• ৩ আষাঢ় ১৪৩২, শুক্রবার ২০ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

India

খেলার দুনিয়া

রোডস-গিবসের দেশের খেলোয়াড়দের ফিল্ডিংয়ের দৈনদশায় "চোকার্স" তকমা এবারেও ঘুচলো না।

১৯৯৯-এর বিশ্বকাপ সুপার সিক্সের লড়াইয়ে, অস্ট্রেলিয়া ২৭২ রান তারা করছিল, তখন ক্যাপ্টেন স্টিভ ওয়াঘ ৫৬ রানে ব্যাট করছিলেন। স্টিভ মিড-উইকেটে হার্শেল গিবসকে একটি সহজ সুযোগ দেন। গিবস ক্যাচটি ধরে সেলিব্রেশন করতে গিয়ে বলটি মাটিতে ফেলে দেন। তার পর স্টিভ ওয়াঘ ১২০ রানে অপরাজিত থেকেম্যাচটি জিতে ফেরেন। জানা যায় স্টিভ ওই ওভার শেষে গিবসে বলেছিলেন তুমি ক্যাচ মাটিতে ফেলনি, বিশ্বকাপ তোমার হাত থেকে পড়ে গেল। স্টিভের এই কথাটি-ই সত্য হয়। অস্ট্রেলিয়া ১৯৯৯ এর বিশ্বকাপ লাভ করে।বড় ম্যাচে চোকার্স তকমা এবারেও গেল না। ২০২৩-র বিশ্বকাপে অনবদ্য শুরু করে সাদামাটা ভাবে বিদায় নেলসন মেন্ডেলার দেশের। ৩ উইকেটে জিতে আমেদাবাদে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনালে ভারতের সামনে অস্ট্রেলিয়া। দক্ষিণ আফ্রিকার ২১১ রান দেখে যতটা সহজে অস্ট্রেলিয়া জিতে যাবে মনে হচ্ছিল ততটাই কঠিন ভাবে জিততে হল অস্ট্রেলিয়াকে। হাঁটুর ওপর বল না ওঠা ইডেনের পিচ সেমিফাইনালের যোগ্য নয় বলে বিশেষজ্ঞরা বলতে শুরু করেছেন। এই নিয়ে পাচবার সেমিফাইনালে উঠে পাঁচ বারই হারতে হল দক্ষিণ আফ্রিকাকে।➡️ From 24/4 in the 12th over➡️ To 212 all outDavid Millers 💯 has given the South Africa bowlers something to defend.Read the live match report📝⬇️#CWC23 #SAvAUS https://t.co/qayvEZNW7J ICC (@ICC) November 16, 2023মেঘলা আকাশ, শিরশিরে হাওয়া থা সত্তেও টসে জিতে কেন প্রথম ব্যাটিং নিলেন তার ব্যখা পাওয়া গেল না। তিন তিনটে পেস বোলার থাকা টিম স্বাভাবিক ভাবেই ওই পরিবেশে টসে জিতে প্রথম বোলিং করবে স্টাই প্রত্যাশিত। মাত্র ২১২ রানে শেষ হয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। ডেভিড মিলারের অনবদ্য ১০১ রান ও হেনরিক ক্লাসেন ৪৭ রান ইনিংস বাদ দিলে অস্ট্রেলিয়ার বোলিংয়ের সামনে আত্মসমর্পন করল আফ্রিকার সিংহরা।অধিনায়ক বাভুমা শূন্য দিয়ে শুরু, অবসরের ঘোষণা করে বিশ্বকাপ খেলতে এসে কুইন্টন ডিকক সারা প্রতিযোগিতায় দারুণ ফর্মে ব্যার্থ সেমিফাইনালে, করেন মাত্র ৪ রান। ব্যর্থ তিন নম্বরে নামা ভ্যান ডার ডুসেনও, তিনি করেন ৬। অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের দাপটে ১১.৫ ওভারে ২৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে শুরু থেকেই ধুঁকতে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা।২৪ রানে ৪ উইকেট পরে যাওয়ার পর দলের হাল ধরেন হেনরিখ ক্লাসেন এবং ডেভিড মিলার। পঞ্চম উইকেটের জুটিতে তাঁরা দুজনে যোগ করেন ৯৫ রান। সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার সফলতম বোলার মিচেল স্টার্ক, তিনি ৩৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নিলেন। হ্যাজলউড -ও খুব ভালো বল করেন, তিনি ১২ রানে ২ উইকেট নিলেন। অস্ট্রেলিয় অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ৫১ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিলেন। ২১ রানে ২ উইকেট নিলেন ট্র্যাভিড হেড।টি২০ ক্রিকেটের আবির্ভাব হওয়ার পর ৫০ ওভারের ম্যাচে ২১৩ রান খুব-ই সামান্য টার্গেট বলেই মনে করা হয়। এই ২১৩ রান তুলতে যঠেষ্ট-ই বেগ পেতে হল অস্ট্রেলিয়াকে। এক সময় ম্যাচ ৫০-৫০ হয়ে গেছিল। দক্ষিণ আফ্রিকা সময় মত ক্যাচ গুলো ধরতে পারলে এই ম্যাচের ফলাফল অন্যরকম হতেই পারতো। হল না তার সবচেয়ে বড় কারণ দক্ষিণ আফ্রিকা আজ কমপক্ষে ৪টি সহজ ক্যাচ ছাড়েন, এই পর্যায়ের খেলায় যা অমার্জনীয় অপরাধ।

নভেম্বর ১৬, ২০২৩
খেলার দুনিয়া

টানা ১০ ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে পৌঁছালেও, কেন চিন্তার ভাঁজ রোহিতের কপালে?

বুধবার মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে ৭০ রানে ম্যাচ জিতে ফাইনালে পৌঁছালেও বেশ কিছু প্রশ্ন রেখে গেল। ভারতের পাহাড় প্রমান রান তাঁরা করতে গিয়ে প্রথম দিকে দুটো উইকেট হারালেও কনওয়ে-মিচেল জুটি একটা সময় ভারতের শিরদাঁরায় ঠাণ্ডা স্রোত এনে দিয়েছিল। ৩৯৭ রানও সেই সময় সুরক্ষিত দেখাচ্ছিল না। চাপের মুখে একাধিক মিসফিল্ড, ওভারথ্রো, ক্যাচ মিস সেসময় ভারতের দুর্ভেদ্য রক্ষণকে বেশ নড়বড়ে দেখাচ্ছিল।২০২৩ বিশ্বকাপে এই প্রথমবার ভারতের ফিল্ডিং নিয়ে প্রশ্ন উঠল। এটাও ঠিক টানা ৯টি ম্যাচ হেলায় জিতে ভারত তাদের বিশ্বকাপ অভিযানে প্রথমবারের মতো বিপক্ষের কড়া প্রতিরোধের মুখোমুখি হল। ম্যাচের একটা সময় ভারতীয় টিম সহ সাপোর্ট স্টাফ সকলকেই যথেষ্টই আতঙ্কিত লাগছিল।নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিংয়ের ২৩ তম ওভার, ২০১৯ এর ফাইনালিস্টরা তাঁদের দুই প্রারম্ভিক ব্যাটার ডেভন কনওয়ে এবং রাচিন রবীন্দ্রকে হারিয়ে, সবে ড্যারিল মিচেল এবং কেন উইলিয়ামসন বিপক্ষের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে ১০০ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তুলেছেন। ইন্ডিয়া টিমের কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমতে শুরু করেছে। বল হাতে রবীন্দ্র জাদেজা, জাদেজার ২৩ তম ওভারের শেষ বল, জোরের ওপর আর্মার করেন কেন উইলিয়ামসন স্টেপ আউট করে মারতে গিয়ে বল সোজা চলে যায় জাদেজার হাতে। জাদেজা বল ধরে সজা ব্যাটিং প্রান্তের উইকেট থ্রো করেন, বল উইকেটরক্ষক রাহুলের নাগাল এড়িয়ে সজা মাঠের বাইরে চলে যায়।যখন এক এক রান অতি গুরুত্বপূর্ণ সে সময় ৪ রান উপহার দেওয়াই অধিনায়ক রোহিত শর্মা তাঁর প্রিয় অলরাউন্ডারের প্রতি যথেষ্টই ঊষ্মা প্রকাশ করেন। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের কেউই ঐ হতচকিত থ্রোয়ের কোন ব্যাখা পাননি। টিভি রিপ্লেতে দেখা গেছে বল উইকেটে লাগলেও কেন উইলিমসন যথেষ্ট সুরক্ষিত ছিলেন। বিশেষজ্ঞদের আরও প্রশ্ন, যখন উইকেটরক্ষকের ব্যাকআপে কোনও ফিল্ডার নেই, তখন এই ভাবে হতচকিত থ্রো করা কোনও বিশ্বমানের ফিল্ডারকে মানায় না।২০২৩ বিশ্বকাপে ভারত পুরো লিগ পর্বে তাঁদের ফিল্ডিংয়ের একটি উচ্চ মান বজায় রেখেছে, তাঁরা ৯টি ম্যাচের মধ্যে ৯টি জিতে সেমিফাইনালে পৌঁছেছে। সেমিফাইনালে তাঁদের ফিল্ডিং খুবই ঢিলেঢালা হয়েছে। তাঁরা তাঁদের নিজেদের তৈরি করা মানদণ্ড কোনও ভাবেই ছুঁতে পারেনি বুধবার। শামি, বুমরা, সুর্যকুমার, জাদেজা, কুলদীপ, সিরাজ এদের প্রত্যেককেই সে সময় খুব দিশেহারা লাগছিল। জাদেজার মিসফিল্ডের কয়েক ওভার পরের মহম্মদ শামি মিড-অনে জসপ্রীত বুমরার বলে কেন উইলিয়ামসনের লোপ্পা ক্যাচ ফেলে দেন। জুটি ভাঙার সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করে দেওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েন বোলার জাসপ্রিত বুমরাহ। এর আগে এই বুমরা-ই পয়েন্ট অঞ্চলে পায়ের ফাঁক দিয়ে একটি সহজ ড্রাইভ গলিয়ে দিয়ে বাউন্ডারি উপহার দেয় ব্ল্যাকক্যাপদের।সেই সময় এক-দুজন ছাড়া বাকি প্রায় সকলকেই ফিন্ডিং করার সময় দিশেহারা লাগছিল। উইলিয়ামসনের সহজ ক্যাচ মিস করা শামি-ই উইলিয়ামসনকে আউট করে প্রায়শ্চিত্ত করে ভারতকে ম্যাচে ফেরান, ডিপ স্কোয়ার লেগে অনবদ্য ক্যাচ নেন সুর্যকুমার যাদব। শামির এক মহাকাব্যিক বোলিং স্পেল ১২ বছর পর ফের টিম ইন্ডিয়াকে ফের ফাইনালে তোলে। ভারতের দুই প্রধান ব্যাটার শুভমান গিল ও বিরাটের পায়ের মাসল ক্র্যাম্প-ও রোহিতের কপালে চিন্তার ভাঁজের অন্যতম কারণ। বিশেষজ্ঞদের ধারণা টিমের ফিজিও ও ফিল্ডিং কোচ দিলিপের সামনের দুদিন খুব কঠিন যাবে। কারণ, এই ছোট খাটো ভুলত্রুটি শুধরেই ফাইনালের মহারণে ভারতকে নামতে হবে।

নভেম্বর ১৬, ২০২৩
খেলার দুনিয়া

সেমি ফাইনাল নয়- এ যেন 'শামি ফাইনাল'! বিশ্ব ক্রিকেটের মহারণের ময়দানে মহাকাব্যিক বোলিং!

মহঃ শামি - বিরাট কোহলি - শ্রেয়াস আইয়ার এর দৌলতে এই প্রথমবার কোনও পুরুষদের ক্রিকেট বিশ্বকাপের নকঅউট পর্বের ম্যাচে ভারত নিউজিল্যান্ডকে পরাজিত করল। এই জয়ের সাথে সাথে ভারত ২০২৩ বিশ্বকাপের চূড়ান্ত ফাইনালে পৌঁছে গেল। বুধবার মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ভারত নিউজিল্যান্ডকে ৭০ রানে পরাজিত করে। খেলার প্রায় ৪০ ওভার অবধি টান টান উত্তেজনা ছিলএই ম্যাচে।একদিবসীয় বিশ্বকাপের এবার নিয়ে মোট চতুর্থ বার ফাইনালে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে ভারত। শেষবার এই ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামেই ধনি অধিনায়কত্বে বিশ্ব চাম্পিয়ান হয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। লিগ পর্বের নটি ম্যাচের মধ্যে নয়টি জিতে লিগ শীর্ষে ছিল রোহিত শর্মার ছেলেরা। সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয়লাভের পর এই বিশ্বকাপে ভারত এখন ১০ এ ১০।টসে জিতে প্রথমে ব্যাট কারার সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। বিরাট কোহলি ও শ্রেয়াস আইয়ারের সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ভারত ৪ উইকেটে ৩৯৭ রান করে। বিরাট তাঁর ৫০ তম সেঞ্চুরি করার সাথে সাথে ভেঙ্গে দেন কিংবদন্তি শচীন তেন্ডুলকারের একদিনের ক্রিকেটে ৪৯ টি সেঞ্চুরি করার রেকর্ড।𝗢𝗻𝗲 𝘀𝘁𝗲𝗽 𝗰𝗹𝗼𝘀𝗲𝗿! 🏆#TeamIndia 🇮🇳 march into the FINAL of #CWC23 🥳#MenInBlue | #INDvNZ pic.twitter.com/OV1Omv4JjI BCCI (@BCCI) November 15, 2023রোহিত শর্মা এবং শুভমান গিল শুরুতে দুর্দান্ত এক ওপেনিং পার্টনারশিপ দেয়। ৮.২ ওভারে তাঁরা ৭১ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলে। টিম সাউদির বলে উইলিয়ামসনের এক অনবদ্য ক্যাচে আউট হওয়ার আগে ভারতীয় অধিনায়ক ২৯ বলে ৪৭ রান করে ভারতকে এক ঝোড়ো সূচনা করে দেন। গিলকে মাসল ক্র্যাম্প-র জন্য খেলার মাঝে মাঠ ছাড়তে না হলে হয়ত আরও একটি শতরানের সাক্ষী থাকত ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম। শেষ পর্বে আইয়ারের আউট হওয়ার পর মাঠে ফিরে এসে ৬৬ বলে ৮০ রান করে অপরাজিত থাকেন।শ্রেয়স আইয়ার-ও ৭০ বলে ১০৫ রানের এক অনবদ্য ইনিংস খেলেন। তিনি মাঝ পর্বে কোহলির সাথে একটি গুরুত্বপূর্ণ ১৬৩ রানের জুটি গড়েছিলেন সেই ভিতের ওপর দাঁড়িয়েই ভারত প্রথম ইনিংসে ৩৯৭ মত পাহাড় প্রমান রান করতে সমর্থ হয়। একদম স্লগ ওভারে ব্যাট করতে এসে ছোট্ট কিন্তু মহামূল্যবান একটি ইনিংস খেলে যান কে এল রাহুল। তাঁর মাত্র ২০ বলে ৩৯ রানের এই ঝোড়ো ইনিংস নিউজিল্যান্ডের সামনে ৩৯৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা রাখতে খুব সাহায্য করে।নিউজিল্যান্ড ব্যাট করতে নেমে প্রথমেই বুমরাকে আক্রমন করে তাঁর ছন্দ ভেঙ্গে দেওয়ার পরিকল্পনা করে। সাময়িক সফল-ও হয়। কিন্তু মহম্মদ শামি বল করতে এসেই ৩০ ও ৩৯ রানের মাথায় রাচিন রবীন্দ্র এবং ডেভন কনওয়ের দু দুটি উইকেট নিয়ে লড়ায়টা বিপক্ষের দিকে ছুঁড়ে দেন। দ্রুত দুটি উইকেট পরে গেলেও কিউইদের ড্যারিল মিচেল এবং কেন উইলিয়ামসন যে লড়ায় ফিরিয়ে দেন তা ক্রিকেট প্রেমীদের দীর্ঘ দিন মনে থাকবে। মিচেল এবং উইলিয়ামসন ১৮১ রানে অনবদ্য জুটি কিছুটা হলেও কিউয়িদের মনে আশার আলো সঞ্চার করে।We are #TeamIndia 🇮🇳🫶#CWC23 | #MenInBlue | #INDvNZ pic.twitter.com/HrUuQFzi1K BCCI (@BCCI) November 15, 2023যসপ্রীত বুমরার বলে ৫২ রানের মাথায় মিড অনে দাঁড়িয়ে কেন উইলিয়ামসনের এক সহজ ক্যাচ ফেলে দেন মহম্মদ শামি। সেমিফাইনালের মত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সেই ভুলের মাসুল ভারত কে দিতে হয়নি শুধুমাত্র মহঃ শামি-র জন্যই। তাঁর অনবদ্য আগুনে ফাস্ট বোলিংয়ের দৌলতেই ছাড়খার হয়ে যায় কিউইরা। এক মাহাকাব্যিক বোলিং স্পেল বুধবার চাক্ষূস করল ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে উপস্থিত লক্ষাধিক দর্শক। ৯.৫ - ০ - ৫৭ - ৭ - এক স্বপ্নের স্পেল, তাও বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের মত মঞ্চে। সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে নিয়ে নানা মন্তব্য-র মাঝে একটি খুবই প্রাসঙ্গিক - আজ সেমি ফাইনাল ছিল না - আজ শামি ফাইনাল। সত্যি আজ শামি-র ই দিন ছিল। জুড়িরা তাঁকেই এই ম্যাচের জন্য ম্যান-অব-দা-ম্যাচ বেছে নেন।সমগ্র ভারত এখন তাকিয়ে কলকাতায় অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় সেমিফাইনালে দিকে। সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে ৫ বারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার ও দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই লড়াইয়ের বিজয়ী কে হয় সেই দিকেই লক্ষ্য আপামর ক্রিকেট ভক্তের। ১৯ নভেম্বর রবিবার আমেদাবাদ শ হরে নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ফাইনালে কে মুখোমুখি হবে ভারতের সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।

নভেম্বর ১৫, ২০২৩
খেলার দুনিয়া

বিশ্বকাপে ভারতের দাপট অব্যহত, ফলাফল ৮-০! ভারতের কাছে আত্মসমর্পন বাবরদের

১৯৯২ এ যে দাপট সিডনি বিশ্বকাপে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে হারিয়ে যে শুরু হয়েছিল, ২০২৩-এও তা অব্যহত। ২০২৩-র বিশ্বকাপ ক্রিকেটের তৃতীয় ম্যচে বিশ্বক্রিকেটের ডার্বিতে পাকিস্তান কে হেলায় হারিয়ে ভারত লিগ টেবিলের শীর্ষ স্থানে চলে গেল। টানটান উত্তেজনায় ভরা এই ম্যাচে ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন।ক্রিকেট বিশ্বকাপে ভারতের কাছে হারের রেকর্ড অব্যহত থাকল আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামেও। শনিবারের ম্যাচে ভারতের বোলিং আক্রমণের সামনে কার্যত তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল বাবর-ইমাম-রিজওয়ান দের ব্যাট। এককথায় আত্মসমর্পন করলো পাকিস্তান।১৯৯২-এ মেলবোর্নে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ভারত-পাকিস্তানের প্রথম সাক্ষাতের ভারত অধিনায়ক ছিল মহম্মদ আজহারউদ্দিন। মাঝে সচিন-সৌরভ-ধোনি হয়ে ২০২৩ ব্যটম এখন রোহিতের হাতে। ব্যট্ম পালটালেও ফলের কোনও হেরফের হয়না। ২০২৩-এ ১৪ অক্টোবর দিনটা ক্রিকেট ইতিহাসের পাতায় স্বর্নাঅক্ষরে লেখা থাকবে রোহিত শর্মার ভারতের বিশ্ব-ক্রিকেটে অষ্টম জয়ের অধ্যায়। আবারও একটা বিশ্বকাপ এবং আরও এক বার পাকিস্তান বধ।M. O. O. D! ☺️ 🇮🇳Scorecard ▶️ https://t.co/H8cOEm3quc#CWC23 | #TeamIndia | #INDvPAK | #MeninBlue pic.twitter.com/18bdPJKDnh BCCI (@BCCI) October 14, 2023টসে জিতে শুরুটা খারাপ করেনি পাকিস্তান। পাকিস্তানের দুই প্রারম্ভিক ব্যাটার আবদুল্লাহ শফিক ও ইমাম-উল-হক ৭.৩ ওভারেই ৪১ রান তুলে ভারতকে যথেষ্ট-ই উদ্বিগ্ন করে তুলেছিল। সিরাজের বলে ওপেনিং জুটি ভাঙার পর ভারত প্রবল ভাবে খেলায় ফিরে আসে। ভারতীয় বোলিং-এর দাপটে হুরমুড়িয়ে তাসের ঘরের মত শেষ হয়ে গেলো পাকিস্তানের ইনিংস। ভারতের প্রথম পাঁচ বোলার-ই ২টি করে উইকেট ভাগ করে নেন। পাকিস্তানের ইনিংস শেষ হয় ১৯১ রানে। জবাবে মাত্র ৩০.৩ ওভারে ভারত ৩ উইকেটে ১৯২ রান তুলে ব্যবধান ৮-০ করে নিল। মেন ইন ব্লু ম্যচ জিতল ৭ উইকেটে।গুজরাটের এই আন্তঃর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম-এ খেলায় পাকিস্তানের ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং দক্ষতা কোনও বিভাগেই আন্তঃর্জাতিক মাত্রা ছুঁতে পারেনি। তাঁদের ব্যাটাররা ভারতীয় বোলারদের সামনে আত্মসমর্পন করে গেলেন। ইমাম, বাবর ও রিজওয়ান সামান্য ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও বাকিরা আয়ারাম-গয়ারাম। জসপ্রীত বুমরাহ, মহম্মদ সিরাজ, হার্দিক পাণ্ডিয়া ও রবীন্দ্র জাদেজা মিলেমিশে সমান ভাগ করে নিলেন পাকিস্তানের ১০টি উইকেট। ভারতের একমাত্র বোলার শার্দুল ২ ওভার বল করলেও কোন উইকেট জোটেনি তাঁর কপালে। ব্যাটিং সহায়ক পিচে নিখুঁত লাইন ও লেন্থ বজায় রেখে যে বোলিং পারফরম্যান্স ভারতীয় বোলারেরা এদিন তুলে ধরলেন তার জন্য কোনও প্রশংশাই যথেষ্ট নয়।পাকিস্তান দল টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে ভারতের জয়ের জন্য ১৯২ রানের লক্ষ্যমাত্রা রাখেন। ভারতের ব্যাটাররা জয়ের জন্য সহজ লক্ষ্য পেয়ে শুরু থেকেই আগ্রাসী মেজাজে খেলতে শুরু করেন। ভারতের ইনিংসের শুরুতেই শাহিন শাহ আফ্রিদিকে প্রথম বলেই বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়ে চার মেরে রোহিত বুঝিয়ে দেন দিনটা আজ তাঁদের। সদ্য ডেঙ্গু থেকে সুস্থ হয়ে মাঠে ফেরা বিশ্বকাপে অভিষেক হওয়া শুভমন গিলও উৎসাহিত হয়ে ওঠেন রহিতকে দেখে। খুব বেশী রান না করতে পারলেও গিলের ১১ বলে ১৬ রানের ইনিংস পাকিস্তানের দিকে চ্যলেঞ্জ ছূরে দেওয়ার জন্য যঠেষত ছিল।শাহিন আফ্রিদি-র বলে বলে ফিরে যান গিল। গিলের দ্রুত বিদায়ে সেরকম কিছু সুবিধা করতে পারেনি পাকিস্তান। উইকেটের এক দিকে রোহিত শর্মা লক্ষ্যে অবিচল ছিলেন। আফগানিস্তান ম্যাচে যেখানে শেষ করেছিলেন রোহিত যেন সেখান থেকেই শুরু করলেন আজ। আফগানিস্তানকে হারায়ে রোহিত বলেছিলেন, তাঁর কাছে বিশ্বকাপের আসরে আফগানিস্তান যা, পাকিস্তানও তা। রোহিতের মাত্র ৬৩ বলে ৮৬ রানের অনবদ্য ইনিংস পাকিস্তানের আশায় এক ঘটি জল ঢেলে দিল। পাক বোলারদের হেলায় হারিয়ে মারলেন ৬টি চার এবং ৬টি ছয়। বিরাট ব্যর্থ হলেও তাঁর রোহিতের ৫০রানের জুটি ভারতকে ম্যচে চালকের আসনে বসিয়ে দেয়।Congratulations to Team India on their remarkable performance in the #CWC2023! With three consecutive wins, they have set the tournament on fire, demonstrating their prowess on the field. Our bowlers displayed clinical precision by limiting Pakistan to just 191 runs on what pic.twitter.com/wRloJRorEj Jay Shah (@JayShah) October 14, 2023চার নম্বরে নেমে শ্রেয়স আয়ার বুঝিয়ে দিলেন কেন ভারত অধিনায়ক সূর্য কুমারের থেকে তাঁকে বেশী ভরসা করেন। বুক চিতিয়ে লড়াই করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়লেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক। শ্রেয়সের ৬২ বলে ৫৩ রানের অপরাজিত অনবদ্য ইনিংস অনেক শতরানের থেকেও মূল্যবান ইয়ে থাকল। শ্রেয়স ৫৩ রান করতে ৩টি চার এবং ২টি ছয় মারলেন । লোকেশ রাহুলকে সঙ্গে নিয়ে ম্যচ শেষ করে বীরদর্পে প্যাভিলিয়নে ফিরলেন। রাহুল অপরাজিত থাকলেন ১৮ রান করে।ভারতের হয়ে দূর্দান্ত বল করলেন দ্রুত গতির বোলার যশপ্রীত বুমরা, তিনি ৭ ওভার বল করে ১৯ রানে ২ উইকেট নিলেন। ভাল বল করলেন কুলদীপ যাদব, সিরাজ, হার্দিক পান্ডিয়া, জাদেজা ও। এরা প্রত্যেকে ২ করে উইকেট ভাগ করে নিলেন। রোহিত শর্মার আজকের ম্যচে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্তে অনেকেই অবাক হন। কারন, আজ পর্যন্ত বিশ্বকাপে যে-কটি ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হয়েছে, তাতে যে অধিনায়ক-ই টসে জিতেছেন, তিনি প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু রোহিত আজকের ম্যাচে টস জিতে সকলকে অবাক করে দিয়ে প্রথমে ব্যাটিং না নিয়ে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন। এই ধরনের হাইভোল্টেজ ম্যচে কোনও দলই রান চেজ করার ঝুঁকি নিতে চায় না। কিন্তু রোহিত সেই ব্যতিক্রমি রাস্তাতেই হাঁটলেন।আজ আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম খেলার শুরু থেকেই নানা অনুষ্ঠানে জমে উঠেছিল। ২২ গজের খেলা শুরুর আগেই সার্বিকভাবে জমে উঠেছিল ভারত-পাক লড়াই। এই মুহুর্তে ভারতের এক নম্বর কণ্ঠ সঙ্গীত শিল্পী অরিজিৎ সিং-এর বন্দেমাতরম সহ আরও একগুচ্ছ দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করে টিম ইন্ডিয়াকে উদ্বুদ্ধ করলেন। এ ছাড়াও সুনিধি চৌহান, সুখবিন্দর সিং এবং শংকর মহাদেবনের মত মহান সঙ্গীত শিল্পীর দুর্দন্ত জমজমাট পারফরম্যান্সে ১ লাখ ৩০ হাজার আসন বিশিষ্ট স্টেডিয়াম দুলে ওঠে। ক্রীড়া বিশেষজ্ঞ দের ধারণা বিশ্ব ক্রিকেটের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর মারমার কাটকাট লড়াইয়ের আগে এই রকম জমজমাট সঙ্গীতানুষ্ঠান ফলে দুই দলের দর্শকদের মধ্যে প্রতিহিংসা অনেকটা নমনীয় হবে। এবং সঙ্গীতের রেশ রেখে হালকা ফুরফুরে মেজাজেই পাওয়া গেলো দুই দলের দর্শক সহ ক্রিকেটারদের।

অক্টোবর ১৪, ২০২৩
দেশ

আবর্জনা মুক্ত ভারত গড়ার অঙ্গীকার কলকাতার জিএসআইয়ের পূর্বাঞ্চলীয় সদর দফতরে

আবর্জনা মুক্ত ভারত-এর যুগের অঙ্গীকারে ভারতের জিওলজিক্যাল সার্ভে, পূর্বাঞ্চলীয় সদর দপ্তর, কলকাতা, রবিবার এক ঘন্টা শ্রমদানের মাধ্যমে Swacchata Hi Seva 2023 অভিযান সম্পন্ন করার উদ্যোগ নেয়। সল্টলেকের জিএসআই কার্যালয়ে ও আনন্দলোক হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকার আবর্জনা অপসারণ এবং পরিচ্ছন্নতার প্রচারের প্রচেষ্টায় ৫০০ জন জিএসআই কর্মীবৃন্দ ও নাগরিক সমবেত হয়েছিলেন। গান্ধী জয়ন্তীর প্রাক্কালে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের উদ্দেশ্যে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছিল। জিএসআই, পূর্বাঞ্চল শাখার অ্যডিশেনাল ডিরেক্টার জেনারেল এবং এইচ ও ডি, শ্রীমতি বর্ষা অশোক আগলাওয়ের তত্ত্বাবধানে Ek Tarikh Ek Ghanta এক ঘণ্টার শ্রমদান অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। অধ্যক্ষা সারা বছর নিয়মিত কার্যালয়ে ও সংলগ্ন এলাকার পরিচ্ছন্নতা রক্ষার বিষয়ে জোর দেন। চিফ ইঞ্জিনিয়ার, সকল ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল, ডিরেক্টর, উচ্চপদস্থ কর্মচারী ও অন্যান্য কর্মীবৃন্দ এবং অস্থায়ী স্টাফ পূর্ণ উৎসাহের সাথে অংশগ্রহণ করেন। প্রবীণ নাগরিকসহ স্থানীয় লোকজন ব্যাপকভাবে এই বৃহৎ পরিচ্ছন্নতা কর্মকাণ্ডে যোগ দেন। অনুষ্ঠানে মুখ্য অতিথি হিসেবে হাজির ছিলেন বিশিষ্ট জাতীয় ফুটবল খেলোয়াড় সন্দীপ নন্দী। তিনি একটি পরিষ্কার পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতা ও দায়িত্ববোধ বৃদ্ধির জন্য এই ধরনের আয়োজনের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে সহমত প্রকাশ করেন।

অক্টোবর ০১, ২০২৩
রাজ্য

রাজ্যর ৪র্থ বন্দেভারত ট্রেন পাটনা-হাওড়ার সময়সূচি জেনে নিন, একদিনেই যাতায়াত

পশ্চিমবঙ্গবাসীর জন্য অত্যন্ত সুখবর চতুর্থ (৪র্থ) বন্দেভারত এক্সপ্রেস পেতে চলেছে রাজ্যবাসীরা। ২২৩৪৮ /২২৩৪৭ পাটনা-হাওড়া বন্দেভারত এক্সপ্রেস প্রতি সপ্তাহে ৬ দিন চলবে ( বুধবার ব্যতীত )। ট্রেনটি সকাল ৮টার সময় পাটনা থেকে ছেড়ে একইদিনে হাওড়ায় পৌঁছাবে দুপুর ২ টা ৩৫ মিনিটে (14:35 Hrs.)। পুনরায় ট্রেনটি দুপুর ৩ টা ৫০ মিনিটে (15 : 50 Hrs.) ছেড়ে একইদিনে পাটনায় পৌঁছাবে রাত ১০ টা ৪০ মিনিটে (22:40 Hrs.)। এই ট্রেনটিতে ৮ টি এসি চেয়ার কার থাকছে।পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, পাটনা-হাওড়া বন্দেভারত ট্রেন আগামী ২৬শে সেপ্টেম্বর থেকে উভয়পথে যাত্রা শুরু করবে। ট্রেনটি যাত্রাকালে পাটনাসাহিব, মোকামা, লক্ষীসরাই, জসিডি, জামতারা, আসানসোল ও দূর্গাপুর স্টেশনে দাঁড়াবে। উল্লেখযোগ্যভাবে এই ট্রেনটিতে সফররত যাত্রীরা পাটনা থেকে হাওড়া মাত্র ৬ ঘন্টা ৩৫ মিনিটে পৌঁছবেন যা অন্যান্য গণ পরিবহন মাধ্যমের তুলনায় অনেকটা কম সময় নেবে। এতে বহু যাত্রীরা উপকৃত হবেন ।

সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৩
দেশ

এবার হাওড়া-পাটনা বন্দে ভারত যাত্রা শুরু শীঘ্রই, এই ট্রেনগুলিতে যুক্ত একাধিক সুবিধা

আগামী ২৪সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নয়টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের উদ্বোধন করবেন। যার মধ্যে রয়েছে পাটনা-হাওড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। দেশীয়ভাবে তৈরি আধা-হাই-স্পিড বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনগুলি ইতিমধ্যেই স্থল পরিবহনের দ্রুততম মাধ্যম হিসাবে যাত্রী এবং ভ্রমণকারীদের মধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। পশ্চিমবঙ্গ ইতিমধ্যেই হাওড়ানিউ জলপাইগুড়ি, নিউ জলপাইগুড়িগুয়াহাটি এবং হাওড়াপুরী রুটে তিনটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন পেয়েছে।নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার ভারতের নাগরিকদের সেবায় সমস্ত প্রযুক্তিগত অগ্রগতি আনার জন্য সর্বদা বদ্ধপরিকর। যাত্রীদের আরও সুবিধার জন্য বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের রেকগুলিতে আরও বৈশিষ্ট্য যুক্ত করা হয়েছে।নতুন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস রেকগুলিতে আরও যাযা সুবিধা যুক্ত হল: আসন হেলান কোণ 17.31 ডিগ্রী থেকে 19.37 ডিগ্রী পর্যন্ত বৃদ্ধি করা, আসনের নীচে মোবাইল চার্জিং পয়েন্টের উন্নত ব্যবস্থাপনা, ECC আসনে নানাবিধ সুবিধা, বাথরুমে নানা সুবিধা যুক্ত করা সহ প্রায় ২৫ ধরনের বাড়তি ফিচার যুক্ত হচ্ছে বন্দে ভারতে। নতুন বৈশিষ্ট্যগুলি কেবল যাত্রীদের জন্য আরামদায়ক উপাদানই নয়, যাত্রীদের নিরবচ্ছিন্ন নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।

সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৩
রাজ্য

জেলাশাসকের উদ্যোগে পূর্ব বর্ধমান জেলা পর্যটনের ভিডিও প্রকাশ

পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আজ জেলাশাসকের মিটিং হলে পূর্ব বর্ধমান জেলা পর্যটনের এক তথ্যচিত্রের উদ্বোধন হল। তথ্যচিত্রটির উদ্বোধন করেন জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা। তিনি জানান, এই জেলার অনেক জায়গা আছে যেগুলি পর্যটকরা সেভাবে জানে না, সেই জায়গাগুলিকে এই ভিডিওর মাধ্যমে পর্যটন মানচিত্রে নিয়ে এসে মানুষের মধ্যে আরও জনপ্রিয় করে তোলাই আমাদের মূল লক্ষ্য। তিনি আরও জানান, পর্যটনে এই জেলার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে। জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা বলেন, এই ভিডিও সামাজিক মাধ্যম ছাড়াও জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ণ জায়গায় প্রদর্শিত হবে।জেলাশাসক জানান, সামনেই দুর্গাপুজো, জেলার পুজো কমিটিগুলোকেও আমরা এই ভিডিও দেখানোর অনুরোধ করতে পারি। এছাড়াও জেলার ওয়েবসাইটে এই ভিডিওর লিঙ্ক দেওয়া থাকবে। জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা জানান, ইতিমধ্যে তাঁরা পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন দপ্তরকে এই ভিডিওটি পাঠিয়ে দিয়েছেন যাতে রাজ্যের পর্যটন নিয়ে যে সমস্ত প্রচার করা হয় সেখানে যাতে দেখনো হয়।জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা এদিন বলেন, পূর্ব বর্ধমান জেলার পর্যটন বৈচিত্র অনেক বেশী। এখানে যেমন উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় স্থান আছে তেমনই ডোকরা, শোলা, তাঁত, কাঠের তৈরি কারুশিল্পেও উল্লেখযোগ্য স্থান আছে। জেলায় বিস্তীর্ণ বনভূমি আছে। এছড়াও এই জেলায় কুমুদরঞ্জন মল্লিক, রাসবিহারী ঘোষ, রাসবিহারী বোস, কাসিরাম দাস, উপেন্দ্রনাথ ব্রম্ভচারী-র মতো বিশিষ্ট মানুষদের জন্মস্থান। জেলার প্রান্ত দিয়ে বয়ে চলেছে গঙ্গা, অজয়, দামোদরের মত নদ নদী।প্রিয়াঙ্কা সিংলা আরও জানান, যাঁরা এই জেলায় বেড়াতে আসতে চান, এই ভিডিও তাঁদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমার বিশ্বাস, এই ভিডিওটি দেখার পরে অনেকেই এই জেলায় বেড়াতে আসার ব্যাপারে অনুপ্রাণিত হবে।আজকের এই ভিডিও উদ্বোধন অনুষ্ঠানে জেলার বিশিষ্ট সাংবাদিকরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলার তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক রামশঙ্কর মণ্ডল ও টুরিজিম ডেভলপমেন্ট অফিসার মোহাম্মদ হোসেন চৌধুরী (রাহুল)। তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক রামশঙ্কর মণ্ডল জনতার কথাকে জানান, এই ভিডিওটি সর্বস্তরে প্রচার করা হবে। এর ফলে দেশের ও রাজ্যের মানুষ আরও ভালো ভাবে পূর্ব বর্ধমান জেলাকে জানতে পারবে এবং এখানে বেড়াতে আসবে।টুরিজিম ডেভলপমেন্ট অফিসার মোহাম্মদ হোসেন চৌধুরী (রাহুল) জনতার কথাকে জানান, জেলাশাসক শ্রীমতি প্রিয়াঙ্কা শিংলার উদ্যোগে এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পর্যটন দপ্তরের আর্থিক সহযোগিতায় পূর্ব বর্ধমান জেলার গুরুত্বপূর্ণ দর্শনীয় স্থান, বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, হস্তশিল্প, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংমিশ্রনে একটি ভিডিও তৈরী করা হয় যা আজ জেলাশাসকের দপ্তর থেকে প্রকাশিত করা হলো। ভিডিওটি পূর্ব বর্ধমান জেলার অনাবিষ্কৃত পর্যটন সম্ভাবনা খুঁজে বের করতে সাহায্য করবে। ভিডিওটি প্রকাশের মূল লক্ষ্য জেলার পর্যটন সম্ভাবনার প্রচার করা। আগামী দিনে পর্যটনের উন্নয়নে আরও বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হবে। দুর্গাপূজা উৎসবের আগে আমরা জেলার পর্যটনকে ঢেলে সাজানোর প্রস্তুতি নিচ্ছি।

সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৩
দেশ

কর্মক্ষেত্রে বার্ধক্যের আধিক্য উদ্বেগজনক

দশ বছর ব্যবধানে ভারতে জনগণনা হয়। দেশে শেষ জনগণনা হয় ২০১১ সালে। এই হিসেবে দশ বছর পরে অর্থাৎ ২০২১ সালে জনগণনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগে বিশ্ব জুড়ে অতিমারির প্রকোপ ছড়িয়েছিল। তার অভিঘাত ভারতেও এসে পড়ে। ফলে নির্দিষ্ট সময় জনগণনার কাজ করা যায় নি। ২০২৩ সাল শেষ হতে আর মাত্র চার মাস বাকি। এই পরিস্থিতিতে জনগণনা কাজ কবে শুরু হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। বিশেষজ্ঞদের অনুমান জনগণনার ফল বেরোলে দেখা যাবে ভারতের জনসংখ্যা ১৪০কোটির কাছাকাছি পৌঁছবে। সাম্প্রতিক কালে এমন কিছু সমীক্ষা হয়েছে যাতে দেখা গিয়েছে দেশে মোট জনসংখ্যায় বয়স্কদের তুলনায় অল্পবয়সী দের সংখ্যা অনেক বেশি। এই সংখ্যার অনুপাত ধরে ভারতকে বলা হচ্ছে তারু ন্যের দেশ। আমরা জানি তারুণ্যের বিকাশের জন্য যে মৌলিক উপাদানগুলি তার মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল শিক্ষা শেষে কাজের সুযোগ।Center for Monitoring Indian Economy র সাম্প্রতিক সমীক্ষায় এক অতি উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এসেছে। সমীক্ষা বলছে গত সাত বছরে দেশের কর্মশক্তিতে ( work force) বয়স্কদের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। সমীক্ষার তথ্য বলছে ২০১৬/১৭ সালে দেশের কর্মশক্তিতে ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের হার ছিল পঁচিশ শতাংশ। ২০২২/২৩ সালে তার কমে এসে দাঁড়িয়েছে সতেরো শতাংশে। ওই একই সময়কালে ৩০ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের হার ছিল ৩৮ শতাংশ। ২০২২/২৩ সালে সেই হার নেমে এসেছে ৩৩ শতাংশে। কর্মশক্তিতে কম বয়সীদের উপস্থিতি এই নিম্নগামী হারের পাশাপাশি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে বয়স্কদের উপস্থিতির সংখ্যা অনেকটাই ঊর্ধগামী। উপরে উল্লেখিত সময়কালের মধ্যে কর্মশক্তিতে ৪৫বছর অথবা তার বেশি উপস্থিতির হার ৩৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪৯ শতাংশ হয়েছে। আরেকটু সরল করে বললে বলতে হয় বর্তমান ভারতে কর্মশক্তির প্রায় অর্ধেকটাই দখল করে রয়েছেন ৪৫ থেকে ৫৫ বছর বয়সী কর্মীরা। দেশের কর্মশক্তিতে তারুণ্যের অনুপাত কমে যাওয়ার অর্থ, কাজের বাজারেও তারুণ্যের উপস্থিতির হার নিম্নগামী। বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগের!অতিমারি পরিস্থিতির আগে থেকেই দেশে বেকারের সংখ্যা বাড়ছিলো। করোনা ভাইরাসের দাপটে অসংখ্য মানুষ কাজ হারানোয় বেকারের সংখ্যা বহুগুন বেড়ে যায়। করোনা কালে দেশের অর্থনীতিতে যে বিশাল ধাক্কা লেগে ছিল তার রেশ এখনো রয়ে গিয়েছে। এখনও বহু মানুষ দারিদ্র্যের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে বেকার তরুনরা কাজের বাজারে প্রবেশ করতে চাইলেও তাদের জন্য যথেষ্ট কাজের সুযোগ নেই। এর-ই মাঝে সাম্প্রতিক কয়েকটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে দেশে কর্মশক্তিতে মেয়েদের সংখ্যা উদ্বেগজনক ভাবে কম। বিশ্বের যে কয়টি দেশে মেয়েদের উপস্থিতির হার অত্যন্ত কম তার মধ্যে ভারত অন্যতম।দেশের কর্মশক্তিতে বয়স্কদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি নীতি নির্ধারকদের অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। কী ভাবে এই পরিস্থিতি তৈরি হল তা জানতে গভীর অনুসন্ধানের প্রয়োজন। কিছু বিশেষজ্ঞের অনুমান এই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার অন্যতম কারণ হলো কম বয়সীদের মধ্যে কাজ পাওয়ার জন্য যে দক্ষতার প্রয়োজন তার অভাব রয়েছে। বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন দেশের জনসংখ্যায় তারুণ্যের হার বাড়লেই যে তাদের কাজের সুযোগ বাড়বে তা নয়। বর্তমানে শিল্পক্ষেত্রে উৎপাদন ও বিপণনে যে পরিবর্তন এসেছে তাতে কাজের বাজারে দক্ষতায় ও অভিজ্ঞতায় বয়স্কদের সঙ্গে কমবয়সীরা প্রতিযোগিতায় পেরে উঠছেনা না। তাই কর্মশক্তিতে তরুনদের তুলনায় বয়স্কদের সংখ্যা বাড়ছে। এই রেখচিত্র বদলানোর জন্য অতি দ্রুত পদক্ষেপ না করলে পরিস্থিতি আরও জটিল হবে। দেরি হয়ে গেলে বিশ্বে ভারত এমন এক দেশ হয়ে উঠবে মোট জনসংখ্যায় তারুণ্যের আধিক্য থাকলেও কর্মশক্তিতে বয়স্কদের সংখ্যা আরও বাড়বে।

আগস্ট ৩০, ২০২৩
দেশ

ভারতের ‘রকেট ওমেন’, চন্দ্রাভিযানে গুরুদায়িত্ব সামলানো লখনউ-র এই বিজ্ঞানীকে চিনে নিন

চাঁদ মামা এখন দুরের নয় ট্যুরের, সুদুর দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরস এই মন্তব্য ঘরে ঘরে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। চাঁদের মাটিতে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। পুর্বনির্ধারিত দিন ও সময় অনুযায়ী বুধবার ঠিক সন্ধ্যা ৬.০৪ মিনিটে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফট ল্যাণ্ডিং করে ইসরোর চন্দ্রযান-৩। সারা দেশজুড়ে উল্লাস ও উৎসব। ভারতীয় হিসাবে সত্যিই গর্ব করার মত মুহুর্ত। চাঁদ এখন ভারতের বিজ্ঞানীদের হাতের মুঠোয়।বিক্রমের কাঁধে ভর করে প্রজ্ঞান চাঁদে ল্যান্ড করেই একের পর এক চমক দিতে শুরু করেছে। সফল অবতরণের পর প্রথম চন্দ্রপৃষ্ঠের একটি ছবি তুলে পাঠায় ল্যান্ডার বিক্রম। তাতে দেখা যায় চাঁদের ঠিক কোন অঞ্চলে নেমেছে বিক্রম। এর পরই বিক্রমের অন্তঃস্থল থেকে বেরিয়ে আসে রোভার প্রজ্ঞান।ইসরো তার সামাজিক মাধ্যমে বৃহস্পতিবার সকালে জানায়,প্রজ্ঞান সঠিক ভাবেই বিক্রমের পেট থেকে চাঁদে ভুমিষ্ট হয়েছে, এবং সুস্থ ও স্বাভাবিক ভাবে মুনওয়াকেও বেড়িয়ে পড়েছে সে। ভারতের জাতীয় প্রতীক অশোক স্তম্ভ চাঁদের মাটিতে এঁকে দিয়ে আসবে রোভার প্রজ্ঞান। চন্দ্রযান-৩-এর চুড়ান্ত সাফল্যে অনেকের মতই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন লখনউয়ের প্রবাসী এক মহিলা। ইসরো খুব বড় দায়িত্ব দিয়েছিল এঁর কাঁধে।সম্পুর্ন ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ইসরোর চন্দ্রযান ৩ সফলভাবে চাঁদের মাটি ছুঁয়ে ফেলেছে, তথ্য তল্লাস করতে ঘোরাঘুরিও শুরু করে দিয়েছে প্রজ্ঞান। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণকারী হিসাবে প্রথম দেশ হয়ে উঠেছে ভারত। ভারতের এই ঐতিহাসিক সাফল্যে সামগ্র বিশ্ব থেকে অভিনন্দনের বন্যায় ভেসে যাচ্ছে সামাজিক মাধ্যমের ওয়াল। আজ প্রত্যেক ভারতীয়ের কাছে এই মুহুর্ত খুব আবেগের, আনন্দের ও অত্যন্ত গর্বের। উত্তরপ্রদেশের রাজধানী শহর লখনউতে উৎসবের ঝাঁজ বেশ খানিকটা বেশি। কারণ চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্যের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে লখনউ-র এক ভুমিকন্যার যোগসূত্র। এই শহরেরই মেয়ে ডাঃ ঋতু করিধাল শ্রীবাস্তবের কাঁধেই চন্দ্রযান-৩ এর সফল অবতরণের গুরুত্বদায়িত্ব ছিল।ঋতু করিধাল শ্রীবাস্তব বিজ্ঞানী মহলে ভারতের রকেট ওমেন নামে অধিক পরিচিত। ঋতু করিধাল লখনউ শহরের রাজাজি পুরম এলাকার আদি বাসিন্দা। তার পৈতৃক বাড়ি এখনও রয়েছে এখানে। চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্যের পর তার বাড়িতে উৎসবের মেজাজ। ঋতু এর আগেও ISRO-র অনেক বড় বড় প্রকল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এমনকি চন্দ্রযান ৩ মিশনে সফল অবতরণের মতো গুরুদায়িত্ব তাঁকেই দেওয়া হয়েছিল ইসরোর পক্ষ থেকে। ঋতু করিধাল ছিলেন চন্দ্রযান-৩ প্রোজেক্টে মিশন ডিরেক্টর। এর আগে ঋতু মঙ্গলযানের ডেপুটি অপারেশন ডিরেক্টর ও চন্দ্রযান-২ এর মিশন ডিরেক্টর ছিলেন।করিধালের জন্ম উত্তর প্রদেশের লখনউতে। তিনি একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে ওঠেন। পরিবারে পড়াশোনার চল ছিল অনেক আগে থেকেই। তিনি লখনউ-র এক বেসরকারকারি স্কুল থেকে প্রাথমিক পড়াশোনা করেন। তিনি ছাড়াও তাঁর দুই ভাই ও দুই বোন রয়েছে। ছোটবেলা থেকেই তাঁর মহাকাশ নিয়ে আগ্রহ ছিল বেশী। তিনি যেখানে থাকতেন, সেখানকার পরিবেশ তাঁর পড়াশোনার পক্ষে অনুকুল ছিলনা বলে তিনি সেলফ স্টাডি তে জোড় দেন। ঋতু ছোট থেকেই রাতের আকাশের দিকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা তাকিয়ে থাকত এবং মহাকাশের কথা চিন্তা করত, সে চাঁদের কথা ভাবত, কীভাবে এটি তার আকার ও রং পরিবর্তন করে, তারাগুলি কে পর্যবেক্ষণ করে তাঁর মনে প্রশ্ন জাগে ঐ গভীর অন্ধকারের পিছনে কী রয়েছে? তার কৈশোরে, তিনি মহাকাশ-সম্পর্কিত যেকোনো কার্যকলাপ সম্পর্কে সংবাদপত্রের প্রতিটি কাটিং সংগ্রহ করতে শুরু করেছিলেন এবং ISRO এবং NASA-এর কার্যকলাপের উপর তাঁর সাংঘাতিক রকমের নজর ছিল।ঋতু লখনউ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে পদার্থবিদ্যায় স্নাতক ও মাস্টার্স ডিগ্রী সম্পন্ন করেছেন। পদার্থবিদ্যা বিভাগেই ডক্টরেট কোর্সে ভর্তি হন। পরে একই বিভাগে শিক্ষকতাও করেন। তিনি ছয় মাস লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা স্কলার ছিলেন। তিনি মহাকাশ প্রকৌশলে স্নাতকোত্তর করার জন্য IISc, ব্যাঙ্গালোরে যোগদান করেন। বাকিটা ইতিহাস। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণায় অবদানের জন্য ঋতু করিধাল শ্রীবাস্তবকে রকেট ওমেন হিসাবেই স্মরণ করবে।

আগস্ট ২৬, ২০২৩
দেশ

জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন ভারতের, চন্দ্র অভিযানে ইতিহাস গড়ল ইসরো

ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ইসরো) দ্বিতীয় দফার প্রচেষ্টা সফল। চন্দ্রযান-৩ বিক্রম ল্যান্ডার সফট ল্যান্ডিং করল চাঁদের পৃষ্ঠে। ইতিহাস গড়ে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফল অবতরণ করল চন্দ্রযান ৩। বুধবার সকাল থেকে টানটান উত্তেজনা ছিল দেশজুড়ে। সারা বিশ্ব তাকিয়ে ছিল ভারতের চন্দ্র অভিযানের দিকে। এরইমধ্যে রাশিয়ার দ্রুত গতির চন্দ্র অভিযান ব্যর্থ হয়েছে। চার বছরের মাথায় সফল ইসরো। চাঁদের সহজেই দক্ষিণ মেরুতে সফল অবতরণ করল চন্দ্রযান ৩।ইতিহাসে নাম লেখাতেই দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একইসঙ্গে ইসরোর বিজ্ঞানীদের কৃতিত্বকে কুর্নিশ জানিয়েছে মোদী। ইসরো প্রধান সোমনাথ আজ সকালেই মিশন সম্পর্কে বলেন, চার বছরের কম সময়ে আমরা আমাদের মিশন উন্নত করতে এবং একটি ব্যাকআপ পরিকল্পনা তৈরিতে আমাদের বিজ্ঞানীরা সাফল্যের সঙ্গে কাজ করেছেন। এই মিশনে এখন পর্যন্ত আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী সবকিছুই ঠিক ঠাক হয়েছে। আমরা বিভিন্ন স্তরে সিস্টেম যাচাই করে অবতরণের প্রস্তুতি নিয়েছি এবং ল্যান্ডারের স্বাস্থ্য একেবারে ঠিক আছে। পাশাপাশি তিনি বলেন, চন্দ্রযান-২ মিশনের ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে আগের সকল ভুল সংশোধন করেছে ISRO।১৪ জুলাই ইতিহাস গড়ার অভিযানে নেমেছিল ইসরো। শেষমেশ সফল অবতরণ। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে এই প্রথম কোনও দেশ অভিযানে সক্ষম হল। এই অবতরণে সফল হয়ে ইতিহাসে নাম লেখাল ভারত।চন্দ্রযান-২, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯-এ চাঁদে অবতরণের প্রক্রিয়া চলাকালীন ব্যর্থ হয়েছিল, যখন এর ল্যান্ডার বিক্রম একটি প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে চন্দ্রপৃষ্ঠে ভেঙে পড়ে। ভারতের প্রথম চন্দ্র মিশন চন্দ্রযান-১ ২০০৮ সালে চালু হয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিন এবং প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়নের পরে ভারত মুন মিশনে বিশ্বের চতুর্থ দেশ হয়ে হয়ে উঠেছে। ১৪ দিন সেখানে ঘুরে ফিরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে চন্দ্রযান-৩-এর রোভার প্রজ্ঞান। এই ১৪ দিন চাঁদের জমিতে থাকা জল ও নমুনা সংগ্রহ করবে রোভার।

আগস্ট ২৩, ২০২৩
দেশ

ইসরোর বিক্রমে ‘হাতের মুঠোয় চাঁদ’, জোছনা এবার আড়ি করেনি

ইতিহাসের সাক্ষী থাকলো সারা বিশ্ববাসী। অন্তরীক্ষে ইতিহাস ভারতের। বিশ্বের প্রথম দেশ হিশাবে চাঁদের বুকে বীর বিক্রমে রোভার প্রজ্ঞানকে পেটে নিয়ে চাঁদের বুকে পা রাখলো ভারত। বুধবার ঠিক সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করল চন্দ্রযান-৩। অবতরণের শেষ ২০ মিনিট নিয়ে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরোর বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা ও দুশ্চিন্তায় কেটেছে। শেষ ভালো যার সব ভালো। কোনওরকম সমস্যা তৈরি না করে সমস্ত কিছুই পরিকল্পনা মাফিক হয়ে চাঁদের বুকে সফট ল্যান্ডিং করল সম্পূর্ন ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ল্যান্ডার বিক্রম। চাঁদের মাটি ছুঁয়েই ল্যান্ডারের বিক্রম ভারতকে অভিনন্দন বার্তা পাঠালো। এবার বিক্রমের পেট থেকে বেরিয়ে রোভার প্রজ্ঞান কি কি আজানা খবর দেয় তার দিকেই তাকিয়ে ইসরো-র বিজ্ঞানীরা।উল্লেখ্য, ২০২৩ এর ১৪ জুলাই ভারতের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে রওনা করে ছিল চন্দ্রযান-৩। ইসরোর তৈরি মহাবলী মার্ক-৩ রকেটে চড়ে কক্ষপথে পাড়ি দেয় এই মহাকাশ যানটি। যাত্রাপথে ৩ লক্ষ ৮৪ হাজার কিলোমিটারে পথ নির্বিঘ্নে প্রতিটি ধাপ সে সফলভাবে পেরিয়েছে। আগস্ট মাসের ৫ তারিখ চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছয় চন্দ্রযান-৩। ১৯ আগস্ট মূল মহাকাশ যান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে চন্দ্রাভিযানের উদ্দশ্যে রওনা দেয় ল্যান্ডার বিক্রম।Chandrayaan-3 Mission:All set to initiate the Automatic Landing Sequence (ALS).Awaiting the arrival of Lander Module (LM) at the designated point, around 17:44 Hrs. IST.Upon receiving the ALS command, the LM activates the throttleable engines for powered descent.The pic.twitter.com/x59DskcKUV ISRO (@isro) August 23, 2023ইসরো বিজ্ঞানীদের হয়ত বা চার বছর আগের ব্যর্থতার সেই মহুর্তে বার বার মনে আসছিলো। তীরে এসে তরী ডুববে না তো? ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবারের চন্দ্রযানকে এরর -ফ্রী করে তুলে ইসরোর মহাকাশ বিজ্ঞানীরা যে চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখেনি তা বলাই বাহুল্য। এবারের অভিযান নিয়ে প্রথম থেকেই আত্মবিশ্বাসে ভরপুর ছিলেন বিজ্ঞানীরা।২০১৯ র অভিযানে ইসরোর ডিরেক্টর কে সিভান চাঁদের বুকে রুক্ষ মাটিতে চন্দ্রযান-২ আছড়ে পড়ার পর যে ভাবে কান্নায় ভেঙে পরেছিলেন সে দৃশ্য সারা দেশ আজও ভুলতে পারেনি। আজকের দিনে সমস্ত যায়গায় তিনিই ছিলেন আলোচনার কেন্দবিন্দুতে। সেই প্রাক্তন ইসরোর প্রধান কে সিভান কিন্তু এবারের অভিযানের সফলতার প্রতি সম্পূর্ন আস্থা ও আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। তিনি বলেছিলেন, দ্বিতীয় চন্দ্রযানের করা ভুল তৃতীয় আর পুনরাবৃত্তি করবে না। তিনি কতটা ঠিক ছিলেন তা অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেল।

আগস্ট ২৩, ২০২৩
কলকাতা

সেক্টর ফাইভ-এ রোড ডাইভারসন, মেট্রোরেলের কাজের জন্য নয়া ঘোষণা

সম্ভবত শনিবার রাত থেকেই সেক্টর ফাইভ এর রোড ডাইভারশন হতে চলেছে। মেট্রোরেলের কাজের জন্যই এই সিদ্ধান্ত বলে জানান বিধান নগর ডিসি ট্রাফিক ইন্দিরা মুখার্জি। টেকনোপলিস মোড়ের আগেই কাজ হচ্ছে মেট্রোর। সেই কাজের জন্যই কলকাতা যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হবে আগামী ছয় মাসের জন্য। কলকাতা যাওয়ার জন্য আলাদা রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করার আবেদন জানায় বিধান নগর পুলিশ কমিশনারেট।বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি ট্রাফিক ইন্দিরা মুখার্জি বলেন, টেকনোপলিস স্টেশনে মেট্রোর কাজ চলছে। এক সপ্তাহ হয়ে গিয়েছে এখানে কাজ শুরু হয়েছে। এখনও রাস্তা বন্ধ করা হয়নি মেট্রো কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে। কিন্তু আগামীকাল থেকে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষর পক্ষ থেকে টেকনোপলিশের সামনের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হবে। এই রাস্তাটা এয়ারপোর্ট-এর দিক থেকে সল্টলেকের দিকে আসে তাদের জন্য প্রযোজ্য। রাস্তা দিয়ে যারা যাবেন তাদের জন্য ড্রাইভারসশন করা হচ্ছে। নিউটাউন নারকেল বাগান মোড় থেকে এমআর ধরে চিংড়িঘাটার দিকে যেতে পারে। আবার সল্টলেকের দিকে যেতে গেলে যেতে পারবে। আর একটা বিকল্প রাস্তা তৈরী হয়েছে নারকেল বাগান মোড় থেকে নতুন ব্রিজ ধরে গোদরেজ ওয়াটার সাইট রিং রোড ধরে এসডিএফ হয়ে চিংড়িঘাটা যাওয়া যায়।মেট্রো স্টেশন এর কাজের জন্য টেকনোপলিশ-এর সামনে লাল বক্স করে দেওয়া হয়েছে যেটা কলকাতা লেন পুরো বন্ধ থাকবে। নিউটাউন বক্স ব্রিজ থেকে নেমে কেয়া মোটর্স হয়ে ফিলিপস মোড়, আরএ সফটওয়্যার মোড় হয়ে কলকাতার দিকে যেতে পারেন। যদি কেউ মনে করে এলবি রোড বা সল্টলেকের দিকে যাওয়া প্রয়োজন তাহলে কেয়া মোটর্স এর সামনে হয়ে টেকনোপলিস বিল্ডিংয়ের ব্যাক সাইড দিয়ে নিজের গন্তব্যে পৌঁছে যেতে পারেন। ট্রায়াল রান শুরু হয়েছিল। প্রথম প্রথম একটু ডিলে হয়েছিল একটু কনফিউশন হয়েছিল। রোড ড্রাইভারসেশন দেওয়া আছে তাতেও যদি কারও অসুবিধা হয়ে থাকে ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমের রুটিন নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন। শুধুমাত্র কলকাতা বাউন্ডের জন্য। এয়ারপোর্ট বাউন্ডে কোনও চেঞ্জ হচ্ছে না। এয়ারপোর্ট বাউন্ডে যখন কাজ শুরু হবে তখন আমরা জানিয়ে দেব। আমাদের এক্সট্রা পুলিশি ব্যবস্থা রাখা আছে। শনিবার রাতে ডার্বি ম্যাচের পর থেকে রাস্তাটা বন্ধ করে দেওয়া হবে এখনও পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হয়ে রয়েছে।

আগস্ট ১২, ২০২৩
দেশ

ইতিহাসের বারান্দায় অনাস্থা প্রস্তাব

মঙ্গলবার থেকে লোকসভায় শুরু হল বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাবের উপর বিতর্ক। দুদিন ধরে চলবে বিতর্ক। তার পরে সরকার পক্ষের শীর্ষ ব্যাক্তি তাঁর জবাবই বক্তব্য বলবেন। লোকসভায় বিরোধীদের মিলিত শক্তির চেয়ে সাংসদ সংখ্যার বিচারে সরকার পক্ষের শক্তি অনেক বেশি। তাই বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবের নরেন্দ্র মোদী সরকারের দুশ্চিন্তার কিছু নেই। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম অনাস্থা প্রস্তাব আনলো বিরোধীরা। আর এই প্রথম লোকসভায় বিরোধীদের পারস্পরিক ঐক্য অনেক জমাট দেখাচ্ছে। বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবের পিছনে সংসদীয় রাজনীতির যে কৌশল রয়েছে তা হল মনিপুর প্রসঙ্গে বিরোধীদের সমালোচনার জবাব দিতে প্রধানমন্ত্রী বাধ্য হবেন। কারণ, সময়, পরিস্থিতি ও বিষয় বিচার করে প্রধানমন্ত্রী কখনো মুখ খোলেন কখনো নীরব থাকেন। যেমন মনিপুরে হিংসা ছড়ানোর ৭৯ দিন পরে প্রধানমন্ত্রী বিবৃতি দেন। মনিপুরে এখনো হিংসা থামেনি, লাগাতার হিংসা চললেও প্রধানমন্ত্রীর এই বিষয়ে আর মুখ খোলেননি।লোকসভার নিয়ম অনুসারে সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে গেলে নুন্যতম পঞ্চাশ জন সাংসদের সমর্থন প্রয়োজন। কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি ও সাংসদ মল্লিকার্জুন খারগের পেশ করা অনাস্থা প্রস্তাবের ৭৯জন সাংসদ সাক্ষর করেছেন। বিজেডি এবং ওয়াইএসআর কংগ্রেস ছাড়া সংসদে অস্তিত্ব রয়েছে এমন সব বিরোধী দলই প্রস্তাবের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে বিতর্ক শুরুর আগের দিন রাহুল গান্ধী সাংসদ পদ ফিরে পাওয়ায় বিরোধী শিবির, বিশেষত কংগ্রেস অনেকটাই উজ্জীবিত। ১৩৪ দিন সংসদের বাইরে থাকার পরে সাংসদ পদ ফিরে পেলেন রাহুল।আরও পড়ুনঃ কেন সমাজতন্ত্র: অ্যালবার্ট আইনস্টাইনইতিহাসের হুবহু পুনরাবৃত্তি না হলেও ইতিহাসের অনেক ঘটনা কিছু কিছু লক্ষণ পরবর্তী কালে দেখা যায়। যেমন ১৯৬৩ সালে অগাষ্ট মাসে সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশনে নেহেরু সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবের সঙ্গে চলতি বর্ষাকালীন অধিবেশনে বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাবের অনেক ক্ষেত্রে মিল রয়েছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে পার্থক্যও রয়েছে। ১৯৬৩ সালে বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব ছিল স্বাধীন ভারতের লোকসভার ইতিহাসে প্রথম। সেই সময় দেশের অধিকাংশ মানুষ মনে করতেন স্বাধীনতা এনেছে কংগ্রেস। তাই ১৯৬২ সালে তৃতীয় লোকসভা নির্বাচনেও বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফেরে কংগ্রেস। তখন লোকসভায় আসন সংখ্যা ছিল ৪৯৪। ৩৬১টি আসন পেয়ে তৃতীয় বার প্রধানমন্ত্রী হন নেহেরু। তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দেড় বছরের মাথায় দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি দ্রুত বদলাতে থাকে। ১৯৬২সালের চিন-ভারত যুদ্ধের ফলে নেহেরু সরকার তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন। কংগ্রেস কোনঠাসা হয়ে পড়ায় ক্রমাগত হারতে থাকা বিরোধীরা উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। এই আবহে বেশ কয়েকটি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে পরাজিত হয় কংগ্রেস। কংগ্রেসকে সংসদে আরও চাপে ফেলতে বিরোধীরা কক্ষ সমন্বয় ঐক্যে পৌঁছয়। ফলে লোকসভায় প্রথমবার অনাস্থা প্রস্তাবের মুখোমুখি হয় নেহেরু সরকার।সেই সময় লোকসভার অধ্যক্ষ ছিলেন হুকোম সিং। লোকসভার বর্ষাকালীন অধিবেশনের শুরুতে একাধিক রাজনৈতিক দল অধ্যক্ষের কাছে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেয়। প্রথম অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন প্রজাশক্তি পার্টির শীর্ষ নেতা ও সাংসদ আচার্য জে বি কৃপালনী। ভারতীয় জনসংঘ ও সিপিআই, পৃথকভাবে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেয়। এছাড়াও আরো কয়েকটি রাজনৈতিক দল অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেয়। সিপিআইয়ের আনা অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে প্রয়োজনীয় নুন্যতম পঞ্চাশ জন সাংসদের সাক্ষর না থাকায় তা বাতিল হয়ে যায়। অন্যান্য রাজনৈতিক দল আচার্য কৃপালনীর আনা প্রস্তাবকে সমর্থন জানিয়ে সরে দাঁড়ায়। অধ্যক্ষ হুকোম সিং আচার্যর আনা প্রস্তাবে আলোচনার অনুমোদন দেন। ১৯ অগাষ্ট লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাবের উপর বিতর্ক শুরু হয়।বিরোধীদের পক্ষে আলোচনা শুরু করেন আচার্য কৃপালনী । তিনি তাঁর বক্তব্যে শুধু চিন-ভারত যুদ্ধ নয়, সরকারের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ ও আনেন। লোকসভায় সরকার ও বিরোধী পক্ষের শক্তির ফারাকের কথা মাথায় রেখে আচার্য কৃপালনী বলেন, শুধু সাংসদ সংক্ষ্যা হিসেব করলে চলবে না। প্রাপ্ত ভোটের হিসেব করলে দেখা যাবে বিরোধীদের শক্তি সরকার পক্ষের থেকে বেশি। সাম্প্রতিক লোকসভা নির্বাচনে সরকার পক্ষ ৪৬ শতাংশের কাছাকাছি ভোট পেয়েছে। বাকি ৫৪ শতাংশ ভোট পেয়েছে বিরোধীরা । এর থেকে প্রমানিত হয় বিরোধীরাই সংসদে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মতামতকেই পেশ করছে। প্রস্তাবের পক্ষে বিরোধী নেতারা বক্তব্য বলার পাশাপাশি সরকার পক্ষের হয়ে বক্তব্য বলেন মোরারজি দেশাই ও ভগবৎ ঝা আজাদ প্রমুখ। সবশেষে জবাবী ভাষনের প্রধানমন্ত্রী নেহেরু বিরোধীদের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন,বিরোধীদের মধ্যে এই বিচিত্র সমঝোতার মূল কারণ হলো আমার বিরোধিতা করা। তাই বিরোধীদের বক্তব্যের পুরোটাই নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া। সরকারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা আসলে সরকারের বিরুদ্ধে নয়। তা হল প্রধানমন্ত্রী নেহেরু ও ব্যক্তি নেহেরুর বিরুদ্ধে মিলিত ব্যক্তিগত আক্রমণ।আরও পড়ুনঃ বাংলায় ক্ষমতায় থাকার কৌশল বদলেছে সময়ের তালে, রাজনৈতিক সংঘর্ষের বীজ লুকিয়ে অতীতের ছায়ায়প্রত্যাশিত ভাবেই বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব সংসদ কক্ষে ভোটে পরাজিত হয়। তবে চিন-ভারত যুদ্ধের ফলাফলে নেহেরুর জনপ্রিয়তায় ফাটল ধরে। সেই সুযোগে দলের মধ্যেও তাঁর বিরোধীরা সক্রিয় হয়ে ওঠে। এরই সঙ্গে বেশ কয়েকটি উপনির্বাচনে ক্ংগ্ৰেসের পরাজয় এবং বিরোধীদের জমাট এক্য - সব মিলিয়ে ঘরে বাইরে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন নেহেরু। তার আঁচ গিয়ে পড়ে তাঁর শরীরে। ধীরে ধীরে অসুস্থতা বাড়তে থাকে। ১৯৬৪ সালের ২৭ শে মে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যু হয়।

আগস্ট ০৮, ২০২৩
দেশ

জুলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার ১০৮তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদ্বোধন করবেন কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী

কেন্দ্রীয় বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব জুলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার ১০৮ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপনের সূচনা করবেন ১লা জুলাই, সল্টলেকের নিক্কো পার্ক সংলগ্ন ইস্ট প্যাভিলিয়নে। এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে তিনি অ্যানিম্যাল ট্যাক্সোনোমি সামিট ২০২৩- শীর্ষক এক সম্মেলনেরও সূচনাও করবেন। এই অনুষ্ঠানে কেন্দ্র সরকারের মিশন লাইফ ভাবনাকে নিয়ে জেডএসআইয়ের কর্মকান্ডকে উপস্থাপন করা হবে। পরিবেশ রক্ষার বার্তা দিতে এক বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করার পরিকল্পনাও গৃহীত হয়েছে।এই অনুষ্ঠানে মন্ত্রী অ্যানিম্যাল ডিসকভারিজ ২০২২ শীর্ষক একটি পুস্তক প্রকাশ করবেন, যেখানে দেশ জুড়ে আবিষ্কৃত ৬০০ নতুন প্রজাতির সন্ধান থাকবে এই বইয়ে। তাছাড়া স্বাধীনতার ৭৫ বছরকে স্মরণ করতে ও আজাদি কি অমৃত মহোৎসবের অঙ্গ হিসেবে ৭৫ ওয়েটল্যান্ড ফনা অফ ইন্ডিয়া এবং ৭৫ এন্ডেমিক বার্ডস অফ ইন্ডিয়া শীর্ষক দুটি প্রামান্য বই প্রকাশিত হবে। অনুষ্ঠানে দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী অশ্বিণী কুমার চৌবে এবং বন দপ্তরের ডিরেক্টর জেনারেল তথা দপ্তরের বিশেষ সচিব চন্দ্র প্রকাশ গোয়েল উপস্থিত থাকবেন। ১০৮ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অ্যানিম্যাল ট্যাক্সোনমি সামিট ২০২৩-এ দেশ বিদেশের চার শতাধিক প্রাণীবিদ্যা বিশেষজ্ঞ যোগদান করবেন। লন্ডনের ন্যাচারেল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন। এই সম্মেলনে ১২ জন খ্যাতনামা বিশেষজ্ঞ পশু শ্রেণীকরণ, বায়োজিওগ্রাফি সহ বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্য রাখবেন। এই সম্মেলনে উপস্থাপিত গবেষণাপত্র সমূহ শতাব্দী প্রাচীন ইন্ডিয়ান জুলজি পত্রিকাতেও পরবর্তীতে প্রকাশিত হবে। জেডএসআই-এর প্রথম মহিলা নির্দেশক ধৃতী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সংস্থা ভুটান সরকারের সঙ্গে কয়েকটি মৌ চুক্তিও স্বাক্ষর করবে। ভবিষ্যত গবেষণার আদান-প্রদানের লক্ষ্যেই এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। অ্যানিম্যাল ট্যাক্সোনোমি সামিট চলবে ৩রা জুলাই পর্যন্ত। এই উপলক্ষে কলকাতা প্রেস ক্লাবে একটি সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

জুলাই ০৭, ২০২৩
খেলার দুনিয়া

ইতিহাস গড়ল ভারতের অনুর্দ্ধ ১৯ মহিলা ক্রিকেট দল, ধুলোয় মিশিয়ে দিল ইংল্যান্ডকে

বিশ্ব ক্রিকেটে ইতিহাস তৈরিতে সাক্ষী থাকল বাংলার তিন তরুণী ক্রিকেটার। রবিবার মহিলাদের অনুর্দ্ধ ১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। আইসিসি আয়োজিত প্রথমবারের এই প্রতিযোগিতার ফাইনালে ভারতীয় মহিলা দল ৭ উইকেটে হারায় ইংল্যান্ডকে। শেফালী ভার্মার নেতৃত্বে ভারতের এই দল স্মরণ করিয়ে দিল ২০০৭-এ টি ২০ বিশ্বকাপের প্রথম প্রতিযোগিতায় ধোনীর নেতৃত্বের ভারতের জয়কে। তারপর ১৬ বছর ধরে টি ২০ বিশ্বকাপে ভারতের প্রাপ্তির ভাড়ার শূন্য়। প্রথমবারেই বাজিমাত শেফালীদের।প্রথম ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। ভারতের বোলিংয়ের কাছে কচুকাটা হয় ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা। ইংল্যান্ড ১৭.১ ওভারে মাত্র ৬৮ রান তুলতে সক্ষম হয়। তুরি দিয়ে জয় পায় ভারত। সহজেই ইংল্যান্ডের রান তাড়া করে ভারত ১৪ ওভারে ৩ উইকেটে ৬৯ রান তোলে। পরাজিত হয় ইংল্যান্ড। ৪ ওভার বল করে ৬ রান দিয়ে ২ উইকে়ট নিয়ে ফাইনালের সেরা হয়েছেন চুঁচুড়ার তিতাস সাধু।মহিলাদের প্রথম অনূর্ধ্ব ১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পরই আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। পুরো দল এবং কোচিং স্টাফদের জন্য ৫ কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে বোর্ড। ভারতীয় এই দলে তিতাস ছাড়াও রয়েছে হাওড়ার হৃষিতা বসু ও শিলিগুড়ির রিচা ঘোষ।

জানুয়ারি ২৯, ২০২৩
রাজ্য

জোকা-তারাতলা মেট্রো সপ্তাহে কদিন, কখন চলবে, কদিন বন্ধ থাকবে, রইল বিস্তারিত সূচি

জোকা-বিবাদী বাগ মেট্রো প্রকল্পের জোকা-তারাতলা রুটের ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামী সোমবার, ২ জানুয়ারি যাত্রী নিয়ে এই রুটে ছুটবে মেট্রো। জোকা থেকে তারাতলার দূরত্ব ৬.৫ কিলোমিটার। এই যাত্রাপথে মোট ছটি স্টেশন থাকছে জোকা, ঠাকুরপুকুর, সখেরবাজার, বেহালা চৌরাস্তা, বেহালা বাজার এবং তারাতলা। মেট্রো কর্তৃপক্ষ জোকা-তারাতলা রুটে ট্রেন চলাচলের সংখ্যা, সময়সূচীও ঘোষণা করেছে। আপাতত একটি মেট্রো যাতায়াত করবে। জোকা-তারাতলা রুটে প্রতিদিন ১২টা করে মেট্রো চলাচল করবে। ৬টি আপে ও ৬টি ডাউনে মেট্রো চলবে। সোমবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত পরিষেবা মিলবে। তবে শনিও রবিবার পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ থাকবে। ওয়ান ট্রেন সিস্টেম অর্থাৎ একটি ট্রেনই জোকা থেকে ছাড়বে। তা আবার তারাতলা থেকে ফিরবে। সর্বনিম্ন ভাড়া ৫ টাকা। সর্বোচ্চ ভাড়া ২০ টাকা।জোকা-তারাতলা রুটের সময়সূচি-সোমবার থেকে শুক্রবার অর্থাৎ সপ্তাহে ৫ দিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫.৩০টা পর্যন্ত মেট্রো চলবে।জোকা থেকে মেট্রো ছাড়বে সকাল ১০ টা, সকাল ১১ টা, বেলা ১২ টা, দুপুর ৩ টে, বিকেল ৪ টে এবং বিকেল ৫ টায়।তারাতলা থেকে মেট্রো ছাড়বে সকাল ১০.৩০টা, সকাল ১১.৩০টা, বেলা ১২.৩০টা, দুপুর ৩.৩০টে, বিকেল ৪.৩০ টে এবং বিকেল ৫.৩০ টায়।

ডিসেম্বর ৩১, ২০২২
রাজ্য

বন্দে ভারতের চালক গর্বিত করল বর্ধমানকে, স্টেশনে ভিড়ের মাঝে স্বামীকে হাত নাড়িয়ে শুভেচ্ছা স্ত্রীর

বন্দে ভারতে মেতেছে বাংলা। ইতিমধ্যে ট্রেনের টিকিট পেতেই হিমশিম অবস্থা। হাওড়া থেকে ছাড়ার পর একে একে নানা স্টেশনেই দাঁড়িয়েছে বন্দে ভারত। জনতার উল্লাসে ভেসেছে মশাগ্রাম, বর্ধমান, বোলপুর স্টেশন। প্রথমবার বন্দে ভারতকে চোখের দেখা দেখতে জাতীয় পতাকা নিয়ে অনেকেই হাজির হয়েছেন। এই সুপার স্পিড ট্রেনের চালককে মালা পড়িয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ। বাংলার প্রথম বন্দে ভারতের চালকের বাড়ি বর্ধমানে লোকো সারদা পল্লীতে। বর্ধমান স্টেশনে যখন চালককে নিয়ে মাতামাতি চলছে তখন ভিড়ের মধ্যেই দূর থেকে স্বামীকে হাত নাড়িয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সুনিতা কুমারী। ওই ভিড়ের মধ্যেও পাল্টা হাত নাড়িয়েছেন চালক অনিল কুমার। অনেকে তো ভাবতেই পারেনি চালকের স্ত্রী সেখানে দাঁড়িয়ে। চালক পাল্টা হাত নাড়ানোয় উপস্থিত জনতার টনক নড়ে। বর্ধমান স্টেশনে ট্রেন দাঁড়াতেই উৎসাহী মানুষজন অনিল কুমারের গলায় মালা পরিয়ে দিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে দেখে আবেগঘন হয়ে পড়েন সুনীতা কুমারী। গর্বিত চালকের স্ত্রী বলেন, এই দিনটা আমার কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজ্যে উপস্থিত থাকতে পারলে আরও ভালো লাগতো। আদতে বিহারের বিহারের বাসিন্দা অনিল কুমার। এখন পরিবার নিয়ে তিনি থাকেন বর্ধমানের লোকো সারদাপল্লীতে থাকেন। বন্দেভারত এক্সপ্রেস চালানোর উদ্দেশ্যে বৃহস্পতিবার রাতেই অনিল কুমার বর্ধমানের বাড়ি থেকে হাওড়া স্টেশনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন।এদিন সকালে টেলিভিশনের পর্দায় বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন নিয়ে উচ্ছ্বাস-উন্মাদনা দেখে বাড়িতে আর মন টেকেনি। সোজা বর্ধমান স্টেশনে চলে আসেন সুনীতা দেবী। তিনি জানিয়েছেন, ট্রেনের অ্যাসিন্ট্যান্ট ড্রাইভার হিসাবে ১৯৯০ সালে কাজে যোগ দেন তাঁর স্বামী। কর্মের প্রতি অবিচল অনিল কুমারের বরাবরই লক্ষ্য ছিল সবথেকে গুরত্বপূর্ণ ট্রেনগুলো চালানো। পূর্বা, কালকা, শতাব্দী, রাজধানী ও দুরন্ত এক্সপ্রেস ট্রেনও তাঁর স্বামী চালিয়েছেন। বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন চালানোর স্পেশাল ট্রেনিং নিতে চলতি মাসের ৭ তারিখ অনিল বাবু উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদে যান। ট্রেনিং শেষে ১৯ ডিসেম্বর তিনি বর্ধমানের বাড়িতে ফিরে আসেন। বন্দেভারত এক্সপ্রেসের মতো দুরন্ত গতির ট্রেন চালানোটা তার স্বামীর কাছে আলাদা মাইলস্টোন ছোঁয়ার মতো। এদিন সেই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তের সাক্ষী থাকার জন্যই বর্ধমান স্টেশনে উপস্থিত হয়েছিলেন বলে সুনীতাদেবী জানান। এদিন বর্ধমান স্টেশনে হাত নেড়ে, ইশারায় শুভেচ্ছা বিনিময় হলেও গর্বিত স্বামীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলার সুযোগ হয়নি সুনীতা দেবীর। কথা না হলেও আপশোষ নেই সুনীতা দেবীর। তিনি বলেন, স্বামী কাজের প্রতি দায়বদ্ধ।

ডিসেম্বর ৩১, ২০২২
রাজ্য

রেল এলাকা থেকে চুরি যাওয়া একাধিক মোবাইল উদ্ধার করে আসল মালিকের হাতে তুলে দিল রেল পুলিশ

অনন্য নজির রেল পুলিসের। শুক্রবার বর্ধমান জিআরপি থানায় এক ছোট্ট অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ২৩ জন প্রাপকের হাতে তাদের মোবাইল ফিরিয়ে দেওয়া হল। এই অনুষ্ঠানের নাম দেওয়া হয়েছিল ফিরে পাওয়া।অনুষ্ঠানে জি আর পি; ও.সি চিন্তাহরণ সিনহা সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। হারিয়ে পাওয়া মোবাইল পেয়ে প্রাপকেরা জানান; তারা খুব খুশি। বারবার রেল পুলিশকে ধন্যবাদ জানান তারা।

নভেম্বর ২৫, ২০২২
রাজ্য

রেলের উচ্ছেদ নোটিশে অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রের ভাঙ্গা পড়ার খবরে এলাকায় উত্তেজনা

পাল্লা রোড স্টেশনের পর এবার বর্ধমান হাওড়া কর্ড শাখার জৌগ্রাম স্টেশনে উচ্ছেদের নোটিশ পড়লো। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে জৌগ্রাম এলাকায়। দিন তিনেক আগে রেলের পক্ষ থেকে উচ্ছেদের নোটিশ এলাকায় টাঙানো হয়। ২৮ নভেম্বরের মধ্যে তাদের জায়গা খালি করার সময় সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে রেলের তরফে।এই জায়গার মধ্যেই আছে একটি আইসিডিএস সেন্টার। সেটিও ভাঙা ফেলা হবে রেলের পক্ষ থেকে। স্থানীয় বাসিন্দা বাসন্তী তুরী জানান, তারা ৪০ বছর ধরে এখানে বাস করছেন। এখন হঠাৎ করে উচ্ছেদের নোটিশ দিলে তারা বাচ্চা কাচ্চা নিয়ে কোথায় যাবে। এখানে ৪০ টি পরিবার বাস করে। তারা রেলের উচ্ছেদ নোটিশে কার্যত অথৈজলে পড়েছে।আইসিডিএস সেন্টারে ৬২ টি ছেলে পড়াশোনা করে ও পাঁচজন অন্তঃসত্ত্বা মহিলা এখানে খাবার নেন। এখন রেলের পক্ষ থেকে আইসিডিএস সেন্টারটি ভেঙে দেওয়া হলে বাচ্চাদের পড়াশোনা ও খাওয়া সবই বন্ধ হয়ে যাবে বলে জানান এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য মৃদুলকান্তি মণ্ডল।স্থানীয় বাসিন্দা সুষমা রায় বলেন, মাস দুয়েক আগে একবার এলাকায় মাইকিং করে বলা হয়, জায়গা ছাড়ার জন্য।তারপর হঠাৎই নোটিশ দেওয়া হয় নভেম্বর মাসের ১৯ তারিখে। স্থানীয় বাসিন্দারা চাইছেন তাদের সময় দেওয়া হোক। মাস চারেক সময় দিলে তাদের সুবিধা হয়।এই বিষয়ে পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তীর যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কি করে রেলের জায়গায় আইসিডিএস সেন্টার তৈরী হল বুঝতে পারছি না।তবে যদি বাসিন্দারা রেলের কাছে লিখিত ভাবে জানান যে তারা দুমাসের মধ্যে উঠে যাবেন তাহলে রেল সেটা ভেবে দেখবে।

নভেম্বর ২৩, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • ...
  • 27
  • 28
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

দামোদরে বালি তুলতে গিয়ে বিরাট বিপত্তি, জলে ভাসছে ১৫টি লরি

দামোদরে বালি তোলায় কোনও লাগাম নেই। ডিভিসি থেকে জল ছাড়ার খবর থাকা সত্বেও বালি তোলার কাজ চলছিল। লরি নেমেছিল একেবারে নদের ভিতরে। জল ভরে টুইটুম্বুর হওয়ায় ভেসে গেল ১৫টি বালি বোঝাই লরি। পূর্ব বর্ধমানের গলসির গোহগ্রামের এই ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে। পরে লরিগুলিকে উদ্ধারের তৎপরতা শুরু হয়।দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার কথা ডিভিসি ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগাম ঘোষণা করা হয়েছিল। মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে বুধবার জল ছাড়া হয় ৪০ হাজার কিউসেক। এরই মধ্যে নিম্ন দামোদর অববাহিকায় দুদিন ধরে টানা বৃষ্টি চলেছে। এই সব কারণে বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ দামোদর নদে জলের পরিমাণ বেশ বেড়ে যায়। এতেই ঘটে যায় বিপত্তি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ১৫টি বালি বোঝাই লরি দামোদর নদের জলে ভাসতে থাকে। তার উপর বৃহস্পতিবার বেলা বাড়তে নদের জল আরও হু হু করে বাড়তে শুরু হয়। বিপদ বুঝে লরিগুলি নদী থেকে তোলার জন্য তৎপরতা শুরু করে চালকরা । ওই সময়েই সামনে থাকা দুটি লরি বিকল হয়ে যাওয়ায় লরি গুলি নদ থেকে পাড়ে তোলা আর সম্ভব হয়নি। জেসিবি মেশিন ব্যবহার করেও কাজ হয়নি। জল কমা পর্যন্ত লরিগুলো তুলতে অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

জুন ১৯, ২০২৫
রাজ্য

"কেশরী: চ্যাপ্টার ২" তে ক্ষুদিরাম বসু সহ বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অপমান, প্রতিবাদে গর্জে উঠল বাংলা পক্ষ

সম্প্রতি কেশরী: চ্যাপ্টার ২ নামের এক বলিউডি হিন্দি সিনেমায় ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সশস্ত্র সংগ্রামের উজ্জ্বল ইতিহাস তথা বীর বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পরিচয় ও ভূমিকা বিকৃত করে এক মনগড়া মিথ্যা ইতিহাস তুলে ধরার অভিযোগ উঠেছে। সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম সিং ও বারীন্দ্র কুমার নামক দুই বিপ্লবী বৃটিশ পুলিশকর্তা কিংসফোর্ডকে বোমা মেরে হত্যার চেষ্টা করে ও তাদের বোমা তৈরীর প্রশিক্ষণ দেয় কৃপাণ সিং! যার সাথে বাস্তবের কোন মিল নেই। প্রকৃত পক্ষে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে বাঙালি বিপ্লবীদের সশস্ত্র সংগ্রামের ইতিহাসের এক যুগান্তকারী ঘটনা কিংসফোর্ড হত্যার প্রচেষ্টা ও পরবর্তীতে মানিকতলা বোমা মামলার ঘটনার কথা সম্পূর্ণ বিকৃত ভাবে এই সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে।সশস্ত্র সংগ্রামের লক্ষ্যে কলকাতার মানিকতলার যুগান্তর গুপ্ত সমিতিতেই অরবিন্দ ঘোষের নেতৃত্বে বোমা তৈরীর কর্মশালা গড়ে ওঠে, ইউরোপ থেকে বোমা তৈরী শিখে এসে এখানে বোমা তৈরী করে বিপ্লবীদের সরবরাহ করতেন হেমচন্দ্র কানুনগো, যিনি বলিউডের দৌলতে হয়েছেন কৃপাণ সিং। এই গুপ্ত সমিতির পক্ষেই ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকী কিংসফোর্ডকে বোমা নিক্ষেপ করে হত্যার চেষ্টা করেন। মেদিনীপুরের বীর বাঙালি কিশোর ক্ষুদিরাম বসুর পদবী সিনেমায় হয়েছে সিং অন্যদিকে প্রফুল্ল চাকীর নামই মুছে গেছে, শোনা গেছে জনৈক বারিন্দর কুমারের নাম, যেকোন ইতিহাস সচেতন ব্যক্তিই বলতে পারবেন এই নাম আসলে মানিকতলা বোমা মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ও পরবর্তীতে আন্দামানে দ্বীপান্তরিত বারীন্দ্র ঘোষের, যিনি সম্পর্কে অরবিন্দ ঘোষের ভাই। এই মানিকতলা বোমা মামলায় বিপ্লবীদের পক্ষে কোর্টে আইনি লড়াই করেন আরেক মহান বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামী দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ। এই গৌরবজনক অধ্যায় সম্পূর্ণ ভাবে বিকৃত করা হয়েছে, যা বাঙালি জাতি তথা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি চূড়ান্ত অবমাননা।এই বিকৃতির বিরুদ্ধে বাঙালির ক্ষোভের প্রকাশ দেখা যাচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থেকে সংস্কৃতি জগতের নানান ব্যক্তিত্ব এই ইতিহাস তথা মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নাম বিকৃতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। ভারতীয় বাঙলির জাতীয় সংগঠন বাংলা পক্ষও সরব হয়েছে, আজ তারা পথে নেমে প্রতিবাদ করল কলকাতার বাংলা একাডেমী সংলগ্ন রানুছায়া মঞ্চে। এই প্রতিবাদ সভায় বাংলা পক্ষর সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি বলেন, কেশরী ২ সিমেমার মূখ্য অভিনেতা অক্ষয় কুমার, তিনি কাদের স্বার্থে বিকৃত ইতিহাস প্রচার করে সিনেমা তৈরি করেন এটা আমাদের সকলের জানা৷ বিজেপি ও বলিউডের উদ্দেশ্য বাঙালির গৌরবজনক বীরত্বের ইতিহাস মুছে দেওয়া। সেই উদ্দেশ্যেই বারবার এই ধরনের ঘটনা দেখা যাচ্ছে। বলিউড এর আগেও অভয় ২ সিরিজে বীর শহীদ ক্ষুদিরাম বসুকে ক্রিমিনাল, জঙ্গি হিসাবে দেখিয়েছিল। বাংলা পক্ষ তখন Zee5 কে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছিল এবং সল্টলেকে Zee5 এর অফিসে বিক্ষোভ করেছিল। পরবর্তীতে Zee5 ক্ষমা চেয়ে সেই অংশ বাদ দিতে বাধ্য হয়। শীর্ষ পরিষদ সদস্য অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় বলেন যতক্ষণ না পর্যন্ত কেশরী ২ সিনেমার নির্মাতারা ক্ষমা না চায়, বাংলা পক্ষর লড়াই চলবে। ক্ষমা চেয়ে এই দৃশ্য বাদ দিতে হবে। বাঙালি বিদ্বেষীদের কিভাবে ক্ষমা চাওয়াতে হয় সেটা বাংলা পক্ষ ভালো ভাবে জানে।শীর্ষ পরিষদ সদস্য সৌম্যকান্তি ঘোড়ই বলেন, ক্ষুদিরাম বসুকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান। প্রফুল্ল চাকীকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান৷ বীর বিপ্লবী বারীন ঘোষদের অপমানের বিরুদ্ধে এই লড়াই চলবে। অক্ষয় কুমারকে ক্ষমা চাইতেই হবে।এছাড়াও আজকের প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন কলকাতা জেলার সম্পাদক সৌম্য বেরা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক কুশনাভ মন্ডল, শিল্পী পক্ষর অধিকর্তা প্রবাল চক্রবর্তী প্রমুখ। এর আগে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় এই সিনেমা নিয়ে একই ইস্যুতে এফআইআর হয়েছে। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন বাঙালি বীর বিপ্লবীদের ইতিহাস বিকৃতি করার জন্য।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স

লর্ডসে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও রাহুল দ্রাবিড়ের। দিনটা ছিল ১৯৯৬ র ২০ জুন। এই টেস্টের কথা উঠলেই মহারাজকীয় শতরানের কথাই সবার আগে মনে আসে। যা এসেছিল ২২ জুন।তবে ২০ জুন বল হাতে কামাল দেখিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ইংল্যান্ডের তৃতীয় ও চতুর্থ উইকেট পড়েছিল চার রানের ব্যবধানে। দলের ৯৮ রানের মাথায় সৌরভের প্রথম শিকার হন তিন নম্বরে নামা নাসের হুসেন। ১১০ বলে ৩৬ রান করে তিনি ফেরেন বিক্রম রাঠোরের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ১০২ রানে ইংল্যান্ডের চতুর্থ উইকেট পড়ে। ৯ বলে ১ রান করে গ্রেম হিক সৌরভের বলেই জাভাগল শ্রীনাথের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। প্রথম ইনিংসে সৌরভের বোলিং ফিগার ছিল ১৫-২-৪৯-২। বেঙ্কটেশ প্রসাদ পাঁচটি, শ্রীনাথ তিনটি ও সৌরভ ২টি উইকেট পান। পরশ মামব্রে, অনিল কুম্বলে ও সচিন তেন্ডুলকর উইকেট পাননি। দ্বিতীয় ইনিংসে সৌরভ তুলে নিয়েছিলেন প্রথম ইনিংসে শতরানকারী জ্যাক রাসেলের উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে মহারাজ ৩ ওভারে মাত্র ৫ রানের বিনিময়ে একটি উইকেট পেয়েছিলেন। ফলে লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

বৃষ্টির মোকাবিলায় ইডেন সেরা, মাঠ ভরানোর আহ্বান মনোজের

আজও বৃষ্টিতে ব্যাহত বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের খেলা। কয়েক দিন ধরেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি চলছে। যার জেরে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের খেলাগুলি পরিত্যক্ত হচ্ছে। ইডেনে বৃষ্টি থামার পর খেলা শুরু হলেও ফের অবিরাম বর্ষণে ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। তবে গতকাল যা হলো তা অন্য কোথাও আর হতে পারতো না।সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত ভাবনাতেই ইডেনের গোটা মাঠ ঢেকে রাখার বন্দোবস্ত হয়েছে। উন্নতমানের কভার আনিয়ে। এমনকী ইডেনের মতো সল্টলেক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস মাঠেও মাঠ ঢেকে রাখা হয় প্রধান কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন অনবদ্য টিম যার ফলে বৃষ্টি থামার কিছুক্ষণের মধ্যেই মাঠ খেলার উপযুক্ত করে দিতে পারেন। ইডেনের এমন ব্যবস্থাপনা বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়াম আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামেও নেই। সুনীল গাভাসকর-সহ অনেকেই তাই বলে থাকেন মাঠ ঢাকার ব্যবস্থাপনায় ইডেনকে অনুসরণ করতে। এই ব্যবস্থাপনার সুফল মিলল আরও একবার। গতকাল বৃষ্টি একটু ধরতেই রাতে ৯ ওভারের ম্যাচ হলো। হারবার ডায়মন্ডস ৪০ রানে হারাল লাক্স শ্যাম কলকাতা টাইগার্সকে। যে পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে শহরে তাতে অন্য কোথাও এটা সম্ভব হতো না। হলো মাঠ ঢাকার ব্যবস্থা ছিল বলেই। হারবার ডায়মন্ডস অধিনায়ক তথা রাজ্যের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি অনুরোধ করেছেন সকলকে কাজ সেরে মাঠে এসে তরুণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করার জন্য। এই লিগে বিনামূল্যে খেলা দেখা যায়। এমনকী হারবার ডায়মন্ডসের সমর্থকদের জল, ইলেক্টোরাল, কেক দেওয়ার কথাও মনোজ বলেছেন। তার কারণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করতে সমর্থকদের উপস্থিতি দরকার। গ্যালারির সিংহভাগ ফাঁকা থাকছে। যে লিগের সম্প্রচার স্টার স্পোর্টসে চলছে সেখানে এমন ফাঁকা গ্যালারি মোটেই ভালো বিজ্ঞাপন নয়।

জুন ১৯, ২০২৫
দেশ

ওরঙ্গাবাদের এই হৃদয়স্পর্শী কাহিনী আপনার মন ছুঁয়ে যাবেই

মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদের সম্ভাজি নগরে ঘটনা এখন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। ওই হৃদয়স্পর্শী ঘটনা নাড়া দিয়েছে পুরো সমাজকে। সেখানে এক গয়নার দোকানে গিয়েছিলেন অতি সাধারণ এক দম্পতি। স্ত্রীকে কিছু উপহার দেওয়াই ছিল স্বামীর উদ্দেশ্য। গয়নার শোরুমের ম্যানেজার তাদের সঙ্গে গল্প জুড়ে দেন। হাসিঠাট্টার মাঝে কথা বলতে বলতে জেনে নেন তাঁদের জীবনকাহিনী। এবার এল জিনিস কেনার পালা। হাতের ঝোলা ব্যাগ থেকে বেরোল একটা ৫০০ টাকার নোট। একে একে ১০, ২০ টাকার নোট। সবশেষে একটা ছোটখাট বোঁচকা। তাতে ভর্তি খুচরো পয়সা।শোরুমের ম্যানেজার গোটা বিষয়টা বুঝতে পেরে তাঁদের একটি হার উপহার দেন। সঙ্গে একজোড়া কানের দুলও। এরপর বৃদ্ধের কাছে সরল আবদার জানান, নিজে হাতে স্ত্রীর হাতে সেটা তুলে দিতে হবে। উপহার তো দিলেন ম্যানেজার, কিন্তু এত বড় দোকানে এসে কোনও টাকা না দিয়ে চলে যাবেন, এতেও যেন সম্মানে বাধে বৃদ্ধের। সমাজের খেটে খাওয়া মানুষের কাছে আত্মসম্মানই বড় কথা। প্রাণ যাক, সম্মান নিয়ে বাঁচাটাই বড় কথা। তাই সবচেয়ে বড় নোটটি তুলে দিতে চেয়েছিলেন ম্যানেজারের হাতে। কিন্তু তাতে ম্যানেজারের উত্তর, আপনার আশীর্বাদের হাত থাকলেই হবে। পান্ডুরঙ্গ (কর্নাটক, মহারাষ্ট্রের পূজিত দেবতা) আছেন, কিছুর অভাব হবে না কোনওদিন। কিন্তু বৃদ্ধ নাছোড়বান্দা, টাকা তিনি দেবেনই। উপায় নেই বুঝে অবশেষে দুটো ১০ টাকার নোট নেন ম্যানেজার।স্বামীর চোখে জল, ধুতির খুঁট দিয়ে মুছে ফেললেন। তা দেখে স্ত্রীও আটকাতে পারলেন না নিজেকে। ভিডিওতেই স্পষ্ট, এমন এক মূল্যবান উপহার পেয়ে বিশ্বাস হচ্ছে না ওই দম্পতির। কিন্তু যেকজন ভিডিওটি দেখেছেন, তাঁরা সবাই বুঝেছেন এই চোখের জল, অবিশ্বাস শুধু মূল্যবান এক উপহারের জন্য নয়, জীবনের অন্যতম এই দিনটি মনের মণিকোঠায় সাজিয়ে রাখছেন দম্পতি।

জুন ১৯, ২০২৫
দেশ

আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা: শিশুদের শনাক্ত করতে বড় সমস্যা, এখনও হস্তান্তর ১৫৯ দেহ

সুরাটের নানাবাওয়া পরিবার ৩৬ বছর বয়সী আকিল এবং ৩১ বছর বয়সী স্ত্রী হান্না ভোরাজির নামাজ-এ-জানাজা (জানাজা) সম্পন্ন হয়। বুধবার ভোরে ফোন করে জানায় যে বোয়িং ড্রিমলাইনার দুর্ঘটনায় তাদের সাথে মারা যাওয়া তাদের মেয়ে সারার মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। আত্মীয়স্বজনরা চার বছর বয়সী মেয়ের দেহাবশেষ দাবি করতে আহমেদাবাদে ছুটে যান। যাতে তাকে তার বাবা-মায়ের পাশে দাফন করা যায়।আহমেদাবাদ-লন্ডন AI-171 বিমান দুর্ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পর, সারার সন্ধানে দেখা যাচ্ছে যে পুড়ে যাওয়া দেহাবশেষের মধ্যে নাবালকদের শনাক্ত করা কতটা কঠিন। বুধবার পর্যন্ত, ডিএনএ ম্যাচিং এবং শনাক্তকরণের পরে ১৫৯টি মৃতদেহ আত্মীয়দের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সারা ছাড়াও, এই মৃতদেহগুলির মধ্যে কেবল একজন নাবালিকা ছিল ফাতিমা শেঠওয়ালা, যার বয়স ১৮ মাস।বিমান সংস্থার তালিকা অনুসারে, AI-171-এ ১২ বছরের কম বয়সী ১৩টি শিশু ছিল, যার মধ্যে তিনজন এখনও ২ বছর পূর্ণ করেনি। আরও বেশ কয়েকজনের বয়স ১১ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে।এই ধরনের দুর্যোগে অপ্রাপ্তবয়স্কদের শনাক্ত করার জন্য ডিএনএ প্রযুক্তি ব্যবহারে অসুবিধা ব্যাখ্যা করে গুজরাটের সরকারি ডেন্টাল কলেজের ফরেনসিক দন্ত বিশেষজ্ঞ ডঃ জয়শঙ্কর পিল্লাই বলেন, শিশুদের শরীরের ভর কম থাকে এবং তাই টিস্যুর ক্ষতি হয় এবং লম্বা হাড় তাপের সংস্পর্শে আসে। তবে দাঁত বেশি শক্তিশালী হওয়ায় তাপ সহ্য করতে পারে।তবে অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে এটিও জটিল। শিশুদের যে কোনও দাঁত থেকে ডিএনএ বের করা যেতে পারে, কিন্তু আগুন লাগার সময় সামনের দাঁত ব্যবহার করা যায় না কারণ তাপ তাদের নষ্ট করে দেয়। তাই আমরা মোলার থেকে ডিএনএ নিই। ছয় বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে, আমরা স্থায়ী মোলার পেতে পারি না... তাদের বেশিরভাগই দুধের দাঁত থাকে, এবং কখনও কখনও সেগুলিও নষ্ট হয়ে যায়। কারণ খিলানটি খুব ছোট। তাই আমরা চোয়ালে একটি ছেদ তৈরি করি এবং ভিতরে স্থায়ী মোলার তৈরি করার চেষ্টা করি, পিল্লাই বলেন, যার বিভাগের সাথে ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ দাঁতের ডিএনএ বের করতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের দাঁতের চার্ট তৈরি করতে সাহায্য করার জন্য যোগাযোগ করেছিল।একজন ফরেনসিক কর্মকর্তা বলেছেন যে দুর্ঘটনার পরে যে আগুন লেগেছিল তা খুব অল্প সময়ের মধ্যে ১৬০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি তাপমাত্রায় পৌঁছেছিল। সুতরাং, কিছু ব্যক্তির জন্য কেবলমাত্র আংশিক ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়া যায়, যাদের আমরা সন্দেহ করি যে তারা নাবালক, কর্মকর্তা বলেন, আরও বলেন যে আত্মীয়দের সাথে নিঃসন্দেহে নির্ভুলতার সাথে মেলানো কঠিন।আকিলের বাবা আবদুল্লাহ স্মরণ করিয়ে দেন যে তিনজন ৬ জুন, ঈদুল আযহার একদিন আগে, এক আকস্মিক পরিদর্শনে এসেছিলেন। এটা একটা ছোট ভ্রমণ ছিল। আমরা জানতাম না যে এটাই তাদের শেষ হবে, কাঁদতে কাঁদতে আবদুল্লাহ বলেন, যিনি বিমানে পরিবারকে নামিয়ে দিতে আহমেদাবাদ গিয়েছিলেন।ভদোদরায়, আসিফ শেঠওয়ালা তার নাতনি ফাতিমার জন্য শোক প্রকাশ করেছেন। যার দেহাবশেষ বুধবার শনাক্ত করা হয়েছে, যখন তার মা সাদিকার মৃতদেহ এখনও পাওয়া যায়নি। আসিফ বলেন, ফাতিমা তার লন্ডন-ভিত্তিক ছেলের একমাত্র সন্তান। সাদিকা এবং ফাতিমা আমার ছোট ছেলের বিয়েতে বেড়াতে এসেছিলেন। তারা প্রায় ২০ দিন ধরে এখানে ছিলেন এবং তাদের ফেরার টিকিট অনেক আগেই বুক করা হয়েছিল।ডিএনএ সরবরাহ করার পাশাপাশি, দাঁতের দেহাবশেষ একজন ব্যক্তির আনুমানিক বয়স নির্ধারণেও সাহায্য করে। যা শনাক্তকরণের জন্য প্রয়োজনীয় সূত্র প্রদান করে। আহমেদাবাদ দুর্ঘটনায় এটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যও, বিস্ফোরণ এবং আগুনের ফলে উদ্ধার করা বেশিরভাগ ডিএনএ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।ডঃ পিল্লাই বলেন, ফরেনসিক ওডন্টোলজি বিভাগ এক থেকে ছয় বছর বয়সী বেশ কয়েকজন প্রাপ্তবয়স্ক যাত্রীর দাঁতের ডিএনএ সংগ্রহ করেছে অথবা ডেন্টাল চার্টিং করেছে এবং অন্তত কিছু ভুক্তভোগীর বয়স মূল্যায়ন করেছে। এরপর এই বয়সের যাত্রীদের জন্য ফ্লাইট ম্যানিফেস্টের সাথে তুলনা করা হয়েছে। কিছু শিশুর ক্ষেত্রে, আমরা দ্বিতীয় মোলার বিকশিত হতে দেখেছি, যা স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে তারা তিন থেকে ছয় বছর বয়সী। এটি অনুসন্ধানকে সংকুচিত করতে সাহায্য করেছে। তারপর তাদের ডিএনএ নমুনা তাদের আত্মীয়দের সাথে মেলানো যেতে পারে।যারা খবরের জন্য অপেক্ষা করছেন তাদের মধ্যে রয়েছে ভদোদরার ভাহোরা পরিবার। তারা দুর্ঘটনায় তিন সদস্যকে হারিয়েছে। সোমবার ইয়াসমিনের মৃতদেহ হস্তান্তর করা হলেও, পারভেজ এবং তার ৪ বছর বয়সী মেয়ে জুভেরিয়ার দেহাবশেষ এখনও পাওয়া যায়নি। প্রাক্তন আইপিএস অফিসার এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ, ডঃ কেশব কুমার বলেছেন, পরিবারগুলির আশা হারানো উচিত নয়। বিমান দুর্ঘটনাটি প্রায় বোমা বিস্ফোরণের মতো ছিল। যেখানে ৫৪,০০০ লিটার বিমান জ্বালানি এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে জ্বলছিল। উৎপন্ন তাপের পরিমাণ শরীরের জন্য ক্ষতিকর। আমরা ভাগ্যবান হব যদি ভালো নমুনা পাওয়া যায়। কিন্তু যদি একটি দাঁতও পাওয়া যায়, তাহলে ডিএনএ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ফরেনসিক পরীক্ষা খড়ের গাদায় সূঁচ পাওয়ার মতো। কিন্তু একজন তদন্তকারী হিসেবে, আমি বলতে পারি যে ম্যাচ পাওয়ার সম্ভাবনা ১০০%। ডিএনএ হাজার হাজার বছর টিকে থাকতে পারে এবং প্রয়োজনে ধ্বংসাবশেষে ডিএনএর আরও চিহ্ন থাকবে। গুজরাট পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন যে তারা দুর্ঘটনাস্থল থেকে একাধিক নমুনা সংগ্রহ নিশ্চিত করেছেন।

জুন ১৯, ২০২৫
রাজ্য

১০০ দিনের কাজ নিয়ে হাইকোর্টে বড় ধাক্কা কেন্দ্রীয় সরকারকে

গতকালই ওবিসি মামলায় হাইকোর্টে জোরদার ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। এবার ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বড় ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার নজিরবিহীন একটি নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পশ্চিমবঙ্গে ফের ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প চালু করতে হবে, এই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ১ আগস্ট থেকেই এই প্রকল্প চালু করতে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ।উল্লেখ্য, বাংলায় ১০০ দিনের কাজের টাকা বহুদিন ধরে আটকে রেখেছে কেন্দ্র, এই অভিযোগ করে আসছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রাজ্য সরকারের একাধিক মন্ত্রী এই ব্যাপারে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বারবার সমালোচনায় সরব হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে লাগামহীন দুর্নীতি হয়েছে। এই দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্র বেশ কয়েকটি দলও বাংলার জেলায় জেলায় পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী আদালতে জানিয়েছিলেন, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গে মোট ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে গরমিল ধরা পড়েছে।। তার মধ্যে ২ কোটিরও বেশি টাকা পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে। হুগলি, মালদা, বর্ধমান, দার্জিলিংয়ের মতো জেলাগুলিতে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। ১০০দিনের কাজের প্রকল্পে টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে বেনজির দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রের।রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প আটকে থাকা নিয়ে মামলার শুনানি বুধবার ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনেছেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এরপর প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছেন যে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের জন্যই বিশেষ কোনও বেঁধে দিতে পারে কেন্দ্র। এই রায়ের পর সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ১০০ দিনের পুরনো বকেয়া টাকা ফেরত দিতে হবে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর

পাঁচ লক্ষ টাকা তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর এবং সালিশি করে গ্রাম ছাড়া করার অভিযোগ উঠলো স্থানীয় একদল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকায়। এই ঘটনায় আক্রান্ত ব্যবসায়ীর পরিবার কালিয়াচক থানার দ্বারস্থ হলেও চারদিন পরে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে বুধবার ওই ব্যবসায়ী দম্পতি সমস্ত ঘটনার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানালেন পুলিশ সুপারের কাছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব। এদিকে কালিয়াচকের ওই ব্যবসায়ীর ওপর আক্রমণ এবং পাঁচ লক্ষ টাকা তোলাবাজির ঘটনায় রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলার সর্ববৃহৎ ব্যবসায়ীদের সংগঠন মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বারবার যদি ব্যবসায়ীদের ওপর দুষ্কৃতীদের হামলা নেমে আসে, তাহলে আমরা যাব কোথায়। অবিলম্বে পুলিশ সুপার যাতে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে, সেই আবেদন জানাচ্ছি। এদিকে পুলিশকে অভিযোগে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকার পোশাক ব্যবসায়ী মহম্মদ রহিম বিশ্বাস জানিয়েছেন, পুরনো একটি মামলার ঘটনায় গত শনিবার এলাকার এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী জহরুল খান এবং তার দলবল তাকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাদের একটি ডেরায় তাঁকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর পাঁচ লক্ষ টাকার তোলা চাওয়া হয়। সেই টাকা না দেওয়ায় আশেপাশের আরও কিছু সাগরেদদের জুটিয়ে সালিশি ডাকা হয়। সেই সালিশির মাধ্যমে তাদের পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। আর এই ঘটনার পর থেকেই গত চারদিন ধরেই ওই ব্যবসায়ী পরিবার নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন হয়ে রয়েছেন। এমনকি ফতেখানি স্ট্যান্ডের কাছে ওই ব্যবসায়ী তার নিজের পোশাকে শোরুম খুলতে পারছেন না।

জুন ১৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal