• ৬ আষাঢ় ১৪৩২, রবিবার ২২ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Il

দেশ

শ্রমিকের কাজে ব্যাঙ্গালোরে গিয়ে ভিনদেশি অভিযোগে শিশু সন্তান সহ আটক বাঙালি দম্পতি, মুখ্যমন্ত্রীর শরণাপন্ন পরিবার

শ্রমিকের কাজ করতে ব্যাঙ্গালোরে গিয়ে ভয়ানক পরিণতির শিকার হয়েছেন পশ্চিম বঙ্গের বাসিন্দা এক দম্পতি। রেহাই পায়নি তাঁদের দেড়বছর বয়সী শিশুপুত্রও। বাংলাভাষী এই দম্পতিকে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী অভিযোগে গ্রেপ্তার করে কর্ণাটক রাজ্যের ব্যাঙ্গালোর পুলিশ জেলে পাঠিয়েছে। প্রায় তিন মাস ধরে শিশু পুত্র আদিকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাঙ্গালোরের জেলে দিন কাটাচ্ছেন দম্পতি পলাশ অধিকারী ও শুক্লা অধিকারী। তাঁদের বাবা-মা ব্যাঙ্গালোরে গিয়ে সেখানকার পুলিশকে ছেলে ও বৌমার ভারতীয় নাগরিকত্বের সমস্ত প্রমাণ পত্র দেখান। কিন্তু তাতেও লাভ কিছু হয় নি। এই পরিস্থিতিতে ছেলে, বৌমা ও নাতির ব্যাঙ্গালোরের জেল থেকে মুক্তির জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করেছেন অসহায় বাবা মা।দম্পতি পলাশ অধিকারী ও শুক্লা অধিকারী পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার জৌগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার তেলে গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। সেখানে রয়েছে তাঁদের টিনের চালার দুকুঠুরি ভাঙাচোরা বাড়ি। ওই বাড়ি দেখলে যে কেউ বুঝে যাবেন দারিদ্রতাই অধিকারী পরিবারের নিত্যদিনের সঙ্গী। পলাশদের মতোই তাদের প্রতিবেশীরাও অত্যন্ত দরিদ্র। মাথা গোঁজার ঠাঁই টুকুই শুধুমাত্র তাদের সম্বল। তাদের বেশিরভাগ দিন মজুরির কাজ করে অন্নের সংস্থান করেন। বাকিদের কেউ বালাপোশ তৈরি, আবার কেউ বিড়ি বাঁধার কাজ করে উপার্জন করেন।এমনই এক গ্রামের ছেলে পলাশ রোজগারের আশায় স্ত্রী ও শিশু পুত্রকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাঙ্গালোরে যায়। কিন্তু রোজগার তো দূরের কথা ,উল্টে সেখানে তাঁদের পরিণতি হয়েছে ভয়ংকর। যা জেনে স্তম্ভিত তেলে গ্রামের বাসিন্দারা ও জনপ্রতিনিধিরা।তেলে গ্রামেই বসবাস করেন পলাশ অধিকারীর আত্মীয় পিন্টু হাওলাদার । তিনি জানান,শ্রমিকের কাজ করার জন্য চলতি বছরের জুন মাসে শিশু পুত্রকে সঙ্গে নিয়ে পলাশ তাঁর স্ত্রী ব্যাঙ্গালোরে যায়। একই উদ্দেশ্যে পলাশের বাবা পঙ্কজ অধিকারী, মা সবিতাদেবী ও প্রতিবেশী সুনীল অধিকারীও ব্যাঙ্গালোরে যান। সেখানকার মারাথাহাল্লি (Marathahalli) মহকুমার ভারথুর (Varthur) থানার সুলিবেলে (Sulibela) গ্রামের কায়েন খাঁনের ডেরায় তারা ওঠে। সেখানে দৈনিক ৩০০-৪০০ টাকা মজুরির শর্তে তারা কায়েন খাঁনের অধীনে কাজ করা শুরু করেন। তাদের কাজ ছিল হোটেল, রেঁস্তোরা, সিনেমা হল সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগৃহীত বর্জ্যবস্তু, বোতল, প্লাস্টিক সরঞ্জাম ইত্যাদি বাছাই করা। পিন্টু হাওলাদার বলেন,সেখানে সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল। হঠাৎ করেই গত ২৭ জুলাই ভারথুর (Varthur) থানার পুলিশ কায়েন খাঁনের ডেরায় হানা দেয়। সেখানে যাঁরা যাঁরা বাংলাভাষী ছিল তারা সবাই নাকি বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী, এমন সন্দেহে ভারথুর থানার পুলিশ তাদের ও আরো পাঁচ জনকে পাকড়াও করে থানায় নিয়ে যায়। ওইসময়ে পলাশ, তাঁর স্ত্রী,বাবা-মা ও প্রতিবেশী সুনীল অধিকারী সহ সবাই ভারথুর থানার পুলিশ কে জানান তাঁরা কেউই বাংলাদেশী নন। তাঁরা নিজেদেরকে ভারতীয় বলে জানিয়ে নিজের নিজের আধার কার্ড,প্যান কার্ড,ভোটার কার্ড দেখান। সেইসব দেখে সেখানকার পুলিশ পলাশের বৃদ্ধ বাবা,মা ও প্রতিবেশীকে ছেড়ে দিলেও পলাশ এবং তাঁর স্ত্রী ও শিশুপুত্র সহ সাতজনকে আটকে রাখে। ভারথুর থানার পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠিয়ে দেয়। সেই থেকে প্রায় তিন মাস হয়ে গেল শিশু পুত্রকে সঙ্গে নিয়ে পলাশ ও তাঁর স্ত্রী ব্যাঙ্গালোরের জেলেই দিন কাটাচ্ছে বলে পিন্টু হাওলাদার জানিয়েছেন।সুনীল অধিকারী বলেন, আমিও রোজগারের আশায় পলাশদের সঙ্গেই ব্যাঙ্গালোরে যাই। সেখানেভারথুর থানার পুলিশ আমাকেও সন্দেহে ধরে। ওখানকার পুলিশের সঙ্গে আমাদের কথা বলার ক্ষেত্রে ভাষাগত সমস্যা হচ্ছিল। ওরা আমাদের কথা যেমন বুঝতে পারছিল না, তেমনই আমরাও ওদের কথা কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। তবুও আমি, পলাশের বাবা- মা ও পলাশ বাংলা ভাষাতেই ভারথুর থানার পুলিশকে বারেবারে বলে যাই আমরা ভারতীয়,পশ্চিমবাংলার বর্ধমানের বাসিন্দ। তেলে গ্রামে থাকা আমার স্ত্রীর ফোন নম্বর ওরা চাইলে সেটাও আমি দিয়ে দিই। এর পর ওরা কি বুঝলো জানিনা। আমাকে এবং পালাশের বাবা ও মাকে ছেড়ে দেয়। কিন্তু অদ্ভুত ভাবে পলাশ এবং তার স্ত্রী ও শিশু সন্তানকে ছাড়ে নি। মিথ্যা অভিযোগে তদের জেলে পাঠিয়ে দেয়।সুনীলবাবু আরও জানান, এইসব দেখে তাঁর মনে হয় বাঙালিদের ব্যাঙ্গালোর কাজ করতে যাওয়া খুব একটা নিরাপদের নয়। তাই ওই ঘটনার আট দিন বাদে ট্রেনের টিকিট কেটে তিনি তেলে গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসেন। হুগলীর বৈঁচিগ্রামের বাসিন্দা পলাশের আত্মীয় সুজন হালদার বলেন, পলাশ এবং তাঁর স্ত্রী ও সন্তানের এমন করুণ পরিণতির কথা জেনে তিনি তাদের পাশে দাঁড়াতে ব্যাঙ্গালোরে যান। কিন্তু কোন ভাবেই কিছু সুরাহা করতে পারছেন না। যে আইনজীবীকে নিযুক্ত করেছেন তার কাছ থেকেও আশানুরূপ সহযোগীতা পাচ্ছেন না। সুজন হালদার দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর জন্য কেন্দ্র পশ্চিম বাংলায় সিএএ (CAA), এনআরসি (NRC) লাগু করতে পারেনি। তবে তাঁর মনে হচ্ছে বিজেপি শাসিত কর্ণাটক সরকার অলিখিত ভাবে সিএএ, এনআরসি কার্যকর করে যাকে পাচ্ছে তাকে বিদেশী বলে জেলে ভরে দিচ্ছে। একই অভিযোগ করেছেন তেলে গ্রামের বাসিন্দা জৌগ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য কৃষ্ণা সরকার। পলাশের বাবা ও মা বলেন, ছেলে, বৌমা ও নাতিকে ব্যাঙ্গালোরের জেল থেকে ছাড়াতে এখন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী তাঁদের একমাত্র ভরসা। তাঁরা মমতা ব্যানার্জীর হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করেছেন।বিডিও ( জামালপুর ) শুভঙ্কর মজুমদার টেলিফোনে বলেন, এমন একটা ঘটনার কথা আমি শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনকে ওয়াকিবহাল করা হয়েছে। এসডিও (বর্ধমান দক্ষিণ) বিষয়টি দেখছেন। জামালপুর বিধানসভার বিধায়ক অলোক মাঝি টেলিফোনে বলেন,পলাশ অধিকারী ও তাঁর পরিবার আমার বিধানসভা এলাকার তেলে গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা ও ভোটার। ভারতীয় নাগরিকত্বের সমস্ত প্রামাণপত্রও তাদের রয়েছে। তা সত্ত্বেও কোন যুক্তিতে ব্যাঙ্গালোরের পুলিশ পলাশ এবং তাঁর স্ত্রী ও শিশু পুত্রকে কি অভিযোগে গ্রেপ্তার করে জেলে ভরে রেখেছে সেটাই আশ্চর্য্যের। আলোক মাঝি জানান,কালি পুজো মিটলেই তিনি এই বিষয়টি নিয়ে জেলা জেলাশাসকের মাধ্যমে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন

অক্টোবর ২৫, ২০২২
রাজ্য

জাল ইঞ্জিন ওয়েল বিক্রীর অভিযোগে বাড়িতে হানা, বাবার অপমানে আত্মঘাতী মেয়ে

বাবার হেনস্থা সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী মেয়ে। বৃহস্পতিবার দুপুরে হঠাৎই হেমায়েতপুর এলাকায় একটি মোটরসাইকেল স্পেয়ার পার্টসের দোকানে একটি নামী কোম্পানির লুব্রিকেন্ট কোম্পানির লোক ও নাদনঘাট থানা পুলিশ হানা দেয়। এর পর পরই বাবাকে হেনস্থা করছে দেখে অপমানে আত্মঘাতী হয় মেধাবী ছাত্রী। তার পরই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হেমায়েতপুর মোড়ের কাছে মৃতদেহ নিয়ে পথ অবরোধে শামিল মৃত ছাত্রীর পরিবারের লোকেরা।মৃতের বাবার দাবি আজ দুপুরে হঠাৎই একটি অয়েল কোম্পানির লোকেরা এসে বলে, সে নাকি ডুপ্লিকেট ইঞ্জিন অয়েল বিক্রি করছে, এই অভিযোগ তুলে নাদনঘাট থানা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে এসে তার বাড়িতে তল্লাশি চালায় এবং বেশ কিছু ইঞ্জিন অয়েল নিয়ে যায়। বাবাকে হেনস্তা করতে দেখে অপমানে আত্মঘাতী হয় ক্লাস টুয়েলভের ওই মেধাবী ছাত্রী।এর পরই হেমায়েতপুর মোড় এলাকায় পথ অবরোধে সামিল হন মৃতের আত্মীয় পরিজনেরা। মিনিট ত্রিশ অবরোধ চলার পর অবরোধ উঠে যায়। মৃত ওই ছাত্রীর নাম সৌমি সিংহ সে নবদ্বীপের তারাসুন্দরী স্কুলের ক্লাস টুয়েলভের ছাত্রী। মেয়ের মৃত্যুর পরই মৃত ওই ছাত্রীর বাবা ওই ইঞ্জিন অয়েল কোম্পানির আধিকারিক ও স্থানীয় এক দোকানদারের বিরুদ্ধে তাঁর মেয়ের মৃত্যুর জন্য দায়ী করে অভিযোগ তুলেছেন।

অক্টোবর ২১, ২০২২
রাজনীতি

বর্ধমানে বিজয়া সন্মিলনী অনুষ্ঠানে বিস্ফোরক সুকান্ত মজুমদার!

বুধবার বর্ধমান সাংগঠনিক জেলার বিজয়া সন্মিলনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি রাজ্য সম্পাদক সুকান্ত মজুমদার। কয়েকদিন আগে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র ও পূর্ব-বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ সভাপতি দেবু টুডু বিজেপি নেতাদের ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে রাখার নিদান দিয়েছিলেন। সুকান্ত মজুমদার তাঁর বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন যে সমস্ত নেতাদের স্নায়ুতন্ত্র এত দুর্বল যে কে দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন তা বুঝতে পারছেন না, সে দলের না থাকাই ভাল। তিনি তৃণমূলের সাংসদ সৌগত রায়কে কটাক্ষ করে বলেন, আগেকার দিনে যাত্রাপালায় একজন বিবেক থাকত। নীতিকথা শুনিয়ে যেত এটাও সে রকম। তোয়ালে মুড়ে টাকা না নিলেই হল।তিনি সৌমিত্র খানের প্রসঙ্গে বলেন,পঞ্চায়েতে তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। আমাদের দলে যাকে দায়িত্ব দেওয়া হয় তার সাথে আলোচনা হয় না। আমাকে সভাপতি করার আগেও হয়নি। তিনি আরও বলেন,অনন্ত মহারাজ রাজনৈতিক নেতা নন। তার কাছে কেউ যেতে পারেনমমিনপুরের প্রস্নগ টেনে বলেন, রাজ্যের আদালত নির্দেশ দিয়েছে। এন আই এ তদন্ত করছে। যারা অ্যারেস্ট হবার যোগ্য অ্যারেস্ট হবে। তিনি মল্লিকার্জুনকে কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান। সেই প্রসঙ্গে বলেন, মল্লিকার্জুন কংগ্রেস সভাপতি হলেন। এমন একটা জাহাজে উনি ক্যাপ্টেন হলেন যেটা থেকে সবাই পালাচ্ছে। তবে মোদীজি আবার প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন, সেই শপথ গ্রহণ সভায় বিরধী নেতা হিসাবে তাঁকে স্বাগত।সুকান্ত মাজ্যমদার আজ বলেন, পুলিশ ছাড়া তৃণমূল কংগ্রেসের কোনো অস্তিত্ব নেই। পুলিশ না থাকলে উবে যাবে। আজ শিলিগুড়ির কাওয়াখালী গ্রাউন্ডে উত্তরের বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন সিঙ্গুর থেকে টাটাকে সিপিএম তাড়িয়েছে, সেই প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, উনি তো মাঝে মাঝেই মিথ্যে কথা বলেন। এটা নতুন কিছু নয়।

অক্টোবর ১৯, ২০২২
রাজ্য

বিজয়া সন্মিলনী ঘিরে গোষ্ঠি দ্বন্দ্ব চরমে বর্ধমানের মেমারীতে

শহর তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে বিজয়া সম্মেলনে গড় হাজির পূর্ব বর্ধমানের মেমারী শহরের একাধিক নেতৃত্ব। শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতির ইঙ্গিত পূর্ণ তির্যক মন্তব্যে প্রকাশ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দল।মেমারী শহর তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠান হলেও মেমারি পৌরসভার একাধিক নেতৃত্বর অনুপস্থিতি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক জল্পনা। এমন কি অনুপস্থিত ছিলেন মেমারী পৌরসভার পৌর প্রধান স্বপন বিষয়ী ও উপ পৌরপ্রাধান সুপ্রীয় সামন্ত।এ বিষয়ে মেমারি শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি স্বপন ঘোষালের অভিযোগ, ২০২১ সালে যারা বিজেপি জিতবে বলে উল্লাস করেছিল, তারা আজকে অনুপস্থিত আছে। ২১ সালে যারা সিপিএম এবং বিজেপির সাথে টক্কর লাগিয়ে লড়াই করেছিল তারা সবাই আছে।কার্ডে চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যান এর নাম নেই। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন এটা সাংগঠনিক ব্যাপার, এখানে চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যান নাম থাকার কোনো ব্যাপার নেই। পুরসভার কোন অনুষ্ঠান হলে অবশ্যই চেয়ারম্যান-ভাইস-চেয়ারম্যানের নাম থাকত। তিনি আরো বলেন, তৃণমূলের এই সম্মেলনকে আটকাবার জন্য আজকে যারা আসেনি তারা রাস্তায় রাস্তায় ব্যারিকেড করেছে। সিপিএমের আমলে যেমন তৃণমূল কংগ্রেস এবং কংগ্রেস কে ভোট দিতে যেমন বাধা দেওয়া হতো, আটকে দেওয়া হতো, ঠিক তেমনি ভাবে একটি সম্মেলনে না আসার জন্য আমাদের কর্মীদেরকে ভয় দেখানো হয়েছে। যারা অনুপস্থিত তারাই ভয় দেখিয়েছে। তবে যারা আটকাচ্ছে তারা তৃণমূল কিনা জানি না। যারা বিজেপির সাথে আঁতাত করে ২১ সালে বিধায়ককে হারানোর চেষ্টা করেছিলেন তারাই আজকে ব্যারিকেড করেছে।যদিও এই বিষয়ে মেমরি পৌরসভার পৌর প্রধান ও উপ-পৌরপ্রধান কোন কোন প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি। তবে জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমি একটু দেরিতে পৌঁছেছি এখানে, অনুপস্থিতির বিষয়টি দেখতে পাচ্ছি তবে কারণ কি এখনও জানি না, বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ খবর নেওয়া হবে।গোটা বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস তোলাবাজদের দল। কোন নেতার সাথে থাকলে বেশি ভাগবাটোয়ারা পাওয়া যাবে সেই নিয়ে তৃণমূলের মধ্যে কোন্দল আছে। সেকারণে সব নেতারা একসাথে থাকতে পারে না।শহর তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মেমারীর কৃষ্টি প্রেক্ষা গৃহে মঙ্গলবার বিকেলে বিজয়া সম্মেলন ও দলীয় প্রবীণ নেতৃত্বদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা তথা বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী, মেমারীর বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য, জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। তবে মেমারী পৌরসভার ১৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২জন কাউন্সিলর থাকলে ও গড়হাজির ছিলেন বাকি ১৪ জন কাউন্সিলর।

অক্টোবর ১৮, ২০২২
রাজনীতি

দ্বিতীয় বার জেলা সভাপতি হয়ে কেষ্ট গড়ে বিজয়া সম্মিলনীতে রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়

জেলা সভাপতি হওয়ার পর এই প্রথম পূর্ব বর্ধমানের কোন দলীয় সভায় হাজির হলেন রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। অনুব্রত মণ্ডল জেলে যাওয়ার পর আউশগ্রাম বিধানসভা এলাকায় তৃণমূলের দলীয় সংগঠন সামলানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল নেতৃত্বকে। আর দায়িত্ব পাওয়ার পর শুক্রবার প্রথম আউশগ্রামে দলীয় কোনও কর্মসূচিতে অংশ নিলেন রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। এবং তাৎপর্যপূর্ন ভাবে সেই যাত্রা শুরু অনুব্রত গড় বলে ক্ষ্যাত আউশগ্রাম।শুক্রবার আউশগ্রাম ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মিলনী ছিল গেরাই উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে। এই সম্মেলনে যোগ দিয়ে রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বুথস্তরের কর্মীদের মধ্যে সমন্বয় রেখে চলার বার্তা দিলেন। পাশাপাশি আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের জন্য প্রস্তুতির পাশাপাশি গুরুদায়িত্ব হিসাবে আগামী ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের কথা স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।আউশগ্রাম বিধানসভা এলাকা প্রশাসনিকভাবে পূর্ব বর্ধমানের মধ্যে পড়লেও বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্ভুক্ত আউশগ্রাম। এই বিধানসভা এলাকায় দলীয় সংগঠন এতদিন ধরে সামলাছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু তিনি গরুপাচার মামলায় জেলে যাওয়ার পর পূর্ব বর্ধমান জেলা নেতৃত্বকে আউশগ্রাম এলাকায় সংগঠন দেখার দায়িত্ব দিয়েছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে ছিলেন বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অসিত মাল, জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, পূর্ব বর্ধমান জেলাপরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্যনেত্রী জয়া দত্ত, আউশগ্রামের বিধায়ক অভেদানন্দ থান্দার, বর্ধমান উত্তরের বিধায়ক নিশীথ কুমার মালিক ও যুব নেতা তথা জেলা-যুব সম্পাদক বর্ধমানের রাসবিহারী হালদার।

অক্টোবর ১৪, ২০২২
কলকাতা

'দুর্গাপুজোয় গান্ধিজিকে অসুর, জনগণ জবাব দেবে,' বললেন মমতা

এবার রাজ্যে দুর্গাপুজোয় ৫০ হাজার কোটি টাকা আয় হয়েছে। পুজোয় কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয় সব থেকে বেশি। বৃহস্পতিবার উত্তীর্ণ সভাঘরে দলের বিজয়া সম্মেলনীতে একথা বলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, মায়ের আরাধনা শেষ করে লড়াই শুরু করছি। চারটে ডান্ডা নিয়ে গেলেন মনে করলেন তৃণমূল উঠে গিয়েছে, এত সোজা নয়। উতৎসব মরসুমে এসব করি না।কলকাতায় অসুরকে গান্ধির রূপ দিয়েছিল একটি পুজো কমিটি। তা নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল। থানায় অভিযোগও হয়েছিল। শেষমেশ সেই রূপের পরিবর্তন করা হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, কথায় কথায় বলেন বাংলায় দুর্গাপুজো হয়না, সরস্বতী পুজো হয় না। এদিকে গান্ধিজিকে অসুর বানিয়ে দিলেন। এটা লজ্জার বিষয়। আমরা জানতে পারিনি। গোপনে করে দিয়েছে। মা দুর্গা গান্ধিজিকে মারছে। পরে তা সরানো হয়েছে। পুজোর সময় আমি কাউকে কিছু বলিনি। শুনলে সবার দুঃখ হবে। প্রতিবাদ করতে শুরু করবে। জনগণই এর জবাব দেব।এদিন ফের কেন্দ্রীয় এজেন্সি নিয়ে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ইডি, সিবিআইযের হাতে নানা সময়ে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা গ্রেফতার হয়েছেন। এখনও জেলবন্দি হয়ে আছেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আজ ক্ষমতায় আছ। এজেন্সি দেখাচ্ছ। কাল যখন ক্ষমতায় থাকবে না তখন এজেন্সি তোমার ঘরে ঢুকে দুকান মূলে দেবে।

অক্টোবর ১৩, ২০২২
কলকাতা

বিজয়া সম্মিলনীতে ডাক না পাওয়ায় তৃণমূল বিধায়কের গোসাঁ, চরম কটাক্ষ বিরোধীদের

তৃণমূল কংগ্রেসের জোড়া তাপসের জোড়া মন্তব্যে চরম অস্বস্তিতে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। দুই তাপসই উত্তর ২৪পরগনার বিধায়ক। একজন আদি কংগ্রেসের অন্যজন সিপিএম থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। বরানগরের বিধায়ক তাপস রায়ের বিস্ফোরক মন্তব্যের পর বোমা ফাটালেন নিউটাউন-রাজারহাটের তৃণমূল বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়। বুধবার নিউটাউনে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে আয়োজিত বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না পাওয়ায় নিজেকে অপমানিত বোধ করছেন স্থানীয় এই বিধায়ক। তিনি মর্মাহত। তাপসের কটাক্ষ, দলে দুটি শ্রেণি, বাবু ও চাকর। চাকরেরা ডাক পান না। আমি বোধ হয় দ্বিতীয় শ্রেণিতেই পড়ি। তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে তৃণমূল ও বিরোধীদের প্রতিক্রিয়ায় তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি।দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কটাক্ষ করে আগুনে ঘি ঢেলেছেন নিউটাউন-রাজারহাটের বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়। এর আগে উত্তর কলকাতার তৃণমূল সভাপতির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন বরানগরের বিধায়ক তাপস রায়। বুধবার সন্ধেয় ইকো পার্কে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বিজয়া সম্মিলনীতে একাধিক মন্ত্রী, বিধায়ক সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত থাকলেও ব্রাত্য ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়। তাঁরই বিধানসভা কেন্দ্র এলাকায় বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন হলেও তাঁকেই সেখানে ডাকেননি উদ্যোক্তারা। তাতেই গোসাঁ হয়েছেন তাপস চট্টোপাধ্যায়।স্বভাবতই এই ঘটনায় হতাশ তৃণমূল বিধায়ক। দলের প্রতি একরাশ অভিমান পড়েছে তাঁর গলায়। তাপস চট্টোপাধ্যায় বলেন,দলে দুটি শ্রেণি, বাবু ও চাকর। চাকরেরা ডাক পান না। আমি বোধ হয় দ্বিতীয় শ্রেণিতেই পড়ি। আমার বিধানসভা কেন্দ্র এলাকায় এই অনুষ্ঠান হয়েছে। তবে আমি এই অনুষ্ঠান সম্পর্কে কিছু জানি না। আগেও ডাক পাইনি। সেবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জানিয়েও সদুত্তর পাইনি। ওখানে যাঁরা উপস্থিত ছিলেন আমি কি তাঁদের মধ্যেও পড়ি না? দলে বাবু ও চাকরদের শ্রেণির মধ্যে আমি বোধ হয় দ্বিতীয় শ্রেণিভুক্ত। তৃণমূল বিধায়কের এই মন্তব্যে তোলপাড় রাজনৈতিক মহল।এই বিজয়া সম্মিলনীতে ডাক না পাওয়ায় তৃণমূল বিধায়ক সব্যসাচী দত্তকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন তাপস চট্টোপাধ্যায়। সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন তাঁর বক্তব্যে। সব্যসাচী দত্তের সঙ্গে তাপস চট্টোপাধ্যায়ের সম্পর্ক বরাবরই অম্লমধুর। একাধিকবার পরষ্পরকে পরষ্পরের বিরুদ্ধে মুখ খুলতেও দেখা গিয়েছে। যদিও দলের শীর্ষ নেতাদের হস্তক্ষেপে বিতর্ক বাড়েনি। তাঁকে বারবার বিজয়া সম্মিলনীতে ব্রাত্য রাখায় পরোক্ষে সব্যসাচীরই হাত দেখছেন তাপস, অন্তত তাঁর কথাবার্তায় সেই ইঙ্গিতই স্পষ্ট হয়েছে।তাপসের মন্তব্য, যাঁরা বলেছিলেন আর কটা দিন, যাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বেগম বলেছিলেন তাঁরা ডাক পান। আমি ডাক পাই না। দিনরাত পরিশ্রম করা অপরাধ কিনা জানি না। বিষয়টা খুব অপমানের। স্থানীয় বিধায়ককে বাদ দেওয়া হল। আমি সিপিএম থেকে এসেছি বলে হয়তো এখনও আমার বিশ্বাসযোগত্যতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব তড়িঘড়ি বিষয়টি নিয়ে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে পড়েছে।এদিকে তাপসের ওই অনুষ্ঠানে ডাক না পাওয়াকে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়, বিধায়ক মদন মিত্র গুরুত্ব দিতে নারাজ। এমন ঘটনা ঘটতেই পারে বলে প্রবীণ দুই নেতা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তবে, মদন মিত্র বলেন, তবে নিজেকে গালমন্দ করেছে তাপস, তবে আমি বলবো যেন আত্মহত্যা না করে। খেলা অনেক বাকি। বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ওই দলে তো সবাই কর্মচারী। সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, বেশি তেলা আদায় করতে পারছে না বলে রেগে গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরও আশীর্বাদ চাইছে।

অক্টোবর ১৩, ২০২২
রাজনীতি

ক্রেন নিয়ে অবৈধভাবে গাছ কাটার অভিযোগ বর্ধমানে, অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলর

ফের বিতর্কে বর্ধমান পৌরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর বসির আহমেদ ওরফে বাদশা। তার বিরুদ্ধে বর্ধমানের বাবুরবাগ এলাকায় দীর্ঘদিনের পুরোনো গাছ কাটার অভিযোগ করে বনদপ্তরের দ্বারস্থ হলেন খোদ বর্ধমান শহর জয়হিন্দ বাহিনীর সহ সভাপতি মুক্তার মিঞা। বাদশার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সোমবার দিনের বেলা কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে দীর্ঘদিনের পুরোনো একটি শিরিশ গাছ কাটছিল তারা। কাটা গাছটি নিয়ে যাওয়ার জন্য সঙ্গে ছিল ক্রেন। বনদপ্তরে খবর গেলে বনদপ্তরের কর্মীরা আসতেই গাছ অর্ধেক কেটে রেখেই ক্রেন সহ কিছু কাটা কাঠ নিয়ে বেপাত্তা হয় অভিযুক্তরা। মুক্তার মিঞা অভিযোগ করেন, এই গাছটি রাস্তার উপরে রয়েছে। দীর্ঘদিনের পুরোনো এই গাছ কাউন্সিলর বিক্রি করার উদ্দেশ্যে কেটে নেওয়ার জন্য এসেছিল। আমি খবর পাওয়া মাত্র বনদপ্তরে জানাই। বনদপ্তরের কর্মীরা আসতেই সবাই পালিয়ে যায়। বসির আহমেদ সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে বনদপ্তরে অভিযোগ জানিয়েছেন মুক্তার মিঞা। স্থানীয় বাসিন্দা সেখ রাজিবুল বলেন, অনেক দিনের পুরোনো গাছ কাউন্সিলর বাদশা সহ বেশ কয়েকজন কাটতে এসেছিল। আমরা বনদপ্তরকে বিষয়টি জানিয়েছি। আরেক স্থানীয় বাসিন্দা অনিমা মল্লিক জানান, গাছটি অনেক পুরোনো শুকিয়ে গেছে। ডালপালা কাটার জন্য আমরা কাউন্সিলরকে জানিয়েছিলাম। উনি কি করেছেন আমরা জানি না। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই কাউন্সিলর বসির আহমেদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। গাছটি মারা গেছে, কেটে ফেলার জন্য আমার কাছে স্থানীয়রা এসেছিল। আমি বনদপ্তর ও পৌরসভাকে জানাতে বলেছিলাম। পরে শুনলাম কেউ গাছটা কেটে নিচ্ছে। আমিই বনদপ্তরকে জানিয়েছিলাম বলে দাবী করেন কাউন্সিলর। অতিরিক্ত বনাধিকারিক সোমনাথ চৌধুরী জানান, গতকাল গাছটি কাটা হচ্ছিল বলে আমাদের কাছে খবর আসে। আমাদের কর্মীরা ঘটনাস্থলে যাওয়া মাত্রই সবাই পালিয়ে যায়। কাটা গাছের কিছু অংশ আমরা ঘটনাস্থল থেকে বাজেয়াপ্ত করি। আজ স্থানীয়রা কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। আমরা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করবো। এই গাছ কাটার জন্য কয়েকজন অনুমতি নিতে এসেছিলেন। কিন্তু কাগজপত্রে অসঙ্গতি থাকায় আমরা তাদের অনুমতি দিইনি। যারা এটা করেছে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনমাফিক ব্যবস্থা নেব।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে কাউন্সিলর বসির আহমেদের বিরুদ্ধে তার দলেরই এক কর্মী তুহিনা খাতুনকে মারধর ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। বর্তমানে ওই মামলায় জামিনে রয়েছেন অভিযুক্ত কাউন্সিলর।

অক্টোবর ১১, ২০২২
রাজ্য

জেলা সংশোধনাগারে বিচারাধীন বন্দীর মৃত্যু ঘিরে রহস্যের গন্ধ

বর্ধমান জেলা সংশোধনাগারে এক বিচারাধীন বন্দীর মৃত্যু নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। মৃতের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ তাদের সময়মত খবর দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।মৃত বন্দীর নাম শেখ মোশাররফ হোসেন ওরফে চাঁদ। তার দুই ভাই শেখ জিয়াউদ্দিন আহমেদ ও কবীর হাসান জানান; তাদের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার ধরমপুর গ্রামে। গত ৩ রা অক্টোবর চাঁদ বর্ধমানে ঠাকুর দেখতে এসেছিল। সে সময় সন্দেহভাজন হিসেবে পুলিশ একটি চুরির কেসে তাকে গ্রেপ্তার করে। আদালতে তোলার আগে পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। তারা জানান ; আদালতে এবং জেল হেফাজতে কোনো অসুস্থতা তার ছিলনা।আজ সকালে হঠাৎই ভাতার থানা থেকে তাদের ফোনে জানান হয়; আসামী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তারা জানতে পারেন তার মৃত্যু ঘটেছে। মৃতের পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য; হঠাৎই কেউ লো প্রেসারে এভাবে মরে যেতে পারেনা। যদি তাই হবে হাসপাতালে ভর্তি করার সময় তাদের খবর দেওয়া হয়নি কেন। আজ বর্ধমানে এসে হাসপাতালের সেলে যান। সেখানে না দেখতে পেয়ে তারা বর্ধমান থানায় এসে জেল কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন।তাদের ধারণা; আসামীকে মারধর করা হয়ে থাকতে পারে। গোটা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত চাইছেন মৃতের পরিবার।এই ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।

অক্টোবর ০৯, ২০২২
রাজ্য

বর্ধমানে দেরিয়াপুরে 'মণ্ডল পরিবারের' লক্ষ্মী পুজো এবছরে শতবর্ষে পদার্পন করলো

আজ রবিবার ৯ অক্টোবর ২০২২ কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। দেবী লক্ষ্মী হলেন শান্তি, শ্রী ও সম্পদের প্রতীক। বাংলার ঘরে ঘরে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর আয়োজন করা হয়। আমবাঙালীর মনে করে যে বাড়িতে মা লক্ষ্মীর বাস, সেখানে কখনও কোনোদিন অভাব আসবে না। সাধারনভাবে বৃহস্পতীবার কে লক্ষ্মীবার বলে মানা হয়। ওইদিন বাংলার ঘরে ঘরে নিরামিষ খাওয়ার চল। হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষের ধারণা ভক্তি ভরে রীতিনীতি মেনে লক্ষ্মীদেবীর পুজার্চনা করা হলে, দেবীর কৃপায় সংসার সর্বদা ধন-সম্পদের অভাব থাকবেনা।লক্ষ্মী মণ্ডপ ও প্রতিষ্ঠাতা কেদারনাথ মণ্ডলদক্ষিণবঙ্গে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর চল সবথেকে বেশী দক্ষিণ দামোদর এলাকায়। সেখানকার রায়না, আনগুনো, শ্যামসুন্দর, মেরাল, বোখরা, দেরিয়াপুর এলাকায় বাড়ি বাড়ি লক্ষ্মী পুজোর ধুমধাম লক্ষ্য করা যায়। এবছর পূর্ব বর্ধমানের দেরিয়াপুরে মণ্ডল বাড়ির লক্ষ্মী পুজো ১০০ বছরে পদার্পণ করলো। ১৯২৩ এ মণ্ডল বংশের কেদারনাথ মণ্ডল এই পুজোর প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর পর এই পুজো দ্বায়িত্ব সামলেছেন গীতাপদ মন্ডল, শান্তিময় মন্ডল ও হরিনারায়ণ মন্ডলেরা। কালের নিয়মে একান্নবর্তী পরিবার ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে ছোট হয়ে এলেও দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা ধূমধামের সাথে দেরিয়াপুরের মণ্ডল পরিবার এখনও একসাথেই করে আসছেন।বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে সুজিত মণ্ডলপরিবারের সদস্য সুমিত মণ্ডল জানান, বর্তমানে পরিবারের সদস্য সংখ্যা প্রায় ৮০ জন, তাঁদের অধিকাংশই কর্মসুত্রে গ্রামে না থাকলেও পুজো উপলক্ষে সকলে এই দুদিন একত্রিত হন দেরিয়াপুরে। পাড়া প্রতিবেশী আত্মীয় কুটুম্ব সকলে মিলে প্রত্যেক বছর প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ জন মানুষ পুজোর পরের দিন দেবীর ভোগ গ্রহণ করেন। সুমিত জানান এই পুজোর নানা দ্বায়িত্ব বাড়ির বড়দের সাথে তিনি ছাড়াও পরিবারের সদস্য সন্দীপন, স্বস্তিক, অনিরুদ্ধরাও ভাগ করে নেন। তাঁরা জানান, এবছরে ১০০ বছর উদযাপনের জন্য আত্মীয়সজন, বন্ধুবান্ধব মিলে প্রায় ৮০০ জনের বেশী মানুষ এই পুজোতে আমন্ত্রিত। তিনি আরও জানান শতবর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে পরিবারের তরফ থেকে ১৫০ জন মানুষকে বস্ত্র বিতরণ করা হয়।

অক্টোবর ০৯, ২০২২
রাজ্য

২৬৩ বছরের পুরানো কালনার ভবানন্দপুরে বিচারক হরিনারায়ণ মুখোপাধ্যায়'র "মুখার্জী বাড়ি"র পুজো

কালনা শহর থেকে মাত্র ৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি গ্রাম ভবনন্দাপুর। সেই সময়ে শহর থেকে দূরে এই প্রত্যন্ত গ্রামে দুর্গা পুজো করা দূর অস্ত, ভাবনাটাই ছিলো কঠিন। বর্তমানে মুখোপাধ্যায় পরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্য অশোক মুখোপাধ্যায় জানালেন, সতেরশো খীষ্টাব্দের মাঝামাঝি সময়ে তৎকালীন কোলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কালনা মহুকুমার অন্তর্গত ভবানন্দপুর গ্রামে জমিদারী লাভ করেন। এই অঞ্চলে দুর্গা পুজোর অধিক্য সেভাবে না থাকায় তিনি দুর্গা পুজোর উদ্যোগ নেন। বহুকাল অবধি এই মুখোপাধ্যায় পরিবারের পুজো-ই গ্রামের একমাত্র পুজো ছিলো। গ্রামবাসীরা চারদিন ধরে এই মন্ডপেই আনন্দ করতেন।শারদ সন্মান নিয়ে ক্ষুদে সদস্যদের উল্লাসভবানন্দপুরে গ্রামে এই দুর্গা পুজোর প্রবর্তক ছিলেন হরিনারায়ন মুখোপাধ্যায়। তারই উদ্যোগে এই পুজোর সূত্রপাত। পরিবারের সুত্রে জানা যায়, হরিনারায়ণ মুখোপাধ্যায় ১৭৫৯ এ (ইংরাজী) এই পুজো শুরু করেন। সাবেকি ঘরানার প্রতিমা, প্রথা মেনে মহালয়ার ভোরে দেবীর চক্ষূদান করা হয়। দেবীর গায়ে মাটি দেওয়া হয় জন্মাষ্টমীর পরেরদিন। মুখোপাধ্যায় পরিবারের সদস্য অশোক মুখোপাধ্যায় জনতার কথা কে জানান, অতীতে এই পুজোতে ছাগল বলিদান দেওয়া হত। উত্তরসুরীদের কাছে শোনা কথা, কোনও এক সাধক একবার এই পুজোতে আসেন, তাঁর আদেশেই ছাগল বলি দেওয়া বন্ধ হয়। বর্তমানে এই পুজোতে ছাঁচি কুমড়ো, কলা ও আখ বলি দেওয়া হয়। নবমীর দিন কুমারী পুজোর আয়োজন করা হয়।মুখার্জী বাড়ির কুমারী পুজোঅশোক মুখোপাধ্যায় আরও জানান, গ্রামের সকলে এসে মায়ের ভোগ প্রসাদ গ্রহণ করেন। আনুমানিক ১৫০০ থেকে ১৬০০ মানুষ মায়ের ভোগ প্রসাদ এখানে বসে খেয়ে যান। গ্রামের মানুষজনই সোৎসাহে এই ভোগ প্রসাদ বিতরণ করেন। জনতার কথার প্রতিনিধীর, দ্রব্য মুল্য বৃদ্ধিতে পুজোর আচার বা মানুষজন কে নিমন্ত্রনে কোনও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে কিনা প্রশ্নের উত্তরে অশোক মুখোপাধ্যায় জানান, দ্রব্য মুল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় সেভাবে আমারা কোনও কিছু ত্রুটি রাখিনি, কিভাবে মায়ের পুজোর যোগার হয়ে যাচ্ছে সেটা আমরাও বুঝতে পারিনা, পরিবারের প্রত্যকেই তাঁর অর্থনৈতিক ক্ষমতা মত এগিয়ে আসেন তাই এই পুজো করতে আমাদের সেভাবে এখনও কোনও অসুবিধার মধ্যে প্ররতে হয়নি।পরিবারের আরও এক সদস্য তাপস মুখোপাধ্যায় জানান ১৭৭৪ সালে সুপ্রিম কোর্ট কোলকাতা ফোর্ট উইলিয়ামে চালু হয়। হরিনারায়ণ মুখোপাধ্যায় সেই সময়ে সেই কোর্টে কলকাতায় বিচারক ছিলেন তাঁরই উদ্যোগে এই পুজোর শুরু। তাঁর কথায় এই পুজোর খরচ মায়-ই যোগার করে নেন। তিনি আরও বলেন পরিবারের সকলে এবং গ্রামবাসীদের নিয়ে এই পাঁচদিন আমরা মাতোয়ারা থাকি। তাঁর বিশ্বাস খুবই জাগ্রত এই পুজো।পরিবারের কনিষ্ট সদস্য কুনাল মুখোপাধ্যায় জানান, বংশ পরম্পরায় একটা লিগাসি আমরা ক্যারী করে চলেছি খুব আনন্দ সহকারে, আমরা কোনও সময়েই মনে করিনা আমরা খাওয়াচ্ছি। এই যে গ্রামবাসীদের ভোগ বিতরণ, এটা মা দুর্গা নিজেই করিয়ে নেন, এতে আমাদের কোনও ভুমিকা নেই। তিনি ও পরিবারের বাকি সদস্যরা প্যানোরামা ও জনতার কথার শারদ সন্মান সেরা বনেদী বাড়ির পুজো পুরস্কার পেয়ে খুবই আনন্দিত বলে জানান। পুরস্কার পাওয়ার মোমেন্টো নিয়ে পরিবারের সদস্যদের ঢাক বাজিয়ে নৃত্য করতেও দেখা যায়।

অক্টোবর ০৪, ২০২২
রাজ্য

বর্ধমানের তালিতে ভট্টাচার্য্য পরিবারের ৩৫০ বছরের দুর্গা পুজো মহাসমারোহে পালিত

পূর্ব বর্ধমান জেলার তালিত গ্রামের ভট্টাচার্য্যদের জমিদার বাড়ির দুর্গা এর পুজো পালিত হচ্ছে ধুমধাম সহকারে। প্রত্যেক বছরের মত এবছরও এই পুজো ঘিরে পরিবারের সদস্যদের উন্মাদনা চোখে পড়ার মত। পরিবার সুত্রে জানা যায় প্রতিমার কাঠামো প্রায় ৩৫০ বছরের পুরনো। পরিবারের সদস্যদের কথায়, রথযাত্রার দিন গঙ্গা মাটি দিয়ে এক চালার প্রতিমা গড়া শুরু হয়। তাঁরা আরও জানান তালিতের ভট্টাচার্য বাড়ির পুজো দেখতে এসেছিলেন সাধক কমলাকান্ত এবং মা সারদা দেবী। মন্দিরের পুরোহিত জানান এ বাড়ির রীতি, পুরোহিত পুজো করতে বসলে শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসন থেকে আর উঠতে পারবেন না। দেবীর উদ্দেশে বলিদান দেওয়া হয় ছাঁচিকুমড়ো ও আখ। অতীতে পুজোর বিভিন্ন রীতি পালনে বর্ধমানের অধিষ্টাত্রী দেবী সর্বমঙ্গলা মন্দিরে কামান দাগা অনুসরনে করা হত। ১৯৯৫ সালের মহস্টমীর দিন মর্মান্তিক দূর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যুর পর সর্বমঙ্গলা মন্দিরে কামান দাগা বন্ধ হয়ে যায়।তালিতের ভট্টাচার্য বাড়ির পুজোয় এখনো এতটুও ভাটা পড়েনি। পরিবারের কনিষ্ঠ সদস্য সৌরভ ভট্টাচার্য্য জনতার কথা কে জানান, সারা বছর দেশে বিদেশে পরিবারের সদস্যরা থাকলেও এই চারটে দিন তাঁরা একত্রিত হয়ে মহানন্দে কাটিয়ে দেন। গত দুবছর করোনার কারণে পুজোয় জমায়েত একটু কম হলেও জৌলুস কমেনি এতটুকু। বছরের পর বছর পুরোনো রীতি মেনেই পালিত হয়ে আসছে আমাদের তালিতের জমিদার বাড়ির (ভট্টাচার্য পরিবারের) দুর্গাপুজো। ২০২২এর প্যানোরামা শারদ সন্মান সেরা বনেদী বাড়ির পুজো তে তাঁদের সন্মানিত করা হয়।

অক্টোবর ০৪, ২০২২
রাজ্য

রাঢ়ভূমি নারায়ণপুরের সরকার বাড়ির দু'শো বছরের পুরনো পুজো, দ্বিভুজা মা দুর্গার কার্তিক গণেশহীন মর্ত্যে আগমন

পুজো শুরু কাল। নারায়ণপুরে দেশের বাড়িতে দুশো বছরের বেশী পুরোনো পুজো আমাদের। এই পঞ্চান্ন বছরের জীবনে একবার ছাড়া কখনও গ্রামের বাইরে পুজো কাটাই নি। এটা আনন্দের চেয়েও বেশী একটা অভ্যাস... পরম্পরা... ঐতিহ্যরক্ষার দায়িত্ববোধ ।পেশাগত সব দায়িত্ব তাই গুটিয়ে ফেলেছি শুক্রবার রাতের মধ্যেই। আজ সকাল থেকেই বেরোনোর তোড়জোড়। মেয়ে কলকাতার বাসা থেকে বর্ধমান এসে পড়লো দুপুরেই। রূপা ওকে নিয়ে গাড়িতে লটবহর তুলে গ্রামের বাড়ি যাবে কাল সকালে। আমার যাওয়া আজই।সবদিক সামলে সুমলে স্কুটারের সামনে সুটকেস ঠেসে নিয়ে রওনা দিলাম, ঘড়িতে তখন বিকেল তিনটে পঁচিশ। বাড়ি থেকে আধ কি.মি. দূরেই জাতীয় সড়ক; আজ বিকেলে কেন কে জানে গাড়ির চাপ একটু কম। তবু গাঁক গাঁক করে ছুটে আসা ট্রাক-ডাম্পার-দূরপাল্লার বাস-পেরাইভেটদের থেকে সদাসন্ত্রস্ত আমি এগোলাম কোনোমতে। জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ চলছে; যেখানে সেখানে রাস্তার ধারে একমানুষ সমান খোঁড়াখুঁড়ি... কংক্রিটের বাফার... ক্রেন... পে লোডার। কোনোমতে গুড়গুড় করে বিশ মিনিটে সাড়ে সাত কি.মি. পাড়ি দিয়ে নবাবহাট মোড়--- দু নং জাতীয় সড়ক ছেড়ে উত্তরমুখী সিউড়ি রোডে ঢুকে পড়া গেল; যেন প্রাণ আসলো ধড়ে!মসৃণ পীচঢালা রাস্তা... গাড়ি কম... দুপাশ শ্যামলে শ্যামল, আকাশ নীলিমায় নীল। একশো আট শিবমন্দির-এ ভ্রমণার্থীদের ভিড়। তালিত রেলগেট হাট করে খোলা, অন্তহীন অপেক্ষা থেকে রেহাই পেলাম তাই। বাড়ি থেকে উনিশ কি.মি. আসার পর হলদী-র কাছে খড়ি নদীর সেতু পেরিয়ে ঢুকে পড়লাম ডানদিকে।বিস্ময়ের ওপর বিস্ময়! এই সদা-আহত রুগ্ন গ্রামীণ পথও এখন বেশ ঝাঁ চকচকে। পুরুষ্টু ধানের শীষে দোল খেয়ে যাচ্ছে বাতাস... তারে দোল খাচ্ছে ফিঙে- বাঁশপাতি-মাছরাঙা... মাঝেমাঝেই ঘুঘুদম্পতিদের উড়ে যাওয়া পথের এপাশ থেকে ওপাশে। এদিকের গ্রামগুলি বেশ সাফসুতরো; কিছু বাড়িতে রঙের পোঁচ পরেছে নতুন, কিছু বাড়ি মলিন ও পারিপাট্যহীণ... সম্ভবত বাসিন্দারা ভাগ্যান্বেষণে চলে গেছেন অন্যত্র। থৈ থৈ করছে পুকুরগুলি... ধারে বকবাবাজীদের একঠেঙে প্রার্থনা... কোথাও খোঁটায় বসে ডানা শুকাচ্ছে পানকৌড়ি...প্রকৃতিতে বেশ একটা শান্ত তৃপ্ত ভাব যেন আজ! শষ্যক্ষেত্রের সোনার গানে সমান তানে যেন যোগ দিয়েছে সবাই, সুর ভাসিয়ে দিয়েছে ভরন্ত পুকুরের অমল জলরাশিতে, প্রকৃতি যেন নিমগ্ন আজ মহাষষ্ঠীর পরম প্রেয় লগ্নের প্রত্যাশায়।মাহিনগর-মোহনপুর-হরিবাটি-কামারপাড়া-ধান্দলসা-বিঘড়ে পেরিয়ে এসে গেল নারায়ণপুর --- বাড়ি থেকে উনত্রিশ কি.মি. পথ পেরিয়ে, ঠিক সত্তর মিনিটের মাথায়। স্কুলমোড় দিয়ে ঢুকে গাঁয়ের মধ্যে কংক্রিট-বাঁধানো এক কি.মি. আঁকাবাঁকা পথ ধরে অবশেষে পৌঁছে গেলাম আমাদের সাবেক ভদ্রাসনে।জ্যেঠতুতো দাদারা ও ছোটকাকা এসে পড়েছে ইতিমধ্যেই। বাবা-মাকে তো পাঠিয়ে দিয়েছিলাম চতুর্থী-র দিনই। সবার সাথে দেখাশোনা কুশলবিনিময় হতে হতেই দিনের আলো নিভে এলো , বেজে উঠলো ঢাকের বাদ্যি।সকাল-সন্ধ্যায় ঠাকুরতলায় ঢাক-ঢোল-কাঁসি-র এই একপ্রস্থ বৃন্দবাদনকে এখানে বলা হয় ধেমুল। কোন শব্দের অপভ্রংশ এটা জানিনা, তবে শুনেছি ভোরবেলা এই বাজনা দিয়ে ঠাকুরের ঘুম ভাঙানো হয়, আর সাঁঝের ঝোঁকে এর উদ্দেশ্য দেবতার বন্দনা। ছোটোবেলায় এই ধেমুল-এর সাথে সন্ধ্যের মুখে প্রবল নাচানাচি করতাম একপাল সমবয়সী ছেলেপিলে মিলে; আর আজ বাজনদারেরা ঢাকের বোল তুললো প্রায় ফাঁকা মণ্ডপে।গ্রাম এখন বলতে গেলে শুনশান, বিশেষত আমাদের পাড়ায় স্থায়ী বাসিন্দা এখন বিরল। প্রায় পঁচিশটি পরিবারের মধ্যে অর্ধেক বাড়িতে কেউই থাকেন না, শহরবাসী হয়েছেন সবাই। বাকি বাড়িগুলিতে প্রৌঢ় দম্পতি বাপ-পিতেমো-র ভিটে আগলাচ্ছেন কোনোমতে, ছেলেমেয়েরা কর্মসূত্রে পাকাপাকিভাবে বাইরে। রাঢ়ভূমির গ্রামের পর গ্রামে এটাই এখন সাধারণ চিত্র। ভাবতে ভয় হয়, এই প্রজন্মের পর বাংলার গ্রামগুলি কি একেবারেই উজাড় হয়ে যাবে--- ছিয়াত্তরের মণ্বন্তর, বর্গীর আক্রমণ, বা ম্যালেরিয়া-ওলাউঠোয় ছাড়খার হয়ে যাওয়া বাংলার মতো?আমাদের এই পুজো ব্যতিক্রমী , কারণ মা এখানে পূজিতা হন মহিষাসুরমর্দিনী নয়, হরগৌরী-রূপে। মায়ের দুইটি হাত, বসে আছেন মহেশ্বরের পাশে, দুপাশে সরস্বতী ও লক্ষ্মীকে নিয়ে। সিংহ-অসুর-কার্তিক-গনেশ কেউ নেই, আছেন বরং নন্দী ও ভৃঙ্গী। নিপাট ঘরোয়া রূপে এই মাতৃপূজা চলছে কত কাল, সঠিক জানা নেই কারো। তবে লিখিত নথি আছে অন্ততঃ দুশো বছর আগে পর্যন্ত।ঠাকুরতলায় ছায়া দিচ্ছে যে বিশাল অশ্বত্থগাছটি, আমার সাতাশি বছর বয়সী বাবাও আজন্ম তাকে দেখে আসছেন ঠিক এমনটিই! একসময় বিকেলে তার ডালে ডালে অগুনতি টিয়াপাখির কলরবে মানুষের কথা শোনা যেত না, আজ সেখানে সম্পূর্ণ নীরবতা। সব টিয়া নাকি ধরে নিয়ে গেছে পাখিচোরেরা; আবার কারো কারো বক্তব্য গাছের কোটরে সাপ থাকে, তারাই নাকি পাখির ডিম খেয়ে খেয়ে বংশলোপ করে দিয়েছে!সন্ধ্যায় দেবীর বোধন। কুলপুরোহিত বুড়োদা ও নুপুরদা স্বল্পালোকিত মন্ডপে বসে নিষ্ঠাভরে ক্রিয়াকর্ম সারলেন। শুরু হয়ে গেল মাতৃবন্দনা। কাল সকাল সাতটায় নবপত্রিকা স্নান করাতে যাওয়া হবে পালকি চড়িয়ে।ডঃ সুজন সরকার,বর্ধমান।

অক্টোবর ০২, ২০২২
রাজ্য

উৎসবে কাতারে কাতারে মানুষ মেট্রোতে, ষষ্ঠীতে আয় কোটির ওপর

করোনা আবহ পেরিয়ে এবার দুর্গাপুজোয় মহানগর ভিড়ে ঠাসা। রেকর্ড ভিড় মেট্রোতেও। শহরের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত যাওয়ার ক্ষেত্রে মেট্রোকেই ভরসা যাত্রীদের। তাই রোজই নতুন নতুন রেকর্ড গড়ছে মেট্রো। চতুর্থী থেকে ষষ্ঠী পর্যন্ত কলকাতা মেট্রো কোটি কোটি টাকার ওপর আয় করেছে। গড় যাত্রী সংখ্যা নিত্য দিন প্রায় ৭ লক্ষ। দিনভর পরিষেবা দিচ্ছে মেট্রো। যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় টিকিট কাউন্টারের সংখ্যাও বাড়িয়েছে কতৃপক্ষ। মেট্রো রেল জানিয়েছে, ষষ্ঠীতে সাড়ে ৭ লক্ষেরও বেশি যাত্রী মেট্রোতে চড়েছেন। গতকাল অর্থাৎ ১ অক্টোবর মেট্রো রেলের মোট যাত্রী সংখ্যা ছিল ৭ লক্ষ ৫৩ হাজার ৩৯০ জন। ষষ্ঠীতে মোট ২৮৮টি ট্রেন চালিয়েছে কলকাতা মেট্রোরেল। এই দিন টোকেন, স্মার্ট কার্ড বিক্রি এবং স্মার্ট কার্ড রিচার্জে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের মোট আয় হয়েছে ১ কোটি ২৮ লক্ষ ৯৭ হাজার ৩৩০ টাকা।ষষ্ঠীতেও সর্বাধিক যাত্রী চড়ার রেকর্ড দমদম স্টেশনের। দমদমে ১ অক্টোবর ৮৭ হাজার ৩৬৪ জন যাত্রী মেট্রোয় চেপেছেন। কালীঘাট স্টেশন থেকে ৬০ হাজার ৯৮৮ জন, এসপ্ল্যানেড থেকে ৪৫ হাজার ৩০১ জন এবং রবীন্দ্র সদন থেকে ৩৭ হাজার ১৪ জন যাত্রী ষষ্ঠীতে মেট্রোয় চেপেছেন। গতকাল ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় ৩৬ হাজার ২৭৫ জন যাত্রী মেট্রোয় চেপেছেন।

অক্টোবর ০২, ২০২২
রাজ্য

দুর্গা পুজোয় শব্দবাজির দাপট নিয়ন্ত্রণে বড়সর সাফল্য বর্ধমান থানার

বর্ধমান থানার পুলিসের তৎপরাতায় উদ্ধার বিপুল পরিমাণের শ্বব্দবাজি। মহালয়ার রাত্রে ব্যপক দাপট দেখিয়েছিল শব্দবাজি। শহরবাসী শব্দের পরাক্রমে রাতের প্রহর গুনে কাটিয়েছে। পুজোয় বাজির দাপট কমাতে সতর্ক ছিল পুলিশ। পুজোর মুখেই বর্ধমান থানার পুলিশ প্রচুর পরিমাণে শব্দবাজি উদ্ধার করলো। পঞ্চমীর সন্ধ্যায় বর্ধমান থানার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তেঁতুলতলা বাজারে অভিযান চালায়। প্রথম অভিযানে সাফল্য না পেলেও, পরে এক ক্রেতাকে ট্রাক করে গোডাউনে পৌঁছয় পুলিশ। গলির ভিতর থেকে লুকিয়ে বিক্রি হচ্ছিল বাজি, অভিযোগ পুলিশের। ওই গোডাউন থেকে প্রচুর পরিমাণে শব্দবাজি উদ্ধার হয়। নিষিদ্ধ শব্দবাজি বিক্রির অপরাধে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে শনিবার আদালতে তোলা হবে।

অক্টোবর ০১, ২০২২
রাজ্য

মফস্বল ও শহরতলি থেকে কলকাতায় রাত জেগে প্রতিমা দর্শনঃ রাতভোর লোকাল ট্রেনের সময়সূচি জানুন

বাংলার দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কো হেরিটেজ তকম দিয়েছে। তা নিয়ে মাতোয়াড়া বাংলা। এদিকে কলকাতার প্রতিমা দর্শনে সাধারণের সুবিধা করতে প্রতিবারের মতো এবারও এগিয়ে এসেছে পূর্ব রেল। দুর্গা-পুজোয় ঠাকুর ও প্যান্ডেল দেখার জন্য একগুচ্ছ অতিরিক্ত ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত পূর্ব রেলের। পুজোতে রাতভর ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত কথা জানালো রেল। পূর্ব রেলের শিয়ালদহ ডিভিশনে ২০টি স্পেশাল ট্রেন দুর্গাপুজোর পঞ্চমী থেকে দশমী অবধি চালানো হবে বলে জানানো হয়েছে। এই বাড়তি ট্রেন গুলি শিয়ালদহনৈহাটি, শিয়ালদহরানাঘাট, শিয়ালদহবনগাঁ, শিয়ালদহ-ডানকুনি ও দক্ষিণ শাখায় স্পেশাল বজবজ এবং বারুইপুর লোকাল চালানো হবে বলে সুত্রে জানা গেছে।কোন ষ্টেশন থেকে কোন সময় স্পেশাল ট্রেনগুলি ছাড়বে জেনে নিনঃ* শিয়ালদহ থেকে রানাঘাট যাবার শেষ ট্রেন শিয়ালদহ ষ্টেশন ছাড়বে রাত ১২ টা ৪০ মিনিটে। রানাঘাট থেকে শিয়ালদহ আসার লোকাল ট্রেন রানাঘাট ছাড়বে রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে।* দুটি স্পেশাল শিয়ালদহ-নৈহাটি লোকাল চালানো হবে রাতে। রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে একটি ট্রেন শিয়ালদহ থেকে ছাড়বে, অপরটি ২টা ৩০ মিনিটে। ওই একই শাখায় নৈহাটি থেকে শিয়ালদহের উদ্দেশে শেষ দুটি ট্রেন ছাড়বে যথাক্রমে রাত ১২টা ২৫মিনিট ও রাত ২টা ৫৫ মিনিটে।* শিয়ালদহ - বনগাঁর লাইনের শেষ ট্রেন শিয়ালদহ ষ্টেশন ছাড়বে রাত ১২টা ৪০ মিনিটে। অন্যদিকে বনগাঁ থেকে শেষ শিয়ালদহ আসার শেষ লোকাল ছাড়বে রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে।* শিয়ালদহ-ডানকুনি শেষ লোকাল ট্রেন শিয়ালদহ ছাড়বে রাত ১১টা ৩০ মিনিটে। আবার ডানকুনি থেকে শিয়ালদহের উদ্দেশে শেষ ট্রেন ছাড়বে রাত ১২টা ২৫ মিনিটে।* এছাড়া অতিরিক্ত ভিড় ও ঠাকুর দেখার জন্য পুজোর সময় এক জোড়া রানাঘাট-বনগাঁ লোকাল ট্রেন চলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল দপ্তর। রানাঘাট থেকে বনগাঁ যাওয়ার শেষ লোকাল ট্রেনটি ছাড়বে রাত ১০টায়। অপরদিকে, রানাঘাট আসার শেষ ট্রেন বনগাঁ ষ্টেশন ছাড়বে ৯ টা ৫৮ মিনিটে।* শিয়ালদহ-বারুইপুর শাখায় তিন জোড়া লোকাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ব রেল। শিয়ালদহ থেকে সেই তিনটি ট্রেন ছাড়বে যথাক্রমে- দুপুর ৩টা ২০ মিনিট, রাত ১২টা ৩০ এবং ২টা ২০ মিনিটে।* বারুইপুর থেকে শিয়ালদহ আসারও ট্রেন সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। ওই শাখায় তিনটি লোকাল ট্রেন দেওয়া হয়েছে। একটি বিকেল ৪টা ৩৮ মিনিটে, বাকি দুটি রাত ১টা ২৫ মিনিটে ও ভোর ৩টা ১০ মিনিটে।* শিয়ালদহ-বজবজ শাখায়, বজবজ স্টেশন থেকে শিয়ালদহ আসার শেষ লোকাল ট্রেন ছাড়বে রাত ১২টা ৩০ মিনিটে। অপরদিকে শিয়ালদহ থেকে বজবজের উদ্দশ্যে শেষ ট্রেন ছাড়বে রাত ১১টা ৩০ মিনিটে।

সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২২
রাজ্য

রেল-সড়ক অবরোধের ১০০ ঘন্টা পার, দাবিতে অনড় কুড়মি সমাজ

কুড়মি সমাজের স্পষ্ট দাবি, তপসিলি জনজাতিভুক্ত করতে হবে। রেল ও সড়ক অবরোধের ১০০ ঘন্টা পেরিয়ে গিয়েছে। তবু মেলেনি রফাসূত্র। রাজ্য সরকার ফের চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। এই চিঠি আদৌ কার্যকর হবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান আন্দোলনকারীরা। রেল ও সড়ক পথ বন্ধ থাকায় স্বভাবতই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে হাজার হাজার মানুষকে।পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়ায় অব্যাহত কুড়মি সমাজের লাগাতার বিক্ষোভ-অবরোধ কর্মসূচি। গত মঙ্গলবার থেকে বিক্ষোভ-অবরোধ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে কুড়মিরা। শনিবার তাঁদের লাগাতার এই আন্দোলন পাঁচ দিনে পড়ল। ১০০ ঘন্টা পার করেছে।পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলি ও পুরুলিয়ার কুস্তাউর স্টেশনে গত পাঁচ দিন ধরে রেললাইনের উপর বসে-শুয়ে, মঞ্চ বেধে গান গেয়ে আন্দোলন চালাচ্ছেন কুড়মিরা। একটানা রেল রোকো কর্মসূচিতে প্রতি দিন দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ে বহু ট্রেন বাতিল করছে। বহু ট্রেনের গতিপথ বদল করতে বাধ্য হচ্ছে রেল কর্তৃপক্ষ। রেললাইনের পাশাপাশি একটানা অবরোধ চলছে জাতীয় সড়কেও। পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলিতে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন কুড়মিরা।জাতীয় সড়কে কয়েক কিলোমিটার জুড়ে গত মঙ্গলবার থেকে গাড়ির লাইন পড়ে গিয়েছে। চরম হয়রনির শিকার হচ্ছেন গাড়িচালক-খালাসি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। খাবারের ভান্ডারে টান পড়েছে গাড়িচালক-খালাসিদের। রেল অবরোধের জেরে দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ে আড়াইশোর বেশি ট্রেন ইতিমধ্যেই বাতিল করেছে। বহু ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। দাবি না মেটা পর্যন্ত আন্দোলন তুলবে না কুড়মিরা। তাঁরা জানিয়ে দিয়েছে, প্রশাসন বলপ্রয়োগ করুক বা গুলি করুক এক পা-ও পিছবে না।

সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২২
রাজ্য

এবারের পুজোটা জেলেই কাটবে অনুব্রত মন্ডলের, জামিন না-মঞ্জুর

সেই প্রভাবশলী তকমা। এবার দুর্গাপুজোটা জেলেই কাটাতে হবে গরুপাচার কাণ্ডে গ্রেফতার বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মন্ডলকে। বুধবার ফের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গেল অনুব্রত মন্ডলের। এদিন ফের এই তৃণমূল নেতাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজত দিল আসানসোলের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। জামিনের আবেদন খারিজ করেন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৫ অক্টোবর, দশমীর দিন। তাই পুজোর কটা দিন জেলেই কাটাতে হবে অনুব্রতকে।বুধবার আসানসোলের বিশেষ আদালতে অনুব্রতর মন্ডলের আইনজীবী সন্দীপন গঙ্গোপাধ্যায় এবং অনির্বাণ গুহঠাকুরতা মক্কেলের জামিনের আবেদন করেন। তাঁরা যুক্তি দেন, গরুপাচার কাণ্ডের মূল অভিযুক্তদের জামিন মঞ্জুর হয়েছে। কেউ মাসখানেকের ওপর জেল খেটেছেন কেউ জেল না খেটেই জামিন পেয়েছেন। একইসঙ্গে অনুব্রতর শারীরিক অবস্থা খারাপ বলেও আদালতে জানান তাঁর আইনজীবী। সিবিআই আইনজীবীর তরফে প্রভাবশালী তকমা দেওয়া হয় অনুব্রতকে। তিনি বাইরে থাকলে মামলার সাক্ষ্যপ্রমাণ নষ্ট করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।

সেপ্টেম্বর ২১, ২০২২
রাজ্য

শিশু খুন, অ্যাসবেস্টসের ছাউনির ওপর মিলল দেহ, ধৃত প্রতিবেশী মহিলা

দুদিন নিখোঁজ থাকার পর মঙ্গলবার বেলার দিকে বাড়ি পাশেই উদ্ধার হল শিশুর মৃতদেহ। এই ঘটনার পর অভিযুক্তের বাড়িতে ভাঙচুরের পাশাপাশি আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজত জনতা। এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্ত মহিলা রুবি বিবিকে আটক করেছে।পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শান্তিনিকেতন থানার মোলডাঙা এলাকার বাসিন্দা শম্ভু ঠাকুর ও মমতা ঠাকুরের দুই সন্তান। বড় ছেলে সুপ্রিয় ঠাকুর (১০) এবং ছোট ছেলে শিবম (৫)। শম্ভু পেশায় নাপিত। ফলে পেশার তাগিদে প্রতিদিন সকালে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। তবে মমতাদেবী বাড়িতেই থাকেন। রবিবার সকালে শিবম বাড়ির ঢিল ছোড়া দুরত্বে বিস্কুট কিনতে বেড়িয়েছিল। তারপর থেকেই সে নিখোঁজ হয়ে যায়। ওই দিন রাতে পুলিশ কুকুর নিয়ে তল্লাশি চালিয়েও তার খোঁজ পায়নি পুলিশ। এরপরেই মঙ্গলবার বেলার দিকে প্রতিবেশী রুবি বিবির বাড়ির অ্যাসবেস্টস ছাউনির উপর থেকে কালো ত্রিপল দিয়ে মোরা পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধারের খবর ছড়িয়ে পড়তেই উত্তেজনা ছড়াই এলাকায়। এলাকার মানুষ রুবি বিবির ভাংচুর করার পাশাপাশি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকালেই রুবি বিবি ওই শিসুটিকে হাট ধরে টেনে বাড়ির মধ্যে নিয়ে গিয়ে গলা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে খুন করে। ওইদিন গ্রামের মন্দিরে পুজোর জন্য লোকজন থাকায় মৃতদেহ সরাতে পারেনি। ফলে প্রথমে একটি গামছায় জড়িয়ে তার উপর কালো ত্রিপল দিয়ে বেঁধে দেহ ছাউনির উপর তুলে রাখে। এদিকে শিশুর নিখোঁজ খবরের পর থেকেই গ্রামে পুলিশের আনাগোনা শুরু হয়। গ্রামবাসীরাও চারিদিকে নজর রাখতে শুরু করে। ফলে দেহ সরিয়ে ফেলতে পারেনি রুবি বিবি। এদিন দুপুরে এলাকার মানুষ গলা পচার গন্ধ পায়। তারপরেই রুবির বাড়ির অ্যাসবেস্টসের ছাউনিতে প্রচুর মাছি উড়তে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে। তবে এই ঘটনার সঙ্গে একা রুবি নয়, আরও কেউ যুক্ত রয়েছে বলে মনে করছেন এলাকার মানুষ।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত শিশুর বাবা শম্ভু ঠাকুরের সেলুনে কাজ করতেন হাবল বাউরি নামে এক যুবক। তার সঙ্গে রুবি বিবির অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পরে। এমনকি রুবি তাকে বিয়ে করতে চাইলে তাতে আপত্তি জানায় শম্ভু। সেই থেকেই শম্ভুর সঙ্গে আক্রোশ হয় রুবির। তারই বদলা নিতে শিশুকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি প্রতিবেশীদের।জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠি বলেন, রবিবার থেকে ওই শিশু নিখোঁজ ছিল। দুপুরের দিকে স্থানীয় থানায় পরিবার অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পাওয়ার পরেই আমরা ছয়টি দল গঠন করে খোঁজাখুঁজি শুরু করি। এলাকার মানুষকে নিয়ে সমস্ত বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। কিন্তু খোঁজ পাওয় জায়নি। কুকুর নিয়ে এসেও তল্লাশি চালানো হয়েছিল। সোমবার সকালে দুই কিলোমিটার এরিয়ায় তল্লাশি চালানো হয়। এমনকি সোনাঝুড়ির জঙ্গলেও তল্লাশি চালানো হয়েছিল। মৃতদেহের ফরেনসিক পরীক্ষা করা হবে। মহিলাকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে খুনের কারণ জানার চেষ্টা করা হবে। উত্তেজনা থাকায় গ্রামের ছয়টি জায়গায় পুলিশ পিকেট মোতায়েন করা হয়েছে।

সেপ্টেম্বর ২১, ২০২২
রাজ্য

ফ্ল্যাট দখলের বিবাদে তালা বন্ধ করে রাখা হল প্রতিবন্ধী শিশুকে

ফ্ল্যাটের দখল নিয়ে বিবাদের জেরে দীর্ঘক্ষন আটকে রাখা হলো এক প্রতিবন্ধী শিশুকে। ঘটনাটি ঘটেছে ডোমজুড় থানার অন্তর্গত কাছারি বাড়ি এলাকায় । প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা পরে ডোমজুড় থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে । দরজা ভেঙ্গে উদ্ধার করে ওই শিশুকে। এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে । পুলিশ সূত্রে খবর, বছর পাঁচেক আগে ডোমজুড়ের কাছারিবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ধনঞ্জয় প্রামানিক এবং অন্য একজন শরিক তাদের জমিতে স্থানীয় এক প্রোমোটারকে আবাসন তৈরির অনুমতি দেন। চুক্তি অনুযায়ী উভয়ের মধ্যে ফ্ল্যাট বন্টনও হয়ে যায়। তবে পরবর্তী সময়ে ওই প্রোমোটার নিয়ম বহির্ভূতভাবে আরো একটি তল নির্মাণ করায় বিবাদ বাধে জমির মালিক ধনঞ্জয় প্রামাণিকের সঙ্গে। মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ ধনঞ্জয় প্রামাণিকের স্ত্রী যখন স্কুল ফেরত মেয়েকে নিতে আবাসনের নিচে আসেন তখন তার প্রতিবন্ধী ছেলেকে প্রোমোটারের ঘনিষ্ঠ সিন্টু মন্ডল ঘরের মধ্যে তালা বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ। ধনঞ্জয় প্রামানিকের স্ত্রী মামনি প্রামাণিক ঘরে ফিরে দেখেন তাদের ঘর তালা বন্ধ। তার নজরে আসে তিন তলার বারান্দায় বিপজ্জনক অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে নবছরের মানসিক প্রতিবন্ধী ছেলে। খবর দেওয়া হয় ডোমজুড় থানায়। ছুটে আসে ডোমজুড় থানার পুলিশ। প্রায় ঘন্টা ৩ বাদে মিস্ত্রি ডেকে দরজা ভেঙে ওই শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় ডোমজুড় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ধনঞ্জয়বাবু। পুলিশ সিন্টু মন্ডল নামে এক ফ্ল্যাটের মালিককে গ্রেফতার করেছে। এই ঘটনায় আতঙ্কিত ধনঞ্জয়বাবু এবং তার পরিবার। গোটা ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে ডোমজুড় থানার পুলিশ।

সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 9
  • 10
  • 11
  • 12
  • 13
  • 14
  • 15
  • ...
  • 61
  • 62
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

নৌকো ডুবিতে প্রাণ বাঁচল ১৩ জনের, নিখোঁজের তল্লাশিতে ডুবুরি

মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান ফেরিঘাটে মধ্যরাতে নৌকায় পারাপারে ঘটলো বড়সড় বিপত্তি। ১৩ জন প্রাণে বাঁচলেও নিখোঁজ এক শ্রমীক। স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ১২ জন শ্রমীক ধুলিয়ান কলাবাগান সংলগ্ন ফেরিঘাট আসে মালদা যাওয়ার জন্য। ঘাটের নৌক রাত ৯ টার পর বন্ধ থাকায় দুই জন মৎস্যজীবীকে বলে নদী পারাপার করারা জন্য।জানা গিয়েছে, দুই মৎস্যজীবী রাজি হয়ে যায় ৮০০ টাকার বিনিময়ে। কিন্তু তাঁদের নিজের নৌক না থাকায়, রঞ্জন মন্ডলকে না জানিয়ে তাঁর নৌকা নিয়ে তাঁদের পারাপার করতে যায়। প্রশাসনের নিয়মকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে নৌকা ঘাট বন্ধ থাকায় ছোট নৌকা করে প্রায় ১২ জন শ্রমীক নিয়ে ধুলিয়ান কলাবাগান সংলগ্ন ফেরিঘাট থেকে পারলালপুর ঘাটের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় হঠাৎ নৌকা উল্টে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটি আসে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ, বিএসএফ ও স্থানীয় মাঝিরা। রাতে জীবিত ১৩ জনকে উদ্ধার করা গেলেও নিখোঁজ হয়ে যায় এক ব্যাক্তি। নিখোঁজ ব্যক্তির পরিবার সুত্রে জানা যায়, নিখোঁজ ব্যক্তির নাম জাহাঙ্গীর শেখ। বয়স ৩৫ বছর। বাবার নাম লিয়াকত আলি। বাড়ি মালদা জেলার বৈষ্ণবনগর থানার বাখরাবাদ গ্রাম। সকাল থেকে নিখোঁজ শ্রমিকের পরিবার ও পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগ ডুবুরি টিম গঙ্গায় তল্লাশি চালাতে থাকে।পুলিশ সুত্রে জানা যায়, দুই জন মৎসজীবীকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল রাতে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ ও বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ। সকালে ডুবরির টিম তল্লাশি করছে। ইতিমধ্যে ডুবে যাওয়া নৌকা টিকে উদ্ধার করেছে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ । পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।

জুন ২১, ২০২৫
রাজ্য

বারাসতে ভয়াবহ আগুন, মুহূর্মুহু বিস্ফোরণের শব্দ, ঘটনাস্থলে দমকলের ২০টি ইঞ্জিন

ভয়াবহ অগ্নিকান্ড বারাসাত। বিধ্বংসী আগুনে জ্বলছে বামনমুড়ায় প্যাম্পার্স ফ্যাক্টরি। আগুনের ফলে বন্ধ করা হয়েছে বারাসাত টাকি রোডের যান চলাচলও। প্রথমে স্থানীয় আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেও ব্যর্থ। দমকলের ২০টি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।শনিবার সন্ধ্যায় হঠাৎই আগুনের লেলিহান শিখা দেখা যায় বারাসাতের বামুনমুড়া এলাকায়। অগুন নজরে আসতেই প্রথমে স্থানীয়রা আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। ২০টি দমকল ইঞ্জিন পৌঁছালেও এখনও পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। গলগল করে ধোঁয়া বের হতে থাকে। আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি। ব্যাপক ক্ষয়খতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জুন ২১, ২০২৫
রাজ্য

শৌচাগারের ট্যাঙ্কি বানাতে গিয়ে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা, মৃত দুই

নির্মীয়মান বাড়ির শৌচাগারের ট্যাঙ্কি ভেঙে মৃত্যু হল দুই ভাইয়ের। এই ঘটনায় জখম হয়েছে আরও একজন শ্রমিক । তাঁর চিকিৎসা চলছে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। শনিবার সন্ধ্যা ছটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে ইংরেজবাজার শহরের সুকান্তপল্লি এলাকায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত দুই ভাইয়ের নাম উজ্জল মন্ডল (২৮) এবং অসিত মন্ডল (২৫)। তাঁদের বাড়ি ইংরেজবাজার থানার বাগবাড়ি বাগরড এলাকায়। আহত হয়েছেন অমল মন্ডল(২৫)। তার বাড়ি রতুয়ার করমনি এলাকায়। এদিন তিনজন সুকান্তপল্লি এলাকার একটি নির্মীয়মান বাড়ির শৌচাগারের ট্যাঙ্কির ভেতরে সাটারিং খুলছিল। সেই সময় হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে সাটারিংয়ের কাঠ এবং কংক্রিটের চাঙর । এই দুর্ঘটনার সময় তিনজন জখম হলে তাদেরকে মালদা মেডিকেল কলেজে স্থানীয়রা উদ্ধার করে নিয়ে আসে। মেডিকেল কলেজের কর্তব্যরত চিকিৎসাকেরা দুইজন শ্রমিককে মৃত বলে জানিয়ে দেয়। পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, বাড়ির মালিকের নাম প্রসেনজিৎ বর্মন। পেশায় তিনি স্কুল শিক্ষক। সেখানেই তিনি একটি নতুন বাড়ি তৈরি করছিলেন। পুলিশ বাড়ির মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।শৌচাগারের ট্যাঙ্কি বানাতে গিয়ে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা, মৃত দুই

জুন ২১, ২০২৫
রাজ্য

জলমগ্ন একাধিক গ্রাম, জল ছাড়ছে ডিভিসি, দুর্গাপুর ব্য়ারেজ পরিদর্শন সেচমন্ত্রীর

দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে মঙ্গলবার থেকে ভারি বৃষ্টিপাত চলছে। পাঞ্চেত, মাইথন থেকে জল ছাড়ার পরে দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকেও যথারীতি জল ছাড়া শুরু হয়েছে। আজ, শুক্রবার ৪৬ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে বলে সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া জানিয়েছেন। সেচমন্ত্রী মানস ভুইয়া দুর্গাপুর ব্যারাজের সংস্কারের কাজের পর চালু ব্যারাজ রাস্তা পরিদর্শনে আসেন। সেচমন্ত্রী বলেন, ৪৫ দিনের মধ্যেই কাজ শেষ করা হয়েছে। বর্ষা এসে গিয়েছে। ফলে বাকি যেসব কাজ রয়েছে তা বর্ষার পরেই শুরু হবে।দুর্গাপুর ব্যারাজের পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেচমন্ত্রী বাংলার প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের ইচ্ছাকৃত বঞ্চনার কথা তুলে ধরেন। সেচমন্ত্রী বারবার বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের যে দায়িত্ব রয়েছে তা পালন করছে না এবং রাজ্যের হকের টাকা কেন্দ্র দিচ্ছে না। তাই ড্রেজিং করা সম্ভব হচ্ছে না। রাজ্য ও ডিভিসির মধ্যে বারবার জল ছাড়া নিয়ে যে বিতর্ক দেখা দেয় তা নিয়ে কোন মন্তব্য না করে সেচমন্ত্রী বলেন, এই মুহুর্তে এই বিতর্কে যাব না। ৪৫ দিনের মধ্যেই কাজ শেষ করা হয়েছে। মাঝে ছয় দিন প্রচন্ড বৃষ্টি হয়েছিল বলে কাজে কিছু অসুবিধা দেখা দিয়েছিল। তবু কাজ ৪৫ দিনের মধ্যেই শেষ করা গিয়েছে। হায়দ্রাবাদ থেকে রাবার সিল আসছে তা দিয়ে কাজ করা হবে।সেচমন্ত্রী বলেন, দেড় মাস দুর্গাপুর ব্যারাজে জল ধরে রাখা হয়। এরপরে দুর্গাপুর, মাইথন ও পাঞ্চেত নিয়ে একটি সেল গঠন করা হয়েছে এবং মনিটরিং করা হচ্ছে জল ছাড়া নিয়ে যেন মানুষের ক্ষতি না হয়। সেচমন্ত্রী বলেন, প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে এবং বিভিন্ন জেলা এবং ঝাড়খণ্ডের জল নামছে ফলে সমস্ত বিষয়ের উপরে নজর রাখা হয়েছে।তেনুঘাট নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সেচমন্ত্রী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী, সেচ দপ্তরের কর্তারা এবং আমি নিজে বারবার কথা বলেছি। তেনুঘাটকে নিয়ন্ত্রণে রেখে অপারেট করা যায়।সেচমন্ত্রী একাধিকবার বলেন, মুখ্যমন্ত্রী এবং সেচ দপ্তর মাইথন, পাঞ্চেত এবং দুর্গাপুর ব্যারাজের জল ছাড়া নিয়ে নজর রেখেছেন । আজ ৪১ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। বন্যার যন্ত্রণা যাতে পেতে না হয় তার প্রতি সজাগ রয়েছেন প্রশাসনিক কর্তারা এবং আজ বাঁকুড়ায় আসছেন পরিস্থিতি নিয়ে আলচনা করতে। রাস্তার বিষয় নিয়ে তিনি বলেন, পি ডাব্লু ডিকে নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বৃষ্টি কমলেই।সেচমন্ত্রী ব্যারাজগুলির গভীরতা কমে যাওয়ার জন্য কার্যত কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা না দেওয়ার কথা তুলে ধরেন। সেচমন্ত্রী বলেন, ১২ বছর ধরে কেন্দ্রের জলসম্পদ দপ্তর, প্রধানমন্ত্রীকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার দেখছি দেখছি করে পার করে দিচ্ছে কিন্তু রাজ্যের হকের টাকা দিচ্ছে না। সেচমন্ত্রী বিজেপি সরকারের বাংলাকে বঞ্চনা করার কথা তুলে ধরেন। বন্যার প্রসঙ্গে সেচমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রার্থনা করছি যেন বন্যার মুখে পড়তে না হয় কিন্তু দেড় মাস জল ধরে রাখা হয় আর তারপরে রয়েছে প্রচন্ড বৃষ্টি, ফলে জলের চাপ বাড়ছে, সেদিকেই নজর রাখতে হচ্ছে।দুর্গাপুর ব্যারাজের এক নম্বর গেটে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে । সাংবাদিকেরা এ নিয়ে সেচমন্ত্রীকে প্রশ্ন করলে সেচমন্ত্রী বলেন, সব দিক নজরে রাখা হয়েছে, সংস্কার হবে। তিনি এরপরে আবার বলেন, কেন্দ্রিয় সরকারের কাছ হতে এক কানা কড়ির সাহায্য পাইনি। মুখ্যমন্ত্রী নিজের রাজ্যের কোষাগার থেকেই খরচ করে কাজ করছেন। তিনি এরপরেই পরিসংখ্যান তুলে ধরেন কিভাবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সীমিত আর্থিক ক্ষমতায় এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার পরেও কাজ করে চলেছেন। সেচমন্ত্রী জোড়ের সাথে বলেন, একটা নয়া পয়সা কেন্দ্রের সরকার দেয় নি। তবু একের পর এক কাজ হচ্ছে এবং এটাও করা হবে।

জুন ২০, ২০২৫
রাজ্য

সাতসকালে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা পুরুলিয়ায়, মৃত্যু মিছিল

সাতসকালে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ৯ জনের ৷ পুরুলিয়ায় ১৮ নম্বর জাতীয় সড়কের নামশোল এলাকায় আজ, শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি বোলেরোর সংঘর্ষে ঘটে। তার ফলেই জেরেই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ৷ গাড়িতে থাকা ৯ জনেরই প্রাণ গিয়েছে ৷ এরা সকলেই ঝাড়খন্ডের বাসিন্দা। বিয়ে বাড়ি থেকে ফিরছিলেন বলে জানা গিয়েছে।জানা গিয়েছে, আজ শুক্রবার সকালে পুরুলিয়ার দিক থেকে চারচাকা বোলেরো গাড়িটি বলরামপুরের অভিমুখে যাচ্ছিল। সেই সময় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টো দিক থেকে আসা একটি ট্রাককে সরাসরি ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বলরামপুর থানার পুলিশ। প্রথমে জখম সকলকে উদ্ধার করে স্থানীয় বাঁশগড় ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায় পুলিশ। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা আহতদের সকলকেই ঘোষণা করেন।

জুন ২০, ২০২৫
রাজ্য

দামোদরে বালি তুলতে গিয়ে বিরাট বিপত্তি, জলে ভাসছে ১৫টি লরি

দামোদরে বালি তোলায় কোনও লাগাম নেই। ডিভিসি থেকে জল ছাড়ার খবর থাকা সত্বেও বালি তোলার কাজ চলছিল। লরি নেমেছিল একেবারে নদের ভিতরে। জল ভরে টুইটুম্বুর হওয়ায় ভেসে গেল ১৫টি বালি বোঝাই লরি। পূর্ব বর্ধমানের গলসির গোহগ্রামের এই ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে। পরে লরিগুলিকে উদ্ধারের তৎপরতা শুরু হয়।দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার কথা ডিভিসি ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগাম ঘোষণা করা হয়েছিল। মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে বুধবার জল ছাড়া হয় ৪০ হাজার কিউসেক। এরই মধ্যে নিম্ন দামোদর অববাহিকায় দুদিন ধরে টানা বৃষ্টি চলেছে। এই সব কারণে বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ দামোদর নদে জলের পরিমাণ বেশ বেড়ে যায়। এতেই ঘটে যায় বিপত্তি।স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ১৫টি বালি বোঝাই লরি দামোদর নদের জলে ভাসতে থাকে। তার উপর বৃহস্পতিবার বেলা বাড়তে নদের জল আরও হু হু করে বাড়তে শুরু হয়। বিপদ বুঝে লরিগুলি নদী থেকে তোলার জন্য তৎপরতা শুরু করে চালকরা । ওই সময়েই সামনে থাকা দুটি লরি বিকল হয়ে যাওয়ায় লরি গুলি নদ থেকে পাড়ে তোলা আর সম্ভব হয়নি। জেসিবি মেশিন ব্যবহার করেও কাজ হয়নি। জল কমা পর্যন্ত লরিগুলো তুলতে অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

জুন ১৯, ২০২৫
রাজ্য

"কেশরী: চ্যাপ্টার ২" তে ক্ষুদিরাম বসু সহ বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অপমান, প্রতিবাদে গর্জে উঠল বাংলা পক্ষ

সম্প্রতি কেশরী: চ্যাপ্টার ২ নামের এক বলিউডি হিন্দি সিনেমায় ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সশস্ত্র সংগ্রামের উজ্জ্বল ইতিহাস তথা বীর বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পরিচয় ও ভূমিকা বিকৃত করে এক মনগড়া মিথ্যা ইতিহাস তুলে ধরার অভিযোগ উঠেছে। সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম সিং ও বারীন্দ্র কুমার নামক দুই বিপ্লবী বৃটিশ পুলিশকর্তা কিংসফোর্ডকে বোমা মেরে হত্যার চেষ্টা করে ও তাদের বোমা তৈরীর প্রশিক্ষণ দেয় কৃপাণ সিং! যার সাথে বাস্তবের কোন মিল নেই। প্রকৃত পক্ষে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে বাঙালি বিপ্লবীদের সশস্ত্র সংগ্রামের ইতিহাসের এক যুগান্তকারী ঘটনা কিংসফোর্ড হত্যার প্রচেষ্টা ও পরবর্তীতে মানিকতলা বোমা মামলার ঘটনার কথা সম্পূর্ণ বিকৃত ভাবে এই সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে।সশস্ত্র সংগ্রামের লক্ষ্যে কলকাতার মানিকতলার যুগান্তর গুপ্ত সমিতিতেই অরবিন্দ ঘোষের নেতৃত্বে বোমা তৈরীর কর্মশালা গড়ে ওঠে, ইউরোপ থেকে বোমা তৈরী শিখে এসে এখানে বোমা তৈরী করে বিপ্লবীদের সরবরাহ করতেন হেমচন্দ্র কানুনগো, যিনি বলিউডের দৌলতে হয়েছেন কৃপাণ সিং। এই গুপ্ত সমিতির পক্ষেই ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকী কিংসফোর্ডকে বোমা নিক্ষেপ করে হত্যার চেষ্টা করেন। মেদিনীপুরের বীর বাঙালি কিশোর ক্ষুদিরাম বসুর পদবী সিনেমায় হয়েছে সিং অন্যদিকে প্রফুল্ল চাকীর নামই মুছে গেছে, শোনা গেছে জনৈক বারিন্দর কুমারের নাম, যেকোন ইতিহাস সচেতন ব্যক্তিই বলতে পারবেন এই নাম আসলে মানিকতলা বোমা মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ও পরবর্তীতে আন্দামানে দ্বীপান্তরিত বারীন্দ্র ঘোষের, যিনি সম্পর্কে অরবিন্দ ঘোষের ভাই। এই মানিকতলা বোমা মামলায় বিপ্লবীদের পক্ষে কোর্টে আইনি লড়াই করেন আরেক মহান বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামী দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ। এই গৌরবজনক অধ্যায় সম্পূর্ণ ভাবে বিকৃত করা হয়েছে, যা বাঙালি জাতি তথা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি চূড়ান্ত অবমাননা।এই বিকৃতির বিরুদ্ধে বাঙালির ক্ষোভের প্রকাশ দেখা যাচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থেকে সংস্কৃতি জগতের নানান ব্যক্তিত্ব এই ইতিহাস তথা মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নাম বিকৃতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। ভারতীয় বাঙলির জাতীয় সংগঠন বাংলা পক্ষও সরব হয়েছে, আজ তারা পথে নেমে প্রতিবাদ করল কলকাতার বাংলা একাডেমী সংলগ্ন রানুছায়া মঞ্চে। এই প্রতিবাদ সভায় বাংলা পক্ষর সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি বলেন, কেশরী ২ সিমেমার মূখ্য অভিনেতা অক্ষয় কুমার, তিনি কাদের স্বার্থে বিকৃত ইতিহাস প্রচার করে সিনেমা তৈরি করেন এটা আমাদের সকলের জানা৷ বিজেপি ও বলিউডের উদ্দেশ্য বাঙালির গৌরবজনক বীরত্বের ইতিহাস মুছে দেওয়া। সেই উদ্দেশ্যেই বারবার এই ধরনের ঘটনা দেখা যাচ্ছে। বলিউড এর আগেও অভয় ২ সিরিজে বীর শহীদ ক্ষুদিরাম বসুকে ক্রিমিনাল, জঙ্গি হিসাবে দেখিয়েছিল। বাংলা পক্ষ তখন Zee5 কে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছিল এবং সল্টলেকে Zee5 এর অফিসে বিক্ষোভ করেছিল। পরবর্তীতে Zee5 ক্ষমা চেয়ে সেই অংশ বাদ দিতে বাধ্য হয়। শীর্ষ পরিষদ সদস্য অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় বলেন যতক্ষণ না পর্যন্ত কেশরী ২ সিনেমার নির্মাতারা ক্ষমা না চায়, বাংলা পক্ষর লড়াই চলবে। ক্ষমা চেয়ে এই দৃশ্য বাদ দিতে হবে। বাঙালি বিদ্বেষীদের কিভাবে ক্ষমা চাওয়াতে হয় সেটা বাংলা পক্ষ ভালো ভাবে জানে।শীর্ষ পরিষদ সদস্য সৌম্যকান্তি ঘোড়ই বলেন, ক্ষুদিরাম বসুকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান। প্রফুল্ল চাকীকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান৷ বীর বিপ্লবী বারীন ঘোষদের অপমানের বিরুদ্ধে এই লড়াই চলবে। অক্ষয় কুমারকে ক্ষমা চাইতেই হবে।এছাড়াও আজকের প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন কলকাতা জেলার সম্পাদক সৌম্য বেরা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক কুশনাভ মন্ডল, শিল্পী পক্ষর অধিকর্তা প্রবাল চক্রবর্তী প্রমুখ। এর আগে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় এই সিনেমা নিয়ে একই ইস্যুতে এফআইআর হয়েছে। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন বাঙালি বীর বিপ্লবীদের ইতিহাস বিকৃতি করার জন্য।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স

লর্ডসে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও রাহুল দ্রাবিড়ের। দিনটা ছিল ১৯৯৬ র ২০ জুন। এই টেস্টের কথা উঠলেই মহারাজকীয় শতরানের কথাই সবার আগে মনে আসে। যা এসেছিল ২২ জুন।তবে ২০ জুন বল হাতে কামাল দেখিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ইংল্যান্ডের তৃতীয় ও চতুর্থ উইকেট পড়েছিল চার রানের ব্যবধানে। দলের ৯৮ রানের মাথায় সৌরভের প্রথম শিকার হন তিন নম্বরে নামা নাসের হুসেন। ১১০ বলে ৩৬ রান করে তিনি ফেরেন বিক্রম রাঠোরের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ১০২ রানে ইংল্যান্ডের চতুর্থ উইকেট পড়ে। ৯ বলে ১ রান করে গ্রেম হিক সৌরভের বলেই জাভাগল শ্রীনাথের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। প্রথম ইনিংসে সৌরভের বোলিং ফিগার ছিল ১৫-২-৪৯-২। বেঙ্কটেশ প্রসাদ পাঁচটি, শ্রীনাথ তিনটি ও সৌরভ ২টি উইকেট পান। পরশ মামব্রে, অনিল কুম্বলে ও সচিন তেন্ডুলকর উইকেট পাননি। দ্বিতীয় ইনিংসে সৌরভ তুলে নিয়েছিলেন প্রথম ইনিংসে শতরানকারী জ্যাক রাসেলের উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে মহারাজ ৩ ওভারে মাত্র ৫ রানের বিনিময়ে একটি উইকেট পেয়েছিলেন। ফলে লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স।

জুন ১৯, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal