• ৫ পৌষ ১৪৩২, মঙ্গলবার ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Match

খেলার দুনিয়া

SC East Bengal : তিন–তিনবার সমতা ফিরিয়েও শেষরক্ষা হল না এসসি ইস্টবেঙ্গলের

৫ ম্যাচ হয়ে গেল। এবারের আইএসএলে এখনও জয়ের মুখ দেখতে পেল না এসসি ইস্টবেঙ্গল। আবার হার মানোলো দিয়াজের দলের। এবার হার এফসি গোয়ার কাছে। ম্যাচের ফল ৪৩। তিনতিনবার ম্যাচে সমতা ফিরিয়েও হার বাঁচাতে পারল না এসসি ইস্টবেঙ্গল। ৫ ম্যাচে ২ পয়েন্ট পেয়ে লিগ টেবিলের সবার শেষে লালহলুদ। এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই প্রাধান্য ছিল এফসি গোয়ার। একের পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে এসে এসসি ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্সকে ব্যতিব্যস্ত রাখছিলেন জর্জ ওর্টিজ, আলবার্তো নগুয়েরারা। ১৪ মিনিটে এগিয়েও যায় এফসি গোয়া। ওর্টিজের কাছ থেকে বল পেয়ে ডান পায়ের দুরন্ত শটে বল জালে জড়িয়ে দেন নগুয়েরা। লালহলুদ গোলকিপার শুভম সেনের কিছু করার ছিল না। ২৬ মিনিটে সমতা ফেরায় এসসি ইস্টবেঙ্গল। বক্সের অনেকটা বাইরে ফ্রিকিক পায়। পেরোসিভিচের ফ্রিক এফসি গোয়ার ফুটবলারদের গড়া প্রাচীরে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি বলে বাঁপায়ের দুরন্ত শটে সমতা ফেরান পেরোসিভচ। নিঃসন্দেহে বিশ্বমানের গোল। যদিও এই সমতা বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি এসসি ইস্টবেঙ্গল। ৩২ মিনিটে সৌরভ বসু বক্সের মধ্যে শেরিটনকে ফাউল করেন। সহকারী রেফারির সঙ্গে কথা বলে রেফারি কৃষ্ণা পেনাল্টির নির্দেশ দেন। পেনাল্টি থেকে গোল করে এফসি গোয়াকে আবার এগিয়ে দেন ওর্টিজ। ৩৭ মিনিটে আবার সমতা ফেরায় এসসি ইস্টবেঙ্গল। ডার্বিসেভিচের বুদ্ধিদীপ্ত ফ্রিকিক এফসি গোয়া গোলকিপার ধীরাজের সামনে ড্রপ খেয়ে গোলে ঢুকে যায়। ৪৩ মিনিটে আবার এগিয়ে যায় এফসি গোয়া। আলবার্তো নগুয়েরার কর্ণারে দেবেন্দ্র মুরগাঁওকার হেড করেন। দেবেন্দ্রর হেড পেরোসিভিচের পায়ে লেগে দিক পরিবর্তন করে জালে জড়িয়ে যায়। দ্বিতীয়ার্ধে মরিয়া হয়ে ওঠে এসসি ইস্টবেঙ্গল। শুরুতেই দুদুটি পরিবর্তন করেন লালহলুদ কোচ মানোলো দিয়াজ। টমিস্লাভ মার্সেলা ও অমরজিৎ কিয়ামের পরিবর্তে নামান ড্যানিয়েল চিমা ও আদিল খানকে। কিছুটা খেলায় ফেরে লালহলুদ। প্রথমার্ধের তুলনায় অনেক বেশি ঝকঝকে লাগছিল মানোলো দিয়াজের ফুটবলারদের। ৫৯ মিনিটে সমতা ফেরান পেরোসিভিচ। এফসি গোয়ার গ্লেন মার্টিনের ভুল পাস ধরে মাঝমাঠ থেকে একক প্রয়াসে এগিয়ে দারুণ ফিনিশ করেন পেরোসিভিচ। ৬৭ মিনিটে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন ড্যানিয়েল চিমা। নাওরেম মহেশের দুরন্ত পাস ফাঁকা গোলে ঠেলতে পারেননি চিমা। ৭৮ মিনিটে তাঁর শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। চিমার সুযোগ নষ্টের এক মিনিট পরেই জয়সূচক গোল তুলে নেয় এফসি গোয়া। ওর্টিজের পাস থেকে নগুয়েরা ঠান্ডা মাথায় বল জালে পাঠান। এরপর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি এসসি ইস্টবেঙ্গল। ৫ ম্যাচ খেলা হয়ে গেলেও জয় অধরাই থেকে গেল। অন্যদিকে, এই মরশুমে আইএসএলে প্রথম পয়েন্ট তুলে নিল এফসি গোয়া।

ডিসেম্বর ০৭, ২০২১
খেলার দুনিয়া

IND vs NZ Test : ‌স্পিনে বেসামাল কিউয়িরা, চারদিনেই টেস্ট জয়ের পথে ভারত

আজাজ প্যাটেলের দুরন্ত বোলিং সত্ত্বেও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ জয়ের পথে ভারত। চারদিনেই দ্বিতীয় টেস্ট জিততে চলেছেন বিরাট কোহলিরা। জয়ের জন্য ৫৪০ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় দিনের শেষে নিউজিল্যান্ড তুলেছে ১৪০/৫। অর্থাৎ হার বাঁচাতে কিউয়িদের এখনও প্রয়োজন ৪০০ রান। যা তোলা প্রায় অসম্ভব।প্রথম ইনিংসে ২৬৩ রানে এগিয়ে ছিল ভারত। দ্বিতীয় দিনের শেষে ভারতের রান ছিল ৬৯/০। তৃতীয় দিন ভাল শুরু করেছিলেন ভারতের দুই ব্যাটসম্যান মায়াঙ্ক আগরওয়াল ও চেতেশ্বর পুজারা। ৩২তম ওভারে আজাজ প্যাটেলকে গ্যালারিতে পাঠাতে গিয়ে উইল ইয়ংয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন মায়াঙ্ক। ৯টি চার ও ১টি ছয়ের সাহায্যে ১০৮ বলে ৬২ রান করেন তিনি। ভারতের রান তখন ১০৭। চেতেশ্বর পুজারা ৯৭ বলে ৪৭ রান করে আজাজের বলেই স্লিপে রস টেলরের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। তার আগেই তিনি একবার জীবন পেয়েছিলেন। ৭৫ বলে ৪৭ রান করে রাচিন রবীন্দ্রর বলে লাথামের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন শুভমান গিল। দ্বিতীয় ইনিংসেও বড় রান পেলেন না বিরাট কোহলি। তিনিও রাচিন রবীন্দ্রর শিকার। ৮৪ বলে ৩৬ রান করে কোহলি বোল্ড হন। এরপর দ্রুত রান তোলার দিকে মন দেয় ভারত। শ্রেয়শ আয়ার ৮ বলে ১৪ রান করে। তাঁকে ফেরান আজাজ প্যাটেল। ১২ বলে ১৩ রান করে ঋদ্ধিমান সাহা। জয়ন্ত যাদব ৬ রান করে আজাজের বলে তাঁর হাতেই ক্যাচ দেন। ৭ উইকেটে ২৭৬ রান তুলে দ্বিতীয় ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করে ভারত। অক্ষর প্যাটেল ২৬ বলে ৪১ রান করে অপরাজিত থাকেন। আজাজ প্যাটেল ১০৬ রানে ৪ উইকেট নেন। ম্যাচে ১৪ উইকেট তাঁর।জয়ের জন্য ৫৪০ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে নিউজিল্যান্ড। দলের ১৩ রানের মাথায় টম লাথাম (৬) রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে লেগ বিফোর হন। উইল ইয়ংও (২০) বড় রান পাননি। তিনিও অশ্বিনের শিকার। রস টেলরকেও (৬) তুলে নেন অশ্বিন। ড্যারিল মিচেল (৬০) কিছুটা লড়াই করেন। তৃতীয় দিনের শেষে নিউজিল্যান্ড তুলেছে ১৪০/৫। হেনরি নিকোলস ৩৬ রানে ক্রিজে রয়েছেন। অশ্বিন ২৭ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন।

ডিসেম্বর ০৫, ২০২১
খেলার দুনিয়া

SC East Bengal : টানা তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচে জয়, দল গুছিয়ে নিচ্ছেন দিয়াজ

এসসি ইস্টবেঙ্গল আদৌও আইএসএল খেলতে পারবে কিনা তা নিয়ে একসময় অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। খুব কম সময়ের মধ্যে দল গঠন করতে হয়েছিল লাল-হলুদ কর্তাদের। দলকে নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সময় যত গড়াচ্ছে দলকে তৈরি করে নিচ্ছেন এসসি ইস্টবেঙ্গল কোচ মানোলো দিয়াজ। ফিটনেস ট্রেনিংয়ের পর বল নিয়ে মাঠে নেমে পড়েছেন ফুটবলাররা। ইতিমধ্যে তিন-তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলে ফেলেছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। তিনটিতেই জয় পেয়েছে। ভাস্কো এবং সালগাঁওকরের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচে জয়ের পর গোকুলাম এফসি-র বিরুদ্ধেও জয় তুলে নিল। তুলনামূলক শক্তিশালী প্রতিপক্ষ গতবারের আই লিগ চ্যাম্পিয়নকে হারাল ২১ ব্যবধানে।গোকুলামের বিরুদ্ধে প্রথমার্ধেই ২ গোলে এগিয়ে যায় এসসি ইস্টবেঙ্গল। গোল করেন বলবন্ত সিং এবং আঙ্গৌসানা। এদিন প্রথমার্ধে দুর্দান্ত ফুটবল উপহার দেন লাল-হলুদ ফুটবলাররা। বিশেষ করে নজর কাড়েন অ্যান্তোনিও পেরোসেভিচ এবং বিকাশ জাইরু। এদিন নাইজেরিয়ার স্ট্রাইকার ড্যানিয়েল চিমাকে শুরু থেকে মাঠে নামাননি মানোলো দিয়াজ। দ্বিতীয়ার্ধে তিনি মাঠে নামান। মাঠে নেমেই নিজেকে মেলে ধরার চেষ্টা করেন। গোল করারও সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর সেই প্রয়াস আটকে দেন গোকুলাম গোলরক্ষক। ম্যাচের ৭১ মিনিটে লাল-হলুদের রক্ষণের ভুলে গোকুলামের রাহিম ওসুমানু ব্যবধান কমান। ম্যাচের শেষদিকে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি ছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল এদিনই প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে মাঠে নামেন চিমা। তিনি বলেন, দলের সঙ্গে কয়েকদিন অনুশীলন করেছি। সতীর্থদের সঙ্গে বোঝাপড়া গড়তে সময় লাগবে। যত সময় এগোবে, বুঝতে পারব সতীর্থরা কীভাবে খেলে। আর তারাও আমার খেলার পদ্ধতি বুঝতে পারবে। তবে এই জয়টা আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।এদিকে গোয়ায় হোটেল পরিবর্তন করছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। প্রস্তুতি পর্বের শুরুতে দক্ষিণ গোয়ার ভিলাজিও রিসর্টে ঘাঁটি গেঁড়েছিল লাল-হলুদ শিবির। হোটেলের এক কর্মী কোয়ারেন্টিন নিয়ম ভাঙ্গায় জৈব সুরক্ষা বলয় নষ্ট হয় এসসি ইস্টবেঙ্গলের। তারপর কোয়ারেন্টিনের বাইরে থেকে অনুশীলনের সিদ্ধান্ত নেয় তারা। তিন সপ্তাহ কোয়ারেন্টিনের বাইরে থেকে আইএসএলের নিয়ম অনুযায়ী ৮ দিনের কোয়ারেন্টিনে ঢুকে যাবে। হোটেল খোঁজার কাজ চলছে। অনেকটা ঠিকও হয়ে গেছে। উত্তর গোয়ায় হোটেল জোন কানেক্ট। এই হোটেল ভিলাজিও রিসর্টের থেকে অনেক উন্নতমানের। হোটেলের সঙ্গে অনুশীলনের মাঠও বদল হবে। নতুন হোটেলে থেকেই চলবে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। সব ঠিক থাকলে ২৪ অথবা ২৫ অক্টোবর নতুন হোটেলে কোয়ারেন্টিন শুরু হবে এসসি ইস্টবেঙ্গলের।

অক্টোবর ২০, ২০২১
খেলার দুনিয়া

‌T20 World Cup : প্রস্তুতি ম্যাচে ভারত জিতলেও প্রশ্ন থেকে গেল হার্দিককে নিয়ে

টি২০ বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতি ম্যাচগুলোতে সব দলের লক্ষ্য থাকে টিম কম্বিনেশন দেখে নেওয়া। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতের প্রস্তুতি ম্যাচে সকলের নজর ছিল হার্দিক পান্ডিয়ার দিকে। দীর্ঘদিন ধরে তাঁর বোলিং না করা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। আদৌও সম্পূর্ণ সুস্থ তো হার্দিক? আইপিএলে একটা ম্যাচেও বোলিং করেননি। প্রস্তুতি ম্যাচে বোলিং করেন কিনা সেটাই ছিল দেখার। না, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেও বল হাতে দেখা গেল না হার্দিককে। বিশ্বকাপে তঁার বল করা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই গেল। হার্দিক পরীক্ষায় পাশ না করলেও, উত্তীর্ণ ঈশান কিষান। তাঁর সামনেও ছিল বড় পরীক্ষা। ওপেনিংয়ে রোহিত শর্মার সঙ্গে কে জুটি বাঁধবেন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল। যদিও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচে মাঠে নামার আগে টস করার সময়ই কোহলি ধোঁয়াশা দূর করে দিয়েছিলেন রোহিতের সঙ্গী হিসেবে লোকেশ রাহুলের নাম ঘোষণা করে। তিন নম্বরে নামবেন কোহলি নিজে। তাহলে ঈশান কিষান? হয়তো প্রথম একাদশের বাইরেই থাকতে হবে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচে যেভাবে ব্যাটিং করলেন, তাঁকে প্রথম একাদশের বাইরে রাখা কঠিন হবে। এদিন ব্যাট করতে নেমে ভালোই শুরু করেছিলেন ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার জেসন রয় (১৭) ও জস বাটলার (১৮)। মহম্মদ সামি প্রথম ব্রেক থ্রু দেন বাটলারকে তুলে নিয়ে। জেসন রয়কেও তিনি ফেরান। দাওইদ মালানকে (১৮) আউট করেন রাহুল চাহার। এরপর ইংল্যান্ডকে টেনে নিয়ে যান জনি বেয়ারস্টো ও লিভিংস্টোন। লিভিংস্টোনকে (৩০) তুলে নিয়ে জুটি ভাঙেন সামি। বুমরার দুরন্ত ইয়র্কারে বোল্ড হন বেয়ারস্টো (৪৯)। শেষ দিকে মঈন আলির (২০ বলে অপরাজিত ৪৩) ঝড়ে ২০ ওভারে ১৮৮/৫ রানে পৌঁছয় ইংল্যান্ড। ব্যাট করতে নেমে ভারতের দুই ওপেনার লোকেশ রাহুল ও ঈশান কিষান দারুণ শুরু করেছিলেন। ওপেনিং জুটিতে ওঠে ৮২। এরপর মার্ক উডের বলে আউট হন লোকেশ রাহুল (২৪ বলে ৫৪)। ঈশান কিশান ৪৬ বলে করেন ৭০। দুই ওপেনার দাপট দেখালেও গেলেও প্রস্তুতি ম্যাচে রান নেই কোহলি ( ১৩ বলে ১১), সূর্যকুমারদের (৮) ব্যাটে। লোকেশ ও ঈশানই ভারতের জয়ের ভিত গড়ে দেন। বাকি কাজ সারেন ঋষভ পন্থ (১৪ বলে অপরাজিত ২৯) ও হার্দিক পান্ডিয়া (১০ বলে অপরাজিত ১২)। ১ ওভার বাকি থাকতেই ৭ উইকেটে জয় ভারতের (১৯২/৩)।

অক্টোবর ১৯, ২০২১
খেলার দুনিয়া

T20 World Cup : বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই চমক ওমানের, হেরে চাপে বাংলাদেশ

বেজে গেল টি২০ বিশ্বকাপের ঘন্টা। রবিবারই ওমানের আল আমেরাতে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হল। প্রথম রাউন্ডে গ্রুপ বির উদ্বোধনী ম্যাচে পাপুয়া নিউ গিনিকে ১০ উইকেটে উড়িয়ে দিল ওমান। বিশ্বকাপের আত্মপ্রকাশেই চমক মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশ। অন্যদিকে স্কটল্যান্ডের কাছে ৬ রানে হেরে চাপে বাংলাদেশ। প্রথম রাউন্ডে দুটি গ্রুপ থেকে দুটি করে দল সুপার ১২তে খেলার সুযোগ পাবে। সেইদিক দিয়ে প্রথম ম্যাচ জিতে কিছুটা হলেও এগিয়ে গেল ওমান।টস জিতে এদিন পাপুয়া নিউ গিনিকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল ওমান। স্কোর বোর্ডে কোনও রান যোগ হওয়ার আগেই দুটি উইকেট হারায় পাপুয়া নিউ গিনি। তা সত্ত্বেও তারা ৯ উইকেটে ১২৯ রানে পৌঁছয় অধিনায়ক আসাদ ভালা ও চার্লস আমিনির সৌজন্যে। ৪৩ বলে ৫৬ রান করেন আসাদ। আমিনি ২৬ বলে করেন ৩৭। ওমানের হয়ে অধিনায়ক জিশান মাকসুদ ২০ রানে ৪ উইকেট নেন। ব্যাট করতে নেমে দারুণ আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাট করতে থাকেন ওমানের দুই ওপেনার আকিব ইলিয়াস ও যতীন্দার সিং। মাত্র ১৩.৪ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন ওমানকে (১৩১/০)। আকিব ইলিয়াস ৪৩ বলে ৫০ রান করে অপরাজিত থাকেন। আকিবের থেকেও বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন যতীন্দার সিং। তিনি ৪২ বলে ৭৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। যতীন্দারের ইনিংসে রয়েছে ৭টি ৪ এবং ৪টি ৬। গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ ও স্কটল্যান্ড। টস জিতে স্কটল্যান্ডকে ব্যাট করতে পাঠান বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদ্দুলা। বাংলাদেশ স্পিনারদের বিরুদ্ধে একেবারেই দাঁড়াতে পারেননি স্কটল্যান্ডের টপ অর্ডারের ব্যাটাররা। ওপেনার জর্জ মুনসে ২৩ বলে ২৯ রান করেন। একসময় ৫৩ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল স্কটল্যান্ড। সেখান থেকে দলকে ১৪০/৯ রানে পৌঁছে দেন ক্রিস গ্রেভস (২৮ বলে ৪৫) ও মার্ক ওয়াট (১৭ বলে ২২)। মেহদি হাসান ১৯ রানে ৩ উইকেট নেন। সাকিব ১৭ রান ২ উইকেট। ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটাও ভাল হয়নি। ১৮ রানের মধ্যে সৌম্য সরকার (৫) ও লিটন দাসকে (৫) হারিয়ে চাপে পড়ে যায়। সাকিব (২০), মুশফিকুর রহিম (৩৮), মাহমুদুল্লা (২৩), আফিফ হোসেনরা (১৮) কিছুটা লড়াই করলেও দলকে জেতানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না। ২০ ওভারে ১৩৪/৭ রানে থেমে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। প্রথম ম্যাচেই হেরে চাপে পড়ে গেল বাংলাদেশ।

অক্টোবর ১৭, ২০২১
খেলার দুনিয়া

IPL : সহজ ম্যাচ কঠিন করে জিতে ফাইনালে নাইট রাইডার্স

সহজ ম্যাচও যে কঠিন করে জেতা যায়, কলকাতা নাইট রাইডার্সকে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে জয়ের জন্য নাইটদের ২৪ বলে দরকার ছিল ১৩ রান। ৭ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে পরিস্থিতি কঠিন করে ফেলেছিল নাইটরা। শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ৭ রান। পরপর ২ বলে সাকিব আল হাসান ও সুনীল নারাইনকে তুলে নিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দিয়েছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। শেষ পর্যন্ত ওভারের পঞ্চম বলে ৬ মেরে নাইটদের জেতালেন রাহুল ত্রিপাঠী। দিল্লি ক্যাপিটালসকে ৩ উইকেটে হারিয়ে আইপিএলের ফাইনালে কলকাতা নাইট রাইডার্স। নাইট রাইডার্স অধিনায়ক ইওয়িন মর্গ্যান টস জিতে দিল্লি ক্যাপিটালসকে ব্যাট করতে পাঠান। তাঁর মাথায় ছিল অতীত পরিসংখ্যান। সাতটি ম্যাচে পাঁচটি দলই রান তাড়া করে জিতেছে। তাছাড়া আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বে নাইট রাইডার্স পাঁচটি ম্যাচে রান তাড়া করেছে, পাঁচটিতেই জিতেছে। শারজার বাইশ গজে খেলার অভিজ্ঞতা থেকেই টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নাইট রাইডার্স অধিনায়কের।দিল্লি ক্যাপিটালসের দুই ওপেনার পৃথ্বীশ এবং শিখর ধাওয়ান যেভাবে শুরু করেছিলেন, মনে হচ্ছিল নাইট অধিনায়কের সিদ্ধান্ত বুমেরাং হয়ে যেতে পারে। ৪ ওভারেই দুজনে তুলে ফেলেন ৩২। এরপরই ধাক্কা খায় দিল্লি। বল করতে এসে ব্রেক থ্রু দেন বরুণ চক্রবর্তী। পৃথ্বীকে (১২ বলে ১৮)। পৃথ্বী আউট হতেই রান তোলার গতি কমে যায় দিল্লি ক্যাপিটালসের। বরুণ চক্রবর্তী, সুনীল নারাইন, লকি ফার্গুসনদের আঁটোসাটো বোলিংয়ের সামনে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে পারেননি শিখর ধাওয়ান, মার্কাস স্টয়নিসরা। দিল্লির দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন শিবম মাভি। তাঁর বলে বোল্ড হন মার্কাস স্টয়নিস (২৩ বলে ১৮)।এরপর বরুণ চক্রবর্তীর বলে সাকিবের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন শিখর ধাওয়ান (৩৯ বলে ৩৬)। পরের ওভারেই লকি ফার্গুসনের বলে রাহুল ত্রিপাঠীর হাতে ক্যাচ দেন ঋষভ পন্থ (৬ বলে ৬)। ঋষভ আউট হতেই বড় রানের স্বপ্ন শেষ দিল্লির। হেটমায়ের ১০ বলে ১৭ করে রান আউট হন। শেষ পর্যন্ত শ্রেয়স আয়ারের (২৭ বলে অপরাজিত ৩০) সৌজন্যে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৩৫ রান তোলে দিল্লি ক্যাপিটালস।ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করেন নাইট রাইডার্সের দুই ওপেনর শুভমান গিল ও বেঙ্কটেশ আয়ার। নাইটদের ওপেনিং জুটিই ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দেয়। দিল্লি ক্যাপিটালসের বোলারদের কোনও রকম সুযোগই দেননি শুভমান ও বেঙ্কটেশ। আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বে এই দুই ওপেনারই নাইট রাইডার্সকে বদলে দিয়েছেন। এদিন দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ওপেনিং জুটিতে দুজনে তোলেন ৯৬। ৪১ বলে ৫৫ রান করে কাগিসো রাবাডার বলে আউট হন বেঙ্কটেশ আয়ার। নীতীশ রানা ১২ বলে ১৩ রান করে আউট হন। এরপর শুভমান গিলকে (৪৬ বলে ৪৬) ফেরান আবেশ খান। শুভমান আউট হতেই নাইট রাইডার্স ইনিংসে ধস। দ্রুত ফেরেন দীনেশ কার্তিক (০) ও মর্গ্যান (০)। তারপর শেষ ওভারে অশ্বিনের বলে নাটক। ১ বল বাকি থাকতে রাহুল ত্রিপাঠী (১১ বলে অপরাজিত ১২) নাইটকে (১৩৬/৭) জেতান।

অক্টোবর ১৪, ২০২১
খেলার দুনিয়া

I‌PL : আবার পুরনো মেজাজে ধোনি, ফাইনালে চেন্নাই সুপার কিংস

কিং ইজ ব্যাক। আবার ফিনিশারের ভুমিকায় মহেন্দ্র সিং ধোনি। গত বছর আইপিএলের প্লে অফে পৌঁছাতে না পারার যন্ত্রণা মিটিয়ে নিলেন ক্যাপ্টেন কুল। স্নায়ুযুদ্ধে বাজিমাত করলেন। সাত নম্বরে নেমে তিনটি চার ও একটি ছয়ের সাহায্যে দলকে জেতালেন মাহি। দিল্লি ক্যাপিটালসকে ৪ উইকেটে হারিয়ে আইপিএলের ফাইনালে চেন্নাই সুপার কিংস।টস জিতে দিল্লি ক্যাপিটালসকে ব্যাট করতে পাঠান চেন্নাই সুপার কিংস অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। তাঁর ধারণা ছিল শুরুর দিকে ব্যাট করা কঠিন হবে। জোরে বোলাররা বাইশ গজ থেকে সাহায্য পাবেন। ধোনির সেই ধারণাকে ভুল প্রমাণ করে দেন দিল্লি ক্যাপিটালসের ব্যাটসম্যানরা। ৩ ওভারে ৩২ রানে পৌঁছে যায় দিল্লি ক্যাপিটালস। এর পরেই ধাক্কা খায় দিল্লি। চতুর্থ ওভারের দ্বিতীয় বলে জস হ্যাজেলউডের বলে আউট হন শিখর ধাওয়ান। ৭ রান করে তিনি উইকেটের পেছনে ধোনির হাতে ক্যাচ দেন। পঞ্চম ওভারে শার্দুল ঠাকুরকে আক্রমণে নিয়ে আসেন ধোনি। শার্দূলের প্রথম ওভারেই পৃথ্বী শ দুটি ছক্কা মারেন। এই ওভারে ওঠে ১৪। ৫ ওভারে দিল্লি ক্যাপিটালসের রান দাঁড়ায় ১ উইকেটে ৫০। শার্দুল ঠাকুর ২ ওভারে দিয়েছিলেন ২৮ রান। ষষ্ঠ ওভারে দ্বিতীয় উইকেট হারায় দিল্লি ক্যাপিটালস। হ্যাজেলউডের বলে আউট হন শ্রেয়স আয়ার (১)। চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করতে পারেননি অক্ষর প্যাটেল। ১১ বলে ১০ রান করে তিনি মঈন আলির বলে আউট হন। অন্যপ্রান্তে একের পর এক উইকেট পড়লেও ঝড় অব্যাহত ছিল পৃথ্বী শর ব্যাটে। একাদশ ওভারের দ্বিতীয় বলে তিনি আউট হন। ৩৪ বলে ৬০ রান করেন পৃথ্বী। এরপর দিল্লিকে ২০ ওভারে ১৭২/৫ রানে পৌঁছে দেন ঋষভ পন্থ ও শিমরণ হেটমায়ের। ২৪ বলে ৩৭ রান করে আউট হন হেটমায়ের। ঋষভ ৩৫ বলে ৫১ রান করে অপরাজিত থাকেন। জস হ্যাজলউড ৪ ওভারে ২৯ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট নেন। মঈন আলি চার ওভার হাত ঘুরিয়ে ২৭ রান খরচ করে একটি উইকেট পান। শার্দুল ঠাকুর ৩ ওভারে দেন ৩৬ রান, দীপক চাহার ৩ ওভারে ২৬, কেউই উইকেট পাননি। ব্র্যাভো এক উইকেট পেলেও ৩ ওভারে ৩১ রান খরচ করেন।জয়ের জন্য ১৭৩ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই ধাক্কা খায় চেন্নাই সুপার কিংস। ডুপ্লেসি প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে ১ রান করে এনরিখ নরকিয়ার বলে বোল্ড হন। এরপরই দলকে শক্ত ভিতে দাঁড় করিয়ে দেয় ঋতুরাজ গায়কোয়াড় ও রবিন উথাপ্পার জুটি। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে এদিন ১০০ রান যোগ করেন ঋতুরাজ ও উথাপ্পা। ১৩.৩ ওভারে ৪৪ বলে ৬৩ রান করে টম কারানের বলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন উথাপ্পা। উথাপ্পা ফেরার পর ৮ বলের ব্যবধানে ৬ রানের মধ্যে আরও দুটি উইকেট হারায় চেন্নাই। ১৪তম ওভারের তৃতীয় বলে উথাপ্পাকে আউট করার পর ষষ্ঠ বলে শার্দুল ঠাকুরকে শূন্য রানে আউট করেন কারান। ১৪.৪ ওভারে শ্রেয়স ও কাগিসো রাবাডার যুগলবন্দিতে রান আউট হন অম্বাতি রায়ুডু। তিনি ১ রান করেন। এই সময় ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। যদিও পাল্টা লড়াই চালাতে থাকেন ঋতুরাজ ও মঈন আলি। ১৮.১ ওভারে ঋতুরাজ গায়কোয়াড় আবেশ খানের বলে আউট হন। পাঁচটি চার ও দুটি ছয়ের সাহায্যে ৫০ বলে ৭০ রান করেন ঋতুরাজ। এরপর মঈনের সঙ্গে যোগ দেন ধোনি। ফিনিশারের ভুমিকায় চেনা ঝলক দেখা গেল ক্যাপ্টেন কুলের ব্যাটে। শেষ ওভারে জেতার জন্য দরকার ছিল ১৩। টম কারানের প্রথম বলে মঈন আলি (১২ বলে ১৬) আউট হন। শার্দুলকে শেষ বলে আউট করায় কারানের সামনে ছিল হ্যাটট্রিকের হাতছানি। হ্যাটট্রিক বাঁচান ধোনি। অবশেষে দুই বল বাকি থাকতে চার মেরে দলকে ফাইনালে তুলে দিলেন ধোনি (৬ বলে অপরাজিত ১৮)। ১৯.৪ ওভারে ১৭৩/৬ তুলে ফাইনালে পৌঁছে যায় চেন্নাই।

অক্টোবর ১১, ২০২১
খেলার দুনিয়া

IPL : এলিমিনেটরে নাইট রাইডার্সের সামনে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর

প্লে অফের ছাড়পত্র আগেই এসে গিয়েছিল। গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে জিতলেও দ্বিতীয় স্থানে শেষ করা কার্যত অসম্ভব ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বাঙ্গালোরের কাছে। কারণ নেট রান রেটে চেন্নাই সুপার কিংস এতটাই এগিয়ে, তাঁদের টপকে যাওয়া কঠিন ছিল। শীর্ষে থাকা দিল্লি ক্যাপিটালসকে ৭ উইকেটে হারিয়ে ১৮ পয়েন্টে শেষ করলেও ৩ নম্বরেই সন্তুষ্ট থাকতে হল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বাঙ্গালোরকে। এলিমিনেটরে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে খেলবে বিরাট কোহলির দল। এদিন দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে দিল্লি ক্যাপিটালসকে ব্যাট করতে পাঠান রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর অধিনায়ক বিরাট কোহলি। দারুণ শুরু করেন দিল্লির দুই ওপেনার শিখর ধাওয়ান এবং পৃথ্বী শ। জুটিতে ওঠে ৮৮ রান। ৩১ বলে ৪৩ রান করে আউট হন শিখর ধাওয়ান। এরপর পৃথ্বী শ ৩৫ বলে ৪৮ রান করে ফিরে যান। দিল্লির দুই ওপেনার আউট হওয়ার পর ম্যাচে ফিরে আসে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। মিডল অর্ডারে ঋষভ পন্থ (৮ বলে ১০) ও শ্রেয়স আয়ার (১৮ বলে ১৮) বড় রান তুলতে ব্যর্থ হন। শেষ পর্যন্ত হেটমায়েরের ২২ বলে ২৯ রানের সৌজন্যে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান তোলে দিল্লি ক্যাপিটালস।জয়ের জন্য ১৬৫ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের। ইনিংসের পঞ্চম বলেই আউট হন দেবদত্ত পাড়িক্কল (০)। তৃতীয় ওভারে ফিরে যান অধিনায়ক বিরাট কোহলি (৪)। এবি ডিভিলিয়ার্সও (২৬ বলে ২৬) বড় রান করতে ব্যর্থ হন। এরপর দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে থাকেন শিকর ভরত ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। শেষ বলে জয়ের জন্য রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের দরকার ছিল ৫ রান। ৬ মেরে দলকে জেতান ভরত। ৫২ বলে ৭৮ রান করে তিনি অপরাজিত থাকেন। ৩৩ বলে ৫১ রান করে অপরাজিত থাকেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৬৬ তুলে ম্যাচ জিতে নেয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। ২০ পয়েন্ট নিয়ে প্রথম স্থানে শেষ করল দিল্লি ক্যাপিটালস। চেন্নাই সুপার কিংস ১৮ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। একই পয়েন্ট নিয়ে নেট রান রেটে পিছিয়ে থেকে বিরাট কোহলির ব্যাঙ্গালোর তৃতীয় স্থানে শেষ করল। ১৪ পয়েন্ট নিয়ে কলকাতা নাইট রাইডার্স রয়েছে করল চতুর্থ স্থানে।

অক্টোবর ০৯, ২০২১
খেলার দুনিয়া

‌IPL Match : শেষ ম্যাচে সূর্য–ঈশানের তাগিদেও লাভ হল না মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের

ভারতীয় টি২০ বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পাওয়ার পর থেকেই নাকি আইপিএলে সেভাবে তাগিদ দেখা যায়নি ঈশান কিশান ও সূর্যকুমার যাদবের। এই নিয়ে মুখ খুলেছিলেন সুনীল গাভাসকার। এই দুই ব্যাটসম্যান যখন তাগিদ দেখালেন, প্লে অফের লড়াই থেকে বহুদুরে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। লিগের শেষ ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে জ্বলে উঠলেন সূর্যকুমার ও ঈশান। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ৪২ রানে জিতল ঠিকই, তবুও প্লে অফের টিকিট জোগাড় করতে পারল না। সানরাইর্সের বিরুদ্ধে টস জিতে ব্যাট করতে নেমেছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। লক্ষ্য ছিল বড় ব্যবধানে সানরাইজার্সকে হারিয়ে প্লে অফের টিকিট যদি জোগাড় করা যায়। শুরু থেকেই ঝড় তোলেন দুই ওপেনার ঈশান কিষান ও রোহিত শর্মা। ওপেনিং জুটিতে ৫.২ ওভারে ওঠে ৮০। এরপরই রশিদ খানের বলে আউট হন রোহিত (১৩ বলে ১৮)। ৩ নম্বরে নেমে হার্দিক পান্ডিয়াও (৮ বলে ১০) সুবিধা করতে পারেননি। তাঁকে ফেরান জেসন হোল্ডার। অন্যদিকে ঝড় অব্যাহত থাকে ঈশান কিষানের ব্যাটে। শেষ পর্যন্ত ৩২ বলে ৮৪ রান করে তিনিই উমরান মালিকের বলে আউট হন। ঈশানের ইনিংসে রয়েছে ১১টি ৪ ও ৪টি ৬। পোলার্ড (১২ বলে ১৩), নিশাম (০), ক্রূণাল পান্ডিয়া ৯৯), কুল্টারনাইলরা (৩) ব্যর্থ হলেও নিজেকে মেলে ধরেন সূর্যকুমার যাদব। শেষ পর্যন্ত ৪০ বলে ৮২ রান করে আউট হন তিনি। ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৩৫ রান তোলে মুম্বই। জয়ের জনন্য ২৩৬ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের দুই ওপেনার জেসন রয় (২১ বলে ৩৪) ও অভিষেক শর্মা (১৬ বলে ৩৩)। চোটের জন্য কেন উইলিয়ামসন খেলতে পারেননি। তাঁর পরিবর্তে হায়দরাবাদকে নেতৃত্ব দেন মণীশ পাণ্ডে। সাতটি চার ও দুটি ছক্কার সাহায্যে তিনি ৪১ বলে ৬৯ রানে অপরাজিত থাকেন। তবু দলকে জেতাতে পারেননি মিডল অর্ডারের বাকি ব্যাটারদের ব্যর্থতায়। প্রিয়ম গর্গ করেন ২১ বলে ২৯। ঋদ্ধিমান সাহাকে এদিন নয় নম্বরে ব্যাট করতে পাঠানো হয়। ঋদ্ধি করেন ২। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৯৩ তোলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। যশপ্রীত বুমরা, নাথান কুল্টারনাইল ও জিমি নিশাম দুটি করে উইকেট দখল করেন।

অক্টোবর ০৯, ২০২১
খেলার দুনিয়া

IPL Match : রাজস্থান রয়্যালসকে হারিয়ে প্লে অফের লড়াইয়ে থাকল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স

প্লে অফের ছাড়পত্রের জন্য দুই দলের কাছেই ছিল ডু অর ডাই লড়াই। রাজস্থান রয়্যালসকে ৮ উইকেটে হারিয়ে প্লে অফের লাইফ লাইন পেল গতবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। অন্যদিকে, প্লে অফের স্বপ্ন শেষ রাজস্থান রয়্যালস। মুম্বইয়ের জয়ে অবদান রখলেন দলের বোলাররা। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জ্বলে উঠতে ব্যর্থ রাজস্থানে ব্যাটসম্যানরা। এদিন কুইন্টন ডিককের জায়গায় ইশান কিশান, ক্রূনাল পান্ডিয়ার পরিবর্তে জিমি নিশামকে প্রথম একাদশে সুযোগ দিয়েছিল মুম্বই টিম ম্যানেজমেন্ট। এবছর আইপিএলে প্রথম সুযোগ পেয়েই দুর্দান্ত বোলিং করেন জিমি নিশাম। নিজের প্রথম বলেই উইকেট নেন। পাশাপাশি রাজস্থান রয়্যালসকে বেঁধে রাখার দায়িত্বও কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন। ব্যাট করতে নেমে অবশ্য ভাল শুরু করেছিল রাজস্থান। ৩.৩ ওভারে ওঠে ২৭। রাজস্থানকে প্রথম ধাক্কা দেন কুল্টারনাইল। তুলে নেন যশস্বী জয়সোয়ালকে (১২)। এরপরই যশপ্রীত বুমরা তুলে নেন এভিন লুইসকে (১৯ বলে ২৪)। বুমরার বলে এলবিডব্লু হন তিনি। ডিআরএস নিয়েও বাঁচতে পারেননি। আগের ম্যাচে এভিন লুইস, যশস্বী জয়সোয়াল, শিবম দুবে, সঞ্জু স্যামসনদের দুরন্ত ব্যাটিং। আর মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জ্বলে উঠতে ব্যর্থ। রাজস্থানের মিডল অর্ডারে ধস নামান কুল্টারনাইল (৪/১৪০ ও জিমি নিশাম (৩/১২)। সঞ্জু স্যামসন (৩) ও শিবম দুবেকে (৩) তুলে নেন নিশাম। কুল্টারনাইল ফেরান গ্লেন ফিলিপকে (৪)। ৯.৪ ওভারে ৫০ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে বড় রানের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় রাজস্থান রয়্যালসের। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ৯০ রান তুলতে সমর্থ হয় সঞ্জু স্যামসনের দল। যশপ্রীত বুমরা নেন ২ উইকেট। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সামনে লক্ষ্যটা একেবারেই কঠিন ছিল না। রোহিত শর্মাদের কাছে একটাই চ্যালেঞ্জ ছিল যতটা সম্ভব কম ওভারের মধ্যে লক্ষ্যে পৌঁছে নেট রান রেট বাড়িয়ে নেওয়া। শুরুটা অবশ্য ততটা ভাল হয়নি মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। ৩.২ ওভারে ২৩ রান তোলার ফাঁকেই হারাতে হয় অধিনায়ক রোহিত শর্মার (১৩ বলে ২২)। সূর্যকুমার যাদব (৮ বলে ১৩) এদিনও ব্যর্থ। তবে ২ ম্যাচ পর প্রথম একাদশে ফিরে দুর্দান্ত ব্যাট করেন ইশান কিশান। ৩টি ৬ এবং ৫টি ৪এর সাহায্যে ২৫ বলে ৫০ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। ৮.২ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৯৪ রান তুলে ম্যাচ জিতে নেয় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।

অক্টোবর ০৫, ২০২১
খেলার দুনিয়া

I‌PL : শুভমানের ব্যাটে প্লে অফের অক্সিজেন পেল কলকাতা নাইট রাইডার্স

আইপিএলের প্রথম পর্বে তেমন ছন্দে ছিলেন না শুভমান গিল। তাঁকে নিয়ে চারিদিকে সমালোচনা শোনা যাচ্ছিল। ডু অর ডাই ম্যাচে জ্বলে উঠল শুভমানের ব্যাট। আর তাতেই সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে জয় কলকাতা নাইট রাইডার্সের। কেন উইলিয়ামসনের দলকে ৬ উইকেটে হারিয়ে প্লে অফের লাইফ লাইন পেল ইওয়িন মর্গ্যানের দল। অন্য দলগুলির তুলনায় কিছুটা হলেও সুবিধাজনক জায়গায় কলকাতা নাইট রাইডার্স। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। শুরুতেই ধাক্কা খায়। ম্যাচের দ্বিতীয় বলেই টিম সাউদির ওভারে এলবিডব্লুউ হয়ে ফিরে যান ঋদ্ধিমান সাহা (০)। চতুর্থ ওভারে আউট জেসন রয় (১০)। দলকে টানার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। তিনি ২৬ রান করে আউট হন। প্রিয়ম গর্গ করেন ২১। মন্থর উইকেট ও কলকাতা নাইট রাইডার্সের বোলারদের আঁটোসাটো বোলিংয়ের জন্য সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ব্যাটারদের কাছে রান তোলার কাজ কঠিন হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১১৫ রান তোলে হায়দরাবাদ। দীর্ঘদিন পর প্রথম একাদশে সুযোগ পেয়ে দুরন্ত বল করেন নাইট রাইডার্সের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। সুনীল নারাইন, বরুণ চক্রবর্তীরাও ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন। জয়ের জন্য ১১৬ রানের লক্ষ্য খুব একটা কঠিন হওয়ার কথা ছিল না। তবে নাইট রাইডার্সের কাছে কঠিন হয়ে যায় মন্থর উইকেট ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ বোলারদের দুরন্ত প্রত্যাবর্তনে। ম্যাচের ফয়সালা শেষ ওভারে হল উইকেটের কারণেই। ৪.৪ ওভারে দলের ২৩ রানের মাথায় জেসন হোল্ডারের বলে আউট হন ভেঙ্কটেশ আয়ারকে। ১৪ বলে ৮ রান করেন তিনি। সপ্তম ওভারের চতুর্থ বলে রশিদ খান ফেরান রাহুল ত্রিপাঠিকে। তিনি ৬ বলে ৭ রান করেন। এরপর নীতীশ রানা ও শুভমান গিল দলকে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। ১৬.৩ ওভারে গিল যখন আউট হন তখন নাইট রাইডার্সের জিততে প্রয়োজন ছিল ২২ রান। শুভমান গিলের উইকেটটি পান সিদ্ধার্থ কৌল। ১০টি চারের সাহায্যে ৫১ বলে ৫৭ রান করেন শুভমান। ১৮তম ওভারের শেষ বলে নীতীশ রানা ৩৩ বলে ২৫ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। এরপর দলকে জয়ের দিকে টেনে নিয়ে যান দীনেশ কার্তিক ও ইওয়িন মর্গ্যান। কার্তিকের বাউন্ডারিতেই নাইটদের জয় নিশ্চিত হয়। ১২ বলে ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন দীনেশ কার্তিক। ৪ ওভারে ৩২ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট নেন জেসন হোল্ডার। উইকেট না পেলেও অভিষেক ম্যাচে গতিতে নজর কাড়েন জম্মু ও কাশ্মীরের পেসার উমরান মালিক। নাইট রাইডার্সের যে নেট রান রেট রয়েছে তাতে শেষ ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসকে হারালেই শেষ চারে জায়গা নিশ্চিত করে।

অক্টোবর ০৪, ২০২১
খেলার দুনিয়া

IPL Match : মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে প্লে অফের লড়াইয়ে রাখলেন হার্দিক পান্ডিয়া

পাঞ্জাব কিংস ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্স মুখোমুখি হওয়ার আগে দুই দলের ওপর চাপ বাড়িয়ে দিয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে কলকাতা নাইট রাইডার্সের জয়। নাইট রাইডার্স জিতে যাওয়ায় প্লে অফে ওঠার লড়াইয়ে ম্যাচ রোহিত ও রাহুল দুজনের দলের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পাঞ্জাব কিংসকে ৬ উইকেটে হারিয়ে প্লে অফের লড়াইয়ে দারুণ ভাবে টিকে রইল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। টস জিতে পাঞ্জাব কিংসকে ব্যাট করতে পাঠান মুম্বই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ঘাড়ে চোটের জন্য এই ম্যাচে খেলতে পারেননি মায়াঙ্ক আগরওয়াল। তাঁর পরিবর্তেন প্রথম একাদশে সুযোগ পান মনদীপ সিং। লোকেশ রাহুলের সঙ্গে ওপেন করতে নেমে ১৪ বলে ১৫ রান করে আউট হন মনদীপ। তাঁকে ফেরান ক্রুনাল পান্ডিয়া। এরপর দুবলের মধ্যে ক্রিস গেইল ও লোকেশ রাহুলকে তুলে নেন কিয়েরণ পোলার্ড। ৪ বলে ১ রান করে আউট হন গেইল। ২১ বলে ২২ রান করে আউট হন লোকেশ রাহুল। নিকোলাস পুরাণকে (৩ বলে ২) তুলে নিয়ে পাঞ্জাব কিংসকে আরও চাপে ফেলে দেন যশপ্রীত বুমরা। ৭.৩ ওভারের মধ্যে ৪৮ রানে ৪ উইকেট হারায় পাঞ্জাব কিংস। এরপর পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৬১ রান যোগ করেন এইডেন মার্করাম ও দীপক হুডা। ২৯ বলে ৪২ রান করে রাহুল চাহারের বলে বোল্ড হন মার্করাম। তিনি ৬টি বাউন্ডারি মারেন। ১৫.২ ওভারে ১০৯ রানের মাথায় পঞ্চম উইকেট পড়ে পাঞ্জাব কিংসের। দীপক হুডা ২৬ বলে ২৮ রান করে আউট হন। হরপ্রীত ব্রার ১৯ বলে ১৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৩৫ তোলে পাঞ্জাব কিংস। পোলার্ড ৮ রানে ২টি এবং বুমরা ২৪ রানে ২ উইকেট নেন। জয়ের জন্য ১৩৬ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ১৬ রানের মাথায় আউট হন রোহিত শর্মা (৮)। তাঁকে তুলে নেন রবি বিষ্ণোই। পরের বলেই ফেরান সূর্যকুমার যাদবকে (০)। এরপর দলকে টেনে নিয়ে যান কুইন্টন ডিকক ও সৌরভ তেওয়ারি। ২৭ বলে ২৯ রান করে মহম্মদ সামির বলে আউট হন ডিকক। ইশান কিশানের জায়গায় সুযোগ পেয়ে নিজেকে মেলে ধরেন সৌরভ তেওয়ারি। হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে জুটি বেঁধে তোলেন ৩১। এই জুটিই মুম্বইকে জয়ের দিকে এগিয়ে দিয়েছিল। ৩৭ বলে ৪৫ রান করে নাথান এলিসের বলে আউট হন সৌরভ। এরপর দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন হার্দিক পান্ডিয়া (৩০ বলে অপরাজিত ৪০) ও কিয়েরণ পোলার্ড (৭ বলে অপরাজিত ১৫)। ১৯ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ তুলে ম্যাচ জিতে নেয় মুম্বই।

সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২১
খেলার দুনিয়া

IPL-KKR Match : বল ও ব্যাট হাতে কামাল, নাইট রাইডার্সকে জেতালেন সুনীল নারাইন

দুই দলের কাছেই ছিল গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। তবে দিল্লি ক্যাপিটালসের তুলনায় নাইট রাইডার্সের কাছে বেশি। প্লে অফের লড়াইয়ে টিকে থাকতে গেলে মর্গানদের সামনে জেতা ছাড়া রাস্তা ছিল না। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পয়েন্ট তালিকায় দুইয়ে থাকা দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ৩ উইকেটে দুর্দান্ত জয় ছিনিয়ে নিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। এই জয়ের ফলে নাইট রাইডার্সের ১১ ম্যাচে পয়েন্ট ১০। অন্যদিকে, ১১ ম্যাচে ১৬ পয়েন্টেই রইল দিল্লি ক্যাপিটালস। নাইটদের জয়ের নায়ক সুনীল নারাইন। বল হাতে দাপট দেখানোর পর ব্যাটেও কামাল করেন নারাইন। টসে জিতে নাইট রাইডার্স অধিনায়ক মর্গান দিল্লিকে ব্যাট করতে পাঠান। খারাপ শুরু করেনি দিল্লি। চোটের জন্য এদিন পৃথ্বী শ খেলতে পারেননি। তাঁর জায়গায় ওপেন করতে নামেন স্টিভ স্মিথ। হতাশ করেননি এই অসি ব্যাটার। শিখর ধাওয়ানের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে ভালোই টানছিলেন স্মিথ। ২০ বলে ২৪ রান করে আউট হন শিখর। তাঁকে ফেরান ফার্গুসন। এক ওভার পরেই নারাইন তুলে নেন শ্রেয়স আয়ারকে (১)। শিখর ধাওয়ান আউট হওয়ার পর স্মিথের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। স্মিথকে (৩৪ বলে ৩৯) ফার্গুসন তুলে নিতেই ধস নামে দিল্লির ইনিংসে। পরপর ফিরে যান হেটমায়ের (৪), ললিত যাদব (০), অক্ষর প্যাটেল (০)। দ্রুত এই তিন ব্যাটারকে হারানোর চাপ থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি দিল্লি। এদিন নাইট রাইডার্সের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেন সুনীল নারাইন। ১৮ রানে ২ উইকেট তুলে নেন। ঋষভ পন্থের (৩৬ বলে ৩৯) লড়াই দিল্লিকে ২০ ওভাআরে ১২৭/৯ রানে পৌঁছে দেয়। শারজার মন্থর উইকেটে ১২৮ রানের লক্ষ্য খুব একটা সহজ ছিল না নাইট রাইডার্সের কাছে। কিন্তু এত কম রানের পুঁজি নিয়ে কতটা লড়াই করতে পারবেন দিল্লির বোলাররা, সেটাই ছিল দেখার। এই কম রানের পুঁজি নিয়েও দারুণ লড়াই করে গেলেন আবেশ খান, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, অক্ষর প্যাটেল, আনরিখ নর্টিয়েরা। ভেঙ্কটেশকে (১৪ বলে ১৫) তুলে নিয়ে নাইট শিবিরে প্রথম ধাক্কা দিয়েছিলেন ললিত যাদব। পরের ওভারেই আবেশ খান তুলে নেন রাহুল ত্রিপাঠীকে (৯)। শুভমান (৩৩ বলে ৩০) ও মর্গানকে (০) পরপর দু ওভারে হারিয়ে কিছুটা হলেও চাপে পড়ে যায় নাইট রাইডার্স। কার্তিকও (১৪ বলে ১২) বেশিক্ষণ দলকে টানতে পারেননি। তিনি আউট হওয়ার পর নারাইন (১০ বলে ২১) দ্রুত ম্যাচ শেষ করতে চেয়েছিলেন। জয়ের জন্য ১২৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে ১০ বল বাকি থাকতেই তিন উইকেটে জয় ছিনিয়ে নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স। দুটি করে ৪ ও ৬ মেরে ২৭ বলে ৩৬ রানে অপরাজিত থাকেন নীতিশ রানা। আবেশ খান ৩ ওভারে ১৩ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট নেন।

সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২১
খেলার দুনিয়া

I‌PL : রাজস্থানকে হারিয়ে প্লে অফের লড়াই জমিয়ে দিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ

সোমবার দুবাইয়ে আইপিএলের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরবাদ ও রাজস্থান রয়্যালস। প্লে অফে যাওয়ার জন্য দুই দলের কাছেই এই ম্যাচ খুবই গুরুত্বপূ্র্ণ ছিল। ৭ উইকেটে রাজস্থানকে হারিয়ে অঙ্কের বিচারে প্লে অফের সম্ভাবনা জিইয়ে রাখল রাখল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। একই সঙ্গে প্লে অফের লড়াই জমিয়ে দিল। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে টস জিতে ব্যাটিং নেয় রাজস্থান রয়্যালস। দুই দলই প্রথম একাদশে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন করে মাঠে নামে। সানরাইজার্স বাদ দিয়েছিল ডেভিড ওয়ার্নার, মণীশ পাণ্ডে, কেদার যাদব, খলিল আহমেদের। অন্যদিকে, রাজস্থান রয়্যালসে চোটের কারণে ছিল না কার্তিক ত্যাগী। ডেভিড মিলার, তাবরেজ শামসিও বাদ পড়েছেন। দলে ফেরানো হয় এভিন লুইস, ক্রিস মরিসকে। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় রাজস্থান। ১.১ ওভারে মাথায় ব্যক্তিগত ৬ রানে আউট হন এভিন লুইস। এরপর যশস্বী জয়সওয়ালকে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৫৬ রান যোগ করেন সঞ্জু স্যামসন। ২৩ বলে ৩৬ রান করেন যশস্বী। লিয়াম লিভিংস্টোন চারে নেমে সফল হননি। ৪ রান করে রশিদ খানের শিকার হন। ১০.১ ওভারে ৭৭ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় রাজস্থান রয়্যালস।পাওয়ার প্লের শেষে ৬ ওভারে রাজস্থান রয়্যালসের রান ছিল ১ উইকেটে ৪৯। ১৩.৪ ওভারে ১০০ রান পূর্ণ করে রাজস্থান রয়্যালস। সঞ্জু স্যামসন ও মহীপাল লোমরোর চতুর্থ উইকেটে জুটিতে ওঠে ৮৪ রান। এই জুটির ওপর ভর করে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬৪ তোলে রাজস্থান। সঞ্জু স্যামসন ৫৭ বলে করেন ৮২। এবারের আইপিএলে দ্বিতীয় অর্ধশতরানের সুবাদে দিল্লি ক্যাপিটালসের শিখর ধাওয়ানকে টপকে সর্বাধিক রানের মালিক হয়ে গেলেন রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়ক সঞ্জু। ১০ ম্যাচে তিনি ৪৩৩ রান করেছেন। ১০ ম্যাচে শিখর ধাওয়ান করেছেন ৪৩০ রান। লোমরোর ২৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। ডেভিড ওয়ার্নারের পরিবর্তে এদিন হায়দরাবাদের হয়ে ওপেন করতে নেমেছিলেন জেসন রয়। দারুণ শুরু করেন ইংল্যান্ডের এই ওপেনার। ঋদ্ধিমান সাহাকে সঙ্গে নিয়ে ৫ ওভারে তোলেন ৫৭। ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে ঋদ্ধিমান আউট হন। ১১ বলে তিনি করেন ১৮। এরপর দলকে টানেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ও জেসন রয়। দলের ১১৪ রানের মাথায় আউট হন জেসন রয়। ৪২ বলে তিনি করেন ৬০। পরের ওভারেই প্রিয়ম গর্গ (০) ফিরে গেলেও সানরইজার্সের জয় পেতে অসুবিধা হয়নি। দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন উইলিয়ামসন (৪১ বলে অপরাজিত ৫১) ও অভিষেক শর্মা (১৬ বলে অপরাজিত ২১)। ১৮.৩ ওভারে ১৬৭/৩ তুলে ম্যাচ জিতে নেয় সানরাইজার্স হায়দরবাদ।

সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২১
খেলার দুনিয়া

‌ IPL : আইপিএলে প্রথম দল হিসেবে প্লে অফ নিশ্চিত করল দিল্লি ক্যাপিটালস

কেন তারা এই আইপিএলের সবথেকে ভারসাম্যপূর্ণ দল, প্রমাণ করেই চলেছে দিল্লি ক্যাপিটালস। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত জয় তুলে নিয়ে প্রথম দল হিসেবে প্লে অফের জায়গা নিশ্চিত করল ঋষভ পন্থের দল। শনিবার আবু ধাবিতে সঞ্জু স্যামসনের দলকে ৩৩ রানে হারাল দিল্লি ক্যাপিটালস। ১০ ম্যাচ খেলে তাদের সংগ্রহ ১৬ পয়েন্ট।শনিবার টসে জিতে দিল্লিকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। ভেবেছিলেন, পরের দিকে বাইশ গজের চরিত্র কিছুটা বদলাবে। তাতে তাড়া করা সহজ হবে। কিন্তু তাঁর সেই সিদ্ধান্ত বুমেরং হয়ে গেল। ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরু থেকেই রাজস্থান রয়্যালসের ব্যাটসম্যানদের ওপর দারুণ প্রভাব বিস্তার করেন আবেশ খান, এনরিখ নর্টিয়ে, রবিচন্দ্রন অশ্বিনরা।দিল্লির ব্যাটিং যথেষ্ট শক্তিশালী। তার ওপর শিখর ধাওয়ানরা দারুণ ছন্দে রয়েছেন। কিন্তু রাজস্থানের বিরুদ্ধে রান পেলেন না শিখর। মাত্র ৮ রান করে কার্তিক ত্যাগীর বলে প্লে ডাউন হয়েল ফিরে যান। শুরুর দিকে বল ব্যাটে আসছিল না। ফলে সেভাবে টাইমিং করতে পারছিলেন না পৃথ্বী শ (১০)। স্লো বলই তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যেতে হয় তাঁকে। এরপর শ্রেয়স আয়ার ও ঋষভ পন্থ দলকে টেনে নিয়ে যান। দুজেন জুটিতে ওঠে ৬২ রান। মুস্তাফিজুর রহমানের স্লো বাউন্সার পুল করতে গিয়ে প্লে ডাউন হয়ে যান ঋষভ। ২টি চারসহ ২৪ বলে ২৪ রান করেন ঋষভ। রাহুল তেওয়াটিয়ার বলে স্ট্যাম্পড হন শ্রেয়স। একটি চার ও দুটি ছক্কা সহ ৩২ বলে ৪৩ রান করেন তিনি। ১৮ বলে ২৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন শিমরন হেটমায়ের। ৭ বলে ১২ রান করে আউট হন অক্ষর প্যাটেল। ১৫ বলে ১৪ রান করেন ললিত যাদব। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১৫৪/৬ তোলে দিল্লি। রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন মুস্তাাফিজুর রহমান ও চেতন সাকারিয়া। ১টি করে উইকেট নেন কার্তিক ত্যাগী ও রাহুল তেওয়াটিয়া। জয়ের জন্য ১৫৫ রানের লক্ষ্য খুব একটা সহজ ছিল না রাজস্থান রয়্যালসের কাছে। তার ওপর ইনিংসের প্রথম পাঁচ ওভারের মধ্যে লিয়াম লিভিংস্টোন (১), যশস্বী জয়সওয়াল (৫) এবং ডেভিড মিলারের (৭) উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায়। ২ রান করে আউট হন তরুণ রিয়ান পরাগ। ১৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন মহীপাল লোমরোর। ক্রিজের অন্যদিক আঁকড়ে ধরে রেখে দলকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। তবে সতীর্থদের কাছ থেকে কোনও সাহায্য পাননি। ৫৩ বলে ৭০ রান করে অপরাজিত থাকেন সঞ্জু। ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১২১ রান তুলতে সমর্থ হয় রাজস্থান। দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে ২ উইকেট নেন এনরিখ নর্টিয়ে। ১টি করে উইকেট নেন আবেশ খান, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, কাগিসো রাবাডা ও অক্ষর প্যাটেল।

সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২১
খেলার দুনিয়া

‌IPL : কোহলি রান পেলেও হেরে গভীর সঙ্কটে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স

প্লে অফে যাওয়ার জন্য চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে জেতা জরুরি ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বাঙ্গালোরের। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ধোনিদের কাছে ৬ উইকেটে হেরে গভীর সঙ্কটে বিরাট কোহলিরা। যদিও ম্যাচের শুরুটা দেখে মনে হয়নি কোহলিদের এই পরিস্থিতিতে পড়তে হবে। ভাল শুরু করেও হারতে হল।শারজায় মাঝে মাঝেই মরু ঝড় দেখা যায়। শুক্রবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বাঙ্গালোর ও চেন্নাই সুপার কিংস ম্যাচের আগে তেমনই মরু ঝড়। চারিদিক ধুসর। মরু ঝড়ের জন্য নির্ধারিত সময়ের আধ ঘণ্টা পর টস। খেলা শুরু হয় ১৫ মিনিট দেরিতে। টসে জিতে চেন্নাই অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত। এদিন পাহাড় প্রমাণ চাপ নিয়ে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ক্রিকেটপ্রেমীরা প্রত্যাশা করেছিলেন, মরু ঝড়ের মতোই ঝড় উঠবে কোহলির ব্যাটিংয়ে। রান পেলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ক্যাপ্টেন। দলকে বড় রানের জন্য শক্ত ভিতও গড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু বাকিরা কাজে লাগাতে পারেননি।এদিন ভাল শুরু করেছিলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের দুই ওপেনার বিরাট কোহলি ও দেবদত্ত পাড়িক্কল। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বিনা উইকেটে তোলে ৫৫। ১০ ওভারে ওঠে ৯২। ১০০ রানে পৌঁছয় ১১.১ ওভারে। ১৩.২ ওভারে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের ওপেনিং জুটি ভাঙেন ডোয়েন ব্র্যাভো। তুলে নেন বিরাট কোহলিকে। ৬টি ৪ ও ১টি ৬এর সাহায্যে ৪১ বলে ৫৩ রান করেন তিনি। কোহলির আগে ৩৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন দেবদত্ত পাড়িক্কল। ১৬ ওভারের শেষে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের রান ছিল ১ উইকেটে ১৩১। ১৭তম ওভারে দুটি উইকেট তুলে নেন শার্দুল ঠাকুর। পঞ্চম বলে আউট করেন এবি ডিভিলিয়ার্সকে। রায়নার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ১১ বলে ১২ রান করেন তিনি। পরের বলেই আউট হন দেবদত্ত পাড়িক্কল। পাঁচটি চার ও তিনটি ছয়ের সাহায্যে ৫০ বলে ৭০ রান করে আউট হন তিনি। পাড়িক্কল আউট হওয়ার পর পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নামেন টিম ডেভিড। সিঙ্গাপুরের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এদিন আইপিএল অভিষেক হল তাঁর। যদিও অভিষেকে নজর কাড়তে ব্যর্থ ডেভিড। ৩ বলে ১ রান করে দীপক চাহারের শিকার হলেন তিনি। শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে ডোয়েইন ব্র্যাভোর বলে জাদেজার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ৯ বলে ১১ রান করেন তিনি। ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৬ রানের বেশি এগোতে পারেনি বিরাট কোহলির দল। ডোয়েন ব্র্যাভো ৪ ওভারে ২৪ রানের বিনিময়ে তিন উইকেট নেন। শার্দুল ঠাকুর চার ওভারে ২৯ রানের বিনিময়ে দুটি উইকেট পেয়েছেন। দীপক চাহার একটি উইকেট দখল করেন।জয়ের জন্য ১৫৭ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ভাল শুরু করেছিলেন চেন্নাইয়ের দুই ওপেনার রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও ফাফ ডুপ্লেসি। ওপেনিং জুটিতে ওঠে ৭১। রুতুরাজ গায়কোয়াড়কে তুলে নিয়ে জুটি ভাঙেন যুজবেন্দ্র চাহাল। ২৬ বলে ৩৮ করেন রুতুরাজ। পরের ওভারেই ডুপ্লেসিকে (২৬ বলে ৩১) তুলে নেন ম্যাক্সওয়েল। এরপর দলকে টেনে নিয়ে যান মঈন আলি ও অম্বাতি রায়ডু। মঈন ২৩ ও রায়ডু ৩২ রান করে আউট হন। চেন্নাইকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন ধোনি (অপরাজিত ১১) ও সুরেশ রায়না (অপরাজিত ১৭)। ১৮.১ ওভারে ৪ উইকেটে ১৫৭ তুলে ম্যাচ জিতে নেয় চেন্নাই।

সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২১
খেলার দুনিয়া

‌আবার জয়, দ্বিতীয় পর্বে অনেক বেশি ঝকঝকে লাগছে নাইট রাইডার্সকে

আইপিএলের প্রথম পর্বের সঙ্গে দ্বিতীয় পর্বের কলকাতা নাইট রাইডার্সের আকাশপাতাল পার্থক্য। প্রথম পর্বে রীতিমতো ধুঁকছিল। একসময় মনে হচ্ছিল প্লে অফে ওঠাই কঠিন হয়ে যাবে নাইট রাইডার্সের। দ্বিতীয় পর্বে ছবিটা বদলে গেছে। অনেক ঝকঝকে লাগছে নাইটদের। আগের ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বাঙ্গালোরকে হারানোর পর মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে আবার জয়। রোহিত শর্মার দলকে মর্গানরা হারিয়েছে ৭ উইকেটে। জয়ের নায়ক সেই ভেঙ্কটেশ আয়ার। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে হারিয়ে চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। ২০১৫ সাল থেকে শেষ ১৩টি সাক্ষাতে মুম্বইয়ের কাছে ১২টি ম্যাচেই হারতে হয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সকে। গত বছর আবু ধাবিতে হারতে হয়েছিল দুটি ম্যাচেই। ফলে নিঃসন্দেহে এদিনের জন্য তৃপ্তিদায়ক নাইটদের কাছে। রোহিত শর্মা ও কুইন্টন ডি ককের ওপেনিং জুটির সৌজন্যে ভাল শুরু করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। আগের ম্যাচে ফিটনেসজনিত কারণে রোহিত শর্মা খেলেননি। এদিন আনমোলপ্রীত সিংয়ের জায়গায় তিনি ফের জুটি বাঁধেন ডি ককের সঙ্গে। রোহিতের ব্যাটিং টি ২০ বিশ্বকাপের আগে ভারতকে স্বস্তিতে রাখলেও সূর্যকুমার যাদব চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে ৩ করার পর এদিন ১০ বলে ৫ রানে আউট হলেন। পাওয়ারপ্লেতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের দুই ওপেনার তোলেন ৫৬ রান। ৯.২ ওভারে ৭৮ রানে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ওপেনিং জুটি ভাঙেন সুনীল নারিন। চারটি চারের সাহায্যে ৩০ বলে ৩৩ রান করে আউট হন রোহিত শর্মা। কুইন্টন ডিকক করেন ৫৫। তিনি প্রসিদ্ধ কৃষ্ণর বলে আউট হন। ঈশান কিষাণ করেন ১৪। ১৫ বলে ২১ রান করে আউট হন কিয়েরণ পোলার্ড। ২০ ওভারে মুম্বই তোলে ১৫৫/৬। নাইট রাইডার্সের ফার্গুসন ২৭ রানে ২, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ ৪৩ রানে ২ উইকেট নেন। জয়ের জন্য ১৫৬ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১০ ওভারে ১ উইকেটে ১১১ রান তুলে ফেলে কেকেআর। শুভমান গিল ১৩ রানে আউট হওয়ার পর কেকেআরের স্কোর ছিল ৩ ওভারে ১ উইকেটে ৪০। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ৮৮ রানের পার্টনারশিপ গড়েন ভেঙ্কটেশ আইয়ার ও রাহুল ত্রিপাঠি। ১১.৪ ওভারে দলের ১২৮ রানের মাথায় ৩০ বলে ৫৩ করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন আইয়ার। তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল ১৭৬.৬৬, চারটি চার ও তিনটি ছয় মারেন তিনি। শুরু থেকেই ছিলেন মারমুখী মেজাজে। রাহুল ত্রিপাঠির ইনিংসে রয়েছে আটটি চার ও তিনটি ছয়। রাহুলের এদিনের স্ট্রাইক রেট ১৭৬.১৯। ৯ ম্যাচে তাঁর মোট রান ২৬১, গড় ৩৭.২৮, স্ট্রাইক রেট ১৪৫। ২৯ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জেতে কেকেআর। ৪ ওভারে ৪৩ রানে তিনটি উইকেটই পেয়েছেন জসপ্রীত বুমরাহ। ৯ ম্যাচে কেকেআরের পয়েন্ট ৮, মুম্বই ইন্ডিয়ান্সেরও আট। কিন্তু রোহিতের দল নেট রান রেটের কারণে চলে গেল ছয়ে।

সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২১
খেলার দুনিয়া

I‌PL : সানরাইজার্সকে উড়িয়ে শীর্ষে উঠে এল দিল্লি ক্যাপিটালস

আইপিএলে চলছে সাপলুডোর খেলা। এই খেলায় কখনও এগিয়ে যাচ্ছে চেন্নাই সুপার কিংস। কখনও আবার দিল্লি ক্যাপিটালস। আগের ম্যাচ জিতে যেমন শীর্ষে পৌঁছে গিয়েছিল চেন্নাই। বুধবার সানরাইজার্স হায়দরবাদকে ৮ উইকেটে উড়িয়ে আবার শীর্ষে উঠে এল দিল্লি ক্যাপিটালস। টপ অর্ডারের ব্যাটিং ব্যর্থতার মাশুল গুনতে হল সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে। আইপিএলের দ্বিতীয় পর্ব অনেক ক্রিকেটারের কাছে নিজেকে প্রমাণ করার। টি২০ বিশ্বকাপে সুযোগ পাননি শিখর ধাওয়ান। নির্বাচকদের সিদ্ধান্ত ভুল, প্রমাণ করার চ্যালেঞ্জ ছিল তাঁর কাছে। তেমনি আবার নিজেকে প্রমাণ করার চ্যালেঞ্জ ছিল ঋদ্ধিমান সাহার কাছেও। নিজেকে প্রমাণ করতে ব্যর্থ ঋদ্ধি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কিংবা আইপিএল, সবসময় অন্যের ছায়ায় ঢাকা পড়ে থাকতে হয়েছে ঋদ্ধিমানকে। ব্যক্তিগত কারণে আইপিএলের দ্বিতীয় পর্ব থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বেয়ারস্টো। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে ঋদ্ধি। বড় সুযোগ ছিল নিজেকে প্রমাণ করার। জ্বলে উঠতে ব্যর্থ ঋদ্ধি (১৭ বলে ১৮)। কাগিসো রাবাডার ১৪৩ কিমি গতিতে ধেয়ে আসা বাউন্সার পুল করতে গিয়ে মিড উইকেটে শিখর ধাওয়ানের হাতে। ঋদ্ধিমান সাহার মতো দিনটা সানরাইজার্সেরও ছিল না। গোটা দলেরই ব্যাটিং বিপর্যয়। প্রথম ওভারেই ডেভিড ওয়ার্নারকে (০) দিয়ে শুরু। তাঁকে তুলে নেন আনরচ নর্টিয়ে। অধিনায়ক উইলিয়ামসন (১৮), মণীশ পাণ্ডে (১৭), কেদার যাদবরাও (৩) ব্যর্থ। দক্ষিণ আফ্রিকার দুই জোরে বোলার নর্টিয়ে, রাবাডা শুরুতেই ব্যাটিং মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছিলেন সানরাইজার্সের। অক্ষর প্যাটেলও দারুণ বোলিং করেন। আব্দুল সামাদ (২৮), হোল্ডার (১০), রশিদ খানদের (২২) সৌজন্যে ১৩৪/৯ রানে পৌঁছয় সানরাইজার্স। দিল্লির যা ব্যাটিং শক্তি, জয়ের জন্য এই টার্গেট একেবারেই কঠিন ছিল না। তার ওপর দারুণ ছন্দে রয়েছেন শিখর ধাওয়ান (৪২)। চোট কাটিয়ে দ্বিতীয় পর্বে ফিরে শ্রেয়স আয়ারও (অপরাজিত ৪৭) নিজেকে দুর্দান্তভাবে মেলে ধরলেন। ঋষভ পন্থও (অপরাজিত ৩৫) ছন্দ ধরে রেখেছেন। ফলে জিততে অসুবিধা হয়নি দিল্লির। ১৭.৫ ওভারে ১৩৯/২ তুলে ম্যাচ জিতে নেয় দিল্লি। চলতি আইপিএলে কেন তারা সবথেকে ভারসাম্যপূর্ণ দল, বুঝিয়েই চলেছে দিল্লি ক্যাপিটালস।

সেপ্টেম্বর ২২, ২০২১
খেলার দুনিয়া

‌‌KKR vs RCB Match : মাইলস্টোনের ম্যাচে ব্যর্থ কোহলি, দ্বিতীয় পর্বে দারুণ শুরু কলকাতা নাইট রাইডার্সের

চাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য জাতীয় দলের টি২০ ও আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের নেতৃত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিরাট কোহলি। এটাই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে নেতা হিসেবে শেষ মরশুম। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে কতটা হালকা হয়েছেন বিরাট কোহলি? আইপিএলের মাইলস্টোনের ম্যাচেও ব্যর্থ। ব্যর্থ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরও। কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে ৯ উইকেটে হেরে প্লে অফের ছাড়পত্র নিয়ে সঙ্কটে কোহলিরা। সোমবার আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ম্যাচ ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন কোহলি। এদিন এলিট ক্লাবে প্রবেশ করলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ক্যাপ্টেন। পৌঁছে গেলেন ২০০ ম্যাচের মাইলস্টোনে। একই দলের হয়ে আইপিএলে এত ম্যাচ খেলার রেকর্ড অন্য কোনও ক্রিকেটারের নেই। মাইলস্টোনের ম্যাচে ভক্তদের হতাশ করলেন কোহলি। ৪ বলে ৫ রান। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণর বলে এলবিডব্লুউ। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি।তখন থেকেই প্রশ্নটা উঠতে শুরু করেছিল প্রতিপক্ষ কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের ভবিষ্যত নিয়ে। দলের সেরা বোলার না থাকা সত্ত্বেও চাপে পড়েনি নাইটরা। প্যাট কামিন্স এবারের আইপিএল থেকে সরে যাওয়ায় প্রথম একাদশে লকি ফার্গুসন সুযোগ পেয়ে যান। তাঁকে খেলানোটা সঠিক সিদ্ধান্ত। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের সবথেকে ধারাবাহিক ব্যাটসম্যান দেবদত্ত পাড়িক্কলকে (২২) দুর্দান্ত ডেলিভারিতে তুলে নেন। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ থেকেই দারুণ ছন্দে আন্দ্রে রাসেল। এস ভরতকে (১৬) শর্ট বলে তুলে নেওয়ার পর বৈচিত্র্য নিয়ে এসে একই ওভারে ইয়র্কারে ডিভিলিয়ার্সকে (০) তুলে নেওয়াটা মুন্সিয়ানার পরিচয়। টি২০ বিশ্বকাপে ভারতীয় দলে তাঁর সুযোগ পাওয়াটা যে ফ্লুক নয়, প্রমাণ করে দিয়েছেন বরুণ চক্রবর্তীও। পরপর দুবলে ম্যাক্সওয়েল (১০) ও আইপিএল অভিষেককারী হাসারাঙ্গাকে (০) ফেরানোটা দক্ষতার পরিচয়। হ্যাটট্রিকের সামনেও পৌঁছে গিয়েছিলেন। অল্পের জন্য হয়নি। বরুন চক্রবর্তী ও আন্দ্রে রাসেলের দুরন্ত বোলিংয়ে ১৯ ওভরে মাত্র ৯২ রানে গুটিয়ে যায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। বরুণ চক্রবর্তী ১৩ রানে ৩টি ও আন্দ্রে রাসেল ৯ রানে ৩ উইকেট নেন।৯২ রানের লক্ষ্য একেবারেই কঠিন ছিল না কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে। দুই ওপেনার শুভমান গিল ও ভেঙ্কটেশ আয়ার দারুণ শুরু করেন। ওপেনিং জুটিতে ওঠে ৮২। ৪৮ রান করে যুজবেন্দ্র চাহালের বলে আউট হন শুভমান গিল। ১০ ওভারে ৯৪ তুলে ম্যাচ জিতে নেয় নাইটরা। ভেঙ্কটেশ আয়ার ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন।

সেপ্টেম্বর ২০, ২০২১
খেলার দুনিয়া

ISL 2021-22 : ঘোষিত হল সূচি, আইএসএলে এটিকে মোহনবাগান–এসসি ইস্টবেঙ্গল প্রথম ডার্বি ২৭ নভেম্বর

ঘোষিত হল ২০২১-২২ মরশুমে আইএসএলের প্রথম পর্বের সূচি। ১১টি রাউন্ডের সূচি সোমবার প্রকাশ করেছে আইএসএলের আয়োজক কমিটি ফুটবল স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড। ১৯ নভেম্বর উদ্বোধনী ম্যাচে গতবারের রানার্স এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে কেরালা ব্লাস্টার্স। এসসি ইস্টবেঙ্গল আইএসএল অভিযান শুরু করবে জামশেদপুর এফসি ম্যাচ বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে। এবারের আইএসএলে প্রথম ডার্বি ম্যাচ হবে ২৭ নভেম্বর। প্রথম ডার্বি এসসি ইস্টবেঙ্গলের হোম ম্যাচ।এবারও গোয়াতেই হবে গোটা আইএসএল। মোট ১১৫টি ম্যাচ আয়োজিত হবে। এবারের আইএসএলে শনিবার থাকছে দুটি করে ম্যাচ। প্রথম ম্যাচ সন্ধে ৭.৩০ মিনিট থেকে। দ্বিতীয় ম্যাচ শুরু হবে রাত সাড়ে ৯টায়। সপ্তাহের বাকি দিনগুলির ম্যাচ শুরু হবে সন্ধে সাড়ে ৭টাতেই। গতবারের আইএসএল চ্যাম্পিয়ন মুম্বই সিটি এফসি ২০২১-২২ মরশুমের আইএসএল অভিযান শুরু করবে ২২ নভেম্বর এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে। এব্যর এটিকে মোহনবাগান হোম ম্যাচ খেলবে ফতোরদার নেহেরু স্টেডিময়ামে। প্রথম পর্বে এটিকে মোহনবাগান ৬টি হোম ম্যাচ খেলবে। ১৯ নভেম্বর শুক্রবার উদ্বোধনী ম্যাচে প্রতিপক্ষ কেরালা ব্লাস্টার্স। ১ ডিসেম্বর সন্ধে সাড়ে ৭টায় মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে ম্যাচ। ১১ ডিসেম্বর সন্ধে সাড়ে ৭টায় খেলা চেন্নাইন এফসির বিরুদ্ধে। ২৯ ডিসেম্বর সন্ধে সাড়ে ৭টায় এটিকে মোহনবাগান খেলবে এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে। ৫ জানুয়ারি একই সময়ে এটিকে মোহনবাগানের প্রতিপক্ষ হায়দরাবাদ এফসি। ৮ জানুয়ারি হাবাসের দলের সামনে ওডিশা এফসি, এই খেলাটিও শুরু সন্ধে সাড়ে ৭টায়।এটিকে মোহনবাগান প্রথম অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলবে তিলক ময়দানে ২৭ নভেম্বর, সন্ধে সাড়ে ৭টায়, এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে। এটিকে মোহনবাগানের প্রথম অ্যাওয়ে ম্যাচই ডার্বি। ৬ ডিসেম্বর ব্যাম্বোলিমের অ্যাথলেটিক স্টেডিয়ামে এটিকে মোহনবাগানের প্রতিপক্ষ জামশেদপুর এফসি। ১৬ ডিসেম্বর বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে খেলবে এটিকে মোহনবাগান। ২১ ডিসেম্বর মোহনবাগানের ম্যাচ নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে, ফতোরদা স্টেডিয়ামে। অন্যদিকে, প্রথম পর্বে ৫টি হোম ম্যাচ খেলবে এসসি ইস্টবেঙ্গল। লালহলুদের হোম গ্রাউন্ড এবার তিলক ময়দান। ২১ তারিখ প্রথম ম্যাচ এসসি ইস্টবেঙ্গলের জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে। ২৭ নভেম্বর এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ডার্বি। ৭ ডিসেম্বর এসসি ইস্টবেঙ্গল খেলবে এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে। ১২ ডিসেম্বর ম্যাচ কেরালা ব্লাস্টার্সের সঙ্গে। ৭ জানুয়ারি এসসি ইস্টবেঙ্গলের প্রতিপক্ষ গত মরশুমের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই সিটি এফসি। সব ম্যাচই সন্ধে ৭.৩০ থেকে। ৩০ নভেম্বর এসসি ইস্টবেঙ্গল প্রথম অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলবে তিলক ময়দানে, ওডিশা এফসির বিরুদ্ধে। লাল হলুদের দ্বিতীয় অ্যাওয়ে ম্যাচে ৩ ডিসেম্বর প্রতিপক্ষ চেন্নাইন এফসি। ১৭ ডিসেম্বর এসসি ইস্টবেঙ্গল ফতোরদার নেহরু স্টেডিয়ামে খেলবে নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেড এফসি-র বিরুদ্ধে। ২৩ ডিসেম্বর লাল হলুদের চতুর্থ অ্যাওয়ে ম্যাচ ব্যাম্বোলিমের অ্যাথলেটিক স্টেডিয়ামে হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে। ৪ জানুয়ারি এই স্টেডিয়ামেই বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে পঞ্চম অ্যাওয়ে ম্যাচটি খেলবে এসসি ইস্টবেঙ্গল।

সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস খু.নের ঘটনায় ১৩ জন দোষী সাব্যস্ত, রায় মঙ্গলবার

সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামে হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস খু.ন কাণ্ডে ধৃত ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করলো জঙ্গিপুর আদালত। চলতি বছর তাঁদের নৃশংস ভাবে খুন করা হয়। এই মামলা রায়দান করা হবে মঙ্গলবার। রায়ের দিকে নজর রয়েছে সাধারণ মানুষের।দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গিপুর আদালতে এই মামলার শুনানি চলে। ফরেনসিক রিপোর্ট, একাধিক সাক্ষী, পুলিশি তদন্ত রিপোর্ট এবং অন্যান্য তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন আদালতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য উঠে আসে। যার ফলে মামলা গুরুত্বপূণ মোড় নেয়। চলতি বছরের ১২ ই এপ্রিল সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামে খুন করা হয় হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাসকে। সেই সময় হিংত্মাক আন্দোলন চলছিল ওই মুর্শিদাবাদের এই এলাকায়। দীর্ঘ শুনানির পর অবশেষে জঙ্গিপুর আদালতে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে ১৩ জনকে। এদিন রায় ঘোষণা ও দোষী সাব্যস্ত করার ঘটনায় ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজনীতি

হুমায়ুন কবীরের নতুন দল ‘জেইপি’, মঞ্চ থেকেই একের পর এক হুঁশিয়ারি, ব্রিগেডে জনসভা জানুয়ারিতে

মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা খাগারুপাড়া মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করল হুমায়ুন কবীরের নতুন রাজনৈতিক দল জে ইউ পি (JUP)। দল গঠনের সঙ্গে সঙ্গেই সভাপতি হিসেবে নিজের নাম ঘোষণা করেন হুমায়ুন কবীর। সভার মঞ্চ থেকেই আগামী বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে একের পর এক বড় রাজনৈতিক ঘোষণা করেন তিনি।হুমায়ুন কবীর জানান, জেইউপি দলের হয়ে তিনি বেলডাঙা ও রেজিনগর, এই দুই বিধানসভা কেন্দ্রেই প্রার্থী হবেন এবং ৩০ হাজার ভোটে দুটি আসনেই জয়লাভ করবেন। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ জেলার আরও ছয়টি বিধানসভা আসনে দলের প্রার্থী ঘোষণা করেন তিনি।সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি আক্রমণ করে হুমায়ুন কবীর বলেন, আপনি সাড়ে সাত লক্ষ কোটি টাকার ঋণের বোঝা বাংলার মানুষের মাথায় চাপিয়েছেন। এর জবাব ২০২৬ সালে বাংলার মানুষ দেবে।কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ব্রিগেডে সভা করব। ফিরহাদ হাকিম বেশি বাড়াবাড়ি করলে ব্রিগেড থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ নিয়ে মেয়র অফিস ঘেরাও করা হবে।সভায় উপস্থিত কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে হুমায়ুন কবীর বলেন, আজ যারা এখানে এসেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে যদি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়, জেলায় হলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ডেপুটেশন, জেলার বাইরে হলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে থানার ইট খুলে নেব।তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করে হুমায়ুন কবীর ঘোষণা করেন, মুর্শিদাবাদ থেকে তৃণমূলকে নিশ্চিহ্ন করে দেব।একই সঙ্গে বিজেপিকেও সতর্ক করে তিনি বলেন, বিধানসভা থেকে মুসলিম বিধায়কদের চ্যাদোলা করে বাইরে ফেলবে, এমন স্বপ্ন দেখবেন না। বিরোধী দলনেতাকেও আক্রমণ করে বলেন, ২০০টি আসনে প্রার্থী দিলে ১০০টি আসন জিতব, তার মধ্যে ২০ জন হিন্দু বিধায়ক থাকবেন।মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হুমায়ুন কবীর বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যদি আপনার সৎ সাহস থাকে, তাহলে আপনার প্রিয় চ্যানেলে বসুন, আমার মুখোমুখি। সেদিন বাংলার মানুষ দেখবে আপনার মিথ্যাচার।সভা শেষে তিনি আগামী দিনের কর্মসূচিও ঘোষণা করেন৪ জানুয়ারি: ডোমকল জনকল্যাণ মাঠে জনসভা৫ জানুয়ারি: হরিহরপাড়া এলাকার একটি মাঠে জনসভাএদিনের সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে বহু কর্মী-সমর্থক জে ইউ পি দলে যোগদান করেন, যা দলটির ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের ইঙ্গিত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজ্য

ভোটের আগে তৃণমূলে বড় ধাক্কা, আজ নতুন দল ঘোষণা হুমায়ুন কবিরের

বঙ্গ রাজ্য রাজনীতিতে আজ, সোমবার নয়া জল্পনা ও চমক। সাসপেন্ড তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর আগামিকাল মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গায় আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করতে চলেছেন। বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তাঁর এই পদক্ষেপ ঘিরে জেলা ও রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনা।জানা গিয়েছে, বেলডাঙ্গায় আয়োজিত ওই জনসভা থেকেই নতুন দলের নাম, প্রতীক ও রাজনৈতিক রূপরেখা প্রকাশ করবেন হুমায়ুন কবির। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিরোধে জড়িয়েছিলেন। দলবিরোধী মন্তব্য ও কার্যকলাপের অভিযোগে তাঁকে দল সাসপেন্ড করে। সেই ঘটনার পর থেকেই আলাদা রাজনৈতিক পথ নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে আসছিলেন তিনি। পাশাপাশি নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছিলেন হুমায়ুন।হুমায়ুন কবিরের নতুন দলে কারা কারা যোগ দেবেন, তৃণমূল বা অন্য দল থেকে কোনও পরিচিত মুখ তাঁর সঙ্গে থাকবেন কি না, এই প্রশ্নগুলো ঘিরেই রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল তুঙ্গে। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ জেলার রাজনীতিতে তাঁর প্রভাব বিবেচনা করলে, এই নতুন দলের আত্মপ্রকাশ স্থানীয় রাজনৈতিক সমীকরণে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য না করলেও পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে বিজেপি ও অন্যান্য বিরোধী দলও হুমায়ুন কবিরের ঘোষণার দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে।গত ৬ ডিসেম্বর হুমায়ুন বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করেছেন। তারপর থেকে নতুন দল গঠনের জন্য প্রস্তুতি বৈঠকও সেরেছেন। ভোটের আগে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, তা অনেকটাই নির্ভর করবে হুমায়ুন কবিরের সংগঠিনক শক্তি ও জনসমর্থনের উপর। আগামিকালের বেলডাঙ্গার সভা থেকেই স্পষ্ট হবে, এই নতুন দল রাজ্য রাজনীতিতে কতটা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। তবে বঙ্গ রাজনীতিতে ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে নবাবের মুর্শিদাবাদ যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে তাঁর ঈঙ্গত রয়েছে।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজ্য

নরেন্দ্র মোদীর পর এবার রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ, ৩০ ডিসেম্বর বৈঠক করবেন নেতৃত্বের সঙ্গে

একদিন আগেই রাজ্যে এসেছিলেন বিজেপির পোস্টারবয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আগামী ৩০ডিসেম্বর বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন। ওই বৈঠকে আগামী ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের কৌশল রচনা করবেন। তারপর সাংবাদিক বৈঠক করবেন অমিত শাহ। যদিও তাঁর এই বঙ্গসফরকে পাত্তা দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁদের বক্তব্য, বাংলায় নরেন্দ্র মোদী হোক বা অমিত ষশাহ হোক, এঁরা কেউ এখানে বিজেপির জয় এনে দিতে পারবেন না। আগেও নির্বাচনের আগে বারে বারে এসেছেন এবারও আসবেন। তবে ব্যর্থ হবেন বলেই দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
রাজনীতি

বর্ধমানে পৌঁছল বিহারের ৫৫টি বাইক, উদ্দেশ্য ঘিরে তৃণমূল–বিজেপি সংঘাত তুঙ্গে

রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির মধ্যেই পূর্ব বর্ধমানে শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক চাপানউতোর। শনিবার বিহারের নম্বর প্লেটযুক্ত ৫৫টি পুরনো মোটরবাইক বর্ধমান জেলা বিজেপি দলীয় অফিসের ঠিকানায় এসে পৌঁছানোকে ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বাইকগুলি ট্রেন থেকে নামিয়ে বর্ধমান রেল স্টেশনের ইস্টার্ন রেলওয়ের পার্সেল অফিসের সামনে রাখা হয়।এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাস। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের একাধিক নেতা ও কর্মী। বর্ধমান রেল স্টেশনে পার্সেল অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে তৃণমূল। বাইকগুলির মালিকানা, পরিবহণ সংক্রান্ত নথি এবং কেন শুধুমাত্র বিজেপির বর্ধমান জেলা অফিসের ঠিকানায় এই বাইক পাঠানো হয়েছে। তা প্রকাশ্যে আনার দাবি তোলেন বিধায়ক।বিক্ষোভে অংশ নেওয়া তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ, বিহারের রাজেন্দ্রনগর থেকে সুনীল গুপ্তা নামের এক ব্যক্তির নামে এই ৫৫টি বাইক পাঠানো হয়েছে। তাঁদের দাবি, বিধানসভা ভোটের আগে পরিকল্পিতভাবেই বাইকগুলি রাজ্যে ঢোকানো হচ্ছে। তৃণমূল নেতৃত্বের আশঙ্কা, আগামী দিনে এই বাইক ব্যবহার করে বাইরের লোকজন বা দুষ্কৃতীদের রাজ্যে ঢোকানোর চেষ্টা হতে পারে। জানা গিয়েছে, এই ৫৫টি নয়, ২৩ জেলা মিলিয়ে প্রায় ৬০০০ মোটর বাইক আসার কথা।বিধায়ক খোকন দাস স্পষ্ট ভাষায় জানান, এতগুলো বাইক বিহার থেকে কী উদ্দেশ্যে বাংলায় আনা হয়েছে, তা পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। ভোটের আগে এই বাইক ব্যবহার করে রাজ্যে অশান্তি ছড়ানোর পরিকল্পনা থাকতে পারে। একই সঙ্গে তিনি রেল ও জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেন। দলের বর্ধমান শহর সভাপতি তন্ময় সিংহ রায়ও বাইকগুলির সম্পূর্ণ তথ্য জনসমক্ষে আনার দাবি জানান। তাঁর বক্তব্য, রেল কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি জেলা ও রাজ্য প্রশাসনকে এই পরিবহণের বিস্তারিত জানাতে হবে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রয়োজনীয় নথি প্রকাশ না হলে বাইকগুলি পার্সেল অফিস থেকে ছাড়তে দেওয়া হবে না।অন্যদিকে, তৃণমূলের সব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে বিজেপি। জেলা বিজেপি নেতা দেবজ্যোতি সিংহরায় বলেন, কিছুদিন আগেই বিহারে নির্বাচন হয়েছিল। সেই সময় দলীয় কর্মীদের কাজে ব্যবহারের জন্য এই বাইকগুলি ব্যবহার করা হয়েছিল। বিহারের ভোট শেষ হওয়ায় সেগুলি এখন পশ্চিমবঙ্গে আনা হয়েছে। তিনি আরও জানান, বর্ধমান জেলা বিজেপি অফিস রাঢ়বঙ্গ জোনের কেন্দ্রীয় অফিস হওয়ায় এখানকার ঠিকানাতেই বাইক পাঠানো হয়েছে। বিজেপির দাবি, প্রতি নির্বাচনের আগেই এভাবেই বাইক আনা হয় এবং বিষয়টি জেনেও তৃণমূল অহেতুক বিতর্ক তৈরি করছে। বাইক বিতর্কে প্রশাসনের ভূমিকা কী হয়, তা নিয়েই এখন রাজনৈতিক মহলে বাড়ছে কৌতূহল।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

এশিয়া কাপ ফাইনালে স্বপ্নভঙ্গ, দুবাইয়ে পাকিস্তানের কাছে লজ্জার হার ভারতের

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়ল ভারত। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩৪৮ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আয়ুষ মাত্রের দল গুটিয়ে গেল মাত্র ১৫৬ রানে। ফলে ১৯১ রানের বড় ব্যবধানে হার স্বীকার করেই শিরোপা হাতছাড়া করতে হল টিম ইন্ডিয়াকে।টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। কিন্তু শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় পাকিস্তান। দলের হয়ে বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন সামির মিনহাস। মাত্র এক ইনিংসেই তিনি করে ফেলেন ১৭২ রান। উসমান খানের সঙ্গে ৯২ রানের এবং আহমেদ হুসেনের সঙ্গে ১৩৭ রানের দুটি বড় জুটিতে ভর করে দ্রুত ৩০০ রানের গণ্ডি পেরিয়ে যায় পাকিস্তান।বিশেষজ্ঞদের মতে, একসময় পাকিস্তানের ইনিংস ২৭০২৮০ রানের মধ্যেই থামতে পারত। কিন্তু মিনহাসের ব্যাটে ভর করেই ৪৩ ওভারের মধ্যেই ৩০০ ছুঁয়ে ফেলে তারা। পরে তাঁর আউট হওয়ার পর পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে ধস নামে। ৩০২/৩ থেকে ৩২৭/৮ মাত্র ২৫ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারালেও ততক্ষণে ম্যাচ কার্যত একপেশে হয়ে গিয়েছিল।লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ভারতীয় ব্যাটিং সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে। বৈভব সূর্যবংশী, আয়ুষ মাত্রে, অভিজ্ঞান কুণ্ডুর মতো পরিচিত নাম থাকলেও কেউই দায়িত্ব নিতে পারেননি। আশ্চর্যজনকভাবে দলের সর্বোচ্চ রান আসে ১০ নম্বর ব্যাটার দীপেশ দেবেন্দ্রনের ব্যাট থেকে। তিনি মাত্র ১৬ বলে ৩৬ রান করে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিলেও তা যথেষ্ট ছিল না।এই হার যেন সাম্প্রতিক সিনিয়র দলের বিশ্বকাপ ফাইনালের স্মৃতি ফিরিয়ে আনল। সেবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে, এবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মঞ্চ ফাইনাল, ফলাফলও প্রায় একই রকম হতাশাজনক।উল্লেখযোগ্যভাবে, ফাইনালে ওঠার আগে টুর্নামেন্টে একমাত্র অপরাজিত দল ছিল ভারত অনূর্ধ্ব-১৯। গ্রুপ পর্বে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, মালয়েশিয়া ও পাকিস্তানকে হারিয়েছিল তারা। অন্যদিকে পাকিস্তান গ্রুপে ভারতের কাছেই একমাত্র হেরেছিল। কিন্তু ফাইনালের মঞ্চে সম্পূর্ণ ভিন্ন রূপে ধরা দেয় তারা। শেষ পর্যন্ত দুবাইয়ে দাপটের সঙ্গে জয় ছিনিয়ে নিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ নিজেদের ঝুলিতে ভরল পাকিস্তান। আর ফাইনালে বারবার হোঁচট খাওয়ার প্রবণতা নিয়ে বড় প্রশ্নচিহ্ন থেকে গেল ভারতীয় যুব দলের সামনে।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
বিদেশ

প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারে হামলার পরও অকুতোভয় কর্তৃপক্ষ, সন্ত্রাসের নিন্দার ঝড় বিশ্বের সর্বত্র

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠল ঢাকায় প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে। দেশের দুটি প্রথম সারির সংবাদপত্রের দফতরে এই হামলার অভিযোগ সামনে আসতেই তীব্র প্রতিক্রিয়া ছড়িয়েছে সাংবাদিক মহল, নাগরিক সমাজ এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলির মধ্যে। বাংলাদেশ ছাড়িয়ে নিন্দার ঝড় বয়েছে অন্যত্র।ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর বাংলাদেশে আসার পর থেকেই উত্তাল হয়ে ওঠে দেশ। পরবর্তীতে হিংসা ছড়িয়ে পরে নানা জায়গায়। নৃশংস ভাবে হিন্দু যুবক খুন থেকে সংস্কৃতি সংগঠনের ওপর হামাল। সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের ওপর ক্রমাগত হামলা চলতে থাকে।প্রাথমিক অভিযোগ অনুযায়ী, ঢাকায় অবস্থিত প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে একদল দুষ্কৃতী হামলা চালায়। তারা অফিসে ঢুকে ভাঙচুর চালায় এবং কর্মরত সাংবাদিক ও কর্মীদের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। আগুন লাগিয়ে দেয় এই অফিসদুটিতে। যদিও এই ঘটনায় বড় ধরনের শারীরিক ক্ষতির খবর নেই, তবে আচমকা হামলায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং কিছু সময়ের জন্য সংবাদকর্ম ব্যাহত হয়। সংবাদপত্র প্রকাশনা বন্ধ রাখতে হয়। বৃহস্পতিবার রাতে অনলাইন পোর্টালেও আর খবর আপলোড করা যায়নি।হামলার ঘটনার পরপরই বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও সম্পাদকীয় মহল একে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত বলে উল্লেখ করেছে। তাদের বক্তব্য, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা গণতন্ত্রের অন্যতম ভিত্তি, আর সংবাদমাধ্যমকে ভয় দেখিয়ে কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা গভীর উদ্বেগজনক। এই দুই সংবাদপত্র গোষ্ঠীও জানিয়ে দেয় তারা ভয় পায় না। খবর প্রকাশ করতে কোনও পরোয় তারা করবে না। এমনকী দফতরের সামনে মানব বন্ধন কর্মসূচি পালন করে।ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রশাসনের তরফে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।এই ঘটনার পর প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের পক্ষ থেকে পৃথক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হুমকি বা হামলার মাধ্যমে সত্য প্রকাশ থামানো যাবে না। তারা দ্রুত, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে প্রশাসনের কাছে।আন্তর্জাতিক স্তরেও এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সাংবাদিক সংগঠন ও মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এবং মুক্ত সাংবাদিকতার পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে। প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে হামলার ঘটনা শুধু দুটি সংবাদপত্রের ওপর আঘাত নয়, বরং বাংলাদেশের সামগ্রিক গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ভবিষ্যৎ নিয়েই বড় প্রশ্ন তুলে দিল। এখন দেখার, প্রশাসনিক পদক্ষেপ কতটা দ্রুত ও কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয়।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

লাইভ মঞ্চে লগ্নজিতা চক্রবর্তীকে হেনস্থার অভিযোগ, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত, ওসির ভূমিকা নিয়েও তদন্ত

লাইভ পারফরম্যান্স চলাকালীন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী লগ্নজিতা চক্রবর্তীকে হেনস্থার অভিযোগে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি ও সাংস্কৃতিক মহল। পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে একটি বেসরকারি স্কুলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করতে গিয়ে এই ঘটনার মুখে পড়েন তিনি। ঘটনার পর পুলিশ অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে, যার নাম তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জড়িয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সন্ধ্যায় ভগবানপুরের একটি বেসরকারি স্কুল প্রাঙ্গণে। অভিযোগ অনুযায়ী, লগ্নজিতা চক্রবর্তী যখন জাগো মা গানটি পরিবেশন করছিলেন, তখন অনুষ্ঠানের প্রধান উদ্যোক্তা ও ওই স্কুলের মালিক মেহবুব মল্লিক আচমকাই মঞ্চে উঠে আসেন। শিল্পীর অভিযোগ, তিনি গালিগালাজ করেন এবং চিৎকার করে বলেন, অনেক হয়েছে জাগো মা, এবার কিছু সেকুলার গান গাও। পাশাপাশি মারধরের হুমকি ও শারীরিকভাবে আক্রমণের চেষ্টাও করা হয় বলে অভিযোগ।পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে উঠলে অনুষ্ঠান কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। পরে লগ্নজিতা চক্রবর্তী ভগবানপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি জানান, প্রথমে থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসার পর মামলা রুজু হয় এবং অভিযুক্ত মেহবুব মল্লিককে গ্রেপ্তার করা হয়।পূর্ব মেদিনীপুরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মিতুন দে জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে ভগবানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক এবং আরও এক পুলিশকর্মীর ভূমিকা নিয়েও বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের গাফিলতির প্রমাণ মিললে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজাও তীব্র হয়েছে। বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য। বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পাণ্ডা অভিযোগ করেন, একজন শিল্পী কি গান গাইবেন, সেটাও শাসক দলের লোক ঠিক করে দিচ্ছে। এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। তিনি আরও দাবি করেন, পুলিশ প্রথমে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেছিল। যদিও এই ঘটনার বিষয়ে এখনও পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।লাইভ মঞ্চে একজন শিল্পীর গান বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিয়ে ওঠা এই প্রশ্ন এখন আর শুধু ব্যক্তিগত অভিযোগে সীমাবদ্ধ নয়। সাংস্কৃতিক পরিসরে মতপ্রকাশের অধিকার, প্রশাসনের নিরপেক্ষতা এবং রাজনৈতিক প্রভাব সব মিলিয়ে এই ঘটনা রাজ্যজুড়ে বড় বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal