• ৪ আষাঢ় ১৪৩২, শুক্রবার ২০ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Bangla

খেলার দুনিয়া

Bangladesh vs New Zealand : ‌টেস্ট ক্রিকেটের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে রূপকথা বাংলাদেশের

বাংলাদেশের আকাশে তখনও সূর্য ওঠেনি। ফোটেনি ভোরের আলো। তবুও জেগে উঠেছিল আপামর কোটি কোটি বাঙালী। ইতিহাসের সাক্ষী থাকার অপেক্ষায়। দেশবাসীকে হতাশ করেননি মোমিনুল হকরা। মাউন্ট মাউঙ্গানুইতে তৈরি করলেন রূপকথা। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথম টেস্ট জিতে ইতিহাস বাংলাদেশের। কিউয়িদের ৮ উইকেটে হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেলেন মোমিনুলরা। বাংলাদেশের ইতিহাস তৈরির মূল কারিগর এবাদত হোসেন। ধুলোয় মিশে গেল টেস্ট ক্রিকেটে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের সম্মান। টানা ১৭ ম্যাচ পর টেস্ট ক্রিকেটে অপরাজিত থাকার তকমা হারাল কিউয়িরা।বাংলাদেশর জয় যে সময়ের অপেক্ষা, চতুর্থদিন শেষবেলাতেই ইঙ্গিতটা পাওয়া গিয়েছিল। এবাদত হোসেনের দুরন্ত বোলিংয়ে ভেঙে পড়েছিল নিউজিল্যান্ডের ইনিংস। চতুর্থ দিনের শেষে নিউজিল্যান্ডের রান ছিল ১৪৭/৫। ক্রিজে ছিলেন রস টেলর ও রাচিন রবীন্দ্র। আগের দিন যেখানে শেষ করেছিলেন পঞ্চম দিন সকালে সেখান থেকেই শুরু করেছিলেন বাংলাদেশর জোরে বোলার এবাদত হোসেন। এদিন কিউয়িদের প্রথম ধাক্কা দেন তিনিই। সকালেই রস টেলরকে (৪০) তুলে নেন। এক ওভার পরেই ফেরান কাইল জামেসনকে (০)। টেলর আউট হওয়ার পরপরই এটা পরিস্কার হয়ে যায় যে কিউয়িরা আর বেশিক্ষণ লড়াই করতে পারবে না। নিউজিল্যান্ডের বাকি লেজটুকু ছাঁটেন তাস্কিন আমেদ ও মেহেদি হাসান। তাস্কিন তুলে নেন রাচিন রবীন্দ্র (১৬) ও টিম সাউদিকে (০)। অন্যদিকে মেহেদি হাসান ফেরান ট্রেন্ট বোল্টকে (৮)। ৭৩.৪ ওভারে ১৬৯ রানে গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ডের ইনিংস। এবাদত হোসেন ৪৬ রানে ৬টি এবং তাস্কিন আমেদ ৩৬ রানে ৩ উইকেট নেন।প্রথমে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ড তুলেছিল ৩২৮। জবাবে বাংলাদেশ তুলেছিল ৪৫৮। ফলে জয়ের জন্য বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪০। দ্বিতীয় ওভারেই সাদমান ইসলামকে (৩) তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে প্রথম ধাক্কা দেন টিম সাউদি। দলের ৩৪ রানের মাথায় আউট হন নাজমুল হোসেন (১৭)। ততক্ষনে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ১৬.৫ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৪২ রান তুলে মাউন্ট মাউঙ্গানুইতে ইতিহাস তৈরি করে ফেলেন মোমিনুলরা। মোমিনুল ১৩ ও মুশফিকুর রহিম ৫ রানে অপরাজিত থাকেন।

জানুয়ারি ০৫, ২০২২
খেলার দুনিয়া

Bangladesh VS New Zealand : টেস্টের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে ইতিহাস তৈরি করতে পারবে বাংলাদেশ?‌ সামনে সুবর্ণ সুযোগ

টি২০ বিশ্বকাপে জঘন্য পারফরমেন্সের কারনে বাংলাদেশ দলকে নিয়ে দেশে সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছিল। বিশ্বকাপে চূড়ান্ত ব্যর্থতার পর লাল বলের ক্রিকেটে উল্টোপুরান। নিউজিল্যান্ডের ঘরের মাঠে ইতিহাস তৈরির হাতছানি বাংলাদেশের সামনে। টেস্ট ক্রিকেটের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে চালকের আসনে বাংলাদেশ। চতুর্থ দিনের শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বেকায়দায় নিউজিল্যান্ড। মাউন্ট মাউঙ্গানুইতে অনুষ্ঠিত দুদেশের মধ্যে প্রথম টেস্টে টস জিতে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ। ডেভন কনওয়ের ১২২ রানের উপর ভর করে নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংসে তোলে ৩২৮। জবাবে বাংলাদেশ তোলে ৪৫৮। তৃতীয় দিনের শেষে বাংলাদেশের রান ছিল ৬ উইকেটে ৪০১। বাকি ৪ উইকেট হারিয়ে এদিন ৫৭ রান যোগ করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন মোমিনুল হক। তিনি করেন ৮৮। লিটন দাস করেন ৮৬। ট্রেন্ট বোল্ট ৮৫ রানে ৪ উইকেট নেন। নিল ওয়াগনার নেন ৩ উইকেট। ১৩০ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ২৯ রানে প্রথম উইকেট হারায় কিউয়িরা। ১৪ রান করে ফিরে যান অধিনায়ক টম লাথাম। প্রথম ইনিংসে শতরানকারী ডেভন কনওয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যর্থ। মাত্র ১৪ রান করে তিনি এবাদত হোসেনের বলে আউট হন। এরপর দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন উইল ইয়ং ও রস টেলর। দিনের শেষ বেলায় আবার জ্বলে ওঠেন এবাদত হোসেন। ধস নামান নিউজিল্যান্ড শিবিরে। ৫৪ তম ওভারের তৃতীয় বলে তুলে নেন উইল ইয়ংকে। ১৭২ বলে ৬৯ রান করে তিনি আউট হন। ২ বল পরেই এবাদত ফেরান হেনরি নিকোলসকে (০)। এক ওভার পরে টম ব্লান্ডেলকে (০) তুলে নিয়ে নিউজিল্যান্ডকে গভীর সঙ্কটে ফেলে দেন। ১৩৬ রানেই ৩টি উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। দিনের শেষে তাদের সংগ্রহ ১৪৭/৫। ক্রিজে রয়েছেন রস টেলর (৩৭) ও রাচিন রবীন্দ্র (৬)। দুই ইনিংস মিলিয়ে নিউজিল্যান্ড ১৭ রানে এগিয়ে। ৩৯ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন এবাদত হোসেন। বড় কোনও অঘটন না ঘটলে এই টেস্ট জিতে ইতিহাস তৈরি করতে পারে বাংলাদেশ।

জানুয়ারি ০৪, ২০২২
খেলার দুনিয়া

Devon Conway : বিদেশ ও দেশের মাঠে জীবনের প্রথম টেস্টেই সেঞ্চুরি করে অনন্য নজির কনওয়ের

গত বছরের শেষ দিকটা একেবারেই ভাল যায়নি ডেভন কনওয়ের কাছে। টি২০ বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে রান পাননি। ব্যর্থতায় এতটাই হতাশ হয়েছিলেন যে, ড্রেসিংরুমে ফিরে ব্যাট আছড়ে ফেলতে গিয়ে হাতে চোট পান। ফাইনালে খেলতে পারেননি। এমনকি ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজ থেকেও ছিটকে গিয়েছিলেন। পুরনো বছরের হতাশা কাটিয়ে নতুন বছরটা দারুণভাবে শুরু করলেন নিউজিল্যান্ডের এই মিডল অর্ডার ব্যাটার। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টেস্টেই দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করে দলকে বড় রানের প্ল্যাটফর্ম গড়ে দিলেন। তাঁর সেঞ্চুরির সুবাদে প্রথম দিনের শেষে নিউজিল্যান্ড ৫ উইকেটে তুলেছে ২৫৮।মাউন্ট মাউঙ্গানুইয়ে বাইশ গজ ঘাসে ভরা। টস জিতে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ। চতুর্থ ওভারেই নিউজিল্যান্ডকে ধাক্কা দেন শরিফুল ইসলাম। তুলে নেন দায়িত্বপ্রাপ্ত অধিনায়ক টম লাথামকে (১)। এরপরই উইল ইয়ংকে সঙ্গে নিয়ে রুখে দাঁড়ান ডেভনন কনওয়ে। শুরুর ধাক্কা দারুণভাবে সামলে দেন এই দুই ব্যাটার। দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে দুজনে মিলে তোলেন ১৩৮ রান। এরপর কনওয়ের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে ৫২ রান করে রান আউট হন ইয়ং। রস টেলর (৩১) খুব বেশিক্ষণ কনওয়েকে সঙ্গ দিতে পারেননি। তাঁকেও ফেরান শরিফুল ইসলাম। দলের ২২৭ রানের মাথায় মোমিনুল হকের বলে উইকেটের পেছনে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন কনওয়ে। ২২৭ বলে তিনি করেন ১২২। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ১৬টি চার ও ১টি ছয়। জীবনের চতুর্থ টেস্টে সপ্তম ইনিংসে এটি কনওয়ের দ্বিতীয় শতরান। অভিষেকে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিনি লর্ডসে দ্বিশতরান করেছিলেন। টেস্টে তাঁর দুটি অর্ধশতরানও রয়েছে, ব্যাটিং গড় ৭১.৫৭। দেশের মাটিতে প্রথম টেস্ট খেলতে নেমেই সেঞ্চুরি। সেঞ্চুরি করে দারুণ অনুভূতি কনওয়ের। কৃতিত্ব দিয়েছেন রস টেলরকে। কনওয়ে বলেন, ব্যাট করার সময় ক্রিজে রস টেলরের নানা ইতিবাচক পরামর্শে সেঞ্চুরি করেত পেরেছি। এই সেঞ্চুরি দীর্ঘদিন মণিকোঠায় থাকবে। চ্যালেঞ্জিং উইকেটের কথাও স্বীকার করেছেন কনওয়ে। তিনি বলেন, উইকেটে ঘাস আছে। সকালের দিকে ব্যাট করা যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং ছিল। সকালের কঠিন সময় কাটিয়ে দিতে পারলে পরের দিকে ব্যাট করা সহজ হয়ে যাবে এটা জানতাম। সেটাই হয়েছে। দিনের শেষে নিউজিল্যান্ড তুলেছে ২৫৮/৫। হেনরি নিকোলস ৩২ রান করে ক্রিজে রয়েছেন।

জানুয়ারি ০১, ২০২২
কলকাতা

Bangla Pokkho: সিনেমা হলের প্রাইম টাইমে বাংলা সিনেমা দেখানো বাধ্যতামূলক করার দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে স্বাক্ষর বিশিষ্ঠ শিল্পী-পরিচালকদের

বাংলা সিনেমা বাংলা তথা বিশ্বের গর্ব। বাংলায় একের পর এক কালজয়ী সিনেমা তৈরি হয়েছে ও হচ্ছে। বাংলার সংস্কৃতি ও ইতিহাসকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেওয়ার একমাত্র মাধ্যম বাংলা সিনেমা। কিন্তু দুঃখের কথা হল অধিকাংশ বাঙালি পরিচালকরা জানান, বাংলা সিনেমা হল পাচ্ছে না। যে বাংলার চিত্র জগতের প্রবাদপ্রতিম সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন, ঋত্বিক ঘটক, উত্তম কুমার, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, সুচিত্রা সেন এর মতো তারা-রা সারা ভারত বর্ষের আকাশকে আলোকিত করে ছিলো সেই বাংলা সিনেমাকে বাংলার সিনেমা হলে জায়গা দেওয়া হচ্ছে না! জায়গা পেলেও প্রাইম টাইমে জায়গা দেওয়া হচ্ছে না। হিন্দি সাম্রাজ্যবাদী বলিউডি সিনেমার কাছে বাংলা সিনেমার পেরে ওঠা সম্ভব নয়। তাই বাংলা সিনেমাকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকারি নিয়ম ও সাহায্য খুবই প্রয়োজন।দক্ষিণ ভারত ও মহারাষ্ট্রের মত রাজ্যগুলোতে এ-বেপারে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নেয়। নানা রাজ্যে প্রাইম টাইমে সেই রাজ্যের সিনেমা দেখানো বাধ্যতামূলক। বাংলাতেও একই নিয়ম কার্যকর করার দাবি করা হয়েছে। নিজের মাটিতেই কেন বঞ্চিত হবেন অভিনেতা-অভিনেত্রী- পরিচালক ও কলাকুশলীরা?বাংলার সমস্ত সিনেমা হলে প্রতিদিন প্রাইম টাইমে ৫০ শতাংশ স্লটে বাংলা সিনেমা দেখানো বাধ্যতামূলক করা হোক এমনই আবেদন করজোড়ে বাংলা পক্ষ-র তরফে জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠানো হচ্ছে।বাংলার সব সিনেমা হলে প্রাইম টাইমে বাংলা সিনেমা দেখানো বাধ্যতামূলক করতে হবে- এই দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা বাংলা পক্ষ-র চিঠিতে সই করলেন বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক অরিন্দম শীল, অরিন্দম ভট্টাচার্য, শৈবাল মিত্র, জেনি দীপায়ন, অমিতাভ ভট্টাচার্য, সৌম্য সেনগুপ্ত এবং অভিনেতা রজতাভ দত্ত, স্বনামধন্য পরিচালক গৌতম ঘোষও। প্রদীপ্ত ভট্টাচার্য, অয়ন চক্রবর্তীও সই করেছেন। বাংলা পক্ষের তরফ থেকে জানানো হয় আরও অনেক বিশিষ্ট মানুষ এই চিঠিতে সই করবেন।

ডিসেম্বর ২৯, ২০২১
রাজ্য

Illegally Entering: অবৈধ ভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে গ্রেফতার বাংলাদেশী যুবক

অবৈধ ভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে গ্রেফতার হল এক বাংলাদেশী যুবক। পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার পুলিশ সোমবার রাতে ভাতারের এওরা গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে। ধৃত যুবক পুলিশকে জানিয়েছে, তাঁর নাম অজিত বিশ্বাস। বাড়ি বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলার সাহিলকোপা এলাকায়। সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ মঙ্গলবার ধৃতকে পেশ করে বর্ধমান আদালতে। বিচারক ধৃতকে জেল হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, অবৈধ ভাবে ভারতে অনুপ্রবেশকারী বছর ৩০ বয়সী যুবক সোমবার রাতে ভাতারের এওড়া গ্রামের কাছে ঘোরাঘুরি। যুবককে দেখে সন্দেহ হওয়ায় পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তখন ওই যুবক স্বীকার করে সে আদতে বাংলাদেশের নাগরিক। সাড়ে ৮ হাজার টাকার বিনিময়ে দালাল মারফত পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢুকে পড়েছে বলে যুবক জানায়। যুবক আরও বলে ভারতে অনুপ্রবেশের পর সে কোনওভাবে ভাতার থানা এলাকায় চলে এসেছে। যুবক তাঁর যে নাম ঠিকানা জানিয়েছে তা সঠিক কিনা সেটা যাচাই করে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি কি উদ্দেশ্যে ওই যুবক ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

ডিসেম্বর ২৮, ২০২১
রাজ্য

Bangla Pokkho: বাংলা পক্ষর আন্দোলনে বড় সাফল্য, পোস্ট অফিসে পাওয়া যাবে বাংলা ভাষায় পরিষেবা

বাংলা পক্ষ-র পশ্চিম বর্ধমান জেলার লড়াইয়ের ফলে বড়ো সাফল্য এল। এখন থেকে পোস্ট অফিসে বাংলা ভাষায় পরিষেবা পাওয়া যাবে। বাংলা পক্ষ কিছুদিন আগেই আসানসোল ও রানিগঞ্জ পোস্ট অফিসে ডেপুটেশন জমা দেয়। আজ পোস্ট বিভাগ বাংলায় পরিষেবা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে রানিগঞ্জ শাখার সম্পাদক দীপায়ন মুখার্জী, আসানসোল উত্তর শাখার সম্পাদক ঋষিক গাঙ্গুলি এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলার জেলা সম্পাদক অক্ষয় বন্দ্যোপাধ্যায়।সমস্ত ব্যাংক, পোস্ট অফিস এবং বীমা পরিষেবায় বাংলা চাই, এই দাবিতে বাংলা পক্ষ-র লড়াই চলছে বাংলা জুড়ে। বাংলা পক্ষর পশ্চিম বর্ধমান জেলার এই সাফল্য, পুরো বাংলা পক্ষ সংগঠনকে আরও উজ্জীবিত করবে লড়াইয়ের ময়দানে।

ডিসেম্বর ২৭, ২০২১
রাজ্য

Bangla Pokkho: ভূমিপুত্র সংরক্ষণ আইন পাশের দাবিতে ও বাংলা ভাগের বিরুদ্ধে বাংলা পক্ষ উত্তর ২৪ পরগনা শিল্পাঞ্চল শাখার পথসভা

বর্তমান ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিটা রাজ্যই তাদের রাজ্যের ভূমিপুত্রদের স্বার্থ সুরক্ষিত করতে সমস্ত কাজে ভূমিপুত্র সংরক্ষণের পথে হাঁটছে। কর্নাটক, গোয়া, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, এমনকি গুজরাতেও ভূমিপুত্র সংরক্ষণের আইন পাশ হয়েছে বা আইন পাশের ঘোষণা হয়েছে। সমস্ত পরিসংখ্যান বলে বাংলায় কাজ আছে, বাঙালি-সহ ভূমিপুত্রদের কাজ নেই।পাশাপাশি, বিজেপি সাংসদ জন বার্লা, বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা, সৌমিত্র খাঁ, বিজেপি বিধায়ক গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা-সহ একাধিক নেতা বারবার বাংলা ভাগের পক্ষে সওয়াল করেছেন ও ক্রমাগত উস্কানি দিয়েছেন। তাই অন্যান্য রাজ্যের মতো বাংলাতেও অবিলম্বে ভূমিপুত্র সংরক্ষণ আইন পাশের দাবিতে এবং বাংলা ভাগের ঘৃণ্য চক্রান্তের বিরুদ্ধে ভারতের বাঙালির জাতীয় সংগঠন বাংলা পক্ষ যে লড়াই লড়ছে তারই অংশ হিসেবে বাংলা পক্ষ উত্তর ২৪ পরগণা শিল্পাঞ্চল শাখার উদ্যোগে ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২১( রবিবার )বেলা ২-৩০ টেয় সোদপুর স্টেশনের ১ নং প্ল্যাটফর্মের দিকে সংহতি ক্লাবের সামনে থেকে শুরু করে আগরপাড়া ঘোষপাড়া মোড় পর্যন্ত একটি মিছিল ও মিছিল শেষে এক পথসভার আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।এই সভায় বাংলা পক্ষর সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায়, বাংলা পক্ষর শীর্ষ পরিষদের অন্যতম সদস্য ডঃ অরিন্দম বিশ্বাস, কালাচাঁদ চট্টোপাধ্যায়, মনন মণ্ডল-সহ বিভিন্ন জেলা সংগঠনের সম্পাদক ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।উক্ত সভায় বাংলা পক্ষর সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন, বাংলার সব চাকরিতে বাঙালী-সহ ভূমিপুত্রদের অগ্রাধিকার আছে। কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক সভায় বাংলার কাজে ভূমিপুত্র সংরক্ষণের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। কিন্তু শুধু মুখের কথায় কাজ হবে না, বাংলা পক্ষ ভূমিপুত্র সংরক্ষণ আইন পাশ না হওয়া পর্যন্ত লড়াই থামাবে না। তিনি আরো বলেন, অন্যান্য রাজ্যের মত বাংলার সব সরকারি চাকরিতে অবিলম্বে বাংলা ভাষার লিখিত পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। বাংলা পক্ষর শীর্ষ পরিষদের অন্যতম সদস্য মনন মণ্ডল বলেন, বাংলা ভাগের সমস্ত চক্রান্তের বিরুদ্ধে বাঙালীকে একজোট করে এই চক্রান্ত ব্যর্থ করবে বাংলা পক্ষ। বাংলা পক্ষ শিল্পাঞ্চলের সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, উত্তর ২৪ পরগণা শিল্পাঞ্চলের কারখানাগুলোতে ভূমিপুত্র কে কাজে নেওয়া হয় না, বাইরের রাজ্য থেকে কর্মী নিয়ে আসা হয়। তাই ভূমিপুত্র সংরক্ষণ আইন চালু না হওয়া পর্যন্ত বাংলা পক্ষ উত্তর ২৪ পরগণা শিল্পাঞ্চল লড়াই চালিয়ে যাবে। আগামীতে আরো বড় কর্মসূচির পরিকল্পনা আছে।

ডিসেম্বর ২৭, ২০২১
বিদেশ

Boat Fire: বাংলাদেশে যাত্রিবাহী লঞ্চে বিধ্বংসী আগুনে ঝলসে নিহত অন্তত ১৬, আহত ৪৮, খোঁজ চলছে নিখোঁজদের

বাংলাদেশের ঝালকাঠিতে যাত্রিবাহী লঞ্চে বৃহস্পতিবার রাত ৩টে নাগাদ আগুন লাগে। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। ৪৮ জনকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই লঞ্চের বেশ কয়েক জন যাত্রী এখনও নিখোঁজ। সেখানকার জেলা প্রশাসক মহম্মদ জোহর আলি এ কথা জানিয়েছেন।জানা গিয়েছে, ভোর ৫টা থেকে সাড়ে ৫টার মধ্যে লঞ্চের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন সে দেশের দমকল কর্তারা। যদিও ঘন কুয়াশার কারণে উদ্ধারকাজ করতে বেগ পেতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে এখনও নিশ্চিতভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে লঞ্চের ইঞ্জিন থেকেই আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিক অনুমান দমকল কর্তাদের। ঘটনায় নিখোঁজ যাত্রীদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।এমভি-১০ অভিযান নামে একটি লঞ্চ হাজার খানেক যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে বরগুনা যাচ্ছিল। সুগন্ধী নদীতে যাওয়ার সময় আগুন লাগে ওই লঞ্চে। পরে লঞ্চটিকে দিয়াকুল গ্রামে নোঙর করানো হয়। আগুন লাগার পর অনেক যাত্রী নদীতে ঝাঁপ দেন। তাঁদের একাংশ সাঁতার জানতেন। কিন্তু অনেকেই তা জানতেন না বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। খবর পেয়ে দমকলের পাঁচটি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে।

ডিসেম্বর ২৪, ২০২১
রাজ্য

Bangla Pokkho: বঞ্চিত ভূমিপূত্রদের অধিকারের দাবিতে বাংলা পক্ষর হাওড়া জেলার সাংগঠনিক সমাবেশে

রবিবার হাওড়ার সালকিয়া সুইমিং পুলের ক্লাবে হাওড়া জেলা বাংলা পক্ষর জেলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন বাংলা পক্ষর সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায়, শীর্ষ পরিষদ সদস্য কৌশিক মাঝি, অমিত সেন, মনন মণ্ডল, এবং সোয়েব আমিন। এছাড়াও পার্শ্ববর্তী জেলা হুগলির সম্পাদক দর্পণ ঘোষ ও উঃ ২৪ পরগণা শহরাঞ্চলের সম্পাদক পিন্টু রায় উপস্থিত ছিলেন। হাওড়া জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাংলা পক্ষর কয়েকশো সহযোদ্ধা সমর্থকরা উপস্থিত হয়েছিলেন।আরও পড়ুনঃ বাংলা পক্ষের চাপে পড়ে বড় সিদ্ধান্ত পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ বিভাগেরসমাবেশে যে যে বিষয়ে আলোচনা হয় তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল, অন্য রাজ্য থেকে এসে হাওড়া জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাঙালিদের বেদখল করে এলাকা দখল করছে বহিরাগতরা, হাওড়ার বিভিন্ন কারখানায় ভূমিপুত্রদের বঞ্চিত করে উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ওডিশা এসে লোক এসে কাজ দেওয়া হচ্ছে, হাওড়া পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার পদগুলো বহিরাগতরা দখল করছে, পুরসভার চাকরি টেন্ডার, ঠিকাকাজ, হকারিস্পট, অটোলাইল, টোটোলাইন বহিরাগতরা দখল করছে ইত্যাদি।হাওড়া জেলায় হিন্দি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির তীব্র নিন্দা জানান অধ্যাপক গর্গ চট্টোপাধ্যায়। হাওড়ার বিভিন্ন স্কুলে আমিষ খেতে না দেওয়ার বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন কৌশিক মাইতি। আগামী দিনে বাংলা পক্ষ হাওড়া জেলা স্থানীয় জমি, চাকরি, বাজার, ব্যাবসা, হকারিস্পট-সহ অর্থ উপার্জনের সব ক্ষেত্র বাঙালির হাতে ফেরানোর জন্য লড়াই করবে। আসন্ন পুরভোটে সব কাউন্সিলর যাতে বাঙালি হয় সেই দাবিতে আন্দোলন করবে হাওড়ার সহযোদ্ধারা।আরও পড়ুনঃ প্রত্যেক দিনই কমছে তাপমাত্রার পারদ, বড়দিনের আগে শুক্রবারই মরশুমের শীতলতম দিনহাওড়ার জেলা সম্পাদক জয়দীপ দে জানান, বাংলা পক্ষর মূল দাবিগুলোর মধ্যে বেসরকারি চাকরিতে ভূমিপুত্র সংরক্ষণ আইন ও সরকারি চাকরিতে বাংলা ভাষার বাধ্যতামূলক পেপার করার দাবিতে আন্দোলন, জনমত গঠন করার পাশাপাশি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দাবিপত্র পেশ করবে হাওড়া জেলা সংগঠন।

ডিসেম্বর ২০, ২০২১
রাজ্য

BanglaPokkho: বাংলা পক্ষের চাপে পড়ে বড় সিদ্ধান্ত পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ বিভাগের

পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ দপ্তর ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তাদের এই সিদ্ধান্ত জানালেন। বংলাপক্ষে-র তরফ থেকে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালানো হচ্ছিলো যাতে সরকারি বিভিন্ন বিজ্ঞপ্তি ও নির্দেশিকা বাংলায় প্রকাশ করা হয়। বাংলাপক্ষের প্রথম সারির ব্যাক্তিত্ব কৌশিক মাঝি দাবি করেন তাদের আন্দোলনকে মান্যতা দিয়েই এই সিদ্ধান্ত। পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ দপ্তর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে তাদের ত্রৈমাসিক বিলের স্পট প্রিন্টিং এবার থেকে বাংলায় করার সিদ্ধান্ত নিলো। তবে এটা ঐচ্ছিক, স্পট মিটার রিডিং নেওয়ার পর তারা গ্রাহকের চাহিদা মতো বাংলা অথবা ইংরাজি তে প্রিন্ট করে দেবেন।বাংলাপক্ষের পক্ষ থেকে কৌশিক মাঝি জনতার কথা কে জানান গ্রাম বাংলার সাধরণ মানুষ ইংরাজি ভাষায় ততটা সড়্গড় নন, ইংরাজি ভাষায় বিল বোঝাটা তাদের পক্ষে খুব সমস্যার কারণ হ্যে ওঠে, সেই সমস্ত মানুষজনকে অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হয় বিলটা বোঝা জন্য। এবার থেকে তাঁরা নিজেদের বিল নিজেরাই বুঝে নিতে পারবেন। আমরা সাধুবাদ জানাচ্ছি বিদ্যুৎ দপ্তরের এই সিদ্ধান্ত-কে। তিনি জনতার কথা কে আরও জানান যে বিদ্যুৎ দপ্তরের বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা ডব্লু বি এস ই ডি সি এল (WBSEDCL) -র চাকরি বহিরাগতরা দখল করে নিচ্ছিল দীর্ঘ আন্দোলনের ফলে বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার চাকরির পরীক্ষায় বাংলা ভাষার পরীক্ষা বাধ্যতামূলক হয়েছে। এর ফলে আরও বেশী করে বাংলার মানুষ এই দপ্তরে চাকরির সুবিধা পাবেন।তিনি সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট করে দাবী করেছেন, পশ্চিমবঙ্গ বাংলাপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে লাগাতার আন্দোলন চলিয়ে যাচ্ছেন সরকারি ক্ষেত্রে বাংলা ভাষার ব্যবহার বাড়ানোর জন্য। তাঁদের দাবি, তাঁদের আন্দোলের ফলে কলকাতা মেট্রোরেলের স্মার্ট কার্ডে ও রেলের টিকিটে বাংলা ফিরে এসেছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৯০% ভূমিপুত্র সংরক্ষণ চালু হয়েছে, বাংলার পুলিস কনস্টেবল নিয়োগের পরীক্ষায় বাংলা ভাষা বাধ্যতামূলক হয়েছে (পরীক্ষা বাংলা ও নেপালী ভাষায় হয়), এছাড়া বাংলা জুড়ে বিভিন্ন ব্যাংকে ও পোস্ট অফিসে বাংলা ভাষায় পরিষেবার দাবিতে ডেপুটেশন দেওয়ার ফলে নানা ব্যাংকের ফর্ম, এটিএমে বাংলা এসেছে। শিলিগুড়ি পোস্ট অফিস সহ অন্যান্য জায়গায় বাংলা ভাষায় পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভূমিপুত্র সংরক্ষণ চালু হয়েছে, ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েসন অফ বেঙ্গল এর প্রথম ডিভিশন ও দ্বিতীয় ডিভিশনে ভূমিপুত্র সংরক্ষণ চালু হয়েছে, বাংলা ভাষায় সাইনবোর্ড লেখা বাধ্যতামূলক করে আসানসোল কর্পোরেশনে আইন পাশ হয়েছে যাতে সমস্ত দোকান ও কোম্পানীতে এই নির্দেশ মানে। কৌশিক মাঝি আরও জানান তাঁদের আন্দোলের ফলে সমস্ত বেসরকারি চাকরি, ঠিকা কাজ ও টেন্ডারে ৯০% ভূমিপুত্র সংরক্ষণের দাবিতে বাংলা পক্ষর ক্রমাগত লড়াইয়ের ফলে নানা কারখানা ও কোম্পানীতে বাঙালিরা কাজ পাচ্ছে। তাঁরা বিধানসভায় আইন পাশের দাবিতে লড়াই চলাচ্ছেন। তিনি বলেন সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে অহিন্দি জাতির ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ে সুপ্রীম কোর্টের রায়ের কপি বাংলা ভাষায় পাওয়া যাচ্ছে, বাংলার বিমানবন্দর গুলোয় বাংলায় ঘোষণা শুরু হয়েছে, ব্যাংকে চাকরির পরীক্ষা বাংলা সহ ভারতের ২২ টি সরকারি ভাষায় দেওয়ার সুযোগ এসেছে এবং সর্বভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারিং জয়েন্ট পরীক্ষা বাংলা ভাষায় দেওয়া যায়।কৌশিক মাঝি বলেন তাঁদের দাবি হিন্দি ভারতের রাষ্ট্রভাষা-এই মিথ্যে প্রচার বাংলা পক্ষর জোরালো প্রচারেই ধ্বংস হয়েছে। বাঙালির কাছে এখন এই সত্য পরিষ্কার -হিন্দি ভারতের রাষ্ট্রভাষা না, ভারতের কোনো রাষ্ট্রভাষা নেই। বহিরাগত নানা কোম্পানীতে কাজ করে বাঙালি হেনস্থার শিকার হলে, কাজ হারালে এবং বেতন না পেলে বাংলা পক্ষর চাপে নানা জায়গায় বাঙালি তার অধিকার ফিরে পাচ্ছে। রাজ্য সরকারি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারি অধ্যাপক নিয়োগের চাকরির জন্য স্টেট ইলিজিবিলিটি (SET) পরীক্ষা প্রথমবার বাংলা ভাষায় দেওয়ার সুযোগ পাবে বাঙালি। এটা বাংলা পক্ষর আন্দোলনেরি ফসল। তিনি জানান বাংলা পক্ষর আন্দোলনে এমাজন (Amazon), ফ্লিপকার্ট (Flipkart) সহ নানা কোম্পানীর পরিষেবা বাংলায় পাওয়া যাচ্ছে। কোকোকলা (Coca-Cola), নেস্টলে (Nestle), বিসলেরি (Bisleri) সহ নানা বড় কোম্পানীর পণ্যের লেবেল বাংলা ভাষাই ছাপছে। তাদের উল্লেখযোগ্য দাবী বর্তমান বাংলার রাজনীতি আজ বাঙালিময়। বাঙালি জাতীয়তাবাদ বাংলার রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে তার কাণ্ডারী বাংলা পক্ষ।

ডিসেম্বর ১৮, ২০২১
কলকাতা

Arrest: পুরভোটের আগে শহরে ভিনদেশি যুবকদের আনাগোনা, আটক ২১, চলছে জোরদার তল্লাশি

পুরভোটের দোরগোড়ায় খাস কলকাতায় পাকড়াও ২১ জন বাংলাদেশি। বিনা নথিতেই কলকাতার আনন্দনগর এলাকায় গা ঢাকা দিয়েছিলেন ওই বাংলাদেশিরা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, অভিযান চালায় কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। ২১ জন বাংলাদেশিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে, এদের কাছে কোনো বৈধ কাগজপত্র ছিলনা।জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের লখনউ থেকে এটিএসের একটি দল কলকাতায় আসে। তাঁরা কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করে আসামীটিকে খুঁজতে যায় আনন্দপুর এলাকায়। এটিএসের সঙ্গেই ছিল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা। তখনই আনন্দপুর এলাকায় যৌথ অভিযান করতে গিয়ে ওই বাংলাদেশিদের খোঁজ পায় পুলিশ। সন্দেহবশত জিজ্ঞাসাবাদ করতেই আসল তথ্য ফাঁস হয়ে যায়। বৈধ্য নথি ছাড়াই আনন্দপুরে বসবাস করছে। কীজন্য রয়েছে বাংলাদেশিরা খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। এর আগেও এইভাবে জামাত জঙ্গিদের খোঁজ খাস কলকাতায় পেয়েছিল গোয়েন্দারা। এবার আনন্দপুরের ২১ জন বাংলাদেশি পাকড়াও-এর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।উত্তরপ্রদেশ পুলিশের জঙ্গি দমন শাখা এবং কলকাতা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে রবিবার আনন্দপুরের গুলশন কলোনি এলাকা থেকে মাহফুজ়ুর রহমান নামে বছর তিরিশের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। তার বাড়ি বাংলাদেশের মুন্সিগঞ্জ জেলায়। একই সঙ্গে আটক করা হয়েছে সন্দেহভাজন আরও ১৭ জনকে।দিন কয়েক আগে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের জঙ্গি দমন শাখার তরফে মাহফুজুরের সম্পর্কে জানানো হয় লালবাজারকে। এ-ও জানানো হয়, কলকাতায় লুকিয়ে রয়েছে সে। তার পরেই অভিযুক্তের মোবাইল টাওয়ারের অবস্থানের সূত্রে ধরে এ দিন গুলশন কলোনিতে যৌথ অভিযান চালায় উত্তরপ্রদেশ এটিএস এবং কলকাতা পুলিশের একটি দল।তদন্তকারীদের দাবি, একাধিক অপরাধের সঙ্গে যুক্ত মাহফুজুর। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে যাতায়াত ছিল তার। তবে সে কত দিন আগে ভারতে এসেছিল, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ধৃতের সঙ্গে কোনও জঙ্গি সংগঠনের যোগাযোগ আছে কি না, তা-ও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ধৃতকে ট্রানজিট রিমান্ডে উত্তরপ্রদেশে নিয়ে যাওয়া হবে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২১
রাজ্য

Bangla Pokkho: ভূমিপুত্র সংরক্ষণের দাবিতে বাংলা পক্ষর সভা কোলাঘাটে

এতদিন বাংলায় হিন্দু-মুসলিম, তপসিলি জাতি-উপজাতি-সহ জাতপাতের ভোট ব্যাংক নিয়ে লড়াই চলছে। এবার বাংলার ভূমিপুত্রদের সংরক্ষণের দাবিতে কোলাঘাটে জনসভা করলো পূর্ব মেদিনীপুর বাংলা পক্ষ। এরাজ্যের ভূমিপুত্রদের বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই আন্দোলন করছে বাংলা পক্ষ।এই মুহূর্তে ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যে সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে ভূমিপুত্রদের সংরক্ষণের আইন জারি হয়েছে। এবার বাংলাতেও তা চালু হোক দাবি বাংলা পক্ষের। শনিবার কোলাঘাটে হলদিয়া মোড়ে ভূমিপুত্র সংরক্ষণের দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে সংগঠনের তরফে বাংলা পক্ষের সাধারণ সম্পাদক ডক্টর গর্গ চ্যাটার্জি বলেন, কংগ্রেস শাসিত রাজস্থান, কংগ্রেস-শিবসেনা শাসিত মহারাষ্ট্র, বিজেপি জোট শাসিত হরিয়ানা, বিজেপি শাসিত গুজরাত, ওয়াই এসআর কংগ্রেস শাসিত অন্ধ্রপ্রদেশ, তাছাড়া তেলঙ্গানা, কর্নাটক-সহ প্রায় প্রতিটি রাজ্য চাকরি ক্ষেত্রে ভূমিপুত্র সংরক্ষণ করেছে। কোথাও ৭৫ শতাংশ। কোথাও ৮০ থেক ৮৫ শতাংশ। সরকারি বা বেসরকারি দুই ক্ষেত্রেই।কিন্তু কারা বাংলার ভূমিপুত্র? ১৫-২০ বছর যাঁরা বাংলায় আছে তাঁরাই ভূমিপুত্র। সেক্ষেত্রে সাঁওতাল, কোচ, নেপালি এমনকী বিহারী, মারোয়াড়ীরাও ভূমিপুত্র। তাঁদের সমস্ত কিছুতেই অধিকার আছে। এবং কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ পরিষদ সদস্য কৌশিক মাইতি বলেন, বাংলাপ ক্ষের দাবি, বাঙালির মাইগ্রেশন ৪.৮ শতাংশ। অথচ বাংলায় কমপক্ষে ৩০ শতাংশের ওপর অবাঙালী চাকরি করে। কোনো কোনো শিল্পাঞ্চলে ৭০-৮০% বহিরাগত। এই পরিস্থিতিতে বাংলা পক্ষের দাবি, সরকারি ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দাকে চাকরি দিতে হবে। বিভিন্ন বেসরকারি ঠিকা কাজ, টেন্ডার, ক্যাবের লাইসেন্স ক্ষেত্রে ৯০ শতাংশ ভূমিপুত্রদের সংরক্ষণ করতে হবে।কোলাঘাটে উপস্থিত ছিলেন বাংলা পক্ষের শীর্ষ পরিষদ সদস্য ডক্টর অরিন্দম বিশ্বাস, সোয়েব আমিন, কালাচাঁদ চট্টোপাধ্যায়, অমিত সেন ও আরো নেতৃবর্গ। জেলা সম্পাদক সুতনু পণ্ডিত এই মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলেন, আগামী দিন এই ভূমিপুত্র সংরক্ষণ নিয়ে জোরদার আন্দোলন পূর্ব মেদিনীপুর জেলাজুড়ে চলবে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ তিনি স্থানীয়দের চাকরির কথা বলেছেন। তিনি যা মুখে বলেছেন, আমরা তা আইন হিসাবে চাই। কর্মসূচীর দায়িত্বে ছিলেন কোলাঘাটের সহযোদ্ধা বাপি গুড়ে।

ডিসেম্বর ১২, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Abid Ali: অতিথি দেব ভব! মধ্যাহ্নভোজের আসরে অতিথি আপ্যায়নে ব্যস্ত ব্যাটার, ভাইরাল পাকিস্তানের আবিদ আলি

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে দাপুটে জয় পেয়েছে পাকিস্তান। প্রথম টেস্টে দ্বিতীয় টেস্টে ৮ উইকেটে জিতেছিল। দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশকে উড়িয়ে দিয়েছে ইনিংস ও ৮ রানে। দুর্দান্ত পারফরমেন্স করেছেন পাকিস্তানের বোলাররা। তবে বোলারদের ছাপিয়ে এই টেস্টে শিরোনামে উঠে এসেছেন পাকিস্তানের ওপেনার আবিদ আলি। ব্যাটিংয়ের জন্য নয়, তিনি শিরোনামে উঠে এসছেন অন্য কারণে। ম্যাচের পঞ্চম দিন বিড়ালের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ সারেন এই পাক ব্যাটার। তাঁর সেই মধ্যাহ্নভোজের ছবি ভাইরাল হয়েছে।ম্যাচের পঞ্চম দিন মধ্যাহ্নভোজের বিরতি চলছিল। হঠাও দেখা যায় খাবারের প্লেট হাতে ড্রেসিংরুমের বাইরে বেরিয়ে গ্যালারির দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন আবিদ আলি। ড্রেসিংরুমের পাশের গ্যালারির চেয়ারের নীচ থেকে একটা বিড়াল বেরিয়ে আসে। নিজের প্লেট থেকে খাবার নিয়ে আবিদ সেই খাবার বিড়ালকে খেতে দেন। বিড়ালকে খাওয়ানোর এই ভিডিও টুইট করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। ক্যাপশনে লিখেছে, ক্রিকেটারদের সঙ্গে আজ আরও এক অতিথি মধ্যাহ্নভোজ করেছে।It is not only the players who are taking lunch #BANvPAK pic.twitter.com/wZ0k3ErPZW Pakistan Cricket (@TheRealPCB) December 8, 2021পশুর সেবা করে মহানুভবতার পরিচয় দিলেও সিরিজে বাংলাদেশের বোলারদের অবশ্য ছেড়ে কথা বলেননি আবিদ আলি। ২ টেস্টে ২৬৩ রান করে সিরিজ সেরার তকমা ছিনিয়ে নিয়েছেন। চলতি মরশুমে টেস্টে পাকিস্তান ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ রানও তাঁরই। ৯ টেস্টে করেছেন ৬৯৫ রান।বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে ঘটেছে আরও একটা চমকপ্রদ ঘটনা। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নামার আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কখনও বোলিং করেননি বাবর আজম। জাতীয় দলের হয়ে প্রথমবার বোলিং করেন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচের প্রথম ইনিংসে। তাও মাত্র ১ ওভার। দ্বিতীয় ওভার বোলিং করতে আসেন ম্যাচের পঞ্চমদিন শেষ সেশনে। বাংলাদেশ ইনিংসের তখন ৭৫ ওভার পেরিয়ে গেছে। সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজের জুটি উইকেটে কাটিয়ে দিয়েছে প্রায় ২৩ ওভার। বাংলাদেশ তখন প্রায় নিরাপদ আশ্রয়ের কাছাকাছি। বাবর বোলিং করতে এসে দ্বিতীয় বলেই জুটি ভাঙেন। মিরাজের প্রায় দেড় ঘণ্টার লড়াই শেষ হয় বাবরের বলে।

ডিসেম্বর ০৯, ২০২১
রাজ্য

Bangla Pokkho: বাংলায় ভূমিপুত্রদের অগ্রাধীকারের বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগকে স্বাগত জানায় বাংলা পক্ষ

মালদায় প্রশাসনিক বৈঠকে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়েছেন, বাংলায় যে কর্মসংস্থান হচ্ছে, তাতে অগ্রাধিকার পাবে বাংলায় যার ঠিকানা এবং যে বাংলা ভাষা বলতে পারে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এটা বেসরকারি কর্মসংস্থানের প্রেক্ষিতে যেমন সত্য তেমনি সকল রাজ্য সরকারি চাকরির ক্ষেত্রেও সত্যি। এই মর্মে মুখ্যসচিবকে কমিশন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও তিনি ঘোষণা করেছেন। স্বাধীনতার পর এই প্রথম বাংলার কোন মুখ্যমন্ত্রীর মুখে বাংলার ভূমিপুত্রদের অগ্রাধিকারের প্রশ্নে প্রকাশ্যে নৈতিক শিলমোহর এলো। ভারতে বাঙালির জাতীয় সংগঠন বাংলা পক্ষ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যকে সাধুবাদ জানিয়েছে। একই সঙ্গে বাংলা পক্ষ বাংলায় সকল বেসরকারি কাজে ৯০% ভূমিপুত্র সংরক্ষণ এবং রাজ্য সরকারি কাজে বাংলা ভাষার পরীক্ষা দিয়ে ১০০% ভূমিপুত্র সংরক্ষণের ব্যবস্থা চালু করতে অবিলম্বে আইন প্রণয়ন করার দাবি জানায়।গত ৪ বছর ধরে বাংলা পক্ষ বাংলার প্রতিটি জেলায় সভা, মিটিং, লিফলেট, সাংবাদিক সম্মেলন, বিক্ষোভ, প্রতিবাদ, স্মারকলিপি প্রদান, সামাজিক মাধ্যমে প্রচার এবং ১৭ শে জানুয়ারি ২০২১ কলকাতার ধর্মতলায় হাজার হাজার বাঙালির মহাসমাবেশ করেছে বাংলায় কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে ভূমিপুত্র সংরক্ষণের দাবিতে। এর ফলে ভূমিপুত্র সংরক্ষণ আজ বাংলায় বাঙালি জাতির তথা সকল ভূমিপুত্রর গণদাবিতে রূপান্তরিত হয়েছে। বাংলার সরকারের দায়িত্ব বাংলায় বাঙালি-সহ বাংলার সকল মানুষের গণদাবিকে বাংলায় আইনে রূপান্তরিত করা।বাংলায় কাজ আছে, বাঙালির কাজ নেই। যেহেতু বাঙালির কাজ নেই, বাঙালি ভাবে বাংলায় কাজ নেই। এর কারণ বাংলার সকল শিল্পাঞ্চলে পুঁজি, ব্যবসা, টেন্ডার বহিরাগতদের দখলে এবং এই মালিকানা থেকে শুরু করে কর্মচারী, শ্রমিক, ঠিকাদার সবক্ষেত্রে তারা বহিরাগত স্বজাতীয়দের নেয়। বঞ্চিত হয় বাংলা ও বাঙালি। হাওড়ার প্রশাসনিক মিটিং এ পাঁচলার বিধায়ক গুলশন মল্লিকের বক্তব্যে উঠে এসেছে, কিভাবে হাওড়ার কারখানাগুলোতে বিহার, ওডিশার লোকজনের কর্মসংস্থান হচ্ছে ৯৯ শতাংশ এবং বাঙালির ১ শতাংশ। বাংলায় বর্তমানে যে বিপুল সংখ্যক শিল্প এবং কর্মসংস্থান রয়েছে সেখানে কাজ পাওয়া বাঙালির শতাংশ নগণ্য এবং প্রায় সকল ক্ষেত্রে ভূমিপুত্রদের সচেতনভাবে বঞ্চিত করে বহিরাগতদের ডেকে এনে কাজ দেওয়া হয়।এটা আসানসোল শিল্পাঞ্চল, দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল, খড়্গপুর শিল্পাঞ্চল, হলদিয়া শিল্পাঞ্চল, হাওড়া শিল্পাঞ্চল, ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল, বৃহত্তর কলকাতা, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, ইসলামপুর সকল ক্ষেত্রে সত্য। এবং ভূমিপুত্র সংরক্ষণ না হলে বাংলায় আগামীতে লক্ষ লক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে যে তাজপুর বন্দর, যে দেউচা পাচামি কয়লাখনি কে কেন্দ্র করে, যে অশোকনগরের তেলের খনিকে কেন্দ্র করে, যে হাওড়ায়-উত্তর ২৪ পরগনায়-নদিয়ায় লজিস্টিকস হাব গুলিকে কেন্দ্র করে সেখানেও বাঙালি তথা অন্য ভূমিপুত্রর কোন জায়গা থাকবেনা। অবস্থা হবে লিলুয়া, ভাটপাড়া, টিকিয়াপাড়া, শিলিগুড়ি, বানারহাট, জয়গাঁ, রানীগঞ্জ, কুলটি, রাজাবাজার, বড়বাজার, পানাগড়, ধুলাগড়, টিটাগড়, খিদিরপুর, দুর্গাপুরের মতই। বাংলার ভূমিপুত্ররা এই সব এলাকায় কাজ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং এলাকার পর এলাকা বহিরাগত অনুপ্রবেশের ফলে জনবিন্যাস বদলে গিয়ে সামাজিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে, নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে ও অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধির ফলে আইন শৃঙ্খলা সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।বেসরকারি কাজে ভূমিপুত্র সংরক্ষণ আইন পাশ হয়েছে বা মুখ্যমন্ত্রী দ্বারা ঘোষণা হওয়া রাজ্যের তালিকায় রয়েছে মহারাষ্ট্র, গুজরাত, হরিয়ানা, রাজস্থান, পঞ্জাব, ঝাড়খনণ্ড, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, গোয়া, কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, তামিলনাড়ু ইত্যাদি। বাংলা ছাড়া ভারতের অন্য সব রাজ্যে রাজ্য সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে সেই রাজ্যের প্রধান ভাষার পেপার মূল পরীক্ষায় বাধ্যতামূলক। ভারতে সর্বত্র যে নিয়ম চালু সেই একই নিয়ম পশ্চিমবঙ্গে চাই। বাংলার মাটিতে সব বেসরকারি ও সরকারি কাজে ভূমিপুত্র সংরক্ষণ আইন চাই। কারণ মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ সত্ত্বেও কর্ম সংস্থানে ভূমিপুত্রের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি বলেও বাংলা পক্ষ-র তরফ দাবি করা হয়েছে।

ডিসেম্বর ০৯, ২০২১
রাজ্য

শিরোমণি প্যাসেঞ্জার ও হাটিয়া প্যাসেঞ্জার পুনরায় চালুর দাবিতে বাংলা পক্ষ-র ডেপুটেশন

শিরোমণি প্যাসেঞ্জার ও হাটিয়া প্যাসেঞ্জার পুনরায় চালুর দাবিতে বাংলা পক্ষর ডেপুটেশন কর্মসূচির আয়োজন করা হয। রবিবার বাংলা পক্ষ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতা শাখার পক্ষ থেকে শিরোমণি প্যাসেঞ্জার ও হাটিয়া প্যাসেঞ্জার পুনরায় চালু করা ও চক্রধরপুর লোকালের গড়বেতা স্টপেজ পুনরায় চালুর দাবিতে স্মারকলিপি তুলে দেওয়া হল স্টেশন মাস্টারের হাতে। দুটি নতুন ট্রেনের দাবি- সহ বাংলা ভাষার ব্যবহারের মতো গুরুত্বপূর্ণ দাবিসমূহ-ও ছিল স্মারকলিপিতে। এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সুমিত দে, দসর জানা, জামাল খানের মতো জেলার সহযোদ্ধারা। এই স্মারকলিপির সাথে ৩৫ জন সাধারণ মানুষের স্বাক্ষরও তুলে দেওয়া হয় স্টেশন মাস্টারের হাতে। এই দাবি না মানা হলে স্থানীয় মানুষ নিয়ে আরও বৃহত্তর আন্দোলন হবে বলে জানায় সহযোদ্ধারা। আগামী দিনে জেলার অন্যান্য স্টেশন থেকেও এক-ই দাবিতে আন্দোলনে নামবে বাংলা পক্ষ, এমনটাই জানায় বাংলা পক্ষের সহযোদ্ধা সুমিত দে। সাম্প্রতিক কালে বেশ কিছু ট্রেন বাতিল হয়ে যাওয়ায় এলাকার মানুষ খুবই সমস্যার মধ্যে পড়েছে। চাকরিজীবি, ব্যবসায়ী ও ছাত্রছাত্রীদের নানান কাজে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে প্রচণ্ড সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।। এই সমস্যার প্রভাব পড়েছে স্থানীয় অর্থনীতিতে। একই ভাবে বিভিন্ন স্টেশনে বাংলা ভাষার ব্যবহার কমিয়ে দেওয়ার ফলে স্থানীয় মানুষের যথেষ্ট অসুবিধা হচ্ছে। আমরা এই সমস্যাগুলির সমাধানে নিম্নোক্ত দাবিগুলি জানিয়েছে বাংলা পক্ষ।১. শিরোমণি ও হাটিয়া প্যাসেঞ্জার পুনরায় চালু করতে হবে।২. বিগত দশকের দাবি মেনে গড়বেতা পর্যন্ত দুটি নতুন লোকাল ট্রেন চালু করতে হবে অথবা হাওড়া-মেদিনীপুর লোকালের যে-কোনো দুটি ট্রেন গড়বেতা পর্যন্ত সম্প্রসারিত করতে হবে।৩. চক্রধরপুর লোকালের গড়বেতায় স্টপেজ পুনরায় চালু করতে হবে।৪. মেমু প্যাসেঞ্জার ট্রেনগুলির ভাড়া এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়া করা যাবে না।৫. রূপসী বাংলা ট্রেনের রুট বর্ধমান হয়ে পরিবর্তন করা যাবে না।৬. গড়বেতা রেল স্টেশনকে পুনরায় আগের মতো কার্যক্ষম করে তুলতে হবে৷৭. ইদানিং গড়বেটা স্টেশনে লক্ষ্য করা যাচ্ছে বাংলা ভাষার ব্যবহার কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে, যা বন্ধ করতে হবে এবং বাংলা ভাষার সঠিক ব্যবহার ও মর্যাদা দিতে হবে।

নভেম্বর ২৯, ২০২১
কলকাতা

Protest: অপসংস্কৃতির বিরোধিতায় বাংলা পক্ষ-র প্রতিবাদ প্রদর্শন

বাংলা ধারাবাহিক ও প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানে বাঙালি জাতির সংস্কৃতি নষ্ট করার বিরুদ্ধে এবার পথে নামতে চলেছে ভারতের বাঙালি জাতির জাতীয় সংগঠন বাংলা পক্ষ।সংগঠনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, জি বাংলা চ্যানেলের বেশ কিছু বাংলা ধারাবাহিক ও প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানে ক্রমাগতভাবে হিন্দি গান জুড়ে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন পর্বে। এছাড়া তাদের আরও অভিযোগ, বাংলা ও বাঙালি জাতির ইতিহাস বিকৃত করে দেখানো হচ্ছে করুণাময়ী রানি রাসমণি নামক ধারাবাহিকে। সংগঠনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে এই পথ যদি না শেষ হয় নামক ধারাবাহিকে দেখানো হচ্ছে যে করবা চৌত নামক প্রথা নাকি বাঙালি সমাজে প্রচলিত। এছাড়াও বাঙালি বৌ অবাঙালি বর এবং রাখিবন্ধন নামক ধারাবাহিকও এই তালিকায় আছে।বাংলা পক্ষ আরো জানিয়েছে যে জনপ্রিয় ক্রিকেটার পরিচালিত দাদাগিরি নামক অনুষ্ঠান, ডান্স বাংলা ডান্স এবং সারেগামাপা নামক অনুষ্ঠানেও অনিয়ন্ত্রিতভাবে হিন্দি গান বাজানো ও প্রচার চালানো হয়। সংগঠনের তরফ থেকে উত্তর ২৪ পরগনা শহরাঞ্চল জেলা শাখার সম্পাদক পিন্টু রায় সরাসরি বলেছেন, আমরা কখনোই হিন্দি গান বা হিন্দিভাষী কলাকুশলীদের বিরোধী নই আমরা কেবল বাঙালি সংস্কৃতির ওপর হিন্দি সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়ার চ্যানেল গুলির যে প্রবণতা তার বিরোধী।তিনি এও বলেন আমাদের জেলার অন্তর্গত রাজারহাটের ডিআরআর স্টুডিওতে এই সমস্ত ধারাবাহিক ও অনুষ্ঠান গুলির শুটিং হয় তাই ওখানে গিয়ে ডেপুটেশন প্রদান ও শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে রবিবার ২১শে নভেম্বর সকাল ১১ টায়।

নভেম্বর ২২, ২০২১
কলকাতা

Bangla Pokkho: বাংলা ধারাবাহিকে বাঙালি সংস্কৃতি নষ্ট করার প্রতিবাদে পথে নামছে বাংলা পক্ষ

জি বাংলা-সহ নানা বাংলা চ্যানেলের বেশ কিছু বাংলা ধারাবাহিক ও প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানে ক্রমাগত ভাবে হিন্দি গান জুড়ে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন পর্বে। এছাড়া আরো অভিযোগ বাংলা ও বাঙালি জাতির ইতিহাস বিকৃত করে দেখানো হচ্ছে করুণাময়ী রানী রাসমণি নামক ধারাবাহিকে। এই পথ যদি না শেষ হয় নামক ধারাবাহিকে দেখানো হচ্ছে যে করবা চৌথ নামক প্রথা নাকি বাঙালি সমাজে প্রচলিত। এছাড়াও বাঙালি বৌ, অবাঙালি বর- এই কম্বিনেশন দেখানো হচ্ছে সর্বত্র, উল্টোটা নয় এবং রাখিবন্ধন নামক ধারাবাহিকও এই তালিকায় আছে।এছাড়া জনপ্রিয় ক্রিকেটার পরিচালিত দাদাগিরি নামক অনুষ্ঠান, ডান্স বাংলা ডান্স এবং সারেগামাপা নামক অনুষ্ঠানেও অনিয়ন্ত্রিতভাবে হিন্দি গান বাজানো ও প্রচার চালানো হয়।সংগঠনের তরফ থেকে উত্তর ২৪ পরগনা শহরাঞ্চল জেলা শাখার সম্পাদক পিন্টু রায় সরাসরি বলেছেন, আমরা কখনোই হিন্দি গান বা হিন্দি ভাষি কলাকুশলীদের বিরোধী নই। আমরা কেবল বাঙালি সংস্কৃতির ওপর হিন্দি সংস্কৃতি (নিম্ন রুচির উত্তর ভারতীয় সংস্কৃতি) চাপিয়ে দেওয়ার চ্যানেল গুলির যে প্রবণতা তার বিরোধী।তিনি এও বলেন, আমাদের জেলার অন্তর্গত রাজারহাটের ডিআরআর স্টুডিও তে এই সমস্ত ধারাবাহিক ও অনুষ্ঠান গুলির শুটিং হয় তাই ওখানে গিয়ে আমরা ডেপুটেশন প্রদান ও শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবো আগামী রবিবার ২১শে নভেম্বর সকাল ১১ টায়।তিনি আরও বলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ডাঃ গর্গ চট্টোপাধ্যায় এই কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকবেন এবং উপস্থিত থাকবে বাঙালি সুশীল সমাজ ও দর্শকদের সমর্থন।

নভেম্বর ২১, ২০২১
রাজ্য

BSF: বিএসএফ ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি বাংলা পক্ষ-র, কী উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে?

ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন বিএসএফের সীমানা বৃদ্ধির ব্যাপক প্রতিবাদ করেছিলেন। তিনি এটাকে দিল্লির দ্বারা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপর আঘাত বলে ব্যাখ্যা করেছিলেন। কিন্তু এখন সবকিছুই পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। দিল্লির নিয়ন্ত্রণাধীন বিএসএফ-এর এলাকা বৃদ্ধি করা হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে। আর এই ঘটনার তীব্র বিরোধিতা করে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছে বাংলা পক্ষ।চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের নির্দেশ অনুসারে সীমান্ত থেকে ৫০ কিমি ভিতর পর্যন্ত কাজ করতে পারে বিএসএফ। ৫০ কিমি ভিতরে ঢুকে বিএসএফ তল্লাশি, ধরপাকড় ও টহলদারি চালাতে পারে। এটা রাজ্যের ক্ষমতা হ্রাস করা, যা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী। আইন শৃঙ্খলা রাজ্যের এক্তিয়ারে পড়ে। বিএসএফ সীমান্ত দেখাশোনা করুক। ৫০ কিমি ভিতরে ঢুকতে পারলে বাংলার অধিকাংশ জেলায় ও নানা শহরে বিএসএফ ঢুকে তল্লাশি চালাতে পারবে এবং ধরপাকড় করতে পারবে। আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ জানি সীমান্ত এলাকায় স্থানীয় বাঙালিরা নানা ভাবে হেনস্থার শিকার হয় এবং ভাষার সমস্যা একটা বড় সমস্যা। তাই বাংলা পক্ষ বিএসএফের এই সীমানা বৃদ্ধির তীব্র প্রতিবাদ জানায়।বাংলা পক্ষর তরফে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করা হয়েছে, পঞ্জাবের মতো আপনিও বাংলার বিধানসভায় বিল আনুন বা প্রস্তাব পাশ করুন। রাজ্যের ক্ষমতায়নের পক্ষে আপনার সরকার সব সময় জোরালো সওয়াল করেছে। তাই আমরা আশা রাখি ফেডেরাল স্ট্রাকচার পরিপন্থী দিল্লীর এই সিদ্ধান্তকে কোনোভাবেই বাংলায় বলবৎ করতে দেবে না আপনার সরকার। বাংলার আইন শৃঙ্খলার এক্তিয়ার সর্বদাই বাংলার সরকারের হাতে থাকুক।

নভেম্বর ১২, ২০২১
রাজ্য

Bangla Pokkho: বাংলা পক্ষের গুটখাবিরোধী বাইক মিছিল কামালগাজীতে

সারা রাজ্যে গুটখা বিক্রি বন্ধ করবার রাজ্য সরকারি সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে এবং এই সিদ্ধান্তের কঠোর প্রয়োগের দাবিতে রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা বাংলা পক্ষের উদ্যোগে বিকেল ৩টের সময়ে কামালগাজী মোড় থেকে একটি বাইকমিছিলের আয়োজন করা হয়। মিছিলটি কামালগাজী মোড় থেকে শুরু হয়ে, শীতলা মন্দির, ব্রহ্মপুর, রানিয়া, ৩০ ফুট, নতুনহাট, কালীবাজার হয়ে আবার কামালগাজীতে ফিরে এসে উড স্কোয়ার মলের সামনে একটি পথসভা করা হয়। এই কর্মসূচিতে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সহযোদ্ধারা হাজির হন। এছাড়াও প্রতিবেশী জেলার সহযোদ্ধারা তথা বাংলা পক্ষের শীর্ষ পরিষদের সদস্যরাও অংশগ্রহণ করেন। এই বাইক মিছিল রানিয়া তিরিশ ফুট অঞ্চলে পৌঁছালে এলাকায় যথেষ্ট চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। মিছিল থেকে মুহুর্মুহু স্লোগান ওঠে গুটখা হাটাও, বাংলা বাঁচাও। বাংলা পক্ষের সাধারণ সম্পাদক ডঃ গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন, গুটখা থাকতে দিলে আলসার, বাড়তে দিলে ক্যান্সার। অবিলম্বে বাংলার জীবনের প্রতিটি অঙ্গ থেকে গুটখাকে চিরতরে দূর করতে হবেই। সভায় বক্তব্য রাখেন হুগলী বাংলা পক্ষের সম্পাদক দর্পন ঘোষ, দলের শীর্ষ পরিষদের সদস্য কৌশিক মাইতি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সহ সম্পাদক মহঃ হুমায়ুন মোল্লা প্রমুখ। পথসভার শেষে গুটখার প্যাকেট পুড়িয়ে এবং স্লোগানের মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ হয়।

নভেম্বর ০৭, ২০২১
খেলার দুনিয়া

T20 Word Cup : বাংলাদেশকে উড়িয়ে সেমিফাইনালের লড়াই জমিয়ে দিল অস্ট্রেলিয়া

টি২০ বিশ্বকাপে গ্রুপ ১এ জমে উঠেছে সেমিফাইনালের লড়াই। এই গ্রুপ থেকে প্রথম দল হিসেবে আগেই সেমিফাইনালে পৌঁছে গেছে ইংল্যান্ড। আর একটা জায়গার জন্য লড়াই অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশকে ৮ উইকেটে উড়িয়ে সেমিফাইনালের লড়াই জমিয়ে দিল অস্ট্রেলিয়া। অসিদের জয়ের নায়ক অ্যাডাম জাম্পা। হ্যাটট্রিক হাতছাড়া হলেও দুর্দান্ত বোলিং করে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ড ভেঙে দেন এই অস্ট্রেলিয়ান লেগ স্পিনার। নেট রান রেটে দক্ষিণ আফ্রিকাকে পেছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল অস্ট্রেলিয়া।সেমিফাইনালের লড়াই থেকে আগেই ছিটকে গেছে বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ছিল সম্মান রক্ষার লড়াই। সম্মান রক্ষার লড়াইয়ে চূড়ান্ত ব্যর্থ বাংলাদেশ। অ্যাডাম জাম্পার স্পিনের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি বাংলাদেশের কোনও ব্যাটার। মাত্র ৩ জন বাংলাদেশের ব্যাটার তিন অঙ্কের রানে পৌঁছতে সমর্থ হন। সর্বোচ্চ রান করেন সামিম হোসেন।টস জিতে বাংলাদেশকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। প্রথম ওভারেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। ম্যাচের তৃতীয় বলেই লিটন দাসকে (০) তুলে নেন মিচেল স্টার্ক। পরের ওভারেই সৌম্য সরকারকে (৫) বোল্ড করেন জস হ্যাজেলউড। তৃতীয় ওভারের পঞ্চম বলে মুশফিকুর রহিমকে (১) তুলে নেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ৩ ওভারের মধ্যে ১০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চরম বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। অধিনায়ক মাহমুদুল্লা ও মহম্মদ নইম কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। তবে তা যথেষ্ট ছিল না। নইমকে (১৭) তুলে নেন হ্যাজেলউড। এরপরই শুরু হয় অ্যাডাম জাম্পার ভেলকি। প্রথমে ফেরান আফিফ হোসেনকে (০)। দশম ওভারের পঞ্চম ও ষষ্ঠ বলে তুলে নেন শামিম হোসেন (১৮ বলে ১৯) ও মেহেদি হাসানকে (০)। যদিও তাঁর হ্যাটট্রিক হয়নি। পরে আউট করেন মুস্তাফিজুর রহমান (৪) ও সরিফুল ইসলামকে (০)। ১৫ ওভারে মাত্র ৭৩ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। অ্যাডাম জাম্পা ৪ ওভারে ১৯ রানে ৫ উইকেট তুলে নেন। স্টার্ক ও হ্যাজেলউড ২টি করে উইকেট নেন।৭৩ রানের লক্ষ্য অস্ট্রেলিয়ার কাছে একেবারেই কঠিন ছিল না। অসিদের লক্ষ্য ছিল কম ওভারে রান তুলে নেট রান রেট বাড়িয়ে নেওয়া। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাট করতে থাকেন দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার (১৪ বলে ১৮) ও অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ (২০ বলে ৪০)। তাস্কিন আমেদের বলে অ্যারন ফিঞ্চ যখন ফিরে যান, অস্ট্রেলিয়ার রান তখন ৫ ওভারে ৫৮। পরের ওভারেই সরিফুল তুলে নেন ওয়ার্নারকে। তাস্কিন আমেদকে ৬ মেরে অস্ট্রেলিয়াকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন মিচেল মার্শ (৫ বলে ১৬)। ৬.২ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৭৮ রান তুলে ম্যাচ জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া।

নভেম্বর ০৪, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

দামোদরে বালি তুলতে গিয়ে বিরাট বিপত্তি, জলে ভাসছে ১৫টি লরি

দামোদরে বালি তোলায় কোনও লাগাম নেই। ডিভিসি থেকে জল ছাড়ার খবর থাকা সত্বেও বালি তোলার কাজ চলছিল। লরি নেমেছিল একেবারে নদের ভিতরে। জল ভরে টুইটুম্বুর হওয়ায় ভেসে গেল ১৫টি বালি বোঝাই লরি। পূর্ব বর্ধমানের গলসির গোহগ্রামের এই ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে। পরে লরিগুলিকে উদ্ধারের তৎপরতা শুরু হয়।দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার কথা ডিভিসি ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগাম ঘোষণা করা হয়েছিল। মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে বুধবার জল ছাড়া হয় ৪০ হাজার কিউসেক। এরই মধ্যে নিম্ন দামোদর অববাহিকায় দুদিন ধরে টানা বৃষ্টি চলেছে। এই সব কারণে বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ দামোদর নদে জলের পরিমাণ বেশ বেড়ে যায়। এতেই ঘটে যায় বিপত্তি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ১৫টি বালি বোঝাই লরি দামোদর নদের জলে ভাসতে থাকে। তার উপর বৃহস্পতিবার বেলা বাড়তে নদের জল আরও হু হু করে বাড়তে শুরু হয়। বিপদ বুঝে লরিগুলি নদী থেকে তোলার জন্য তৎপরতা শুরু করে চালকরা । ওই সময়েই সামনে থাকা দুটি লরি বিকল হয়ে যাওয়ায় লরি গুলি নদ থেকে পাড়ে তোলা আর সম্ভব হয়নি। জেসিবি মেশিন ব্যবহার করেও কাজ হয়নি। জল কমা পর্যন্ত লরিগুলো তুলতে অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

জুন ১৯, ২০২৫
রাজ্য

"কেশরী: চ্যাপ্টার ২" তে ক্ষুদিরাম বসু সহ বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অপমান, প্রতিবাদে গর্জে উঠল বাংলা পক্ষ

সম্প্রতি কেশরী: চ্যাপ্টার ২ নামের এক বলিউডি হিন্দি সিনেমায় ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সশস্ত্র সংগ্রামের উজ্জ্বল ইতিহাস তথা বীর বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পরিচয় ও ভূমিকা বিকৃত করে এক মনগড়া মিথ্যা ইতিহাস তুলে ধরার অভিযোগ উঠেছে। সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম সিং ও বারীন্দ্র কুমার নামক দুই বিপ্লবী বৃটিশ পুলিশকর্তা কিংসফোর্ডকে বোমা মেরে হত্যার চেষ্টা করে ও তাদের বোমা তৈরীর প্রশিক্ষণ দেয় কৃপাণ সিং! যার সাথে বাস্তবের কোন মিল নেই। প্রকৃত পক্ষে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে বাঙালি বিপ্লবীদের সশস্ত্র সংগ্রামের ইতিহাসের এক যুগান্তকারী ঘটনা কিংসফোর্ড হত্যার প্রচেষ্টা ও পরবর্তীতে মানিকতলা বোমা মামলার ঘটনার কথা সম্পূর্ণ বিকৃত ভাবে এই সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে।সশস্ত্র সংগ্রামের লক্ষ্যে কলকাতার মানিকতলার যুগান্তর গুপ্ত সমিতিতেই অরবিন্দ ঘোষের নেতৃত্বে বোমা তৈরীর কর্মশালা গড়ে ওঠে, ইউরোপ থেকে বোমা তৈরী শিখে এসে এখানে বোমা তৈরী করে বিপ্লবীদের সরবরাহ করতেন হেমচন্দ্র কানুনগো, যিনি বলিউডের দৌলতে হয়েছেন কৃপাণ সিং। এই গুপ্ত সমিতির পক্ষেই ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকী কিংসফোর্ডকে বোমা নিক্ষেপ করে হত্যার চেষ্টা করেন। মেদিনীপুরের বীর বাঙালি কিশোর ক্ষুদিরাম বসুর পদবী সিনেমায় হয়েছে সিং অন্যদিকে প্রফুল্ল চাকীর নামই মুছে গেছে, শোনা গেছে জনৈক বারিন্দর কুমারের নাম, যেকোন ইতিহাস সচেতন ব্যক্তিই বলতে পারবেন এই নাম আসলে মানিকতলা বোমা মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ও পরবর্তীতে আন্দামানে দ্বীপান্তরিত বারীন্দ্র ঘোষের, যিনি সম্পর্কে অরবিন্দ ঘোষের ভাই। এই মানিকতলা বোমা মামলায় বিপ্লবীদের পক্ষে কোর্টে আইনি লড়াই করেন আরেক মহান বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামী দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ। এই গৌরবজনক অধ্যায় সম্পূর্ণ ভাবে বিকৃত করা হয়েছে, যা বাঙালি জাতি তথা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি চূড়ান্ত অবমাননা।এই বিকৃতির বিরুদ্ধে বাঙালির ক্ষোভের প্রকাশ দেখা যাচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থেকে সংস্কৃতি জগতের নানান ব্যক্তিত্ব এই ইতিহাস তথা মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নাম বিকৃতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। ভারতীয় বাঙলির জাতীয় সংগঠন বাংলা পক্ষও সরব হয়েছে, আজ তারা পথে নেমে প্রতিবাদ করল কলকাতার বাংলা একাডেমী সংলগ্ন রানুছায়া মঞ্চে। এই প্রতিবাদ সভায় বাংলা পক্ষর সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি বলেন, কেশরী ২ সিমেমার মূখ্য অভিনেতা অক্ষয় কুমার, তিনি কাদের স্বার্থে বিকৃত ইতিহাস প্রচার করে সিনেমা তৈরি করেন এটা আমাদের সকলের জানা৷ বিজেপি ও বলিউডের উদ্দেশ্য বাঙালির গৌরবজনক বীরত্বের ইতিহাস মুছে দেওয়া। সেই উদ্দেশ্যেই বারবার এই ধরনের ঘটনা দেখা যাচ্ছে। বলিউড এর আগেও অভয় ২ সিরিজে বীর শহীদ ক্ষুদিরাম বসুকে ক্রিমিনাল, জঙ্গি হিসাবে দেখিয়েছিল। বাংলা পক্ষ তখন Zee5 কে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছিল এবং সল্টলেকে Zee5 এর অফিসে বিক্ষোভ করেছিল। পরবর্তীতে Zee5 ক্ষমা চেয়ে সেই অংশ বাদ দিতে বাধ্য হয়। শীর্ষ পরিষদ সদস্য অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় বলেন যতক্ষণ না পর্যন্ত কেশরী ২ সিনেমার নির্মাতারা ক্ষমা না চায়, বাংলা পক্ষর লড়াই চলবে। ক্ষমা চেয়ে এই দৃশ্য বাদ দিতে হবে। বাঙালি বিদ্বেষীদের কিভাবে ক্ষমা চাওয়াতে হয় সেটা বাংলা পক্ষ ভালো ভাবে জানে।শীর্ষ পরিষদ সদস্য সৌম্যকান্তি ঘোড়ই বলেন, ক্ষুদিরাম বসুকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান। প্রফুল্ল চাকীকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান৷ বীর বিপ্লবী বারীন ঘোষদের অপমানের বিরুদ্ধে এই লড়াই চলবে। অক্ষয় কুমারকে ক্ষমা চাইতেই হবে।এছাড়াও আজকের প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন কলকাতা জেলার সম্পাদক সৌম্য বেরা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক কুশনাভ মন্ডল, শিল্পী পক্ষর অধিকর্তা প্রবাল চক্রবর্তী প্রমুখ। এর আগে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় এই সিনেমা নিয়ে একই ইস্যুতে এফআইআর হয়েছে। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন বাঙালি বীর বিপ্লবীদের ইতিহাস বিকৃতি করার জন্য।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স

লর্ডসে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও রাহুল দ্রাবিড়ের। দিনটা ছিল ১৯৯৬ র ২০ জুন। এই টেস্টের কথা উঠলেই মহারাজকীয় শতরানের কথাই সবার আগে মনে আসে। যা এসেছিল ২২ জুন।তবে ২০ জুন বল হাতে কামাল দেখিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ইংল্যান্ডের তৃতীয় ও চতুর্থ উইকেট পড়েছিল চার রানের ব্যবধানে। দলের ৯৮ রানের মাথায় সৌরভের প্রথম শিকার হন তিন নম্বরে নামা নাসের হুসেন। ১১০ বলে ৩৬ রান করে তিনি ফেরেন বিক্রম রাঠোরের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ১০২ রানে ইংল্যান্ডের চতুর্থ উইকেট পড়ে। ৯ বলে ১ রান করে গ্রেম হিক সৌরভের বলেই জাভাগল শ্রীনাথের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। প্রথম ইনিংসে সৌরভের বোলিং ফিগার ছিল ১৫-২-৪৯-২। বেঙ্কটেশ প্রসাদ পাঁচটি, শ্রীনাথ তিনটি ও সৌরভ ২টি উইকেট পান। পরশ মামব্রে, অনিল কুম্বলে ও সচিন তেন্ডুলকর উইকেট পাননি। দ্বিতীয় ইনিংসে সৌরভ তুলে নিয়েছিলেন প্রথম ইনিংসে শতরানকারী জ্যাক রাসেলের উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে মহারাজ ৩ ওভারে মাত্র ৫ রানের বিনিময়ে একটি উইকেট পেয়েছিলেন। ফলে লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

বৃষ্টির মোকাবিলায় ইডেন সেরা, মাঠ ভরানোর আহ্বান মনোজের

আজও বৃষ্টিতে ব্যাহত বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের খেলা। কয়েক দিন ধরেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি চলছে। যার জেরে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের খেলাগুলি পরিত্যক্ত হচ্ছে। ইডেনে বৃষ্টি থামার পর খেলা শুরু হলেও ফের অবিরাম বর্ষণে ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। তবে গতকাল যা হলো তা অন্য কোথাও আর হতে পারতো না।সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত ভাবনাতেই ইডেনের গোটা মাঠ ঢেকে রাখার বন্দোবস্ত হয়েছে। উন্নতমানের কভার আনিয়ে। এমনকী ইডেনের মতো সল্টলেক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস মাঠেও মাঠ ঢেকে রাখা হয় প্রধান কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন অনবদ্য টিম যার ফলে বৃষ্টি থামার কিছুক্ষণের মধ্যেই মাঠ খেলার উপযুক্ত করে দিতে পারেন। ইডেনের এমন ব্যবস্থাপনা বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়াম আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামেও নেই। সুনীল গাভাসকর-সহ অনেকেই তাই বলে থাকেন মাঠ ঢাকার ব্যবস্থাপনায় ইডেনকে অনুসরণ করতে। এই ব্যবস্থাপনার সুফল মিলল আরও একবার। গতকাল বৃষ্টি একটু ধরতেই রাতে ৯ ওভারের ম্যাচ হলো। হারবার ডায়মন্ডস ৪০ রানে হারাল লাক্স শ্যাম কলকাতা টাইগার্সকে। যে পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে শহরে তাতে অন্য কোথাও এটা সম্ভব হতো না। হলো মাঠ ঢাকার ব্যবস্থা ছিল বলেই। হারবার ডায়মন্ডস অধিনায়ক তথা রাজ্যের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি অনুরোধ করেছেন সকলকে কাজ সেরে মাঠে এসে তরুণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করার জন্য। এই লিগে বিনামূল্যে খেলা দেখা যায়। এমনকী হারবার ডায়মন্ডসের সমর্থকদের জল, ইলেক্টোরাল, কেক দেওয়ার কথাও মনোজ বলেছেন। তার কারণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করতে সমর্থকদের উপস্থিতি দরকার। গ্যালারির সিংহভাগ ফাঁকা থাকছে। যে লিগের সম্প্রচার স্টার স্পোর্টসে চলছে সেখানে এমন ফাঁকা গ্যালারি মোটেই ভালো বিজ্ঞাপন নয়।

জুন ১৯, ২০২৫
দেশ

ওরঙ্গাবাদের এই হৃদয়স্পর্শী কাহিনী আপনার মন ছুঁয়ে যাবেই

মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদের সম্ভাজি নগরে ঘটনা এখন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। ওই হৃদয়স্পর্শী ঘটনা নাড়া দিয়েছে পুরো সমাজকে। সেখানে এক গয়নার দোকানে গিয়েছিলেন অতি সাধারণ এক দম্পতি। স্ত্রীকে কিছু উপহার দেওয়াই ছিল স্বামীর উদ্দেশ্য। গয়নার শোরুমের ম্যানেজার তাদের সঙ্গে গল্প জুড়ে দেন। হাসিঠাট্টার মাঝে কথা বলতে বলতে জেনে নেন তাঁদের জীবনকাহিনী। এবার এল জিনিস কেনার পালা। হাতের ঝোলা ব্যাগ থেকে বেরোল একটা ৫০০ টাকার নোট। একে একে ১০, ২০ টাকার নোট। সবশেষে একটা ছোটখাট বোঁচকা। তাতে ভর্তি খুচরো পয়সা।শোরুমের ম্যানেজার গোটা বিষয়টা বুঝতে পেরে তাঁদের একটি হার উপহার দেন। সঙ্গে একজোড়া কানের দুলও। এরপর বৃদ্ধের কাছে সরল আবদার জানান, নিজে হাতে স্ত্রীর হাতে সেটা তুলে দিতে হবে। উপহার তো দিলেন ম্যানেজার, কিন্তু এত বড় দোকানে এসে কোনও টাকা না দিয়ে চলে যাবেন, এতেও যেন সম্মানে বাধে বৃদ্ধের। সমাজের খেটে খাওয়া মানুষের কাছে আত্মসম্মানই বড় কথা। প্রাণ যাক, সম্মান নিয়ে বাঁচাটাই বড় কথা। তাই সবচেয়ে বড় নোটটি তুলে দিতে চেয়েছিলেন ম্যানেজারের হাতে। কিন্তু তাতে ম্যানেজারের উত্তর, আপনার আশীর্বাদের হাত থাকলেই হবে। পান্ডুরঙ্গ (কর্নাটক, মহারাষ্ট্রের পূজিত দেবতা) আছেন, কিছুর অভাব হবে না কোনওদিন। কিন্তু বৃদ্ধ নাছোড়বান্দা, টাকা তিনি দেবেনই। উপায় নেই বুঝে অবশেষে দুটো ১০ টাকার নোট নেন ম্যানেজার।স্বামীর চোখে জল, ধুতির খুঁট দিয়ে মুছে ফেললেন। তা দেখে স্ত্রীও আটকাতে পারলেন না নিজেকে। ভিডিওতেই স্পষ্ট, এমন এক মূল্যবান উপহার পেয়ে বিশ্বাস হচ্ছে না ওই দম্পতির। কিন্তু যেকজন ভিডিওটি দেখেছেন, তাঁরা সবাই বুঝেছেন এই চোখের জল, অবিশ্বাস শুধু মূল্যবান এক উপহারের জন্য নয়, জীবনের অন্যতম এই দিনটি মনের মণিকোঠায় সাজিয়ে রাখছেন দম্পতি।

জুন ১৯, ২০২৫
দেশ

আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা: শিশুদের শনাক্ত করতে বড় সমস্যা, এখনও হস্তান্তর ১৫৯ দেহ

সুরাটের নানাবাওয়া পরিবার ৩৬ বছর বয়সী আকিল এবং ৩১ বছর বয়সী স্ত্রী হান্না ভোরাজির নামাজ-এ-জানাজা (জানাজা) সম্পন্ন হয়। বুধবার ভোরে ফোন করে জানায় যে বোয়িং ড্রিমলাইনার দুর্ঘটনায় তাদের সাথে মারা যাওয়া তাদের মেয়ে সারার মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। আত্মীয়স্বজনরা চার বছর বয়সী মেয়ের দেহাবশেষ দাবি করতে আহমেদাবাদে ছুটে যান। যাতে তাকে তার বাবা-মায়ের পাশে দাফন করা যায়।আহমেদাবাদ-লন্ডন AI-171 বিমান দুর্ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পর, সারার সন্ধানে দেখা যাচ্ছে যে পুড়ে যাওয়া দেহাবশেষের মধ্যে নাবালকদের শনাক্ত করা কতটা কঠিন। বুধবার পর্যন্ত, ডিএনএ ম্যাচিং এবং শনাক্তকরণের পরে ১৫৯টি মৃতদেহ আত্মীয়দের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সারা ছাড়াও, এই মৃতদেহগুলির মধ্যে কেবল একজন নাবালিকা ছিল ফাতিমা শেঠওয়ালা, যার বয়স ১৮ মাস।বিমান সংস্থার তালিকা অনুসারে, AI-171-এ ১২ বছরের কম বয়সী ১৩টি শিশু ছিল, যার মধ্যে তিনজন এখনও ২ বছর পূর্ণ করেনি। আরও বেশ কয়েকজনের বয়স ১১ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে।এই ধরনের দুর্যোগে অপ্রাপ্তবয়স্কদের শনাক্ত করার জন্য ডিএনএ প্রযুক্তি ব্যবহারে অসুবিধা ব্যাখ্যা করে গুজরাটের সরকারি ডেন্টাল কলেজের ফরেনসিক দন্ত বিশেষজ্ঞ ডঃ জয়শঙ্কর পিল্লাই বলেন, শিশুদের শরীরের ভর কম থাকে এবং তাই টিস্যুর ক্ষতি হয় এবং লম্বা হাড় তাপের সংস্পর্শে আসে। তবে দাঁত বেশি শক্তিশালী হওয়ায় তাপ সহ্য করতে পারে।তবে অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে এটিও জটিল। শিশুদের যে কোনও দাঁত থেকে ডিএনএ বের করা যেতে পারে, কিন্তু আগুন লাগার সময় সামনের দাঁত ব্যবহার করা যায় না কারণ তাপ তাদের নষ্ট করে দেয়। তাই আমরা মোলার থেকে ডিএনএ নিই। ছয় বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে, আমরা স্থায়ী মোলার পেতে পারি না... তাদের বেশিরভাগই দুধের দাঁত থাকে, এবং কখনও কখনও সেগুলিও নষ্ট হয়ে যায়। কারণ খিলানটি খুব ছোট। তাই আমরা চোয়ালে একটি ছেদ তৈরি করি এবং ভিতরে স্থায়ী মোলার তৈরি করার চেষ্টা করি, পিল্লাই বলেন, যার বিভাগের সাথে ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ দাঁতের ডিএনএ বের করতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের দাঁতের চার্ট তৈরি করতে সাহায্য করার জন্য যোগাযোগ করেছিল।একজন ফরেনসিক কর্মকর্তা বলেছেন যে দুর্ঘটনার পরে যে আগুন লেগেছিল তা খুব অল্প সময়ের মধ্যে ১৬০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি তাপমাত্রায় পৌঁছেছিল। সুতরাং, কিছু ব্যক্তির জন্য কেবলমাত্র আংশিক ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়া যায়, যাদের আমরা সন্দেহ করি যে তারা নাবালক, কর্মকর্তা বলেন, আরও বলেন যে আত্মীয়দের সাথে নিঃসন্দেহে নির্ভুলতার সাথে মেলানো কঠিন।আকিলের বাবা আবদুল্লাহ স্মরণ করিয়ে দেন যে তিনজন ৬ জুন, ঈদুল আযহার একদিন আগে, এক আকস্মিক পরিদর্শনে এসেছিলেন। এটা একটা ছোট ভ্রমণ ছিল। আমরা জানতাম না যে এটাই তাদের শেষ হবে, কাঁদতে কাঁদতে আবদুল্লাহ বলেন, যিনি বিমানে পরিবারকে নামিয়ে দিতে আহমেদাবাদ গিয়েছিলেন।ভদোদরায়, আসিফ শেঠওয়ালা তার নাতনি ফাতিমার জন্য শোক প্রকাশ করেছেন। যার দেহাবশেষ বুধবার শনাক্ত করা হয়েছে, যখন তার মা সাদিকার মৃতদেহ এখনও পাওয়া যায়নি। আসিফ বলেন, ফাতিমা তার লন্ডন-ভিত্তিক ছেলের একমাত্র সন্তান। সাদিকা এবং ফাতিমা আমার ছোট ছেলের বিয়েতে বেড়াতে এসেছিলেন। তারা প্রায় ২০ দিন ধরে এখানে ছিলেন এবং তাদের ফেরার টিকিট অনেক আগেই বুক করা হয়েছিল।ডিএনএ সরবরাহ করার পাশাপাশি, দাঁতের দেহাবশেষ একজন ব্যক্তির আনুমানিক বয়স নির্ধারণেও সাহায্য করে। যা শনাক্তকরণের জন্য প্রয়োজনীয় সূত্র প্রদান করে। আহমেদাবাদ দুর্ঘটনায় এটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যও, বিস্ফোরণ এবং আগুনের ফলে উদ্ধার করা বেশিরভাগ ডিএনএ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।ডঃ পিল্লাই বলেন, ফরেনসিক ওডন্টোলজি বিভাগ এক থেকে ছয় বছর বয়সী বেশ কয়েকজন প্রাপ্তবয়স্ক যাত্রীর দাঁতের ডিএনএ সংগ্রহ করেছে অথবা ডেন্টাল চার্টিং করেছে এবং অন্তত কিছু ভুক্তভোগীর বয়স মূল্যায়ন করেছে। এরপর এই বয়সের যাত্রীদের জন্য ফ্লাইট ম্যানিফেস্টের সাথে তুলনা করা হয়েছে। কিছু শিশুর ক্ষেত্রে, আমরা দ্বিতীয় মোলার বিকশিত হতে দেখেছি, যা স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে তারা তিন থেকে ছয় বছর বয়সী। এটি অনুসন্ধানকে সংকুচিত করতে সাহায্য করেছে। তারপর তাদের ডিএনএ নমুনা তাদের আত্মীয়দের সাথে মেলানো যেতে পারে।যারা খবরের জন্য অপেক্ষা করছেন তাদের মধ্যে রয়েছে ভদোদরার ভাহোরা পরিবার। তারা দুর্ঘটনায় তিন সদস্যকে হারিয়েছে। সোমবার ইয়াসমিনের মৃতদেহ হস্তান্তর করা হলেও, পারভেজ এবং তার ৪ বছর বয়সী মেয়ে জুভেরিয়ার দেহাবশেষ এখনও পাওয়া যায়নি। প্রাক্তন আইপিএস অফিসার এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ, ডঃ কেশব কুমার বলেছেন, পরিবারগুলির আশা হারানো উচিত নয়। বিমান দুর্ঘটনাটি প্রায় বোমা বিস্ফোরণের মতো ছিল। যেখানে ৫৪,০০০ লিটার বিমান জ্বালানি এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে জ্বলছিল। উৎপন্ন তাপের পরিমাণ শরীরের জন্য ক্ষতিকর। আমরা ভাগ্যবান হব যদি ভালো নমুনা পাওয়া যায়। কিন্তু যদি একটি দাঁতও পাওয়া যায়, তাহলে ডিএনএ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ফরেনসিক পরীক্ষা খড়ের গাদায় সূঁচ পাওয়ার মতো। কিন্তু একজন তদন্তকারী হিসেবে, আমি বলতে পারি যে ম্যাচ পাওয়ার সম্ভাবনা ১০০%। ডিএনএ হাজার হাজার বছর টিকে থাকতে পারে এবং প্রয়োজনে ধ্বংসাবশেষে ডিএনএর আরও চিহ্ন থাকবে। গুজরাট পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন যে তারা দুর্ঘটনাস্থল থেকে একাধিক নমুনা সংগ্রহ নিশ্চিত করেছেন।

জুন ১৯, ২০২৫
রাজ্য

১০০ দিনের কাজ নিয়ে হাইকোর্টে বড় ধাক্কা কেন্দ্রীয় সরকারকে

গতকালই ওবিসি মামলায় হাইকোর্টে জোরদার ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। এবার ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বড় ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার নজিরবিহীন একটি নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পশ্চিমবঙ্গে ফের ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প চালু করতে হবে, এই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ১ আগস্ট থেকেই এই প্রকল্প চালু করতে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ।উল্লেখ্য, বাংলায় ১০০ দিনের কাজের টাকা বহুদিন ধরে আটকে রেখেছে কেন্দ্র, এই অভিযোগ করে আসছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রাজ্য সরকারের একাধিক মন্ত্রী এই ব্যাপারে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বারবার সমালোচনায় সরব হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে লাগামহীন দুর্নীতি হয়েছে। এই দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্র বেশ কয়েকটি দলও বাংলার জেলায় জেলায় পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী আদালতে জানিয়েছিলেন, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গে মোট ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে গরমিল ধরা পড়েছে।। তার মধ্যে ২ কোটিরও বেশি টাকা পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে। হুগলি, মালদা, বর্ধমান, দার্জিলিংয়ের মতো জেলাগুলিতে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। ১০০দিনের কাজের প্রকল্পে টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে বেনজির দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রের।রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প আটকে থাকা নিয়ে মামলার শুনানি বুধবার ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনেছেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এরপর প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছেন যে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের জন্যই বিশেষ কোনও বেঁধে দিতে পারে কেন্দ্র। এই রায়ের পর সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ১০০ দিনের পুরনো বকেয়া টাকা ফেরত দিতে হবে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর

পাঁচ লক্ষ টাকা তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর এবং সালিশি করে গ্রাম ছাড়া করার অভিযোগ উঠলো স্থানীয় একদল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকায়। এই ঘটনায় আক্রান্ত ব্যবসায়ীর পরিবার কালিয়াচক থানার দ্বারস্থ হলেও চারদিন পরে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে বুধবার ওই ব্যবসায়ী দম্পতি সমস্ত ঘটনার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানালেন পুলিশ সুপারের কাছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব। এদিকে কালিয়াচকের ওই ব্যবসায়ীর ওপর আক্রমণ এবং পাঁচ লক্ষ টাকা তোলাবাজির ঘটনায় রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলার সর্ববৃহৎ ব্যবসায়ীদের সংগঠন মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বারবার যদি ব্যবসায়ীদের ওপর দুষ্কৃতীদের হামলা নেমে আসে, তাহলে আমরা যাব কোথায়। অবিলম্বে পুলিশ সুপার যাতে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে, সেই আবেদন জানাচ্ছি। এদিকে পুলিশকে অভিযোগে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকার পোশাক ব্যবসায়ী মহম্মদ রহিম বিশ্বাস জানিয়েছেন, পুরনো একটি মামলার ঘটনায় গত শনিবার এলাকার এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী জহরুল খান এবং তার দলবল তাকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাদের একটি ডেরায় তাঁকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর পাঁচ লক্ষ টাকার তোলা চাওয়া হয়। সেই টাকা না দেওয়ায় আশেপাশের আরও কিছু সাগরেদদের জুটিয়ে সালিশি ডাকা হয়। সেই সালিশির মাধ্যমে তাদের পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। আর এই ঘটনার পর থেকেই গত চারদিন ধরেই ওই ব্যবসায়ী পরিবার নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন হয়ে রয়েছেন। এমনকি ফতেখানি স্ট্যান্ডের কাছে ওই ব্যবসায়ী তার নিজের পোশাকে শোরুম খুলতে পারছেন না।

জুন ১৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal