• ৩ আষাঢ় ১৪৩২, বৃহস্পতি ১৯ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Dev

রাজ্য

Jhankalai: কেউটে প্রজাতির জ্যান্ত ’ঝাঁকলাই’ সাপকে দেবীজ্ঞানে পুজোয় মাতল বর্ধমানের সাত গ্রামের বাসিন্দা

কারও কাছে তিনি পরিচিত ঝাঁকলাই নামে। আবার কেউ তাকে বলেন ঝঙ্কেশ্বরী। এমন নানা নামে যার পরিচিতি তিনি আসলে আর কোউ নন, তিনি বিষধর কেউটে প্রজাতির সাপ। বংশ পরম্পরায় প্রতি বছর আষাঢ়ের শুক্লা প্রতিপদ তিথিতে তাঁকেই দেবীজ্ঞানে পুজো করে আসছেন পূর্ব বর্ধমানের ভাতার ও মঙ্গলকোটের সাতটি গ্রামের বাসিন্দারা।আরও পড়ুনঃ টোকিও অলিম্পিকে প্রথম পদক ভারতেরমহা ধুমধাম করে রবিবার ঝাঁকলাইয়েরপুজো হল ভাতারের বড়পোশলা, শিকোত্তর, মুকুন্দপুর এবং মঙ্গলকোটের ছোটপোশলা, পলসোনা, মুশারু এবং নিগন গ্রামে। পূর্বে সাত গ্রামে ঝাঁকলাইয়ের অবাধ বিচরণ থাকলেও বর্তমানে ভাতারের বড়পোশলা এবং মঙ্গলকোটের ছোটপোশলা, মুশারু ও পলসোনা গ্রামে ঝাঁকলাই সাপ দেখা দেয়।আরও পড়ুনঃ এরোটিক ভিডিয়ো মানে পর্ন নয় : শিল্পা শেট্টিএই চার গ্রামে জ্যান্ত ঝাঁকলাই সাপকেই এদিন দেবীজ্ঞানে পুজো করা হল। এলাকার বাসিন্দাদের বিশ্বাস ঝাঁকলাই বিষধর হলেও সে কাউকে কামড়ায় না। কোনও কারণে কাউকে ছোবল দিলে দেবীর মন্দিরের মাটি তার শরীরে লেপে দিলেই তিনি বিষমুক্ত হয়ে যান। এই বিশ্বাস নিয়েই আজও ঝাঁকলাই সাপকে সঙ্গে নিয়েই ঘর করেন চার গ্রামের বাসিন্দারা। গ্রামের বাসিন্দারা জানান, তাঁদের গ্রামে রান্নাঘর থেকে শোওয়ার ঘর এবং গ্রামের মন্দির সর্বত্রই দেখা যাবে বিষধর কেউটে প্রজাতির ঝাঁকলাই সাপের অবাধ বিচরণ।আরও পড়ুনঃ চুক্তিপত্রে সই না করায় প্রতিবাদের ঝড় ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে, কর্তাদের পদত্যাগ দাবিগ্রামগুলিতে এই ঝাঁকলাই সাপ নিয়ে অনেক লোককথা প্রচলিত আছে। এলাকার বাসিন্দাদের বিশ্বাস ঝাঁকলাই আসলে কালনাগিনী। লক্ষ্মীন্দরকে লোহার বাসরঘরে দংশন করার পর পালানোর সময় বেহুলা তাকে লক্ষ্য করে কাজললতা ছুড়ে মারে। কাজললতার আঘাতে কালনাগিনীর লেজ কেটে যায়। এখানে ঝাঁকলাইয়ের লেজওকাটা।আরও পড়ুনঃ পিছিয়ে পড়েও দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন সুতীর্থার, পৌঁছে গেলেন দ্বিতীয় রাউন্ডেপলসোনার বাসিন্দা তাপস চট্টোপাধ্যায় বলেন, পলসোনা গ্রামে একটা ডাঙা আছে। সেই ডাঙার নাম খুনগোর। বেহুলার শাপে কালিয়াদহের কলনাগিনী মর্তে এসে খুনগোর ডাঙায় বসবার করতে শুরু করে। গ্রামের বাসিন্দা মুরারীমোহন চক্রবর্তীকে স্বপ্নাদেশে কালনাগিনী তার পুজো করার কথা জানায়। সেই থেকেই পলসোনা গ্রামে ঝাঁকলাইয়ের পুজো হয়ে আসছে। তাপস বাবু আরও বলেন, ঝাঁকলাইয়ের গায়ের রং কালচে বাদামি। যেসব গ্রামে ঝাঁকলাই সাপ দেখা যায় সেইসব গ্রামে সচরাচর অন্য কোনও বিষধর সাপ দেখা যায় না। ঝাঁকলাই রাতে বের হয় না।এমনকি এই সাপ এলাকা ছেড়েও বের হয় না।আরও পড়ুনঃ শিক্ষকদের মমতার উপহার উৎসশ্রী আসলে কী? জানুনঝাঁকলাই নিয়ে গ্রামের মানুষজনের ধর্মীয় বিশ্বাস যাই থাক বিজ্ঞান মঞ্চ বিষয়টিকে অন্য ভাবে দেখতেই আগ্রহী। পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞানমঞ্চের বর্ধমান জেলা কার্যকরী সভাপতি চন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে বলেন, সাপ এমনিতেই ঠাণ্ডা রক্তের প্রাণী।কোনও কারণ ছাড়া সাপ কামড়ায় না। তাছাড়া ধর্মীয় রীতিনীতির কারণে এখানকার মানুষেরা সাপকে বিরক্ত করেন না। তার কারণে উভয়ের মধ্যে সহাবস্থান তৈরি হয়েছে। দীর্ঘদিনের সহাবস্থানের ফলে ওইসব গ্রামগুলিতে সাপের কামড়ের ঘটনা খুবই কম। তবে এই সাপের বিষ আছে। কামড়ালে হাসপাতালে যেতে হবে ।

জুলাই ২৫, ২০২১
বিনোদুনিয়া

Teaser : প্রকাশ্যে এল 'ভুজ দ্য প্রাইড অফ ইন্ডিয়া'-র টিজার

এর আগে শুধু মুক্তি পেয়েছিল ছবির ফার্স্ট লুক। এবার সব অপেক্ষার অবসান ঘটল। ডিজনি হটস্টারে মুক্তি পেল অজয় দেবগণ অভিনীত নতুন ছবি ভুজ দ্য প্রাইড অফ ইন্ডিয়া-র টিজার। বলিউডের একাধিক তারকাদের দেখা যাবে এই ছবিতে। ভুজ দ্য প্রাইড অফ ইন্ডিয়া-তে অভিনয় করছেন এই ছবিতে। এদের মধ্যে রয়েছেন অজয় দেবগন, সঞ্জয় দত্ত, সোনাক্ষ্মী সিনহা, নোরা ফতেহি, শরদ কেলকরের মতো তারকারা। এই ছবিটি ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্সের স্কোয়াড্রন লিডার বিজয় করনিকের জীবনের বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে তৈরি হয়েছে।ভুজ দ্য প্রাইড অফ ইন্ডিয়া-র গল্পের নির্যাস যেটুকু পাওয়া যায়, তা হল, ভুজ বিমানবন্দরের ইনচার্জ ছিলেন বিজয় করনিক নামের এক ব্যক্তি। মাধপর গ্রামের প্রায় তিনশোজন মহিলাকে নিয়ে কীভাবে তিনি ভারতীয় বায়ুসেনার একটি আস্ত এয়ারবেসকে পূনঃনির্মান করেছিলেন। সেই গল্পই তুলে ধরে হয়েছে রুপোলি পর্দায়। পাশাপাশি, দেখানে হয়েছে, ভারতকে শত্রুর হাত থেকে বিজয় করনিকের রক্ষা করার রোমহর্ষক সেই ঘটনাও। বহু প্রতিক্ষিত সেই অজয় দেবগন, সঞ্জয় দত্তর ছবির টিজার অবশেষে মুক্তি পেল। টিজারটিতে ধারাবাহিকভাবে অ্যাকশন সিক্যুয়েন্স দেখানো হয়েছে। দেশাত্মবোধ ছড়িয়ে রয়েছে টিজারের পরতে-পরতে। দেখানো হয়েছে ভুজের বাসিন্দাদের একতা। টিজারের একেবারে শেষ লগ্নে দেখা যাচ্ছে, অজয় দেবগন বলছেন, তাঁর নাম একজন সিপাহী। সোলজার। টিজার থেকে স্পষ্ট, ছবিটিকে বেঁধেছে দেশাত্ববোধের অনুভূতিই। সিরিজ এবং অজয় দেবগন ফিল্মসের এই ছবিটি প্রযোজনা করেছেন, ভূষণ কুমার, কুমার মঙ্গত পাঠক, জিনি খানুজা, ওয়াজির সিংহ এবং বানী সাংভিচ। তাঁরা হলেন, অভিষেক দুধাইয়া, রমন কুমার, রীতেশ শাহ এবং পূজা ভাবোরিয়া।লেখার পাশাপাশি ভুজ দ্য প্রাইড অফ ইন্ডিয়া ছবিটি পরিচালনা করেছেন অভিষের দুধাইয়া। ডিজনি হটস্টার ভিআইপি-তেই ছবিটা রিলিজ করছে। অজয় দেবগন, সঞ্জয় দত্ত এবং সোনাক্ষ্মী সিনহা অভিনীত ভুজ দ্য প্রাইড অফ ইন্ডিয়া ছবিটি রিলিজ করছে আগামী ১৩ আগস্ট।

জুলাই ১২, ২০২১
রাজ্য

Devanjan Dev's Bodyguard: দেবাঞ্জনের দেহরক্ষীর সঙ্গে রাজ্যপালের ছবি! তদন্ত চায় তৃণমূল

গতকালই মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন ভূয়ো টিকাকাণ্ডে আরও ছবি থাকতে পারে। থাকলে তা শীঘ্রই প্রকাশ পাবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভূয়ো করোনা টিকাকরণে অভিযুক্ত ভূয়ো আইএএস দেবাঞ্জনের নিরাপত্তা কর্মীর সঙ্গে রাজ্যপালের ছবি প্রকাশ্য আনল তৃণমূল কংগ্রেস। দলের সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় ওই ছবি দেখিয়ে তদন্তের দাবি করেছেন। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, কার কাছে যেত খাম ও সঙ্গে উপহার? তাও তদন্তকারী দলকে খতিয়ে দেখতে বলবে তৃণমূল কংগ্রেস। জানিয়ে দিলেন সুখেন্দুবাবু। আরও পড়ুনঃ ঘরোয়া পদ্ধতিতে বড় হবে আইল্যাশ, কীভাবে ? জেনে নিনবৃহস্পতিবার তৃণমূল ভবনে দেবাঞ্জনের দেহরক্ষী অরবিন্দ বৈদ্যর দুটি ছবি দেখিয়ে প্রশ্ন তোলেন সুখেন্দুশেখর রায়। তাঁর দেখানো একটি ছবিতে অরবিন্দকে দেখা যাচ্ছে দেবাঞ্জনের সঙ্গে, আরেকটি ছবিতে অরবিন্দ রাজ্য জগদীপ ধনকরের পরিবারের পিছনে দাঁড়িয়ে আছে। সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, এই অরবিন্দ দেবাঞ্জনের নিরাপত্তা কর্মী। তিনি কী করে রাজ্যপালের ব্যক্তিগত পরিসরে থাকতে পারেন। ওই ছবিতে সবাই রয়েছেন হাসিমুখে। তাঁদের পিছনেই অরবিন্দ।আরও পড়ুনঃ দীপার দীপ জ্বালিয়ে রাখলেন বাসচালক কন্যা প্রণতি শুধু ছবি দেখিয়েই ক্ষান্ত থাকেননি তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ। সুখেন্দুবাবু বলেন, এই নিরাপত্তা কর্মীর মাধ্যমে বিশেষ ব্যক্তির কাছে খাম যেত, যেত কিছু উপহারও। ইতিমধ্যে ভূয়ো টিকার তদন্তে সিট গঠন করেছে রাজ্য সরকার। এর আগে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে ছবি দেখা গিয়েছিল দেবাঞ্জন দেবের। এবার রাজ্যপালের সঙ্গে তাঁর নিরাপত্তা কর্মীর ছবি সামনে আনায় বিতর্ক নতুন মাত্রা পেল।আরও পড়ুনঃ আধপোড়া-নগ্ন মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার বর্ধমানে, তদন্তে পুলিশসুখেন্দুশেখর বলেন, রাজভবনে যিনি আলোকিত করে বসে আছেন তাঁর ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে দেবাঞ্জনের নিরাপত্তা কর্মীকে। তদন্তকারী সংস্থার গোচরে আনতে চাই বিষয়টা। আমরা চাই সমস্ত তথ্য উঠে আসুক। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, টিকাকাণ্ডের সঙ্গে মানুষকে যাঁরা অসুবিধায় ফেলতে চেয়েছেন তিনি যত গুরুত্বপূর্ণ হোক না কেন রেহাই পাবেন না। এই ছবি যদি সত্যি হয় তাহলে তা দেশের পক্ষে ভয়ঙ্কর। জৈন ডায়েরির পাতায় জগদীপ ধনকড়ের নাম ছিল এদিনও দাবি করেন তিনি।আরও পড়ুনঃ নির্যাতিতাদের অভিযোগ নথিভুক্ত করল জাতীয় মহিলা কমিশন রাজ্যপাল পদে যোগ দেওয়ার পর থকেই রাজ্যের সঙ্গে সংঘাত লেগেই রয়েছে জগদীপ ধনকরের। রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত এখন একেবারে ব্যক্তিগত পর্যায়ে চলে গিয়েছে। তৃণমূল নেতার দাবি, সুরেন্দ্র জৈন হাওলাকাণ্ডের মাথা ছিলেন। পরশু দিন তাঁর মৃত্যু হয়েছে আর তারপর ৪৮ ঘণ্টা নীরব রয়েছেন রাজ্যপাল। জমি কেলেঙ্কারিতেও তিনি জড়িয়েছেন। তাঁর দাবি, এত দুর্নীতির অভিযোগ কোনও রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ছিল না। এমন অভিযুক্ত লোককে রাজ্যপাল হিসাবে নিয়োগ করা উচিত নয়। অবিলম্বে বরখাস্ত করা প্রয়োজন। এবিষয়ে রাষ্ট্রপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করব। পাশাপাশি দুই সংসদে আইন অনুযায়ী পন্থা নেব।

জুলাই ০১, ২০২১
কলকাতা

Fake Vaccination: কসবা-কাণ্ডে দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে এফআইআর

কসবার ভুয়ো টিকা কাণ্ডে (Kasba Fake Vaccination Case) দেবাঞ্জন দেবকে জেরা করে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল পুলিশ। আপাতদৃষ্টিতে মেধাবী পড়ুয়া দেবাঞ্জন কীভাবে প্রতারক হয়ে উঠল তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। আর্থিক তছরুপের জেরে ধৃতের বিরুদ্ধে নিউ মার্কেট থানায় একটি পৃথক এফআইআর (FIR) হয়েছে। এছাড়া মুচিপাড়া থানায় দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (Indian Medical Association)। এদিকে, দেবাঞ্জনের এক সহযোগীকে আটক করেছে পুলিশ। রামলীলা পার্কের বাসিন্দা শান্তনু মান্না নামে ওই ব্যক্তি নিজেকে দেবাঞ্জনের অফিসের ম্যানেজার বলে দাবি করত। দেবাঞ্জনের তালতলার গুদামেও চলছে জোর তল্লাশি। সূত্রের খবর, সেখান থেকে বেশ কয়েকটি ভায়াল পাওয়া গিয়েছে। আরও পড়ুনঃ কসবা-কাণ্ডে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে যোগের অভিযোগ বিজেপিরইতিমধ্যেই তাকে বেশ কয়েকবার দফায় দফায় জেরা করেন পুলিশ আধিকারিকরা। তাতেই জানা গিয়েছে, কলকাতা পুরসভার নামে বেআইনিভাবে অ্যাকাউন্ট খুলেছিল দেবাঞ্জন। তদন্তে এই বিস্ফোরক তথ্য উঠে আসার পরই নিউ মার্কেট থানায় দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে একটি পৃথক FIR দায়ের হয়েছে। করোনা কালে স্যানিটাইজারের ব্যবসা শুরু করে দেবাঞ্জন। বাগড়ি মার্কেট থেকে মাস্ক, স্যানিটাইজার, পিপিই কিটও কিনেছিল সে। এমনকী, সমাজসেবামূলক কাজও শুরু করেছিল দেবাঞ্জন। সে সময় বিনামূল্যে স্যানিটাইজার ও মাস্ক বিলি করে সে। তবে কীভাবে দেবাঞ্জন টিকাকরণ নিয়ে জালিয়াতি কাণ্ডে জড়িয়ে পড়ল, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। মিসিং লিংকের সন্ধানে তদন্তকারীরা।

জুন ২৫, ২০২১
দেশ

Lord Jagannath: ভক্তদের অনুপস্থিতিতে শুরু জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা

গতবছর করোনার (Corona Pandemic) প্রথম ঢেউয়ের কারণে ইতিহাসে প্রথমবার ভক্তদের ছাড়াই সম্পন্ন হয়েছিল পুরীর (Puri) জগন্নাথ দেবের (Lord Jagannath) স্নানযাত্রা। বছর ঘুরতেও ছবিটা বদলাল না। দেশজুড়ে টিকাকরণ শুরু হলেও আছড়ে পড়েছে মারণ ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ। আর তাই রথযাত্রার আগে রীতি মেনে এবারেও জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রার আয়োজন করা হলেও, তাতে থাকছেন না কোনও ভক্ত। এমনকী, রাজ পরিবারের ঘনিষ্ঠ কর্মচারী কোভিডে আক্রান্ত হওয়ায় থাকবেন না পুরীর গজপতি রাজা দিব্যসিংহ দেবও। যদিও প্রস্তুতিতে কোনও খামতি নেই। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রীতি মেনে সমস্ত কিছুর আয়োজন শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত, স্নানযাত্রায় অনূর্ধ্ব ৫০০ জন সেবায়েত কোভিড-পরীক্ষা করিয়ে আচার সম্পন্ন করার অনুমতি পেয়েছেন।আরও পড়ুনঃ রাজ্যে দ্রুত উপনির্বাচনের আর্জি মুখ্যমন্ত্রীরকথিত আছে, জ্যৈষ্ঠ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে স্বয়ম্ভু মনুর যজ্ঞের প্রভাবে আবির্ভূত হয়েছিলেন প্রভু জগন্নাথ। তারপর এই পূণ্যতিথিটিকে জগন্নাথদেবের জন্মদিন হিসেবে পালন করার নির্দেশ দেন মনু। সেই জন্মদিন উপলক্ষে পৌরাণিক কাল থেকে এই বিশেষ স্নান উৎসব পালিত হয়ে আসছে আজও। প্রচলিত রীতি অনুযায়ী, প্রতি বছর জ্যৈষ্ঠ মাসের প্রথম পূর্ণিমাতেই জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রার আয়োজন করা হয়। এদিন গর্ভগৃহ থেকে মূর্তি তুলে এনে স্নান মণ্ডপে স্থাপন করা হয়। সেখানেই সুগন্ধি জল দিয়ে স্নান করানো হয় জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাকে। স্নানের পাশাপাশি চলে মূর্তির সাজসজ্জা-অলঙ্করণ ইত্যাদি। ১০৮ ঘড়া জলে স্নানের পরেই জ্বরে কাবু হয়ে পড়েন জগন্নাথদেব। তাই এইসময় গৃহবন্দি অবস্থায় থাকেন। রথ পর্যন্ত বিশ্রাম নেন। তাই ভক্তরা জগন্নাথ দেবের দর্শন পান না। এই কয়েকদিন পুজোও হয় না তাঁর। রীতিমত কম্বল চাপা দিয়ে পড়ে থাকেন জগতের নাথ। তবে রথযাত্রার দিন রাজবেশে রথে করে তিনি যাবেন মাসির বাড়িতে। এ বার তা সম্পন্ন হবে ১২ জুলাই।তবে তার আগে এই স্নান যাত্রার আয়োজনে কোথাও কোনও খামতি রাখেনি মন্দির প্রশাসন। ইতিমধ্যে ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। মন্দির চত্বরে যেমন কোনও ভক্ত প্রবেশ করতে পারবেন না, তেমনই জগন্নাথ দেবের স্নান দেখতেও কেউ উপস্থিত থাকতে পারবেন না। যদিও, জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা গোটা বিশ্বে লাইভ স্ট্রিম করা হবে বলে জানিয়েছে পুরীর মন্দির কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে, রাজা দিব্যসিংহ দেবের অনুপস্থিতিতে তাঁরই এক প্রতিনিধি হিসেবে নির্দিষ্ট রীতি পালন করে সোনার ঝাড়ু দিয়ে স্নানবেদী পরিষ্কার করবেন বলেই খবর। কারণ কোভিডবিধি মেনে আপাতত নিভৃতাবাসে রয়েছেন রাজা দিব্যসিংহ দেব। এদিকে, ১৪৭৫টি আইসক্রিমের কাঠি দিয়ে জগন্নাথ দেবের মূর্তি বানিয়ে তাক লাগালেন ওডিশার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ নায়েক। তাঁর কীর্তি দেখে অবাক নেটিজেনরাও।

জুন ২৪, ২০২১
কলকাতা

আজ থেকে খুলল কালীঘাট মন্দির

রাজ্যের করোনা (Coronavirus) পরিস্থিতির একটু উন্নতি হতেই বিভিন্ন মন্দির খুলছে ভক্তদের জন্য। মঙ্গলবার থেকে খুলে গেল কালীঘাট মন্দিরের (Kalighat Temple) দুয়ার। সকাল ৬টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে মন্দির। এই সময়ের মধ্যে ভক্তরা পুজোর ডালা নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। পুজো দেওয়ায় কোনও বাধা নেই। তবে যথাযথ কোভিড বিধি মেনেই হবে মা কালীর আরাধনা। মাস্ক ছাড়া প্রবেশ নিষিদ্ধ। শারীরিক দূরত্ব মেনে পুজোর লাইনে দাঁড়াতে হবে। এমনই বেশ কয়েকটি নিয়ম মেনে তবেই ভক্তদের জন্য মন্দির খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে বেশ খুশি দর্শনার্থীরা। অনেকদিন পর পুজো দেওয়ার সুযোগ পেয়ে এদিন সকালেই ভক্তরা ভিড় করেন মন্দির চত্বরে।আরও পড়ুনঃ এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ মুখ্যমন্ত্রীকরোনা আবহে রাজ্যে মে মাসের ৫ তারিখ থেকে কড়া বিধিনিষেধ লাগু হওয়ার পরপরই প্রসিদ্ধ মন্দিরগুলি একে একে বন্ধ হতে থাকে। তার আগে ভক্তদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল বেশ কয়েকটি মন্দিরে। সংক্রমণ এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নেয় বিভিন্ন মন্দির কর্তৃপক্ষ। তবে মাস দুই পর রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি একটু নিয়ন্ত্রণে এলে ফের কোভিড (COVID-19) বিধি মেনে মন্দির খুলতে থাকে। তারকেশ্বর এবং তারাপীঠের মন্দির খোলা হয়েছিল গত সপ্তাহেই। চলতি সপ্তাহে আবার তারকেশ্বরের মন্দিরে ভক্তদের প্রবেশের সময়সীমাও বাড়ানো হয়েছে। জানানো হয়, সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১টা এবং বিকেল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দুদফায় মন্দিরে ঢুকতে পারবেন ভক্তরা। গর্ভগৃহে প্রবেশেও অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

জুন ২২, ২০২১
রাজ্য

Tarapith Temple: ১৬ জুন থেকে ভক্তদের জন্য খুলতে চলেছে তারাপীঠ মন্দির

অপেক্ষার অবসান। রাজ্যে করোনার সংক্রমণ (Corona Pandemic) অনেকটাই নিম্নমুখী। আর তাই আগামী ১৬ জুন থেকে ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে বীরভূমের (Birbhum) তারাপীঠের মন্দির (Tarapith Temple)। সোমবার সেবাইতদের বৈঠকের পর এমনটাই জানানো হয়েছে মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে। তবে জারি থাকবে করোনা সংক্রান্ত একাধিক বিধিনিষেধ। ৩৩ দিন পর খুলতে চলেছে মন্দির।করোনার (Corona Virus) দ্বিতীয় ঢেউয়ে রাজ্যের অন্যান্য মন্দিরের পাশাপাশি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল তারাপীঠের মা তারার মন্দিরও। সংক্রমণ রুখতে রাজ্যের তরফে কড়া বিধিনিষেধ জারি করার পরই ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া ছিল। এই সময় কেবল সেবাইতদেরই পালা করে মায়ের পুজো করার অনুমতি ছিল। তবে মন্দিরের দ্বার বন্ধ থাকলেও ভিডিও কলের মাধ্যমেই মায়ের দর্শন করছিলেন ভক্তরা। এজন্য উদ্যোগ নিয়েছিল তারাপীঠ মন্দিরের সেবাইত সংঘই। সেবাইতরাই ভক্তদের ভিডিও কল করে মায়ের দর্শনের ব্যবস্থা করছিলেন। এমনকী পুণ্যার্থীদের দাবি মেনে ভিডিও কল করে তাঁদের নাম, গোত্র ধরে পুজোও দিয়ে দেন তাঁরা। এখানেই শেষ নয়, দূর-দূরান্তের পুণ্যার্থীদের কাছে সংকল্প করা পুজোর ফুলও পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছিল ডাকযোগে। তবে শেষপর্যন্ত রাজ্যে সংক্রমণের গ্রাফ কমতেই মন্দির খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।তবে ১৬ তারিখ থেকে মন্দির খুললেও ভক্তদের জন্য জারি থাকবে একাধিক বিধিনিষেধ। প্রত্যেককেই সেই বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। মন্দিরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গর্ভগৃহে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না। তোলা যাবে না কোনওপ্রকার সেলফি। মায়ের বিগ্রহকে স্পর্শ করা কিংবা জড়িয়ে ধরা যাবে না। এছাড়া করোনা সংক্রান্ত অন্যান্য সতর্কতাও মেনে চলতে হবে।

জুন ১৪, ২০২১
রাজ্য

Relief Work: মৌসুনি দ্বীপের যশ বিপর্যস্ত মানুষদের পাশে ইছলাবাদ কিরণ সঙ্ঘ ক্লাব

যশ বিধ্বস্ত এলাকাগুলোতে অসহায় মানুষগুলোর সহায়তায় এগিয়ে এসেছেন রাজনীতিবিদ থেকে সমাজের সব স্তরের মানুষরা। ক্ষতিগ্রস্ত সুন্দরবন এলাকার মৌসুনি দ্বীপের বালিয়ারার একটি আদিবাসী অধ্যুষিত দ্বীপের মানুষদের অবস্থাও তথৈবচ বলে জানতে পেরেছিল বর্ধমানের ইছলাবাদ কিরণ সঙ্ঘ ক্লাবের সদস্যরা। দ্বিতীয়বার ভাবার অপেক্ষায় না থেকে প্রত্যন্ত দ্বীপে গিয়ে বিধ্বস্ত মানুষগুলোর দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ক্লাবের সদস্যরা। বুধবার দিনটিকেই এই মহৎকাজের জন্য বেছে নিয়েছিলেন ক্লাবের সদস্যরা। প্রয়োজনীর সামগ্রী জোগার করে কয়েকজন সদস্য মিলে পাড়ি দিয়েছিলেন দ্বীপে। সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত সারাদিনের কর্মকাণ্ডে নিজেদের সাধ্যমতো পাশে থাকার চেষ্টা করেছেন তাঁরা। ক্লাবের সদস্য সুবির বল জানিয়েছেন, সকালে বালিয়ারা পৌঁছে সেখানকার প্রায় ৩০০ বাচ্চাকে এক পোয়া করে দুধ ও ২ প্যাকেট করে বিস্কুট খাইয়েছেন। এছাড়াও দুপুরে ছিল দ্বীপের প্রায় ১০০০ জনের খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা। ক্লাবের সদস্যরা সেখানেই রান্না করে বাসিন্দাদের নিজেরাই পাত পেড়ে খাওয়ান। মেনুতে ছিল, ভাত, ডাল, সোয়াবিন-আলুর তরকারি ও ডিমের কারি।বাসিন্দাদের জন্য কিছু শুকনো খাবারও দিয়ে আসা হয়েছে ক্লাবের তরফে। এর মধ্যে রয়েছে চিঁড়ে, মুড়ি, চাল, আলু। এছাড়াও মহিলাদের জন্য স্যানিটারি ন্যাপকিন, মোমবাতি ও দেশলাই দেওয়া হয়। ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে ভেঙে গিয়েছে ঘরবাড়ি। কিন্তু ভাঙেনি মনের জোর। বার বার বিপর্যয়ে মুখোমুখি হয়ে দ্বীপের মানুষগুলো বিপর্যয়কেই সঙ্গী বানিয়ে ফেলেছেন অমায়িক মানুষগুলো। সাহায্য আসছে জানতে পেরে তাই বিপদের মাঝেই পাতিবুনিয়া থেকে মৌসুনি দ্বীপে নৌকো করে নদী পাড় করিয়ে নিয়ে গিয়েছে ক্লাবের সদস্যদের। আবার দিনশেষে সেভাবেই পাড়ে পৌঁছে দিয়ে গিয়েছেন।দ্বীপের বাসিন্দাদের এমন অমায়িক ব্যবহারে অভিভূত ক্লাবের সদস্যরা।জীব সেবাই শিব সেবা। এই নীতিতেই ইছলাবাদ কিরণ সঙ্ঘ ক্লাবের সদস্যরা মানুষের পাশে থাকার কাজ করে চলেছেন। তার বদলে, এই সব অসহায় মানুষদের মুখের হাসি ও আশীর্বাদটুকুই তাঁদের বড় পাওনা। এর আগে কোভিড রোগীদের জন্য অক্সিজেনের ব্যবস্থা করে বহু মানুষকে মৃত্যুর মুখ থেকে বাঁচিয়েছিলেন ক্লাবের সদস্যরা। এবার দুর্যোগে বিপর্যস্ত মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াতে পেরে তৃপ্তির হাসি হাসছেন ক্লাবের প্রত্যেক সদস্যরা।

জুন ১১, ২০২১
রাজ্য

যশ-এ বিধ্বস্ত পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা

অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড় যশ কতটা ক্ষয়ক্ষতি করল তার হিসেব এখনও স্পষ্ট নয়। তবে একটা বিষয় পরিষ্কার। এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত যদি কোনও জেলা হয়ে থাকে তা হল পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা। উপকূলবর্তী এই দুই জেলা রীতিমতো লণ্ডভণ্ড হয়ে হয়ে গিয়েছে যশের জেরে। সব মিলিয়ে ১ কোটির বেশি মানুষ প্রভাবিত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশদে ক্ষতির পরিমাণ বুঝতে বিকেলেই দুই জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠক করেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি জানান, পূর্ব মেদিনীপুরের ৫ টি এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৭ টি পুরসভা এলাকা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুই জেলার মোট ১২ টি পুরসভা এলাকার ১০ হাজার ৬০০ টি বাড়ি সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় একজনের মৃত্যুও হয়েছে। এখনও জলের তলায় রয়েছে বহু এলাকা। যদিও এখনও পর্যন্ত দুই জেলায় আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ কত তা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। সমগ্র ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখছে পুর দপ্তর।বৈঠক শেষে এ দিন মন্ত্রী চন্দ্রিমা আরও জানান, দুই জেলাতেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্য প্রশাসন। জল নিকাশির জন্য রাজ্য জুড়ে বর্তমানে ৭,৮১৬ টি দল কাজ করছে। পানীয় জলের সমস্যা রুখতে কাজ করছে ৯৬৫ টি দল। পুজালি এবং বজবজের মতো পুর এলাকাগুলির ৯ টি বাঁধ এখনও পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের জুনপুটে আরও একটি বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।

মে ২৬, ২০২১
কলকাতা

বিপর্যস্ত রাজ্যের ১ কোটি মানুষ, শুক্রবার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী

আছড়ে পড়ার পর কয়েকঘণ্টা কার্যত তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় যশ। উত্তাল হয়েছে সমুদ্র। দিঘা ও সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় যথেষ্ট ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রাণ গিয়েছে ১ জনের, নবান্ন থেকে জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাবেন তিনি।ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় মঙ্গলবার সারারাত নবান্নেই ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাতভর কন্ট্রোলরুম থেকে নজর রেখেছেন পরিস্থিতির উপর। বুধবার সকালেও একাধিকবার সাংবাদিক বৈঠক করে পরিস্থিতির কথা জানিয়েছেন রাজ্যবাসীকে। যশের ল্যান্ডফল শেষ হতেই নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করলেন তিনি। জানিয়েছেন, ১৫লক্ষ ৪ হাজার ৫০৬ জনকে সরানো হয়েছিল। তা সত্ত্বেও প্রায় এক কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ৩ লক্ষ বাড়ির ক্ষতি হয়েছে। ১৩৪টি বাঁধ ভেঙেছে। নোনা জলের কারণে কৃষির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মাছেরও ক্ষতি হয়েছে। ত্রাণ শিবিরগুলিতে ১০ লক্ষ ত্রিপল পাঠানো হয়েছে ইতিমধ্যেই। ১০ কোটি চাল ও শুকনো খাবার পাঠানো হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ত্রাণ শিবিরে ওঠার পরও ১ ব্যক্তি মাছের জন্য জাল ফেলতে গিয়েছিলেন। জলে ডুবে গিয়েছেন তিনি। সন্দেশখালি, নামখানা, পাথরপ্রতিমা, বাসন্তী, ক্যানিং ১ ও ২ নম্বর ব্লক, বজবজ, দিঘা, শংকরপুর, তাজপুর, রামনগর, কাঁথি, নন্দীগ্রাম, সুতাহাটা, দেশপ্রাণ, কোলাঘাট, শ্যামপুর, এদিকে কালীঘাট, চেতলা, রাসবিহারী-সহ গঙ্গার সামনের বহু এলাকা জলে প্লাবিত হয়েছে। আরও পড়ুন: ঘণ্টায় ১৫৫ কিমি বেগে বালাসোরের দক্ষিণে আছড়ে পড়ল যশমুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামিকালও দুর্যোগ থাকবে। তাই প্রত্যেককে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। যারা নদী বা সমুদ্রের পাশে থাকেন, তাঁদের সতর্ক থাকতে বলেছেন। ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বিঁধেছেন কেন্দ্রকেও। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আগামী শুক্রবার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাবেন তিনি। পাশাপাশি বিপর্যস্তদের সবরকম সহযোগিতার নির্দেশও দিয়েছেন। ঘূর্ণিঝড়ের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে শহর কলকাতা। তবে ভরা কোটালের জেরে জলমগ্ন শহরের একাধিক এলাকা। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বৃষ্টি। সেই জল নামতে বেশ কয়েক ঘণ্টা সময় লাগবে বলে জানিয়েছে কলকাতা পুরসভা। দ্রুত জল নামাতে ম্যানহোল খুলে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন এলাকার। তবে বিপদ এড়াতে শহরের একাধিক এলাকার বিদ্যুৎ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন করেছে সিইএসসি। জল না নামা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে না বলে খবর।পূর্ণিমা, চন্দ্রগ্রহণ এবং ভরাকোটালের জেরে জলস্তর বেড়েছে গঙ্গা ও আদিগঙ্গার জলস্তর। আর তার জেরেই জলমগ্ন দক্ষিণ কলকাতার কালীঘাট, রাসবিহারী, ভবানীপুর ও চেতলার বিস্তীর্ণ এলাকা। বসতি এলাকায় ঘরে ঢুকেছে নোংরা জল। এদিকে রাতে জোয়ার এলে জলস্তর আরও বাড়বে। সেই সময় পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে। আর এই জমা জল থেকে ঘটতে পারে বিপদ। দুর্ঘটনা এড়াতে সাঁকরাইল, বাউড়িয়া, বজবজ ও কালীঘাটের একাংশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। উল্লেখ্য, তড়িদাহত হওয়ার ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনে জলমগ্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ এড়াতে পরিষেবা বন্ধ রাখার আবেদন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই।এদিন রাজ্যের বহু জায়গায় বিদ্যুতের তার ছিঁড়েছে। প্রচুর বৈদ্যুতিক পোস্টের ক্ষতি হয়েছে। তবে সম্পূর্ণ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি। এ প্রসঙ্গে বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানান, অনেক এলাকায় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গিয়েছে। বিকেলের পর ক্ষয়ক্ষতির আঁচ পাওয়া যাবে। এদিকে বিদ্যুৎহীন হয়ে রয়েছে কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকা। কবে স্বাভাবিক হবে এই পরিস্থিতি? এই প্রশ্নের জবাবে সিইএসসি-র ম্যানেজিং ডিরেক্টর দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যে সমস্ত এলাকায় জমা জলের স্তর বেড়ে গিয়েছে সেখানে বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। এর মধ্যে সাঁকরাইল, বাউড়িয়া, বজবজ ও কালীঘাটের একাংশ রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর সংযোগ ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

মে ২৬, ২০২১
বিনোদুনিয়া

অবশেষে মুক্তি পেতে চলেছে বহু প্রতীক্ষিত ‘৮৩’

কবীর খান পরিচালিত স্পোর্টস ড্রামা ৮৩ অবশেষে অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে মুক্তি পেতে চলেছে। ছবির মুক্তির দিন ঘোষণা করা হল। খবরটি জানান স্বয়ং ছবির কপিলদেব রণবীর সিংহ।রণবীর জানান, আগামী ৪ জুন বড় পর্দায় মুক্তি পাবে ছবিটি। ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টার শেয়ার করে রণবীর লেখেন, ৪ জুন, ২০২১!!!! হিন্দি সহ তামিল, তেলুগু, কন্নড় ও মালায়ালাম ভাষায়। দেখা হচ্ছে সিনেমায়। রনবীর সিং #thisis83 হ্যাশট্যাগ দেন। ওই পোস্টে তিনি ছবির সমস্ত টিম মেম্বারদের ট্যাগ করেন, সকলের সঙ্গে এই খুশির মুহূর্ত ভাগ করে নেন।১৯৮৩ সালটি ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসে এক মাইলস্টোন। এক ক্রিকেটীয় রূপকথার বাস্তবতা। দ্বিধাহীনভাবে বলে দেওয়া যায় যে, সে উপাখ্যানের অবিসংবাদী নায়ক কপিলদেব নিখাঞ্জ। ২৫শে জুন ১৯৮৩-র ফাইনালে অপ্রতিরোধ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের ওপর আধারিত এই ছবি। সেই অসম্ভবকে জয় করা ম্যাচের অন্যতম নায়ক এবং তৎকালীন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক কপিলদেবের নামভূমিকায় দেখা যাবে রণবীরকে সিংকে। এবং কপিলের স্ত্রী রোমি দেবের ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা যাবে দীপিকা পাড়ুকনকে। এ ছাড়াও বোমান ইরানি, হার্ডি সান্ধু, পঙ্কজ ত্রিপাঠি, যতীন শরণার মতো পরিচিত আভিনেতাদের দেখা যাবে পার্শচরিত্রে।View this post on InstagramA post shared by Ranveer Singh (@ranveersingh)করোনা অতিমারির জন্য সিনেমাহলগুলি বন্ধ থাকায় অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এই ছবি মুক্তির সম্ভবনা তৈরি হয়েছিল। বিভিন্ন প্রলোভন ও পারিপার্শ্বিক চাপ উপেক্ষা করে অবশেষে বড় পর্দাতেই ছবির মুক্তির সিদ্ধান্ত নেন পরিচালক কবীর খান।জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়

ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২১
কলকাতা

১০ বছরের রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ তৃণমূলের

রাজ্যে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির সভার দিনই গত দশ বছরের উন্নয়নের খতিয়ান পেশ করল তৃণমূল। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত রিপোর্ট কার্ড এ কথাই তুলে ধরলেন দলীয় নেতৃত্ব। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের মতো রাজ্যের একাধিক দফতরের হেভিওয়েট মন্ত্রীরা। বৃহস্পতিবার দলের সদর দফতর তৃণমূল ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে সূচনা হল বঙ্গধ্বনি যাত্রা কর্মসূচির। আগামীকাল থেকে এই রিপোর্ট কার্ড নিয়ে রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা এলাকায় বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছাবেন তৃণমূলকর্মীরা। রাজ্যের মানুষ গত দশ বছরের মধ্যে যা যা সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন তাই তুলে ধরা হয়েছে রিপোর্ট কার্ডে। এদিনের অনুষ্ঠানে রাজ্যের দুয়ারে সরকার কর্মসূচিকেও তুলে ধরা হয়। এই কর্মসূচির সাফল্য নিয়ে কথা বলেন দলের নেতারা। এই কর্মসূচির মাধ্যমে রাজ্যের ১১টি উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সুবিধা দিতে সাধারণ মানুষের বাড়ির দুয়ারে পৌঁছে গিয়েছে সরকার। এদিন দলের মহাসচিব ও রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই সরকার দশ বছরের মধ্যে ৮ বছর কাজ করার সুযোগ পেয়েছে। করোনার জন্যে এক বছর, উপনির্বাচনের জন্যে বাকি ১ বছর কাজ করার সম্ভব হয়নি। তাও সরকার সমস্ত রকম ভাবে মানুষের পাশে থেকে কাজ করেছে। আর সেই কাজের খতিয়ান নিয়েই মানুষের দোরগোড়ায় এবার পৌঁছবে তৃণমূল কংগ্রেস। শুধুমাত্র শিক্ষাক্ষেত্রের যে উদাহরণ তিনি টেনেছেন সেখানে উল্লেখ রয়েছে, ২০১১ সাল থেকে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ তিন গুণ বেড়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্য ও খাদ্য এই দুটি ক্ষেত্রেও বেড়েছে বরাদ্দ। যা উল্লেখ রয়েছে রিপোর্ট কার্ডের মধ্যে। গত দশ বছর ধরে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকার কী কী কাজ করেছে বাংলার মানুষের জন্যে, তার যাবতীয় খতিয়ান তুলে ধরা হয়েছে এই রিপোর্ট কার্ডের মাধ্যমে। যাকে এদিন সাংসদ সুদীপ বন্দোপাধ্যায় বলেন, এটা আসলে শ্বেতপত্র। দিদিকে বলো, বাংলার গর্ব মমতার পরে চালু হচ্ছে নয়া প্রকল্প বঙ্গধ্বনি। যার মাধ্যমে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছবেন জনপ্রতিনিধি থেকে সাংগঠনিক পদের ব্যক্তিরা। তারাই মানুষের কাছে উন্নয়নের খতিয়ান তুলে দেবেন। সেই উন্নয়নের চেহারাই প্রকাশ পাবে এই রিপোর্ট কার্ড পেশের মাধ্যমে। বারবারই মমতা বন্দোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্র প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না। কিন্তু আর্থিক সঙ্কট থাকা সত্ত্বেও উন্নয়নের গতি থামেনি। আর্থিক সঙ্কটের মধ্যেও প্রতি মাসে সরকারি কর্মীদের বেতন ও পেনশন দেওয়া হয়। এছাড়াও বিনাপয়সায় চিকিত্সার ব্যবস্থা করা হয়েছে, যা তুলে ধরা হয়েছে রিপোর্ট কার্ডে। আরও পড়ুন ঃ নাড্ডার সফরে পুলিশি নিরাপত্তায় ঢিলেমির অভিযোগ, শাহকে চিঠি দিলীপের পাশাপাশি, গত ১০ বছরে রাস্তা থেকে পানীয় জল। বিদ্যুৎ থেকে সকলের জন্যে খাদ্যসাথী। স্বাস্থ্যসাথীর মতো বিশেষ সুবিধাও এনেছে রাজ্য সরকার। বিরোধীরা উন্নয়ন ইস্যুতে একাধিকবার আক্রমণ শানালেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তাঁর দলের নেতা মন্ত্রীরা একপ্রকার নিশ্চিত মানুষের কাছে তাঁদের উন্নয়নের খতিয়ান পৌঁছে যাবে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মানুষ আস্থা রাখবে সেই উন্নয়নের উপরেই। তাই আজ থেকেই এই প্রচারে কোমর বেঁধে নেমে পড়ছে তৃণমূল কংগ্রেস। এরপর জেলা নেতৃত্ব সেই বিষয়ে নিজেদের জেলায় কেন্দ্রীয়ভাবে প্রচার করবেন। শুক্রবার প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে সাংবাদিক সম্মেলন এবং মিছিল করে শুরু হবে বঙ্গধ্বনি যাত্রার প্রচার অভিযান। আগামী দশ দিনে প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে তিন থেকে পাঁচটি দল যাত্রা শুরু করবে ধারাবাহিকভাবে। জানা গিয়েছে, ওই যাত্রায় চার হাজার নেতা ৯৫০টি দলে ভাগ হয়ে ২৭ হাজার ৫০০ এলাকায় যাবেন। রাজ্যের প্রায় আড়াই লক্ষ কিলোমিটার জুড়ে ১ কোটি মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করবেন ওই প্রচারের দায়িত্বে থাকা নেতানেত্রীরা। তৃণমূলের দশ বছরের রিপোর্ট কার্ড বাংলার প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দেওয়াই হচ্ছে মূল লক্ষ্য। সেই সঙ্গে দেওয়া হবে ২০২১ সালের দিদিকে বলো পকেট ক্যালেন্ডার।

ডিসেম্বর ১০, ২০২০
রাজ্য

রবীন্দ্রনাথ ঘোষের সঙ্গে বৈঠকের পরও একই অবস্থানে মিহির গোস্বামী

তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ বিধায়ক মিহির গোস্বামীর সঙ্গে দেখা করলেন রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। মঙ্গলবার সকালে দুজনের মধ্যে প্রায় ৪০ মিনিট কথা হয়। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী জানান, বিজয়া করতেই মূলত মিহির গোস্বামীর বাড়িতে এসেছিলেন। তবে সাক্ষাৎ হওয়ার পর নানা বিষয়ে কথা হয়েছে দুজনের। ঠিক কী বিষয়ে কথা হয়েছে তা যদিও খোলসা করে বলেননি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। মিহির গোস্বামীর দলের অভিমান প্রসঙ্গেও সেভাবে কিছু বলেননি মন্ত্রী। তবে তাঁর কথায়, মিহিরদা পুরনো লোক। ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। মিহিরবাবু দলে ছিলেন, আছেন ও থাকবেন। আরও পড়ুনঃ ত্রিপুরায় বাঙালি হত্যার প্রতিবাদে পথে বাংলা পক্ষ কোচবিহার দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী জানান, ফেসবুক পোস্ট ও কলকাতার নেতাদের একাংশের ভূমিকা নিয়ে একই অবস্থানে রয়েছেন তিনি। তবে রাজ্য নেতৃত্ব তথা দলনেত্রীর বার্তা পাওয়ার পরে যে সব কিছু গভীরভাবে তলিয়ে দেখে পদক্ষেপ করবেন। চিন্তন ও মন্থনের পরে যে সিদ্ধান্ত নেব, তা জনসমক্ষে জানিয়ে দেব।

নভেম্বর ২৪, ২০২০
রাজ্য

জগদ্ধাত্রী পুজোয় ভক্তদের জন্য বন্ধ বেলুড়ের সারদা পিঠ

করোনা জনিত কারণে বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশন সারদাপীঠের জগদ্ধাত্রী পুজোয় জনসাধারণের প্রবেশ বন্ধ। ভোগ বিতরণ বন্ধ থাকবে। জানা গিয়েছে, দীর্ঘ ৭৫ বছরের এই পুজো এবার হবে মা সারদার প্রার্থনা কক্ষেই। তবে পুজোর সরাসরি সম্প্রচার সারদাপীঠ ও বেলুড়মঠের নিজস্ব ওয়েবসাইটে দেখা যাবে। সন্ন্যাসী ও ব্রহ্মচারীরা মিলেই করবেন এই পুজো। অষ্টমীতে মায়ের অধিবাস ও আমন্ত্রণ। নবমী দিন সপ্তমী ও অষ্টমীর পুজো হবে। আরও পড়ুনঃ হাওড়া ব্রিজে মিনিবাসে অগ্নিকাণ্ড , উত্তেজনা দশমীতে সকাল সাতটায় দেবীর পুজো ও সাড়ে আটটায় দর্পণ বিসর্জন হবে। বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশন সারদাপীঠের সম্পাদক স্বামী দিব্যানন্দ মহারাজ বলেন, এবার শারীরিকভাবে ভক্তদের পুজো দেখার অনুমতি দেওয়া যাচ্ছে না। তবে পুজো যে নিয়মে, যে রীতিতে এতদিন হয়ে এসেছে সেই ভাবেই হবে।

নভেম্বর ২০, ২০২০
কলকাতা

দেবদারু ফটকের পুজোয় এবার দর্শনার্থীদের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ

এবার বেহালা দেবদারু ফটকের পুজোয় দর্শনার্থীদের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পর দ্বিতীয় পুজো প্যান্ডেল হিসেবে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল বেহালা দেবদারু ফটক পুজো কমিটি। এ বছর তাদের পুজো ৪৮ তম বর্ষে পা দিয়েছে। ক্লাবের সভাপতি শক্তিপদ মণ্ডল বলছিলেন, বেহালা ক্লাব, আদর্শ পল্লি আর দেবদারু ফটক- এই তিন ক্লাবের হাত ধরেই বেহালায় থিম পুজোর খাতে খড়ি। সেই ৯৮ সাল থেকে দেবদারু ফটকে থিম পুজো আয়োজিত হচ্ছে। এবারও যতটা সম্ভব কম পরিসরে পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। সরকারি নির্দেশিকা মেনে রাস্তার অনেকটা কাছে এগিয়ে আনা হয়েছে মণ্ডপ। যাতে প্যান্ডেলে না ঢুকেও মায়ের দর্শন করে সোজা রাস্তা দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারেন মানুষ। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি ক্লাবকে এ নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করে। দর্শনার্থীদের প্রবেশের অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত অত্যন্ত কঠিন ছিল। কিন্তু দীর্ঘ আলোচনার পর এই পরিস্থিতিতে এটাই সঠিক সিদ্ধান্ত বলে মনে হয়েছে। কিন্তু মেন রোডের উপর একটি জায়ান্ট স্ক্রিনে প্যান্ডেল দেখানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পাশাপাশি পুজো যাতে বাড়ি বসেই লাইভ দেখা যায়, সেই চেষ্টাও করছেন উদ্যোক্তারা। এছাড়া পুজো দেখাতে একাধিক অ্যাপের সঙ্গেও হাত মিলিয়েছে দেবদারু ফটক। আর ক্লাবের ফেসবুক পেজ থেকেও দেখে নেওয়া যাবে মণ্ডপ সজ্জা। এবার তাদের থিম শব্দযাপন। একদিকে শহরের ক্যাকোফনি আর অন্যদিকে আচমকা লকডাউনে ফিরে পাওয়া প্রকৃতি ও পাখিদের কলরব- এই দুই শব্দের সহাবস্থান ঘটিয়েছেন শিল্পী শুভদীপ ও সুমি মজুমদার। একচালায় মায়ের মমতাময়ী রূপ ফুটিয়ে তুলেছেন প্রতিমাশিল্পী সৌমেন পাল। এসবই দেখতে পাবেন বাঙালি। তবে ভারচুয়ালি। আরও পড়ুনঃ শহরের পুজো প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে মণ্ডপ পরিদর্শন স্বয়ং নগরপালের প্রসঙ্গত, বুধবারই শহরের ঐতিহ্যবাহী পুজো কমিটি সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যার জানিয়েছিল, অনেক চিন্তাভাবনা, আলাপ-আলোচনার পর দর্শকহীন পুজোই করবে তারা। অর্থাৎ ক্লাব সদস্য ছাড়া আর কাউকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।

অক্টোবর ১৫, ২০২০
কলকাতা

করোনায় প্রয়াত শিক্ষাবিদ আনন্দদেব মুখোপাধ্যায়

করোনায় প্রাণ হারালেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আনন্দদেব মুখোপাধ্যায়। বয়স হয়েছিল প্রায় ৭৫ বছর। বৃহস্পতিবার সকালে দক্ষিণ কলকাতার এক নার্সিংহোমে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর স্ত্রী আগেই প্রয়াত হয়েছেন। কন্যা আমেরিকায় বসবাস করেন। জানা গিয়েছে, দিন দশেক আগে তিনি কোভিডে আক্রান্ত হন।চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি নার্সিংহোমে ভরতি হন।সেখানেই ১০ দিন ধরে লড়াই করার পর এদিন তিনি মারা গেলেন। জানা গিয়েছে, কোভিড প্রোটোকল মেনেই আনন্দদেব মুখোপাধ্যায়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ থেকে অবসর নেওয়ার পর নিজের মতোই শিক্ষাচর্চা করতেন। এ রাজ্যে সাক্ষরতা অভিযানের অগ্রণী ভূমিকা ছিল তাঁর। বামপন্থী মতাদর্শে বিশ্বাসী বিশিষ্ট অধ্যাপক ঘরে ঘরে শিক্ষা পৌঁছে দিতে সরকারি পরিকল্পনায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দেন।

অক্টোবর ০৮, ২০২০
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

১০০ দিনের কাজ নিয়ে হাইকোর্টে বড় ধাক্কা কেন্দ্রীয় সরকারকে

গতকালই ওবিসি মামলায় হাইকোর্টে জোরদার ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। এবার ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বড় ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার নজিরবিহীন একটি নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পশ্চিমবঙ্গে ফের ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প চালু করতে হবে, এই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ১ আগস্ট থেকেই এই প্রকল্প চালু করতে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ।উল্লেখ্য, বাংলায় ১০০ দিনের কাজের টাকা বহুদিন ধরে আটকে রেখেছে কেন্দ্র, এই অভিযোগ করে আসছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রাজ্য সরকারের একাধিক মন্ত্রী এই ব্যাপারে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বারবার সমালোচনায় সরব হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে লাগামহীন দুর্নীতি হয়েছে। এই দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্র বেশ কয়েকটি দলও বাংলার জেলায় জেলায় পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী আদালতে জানিয়েছিলেন, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গে মোট ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে গরমিল ধরা পড়েছে।। তার মধ্যে ২ কোটিরও বেশি টাকা পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে। হুগলি, মালদা, বর্ধমান, দার্জিলিংয়ের মতো জেলাগুলিতে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। ১০০দিনের কাজের প্রকল্পে টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে বেনজির দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রের।রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প আটকে থাকা নিয়ে মামলার শুনানি বুধবার ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনেছেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এরপর প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছেন যে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের জন্যই বিশেষ কোনও বেঁধে দিতে পারে কেন্দ্র। এই রায়ের পর সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ১০০ দিনের পুরনো বকেয়া টাকা ফেরত দিতে হবে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর

পাঁচ লক্ষ টাকা তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর এবং সালিশি করে গ্রাম ছাড়া করার অভিযোগ উঠলো স্থানীয় একদল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকায়। এই ঘটনায় আক্রান্ত ব্যবসায়ীর পরিবার কালিয়াচক থানার দ্বারস্থ হলেও চারদিন পরে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে বুধবার ওই ব্যবসায়ী দম্পতি সমস্ত ঘটনার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানালেন পুলিশ সুপারের কাছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব। এদিকে কালিয়াচকের ওই ব্যবসায়ীর ওপর আক্রমণ এবং পাঁচ লক্ষ টাকা তোলাবাজির ঘটনায় রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলার সর্ববৃহৎ ব্যবসায়ীদের সংগঠন মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বারবার যদি ব্যবসায়ীদের ওপর দুষ্কৃতীদের হামলা নেমে আসে, তাহলে আমরা যাব কোথায়। অবিলম্বে পুলিশ সুপার যাতে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে, সেই আবেদন জানাচ্ছি। এদিকে পুলিশকে অভিযোগে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকার পোশাক ব্যবসায়ী মহম্মদ রহিম বিশ্বাস জানিয়েছেন, পুরনো একটি মামলার ঘটনায় গত শনিবার এলাকার এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী জহরুল খান এবং তার দলবল তাকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাদের একটি ডেরায় তাঁকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর পাঁচ লক্ষ টাকার তোলা চাওয়া হয়। সেই টাকা না দেওয়ায় আশেপাশের আরও কিছু সাগরেদদের জুটিয়ে সালিশি ডাকা হয়। সেই সালিশির মাধ্যমে তাদের পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। আর এই ঘটনার পর থেকেই গত চারদিন ধরেই ওই ব্যবসায়ী পরিবার নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন হয়ে রয়েছেন। এমনকি ফতেখানি স্ট্যান্ডের কাছে ওই ব্যবসায়ী তার নিজের পোশাকে শোরুম খুলতে পারছেন না।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

বাংলা দিবস পালন নিয়ে বিজেপিকে কড়া তোপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

বাংলা দিবস পালন নিয়ে ফের বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে বাগযুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। আগামী ২০ জুন বাংলা দিবস পালন করা হবে বলে উত্তরপ্রদেশের বিশেষ সচিব পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি দফতরকে একটি চিঠি দিয়েছে। আলাদা করে বাংলা দিবস পালনের দিন নির্ধারণ নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ইস্যুতে BJP-র কড়া জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২০ জুন প্রতিটি রাজ্যের রাজভবনে বাংলা দিবস পালন করা হবে বলে ঠিক করা হয়েছে। এই তারিখ কীভাবে ঠিক করা হল? দেশ স্বাধীন হয়েছে ১৫ আগস্ট। বাংলার প্রতিষ্ঠা দিবস আপনারা ঠিক করে দেবেন? বিজেপি ইচ্ছা মতো চাপিয়ে দেবে? এটা বাংলাকে চরম অসম্মান বলে আমরা মনে করছি। বাংলা দিবস বাংলার সরকার পালন করবে। সেটা ১ বৈশাখ।এদিন কেন্দ্রকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রীর আরও তোপ, সব বুলডোজ করছে, দেশে জুমলা সরকার চলছে। পেহেলগাঁওয়ের পর সবাই বিশেষ অধিবেশন ডাকার কথা বলেছে। বিরোধীরা সবাই অধিবেশন ডাকার কথা বলেছিল। কেন বিশেষ অধিবেশন ডাকা হবে না?একশো দিনের কাজের টাকা চার বছর ধরে বন্ধ করেছে। আবাস যোজনার টাকা দিচ্ছে না। রাজ্য সরকার নিজে সেই টাকা খরচ করে উন্নয়ন বজায় রেখেছে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

ভাগীরথী সেতুতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, লরির চাকায় পিষ্ঠ হয়ে মৃত্যু রোগীর

মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ভাগীরথী সেতুর উপর ঘটল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বুধবার দুপুরে চলন্ত লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। মৃতের নাম হরেন মণ্ডল (৬৩)। তিনি ঝাড়খণ্ডের পাকুর জেলার বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।জানা গিয়েছে, বুধবার সকালেই অসুস্থতা জনিত কারণে হরেন মণ্ডলকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পুত্রবধূ। দুপুরে বৌমা ফুলতলা বাজারে ফল কিনতে গেলে অনেকক্ষণ কেটে গেলেও তিনি না ফেরায়, চিন্তায় পড়ে বৃদ্ধ খুঁজতে বের হন। খুঁজতে খুঁজতে উঠে পড়েন ভাগীরথী সেতুর উপর। সেই সময় এক চলন্ত লরির সামনে পড়ে যান তিনি। অসাবধানতাবশত লরির চাকায় পিষ্ট হন হরেন মণ্ডল। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ ও রঘুনাথগঞ্জ সদর ট্রাফিক গার্ড। কিছু সময়ের জন্য সেতুর উপর যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে পুলিশ ব্যবস্থা নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ কী, লরি চালকের গাফিলতি ছিল কিনাতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।এই দুর্ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর এমন মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার ও হাসপাতাল চত্বরে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পরেও কি ভাবে রাজ্য সড়কে পৌছালো ঐ রুগী তা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে একলাবাসীর মধ্যে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

রায়নার বিধায়কের কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী

রায়নার বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভাতেই বিধায়ক শম্পা ধারা কন্যা সন্তান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে হাজির হন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নাম রাখেন ঐশী। আশাপূরণ হওয়ায় শম্পা ধারা বেজায় খুশি। মেয়ের অন্নপ্রাসন অনুষ্ঠানের দিনও নির্দিষ্ট করে ফেলেছেন বিধায়ক। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য শম্পা ধারা এদিন মুখ্যমন্ত্রী সহ সকল বিধায়ককে নিমন্ত্রণও করেন।শম্পা ধারার কন্যার এখন বয়স মাত্র সাড়ে চার মাস। বাংলার অগ্নিকন্যা তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্তত তাঁর কন্যার নামকরণ করে আশীর্বাদ করুন, এমনটাই স্বপ্ন ছিল রায়নার তৃণমূল বিধায়কের। সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষে নিজের শিশু কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে সোমবার দুপুরে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের সামনে পৌছে যান পূর্ব বর্ধমানের বিধায়ক। মুখ্যমন্ত্রী ঘর থেকে বের হতেই বিধায়ক শম্পা তাঁর কন্যার নামকরণ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেন। নিজের দলের বিধায়কের সেই অনুরোধ ফেরাননি মুখ্যমন্ত্রী।শম্পা ধাড়া জানান, চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি তাঁর কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে। শম্পা ধারার কথা অনুযায়ী নাম করণ করে দেওয়ার পর তাঁর মেয়ের মাথায় হাত দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশীর্বাদ করেছেন। এটাই তো তাদের কাছে অনেক বড় পাওয়া। এর জন্য তিনি গর্বিত বোধ করছেন।তাঁর খুব আনন্দও হচ্ছে।

জুন ১৭, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

কেশরী চ্যাপ্টার টু, ইতিহাস বিকৃত করার ভয়ঙ্কর অভিযোগ

ইতিহাসের একটি পরিচিত অধ্যায় ইংরেজ শাসনের সময় বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী ও বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বোস ও প্রফুল্ল চাকী কুখ্যাত ইংরেজ জাজকে বধ করার চেষ্টা করেছিল। এর ভিত্তিতে ক্ষুদিরাম বোসের ফাঁসি হয়েছিল এবং প্রফুল্ল চাকীও পুলিশের হাতে যাতে ধরা না পড়ে তার জন্য নিজের প্রাণ নিজের হাতে নিয়েছিল। বিধাননগর দক্ষিণ থানাতে অভিযোগ এসেছে যে একটি সিনেমা ইদানিংকালে লাইভ স্ট্রিমিং হচ্ছে সিনেমাটির নাম হচ্ছে কেশরী চ্যাপ্টার টু। সেই সিনেমাটি জিও হটস্টারে দেখানো হচ্ছে লাইভ স্ট্রিমিং এর মাধ্যমে সেখানে একটা দৃশ্যে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম বোসের নামকে ক্ষুদিরাম সিং বলা হয়েছে এবং প্রফুল্ল চাকির সেখানে কোন উল্লেখ নেই।বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী অরবিন্দ ঘোষের ছোট ভাই বিরেন্দ্র কুমার ঘোষ তিনি ও বিপ্লবী ছিলেন উনার নামটাকে বারিন্দ্রা কুমার বলে বলা হচ্ছে। শুধুমাত্র ঐতিহাসিক তথ্যগুলোকে বিকৃত করা হয়নি, বরঞ্চ স্বাধীনতা সংগ্রামী যারা আছেন তাদের নামটাকে বিকৃত করে তাদের গরিমাটাকে কিছুটা হলেও ম্লান করার চেষ্টা হয়েছে এবং করা হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে একটা কেস করা হয়েছে। এটাও দেখানো হয়েছে খুদিরাম বোস এবং বারিন্দ্র ঘোষ ওনারা অমৃতসরের ছাত্র ছিলেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগটা করা হয়েছে। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিধান নগর দক্ষিণ থানাতে একটি কেস রুজ করা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।

জুন ১৭, ২০২৫
কলকাতা

ভূয়ো কল সেন্টারের পর্দা ফাঁস, বাগুইআটিতে গ্রেফতার ৬

গোপন সূত্রে প্রাপ্ত সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বাগুইহাটি থানা অধীনস্ত সৃষ্টি অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল এবং পর্দা ফাঁস করে একটি ভুয়ো কল সেন্টারের। অভিযুক্তরা বিভিন্ন রাজ্যে সমাজের প্রান্তিক শ্রেণীর মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ করত এবং কম সুদে ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের কস্টার্জিত অর্থ হাতিয়ে নিতো।স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগের ভিত্তিতে বাগুইআটি থানায় কেস নাম্বার ৩৮২/২০২৫ মামলা রুজু হয়। এই অভিযানে মোট ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং উদ্ধার হয়েছে বহু বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ইত্যাদি। এই মামলার তদন্ত চলছে। ধৃতদের আজ আদালতে পেশ করা হলে তাদের প্রত্যেকের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন মঞ্জুর হয়। মামলার তদন্ত চলছে।

জুন ১৭, ২০২৫
রাজ্য

তৃণমূলের দলীয় বৈঠকে মমতাবালাকে কটুক্তির অভিযোগ, উপপ্রধানকে গ্রেফতারের দাবি

দলীয় বৈঠক তৃণমূল উপপ্রধানের গালাগাল ও কটুক্তির শিকার তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতা ঠাকুর। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন তৃণমূল কর্মী। সরব হলেন মতুয়া ভক্তরা। পার্থ ভৌমিকের সম্পর্কে কিছু কথা বলার জন্যে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে, আর কিছু নয় বলে দাবি তৃণমূল জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের।একুশে জুলাই এর প্রস্তুতি সভা ছিল সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙ্গায়। অভিযোগ, সেখানে বক্তব্য রাখার সময় গোপালনগর চৌবেরিয়া ১ নাম্বার গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করেন। এমনকি বৈঠক শেষে মমতা ঠাকুর বাইরে বের হলে তাঁকে উদ্দেশ্য করে সুনীলসহ আরও কয়েকজন কটুক্তি করে এবং অশ্লীল অঙ্গিভঙ্গি করে, এমনকি তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়। এবং ছোট জাত বলে আক্রমণ করা হয়। এই মর্মে সোমবার রাতে সব্যসাচী ভট্ট নামে এক তৃণমূল কর্মী গাইঘাটা থানায় এফ আই আর দায়ের করেন। অভিযোগ করার সময় সব্যসাচীর সঙ্গে ছিলেন মতুয়া ভক্তরা ও গোসাইরা। অভিযুক্তর গ্রেফতারের দাবি করেন তারা। তারা বলেন, মাকে গালাগালি দেওয়া মানে আমাদের মতুয়া সমাজকে গালি দেওয়া। এটা আমরা কোনওভাবেই মেনে নেব না। ২৪ ঘন্টার মধ্যে যদি অভিযুক্তকে গ্রেফতার না করা হয় তাহলে তীব্র প্রতিবাদ হবে।এই বিষয়ে অভিযুক্ত চৌবেড়িয়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার জানিয়েছেন, মমতা ঠাকুর বক্তব্য রাখতে গিয়ে নানা কথার মধ্যে দিয়ে জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস ও পার্থ ভৌমিককে আক্রমণ করছিল। আমি শুধু প্রতিবাদ করে বলেছি আপনাদের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের বৈঠকে এটা আলোচনা করবেন। আমি যদি উনাকে গালাগাল করে থাকি সেটা প্রমাণ করুক। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যদিও বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস জানিয়েছেন, গতকাল একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় চেয়ারম্যান পার্থ ভৌমিক সম্পর্কে কিছু কথা বলাতে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আর কিছু নয়। তৃণমূলের সভায় মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালাগাল ও জাত তুলে কটুক্তি নিয়ে কটাক্ষ করা প্রসঙ্গে শান্তনু ঠাকুর বলেন, ওদের নেত্রী হরিচাঁদ গুরুচাঁদ নিয়ে যা বলেছেন তাতে ছোট নেতা কি বলবে। মমতা ঠাকুর হারিকাঠে গলা দিয়েছে, কি হবে বুঝতে পারছে না। ওর লজ্জা ঘৃণা ভয় কিছু নেই। এই বিষয়ে মমতা ঠাকুরবালার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

জুন ১৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal