• ২ আষাঢ় ১৪৩২, বৃহস্পতি ১৯ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Student

দেশ

মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত বিজেপি বিধায়কের ছেলে-সহ ৭ ডাক্তারি পড়ুয়া, শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর

মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল বিজেপি বিধায়কের পুত্র-সহ আরও ৬ জনের।মৃতরা সকলেই ডাক্তারি পড়ুযা।সোমবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ ওই দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, ওয়ার্ধা থেকে দেওলি অভিমুখে যাচ্ছিল গাড়িটি। সেই সময় সেলসুরার কাছে একটি সেতু থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিচে পড়ে যায়। মৃত্যু হয় গাড়িতে থাকা সাতজনেরই। তাঁরা সকলেই সাওয়াঙ্গি মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়া।Maharashtra | 7 medical students, including BJP MLA from Tirora constituency Vijay Rahangdales son Avishkar Rahangdale, died after their car fell from a bridge near Selsura around 11.30 pm on Monday (January 24) pic.twitter.com/Hc9WC7sZvx ANI (@ANI) January 25, 2022ঘটনায় টুইটে শোক প্রকাশ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, পাশাপাশি, দুর্ঘটনাগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন নমো। টুইটেই জানিয়েছেন মৃতের পরিবারকে ২ লক্ষ ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।Pained by the loss of lives due to an accident near Selsura in Maharashtra. In this hour of sadness, my thoughts are with those who have lost their loved ones. I pray that those injured are able to recover soon: PM @narendramodi PMO India (@PMOIndia) January 25, 2022দুর্ঘটনায় মৃতদের মধ্যে অন্যতম মহারাষ্ট্রের তিরোরা বিজেপি বিধায়ক বিজয় রাহাংদালের পুত্র আবিষ্কার রাহাংদালে। পবন শক্তি নামে আরও একজন ছিলেন প্রথম বর্ষের পড়ুয়া। বাকি চারজন ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র।PM @narendramodi announced that Rs. 2 lakh each from PMNRF would be given to the next of kin of those who have lost their lives in the accident near Selsura. Those who are injured would be given Rs. 50,000. PMO India (@PMOIndia) January 25, 2022

জানুয়ারি ২৫, ২০২২
রাজ্য

করোনাকালে পড়ুযাদের মানসিক চাপ কমাতে রাজ্যের বিশেষ উদ্যোগ

করোনাকালে স্কুল বন্ধ থাকার কারণে নানাভাবে সমস্যায় পড়া ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে পৌঁছতে রাজ্য সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছে।স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে তৈরি হওয়া মানসিক চাপ ও অনিশ্চয়তাকে নিরাময় করতে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর বিশেষ ওয়েবিনার সিরিজের আয়োজন করার কথা ঘোষণা করেছে। ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবকদের সামিল করে উজ্জীবন চর্চা নামে বিশেষ ওয়েবিনারে বিশেষজ্ঞরা নির্বাচিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। রবিবার আয়োজিত হবে প্রথম ওয়েবিনারটি। কোভিডকালে শিক্ষার্থী মন নামক এই ওয়েবিনারের আলোচকমণ্ডলীতে থাকবেন বিশিষ্ট মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডঃ রিমা মুখার্জি, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট ও থেরাপিস্ট শ্রীমতী পায়েল ঘোষ, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট ও স্পেশ্যাল এডুকেটর শ্রীমতী পৌষালী দাস।অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করবেন সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গভর্নমেন্ট বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শ্রীমতী পাপিয়া নাগ। শিক্ষক শিক্ষিকা-সহ একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া ও তাদের অভিভাবকরা এই ওয়েবিনারে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।দুপুর ১২টা থেকে ১টার মধ্যে ছাত্রছাত্রী ও তাঁদের অভিভাবকরা এই ওয়েবিনারে অংশ নিতে পারবে। অন্যদিকে, দুপুর ১.৩০ থেকে ২.৩০-এর মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষিকারা এই ওয়েবিনারে অংশ নিতে পারবেন।তৃতীয়বারের জন্য সারা দেশ জুড়ে মারণ থাবা বসিয়েছে করোনা ভাইরাস। এহেন পরিস্থিতিতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। ফের একবার অনলাইন ক্লাসেই ফিরে গিয়েছে পড়ুয়ারা। করোনার সময় স্কুলের ক্লাসরুম থেকে বঞ্চিত হওয়া পড়ুয়া ও তাঁদের অভিভাবকদের জন্য একগুচ্ছ ওয়েবিনার নিয়ে হাজির হল পশ্চিমবঙ্গ স্কুল শিক্ষা দপ্তর।

জানুয়ারি ২২, ২০২২
রাজ্য

খুদেদের পাঠ্যপুস্তকের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে, বাড়ি বাড়ি ছুটছেন শিক্ষকরা

কোভিডের কারণে দীর্ঘ প্রায় দুবছর ধরে বন্ধ রাজ্যের সমস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়। খুদে পড়ুয়ারা দীর্ঘদিন ধরে স্কুল বিমুখ থাকার কারণে পাঠ্যপুস্তকের সঙ্গে তাঁদের দূরত্ব তৈরি হচ্ছে। শুধু দূরত্ব তৈরী হওয়াই নয়, বইয়ের প্রতি অনীহাও বাড়ছে খুদে পড়ুয়াদের। এমনকি লেখাপড়া শেখার প্রতি শিশুরা আগ্রহও হারাতে বসেছে। শহর হোক কিংবা গ্রাম সর্বত্রই ধরা পড়ছে এমনই ছবি। যা নিয়ে রীতিমত উদ্বিগ্ন শিক্ষকরা। এই পরিস্থিতিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খুদে পড়ুয়াদের পাঠ্যপুস্তকের প্রতি আগ্রহ জাগিয়ে রাখতে আসরে নামলেন বর্ধমানের একদল মানুষ তৈরির কারিগর। শিক্ষকদের এই মহতি উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন অবিভাবক ও বর্ধমানে শিক্ষানুরাগীরা।শহর বর্ধমানে শ্যামসায়র এলাকার শ্রীরামকৃষ্ণ সারদা বিদ্যাপীঠের শিক্ষক-শিক্ষিকারা দল বেঁধে পাড়ায় পাড়ায় ঘুরছেন। তাঁরা পড়ুয়াদের অবিভাবকদের বোঝাচ্ছেন, যাতে করে পড়ুয়ারা বাড়িতে পড়াশুনার অভ্যাসের মধ্যে থাকে। পাশাপাশি এই শিক্ষকরা পাঠ্যপুস্তকের প্রতি ভালবাসা না হারানোর জন্য পড়ুয়াদেরও অনরোধ করে চলেছেন। শ্রী রামকৃষ্ণ বিদ্যাপিঠের পড়ুয়ারা মূলত শহর বর্ধমানের রসিকপুর, বাবুরবাগ, সুভাসপল্লী, খোসবাগান, পাওয়ার হাউসপাড়া সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় থাকে। এই সকল এলাকায় গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের বাড়ি বাড়ি পৌছে শিক্ষক শিক্ষিকারা পড়ুয়াদের অভিভাবকদের প্রতিনিয়ত বোঝাচ্ছেন। বার্তা একটাই, বইয়ের বিকল্প নেই তাই পাঠ্যফুস্তক পড়ার অভ্যাস বজায় রাখতে হবে। একই সাথে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে চলছে ছাত্রছাত্রীদের বই ও স্কুল ড্রেস দেবার কাজও।স্কুলের প্রধান শিক্ষক পলাশ চৌধুরী বলেন, কোভিড পরিস্থিতিতে ছাত্রছাত্রীরা দীর্ঘদিন স্কুলে আসতে পারছে না। স্কুলের তরফে আমরা পড়ুয়াদের সাথে যোগাযোগ রাখাছি। ওদের পড়াশোনার অভ্যাসের মধ্যে রাখতে সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে ক্লাস করানোর ব্যবস্থা হয়েছে। তবে ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে এসে সরাসরি শিক্ষকদের কাছে শিক্ষাগ্রহণ আর সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে শিক্ষাগ্রহণ, এই দুটো যে এক নয় তা এক বাক্যে স্বীকার করে নেন পলাশ বাবু। তিনি আরও বলেন, আমরা স্কুলের সকল শিক্ষক শিক্ষিকারা যৌথ ভাবে প্রচেষ্টা চালচ্ছি যাতে ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনার অভ্যাসের মধ্যে থাকে। সেকারণেই আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে অভিভাবকদের সাথে দেখা করছি। সরকারি স্কুলে বিনামূল্যে বই, পোষাক, মিড ডে মিল, কম্পিউটার শিক্ষা সহ একাধিক সুবিধা পাওয়া যায়, এই বিষয়গুলি নিয়েও অভিভাবকদের কাছে যাওয়া হচ্ছে বলে জানান বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা হেমা চৌধুরী।শিক্ষক শিক্ষিকাদের এই প্রয়াসকে সাধুবাদ জানিয়েছে অভিভাবকরা। করোনা আবহে তাদের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি বইয়ের প্রতি অনীহা বেড়েছে বলে স্বীকার করেন অভিভাবকেরা। স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের এই উদ্যোগ দেখে তাঁর সন্তানকে বেসরকারি স্কুল থেকে সরকারি স্কুলে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বেশ কয়েকজন অভিভাবক। নরেশ ধীবর নামে এলাকার এক ব্যক্তি বলেন, দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় বাড়ছে স্কুল ছুটের সংখা, এমন সময়ে শিক্ষক শিক্ষিকাদের এই প্রয়াস সত্যিই প্রসংসার দাবি রাখে।

জানুয়ারি ১৬, ২০২২
রাজ্য

College Student: প্রেমের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ায় কলেজ ছাত্রীকে মারধর ও শ্লীলতাহানি

প্রেমের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ায় কলেজ ছাত্রীকে মারধর ও তাঁর শ্লীলতাহানির অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে মেমারি থানার পুলিস। ধৃতের নাম রোহন বাগ। মেমারি থানার পূর্ব গন্তারে তার বাড়ি। বুধবার ভোরে বাড়ি থেকে পুলিস তাকে গ্রেপ্তার করে। এদিনই ধৃতকে বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নিের্দশ দেন সিজেএম।পুলিস জানিয়েছে, মেমারি থানারই কবিরপুরে ওই ছাত্রীর বাড়ি। তিনি মেমারি কলেজের বিএ প্রথমবের্ষর ছাত্রী। সোমবার বিকেলে তিনি মেমারি থেকে টিউশন পড়ে সাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। পূর্ব গন্তারে একটি ক্লাবের কাছে রোহন তাঁর পথ আটকায়। তাঁকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। তাতে রাজি না হওয়ায় ছাত্রীকে সে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। ওই ছাত্রী পাশ কাটিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাঁকে মারধর করা হয়। এমনকি তাঁর শ্লীলতাহানিও করা হয় বলে অভিযোগ। ছাত্রী প্রতিবাদ করলে তাঁকে গালিগালাজ করা হয়। প্রস্তাবে রাজি না হলে তাঁকে খুন করা হবে বলে ছাত্রীকে হুমকি দেয় রোহন। ছাত্রীর চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এলে অভিযুক্ত পালিয়ে যায়। রাতেই ঘটনার কথা জানিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই ছাত্রী। এ ধরনের আচরণে তিনি নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন বলে অভিযোগে জানিয়েছেন ওই ছাত্রী।

জানুয়ারি ০৫, ২০২২
রাজ্য

Vaccination of 15-18: ১৫-১৮ বয়সীদের টিকাকরণে ব্রাত্য বেসরকারি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা, উদ্বেগ অভিভাবকদের

দেশজুড়ে ফের বেড়ে চলেছে করোনা সংক্রমণের প্রভাব। নতুন করে সংক্রমিত হচ্ছেন বহু মানুষ। সারা দেশের সঙ্গে এরাজ্যেও জোরকদমে চলছে টিকাকরন প্রকল্প। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২৬ ডিসেম্বর ঘোষণা করেন ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের করোনা প্রতিষেধক দেওয়া হবে এবং ৬০ বছরের উর্ধে যারা তাদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে। সেই ঘোষণা অনুযায়ী ৩ ডিসেম্বর থেকে রাজ্য জুড়ে ১৫ থেকে ১৮ টিকাকরণ চলছে।আরও পড়ুনঃ জীবনের সেরা বোলিং, শার্দূলের দুর্দান্ত প্রত্যাঘাতে ম্যাচে ফিরল ভারতবিভিন্ন সরকারি স্কুল-এ আস্থায়ী ক্যাম্প করে এই টিকাকরণ প্রকল্প চলছে। শিবিরেগুলিতে উপস্থিতির হার আশাব্যাঞ্জক। এই টিকাকরন থেকে শধু ব্রাত্য বেসরকারি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা। রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন বেসরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষ অভিভাবকদের প্রশ্নের মুখে জেরবার। বর্ধমান শহরের এক বেসরকারি ইংরাজি মাধ্যম স্কুলের প্রিন্সিপ্যালকে ভ্যাকসিন নিয়ে জানতে চাইলে তিনি জনতার কথাকে বলেন, আমাদের কাছে এই সংক্রান্ত কোন নির্দেশিকা নেই। আমরা জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছি, কোনও সুরাহা হলেই ছাত্রদের জানিয়ে দেওয়া হবে।আরও পড়ুনঃ করোনাকালে বাড়ি বাড়ি খাবার পাঠাবে রাজ্যবেসরকারি ইংরাজি মাধ্যমে পাঠরত ছাত্র ছাত্রীদের অভিভাবকদের প্রশ্ন, সরকার বলছে স্কুলে স্কুলে টিকা দেওয়া হবে, আমরা স্কুলে গেলে তাঁরা এই ব্যাপারে কিছু জানেন না বলছেন। এখন আমরা কোথায় যাব? আমাদের ছেলে মেয়েরা বেসরকারি স্কুলে পরে বলে কি এই দেশের নাগরিক নয়? স্কুল খুলে দিয়ে ছেলেদের ভ্যাকসিন না দিয়ে ছেলে, মেয়েগুলোকে মত্যুমুখে ঠেলে দেওয়া ছাড়া কিছু না। এটা বেসরকারি স্কুলে পড়া ছেলে মেয়েদের সঙ্গে চরম বিমাতৃসুলভ আচরণ।আরও পড়ুনঃ ৫০ শতাংশ দর্শক নিয়ে ৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে চলেছে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবজনতার কথা এবিষয়ে বর্ধমান জেলা করোনা ভ্যাকসিন-র নোডাল জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন আধিকারিক ডিপিআরডিও (DPRDO) অনুপ মন্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তিনি জানান, এখনও অবধি বেসরকারি স্কুলে ভ্যাকসিন দেওয়ার কোনও নির্দেশিকা নেই।আরও পড়ুনঃ নামল তাপমাত্রার পারদ, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে হতে পারে বৃষ্টিওঅভিভাবকদের প্রশ্ন, যখন বন্যার স্রোতের মত করোনা ধেয়ে আসছে তখন এই কচি-কাঁচাদের ভয়ঙ্কর দোটানায় ফেলে রাখার দায় কার? কোনওরকম পরিকল্পনা না করেই কি এই ভ্যাক্সিনেশন প্রোগ্রাম চলছে? নাকি একশ্রেণির মানুষকে খুশি করতেই এই বিমাতৃসুলভ আচরণ?

জানুয়ারি ০৫, ২০২২
দেশ

Minor's Vaccination: আজ থেকে শুরু ১৫-১৮ বছর বয়সিদের টিকাকরণ

সোমবার থেকে শুরু হয়েছে ১৫-১৮ বছর বয়সিদের টিকাকরণ। দেওয়া হচ্ছে কোভ্যাকসিন। কোউইন পোর্টালে জোরকদমে চলছে রেজিস্ট্রেশন। ভ্যাকসিনেশন হচ্ছে স্কুলে। কলকাতার ১৬টি স্কুল চূড়ান্ত করেছে পুরসভা। একইসঙ্গে ৩৭ কোভ্যাক্সিন সেন্টার থেকেও দেওয়া হবে প্রতিষেধক। তালিকায় নাম থাকা স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের আধার কার্ড নিয়ে যেতে হবে যারা স্কুলছুট বা স্কুলে পড়ে না, এমন ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের টিকা পুরসভার কেন্দ্রে পুরসভার ৩৯টি টিকাদান কেন্দ্রের যে কোনও একটিতে যেতে হবে।প্রসঙ্গত, যাঁরা স্কুল ছুট বা স্কুলে পড়ে না, এমন ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের টিকা পুরসভার কেন্দ্রে হবে। কলকাতা পুরসভার ৩৯ টি টিকাদান কেন্দ্রের যে কোনও একটি যাওয়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রে তালিকায় নাম থাকা স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের আধার কার্ড নিয়ে যেতে হবে। সারদা ইন্সস্টিটিউশন ফর গার্লস, গভর্নমেন্ট স্পনসরড মাল্টিপারপাস স্কুল ফর বয়েজ টাকি হাউজ, চেতলা গার্লস হাইস্কুল, সন্তোষপুর ঋষি অরবিন্দ বালিকা বিদ্যালয়, গার্ডেনরিচ নুটবিহারি গার্লস হাইস্কুল-সহ কলকাতার একাধিক স্কুলে টিকাকরণ হচ্ছে।বিশেষজ্ঞ জানাচ্ছেন, কোভ্যাক্সিনের ক্ষেত্রে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অত্যন্ত সামান্য। বাচ্চাদের অল্প জ্বর আসতে পারে, গলা ব্যথা, গা হাত পা ব্যথা হতে পারে টিকা নেওয়া পর। তবে তাতে ভয় পাওয়া কিচ্ছু নেই বলে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন। এগুলি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই চলে যাবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শও নেওয়া যেতে পারে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ভয় পেয়ে বাচ্চাদের ভ্যাকসিন না দেওয়ানো, অত্যন্ত ভুল সিদ্ধান্ত হবে বলে অভিভাবকদের সচেতন করেছেন চিকিৎসকরা।কো-উইন তথ্য বলছে, এখনও পর্যন্ত সারা দেশের সাড়ে ১২ লাখেরও বেশি ১৫-১৮ বছরের কিশোর-কিশোরীরা টিকাকরণের জন্য নাম নথিভুক্ত করেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মানসুখ মাণ্ডব্য রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে টিকাকরণের জন্য বয়সের ভিত্তিতে আলাদা আলাদাভাবে ভ্যাকসিন সেন্টার, সেশন সাইট, লাইন ও টিকাকরণ কর্মীদের টিম তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন। ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের দেওয়া হবে কোভ্যাক্সিন।

জানুয়ারি ০৩, ২০২২
রাজ্য

Student's Struggle: শরীরে বাসা বেঁধেছে মারন রোগ, তবুও মাধ্যমিক পরীক্ষায় সফল হওয়ার জন্য এক ছাত্রীর সংগ্রামের কাহিনী

শরীরে বাসা বেঁধেছে মারণ ব্যাধি ক্যানসার। তা বলে জীবনযুদ্ধে হার মানতে চায় না ছাত্রী সামিনা খাতুন।তাঁর এখন একটাই লক্ষ্য, মারণ ব্যাধির জ্বালা যন্ত্রণা সব সহ্য করে নিয়েও পড়াশুনা চালিয়ে গিয়ে সাফল্যের সঙ্গে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া।মনের জেদকে সম্বল করেই কিশোরী সামিনা সেই লক্ষ্য পূরণের পথে এখন এগিয়ে চলেছে। শুধুমাত্র লেখাপড়া শেখার জন্য এক ক্যানসার আক্রান্ত ছাত্রীর এমন কঠিন লড়াইয়ে ব্রতি হওয়া কার্যতই নজিরবিহীন বলে মনে করছেন শিক্ষক ও শিক্ষানুরাগীরা।পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুর ব্লকের প্রত্যন্ত গ্রাম রামনাথপুর। এই গ্রামের শেখ পাড়ার এক দিন দরিদ্র পরিবারের মেয়ে সামিনা খাতুন। ছোট্ট দুকুঠুরি ঘরে পরিবারের সকলে বসবাস করেন । সামিনার বাবা শেখ আলম খেতমজুরির কাজ করেন। মা নূরজাহান বেগম সাধারণ গৃহবধূ।সামিনার দিদি আসলিমা বিবাহিতা। ছোট বয়স থেকেই লেখাপড়া শেখার বিষয়ে সামিনার আগ্রহ তৈরি হয়। তাঁর বাবা তাঁকে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করেন গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ সম্পূর্ণ করে সামিনা ভর্তি হয় স্থানীয় বনবিবিতলা উচ্চ বিদ্যালয়ে। একের পর এক ক্লাসের পরীক্ষায় পাশ করে সামিনা অষ্টম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়। এই পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও সামিনার জীবনে ছন্দপতন ঘটে যায় এরপরেই।আরও পড়ুনঃ ফের আংশিক লকডাউনের সম্ভাবনা রাজ্যে, আপাতত বাতিল দুয়ারে সরকার কর্মসূচিঅষ্টম শ্রেণিতে পাঠরত কালেই ছাত্রী সামিনার শারীরিক অসুস্থতা শুরু হয়। তাঁর বাবা মা তাঁকে জামালপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করান। পরিবারের সকলে তখন মনে করেছিলেন জামালপুর হাসপাতালের ডাক্তারবাবুদের চিকিৎসাতেই সামিনা সুস্থ হয়ে উঠবে। কিন্তু তা হয় না। বিভিন্ন ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্টে ধরা পড়ে সামিনার শরীরে বাসা বেঁধেছে মারণ ব্যাধি। তার পর থেকে টানা দুবছর ধরে তাঁর ক্যানসার রোগের চিকিৎসা চলছে। এখন নিয়ম করে সামিনাকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কেমো থেরাপি ও রেডিয়েশন থেরাপি-র জন্য নিয়ে যেতে হয়। এর জন্য মাথার চুল সব উঠে যাওয়ায় সামিনা প্রথমে একটু মুষড়ে পড়েছিল ঠিকই। তবে এখন তা নিয়ে সামিনা আর মাথা ঘামাতে চায় না। তাঁর মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষা সম্পূর্ণ হয়েছে। এখন সে সফল ভাবে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তির্ণ হওয়ার জন্য শুধুই পড়াশুনা চালিয়ে যাচ্ছে।সমিনা জানিয়েছে, তাঁর দুই কানের নিচে গলার অংশে ক্যানসার বাসা বেঁধেছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। চিকিৎসা চলছে ঠিকই তবে এখনও খাওয়া দাওয়া সে ভালভাবে করতে পারছে না। গলায় খুব ব্যাথা থাকায় ভাত গিলে খেতে পারছে না। শুধু পাতলা সুজি কোনওরকমে খেয়ে দিনের পর দিন তাঁকে পেট ভরাতে হচ্ছে। তবে কষ্ট যাই থাক লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে সে বিছানায় শুয়ে থেকে দিন কাটাতে চায় না। সামনেই তাঁর মাধ্যমিক পরীক্ষা। সেই পরীক্ষায় সফল ভাবে তাঁকে উত্তীর্ণ হতেই হবে। তাই মারণ ব্যাধির জ্বালা যন্ত্রণা সব সহ্য করে নিয়ে সে এখন শুধু পড়াশুনাতেই মনোনিবেশ করেছে বলে আত্মবিশ্বাসী সামিনা জানিয়েছে।আরও পড়ুনঃ বাহার কী স্বাদ ঘর মে- চিকেন রেশমি কাবাবছাত্রী সামিনার বাবা শেখ আলম বলেন , আমি খেতমজুরির কাজ করে যে টুকু রোজগার করি তা দিয়েই পরিবারের সকলের দিন গুজরান হয়। দুবছর ধরে আমার ছোট মেয়ে সামিনার ক্যানসার রোগের চিকিৎসা চলছে। মেয়ে এতবড় কঠিন রোগে আক্রান্ত হলেও অর্থের অভাবে তাঁকে পুষ্টিকর খাবারদাবার কিছুই দিতে পারছি না। মেয়ের স্কুলের শিক্ষক মহাশয়গণ ছাড়াও জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহেমুদ খাঁন, কর্মাধ্যক্ষ ভূতনাথ মালিক, স্কুলের পরিচালন কমিটির সদস্য শেখ জিয়ারুল রহমান সহ আরও কয়েকজন শুভানু্ধ্যায়ী আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তাই কেমো থেরাপি ও রেডিয়েশন থেরাপির জন্য মেয়েকে নিয়মিত বর্ধমান হাপাতালে নিয়ে যাওয়া নিয়ে আসা ও ওষুধের খরচ জোগাড় করতে পারছি।আলম বাবু আরও বলেন, কঠিন রোগে আক্রান্ত হলেও তাঁর মেয়ে দমে যায়নি। সফল ভাবে মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করার জন্য সে এখন পুরোদমে পড়াশুনা চালিয়ে যাচ্ছে। সামিনার মা নূরজাহান বেগম বলেন, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাপাতালেই তাঁর মেয়ের চিকিৎসা চলছে। কোন সহৃদয় মানুষ যদি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তবে মেয়েকে ভিন রাজ্যের বড় কোন হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে নিয়ে যেতে পারেন। অসুস্থ মেয়ের চিকিৎসার জন্য নূরজাহান বেগম সকলের কাছে সহযোগিতা প্রার্থনা করেছেন।আরও পড়ুনঃ প্রায় ৩ লক্ষ কিশোর-কিশোরীকে করোনার টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু পূর্ব বর্ধমানেবনবিবিতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল রায় বলেন, সামিনা খাতুন আমাদের বিদ্যালয়ের এ- বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। দু,বছর আগে ওর শরীরে ক্যানসার ধরা পড়ে। তারপর থেকে ধারাবাহিক ভাবে ওর চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসার জন্য বিদ্যালয়ের তরফে যতটা সম্ভব সামিনাকে সাহায্য করা হয়েছে। সামিনা মাধ্যমিক পরীক্ষায় স-সন্মানে যাতে উত্তীর্ণ হতে পারে তার জন্য বিদ্যালয়ের তরফে সমস্তরকম সহযোগিতা থাকছে। শ্যামলবাবু এও বলেন, সামিনা আমাদের চোখে জীবন সংগ্রামের যোদ্ধা । জীবন যুদ্ধেও সামিনা যাতে জয়ী হতে পারে সেই লড়াইয়েও সামিনার পাশে রয়েছেন বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকারা। মাধ্যমিক পরীক্ষার সেন্টার কমিটির বৈঠকের সময়ে সামিনার অসুস্থতার বিষয়টি বিদ্যালয়ের তরফে লিখিত ভাবে জানিয়ে রাখা হবে। পরীক্ষার দিনগুলিতেও সামিনাকে যাতে কোন অসুবিধায় পড়তে না হয় সেই বিষয়েও বিদ্যালয় নজর রাখবে বলে প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন। জামালপুর ব্লকের বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার জানিয়েছেন, ব্লক প্রশাসনও মাধ্যমিক পরীক্ষার সময়ে অসুস্থ ছাত্রী সামিনার পাশে থাকবে। ওর যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সেই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার তা নেওয়া হবে।

জানুয়ারি ০১, ২০২২
বিদেশ

Parag Agarwal: টুইটারের নতুন সিইও মুম্বইয়ের পরাগ আগরওয়াল

টুইটারের সিইও পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন জ্যাক ডোরসে। আর তাঁর ছেড়ে যাওয়া পদে এবার বসলেন পরাগ আগরওয়াল। তিনিই হচ্ছেন টুইটারের নতুন সিইও। পরাগ আগরওয়াল এতদিন টুইটারে সিটিও পদে নিযুক্ত ছিলেন। মুম্বইয়ের পরাগ আগরওয়াল আইআইটি প্রাক্তনী। জ্যাক ডোরসের ইস্তফার পর সিটিও থেকে পরাগ আগরওয়ালের পদোন্নতি হয়ে সিইও হচ্ছেন তিনি।টুইটারের সকল কর্মীর কাছে পাঠানো একটি ইমেলে, জ্যাক ডরসি লিখেছেন, আমাদের কোম্পানিতে সহ-প্রতিষ্ঠাতা থেকে সিইও থেকে চেয়ার থেকে এক্সিকিউটিভ চেয়ার থেকে অন্তর্বর্তী সিইও থেকে সিইওআই প্রায় ১৬ বছর সংস্থার বিভিন্ন ভূমিকায় কাটানোর পর সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে অবশেষে আমার বিদায় নেওয়ার সময় এসেছে।উল্লেখ্য, পরাগ আগরওয়াল আইআইটি বম্বে থেকে তার ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছেন। এরপর স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট করেন তিনি। টুইটারের সদ্য প্রাক্তন সিইও জ্যাক ডরসিও তাঁর উত্তরসূরি পরাগ আগরওয়ালের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। সংস্থার কর্মীদের উদ্দেশে ইমেলে, তিনি বলেছেন, বোর্ড সমস্ত বিকল্প বিবেচনা করে একটি কঠোর প্রক্রিয়া চালিয়েছে এবং সর্বসম্মতিক্রমে পরাগকে নিয়োগ করেছে। তিনি কোম্পানি এবং এর চাহিদাগুলিকে কতটা গভীরভাবে বোঝেন তা বিবেচনা করে তিনি কিছু সময়ের জন্য আমার পছন্দ হয়েছিলেন। পরাগ প্রতিটি সমালোচনামূলক সিদ্ধান্তের পিছনে ছিলেন। যা এই কোম্পানিকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করেছে। তিনি কৌতূহলী, অনুসন্ধানী, যুক্তিবাদী, সৃজনশীল, দাবিদার, স্ব-সচেতন এবং নম্র। তিনি হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে নেতৃত্ব দেন এবং এমন একজন যার থেকে আমি প্রতিদিন শিখি। আমাদের সিইও হিসাবে তার উপর আমার গভীর বিশ্বাস রয়েছে।

নভেম্বর ৩০, ২০২১
রাজ্য

Commit Suicide: ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া ছাত্রকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে প্রেমিকা সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু

ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্রকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠলো প্রেমিকা সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে। মৃত ছাত্রের নাম সৈকত মাঝি(১৯)।তাঁর বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার কাঁশড়া গ্রামে। সৈকত দুর্গাপুরের বেসরকারী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পড়তো। গত ১৫ অক্টোবর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ছাত্রের ঝুলন্ত মৃতদেহ। ছাত্রের এই মৃত্যুর ঘটনার জন্য দোষীদের শাস্তিদানের ব্যাপারে পুলিশ ব্যবস্থা না নেওয়ায় শুক্রবার বর্ধমান সিজেএম আদালতের দ্বারস্থ হন ছাত্রের দাদা সৌমেন মাঝি। মামলাকারীর আইনজীবীর বক্তব্য শুনে সিজেএম আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা জন্য জামালপুর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতে সৌমেন মাঝি জানিয়েছেন, তাঁদের বাড়ি জামালপুর থানার কাঁশড়া গ্রামে। তাঁর ভাই সৈকত মাঝি দুর্গাপুরের বেসরকারী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে মেকানিক্যাল বিভাগের ছাত্র ছিল। কাঁশড়া এলাকার এক যুবতীর সঙ্গে তাঁর ভাইয়ের ভালবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। এই সম্পর্কের বিষয়টি যুবতীর পরিবার মেনে নেয়নি। ঘটনার মাস দুই আগে সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য যুবতীর পরিবার সৈকতকে নানা ভাবে হুমকি দেয়। এইসবের কারণে তাঁর ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া ভাই মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিল। ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করতো না।উদাস থাকতো। সেই কারণে সব ভুলে গিয়ে ভাল করে পড়াশুনা করার জন্য তিনি তাঁর ভাইকে বলেন।সৈকত তখন তাঁদের জানায় ,যুবতী অন্য একজনের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পের্ক লিপ্ত হয়েছে। তাই নানা কটুক্তি করে তাকে ভুলে যাওয়ার কথা যুবতী তাঁর ভাই সৈকতকে বলছে। এমনকি চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে যুবতী সৈকতকে তার সঙ্গে দেখা করার জন্য ডেকে পাঠায়। সৈকত দেখা করতে গেলে যুবতী ও তার নব্য প্রেমিক তাকে অপমানজনক কথাবার্তা বলে। তাতে সৈকত মানসিকভাবে আরও বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। এমন অবস্থার মধ্যেই গত ১৫ অক্টোবর রাত দেড়টা নাগাদ মদ্যপ অবস্থায় কয়েকজন তাঁদের বাড়িতে এসে দরজায় ধাক্কাধাক্কি করে। তারা তাঁর ভাইকে ডাকাডাকি করে। তা শুনে সৈকত বাইরে বেরিয়ে এলে তাকে তাঁরা পুনরায় কটূক্তি করে। এমনকি গুলি করে মেরে দেওয়ারও হুমকি দিয়ে তারা চলে যায়। এরপর সৈকত ঘরে শুতে যায়। সৌমেন জানিয়েছেন, পরের দিন সকালে ঘরের সিলিং ফ্যানের হুকে লেপের কভার দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় সৈকতকে ঝুলতে দেখা যায়। জামালপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক সৈকতকে মৃত ঘোষণা করেন।মামলাকারী মৃতের দাদার আইনজীবী শর্মিষ্ঠা সামন্ত জানিয়েছেন, ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনার কথা থানায় জানানো হয়েছিল। থানা কোনও ব্যবস্থা না নিয়ে ছাত্রের পরিবারকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। বিষয়টি জেলার পুলিশ সুপারকেও জানানো হয়। তারপরও পুলিশ ব্যবস্থা না নেওয়ায় বাধ্য হয়ে সিজেএম আদালতে মামলা করা হয়েছে। সিজেএম তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। জামালপুর থানার এক অফিসার বলেন, সম্ভবত কেউ এই ধরণের অভিযোগ জানাতে থানায় আসেন নি। তবে আদালত নির্দেশ দিলে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অক্টোবর ২৯, ২০২১
রাজ্য

বন্ধুদের সঙ্গে ভাগীরথীতে স্নান করতে নেমে ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে তৈরি হল রহস্য

বন্ধুদের সঙ্গে ভাগীরথী নদীতে স্মান করতে নেমে এক ছাত্রের মারা যাওয়ার ঘটনা নিয়ে তৈরি হল রহস্য । মৃত ওই ছাত্রের নাম রিক রায়(১৬)।তাঁর বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের কালনার সুবর্ণনগর কলোনীতে।সে স্থানীয় বিদ্যালয়ে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র ছিল ।ভাগীরথীতে স্নান করতে নেমে রিক তলিয়ে যায় বলে তাঁর বন্ধুরা দাবি করলেও ছাত্রের পরিবার তা মানতে চায়নি। আর তার কারণেই ছাত্রের মৃত্যু নিয়ে তৈরি হয়েছে রহস্য । ময়নাতদন্তের জন্য ছাত্রের মৃতদেহ শনিবার পাঠানো হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। পুলিশের দাবি ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসলেই ছাত্রের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে । তার ভিত্তিতেই নেওয়া হবে পরবর্তী পদক্ষেপ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,শুক্রবার বিশ্বকর্মা পুজোর দিন দুপুরে ছাত্র রিক তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে যায়।পরে সে বাড়ির ওই বন্ধুদের সঙ্গেই আবার কালনার ভাগীরথী নদীতে স্নানও করতে যায়।বন্ধুদের দাবি স্নান চলাকালীন অবস্থায় রিক নদীর জলে তলিয়ে যায় ।যদিও ছাত্রের পরিবারের অভিযোগ রিকের বন্ধুরা এই ঘটনার কিছুই তাঁদের বাড়িতে জানায় নি । সব চেপে যায় । অন্য মাধ্যমে খবর পেয়ে তাঁরা নদীতে গিয়ে রিকের খোঁজ চালান। পাশাপাশি বিপর্যয় ব্যবস্থাপন দপ্তরের টিমও ভাগীরথীতে রিকের খোঁজ চালায়।কিন্তু ওই দিন রিকের কোন হদিশ মেলে নি । শনিবার সকালে ফের ভাগীরথীতে রিকের খোঁজ চালানো শুরু হয় । বেলা ১০ টা নাগাদ উদ্ধার হয় ছাত্র রিকের মৃতদেহ।মৃত ছাত্রের বাবা গোপাল রায় এদিন বলেন,বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে যাচ্ছি বলে রিক বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিল ।বন্ধুরা পরে যে যার বাড়ি ফিরে গেলেও রিকের ব্যাপারে তাঁরা কোন খবর তাঁদের জানায়নি। পরে একজন বয়স্ক লোকের কাছ থেকে তাঁরা রিকের ব্যাপারে খবর পান ।গোপালবাবু বলেন , বন্ধুরা কেন সব ঘটনা চেপে গেল সেটাই তাঁদের কাছে রহস্য জনক লাগছে । তাই ঘটনার বিষয়ে তিনি পুলিশের কাছে আভিযোগ জানানোর দিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান।

সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২১
রাজ্য

Suicide: খেতমজুর মা দামি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন কিনে দিতে না পারায় আত্মঘাতী ছাত্র

খেতমজুর মা দামি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন কিনে দিতে না পারার অভিমানে গলায় দড়ির ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে আত্মঘাতী হল ছেলে। মৃতের নাম রূপায়ন দাস(১১)। তার বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী থানার কালেখাঁতলা পঞ্চায়েতের মুরাগাছা গ্রামে।বৃহস্পতিবার কালনা মহকুমা হাসপাতাল মর্গে মৃত ছাত্রের দেহের ময়নাতদন্ত হয়। পূর্বস্থলী থানার পুলিশ ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়ে, মুরগাছা গ্রামের ছাত্র রূপায়ন দাস স্থানীয় বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেনীতে পড়তো। সে বৃহস্পতিবার তাঁর মা বিহান দাসের কাছে দামি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন কিনে দেওয়ার জন্য আবদার করে। অত দামি মোবাইল ফোন কিনে দিতে পারবে না বলে খেতমজুর মা বিহানদেবী তাঁর ছেলেকে জানিয়ে দেন। এরপরেই মায়ের উপর অভিমান করে ছেলে রূপায়ন দাস ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে গলায় দড়ির ফাঁস লাগিয়েঝুলে পড়ে। রুপায়ন দীর্ঘ সময় ঘর থেকে বের না হওয়ায় পরিবারের লোকজনের সন্দেহ হয়। দরজা ঠেলে ঘরে ঢুকে পরিবারের লোকজন রূপায়নের ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পায়। ছাত্রের এমন অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে ।

সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২১
রাজ্য

Mamata Bannerjee: স্কলারশিপ নিয়ে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

আর ৭৫ শতাংশ নয়, এবার থেকে ৬০ শতাংশ নম্বর পেলেই ছাত্র-ছাত্রীরা পাবেন বিবেকানন্দ স্কলারশিপ। আজ রাজ্যের কৃতি পড়ুয়াদের সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে এমনটাই ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে ছাত্রদের উৎসাহ দিতে প্রত্যেক কৃতি ছাত্র ও ছাত্রীকে দেওয়া হল ল্যাপটপ ও একগুচ্ছ বই। ছাত্ররাই যে রাজ্যের ভবিষ্যৎ এদিন তাঁদের অভিনন্দন জানিয়ে সে কথাই বার বার শোনা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে। একইসঙ্গে উঠলো স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড প্রসঙ্গও।এদিন ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রতিটি জেলার উপস্থিত ছিলেন শীর্ষ স্থানাধিকারী ছাত্র-ছাত্রীরা। মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, জয়েন্ট এন্ট্রান্স ও মাদ্রাসা বোর্ডের কৃতি ছাত্র ছাত্রীদের এদিন পরীক্ষায় নজিরবিহীন সাফল্যের জন্য অভিনন্দন জানান মুখ্যমন্ত্রী । সেই সঙ্গে সকলকে আগামী দিনে আরও ভালো ফল করে পড়াশোনায় রাজ্যের মুখ উজ্জ্বল করার জন্য উৎসাহিত করেন মমতা।আরও পড়ুনঃ প্রো কবাডি লিগে বেঙ্গল ওয়ারিয়র্স দলে বাঙালি নেই!ছাত্র-ছাত্রীদের মুখ্যমন্ত্রী জানান এবার থেকে বিবেকানন্দ স্কলারশিপের আওতায় বৃত্তি পাবেন আরও বেশি ছাত্র-ছাত্রী। এছাড়াও সংখ্যালঘুদের জন্য থাকছে ঐক্যশ্রী। তপসিলি জাতি উপজাতির ছাত্র ছাত্রীদের জন্য থাকছে শিক্ষাশ্রী। মেদিনীপুর, বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, মালদা, নদীয়া এক এক করে সব জেলার ছাত্রদের সঙ্গেই এদিন কথা বলেন মমতা। তিনি বলেন, পড়ুয়ারাই রাজ্যের গর্ব। আরও নতুন দিশা দেখাক ছাত্ররা। মনে করিয়ে দেন স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড চালু করা হয়েছে পড়ুয়াদের সুবিধার্থে। এই ধরণের সরকারি সুবিধা যেন ভোগ করতে পারেন ছাত্র ছাত্রীরা।মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম ১০ তম স্থান পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের বরাবরই সংবর্ধনা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারেও সেই সংবর্ধনার রীতি বজায় রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘর থেকে কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের সংবর্ধনা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিভিন্ন জেলার কৃতি ছাত্র ছাত্রীরা জেলাশাসকের অফিস ও এসডিও অফিসে হাজির ছিলেন। এদিন তাঁদের ভার্চুয়ালি সংবর্ধনা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সেপ্টেম্বর ০২, ২০২১
রাজ্য

Students Credit Card: স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে ঋণের জন্য ব্যাঙ্ক বাড়ির দলিল বন্ধক রাখতে বলায় মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ ছাত্র

আর্থিক প্রতিবন্ধকতার কারণে ছাত্রছাত্রীদের উচ্চশিক্ষা যাতে থমকে না যায় তার জন্য রাজ্য সরকার চালু করেছে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড।তার মাধ্যমে পড়ুয়ারা ব্যাঙ্ক লোন নিয়ে পড়াশুনা চালিয়ে যেতে পারবে। পড়ুয়াদের স্বার্থে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেওয়া এমন উদ্যোগ গোটা দেশের পড়ুয়া মহলে সাড়া ফেলে দেয়। কিন্তু এত কিছুর পরেও স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে লোন নেওয়ার জন্য ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ পড়ুয়ার কাছ থেকে সিকিউরিটি বাবদ বাড়ির দলিল ব্যাঙ্কে জমা রাখার কথা বলায় পণ্ড হতে বসেছে স্টুটেন্ড ক্রেডিট কার্ড চালু করার মূল উদ্দেশ্য। ব্যাঙ্কের জারি করা এমন ফরমানে চরম বিপাকে পড়ে গিয়েছে পূর্ব বর্ধমানের কালনার বি-টেক পড়ুয়া আবির মিত্র। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ যাতে এমন ফরমান প্রত্যাহার করে নেয় তার জন্য ছাত্র আবির চিঠি লিখে মুখ্যমন্ত্রী, জেলাশাসক ও কালনার মহকুমা শাসকের কাছে আর্জি জানিয়েছে। পড়ুয়ার আর্জির কথা জানতে পেরে নড়ে চড়ে বসেছেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা।কালনা শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ছোটমিত্র পাড়ায় বাড়ি বি-টেক এর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবির মিত্রর।তাঁর বাবা ওষুধের দোকানে কাজ করে সামান্য যেটুকে অর্থ রোজগার করেন তা দিয়েই কোনরকমে তাঁদের সংসার চলে। তবুও নিম্নবিত্ত পরিবারের মেধাবি ছাত্র আবিরের স্বপ্ন উচ্চ শিক্ষিত হওয়া। এখন তাঁর লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অর্থই বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ষ্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড চালু করায় লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আশার আলো দেখেছিল আবির।পড়াশোনার খরচ চালানোর জন্য আবির ষ্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের রেজিষ্ট্রেশন করে। এরপর সে পড়াশোনার জন্য দেড় লক্ষ টাকা লোন নিতে চেয়ে বর্ধমান সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের কালনা শাখায় আবেদন করে। আবিরের অভিযোগ, ওই ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে দেড় লক্ষ টাকা লোন পাওয়ার জন্য তাঁকে তাঁর বাড়ির দলিল ব্যাঙ্কে জমা (বন্ধক )রাখতে বালায় সে বিপাকে পড়ে যায়। আবির এদিন জানিয়েছে, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ এমন ফরমান যাতে প্রত্যাহার করে তার আর্জি জানিয়ে সে মুখ্যমন্ত্রী, জেলাশাসক ও মহকুমাশাসকের কাছে চিঠি লিখেছে।যদিও ওই ব্যাঙ্কের দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যানেজার প্রদীপ অধিকারী এদিন বলেন, লোন নিয়ে প্রাথমিক একটা আলোচনা হয়। ওই লোন সেন্ট্রাল বর্ধমান থেকে দেওয়া হচ্ছে। জমি, বাড়ি বন্ধক রাখার কথা কাউকে বলা হয়নি বলে প্রদীপ বাবু জানান। কালনা মহকুমাশাসক সুরেশ কুমার জগৎ জানিয়েছেন, ব্যাঙ্কের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। ওই ছাত্রের লোন পেতে কোনও অসুবিধা হবে না।

সেপ্টেম্বর ০১, ২০২১
রাজ্য

Visva Bharati: বিশ্বভারতীতে বাড়ছে জটিলতা, শান্তিনিকেতনে আজ ঐশীদের মিছিল

ক্রমেই বাড়ছে বিশ্বভারতীর জটিলতা। চার দিনেও বদল হল না পরিস্থিতির। তিন পড়ুয়ার বহিষ্কারের প্রতিবাদে চতুর্থ দিনে পড়ল ছাত্র আন্দোলন। আজ, মঙ্গলবার উপাচার্যের বাংলোর বাইরে একই রকম ভাবে অবস্থান করছেন বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা। উপাচার্য যতক্ষণ পর্যন্ত না তাঁর সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নিচ্ছেন, এই আন্দোলন চলবে। অন্যদিকে, আজই বিশ্বভারতীর আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের সমর্থনে বোলপুর স্টেশন থেকে উপাচার্যের বাসভবন পর্যন্ত পদযাত্রা করবেন জেএনইউ-এর ছাত্র নেত্রী ঐশী ঘোষ। এদিকে, উপাচার্যর নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে থানায় দায়ের হয়েছে ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগও।আরও পড়ুনঃ আজ রাজ্যজুড়ে পেট্রল পাম্প বনধ, কোথাও মিলবে না তেলসম্প্রতি, বিশ্বভারতী থেকে সাসপেন্ড করা হয় তিন পড়ুয়াকে। ফাল্গুনী পান, সোমনাথ সৌ এবং রূপা চক্রবর্তীকে তিন বছরের জন্য বরখাস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি, পদার্থ বিজ্ঞানের দুই অধ্যাপক পীযুষকান্তি ঘোষ ও অরণি চক্রবর্তীকে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে সাসপেন্ড করে বিশ্বভারতী। আচমকা এই সাসপেনশন ও পড়ুয়াদের বরখাস্তের নোটিসে কার্যত ক্ষোভে ফেটে পড়েন পড়ুয়া ও অধ্যাপকদের একাংশ।তিন পড়ুয়াকে বরখাস্ত করার প্রতিবাদে ও তার কারণ জানতে চেয়ে আন্দোলনে নেমেছেন ছাত্রছাত্রীরা। উপাচার্যের বাড়ির বাইরে আন্দোলনে অনড় তাঁরা। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে একাধিক। শিক্ষকমহলের একাংশের প্রশ্ন, কেন এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করছেন না উপাচার্য? প্রশাসনিক প্রধান হিসাবে উপাচার্য এই দায় কি এড়িয়ে যেতে পারেন, সে প্রশ্নও উঠছে।

আগস্ট ৩১, ২০২১
রাজ্য

Student Molestation: ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করার অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার চার নাবালক ছাত্র

নাবালিকা ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করার অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হল চার নাবালক ছাত্র। পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী থানার পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেছে। পূর্বস্থলী থানা এলাকাতেই ধৃতদের বাড়ি। সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ শনিবার ধৃতদের পেশ করে বর্ধমানের জুভেনাইল জাষ্টিস বোর্ডে।আরও পড়ুনঃ ধমকি দিয়ে তৃণমূলকে আটকানো যাবে না, শাহকে চ্যালেঞ্জ অভিষেকেরপুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অষ্টম শ্রেণীতে পাঠরত বছর ১৬ বয়সী নাবালিকা ওই ছাত্রীর বাড়ি পূর্বস্থলী থানার উখুড়া শরাংপুর এলাকায়। সে স্থানীয় যে কোচিং সেন্টারে পড়তে যেত সেখানেই পড়তো নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া এলাকার চার ছাত্র। গত ১০ই আগষ্ট ছাত্রটি ওই কোচিং সেন্টারে পড়তে যায়। তখন চার ছাত্রও কোচিং সেন্টারেই ছিল। অভিযোগ, শিক্ষক নিজের কাজে একবার বাইরে যেতেই ওই চার ছাত্র নাবালিকা ছাত্রীকে শ্লীলতহানি করে। এমনকী শ্লীলতাহানির অশ্লীল ভিডিও ছাত্ররা মোবাইলে তুলে রাখে। কাউকে কিছু জানালে সেই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে ছাত্ররা ছাত্রীটিকে হুমকি দেয়।এমন হুমকির কথা শুনে ভয়ে ছাত্রীটি বাড়ির কাউকে কিছু জানায়নি। তার পরেও শ্লীলতাহানির অশ্লীল ভিডিও তারা ছড়িয়ে দেয়। তা দেখার পর ছাত্রীর অবিভাবকরা ছাত্রীর কছে বিষয়টি জানতে চায়। ছাত্রীটি ঘটনার কথা তাঁর পরিবারকে খুলে বললে অবিভাবকরা চার ছাত্রের বিরুদ্ধে পূর্বস্থলী থানায় অভিযোগ দায়ের করে। তার ভিত্তিতে পুলিশ চার ছাত্রকে গ্রেপ্তার করে।

আগস্ট ২৮, ২০২১
রাজ্য

Dilip Ghosh: বিশ্বভারতীর ছাত্র আন্দোলনে 'গুন্ডামি' দেখছেন দিলীপ

ছাত্র বিক্ষোভে উত্তপ্ত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। সেন্ট্রাল অফিসের পর শুক্রবার রাতভর উপাচার্যের বাড়ির সামনে বসে বিক্ষোভ দেখালেন ছাত্র-ছাত্রীরা। উপাচার্য না দেখা করলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। এদিকে বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের এ হেন আচরণকে গুন্ডামি বলে আখ্যা দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শনিবার নিউ টাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটা গুন্ডামি করার জন্য নয়।আরও পড়ুনঃ নথি যাচাই না করেই ১২ জন শিক্ষক নিয়োগ, প্রশ্নের মুখে রাজ্যের ভূমিকা সম্প্রতি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তিনজন ছাত্রছাত্রীকে তিন বছরের জন্য বরখাস্ত করে। তারই প্রতিবাদে শুক্রবার প্রথমে বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল অফিস এবং পরে উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু হয়। রাতভর ঘেরাও চলে। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, উপাচার্যকে তাঁদের দাবিদাওয়া মেনে নিতে হবে। অনৈতিক ভাবে পড়ুয়াদের বরখাস্তও করা চলবে না।শুক্রবার বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় যে দপ্তর তা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা। সেই বিক্ষোভ তুলতে গিয়ে কার্যত হাতাহাতি বেধে যায় বিশ্বভারতীর নিরাপত্তাকর্মী ও ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে। পড়ুয়ারা অভিযোগ তোলেন, বিশ্বভারতী নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের গায়ে হাত তুলেছে। এরপরই বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদুৎ চক্রবর্তীর আপ্ত সহায়কের গাড়ি দাঁড় করিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চান পড়ুয়ারা। তখন তিনি পড়ুয়াদের গাড়ি চাপা দিতে উদ্যত হন বলেও বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন আন্দোলনকারীরা। এর পরই রাতে উপাচার্যের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করেন পড়ুয়াদের একাংশ। অভিযোগ, রাতভর উপাচার্যের বাড়ির সামনে বসে থাকেন তাঁরা।

আগস্ট ২৮, ২০২১
নিবন্ধ

Blood Relation: রক্তের টান - অন্তিম পর্ব

আমরা তখন ইউনিভার্সিটির ছাত্র। মাষ্টার্স করছি। আমি আর দীপ্ত স্কুল থেকে একসাথে পড়ি। কলেজ আর ইউনিভার্সিটিতে ও এক সাথেই থাকি। দীপ্ত খুব ভালো গান করে বরাবর। ইউনিভার্সিটির একটা কম্পিটিশনে যুগ্ম প্রথম হয় ফিজিক্সের দীপ্ত সেন আর ইংরাজীর মধুছন্দা ব্যানার্জী।তারপর ওদের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়। ধীরে ধীরে সেই বন্ধুত্ব ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে পরিনত হয়।মধুর বাড়ি শিলিগুড়ি। ওর বাবা ওখানকার সুপ্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তার উপর ওরা ব্রাহ্মণ। ওদের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা বন্ধুরা খুব চিন্তিত ছিলাম। মধু বড়লোকের মেয়ে ওর কাছে এটা ছেলে খেলা এরকম অনেক কিছু আমরা ভাবতাম। মাস্টার্স কমপ্লিট করে দীপ্ত পিএইচডি করার প্রস্তুতি নিতে থাকে। মধুও মাস্টার্স শেষ করে শিলিগুড়ি গিয়ে একটি স্কুলে চাকরি পায়। এরমধ্যে দীপ্ত পিএইচডিতে যোগ দেয়। কিন্তু মধুর বাবা ওর বিয়ে ঠিক করেন। তখনই সমস্যা শুরু হয়। মধু ওর মা, বাবাকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করে। কিন্তু ওর মা বুঝলেও বাবা বোঝে না।অগত্যা মধু পালিয়ে চলে আসে দীপ্তর কাছে। আমরা বন্ধুরা তখন বুঝতে পারি মধুর ভালোবাসা কত গভীর। ওরা বিয়ে করে। তখন দীপ্ত কয়েকটি টিউশন পড়ায় মাত্র, আর স্কলারশিপের কটা টাকা।আমার বাড়ি যেহেতু এখানে আর আমার বাবারও কিছু নামডাক ছিল তাই বাবাকে বলে একটা স্কুলে মধুর একটা চাকরির ব্যবস্থা করে দিই।বেশ আনন্দের মধ্যে দিয়ে কাটতে থাকে ওদের জীবন। স্বাচ্ছন্দ্য স্বচ্ছলতা না থাকলেও আনন্দ ছিল।অনিমেষবাবুর সাথে কথা বলার পর মেহুলের মনের মধ্যে তোলপাড় চলে। কি করবে ও এখন? কিভাবে দুটো বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া মানুষকে সামনাসামনি আনবে? যখন আবার একটা মানুষ অসুস্থ। বলা যায় এটা ওই মানুষটার শেষ ইচ্ছা। এইসব ভাবতে ভাবতে বাড়ি ফেরে।ওকে দেখে মাধুরীদেবী মানে ওর দিয়া বলে ওঠে কি ব্যাপার দিদি ভাই আজ এত দেরি কেন? কোথায় গিয়েছিলে? তোমাকে এত গম্ভীর দেখাচ্ছে কেন?বলছি সব বলছি। আগে ফ্রেশ হয়ে আসি। তোমার সঙ্গে আজ অনেক কথা আছে। আলোচনাও আছে অনেক। বলে মেহুল বাথরুমে ঢুকে পড়ে।মাধুরীদেবী ভাবেন কি বলবে মেহুল!একটু পরেই মেহুল বেরিয়ে এসে মাধুরী দেবীকে নিয়ে নিজের ঘরে এসে বসে।শোনো দিয়া আজ আমি যা যা জানতে চাইব সব আমাকে বলবে। কোনও কিছু আমার কাছে লুকিয়ে রাখবে না। অনেক দেরি হলেও একটা চেষ্টা আমাকে করতেই হবে।কি বলছিস আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না।বুঝতে পারবে বললে বুঝতে পারবে।সেদিন আমি যখন তোমাকে জিজ্ঞাসা করলাম সৌরীশ সেন নামে কাউকে চেনো কিনা? তুমি চমকে উঠেছিলে আমি সেটা লক্ষ্য করেছি। তার মানে তুমি চেনো।হ্যাঁ না মানে হ্যাঁ চিনি।এবার আমি যা বলছি দেখো সব ঠিক বলছি কিনা?অবাক চোখে তাকায় মাধুরীদেবী মেহুলের দিকে।মেহুল একে একে সব বলে যা শুনেছে অনিমেষ বাবুরকাছে। এবার বলো মা কে কি তোমরা আবার বিয়ে দিতে পেরেছিলে?না না কোলকাতা থেকে ফিরে গিয়ে তোর মা খুব অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন আমাদের ফ্যামিলি ডাক্তার তোর আসার খবর শোনায়। এও বলেন যে তোর মাকে খুব সাবধান থাকতে হবে। শরীরের অবস্থা খুব খারাপ কোনওরকম উত্তেজনা চলবে না। তাই আমরা আর তোর বাবাকে খবর দিতে পারিনি। আর তোর দারুণ চায়নি মাও না। মাধুরীদেবী বলেন আমি জানতাম কোথাও একটা মস্ত ভুল হচ্ছে। বারবার বলেছিলাম মেয়েটাকে দীপ্তকে একবার বলার সূযোগ দিতে।না মেয়ে শুনলে না মেয়ের বাবা। এখন আমি কি করি?? বলে কপাল চাপড়াতে লাগলেন। মাঝখানে তুই কত কষ্ট ভোগ করলি। পারবে ওরা এখন তোকে সেসব ফিরিয়ে দিতে?সেসব এখন ছাড়ো। এখন যেটা করতে হবে মা কে আনতে হবে কলকাতায়। একমাত্র আমার শরীর খারাপ শুনলেই আসবে।তুমি ফোন করে বলো আমার খুব জ্বর। কিছুতেই জ্বর ছাড়ছে না।সেরকমই করলেন মাধুরীদেবী। মধুছন্দাকে ফোন করে বলেন মেহুলের খুব জ্বর।সেকথা শুনে পরদিনই ফ্লাইট ধরে মধুছন্দা চলে আসে। মেহুল একটু নাটক করে শরীর খারাপের।বিকেলে প্ল্যান অনুযায়ী অনিমেষবাবু মেহুলকে দেখতে আসে।অনিমেষ বাবুকে দেখে মধুছন্দা একটু ঘাবড়ে যায়। মেহুল পরিচয় করাতে গেলে অনিমেষ বলেন ওনারা পূ্র্ব পরিচিত। মধুছন্দা এড়িয়ে যেতে চান কিন্তু অনিমেষ বাবু চেপে ধরেন। এবং বলেন সৌরীশ অর্থাৎ দীপ্ত খুব অসুস্থ। প্রথমে শুনতে চায় না তখন মেহুল জোর করে।বলে মা ভুল বুঝে আর কত কষ্ট দেবে মানুষটাকে আর তুমি আমি সবাই কেন আর কষ্ট পাব। একবার বলার সূযোগ তো দিতে হবে।মধুছন্দা বলে তুমি ছোটো যা জানো না তা নিয়ে বড়দের মাঝে কথা বলো না।মেহুল কিন্তু থামে না বলে আর আমি ছোট নেই। আর আমি এখন পুরোটাই জানি। আমার মনে হয় তোমারও জানা উচিত। যে মানুষটা জীবনের শেষ পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে সে কখনও মিথ্যা বলবে না।মধুছন্দা বলে মানে? কে জীবনের শেষ পর্যায়ে?অনিমেষ বাবু বলেন দীপ্ত; ওর ব্রেইনে একটা টিউমার হয়েছে অপারেশন করতে হবে। তাতে ও নাও বাঁচতে পারে। তাই আমাদের সবার অনুরোধ তুমি একবার সত্যিটা শোনো।তারপর সব শোনে মধুছন্দা।মেহুল বলে আমি তো স্যারের ঘরে তোমার অতো বড় একটা ছবি দেখে অবাক হয়ে গেছিলাম। তারপর আঙ্কেল আমাকে সব বলেন।মধুছন্দা অঝোরে কাঁদতে থাকে। বলে সে কি আমাকে ক্ষমা করতে পারবে?অনিমেষ বলেন সব হবে তুমি চলো আমাদের সাথে।সবাই মিলে চলে সৌরীশ সেনের বাড়িতে। অনিমেষ বাবু মল্লিকাকেও ডেকে নেন।অনিমেষ বাবুর সাথে মধুছন্দাকে দেখে অবাক হয়ে যান সৌরীশ।মধু মেহুলকে এগিয়ে দিল ; তোমার মেয়ে, আমি এতদিন আগলে রেখে ছিলাম এবার তুমি সামলে রাখবে। তাড়াতাড়ি তোমাকে সুস্থ হতে হবে। বলে মধুছন্দা কাঁদতে থাকে। মল্লিকা এর মধ্যে খাবার দাবার নিয়ে হাজির। মধুছন্দা মল্লিকার কাছেও ক্ষমা চায়।মল্লিকা বলে, না বৌদি আমার কাছে নয় তুমি দাদার কাছে ক্ষমা চেয়েছ ওতেই হবে। দুঃখ শুধু একটাই ভুল বুঝে তুমি মেয়েটাকে বাবার থেকে দূরে রাখলে। যাক পুরনো সব ভুলে আবার নতুন করে শুরু করো। দাদা তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুক আর আমার কিছু চাই না।অপরাধ বোধে ভুগতাম তোমাদের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার জন্য নিজেকে দায়ী মনে হত। আজ এতদিন পরে আবার সব ঠিক হল। এবার সবাই একটু মিষ্টি মুখ করো। মল্লিকা প্লেটের মধ্যে মিষ্টি নিয়ে সবাইকে দেয়।মেহুল গিয়ে বাবার পাশে বসে। সৌরীশবাবু ওকে বুকের মধ্যে টেনে নেন।অনিমেষ বাবু বলেন, দীপ্ত একেই বলে রক্তের টান।-সমাপ্ত- লেখিকাঃ রাখি রায়আরও পড়ুনঃ রক্তের টান - প্রথম পর্বআরও পড়ুনঃ রক্তের টান - দ্বিতীয় পর্বআরও পড়ুনঃ রক্তের টান - তৃতীয় পর্ব

আগস্ট ১৫, ২০২১
নিবন্ধ

Blood Relation: রক্তের টান - তৃতীয় পর্ব

হ্যালো, আঙ্কেল আমি মেহুল বলছি। ...... হ্যাঁ, ঠিক চিনেছেন। ........ হ্যাঁ আমি যাই তো। আপনার সঙ্গে দেখা হয়নি। আমি তো কলেজ থেকে যাই। .........বলছিলাম আপনার সাথে খুব জরুরি একটা দরকার আছে। একদিন দেখা করতে চাই। ......... আপনার সুবিধা মত বলুন আমি ঠিক হাজির হয়ে যাব। ......... ঠিক আছে আঙ্কেল তাহলে কাল দেখা হচ্ছে। এখন রাখি। এই বলে মেহুল ফোন রেখে দিলে। পরের দিন ঠিক সময়ে অনিমেষ বাবু আর মেহুল হাজির নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট জায়গায়। বসো, কি খাবে বলো? কিছু না। একটু কফি। আচ্ছা তাহলে কোল্ড কফি হয়ে যাক। বললেন অনিমেষ বাবুতাই হোক। দুটো কোল্ড কফি অর্ডার দিয়ে জমিয়ে বসলেন। বলো তো মা কি দরকার এই বুড়োটাকে? ঠিক বুঝতে পারছি না কিভাবে কথাটা বলবো? কোনো দ্বিধা না করে বলো। আমার মনেও একটা কৌতূহল জেগেছে তোমার কৌতূহলের সাথে মিলে যেতেও পারে। তাই বলছি বলে ফেলো, কোনও সংকোচ করো না। স্যারের বাড়িতে যাওয়ার পর থেকেই এই প্রশ্নগুলো জেগেছে। কিন্তু স্যারকে জিজ্ঞাসা করতে পারছি না। আর যাকে জিজ্ঞাসা করতে পারি সে তো কাছে থাকে না, তাই ভাবলাম আপনি তো স্যারের খুব কাছের বন্ধু তাই ভাবলাম আপনার কাছেই জানতে পারব। বেশ বেশ বলো না কি জানতে চাও। বলছি স্যারের তো নিজের বলতে কেউ নেই শুনছি, তবে ওনার ঘরে ওই ছবিটি কার? আপনি কি চেনেন ছবির ওই ভদ্র মহিলা কে? অনিমেষ বাবু মেহুলের প্রশ্নে একটু যেন চমকে গেলেন; সাথে সাথে নিজেকে ঠিক করে নিয়ে বলেন আমার মনে যে কথাটি এসেছে তার সাথে তোমার প্রশ্ন রিলেটেড। মেহুল এবার চমকে যায়, মানে? আমার প্রশ্ন হলো তুমি কে? কি তোমার পরিচয়? আর তোমার এই কৌতূহল কেন? তুমি কি চেন? কাকে চেনার কথা বলছেন? ছবির সঙ্গে তোমার মিল আমি সেদিনই খেয়াল করেছি যেদিন হাসপাতালে তোমাকে দেখি। বলতে পারো চমকে গেছিলাম তোমাকে দেখে। তারপর ভাবলাম মানুষে মানুষে তো মিল হয়। তাই চুপ করে ছিলাম। আজ তোমার কথায় আবার সেটা ফিরে এল। বলো চেনো ছবির ওই ভদ্রমহিলাকে? চুপ করে থেকো না বলো!! মেহুল বলে----- হ্যাঁ চিনি। কে হন উনি? আ আ-- মার মা----ঠিক আন্দাজ করেছিলাম আমি। বলেন অনিমেষ বাবু। আপনি আমার মাকে চেনেন? হ্যাঁ খুব চিনি। তা তিনি এখন কোথায়? শিলিগুড়িতে? নাকি অন্য কোথাও? মা সাউথের একটা স্কুলে পড়ায়। আমি দাদু দিদার কাছে বড়ো হয়েছি। মা ছুটিতে আমাদের কাছে আসে। অনিমেষ বাবু এবার জিজ্ঞাসা করেন তোমার বাবা? মেহুলের মুখটা কালো হয়ে যায়। বলতে থাকে, আমি জানি না কে আমার বাবা। কারণ সব জায়গায় মায়ের নাম দেওয়া আছে। যেখানে বাবার নাম দরকার হয়েছে শুধু লেখা আছে ডি. সেন। এর বেশি আমি কিছু জানি না। খুব ছোট বেলায় একবার মাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম বাবার কথা। মা খুব কেঁদে ছিল আর বলেছিলেন বাবা হারিয়ে গেছে। তারপর থেকে কোনও দিন কাউকে আর জিজ্ঞাসা করতে পারিনি। স্যারের ঘরে মায়ের ছবি দেখে মনের কোণে তাই এত প্রশ্ন।এখানে কোথায় থাক? কার কাছে?আমি আর আমার দিদা ইউনিভার্সিটির কাছে একটা ভাড়া বাড়িতে থাকি।এবার আঙ্কেল আপনি বলুন আমার মায়ের ছবি স্যারের ঘরে কেন?সেটা জানতে গেলে তোমাকে একটা গল্প শুনতে হবে। অত সময় আছে তো তোমার কাছে?হ্যাঁ আমার কাছে সময় আছে। শুধু একবার বলে দিই দেরি হবে ফিরতে।বলে মেহুল ওর দিকে ফোন করে বলে দেয়। এবার আপনার গল্প শুরু করে দিন।অনিমেষ বাবু বলেন এবার কিছু অর্ডার না করলে এরা তুলে দেবে। তাছাড়া খিদেও পেয়েছে কি বলো?মেহুল ওনার কথা শুনে হেসে ফেলে। বলে তাহলে এদের চিকেন কাটলেটটা খুব ভালো। বলে ও ওয়েটারকে ডেকে দুটি কাটলেট অর্ডার দেয়।এবার আপনার গল্প শুরু করুন আঙ্কেল।গল্প শুরু করেন অনিমেষ বাবু ...............ক্রমশঃলেখিকাঃ রাখি রায়আরও পড়ুনঃ রক্তের টান - প্রথম পর্বআরও পড়ুনঃ রক্তের টান - দ্বিতীয় পর্ব

আগস্ট ০৮, ২০২১
নিবন্ধ

Blood Relation: রক্তের টান - দ্বিতীয় পর্ব

কিরে দিদিভাই কি ভাবছিস? কদিন ধরে দেখছি তুই কেমন অন্যমনস্ক! কি হয়েছে? তোদের গ্রূপের বন্ধুদের সঙ্গে কিছু হয়েছে?কিরে উত্তর দিচ্ছিস না কেন?হুঁ?কি হ্যাঁ হ্যুঁ করছিস?ও হ্যাঁ, বলো কি বলছো?আমি যে এতক্ষণ বকে যাচ্ছি তোর কানে কিছুই ঢোকেনি!?না মানে খেয়াল করিনি; বলো।বলছি তোর কি হয়েছে? কেমন চুপচাপ হয়ে গেছিস! আমার দিদিভাই তো এত চুপচাপ থাকার মেয়ে নয়।না গো তেমন কিছু হয়নি। একটা প্রশ্ন খুব ঘুরপাক খাচ্ছে মাথার মধ্যে।কি প্রশ্ন? আমাকে বলা যাবে?আচ্ছা দিয়া তুমি সৌরীশ সেন নামে কাউকে চেনো?কী!! সৌ-- রীশ সেন? সে --সে আবার কে? আমি চিনব কি করে?না না তুমি চেনো বলিনি। জিজ্ঞাসা করছি চেনো কিনা?না না আমি ঐ নামে কাউকে চিনি না। একটু যেন উত্তেজিত হয়ে পড়লেন মাধুরীদেবী।আরে বাবা ওরকম করছো কেন! উনিইতো স্যার যাকে হসপিটালে ভর্তি করেছিলাম।তাকে আমি চিনব কি করে?না মানে মা ও তো এখানেই পড়ে ছিল। ওনার বয়স মায়ের কাছাকাছি হবে আর উনি ওখানেই পড়ে ছিলেন। তাই জিজ্ঞাসা করলাম।না না আমি চিনব কেমন করে?মেহুল বুঝতে পারলো মাধুরীদেবী র কাছে কোনও সদুত্তর পাওয়া যাবে না। উঠে পড়ল খাবার টেবিল থেকে।মনে আবার একটা খটকা -------- দিয়া এতটা রিয়্যাক্ট করলো কেন?নামটা শুনে যেন একটু চমকেই উঠলো মনে হলো। কিন্তু কেন?মেহুল কলেজে চলে গেল। মাধুরীদেবী মনে মনে মেহুলের বলা কথা গুলো ভাবতে লাগলেন। আরও ভাবলেন মধু এসব শুনলে মেয়েটার পড়া বন্ধ করে নিয়ে না চলে যায় এখান থেকে। ভাবলেন মেহুল যদি ওর মাকে এই কথাগুলো বলে তাহলে আর রক্ষা থাকবে না। মনে মনে বললেন ----- কি যে করি? আমার হয়েছে যত জ্বালা। সারা জীবন বাপ বেটি জ্বালালো এখন নাতনীও সামিল হয়েছে।এদিকে মেহুল কলেজে দুটি ক্লাস করার পর আর ভালো লাগলো না ও রিমা আর সৈকতকে বললো যাবি স্যারকে দেখতে?ওরা ক্লাস আছে বলে গেল না।কিন্তু মেহুল কলেজে আর থাকতে পারল না।রোজ একবার এস. এস. এর বাড়ি না গেলে ওর মন ভালো লাগে না। অদ্ভুত একটা টান অনুভব করে ও। মনে যে ফাঁকা জায়গাটা আছে, যে কষ্টটা আছে সেটা ভুলে যায় ওনার কাছে গেলে।ওদিকে সৌরীশবাবুও অধীর হয়ে মেহুলের পথ চেয়ে থাকেন। ওনার মধ্যে যেন পিতৃ সত্ত্বা জাগৃত হয়েছে মেহুল কে পেয়ে।এইভাবে বেশ কিছু দিন কাটল। কিন্তু মেহুল ওর প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাওয়ার পথ বের করতে পারছে না। ওর শেষ পর্যন্ত মনে এল অনিমেষ বাবুর কথা।ক্রমশঃলেখিকাঃ রাখি রায়আরও পড়ুনঃ রক্তের টান - প্রথম পর্ব

আগস্ট ০১, ২০২১
নিবন্ধ

Blood Relation: রক্তের টান - প্রথম পর্ব

হ্যালো, হ্যাঁ হ্যাঁ মনে আছে। আজ স্যার কে ছেড়ে দেবে। আমি কালকেই হসপিটালে সব কাগজ পত্র রেডি করে রাখতে বলেছি, যাতে বেশি দেরি না হয়।হ্যাঁ রে বাবা বাড়িতে খবর দেওয়া আছে। বাড়িতে তো আছে শুধু সবসময়ের কাজের লোক বিশু দা! ওনার বাড়িতে খবর দিতে গিয়ে পাড়ার চায়ের দোকানে শুনলাম একা মানুষ, বিশুদা থাকে সঙ্গে।ঠিক আছে আমি আধাঘণ্টার মধ্যে পৌঁছে যাব। রাখছি।বলে ফোন কেটে রেডি হতে লাগল মেহুল।মেহুল সেন, যাদবপুর ইউনিভার্সিটিতে মাসকম্যুনিকেশন নিয়ে পড়ে। তার সাথে সমাজসেবা করে ওর কয়েকজন বন্ধু মিলে।মেহুলকে রেডি হতে দেখে ওর দিদা বলে উঠল আজ আবার হসপিটাল যাবি এখন? কখন ফিরবি? দিন দিন বাউন্ডুলে হয়ে যাচ্ছিস।ডার্লিং মানুষের সেবা করতে চাইছি আর তুমি বলছো বাউন্ডুলে!!তোমার তো জানা আছে আমাদের যে স্যারকে রাস্তায় অসুস্থ হতে দেখে হসপিটালে ভর্তি করেছিলাম ওনার কেউ নেই। একা থাকেন। খুব ভালো মানুষ। আজ ওনাকে ডিসচার্জ করে দেবে। তাই ওনাকে বাড়ি দিয়ে আসতে যাচ্ছি।ঠিক আছে সময় মতো বাড়ি ফিরে এসো। তোমার মা ফোন করলে কৈফিয়ত দিতে পারব না।কুল ডার্লিং; ম্যায় হু না। তোমাকে কিছু বলতে হবে না। যা বলার আমি বলব।ঠিক আছে; খেয়ে যেও। বলে মেহুলের দিদা মাধুরী দেবী ওর ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন।কিছুক্ষণের মধ্যেই মেহুল বেরিয়ে পড়ল। হসপিটালে গিয়ে দেখল ওরা যেমন এসব কাজে যুক্ত তাদের দুতিন জন হাজির আর স্যার মানে প্রফেসর সৌরীশ সেনের বন্ধু অনিমেষ রায় দাঁড়িয়ে। এ কদিন উনিই রোজ এসেছেন। স্যার নিষেধ করায় আর কাউকে মানে ডিপার্টমেন্টে খবর দেওয়া হয়নি।হসপিটালে সব মিটিয়ে একটা ক্যাব ভাড়া করে অনিমেষবাবু আর মেহুল সৌরীশ বাবুকে নিয়ে রওনা দিলেন। বাকিরা নিজের কাজে গেল।গাড়ি চলতে লাগলো। অনিমেষ বাবু বললেন এই কদিন এই বাচ্চা ছেলে-মেয়েগুলো যা করল ভাবা যায় না। কে বলে এখনকার ছেলে মেয়েরা স্বার্থপর?ওরা সব বিষয়ে কি ভীষন দক্ষ। সেদিন তো এই মেহুল না থাকলে তোকে বাঁচাতে পারা যেত না। এটি আমি বলছি না ডাক্তারবাবু বলেছেন।সৌরীশবাবু ক্লান্ত শরীর গাড়ির ব্যাক সিটে এলিয়ে দিয়ে বসেছেন। এতক্ষণ বন্ধুর কথা শুনছিলেন।উনি ক্লান্ত গলায় বললেন এখনকার ছেলেমেয়েদের ভালো না যারা বলে খুব ভুল বলে।এবার মেহুলকে বলেন তুমি এবং তোমার বন্ধুরা নিশ্চয়ই পড়াশোনা করো?হ্যাঁ স্যার যাদবপুরেই পড়ি। অন্য ডিপার্টমেন্ট। আপনার পরিচয় জানি আপনার গান শুনে। আপনার গান খুব ভালো লাগে আমার।তুমি ও কি গান করো?হ্যাঁ, মায়ের কাছে শিখেছি।কথাবার্তা বলতে বলতে সৌরীশবাবুর বাড়ি এসে পড়ে।মেহুল আর অনিমেষবাবু দুজনে মিলে একদম ওনার শোওয়ার ঘরে নিয়ে যায় সৌরীশবাবুকে।ওনাকে বিছানায় বসিয়ে সোজা দাঁড়াতেই মেহুলের চোখ চলে যায় দেয়ালে টাঙানো একটা ছবির দিকে।কি হলো মা বসো।হুঁ - হ্যাঁ বসছি। আপনি চুপ করে শুয়ে বিশ্রাম নিন। অনেকটা পথ এসেছেন।আমি বিশুদাকে সব বুঝিয়ে দিই, আপনিও একটু ওষুধ গুলো দেখে নিন।তুমি বিশুকে চিনলে কি করে?আপনাকে হসপিটালে ভর্তি করার পর আপনার ব্যাগে রাখা ছোট ডায়েরিটা থেকে আপনার ঠিকানা নিয়ে খবর দিতে এসে বিশুদার সঙ্গে পরিচয় হয়।স্যরি স্যার আপনার ব্যাগে হাত দেওয়ার জন্য।না না স্যরি হওয়ার কি আছে। এছাড়া কি-ই বা করার ছিল।ঠিক আছে স্যার আপনি দেখুন আর বিশুদা তুমিও দেখে নাও- মেহুল কথা বলছে ঠিকই কিন্তু চোখ বারবার চলে যাচ্ছে ছবিটার দিকে;সেটা খেয়াল করলেন অনিমেষবাবু। উনি নিজেও কম অবাক হননি মেহুলকে দেখার পর। তবুও ভেবেছেন মানুষে মানুষে মিল তো থাকে। তবুও মনের কোনে একটা প্রশ্ন বারবার উঁকি দিচ্ছে।মেহুল সব বুঝিয়ে দিয়ে আবার আসার কথা দিয়ে বেরিয়ে পড়ে সৌরীশবাবুর বাড়ি থেকে।ভদ্রলোকের জন্য খুবই মায়া হচ্ছে, অসুস্থ মানুষ, একা, দেখাশোনা করার এক ঐ কাজের লোক ছাড়া কেউ নেই। এইসব সাত পাঁচ ভাবছে আর মনের মধ্যে উঁকি দিচ্ছে ছবিটা।বারবার মনে হচ্ছে কোথায় পেলেন ঐ ছবি উনি!!এমন সময় ফোন বেজে উঠলোহ্যাঁ ডার্লিং আসছি একঘন্টার মধ্যে, বলে ফোনটা কেটে একটা ট্যাক্সি ধরলো।ক্রমশ....লেখিকাঃ রাখি রায়

জুলাই ২৫, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

১০০ দিনের কাজ নিয়ে হাইকোর্টে বড় ধাক্কা কেন্দ্রীয় সরকারকে

গতকালই ওবিসি মামলায় হাইকোর্টে জোরদার ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। এবার ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বড় ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার নজিরবিহীন একটি নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পশ্চিমবঙ্গে ফের ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প চালু করতে হবে, এই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ১ আগস্ট থেকেই এই প্রকল্প চালু করতে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ।উল্লেখ্য, বাংলায় ১০০ দিনের কাজের টাকা বহুদিন ধরে আটকে রেখেছে কেন্দ্র, এই অভিযোগ করে আসছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রাজ্য সরকারের একাধিক মন্ত্রী এই ব্যাপারে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বারবার সমালোচনায় সরব হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে লাগামহীন দুর্নীতি হয়েছে। এই দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্র বেশ কয়েকটি দলও বাংলার জেলায় জেলায় পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী আদালতে জানিয়েছিলেন, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গে মোট ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে গরমিল ধরা পড়েছে।। তার মধ্যে ২ কোটিরও বেশি টাকা পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে। হুগলি, মালদা, বর্ধমান, দার্জিলিংয়ের মতো জেলাগুলিতে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। ১০০দিনের কাজের প্রকল্পে টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে বেনজির দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রের।রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প আটকে থাকা নিয়ে মামলার শুনানি বুধবার ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনেছেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এরপর প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছেন যে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের জন্যই বিশেষ কোনও বেঁধে দিতে পারে কেন্দ্র। এই রায়ের পর সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ১০০ দিনের পুরনো বকেয়া টাকা ফেরত দিতে হবে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর

পাঁচ লক্ষ টাকা তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর এবং সালিশি করে গ্রাম ছাড়া করার অভিযোগ উঠলো স্থানীয় একদল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকায়। এই ঘটনায় আক্রান্ত ব্যবসায়ীর পরিবার কালিয়াচক থানার দ্বারস্থ হলেও চারদিন পরে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে বুধবার ওই ব্যবসায়ী দম্পতি সমস্ত ঘটনার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানালেন পুলিশ সুপারের কাছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব। এদিকে কালিয়াচকের ওই ব্যবসায়ীর ওপর আক্রমণ এবং পাঁচ লক্ষ টাকা তোলাবাজির ঘটনায় রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলার সর্ববৃহৎ ব্যবসায়ীদের সংগঠন মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বারবার যদি ব্যবসায়ীদের ওপর দুষ্কৃতীদের হামলা নেমে আসে, তাহলে আমরা যাব কোথায়। অবিলম্বে পুলিশ সুপার যাতে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে, সেই আবেদন জানাচ্ছি। এদিকে পুলিশকে অভিযোগে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকার পোশাক ব্যবসায়ী মহম্মদ রহিম বিশ্বাস জানিয়েছেন, পুরনো একটি মামলার ঘটনায় গত শনিবার এলাকার এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী জহরুল খান এবং তার দলবল তাকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাদের একটি ডেরায় তাঁকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর পাঁচ লক্ষ টাকার তোলা চাওয়া হয়। সেই টাকা না দেওয়ায় আশেপাশের আরও কিছু সাগরেদদের জুটিয়ে সালিশি ডাকা হয়। সেই সালিশির মাধ্যমে তাদের পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। আর এই ঘটনার পর থেকেই গত চারদিন ধরেই ওই ব্যবসায়ী পরিবার নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন হয়ে রয়েছেন। এমনকি ফতেখানি স্ট্যান্ডের কাছে ওই ব্যবসায়ী তার নিজের পোশাকে শোরুম খুলতে পারছেন না।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

বাংলা দিবস পালন নিয়ে বিজেপিকে কড়া তোপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

বাংলা দিবস পালন নিয়ে ফের বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে বাগযুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। আগামী ২০ জুন বাংলা দিবস পালন করা হবে বলে উত্তরপ্রদেশের বিশেষ সচিব পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি দফতরকে একটি চিঠি দিয়েছে। আলাদা করে বাংলা দিবস পালনের দিন নির্ধারণ নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ইস্যুতে BJP-র কড়া জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২০ জুন প্রতিটি রাজ্যের রাজভবনে বাংলা দিবস পালন করা হবে বলে ঠিক করা হয়েছে। এই তারিখ কীভাবে ঠিক করা হল? দেশ স্বাধীন হয়েছে ১৫ আগস্ট। বাংলার প্রতিষ্ঠা দিবস আপনারা ঠিক করে দেবেন? বিজেপি ইচ্ছা মতো চাপিয়ে দেবে? এটা বাংলাকে চরম অসম্মান বলে আমরা মনে করছি। বাংলা দিবস বাংলার সরকার পালন করবে। সেটা ১ বৈশাখ।এদিন কেন্দ্রকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রীর আরও তোপ, সব বুলডোজ করছে, দেশে জুমলা সরকার চলছে। পেহেলগাঁওয়ের পর সবাই বিশেষ অধিবেশন ডাকার কথা বলেছে। বিরোধীরা সবাই অধিবেশন ডাকার কথা বলেছিল। কেন বিশেষ অধিবেশন ডাকা হবে না?একশো দিনের কাজের টাকা চার বছর ধরে বন্ধ করেছে। আবাস যোজনার টাকা দিচ্ছে না। রাজ্য সরকার নিজে সেই টাকা খরচ করে উন্নয়ন বজায় রেখেছে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

ভাগীরথী সেতুতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, লরির চাকায় পিষ্ঠ হয়ে মৃত্যু রোগীর

মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ভাগীরথী সেতুর উপর ঘটল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বুধবার দুপুরে চলন্ত লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। মৃতের নাম হরেন মণ্ডল (৬৩)। তিনি ঝাড়খণ্ডের পাকুর জেলার বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।জানা গিয়েছে, বুধবার সকালেই অসুস্থতা জনিত কারণে হরেন মণ্ডলকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পুত্রবধূ। দুপুরে বৌমা ফুলতলা বাজারে ফল কিনতে গেলে অনেকক্ষণ কেটে গেলেও তিনি না ফেরায়, চিন্তায় পড়ে বৃদ্ধ খুঁজতে বের হন। খুঁজতে খুঁজতে উঠে পড়েন ভাগীরথী সেতুর উপর। সেই সময় এক চলন্ত লরির সামনে পড়ে যান তিনি। অসাবধানতাবশত লরির চাকায় পিষ্ট হন হরেন মণ্ডল। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ ও রঘুনাথগঞ্জ সদর ট্রাফিক গার্ড। কিছু সময়ের জন্য সেতুর উপর যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে পুলিশ ব্যবস্থা নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ কী, লরি চালকের গাফিলতি ছিল কিনাতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।এই দুর্ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর এমন মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার ও হাসপাতাল চত্বরে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পরেও কি ভাবে রাজ্য সড়কে পৌছালো ঐ রুগী তা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে একলাবাসীর মধ্যে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

রায়নার বিধায়কের কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী

রায়নার বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভাতেই বিধায়ক শম্পা ধারা কন্যা সন্তান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে হাজির হন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নাম রাখেন ঐশী। আশাপূরণ হওয়ায় শম্পা ধারা বেজায় খুশি। মেয়ের অন্নপ্রাসন অনুষ্ঠানের দিনও নির্দিষ্ট করে ফেলেছেন বিধায়ক। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য শম্পা ধারা এদিন মুখ্যমন্ত্রী সহ সকল বিধায়ককে নিমন্ত্রণও করেন।শম্পা ধারার কন্যার এখন বয়স মাত্র সাড়ে চার মাস। বাংলার অগ্নিকন্যা তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্তত তাঁর কন্যার নামকরণ করে আশীর্বাদ করুন, এমনটাই স্বপ্ন ছিল রায়নার তৃণমূল বিধায়কের। সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষে নিজের শিশু কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে সোমবার দুপুরে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের সামনে পৌছে যান পূর্ব বর্ধমানের বিধায়ক। মুখ্যমন্ত্রী ঘর থেকে বের হতেই বিধায়ক শম্পা তাঁর কন্যার নামকরণ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেন। নিজের দলের বিধায়কের সেই অনুরোধ ফেরাননি মুখ্যমন্ত্রী।শম্পা ধাড়া জানান, চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি তাঁর কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে। শম্পা ধারার কথা অনুযায়ী নাম করণ করে দেওয়ার পর তাঁর মেয়ের মাথায় হাত দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশীর্বাদ করেছেন। এটাই তো তাদের কাছে অনেক বড় পাওয়া। এর জন্য তিনি গর্বিত বোধ করছেন।তাঁর খুব আনন্দও হচ্ছে।

জুন ১৭, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

কেশরী চ্যাপ্টার টু, ইতিহাস বিকৃত করার ভয়ঙ্কর অভিযোগ

ইতিহাসের একটি পরিচিত অধ্যায় ইংরেজ শাসনের সময় বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী ও বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বোস ও প্রফুল্ল চাকী কুখ্যাত ইংরেজ জাজকে বধ করার চেষ্টা করেছিল। এর ভিত্তিতে ক্ষুদিরাম বোসের ফাঁসি হয়েছিল এবং প্রফুল্ল চাকীও পুলিশের হাতে যাতে ধরা না পড়ে তার জন্য নিজের প্রাণ নিজের হাতে নিয়েছিল। বিধাননগর দক্ষিণ থানাতে অভিযোগ এসেছে যে একটি সিনেমা ইদানিংকালে লাইভ স্ট্রিমিং হচ্ছে সিনেমাটির নাম হচ্ছে কেশরী চ্যাপ্টার টু। সেই সিনেমাটি জিও হটস্টারে দেখানো হচ্ছে লাইভ স্ট্রিমিং এর মাধ্যমে সেখানে একটা দৃশ্যে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম বোসের নামকে ক্ষুদিরাম সিং বলা হয়েছে এবং প্রফুল্ল চাকির সেখানে কোন উল্লেখ নেই।বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী অরবিন্দ ঘোষের ছোট ভাই বিরেন্দ্র কুমার ঘোষ তিনি ও বিপ্লবী ছিলেন উনার নামটাকে বারিন্দ্রা কুমার বলে বলা হচ্ছে। শুধুমাত্র ঐতিহাসিক তথ্যগুলোকে বিকৃত করা হয়নি, বরঞ্চ স্বাধীনতা সংগ্রামী যারা আছেন তাদের নামটাকে বিকৃত করে তাদের গরিমাটাকে কিছুটা হলেও ম্লান করার চেষ্টা হয়েছে এবং করা হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে একটা কেস করা হয়েছে। এটাও দেখানো হয়েছে খুদিরাম বোস এবং বারিন্দ্র ঘোষ ওনারা অমৃতসরের ছাত্র ছিলেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগটা করা হয়েছে। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিধান নগর দক্ষিণ থানাতে একটি কেস রুজ করা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।

জুন ১৭, ২০২৫
কলকাতা

ভূয়ো কল সেন্টারের পর্দা ফাঁস, বাগুইআটিতে গ্রেফতার ৬

গোপন সূত্রে প্রাপ্ত সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বাগুইহাটি থানা অধীনস্ত সৃষ্টি অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল এবং পর্দা ফাঁস করে একটি ভুয়ো কল সেন্টারের। অভিযুক্তরা বিভিন্ন রাজ্যে সমাজের প্রান্তিক শ্রেণীর মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ করত এবং কম সুদে ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের কস্টার্জিত অর্থ হাতিয়ে নিতো।স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগের ভিত্তিতে বাগুইআটি থানায় কেস নাম্বার ৩৮২/২০২৫ মামলা রুজু হয়। এই অভিযানে মোট ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং উদ্ধার হয়েছে বহু বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ইত্যাদি। এই মামলার তদন্ত চলছে। ধৃতদের আজ আদালতে পেশ করা হলে তাদের প্রত্যেকের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন মঞ্জুর হয়। মামলার তদন্ত চলছে।

জুন ১৭, ২০২৫
রাজ্য

তৃণমূলের দলীয় বৈঠকে মমতাবালাকে কটুক্তির অভিযোগ, উপপ্রধানকে গ্রেফতারের দাবি

দলীয় বৈঠক তৃণমূল উপপ্রধানের গালাগাল ও কটুক্তির শিকার তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতা ঠাকুর। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন তৃণমূল কর্মী। সরব হলেন মতুয়া ভক্তরা। পার্থ ভৌমিকের সম্পর্কে কিছু কথা বলার জন্যে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে, আর কিছু নয় বলে দাবি তৃণমূল জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের।একুশে জুলাই এর প্রস্তুতি সভা ছিল সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙ্গায়। অভিযোগ, সেখানে বক্তব্য রাখার সময় গোপালনগর চৌবেরিয়া ১ নাম্বার গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করেন। এমনকি বৈঠক শেষে মমতা ঠাকুর বাইরে বের হলে তাঁকে উদ্দেশ্য করে সুনীলসহ আরও কয়েকজন কটুক্তি করে এবং অশ্লীল অঙ্গিভঙ্গি করে, এমনকি তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়। এবং ছোট জাত বলে আক্রমণ করা হয়। এই মর্মে সোমবার রাতে সব্যসাচী ভট্ট নামে এক তৃণমূল কর্মী গাইঘাটা থানায় এফ আই আর দায়ের করেন। অভিযোগ করার সময় সব্যসাচীর সঙ্গে ছিলেন মতুয়া ভক্তরা ও গোসাইরা। অভিযুক্তর গ্রেফতারের দাবি করেন তারা। তারা বলেন, মাকে গালাগালি দেওয়া মানে আমাদের মতুয়া সমাজকে গালি দেওয়া। এটা আমরা কোনওভাবেই মেনে নেব না। ২৪ ঘন্টার মধ্যে যদি অভিযুক্তকে গ্রেফতার না করা হয় তাহলে তীব্র প্রতিবাদ হবে।এই বিষয়ে অভিযুক্ত চৌবেড়িয়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার জানিয়েছেন, মমতা ঠাকুর বক্তব্য রাখতে গিয়ে নানা কথার মধ্যে দিয়ে জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস ও পার্থ ভৌমিককে আক্রমণ করছিল। আমি শুধু প্রতিবাদ করে বলেছি আপনাদের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের বৈঠকে এটা আলোচনা করবেন। আমি যদি উনাকে গালাগাল করে থাকি সেটা প্রমাণ করুক। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যদিও বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস জানিয়েছেন, গতকাল একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় চেয়ারম্যান পার্থ ভৌমিক সম্পর্কে কিছু কথা বলাতে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আর কিছু নয়। তৃণমূলের সভায় মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালাগাল ও জাত তুলে কটুক্তি নিয়ে কটাক্ষ করা প্রসঙ্গে শান্তনু ঠাকুর বলেন, ওদের নেত্রী হরিচাঁদ গুরুচাঁদ নিয়ে যা বলেছেন তাতে ছোট নেতা কি বলবে। মমতা ঠাকুর হারিকাঠে গলা দিয়েছে, কি হবে বুঝতে পারছে না। ওর লজ্জা ঘৃণা ভয় কিছু নেই। এই বিষয়ে মমতা ঠাকুরবালার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

জুন ১৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal