• ১ পৌষ ১৪৩২, শুক্রবার ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

India

দেশ

কর্মক্ষেত্রে বার্ধক্যের আধিক্য উদ্বেগজনক

দশ বছর ব্যবধানে ভারতে জনগণনা হয়। দেশে শেষ জনগণনা হয় ২০১১ সালে। এই হিসেবে দশ বছর পরে অর্থাৎ ২০২১ সালে জনগণনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগে বিশ্ব জুড়ে অতিমারির প্রকোপ ছড়িয়েছিল। তার অভিঘাত ভারতেও এসে পড়ে। ফলে নির্দিষ্ট সময় জনগণনার কাজ করা যায় নি। ২০২৩ সাল শেষ হতে আর মাত্র চার মাস বাকি। এই পরিস্থিতিতে জনগণনা কাজ কবে শুরু হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। বিশেষজ্ঞদের অনুমান জনগণনার ফল বেরোলে দেখা যাবে ভারতের জনসংখ্যা ১৪০কোটির কাছাকাছি পৌঁছবে। সাম্প্রতিক কালে এমন কিছু সমীক্ষা হয়েছে যাতে দেখা গিয়েছে দেশে মোট জনসংখ্যায় বয়স্কদের তুলনায় অল্পবয়সী দের সংখ্যা অনেক বেশি। এই সংখ্যার অনুপাত ধরে ভারতকে বলা হচ্ছে তারু ন্যের দেশ। আমরা জানি তারুণ্যের বিকাশের জন্য যে মৌলিক উপাদানগুলি তার মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল শিক্ষা শেষে কাজের সুযোগ।Center for Monitoring Indian Economy র সাম্প্রতিক সমীক্ষায় এক অতি উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এসেছে। সমীক্ষা বলছে গত সাত বছরে দেশের কর্মশক্তিতে ( work force) বয়স্কদের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। সমীক্ষার তথ্য বলছে ২০১৬/১৭ সালে দেশের কর্মশক্তিতে ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের হার ছিল পঁচিশ শতাংশ। ২০২২/২৩ সালে তার কমে এসে দাঁড়িয়েছে সতেরো শতাংশে। ওই একই সময়কালে ৩০ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের হার ছিল ৩৮ শতাংশ। ২০২২/২৩ সালে সেই হার নেমে এসেছে ৩৩ শতাংশে। কর্মশক্তিতে কম বয়সীদের উপস্থিতি এই নিম্নগামী হারের পাশাপাশি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে বয়স্কদের উপস্থিতির সংখ্যা অনেকটাই ঊর্ধগামী। উপরে উল্লেখিত সময়কালের মধ্যে কর্মশক্তিতে ৪৫বছর অথবা তার বেশি উপস্থিতির হার ৩৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪৯ শতাংশ হয়েছে। আরেকটু সরল করে বললে বলতে হয় বর্তমান ভারতে কর্মশক্তির প্রায় অর্ধেকটাই দখল করে রয়েছেন ৪৫ থেকে ৫৫ বছর বয়সী কর্মীরা। দেশের কর্মশক্তিতে তারুণ্যের অনুপাত কমে যাওয়ার অর্থ, কাজের বাজারেও তারুণ্যের উপস্থিতির হার নিম্নগামী। বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগের!অতিমারি পরিস্থিতির আগে থেকেই দেশে বেকারের সংখ্যা বাড়ছিলো। করোনা ভাইরাসের দাপটে অসংখ্য মানুষ কাজ হারানোয় বেকারের সংখ্যা বহুগুন বেড়ে যায়। করোনা কালে দেশের অর্থনীতিতে যে বিশাল ধাক্কা লেগে ছিল তার রেশ এখনো রয়ে গিয়েছে। এখনও বহু মানুষ দারিদ্র্যের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে বেকার তরুনরা কাজের বাজারে প্রবেশ করতে চাইলেও তাদের জন্য যথেষ্ট কাজের সুযোগ নেই। এর-ই মাঝে সাম্প্রতিক কয়েকটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে দেশে কর্মশক্তিতে মেয়েদের সংখ্যা উদ্বেগজনক ভাবে কম। বিশ্বের যে কয়টি দেশে মেয়েদের উপস্থিতির হার অত্যন্ত কম তার মধ্যে ভারত অন্যতম।দেশের কর্মশক্তিতে বয়স্কদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি নীতি নির্ধারকদের অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। কী ভাবে এই পরিস্থিতি তৈরি হল তা জানতে গভীর অনুসন্ধানের প্রয়োজন। কিছু বিশেষজ্ঞের অনুমান এই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার অন্যতম কারণ হলো কম বয়সীদের মধ্যে কাজ পাওয়ার জন্য যে দক্ষতার প্রয়োজন তার অভাব রয়েছে। বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন দেশের জনসংখ্যায় তারুণ্যের হার বাড়লেই যে তাদের কাজের সুযোগ বাড়বে তা নয়। বর্তমানে শিল্পক্ষেত্রে উৎপাদন ও বিপণনে যে পরিবর্তন এসেছে তাতে কাজের বাজারে দক্ষতায় ও অভিজ্ঞতায় বয়স্কদের সঙ্গে কমবয়সীরা প্রতিযোগিতায় পেরে উঠছেনা না। তাই কর্মশক্তিতে তরুনদের তুলনায় বয়স্কদের সংখ্যা বাড়ছে। এই রেখচিত্র বদলানোর জন্য অতি দ্রুত পদক্ষেপ না করলে পরিস্থিতি আরও জটিল হবে। দেরি হয়ে গেলে বিশ্বে ভারত এমন এক দেশ হয়ে উঠবে মোট জনসংখ্যায় তারুণ্যের আধিক্য থাকলেও কর্মশক্তিতে বয়স্কদের সংখ্যা আরও বাড়বে।

আগস্ট ৩০, ২০২৩
দেশ

ভারতের ‘রকেট ওমেন’, চন্দ্রাভিযানে গুরুদায়িত্ব সামলানো লখনউ-র এই বিজ্ঞানীকে চিনে নিন

চাঁদ মামা এখন দুরের নয় ট্যুরের, সুদুর দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরস এই মন্তব্য ঘরে ঘরে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। চাঁদের মাটিতে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। পুর্বনির্ধারিত দিন ও সময় অনুযায়ী বুধবার ঠিক সন্ধ্যা ৬.০৪ মিনিটে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফট ল্যাণ্ডিং করে ইসরোর চন্দ্রযান-৩। সারা দেশজুড়ে উল্লাস ও উৎসব। ভারতীয় হিসাবে সত্যিই গর্ব করার মত মুহুর্ত। চাঁদ এখন ভারতের বিজ্ঞানীদের হাতের মুঠোয়।বিক্রমের কাঁধে ভর করে প্রজ্ঞান চাঁদে ল্যান্ড করেই একের পর এক চমক দিতে শুরু করেছে। সফল অবতরণের পর প্রথম চন্দ্রপৃষ্ঠের একটি ছবি তুলে পাঠায় ল্যান্ডার বিক্রম। তাতে দেখা যায় চাঁদের ঠিক কোন অঞ্চলে নেমেছে বিক্রম। এর পরই বিক্রমের অন্তঃস্থল থেকে বেরিয়ে আসে রোভার প্রজ্ঞান।ইসরো তার সামাজিক মাধ্যমে বৃহস্পতিবার সকালে জানায়,প্রজ্ঞান সঠিক ভাবেই বিক্রমের পেট থেকে চাঁদে ভুমিষ্ট হয়েছে, এবং সুস্থ ও স্বাভাবিক ভাবে মুনওয়াকেও বেড়িয়ে পড়েছে সে। ভারতের জাতীয় প্রতীক অশোক স্তম্ভ চাঁদের মাটিতে এঁকে দিয়ে আসবে রোভার প্রজ্ঞান। চন্দ্রযান-৩-এর চুড়ান্ত সাফল্যে অনেকের মতই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন লখনউয়ের প্রবাসী এক মহিলা। ইসরো খুব বড় দায়িত্ব দিয়েছিল এঁর কাঁধে।সম্পুর্ন ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ইসরোর চন্দ্রযান ৩ সফলভাবে চাঁদের মাটি ছুঁয়ে ফেলেছে, তথ্য তল্লাস করতে ঘোরাঘুরিও শুরু করে দিয়েছে প্রজ্ঞান। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণকারী হিসাবে প্রথম দেশ হয়ে উঠেছে ভারত। ভারতের এই ঐতিহাসিক সাফল্যে সামগ্র বিশ্ব থেকে অভিনন্দনের বন্যায় ভেসে যাচ্ছে সামাজিক মাধ্যমের ওয়াল। আজ প্রত্যেক ভারতীয়ের কাছে এই মুহুর্ত খুব আবেগের, আনন্দের ও অত্যন্ত গর্বের। উত্তরপ্রদেশের রাজধানী শহর লখনউতে উৎসবের ঝাঁজ বেশ খানিকটা বেশি। কারণ চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্যের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে লখনউ-র এক ভুমিকন্যার যোগসূত্র। এই শহরেরই মেয়ে ডাঃ ঋতু করিধাল শ্রীবাস্তবের কাঁধেই চন্দ্রযান-৩ এর সফল অবতরণের গুরুত্বদায়িত্ব ছিল।ঋতু করিধাল শ্রীবাস্তব বিজ্ঞানী মহলে ভারতের রকেট ওমেন নামে অধিক পরিচিত। ঋতু করিধাল লখনউ শহরের রাজাজি পুরম এলাকার আদি বাসিন্দা। তার পৈতৃক বাড়ি এখনও রয়েছে এখানে। চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্যের পর তার বাড়িতে উৎসবের মেজাজ। ঋতু এর আগেও ISRO-র অনেক বড় বড় প্রকল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এমনকি চন্দ্রযান ৩ মিশনে সফল অবতরণের মতো গুরুদায়িত্ব তাঁকেই দেওয়া হয়েছিল ইসরোর পক্ষ থেকে। ঋতু করিধাল ছিলেন চন্দ্রযান-৩ প্রোজেক্টে মিশন ডিরেক্টর। এর আগে ঋতু মঙ্গলযানের ডেপুটি অপারেশন ডিরেক্টর ও চন্দ্রযান-২ এর মিশন ডিরেক্টর ছিলেন।করিধালের জন্ম উত্তর প্রদেশের লখনউতে। তিনি একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে ওঠেন। পরিবারে পড়াশোনার চল ছিল অনেক আগে থেকেই। তিনি লখনউ-র এক বেসরকারকারি স্কুল থেকে প্রাথমিক পড়াশোনা করেন। তিনি ছাড়াও তাঁর দুই ভাই ও দুই বোন রয়েছে। ছোটবেলা থেকেই তাঁর মহাকাশ নিয়ে আগ্রহ ছিল বেশী। তিনি যেখানে থাকতেন, সেখানকার পরিবেশ তাঁর পড়াশোনার পক্ষে অনুকুল ছিলনা বলে তিনি সেলফ স্টাডি তে জোড় দেন। ঋতু ছোট থেকেই রাতের আকাশের দিকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা তাকিয়ে থাকত এবং মহাকাশের কথা চিন্তা করত, সে চাঁদের কথা ভাবত, কীভাবে এটি তার আকার ও রং পরিবর্তন করে, তারাগুলি কে পর্যবেক্ষণ করে তাঁর মনে প্রশ্ন জাগে ঐ গভীর অন্ধকারের পিছনে কী রয়েছে? তার কৈশোরে, তিনি মহাকাশ-সম্পর্কিত যেকোনো কার্যকলাপ সম্পর্কে সংবাদপত্রের প্রতিটি কাটিং সংগ্রহ করতে শুরু করেছিলেন এবং ISRO এবং NASA-এর কার্যকলাপের উপর তাঁর সাংঘাতিক রকমের নজর ছিল।ঋতু লখনউ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে পদার্থবিদ্যায় স্নাতক ও মাস্টার্স ডিগ্রী সম্পন্ন করেছেন। পদার্থবিদ্যা বিভাগেই ডক্টরেট কোর্সে ভর্তি হন। পরে একই বিভাগে শিক্ষকতাও করেন। তিনি ছয় মাস লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা স্কলার ছিলেন। তিনি মহাকাশ প্রকৌশলে স্নাতকোত্তর করার জন্য IISc, ব্যাঙ্গালোরে যোগদান করেন। বাকিটা ইতিহাস। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণায় অবদানের জন্য ঋতু করিধাল শ্রীবাস্তবকে রকেট ওমেন হিসাবেই স্মরণ করবে।

আগস্ট ২৬, ২০২৩
দেশ

জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন ভারতের, চন্দ্র অভিযানে ইতিহাস গড়ল ইসরো

ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ইসরো) দ্বিতীয় দফার প্রচেষ্টা সফল। চন্দ্রযান-৩ বিক্রম ল্যান্ডার সফট ল্যান্ডিং করল চাঁদের পৃষ্ঠে। ইতিহাস গড়ে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফল অবতরণ করল চন্দ্রযান ৩। বুধবার সকাল থেকে টানটান উত্তেজনা ছিল দেশজুড়ে। সারা বিশ্ব তাকিয়ে ছিল ভারতের চন্দ্র অভিযানের দিকে। এরইমধ্যে রাশিয়ার দ্রুত গতির চন্দ্র অভিযান ব্যর্থ হয়েছে। চার বছরের মাথায় সফল ইসরো। চাঁদের সহজেই দক্ষিণ মেরুতে সফল অবতরণ করল চন্দ্রযান ৩।ইতিহাসে নাম লেখাতেই দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একইসঙ্গে ইসরোর বিজ্ঞানীদের কৃতিত্বকে কুর্নিশ জানিয়েছে মোদী। ইসরো প্রধান সোমনাথ আজ সকালেই মিশন সম্পর্কে বলেন, চার বছরের কম সময়ে আমরা আমাদের মিশন উন্নত করতে এবং একটি ব্যাকআপ পরিকল্পনা তৈরিতে আমাদের বিজ্ঞানীরা সাফল্যের সঙ্গে কাজ করেছেন। এই মিশনে এখন পর্যন্ত আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী সবকিছুই ঠিক ঠাক হয়েছে। আমরা বিভিন্ন স্তরে সিস্টেম যাচাই করে অবতরণের প্রস্তুতি নিয়েছি এবং ল্যান্ডারের স্বাস্থ্য একেবারে ঠিক আছে। পাশাপাশি তিনি বলেন, চন্দ্রযান-২ মিশনের ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে আগের সকল ভুল সংশোধন করেছে ISRO।১৪ জুলাই ইতিহাস গড়ার অভিযানে নেমেছিল ইসরো। শেষমেশ সফল অবতরণ। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে এই প্রথম কোনও দেশ অভিযানে সক্ষম হল। এই অবতরণে সফল হয়ে ইতিহাসে নাম লেখাল ভারত।চন্দ্রযান-২, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯-এ চাঁদে অবতরণের প্রক্রিয়া চলাকালীন ব্যর্থ হয়েছিল, যখন এর ল্যান্ডার বিক্রম একটি প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে চন্দ্রপৃষ্ঠে ভেঙে পড়ে। ভারতের প্রথম চন্দ্র মিশন চন্দ্রযান-১ ২০০৮ সালে চালু হয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিন এবং প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়নের পরে ভারত মুন মিশনে বিশ্বের চতুর্থ দেশ হয়ে হয়ে উঠেছে। ১৪ দিন সেখানে ঘুরে ফিরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে চন্দ্রযান-৩-এর রোভার প্রজ্ঞান। এই ১৪ দিন চাঁদের জমিতে থাকা জল ও নমুনা সংগ্রহ করবে রোভার।

আগস্ট ২৩, ২০২৩
দেশ

ইসরোর বিক্রমে ‘হাতের মুঠোয় চাঁদ’, জোছনা এবার আড়ি করেনি

ইতিহাসের সাক্ষী থাকলো সারা বিশ্ববাসী। অন্তরীক্ষে ইতিহাস ভারতের। বিশ্বের প্রথম দেশ হিশাবে চাঁদের বুকে বীর বিক্রমে রোভার প্রজ্ঞানকে পেটে নিয়ে চাঁদের বুকে পা রাখলো ভারত। বুধবার ঠিক সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করল চন্দ্রযান-৩। অবতরণের শেষ ২০ মিনিট নিয়ে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরোর বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা ও দুশ্চিন্তায় কেটেছে। শেষ ভালো যার সব ভালো। কোনওরকম সমস্যা তৈরি না করে সমস্ত কিছুই পরিকল্পনা মাফিক হয়ে চাঁদের বুকে সফট ল্যান্ডিং করল সম্পূর্ন ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ল্যান্ডার বিক্রম। চাঁদের মাটি ছুঁয়েই ল্যান্ডারের বিক্রম ভারতকে অভিনন্দন বার্তা পাঠালো। এবার বিক্রমের পেট থেকে বেরিয়ে রোভার প্রজ্ঞান কি কি আজানা খবর দেয় তার দিকেই তাকিয়ে ইসরো-র বিজ্ঞানীরা।উল্লেখ্য, ২০২৩ এর ১৪ জুলাই ভারতের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে রওনা করে ছিল চন্দ্রযান-৩। ইসরোর তৈরি মহাবলী মার্ক-৩ রকেটে চড়ে কক্ষপথে পাড়ি দেয় এই মহাকাশ যানটি। যাত্রাপথে ৩ লক্ষ ৮৪ হাজার কিলোমিটারে পথ নির্বিঘ্নে প্রতিটি ধাপ সে সফলভাবে পেরিয়েছে। আগস্ট মাসের ৫ তারিখ চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছয় চন্দ্রযান-৩। ১৯ আগস্ট মূল মহাকাশ যান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে চন্দ্রাভিযানের উদ্দশ্যে রওনা দেয় ল্যান্ডার বিক্রম।Chandrayaan-3 Mission:All set to initiate the Automatic Landing Sequence (ALS).Awaiting the arrival of Lander Module (LM) at the designated point, around 17:44 Hrs. IST.Upon receiving the ALS command, the LM activates the throttleable engines for powered descent.The pic.twitter.com/x59DskcKUV ISRO (@isro) August 23, 2023ইসরো বিজ্ঞানীদের হয়ত বা চার বছর আগের ব্যর্থতার সেই মহুর্তে বার বার মনে আসছিলো। তীরে এসে তরী ডুববে না তো? ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবারের চন্দ্রযানকে এরর -ফ্রী করে তুলে ইসরোর মহাকাশ বিজ্ঞানীরা যে চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখেনি তা বলাই বাহুল্য। এবারের অভিযান নিয়ে প্রথম থেকেই আত্মবিশ্বাসে ভরপুর ছিলেন বিজ্ঞানীরা।২০১৯ র অভিযানে ইসরোর ডিরেক্টর কে সিভান চাঁদের বুকে রুক্ষ মাটিতে চন্দ্রযান-২ আছড়ে পড়ার পর যে ভাবে কান্নায় ভেঙে পরেছিলেন সে দৃশ্য সারা দেশ আজও ভুলতে পারেনি। আজকের দিনে সমস্ত যায়গায় তিনিই ছিলেন আলোচনার কেন্দবিন্দুতে। সেই প্রাক্তন ইসরোর প্রধান কে সিভান কিন্তু এবারের অভিযানের সফলতার প্রতি সম্পূর্ন আস্থা ও আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। তিনি বলেছিলেন, দ্বিতীয় চন্দ্রযানের করা ভুল তৃতীয় আর পুনরাবৃত্তি করবে না। তিনি কতটা ঠিক ছিলেন তা অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেল।

আগস্ট ২৩, ২০২৩
কলকাতা

সেক্টর ফাইভ-এ রোড ডাইভারসন, মেট্রোরেলের কাজের জন্য নয়া ঘোষণা

সম্ভবত শনিবার রাত থেকেই সেক্টর ফাইভ এর রোড ডাইভারশন হতে চলেছে। মেট্রোরেলের কাজের জন্যই এই সিদ্ধান্ত বলে জানান বিধান নগর ডিসি ট্রাফিক ইন্দিরা মুখার্জি। টেকনোপলিস মোড়ের আগেই কাজ হচ্ছে মেট্রোর। সেই কাজের জন্যই কলকাতা যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হবে আগামী ছয় মাসের জন্য। কলকাতা যাওয়ার জন্য আলাদা রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করার আবেদন জানায় বিধান নগর পুলিশ কমিশনারেট।বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি ট্রাফিক ইন্দিরা মুখার্জি বলেন, টেকনোপলিস স্টেশনে মেট্রোর কাজ চলছে। এক সপ্তাহ হয়ে গিয়েছে এখানে কাজ শুরু হয়েছে। এখনও রাস্তা বন্ধ করা হয়নি মেট্রো কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে। কিন্তু আগামীকাল থেকে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষর পক্ষ থেকে টেকনোপলিশের সামনের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হবে। এই রাস্তাটা এয়ারপোর্ট-এর দিক থেকে সল্টলেকের দিকে আসে তাদের জন্য প্রযোজ্য। রাস্তা দিয়ে যারা যাবেন তাদের জন্য ড্রাইভারসশন করা হচ্ছে। নিউটাউন নারকেল বাগান মোড় থেকে এমআর ধরে চিংড়িঘাটার দিকে যেতে পারে। আবার সল্টলেকের দিকে যেতে গেলে যেতে পারবে। আর একটা বিকল্প রাস্তা তৈরী হয়েছে নারকেল বাগান মোড় থেকে নতুন ব্রিজ ধরে গোদরেজ ওয়াটার সাইট রিং রোড ধরে এসডিএফ হয়ে চিংড়িঘাটা যাওয়া যায়।মেট্রো স্টেশন এর কাজের জন্য টেকনোপলিশ-এর সামনে লাল বক্স করে দেওয়া হয়েছে যেটা কলকাতা লেন পুরো বন্ধ থাকবে। নিউটাউন বক্স ব্রিজ থেকে নেমে কেয়া মোটর্স হয়ে ফিলিপস মোড়, আরএ সফটওয়্যার মোড় হয়ে কলকাতার দিকে যেতে পারেন। যদি কেউ মনে করে এলবি রোড বা সল্টলেকের দিকে যাওয়া প্রয়োজন তাহলে কেয়া মোটর্স এর সামনে হয়ে টেকনোপলিস বিল্ডিংয়ের ব্যাক সাইড দিয়ে নিজের গন্তব্যে পৌঁছে যেতে পারেন। ট্রায়াল রান শুরু হয়েছিল। প্রথম প্রথম একটু ডিলে হয়েছিল একটু কনফিউশন হয়েছিল। রোড ড্রাইভারসেশন দেওয়া আছে তাতেও যদি কারও অসুবিধা হয়ে থাকে ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমের রুটিন নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন। শুধুমাত্র কলকাতা বাউন্ডের জন্য। এয়ারপোর্ট বাউন্ডে কোনও চেঞ্জ হচ্ছে না। এয়ারপোর্ট বাউন্ডে যখন কাজ শুরু হবে তখন আমরা জানিয়ে দেব। আমাদের এক্সট্রা পুলিশি ব্যবস্থা রাখা আছে। শনিবার রাতে ডার্বি ম্যাচের পর থেকে রাস্তাটা বন্ধ করে দেওয়া হবে এখনও পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হয়ে রয়েছে।

আগস্ট ১২, ২০২৩
দেশ

ইতিহাসের বারান্দায় অনাস্থা প্রস্তাব

মঙ্গলবার থেকে লোকসভায় শুরু হল বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাবের উপর বিতর্ক। দুদিন ধরে চলবে বিতর্ক। তার পরে সরকার পক্ষের শীর্ষ ব্যাক্তি তাঁর জবাবই বক্তব্য বলবেন। লোকসভায় বিরোধীদের মিলিত শক্তির চেয়ে সাংসদ সংখ্যার বিচারে সরকার পক্ষের শক্তি অনেক বেশি। তাই বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবের নরেন্দ্র মোদী সরকারের দুশ্চিন্তার কিছু নেই। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম অনাস্থা প্রস্তাব আনলো বিরোধীরা। আর এই প্রথম লোকসভায় বিরোধীদের পারস্পরিক ঐক্য অনেক জমাট দেখাচ্ছে। বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবের পিছনে সংসদীয় রাজনীতির যে কৌশল রয়েছে তা হল মনিপুর প্রসঙ্গে বিরোধীদের সমালোচনার জবাব দিতে প্রধানমন্ত্রী বাধ্য হবেন। কারণ, সময়, পরিস্থিতি ও বিষয় বিচার করে প্রধানমন্ত্রী কখনো মুখ খোলেন কখনো নীরব থাকেন। যেমন মনিপুরে হিংসা ছড়ানোর ৭৯ দিন পরে প্রধানমন্ত্রী বিবৃতি দেন। মনিপুরে এখনো হিংসা থামেনি, লাগাতার হিংসা চললেও প্রধানমন্ত্রীর এই বিষয়ে আর মুখ খোলেননি।লোকসভার নিয়ম অনুসারে সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে গেলে নুন্যতম পঞ্চাশ জন সাংসদের সমর্থন প্রয়োজন। কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি ও সাংসদ মল্লিকার্জুন খারগের পেশ করা অনাস্থা প্রস্তাবের ৭৯জন সাংসদ সাক্ষর করেছেন। বিজেডি এবং ওয়াইএসআর কংগ্রেস ছাড়া সংসদে অস্তিত্ব রয়েছে এমন সব বিরোধী দলই প্রস্তাবের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে বিতর্ক শুরুর আগের দিন রাহুল গান্ধী সাংসদ পদ ফিরে পাওয়ায় বিরোধী শিবির, বিশেষত কংগ্রেস অনেকটাই উজ্জীবিত। ১৩৪ দিন সংসদের বাইরে থাকার পরে সাংসদ পদ ফিরে পেলেন রাহুল।আরও পড়ুনঃ কেন সমাজতন্ত্র: অ্যালবার্ট আইনস্টাইনইতিহাসের হুবহু পুনরাবৃত্তি না হলেও ইতিহাসের অনেক ঘটনা কিছু কিছু লক্ষণ পরবর্তী কালে দেখা যায়। যেমন ১৯৬৩ সালে অগাষ্ট মাসে সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশনে নেহেরু সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবের সঙ্গে চলতি বর্ষাকালীন অধিবেশনে বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাবের অনেক ক্ষেত্রে মিল রয়েছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে পার্থক্যও রয়েছে। ১৯৬৩ সালে বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব ছিল স্বাধীন ভারতের লোকসভার ইতিহাসে প্রথম। সেই সময় দেশের অধিকাংশ মানুষ মনে করতেন স্বাধীনতা এনেছে কংগ্রেস। তাই ১৯৬২ সালে তৃতীয় লোকসভা নির্বাচনেও বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফেরে কংগ্রেস। তখন লোকসভায় আসন সংখ্যা ছিল ৪৯৪। ৩৬১টি আসন পেয়ে তৃতীয় বার প্রধানমন্ত্রী হন নেহেরু। তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দেড় বছরের মাথায় দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি দ্রুত বদলাতে থাকে। ১৯৬২সালের চিন-ভারত যুদ্ধের ফলে নেহেরু সরকার তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন। কংগ্রেস কোনঠাসা হয়ে পড়ায় ক্রমাগত হারতে থাকা বিরোধীরা উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। এই আবহে বেশ কয়েকটি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে পরাজিত হয় কংগ্রেস। কংগ্রেসকে সংসদে আরও চাপে ফেলতে বিরোধীরা কক্ষ সমন্বয় ঐক্যে পৌঁছয়। ফলে লোকসভায় প্রথমবার অনাস্থা প্রস্তাবের মুখোমুখি হয় নেহেরু সরকার।সেই সময় লোকসভার অধ্যক্ষ ছিলেন হুকোম সিং। লোকসভার বর্ষাকালীন অধিবেশনের শুরুতে একাধিক রাজনৈতিক দল অধ্যক্ষের কাছে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেয়। প্রথম অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন প্রজাশক্তি পার্টির শীর্ষ নেতা ও সাংসদ আচার্য জে বি কৃপালনী। ভারতীয় জনসংঘ ও সিপিআই, পৃথকভাবে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেয়। এছাড়াও আরো কয়েকটি রাজনৈতিক দল অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেয়। সিপিআইয়ের আনা অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে প্রয়োজনীয় নুন্যতম পঞ্চাশ জন সাংসদের সাক্ষর না থাকায় তা বাতিল হয়ে যায়। অন্যান্য রাজনৈতিক দল আচার্য কৃপালনীর আনা প্রস্তাবকে সমর্থন জানিয়ে সরে দাঁড়ায়। অধ্যক্ষ হুকোম সিং আচার্যর আনা প্রস্তাবে আলোচনার অনুমোদন দেন। ১৯ অগাষ্ট লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাবের উপর বিতর্ক শুরু হয়।বিরোধীদের পক্ষে আলোচনা শুরু করেন আচার্য কৃপালনী । তিনি তাঁর বক্তব্যে শুধু চিন-ভারত যুদ্ধ নয়, সরকারের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ ও আনেন। লোকসভায় সরকার ও বিরোধী পক্ষের শক্তির ফারাকের কথা মাথায় রেখে আচার্য কৃপালনী বলেন, শুধু সাংসদ সংক্ষ্যা হিসেব করলে চলবে না। প্রাপ্ত ভোটের হিসেব করলে দেখা যাবে বিরোধীদের শক্তি সরকার পক্ষের থেকে বেশি। সাম্প্রতিক লোকসভা নির্বাচনে সরকার পক্ষ ৪৬ শতাংশের কাছাকাছি ভোট পেয়েছে। বাকি ৫৪ শতাংশ ভোট পেয়েছে বিরোধীরা । এর থেকে প্রমানিত হয় বিরোধীরাই সংসদে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মতামতকেই পেশ করছে। প্রস্তাবের পক্ষে বিরোধী নেতারা বক্তব্য বলার পাশাপাশি সরকার পক্ষের হয়ে বক্তব্য বলেন মোরারজি দেশাই ও ভগবৎ ঝা আজাদ প্রমুখ। সবশেষে জবাবী ভাষনের প্রধানমন্ত্রী নেহেরু বিরোধীদের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন,বিরোধীদের মধ্যে এই বিচিত্র সমঝোতার মূল কারণ হলো আমার বিরোধিতা করা। তাই বিরোধীদের বক্তব্যের পুরোটাই নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া। সরকারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা আসলে সরকারের বিরুদ্ধে নয়। তা হল প্রধানমন্ত্রী নেহেরু ও ব্যক্তি নেহেরুর বিরুদ্ধে মিলিত ব্যক্তিগত আক্রমণ।আরও পড়ুনঃ বাংলায় ক্ষমতায় থাকার কৌশল বদলেছে সময়ের তালে, রাজনৈতিক সংঘর্ষের বীজ লুকিয়ে অতীতের ছায়ায়প্রত্যাশিত ভাবেই বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব সংসদ কক্ষে ভোটে পরাজিত হয়। তবে চিন-ভারত যুদ্ধের ফলাফলে নেহেরুর জনপ্রিয়তায় ফাটল ধরে। সেই সুযোগে দলের মধ্যেও তাঁর বিরোধীরা সক্রিয় হয়ে ওঠে। এরই সঙ্গে বেশ কয়েকটি উপনির্বাচনে ক্ংগ্ৰেসের পরাজয় এবং বিরোধীদের জমাট এক্য - সব মিলিয়ে ঘরে বাইরে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন নেহেরু। তার আঁচ গিয়ে পড়ে তাঁর শরীরে। ধীরে ধীরে অসুস্থতা বাড়তে থাকে। ১৯৬৪ সালের ২৭ শে মে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যু হয়।

আগস্ট ০৮, ২০২৩
দেশ

মনিপুরে বিরোধী জোটের প্রতিনিধি দল, বৈঠক সারলেন রাজ্যপালের সঙ্গে

হিংসাদীর্ণ মণিপুরে পরিদর্শন করছেন বিরোধী দলের প্রতিনিধিরা। মূলত বিজেপি বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের প্রতিনিধিরা মনিপুর গিয়েছেন। এদিন সেখানে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার প্রতিনিধিদল। মোদি সরকারকে মণিপুর পরিস্থিতির জন্য দায়ী করে আক্রমণ শানিয়েছেন ওই দলের সদস্য়রা। পাশাপাশি রাজ্যপালকে পরিস্থিতি আয়ত্ত্বে আনার জন্য দাবি জানান। রবিবার কংগ্রেসের লোকসভার নেতা তথা ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম প্রতিনিধি অধীর চৌধুরী বলেন, গতকাল থেকে সাধারণ মানুষের যন্ত্রনা-দুর্দশা দেখছি। যাবতীয় বিষয় নিয়ে আমি রাজ্যপালকে বলেছি। আমার সব কথাতেই মান্যতা দিয়ে সহমত প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল। কেন্দ্রীয় সরকারের যে খামতি আমার চোখে পড়েছে, সাধারণ মানুষের সরকারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ রয়েছে, এই সমস্ত ইস্যু আমরা রাখব। দ্রুত মণিপুরের সমস্যার সমাধান বার করার জন্য আলোচনার দাবি জানিয়েছেন অধীর চৌধুরী।দীর্ঘ সময় ধরে মণিপুরে হিংসা চলছে। এই সপ্তাহেও এলোপাথারি গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। একাধিক বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। সম্প্রতি দুই মহিলাকে নগ্ন করে ঘোরানোর ভিডিও সর্বত্র ভাইরাল হয়ে যায়। যা নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। হিংসার জেরে গ্রাম ছেড়েছেন বহু মানুষ। পাশাপাশি ওই রাজ্যে চলছে অগ্নিসংযোগ ও ব্যাপক লুটপাট। এখনও পর্যন্ত ১৬০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটেছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়ার নির্মম ঘটনা মনিপুরের সর্বত্র। মহিলাদের ওপর নির্যাতন বাড়ছে। মনিপুরের ঘটনা নিযে সংসদের বাদল অধিবেশন উত্তাল হয়ে উঠেছে।

জুলাই ৩০, ২০২৩
দেশ

জোট ‘ইন্ডিয়া’: মোদীর ‘পছন্দের'! জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও নরেন্দ্র মোদী দুজনেরই লক্ষ্য ২৪-এর লোকসভা নির্বাচন। আগামী লোকসভা ভোটে বিজেপিকে কুপোকাত করতে উদ্যোগী বিরোধীরা। ইন্ডিয়া জোট গড়ে লোকসভার লড়াইয়ে বিজেপি নেতৃত্এবাধীন নডিএ-কে নাস্তানাবুদ করতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে জোট ইন্ডিয়া।তবে বিরোধী জোটের ইন্ডিয়া নামে ঘোরতর কটাক্ষ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বিরোধী জোটের সঙ্গে জঙ্গি গোষ্ঠীরও তুলনা পর্যন্ত টেনেছেন নরেন্দ্র মোদী। এবার সেই প্রসঙ্গেই প্রধানমন্ত্রীকে সটান জবাব দিলেন বিজেপি বিরোধী জোটের অন্যতম উদ্যোক্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।মঙ্গলবার বিকেলে রাজভবনে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজভবন থেকে বেরিযে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। সেখানেই মোদীর ইন্ডিয়া জোটকে কটাক্ষ করা ইস্যুতে মুখ খোলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ইন্ডিয়া জোটের নাম নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বাঁকা মন্তব্য প্রসঙ্গে এদিন পাল্টা সোজা কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে অনেক ধন্যবাদ। আমার মনে হয় ইন্ডিয়া নামটা ওঁর পছন্দ হয়েছে। উনি মন থেকেই গ্রহণ করেছেন। জনসাধারণও এই নাম গ্রহণ করেছেন। সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে কিছু তো বলতে হবে, তাই বলেছেন। ইন্ডিয়া টিম যখন খেলতে নামে তখন কি কেউ মুজাহিদিন বলে? দেশটার নামই তো ইন্ডিয়া। আমাদের মাতৃভূমি ইন্ডিয়া। যত এই নাম নিয়ে যত বাজে কথা বলবে তত মনে হবে এই নাম ওদের পছন্দ হয়েছে।মঙ্গলবার বিকেলে রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। আধ ঘন্টারও বেশি সময় তিনি বৈঠক সেরেছেন রাজ্যপালের সঙ্গে।

জুলাই ২৫, ২০২৩
দেশ

ভারতীয় রেলের নয়া উদ্যোগ, স্টেশনের নামের সাথে যুক্ত হচ্ছে জনপ্রিয় জায়গার নাম, বিশেষ সুবিধা যাত্রীদের

যাত্রীদের সুবিধার্থে ছোট ছোট স্টেশনের নাম জনপ্রিয় স্থান ও শহরের নামের সাথে যুক্ত করার উদ্যোগ নিল ভারতীয় রেল। নতুন এই উদ্যোগ যাত্রীদের আরও সুন্দর ভ্রমণের পরিকল্পনা করা তথা ওয়েবসাইট বা মোবাইল আ্যপের মাধ্যমে টিকিট সংরক্ষণে সহায়ক হবে। পর্যটকরা সহজে স্টেশনের নামও খুঁজে বের করতে পারবেন। তাঁদের কাছে যোগাযোগ আরও সহজ ও উন্নত হবে। নতুন এই ব্যবস্থা আগামীকাল, শুক্রবার থেকে কার্যকর হবে।এই ব্যবস্থায় স্যাটেলাইট শহরগুলিকেও রেল স্টেশনগুলির সাথে যুক্ত করা হয়েছে। যেমন নয়ডাকে যুক্ত করা হয়েছে নতুনদিল্লির সঙ্গে। অনেক সময় রেলওয়ে স্টেশনের নাম স্থানীয় অথবা এলাকার জনপ্রিয় নামের থেকে আলাদা হয়। নতুন এই উদ্যোগে পর্যটকদেট এই বিভ্রান্তি দূর করবে।এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত পরিবর্তন করা হয়েছে। ৭২৫ টি স্টেশনের সঙ্গে ১৭৫ টি জনপ্রিয় স্থান বা এলাকার নামকে যুক্ত করা হয়েছে। ই-টিকিট বুকিং ওয়েবসাইটেও প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করা হয়েছে।যাত্রীদের সুবিধা: ট্রেন যাত্রার পরিকল্পনা করার ক্ষেত্রে আরও সহজ ও পছন্দসই পরিকল্পনা করা যাবে। এই ব্যবস্থা যাত্রীদের পক্ষে সুবিধাজনক হবে। যাত্রীদের পক্ষে স্টেশন খুঁজে নেওয়া সহজ হবে। কাশী, খাটুশ্যাম, বদ্রীনাথ, কেদারনাথ, বৈষ্ণদেবীর মতো পর্যটনস্থলগুলিকে নিকটবর্তী স্টেশনগুলির সাথে ম্যাপিং করা হয়েছে। উন্নত যোগাযোগ। এই ব্যবস্থায় স্যাটেলাইট শহরগুলিকেও রেল স্টেশনগুলির সাথে যুক্ত করা হয়েছে। যেমন নয়ডাকে যুক্ত করা হয়েছে নতুন দিল্লির সাথে। স্থানীয় অধিবাসীদের গুরুত্বপ্রদান ও গর্বিত করা : জনপ্রিয় শহরের নাম কোনও স্টেশনের সাথে যুক্ত হলে স্থানীয় অধিবাসীরা গর্বিত হবার পাশাপাশি একাত্মবোধ করেন। পরিচালনার সুবিধার্থে বা রক্ষণাবেক্ষনের কাজে কোনও স্টেশন বন্ধ থাকলে পরিবর্তিত স্টেশনের নাম জার্নি প্লানারে দেখা যাবে। যেমন ট্রেন নম্বর ১৯০৩১-এ (আমেদাবাদ থেকে জয়পুর) ভ্রমণের পরিকল্পনা আমেদাবাদের পরিবর্তে আসারভা থেকেও করা যাবে।জার্নি প্লানারে আমেদাবাদ ইনপুট দিলে সিস্টেম আসারভাও দেখাবে। বর্তমানে যা পর্যটকদের নিজেদের ইনপুট দিতে হয়।

জুলাই ২০, ২০২৩
দেশ

জুলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার ১০৮তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদ্বোধন করবেন কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী

কেন্দ্রীয় বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব জুলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার ১০৮ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপনের সূচনা করবেন ১লা জুলাই, সল্টলেকের নিক্কো পার্ক সংলগ্ন ইস্ট প্যাভিলিয়নে। এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে তিনি অ্যানিম্যাল ট্যাক্সোনোমি সামিট ২০২৩- শীর্ষক এক সম্মেলনেরও সূচনাও করবেন। এই অনুষ্ঠানে কেন্দ্র সরকারের মিশন লাইফ ভাবনাকে নিয়ে জেডএসআইয়ের কর্মকান্ডকে উপস্থাপন করা হবে। পরিবেশ রক্ষার বার্তা দিতে এক বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করার পরিকল্পনাও গৃহীত হয়েছে।এই অনুষ্ঠানে মন্ত্রী অ্যানিম্যাল ডিসকভারিজ ২০২২ শীর্ষক একটি পুস্তক প্রকাশ করবেন, যেখানে দেশ জুড়ে আবিষ্কৃত ৬০০ নতুন প্রজাতির সন্ধান থাকবে এই বইয়ে। তাছাড়া স্বাধীনতার ৭৫ বছরকে স্মরণ করতে ও আজাদি কি অমৃত মহোৎসবের অঙ্গ হিসেবে ৭৫ ওয়েটল্যান্ড ফনা অফ ইন্ডিয়া এবং ৭৫ এন্ডেমিক বার্ডস অফ ইন্ডিয়া শীর্ষক দুটি প্রামান্য বই প্রকাশিত হবে। অনুষ্ঠানে দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী অশ্বিণী কুমার চৌবে এবং বন দপ্তরের ডিরেক্টর জেনারেল তথা দপ্তরের বিশেষ সচিব চন্দ্র প্রকাশ গোয়েল উপস্থিত থাকবেন। ১০৮ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অ্যানিম্যাল ট্যাক্সোনমি সামিট ২০২৩-এ দেশ বিদেশের চার শতাধিক প্রাণীবিদ্যা বিশেষজ্ঞ যোগদান করবেন। লন্ডনের ন্যাচারেল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন। এই সম্মেলনে ১২ জন খ্যাতনামা বিশেষজ্ঞ পশু শ্রেণীকরণ, বায়োজিওগ্রাফি সহ বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্য রাখবেন। এই সম্মেলনে উপস্থাপিত গবেষণাপত্র সমূহ শতাব্দী প্রাচীন ইন্ডিয়ান জুলজি পত্রিকাতেও পরবর্তীতে প্রকাশিত হবে। জেডএসআই-এর প্রথম মহিলা নির্দেশক ধৃতী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সংস্থা ভুটান সরকারের সঙ্গে কয়েকটি মৌ চুক্তিও স্বাক্ষর করবে। ভবিষ্যত গবেষণার আদান-প্রদানের লক্ষ্যেই এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। অ্যানিম্যাল ট্যাক্সোনোমি সামিট চলবে ৩রা জুলাই পর্যন্ত। এই উপলক্ষে কলকাতা প্রেস ক্লাবে একটি সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

জুলাই ০৭, ২০২৩
খেলার দুনিয়া

ইতিহাস গড়ল ভারতের অনুর্দ্ধ ১৯ মহিলা ক্রিকেট দল, ধুলোয় মিশিয়ে দিল ইংল্যান্ডকে

বিশ্ব ক্রিকেটে ইতিহাস তৈরিতে সাক্ষী থাকল বাংলার তিন তরুণী ক্রিকেটার। রবিবার মহিলাদের অনুর্দ্ধ ১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। আইসিসি আয়োজিত প্রথমবারের এই প্রতিযোগিতার ফাইনালে ভারতীয় মহিলা দল ৭ উইকেটে হারায় ইংল্যান্ডকে। শেফালী ভার্মার নেতৃত্বে ভারতের এই দল স্মরণ করিয়ে দিল ২০০৭-এ টি ২০ বিশ্বকাপের প্রথম প্রতিযোগিতায় ধোনীর নেতৃত্বের ভারতের জয়কে। তারপর ১৬ বছর ধরে টি ২০ বিশ্বকাপে ভারতের প্রাপ্তির ভাড়ার শূন্য়। প্রথমবারেই বাজিমাত শেফালীদের।প্রথম ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। ভারতের বোলিংয়ের কাছে কচুকাটা হয় ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা। ইংল্যান্ড ১৭.১ ওভারে মাত্র ৬৮ রান তুলতে সক্ষম হয়। তুরি দিয়ে জয় পায় ভারত। সহজেই ইংল্যান্ডের রান তাড়া করে ভারত ১৪ ওভারে ৩ উইকেটে ৬৯ রান তোলে। পরাজিত হয় ইংল্যান্ড। ৪ ওভার বল করে ৬ রান দিয়ে ২ উইকে়ট নিয়ে ফাইনালের সেরা হয়েছেন চুঁচুড়ার তিতাস সাধু।মহিলাদের প্রথম অনূর্ধ্ব ১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পরই আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। পুরো দল এবং কোচিং স্টাফদের জন্য ৫ কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে বোর্ড। ভারতীয় এই দলে তিতাস ছাড়াও রয়েছে হাওড়ার হৃষিতা বসু ও শিলিগুড়ির রিচা ঘোষ।

জানুয়ারি ২৯, ২০২৩
রাজ্য

জোকা-তারাতলা মেট্রো সপ্তাহে কদিন, কখন চলবে, কদিন বন্ধ থাকবে, রইল বিস্তারিত সূচি

জোকা-বিবাদী বাগ মেট্রো প্রকল্পের জোকা-তারাতলা রুটের ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামী সোমবার, ২ জানুয়ারি যাত্রী নিয়ে এই রুটে ছুটবে মেট্রো। জোকা থেকে তারাতলার দূরত্ব ৬.৫ কিলোমিটার। এই যাত্রাপথে মোট ছটি স্টেশন থাকছে জোকা, ঠাকুরপুকুর, সখেরবাজার, বেহালা চৌরাস্তা, বেহালা বাজার এবং তারাতলা। মেট্রো কর্তৃপক্ষ জোকা-তারাতলা রুটে ট্রেন চলাচলের সংখ্যা, সময়সূচীও ঘোষণা করেছে। আপাতত একটি মেট্রো যাতায়াত করবে। জোকা-তারাতলা রুটে প্রতিদিন ১২টা করে মেট্রো চলাচল করবে। ৬টি আপে ও ৬টি ডাউনে মেট্রো চলবে। সোমবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত পরিষেবা মিলবে। তবে শনিও রবিবার পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ থাকবে। ওয়ান ট্রেন সিস্টেম অর্থাৎ একটি ট্রেনই জোকা থেকে ছাড়বে। তা আবার তারাতলা থেকে ফিরবে। সর্বনিম্ন ভাড়া ৫ টাকা। সর্বোচ্চ ভাড়া ২০ টাকা।জোকা-তারাতলা রুটের সময়সূচি-সোমবার থেকে শুক্রবার অর্থাৎ সপ্তাহে ৫ দিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫.৩০টা পর্যন্ত মেট্রো চলবে।জোকা থেকে মেট্রো ছাড়বে সকাল ১০ টা, সকাল ১১ টা, বেলা ১২ টা, দুপুর ৩ টে, বিকেল ৪ টে এবং বিকেল ৫ টায়।তারাতলা থেকে মেট্রো ছাড়বে সকাল ১০.৩০টা, সকাল ১১.৩০টা, বেলা ১২.৩০টা, দুপুর ৩.৩০টে, বিকেল ৪.৩০ টে এবং বিকেল ৫.৩০ টায়।

ডিসেম্বর ৩১, ২০২২
রাজ্য

বন্দে ভারতের চালক গর্বিত করল বর্ধমানকে, স্টেশনে ভিড়ের মাঝে স্বামীকে হাত নাড়িয়ে শুভেচ্ছা স্ত্রীর

বন্দে ভারতে মেতেছে বাংলা। ইতিমধ্যে ট্রেনের টিকিট পেতেই হিমশিম অবস্থা। হাওড়া থেকে ছাড়ার পর একে একে নানা স্টেশনেই দাঁড়িয়েছে বন্দে ভারত। জনতার উল্লাসে ভেসেছে মশাগ্রাম, বর্ধমান, বোলপুর স্টেশন। প্রথমবার বন্দে ভারতকে চোখের দেখা দেখতে জাতীয় পতাকা নিয়ে অনেকেই হাজির হয়েছেন। এই সুপার স্পিড ট্রেনের চালককে মালা পড়িয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ। বাংলার প্রথম বন্দে ভারতের চালকের বাড়ি বর্ধমানে লোকো সারদা পল্লীতে। বর্ধমান স্টেশনে যখন চালককে নিয়ে মাতামাতি চলছে তখন ভিড়ের মধ্যেই দূর থেকে স্বামীকে হাত নাড়িয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সুনিতা কুমারী। ওই ভিড়ের মধ্যেও পাল্টা হাত নাড়িয়েছেন চালক অনিল কুমার। অনেকে তো ভাবতেই পারেনি চালকের স্ত্রী সেখানে দাঁড়িয়ে। চালক পাল্টা হাত নাড়ানোয় উপস্থিত জনতার টনক নড়ে। বর্ধমান স্টেশনে ট্রেন দাঁড়াতেই উৎসাহী মানুষজন অনিল কুমারের গলায় মালা পরিয়ে দিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে দেখে আবেগঘন হয়ে পড়েন সুনীতা কুমারী। গর্বিত চালকের স্ত্রী বলেন, এই দিনটা আমার কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজ্যে উপস্থিত থাকতে পারলে আরও ভালো লাগতো। আদতে বিহারের বিহারের বাসিন্দা অনিল কুমার। এখন পরিবার নিয়ে তিনি থাকেন বর্ধমানের লোকো সারদাপল্লীতে থাকেন। বন্দেভারত এক্সপ্রেস চালানোর উদ্দেশ্যে বৃহস্পতিবার রাতেই অনিল কুমার বর্ধমানের বাড়ি থেকে হাওড়া স্টেশনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন।এদিন সকালে টেলিভিশনের পর্দায় বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন নিয়ে উচ্ছ্বাস-উন্মাদনা দেখে বাড়িতে আর মন টেকেনি। সোজা বর্ধমান স্টেশনে চলে আসেন সুনীতা দেবী। তিনি জানিয়েছেন, ট্রেনের অ্যাসিন্ট্যান্ট ড্রাইভার হিসাবে ১৯৯০ সালে কাজে যোগ দেন তাঁর স্বামী। কর্মের প্রতি অবিচল অনিল কুমারের বরাবরই লক্ষ্য ছিল সবথেকে গুরত্বপূর্ণ ট্রেনগুলো চালানো। পূর্বা, কালকা, শতাব্দী, রাজধানী ও দুরন্ত এক্সপ্রেস ট্রেনও তাঁর স্বামী চালিয়েছেন। বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন চালানোর স্পেশাল ট্রেনিং নিতে চলতি মাসের ৭ তারিখ অনিল বাবু উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদে যান। ট্রেনিং শেষে ১৯ ডিসেম্বর তিনি বর্ধমানের বাড়িতে ফিরে আসেন। বন্দেভারত এক্সপ্রেসের মতো দুরন্ত গতির ট্রেন চালানোটা তার স্বামীর কাছে আলাদা মাইলস্টোন ছোঁয়ার মতো। এদিন সেই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তের সাক্ষী থাকার জন্যই বর্ধমান স্টেশনে উপস্থিত হয়েছিলেন বলে সুনীতাদেবী জানান। এদিন বর্ধমান স্টেশনে হাত নেড়ে, ইশারায় শুভেচ্ছা বিনিময় হলেও গর্বিত স্বামীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলার সুযোগ হয়নি সুনীতা দেবীর। কথা না হলেও আপশোষ নেই সুনীতা দেবীর। তিনি বলেন, স্বামী কাজের প্রতি দায়বদ্ধ।

ডিসেম্বর ৩১, ২০২২
রাজ্য

রেল এলাকা থেকে চুরি যাওয়া একাধিক মোবাইল উদ্ধার করে আসল মালিকের হাতে তুলে দিল রেল পুলিশ

অনন্য নজির রেল পুলিসের। শুক্রবার বর্ধমান জিআরপি থানায় এক ছোট্ট অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ২৩ জন প্রাপকের হাতে তাদের মোবাইল ফিরিয়ে দেওয়া হল। এই অনুষ্ঠানের নাম দেওয়া হয়েছিল ফিরে পাওয়া।অনুষ্ঠানে জি আর পি; ও.সি চিন্তাহরণ সিনহা সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। হারিয়ে পাওয়া মোবাইল পেয়ে প্রাপকেরা জানান; তারা খুব খুশি। বারবার রেল পুলিশকে ধন্যবাদ জানান তারা।

নভেম্বর ২৫, ২০২২
রাজ্য

রেলের উচ্ছেদ নোটিশে অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রের ভাঙ্গা পড়ার খবরে এলাকায় উত্তেজনা

পাল্লা রোড স্টেশনের পর এবার বর্ধমান হাওড়া কর্ড শাখার জৌগ্রাম স্টেশনে উচ্ছেদের নোটিশ পড়লো। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে জৌগ্রাম এলাকায়। দিন তিনেক আগে রেলের পক্ষ থেকে উচ্ছেদের নোটিশ এলাকায় টাঙানো হয়। ২৮ নভেম্বরের মধ্যে তাদের জায়গা খালি করার সময় সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে রেলের তরফে।এই জায়গার মধ্যেই আছে একটি আইসিডিএস সেন্টার। সেটিও ভাঙা ফেলা হবে রেলের পক্ষ থেকে। স্থানীয় বাসিন্দা বাসন্তী তুরী জানান, তারা ৪০ বছর ধরে এখানে বাস করছেন। এখন হঠাৎ করে উচ্ছেদের নোটিশ দিলে তারা বাচ্চা কাচ্চা নিয়ে কোথায় যাবে। এখানে ৪০ টি পরিবার বাস করে। তারা রেলের উচ্ছেদ নোটিশে কার্যত অথৈজলে পড়েছে।আইসিডিএস সেন্টারে ৬২ টি ছেলে পড়াশোনা করে ও পাঁচজন অন্তঃসত্ত্বা মহিলা এখানে খাবার নেন। এখন রেলের পক্ষ থেকে আইসিডিএস সেন্টারটি ভেঙে দেওয়া হলে বাচ্চাদের পড়াশোনা ও খাওয়া সবই বন্ধ হয়ে যাবে বলে জানান এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য মৃদুলকান্তি মণ্ডল।স্থানীয় বাসিন্দা সুষমা রায় বলেন, মাস দুয়েক আগে একবার এলাকায় মাইকিং করে বলা হয়, জায়গা ছাড়ার জন্য।তারপর হঠাৎই নোটিশ দেওয়া হয় নভেম্বর মাসের ১৯ তারিখে। স্থানীয় বাসিন্দারা চাইছেন তাদের সময় দেওয়া হোক। মাস চারেক সময় দিলে তাদের সুবিধা হয়।এই বিষয়ে পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তীর যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কি করে রেলের জায়গায় আইসিডিএস সেন্টার তৈরী হল বুঝতে পারছি না।তবে যদি বাসিন্দারা রেলের কাছে লিখিত ভাবে জানান যে তারা দুমাসের মধ্যে উঠে যাবেন তাহলে রেল সেটা ভেবে দেখবে।

নভেম্বর ২৩, ২০২২
রাজ্য

আবার ব্যহত হতে চলেছে রেল পরিষেবা! হাওড়া-বর্ধমান শাখার যাত্রী দুর্ভোগের আশঙ্কা

আবার রেল যন্ত্রণা! পূর্ব রেলের মঙ্গলবারের বিজ্ঞপ্তি সেই বার্তাই দিচ্ছে। হাওড়া-বর্ধমান শাখার যাত্রীদের কপালে আবার দূর্ভোগের আশঙ্কা। রেল ট্রাক ও বেশ কিছু রেলসেতুতে মেরামতি-র জন্য হাওড়া-বর্ধমান শাখায় বেশ কিছু লোকাল ট্রেন ১০ দিন বাতিল থাকবে।বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আগামী ১৮ই নভেম্বর শুক্রবার থেকে ২৭ নভেম্বর রবিবার অবধি হাওড়া-বর্ধমান শাখার লোকাল ট্রেনের সাথে কিছু মেল এক্সপ্রেস ট্রেনের রুট-ও বদলে দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে ওই সময় ট্রাফিক এবং পাওয়ার ব্লকের সাথে সাথে বারুইপাড়া-চন্দনপুর শাখায় চতুর্থ লাইনের কাজও চলবে।১৮ই নভেম্বর শুক্রবার থেকে ২৭ নভেম্বর রবিবার অবধি হাওড়া থেকে ছেড়ে আসা ১৭টি লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। শিয়ালদহ থেকে বাতিল ২টি, বর্ধমান থেকে ৭টি, মশাগ্রাম ও চন্দনপুর থেকে বাতিল করা হয়েছে মোট ৪টি করে লোকাল ট্রেন। এর সাথে সাথে বাতিল করা হয়েছে গুড়াপ থেকে ১টি ট্রেন ও বারুইপুর থেকে ৩টি ট্রেন।এর আগেও দীর্ঘ এক মাস ধরে পাওয়ার ব্লকের কাজের জন্য বর্ধমান-হাওড়া মেন শাখায় কয়েকটি লোকাল ট্রেনের পরিষেবা ব্যাহত হয়েছিল।

নভেম্বর ১৬, ২০২২
খেলার দুনিয়া

'বিরাট' এক ক্রিকেটীয় রহস্য উপন্যাসের আরও এক অধ্যায়

কখনো কখনো মনে হয় ক্রিকেট খেলাটার একটা নিরন্তর কাজ আছে। ক্রিকেট অবতার বানানোর। আবার কখনো কখনো মনে হয় কিছু ক্রিকেটারের নিজস্ব ডিউটি থাকে ক্রিকেট খেলাটাকেই কে উপাস্য বানানোর। মোদ্দা কথা এই দু ধরনের এনটিটি ই সারা পৃথিবীর সব বাইশ গজকে করে তোলে এক একটা কলোসিয়াম। আর যে দেশের ধর্মেরই নাম হয় ক্রিকেট, সে দেশের আট থেকে আশি সবাই যে এই বিয়ন্ড দ্য বেস্ট বা লার্জার দ্যান লাইফ এর রোমান্টিসমে হাবুডুবু খাবেই এ আর নতুন কি! আমরা ভাগ্যবান পিপে ভর্তি এই আনন্দের স্রোত আমাদের সিক্ত করে প্রায়ই। আজ যেমন আস্বাদিত হলাম বিরাট কিং কোহলির আঘ্রানে।নেভিল কার্ডাস সাহেবই ক্রিকেট নামক সঙ্গীতের ঠিক টিউনটা ধরতে পেরেছিলেন। রান, ফর্ম, ব্যাড প্যাচ এসব নিয়ে নয়, বিরাট কোহলিরা জন্মেছে ওই বললাম না ক্রিকেট দেবতাকে সবচেয়ে মহার্ঘ্য পরিজাতের ডালি সাজিয়ে অর্ঘ্য দেওয়ার জন্য। আমার আপনার খুশি-আনন্দ-চিৎকার-কান্না-হাসি-হার-জিৎ সব কিছু এই দেবতা-পূজারীর মধ্যে ঘটে যাওয়া কিছু অমোঘ- অবিনশ্বর ঘটনায় স্রেফ সাক্ষী স্বরূপ থেকে যাওয়ার জন্যই।সাবাস বিরাট।তোমার খেলা দেখতে পাওয়ার জন্য আমরা সত্যিই ভাগ্যবান।

অক্টোবর ২৪, ২০২২
রাজ্য

দেশের সেরা চিড়িয়াখানার শিরোপা পেল পশ্চিমবঙ্গের চিড়িয়াখানা

দেশের মধ্যে সেরা চিড়িয়াখানার শিরোপা পেল দার্জিলিংয়ের পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুওলজিকাল পার্ক। দেশের প্রায় দেড়শোটা অন্যতম চিড়িয়াখানার মধ্যে সেরার শিরোপা ছিনিয়ে নিয়েছে দার্জিলিংয়ের চিড়িয়াখানা। আর সেরার শিরোপা পেতেই উচ্ছ্বসিত পার্কের আধিকারিকদের থেকে কর্মীরা। পাশাপাশি কলকাতার আলিপুর চিড়িয়াখানা চতুর্থ স্থান অধিকার করেছে। সম্প্রতি ১০ সেপ্টেম্বর ওড়িশার ভুবনেশ্বরে দেশের সমস্ত চিড়িয়াখানা ও সাফারি পার্কের ডিরেক্টরদের কনফারেন্সের আয়োজন হয়েছিল। সেই কনফারেন্সেই সেন্ট্রাল জু অথরিটি ওই তালিকা প্রকাশ করে। সেই তালিকাতেই দার্জিলিং চিড়িয়াখানা প্রথম স্থান অধিকার করেছে বলে জানা যায়। পাশাপাশি চেন্মাইয়ের চিড়িয়াখানা দ্বিতীয় ও মাইশোরের চিড়িয়াখানা তৃতীয় স্থান অধিকার করে।মূলত পদ্মজা নাইডু চিড়িয়াখানার অন্যতম আকর্ষণ রেড পান্ডা, হিমালয়ান ব্ল্যাক বিয়ার, স্নো লেপার্ড, গোরাল, হিমালয়ার টার, নীল হরিণের মতো প্রানী। পাশাপাশি তোপকেদাড়া প্রজনন কেন্দ্র, রেড পান্ডা অগমেনটেশন প্রোগ্রামের মতো প্রক্রিয়ায় অন্যতম জায়গা করে নিয়েছে দার্জিলিং চিড়িয়াখানা। যেকারণে ওই চিড়িয়াখানা দেশের বড় বড় চিড়িয়াখানাকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। শুধু স্থানীয় দর্শক নয়। দার্জিলিং চিড়িয়াখানা দেখতে দেশের বিভিন্ন রাজ্য ও বিদেশি পর্যটকদের ব্যাপক ঢল নামে।দার্জিলিং চিড়িয়াখানার ডিরেক্টর বাসবরাজ হোলিইয়াচি বলেন, আমরা খুব আনন্দিত এই ফলে। এই কৃতিত্ব চিড়িয়াখানার সমস্ত কর্মীদের।

সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২২
দেশ

মাত্র আড়াই বছর বয়সে অনর্গল বৈদিক মন্ত্র উচ্চারন, নাম উঠল ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে

বয়স মাত্র আড়াই, মুখে আধো আধো কথা। আর তাতেই বাজিমাৎ। এই বয়সেই নিজের মেধা দিয়ে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুলল ছোট্ট প্রত্যয়ী সরকার, কী রেকর্ড তাঁর?শিশুদের বইয়ে থাকা পশু, পাখি, ফুল, ফল, ইংরেজী অক্ষর ও বৈদিক মন্ত্র অনর্গল বলে যায় বছর আড়াইয়ের প্রত্যয়ী। এরপরেই পরিবারের মনে উৎসাহ জাগে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম তোলার। তারা সেইমত ক্লিপ পাঠায় সেখানে এবং সেই ক্লিপিং পাঠানোর পর গতকাল সুসংবাদটি জানায় কতৃপক্ষ। বালুরঘাট শহরের উত্তমাশা পাড়ার বাসিন্দা প্রবীর সরকার ও পরিনীতা সরকারের একমাত্র মেয়ে প্রত্যয়ী। মাত্র আড়াই বছর বয়েসেই নাম উঠল ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে। দুবছর বয়স থেকে মা পরিনীতা সরকারের কাছে থেকে পাঠ শুরুপ্রত্যয়ীর । এখন তার বয়স আড়াই। কিন্তু এর মধ্যেই বাংলা ইংরেজি ভাষা মিলিয়ে ৫৩টি কবিতা তার মুখস্থ। শুধু তাইই নয় বছরের চারটে ঋতু, দিন, মাসের নাম মুখস্থ।পাশাপাশি ছবি দেখে এক নিমেষেই বলে দিতে পারে শিশুদের বইয়ে থাকা পশু, পাখি, সব্জি, ফুল, ফল, বৈদুতিক সরঞ্জাম সহ আসবাব পত্রের নাম। এরপরেই মনে উৎসাহ জাগে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম তোলার। পেশায় স্কুল টিচার প্রত্যয়ীর বাবা প্রবীর সরকার জানান তারপরেই সুযোগ বুঝে গত ১৬ জুলাই আবেদন করে পরিবার। যা নিশ্চিত হয় ২ ৫ জুলাই। এরপরে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের শংসাপত্র-সহ মেডেল আসে অঙ্কিতের বাড়িতে। তাই দেখেই খুশি পরিবারের লোকজন।ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস অসাধারণ কীর্তি... সুত্রে পাওয়া তথ্য অনুসারে প্রত্যয়ী A-Z থেকে বর্ণমালার অক্ষর শনাক্ত করার জন্য (উপর এবং ছোট হাতের), 12টি ফুল, 12টি পোকামাকড়, 47টি পাখি, 15টি ফল, 5টি বাদ্যযন্ত্রের জন্য প্রশংসিত হয়েছেন। , 5 সহকারী, 6টি গাড়ি, শরীরের অংশ, 10টি জ্যামিতিক আকার, 6টি খেলাধুলা, 14টি বৈদ্যুতিক এবং কম্পিউটারের অংশ, 2টি ইংরেজি কবিতা, 42টি প্রাণী, 35টি শাকসবজি, 4টি উত্সব এবং 2 বছর 3 মাস বয়সে 6টি ঋতু , 25 জুলাই, 2022-এ নিশ্চিত করা হয়েছে। ইন্ডিয়া বুক ইন্ডিও বুক রেকর্ড করে ,ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস

সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২২
নিবন্ধ

সৌমিতা সাহা'র 'ভারত মাতা' ভেনিজুয়েলায় প্রর্দশনী আলো করে বিশ্ব ভ্রমণে

সীমার বেড়াজালে যাকে বাঁধা যায়না সেই সৃজনশীলতা স্থান পায় অসীমে। চারুকলা জগতেও প্রায়ই ঘটে থাকে এমন ঘটনা। সম্প্রতি দক্ষিণ আমেরিকার ভেনিজুয়েলায় এরিজ্ গ্যালারিয়া দি আর্তে প্রেক্ষাগৃহ আয়োজিত প্রর্দশনীতে স্থান পেয়েছে স্বনাম ধন্যা সঙ্গীত শিল্পী ও চিত্রকর সৌমিতা সাহার আঁকা ভারত মাতা ছবি। বিশ্বের নানা প্রান্তের শিল্পীদের বাছাই করা চিত্রসম্ভারে সুসজ্জিত প্রর্দশনীতে স্থান পেয়েছে মোট ৭জন ভারতীয় চিত্রকরের শিল্পকর্ম। সৌমিতা তাদেরই একজন। শিল্পী সৌমিতার অ্যাক্রেলিক মাধ্যমে আঁকা ভারত মাতা -র প্রথম টিজার দেখা যায় তাঁর বন্দে মাতরম-মন্ত্র গান মিউজিক ভিডিওতে। সেই থেকে মন্ত্র গান ও সৌমিতার ভারত মাতা চর্চার এক অন্যতম বিষয় হয়ে দাঁড়ায় নেট পাড়ায়। প্রবাদ প্রতিম চিত্রকার এম.এফ হুসেনের বিতর্কীত মদার ইন্ডিয়া ব্যাতিত ভারত মাতার রুপদানে প্রথম কারিগর অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর। পরবর্তী কালে মগন লাল শর্মা ও কয়েক দশক বাদে শোভা সিংহ আবার আঁকেন ভারত মাতার নয়নাভিরাম ছবি। সমকালীন তরুন প্রজন্মের শিল্পীদের মধ্যে বহু বছর পর আবারও দেশ মাতৃকার ভুবন মোহিনী রূপ ফুটে ওঠে মৌমিতার ক্যা্নভাসে। কবিগুরুর ভাষায় আকাশতলে উঠল ফুটে- আলোর শতদল। পাপড়িগুলি থরে থরে- ছড়ালো দিক্-দিগন্তরে। সৌমিতার ভারত মাতা শতদল হস্তে বিশ্ব পরিভ্রমণে বেড়িয়ে তাঁর শিল্পের পাপড়িগুলি দিক-দিগন্তে ছড়িয়ে দিচ্ছেন।দেশের শিল্পীদের আন্তর্জাতিক মঞ্চে এই প্রর্দশনীর অংশ হয়ে ওঠা গৌরবের বিষয়। আর আন্তর্জাতিক মঞ্চেও স্বদেশীয়ানা নজির গড়লেন বাংলার সৌমিতা। সৌমিতার ক্যানভাস আলো করে বিরাজমান সয়ং দেশ মাতৃকা। অতীতেও পোর্টল্যান্ডের আর্ট রীচ গ্যালারিতে স্থান পেয়েছে মৌমিতার শিল্পকর্ম। আবারও দেশের গন্ডি পেরিয়ে ভেনিজুয়েলায় দেশের নাম উজ্জ্বল করলেন বাংলার সৌমিতা।

আগস্ট ২৯, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • 11
  • ...
  • 34
  • 35
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাশিফল

আজকের দিনে 'সিংহ' রাশির জাতকের "আয়ের প্রবাহ বাড়বে"। আজ বৃহস্পতিবার আপনার কেমন যাবে জেনে নিন

১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ বৃহস্পতিবার, আপনার রাশিচক্র অনুযায়ী দিনটি কেমন কাটবে তা জানতে নিচে প্রতিটি রাশির জন্য সংক্ষিপ্ত রাশিফল দেওয়া হলো:🐏 মেষ (Aries): নতুন কাজ শুরু।🐂 বৃষ (Taurus): পরিবারে সুখবর।👥 মিথুন (Gemini): মিটিং শুভ।🦀 কর্কট (Cancer): স্বাস্থ্যে নজর দিন।🦁 সিংহ (Leo): আয়ের প্রবাহ বাড়বে।🌾 কন্যা (Virgo): প্রেম মধুর।⚖️ তুলা (Libra): যাত্রার ভাবনা।🦂 বৃশ্চিক (Scorpio): টাকার লেনদেন সফল।🏹 ধনু (Sagittarius): অগ্রগতি স্থির।🐐 মকর (Capricorn): ভুল বোঝাবুঝি কমবে।🌊 কুম্ভ (Aquarius): বন্ধুর সঙ্গে সময় কাটবে।🐟 মীন (Pisces): নথি সংক্রান্ত কাজ সফল।যে কোনও সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য যোগাযোগ করুনঃ শ্রী সূপর্ণ (জ্যোতিষী)যোগাযোগঃ ৯৮৩০০৬৫২৪০, ওয়েবসাইটঃ www.srisuparna.com

ডিসেম্বর ১৮, ২০২৫
বিদেশ

কোমা থেকে উঠে গ্রেফতার! বন্ডাই বিচ হামলায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ৫৯ অভিযোগ

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নতুন মোড়। কোমা থেকে জেগে উঠে ২৪ বছরের অভিযুক্ত নবীদ আক্রমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হাসপাতালেই তাঁর বিরুদ্ধে ৫৯টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১৫টি খুনের মামলা।গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদিদের হনুক্কা উৎসব চলাকালীন বন্ডাই বিচে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। সেই হামলায় নবীদ আক্রম এবং তাঁর বাবা সাজিদ আক্রম জড়িত ছিলেন বলে পুলিশের দাবি। পুলিশের পাল্টা অভিযানে ঘটনাস্থলেই নিহত হন সাজিদ আক্রম। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় নবীদকে। দীর্ঘদিন কোমায় থাকার পর সম্প্রতি তাঁর জ্ঞান ফেরে।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জ্ঞান ফিরতেই হাসপাতালের শয্যাতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। চিকিৎসকেরা জানান, নবীদ মানসিক ভাবে স্থিতিশীল এবং আইনি প্রক্রিয়া বোঝার মতো অবস্থায় ছিলেন। নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশের কমিশনার জানান, চিকিৎসকের অনুমতির পরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং সতর্ক করা হয়েছে আইনি অধিকার সম্পর্কে।খুনের অভিযোগ ছাড়াও নবীদের বিরুদ্ধে খুনের উদ্দেশ্যে আঘাত করা, নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী প্রতীক প্রকাশ, এবং কোনও ভবনের কাছে বিস্ফোরক রাখার অভিযোগও আনা হয়েছে। বুধবার হাসপাতালেই তাঁর বিরুদ্ধে আদালতের শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে।এই হামলায় প্রাণ হারান মোট ১৫ জন। ১৯৯৬ সালের পর অস্ট্রেলিয়ায় এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ গণগুলি চালনার ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। নিহতদের স্মরণে বন্ডাই প্যাভিলিয়নে হাজার হাজার মানুষ জমায়েত হন। ইতিমধ্যেই নিহতদের শেষকৃত্যের কাজ শুরু হয়েছে।এই ঘটনার জেরে বন্ডাই বিচে নববর্ষের সমস্ত অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বরের জন্য নির্ধারিত সিডনির সবচেয়ে বড় ইলেকট্রনিক ডান্স পার্টিও বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।এই হামলার প্রথম চিহ্নিত নিহত ব্যক্তি ছিলেন রাব্বি এলি শ্ল্যাঙ্গার। তাঁর শেষকৃত্যে আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়। বন্ডাইয়ের চাবাদ কেন্দ্রের রাব্বি লেভি উলফ বলেন, এই মৃত্যু ইহুদি সমাজের কাছে অপূরণীয় ক্ষতি। তিনি জানান, এই নৃশংস সন্ত্রাসী হামলায় শুধু ইহুদি সমাজ নয়, গোটা অস্ট্রেলিয়া এবং বিশ্বের শান্তিকামী মানুষ গভীরভাবে মর্মাহত।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

রোহিঙ্গা ভোটার নিয়ে বিজেপির দাবি ভুয়ো? কমিশনের নাম করে পাল্টা অভিষেক

অনুপ্রবেশকারী ভোটার ইস্যুতে ফের বিজেপিকে কড়া আক্রমণ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেন, বিজেপির তোলা অভিযোগ নির্বাচন কমিশন নিজেই খারিজ করে দিয়েছে। বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তৃণমূল সাংসদ বলেন, ভোটার তালিকার সামারি রিভিশন বা এসএসআর প্রক্রিয়ায় সাধারণত দেড় থেকে দুই শতাংশ মৃত ভোটারের নাম বাদ যায়, এটা নতুন কিছু নয়।অভিষেকের বক্তব্য, চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে ক্লেম অ্যান্ড অবজেকশন পর্ব শেষ হওয়ার পরে, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। তখনই স্পষ্ট হবে কার নাম থাকছে আর কার নাম বাদ যাচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি যে এক কোটি বা দেড় কোটি রোহিঙ্গা ভোটারের গল্প ছড়াচ্ছে, তা নির্বাচন কমিশনই নাকচ করে দিয়েছে।তিনি আরও বলেন, যদি সত্যিই কোথাও অনুপ্রবেশকারী বা রোহিঙ্গা ভোটার থাকে, বিজেপি সেই তালিকা প্রকাশ করুক। একই সঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন, দেশের সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব যাঁর হাতে, সেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং তাঁর অধীনে থাকা বিএসএফ ও সিআরপিএফ তখন কী করছিল? সীমান্তে নজরদারি যদি ঠিকমতো হয়, তা হলে এত অনুপ্রবেশ ঘটছে কীভাবে, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি।অনুপ্রবেশ ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিজেপি দীর্ঘদিন ধরেই সরব। বিজেপির দাবি, এসআইআর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অনুপ্রবেশকারী ও রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করে দেশছাড়া করা হবে। সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্ত এলাকায় এমন ছবি সামনে এসেছে, যেখানে একাধিক বাংলাদেশি নাগরিককে বাক্স-প্যাটরা নিয়ে সীমান্তে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। তাঁরা বিএসএফ-এর অনুমতির অপেক্ষায় ছিলেন বলেও জানা গিয়েছে।এই আবহেই এসআইআর-এর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হয়েছে। সেই তালিকা থেকে প্রায় ৫৪ লক্ষ নাম বাদ পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
রাজ্য

বাংলাদেশি জাহাজের ধাক্কা! ডুবে যাওয়া ট্রলার থেকে মিলল দুই মৎস্যজীবীর দেহ

বাংলাদেশি নৌসেনার জাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষের পর গভীর সমুদ্রে ডুবে যাওয়া মৎস্যজীবীদের ট্রলার থেকে মিলল আরও দুজনের দেহ। নামখানার উপকূলে টেনে আনা দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রলার থেকে ভোররাতে উদ্ধার হয় নিখোঁজ দুই মৎস্যজীবীর দেহ। তাঁদের নাম রঞ্জন দাস ও সঞ্জীব দাস। এখনও তিন জন মৎস্যজীবীর কোনও খোঁজ মেলেনি। তাঁদের নিয়ে উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে।উদ্ধার হওয়া দেহ দুটি পাওয়া গিয়েছে ট্রলার এফবি পারমিতা-১১-এর কেবিনের ভিতর থেকে। মৎস্যজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মৃত রঞ্জন দাসের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানে। সঞ্জীব দাস কাকদ্বীপের বাসিন্দা। ট্রলারের কেবিনে আর কোনও নিখোঁজ মৎস্যজীবী আটকে রয়েছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হলেও আর কোনও দেহ পাওয়া যায়নি।গত রবিবার ১৬ জন মৎস্যজীবী নিয়ে ট্রলারটি বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়েছিল। ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক জলসীমানার কাছে আচমকাই ট্রলারটি ডুবে যায়। সেই সময় ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী এবং আশপাশের অন্য ট্রলারের মৎস্যজীবীদের তৎপরতায় ১১ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়।উদ্ধার হওয়া মৎস্যজীবীদের অভিযোগ, একটি বাংলাদেশি নৌসেনার জাহাজ ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁদের ট্রলারে ধাক্কা মারে এবং তারপর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। যদিও এই অভিযোগ বাংলাদেশ নৌসেনার পক্ষ থেকে অস্বীকার করা হয়েছে।দুর্ঘটনার পর পাঁচ জন মৎস্যজীবী নিখোঁজ ছিলেন। তাঁদের খোঁজে গতকাল গভীর রাতে ডুবে যাওয়া ট্রলারটিকে নামখানার উপকূলে টেনে আনা হয়। সেখান থেকেই এদিন উদ্ধার হয় দুজনের দেহ। প্রিয়জনের দেহ ফিরে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃতদের পরিবার। এখনও নিখোঁজ তিন মৎস্যজীবীর খোঁজে দ্রুত তল্লাশির দাবি জানিয়েছেন তাঁদের পরিজনরা।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

খসড়া ভোটার তালিকায় গরম রাজ্য রাজনীতি, নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের জরুরি বৈঠক

খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের একদিনের মধ্যেই রাজ্য রাজনীতিতে তীব্র আলোড়ন। এই খসড়া তালিকা থেকে ৫৮ লক্ষেরও বেশি ভোটারের নাম বাদ পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই দিনই ভবানীপুরে তৃণমূলের বুথ লেভেল এজেন্টদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার কলকাতায় দলের বিএলএ-দের নিয়ে বড় বৈঠক করতে চলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।আগামী ২২ ডিসেম্বর কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এই বৈঠক হবে। সেখানে কলকাতার পাশাপাশি হাওড়া ও হুগলির একাংশের বিএলএ-দের ডাকা হয়েছে। খসড়া ভোটার তালিকা ঘিরে তৈরি হওয়া বিভ্রান্তি ও অভিযোগের মধ্যেই এই বৈঠককে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।এসআইআর প্রক্রিয়ায় কোনও বৈধ ভোটারের নাম যাতে বাদ না যায়, সেই বিষয়ে শুরু থেকেই দলের নেতা-কর্মীদের সতর্ক করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটার তালিকা সংশোধনের এই প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক দলগুলির বিএলএ-দের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিএলও-দের সঙ্গে তাঁরাই ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য যাচাই করেন। কোনও যোগ্য ভোটারের নাম বাদ পড়ছে কি না, সেদিকেই নজর রাখেন তাঁরা।খসড়া তালিকা প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে। অনেক ক্ষেত্রে জীবিত ব্যক্তিকে মৃত দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। হুগলির ডানকুনি পুরসভার এক তৃণমূল কাউন্সিলরকেও খসড়া ভোটার তালিকায় মৃত দেখানো হয়েছে বলে দাবি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তৃণমূল।আগামী ২৩ ডিসেম্বর থেকে ভোটার তালিকা সংক্রান্ত শুনানি শুরু করবে নির্বাচন কমিশন। প্রয়োজনে খসড়া তালিকায় নাম থাকা ভোটারদেরও শুনানিতে ডাকা হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় কোনও বৈধ ভোটারের নাম যাতে বাদ না যায়, সে জন্য আগেভাগেই তৎপর হয়েছে তৃণমূল।কমিশনের শুনানি শুরুর ঠিক আগের দিন কলকাতার বিএলএ-দের নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে হাওড়া ও হুগলির কিছু অংশের বিএলএ-রাও থাকবেন। নেতাজি ইন্ডোরের এই বৈঠক থেকে বিএলএ-দের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী কী বার্তা দেন, সেদিকেই এখন তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

আরজি কর মামলায় বড় মোড়! সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শুনানি ফিরল কলকাতা হাইকোর্টে

আরজি কর মামলার শুনানি এবার থেকে হবে কলকাতা হাইকোর্টে। এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। দেশের সর্বোচ্চ আদালত মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টে ফিরিয়ে দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আগে দেওয়া সমস্ত নির্দেশ ঠিকমতো মানা হচ্ছে কি না, তা এখন থেকে নজরে রাখবে কলকাতা হাইকোর্ট।সুপ্রিম কোর্ট এদিন সিবিআই-কে নতুন করে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। তদন্ত কোন পর্যায়ে রয়েছে, সেই তথ্য নির্যাতিতার পরিবারকে জানাতেও বলা হয়েছে। পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আরজি কর সংক্রান্ত মামলাটি হাইকোর্টের কোনও একটি ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠাতে হবে।উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ভিতরে এক তরুণী চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় সঞ্জয় রাইয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। তবে নির্যাতিতার মা-বাবার দাবি, এই ঘটনায় একা সঞ্জয় নয়, আরও একাধিক ব্যক্তি জড়িত রয়েছে।মঙ্গলবারও সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নির্যাতিতার বাবা। তিনি বলেন, শিয়ালদহ আদালতে যেসব সওয়াল-জবাব হয়, তার পরের দিনই সেই অনুযায়ী রায়ের কপি পাওয়া যায়। কিন্তু সিবিআই সেই নথিগুলিকে গুরুত্ব দেয় না। তাঁর অভিযোগ, সাত মাস ধরে হাইকোর্টে মামলা চললেও এখনও ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়নি। শুনানি শুরু হলে সিবিআইকে সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।নির্যাতিতার পরিবার আরও দাবি করেছে, এই ঘটনায় বহু মানুষ জড়িত। তাঁদের বক্তব্য, ডিএনএ রিপোর্টেই সেই বিষয়টি স্পষ্ট। একজন মহিলার ডিএনএর সঙ্গে আরও ছজন পুরুষের ডিএনএ পাওয়া গিয়েছে। পরিবার জানে, তাঁরা কারা। এখন তাঁদের একটাই দাবি, সিবিআই সঠিক ভাবে তদন্ত করুক এবং সব দোষীদের সামনে আনুক।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

স্টেডিয়ামে ঢুকতে দেওয়া হল না শুভেন্দুকে, ফের উত্তপ্ত রাজনীতি

যুবভারতী স্টেডিয়াম কাণ্ডের পর ফের উত্তেজনা। বুধবার সকালে স্টেডিয়ামে ঢুকতে গিয়ে বাধার মুখে পড়লেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ঢুকতে না পেরে তিনি ফিরে যান। তাঁর অভিযোগ, যুবভারতীর সমস্ত গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।এদিন বেলা বারোটা নাগাদ শুভেন্দু অধিকারী একাধিক বিজেপি বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে যুবভারতী স্টেডিয়ামে পৌঁছন। কিন্তু গেটের বাইরে দাঁড়িয়েই থাকতে হয় তাঁদের। ঢোকার অনুমতি মেলেনি। এর আগেই রাজ্য সরকারের গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দলের শীর্ষ পুলিশ কর্তারা স্টেডিয়াম পরিদর্শন করে চলে যান বলে সূত্রের খবর।ঘটনাস্থলেই শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রাজ্য সরকার যে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, তা তাঁরা মানেন না। সেই কারণেই বিষয়টি আদালতে গিয়েছে। তাঁর দাবি, তদন্ত কমিটি রাজ্য সরকারের প্রভাবমুক্ত হওয়া উচিত। কারণ এই ঘটনায় মূল অভিযোগ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধেই। তাঁর অভিযোগ, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পুলিশের ছিল, অথচ সেই পুলিশের বিরুদ্ধেই প্রশ্ন উঠছে। পাশাপাশি ক্রীড়া দফতরের ভূমিকা নিয়েও অভিযোগ তোলেন তিনি।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে শীর্ষ পুলিশ কর্তা পীযূষ পান্ডের নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল যুবভারতী স্টেডিয়াম পরিদর্শন করে। সেই দলে ছিলেন জাভেদ শামিম, সুপ্রতীম সরকার ও মুরলীধর শর্মা। তাঁরা প্রথমে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটে যান, পরে স্টেডিয়ামে পৌঁছে গোটা এলাকা ঘুরে দেখেন। তাঁদের পরিদর্শনের পরই যুবভারতীর সমস্ত গেট বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে জানা যাচ্ছে।স্টেডিয়ামের বাইরে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রাজ্যপালকেও আগে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। রাজ্যপালের সঙ্গে যদি এমন আচরণ করা যায়, তাহলে বিরোধী দলনেতার ক্ষেত্রেও তা করা হতে পারে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, দরজা বন্ধ করে সবাই ভিতর থেকে পালিয়ে গিয়েছে।উল্লেখ্য, ঘটনার দিন শনিবার সন্ধ্যাতেও রাজ্যপাল যুবভারতী স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন। সেবারও গেট বন্ধ থাকায় তাঁকে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে ফিরে যেতে হয়। পরদিন ফের স্টেডিয়ামে যান রাজ্যপাল। যুবভারতী কাণ্ডকে কেন্দ্র করে ক্রমশ রাজনৈতিক চাপানউতোর বাড়ছে।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

ফের চাকরি বাতিল! পাহাড়ে ৩১৩ শিক্ষক ছাঁটাইয়ের নির্দেশ হাইকোর্টের

ফের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে কড়া পদক্ষেপ নিল কলকাতা হাইকোর্ট। পাহাড় এলাকায় বেআইনি ভাবে শিক্ষক নিয়োগের মামলায় ৩১৩ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিল আদালত। বুধবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে এই নির্দেশ দেওয়া হয়।এর আগে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ছাব্বিশ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। পরে সুপ্রিম কোর্টও সেই রায় বহাল রেখেছিল। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও বড় সিদ্ধান্ত নিল আদালত।এই মামলাটি জিটিএ-র নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকার শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত। অভিযোগ, সেখানে নিয়ম ভেঙে বেআইনি ভাবে নিয়োগ করা হয়েছিল। এই মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম জড়ায়। পাশাপাশি বিনয় তামাং এবং তৃণমূল যুব নেতা তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধেও অভিযোগ ওঠে। আদালতে জানানো হয়, যোগ্যতার তোয়াক্কা না করেই নিয়োগ করা হয়েছে।মামলার শুনানিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে হাইকোর্ট। আগেই যোগ্য ও অযোগ্য শিক্ষকদের আলাদা তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। প্রাথমিক পর্যায়ে এই মামলার তদন্তের জন্য বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর একক বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। পরে রাজ্য সরকার সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায়। তবে ডিভিশন বেঞ্চও বিচারপতি বসুর রায় বহাল রাখে। এরপর মামলা পৌঁছয় সুপ্রিম কোর্টে। সেখান থেকে ফের মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টে ফিরে আসে।বুধবার শুনানিতে বিচারপতি বসু নির্দেশ দেন, অবিলম্বে এই ৩১৩ জন শিক্ষকের বেতন বন্ধ করতে হবে। আদালতে তিনি প্রশ্ন তোলেন, রাজ্য সরকার কেন এদের দায়িত্ব বহন করবে এবং এদের শিক্ষাগত যোগ্যতাই বা কী। প্রাথমিক ভাবে এই মামলার কাজে সিআইডি-কে দিয়ে তদন্ত চালানোর নির্দেশও দেন তিনি।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal