• ২৫ আশ্বিন ১৪৩২, মঙ্গলবার ১৪ অক্টোবর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Bar

শিক্ষা

মাধ্যমিকে প্রথম কাটোয়ার দেবদত্তা ও দ্বিতীয় বর্ধমানের শুভমের সাফল্যের পিছনে কারণ কি?

এবার মাধ্য়মিক পরীক্ষায় জয়জয়কার বর্ধমান জেলার। বিশেষত কাটোয়া ও বর্ধমান শহরের নাম জ্বল জ্বল করছে। সারা রাজ্যে মাধ্যমিকে প্রথম হয়েছে দেবদত্তা মাঝি। ৬৯৭ নম্বর পেয়ে প্রথম কাটোয়ার দুর্গাদাসী চৌধুরানী হাইস্কুলের ছাত্রী। মাধ্য়মিকে প্রথম স্থানাধিকারী ছাত্রীর উচ্ছ্বসে ভেসে গিয়েছেন। দেবদত্তা জানিয়েছে, এই ফল উৎসর্গ করেছে মাকে। এই সাফল্য এসেছে স্কুলের ও গৃহশিক্ষদের জন্য। ফলপ্রকাশের পর থেকেই তাকে শুভেচ্ছা জানাতে হাজির হয়েছেন পাড়া প্রতিবেশি থেকে আত্মীয়স্বজনেরা। ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়তে চান তিনি।দেবদত্তা মাঝি প্রাইভেট টিউশন যেমন পড়ত, তেমনই বাড়িতেও নিজের পড়াশোনার দিকে খেয়াল রাখত। দিনে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা পড়ত এবারের মাধ্যমিকের একমাত্র প্রথম স্থানাধিকারী। সাদামাটা পরিবারে বড় হয়েছে দেবদত্তা। সেলফ-স্টাডি করতেই বেশি পছন্দ করে।এদিকে বর্ধমান শহরের শুভম পাল মাধ্যমিকে দ্বিতীয় স্থান পেয়েছে। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৫। এবারে তাঁর রেজাল্ট আকাশছোঁয়া, খবর পেতেই বাড়িতে উৎসবের আমেজ। যেন নিজেই বিশ্বাস করতে পারছেন না শুভম। শহরের ঐতিহ্য়বাহী বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাই স্কুলের ছাত্র শুভম। শুভমের কথায়, ভীষণ ভাল লাগছে। এই দিনটার জন্য অপেক্ষায় ছিলাম। তবে এতটা ভাল ফল হবে আশা করতে পারিনি।প্রত্যেকটা বিষয়ে একজন করে প্রাইভেট টিউটর ছিল শুভমের। মা বাংলার শিক্ষিকা। মায়ের কাছেই বাংলা পড়তাম। শুভম বলেন, মা সব থেকে সাহায্য করেছেন। স্কুলের শিক্ষকরাও পাশে ছিল। সে জানিয়েছে, সারাদিন নির্দিষ্ট সময়ে পড়াশোনা করতাম না। যখন ইচ্ছে হত তখনই পড়তাম। বাঁধাধরা ছিল না কিছুই। পাঠ্য বই ভাল করে পড়তে হবে। প্রতিটা লাইন খুঁটিয়ে পড়েই সাফল্য এসেছে। শুভমের পড়াশোনা ছাড়া গান, আবৃত্তিতে বেশ ঝোঁক রয়েছে।

মে ১৯, ২০২৩
রাজ্য

বর্ধমানের মুখ উজ্জ্বল করল সেবন্তী, ভিন রাজ্যে আইএসসি পরীক্ষায় সেরার সেরা স্বীকৃতি

বর্ধমানের সেন্ট জেভিয়ার্সের ছাত্র সম্বিত মুখোপাধ্যায় আইসিএসই-তে সর্বভারতীয় স্তরে প্রথম স্থান পাওয়ার পর ফের বর্ধমানকে গর্বিত করল প্রবসী তরুণী সেবন্তী হুই।ভিন রাজ্যে বাংলার মুখ উজ্জ্বল করলেন বর্ধমানের মেয়ে। আইএসসি পরীক্ষায় কর্নাটকে সেরার সেরা হওয়ার কীর্তি অর্জন করেছে সেবন্তী হুই। আইএসসিতে ৯৯.২৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে কর্নাটকে শীর্ষ স্থান অর্জন করেছে সেবন্তী। মোট ৪০০ নম্বরে সেবন্তী পেয়েছে ৩৯৭। তাঁর লক্ষ্য অধ্যাপিকা হওয়া।কর্মসূত্রে ব্যাঙ্গালুরুতে থাকেন দীপ্তেন্দ্র হুই ও সায়ন্তনী হুই। দীপ্তেন্দ্র পেশায় ইঞ্জিনিয়ার ও সায়ন্তনী অঙ্কন শিক্ষিকা। তাঁদের সন্তান সেবন্তীর পড়াশুনা ব্যাঙ্গালুরু গ্রীণউড হাইস্কুলে। তবে হঙকঙে থাকতে আইএসসি ফল বেরনোর খবর পেয়েছেন সেবন্তী। এখন দীপ্তেন্দ্র পেশার কাজেই হঙকঙে রয়েছেন। সেখানেই গিয়েছেন সেবন্তী ও তাঁর মা। ফোনে ও ভিডিও কলেই বহু মানুষ তাঁদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। মেয়ের সাফল্যে খুশি বাবা-মা।সেবন্তী ভবিষ্যতে ইংরেজির অধ্যাপিকা হতে চায়। সেবন্তী জানিয়েছেন, যেদিন স্কুল থাকত না ওই দিন প্রায় ৮-১০ ঘন্টা পড়াশোনা করেছে। স্কুল থাকলে দিনে ৩-৪ ঘন্টা পড়াশোনা করেছে। পড়াশুনা ছাড়া কবিতা লিখতে ও ভিডিও গেম খেলতে ভালবাসে সেবন্তী।

মে ১৫, ২০২৩
রাজ্য

আইসিএসই-তে দেশের সেরা বর্ধমানের ছাত্র সম্বিত, গর্বিত করল বাংলাকে

সর্বভারতীয় আইসিএসই (ICSE) বোর্ডের দশম শ্রেণীর পরীক্ষায় দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করল বর্ধমান সেন্ট জেভিয়ার্সের ছাত্র সম্বিত মুখোপাধ্যায়। বর্ধমানের সম্বিত উজ্জ্বল করল বাংলার মুখ। তাঁর এই সাফল্যে গর্বিত বর্ধমান। বর্ধমানের সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলের ছাত্র সম্বিত ৯০০ নম্বরের পরীক্ষায় ৮৯২ নম্বর পেয়ে ভারত সেরা হয়েছে। সম্বিতদের বাড়ি বর্ধমান শহরের পার্কাসরোডে। তবে কলকাতার লেকটাউনের বাড়িতেও তার পরিবার থাকে। ভারত সেরা ছাত্রটির লক্ষ্য দক্ষ সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার হওয়া।সম্বিত কখনও পড়াশুনাকে চাপ হিসেবে নেয়নি। সে নিয়মিত ৭-৮ ঘন্টা পড়াশুনা করত। পরীক্ষার আগে আর একটু বেশি সময় পড়ত সে। পড়ার জন্য রুটিন তৈরি ছিল। মোট ৯০০ নম্বরের পরীক্ষায় ইংরেজিতে ৯৯, বাংলায় ৯৫, ইতিহাস ও সিভিক্স-এ ১০০, ভূগোলে ৯৯, অংকে ১০০, ফিজিক্সে ৯৯, কেমিস্ট্রিতে ১০০, বায়োলজিতে ১০০ এবং কম্পিউটার এপ্লিকেশনে ১০০ নম্বর পেয়েছে সম্বিত। সম্বিতের এখন লক্ষ্য আইআইটি পাওয়া। সে সফল সফটওঅ্যার ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়। এই ফল তাঁকে সামনের বড় পরীক্ষাগুলোতে আরও ভাল ফল করার উৎসাহ যোগাবে বলে সম্বিত জানিয়েছে।পড়াশুনা ছাড়া সম্বিতের সখ গিটার বাজানো, ছবি আঁকা। দাবা খেলতেও ভালবাসে সে। সময় পেলে ক্রিকেট খেলা দেখে। তৃতীয় শ্রেণি থেকে সম্বিত প্রথম হয়ে আসছে। আইসিএসই-তে প্রথম হওয়ায় বাবা-মা, স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং প্রাইভেট শিক্ষকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে সেন্টজেভিয়ার্সের ছাত্রটি। সম্বিতের বাবা মনোজ মুখোপাধ্যায় পেশায় কেমিক্যাল বিজ্ঞানী ও মা সুতপা মুখোপাধ্যায় দেবীপুর স্টেশন গার্লস হাই স্কুলের শিক্ষিকা।

মে ১৪, ২০২৩
রাজ্য

মালগাড়ি-লোকালের ধাক্কা, ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত বর্ধমান-হাওড়া ডাউন মেইন লাইনে

মালগাড়ির সঙ্গে ধাক্কায় লোকাল ট্রেনের লাইনচ্যুত হয় বর্ধমানের শক্তিগড়ের কাছে। বর্ধমান-হাওড়া মেন ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল বুধবার রাত থেকে বন্ধ রয়েছে। এর ফলে নিত্য যাত্রী দুর্ভোগ পোয়াচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকালেও এই ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়নি।রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাত ৯. ১৬ মিনিট নাগাদ পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড় স্টেশনের কাছে ট্র্যাক চেঞ্জ করার সময় একই লাইনে চলে আসা মালগাড়ির সঙ্গে ধাক্কায় লাইনচ্যুত হয় যাত্রীবাহী ডাউন ব্যান্ডেল লোকাল। তবে দুর্ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই। কিন্তু ট্রেনের যাত্রীরা যথেষ্টই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছান রেলের আধিকারিকরা। দুর্ঘটনার ফলে এখনও ট্রেন চলাচল ব্যহত রয়েছে।পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, ৩৭৭৮৪ ডাউন বর্ধমানব্যান্ডেল লোকাল ট্রেনটি রাত ৯. ১৬ মিনিট নাগাদ শক্তিগড় স্টেশনে ঢুকছিল। তখন দুর্ঘটনাটি ঘটে। ট্রেনটির গতিবেগ কম থাকায় বড়সড় কোনও বিপদ ঘটেনি। ট্রেনের যাত্রী রাজু রায় বলেন, ওই সময়ে আমরা ট্রেনে বসেই প্রবল ঝাঁকুনি অনুভব করি। আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। তারপর দেখতে পাই আমাদের ট্রেনের একটা বগি লাইনচ্যুত হয়ে গিয়েছে। ট্রেনে ধীর গতি থাকায় বড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি। কেন এমন দুর্ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখছে পূর্বরেলের পদস্থ কর্তারা। দ্রুত গতিতে কাজ চলছে।

মে ১১, ২০২৩
বিনোদুনিয়া

এই বিশ্বখ্যাত প্রবাদপ্রতীম শিল্পী কে? বিস্তারিত জেনে নিন

বেশ কিছুদিন আগে থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত ফেসবুক বা ফেসবুক টাইম লাইনে অশীতিপর এক বৃদ্ধার সংগীত পরিবেশন কে ট্রোলড হতে দেখা গিয়েছে বারংবার। তিনি কে? কি ভাষায় তিনি গান গাইছেন ? অথবা গানের অর্থই বা কি এর তথ্যানুসন্ধান কেউ করেনি। আমাদের ক্ষুদ্র জ্ঞানের বিচারে এই মহান শিল্পীকে নিয়ে শুধু নানান মন্তব্য ও স্ববোধের বিচারে হাসাহাসি চলেছে। কিন্তু প্রকৃত সংগীত পিপাসুদের কানে এই শিল্পীর পরিবেশিত গানটি শুনে কেমন যেন একটা ভালোলাগা অনুভূত হয়। জানা গিয়েছে, গানটি সোয়াহিলি ভাষার একটি বিখ্যাত গান। আর এই অশীতিপর বৃদ্ধা শিল্পীটি আর কেউ নন আফ্রিকা মহাদেশের তানজানিয়ার মহান সংগ্রামী শিল্পী বিকিডুডু। যাঁর পোশাকি নাম ফাতুমা বিনতি বারাকা। এই সোয়াহিলি আরব প্রভাবিত সংগীতের স্টাইল তারাবোর কিংবদন্তী পারফর্মার তিনি। তাঁকে তারাব ও ইউনেয়াগো সংস্কৃতির রানীও বলা হয়। এটি মূলত তানজানিয়া এবং কেনিয়ার কিছু অঞ্চলের সংস্কৃতি। অনুমান করা হয় বিকিডুডের জন্ম ১৯১০সালে তানজানিয়া জাঞ্জিবার দ্বীপের একটি ছোট্ট গ্রামে, গ্রামটির নাম মাফাগিমিরিঙ্গ। তাঁর বাবা ছিলেন ওই দ্বীপেরই একজন নারকেল বিক্রেতা। বিকিডুডে তাঁর মাত্র ১০ বছর বয়সেই আফ্রিকান রক্ষণশীল সমাজের নিয়ম ভাঙতে শুরু করেন। তিনি সমাজ ও প্রথার বিরুদ্ধে আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। নিজে ব্যক্তিগত বিপ্লবের মাধ্যমে আফ্রিকান সংগীতএবং নারী জাগরণের পথ তৈরি করে গেছেন। বিশ্ব সংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি পেয়েছেন ওমেক্স এওয়ার্ড। এই পুরস্কারপ্রাপ্তির আগে পর্যন্ত বিকিডুডে অনেকটা লোকচক্ষুর অন্তরালেই ছিলেন। ২০০৫ সালে প্রাপ্ত এই পুরস্কারে তিনি বিশ্ববাসীর নজরে আসেন এবং বিশ্ববাসীর মন জয় করেন। ব্রিটিশ নির্মাতা এন্ডি জোন্স শিল্পীর জীবন ও কর্ম নিয়ে প্রথম তথ্যচিত্র নির্মাণ করেন Shot Bi kidudu প্রবল লিঙ্গ বৈষম্যে জাঞ্জিবার সমাজে তিনি ছিলেন অকুতোভয়। তাঁর সারল্য জেদ আর অনমনীয় মনোভাবের মধ্যে দিয়ে পদদলিত করেন এই সমাজের জরা ও পশ্চাদপদ প্রথাকে। একক ও অক্লান্ত প্রচেষ্টায় জাঞ্জিবার প্রথার অমলিন সংস্কৃতিকে উন্মুক্ত করেন বিশ্ববাসীর সামনে। নিঃসন্তান প্রথাবিরোধী স্বাধীনচেতা এই শিল্পীর জীবনটাই ছিল বিতর্কিত। তথাকথিত একটা পর্দানশীন সমাজের বাইরে বেরিয়ে আসা তাঁর পক্ষে অত্যন্ত কঠিন ছিল। তিনি প্রকাশ্যে ধূমপান করতেন, আবিশ্ব ঘুরে বেড়াবেন এই স্বপ্ন ছিল তার। নিজের সমস্ত উপার্জিত অর্থ তিনি অকাতরে দুস্থ মানুষদের মধ্যে বিলিয়ে দিয়ে নিজে নিঃস্ব থাকতেন। হাঁপানি রোগ নিরাময়ে একজন ভেষজ বিশেষজ্ঞ হিসেবে এই শিল্পী পরিচিত ছিলেন। এই প্রবাদপ্রতীম শিল্পী জাঞ্জিবার তরুণ ও দুঃস্থ শিল্পীদের সংগীত শেখানো ও অর্থ দিয়ে সাহায্য করতেন। আফ্রিকার লোকসংগীত এর প্রচার ও প্রসারে তার ভূমিকা ছিল অবিসংবাদিত। ১৯৮০ সালে স্বৈরাচারী নাইজেরিয়ান সরকারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিল তার কন্ঠ। তানজানিয়ার জাঞ্জিবার সমাজের তিনি ছিলেন জাতীয় ধন। দীর্ঘ ১০৩ বছরের জীবন পথ অতিক্রম করে মহান এই মানবতাবাদী শিল্পী ২০১৩ সালের ১৭ই এপ্রিল জাঞ্জিবার দ্বীপে নিজ গ্রামে লোকান্তরিত হন। গত ১৭ এপ্রিল ছিল তার মৃত্যুর দশম বৎসর।

মে ০৬, ২০২৩
রাজ্য

বর্ধমানের জেলাশসক ও পুলিশ সুপারকে আমের প্যাকেট উপহার দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

মালদা যাওয়ার সময় বর্ধমান স্টেশনে ট্রেন দাঁড়ানোয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখতে বহু মানুষ ভিড় করেছিলেন। প্রশাসনিক বৈঠক ও দলীয় সভা করতে মালদা গিয়েছিলেন তিনি। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে ফেরার পথে বর্ধমান স্টেশনে ফের একই ভিড় চোখে পড়ল। তবে এবার বিশেষ ঘটনার সাক্ষী থাকল উপস্থিতি মানুষজন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় আম ভর্তি প্যাকেট উপহার দিলেন পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক প্রিয়াংকা সিংলা ও পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেনকে। হাজির ছিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ও তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা।শুক্রবার ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে চড়ে মালদা থেকে কলকাতায় ফিরছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিকেল ৫টার পর কাঞ্চনজঙ্ঘা বর্ধমান স্টেশনের পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ায়। মুখ্য়মন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, জেলাশাসক প্রিয়াংকা সিংলা ও পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন স্টেশনে উপস্থিত ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী ট্রেনের কামরা থেকে বেরিয়ে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের হাতে আম ভর্তি প্যাকেট ও তোয়ালে উপহার দেন। মন্ত্রী স্বপন দেবনাথকে জেলার উন্নয়ন নিয়ে একগুচ্ছ দায়িত্ব দেন মুখ্যমন্ত্রী। স্বপন দেবনাথ বলেন, মুখমন্ত্রী আমার সঙ্গে জেলার উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেছেন। ৫ টা ১৩ মিনিটে ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস বর্ধমান স্টেশন ছেড়ে চলে যায়।

মে ০৫, ২০২৩
রাজ্য

ইতিহাস ছুঁয়ে পূর্ব বর্ধমানকে গর্বিত করল মেমারির কিশোর অনুরাগ

ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর মহাকাশ বিজ্ঞান সংক্রান্ত বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবিরে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেল মেমারি ক্রিস্টাল মডেল স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র অনুরাগ মান্না। আগামী ১৪ মে ইসরোর সেন্টারে পৌঁছাবে অনুরাগ। শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারে ২৭ মে পর্যন্ত প্রশিক্ষণ নেবে সে। এই খবরে খুশির হাওয়া তার স্কুল ও পাড়ায়। অনুরাগের বাবা শ্যামল কুমার মান্না ও মা সাধনা মান্না জানায়, ছোটবেলা থেকেই মহাকাশ ওকে ভাবায়, ভবিষ্যতে তাঁর লক্ষ্য মহাকাশ বিজ্ঞানী হওয়া। স্বপ্নের পেছনে ছুটতে তাঁকে বরাবর অনুপ্রেরণা দিয়ে চলেছেন তার বিদ্যালয় ও বাবা মা। শিবিরে যোগ দেওয়ার সুযোগ পেতে অনলাইনে বিভিন্ন পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে তাকে। সমগ্ৰ ভারত থেকে লক্ষাধিক ছাত্র-ছাত্রীর মধ্য থেকে মাত্র ৩৫০ জন সুযোগ পেয়েছে এই প্রশিক্ষণ শিবিরে। ফল প্রকাশিত হতে দেখা যায়, সুযোগ পেয়েছে অনুরাগ। তার স্কুলের প্রিন্সিপাল শ্রী অরুন কান্তি নন্দি বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতিভাকে খুঁজে বের করা ও তাদের উদ্দীপিত করার নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি আমরা। তারই আবারও ফল পেলাম।

এপ্রিল ২১, ২০২৩
রাজ্য

বর্ধমান জেলা বিজেপির কার্যালয়ে তালা বিক্ষুব্ধদের, ধুন্ধুমার কাণ্ড

এর আগেও বর্ধমান জেলা বিজেপি কার্যালয়ে ভাংচুর হয়েছে। এবার একেবারে প্রতিষ্ঠা দিবসেই বিজেপির ওই জেলা কার্যালয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড। বৃহস্পতিবার বিজেপি কর্মী রাজু পাত্রের নেতৃত্বে একদল বিক্ষুব্ধ দলীয় কর্মী পূর্ব বর্ধমানের ঘোরদৌড়চটির জেলা কার্যালয়ের মূল গেটের সামনে তালা ঝুলিয়ে দেয়। পাশাপাশি সামনে চলে তুমুল বিক্ষোভ। দলের কার্যালয়ে আটকে পড়েন জেলা যুব মোর্চার সভাপতি পিন্টু সাম সহ অন্যারা। যথারীতি তালা খোলা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বচসা চলতে থাকে।বিক্ষুব্ধরা তালা না খোলায় হাতুড়ি দিয়ে তালা ভেঙে দেয় এক কর্মী। যা নিয়ে শুরু হয় হাতাহাতি। পিন্টু সামের নেতৃত্বে হাতুড়ি এবং লাঠি নিয়ে বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীদের নিয়ে তেড়ে যায় একদল কর্মী। এতেই পিছু হটে বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীরা।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বর্ধমান থানার পুলিশ। তারাই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।সম্প্রতি বর্ধমান সদর জেলার সহ সভাপতি শ্যামল রায়কে শোকজ করার পর কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে আসে। যুব মোর্চার সভাপতি পিন্টু সাম বলেন, দলে থাকতে গেলে দলের নিয়মনীতি মেনেই চলতে হবে। দলই ঠিক করে কে কোন পদে থাকবে। তাই দলবিরোধী কোন কাজ আমরা বরদাস্ত করব না। বিক্ষুব্ধ রাজু পাত্রের অভিযোগ, অযোগ্য সভাপতি অভিজিৎ তা একদম নিস্ক্রিয়। ফলে দলীয় যে কাজ তা ব্যহত হচ্ছে। আন্দোলন গতি পাচ্ছে না। অভিজিৎ তায়ের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে বিক্ষুব্ধরা। ২০২১ -এ ব্যাপক ভাংচুর হয়েছিল বিজেপির এই কার্যাকয়ে

এপ্রিল ০৬, ২০২৩
রাজ্য

কুখ্যাত কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা গুলিতে ঝাঁঝরা শক্তিগড়ে, গভীর রহস্য

গুলিতে ঝাঁঝরা কুখ্যাত কয়লা মাফিয়া। পরে অবশ্য বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। শনিবার সন্ধ্যায় শক্তিগড়ে দুনম্বর জাতীয় সড়কের ধারে থাকা ল্যাংচার দোকানের সামনে এই শুট আউটে মৃত্যু হয় রাজু ঝায়ের। সাদা রংয়ের ফরচুনা গাড়িতে ছিলেন রাজু ঝা। নীল রঙের অন্য একটি চারচাকা গাড়িতে চড়ে আসা দুষ্কৃতীরা এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। গুরুতর জখম রাজুর এক সঙ্গীকে উদ্ধার করে বর্ধমানের অনাময় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভর সন্ধ্যায় এই গুলি চালনার ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে জাতীয় সড়কের ধারে থাকা ব্যবসায়ী মহলে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছান জেলা পুলিশ সুপার কামনাশিষ সেন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যান সিংহ সহ অন্যান্য উচ্চ পদস্থ কর্তারা। ঘটনাস্থল ব্যারিকেড করে রেখেছে পুলিশ।বর্ধমান শহর থেকে একটু দূরে আমরায় জাতীয় সড়কের দুধারে রয়েছে ল্যাংচার একাধিক দোকান। সন্ধ্যার পর দূরদূরান্তে যাতায়াত করা গাড়ির আরোহীরা ওইসব ল্যাংচার দোকানে দাঁড়িয়ে খাওয়া দাওয়া সারেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, শনিবার সন্ধ্যায় কলকাতা মুখি রোডে শক্তিগড়ের একটি ল্যাংচা দোকানের সামনে দাঁড়ায় সাদা রংয়ের একটি ফরচুনা গাড়ি। ওই গাড়ির আরোহীরা, গাড়ি থেকে নামতে না নামতেই নীলচে রঙের একটি চারচাকা গাড়ি সেখানে এসে দাঁড়ায়। নীলচে রঙের গাড়ি থেকে কয়েকজন নেমেই দাঁড়িয়ে থাকা ওই ফরচূনা গাড়ির আরোহীদের লক্ষ্য করে পরপর গুলি চালায়। গুলি চালিয়ে নীলচে রঙের গাড়িতে চেপেই দুষ্কৃতীরা দ্রুত কলকাতা মুখি রোড ধরে পালিয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, কমপক্ষে ছয় রাউণ্ড গুলি চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। গুলিতে ফরচুনা গাড়ির চালকের পাশের সিটে বসে থাকা একজন আরোহী এবং পেছনের শিটে বসে থাকা রাজু ঝা গুলিবিদ্ধ হন। বরাত জোরে রেহাই পেয়ে যান ফরচুনা গাড়ি চালক। তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় অনাময় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা রাজু ঝাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অপরজনের হাতে গুলি লাগায় তিনি প্রাণে বেঁচে যান। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এটি গ্যাং ওয়ারের ঘটনা হতে পারে। রাজু ঝা কুখ্যাত কয়লা মাফিয়া হিসেবেই দুর্গাপুরে পরিচিত ছিলেন। বিভিন্ন থানায় তার নামে অভিযোগ রয়েছে। সিআইডি ইতিপূর্বে তাকে গ্রেফতার করেছিল। ২০২১ শের বিধানসভা ভোটের আগে রাজু বিজেপিতে যোগ দেয়। বাম আমলে কয়লা পাচারে রাজু ঝায়ের হাতে খড়ি হয়। কয়লা পাচার নিয়ে এখন যে তদন্ত চালাচ্ছে তার স্ক্যানারেও রাজু ঝা ছিল বলে খবর। এমনই এক সময় রাজু ঝাকে কারা খুন করল তা নিয়ে রহস্য দানা বেড়েছে। তদন্ত নেমে পুলিশ শক্তিগড়ের ঘটনাস্থল এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা শুরু করার পাশাপাশি জাতীয় সড়ক ও সংলগ্ন সড়ক পথ গুলিতে নাকা চেকিং শুরু করেছে। পালসিট টোল প্লাজার সিসিটিভি ফুটেজ ও পুলিশ ক্ষতিয়ে দেখা শুরু করেছে। ফরচুনা গাড়িটি বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ আব্দুল লতিফের গাড়ি বলে জানা গিয়েছে। এদিন গাড়িটিতে যে চালক ছিল সে আব্দুল লতিফের নিয়োগ করা বলেই সূত্রের খবর। কয়লা মাফিয়া রাজু ঝায়ের সঙ্গে আব্দুল লতিফের ও এনামুলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলে খবর মিলেছে। গরু ও কয়লা পাচার কাণ্ডের তদন্তের দায়িত্বে থাকা সিবিআই এর ডাক পাওয়ার পর আব্দুল লতিফ গা-ঢাকা দেন।

এপ্রিল ০১, ২০২৩
রাজ্য

আপাতত চাকরি ফিরে পাচ্ছে এইচআইভি পজিটিভ শিক্ষক

বিগত কয়েক দিন ধরেই এইচআইভি পজিটিভ শিক্ষকের চাকরি খোওয়ানো নিয়ে বিস্তর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শিক্ষকের এইচআইভি পজিটিভ জানতে পেরেই দীর্ঘ ছুটিতে পাঠিয়ে দেওয়ায় ময়দানে নেমে পড়েছিল সমাজকর্মীরাও। তাঁদের আশঙ্কা ছিল এই ছুটিতে পাঠিয়ে দেওয়া মানেই চাকরি কেড়ে নেওয়ার প্রাথমিক প্রক্রিয়া। গর্জে ওঠে সমাজকর্মীরা। এই পরিস্থিতিতে গতকাল, সোমবার নিউ সেক্রেটারিয়েটে রাজ্যের অ্য়াডমিনিস্ট্রেটর জেনারেল বিপ্লব দত্তের দফতরে দফায় দফায় বৈঠক হয়। অবশেষে জটিতলা কেটেছে। আগামিকাল বারাসতের ওই মানসিকভাবে বিশেষ সক্ষমদের স্কুলে ফের কাজে যোগ দেবেন সৌমিত্রা গায়েন।গত ১২ ফেব্রুয়ারি সৌমিত্র ও সুনীতা শুভ পরণয়ে আবদ্ধ হন। দুজনেই এইচআইভি পজিটিভ। এই খবর জানতে পেরে বারাসত ভিসিয়ন ট্রাস্টের অধীনস্ত ওই বিদ্যালয় কতৃপক্ষ সৌমিত্রকে ছুটিতে যেতে। অভিযোগ, একইসঙ্গে বলা হয় যেদিন কতৃপক্ষ বলবে সেদিন তাঁকে স্কুলে আসতে হবে। বিয়ে করার চার-পাঁচ দিনের মধ্যে চাকরি নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেওয়ায় মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে সৌমিত্রর। সমাজকর্মী অলোক ঘোষ পুরো বিষয়টি অ্যাডমিনিস্ট্রেটর জেনারেলকে বিষয়টি জানায়। এরপরই গতকাল, সোমবার দফায় দফায় বৈঠকে বসেন বিপ্লব রায়, সৌমিত্র-সুনীতা, কল্লোল ঘোষ ও স্কুলের পক্ষে ট্রাস্টের চেযারম্যান ডা. রণজিত মন্ডল। দীর্ঘ আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হয় ফের কাজে যোগ দেবেন সৌমিত্র। স্কুলের অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা ফিরিয়ে আনতে হবে।সমাজকর্মী কল্লোল ঘোষের কথায়, অত্যন্ত অন্যায় কাজ করছেন স্কুল কতৃপক্ষ। একজন এইচআইভি পজিটিভ শিক্ষককে চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছিল কতৃপক্ষ। যাই হোক শেষমেশ তাঁকে ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্কুল। তবে খেয়াল রাখতে হবে ফের এমন কোনও কান্ড যেন না ঘটে। তাহলেই ফের প্রতিবাদ হবে। এদিকে, মঙ্গলবার বিপ্লব বায় সাংবাদিকদের বলেন, কাজে যোগ দেবে সৌমিত্র। সুনীতাকে মেয়ে হিসাবে মর্যাদা দিয়ে একটি পেন গিফ্ট করেন বিপ্লববাবু। রণজিত মন্ডল বলেন, আমরা ওকে তাড়িয়ে দিইনি। ছুটিতে যেতে বলেছিলাম। কারণ এটা বিশেষভাবে মানসিক সক্ষমদের স্কুল। শিক্ষকের পজিটিভ শুনে অভিভাবকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। তবে ও ফের এই স্কুলেই কাজ করবে।

ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৩
রাজ্য

রং তুলির মেলবন্ধনে মেতে উঠলো রাঢ়-বঙ্গের শিল্প কর্মশালা

রাঢ় কৃষ্টি ওয়েলফেয়ার সংস্থার আয়োজিত দুদিনের আর্ট ওয়ার্কশপ শুক্রবার শুরু হল। বর্ধমান শহরে বইমেলা প্রাঙ্গণে এই আর্ট ওয়ার্কশপ-র শুভ উদ্বোধন করেন বর্ধমান সদর দক্ষিণের মহকুমা শাসক কৃষ্ণেন্দু মণ্ডল। এবছর রাঢ় কৃষ্টি ওয়েলফেয়ার সংস্থার আর্ট ওয়ার্কশপ৬ষ্ট বর্ষে পদার্পন করলো। মোট ৪২ জন স্বনামধন্য শিল্পী এই শিল্প কর্মশালার অংশগ্রহন করছেন।শিল্প পদর্শনীবাইমেলা শুরুর দিন থেকেই মেলা প্রাঙ্গণে তাঁদের শিল্প পদর্শনী চলছে। বিভিন্ন নামী শিল্পীরা সশরীরে উপস্থিত হয়ে ক্যানভাস তুলি রং নিয়ে কর্মশালা আলো করে তুলেছেন। কেউ জল মাধ্যমে তো কেউ অ্যাক্রেলিক তো কেউ ডোকরা করতে ব্যাস্ত। প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করে মহকুমাশাসক বলেন, তাঁকে ছোট বেলায় ওড়িয়া ভাষা শিখতে হয়েছিলো। কিন্তু তাঁর ইচ্ছা ছিলো আদিবাসী (অলচিকি) ভাষা শেখা এবং তিনি তা শিখেও ছিলেন। তিনি আরও বলেন শুক্রবারের এই কর্মশালায় এসে বিভিন্ন শিল্পীদের সহচর্য পেয়ে মনে এই শিল্প কর্ম শেখার ইচ্ছা জাগছে। আজকের অনুষ্ঠানের উপরি পাওনা মহকুমা শাসক কৃষ্ণেন্দু মণ্ডলের গলায় লোকগীতি আমায় ডুবাইলি রে-আমায় ভাসাইলি রে...।শিল্পী শ্যমল মুখোপাধ্যায়মহকুমা শাসক কৃষ্ণেন্দু মণ্ডল তাঁর বক্তব্যে এই সংস্থার শ্রীবৃদ্ধি কামনা করেন, আগামীদিনে আরও বড় কর্মশালার আয়োজনের শুভেচ্ছা জানান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজকর্মী ও শিল্পপতি সন্তোষ সাহাশিকদার, প্রথিতযশা চিত্রকর শ্যমল মুখোপাধ্যায়। শিল্পী শ্যমল মুখোপাধ্যায় জানান, তিনি তিন তিন বার অকৃতকার্য হয়ে শান্তিনিকেতন থেকে শিল্প শিক্ষা গ্রহণ করে চিত্রশিল্পী হয়েছেন। তিনি জানান, তাঁর শিল্পকর্ম নিয়ে তিনি ৪২টি দেশে চিত্র পদর্শনী করেছেন।শ্যমল মুখোপাধ্যায়, প্রদ্যুত পাল ও সহশিল্পীরাঢ় কৃষ্টি ওয়েলফেয়ার সংস্থার অন্যতম সদস্য শিল্পী প্রদ্যুত পাল বলেন, এবছর আমরা বইমেলায় এই প্রদর্শনী ও কর্মশালার আয়োজন করলাম, খুবই ভালো সাড়া পাচ্ছি। সামনের বছর এই অনুষ্ঠান আরও বড়ো করে করার চেষ্টা করবো। এবছর বর্ধমান সহ সারা বাংলার মোট ৪২ জন শিল্পী অংশগ্রহণ করেছেন। ঝাড়খণ্ড থেকেও একজন শিল্পী এই কর্মশালার এসেছেন।

জানুয়ারি ১৩, ২০২৩
রাজ্য

কেতুগ্রামে তৃণমূল কর্মী খুন, এর পিছনে কি গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব না বালির কারবার?

সাতসকালে দুষ্কৃতীদের গুলিতে ভরা বাজারেই লুটিয়ে পড়ল তৃণমূল কর্মী। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হল। এই ঘটনার পর এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের আমগরিয়া এলাকার জনবহুল বাজারে। মৃতের নাম দুলাল শেখ (৪৫)। এই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী বালির কারবারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। মৃতের বাড়ি কেতুগ্রামের রতনপুরের পীড়তলা এলাকায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ। কে বা কারা এই ঘটনা ঘটাল তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মৃতের পরিবারের অভিযোগ দলের অন্তর্কলহে খুন হয়েছেন দুলাল।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুলাল শেখ বালির ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিল, পাশাপাশি ঠিকাদারিও করতেন। তবে এলাকায় সক্রিয় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত, পরিচিতিও আছে। পরিবার সূত্রে খবর, এদিন সকালে আমগরিয়ায় গিয়েছিলেন কোনও কাজে। সেখানেই বাজারে বসে গল্প করতে করতে চা খাচ্ছিলেন। তখন হঠাৎ করে বাইকে চেপে এসে কেউ বা কারা তাঁর মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি ছোঁড়া হয়। ঘটনাস্থলেই দুলালের মৃত্যু হয়। সাতসকালে ভরাবাজারে প্রকাশ্যে জনবহুল এলাকায় শুটআউটের ঘটনায় আতঙ্কিত স্থানীয়রা।পুলিশ তদন্ত করে দেখছে ব্যক্তিগত আক্রোশ নাকি ব্যবসায়িক শত্রুতার জেরে এই ঘটনা ঘটল। বালি ব্যবসায় একচ্ছত্র আধিপত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টাই কি কাল দুলালের? তা নিয়েও জল্পনা চলছে। গোষ্ঠী কোন্দলের অভিযোগ করেছে বিজেপি।জেলা পুলিশ সুপারকামনাশী সেন নিজে ঘটনাস্থলে তদন্তে গেছেন। পুলিশ সুপার জানান, কেস রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। খুনিদের সন্ধানে অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে। দুষ্কৃতীদের সন্ধান পাওয়ার জন্য জেলা ও ভিন জেলার সঙ্গে সংযোগকারী বিভিন্ন সড়কপথে পুলিশি নাকা চেকিং শুরু হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র দেব টুডু বলেন, কি কারনে এমন ঘটনা ঘটলো সেটা আমাদের কাছে এখনো পরিষ্কার নয়, পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। তৃণমূল কর্মী খুনের পর থেকে পুরো এলাকা থমথমে।

জানুয়ারি ১২, ২০২৩
রাজ্য

কেটে আসা ঘুড়ি ধরতে যাওয়াই কাল হল বর্ধমানের স্কুল ছাত্রের

কেটে আসা ঘুড়ি ধরতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হল ছাত্রের। মৃত ছাত্রের নাম রাজগুরু চট্টোপাধ্যায় (১৪)। মৃত কিশোরের বাড়ি বর্ধমানের নাড়ীকলোনী অরবিন্দপল্লী এলাকায়। বর্ধমান টাউন স্কুলের নবম শ্রেণীর পড়ুয়া ছিল। বুধবার বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে ছাত্রের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়। কিশোরের মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ তাঁর পরিবার, পরিজন ও প্রতিবেশীরা। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ছাত্র রাজগুরু চট্টোপাধ্যায় এদিন স্কুলেও গিয়েছিল। দুপুরে সে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরে। ছাত্রের বাবা জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তাঁর ছেলে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে খাওয়া দাওয়া সারে। তার পরেই খেলতে যাবার জন্য এক বন্ধু তাকে ডাকতে আসে। তখনই রাজগুরু বর্ধমানের কালনাগেট বাঁকা ব্রিজের কাছে খেলতে চলে যায়। সন্ধ্যায় প্রাইভেট টিচারের কাছে পড়তে যাবার কথা থাকলেও রাজগুরু বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন তার খোঁজ শুরু করে। জয়ন্তবাবু বলেন,তখন এক পরিচিত মারফত তাঁরা তাঁদের ছেলে রাজগুরুর ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যুর কথা জানতে পারেন। এও জানতে পারেন, খেলার সময়েই রাজগুরু সুতো কেটে ভাসতে থাকা একটি ঘুড়ি দেখতে পায়। ওই ঘুড়িটি ধরতে গিয়ে রেল লাইনের উপর চলে যায় রাজগুরু। তখই দুরন্ত গতিতে ধেয়ে আসা একটি ট্রেন সঙ্গে তার ধাক্কা লাগে। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। জিআরপি দুর্ঘটনাস্থলে পৌছে মৃতদেহ উদ্ধার করে।

জানুয়ারি ১১, ২০২৩
রাজ্য

কাউন্সিলরের পদপ্রার্থীর টিকিট বিক্রি ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকায়! মেমারিতে প্রকাশ্য মঞ্চে ভয়ঙ্কর অভিযোগ তৃণমূল নেতার

এত দিন দলের অভ্যন্তরে অভিযোগ উঠছিল টাকা দিয়ে কাউন্সিলরের প্রার্থী হওয়ার টিকিট বিক্রির। এবার প্রকাশ্য মঞ্চে সেই অভিযোগ করলেন তৃণমূলেরই নেতা। টাকার অঙ্ক শুনলে যে কেউ ভিমরি খেতে বাধ্য। তখন মঞ্চে ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। ছিল দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। সেই মঞ্চেেই তৃণমূল নেতা দাবি করলেন কোটি টাকার ওপরে কাউন্সিলর পদের টিকিট বিক্রি হয়েছে।শনিবার মেমারি শহর তৃণমূল কংগ্রেস চকদিঘী মোড়ে মেমারি তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি ফারুক আবদুল্লা টিকিট কেনাবেচার দাবি করে মেমারির এক কাউন্সিলার ও এক নেতার উদ্দেশ্যে চরম হুঁশিয়ারিও দিয়ে রাখেন এই নেতা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূল নেতার এই দাবি ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহল। শনিবারের ওই মঞ্চে মেমারি শহর তৃণমূলের সভাপতি স্বপন ঘোষাল ছাড়াও অন্য বেশ কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন। মেমারি শহর তৃণমূলের সংখ্যলঘু সেলের সভাপতি ফারুক আবদুল্লা বলেন, সই করতে গেলে ক্লাস টু পাশ কাউন্সিলর নাকি কলম ভেঙে ফেলেন। ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা দিয়ে টিকিট কিনে তুমি কাউন্সিলার হয়েছো। তোমার নেতাও ১কোটি ৪০ লক্ষ টাকা দিয়ে টিকিট কিনেছে। আপনার কথা বলা সাজে না। বেশী কথা বলবেন না। নয়তো আপনার কথা আপনার বুকের মধ্যে চেপে দেব। ফারুক আবদুল্লা যখন প্রকাশ্যে দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করছেন তখন তার প্রতিবাদ না করে উল্টে মঞ্চে থাকা নেতাদের কেউ কেউ হাততালি দিয়ে ফারুককে সমর্থন জানান।মেমারি শহর তৃণমূল সভাপতি স্বপন ঘোষাল বলেন, ফারুক যখন মঞ্চে বক্তব্য রাখতে ওঠে তখন আমি মঞ্চে ছিলাম। একটু পরেই মঞ্চ থেকে আমি নেমে যাই। তবে ফারুক তৃণমূলের কাউন্সিলর পদ প্রার্থী হওয়ার টিকিট কেনাবেচার যে কথা বলেছে সেটা আমিও শুনেছি।ফারুকের বক্তব্য সমর্থন করি না। কারণ ফারুক দলের সম্পর্কে সঠিক বলেনি। তাই ফারুকের মন্তব্যের বিষয়টি নিয়ে তিনি দলের উচ্চ নেতৃত্বকে জানিয়েছে স্বপন ঘোষাল।

জানুয়ারি ০৮, ২০২৩
রাজ্য

অবৈধ প্রণয়ের জেরেই কি স্ত্রীকে খুন আনসারুলের? হত্যার ভয়াবহতার অনুমানে আঁতকে উঠছে তদন্তকারীরা

রেনুকা হত্যা রহস্য ক্রমশ সামনে আসছে। পুলিশ মনে করছে, প্রেমের পথে কাঁটা দূর করতে স্ত্রীকে দুই টুকরো করে ক্যানালের জলে ফেলে দিয়েছিল স্বামী আনসারুল। রেণুকা খাতুন হত্যার প্রাথমিক তদন্তে এই তথ্য উঠে আসছে। এই ঘটনা শ্রদ্ধা কাণ্ডের ছায়া থাকলেও, নৃশংসতা ছিল আরও ভয়াবহ। ফাঁসিদেওয়ার সুদামগছ এলাকার বাসিন্দারা এই ঘটনায় হতবাক। হত্যার প্রায় দুই সপ্তাহ পর মহানন্দা ক্যানাল থেকে উদ্ধার হয় রেণুকা খাতুনের বস্তাবন্দি মৃতদেহ।জানা গিয়েছে, ৬ বছর আগে শিলিগুড়ির ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের দাদাভাই কলোনীর রেণুকা খাতুনের সঙ্গে সামাজিক মতে বিয়ে হয় মহম্মদ আনসারুলের। সাংসারিক অশান্তি থাকলেও, একসময় তা থেমেও যায়। রেণুকার পরিবারের দাবি, মাটিগাড়ার এক যুবতীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল আনসারুলের। সেই কারণেই কয়েক মাস ধরে বিবাদ বাড়তে থাকে। স্ত্রীর নজরদারি মানতে পারেনি আনসারুল। এই ক্ষোভ থেকেই সোনার লোভ দেখিয়ে যুবক তার দাদুর বাড়ি সংলগ্ন ফাঁসিদেওয়ার সুদামগছে নিয়ে আসে রেণুকাকে। পুলিশি হেপাজতে থাকাকালীন জেরায় যুবকের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, স্ত্রীকে সেখানেই খুন করে ধর থেকে মাথা আলাদা করে দুটি পৃথক বস্তায় ভরে ক্যানালে ফেলে দেয়। শুক্রবার ঘটনাস্থল থেকে কয়েকশো মিটার দূরে নয়াহাটের কাছে ক্যানালের জল থেকে বিপর্যয় মোকাবিলা দল প্রথমে মৃতদেহ এবং পরে অপর একটি বস্তায় গৃহবধূর মুন্ডু উদ্ধার করেছে।আনসারুল প্রথমে স্ত্রীর পরকীয়া প্রসঙ্গ তুললেও, রেণুকার পরিবারের দাবি অনুযায়ী হলদিবাড়ির বাসিন্দা রাব্বানী রেণুকার বন্ধু ছিল। কোনও প্রেমের সম্পর্কই ছিল না। রেণুকা স্বামীর পরকীয়ার কথা জানতেই রেণুকাকে নৃশংসভাবে খুন করেছে বলে দাবি করা হচ্ছে। রেণুকার পরিবার আনসারুলের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি, রেণুকা ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা থাকার বিষয়টি তাঁরাই পরিবারের সদস্যরাই জানিয়েছেন। যদিও, রেণুকা অন্তঃসত্ত্বা ছিল কী না তা ময়নাতদন্তের পরই পরিষ্কার হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।তবে, এত ভয়ানক খুন আনসারুল একাই ঘটিয়েছে একথা মানতে নারাজ সকলেই। কারণ, মাথা থেকে ধর আলাদা করা এবং মৃতদেহ বস্তাবন্দি করা একার পক্ষে সম্ভব নয় বলে দাবি করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে খুনের পর মৃতদেহ নিয়ে আসা হয়েছিল, নাকি ফাঁসিদেওয়াতে এনেই খুন, তা নিয়েও এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। আনসারুলের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত ছিল কী না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

জানুয়ারি ০৬, ২০২৩
রাজ্য

বন্দে ভারতের চালক গর্বিত করল বর্ধমানকে, স্টেশনে ভিড়ের মাঝে স্বামীকে হাত নাড়িয়ে শুভেচ্ছা স্ত্রীর

বন্দে ভারতে মেতেছে বাংলা। ইতিমধ্যে ট্রেনের টিকিট পেতেই হিমশিম অবস্থা। হাওড়া থেকে ছাড়ার পর একে একে নানা স্টেশনেই দাঁড়িয়েছে বন্দে ভারত। জনতার উল্লাসে ভেসেছে মশাগ্রাম, বর্ধমান, বোলপুর স্টেশন। প্রথমবার বন্দে ভারতকে চোখের দেখা দেখতে জাতীয় পতাকা নিয়ে অনেকেই হাজির হয়েছেন। এই সুপার স্পিড ট্রেনের চালককে মালা পড়িয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ। বাংলার প্রথম বন্দে ভারতের চালকের বাড়ি বর্ধমানে লোকো সারদা পল্লীতে। বর্ধমান স্টেশনে যখন চালককে নিয়ে মাতামাতি চলছে তখন ভিড়ের মধ্যেই দূর থেকে স্বামীকে হাত নাড়িয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সুনিতা কুমারী। ওই ভিড়ের মধ্যেও পাল্টা হাত নাড়িয়েছেন চালক অনিল কুমার। অনেকে তো ভাবতেই পারেনি চালকের স্ত্রী সেখানে দাঁড়িয়ে। চালক পাল্টা হাত নাড়ানোয় উপস্থিত জনতার টনক নড়ে। বর্ধমান স্টেশনে ট্রেন দাঁড়াতেই উৎসাহী মানুষজন অনিল কুমারের গলায় মালা পরিয়ে দিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে দেখে আবেগঘন হয়ে পড়েন সুনীতা কুমারী। গর্বিত চালকের স্ত্রী বলেন, এই দিনটা আমার কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজ্যে উপস্থিত থাকতে পারলে আরও ভালো লাগতো। আদতে বিহারের বিহারের বাসিন্দা অনিল কুমার। এখন পরিবার নিয়ে তিনি থাকেন বর্ধমানের লোকো সারদাপল্লীতে থাকেন। বন্দেভারত এক্সপ্রেস চালানোর উদ্দেশ্যে বৃহস্পতিবার রাতেই অনিল কুমার বর্ধমানের বাড়ি থেকে হাওড়া স্টেশনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন।এদিন সকালে টেলিভিশনের পর্দায় বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন নিয়ে উচ্ছ্বাস-উন্মাদনা দেখে বাড়িতে আর মন টেকেনি। সোজা বর্ধমান স্টেশনে চলে আসেন সুনীতা দেবী। তিনি জানিয়েছেন, ট্রেনের অ্যাসিন্ট্যান্ট ড্রাইভার হিসাবে ১৯৯০ সালে কাজে যোগ দেন তাঁর স্বামী। কর্মের প্রতি অবিচল অনিল কুমারের বরাবরই লক্ষ্য ছিল সবথেকে গুরত্বপূর্ণ ট্রেনগুলো চালানো। পূর্বা, কালকা, শতাব্দী, রাজধানী ও দুরন্ত এক্সপ্রেস ট্রেনও তাঁর স্বামী চালিয়েছেন। বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন চালানোর স্পেশাল ট্রেনিং নিতে চলতি মাসের ৭ তারিখ অনিল বাবু উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদে যান। ট্রেনিং শেষে ১৯ ডিসেম্বর তিনি বর্ধমানের বাড়িতে ফিরে আসেন। বন্দেভারত এক্সপ্রেসের মতো দুরন্ত গতির ট্রেন চালানোটা তার স্বামীর কাছে আলাদা মাইলস্টোন ছোঁয়ার মতো। এদিন সেই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তের সাক্ষী থাকার জন্যই বর্ধমান স্টেশনে উপস্থিত হয়েছিলেন বলে সুনীতাদেবী জানান। এদিন বর্ধমান স্টেশনে হাত নেড়ে, ইশারায় শুভেচ্ছা বিনিময় হলেও গর্বিত স্বামীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলার সুযোগ হয়নি সুনীতা দেবীর। কথা না হলেও আপশোষ নেই সুনীতা দেবীর। তিনি বলেন, স্বামী কাজের প্রতি দায়বদ্ধ।

ডিসেম্বর ৩১, ২০২২
রাজ্য

মহা সমারোহে শুরু দু'দিন ব্যাপী বর্ধমান মডেল স্কুলের বাৎসরিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

শুক্রবার বর্ধমানের বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল বর্ধমান মডেল স্কুল-র বাৎসরিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হল। ২৩ ও ২৪ ডিসেম্বর যথা শুক্র ও শনিবার এই অনুষ্ঠান চলবে। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ওরিয়েন্টাল অ্যাসোসিয়েশন ফর এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (OAER) র সচিব ও বর্ধমান মডেল স্কুলের কর্নধার অচিন্ত্য কুমার মণ্ডল ও ওরিয়েন্টাল অ্যাসোসিয়েশন ফর এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ র সহ-সভাপতি ডঃ নন্দন গুপ্ত।এছাড়াও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার অন্যান্য কলেজের অধ্যক্ষ যথা লিজা ব্যানার্জী (BIMS), ডঃ বিদ্যুৎ বন্দ্যোপাধ্যায় (OIST), সত্যরাজ আদিত্যাংশু মেদ্দা (সোসাইটির সদস্য), বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাই স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক শম্বুনাথ চক্রবর্তী, স্কুল পরিচালন সমিতি-র সদস্যা ডঃ ইন্দ্রানী মুখার্জি ও রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত শিক্ষক ডঃ সুভাষ দত্ত। অথিতিদের বরণ করে নেন বর্ধমান মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক (প্রিন্সিপ্যাল) বিপিন বিহারী সিং।সুসজ্জিত মঞ্চওরিয়েন্টাল অ্যাসোসিয়েশন ফর এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ র সচিব তথা বর্ধমান মডেল স্কুলের কর্নধার অচিন্ত্য কুমার মণ্ডল তাঁর বক্তব্যে তুলে ধরেন সামগ্রিক শিক্ষার কথা। তিনি বলেন, শুধুমাত্র বই-মুখী পড়াশোনার বাইরেও সমাজ থেকে অনেক কিছু শেখা যায়, সমাজ যে শিক্ষা দেয় তা চিরস্থায়ী। তিনি জানান, করোনা অতিমারীর কারণে দীর্ঘ দুবছর অপেক্ষার পর এবছর আবার খুব জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে সংস্থার বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মেসমারাইজ (Mesmerize-2K22) অনুষ্ঠিত হচ্ছে।নৃত্য পরিবেশনওরিয়েন্টাল অ্যাসোসিয়েশন ফর এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ র সহ-সভাপতি ডঃ নন্দন গুপ্ত তাঁর বক্তব্যে তুলে ধরেন পড়াশোনায় টেকনোলজি-র প্রভাব। তিনি বলেন, আগের প্রজন্মের ছাত্রছাত্রীরা জানতেই পারতো না যে, সে যে বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করছে সেই বিষয়ে বিশ্বের সেরা শিক্ষক কে? আজকের ছাত্রদের কাছে সেটা খুবই মামুলি ব্যাপার, সেই শিক্ষক আজ তাদের মুঠোয় বন্দি (Mobile)। তিনি আরও বলেন, টেকনোলজিকে সঠিক ভাবে ব্যবহার করে বাড়িতে বসেই অনেক দূর অবধি যাওয়া যায়। তিনি বেশ কয়েকজন ছাত্রের উদাহরণ টেনে বলেন, তাঁরা এই টেকনলজির সাহায্য নিয়েই (অন লাইন এডুকেশন) এই বছর সারা ভারতের মধ্যে উল্লেখযোগ্য র্যাঙ্কিং করেছে।রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত শিক্ষক ডঃ সুভাস চন্দ্র দত্ত তাঁর বক্তব্যে জানান, বিজ্ঞানমনস্ক না হলে উন্নতি কিছুতেই হবেনা। ছাত্রছাত্রীদের খুব অল্প বয়স থেকেই বিজ্ঞান শিক্ষায় উৎসাহী করে তুলতে হবে। তাঁর কথায়, জীবনের চলার পথে বিজ্ঞানকে আমরা কখনোই অবহেলা করতে পারবো না। এরপর বর্ধমান মডেল স্কুল-র বার্ষিক ম্যাগাজিন ড্যাজেল-র (Dazzle) শুভ উদ্বোধন করেন সম্মানিত অতিথিবর্গ। এছাড়াও স্কুলের ছাত্রদের দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় ভালো ফল করার জন্য পুরস্কৃত করা হয়।বার্ষীক ম্যাগাজিন ড্যাজেল-র (Dazzle) শুভ উদ্বোধনস্কুলের খুদে বাচ্চা থেকে শুরু করে বড়দের নাচ, গান, নাটক ও আবৃত্তিতে ভরে ওঠে অনুষ্ঠান। অভিভাবক সহ সাধরণ দর্শককুল দারুণভাবে উপভোগ করেন আজকের এই অনুষ্ঠান। বিশেষ করে হিন্দি নাটকে বেড়ালের চরিত্রে ছোট্ট আদিত্য সিং-র অভিনয় দর্শকের মন ছুঁয়ে যায়। এছাড়াও স্কুলের আবৃত্তি শিক্ষিকা সুদেষ্ণা আচার্যের তত্ত্বাবধানে অনুপ্রাণ সমবেত আবৃত্তি এককথায় আসাধরণ। ৪০ জন ছাত্র ছাত্রী সম্বলিত এই প্রয়াস এক কথায় অনবদ্য। একেবারে অনুষ্ঠানের শেষ লগ্নে বিবিধের মাঝে দেখ মিলন মহান বার্তা নিয়ে সমগ্র দেশের বিভিন্ন নৃত্য শৈলীর সমন্বয় ঘটিয়ে স্কুলের নৃত্য শিক্ষিকা তুনা রুদ্রের প্রয়াস সত্যিই মেসমারাইজ (Mesmerize)।ছোটদের আবৃত্তিসঙ্গীত বিভাগের দুই শিক্ষক নম্রতা রায় ও সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়-র নিরলস প্রয়াস ছাত্র ছাত্রীদের সঙ্গীত প্রদর্শন এক অন্য মাত্রা পায়। এবছরের মেসমারাইজ-এর (Mesmerize) সবচেয়ে বড় পাওনা ব্যান্ড বিএমএস। স্কুলের এক ঝাঁক ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে তৈরি এই ব্যান্ড মুগ্ধ করে দেয় তাদের উপস্থাপনায়। নম্রতা রায়ের প্রচেষ্টা ও কর্নধার অচিন্ত্য মণ্ডলের উৎসাহে এই ব্যন্ড সত্যিই ব্রান্ড বিএমএস (Brand BMS)উল্লখ্য গতকাল ২২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার তিনদিন ব্যাপি ওরিয়েন্টাল অ্যাসোসিয়েশন ফর এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ-র কলেজ গুলির Mesmerize-2K22 শীর্ষক বার্ষিক সাংস্কৃতীক অনুষ্ঠান শুভ সূচনা হয়। ছাত্রছাত্রীদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি কলকাতার ফকিরা ব্যান্ড গান পরিবেশন করেন।

ডিসেম্বর ২৪, ২০২২
রাজ্য

মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী যুবক

মানসিক অবসাদে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হল এক ব্যক্তি। পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের বেলেণ্ডার পুলের কাছে বুধবার রাতে দুর্ঘটনা ঘটে।ভাতারের রাধানগর গ্রামের বাসিন্দা মফজ আলি শা( ৪৫)। তিনি পেশায় কৃষক ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। বাড়ির লোকজনকে প্রায়ই বলতেন তিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে যাবেন। বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এ নিয়ে পরিবারের লোকজন দ্বারস্থ হন ভাতার থানায়।বৃহস্পতিবার পরিবারের লোকজন ভাতার থানায় গিয়ে জানতে পারেন যে বেলেণ্ডার পুলের কাছে একজন ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মৃতদেহ দেখে পরিবারের লোকজন শনাক্ত করেন। বাড়ির লোকজন জানান যে তিনি বেশ কয়েক মাস ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন।রেল পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় ময়নাতদন্তের জন্য।

ডিসেম্বর ১৫, ২০২২
রাজ্য

স্ত্রী পঞ্চায়েত প্রধান, দপ্তর সামলাচ্ছেন স্বামী, সামাজিক মাধ্যমে ভিডিও ঘিরে বিতর্ক

যত গণ্ডগোল খণ্ডঘোষে। ফের খবরের শিরোনামে পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের শাঁখারি গ্রাম পঞ্চায়েত। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ছবিকে নিয়ে শাসক বিরোধী তরজা তুঙ্গে। টেবিলের উল্টো দিকে থাকা বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলছেন একজন ব্যক্তি। তার পাশে নির্লিপ্ত ভাবে বসে আছেন একজন মহিলা। শাঁকারি ১ নম্বর পঞ্চায়েতের ওই ছবি ঘিরেই রাজনৈতিক বির্তক তৈরি হয়েছে। ছবি ঘিরে হইচই শুরু হয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। জানাগেছে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ওই ছবির মহিলা শিউলি খাঁ। শাঁখারী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। তার পাশে বসে যিনি দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সেই পুরুষটি হলেন প্রধানের স্বামী প্রসেনজিৎ খাঁ।বিরোধীদের অভিযোগ গ্রামে প্রতিদিন পঞ্চায়েত দপ্তরে বিকেল পর্যন্ত প্রধানের পাশে একটি চেয়ারে বসে থাকেন তাঁর স্বামী। পঞ্চায়েতের, কাজকর্মে আসা লোকজনের সঙ্গে তিনিই কথা বলেন। কলেজে ভর্তির জন্য শংসাপত্র কিংবা জমি সংক্রান্ত সমস্যা মেটাতে পঞ্চায়েত গিয়ে প্রধানের স্বামীর সঙ্গেই কথা বলতে হয় স্থানীয়দের। স্বামীর নির্দেশের পরেই প্রয়োজনীয় শংসাপত্র মেলে। তবে সব অভিযোগই অস্বীকার করেন প্রসেনজিৎ খাঁ। তিনি বলেন, বাড়ি থেকে পঞ্চায়েত কার্যালয়ে তিনি স্ত্রীকে বাইকে করে সকালে নামিয়ে দিয়ে চলে যান। আবার বিকেলে বাড়ি নিয়ে যান। তিনি পঞ্চায়েতের কোন কাজে হস্তক্ষেপ করেন না।বিজেপি জেলার সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, তিনি শুধু পঞ্চায়েত অফিসে বসে থাকেন না। তার নির্দেশ ছাড়া কোন সার্টিফিকেট ইস্যু হয় না। এমনকি গাড়ির তেলের বিলও নিচ্ছেন প্রধানের স্বামী। সেই ছবিও দেখা যাচ্ছে। প্রধান শিউলি খাঁ বলেন, তার স্বামী কোনদিনই অফিসের কাছে হস্তক্ষেপ করেন না। এটা মিথ্যে অভিযোগ। জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, স্বামী প্রধানের কাছে যেতেই পারেন। তার মানে এই নয় প্রধানের কাজে তার স্বামী তদারকি করছেন।

ডিসেম্বর ১৪, ২০২২
রাজ্য

আবাস যোজনায় নেতা নেত্রীদের নাম প্রত্যহারের পালা অব্যহত

রাজ্য জুড়ে আবাস যোজনার তালিকায় থাকা নেতা নেত্রী ও তাঁদের পরিবারের নাম প্রত্যহার পালা অব্যহত। পূর্ব বর্ধমানের রায়না ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির পর এবার রায়না ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তার ছেলের নাম আবাস যোজনার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার উদ্যোগ নিলেন।সদ্য প্রকাশিত আবাস যোজনার তালিকায় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পার্বতী ধারা মালিকের ছেলে তন্ময় মালিকের নাম থাকায় তিনি তা বাদ দেওয়ার জন্য আবেদন করেন বুধবার। তিনি পরিবারের অভিভাবক। তাই তিনি তালিকা থেকে তন্ময়ের নাম বাদ দেওয়ার জন্য উদ্যোগী হন বলে তিনি জানান।ছোটো একটা ভাঙা মাটির বাড়িতে থাকতেন পার্বতী ধারা মালিকের ছেলে তন্ময়। সেখানকার ভিআরপিদের সাহায্যে তিনি আবাস যোজনার জন্য আবেদন করেন। কিন্তু তাঁর বাড়ির অবস্থা খুব খারাপ থাকায় নিজের বাবার দেওয়া জমি বিক্রি করে কয়েক দিন আগেই বাড়ি তৈরি করেন পাট্টা পাওয়া জায়গার উপর। কিন্তু কয়েকদিন আগে বাংলার আবাস যোজনায় পার্বতী ধারা মালিকের ছেলের নাম আসে। যেহেতু ছেলের বাড়ি তৈরি হয়ে গেছে তাই তিনি এই প্রকল্প থেকে তার ছেলের নাম বাদ দিয়ে দেন। তিনি চান অসহায় দুঃস্থ মানুষরা আবাস যোজনার সুযোগ পাক। এখানে উল্লেখ্য গত সোমবার রায়না ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রত্না মহান্ত তার নিজের নাম আবাস যোজনার তালিকা থেকে বাদ দেন তিনি নিজেই।মঙ্গলবার বর্ধমান ১ নম্বর ব্লকের রায়ান ১ নম্বর পঞ্চায়েতের সদস্যা ফতেমা বিবি সেখও একই পথে হাঁটেন।আবাস যোজনা তালিকায় নাম ছিল ফতেমা বিবি সেখের।তিনি নিজেই উদ্যোগী হয়ে তালিকা থেকে নাম বাদ দেন।আর বুধবার রায়না ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পার্বতী ধারা মালিকও নাম তালিকা থেকে বাদ দেন তার ছেলের। তবে লাগাতার আবাস যোজনার তালিকা থেকে শাসকদলের নেতানেত্রীদের নাম বাদ দেওয়া নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, আবাস যোজনা তালিকা নিয়ে বিজেপির অভিযোগ যে সত্যি তা পরিস্কার হল। হৈচৈ হয়েছে বলেই এখন তৃণমূল নেতারা তালিকা থেকে নাম বাদ দিয়ে সাধু সাজছেন। কিন্তু সাধারণ মানুষ সব চালাকি বুঝতে পারছেন।অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ২০১৬-১৭ সালে আবাস যোজনার বাড়ির জন্য সার্ভে করা হয়। তখন অনেকেরই মাটির বাড়ি ছিল। কিন্তু এখন অনেকেই পাকা বাড়ি করেছেন। তাই নিয়ম অনুযায়ী নাম বাদ যাবে। অনেকেই আগেভাগেই নাম তালিকা থেকে বাদ দিচ্ছেন। এতে দোষের কি হল। বরং স্বচ্ছতা বজায় রাখতেই তারা এই পথ বেঁচে নিয়েছেন।

ডিসেম্বর ১৪, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • ...
  • 47
  • 48
  • ›

ট্রেন্ডিং

দেশ

বিহার বিধানসভা ভোটে বিজেপি ও আরজেডি কটা আসনে লড়ছে? শরিকরা কতগুলি আসন পেল?

রবিবার এনডিএ আগামী মাসে বিহার বিধানসভা নির্বাচনের জন্য আসন ভাগাভাগিতে সম্মত হয়েছে। বিজেপি এবং জনতা দল (ইউনাইটেড) ১০১টি করে আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সম্মত হয়েছে। জেডি(ইউ) জাতীয় কার্যকরী সভাপতি সঞ্জয় ঝা এবং বিজেপির নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা ধর্মেন্দ্র প্রধানের দ্বারা নিশ্চিত করা এই চুক্তি অনুসারে, চিরাগ পাসওয়ানের নেতৃত্বাধীন লোক জনশক্তি পার্টি (রাম বিকাশ) ২৯টি আসন পাবে, যেখানে জিতন রাম মাঝির হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা (ধর্মনিরপেক্ষ) এবং উপেন্দ্র কুশওয়াহার জাতীয় লোক মোর্চা (আরএলএম) ছয়টি করে আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।১৯৯৬ সালে জোট গঠনের পর এই প্রথমবারের মতো বিজেপি এবং জেডি(ইউ) বিধানসভা নির্বাচনে সমান সংখ্যক আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। ২০২০ সালে, জেডি(ইউ) ১২২টি আসনে এবং বিজেপি ১২১টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল, জেডি(ইউ) তাদের ভাগ থেকে এইচএএম(এস)-কে সাতটি আসন দিয়েছিল এবং বিজেপি তাদের ভাগ থেকে ১১টি আসন মুকেশ সাহানির বিকাশশীল ইনসান পার্টি (ভিআইপি)-কে বরাদ্দ করেছিল।এই চুক্তির ফলে কয়েক সপ্তাহ ধরে জোটের মধ্যে আলোচনার অবসান ঘটে, যেখানে এলজেপি (আরভি) এবং এইচএএম(এস) আক্রমণাত্মকভাবে আরও বেশি আসনের জন্য চাপ দিয়েছিল। পাসওয়ানের দল প্রথমে ৪০টি এবং পরে ৩৫টি আসনের জন্য চাপ দিলেও, মাজি ১৫টি আসন দাবি করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে।এনডিএ সূত্র জানিয়েছে, যে জোট প্রথমে এলজেপি (আরভি)-কে ২০-২৫টি আসনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে চেয়েছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের নির্বাচনী প্রভাবের কারণে তা মেনে নেওয়া হয়েছিল। দিল্লিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির (সিইসি) এক বৈঠকের পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং দিল্লি ও বিহারের শীর্ষ বিজেপি নেতৃত্ব হাজির ছিলেন।আলোচনায় এলজেপি (আরভি) এর দাবি একটি বড় বাধা ছিল। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে দলটির শক্তিশালী পারফরম্যান্স, যখন তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা পাঁচটি আসনেই জয়লাভ করে এবং মোট ভোটের ৬% এরও বেশি ভোট অর্জন করে, তাদের দর কষাকষির ক্ষমতা দেয়। তবে বিজেপির সূত্র জানিয়েছে, যে দলটি রাজনৈতিক স্থায়িত্বের কারণে নয়, বরং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বের কারণে এই আসনগুলি জিতেছে।২০২০ সালে, বিভক্ত হওয়ার এক বছর আগে, এলজেপি বিহারের ২৪৩টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ১৩৫টিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল, যার ফলে এনডিএকে চরম মূল্য দিতে হয়েছিল। ৬৪টি আসনে, যেখানে দল তৃতীয় বা তার কম স্থানে ছিল, সেখানে জয়ের ব্যবধানের চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছিল। এই আসনগুলির মধ্যে, এটি সরাসরি ২৭টি আসনে জেডি(ইউ)কে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, যেখানে এটি দ্বিতীয় স্থানে ছিল।এলজেপি (আরভি) এখনও তার প্রাপ্যের চেয়ে বেশি আসন পেয়েছে। আমরা প্রথমে দলের জন্য ২০টির বেশি আসনের পক্ষে ছিলাম না। পরে তা ২৩ এবং পরে ২৬-এ সংশোধন করা হয় কারণ চিরাগ ক্রমাগত চাপ প্রয়োগ করছিলেন। জোটকে শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ রাখার স্বার্থে, আমরা ২৯-এ সম্মত হয়েছি, বিহারের একজন প্রবীণ বিজেপি নেতা বলেন।আরেকজন বিজেপি নেতা বলেন, চিরাগ পাসোয়ান ছিলেন কঠোর দর কষাকষিকারী। যেহেতু তিনি কেন্দ্রে একজন গুরুত্বপূর্ণ মিত্র, তাই আমাদের তার দাবি মেনে নিতে হয়েছিল। এলজেপি ৪০টি আসন দিয়ে শুরু করে, পরে ৩৫টিতে নামিয়ে আনা হয় এবং অবশেষে ২৯টি আসন নিয়ে মীমাংসা করে। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানের পর মাঝি ছয়টি আসন নিয়ে রাজি হন। ভবিষ্যতে তিনি একটি এমএলসি পদ দাবি করবেন বলে জানা গেছে।

অক্টোবর ১৩, ২০২৫
রাজ্য

বর্ধমান স্টেশনে ট্রেন ঢুকতেই হুড়োহুড়ি — পদপিষ্টে অন্তত ১২ জন আহত

রবিবার ছুটির সন্ধ্যায় বর্ধমান (Bardhaman) রেল স্টেশনে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। বহু যাত্রী একযোগে ট্রেন ধরার চেষ্টায় মুখ্য সিঁড়ি ও ওভারব্রিজ এলাকায় ঠাসাঠাসিতে পদপিষ্ট হয়ে পড়েন। এই ঘটনায় অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন বলে প্রাথমিক খবর পাওয়া গেছে। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে (Burdwan Medical College Hospital) ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশের অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া সূত্র অনুযায়ী, একসঙ্গে ৩৪টি ট্রেন ৪, ৫ ও ৬ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ছিল। যাত্রীরা ট্রেনে ওঠা ও নামার জন্য সিঁড়ি ও ওভারব্রিজ এলাকায় একসাথে ওটানামা করতে থাকেন, তখন ভিড় গিজ গিজ করছিল। সিঁড়িতে অতিরিক্ত চাপ ও ধাক্কাধাক্কির ফলে কয়েকজন পড়ে যান। এতেই আঘাত পান। প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করেছেন, বেশ কিছু দিন ধরে ওভারব্রিজ একাধিক অংশ কাজ করছে না বা সংস্কার হচ্ছে, ফলে যাত্রীদের মূল সিঁড়িগুলো ব্যবহার করতে হয়। রেলের উদ্ধার দল ও রেলে নিয়োজিত স্টাফ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধারে মনোনিবেশ করে। রেল প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়ন করা হবে এবং ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা এড়াতে পরিকল্পিত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অক্টোবর ১২, ২০২৫
বিদেশ

গাজা শান্তি সম্মেলনে ভারতের প্রতিনিধি কীর্তি বর্ধন সিং

মিশরের শর্ম-এল-শেখে সোমবার অনুষ্ঠিত হতে চলেছে গাজা শান্তি সম্মেলন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিশেষ দূত হিসেবে ভারতকে প্রতিনিধিত্ব করবেন কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং।সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ এল-সিসি শেষ মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে আমন্ত্রণ জানান। তবে মোদি নিজে অংশ না নিয়ে প্রতিনিধিত্বের দায়িত্ব দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রীকে।এই সম্মেলনে অংশ নেবেন আরও বেশ কয়েকজন বিশ্বনেতা জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ, ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমমানুয়েল মাক্রোঁ, স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদরো স্যাঞ্চেজ এবং জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।কূটনৈতিক মহল মনে করছে, গাজা উপত্যকার সংঘাত পরিস্থিতি নিয়ে এই বৈঠকে আন্তর্জাতিক পরিসরে শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার রূপরেখা তৈরি হতে পারে। উল্লেখ্য গাজায় আপাতত যুদ্ধবিরতি চলছে।

অক্টোবর ১২, ২০২৫
রাজ্য

দুর্গাপুরে ডাক্তারি ছাত্রীর ‘গণধর্ষণ’, তিন অভিযুক্ত গ্রেফতার — সহপাঠীর ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে

দুর্গাপুরে কলেজ ছাত্রীকে অপহরণ করে গণধর্ষণের অভিযোগে তীব্র চাঞ্চল্য। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রেফতার করা হয়েছে তিন অভিযুক্তকে। তাঁদের রবিবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।ঘটনাস্থল কলেজ ক্যাম্পাস থেকে মাত্র ৭০০ মিটার দূরে, ঘন ঝোপঝাড়ে ঘেরা এলাকায়। পুলিশ জানায়, সেখানে দীর্ঘদিন ধরেই বসে নেশার ঠেকমদ ও গাঁজা বিক্রির আড্ডা। শনিবার রাতে ওই ঠেকেই ছিলেন তিন অভিযুক্ত। তখনই তাঁরা কলেজের ডাক্তারি ছাত্রী এবং তাঁর এক সহপাঠীকে রাস্তায় হাঁটতে দেখে প্রথমে তরুণীকে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করেন। এর পর তাঁকে জোর করে টেনে নিয়ে গিয়ে জঙ্গলে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাকালীন তরুণীর মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় অভিযুক্তরা। পরে তদন্তে ধৃতদের কাছ থেকেই তরুণীর ফোন উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ দাবি করেছে, তিন জনের বিরুদ্ধেই প্রত্যক্ষ প্রমাণ মিলেছে। তদন্তকারীদের একটি সূত্র জানিয়েছে, সহপাঠীকে পালিয়ে যেতে দেখে তরুণী কলেজের বন্ধুদের ফোন করেছিলেন। পরে তাঁর বন্ধুরাই ওই সহপাঠীকে ঘটনাস্থলে ফের যেতে বলেন। এই সময়েই নির্যাতিতাকে ধর্ষণ করা হয় বলে প্রাথমিক তদন্তে ধারণা পুলিশের।ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই পুলিশ ওই সহপাঠীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। তাঁর বয়ানেই পুরো ঘটনার প্রাথমিক তথ্য মিলেছে বলে সূত্রের খবর। তরুণীর সঙ্গে কথা বলেছেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট রঞ্জনা রায়।কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, রাত ৭টা ৫৮ মিনিটে সহপাঠীর সঙ্গে ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়েছিলেন তরুণী। ৮টা ৪২ মিনিটে সহপাঠী একা ফিরে আসেন, গেটের কাছে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে ফের বাইরে যান। পরে রাত ৯টা ২৯ মিনিটে দুজন একসঙ্গে কলেজে ফেরেন। ৯টা ৩১ মিনিটে তরুণী নিজের হস্টেলে ফিরে যান।অভিযোগ, তরুণীর বাবার দাবি অনুযায়ী, তাঁর মেয়েকে বাইরে নিয়ে গিয়েছিলেন সেই সহপাঠীই, এবং ধৃত তিন জন ওই ছাত্রেরই বন্ধু। তাঁর কথায়, রাত ১০টার দিকে ওর বন্ধু ফোন করে জানায়, আমার মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে। ওর এক বন্ধু ওকে খেতে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু যখন দু-তিন জন মেয়েকে ঘিরে ধরে, তখন ওর বন্ধুটি পালিয়ে যায়।এখনও পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে পুলিশ মনে করছে, ঘটনায় আরও কয়েক জন যুক্ত থাকতে পারে। তাঁদের খোঁজে চলছে তল্লাশি অভিযান

অক্টোবর ১২, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

১৪ বছর পর কলকাতায় মেসি! “মাঠ কাঁপাবে” ডিসেম্বরে?

কলকাতার ফুটবলপ্রেমীদের জন্য এক বিশাল সুখবর! ফুটবল কিংবদন্তি লিওনেল মেসি (Lionel Messi) তাঁর বহু প্রতীক্ষিত GOAT Tour of India 2025-এর জন্য এ বছরের ডিসেম্বর মাসে কলকাতা ময়দান মাতাতে আসছেন। ১৪ বছর পর বিশ্বকাপজয়ী এই মহাতারকার ভারতে ফেরা নিঃসন্দেহে এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত হতে চলেছে।আগামী ডিসেম্বরে আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি তাঁর ভারত সফরের সূচনা করবেন কলকাতাতেই। আয়োজকদের ঘোষণা অনুযায়ী, তিনি ১২ই ডিসেম্বর রাতে মহানগরে পৌঁছাবেন এবং ১৩ই ডিসেম্বর কলকাতায় বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।কলকাতার আইকনিক সল্টলেক স্টেডিয়ামে (যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন) মূল অনুষ্ঠানগুলি হবে, যেখানে ২০১১ সালে মেসি আর্জেন্টিনার হয়ে ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে একটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ফুটবল ম্যাচে খেলেছিলেন।GOAT কনসার্ট এবং GOAT কাপ, ১৩ই ডিসেম্বর এই দুটি প্রধান ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। GOAT কাপ হবে একটি সেলিব্রেটর সেভেন-এ-সাইড (seven-a-side) সফট-টাচ ফুটবল ম্যাচ। বেশ কয়েকজন ভারতীয় কিংবদন্তির উপস্থিতির সম্ভবনা ওই খেলায়, সুত্রের খবর, এই বিশেষ ম্যাচে মেসির সঙ্গে মাঠে নামতে পারেন ভারতীয় ক্রীড়া জগতের তারকারা, যেমন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, বাইচুং ভুটিয়া এবং লিয়েন্ডার পেজ প্রমুখ।ম্যচের শেষে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে মেসিকে বিশেষ সংবর্ধনা দেওয়া হতে পারে। এছাড়াও এই সফরের অঙ্গ হিসাবে কলকাতা শহরে মেসির একটি মূর্তি উন্মোচন-র আয়োজন চলছে।এই সফরে নানাবিধ অনুষ্ঠানের মধ্যে, ফুড অ্যান্ড টি ফেস্টিভ্যালঅনুষ্ঠিত হবে। কলকাতায় তাঁর প্রিয় পানীয় আর্জেন্তিনীয় ভেষজ চা মাটে-এর সঙ্গে আসামের চায়ের ফিউশন করে একটি বিশেষ খাদ্য ও চা উৎসবের আয়োজন করা হবে।কলকাতা ছাড়াও মেসি ভারতে আরও কয়েকটি শহর সফর করবেন, সেকারনে তাঁর নিরাপত্তা ব্যবস্থাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কলকাতার পর মেসি আরও চারটি-শহরে সফর করবেন। যেগুলি হল আহমেদাবাদ, মুম্বাই এবং নয়া দিল্লী। ১৫ই ডিসেম্বর তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করে তাঁর ভারত সফর শেষ করবেন। এই সফরের ইভেন্টগুলোর টিকিটের মূল্য ৩,৫০০ টাকা থেকে শুরু হতে পারে বলে জানা গেছে।মেসির প্রতিক্রিয়াদীর্ঘ ১৪ বছর পর ভারতে আসা নিয়ে মেসি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। একটি সরকারি বিবৃতিতে তিনি বলেন, এই সফর করতে পারা আমার জন্য খুবই সম্মানের। ভারত খুব স্পেশাল একটি দেশ, এবং ১৪ বছর আগে আমার সেখানে কাটানো মুহূর্তগুলোর খুব ভালো স্মৃতি আছে এখানকার ভক্তরা ছিল অসাধারণ। ভারত ফুটবল প্রেমী দেশ (passionate football nation), এবং আমি ফুটবলের প্রতি আমার ভালোবাসা নতুন প্রজন্মের ভক্তদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছি।২০২৫ এর ডিসেম্বর মাসে ফুটবল কিংবদন্তির আগমন শুধু কলকাতার নয়, গোটা ভারতের ক্রীড়াপ্রেমীদের কাছে এক বিশাল উৎসবের বার্তা নিয়ে আসছে।

অক্টোবর ০৭, ২০২৫
রাজ্য

সাংসদের ওপর হামলায় রাজ্যকে নিয়ে বড় প্রশ্ন মোদির, কড়া জবাব মমতার

বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের ওপর হামলা নিয়ে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার পাল্টা কড়া জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া লিখেছেন, এটা খুবই দুর্ভাগ্যের এবং গভীর উদ্বেগের বিষয় যে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী একটি প্রাকৃতিক বিপর্যয় নিয়ে রাজনীতি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কোনো উপযুক্ত অনুসন্ধানের জন্য অপেক্ষা না করেই তা-ও আবার যখন উত্তরবঙ্গের মানুষ ভয়াবহ বন্যা ও ধসের সঙ্গে যুঝছেন।যখন সমগ্র স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ ত্রাণ ও উদ্ধারের কাজে ব্যস্ত হয়ে আছে, তখন বিজেপি নেতারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়েছিলেন বিপুল সংখ্যক গাড়ির কনভয় নিয়ে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা নিয়ে এবং স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনকে কোনো খবর না দিয়ে। রাজ্য প্রশাসন, স্থানীয় পুলিশ বা তৃণমূল কংগ্রেসকে কীভাবে এই ঘটনার জন্য দায়ী করা যাবে?এখানেই থামেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী পদের গরিমা নিয়েও। প্রশ্ন তুলেছেন মোদির নৈতিকতা নিয়েও। তাছাড়া কোনও প্রমান ছাড়াই প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেসকে দায়ী করেছে বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেস এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ওপর দোষারোপ করেছেন কিছুমাত্র প্রমাণ ছাড়া, আইনানুগ কোনো তদন্ত ছাড়া এবং কোনো প্রশাসনিক রিপোর্ট ছাড়া। এটা শুধু রাজনৈতিক নিম্নতা স্পর্শ করল না, যে সাংবিধানিক নৈতিকতা তুলে ধরতে প্রধানমন্ত্রী শপথ নিয়েছেন, সেই নৈতিকতারও লঙ্ঘন হল। যে কোনো গণতন্ত্রে আইন তার নিজস্ব পথ নেয় এবং কোনো ঘটনার দায় নির্ধারিত হয় যথাযথ প্রক্রিয়ায় -কোনো রাজনৈতিক বেদীর উচ্চতা থেকে করা একটি ট্যুইটের মাধ্যমে নয়।উত্তরবঙ্গ কাল যাবো, আজ কার্নিভাল !!!কার্নিভাল নাকি বাংলার ঐতিহ্য ! তা দশমীর চার দিন পর সরকারি অনুদান আর প্রশাসনিক চোখ রাঙানির জেরে প্রতিমা নিরঞ্জন আটকে রেখে, মিছিল করিয়ে ঘাটে যাওয়া কবে থেকে বাংলার ঐতিহ্য হয়ে গেলো?আর মুখ্যমন্ত্রী চটজলদি উত্তরবঙ্গ যেতে আগ্রহী নন কেন, pic.twitter.com/mD0TeqWIaz Suvendu Adhikari (@SuvenduWB) October 5, 2025মমতা বলেছেন, সংশ্লিষ্ট ঘটনা ঘটেছিল একটি কেন্দ্রে, যেখানে মানুষ নিজেরাই বিজেপির একজন বিধায়ককে নির্বাচন করেছেন। তথাপি এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের তথাকথিত শক্তিমত্তা দেখায় প্রধানমন্ত্রী দ্বিচারিতা অনুভব করলেন না। এই ধরনের অসার এবং অতি-সরলীকৃত সাধারণীকরণ শুধু অপরিণতই নয়, তা দেশের সর্বোচ্চ পদের সঙ্গে মানানসইও নয়।

অক্টোবর ০৭, ২০২৫
রাজ্য

বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কের ওপর হামলা, নিন্দা নরেন্দ্র মোদীর, ফোন রাজনাথ সিংয়ের

বন্যা ও ভমি ধ্বসে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। এরই মধ্যে নাগরাকাটায় বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গিয়েছিলেন মালদা উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মু ও শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তাঁদের ওপর তৃণমূল কংগ্রেস প্রাণঘাতী হমলা করেছে বলে অভিযোগ। মাথা ফেটে রক্তাক্ত হয়েছেন খগেন মুর্মু। আঘাত পেয়েছেন শঙ্কর ঘোষ। যদিও তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এবার এই ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খুললে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জখম সাংসদের সঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং।প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আক্রমণের তীব্র নিন্দা করেছেন। নরেন্দ্র মোদী এক্স হ্যান্ডেলে বলেছেন, যেভাবে আমাদের দলের সহকর্মীরাযাদের মধ্যে একজন বর্তমান সাংসদ ও বিধায়কও রয়েছেনপশ্চিমবঙ্গে বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সেবা করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এটি তৃণমূল কংগ্রেসের অসংবেদনশীলতা এবং রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার করুণ রূপের স্পষ্ট প্রতিফলন।যেভাবে আমাদের দলের সহকর্মীরাযাদের মধ্যে একজন বর্তমান সাংসদ ও বিধায়কও রয়েছেনপশ্চিমবঙ্গে বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সেবা করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এটি তৃণমূল কংগ্রেসের অসংবেদনশীলতা এবং রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার করুণ রূপের স্পষ্ট প্রতিফলন।আমার Narendra Modi (@narendramodi) October 6, 2025আমার একান্ত কামনা পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেস এই কঠিন পরিস্থিতিতে হিংসায় লিপ্ত না হয়ে মানুষের সাহায্যে আরও মনোযোগী হোক। আমি বিজেপি কার্যকর্তাদের আহ্বান জানাই, তারা যেন জনগণের পাশে থেকে চলতি উদ্ধার কাজে সহায়তা করে যান।এদিকে নাগরাকাটায় বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের ওপর হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংজি। রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য এক্স হ্যান্ডেলে বলেছেন, তিনি টেলিফোনে আমার সঙ্গে কথা বলে ঘটনার বিস্তারিত জানতে চান এবং স্পষ্ট বার্তা দেন রাজনীতিতে হিংসার কোনো স্থান নেই। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ এই অন্যায় ও অত্যাচার কখনো মেনে নেবে না। সবাই মিলে এই হিংসার রাজনীতি প্রতিহত করতে হবে। বাংলার মানুষ গণতন্ত্রের শক্তিতে বিশ্বাস রাখে।

অক্টোবর ০৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal