• ৪ পৌষ ১৪৩২, সোমবার ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Ed

দেশ

আগামী সপ্তাহেই বাজারে আসছে ডিআরডিও’র তৈরি ওষুধ

দেশজুড়ে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে করোনা মহামারি। সমস্ত কিছুকে আরও জটিল করে দিয়েছে হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেনের ঘাটতি। এই পরিস্থিতিতে করোনা মোকাবিলায় ডিআরডিওর তৈরি করোনার ওষুধকে জরুরিভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য ছাড়পত্র দিয়েছিল ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া। আর আগামী সপ্তাহ থেকেই বাজারে মিলবে এই ওষুধটি। শুক্রবার অর্থাৎ ছাড়পত্র পাওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই ঘোষণা ডিআরডিওর। ড্রাগ ২ ডিঅক্সি ডি গ্লুকোজ বা সংক্ষেপে ২ডিজি নামে ওষুধটির প্রথম ব্যাচে থাকবে দশ হাজারটি ডোজ। যা ব্যবহার করা যাবে করোনা রোগীদের চিকিৎসায়।সংস্থার পক্ষ থেকে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, করোনার চিকিৎসার জন্য আগামী সপ্তাহেই ২ডিজি ওষুধের প্রথম ব্যাচটি বাজারে আসতে চলেছে। যাতে থাকবে দশ হাজারটি ডোজ। ওষুধটি বাজারে এলেই তা করোনা রোগীদের জন্য ব্যবহার করা হবে। এর সঙ্গেই তাতে সংযোজন করা হয়েছে, ওষুধটি ডঃ অনন্ত নারায়ন ভাট-সহ ডিআরডিওর বৈজ্ঞানিকদের একটি দল তৈরি করেছে। প্রস্তুতকারক সংস্থা এই ওষুধটির উৎপাদন আরও বাড়াতেও সচেষ্ট হয়েছে, যাতে তা করোনা রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহার করা যায়।ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালিড সায়েন্স এবং হায়দরাবাদের ডক্টর রেড্ডিস ল্যাবের সহায়তায় ডিআরডিওর গবেষণাগারে তৈরি করা হয়েছে এই ওষুধ। গত শনিবার আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়ে ডিআরডিও জানিয়েছিল, এই ওষুধের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে দেখা গিয়েছে, রোগীর শরীরে অক্সিজেন নির্ভরতা কমাতে সক্ষম এটি। সহজে, ব্যাপক হারে উৎপাদনও করা যায়। করোনা রোগীদের উপর তা প্রয়োগ করে দেখা গিয়েছে, দ্রুতই তাঁদের রিপোর্ট কোভিড নেগেটিভ হয়ে যাচ্ছে। গ্লুকোজের অণু এই ওষুধের প্রধান উপকরণ।জানা গিয়েছে, ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে এই ওষুধের ট্রায়াল শুরু হয়েছিল। প্রথম দফার পর দ্বিতীয় দফাতেও দুধাপে হয়েছে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ। তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালও হয় দুভাগে। ২০২০-র ডিসেম্বর থেকে ২০২১-এর মার্চের মধ্যে দুশোরও বেশি কোভিড রোগীর উপর ২ডিজি প্রয়োগ করা হয়েছে বলে দাবি ডিআরডিওর। সেসবের সাফল্যের নিরিখেই এবার ডিআরডিও-র তৈরি ওষুধকে জরুরিভিত্তিতে প্রয়োগের ছাড়পত্র দেওয়া হল। এর আগে রেমডেসিভির, ভিরাফিনকেও একইভাবে জরুরি চিকিৎসার জন্য ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছিল ডিজিসিআই। এবার মিলল ২ডিজি ব্যবহারের ছাড়পত্র। এই মুহূর্তে করোনা চিকিৎসায় সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয় উপকরণ অক্সিজেনের বড়সড় সংকট। ফলে এই ওষুধ যদি সেই সমস্যার খানিকটা সমাধান করতে পারে, তা ভেবেই দ্রুত আপৎকালীন পরিস্থিতিতে ব্যবহারে অনুমোদন দেওয়া হল, এমনই মত স্বাস্থ্যমহলের একাংশের।

মে ১৫, ২০২১
কলকাতা

কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে তুমুল ঝড়বৃষ্টি, রাজভবনের সামনে মর্মান্তিক মৃত ১, বাজ পড়ে মৃত ৫

অফিস থেকে ফেরার সময় রাজভবনের সামনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেলেন এক ব্যক্তি। মঙ্গলবার দুপুর থেকেই মুষলধারে বৃষ্টিতে ভেসেছে শহর কলকাতা। যার জেরে শহরের বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। রাজভবনের সামনেও হাঁটু জল জমে যায়। যার জেরে বিপাকে পড়েন অফিস ফেরত যাত্রীরা।বিকেলে সেই জল ঠেলেই ফিরছিলেন এক ব্যক্তি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, রাজভবনের নর্থগেটের কাছে জমা জলে হুমড়ি খেয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি। পড়ে যাওয়ার আগে টাল সামলাতে চেয়ে বিদ্যুতের খুঁটিটা আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। রাজভবনের সামনে থাকা ল্যাম্পপোস্ট ছুঁতেই বিপত্তি। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রাস্তায় পড়ে যান তিনি। দীর্ঘক্ষণ ওই জমা জলেই পড়েছিল তাঁর দেহ। এই ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। মৃত ব্যক্তির পরিচয় এখনও জানা যায়নি। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে হেয়ার থানার পুলিশ। আসে দমকলের কর্মীরাও। জমা জল থেকে অতিকষ্টে দেহটি উদ্ধার করেন তাঁরা। প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে ওই ব্যক্তির পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। কীভাবে মৃত্যু হল তাও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। দেহটি মর্গে পাঠানো হয়েছে। এখনও তাঁর পরিচয় জানা যায়নি। তবে খাস কলকাতায় এভাবে রাস্তা এক ব্যক্তির বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু আতঙ্ক ছড়িয়েছে। শহরজুড়ে বিভিন্ন এলাকায় এখনও জল জমে রয়েছে। কোথায় কার জন্য কী বিপদ লুকিয়ে রয়েছে, তা ভেবেই আতঙ্কিত অফিস ফেরত যাত্রীরা। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দুপুর থেকে প্রবল বৃষ্টি হয় কলকাতা ও বেশকিছু জেলায়। সঙ্গে ছিল ঝোড়ো হাওয়া ও ব্জ্রবিদ্যুতের দাপট। এদিনের ঝড়-বৃষ্টিতে রাজ্যজুড়ে মোট সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বীরভূমে ২কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি। সঙ্গে বইছে ঝোড়ো হাওয়াও। তুমুল বৃষ্টি হচ্ছে কলকাতা ও শহরতলিতে। বৃষ্টি হচ্ছে হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমানে। সকাল থেকেই আকাশের মুখ ছিল ভার। দুপুরেই পরই আকাশ কালো মেঘে ঢাকে। মঙ্গলবার দুপুরের মধ্যেই কলকাতায় ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।এদিকে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ থানার পুঠিমারী মাঠে বাজ পড়ে মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির। মৃতের নাম নাজির হোসেন (৩৫)। মৃতের বাড়ি যান সামশেরগঞ্জের বিডিও কৃষ্ণচন্দ্র মুন্ডা এবং বিদায়ী বিধায়ক আমিরুল ইসলাম। এছাড়াও পূর্ব বর্ধমান জেলায় বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে দুজনের। মৃতদের নাম সঞ্জয় প্রামাণিক ও শরিফ মুন্সি। হাওড়াতেও বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে দুজনের। মৃতদের মধ্যে একজনের নাম অশোক বিশ্বাস। অন্যজনের পরিচয় জানা যায়নি। ফলনে ব্যাপক ক্ষতি হবে বলে দাবি চাষিদের। এখন বোরো ধান কাটার কাজ চলছে জোর কদমে। বৃষ্টির কারণে ধানকাটা মেশিন নামতে পারবে জমিতে। তাতে ধান ঘরে তুলতে আরও সময় লাগবে। অন্যদিকে যে সমস্ত জমিতে ধান কেটে রাখা ছিল সেই ধান ভিজে গিয়েছে। ফলে মাথায় হাত চাষিদের।

মে ১১, ২০২১
স্বাস্থ্য

নিঃস্বাস এ নেই বিশ্বাস

আজ পৃথিবীর বায়ু কলুষিত হয়েছে করোনা ভাইরাস এর জেরে। নিজের ঘর ছাড়া আজ কোথাও গিয়ে শান্তি নেই। আর যে সমস্ত মানুষরা ঘরে বসে আছে তারা দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছে। আমরা সারাক্ষন টিভির পর্দায় কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখছি করোনার খবর নিতে। তাই করোনা যেরকম শরীরকে আক্রমণ করছে তেমনি আমাদের মনকেও অসুস্থ করে তুলছে. আমরা সোশ্যাল মিডিয়া বা টিভিতে চোখ রাখলেই দেখতে পাচ্ছি এ সব থেকে কিভাবে নিজেকে ঠিক রাখা যায়, মানে শরীর আর মন কে সুস্থ রাখা যায়। আমরা সেইসব অনুসরণ করার চেষ্টা করছি আর তার সুফল পাচ্ছি, কিন্তু বেশিভাগ সময় আমরা নানারকম কৌশল ব্যবহার করেও শারীরিক ও মানসিক ভাবে সুস্থ থাকতে পারছি না। কেন?প্রত্যেক মানুষের জন্য এক্সারসাইজ প্রেসক্রিপশন আলাদা, তাই বেশি এক্সারসাইজ দিয়ে শুরু করার চেষ্টা করবেন না। প্রথমে শুরু করুন ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ সমস্ত জয়েন্টের।তারপরে ধাপে ধাপে আইসোটোনিক ও আইসোমেট্রিক এক্সারসাইজ এর দিকে ঝুঁকবেন। যেকোনো ধরণের ব্যায়াম করলে ব্রেইনে ডোপামিন লেভেল বৃদ্ধি পায়, ফলে স্ট্রেস আর ডিপ্রেশন কমে যায়। তাই মাথায় রাখবেন যেকোনো ধরণের এক্সারসাইজ শুরু করলেই কিন্তু আপনি আপনার ডিপ্রেশন আর টেনশন কাটাচ্ছেন।এবার যেটা করতে হবে সেটা হলো ব্রিথিং এক্সারসাইজ ও মেডিটেশন করুন। মেডিটেশন করার সময় আমাদের শ্বাস প্রস্বাস এর ওপর নজর রাখতে হয়, তাই চেষ্টা করুন ব্রিথিং এক্সারসাইজ আর মেডিটেশন একসাথে করতে। এতে আপনার মন শান্ত হবে এবং আপনার ফুসফুস এর ক্ষমতা বাড়বে। কয়েকটি সহজ ব্রিথিং এক্সারসাইজঃ১. সহজ প্রানায়ামঃ সোজা হয়ে বসে নাক দিয়ে নিঃস্বাস নিন জোরে আর ছাড়ুন মুখ দিয়ে। এখানে সময় ধরে করতে হবেনা। শুধু চেষ্টা করবেন অনেকটা নিঃস্বাস নেয়া আর সেটাকে ছেড়ে দেয়া।২. বক্স ব্রিথিংঃ ৪ সেকেন্ড ধরে নিঃস্বাস নিন, ৪ সেকেন্ড ধরে থাকুন, ৪ সেকেন্ড ধরে ছাড়ুন, আবার নিঃস্বাস নেয়ার আগে ৪ সেকেন্ড বিরত থাকুন। তারপর এই জিনিসটাই বার বার রিপিট করুন।৩. ভ্রমণ প্রানায়ামঃ অনেকধরণের ভ্রমণ প্রাণায়াম আছে তার মধ্যে দুটি সহজ প্রাণায়ামের কথা বলছি এখানে।চার পদক্ষেপে নিঃস্বাস নিন আর চার পদক্ষেপে নিঃস্বাস ছাড়ুন। যখন এতে অভস্থ হয়ে যাবেন তখন চার পদক্ষেপে নিঃস্বাস নিন আর ছয় পদক্ষেপে ছাড়ুন. প্রথমে এটি ১০ মিনিট পরে ৩০ মিনিট ধরে করার চেষ্টা করুন। ৪. Pursed লিপ ব্রিথিংঃ নাক দিয়ে নিঃস্বাস নিন আর মুখ ছোট করে জোরে (মোমবাতি নেভাতে গেলে আমরা যেভাবে ফুঁ দিই) নিঃস্বাস ছাড়ুন।৫. অনুলোম বিলোমঃ একটি নাক বন্ধ করে অন্য নাক দিয়ে নিঃস্বাস নিন, এবার যে নাক দিয়ে নিঃস্বাস নিলেন সেটি বন্ধ করে অপর নাক দিয়ে নিঃস্বাস ছাড়ুন, এবার যে নাক দিয়ে নিঃস্বাস ছাড়লেন সেই নাক দিয়ে নিঃস্বাস নিন, এরপর সেই নাকটি বন্ধ করে অপর নাক দিয়ে ছাড়ুন। এই প্রক্রিয়া টি সোজা হয়ে পদ্মাসনে বসে বেশ কয়েকবার ধরে করুন।৬. ডায়াফ্রাগমেটিক ব্রিথিংঃ ডায়াফ্রাম ফুসফুস থেকে পেটের অর্গানদের আলাদা করে রাখে. পেটের ঠিক মাঝখানে একটু ওপরের দিকে হাত রাখুন এবং একটু চাপ দিয়ে রাখুন, এই অবস্থায় নিঃস্বাস প্রস্বাস নিন। এই এক্সারসাইজ এর দ্বিতীয় ধাপ হলো যখন নিঃস্বাস ছাড়বেন হাতদিয়ে চাপ পেটের দিকে এবং ওপরের দিকে বাড়ান আবার নিঃস্বাস নেয়ার সময় চাপ একটু হালকা করুন, কিন্তু চাপ বজায় থাকবে।এই এক্সারসাইজ গুলো ছাড়াও আপনারা নিজেদের মতো এক্সারসাইজ করতে পারেন।এক্সারসাইজ করলে আমাদের নিঃস্বাস প্রশ্বাসের কি তফাৎ হয়?১. পালমোনারি ভেন্টিলেশনঃ পালমোনারি ভেন্টিলেশন হলো বায়ুর পরিমান যা ১ মিনিটে লাংস এ ঢোকে আর বেরোয়। সাধারণত এর পরিমান নরমাল এডাল্টদের 6liter / মিনিট (টাইডাল ভলিউম ৫০০ ml x রেসপিরেটরি রেট ১২/মিনিট)। মডারেট এক্সারসাইজ এ এটি 60liter / মিনিট এবং সিভিয়ার মাস্কুলার এক্সারসাইজ এ 100liter / মিনিট পর্যন্ত হতে পারে। ২. অক্সিজেন ডিফিউসিং ক্যাপাসিটিঃ এটি হলো অক্সিজেনের শরীরের (রক্তর সাথে) সাথে মেশার ক্ষমতা। সাধারণ এটি 21ml / মিনিট হয়, কিন্তু এক্সারসাইজ এ এটি বেড়ে 45ml থেকে 50ml পর্যন্ত হতে পারে।৩. অক্সিজেন গ্রহণযোগ্যতাঃ এক্সারসাইজ করলে টিসু, মাসল এ অক্সিজেন গ্রহণযোগ্যতা বেড়ে যায়।৪. অক্সিজেন ডেবিটঃ এক্সারসাইজ করার পর মাসল এ অক্সিজেন এর দরকার ৬ গুন্ বেড়ে যায়। তখন মাসল এ অক্সিজেন ঘাটতি দেখা যায়, যা সাধারণত দেখা যায় না। শরীর আস্তে আস্তে এই ঘাটতি পূর্ণ করে।৫. রেসপিরেটরি কোশেন্টঃ শরীরে নির্দিষ্ট পরিমান অক্সিজেন গ্রহণে যে পরিমান কার্বন ডাই অক্সাইড তৈরী হয় তার রেশিও কে রেসপিরেটরি কোশেন্ট বলে। নরমাল অবস্থায় এটি ১.০। এক্সারসাইজ করলে এটি বেড়ে ১.৫ বা ২.০ অবধি হয়, এবং এক্সারসাইজ শেষ হয়ে গেলে এটি কমে ০.৫ হয়ে যায়. অর্থাৎ সমপরিমাণ অক্সিজেনের জন্য শরীর তার অর্ধেক কার্বন ডাই অক্সাইড তৈরী করে।যেকোনোরকমের এক্সারসাইজ করতে হবে ঘরের মধ্যেই। করোনার সময় বাইরে না গিয়েও আপনি এক্সারসাইজ, ব্রিথিং এক্সারসাইজ এবং মেডিটেশন এর মাধ্যমে নিজের শরীর ও মনকে ঠিক রাখতে পারবেন।নিঃস্বাস নিন প্রাণ ভরে, বুক ভরে বিশ্বাসের সাথে, যে আমার একদিন এই সংকট কাল থেকে উদ্ধার পাবোই।Dr. Satyen Bhattacharyya (PT)MPT, COMT, CMT, CDNP, DOMPT (Pursuing), PhD Scholar.Associate Professor : Burdwan Institute of Medical and Life SciencesEx-Physiotherapist : Sports Authority of India, Bardhamanhttps://www.fitofine.in/post/breathing-exercise

মে ১১, ২০২১
বিদেশ

ইজরায়েলের বিমান হানায় নিহত ২০ প্যালেস্তিনীয় নাগরিক

গাজায় ইজরায়েলের বিমান হানায় নিহত অন্তত ২০ প্যালেস্তিনীয় নাগরিক। আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। এমনটাই জানিয়েছেন গাজার স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। গত শুক্রবার থেকে জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদে ইহুদি ও মুসলিম সম্প্রদায়ের অনুগামীদের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়েছে। এবার তা ক্রমে ভয়াবহ আকার নিচ্ছে।আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, জেরুজালেমে সংঘর্ষে অন্তত ১৬৩ জন প্যালেস্তিনীয় নাগরিক ও ছয় ইজরায়েলি পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। এই পরিসংখ্যান দিয়েছে প্যালেস্তিনীয় রেড ক্রিসেন্ট ইমারজেন্সি সার্ভিস এবং ইজরায়েলি পুলিশ। ঘটনার সূত্রপাত হয় গত শুক্রবার।রমজানের নমাজ পড়তে জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদে জড়ো হন হাজার হাজার মুসলমান। বলে রাখা ভাল, আল আকসা মসজিদ ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে অন্যতম শ্রদ্ধার স্থান। পাশাপাশি, এটি ইহুদিদের কাছেও একটি পবিত্র স্থান। যাকে তারা টেম্পল মাউন্ট হিসাবে জানেন। এই জায়গায় এর আগেও বেশ কয়েকবার দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে অন্তর্ঘাত হয়েছে। ইজরায়েলের পুলিশ দাবি করেছে, ওই দিন সন্ধ্যার নমাজের পর হাজার হাজার মুসলিম ধর্মাবলম্বী দাঙ্গা শুরু করলে তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য শক্তি প্রয়োগ করতে বাধ্য হয়েছে। এদিকে, বসতি স্থাপনের জন্য পূর্ব জেরুজালেমের বাড়িঘর থেকে প্যালেস্তিনীয়দের উচ্ছেদ করার সম্ভাবনায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠেছে।এদিকে, আল আকসায় সংঘর্ষের পর গাজা থেকে ইজরায়েলের উদ্দেশে বেশ কয়েকটি রকেট হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হামাস। পালটা জঙ্গি সংগঠনটির ঘাঁটি লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে ইজরায়েলে রকেট হামলার ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে আমেরিকা। পাশাপাশি, যে কোনও ধরনের উচ্ছেদ বন্ধ করার জন্য ইজরায়েলের কাছে আহবান জানিয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ।

মে ১১, ২০২১
বিদেশ

জন্মদিনের পার্টিতে বন্দুকবাজের হামলায় খুন ৬ জনকে, আত্মঘাতী হামলাকারী

ফের মার্কিন মুলুকে বন্দুকবাজের হামলা। জন্মদিনের পার্টিতে ঢুকে গুলি চালিয়ে ছজনকে খুন করল এক বন্দুকবাজ। যাঁদের মধ্যে আবার রয়েছে তার বান্ধবী। এরপর শেষে নিজেও আত্মঘাতী হয় ওই যুবক। আর এই ঘটনা ঘিরেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আমেরিকার কলোরাডোতে। প্রাথমিক সন্দেহে অনুমান প্রেমঘটিত কারণেই এই হামলার ঘটনাটি ঘটেছে।সেদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটে রবিবার গভীর রাতে। কলোরাডো স্প্রিংসে সেসময় চলছিল জন্মদিনের পার্টি। আচমকাই সেখানে ঢুকে পড়ে ওই বন্দুকবাজ। এরপর আচমকাই গুলি চালাতে শুরু করে সে। তাতেই প্রাণ হারান তার বান্ধবী-সহ ছজন। এরপর সে নিজেকেও গুলি করে। কলোরাডো শহরের পুলিশ এই প্রসঙ্গে জানিয়েছে, কলোরাডো স্প্রিংসে ওই বন্দুকবাজের হানা দেওয়ার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশের উদ্ধারকারী দল সেখানে পৌঁছয়। কিন্ত কয়েক মিনিটের মধ্যেই গোটা ঘটনাটি ঘটে গিয়েছিল। এরপর পুলিশ ছজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে। গুরুতর আহত অবস্থায় রক্তাক্ত বন্দুকবাজকে উদ্ধার করা হয়। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকেও মৃত বলে ঘোষণা করেন।প্রাথমিক তদন্তে আধিকারিকদের অনুমান, নিহতদের মধ্যে এক তরুণীর বয়ফ্রেন্ড ওই বন্দুকবাজ। প্রেমঘটিত কারণে বদলা নিতেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে ওই যুবক। তবে কলোরাডোর মেয়র জন সাদার্স জানিয়েছেন, এই ঘটনার তদন্ত করার জন্য বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। জন্মদিনের পার্টিতে উপস্থিত এক মহিলা প্রত্যক্ষদর্শী সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, যে সময়ে এই ঘটনা ঘটে তখন তিনি পার্টি ছেড়ে পার্কিংজোনে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছিলেন। হঠাৎই জোরাল শব্দ শুনতে পান। মুহুর্মুহু গুলি চলতে থাকে। ভয়ে তিনি লুকিয়ে পড়েন। পুলিশ আরও জানিয়েছে, জন্মদিনের অনুষ্ঠানে অনেক শিশু উপস্থিত ছিল। কিন্ত তাদের কেউ জখম হয়নি। অর্থাত্ বেশ দেখেশুনেই গুলি চালিয়েছে ওই বন্দুকবাজ। তবে এই প্রথম নয়, মার্কিন মুলুকে বন্দুকবাজের হামলা প্রায়শই ঘটে থাকে। শুধু কলোরাডো শহরে গত ছবছরে চতুর্থবার বন্দুকবাজের হামলার ঘটনা ঘটল।

মে ১০, ২০২১
বিদেশ

টাইমস স্কোয়্যারে এলোপাথাড়ি গুলিতে জখম শিশু-সহ ৩

এবার এলোপাথাড়ি গুলি চলল নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কোয়্যারে। জনপ্রিয় পর্যটনস্থল তথা ব্যস্ত এলাকায় এ হেন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই ঘটনায় জখম এক শিশু-সহ মোট তিন জন। বাকি দুজনই মহিলা। তাঁরা ম্যানহাটনের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কে বা কারা কেন গুলি চালাল বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। সন্ত্রাসের আতঙ্ক ছড়াতে কোনও বন্দুকবাজ হামলার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তদন্ত শুরু করছে নিউ ইয়র্ক পুলিশ।স্থানীয় সময় শনিবার বিকেল পাঁচটা। কোভিড পরিস্থিতিতে জনপ্রিয় টাইমস স্কোয়্যারে পর্যটকদের আনাগোনা না থাকলেও বেশ ব্যস্ত ছিল এই এলাকা। আচমকাই সেভেনথ অ্যাভিনিউ এবং ৪৪ স্ট্রিটের সংযোগস্থল থেকে গুলির আওয়াজ ভেসে আসে বলে স্থানীয় সূত্রে দাবি। সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন আশপাশের সকলে। ঘটনাস্থলে ছুটে যেতেই দেখা যায় এক শিশু-সহ চার জন রাস্তায় পড়ে কাতরাচ্ছেন। তাঁদের উদ্ধার করে সঙ্গে সঙ্গে ম্যানহাটনের হাসপাতালে পাঠানো হয়। বিপদ মুক্ত হলেও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁরা। সূত্রের খবর, তিন চারজনের মধ্যে বচসার জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। তবে পুলিশের একাংশ মনে করছে, আতঙ্ক ছড়াতে কোনও বন্দুবাজ হামলা চালিয়েছিল এই পর্যটনস্থলে। নিউ ইয়র্ক পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা এখনও অজানা। তবে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। তিনি আরও জানিয়েছে, জখমরা কেউ-ই কোনও বচসায় যুক্ত ছিলেন না।

মে ০৯, ২০২১
রাজ্য

রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তীতে শুনশান বিশ্বভারতী, ফাঁকা জোড়াসাঁকোও

আজ পঁচিশে বৈশাখ। তবে কোভিড আবহে ফিকে কবি প্রণাম অনুষ্ঠান। প্রতি বছরই রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তীতে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে বিশাল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কিন্তু এবারের পরিস্থিতি একেবারেই আলাদা। বিশ্বভারতীতে বন্ধ রবীন্দ্রজয়ন্তী উদযাপন।জোড়সাঁকোতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান করেন কলকাতার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। বাইরে থেকে যাঁরা কবিগুরুকে শ্রদ্ধা জানাতে আসছেন, তাঁরা জোড়াসাঁকোর বাইরের মূর্তিতে মাল্যদান করতে পারবেন। কবিগুরুর মূর্তিতে মাল্যদানের পর ফিরহাদ হাকিম বলেন, আমরা বাঙালি। যবে থেকে জ্ঞান এসেছে, তবে থেকেই রবীন্দ্রজয়ন্তী উদযাপন করে এসেছি। যখন খুব ছোটো ছিলাম, তখন বাড়ির ছাদে চার-পাঁচটা ইট দিয়ে বেদি বানিয়ে, পাড়ার দোকান থেকে ছোট্ট ফোটো কিনে রবি পুজো করতাম। তখন বুঝতামও না রবীন্দ্রজয়ন্তী কী! কিন্তু বাঙালি পরিবারে জন্মেছি, ছোট থেকেই এই কাজটা করেছি। তারপর বড় হয়ে রবীন্দ্রজয়ন্তীতে মনে হত উৎসবের দিন। এখন একটা এমন পরিস্থিতি, যেন মানুষ মানুষকে দেখলে ছিটকে যাচ্ছে। রবীন্দ্রনাথ নিয়ে যে উল্লাস, তা এবার নেই।একই ছবি ধরা পড়েছে বিশ্বভারতীতেও। গত বছর থেকেই রবীন্দ্রজয়ন্তীর দিন বিশ্বভারতীর ছবিটা বদলে গিয়েছে, যা মিল খায় না চিরাচরিত ছবির সঙ্গে। রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী পালন করতে পারছেন না বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রীরা। মন খারাপ তাঁদের। বন্ধ রবীন্দ্রজয়ন্তীর চেনা উদযাপন। শুনশান ক্যাম্পাস, গেটে কড়া পাহারা।বিশ্বভারতীতে কেবল প্রবেশে ছাড় উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী, তাঁর স্ত্রী-ছাড়া হাতে গোনা কয়েক জনের। এবারে বন্ধ রয়েছে কবি কন্ঠ শোনানোর সেই রীতিও। করোনার কোপ পঁচিশে বৈশাখের রীতিতেও।

মে ০৯, ২০২১
দেশ

করোনা রোগীর শেষকৃত্য থেকে ফিরে মৃত ২১!

করোনা রোগীর শেষকৃত্যে গিয়েছিলেন প্রায় শদেড়েক শ্মশানযাত্রী। ফেরার পর তাঁদের মধ্যে ২১ জনের মৃত্যু হল কয়েক দিনের মধ্যে। মৃতদের মধ্যে চারজনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। বাকিদের মৃত্যুও মারণ ভাইরাসের সংক্রণের ফলে হয়েছে কি না তা এখনও জানা যায়নি। গোটা ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজস্থানের খিরভা গ্রামে।গত ২১ এপ্রিল গ্রামে নিয়ে আসা হয় করোনায় মৃত এক গ্রামবাসীর দেহ। তাঁর শেষকৃত্যে শামিল হন প্রায় ১৫০ জন শ্মশানযাত্রী। অভিযোগ, করোনা বিধি না মেনেই সেই শেষকৃত্যে অংশ নেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, মৃতদেহটি প্লাস্টিকে মোড়া ছিল। সেই মৃতদেহ অনেকে স্পর্শও করেছিলেন। সেদিনের পর থেকে ৫ মে পর্যন্ত ২১ জন শ্মশানযাত্রীর মৃত্যু ঘটে। তবে তাঁদের মধ্যে ৩-৪ জনের দেহেই করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এপ্রসঙ্গে লক্ষ্মণগড়ের মহকুমা শাসক কুলরাজ মীনা জানিয়েছেন, আমরা মৃতদের পরিবার-পরিজনদের মধ্যে ১৪৭ জনের দেহে করোনা পরীক্ষা করেছি। গ্রামটিতে কোনও গোষ্ঠী সংক্রমণ ছড়িয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতেই ওই পরীক্ষা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, গ্রামটিকে জীবাণুমুক্ত করতে ইতিমধ্যেই অভিযান চালানো হয়েছে। গ্রামবাসীদের বারবার বোঝানো হয়েছে পরিস্থিতির গুরুত্ব। তাঁরা সকলেই সহযোগিতাও করছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

মে ০৮, ২০২১
কলকাতা

রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের

রাজ্যে ভোট-পরবর্তী হিংসার ছবি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে এলাকা পরিদর্শন করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিনিধি দল। শুক্রবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক এলাকায় যান প্রতিনিধি দলের সদস্যেরা। তার আগে শুক্রবার সকালে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে তারা বৈঠক করেন। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে রাজ্যপালের কাছে হিংসার তথ্য চেয়েছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল।রাজ্যে ভোট-পরবর্তী হিংসার তদন্ত করতে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মন্ত্রক থেকে চার সদস্যের প্রতিনিধি দল আসে বাংলায়। ওই দিন তারা নবান্নে গিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছ থেকে হিংসার রিপোর্ট তলব করে। যা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দোষীদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি তিনি শান্তির বার্তাও দিয়েছেন। তবে রাজ্যপাল হিংসা প্রসঙ্গে প্রথম থেকেই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সরব হয়েছেন। অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন পুলিশের ভূমিকা নিয়েও। এই আবহে শুক্রবার হিংসার তথ্য পেতে রাজভবনে যান প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। সেখানে রাজ্যপালের সঙ্গে তাঁরা প্রায় ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট ধরে বৈঠক করেন। সূত্রের খবর, রাজ্যের কোথায় কোথায় হিংসার ঘটনা ঘটেছে তার তথ্য রাজ্যপালের কাছে চেয়েছেন তাঁরা।রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার পরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব গোবিন্দ মোহনের নেতৃত্বে চার সদস্যের দল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শনে যান। সেখানে তারা হিংসায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সঙ্গে দেখা করেন। ওই জেলার বাওয়ালি এলাকায় গত বুধবার কয়েকটি দোকান ও বাড়ি ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। শুক্রবার সেখানে গিয়ে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা ক্ষয়ক্ষতির হিসেব করেন। এবং এই হিংসার কাজে কারা যুক্ত সে খবরও নেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, শুক্রবার প্রতিনিধি দল ওই জেলার আরও বেশ কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করেন।বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্য বিজেপি-র নেতারা। প্রতিনিধি দলকে তাঁরা দলীয় কর্মীদের উপর হামলার ঘটনার রিপোর্ট দেন। একইসঙ্গে বিজেপি নেতারা ওই দলকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শনের জন্য আর্জি জানান। তারপরেই শুক্রবার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে যায় প্রতিনিধি দল।

মে ০৭, ২০২১
দেশ

দেশে একদিনের করোনার বলি প্রায় ৪০০০

ফের নয়া রেকর্ড গড়ল দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সাম্প্রতিকতম পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন দেশের ৪ লক্ষ ১৪ হাজার ১৮৮ জন। একদিনে করোনার বলি ৩৯১৫। সুস্থ হয়ে ফিরেছেন ৩ লক্ষ ৩১ হাজার ৫০৭ জন। এই মুহূর্তে দেশে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ৩৬ লক্ষ ৪৫ হাজার ১৬৪।আইসিএমআর-এর রেকর্ড অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিডের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২১৮ লক্ষ ২৬ হাজার ৪৯০। ইতিমধ্যে টিকাকরণ হয়েছে ১৬ কোটি ৪৯ লক্ষ ৭৩ হাজার ৫৮ জনের। যা মোট জনসংখ্যার তুলনায় সামান্যই। টিকাকরণের শ্লথ গতির কথা অবশ্য মেনে নিয়েছে কেন্দ্রও।বৃহস্পতিবার দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪ লক্ষ ১২ হাজারের বেশি। আর শুক্রবার তা তৈরি করল নয়া রেকর্ড। মৃত্যুর হারও আগের কয়েকদিনের চেয়ে বেশি। সুস্থতার পরিসংখ্যানেও তেমন স্বস্তি নেই। এখনও পর্যন্ত করোনাকে কাবু করে সুস্থ হয়ে উঠেছেন দেশের ১ কোটি ৭৬ লক্ষ ১২ হাজার ৩৫১ জন। দেশের করোনার দ্বিতীয় ঢেউ রুখতে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকটি রাজ্যে দফায় দফায় জারি হচ্ছে লকডাউন। কোথাও আবার কার্ফু জারির মাধ্যমে সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙার চেষ্টা চলছে। কোভিড মোকাবিলায় ভারতের দিকে হাত বাড়িয়েছে কার্যত গোটা বিশ্বই। ব্রিটেন, রাশিয়া, ফ্রান্স, সুইডেন-সহ একাধিক দেশ চিকিৎসা সরঞ্জাম, টিকা দিয়ে সাহায্য করেছে। শুক্রবার সকালে সুইজারল্যান্ড থেকেই পণ্যবাহী বিমানে দিল্লিতে নেমেছে ৫০টি রেসপিরেটর, যা এই মুহূর্তে সংকটজনক করোনা রোগীকে বাঁচানোর চিকিৎসায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অক্সিজেনের অভাব মেটাতে বিভিন্ন জায়গায় তৈরি হচ্ছে প্লান্ট। এত কিছু সত্ত্বেও লাগামহীন করোনা সংক্রমণ। প্রতিদিন রেকর্ড ভেঙেই চলেছে। দ্বিতীয় ধাক্কায় যদি এই পরিস্থিতি হয়, তবে আসন্ন তৃতীয় ঢেউ আরও কতটা ভয়ংকর হবে, তা ভেবেই আশঙ্কিত আমজনতা।

মে ০৭, ২০২১
রাজ্য

লোকাল ট্রেন বন্ধে দাম বাড়ার আশঙ্কা মাছ-সবজির

লোকাল ট্রেন বন্ধ। ফলে ফের চড়তে পারে শাকসবজি, আনাজের দাম। বাড়ার আশঙ্কা মাছের দামও। সব মিলিয়ে লোকাল বন্ধে গতবারের মতো ফের জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কায় আম গেরস্ত। একদিন ট্রেন বন্ধ হতেই কিছু জায়গায় আলু-পিঁয়াজেরও দাম বেড়েছে বৃহস্পতিবার। তবে ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, এখনই দাম বাড়ার কথা নয়। যাঁরা নিচ্ছেন তাঁরা অন্যায় করছেন। কারণ, প্রত্যেকেরই স্টকে আলু, পিঁয়াজ আছে। কিন্তু দু-তিন দিন পর থেকে সবজি বাজারে ট্রেন বন্ধের প্রভাব পড়বে। ব্যবসায়ীদের দাবি, ট্রেন বন্ধ থাকলে সবজি এবং মাছ আনার খরচ অনেকটাই বেড়ে যায়। ট্রেনের ভেন্ডর কামরায় যতটা কম খরচে জিনিস আনা-নেওয়া করা যায় গাড়ি করে আনতে সেই খরচ অনেকটাই বাড়ে। ফলে দাম বাড়ে জিনিসের।লকডাউন শুরু হলে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের তো রুজি-রোজগারই বন্ধ হওয়ার জোগাড় হয়। এই অবস্থায় কাঁচা আনাজের বাজারে দামের ছেঁকায় আলুসেদ্ধ ভাত জোগানোটাও সমস্যার হয়ে দাঁড়াবে বহু মানুষের। বৃহস্পতিবারই পিঁয়াজ মুকুন্দপুর বাজারে ৪০ টাকা আর চন্দ্রমুখী আলু ২৩ টাকা প্রতি কেজি বিকিয়েছে। যার দাম বুধবারও ছিল ৩০ টাকা, ২১ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, জিনিসের যে জোগান কমবে তেমনটা নয়। তবু সব কিছুরই দাম বাড়বে। কারণ মাছ ও সবজি সবকিছু আনার খরচ আগের থেকে অনেক বাড়বে। কাঁচালঙ্কা থেমে টম্যাটো, ঢেঁড়শ, পটল বেগুন সব কিছুরই দাম চড়তে পারে। আর গাড়ির চাহিদা বাড়লে তার ভাড়াও বাড়বে। ফলে মাছ যে গাড়িতে করে আসে তার ভাড়াও বাড়বে। যার প্রভাব পড়বে মাছ বাজারে। তাছাড়া ফড়েদের উৎপাত তো আছেই। ক্রেতাদের কথায়, কাঁচা আনাজের দামও যদি এত বাড়ে, তবে খাওয়া দাওয়া তো ছাড়তে হবে।ব্যবসায়ীদের দাবি, আগে লোকাল ট্রেনে ভেন্ডার কামরায় সবজি, মাছ আনা নেওয়া চলত। এখন তো সেই উপায় নেই। ছোট হাতি বা ছোট ট্রাকে করে সবজি আনতে হবে। ফলে সবজি আনার খরচ বেড়ে যাবে অনেকটাই। ডিজেলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি ভাড়াও বেড়েছে। সেই খরচটা তো কোনও ব্যবসায়ী আর পকেট থেকে দেবেন না। বাধ্য হয়েই তাই জিনিসপত্রের দাম বাড়াতে হবে। ওয়েস্ট বেঙ্গল ভেন্ডার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও রাজ্যের কৃষি বিষয়ক টাস্কফোর্সের সদস্য কমল দে বলেন, বাইরে থেকে সবজি আনার খরচ বাড়বে ট্রেন বন্ধ হওয়ায়। বাধ্য হয়ে খোলা বাজার থেকে খুচরো বাজার সর্বত্রই দাম বাড়ার আশঙ্কা আছে।

মে ০৭, ২০২১
রাজ্য

শীতলকুচি কাণ্ডে সাসপেন্ড কোচবিহারের পুলিশ সুপার

রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরতেই প্রশাসনিক স্তরে একাধিক রদবদল ঘটিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বদল হয়েছে পুলিশ কর্তারাও। কোপ পড়েছে কোচবিহার পুলিশ সুপারের উপরেও। প্রশাসন সূত্রের খবর, ভোটের সময় শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় জওয়ানদের গুলি চালানোর ঘটনার জেরেই সুপারকে সাসপেন্ড করা হল। কোন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় জওয়ানরা ভোটারদের উপর গুলি চালিয়েছিল, তা নিয়ে তদন্ত করতে পারে রাজ্য।ভোটের আগেই দিনহাটায় এক বিজেপি নেতার রহস্যমৃত্যু হয়। সেই মৃত্যুকে কাণ্ড করে উত্তাল হয় দিনহাটা। বিজেপি সাংসদ তথা বিধায়ক নীশীথ প্রামাণিকের নেতৃত্ব দিনহাটার শহরাঞ্চলে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি নেতা-কর্মীরা। এর পরই নির্বাচন কমিশনের কোপে পড়েছিল কোচবিহারের তৎকালীন পুলিশ সুপার কে কান্নান। তাঁকে সরিয়ে জেলার পুলিশ সুপার করা হয় দেবাশিস ধরকে। তৃণমূলের একাংশের অভিযোগ ছিল, দেবাশিসবাবু বিজেপির হয়ে ভোটের সময় কাজ করছিলেন। এর মাঝেই চতুর্থ দফা ভোটের দিন অর্থাৎ ১০ এপ্রিল শীতলকুচি বিধানসভার অন্তর্গত জোড়পাটকির ১২৬ নং বুথে ভোটারদের উপর গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের বিরুদ্ধে। চারজনের মৃত্যুও হয়। এই ঘটনায় তোলপাড় হয় বঙ্গ রাজনীতি। কিন্তু তৎকালীন পুলিশ সুপার দেবাশিস ধর জানান, কেন্দ্রীয় বাহিনীর বন্দুক ছিনতাই করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। গুজবের জেরে প্রায় ১৫০ জন গ্রামবাসী ঘিরে ফেলেছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের। তাই আত্মরক্ষার স্বার্থে গুলি চালাতে বাধ্য হয় জওয়ানরা। সে কথা অবশ্য মানতে রাজি ছিলেন না তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ছুটে গিয়েছিল শীতলকুচিতে। আশ্বাস দিয়েছিলেন ক্ষমতায় ফিরলে গুলিকাণ্ডের তদন্ত হবে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, কোন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালিয়েছিল তা তদন্ত করে দেখা হবে।

মে ০৬, ২০২১
রাজ্য

আজ থেকে গড়াবে না লোকাল ট্রেনের চাকা, সমস্যায় নিত্যযাত্রীরা

আপাতত ১৪ দিনের জন্য লোকাল ট্রেন বন্ধ। বুধবার রাজ্য সরকার বিবৃতি দিয়ে এ কথা জানিয়েছে। তবে রেলের তরফে জানানো হয়েছে, পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত রাজ্যের সমস্ত লোকাল ট্রেন পরিষেবা বৃহস্পতিবার থেকে বন্ধ থাকবে। লোকাল ট্রেনকে শহরতলির লাইফ লাইন বলা হয়। সেই গন পরিবহণ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেলে কিভাবে যাতায়াত করবেন, তাই নিয়ে ইতিমধ্যেই ভাবনায় পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা। অফিস পুরো খোলা, দোকান, বাজার আংশিক খোলা, সেই অবস্থায় লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ায় সমস্যা তৈরি হয়েছে। হাওড়া স্টেশনের মাধ্যমে কলকাতা-সহ আশেপাশের জেলায় রোজগার ও অন্যান্য নানান কাজের জন্যে ছুটে যান কয়েক লক্ষ মানুষ। শহর কলকাতার অনেক অফিসে চাকুরী করেন শহরতলীর বহু মানুষ। যাঁরা বাড়ি থেকে অফিসে যেতে মূলত লোকাল ট্রেনের ওপরেই নির্ভরশীল। লোকাল ট্রেন বন্ধ হয়ে গেলে তাঁরা কিভাবে অফিসে যাবেন তা ভেবে পাচ্ছেন না। শহরতলীর বিভিন্ন ছোটখাটো দোকান ও ব্যবসাদাররা নিয়মিতভাবে কলকাতার বিভিন্ন পাইকারি বাজার থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে নিয়ে যান, দোকান থেকে বিক্রি করার উদ্দেশ্যে। লোকাল ট্রেন বন্ধ হয়ে গেলে কিভাবে দোকান চালাবেন সেই কথাই ভাবছেন ব্যান্ডেলের বাসিন্দা অজিত মণ্ডল। অন্যদিকে কলকাতার এক বেসরকারি সংস্থার কর্মী শ্রীরামপুরের বাসিন্দা পায়েল ঘোষাল বলেন, অফিস খোলা রয়েছে। আমাকে অফিস যেতে হবে। লোকাল ট্রেন বন্ধ হয়ে গেলে কিভাবে অফিস যাবো ভেবে পাচ্ছি না। আমার আবেদন মুখ্যমন্ত্রী তাঁর এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করুন। করোনার সংক্রমণ যেভাবে বেড়ে চলেছে তা সামলাতে কঠোর পদক্ষেপ আমিও সমর্থন করি। কিন্তু লোকাল ট্রেন বন্ধ করলে বাসে যেভাবে ভিড় বাড়বে তাতে আগামী দিনে সংক্রমণ আরও বাড়ার আশঙ্কা থাকবে বলেও মনে করছেন তিনি। অন্যদিকে, দক্ষিণ-পূর্ব রেলের উলুবেড়িয়ার বাসিন্দা সুদেষ্ণা বসুর কথায়, লোকাল ট্রেনের নিত্যযাত্রীরা কোভিড নিয়মবিধি ভালোভাবেই মেনে চলছিলেন। কারণ তাঁরা গত বছরের লকডাউনের সময়ে লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকায় চরম সমস্যায় পড়েছিলেন। তাই নিত্যযাত্রীরা তাঁদের নিয়ম না-মানার কারণে লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাক তা কেউই চাননি। পাশাপাশি চন্দনপুরের বাসিন্দা সরোজ ঘোষ জানালেন, তিনি গোরুর দুধ থেকে ছানা তৈরি করে লোকাল ট্রেনে করে হাওড়া হয়ে কলকাতার বড়বাজারে সরবরাহ করেন। লোকাল ট্রেন বন্ধ হয়ে গেলে গাড়িভাড়া করে হলেও তাঁকে নিয়মিত সরবরাহ চালু রাখতে হবে। যার ফলে খরচ অনেকটাই বেড়ে যাবে। বুধবার হাওড়া স্টেশনে এইভাবে লোকাল ট্রেন বন্ধের বিষয়ে নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানালেন নিত্যযাত্রীরা। গত বছরের স্মৃতি আবার ফিরছে। তবে পুরো ট্রেন পরিষেবা নয়, বন্ধ হচ্ছে শুধুমাত্র লোকাল ট্রেন পরিষেবা।

মে ০৫, ২০২১
রাজ্য

রাজনৈতিক হিংসা দূর করতে শপথ বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের

একদিকে রাজ্যভবনে যখন মুখ্যমন্ত্রী পদে তৃতীয়বারের জন্য শপথ নিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তখনই বিজেপির নির্বাচিত প্রতিনিধিরাও শপথ নিলেন।বিধায়ক পদে শপথ নয়, রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসা নির্মূল করার শপথ নিলেন তাঁরা। বিধায়ক হিসাবে নিজেদের দায়িত্ব পালনের শপথ। মানুষের পাশে থাকার শপথ।হেস্টিংসে বিজেপির অফিসে এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির নির্বাচিত প্রতিনিধিরা। প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে শপথ নিলেন নন্দীগ্রামের নির্বাচিত বিজেপি প্রতিনিধি শুভেন্দু অধিকারী, দিনহাটার নিশীথ প্রামাণিক। তাঁদের সবাইকে শপথবাক্য পাঠ করালেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মঞ্চে তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে শপথবাক্য পাঠ করলেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডাও। অনেক দিন পর পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যার দিক থেকে অনেকটা শক্তিশালী বিরোধী দল পেল। এর আগে বাম বা কংগ্রেস বিরোধী দলের তকমা পেলেও সংখ্যার দিক থেকে তারা অনেকটাই দুর্বল ছিল। কিন্তু বিজেপির ৭৭ নির্বাচিত প্রতিনিধি সরকারকে চাপে রাখবে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে বিজেপির নির্বাচিত প্রতিনিধিরা শপথ নেন, বিরোধী দলের প্রতিনিধি হিসাবে তাঁরা তাঁদের দায়িত্ব সততার সঙ্গে পালন করবেন। এবং পশ্চিমবঙ্গের স্বার্থ রক্ষায় সর্বদা জাগ্রত থাকবেন। বিজেপির তরফে এই ৭৭ জনের মধ্যে বিরোধী দলনেতা কে হবেন, তা এখনও ঘোষণা হয়নি। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথগ্রহণের দিনই রাজনৈতিক হিংসা মুক্ত করার ডাক দিয়ে বিজেপি কার্যত তাদের অবস্থান বুঝিয়ে দিল।

মে ০৫, ২০২১
রাজ্য

৬ মে থেকে রাজ্যে বন্ধ সব লোকাল ট্রেন, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে তৎপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার অর্থাৎ আগামিকাল থেকে বন্ধ লোকাল ট্রেন। সরকারি পরিবহণ এবং মেট্রো চলবে ৫০ শতাংশ। পরিবর্তন করা হল বাজার খোলা রাখার সময়েও। পরিবর্তন হচ্ছে ব্যাংক খোলার সময়ও। বুধবার শপথ গ্রহণের পরই রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৎপর মুখ্যমন্ত্রী। শপথগ্রহণের পরই জানিয়ে দিয়েছিলেন, আপাতত করোনা মোকাবিলায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি। সে কথা মাথায় রেখেই এদিন একাধিক নতুন নির্দেশ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এখনই লকডাউনের পথে হাঁটলেন না মুখ্যমন্ত্রী। তিনি ঘোষণা করলেন: কাল থেকে বন্ধ রাজ্যের সমস্ত লোকাল ট্রেন। সরকারি পরিবহণ এবং মেট্রো চলবে ৫০ শতাংশ। বিমানযাত্রা ও দূরপাল্লার বাসযাত্রায় আরটিপিসিআর পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। বিমানযাত্রার ৭২ ঘণ্টা আগে আরটিপিসিআর পরীক্ষা করতে হবে। তবে রাজ্যে আসার পর ব়্যাপিড টেস্টে করোনা আক্রান্তের হদিশ পেলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এর ব্যবস্থা করবে বিমানবন্দর। বাজার খোলার সময় পরিবর্তন করা হল। সকাল ৭টা থেকে বেলা ১০টা, এবং বিকেল ৫টা থেকে সন্ধে সাতটা পর্যন্ত খোলা থাকবে। তবে বউবাজারের সোনার দোকান খোলা রাখার সময়ে ছাড় দেওয়া হয়েছে। সোনার দোকান দুপুর ১২টা থেকে ৩ পর্যন্ত খোলা থাকবে। ব্যাংক খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত। সরকারি অফিসে ৫০ শতাংশ কর্মীর হাজিরা চালু। বেসরকারি অফিসে ওয়ার্ক ফ্রম হোমে জোর। কলকারখানা, নির্মাণ ক্ষেত্রে হাজিরা ৫০ শতাংশ করা হল। গ্রামে থাকা ২ লক্ষ ৭৫ হাজার কোয়াক চিকিৎসককে বিশেষ নির্দেশিকা পাঠানো হচ্ছে। যাতে তাঁরা কোভিড চিকিৎসা করতে পারেন। বন্ধই থাকছে রেস্তরাঁ, শপিং মল, জিম, সুইমিং পুল, বিউটি পার্লার, স্পা, পাব, বার। রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষামূলক সমস্ত জমায়েত নিষিদ্ধ। বিয়েবাড়িতে সর্বাধিক ৫০ জন অতিথি উপস্থিত থাকতে পারবেন। টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে পরিবহণকর্মী, সংবাদকর্মী ও হকারদের অগ্রাধিকার। প্রথম ডোজের চেয়ে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ায় গুরুত্ব বেশি। কোভিড সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে সন্দেহ থাকলে মৃতের ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হবে। যার রিপোর্ট দু-তিনঘণ্টার মধ্যে মিলবে। ফলে মর্গে দেহ জমা থাকবে না। গুরুতর অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসায় জোর দেওয়া হবে। অর্থ সাহায্যের জন্য রাজ্যে দুটি ফান্ড চালু করা হল।এদিন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েই কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠিতে অক্সিজেন, টিকা বন্টন নিয়ে স্বচ্ছ নীতি প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি কেন্দ্রের কাছে ৫০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। চিঠিতে দেশজুড়ে বিনামূল্যে টিকাকরণেরও দাবি জানিয়েছেন । ১০ হাজার রেমডেসেভির এবং তার বিকল্প হিসেবে টোসিজুমাব-এর হাজারটি ভায়াল চাওয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কুরসিতে বসেই কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন মমতা।

মে ০৫, ২০২১
বিনোদুনিয়া

করোনা আক্রান্ত দীপিকা পাড়ুকোন, সংক্রমিত গোটা পরিবারও

বলিউডে আরও ভয়াবহ করোনা চিত্র। এবার মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন। মঙ্গলবার সকালেই খবর মিলেছিল, দীপিকার বাবা, প্রাক্তন ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় প্রকাশ পাড়ুকোন কোভিড আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। সন্ধেবেলাই দীপিকার করোনা সংক্রমণের দুঃসংবাদ এল। জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে বেঙ্গালুরুর বাড়িতে থাকা দীপিকার শরীরেও মারণ করোনা ভাইরাস হানা দিয়েছে। মৃদু উপসর্গ নিয়ে আপাতত তিনি বাড়িতেই আইসোলেশনে রয়েছেন বলে খবর। সূত্রের খবর, সপ্তাহখানেক আগে দীপিকার বাবা প্রকাশ, মা উজ্জ্বলা এবং ছোট বোন অনিশার করোনা উপসর্গ দেখা গিয়েছিল। সকলের করোনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ হয়। তাঁরা সকলেই হোম আইসোলেশনে ছিলেন। প্রকাশ পাড়ুকোনের জ্বর না কমায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে এবার দীপিকার করোনা সংক্রমিত হওয়ার খবরে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, গত মাসে মুম্বই থেকে বেঙ্গালুরু গিয়েছিলেন দীপিকা। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্বামী অভিনেতা রণবীর কাপুরও। দীপিকা নিজের পরিবারের সঙ্গে কয়েকদিন থাকতে চেয়েছিলেন। তবে তা খুব একটা আনন্দদায়ক হল না। পরিবারের সকলেই পড়লেন করোনার কবলে। এই মুহূর্তে দীপিকার হাতে বলিউডের বেশ কিছু কাজ রয়েছে। কিন্তু তিনি আচমকা করোনা আক্রান্ত হওয়ায় সেসব কাজই অনেকটা পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা। যদিও খবর, এখনও পর্যন্ত দীপিকার তেমন গুরুতর অসুস্থতা নেই। তাই বাড়িতেই রয়েছেন তিনি। প্রিয় নায়িকার এই অবস্থার কথা জানতে পেরে মুষড়ে পড়েছেন অনুরাগীরা। সকলেই তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। তবে এই মুহূর্তে রণবীর কেমন আছেন, তা নিয়ে কিছু জানা যায়নি।

মে ০৪, ২০২১
রাজ্য

রাজ্যজুড়ে ভোটপরবর্তী হিংসার বলি ৬ বিজেপি কর্মী

ভোটের ফলাফল প্রকাশ্যে আসতেই ফের রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ল কোচবিহারের শীতলকুচিতে। ফের রক্ত ঝরল সেখানে। সোমবার সকাল থেকে রাজনৈতিক সংঘর্ষ শুরু হয়। দুপক্ষের সংঘর্ষে চলে গুলি। আর তাতেই পেটে গুলি লেগে মৃত্যু হল এক বিজেপি কর্মীর। এ নিয়ে ফের অশান্ত হয়ে উঠল কোচবিহারের এই স্পর্শকাতর কেন্দ্র। সোমবার নির্বাচন পরবর্তী হিংসায় তপ্ত রইল রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তও। পূর্ব বর্ধমানের রায়নায় তৃণমূল সমর্থক এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে। প্রসঙ্গত, এই জেলায় তৃণমূল-বিজেপি ১৬-০ ফলাফলের পর এমন অশান্তি বলে দাবি বিজেপির। এছাড়া উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায় খুন হয়েছেন এক আইএসএফ সমর্থকও।ভোটের দিন থেকে খবরের শিরোনামে কোচবিহারের এই কেন্দ্র। গত ১০ তারিখ ভোটের দিন এখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ৪ ভোটারের মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় হয়ে উঠেছিল রাজ্য। এই কেন্দ্রের অন্তর্গত জোড়পাটকির ১২৬ নং বুথের বাইরে এই ঘটনার জেরে ভোটপ্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। ২৯ এপ্রিল ফের সেখানে ভোট নেওয়া হয়। জনরায় অবশ্য গিয়েছে বিজেপির পক্ষে। শীতলকুচি কেন্দ্রে ২১ হাজারের বেশি ভোটে তৃণমূল প্রার্থী পার্থপ্রতিম রায়কে হারিয়ে জিতেছেন বিজেপির বরেনচন্দ্র বর্মন। এবার সেই ফলাফলের পরদিনও ফের উত্তাপ বাড়ল শীতলকুচিতে। বুড়াপঞ্চার হাট এলাকায় তৃণমূল-বিজেপি দুপক্ষের গুলির লড়াইয়ের মাঝে পড়ে প্রাণ হারাতে হল তরতাজা এক যুবককে। তাঁকে নিজেদের সমর্থক বলে দাবি করেছে গেরুয়া শিবির। জানা গিয়েছে, পেটে গুলি লাগার পর তাঁকে দিনহাটার হাসপাতালে নিয়ে আসার পথেই মৃত্যু হয়েছে।এদিকে, পূর্ব বর্ধমানের রায়নার সমসপুর গ্রাম নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর থেকেই উত্তপ্ত। সোমবার বেলার দিকে এখানে ফলাফল নিয়েই তৃণমূল ও বিজেপি কর্মী, সমর্থকদের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। তা চরমে ওঠে, শুরু হয় হাতাহাতি, সংঘর্ষ। সমসপুরের বাসিন্দা বছর ষাটের গণেশ মালিক তা আটকাতে যান। তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর আহত হন তিনি। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। গণেশ মালিকের পরিবারের অভিযোগ, বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা তাঁকে বাঁশ, লাঠি দিয়ে বেদম প্রহারের পরই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। দায়ের হয়েছে খুনের অভিযোগ। তৃণমূলের জেলা মুখপাত্রের বক্তব্য, পূর্ব বর্ধমানের ১৬টি আসনের মধ্যে ১৬টিতেই জিতেছে তৃণমূল। তার বদলা নিতে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বিজেপি। এদিকে, পূর্ব মেদিনীপুরের অধিকাংশ আসনে তৃণমূলের জয়ের পর বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা চলছে বলে অভিযোগ। খেজুরি, ভগবানপুর, উত্তর কাঁথি এলাকায় বিজেপি সমর্থকদের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, ভয়ে গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছেন বহু বিজেপি সমর্থক।গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৬ জন বিজেপি কার্যকর্তাকে খুন করা হয়েছে, তারা হলেন, জগদ্দলের শোভারানী মণ্ডল, রানাঘাটের উত্তম ঘোষ, বেলেঘাটার অভিজিৎ সরকার, সোনারপুর দক্ষিণের হরম অধিকারী, শীতলকুচির মোমিক মৈত্র, বোলপুরের গৌরব সরকার।

মে ০৩, ২০২১
বিদেশ

পদ্মায় নৌকোডুবি, মৃত অন্তত ২৫

ফের ভয়াবহ দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকল বাংলাদেশ । সোমবার পদ্মা নদীতে দুটি নৌকার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন। দ্রুত অভিযান চালিয়ে ডুবে যাওয়া নৌকার পাঁচজন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন সকাল ৭টা নাগাদ মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় বাংলাবাজার ফেরিঘাটে বালিবোঝাই একটি নৌকার সঙ্গে সংঘর্ষ হয় এক যাত্রীবাহী স্পিডবোটের। এর ফলে মৃত্যু হয় অন্তত ২৫ জনের। ওই নৌকাটিতে সওয়ার ছিলেন কমপক্ষে তিরিশ জন যাত্রী। এই ঘটনায় পাঁচজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। হতাহত ব্যক্তিদের নাম ও পরিচয় এখনও জানা যায়নি। গুরুতর আহতদের দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাংলাবাজার ফেরিঘাটের ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আশিকুর রহমান স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে জানান, মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া থেকে ৩০ জন যাত্রী নিয়ে একটি স্পিডবোট বাংলাবাজার ফেরিঘাটের দিকে যাচ্ছিল। স্পিডবোটটি বাংলাবাজার ফেরিঘাটের পুরাতন কাঁঠালবাড়ি ঘাটের কাছাকাছি আসার পর বালুবোঝাই একটি নৌকার সঙ্গে সংঘর্ষ হয় যানটির। সংঘর্ষে স্পিডবোটটি উলটে যায়। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২৫ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।উল্লেখ্য, গত এপ্রিল মাসে শীতলক্ষ্যা নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় মৃত্যু হয় ৫ জনের। সেবার মদনগঞ্জ এলাকায় শীতলক্ষ্যা সেতুর কাছাকাছি আসার পর এসকে-৩ নামে একটি পণ্যবাহী জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা লাগে একটি লঞ্চের। তাতেই ডুবে যায় লঞ্চটি। দুর্ঘটনার পর অনেক যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠে যেতে সক্ষম হন। উদ্ধারকাজ চালিয়েও বেশ কয়েকজনের প্রাণরক্ষা করা হয়। তবে এর আগেও একাধিক নৌকা দুর্ঘটনার সাক্ষী ঠেকেছে বাংলাদেশ। এর জন্য জলপুলিশের গাফিলতিকে দায়ী করছেন অনেকে। তাছাড়া, অতিরিক্ত মুনাফার লোভে ক্ষমতার বেশি যাত্রী বোঝাই করে বিপদ ডেকে আনছে নৌকাগুলি বলেও অভিযোগ অনেকের।

মে ০৩, ২০২১
বিদেশ

মায়ানমারে সামরিক জুন্টার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের ডাক

ফেব্রুয়ারি মাসে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকেই মায়ানমারে পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে। গণতন্ত্রকামীদের প্রবল বিক্ষোভের পর এবার বার্মিজ সেনার বিরুদ্ধে মোর্চা খুলেছে বেশ কয়েকটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন। সামরিক জুন্টার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের ডাক দিয়েছে বেশ কয়েকটি বিদ্রোহী সংগঠন। ফলে দেশটিতে গৃহযুদ্ধের সূত্রপাত হয়েছে বলে আশঙ্কা। রবিবার মায়ানমারের বিদ্রোহী সংগঠন কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন-এর স্বঘোষিত সেনাপ্রধান কারেন যোদ্ধাদের একসঙ্গে লড়াই করার ডাক দিয়ে একটি খোলা চিঠি লেখেন। ওই চিঠিতে লেফটেন্যান্ট জেনারেল বাও কেয়াও হেহ লেখেন, ৭০ বছরে এমন সুযোগ আমাদের সামনে আসেনি। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বার্মিজ সেনার স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই চালাতে হবে। আমি সমস্ত কারেন যোদ্ধা ও বিদ্রোহীদের একসঙ্গে লড়াই করার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা একজোট হয়ে দাঁড়িয়ে বার্মিজ সেনার মোকাবিলা করব। তাঁর চিঠিতে আর দুই বিদ্রোহী গোষ্ঠীডেমোক্র্যাটিক কারেন বুদ্ধিস্ট আর্মি ও কেএনউ পিস কাউন্সিলের উদ্দেশেও আহ্বান জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয় মায়ানমারের সরকারি বাহিনীতে কর্মরত কারেন জওয়ানদের বিদ্রোহ করার জন্য ডাক দিয়েছেন জেনারেল বাও কেয়াও হেহ। ফলে মায়ানমারে পরিস্থিতি ক্রমে জটিল হচ্ছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মে ০৩, ২০২১
স্বাস্থ্য

এই কোভিড-টু'তে ডিম খান আর সুস্থ থাকুন

আবার সে এসেছে ফিরিয়া। মানে, কোভিড। তার হাত ধরে লকডাউনও চলে আসবে কিনা, কেউ জানে না। কিন্তু এখনই বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, সাবধানে থাকুন, বেশি বেরোবেন না, রোজ বেরোবেন না। পারলে বাজার এক সপ্তাহের তুলে রাখুন। এই রকম পরিস্থিতিতে মাছ-আনাজ-মাংস-সয়াবিন যা-ই ঘরে মজুত রাখুন না কেন, সব চেয়ে কার্যকরী ডিম। চটজলদি যা-হোকক কিছু একটা বানিয়ে নেওয়া চলে ডিম দিয়ে। অনেকদিন ধরে ঘরে রাখাও চলে। আর শুধু তাই নয়, কোভিড সংক্রমণের হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করতেও ডিমের জুড়ি নেই!আর ডিম খেতে ভালোবাসেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। প্রোটিনের জোগান দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই খাবার আমাদের শরীরে পৌঁছে দেয় ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ভালো কোলেস্টরল, প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ইত্যাদি। নানা রকমারি পদে বানিয়ে ফেলুন ডিমের নানা রেসিপি। আর মন ভরে খেতে থাকুন ডিম। রসনা তৃপ্তির সঙ্গে সঙ্গে বাড়বে ইমিউনিটিও।

মে ০১, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 58
  • 59
  • 60
  • 61
  • 62
  • 63
  • 64
  • ...
  • 78
  • 79
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

নরেন্দ্র মোদীর পর এবার রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ, ৩০ ডিসেম্বর বৈঠক করবেন নেতৃত্বের সঙ্গে

একদিন আগেই রাজ্যে এসেছিলেন বিজেপির পোস্টারবয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আগামী ৩০ডিসেম্বর বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন। ওই বৈঠকে আগামী ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের কৌশল রচনা করবেন। তারপর সাংবাদিক বৈঠক করবেন অমিত শাহ। যদিও তাঁর এই বঙ্গসফরকে পাত্তা দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁদের বক্তব্য, বাংলায় নরেন্দ্র মোদী হোক বা অমিত ষশাহ হোক, এঁরা কেউ এখানে বিজেপির জয় এনে দিতে পারবেন না। আগেও নির্বাচনের আগে বারে বারে এসেছেন এবারও আসবেন। তবে ব্যর্থ হবেন বলেই দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
রাজনীতি

বর্ধমানে পৌঁছল বিহারের ৫৫টি বাইক, উদ্দেশ্য ঘিরে তৃণমূল–বিজেপি সংঘাত তুঙ্গে

রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির মধ্যেই পূর্ব বর্ধমানে শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক চাপানউতোর। শনিবার বিহারের নম্বর প্লেটযুক্ত ৫৫টি পুরনো মোটরবাইক বর্ধমান জেলা বিজেপি দলীয় অফিসের ঠিকানায় এসে পৌঁছানোকে ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বাইকগুলি ট্রেন থেকে নামিয়ে বর্ধমান রেল স্টেশনের ইস্টার্ন রেলওয়ের পার্সেল অফিসের সামনে রাখা হয়।এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাস। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের একাধিক নেতা ও কর্মী। বর্ধমান রেল স্টেশনে পার্সেল অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে তৃণমূল। বাইকগুলির মালিকানা, পরিবহণ সংক্রান্ত নথি এবং কেন শুধুমাত্র বিজেপির বর্ধমান জেলা অফিসের ঠিকানায় এই বাইক পাঠানো হয়েছে। তা প্রকাশ্যে আনার দাবি তোলেন বিধায়ক।বিক্ষোভে অংশ নেওয়া তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ, বিহারের রাজেন্দ্রনগর থেকে সুনীল গুপ্তা নামের এক ব্যক্তির নামে এই ৫৫টি বাইক পাঠানো হয়েছে। তাঁদের দাবি, বিধানসভা ভোটের আগে পরিকল্পিতভাবেই বাইকগুলি রাজ্যে ঢোকানো হচ্ছে। তৃণমূল নেতৃত্বের আশঙ্কা, আগামী দিনে এই বাইক ব্যবহার করে বাইরের লোকজন বা দুষ্কৃতীদের রাজ্যে ঢোকানোর চেষ্টা হতে পারে। জানা গিয়েছে, এই ৫৫টি নয়, ২৩ জেলা মিলিয়ে প্রায় ৬০০০ মোটর বাইক আসার কথা।বিধায়ক খোকন দাস স্পষ্ট ভাষায় জানান, এতগুলো বাইক বিহার থেকে কী উদ্দেশ্যে বাংলায় আনা হয়েছে, তা পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। ভোটের আগে এই বাইক ব্যবহার করে রাজ্যে অশান্তি ছড়ানোর পরিকল্পনা থাকতে পারে। একই সঙ্গে তিনি রেল ও জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেন। দলের বর্ধমান শহর সভাপতি তন্ময় সিংহ রায়ও বাইকগুলির সম্পূর্ণ তথ্য জনসমক্ষে আনার দাবি জানান। তাঁর বক্তব্য, রেল কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি জেলা ও রাজ্য প্রশাসনকে এই পরিবহণের বিস্তারিত জানাতে হবে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রয়োজনীয় নথি প্রকাশ না হলে বাইকগুলি পার্সেল অফিস থেকে ছাড়তে দেওয়া হবে না।অন্যদিকে, তৃণমূলের সব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে বিজেপি। জেলা বিজেপি নেতা দেবজ্যোতি সিংহরায় বলেন, কিছুদিন আগেই বিহারে নির্বাচন হয়েছিল। সেই সময় দলীয় কর্মীদের কাজে ব্যবহারের জন্য এই বাইকগুলি ব্যবহার করা হয়েছিল। বিহারের ভোট শেষ হওয়ায় সেগুলি এখন পশ্চিমবঙ্গে আনা হয়েছে। তিনি আরও জানান, বর্ধমান জেলা বিজেপি অফিস রাঢ়বঙ্গ জোনের কেন্দ্রীয় অফিস হওয়ায় এখানকার ঠিকানাতেই বাইক পাঠানো হয়েছে। বিজেপির দাবি, প্রতি নির্বাচনের আগেই এভাবেই বাইক আনা হয় এবং বিষয়টি জেনেও তৃণমূল অহেতুক বিতর্ক তৈরি করছে। বাইক বিতর্কে প্রশাসনের ভূমিকা কী হয়, তা নিয়েই এখন রাজনৈতিক মহলে বাড়ছে কৌতূহল।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

এশিয়া কাপ ফাইনালে স্বপ্নভঙ্গ, দুবাইয়ে পাকিস্তানের কাছে লজ্জার হার ভারতের

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়ল ভারত। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩৪৮ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আয়ুষ মাত্রের দল গুটিয়ে গেল মাত্র ১৫৬ রানে। ফলে ১৯১ রানের বড় ব্যবধানে হার স্বীকার করেই শিরোপা হাতছাড়া করতে হল টিম ইন্ডিয়াকে।টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। কিন্তু শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় পাকিস্তান। দলের হয়ে বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন সামির মিনহাস। মাত্র এক ইনিংসেই তিনি করে ফেলেন ১৭২ রান। উসমান খানের সঙ্গে ৯২ রানের এবং আহমেদ হুসেনের সঙ্গে ১৩৭ রানের দুটি বড় জুটিতে ভর করে দ্রুত ৩০০ রানের গণ্ডি পেরিয়ে যায় পাকিস্তান।বিশেষজ্ঞদের মতে, একসময় পাকিস্তানের ইনিংস ২৭০২৮০ রানের মধ্যেই থামতে পারত। কিন্তু মিনহাসের ব্যাটে ভর করেই ৪৩ ওভারের মধ্যেই ৩০০ ছুঁয়ে ফেলে তারা। পরে তাঁর আউট হওয়ার পর পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে ধস নামে। ৩০২/৩ থেকে ৩২৭/৮ মাত্র ২৫ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারালেও ততক্ষণে ম্যাচ কার্যত একপেশে হয়ে গিয়েছিল।লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ভারতীয় ব্যাটিং সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে। বৈভব সূর্যবংশী, আয়ুষ মাত্রে, অভিজ্ঞান কুণ্ডুর মতো পরিচিত নাম থাকলেও কেউই দায়িত্ব নিতে পারেননি। আশ্চর্যজনকভাবে দলের সর্বোচ্চ রান আসে ১০ নম্বর ব্যাটার দীপেশ দেবেন্দ্রনের ব্যাট থেকে। তিনি মাত্র ১৬ বলে ৩৬ রান করে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিলেও তা যথেষ্ট ছিল না।এই হার যেন সাম্প্রতিক সিনিয়র দলের বিশ্বকাপ ফাইনালের স্মৃতি ফিরিয়ে আনল। সেবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে, এবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মঞ্চ ফাইনাল, ফলাফলও প্রায় একই রকম হতাশাজনক।উল্লেখযোগ্যভাবে, ফাইনালে ওঠার আগে টুর্নামেন্টে একমাত্র অপরাজিত দল ছিল ভারত অনূর্ধ্ব-১৯। গ্রুপ পর্বে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, মালয়েশিয়া ও পাকিস্তানকে হারিয়েছিল তারা। অন্যদিকে পাকিস্তান গ্রুপে ভারতের কাছেই একমাত্র হেরেছিল। কিন্তু ফাইনালের মঞ্চে সম্পূর্ণ ভিন্ন রূপে ধরা দেয় তারা। শেষ পর্যন্ত দুবাইয়ে দাপটের সঙ্গে জয় ছিনিয়ে নিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ নিজেদের ঝুলিতে ভরল পাকিস্তান। আর ফাইনালে বারবার হোঁচট খাওয়ার প্রবণতা নিয়ে বড় প্রশ্নচিহ্ন থেকে গেল ভারতীয় যুব দলের সামনে।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
বিদেশ

প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারে হামলার পরও অকুতোভয় কর্তৃপক্ষ, সন্ত্রাসের নিন্দার ঝড় বিশ্বের সর্বত্র

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠল ঢাকায় প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে। দেশের দুটি প্রথম সারির সংবাদপত্রের দফতরে এই হামলার অভিযোগ সামনে আসতেই তীব্র প্রতিক্রিয়া ছড়িয়েছে সাংবাদিক মহল, নাগরিক সমাজ এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলির মধ্যে। বাংলাদেশ ছাড়িয়ে নিন্দার ঝড় বয়েছে অন্যত্র।ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর বাংলাদেশে আসার পর থেকেই উত্তাল হয়ে ওঠে দেশ। পরবর্তীতে হিংসা ছড়িয়ে পরে নানা জায়গায়। নৃশংস ভাবে হিন্দু যুবক খুন থেকে সংস্কৃতি সংগঠনের ওপর হামাল। সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের ওপর ক্রমাগত হামলা চলতে থাকে।প্রাথমিক অভিযোগ অনুযায়ী, ঢাকায় অবস্থিত প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে একদল দুষ্কৃতী হামলা চালায়। তারা অফিসে ঢুকে ভাঙচুর চালায় এবং কর্মরত সাংবাদিক ও কর্মীদের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। আগুন লাগিয়ে দেয় এই অফিসদুটিতে। যদিও এই ঘটনায় বড় ধরনের শারীরিক ক্ষতির খবর নেই, তবে আচমকা হামলায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং কিছু সময়ের জন্য সংবাদকর্ম ব্যাহত হয়। সংবাদপত্র প্রকাশনা বন্ধ রাখতে হয়। বৃহস্পতিবার রাতে অনলাইন পোর্টালেও আর খবর আপলোড করা যায়নি।হামলার ঘটনার পরপরই বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও সম্পাদকীয় মহল একে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত বলে উল্লেখ করেছে। তাদের বক্তব্য, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা গণতন্ত্রের অন্যতম ভিত্তি, আর সংবাদমাধ্যমকে ভয় দেখিয়ে কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা গভীর উদ্বেগজনক। এই দুই সংবাদপত্র গোষ্ঠীও জানিয়ে দেয় তারা ভয় পায় না। খবর প্রকাশ করতে কোনও পরোয় তারা করবে না। এমনকী দফতরের সামনে মানব বন্ধন কর্মসূচি পালন করে।ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রশাসনের তরফে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।এই ঘটনার পর প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের পক্ষ থেকে পৃথক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হুমকি বা হামলার মাধ্যমে সত্য প্রকাশ থামানো যাবে না। তারা দ্রুত, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে প্রশাসনের কাছে।আন্তর্জাতিক স্তরেও এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সাংবাদিক সংগঠন ও মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এবং মুক্ত সাংবাদিকতার পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে। প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে হামলার ঘটনা শুধু দুটি সংবাদপত্রের ওপর আঘাত নয়, বরং বাংলাদেশের সামগ্রিক গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ভবিষ্যৎ নিয়েই বড় প্রশ্ন তুলে দিল। এখন দেখার, প্রশাসনিক পদক্ষেপ কতটা দ্রুত ও কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয়।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

লাইভ মঞ্চে লগ্নজিতা চক্রবর্তীকে হেনস্থার অভিযোগ, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত, ওসির ভূমিকা নিয়েও তদন্ত

লাইভ পারফরম্যান্স চলাকালীন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী লগ্নজিতা চক্রবর্তীকে হেনস্থার অভিযোগে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি ও সাংস্কৃতিক মহল। পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে একটি বেসরকারি স্কুলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করতে গিয়ে এই ঘটনার মুখে পড়েন তিনি। ঘটনার পর পুলিশ অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে, যার নাম তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জড়িয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সন্ধ্যায় ভগবানপুরের একটি বেসরকারি স্কুল প্রাঙ্গণে। অভিযোগ অনুযায়ী, লগ্নজিতা চক্রবর্তী যখন জাগো মা গানটি পরিবেশন করছিলেন, তখন অনুষ্ঠানের প্রধান উদ্যোক্তা ও ওই স্কুলের মালিক মেহবুব মল্লিক আচমকাই মঞ্চে উঠে আসেন। শিল্পীর অভিযোগ, তিনি গালিগালাজ করেন এবং চিৎকার করে বলেন, অনেক হয়েছে জাগো মা, এবার কিছু সেকুলার গান গাও। পাশাপাশি মারধরের হুমকি ও শারীরিকভাবে আক্রমণের চেষ্টাও করা হয় বলে অভিযোগ।পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে উঠলে অনুষ্ঠান কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। পরে লগ্নজিতা চক্রবর্তী ভগবানপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি জানান, প্রথমে থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসার পর মামলা রুজু হয় এবং অভিযুক্ত মেহবুব মল্লিককে গ্রেপ্তার করা হয়।পূর্ব মেদিনীপুরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মিতুন দে জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে ভগবানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক এবং আরও এক পুলিশকর্মীর ভূমিকা নিয়েও বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের গাফিলতির প্রমাণ মিললে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজাও তীব্র হয়েছে। বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য। বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পাণ্ডা অভিযোগ করেন, একজন শিল্পী কি গান গাইবেন, সেটাও শাসক দলের লোক ঠিক করে দিচ্ছে। এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। তিনি আরও দাবি করেন, পুলিশ প্রথমে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেছিল। যদিও এই ঘটনার বিষয়ে এখনও পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।লাইভ মঞ্চে একজন শিল্পীর গান বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিয়ে ওঠা এই প্রশ্ন এখন আর শুধু ব্যক্তিগত অভিযোগে সীমাবদ্ধ নয়। সাংস্কৃতিক পরিসরে মতপ্রকাশের অধিকার, প্রশাসনের নিরপেক্ষতা এবং রাজনৈতিক প্রভাব সব মিলিয়ে এই ঘটনা রাজ্যজুড়ে বড় বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
বিদেশ

আইএমএফের চাপে লাগামছাড়া জিএসটি! পাকিস্তানে জনবিস্ফোরণের আশঙ্কা

কন্ডোমের উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি নিয়ে চরম উদ্বেগে পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ-এর নির্দেশে এই কর বসানো হয়েছে। এর ফলে কন্ডোমের দাম এতটাই বেড়েছে যে তা এখন নিম্ন ও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ আইএমএফ-এর কাছে কর কমানোর আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আইএমএফ। এই সিদ্ধান্তে দেশে জনসংখ্যা বিস্ফোরণের আশঙ্কা করছে পাক সরকার।আইএমএফ-এর ঋণের উপরই কার্যত নির্ভরশীল পাকিস্তানের অর্থনীতি। দেশের আর্থিক পরিস্থিতি সামাল দিতে চলতি বছরে বড় অঙ্কের ঋণ নিয়েছে ইসলামাবাদ। সেই ঋণের শর্ত হিসেবেই কর আদায় বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে আইএমএফ। তার জেরেই কন্ডোম, স্যানিটারি ন্যাপকিন ও শিশুদের ডাইপারের মতো প্রয়োজনীয় পণ্যের উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি বসানো হয়েছে।পাকিস্তান সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছিল, জনস্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনার কথা ভেবে অন্তত কন্ডোমের উপর থেকে কর কমানো হোক। কিন্তু আইএমএফ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষের মাঝপথে কর কাঠামোয় কোনও পরিবর্তন করা যাবে না। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে ২০২৬-২৭ অর্থবর্ষের বাজেটে। আইএমএফের যুক্তি, কন্ডোমের উপর থেকে কর তুলে নিলে সরকারের কয়েকশো কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হবে, যা এই মুহূর্তে সম্ভব নয়।এই পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগে রয়েছে শাহবাজ শরিফের সরকার। পাকিস্তানে বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার প্রায় ২.৫৫ শতাংশ। অর্থাৎ প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষ বাড়ছে। সরকার মনে করছে, কন্ডোমের দাম বেড়ে যাওয়ায় বহু মানুষ তা ব্যবহার করতে পারছেন না। এর ফলে অনিয়ন্ত্রিত ভাবে জনসংখ্যা বাড়ছে, যা দেশের অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের উপর আরও চাপ ফেলবে।পাক সরকারের আশঙ্কা, এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে ভবিষ্যতে সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা আরও ভয়াবহ আকার নিতে পারে। কিন্তু আইএমএফ-এর কড়া অবস্থানের সামনে আপাতত অসহায় ইসলামাবাদ। এখন পরের বাজেটের দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া শাহবাজ সরকারের হাতে আর কোনও পথ খোলা নেই।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
রাজ্য

তাহেরপুরে প্রধানমন্ত্রীর সভার আগে মর্মান্তিক ঘটনা, কুয়াশায় প্রাণ গেল চারজনের

এসআইআর আবহের মধ্যেই শনিবার পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নদিয়ার তাহেরপুরে তাঁর সভা রয়েছে। সকাল থেকেই সভাস্থলের দিকে ভিড় জমতে শুরু করেছিল। ঠিক সেই সময়েই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ট্রেনের ধাক্কায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে শক্তিনগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।জানা গিয়েছে, মৃত ও আহত সকলের বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলায়। তাঁরা প্রধানমন্ত্রী মোদির সভায় যোগ দিতেই নদিয়ার তাহেরপুরে এসেছিলেন। ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেল ও পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।শনিবার ভোরে তাহেরপুর স্টেশনের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে মুর্শিদাবাদের বড়ঞার সাবলদহ গ্রাম থেকে প্রায় ৪০ জন তাহেরপুরে আসেন। ভোরবেলা তাঁদের মধ্যে কয়েক জন রেললাইনের ধারে প্রাতঃকৃত্য সারতে যান। সেই সময় আচমকাই দ্রুতগতির একটি ট্রেন চলে আসে। ট্রেনের ধাক্কায় চার জন লাইনের উপর ছিটকে পড়েন। আঘাত এতটাই গুরুতর ছিল যে ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়।একই ঘটনায় আরও দুজন আহত হন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। অন্য জনের চিকিৎসা চলছে। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, ভোরের ঘন কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা অনেকটাই কম ছিল। সেই কারণেই ট্রেন আসছে বুঝতে না পারায় এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে অন্য সম্ভাবনাগুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।মতুয়াগড় হিসেবে পরিচিত নদিয়ার তাহেরপুরে এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদির সভা ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে। তার মধ্যেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
বিদেশ

হট টাব থেকে সুইমিং পুল, এপস্টেইন নথিতে একের পর এক চাঞ্চল্যকর ছবি

কুখ্যাত যৌন অপরাধী জেফ্রি এপস্টেইনকে ঘিরে ফের তোলপাড় আমেরিকার রাজনীতি। এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্কিত হাজার হাজার পাতার নথি প্রকাশ করল মার্কিন ন্যায় বিভাগ। সেই নথিতে বারবার উঠে এসেছে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টনের নাম। প্রকাশ্যে এসেছে একাধিক ছবি। কিন্তু বিস্ময়ের বিষয়, বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম ও ছবি সেখানে প্রায় নেই বললেই চলে।প্রকাশিত ছবিগুলির একটিতে তরুণ বিল ক্লিন্টনকে একটি হট টাবে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে। ছবির একটি অংশ কালো রঙে ঢেকে রাখা হয়েছে। অন্য একটি ছবিতে দেখা গিয়েছে, এক মহিলার সঙ্গে সাঁতার কাটছেন ক্লিন্টন। ওই মহিলা এপস্টেইনের ঘনিষ্ঠ ও প্রেমিকা ঘিসলাইন ম্যাক্সওয়েল বলে মনে করা হচ্ছে। আরও একটি ছবিতে ক্লিন্টনের পাশে দেখা গিয়েছে পপ সংগীতের কিংবদন্তি মাইকেল জ্যাকসনকে। তাঁদের পাশেই ছিলেন গায়িকা ডায়ানা রস।এই সব ছবি ও তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রায় সম্পূর্ণ অনুপস্থিতি। নব্বইয়ের দশক এবং দুই হাজার দশকের শুরুতে এপস্টেইনের সঙ্গে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠতার কথা আগে একাধিকবার সামনে এসেছে। কিন্তু সদ্য প্রকাশিত নথিতে তাঁর কোনও ছবি নেই। নামও এসেছে মাত্র একবার, একটি যোগাযোগের খাতায়। সেই খাতাটি কার, তাও স্পষ্ট নয়।অথচ এর আগে প্রকাশিত নথিতে ট্রাম্পের উপস্থিতির কথা জানা গিয়েছিল। এমনকি এপস্টেইনের ব্যক্তিগত বিমানে তাঁকে দেখা যাওয়ার কথাও উঠে এসেছিল। সেই কারণেই নতুন নথিতে তাঁর অনুপস্থিতিকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকের ধারণা, নিজেকে আড়াল করতে বিল ক্লিন্টনের দিকেই আলো ঘোরানোর চেষ্টা করছেন ট্রাম্প। উল্লেখযোগ্য ভাবে, মাসখানেক আগেই এপস্টেইনের সঙ্গে বিল ক্লিন্টনের সম্পর্ক নিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছিলেন ট্রাম্প। সেই তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জানা যায়।এই পরিস্থিতিতে বিল ক্লিন্টনের শিবির থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের এক মুখপাত্র বলেন, এপস্টেইন সংক্রান্ত তদন্ত শুধুমাত্র বিল ক্লিন্টনকে লক্ষ্য করে করা হচ্ছে না। তাঁর বক্তব্য, বহু পুরনো ছবি প্রকাশ করতেই পারে প্রশাসন, কিন্তু গোটা বিষয়টি শুধু ক্লিন্টনকে ঘিরে নয়। তিনি বলেন, এপস্টেইনের ক্ষেত্রে দুধরনের মানুষ ছিলেন। একদল, যাঁরা অপরাধের কথা প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গেই সব সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলেন। আরেক দল, যাঁরা এরপরও যোগাযোগ বজায় রেখেছিলেন। তাঁদের দাবি, বিল ক্লিন্টন প্রথম দলের মধ্যেই পড়েন।নাম না করলেও ক্লিন্টন শিবির যে ডোনাল্ড ট্রাম্পকেই নিশানা করছে, তা স্পষ্ট। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, ট্রাম্প যতই চেষ্টা করুন না কেন, এপস্টেইন কেলেঙ্কারি থেকে নিজের নাম পুরোপুরি সরিয়ে রাখা তাঁর পক্ষে সহজ হবে না।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal