• ৪ পৌষ ১৪৩২, সোমবার ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Ed

খেলার দুনিয়া

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৬: একই গ্রুপে ভারত–পাকিস্তান, প্রকাশিত সূর্যকুমারদের ম্যাচ সূচি

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৬-এ একই গ্রুপে ভারত ও পাকিস্তান। সূর্যকুমারদের সম্পূর্ণ ম্যাচ সূচি, গ্রুপ তালিকা, ভেন্যু ও তারিখ জেনে নিন এক নজরে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৬: একই গ্রুপে ভারতপাকিস্তান, সূর্যকুমারদের ম্যাচের সূচি প্রকাশ। র্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে চার গ্রুপে ভাগ করেছে আইসিসি। ভারতের গ্রুপে পাকিস্তানসহ পাঁচ দল। ৮ ফেব্রুয়ারি আমেরিকার বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে অভিযান শুরু।আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) র্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে গ্রুপ ভাগ করে দিয়েছে। চারটি গ্রুপে পাঁচটি করে দল অংশ নেবে টুর্নামেন্টে। সুপার এইটে উঠবে প্রতিটি গ্রুপের প্রথম দুই দল।সহজ গ্রুপে ভারত, একই গ্রুপে পাকিস্তানটি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকা ভারত পেয়েছে তুলনামূলক সহজ গ্রুপ। সূর্যকুমার যাদবদের সাথে সেই গ্রুপে হয়েছে পাকিস্তান (৭), নেদারল্যান্ডস (১৩), নামিবিয়া (১৫) এবং আমেরিকা (১৮)। ভারতপাকিস্তান ছাড়া সব কটি দলই অ্যাসোসিয়েট সদস্যফলে কাগজে-কলমে গ্রুপটি ভারতের পক্ষে সুবিধাজনক।কঠিন চ্যালেঞ্জে শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকাআয়োজক দেশ শ্রীলঙ্কার গ্রুপে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, জ়িম্বাবোয়ে, আয়ারল্যান্ড ও ওমানচারটি টেস্ট খেলিয়ে দেশ। ইংল্যান্ডের গ্রুপও কঠিন। তাদের মুখোমুখি হতে হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, বাংলাদেশ, নেপাল ও কোয়ালিফায়ার ইটালি। দক্ষিণ আফ্রিকার গ্রুপে রয়েছে নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং কানাডাযা টুর্নামেন্টের সবচেয়ে শক্ত গ্রুপগুলির মধ্যে একটি বলে বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা।ভারতের ম্যাচ সূচি কবে খেলবে কার বিরুদ্ধে?আইসিসি সূত্রে নিশ্চিত হয়েছে, ভারত গ্রুপ পর্বে চারটি ম্যাচ খেলবে৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৬, অহমদাবাদ ভারত বনাম আমেরিকা১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৬, দিল্লি ভারত বনাম নামিবিয়া১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৬, কলম্বো ভারত বনাম পাকিস্তান১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৬, মুম্বই ভারত বনাম নেদারল্যান্ডসভেন্যুর তালিকাঃভারতের পাঁচটি শহরে বিশ্বকাপের ম্যাচ হবেঅমেদাবাদ, দিল্লি, কলকাতা, মুম্বই ও চেন্নাই।শ্রীলঙ্কায় ম্যাচ হবে কলম্বোর দুটি স্টেডিয়াম ও ক্যান্ডিতে।ফাইনাল সম্ভাব্য ভেন্যুঅমেদাবাদ।দুটি সেমিফাইনাল হবে কলকাতা এবং মুম্বইয়ে। তবে পাকিস্তান সেমি বা ফাইনালে পৌঁছলে তাদের ম্যাচ স্থানান্তরিত হবে শ্রীলঙ্কায়।২৫ নভেম্বর প্রকাশ হবে অফিসিয়াল সূচিঃআইসিসি ২৫ নভেম্বর সরকারি ভাবে পুরো সূচি ঘোষণা করবে। তার আগেই গ্রুপ ভাগ ও সম্ভাব্য দ্বৈরথ নিয়ে ক্রিকেট মহলে তুমুল আলোচনা শুরু হয়েছে।

নভেম্বর ২২, ২০২৫
কলকাতা

হাসপাতালে রোগীর পরিবারকে প্রতারিত করার ফাঁদ—ধরা পড়তেই বিস্ফোরক তথ্য, মাথা ঘুরে গেল পুলিশের

সরকারি হাসপাতালে দালালচক্র নির্মূলের দাবি বহুদিনের। অথচ কলকাতার দুই প্রধান স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠল পুরনো সেই দাপটই। মেডিক্যাল কলেজ ও SSKMদুটি হাসপাতালেই রোগীর আতঙ্ক বাড়িয়ে আবার সক্রিয় হয়েছে দালাল চক্র। গত শুক্রবার সন্ধেয় সাদা পোশাকে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের আকস্মিক হানাতেই ধরা পড়ল এই নেটওয়ার্কের দুই সক্রিয় সদস্য।মেডিক্যাল কলেজ থেকে ধরা হয় সচিন রাউথ নামে এক ব্যক্তিকে। অভিযোগ, তিনি রোগীর পরিবারের কাছে ঘোরাফেরা করে বিভিন্ন অজুহাতে টাকা তুলছিলেন। চিকিৎসাপরামর্শ দেওয়ার নামে তাঁকে আগে থেকেই নজরে রেখেছিল পুলিশ। সেই সূত্র ধরেই শেষ পর্যন্ত হাতেনাতে ধরা পড়ে তিনি।অন্যদিকে SSKM হাসপাতাল থেকে পাকড়াও করা হয়েছে গোলাম রসুল নামে আরও এক দালালকে। রোগীদের ভিড়ের মাঝে ছদ্ম পরিচয়ে ঘুরে বেড়িয়ে তিনি নানাভাবে টাকা আদায় করতেন বলে অভিযোগ। হাসপাতাল সূত্রে দাবি, তিনি বহিরাগতই ছিলেন। গত কয়েক দিন ধরেই তাঁর গতিবিধি সন্দেহজনক লাগছিল। শুক্রবার সন্ধ্যায় পুলিশের গোপন নজরদারিতে তার জাল শেষমেশ ভেঙে পড়ে।সবচেয়ে বড় প্রশ্নমুখ্যমন্ত্রী সরাসরি হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরও কীভাবে সরকারি হাসপাতালের ভিতর এমন দালালচক্রের দাপট এতটা প্রকাশ্যে চলল? গত মাসেই SSKM হাসপাতালের বহিরাগত প্রবেশ ও CCTV নজরদারি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। সেই সময়ই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, হাসপাতালের ভেতরে কারা ঢুকছেবেরোচ্ছে তার বিশেষ খতিয়ান রাখতে। তবু কীভাবে এসব চক্র ফের সক্রিয় হল, তা এখন তদন্তের মুখ্য দিক।দুই অভিযুক্তকেই আজ আদালতে পেশ করা হবে। তাঁদের কাছ থেকে আরও তথ্য জোগাড় করার চেষ্টা চলছে। পুলিশ মনে করছে, তাঁদের পিছনে আরও বড় চক্র লুকিয়ে থাকতে পারে। হাসপাতাল চত্বরে তাদের ম্যাপিং শুরু করেছে তদন্তকারী দল।কলকাতার দুই সর্বাধিক ব্যস্ত সরকারি হাসপাতালে দালালচক্রের এই নতুন সক্রিয়তা রোগীদের উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে। প্রশ্ন উঠছেএবার কি সত্যিই কঠোর পদক্ষেপ করবে প্রশাসন?

নভেম্বর ২২, ২০২৫
দেশ

ভারতীয় নৌসেনার গোপন তথ্য পাকিস্তানে! কর্নাটকে গ্রেপ্তার দুই যুবক, সামনে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য

ভারতের নৌবাহিনীর গোপন তথ্য পাকিস্তানে পাচারের অভিযোগে কর্নাটকের উদুপিতে গ্রেপ্তার হলেন দুই যুবক। অভিযোগ এতটাই গুরুতর যে কোচিন শিপইয়ার্ডের সিইও নিজে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে বাধ্য হন। ধৃতদের পরিচয় রোহিত (২৯) এবং সানত্রী (৩৭), দুজনেই উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুরের বাসিন্দা। দেশবিরোধী এই কর্মকাণ্ড ঘিরে এখন উত্তপ্ত গোটা দক্ষিণ ভারত।তদন্তকারী সূত্রে জানা গিয়েছে, রোহিত একসময় কেরলের কোচিন শিপইয়ার্ড লিমিটেডে কাজ করতেনযে শিপইয়ার্ড ভারতীয় নৌসেনার রণতরী, সাবমেরিন থেকে শুরু করে একাধিক অতি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক প্রকল্প তৈরি করে। অভিযোগ, সেখানেই কাজ করার সময় তিনি বিভিন্ন নৌগোপন তথ্য হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পাকিস্তানে পাচার করতেন। পরে তিনি কর্নাটকের একটি জাহাজ নির্মাণ সংস্থায় যোগ দিলেও পাচার বন্ধ হয়নি। বরং আরও নিয়মিতভাবে একই কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন তিনি।শিপইয়ার্ডের সিইওর নজরে আসে তাঁর সন্দেহজনক গতিবিধি। তথ্য যত বেরোতে থাকে, ততই স্পষ্ট হয় যে রোহিতের কাছে পৌঁছে গিয়েছে এমন কিছু নথি ও চিত্র, যা কোনও ভাবেই সাধারণ কর্মীর কাছে থাকার কথা নয়। অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।রোহিতকে জেরা করতেই উঠে আসে সানত্রীর নাম। জানা যায়, বারবার সানত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করতেন রোহিত। তাঁর কাছেও কিছু গোপন তথ্য পাঠানো হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। তবে সানত্রীর ভূমিকাটি কতটা গভীর, তিনিও পাচার নেটওয়ার্কের অংশ কি নাসবটাই এখন খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।পুলিশ সূত্রের দাবি, গোটা চক্রটির পেছনে পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর কোনো যোগ রয়েছে কি না, তাও প্রধানত পরীক্ষা করা হচ্ছে। কীভাবে এত বড় নিরাপত্তা সংস্থার ভিতর থেকে তথ্য চুরি হল, কীভাবে তা বিদেশে পৌঁছলসবকিছুর দিকেই নজর তদন্তকারীদের।দেশের নৌসেনা সম্পর্কিত সংবেদনশীল তথ্য পাচারের ঘটনায় ইতিমধ্যেই উত্তেজনা তৈরি হয়েছে গোটা রাষ্ট্রযন্ত্রে। তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই প্রকাশ পাচ্ছে বহু অজানা তথ্য, আর ততই স্পষ্ট হচ্ছে চক্রটি আরও বড় হতে পারে।

নভেম্বর ২২, ২০২৫
কলকাতা

“চার বছর ধরে অভিযোগ!”—অবশেষে চাপের মুখে পদত্যাগ করলেন অধ্যাপক কল্যাণ ভট্টাচার্য

কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে বিস্ফোরক পরিস্থিতি তৈরি হল শুক্রবার। প্রথম বর্ষের ছাত্রীদের শ্লীলতাহানি ও শারীরিক হেনস্থার অভিযোগে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করলেন অ্যানাটমি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক কল্যাণ ভট্টাচার্য। সকাল থেকেই চাপে ছিলেন তিনি। আর সেই চাপের উৎস হাসপাতালের ছাত্রছাত্রীদের একটানা আন্দোলন। অধ্যক্ষের দফতরের সামনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মেডিক্যাল কলেজের পরিবেশ।অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই প্রথম বর্ষের ছাত্রীর সঙ্গে অশালীন আচরণ করতেন এইচওডি। একাধিক ছাত্রী বারবার বিষয়টি অভিযোগ জানালেও ব্যবস্থা হয়নি বলে দাবি পড়ুয়াদের। অবশেষে সাম্প্রতিক হেনস্থার অভিযোগ সামনে আসতেই ফেটে পড়ে ক্ষোভ। শুক্রবার দুপুর বারোটার পর থেকেই স্টুডেন্টস ইউনিয়নের সদস্যরা প্রিন্সিপালের ঘরের সামনে অবস্থান শুরু করেন। তাঁরা জানান, তাঁরা লিখিত আকারেই এমন অভিযোগ গত কয়েক বছর ধরে তুলে আসছেন, কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।বিকেলের দিকে পরিস্থিতি জটিল হতে থাকলে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করতে বাধ্য হন অ্যানাটমি বিভাগের প্রধান। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষ জানায়, নতুন এইচওডি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অধ্যাপক মৈত্রেয়ী মণ্ডলকে। একই সঙ্গে সাত সদস্যের একটি কমিটিও তৈরি হয়েছে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে সেই কমিটির রিপোর্ট যাবে অধ্যক্ষের হাতে। এরপর তা স্বাস্থ্যদপ্তরে পাঠানো হবে, আর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে সেখানকার কর্তৃপক্ষ।এক বিক্ষোভকারী ছাত্র বলেন, আমাদের দাবি আংশিকভাবে পূরণ হলেও ক্ষোভ থেকেই যাচ্ছে। চার বছর ধরে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। কোনও দিন ব্যবস্থা হল না। আজ আন্দোলনের জেরে পদক্ষেপ হল। অন্যদিকে এমএসভিপি অঞ্জন অধিকারী বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত সংবেদনশীল। মেডিক্যাল কলেজে এমন ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। প্রশাসন সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছে। হেড স্যার ইস্তফা দিয়েছেন। এখন সমস্তটাই কমিটির রিপোর্টের উপর নির্ভর করছে।এই পুরো ঘটনা ফের একবার প্রশ্ন তুলছেশিক্ষাঙ্গনে নিরাপত্তাহীনতার উদ্বেগ কতটা গভীর? আর চাপ না থাকলে কি কোনও অভিযোগ কখনও গুরুত্ব পায়?

নভেম্বর ২১, ২০২৫
কলকাতা

আবার বন্ধ বিদ্যাসাগর সেতু! রবিবার ৭ ঘণ্টার জন্য থমকে যাবে যাতায়াত

বিদ্যাসাগর সেতু আবারও বন্ধ থাকতে চলেছে রক্ষণাবেক্ষণের কাজে। কলকাতা ও হাওড়ার মধ্যে প্রতিদিন হাজার হাজার গাড়ি যে দ্বিতীয় হুগলি সেতু পেরিয়ে যাতায়াত করে, সেই গুরুত্বপূর্ণ সংযোগপথ একটানা সাত ঘণ্টা বন্ধ থাকবে আগামী রবিবার, ২৩ নভেম্বর। সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত কোনও গাড়িই উঠতে পারবে না সেতুর উপর। নির্দিষ্ট সময় পেরোলেই যান চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছে হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশন।গত কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রায় প্রতি রবিবারেই সেতুর মেরামতির জন্য যান চলাচল বন্ধ রাখা হচ্ছে। এর আগেও ১৬ নভেম্বর বিদ্যাসাগর সেতু বন্ধ ছিল দীর্ঘ সময়। ওই দিন ভোর ৪টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সেতুর উপর যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয় পুলিশ। সেতুর হোল্ডিং ডাউন কেবল থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ বিয়ারিংগুলির মেরামতিএই সব কাজই এখন দ্রুতগতিতে চলছে। সেই কারণেই নিরাপত্তার স্বার্থে এবং কোনও দুর্ঘটনা এড়াতে সপ্তাহের শেষ দিনে কয়েক ঘণ্টা করে বন্ধ রাখা হচ্ছে সেতু।এইচআরবিসির ইঞ্জিনিয়ারদের মতে, দ্বিতীয় হুগলি সেতুর ভার বহন ক্ষমতা বজায় রাখতে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ অপরিহার্য। সেতুর বিশাল তার, বিয়ারিং ও স্টিল স্ট্রাকচার সবই অত্যন্ত সংবেদনশীল। তাই কাজ চলাকালীন যেকোনও দুর্ঘটনা এড়াতে পুরোপুরি যান চলাচল বন্ধ রাখাই নিরাপদ।কলকাতা বা হাওড়া থেকে যাতায়াতকারী মানুষজনকে এই সময় বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করতে হবে। সবচেয়ে সুবিধাজনক বিকল্প পথ হিসেবে খোলা থাকবে হাওড়া ব্রিজ। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার সকালে যানবাহনের চাপ বাড়বে বলে অনুমান। তাই আগে থেকেই পরিকল্পনা করে বের হওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।একটানা কয়েক রবিবার ধরে বন্ধ থাকায় অনেক যাত্রীই বিরক্ত হলেও, প্রশাসনের দাবিএই কাজ শেষ হয়ে গেলে সেতু আরও নিরাপদ এবং দীর্ঘস্থায়ী হবে। তাই আপাতত কিছুটা অসুবিধা হলেও সুফল মিলবে ভবিষ্যতে।

নভেম্বর ২০, ২০২৫
রাজ্য

সাজা ঘোষণার আগেই নিহতের মায়ের ছবি তোলে দোষীর মেয়ে! আতঙ্কে বারাসত আদালত

বারাসত আদালতে সাজা ঘোষণার ঠিক আগেই ঘটে গেল এমন এক ঘটনা, যা নতুন করে আতঙ্ক বাড়িয়ে দিল নিহত স্কুলছাত্রের পরিবারে। খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত এনজার নবীর সাজা ঘোষণা হওয়ার আগেই আদালত চত্বরে নিহত কিশোরের মা ও তাঁর ননদের ছবি তুলে নেয় অভিযুক্তের মেয়ে। তারপর সেই ছবি নাকি পাঠানো হয় আর এক খুনের আসামিকেএই অভিযোগ তুলেই বৃহস্পতিবার জেলার পুলিশ সুপারের কাছে ছুটে যান মৃত কিশোর ফারদিনের মা। পরে বারাসত আদালত এনজার নবীকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের ঘোষণা করে।রায় শোনার পর কান্না চেপে সংবাদমাধ্যমের সামনে কিশোরের মা জানান, তিনি ও তাঁর ননদ আদালত কক্ষে বসে ছিলেন। হঠাৎই দেখেন, এনজারের মেয়ে তাঁদের দুজনের ছবি তুলছে। এরপরই আদালতেরই এক খুনের আসামিকে ছবি পাঠিয়ে দেয় বলে দাবি তাঁর। নিহতের মা বলেন, তাঁর আরেক সন্তান রয়েছে। তাই এই ঘটনা শোনার পর থেকেই চরম আতঙ্কে দিন কাটছে তাঁদের পরিবারের।ফারদিনের পিসি হোসনেআরা বেগমও দাবি করেন, যে ব্যক্তির সঙ্গে ছবিগুলি পাঠানো হয়েছে, সে নাকি মাত্র চার মাসের মধ্যে খুনের মামলা থেকে জেল ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে। সেই কারণেই তাঁরা আরও ভয় পাচ্ছেন।এ নিয়ে জেলার পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খরিয়ার স্পষ্ট বক্তব্যএটি অত্যন্ত সংবেদনশীল অভিযোগ। লিখিত অভিযোগ জমা দিলে তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ফারদিন খুনের মামলার পটভূমিতেও রয়েছে নৃশংসতার দীর্ঘ ইতিহাস। বারাসতের কাজিপাড়ায় দুই ভাইগোলাম নবী ও এনজার নবীর মধ্যে বহুদিন ধরেই সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ চলছিল। সেই দ্বন্দ্বই চরমে ওঠে তালগাছ কাটা নিয়ে। তার কয়েক দিন পরেই গত ২০২৪ সালের ৯ জুন রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যায় গোলামের ছেলে, পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ফারদিন। পরিবারের চোখের সামনে থেকে উধাও হয়ে যায় সে। চার দিন পর বাড়ির লাগোয়া পরিত্যক্ত বাথরুম থেকে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।এরপর নিজের দোষ ঢাকতে এলাকায় ছেলেধরা গুজব ছড়াতে থাকে এনজার নবী। মুহূর্তে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে সেই ভুয়ো খবর। শুধু এলাকাই নয়, সারা জেলাজুড়েও শুরু হয় ছেলেধরা সন্দেহে নানা মারধরের ঘটনা। পরে তদন্তে নামতেই বেরিয়ে আসে আসল সত্য, এবং ১৯ জুন এনজার নবীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার আদালত তাকে এই নৃশংস হত্যার দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছে।কিন্তু সাজা ঘোষণার আগেই নিহতের পরিবারের ছবি তোলা এবং তা কোনও অপরাধীর কাছে পাঠানোর অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বারাসত আদালত চত্বরে। পরিবার এখন প্রশ্ন তুলছেএই ঘটনার পিছনে কি নতুন কোনও চক্রান্ত? নাকি ভয় দেখানোর চেষ্টা? উত্তর দেবে তদন্তই।

নভেম্বর ২০, ২০২৫
রাজ্য

বাক্সবন্দি বন্দুক পরিষ্কার করতে গিয়ে রক্তপাত—এই দম্পতির বয়ান কি বিশ্বাসযোগ্য?

শিবপুরের বিলাসবহুল আবাসনের এক ফ্ল্যাটে মর্মান্তিক ঘটনা। বুধবার সকালে নিজের ঘরে বসে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র পরিষ্কার করছিলেন গোপাল যাদব। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, ঠিক সেই সময়েই তাঁর পাশে চেয়ারে বসে ছিলেন স্ত্রী পুনম। আচমকা হাত ফসকে বন্দুক থেকে গুলি ছুটে গিয়ে সোজা গিয়ে লাগে পুনমের ঘাড়ে। গুলির শব্দে আবাসনের লোকজন ছুটে আসলেও গোপাল প্রথমেই দাবি করেন, এটি সম্পূর্ণ দুর্ঘটনা।গুলিবিদ্ধ পুনমকে তড়িঘড়ি করে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বৃহস্পতিবার তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হলে পুলিশ হাসপাতালেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পুনমও বলেন, স্বামী আগ্নেয়াস্ত্র পরিষ্কার করার সময়ই গুলি বেরিয়ে যায়। যদিও এই দম্পতির বয়ান পুলিশের সন্দেহ পুরোপুরি কাটাতে পারেনি। তদন্তকারী অফিসারেরা মনে করছেন, এটা নিছক দুর্ঘটনা, নাকি গোপাল কোনও কারণে স্ত্রীকে খুন করতে চেয়েছিলেনসেই দিকটাই এখন গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অভিযোগে গোপালের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনসহ খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করেছে শিবপুর থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাঁকে হাওড়া আদালতে পেশ করা হলে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর হয়। তদন্তে আরও উঠে এসেছে, ঘটনাটি ঘটার পর গোপাল বন্দুকটি সরিয়ে ফেলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর আগেই পুলিশ ওই আগ্নেয়াস্ত্রটি উদ্ধার করে বাজেয়াপ্ত করে। জানা গিয়েছে, আগ্নেয়াস্ত্রটি বিহার থেকে এনেছিলেন গোপাল এবং নিজের সঙ্গে অস্ত্র রাখার নেশা ছিল তাঁর দীর্ঘদিনের।এমন প্রশ্ন উঠছেঅভিজাত আবাসনে বসবাস করেও কীভাবে এতদিন ধরে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দিব্যি ছিলেন গোপাল? হাওড়া সিটি পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ওই আবাসনের নিরাপত্তা ব্যবস্থাই অত্যন্ত ঢিলেঢালা। গেটে মেটাল ডিটেক্টর নেই, নেই কোনও কঠোর তল্লাশি। তাঁর কথায়, মেটাল ডিটেক্টর থাকলে গোপালের অস্ত্র নিয়ে ঢোকাই সম্ভব হত না।এই ঘটনার পর হাওড়া সিটি পুলিশ জানিয়েছে, জেলার সমস্ত আবাসনেই এবার বাধ্যতামূলক করা হবে মেটাল ডিটেক্টর। যাতে কোনও বাসিন্দা, অতিথি কিংবা বাইরের কেউ বেআইনি অস্ত্র নিয়ে ভেতরে ঢুকতে না পারে। শিবপুরের যে আবাসনে ঘটনাটি ঘটেছে, সেখানে বহু হাইপ্রোফাইল ব্যক্তি থাকেন। তাঁদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই দ্রুত নিরাপত্তা বৃদ্ধি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নভেম্বর ২০, ২০২৫
কলকাতা

সুদে টাকা ফেরত নয়, উল্টে কারচুপি—ইডির জালে আরেক সাহারা আধিকারিক

সাহারা ইন্ডিয়া গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বিশাল অঙ্কের আর্থিক প্রতারণার তদন্তে বড় পদক্ষেপ নিল ইডি। ১.৭৯ লক্ষ কোটি টাকার দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হলেন সংস্থার প্রাক্তন কর্তা ওমপ্রকাশ শ্রীবাস্তব। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দপ্তরে হাজিরা দিতে যান। টানা জেরা চলতে থাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। ইডি অভিযোগ করেছে, তিনি তদন্তে বারবার অসহযোগিতা করেছেন। সেই কারণেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।এই মামলার সূত্র বহু পুরনো। সাহারা ইন্ডিয়া আমানতকারীদের মোটা টাকা ফেরতের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু সেই টাকা বাস্তবে কেউ পাননি। এরপর সংস্থার বিরুদ্ধে ১.৭৯ লক্ষ কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ ওঠে। সুব্রত সাহা, তাঁর ছেলে-সহ একাধিক আধিকারিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। মামলাটি পরে পৌঁছয় সুপ্রিম কোর্টে। ইডির দাবি, আমানতকারীদের থেকে সংগ্রহ করা বিপুল অর্থের মধ্যে ৭৫০ কোটি টাকা সংস্থার তিন কর্তার কাছে গিয়েছিল। ওমপ্রকাশের ব্যক্তিগত হিসাবে গিয়েছে ১৫০ কোটি।ইডির আরও অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্ট আমানতকারীদের টাকা ফেরাতে সম্পত্তি বিক্রির নির্দেশ দিলেও সেই প্রক্রিয়াতেও কারচুপি করা হয়েছে। ওমপ্রকাশ নাকি সাহারায় কর্মরত থাকার সময় বিভিন্ন সংস্থায় টাকা সাইফুন করেছেন, এমনকি ব্যক্তিগত মুনাফাও তুলেছেন প্রায় ১৫০ কোটি।জেরার পর ওমপ্রকাশ শ্রীবাস্তবকে বৃহস্পতিবারই আদালতে তোলা হয়। ইডি আদালতে জানিয়েছে যে, তিনি সাহারা সংস্থা থেকে অবসর নেওয়ার পর অন্য সংস্থায় যুক্ত হলেও পুরনো নথি ও লেনদেনে তাঁর ভূমিকা গোপন করার চেষ্টা করেছেন। তদন্তকারীরা তাঁকে ১৪ দিনের হেফাজতে চাইছে, যাতে টাকা সাইফুনের পুরো রুট ও কার কার ভূমিকা রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা যায়।সাহারা মামলায় এই গ্রেপ্তার নতুন করে আলোচনার ঝড় তুলেছে আর্থিক মহলে।

নভেম্বর ২০, ২০২৫
কলকাতা

ভুয়ো ভারতীয় পরিচয়পত্রে ব্যবসা! কলকাতায় আফগান নাগরিকদের গোপন নেটওয়ার্কে নড়েচড়ে বসল পুলিশ

ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও দীর্ঘ দিন ধরে কলকাতা শহরে লুকিয়ে থাকার অভিযোগে দুই আফগান নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম রহমতুল্লাহ খাকসার ও নিয়াজ মহম্মদ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তারা বেশ কয়েক বছর ধরে ওয়াটগঞ্জ এলাকায় থেকে ব্যবসা করত। কিন্তু পাঁচ বছর আগেই তাদের ভারতে থাকার অনুমতির মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। মেয়াদ নবীকরণ না করে তারা ভুয়ো ভারতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করে শহরেই গা-ঢাকা দিয়ে থাকতে থাকে। সন্দেহ দেখা দেয় ঠিক সেই জায়গাতেই।সম্প্রতি গোয়েন্দারা রাজ্যজুড়ে খোঁজ শুরু করেন এমন সব বিদেশিদের, যাদের ভিসার মেয়াদ পেরিয়ে গিয়েছে, তবুও তারা কলকাতা বা আশপাশের জেলায় লুকিয়ে আছে। সেই সূত্র ধরেই নিরাপত্তা দপ্তরের তদন্তকারীরা জানতে পারেন যে রহমতুল্লাহ ও নিয়াজ ভুয়ো পরিচয় দিয়ে ব্যবসার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। দুজনকে জেরার জন্য ডাকা হলে তাদের নথিতে একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়ে। বেআইনিভাবে শহরে থাকার প্রমাণ নিশ্চিত হওয়ার পরই দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয় এবং এরপরই সিকিউরিটি কন্ট্রোল অফিস তাদের গ্রেপ্তার করে। তাদের শহরে থাকার উদ্দেশ্য কী ছিল, কোনও বড় নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত ছিল কি নাসবই এখন খতিয়ে দেখছে পুলিশ।কয়েক দিন আগেই ওয়াসিম আহমেদ নামে আরও এক আফগান নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পুলিশের দাবি, তার বিরুদ্ধে কাবুলে লুকআউট নোটিস ছিল। জাল নথি ব্যবহার করে সে ভারতে ঢুকে পড়ে এবং পরে নাসির খান নামের ভুয়ো পরিচয়ে ভারতীয় পাসপোর্টও বানিয়ে নেয়। সোমবার রাতে ওই পাসপোর্ট দেখিয়ে কুয়ালালামপুর যাওয়ার চেষ্টা করতেই দমদম বিমানবন্দরে তাকে পাকড়াও করে পুলিশ। তার কাছে এক আফগান ও এক ভারতীয়দুটি আলাদা পাসপোর্ট উদ্ধার হয়েছে। সে কী কাজ করত, কারা দিয়েছে তাকে সাহায্য, আর কী উদ্দেশে ভারতে লুকিয়ে ছিলসবই এখন তদন্তের আওতায়।ক্রমাগত ধরা পড়তে থাকা আফগান নাগরিকদের নিয়ে নিরাপত্তা দপ্তর আরও সতর্ক হয়েছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, আরও কেউ ভুয়ো পরিচয়ে শহরে লুকিয়ে থাকতে পারে। তাই কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় নথি যাচাইয়ের কাজ আরও জোরদার করা হয়েছে।

নভেম্বর ২০, ২০২৫
দেশ

জঙ্গি ঘাঁটির অভিযোগে তোলপাড়! অর্থ জালিয়াতির মামলায় গ্রেপ্তার আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা

দিল্লি বিস্ফোরণের তদন্তে নতুন মোড়। জেহাদি যোগ ও মানি লন্ডারিং অভিযোগে আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা জাভেদ আহমেদ সিদ্দিকিকে গ্রেপ্তার করল ইডি। আর্থিক লেনদেনে বড় গরমিলের হদিশ।দিল্লি বিস্ফোরণের তদন্ত শুরু হওয়ার পরই নজরে আসে আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরমহল। জেহাদি কার্যকলাপের অভিযোগে আগে থেকেই বিতর্কে ছিল এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এবার সেই সন্দেহ আরও গভীর করল তাদের আর্থিক লেনদেনের গরমিল। দীর্ঘদিনের অভিযোগ খতিয়ে দেখে ইডি শেষ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা জাভেদ আহমেদ সিদ্দিকিকে।দিল্লি বিস্ফোরণের পর থেকেই গোয়েন্দাদের সন্দেহের তালিকায় ছিল হরিয়ানার এই আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়। অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ান ইউনিভার্সিটিজ প্রতিষ্ঠানটিকে সাসপেন্ডও করে। তার পরই দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ প্রতারণা এবং জালিয়াতির দুটি আলাদা এফআইআর দায়ের করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ছাত্র ভর্তির নামে জাল ডকুমেন্ট, বেআইনি স্বীকৃতি এবং অন্যায় আর্থিক লেনদেন চলছিল বহুদিন ধরে।ঠিক সেই অভিযোগের সূত্র ধরেই মঙ্গলবার সকালে ইডি একযোগে দিল্লি এবং আরও ২৫টি জায়গায় তল্লাশি চালায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা জাভেদ সিদ্দিকিকে সারা দিন ধরে জেরা করা হয়। নানা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যাওয়া এবং আর্থিক নথিতে অসংগতি ধরা পড়তেই তাঁকে গ্রেপ্তার করে ইডি।এদিকে বিস্ফোরণের পর ফরিদাবাদে কয়েকজন চিকিৎসকের গ্রেপ্তারি এবং দেশজুড়ে জঙ্গি যোগে একাধিক ডাক্তার আটক হওয়ার পর আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আরও ঘনঘন সামনে এসেছে। আত্মঘাতী জঙ্গি উমর-উল-নবির সঙ্গেও আল ফালাহর যোগ পাওয়া গেছে বলে সূত্রের দাবি। তদন্তকারীরা মনে করছেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে একটি জঙ্গি নেটওয়ার্ক সক্রিয় ছিল, যেখানে চিকিৎসক থেকে ছাত্রঅনেকেই যুক্ত ছিল।সব মিলিয়ে আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে সন্দেহের মেঘ ঘনায়মান। আর্থিক জালিয়াতি, মানি লন্ডারিং, বেআইনি স্বীকৃতি, জেহাদি কার্যকলাপসব অভিযোগ একে একে সামনে আসতে শুরু করেছে। তদন্তের প্রথম পর্যায়েই প্রতিষ্ঠাতা গ্রেপ্তার হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

নভেম্বর ১৯, ২০২৫
কলকাতা

পুর নিয়োগ দুর্নীতি: ইডির জালে এবার মন্ত্রীর মেয়ে! জানুন কী কী প্রশ্ন ঝুলছে

পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তের গতিবেগ আরও তীব্র করল ইডি। দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর মেয়ে মোহিনী বসু মঙ্গলবার দুপুরে সল্টলেকের ইডি দফতরে হাজিরা দিলেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর আইনজীবীও। ঠিক তার আগের দিনই সুজিত বসুর জামাইকে কয়েক ঘণ্টা জেরা করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ফলে আজ মোহিনীর জিজ্ঞাসাবাদ ঘিরে তৈরি হয় বিশেষ আগ্রহ।এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে ইতিমধ্যেই কলকাতার নানা জায়গায় অভিযান চালিয়েছে। তল্লাশি চলে মন্ত্রী সুজিত বসুর সল্টলেকের বাড়িতে, তাঁর অফিসে এবং তাঁর ছেলের রেস্তরাঁতেও। এই দীর্ঘ তল্লাশিতে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করার পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ নগদও পায় ইডি। তার পর থেকেই তদন্তের ফোকাস পরিবারে কার কী ভূমিকায় পড়েছে সেই দিকেও ঘুরে যায়।গত সপ্তাহেই মন্ত্রীর স্ত্রী, পুত্র ও কন্যাকে তলব করে পাঠায় ইডি। তাঁদের সবার কাছে চাওয়া হয়েছিল ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত নথি, ঋণের তথ্য এবং আর্থিক লেনদেনের ডকুমেন্টস। সেই নির্দেশ মেনেই মঙ্গলবার দুপুরে ইডির দপ্তরে হাজির হন মোহিনী বসু। তাঁর সঙ্গে বেশ কিছু নথিও ছিল বলে সূত্রের দাবি।হাজিরা দিতে গিয়ে সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি তিনি। প্রায় কয়েক ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলেই ইডি সূত্রে খবর। তদন্তকারীদের দাবিপুর নিয়োগ দুর্নীতি থেকে যে টাকা উঠেছিল, তা কোথায় কোথায় বিনিয়োগ হয়েছে, কোন কোন ব্যবসায় ব্যবহার করা হয়েছে, বিশেষত হোটেল ও রেস্তরাঁ ব্যবসায় কোনও অর্থ ঢুকেছে কি নাতা খতিয়ে দেখতেই মন্ত্রীকন্যাকে তলব করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থেই তাঁর সঙ্গে থাকা নথিগুলি খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন আধিকারিকরা।ইডি মনে করছে, এই দুর্নীতির টাকায় একাধিক লেনদেন হয়েছে, এবং পরিবারের সদস্যদের অ্যাকাউন্টে তার ছাপ থাকতে পারে। তাই তদন্তে এই জিজ্ঞাসাবাদকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ মনে করা হচ্ছে।

নভেম্বর ১৮, ২০২৫
দেশ

নকশাল দমন অভিযানে ঐতিহাসিক সাফল্য! নিহত কুখ্যাত মদভি হিদমা ও তার স্ত্রী

ভারতের নকশালবিরোধী অভিযানে বড় সাফল্য। দীর্ঘদিন ধরে নিরাপত্তাবাহিনীর মাথাব্যথার কারণ হওয়া শীর্ষ মাওবাদী কমান্ডার মদভি হিদমা অবশেষে নিহত। অন্ধ্রপ্রদেশের আল্লুরী সীতারামারাজু জেলার গভীর জঙ্গলে সোমবার ভোরে তুমুল বন্দুকযুদ্ধের মধ্যেই শেষ হয় দেশের সবচেয়ে কুখ্যাত নকশাল নেতাদের এক জনের অধ্যায়। হিদমার সঙ্গে তার স্ত্রী রাজে ওরফে রাজাক্কাসহ মোট ছয় মাওবাদীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। নিহতদের মধ্যে আরও আছেন চেল্লুরি নারায়ণ ওরফে সুরেশ, এসজেডসিএম এবং টেক শঙ্কর।ঘটনাস্থল মারুদ পল্লি। পশ্চিম গোদাবরী জেলার গভীর অরণ্যের এক এমন জায়গা, যেখানে ছত্তীসগড়, তেলঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশের সীমানা মিলেছে। স্থানীয় সময় সকাল প্রায় ছটা। ঘন জঙ্গলের নিস্তব্ধতা ভেঙে গুলির শব্দে কেঁপে ওঠে তিন রাজ্যের মিলনসীমা। বিশ্বস্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নিরাপত্তাকর্মীরা রাতে থেকেই ওই এলাকায় কম্বিং অপারেশন শুরু করেছিলেন। জঙ্গলের ভেতরে মাওবাদীরা ক্যাম্প গেড়েছেএমন তথ্য পাওয়ার পরই যৌথ বাহিনী অভিযানে নামে। মুখোমুখি সংঘর্ষ শুরু হতেই দুপক্ষের মধ্যে টানা গুলির লড়াই চলে। সংঘর্ষ থামার পর ধীরে ধীরে জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসে হিদমাসহ ছয়জনের নিথর দেহ।পুলিশ জানিয়েছে, অভিযান এখনও চলছে। জঙ্গলের ভেতর আরও মাওবাদী লুকিয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ। তবে সবচেয়ে বড় খবরমদভি হিদমার মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ায় নিরাপত্তাবাহিনী ও গোয়েন্দা মহলে স্বস্তির হাওয়া। ১৯৮১ সালে ছত্তীসগড়ের সুকমায় জন্ম হিদমার মাথার দাম ছিল ৫০ লক্ষ টাকা। সিপিআই (মাওবাদী)-র সবচেয়ে প্রভাবশালী নেতাদের মধ্যে একসময় তার নাম প্রথম সারিতে ছিল। কমপক্ষে ২৬টি বড় হামলার মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে বহু বছর ধরে তার সন্ধানে ছিল দেশের বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থা। কয়েকটি রাজ্যের সীমান্তজুড়ে তার টিমের ত্রাসের জন্য তাকে ধরা প্রায় অসম্ভব বলে মনে করা হত। এবার সেই অধ্যায় শেষ।এই অভিযানের পরে গোটা অঞ্চলেই নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে। গ্রামবাসীদের নিরাপদ স্থানে সরানো হচ্ছে। পুলিশ সূত্রের দাবি, এ অপারেশন নকশাল নেটওয়ার্কে বড় ধাক্কা দেবে এবং আগামী দিনগুলোতে আরও একাধিক জঙ্গলের গভীরে একই ধরনের অভিযান চালানো হতে পারে।

নভেম্বর ১৮, ২০২৫
বিদেশ

মদিনায় আগুনে পুড়ল ৪২ উমরাহ যাত্রীর দেহ! অধিকাংশই ভারতীয়—বাসে বেঁচে ফিরলেন মাত্র ১ জন

সৌদি আরবের মদিনার কাছে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় নিভে গেল কমপক্ষে ৪২টি প্রাণ। উমরাহ হজে যাওয়া ভারতীয় তীর্থযাত্রীদের নিয়ে মক্কার পথে যাচ্ছিল বাসটি। ভারতীয় সময় অনুযায়ী সোমবার রাত প্রায় একটা বেজে তিরিশ মিনিট নাগাদ মুফরিহাট এলাকায় একটি ডিজেল ট্যাঙ্কারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় বাসটির। প্রচণ্ড ধাক্কার পর মুহূর্তের মধ্যে আগুন ধরে যায় পুরো গাড়িতে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই বাসটি আগুনের গোলায় পরিণত হয়, আর তাতেই মৃত্যু হয় অধিকাংশ যাত্রীর।সৌদি পুলিশের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, দুর্ঘটনার সময় প্রায় সবাই ঘুমিয়ে ছিলেন। আগুন লাগার পর কেউ বেরোনোর সুযোগই পাননি। বাসটিতে ১১ জন মহিলা ও ১০ জন শিশু ছিলএমনটাই জানা গিয়েছে। মৃতদের অধিকাংশই ভারতের হায়দরাবাদের বাসিন্দা। এমন ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দেহগুলি এতটাই পুড়ে গিয়েছে যে কারও পরিচয় নির্ণয় করতেও বড়সড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছেন তদন্তকারীরা। এই মর্মান্তিক ঘটনায় বেঁচে গিয়েছেন মাত্র একজনমহম্মদ আব্দুল শোয়েবযিনি এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।ঘটনার পর শোকপ্রকাশ করেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর। তিনি জানিয়েছেন, রিয়াধের ভারতীয় দূতাবাস এবং জেদ্দার কনস্যুলেট ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছে এবং প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছে। হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়াইসি দ্রুত মৃতদেহগুলো ভারত ফেরাতে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।অন্যদিকে, তেলঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি বলেন, রাজ্য সরকার পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। দিল্লি ও জেদ্দার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। পরিবারগুলিকে সাহায্যের জন্য জরুরি ভিত্তিতে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। শুরু হয়েছে একাধিক হেল্পলাইন নম্বরও।তেলঙ্গনা সরকারের হেল্পলাইন নম্বর: +91 7997959754, +91 9912919545জেদ্দা কনস্যুলেটের নম্বর: 8002440003সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল দেহ শনাক্তিকরণ। দেহগুলি এতটাই অগ্নিদগ্ধ যে DNA পরীক্ষার মতো জটিল প্রক্রিয়া ছাড়া পরিচয় জানা প্রায় অসম্ভব। ফলে দেহ দেশে ফেরানোও দীর্ঘ সময় নিতে পারে। ইতিমধ্যেই কূটনৈতিক স্তরে তৎপরতা বেড়েছে, কারণ পরিবারগুলির একমাত্র দাবিযেন দ্রুত প্রিয়জনদের দেহ বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়।

নভেম্বর ১৭, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

শুভমন-র 'শুভ' হলোনা ইডেন টেস্ট! এই টেস্টে আর মাঠে নামছেন না গিল, বিসিসিআইয়ের সরকারি ঘোষণা

যা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল, শেষ পর্যন্ত তাই সত্যি হল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ইডেন গার্ডেন্সে চলতি টেস্ট ম্যাচে আর খেলবেন না ভারতীয় অধিনায়ক শুভমন গিল। রবিবার সকালেই বিসিসিআই এক বিবৃতিতে জানিয়ে দিয়েছে, প্রয়োজন পড়লেও আর মাঠে নামার মতো অবস্থায় নেই তিনি। বোর্ডের পক্ষ থেকে বিবৃতী দিয়ে জানানো হয়েছে,কলকাতায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দিনের খেলা চলাকালীন শুভমন গিল ঘাড়ে চোট পান। দিনের শেষে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়। তিনি বর্তমানে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে আছেন এবং এই টেস্টে আর অংশ নিতে পারবেন না।হঠাৎ বেড়ে ওঠা ব্যথা, হাসপাতালে ভর্তি অধিনায়ক। শনিবার ঘুম থেকে ওঠার পর থেকেই ঘাড়ে তীব্র ব্যথা অনুভব করেন গিল। ব্যথা কমানোর ওষুধ খেলেও তেমন আরাম মেলেনি। ব্যাট করতে নামার আগে এবং ম্যাচ চলাকালীনও ওষুধ খেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দ্বিতীয় দিনের নিজের তৃতীয় বলেই সাইমন হারমারকে স্লগ-সুইপ করতে গিয়ে ব্যথা ফের বাড়ে। সঙ্গে সঙ্গে মাঠে ছুটে আসেন দলের ফিজিয়ো। পরিস্থিতি বিবেচনা করে তাঁকে মাঠ ছাড়তে বলা হয়।মাত্র তিন বল ক্রিজে থাকতে পেরেছিলেন গিল। ব্যথা এতটাই তীব্র ছিল যে ঘাড় ঘোরাতেই সমস্যায় পড়ছিলেন তিনি।এমআরআই রিপোর্টে পুরনো চোটের মিল.সন্ধ্যায় অ্যাম্বুল্যান্সে করে গিলকে দক্ষিণ কলকাতার উডল্যান্ডস হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই তাঁর এমআরআই স্ক্যান করা হয়। রিপোর্টে ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, প্রায় এক বছর আগে গিল একই ধরনের চোট পেয়েছিলেন এবং সেই সময়কার রিপোর্টের সঙ্গে বর্তমান রিপোর্টের মিল পাওয়া গিয়েছে।২৬ বছর বয়সী হওয়ায় শরীরের সহনশক্তি ভালোচিকিৎসকেরা এটিকে পেন থ্রেশহোল্ড বলে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু এ বার ব্যথার তীব্রতা এতটাই বেশি যে গিল তা সহ্য করতে পারছেন না। তাই চিকিৎসকেরা তাঁকে দলের সঙ্গে হোটেলে না রেখে পৃথকভাবে পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।গিলের পরবর্তী চিকিৎসা এবং পুনর্বাসন পরিকল্পনা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বিসিসিআইয়ের বিশেষজ্ঞ মেডিক্যাল প্যানেল।অধিনায়ক ছাড়াই কঠিন পরীক্ষায় ভারত, শনিবারই দলের অন্দরে আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল যে পুরো ইডেন টেস্টই হয়তো গিলকে বাইরে বসে কাটাতে হবে। রবিবার সেই আশঙ্কাই সত্যি হল। এখন কঠিন, বাউন্সি ও অনিশ্চিত ইডেন পিচে অধিনায়ককে ছাড়াই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে ভারতীয় দলকে।

নভেম্বর ১৬, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

একদিনে ১৫ উইকেট, সর্বোচ্চ ৩৯! আলোচনার কেন্দ্রে ইডেনের ২২ গজ

ইডেন গার্ডেন্সে ভারতদক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট ম্যাচের প্রথম দুদিন যেন ব্যাটসম্যানদের দুঃস্বপ্ন। কঠোর, অনিয়মিত বাউন্স, অতিরিক্ত সুইং আর সিম মুভমেন্টসব মিলিয়ে এমন এক পিচ তৈরি হয়েছে যেখানে ২২গজে টিকে থাকাই মুখ্য চ্যালেঞ্জ। ব্যাটারদের দুর্ভোগের চিত্র স্পষ্ট: দুদিনে মোট পড়ে গিয়েছে ২৬ উইকেট, আর পুরো ম্যাচে এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান মাত্র ৩৯!ভারতের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়েছে শুভমন গিলের হঠাৎ চোট। শুভমন গিল আহত হওয়ায় ভারতীয় ব্যাটিং এ এক ব্যাটার কম। শনিবার মাত্র তিন বল খেলেই মাঠ ছেড়ে উঠে যান শুভমন গিল। ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়ায় তিনি প্রথম ইনিংসে আর ব্যাট করতে নামতেই পারেননি। ফলে ভারতকে খেলতে হয়েছে একজন কম ব্যাটার নিয়েযা এমন পিচে আরও বড় চাপ তৈরি করেছে।ফিল্ডিংয়েও তাঁর অনুপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। শুভমন সারাদিন মাঠে নামেননি, গিলের অনুপস্থিতে ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সহ-অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। সুত্র মারফত জানা যায়, গিলের রবিবার মাঠে নামা নিয়েও ঘোর অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। অধিনায়ক হিসেবে তাঁর ফিটনেস ভারতীয় ইনিংস ও কৌশলে বড় প্রভাব ফেলতে পারে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তৃতীয় দিনে তাঁর অনুপস্থিতি ভারতের বিপক্ষে যেতে পারে বলে আশঙ্কা, বিশেষ করে যখন ম্যাচ মাত্র কয়েকটা সেশনেই নিষ্পত্তি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।পিচে কী ধরণের আচরণ করছে?১) ইডেনের ইতিহাসে এমন পিচ বিরল নয়, কিন্তু এবার পরিস্থিতি অনেকটাই চরমে।২) বল নতুন অবস্থায় লাট্টুর মতো ঘুরছে।৩) শুকনো ঘাস থাকলেও বেস লেয়ার শক্ত ও ফাটল ধরা।৪) কিছু বল নিচু হচ্ছে, কিছু হঠাৎ লাফিয়ে উঠছে।৫) ব্যাটারদের টেকনিকের থেকেও ভাগ্য বড় ভূমিকা নিচ্ছে।এমন অবস্থায় টেস্ট ম্যাচের মান নিয়ে-ই প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষজ্ঞদের অনেকে বলছেনএটা বোলিং-ফেভার নয়, বরং ওভার-রিঅ্যাক্টিভ সারফেস। দর্শকের মধ্যেও অসন্তোষদুদিনেই আধা ম্যাচ শেষ হয়ে যাওয়ার ছবি টেস্ট ক্রিকেটের ভাবমূর্তির পক্ষে ভালো নয়। যদিও বিদেশে পেস সহায়ক পিচেও এই ধরণের ফলাফল হামেসাই দেখা যায়। টপ অর্ডারের ব্যর্থতা ও ফিটনেস সমস্যা ভারতীয় দলকে সাময়ীক ব্যাকফুটে ঠেলে দেয়। ভারতীয় ব্যাটাররা শুরু থেকেই এই পিচে রান তুলতে মাথা খুঁড়ে মরছেন। দুই ওপেনারই ব্যার্থ। ঋষভ পন্থ সাময়িক প্রতিরোধের চেষ্টা করেন, দুটি চার ও দুটি ছক্কার সাহাজ্জ্যে ২৪ বলে ২৭ রান করেন।ভারতের প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের আগ্রাসন বিশেষ ভাবে লক্ষিত। দক্ষিণ আফ্রিকার পেসাররা পিচের গতি ও অনিয়মিত বাউন্সকে কাজে লাগিয়ে একের পর এক উইকেট তুলে নিয়েছেন। শর্ট বল ও লেংথের মিশেলে ভারতীয় ব্যাটাররা বারবার ধরা পড়েছেন। স্পিনাররাও সাহায্য পাচ্ছেন, কারণ পিচের রুক্ষতা দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েই চলেছে।ইডেন গার্ডেন্সে এই টেস্ট ম্যাচ ভারতের ব্যাটিং ব্যর্থতা, দক্ষিণ আফ্রিকার ধারালো পেস আক্রমণ এবং শুভমন গিলের চোটসব মিলিয়ে এক অদ্ভুত পরিস্থিতির জন্ম দিয়েছে। তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে আলোচনার কেন্দ্রে এই বিতর্কিত ইডেন পিচ, যা দুদিনেই ম্যাচকে প্রায় শেষের মুখে এনে দাঁড় করিয়েছে।আগামী দিনে শুভমনের ফিটনেস এবং ভারতের পন্থের নেতৃত্বদুটোই ভারতের ভাগ্যে বড় প্রভাব ফেলবে। আর ক্রিকেট বিশ্ব তাকিয়ে আছেএই পিচে শেষমেশ কোন দল জয়লাভ করে?

নভেম্বর ১৫, ২০২৫
রাজ্য

চার বছর ধরে ভুয়ো আধারে ভারতবাস! বাংলাদেশে ফিরতে গিয়ে গ্রেফতার যুবক

পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই রাজনৈতিক চাপানউতোর চলছে। বিজেপির অভিযোগ, রাজ্যে বহু বাংলাদেশি বছরের পর বছর ধরে ভুয়ো পরিচয়ে বসবাস করছে। বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা SIR শুরু হতেই বাড়ছে আতঙ্ক, আর এই আতঙ্কেই চোরাপথে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে ধরা পড়লেন এক যুবক। তাঁর নাম দুর্জয় রায়, বয়স আঠাশ। কোচবিহারের হলদিবাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।শুক্রবার দুপুরে সিঞ্জারহাট এলাকায় ঘুরতে থাকা সন্দেহজনক ওই যুবককে প্রথমে লক্ষ্য করেন স্থানীয়রা। তাঁর গতিবিধি দেখে সন্দেহ হলে খবর দেওয়া হয় দেওয়ানগঞ্জ আউট পোস্টে। পুলিশ এসে প্রশ্ন করতেই দুর্জয় স্বীকার করেন, তাঁর বাড়ি বাংলাদেশে। এরপরই তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।হলদিবাড়ি থানার তদন্তে সামনে আসে আরও তথ্য। দুর্জয়ের বাড়ি বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ জেলার মর্দিয়া গ্রামে। চার বছর আগে চোরাপথে ভারতে ঢুকে পড়েছিলেন তিনি। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় হোটেলে ও চা বাগানে কাজ করতেন। ভারতে ঢোকার পর তিনি আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টসবই তৈরি করে ফেলেছিলেন। তাঁর কাছ থেকে মোবাইল ফোন, আধার-প্যান, ব্যাঙ্কের এটিএম কার্ড, কিছু টাকা উদ্ধার হয়েছে।তদন্তে জানা গেছে, SIR শুরু হতেই তাঁর উপর চাপ বাড়তে থাকে। আশঙ্কা হয়, ধরা পড়ে যাবেন। তাই দালালের মাধ্যমে কাঁটাতার পার করে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। সেই মতো তিনি হলদিবাড়ি পৌঁছলেও শেষমেশ পুলিশের জালে ধরা পড়ে যান।গ্রেফতার হওয়ার পর দুর্জয় বলেন, বছর চারেক আগে এখানে ঘুরতে এসেছিলাম। তারপর কাজ করতাম হোটেল, চা বাগানে। পুলিশের দাবি, SIR শুরুর পর চোরাপথে বাংলাদেশে পালাতে গিয়ে এর আগেও বেশ কয়েকজনকে ধরা হয়েছে। দুর্জয়ের গ্রেফতার এই তালিকায় নতুন সংযোজন।এই ঘটনার পর আবারও সামনে এল রাজ্যের সীমান্তনিরাপত্তা এবং অনুপ্রবেশের প্রশ্ন। অভিযোগ, চোরাপথ ব্যবহার করে বহু অনুপ্রবেশকারী এখনও এপারে-ওপারে যাতায়াত করছে, আর তাঁদের অনেকেই আর্থিক দালাল ও নেটওয়ার্কের মারফত ভুয়ো নথি তৈরি করেও ফেলছে সহজেই।

নভেম্বর ১৫, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

১৭ বছরের অপেক্ষার অবসান—ফাইভ-ফর নিয়ে ইডেনে নতুন অধ্যায় লিখলেন বুমরাহ

যেখানে দলেই থাকেন জসপ্রীত বুমরাহ, সেখানে অধিনায়কের চিন্তা যেন অর্ধেক কমে যায়। আবারও সে কথাই প্রমাণ করে দিলেন ভারতীয় পেস সেনসেশন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ইডেনে যেন আগুন ছুড়লেন তিনি। মাত্র ২৭ রানে ৫ উইকেট তুলে নিয়ে একার হাতে গুছিয়ে দিলেন প্রোটিয়া ব্যাটিং লাইন-আপকে। ১৭ বছর পর দেশের মাটিতে টেস্টের প্রথম দিনেই পাঁচ উইকেট নেওয়ার বিরল রেকর্ড গড়লেন বুমরাহ। ২০০৮ সালে আহমেদাবাদে এই কীর্তি করেছিল ডেল স্টেন। এবার ভারতীয় দর্শকরা সাক্ষী হলেন বুমরাহ ম্যাজিকের।ইডেনে শেষবার প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট দেখা গিয়েছিল ২০১৯ সালে, গোলাপি বলের ঐতিহাসিক টেস্টে, ইশান্ত শর্মার হাতে। প্রায় ছয় বছর বাদে বুমরাহও সেই তালিকায় নিজের নাম খোদাই করে দিলেন। তার সঙ্গে গড়ে ফেললেন আরও একাধিক রেকর্ড।২০১৮ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত টেস্টে সবচেয়ে বেশি বার ওপেনারদের আউট করার রেকর্ড এখন বুমরাহর দখলে। স্টুয়ার্ট ব্রডকে পিছনে ফেলে ১৩ বার প্রতিপক্ষের ওপেনিং ব্যাটারকে ফিরিয়ে দিলেন তিনি। ম্যাচের ১১তম ওভারে রিকলটনকে ফেরান, যিনি তখন মারমুখী মেজাজে ব্যাট করছিলেন। এরপর ১৩তম ওভারে আবার আঘাতপরাস্ত হন মার্করাম। দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনারদের সংগ্রহ দাঁড়ায় মাত্র ৩১ ও ২৩।এতেই শেষ নয়। রিকলটনকে বোল্ড করেই আরেকটি ভারতীয় রেকর্ড ভেঙে ফেললেন বুমরাহ। বোল্ড করে সবচেয়ে বেশি উইকেট তোলার তালিকায় তৃতীয় স্থানে উঠে এলেন তিনি। ১৫২ জন ব্যাটারকে বোল্ড করে এবার অশ্বিনকে (১৫১) ছাপিয়ে গেলেন। তার ওপরে রয়েছেন কিংবদন্তি কপিল দেব (১৬৭) এবং তালিকার শীর্ষে অনিল কুম্বলে (১৮৬)।ইডেনে বুমরাহ যেন নিজের আলাদা মঞ্চ তৈরি করলেন। একের পর এক নিখুঁত ইয়র্কার, বাউন্সার আর গতি পরিবর্তনের ঝড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং ভেঙে চুরমার। আবারও প্রমাণ হলভারতের টেস্ট দলকে যতক্ষণ বুমরাহ বোলিং আক্রমণের সামনে রয়েছেন, ততক্ষণ যে কোনও প্রতিপক্ষই সতর্ক না হয়ে পারে না।

নভেম্বর ১৪, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

ইডেন মানেই দুর্গ! কলকাতা পুলিশের ‘অপারেশন সেফ ক্রিকেট’ শুরু শুক্রবার থেকে

দিল্লিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর গোটা দেশজুড়ে এখন লাল সতর্কতা। নিরাপত্তার নজরদারিতে তটস্থ রাজধানী থেকে রাজ্য পর্যন্ত। আর এই আতঙ্কের মধ্যেই শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার বহুল প্রতীক্ষিত টেস্ট ম্যাচ, সেই ঐতিহাসিক ইডেন গার্ডেন্সে। শহর এখন কার্যত নিরাপত্তার দুর্গে পরিণত। কলকাতা পুলিশ জানিয়ে দিয়েছে একটুও ঢিলেমি নয়।ইডেনের ভেতর থেকে বাইরেটা পর্যন্ত এখন কড়া নিরাপত্তার বলয়ে ঢাকা। খেলা চলাকালীন মাঠের গ্যালারিতে সাধারণ পোশাকের পুলিশ অফিসার মিশে থাকবেন দর্শকদের মধ্যেই। মাঠ ঘিরে, ফেন্সিং বরাবর, ছাদে, টাওয়ারে সর্বত্র মোতায়েন করা হচ্ছে পুলিশ বাহিনী। যেন ক্রিকেট উৎসবের আনন্দে কোনও অঘটন না ঘটে।কয়েক দিন আগেই ইডেন গার্ডেন্স ঘুরে গিয়েছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা। খুঁটিয়ে দেখেছেন মাঠের প্রতিটি নিরাপত্তা দিক। জানা গিয়েছে, গোটা ইডেনকে কয়েকটি জোনে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি জোনের দায়িত্বে থাকবেন একজন ডেপুটি পুলিশ কমিশনার ও নয়জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার। গ্যালারিতে, ক্লাব হাউসে, এমনকি ভিআইপি বক্সেও আলাদা করে থাকবে পুলিশের সুরক্ষা বলয়।এখানেই শেষ নয় ইডেনের বিভিন্ন অংশে মোতায়েন থাকবে কুইক রেসপন্স টিম বা কিউআরটি, থাকবে সশস্ত্র বাহিনীও। বাইরে, ইডেন সংলগ্ন রাস্তাগুলিতেও তৈরি করা হচ্ছে বিশেষ পুলিশ বাঙ্কার, যেখানে কমব্যাট ফোর্সের সদস্যরা থাকবেন প্রস্তুত অবস্থায়। শুক্রবার ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে থেকেই আশপাশের রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।লালবাজার সূত্রে খবর, দিল্লি বিস্ফোরণের পরই কলকাতা পুলিশের তরফে জোর দেওয়া হয় খেলোয়াড় ও দর্শকদের নিরাপত্তায়। ভারতীয় দলের প্রতিটি সদস্যের যাতায়াত, অনুশীলন, এমনকি হোটেল থেকে ইডেন যাওয়ার রাস্তাতেও বিশেষ নজর রাখা হবে। বলা হচ্ছে, এমন নিরাপত্তা ব্যবস্থা কলকাতায় শেষ দেখা গিয়েছিল ২০১৬ সালের বিশ্ব টি-টোয়েন্টির সময়।শহরের বুকের এই ক্রিকেট মন্দিরে এখন তাই উৎসবের উত্তেজনার সঙ্গে মিশে আছে অজানা আশঙ্কার ছায়া। তবে পুলিশ ও প্রশাসনের দাবি, ইডেন থাকবে সম্পূর্ণ নিরাপদ। ক্রিকেটপ্রেমীরা নিশ্চিন্তে উপভোগ করুন খেলা।

নভেম্বর ১৩, ২০২৫
দেশ

‘ডাক্তার মডিউল’-এর ছায়া বিস্ফোরণ-কাণ্ডে! জইশের নয়া রণনীতি ফাঁস

দিল্লি বিস্ফোরণ মামলায় তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই বেরিয়ে আসছে নতুন নতুন চাঞ্চল্যকর তথ্য। একের পর এক গ্রেফতার বাড়ছে। এবার ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫। আরও তিনজনকে আটক করেছে তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, ধৃতরা সকলেই জইশ-ই-মহম্মদ সংগঠনের এক ভয়ংকর ডাক্তার মডিউল-এর সদস্য। এদের মধ্যে কেউ জম্মু-কাশ্মীর থেকে, কেউ বা হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশ থেকে ধরা পড়েছে।গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু এই ১৫ জনই নয় আরও ২০ জনেরও বেশি সন্দেহভাজনকে কড়া জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ধৃত চিকিৎসকদের সঙ্গে আটক সন্দেহভাজনদের সম্পর্ক কী, সেই দিকেই এখন তদন্তকারীদের নজর।সবচেয়ে বেশি আলোচনায় উঠে এসেছে জম্মু-কাশ্মীরের সোপিয়ান জেলার এক মৌলবীর নাম। দীর্ঘদিন ধরেই ওই মৌলবী তদন্তকারীদের নজরে ছিলেন। শ্রীনগরের একটি সরকারি মেডিকেল কলেজে প্যারা মেডিক্যাল স্টাফ হিসেবে কাজ করতেন তিনি। তদন্তকারীদের অনুমান, মেডিক্যাল ছাত্রদের মগজ ধোলাইয়ের বড় ভূমিকা ছিল তাঁর। তরুণদের জঙ্গি পথে টানার দায়িত্ব অনেকটাই একাই সামলাতেন এই মৌলবী।গোয়েন্দারা বলছেন, দিল্লি বিস্ফোরণ কাণ্ডে তাঁর যোগ এখন প্রায় নিশ্চিত। যোগাযোগ ছিল উমর নবী ও মোজাম্মিলের সঙ্গে। এমনকী জইশ সংগঠনের মূল ঘাঁটির সঙ্গেও তাঁর সরাসরি সম্পর্ক ছিল বলে খবর। তাঁকে জেরা করে জইশের গোপন নেটওয়ার্কের আরও তথ্য উঠে আসতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।অন্যদিকে, কাশ্মীর জুড়ে চলছে নজিরবিহীন তল্লাশি অভিযান। শুধু গত কয়েকদিনেই প্রায় ৪০০ জায়গায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ ও এনআইএ। কুলগাম, সোপিয়ান, পুলওয়ামা সহ একাধিক জেলায় চলছে চিরুনি তল্লাশি। নিষিদ্ধ জামাত-ই-ইসলামি সংগঠনের সদস্যদের বাড়িতেও হানা দিয়েছে পুলিশ।গত চার দিনে প্রায় ৫০০ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সন্দেহ, এদের মধ্যে অনেকে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে জইশ ও জামাতের সঙ্গে যুক্ত। তল্লাশিতে উদ্ধার হয়েছে বহু ডিজিটাল ডিভাইস, যা থেকে মিলছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।সব মিলিয়ে গোটা উত্তর ভারতে ছড়িয়ে থাকা জইশের মেডিক্যাল-নেটওয়ার্ক এখন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হাতে। তদন্তকারীদের মতে, এই ডাক্তার মডিউলই ছিল জইশের নতুন কৌশল শিক্ষিত তরুণদের মাধ্যমে ভয়ঙ্কর হামলা চালানোর পরিকল্পনা। আর সেই পরিকল্পনাই এখন ভেস্তে যাচ্ছে একের পর এক গ্রেফতারে।

নভেম্বর ১২, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

ধর্মেন্দ্র মারা গিয়েছেন’— গুজবে নেটপাড়া তোলপাড়, হাসপাতালের সামনে জনস্রোত!

নেটমাধ্যমে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে খবর মারা গেছেন বলিউডের হ্যান্ডসম হিরো ধর্মেন্দ্র! মুহূর্তে তোলপাড় গোটা দেশ। কেউ টুইট করছেন, কেউ শোকবার্তা লিখছেন ইনস্টাগ্রামে। রাজনীতিক থেকে শুরু করে সেলিব্রিটি একের পর এক শোকপ্রকাশ যেন গুজবকে আরও বিশ্বাসযোগ্য করে তুলেছিল। স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ও বিভ্রান্তিতে পড়ে গিয়েছিল ভক্তমহল। কেউ ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালের বাইরে ছুটে গিয়েছেন, কেউ আবার ফোন করেছেন মুম্বইয়ের হাসপাতাল প্রশাসনকে।সোমবার রাত থেকেই হাসপাতালের সামনে উপচে পড়ে মানুষের ভিড়। ধর্মেন্দ্রর এক ঝলক দেখার আশায় ভোর রাত থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন শতাধিক অনুরাগী। পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে ওঠে যে, মঙ্গলবার সকালে মুম্বই প্রশাসন বাধ্য হয় হাসপাতাল চত্বরে অতিরিক্ত নিরাপত্তা মোতায়েন করতে। পুলিশ সূত্রে খবর, জনস্রোত সামাল দিতে হাসপাতাল ঘিরে বিশাল বাহিনী দাঁড় করানো হয়। যান চলাচল ব্যাহত হয় ব্রিচ ক্যান্ডির আশপাশের রাস্তায়।মঙ্গলবার বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ হেমা মালিনী ও এষা দেওলকে হাসপাতাল থেকে বের হতে দেখা যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই দুই ভাই সানি ও ববি দেওল পৌঁছে যান ধর্মেন্দ্রর কাছে। দিল্লিতে শুটিংয়ে থাকা অভয় দেওলও খবর শুনে রাতারাতি বিমানে চেপে মুম্বই আসেন। পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধর্মেন্দ্র আপাতত স্থিতিশীল ও চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে আছেন। তবে মৃত্যু সংক্রান্ত গুজব ছড়িয়ে পড়ায় ক্ষুব্ধ অভিনেতার পরিবার।হেমা মালিনী এক্স (প্রাক্তন টুইটার)-এ লেখেন, এমন মিথ্যে খবর ছড়ানো অত্যন্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ। ধর্মেন্দ্র একেবারেই সুস্থ আছেন, ঈশ্বরের কৃপায় তিনি ভাল আছেন। অন্যদিকে এষা দেওলও বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া গুজবকে বাস্তবে পরিণত করছে, এটা ভয়ঙ্কর। দয়া করে এমন খবর বিশ্বাস করবেন না।বলিউডে এখন একটাই প্রশ্ন কে ছড়াল এই ভুয়ো খবর? নেটিজেনদের একাংশের অভিযোগ, কিছু ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজ ভিউ বাড়াতে এই ধরনের সংবেদনশীল খবর ছড়াচ্ছে। ইতিমধ্যে মুম্বই পুলিশের সাইবার শাখা সূত্রে খবর, গুজবের উৎস খোঁজার কাজ শুরু হয়েছে।দেওল পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্রের কথায়, ধর্মেন্দ্র এখন বয়সের ভারে নাজুক, তবে তিনি সুস্থ আছেন। এই ধরনের খবর শুধু পরিবারের নয়, দেশের কোটি ভক্তের মনেও ভয় ঢুকিয়ে দিচ্ছে।

নভেম্বর ১১, ২০২৫
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • ...
  • 78
  • 79
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

নরেন্দ্র মোদীর পর এবার রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ, ৩০ ডিসেম্বর বৈঠক করবেন নেতৃত্বের সঙ্গে

একদিন আগেই রাজ্যে এসেছিলেন বিজেপির পোস্টারবয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আগামী ৩০ডিসেম্বর বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন। ওই বৈঠকে আগামী ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের কৌশল রচনা করবেন। তারপর সাংবাদিক বৈঠক করবেন অমিত শাহ। যদিও তাঁর এই বঙ্গসফরকে পাত্তা দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁদের বক্তব্য, বাংলায় নরেন্দ্র মোদী হোক বা অমিত ষশাহ হোক, এঁরা কেউ এখানে বিজেপির জয় এনে দিতে পারবেন না। আগেও নির্বাচনের আগে বারে বারে এসেছেন এবারও আসবেন। তবে ব্যর্থ হবেন বলেই দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
রাজনীতি

বর্ধমানে পৌঁছল বিহারের ৫৫টি বাইক, উদ্দেশ্য ঘিরে তৃণমূল–বিজেপি সংঘাত তুঙ্গে

রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির মধ্যেই পূর্ব বর্ধমানে শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক চাপানউতোর। শনিবার বিহারের নম্বর প্লেটযুক্ত ৫৫টি পুরনো মোটরবাইক বর্ধমান জেলা বিজেপি দলীয় অফিসের ঠিকানায় এসে পৌঁছানোকে ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বাইকগুলি ট্রেন থেকে নামিয়ে বর্ধমান রেল স্টেশনের ইস্টার্ন রেলওয়ের পার্সেল অফিসের সামনে রাখা হয়।এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাস। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের একাধিক নেতা ও কর্মী। বর্ধমান রেল স্টেশনে পার্সেল অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে তৃণমূল। বাইকগুলির মালিকানা, পরিবহণ সংক্রান্ত নথি এবং কেন শুধুমাত্র বিজেপির বর্ধমান জেলা অফিসের ঠিকানায় এই বাইক পাঠানো হয়েছে। তা প্রকাশ্যে আনার দাবি তোলেন বিধায়ক।বিক্ষোভে অংশ নেওয়া তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ, বিহারের রাজেন্দ্রনগর থেকে সুনীল গুপ্তা নামের এক ব্যক্তির নামে এই ৫৫টি বাইক পাঠানো হয়েছে। তাঁদের দাবি, বিধানসভা ভোটের আগে পরিকল্পিতভাবেই বাইকগুলি রাজ্যে ঢোকানো হচ্ছে। তৃণমূল নেতৃত্বের আশঙ্কা, আগামী দিনে এই বাইক ব্যবহার করে বাইরের লোকজন বা দুষ্কৃতীদের রাজ্যে ঢোকানোর চেষ্টা হতে পারে। জানা গিয়েছে, এই ৫৫টি নয়, ২৩ জেলা মিলিয়ে প্রায় ৬০০০ মোটর বাইক আসার কথা।বিধায়ক খোকন দাস স্পষ্ট ভাষায় জানান, এতগুলো বাইক বিহার থেকে কী উদ্দেশ্যে বাংলায় আনা হয়েছে, তা পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। ভোটের আগে এই বাইক ব্যবহার করে রাজ্যে অশান্তি ছড়ানোর পরিকল্পনা থাকতে পারে। একই সঙ্গে তিনি রেল ও জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেন। দলের বর্ধমান শহর সভাপতি তন্ময় সিংহ রায়ও বাইকগুলির সম্পূর্ণ তথ্য জনসমক্ষে আনার দাবি জানান। তাঁর বক্তব্য, রেল কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি জেলা ও রাজ্য প্রশাসনকে এই পরিবহণের বিস্তারিত জানাতে হবে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রয়োজনীয় নথি প্রকাশ না হলে বাইকগুলি পার্সেল অফিস থেকে ছাড়তে দেওয়া হবে না।অন্যদিকে, তৃণমূলের সব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে বিজেপি। জেলা বিজেপি নেতা দেবজ্যোতি সিংহরায় বলেন, কিছুদিন আগেই বিহারে নির্বাচন হয়েছিল। সেই সময় দলীয় কর্মীদের কাজে ব্যবহারের জন্য এই বাইকগুলি ব্যবহার করা হয়েছিল। বিহারের ভোট শেষ হওয়ায় সেগুলি এখন পশ্চিমবঙ্গে আনা হয়েছে। তিনি আরও জানান, বর্ধমান জেলা বিজেপি অফিস রাঢ়বঙ্গ জোনের কেন্দ্রীয় অফিস হওয়ায় এখানকার ঠিকানাতেই বাইক পাঠানো হয়েছে। বিজেপির দাবি, প্রতি নির্বাচনের আগেই এভাবেই বাইক আনা হয় এবং বিষয়টি জেনেও তৃণমূল অহেতুক বিতর্ক তৈরি করছে। বাইক বিতর্কে প্রশাসনের ভূমিকা কী হয়, তা নিয়েই এখন রাজনৈতিক মহলে বাড়ছে কৌতূহল।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

এশিয়া কাপ ফাইনালে স্বপ্নভঙ্গ, দুবাইয়ে পাকিস্তানের কাছে লজ্জার হার ভারতের

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়ল ভারত। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩৪৮ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আয়ুষ মাত্রের দল গুটিয়ে গেল মাত্র ১৫৬ রানে। ফলে ১৯১ রানের বড় ব্যবধানে হার স্বীকার করেই শিরোপা হাতছাড়া করতে হল টিম ইন্ডিয়াকে।টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। কিন্তু শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় পাকিস্তান। দলের হয়ে বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন সামির মিনহাস। মাত্র এক ইনিংসেই তিনি করে ফেলেন ১৭২ রান। উসমান খানের সঙ্গে ৯২ রানের এবং আহমেদ হুসেনের সঙ্গে ১৩৭ রানের দুটি বড় জুটিতে ভর করে দ্রুত ৩০০ রানের গণ্ডি পেরিয়ে যায় পাকিস্তান।বিশেষজ্ঞদের মতে, একসময় পাকিস্তানের ইনিংস ২৭০২৮০ রানের মধ্যেই থামতে পারত। কিন্তু মিনহাসের ব্যাটে ভর করেই ৪৩ ওভারের মধ্যেই ৩০০ ছুঁয়ে ফেলে তারা। পরে তাঁর আউট হওয়ার পর পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে ধস নামে। ৩০২/৩ থেকে ৩২৭/৮ মাত্র ২৫ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারালেও ততক্ষণে ম্যাচ কার্যত একপেশে হয়ে গিয়েছিল।লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ভারতীয় ব্যাটিং সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে। বৈভব সূর্যবংশী, আয়ুষ মাত্রে, অভিজ্ঞান কুণ্ডুর মতো পরিচিত নাম থাকলেও কেউই দায়িত্ব নিতে পারেননি। আশ্চর্যজনকভাবে দলের সর্বোচ্চ রান আসে ১০ নম্বর ব্যাটার দীপেশ দেবেন্দ্রনের ব্যাট থেকে। তিনি মাত্র ১৬ বলে ৩৬ রান করে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিলেও তা যথেষ্ট ছিল না।এই হার যেন সাম্প্রতিক সিনিয়র দলের বিশ্বকাপ ফাইনালের স্মৃতি ফিরিয়ে আনল। সেবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে, এবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মঞ্চ ফাইনাল, ফলাফলও প্রায় একই রকম হতাশাজনক।উল্লেখযোগ্যভাবে, ফাইনালে ওঠার আগে টুর্নামেন্টে একমাত্র অপরাজিত দল ছিল ভারত অনূর্ধ্ব-১৯। গ্রুপ পর্বে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, মালয়েশিয়া ও পাকিস্তানকে হারিয়েছিল তারা। অন্যদিকে পাকিস্তান গ্রুপে ভারতের কাছেই একমাত্র হেরেছিল। কিন্তু ফাইনালের মঞ্চে সম্পূর্ণ ভিন্ন রূপে ধরা দেয় তারা। শেষ পর্যন্ত দুবাইয়ে দাপটের সঙ্গে জয় ছিনিয়ে নিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ নিজেদের ঝুলিতে ভরল পাকিস্তান। আর ফাইনালে বারবার হোঁচট খাওয়ার প্রবণতা নিয়ে বড় প্রশ্নচিহ্ন থেকে গেল ভারতীয় যুব দলের সামনে।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
বিদেশ

প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারে হামলার পরও অকুতোভয় কর্তৃপক্ষ, সন্ত্রাসের নিন্দার ঝড় বিশ্বের সর্বত্র

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠল ঢাকায় প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে। দেশের দুটি প্রথম সারির সংবাদপত্রের দফতরে এই হামলার অভিযোগ সামনে আসতেই তীব্র প্রতিক্রিয়া ছড়িয়েছে সাংবাদিক মহল, নাগরিক সমাজ এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলির মধ্যে। বাংলাদেশ ছাড়িয়ে নিন্দার ঝড় বয়েছে অন্যত্র।ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর বাংলাদেশে আসার পর থেকেই উত্তাল হয়ে ওঠে দেশ। পরবর্তীতে হিংসা ছড়িয়ে পরে নানা জায়গায়। নৃশংস ভাবে হিন্দু যুবক খুন থেকে সংস্কৃতি সংগঠনের ওপর হামাল। সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের ওপর ক্রমাগত হামলা চলতে থাকে।প্রাথমিক অভিযোগ অনুযায়ী, ঢাকায় অবস্থিত প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে একদল দুষ্কৃতী হামলা চালায়। তারা অফিসে ঢুকে ভাঙচুর চালায় এবং কর্মরত সাংবাদিক ও কর্মীদের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। আগুন লাগিয়ে দেয় এই অফিসদুটিতে। যদিও এই ঘটনায় বড় ধরনের শারীরিক ক্ষতির খবর নেই, তবে আচমকা হামলায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং কিছু সময়ের জন্য সংবাদকর্ম ব্যাহত হয়। সংবাদপত্র প্রকাশনা বন্ধ রাখতে হয়। বৃহস্পতিবার রাতে অনলাইন পোর্টালেও আর খবর আপলোড করা যায়নি।হামলার ঘটনার পরপরই বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও সম্পাদকীয় মহল একে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত বলে উল্লেখ করেছে। তাদের বক্তব্য, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা গণতন্ত্রের অন্যতম ভিত্তি, আর সংবাদমাধ্যমকে ভয় দেখিয়ে কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা গভীর উদ্বেগজনক। এই দুই সংবাদপত্র গোষ্ঠীও জানিয়ে দেয় তারা ভয় পায় না। খবর প্রকাশ করতে কোনও পরোয় তারা করবে না। এমনকী দফতরের সামনে মানব বন্ধন কর্মসূচি পালন করে।ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রশাসনের তরফে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।এই ঘটনার পর প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের পক্ষ থেকে পৃথক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হুমকি বা হামলার মাধ্যমে সত্য প্রকাশ থামানো যাবে না। তারা দ্রুত, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে প্রশাসনের কাছে।আন্তর্জাতিক স্তরেও এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সাংবাদিক সংগঠন ও মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এবং মুক্ত সাংবাদিকতার পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে। প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে হামলার ঘটনা শুধু দুটি সংবাদপত্রের ওপর আঘাত নয়, বরং বাংলাদেশের সামগ্রিক গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ভবিষ্যৎ নিয়েই বড় প্রশ্ন তুলে দিল। এখন দেখার, প্রশাসনিক পদক্ষেপ কতটা দ্রুত ও কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয়।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

লাইভ মঞ্চে লগ্নজিতা চক্রবর্তীকে হেনস্থার অভিযোগ, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত, ওসির ভূমিকা নিয়েও তদন্ত

লাইভ পারফরম্যান্স চলাকালীন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী লগ্নজিতা চক্রবর্তীকে হেনস্থার অভিযোগে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি ও সাংস্কৃতিক মহল। পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে একটি বেসরকারি স্কুলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করতে গিয়ে এই ঘটনার মুখে পড়েন তিনি। ঘটনার পর পুলিশ অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে, যার নাম তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জড়িয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সন্ধ্যায় ভগবানপুরের একটি বেসরকারি স্কুল প্রাঙ্গণে। অভিযোগ অনুযায়ী, লগ্নজিতা চক্রবর্তী যখন জাগো মা গানটি পরিবেশন করছিলেন, তখন অনুষ্ঠানের প্রধান উদ্যোক্তা ও ওই স্কুলের মালিক মেহবুব মল্লিক আচমকাই মঞ্চে উঠে আসেন। শিল্পীর অভিযোগ, তিনি গালিগালাজ করেন এবং চিৎকার করে বলেন, অনেক হয়েছে জাগো মা, এবার কিছু সেকুলার গান গাও। পাশাপাশি মারধরের হুমকি ও শারীরিকভাবে আক্রমণের চেষ্টাও করা হয় বলে অভিযোগ।পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে উঠলে অনুষ্ঠান কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। পরে লগ্নজিতা চক্রবর্তী ভগবানপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি জানান, প্রথমে থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসার পর মামলা রুজু হয় এবং অভিযুক্ত মেহবুব মল্লিককে গ্রেপ্তার করা হয়।পূর্ব মেদিনীপুরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মিতুন দে জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে ভগবানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক এবং আরও এক পুলিশকর্মীর ভূমিকা নিয়েও বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের গাফিলতির প্রমাণ মিললে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজাও তীব্র হয়েছে। বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য। বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পাণ্ডা অভিযোগ করেন, একজন শিল্পী কি গান গাইবেন, সেটাও শাসক দলের লোক ঠিক করে দিচ্ছে। এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। তিনি আরও দাবি করেন, পুলিশ প্রথমে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেছিল। যদিও এই ঘটনার বিষয়ে এখনও পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।লাইভ মঞ্চে একজন শিল্পীর গান বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিয়ে ওঠা এই প্রশ্ন এখন আর শুধু ব্যক্তিগত অভিযোগে সীমাবদ্ধ নয়। সাংস্কৃতিক পরিসরে মতপ্রকাশের অধিকার, প্রশাসনের নিরপেক্ষতা এবং রাজনৈতিক প্রভাব সব মিলিয়ে এই ঘটনা রাজ্যজুড়ে বড় বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
বিদেশ

আইএমএফের চাপে লাগামছাড়া জিএসটি! পাকিস্তানে জনবিস্ফোরণের আশঙ্কা

কন্ডোমের উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি নিয়ে চরম উদ্বেগে পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ-এর নির্দেশে এই কর বসানো হয়েছে। এর ফলে কন্ডোমের দাম এতটাই বেড়েছে যে তা এখন নিম্ন ও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ আইএমএফ-এর কাছে কর কমানোর আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আইএমএফ। এই সিদ্ধান্তে দেশে জনসংখ্যা বিস্ফোরণের আশঙ্কা করছে পাক সরকার।আইএমএফ-এর ঋণের উপরই কার্যত নির্ভরশীল পাকিস্তানের অর্থনীতি। দেশের আর্থিক পরিস্থিতি সামাল দিতে চলতি বছরে বড় অঙ্কের ঋণ নিয়েছে ইসলামাবাদ। সেই ঋণের শর্ত হিসেবেই কর আদায় বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে আইএমএফ। তার জেরেই কন্ডোম, স্যানিটারি ন্যাপকিন ও শিশুদের ডাইপারের মতো প্রয়োজনীয় পণ্যের উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি বসানো হয়েছে।পাকিস্তান সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছিল, জনস্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনার কথা ভেবে অন্তত কন্ডোমের উপর থেকে কর কমানো হোক। কিন্তু আইএমএফ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষের মাঝপথে কর কাঠামোয় কোনও পরিবর্তন করা যাবে না। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে ২০২৬-২৭ অর্থবর্ষের বাজেটে। আইএমএফের যুক্তি, কন্ডোমের উপর থেকে কর তুলে নিলে সরকারের কয়েকশো কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হবে, যা এই মুহূর্তে সম্ভব নয়।এই পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগে রয়েছে শাহবাজ শরিফের সরকার। পাকিস্তানে বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার প্রায় ২.৫৫ শতাংশ। অর্থাৎ প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষ বাড়ছে। সরকার মনে করছে, কন্ডোমের দাম বেড়ে যাওয়ায় বহু মানুষ তা ব্যবহার করতে পারছেন না। এর ফলে অনিয়ন্ত্রিত ভাবে জনসংখ্যা বাড়ছে, যা দেশের অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের উপর আরও চাপ ফেলবে।পাক সরকারের আশঙ্কা, এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে ভবিষ্যতে সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা আরও ভয়াবহ আকার নিতে পারে। কিন্তু আইএমএফ-এর কড়া অবস্থানের সামনে আপাতত অসহায় ইসলামাবাদ। এখন পরের বাজেটের দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া শাহবাজ সরকারের হাতে আর কোনও পথ খোলা নেই।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
রাজ্য

তাহেরপুরে প্রধানমন্ত্রীর সভার আগে মর্মান্তিক ঘটনা, কুয়াশায় প্রাণ গেল চারজনের

এসআইআর আবহের মধ্যেই শনিবার পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নদিয়ার তাহেরপুরে তাঁর সভা রয়েছে। সকাল থেকেই সভাস্থলের দিকে ভিড় জমতে শুরু করেছিল। ঠিক সেই সময়েই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ট্রেনের ধাক্কায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে শক্তিনগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।জানা গিয়েছে, মৃত ও আহত সকলের বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলায়। তাঁরা প্রধানমন্ত্রী মোদির সভায় যোগ দিতেই নদিয়ার তাহেরপুরে এসেছিলেন। ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেল ও পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।শনিবার ভোরে তাহেরপুর স্টেশনের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে মুর্শিদাবাদের বড়ঞার সাবলদহ গ্রাম থেকে প্রায় ৪০ জন তাহেরপুরে আসেন। ভোরবেলা তাঁদের মধ্যে কয়েক জন রেললাইনের ধারে প্রাতঃকৃত্য সারতে যান। সেই সময় আচমকাই দ্রুতগতির একটি ট্রেন চলে আসে। ট্রেনের ধাক্কায় চার জন লাইনের উপর ছিটকে পড়েন। আঘাত এতটাই গুরুতর ছিল যে ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়।একই ঘটনায় আরও দুজন আহত হন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। অন্য জনের চিকিৎসা চলছে। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, ভোরের ঘন কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা অনেকটাই কম ছিল। সেই কারণেই ট্রেন আসছে বুঝতে না পারায় এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে অন্য সম্ভাবনাগুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।মতুয়াগড় হিসেবে পরিচিত নদিয়ার তাহেরপুরে এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদির সভা ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে। তার মধ্যেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
বিদেশ

হট টাব থেকে সুইমিং পুল, এপস্টেইন নথিতে একের পর এক চাঞ্চল্যকর ছবি

কুখ্যাত যৌন অপরাধী জেফ্রি এপস্টেইনকে ঘিরে ফের তোলপাড় আমেরিকার রাজনীতি। এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্কিত হাজার হাজার পাতার নথি প্রকাশ করল মার্কিন ন্যায় বিভাগ। সেই নথিতে বারবার উঠে এসেছে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টনের নাম। প্রকাশ্যে এসেছে একাধিক ছবি। কিন্তু বিস্ময়ের বিষয়, বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম ও ছবি সেখানে প্রায় নেই বললেই চলে।প্রকাশিত ছবিগুলির একটিতে তরুণ বিল ক্লিন্টনকে একটি হট টাবে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে। ছবির একটি অংশ কালো রঙে ঢেকে রাখা হয়েছে। অন্য একটি ছবিতে দেখা গিয়েছে, এক মহিলার সঙ্গে সাঁতার কাটছেন ক্লিন্টন। ওই মহিলা এপস্টেইনের ঘনিষ্ঠ ও প্রেমিকা ঘিসলাইন ম্যাক্সওয়েল বলে মনে করা হচ্ছে। আরও একটি ছবিতে ক্লিন্টনের পাশে দেখা গিয়েছে পপ সংগীতের কিংবদন্তি মাইকেল জ্যাকসনকে। তাঁদের পাশেই ছিলেন গায়িকা ডায়ানা রস।এই সব ছবি ও তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রায় সম্পূর্ণ অনুপস্থিতি। নব্বইয়ের দশক এবং দুই হাজার দশকের শুরুতে এপস্টেইনের সঙ্গে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠতার কথা আগে একাধিকবার সামনে এসেছে। কিন্তু সদ্য প্রকাশিত নথিতে তাঁর কোনও ছবি নেই। নামও এসেছে মাত্র একবার, একটি যোগাযোগের খাতায়। সেই খাতাটি কার, তাও স্পষ্ট নয়।অথচ এর আগে প্রকাশিত নথিতে ট্রাম্পের উপস্থিতির কথা জানা গিয়েছিল। এমনকি এপস্টেইনের ব্যক্তিগত বিমানে তাঁকে দেখা যাওয়ার কথাও উঠে এসেছিল। সেই কারণেই নতুন নথিতে তাঁর অনুপস্থিতিকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকের ধারণা, নিজেকে আড়াল করতে বিল ক্লিন্টনের দিকেই আলো ঘোরানোর চেষ্টা করছেন ট্রাম্প। উল্লেখযোগ্য ভাবে, মাসখানেক আগেই এপস্টেইনের সঙ্গে বিল ক্লিন্টনের সম্পর্ক নিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছিলেন ট্রাম্প। সেই তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জানা যায়।এই পরিস্থিতিতে বিল ক্লিন্টনের শিবির থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের এক মুখপাত্র বলেন, এপস্টেইন সংক্রান্ত তদন্ত শুধুমাত্র বিল ক্লিন্টনকে লক্ষ্য করে করা হচ্ছে না। তাঁর বক্তব্য, বহু পুরনো ছবি প্রকাশ করতেই পারে প্রশাসন, কিন্তু গোটা বিষয়টি শুধু ক্লিন্টনকে ঘিরে নয়। তিনি বলেন, এপস্টেইনের ক্ষেত্রে দুধরনের মানুষ ছিলেন। একদল, যাঁরা অপরাধের কথা প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গেই সব সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলেন। আরেক দল, যাঁরা এরপরও যোগাযোগ বজায় রেখেছিলেন। তাঁদের দাবি, বিল ক্লিন্টন প্রথম দলের মধ্যেই পড়েন।নাম না করলেও ক্লিন্টন শিবির যে ডোনাল্ড ট্রাম্পকেই নিশানা করছে, তা স্পষ্ট। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, ট্রাম্প যতই চেষ্টা করুন না কেন, এপস্টেইন কেলেঙ্কারি থেকে নিজের নাম পুরোপুরি সরিয়ে রাখা তাঁর পক্ষে সহজ হবে না।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal