• ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২, সোমবার ১১ আগস্ট ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Tmc

রাজ্য

বিক্ষোভের মুখে অধীর চৌধুরী, ‘গো-ব্যাক’ শুনে সপাটে কষালেন চড়?

ফের নিজের খাসতালুকে বিক্ষোভের মুখে বহরমপুরের বিদায়ী সাংসদ তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি। এই লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী শনিবার খোশমেজাজেই প্রচারে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ ছন্দপতন। বহরমপুর গান্ধী কলোনি থেকে বিটি কলেজ মোড় পর্যন্ত মিছিলের সময় বাধার মুখে পড়েন তিনি। পাঁচ বারের সাংসদকে শুনতে হল গো-ব্যাক স্লোগান। তখনই মেজাজ হারালেন অধীর। সপাটে একজনকে চড় কষানোর অভিযোগ উঠেছে অধীরের বিরুদ্ধে।যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। পাল্টা স্বভাবসিদ্ধ রবিনহুড মেজাজে তিনি বলেছেন, তৃণমূলের চুল্লুখোররা আমাকে ডিস্টার্ব করছিল। প্রতিবাদ করেছি মাত্র। কিন্তু তৃণমূল ছাড়ার দল নয়। তারাও পাল্টা এলাকায় বিক্ষোভ দেখিয়েছে। যার জেরে এলাকা উত্তপ্ত।এদিন ভোটারদের সঙ্গে জনসংযোগ চলাকালীন এলাকার তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে গিরে গো-ব্যাক স্লোগান দিতে থাকেন। বিক্ষোভের জেরে আটকে প়ড়ে কংগ্রেস সাংসদের গাড়ি। গাড়ি থেকে নেমে পড়েন অধীর। তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। তখন এক তৃণমূল কর্মীকে হুমকি দিয়ে ধাক্কা মারেন অধীর। চড়ও মারেন। এই গন্ডগোলের খবর পেয়ে এলাকায় ছুটে আসে বিশাল পুলিশবাহিনী।বিক্ষোভের মধ্যে থেকে কংগ্রেস প্রার্থীকে উদ্ধার করে পুলিশ। বিক্ষুব্ধদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। এই ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে তারা। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, জনভিত্তি হারিয়ে মেজাজ হারাচ্ছেন অধীর চৌধুরি। অধীরকে গোটা ঘটনার জন্য ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি তৃণমূলের। কেন কারও গায়ে অধীর হাত তুলবেন সে প্রশ্ন তুলেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মীরা।পাল্টা অধীরের দাবি, ছক কষে তাঁর প্রচারে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল। বিক্ষোভকারীদের চুল্লুখোর বলে আক্রমণ করেছেন তিনি। ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে পুলিশ সুপারকে ফোন করে অভিযোগ জানান অধীর। তিনি বলেন, তৃণমূল ওদের চুল্লুখোরদের দিয়ে আমার প্রচার আটকাবে, তা মানব কেন? নেশা করে গো ব্যাক বলবে, প্রতিবাদ তো করবই। আর সেটাই করেছি। চার দিকে সিসিটিভি আছে, দেখলেই প্রমাণ পাবেন, আদৌ গায়ে হাত দিয়েছি কি না।বহরমপুর পুরসভার চেয়ারম্যান নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায় অধীরকে আক্রমণ করে বলেন, নিজের গড়ে তাঁর জনভিত্তি মাটিতে মিশে গেছে। তাই তিনি বার বার বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন এবং মেজাজ হারাচ্ছেন। এবার চড় মেরে সীমা ছাড়িয়েছেন।

এপ্রিল ১৩, ২০২৪
রাজ্য

শতাব্দী রায়ের সভাতে তৃণমূল কর্মী-রাই সরব পরিশ্রুত পানীয় জলের দাবীতে, মিডিয়াকে তোপ বিদায়ী সাংসদের

এবার পরিশ্রুত পানীয় জলের দাবীতে শতাব্দী রায়ের সভাতেই সরব হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের কয়েকজন কর্মী। ঘটনাটি বীরভূমের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের খড়বোনা গ্রামে। বৃহস্পতিবার ওই এলাকায় শতাব্দী রায়ের নির্বাচনী কর্মীসভা ছিল। মঞ্চ থেকে শতাব্দী রায় যখন কর্মীদের কাছ থেকে বুথের ভোটের হিসেব নিচ্ছিলেন সেই সময় রদিপুর গ্রামের গোপাল মণ্ডল কর্মী শতাব্দী রায়কে বলেন, কলে যে জল পাওয়া যাচ্ছে, সেই জল খাওয়া যাচ্ছে না। প্রায় এক কিলোমিটার দূর থেকে পানীয় জল নিয়ে আসতে হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীর এই অভিযোগ ঢাকা দেওয়ায় জন্য ওই এলাকার জহরুল সেখ নামে এক তৃণমূল নেতা বলতে শুরু করেন পরিশ্রুত পানীয় জলের জন্য টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ট্রেন্ডার ও হয়েছে কিন্তু ওয়ার্কঅর্ডার না পাওয়ায় কাজ শুরু হচ্ছে না। কর্মীদের এই সরব হওয়ার বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমের ওপরেই তোপ দাগলেন শতাব্দী রায়। তিনি বলেন, এটাই মিডিয়া দেখাবে। দশটা কাজের মধ্যে নটা ভালো বললে মিডিয়া সেটা দেখাবে না। একটা খারাপ বললেই সেটাই দেখাবে।

এপ্রিল ১২, ২০২৪
রাজ্য

"টাকা দাও, ভোট নাও", প্রচারে বেরিয়ে শুনতে হল শতাব্দী রায়কে

টাকার বিনিময়ে ভোট। নেতারা টাকা পাচ্ছে তাই তাঁরাও টাকা চাইছে। বলছেন বীরভূমের মহম্মদ বাজারের মহিলা ভোটাররা।টাকা না দিলে ভোট দেব না। প্রচারে বেরিয়ে গ্রামের প্রবীণ মহিলাদের কাছে এমনই কথা শুনতে হল বীরভূম লোকসভার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শতাব্দী রায়কে। সেই সঙ্গে গ্রামের বাসিন্দারা না পাওয়ার ক্ষোভ উগরে দেন প্রাক্তন সাংসদকে কাছে পেয়ে। শনিবার বীরভূমের মহম্মদবাজার ব্লকের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রচার চালান তৃণমূলের শতাব্দী রায়।এদিন বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে লাউতোর গ্রামে। সেখানে তিনবারের প্রাক্তন সাংসদকে কাছে পেয়ে না পাওয়ার ক্ষোভ উগড়ে দেন গ্রামবাসীরা। এরই মধ্যে কয়েকজন মহিলা শতাব্দীকে বলেন টাকা না পেলে ভোট দেব না। কনেজা বিবি বলেন, ভোট দিতে হলে টাকা দিতে হবে। নেতারা ভোটে জিতে নিজেদের পকেট ভরছে। আমরা কিছু পাচ্ছি না। ঘর পায়নি। কোন সাহায্য পায়নি। গ্রামের তেমন কোন উন্নয়ন হয়নি। তাই এবার ভোট নিতে গেলে টাকা দিতে হবে।এই প্রসঙ্গে শতাব্দী রায় বলেন, উনি কত বড় ভোটার জানি না। উনি ভারতের কত গণতন্ত্র বোঝেন, জানি না। এপ্রশ্নের উত্তর আমি দেব না। তবে যারা না পাওয়ার অভিযোগ করছেন সেটা পঞ্চায়েতের কাছে জানতে চাইব।

এপ্রিল ০৬, ২০২৪
রাজনীতি

সুকান্ত, শুভেন্দুকে কড়া ভাষায় আক্রমণ মমতার, পাল্টা দিলেন বঙ্গ বিজেপি সভাপতি

শনিবার লোকসভা ভোটের প্রচারে বালুরঘাটের তপনে জনসভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই বালুরঘাটের বিদায়ী সাংসদ তথা বঙ্গ বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। ১০০ দিনের কাজ ও আবাস যোজনা প্রকল্পে কেন্দ্রের অর্থ আটকে দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী দায়ী করেন সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারীকে। মমতা বলেন, ওরা বাংলার গদ্দার, বাংলার কুলাঙ্গার। পাল্টা জবাব দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সভাপতি।এ দিন জলপাইগুড়িতে ঝড়বিধ্বস্ত এলাকা প্রদর্শনে তাঁর যাওয়া ও বিরোধী বিজেপি নেতাদের না যাওয়া নিয়ে মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই প্রসঙ্গেই সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্পে বাংলার টাকা কেন্দ্রীয় সরকারের আটকে রাখার প্রসঙ্গটি আসে। মমতা বলেন, আপনাদের এখানে ওই কুসান্তবাবু আছেন, আর ও দিকে আছে গদ্দার। এরা মনে করে, যা বলবে তা-ই করতে হবে। গায়ের জোরে চালাবে।এরপরই সুকান্ত মজুমদারের নাম ধরে চ্যালেঞ্জ ছোড়েন মমতা। বলেন, চ্যালেঞ্জ করছি সুকান্তবাবুকে। ভোট দেওয়ার আগে বলেননি আপনি আর গদ্দার? বাংলাকে ১০০ দিনের টাকা দেওয়া যাবে না? বাংলার বাড়ি দেওয়া যাবে না? রাস্তা দেওয়া যাবে না? কোনও দিন সারি-সারনা ধর্ম নিয়ে কথা বলেছেন দিল্লিতে গিয়ে? তারপরই মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, আপনারা বাংলার টাকা বন্ধ করেছেন, আপনারা বাংলার গদ্দার। আপনারা বাংলার কুলাঙ্গার। আপনারা বাংলার ভাল চান না। আপনারা উত্তরবঙ্গের ভাল চান না। আপনারা দক্ষিণবঙ্গেরও ভাল চান না।পরে মুখ্যমন্ত্রীর আক্রমণের জবাব দেন সুকান্ত। বলেন, ইয়ে ডর হামে আচ্ছা লগা। বালুরঘাট কেন, উত্তরবঙ্গেও গত বারে যেমন শূন্য হাতে তৃণমূল ফিরেছিল, এ বারও শূন্য হাতে ফিরবে। কংগ্রেসও তাই। উনি ১০০ দিনের টাকার কথা বলছেন, আমি এখনও বলছি, উনি হিসাব দিন, সব টাকা কেন্দ্র দেবে। হিসাব না দিলে একটি টাকাও পাবে না। কারণ, নরেন্দ্র মোদীর শপথ, উনি চুরি করবেন না। কাউকে করতেও দেবেন না। উনি আমাকে কুসান্ত বলুন বা যতই খারাপ কথা বলুন। আমি কোনও খারাপ কথা বলব না। তার জবাবও দেব না। আমার পারিবারিক শিক্ষা তেমন নয়।সাম্প্রতিক ঝড়ে বাড়ি ভেঙে পড়া নিয়ে পাল্টা মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন সুকান্ত। বলেন, উনি বরং বলুন, এত বাড়ি ভেঙে পড়ল কেন? কেন এই মানুষজনকে উনি বাড়ি বানানোর টাকা পেতে দেননি।

এপ্রিল ০৬, ২০২৪
রাজনীতি

প্রাক্তন বিচারপতিকে ক্রমাগত নিশানা করে চলেছেন মমতা

আরও একবার প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিশানায় প্রাক্তন বিচারপতি তথা প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ফের একবার অভিজিৎবাবুর বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে তাঁর হুঁশিয়ারি, জনগণের আদালতে বিচার হবে প্রাক্তন বিচারপতির।এর আগে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় রাজনীতিতে যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ সম্পর্কে তৃণমূল নেত্রী মমতা বলেছিলেন, মুখ থেকে মুখোশ খুলে গিয়েছে। যেখানে দাঁড়াবেন সেখানেই হারবেন।শুক্রবার আলিপুরদুয়ারে প্রচার সারেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেখানেই তিনি আক্রমণ করেন তমলুকের বিজেপি প্রার্থীকে। বলেন, দেখলেন একজন বিচারপতি কী করলেন। আপনি অনেকের চাকরি খেয়েছেন। এ বার জনগণের আদালতে আপনার বিচার হবে। আমরা ওখানে (তমলুক) ছাত্রনেতা দেবাংশুকে পাঠিয়েছি। গোহারা হারবেন।তমলুক অধিকারীদের গড় বলেই পরিচিত। এখান থেকেই জোড়-ফুল প্রতীকে জিতে দিল্লি গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। পরে নন্দীগ্রাম থেকে তাঁকে জিতিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দুর পর তমলুকের সাংসদ ছিলেন তাঁর ছোট ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী। তৃণমূল ছেডে় তিনিও এখন বিজেপিতে। তবে, তমলুক থেকে প্রাক্তন বিচারপতিকে এবার প্রার্থী করেছে পদ্ম শিবির। যাঁর প্রতিপক্ষ তৃণমূলের ছাত্রনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য।অভিজিৎবাবুর বিরুদ্ধে কেন এত রাগ মমতার? হাইকোর্টের বিচারপতি থাকাকালীন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশেই শিক্ষা দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্ত শুরু হয়। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে শ্রীঘরে পাঠানোর নেপথ্যেও রয়েছে তাঁর নির্দেশ। শুনানি চলাকালীন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক চাঁচাছোলা পর্যবেক্ষণ করেছেন অভিজিৎবাবু। ফলে মুখ্যমন্ত্রীর নিশানায় শুরু থেকেই রাজনীতিক অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মমতা দাবি কেরছিলেন যে, কথায় কথায় পিল গিলে বিজেপি যেমন নির্দেশ দিয়েছে, তেমনই উনি (অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়) রায় দিয়েছেন।

এপ্রিল ০৫, ২০২৪
রাজ্য

মালদায় দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে রণকৌশল নিয়ে বৈঠক অভিষেকের, বিশেষ নির্দেশ নেতা-কর্মীদের

গত বিধানসভা নির্বাচনে মালদা ও মুর্শিদাবাদের জনগণ দুহাত তুলে আশীর্বাদ করেছিলেন। স্বাভাবিক কারণেই খুব ভালো ফল করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবারও আমরা আশাবাদী বিরোধীদের পরাস্ত করে মালদায় ভালো ফল করবে তৃণমূল। শুক্রবার বিকালে দলের ১২১ জন কর্মকর্তাদের নিয়ে গোপন বৈঠক করার পরে জানিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন পুরাতন মালদা ব্লকের সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি বেসরকারি হোটেলে তৃণমূলের মালদা দুটি লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন কমিটির ৪২ জন সদস্য, দলীয় বিধায়ক, অঞ্চল কমিটির সভাপতি থেকে শুরু করে মোট ১২১ জন কর্মকর্তার উপস্থিতিতেই গোপন বৈঠক করেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। এদিন দুপুর দুটো থেকে প্রায় বিকেল চারটা পর্যন্ত দুঘণ্টা ধরে রুদ্রদ্বার এই বৈঠক চলে। এই বৈঠকের মাধ্যমে নির্বাচনের রণকৌশল ঠিক করা হয়। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী তথা মালদার দুই বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিন ও তাজমুল হোসেন, তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সী, দলের চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক সমর মুখার্জী , মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি লিপিকা বর্মন ঘোষ, তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক প্রসেনজিৎ দাস।এদিন দলীয় বৈঠক শেষ হওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, গত বিধানসভা নির্বাচনে মালদায় খুব ভালো ফল হয়েছে। মালদার দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্র সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে দুটি বিধানসভা কেন্দ্র মুর্শিদাবাদের মধ্যে পড়ে। সেটি হলো সামশেরগঞ্জ এবং ফারাক্কা। সেখানেও গত বিধানসভা নির্বাচনে ভালো ফল হয়েছিল তৃণমূলের। এদিনের এই পর্যালোচনা বৈঠকে দলীয় নেতৃত্বের নানান কথা শোনা হয়েছে। আগামীতে নির্বাচনী রণকৌশল তৈরি করতে কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, সেনিয়ে এদিন এই বৈঠকের মাধ্যমে মতামত বিনিময় করা হয়েছে। সাংবাদিকদের সামনে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, গত বিধানসভা নির্বাচনে মালদা এবং মুর্শিদাবাদে আমরা ভালো ফল করেছিলাম। জনগণ দুইহাত তুলে আশীর্বাদ করেছিল। এবারও আমরা আশাবাদী মালদা এবং মুর্শিদাবাদে ভালো ফল করবে তৃণমূল। গত লোকসভা নির্বাচনে মালদার দুটি কেন্দ্রের মধ্যে উত্তর মালদা লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি জিতেছিল এবং দক্ষিণ মালদা লোকসভা কেন্দ্রে কংগ্রেস জয়ী হয়েছিল। কিন্তু এবার সর্বত্র মুখ্যমন্ত্রী উন্নয়নের জোয়ার বইছে গোটা রাজ্য জুড়ে। ফলে এবারে আর বিরোধীদের কোন জায়গা থাকবে না।অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, নির্বাচনী রণকৌশল ঠিক করতে এদিন পর্যালোচনার মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি গিয়ে দলের বুথ স্তরের কর্মীরা প্রচার চালাবেন। যারা গত লোকসভা নির্বাচনে বিমুখ হয়েছিল, তাদের কাছে বুথ স্তরের কর্মীরা যাবেন এবং মুখ্যমন্ত্রীর বিভিন্ন প্রকল্পের উন্নয়নের প্রচার তুলে ধরতে হবে। পাশাপাশি কেন গত লোকসভা নির্বাচনে এই ধরনের ফলাফল হয়েছিল? সেটিও প্রান্তিক স্তরে গিয়ে খোঁজ খবর নিয়ে জানতে হবে।

এপ্রিল ০৫, ২০২৪
রাজনীতি

মাথাভাঙার জনসভায় ডবল ইঞ্জিন মমতার মুখে! তীব্র আক্রমণ বিজেপির আইপিএস প্রার্থীকে

কোচবিহারে নির্বাচনী জনসভায় বিজেপিকে অলআউট আক্রমণ করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এর মধ্যেই তৃণমূলনেত্রীর মুখে শোনা গেল বিজেপির ডাবল ইঞ্জিন প্রসঙ্গও। যদিও তড়িঘড়ি মন্তব্যের ব্যাখ্যাও দিতে শোনা গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।কোচবিহার বিমানবন্দরে আমরা ৩০০ কোটি টাকা খরচ করেছি। আর বাবু একটি বিমান নিয়ে নেমে গেলেন। বাহ-বাহ। আমরা বলেছিলাম, ডাবল ইঞ্জিন দাও। সিঙ্গল ইঞ্জিন দিও না। কারণ, ওতে মানুষের জীবন রক্ষা পায় না। এখন সিঙ্গল ইঞ্জিন চলে না। ডাবল ইঞ্জিন চলে।বিতর্ক বাড়তে পারে বুঝেই তড়িঘড়ি উপরোক্ত মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে এরপর তৃণমূলনেত্রী বলেন, ওটা বিজেপির ডাবল ইঞ্জিন নয়। মিথ্যা কথার ডাবল ইঞ্জিন নয়। ওটা প্লেনের ডাবল ইঞ্জিনের কথা বলছি আমি।কোচবিহারের মাথাভাঙার গুমানি হাটে এদিন দলের প্রার্থী জগদীশ চন্দ্র বাসুনিয়ার সমর্থনে সভা করেন তৃণমূলনেত্রী। কোচবিহারে এবারেও বিজেপির প্রার্থী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। এদিন নিশীথ প্রামাণিককেও বেনজির আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রুজু রয়েছে বলেও এদিন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।এরই পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন নিশানা করেছেন কোচবিহারের প্রাক্তন পুলিশ সুপার তথা এবারের লোকসভা নির্বাচনে বীরভূমের বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধরকে। শীতলকুচিতে এর আগেরবার নির্বাচনের সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সেই সময় কোচবিহারের পুলিশ সুপার ছিলেন বর্তমানে বীরভূমের প্রার্থী।সেই দেবাশিস ধরকে আক্রমণ শানিয়ে এদিন তৃণমূলনেত্রী বলেন, শীতলকুচিতে ভোটের লাইনে দাঁড়ানো ৪ জনকে গুলি করে মেরেছিল। ভোট চলাকালীন এসেছিলাম, পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। কোচবিহারের তৎকলাীন এসপিকেই বিজেপি বীরভূমে প্রার্থী করেছে। শীতলকুচিতে গুলি চালিয়ে হাতের রক্ত মোছেনি। এখন বীরভূমে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।

এপ্রিল ০৪, ২০২৪
রাজ্য

সন্দেশখালি ইস্যুতে হাইকোর্ট: অভিযোগ ১ শতাংশ সত্যি হলেও লজ্জার

সন্দেশখালির মহিলাদের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগের আগে একটি হলফনামার বিষয়বস্তুতে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্ট বলেছে, অভিযোগ যদি এক শতাংশও সত্য হয় তবে এটি একেবারে লজ্জাজনক৷আদালত পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে মহিলাদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ স্থান বলে দাবি করার জন্যও তিরস্কার করেছে।সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতন এবং জমি দখলের অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে যুক্তি শুনে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম মন্তব্য করেছেন, পুরো জেলা প্রশাসন এবং শাসকদের অবশ্যই নৈতিক দায়িত্ব পালন করতে হবে। এমনকি যদি (হলফনামা) ১% সত্য হয় তবে এটি একেবারে লজ্জাজনক। আর পশ্চিমবঙ্গ বলে নারীদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ? যদি একটি হলফনামা সঠিক বলে প্রমাণিত হয় তবে এই সব মিথ্যা হয়ে যাবে।হাইকোর্ট ফেব্রুয়ারিতে বন্দুকের মুখে মহিলাদের উপর যৌন নিপীড়নের দাবি এবং সন্দেশখালিতে আদিবাসীদের জমি জবরদখলের বিষয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেছিল।মার্চ মাসে, আদালত সন্দেশখালিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) আধিকারিকদের উপর ৫ জানুয়ারি হামলার তদন্তের পাশাপাশি প্রধান অভিযুক্ত শাহজাহান শেখের হেফাজত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই) এর কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দেয়।ঘটনার সূত্রপাত, যখন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা যাঁরা সন্দেশখালিতে তৃণমূলের বরখাস্ত হওয়া জেলা পরিষদের সদস্য শক্তিশালী শেখ শাহজাহানের বাড়িচে ৫ জানুয়ারি তল্লাশি চালাতে এসেছিলেন, তাঁদের হেনস্থা করা হয়েছিল। শাহজাহান এবং তাঁর অনুগামীরা পলাতক থাকায়, ৮ ফেব্রুয়ারি, রেখা পাত্র-সহ এলাকার মহিলারা রাস্তায় নেমে আসেন, স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি, হামলা এবং জমি দখলের অভিযোগ তোলেন।এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে কটাক্ষ করেছেন এবং দাবি করেছেন যে বিরোধী দল সন্দেশখালি ইস্যুতে ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে। আরও, বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ করে মমতা বলেছিলেন যে বাংলায় মহিলারা সবচেয়ে নিরাপদ।

এপ্রিল ০৪, ২০২৪
রাজনীতি

নির্বাচনী সভায় কৃষ্ণনগরের রাজ পরিবারকে তুলোধেনা, কি বললেন মমতা?

কৃষ্ণনগরে জনসভা দিয়েই আসন্ন লোকসভা নির্বাচন ২০২৩ এর প্রচার পুরোদমে শুরু করে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার কৃষ্ণনগরের ধুবুলিয়ার মাঠে প্রকাশ্য জনসভায় দলের প্রার্থী মহুয়া মৈত্রকে জেতানোর আবেদনের পাশাপাশি কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির ইতিহাস নিয়েও ফের ভয়ঙ্কর তথ্য সামনে এনেছেন তৃণমূলনেত্রী। এই ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও একহাত নিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।এবারের লোকসভা ভোটে কৃষ্ণনগর কেন্দ্র থেকে রাজমাতা অমৃতা রায়কে প্রার্থী করেছে। সদ্য গেরুয়া দলে যোগ দেওয়া কৃষ্ণনগরের রাজমাতা অমৃতা রায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিকে, রবিবার কৃষ্ণনগরে প্রচারে এসে সেই রাজমাতা অমৃতা রায় ও তাঁর রাজ পরিবারের ইতিহাস নিয়ে বেশ কিছু মন্তব্য করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।মমতার বক্তব্য, কীসের রাজমাতা? এখন আমরা সবাই প্রজা। প্রজার ভূমিকাই পালন করুন। আর রাজা হলে তো রাজ প্রাসাদে থাকবেন। মিথ্যার আশ্রয় নেবেন না। মহুয়ার বিরুদ্ধে যাকে দাঁড় করিয়েছে তাঁর পরিবারের ইতিহাস ভুলে গেছেন? ইংরেজদের সাহায্য করে ভারতের স্বাধীনতা বিসর্জন দিতে চেয়েছিলেন ওরা। মোদীবাবু ইতিহাস জানেন না।এরই পাশাপাশি মহুয়া মৈত্রকে ফের একবার কৃষ্ণনগর কেন্দ্র থেকে জেতানোর আবেদন জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, মহুয়াকে জেতাতে হবে। ওকে তাড়িয়ে দিয়েছে আপনাদের সমর্থনের পরেও। মহুয়াকে জেতাতেই হবে। ও যাতে বিজেপির মুখোশটা টেনে খুলে দিতে পারে।

মার্চ ৩১, ২০২৪
দেশ

সিবিআই তল্লাশির পর এবার ইডির তলব মহুয়াকে, কি করবেন তৃণমূল প্রার্থী?

সিবিআইয়ের পর ইডি। আগামী ৩১ মার্চ কৃষ্ণনগরে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে সভা করবেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগেই সংসদে ঘুষের বদলে প্রশ্ন কাণ্ডে লোকসভা থেকে বহিষ্কৃত তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে সমন পাঠাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আগামী ২৮ মার্চ (বৃহস্পতিবার) কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থীকে দিল্লিতে ইডি দফতরে হাজির দিতে হতে বলা হয়েছে। মহুয়ার পাশাপাশি এই মামলায় অন্যতম অভিযোগকারী ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানিকেও সমন পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীর এজেন্সির তরফে।মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে অভিযোগ, লোকসভায় প্রশ্ন করার জন্য তিনি নাকি শিল্পপতি দর্শন হীরানন্দানির কাছ থেকে ঘুষ বাবদ নগদ ও নানা ধরণের উপহার নিয়েছেন। বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে এই ব্যাপারে প্রথম সরব হন। তারপর এই বিষয় নিয়ে অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ চলতে থাকে। অবশেষে এথিক্স কমিটির সুপারিশের পর সাংসদ পদ বাতিল হয় কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থীর। এরপরই মহুয়ার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় লোকপাল। ইতিমধ্যে মহুয়ার বাবার কলকাতা ও কৃষ্ণনগরের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই।জানা গিয়েছে, বিদেশি মুদ্রা লেনদেন সংক্রান্ত মামলায় ফেমা, 1999-এর নির্দেশ লঙ্ঘনের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে মহুয়া এবং ব্যবসায়ী হিরানন্দানিকে। এর আগে মহুয়ার সাংসদ পদ বাতিল করে এথিক্স কমিটি। তা নিয়ে শোরগোল পরে যায় রাজনীতিতে।

মার্চ ২৭, ২০২৪
রাজ্য

দলীয় কর্মী ও নেতাদের কড়া হুঁশিয়ারি অভিষেকের, 'ফল ভালো না হলে সরতে হবে'

নিজের দুর্গ অটুট রাখতে আত্মবিশ্বাসী তৃণমূলের যুবরাজ। ডায়মন্ড হারবারে এবারও তৃণমূলের প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধী কোনও শিবির-ই এই কেন্দ্রে এখনও প্রার্থী চূড়ান্ত করেনি। এই অ্যাডভানটেজ-কেই কাজে লাগিয়ে ভোটপর্বের শুরুতেই কয়েক কদম এগিয়ে যেতে মরিয়া তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। বুধবার দলীয় নেতা, স্থানীয় বিভিন্নস্তরের তৃণমূল জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার ভোট প্রস্তুতি বৈঠক সারেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে শুরুতেই সকলকে সেনাপতি মনে করিয়ে দিয়েছেন যে, ডায়মন্ড হারবারে এবার তাঁর জয়ের ব্যবধান অন্তত চার লাখ হওয়া চাই। অর্থাৎ টার্গেট বেঁধে দিয়েছেন তিনি। এর আগে বসিরহাটের জনসভায় তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন এবার ৪ লক্ষ ভোটের ব্যবধানে জিতবেন।দলীয় বৈঠকে অভিষেক মনে করিয়ে দিয়েছেন, জনগণই তৃণমূলের শক্তি। তাই বার বার মানুষের কাছে যেতে হবে। মানুষের চাহিদা কী, তা তৃণমূলের নেতাকর্মীদের পরিষ্কারভাবে জানতে হবে। আগামী দুমাস আরও নিবিড়ভাবে মানুষের কাছে যেতে হবে। রাজ্য সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের কথা তুলে ধরার সঙ্গে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিষয়ও মানুষকে জানাতে হবে বেশি করে।৪,৬,৯ ও ১৬- ডায়মন্ড হারবার পুরসভার এই চার ওয়ার্ডে গত নির্বাচনে তৃণমূলের ফল ভাল হয়নি। কেন খারাপ হয়েছিল? সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট নেতাদের কাছে জানতে চান বিদায়ী সাংসদ। তাঁর নির্দেশ, এই সব ওয়ার্ডগুলিতে নেতা-কর্মীদের আরও বেশি করে মানুষের কাছে যেতে হবে, কথা শুনতে হবে। এসব বুথ ও ওয়ার্ডে কেন তৃণমূলের থেকে মানুষ মুখ ফিরিয়েছিলেন তা জানতে হবে। সূত্রের খবর অভিষেক বলেছেন, মানুষ যদি না চায় আমাদের, তবে সরে যেতেই হবে।বৈঠকে এরপরই কড়া ভাষায় অভিষেকের হুঁশিয়ারি, কোনও ওয়ার্ডে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল লিড না পেলে তার দায়িত্ব নিতে হবে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং প্রেসিডেন্টদের। তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকী, তাঁদেরকে সংশ্লিষ্ট পদ থেকে সরেও যেতে হবে।ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা তৃণমূল নেতা সওকত মোল্লা বলেন, উন্নয়ন পৌঁছে দেওয়াই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। তাই মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে প্রচার করতে হবে। তাঁদের কোনও অভাব, অভিযোগ থাকলে শুনতে হবে জনপ্রতিনিধি ও তৃণমূল নেতাদের। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সেই বার্তাই বাতলেছেন ভোট প্রস্তুতি বৈঠকে।ডায়মন্ড হারবার মডেল নিয়ে বঙ্গ রাজনীতি তোলপাড় হয়েছিল। জয়ের লক্ষ্যমাত্রার টার্গেট বেঁধে ও পার্টি নেতা, জনপ্রতিনিধিদের বেনজির হুঁশিয়ারি দিয়ে যেন সেই মডেলকেই আরেকবার চর্চায় ফেরালেন খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-ই।

মার্চ ২৭, ২০২৪
রাজ্য

দুই মন্ত্রী সম্মুখ সমরে, সংঘর্ষে মাথা ফাটল পুলিশ আধিকারিকের, শহর বনধের ডাক

দুই মন্ত্রী সম্মুখ সমরে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতীশ অধিকারী ও রাজ্যের মন্ত্রী উদয়ন গুহ। এক মন্ত্রী আরেকজনের দিকে তেড়ে যাচ্ছে, অন্য জন জবাব দিচ্ছে, এমন দৃশ্য খুব একটা দেখা যায় না। মঙ্গলবার কোচবিহারে দিনহাটায় প্রচারে ধুন্ধুমার ঘটনা ঘটে। প্রচারিত একটি ভিডিওতে স্পষ্ট দুই মন্ত্রীর বাকবিতন্ডা থেকে লাঠিসোটা নিয়ে দাপাদাপি। বিজেপি ও তৃণমূলের সংঘর্ষের ঘটনায় মাথা ফেটেছে এক পুলিশ আধিকারিকের। এই ঘটনার জেরে আজ, বুধবার দিনহাটা বনধের ডাক দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। যে নির্বাচনের আগে পরে বারে বারে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দিনহাটা। এবার লোকসভা নির্বাচন আসতেই ফের উত্তেজনা ছড়াল কোচবিহারের দিনহাটায়। দুই মন্ত্রীর সামনেই তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক ও উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ মুখোমুখি বাকবিতন্ডায় জড়ান। একে অপরের দিকে তেড়ে যান। এই দৃশ্য দেখে স্বভাবতই বিজেপি ও তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায়৷ জানা গিয়েছে, এই সংঘর্ষে দুই পক্ষের বেশ কয়েক জন আহত হয়েছেন। দিনহাটার এসডিপিও মাথায় চোট পেয়েছেন। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ নাজেহাল হয়ে পড়ে। এমনকী মন্ত্রীদের নিরাপত্তা রক্ষীদের দিকেও লাঠি নিয়ে তেড়ে যেতে দেখা যায় প্রচারিত ভিডিওতে।তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, উদয়ন গুহের জন্মদিন পালনের জন্য দিনহাটা চৌপতি এলাকায় কর্মীরা জড়ো হয়েছিলেন। তখন ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন নিশীথ প্রামানিক। তিনি নির্বাচনী প্রচার থেকে ফিরছিলেন। অভিযোগ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর নিরাপত্তা কর্মীরা তৃণমূল কর্মীদের ওপর হামলা করে। তা থেকে বিবাদের সূত্রপাত।বিজেপির অভিযোগ, সভা শেষ করে বাড়ি ফেরার সময় দিনহাটার পাঁচমাথা মোড়ে তৃণমূলের লোকজন অতর্কিত হামলা চালায়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর অভিযোগ, শান্তিপূর্ণ ভাবে রাস্তা দিয়ে আসছিলাম। হঠাৎ কনভয়ে ইট-পাটকেল, তির-ধনুক নিয়ে আক্রমণ করে তৃণমূল। এই ঘটনায় হস্তক্ষেপ করেছে নির্বাচন কমিশন। রাজ্য পুলিশের কাছে দিনহাটার ঘটনার রিপোর্ট তলব করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বুধবার দিনহাটা বনধের ডাক দিয়েছে তৃণমূল অন্যদিকে জেলা পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছে বিজেপি।

মার্চ ২০, ২০২৪
রাজনীতি

অধীর চৌধুরীকে বিজেপির দালাল বলে মারাত্মক অভিযোগ মমতার মন্ত্রীর

কংগ্রেসের গড়ে গিয়ে রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে বিজেপির দালাল বলে তোপ দাগলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ও রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। জাতীয় স্তরে ইন্ডিয়া জোটের কথা বললেও এরাজ্যে বিজেপিকে কংগ্রেস সাহায্য করছে বলে দাবি করলেন কলকাতার মেয়র। রবিবার মালদায় জেলার দুই তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে দলীয় কর্মীসভায় হাজির ছিলেন ফিরহাদ হাকিম (ববি)। তিনি বলেন, বরকতদার কংগ্রেস এখন আর নেই । উনি বলেছিলেন সিপিএমকে বঙ্গোপসাগরে ছুঁড়ে ফেলতে হবে। সেই কাজ তৃণমূল করেছে। বরঞ্চ এখনকার কংগ্রেসের যিনি বাংলার হর্তাকর্তা সেই অধীর রঞ্জন চৌধুরী বিজেপির হয়ে সত্যিকারের দালালি করছেন। রবিবার দুপুরে মালদা কলেজ অডিটোরিয়ামে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে উপস্থিত হয়েছিলেন রাজ্যের আরও দুই মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, তাজমুল হোসেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি লিপিকা বর্মন ঘোষ, তৃণমূলের জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী, দলের সহ-সভাপতি বাবলা সরকার।এদিন নির্বাচনী কর্মী সভায় মালদার প্রতিটি ব্লকের বুথ স্তরীয় নেতাদের উপস্থিতিতে লোকসভার তৃণমূলের দুই প্রার্থীকে বিপুল ভোটে জয়ী করার আবেদন জানান মন্ত্রী। পাশাপাশি নির্বাচনের কৌশল নিয়েও দলের জেলা নেতৃত্বের সঙ্গেও মতামত বিনিময় করেন ফিরহাদ হাকিম। তাঁর সঙ্গে এদিন দক্ষিণ মালদার তৃণমূল প্রার্থী শাহনাওয়াজ আলি রায়হান এবং উত্তর মালদার লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন ব্যানার্জি উপস্থিত হয়েছিলেন। এদিন নির্বাচনী কর্মী সভা শেষ করার পর সাংবাদিক বৈঠক করে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, এখন বরকতদার কংগ্রেস আর কোথায়? ওরা সিপিএমের হাত ধরেছে । বরকতদা যে কথা বলে গিয়েছিলেন, সেই সিপিএমকে বঙ্গোপসাগরে ছুঁড়ে ফেলেছে তৃণমূল। বরঞ্চ বিজেপির নেতারা যে প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলছে, তাঁকে সমর্থন জানাচ্ছে সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। আসলে উনি বিজেপির সত্যি কারের দালালি করছেন।রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, বিগত দিনে মালদার লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচনের অংকটা ছিল অন্যরকম। কিন্তু এবারে যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে মালদার দুটি লোকসভা কেন্দ্রে দুই প্রার্থী বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে। মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়ন প্রক্রিয়ার জন্য মালদার দুই আসনে জয় দেখছেন ববি হাকিম। পাশাপাশি মানুষ বিরোধী দলগুলির কার্যকলাপ সহ্য করতে পারছে না।

মার্চ ১৭, ২০২৪
রাজনীতি

অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে ভোটের লড়াই থেকে সরে আসার আহ্বান তৃণমূল নেতার, কেন এই অনুরোধ?

এবার সরাসরি হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী না হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তাঁর শুভানুধ্যায়ী হিসেবে কুণাল ঘোষ। এখনও সময় আছে, আপনি নির্বাচনী ময়দান থেকে সরে থাকুন। পরাজয়ের দিনটি দেখা বড় কঠিন। এক্স হ্যান্ডলে প্রাক্তন বিচারপতিকে এই অনুরোধ জানিয়ে রবিবার সকালে এই পোস্টটি করেছেন তৃণমূল নেতা ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।কুণালের বার্তা, শ্রী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, পরিচয় থাকার সুবাদে একটি অনুরোধ। আপনি বিচারপতি থাকাকালীন বিতর্কিত। ইস্তফা দিয়ে প্রশ্নের মুখে। বিজেপিতে গিয়ে সমালোচিত। অনুরোধ, এখনও সময় আছে, ওদের বলে দিন, প্রার্থী হবেন না। তমলুকে তৃণমূল জিতবে। দুমাস পর আপনার সব সম্মান নষ্ট হবে। যে আপনাকে তমলুক নিয়ে যাচ্ছে, সেও আপনাকে হারাবে। তার দলে অন্য বড় নাম সে সহ্য করতে পারে না, বাড়তে দেবে না। এখনও সময় আছে, আপনি নির্বাচনী ময়দান থেকে সরে থাকুন। পরাজয়ের দিনটি দেখা বড় কঠিন। শুভানুধ্যায়ী হিসেবে ভাবতে বললাম।শ্রী অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়,পরিচয় থাকার সুবাদে একটি অনুরোধ।আপনি বিচারপতি থাকাকালীন বিতর্কিত।ইস্তফা দিয়ে প্রশ্নের মুখে।বিজেপিতে গিয়ে সমালোচিত।অনুরোধ, এখনও সময় আছে, ওদের বলে দিন, প্রার্থী হবেন না।তমলুকে @AITCofficial জিতবে।দুমাস পর আপনার সব সম্মান নষ্ট হবে।যে আপনাকে তমলুক Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) March 17, 2024উল্লেখ্য, প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় স্বেচ্ছা অবসর নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তাঁর তমুলক কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে, তমলুক থেকেই তৃণমূলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তরুণ তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। সিপিএম ওই কেন্দ্রে প্রার্থী করেছে আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এদিকে, ইতিমধ্যেই তমলুকে গিয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে এক দফায় আলোচনা সেরে এসেছেন অভিজিৎ গাঙ্গুলি। তাঁর সঙ্গে আগাগোড়া ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।বিজেপি এরাজ্যে প্রথম পর্বে ২০ টি কেন্দ্রে তাঁদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে। বাকি কেন্দ্রগুলিতে সম্ভবত শীঘ্রই প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দেবে গেরুয়া দল। তবে তার আগে বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলির প্রতি এমন বার্তা দিয়ে কুণাল ঘোষের এমন পোস্ট রাজ্য রাজনীতিতে নয়া মাত্রা যোগ করেছে।

মার্চ ১৭, ২০২৪
রাজনীতি

বাংলায় লোকসভা নির্বাচন, তৃণমূলের নিশ্চিত জয় ৩০-৩৫ টি আসনে! বিজেপির টার্গেটও ৩৫

আর আগের মতো ৪২ এ ৪২ নয়। বাংলা লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের অনুমান তাদের নিশ্চয় জয় ৩০-৩৫ আসনে। ২০১৯এর মতো ২০২৪ এ তৃণমূলের হুঙ্কার ছিল বাংলার ৪২টির মধ্যে সবকটিতেই উড়বে জোড়াফুল পতাকা। ৪২এ ৩৫ টার্গেট বেঁধে দিয়েছিল বিজেপির চাণক্য অমিত শাহ। সময় এগোতে সেই সংখ্যাই যেন পাখির চোখ তৃণমূলের!লোকসভা ভোটের আগে শুক্রবারই প্রকাশিত হয় বিভিন্ন সংস্থার জনমত সমীক্ষা। আর ভোট ঘোষণার দিনই তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলে দিলেন, এবার লোকসভা ভোটে বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস কটি আসন পেতে পারে।শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে কুণাল ঘোষ বলেছেন, লোকসভা ভোটে তৃণমূল ৩০ থেকে ৩৫ আসন নিশ্চিতভাবে পাবে। বাম, কংগ্রেস শূন্য পাবে। কোথাও কোনও আসন পাবে না তারা। আর বিজেপিকে কীভাবে দুটি, তিনটি, চারটি আসনে বেঁধে রাখা যায়, তা দেখতে হবে। আমাদের টার্গেট বাংলায় বিয়াল্লিশটার মধ্যে বিয়াল্লিশটা আসন। তবে ৩০ থেকে ৩৫ আসন নিশ্চিত। এর পর তা কতটা এগোনো যায়, দেখতে হবে।অর্থাৎ ৪২টির বদলে এখন তৃণমূলের নজরে বাংলার ৩৫ আসন।২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে তৃণমূল ৪২-এর মধ্যে ৩৪ টি আসন পেয়েছিল। ২০১৯-য়ের ভোটে তৃণমূলের আসন সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ২২-টিতে। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে বাংলার কটি আসন তৃণমূল পায় সেটিই এখন দেখার।

মার্চ ১৬, ২০২৪
রাজনীতি

অর্জুন, দিব্যেন্দু বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন দিল্লিতে! ভাইপো সৌরভ তৃণমূল প্রার্থীর এজেন্ট

২২ মাস পর ঘরওয়াপসি হচ্ছে ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংয়ের। আজ বৃহস্পতিবার দিল্লি যাবেন, পরের দিন শুক্রবার বিজেপিতে যোগ দেবেন ব্যারাকপুরের বিদায়ী সাংসদ। এদিন তাঁর বিজেপিতে ফেরার খবর ঘোষণার সময়ই অর্জুন দাবি করেছেন যে, তাঁর সঙ্গেই তৃণমূলের আরও এক নেতা গেরুয়া শিবিরের নাম লেখাবেন। তাপস রায়, অর্জুন সিংয়ের পর আর কে ফুল বদব করবেন? তা নিয়ে দিনভর জল্পনা চলে।অর্জুন সিংয়ের ঘোষণার ঘন্টাখানেক পর জানা যায়, তমলুকের বিদায়ী তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী শুক্রবার বিজেপিতে যোগ দেবেন। ব্যারাকপুরের সাংসদের সঙ্গে তিনিও আজ রাজধানী যাচ্ছেন। দিব্যেন্দু সম্পর্কে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই। কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীর ছোট ছেলে।গুঞ্জন যে, তমলুক লোকসভা আসনে এবার বিজেপি প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে প্রার্থী করতে পারে। ইতিমধ্যেই তমলুক, নন্দীগ্রাম ঘুরে এসেছেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। অভিজিৎবাবু শান্তিকুঞ্জে গিয়ে বর্ষীয়ান শিশির অধিকারীর সঙ্গেও দেখা করেন। রটনা সত্যি হলে তমলুকে দিব্যেন্দুর প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা কম। এখন দেখার তমলুক, নাকি বাংলার অন্য কোনও লোকসভা কেন্দ্র থেকে দিব্যেন্দুকে পদ্ম বাহিনী প্রার্থী করে কিনা।#Barrackpore pic.twitter.com/QNCsF96sCh Arjun Singh (@ArjunsinghWB) March 14, 2024২০১৯ সালে তমলুক থেকে জোড়াফুল প্রতীকে লড়ে জয় পেয়েছিলেন দিব্যেন্দু অধিকারী। এরপর ২০২১ সালে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী। তার পর থেকেই পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির অধিকারী পরিবারের সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব বাড়ে। দিব্যেন্দুর বাবা তথা কাঁথির প্রবীণ সাংসদ শিশির অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূলের বাগযুদ্ধে সরগরম থেকেছে রাজ্য রাজনীতি। সেই সময় বিধানসভা ভোটের প্রচারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-র সভাতেও দেখা গিয়েছিল বর্ষীয়ান শিশিরকে। শিশির এবং দিব্যেন্দুর সাংসদ পদ বাতিলের জন্য লোকসভার স্পিকারের কাছে আবেদন করে তৃণমূলের সংসদীয় দল। সেই সময় থেকেই তৃণমূলে নিষ্ক্রিয় তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী।এদিকে ব্যারাকপুরে তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে ক্ষুব্ধ অর্জুন সিং জানিয়ে দেন, তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসভঙ্গ করা হয়েছে। তাঁকে প্রার্থী করবে বলে কথা দিয়েও তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব কথা রাখেনি। তারপর বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ করতে থাকেন। বৃহস্পতিবার অর্জুন জানিয়ে দেন তিনি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। তিনি ব্যারাকপুরে বিজেপি প্রার্থী হচ্ছেন বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন। এদিকে অর্জুনের ভাইপো সৌরভ সিং ব্যারাকপুরের তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিকের নির্বাচনী এজেন্ট হচ্ছেন। জানিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী।

মার্চ ১৪, ২০২৪
রাজনীতি

দিদির বার্তায় চুপসে গেলেও বাবুনের ফোঁসের মুখে হাওড়ার তৃণমূল প্রার্থী

দিল্লি থেকে ফিরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার সকাল থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন বাবুন বন্দোপাধ্যায়। হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রে দলীয় প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করতে শোনা যায় তাঁকে। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছেদ করছেন তিনি।এদিন সন্ধ্যায় শহরে ফিরে এসেই কলকাতা বিমানবন্দরে বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে। হাওড়ার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়ে এখনও তাঁর ক্ষোভ এক আনাও কমেনি। তবে দিদির সঙ্গে তিনি সমস্ত কিছু ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে নেবেন। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে বলেন দিদি বকেছে দরকারে পাও ধরে নেব।

মার্চ ১৩, ২০২৪
রাজনীতি

মুখ্যমন্ত্রীর এক হুঙ্কারেই গুটিয়ে গেলেন ভাই বাবুন, আর প্রার্থী নয়

দিনভর নাটকের পর দিদির হুঙ্কারে পুরো ডিগবাজি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই বাবুন হাওড়া কেন্দ্রে নির্দল প্রার্থী হিসাবে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়াবেন, এই খবরে তোলপাড় হয়ে যায় রাজনৈতিক মহল। এব্যাপারে দিদির কথা শুনবেন না বলেও জানিয়ে দেন। এমনকী রটে যায় তিনি বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। কিন্তু ত্যাজ্য ভাই করেছেন বাবুনকে, এই হুঁশিয়ারিতে টনক নড়ে যায় বাবুনের। ছোটভাই স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের (বাবুন) সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে দেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার শিলিগুড়িতে মমতা সাফ বলেন, আমি যে দিন থেকে দল করি, কোটি কোটি মানুষের সঙ্গে কাজ করি। আমার পরিবার বলে কিছু নেই। মা মাটি মানুষই আমার পরিবার। আমাদের পরিবারে রক্তের সম্পর্কে ৩২ জন সদস্য। কেউ এ রকম নয়। এতে সবাই ক্ষুব্ধ। আমি সরাসরি বলছি, যারা বেশি বড় হয়ে যায়, তাদের লোভও বেড়ে যায়। ওকে পরিবারের সদস্য বলেই আমি মনে করি না। সব সম্পর্ক ছেদ।মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, আমি পরিবারতন্ত্র করি না। যে যেখানে ইচ্ছে ভোটে লড়তে পারে। আমার কিছু যায় আসে না। যাঁর নাম করছেন তাঁর অনেক কাজই আমার পছন্দ নয়, তবে মেনে নিতে হচ্ছিল এতদিন। ও ছোটবেলা ভুলে গিয়েছে। যখন বাবা মারা গিয়েছিলেন তখন ওঁর বয়স মাত্র আড়াই বছর ছিল, দুধ বিক্রি করে মানুষ করেছি। ভোট আসলেই এসব করে। অনেক অশান্তি সহ্য করেছি, আর নয়।টিকিট না মেলায় এবার ক্ষোভের আগুন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েদর পরিবারেই। এদিন সকালে বিদ্রোহী তৃণমূল নেত্রীর ছোট ভাই স্বপণ বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে বাবুন! কলকাতা ছেড়ে ইতিমধ্যেই দিল্লিতে তিনি জল্পনা বিজেপিতে যোগদান করতে পারেন স্বপণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোটযুদ্ধে প্রার্থী হয়ে লড়াইয়ের হুঙ্কারও ছেড়েছেন তিনি। তবে অসন্তোষের মধ্যেও দিদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভগবান বলেই উল্লেখ করেছেন ছোটভাই বাবুন।স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে যিনি মুখ্যমন্ত্রীর ছোট ভাই। স্বপনের নিশানায় হাওড়ায় তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারও হাওড়া থেকে তৃণমূলের বাজি গত দুবার ওই কেন্দ্র থেকে জয়ী এই প্রাক্তন ফুটবলারই। প্রসূনের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ মমতার ভাইয়ের।কীসের অভিযোগ? বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমে ফোনে স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, যে মানুষটা হাওড়ায় প্রার্থী হয়েছেন, সেই প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় মোহনবাগান ক্লাবের এজিএমের সময় আমাকে গলাধাক্কা দিয়েছিলেন। আমাকে অপমান করেছিলেন। তাঁকে নিয়ে আমার প্রচুর অ্যালার্জি আছে। হাওড়ার মানুষ ওঁকে মেনে নিচ্ছেন কি না জানি না। কিন্তু আমি বলতে পারি, এই প্রার্থী ঠিক হয়নি। ওঁর যোগ্যতা নিয়ে আমার সংশয় আছে। আমি মনে করি, যে ক্লাস ফাইভ পাশ করতে পারে না। তাকে গ্র্যাজুয়েশন করানো হচ্ছে। এমপি ল্যাডের টাকা এলাকার মানুষের জন্য ঠিকমত খরচ করতে পারেননি, কোনও কাজ হয়নি। প্রসূনের থেকে অনেক ভাল প্রার্থী ছিল। ওর মতো বাজে লোককে না দেওয়াই উচিত ছিল।ভাই স্বপন কি প্রসূনকে নিয়ে তাঁর ক্ষোভের কথা দিদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছেন? জবাবে স্বপন বলেন, কিছু জিনিস জানিয়েও লাভ হয়নি। প্রথম থেকে বলা হয়েছে ওঁকে বাদ দিয়ে অন্যকে প্রার্থী করলে হাওড়ার মানুষ অন্যভাবে গ্রহন করবেন। অরূপ রায়, রাজীব ব্যানার্জীদের দাঁড় করানো হলে ভাল ফলফল হত।স্বপনের সাফ কথা, দিদি যতদিন বেঁচে আছে বিজেপিতে যাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যাইনি কখনও, যাবও না। ১৯৮১ সাল থেকে দলের সঙ্গে জড়িয়ে। দিদি যতদিন আছে আমি কোথাও যাব না। তবে তাঁর সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অনুরাগ ঠাকুর, ফুটবল প্রশাসক কল্যাণ চৌবে, পিটি উষাদের যোগাযোগ রয়েছে বলে দাবি করেছেন স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনীতির যোগ নয়, ক্রীড়া প্রশাসক হওয়ার কারনেই এই যোগাযোগ বলে জানিয়েছেন তিনি।এরপরই স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমি হাওড়ার ভোটার হয়েছি। নির্দল প্রার্থী হয়ে দাঁড়াব। দিদিমনির সঙ্গে সরাসরি কথা বলব। দিদি আমার কাছে ভগবান। দিদির কথা আমি অক্ষরে অক্ষরে পালন করি। দিদির কাছে আশীর্বাদ চাইব। দিদি হয়তো আমাকে না করবে। কিন্তু আমি দিদিকে বোঝানোর চেষ্টা করব কেন দাঁড়াচ্ছি।দিনভর এই কর্মকাণ্ডের পর মমতার এক হুঙ্কারে ফেসবুক পোস্ট করে নিজের বিপ্লব থেকে সরে আসেন স্বপন ব্যানার্জী তথা বাবুন। ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে জানিয়ে দেন দিদিই শেষ কথ। বিজেপিতে যাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই।

মার্চ ১৩, ২০২৪
রাজনীতি

অর্জুন সিং কি বিজেপিতে ফিরছেন? 'তৃণমূল আমাকে বেইজ্জত করেছে', আক্ষেপ সাংসদের

এবার কি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের বিজেপিতে ফেরা সময়ের অপেক্ষা? মঙ্গলবার ভাটপাড়ায় নিজের অফিস মজদুর ভবনে বসে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার জন্য আক্ষেপ করেছেন। তিনি সরাসরি জানিয়ে দিলেন, মানুষ নরেন্দ্র মোদীর পক্ষেই আছে। অর্জুনের ইঙ্গিত অনুযায়ী ব্যারাকপুরে তিনি বিজেপি প্রার্থী হতে পারেন।অর্জুন সিং এদিন বলেন, মানুষের আবেগ মোদীজির পক্ষে আছে। ব্যারাকপুর বিজেপির দখলেই থাকবে। তৃণমূলের আমাকে আর প্রয়োজন নেই। আমি তৃণমূলের কাছে আন-ওয়ান্টেড। আমাকে বেইজ্জত করা হল। ব্যারাকপুরে নির্বাচনে দাঁড়াতে চেয়েছিলাম। সবটাই পরিকল্পনা করে ডিপ্রাইভ করা হল। তৃণমূলে যাওয়াটা প্রকাশ্যে ভুল স্বীকার করছি। আমার ছেলে দূরদর্শী। ছেলে বলেছিল আমাকে তৃণমূলে নেওয়া একটা প্ল্যান। সত্যিকারের তৃণমূল কর্মীদের বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অর্জুন সিংয়ের দফতর থেকে মমতা বন্দ্যেপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সরিয়ে দেওয়া হল।

মার্চ ১২, ২০২৪
রাজ্য

"আজ ট্রেলার দেখালাম, সিনেমাটা নির্বাচনে বাংলার মানুষ দেখিয় দেবে”, হুঙ্কার অভিষেকের

রবিবাসরীয় তৃণমূল কংগ্রেসের জনগর্জন ব্রিগেড। এদিন যে জনজোয়ার ঘটেছে তা পুরোপুরি বলা যাবে না। লোকসভা নির্বাচনের আগে মাত্র ১২ দিনের ঘোষণায় কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে সমাবেশ করল রাজ্যের শাসকদলের। ব্রিগেডে আসন্ন লোকসভা ভোটের আগে কর্মী-সমর্থকদের চাঙ্গা করতে আগাগোড়া আক্রমনাত্মক ভাষণ দেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ব্রিগেডের জনপ্লাবন দেখে তৃণমূল সাংসদের মন্তব্য, আজ ট্রেলার দেখালাম, সিনেমাটা নির্বাচনে বাংলার মানুষ দেখিয় দেবে। শুধু একথাই নয়, নাম না করে এদিন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কেও নিশানা করেছেন তৃণমূলের শীর্ষ সেনাপতি।আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের মুখে ব্রিগেডে জনগর্জন সভার ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মাত্র ১২ দিনের ঘোষণায় ব্রিগেডে এই সভা তৃণমূলের। এই সভামঞ্চ থেকেই এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ ও বিজেপিকে নিশানা করে তুমুল হুঙ্কার ছাড়েন অভিষেক।অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ভোট ED, CBI দেবে না। ভোট দেবেন মানুষ। দিল্লি থেকে বহিরাগত এসে বলছে মোদী গ্যারান্টি। চোর চুরি করে এখন BJP-তে যায়। এটাই মেদাীর গ্যারান্টি। ২০১৪-এর আগে বলেছিলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী হলে প্রত্যেক ভারতীয়র অ্যাকাউন্টে ঢুকবে ১৫ লাখ করে। কেউ পেয়েছেন? তাহলে বলুন মোদীর গ্যারান্টি জিরো গ্যারান্টি।এখানেই থামেননি তৃণমূলের শীর্ষ সেনাপতি। আসন্ন নির্বাচনে তাঁদের লড়াই কার কার সঙ্গে সেব্যাপারেও কর্মীদের সতর্ক করে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, তৃণমূলের লড়াই শুধু BJP-এর বিরুদ্ধে নয়। BJP, CPIM, বাংলার অধীর চৌধুরীর (Adhir Ranjan Chowdhury) নেতৃত্বাধীন থাকা Congress, ED, CBI, NIA, আয়কর, মোদী, অমিত শাহ, বিচার ব্যবরস্থার একাংশের বিরুদ্ধে। আমাদের বিশ্বাস, এই লড়াইয়ে আমরাই জিতব। বিজেপির সঙ্গে টাকা আছে, আমাদের সঙ্গে মানুষ আছেন।এছাড়াও নাম না করে এদিন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কেও নিশানা করেছেন অভিষেক। এপ্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, এখন চুরি করেই বিজেপিতে যাচ্ছে। এখন বিচারপতিকে উত্তরীয় পরাচ্ছে চোরেরা।এদিন সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিও এদিন নাম না করে প্রাক্তন বিচারপতিকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি। চাকরি খেয়েছে বলে তোপ দাগেন মমতা। বিচারপতির বিচার জনগণ করবে বলে তিনি জানিয়ে দিলেন। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার কথা তুলে ধরেন তৃণমূল নেত্রী।

মার্চ ১০, ২০২৪
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • ...
  • 53
  • 54
  • ›

ট্রেন্ডিং

দেশ

অভিনব প্রতারণা, বীরভূমের বিভাস অধিকারী গ্রেফতার, ধৃত পুত্র-সহ আরও পাঁচ

উত্তরপ্রদেশের নয়ডায় পুলিশকে চমকে দিয়ে ফাঁস হল এক অভিনব প্রতারণা চক্র। মূল অভিযুক্ত বীরভূমের বাসিন্দা বিভাস অধিকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত হয়েছে তাঁর পুত্র-সহ মোট ছয় জন।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা নয়ডায় এক ভুয়ো থানা গড়ে তুলেছিল। পুলিশি পোশাক, ব্যাজ, নকল সিলমোহর, সরকারি কাগজপত্রসবকিছু সাজানো হয়েছিল আসল থানার মতো করে। এই থানা থেকেই চাকরি পাইয়ে দেওয়া, মামলার সমাধান এবং ব্যবসায়িক অনুমোদনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মোটা টাকা হাতানো হত।গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নয়ডা পুলিশ গত সপ্তাহে হানা দেয় ওই স্থানে। সেখান থেকে উদ্ধার হয় নকল পরিচয়পত্র, নিয়োগপত্র, পুলিশি পোশাক, সরকারি সিল, নগদ অর্থ এবং কম্পিউটার সেটআপ।পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এই প্রতারণা অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে চলছিল। শুধু নয়ডা নয়, দিল্লি ও এনসিআর এলাকাতেও এদের যোগাযোগ ছিল।তদন্তকারীদের অনুমান, দীর্ঘদিন ধরেই এই প্রতারণা চলছিল। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের একাধিক অভিযোগ হাতে আসার পর শুরু হয় গোপন নজরদারি। এরপরই গত সপ্তাহে হানা দিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে নয়ডা পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে নকল পরিচয়পত্র, ভুয়ো নিয়োগপত্র, পুলিশি পোশাক, সরকারি সিল, নগদ অর্থ এবং বেশ কিছু নথি উদ্ধার হয়েছে।অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পাশাপাশি রাজ্য-স্তরে এদের যোগাযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আগস্ট ১০, ২০২৫
কলকাতা

আরজি কর কাণ্ডের একবছরে নবান্ন অভিযান ঘিরে তুলকালাম, অঘোষিত এমার্জেন্সি দেখছে শুভেন্দু

নবান্ন অভিমানকে কেন্দ্র করে শনিবার ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে। অভয়ার মৃত্যুর বিচার চেয়ে এক বছরে নবান্ন অভিমানের ডাক দিয়েছিল তাঁর বাবা-মা। সেই আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পদযাত্রা থেকে অভয়ার বাবা ও মাকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। বিক্ষোভে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলেও অভিযোগ। এদিকে এদিন এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গে যেন অঘোষিত ইমারজেন্সি জারি করেছে মমতা পুলিশ। গত বছর আজকের দিনে কর্তব্যরতা তরুণী চিকিৎসক বোন অভয়া খুন ও ধর্ষণ হন। তার ন্যায়বিচারের দাবি নিয়ে অভয়ার বাবা ও মা তাদের ন্যায্য অধিকার বুঝেনিতে পশ্চিমবঙ্গের সর্বস্তরের জনগণকে আহ্বান জানান নবান্ন যাওয়ার।উক্ত কর্মসূচি পূর্ব ঘোষিত, মহামান্য কলকাতা হাইকোর্ট অনুমোদিত কর্মসূচি। নিরীহ, নিরস্ত্র আন্দোলনকারীদের উপর মমতা পুলিশ নির্বিচারে লাঠিচার্জ করে। গুরুতর আহত হন অভয়ার বাবা ও মা সহ অনেকেই। তাদেরকে সুচিকিৎসার জন্য বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ও তার দলদাস প্রশাসন ন্যায় বিচার দিতে পারে না অথচ এই একপেশে অত্যাচার করে তাদেরকে পশ্চিমবঙ্গের জনগণ আর সহ্য করবে না। এবার এর বদল হবে। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি অযথা রাজনীতি করেছে বিজেপি। সেই ফাঁদে পা দিয়েছে অভয়ার বাবা, মা।

আগস্ট ০৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠকে অস্বস্তি বাড়ল সিএবি যুগ্ম সচিবের, জানুন কারণ

সিএবির অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠকে অস্বস্তি বাড়ল যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাসের। টাউন ক্লাবে খেলানো থেকে বাংলা দলে সুযোগ করে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ, প্রতিশ্রুতিভঙ্গ, সিএবিকে টিকিট বাবদ কয়েক লক্ষ টাকা না মেটানো-সহ বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছিল সিএবির যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাসের বিরুদ্ধে। এ ছাড়াও কোষাধ্যক্ষ প্রবীর চক্রবর্তী, সিএবির অ্যাপেক্স কাউন্সিলের সদস্য মহাদেব চক্রবর্তী, সিএবির সাব কমিটির সদস্য অম্বরীশ মিত্রর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে আলোচনার কথা ছিল গতকাল অ্যাপেক্স কাউন্সিলের জরুরি বৈঠকে। অভিযুক্ত সদস্যরা বৈঠকে থাকতে পারবেন বলেও আগেই সিদ্ধান্ত হয়।সিএবি সূত্রে খবর, দেবব্রত দাসকে বলা হয়েছে, টিকিট বাবদ বকেয়া অর্থ ১৫ দিনের মধ্যে পরিশোধ করতে। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১৫ দিনের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে হবে। সেই জবাব এলে তা পাঠানো হবে ওম্বুডসম্যানের কাছে।প্রবীর চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে অভিযোগের শুনানি শেষ হয়েছে। এবার সিদ্ধান্ত জানাবেন ওম্বুডসম্যান। প্রবীরের বিরুদ্ধে উয়াড়ি ক্লাব কী পদক্ষেপ করবে বা কোন পথে আইনি লড়াই চলবে সে ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করবে না সিএবি। তবে সিএবির তরফে বরাদ্দকৃত অর্থ কোন খাতে কতটা ব্যবহৃত হয়েছে সেই ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট না আসা অবধি উয়াড়ি ও এরিয়ান ক্লাবের জন্য আর্থিক অনুদান বন্ধ থাকবে।অম্বরীশের নামে যে আইনজীবী চিঠি পাঠিয়ে অভিযোগ করেছিলেন তিনি তা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় এই বিষয়ে আর আলোচনা হয়নি। মহাদেব অ্যাপেক্স কাউন্সিলে নিয়ম মেনে এসেছিলেন কিনা সে বিষয়েও আর জলঘোলা হয়নি তিনি কলকাতা পুলিশ থেকে অবসর নেওয়ায় এবং বর্তমান অ্যাপেক্স কাউন্সিলের মেয়াদ শেষ হয়ে আসায়। ইস্টবেঙ্গল বনাম ভবানীপুর লিগ ফাইনালে যে অবাঞ্ছিত বিতর্কিত ঘটনা ঘটেছিল তার জন্য দুই আম্পায়ার, পর্যবেক্ষক ও কয়েকজন ক্রিকেটারের শাস্তি হয়েছে। ওই পর্যবেক্ষক ও আম্পায়াররা আর পরের বছর লিগ ফাইনাল খেলাতে পারবেন না। সুরজ সিন্ধু জয়সওয়াল-সহ কয়েকজন ক্রিকেটারকে খান চারেক লিগ ম্যাচে দেখা যাবে না, তাঁদের বিরুদ্ধে আচরণবিধির লেভেল থ্রি লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। উল্লেখ্য, ওই ন্যক্কারজনক ঘটনার পরেই কড়া পদক্ষেপের আশ্বাস দেন সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়।

আগস্ট ০৬, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

ওভালে ইতিহাস! 'নেভার গিভ আপ' আর 'বিলিভ' মন্ত্রেই শুভমান-সিরাজদের বাজিমাত

ওভালে ইতিহাস গড়ল ভারত। ৬ রানে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে। যা টেস্টে গত একশো বছরে দেখেনি ওভাল। টেস্টে রানের নিরিখে এটিই ভারতের সবচেয়ে কম ব্যবধানে জয়। যার ফলে অ্যান্ডারসন-তেন্ডুলকর ট্রফির পাঁচ টেস্টের সিরিজ ২-২। প্রতিটি টেস্ট পঞ্চম দিন অবধি গড়িয়েছে, যা টেস্ট ফরম্যাটের সেরা বিজ্ঞাপন।আজ শেষদিন টেস্ট জিততে ভারতের দরকার ছিল চার উইকেট, ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ৩৫ রান। জেমি স্মিথ আর জেমি ওভার্টনকে ফিরিয়ে দেন মহম্মদ সিরাজ। জশ টং প্রসিদ্ধ কৃষ্ণর শিকার। এরপর এক হাতে ব্যাট করার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামেন ক্রিস ওকস। কাঁধের হাড় সরেছে ফিল্ডিং করতে গিয়ে। দৌড়ে রান নেওয়ার সময় যন্ত্রণা ধরা পড়ছিল তাঁর অভিব্যক্তিতে। তবে ব্যাট করতে হয়নি। গাস অ্যাটকিনসন মরণপণ চেষ্টা করছিলেন। যদিও মহম্মদ সিরাজের পারফেক্ট ইয়র্কার ভারতকে উপহার দিল স্মরণীয় জয়। হ্যারি ব্রুক ও জো রুটের ১৯৫ রানের পার্টনারশিপ ইংল্যান্ডের সিরিজ জেতার সম্ভাবনা জোরালো করেছিল। যদিও ৬৬ রানের মধ্যে শেষ সাত উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ড থামল ৩৬৭ রানে। শেষ ৬ উইকেটের পতন ৩৫ রানের মধ্যে।মহম্মদ সিরাজ পাঁচটি টেস্টেই খেলেছেন। দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিলেন। সিরিজে সর্বাধিক উইকেটশিকারী। সিরাজ বললেন, গতকাল যদি ব্রুকের ক্যাচটা নিতে পারতাম তাহলে খেলা আজ অবধি গড়াত না। ওই ক্যাচ পড়ার পর ব্রুক টি২০ মেজাজে খেলতে থাকেন। ফলে ওটা ম্যাচ চেঞ্জিং মোমেন্ট হতে পারতো। আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজের প্রতি বিশ্বাস ছিল যে আমিই জেতাতে পারব। বিলিভ লেখা ইমেজ গুগল থেকে নামিয়ে ওয়ালপেপারে রেখেছিলাম দলকে জেতানোর অঙ্গীকার করে।লর্ডস টেস্টে ভারত হেরেছিল। মহম্মদ সিরাজ রক্ষণাত্মকভাবে খেলার পরেও বল গড়িয়ে উইকেটে লেগে বেল পড়েছিল, জেতে ইংল্যান্ড। আজ সেই সিরাজ শেষ উইকেট পেলেন অ্যাটকিনসনকে বোল্ড করে। সিরাজের কথায়, সেদিন রবীন্দ্র জাদেজা বলেছিলেন ঠিকঠাক ডিফেন্স করতে আর প্রয়াত বাবার কথা মাথায় রাখতে, যাঁর জন্যে এই অবধি পৌঁছেছি। কিন্তু সেদিন পারিনি জেতাতে। আজ জিততে পেরে ভালো লাগছে। রবি শাস্ত্রী তো বলেই দিলেন, সিরাজ হায়দরাবাদে ফিরলে তাঁকে প্রোমোশন দেওয়া উচিত। আর ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ যথেষ্ট নয়!ভারত অধিনায়ক শুভমান গিলকে জড়িয়ে ধরতে দেখা গেল হেড কোচ গৌতম গম্ভীরকে। দেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের কাছে আর অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে টেস্ট সিরিজ হারের পর এই প্রথম গম্ভীরের প্রশিক্ষণাধীন ভারত টেস্ট সিরিজ ড্র করল। ভারতীয় শিবির ওভালে রুদ্ধশ্বাস টেস্ট জেতাকে সিরিজ জয় হিসেবেই ভাবছে। টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে প্রথম সিরিজেই সিরিজ সেরা হলেন সর্বাধিক রান সংগ্রহকারী গিল, ইংল্যান্ডের তরফে ব্রুক। শুভমান বলেন, দলে কৃষ্ণ, সিরাজের মতো বোলার থাকলে অধিনায়কের কাজ সহজ হয়ে যায়। উই নেভার গিভ আপ। অর্থাৎ শেষ অবধি নাছোড় লড়াই চালানোই যে তাঁদের মূল মন্ত্র সেটাও জানাতে ভুললেন না দল নিয়ে গর্বিত গিল। গিল যথার্থই বললেন, এই সিরিজে সব টেস্টের শেষদিনের শুরুতেও কেউ নিশ্চিত হতে পারেনি কে জিতবে। ইংল্যান্ডের অধিনায়ক বেন স্টোকস চোটের কারণে ওভালে খেলতে পারেননি। তিনি গিলের সঙ্গে সহমত যে, দুই দল যেভাবে এই সিরিজ খেলল তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা-সহ, তার যথার্থ প্রতিফলন ২-২ ফল হওয়া।

আগস্ট ০৪, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal