• ৩ আষাঢ় ১৪৩২, বৃহস্পতি ১৯ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

BJP

রাজনীতি

শুভেন্দুকে গো ব্যাক স্লোগান! তারপর কী হলো?

সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দিতে আজ ঝাড়গ্রামে শুভেন্দু অধিকারী। যাত্রাপথে তাঁকে উদ্দেশ করে তৃণমূলের তরফে গো ব্যাক ধ্বনি তোলা হয়। শুভেন্দুবাবু বলেন, পাঁচজন স্লোগান দিচ্ছিল। আমি চিনি। নমস্কার করতেই তিনজন আমাকে দেখে মাথা নামিয়ে নেয়। নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা স্থগিত রাখা নিয়ে তিনি বলেন, সংবিধানে বর্ণিত বহুদলীয় গণতন্ত্রের রীতি মেনে আমি বিজেপিতে যোগদান করেছি, ফলে কোম্পানির কর্মসূচি নিয়ে আমি কিছু বলব না। নেতাই দিবসে বিজেপির হয়ে তিনি কী কর্মসূচি নেবেন তা জানতে চাইলে সাংবাদিকদের শুভেন্দুবাবু বলেন, নেতাইয়ে আমি একা এসে লাশ কুড়িয়েছিলাম। শহিদ বেদীটাও আমার হাতে তৈরি। নেতাইয়ে নিহত, আহতদের পরিবার সব জানে। ফলে নেতাই নিয়ে কারও সার্টিফিকেট লাগবে না। ছোটো আঙারিয়াতেও এনডিএ প্রতিনিধিদল এসেছিল, মানুষকে নিরাপত্তা দিয়েছিলেন বাজপেয়ী-আদবানিদের এনডিএ। ফলে সব কর্মসূচি ঠিক করবেন জেলা নেতৃত্ব। আমি গড়বেতার সভায় থাকব ৪ জানুয়ারি‌। জঙ্গলমহলে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বাসিন্দাদের চাকরি পাওয়া নিয়ে শুভেন্দুবাবু বলেন, আমি কাউকে চাকরি দিইনি। যিনি সরকার চালান, চাকরি দিয়েছেন তিনি বলতে পারবেন। বিজেপি এক-দেড়জন চালায় না। ঝাড়গ্রামে বিজেপি লোকসভা ভোটেও জিতেছে। কারচুপি করে জেলা পরিষদ জিতেছে তৃণমূল। বিধানসভা ভোটে প্রতি আসনে অন্তত ৫০ হাজার ভোটে জিতবে বিজেপি। আমি এসেছি মার্জিন বাড়াতে। ছত্রধর মাহাত জঙ্গলমহলে কতটা ফ্যাক্টর তা জানতে চাইলে শুভেন্দু অধিকারী সাংবাদিকদের বলেন, মাসাধিককাল অবরুদ্ধ করে রাখা, নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী কাউকে নিয়ে কিছু বলতে চাই না।

ডিসেম্বর ২৮, ২০২০
কলকাতা

ধনকর- সৌরভ বৈঠকে রাজনৈতিক মহলে বড় প্রশ্ন

রাজভবনকে বিজেপির দলীয় কার্যালয় বলে একাধিকবার কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যপালকে বিজেপির মুখপাত্রের থেকেও ভয়ঙ্কর বলে মন্তব্য করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক করে বাংলার রাজনীতিতে নতুন করে জল্পনা বাড়ালেন ক্রিকেটের মহারাজ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। দীর্ঘ দিন ধরেই গুঞ্জন ছড়িয়েছে বাংলায় বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীর মুখ হতে পারেন বেহালার ছেলে। যদিও একথা কেউও প্রকাশ্যে স্বীকার করেনি। তবে রবিবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর ও সৌরভের সাক্ষাৎকার রাজনৈতিক মহলে চর্চার বিষয়বস্তু হিসাবে দাঁড়ায়। বৈঠক নিয়ে টুইট করে রাজ্যপাল ধনকর লিখেছেন, “সৌরভের সঙ্গে অনেক বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। দেশের সবচেয়ে পুরনো স্টেডিয়াম ইডেন গার্ডেন্সে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন আমাকে।” সৌরভ কিন্তু বৈঠক নিয়ে মুখ খোলেননি। সৌরভ রাতারাতি ভারতীয় ক্রিকেটে বোর্ডের সভাপতি হয়েছেন। তাঁর নেপথ্যে ছিলেন ভারতীয় রাজনীতির চানক্য বিজেপি নতা অমিত শাহ। ধনকর-রাজ্যপাল বৈঠক নিয়ে ধন্দে পড়েছেন রাজনৈতিক মহল। সম্প্রতি অমিত শাহর সাংবাদিক বৈঠকে সৌরভের বিজেপি যোগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। শাহ কিন্তু সরাসরি কোনও জবাব দেননি। না-ও বলেননি। এমনকী সৌরভের রাজনীতি নিয়ে প্রশ্নে স্ত্রী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ও ঘুরিয়ে জবাব দিয়েছেন। তবে অতীতে দেখা গিয়েছে সৌরভ শেষ মুহূর্তে সিএবির সভাপতি হয়েছেন। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতিও হয়েছেন একেবারে শেষ পর্যায়ে। কেই টের পায়নি। অভিজ্ঞ মহলের মতে, একটা জিজ্ঞাসা রয়েই গেল।

ডিসেম্বর ২৮, ২০২০
রাজনীতি

সৌমেন্দুকে নিয়ে এবার অখিলের মিথ্যাচার!

দাদা তথাগত রায় বিজেপিতে, তবু নারদ ফুটেজে বান্ডিল পকেটে ঢোকানো অধ্যাপক-সাংসদ সৌগত রায় তৃণমূলের মুখপাত্র। আরও লম্বা তালিকা আছে। যত দোষ কি অধিকারী পরিবারের? এ প্রশ্ন উঠছে, কেন না শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যাওয়ার পর থেকে যেভাবে অধিকারী পরিবারকে অসম্মান করছেন তৃণমূলের তথাকথিত হেভিওয়েট থেকে চুনোপুঁটি নেতারা, তাতে তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদ তথা পূর্ব মেদিনীপুরের দলের জেলা সভাপতি শিশির অধিকারীর একটা কথা কানে বাজছে। শুভেন্দুবাবু বিজেপিতে যোগদানের আগে শিশিরবাবু খেদ প্রকাশ করেছিলেন, দলের একাংশ শুভেন্দুবাবুকে বিজেপির দিকে ঠেলে দিচ্ছে! এবার এক অবস্থা শিশিরবাবুর পাশাপাশি কি তাঁর আরও দুই পুত্র দিব্যেন্দু ও সৌমেন্দু অধিকারীর জন্যও অপেক্ষা করে আছে? শিশিরবাবুর পরিবারকে কোণঠাসা করে অসম্মান করতে অধিকারী পরিবারের বিরোধী অখিল গিরির গোষ্ঠীকে খুব তোল্লাই দেওয়া হচ্ছে। দলের সভায় শিশিরবাবুদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে না। এমনকী দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নন্দীগ্রাম সফরে সভা আয়োজনের দায়িত্ব থেকেও দূরে রাখা হয়েছে সভাপতিকে। অখিলের মিথ্যাচার! ভিডিও-টি দেখার জন্য এই লিঙ্ক এ ক্লিক করুন। এর মধ্যেই বিতর্ক বাড়িয়েছেন দলের জেলা কো-অর্ডিনেটর তথা রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি। তাঁর নিশানায় শিশিরবাবুর কনিষ্ঠ পুত্র তথা কাঁথি পুরসভার প্রশাসক সৌমেন্দু অধিকারী। অখিল গিরি বলেছেন, দাদার (শুভেন্দুবাবুর) অনুগামীদের বা বিজেপির কর্মসূচি আয়োজন করছেন সৌমেন্দু। তিনি মিছিলেই শুধু হাঁটছেন না, বাকি সব করছেন। কাঁথির প্রশাসকের দ্বিচারিতা দল ও সরকার ধরে ফেলেছে। কিছুদিনের মধ্যেই প্রশাসক পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হবে। প্রশ্ন এখানেই, এ কথা বলার এক্তিয়ার অখিল গিরিকে কে দিল? তাঁর কাছে কী প্রমাণ রয়েছে? জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরে বাড়িতেই রয়েছেন সৌমেন্দু অধিকারী। তা সত্ত্বেও এমন বক্তব্যকে ভিত্তিহীন বলেই তিনি ঘনিষ্ঠমহলে দাবি করেছেন। বিতর্কিত বিষয়টি তিনি দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নজরেও আনতে চান। তবে রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, যেভাবে অধিকারী পরিবারের দিকে একের পর এক অসম্মানজনক বিবৃতি দিচ্ছেন দলীয় নেতারা, তা শীর্ষ নেতৃত্বের সবুজ সঙ্কেত ছাড়া হতে পারে? আর যদি তাই হয় যে শুভেন্দুবাবু বিজেপি যেতেই চক্ষুশূল অধিকারী পরিবার, তাহলে সৌগত রায়ের পরিবারের প্রতি দলের কৌশলে কেন দ্বিচারিতা থাকবে? সম্প্রতি দেখাও যাচ্ছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সবচেয়ে বড় সমালোচকরাই এখন বড় পদ পাচ্ছেন দলে। এই অবস্থায় অধিকারী পরিবারের প্রতি অসম্মান দেখেও দলনেত্রী কেন চুপ, তা অবাক করছে সকলকে।

ডিসেম্বর ২৮, ২০২০
রাজ্য

এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি চ্যালেঞ্জ শুভেন্দু অধিকারীর

নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দেগেছেন। ফিরহাদ হাকিম, সৌগত রায়, অমিত মিত্রকও আক্রমণ শানাতে ছাড়েননি। শেষমেশ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন নন্দীগ্রামের প্রাক্তন বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। ৭ জানুয়ারির বদলে ৮ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে সভা করবেন শুভেন্দু। জবাব দেবেন মমতার সভার। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর এদিন প্রথম কাঁথিতে মিছিল ও সভা করেন শুভেন্দু অধিকারী। ভিড়ে ঠাসা ছিল মিছিল দাবি করেছে বিজেপি। এদিন শুভেন্দু একের পর এক তির ছুড়তে থাকেন। শুভেন্দু বলেন, মিনি পাকিস্তান বলা মন্ত্রী বলছেন শুভেন্দুর মুখে পরিবারতন্ত্র বলা মানায় না। আরে মাননীয় মিনি পাকিস্তান বলা মন্ত্রী আমি আপনার জামাইকে বলিনি তৃণমূলের যুব নেতা। লাল চুল, কানে দুল তার নাম যুবা তৃণমূল। আমি তাঁর কথা বলিনি। সৌগত রায়ের দাদা আমাদের বড় নেতা, প্রাক্তন রাজ্যপাল। আমি তাঁর কথাও বলিনি। আমি বলেছি কয়লা চোর, বালি চোর, পাথর চোর, গরুপাচারকারী ভাইপোর কথা। আবার চাকরি দিতে পারেনি পাউচ বিক্রি করার ব্যবস্থা করেছেন অর্থমন্ত্রী, বলেছেন শুভেন্দু। এতদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করেননি শুভেন্দু। এদিন কাঁথির সভায় তৃণমূলনেত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণও করেছেন তিনি। প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী বলেন, আপনি ৭জানুয়ারী, ১৪মার্চ, ১০ নভেম্বর কোনও দিন আসেননি। কাল টিভিতে দেখলাম আপনি আসছেন। আপনি এলে রাস্তা সারাবে। আমার জেলার লাভ হবে। আমি ৭ তারিখে প্রতিবছর আমি যাই। এবার ওই দিন বড় কর্মসূচি নেব না। ৭ তারিখ আসছেন, ভাল কথা মোস্ট ওয়েলকাম। এতদিন আসেননি। আসুন। আমি যা যা বলতে আসছেন আমি জানি। ১০০০টা শুভেন্দু তৈরি হয়। কে ওটা, কী হবে। শুভেন্দুকে কাউন্টার করতে হাটবারে হাটবারে চারটা-পাঁচটা পুলিশের পাইলট কার নিয়ে জোড়া জোড়া মন্ত্রী। শুভেন্দুর চ্যালেঞ্জ, ৭ তারিখে আসুন, ভাষন দিন। আমি ৮ তারিখে সভা করা আপনার সব কথার জবাব দিয়ে দেব। আমি শৃঙ্খলাপরায়ন লোক। আমি আজই কৈলাশ বিজয়বর্গীয় জানিয়েছি নন্দীগ্রামে ৮ তারিখ সভা হবে। উনি সরকারি ক্ষমতায় লোক আনবেন, আমি আবেগ-ভলবাসায় লোক আনব। শুভেন্দু এদিন একাধিকবার ফিরহাদ হাকিমকে আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেন, উপনির্বাচনে টিকিট পায়নি বলে তৃণমূলনেত্রীর বাড়িতে ঢিল মারতে গিয়েছে। আমফানের পর কলকাতার লোক বুঝে গিয়েছিল কী তাঁর যোগ্য়তা। গ্রামের সঙ্গে লড়াই দক্ষিণ কলকাতার চার-পাঁচটা লোকের। ৪০ টা দফতর ওই চার-পাঁচটা লোকের। শুভেন্দুর ঘোষণা, গোপীবল্লভপুরের দিলীপ ঘোষ ও শুভেন্দু হাত মিলিয়েছে। যেতে তোমাদের হবেই। পদ্ম ফুটিয়ে ঘুমাতে যাব।

ডিসেম্বর ২৪, ২০২০
কলকাতা

তাজপুর থেকে সিঙ্গুর: নতুন কর্মপথ, নতুন দিশা

বড়দিনের আগেই রাজ্যে নতুন বিনিয়োগ ও বিপুল কর্মসংস্থানের সম্ভাবনার কথা জানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার ২৪ ডিসেম্বর ২০২০ তিনি বলেন, তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরি করছে রাজ্য সরকার। আন্তর্জাতিক টেন্ডার ডাকা হচ্ছে। ৪,২০০ কোটি টাকার প্রকল্প। আমরা কোথাও জোর করে কোনও জমি অধিগ্রহণ করি না। এই বন্দর তৈরি হলে ১৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হবে। ২৫ হাজার কর্মসংস্থান হবে। ব্যবসা-বাণিজ্যের বিপুল প্রসার ঘটবে। দেশে লৌহ-ইস্পাত রফতানির ১৩ শতাংশ হয় এই রাজ্যে। বন্দর হলে তা বৃদ্ধি পাবে। খড়গপুর ও সংলগ্ন এলাকায় ইস্পাত শিল্পের রফতানি বৃদ্ধি পাবে। দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বর্ধমানে নতুন কর্মপথ, নতুন দিশা তৈরি হবে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া-সহ বিভিন্ন দেশে সি-ফুড রফতানি বাড়বে। মৎস্যজীবীরা উপকৃত হবেন, বহু মানুষ কাজ পাবেন। এটা একটা যুগান্তকারী পদক্ষেপ। সিঙ্গুরে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরির ঘোষণা করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, কৃষি আর শিল্প একসঙ্গে, এটা আমি হাসি আর খুশি বলে থাকি। অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক গড়ে উঠবে এখানে। রেল স্টেশন ও ট্রমা কেয়ার সেন্টারের কাছে ১১ একর জমিতে শিল্প পার্ক গড়ে উঠবে। উৎপাদিত ফসল বিক্রি, প্রদর্শনী, ডিসপ্লে আইটেম তৈরি ইত্যাদি ব্যবস্থা থাকবে। ১০ থেকে ৩০ কাঠা জমি প্লট করে শিল্পপতিদের দেওয়া হবে। পানাগড় ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে ৪০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে ধানুকা ধানসেরি গোষ্ঠী। সিলিকন ভ্যালিতেও জমি পাওয়ার আবেদন প্রক্রিয়া মসৃণ করছে হিডকো, আইটি ক্ষেত্রে জোর দিচ্ছি। উইপ্রো, ইনফোসিস লগ্নি করার কথা জানিয়েছে।

ডিসেম্বর ২৪, ২০২০
রাজ্য

পাল্টা রোড শোতে শুভেন্দুর দাবি বিজেপি ২০০ আসনে জিতবে

তৃণমূলের পাল্টা জবাব দিতে পথে শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার কাঁথিতে শক্তি প্রদর্শন করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করে আক্রমণ শানায় ফিরহাদ হাকিম ও সৌগত রায়। বৃহস্পতিবার মেচেদা বাইপাশ থেকে মিছিল শুরু হয়। বিজেপির এই মিছিলে শুভেন্দুর সঙ্গে ছিলেন দলের রাজ্য সহসভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার, যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁ, সহসভাপতি শঙ্কুদেব পন্ডা। কাঁথি শহরের মধ্য দিয়ে মিছিল চলতে থাকে। বাড়ির বারান্দা থেকে ফুল ছুড়ে স্বাগত জানানো হয় শুভেন্দুকে। মিছিল থেকেই শুভেন্দু জানিযে দেন,আমার কোনও ভাইপোকে নিয়ে আপত্তি নেই। তোলাবাজ ভাইপোকে নিয়ে আপত্তি আছে। মিনি পাকিস্তান বলা কলকাতার মন্ত্রী টিভি দেখুন। অধ্যাপক সৌগত রায় টিভি দেখুন। কাঁথি সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ডে সভা। এরাজ্যে সফরের সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ২০০ আসনের টার্গেট বেধে দিয়েছেন। এদিন রোড শো চলাকালীন শুভেন্দু সংবাদ মাধ্যমে দাবি জানিয়েছেন,এবার দুশো আসন পার করবে বিজেপি। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে তৃণমূল নেতৃত্বের কোপে পড়েছেন শুভেন্দু। তৃণমূলের শীর্ষ স্থানীয় নেতৃত্ব তাঁকে বিশ্বাসঘাতক, মীরজাফর বলতে ছাড়েননি। কাঁথির সভায় আগাগোড়া শুভেন্দুকে আক্রমণ করে গিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম, সৌগত রায়রা। কাঁথি যে কারও গড় নয় সেকথাই বারে বারে বক্তব্যের মাধ্যমে বোঝাতে চেয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তারই জবাবী মিছিল ও সভা শুভেন্দুর।

ডিসেম্বর ২৪, ২০২০
রাজনীতি

১০০ নয়, ৫০ আসনই টপকাবে না তৃণমূল, চ্যালেঞ্জ মুকুলের

১৯ ডিসেম্বর মেদিনীপুরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সভায় শুভেন্দু অধিকারীসহ ৭ জন তৃণমূল বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তিনজন ছিলেন বাম ও কংগ্রেসের বিধায়ক। ফের ১২ জানুয়ারি বিবেকানন্দর জন্মদিনে রাজ্যে আসবেন অমিত শাহ। বুধবার রাতে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বৈঠক করেন মুকুল রায়। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মুকুল রায় বলেন, তৃণমূল বিধায়কদের ফোনে কান ঝালাপালা হয়ে যাচ্ছে। তবে অমিত শাহর সভার দিন কেউ বিজেপিতে যোগ দেবে কীনা তা ভবিষ্যতের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। বেশ কিছু দিন ধরে মুকুল রায় বলে আসছিলেন তৃণমূল ১০০ আসনের গন্ডি পেরবে না। এরইমধ্যে তৃণমূলের ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর টুইটে দাবি করে, ১০০ আসন পার করতে বিজেপির অনেক কষ্ট আছে। এদিন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি বলেন, তৃণমূল ৫০টি আসনও টপকাতে পারবে না। শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর এদিন প্রথম সল্টলেকে মুকুল রায়ের দফতরে আসেন। সেখানে তাঁদের মধ্যে একান্তে বৈঠক হয়। যদিও মুকুল রায় জানিয়েছেন, একেবারেই সৌজন্য সাক্ষাৎ। তবে কাঁথির মাটিতে শুভেন্দুই যে শেষ কথা বলেন সেকথা স্মরণ করিয়ে দেন মুকুল। তিনি বলেন, বয়স হয়ে গেলে সব কথা মনে থাকে না। সৌগত রায়ের সেই অবস্থা হয়েছে। বুধবার কাঁথিতে মিছিল ও সভা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। নেতৃত্বে ছিলেন ফিরহাদ হাকিম, সৌগত রায়। এর পাল্টা বৃহস্পতিবার কাঁথিতে মিছিল করবেন শুভেন্দু অধিকারী। মুকুলের কথায় ওই মিছিলে শুভেন্দু একাই যথেষ্ট।

ডিসেম্বর ২৪, ২০২০
রাজনীতি

বিশ্বাসঘাতক-মীরজাফরেই শুভেন্দুকে তোপ সৌগত- ফিরহাদের

তৃণমূল কংগ্রেস থেকে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার পাঁচ দিনের মাথায় কাঁথিতে মিছিল ও জনসভা করল তৃণমূল কংগ্রেস। অধিকারীগড়ে সমাবেশ করে তৃণমূল বার্তা দিল আপাতত অখিল গিরিদের হাতেই থাকছে পূর্ব মেদিনীপুরে দলের ক্ষমতা। এই জনসভায় ছিলেন না তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা সাংসদ শিশির অধিকারী ও অপর সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। তৃণমূল নেতৃত্ব শুভেন্দুকে বিশ্বাসঘাতক ও মিরজাফর তকমাতে অনড় থাকলেন। বক্তারা টানা নিশানা করে গেলেন প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রীকে। পদ্ম শিবিরে যোগ দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী মঙ্গলবারই পূর্বস্থলীতে বিজেপির হয়ে জনসভায় প্রথম বক্তব্য রাখেন শুভেন্দু। শুভেন্দু মেদেনীপুরে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার দিন থেকে ভাইপো হটাওয়ের ডাক দিচ্ছেন। এদিকে এদিনের সভায় মূল দুই বক্তা সাংসদ সৌগত রায় ও মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বক্তব্যের প্রতি লাইনেই তুলোধোনা করেন দলের প্রাক্তন সেনানীকে। আগাগোড়া তোপ দাগলেন। শুভেন্দুকে ছাড়াই পূর্ব মেদিনীপুরে বিধানসভা নির্বাচনে ১৬ আসনেই জয়ী হবে তৃণমূল সেকথা ঘোষণা করেন ফিরহাদ। এদিনের সভায়ও ফিরহাদ হাকিম বিশ্বাসঘাতক বলে চিহ্নিত করেন শুভেন্দুকে। সৌগত রায় মীরজাফর বলে অভিহিত করেন। ফিরহাদ বলেন, শুভেন্দু বিশ্বাসঘাতক, এর জন্য আ্মরা ক্ষমা চাইছি। মমতাকে নয়, শুভেন্দু সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দিয়েছে। পরিবারতন্ত্রের কথা বলছেন শুভেন্দু, কিন্তু ২০০৯-তে কীভাবে মনোনয়ন পেলেন তিনি। শিশির অধিকারীর ঘরে জন্ম না নিলে কোনও দিন শুভেন্দু অধিকারী হতে পারতেন না। ফিরহাদের কথায়, মেদিনীপুরের সবাই বলছেন কোনও রাজার প্রজা হয়ে থাকতে হবে না। অমরা সবাই রাজা এই রাজার রাজত্বে। দল ছাড়ার আগে সৌগত রায়ের সঙ্গে বেশ কয়েকবার বৈঠক করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই বৈঠকে কোনও সুরাহা হয়নি। এদিন শুভেন্দুকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন সৌগত রায়। দমদমের সাংসদ বলেন, শুভেন্দু মমতাকে ছেড়ে চলে গেল। ও মীরজাফরদের দলে নাম লিখিয়েছে। মানুষ মীরজাফরদের মেনে নেয় না। মুখে সতীশ সামন্তের কথা বলছে, কিন্তু চলে গেল শ্যামাপ্রসাদের দলে। এটাই কী আদর্শ-নীতির রাজনীতি? কাঁথি কোনও পরিবারের সম্পত্তি নয় বলেও জানিয়ে দেন সৌগত রায়। তিনি শুভেন্দুকে কোনও বড় পালোয়ান বলতে নারাজ, তাঁর মতে, অখিল গিরিই বড় পালোয়ান। কাঁথির মানুষ মমতার পাশেই থাকবেন বলে মনে করে সৌগতবাবু। এই জনসভায় যে শুভেন্দুকে কড়া বার্তা দেওয়া হবে তা রাজনৈতিক মহল অবগত ছিল। অখিলি গিরি জানিয়েছিলেন, শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারী কনসেন্ট দেয়নি সভায় থাকার বিষয়ে। এদিকে তাঁরা জানিয়েছেন, এই সভার বিষয়ে তাঁদের জানানোই হয়নি। অভিজ্ঞ মহলের মতে, যে সভায় ছেলেকে লাগামছাড়া শব্দে আক্রমণ করা হবে সেখানে কী থাকতে পারেন সাংসদ বাবা। তাছাড়া শিশির অধিকারীকে বিশ্রাম নিতে পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক।

ডিসেম্বর ২৩, ২০২০
রাজনীতি

"অমিত শাহ বাউলের গান শুনেছেন, কিন্তু মনের কথা শোনেননি"

রাজ্যে দল ভাঙা-গড়ার কাজ চলছে জোরকদমে। কে কোন দলে আছেন, আর নেই তা বোঝাই দায় হয়ে পড়েছে। ঘনঘন জার্সি বদল চলছে খেলার মযদানের মতোই। বুধবার তৃণমূল ভবনে এক প্রশ্নের জবাবে দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়(partha chatterjee) বিজেপির উদ্দেশে বলেন, নিজের সংগঠনের ওপর জোর নেই। আগে নিজের ঘর সামলাও পরে অন্যের দিকে নজর দেবে। জঞ্জাল দিয়ে দলটা ভর্তি করছে, তা ভবিষ্য়তই বলবে। কাটমানি নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পার্থ বলেন, ওরা সব কিছুতেই কাট দেখে। বিজেপি তুমি বাংলা থেকে কাটো। সম্প্রতি দুদিনের বাংলা সফরে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ( amit shah)। শান্তিনিকেতনে য়ে বাউলের গান শুনেছেন তিনি এখন তৃণমূল শিবিরে। পার্থ চট্টেপাধ্যায় বলেন, অমিত শাহ পুরো ড্রামা করেছেন। গান শুনেছেন বাউলের। কিন্তু বাউলের মনের কথা শোনেননি তিনি। মনের কথা না শোনা বাহুবলী নীতি বিজেপির। কাউকে জোর করে আনা আর মন থেকে আসা পুরো আলাদা। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বারে বারে বাংলায় আসছে। তৃণমূল মহাসচিবের বক্তব্য, সাধারণ মানুষের জন্য কিছু ভাবছে না বিজেপি। যা ভাববে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের কর্মীরা মানুষের পাশে দাঁড়াবে। বাংলার আইন-শৃঙ্খলা এত ভাল যে বারবার ওদের আসতে হচ্ছে। কে ভোগী আর ত্যাগী মানুষ তাঁর জবাব দেবে। মিথ্যা-অপপ্রচার করছে বিজেপি। তৃণমূল কংগ্রেস কে গেল আর কে এল এসব নিয়ে ভাবে না।

ডিসেম্বর ২৩, ২০২০
রাজনীতি

সায়ন্তনের পর অগ্নিমিত্রাকে শোকজ, কেন এই পদক্ষেপ বিজেপির?

একদিকে তৃণমূল কংগ্রেস সহ বাম-কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগপর্ব চলছে। একইসঙ্গে চলছে রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে শোকজের পালা। মঙ্গলবার সায়ন্তনসহ তিনজনকে শোকজ করার পর বুধবার শোকজ করা হল রাজ্য মহিলা মোর্চার সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পালকে। রাজ্য বিজেপি জানিয়েছে, দলবিরোধী মন্তব্যের জন্য অগ্নিমিত্রাকে শোকজ করা হযেছে। ১৮ ডিসেম্বর তিনি সংবাদ মাধ্যমে ওই মন্তব্য করেছিলেন। তবে কী মন্তব্য করার জন্য তাঁকে শোকজ করা হয়েছে তা সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া চিঠিতে লেখা নেই। চিঠিতে অগ্নিমাত্রা পালকে বলা হযেছে ৭ দিনের মধ্যে দিলীপ ঘোষের কাছে তাঁকে জবাব দিতে হবে। উত্তর সন্তোষজনক না হলে দল কঠোর শাস্তি দেবে বলেও তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুকে শোকজ করে রাজ্য নেতৃত্ব। তাঁকে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছিল। শুভেন্দু তৃণমূল ছাড়ার পরপরই জিতেন্দ্র তেওয়ারী তৃণমূল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। তাঁর বিজেপি যোগের সম্ভাবনা প্রবল হয়। তৎকালীন তৃণমূল সাংসদ সুনীল মন্ডলের বাড়িতে তাঁরা বৈঠকও করেন। কিন্তু তারপরই আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়, সায়ন্তন বসু, অগ্নিমিত্রা পাল জিতেন্দ্রকে নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের কাছে আপত্তি জানান। বাবুল তো সরাসরি তাঁর আপত্তির কথা জানিয়ে দেন। বাকিরা সেই মতকে সমর্থন করে। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, সম্ভবত এই কারণেই অগ্নিমিত্রা পালকে শোকজ করা হল।

ডিসেম্বর ২৩, ২০২০
রাজনীতি

"আমাকে বিধায়কের টিকিট দেওয়ার দরকার নেই"-শুভেন্দু

বিধানসভার টিকিট চান না সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর একটাই লক্ষ্য রাজ্যে পরিবর্তন আনা। পূর্বস্থলীতে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর প্রথম জনসভায় কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না তৃণমূল কংগ্রেসকে। তাঁর কথায় দেড় জনে মিলে তৃণমূল চালাচ্ছে। শনিবার মেদিনীপুরে এক জনসভায় অমিত শাহর(amit shah) হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari)। তারপর পূর্ব বর্ধমানে এটাই ছিল তাঁর প্রথম জনসভা। এই জনসভায় হাজির ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আরও পড়ুন--প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর শুভেন্দু বলেন, দলকে আমাকে বিধায়কের টিকিট দেওয়ার দরকার নেই। ২৪ ঘণ্টার মধ্য়ে ১৬ ঘণ্টা খাটবো। যেখানে বলবে সেখানে যাব। হারবই হারাব। আমরা জিতবই। নতুন বাংলা গড়ব, সোনার বাংলা গড়ব। পরিবর্তনের পরিবর্তন চাই। দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে যা নির্দেশ দেবে তা আমরা পালন করব। মীরজাফরের সঙ্গে তুলনা টানা হচ্ছে শুভেন্দু অধিকারীকে। বিজেপি যোগ নিয়েই তৃণমূল নেতৃত্ব তোপ দেগে চলেছে শুভেন্দুকে। প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী মীরজাফরের জবাবে বলেন, ১৯৯৮ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা হয়। ১৯৯৮-এ পঞ্চায়েত ভোট, ১৯৯৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের সঙ্গে কারা ছিল। সেদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী তৃণমূল কংগ্রেসকে আশ্রয় না দিতেন, লালকৃষ্ণ আদবানী আশ্রয় না দিতেন এই দলটা ২০০১ সালেই উঠে চলে যেত। এটাকে অস্বীকার করতে পারবেন না। আরও পড়ুন--এক মাসেই ২২৩টি ধর্ষণের অভিযোগ নথিভুক্ত বাংলায়, টুইটে তোপ মালব্যের বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের যোগ নিয়ে তিনি আরও বলেন, ২০০৪ সালে তমলুক লোকসভায় কেউ লড়তে রাজি হয়নি। সেদিন আমি এনডিএ-র প্রার্থী হয়ে লড়েছিলাম। একদিকে বিজেপির ঝান্ডা অন্যদিকে তৃণমূলের ঝান্ডা নিয়ে লড়েছিলাম। ২০০৭ সালে নন্দীগ্রামের গণহত্য়ার দিন অন্য় কোনও রাজনৈতিক দলের নেতা আসেননি। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব পাশে ছিলেন।

ডিসেম্বর ২২, ২০২০
রাজ্য

এক মাসেই ২২৩টি ধর্ষণের অভিযোগ নথিভুক্ত বাংলায়, তোপ কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতার

বাংলার জেলাওয়ারী ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগ তুলে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে বিজেপি। দলের এরাজ্যের সহ পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য টুইট করে এই তথ্য তুলে ধরেছেন। অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে ঘুরে-বেড়াচ্ছে বলে দাবি করেছেন তিনি। এসবই ভোট রাজনীতির ফলেই অপরাধীরা ধরা পড়ছে না বলে মন্তব্য করেছেন মালব্য। শুধু ২০২০-র অগাস্ট মাসের পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে বলে মালব্য দাবি করেছেন। জেলা ভিত্তিক ওই তালিকায় সারা রাজ্যে অগাস্ট মাসে মোট ২২৩টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ওই মাসে সারা বাংলায় অপহরণের মামলা রুজু হয়েছে ৬৩৯টি। মালব্যের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সব থেকে বেশি ধর্ষণের অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছে মুর্শিদাবাদে ৫১, নদিয়ায় ২৪টি, মালদায় ২২টি। একমাত্র কালিম্পংয়ে কোনও ধর্ষণের অভিযোগ হয়নি। এখানে অপহরণেরও কোনও অভিযোগ হয়নি। তাঁর দেওয়া তথ্যে সব থেকে বেশি অপহরণের অভিযোগ হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরে, ৭৭টি। দ্বিতীয় মুর্শিদাবাদে ৭৫টি, তারপর পশ্চিম মেদিনীপুরে ৬৮টি। কালিম্পংয়ের মতো পশ্চিম বর্ধমানেও অগাস্ট মাসে কোনও অপহরণের অভিযোগ হয়নি। এই তালিকা দিয়ে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অমিত মালব্য। এর আগে রাজ্যের অনুন্নয়নসহ অপরাধমূলক কার্যকলাপের তথ্য প্রকাশ করে তৃণমূল সরকারের সমালোচনা করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাল্টা দাবি করেছিলেন রাজ্যের নানা বিষয়ে মিথ্যা তথ্য তুলে ধরে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা চলছে। তৃণমূলের দাবি, এরাজ্যে অপরাধ কমেছে। বরং অনেক বেশি অপরাধ বেড়েছে উত্তরপ্রদেশে।

ডিসেম্বর ২২, ২০২০
রাজ্য

অমিত শাহর পাল্টা র‍্যালিতে ২ লক্ষ জমায়েতের চ্যালেঞ্জ

র্যালির পাল্টা র্যালি। অমিত শাহ বনাম মমতা। একদিকে যেমন দলবদলের খেলা জমে উঠেছে তেমনই চলছে একে অপরকে চ্যালেঞ্জ, পাল্টা চ্যালেঞ্জ। জনসভা পাল্টা জনসভা। ২০১১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই কৌশল নিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার ফের সেই পথেই হাটছে। সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারীও কাঁথিতে মিছিল করবেন তৃণমূলের জনসভার পরের দিন, ২৪ ডিসেম্বর। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রবিবারের র্যালি নিয়ে যারপরনাই খুশি। সেই আনন্দে তিনি বলেই ফেলেছেন, বাংলায় এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির জয় কেউ আটকাতে পারবে না। সেই ঘোষনাকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বোলপুরেই অমিত শাহর র্যালির ১০ দিনের মাথায় রোড শো করবেন মমতা। না তাড়াহুড়ো নয়, একেবারে সময় নিয়েই কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। ২৯ ডিসেম্বর বোলপুরে রোড শো করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের দাবি, ওই দিন ২ লক্ষ মানুষের জমায়েত হবে। এর আগে তিনি অভিযোগ করেছেন বিজেপি বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসেছে। যদিও বিজেপি পাল্টা জানিয়ে দিয়েছে শুধু বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা নয়, তাদের রোড শোতে বিক্ষুব্ধ তৃণমূলীরাও ছিলেন।

ডিসেম্বর ২১, ২০২০
রাজ্য

দল ছেড়ে বিরাগভাজন শুভেন্দু, কোথাও পুড়েছে কাট-আউট, কোথাও ছবিতে কালি

মেদিনীপুর কলেজ ময়দানের জনসভায় অমিত শাহের উপস্থিতিতে পদ্মশিবিরে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপর থেকেই শুভেন্দু অধিকারীর পোস্টারে আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ হয় মালদার চাঁচলে। নানা জায়গায় ক্ষোভ উগরে শুভেন্দু অধিকারীর ছবি ও পোস্টার পুড়িয়ে বিক্ষোভ হয়। এবার হাওড়ার ইছাপুরে শুভেন্দুর পোস্টারে কালি লেপে দেওয়া ছবি দেখা গেল। ছবিতে লেখা চোর। তবে কে বা কারা এই ঘটনায় যুক্ত তা জানা যায়নি। কয়েকদিন আগেই আমরা দাদার অনুগামীর তরফে হাওড়ার ইছাপুর জলের ট্যাঙ্ক মোড় এলাকায় এই পোস্টার দেওয়া হয়েছিল। শুভেন্দু দল পাল্টে বিজেপিতে যেতেই তাঁর ছবিতে কালি লাগিয়ে তাঁকে চোর বলে আখ্যা দেওয়া হল। এই প্রসঙ্গে বিজেপির হাওড়া সদরের সভাপতি সুরজিৎ সাহা বলেন, আয়নায় দেখলে যেরকম লাগবে এটা ঠিক সেরকম। শুভেন্দুদার মুখে নয়, এটা কালি লেগেছে তৃণমূলের মুখেই। ওরা শুভেন্দুদার মতো একজন দক্ষ সংগঠককে ধরে রাখতে পারেননি। ওরা নিজেরাই চোর। তাই শুভেন্দুদার মতো লোককে চোর বলছে। এই প্রসঙ্গে হাওড়ার তৃণমূল চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তৃণমূল এই কাজ করেনি, উন্নয়নের কথা বলছি আমরা তাতেই সময় কেটে যাচ্ছে।

ডিসেম্বর ২১, ২০২০
রাজনীতি

বাংলায় বিজেপিতে মুখমন্ত্রী পদে মুখ ৬ জন ও উপমুখ্যমন্ত্রী পদে ১৩ জন

বাংলায় বিজেপিতে ৬ জন মুখ্যমন্ত্রী, ১৩ জন উপমুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন পদের লড়াইয়ে। জানালেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের স্ত্রী সুজাতা মন্ডল খাঁ। এদিন তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর কথা বললেই দলের নেতৃত্ব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দেখিয়ে দেন। তৃণমূল ভবনে এদিন তৃণমূলে যোগ দিয়ে একথা বলেন সুজাতা মন্ডল খাঁ। সুজাতা বলেন, আগামী দিন তাঁর এই সিদ্ধান্তে সৌমিত্র খাঁ সামিল হবেন কী না তা কে বলতে পারে? এরাজ্যে বিজেপির মুখ কে এ নিয়ে বারে বারে প্রশ্ন উঠেছে। কখনও জল্পনায় উঠেছে এসেছে ক্রিকেটার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী, রামকৃষ্ণ আশ্রমের সন্যাসী সহ অনেকের নাম। এবার সুজাতা দাবি করলেন, বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ৬ জন, উপমুখ্যমন্ত্রী ১৩ জন দাবিদার আছেন বিজেপিতে। তবে তাঁরা কারা সেকথা বিস্তারিত জানাননি সৌমিত্র পত্নী। বিজেপিতে মর্যাদা পাচ্ছেন না বলে দল ছেড়েছেন সুজাতা। তিনি জানান, বিজেপির অনেক মুখ থাকলেও তৃণমূলে একজনই মুখ্যমন্ত্রী। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখনও তিনি মুখ্যমন্ত্রী, ভবিষ্যতেও তিনি মুখ্যমন্ত্রী হবে। তিনিই দলের মুখ। বিজেপির সেখানে কোনও মুখ নেই। বিজেপিতে কোনও নেতা নেই। বিজেপি এখন তৃণমূলের বি-টিম। তাই আসল দল তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

ডিসেম্বর ২১, ২০২০
রাজনীতি

হেভিওয়েট পরিবারে তৃণমূল-বিজেপি, তৃণমূলের দ্বিচারিতায় সন্দিহান কর্মীরা

শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিতেই তৃণমূল নেতাদের কাছ থেকে উড়ে আসছে একের পর এক বিশেষণ! এটা স্বাভাবিকভাবে হয়েও থাকে। এমনকী দলবদলের বিশ্বরেকর্ডধারীর কাছ থেকেও উড়ে এসেছে এমন বিশেষণ! সেটাতেও দোষের কিছু নেই। মেদিনীপুরের মঞ্চ থেকে শুভেন্দুবাবুর কথামতো এটা অবশ্যই দলের প্রতি নিষ্ঠা দেখানো! যদিও নীতির প্রশ্নে তৃণমূলের দ্বিচারিতায় সন্দিহান বুথস্তরের কর্মীরা। অন্তত হুগলি ও পূর্ব বর্ধমান জেলায় এমন প্রশ্ন উঠছে। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতেই শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির কাছ থেকে আগামী বুধবার তৃণমূলের মিছিল হবে। সভাও হবে। যেখানে ডাকা হয়নি দলের জেলা সভাপতি তথা প্রবীণ সাংসদ শিশির অধিকারী ও সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুবাবু বিজেপিতে যাওয়ার আগে ও পর থেকে লাগাতার অধিকারী পরিবার নিয়ে আপত্তিজনক কথা বলে চলেছেন কলকাতার শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে জেলায় অধিকারীদের বিরোধী গোষ্ঠী। শিশিরবাবু একবার বলেছিলেন, দলই তো শুভেন্দু অধিকারীকে বিজেপির দিকে ঠেলে দিচ্ছে! এবার কি তৃণমূলের একই কৌশল শিশির ও দিব্যেন্দু অধিকারীর ক্ষেত্রেও? প্রশ্ন উঠছে। এই দুই সাংসদ দলত্যাগ করলে তৃণমূলের সাংসদ সংখ্যা ১৯-এ নেমে আসবে‌। দলকে কোনও বিবৃতির মাধ্যমে অস্বস্তিতে না ফেললেও অধিকারী সাংসদদের নিয়ে যা চলছে তাতে কোনও বড় পদক্ষেপ অসম্ভব নয়। প্রচারে বলা হচ্ছে, কাঁথির সভায় থাকবেন ফিরহাদ হাকিম, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায়। এর আগেও নন্দীগ্রামে ববির সভায় ডাক পাননি দিব্যেন্দু। এবারেও তাই। অথচ বিজেপি নেতা তথাগত রায়ের ভাই সৌগত রায় তৃণমূলের সাংসদ, তিনি দলীয় মুখপাত্র, তাতে কোনও সমস্যা নেই দলের! তবে অধিকারীদের বিরুদ্ধে আলাদা নীতি কেন? তালিকা আরও আছে। প্রাক্তন বিধায়ক পারভেজ রহমান তৃণমূল ছেড়ে মেদিনীপুরের শাহী সভা থেকে গেরুয়া পতাকার তলায় এলেন। তাঁর ভাই মেহবুব রহমান অবশ্য তৃণমূলেই আছেন, এমনকী আছেন বহাল তবিয়তে হুগলির জেলা সভাধিপতি পদে। হুগলিতে তৃণমূলের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদবের দাদা কানাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আচ্ছেলাল যাদব‌। সম্প্রতি তাঁর বাড়িতে নৈশভোজ সেরে গেলেন অর্জুন সিং, শঙ্কুদেব পাণ্ডা। আচ্ছেলাল বললেন, পুরনো সম্পর্ক, সৌজন্য সাক্ষাত! দিলীপ বললেন, জবাব চেয়েছি। দল ব্যবস্থা নেবে। প্রশ্ন হলো, কবে? এখনও তো কিছু হলো না। বাঁশবেড়িয়ার প্রশাসক অরিজিতা শীল। তাঁর স্বামী সোনা শীলকে বিজেপি-যোগ-সহ দলবিরোধী কাজের ছুতোয় নাকি দল সাসপেন্ড করেছে। এরপরেও তাঁকে মন্ত্রী তপন দাশগুপ্তর সভামঞ্চে দেখা গিয়েছে। তপনবাবু সোনা শীলকে কিছু কাজের ভার দিয়েছেন। দক্ষিণ কলকাতার এক প্রভাবশালী মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে তৃণমূলেই বহাল তবিয়তেই রয়েছেন শীল দম্পতি। তাতেও দোষ নেই? কংগ্রেস-তৃণমূল-বিজেপি-তৃণমূল হয়ে আবার সম্প্রতি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের কালনার দাপটে নেতা শঙ্কর হালদার। তিনি বিধানসভা ভোটে বিজেপি প্রার্থীও হয়েছেন আগে‌। তাঁর স্ত্রী, জেলা পরিষদ সদস্য আরতি হালদার তৃণমূলেই‌ আছেন। এখনও। কর্মীদের মনে তাই প্রশ্ন, আমরা লড়াই করছি মাঠে, রাস্তায় নেমে আর জেলা নেতারা সুন্দরভাবে সেটিং সেরে রাখছেন, দুই নৌকায় পা কেন? তাতে দল দোষ দেখছে না! তৃণমূলের নীতির দ্বিচারিতা কি শুধু অধিকারী পরিবারের জন্যই?

ডিসেম্বর ২১, ২০২০
রাজনীতি

শুভেন্দুগড়ে জনসভা, মানসিক চাপ বাড়াতে চাইছে তৃণমূল

শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দিতেই তাঁর ভোটে দাঁড়ানোর কেন্দ্র নিয়েই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। এমনকী নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, নন্দীগ্রামে বিধানসভা নির্বাচনে দাঁড়ালে হারতে হবে শুভেন্দুকে। ঘটনার ওপর নজর রাখলেও এসব নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি নন্দীগ্রামের বিধায়ক। শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দিতেই পূর্ব মেদিনীপুর সহ বেশ কিছু জেলায় তৃণমূল নেতৃত্ব সতর্ক হয়ে পড়েছে। শুধু পূর্ব মেদিনীপুর থেকেই শুভেন্দু সহ বেশ কয়েকজন বিধায়ক গেরুয়া শিবিরে ভিড় জমিয়েছেন। স্বভাবতই শুভেন্দুর ওপর সাংগঠনিক লড়াইয়ের পাশাপাশি মানসিক চাপ বৃদ্ধি করার কৌশল নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দিতেই জল্পনা শুরু হতে থাকে এবার আর তিনি নন্দীগ্রামে বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাইছেন না। অন্য সেফ সিট খুঁজছেন। তৃণমূল নেতৃত্ব এই জল্পনা ছড়িয়েছে বলে বিজেপির দাবি। এরইমধ্যে ২৩ ডিসেম্বর কাঁথিতে জনসভা করতে চলেছে তৃণমূল। এবার আর তড়িঘড়ি করে সভার সিদ্ধান্ত নেয়নি তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও ওই সমাবেশে অধিকারী পরিবারের দুই সাংসদের নাম দলূয় ব্যানারে নেই। একটু সময় হাতে নিয়েই এবার জনসভার ডাক দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। জমায়েতে ভিড় করার বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে তৃণমূলেরই। বুধবারের সভা থেকে গোলা ছুড়বেন তৃণমূল নেতৃত্ব। শনিবার মেদিনীপুরের সভায় বিজেপি নেতা অমিত শাহর হাত থেকে পদ্মপতাকা তুলে নেন শুভেন্দু। তৃণমূল তাঁকে মীরজাফর, বিভীষণ, জগৎ শেঠ বলতেও ছাড়ছে না। পাল্টা বক্তব্য চলছে। অভিজ্ঞ মহলের মতে, শুভেন্দু তৃণমূল ত্যাগ করায় দল বড়সড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তাই শুভেন্দুর ওপর নানা ধরনের চাপ বৃদ্ধি করার কৌশল নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। নন্দীগ্রামে দাঁড়াবেন না সেকথা কখনই বলেননি শুভেন্দু। বরং নন্দীগ্রাম দিবস পালন করতে গিয়ে তেখালিত চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিলেন তিনি। সেই সভায় শুভেন্দু বলেছিলেন, রাজনীতির ময়দানে দেখা হবে। সেদিনই তিনি তৃণমূল ছাড়ার আভাস দিয়েছিলেন বলে রাজনৈতিক মহলের অভিমত।

ডিসেম্বর ২১, ২০২০
রাজ্য

‘বিজেপি বহিরাগতদের এনে ব়্যালি করছে’, দাবি অনুব্রতর

ডাকবাংলো মোড় থেকে চৌরাস্তা গোটা রাস্তাতেই ব্যান্ড বাজছে। বাড়ির উপর থেকে ফুল পড়ছে। জনজোয়ারে ভেসে এগিয়ে চলেছেন অমিত শাহ। পরে শাহের জয় শ্রীরাম ধ্বনিতে যেন জনতার বাঁধ ভাঙল। বোলপুরে এ দিন অমিত শাহের মেগা ব়্যালিতে ভিড় ছিল উপচে পড়া। তবে, একে আমল দিতে নারাজ খোদ বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। উল্টে এখানেও বহিরাগত তত্ত্ব হাজির করলেন নেত্রীর আস্থাভাজন কেষ্ট। দলীয় বঙ্গধ্বনী কর্মসূচির মাঝেই নিজস্ব কায়দায় বললেন, বিজেপি বহিরাগতদের এনে এই ব়্যালি করছে। আমি জেলার লোক নিয়ে মিছিল করি। কয়েকটা ব্লক নিয়ে মিছিল করলেই এর থেকে বেশি ভিড় জমিয়ে দিতে পারি। আরও পড়ুন ঃ রোড শোতে উপচে পড়া ভিড়, হুডখোলা গাড়ি থেকে পরিবর্তনের ডাক শাহের এখানেই থেমে থাকেননি অনুব্রত। উল্টে কিছুটা চ্যালেঞ্জের সুরেই তাঁর দাবি, আগামী ৪ জানুয়ারি থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকায় সভা শুরু হবে। প্রতিটা ব্লকে ৮০ হাজার করে লোক থাকবে। এরপরই তৃণমূল নেত্রীর পদযাত্রার প্রসঙ্গ উত্থাপ করে তিনি বলেন, মমতাদির সবা-মিছিল হলে পাঁচ-ছয়টা ব্লক থেকে মিছিল তাতেই চার-পাঁচ লাখ লোক হয়ে যায়। এসব আমাদের কাছে কোনও ব্যাপার নয়। বিজেপির এ দিনের কর্মসূচিতে যে ভিড় হয়েছে তাতে কি তিনি ভীত? অনুব্রত মণ্ডল বলেন, আমিত শাহ রোজ আসুন। এতে তৃণমূলের কোন ক্ষতি হবে না। উৎসাহিত হবে দলের কর্মীরা। একই সঙ্গে বলেন, শুভেন্দু হোক বা অন্য কেউ- তৃণমূল ছাড়লে ক্ষতি দলত্যাগীদের। ফের বাংলার ক্ষমতায় আসবে তৃণমূল।

ডিসেম্বর ২০, ২০২০
রাজ্য

রোড শো’তে উপচে পড়া ভিড়, হুডখোলা গাড়ি থেকে পরিবর্তনের ডাক শাহের

রবিবার অনুব্রত মণ্ডলের খাস তালুকে রোড শো করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কর্মীদের ভিড় এতটাই ছিল এক কিলোমিটার রাস্তা পেরোতে সময় লেগে গেল এক ঘণ্টারও বেশি। শুধু তাই নয় রাস্তার দুপাশে বিজেপির কর্মী সমর্থকদের ভিড় এতটাই ছিল যে রাস্তার দুপাশে দড়ি দিয়ে আটকে রাখা যাচ্ছিল না কর্মী-সমর্থকদের। রীতিমতো পুলিশকে বেগ পেতে হয় কর্মী-সমর্থকদের আটকানোর জন্য। অমিত শাহের রোড শো এর একদম প্রথমে ছিলেন বীরভূমের পুলিশ সুপার। হুডখোলা গাড়িতে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ কে সঙ্গে নিয়ে এদিন রোড শো-র প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ভালো মুডে দেখা গেল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। রোড শো-র প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত গোলাপের পাপড়ি কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ছুঁড়তে ছুঁড়তে গেলেন অমিত শাহ। আরও পড়ুন ঃ পাহাড়ে বিমলের সভার আগে আদিবাসীদের হুঁশিয়ারি আগুন জ্বলবে এরপর হুডখোলা গাড়িতে দাঁড়িয়ে সুর চড়ালেন অমিত শাহ। বলেন, এরকম রোড শো জীবনে দেখিনি। এটা ঐতিহাসিক। ডাকবাংলো মোড় থেকে চৌরাস্তা পর্যন্ত রোড শোতে ভিড় প্রসঙ্গে বার্তা দেন শাহ। মেদিনীপুরের পর বীরভূমে অনুব্রতর গড়ে ফের পরিবর্তনের বার্তা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। এছাড়াও বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতায় আসলে সোনার বাংলা গড়ার ডাক শাহের। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করে শাহ বলেন, তোলাবাজি বন্ধে পরিবর্তন দরকার। বিজেপি বাংলার উন্নয়ন করবে। রোড শো ঐতিহাসিক। এরকম র্যালি আগে দেখিনি। মোদিজির প্রতি ভালবাসা দেখছি। হিংসা বদলে বদল জরুরি। ভাইপোর দাদাগিরি বন্ধ হবে। অমিতের দাবি, বাংলার উন্নয়ন করবে বিজেপির সরকারই। বলেন, যেখানে বিজেপির শাসন, সেখানেই উন্নয়ন। উন্নয়নের রাস্তা থেকে সরে গিয়েছে বাংলা। পাশাপাশি মানুষের কাছে বিজেপিকে ভোটে জয়ী করার আহ্বানও জানান তিনি। বলেন, এতদিন তো কংগ্রেস, কমিউনিস্ট, তৃণমূলকে দেখলেন। কিন্তু তাতে কি অবস্থার কোনও বদল হয়েছে? বিজেপিকে একটি বার সুযোগ দিন, সোনার বাংলা গড়ব।

ডিসেম্বর ২০, ২০২০
রাজ্য

বোলপুরের বাউল বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ অমিত শাহর

শ্যমবাটিতে বাউল শিল্পী বাসুদেব দাসের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। নির্দিষ্ট সময়ের খানিকটা পরেই অমিত শাহ পৌঁছন বাউল বাসুদেবের বাড়িতে। সেখানকার শিবমন্দিরে প্রথমে পুজো দেন। এরপর দাওয়ায় এসে বসেন। তাঁকে উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করে নেন বাড়ির মেয়েরা। তোমায় হৃদমাঝারে রাখব গান শুনে মধ্যাহ্নভোজ সারেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়, অনুপম হাজরা প্রমুখ। কথা ছিল, বোলপুরে গেলে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একেবারে স্থানীয় খাবার খাবেন বাউল পরিবারে। আরও পড়ুন ঃ ৭০ বছর পর ঐতিহাসিক সাফল্য ভারত সরকারের সেইমতো রবিবার অতিথি আপ্যায়ণের জন্য সকাল থেকেই তোড়জোড় শুরু হয় রতনপল্লির বাউল বাসুদেব দাসের পরিবারে। পাতে ছিল, ভাত, মুগের ডাল, বেগুন ভাজা, পালং শাকের তরকারি, আলু পোস্ত, চাটনি। কলাপাতায় এই সব পদ সাজিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, নিজের গলায় একখানা গানও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে শোনান শিল্পী। মাটির দাওয়ায় বসেই তা বেশ উপভোগও করলেন অমিত শাহ।

ডিসেম্বর ২০, ২০২০
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 32
  • 33
  • 34
  • 35
  • 36
  • 37
  • 38
  • ...
  • 47
  • 48
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

১০০ দিনের কাজ নিয়ে হাইকোর্টে বড় ধাক্কা কেন্দ্রীয় সরকারকে

গতকালই ওবিসি মামলায় হাইকোর্টে জোরদার ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। এবার ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বড় ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার নজিরবিহীন একটি নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পশ্চিমবঙ্গে ফের ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প চালু করতে হবে, এই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ১ আগস্ট থেকেই এই প্রকল্প চালু করতে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ।উল্লেখ্য, বাংলায় ১০০ দিনের কাজের টাকা বহুদিন ধরে আটকে রেখেছে কেন্দ্র, এই অভিযোগ করে আসছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রাজ্য সরকারের একাধিক মন্ত্রী এই ব্যাপারে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বারবার সমালোচনায় সরব হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে লাগামহীন দুর্নীতি হয়েছে। এই দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্র বেশ কয়েকটি দলও বাংলার জেলায় জেলায় পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী আদালতে জানিয়েছিলেন, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গে মোট ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে গরমিল ধরা পড়েছে।। তার মধ্যে ২ কোটিরও বেশি টাকা পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে। হুগলি, মালদা, বর্ধমান, দার্জিলিংয়ের মতো জেলাগুলিতে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। ১০০দিনের কাজের প্রকল্পে টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে বেনজির দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রের।রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প আটকে থাকা নিয়ে মামলার শুনানি বুধবার ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনেছেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এরপর প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছেন যে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের জন্যই বিশেষ কোনও বেঁধে দিতে পারে কেন্দ্র। এই রায়ের পর সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ১০০ দিনের পুরনো বকেয়া টাকা ফেরত দিতে হবে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর

পাঁচ লক্ষ টাকা তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর এবং সালিশি করে গ্রাম ছাড়া করার অভিযোগ উঠলো স্থানীয় একদল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকায়। এই ঘটনায় আক্রান্ত ব্যবসায়ীর পরিবার কালিয়াচক থানার দ্বারস্থ হলেও চারদিন পরে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে বুধবার ওই ব্যবসায়ী দম্পতি সমস্ত ঘটনার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানালেন পুলিশ সুপারের কাছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব। এদিকে কালিয়াচকের ওই ব্যবসায়ীর ওপর আক্রমণ এবং পাঁচ লক্ষ টাকা তোলাবাজির ঘটনায় রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলার সর্ববৃহৎ ব্যবসায়ীদের সংগঠন মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বারবার যদি ব্যবসায়ীদের ওপর দুষ্কৃতীদের হামলা নেমে আসে, তাহলে আমরা যাব কোথায়। অবিলম্বে পুলিশ সুপার যাতে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে, সেই আবেদন জানাচ্ছি। এদিকে পুলিশকে অভিযোগে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকার পোশাক ব্যবসায়ী মহম্মদ রহিম বিশ্বাস জানিয়েছেন, পুরনো একটি মামলার ঘটনায় গত শনিবার এলাকার এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী জহরুল খান এবং তার দলবল তাকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাদের একটি ডেরায় তাঁকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর পাঁচ লক্ষ টাকার তোলা চাওয়া হয়। সেই টাকা না দেওয়ায় আশেপাশের আরও কিছু সাগরেদদের জুটিয়ে সালিশি ডাকা হয়। সেই সালিশির মাধ্যমে তাদের পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। আর এই ঘটনার পর থেকেই গত চারদিন ধরেই ওই ব্যবসায়ী পরিবার নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন হয়ে রয়েছেন। এমনকি ফতেখানি স্ট্যান্ডের কাছে ওই ব্যবসায়ী তার নিজের পোশাকে শোরুম খুলতে পারছেন না।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

বাংলা দিবস পালন নিয়ে বিজেপিকে কড়া তোপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

বাংলা দিবস পালন নিয়ে ফের বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে বাগযুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। আগামী ২০ জুন বাংলা দিবস পালন করা হবে বলে উত্তরপ্রদেশের বিশেষ সচিব পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি দফতরকে একটি চিঠি দিয়েছে। আলাদা করে বাংলা দিবস পালনের দিন নির্ধারণ নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ইস্যুতে BJP-র কড়া জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২০ জুন প্রতিটি রাজ্যের রাজভবনে বাংলা দিবস পালন করা হবে বলে ঠিক করা হয়েছে। এই তারিখ কীভাবে ঠিক করা হল? দেশ স্বাধীন হয়েছে ১৫ আগস্ট। বাংলার প্রতিষ্ঠা দিবস আপনারা ঠিক করে দেবেন? বিজেপি ইচ্ছা মতো চাপিয়ে দেবে? এটা বাংলাকে চরম অসম্মান বলে আমরা মনে করছি। বাংলা দিবস বাংলার সরকার পালন করবে। সেটা ১ বৈশাখ।এদিন কেন্দ্রকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রীর আরও তোপ, সব বুলডোজ করছে, দেশে জুমলা সরকার চলছে। পেহেলগাঁওয়ের পর সবাই বিশেষ অধিবেশন ডাকার কথা বলেছে। বিরোধীরা সবাই অধিবেশন ডাকার কথা বলেছিল। কেন বিশেষ অধিবেশন ডাকা হবে না?একশো দিনের কাজের টাকা চার বছর ধরে বন্ধ করেছে। আবাস যোজনার টাকা দিচ্ছে না। রাজ্য সরকার নিজে সেই টাকা খরচ করে উন্নয়ন বজায় রেখেছে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

ভাগীরথী সেতুতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, লরির চাকায় পিষ্ঠ হয়ে মৃত্যু রোগীর

মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ভাগীরথী সেতুর উপর ঘটল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বুধবার দুপুরে চলন্ত লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। মৃতের নাম হরেন মণ্ডল (৬৩)। তিনি ঝাড়খণ্ডের পাকুর জেলার বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।জানা গিয়েছে, বুধবার সকালেই অসুস্থতা জনিত কারণে হরেন মণ্ডলকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পুত্রবধূ। দুপুরে বৌমা ফুলতলা বাজারে ফল কিনতে গেলে অনেকক্ষণ কেটে গেলেও তিনি না ফেরায়, চিন্তায় পড়ে বৃদ্ধ খুঁজতে বের হন। খুঁজতে খুঁজতে উঠে পড়েন ভাগীরথী সেতুর উপর। সেই সময় এক চলন্ত লরির সামনে পড়ে যান তিনি। অসাবধানতাবশত লরির চাকায় পিষ্ট হন হরেন মণ্ডল। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ ও রঘুনাথগঞ্জ সদর ট্রাফিক গার্ড। কিছু সময়ের জন্য সেতুর উপর যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে পুলিশ ব্যবস্থা নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ কী, লরি চালকের গাফিলতি ছিল কিনাতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।এই দুর্ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর এমন মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার ও হাসপাতাল চত্বরে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পরেও কি ভাবে রাজ্য সড়কে পৌছালো ঐ রুগী তা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে একলাবাসীর মধ্যে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

রায়নার বিধায়কের কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী

রায়নার বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভাতেই বিধায়ক শম্পা ধারা কন্যা সন্তান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে হাজির হন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নাম রাখেন ঐশী। আশাপূরণ হওয়ায় শম্পা ধারা বেজায় খুশি। মেয়ের অন্নপ্রাসন অনুষ্ঠানের দিনও নির্দিষ্ট করে ফেলেছেন বিধায়ক। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য শম্পা ধারা এদিন মুখ্যমন্ত্রী সহ সকল বিধায়ককে নিমন্ত্রণও করেন।শম্পা ধারার কন্যার এখন বয়স মাত্র সাড়ে চার মাস। বাংলার অগ্নিকন্যা তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্তত তাঁর কন্যার নামকরণ করে আশীর্বাদ করুন, এমনটাই স্বপ্ন ছিল রায়নার তৃণমূল বিধায়কের। সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষে নিজের শিশু কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে সোমবার দুপুরে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের সামনে পৌছে যান পূর্ব বর্ধমানের বিধায়ক। মুখ্যমন্ত্রী ঘর থেকে বের হতেই বিধায়ক শম্পা তাঁর কন্যার নামকরণ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেন। নিজের দলের বিধায়কের সেই অনুরোধ ফেরাননি মুখ্যমন্ত্রী।শম্পা ধাড়া জানান, চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি তাঁর কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে। শম্পা ধারার কথা অনুযায়ী নাম করণ করে দেওয়ার পর তাঁর মেয়ের মাথায় হাত দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশীর্বাদ করেছেন। এটাই তো তাদের কাছে অনেক বড় পাওয়া। এর জন্য তিনি গর্বিত বোধ করছেন।তাঁর খুব আনন্দও হচ্ছে।

জুন ১৭, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

কেশরী চ্যাপ্টার টু, ইতিহাস বিকৃত করার ভয়ঙ্কর অভিযোগ

ইতিহাসের একটি পরিচিত অধ্যায় ইংরেজ শাসনের সময় বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী ও বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বোস ও প্রফুল্ল চাকী কুখ্যাত ইংরেজ জাজকে বধ করার চেষ্টা করেছিল। এর ভিত্তিতে ক্ষুদিরাম বোসের ফাঁসি হয়েছিল এবং প্রফুল্ল চাকীও পুলিশের হাতে যাতে ধরা না পড়ে তার জন্য নিজের প্রাণ নিজের হাতে নিয়েছিল। বিধাননগর দক্ষিণ থানাতে অভিযোগ এসেছে যে একটি সিনেমা ইদানিংকালে লাইভ স্ট্রিমিং হচ্ছে সিনেমাটির নাম হচ্ছে কেশরী চ্যাপ্টার টু। সেই সিনেমাটি জিও হটস্টারে দেখানো হচ্ছে লাইভ স্ট্রিমিং এর মাধ্যমে সেখানে একটা দৃশ্যে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম বোসের নামকে ক্ষুদিরাম সিং বলা হয়েছে এবং প্রফুল্ল চাকির সেখানে কোন উল্লেখ নেই।বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী অরবিন্দ ঘোষের ছোট ভাই বিরেন্দ্র কুমার ঘোষ তিনি ও বিপ্লবী ছিলেন উনার নামটাকে বারিন্দ্রা কুমার বলে বলা হচ্ছে। শুধুমাত্র ঐতিহাসিক তথ্যগুলোকে বিকৃত করা হয়নি, বরঞ্চ স্বাধীনতা সংগ্রামী যারা আছেন তাদের নামটাকে বিকৃত করে তাদের গরিমাটাকে কিছুটা হলেও ম্লান করার চেষ্টা হয়েছে এবং করা হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে একটা কেস করা হয়েছে। এটাও দেখানো হয়েছে খুদিরাম বোস এবং বারিন্দ্র ঘোষ ওনারা অমৃতসরের ছাত্র ছিলেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগটা করা হয়েছে। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিধান নগর দক্ষিণ থানাতে একটি কেস রুজ করা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।

জুন ১৭, ২০২৫
কলকাতা

ভূয়ো কল সেন্টারের পর্দা ফাঁস, বাগুইআটিতে গ্রেফতার ৬

গোপন সূত্রে প্রাপ্ত সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বাগুইহাটি থানা অধীনস্ত সৃষ্টি অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল এবং পর্দা ফাঁস করে একটি ভুয়ো কল সেন্টারের। অভিযুক্তরা বিভিন্ন রাজ্যে সমাজের প্রান্তিক শ্রেণীর মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ করত এবং কম সুদে ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের কস্টার্জিত অর্থ হাতিয়ে নিতো।স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগের ভিত্তিতে বাগুইআটি থানায় কেস নাম্বার ৩৮২/২০২৫ মামলা রুজু হয়। এই অভিযানে মোট ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং উদ্ধার হয়েছে বহু বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ইত্যাদি। এই মামলার তদন্ত চলছে। ধৃতদের আজ আদালতে পেশ করা হলে তাদের প্রত্যেকের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন মঞ্জুর হয়। মামলার তদন্ত চলছে।

জুন ১৭, ২০২৫
রাজ্য

তৃণমূলের দলীয় বৈঠকে মমতাবালাকে কটুক্তির অভিযোগ, উপপ্রধানকে গ্রেফতারের দাবি

দলীয় বৈঠক তৃণমূল উপপ্রধানের গালাগাল ও কটুক্তির শিকার তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতা ঠাকুর। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন তৃণমূল কর্মী। সরব হলেন মতুয়া ভক্তরা। পার্থ ভৌমিকের সম্পর্কে কিছু কথা বলার জন্যে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে, আর কিছু নয় বলে দাবি তৃণমূল জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের।একুশে জুলাই এর প্রস্তুতি সভা ছিল সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙ্গায়। অভিযোগ, সেখানে বক্তব্য রাখার সময় গোপালনগর চৌবেরিয়া ১ নাম্বার গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করেন। এমনকি বৈঠক শেষে মমতা ঠাকুর বাইরে বের হলে তাঁকে উদ্দেশ্য করে সুনীলসহ আরও কয়েকজন কটুক্তি করে এবং অশ্লীল অঙ্গিভঙ্গি করে, এমনকি তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়। এবং ছোট জাত বলে আক্রমণ করা হয়। এই মর্মে সোমবার রাতে সব্যসাচী ভট্ট নামে এক তৃণমূল কর্মী গাইঘাটা থানায় এফ আই আর দায়ের করেন। অভিযোগ করার সময় সব্যসাচীর সঙ্গে ছিলেন মতুয়া ভক্তরা ও গোসাইরা। অভিযুক্তর গ্রেফতারের দাবি করেন তারা। তারা বলেন, মাকে গালাগালি দেওয়া মানে আমাদের মতুয়া সমাজকে গালি দেওয়া। এটা আমরা কোনওভাবেই মেনে নেব না। ২৪ ঘন্টার মধ্যে যদি অভিযুক্তকে গ্রেফতার না করা হয় তাহলে তীব্র প্রতিবাদ হবে।এই বিষয়ে অভিযুক্ত চৌবেড়িয়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার জানিয়েছেন, মমতা ঠাকুর বক্তব্য রাখতে গিয়ে নানা কথার মধ্যে দিয়ে জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস ও পার্থ ভৌমিককে আক্রমণ করছিল। আমি শুধু প্রতিবাদ করে বলেছি আপনাদের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের বৈঠকে এটা আলোচনা করবেন। আমি যদি উনাকে গালাগাল করে থাকি সেটা প্রমাণ করুক। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যদিও বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস জানিয়েছেন, গতকাল একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় চেয়ারম্যান পার্থ ভৌমিক সম্পর্কে কিছু কথা বলাতে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আর কিছু নয়। তৃণমূলের সভায় মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালাগাল ও জাত তুলে কটুক্তি নিয়ে কটাক্ষ করা প্রসঙ্গে শান্তনু ঠাকুর বলেন, ওদের নেত্রী হরিচাঁদ গুরুচাঁদ নিয়ে যা বলেছেন তাতে ছোট নেতা কি বলবে। মমতা ঠাকুর হারিকাঠে গলা দিয়েছে, কি হবে বুঝতে পারছে না। ওর লজ্জা ঘৃণা ভয় কিছু নেই। এই বিষয়ে মমতা ঠাকুরবালার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

জুন ১৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal