রাস্তা অনির্দিষ্টকালের জন্য আটকে রাখা যায় না, শাহিনবাগ নিয়ে মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের
বিক্ষোভের নামে সরকারি জায়গা বা সরকারি রাস্তা এভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য দখল করে রাখা যায় না। বিক্ষোভ দেখানো নাগরিকদের অধিকার, কিন্তু সেজন্য যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষতিসাধন করা সম্ভব নয়।শাহিনবাগ আন্দোলনের সমালোচনা করে বুধবার একথা জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কৌলের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ আজ মন্তব্য করে, জনসভা বন্ধ করা যায় না।এটা গণতন্ত্রেরই অংশ।কিন্তু তা হবে হবে নির্দিষ্ট জায়গায়। যাতায়াত অনির্দিষ্টকালের জন্য আটকে রাখা যায় না। বিচারপতি আরও বলেন, সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে মেরুকরণ করা হয়। শাহিনবাগের ক্ষেত্রে তা দেখা গিয়েছে। বিক্ষোভ আন্দোলন করতে গিয়ে তা মানুষের অসুবিধের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।শাহিনবাগ হোক বা অন্য যে কোনও জায়গা। এভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য সরকারি জায়গা বা রাস্তা দখল করে রাখা যায় না। প্রশাসনের উচিত ছিল আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে গুলি না চালিয়ে, নিজে থেকে ব্যবস্থা করা। আদালত বলছে, অনেক আগেই দিল্লি পুলিশের উচিত ছিল শাহিনবাগ এলাকা খালি করে দেওয়া। আরও পড়ুনঃ যুবতীর পরিবার ও সাক্ষীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বলল সুপ্রিম কোর্ট উল্লেখ্য, গতবছর সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাশ হওয়ার পর দেশজুড়ে বহু মানুষ এর বিরোধিতায় সরব হন। আর সেই আন্দোলন ব্যাপক আকার ধারণ করে শাহিনবাগে। ডিসেম্বর থেকে চলতি বছর মার্চ মাস পর্যন্ত সিএএ বিরোধী আন্দোলনে চলেছে রাজধানীর ওই অঞ্চলে। শাহিনবাগে হাজার হাজার সংখ্যালঘু মহিলা অনির্দিষ্টকালের জন্য ধরনাতেও বসেন। শেষমেশ করোনা পরিস্থিতির জন্য সেই ধরনা প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু প্রতীকী আন্দোলন এখনও চলছে। শাহিনবাগ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রাজধানী দিল্লির বুকে হিংসার আগুনও জ্বলেছে।