• ২ পৌষ ১৪৩২, শনিবার ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

EP

বিনোদুনিয়া

We for Love: বঙ্গাস-র ভাতৃদ্বয়ের নতুন ইপি" 'উই ফর লাভ'

কিংবদন্তী সরোদ শিল্পী ওস্তাদ আমজাদ আলি খান ও প্রথিতযশা নৃত্যশিল্পী শুভলক্ষ্মী বড়ুয়া খানের পুত্র-দ্বয় আমান আলি বঙ্গাস এবং আয়ান আলি বঙ্গাস তাঁদের তৃতীয় অ্যালবাম (ইপি) প্রকাশ করতে চলেছেন। অ্যালবামটির (ইপি) নামকরণ করেছেন উই ফর লাভ (We For Love)। বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য, উই ফর লাভ কৈলাশ সত্যার্থী চিলড্রেনস ফাউন্ডেশন (KSCF)-র একটি প্রোজেক্ট জাস্টিস ফর এভরি চাইল্ড (Justice For Every Child) ক্যাম্পেইনের ক্যাচ লাইন। যার মূল লক্ষ্য হল প্রত্যেক শিশুর জন্য ন্যায়বিচার পাই তার জন্য সচেতনতা বাড়ানো। দুই ভাই ছাড়াও এই অ্যালবাম-এ (EP)-তে উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি শুভা মুদগল, করণ জোহর, কার্শ কালে, মালিনী অবস্থি, মহেশ কালের মতো বিখ্যাত ব্যক্তিত্বরা এবং অবশ্যই আমজাদ আলি খান।ইপি সম্পর্কে বলতে গিয়ে আমান আলি বঙ্গাস বলেন, সাউন্ডস্কেপ এবং সংবেদনশীলতার পরিপ্রেক্ষিতে উই ফর লাভ-এর সমাজের বিভিন্ন স্তরের বৈচিত্র্যময় শিল্পীদের নিয়ে সংগঠিত হয়েছে। এখানে ইলেকট্রনিক ইন্সট্রুমেন্ট থেকে ইন্ডিয়ান ক্লাসিক্যাল, ঠুমরি থেকে ভজন সবকিছুই এত আসাধরণ ভাবে নির্বিঘ্নে মিশে রয়েছে, যেন এক ঐশ্বরিক অনুভুতি। তিনি আরও বলেন, প্রকল্পের প্রতিটি শিল্পীকে এই প্রোজেক্টে আন্তরিকভাবে অংশগ্রহণ করার জন্য এবং এই ইপি (EP)-কে এখনও পর্যন্ত আমাদের সবচেয়ে স্মরণীয় প্রোজেক্টের মধ্যে অন্যতম করে তোলার জন্য আমরা সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। আসলে, এটাই আমাদের প্রথম উপস্থাপনা যেখানে এতজন গুনী শিল্পী একটি মহৎ উদ্দেশ্যে একত্রিত হচ্ছেন।আমান আলি বঙ্গাস-র ভাই আয়ান আলি বঙ্গাস তার দাদা-র কথা টেনেই বললেন, সংগীত একটি শক্তিশালী মাধ্যম যা মানবজাতিকে একত্রীকরণ করে। উই ফর লাভ প্রকৃতপক্ষে শিল্পী এবং সহনাগরিক হিসাবে আমাদের জন্য একটি দারুন জার্নি। এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য, এক অন্তহীন পথ তৈরি করা যা ইতিবাচক প্রভাব তৈরি করবে এবং কর্ম-অনুপ্রেরণা আনবে। আজকের দিনে সামাজ সচেতন সঙ্গীতের আবেদন ব্যাপক এবং আমরা বারবার এই বিপ্লবে অবদান রাখতে পেরে ভীষণ ভাবে আনন্দিত। উই ফর লাভ মুক্তি পাবে ২১ জানুয়ারি ২০২২।

জানুয়ারি ১১, ২০২২
কলকাতা

Dhankhar: নেতাইয়ে শুভেন্দুকে ঢুকতে বাধা দেওয়ার ঘটনায় মুখ্যসচিব, ডিজির কাছে কৈফিয়ৎ চান রাজ্যপাল

শুভেন্দু অধিকারীকে নেতাইতে ঢুকতে বাধা দেওয়ার ঘটনায় ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল। এবার এই বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজির কাছে কৈফিয়ৎ তলব করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। আদালতের অনুমতি থাকা সত্ত্বেও কী কারণে, কোন পরিস্থিতিতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নেতাইয়ে ঢোকার আগে আটকানো হল। টুইটে রাজ্যপাল লেখেন, এই ঘটনা জরুরি অবস্থার কথা মনে করায়।In view of highly disturbing scenario, reminiscent of emergency, in Jan 07 communication @SuvenduWB WB Guv has directed CS @MamataOfficial DGP @WBPolice to brief him,fully updated,with written report, on Jan 10 at 11 am.Serious that LOP was ill treated in spite of HC order. pic.twitter.com/eRFPWq4Ttj Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) January 8, 2022শুক্রবারই মেদিনীপুরের নেতাইয়ে কর্মসূচি ছিল শুভেন্দু অধিকারীর। সেখানে যাওয়ার পথে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিরোধী দলনেতা। আদালতের নির্দেশ অগ্রাহ্য করে তাঁর রাস্তা আটকানোর অভিযোগ তোলেন পুলিশের বিরুদ্ধে। এরপর নেতাইয়ের বদলে ভীমপুরে কর্মসূচি করেন তিনি। নেতাইয়ে যেতে না পারার বিষয়টি উল্লেখ করে শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যপালের কাছে অভিযোগপত্র পাঠান।সেই চিঠির পরই রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ও রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যর কাছে এই সংক্রান্ত লিখিত জবাব চান। আগামী ১০ জানুয়ারি সকাল ১১টার মধ্যে লিখিত আকারে তিনি কৈফিয়ৎ তলব করেন।

জানুয়ারি ০৮, ২০২২
বিনোদুনিয়া

Khelaghor : 'খেলাঘর'-এর ৪০০ তম এপিসোড

২০২০ সালের নভেম্বর মাসে খেলাঘর ধারাবাহিকের জার্নি শুরু হয়েছিল। স্টার জলসার এই ধারাবাহিক শুরুর পর থেকেই দর্শকদের ভালোবাসা পেয়ে এসেছে। মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন স্বীকৃতি মজুমদার ও সৈয়দ আরেফিন। এই ধারাবাহিকটি ৪০০ তম এপিসোড পার করলো। বিশেষ দিনে অভিনেতা সোহন বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় কয়েকটি ছবি ও ক্যাপশনে লেখা পোস্ট করেছেন। সোহন বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, খেলাঘর ২০২০ সালের নভেম্বর মাস। একটা নতুন স্বপ্ন নিয়ে আমাদের পথচলা শুরু। তারপর অনেক চড়াই উৎরাই, হাজার ঝড় ঝাপটা পার করে এগিয়ে চলা- হ্যাঁ, শুধু এগিয়ে চলা। সেই চলার পথে আজ ৪০০ এপিসোড পার করলাম আমরা- আপনাদের ভালবাসায়। ভালবাসা রইল স্বপ্নের কারিগর Snehasish Chakraborty, Team Blues আর Star Jalsha র জন্য। আমার প্রতিটি সহশিল্পী এবং নেপথ্যশিল্পী (কলাকুশলী) বন্ধুদের উদ্দেশ্যে রইল হৃদয়ের উষ্ণতা। আসুন, এবার এগোনো যাক ৫০০র দিকে।করোনার মধ্যে একদিকে যখন টলিউড ইন্ডাস্ট্রি একটা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে সেখানে একটা ধারাবাহিকের ৪০০ তম এপিসোড একটা বড় অ্যাচিভমেন্ট। দর্শকরা এখন ৫০০ এপিসোডের অপেক্ষায় রয়েছেন।

জানুয়ারি ০৭, ২০২২
বিনোদুনিয়া

Felna : ফেলনার ৩০০ তম এপিসোড

রাজ চক্রবর্তী প্রোডাকশনের জনপ্রিয় ধারাবাহিক ফেলনা। এই ধারাবাহিক ১০০-২০০ এপিসোড পেরিয়ে ৩০০ তম এপিসোডে পা দিল। এই স্পেশ্যাল দিনটি সেলিব্রেট করল ধারাবাহিকের সকলে। সোশ্যাল মিডিয়াতে সেলিব্রেশনের ছবিও পোস্ট করেছে তারা। ছবিতে দেখা যাচ্ছে সামনে কেক রাখা আর ফেলনা ধারাবাহিকের সকলেই মজার মেজাজে রয়েছেন। অভিনেত্রী রোশনি তন্বি ভট্টাচার্য, লাবনী সরকার, দেবোজ্যোতি রায় চৌধুরী, শমীক চক্রবর্তী, হিয়া দে, পুষ্পিতা মুখারজি, সৃষ্টি পাণ্ডে ধারাবাহিকের সকলেই ৩০০ তম এপিসোড সেলিব্রেশনে মেতে ওঠেন। সোশ্যাল মিডিয়াতে ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে রোশনি লিখেছেন,ফেলনা ৩০০ এপিসোড ক্রস করলো। আরও অনেক এপিসোড আমরা একসঙ্গে করতে চাই। এই প্রোজেক্টটা দেওয়ার জন্য স্টার জলসা ও সাহানা দি কে অনেক ধন্যবাদ জানাই। এই ধারাবাহিকের গৌরব ভট্টাচার্য লিখেছেন,লেট দ্য ম্যাজিক্যাল মার্চ কন্টিনিউ। পুষ্পিতা মুখারজি কমেন্ট করেছেন,ওয়েল ডান। জনতার কথা র পক্ষ থেকে টিম ফেলনার জন্য রইল অনেক শুভেচ্ছা।

ডিসেম্বর ২৯, ২০২১
রাজ্য

Municipal Elections: বাদ রইল হাওড়া, চার পুরনিগমে ভোট ঘোষণা কমিশনের, ফল ২৫ জানুয়ারি

হাওড়াকে বাদ দিয়েই আপাতত হবে পুরনিগমের ভোট। জানিয়ে দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে এ কথা জানান রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস। মঙ্গলবার এই ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। শিলিগুড়ি, বিধাননগর, আসানসোল, চন্দননগরে ভোট হচ্ছে ২২ জানুয়ারি। এবারও সব বুথে থাকছে সিসিক্যামেরা।২৫ জানুয়ারি ভোটের গণনা। ২৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার থেকে মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরু হবে। পুনর্নির্বাচনের দাবি থাকলে তা ২৪ জানুয়ারি হবে। সোমবার থেকেই জারি হয়ে গেল আদর্শ আচরণ বিধি। শুধুমাত্র যেখানে ভোট হবে সেই পুরনিগম এলাকায় আদর্শ আচরণ বিধি বলবৎ থাকবে।অন্যদিকে হাওড়ার ভোট যে এবারও ঝুলে রইল তাও স্পষ্ট। এখনও হাওড়া বিলে সই করেননি রাজ্যপাল। ফলে এ ভোটের জট যে কবে কাটবে তা কেউ জানে না। এদিন পুরভোট নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সর্বদল বৈঠক ছিল। মাঝপথে সেই বৈঠক বয়কট করে বেরিয়ে যায় সমস্ত বাম শরিক দল। অন্যদিকে কংগ্রেস, বিজেপিও এই বৈঠক বয়কট করে সোমবার। এদিন ১১১টি পুরসভার ভোট প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক ডেকেছিল নির্বাচন কমিশন। বিরোধীদের দাবি, তৃণমূল যাতে এক চেটিয়া ভোট করতে পারে সেই কারণে এই ভাবে নির্বাচন করতে চাইছে।১ নভেম্বর ২০২১ সালের ভোটার তালিকা অনুযায়ী নির্বাচন হবে। ভোট হবে ইভিএমে। ২৮ ডিসেম্বর থেকে মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরু হবে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ৩ জানুয়ারি ২০২২। স্ক্রুটিনি ৪ জানুয়ারি। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিন ৬ জানুয়ারি। কোথাও পুনর্নির্বাচন হলে তা হবে ২৪ জানুয়ারি। ২৮ জানুয়ারির মধ্যে ভোটপর্ব সমাপ্ত হবে।১ নভেম্বরের তালিকা অনুযায়ী ভোট হলে জানুয়ারিতে যিনি ভোটার হবেন তাঁরা তালিকাভুক্ত হবেন না। এ বিষয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস বলেন, আইন মোতাবেক আমি নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত তালিকাকেই গ্রহণ করতে পারি। এই ভোটার তালিকা নিয়ে ইতিমধ্যেই একটা বিতর্ক দানা বেঁধেছে। বিরোধীদের দাবি, ৫ জানুয়ারি পূর্ণাঙ্গ ভোটার তালিকা প্রকাশিত হচ্ছে। কেন কিছুদিন অপেক্ষা না করেই ভোট করাচ্ছে কমিশন। এতে প্রচুর ভোটার বঞ্চিত হবেন বলেও দাবি তোলে বাম-কংগ্রেস-বিজেপি।

ডিসেম্বর ২৭, ২০২১
রাজ্য

Financial Scandal BMC: বর্ধমান পৌর এলাকায় বহুতল নির্মান সংক্রান্ত অডিট রিপোর্টে ফাঁস প্রায় ২৩ কোটি টাকার আর্থিক কেলেঙ্কারি

কলকাতা পৌরসভার নির্বাচন শেষ হতেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্যের বাকি পৌরসভাগুলির নির্বাচনের প্রস্তুতি। তারই প্রাক্কালে বর্ধমান পৌরসভার শপিং কমপ্লেক্স ও আবাসন তৈরি সংক্রান্ত অডিট রিপোর্টে ফাঁস হল প্রায় ২৩ কোটি টাকার কেলঙ্কারি। এছাড়াও অন্য আরও একটি অডিট রিপোর্টে ফাঁস হয়েছে ৪১.৩৯ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বর্ধমান পৌরসভা ২০১৮ সাল থেকে বেআইনি ভাবে ১০ টি বহুতল নির্মানের ছাড়পত্র দিয়েছে। এই সব কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসতেই তুমুল আলোড়ন পড়ে গিয়েছে বর্ধমানের রাজনৈতিক মহলে। ঘটনা জানার পর তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব। রাজ্যের প্রিন্সিপ্যাল এ্যাকাউন্টেন্ট জেনারেল (ওয়েস্ট বেঙ্গল লোকাল অডিট ডিপার্টমেন্ট) সম্প্রতি বর্ধমান পৌরসভা নিয়ে করা তাঁদের দুটি অডিট রিপোর্ট পেশ করেছে। রিপোর্টের কপি বর্ধমান পৌরসভাতেও জমা পড়েছে। যদিও কারা পৌরসভা পরিচালনার দায়িত্বে থাকাকালে এই আর্থিক কেলেঙ্কারি হয়েছিল তা অডিট রিপোর্টে স্পষ্ট করা হয়নি।একটি অডিট রিপোর্টে উল্লেখ কর হয়েছে, শহর বর্ধমানের গোদা মৌজার ৩.৪২ একর অর্থাৎ ৩৪২ শতক জমিটি বর্ধমান পৌরভার। ২০০৬ সালে পৌরসভা পিপিপি মডেলে (পাবলিক প্রাইভেট পার্টনার শিপ) ওই জমিতে শপিং কমপ্লেক্স ও রেসিডেনসিয়াল কমপ্লেক্স (আবাসন) তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়ে টেন্ডার করে। সেই টেন্ডারে অংশ নিয়ে কাজের বরাত পায় আরডিবি রিয়েলিটি এ্যন্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটিড নামে সংস্থাটি। প্রকল্পের কাজ নিয়ে ২০০৭ সালে এই সংস্থার সঙ্গে বর্ধমান পৌরসভার মৌ (MOU) স্বাক্ষরিত। মৌ অনুযায়ী ঠিক হয় বর্ধমান পৌরসভাকে ১৬ কোটি ৯২ লক্ষ টাকা দিতে হবে ওই সংস্থাকে। সেই মত প্রথমেই ওই সংস্থা চেকের মাধ্যমে ২ কোটি ৯২ লক্ষ টাকা বর্ধমান পৌরসভায় জমা দেয়। বাকি ১৪ কোটি টাকা (প্রিমিয়াম মানি) ৬ টি কিস্তিতে ওই সংস্থাকে বর্ধমান পৌরসভাকে মিটিয়ে দিতে হবে বলে মৌ চুক্তিতে উল্লেখ থাকে।রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, মৌ চুক্তি অনুযায়ী ঠিক হয় গোদা মৌজার ওই জমিতে বেসমেন্ট সহ ৬ তলার একটি শপিং কমপ্লেক্স ও বেসমেন্ট সহ ৮ তলার ৪ টি রেসিডেনশিয়াল কমপ্লেক্স তৈরি হবে। সেই মতো পৌরসভা থেকে প্ল্যানও অনুমোদন হয়। প্ল্যান অনুযায়ী কাজও শুরু হয়। তারই মধ্যে পৌরসভার পাওনা ১৪ কোটি টাকা মিটিয়ে দেয় আরডিবি রিয়েলিটি এ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। তারপরেই ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে ওই সংস্থাটি বিল্ডিংয়ের হাইট এক্সটেনশনের জন্য বর্ধমান পৌরসভায় আবেদন করে। অভিযোগ, মৌ চুক্তির শর্ত দূরে সরিয়ে রেখে ব-কলমে সংস্থাটিকে অনুচিত সেই সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়।সেই সুবিধা পাওয়ার দৌলতেই সংস্থাটি বেসমেন্ট সহ ৮ তলা রেসিডেনসিয়াল কমপ্লেক্স তৈরির পরবর্তে করে নেয় বেসমেন্ট সহ ১২ তলার ৪টি রেসিডেনসিয়াল কমপ্লেক্স। অর্থাৎ ভিতরে ভিতরে সেটিং করে নিয়ে ওই সংস্থাটি অতিরিক্ত ১লক্ষ ১ হাজার ৭৯০ স্কয়ারফিটের বিল্ডিং তৈরি করে নেয়। বিল্ডিংয়ের এই হাইট এক্সটেনশন সংক্রান্ত কোনও নথি বা বোর্ড অফ কাউন্সিলার্সদের করা কোন রেজিলিউসন-র কপিও অডিটররা পৌরসভায় পাননি। অডিট রিপোর্টে এও উল্লেখ করা হয়েছে, বিল্ডিংয়ের হাইট এক্সটেশন করা নিয়ে সংস্থাটি বর্তমান বাজার মূল্য মোতাবেক ২২ কোটি ৯০ লক্ষ ২৮ হাজার ২৮৭ টাকা মুনাফা করে নেয়। কিন্তু হাইট এক্সটেনসশনের দরুন বর্ধমান পৌরসভায় কোনও প্রিমিয়াম অর্থ জমা না পড়ায় পৌরসভা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যদিও ওই নির্মানকারী সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রদীপ কুমার পুগুলিয়া এদিন সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, বিল্ডিং নির্মান সংক্রান্ত সব কাগজপত্র স্বচ্ছ ভাবে রয়েছে। নতুন করে নকশার জন্য পৌরসভাকে তাঁদের বেশী টাকা দিতে হয়েছে। তবুও কেন অডিট রিপোর্টে এ ভাবে লিখেছে তা জানি না।একই অডিট রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ওই শপিং কমপ্লেক্স ও রেশিডেনশিয়াল কমপ্লেক্স ছাড়াও পৌরসভা ৫৯৯ মেমোতে অপর আরও একটি হাইরাইজ বিল্ডিং স্যাংশন করেছিল। তার কোনও নথির হদিশ যদিও পৌরসভায় পাননি অডিটাররা। অর্থপ্রাপ্তি থেকে পৌরসভাকে বঞ্চিত করে কারা-কি উদ্দেশ্যে একটি বেসরকারী সংস্থাকে এই আর্থিক সুবিধা পাইয়ে দিল সেই প্রশ্নই এখন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে।অপর একটি অডিট রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে ২০১৮ সাল থেকে বর্ধমান পৌরসভা বেআইনি ভাবে ১০ টি বহুতল (হাইরাইজ বিল্ডিং) নির্মানের ছাড়পত্র দিয়ে ৪১.৩৯ লক্ষ টাকা নিয়েছে। যদিও ওইসব বিল্ডিংয়ের প্ল্যান পাস নেই পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ারের কোনও রিপোর্ট। সুপারেনটেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার লেভেল থেকেও ওইসব বিল্ডিংয়ের প্ল্যান ভেটেড করা হয়নি। বহুতল তৈরি হলেও পৌরসভার নথিতে তার স্ট্রাকচারাল স্টেবিলিটি সার্টিফিকেটও পাওয়া যায়নি। এমনকি এই ক্ষেত্রে ওয়েস্টবেঙ্গল বিল্ডিং রুল ২০০৭ কে মান্যতাও দেওয়া হয়নি বলে অডিটাররা রিপোর্টে উল্লেখ করেছেন।এই বিষয়ে বর্ধমান পৌরসভার উপ-প্রশাসক আইনুল হক বলেন, অডিট রিপোর্ট আমরা পেয়েছি। রিপোর্টের আইনগত বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুনীল গুপ্তা জানিয়েছেন, সঠিক ভাবে অডিট রিপোর্ট তৈরি হলে এই বাংলার সমস্ত পৌরসভার এমন আর্থিক কেলেঙ্কারি সামনে আসবে। সুনীল বাবু দাবি করেন, বর্ধমান পৌরসভার দায়িত্বে থাকা শাসক দলের কর্তা ব্যক্তিরা এই সব কেলেঙ্কারিতে যুক্ত। বেআইনি জেনেও তাঁরা কাটমানি খেয়ে বেআইনি ভাবে এইসব বহুতল বিল্ডিং নির্মানে ছাড়পত্র পাইয়ে দিয়েছেন। বেআইনিভাবে নির্মিত ওই সব বহুতল যে কোনও সময় ভেঙে পড়লেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। শুধু অডিট রিপোর্ট প্রকাশ করলেই হবে না। যাদের অঙ্গুলি হেলনে বর্ধমান পৌরসভা এলাকায় একাধিক বেআইনি বহুতল বিল্ডিং নির্মান হয়েছে তাঁদের যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা রাজ্য সরকারকে করতে হবে। বর্ধমান পৌরসভা নির্বাচনে এই ইস্যুকেই সামনে রেখে বিজেপি আন্দোলনে নামবে বলে বিজেপি নেতা সুনীল গুপ্তা এদিন জানিয়ে দেন। অডিট রিপোর্টের বিষয়টি জানার পর জেলা সিপিআইএম নেতৃত্বও তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়ে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

ডিসেম্বর ২৪, ২০২১
কলকাতা

KMC Election: কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিমই, ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ

মহারাষ্ট্র নিবাস থেকে কলকাতার নতুন মেয়রের নাম ঘোষণা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী পাঁচ বছরের জন্য কলকাতার মহানাগরিক হলেন ফিরহাদ হাকিম। পুরসভার চেয়ারম্যান হলেন মালা রায়। এদিন শুরুতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের জয়ী ১৩৪ জন কাউন্সিলরকে অভিনন্দন জানান। তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী নতুন চেয়ারম্যানের নাম প্রস্তাব করেন। কলকাতা পুরসভার চেয়ারম্যান হিসাবে মালা রায়ের নাম প্রস্তাব করেন সুব্রত বক্সী। কলকাতা পুরসভার দলনেতা হিসাবে ফিরহাদ হাকিমের নাম প্রস্তাব করেন বক্সী। দুই প্রস্তাবেই উঠে আসে সমর্থনের হাত।ডেপুটি মেয়র হলেন অতীন ঘোষ। ১৩ জন মেয়র পরিষদের সদস্য হলেন। নাম রয়েছে দেবাশিস কুমার, দেবব্রত মজুমদার, বাবু বক্সী, আমিরুদ্দিন ববি, সন্দীপন সাহা, জীবন সাহা, রাম পেয়ারী রাম, অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়, তারক সিং, মিতালী বন্দ্যোপাধ্যায়, জীবন সাহা, বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়, স্বপন সমাদ্দারের।এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমাদের ১৬টা বরোর মধ্যে ১০টি বরো কমিটির চেয়ারম্যানই মহিলা। এটা মহিলাদের এমপাওয়ারমেন্টের একটা প্রকাশ। খুব ভাল করে কাজ করুন। খুব ভাল থাকুন। মালা রায় চেয়ারপার্সন হয়েছেন। এবার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথের যে বিষয়গুলি আছে, সেগুলি সেরে ফেলতে হবে।কলকাতার মহানাগরিক পদে বসেই ফিরহাদ হাকিম বলেন, জীবন যদি যায় যাবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশ্বাসকে ভঙ্গ হতে দেব না। তাঁর আদর্শ, বিশ্বাস নিয়েই এতদিন পুরবোর্ড চলেছে। এরপরও চলবে। অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথে হেঁটে আমরা শুধু কাজ করে যাব। আমৃত্যু ওনার বিশ্বাসের মর্যাদা দিয়ে উনি যে দায়িত্ব দিয়েছেন তা পালন করব।একই সঙ্গে ১৬টি বরোর চেয়ারম্যানের নামও এদিন ঘোষণা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ১ নম্বর বরো কমিটির দায়িত্বে তরুণ সাহা, ২ বরো সামলাবেন শুক্লা ভোঁড়, ৩ বরো অনিন্দ্যকিশোর রাউত, ৪ বরোয় সাধনা বোস, ৫ বরো রেহানা খাতুন, ৬ বরো সানা আহমেদ, ৭ বরো সুস্মিতা ভট্টাচার্য, ৮ বরো চৈতালী চট্টোপাধ্যায়, ৯ বরো দেবলীনা, ১০ বরো জুঁই বিশ্বাস, ১১ বরো তারকেশ্বর চক্রবর্তী, ১২ বরো সুশান্ত ঘোষ, ১৩ রত্না শূর, ১৪ বরো সংহিতা দাস, ১৫ বরো রঞ্জিত শীল, ১৬ বরো সুদীপ পোলে।এই মঞ্চ থেকেই নব নির্বাচিত কাউন্সিলরদের বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বাদ বাকি অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাউন্সিলররা আছেন। ধীরে ধীরে আমরা পারফরম্যান্স দেখব। আমরা কাজের রিভিউ করব। যাঁরা ভাল কাজ করবেন, ভাল পাবেন। যাঁরা ভাল কাজ করবেন না তাঁদের জন্য দল সিদ্ধান্ত নেবে। দলের উপর বিশ্বাস রাখুন সব হবে। ব্যক্তিগত লবি নয়। একটাই লবি, দল একটাই। আমাদের সবার নেতা কিন্তু জোড়া ফুলটাই। জোড়া ফুলের নেতা মা মাটি মানুষ।

ডিসেম্বর ২৩, ২০২১
রাজনীতি

Jagdeep Dhankhar: অমিত শাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ ধনখড়ের

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন পশ্চিবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। বুধবার সকালে একটি টুইট করেন। ধনখড় লেখেন, বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাসভবনে তাঁর সঙ্গে দেখা করব।Governor West Bengal Shri Jagdeep Dhankhar today called on the Union Home Minister Shri @AmitShah at his residence. pic.twitter.com/UvrznFIE10 Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) December 22, 2021দিল্লিতে অমিত শাহের বাসভবনে প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে চলে সেই বৈঠক। কথাবার্তা শেষ হওয়ার পরেও টুইট করেন ধনখড়। কী কারণে হঠাৎ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। যদিও রাজনৈতিক মহলের ধারণা, কলকাতা পুরসভা ভোটে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল সেই বিষয়টি তুলে ধরতে পারেন ধনখড়। এ ছাড়াও রাজ্যের বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়েও আলোচনা বলে মনে করা হচ্ছে।

ডিসেম্বর ২২, ২০২১
বিনোদুনিয়া

Covid positive : করোনায় আক্রান্ত মাহিপ ও সীমা

বলিউডে পরপর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসছে। সোমবার কোভিড পজিটিভ হওয়ার খবর আসে করিনা কাপুর খান ও অমৃতা আরোরার। এবার করোনায় আক্রান্ত হলেন করিনা ও অমৃতার দুই ঘনিষ্ঠ বন্ধু মাহিপ কাপুর ও সীমা খান।আরও পড়ুনঃ শ্বশুরবাড়ির সবাইকে খুশি করতে পাঞ্জাবি শিখেছেন ক্যাটরিনা, জানালেন ননদঅভিনেতা সঞ্জয় কাপুরের স্ত্রী পেশায় মাহিপ পেশায় জুয়েলারি ডিজাইনার। অন্যদিকে অভিনেতা সোহেল খানের পত্নী ফ্যাশন ডিজাইনার সীমা খান । দুজনকেই পাওয়া গেছে মিলেছে নেটফ্লিক্সের দ্য ফাবিউলাস লাইভস অফ বলিউড ওয়াইফসসিরিজে। মাহিপের কোভিড আক্রান্ত হওয়ার খবর নিয়ে স্বামী সঞ্জয় কাপুর জানান, হ্যাঁ, মাহিপের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ, হালকা উপসর্গ রয়েছে। এই মুহূর্তে ও হোম-আইসোলেশনে রয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই মারফৎ জানা গেছে, সীমা খান সবার প্রথম কোভিড আক্রান্ত হন এবং সে কথা না জেনেই করণ জোহরের পার্টিতে হাজির হয়েছিলেন সোহেল পত্নী। গত ৮ ডিসেম্বরের ওই পার্টিতে গিয়েই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন করিনা-অমৃতাও। সীমারও কোভিডের সামন্য উপসর্গ রয়েছে। গত ১১ ডিসেম্বর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে সীমার, জানিয়েছে বিএমসি। এরপর কোভিড পরীক্ষা করান করিনা, অমৃতারাও।

ডিসেম্বর ১৪, ২০২১
রাজনীতি

Mamata Bannerjee: মুখ্যমন্ত্রীর নেপাল সফরেও ‘না’ বিদেশ মন্ত্রকের!

এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেপাল সফরে না কেন্দ্রের। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর নেপাল সফরে ছাড়পত্র দেয়নি বিদেশ মন্ত্রক। ১০ ডিসেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত নেপালে সফরে থাকার কথা ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সূত্রের খবর, কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এই সফরে রাজি নয় বিদেশ মন্ত্রক।নেপালের শাসকদল নেপালি কংগ্রেসের তরফে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সম্প্রতি সে দেশে যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। সেই আমন্ত্রণ মুখ্যমন্ত্রী গ্রহণও করেন। এরপরই নেপাল যাত্রার জন্য অনুমতি চেয়ে চিঠি পাঠানো হয় কেন্দ্রের কাছে। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ পত্র পাঠান নেপালি কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট তথা বর্তমানে নেপালের প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দুর্বা। নেপালি কংগ্রেসের ন্যাশনাল কনভেনশন রয়েছে ১১ ডিসেম্বর। নেপালে যেতে যেহেতু পাসপোর্ট লাগে না, ভিসাই যথেষ্ট। সে ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী শুক্রবার সন্ধ্যায় রওনা হতেন। না হলে শনিবার সকালে।সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই নবান্নের কাছে সে সংক্রান্ত জবাব এসেছে। জানানো হয়েছে, এই মুহূর্তে নেপালে যেতে পারবেন না মমতা। কারণ হিসাবে দেখানো হয়েছে করোনার সংক্রমণ। শুক্রবার সকালেই এই সফরে না করা হয়েছে। কারণ হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের বাড়বাড়ন্ত।এর আগে রোম সফরেও অনুমতি দেওয়া হয়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে এই সফর সঙ্গতিপূর্ণ নয়, এমনটাই বক্তব্য ছিল বিদেশ মন্ত্রকের। জানা গিয়েছিল, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের তরফে একটি সংক্ষিপ্ত চিঠি সে সময় নবান্নে পাঠানো হয়। সেখানে বলা হয়, মুখ্যমন্ত্রীর এই রোম সফরের দরকার নেই। এর বেশি কোনও ব্যাখ্যা সেখানে দেওয়া হয়নি। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর, এ ক্ষেত্রে ব্যাখ্যারও বিশেষ জায়গা থাকে না। মন্ত্রকের হ্যাঁ বা না যথেষ্ট।

ডিসেম্বর ১০, ২০২১
দেশ

Inequality: ভারত এখন এক ‘চরম অসাম্যের দেশ, জানাল বিশ্ব রিপোর্ট

ভারতের নীচের সারির অর্ধেক মানুষের হাতে দেশের সম্পদের প্রায় কিছুই নেই। অথচ ধনীরা অত্যন্ত ধনী।দরিদ্র তো বটেই। ভারত এখন এক চরম অসাম্যের দেশও। আজ বিশ্ব অসাম্য রিপোর্ট জানাল, ২০২১-এ দেশের মোট আয়ের পাঁচ ভাগের এক ভাগই গিয়েছে দেশের উপরের সারির এক শতাংশ মানুষের হাতে। অথচ নিচু তলার ৫০ শতাংশ মানুষকে দেশের মোট আয়ের মাত্র ১৩ শতাংশ নিয়েই দিন গুজরান করতে হয়েছে।ভারতের সম্পর্কে অসাম্য রিপোর্টে বলা হয়েছে, ক্রয়ক্ষমতার তুলনার নিরিখে ভারতের মানুষের মাথাপিছু গড় আয় বছরে ২ লক্ষ ৪ হাজার ২০০ টাকা। কিন্তু আয়ের দিক থেকে নীচের সারির অর্ধেক মানুষের গড় আয় মাত্র ৫৩ হাজার ৬১০ টাকা। উপরের সারির ১০ শতাংশ মানুষের আয় তার প্রায় ২০ গুণ। ১১ লক্ষ ৬৬ হাজার ৫২০ টাকা।প্যারিস স্কুল অব ইকনমিকসএ অবস্থিত ওয়র্ল্ড ইনইক্যুয়ালিটি ল্যাব-এর এই রিপোর্ট তৈরিতে সমন্বয়ের দায়িত্বে ছিলেন ফ্রান্সের অর্থনীতিবিদ টমাস পিকেটি। রিপোর্টের মুখবন্ধে নোবেলজয়ী দুই অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় ও এস্থার ডুফলো লিখেছেন, বিশ্বের যে সব দেশে অসাম্য চরমে, ভারত এখন তার মধ্যে পড়ছে।শুধু ভারতে অসাম্যের ছবি তুলে ধরা নয়, সেই অসাম্য কতটা গভীরে, তা বুঝতে নরেন্দ্র মোদি জমানায় সরকারি পরিসংখ্যানের গুণগত মান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অর্থনীতিবিদেরা। রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত তিন বছরে অসাম্য নিয়ে সরকার যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তার গুণগত মান গুরুতর ভাবে খারাপ হয়েছে। ফলে অসাম্যের ছবিটা সম্প্রতি কতটা বদলেছে, তা বোঝা কঠিন হয়ে পড়েছে।অর্থনীতিবিদেরা রিপোর্টে বলছেন, কোভিড-সংকটে গোটা বিশ্ব জুড়েই বিলিয়নেয়ার বা কোটিপতিদের সম্পদের পরিমাণ আরও বেড়েছে। বিশ্বের মাত্র ২,৭৫০ জন বিলিয়নেয়ারের হাতে এখন পৃথিবীর ৩.৫ শতাংশ সম্পদ। ১৯৯৫ সালে এঁদের হাতে বিশ্বের ১ শতাংশ সম্পদ ছিল। কোভিডের সময়ই ধনীরা আরও ফুলেফেঁপে উঠেছেন। নীচের সারির অর্ধেক মানুষের কাছে এই ধনীদের তুলনায় মাত্র ২ শতাংশ সম্পদ রয়েছে। ওয়ার্ল্ড ইনইক্যুয়ালিটি ল্যাব-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতে লিঙ্গ বৈষম্যও চরমে। মোট আয়ে মহিলা শ্রমিক-কর্মীদের ভাগ মাত্র ১৮ শতাংশ। এই হার গোটা বিশ্বের মধ্যেই নিম্নতম। পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলিতেই মহিলাদের আয়ের ভাগ ১৫ শতাংশ। চিন বাদ দিয়ে এশিয়ার দেশগুলিতে এর হার ২১ শতাংশ।রিপোর্টে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ জমানায় ভারতে আয়ের অসাম্য চরমে ছিল। ১০ শতাংশ ধনীতম মানুষের ঝোলায় দেশের মোট আয়ের অর্ধেক চলে যেত। স্বাধীনতার পরে সমাজতন্ত্রের অনুপ্রেরণায় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার ফলে অসাম্য কমে। ধনীতম ১০ শতাংশ মানুষের আয় ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশে নেমে আসে। সরকারি নিয়ন্ত্রণ তুলে নেওয়া, উদারীকরণ শুরুর পরে বিশ্বের মধ্যে ভারতে আয়-সম্পদের অসাম্য প্রবল ভাবে বেড়েছে। উপরের সারির ১ শতাংশ মানুষ আর্থিক সংস্কারের ফায়দা পেয়েছেন। কিন্তু কম ও মাঝারি আয়ের মানুষের আয় ততটা বাড়েনি। দারিদ্র বজায় থেকেছে।

ডিসেম্বর ০৮, ২০২১
রাজ্য

Weather: নিম্নচাপ কেটে দ্রুত পারদ নামার ইঙ্গিত হাওয়া অফিসের

জাওয়াদের নিম্নচাপে রূপান্তর প্রক্রিয়ার জেরে ডিসেম্বরে এক দশকের রেকর্ড বৃষ্টি হল কলকাতায়। আজ, মঙ্গলবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হতে পারে। শুধু তা-ই নয়, এই সপ্তাহেই গাঙ্গেয় বঙ্গে রাতে পারদ পতনের ইঙ্গিত আছে।আবহাওয়ার উন্নতির সম্ভাবনার খবর শুনেই অবশ্য আমবাঙালির প্রশ্ন, বহু প্রত্যাশীত শীত আসবে কবে? আবহবিদেরা জানাচ্ছেন, চলতি সপ্তাহেই গাঙ্গেয় বঙ্গে রাতের পারদ নামতে পারে। কারণ, সদ্য আগত একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে উত্তর-পশ্চিম ভারতে এবং উত্তর ভারতের পাহাড়ি এলাকায় তুষারপাত হচ্ছে। তার ফলে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে কনকনে ঠান্ডা হাওয়া বয়ে আসবে। নিম্নচাপ বিদায় নেওয়ায় উত্তুরে বাতাসের পথে বাধাও আপাতত কেটে গিয়েছে। আকাশও ক্রমে মেঘমুক্ত হবে। পারদের পতন হতে পারে এই সব কারণেই।আবহাওয়া দপ্তরের হিসেব অনুযায়ী মহানগরে রবিবার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ৬৮ মিলিমিটার। গত এক দশকে ডিসেম্বরে ২৪ ঘণ্টায় এত বৃষ্টি হয়নি। হাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী গত ১০ বছরে ডিসেম্বরে ২৪ ঘণ্টায় সব থেকে বেশি বৃষ্টি হয়েছিল ২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর, ৩৩.৪ মিমি।

ডিসেম্বর ০৭, ২০২১
রাজ্য

Cyclone JAWAD: গভীর নিম্নচাপ হয়েই বাংলায় প্রবেশ জাওয়াদের

শনিবারই শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছিল ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ। রবিবার সকালে তা আরও শক্তিক্ষয় করে সাধারণ নিম্নচাপে পরিণত হয় এবং ঘণ্টায় ১১ কিলোমিটার গতিবেগে ওডিশা উপকূলের দিকে এগিয়েছে। হাওয়া অফিসের সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী সোমবার ওডিশা উপকূল থেকে নিম্নচাপটি আরও উত্তরপূর্বে সরেছে। এবং ১০ কিলোমিটার প্রতিঘণ্টা বেগে এগোচ্ছে। আগামী ছঘণ্টায় আরও শক্তি ক্ষয় করে নিম্নচাপ অঞ্চলে পরিণত হবে বাংলার উপকূল।যার জেরে রাত থেকে রাজ্যে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। সোমবার সকাল থেকে আকাশের মুখ ভার। টানা বৃষ্টিতে কলকাতার একাধিক অঞ্চলে জল জমার সম্ভাবনা। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, মঙ্গলবার থেকে পরিস্থিতি কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে।হাওয়া অফিসের জানিয়েছে, হাওড়া, কলকাতা, হুগলি, বীরভূম, বাঁকুড়া, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমানে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। বাংলাদেশ লাগোয়া উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে।হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, রাজ্যের উপকূলে আগামী ২৪ ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। দুই ২৪ পরগনা এবং দুই মেদিনীপুরে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। সোমবার বিকেল থেকে ধীরে ধীরে হাওয়ার গতি কমবে। মঙ্গলবারের পর বৃষ্টি কমতে পারে বলেই জানিয়েছে তারা।

ডিসেম্বর ০৬, ২০২১
বিনোদুনিয়া

Sarbojoya: ১০০ তম এপিসোডে পা দিল সর্বজয়া

জি বাংলায় বর্তমানে অন্যতম জনপ্রিয় একটি ধারাবাহিক সর্বজয়া। অভিনেত্রী দেবশ্রী রায় এই ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন বলে ধারাবাহিকটি আলাদা মাত্রা পেয়েছে। এই ধারাবাহিকে ভিলেনের চরিত্রে দেখা যাচ্ছে অভিনেতা দেবজয় মল্লিক কে। তার চরিত্রের নাম মনোসীজ রায়। অনুপ চক্রবর্তীর পরিচালনায় এই ধারাবাহিকটি ১০০ তম এপিসোডে পা দিল। যদিও সেইভাবে ১০০ এপিসোড সেলিব্রেশন করা হয় সেটে।১০০ তম এপিসোড নিয়ে দেবজয় জনতার কথা কে জানালেন,আমরা ইউনিটের তরফ থেকে প্রত্যেকটা আর্টিস্ট, টেকনিশিয়ান ভীষণভাবে খুশি যে প্রথম থেকেই এত সাকসেস্ফুলি আমরা সেরা পাঁচ বাঁ ছয়ের মধ্যে থাকতে পেরেছি। দর্শকদের ভালোবাসা পেয়েছি। লোকে পছন্দ করছে সর্বজয়া সিরিয়ালটি, প্রত্যেকটি চরিত্রকে। এর জন্য একটা মানুষের অবদান সবথেকে বেশি তিনি হলেন স্নেহাশিস চক্রবর্তী দাদা। দেবজয় অর্থাৎ মনোসীজ আরও জানালেন,১০০ তম এপিসোড নিয়ে আমরা খুব খুশি। যদিও সেইভাবে সেলিব্রেট করতে পারিনি কারণ শুটিং-এর চাপ ছিল। কিন্তু সবাই খুব আনন্দে কাটিয়েছি। সবাই খুব লাইট মুডে ছিল। সবাই প্রাণ খুলে হাসছিল। দেখে ভালো লাগছে যে আমরা এইভাবেই হয়তো এইভাবেই একটা একটা করে এপিসোড পেরোতে পারবো।এইভাবেই সর্বজয়া আরও অনেক মাইলস্টোন পার করুক। জনতার কথার পক্ষ থেকে পুরো টিমের জন্য রইল অনেক শুভেচ্ছা।

ডিসেম্বর ০৪, ২০২১
রাজ্য

Cyclone Jawad: বাংলায় গভীর নিম্নচাপ হয়েই প্রবেশের সম্ভাবনা জাওয়াদের, জানাল হাওয়া অফিস

বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ স্থলভাগের ঠিক কোথায় আছড়ে পড়বে, তা এখনও নিশ্চিতভাবে জানায়নি হাওয়া অফিস। তবে, বাংলায় তা ঢুকতে পারে গভীর নিম্নচাপ হিসাবে। শনিবার সকালে হাওয়া অফিসের বুলেটিন অন্তত এমনটাই ইঙ্গিত দিচ্ছে।মধ্য-পশ্চিম বঙ্গোপাগরেই এখন অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়টি। গত ৬ ঘণ্টায় ৬ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়েছে সে। শনিবার ভোর সাড়ে পাঁচটায় মৌসম ভবনের দেওয়া তথ্য অনুসারে, বিশাখাপত্তনম থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে, পুরী থেকে ৪৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। ৫ ডিসেম্বর তা পুরী উপকূলে পৌঁছতে পারে বলে আশঙ্কা আবহাওয়াবিদদের। এর পর তা ধীরে ধীরে দুর্বল হতে পারে। তার পরই তা ক্রমশ এগিয়ে আসতে পারে বাংলার উপকূলবর্তী এলাকায়। কিন্তু বাংলায় যখন আসবে, তখন তার শক্তি কতটা থাকবে, তা নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা রয়েছে। এখনও অবধি মৌসম ভবন যা জানিয়েছে, তাতে গভীর নিম্নচাপ হয়েই জাওয়াদ-এর বঙ্গে ঢোকার সম্ভাবনা প্রবল।বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ঘণীভূত হওয়ার জেরে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের আকাশ শনিবার সকাল থেকেই মেঘলা। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, বিক্ষিপ্ত থেকে হালকা বৃষ্টিও হতে পারে কলকাতায়। উপকূলের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টিরও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

ডিসেম্বর ০৪, ২০২১
বিদেশ

Omicron: ওমিক্রনের পুনর্সংক্রমণের ক্ষমতা প্রায় তিন গুণ বেশি! দাবি সমীক্ষায়

করোনা ভাইরাসের ডেল্টা কিংবা বিটা রূপের তুলনায় ওমিক্রনের পুনর্সংক্রমণের হার প্রায় তিন গুণ বেশি! সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় এমনটাই দাবি করা হয়েছে।দক্ষিণ আফ্রিকার ডিএসআই-এনআরএফ সেন্টার অব এক্সিলেন্স ইন এপিডেমিওলজিকাল মডেলিং অ্যান্ড অ্যানালাইসিস-এর ডিরেক্টর জুলিয়াম পুলিয়েট জানিয়েছেন, করোনার প্রথম এবং দ্বিতীয় ঢেউয়ে যাঁরা আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাঁদের অনেকের দেহেই সাম্প্রতিক কালে ওমিক্রন সংক্রমণ ঘটেছে।২৭ নভেম্বর পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকায় ওমিক্রনের সংক্রমণ লেখচিত্র বিশ্লেষণ করা হয়েছে ওই রিপোর্টটিতে। সেখানে প্রায় ২৮ লক্ষ নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, অন্তত ৩৫,৬৭০ জনের দেহে দ্বিতীয় বা তার বেশি বার সংক্রমণের কারণ হয়েছে ওমিক্রন। তবে ওই রিপোর্টটি এখনও পূর্ণাঙ্গ পর্যালোচনা করা হয়নি।

ডিসেম্বর ০৩, ২০২১
রাজ্য

শিরোমণি প্যাসেঞ্জার ও হাটিয়া প্যাসেঞ্জার পুনরায় চালুর দাবিতে বাংলা পক্ষ-র ডেপুটেশন

শিরোমণি প্যাসেঞ্জার ও হাটিয়া প্যাসেঞ্জার পুনরায় চালুর দাবিতে বাংলা পক্ষর ডেপুটেশন কর্মসূচির আয়োজন করা হয। রবিবার বাংলা পক্ষ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতা শাখার পক্ষ থেকে শিরোমণি প্যাসেঞ্জার ও হাটিয়া প্যাসেঞ্জার পুনরায় চালু করা ও চক্রধরপুর লোকালের গড়বেতা স্টপেজ পুনরায় চালুর দাবিতে স্মারকলিপি তুলে দেওয়া হল স্টেশন মাস্টারের হাতে। দুটি নতুন ট্রেনের দাবি- সহ বাংলা ভাষার ব্যবহারের মতো গুরুত্বপূর্ণ দাবিসমূহ-ও ছিল স্মারকলিপিতে। এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সুমিত দে, দসর জানা, জামাল খানের মতো জেলার সহযোদ্ধারা। এই স্মারকলিপির সাথে ৩৫ জন সাধারণ মানুষের স্বাক্ষরও তুলে দেওয়া হয় স্টেশন মাস্টারের হাতে। এই দাবি না মানা হলে স্থানীয় মানুষ নিয়ে আরও বৃহত্তর আন্দোলন হবে বলে জানায় সহযোদ্ধারা। আগামী দিনে জেলার অন্যান্য স্টেশন থেকেও এক-ই দাবিতে আন্দোলনে নামবে বাংলা পক্ষ, এমনটাই জানায় বাংলা পক্ষের সহযোদ্ধা সুমিত দে। সাম্প্রতিক কালে বেশ কিছু ট্রেন বাতিল হয়ে যাওয়ায় এলাকার মানুষ খুবই সমস্যার মধ্যে পড়েছে। চাকরিজীবি, ব্যবসায়ী ও ছাত্রছাত্রীদের নানান কাজে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে প্রচণ্ড সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।। এই সমস্যার প্রভাব পড়েছে স্থানীয় অর্থনীতিতে। একই ভাবে বিভিন্ন স্টেশনে বাংলা ভাষার ব্যবহার কমিয়ে দেওয়ার ফলে স্থানীয় মানুষের যথেষ্ট অসুবিধা হচ্ছে। আমরা এই সমস্যাগুলির সমাধানে নিম্নোক্ত দাবিগুলি জানিয়েছে বাংলা পক্ষ।১. শিরোমণি ও হাটিয়া প্যাসেঞ্জার পুনরায় চালু করতে হবে।২. বিগত দশকের দাবি মেনে গড়বেতা পর্যন্ত দুটি নতুন লোকাল ট্রেন চালু করতে হবে অথবা হাওড়া-মেদিনীপুর লোকালের যে-কোনো দুটি ট্রেন গড়বেতা পর্যন্ত সম্প্রসারিত করতে হবে।৩. চক্রধরপুর লোকালের গড়বেতায় স্টপেজ পুনরায় চালু করতে হবে।৪. মেমু প্যাসেঞ্জার ট্রেনগুলির ভাড়া এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়া করা যাবে না।৫. রূপসী বাংলা ট্রেনের রুট বর্ধমান হয়ে পরিবর্তন করা যাবে না।৬. গড়বেতা রেল স্টেশনকে পুনরায় আগের মতো কার্যক্ষম করে তুলতে হবে৷৭. ইদানিং গড়বেটা স্টেশনে লক্ষ্য করা যাচ্ছে বাংলা ভাষার ব্যবহার কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে, যা বন্ধ করতে হবে এবং বাংলা ভাষার সঠিক ব্যবহার ও মর্যাদা দিতে হবে।

নভেম্বর ২৯, ২০২১
রাজ্য

Weather: আবার হাজির নিম্নচাপ, বাড়ছে তাপমাত্রা, হতে পারে বৃষ্টিও

ফের নিম্নচাপের ভ্রূকুটিতে রাজ্যে বাধা পড়ল শীতের আগমন। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, রবিবার থেকে রোদ ঝলমলে আকাশ ঢাকতে পারে বিক্ষিপ্ত মেঘে। যে কারণে ফের বাড়তে পারে তাপমাত্রা। এমনকী রবিবার এবং সোমবার দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলায় বিক্ষিপ্ত থেতে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। যদিও শনিবার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার আবহাওয়া থাকবে শুষ্ক। আকাশও থাকবে পরিষ্কারই। তবে তাপমাত্রা বাড়ায় কমতে পারে শীতের অনুভূতি।গত সপ্তাহের শেষের দিকে তামিলনাড়ু উপকূলে ধেয়ে যাওয়া নিম্নচাপের জেরে দক্ষিণবঙ্গে ঢুকেছিল প্রচুর জলীয় বাস্প। তার জেরে আবহাওয়া ছিল মেঘলা। বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টিও হয়েছিল। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে এ সপ্তাহেও। বঙ্গোপসাগরে ফের একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। মধ্য-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া সেই নিম্নচাপ অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তামিলনাড়ু উপকূলের দিকে এগিয়ে যাওয়ার কথা। এর জেরেই প্রচুর জলীয় বাস্প ঢুকবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। তার জেরেই রবি এবং সোমবার বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে। তবে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।

নভেম্বর ২০, ২০২১
রাজ্য

Sundarban: অবিলম্বে সুন্দরবনকে পৃথক জেলা করার নির্দেশ মমতার

সুন্দরবনকে পৃথক জেলা করার কথাও আগেও একাধিকবার বলেছেন মমতা। তবে তা বাস্তবায়িত হয়নি। এবার দ্রুততার সঙ্গে যাতে সেই কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার মধ্যমগ্রামের প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যসচিবের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলেন তিনি। সুন্দরবন পৃথক জেলা হলে সেখানকার মানুষ অনেক ক্ষেত্রে সুযোগ-সুবিধা পাবেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ সুন্দরবনের মানুষ উপেক্ষিত। এই অঞ্চল দক্ষিণ ২৪ পরগনার অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় জেলা সদর আলিপুর অর্থাৎ কলকাতায়। ফলে সুন্দরবন থেকে দরকারি কাজে আসা ও যাওয়া করতে দীর্ঘ সময় লাগে। বাম আমল থেকে এই নতুন জেলা তৈরির দাবি উঠেছে। একাধিকবার কনভেনশনও করা হয়েছে। সব ঠিক থাকলে সুন্দরবন পৃথক জেলা করা হতে পারে শীঘ্রই।এ দিন তিনি মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে বলেন, সুন্দরবন কবে জেলা হবে, পাঁচ বছর ধরে পড়ে আছে। তাড়াতাড়ি করে দাও। মমতা জানান, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সুন্দরবনের মানচিত্র তৈরি করে দিয়েছিল আগেই। তাই এই কাজ করতে খুব বেশি দেরি হওয়ার কথা নয়। মমতার দাবি, আলাদা জেলা হলে সুন্দরবনের মানুষ কিছু অ্যাডভান্টেজ পাবে। বর্তমানে সুন্দরবন পৃথক পুলিশ জেলা হলেও প্রশাসনিক জেলা নয়।আগেই সুন্দরবনকে আলাদা পুলিশ জেলা ঘোষণা করেছিল সরকার। এবার পূর্ণাঙ্গ জেলার মর্যাদা দিতে চলেছে রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী এর আগে পাথর প্রতিমার বৈঠকে গিয়েও বলেছিলেন, সুন্দরবনের বাসিন্দাদের প্রশাসনিক কাজকর্মের জন্য দূরে যেতে হয়। তাই আলাদা জেলা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।

নভেম্বর ১৮, ২০২১
রাজ্য

Weather: নিম্নচাপের প্রভাবে ফের হাওয়াবদল বঙ্গের, বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে এইসব জেলাগুলোতে

নিম্নচাপের প্রভাবে ফের হাওয়াবদল বঙ্গে। গত কয়েকদিন শীতের আমেজ থাকলেও বাতাসে জলীয় বাষ্প বাড়ায়, সেই আমেজ রাতারাতি গায়েব। কলকাতায় চারদিনে ৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা বেড়েছে। শনিবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি।আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং আন্দামানের ওপরে একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা তৈরি হয়েছে। যেটি ১১ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার সুস্পষ্ট নিম্নচাপের পরিণত হয়েছে। তাই তামিলনাড়ু উপকূলে বৃষ্টি হবে। বাংলার উপকূলবর্তী জেলাগুলো যেমন দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনায় হালকা বৃষ্টি হবে। জলীয়বাষ্প বেশি থাকার কারণে গরমের অস্বস্তি থাকবে।আপাতত রাজ্যে উত্তুরে হাওয়া ঢোকায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে পূবালি বাতাস। তার দাপটে বঙ্গোপসাগর থেকে রাজ্যে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকছে। এর প্রভাবে শনিবার সকালেই ঝিরিঝিরি বৃষ্টি শুরু হয়েছে কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায়। রবিবার থেকে বৃষ্টি হতে পারে। হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরেও হালকা বৃষ্টি হতে পারে। সোমবার বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও।আগামী শনিবার ও রবিবার বৃষ্টি হবে আন্দামান উপকূলে। বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলা পূর্ব মেদিনীপুর,দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও। গরমের অস্বস্তি থাকবে। সোমবার থেকে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে থাকবে বলেই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে।জাঁকিয়ে শীত আসতে আমাদের ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে, পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের।

নভেম্বর ১৩, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • ...
  • 18
  • 19
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

যুবভারতী কাণ্ডে নতুন মোড়, শতদ্রু দত্তের রিষড়ার বাড়িতে হানা বিধাননগর পুলিশের

যুবভারতী কাণ্ডের পর থেকেই রিষড়ার একটি ঝাঁ চকচকে তিনতলা বাড়ি ঘিরে কৌতূহল বেড়েছে। শুক্রবার সকালে সেই বাড়িতেই হাজির হল বিধাননগর পুলিশ। যুবভারতী স্টেডিয়ামে মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে হওয়া বিশৃঙ্খলার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তের এই বাড়িতে এদিন তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। তবে ঠিক কী কারণে এই তল্লাশি, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি পুলিশ আধিকারিকরা।গত ১৩ ডিসেম্বর যুবভারতী স্টেডিয়ামে লিওনেল মেসির অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন শতদ্রু দত্ত। ওই দিন স্টেডিয়ামে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ছড়ায়। সেই ঘটনার পরই আয়োজক সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এবং পুলিশ শতদ্রুকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। ঠিক সেই সময়ই শুক্রবার সকালে তাঁর রিষড়ার বাড়িতে পৌঁছে যায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ বিধাননগর থানার পাঁচজন আধিকারিক, তাঁদের মধ্যে মহিলা পুলিশকর্মীও ছিলেন, এদিন সকালে রিষড়ায় যান। প্রথমে তাঁরা রিষড়া থানায় হাজির হন। পরে স্থানীয় থানার পুলিশের সহযোগিতায় বাঙুর পার্ক এলাকায় শতদ্রু দত্তের বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। সেই সময় বাড়িতে শুধুমাত্র এক পরিচারিকা ছিলেন। তাঁর সঙ্গেও কথা বলেন পুলিশ আধিকারিকরা।এরপর তিনতলা বাড়ির প্রতিটি ঘরে তল্লাশি চালানো হয়। সূত্রের খবর, ওই বাড়িতে একটি ব্যক্তিগত ফুটবল মাঠ এবং একটি সুইমিং পুল রয়েছে। সেগুলিও ঘুরে দেখেন তদন্তকারীরা। তবে তল্লাশির পর বাড়ি থেকে কোনও কিছু বাজেয়াপ্ত করা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন, তাই এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।এদিকে তদন্তকারীদের একাংশের অনুমান, মেসির অনুষ্ঠানে বিপুল পরিমাণ কালো টাকা ব্যবহার হয়ে থাকতে পারে। যুবভারতী কাণ্ডে পুলিশের তরফে ইতিমধ্যেই দুটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সেই এফআইআরের ভিত্তিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ইসিআইআর দায়ের করে আর্থিক লেনদেনের উৎস খতিয়ে দেখতে পারে বলে তদন্তকারী সূত্রে খবর।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
দেশ

সংবাদমাধ্যমে আগুন, ভারত-বিরোধী স্লোগান—ঢাকা পরিস্থিতিতে কড়া নজর দিল্লির

ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ফের তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ঢাকাসহ একাধিক শহরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমের অফিসে আগুন লাগানো হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে এবং কট্টরপন্থীদের একাংশ প্রকাশ্যে ভারত-বিরোধী মন্তব্য করছে। পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, তা নিয়ে কড়া নজর রাখছে ভারত।সূত্রের খবর, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় যেখানে ভারতীয় হাইকমিশনের অফিস রয়েছে, সেখানে কর্মরত ভারতীয় আধিকারিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে নয়া দিল্লি। সাম্প্রতিক পরিস্থিতির জেরে একাধিক জায়গায় ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র ইতিমধ্যেই বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলেও ইঙ্গিত মিলেছে।বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে কট্টরপন্থীদের বিক্ষোভ চলে। কয়েকটি ক্ষেত্রে সেই বিক্ষোভ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ চট্টগ্রামে ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনারের বাসভবন ঘিরে ধরার ডাক দেওয়া হয়েছে বলে খবর আসে। বিভিন্ন দিক থেকে অফিস ঘেরাওয়ের আহ্বান জানানো হয়। এই পরিস্থিতিতে গোটা ঘটনার উপর নজর রাখছে ভারত সরকার। সূত্রের খবর, নিরাপত্তার কারণে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় আজও ভিসা কেন্দ্র বন্ধ থাকতে পারে।উল্লেখ্য, এর আগেও বাংলাদেশের এক রাজনৈতিক মিছিলে ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে আলাদা করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন এনসিপি নেতা হাসনাত। সেই মন্তব্যের পরই দিল্লি কড়া অবস্থান নেয়। বাংলাদেশের হাইকমিশনার মহম্মদ রিয়াজ হামিদুল্লাহকে তলব করে স্পষ্ট জানানো হয়, এই ধরনের উস্কানিমূলক মন্তব্য ভারত কোনওভাবেই বরদাস্ত করবে না। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনার পর স্পষ্ট, সেই বার্তা এখনও পুরোপুরি কার্যকর হয়নি বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
বিদেশ

কে এই ওসমান হাদি? যাঁর মৃত্যুতে গোটা বাংলাদেশে আগুন জ্বলছে

কয়েক মাস আগেও যাঁকে প্রায় কেউ চিনতেন না, অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি ঘরে ঘরে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছিলেন। রাজনীতিতে আচমকা উত্থান, আবার সেই কাহিনি পূর্ণতা পাওয়ার আগেই থেমে গেল। শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। দেশজুড়ে ছড়িয়েছে উত্তেজনা, বহু জায়গায় আগুন ও বিক্ষোভ। যাঁকে ঘিরে এত আলোচনা, আন্দোলন ও বিতর্ক, সেই ওসমান হাদি আসলে কে ছিলেন?অত্যন্ত সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসেছিলেন ওসমান হাদি। শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লিগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তার অন্যতম মুখ ছিলেন তিনি। সেই আন্দোলনের মাধ্যমেই জাতীয় রাজনীতিতে পরিচিতি পান হাদি। বিতর্কিত গ্রেটার বাংলাদেশ-এর মানচিত্র তৈরির সঙ্গেও তাঁর নাম জড়ায়, যেখানে ভারতের সেভেন সিস্টার্স-সহ একাধিক অঞ্চলকে বাংলাদেশের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছিল।১৯৯৩ সালের ৩০ জুন বরিশালে জন্ম ওসমান হাদির। ছয় ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট। ঢাকার রামপুরা এলাকায় থাকতেন। পেশায় শিক্ষক ছিলেন হাদি। জুলাই আন্দোলনের সময় তিনি সক্রিয়ভাবে স্থানীয় সাংগঠনিক কাজে যুক্ত হন। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই রামপুরা এলাকার সমন্বয়ক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পান এবং পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন।শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লিগ নিষিদ্ধ করার দাবিতে যারা সরব হন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন হাদি। সেই সময়েই গড়ে ওঠে ইনকিলাব মঞ্চ। এই মঞ্চের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং ন্যায়বিচারের দাবি। ইনকিলাব মঞ্চের তরফে জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতি সংরক্ষণ, অভিযুক্তদের বিচার, আহত ও নিহতদের স্বীকৃতি এবং জুলাই চার্টার ঘোষণার দাবি তোলেন হাদি। এর ফলে রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন তিনি।ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায়ও হাদির নাম জড়ায়। বিষয়টি নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। ইনকিলাব মঞ্চের ব্যানারে হাদি বারবার আওয়ামী লিগের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন ও হত্যার অভিযোগ তুলে দলটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান। দাবি মানা না হলে সচিবালয় ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন তিনি।সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদি জানিয়েছিলেন, তাঁকে ফোন ও মেসেজ করে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তবুও তিনি পিছিয়ে যাননি। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াইয়ের ঘোষণা দেন। চা-সিঙ্গারা আড্ডার মাধ্যমে প্রচারও শুরু করেছিলেন। ঠিক সেই সময়ই ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা।গত ১২ ডিসেম্বর জুম্মার নামাজের পর ঢাকার বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট এলাকা দিয়ে ফেরার সময় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। গুলি মাথা ভেদ করে বেরিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে একটি বেসরকারি হাসপাতালে এবং সেখান থেকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ করে শুক্রবার, ১৮ ডিসেম্বর রাতে সিঙ্গাপুরে মৃত্যু হয় ওসমান হাদির। আজ তাঁর দেহ বাংলাদেশে আনা হবে।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

নিষিদ্ধপল্লীতে ভোটার উধাও! খসড়া তালিকায় বাদ ২০ শতাংশ নাম

নিজস্ব সংবাদদাতা: খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হতেই চমকে দেওয়ার মতো তথ্য সামনে এল আসানসোলে। উদ্বেগ ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলেও। এসআইআর বা স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশনের প্রাথমিক পর্ব শেষে দেখা যাচ্ছে, কুলটি বিধানসভার নিয়ামতপুর সংলগ্ন নিষিদ্ধপল্লী এলাকার চারটি বুথে মোট ভোটারের প্রায় ২০ শতাংশ নাম তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। পাশাপাশি আরও প্রায় ২০ শতাংশ ভোটারের সঙ্গে পুরনো তালিকার কোনও ম্যাপিং করা যায়নি বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর।এসআইআর শুরু হওয়ার সময় এই চারটি বুথে মোট ভোটার ছিলেন ৩ হাজার ৬২৭ জন। খসড়া তালিকা প্রকাশের পর দেখা যাচ্ছে, ৭৪২ জনের নাম বাদ গিয়েছে। বাদ পড়া ভোটারদের মধ্যে ১৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, ৬৯ জন অন্যত্র চলে গিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি সংখ্যক, অর্থাৎ ৫৩৪ জন ভোটারের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। জানা গিয়েছে, তাঁরা এনুমারেশন ফর্ম তুললেও তা আর জমা দেননি। পাশাপাশি ২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা সম্ভব হয়নি এমন ভোটারের সংখ্যা ৬৮৪ জন।এই তথ্য সামনে আসতেই বিরোধীরা সরব হয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, বছরের পর বছর এই ভূতুড়ে ভোটারদের ব্যবহার করে এসেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। নিষিদ্ধপল্লী এলাকায় বাংলাদেশি নাগরিকদের নাম ভোটার তালিকায় ঢোকানো হয়েছিল বলেও অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা।তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। দলের দাবি, এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী বুথ লেভেল অফিসার বা বিএলও-রা। তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি বাচ্চু রায় বলেন, নিষিদ্ধপল্লীর অনেক যৌনকর্মী নিজের পরিচয় ও ঠিকানা গোপন রেখে সেখানে কাজ করতে আসেন। এসআইআর চলাকালীন তাঁরা ভয় পেয়ে এলাকা ছেড়ে চলে গিয়েছেন বা ফর্ম তুললেও জমা দেননি। তাঁর দাবি, এখানে কোনও বাংলাদেশি যোগ নেই।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

আপাতত স্বস্তি যোগ্য শিক্ষকদের, চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধি সুপ্রিম কোর্টের

অবশেষে কিছুটা স্বস্তির। সৌজন্যে সুপ্রিম কোর্ট। যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ৩১ ডিসেম্বর নয়, ২০২৬ সালের ৩১ অগস্ট পর্যন্ত চাকরিতে বহাল থাকবেন যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এই সময়সীমার মধ্যেই নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে রাজ্য সরকারকে। এমনই স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য অতিরিক্ত সময় চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। রাজ্যের তরফে ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানোর আবেদন জানানো হলেও আদালত সেই আবেদন আংশিক মঞ্জুর করে প্রায় আট মাসের অতিরিক্ত সময় দেয়। আদালত জানিয়ে দেয়, আগামী ৩১ অগস্টের মধ্যেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, এই সময়কালে যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিয়মিত বেতন পাবেন এবং পড়ানোর কাজও চালিয়ে যেতে পারবেন। তবে আদালত স্পষ্ট করেছে, এই সুবিধা শুধুমাত্র শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের ক্ষেত্রে এই নির্দেশ কার্যকর হবে না।আজকের এই রায়ে বড় স্বস্তি পেল রাজ্য সরকারও। কারণ ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শিক্ষা ব্যবস্থা সচল রাখা এবং বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষক সংকট এড়ানো রাজ্যের পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত আগের যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পরিষেবা ও বেতন বহাল থাকবে।উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৩ এপ্রিল ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়ার সময় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন করে পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরকে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই জটিল প্রক্রিয়া শেষ করা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ায় রাজ্য সরকার সময় বাড়ানোর আবেদন জানায়।আদালতে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ স্তরের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া শেষ করতে আরও কয়েক মাস সময় প্রয়োজন। পাশাপাশি যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর আর্জিও জানানো হয়। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই এই গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগে দেওচা–পাঁচামিতে পাথর উত্তোলনের বরাত বাতিল, নতুন দরপত্রে বিতর্ক

চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগে দেওচাপাঁচামি কয়লাখনি প্রকল্প এলাকায় পাথর উত্তোলনের কাজের বরাত বাতিল করল রাজ্য সরকার। প্রাথমিক পর্যায়ে ১২ একর জমিতে পাথর উত্তোলনের দায়িত্বে থাকা মেসার্স পাচামি ব্যাসল্ট মাইনিং প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের দাবি, সংস্থাটি চুক্তির একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শর্ত মানেনি বলেই এই পদক্ষেপ।রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপে ৩১৪ একর জমিতে পাথর উত্তোলনের জন্য নতুন করে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্ত ঘিরে শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক। বিরোধী দল বিজেপির অভিযোগ, দেওচাপাঁচামি কয়লাখনি প্রকল্প নিয়ে রাজ্য সরকার আসলে ধোঁয়াশা তৈরি করছে। বৃহস্পতিবার সিউড়িতে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, গত ১৫ বছরে রাজ্য সরকার একটি বড় শিল্প প্রকল্পও বাস্তবে রূপ দিতে পারেনি। অথচ দেওচাপাঁচামিকে দেশের বৃহত্তম কয়লাখনি বলে প্রচার করা হচ্ছে। তাঁর দাবি, আসন্ন শিল্প সম্মেলনের আগে বরাত বাতিল ও নতুন দরপত্র ডেকে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।বিজেপি নেতার আরও অভিযোগ, নতুন দরপত্রে কোথাও কয়লাখনি স্থাপনের উল্লেখ নেই। বরং আগামী ১৫ বছরের জন্য শুধুমাত্র পাথর উত্তোলনের কথাই বলা হয়েছে। তাঁর বক্তব্য, এর থেকেই স্পষ্ট যে আপাতত কয়লা উত্তোলনের কোনও পরিকল্পনাই রাজ্যের নেই। যদিও গত অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক স্তরে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল, এখনও পর্যন্ত কোনও সংস্থা আগ্রহ দেখায়নি বলেও দাবি করেন তিনি।জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, কেন্দ্রের অনুমোদন ছাড়া এই প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। অথচ এখনও পর্যন্ত কোনও পূর্ণাঙ্গ নকশা বা প্রস্তাব কেন্দ্রের কাছে জমা পড়েনি। পাশাপাশি আদিবাসীদের জমি নেওয়া হলেও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ বা স্থায়ী কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি বলেও অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিকে রাজ্য সরকারের শিল্পনীতির ব্যর্থতার প্রতিফলন বলে দাবি করছে বিরোধীরা।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
কলকাতা

মেসি-কাণ্ডে মানহানির অভিযোগ, লালবাজারে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের এফআইআর

লিওনেল মেসিকে ঘিরে কলকাতার সাম্প্রতিক বিতর্কে এবার আইনি মোড়। প্রকাশ্যে মানহানিকর মন্তব্যের অভিযোগ তুলে কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজারে এফআইআর দায়ের করলেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। অভিযোগের আঙুল উঠেছে কলকাতার আর্জেন্টিনা ফ্যান ক্লাবের প্রধান তথা মেসি-ভক্ত উত্তম সাহার দিকে।সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের আইনজীবীর তরফে জানানো হয়েছে, যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মেসিকে ঘিরে যে বিতর্কিত ঘটনার সূত্রপাত, তা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে সৌরভের ভূমিকা সম্পর্কে একাধিক ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হয়েছে। এই মন্তব্যগুলিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মানহানিকর বলেই দাবি করা হয়েছে অভিযোগে।সৌরভের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানে তিনি শুধুমাত্র একজন আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবেই উপস্থিত ছিলেন। ইভেন্টের আয়োজন বা পরিচালনার সঙ্গে তাঁর কোনও রকম সাংগঠনিক যোগ ছিল না। অনুষ্ঠানের মূল আয়োজক ছিলেন শতদ্রু দত্ত। একই অনুষ্ঠানে অভিনেতা শাহরুখ খান-সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, উত্তম সাহা প্রকাশ্যে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে চিটিংবাজ বলে কটাক্ষ করেন, যা প্রাক্তন অধিনায়কের সামাজিক সম্মান ও দীর্ঘদিনের ভাবমূর্তিকে গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এই কারণেই মানহানির নোটিস পাঠানোর পাশাপাশি লালবাজারে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।উল্লেখ্য, মেসিকে দেখার আশায় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে হাজার হাজার দর্শক মোটা অঙ্কের টিকিট কেটেও শেষ পর্যন্ত হতাশ হন। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতেও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় এবং তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস পদত্যাগ করেন। পুলিশ কর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। একজন ডিসিপি সাসপেন্ড হয়েছে। এই আবহেই দেওয়া উত্তম সাহার মন্তব্যকে ঘিরে এবার আইনি পথে হাঁটলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজনীতি

একেই হুমায়ুন কবীরে অস্থির! এবার দুর্নীতির অভিযোগ জেলা পরিষদের সদস্যপদে ইস্তফা দাপুটে তৃণমূলনেত্রীর

২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুর্শিদাবাদে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে বড়সড় রাজনৈতিক বিস্ফোরণ। দলের হেভিওয়েট নেত্রী ও জেলা পরিষদের প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি শাহনাজ বেগম জেলা পরিষদের সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিলেন। শুধু পদত্যাগই নয়, দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রকাশ্যে নিজের দলের পরিচালিত জেলা পরিষদ বোর্ডকে কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি।১৭ ডিসেম্বর বিভাগীয় কমিশনারের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠান শাহনাজ বেগম। তার প্রতিলিপি জমা পড়েছে জেলা শাসকের কাছেও। তবে প্রশাসনিক চিঠির থেকেও বেশি আলোড়ন তৈরি করেছে তাঁর ফেসবুক পোস্ট। সেখানে তিনি স্পষ্ট ভাষায় লেখেন, চোর জেলা পরিষদের একজন অংশীদার হয়ে থাকা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। এই এক লাইনের মন্তব্যেই জেলা তৃণমূল রাজনীতিতে তীব্র অস্বস্তি ছড়িয়েছে।শাহনাজ বেগম দাবি করেছেন, তিনি কখনও অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি এবং ভবিষ্যতেও করবেন না। দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা ক্ষোভই যে এবার প্রকাশ্যে এসেছে, তা তাঁর বক্তব্যেই স্পষ্ট। রাজনৈতিক মহলের মতে, নির্বাচনের মুখে দাঁড়িয়ে দলের অন্দরে এমন প্রকাশ্য বিদ্রোহ তৃণমূলের জন্য বড় ধাক্কা।মুর্শিদাবাদ জেলা রাজনীতিতে শাহনাজ বেগম অত্যন্ত প্রভাবশালী নাম। একসময় কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি ভেঙে জেলা পরিষদে তৃণমূলের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর। ২০১৩ সাল থেকে সোমপাড়া, রামপাড়া ও রামনগর বাছড়া এলাকা থেকে টানা তিনবার নির্বাচিত হন তিনি। কর্মাধ্যক্ষ থেকে সহকারী সভাধিপতি, একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন শাহনাজ।যদিও আপাতত অন্য কোনও দলে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত দেননি তিনি। তবে পদ ছাড়লেও এলাকার মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। এই বিস্ফোরক ইস্তফা মুর্শিদাবাদের রাজনীতিতে কী প্রভাব ফেলে, এখন সেটাই দেখার।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal