• ৩ আষাঢ় ১৪৩২, শুক্রবার ২০ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Delhi

দেশ

পানশালার বিতর্কে স্মৃতি ইরানির মেয়ে, দিল্লি হাই কোর্টের নির্দেশে অশ্বস্তির মুখে তিন কংগ্রেস নেতা

দিল্লী উচ্চ আদালত জানিয়েছে যে, তিন কংগ্রেস নেতা বিজেপি নেত্রী ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি এবং তার মেয়ের জোয়িশের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এবং ব্যক্তিগত আক্রমণের ষড়যন্ত্র করেছিলেন তা মিথ্যা। ওই তিন কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে মহিলা ও শিশুকল্যাণ উন্নয়ন মন্ত্রী ইরানির দায়ের করা ২ কোটি টাকার দেওয়ানি মানহানির মামলার শুনানির সময় আদালত এই নির্দেশ দেয়।আদালত স্মৃতি ও তাঁর মেয়ের বিরুদ্ধে আনা কংগ্রেসের অভিযোগগুলিকে খণ্ডিত করে তাঁর আদেশে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি এবং তার মেয়ে গোয়ার রেস্তোরাঁ এবং বারের মালিক নন। কংগ্রেসের অভিযোগ ছিল, মৃত ব্যক্তির নথি জাল করে লাইসেন্স পেয়েছে স্মৃতি ইরানির কন্যার গোয়ার রেস্তরাঁ ও পানশালা সিলি সোলস।দিল্লী উচ্চ আদালতের নির্দেশে গোয়ায় উল্লিখিত বারএর নথি যাচাই করে দেখে, যে অভিযোগ জয়রাম রমেশ, পবন খেরা, নেট্টা ডিসুজা করেছেন স্মৃতি ইরানির মেয়ের বিরুদ্ধে,ওই নামে কোনও লাইসেন্স কখনও ইস্যু করা হয়নি এমন কোনও লাইসেন্স আদও ছিল না। ইরানি বা তার মেয়ে ওই রেস্টুরেন্টের মালিকও নন। এবং আদালত সুস্পষ্ট করে জানান, স্মৃতি ইরানি বা তার মেয়ে কখনই লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেনি।উল্লেখ্য,তিন কংগ্রেস নেতা টুইটারে স্মৃতি-র মেয়ে জোয়িশের বিরুদ্ধে জাল নথি পেশ করে পানশালার লাইসেন্স পাওয়ার অভিযোগ জানানোয় ওই তিন নেতাকে আইনি নোটিস পাঠান স্মৃতি ইরানি, এবং দিল্লি হাই কোর্টে মানহানির মামলা দায়ের করেন। দিল্লি হাই কোর্ট গত শুক্রবার জয়রাম রমেশ, পবন খেরা, নেট্টা ডিসুজাকে টুইট মুছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। আজকের আদালতের এই নির্দেশে কংগ্রেসের তিন নেতার আইনি বিপাকে পড়ার সম্ভবনা আরও প্রবল বলেই আইনজ্ঞরা মনে করছেন।

আগস্ট ০১, ২০২২
খেলার দুনিয়া

মরণবাঁচন ম্যাচে এ কী হাল ঋষভদের!‌ বুমরার দাপটে ধসে গেল দিল্লি

আইপিএলের প্লে অফে তিনটি জায়গা নিশ্চিত হয়ে গেছে। বাকি একটা জায়গা। লড়াই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ও দিল্লি ক্যাপিটালসের মধ্যে। প্লে অফের টিকিটের জন্য এই মুহূর্তে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের হাতে কিছু নেই। দিল্লি ক্যাপিটালস ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ম্যাচের ফলাফলের ওপরই নির্ভর করছিল তাদের ভাগ্য।১৪ ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের পয়েন্ট ১৬। আর ১৩ ম্যাচে দিল্লির পয়েন্ট ১৪। নেট রানরেটে দিল্লি (+০.২৫৫) এগিয়ে রয়েছে বেঙ্গালুরুর (-০.২৫৩) থেকে। সুতরাং মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে দিল্লি ক্যাপিটালস জিতলেই পেয়ে যাবে প্লে অফের টিকিট। আর ঋষভ পন্থরা হারলে প্লে অফে খেলার সুযোগ এসে যাবে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের সামনে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে এই রকম মরণবাঁচন ম্যাচেও ব্যাটিং বিপর্যয় দিল্লি ক্যাপিটালসের। দলকে লজ্জার হাত থেকে বাঁচালেন রভম্যান পাওয়েল ও অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। এই দুই ব্যাটারের সৌজন্যেই লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছল দিল্লি। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে তুলল ১৫৯/৭। টস জিতে দিল্লিকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়ক রোহিত শর্মা। সুস্থ হয়ে ওঠায় দিল্লি এদিন ললিত যাদবের জায়গায় প্রথম একাদশে ফেরায় পৃথ্বী শকে। মরণবাঁচন ম্যাচে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সামনে বড় রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়ার জন্য ডেভিড ওয়ার্নারের ফর্মে ফেরার দিকে তাকিয়ে ছিল দিল্লি টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু এদিনও ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠতে পারলেন ওয়ার্নার। ৬ বলে মাত্র ৫ রান করে তিনি তৃতীয় ওভারে ড্যানিয়েল স্যামসের বলে বুমরার হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। পরের ওভারেই মিচেল মার্শকে (০) তুলে নেন যশপ্রীত বুমরা। এক ওভার পরেই তিনি ফেরান পৃথ্বী শকে। প্রথম একাদশে ফিরে এদিন ভাল শুরু করেছিলেন পৃথ্বী। কিন্তু বড় রান করতে পারলেন না। ২৩ বলে ২৪ রান করে তিনি আউট হন। সরফরাজ খানও (৭ বলে ১০) নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। ৫০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে দিল্লি। এরপরই প্রতিরোধ গড়ে তোলেন অধিনায়ক ঋষভ পন্থ ও রভম্যান পাওয়েল। দুজনের জুটিতে ওঠে ৭৫। এই জুটিই মান বাঁচায় দিল্লির। ঋষভকে তুলে নিয়ে জুটি ভাঙেন রমনদীপ সিং। ৩৩ বলে তিনি করেন ৩৯। তারপরই আউট হল রভম্যান পাওয়েল। ৩৪ বলে তিনি করেন ৪৩। পাওয়েলের স্টাম্প ছিটকে দেন বুমরা। শেষ পর্যন্ত অক্ষর প্যাটেলের (১০ বলে ১৯) সৌজন্যে ১৫৯/৭ রানে পৌঁছয় দিল্লি। দুরন্ত বোলিং করে ২৫ রানে ৩ উইকেট নেন যশপ্রীত বুমরা।

মে ২১, ২০২২
খেলার দুনিয়া

পাঞ্জাবকে হারিয়ে প্লে অফের লড়াই জমিয়ে দিল দিল্লি

পাঞ্জাব কিংসকে হারিয়ে প্লে অফের লড়াই জমিয়ে দিল দিল্লি ক্যাপিটালস। ১৭ রানে জিতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে টপকে উঠে এল লিগ টেবিলের চার নম্বরে। একই সঙ্গে জমিয়ে দিল প্লে অফের লড়াই। একমাত্র দল হিসেবে গুজরাট টাইটান্স প্লে অফে খেলা নিশ্চিত করেছে। বাকি কোন তিনটি দল শেষ চারে যাবে, এখনও চূড়ান্ত নয়। প্লে অফের ছাড়পত্রের জন্য দিল্লি ক্যাপিটালস ও পাঞ্জাব কিংসের কাছে ম্যাচটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সামনে কম রানের লক্ষ্য নিয়েও ব্যাটারদের ব্যর্থতায় হেরে প্লে অফের লড়াই থেকে কার্যত ছিটকে গেল পাঞ্জাব কিংস। জিতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের ওপর চাপ বাড়াল দিল্লি ক্যাপিটালস। দুরন্ত বোলিং করে দলকে জয় এনে দিলেন কুলদীপ যাদবরা। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় এদিন পাঞ্জাব কিংসের সামনে বড় রানের লক্ষ্য দিতে পারেনি ঋষভ পন্থের দল। নির্ধারিত ২০ ওভারে তুলেছিল ১৫৯/৭। ব্যাট করতে নেমে ভাল শুরু করেছিল পাঞ্জাব কিংস। ৩.৪ ওভারে তুলে ফেলে ৩৮। এরপরই ধাক্কা। জনি বেয়ারস্টকে তুলে নেন এনরিখ নরটিয়ে। ১৫ বলে ২৮ রান করেন বেয়ারস্ট। ২ ওভার পরেই ভানুকা রাজাপক্ষেকে (৪) শার্দুল ঠাকুর। একই ওভারে তুলে নেন শিখর ধাওয়ানকে (১৬ বলে ১৯)। এরপরই ধস নামে পাঞ্জাব ইনিংসে। একে একে ফিরে যান মায়াঙ্ক আগরওয়াল (০), লিয়াম লিভিংস্টোন (৩), হরপ্রীত ব্রার (১), ঋষি ধাওয়ান (৪)। ৮২ রানের মধ্যে ৭ উইকেট হারায় পাঞ্জাব কিংস। সেখান থেকে আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে তোলে ১৪২/৯। জিতেশ শর্মা করেন ৪৪, রাহুল চাহার ২৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। ৩৬ রানে ৪ উইকেট নেন শার্দূল ঠাকুর। এদিন টস জিতে দিল্লি ক্যাপিটালসকে ব্যাট করতে পাঠান পাঞ্জাব কিংস অধিনায়ক মায়াঙ্ক আগরওয়াল। ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই ধাক্কা খায় দিল্লি ক্যাপিটালস। আউট হন ডেভিড ওয়ার্নার (০)। চলতি আইপিএলে তিনি প্রথমবার গোল্ডেন ডাকের শিকার। সরফরাজ খান (১৬ বলে ৩২) ওপেন করতে নেমে ঝড় তোলেন। ২১ বলে ২৪ রান করেন ললিত। ১১২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় দিল্লি। মিচেল মার্শের লড়াকু ব্যাটিং দিল্লিকে ১৫৯/৭ রানে পৌঁছে দেয়। ৪৮ বলে ৬৩ রান করেন মার্শ। ২৭ রানে ৩ উইকেট নেন লিয়াম লিভিংস্টোন।

মে ১৭, ২০২২
খেলার দুনিয়া

পাঞ্জাব কিংসের সামনে বড় রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়তে ব্যর্থ দিল্লি ক্যাপিটালস

চলতি আইপিএলে একমাত্র দল হিসেবে গুজরাট টাইটান্স প্লে অফে খেলা নিশ্চিত করেছে। বাকি কোন তিনটি দল শেষ চারে যাবে, এখনও চূড়ান্ত নয়। লড়াইয়ে রয়েছে রাজস্থান রয়্যালস, লখনউ সুপার জায়ান্টস, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর, দিল্লি ক্যাপিটালস ও পাঞ্জাব কিংস। সোমবার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মাঠে নেমেছে পাঞ্জাব ও দিল্লি। যে দল জিতবে, তারা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে সরিয়ে চতুর্থ স্থানে উঠে আসবে। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বড় রান তুলে পাঞ্জাব কিংসকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে পারল না দিল্লি ক্যাপিটালস।টস জিতে দিল্লি ক্যাপিটালসকে ব্যাট করতে পাঠান পাঞ্জাব কিংস অধিনায়ক মায়াঙ্ক আগরওয়াল। প্রথম একাদশে এদিন দুটি পরিবর্তন করে মাঠে নেমেছে দিল্লি। চেতন সাকারিয়ার জায়গায় দলে ফেরানো হয়েছে খলিল আমেদকে। আর শ্রীকার ভরতের জায়গায় সরফরাজ খান। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও পৃথ্বী শ এখনও খেলার মতো জায়গায় আসেননি। তাই তাঁকে নিয়ে ঝুঁকি নেয়নি দিল্লি টিম ম্যানেজমেন্ট। আগের দুটি ম্যাচে শ্রীকার ভরত। তাই তাঁর পরিবর্তে সরফরাজ খানকে খেলানোর সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লি টিম ম্যানেজমেন্ট।ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই ধাক্কা খায় দিল্লি ক্যাপিটালস। লিয়াম লিভিংস্টোনের বলে রাহুল চাহারের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ডেভিড ওয়ার্নার (০)। চলতি আইপিএলে তিনি প্রথমবার গোল্ডেন ডাকের শিকার। এদিন অনভ্যস্ত জায়গায় ব্যাট করতে নেমে সফল সরফরাজ খান। আদতে তিনি মিডল অর্ডারে ব্যাট করেন। এদিন ওপেন করতে পাঠানো হয়েছিল। শুরু থেকেই তিনি ঝড় তোলেন। ১৬ বলে ৩২ রান করে অর্শদীপের বলে রাহুল চাহারের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন।৫১ রানে ২ উইকেট হারানোর পর দিল্লিকে টেনে নিয়ে যান মিচেল মার্শ ও ললিত যাদব। ২১ বলে ২৪ রান করে ফিরে যান ললিত। ১১ ওভারে ৯৮ রান তুলে ফেলে দিল্লি। মনে হচ্ছিল পাঞ্জাবের সামনে বড় রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেবে। কিন্তু হঠাৎই ছন্দপতন। পরপর ফিরে যান ঋষভ পন্থ (৭) ও রভম্যান পাওয়েল। ১১২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় দিল্লি। মিচেল মার্শের লড়াকু ব্যাটিং চাপ কাটায় দিল্লির। ৪৮ বলে ৬৩ রান করে কাগিসো রাবাডার বলে আউট হন মার্শ। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫৯ রানে পৌঁছয় দিল্লি। ২৭ রানে ৩ উইকেট নেন লিয়াম লিভিংস্টোন। ৩১ রানে ২ উইকেট অর্শদীপ সিংয়ের।

মে ১৬, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ওয়ার্নার ও মার্শের দাপটে প্লে অফের লড়াইয়ে রইল দিল্লি ক্যাপিটালস

রাজস্থান রয়্যালসকে ৮ উইকেটে উড়িয়ে উড়িয়ে প্লে অফের লড়াইয়ে দারুণভাবে ঢুকে পড়ল দিল্লি ক্যাপিটালস। দিল্লির জয়ের নায়ক দুই অস্ট্রেলিয়ান তারকা মিচেল মার্শ ও ডেভিড ওয়ার্নার। এই দুই ব্যাটারের সামনে উড়ে গেলেন রাজস্থানের বোলাররা।ব্যাটারদের ব্যর্থতার জন্য দিল্লি ক্যাপিটালসের সামনে এদিন জয়ের জন্য খুব বড় রানের টার্গেট দিতে পারেনি রাজস্থান রয়্যালস। প্রথমে ব্যাট করে তুলেছিল ১৬০/৬। দিল্লির যা ব্যাটিং শক্তি তাতে ১৬১ রান তোলা খুব একটা কঠিন ছিল না। দ্বিতীয় বলে শিকর ভরতের উইকেট হারালেও সমস্যায় পড়তে হয়নি দিল্লিকে। শুরুর ধাক্কা দারুণভাবে সামাল দেন মার্শ ও ওয়ার্নার। পৃথ্বী শর না থাকাটা যে কতটা ক্ষতি, বুঝতে পারছে দিল্লি টিম ম্যানেজমেন্ট। শিকর ভরত আর যাইহোক পৃথ্বীর বিকল্প হতে পারেন না। পরপর দুম্যাচে ব্যর্থ ভরত। এদিন তো কোনও রান না করেই ইনিংসের প্রথম ওভারে ট্রেন্ট বোল্টের বলে উইকেটের পেছনে সঞ্জু স্যামসনের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। প্রথম ওভারে উইকেট হারালেও চাপে পড়েনি দিল্লি। ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শের সৌজন্যে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায়। রাজস্থানের কোনও বোলারই দিল্লির এই দুই ব্যাটারকে সমস্যায় ফেলতে পারেননি। ওয়ার্নারের থেকেও এদিন বেশি বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন মিচেল মার্শ। সেঞ্চুরির দিকে এগোচ্ছিলেন। চাহালকে গ্যালারিতে পাঠাতে গিয়ে কুলদীপ সেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন মার্শ। ৬২ বলে ৮৯ রান করেন তিনি। মার্শের ইনিংসে রয়েছে ৫টি চার ও ৭টি ছয়। এরপর ডেভিড ওয়ার্নার দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন। ৪১ বলে ৫২ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। ১১ বল বাকি থাকতে ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় দিল্লি। এদিন টস জিতে রাজস্থানকে ব্যাট করতে পাঠান দিল্লি অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। ইনিংসের শুরুতেই চেতন সাকারিয়ার বলে ১১ বলে মাত্র ৭ রান করে বাটলার শার্দূল ঠাকুরের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। আর এক ওপেনার যশস্বী জয়সোয়ালও দলকে নির্ভরতা দিতে পারেননি। ১৯ বলে ১৯ রান করে তিনি মিচেল মার্শের বলে ললিত যাদবের হাতে ক্যাচ দিয়ে ডাগ আউটে ফেরেন। শুরুতে বাটলার আউট হওয়ায় মনে হচ্ছিল খুব বড় রানে পৌঁছতে পারবে না রাজস্থান। কিন্তু রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও দেবদত্ত পাড়িক্কলের ব্যাটে ভর করে ঘুরে দাঁড়ায় রাজস্থান। জুটিতে ওঠে ৫৩। রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে তিনে পাঠানোর সিদ্ধান্ত কাজে লেগে গেল। ৩৮ বলে ৫০ রান করে অশ্বিন মিচেল মার্শের বলে ওয়ার্নারের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন (৬), রিয়ান পরাগরা (৯) ব্যর্থ হলেও দলকে টেনে নিয়ে যান পাড়িক্কল। ৩০ বলে ৪৮ রান করে তিনি আনরিচ নর্টিয়ের বলে কমলেশ নাগরকোটির হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। রাসি ভ্যান ডার ডুসেন ১০ বলে ১২ রান করে অপরাজিত থাকেন।

মে ১১, ২০২২
খেলার দুনিয়া

শুরুতে বাটলারকে হারিয়েও লড়াই করার মতো রান রাজস্থান রয়্যালসের

বুধবার দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে জিতলেই প্লে অফ কার্যত নিশ্চিত। এইরকম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে শুরুতে জস বাটলারের মতো ব্যাটারকে হারিয়েও লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছল রাজস্থান রয়্যালস। রাজস্থানের মান বাঁচল রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও দেবদত্ত পাড়িক্কলের সৌজন্যে। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৬০ রান তুলল রাজস্থান।এদিন রাজস্থান রয়্যালস একটি পরিবর্তন করে মাঠে নামে। শিমরন হেটমায়ার সন্তানের জন্মের জন্য গায়ানা ফিরে গেছেন। তাঁর পরিবর্তে প্রথম একাদশে আসেন রাসি ভ্যান ডার ডুসেন। অন্যদিকে, গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দুটি পরিবর্তন করে দিল্লি ক্যাপিটালস। রিপাল প্যাটেলের পরিবর্তে প্রথম একাদশে ফেরানো হয় ললিত যাদবকে। আর খলিল আমেদের জায়গায় প্রথম একাদশে ঢোকেন চেতন সাকারিয়া। তাঁকে প্রথম একাদশে সুযোগ দিয়ে টিম ম্যানেজমেন্ট যে কোনও ভুল করেনি, শুরুতেই জস বাটলারকে তুলে নিয়ে প্রমাণ করে দেন সাকারিয়া। দীর্ঘক্ষণ ক্রিজে থাকলে ঝড় তুলে রাজস্থানকে ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়এ যেতেন বাটলার। ইংল্যান্ডের এই ওপেনারকে সেই সুযোগ দেননি সাকারিয়া।টস জিতে রাজস্থানকে ব্যাট করতে পাঠান দিল্লি অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। ইনিংসের শুরু থেকেই চেতন সাকারিয়ার বোলিংয়ের সামনে অস্বস্তিতে ছিলেন বাটলার। শেষ পর্যন্ত সাকারিয়াকেই উইকেট উপহার দেন বাটলার। ১১ বলে মাত্র ৭ রান করে তিনি শার্দূল ঠাকুরের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। আর এক ওপেনার যশস্বী জয়সোয়ালও দলকে নির্ভরতা দিতে পারেননি। ১৯ বলে ১৯ রান করে তিনি মিচেল মার্শের বলে ললিত যাদবের হাতে ক্যাচ দিয়ে ডাগ আউটে ফেরেন। ৫৪ রানে দুই ওপেনারকে হারানোর পর রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও দেবদত্ত পাড়িক্কলের ব্যাটে ভর কর রুখে দাঁড়ায় রাজস্থান। জুটিতে ওঠে ৫৩। রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে তিনে পাঠানোর সিদ্ধান্ত কাজে লেগে গেল। ৩৮ বলে ৫০ রান করে অশ্বিন মিচেল মার্শের বলে ওয়ার্নারের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন (৬), রিয়ান পরাগরা (৯) ব্যর্থ হলেও দলকে টেনে নিয়ে যান পাড়িক্কল। ৩০ বলে ৪৮ রান করে তিনি আনরিচ নর্টিয়ের বলে কমলেশ নাগরকোটির হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। রাসি ভ্যান ডার ডুসেন ১০ বলে ১২ রান করে অপরাজিত থাকেন।

মে ১১, ২০২২
দেশ

রাষ্ট্রদ্রোহ আইন নিয়ে সুপ্রিম রায়, তোলপাড় রাজনৈতিক মহল

রাষ্ট্রদ্রোহ আইন নিয়ে অন্তর্বর্তী রায় দিয়ছে সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার দেশের সর্বোচ্চ আদালত রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের শুনানিতে বলেছে, কেন্দ্র পুনর্বিবেচনা না করা পর্যন্ত এই আইনে নতুন কোনও মামলা নয়। কেন্দ্রীয় সরকার যত দিন না ১২৪ এ ধারায় রাষ্ট্রদ্রোহ আইন পুনর্বিবেচনা করছে ততদিন পর্যন্ত এই ধারায় কোনও মামলা করা যাবে না। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের পর শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। একদিকে বিজেপি রাষ্ট্রদ্রোহ আইন থাকা নিয়ে গলা ফাটাচ্ছে অন্যদিকে কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলি ওই আইন তুলে দেওয়া নিয়ে জোরালো দাবি তুলেছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলি তো এই আইন পুরোপুরি তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে।এদিন রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের শুনানি ছিল। সেই শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলিকে এই ধারায় কোনও এফআইআর, তদন্ত বা কড়া পদক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকতে বলেছে। আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি টুইটে বলেছেন, সত্যি কথা বলা সব সময় দেশভক্তির পরিচয় দেয়। আর সত্যি কথা শোনার ক্ষমতা রাখা কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। সত্যকে অস্বীকার করা ঔদ্ধত্যের লক্ষ্মণ। কাজেই এই নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই, সত্যের জয় হবেই। এর পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সুখেন্দুশেখর রায় এদিন বলেছেন, রাষ্ট্রদ্রোহ আইন তুলে দেওয়া উচিত।এদিনের রায়ে চাপে পড়ে গিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপি নেতা কিরণ রিজিজু বলেছেন, একটা বিষয় আমাকে অবশ্যই বলতে হবে, আমরা আদালত এবং আদালতের স্বাধীনতাকে সম্মান করি, তবে তার একটি লক্ষ্মণ রেখা রয়েছে। উষ্মা প্রকাশ করেছেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য।এদিকে মানবাধিকার সংগঠনগুলি বহুকাল থেকেই এই আইন তুলে দেওয়ার পক্ষে আন্দোলন করে চলেছে। তারাও আপাতকালীন এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে। তাঁরা চাইছেন সম্পূর্ণভাবে যেন এই আইন তুলে দেওয়া হয়। ব্রিটিশরা নেই অথচ তাঁদের আইন বইছে দেশ। খোদ ইংল্যান্ডে এই আইন তুলে দেওয়া হয়েছে। ঔপনিবেশিক শাসনমুক্ত বেশিরভাগ দেশ এই আইন তুলে দিয়েছে।

মে ১১, ২০২২
খেলার দুনিয়া

হারের হ্যাটট্রিক হায়দরাবাদের, জিতে প্লে অফের লড়াই জমিয়ে দিল দিল্লি

জয়ের সরণিতে ফেরা হল না সানরাইজার্স হায়দরাবাদের। এই নিয়ে টানা ৩ ম্যাচে হার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের। অন্যদিকে, জিতে প্লে অফের লড়াই জমিয়ে দিল দিল্লি। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসের কাছে হারল ২১ রানে। দিল্লির ২০৭/৩ রানের জবাবে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ তোলে ১৮৬/৮।বড় রানের লক্ষ্য নিয়ে জিততে গেলে শুরুটা ভাল হওয়া জরুরি। এদিন সেটাই করতে পারেনি সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। দ্বিতীয় ওভারেই ফর্মে থাকা অভিষেক শর্মাকে তুলে নিয়ে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে প্রথম ধাক্কা দেন খলিল আহমেদ। ৬ বলে মাত্র ৭ রান করে আউট হন অভিষেক। ২ ওভার পর আবার ধাক্কা সানরাইজার্স হায়দরাবাদের। এবার আনরিখ নরটিয়ের শিকার সানরাইজার্স হায়দরাবাদ অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। ১১ বলে ৫ রান করে তিনি উইকেটের পেছনে ঋষভ পন্থের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। চাপ কাটানোর চেষ্টা করেন রাহুল ত্রিপাঠি ও এইডেন মার্করাম। আগের ম্যাচে রান পাননি রাহুল ত্রিপাঠি। এদিনও দলকে টানতে ব্যর্থ হন। ১৮ বলে ২২ রান করে মিচেল মার্শের বলে আউট হন। ৭ ওভারের মধ্যে ৩৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।Undefeated at Brabourne, and the 𝒋𝒐𝒔𝒉 continues to be 𝒉𝒊𝒈𝒉 🙌#YehHaiNayiDilli | #IPL2022 | #DCvSRH#TATAIPL | #IPL | #DelhiCapitals pic.twitter.com/ZPPO8NlHEt Delhi Capitals (@DelhiCapitals) May 5, 2022এরপর পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন মার্করাম। কুলদীপ যাদবের ওপর বেশি নির্দয় ছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ২৫ বলে ৪২ রান করে তিনি খলিল আহমেদের বলে আউট হন। নিকোলাস পুরান আউট হতেই জয়ের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদের। ৩৪ বলে ৬২ রান করেন পুরান। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১৮৬/৮ তোলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ৩০ রানে ৩ উইকেট নেন খলিল আহমেদ।এদিন টস জিতে দিল্লি ক্যাপিটালসকে ব্যাট করতে পাঠান সানরাইজার্স অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। শুরুটা ভাল হয়নি দিল্লির। বোর্ডে কোনও রান যোগ হওয়ার আগেই সাজঘরে ফিরে যান এদিন প্রথম একাদশে সুযোগ পাওয়া মনদীপ সিং। মাত্র ৫ বল খেলে তিনি কোনও রান না করে ভুবনেশ্বর কুমারের বলে আউট হন। মিচেল মার্শও (১০) ব্যর্থ। ক্রিজে নেমে ঝড় তুলেছিলেন ঋষভ পন্থ। ১টি চার ও ৩টি ছয়ের সাহায্যে ১৬ বলে ২৬ রান করে তিনি শ্রেয়স গোপালের বলে বোল্ড হন।এরপর বাইশ গজে দাপট ডেভিড ওয়ার্নার ও রভম্যান পাওয়েলের। উমরান মালিকরা গতি দিয়ে কাবু করতে পারেননি এই দিল্লির এই দুই ব্যাটারকে। এই দুজনের সামনে একেবারে অসহায় হয়ে পড়েন উমরান মালিক, কার্তিক ত্যাগীরা। ওয়ার্নার ও পাওয়েল জুটিতে ওঠে ১২২ রান। ৫৮ বলে ৯২ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে ওয়ার্নার অপরাজিত থাকেন। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ১২টি চার ও ৩টি ছয়। রভম্যান পাওয়েল। ৩৫ বলে ৬৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। পাওয়েল মারেন ৩টি চার ও ৬ টি ছয়। এদিন ৪ ওভারে ৫২ রান দেন উমরান মালিক। ঝুলিতে কোনও উইকেট ভরতে পারেননি।

মে ০৬, ২০২২
খেলার দুনিয়া

দুরন্ত ওয়ার্নার-পাওয়েল, বড় রান তুলে হায়দরাবাদকে চ্যালেঞ্জ দিল্লির

এদিন আইপিএলে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও দিল্লি ক্যাপিটালস। দুই দলের কাছেই ছিল জয়ের সরণিতে ফেরার লড়াই। ডেভিড ওয়ার্নার ও রভম্যান পাওয়েলের দাপটে বড় রান তুলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের সামনে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিল দিল্লি ক্যাপিটালস। নির্ধারিত ২০ ওভারে তুলল ২০৭/৩।দুই দলই এদিন প্রথম একাদশে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন করে মাঠে নেমেছিল। দিল্লি ক্যাপিটালস দলে আজ ৪ পরিবর্তন। পৃথ্বী শ, অক্ষর প্যাটেল, চেতন সাকারিয়া ও মুস্তাফিজুর রহমানের জায়গায় মনদীপ সিং, খলিল আহমেদ, রিপল প্যাটেল ও আনরিখ নরকিয়া। অন্যদিকে, সানরাইজার্স হায়দরাবাদে তিনটি পরিবর্তন। মার্কো জানসেন, ওয়াশিংটন সুন্দর ও টি নটরাজনের পরিবর্তে খেলছেন কার্তিক ত্যাগী, শন অ্যাবট ও শ্রেয়স গোপাল।এদিন টস জিতে দিল্লি ক্যাপিটালসকে ব্যাট করতে পাঠান সানরাইজার্স অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। পৃথ্বী শ-র জায়গায় ওপেন করতে নেমে নিজেকে মেলে ধরতে পারলেন না মনদীপ সিং। মাত্র ৫ বল খেলে তিনি কোনও রান না করে ভুবনেশ্বর কুমারের বলে আউট হন। মিচেল মার্শও (১০) দলকে নির্ভরতা দিতে পারেননি। শন আবটের বলে তাঁর হাতেই ক্যাচ দেন মার্শ। ক্রিজে নেমে ঝড় তুলেছিলেন দিল্লি অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। কিন্তু তাঁর ঝড় বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ১টি চার ও ৩টি ছয়ের সাহায্যে ১৬ বলে ২৬ রান করে তিনি শ্রেয়স গোপালের বলে বোল্ড হন। একের পর এক উইকেট পড়লেও রানের গতি কমেনি দিল্লি ক্যাপিটালসের। আর সেটা ডেভিড ওয়ার্নার ও রভম্যান পাওয়েলের দাপটে। আগের ম্যাচের ব্যর্থতা পুষিয়ে দেওয়ার জন্যই যেন এদিন মাঠে নেমেছিলেন ওয়ার্নার। শন আবট, উমরান মালিকরা গতি দিয়ে কাবু করতে পারেননি এই অসি ওপেনারকে। রভম্যান পাওয়েলও অন্যপ্রান্তে ঝড় তোলেন। দিল্লির এই দুই ব্যাটারের সামনে একেবারে অসহায় হয়ে পড়েন উমরান মালিক, কার্তিক ত্যাগীরা। ওয়ার্নার ও পাওয়েল জুটিই দিল্লিকে বড় রানে পৌঁছে দেয়। এই জুটিতে ওঠে ১২২ রান। মাত্র ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি পেলেন না ওয়ার্নার। ৫৮ বলে ৯২ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে তিনি অপরাজিত থাকেন। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ১২টি চার ও ৩টি ছয়। অন্যদিকে, ওয়ার্নারের থেকে বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন রভম্যান পাওয়েল। ৩৫ বলে ৬৭ রান করে তিনি অপরাজিত থাকেন। পাওয়েল মারেন ৩টি চার ও ৬ টি ছয়। এদিন ৪ ওভারে ৫২ রান দেন উমরান মালিক। ঝুলিতে কোনও উইকেট ভরতে পারেননি। ১টি করে উইকেট নেন ভুবনেশ্বর কুমার ও শ্রেয়স গোপাল।

মে ০৫, ২০২২
খেলার দুনিয়া

নাইট রাইডার্সকে ভেন্টিলেশনে ঠেলে দিলেন প্রাক্তনী কুলদীপ

গত বছর আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে প্লে অফের ছাড়পত্র জোগাড় করে নিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। এ মরশুমে সেই সম্ভাবনা যথেষ্ট ক্ষীণ। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে এদিন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে হারল ৪ উইকেটে। টানা ৫ ম্যাচ হেরে প্লে অফের রাস্তা যথেষ্ট কঠিন করে ফেলল নাইটরা। নাইটদের ভেন্টিলেশনে ঠেলে দিলেন কুলদীপ যাদব। দুরন্ত বোলিং করে নাইটদের ব্যাটিংকে তছনছ করে দেন।দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে এদিন শুরুটা ভাল হয়নি নাইট রাইডার্সের। নাইট শিবির থেকেও প্রত্যাঘাত এসেছিল দারুণভাবেই। ১৪৬ রান হাতে নিয়ে ম্যাচ জিততে গেলে বোলারদের জ্বলে ওঠাটা জরুরি। প্রথম বলেই পৃথ্বী শকে (০) তুলে নিয়ে দিল্লি ক্যাপিটালস শিবিরে চ্যালেঞ্জটা ছুঁড়ে দিয়েছিলেন উমেশ যাদব। নিজের বলেই তিনি পৃথ্বীর ক্যাচ নেন। পরের বলেই আরও একটা উইকেট পেতে পারতেন উমেশ। তাঁর বল মিচেল মার্শের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে উইকেটকিপার বাবা ইন্দ্রজিতের সামনে পড়ে বেরিয়ে যায়। প্রথম ওভারেই ওঠে ১১। দ্বিতীয় ওভারে আবার ধাক্কা খায় দিল্লি ক্যাপিটালস। নাইট রাইডার্সের জার্সি গায়ে আইপিএলের অভিষেক ম্যাচেই দলকে দারুণ ব্রেক থ্রু এনে দেন ২০ বছর বয়সী তরুণ জোরে বোলার হর্ষিত রানা। তুলে নেন মিচেল মার্শকে। ফ্লিক করতে গিয়ে ডিফ স্কোয়ার লেগে ভেঙ্কটেশ আয়ারের হাতে সহজ ক্যাচ দেন মার্শ (৭ বলে ১৩)। ১৭ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। পরিস্থিতি দারুণভাবে সামাল দেন ললিত যাদব ও ডেভিড ওয়ার্নার। গতবছর সানরাইজার্স হায়দরাবাদ জার্সি গায়ে নিজেকে একেবারেই মেলে ধরতে পারেননি ডেভিড ওয়ার্নার। এবছর নিলামে দিল্লি ক্যাপিটালস তাঁকে তুলে নেয়। দিল্লির জার্সি গায়ে প্রথম ম্যাচে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। তারপর থেকেই দারুণ ছন্দে এই অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার। নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে এদিনও দারুণ চাপ সামলালেন। ললিত যাদবকে সঙ্গে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান। দ্বিতীয় স্পেলে বল করতে এসে উমেশ যাদব বল করতে এসে ওয়ার্নার (২৬ বলে ৪২) ও ঋষভ পন্থকে (২) তুলে নেন। অন্যদিকে ললিত যাদবকে (২২) ফেরান সুনীল নারাইন। পরপর ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় দিল্লি। চাপ কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত দলকে জয় এনে দেন অক্ষর প্যাটেল (১৭ বলে ২৪) ও রভম্যান পাওয়েল (১৬ বলে অপরাজিত ৩৩)। ১ ওভার বাকি থাকতে ১৫০/৬ তুলে ম্যাচ জিতে নেয় দিল্লি। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে কুলদীপ যাদবের ঘূর্ণির সামনে দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের ব্যাটাররা। যদিও নাইট শিবিরে প্রথম ধাক্কা দেন চেতন সাকারিয়া। দ্বিতীয় ওভারে তিনি অ্যারন ফিঞ্চের (৩) স্টাম্প ছিটকে দেন। এদিন লোয়ার অর্ডার থেকে ওপেনিংয়ে তুলে নিয়ে আসা হয়েছিল ভেঙ্কটেশ আয়ারকে (৬)। তিনিও দলকে নির্ভরতা দিতে ব্যর্থ। অষ্টম ওভারে পরপর দুবলে বাবা ইন্দ্রজিৎ (৬) ও সুনীল নারাইনকে (০) তুলে নিয়ে নাইটদের মিডল অর্ডারে ভাঙন ধরান কুলদীপ যাদব। জ্বলে ওঠার মুখে অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ারকেও (৩৭ বলে ৪২)। তুলে নেন। পরের বলেই ফেরান রাসেলকে (০)। নীতিশ রানা (৩৪ বলে ৫৭) ও রিঙ্কু সিংয়ের (১৬ বলে ২৩) সৌজন্যে ১৪৬/৯ রানে পৌঁছয় নাইট রাইডার্স। ১৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন কুলদীপ।

এপ্রিল ২৯, ২০২২
খেলার দুনিয়া

প্রাক্তন সৈনিক কুলদীপের ঘূর্ণিতেই বেহাল দশা নাইট রাইডার্সের

বৃহস্পতিবার দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। শ্রেয়স আয়ারদের কাছে ম্যাচটা ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্লে অফের সম্ভাবনা জিইয়ে রাখতে গেলে জিততেই হত নাইট রাইডার্সকে। অথচ গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জ্বলে উঠতে ব্যর্থ। প্রাক্তন সৈনিক কুলদীপ যাদবের স্পিনেই বেসামাল নাইটরা। তাঁর ঘূর্ণিতে ভেঙে পড়ল নাইটদের মিডল অর্ডার। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে মাত্র ১৪৬ তুলল নাইট রাইডার্স। ১৪ রানে ৪ উইকেট নিলেন কুলদীপ। গত বছর আইপিএলে প্রথম পর্বে ৭ ম্যাচের মধ্যে মাত্র ২টিতে জয় পেয়েছিল। শেষ ৭ ম্যাচের মধ্যে ৫টিতে জিতে প্লে অফের টিকিট জোগাড় করে নিয়েছিল নাইটরা। কঠিন পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর অভিজ্ঞতা অতীতে রয়েছে নাইট রাইডার্সের। এদিন দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারল না। টানা ৪ ম্যাচে হারের ধাক্কা সামলে জয়ে ফেরার লক্ষ্যে এদিন প্রথম একাদশে তিনটি পরিবর্তন করে মাঠে নেমেছিল নাইট রাইডাস। প্রথম একাদশে ফেরানো হয় অ্যারন ফিঞ্চ। এছাড়া এদিন প্রথম সুযোগ দেওয়া হয় বাবা ইন্দ্রজিৎ ও হর্ষিত রানাকে। প্রথম একাদশে ফেরার সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি ফিঞ্চ। একবার জীবন পেয়েও মাত্র ৩ রান করে আউট হন। টস জিতে এদিন নাইট রাইডার্সকে ব্যাট করতে পাঠান দিল্লি ক্যাপিটালস অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। দ্বিতীয় ওভারে চেতন সাকারিয়ার দ্বিতীয় বলে অ্যারন ফিঞ্চের ক্যাচ তালুবন্দী করতে পারেননি রভম্যান পাওয়েল। পরের বলেই অবশ্য ফিঞ্চের (৩) স্টাম্প ছিটকে দেন সাকারিয়া। প্রথম একাদশে ফিরেও সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন না এই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার। এদিন ওপেনিংয়ে ফেরানো হয়েছিল ভেঙ্কটেশ আয়ারকে (৬)। তিনিও দলকে নির্ভরতা দিতে ব্যর্থ। অষ্টম ওভারে পরপর দুবলে বাবা ইন্দ্রজিৎ (৬) ও সুনীল নারাইনকে (০) তুলে নিয়ে নাইটদের মিডল অর্ডারে ভাঙন ধরান কুলদীপ যাদব। এরপর নীতিশ রানাকে সঙ্গে নিয়ে রুখে দাঁড়ান অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার (৩৭ বলে ৪২)। পরপর দুবলে শ্রেয়স ও আন্দ্রে রাসেলকে (০) তুলে নিয়ে আবার নাইটদের চাপে ফেলে দেন কুলদীপ। শেষ পর্যন্ত নীতিশ রানা (৩৪ বলে ৫৭) ও রিঙ্কু সিংয়ের (১৬ বলে ২৩) সৌজন্যে ১৪৬/৯ রানে পৌঁছয় নাইট রাইডার্স। দুরন্ত বোলিং করে ৩ ওভারে ১৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন কুলদীপ। ১৮ রানে ৩ উইকেট মুস্তাফিজুরের।

এপ্রিল ২৮, ২০২২
দেশ

দিল্লির জাহাঙ্গিপুরী এলাকার হিংসার ঘটনায় বাংলা থেকে গ্রেফতার

দিল্লি হিংসার ঘটনায় তমলুক থেকে গ্রেফতার হল। দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক থেকে গ্রেফতার করল ফরিদ ওরফে নীতু ওরফে আরিফ। জানা গিয়েছে, দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরী এলাকার হিংসার ঘটনায় ফরিদের বিরুদ্ধে উসকানির অভিযোগ রয়েছে। গোপনসূত্রে খবর পেয়ে এদিন কলকাতা থেকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। এর আগে দিল্লি হিংসার ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল এরাজ্যের। হলদিয়ার কুমারগ্রামের আনসারের খোঁজে এসেছিল দিল্লি পুলিশ। তারপর স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরের ছবি নিয়ে বিজেপির তরফ থেকে অভিযোগ উঠেছিল। পরক্ষণেই বিজেপির মিছিলে আনসারের ছবি প্রকাশ্যে এনে তৃণমূল নেতৃত্ব টুইট করতে থাকেন। দুদলই বিপাকে পড়ে। ফরিদের গ্রেফতারের ফল এবার দিল্লি হিংসার সঙ্গে বাংলার নাম এসেই গেল। তমলুক থেকে গ্রেফতার হল দিল্লি হিংসার অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী।

এপ্রিল ২৮, ২০২২
খেলার দুনিয়া

আবার সেঞ্চুরি!‌ স্বপ্নের ফর্মে বাটলার, উড়ে গেলেন কুলদীপরা

আবার ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলেন জস বাটলার। এদিন ওয়াংখেড়েতে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে পেলেন চলতি আইপিএলের তৃতীয় শতরান। সেই সঙ্গে আইপিএলে তাঁর মোট শতরানের সংখ্যা দাঁড়াল ৪। বাটলার স্পর্শ করলেন ডেভিড ওয়ার্নার ও শেন ওয়াটসনকে। নিজের শেষ ৮ আইপিএল ইনিংসের চারটিতেই শতরান হাঁকালেন বাটলার।রাজস্থান রয়্যালস ও দিল্লি ক্যাপিটালস ম্যাচে লড়াইটা ছিল মূলত রাজস্থানের ব্যাটারদের সঙ্গে দিল্লির বোলারদের লড়াই। কুলদীপ যাদব, মুম্তাফিজুর রহমান, অক্ষর প্যাটেলদের নক আউট করে দিয়ে রীতিমতো দাপট দেখিয়ে গেলেন বাটলারদেবদত্ত পাড়িক্কলরা। এই দুই ওপেনারের সৌজন্যেই দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে বড় রান রাজস্থান রয়্যালসের। এদিন টস জিতে রাজস্থান রয়্যালসকে ব্যাট করতে পাঠান দিল্লি অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। ভেবেছিলেন ১৫০১৬০ রানের মধ্যে রাজস্থান রয়্যালসকে আটকে রাখতে পারবেন। ভরসা করেছিলেন দলের সেরা লেগ স্পিনার কুলদীপ যাদবের ওপর। কিন্তু দিল্লি বোলারদের কোনও রকম সুযোগ দেননি রাজস্থানের দুই ওপেনার জস বাটলার ও দেবদত্ত পাড়িক্কল। চলতি আইপিএলে স্বপ্নের ফর্মে রয়েছেন বাটলার। এদিন ললিত যাদবের বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৩৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ইংল্যান্ডের এই ওপেনার। দেবদত্ত পাড়িক্কলও নিজেকে দারুণভাবে মেলে ধরেন। তাঁর হাফ সেঞ্চুরি আসে ৫০ বলে। রাজস্থানের বাটলার ও দেবদত্তর এই দুই ওপেনার সবথেকে বেশি নির্দয় ছিলেন কুলদীপ যাদবের ওপর। শেষ পর্যন্ত ৩৫ বলে ৫৪ রান করে খলিল আমেদের বলে এলবিডব্লুউ হন দেবদত্ত পাড়িক্কল।প্রথম দিকে বাটলার খুব বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন না। হাফ সেঞ্চুরি করার পর রীতিমতো ঝড় তোলেন। পরের ৫০ আসে ২২ বলে। অর্থাৎ ৫৭ বলে সেঞ্চুরি। আইপিলে মোট ৪ সেঞ্চুরির মালিক হলেন বাটলার। চলতি মরশুমে ৩টি। শেষ পর্যন্ত ৬৫ বলে ১১৬ রান করে তিনি মুস্তাফিজুরের বলে ডেভিড ওয়ার্নারের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। সঞ্জু স্যামসনও ক্রিজে নেমে ঝড় তোলেন। ১৯ বলে ৪৬ রান করে তিনি অপরাজিত থাকেন। নির্ধারিত ২০ ওভারে ২ উইকেটে ২২২ রান তোলে রাজস্থান রয়্যালস।

এপ্রিল ২২, ২০২২
রাজ্য

দিল্লিতে বাঙালিকে বাংলাদেশি চিহ্নিত করে অত্যাচার, প্রতিবাদের ঝড় বাংলা পক্ষর

দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরী এলাকায় বাঙালিদের ঘরবাড়ি, দোকান ভাঙার ও বাংলা ভাষায় কথা বলার জন্য বাংলাদেশি তকমা দেওয়ার প্রতিবাদে শুক্রবার হাজরা মোড় থেকে রবীন্দ্র সদন পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল করে বাংলা পক্ষ। মিছিলের নেতৃত্ব দেন বাংলা পক্ষর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক গর্গ চট্টোপাধ্যায়, শীর্ষ পরিষদ সদস্য কৌশিক মাইতি, অমিত সেন, ও চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস। উপস্থিত ছিলেন কলকাতা জেলা সম্পাদক অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়, উত্তর ২৪ পরগনা গ্রামীণের সম্পাদক দেবাশিস মজুমদার, উত্তর ২৪ পরগনা শিল্পাঞ্চলের সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ, হাওড়ার সম্পাদক জয়দীপ দে। এছাড়াও এই মহামিছিলে উপস্থিত ছিলেন বাংলা পক্ষের বিভিন্ন জেলার সহযোদ্ধারা।এই মিছিল থেকে দিল্লির সরকারের বাঙ্গালিদের উপরে আক্রমণ, দোকানপাট, ঘরবাড়ি ভেঙে দেওয়ার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। বাংলা পক্ষের সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন, এই ঘটনা ন্যাক্কারজনক। দিকে দিকে বাঙালিদের উপর আক্রমণ এবং বাংলা ভাষায় কথা বললেই তাকে বাংলাদেশি তকমা দেওয়া হচ্ছে। বাংলা পক্ষ এই ঘটনার প্রতি ধিক্কার জানাচ্ছে।শীর্ষ পরিষদ সদস্য কৌশিক মাইতি বলেন, কলকাতা সহ প্রতিটি জেলায় বাংলা পক্ষ এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে প্রতিবাদে নামছে। শুধু দিল্লি না, এই কলকাতায়, এরাজ্যের নানা জায়গায় বাংলা ভাষায় কথা বলার জন্য বাঙালিকে বাংলাদেশি বলে প্রতিনিয়ত হেনস্থার শিকার হতে হয়। আগামিতে বহিরাগতরা যাতে বাঙালিকে বাংলাদেশি বলার সাহস না পায়, তার জন্য বাংলা পক্ষর প্রতিরোধ তীব্র হবে। চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস বলেন, বাঙালিকে বাংলাদেশি বলা ধিক্কারজনক ঘটনা।এই ঘটনার প্রতিবাদে আগামিদিনে বাংলাপক্ষ আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে বলে সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে। বাংলা পক্ষ দলমত ও ধর্ম নির্বিশেষে ভারতের আপামর বাঙালিকে প্রতিবাদে মুখর হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।

এপ্রিল ২২, ২০২২
খেলার দুনিয়া

দিল্লির বিরুদ্ধে জয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের, তবু দাবি উঠল কোহলি হঠাও

বিরাট কোহলিকে তাহলে আর অপরিহার্য বলা যাবে না। তিনি রান না পেলেও যে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর যে জেতে, প্রমাণ হয়ে গেল। শুধু দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধেই নয়, চলতি আইপিএলে আগেও কোহলির ব্যর্থতার দিনে জিতেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স। কোহলিপ্রেমীরা এতটাই হতাশ যে, কয়েকটা ম্যাচ বিশ্রাম নেওয়ার দাবিও তুলেছেন নেট নাগরিকরা। কেউ কেউ আবার দাবি তুলেছেন, কোহলি হঠাও।কোহলি রান না পেলেও বড় ইনিংস গড়তে সমস্যা হয়নি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের। এদিন দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে ১৮৯/৫ রান তোলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স। ১৭৩/৭ রানে থেমে যায় দিল্লি। দিল্লির পরাজয় ১৬ রানে।এদিন, আইপিএলে মাইলস্টোনের ছড়াছড়ি। প্রথম লখনউ সুপার জায়ান্টস ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ম্যাচে আইপিএলে নিজের শততম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন লোকেশ রাহুল। তেমনই দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে শততম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। মহম্মদ সিরাজের কাছে আবার আইপিএলের পঞ্চাশতম ম্যাচ। লোকেশ রাহুলের মতো শততম ম্যাচ স্মরণীয় করতে রাখতে পারলেন না গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তবে তাঁর ব্যাটেই প্রাথমিক ধাক্কা সামলে লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বাঙ্গালোর। আর শেষদিকে ঝড় তুলে দলকে বড় রানে পৌঁছে দেড় দীনেশ কার্তিক।Some well deserved awards after a memorable game. 🔝👏🏻👏🏻#PlayBold #WeAreChallengers #IPL2022 #Mission2022 #RCB #ನಮ್ಮRCB #DCvRCB pic.twitter.com/XeuhdE1cCm Royal Challengers Bangalore (@RCBTweets) April 16, 2022টস জিতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান দিল্লি ক্যাপিটালস অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। প্রথম একাদশে দুটি দলই একটা করে পরিবর্তন করে মাঠে নামে। সরফরাজ খানের জায়গায় দিল্লির প্রথম একাদশে ঢোকেন মিচেল মার্শ। অন্যদিকে, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সে আকাশ দীপের জায়গায় হর্ষাল প্যাটেল। বোনের মৃত্যুর জন্য জৈব সুরক্ষা ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন হর্ষাল। ফিরে এসে আবার জৈব সুরক্ষা বলয়ে যোগ দেন ১১ এপ্রিল। তিন দিনের কোয়ারেন্টিন পর্ব মিটিয়ে দিল্লির বিরুদ্ধে মাঠে নামেন।ব্যাট করতে নেমে শুরুটা এদিন ভাল হয়নি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের। দ্বিতীয় ওভারে ফর্মে থাকা অনূজ রাওয়াতকে (০) তুলে নেন শার্দূল ঠাকুর। পরের ওভারেই অধিনায়ক ফাফ ডুপ্লেসিকে ফেরান খলিল আমেদ। ১১ বলে ৮ রান করে ডু্প্লেসি অক্ষর প্যাটেলের হাতে ক্যাচ দেন। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স সবথেকে বড় ধাক্কা খায় সপ্তম ওভারে। ললিত যাদবের দুরন্ত থ্রোতে রান আউট হন বিরাট কোহলি। ১৪ বলে তিনি করেন ১২।এরপরই রুখে দাঁড়ান গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। রীতিমতো তিনি ঝড় তোলেন কুলদীপ যাদবের এক ওভারে নেন ২৩। কুলদীপের বলেই অবশ্য তাঁকে ফিরতে হয়। ৩৪ বলে ৫৫ রান করে তিনি ললিত যাদবের হাতে ক্যাচ দেন। অক্ষর প্যাটেলের বলে আউট হন সুয়াস প্রভুদেশাই (৬)। এরপর বাইশ গজে তান্ডবলীলা চালান দীনেশ কার্তিক। মুস্তাফিজুর রহমানের এক ওভারে চারটি ৪ ও দুটি ছক্কাসহ নেন ২৮। ২৬ বলে ৫০ রান পূর্ণ করেন দীনেশ কার্তিক। শেষ পর্যন্ত ৩৪ বলে ৬৬ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে তিনি অপরাজিত থাকেন। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ৫টি করে ৬ ও ৪। শাহবাজ আমেদ ২১ বলে ৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন।জয়ের জন্য ১৯০ রানের লক্ষ্য খুব একটা সহজ ছিল না দিল্লি ক্যাপিটালসের কাছে। দারুণ শুরু করেছিসলেন দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও পৃথ্বী শ। ওপেনিং জুটিতে ৪.৩ ওভারে ৫০ রান পূর্ণ হয়। এরপরই মহম্মদ সিরাজের ধাক্কা। তুলে নেন পৃথ্বীকে (১৩ বলে ১৬)। ওয়ার্নারের ঝড় অবশ্য থামানো যায়নি। ২৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হলেও পরপর দুই ম্যাচে দিল্লিকে নির্ভরতা দিলেন ওয়ার্নার। দলকে ভালোই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন এই অসি ওপেনার। হাসারাঙ্গার বলে এলবিডব্লু হতেই সমস্যায় পড়ে দিল্লি। ৪টি চার ও ৬টি ছয়ের সাহায্যে ৩৮ বলে ৬৬ রান করে আউট হন ওয়ার্নার। দিল্লির হয়ে অভিষেক ম্যাচও স্মরণীয় করে রাখতে পারলেন না মিচেল মার্শ (২৪ বলে ১৪)। হাসারাঙ্গার দুরন্ত থ্রোতে রান আউট। রভম্যান পাওয়েল (০), ললিত যাদবরা (১) দ্রুত ফেরায় চাপে পড়ে যায় দিল্লি। অধিনায়ক ঋষভ পন্থ (১৭ বলে ৩৪) ঝড় তোলার চেষ্টা করেও সফল হননি। শার্দূল ঠাকুর করেন ১৭। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে ২৯ রানে ৩ উইকেট নেন জস হ্যাজেলউড। ৩১ রানে ২ উইকেট সিরাজের।

এপ্রিল ১৭, ২০২২
খেলার দুনিয়া

বঞ্চনার মোক্ষম জবাব, নাইট রাইডার্সকে তছনছ করে দিলেন এই স্পিনার

যাবতীয় বঞ্চনার জবাব। পুরনো দলের বিরুদ্ধে জ্বলে উঠলেন কুলদীপ যাদব। তাঁর দাপটেই টানা ২ ম্যাচ হারের পর জয়ে ফিরল দিল্লি ক্যাপিটালস। নাইট রাইডার্সকে হারাল ৪৪ রানে। ৩৪ রানে ৪ উইকেট তুলে নিলেন কুলদীপ। টস জিতে দিল্লি ক্যাপিটালসকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্স অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার। শুরু থেকেই ঝড় তুলে উমেশ যাদব, রসিক সালাম দার, প্যাট কামিন্সদের ছন্দ নষ্ট করে দেন দিল্লির দুই ওপেনার। ৪ ওভারেই ৫০ রান পূর্ণ হয়ে যায় দিল্লির। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ওঠে ৬৮। চলতি আইপিএলে এটা তৃতীয় সর্বোচ্চ। সবথেকে বেশি তুলেছে চেন্নাই সুপার কিংস (৭৩/১) লখনউর বিরুদ্ধে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাঞ্জাব কিংসের (৭২/২)। পাঞ্জাব তুলেছিল চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে। সবকটিই মুম্বইয়ের ব্রাবোর্ন স্টেডিয়ামে। ওয়ার্নারের তুলনায় পৃথ্বী শ বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন। ২৭ বলে তিনি হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে জ্বলে ওঠা অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন পৃথ্বী। নাইটদের বিরদ্ধে আগের ৫ ইনিংসে তাঁর রান ৮২,৬৬,১৪,৯৯,৬২।নাইট রাইডার্সকে ব্রেক থ্রু এনে দেন বরুণ চক্রবর্তী। নবম ওভারের চতুর্থ বলে তাঁর গুগলিতে পরাস্ত হয়ে বোল্ড হন পৃথ্বী (২৯ বলে ৫১)। পৃথ্বীর ইনিংসে রয়েছে ৭টা ৪ এবং ২টি ৬। ৯.৫ ওভারে ১০০ রান পূর্ণ হয় দিল্লির। এদিন ব্যাটিং অর্ডারে নিজেকে তিন নম্বরে উঠিয়ে নিয়ে এসেছিলেন ঋষভ পন্থ। দারুণ শুরুও করেছিলেন। ১৪ বলে ২৭ রান করে আন্দ্রে রাসেলের বলে উমেশ যাদবের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। ঋষভ আউট হওয়ার পরের বলেই ফেরেন ললিত যাদব (১)। তিনি সুনীল নারাইনের বলে এলবিডব্লু হন। নারাইনকে তুলে মারতে গিয়ে পরিবর্ত ফিল্ডার রিঙ্কু সিংয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন রভম্যান পাওয়েল (৮)। ৪৫ বলে ৬১ রান করে উমেশ যাদবের বলে ফিরে যান ওয়ার্নার। পরপর ৪ উইকেট হারিয়ে রান তোলার গতি অনেকটাই কমে যায় দিল্লি ক্যাপিটালসের।পরের দিকে ঝড় তোলেন অক্ষর প্যাটেল (১৪ বলে অপরাজিত ২২) ও শার্দুল ঠাকুর (১১ বলে অপরাজিত ২৯)। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ২১৫/৫ তোলে দিল্লি। সুনীল নারাইন ২১ রানে ২ উইকেট নেন। উমেশ যাদব ৪ ওভারে দেন ৫৮। তুলে নেন ১ উইকেট। জয়ের জন্য ২১৬ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি কলকাতা নাইট রাইডার্সের। ৩৮ রানের মধ্যে ফিরে যান দুই ওপেনার ভেঙ্কটেশ আয়ার ও অজিঙ্কা রাহানে। এদিন শুরুটা ভাল করেছিলেন ভেঙ্কটেশ। ৮ বলে ১৮ রান করে তিনি খলিল আহমেদের বলে অক্ষর প্যাটেলের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন।এদিনও ব্যর্থ রাহানে। ১৪ বলে মাত্র ৮ রান করে খলিল আহমেদের বলে শার্দুল ঠাকুরের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। আনরিখ নোখিয়ার পরিবর্তে এদিন খলিল আহমেদকে খেলায় দিল্লি টিম ম্যানেজমেন্ট। সুযোগের দারুন সদব্যবহার করেন খলিল। ৩৮ রানে ২ উইকেট হারানোর পর নাইট রাইডার্সকে টেনে নিয়ে যান নীতিশ রানা ও অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার। জুটিতে ওঠে ৬৯ রান। নীতিশকে (২০ বলে ৩০) তুলে নিয়ে জুটি ভাঙেন ললিত যাদব।পুরনো দলের বিরুদ্ধে নাইট রাইডার্সকে দারুন টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন শ্রেয়স। এগিয়ে এসে কুলদীপকে মারতে গিয়ে স্টাম্পড হন তিনি। ৩৩ বলে ৫৪ করেন শ্রেয়স। শ্রেয়স আয়ার আউট হওয়ার পরপরই ধস নামে নাইট রাইডার্স ইনিংসে। পরপর ফিরে যান সাম বিলিংস (১৫), প্যাট কামিন্স (৪), সুনীল নারাইন (৪), উমেশ যাদব (০)। দলের ষষ্ঠদশ ও নিজের চতুর্থ ওভারে কামিন্স, নারাইন ও উমেশকে ফেরান কুলদীপ। ৪ ওভারে ৩৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে নাইট রাইডার্সের মেরুদন্ড ভেঙে দেন। আন্দ্রে রাসেল ২১ বলে করেন ২৪। ১৯.৪ ওভারে ১৭১ রানে গুটিয়ে যায় নাইট রাইডার্সের ইনিংস।

এপ্রিল ১০, ২০২২
খেলার দুনিয়া

প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে ব্যর্থওয়ার্নার, লখনউকে জেতালেন দিল্লিরই এক প্রাক্তন

গত বছর সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যর্থ ছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। মেগা নিলামের আগে তাঁকে ছেড়ে দেয় সানরাইজার্স। নিলাম থেকে তাঁকে ৬.২৫ কোটি টাকায় কেনে দিল্লি ক্যাপিটালস। ২০১২ সালে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের হয়ে খেলেছিলেন ওয়ার্নার। ৯ বছর পর পুরনো দলে ফিরেও নিজেকে মেলে ধরতে পারলেন না। ওয়ার্নারের ব্যর্থতার দিনে জয়ে ফেরা হল না দিল্লি ক্যাপিটালসের। এবার লখনউ সুপার জায়ান্টসের কাছে হার ৬ উইকেটে। দিল্লি ক্যাপিটালসের প্রাক্তনী কুইন্টন ডিককের দুরন্ত ব্যাটিংই জেতাল লখনউ সুপার জায়ান্টকে। এদিন শুরুটা ভাল করেও বড় রান করতে ব্যর্থ দিল্লি ক্যাপিটালস। মূলত পৃথ্বী শ, ঋষভ পন্থ ও সরফরাজ খানের সৌজন্যে ১৪৯/৩ তোলে। জয়ের জন্য ১৫০ রানের লক্ষ্য খুব একটা কঠিন ছিল না লখনউ সুপার জায়ান্টসের কাছে। শুরুটাও দুর্দান্ত হয়েছিল। ওপেনিং জুটিতে ৭৩ তুলে ফেলে লখনউ সুপার জায়ান্টস। কুইন্টন ডিকক আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাটিং করতে থাকায় অ্যাঙ্করের ভুমিকা পালন করেন লোকেশ রাহুল। দশম ওভারের চতুর্থ বলে জুটি ভাঙেন কুলদীপ যাদব। তাঁকে তুলে মারতে গিয়ে লং অফে পৃথ্বী শর হাতে ক্যাচ দেন লোকেশ রাহুল। ২৫ বলে তিনি করেন ২৪। দু ওভার পরেই এভিন লুইসকে (৫) তুলে নেন ললিত যাদব। ১২.৩ ওভারে লখনউর রান দাঁড়ায় ৮৬/২।এরপর লখনউকে টেনে নিয়ে যান কুইন্টন ডিকক। ৫২ বলে ৮০ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে তিনি কুলদীপ যাদবের বলে সরফরাজ খানের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। ৯টি ৪ ও ২টি ৬ মারেন ডিকক। শেষ ওভারে লখনউর জয়ের জন্য দরকার ছিল ৫ রান। প্রথম বলেই দীপক হুডাকে (১৩ বলে ১১) তুলে নিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দেন শার্দূল ঠাকুর। কিন্তু শেষরক্ষা করতে পারেননি। দ্বিতীয় বলে আয়ুষ বাদোনি কোন রান করতে না পারলেও তৃতীয় বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে স্কোর সমান সমান করেন। চতুর্থ বলে ৬ মেরে দলকে জয় এনে দেন আয়ুষ বাদোনি (৩ বলে অপরাজিত ১০)। ১৪ বলে ১৯ রান করে অপরাজিত থাকেন ক্রূণাল পান্ডিয়া।জয়ের সরণিতে ফিরতে রোমারিও শেফার্ডের পরিবর্তে ডেভিড ওয়ার্নারের ওপর ভরসা করেছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। দিল্লির জার্সি গায়ে প্রথম ম্যাচেই ব্যর্থ এই অসি তারকা। প্রতিটা ম্যাচেই রাতের দিকে শিশির সমস্যায় ফেলছে। সেকথা মাথায় রেখে টস জিতে দিল্লি ক্যাপিটালসকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন লখনউ সুপার জায়ান্টস অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। পৃথ্বী শর সৌজন্যে দারুণ শুরু করেছিল দিল্লি। পাওয়ার প্লের প্রথম ৬ ওভারে দিল্লি ক্যাপিটালস তোলে ৫২/০।অষ্টম ওভারের তৃতীয় বলে ধাক্কা খায় দিল্লি ক্যাপিটালস। নিজের দ্বিতীয় ওভারে পৃথ্বী শকে তুলে নেন কৃষ্ণাপ্পা গৌতম। ওভারের প্রথম দুটি বলে ৬ ও ৪ মেরেছিলেন পৃথ্বী। পরের বলে কাট করতে গিয়ে বল ব্যাটের কানায় লাগিয়ে উইকেটের পেছনে কুইন্টন ডিককের হাতে জমা দেন। ৯টি চার ও ২টি ছক্কার ৩৪ বলে ৬১ রান করে আউট হন পৃথ্বী। গতমরশুমে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের জার্সি গায়ে নিজেকে একেবারেই মেলে ধরতে পারেননি ডেভিড ওয়ার্নার। দিল্লি ক্যাপিটালসের জার্সি গায়ে মরশুমের প্রথম ম্যাচ স্মরণীয় করে রাখতে পারলেন না। লখনৌ সুপার জায়ান্টের বোলারদের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই অস্বস্তিতে ছিলেন। রবি বিষ্ণোইয়ের অফ স্টাম্পের অনেকটা বাইরের বল কাট করতে গিয়ে ব্যাটের কানায় লাগিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে আয়ুষ বাদোনির হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। ১২ বলে মাত্র ৪ রান করেন ওয়ার্নার। দুই স্পিনার রবি বিষ্ণোই ও কৃষ্ণাপ্পা গৌতমের আঁটোসাটো বোলিং চাপ বাড়িয়ে দিয়েছিল। রান তোলার গতি মন্থর হয়ে গিয়েছিল। ডট বলের সংখ্যাও বাড়ছিল। চাপ কাটাতে গিয়েই আউট রভম্যান পাওয়েল। হতাশ হতে তিনি স্লগ সুইপে বিষ্ণোইকে গ্যালারিতে পাঠাতে গিয়ে বোল্ড হন। ১০ বলে মাত্র ৩ রান করেন পাওয়েল। ১১ ওভারের মধ্যেই ৭৪ রানে ৩ উইকেট হারায় দিল্লি। এরপর দলকে টেনে নিয়ে যান অধিনায়ক ঋষভ পন্থ ও সরফরাজ খান। জুটি ওঠে ৭৩। এই জুটিই দিল্লিকে ১৪৯/৩ রানে পৌঁছে দেয়। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে তোলে দিল্লি। ৩৬ বলে ৩৯ রান করে অপরাজিত থাকেন ঋষভ। ২৮ বলে ৩৬ রান করে অপরাজিত থাকেন সরফরাজ। রবি বিষ্ণোই ২২ রানে ২ উইকেট নেন।

এপ্রিল ০৭, ২০২২
খেলার দুনিয়া

দিল্লির হয়ে প্রত্যাবর্তন ম্যাচে এ কী হাল ডেভিড ওয়ার্নারের!‌

আইপিএলের দিল্লির জার্সি গায়ে প্রত্যাবর্তনের ম্যাচ স্মরণীয় করে রাখতে পারলেন না ডেভিড ওয়ার্নার। গত মরশুমের মতো এবছরের শুরুতেও আইপিএলে রানের জন্য সেই লড়াই এই অসি তারকার। বৃহস্পতিবার লখনউ সুপার জায়ান্টাসের বিরুদ্ধে ১০ বলে মাত্র ৪ রান করে আউট হলেন। গত বছর সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যর্থ ছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। মেগা নিলামের আগে তাঁকে ছেড়ে দেয় সানরাইজার্স। নিলাম থেকে তাঁকে ৬.২৫ কোটি টাকায় কেনে দিল্লি ক্যাপিটালস। ২০১২ সালে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের হয়ে খেলেছিলেন ওয়ার্নার। ৯ বছর পর পুরনো দলে ফিরেও নিজেকে মেলে ধরতে পারলেন না। জয়ের সরণিতে ফিরতে রোমারিও শেফার্ডের পরিবর্তে ডেভিড ওয়ার্নারের ওপর ভরসা করেছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। দিল্লির জার্সি গায়ে প্রথম ম্যাচেই ব্যর্থ এই অসি তারকা। পৃথ্বী শ, সরফরাজ খান ও অধিনায়ক ঋষভ পন্থের সৌজন্যে লখনউ সুপার জায়ান্টের বিরুদ্ধে মান বাঁচাল দিল্লি ক্যাপিটালস। মুম্বইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে তুলল ১৪৯/৩। প্রতিটা ম্যাচেই রাতের দিকে শিশির সমস্যায় ফেলছে। সেকথা মাথায় রেখে টস জিতে দিল্লি ক্যাপিটালসকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন লখনউ সুপার জায়ান্টস অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। পৃথ্বী শর সৌজন্যে দারুণ শুরু করেছিল দিল্লি। পাওয়ার প্লের প্রথম ৬ ওভারে দিল্লি ক্যাপিটালস তোলে ৫২/০। আগের ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করেছিলেন আবেশ খান। ম্যাচের সেরাও ছিনিয়ে নিয়েছিলেন। কিন্তু দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে প্রথম ওভারে দেন ১৩। জেসন হোল্ডারও ভাল শুরু করতে পারেননি। ৩০ বলে ৫০ রান পূর্ণ করেন পৃথ্বী শ। পাওয়ার প্লের ফিল্ডিং নিষেধাজ্ঞার সুযোগ দারুণ কাজে লাগান। পৃথ্বী ঝড় তোলায় শুরুর দিকে আক্রমণের রাস্তায় যাননি ৯ বছর পর দিল্লির জার্সি গায়ে আবার খেলতে নামা ডেভিড ওয়ার্নার। অষ্টম ওভারের তৃতীয় বলে ধাক্কা খায় দিল্লি ক্যাপিটালস। নিজের দ্বিতীয় ওভারে পৃথ্বী শকে তুলে নেন কৃষ্ণাপ্পা গৌতম। ওভারের প্রথম দুটি বলে ৬ ও ৪ মেরেছিলেন পৃথ্বী। পরের বলে কাট করতে গিয়ে বল ব্যাটের কানায় লাগিয়ে উইকেটের পেছনে কুইন্টন ডিককের হাতে জমা দেন। ৯টি চার ও ২টি ছক্কার ৩৪ বলে ৬১ রান করে আউট হন পৃথ্বী। গতমরশুমে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের জার্সি গায়ে নিজেকে একেবারেই মেলে ধরতে পারেননি ডেভিড ওয়ার্নার। দিল্লি ক্যাপিটালসের জার্সি গায়ে মরশুমের প্রথম ম্যাচ স্মরণীয় করে রাখতে পারলেন না। লখনৌ সুপার জায়ান্টের বোলারদের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই অস্বস্তিতে ছিলেন। রবি বিষ্ণোইয়ের অফ স্টাম্পের অনেকটা বাইরের বল কাট করতে গিয়ে ব্যাটের কানায় লাগিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে আয়ুষ বাদোনির হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। ১২ বলে মাত্র ৪ রান করেন ওয়ার্নার। দুই স্পিনার রবি বিষ্ণোই ও কৃষ্ণাপ্পা গৌতমের আঁটোসাটো বোলিং চাপ বাড়িয়ে দিয়েছিল। রান তোলার গতি মন্থর হয়ে গিয়েছিল। ডট বলের সংখ্যাও বাড়ছিল। চাপ কাটাতে গিয়েই আউট রভম্যান পাওয়েল। হতাশ হতে তিনি স্লগ সুইপে বিষ্ণোইকে গ্যালারিতে পাঠাতে গিয়ে বোল্ড হন। ১০ বলে মাত্র ৩ রান করেন পাওয়েল। ১১ ওভারের মধ্যেই ৭৪ রানে ৩ উইকেট হারায় দিল্লি। এরপর দলকে টেনে নিয়ে যান অধিনায়ক ঋষভ পন্থ ও সরফরাজ খান। জুটি ওঠে ৭৩। এই জুটিই দিল্লিকে ১৪৯/৩ রানে পৌঁছে দেয়। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে তোলে দিল্লি। ৩৬ বলে ৩৯ রান করে অপরাজিত থাকেন ঋষভ। ২৮ বলে ৩৬ রান করে অপরাজিত থাকেন সরফরাজ। রবি বিষ্ণোই ২২ রানে ২ উইকেট নেন।

এপ্রিল ০৭, ২০২২
খেলার দুনিয়া

হার্দিকের মস্তিষ্ক, ফার্গুসনের দাপটে দারুণ জয় গুজরাট টাইটান্সের

দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন দিল্লি ক্যাপিটালস অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। এমন সময়ই লকি ফার্গুসনকে আক্রমণে নিয়ে এসে মোক্ষম চাল গুজরাট টাইটান্স অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়ার। ঋষভকে ফার্গুসন তুলে নিতেই জয়ের আশা শেষ দিল্লির। ফার্গুসনের দুরন্ত বোলিং দ্বিতীয় জয় এনে দিল গুজরাট টাইটান্সকে। দিল্লির বিরুদ্ধে জিতল ১৪ রানে।পরপর দুম্যাচে ব্যর্থ বিজয় শঙ্কর। এর পরেও ডাগ আউটে বসে থাকতে হবে ঋদ্ধিমান সাহাকে? শনিবার গুজরাট টাইটান্স ও দিল্লি ক্যাপিটালস ম্যাচে প্রশ্নটা উঠেই গেল। চলতি আইপিএলে বাংলার আকাশদীপ, মহম্মদ সামি, শাহবাজ আমেদরা যেখানে নিজেদের মেলে ধরছেন, সেখানে নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগই পাচ্ছেন না ঋদ্ধিমান সাহা। এদিন দিল্লি ক্যাপিটালসের গুজরাট টাইটান্স বড় রান তুলল। সৌজন্যে প্রাক্তন নাইট রাইডার্স তারকা শুভমান গিল।চলতি আইপিএলে দ্বিতীয় জয়ের খোঁজে এদিন টস জিতে পুনেতে মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের স্টেডিয়ামে টস জিতে গুজরাট টাইটান্সকে ব্যাট করতে পাঠান দিল্লি ক্যাপিটালস অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। ম্যাচেই তৃতীয় বলেই ধাক্কা খায় গুজরাট টাইটান্স। ম্যাথু ওয়েডকে (১) তুলে নেন মুস্তাফিজুর রহমান। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পরের বলেই ফেরেন বিজয় শঙ্কর। ২০ বলে মাত্র ১৩ রান করে কুলদীপ যাদবের বলে বোল্ড হন। বিজয় শঙ্করকে দেখে মনে হচ্ছিল যেন টেস্ট খেলতে নেমেছেন। এরপর শুভমানের সঙ্গে জুটি বেঁধে গুজরাটকে এগিয়ে নিয়ে যান অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। চতুর্দশ ওভারের শেষ বলে হার্দিককে ফেরান খলিল আমেদ। ২৭ বলে ৩১ রান করে আউট হন হার্দিক।একের পর এক উইকেট পড়লেও অন্যপ্রান্তে শুভমানের ঝড় অব্যাহত থাকে। শেষ পর্যন্ত ৪৬ বলে ৮৪ রান করে তিনি খলিল আমেদের বলে অক্ষর প্যাটেলের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। শুভমানের ইনিংসে রয়েছে ৬টি ৪ এবং ৪টি ৬। রাহুল তেওয়াটিয়া ৮ বলে করেন ১৪। ১৫ বলে ২০ রান করে অপরাজিত থাকেন ডেভিড মিলার। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭১ তোলে গুজরাট টাইটান্স। ২৩ রানে ৩ উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান। ৩৪ রানে ২ উইকেট খলিল আমেদের।জয়ের জন্য ১৭২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দিল্লি ক্যাপিটালসের শুরুটাও ভাল হয়নি। দ্বিতীয় ম্যাচেও ছন্দ খুঁজে পেলেন না পৃথ্বী শ। ৭ বলে ১০ রান করে ইনিংসের পঞ্চম ওভারে লকি ফার্গুসনের বলে আউট হন পৃথ্বী। একই ওভারে মনদীপ সিংকে (১৬ বলে ১৮) তুলে নেন ফার্গুসন। ঋষভ পন্থ ও ললিত যাদব দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। অধিনায়কের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে ললিত (২২ বলে ২৫) রান আউট।পঞ্চদশ ওভারে লকি ফার্গুসনকে আবার আক্রমণে নিয়ে আসেন হার্দিক পান্ডিয়া। তাঁর এই সিদ্ধান্ত একেবারে মাস্টারস্ট্রোক। ক্রমশ ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা ঋষভকে তুলে নিয়ে গুজরাটকে ম্যাচে ফেরান ফার্গুসন। ৭টি চারের সাহায্যে ২৯ বলে ৪৩ রান করে আউট হন ঋষভ। একই ওভারে অক্ষর প্যাটেলকে (৮) তুলে নিয়ে দিল্লিকে ব্যাকফুটে পাঠিয়ে দেন লকি ফার্গুসন। বাকি কাজটা সারেন মহম্মদ সামি ও রশিদ খান। পরপর দুবলে রভম্যান পাওয়েল (১২ বলে ২০) ও খলিল আমেদকে (০) তুলে নেন সামি। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১৫৭/৯ তোলে দিল্লি। ২৮ রানে ৪ উইকেট নেন লকি ফার্গুসন। ৩০ রানে ২ উইকেট সামির।

এপ্রিল ০২, ২০২২
খেলার দুনিয়া

চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, কুলদীপের সঙ্গে চাকরের মতো ব্যবহার করত নাইট রাইডার্স টিম ম্যানেজমেন্ট!‌

গত বছর আইপিএল চলাকালীনই একসময় কলকাতা নাইট রাইডার্স টিম ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন কুলদীপ যাদব। দিনের পর দিন রিজার্ভ বেঞ্চে বসে থেকে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন। নাইট কর্তাদের কাছে রিলিজও চেয়েছিলেন। কিন্তু পাননি। তাঁর সঙ্গে নাকি চাকরের মতো ব্যবহার করতেন নাইট কর্তারা। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছেন কুলদীপ যাদবের কোচ কপিল পাণ্ডে। এমনকি নাইট কর্তাদের জন্য এবছর আইপিএলের মেগা নিলামে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন কুলদীপ, মনে করছেন তিনি। বেশ কয়েক মরশুম ধরে কলকাতা নাইট রাইডার্সে ব্রাত্য কুলদীপ যাদবকে এবছর আইপিএলের মেগা নিলামে তুলে নিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। প্রথম ম্যাচেই প্রমাণ করে দিয়েছেন, দলকে জেতানোর মতো দক্ষতা এখনও তাঁর রয়েছে। নাইট রাইডার্সে কুলদীপকে চাকরের মতো রাখা হত বলে জানিয়েছেন কপিল পাণ্ডে। তিনি বলেন, কুলদীপের সঙ্গে নাইট রাইডার্স চাকরের মতো ব্যবহার করত। না খেলিয়ে দিনের পর দিন ওকে বসিয়ে রাখত। ওর মধ্যে হতাশা এসে গিয়েছিল। আমাকে বলত, স্যর আমাকে কেন খেলার সুযোগ দিচ্ছে না, বুঝতে পারছি না। আমাকে যথেষ্ট সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। কোথায় সমস্যা জানি না। ওকে যেদিন ছেড়ে দিয়েছিল, খুব খুশি হয়েছিলাম। নাইট রাইডার্সের জন্য কুলদীপ যে আর্থিকভাবে ক্ষতি হয়েছেন, সেকথাও জানিয়েছেন কপিল পাণ্ডে। তিনি বলেন, দুবছর ধরে খেলার সুযোগ না পেয়ে ওর দর অনেক কমে গিয়েছে। ওর যা কোয়ালিটি ৯১০ কোটি টাকা পাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু মাত্র ২ কোটি টাকা দর উঠেছিল এবারের নিলামে। নাইট রাইডার্সের জন্যই ওর এতটা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। তবে ওকে বলেছি, ক্ষতি নিয়ে না ভাবতে। দেশের হয়ে খেলার জন্য মনোযোগ দাও। একসময় কুলদীপ যাদবকে বাড়ি ফিরে গিয়ে ঘরে বসে থাকার কথাও নাকি বলেছিলেন দীনেশ কার্তিক, ইওয়িন মর্গানরা। এমনই দাবি করেছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার মহম্মদ কাইফ। তিনি বলেন, কুলদীপ যাদবের ম্যাচ জেতানোর মতো ট্র্যাক রেকর্ড আছে। ও একটু আবেগপ্রবন। যদি দলকে না জেতাতে পারে, কিংবা খারাপ বোলিং করে কিংবা দল থেকে বাদ পড়ে তাহলে খুব ভেঙে পড়ে। কার্তিক ও মর্গান অধিনায়ক থাকার সময় কুলদীপকে তো বলা হয়েছিল বাড়ি গিয়ে বসে থাকতে।

মার্চ ২৯, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

দামোদরে বালি তুলতে গিয়ে বিরাট বিপত্তি, জলে ভাসছে ১৫টি লরি

দামোদরে বালি তোলায় কোনও লাগাম নেই। ডিভিসি থেকে জল ছাড়ার খবর থাকা সত্বেও বালি তোলার কাজ চলছিল। লরি নেমেছিল একেবারে নদের ভিতরে। জল ভরে টুইটুম্বুর হওয়ায় ভেসে গেল ১৫টি বালি বোঝাই লরি। পূর্ব বর্ধমানের গলসির গোহগ্রামের এই ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে। পরে লরিগুলিকে উদ্ধারের তৎপরতা শুরু হয়।দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার কথা ডিভিসি ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগাম ঘোষণা করা হয়েছিল। মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে বুধবার জল ছাড়া হয় ৪০ হাজার কিউসেক। এরই মধ্যে নিম্ন দামোদর অববাহিকায় দুদিন ধরে টানা বৃষ্টি চলেছে। এই সব কারণে বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ দামোদর নদে জলের পরিমাণ বেশ বেড়ে যায়। এতেই ঘটে যায় বিপত্তি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ১৫টি বালি বোঝাই লরি দামোদর নদের জলে ভাসতে থাকে। তার উপর বৃহস্পতিবার বেলা বাড়তে নদের জল আরও হু হু করে বাড়তে শুরু হয়। বিপদ বুঝে লরিগুলি নদী থেকে তোলার জন্য তৎপরতা শুরু করে চালকরা । ওই সময়েই সামনে থাকা দুটি লরি বিকল হয়ে যাওয়ায় লরি গুলি নদ থেকে পাড়ে তোলা আর সম্ভব হয়নি। জেসিবি মেশিন ব্যবহার করেও কাজ হয়নি। জল কমা পর্যন্ত লরিগুলো তুলতে অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

জুন ১৯, ২০২৫
রাজ্য

"কেশরী: চ্যাপ্টার ২" তে ক্ষুদিরাম বসু সহ বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অপমান, প্রতিবাদে গর্জে উঠল বাংলা পক্ষ

সম্প্রতি কেশরী: চ্যাপ্টার ২ নামের এক বলিউডি হিন্দি সিনেমায় ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সশস্ত্র সংগ্রামের উজ্জ্বল ইতিহাস তথা বীর বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পরিচয় ও ভূমিকা বিকৃত করে এক মনগড়া মিথ্যা ইতিহাস তুলে ধরার অভিযোগ উঠেছে। সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম সিং ও বারীন্দ্র কুমার নামক দুই বিপ্লবী বৃটিশ পুলিশকর্তা কিংসফোর্ডকে বোমা মেরে হত্যার চেষ্টা করে ও তাদের বোমা তৈরীর প্রশিক্ষণ দেয় কৃপাণ সিং! যার সাথে বাস্তবের কোন মিল নেই। প্রকৃত পক্ষে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে বাঙালি বিপ্লবীদের সশস্ত্র সংগ্রামের ইতিহাসের এক যুগান্তকারী ঘটনা কিংসফোর্ড হত্যার প্রচেষ্টা ও পরবর্তীতে মানিকতলা বোমা মামলার ঘটনার কথা সম্পূর্ণ বিকৃত ভাবে এই সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে।সশস্ত্র সংগ্রামের লক্ষ্যে কলকাতার মানিকতলার যুগান্তর গুপ্ত সমিতিতেই অরবিন্দ ঘোষের নেতৃত্বে বোমা তৈরীর কর্মশালা গড়ে ওঠে, ইউরোপ থেকে বোমা তৈরী শিখে এসে এখানে বোমা তৈরী করে বিপ্লবীদের সরবরাহ করতেন হেমচন্দ্র কানুনগো, যিনি বলিউডের দৌলতে হয়েছেন কৃপাণ সিং। এই গুপ্ত সমিতির পক্ষেই ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকী কিংসফোর্ডকে বোমা নিক্ষেপ করে হত্যার চেষ্টা করেন। মেদিনীপুরের বীর বাঙালি কিশোর ক্ষুদিরাম বসুর পদবী সিনেমায় হয়েছে সিং অন্যদিকে প্রফুল্ল চাকীর নামই মুছে গেছে, শোনা গেছে জনৈক বারিন্দর কুমারের নাম, যেকোন ইতিহাস সচেতন ব্যক্তিই বলতে পারবেন এই নাম আসলে মানিকতলা বোমা মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ও পরবর্তীতে আন্দামানে দ্বীপান্তরিত বারীন্দ্র ঘোষের, যিনি সম্পর্কে অরবিন্দ ঘোষের ভাই। এই মানিকতলা বোমা মামলায় বিপ্লবীদের পক্ষে কোর্টে আইনি লড়াই করেন আরেক মহান বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামী দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ। এই গৌরবজনক অধ্যায় সম্পূর্ণ ভাবে বিকৃত করা হয়েছে, যা বাঙালি জাতি তথা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি চূড়ান্ত অবমাননা।এই বিকৃতির বিরুদ্ধে বাঙালির ক্ষোভের প্রকাশ দেখা যাচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থেকে সংস্কৃতি জগতের নানান ব্যক্তিত্ব এই ইতিহাস তথা মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নাম বিকৃতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। ভারতীয় বাঙলির জাতীয় সংগঠন বাংলা পক্ষও সরব হয়েছে, আজ তারা পথে নেমে প্রতিবাদ করল কলকাতার বাংলা একাডেমী সংলগ্ন রানুছায়া মঞ্চে। এই প্রতিবাদ সভায় বাংলা পক্ষর সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি বলেন, কেশরী ২ সিমেমার মূখ্য অভিনেতা অক্ষয় কুমার, তিনি কাদের স্বার্থে বিকৃত ইতিহাস প্রচার করে সিনেমা তৈরি করেন এটা আমাদের সকলের জানা৷ বিজেপি ও বলিউডের উদ্দেশ্য বাঙালির গৌরবজনক বীরত্বের ইতিহাস মুছে দেওয়া। সেই উদ্দেশ্যেই বারবার এই ধরনের ঘটনা দেখা যাচ্ছে। বলিউড এর আগেও অভয় ২ সিরিজে বীর শহীদ ক্ষুদিরাম বসুকে ক্রিমিনাল, জঙ্গি হিসাবে দেখিয়েছিল। বাংলা পক্ষ তখন Zee5 কে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছিল এবং সল্টলেকে Zee5 এর অফিসে বিক্ষোভ করেছিল। পরবর্তীতে Zee5 ক্ষমা চেয়ে সেই অংশ বাদ দিতে বাধ্য হয়। শীর্ষ পরিষদ সদস্য অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় বলেন যতক্ষণ না পর্যন্ত কেশরী ২ সিনেমার নির্মাতারা ক্ষমা না চায়, বাংলা পক্ষর লড়াই চলবে। ক্ষমা চেয়ে এই দৃশ্য বাদ দিতে হবে। বাঙালি বিদ্বেষীদের কিভাবে ক্ষমা চাওয়াতে হয় সেটা বাংলা পক্ষ ভালো ভাবে জানে।শীর্ষ পরিষদ সদস্য সৌম্যকান্তি ঘোড়ই বলেন, ক্ষুদিরাম বসুকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান। প্রফুল্ল চাকীকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান৷ বীর বিপ্লবী বারীন ঘোষদের অপমানের বিরুদ্ধে এই লড়াই চলবে। অক্ষয় কুমারকে ক্ষমা চাইতেই হবে।এছাড়াও আজকের প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন কলকাতা জেলার সম্পাদক সৌম্য বেরা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক কুশনাভ মন্ডল, শিল্পী পক্ষর অধিকর্তা প্রবাল চক্রবর্তী প্রমুখ। এর আগে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় এই সিনেমা নিয়ে একই ইস্যুতে এফআইআর হয়েছে। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন বাঙালি বীর বিপ্লবীদের ইতিহাস বিকৃতি করার জন্য।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স

লর্ডসে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও রাহুল দ্রাবিড়ের। দিনটা ছিল ১৯৯৬ র ২০ জুন। এই টেস্টের কথা উঠলেই মহারাজকীয় শতরানের কথাই সবার আগে মনে আসে। যা এসেছিল ২২ জুন।তবে ২০ জুন বল হাতে কামাল দেখিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ইংল্যান্ডের তৃতীয় ও চতুর্থ উইকেট পড়েছিল চার রানের ব্যবধানে। দলের ৯৮ রানের মাথায় সৌরভের প্রথম শিকার হন তিন নম্বরে নামা নাসের হুসেন। ১১০ বলে ৩৬ রান করে তিনি ফেরেন বিক্রম রাঠোরের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ১০২ রানে ইংল্যান্ডের চতুর্থ উইকেট পড়ে। ৯ বলে ১ রান করে গ্রেম হিক সৌরভের বলেই জাভাগল শ্রীনাথের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। প্রথম ইনিংসে সৌরভের বোলিং ফিগার ছিল ১৫-২-৪৯-২। বেঙ্কটেশ প্রসাদ পাঁচটি, শ্রীনাথ তিনটি ও সৌরভ ২টি উইকেট পান। পরশ মামব্রে, অনিল কুম্বলে ও সচিন তেন্ডুলকর উইকেট পাননি। দ্বিতীয় ইনিংসে সৌরভ তুলে নিয়েছিলেন প্রথম ইনিংসে শতরানকারী জ্যাক রাসেলের উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে মহারাজ ৩ ওভারে মাত্র ৫ রানের বিনিময়ে একটি উইকেট পেয়েছিলেন। ফলে লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

বৃষ্টির মোকাবিলায় ইডেন সেরা, মাঠ ভরানোর আহ্বান মনোজের

আজও বৃষ্টিতে ব্যাহত বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের খেলা। কয়েক দিন ধরেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি চলছে। যার জেরে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের খেলাগুলি পরিত্যক্ত হচ্ছে। ইডেনে বৃষ্টি থামার পর খেলা শুরু হলেও ফের অবিরাম বর্ষণে ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। তবে গতকাল যা হলো তা অন্য কোথাও আর হতে পারতো না।সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত ভাবনাতেই ইডেনের গোটা মাঠ ঢেকে রাখার বন্দোবস্ত হয়েছে। উন্নতমানের কভার আনিয়ে। এমনকী ইডেনের মতো সল্টলেক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস মাঠেও মাঠ ঢেকে রাখা হয় প্রধান কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন অনবদ্য টিম যার ফলে বৃষ্টি থামার কিছুক্ষণের মধ্যেই মাঠ খেলার উপযুক্ত করে দিতে পারেন। ইডেনের এমন ব্যবস্থাপনা বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়াম আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামেও নেই। সুনীল গাভাসকর-সহ অনেকেই তাই বলে থাকেন মাঠ ঢাকার ব্যবস্থাপনায় ইডেনকে অনুসরণ করতে। এই ব্যবস্থাপনার সুফল মিলল আরও একবার। গতকাল বৃষ্টি একটু ধরতেই রাতে ৯ ওভারের ম্যাচ হলো। হারবার ডায়মন্ডস ৪০ রানে হারাল লাক্স শ্যাম কলকাতা টাইগার্সকে। যে পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে শহরে তাতে অন্য কোথাও এটা সম্ভব হতো না। হলো মাঠ ঢাকার ব্যবস্থা ছিল বলেই। হারবার ডায়মন্ডস অধিনায়ক তথা রাজ্যের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি অনুরোধ করেছেন সকলকে কাজ সেরে মাঠে এসে তরুণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করার জন্য। এই লিগে বিনামূল্যে খেলা দেখা যায়। এমনকী হারবার ডায়মন্ডসের সমর্থকদের জল, ইলেক্টোরাল, কেক দেওয়ার কথাও মনোজ বলেছেন। তার কারণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করতে সমর্থকদের উপস্থিতি দরকার। গ্যালারির সিংহভাগ ফাঁকা থাকছে। যে লিগের সম্প্রচার স্টার স্পোর্টসে চলছে সেখানে এমন ফাঁকা গ্যালারি মোটেই ভালো বিজ্ঞাপন নয়।

জুন ১৯, ২০২৫
দেশ

ওরঙ্গাবাদের এই হৃদয়স্পর্শী কাহিনী আপনার মন ছুঁয়ে যাবেই

মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদের সম্ভাজি নগরে ঘটনা এখন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। ওই হৃদয়স্পর্শী ঘটনা নাড়া দিয়েছে পুরো সমাজকে। সেখানে এক গয়নার দোকানে গিয়েছিলেন অতি সাধারণ এক দম্পতি। স্ত্রীকে কিছু উপহার দেওয়াই ছিল স্বামীর উদ্দেশ্য। গয়নার শোরুমের ম্যানেজার তাদের সঙ্গে গল্প জুড়ে দেন। হাসিঠাট্টার মাঝে কথা বলতে বলতে জেনে নেন তাঁদের জীবনকাহিনী। এবার এল জিনিস কেনার পালা। হাতের ঝোলা ব্যাগ থেকে বেরোল একটা ৫০০ টাকার নোট। একে একে ১০, ২০ টাকার নোট। সবশেষে একটা ছোটখাট বোঁচকা। তাতে ভর্তি খুচরো পয়সা।শোরুমের ম্যানেজার গোটা বিষয়টা বুঝতে পেরে তাঁদের একটি হার উপহার দেন। সঙ্গে একজোড়া কানের দুলও। এরপর বৃদ্ধের কাছে সরল আবদার জানান, নিজে হাতে স্ত্রীর হাতে সেটা তুলে দিতে হবে। উপহার তো দিলেন ম্যানেজার, কিন্তু এত বড় দোকানে এসে কোনও টাকা না দিয়ে চলে যাবেন, এতেও যেন সম্মানে বাধে বৃদ্ধের। সমাজের খেটে খাওয়া মানুষের কাছে আত্মসম্মানই বড় কথা। প্রাণ যাক, সম্মান নিয়ে বাঁচাটাই বড় কথা। তাই সবচেয়ে বড় নোটটি তুলে দিতে চেয়েছিলেন ম্যানেজারের হাতে। কিন্তু তাতে ম্যানেজারের উত্তর, আপনার আশীর্বাদের হাত থাকলেই হবে। পান্ডুরঙ্গ (কর্নাটক, মহারাষ্ট্রের পূজিত দেবতা) আছেন, কিছুর অভাব হবে না কোনওদিন। কিন্তু বৃদ্ধ নাছোড়বান্দা, টাকা তিনি দেবেনই। উপায় নেই বুঝে অবশেষে দুটো ১০ টাকার নোট নেন ম্যানেজার।স্বামীর চোখে জল, ধুতির খুঁট দিয়ে মুছে ফেললেন। তা দেখে স্ত্রীও আটকাতে পারলেন না নিজেকে। ভিডিওতেই স্পষ্ট, এমন এক মূল্যবান উপহার পেয়ে বিশ্বাস হচ্ছে না ওই দম্পতির। কিন্তু যেকজন ভিডিওটি দেখেছেন, তাঁরা সবাই বুঝেছেন এই চোখের জল, অবিশ্বাস শুধু মূল্যবান এক উপহারের জন্য নয়, জীবনের অন্যতম এই দিনটি মনের মণিকোঠায় সাজিয়ে রাখছেন দম্পতি।

জুন ১৯, ২০২৫
দেশ

আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা: শিশুদের শনাক্ত করতে বড় সমস্যা, এখনও হস্তান্তর ১৫৯ দেহ

সুরাটের নানাবাওয়া পরিবার ৩৬ বছর বয়সী আকিল এবং ৩১ বছর বয়সী স্ত্রী হান্না ভোরাজির নামাজ-এ-জানাজা (জানাজা) সম্পন্ন হয়। বুধবার ভোরে ফোন করে জানায় যে বোয়িং ড্রিমলাইনার দুর্ঘটনায় তাদের সাথে মারা যাওয়া তাদের মেয়ে সারার মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। আত্মীয়স্বজনরা চার বছর বয়সী মেয়ের দেহাবশেষ দাবি করতে আহমেদাবাদে ছুটে যান। যাতে তাকে তার বাবা-মায়ের পাশে দাফন করা যায়।আহমেদাবাদ-লন্ডন AI-171 বিমান দুর্ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পর, সারার সন্ধানে দেখা যাচ্ছে যে পুড়ে যাওয়া দেহাবশেষের মধ্যে নাবালকদের শনাক্ত করা কতটা কঠিন। বুধবার পর্যন্ত, ডিএনএ ম্যাচিং এবং শনাক্তকরণের পরে ১৫৯টি মৃতদেহ আত্মীয়দের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সারা ছাড়াও, এই মৃতদেহগুলির মধ্যে কেবল একজন নাবালিকা ছিল ফাতিমা শেঠওয়ালা, যার বয়স ১৮ মাস।বিমান সংস্থার তালিকা অনুসারে, AI-171-এ ১২ বছরের কম বয়সী ১৩টি শিশু ছিল, যার মধ্যে তিনজন এখনও ২ বছর পূর্ণ করেনি। আরও বেশ কয়েকজনের বয়স ১১ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে।এই ধরনের দুর্যোগে অপ্রাপ্তবয়স্কদের শনাক্ত করার জন্য ডিএনএ প্রযুক্তি ব্যবহারে অসুবিধা ব্যাখ্যা করে গুজরাটের সরকারি ডেন্টাল কলেজের ফরেনসিক দন্ত বিশেষজ্ঞ ডঃ জয়শঙ্কর পিল্লাই বলেন, শিশুদের শরীরের ভর কম থাকে এবং তাই টিস্যুর ক্ষতি হয় এবং লম্বা হাড় তাপের সংস্পর্শে আসে। তবে দাঁত বেশি শক্তিশালী হওয়ায় তাপ সহ্য করতে পারে।তবে অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে এটিও জটিল। শিশুদের যে কোনও দাঁত থেকে ডিএনএ বের করা যেতে পারে, কিন্তু আগুন লাগার সময় সামনের দাঁত ব্যবহার করা যায় না কারণ তাপ তাদের নষ্ট করে দেয়। তাই আমরা মোলার থেকে ডিএনএ নিই। ছয় বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে, আমরা স্থায়ী মোলার পেতে পারি না... তাদের বেশিরভাগই দুধের দাঁত থাকে, এবং কখনও কখনও সেগুলিও নষ্ট হয়ে যায়। কারণ খিলানটি খুব ছোট। তাই আমরা চোয়ালে একটি ছেদ তৈরি করি এবং ভিতরে স্থায়ী মোলার তৈরি করার চেষ্টা করি, পিল্লাই বলেন, যার বিভাগের সাথে ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ দাঁতের ডিএনএ বের করতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের দাঁতের চার্ট তৈরি করতে সাহায্য করার জন্য যোগাযোগ করেছিল।একজন ফরেনসিক কর্মকর্তা বলেছেন যে দুর্ঘটনার পরে যে আগুন লেগেছিল তা খুব অল্প সময়ের মধ্যে ১৬০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি তাপমাত্রায় পৌঁছেছিল। সুতরাং, কিছু ব্যক্তির জন্য কেবলমাত্র আংশিক ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়া যায়, যাদের আমরা সন্দেহ করি যে তারা নাবালক, কর্মকর্তা বলেন, আরও বলেন যে আত্মীয়দের সাথে নিঃসন্দেহে নির্ভুলতার সাথে মেলানো কঠিন।আকিলের বাবা আবদুল্লাহ স্মরণ করিয়ে দেন যে তিনজন ৬ জুন, ঈদুল আযহার একদিন আগে, এক আকস্মিক পরিদর্শনে এসেছিলেন। এটা একটা ছোট ভ্রমণ ছিল। আমরা জানতাম না যে এটাই তাদের শেষ হবে, কাঁদতে কাঁদতে আবদুল্লাহ বলেন, যিনি বিমানে পরিবারকে নামিয়ে দিতে আহমেদাবাদ গিয়েছিলেন।ভদোদরায়, আসিফ শেঠওয়ালা তার নাতনি ফাতিমার জন্য শোক প্রকাশ করেছেন। যার দেহাবশেষ বুধবার শনাক্ত করা হয়েছে, যখন তার মা সাদিকার মৃতদেহ এখনও পাওয়া যায়নি। আসিফ বলেন, ফাতিমা তার লন্ডন-ভিত্তিক ছেলের একমাত্র সন্তান। সাদিকা এবং ফাতিমা আমার ছোট ছেলের বিয়েতে বেড়াতে এসেছিলেন। তারা প্রায় ২০ দিন ধরে এখানে ছিলেন এবং তাদের ফেরার টিকিট অনেক আগেই বুক করা হয়েছিল।ডিএনএ সরবরাহ করার পাশাপাশি, দাঁতের দেহাবশেষ একজন ব্যক্তির আনুমানিক বয়স নির্ধারণেও সাহায্য করে। যা শনাক্তকরণের জন্য প্রয়োজনীয় সূত্র প্রদান করে। আহমেদাবাদ দুর্ঘটনায় এটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যও, বিস্ফোরণ এবং আগুনের ফলে উদ্ধার করা বেশিরভাগ ডিএনএ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।ডঃ পিল্লাই বলেন, ফরেনসিক ওডন্টোলজি বিভাগ এক থেকে ছয় বছর বয়সী বেশ কয়েকজন প্রাপ্তবয়স্ক যাত্রীর দাঁতের ডিএনএ সংগ্রহ করেছে অথবা ডেন্টাল চার্টিং করেছে এবং অন্তত কিছু ভুক্তভোগীর বয়স মূল্যায়ন করেছে। এরপর এই বয়সের যাত্রীদের জন্য ফ্লাইট ম্যানিফেস্টের সাথে তুলনা করা হয়েছে। কিছু শিশুর ক্ষেত্রে, আমরা দ্বিতীয় মোলার বিকশিত হতে দেখেছি, যা স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে তারা তিন থেকে ছয় বছর বয়সী। এটি অনুসন্ধানকে সংকুচিত করতে সাহায্য করেছে। তারপর তাদের ডিএনএ নমুনা তাদের আত্মীয়দের সাথে মেলানো যেতে পারে।যারা খবরের জন্য অপেক্ষা করছেন তাদের মধ্যে রয়েছে ভদোদরার ভাহোরা পরিবার। তারা দুর্ঘটনায় তিন সদস্যকে হারিয়েছে। সোমবার ইয়াসমিনের মৃতদেহ হস্তান্তর করা হলেও, পারভেজ এবং তার ৪ বছর বয়সী মেয়ে জুভেরিয়ার দেহাবশেষ এখনও পাওয়া যায়নি। প্রাক্তন আইপিএস অফিসার এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ, ডঃ কেশব কুমার বলেছেন, পরিবারগুলির আশা হারানো উচিত নয়। বিমান দুর্ঘটনাটি প্রায় বোমা বিস্ফোরণের মতো ছিল। যেখানে ৫৪,০০০ লিটার বিমান জ্বালানি এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে জ্বলছিল। উৎপন্ন তাপের পরিমাণ শরীরের জন্য ক্ষতিকর। আমরা ভাগ্যবান হব যদি ভালো নমুনা পাওয়া যায়। কিন্তু যদি একটি দাঁতও পাওয়া যায়, তাহলে ডিএনএ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ফরেনসিক পরীক্ষা খড়ের গাদায় সূঁচ পাওয়ার মতো। কিন্তু একজন তদন্তকারী হিসেবে, আমি বলতে পারি যে ম্যাচ পাওয়ার সম্ভাবনা ১০০%। ডিএনএ হাজার হাজার বছর টিকে থাকতে পারে এবং প্রয়োজনে ধ্বংসাবশেষে ডিএনএর আরও চিহ্ন থাকবে। গুজরাট পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন যে তারা দুর্ঘটনাস্থল থেকে একাধিক নমুনা সংগ্রহ নিশ্চিত করেছেন।

জুন ১৯, ২০২৫
রাজ্য

১০০ দিনের কাজ নিয়ে হাইকোর্টে বড় ধাক্কা কেন্দ্রীয় সরকারকে

গতকালই ওবিসি মামলায় হাইকোর্টে জোরদার ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। এবার ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বড় ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার নজিরবিহীন একটি নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পশ্চিমবঙ্গে ফের ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প চালু করতে হবে, এই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ১ আগস্ট থেকেই এই প্রকল্প চালু করতে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ।উল্লেখ্য, বাংলায় ১০০ দিনের কাজের টাকা বহুদিন ধরে আটকে রেখেছে কেন্দ্র, এই অভিযোগ করে আসছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রাজ্য সরকারের একাধিক মন্ত্রী এই ব্যাপারে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বারবার সমালোচনায় সরব হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে লাগামহীন দুর্নীতি হয়েছে। এই দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্র বেশ কয়েকটি দলও বাংলার জেলায় জেলায় পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী আদালতে জানিয়েছিলেন, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গে মোট ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে গরমিল ধরা পড়েছে।। তার মধ্যে ২ কোটিরও বেশি টাকা পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে। হুগলি, মালদা, বর্ধমান, দার্জিলিংয়ের মতো জেলাগুলিতে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। ১০০দিনের কাজের প্রকল্পে টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে বেনজির দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রের।রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প আটকে থাকা নিয়ে মামলার শুনানি বুধবার ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনেছেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এরপর প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছেন যে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের জন্যই বিশেষ কোনও বেঁধে দিতে পারে কেন্দ্র। এই রায়ের পর সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ১০০ দিনের পুরনো বকেয়া টাকা ফেরত দিতে হবে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর

পাঁচ লক্ষ টাকা তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর এবং সালিশি করে গ্রাম ছাড়া করার অভিযোগ উঠলো স্থানীয় একদল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকায়। এই ঘটনায় আক্রান্ত ব্যবসায়ীর পরিবার কালিয়াচক থানার দ্বারস্থ হলেও চারদিন পরে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে বুধবার ওই ব্যবসায়ী দম্পতি সমস্ত ঘটনার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানালেন পুলিশ সুপারের কাছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব। এদিকে কালিয়াচকের ওই ব্যবসায়ীর ওপর আক্রমণ এবং পাঁচ লক্ষ টাকা তোলাবাজির ঘটনায় রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলার সর্ববৃহৎ ব্যবসায়ীদের সংগঠন মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বারবার যদি ব্যবসায়ীদের ওপর দুষ্কৃতীদের হামলা নেমে আসে, তাহলে আমরা যাব কোথায়। অবিলম্বে পুলিশ সুপার যাতে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে, সেই আবেদন জানাচ্ছি। এদিকে পুলিশকে অভিযোগে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকার পোশাক ব্যবসায়ী মহম্মদ রহিম বিশ্বাস জানিয়েছেন, পুরনো একটি মামলার ঘটনায় গত শনিবার এলাকার এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী জহরুল খান এবং তার দলবল তাকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাদের একটি ডেরায় তাঁকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর পাঁচ লক্ষ টাকার তোলা চাওয়া হয়। সেই টাকা না দেওয়ায় আশেপাশের আরও কিছু সাগরেদদের জুটিয়ে সালিশি ডাকা হয়। সেই সালিশির মাধ্যমে তাদের পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। আর এই ঘটনার পর থেকেই গত চারদিন ধরেই ওই ব্যবসায়ী পরিবার নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন হয়ে রয়েছেন। এমনকি ফতেখানি স্ট্যান্ডের কাছে ওই ব্যবসায়ী তার নিজের পোশাকে শোরুম খুলতে পারছেন না।

জুন ১৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal