• ৭ পৌষ ১৪৩২, বৃহস্পতি ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

ODI

রাজ্য

নববর্ষে বাংলায় পরিবর্তনের ডাক প্রধানমন্ত্রীর

পয়লা বৈশাখের সকালে বাংলায় টুইট করে রাজ্য তথা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বাঙালিদের নববর্ষের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একটি টুইটে তিনি প্রোটোকল মেনে সকলের সুখ এবং সমৃদ্ধি কামনা করলেন। আবার আরেকটি টুইটে উঠে এল রাজনীতির কথা। একটি ভিডিও পোস্ট করে নতুন বাংলা গড়ার বার্তা দিলেন। দিলেন পরিবর্তনের ডাক। সাতসকালে ফেসবুকে রাজ্যবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।পয়লা বৈশাখে সাতসকালে বাংলায় করা এক টুইটে প্রধানমন্ত্রী বলেন,বাংলার মানুষের ভালবাসা আর প্রাণস্পন্দন প্রকৃত অর্থেই মন ছুঁয়ে যায়। নতুন বছর সকলের জীবনে সুখ সমৃদ্ধি নিয়ে আসুক, সকালে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হোন। পয়লা বৈশাখে ভারত এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা বাঙালিদের আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা। প্রধানমন্ত্রী মোদির মতো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহও নববর্ষের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তাঁর টুইট,মঙ্গলময় উৎসব পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে আমার সকল বাঙালি বন্ধুদের জানাই অগ্রিম আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা। ঈশ্বরের কাছে কামনা করি এই নতুন বছর প্রত্যেকের জীবনে বয়ে আনুক আনন্দ, শান্তি এবং সমৃদ্ধি।শুভ নববর্ষ! টুইটে রাজ্যবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও।অরাজনৈতিক পোস্টে শুধু নববর্ষের শুভেচ্ছাবার্তা দেওয়ার পর পয়লা বৈশাখের সকালে রাজনৈতিক পোস্টও করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বাংলায় এবং ইংরেজিতে করা দুটি টুইটে তিনি লিখেছেন,পুণ্যভূমি পশ্চিমবঙ্গে নববর্ষে নতুনের সূচনা হোক, রাজ্য প্রগতির পথে এগিয়ে যাক!

এপ্রিল ১৫, ২০২১
রাজ্য

ছাপ্পা ভোটের মাস্টারপ্ল্যানের অংশ শীতলকুচির ঘটনা, বিস্ফোরক মোদি

শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক লড়াই অব্যাহত। এবার তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কল্যাণীর সভা থেকে মোদি দাবি করলেন, শীতলকুচির ঘটনা আসলে মমতার ছাপ্পা ভোটের মাস্টারপ্ল্যানেরই অংশ। প্রধানমন্ত্রীর দাবি, মমতা রাজ্যের আদিবাসী, দলিত, তপসিলি, মতুয়া, নমঃশূদ্রদের ভোটাধিকার কেড়ে নিতে চান। সেজন্যই ছাপ্পার পরিকল্পনা। আর সেটার জেরেই ঘটেছে শীতলকুচির ঘটনা।কল্যাণীতে দাঁড়িয়ে মোদি বলেন,মমতা এখন রাজ্যের আদিবাসী, দলিত, তপসিলি, মতুয়া, নমঃশূদ্রদের ভয় দেখাচ্ছেন, ধমকাচ্ছেন, মারধর করছেন। কিন্তু দিদি, আপনি যতই ভয় দেখান, মোদির প্রতি ওঁদের ভালবাসা কমাতে পারবেন না। প্রধানমন্ত্রীর দাবি, সোজা পথে বাংলার তপসিলি, মতুয়া, নমঃশূদ্রদের আটকানো যাবে না বুঝতে পেরেই মমতা এঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। ছাপ্পা ভোটের পরিকল্পনা করেছেন। তাঁর কথায়,মতুয়া-নমঃশূদ্রদের আটকানোর জন্যই দিদি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করার নিদান দিচ্ছেন। একটা দলকে বলছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করতে। আরেকটা দলকে বলছেন বুথে গিয়ে ছাপ্পা মারতে। এটাই দিদির ছাপ্পা মারার মাস্টারপ্ল্যান। শোনা যাচ্ছে, কোচবিহারের ঘটনাও সেই মাস্টারপ্ল্যানেরই অংশ। কিন্তু দিদি এভাবে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আপনি কেড়ে নিতে পারেন না। জয়-পরাজয় সব ভোটেই থাকে। দলিতদের অধিকার এভাবে কেড়ে নেওয়া যায় না। মতুয়া-নমঃশূদ্রদের অধিকার এভাবে কেড়ে নেওয়া যাবে না।প্রসঙ্গত, কল্যাণী এবং সংলগ্ন এলাকায় একটা বড় অংশের ভোটার মতুয়া সম্প্রদায়ের। লোকসভার মতো বিধানসভাতেও সেই মতুয়া ভোটে বিশেষ নজর বিজেপির। সম্ভবত, সেকারণেই এদিন প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের ওড়াকান্দির সফর প্রসঙ্গ তুলে মমতাকে খোঁচা দিলেন। মোদি বোঝানোর চেষ্টা করলেন, মানুষের গণতন্ত্র রক্ষা করা মতুয়াদের ধর্মগুরু হরিচাঁদ ঠাকুরের জীবনের উদ্দেশ্য ছিল। আর সেই উদ্দেশ্য পূরণের লক্ষ্যে অনুপ্রেরণা পেতেই বাংলাদেশের ওড়াকান্দি সফরে গিয়েছিলেন তিনি। এরপরই মমতাকে খোঁচা দিয়ে মোদি বলেন, আমার ওড়াকান্দি যাওয়াটাই দিদির পছন্দ হয়নি। ওড়াকান্দিতে যাওয়াটা কি ভুল ছিল? হরিচাঁদ ঠাকুরের কর্মভূমিতে মাথা ঠেকানো ভুল ছিল নাকি?

এপ্রিল ১২, ২০২১
দেশ

করোনা রুখতে ‘টিকা উৎসব’-এর নিদান প্রধানমন্ত্রীর

দেশজুড়ে আছড়ে পড়েছে করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ। প্রায় রোজই রেকর্ড সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার চিন্তার ভাঁজ ফেলছে প্রশাসনের কপালে। এহেন পরিস্থিতি ভ্যাকসিনকে হাতিয়ার করে এই মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার ১১ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত টিকা উৎসব পালন করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।বৃহস্পতিবার, দেশে বেড়ে চলা করোনা সংক্রমণ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, আমাদের কাছে করোনা সংক্রান্ত পর্যাপ্ত তথ্য রয়েছে। যে কোনওভাবে আমাদের মৃত্যুর হার কম রাখতে হবে। আবার কঠিন সময় আসছে। আমাদের সতর্কতায় ঢিলেমি করলে চলবে না। সম্পূর্ণ লকডাউনের আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদি মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোন তৈরির উপর জোর দিয়েছেন। এছাড়া, নাইট কার্ফুয়ের বদলে করোনা কার্ফু শব্দবন্ধ ব্যবহারের আর্জি জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাত ৯টা বা ১০টা থেকে সকাল ৫টা অথবা ৬টা পর্যন্ত নাইট কার্ফুয়ের সময় হওয়া উচিত। সংক্রমণ রুখতে কনট্যাক্ট ট্রেসিং করা উচিত। মহারাষ্ট্র, গুজরাত, পঞ্জাব ও ছত্তিশগড়ের মতো রাজ্যগুলি করোনার সর্বোচ্চ সংক্রমণের প্রাথমিক ঢেউ দেখেছে। তাই মানুষের মধ্যে কিছুটা গাফিলতি দেখা যাচ্ছে। বেশ কয়েকটি রাজ্যে প্রশাসনের মধ্যে ঢিলেমি দেখা যাচ্ছে। এমনটা করলে চলবে না।বৃহস্পতিবার দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাটা পেরিয়ে গিয়েছে সওয়া এক লক্ষ। যা গত বছর যে সময় দেশের করোনা সংক্রমণের পরিমাণ একেবারে চরমে ছিল তার থেকেও অনেকটা বেশি। এই নিয়ে গত চারদিনের মধ্যে তিনদিন দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা লক্ষাধিক। এই পরিসংখ্যান ভয় ধরানোর জন্য যথেষ্ট। এদিকে, প্রধানমন্ত্রী টিকা উৎসবের কথা বললেও মহারাষ্ট্র-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় টিকার জোগান পর্যাপ্ত নয় বলে অভিযোগ আসছে। সব মিলিয়ে দেশে মহামারি পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে।

এপ্রিল ০৮, ২০২১
রাজ্য

সোনারপুর থেকে মমতাকে কটাক্ষ মোদির

আগামী লোকসভা নির্বাচনে বারাণসী থেকে দাঁড়াতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! সম্প্রতি তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছে তৃণমূল। এই সম্ভাবনা নিয়ে সোনারপুরের সভা থেকে তৃণমূল সুপ্রিমোকে খোঁচা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বললেন, নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেরে যাবেন জানেন। তাই রাজ্যে অন্য আসনে দাঁড়াবেন ভাবছিলেন। কিন্তু দলেরই কিছু মানুষ ওঁনাকে বুঝিয়েছেন, দুটি আসন থেকে উনি হেরে গেলে তো দলটাই থাকবে না।এর পর বারাণসী থেকে মমতার প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রসঙ্গে বেনজির কটাক্ষ করলেন প্রধানমন্ত্রী।সোনারপুরের শনিবারের সভা থেকে মোদির খোঁচা, দিদি বলছেন, বারাণসী থেকে লড়বেন। এটা থেকে দুটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এক, উনি বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনে হেরে গিয়েছেন। আর তাই উনি নির্বাচনে লড়াই করার জন্য বাংলার বাইরে খুঁজছেন। বিধানসভা নির্বাচনে হারের পর লোকসভা ভোটে চেষ্টা করে দেখতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী আরও কটাক্ষ, উত্তরপ্রদেশ, বারাণসীর মানুষকে এত ঘেন্না করবেন না। বহিরাগত বলবেন না। ওখানকার মানুষের মন অনেক বড়। আপনাকে খুব স্নেহ করবে। এতটা স্নেহ করবে যে ওখানেই রেখে দেবে। দিল্লি অবধি যেতে দেবে না।হঠাৎ নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বারাণসী কেন্দ্রকে বেছে নিলেন কেন্দ্র মমতা? সভা থেকে সেই জবাবও দিলেন মোদি। বললেন, আমরা হলদিয়া থেকে বারাণসী পর্যন্ত যে জলপথ করে দিয়েছি। সেটা দেখেই হয়তো ওঁনার বারাণসী যেতে ইচ্ছে করেছে। সভামঞ্চ থেকে বিজেপির হেভিওয়েট প্রচারকের খোঁচা, আপনি তো জয় শ্রীরাম শুনলেই রেগে যান। ওখানে কিন্তু দুমিনিট অন্তর অন্তর দরজা-দরজায় হর হর মহাদেব শুনতে পাবেন। মোদির কথায়, নন্দীগ্রাম থেকে মমতার নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ ফ্লপ। এটা ওঁর দলের লোকেরাও এখন বুঝতে পারছে। বঙ্গে নির্বাচন শুরুথেকে ইভিএম, নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। এদিন সেই প্রসঙ্গেও খোঁচা দিলেন মোদি। বললেন, ছাপ্পা দিতে পারছে না। তাই কমিশনের বিরুদ্ধে এত রাগ? সবমিলিয়ে নরমে-গরমে এদিনের সভা থেকেও তৃণমূল সুপ্রিমোকে তীব্র কটাক্ষ করলেন নরেন্দ্র মোদি।

এপ্রিল ০৩, ২০২১
রাজনীতি

‘২০২৪-এ বারাণসী সামলান’, মোদিকে নিশানা তৃণমূলের

বঙ্গে দ্বিতীয় দফা ভোটের দিন প্রচারে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । নন্দীগ্রামের ভোট পরিস্থিতিতে গেরুয়া ঝড়, দিদির হার দেখেছিলেন তিনি। তাই উলুবেড়িয়ার সভা থেকে তাঁর শ্লেষমিশ্রিত প্রশ্ন ছিল, তাহলে কি অন্য কোনও আসন থেকে ফের লড়াই করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো? সঙ্গে সঙ্গে তৃণমূলও এর জবাব দিয়েছে। নন্দীগ্রামে জয় নিশ্চিত, অন্য আর কোথাও লড়বেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, টুইট করে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে তৃণমূল। ২০২৪এ দিল্লি দখলের লড়াইয়ে নেমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।তৃণমূলের অফিশিয়াল পেজে লেখা হয়েছে, দিদি নন্দীগ্রাম থেকে জিতছেনই।তাই অন্য কোনও আসন থেকে তাঁর লড়াইয়ের কোনও প্রশ্নই ওঠে না। পরের অংশের বার্তাই বেশ ইঙ্গিতবাহী। নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশে তৃণমূলের পরামর্শ বাংলার মানুষকে বিভ্রান্ত করা বন্ধ করুন, আপনার মিথ্যাচার প্রকাশ্যে এসে পড়েছে। বরং ২০২৪এ নিজের জন্য নিরাপদ একটি আসন খুঁজে নিন। কারণ, আপনি বারাণসীতে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়বেন। আর এখানেই উসকে উঠছে জল্পনা। তবে কি পরবর্তী লোকসভা ভোটে নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে নির্বাচনী লড়াইয়ে নামবেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই? তারই ইঙ্গিত দিয়ে রাখল দলের তরফে এই টুইট?

এপ্রিল ০২, ২০২১
রাজনীতি

'দিদি হার মেনে নিয়েছেন', মমতাকে কটাক্ষ মোদির

নন্দীগ্রামের বয়ালে যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুথে বসে একের পর এক ফোন করছেন, ঠিক তখনই দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুরে জনসভা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর আধা সেনার উদ্যোগে বয়াল থেকে বেরিয়ে মমতা যখন সাংবাদিক বৈঠক করলেন তার পরেই হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় জনসভা শুরু হল মোদির। আর দুই সভাতেই মোদি টেনে নিয়ে এলেন হট সিট নন্দীগ্রাম প্রসঙ্গ। বললেন, বাংলা যা চাইছে সেটাই হয়েছে নন্দীগ্রামে। দিদি, প্রথমে ভবানীপুর ছেড়ে নন্দীগ্রামে গিয়েছিলেন। পরে বুঝলেন সেটা ভুল করেছি।গোটা দিন নন্দীগ্রামের ভোটগ্রহণ নিয়ে একের পর এক অভিযোগ করে গেছে তৃণমূল। অভিযোগ জানিয়েছেন প্রার্থী মমতাও। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে ফোন করেও ভোটে অনিয়মের কথা জানিয়েছেন। অন্যদিকে, তাঁর কোনও অভিযোগ নেই জানিয়ে নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, তাঁর কোনও অভিযোগ নেই। শান্তিপূর্ণ ও অবাধ ভোট হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। শুভেন্দু যেমন জয়ের ব্যাপারে তিনি নিশ্চিন্ত বলে দাবি করেছেন তেমন মমতাও দুআঙুলে ভিকট্রি দেখিয়ে বলেন, নন্দীগ্রামে তৃণমূল ৯০ শতাংশ ভোট পাবে। মা-মাটি-মানুষের আশীর্বাদে আমিই জিতব। পাশাপাশি তিনি বলেন, নন্দীগ্রাম নিয়ে চিন্তিত নই আমি। গণতন্ত্র নিয়ে চিন্তিত। এখানে ভোটে চিটিংবাজি হয়েছে।যদিও মোদির বক্তব্যে ইঙ্গিত স্পষ্ট, নন্দীগ্রামে বিজেপি-র জয় নিয়ে তিনি নিশ্চিত। দ্বিতীয় দফার ভোটের দিনেই বাংলা দখলের প্রত্যায়ও বৃহস্পতিবার শোনা গিয়েছে মোদির গলায়। তিনি বলেন, দিদিকে দেখুন। তা হলেই সব বুঝে যাবেন। দিদিই ওপিনিয়ন পোল, দিদিই এক্সিট পোল। ওঁর চোখ-মুখ, হাব-ভাবেই সব পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে। মোদি বৃহস্পতিবার দাবি করেন, বাংলায় যে আসল পরিবর্তন-এর জোর হাওয়া বইছে তা প্রথম দফাতেই বোঝা গিয়েছে। বিজেপি ২০০-র বেশি আসনে জিতবে বলেও দাবি করেন তিনি। তবে বাংলায় তৃতীয় দফার ভোট প্রচারে রাজ্যে সিন্ডিকেটের সরকার চলছে বলে আক্রমণ করেন। বলেন, দিদি সব কিছুতে শুধু বাধা দিতেই জানেন। শিল্পকে ধ্বংস করেছেন। ১০ বছর কোনও পরিকল্পনা ছাড়াই সরকার চালিয়েছেন। কিন্তু একবিংশ শতকের বাংলায় ওই সরকার চলবে না। বাংলার দরকার এক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন সরকার, যারা পরিকল্পনা করে বাংলার উন্নতির লক্ষ্যে কাজ করবে।

এপ্রিল ০১, ২০২১
দেশ

৭৫তম মন কি বাত-এ স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষের কথা উল্লেখ মোদির

আজ রবিবার মন কি বাতের ৭৫তম পর্বে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছুঁয়ে গেলেন করোনা টিকা উৎপাদনে ভারতের সাফল্য থেকে পর্যটনের নতুন দিগন্তকে। আর স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষে দেশজুড়ে শুরু হওয়া অমৃত মহোৎসবে দেশবাসীকে সামিল হওয়ারও আহ্বান জানালেন তিনি। ৭৫তম মন কি বাত-এ মোদি দেশবাসীর কাছে আবেদন করেন, যে যেভাবে পারেন স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করুন, তাঁদের ইতিহাস তুলে ধরুন। প্রধানমন্ত্রী জানান এই অমৃত মহোৎসব চলবে ২০২৩ সালের ১৫ অগস্ট পর্যন্ত।মার্চ মাসেই জনতা কার্ফুর হাত ধরে দেশে করোনা যুদ্ধের প্রথম দামামা বাজিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।এই একটা বছরে ভারত এবং ভারতবাসী যেভাবে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়েছে তাকে কুর্নিশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এক বছর আগে মানুষের কাছে একটাই প্রশ্ন ছিল করোনা টিকা কবে আসবে? আর আজ দেশের বিজ্ঞানীদের হাত ধরে গোটা বিশ্বের মধ্যে সব থেকে বেশি টিকা ভারত তৈরি করছে। সামনেই বিভিন্ন রাজ্যের মানুষ তাঁদের নববর্ষের উৎসবে মাতবেন। তার জন্য আগাম শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, করোনা বিধি ভুলে গেলে চলবে না। ক্রীড়া, বিজ্ঞান থেকে সব ক্ষেত্রে দেশের মেয়েরা যেভাবে বিশ্বে ভারতের মাথা উঁচু করে চলেছেন সে কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। ৭৫তম মন কি বাতে তিনি বলেন, মৌমাছি পালনের হাত ধরে দেশ আরও এক বিপ্লবের দিকে এগিয়ে চলেছে। একে মিষ্টি বিপ্লব বলে বর্ণনা করেন প্রধানমন্ত্রী। দার্জিলিং, সুন্দরবন, গুজরাতের কিছু গ্রামের মতো দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মানুষ কীভাবে মৌমাছি পালনের হাত ধরে শুধু স্বনির্ভরই হওয়াই নয়, দেশকে নতুন বিপ্লবের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, সে কথা তুলে ধরেন তিনি। পাশাপাশি দেশের লাইট হাউসগুলিকে ঘিরে পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথাও বলেন। এর জন্য দেশের এমন ৭১টি লাইট হাউসকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ৭৫তম পর্বে মনের কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী পরিবেশ রক্ষায় এগিয়ে আসা মানুষদের কথাও তুলে ধরেন। যাঁরা প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে মানুষকে রক্ষা করতে প্রকৃতির শক্তিকেই ব্যবহার করছেন। সব শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দোল, হোলি, বসন্ত, নববর্ষ এবং ইস্টারের উৎসবের মাঝেও, যাতে মানুষ করোনার কথা ভুলে না যান, তা আরও এক বার স্মরণ করিয়ে দেন।

মার্চ ২৮, ২০২১
বিদেশ

মোদির বাংলাদেশ সফরে দৃঢ় হল মৈত্রীর বন্ধন

বাংলাদেশের সঙ্গে মৈত্রীর বন্ধন আরও মজবুত করতে দুদিন ঢাকায় কাটিয়ে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশে ফিরে আসার আগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে একাধিক মউ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। একই সঙ্গে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পেরও ঘোষণা হয়। পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে মিতালী এক্সপ্রেসের সূচনা করা হবেও বলে জানা গিয়েছে।শনিবার দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তিগুলির মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে বলে আশা করছেন কূটনীতিকরা। একই সঙ্গে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে ঢাকা পর্যন্ত মিতালী এক্সপ্রেসেরও সূচনা হবে বলে জানানো হয়। এই ট্রেনের জন্য বিশেষভাবে তিনটি সীমান্তবর্তী হল্ট স্টেশনেরও নির্মাণ হবে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর এবং দেশে ফিরে আসার আগে একটি টুইট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তিনি লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফসপ্রসূ বৈঠক হয়েছে। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের সমগ্র পরিসর নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। পরবর্তী সময়ে দুই দেশের অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক যোগাযোগ আরও গভীর করা নিয়েও আলোচনা করেছি। এ দিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর হাতে উপহার স্বরূপ ১০৯ টি অ্যাম্বুল্যান্স ও ১২ লক্ষ করোনা ভ্যাকসিনের ডোজ তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। অন্যদিকে, বাংলাদেশের ৫০ তম স্বাধীনতা দিবস এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশতবর্ষের এই বিশেষ অনুষ্ঠান উপলক্ষে নির্মিত সোনা এবং রুপোর মুদ্রাও মোদির হাতে তুলে দেন হাসিনা।

মার্চ ২৮, ২০২১
বিদেশ

বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য জেলে গিয়েছেন, মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণ মোদির

মুজিববর্ষ উদযাপনে আমন্ত্রিত হয়ে শুক্রবার সাড়ে দশটা নাগাদ দুদিনের সফরে ঢাকা পৌঁছন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ীই তিনি ঢাকা বিমানবন্দরে নামেন। শাহজালাল বিমানবন্দরে তাঁকে পুষ্পস্তবক দিয়ে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে তাঁকে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়। তারপর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী জানান, পরাধীন বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য তিনিও লড়াই করেছিলেন।ঢাকা-নয়াদিল্লির সম্পর্কে নতুন দিগন্তের সূচনা করে এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, পরাধীন বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য আমিও লড়াই করেছিলাম। মুক্তি যুদ্ধের জন্য সহযোগীদের সঙ্গে সত্যাগ্রহ করে জেলে গিয়েছিলাম আমরা। এই লড়াইয়ে কৃষক, জওয়ান, শিক্ষক ও চাকুরিজীবী সবাই একসঙ্গে এসে মুক্তিবাহিনী গঠন করে লড়াই করেছেন। এদিন রাজধানী ঢাকার সভামঞ্চে মুজিব চিরন্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মোদি বলেন, এই সংগ্রামে ভারতীয় জওয়ানদের অনেক রক্ত ঝরেছে। মুক্তিযুদ্ধে শহিদ ভারতীয় জওয়ানদের আমি শ্রদ্ধা জানাই। সেসময় পাকিস্তানের সেনারা অকথ্য অত্যাচার চলিয়েছিল। এহেন পরিস্থিতিতে লড়াই চলিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমান। আমাদের উন্নয়নের লক্ষ্যে একসঙ্গে অগ্রসর হতে হবে। এদিন পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, আমরা দুই দেশ গণতন্ত্রের শক্তিতে বলীয়ান। আমাদের সন্ত্রাসবাদীদের রুখে দিতে হবে। একসঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে উন্নয়নের পথে আমরা এগিয়ে যাব। আজকের দিন আমার কাছে স্মরণীয়। আমরা করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশকে সাহায্য করেছি। আমাদের ভ্যাকসিন বাংলাদেশের কাছে পৌঁছেছে, এতে আমি খুশি।শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।উল্লেখ্য, ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস। এ বছর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের শতবর্ষ। মুজিববর্ষ হিসেবে পালন করছেন বাংলাদেশবাসী। এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে মাস কয়েক আগেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। করোনা পরিস্থিতি দেখেশুনে পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থে আমন্ত্রণ গ্রহণ করে সফরসূচি নিশ্চিত করা হয়। সেইমতো শুক্রবার সকালেই ঢাকা পৌঁছে যান নরেন্দ্র মোদি। করোনা মহামারি শুরুর পর ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর এটাই হবে প্রথম বিদেশ সফর।

মার্চ ২৬, ২০২১
দেশ

আজ বাংলাদেশ সফরে হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ মোদির

বাংলাদেশ সফর নিয়ে উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী মোদি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে শুক্রবার বাংলাদেশ যাওয়ার আগে মোদি তাঁর বিবৃতিতে জানিয়েছেন, তিনি খুশি যে, করোনা অতিমারির পর তাঁর প্রথম বিদেশ সফরটিই হচ্ছে বন্ধু প্রতিবেশি দেশে। শুক্রবার বাংলাদেশের জাতীয় দিবস এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশতবর্ষিকী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন মোদি। তিনি শ্রদ্ধা জানাতে যাবেন টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতেও। ৫১ শক্তিপীঠের একটি যশোরেশ্বরী কালীমন্দিরেও পুজো দেবেন মোদি। তিনি যে ওরাকান্দির মতুয়াসমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন, বিবৃতিতে তা-ও জানিয়েছেন মোদি। যাঁদের সঙ্গে মতুয়াদের ঠাকুর হরিচাঁদের সম্পর্ক নিবিড়। বাংলায় ভোটের আগে বাংলাদেশ সফরে গিয়ে মতুয়ামন জয়ের এই চেষ্টাকেই মাস্ট্রারস্ট্রোক হিসেবে বর্ণনা করছে বাংলায় বিরোধী বিজেপি শিবিরের একাংশ। নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মতুয়াদের মধ্যে যে অনুযোগ ছিল, তা দূর করার চেষ্টা সর্বতো ভাবে করছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিজেও মতুয়াদের কর্মসূচিতে গিয়ে বক্তৃতা করেছেন। বলেছেন, মতুয়া এবং নমশূদ্রদের নাগরিকত্ব দেবে। কিন্তু স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী মোদির মতুয়ামন জয়ের চেষ্টা এই প্রথম। ঘটনাচক্রে, বাংলার ২৯৪টি আসনের মধ্যে ৩০টির মতো আসনে মতুয়াদের প্রভাব রয়েছে বলেই রাজনৈতিক দলগুলি মনে করে। ফলে মোদির বাংলাদেশের মতুয়াদের সঙ্গে বার্তালাপ রাজ্যের ভোটে তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারবে বলেই রাজ্যের বিজেপি নেতাদের একাংশ মনে করছে।

মার্চ ২৬, ২০২১
রাজনীতি

নন্দীগ্রামে ভোটের দিন বাংলায় প্রচারে মোদি

আগামী ১ এপ্রিল নন্দীগ্রামে ভোটের ময়দানে যেদিন পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হবেন যুযুধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-শুভেন্দু অধিকারী, সেদিনই নির্বাচনী প্রচারে বাংলায় থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওইদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর এবং হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় দুটি নির্বাচনী সভা করবেন তিনি। প্রসঙ্গত, ওইদিনই প্রথম মোদি একইদিনে বাংলায় দুটি জনসভা করবেন। বিজেপি সূত্রের খবর, অসমে ভোট মিটে যাওয়ার পর বাংলায় দিনে তিনটি করে সভা করতে চাইছেন মোদি। ঘটনাচক্রে, তার আগেই শুক্র এবং শনিবার দুদিনের সফরে বাংলাদেশ যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। সেখানে মতুয়ামন জয়ের চেষ্টা করবেন তিনি। বৃহস্পতিবার জারি করা তাঁর সফরসূচি তেমনই বলছে। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থাকবেন মতুয়াদের ঠাকুরবাড়ির সদস্য তথা বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর।ওয়াকিবহালরা মনে করছেন, পরিকল্পনা করেই প্রধানমন্ত্রী প্রচারে আসার জন্য এমন একটি দিন বেছেছেন, যেদিন সারা রাজ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আসনের নির্বাচন। বস্তুত, নন্দীগ্রাম আসনের ভোটের দিকে রাজ্য তো বটেই, তাকিয়ে রয়েছে গোটা দেশের রাজনৈতিক মহলও। নিজের কেন্দ্র ভবানীপুর ছেড়ে মমতা নন্দীগ্রামে ভোট লড়বেন বলে ঘোষণা করেছেন। অন্যদিকে, নন্দীগ্রাম আসনের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু আগে থেকেই চ্যালেঞ্জ নিয়ে বসে রয়েছেন যে, মমতাকে অন্তত ৫০,০০০ ভোটে হারাতে না পারলে তিনি রাজনীতি করা ছেড়ে দেবেন! ফলে নন্দীগ্রাম নিয়ে সমস্ত মহলেই একটা কী হয়-কী হয় ভাব রয়েছে। প্রশাসনিক মহলের একাংশের মতে, নন্দীগ্রামে ভোটের দিন একদিকে তৃণমূল শিবিরের উপর বাড়তি চাপ তৈরির জন্য এবং অন্যদিকে, বিজেপি শিবিরের মনোবল বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী ওইদিন রাজ্যে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও বিজেপি ওই তত্ত্ব উড়িয়ে দিচ্ছে। তাদের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রচারসূচি তৈরি হয়েছে একেবারেই প্রধানমন্ত্রীর সময়ের উপর ভিত্তি করে। এর সঙ্গে কোথায় কবে ভোট, তার কোনও সম্পর্ক নেই। এটা একেবারেই কাকতালীয় যে, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী সভার দিনের সঙ্গে নন্দীগ্রামের ভোটের দিন মিলে গিয়েছে। এর মধ্যে অন্য কোনও অভিসন্ধি নেই। ভোট দেবেন মানুষ। তাঁদের সঙ্গে রাজ্যে প্রধানমন্ত্রীর থাকা বা না-থাকার কী সম্পর্ক!

মার্চ ২৬, ২০২১
রাজ্য

'এই পবিত্র বঙ্গভূমিতে কেউ বহিরাগত নয়’, মমতাকে আক্রমণ মোদির

এই পবিত্র বঙ্গভূমিতে কেউ বহিরাগত নয়। কাঁথির সভায় দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জোর গলায় জবাব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। প্রধানমন্ত্রীর সাফ কথা, যে মাটিতে রাজা রামমোহন রায়, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ, মাতঙ্গিনী হাজরা, নেতাজি, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় জন্মেছেন, সেই মাটিতে কেউ বহিরাগত হতে পারে না। উল্লেখযোগ্যভাবে প্রধানমন্ত্রীর এদিনের বক্তব্যের সুর ছিল রুক্ষ। তাঁর কথার মধ্যেও ছিল বিরক্তির ভাব।উল্লেখ্য, রাজ্যের ভোটের প্রচারাভিযানের একেবারে শুরু থেকে বহিরাগত ইস্যুকে হাতিয়ার করেছিল তৃণমূল। বাংলার ভোটের লড়াইকে বাঙালি বনাম গুজরাতি, বাংলা বনাম দিল্লির লড়াই হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে তৃণমূল। মমতাকে বাংলার মেয়ে এবং বিজেপি শীর্ষনেতাদের বহিরাগত হিসেবে তুলে ধরার এই কৌশলেরই বহিঃপ্রকাশ শাসক দলের বাংলা নিজের মেয়েকেই চায় স্লোগান।কাঁথির সভা থেকে তৃণমূলের সেই অস্ত্র ভোঁতা করতে ঝাঁপিয়ে পড়লেন মোদি। বলে দিলেন, কবিগুরুর এই বাংলা কাউকে বহিরাগত মনে করে না।সভামঞ্চ থেকে নরেন্দ্র মোদির দৃপ্ত ঘোষণা, যে মাটিতে দাঁড়িয়ে বন্দেমাতরম লিখে গোটা দেশকে একসুরে বেঁধেছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, সেই মাটিতে কেউ বহিরাগত হতে পারে না। রাজা রামমোহন রায়, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ, মাতঙ্গিনী হাজরা, নেতাজি, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ভূমিতে কেউ বহিরাগত হতে পারে না। এরা সবাই এই বঙ্গভুমির সন্তান, ভারতভূমির সন্তান। এই ভূমিতে কেউ বহিরাগত নই। এখানে কোনও ভারতবাসী বহিরাগত নন। মোদি বলছেন, যে বাংলায় দাঁড়িয়ে কবিগুরু জাতীয় সংগীত রচনা করেছেন। দ্রাবিড় উৎকল বঙ্গ, বিন্ধ্য হিমাচল যমুনা গঙ্গাকে একত্রিত করার কথা বলেছেন। সেখানে কেউ বহিরাগত হতে পারে না। গুরুদেবের এই মাটি কাউকে বহিরাগত মনে করে না। প্রধানমন্ত্রী বোঝানোর চেষ্টা করলেন, নিজের ১০ বছরের কাজের খতিয়ান দিতে না পেরে এখন অজুহাত দিচ্ছেন মমতা। আর এই বহিরাগত ইস্যুও আসলে অজুহাত। মোদির প্রশ্ন, গত দশ বছরে কী কাজ করেছেন? তার হিসেব দিচ্ছেন না। কেউ হিসেব চাইলে তাঁকে গালি দিচ্ছেন কেন? এদিন প্রধানমন্ত্রী আরও একবার ঘোষণা করেছেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হবেন কোনও ভূমিপুত্রই।

মার্চ ২৪, ২০২১
রাজনীতি

বাঁকুড়ায় নির্বাচনী প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী কী কী বললেন, দেখে নিন একনজরে

বঙ্গে ফের প্রধানমন্ত্রী। রবিবার বাঁকুড়ায় নির্বাচনী প্রচারে এসে মোদি বলেন, আমি মাথা ঝুঁকিয়ে প্রণাম করি। আমার মনে আছে, লোকসভা নির্বাচনে যখন আপনাদের আশীর্বাদ নিতে এসেছিলাম দিদি কি কি করেছিলেন। লোকেদের ভয় পাওয়ানোর জন্য দিদি কি না করেছেন। কিন্তু আমি বাঁকুড়ার মানুষের প্রশংসা করব কি, মানুষ এত কিছুর পরও চুপচাপ পদ্মে ভোট দিয়েছেন। আজও এত মানুষ বিজেপিকে আশীর্বাদ দিতে এসেছেন। এত জনগহ থেকে এটা নিশ্চিত ২ মে দিদি যাচ্ছে, আসল পরিবর্তন আসছে। আসল পরিবর্তন বাংলার বিকাশ, এমন সরকার আনার জন্য যা গরিবের সেবা করবে।তিনি আরও বলেন, যারা তোলাবাজির সিন্ডিকেটে কড়া পদক্ষেপ নেবে। এই পরিবর্তন বিজেপি করবে। দিদি ও দিদি, ভ্রষ্টাচারের খেলা চলবে না, চলবে না। সিন্ডিকেটের খেলা, কাটমানির খেলা চলবে না, চলবে না। বিজেপি সরকার এলে মায়ের পূজা হবে, মাথায় তিলক হবে, মানুষের সম্মান হবে। রামপাড়ায় আওয়াজ দিলে সব ঘর থেকে রাম বেরোবে, শুধু রামপাড়া নয় সব আদিবাসী সমাজের চিত্র এটা। বনবাসী সমাজের সঙ্গে প্রভু রাম সবসময় থেকেছেন। আর ভাবুন যারা রাম নাম নেয়, তাদের সাথে দিদি কি করেন। তুষ্টিকরণের জন্য দিদি। দিদি আপনার আসল চেহারা আপনি আগে দেখিয়ে দিলে কখনও আপনার সরকার আসত না। দিদি এখন তাঁর রাগ আমার উপর বের করেছেন। দিদির লোক আজকাল দেওয়াল চিত্র বানাচ্ছে। আমার মাথা নিয়ে ফুটবল খেলছে। কেন আপনি বাংলার সংস্কৃতিকে অপমান করছেন এভাবে?আমি আজ দিদিকে বার্তা দিতে চাই, আমি আমার মাথা ১৩০ কোটি মানুষের কাছে মাথা ঝুকিয়েই রেখেছি। এটাই শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির সংস্কার। তাই দিদি আপনি চাইলে আমার মাথায় পাও রাখতে পারেন আর লাথিও মারতে পারেন। কিন্তু আপনাকে আমি আর বাংলার বিকাশের উপর লাথি মারতে দেব না। এখানে মানুষ একটু জলের জন্য কষ্ট পাচ্ছে। জল কই দিদি? এখানে কৃষকদের এই হাল কেন? সেচ নেই কেন? চাকরি নেই কেন? আপনি শুধু কথা বলেছেন। আপনি দশ বছর বাংলার সঙ্গে খেলার পরেও আপনার মন ভরেনি? এখন পশ্চিমবঙ্গের মানুষ ঠিক করে নিয়েছে খেলা শেষ হবে, বিকাশ আরম্ভ হবে। অজিত মুর্মুর মত আদিবাসী শহিদ হয়েছেন। মানুষ গরিব হয়েছেন, তৃণমূলের নেতারা বড়লোক হয়েছেন। গরিবের টাকা লুটে এসব হয়েছে। তাই দিদি যাচ্ছে। বালি মাফিয়াদের রোজগার বেড়েছে। মানুষের অসুবিধায় দিদির হেলদোল নেই। এখন তো দিদি আমার মুখটাও দেখতে পছন্দ করেন না। কিন্তু আমাদের চন্দনা দিদির মত কার্যকর্তার চেহারা দিদি অনেক দিন মনে রাখবেন। এটা সেই গরিবদের প্রতীক যাঁদের হকের চাল, টাকা মেরেছে তৃণমূল। এখন এরাই গরিবদের নিজেদের অধিকার বুঝে নেবে। এটাই আসল পরিবর্তন। এঁদের সমর্থন দিয়ে বিধানসভায় পাঠাবেন যাতে দিনরাত তাঁরা আপনাদের সেবা করতে পারেন। ডাবল ইঞ্জিন সরকার বানাতে পারেন। আমি যুব ভোটার দের বলব সোনার বাংলার জন্য ভোট দিন। আপনাদের আগের প্রজন্মে সিপিএম, কংগ্রেস, তৃণমূল শেষ করেছে। লাখ মানুষ বাংলা ছেড়ে চলে গিয়েছেন। এখন থেকে ২৫ বছর খুব গুরুত্বপূর্ণ। সোনার সময়। ভ্রষ্টাচার মুক্ত সরকার তৈরির জন্য বাংলায় বিজেপি সরকার জরুরি। সরকার এসেই জাতীয় শিক্ষা নীতি লাগু হবে। যাতে নিজেদের ভাষায় ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হবে। জল জীবন মিশন লাগু হবে। আয়ুষ্মান ভারত লাগু হবে। হেলথ সেন্টার তৈরি হবে।বিজেপি স্কিম এর উপর চলে আর তৃণমূল স্ক্যামের উপর চলে। স্কিম যাদেরই স্কিম হোক না কেন স্ক্যামের ব্যবস্থা করে নেয় তৃণমূল। যেখানে স্কিম, সেখানে স্ক্যাম। আয়ুষ্মান ভারত, পিএম কিষান থেকে স্ক্যাম করা সম্ভব নয় তাই দিদি স্কিম আসতে দেননি। বাংলার কৃষক সরকার বঞ্চিত হয়েছেন পিএম কিষান যোজনা থেকে। বিজেপি সরকারে এসেই টাকা দেবে। আগেও দেবে। দশ বছর যে ইভিএমে জিতলেন এখন সেই ইভিএম চাননা। বোঝাই যাচ্ছে। এইবার জোরসে ছাপ, পদ্মে ছাপ। বন্ধুগণ, আসুন আমরা সংকল্প করি আসল পরিবর্তন, এবার নিশ্চই আসছে বিজেপি। সবাইকে ধন্যবাদ। ভারত মাতার জয়। বন্দে মাতরম।

মার্চ ২১, ২০২১
রাজনীতি

বঙ্গ দখলের লড়াইয়ে রবিবার মোদি-শাহর জোড়া সভা

একই দিনে রাজ্যে মোদি-শাহ। রবিবার বিজেপি-র দুই প্রধান মুখ সমাবেশ করবেন বাঁকুড়া এবং পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায়। রাজ্যে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ আগামী ২৭ মার্চ, শনিবার। তার আগে প্রচারের শেষ রবিবার কাজে লাগাতে ঝাঁপাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।শনিবারই খড়গপুরে সভা করে গিয়েছেন মোদি। পরের দিন ফের আসছেন তিনি। গত বুধবারই পুরুলিয়ায় সভা ছিল তাঁর। সেই অর্থে ৫ দিনে তৃতীয় সভা রাজ্যে। এর পর ২৪ তারিখেও আসছেন তিনি। সভা হবে কাঁথিতে। শুধু মোদি নন, বঙ্গ ভোটের লড়াই যত এগিয়ে আসছে তত বাংলায় সফর বাড়াচ্ছেন অমিত। ঝাঁঝালো হচ্ছে তাঁর ভাষণও। গত সোমবারই ঝাড়গ্রাম ও বাঁকুড়ায় সভা করেছেন। সে দিন বাংলা থেকে অসম গিয়েও ফের আসেন কলকাতায়। রাতভর বৈঠক করে মঙ্গলবার সকালে ফেরেন দিল্লি। রবিবার এগরায় সভার পরে সোমবারও অমিতের সভা আছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবায়। রবিবার শুধু এগরায় সভা করাই নয়, অমিতের হাত ধরে বিজেপি-তে আসতে পারেন কাঁথির তৃণমূল বিধায়ক শিশির অধিকারী। সেটা হলে রাজ্য রাজনীতির ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য দিন হবে এই রবিবার। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, এগরার সভা শেষে মেচেদায় একটি সাংগঠনিক বৈঠক করবেন অমিত। ডাকা হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা নেতৃত্বকে। গত রবিবার খড়গপুরে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নেতৃত্বকে নিয়ে নির্বাচনী কৌশল বৈঠক করেছিলেন অমিত। রবিবার তেমন ভাবেই পূর্ব মেদিনীপুরের নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন।পূর্ব মেদিনীপুর থেকে রবিবার কলকাতায় ফিরে অমিতের একটি কর্মসূচি রয়েছে। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্ধ্যায় পদ্মশিবিরের ইস্তেহার প্রকাশ করবেন তিনি। রাজ্য বিজেপি-র দাবি, শুধু প্রথম দফার আগেই নয়, রাজ্যের আট দফা ভোটগ্রহণের প্রতিটির আগেই এই ভাবে প্রচারের ঝড় তুলতে চান মোদি-শাহ জুটি।

মার্চ ২১, ২০২১
রাজনীতি

খড়গপুরের সভায় মোদির নিশানায় মুখ্যমন্ত্রী, স্তুতি দিলীপ ঘোষের

শুভেন্দু অধিকারী নন, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় নন। মিঠুন চক্রবর্তী, স্বপন দাশগুপ্ত বা বাবুল সুপ্রিয়ো তো নন-ই। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি যদি জয়লাভ করতে পারে, তার পুরো কৃতিত্বটাই আগে থেকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে দিয়ে রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একমাত্র দিলীপ ঘোষের কারণেই বাংলায় এ বার পদ্মফুল ফুটবে, আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে এই কথাও বলতে শোনা গিয়েছে খোদ প্রধানমন্ত্রীকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, কোথাও গিয়ে কি এ রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ নিয়ে প্রচ্ছন্ন একটা বার্তা দিতে চাইলেন নমো।দিলীপ ঘোষের বর্তমান লোকসভা কেন্দ্র মেদিনীপুর ও আগের বিধানসভা কেন্দ্র খড়গপুরের মাটিতে এ দিন সভা করেন প্রধানমন্ত্রী। দিলীপ ঘোষের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন। বলেন, আমি গর্বিত আমার দলে দিলীপ ঘোষের মতো সভাপতি আছেন। খোদ প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠে দিলীপের গালভরা প্রশংসার পিছনে যে একটা বড় রাজনৈতিক তাৎপর্য রয়েছে, তা স্বীকার করছেন পর্যবেক্ষকদের একাংশ। কেননা, কেবল গর্বিত বলে থামেননি নমো। তিনি আরও বলেছেন, দলকে জেতাতে শেষ কয়েক বছর ধরে তিনি নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারেননি। তাঁর সংযোজন, ওনার উপর অনেক হামলা হয়েছে। মৃত্যুর কোলে শুইয়ে দেওয়ার চেষ্টাও করা হয়। কিন্তু, দিলীপ থেমে থাকেননি। দিনরাত এক করে কাজ করছেন। এই জন্যই আমি বলছি, এ বার বিজেপি সরকার। মোদির কথায় স্পষ্ট, দিলীপের কাঁধে ভর করেই বাংলায় পদ্ম ফোটানোর চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন তিনি। নীলবাড়ির লড়াইকে অবাধ করার ডাক দেওয়ার পাশাপাশি বাংলার পুলিশ-প্রশাসনকে গণতন্ত্র বাঁচানোর প্রতিজ্ঞা নেওয়ার আহ্বান এদিন জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একই সঙ্গে বললেন, অরজাকতার বিরুদ্ধে সকলকে রুখে দাঁড়াতে হবে। বলেন, বাংলায় ভোট দেওয়ার অধিকারও কেড়ে নিয়েছেন দিদি। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে ভাবে আপনাদের ভোটাধিকারকে পিষে দিয়েছিলেন, তা গোটা দুনিয়া দেখেছে। আমি কথা দিচ্ছি, দিদিকে আর গণতন্ত্রকে পদদলিত করতে দেব না। পুলিদলের নির্বাচনী ইস্তাহারে ১০ অঙ্গীকার নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ নরেন্দ্র মোদীর। বৃহস্পতিবার নিজেহাতে তৃণমূলের ইস্তার প্রকাশ করেন মমতা। তাতে প্রত্যেক পরিবারের ন্যূনতম রোজগারের ব্যবস্থা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি যেমন দিয়েছেন, তেমনই ঘরে ঘরে সস্তায় বিদ্যুৎ পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। শনিবার খড়গপুরের জনসভা থেকে সেই নিয়ে তীব্র আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাংলায় উন্নয়নের পথে দেওয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন দিদি। আপনারা বিশ্বাস করেছিলেন দিদিকে। কিন্তু উনি বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। আপনাদের স্বপ্ন চুরচুর করে দিয়েছেন ১০ বছরে বাংলাকে ধ্বংস করে দিয়েছেন। অনেক ১০ অঙ্গীকারের কথা বলছেন দিদি। বাংলার মানুষ আপনাকে ১০ বছর সময় দিয়েছিলেন। কিন্তু আপনি লুঠতরাজের সরকার চালিয়ে গিয়েছেন। ১০ বছরে শুরু দুর্নীতি দিয়েছেন। কুশাসন দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী বাংলার যুবসমাজের কাছ থেকে জীবনের ১০টি মূল্যবান বছর কেড়ে নিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন মোদি। তিনি বলেন, আপনাদের অস্থিরতা বুঝি। কংগ্রেস, সিপিএম, তৃণমূলকে বছরের পর বছর ধরে সহ্য করে আসছেন। দিদি তুষ্টিকরণের রাজনীতি করে এসেছেন বরাবর। বাংলার যুবসমাজের কাছ থেকে ১০ বছর কেড়ে দিয়েছেন দিদি। দিদির দল নির্মমতার পাঠশালা। সিলেবাস হচ্ছে তোলাবাজি। দিদির পাঠশালায় সিলেবাস কাটমানি। দিদির পাঠশালায় সিলেবাস সিন্ডিকেট। দিদির পাঠশালায় উৎপীড়ন এবং অরাজকতার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

মার্চ ২০, ২০২১
রাজনীতি

খড়গপুরের সভায় পৌঁছলেন নরেন্দ্র মোদি

অমিত শাহ ঘুরে গিয়েছেন কয়েক দিন আগেই। এ বার খড়গপুরে প্রচারে নরেন্দ্র মোদি।একদিনের ব্যবধানে ফের একবার বঙ্গে পা রাখলেন তিনি। শনিবার বেলা ১১টা নাগাদ কলাইকুণ্ডা বিমানবন্দরে পৌঁছন তিনি। সেখান থেকে গাড়িতে চেপে বেলা ১১টা বেজে ৩৫ মিনিট নাগাদ বিএনআর মাঠে পৌঁছন। বঙ্গের আসন দখল করতে অভিনেতা হিরণকে খড়গপুরে প্রার্থী করেছে বিজেপি। তাঁকে সঙ্গে নিয়ে সম্প্রতি সেখানে পদযাত্রা করে গিয়েছেন অমিত শাহ। এবার সভা করতে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

মার্চ ২০, ২০২১
রাজ্য

খেলা হবে না, বিকাশ হবে...পুরুলিয়ার সভায় পাল্টা স্লোগান মোদির

বঙ্গে ভোটের বাজার মাতিয়ে রেখেছে শাসকদলের খেলা হবে স্লোগান। তৃণমূলের ছোট-বড় নেতারা তো বটেই, খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখেও শোনা গিয়েছে এই স্লোগান। যা গত কয়েক মাসে প্রচারে সামান্য অ্যাডভান্টেজই দিচ্ছিল শাসক শিবির। এবার তৃণমূলের সেই খেলা হবে স্লোগানের পালটা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পুরুলিয়ার সভা থেকে মোদি জানিয়ে দিলেন, কোনও রকম খেলা নয়, বিজেপি শুধু উন্নয়নের কথা বলবে। প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, ভয় দেখানো দিদির অস্ত্র। যে কারণে খেলা হবে স্লোগান দেখিয়ে ভীতির সৃষ্টি করা হচ্ছে।পুরুলিয়ার সভা থেকে প্রধানমন্ত্রীর হুংকার, অত্যাচার অনেক করেছ দিদি। ভয় দেখানোই তোমার অস্ত্র। রুখে দাঁড়াবে বাংলার মানুষ। মা দুর্গার আশীর্বাদে বাংলার মানুষ করবে তোমাকে পরাস্ত। তৃণমূলের জনপ্রিয় স্লোগানকে কটাক্ষ করে মোদি বললেন, বাংলায় তৃণমূলের হাতে গোনা কয়েকটা দিন বাকি আছে। সেটা বুঝতে পেরেই দিদি বলছেন, খেলা হবে। দিদি বলেন খেলা হবে, বিজেপি বলে চাকরি হবে। দিদি বলেন খেলা হবে, বিজেপি বলে শিক্ষা হবে। দিদি বলেন খেলা হবে, বিজেপি বলে মহিলাদের উত্থান হবে। দিদি বলেন খেলা হবে, বিজেপি বলে যুব শক্তির প্রকৃত উত্থান হবে। দিদি বলেন খেলা হবে, বিজেপি বলে সোনার বাংলা তৈরি হবে। দিদি বলেন খেলা হবে, বিজেপি বলে প্রত্যেক ঘরে জল হবে। দিদি বলেন খেলা হবে, বিজেপি বলে হাসপাতাল হবে। দিদি বলেন খেলা হবে, বিজেপি বলে, স্কুল হবে দিদি, স্কুল হবে।নতুন এই স্লোগান তোলার পরই মোদির কটাক্ষ, ও দিদি বাংলায় খেলা এবার শেষ হবে। বিকাশ আরম্ভ হবে। দিদির বাংলার মানুষের থেকে বেশি খেলার চিন্তা। দিদি ভুলে গিয়েছেন, এবার গোটা বাংলা আপনার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে আছে। চুরির খেলা আর হবে না দিদি। নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহত হওয়া নিয়ে এতদিন মুখ না খুললেও এদিন মমতার দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, দিদি আমাদের চোখে আপনিও বাংলার মেয়ে। আপনাকে আমরা সম্মান করি। ভগবানের কাছে প্রার্থনা তুমি দ্রুত সুস্থ হয়ে যাও। কিন্তু সুস্থতা কামনা করেও মুখ্যমন্ত্রীর আহত হওয়ার ঘটনাকে পরোক্ষে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি মোদি। বলেছেন, কলকাতার ব্রিগেড র্যা লির পর কী কী হচ্ছে, সেটা আপনারাও দেখছেন, গোটা দেশ দেখছে। ১০ বছর তোষণের পর, মানুষের উপর অত্যাচারের পর হারার ভয়ে দিদি কেমন বদলে গিয়েছেন।

মার্চ ১৮, ২০২১
রাজনীতি

লাল-সবুজ পেরিয়ে এবার গেরুয়া পথে মহাগুরু

কোনও দলের নাম না করে নিজের আগের ভুল সিদ্ধান্তের কথা বললেন। রবিবার ব্রিগেড সমাবেশের মঞ্চে বিজেপি-তে যোগ দিয়ে মিঠুন স্পষ্ট বলেন, তাঁর আগের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। তাঁর কথায়, কারও দিকে আঙুল তুলতে চাই না। কাউকে দোষও দিচ্ছি না। আমারই সিদ্ধান্তে ভুল ছিল।প্রসঙ্গত, ব্রিগেডের সভার পরে মঞ্চের পিছনে মিঠুনের সঙ্গে আলাদা করে অন্তত ১৫ মিনিট কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মিঠুনের কথায়, ওঁর সঙ্গে আমার খুব ভাল আলোচনা হয়েছে। সব কথা তো প্রকাশ্যে বলা যায় না। তাঁর আরও বক্তব্য, বাংলায় বিজেপি যথেষ্ট জায়গা তৈরি করেছে। বাংলার মানুষ বিশ্বাস করছে, ওরা রাজ্যের জন্য ভাল কিছু করবে। তারা ক্রমাগত চেষ্টা করে যাচ্ছে। সেটা কখনও মিথ্যে হতে পারে না। তার মধ্যে কিছু সততা থাকে। মিঠুন আগেও বলেছেন, তিনি রাজনীতি নয়, মানবনীতি বোঝেন। কিন্তু তাঁর কথায়, সকলেরই একটা পতাকা প্রয়োজন হয়। প্রধানমন্ত্রী আমায় ডেকে যখন কথা বললেন, আমি বললাম, আমি বাংলার জন্য কাজ করতে চাই। আমি বাংলাকে ভালবাসি। তবে এক সময়ে বাম সঙ্গ থেকে শুরু করে অধুনা সঙ্ঘের হাত ধরা। বেশ কয়েকদিন ধরা চলা জল্পনা সত্যি প্রমাণ করে এদিন মোদির ব্রিগেড মঞ্চে রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তন হল মহাগুরুর। আর তাঁর এই প্রত্যাবর্তনকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি নেটাগরিকরা।

মার্চ ০৭, ২০২১
কলকাতা

'আসল পরিবর্তন'-এর স্বপ্ন ফেরি করলেন মোদি

স্বাধীনতার পর গত ৭৫ বছরে বাংলা থেকে যা ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে, তা ফিরিয়ে দেব। আমার কথা লিখে রাখুন! বক্তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদি। গোটা ভারত জানে, স্বপ্ন দেখাতে জানেন মোদি। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে এমন স্বপ্ন দেখিয়েই দেশের মানুষের মন জিতেছিলেন। তখনও তিনি গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী। স্বপ্ন দেখানোর কারিগর সেই অস্ত্রেই দিল্লিতে ক্ষমতায় ফিরেছেন ২০১৯ সালে। আর ২০২১ সালে গঙ্গাপাড়ের নীলবাড়ি দখল করতে ব্রিগেড সমাবেশ থেকে স্বপ্ন ফেরি করলেন তিনি। ফিরিস্তি শোনালেন, বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় এলে কী কী করবে। যাকে তিনি নিজেই আখ্যা দিলেন আসল পরিবর্তন। মোদির অবশ্য তা জানার কোনও অবকাশ ছিল না। বস্তুত, সমাবেশের সাফল্যে খুশি মোদি ব্রিগেড সমাবেশের শেষে টুইট করেন, ধন্যবাদ কলকাতা, ধন্যবাদ বাংলা। রাজ্যবাসী বিজেপি-কেই চায়। ব্রিগেডের জমায়েত দেখে যে তিনি খুশি, তা রবিবার নিজের বক্তব্যেও বারবার বুঝিয়েছেন মোদি। আর সেই সঙ্গে ছুঁতে চেয়েছেন সেই ভিড়ের মন। ব্রিগেড ময়দানে থেকেই হোক বা না থেকে, তাঁর শ্রোতা যে গোটা বাংলা, তা বুঝে ভাষণ-কৌশলী মোদি দুই বাংলার কথাই বলেছেন। বলেছেন, উত্তরবঙ্গ, দক্ষিণবঙ্গ, পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে কোনও পার্থক্য করা হবে না। সবাই সমান গুরুত্ব পাবে। সবার কল্যাণ করাই হবে প্রশাসনের মূল মন্ত্র। কারও তোষণ হবে না। কেমন হবে বিজেপি-র বাংলা? নিজে প্রশ্ন তুলে নিজেই উত্তর দিয়েছেন মোদি, বাংলা চায় উন্নতি। বাংলা চায় শান্তি। বাংলা চায় প্রগতিশীল বাংলা। বাংলা চায় সোনার বাংলা। এর পরেই বলেন, এই ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড থেকে আমি বাংলার মানুষকে আসল পরিবর্তনের আশ্বাস দিতে চাই। বাংলার পুনর্নিমাণ হবে। বাংলার সংস্কৃতি রক্ষার, বিনিয়োগ বাড়ানোর, কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নেওয়া হবে। কেন্দ্রে থেকেও তিনি যে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বাংলার কথা ভাববেন, তা বোঝাতে মোদি বলেন, এখানকার ছেলেমেয়েদের জন্য, শিল্পের জন্য, বাংলার জন্য ২৪ ঘণ্টা লড়াই করব। প্রতি মুহূর্ত আপনাদের জন্য বাঁচব। শুধু ভোট নয়। প্রতিনিয়ত আপনাদের মন জয় করে চলতে চাই। তা করতে চাই প্রেম আর সমর্পণ দিয়ে। বাংলার মানুষের উপকার করাই বিজেপি-র কাছে সবচেয়ে জরুরি হবে।

মার্চ ০৭, ২০২১
কলকাতা

ভোর থেকেই ব্রিগেডমুখী মোদি-ভক্তরা

আজ যখন ব্রিগেড গ্রাউন্ডে মোদির ভাষণ, ঠিক তখনই শিলিগুড়িতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পেট্রোপণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে মিছিল করবেন তৃণমূল নেত্রী। আজ বিজেপির ব্রিগেড। প্রধান বক্তা নরেন্দ্র মোদি। শহরে প্রধানমন্ত্রী আসার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটোসাঁটো করা হয়েছে। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি তুঙ্গে।বিধানসভা ভোটের আগে ব্রিগেড চ্যালেঞ্জ বিজেপির । ব্রিগেড গ্রাউন্ড ভরাতে মরিয়া বিজেপি। রাত থেকেই হাওড়া, শিয়ালদা থেকে শহরমুখী বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। আজকের ব্রিগেড নরেন্দ্র মোদির ব্রিগেড। বিধানসভা নির্বাচনে এবার রাজ্যের মসনদ দখল পাখির চোখ বিজেপির। তাই ব্রিগেডে মোদি কী বার্তা দেন সেদিকে তাকিয়ে গোটা বাংলা। ব্রিগেড থেকেই নির্বাচনী প্রচারের সুর বেঁধে দেবেন মোদি, মনে করছেন বিজেপি নেতা-কর্মী থেকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরাও।

মার্চ ০৭, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • 11
  • 12
  • 13
  • 14
  • 15
  • ›

ট্রেন্ডিং

বিদেশ

বোমা বিষ্ফোরণে কেঁপে উঠলো ঢাকা, মৃত্যু এক, অপরাধ-হিংসা বেড়েই চলেছে বাংলাদেশে

ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যার পর থেকে বাংলাদেশ উত্তপ্ত। তারপর ময়মনসিংহের দীপুচন্দ্র দাসকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নৃশংসভাবে খুন করেছে জেহাদীরা। চট্টগ্রামে হিন্দু বাড়ি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে। অতপর আজ, বুধবার ঢাকায় নিউ ইস্কাটনে ককটেল বোমা নিক্ষেপ করেছে দুষ্কৃতীরা। সেই বোমায় মৃত্যু হয়েছে একজনের। ইউনূস সরকারের আমলে একের পর এক অপরাধ ঘটেই চলেছে। বড়সড় প্রশ্নের মুখে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্ব।প্রথম আলো সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে ফ্লাইওভার থেকে ছোড়া ককটেলের বিস্ফোরণে এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার রাত পৌনে আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে এটাকে বোমার বিস্ফোরণ বলেছিল।এ বিষয়ে পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বলেন, রাত পৌনে ৮টার দিকে নিউ ইস্কাটনের বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের ফটকের সামনে শক্তিশালী ককটেলের বিস্ফোরণ হয়। এ সময় ওই যুবক গুরুতর আহত হন। কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।পুলিশের উপকমিশনার মাসুদ আলম জানান, নিহত ব্যক্তির নাম সিয়াম বলে জানা গেছে। তিনি সেখানে চা খেতে এসেছিলেন। ওপর থেকে ককটেল এসে তাঁর মাথার ওপর পড়ে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।এদিকে নির্বাচনে লড়াই করার প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলি। খালেদাপুত্র তারেক রহমানের আগামী কাল বাংলাদেশে আগমন উপলক্ষ্যে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে সরকার। পাশাপাশি তাঁকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত বিএনপি নেতা-কর্মীরা। দীর্ঘ ১৭ বছর পর তিনি বাংলাদেশে ফিরছেন।

ডিসেম্বর ২৪, ২০২৫
বিদেশ

ঢাকায় ছাত্রনেতা ওসমান হাদী হত্যা, নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ অন্তর্বর্তী সরকারের একাংশের বিরুদ্ধে

ঢাকায় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে বাংলাদেশি ছাত্রনেতা ও সাংস্কৃতিক সংগঠক শরীফ ওসমান হাদীর মৃত্যুকে ঘিরে নতুন করে রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। হত্যাকাণ্ডের কয়েকদিন পরই ওসমান হাদীর পরিবার সরাসরি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একটি অংশের বিরুদ্ধে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ভণ্ডুল করার উদ্দেশ্যে এই হত্যার পরিকল্পনার অভিযোগ তুলেছে।২০২৪ সালের জুলাই মাসের বিদ্রোহের পর গড়ে ওঠা সাংস্কৃতিক প্ল্যাটফর্ম ইনকিলাব মঞ্চএর মুখপাত্র ছিলেন শরীফ ওসমান হাদী। গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকায় খুব কাছ থেকে তাকে গুলি করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে বিমানে করে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হলেও ১৮ ডিসেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।এই মৃত্যুর পর ঢাকায় সহিংস বিক্ষোভ শুরু হয়। একাধিক জায়গায় জনতা বিশিষ্ট সংবাদমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের অফিস লক্ষ্য করে হামলা চালায়, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।ওসমান হাদীর ভাই শরীফ ওমর হাদী ঢাকার শাহবাগে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন। নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারকে লক্ষ্য করে তিনি বলেন, আপনারাই ওসমান হাদীকে হত্যা করেছেন, আর এখন সেই হত্যাকাণ্ডকে ইস্যু করে নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করছেন।ওমর হাদী জানান, তার ভাই ফেব্রুয়ারির মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন চেয়েছিলেন এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা নয় বরং একটি স্বচ্ছ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পক্ষে ছিলেন। তিনি দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে বলেন, খুনিদের শাস্তি না হলে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট হবে। সরকার এখনও পর্যন্ত আমাদের কোনও দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখাতে পারেনি।তিনি আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি ন্যায়বিচার না হয়, তবে বর্তমান ক্ষমতাসীনদেরও একদিন দেশ ছাড়তে হতে পারে। যেমনটি গত বছর গণবিক্ষোভের মুখে শেখ হাসিনার ক্ষেত্রে ঘটেছিল। ওমর অভিযোগ করেন, কোনও সংস্থা বা বিদেশি প্রভুদের কাছে মাথা নত না করায় ওসমান হাদীকে হত্যা করা হয়েছে।দ্য ডেইলি স্টারএর প্রতিবেদনে ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল জাবের দাবি করেছেন, এই হত্যাকাণ্ড জুলাইয়ের বিদ্রোহের অর্জন ও বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ধ্বংসের উদ্দেশ্যে একটি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। তার অভিযোগ, আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা শক্তি ও দেশের ভেতরের ফ্যাসিবাদী সহযোগীরা এই হত্যার সঙ্গে যুক্ত।বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বেন না। তবে ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা স্পষ্ট করেছেন, ২৫ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফেরার দিন তারা কোনও কর্মসূচি নেবেন না। একইসঙ্গে তারা আশা প্রকাশ করেছেন, তারেক রহমান তাদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানাবেন।

ডিসেম্বর ২৪, ২০২৫
রাজ্য

সামশেরগঞ্জে বাবা-ছেলের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে ১৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

গত ১২ এপ্রিল, মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সামশেরগঞ্জ থানা এলাকার জাফরাবাদ গ্রামের দুই বাসিন্দা হরগোবিন্দ দাস এবং তাঁর ছেলে চন্দন দাসকে উত্তেজিত জনতার একটি দল নৃশংসভাবে হত্যা করে। এই জোড়া খুনের মামলার তদন্তে গঠিত হয়েছিল একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT)। পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পর ১৩ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে জমা পড়েছিল চার্জশিট।আজ রায় বেরিয়েছে মামলার। অতিরিক্ত জেলা জজ আদালত ১৩ জন অভিযুক্তকেই দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি ঘোষণা করেছেন। এখানে একটি প্রাসঙ্গিক তথ্য, গণপিটুনিতে মৃত্যুর ধারায়(যা কয়েক বছর আগে চালু হওয়া নতুন ফৌজদারি বিধিতে ১০৩(২) ধারায় চিহ্নিত হয়েছিল) এটি দেশে দ্বিতীয় conviction.দণ্ডিত ১৩ জনের নাম হলো:১. দিলদার নদাব (২৮), ২. আসমাউল নদাব ওরফে কালু (২৭), ৩. এনজামুল হক ওরফে বাবলু (২৭), ৪. জিয়াউল হক (৪৫), ৫. ফেকারুল সেখ ওরফে মহক (২৫), ৬. আজফারুল সেখ ওরফে বিলাই (২৪), ৭. মনিরুল সেখ ওরফে মনি (৩৯), ৮. একবাল সেখ (২৮), ৯. নুরুল ইসলাম (২৩), ১০. সাবা করিম (২৫), ১১. হযরত সেখ ওরফে হযরত আলী (৩৬), ১২. আকবর আলী ওরফে একবর সেখ (৩০) এবং ১৩. ইউসুফ সেখ (৪৯)।এদের মধ্যে ৫ জনের নাম এফআইআর-এ ছিল। বাকিদের তদন্তে পাওয়া তথ্য এবং তাঁদের ভূমিকার ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ওড়িশার ঝারসুগুডা, ঝাড়খণ্ডের পাকুড়, বীরভূমের পাইকর, হাওড়া, ফারাক্কা, সামশেরগঞ্জ এবং সুতি-সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে এই ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হয়।তদন্তের সময় সিসিটিভি (CCTV) ক্যামেরা থেকে প্রাথমিক সূত্র পাওয়া গিয়েছিল। এছাড়া গুগল ম্যাপস লোকেশন ভিজ্যুয়ালাইজেশন পদ্ধতি ব্যবহার করে অভিযুক্তদের মোবাইলের সিডিআর (CDR) ম্যাপে প্লট করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে অপরাধের জায়গায় তাঁদের উপস্থিতি এবং প্রবেশ-প্রস্থানের পথ স্পষ্টভাবে প্রমাণ করা হয়েছে।অভিযুক্তদের হাঁটার ধরন বা গেইট প্যাটার্ন বিশ্লেষণ (Gait pattern analysis) করা হয়েছিল, যা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাওয়া ব্যক্তিদের হাঁটার ধরনের সাথে হুবহু মিলে গেছে। আদালত এই রায়ে ডিএনএ (DNA) প্রমাণের ওপরও গুরুত্ব দিয়েছেন। অপরাধে ব্যবহৃত অস্ত্রে লেগে থাকা রক্তের ডিএনএ-র সাথে মৃত ব্যক্তিদের ডিএনএ মিলে গিয়েছে।এই মামলার সঙ্গে যুক্ত মিঠুন হালদার, ইন্সপেক্টর প্রসূন মিত্র এবং বিভাস চট্টোপাধ্যায়, এই তিন পুলিশ আধিকারিক দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছে বলে অভিনন্দন জানিয়েছে রাজ্য পুলিশ। মাত্র নয় মাসের মধ্যেই দোষীদের শাস্তি সুনিশ্চিত করার জন্য জঙ্গিপুর জেলা পুলিশকেও অভিনন্দন জানিয়েছে উর্দ্ধতন পুলিশ কর্তারা।

ডিসেম্বর ২৪, ২০২৫
কলকাতা

বাংলাদেশে হিন্দু খুনের প্রতিবাদে উত্তাল কলকাতা, বাংলা হাইকমিশনের সামনে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের বিক্ষোভ, ধুন্ধুমার

কলকাতার রাজপথ উত্তপ্ত হয়ে উঠল মঙ্গলবার। বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের বিক্ষোভ ঘিরে চরম উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতেই পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এই ঘটনায় একাধিক বিক্ষোভকারী আহত এবং কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।বিক্ষোভকারীদের দাবি, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন-সহ একাধিক ইস্যুতে প্রতিবাদ জানাতেই এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সম্প্রতি দীপুচন্দ্র দাসকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নৃংশস ভাবে হত্যা করে বাংলাদেশের মৌলবাদীরা। তাঁকে মারধর করে পোস্টে বেঁধে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তী বাংলাদেশ পুলিশ স্বীকার করে দীপু কোনওরকম সাম্প্রদায়িক কথা বলেনি। সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। এমনকী বাংলাদেশ পুলিশ তাঁকে না রক্ষা করে হত্যাকারীদের হাতে তুলে দেয় বলে অভিযোগ।বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর অত্য়াচারের প্রতিবাদেই এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কর্মী-সমর্থকরা হাইকমিশনের সামনে জমায়েত হতে শুরু করেন। প্রথমদিকে পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। বেগবাগান এলাকায় একাধিক পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যায় বিক্ষোভকারীরা।পুলিশ সূত্রে খবর, বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ ব্যারিকেড ভেঙে হাইকমিশনের মূল গেটের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বারবার মাইকে সতর্কবার্তা দিয়ে জমায়েত ছত্রভঙ্গ করার নির্দেশ দেওয়া হলেও তা অমান্য করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর ধস্তাধস্তি শুরু হলে পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।কূটনৈতিক স্থাপনার নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এতে কয়েকজন বিক্ষোভকারী আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে একাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। লাঠিচার্জের পর পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ এবং মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত বাহিনী। সাময়িকভাবে যান চলাচলও ব্যাহত হয়।পুলিশ আধিকারিকদের দাবি, বিদেশি কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা রক্ষা করা প্রশাসনের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে আরও অবনতি না ঘটে, সেই কারণেই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। অন্যদিকে, বিক্ষোভকারী সংগঠনগুলির বক্তব্য, তাঁদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করা হয়েছে। পুলিশের লাঠিচার্জের নিন্দা জানিয়ে তাঁরা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

ডিসেম্বর ২৩, ২০২৫
রাজ্য

হাঁসখালি কাণ্ডে তৃণমূল নেতার ছেলে সহ তিনজনের যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা আদালতের

নদিয়ার হাঁসখালি গণধর্ষণ, খুন ও প্রমান লোপাটের ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ রায় ঘোষণা করে আদালত। গতকাল, সোমবার মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতা সহ মোট ৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। দোষ প্রমাণিত হওয়ার পর আজ রাণাঘাট আদালত অভিযুক্তদের সাজা ঘোষণা করে। মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার ছেলে ব্রজ গয়ালী, প্রভাকর পোদ্দার ও রঞ্জিত মল্লিক তিনজনকে যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করা হয়েছে। বাকিদের সাজাও ঘোষণা করেছে আদালত। তৎকালীন পঞ্চায়েত সদস্য সমরেন্দ্র গয়ালীর পাঁচ বছর কারবাসের সাজা হয়েছে।আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় অভিযুক্তদের প্রত্যক্ষ ভূমিকা, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য এবং তদন্তকারী সংস্থার পেশ করা নথি ও তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতেই এই রায় দেওয়া হয়েছে। মামলায় সরকারি কৌঁসুলি সওয়ালে জানান, অভিযুক্তরা পরিকল্পিতভাবে অপরাধে যুক্ত ছিল এবং তা প্রমাণ করতে পর্যাপ্ত তথ্য আদালতের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। পুলিশ প্রথমে গ্রেফতার করেছিল ২ জনকে। তারপর হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্তভার হাতে যায় সিবিআইয়ের ওপর।রায় ঘোষণার সময় আদালত চত্বরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। রায় শোনার পর দোষী সাব্যস্ত হওয়া অভিযুক্তদের সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। আদালতের এই সিদ্ধান্তে হাঁসখালি সহ গোটা নদিয়া জেলায় রাজনৈতিক মহলে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এই মামলাকে ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক চলছিল। বিরোধী দলগুলির অভিযোগ ছিল, অভিযুক্তদের মধ্যে শাসকদলের নেতা থাকায় তদন্ত প্রক্রিয়ায় প্রভাব খাটানোর চেষ্টা হয়েছে। উচ্চতর আদালতে যাবেন বলে আসামী পক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন।

ডিসেম্বর ২৩, ২০২৫
রাজ্য

হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস খু.নের ঘটনায় ১৩ জন দোষী সাব্যস্ত, রায় মঙ্গলবার

সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামে হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস খু.ন কাণ্ডে ধৃত ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করলো জঙ্গিপুর আদালত। চলতি বছর তাঁদের নৃশংস ভাবে খুন করা হয়। এই মামলা রায়দান করা হবে মঙ্গলবার। রায়ের দিকে নজর রয়েছে সাধারণ মানুষের।দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গিপুর আদালতে এই মামলার শুনানি চলে। ফরেনসিক রিপোর্ট, একাধিক সাক্ষী, পুলিশি তদন্ত রিপোর্ট এবং অন্যান্য তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন আদালতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য উঠে আসে। যার ফলে মামলা গুরুত্বপূণ মোড় নেয়। চলতি বছরের ১২ ই এপ্রিল সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামে খুন করা হয় হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাসকে। সেই সময় হিংত্মাক আন্দোলন চলছিল ওই মুর্শিদাবাদের এই এলাকায়। দীর্ঘ শুনানির পর অবশেষে জঙ্গিপুর আদালতে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে ১৩ জনকে। এদিন রায় ঘোষণা ও দোষী সাব্যস্ত করার ঘটনায় ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজনীতি

হুমায়ুন কবীরের নতুন দল ‘জেইপি’, মঞ্চ থেকেই একের পর এক হুঁশিয়ারি, ব্রিগেডে জনসভা জানুয়ারিতে

মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা খাগারুপাড়া মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করল হুমায়ুন কবীরের নতুন রাজনৈতিক দল জে ইউ পি (JUP)। দল গঠনের সঙ্গে সঙ্গেই সভাপতি হিসেবে নিজের নাম ঘোষণা করেন হুমায়ুন কবীর। সভার মঞ্চ থেকেই আগামী বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে একের পর এক বড় রাজনৈতিক ঘোষণা করেন তিনি।হুমায়ুন কবীর জানান, জেইউপি দলের হয়ে তিনি বেলডাঙা ও রেজিনগর, এই দুই বিধানসভা কেন্দ্রেই প্রার্থী হবেন এবং ৩০ হাজার ভোটে দুটি আসনেই জয়লাভ করবেন। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ জেলার আরও ছয়টি বিধানসভা আসনে দলের প্রার্থী ঘোষণা করেন তিনি।সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি আক্রমণ করে হুমায়ুন কবীর বলেন, আপনি সাড়ে সাত লক্ষ কোটি টাকার ঋণের বোঝা বাংলার মানুষের মাথায় চাপিয়েছেন। এর জবাব ২০২৬ সালে বাংলার মানুষ দেবে।কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ব্রিগেডে সভা করব। ফিরহাদ হাকিম বেশি বাড়াবাড়ি করলে ব্রিগেড থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ নিয়ে মেয়র অফিস ঘেরাও করা হবে।সভায় উপস্থিত কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে হুমায়ুন কবীর বলেন, আজ যারা এখানে এসেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে যদি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়, জেলায় হলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ডেপুটেশন, জেলার বাইরে হলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে থানার ইট খুলে নেব।তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করে হুমায়ুন কবীর ঘোষণা করেন, মুর্শিদাবাদ থেকে তৃণমূলকে নিশ্চিহ্ন করে দেব।একই সঙ্গে বিজেপিকেও সতর্ক করে তিনি বলেন, বিধানসভা থেকে মুসলিম বিধায়কদের চ্যাদোলা করে বাইরে ফেলবে, এমন স্বপ্ন দেখবেন না। বিরোধী দলনেতাকেও আক্রমণ করে বলেন, ২০০টি আসনে প্রার্থী দিলে ১০০টি আসন জিতব, তার মধ্যে ২০ জন হিন্দু বিধায়ক থাকবেন।মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হুমায়ুন কবীর বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যদি আপনার সৎ সাহস থাকে, তাহলে আপনার প্রিয় চ্যানেলে বসুন, আমার মুখোমুখি। সেদিন বাংলার মানুষ দেখবে আপনার মিথ্যাচার।সভা শেষে তিনি আগামী দিনের কর্মসূচিও ঘোষণা করেন৪ জানুয়ারি: ডোমকল জনকল্যাণ মাঠে জনসভা৫ জানুয়ারি: হরিহরপাড়া এলাকার একটি মাঠে জনসভাএদিনের সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে বহু কর্মী-সমর্থক জে ইউ পি দলে যোগদান করেন, যা দলটির ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের ইঙ্গিত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজ্য

ভোটের আগে তৃণমূলে বড় ধাক্কা, আজ নতুন দল ঘোষণা হুমায়ুন কবিরের

বঙ্গ রাজ্য রাজনীতিতে আজ, সোমবার নয়া জল্পনা ও চমক। সাসপেন্ড তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর আগামিকাল মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গায় আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করতে চলেছেন। বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তাঁর এই পদক্ষেপ ঘিরে জেলা ও রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনা।জানা গিয়েছে, বেলডাঙ্গায় আয়োজিত ওই জনসভা থেকেই নতুন দলের নাম, প্রতীক ও রাজনৈতিক রূপরেখা প্রকাশ করবেন হুমায়ুন কবির। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিরোধে জড়িয়েছিলেন। দলবিরোধী মন্তব্য ও কার্যকলাপের অভিযোগে তাঁকে দল সাসপেন্ড করে। সেই ঘটনার পর থেকেই আলাদা রাজনৈতিক পথ নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে আসছিলেন তিনি। পাশাপাশি নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছিলেন হুমায়ুন।হুমায়ুন কবিরের নতুন দলে কারা কারা যোগ দেবেন, তৃণমূল বা অন্য দল থেকে কোনও পরিচিত মুখ তাঁর সঙ্গে থাকবেন কি না, এই প্রশ্নগুলো ঘিরেই রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল তুঙ্গে। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ জেলার রাজনীতিতে তাঁর প্রভাব বিবেচনা করলে, এই নতুন দলের আত্মপ্রকাশ স্থানীয় রাজনৈতিক সমীকরণে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য না করলেও পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে বিজেপি ও অন্যান্য বিরোধী দলও হুমায়ুন কবিরের ঘোষণার দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে।গত ৬ ডিসেম্বর হুমায়ুন বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করেছেন। তারপর থেকে নতুন দল গঠনের জন্য প্রস্তুতি বৈঠকও সেরেছেন। ভোটের আগে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, তা অনেকটাই নির্ভর করবে হুমায়ুন কবিরের সংগঠিনক শক্তি ও জনসমর্থনের উপর। আগামিকালের বেলডাঙ্গার সভা থেকেই স্পষ্ট হবে, এই নতুন দল রাজ্য রাজনীতিতে কতটা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। তবে বঙ্গ রাজনীতিতে ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে নবাবের মুর্শিদাবাদ যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে তাঁর ঈঙ্গত রয়েছে।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal