• ৪ আষাঢ় ১৪৩২, শুক্রবার ২০ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Raj

খেলার দুনিয়া

‌মাইলস্টোনের ম্যাচে ব্যর্থ ঝুলন, অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে সেমিফাইনাল কঠিন করে তুলল ভারত

মহিলাদের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে যাওয়ার জন্য অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারতের ম্যাচ ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জিতলেই সেমিফাইনাল অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যেত। কিন্তু টানটান উত্তেজনার ম্যাচে অসিদের কাছে ৬ উইকেটে হেরে সেমিফাইনালে যাওয়ার রাস্তা কঠিন করলে তুললেন মিতালি রাজরা। পরিস্থিতি এমন, সেমিফাইনালে যেতে গেলে শেষদুটি ম্যাচে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে শুধু হারালেই হবে না, নেট রানরেটেও এগিয়ে থাকতে হবে।অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে এদিন টস জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠায় অস্ট্রেলিয়া। শুরুটা ভাল হয়নি ভারতের। ৬ ওভারের মধ্যেই হারায় দুই ওপেনারকে। চতুর্থ ওভারের প্রথম বলেই ডার্সি ব্রাউন তুলে নেন স্মৃতি মান্ধানাকে (১০)। ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে ফেরান আর এক ওপেনার শেফালি ভার্মাকে (১২)। মনে হচ্ছিল এদিনও ভারতের ব্যাটিং বিপর্যয় ঘটতে চলেছে। কিন্তু রুখে দাঁড়ান তিন নম্বরে নামা ইয়াস্তিকা ভাটিয়াকে নিয়ে রুখে দাঁড়ান অধিনায়ক মিতালি রাজ। বিশ্বকাপের আগের চারটি ম্যাচে রান পাননি আধিনায়ক মিতালি। কিন্তু এদিন দৃঢ়তার পরিচয় দিয়ে দলকে টেনে নিয়ে যান। ইয়াস্তিকার সঙ্রে ১৩০ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করিয়ে দেন। ৩২তম ওভারের চতুর্থ বলে আউট হন ইয়াস্তিকা। সেই ডার্সি ব্রাউন নিজের দ্বিতীয় স্পেলে বল করতে এসে তুলে নেন ইয়াস্তিকাকে। ৮৩ বলে তিনি করেন ৫৯। ভারতের রান তখন ১৫৮। ইয়াস্তিকা আউট হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই ফেরেন মিতালি। ৯৬ বলে ৬৮ রান করেন তিনি। রিচা ঘোষ (৮) ও স্নেহ রানা (০) রান পাননি। শেষ দিকে হরমনপ্রীত কাউর (৪৭ বলে অপরাজিত ৫৭) ও পূজা বস্ত্রকারের (২৮ বলে ৩৪) দুরন্ত ব্যাটিং ভারতকে ২৭৭/৭ রানে পৌঁছে দেয়। জয়ের জন্য ২৭৮ রানের লক্ষ্য যথেষ্ট কঠিন ছিল অস্ট্রেলিয়ার কাছে। কারণ এত রান তাড়া করে মহিলাদের বিশ্বকাপে আগে কোনও দল জেতেনি। কিন্তুই অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার র্যাচেল হেনেস ও অ্যালিসা হিলি কাজটা অনেকটাই সহজ করে দেন। ওপেনিং জুটিতে ১৯ ওভারে দুজনে তুলে ফেলে ১২১। ভারতীয় বোলাররা এই দুই ওপেনারের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে পারেননি। অবশেষে ভারতকে ব্রেক থ্রু এনে দেন স্নেহ রানা। ২০তম ওভারের দ্বিতীয় বলে অ্যালিসা হিলিকে (৬৫ বলে ৭২) তুলে নেন তিনি। পরের ওভারেই র্যাচেল হেনেসকে (৫৩ বলে ৪৩) ফেরান পূজা বস্ত্রকার। মনে হচ্ছিল পরপর দুটি উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে ফিরতে চলেছে ভারত। কিন্তু মিতালি রাজদের আশায় জল ঢেলে দেন মেগ ল্যানিং ও এলিসে পেরি। দুজনে মিলে জুটি তোলেন ১০৩ রান। এলিসে পেরিকে (২৮) ফেরান পূজা বস্ত্রকার। এরপরই বৃষ্টির জন্য কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ থাকে। তাতেই মনোসংযোগে চিড় ধরানে মেগ ল্যানিংয়ের। বেথ মুনিকে সঙ্গে নিয়ে তিনি ধীরে ধীরে দলকে জয়ের দিকে টেনে নিয়ে যান। মেঘনা সিংয়ের বলে সেঞ্চুরির মুখে আউট হন ল্যানিং (১০৭ বলে ৯৭)। জয় থেকে অস্ট্রেলিয়া তখন ৮ রান দুরে। শেষ ওভারে অস্ট্রেলিয়আর জয়ের জন্য দরকার ছিল ৪ রান। ঝুলন গোস্বামীর প্রথম বলেই ৪ মারেন মুনি। পরের বলে ২ রান নেন। তৃতীয় বলে আবার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলের সেমিফাইনাল খেলা নিশ্চিত করেন মুনি (২০ বলে অপরাজিত ৩০)। ৩ বল বাকি থাকতে ৪ উইকেটে ২৮০ তুলে ম্যাচ জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া। এদিন দেশের হয়ে ২০০ তম একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেললেন ঝুলন। মাইলস্টোনের ম্যাচে বল হাতে চূড়ান্ত ব্যর্থ। ৯.৩ ওভারে ৬৪ রান দিয়ে কোনও উইকেট পাননি। ৪৩ রানে ২ উইকেট পান পূজা বস্ত্রকার।

মার্চ ১৯, ২০২২
দেশ

বিমানবন্দরে রক্ষীর নির্দেশে স্যুটকেস খুলতেই বেরিয়ে এল... অবাক কান্ড! বিড়ম্বনায় আইপিএস অফিসার

জয়পুর আন্তঃর্জাতিক বিমানবন্দরে বিড়ম্বনায় পড়লেন ওডিশার পরিবহণ কমিশনার অরুণ বোথরা। তাঁর সুটকেস থেকে উদ্ধার হওয়া মালপত্র দেখে হতবাক নিরাপত্তা রক্ষীরা। বিমানবন্দরে প্রবেশ করার পর সিকিউরিটি চেক-ইনে তাঁর লাগেজ স্ক্যানারে ঢোকাতেই চোখ কপালে নিরাপত্তারক্ষীদের।তিনি একজন আইপিএস অফিসার, সেই পরিচয় জানতে পেরেও তাঁকে বাধ্য করেন সুটকেস খুলে দেখাতে। স্বাভাবিক ভাবেই থিকথিকে ভিড়ে ঠাসা বিমানবন্দরে হাজির মানুষজন কৌতূহলে ভিড় জমিয়ে ফেলেন পরবর্তি ঘটনার জানার জন্য।অরুণ বোথরা পারিবারিক কাজে রাজস্থান থেকে ফিরছিলেন। বিমানবন্দরের অনভিপ্রেত ঘটনা পরম্পরাই চারপাশে উৎসাহী মানুষের চোখ তখন ওই স্যুটকেসের দিকে। কি থাকতে পারে তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। অত্যুতশাহী কৌতূহলি মানুষজন যেন দু-চোখ দিয়েই স্ক্যান করে নেবে স্যুটকেসটি। উপচে পড়ছে ভিড়। নিয়ম বড় বালাই। তা সে সাধরন মানুষ কি আইপিএস কি শিল্পী। অগত্যা স্যুটকেসটি খুলে দেখাতেই হল বোথরা কে।Security staff at Jaipur airport asked to open my handbag 😐 pic.twitter.com/kxJUB5S3HZ Arun Bothra 🇮🇳 (@arunbothra) March 16, 2022সামাজিক মাধ্যম টুইটারে সেই খোলা স্যুটকেসেরই ছবি শেয়ার করেছেন বোথরা। ওডিশার পরিবহণ কমিশনার অরুণ বোথরার টুইটার ফলোয়ারের সংখ্যা এক লক্ষ ৩০ হাজার। কিছু ক্ষণের মধ্যেই মজার মজার রিটুইটে ভরে যায় টুইটার হ্যান্ডল।কী ছিল সেই স্যুটকেসে? জানলে অবাক হয়ে যাবেন! একজন আইপিএস এই সব জিনিস স্যুটকেসে নিয়ে এয়ার ট্রাভেল করতে পারেন? নিরপত্তারক্ষীদের নির্দেশে স্যুটকেস খুলতেই বেড়িতে এলো ১০ কেজি মটরশুঁটি! যা তিনি জয়পুর থেকে কিনে নিয়ে ওডিশায় আসছিলেন। রসিক আইপিএস জানাতে ভোলেননি তিনি ওই মটরশুঁটি ৪০ টাকা কেজি দরে কিনেছেন।

মার্চ ১৮, ২০২২
বিনোদুনিয়া

মুক্তি পেল রাজা চন্দের প্রথম ওয়েব সিরিজ কাটাকুটির ট্রেলার

প্রথমবার ওয়েব সিরিজ করলেন পরিচালক রাজা চন্দ। ক্লিক ওটিটি প্ল্যাটফর্ম-এ আগামী ২৫ মার্চ থেকে দেখা যাবে তাঁর থ্রিলার ওয়েব সিরিজ কাটাকুটি। রাজা চন্দের পাশাপাশি সৌরভ দাস, দেবতনু, মানসী সেনগুপ্ত, পিয়ান সরকার এরাও ক্লিকের সঙ্গে প্রথম কাজ করলেন।মুক্তি পেল কাটাকুটি-র ট্রেলার। ক্লিকের এটি ১৫ তম ওয়েব সিরিজ। এখানে মানসী সেনগুপ্ত-র বিপরীতে রয়েছেন ওয়েব কিং সৌরভ দাস। মানসীর বোনের চরিত্রে দেখা যাবে পিয়ান সরকার কে এবং পিয়ানের স্বামীর চরিত্রে রয়েছেন দেবতনু। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিজিৎ গুহ,বিপ্লব বন্দোপাধ্যায়,শীর্ষা রক্ষিত,জ্যামি,বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য প্রমুখ।ছবির প্রেক্ষাপটে লাজুক আদিত্য আর স্পষ্টভাষী কৌশানি, দুজনের বিয়ে ঠিক হয় কিন্তু বিয়ের আগেই হঠাৎ কৌশানি মর্মান্তিক ভাবে খুন হয়। আর সেই খুনের কারণ বোঝা যায়, এক নৃশংস গ্যাং রেপ কেস। তার সাজানো স্বপ্নগুলি এরম নির্মম ভাবে চুরমার হতে দেখে ভেঙে পড়ে আদিত্য। ঘটনাটির আকস্মিকতাতে আদিত্য ভেঙে পড়ে।কাহিনী এগোতে ইঙ্গিত পাওয়া যায় তিনজনের নাম। যারা করেছে এই ঘৃন্য অপরাধ! ঘটনাচক্রে তাদের মধ্যে একজন কৌশানির পরিবারের খুব কাছের সদস্য। আদিত্য বদলে যায়। কৌশানির মৃত্যুর বিচার সে তুলে নেয় নিজের হাতে। বেছে নেয় নির্মম প্রতিশোধের পথ। এই কাহিনীর পরোতে পরোতে রয়েছে রোমহর্ষক চমক আর অনবদ্য অভিনয়।

মার্চ ১৭, ২০২২
রাজনীতি

নন্দীগ্রামে হেরেছি বলেছিলেন শুভেন্দু, বিস্ফোরক দাবি রাজীব-জয়প্রকাশের

নন্দীগ্রাম নিয়ে ফের তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। এবার নন্দীগ্রামের ভোট নিয়ে বোমা ফাটালেন ঘর ওয়াপসি করা তৃণমূল নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামের ভোট স্বচ্ছ হয়নি। এমনটাই দাবি রাজীবের। শুভেন্দু অধিকারী নাকি তাঁকে গণনার দিন বিকেলেই জানিয়েছিলেন, তিনি হেরে গিয়েছেন । তাঁর বক্তব্য, কারচুপি করে জিতেছেন শুভেন্দু অধিকারী।শনিবার বিকেলে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমি আজ দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি। নন্দীগ্রামের কথা উনি (শুভেন্দু অধিকারী) বার বার বলেন। আমিও সেই সময় ভারতীয় জনতা পার্টিতে ছিলাম। বুকে হাত দিয়ে বলুন তো, নন্দীগ্রামের ভোট কতটা স্বচ্ছ হয়েছে! বাংলার মানুষ জানে, নন্দীগ্রামের ভোট কীভাবে হয়েছে। নন্দীগ্রামের ভোট স্বচ্ছ হয়নি। যেদিন ফলাফল ঘোষণা হয়, তিনি নিজে আমায় বিকেলে ফোন করে বলেছিলেন, নন্দীগ্রামে হেরে গিয়েছেন। তারপর কোন জাদুবলে আবার নন্দীগ্রামে তিনি জিতলেন? হাইকোর্টে যে মামলা হয়েছে, আমরা চাই এর বিচার হোক, যাতে হয় পুনরায় নির্বাচন নাহলে পুনরায় ভোট গণনা হোক। তাহলেই কী আছে তা পুরোপুরি স্পষ্ট হয়ে যাবে।উল্লেখ্য, এই অভিযোগ নতুন কিছু নয়। এর আগেও তৃণমূল এমন অভিযোগ তুলেছিল এবং সেই জল আদালত পর্যন্তও গড়িয়েছে। এখন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় দল বদলের পর সেই প্রসঙ্গকে ফের একবার উস্কে দিলেন। নন্দীগ্রামের ফলাফল প্রকাশ্যে আসার প্রথম দিন থেকেই নন্দীগ্রামের ভোট নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। এরপর শনিবার বিকেলে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সদ্য জার্সি বদল করা জয়প্রকাশ মজুমদার, উভয়েই দাবি করেন তাঁদের কাছে খবর ছিল শুভেন্দু অধিকারী হেরে গিয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারী নিজে নাকি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছিলেন যে তিনি হেরে গিয়েছেন।

মার্চ ১২, ২০২২
খেলার দুনিয়া

বিশ্বকাপে রেকর্ড বাংলার মেয়ে রিচা ও মিতালি'র, পাকিস্তানকে বিধ্বস্ত করল ভারত

ক্রিকেটে ভারতপাকিস্তান মানেই টানটান উত্তেজনা। গতবছর পুরুষদের টি২০ বিশ্বকাপে এই ছবিটা দেখা যায়নি। একপেশে ম্যাচে ভারতকে বিধ্বস্ত করেছিলেন বাবর আজমরা। বিরাট কোহলিদের সেই পরাজয়ের মধুর প্রতিশোধ নিলেন মিতালি রাজরা। মহিলাদের বিশ্বকাপের একপেশে ম্যাচে পাকিস্তানকে ১০৭ রানে উড়িয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করল ভারত। একদিনের বিশ্বকাপে অভিষেক ম্যাচেই উইকেটের পেছনে পাঁচটি শিকার করে রেকর্ড গড়লেন বাংলার রিচা ঘোষ। একমাত্র মহিলা ক্রিকেটার হিসেবে ৬টি বিশ্বকাপ খেলার অনন্য নজির গড়লেন ভারতের অধিনায়ক মিতালি রাজও। নিউজিল্যান্ডের মাউন্ট মাউঙ্গানুইতে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক মিতালি রাজ। শুরুটা ভাল হয়নি ভারতের। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই আউট হন শেফালি ভার্মা (০)। এরপর স্মৃতি মান্ধানা ও দীপ্তি শর্মা জুটি দলকে টেনে নিয়ে যান। দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে ৯২ রান তুলে চাপ কাটান। ৪০ রান করে বাইশতম ওভারের শেষ বলে আউট হন দীপ্তি। এরপরই ধস নামে ভারতের ইনিংসে। ২ ওভার পরেই আউট হন ওপর ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা। ৭৫ বলে তিনি করেন ৫২। স্মৃতি আউট হওয়ার পরপরই ফিরে যান হরমনপ্রীত কাউর (৫), রিচা ঘোষ (১), মিতালি রাজরা (৯)। একসময় ১১৪ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে যথেষ্ট চাপে পড়ে যায় ভারত। এরপর রুখে দাঁড়ান স্নেহ রানা ও পূজা বস্ত্রকার। পাল্টা আক্রমণ শানিয়ে পাকিস্তান বোলারদের ছন্দ নষ্ট করে দেন। দুজনে মিলে জুটি বেঁধে তোলেন ১২৪। ৫৯ বলে ৬৭ রান করে আউট হন পূজা বস্ত্রকার। ৪৮ বলে ৫৩ রান করে অপরাজিত থাকেন স্নেহ রানা। ৩ বলে ৬ রান করে অপরাজিত থাকেন ঝুলন গোস্বামী। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ভারত তোলে ২৪৪/৭। ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের দুই ওপেনার সিদ্রা আমিন ও জাভেরিয়া খান ভারতের দুই প্রারম্ভিক বোলার ঝুলন গোস্বামী ও মেঘনা সিংয়ের আঁটোসাটো বোলিংয়ের সামনে একেবারেই সুবিধা করতে পারেননি। পাওয়ার প্লেতে পাকিস্তানের রান তোলার গতি খুবই মন্থর ছিল। পরের দিকে রানের গতি বাড়াতে গিয়ে রাজেশ্বরীকে উইকেট উপহার দেন জাভেরিয়া (১১)। আর পাকিস্তান অধিনায়ক বিসমা মারুফকে (১৫) তুলে নেন দীপ্তি শর্মা। ওমাইমা সোহেলকে (৫) ফেরান স্নেহ রানা। দ্বিতীয় স্পেলে বোলিং করতে এসে সিদ্রা আমিন (৩০) ও নিদা দারকে (৪) তুলে নেন ঝুলন গোস্বামী। এরপরই রাজেশ্বরীর দাপটে ভেঙে পড়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং। ৪৩ ওভারে ১৩৭ রানে গুটিয়ে পাকিস্তান। ৩১ রানে ৪ উইকেট নেন রাজেশ্বরী। ২৬ রানে ২ উইকেট নেন ঝুলন গোস্বামী। ২৭ রানে ২ উইকেট স্নেহ রানার। এদিকে, প্রথম উইকেটকিপার হিসেবে বিশ্বকাপের অভিষেক ম্যাচেই পাঁচটি শিকার করে রেকর্ড গড়লেন রিচা শর্মা। উইকেটের পেছনে সিদ্রা আমিন, বিসমা মারুফ, নিদা দার ও নাশরা সান্ধুর ক্যাচ ধরেন। আলিয়া রিয়াজকে দুর্দান্ত স্টাম্পড করেন। অন্য কোনও ক্রিকেটারের এই নজির নেই। ৬টি বিশ্বকাপ খেলে নজির গড়েছেন মিতালি রাজও। ৫টি করে বিশ্বকাপ খেলার নজির রয়েছে নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার ডেবি হকলে ও ইংল্যান্ডের শার্লট এডওয়ার্ডসের। তাঁদের রেকর্ড ভেঙে দিলেন মিতালি। মহিলা ও পুরুষ মিলিয়ে তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ৬টি বিশ্বকাপ খেলার নজির স্পর্শ করলেন। এই কৃতিত্ব রয়েছে জাভেদ মিয়াঁদাদ ও শচীন তেন্ডুলকারের।

মার্চ ০৬, ২০২২
বিনোদুনিয়া

সাতপাকে বাঁধা পড়লেন অভিনেত্রী মেঘনা ও শুভজিৎ

সাত পাকে বাঁধা পরলেন ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেঘনা মুখার্জি। বিয়ে করলেন শুভ্রজিৎ ব্যানার্জি কে। বিয়ের আসর বসেছিল গোলপার্কের ঘোষবাড়িতে। বিশেষ দিনে হাজির হন ছোটপর্দার অনেক তারকা। টলিউডের জনপ্রিয় জুটি নীল-তৃণা থেকে উপস্থিত হন জীবন সাথী ত্রিশূল ধারাবাহিকের অনেকেই। যমুনার ঢাকী খ্যাত অভিনেত্রী শ্বেতা ভট্টাচার্যও বিয়েবাড়ি আলোকিত করেন। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অতিথিদের সংখ্যাও বাড়তে থাকে।জীবন সাথী ধারাবাহিকের সকলে জানালেন, ওদের বিবাহিত জীবন যেন সুখের হয়। খুব আনন্দ করে কাটাক। লাভ ইউ বোথ। গড ব্লেস ইউ বোথ।বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ মেঘনা - শুভ্রজিৎমেঘনার বর্তমান ধারাবাহিক ত্রিশূলের অভিনেত্রীরা জানান, আমরা এতদিন ধরে খুব এক্সাইটেড ছিলাম। মেঘনাকে ও শুভজিৎ কে অনেক অনেক শুভকামনা। খুব ভালো থাকুক ওরা। ওদেরকে দেখেই যেন আমরা ভালো থাকতে পারি।তারকার বিয়ে। তাই এলাহি আয়োজন ছিল। স্টার্টারে গন্ধরাজ চিকেন ফ্রাই থেকে শুরু করে ছিল দইবড়া, ড্রাই চিলি, ফিস, দইবড়া, বেবিকরণ, কোল্ডড্রিঙ্কস, কফি ছাড়াও আরও আইটেম। ডিনারে ছিল ভেটকি পাতুঋ, পোলাও, মটন কষার মটন সুস্বাদু সব ডিশ। সবমিলিয়ে মেঘনার বিয়ের একটা আলাদাই পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। আর এই পরিবেশে সবাই মেঘনার মধুর মিলনের সাক্ষী থাকল।

ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২২
বিনোদুনিয়া

১১ মার্চ মুক্তি পাচ্ছে রোহন সেনের "অপরাজিতা"

আমাদের জীবনে কত না বলা কথা আমরা বলতে পারিনা। জমে থাকে স্তূপাকৃত একরাশ অভিমান। বেড়ে ওঠেনা সময়মত সম্পর্কের বাকরুদ্ধ পরিসর। সেই অব্যক্ত নিঃশব্দে আমরা হারিয়ে ফেলি কত প্রিয়জন কে। আর সেটা যদি বাবা মেয়ের মত সম্পর্ক হয়... তাহলে? এরকম এক কঠিন বাস্তবকে আবর্তিত হতে দেখবো আমরা রুপোলি পর্দায়। রোহন সেন এর এই ছবি টি আমাদের সামাজিক প্রেক্ষাপটে রীতিমতো আয়না তুলে ধরার একটি হৃদয়স্পর্শী কাহিনী। অপরাজিতা মুক্তি পাচ্ছে আগামী ১১ই মার্চ নিকটবর্তী প্রেক্ষাগৃহে। বাবা মেয়ের এক কথা না হওয়া জটিল, তাও মধুর সম্পর্ক কীভাবে একটি ডায়েরির মাধ্যমে পাতার পর পাতা আবহমান হতে থাকে, সেটাই ভেসে উঠবে জীবনের বড় পর্দায়। পরিচালক রোহন সেনের ছবি অপরাজিতা। অপরাজিতা একটি মেয়ে এবং তার বাবার সঙ্গে টানাপোড়েন এর সম্পর্কের গল্প। যেখানে মেয়ে বা তার বাবা কেউ কারোর সাথে কথা বলে না এক বাড়িতে থাকা সত্ত্বেও। কোথাও না কোথাও তাদের দুজনের মধ্যেই ইগো কাজ করে, এবং তার পেছনে যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে। শুধুমাত্র একটি ডায়েরির মাধ্যমে তাদের দুজনের মধ্যে যোগাযোগ রয়েছে। অপরাজিতা একজন স্বাধীন মহিলা যে একটি কর্পোরেট কোম্পানিতে কাজ করে। তার একজন বয়ফ্রেন্ড আছে, সাহেব। সাহেবের কাছে সে তার রাগ, দুঃখ, অভিমান ব্যক্ত করতে পারে । অপরাজিতার বড়ো দিদি USA তে থাকেন। সাহেব বা তার দিদি কেউই অপরাজিতার সঙ্গে তার বাবার সম্পর্ক ঠিক করতে পারেনা। তাদের পারিবারিক ডাক্তারও এই প্রজন্মের সামাজিক আর পারস্পরিক দূরত্বের বিষয় টি তুলে ধরেন। গল্প যত এগোয় বাবা-মেয়ের সম্পর্ক তত জটিল হয়ে উঠতে থাকে। শেষমেশ এই সম্পর্কের পরিণতি কি হয় তাই নিয়েই এই ছবি। সাধারণ ঘটনা গুচ্ছগুলি অনেকেই হয়তো চারপাশে বা নিজস্ব জীবনে অনুভব করে থাকবেন। উল্লেখ্য চরিত্রর মধ্যে অপরাজিতার চরিত্রে রয়েছেন তুহিনা দাস। তাঁর বাবার চরিত্রে শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়। বয়ফ্রেন্ডের চরিত্রে দেবতনু। পরিবারের ঘনিষ্ঠ ডাক্তার রানা বসু ঠাকুর। অমৃতা দে কে এই ছবিতে দেখা যাবে দিদি, প্রযোজক ও গায়িকার ভুমিকায়।

ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২২
খেলার দুনিয়া

পাহাড় থেকে বাইচুংকে নিয়ে এসে লালহলুদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন সুরজিৎ সেনগুপ্তই

কতটা ইস্টবেঙ্গল অন্তঃপ্রাণ ছিলেন সুরজিৎ সেনগুপ্ত? মোহনবাগানের জার্সি গায়ে প্রথম বড় ক্লাবে খেললেও তাঁর লালহলুদ প্রীতি নিয়ে কোনও প্রশ্ন তোলার অবকাশ নেই। বাইচুং ভুটিয়াকে তুলে দিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের হাতে। ১৯৭৪ সালে সবুজমেরুণ জার্সি ছেড়ে ইস্টবেঙ্গলে যোগ দেন। ১৯৭৪ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত টানা ৬ বছর তিনি লালহলুদ জার্সি গায়ে কাটিয়েছিলেন। শত প্রলোভন সত্ত্বেও তিনি সবুজমেরুণ জার্সি তুলে নেননি। জীবনের সেরা সময়টা লালহলুদ জার্সি গায়েই কাটিয়েছেন সুরজিৎ সেনগুপ্ত।টানা ৬ বছর লালহলুদ জার্সি গায়ে ইস্টবেঙ্গলে কাটানোর পর তুলে নেন সাদাকালো জার্সি। ১৯৮০ সালে মহমেডানে যোগ দেওয়ার পেছনে অন্য কারণ ছিল। ১৯৭৪ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত টানা ৫ বছর লিগ জেতার পর ১৯৭৯ মরশুমে ভাল পারফরমেন্স হয়নি ইস্টবেঙ্গলের। ইস্টবেঙ্গ শোনা যায়, ঘরের ছেলেদের নাকি শিক্ষা দিতে বেশ কয়েকজন বাইরের ফুটবলারের সঙ্গে চুক্তি করেন লালহলুদ কর্তারা। এতেই চটে যান সুরজিৎ সেনগুপ্ত। ৮ জন ফুটবলার মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল ছাড়বেন। যোগ দেবেন মহমেডানে। সেই দলে ভাস্কর গাঙ্গুলি থেকে শুরু করে প্রশান্ত চক্রবর্তী, শ্যামল ঘোষরাও ছিলেন। মোহনবাগান থেকে একজন ফুটবলারকে নিজেদের জোটে নিয়েছিলেন সুরজিৎ। একবছর মহমেডানে কাটিয়ে ১৯৮১ সালে আবার যোগ দেন মোহনবাগানে। ফুটবল জীবনের শেষ সময়টা সবুজমেরুণ জার্সি গায়েই কাটিয়েছিলেন।ফুটবল ছাড়ার পরও ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক ছিল সুরজিৎ সেনগুপ্তর। সুখদুঃখে সবসময় লালহলুদের পাশে ছিলেন। পাহাড় থেকে বাইচুং ভুটিয়াকে নিয়ে এসে তুলে দিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলেরই হাতে। স্টেট ব্যাঙ্কে চাকরি করতেন সুরজিৎ সেনগুপ্ত। পাহাড় থেকে ফুটবলার তুলে নিয়ে আসার একটা প্রকল্প ছিল স্টেট ব্যাঙ্কের। সুরজিৎ সেনগুপ্তর সঙ্গে ফুটবলার বাছাইয়ের দায়িত্ব ছিল ভাস্কর গাঙ্গুলির। সিকিমে একটা স্টেট ব্যাঙ্কের ক্যাম্প হয়েছিল। ক্যাম্পে বাইচুংয়ের খেলা নজরে পড়েছিল সুরজিৎ সেনগুপ্ত ও ভাস্কর গাঙ্গুলির। দুজনে মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের হাতে তুলে দিতে হবে বাইচুংকে। সেই কথামতো কাজ। সিকিম থেকে ফিরে এসে লালহলুদ কর্তাদের বাইচুংয়ের কথা বলেছিলেন সুরজিৎ। একপ্রকার জোর করেই লালহলুদ কর্তাদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। বাকিটা ইতিহাস।

ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌প্রয়াত সুরজিৎ সেনগুপ্ত, বিখ্যাত গোলের সঙ্গে তিনিও ফুটবলপ্রমীদের হৃদয়ে থাকবেন

মারা গেলেন প্রাক্তন ফুটবলার সুরজিৎ সেনগুপ্ত। বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৫৪ মিনিটে তিনি মারা যান। সুরজিৎ সেনগুপ্তর প্রয়াণে ক্রীড়ামহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২৩ জানুয়ারি পিয়ারলেস হাসপাতালে ভর্তি হন। মাঝে মাঝে চিকিৎসায় সারা দিচ্ছিলেন। পরের দিকে শারীরিক অবস্থার খুবই অবনতি হয়। ২৯ জানুয়ারি থেকে তাঁকে ভেন্টিলেশনে বিশেষ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। কয়েকদিন আগে থেকেই শারীরিক অবস্থার বেশ অবনতি হয়। শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রয়াত হন এই প্রাক্তন ফুটবলার।১৯৫১ সালের ৩০ আগস্ট জন্ম সুরজিৎ সেনগুপ্তর। মফঃস্বল থেকে উঠে এসে কলকাতা ময়দানে পদার্পন করেন। কলকাতা ময়দানে প্রথম খিদিরপুর ক্লাবে ফুটবলজীবন শুরু করেন। খিদিরপুরের হয়ে কলকাতা লিগে যথেষ্ট নজর কাড়েন। মোহনবাগান কর্তাদের নজরে পড়ে যান সুরজিৎ সেনগুপ্ত। ১৯৭২ সালে খিদিরপুর থেকে মোহনবাগানে সই করেন। দুমরশুম সবুজমেরুণ জার্সি গায়ে চাপানোর পর ১৯৭৪ সালে যোগ দেন ইস্টবেঙ্গলে। টানা ৬ বছর লালহলুদ জার্সি গায়ে দাপটের সঙ্গে খেলেন সুরজিৎ সেনগুপ্ত। ১৯৭৮ সালে ইস্টবেঙ্গলের লিগজয়ী দলের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। পরের বছর তাঁর জায়গায় লালহলুদের অধিনায়ক করা হয় শ্যামল ঘোষকে। সেবছরও ইস্টবেঙ্গল লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়।১৯৭৯ মরশুম শেষে লালহলুদ কর্তারা বাঙালী ফুটবলারদের কোনঠাসা করার জন্য বাইরের কয়েকজন ফুটবলারদের সই করান। কর্তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে ৮ জন ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারকে নিয়ে ১৯৮০ সালে তিনি মহমেডানে যোগ দেন। মোহনবাগান থেকে নিয়ে যান একজন ফুটবলারকে। ১ বছর সাদাকালো জার্সি গায়ে কাটানোর পর ১৯৮১ সালে মোহনবাগানে যোগ দেন। ফুটবলজীবনের শেষ ৩ বছর সবুজমেরুণ জার্সি গায়েই কাটিয়েছিলেন সুরজিৎ সেনগুপ্ত।১৯৭৩ সালে মোহনবাগানে যোগ দেওয়ার পরেই ভারতীয় দলে সুযোগ পান সুরজিৎ সেনগুপ্ত। বিভিন্ন সময়ে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত দেশের হয়ে খেলেন। ১৯৭৪ ও ১৯৭৮ এশিয়ান গেমসে তিনি ভারতীয় দলের সদস্য ছিলেন। এছাড়া ১৯৭৪ সালে মারডেকা কাপ, ১৯৭৭ সালে প্রেসিডেন্টস কাপেও তিনি ভারতীয় দলের হয়ে খেলেছিলেন। বাংলার হয়ে দীর্ঘদিন সন্তোষ ট্রফিতে খেলেন। ১৯৭৬ সালে বাংলার অধিনায়কের দায়িত্বও পালন করেছিলেন সুরজিৎ সেনগুপ্ত। ১৯৭৯ সালে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সংযুক্ত দলের বিরুদ্ধে কর্ণার থেকে তাঁর বাঁক খাওয়ানো শটে গোল আজও ফুটবলপ্রেমীদের হৃদয়ে গেঁথে রয়েছে। পরলোকে চলে গেলেও তিনিও ফুটবলপ্রেমীদের হৃদয়ে থাকবেন।

ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌'ক্রিকেট ছেড়ে বাবার সঙ্গে অটো চালাও', কেন মহম্মদ সিরাজকে একথা বলা হয়েছিল?

জাতীয় দলের হয়ে এই মুহূর্তে রীতিমতো দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন মহম্মদ সিরাজ। তিন ধরনের ফরম্যাটেই ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন। অথচ এই সিরাজকেই এক সময় শুনতে হয়েছিল, যাও, ক্রিকেট ছেড়ে বাবার সঙ্গে অটো চালাও। সোশ্যাল মিডিয়ায় এইভাবে ট্রোল হয়েও ভেঙে পড়েননি। দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন। জায়গা করে নিয়েছিলেন জাতীয় দলে। বাকিটা ইতিহাস।২০১৯ সালের ঘটনা। সেই মরশুমে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের জার্সি গায়ে আইপিএল খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন মহম্মদ সিরাজ। কিন্তু ওই বছরটা খুব খারাপ কেটেছিল তাঁর কাছে। ৯টা ম্যাচে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। উইকেট পেয়েছিলেন মাত্র ৭টি। ইকনমি রেট ছিল ১০-এর কাছাকাছি। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের মরশুমও ভাল যায়নি। ওই বছরই কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ম্যাচে ২.২ ওভারে ৩৬ রান দিয়েছিলেন মহম্মদ সিরাজ। পাঁচপাঁচটি ছক্কাও হজম করতে হয়েছিল তাঁকে। একই ওভারে পরপর দুটি বিমার দেওয়ায় বিরাট কোহলি বাধ্য হয়ে মহম্মদ সিরাজকে বোলিং থেকে সরিয়ে নেন। এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে নিয়ে ট্রোল করেন নেট নাগরিকরা। সেই দুঃসময়ের কথা তুলে ধরে মহম্মদ সিরাজ বলেন, কেকেআরের বিরুদ্ধে পরপর দুটি বিমার দিয়েছিলাম। ওই ম্যাচের পর অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আমার সমালোচনা করে বলেছিল, ক্রিকেট ছেড়ে ফিরে যাও, বাবার সঙ্গে অটো চালাও। আমি অবশ্য সমালোচনায় কান দিইনি। ওই সময় ধোনিভাইয়ের কথা মাথায় রেখেছিলাম। ধোনিভাই একবার আমাকে বলেছিল, লোকে কে কী বলল, সেটা মাথায় না রাখতে। ভাল খেললে সবাই প্রশংসা করবে, খারাপ খেললে সমালোচনায় ভরিয়ে দেবে। সমালোচনায় কান দিও না। ধোনিভাইয়ের এই কথাগুলো মাথায় রেখেছিলাম। একসময় যারা আমাকে ট্রোল করেছিল, পরেই তারা আমার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিল।২০২০ আইপিএলে দুরন্ত পারফরম্যান্সের সুবাদে ভারতীয় টেস্ট দলে সুযোগ পান সিরাজ। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অভিষেক হয় সিরাজের। আসন্ন আইপিএলের মেগা নিলামের আগে যে তিন জন ক্রিকেটারকে ধরে রেখেছে আরসিবি তাঁদের মধ্যে রয়েছেন মহম্মদ সিরাজ। সাত কোটি টাকায় তাঁকে ধরে রেখেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর।

ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌স্নায়ুচাপের লড়াইয়ে বাজিমাত, রবি–রাজের দাপটে ৫ বার বিশ্বসেরা ভারত

ম্যাচের অন্তিমলগ্ন পর্যন্ত টানটান উত্তেজনা। স্নায়ুচাপের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত বাজিমাত ভারতের। ইংল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়ে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন যশ ধুল ব্রিগেড। এই নিয়ে ৫ বার বিশ্বসেরার তকমা ছিনিয়ে নিল ভারত। একটা সময় আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। ১৮৯ রান তাড়া করে জয় আসবে তো। কিন্তু অ্যান্টিগুয়ার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে যেভাবে স্নায়ু চাপ ধরে রাখার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেন যশ ধুলরা, এককথায় অবিশ্বাস্য। আর ভারতকে বিশ্বকাপের বৈতরণী পার করার নায়ক হরিয়ানার বাঁহাতি ব্যাটার নিশান্ত সিন্ধু। ম্যাচের প্রথমার্ধ যদি রাজ বাওয়া ও রবি কুমারের হয়, দ্বিতীয়ার্ধটা অবশ্যই নিশান্ত সিন্ধুর। দুর্দান্ত হাফ সেঞ্চুরি করে ভারতে বিশ্বসেরার খেতাব এনে দিলেন। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় ওভারেই ইংল্যান্ড শিবিরকে ধাক্কা দেন রবি কুমার। দুরন্ত ইনসুইংয়ে তুলে নেন ওপেনার জ্যাকব বেথেলকে (২)। চতুর্থ ওভারে সবথেকে বড় ধাক্কা খায় ইংল্যান্ড। রবি কুমারের বল ব্যাটের ভেতরের কানায় লাগিয়ে বোল্ড হন টম প্রেস্ট (০)। অধিনায়ক টম প্রেস্টের দিকে তাকিয়ে ছিল ইংল্যান্ড। সেমিফাইনালে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে তাঁর চওড়া ব্যাট জিতিয়েছিল ইংল্যান্ডকে। ১৮ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ইংরেজরা। রবি কুমার, রাজ বাওয়াদের আঁটোসাঁটো বোলিংয়ে সেই চাপ থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি।২ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর পাল্টা আক্রমণ হানার চেষ্টা করছিলেন ইংল্যান্ডের অন্য ওপেনার জর্জ থমাস। চলতি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের মধ্যে তিনিই সবথেকে বেশি ধারাবাহিক। পরিবর্ত বোলার হিসেবে বল করতে এসে জর্জ থমাসকে তুলে নেন রাজ বাওয়া। ৩০ বলে ২৭ রান করে তিনি আউট হন। এক ওভার পরেই পররপর ২ বলে উইলিয়াম লাক্সটন (৪) ও জর্জ বেলকে (০) তুলে নেন রাজ। জেমস রেউয়ের সঙ্গে জুটি বেঁধে চাপ কাটানোর চেষ্টা করেন রেহান আমেদ। সেই রাজ বাওয়াই আবার জুটি ভাঙেন। ফেরান রেহানকে (১০)। এরপর অ্যালেক্স হর্টন (১০) সঙ্গ দেন জেমসকে। জুটিতে ওঠে ৩০। হর্টনকে তুলে নিয়ে জুটি ভাঙেন কৌশল তাম্বে। এরপর ইংল্যান্ডকে টেনে নিয়ে যান জেমস রেউ ও জেমস সেলস। দুজনে মিলে জুটিতে তোলেন ৯৩ রান। এই জুটিই ইংল্যান্ডে লড়াইয়ে ফেরায়। ৪৪ তম ওভারে বল করতে এসে জুটি ভাঙেন রবি কুমার। তাঁর বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠাতে গিয়ে স্কোয়ার লেগে কৌশল তাম্বের হাতে ক্যাচ দেন জেমস রেউ। ১১৬ বলে ৯৫ রান করেন তিনি। জেমস রেউ যখন আউট হন ইংল্যান্ডের রান তখন ১৮৪। একই ওভারের চতুর্থ বলে থমাস অ্যাস্পিনোয়ালকে (০) তুলে নেন রবি কুমার। জোসুয়া বাইডনকে (১) ফিরিয়ে ইংল্যান্ডকে গুটিয়ে দেন রাজ বাওয়া। ৪৪.৫ ওভারে ১৮৯ রানে শেষ ইংল্যান্ড। রবি কুমার ৩৪ রানে ৪ উইকেট নেন, ৩১ রানে ৫ উইকেট নেন রাজ বাওয়া।ইংল্যান্ডের মতো ভারতেরও শুরুটা ভাল হয়নি। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ফিরে যান ওপেনার অঙ্গকৃশ রঘুবংশী (০)। হার্নুর সিং ও শেখ রশিদ দলকে কিছুটা টানেন। হার্নুর (৪৬ বলে ২১) আউট হওয়ার পর ধৈর্যের পরীক্ষায় অবতীর্ণ হন রশিদ। তিনি ও অধিনায়ক যশ ধুল দারুণভাবে দলকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ৮৪ বলে ৫০ রান করে নিজের উইকেট উপহার দেন রশিদ। পরপরই আউট হন ধুল। ৩২ বলে ১৭ রান করে আউট হন ধুল। ৯৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ভারত। এরপরই মঞ্চে আবির্ভাব রাজ বাওয়া ও নিশান্ত সিন্ধুর। দুজনের ৬৭ রানের পার্টনারশিপ ভারতকে বিশ্বজয়ের দিয়ে এগিয়ে দেয়। ১৬৪ রানের মাথায় রাজ বাওয়া (৫৪ বলে ৩৫) আউট হওয়ার আবার চাপে পড়ে যায় ভারত। চাপ আরও বেড়ে যায় কৌশল তাম্বে (১) দ্রুত ফেরায়। শেষ পর্যন্ত ৫৪ বলে ৫০ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন নিশান্ত সিন্ধু। ৪৭.৪ ওভারে ১৯৫ রান তুলে বিশ্বসেরার মুকুট ছিনিয়ে নেয় ভারত।

ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২২
রাজ্য

পূর্ব বর্ধমানে নাবালক নাতি -নাতনিকে নিয়ে অর্ধাহার-অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন বৃদ্ধা ভিখারিনী

অপরের দয়ায় মাথা গোঁজার একফালি আশ্রয় টুকু কোনওরকমে মিলেছে। তবে দুমুঠো ভাত খেয়ে পেট ভরানোর মতো চাল টুকুর সংস্থান নেই। ভিক্ষা করে যে টুকু চাল ও আলু যোগাড় হয় সেটাই ভরসা। এমন দৈন্যদশার কারণে একপ্রকার অর্ধাহার অনাহারেই নাবালক নাতি ও নাতনিকে নিয়ে দিন কাটছে পূর্ব বর্ধমানের গলসির পারাজ গ্রামে আশ্রয় নেওয়া গৃহহীন বৃদ্ধা আনোয়ারা বিবির। কেউ তাঁদের দিকে মুখ ফিরিয়েও তাকান না। তাই ভাগ্যের এই পরিহাসকে মেনে নিয়েই বৃদ্ধা তাঁর নাতনি আমিনা খাতুন ও নাতি প্রেম মণ্ডলকে সঙ্গে নিয়ে দিন গুজরান করে চলেছেন।কবে সুদিন ফিরবে তা তাঁদের সকলেই কাছেই অজানা। বৃদ্ধা আনোয়ার বিবি জানিয়েছেন, তাঁর স্বামীর বাড়ি গলসিতে। কিন্তু সেখানে বসবাস করার সৌভাগ্য তাঁর হয়নি। তার মধ্যে নাতনী জামাই সুকুর মণ্ডল ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। জামাই মারা যাওয়ার পর কিছু দিন যেতে না যেতে নাতনী লিমি বেগমও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। তাদের পুত্র সন্তান প্রেম তখন মাত্র ৬ মাসের বাচ্চা। আনোয়ারা বিবি বলেন, এই পরিস্থিতিতে দুই নাবালক নাতি,নাতনি প্রেম ও আমিনাকে নিয়ে তিনি বর্ধমানের দুবরাজের ডাঙাপাড়ার বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন । কিন্তু ভাড়া মেটাতে না পারায় তাঁদের ভাড়া বাড়ি ছাড়তে হয়। মাথা গোঁজার ঠাই হারিয়ে এরপর গত চার মাস আগে ফিরে আসেন গলসির পারাজ গ্রামের কুমোর পুকুর পাড়াতে থাকা স্বামীর ভিটায়। কিন্তু সেখানেও ঠাঁই মেলে না। বিতাড়িত হতে হয়। তাই এলাকার এক সহৃদয় ব্যক্তির আশ্রয়ে খুব কষ্টে তাঁদের এখন দিন যাপন করতে হচ্ছে। মাথা গোঁজার একটা ঠাঁই মিললেও কোন উপার্জন তাঁদের নেই । রেশন কার্ড , আধার কার্ডও নেই । চোখের জল মুছতে মুছতে বৃদ্ধা বলেন, দু মুঠো খাবারের সংস্থানের জন্য ভিক্ষাই তাঁর একমাত্র ভরসা। বয়সের ভারে ভারাক্রান্ত শরীরে সব দিন ভিক্ষা করতে বেরুতেও পারেন না। তাই এক প্রকার অর্ধাহারে অনাহারেই নাবালক নাতি ও নাতনিকে নিয়ে তাঁকে দিন কাটাতে হচ্ছে। অপরের অশ্রয়ও যে কোনও দিন ছাড়তে হতে পারে। তখন কি করবেন, কোথায় যাবেন! তারও কোনও কুল কিনারা করতে পাচ্ছেন না বলে বৃদ্ধা আনোয়ারা বিবি এদিন জানান । বৃদ্ধা আনোয়ারা বিবির এমন করুণ জীবন কাহিনী শুনে যারপরনাই ব্যাথিত হন গলসি ১ নম্বর ব্লকের বিডিও দেবলীনা দাস । তিনি বলেন, বৃদ্ধার পাশে দাঁড়ানোর জন্য এলাকার পঞ্চায়েত প্রধানকে বলে দিয়েছ। আগামী সোমবার বৃদ্ধার কাছে তিনি নিজেও যাবেন বলে জানান।

ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২২
দেশ

রাজ্যসভার সাংসদদের জন্য হুইপ জারি বিজেপির

রাজ্যসভার সাংসদদের জন্য হুইপ জারি করল বিজেপি। ভারতীয় জনতা পার্টির তরফে দলের রাজ্যসভার সব সাংসদদের ৮ ফেব্রুয়ারি সংসদে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গেরুয়া শিবিরের তরফে দলের রাজ্যসভার সাংসদদের উদ্দেশে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাজ্যসভার সমস্ত বিজেপি সাংসদদের জানানো হচ্ছে যে ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাজ্যসভায় কিছু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। সেই সঙ্গে আরও বলা হয়েছে, রাজ্যসভায় বিজেপির সমস্ত সাংসদরা তাই ৮ ফেব্রুয়ারি সারা দিন সংসদ ভবনে অবশ্যই যেন উপস্থিত থাকেন এবং সরকারের অবস্থানকে সমর্থন করেন। বিজেপির জারি করা হুইপ নিয়েও রাজনৈতিক মহলে এবং সেই সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। একজন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী বলেছেন, বিশেষ কিছুই ঘটবে না। রাষ্ট্রপতির ভাষণের জন্য ধন্যবাদ প্রস্তাবে রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিরোধীরা এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে একটি সংশোধনীর জন্য চাপ দিতে পারে। এ কারণেই হুইপ জারি করা হয়েছে বলে আমি মনে করি। এই হুইপ নিয়ে আরও অনেকেই নিজেদের মতামত দিচ্ছেন।

ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২২
খেলার দুনিয়া

রবি–রাজের দাপটে বিশ্বজয়ের স্বপ্ন ভারতের

অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে বরাবরই আধিপত্য দেখিয়ে এসেছে ভারত। এই বিশ্বকাপের আগে ৭ বার ফাইনালে উঠে ৪ বার চ্যাম্পিয়ন। যশ ধুলদের সামনে ছিল পঞ্চমবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার হাতছানি। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দারুণভাবে জ্বলে উঠল ভারত। রাজ বাওয়ার দাপটে বড় রান করতে ব্যর্থ ইংল্যান্ড। ৪৪.৫ ওভারে গুটিয়ে যায়। রাজ বাওয়া নেন ৫ উইকেট, রবি কুমার নেন ৪ উইকেট।ফাইনালে ছিল সেয়ানে সেয়ানে লড়াই। প্রতিযোগিতায় একটা ম্যাচেও যেমন না হেরে ফাইনালে উঠে এসেছিল ভারত, ইংল্যান্ডও অপরাজিত তকমা নিয়ে ফাইনালে উঠে এসেছিল। মনে হচ্ছিল দারুণ জমে উঠবে ফাইনাল। কিন্তু ভারতীয় বোলারদের দাপটে একেবারেই সুবিধা করতে পারল না ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় ওভারেই যে ধাক্কা খেয়েছিল, সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি।অ্যান্টিগুয়ার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। দ্বিতীয় ওভারেই ইংল্যান্ড শিবিরকে ধাক্কা দেন রবি কুমার। দুরন্ত ইনসুইংয়ে তুলে নেন ওপেনার জ্যাকব বেথেলকে (২)। চতুর্থ ওভারে সবথেকে বড় ধাক্কা খায় ইংল্যান্ড। রবি কুমারের বল ব্যাটের ভেতরের কানায় লাগিয়ে বোল্ড হন টম প্রেস্ট (০)। অধিনায়ক টম প্রেস্টের দিকে তাকিয়ে ছিল ইংল্যান্ড। সেমিফাইনালে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে তাঁর চওড়া ব্যাট জিতিয়েছিল ইংল্যান্ডকে। ১৮ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ইংরেজরা। রবি কুমার, রাজ বাওয়াদের আঁটোসাঁটো বোলিংয়ে সেই চাপ থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি।২ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর পাল্টা আক্রমণ হানার চেষ্টা করছিলেন ইংল্যান্ডের অন্য ওপেনার জর্জ থমাস। চলতি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের মধ্যে তিনিই সবথেকে বেশি ধারাবাহিক। পরিবর্ত বোলার হিসেবে বল করতে এসে জর্জ থমাসকে তুলে নেন রাজ বাওয়া। ৩০ বলে ২৭ রান করে তিনি আউট হন। এক ওভার পরেই পররপর ২ বলে উইলিয়াম লাক্সটন (৪) ও জর্জ বেলকে (০) তুলে নেন রাজ। জেমস রেউয়ের সঙ্গে জুটি বেঁধে চাপ কাটানোর চেষ্টা করেন রেহান আমেদ। সেই রাজ বাওয়াই আবার জুটি ভাঙেন। ফেরান রেহানকে (১০)। এরপর অ্যালেক্স হর্টন (১০) সঙ্গ দেন জেমসকে। জুটিতে ওঠে ৩০। হর্টনকে তুলে নিয়ে জুটি ভাঙেন কৌশল তাম্বে। এরপর ইংল্যান্ডকে টেনে নিয়ে যান জেমস রেউ ও জেমস সেলস। দুজনে মিলে জুটিতে তোলেন ৯৩ রান। এই জুটিই ইংল্যান্ডে লড়াইয়ে ফেরায়। ৪৪ তম ওভারে বল করতে এসে জুটি ভাঙেন রবি কুমার। তাঁর বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠাতে গিয়ে স্কোয়ার লেগে কৌশল তাম্বের হাতে ক্যাচ দেন জেমস রেউ। ১১৬ বলে ৯৫ রান করেন তিনি। জেমস রেউ যখন আউট হন ইংল্যান্ডের রান তখন ১৮৪। একই ওভারের চতুর্থ বলে থমাস অ্যাস্পিনোয়ালকে (০) তুলে নেন রবি কুমার। জোসুয়া বাইডনকে (১) ফিরিয়ে ইংল্যান্ডকে গুটিয়ে দেন রাজ বাওয়া। ৪৪.৫ ওভারে ১৮৯ রানে শেষ ইংল্যান্ড। রবি কুমার ৩৪ রানে ৪ উইকেট নেন, ৩১ রানে ৫ উইকেট নেন রাজ বাওয়া।

ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২২
বিনোদুনিয়া

ধনিয়াখালী শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের মঞ্চে সন্মাননা পেলেন পরিচালক রাজকুমার দাস

হুগলীর ধনিয়াখালীতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল দুদিনের শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। রাজু মালিক ফিল্ম প্রোডাকশনের উদ্যোগে উক্ত ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল আয়োজিত করা হয়। প্রায় ত্রিশজন পরিচালকের ছবি উক্ত উৎসবে মনোনীত হয়ে প্রদর্শিত হয়। উক্ত উৎসবে পরিচালক রাজকুমার দাস পরিচালিত ও অভিনীত দা ব্লাইন্ড ভীষন-সেফ লাইফ সেভ ড্রাইভ এর উপর ভিত্তি করে সমাজ সচেতনতা মূলক ছবিটি দেখানো হয়।দর্শকদের কাছে সমাদৃত হয়। এদিনের মঞ্চে পরিচালক রাজকুমার দাসের হাতে সন্মাননা স্মারক ও মানপত্র তুলে তাকে সংবর্ধনা জানানো হয়। উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক পঙ্কজ সেন, চিত্রগ্রাহক-অরিন্দম ভট্টাচার্য, পরিচালক অজন্তা দেব বর্মণ, বাদল সরকার,অরূপ মুখার্জী,ধনঞ্জয় মন্ডল প্রমুখ।পরিচালক রাজকুমার দাস বলেন যেকোন সন্মান পাওয়া মানে আরও মানুষের জন্য ভালো ভালো ছবি করে যাওয়ার ইচ্ছা শক্তিকে বাড়িয়ে দেয়,তাই মানুষের ভালোবাসা পেয়ে ভালো লাগছে। ইতিমধ্যেই রাজকুমার পরিচালিত নীল বিষ,অন্তরালে,চোরাবালি, বলিদান,বীর তিতুমীর, পল্লী কবি কুমুদ রঞ্জন ,জার্নি অব লাইফ, মিশন টলিউড, প্রমুখ ফিল্ম শর্ট ফিল্ম ও তথ্যচিত্র বানিয়ে দর্শকদের কাছে বেশ পরিচিত হয়ে উঠেছেন। আগামীতে কাজ করছেন আরও বেশকিছু নতুন ছবি। ধনিয়াখালী ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে র উদ্বোধন করেন স্থানীয় বিধায়ক অসীমা পাত্র। আয়োজনে ছিল চিত্রপরিচালক রাজু মালিক। উৎসবটি দ্বিতীয় বছরে পড়লো। আগামী দিনে এই উৎসব সুচারু ভাবে এগিয়ে চলুক। শুভেচ্ছা রইলো।

ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২২
বিনোদুনিয়া

অপরাজিতা'র অপু সুস্মিতা'র মধ্যরাতে জন্মদিন পালন

অপরাজিতা অপু ধারাবাহিকে অপুর চরিত্রে অভিনয় করে যিনি সকলের প্রিয় হয়ে উঠেছেন সেই অভিনেত্রী সুস্মিতা দে অর্থাৎ অপরাজিতা অপুর অপুর জন্মদিন। জন্মদিনের দিন মাঝরাতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্থডে সেলিব্রেশনের একাধিক ছবি পোস্ট করেছেন বার্থডে গার্ল। ছবিগুলোতে দেখা যাচ্ছে বাবা, মা ও কাছের মানুষদের সঙ্গে রয়েছেন সুস্মিতা। ব্যাকগ্রাউন্ডে হ্যাপি বার্থডে লেখা। ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে অপু লিখেছেন,মাঝরাতের এই সারপ্রাইজের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। আমি খুবই খুশি।অপুর পোস্টে শুভেচ্ছা জানিয়ে অনেকেই কমেন্ট করেছেন। অভিনেত্রী মৌলী দত্ত, সৌমী ব্যানার্জি, মডেল শালিনী মজুমদার তাঁর পোস্টে ভালবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন। এছাড়া এদিন ইন্সটাগ্রামে জন্মদিন উদযাপনের একটি রিলস ও পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী।

জানুয়ারি ২৮, ২০২২
বিনোদুনিয়া

গাঁটছড়া বাঁধলেন মৌনী-সূরজ

শহর জুড়ে যেন প্রেমেরই মরশুম। অনুপম রায়ের এই গানের লাইনটা বর্তমান সময়ের সঙ্গে অনেকটাই মিলে যাচ্ছে। তবে এখন প্রেমের মরশুমের পরিবর্তে বলা চলে শহর জুড়ে যেন বিয়ের মরশুম। টলিউড থেকে বলিউড অনেক তারকারই চার হাত এক হচ্ছে। সেই তালিকায় জুড়ল এবার বলিউড অভিনেত্রী মৌনী রায়ের নাম। পাত্র সূরজ নাম্বিয়ার। বরের পরিবারের নিয়ম মেনে মালয়ালী রীতিতে বিয়ে করলেন বাঙালি কন্যা। গোয়ায় সাতপাক ঘুরলেন দুজনে। সাদা চাদোয়া এবং সাদা ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছিল বিয়ের মণ্ডপ। লাল এবং সাদা শাড়িতে সেজেছেন মৌনী। দক্ষিণী রীতিতে বিয়ে হলেও বেনারসি পরেছেন কোচবিহারের মেয়ে। মাথায়, গলায়, হাতে সোনার গয়নায় উজ্জ্বল মৌনী। ঘিয়ে রঙা শেরওয়ানি এবং সাদা মুন্ডতে দেখা গেল সূরজকে। মালাবদল করার পরে একে অপরকে জড়িয়ে ধরলেন নবদম্পতি। দুজনের হলদি আর মেহেন্দির অনুষ্ঠান হয়েছিল বুধবার। মালয়ালী মতে বিয়ে হলেও আজ সন্ধ্যের লগ্নে বাঙালি মতে বিয়ে হওয়ার কথা রয়েছে।

জানুয়ারি ২৭, ২০২২
খেলার দুনিয়া

করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সুরজিৎ সেনগুপ্ত, রয়েছেন বিশেষ পর্যবেক্ষণে

করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি প্রাক্তন ফুটবলার সুরজিৎ সেনগুপ্ত। হালকা উপসর্গ থাকায় সোমবার তাঁকে পিয়ারলেস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা থাকায় এই প্রাক্তন ফুটবলারকে আইসিইউতে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। সেখানে তিনি ডাঃ অজয়কৃষ্ণ সরকারের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন।কয়েকদিন ধরেই সর্দিকাশিতে ভুগছিলেন সুরজিৎ সেনগুপ্ত। কাশির মাত্রা অনেকটাই বেড়ে যায়। শরীরের অক্সিজেনের মাত্রাও ৮০র কাছাকাছি নেমে যায়। পরিবারের লোকজন আর বাড়িতে রাখার ঝুঁকি নেননি। হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে দেন। সেখানেই করোনা পরীক্ষা করা হয়ে তিন প্রধানে দাপিয়ে খেলা এই প্রাক্তন ফুটবলারের। করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। অক্সিজেনের মাত্রা কম থাকায় তাঁকে অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয়েছে। সুরজিৎ সেনগুপ্তর অসুস্থ হওয়ার খবরে বাংলার ক্রীড়ামহল খুবই উদ্বিগ্ন। তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন শুনেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। উন্নতমানের যাবতীয় চিকিৎসার কথা বলেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। সুরজিৎ সেনগুপ্তর চিকিৎসার জন্য একটি মেডিকেল বোর্ডও গঠন করা হয়েছে। শনিবার প্রয়াত হয়েছেন প্রাক্তন ফুটবলার সুভাষ ভৌমিক। এবার করোনায় আক্রান্ত হলেন সুরজিৎ সেনগুপ্ত। তিনি অসুস্থ হওয়ায় উদ্বেগ বেড়েছে বাংলার ক্রীড়ামহলে। সকলেই সুরজিৎ সেনগুপ্তর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছেন। অনেক প্রাক্তন ফুটবলার খেলা ছাড়ার পর কোচিংকে বেছে নিয়েছিলেন। সে রাস্তায় হাঁটেননি সুরজিৎ সেনগুপ্ত। ব্যাঙ্কের চাকরি থেকে স্বেচ্ছাবসর নেওয়ার পর দীর্ঘদিন আজকাল পত্রিকার ডিরেক্টরের দায়িত্ব সামলেছিলেন। একসময় কলকাতার তিন প্রধানে দাপিয়ে খেলেছেন সুরজিৎ সেনগুপ্ত। ফুটবলজীবনে তাঁর প্রথম বড় ক্লাব মোহনবাগান। এরপর সুরজিৎ সেনগুপ্তকে প্রায় হাইজ্যাক করে তুলে নেয় ইস্টবেঙ্গল। তখন থেকেই ইস্টবেঙ্গলের ঘরের ছেলে হয়ে ওঠেন। ১৯৭৭৭৯ পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গলের অধিনায়কও ছিলেন তিনি। ১৯৮০ সালে মহমেডান স্পোর্টিংয়ে যোগ দেন।

জানুয়ারি ২৪, ২০২২
বিনোদুনিয়া

গায়েহলুদ পর্ব সারলেন রাজ-পরীমনী

মাঘ মানেই চারিদিকে পিঠে-পুলির গন্ধ আর বিয়ের সানাই। এই বিয়ের মরশুমেই গায়ে হলুদ পর্ব সেরে ফেললেন শরিফুল রাজ-পরীমনি। গত ১৭ অক্টোবর গোপনে বিয়ে সেরে ফেলেছিলেন দুজনে। এবার সাতপাকে বাঁধা পড়াটা শুধু বাকি। শুক্রবার সন্ধ্যায় এই বিশেষ কাজটাও সেরে ফেললেন তিনি। গায়ে হলুদের এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন পরীমনি। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে দুই তারকার পরিবারের সদস্য ও নিকট আত্মীয়দের উপস্থিতিতে এই শুভকাজ সম্পন্ন হয়।রাজের পরনে ছিল হলুদ রঙের পাঞ্জাবি, উত্তরীয়, মাথায় পাগড়ি। পরীমনীর পরনে ছিশ হলুদ বাংলাদেশি শাড়ি। খোলা চুলে সাজানো মরশুমি ফুল। অলঙ্কারে ঝলমলে তিনি। বাড়ি সেজেছে হলুদ গাঁদায়, শালুর পর্দায়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত দুই পরিবারের সদস্য, আত্মীয়েরা। রাজপরী লেখা কেক, রকমারি মিষ্টি, পায়েস, দই, হলুদ, পান, ফুলের স্তবক--- আয়োজনের কোনও ত্রুটি ছিল না। এসেছিলেন প্রযোজিকা চয়নিকা চৌধুরী। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন চরকি প্রযোজনা সংস্থার কর্ণধার রেদওয়ান রনি।

জানুয়ারি ২২, ২০২২
বিনোদুনিয়া

কিংবদন্তি শিল্পী হয়েও তিনি ছিলেন নিষ্পাপ শিশুর মত

চব্বিশ ঘণ্টা পেরোয়নি নাটকের জগতের কিংবদন্তি ব্যক্তিত্ব শম্ভু-তৃপ্তি মিত্র কন্যা শাঁওলি মিত্রকে হারিয়েছি। তার মধ্যেই আবার এক ইন্দ্রপতন! প্রয়াত সেতার শিল্পী পণ্ডিত রবিশঙ্করের লয়ের পুতুল পণ্ডিত বিরজু মহারাজ-র মৃত্যু আমাদের নাড়িয়ে দিল। রবিবার রাতে নিজের বাসভবনে দৌহিত্রের সঙ্গে সময় কাটাতে কাটাতে হৃদ্ররোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হলেন কিংবদন্তি নৃত্যশিল্পী। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। একাধারে নৃত্য, তবলা এবং কণ্ঠসঙ্গীতে সমান পারদর্শী ছিলেন বিরজু। শোনা যায় তিনি খুব ভালো ছবিও আঁকতেন।দেশে ও বিদেশে বিরজু মহারাজের অনেক ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছেন বলিউড তারকা মাধুরী দীক্ষিত। বিরজু মহারাজের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে কিভাবে নাচে দক্ষ হন সেটাও জানিয়েছিলেন মাধুরী। অভিনেত্রী ও নৃত্য শিল্পী মাধুরী দীক্ষিত সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছেন, কিংবদন্তি শিল্পী হয়েও তিনি ছিলেন নিষ্পাপ শিশুর মত। তিনি আমার গুরু হলেও আমার পরম বন্ধুও ছিলেন। তিনি হাসতে হাসতে মজার-ছলে আমায় নাচ এবং অভিনয়ের অনেক জটিল বিষয় শিখিয়েছিলেন। তিনি তাঁর অসংখ্য ভক্তকুল এবং শিষ্যদের রেখে গেছেন, তাঁর শিক্ষা আমরা বহন করে সবাই মিলে এগিয়ে নিয়ে যাব। নাচের সাথে সাথে আপনি নমনীয়তা, কমনীয়তা এবং করুণা সহ জীবনে চলার পাথে অনেক কিছু শিখিয়েছেন তার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ মহারাজজি।তাঁর মৃত্যুর পর জাতীয় পুরস্কারজয়ী পরিচালক বিবেক রঞ্জন অগ্নিহোত্রী টুইট করে লিখেছেন, আমার মনে হয় ঘুংরুর আওয়াজ আর আগের মতো হবে না। ওম শান্তি বিরজু মহারাজ জি। শিল্পীর মৃত্যু হয় না। অভিনেতা রণদীপ হুডা টুইটারে দ্য আর্টিস্ট লিখে হ্যাশট্যাগে বিরজু মহারাজের নাম লিখে প্রণাম জানিয়েছেন। বলিউড অভিনেত্রী কাজল লিখেছেন,পন্ডিত বিরজু মহারাজ একজন লেজেন্ড ছিলেন এবং তাঁকে দেখে আশ্চর্য হয়ে যেতে হয়। পৃথিবী আজ তার অমূল্য কিছু হারালো। শান্তিতে ঘুমান। তাঁর পরিবারের কাছে গভীর সমবেদনা রইল।

জানুয়ারি ১৭, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • 11
  • 12
  • 13
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

দামোদরে বালি তুলতে গিয়ে বিরাট বিপত্তি, জলে ভাসছে ১৫টি লরি

দামোদরে বালি তোলায় কোনও লাগাম নেই। ডিভিসি থেকে জল ছাড়ার খবর থাকা সত্বেও বালি তোলার কাজ চলছিল। লরি নেমেছিল একেবারে নদের ভিতরে। জল ভরে টুইটুম্বুর হওয়ায় ভেসে গেল ১৫টি বালি বোঝাই লরি। পূর্ব বর্ধমানের গলসির গোহগ্রামের এই ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে। পরে লরিগুলিকে উদ্ধারের তৎপরতা শুরু হয়।দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার কথা ডিভিসি ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগাম ঘোষণা করা হয়েছিল। মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে বুধবার জল ছাড়া হয় ৪০ হাজার কিউসেক। এরই মধ্যে নিম্ন দামোদর অববাহিকায় দুদিন ধরে টানা বৃষ্টি চলেছে। এই সব কারণে বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ দামোদর নদে জলের পরিমাণ বেশ বেড়ে যায়। এতেই ঘটে যায় বিপত্তি।স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ১৫টি বালি বোঝাই লরি দামোদর নদের জলে ভাসতে থাকে। তার উপর বৃহস্পতিবার বেলা বাড়তে নদের জল আরও হু হু করে বাড়তে শুরু হয়। বিপদ বুঝে লরিগুলি নদী থেকে তোলার জন্য তৎপরতা শুরু করে চালকরা । ওই সময়েই সামনে থাকা দুটি লরি বিকল হয়ে যাওয়ায় লরি গুলি নদ থেকে পাড়ে তোলা আর সম্ভব হয়নি। জেসিবি মেশিন ব্যবহার করেও কাজ হয়নি। জল কমা পর্যন্ত লরিগুলো তুলতে অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

জুন ১৯, ২০২৫
রাজ্য

"কেশরী: চ্যাপ্টার ২" তে ক্ষুদিরাম বসু সহ বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অপমান, প্রতিবাদে গর্জে উঠল বাংলা পক্ষ

সম্প্রতি কেশরী: চ্যাপ্টার ২ নামের এক বলিউডি হিন্দি সিনেমায় ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সশস্ত্র সংগ্রামের উজ্জ্বল ইতিহাস তথা বীর বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পরিচয় ও ভূমিকা বিকৃত করে এক মনগড়া মিথ্যা ইতিহাস তুলে ধরার অভিযোগ উঠেছে। সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম সিং ও বারীন্দ্র কুমার নামক দুই বিপ্লবী বৃটিশ পুলিশকর্তা কিংসফোর্ডকে বোমা মেরে হত্যার চেষ্টা করে ও তাদের বোমা তৈরীর প্রশিক্ষণ দেয় কৃপাণ সিং! যার সাথে বাস্তবের কোন মিল নেই। প্রকৃত পক্ষে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে বাঙালি বিপ্লবীদের সশস্ত্র সংগ্রামের ইতিহাসের এক যুগান্তকারী ঘটনা কিংসফোর্ড হত্যার প্রচেষ্টা ও পরবর্তীতে মানিকতলা বোমা মামলার ঘটনার কথা সম্পূর্ণ বিকৃত ভাবে এই সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে।সশস্ত্র সংগ্রামের লক্ষ্যে কলকাতার মানিকতলার যুগান্তর গুপ্ত সমিতিতেই অরবিন্দ ঘোষের নেতৃত্বে বোমা তৈরীর কর্মশালা গড়ে ওঠে, ইউরোপ থেকে বোমা তৈরী শিখে এসে এখানে বোমা তৈরী করে বিপ্লবীদের সরবরাহ করতেন হেমচন্দ্র কানুনগো, যিনি বলিউডের দৌলতে হয়েছেন কৃপাণ সিং। এই গুপ্ত সমিতির পক্ষেই ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকী কিংসফোর্ডকে বোমা নিক্ষেপ করে হত্যার চেষ্টা করেন। মেদিনীপুরের বীর বাঙালি কিশোর ক্ষুদিরাম বসুর পদবী সিনেমায় হয়েছে সিং অন্যদিকে প্রফুল্ল চাকীর নামই মুছে গেছে, শোনা গেছে জনৈক বারিন্দর কুমারের নাম, যেকোন ইতিহাস সচেতন ব্যক্তিই বলতে পারবেন এই নাম আসলে মানিকতলা বোমা মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ও পরবর্তীতে আন্দামানে দ্বীপান্তরিত বারীন্দ্র ঘোষের, যিনি সম্পর্কে অরবিন্দ ঘোষের ভাই। এই মানিকতলা বোমা মামলায় বিপ্লবীদের পক্ষে কোর্টে আইনি লড়াই করেন আরেক মহান বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামী দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ। এই গৌরবজনক অধ্যায় সম্পূর্ণ ভাবে বিকৃত করা হয়েছে, যা বাঙালি জাতি তথা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি চূড়ান্ত অবমাননা।এই বিকৃতির বিরুদ্ধে বাঙালির ক্ষোভের প্রকাশ দেখা যাচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থেকে সংস্কৃতি জগতের নানান ব্যক্তিত্ব এই ইতিহাস তথা মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নাম বিকৃতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। ভারতীয় বাঙলির জাতীয় সংগঠন বাংলা পক্ষও সরব হয়েছে, আজ তারা পথে নেমে প্রতিবাদ করল কলকাতার বাংলা একাডেমী সংলগ্ন রানুছায়া মঞ্চে। এই প্রতিবাদ সভায় বাংলা পক্ষর সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি বলেন, কেশরী ২ সিমেমার মূখ্য অভিনেতা অক্ষয় কুমার, তিনি কাদের স্বার্থে বিকৃত ইতিহাস প্রচার করে সিনেমা তৈরি করেন এটা আমাদের সকলের জানা৷ বিজেপি ও বলিউডের উদ্দেশ্য বাঙালির গৌরবজনক বীরত্বের ইতিহাস মুছে দেওয়া। সেই উদ্দেশ্যেই বারবার এই ধরনের ঘটনা দেখা যাচ্ছে। বলিউড এর আগেও অভয় ২ সিরিজে বীর শহীদ ক্ষুদিরাম বসুকে ক্রিমিনাল, জঙ্গি হিসাবে দেখিয়েছিল। বাংলা পক্ষ তখন Zee5 কে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছিল এবং সল্টলেকে Zee5 এর অফিসে বিক্ষোভ করেছিল। পরবর্তীতে Zee5 ক্ষমা চেয়ে সেই অংশ বাদ দিতে বাধ্য হয়। শীর্ষ পরিষদ সদস্য অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় বলেন যতক্ষণ না পর্যন্ত কেশরী ২ সিনেমার নির্মাতারা ক্ষমা না চায়, বাংলা পক্ষর লড়াই চলবে। ক্ষমা চেয়ে এই দৃশ্য বাদ দিতে হবে। বাঙালি বিদ্বেষীদের কিভাবে ক্ষমা চাওয়াতে হয় সেটা বাংলা পক্ষ ভালো ভাবে জানে।শীর্ষ পরিষদ সদস্য সৌম্যকান্তি ঘোড়ই বলেন, ক্ষুদিরাম বসুকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান। প্রফুল্ল চাকীকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান৷ বীর বিপ্লবী বারীন ঘোষদের অপমানের বিরুদ্ধে এই লড়াই চলবে। অক্ষয় কুমারকে ক্ষমা চাইতেই হবে।এছাড়াও আজকের প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন কলকাতা জেলার সম্পাদক সৌম্য বেরা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক কুশনাভ মন্ডল, শিল্পী পক্ষর অধিকর্তা প্রবাল চক্রবর্তী প্রমুখ। এর আগে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় এই সিনেমা নিয়ে একই ইস্যুতে এফআইআর হয়েছে। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন বাঙালি বীর বিপ্লবীদের ইতিহাস বিকৃতি করার জন্য।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স

লর্ডসে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও রাহুল দ্রাবিড়ের। দিনটা ছিল ১৯৯৬ র ২০ জুন। এই টেস্টের কথা উঠলেই মহারাজকীয় শতরানের কথাই সবার আগে মনে আসে। যা এসেছিল ২২ জুন।তবে ২০ জুন বল হাতে কামাল দেখিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ইংল্যান্ডের তৃতীয় ও চতুর্থ উইকেট পড়েছিল চার রানের ব্যবধানে। দলের ৯৮ রানের মাথায় সৌরভের প্রথম শিকার হন তিন নম্বরে নামা নাসের হুসেন। ১১০ বলে ৩৬ রান করে তিনি ফেরেন বিক্রম রাঠোরের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ১০২ রানে ইংল্যান্ডের চতুর্থ উইকেট পড়ে। ৯ বলে ১ রান করে গ্রেম হিক সৌরভের বলেই জাভাগল শ্রীনাথের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। প্রথম ইনিংসে সৌরভের বোলিং ফিগার ছিল ১৫-২-৪৯-২। বেঙ্কটেশ প্রসাদ পাঁচটি, শ্রীনাথ তিনটি ও সৌরভ ২টি উইকেট পান। পরশ মামব্রে, অনিল কুম্বলে ও সচিন তেন্ডুলকর উইকেট পাননি। দ্বিতীয় ইনিংসে সৌরভ তুলে নিয়েছিলেন প্রথম ইনিংসে শতরানকারী জ্যাক রাসেলের উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে মহারাজ ৩ ওভারে মাত্র ৫ রানের বিনিময়ে একটি উইকেট পেয়েছিলেন। ফলে লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

বৃষ্টির মোকাবিলায় ইডেন সেরা, মাঠ ভরানোর আহ্বান মনোজের

আজও বৃষ্টিতে ব্যাহত বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের খেলা। কয়েক দিন ধরেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি চলছে। যার জেরে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের খেলাগুলি পরিত্যক্ত হচ্ছে। ইডেনে বৃষ্টি থামার পর খেলা শুরু হলেও ফের অবিরাম বর্ষণে ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। তবে গতকাল যা হলো তা অন্য কোথাও আর হতে পারতো না।সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত ভাবনাতেই ইডেনের গোটা মাঠ ঢেকে রাখার বন্দোবস্ত হয়েছে। উন্নতমানের কভার আনিয়ে। এমনকী ইডেনের মতো সল্টলেক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস মাঠেও মাঠ ঢেকে রাখা হয় প্রধান কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন অনবদ্য টিম যার ফলে বৃষ্টি থামার কিছুক্ষণের মধ্যেই মাঠ খেলার উপযুক্ত করে দিতে পারেন। ইডেনের এমন ব্যবস্থাপনা বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়াম আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামেও নেই। সুনীল গাভাসকর-সহ অনেকেই তাই বলে থাকেন মাঠ ঢাকার ব্যবস্থাপনায় ইডেনকে অনুসরণ করতে। এই ব্যবস্থাপনার সুফল মিলল আরও একবার। গতকাল বৃষ্টি একটু ধরতেই রাতে ৯ ওভারের ম্যাচ হলো। হারবার ডায়মন্ডস ৪০ রানে হারাল লাক্স শ্যাম কলকাতা টাইগার্সকে। যে পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে শহরে তাতে অন্য কোথাও এটা সম্ভব হতো না। হলো মাঠ ঢাকার ব্যবস্থা ছিল বলেই। হারবার ডায়মন্ডস অধিনায়ক তথা রাজ্যের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি অনুরোধ করেছেন সকলকে কাজ সেরে মাঠে এসে তরুণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করার জন্য। এই লিগে বিনামূল্যে খেলা দেখা যায়। এমনকী হারবার ডায়মন্ডসের সমর্থকদের জল, ইলেক্টোরাল, কেক দেওয়ার কথাও মনোজ বলেছেন। তার কারণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করতে সমর্থকদের উপস্থিতি দরকার। গ্যালারির সিংহভাগ ফাঁকা থাকছে। যে লিগের সম্প্রচার স্টার স্পোর্টসে চলছে সেখানে এমন ফাঁকা গ্যালারি মোটেই ভালো বিজ্ঞাপন নয়।

জুন ১৯, ২০২৫
দেশ

ওরঙ্গাবাদের এই হৃদয়স্পর্শী কাহিনী আপনার মন ছুঁয়ে যাবেই

মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদের সম্ভাজি নগরে ঘটনা এখন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। ওই হৃদয়স্পর্শী ঘটনা নাড়া দিয়েছে পুরো সমাজকে। সেখানে এক গয়নার দোকানে গিয়েছিলেন অতি সাধারণ এক দম্পতি। স্ত্রীকে কিছু উপহার দেওয়াই ছিল স্বামীর উদ্দেশ্য। গয়নার শোরুমের ম্যানেজার তাদের সঙ্গে গল্প জুড়ে দেন। হাসিঠাট্টার মাঝে কথা বলতে বলতে জেনে নেন তাঁদের জীবনকাহিনী। এবার এল জিনিস কেনার পালা। হাতের ঝোলা ব্যাগ থেকে বেরোল একটা ৫০০ টাকার নোট। একে একে ১০, ২০ টাকার নোট। সবশেষে একটা ছোটখাট বোঁচকা। তাতে ভর্তি খুচরো পয়সা।শোরুমের ম্যানেজার গোটা বিষয়টা বুঝতে পেরে তাঁদের একটি হার উপহার দেন। সঙ্গে একজোড়া কানের দুলও। এরপর বৃদ্ধের কাছে সরল আবদার জানান, নিজে হাতে স্ত্রীর হাতে সেটা তুলে দিতে হবে। উপহার তো দিলেন ম্যানেজার, কিন্তু এত বড় দোকানে এসে কোনও টাকা না দিয়ে চলে যাবেন, এতেও যেন সম্মানে বাধে বৃদ্ধের। সমাজের খেটে খাওয়া মানুষের কাছে আত্মসম্মানই বড় কথা। প্রাণ যাক, সম্মান নিয়ে বাঁচাটাই বড় কথা। তাই সবচেয়ে বড় নোটটি তুলে দিতে চেয়েছিলেন ম্যানেজারের হাতে। কিন্তু তাতে ম্যানেজারের উত্তর, আপনার আশীর্বাদের হাত থাকলেই হবে। পান্ডুরঙ্গ (কর্নাটক, মহারাষ্ট্রের পূজিত দেবতা) আছেন, কিছুর অভাব হবে না কোনওদিন। কিন্তু বৃদ্ধ নাছোড়বান্দা, টাকা তিনি দেবেনই। উপায় নেই বুঝে অবশেষে দুটো ১০ টাকার নোট নেন ম্যানেজার।স্বামীর চোখে জল, ধুতির খুঁট দিয়ে মুছে ফেললেন। তা দেখে স্ত্রীও আটকাতে পারলেন না নিজেকে। ভিডিওতেই স্পষ্ট, এমন এক মূল্যবান উপহার পেয়ে বিশ্বাস হচ্ছে না ওই দম্পতির। কিন্তু যেকজন ভিডিওটি দেখেছেন, তাঁরা সবাই বুঝেছেন এই চোখের জল, অবিশ্বাস শুধু মূল্যবান এক উপহারের জন্য নয়, জীবনের অন্যতম এই দিনটি মনের মণিকোঠায় সাজিয়ে রাখছেন দম্পতি।

জুন ১৯, ২০২৫
দেশ

আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা: শিশুদের শনাক্ত করতে বড় সমস্যা, এখনও হস্তান্তর ১৫৯ দেহ

সুরাটের নানাবাওয়া পরিবার ৩৬ বছর বয়সী আকিল এবং ৩১ বছর বয়সী স্ত্রী হান্না ভোরাজির নামাজ-এ-জানাজা (জানাজা) সম্পন্ন হয়। বুধবার ভোরে ফোন করে জানায় যে বোয়িং ড্রিমলাইনার দুর্ঘটনায় তাদের সাথে মারা যাওয়া তাদের মেয়ে সারার মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। আত্মীয়স্বজনরা চার বছর বয়সী মেয়ের দেহাবশেষ দাবি করতে আহমেদাবাদে ছুটে যান। যাতে তাকে তার বাবা-মায়ের পাশে দাফন করা যায়।আহমেদাবাদ-লন্ডন AI-171 বিমান দুর্ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পর, সারার সন্ধানে দেখা যাচ্ছে যে পুড়ে যাওয়া দেহাবশেষের মধ্যে নাবালকদের শনাক্ত করা কতটা কঠিন। বুধবার পর্যন্ত, ডিএনএ ম্যাচিং এবং শনাক্তকরণের পরে ১৫৯টি মৃতদেহ আত্মীয়দের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সারা ছাড়াও, এই মৃতদেহগুলির মধ্যে কেবল একজন নাবালিকা ছিল ফাতিমা শেঠওয়ালা, যার বয়স ১৮ মাস।বিমান সংস্থার তালিকা অনুসারে, AI-171-এ ১২ বছরের কম বয়সী ১৩টি শিশু ছিল, যার মধ্যে তিনজন এখনও ২ বছর পূর্ণ করেনি। আরও বেশ কয়েকজনের বয়স ১১ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে।এই ধরনের দুর্যোগে অপ্রাপ্তবয়স্কদের শনাক্ত করার জন্য ডিএনএ প্রযুক্তি ব্যবহারে অসুবিধা ব্যাখ্যা করে গুজরাটের সরকারি ডেন্টাল কলেজের ফরেনসিক দন্ত বিশেষজ্ঞ ডঃ জয়শঙ্কর পিল্লাই বলেন, শিশুদের শরীরের ভর কম থাকে এবং তাই টিস্যুর ক্ষতি হয় এবং লম্বা হাড় তাপের সংস্পর্শে আসে। তবে দাঁত বেশি শক্তিশালী হওয়ায় তাপ সহ্য করতে পারে।তবে অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে এটিও জটিল। শিশুদের যে কোনও দাঁত থেকে ডিএনএ বের করা যেতে পারে, কিন্তু আগুন লাগার সময় সামনের দাঁত ব্যবহার করা যায় না কারণ তাপ তাদের নষ্ট করে দেয়। তাই আমরা মোলার থেকে ডিএনএ নিই। ছয় বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে, আমরা স্থায়ী মোলার পেতে পারি না... তাদের বেশিরভাগই দুধের দাঁত থাকে, এবং কখনও কখনও সেগুলিও নষ্ট হয়ে যায়। কারণ খিলানটি খুব ছোট। তাই আমরা চোয়ালে একটি ছেদ তৈরি করি এবং ভিতরে স্থায়ী মোলার তৈরি করার চেষ্টা করি, পিল্লাই বলেন, যার বিভাগের সাথে ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ দাঁতের ডিএনএ বের করতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের দাঁতের চার্ট তৈরি করতে সাহায্য করার জন্য যোগাযোগ করেছিল।একজন ফরেনসিক কর্মকর্তা বলেছেন যে দুর্ঘটনার পরে যে আগুন লেগেছিল তা খুব অল্প সময়ের মধ্যে ১৬০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি তাপমাত্রায় পৌঁছেছিল। সুতরাং, কিছু ব্যক্তির জন্য কেবলমাত্র আংশিক ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়া যায়, যাদের আমরা সন্দেহ করি যে তারা নাবালক, কর্মকর্তা বলেন, আরও বলেন যে আত্মীয়দের সাথে নিঃসন্দেহে নির্ভুলতার সাথে মেলানো কঠিন।আকিলের বাবা আবদুল্লাহ স্মরণ করিয়ে দেন যে তিনজন ৬ জুন, ঈদুল আযহার একদিন আগে, এক আকস্মিক পরিদর্শনে এসেছিলেন। এটা একটা ছোট ভ্রমণ ছিল। আমরা জানতাম না যে এটাই তাদের শেষ হবে, কাঁদতে কাঁদতে আবদুল্লাহ বলেন, যিনি বিমানে পরিবারকে নামিয়ে দিতে আহমেদাবাদ গিয়েছিলেন।ভদোদরায়, আসিফ শেঠওয়ালা তার নাতনি ফাতিমার জন্য শোক প্রকাশ করেছেন। যার দেহাবশেষ বুধবার শনাক্ত করা হয়েছে, যখন তার মা সাদিকার মৃতদেহ এখনও পাওয়া যায়নি। আসিফ বলেন, ফাতিমা তার লন্ডন-ভিত্তিক ছেলের একমাত্র সন্তান। সাদিকা এবং ফাতিমা আমার ছোট ছেলের বিয়েতে বেড়াতে এসেছিলেন। তারা প্রায় ২০ দিন ধরে এখানে ছিলেন এবং তাদের ফেরার টিকিট অনেক আগেই বুক করা হয়েছিল।ডিএনএ সরবরাহ করার পাশাপাশি, দাঁতের দেহাবশেষ একজন ব্যক্তির আনুমানিক বয়স নির্ধারণেও সাহায্য করে। যা শনাক্তকরণের জন্য প্রয়োজনীয় সূত্র প্রদান করে। আহমেদাবাদ দুর্ঘটনায় এটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যও, বিস্ফোরণ এবং আগুনের ফলে উদ্ধার করা বেশিরভাগ ডিএনএ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।ডঃ পিল্লাই বলেন, ফরেনসিক ওডন্টোলজি বিভাগ এক থেকে ছয় বছর বয়সী বেশ কয়েকজন প্রাপ্তবয়স্ক যাত্রীর দাঁতের ডিএনএ সংগ্রহ করেছে অথবা ডেন্টাল চার্টিং করেছে এবং অন্তত কিছু ভুক্তভোগীর বয়স মূল্যায়ন করেছে। এরপর এই বয়সের যাত্রীদের জন্য ফ্লাইট ম্যানিফেস্টের সাথে তুলনা করা হয়েছে। কিছু শিশুর ক্ষেত্রে, আমরা দ্বিতীয় মোলার বিকশিত হতে দেখেছি, যা স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে তারা তিন থেকে ছয় বছর বয়সী। এটি অনুসন্ধানকে সংকুচিত করতে সাহায্য করেছে। তারপর তাদের ডিএনএ নমুনা তাদের আত্মীয়দের সাথে মেলানো যেতে পারে।যারা খবরের জন্য অপেক্ষা করছেন তাদের মধ্যে রয়েছে ভদোদরার ভাহোরা পরিবার। তারা দুর্ঘটনায় তিন সদস্যকে হারিয়েছে। সোমবার ইয়াসমিনের মৃতদেহ হস্তান্তর করা হলেও, পারভেজ এবং তার ৪ বছর বয়সী মেয়ে জুভেরিয়ার দেহাবশেষ এখনও পাওয়া যায়নি। প্রাক্তন আইপিএস অফিসার এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ, ডঃ কেশব কুমার বলেছেন, পরিবারগুলির আশা হারানো উচিত নয়। বিমান দুর্ঘটনাটি প্রায় বোমা বিস্ফোরণের মতো ছিল। যেখানে ৫৪,০০০ লিটার বিমান জ্বালানি এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে জ্বলছিল। উৎপন্ন তাপের পরিমাণ শরীরের জন্য ক্ষতিকর। আমরা ভাগ্যবান হব যদি ভালো নমুনা পাওয়া যায়। কিন্তু যদি একটি দাঁতও পাওয়া যায়, তাহলে ডিএনএ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ফরেনসিক পরীক্ষা খড়ের গাদায় সূঁচ পাওয়ার মতো। কিন্তু একজন তদন্তকারী হিসেবে, আমি বলতে পারি যে ম্যাচ পাওয়ার সম্ভাবনা ১০০%। ডিএনএ হাজার হাজার বছর টিকে থাকতে পারে এবং প্রয়োজনে ধ্বংসাবশেষে ডিএনএর আরও চিহ্ন থাকবে। গুজরাট পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন যে তারা দুর্ঘটনাস্থল থেকে একাধিক নমুনা সংগ্রহ নিশ্চিত করেছেন।

জুন ১৯, ২০২৫
রাজ্য

১০০ দিনের কাজ নিয়ে হাইকোর্টে বড় ধাক্কা কেন্দ্রীয় সরকারকে

গতকালই ওবিসি মামলায় হাইকোর্টে জোরদার ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। এবার ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বড় ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার নজিরবিহীন একটি নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পশ্চিমবঙ্গে ফের ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প চালু করতে হবে, এই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ১ আগস্ট থেকেই এই প্রকল্প চালু করতে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ।উল্লেখ্য, বাংলায় ১০০ দিনের কাজের টাকা বহুদিন ধরে আটকে রেখেছে কেন্দ্র, এই অভিযোগ করে আসছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রাজ্য সরকারের একাধিক মন্ত্রী এই ব্যাপারে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বারবার সমালোচনায় সরব হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে লাগামহীন দুর্নীতি হয়েছে। এই দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্র বেশ কয়েকটি দলও বাংলার জেলায় জেলায় পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী আদালতে জানিয়েছিলেন, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গে মোট ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে গরমিল ধরা পড়েছে।। তার মধ্যে ২ কোটিরও বেশি টাকা পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে। হুগলি, মালদা, বর্ধমান, দার্জিলিংয়ের মতো জেলাগুলিতে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। ১০০দিনের কাজের প্রকল্পে টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে বেনজির দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রের।রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প আটকে থাকা নিয়ে মামলার শুনানি বুধবার ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনেছেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এরপর প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছেন যে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের জন্যই বিশেষ কোনও বেঁধে দিতে পারে কেন্দ্র। এই রায়ের পর সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ১০০ দিনের পুরনো বকেয়া টাকা ফেরত দিতে হবে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর

পাঁচ লক্ষ টাকা তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর এবং সালিশি করে গ্রাম ছাড়া করার অভিযোগ উঠলো স্থানীয় একদল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকায়। এই ঘটনায় আক্রান্ত ব্যবসায়ীর পরিবার কালিয়াচক থানার দ্বারস্থ হলেও চারদিন পরে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে বুধবার ওই ব্যবসায়ী দম্পতি সমস্ত ঘটনার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানালেন পুলিশ সুপারের কাছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব। এদিকে কালিয়াচকের ওই ব্যবসায়ীর ওপর আক্রমণ এবং পাঁচ লক্ষ টাকা তোলাবাজির ঘটনায় রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলার সর্ববৃহৎ ব্যবসায়ীদের সংগঠন মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বারবার যদি ব্যবসায়ীদের ওপর দুষ্কৃতীদের হামলা নেমে আসে, তাহলে আমরা যাব কোথায়। অবিলম্বে পুলিশ সুপার যাতে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে, সেই আবেদন জানাচ্ছি। এদিকে পুলিশকে অভিযোগে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকার পোশাক ব্যবসায়ী মহম্মদ রহিম বিশ্বাস জানিয়েছেন, পুরনো একটি মামলার ঘটনায় গত শনিবার এলাকার এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী জহরুল খান এবং তার দলবল তাকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাদের একটি ডেরায় তাঁকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর পাঁচ লক্ষ টাকার তোলা চাওয়া হয়। সেই টাকা না দেওয়ায় আশেপাশের আরও কিছু সাগরেদদের জুটিয়ে সালিশি ডাকা হয়। সেই সালিশির মাধ্যমে তাদের পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। আর এই ঘটনার পর থেকেই গত চারদিন ধরেই ওই ব্যবসায়ী পরিবার নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন হয়ে রয়েছেন। এমনকি ফতেখানি স্ট্যান্ডের কাছে ওই ব্যবসায়ী তার নিজের পোশাকে শোরুম খুলতে পারছেন না।

জুন ১৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal