• ৪ পৌষ ১৪৩২, সোমবার ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Ed

রাজ্য

বর্ধমান থেকে হারিয়ে যাওয়া বালক হাওড়া থেকে উদ্ধার

কয়েকদিন আগে ঠাকুমার সঙ্গে রাস্তায় বেরিয়েছিল ৯ বছর বয়সী এক বালক। বর্ধমান থেকে হারিয়ে যায় বালকটি। নাম সোমনাথ বিশ্বাস। সে বর্ধমানের গোপালপুরের বাসিন্দা। দমদমের একটি আবাসিক স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। মঙ্গলবার রাতে তাকে হাওড়ার বালি এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করে নিশ্চিন্দা থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে , এদিন ২ নং জাতীয় সড়কের বামুনডাঙা থেকে তাকে উদ্ধার করে ট্রাফিক পুলিশ কর্মীরা। আরও পড়ুন ঃ চম্পাহাটির বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ , এলাকায় আতঙ্ক জানা গিয়েছে , লকডাউনের সময় থেকে সোমনাথ বর্ধমানে ঠাকুমার কাছে রয়েছে। এক ব্যক্তি সাইকেলে তাকে বর্ধমান থেকে হাওড়ায় নিয়ে এসেছে বলে সে পুলিশকে জানিয়েছে। রাস্তায় পুলিশ দেখে ওই ব্যক্তি সোমনাথকে জাতীয় সড়কের উপর নামিয়ে চম্পট দেয়। এরপর ওই বালককে উদ্ধার করেন কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের কর্মীরা। জানা গেছে, ওই বালকের বাবা-মা নেই। তাই সে ঠাকুমার কাছেই থাকে। লকডাউনে স্কুল থেকে বর্ধমানে ঠাকুমার কাছে চলে এসেছে। কয়েকদিন আগে ঠাকুমার সঙ্গে রাস্তায় বেরিয়ে হারিয়ে যায় সোমনাথ। তার দাবি, এরপরে এক কাকু তাকে বাড়ি পৌঁছনোর নাম করে এক সাইকেল আরোহীর হাতে তুলে দিয়েছেন। তার মাধ্যমেই এদিন সে বালিতে পৌঁছায়। কিন্তু বামুনডাঙাতে পুলিশ দেখে চম্পট দেয় ওই ব্যক্তি। এরপর তাকে উদ্ধার করে ট্রাফিক পুলিশ কর্মীরা। এরপরে নিশ্চিন্দা থানার পুলিশের হাতে সোমনাথকে তুলে দেওয়া হয়।

নভেম্বর ০৪, ২০২০
দেশ

আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় গ্রেফতার অর্ণব গোস্বামী

দুবছর আগে ঋণ শোধ না করা এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় এক বেসরকারি সংবাদমাধ্যমের এডিটর অর্ণব গোস্বামীকে গ্রেফতার করল মহারাষ্ট্র সিআইডি। তাঁকে গ্রেফতার করেছে মুম্বই পুলিশ। অর্ণব গোস্বামীকে গ্রেফতারের ঘটনার কড়া ভাষায় নিন্দা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি এদিন এই বিষয়ের প্রতিবাদ জানিয়ে টুইটে লেখেন, কংগ্রেস এবং সঙ্গীরা আরও একবার গনতন্ত্রকে লজ্জায় ফেলল। অর্ণব গোস্বামীর উপর আক্রমণ ব্যক্তি স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভের উপর হামলা। এটা আমাকে জরুরি অবস্থার কথা মনে করা হচ্ছে। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করা হবে। জানা গিয়েছে , বুধবার সকালে অর্ণবের বাড়িতে হানা দেয় মুম্বই পুলিশ ও সিআইডির একটি দল। সেই দলে ছিলেন ১০ থেকে ১২ জন পুলিশ আধিকারিক। অর্ণবের অভিযোগ, তাঁকে শারীরিক নিগ্রহ করেছে পুলিশ। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, তাঁকে বলপূর্বক পুলিশ ভ্যানে তোলা হচ্ছে। যে মামলায় অর্ণবকে আটক করা হয়েছে সেটি বছর দুয়েকের পুরনো।ওই বেসরকারি সংবাদমাধ্যমের সম্পাদকের বিরুদ্ধে ৫ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে শোধ না করা এবং আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ ছিল। আরও পড়ুন ঃ বিজেপির সঙ্গে জোট বাঁধার আগে রাজনীতি থেকে অবসর নেবঃ মায়াবতী প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের মে মাসে ইন্টেরিয়র ডিজাইনার অন্বয় নায়েক এবং তাঁর মা কুমুদ নায়েককে আলিবাগের একটি বাংলোতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। অন্বয়ের মেয়ে আদন্যা দাবি করেন, ওই বেসরকারি সংবাদমাধ্যমের থেকে বকেয়া টাকা না পেয়ে আত্মহত্যা করেন তাঁর বাবা ও ঠাকুমা।সেইসময় ওই বেসরকারি সংবাদমাধ্যম সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে। পরে দাবি করে, কিছু সংগঠন অসৎ উদ্দেশে ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এই ধরনের মিথ্যা প্রচারর করছে। অন্যদিকে , এদিন অর্ণব গোস্বামীকে গ্রেফতার করার নিন্দা করে বিজেপি নেতা তথা সাংবাদিক রন্তিদেব সেনগুপ্ত লিখেছেন , এই ঘটনায় ধর্মনিরপেক্ষ বা্মপন্থী ও তৃণমূলপন্থী্রা মুখে কুলুপ এঁটেছেন। বাক স্বাধীনতা নিয়ে এবার কিছু বলতে এলে এদের একদম বিদায় করুন। তিনি সকলকে এই ঘটনার বিরুদ্ধে একসঙ্গে প্রতিবাদ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন। বিজেপি নেতা স্বপন দাশগুপ্ত এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে টুইটে লিখেছেন , আমি মনে করি না , এই গ্রেফতারি অর্ণব গোস্বামীকে চুপ করাতে পারবে।এই ঘটনা তাঁর আবেদন আরও বাড়িয়ে তুলবে। কংগ্রেস ও শিবসেনাকে আরও হাস্যকর করে তুলবে। বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা টুইটে লিখেছেন , মহারাষ্ট্র সরকারের প্রতিহিংসামূলক চিন্তাভাবনায় বাংলার সরকারের চিন্তাভাবনার প্রতিচ্ছবি। নির্লজ্জ মুম্বই পুলিশ পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের যোগ্য প্রতিযোগী। দেশের সমস্ত সাংবাদিক বন্ধুদের এই লজ্জাজনক ঘটনায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাই। মহারাষ্ট্র সরকারের পতন আসন্ন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

নভেম্বর ০৪, ২০২০
কলকাতা

পর্যাপ্ত সংখ্যক ট্রেন চালানো্র আবেদন জানিয়ে রেলকে চিঠি স্বরাষ্ট্রসচিবের

রেলকে ফের চিঠি লিখলেন পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্রসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী । রেলের কাছে তাঁর অনুরোধ , সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক ট্রেন চালাতে হবে। একমাত্র তাহলেই সমস্যার সমাধান সম্ভব বলে মনে করছে নবান্ন। তাঁর মতে , মাত্র ১০ শতাংশ ট্রেন চললে পরিস্থিতি আরও জটিল হবে। বাদুড়ঝোলা ভিড় হবে ট্রেনগুলিতে। যেটা স্বাস্থ্য বিধি এবং সামাজিক দূরত্ববিধির পরিপন্থী। আরও পড়ুন ঃ দশ বছর ধরে ঘরছাড়া ব্যক্তিকে উদ্ধার করে বাড়ি ফেরাল জোড়াসাঁকো থানার এসআই আর সেই কারণেই তিনি পর্যাপ্ত সংখ্যক ট্রেন চালানোর জন্য অনুরোধ করেছেন। প্রসঙ্গত , সোমবার নবান্নে রেল ও রাজ্যের বৈঠকে স্থির হয় , আপাতত ১০ শতাংশ ট্রেন চালু করা হবে। এরপর ধীরে ধীরে তা ২৫ শতাংশ হবে। এরপর এদিন স্বরাষ্ট্রসচিবের চিঠি পাওয়ার পর রেল কী সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই এখন দেখার।

নভেম্বর ০৩, ২০২০
রাজ্য

ক্যানিংয়ে গুলিবিদ্ধ তিন তৃণমূল কর্মী , ধৃত ২

তৃণমূল কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল একদল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। ক্যানিংয়ের জীবনতলার দাহারানি গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। এই ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে একজন দুষ্কৃতীর নাম বিশাল দাস। এই বিশাল দাসের বিরুদ্ধে একাধিক খুনের অভিযোগ আছে। বেশ কিছুদিন আগে এক ব্যক্তিকে খুন করার পর দেহ টুকরো টুকরো করে দিয়েছিল সে। এরপর সেখান থেকে সে গা ঢাকা দেয়। আশ্রয় নেয় জীবনতলা থানার কুতুবুদ্দিন শেখের বাড়িতে। কুতুবউদ্দিন বিশালের পূর্বপরিচিত বলেই জানা গিয়েছে। সোমবার রাতের ঘটনার পর বারুইপুর জেলা পুলিশের একটি বিরাট টিম ওই এলাকায় আসে। শুরু হয়েছে তল্লাশির কাজ। দুষ্কৃতীদের কাছ থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। আরও পড়ুন ঃ মন্তেশ্বরে গায়ে আগুন দিয়ে একই পরিবারের তিনজন আত্মঘাতী উল্লেখ্য , অসামাজিক কাজের উদ্দেশ্যে একদল দুষ্কৃতী গ্রামে ঢুকেছে বলে সোমবার রাতে খবর যায় মাজেদ গাজি, আলমগীর গাজি ও মোসলেম মোল্লা নামে ওই তিন তৃণমূল কর্মীর কাছে। তাঁরা জানতে পারেন, এলাকারই এক রিকশাচালকের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে দুষ্কৃতীরা। এরপরই ওই ব্যক্তির বাড়িতে যান তৃণমূল কর্মীরা। সেখানে গিয়ে কারও দেখা পাননি তাঁরা। এরপরই ওই রিকশাচালকের আলা ঘরে দুষ্কৃতীদের খোঁজে যান ওই তিন যুবক। অভিযোগ, তাঁদের দেখতে পেয়েই আচমকা গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। পায়ে ও বুকে গুলি লাগে তৃণমূল কর্মীদের। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তাঁরা। স্থানীয়রা তড়িঘড়ি তাঁদের উদ্ধার করে ক্যানিং হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর গুলিবিদ্ধদের এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে তারা সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

নভেম্বর ০৩, ২০২০
রাজ্য

দুর্গাপুর প্রজেক্ট লিমিটেডে বিস্ফোরণ , মৃত ১

দুর্গাপুর প্রজেক্ট লিমিটেডে বিস্ফোরণের জেরে একজনের মৃত্যু হল। মৃতের নাম ওমপ্রকাশ চৌহান। তিনি একজন ঠিকাকর্মী। এই বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও একজন আহত হয়েছেন। আহত কর্মীর নাম বাম রুইদাস। তিনি ডিপিএলের নিরাপত্তারক্ষী। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। আরও পড়ুন ঃ রাষ্ট্রদ্রোহীদের হাত ধরে পাহাড়ে উঠতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ঃ দিলীপ তাকে ভরতি করা হয়েছে বেসরকারি হাসপাতালে। জানা গিয়েছে , মঙ্গলবার সকাল ১১ টা ১০ মিনিট নাগাদ বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে ডিপিএলের ৭ নম্বর কনস্ট্রাকশন গেট এলাকা। ঘটনাস্থলে আসে কোকওভেন থানার পুলিশ। তারা মৃতদেহ উদ্ধার করে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। কিন্তু কীভাবে এই বিস্ফোরণ হল , তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

নভেম্বর ০৩, ২০২০
বিদেশ

অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় সন্ত্রাসবাদী হামলা , নিহত ৭

অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় চলল এলোপাথাড়ি গুলি। মুম্বই হামলার কায়দায় একাধিক জায়গায় হামলা চালানো হয়। এর জেরে কমপক্ষে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত প্রায় ১৫ জন। ঘটনাটি ঘটেছে , সোমবার রাতে সেন্ট্রাল ভিয়েনায়। পুলিশ জানিয়েছে, গুলিবিদ্ধদের মধ্যে এক পুলিশ অফিসারও রয়েছেন। পুলিশের গুলিতে খতম হয়েছে এক হামলাকারী। আরও পড়ুন ঃ পাকিস্তানের মাদ্রাসায় কোরানের ক্লাস চলাকালীন বিস্ফোরণ, মৃত ৭ অস্ট্রিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কার্ল নেহামার জানিয়েছেন, আমরা ধরে নিতে পারি বেশ কয়েকজন অপরাধী রয়েছে। দুর্ভাগ্যক্রমে বেশ কয়েকজন সাধারণ মানুষ আহত হয়েছেন, অনেকে মারাও গিয়েছেন। এই আক্রমণকে জঙ্গিহানা বলে আখ্যায়িত করেন তিনি।অস্ট্রিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কার্ল নেহামার জানিয়েছেন, আমরা ধরে নিতে পারি বেশ কয়েকজন অপরাধী রয়েছে। দুর্ভাগ্যক্রমে বেশ কয়েকজন সাধারণ মানুষ আহত হয়েছেন, অনেকে মারাও গিয়েছেন। এই আক্রমণকে জঙ্গিহানা বলে আখ্যায়িত করেন তিনি।

নভেম্বর ০৩, ২০২০
রাজ্য

দলীয় কর্মীকে খুনের প্রতিবাদে বিজেপির ডাকা বন্ধে মিশ্র প্রভাব কল্যাণীতে

দলীয় কর্মীকে খুনের অভিযোগে বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টার বন্ধে মিশ্র প্রভাব পড়ল কল্যাণীতে। গয়েশপুর এলাকায় বন্ধ কিছুটা সফল কল্যাণীর অন্যান্য এলাকায় বন্ধের কোনও প্রভাব পড়েনি। কল্যাণীর বিভিন্ন জায়গায় এদিন দেখা গিয়েছে বন্ধ উপেক্ষা করে যানচলাচল করছে । খোলা রয়েছে দোকানপাটও। এদিকে এদিন বন্ধের সমর্থনে বাইক মিছিল করে বিজেপি কর্মীরা। বন্ধ সমর্থনের জন্য সকালে মিছিলও বের করে বিজেপি। ইতিমধ্যে মিছিল করার অপরাধে কল্যাণী থেকে ৬ জন বিজেপি কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। কল্যাণীতে তারা টায়ার জ্বালিয়ে ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভও দেখায়। কিন্তু ওই পর্যন্তই। এদিন বিজেপি নেতাদের টিকিটাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। কোনওরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এদিন প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এদিকে তৃণমূলের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে , বিজেপির বন্ধকে আদৌ গুরুত্বই দেননি সাধারণ বাসিন্দারা। আরও পড়ুন ঃ ফের স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে সাধারণ যাত্রী উঠতে চাওয়ায় ধুন্ধু্মার বৈদ্যবাটি স্টেশনে প্রসঙ্গত , রবিবার সকালে নদিয়ার গয়েশপুরে গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় বিজেপি কর্মী বিজয় শীলের দেহ উদ্ধার হয় । তৃণমূলের বিরুদ্ধে তাঁকে পরিকল্পিতভাবে খুনের অভিযোগে সরব হয়ে ওঠে বিজেপি। তখনই বিজেপি নেতৃত্ব সোমবার ১২ ঘণ্টার জন্য কল্যাণী বন্ধের ডাক দেয়। থানা ঘেরাও কর্মসূচির কথাও ঘোষণা করে। এদিকে , পরিবারের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে , বিজয় কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিল না।

নভেম্বর ০২, ২০২০
রাজ্য

ভাটপাড়ায় বিজেপি কর্মী খুন

এক বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। মৃতের নাম বীরেন্দ্র সাউ (৪৪)। স্থানীয়রা জানান, গত ১০ অক্টোবর মিথ্যা বোমাবাজির জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পঞ্চমীর দিন বীরেন্দ্র জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিল। অভিযোগ , সপ্তমীর দিন রাতে ঠিক বাড়ির উল্টোদিকে বসেছিলেন বীরেন্দ্র সাউ। ঠিক সেই সময় বাবুয়া, মন্নু সাউ-সহ তৃণমূলের পাঁচ-ছয়জন এসে পিস্তলের বাট দিয়ে বেধড়ক পেটায় বীরেন্দ্রকে। মাথায় আঘাত পেয়ে তিনি কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে গিয়েছিলেন। তাঁকে কল্যাণী হোমে রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছিল। ফের বুকে ব্যথা শুরু হলে শনিবার রাতে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। আরও পড়ুন ঃ অবিলম্বে লোকাল ট্রেন চালানোর দাবিতে রেলমন্ত্রীকে চিঠি অধীরের এই ঘটনা প্রসঙ্গে ভাটপাড়ার বিধায়ক পবন কুমার সিং বলেন, পিস্তলের বাট দিয়ে চিপ্পাকে মারধোর করেছিল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। মাথায় আঘাত লাগায় ওকে কল্যাণীর একটি হোমে রেখে চিকিৎসা করানো হচ্ছিল। শনিবার রাতে বুকে ব্যাথা শুরু হলে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। পবনের দাবি, বাংলা জুড়ে আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। নিত্যদিন বাংলায় বিজেপি কর্মী খুন হচ্ছে। কিন্তু প্রশাসন উদাসীন।

নভেম্বর ০১, ২০২০
রাজ্য

ফের বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার

ফের বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। এবার ঘটনাস্থল নদিয়া জেলার গয়েশপুর। মৃতের নাম বিজয় শীল(৩৪)। পেশায় দিনমজুর ছিল সে। তিনি বিজেপি যুব মোর্চার কার্যকর্তা ছিলেন। আমগাছের ডালে ফাঁস লাগানো অবস্থায় বিজয়ের দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায়। বিজেপির অভিযোগ , বিজয় শীলকে গলায় ফাঁস দিয়ে গাছে ঝুলিয়ে দিয়েছে তৃণমূলের লো্কেরা। এই ঘটনার প্রতিবাদে আগামীকাল কল্যাণী বন্ধের ডাক দিল বিজেপি। এর পাশাপাশি রাজ্যের সমস্ত থানা ঘেরাও করা হবে বলে জানিয়েছে বিজেপি। জানা গিয়েছে , প্রতিদিনের মতো শনিবারও সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হন বিজয়। কিন্তু রাত পেরলেও সে বাড়ি ফেরেনি। ফলে তাঁকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। তা সত্ত্বেও খোঁজ মেলেনি বিকাশের। রবিবার সকালে স্থানীয়রা তাঁর দেহ আমগাছের ডালে ফাঁস লাগা অবস্থায় দেখতে পান। আরও খবর ঃ উত্তরবঙ্গে সরকারি কর্মীরা রাজনৈতিক দলের অনুগতঃ ধনকড় এই ঘটনার নিন্দা করে টুইটে বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি মুকুল রায় লিখেছেন, একই কায়দায় ফের খুন হল বিজেপি কর্মী। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। রাজ্যপালকে অনুরোধ , আপনি এই ধরণের ঘটনার বিচার করুন। ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং এই ঘটনার নিন্দা করে টুইট করেন। তিনি লেখেন , আগে রবিবার সকালে সকলে টিভি খুলে রামায়ণ ও মহাভারত দেখার জন্য অপেক্ষা করত। কিন্তু এখন টিভি খুলে সকলে রাজনৈ্তিক কর্মী খুনের খবর দেখতে পায়। বিজেপি নেতা অরবিন্দ মেনন এই ঘটনার নিন্দা করে টুইটে লিখেছেন , বিজেপি যুব মোর্চার কার্যকর্তা বিজয় শীলকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। টিএমসির গুন্ডাদের জন্য পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষের ত্রাহি ত্রাহি রব উঠেছে। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য্য এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় এই ঘটনার নিন্দা করে জানিয়েছেন , পশ্চিমবঙ্গে কিভাবে গণতন্ত্র ঝুলে আছে। প্রত্যেকটি জায়গায় একই ভাবে বিজেপি কর্মীদের খুনের ধারা অব্যাহত। আমরা থামবো না, খুন হওয়া সমস্ত কর্মীদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে বিজেপি!

নভেম্বর ০১, ২০২০
কলকাতা

আগুনে পুড়ে মৃত্যু জ্যোতিষী জয়ন্ত শাস্ত্রীর

অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হল জ্যোতিষী জয়ন্ত শাস্ত্রীর। নিজের বাড়িতেই বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে মারা গেলেন তিনি। জানা গিয়েছে , রবিবার সকালে কেষ্টপুর সমর সরণিতে জয়ন্ত শাস্ত্রীর বাড়িতে আগুন লাগে। সেই সময় ঘরেই ছিলেন তিনি। প্রতিবেশীরা আগুন দেখতে পেয়ে দমকল ও কেষ্টপুর থানায় খবর দেয়। জয়ন্তবাবুর বাড়ির দরজায় ধাক্কা বা তাঁকে ডাকাডাকিতেও কাজ হয়নি। আরও পড়ুনঃ বিরাজমান শুভেন্দু, নেই অভিষেক! খোদ কলকাতায় ব্যানার ঘিরে চাঞ্চল্য কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় দমকলের দুটি ইঞ্জিন। বাড়ির দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন দমকল কর্মীরা। বেডরুম থেকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয় জ্যোতিষীকে। বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি। অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত কারণ খুঁজতে তদন্ত শুরু হয়েছে।

নভেম্বর ০১, ২০২০
রাজ্য

সবার অলক্ষ্যে ট্যাক্সি স্ট্যান্ডের সামনে পড়ে মহিলার দেহ, পুলিশি তৎপরতায় দেহ উদ্ধার

হাওড়া স্টেশনের সামনে এক অজ্ঞাতপরিচয় মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার হল। শুক্রবার রাতে হাওড়া স্টেশনের বাইরে যাত্রীদের বসার ছাউনির নিচে সিমেন্টের বেঞ্চের উপর ওই মহিলাকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর পেয়ে গোলাবাড়ি থানার পুলিশ এসে ওই মহিলাকে উদ্ধার করে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে। ভবঘুরে প্রকৃতির ওই মৃতা মহিলার পরিচয় এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। জানা গেছে, দীর্ঘক্ষণ ধরে তিনি ওইভাবেই সেখানে পড়েছিলেন। কিন্তু সেখানে বিষয়টি কারও নজরে আসেনি বলে অভিযোগ। হাওড়া স্টেশন দিয়ে যাতায়াত করা কোনও যাত্রীও এই বিষয়টি নজরে আনেননি। শেষপর্যন্ত রাতে ঘটনাটি জানাজানি হলে গোলাবাড়ি থানার পুলিশ সেখানে আসে এবং পুলিশের তৎপরতায় ওই মহিলাকে উদ্ধার করে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রশ্ন উঠেছে দীর্ঘক্ষণ ধরে এভাবে হাওড়া স্টেশনের বাইরে ট্যাক্সি স্ট্যান্ডের সামনে ওই মহিলা পড়ে থাকলেও কেন এই বিষয়টি সবার নজর এড়িয়ে গেল।

অক্টোবর ৩১, ২০২০
রাজ্য

বিজেপি নেতা মনীশ শুক্লা খুনের ঘটনায় ধৃত ২ শার্প শুটার

টিটাগড়ের বিজেপি নেতা মনীশ শুক্লা খুনের ঘটনায় দুই শার্প শুটারকে পাঞ্জাব থেকে গ্রেফতার করল সিআইডি। অভিযুক্তদের ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ধৃতদের নাম রোশন রাই, সুদীপ যাদব। প্রসঙ্গত , ওই খুনের ঘটনায় আগেই খুররম, গুলাব শেখকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাদের জেরা করার পর সিআইডি দাবি করে , পাটনার জেলে বন্দী সুবোধ সিং এই খুনের ঘটনায় সরাসরি জড়িত। আরও পড়ুন ঃ তারাপীঠে মহাসমারোহে পালিত হল তারা মায়ের আবির্ভাব তিথি জেলে বসেই সে তৈরি করে এই খুনের ব্লু-প্রিন্ট । সুবোধ রায় নামে অপর অভিযুক্তকেও পাকড়াও করা হয়। এরপর সুবো্ধকে জেরা করে প্রচুর তথ্য জোগাড় করেন তারা। এরপর তাদের খোঁজে বিহারে রীতিমতো ঘাঁটি গেড়েছিলেন তদন্তকারীরা । সেখান থেকেই সূত্র মেলে । তারপর এদিন তাদের পাঞ্জাব থেকে গ্রেফতার করা হয়।

অক্টোবর ৩০, ২০২০
দেশ

কাশ্মীরে খুন তিন বিজেপি কর্মী , নিন্দা মোদির

তিন বিজেপি কর্মীকে গুলি করে খুন করল অজ্ঞাতপরিচয় জঙ্গিরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগামে এই নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনার তীব্র নিন্দা করে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নিহত তিনজন হলেন বিজেপি-র যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক ফিদা হোসেন , উমের হাজাম এবং উমের রশিদ বেগ৷ কুলগামের ওয়াই কে পোরা এলাকায় এই তিনজনের উপরে হামলা চালায় জঙ্গিরা৷ ঘটনাস্থলে মারা যায় ফিদা হোসেন। বাকি দুই দলীয় কর্মী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মারা যায়। টিআরএফ এই হামলার দায় স্বীকার করেছে৷ আরও পড়ুন ঃ সমাজবাদী পার্টিকে হারাতে প্রয়োজনে বিজেপিকে ভোটঃ মায়াবতী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই হামলার নিন্দা করে টুইটারে লিখেছেন, আমাদের তিনজন তরুণ কার্যকর্তার হত্যার নিন্দা করছি৷ যুব প্রজন্মের উজ্জ্বল প্রতিনিধি হিসেবে জম্মু কাশ্মীরে এঁরা খুব ভাল কাজ করছিল৷ এই শোকের সময়ে আমি তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই৷ তাঁদের আত্মার শান্তি কামনা করি৷ পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি ও ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লাহও এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন৷

অক্টোবর ৩০, ২০২০
বিনোদুনিয়া

এখনও সঙ্কটজনক সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়

আচ্ছন্নভাব থাকলেও ধীরে ধীরে চোখ খোলার চেষ্টা করছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার বেলভিউ হাসপাতালের পক্ষ থেকে দুপুরের মেডিক্যাল বুলেটিনে এমনটাই জানানো হয়েছে। জানা গিয়েছে , তাঁর রক্তচাপ আপাতত নিয়ন্ত্রিত। ইতিমধ্যেই সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের রেনাল ফাংশন ঠিক করার জন্য প্রথম দফার ডায়ালিসিস হয়ে গিয়েছে। যার ফলে, ইউরিন আউটপুট খানিক হলেও বেড়েছে। আরও পড়ুনঃ আগামী ৮-১৫ জানুয়ারি কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবঃ মমতা ইউরিয়া ক্রিয়েটিনিন সামান্য ভাল বুধবারের তুলনায়। লিভার এবং অন্যান্য অঙ্গ আপাতত মোটের উপর কাজ করছে। এবার বিকেলে তাঁকে ফের দ্বিতীয় দফার ডায়ালিসিস দেওয়া হবে। তবে এখনও ভেন্টিলেশনেই রয়েছেন তিনি । হিমোগ্লোবিন আরও কমে গিয়েছে আজ। সেই কারণে ফের আজ বৃহস্পতিবার ব্লাড ট্রান্সফিউশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেডিকেল বোর্ড।

অক্টোবর ২৯, ২০২০
রাজ্য

পুলিশ - বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত বাগনান , আটক ৬

দলীয় কর্মীর হত্যার প্রতিবাদে বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টার বন্ধের জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বাগনান । বৃহস্পতিবার সেখানে মিছিল করতে গেলে পুলিশ বাধা দেয় রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি তথা সাংসদ সৌমিত্র খাঁকে। তাতেই পুলিশের সঙ্গে বিজেপি নেতাকর্মীরা বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বেঁধে যায়। পরে অবশ্য সৌমিত্র খাঁকে এলাকায় ঢুকতে দেয় পুলিশ। সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ ৬ বিজেপি কর্মীকে আটক করেছে। কেন দলীয় কর্মীদের আটক করা হল, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন সৌমিত্র খাঁ। এরপরই টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। বাগনান থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করেন তাঁরা। পালটা এলাকায় শান্তি মিছিল করে তৃণমূল। বাগনান স্টেশন চত্বরে বিক্ষোভও দেখায় তৃণমূল কর্মীরা। সৌমিত্র খাঁ বলেন, আমাদের দলীয় কর্মীকে খুন করা হয়েছে। আর আমাদেরই মিছিল করতে দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের কর্মীদের মারধর করে গ্রেফতার করছে পুলিশ। আর সেখানে তৃণমূল নেতারা আজ মিছিল বের করলেন। এছাড়াও হাওড়া জ্বলবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। বাগনানের বিজেপি নেতা কিঙ্কর মাজির মৃত্যু নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন , যে কর্মীকে আমাদের গুলি করা হয়েছিল সে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করতে করতে গতকাল মারা যায়। সে রকম সিতাই, মেদিনীপুর ও উত্তর ২৪ পরগনার একজন মারা গিয়েছে। পুজোর মধ্যেও এই খুনখারাপি চলেছে। আমার মনে হয় এগুলো ইচ্ছা করে করছে। প্রশাসনের উপর কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই সরকারের। যারা সমাজবিরোধী তারা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। সাধারণ মানুষকে খুন করছে। অন্যদিকে , দলীয় কর্মীর হত্যার প্রতিবাদে বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টার বাগনান বন্ধে অধিকাংশ দোকান খোলেনি। অবশ্য বাগনানের স্টেশনের দক্ষিণ পাশে দোকানপাট খোলাই ছিল। বাসস্ট্যান্ডে দেখা মিলেছে অটোর। তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় রাস্তায় যানবাহন চলাচল কিছুটা কম। এছারাও ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে স্বাভাবিক ছিল যান চলাচল। আরও পড়ুন ঃ কোনও নির্দিষ্ট লক্ষ্যর জন্য কাজ করলে হবে নাঃ শুভেন্দু প্রসঙ্গত , অষ্টমীর রাতে বাগনানের চন্দনাপাড়া গ্রামে কিঙ্কর মাজি নামে এক বিজেপি নেতাকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। হামলায় নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কর্মী পরিতোষ মাজির বিরুদ্ধে। আহত অবস্থায় প্রথমে কিঙ্করকে উলুবেড়িয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে রেফার করা হয় এনআরএস-এ। সেখানেই বুধবার সকালে মৃত্যু হয়। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায় বিজেপির অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। যদিও তৃণমূলের দাবি, এই ঘটনায় তাদের কোনও যোগ নেই।

অক্টোবর ২৯, ২০২০
ভ্রমণ

শিব- পার্বতীর বিবাহ স্থলে

শিব ঠাকুরের একটা সরল, সাধাসিধে ভোলাভালা ইমেজ আছে, তিনি ভোলানাথ। জাঁকজমক, আড়ম্বরের বেশী দরকার হয় না, অল্পেই তিনি তুষ্ট তাই তিনি আশুতোষ। কোনো অহঙ্কারের লেশ মাত্র নেই, অথচ তিনিই সব। ছোটবেলা থেকে তাঁর অনেক গল্প - কাহিনী মায়ের কাছে শোনা। সচরাচর রাগ করেন না, কিন্তু রেগে গেলে তাণ্ডব নৃত্য শুরু করেন, নটরাজ রূপে। ২০১৩ সালে কেদারনাথ মহাপ্রলয়ের সময়ে প্রকৃতির যে প্রলয়ঙ্করী রূপ দেখে আমরা শিউরে উঠেছিলাম, সেও ছিল বাবার রুদ্র রূপের প্রকাশ। আসলে ঈশ্বর আর প্রকৃতি তো আলাদা নয়, প্রকৃতির মধ্যেই তিনি বিরাজ করেন। পৌরাণিক কাহিনী তে আমরা জানি দক্ষ যজ্ঞের স্থলে সতীর দেহ ত্যাগের পর শিবের তাণ্ডব এবং তারপর বিষ্ণুর সুদর্শন চক্র দিয়ে সতীর দেহ বিভিন্ন অংশে বিভক্ত হওয়া, যা থেকে ৫১টি সতী পিঠের উৎপত্তি। পরবর্তী কালে সতী জন্ম নেন হিমালয় কন্যা পার্বতী রূপে। শিব কে পতি হিসাবে পাবার জন্য তিনি বহু বছর কঠোর তপস্যা করেন। আর পার্বতী তো আমাদের ঘরের মেয়ে। উমা, গৌরী, দুর্গা কত আদরের নামে আমরা তাকে ডাকি। কৈলাস থেকে প্রতি বছর তিনি আমাদের কাছে ছেলে মেয়ে সহ আসেন। কেদারনাথ থেকে ফেরার সময় পৌঁছে গিয়াছিলাম ত্রিয়ুগীনারায়ণ, কথিত আছে যেখানে রাজনন্দিনী পার্বতী ও শিবের স্বর্গীয় বিবাহ সম্পন্ন হয়।ব্রহ্ম শিলাপার্বতীর তপস্যার স্থানটি ছিল বর্তমান গৌরীকুণ্ড। তপস্যায় সন্তুষ্ট মহাদেব পার্বতীর বিবাহ প্রস্তাব মঞ্জুর করেন গুপ্তকাশী তে। কেদারনাথ যাওয়া - আসার পথে শোন প্রয়াগ থেকে ১২ কিমি দূরে ত্রিয়ুগীনারায়ণ নামক একটি ছোট্ট পাহাড়ী গ্রাম। শোনপ্রয়াগ থেকে ত্রিয়ুগীনারায়ণ পর্যন্ত পুরো পথটাই চিরপাইনে ঢাকা, বেশ মনোমুগ্ধকর।গঠনশৈলী র দিক থেকে কেদারনাথ মন্দিরের মত একটি ছোট মন্দির আছে। মনে করা হয় এই মন্দিরের বর্তমান রূপ আদি শঙ্করাচার্য প্রতিষ্ঠিত। ভিতরে তিনটি যুগ (সত্য, ত্রেতা এবং দ্বাপর) ধরে প্রজ্জ্বলিত অখণ্ড অগ্নিশিখা, যা জ্বালানো হয়ে ছিল সেই বিবাহের সময়, তাই এটি ত্রিযুগী। এই মন্দিরের আরাধ্য দেবতা নারায়ণ, শিব-পার্বতীর বিবাহে তিনি ছিলেন পার্বতীর ভাই এর ভূমিকায়। এই দুটি কারণে মন্দিরের নাম ত্রিয়ুগীনারায়ণ। এই মন্দির অখণ্ড ধুনি মন্দির নামেও খ্যাত। মন্দিরের সীমানায় চারটি কুণ্ড আছে। রুদ্র কুণ্ড স্নানের জন্য, বিষ্ণু কুণ্ড পরিষ্কারের জন্য, ব্রহ্ম কুণ্ড পানের জন্য, সরস্বতী কুণ্ড পূর্বপুরুষ দের জলদানের জন্য নির্দিষ্ট। এই বিবাহে পৌরহিত্য করেন প্রজাপতি ব্রহ্মা। ব্রহ্ম শিলা নামক এক শিলা খন্ড আছে, যা বিবাহ স্থলটিকে নির্দেশ করে। মন্দিরের ভিতরে রুপোর বিষ্ণু, লক্ষী ও সরস্বতীর মূর্তি আছে। এই মন্দিরে পূজো দেবার সময় দর্শনার্থীরা কাঠ নিয়ে আগুনে অর্পণ করে, তার ছাই নিয়ে আসেন আশীর্বাদ হিসাবে। এটি বৈবাহিক সম্পর্কের শান্তি নিয়ে আসে বলে মনে করা হয়। পূজার জিনিসপত্র নিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করার পর, পুজারিজী ব্রহ্ম শিলা র চারপাশে ঘুরিয়ে তারপর পূজো নিবেদন করলেন। এটাই প্রচলিত রীতি। তাঁর সাথে অনেকক্ষণ ধরে কথোপকথনে জানতে পারলাম পার্বতীর তপস্যা স্থল থেকে শুরু করে এই মন্দিরের সমস্ত কথা। তিনি জানালেন বহু প্রাচীন কাল থেকেই অনেক পরিব্রাজক এই মন্দিরে এসেছেন। উমাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এখানে এসেছিলেন, তাঁর রচিত হিমালয়ের পথে পথে গ্রন্থে এর উল্লেখ আছে। শিব-পার্বতীর বিবাহে-র স্থান হিসাবে খুব জনপ্রিয় ও পবিত্র এই জায়গায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন প্রথিতযশা শিল্পপতি ধিরুভাই আম্বানি ও কোকিলাবেন সহ আরো অনেক বিখ্যাত মানুষ। এখানে বিবাহ অনুষ্টানের জন্য আনেক আগে থেকে মন্দির কমিটির কাছে বুকিং করে রাখতে হয়। মন্দির সহ চারপাশের পরিবেশ অদ্ভুত শান্ত, নিরিবিলি। এখান থেকে গাড়য়াল হিমালযের বিখ্যাত গিরিশৃঙ্গ গুলি দৃশ্যমান। এখানকার মৃদুমন্দ বাতাস আজও চুপি চুপি সেই সুদূর অতীতের গল্প গাথা ই শুনিয়ে যায়। কেদারনাথ যাওয়া বা আসার পথে আধ বেলা হাতে থাকলে এই সুন্দর মন্দির ও স্বর্গীয় বিবাহের স্থানটি ঘুরে রোমাঞ্চকর অনুভূতির স্বাদ নিতে পারেন।ডঃ ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়সহকারী অধ্যাপকচন্দ্রপুর কলেজ (বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়)কিভাবে যাবেনহরিদ্বার থেকে শোন প্রয়াগ ২৩১ কিমি। শোন প্রয়াগ থেকে ১২ কিমি দূরে ত্রিয়ুগীনারায়ণ মন্দির। কোথায় থাকবেনশোন প্রয়াগ এ থাকার জন্য অনেক লজ ও হোটেল আছে। ত্রিয়ুগীনারায়ণ এ GMVN এর হোটেল আছে।

অক্টোবর ২৯, ২০২০
রাজ্য

 নৌকাডুবির ঘটনায় মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ রাজ্য সরকারের

নৌকাডুবির ঘটনায় মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানাল রাজ্য সরকার । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমতিক্রমে বুধবার রাজ্য সরকারের স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত , দশমীর বিকেলে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার হাজরা বাড়ির দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ডুমনি নদীতে। এলাকার আরো কয়েকটি দুর্গা প্রতিমাও সেইসময় ছিল নদীতে। আরও পড়ুন ঃ পথ দুর্ঘটনা কমাতে সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ কর্মসূচি পালন নদীতে চলছিল শোভাযাত্রা। সেই সময় হঠাৎ করে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে উলটে যায় প্রতিমা ও যাত্রীবোঝাই একটি নৌকা। একই সঙ্গে পাশের নৌকাটিও উলটে যায়। তাতে থাকা যাত্রীরা সাঁতরে পাড়ে ওঠার চেষ্টা করেন। বেশ কয়েকজন উঠেও পড়েন। সন্ধের পর বোঝা যায় যে ওই নৌকায় থাকা বেশ কয়েকজন নিখোঁজ। এরপরই খোঁজাখুঁজি শুরু হয় নদীতে। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। রাতে উদ্ধার হয় হাজরা পরিবারের ২ সদস্য-সহ ৫ জনের দেহ।

অক্টোবর ২৮, ২০২০
রাজনীতি

কাউগাছিতে খুন বিজেপি কর্মী

ফের খুন বিজেপি কর্মী। এবার কাউগাছিতে খুন হল এক বিজেপি কর্মী। নিহত বিজেপি কর্মীর নাম মিলন হালদার। বাড়ি কাউগাছিতে। এই ঘটনায় বিজেপির অভিযোগের তির তৃ্ণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপির অভিযোগ , তৃ্ণমূলের গুন্ডাবাহিনী মিলনের উপর প্রাণঘাতী হামলা চালায়। এর জেরেই ওই বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়। তৃণমূল অবশ্য তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আরও পড়ুন ঃ দিলীপ ঘোষকে প্রণাম করে বিজয়ার শুভেচ্ছা সৌমিত্র খাঁয়ের এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ভাটপাড়ার বিজেপি বিধায়ক পবন সিং টুইটে লেখেন , রাজ্যপালের কাছে আবেদন বাংলায় অবিলম্বে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হোক। এই টুইটে তিনি ট্যাগ করেছেন অমিত শাহ , কৈ্লাস বিজয়বর্গীয় ও দিলীপ ঘোষকে।

অক্টোবর ২৮, ২০২০
রাজ্য

আমি আমি হল সর্বনাশের মূল : শুভেন্দু অধিকারী

নিউ দিঘায় (বটতলা) উম্যান ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত মহিমাময়ী ভগিনী নিবেদিতার ১৫৩ তম জন্মদিবস উপলক্ষে মূর্তি উন্মোচন করলেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী । সেখানেই নিবেদিতার নতুন মূর্তি উদ্বোধন করেন রাজ্যের সেচ ও পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। তারপর ওই মহিলা সংগঠনের সদস্যদের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন , কেন আমি আপনাদের অভিনন্দন জানাচ্ছি ? আরও পড়ুন ঃ বিমল গুরুংয়ের বিরোধিতায় শান্তি মিছিল মোর্চার তার কারণ , কেউ একক শক্তিতে কোনও কাজ করতে পারে না। এটা স্বামী বিবেকানন্দ বলে গিয়েছেন। তিনি বলে গিয়েছেন , আমি আমি হল সর্বনাশের মূল। আমরা আমরা যারা করে , তারাই টিকে থাকে। প্রসঙ্গত , কয়েক মাস পরেই রাজ্যে বিধানসভা ভোট। কাকে উদ্দেশ্য করে তিনি এদিনের সভায় এই মন্তব্য , তা নিয়ে সন্দিগ্ধ রাজনৈতিক মহল। অন্যদিকে, তিনি সেখানে উপস্থিত ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের কর্মীদের যে ্কোনও সমস্যায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন বলে জানান।

অক্টোবর ২৮, ২০২০
কলকাতা

সৌমিত্রকে অন্ধকারে রেখেই জেলা যুব মোর্চার সভাপতিদের পদ বাতিল করলেন দিলীপ

ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার সব জেলার সভাপতি পদ ও কমিটি বাতিল করা হল।পরবর্তী ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত বিজেপির জেলা সভাপতিরাই এই দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানানো হয়েছে। শুক্রবার এই ঘোষণা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। উল্লেখ্য, বিজেপিতে নব্য ও আদিদের মধ্যে যে সমস্যা শুরু হয়েছে , তা দুর্গাপুজোর মধ্যেই সকলের সামনে চলে এল। আরও পড়ুনঃ সমস্ত অশুভ শক্তিকে সরিয়ে সকলকে ভয় মুক্ত করুন , প্রার্থনা ধনকড়ের এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সৌমিত্র খাঁ জানান, দলের এই সিদ্ধান্ত সম্পর্কে কিছুই জানি না। আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিষ্ণুপুের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ যুব মোর্চার দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। মিলছিল গোষ্ঠী কোন্দলের আভাস। বিজেপি রাজ্য সভাপতির এদিনের এই ঘোষণার মধ্যে দিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্বই ফের দলের মধ্যে ভেসে উঠল।

অক্টোবর ২৩, ২০২০
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 70
  • 71
  • 72
  • 73
  • 74
  • 75
  • 76
  • 77
  • 78
  • 79
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

নরেন্দ্র মোদীর পর এবার রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ, ৩০ ডিসেম্বর বৈঠক করবেন নেতৃত্বের সঙ্গে

একদিন আগেই রাজ্যে এসেছিলেন বিজেপির পোস্টারবয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আগামী ৩০ডিসেম্বর বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন। ওই বৈঠকে আগামী ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের কৌশল রচনা করবেন। তারপর সাংবাদিক বৈঠক করবেন অমিত শাহ। যদিও তাঁর এই বঙ্গসফরকে পাত্তা দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁদের বক্তব্য, বাংলায় নরেন্দ্র মোদী হোক বা অমিত ষশাহ হোক, এঁরা কেউ এখানে বিজেপির জয় এনে দিতে পারবেন না। আগেও নির্বাচনের আগে বারে বারে এসেছেন এবারও আসবেন। তবে ব্যর্থ হবেন বলেই দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
রাজনীতি

বর্ধমানে পৌঁছল বিহারের ৫৫টি বাইক, উদ্দেশ্য ঘিরে তৃণমূল–বিজেপি সংঘাত তুঙ্গে

রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির মধ্যেই পূর্ব বর্ধমানে শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক চাপানউতোর। শনিবার বিহারের নম্বর প্লেটযুক্ত ৫৫টি পুরনো মোটরবাইক বর্ধমান জেলা বিজেপি দলীয় অফিসের ঠিকানায় এসে পৌঁছানোকে ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বাইকগুলি ট্রেন থেকে নামিয়ে বর্ধমান রেল স্টেশনের ইস্টার্ন রেলওয়ের পার্সেল অফিসের সামনে রাখা হয়।এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাস। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের একাধিক নেতা ও কর্মী। বর্ধমান রেল স্টেশনে পার্সেল অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে তৃণমূল। বাইকগুলির মালিকানা, পরিবহণ সংক্রান্ত নথি এবং কেন শুধুমাত্র বিজেপির বর্ধমান জেলা অফিসের ঠিকানায় এই বাইক পাঠানো হয়েছে। তা প্রকাশ্যে আনার দাবি তোলেন বিধায়ক।বিক্ষোভে অংশ নেওয়া তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ, বিহারের রাজেন্দ্রনগর থেকে সুনীল গুপ্তা নামের এক ব্যক্তির নামে এই ৫৫টি বাইক পাঠানো হয়েছে। তাঁদের দাবি, বিধানসভা ভোটের আগে পরিকল্পিতভাবেই বাইকগুলি রাজ্যে ঢোকানো হচ্ছে। তৃণমূল নেতৃত্বের আশঙ্কা, আগামী দিনে এই বাইক ব্যবহার করে বাইরের লোকজন বা দুষ্কৃতীদের রাজ্যে ঢোকানোর চেষ্টা হতে পারে। জানা গিয়েছে, এই ৫৫টি নয়, ২৩ জেলা মিলিয়ে প্রায় ৬০০০ মোটর বাইক আসার কথা।বিধায়ক খোকন দাস স্পষ্ট ভাষায় জানান, এতগুলো বাইক বিহার থেকে কী উদ্দেশ্যে বাংলায় আনা হয়েছে, তা পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। ভোটের আগে এই বাইক ব্যবহার করে রাজ্যে অশান্তি ছড়ানোর পরিকল্পনা থাকতে পারে। একই সঙ্গে তিনি রেল ও জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেন। দলের বর্ধমান শহর সভাপতি তন্ময় সিংহ রায়ও বাইকগুলির সম্পূর্ণ তথ্য জনসমক্ষে আনার দাবি জানান। তাঁর বক্তব্য, রেল কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি জেলা ও রাজ্য প্রশাসনকে এই পরিবহণের বিস্তারিত জানাতে হবে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রয়োজনীয় নথি প্রকাশ না হলে বাইকগুলি পার্সেল অফিস থেকে ছাড়তে দেওয়া হবে না।অন্যদিকে, তৃণমূলের সব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে বিজেপি। জেলা বিজেপি নেতা দেবজ্যোতি সিংহরায় বলেন, কিছুদিন আগেই বিহারে নির্বাচন হয়েছিল। সেই সময় দলীয় কর্মীদের কাজে ব্যবহারের জন্য এই বাইকগুলি ব্যবহার করা হয়েছিল। বিহারের ভোট শেষ হওয়ায় সেগুলি এখন পশ্চিমবঙ্গে আনা হয়েছে। তিনি আরও জানান, বর্ধমান জেলা বিজেপি অফিস রাঢ়বঙ্গ জোনের কেন্দ্রীয় অফিস হওয়ায় এখানকার ঠিকানাতেই বাইক পাঠানো হয়েছে। বিজেপির দাবি, প্রতি নির্বাচনের আগেই এভাবেই বাইক আনা হয় এবং বিষয়টি জেনেও তৃণমূল অহেতুক বিতর্ক তৈরি করছে। বাইক বিতর্কে প্রশাসনের ভূমিকা কী হয়, তা নিয়েই এখন রাজনৈতিক মহলে বাড়ছে কৌতূহল।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

এশিয়া কাপ ফাইনালে স্বপ্নভঙ্গ, দুবাইয়ে পাকিস্তানের কাছে লজ্জার হার ভারতের

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়ল ভারত। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩৪৮ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আয়ুষ মাত্রের দল গুটিয়ে গেল মাত্র ১৫৬ রানে। ফলে ১৯১ রানের বড় ব্যবধানে হার স্বীকার করেই শিরোপা হাতছাড়া করতে হল টিম ইন্ডিয়াকে।টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। কিন্তু শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় পাকিস্তান। দলের হয়ে বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন সামির মিনহাস। মাত্র এক ইনিংসেই তিনি করে ফেলেন ১৭২ রান। উসমান খানের সঙ্গে ৯২ রানের এবং আহমেদ হুসেনের সঙ্গে ১৩৭ রানের দুটি বড় জুটিতে ভর করে দ্রুত ৩০০ রানের গণ্ডি পেরিয়ে যায় পাকিস্তান।বিশেষজ্ঞদের মতে, একসময় পাকিস্তানের ইনিংস ২৭০২৮০ রানের মধ্যেই থামতে পারত। কিন্তু মিনহাসের ব্যাটে ভর করেই ৪৩ ওভারের মধ্যেই ৩০০ ছুঁয়ে ফেলে তারা। পরে তাঁর আউট হওয়ার পর পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে ধস নামে। ৩০২/৩ থেকে ৩২৭/৮ মাত্র ২৫ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারালেও ততক্ষণে ম্যাচ কার্যত একপেশে হয়ে গিয়েছিল।লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ভারতীয় ব্যাটিং সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে। বৈভব সূর্যবংশী, আয়ুষ মাত্রে, অভিজ্ঞান কুণ্ডুর মতো পরিচিত নাম থাকলেও কেউই দায়িত্ব নিতে পারেননি। আশ্চর্যজনকভাবে দলের সর্বোচ্চ রান আসে ১০ নম্বর ব্যাটার দীপেশ দেবেন্দ্রনের ব্যাট থেকে। তিনি মাত্র ১৬ বলে ৩৬ রান করে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিলেও তা যথেষ্ট ছিল না।এই হার যেন সাম্প্রতিক সিনিয়র দলের বিশ্বকাপ ফাইনালের স্মৃতি ফিরিয়ে আনল। সেবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে, এবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মঞ্চ ফাইনাল, ফলাফলও প্রায় একই রকম হতাশাজনক।উল্লেখযোগ্যভাবে, ফাইনালে ওঠার আগে টুর্নামেন্টে একমাত্র অপরাজিত দল ছিল ভারত অনূর্ধ্ব-১৯। গ্রুপ পর্বে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, মালয়েশিয়া ও পাকিস্তানকে হারিয়েছিল তারা। অন্যদিকে পাকিস্তান গ্রুপে ভারতের কাছেই একমাত্র হেরেছিল। কিন্তু ফাইনালের মঞ্চে সম্পূর্ণ ভিন্ন রূপে ধরা দেয় তারা। শেষ পর্যন্ত দুবাইয়ে দাপটের সঙ্গে জয় ছিনিয়ে নিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ নিজেদের ঝুলিতে ভরল পাকিস্তান। আর ফাইনালে বারবার হোঁচট খাওয়ার প্রবণতা নিয়ে বড় প্রশ্নচিহ্ন থেকে গেল ভারতীয় যুব দলের সামনে।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
বিদেশ

প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারে হামলার পরও অকুতোভয় কর্তৃপক্ষ, সন্ত্রাসের নিন্দার ঝড় বিশ্বের সর্বত্র

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠল ঢাকায় প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে। দেশের দুটি প্রথম সারির সংবাদপত্রের দফতরে এই হামলার অভিযোগ সামনে আসতেই তীব্র প্রতিক্রিয়া ছড়িয়েছে সাংবাদিক মহল, নাগরিক সমাজ এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলির মধ্যে। বাংলাদেশ ছাড়িয়ে নিন্দার ঝড় বয়েছে অন্যত্র।ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর বাংলাদেশে আসার পর থেকেই উত্তাল হয়ে ওঠে দেশ। পরবর্তীতে হিংসা ছড়িয়ে পরে নানা জায়গায়। নৃশংস ভাবে হিন্দু যুবক খুন থেকে সংস্কৃতি সংগঠনের ওপর হামাল। সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের ওপর ক্রমাগত হামলা চলতে থাকে।প্রাথমিক অভিযোগ অনুযায়ী, ঢাকায় অবস্থিত প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে একদল দুষ্কৃতী হামলা চালায়। তারা অফিসে ঢুকে ভাঙচুর চালায় এবং কর্মরত সাংবাদিক ও কর্মীদের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। আগুন লাগিয়ে দেয় এই অফিসদুটিতে। যদিও এই ঘটনায় বড় ধরনের শারীরিক ক্ষতির খবর নেই, তবে আচমকা হামলায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং কিছু সময়ের জন্য সংবাদকর্ম ব্যাহত হয়। সংবাদপত্র প্রকাশনা বন্ধ রাখতে হয়। বৃহস্পতিবার রাতে অনলাইন পোর্টালেও আর খবর আপলোড করা যায়নি।হামলার ঘটনার পরপরই বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও সম্পাদকীয় মহল একে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত বলে উল্লেখ করেছে। তাদের বক্তব্য, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা গণতন্ত্রের অন্যতম ভিত্তি, আর সংবাদমাধ্যমকে ভয় দেখিয়ে কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা গভীর উদ্বেগজনক। এই দুই সংবাদপত্র গোষ্ঠীও জানিয়ে দেয় তারা ভয় পায় না। খবর প্রকাশ করতে কোনও পরোয় তারা করবে না। এমনকী দফতরের সামনে মানব বন্ধন কর্মসূচি পালন করে।ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রশাসনের তরফে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।এই ঘটনার পর প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের পক্ষ থেকে পৃথক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হুমকি বা হামলার মাধ্যমে সত্য প্রকাশ থামানো যাবে না। তারা দ্রুত, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে প্রশাসনের কাছে।আন্তর্জাতিক স্তরেও এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সাংবাদিক সংগঠন ও মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এবং মুক্ত সাংবাদিকতার পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে। প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে হামলার ঘটনা শুধু দুটি সংবাদপত্রের ওপর আঘাত নয়, বরং বাংলাদেশের সামগ্রিক গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ভবিষ্যৎ নিয়েই বড় প্রশ্ন তুলে দিল। এখন দেখার, প্রশাসনিক পদক্ষেপ কতটা দ্রুত ও কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয়।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

লাইভ মঞ্চে লগ্নজিতা চক্রবর্তীকে হেনস্থার অভিযোগ, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত, ওসির ভূমিকা নিয়েও তদন্ত

লাইভ পারফরম্যান্স চলাকালীন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী লগ্নজিতা চক্রবর্তীকে হেনস্থার অভিযোগে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি ও সাংস্কৃতিক মহল। পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে একটি বেসরকারি স্কুলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করতে গিয়ে এই ঘটনার মুখে পড়েন তিনি। ঘটনার পর পুলিশ অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে, যার নাম তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জড়িয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সন্ধ্যায় ভগবানপুরের একটি বেসরকারি স্কুল প্রাঙ্গণে। অভিযোগ অনুযায়ী, লগ্নজিতা চক্রবর্তী যখন জাগো মা গানটি পরিবেশন করছিলেন, তখন অনুষ্ঠানের প্রধান উদ্যোক্তা ও ওই স্কুলের মালিক মেহবুব মল্লিক আচমকাই মঞ্চে উঠে আসেন। শিল্পীর অভিযোগ, তিনি গালিগালাজ করেন এবং চিৎকার করে বলেন, অনেক হয়েছে জাগো মা, এবার কিছু সেকুলার গান গাও। পাশাপাশি মারধরের হুমকি ও শারীরিকভাবে আক্রমণের চেষ্টাও করা হয় বলে অভিযোগ।পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে উঠলে অনুষ্ঠান কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। পরে লগ্নজিতা চক্রবর্তী ভগবানপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি জানান, প্রথমে থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসার পর মামলা রুজু হয় এবং অভিযুক্ত মেহবুব মল্লিককে গ্রেপ্তার করা হয়।পূর্ব মেদিনীপুরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মিতুন দে জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে ভগবানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক এবং আরও এক পুলিশকর্মীর ভূমিকা নিয়েও বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের গাফিলতির প্রমাণ মিললে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজাও তীব্র হয়েছে। বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য। বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পাণ্ডা অভিযোগ করেন, একজন শিল্পী কি গান গাইবেন, সেটাও শাসক দলের লোক ঠিক করে দিচ্ছে। এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। তিনি আরও দাবি করেন, পুলিশ প্রথমে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেছিল। যদিও এই ঘটনার বিষয়ে এখনও পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।লাইভ মঞ্চে একজন শিল্পীর গান বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিয়ে ওঠা এই প্রশ্ন এখন আর শুধু ব্যক্তিগত অভিযোগে সীমাবদ্ধ নয়। সাংস্কৃতিক পরিসরে মতপ্রকাশের অধিকার, প্রশাসনের নিরপেক্ষতা এবং রাজনৈতিক প্রভাব সব মিলিয়ে এই ঘটনা রাজ্যজুড়ে বড় বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
বিদেশ

আইএমএফের চাপে লাগামছাড়া জিএসটি! পাকিস্তানে জনবিস্ফোরণের আশঙ্কা

কন্ডোমের উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি নিয়ে চরম উদ্বেগে পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ-এর নির্দেশে এই কর বসানো হয়েছে। এর ফলে কন্ডোমের দাম এতটাই বেড়েছে যে তা এখন নিম্ন ও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ আইএমএফ-এর কাছে কর কমানোর আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আইএমএফ। এই সিদ্ধান্তে দেশে জনসংখ্যা বিস্ফোরণের আশঙ্কা করছে পাক সরকার।আইএমএফ-এর ঋণের উপরই কার্যত নির্ভরশীল পাকিস্তানের অর্থনীতি। দেশের আর্থিক পরিস্থিতি সামাল দিতে চলতি বছরে বড় অঙ্কের ঋণ নিয়েছে ইসলামাবাদ। সেই ঋণের শর্ত হিসেবেই কর আদায় বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে আইএমএফ। তার জেরেই কন্ডোম, স্যানিটারি ন্যাপকিন ও শিশুদের ডাইপারের মতো প্রয়োজনীয় পণ্যের উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি বসানো হয়েছে।পাকিস্তান সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছিল, জনস্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনার কথা ভেবে অন্তত কন্ডোমের উপর থেকে কর কমানো হোক। কিন্তু আইএমএফ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষের মাঝপথে কর কাঠামোয় কোনও পরিবর্তন করা যাবে না। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে ২০২৬-২৭ অর্থবর্ষের বাজেটে। আইএমএফের যুক্তি, কন্ডোমের উপর থেকে কর তুলে নিলে সরকারের কয়েকশো কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হবে, যা এই মুহূর্তে সম্ভব নয়।এই পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগে রয়েছে শাহবাজ শরিফের সরকার। পাকিস্তানে বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার প্রায় ২.৫৫ শতাংশ। অর্থাৎ প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষ বাড়ছে। সরকার মনে করছে, কন্ডোমের দাম বেড়ে যাওয়ায় বহু মানুষ তা ব্যবহার করতে পারছেন না। এর ফলে অনিয়ন্ত্রিত ভাবে জনসংখ্যা বাড়ছে, যা দেশের অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের উপর আরও চাপ ফেলবে।পাক সরকারের আশঙ্কা, এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে ভবিষ্যতে সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা আরও ভয়াবহ আকার নিতে পারে। কিন্তু আইএমএফ-এর কড়া অবস্থানের সামনে আপাতত অসহায় ইসলামাবাদ। এখন পরের বাজেটের দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া শাহবাজ সরকারের হাতে আর কোনও পথ খোলা নেই।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
রাজ্য

তাহেরপুরে প্রধানমন্ত্রীর সভার আগে মর্মান্তিক ঘটনা, কুয়াশায় প্রাণ গেল চারজনের

এসআইআর আবহের মধ্যেই শনিবার পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নদিয়ার তাহেরপুরে তাঁর সভা রয়েছে। সকাল থেকেই সভাস্থলের দিকে ভিড় জমতে শুরু করেছিল। ঠিক সেই সময়েই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ট্রেনের ধাক্কায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে শক্তিনগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।জানা গিয়েছে, মৃত ও আহত সকলের বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলায়। তাঁরা প্রধানমন্ত্রী মোদির সভায় যোগ দিতেই নদিয়ার তাহেরপুরে এসেছিলেন। ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেল ও পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।শনিবার ভোরে তাহেরপুর স্টেশনের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে মুর্শিদাবাদের বড়ঞার সাবলদহ গ্রাম থেকে প্রায় ৪০ জন তাহেরপুরে আসেন। ভোরবেলা তাঁদের মধ্যে কয়েক জন রেললাইনের ধারে প্রাতঃকৃত্য সারতে যান। সেই সময় আচমকাই দ্রুতগতির একটি ট্রেন চলে আসে। ট্রেনের ধাক্কায় চার জন লাইনের উপর ছিটকে পড়েন। আঘাত এতটাই গুরুতর ছিল যে ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়।একই ঘটনায় আরও দুজন আহত হন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। অন্য জনের চিকিৎসা চলছে। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, ভোরের ঘন কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা অনেকটাই কম ছিল। সেই কারণেই ট্রেন আসছে বুঝতে না পারায় এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে অন্য সম্ভাবনাগুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।মতুয়াগড় হিসেবে পরিচিত নদিয়ার তাহেরপুরে এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদির সভা ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে। তার মধ্যেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
বিদেশ

হট টাব থেকে সুইমিং পুল, এপস্টেইন নথিতে একের পর এক চাঞ্চল্যকর ছবি

কুখ্যাত যৌন অপরাধী জেফ্রি এপস্টেইনকে ঘিরে ফের তোলপাড় আমেরিকার রাজনীতি। এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্কিত হাজার হাজার পাতার নথি প্রকাশ করল মার্কিন ন্যায় বিভাগ। সেই নথিতে বারবার উঠে এসেছে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টনের নাম। প্রকাশ্যে এসেছে একাধিক ছবি। কিন্তু বিস্ময়ের বিষয়, বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম ও ছবি সেখানে প্রায় নেই বললেই চলে।প্রকাশিত ছবিগুলির একটিতে তরুণ বিল ক্লিন্টনকে একটি হট টাবে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে। ছবির একটি অংশ কালো রঙে ঢেকে রাখা হয়েছে। অন্য একটি ছবিতে দেখা গিয়েছে, এক মহিলার সঙ্গে সাঁতার কাটছেন ক্লিন্টন। ওই মহিলা এপস্টেইনের ঘনিষ্ঠ ও প্রেমিকা ঘিসলাইন ম্যাক্সওয়েল বলে মনে করা হচ্ছে। আরও একটি ছবিতে ক্লিন্টনের পাশে দেখা গিয়েছে পপ সংগীতের কিংবদন্তি মাইকেল জ্যাকসনকে। তাঁদের পাশেই ছিলেন গায়িকা ডায়ানা রস।এই সব ছবি ও তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রায় সম্পূর্ণ অনুপস্থিতি। নব্বইয়ের দশক এবং দুই হাজার দশকের শুরুতে এপস্টেইনের সঙ্গে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠতার কথা আগে একাধিকবার সামনে এসেছে। কিন্তু সদ্য প্রকাশিত নথিতে তাঁর কোনও ছবি নেই। নামও এসেছে মাত্র একবার, একটি যোগাযোগের খাতায়। সেই খাতাটি কার, তাও স্পষ্ট নয়।অথচ এর আগে প্রকাশিত নথিতে ট্রাম্পের উপস্থিতির কথা জানা গিয়েছিল। এমনকি এপস্টেইনের ব্যক্তিগত বিমানে তাঁকে দেখা যাওয়ার কথাও উঠে এসেছিল। সেই কারণেই নতুন নথিতে তাঁর অনুপস্থিতিকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকের ধারণা, নিজেকে আড়াল করতে বিল ক্লিন্টনের দিকেই আলো ঘোরানোর চেষ্টা করছেন ট্রাম্প। উল্লেখযোগ্য ভাবে, মাসখানেক আগেই এপস্টেইনের সঙ্গে বিল ক্লিন্টনের সম্পর্ক নিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছিলেন ট্রাম্প। সেই তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জানা যায়।এই পরিস্থিতিতে বিল ক্লিন্টনের শিবির থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের এক মুখপাত্র বলেন, এপস্টেইন সংক্রান্ত তদন্ত শুধুমাত্র বিল ক্লিন্টনকে লক্ষ্য করে করা হচ্ছে না। তাঁর বক্তব্য, বহু পুরনো ছবি প্রকাশ করতেই পারে প্রশাসন, কিন্তু গোটা বিষয়টি শুধু ক্লিন্টনকে ঘিরে নয়। তিনি বলেন, এপস্টেইনের ক্ষেত্রে দুধরনের মানুষ ছিলেন। একদল, যাঁরা অপরাধের কথা প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গেই সব সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলেন। আরেক দল, যাঁরা এরপরও যোগাযোগ বজায় রেখেছিলেন। তাঁদের দাবি, বিল ক্লিন্টন প্রথম দলের মধ্যেই পড়েন।নাম না করলেও ক্লিন্টন শিবির যে ডোনাল্ড ট্রাম্পকেই নিশানা করছে, তা স্পষ্ট। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, ট্রাম্প যতই চেষ্টা করুন না কেন, এপস্টেইন কেলেঙ্কারি থেকে নিজের নাম পুরোপুরি সরিয়ে রাখা তাঁর পক্ষে সহজ হবে না।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal