম্মান প্রত্যাখ্যান করেছিলেন গীতশ্রী।

জানুয়ারি ২৭, ২০২২
দেশ

আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও, চিন্তা বাড়াচ্ছে সংক্রমণের হারই!

সামান্য স্বস্তি মিলছে দেশের করোনা সংক্রমণে। টানা তিনদিন ধরে তিন লক্ষের নীচেই রইল আক্রান্তের সংখ্যা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৮৬ হাজার জন। স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনার কারণে দেশে মোট ৫৭৩ জন মারা গিয়েছেন যা বুধবারের তুলনায় কম। বুধবার করোনা আক্রান্ত হয়ে ৬৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে চিন্তা বাড়াচ্ছে সংক্রমণের হার। গতকালই দেশে দৈনিক সংক্রমণের হার ছিল ১৬.১০ শতাংশ, আজ তা এক ধাক্কায় বেড়ে ১৯.৫৯ শতাংশে পৌঁছেছে।কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৮৬ হাজার ৩৮৪ জন। এই নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪ কোটি ৩ হাজারে। বিশ্বে সংক্রমণের নিরিখে আমেরিকার পরই দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে ভারত। সংক্রমণের হার, অর্থাৎ প্রতি ১০০টি করোনা পরীক্ষায় কতজনের রিপোর্ট পজেটিভ আসছে, তার হার এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশের সংক্রমণের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯.৫৯ শতাংশে। বুধবারই এই হার ছিল ১৬.১০ শতাংশ। সাপ্তাহিক সংক্রমণের হার ১৭.৭৫ শতাংশে রয়েছে।

জানুয়ারি ২৭, ২০২২
রাজ্য

ভাটপাড়ার রিলায়েন্স জুটমিল বন্ধের প্রতিবাদে কাঁকিনাড়ায় রেল অবরোধ কাজ হারানো শ্রমিকদের

বন্ধ হয়ে গেল ভাটপাড়া রিলায়েন্স জুটমিল। বেকার হলেন চার হাজার শ্রমিক। ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা মিল খোলার দাবিতে কাঁকিনাড়া স্টেশনে ট্রেন অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন, বিক্ষোভ তুলতে লাঠিচার্জ করল পুলিশ, হল এক প্রস্থ ধস্তাধস্তি- সব মিলিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উত্তপ্ত থাকলে কাঁকিনাড়া স্টেশন। এর জেরে বেশ কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে যায় শিয়ালদহ মেন শাখার ট্রেন চলাচল। পুলিশ লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভ তুলে দেওয়ার পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয় ট্রেন চলাচল।শ্রমিকদের দাবি, তাঁরা বৃহস্পতিবার সকালে মিলে গিয়ে দেখেন, কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে গেটে তালা ঝুলিয়ে কারখানা বন্ধের নোটিস টানানো হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, ২৬ জানুয়ারির দিনে ছুটির থাকার সুযোগ নিয়ে কারখানা বন্ধ করা হয়েছে। প্রতিবাদে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। মালিকপক্ষ কোনওরকম আলোচনা ছাড়াই কীভাবে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন?শ্রমিকদের ক্ষোভ আছড়ে পড়ে রেললাইনের ওপর। কাঁকিনাড়া স্টেশনে ট্রেন আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। ব্যস্ত সময়ে আটকে পড়ে ট্রেন। লাইনে নেমে স্লোগান দিতে থাকেন শ্রমিকরা। প্রথমে নিত্যযাত্রীদের একাংশ তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করেন।কারণ তাঁদেরও কাজে যেতে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। কিন্তু তাতে কাজ হয় না। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রেল পুলিশ।প্রথমে তাঁদের বুঝিয়ে অবরোধ তোলানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাতেও কাজ হয় না। নিজেদের অবস্থানে নাছোড় থাকেন শ্রমিকরা। পরে বাধ্য হয়েই পুলিশ লাঠি চার্জ করে অবরোধ তুলে দেয়। ট্রেন চলাচল ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করে।

জানুয়ারি ২৭, ২০২২
দেশ

প্রজাতন্ত্র দিবস ও ভারতের সংবিধান, জানা ইতিহাসের আজানা দিক গুলি জেনে নিন এক ঝলকে

১৯৫০ থেকে প্রত্যেক বছর ২৬ জানুয়ারি দিনটি ভারতে প্রজাতন্ত্র দিবস হিসেবে মহাসমারোহে পালিত হয়। ১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্ট ইংরেজ শাসনের অবসানের পর ভারতবর্ষ স্বাধীনতা লাভ করে। দীর্ঘকাল বৈদেশিক অনুশাসনে থাকার জন্য ভারতের কোনও নিজস্ব স্থায়ী সংবিধান ছিল না। সে কারণে ব্রিটিশ সরকারের ১৯৩৫ সালের গভর্নমেন্ট অব ইন্ডিয়া অ্যাক্ট-এর সংশোধিত সংস্করণ অনুযায়ী স্বাধীন ভারত শাসিত হত।১৯৫০-এ গণপরিষদের সদস্যদের দ্বারা স্বাক্ষরিত হচ্ছে ভারতের সংবিধানদেশ চালাতে গিয়ে নানা জায়গায় ঠোক্কর খেতে হচ্ছিল তৎকালীন নেহেরু সরকারকে, ভীষণভাবে ভারতের নিজস্ব সংবিধানের প্রয়োজন দেখা দিতে শুরু করে। ভারত স্বাধীন হওয়ার পরে সংবিধান সভার ঘোষণা করা হয়, সেই সভায় সংবিধান সভার সদস্যদের নির্বাচন করে নেওয়া হয়। ডঃ বি আর আম্বেদকর, জওহরলাল নেহরু, ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ, সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেল, মৌলানা আবুল কালাম আজাদের মতো গুরুত্বপূর্ণ এবং সর্বজনগ্রাহ্য জ্ঞানী গুনী ব্যক্তিত্বদের নিয়ে সংবিধান সভা তৈরি করা হয়। বাবাসাহেব আম্বেদকরের নেতৃত্বে ভারতে স্থায়ী সংবিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে একটি খসড়া কমিটি গড়ে তোলা হয় ১৯৪৭-র ২৯ অগস্ট। সে বছরেই ৪ নভেম্বর খসড়া কমিটি সদস্যরা সংবিধান সভায় ভারতীয় সংবিধানের একটি খসড়া জমা দেয়।নন্দলাল বসুর স্কেচ ও প্রেম বিহারী নারায়ণ-র হাতের লেখাপ্রজাতন্ত্র দিবস নিয়ে আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ# ১৯৫০ র ২৬ জানুয়ারি সকাল ১০টা ১৮ মিনিটে ভারতের সংবিধান কার্যকরী হয়। # এই সংবিধান পৃথিবীর দীর্ঘতম হাতে লিপিবদ্ধ করা সংবিধান।# ২৫১ পাতার এই গ্রন্থটির ওজন প্রায় তিন কেজি ৭৫০ গ্রাম।# সর্বমোট ৩০৮ জন সদস্য বিশিষ্ট এক প্যানেল ১৯৫০এ ২৪শে জানুয়ারি সংবিধানে স্বাক্ষর করে তাঁর বৈধতা দেন।# মোট ২২টি ভাষায় সংবিধান লিপিবদ্ধ আছে। # প্রখ্যাত ক্যালিগ্রাফিস্ট প্রেম বিহারী নারায়ণ রায়জাদা পন্ডিত জহরলাল নেহরুর অনুরোধে বিনা পারিশ্রমিকে টানা ছয় মাসের অক্লান্ত পরিশ্রমে এই বিশাল কাজটি সম্পন্ন করেন। # আইন কানুন লিপিবদ্ধ করা ছাড়াও এই বইয়ে অনেক নকশা আঁকা আছে, সেই নকশার বেশীরভাগ-টাই এঁকেছেন প্রবাদপ্রতিম শিল্পী নন্দলাল বসু ও তৎকালীন শান্তিনিকেতনের ছাত্রছাত্রীরা।# প্রজাতন্ত্র দিবসের আট কিলোমিটারের কুচকাওয়াজ শুরু হয় রাইসিনা হিল থেকে। প্রত্যেক বছর একজন রাষ্ট্র নায়ক এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আমন্ত্রণ জানানো হয়। ১৯৫০ সালে প্রথমবারের অনুষ্ঠানেএসেছিলেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট সুকর্ণ। উল্লেখ্যঃ এই বারে কোভিড-১৯ বারবাড়ন্তের জন্য কোনও বিদেশী রাষ্টনায়ককে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।# প্রজাতন্ত্র দিবসের যে কুচকাওয়াজের ট্যাবলোগুলি আমরা দেখি, তার সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকে ঘণ্টায় প্রায় পাঁচ কিলোমিটার।# যে রাস্তায় কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়, সেই রাস্তার আদি নাম কিংসওয়ে। পরে সেই রাস্তার নাম পরিবর্তন করে হয় রাজপথ।# ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি তৎকালীন ইর্ভিন স্টেডিয়াম (বর্তমানে নাম পরিবর্তন করে ন্যাশনাল স্টেডিয়াম)-এ আয়োজিত হয়েছিল। সে সময়ে ইর্ভিন স্টেডিয়ামের চারদিকে কোনও প্রাচীর ছিল না ফলে সেখান থেকে লালকেল্লা পরিষ্কার দেখা যেত।# জাতীয় সংগীতের সময়ে ২১টি তোপধ্বনি করা হয়। জাতীয় সংগীতের শুরু থেকেই এই তোপধ্বনি দেওয়া শুরু হয় ও ৫২ সেকেন্ডের জাতীয় সঙ্গীত সমাপ্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এরও সমাপ্তি ঘটে।# প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে বিভিন্ন রাজ্যের বিভিন্ন থিমের ট্যাবলো অংশগ্রহণ করে। প্যারেডে অংশগ্রহণ করে ভারতীয় সেনাবাহিনী, নৌ-সেনা ও বায়ুসেনা।

জানুয়ারি ২৬, ২০২২
রাজ্য

স্কুল খোলার দাবিতে বর্ধমানে শিক্ষামন্ত্রীর কুশপুত্তলিকা পোড়ালো বাম শিক্ষক ও ছাত্র সংগঠন

বিদ্যালয়ে পঠন-পাঠন চালুর দাবীতে পথে নেমে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর কুশপুত্তলিকা পোড়ালো বাম ছাত্র ও শিক্ষক সংগঠনের সদস্যরা। স্কুল খোলার দাবিতে মঙ্গলবার বর্ধমানের কার্জনগেট চত্ত্বরে যৌথ ভাবে গণস্বাক্ষর সংগ্রহে নামে এবিটিএ,এবিপিটিএ, এসএফআই এবং বিএসপিএসের সদস্যরা। সেখানেই তারা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর কুশপুত্তলিকা দাহ করেন।সরকার দাবি না মানলে গোটা রাজ্যজুড়ে আইন অমান্য আন্দোলনে নামারও হুঁশিয়ারি এদিন দিয়েছেন এসএফআই নেতৃত্ব।আন্দোলনকারীরা এদিন অভিযোগ করেন, রাজ্যে মেলা,খেলা সবই চলছে। সর্বত্র স্বাভাবিক জীবনযাপনও চলছে। অথচ শুধু বন্ধ রয়েছে বিদ্যালয়গুলি। দাবি না মানলে গোটা রাজ্যজুড়ে এসএফ আই আইন অমান্য আন্দোলন করবে। পূর্ব বর্ধমান জেলা সম্পাদক সুদীপ্ত গুপ্ত বলেন, আমরা চাই সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা চালু হোক। আবার স্কুলমুখী হোক ছাত্রছাত্রীরা। পঠন পাঠন চালুর মধ্যে দিয়ে রাজ্যে পূর্বের শিক্ষা ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা হোক এটাই আমাদের মূল দাবি। সুদীপ্তবাবু আরও জানান, এবছর মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক টেস্ট পরীক্ষায় ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রী অনুপস্থিত থেকেছে। বেড়েছে ড্রপ আউটের সংখ্যা। অনেক মেয়ে আছে যাদের অল্প বয়সে এই সময়ের মধ্যে বিয়ে হয়ে গেছে। এরকম অবস্থা যদি চালু থাকলে আগামি দিনে শিক্ষাব্যবস্থা আরও চরম সংকটে পড়বে। তাই তাঁরা চান অবিলম্বে পঠন-পাঠন শুরু হোক বিদ্যালয় গুলিতে। এসএফআইয়ের পূর্ব বর্ধমান জেলার সম্পাদক অনির্বাণ রায় চৌধুরী জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে রাজ্যের সমস্ত স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দাবি তুলেছে বামপন্থী শিক্ষক এবং ছাত্র সংগঠন গুলি। রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ ও মানবসম্পদের কথা মাথায় রেখে অবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি খুলতে হবে। এই দাবিতে আগামী ২৭ তারিখ গোটা রাজ্য জুড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে খোলা আকাশের নিচে ওপেন এয়ার ক্লাসরুম করবেন।

জানুয়ারি ২৫, ২০২২
কলকাতা

সাধারণতন্ত্র দিবসে রেড রোডে কড়া নিরাপত্তা

প্রজাতন্ত্র দিবস ঘিরে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ছে কলকাতা। শহরের আনাচে-কানাচে চলছে নজরদারি। মূল অনুষ্ঠানের জায়গাতেও কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।রেড রোডে যেখানে প্যারেড হবে, সেখানে আড়াই হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যার মধ্যে ১১০০ পুলিশ থাকবে রেড রোডে। অ্যাডিশনাল পুলিশ কমিশনার পদমর্যাদার কর্তারা থাকবেন। রেড রোডে ১১টি জোন প্রস্তুত করা হয়েছে। দায়িত্বে থাকবেন কলকাতা পুলিশের ডিসি পদমর্যাদার কর্তারা। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে। কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৬ টি ওয়াচ টাওয়ার থাকবে। তার মাধ্যমে প্রতি মুহূর্তে নজরদারি চালানো হবে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলিতে পুলিশ পিকেটিং থাকবে।প্যারেডে এবার মূল আকর্ষণ নেতাজির ট্যাবলো। ইতিমধ্যেই তা প্রস্তুত করা হয়ে গিয়েছে। দিন কয়েক আগেই নেতাজি ট্যাবলোকে রেড রোডের কুচকাওয়াজে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। দিল্লির অনুষ্ঠান থেকে রাজ্যের নেতাজি ট্যাবলো বাদ পড়ার পরেই রেড রোডের কুচকাওয়াজে নেতাজি ট্যাবলো রাখার সিন্ধান্ত নেওয়া হয় রাজ্য সরকারের তরফে।রেড রোডে কড়া নিরাপত্তা কীভাবে সাজানো হয়েছে জানুন-১। কোভিডের কারণে এবারও দর্শক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা। ভিআইপি সংখ্যাও কমানো হয়েছে, যাতে কোভিডবিধি ভঙ্গ না হয়।২। রেড রোডে মূল অনুষ্ঠানের জায়গাকে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। শহরজুড়ে চলবে নজরদারি। নিরাপত্তার জন্য রেড রোড সংলগ্ন এলাকাকে ১১ টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। প্রত্যেক জোনের দায়িত্বে একজন করে ডিসি পদমর্যাদার অফিসার। প্রত্যেক জোনকে একাধিক সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে।৩। রেড রোডের চারপাশে ৫ টি স্যান্ড বাংকার থাকবে।৪। ৯ ডিভিশনে ২৬ টি পিসিআর ভ্যান থাকবে।৫।১২ টি এইচআরএফএস গাড়ি থাকবে। মোটরবাইক প্যাট্রোল টিম ৮ টি।৬। ৬ টি ওয়াচ টাওয়ার। মোতায়েন থাকবে ৩ টি কুইক রেসপন্স টিম।৭। রেড রোডে বিশেষ কন্ট্রোল পোস্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে।৮। শহরে ঢোকা বেরোনোর প্রত্যেকটি পয়েন্টে নাকা চেকিং চলবে প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে থেকেই।

জানুয়ারি ২৫, ২০২২
দেশ

মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত বিজেপি বিধায়কের ছেলে-সহ ৭ ডাক্তারি পড়ুয়া, শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর

মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল বিজেপি বিধায়কের পুত্র-সহ আরও ৬ জনের।মৃতরা সকলেই ডাক্তারি পড়ুযা।সোমবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ ওই দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, ওয়ার্ধা থেকে দেওলি অভিমুখে যাচ্ছিল গাড়িটি। সেই সময় সেলসুরার কাছে একটি সেতু থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিচে পড়ে যায়। মৃত্যু হয় গাড়িতে থাকা সাতজনেরই। তাঁরা সকলেই সাওয়াঙ্গি মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়া।Maharashtra | 7 medical students, including BJP MLA from Tirora constituency Vijay Rahangdales son Avishkar Rahangdale, died after their car fell from a bridge near Selsura around 11.30 pm on Monday (January 24) pic.twitter.com/Hc9WC7sZvx ANI (@ANI) January 25, 2022ঘটনায় টুইটে শোক প্রকাশ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, পাশাপাশি, দুর্ঘটনাগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন নমো। টুইটেই জানিয়েছেন মৃতের পরিবারকে ২ লক্ষ ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।Pained by the loss of lives due to an accident near Selsura in Maharashtra. In this hour of sadness, my thoughts are with those who have lost their loved ones. I pray that those injured are able to recover soon: PM @narendramodi PMO India (@PMOIndia) January 25, 2022দুর্ঘটনায় মৃতদের মধ্যে অন্যতম মহারাষ্ট্রের তিরোরা বিজেপি বিধায়ক বিজয় রাহাংদালের পুত্র আবিষ্কার রাহাংদালে। পবন শক্তি নামে আরও একজন ছিলেন প্রথম বর্ষের পড়ুয়া। বাকি চারজন ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র।PM @narendramodi announced that Rs. 2 lakh each from PMNRF would be given to the next of kin of those who have lost their lives in the accident near Selsura. Those who are injured would be given Rs. 50,000. PMO India (@PMOIndia) January 25, 2022

জানুয়ারি ২৫, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 25
  • 26
  • 27
  • 28
  • 29
  • 30
  • 31
  • ...
  • 74
  • 75
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

দামোদরে বালি তুলতে গিয়ে বিরাট বিপত্তি, জলে ভাসছে ১৫টি লরি

দামোদরে বালি তোলায় কোনও লাগাম নেই। ডিভিসি থেকে জল ছাড়ার খবর থাকা সত্বেও বালি তোলার কাজ চলছিল। লরি নেমেছিল একেবারে নদের ভিতরে। জল ভরে টুইটুম্বুর হওয়ায় ভেসে গেল ১৫টি বালি বোঝাই লরি। পূর্ব বর্ধমানের গলসির গোহগ্রামের এই ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে। পরে লরিগুলিকে উদ্ধারের তৎপরতা শুরু হয়।দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার কথা ডিভিসি ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগাম ঘোষণা করা হয়েছিল। মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে বুধবার জল ছাড়া হয় ৪০ হাজার কিউসেক। এরই মধ্যে নিম্ন দামোদর অববাহিকায় দুদিন ধরে টানা বৃষ্টি চলেছে। এই সব কারণে বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ দামোদর নদে জলের পরিমাণ বেশ বেড়ে যায়। এতেই ঘটে যায় বিপত্তি।স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ১৫টি বালি বোঝাই লরি দামোদর নদের জলে ভাসতে থাকে। তার উপর বৃহস্পতিবার বেলা বাড়তে নদের জল আরও হু হু করে বাড়তে শুরু হয়। বিপদ বুঝে লরিগুলি নদী থেকে তোলার জন্য তৎপরতা শুরু করে চালকরা । ওই সময়েই সামনে থাকা দুটি লরি বিকল হয়ে যাওয়ায় লরি গুলি নদ থেকে পাড়ে তোলা আর সম্ভব হয়নি। জেসিবি মেশিন ব্যবহার করেও কাজ হয়নি। জল কমা পর্যন্ত লরিগুলো তুলতে অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

জুন ১৯, ২০২৫
রাজ্য

"কেশরী: চ্যাপ্টার ২" তে ক্ষুদিরাম বসু সহ বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অপমান, প্রতিবাদে গর্জে উঠল বাংলা পক্ষ

সম্প্রতি কেশরী: চ্যাপ্টার ২ নামের এক বলিউডি হিন্দি সিনেমায় ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সশস্ত্র সংগ্রামের উজ্জ্বল ইতিহাস তথা বীর বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পরিচয় ও ভূমিকা বিকৃত করে এক মনগড়া মিথ্যা ইতিহাস তুলে ধরার অভিযোগ উঠেছে। সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম সিং ও বারীন্দ্র কুমার নামক দুই বিপ্লবী বৃটিশ পুলিশকর্তা কিংসফোর্ডকে বোমা মেরে হত্যার চেষ্টা করে ও তাদের বোমা তৈরীর প্রশিক্ষণ দেয় কৃপাণ সিং! যার সাথে বাস্তবের কোন মিল নেই। প্রকৃত পক্ষে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে বাঙালি বিপ্লবীদের সশস্ত্র সংগ্রামের ইতিহাসের এক যুগান্তকারী ঘটনা কিংসফোর্ড হত্যার প্রচেষ্টা ও পরবর্তীতে মানিকতলা বোমা মামলার ঘটনার কথা সম্পূর্ণ বিকৃত ভাবে এই সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে।সশস্ত্র সংগ্রামের লক্ষ্যে কলকাতার মানিকতলার যুগান্তর গুপ্ত সমিতিতেই অরবিন্দ ঘোষের নেতৃত্বে বোমা তৈরীর কর্মশালা গড়ে ওঠে, ইউরোপ থেকে বোমা তৈরী শিখে এসে এখানে বোমা তৈরী করে বিপ্লবীদের সরবরাহ করতেন হেমচন্দ্র কানুনগো, যিনি বলিউডের দৌলতে হয়েছেন কৃপাণ সিং। এই গুপ্ত সমিতির পক্ষেই ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকী কিংসফোর্ডকে বোমা নিক্ষেপ করে হত্যার চেষ্টা করেন। মেদিনীপুরের বীর বাঙালি কিশোর ক্ষুদিরাম বসুর পদবী সিনেমায় হয়েছে সিং অন্যদিকে প্রফুল্ল চাকীর নামই মুছে গেছে, শোনা গেছে জনৈক বারিন্দর কুমারের নাম, যেকোন ইতিহাস সচেতন ব্যক্তিই বলতে পারবেন এই নাম আসলে মানিকতলা বোমা মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ও পরবর্তীতে আন্দামানে দ্বীপান্তরিত বারীন্দ্র ঘোষের, যিনি সম্পর্কে অরবিন্দ ঘোষের ভাই। এই মানিকতলা বোমা মামলায় বিপ্লবীদের পক্ষে কোর্টে আইনি লড়াই করেন আরেক মহান বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামী দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ। এই গৌরবজনক অধ্যায় সম্পূর্ণ ভাবে বিকৃত করা হয়েছে, যা বাঙালি জাতি তথা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি চূড়ান্ত অবমাননা।এই বিকৃতির বিরুদ্ধে বাঙালির ক্ষোভের প্রকাশ দেখা যাচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থেকে সংস্কৃতি জগতের নানান ব্যক্তিত্ব এই ইতিহাস তথা মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নাম বিকৃতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। ভারতীয় বাঙলির জাতীয় সংগঠন বাংলা পক্ষও সরব হয়েছে, আজ তারা পথে নেমে প্রতিবাদ করল কলকাতার বাংলা একাডেমী সংলগ্ন রানুছায়া মঞ্চে। এই প্রতিবাদ সভায় বাংলা পক্ষর সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি বলেন, কেশরী ২ সিমেমার মূখ্য অভিনেতা অক্ষয় কুমার, তিনি কাদের স্বার্থে বিকৃত ইতিহাস প্রচার করে সিনেমা তৈরি করেন এটা আমাদের সকলের জানা৷ বিজেপি ও বলিউডের উদ্দেশ্য বাঙালির গৌরবজনক বীরত্বের ইতিহাস মুছে দেওয়া। সেই উদ্দেশ্যেই বারবার এই ধরনের ঘটনা দেখা যাচ্ছে। বলিউড এর আগেও অভয় ২ সিরিজে বীর শহীদ ক্ষুদিরাম বসুকে ক্রিমিনাল, জঙ্গি হিসাবে দেখিয়েছিল। বাংলা পক্ষ তখন Zee5 কে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছিল এবং সল্টলেকে Zee5 এর অফিসে বিক্ষোভ করেছিল। পরবর্তীতে Zee5 ক্ষমা চেয়ে সেই অংশ বাদ দিতে বাধ্য হয়। শীর্ষ পরিষদ সদস্য অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় বলেন যতক্ষণ না পর্যন্ত কেশরী ২ সিনেমার নির্মাতারা ক্ষমা না চায়, বাংলা পক্ষর লড়াই চলবে। ক্ষমা চেয়ে এই দৃশ্য বাদ দিতে হবে। বাঙালি বিদ্বেষীদের কিভাবে ক্ষমা চাওয়াতে হয় সেটা বাংলা পক্ষ ভালো ভাবে জানে।শীর্ষ পরিষদ সদস্য সৌম্যকান্তি ঘোড়ই বলেন, ক্ষুদিরাম বসুকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান। প্রফুল্ল চাকীকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান৷ বীর বিপ্লবী বারীন ঘোষদের অপমানের বিরুদ্ধে এই লড়াই চলবে। অক্ষয় কুমারকে ক্ষমা চাইতেই হবে।এছাড়াও আজকের প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন কলকাতা জেলার সম্পাদক সৌম্য বেরা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক কুশনাভ মন্ডল, শিল্পী পক্ষর অধিকর্তা প্রবাল চক্রবর্তী প্রমুখ। এর আগে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় এই সিনেমা নিয়ে একই ইস্যুতে এফআইআর হয়েছে। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন বাঙালি বীর বিপ্লবীদের ইতিহাস বিকৃতি করার জন্য।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স

লর্ডসে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও রাহুল দ্রাবিড়ের। দিনটা ছিল ১৯৯৬ র ২০ জুন। এই টেস্টের কথা উঠলেই মহারাজকীয় শতরানের কথাই সবার আগে মনে আসে। যা এসেছিল ২২ জুন।তবে ২০ জুন বল হাতে কামাল দেখিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ইংল্যান্ডের তৃতীয় ও চতুর্থ উইকেট পড়েছিল চার রানের ব্যবধানে। দলের ৯৮ রানের মাথায় সৌরভের প্রথম শিকার হন তিন নম্বরে নামা নাসের হুসেন। ১১০ বলে ৩৬ রান করে তিনি ফেরেন বিক্রম রাঠোরের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ১০২ রানে ইংল্যান্ডের চতুর্থ উইকেট পড়ে। ৯ বলে ১ রান করে গ্রেম হিক সৌরভের বলেই জাভাগল শ্রীনাথের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। প্রথম ইনিংসে সৌরভের বোলিং ফিগার ছিল ১৫-২-৪৯-২। বেঙ্কটেশ প্রসাদ পাঁচটি, শ্রীনাথ তিনটি ও সৌরভ ২টি উইকেট পান। পরশ মামব্রে, অনিল কুম্বলে ও সচিন তেন্ডুলকর উইকেট পাননি। দ্বিতীয় ইনিংসে সৌরভ তুলে নিয়েছিলেন প্রথম ইনিংসে শতরানকারী জ্যাক রাসেলের উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে মহারাজ ৩ ওভারে মাত্র ৫ রানের বিনিময়ে একটি উইকেট পেয়েছিলেন। ফলে লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

বৃষ্টির মোকাবিলায় ইডেন সেরা, মাঠ ভরানোর আহ্বান মনোজের

আজও বৃষ্টিতে ব্যাহত বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের খেলা। কয়েক দিন ধরেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি চলছে। যার জেরে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের খেলাগুলি পরিত্যক্ত হচ্ছে। ইডেনে বৃষ্টি থামার পর খেলা শুরু হলেও ফের অবিরাম বর্ষণে ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। তবে গতকাল যা হলো তা অন্য কোথাও আর হতে পারতো না।সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত ভাবনাতেই ইডেনের গোটা মাঠ ঢেকে রাখার বন্দোবস্ত হয়েছে। উন্নতমানের কভার আনিয়ে। এমনকী ইডেনের মতো সল্টলেক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস মাঠেও মাঠ ঢেকে রাখা হয় প্রধান কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন অনবদ্য টিম যার ফলে বৃষ্টি থামার কিছুক্ষণের মধ্যেই মাঠ খেলার উপযুক্ত করে দিতে পারেন। ইডেনের এমন ব্যবস্থাপনা বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়াম আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামেও নেই। সুনীল গাভাসকর-সহ অনেকেই তাই বলে থাকেন মাঠ ঢাকার ব্যবস্থাপনায় ইডেনকে অনুসরণ করতে। এই ব্যবস্থাপনার সুফল মিলল আরও একবার। গতকাল বৃষ্টি একটু ধরতেই রাতে ৯ ওভারের ম্যাচ হলো। হারবার ডায়মন্ডস ৪০ রানে হারাল লাক্স শ্যাম কলকাতা টাইগার্সকে। যে পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে শহরে তাতে অন্য কোথাও এটা সম্ভব হতো না। হলো মাঠ ঢাকার ব্যবস্থা ছিল বলেই। হারবার ডায়মন্ডস অধিনায়ক তথা রাজ্যের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি অনুরোধ করেছেন সকলকে কাজ সেরে মাঠে এসে তরুণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করার জন্য। এই লিগে বিনামূল্যে খেলা দেখা যায়। এমনকী হারবার ডায়মন্ডসের সমর্থকদের জল, ইলেক্টোরাল, কেক দেওয়ার কথাও মনোজ বলেছেন। তার কারণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করতে সমর্থকদের উপস্থিতি দরকার। গ্যালারির সিংহভাগ ফাঁকা থাকছে। যে লিগের সম্প্রচার স্টার স্পোর্টসে চলছে সেখানে এমন ফাঁকা গ্যালারি মোটেই ভালো বিজ্ঞাপন নয়।

জুন ১৯, ২০২৫
দেশ

ওরঙ্গাবাদের এই হৃদয়স্পর্শী কাহিনী আপনার মন ছুঁয়ে যাবেই

মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদের সম্ভাজি নগরে ঘটনা এখন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। ওই হৃদয়স্পর্শী ঘটনা নাড়া দিয়েছে পুরো সমাজকে। সেখানে এক গয়নার দোকানে গিয়েছিলেন অতি সাধারণ এক দম্পতি। স্ত্রীকে কিছু উপহার দেওয়াই ছিল স্বামীর উদ্দেশ্য। গয়নার শোরুমের ম্যানেজার তাদের সঙ্গে গল্প জুড়ে দেন। হাসিঠাট্টার মাঝে কথা বলতে বলতে জেনে নেন তাঁদের জীবনকাহিনী। এবার এল জিনিস কেনার পালা। হাতের ঝোলা ব্যাগ থেকে বেরোল একটা ৫০০ টাকার নোট। একে একে ১০, ২০ টাকার নোট। সবশেষে একটা ছোটখাট বোঁচকা। তাতে ভর্তি খুচরো পয়সা।শোরুমের ম্যানেজার গোটা বিষয়টা বুঝতে পেরে তাঁদের একটি হার উপহার দেন। সঙ্গে একজোড়া কানের দুলও। এরপর বৃদ্ধের কাছে সরল আবদার জানান, নিজে হাতে স্ত্রীর হাতে সেটা তুলে দিতে হবে। উপহার তো দিলেন ম্যানেজার, কিন্তু এত বড় দোকানে এসে কোনও টাকা না দিয়ে চলে যাবেন, এতেও যেন সম্মানে বাধে বৃদ্ধের। সমাজের খেটে খাওয়া মানুষের কাছে আত্মসম্মানই বড় কথা। প্রাণ যাক, সম্মান নিয়ে বাঁচাটাই বড় কথা। তাই সবচেয়ে বড় নোটটি তুলে দিতে চেয়েছিলেন ম্যানেজারের হাতে। কিন্তু তাতে ম্যানেজারের উত্তর, আপনার আশীর্বাদের হাত থাকলেই হবে। পান্ডুরঙ্গ (কর্নাটক, মহারাষ্ট্রের পূজিত দেবতা) আছেন, কিছুর অভাব হবে না কোনওদিন। কিন্তু বৃদ্ধ নাছোড়বান্দা, টাকা তিনি দেবেনই। উপায় নেই বুঝে অবশেষে দুটো ১০ টাকার নোট নেন ম্যানেজার।স্বামীর চোখে জল, ধুতির খুঁট দিয়ে মুছে ফেললেন। তা দেখে স্ত্রীও আটকাতে পারলেন না নিজেকে। ভিডিওতেই স্পষ্ট, এমন এক মূল্যবান উপহার পেয়ে বিশ্বাস হচ্ছে না ওই দম্পতির। কিন্তু যেকজন ভিডিওটি দেখেছেন, তাঁরা সবাই বুঝেছেন এই চোখের জল, অবিশ্বাস শুধু মূল্যবান এক উপহারের জন্য নয়, জীবনের অন্যতম এই দিনটি মনের মণিকোঠায় সাজিয়ে রাখছেন দম্পতি।

জুন ১৯, ২০২৫
দেশ

আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা: শিশুদের শনাক্ত করতে বড় সমস্যা, এখনও হস্তান্তর ১৫৯ দেহ

সুরাটের নানাবাওয়া পরিবার ৩৬ বছর বয়সী আকিল এবং ৩১ বছর বয়সী স্ত্রী হান্না ভোরাজির নামাজ-এ-জানাজা (জানাজা) সম্পন্ন হয়। বুধবার ভোরে ফোন করে জানায় যে বোয়িং ড্রিমলাইনার দুর্ঘটনায় তাদের সাথে মারা যাওয়া তাদের মেয়ে সারার মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। আত্মীয়স্বজনরা চার বছর বয়সী মেয়ের দেহাবশেষ দাবি করতে আহমেদাবাদে ছুটে যান। যাতে তাকে তার বাবা-মায়ের পাশে দাফন করা যায়।আহমেদাবাদ-লন্ডন AI-171 বিমান দুর্ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পর, সারার সন্ধানে দেখা যাচ্ছে যে পুড়ে যাওয়া দেহাবশেষের মধ্যে নাবালকদের শনাক্ত করা কতটা কঠিন। বুধবার পর্যন্ত, ডিএনএ ম্যাচিং এবং শনাক্তকরণের পরে ১৫৯টি মৃতদেহ আত্মীয়দের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সারা ছাড়াও, এই মৃতদেহগুলির মধ্যে কেবল একজন নাবালিকা ছিল ফাতিমা শেঠওয়ালা, যার বয়স ১৮ মাস।বিমান সংস্থার তালিকা অনুসারে, AI-171-এ ১২ বছরের কম বয়সী ১৩টি শিশু ছিল, যার মধ্যে তিনজন এখনও ২ বছর পূর্ণ করেনি। আরও বেশ কয়েকজনের বয়স ১১ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে।এই ধরনের দুর্যোগে অপ্রাপ্তবয়স্কদের শনাক্ত করার জন্য ডিএনএ প্রযুক্তি ব্যবহারে অসুবিধা ব্যাখ্যা করে গুজরাটের সরকারি ডেন্টাল কলেজের ফরেনসিক দন্ত বিশেষজ্ঞ ডঃ জয়শঙ্কর পিল্লাই বলেন, শিশুদের শরীরের ভর কম থাকে এবং তাই টিস্যুর ক্ষতি হয় এবং লম্বা হাড় তাপের সংস্পর্শে আসে। তবে দাঁত বেশি শক্তিশালী হওয়ায় তাপ সহ্য করতে পারে।তবে অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে এটিও জটিল। শিশুদের যে কোনও দাঁত থেকে ডিএনএ বের করা যেতে পারে, কিন্তু আগুন লাগার সময় সামনের দাঁত ব্যবহার করা যায় না কারণ তাপ তাদের নষ্ট করে দেয়। তাই আমরা মোলার থেকে ডিএনএ নিই। ছয় বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে, আমরা স্থায়ী মোলার পেতে পারি না... তাদের বেশিরভাগই দুধের দাঁত থাকে, এবং কখনও কখনও সেগুলিও নষ্ট হয়ে যায়। কারণ খিলানটি খুব ছোট। তাই আমরা চোয়ালে একটি ছেদ তৈরি করি এবং ভিতরে স্থায়ী মোলার তৈরি করার চেষ্টা করি, পিল্লাই বলেন, যার বিভাগের সাথে ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ দাঁতের ডিএনএ বের করতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের দাঁতের চার্ট তৈরি করতে সাহায্য করার জন্য যোগাযোগ করেছিল।একজন ফরেনসিক কর্মকর্তা বলেছেন যে দুর্ঘটনার পরে যে আগুন লেগেছিল তা খুব অল্প সময়ের মধ্যে ১৬০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি তাপমাত্রায় পৌঁছেছিল। সুতরাং, কিছু ব্যক্তির জন্য কেবলমাত্র আংশিক ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়া যায়, যাদের আমরা সন্দেহ করি যে তারা নাবালক, কর্মকর্তা বলেন, আরও বলেন যে আত্মীয়দের সাথে নিঃসন্দেহে নির্ভুলতার সাথে মেলানো কঠিন।আকিলের বাবা আবদুল্লাহ স্মরণ করিয়ে দেন যে তিনজন ৬ জুন, ঈদুল আযহার একদিন আগে, এক আকস্মিক পরিদর্শনে এসেছিলেন। এটা একটা ছোট ভ্রমণ ছিল। আমরা জানতাম না যে এটাই তাদের শেষ হবে, কাঁদতে কাঁদতে আবদুল্লাহ বলেন, যিনি বিমানে পরিবারকে নামিয়ে দিতে আহমেদাবাদ গিয়েছিলেন।ভদোদরায়, আসিফ শেঠওয়ালা তার নাতনি ফাতিমার জন্য শোক প্রকাশ করেছেন। যার দেহাবশেষ বুধবার শনাক্ত করা হয়েছে, যখন তার মা সাদিকার মৃতদেহ এখনও পাওয়া যায়নি। আসিফ বলেন, ফাতিমা তার লন্ডন-ভিত্তিক ছেলের একমাত্র সন্তান। সাদিকা এবং ফাতিমা আমার ছোট ছেলের বিয়েতে বেড়াতে এসেছিলেন। তারা প্রায় ২০ দিন ধরে এখানে ছিলেন এবং তাদের ফেরার টিকিট অনেক আগেই বুক করা হয়েছিল।ডিএনএ সরবরাহ করার পাশাপাশি, দাঁতের দেহাবশেষ একজন ব্যক্তির আনুমানিক বয়স নির্ধারণেও সাহায্য করে। যা শনাক্তকরণের জন্য প্রয়োজনীয় সূত্র প্রদান করে। আহমেদাবাদ দুর্ঘটনায় এটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যও, বিস্ফোরণ এবং আগুনের ফলে উদ্ধার করা বেশিরভাগ ডিএনএ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।ডঃ পিল্লাই বলেন, ফরেনসিক ওডন্টোলজি বিভাগ এক থেকে ছয় বছর বয়সী বেশ কয়েকজন প্রাপ্তবয়স্ক যাত্রীর দাঁতের ডিএনএ সংগ্রহ করেছে অথবা ডেন্টাল চার্টিং করেছে এবং অন্তত কিছু ভুক্তভোগীর বয়স মূল্যায়ন করেছে। এরপর এই বয়সের যাত্রীদের জন্য ফ্লাইট ম্যানিফেস্টের সাথে তুলনা করা হয়েছে। কিছু শিশুর ক্ষেত্রে, আমরা দ্বিতীয় মোলার বিকশিত হতে দেখেছি, যা স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে তারা তিন থেকে ছয় বছর বয়সী। এটি অনুসন্ধানকে সংকুচিত করতে সাহায্য করেছে। তারপর তাদের ডিএনএ নমুনা তাদের আত্মীয়দের সাথে মেলানো যেতে পারে।যারা খবরের জন্য অপেক্ষা করছেন তাদের মধ্যে রয়েছে ভদোদরার ভাহোরা পরিবার। তারা দুর্ঘটনায় তিন সদস্যকে হারিয়েছে। সোমবার ইয়াসমিনের মৃতদেহ হস্তান্তর করা হলেও, পারভেজ এবং তার ৪ বছর বয়সী মেয়ে জুভেরিয়ার দেহাবশেষ এখনও পাওয়া যায়নি। প্রাক্তন আইপিএস অফিসার এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ, ডঃ কেশব কুমার বলেছেন, পরিবারগুলির আশা হারানো উচিত নয়। বিমান দুর্ঘটনাটি প্রায় বোমা বিস্ফোরণের মতো ছিল। যেখানে ৫৪,০০০ লিটার বিমান জ্বালানি এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে জ্বলছিল। উৎপন্ন তাপের পরিমাণ শরীরের জন্য ক্ষতিকর। আমরা ভাগ্যবান হব যদি ভালো নমুনা পাওয়া যায়। কিন্তু যদি একটি দাঁতও পাওয়া যায়, তাহলে ডিএনএ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ফরেনসিক পরীক্ষা খড়ের গাদায় সূঁচ পাওয়ার মতো। কিন্তু একজন তদন্তকারী হিসেবে, আমি বলতে পারি যে ম্যাচ পাওয়ার সম্ভাবনা ১০০%। ডিএনএ হাজার হাজার বছর টিকে থাকতে পারে এবং প্রয়োজনে ধ্বংসাবশেষে ডিএনএর আরও চিহ্ন থাকবে। গুজরাট পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন যে তারা দুর্ঘটনাস্থল থেকে একাধিক নমুনা সংগ্রহ নিশ্চিত করেছেন।

জুন ১৯, ২০২৫
রাজ্য

১০০ দিনের কাজ নিয়ে হাইকোর্টে বড় ধাক্কা কেন্দ্রীয় সরকারকে

গতকালই ওবিসি মামলায় হাইকোর্টে জোরদার ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। এবার ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বড় ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার নজিরবিহীন একটি নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পশ্চিমবঙ্গে ফের ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প চালু করতে হবে, এই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ১ আগস্ট থেকেই এই প্রকল্প চালু করতে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ।উল্লেখ্য, বাংলায় ১০০ দিনের কাজের টাকা বহুদিন ধরে আটকে রেখেছে কেন্দ্র, এই অভিযোগ করে আসছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রাজ্য সরকারের একাধিক মন্ত্রী এই ব্যাপারে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বারবার সমালোচনায় সরব হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে লাগামহীন দুর্নীতি হয়েছে। এই দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্র বেশ কয়েকটি দলও বাংলার জেলায় জেলায় পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী আদালতে জানিয়েছিলেন, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গে মোট ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে গরমিল ধরা পড়েছে।। তার মধ্যে ২ কোটিরও বেশি টাকা পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে। হুগলি, মালদা, বর্ধমান, দার্জিলিংয়ের মতো জেলাগুলিতে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। ১০০দিনের কাজের প্রকল্পে টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে বেনজির দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রের।রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প আটকে থাকা নিয়ে মামলার শুনানি বুধবার ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনেছেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এরপর প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছেন যে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের জন্যই বিশেষ কোনও বেঁধে দিতে পারে কেন্দ্র। এই রায়ের পর সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ১০০ দিনের পুরনো বকেয়া টাকা ফেরত দিতে হবে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর

পাঁচ লক্ষ টাকা তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর এবং সালিশি করে গ্রাম ছাড়া করার অভিযোগ উঠলো স্থানীয় একদল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকায়। এই ঘটনায় আক্রান্ত ব্যবসায়ীর পরিবার কালিয়াচক থানার দ্বারস্থ হলেও চারদিন পরে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে বুধবার ওই ব্যবসায়ী দম্পতি সমস্ত ঘটনার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানালেন পুলিশ সুপারের কাছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব। এদিকে কালিয়াচকের ওই ব্যবসায়ীর ওপর আক্রমণ এবং পাঁচ লক্ষ টাকা তোলাবাজির ঘটনায় রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলার সর্ববৃহৎ ব্যবসায়ীদের সংগঠন মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বারবার যদি ব্যবসায়ীদের ওপর দুষ্কৃতীদের হামলা নেমে আসে, তাহলে আমরা যাব কোথায়। অবিলম্বে পুলিশ সুপার যাতে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে, সেই আবেদন জানাচ্ছি। এদিকে পুলিশকে অভিযোগে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকার পোশাক ব্যবসায়ী মহম্মদ রহিম বিশ্বাস জানিয়েছেন, পুরনো একটি মামলার ঘটনায় গত শনিবার এলাকার এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী জহরুল খান এবং তার দলবল তাকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাদের একটি ডেরায় তাঁকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর পাঁচ লক্ষ টাকার তোলা চাওয়া হয়। সেই টাকা না দেওয়ায় আশেপাশের আরও কিছু সাগরেদদের জুটিয়ে সালিশি ডাকা হয়। সেই সালিশির মাধ্যমে তাদের পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। আর এই ঘটনার পর থেকেই গত চারদিন ধরেই ওই ব্যবসায়ী পরিবার নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন হয়ে রয়েছেন। এমনকি ফতেখানি স্ট্যান্ডের কাছে ওই ব্যবসায়ী তার নিজের পোশাকে শোরুম খুলতে পারছেন না।

জুন ১৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal