• ৪ আষাঢ় ১৪৩২, শনিবার ২১ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Visit

কলকাতা

Mukul Roy: পার্থর বাড়িতে মুকুল-শুভ্রাংশু

দীর্ঘদিনের সহকর্মীর মাতৃবিয়োগ। মাঝে বহুদিন বিচ্ছিন্ন থাকার পরও এমন দুর্দিনে ফের বন্ধুর পাশে গিয়ে দাঁড়ালেন মুকুল রায় (Mukul Roy)। মঙ্গলবার দুপুরে তিনি পৌঁছে গেলেন নাকতলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) বাড়িতে। রবিবার দুপুরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মা শিবানীদেবী প্রয়াত হয়েছেন ৯১ বছর বয়সে। এত বড় একটা শোকের সময় বন্ধুকে সমবেদনা জানানোর জন্য এবার পৌঁছে গেলেন মুকুল রায়। সঙ্গে ছিলেন পুত্র শুভ্রাংশু রায়ও। বাড়িতে প্রবেশ করে যেখানে শিবানীদেবীর ছবি রাখা ছিল, সেখানে মাল্যদান করেন মুকুল। তারপর মন্ত্রীর নিজের ঘরে গিয়ে একান্তে দুজন কথাবার্তা বলেন বলে ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর।পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মায়ের মৃত্যু সংবাদ শুনে একে একে বহু রাজনৈতিক নেতাই তাঁর পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন। প্রথমদিন অভিষেক, ফিরহাদদের পাশাপাশি রাজ্যের মন্ত্রীর নাকতলার বাড়িতে ছুটে গিয়েছিলেন একদা সহকর্মী, বর্তমানে বিরোধী শিবিরের নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। নিতান্তই মানবিকতার খাতিরেই তাঁর এই ছুটে যাওয়া বলে দাবি ছিল রাজীবের ঘনিষ্ঠ মহলের। এরপর সোমবার সন্ধেবেলা সকলকে চমকে দিয়ে পার্থবাবুর বাড়িতে পৌঁছে যান শোভন চট্টোপাধ্যায়-বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। একদা অতি ঘনিষ্ঠ শোভন-পার্থর ফের সাক্ষাৎ হল এমন এক পরিস্থিতিতে।আর গত সপ্তাহে সাড়ে তিন বছর পর বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরে বঙ্গ রাজনীতির ইতিহাসে নতুন অধ্যায় সূচনা করার পর মঙ্গলবার দুপুরে পার্থবাবুর বাড়ি গেলেন মুকুল রায়। আসলে এই মুহূর্তে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে এত রাজনৈতিক নেতার সমাগম নিতান্তই সমবেদনার জন্য আপাতভাবে তা মনে হলেও এর একটা গভীর তাৎপর্য রয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ।

জুন ১৫, ২০২১
কলকাতা

Dhankhar: আচমকাই আজ দিল্লি যাচ্ছেন রাজ্যপাল

দলবদল নিয়ে সড়গরম রাজ্য-রাজনীতি। সোমবারই একাধিক ইস্যু নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেছে শুভেন্দু অধিকারী-সহ বেশ কয়েকজন বিজেপি বিধায়ক (BJP MP)। এই পরিস্থিতিতে আজ দিল্লি যাচ্ছেন জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। Honble Governor West Bengal. Shri Jagdeep Dhankhar will be visiting New Delhi.Governor Dhankhar will leave for Delhi on the late evening of June 15, 2021 and return to Kolkata on June 18, 2021 in the late afternoon. Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) June 15, 2021মঙ্গলবার সকালে একটি টুইট করেছেন রাজ্যপাল। সেখানেই দিল্লি সফরের কথা জানিয়েছেন তিনি। ১৮ তারিখ কলকাতায় ফিরবেন তিনি। ঠিক কী কারণে এই সফর তা নিয়ে টুইটে কোনও মন্তব্য করেননি ধনকড়। ফলে ঠিক কী কারণে তিনি হঠাৎ দিল্লি যাচ্ছেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এই সফর নিয়ে ইতিমধ্যেই কানাঘুষো শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে রাজ্য়পালের দিল্লিযাত্রা যে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, তা বলাই বাহুল্য। হঠাৎই রাজ্যপালের দিল্লি সফরের এই সূচি সামনে এসেছে। এর আগেও একাধিকবার দিল্লি গিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এবং প্রত্যেকবারই বাংলা নিয়ে একাধিক অভিযোগ তিনি সেখানে জানিয়ে এসেছেন। বেশির ভাগ সাক্ষাৎই তিনি করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও দেখা করেছেন। গত কয়েকদিন ধরেই বিজেপির সমস্বরেই রাজ্যপালকে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব হতে দেখা গিয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ও রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকে দোষী ঠাওরেছেন ধনখড়।উল্লেখ্য, রাজ্য-রাজ্যপালের সম্পর্ক কোনওদিনই সুমধুর নয়। একাধিকবার প্রকাশ্যে রাজ্যের নীতির বিরোধিতায় সুর চড়িয়েছেন ধনখড়। তাঁর বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগও তুলেছে তৃণমূল। সোমবার শুভেন্দু অধিকারীর পাশে বসে সাংবাদিক বৈঠক করেন ধনখড়। সেখানে রাজ্যকে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, ভোট পরবর্তী রাজ্যে একাধিক জায়গায় অশান্তি হয়েছে। সেই জায়গাগুলিতে কেন মুখ্যমন্ত্রী গেলেন না? ভোট পরবর্তী অশান্তি, দুর্নীতির অভিযোগ তুলে রাজ্যপালের খোঁচা, বাংলায় গণতন্ত্র শ্বাস নিতে পারছে না। ওইদিন ফের রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধেও আঙুল তুলেছেন জগদীপ ধনখড়।

জুন ১৫, ২০২১
কলকাতা

Firhad Hakim: শালিমার শিপ বিল্ডার্সের হাল ফেরাতে পরিদর্শন ফিরহাদের

হাওড়ার শালিমার শিপবিল্ডার্স অনেক দিন ধরেই লোকসানে চলছে। রাজ্য সরকারের অধীনস্থ ধুঁকতে থাকা এই সংস্থাকে কিভাবে চাঙ্গা করা যায় তা ক্ষতিয়ে দেখতে সোমবার সকালে সংস্থাটি পরিদর্শনে আসেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সংস্থাটির হাল ফেরাতে উন্নত পরিকাঠামো গড়ে তোলার ভাবনাচিন্তা শুরু করা হয়েছে। চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে একজন কর্মরত আইএএস অফিসারকে। শালিমার লাভের মুখ দেখলে লাভ সরকারের। তাই শালিমার শিপবিল্ডারকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে রাজ্য সরকার। সেই কারণেই পরিবহন মন্ত্রীর এই সংস্থা পরিদর্শন বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। এদিন শালিমার শিপবিল্ডার্স পরিদর্শন করে সেই সংস্থার পরিকাঠামো সম্পূর্ণ নতুন করে তৈরির কথা জানান। তিনি বলেন, প্রথম কাজ সংস্থার অর্থনৈতিক পুনর্গঠন করা। এর পাশাপাশি সংস্থার যে জায়গাগুলো পড়ে আছে সেই জায়গাগুলোকে ব্যবহার করা। শুধু তাই নয় সরকারের যেসব প্রকল্পের কাজ বাইরে করা হয় সেগুলি এখানে নিয়ে আসা হবে। তিনি জানিয়েছেন, গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্স বাইরে থেকে কাজ করিয়ে থাকে। সেখান থেকে তাদের লাভজনক কাজগুলি এখানে টেনে নিয়ে আসা হবে। এছাড়াও সরকার প্রাইভেট সংস্থাকে দিয়ে যে যে কাজগুলি করিয়ে থাকে সেগুলি শালিমার করবে। পাশাপাশি, রিভার ট্রাফিক সার্ভিসের কাজে প্রাইভেট সংস্থাকে না দিয়ে শালিমার কে দিয়ে করানো হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন। এদিন তিনি জানান, বড় নৌকাগুলি অত্যাধুনিকভাবে সাজিয়ে কলকাতার দর্শনীয় স্থানগুলি দর্শন করানো এবং গঙ্গা ভ্রমণের কাজে ব্যবহার করা হবে। এছাড়াও শালিমারে একটা ছোট ড্রাই ডক তৈরি করা হবে। তাঁর দাবি, এখানে যদি ভালো পরিকাঠামো গড়ে তোলা যায় তাহলে আগামী দিনে শালিমার লাভের মুখ দেখবে। এতে সরকারি লাভবান হবে। এই কারণে শালিমার কে নিয়ে গুরুত্ব দিয়ে ভাবা হচ্ছে। এদিন তিনি আরও বলেন, প্রায় ৪০ বছরের পুরোনো শালিমার শিপবিল্ডার্স সম্পর্কে অনেক কথা শুনেছি। এসে দেখি এটার বিশাল পরিকাঠামো। রাজ্য সরকারের পরিকাঠামোও বড়। কিন্তু কোন কারণে কোম্পানিটা ধুঁকছে। তিনি সেক্রেটারি সঙ্গে কথা বলে এক আইএএস অফিসার কে এই কোম্পানির দায়িত্ব দেওয়া হলো বলে জানান। আগে যারা দায়িত্বে ছিলেন তারা এতটা দক্ষ ছিলেন না। তিনি আরও জানিয়েছেন, শালিমার শিপবিল্ডার্স এ কিছু সমস্যা আছে। এই শিপবিল্ডার্সের অর্থনৈতিক পুনর্গঠনে করা হবে। যেমন জাহাজ সারানো, নতুন জাহাজ আনার মতো রাজ্য সরকারের কাজ শালিমারে করা হবে। এতদিন এই সমস্ত কাজ বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে করানো হতো। এই কাজ করানো হলে শালিমার শিপবিল্ডার্স চলবে। ২০০৪ সালে কিছু অর্ডার নিয়েছিল এই সংস্থা। সেটা দিতে পারছে না। ফলে প্রায় ১৫ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। এই লোকসান থেকে লাভের পথে নিয়ে আসার জন্য পরিকাঠামো নতুন করে ঢেলে সাজানো হবে। অনেক জাহাজ অর্ধেক হয়ে পড়ে আছে এগুলি সম্পন্ন করা হবে। তাঁর আশা সরকার এই সংস্থাকে ভালোভাবে চালাতে পারবে। তিনি আশা করছেন, ভবিষ্যতে সংস্থাটি লাভবান হবে।

জুন ১৪, ২০২১
রাজনীতি

Abjishek Bannerjee: সুখেন্দুশেখরের বাড়িতে এবার 'গুরুপ্রণাম' অভিষেকের

নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন সপ্তাহখানেক হল। তবে গুরুপ্রণাম এখনও শেষ হয়নি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee)। রবিবার তিনি গেলেন রাজনৈতিক জীবনের আরেক গুরু, দলের বর্ষীয়ান নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের (Sukhendu Sekhar Roy)বাড়ি। সন্ধেবেলা সাংসদের যোধপুর পার্কের বাড়িতে যান দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের সদ্য দায়িত্ব পাওয়া অভিষেক। তাঁকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান সুখেন্দুশেখর। বাড়ির ভিতরে ডেকে নেন। প্রণাম-আশীর্বাদের পর্ব মিটিয়ে উভয়ের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তা হয় বলে ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর। নতুন দায়িত্ব সামলানোর জন্য অভিজ্ঞ এই রাজনৈতিক নেতার কাছ থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ চেয়েছেন যুব নেতা।দলের নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই অভিষেক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, রাজনীতির আঙিনায় গুরুজনদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রণাম করে আশীর্বাদ নেবেন। সেইমতো গত রবিবার থেকেই তিনি এই কাজ শুরু করেছিলেন। প্রথম দিন গিয়েছিলেন তৃণমূল (TMC) রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি এবং পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে। নতুন দায়িত্ব এখন তাঁর কাঁধে, এই নয়া অভিষেককে দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন বক্সিদা। তাঁকে জড়িয়ে ধরে বলেছিলেন, তোকে সব উজাড় করে দেব। মমতার আশীর্বাদ তোর সঙ্গে আছে। ও কত কষ্ট করেছে, কত সংগ্রাম করেছে। যুব নেতাকে দেখে তাঁর মনে পড়ে যাচ্ছিল তৎকালীন যুব নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা (Mamata Banerjee)। তাই চোখের জলে ভেসে গিয়েছিলেন তিনি। অভিষেকই তাঁকে জড়িয়ে ধরে শান্ত করেন।এরপর অভিষেক একে একে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সৌগত রায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি গিয়ে গুরুপ্রণাম সেরেছেন। সকলেই অভিষেককে নতুন ভূমিকায় দেখতে উদগ্রীব। তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ারে এমন এক সাফল্যের জন্য আশীর্বাদ করেছেন প্রাণভরে। কথা দিয়েছেন, নিজেদের অভিজ্ঞতা, সুপরামর্শ দিয়ে দায়িত্ব পালনে সাহায্য করবেন। সুখেন্দুশেখরও ব্যতিক্রম নন। তিনিও প্রাণভরে আশীর্বাদ করলেন দলের যুব নেতাকে।

জুন ১৩, ২০২১
কলকাতা

Rajiv Bannerjee: কুণাল ঘোষের বাড়িতে দেড় ঘণ্টার 'সৌজন্য' সাক্ষাৎ

মুকুল রায়, শুভ্রাংশু রায়ের পর একে একে ঘরের পথে পা বাড়াচ্ছেন আরও অনেকেই। এবার তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) বাড়িতে গেলেন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee)। সূত্রের খবর, বিকেলে কুণাল ঘোষের বাডিতে হাজির হন রাজীব। উভয়ের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তা চলে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, তৃণমূলে ফিরতে চেয়েই কুণাল ঘোষের সঙ্গে প্রাথমিকভাবে সখ্য বাড়াতে চাইছেন রাজীব। তবে এবার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে ফেরার পালা? কুণালের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের খবরে এই জল্পনা উসকেছে অনেকটাই।সন্ধেবেলা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অবশ্য কুণাল ঘোষ নিজে এই সাক্ষাৎপর্বকে সৌজন্য বলেই জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, রাজীবের এক আত্মীয় অসুস্থ। তিনি তাঁকে দেখতে এসেছিলেন। আমাকে ফোন করে জানতে চাইলেন, আমি বাড়ি আছি কিনা। আমি বাড়ি ছিলাম, তাই তিনি এসেছেন। রাজনীতির কোনও আলোচনা হয়নি। রাজীবেরও প্রায় একই বক্তব্য। বললেন, কুণালদার সঙ্গে অনেকদিনের বন্ধুত্বের সম্পর্ক। আমি এখানে এসেছিলাম, তাই দেখা করেছি। এর মধ্যে অন্য কোনও প্রশ্ন ওঠার অবকাশ নেই।বিধানসভা ভোটের আগে নিজের একাধিক ক্ষোভ নিয়ে কয়েক দফায় তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের আলাপ-আলোচনার দলে থাকতে রাজি হননি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির পথে পা বাড়িয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বিধানসভা থেকে বেরনোর সময় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশাল ছবি সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, নেত্রী সবসময় শ্রদ্ধার। তাঁর আশীর্বাদ সঙ্গে রাখলাম। এরপর চার্টার্ড ফ্লাইটে দিল্লি উড়ে গিয়ে অমিত শাহর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন রাজ্যের প্রাক্তন বনমন্ত্রী। নিজের এলাকা ডোমজুড় থেকে বিজেপির প্রার্থীও হন। কিন্তু ভোটযুদ্ধে সফল হতে পারেননি। হেরে গিয়েছেন নিজের এলাকায়। তারও আগে অবশ্য রাজীবের এই দলবদলের সিদ্ধান্ত মানতে না পেরে এলাকাবাসীই তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। ডোমজুড়- সহ একাধিক এলাকায় তাঁর বিরুদ্ধে পোস্টার দেখা গিয়েছিল। তারপর ভোটে হারের পর থেকেই তৃণমূলে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ার নানা পোস্টে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে এবার কী তাহলে রাজীবের ঘরে ফেরার পালা?

জুন ১২, ২০২১
রাজ্য

যশ-বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে কেন্দ্রীয় দল

বাংলা ও ওডিশায় অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় যশ বিধ্বস্ত এলাকা আকাশপথে পরিদর্শন করে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নিজে। এরপর ক্ষয়ক্ষতি রাজ্যে পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় দল। রবিবারই তাঁরা এ রাজ্যে এসে পৌঁছেছেন। যশ-এ সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। নবান্ন সূত্রে খবর, মঙ্গলবারও তাঁরা এই দুই জেলার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন। এরপর বুধবার নবান্নে সাত সদস্যের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রাজ্যের উচ্চপদস্থ কর্তাদের বৈঠক হওয়ার কথা। সূত্রের খবর, যশ-এ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখে এই প্রতিনিধি দলটি রাজ্য প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এরপর দিল্লি গিয়ে রিপোর্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে রিপোর্ট দেবে এই কেন্দ্রীয় দল। রাজ্যে কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং সেই বাবদ কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে কত টাকা সাহায্য করবে, তার অনেকটাই এই রিপোর্টের উপর নির্ভরশীল বলে মনে করছে প্রশাসনিক মহল।যশ-এ সর্বহারা পরিবারগুলিকে সাহায্য করতে রাজ্য সরকারের প্রকল্প দুয়ারে ত্রাণ শুরু হয়েছে। এই কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আবেদনপত্র নেওয়ার কাজও শুরু হয়েছে। সেই কাজ কীভাবে, কতটা ভাল কাজ করছে, তা বুঝতে আজ নবান্নে প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের নিয়ে বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন সূত্রে খবর, বৈঠকে ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সময়ে জেলাগুলির পরিস্থিতিও পর্যালোচনা করা হবে।রবিবার সন্ধেবেলা রাজ্যে এসে পৌঁছেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব এস কে সাহির নেতৃত্ব প্রতিনিধি দলটি। এই দলে রয়েছেন কেন্দ্রের কৃষি ও কৃষক উন্নয়নের ডিরেক্টর, রোডস অ্যান্ড হাইওয়ে মন্ত্রকের অ্যাসিস্ট্যান্ট এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার, গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক, বিদ্যুৎ মন্ত্রক, মৎস্য মন্ত্রকের কর্তারা। দুটি দলে ভাগ হয়ে তাঁরা যাবেন ঘূর্ণিঝড়ে বিপর্যস্ত এলাকায়। জানা গিয়েছে, সোমবার একটি দল পাথরপ্রতিমা ও গোসাবা এলাকা ঘুরে দেখবেন। দ্বিতীয় দলের সদস্যরা যাবেন পূর্ব মেদিনীপুরে। সেখানে দিঘা ও মন্দারমণির পরিস্থিতি কতটা সঙ্গীন, তা বুঝে নেবেন। মঙ্গলবার দিঘার বিভিন্ন সাইক্লোন বিধ্বস্ত এলাকায় যাবেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। অন্য দলটি যাবে গদখালি এবং গোসাবায় ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত এলাকায়। বুধবার দিল্লি ফিরে যাওয়ার আগে নবান্নে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হবে। রাজ্যের তরফে বৈঠকে থাকবেন বিপর্যয় মোকাবিলা, সিভিল ডিফেন্স এবং অর্থ দপ্তরের কর্তারা।

জুন ০৭, ২০২১
কলকাতা

মুকুলের স্ত্রী-কে দেখতে এবার হাসপাতালে লকেট

মুকুল রায়ের অসুস্থ স্ত্রী-কে দেখতে শুক্রবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে যান বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, দিলীপ ঘোষ, নরেন্দ্র মোদির পর লকেট।বস্তুত, হাসপাতাল-সফর নিয়ে দিলীপ-মুকুল বাকযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়কের ক্ষোভ নিরসনেই বিজেপি লকেটকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও আলোচনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলের। তবে লকেট জানিয়েছেন, দলের নির্দেশে নয়, তিনি ব্যক্তিগতভাবেই হাসপাতালে গিয়ে মুকুলের স্ত্রী-র খোঁজ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।মুকুলের স্ত্রী কৃষ্ণা অসুস্থ বেশ কিছুদিন ধরেই। করোনা নিয়ে তিনি ওই হাসপাতালে ভর্তি হন গত ১৪ই মে। করোনাকে জয় করলেও পরে অন্যান্য সমস্যায় কৃষ্ণার শারীরিক অবস্থা গুরুতর হয়ে ওঠে। মুকুলও করোনা আক্রান্ত হন। তবে তিনি বাড়িতেই নিভৃতবাসে ছিলেন। এই পর্বে রাজ্য বিজেপি-র পক্ষ থেকে নাকি তেমন কোনও খোঁজ নেওয়া হয়নি। অন্তত প্রকাশ্যে তো নয়ই। কিন্তু পারিবারিক সম্পর্কের টান দেখিয়ে আচমকা হাসপাতালে চলে যান তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর থেকেই রাজনৈতিক চেহারা পেয়ে যায় কৃষ্ণার অসুস্থতাকে কেন্দ্র করে বিজেপি নেতাদের হাসপাতাল-সফর। অভিষেকের যাওয়ার খবর জানাজানি হওয়ার পরে পরেই বুধবার হাসপাতালে পৌঁছে যান দিলীপ। বৃহস্পতিবার সকালে মুকুলকে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।এর পরে মুকুলের মন্তব্য এবং তাতে দিলীপের পাল্টা কটাক্ষে তৈরি হয় বিতর্কের নতুন আবহ। দিলীপের হাসপাতাল যাওয়া প্রসঙ্গে মুকুল বলেন, উনি আমাকে বা অন্য কাউকে বলে তো হাসপাতালে যাননি। কাকে দেখতে গিয়েছিলেন, তা-ও জানি না! তার জবাব দিতে গিয়েই শুক্রবার দিলীপ বলেন, অসুস্থকে দেখতে হাসপাতালে যাওয়ার আগে কাউকে জানিয়ে যেতে হয় নাকি! আর আমি ওখানে অনেককে চিনি। গিয়েছি। দেখা করেছি। চলে এসেছি।সর্বভারতীয় সহ সভাপতি আর রাজ্য সভাপতির মন্তব্য-পাল্টা মন্তব্যে সামনে এসে পড়ে বিজেপি-র অন্দরের লড়াই। নতুন করে প্রকাশ্যে আসে মুকুল- দিলীপের দ্বন্দ্ব। এর পরেই লকেটের যাওয়া।

জুন ০৪, ২০২১
কলকাতা

ঘূর্ণিঝড় নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল গেলেন সচিবালয়ে

ঘূর্ণিঝড় যশ মোকাবেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর এবং রাজ্যের সচিবালয় নবান্নের কন্ট্রোল রুম পরিদর্শন করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। একইসঙ্গে রাজ্যের ইতিহাসে নতুন নজির তৈরি করলেন তিনি। এর আগে কোনও রাজ্যপাল রাজ্যের সচিবালয়ে পা রাখেননি। তবে রাজ্য এবং রাজ্যপালের নিরন্তর সংঘাতের প্রেক্ষিতে এদিন দুপক্ষই যথাযথ সৌজন্যে বজায় রেখেছেন।আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর পরিদর্শনের পর রাজ্যপাল বলেন, রাজ্য এক ঘোরতর সংকটের মুখোমুখি।তবে বিপর্যয় মোকাবিলায় সেনাবাহিনী,নৌবাহিনী ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী খুব ভালো কাজ করছে। ঘূর্ণিঝড়ের গতিবিধির খবর নিতে তিনি আজ আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরে গিয়ে সেখানকার ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় সঙ্গে কথা বলেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন আমি ঝড়ের বিষয়টির ওপর নজর রাখছি। বিপর্যয় মোকাবিলায় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার যেন এক সঙ্গে কাজ করতে পারে তার উপরেও তিনি নজর রেখেছেন বলে জানিয়েছেন। রাজ্য সরকারও এই ক্ষেত্রে খুব ভালো কাজ করছে বলে রাজ্যপাল জানান। তবে আজও তিনি রাজ্যে নির্বাচন পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব হয়েছেন। আলিপুর থেকে সন্ধে ৬টা নাগাদ নবান্নে পৌঁছন তিনি। তাঁকে স্বাগত জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পর নবান্নের কন্ট্রোলরুমে রাজ্যপালকে নিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে দুজন পাশাপাশি বসে আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এদিন নবান্নে যাওয়ার আগে টুইটারে রাজ্যপাল লেখেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলার প্রস্তুতি দেখতে নবান্নে যাচ্ছি। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। এর পর নবান্নে পৌঁছন তিনি। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় নবান্নে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখেন।

মে ২৫, ২০২১
রাজনীতি

এবার ভোট পরবর্তী হিংসা খতিয়ে দেখতে নন্দীগ্রাম যাচ্ছেন রাজ্যপাল

শাসকদলের সমালোচনায় দমছেন না রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। কোচবিহারের পর ভোটপরবর্তী হিংসার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে তিনি যাচ্ছেন রাজ্যের সবচেয়ে হেভিওয়েট কেন্দ্র নন্দীগ্রামে। এই কেন্দ্র থেকেই এবারের নির্বাচনে লড়াই করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর কাছে সামান্য ভোটের ব্যবধানে হারতে হয়েছে মমতাকে।রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসায় আক্রান্তদের পাশে দাঁড়াতে গতকাল থেকেই জেলা সফর শুরু করেছেন রাজ্যপাল। বৃহস্পতিবার দিনভর অশান্ত কোচবিহারের বিভিন্ন জায়গা ঘুরেছেন জগদীপ ধনখড় । তাঁর সাংবিধানিক অধিকারের কথা মনে করিয়ে রাজ্যবাসীর সুরক্ষা কতটা, তা সরেজমিনে দেখেছেন। আজ আবার তিনি গিয়েছিলেন অসমে। অসমের ধুবুড়ি জেলার আগমনিতে যান তিনি। রাঙ্গাপালি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শরণার্থী শিবিরে আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলেন ৷ অভিযোগ, এই রাঙ্গাপালি প্রাথমিক বিদ্যালয়েই আশ্রয় নিয়েছেন কোচবিহারের বক্সিরহাট, তুফানগঞ্জ, ঝাউকুঠি এলাকার আক্রান্ত বিজেপি কর্মীরা৷ ধনখড় তাঁদের দ্রুত ঘরে ফেরানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কোচবিহার, অসমের পর শনিবারই তিনি যাবেন নন্দীগ্রাম। সকালেই বিএসএফের কপ্টারে নন্দীগ্রামে যাচ্ছেন তিনি। নন্দীগ্রাম বাজারে, বঙ্কিম মোড়, কেন্দামারিতে যাবেন রাজ্যপাল। এলাকা পরিদর্শনের পর জানকীনাথ মন্দির যাবেন রাজ্যপাল। সেখানে পুজো দিয়ে শনিবারই কলকাতা ফিরবেন তিনি। তাৎপর্যপূর্ণভাবে রাজ্যপালের সফরের একদিন আগে নন্দীগ্রামের বিরুলিয়া বাজারে কর্মীকে খুনের অভিযোগে মৌন মিছিল করেছে বিজেপি।এদিকে, রাজ্যপালের জেলা সফরের মধ্যেই ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর দাবি, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা রাজ্যে বহু মহিলার শ্লীলতাহানি করেছে। আধার কার্ড, ভোটার কার্ড সব নিয়ে নেওয়া হয়েছে। তৃণমূল নেতারা বিজেপি কর্মীদের রেশন নিতে দিচ্ছে না। পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, দুই বর্ধমানের অবস্থা মারাত্মক। ওডিশা, অসমে বহু মানুষ চলে গিয়েছেন প্রাণ বাঁচাতে। দিল্লি থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দল এসেও আক্রান্ত হচ্ছে। তপসিলি কমিশন এসেও আক্রান্ত হচ্ছেন। দিলীপের দাবি, রাজ্যের গণতান্ত্রিক পরিবেশ মোটেই সুখকর নয়।

মে ১৪, ২০২১
রাজ্য

দেশের মানবাধিকার সংস্থাগুলো কি দেখতে পাচ্ছে না? কোচবিহারে তোপ রাজ্যপালের

ভোট চলাকালীন রক্তাক্ত হয়েছিল শীতলকুচি । সিআরপিএফের গুলিতে প্রাণ গিয়েছিল চারজনের। সেই ক্ষত এখনও টাটকা। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার শীতলকুচি যাওয়ার পথে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তাকে লক্ষ্য করে উঠল গো ব্যাক স্লোগান। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। কার্যত সঙ্গে সঙ্গেই পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে পুলিশ। পূর্বসূচি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকালে কোচবিহার যান রাজ্যপাল। কোচবিহার বিমানবন্দরে নেমে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে ফের উদ্বেগ প্রকাশ করেন। রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করার কথা বলেন। বলেন, রাজ্যের এই পরিস্থিতি দেখে আমি চুপচাপ রাজভবনে বসে থাকতে পারব না। আমি কোচবিহারের বিভিন্ন জায়গায় যাব। যাঁরা আতঙ্কে অসমে পালিয়ে গিয়েছেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনব। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হয়ে এই জায়গাকে কলঙ্কিত হতে দেখতে পারব না। এরপরই সড়কপথে মাথাভাঙা, শীতলকুচি, সিতাই ও দিনহাটার হিংসা কবলিত এলাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি। শীতলকুচি-সহ বিভিন্ন জায়গায় তাঁকে লক্ষ্য করে গো ব্যাক স্লোগান ওঠে। কিছুক্ষণের মধ্যে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। কোচবিহারের বিভিন্ন এলাকায় রাজনৈতিক সন্ত্রাসের শিকার পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল। তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। ধনকড়কে কাছে পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই কান্নায় ভেঙে পড়ে নির্যাতিত পরিবারগুলি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ধনখড় আরও বলেন, এখানে একটাই কথা শোনা যাচ্ছে, আমরা ঝান্ডা লাগিয়েছি তাও বাঁচতে পারছি না কেন? আমাদের খুব ভুল হয়ে গিয়েছে। আমরা গণতন্ত্রে শ্বাস নিতে চাই। ওরা বলছে, প্রশাসনের কেউ আসেনি। পুলিশে গেলে বরবাদ হয়ে যাব। আমার মনে হচ্ছে, এখানে পুলিশ ও প্রশাসনের হৃদয় নেই। আইনের শাসন নেই। ঘরে-বাইরে আতঙ্ক, সন্ত্রাসের বাতাবরণ। আমার নিজের লজ্জা হচ্ছে। দেশের মানবাধিকার সংস্থাগুলো কী করছে! ওরা কি দেখতে পায়না? উল্লেখ্য, এই জেলা সফর নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছেন রাজ্যপাল। ধনকড় প্রথা ভেঙে এই সফর করছেন, এমনটা দাবি করে বুধবার তাঁকে একটি চিঠি লিখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দাবি ছিল, প্রথা অনুযায়ী, রাজ্যপাল যদি রাজ্যের কোনও জেলায় যান, সেক্ষেত্রে তা সরকারকে জানাতে হয়। তিনি যেখানে যাচ্ছেন সেখানকার প্রশাসনকেও তা জানানো আবশ্যক। কিন্তু রাজ্যপাল তা করেননি। এদিন ওই চিঠির শুরু থেকেই রাজ্যপালের কোচবিহার সফর ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। বৃহস্পতিবার নিশীথ প্রামাণিককে সঙ্গে নিয়ে কোচবিহারের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। মাথাভাঙার বেশ কিছু জায়গা পরিদর্শন করেন রাজ্যপাল। উল্লেখ্য, যে রাস্তা দিয়ে রাজ্যপালের কনভয় যায়, তারই দুপাশে বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর, হামলার নিদর্শন স্পষ্ট ছিল। একটি এলাকায় পৌঁছতেই দেখা যায়, রীতিমতো রাজ্যপালের পায়ের কাছে পড়ে যান আক্রান্ত পরিবারের এক মহিলা। বিচার চেয়ে কাঁদতে থাকেন তিনি। আরও এক মহিলাকে রাজ্যপালের পায়ে পড়তে দেখা যায়। সেখানে উপস্থিত অন্যান্য মহিলা আধিকারিকরা দুজনকে সরিয়ে নেন। এলাকায় বিপর্যস্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল। তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। অন্যদিকে, শীতলকুচি যাওয়ার পথে বিক্ষোভের মুখে পড়েন রাজ্যপাল। দিনহাটা শহরে বিজেপি নেতার ভাঙা বাড়ি দেখে রাস্তায় ওঠার মুখেই কিছু যুবক রাজ্যপালকে কালো পতাকা দেখান। এরপর গাড়ি থেকে নেমে পড়েন রাজ্যপাল। পুলিশকে ডেকে জানতে চান, এসব কী হচ্ছে। দিনহাটার এসডিপিওকে ধমক দেন। রাজ্যপালের রোষের মুখে পরে দিনহাটা থানার আইসি স্বয়ং। তাঁকেও ডেকেও রাজ্যপাল জানতে চান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এমন কেন দিনহাটা জুড়ে? এরপরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর জেলা সফরে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তোলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তাঁর কথায়, অপমানিত, আহত বোধ করছেন তিনি। কোনও চাপের কাছে মাথা নত নয় বলে সাংবাদিকদের সামনে স্পষ্ট করে রাজ্য সরকারকে বার্তা দেন রাজ্যপাল।

মে ১৩, ২০২১
রাজ্য

দেশের মানবাধিকার সংস্থাগুলো কি দেখতে পাচ্ছে না? কোচবিহারে তোপ রাজ্যপালের

ভোট চলাকালীন রক্তাক্ত হয়েছিল শীতলকুচি । সিআরপিএফের গুলিতে প্রাণ গিয়েছিল চারজনের। সেই ক্ষত এখনও টাটকা। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার শীতলকুচি যাওয়ার পথে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তাকে লক্ষ্য করে উঠল গো ব্যাক স্লোগান। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। কার্যত সঙ্গে সঙ্গেই পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে পুলিশ। পূর্বসূচি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকালে কোচবিহার যান রাজ্যপাল। কোচবিহার বিমানবন্দরে নেমে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে ফের উদ্বেগ প্রকাশ করেন। রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করার কথা বলেন। বলেন, রাজ্যের এই পরিস্থিতি দেখে আমি চুপচাপ রাজভবনে বসে থাকতে পারব না। আমি কোচবিহারের বিভিন্ন জায়গায় যাব। যাঁরা আতঙ্কে অসমে পালিয়ে গিয়েছেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনব। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হয়ে এই জায়গাকে কলঙ্কিত হতে দেখতে পারব না। এরপরই সড়কপথে মাথাভাঙা, শীতলকুচি, সিতাই ও দিনহাটার হিংসা কবলিত এলাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি। শীতলকুচি-সহ বিভিন্ন জায়গায় তাঁকে লক্ষ্য করে গো ব্যাক স্লোগান ওঠে। কিছুক্ষণের মধ্যে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। কোচবিহারের বিভিন্ন এলাকায় রাজনৈতিক সন্ত্রাসের শিকার পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল। তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। ধনকড়কে কাছে পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই কান্নায় ভেঙে পড়ে নির্যাতিত পরিবারগুলি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ধনখড় আরও বলেন, এখানে একটাই কথা শোনা যাচ্ছে, আমরা ঝান্ডা লাগিয়েছি তাও বাঁচতে পারছি না কেন? আমাদের খুব ভুল হয়ে গিয়েছে। আমরা গণতন্ত্রে শ্বাস নিতে চাই। ওরা বলছে, প্রশাসনের কেউ আসেনি। পুলিশে গেলে বরবাদ হয়ে যাব। আমার মনে হচ্ছে, এখানে পুলিশ ও প্রশাসনের হৃদয় নেই। আইনের শাসন নেই। ঘরে-বাইরে আতঙ্ক, সন্ত্রাসের বাতাবরণ। আমার নিজের লজ্জা হচ্ছে। দেশের মানবাধিকার সংস্থাগুলো কী করছে! ওরা কি দেখতে পায়না? উল্লেখ্য, এই জেলা সফর নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছেন রাজ্যপাল। ধনকড় প্রথা ভেঙে এই সফর করছেন, এমনটা দাবি করে বুধবার তাঁকে একটি চিঠি লিখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দাবি ছিল, প্রথা অনুযায়ী, রাজ্যপাল যদি রাজ্যের কোনও জেলায় যান, সেক্ষেত্রে তা সরকারকে জানাতে হয়। তিনি যেখানে যাচ্ছেন সেখানকার প্রশাসনকেও তা জানানো আবশ্যক। কিন্তু রাজ্যপাল তা করেননি। এদিন ওই চিঠির শুরু থেকেই রাজ্যপালের কোচবিহার সফর ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। বৃহস্পতিবার নিশীথ প্রামাণিককে সঙ্গে বিয়ে কোচবিহারের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। মাথাভাঙার বেশ কিছু জায়গা পরিদর্শন করেন রাজ্যপাল। উল্লেখ্য, যে রাস্তা দিয়ে রাজ্যপালের কনভয় যায়, তারই দুপাশে বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর, হামলার নিদর্শন স্পষ্ট ছিল। একটি এলাকায় পৌঁছতেই দেখা যায়, রীতিমতো রাজ্যপালের পায়ের কাছে পড়ে যান আক্রান্ত পরিবারের এক মহিলা। বিচার চেয়ে কাঁদতে থাকেন তিনি। আরও এক মহিলাকে রাজ্যপালের পায়ে পড়তে দেখা যায়। সেখানে উপস্থিত অন্যান্য মহিলা আধিকারিকরা দুজনকে সরিয়ে নেন। এলাকায় বিপর্যস্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল। তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। অন্যদিকে, শীতলকুচি যাওয়ার পথে বিক্ষোভের মুখে পড়েন রাজ্যপাল। দিনহাটা শহরে বিজেপি নেতার ভাঙা বাড়ি দেখে রাস্তায় ওঠার মুখেই কিছু যুবক রাজ্যপালকে কালো পতাকা দেখান। এরপর গাড়ি থেকে নেমে পড়েন রাজ্যপাল। পুলিশকে ডেকে জানতে চান, এসব কী হচ্ছে। দিনহাটার এসডিপিওকে ধমক দেন। রাজ্যপালের রোষের মুখে পরে দিনহাটা থানার আইসি স্বয়ং। তাঁকেও ডেকেও রাজ্যপাল জানতে চান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এমন কেন দিনহাটা জুড়ে? এরপরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর জেলা সফরে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তোলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তাঁর কথায়, অপমানিত, আহত বোধ করছেন তিনি। কোনও চাপের কাছে মাথা নত নয় বলে সাংবাদিকদের সামনে স্পষ্ট করে রাজ্য সরকারকে বার্তা দেন রাজ্যপাল।

মে ১৩, ২০২১
কলকাতা

রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের

রাজ্যে ভোট-পরবর্তী হিংসার ছবি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে এলাকা পরিদর্শন করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিনিধি দল। শুক্রবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক এলাকায় যান প্রতিনিধি দলের সদস্যেরা। তার আগে শুক্রবার সকালে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে তারা বৈঠক করেন। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে রাজ্যপালের কাছে হিংসার তথ্য চেয়েছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল।রাজ্যে ভোট-পরবর্তী হিংসার তদন্ত করতে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মন্ত্রক থেকে চার সদস্যের প্রতিনিধি দল আসে বাংলায়। ওই দিন তারা নবান্নে গিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছ থেকে হিংসার রিপোর্ট তলব করে। যা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দোষীদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি তিনি শান্তির বার্তাও দিয়েছেন। তবে রাজ্যপাল হিংসা প্রসঙ্গে প্রথম থেকেই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সরব হয়েছেন। অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন পুলিশের ভূমিকা নিয়েও। এই আবহে শুক্রবার হিংসার তথ্য পেতে রাজভবনে যান প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। সেখানে রাজ্যপালের সঙ্গে তাঁরা প্রায় ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট ধরে বৈঠক করেন। সূত্রের খবর, রাজ্যের কোথায় কোথায় হিংসার ঘটনা ঘটেছে তার তথ্য রাজ্যপালের কাছে চেয়েছেন তাঁরা।রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার পরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব গোবিন্দ মোহনের নেতৃত্বে চার সদস্যের দল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শনে যান। সেখানে তারা হিংসায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সঙ্গে দেখা করেন। ওই জেলার বাওয়ালি এলাকায় গত বুধবার কয়েকটি দোকান ও বাড়ি ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। শুক্রবার সেখানে গিয়ে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা ক্ষয়ক্ষতির হিসেব করেন। এবং এই হিংসার কাজে কারা যুক্ত সে খবরও নেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, শুক্রবার প্রতিনিধি দল ওই জেলার আরও বেশ কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করেন।বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্য বিজেপি-র নেতারা। প্রতিনিধি দলকে তাঁরা দলীয় কর্মীদের উপর হামলার ঘটনার রিপোর্ট দেন। একইসঙ্গে বিজেপি নেতারা ওই দলকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শনের জন্য আর্জি জানান। তারপরেই শুক্রবার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে যায় প্রতিনিধি দল।

মে ০৭, ২০২১
রাজ্য

দিনভর অশান্ত এলাকায় ঘুরল কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল

তৃতীয়বার বাংলার শাসনক্ষমতায় তৃণমূল আসার পরই নজিরবিহীন রাজনৈতিক হিংসার অভিযোগে বারবার সরব হয়েছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে এই মর্মে অভিযোগও জমা পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি এ সংক্রান্ত খবর নিতে রাজ্যপালকে ফোনও করেছিলেন। এসবের ভিত্তিতে রাজ্যের পরিস্থিতি দেখতে বৃহস্পতিবার ৪ সদস্যের এক প্রতিনিধিদলকে বাংলায় পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক । এ নিয়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মাঝেও কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলটি এদিন অশান্ত জায়গাগুলি পরিদর্শন করেছেন। তার আগে অবশ্য কয়েক দফা বৈঠক করেন নবান্নে। শুক্রবার সকালে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসতে চলেছেন অমিত শাহর মন্ত্রকের প্রতিনিধিরা। বুধবারই মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শপথ নিয়েই তিনি রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার বার্তা দিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিজে দেখভাল করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। তবে তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই রাজ্যের পরিস্থিতি দেখতে প্রতিনিধি দলকে পাঠাল কেন্দ্র। রয়েছেন সচিব পর্যায়ের অফিসাররা। তাঁরা এদিন রাজ্যে এসে নবান্নে মুখ্যসচিব, ডিজির সঙ্গে বৈঠক করেন। অশান্ত এলাকাগুলি নিয়ে খোঁজখবর নেন। দুই ২৪ পরগনা, বর্ধমান, কোচবিহার থেকে কলকাতার কাঁকুড়গাছিতে রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটেছে ভোটের ফলপ্রকাশের পর। তৃণমূল, বিজেপি কর্মীদের মৃত্যু হয়েছে তাতে। তবে বিজেপির দাবি, নিহতদের বেশিরভাগই তাঁদের সমর্থক। এই পরিপ্রেক্ষিতেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় দলকে পাঠানো হয়েছে। যদিও কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে এ নিয়ে বেশ উষ্মা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, বিজেপি হার মেনে নিতে না পেরে এ ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে।এদিন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল নবান্নে বৈঠক সেরে চলে যান দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে। সেখানে নিহত বিজেপি কর্মী হারান অধিকারীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন, কথা বলেন, ঘুরে দেখেন আশেপাশের পরিস্থিতি। এরপর সন্ধেবেলা তাঁরা যান উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ায়। সেখানেও সকলের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করেন। জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল ১০টায় এই প্রতিনিধি দলটি রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে বৈঠকে বসে যাবতীয় রিপোর্ট নেবেন। যদিও এদিন দুপুরেই রাজ্যের অশান্ত পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যপালের কাছে রিপোর্ট তলব করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে নতুন সরকার গঠনের ২৪ ঘণ্টা না কাটতেই এভাবে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের রাজ্যে আসা মোটেই ভালভাবে নিচ্ছে না শাসকদল।

মে ০৬, ২০২১
রাজ্য

দিনভর অশান্ত এলাকায় ঘুরল কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল

তৃতীয়বার বাংলার শাসনক্ষমতায় তৃণমূল আসার পরই নজিরবিহীন রাজনৈতিক হিংসার অভিযোগে বারবার সরব হয়েছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে এই মর্মে অভিযোগও জমা পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি এ সংক্রান্ত খবর নিতে রাজ্যপালকে ফোনও করেছিলেন। এসবের ভিত্তিতে রাজ্যের পরিস্থিতি দেখতে বৃহস্পতিবার ৪ সদস্যের এক প্রতিনিধিদলকে বাংলায় পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক । এ নিয়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মাঝেও কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলটি এদিন অশান্ত জায়গাগুলি পরিদর্শন করেছেন। তার আগে অবশ্য কয়েক দফা বৈঠক করেন নবান্নে। শুক্রবার সকালে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসতে চলেছেন অমিত শাহর মন্ত্রকের প্রতিনিধিরা। বুধবারই মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শপথ নিয়েই তিনি রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার বার্তা দিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিজে দেখভাল করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। তবে তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই রাজ্যের পরিস্থিতি দেখতে প্রতিনিধি দলকে পাঠাল কেন্দ্র। রয়েছেন সচিব পর্যায়ের অফিসাররা। তাঁরা এদিন রাজ্যে এসে নবান্নে মুখ্যসচিব, ডিজির সঙ্গে বৈঠক করেন। অশান্ত এলাকাগুলি নিয়ে খোঁজখবর নেন। দুই ২৪ পরগনা, বর্ধমান, কোচবিহার থেকে কলকাতার কাঁকুড়গাছিতে রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটেছে ভোটের ফলপ্রকাশের পর। তৃণমূল, বিজেপি কর্মীদের মৃত্যু হয়েছে তাতে। তবে বিজেপির দাবি, নিহতদের বেশিরভাগই তাঁদের সমর্থক। এই পরিপ্রেক্ষিতেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় দলকে পাঠানো হয়েছে। যদিও কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে এ নিয়ে বেশ উষ্মা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, বিজেপি হার মেনে নিতে না পেরে এ ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে।এদিন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল নবান্নে বৈঠক সেরে চলে যান দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে। সেখানে নিহত বিজেপি কর্মী হারান অধিকারীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন, কথা বলেন, ঘুরে দেখেন আশেপাশের পরিস্থিতি। এরপর সন্ধেবেলা তাঁরা যান উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ায়। সেখানেও সকলের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করেন। জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল ১০টায় এই প্রতিনিধি দলটি রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে বৈঠকে বসে যাবতীয় রিপোর্ট নেবেন। যদিও এদিন দুপুরেই রাজ্যের অশান্ত পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যপালের কাছে রিপোর্ট তলব করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে নতুন সরকার গঠনের ২৪ ঘণ্টা না কাটতেই এভাবে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের রাজ্যে আসা মোটেই ভালভাবে নিচ্ছে না শাসকদল।

মে ০৬, ২০২১
রাজ্য

২দিনের সফরে রাজ্যে নাড্ডা, ৫ মে দেশজুড়ে ধরনার ডাক বিজেপির

বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসার জের। ৫ মে দেশজুড়ে ধরনার ডাক দিল বিজেপি। বাংলার পরিস্থিতি বিবেচনা করে আজ দুদিনের জন্য রাজ্য সফরে আসছেন জেপি নাড্ডা। ভোটের ফল প্রকাশের পর রাজ্যজুড়ে শাসকদল সন্ত্রাস চলছে বলে রবিবার সন্ধে থেকেই অভিযোগ করছে বিজেপি। সোমবার দলের রাজ্য দপ্তরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, রাজ্যজুড়ে অশান্তি ও হিংসার জেরে প্রাণ গিয়েছে ৬ জনের। রাজ্যে অবিলম্বে শান্তি ফেরানোর আরজি জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, নির্বাচন কমিশন ও রাজ্যপালকে চিঠি দিচ্ছি। মুখ্যসচিবকেও চিঠি দেওয়া হচ্ছে। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, দ্রুত না শান্তি ফেরানোর ব্যবস্থা হলে রাস্তায় নেমে আন্দোলনে নামবে বিজেপি। এদিকে রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় টুইটে অভিযোগ করেন, ভোটে জেতার পর তৃণমূল উৎসব করছে। এবং তারা বিজেপি কর্মীদের ঘর ভাঙছে। এখনও পর্যন্ত ৯ জনের বেশি বিজেপি কার্যকর্তা খুন হয়েছে। এদিন রাজ্যপালকে অভিযোগ জানানোর পর রাজভবনের বাইরে বেরিয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে দিলীপ ঘোষ বলেন, ভয়ংকর খুন, সন্ত্রাস হচ্ছে। লাঠি নিয়ে পাড়ায় পাড়ায় ঢুকে বাড়ি ভাঙছে, আমাদের কর্মীদের মারধর করছে। সব ভিডিও আসছে। এসব বন্ধের আবেদন নিয়েই রাজ্যপালের কাছে এসেছিলাম। তিনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে কথা বলে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।এই পরিস্থিতিতে কর্মীদের উপর লাগাতার হামলার প্রতিবাদেই বুধবার দেশজুড়ে ধরনার ডাক দিয়েছে বিজেপি। আজ রাজ্যে এসে আক্রান্তদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন ডেপি নাড্ডা। কর্মীদের মনোবল চাঙা করতে বৈঠক করতে দলের নেতাদের সঙ্গেও।

মে ০৪, ২০২১
কলকাতা

গণনার আগের দিন রাজভবনে মিঠুন

রাত পোহালেই বাংলার ভোটগণনা। বঙ্গের মাটিতে পরিবর্তন নাকি প্রত্যাবর্তন, জানতে মুখিয়া গোটা দেশ। ঠিক তার আগের দিন অর্থাৎ শনিবার রাজভবনে এলেন মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ সারলেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই এই সাক্ষাৎ ঘিরে জল্পনা দানা বেঁধেছে। যদিও সূত্রের খবর, রাজ্যপালের সঙ্গে মহাগুরুর সাক্ষাৎ নেহাতই সৌজন্যমূলক। রাজভবনের তরফে এ প্রসঙ্গে এখনও কিছু জানানো হয়নি। আলোচনা শেষে মিঠুন জানান, রাজনীতি নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ ছিল।বাংলার বিধানসভা ভোটের আগেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন রূপালি পর্দার তারকা মিঠুন চক্রবর্তী। তার পর থেকেই বিভিন্ন এলাকায় ভোট প্রচারে তাঁকে ব্যবহার করেছে গেরুয়া শিবির। পাহাড় থেকে সমতল, জঙ্গলমহল থেকে সমুদ্রতট, সর্বত্রই প্রচার সেরেছেন তিনি। কেউ কেউ বলেছেন, মহাগুরু বিজেপির তুরুপের তাস। এমন পরিস্থিতিতে ভোটগণনার আগের দিন রাজভবনে তাঁর আগমন নিসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের। যদিও সূত্রের খবর, রাজ্যপালের আমন্ত্রণের রাজভবনে এসেছেন মহাগুরু।

মে ০১, ২০২১
বিদেশ

মোদির বাংলাদেশ সফরে দৃঢ় হল মৈত্রীর বন্ধন

বাংলাদেশের সঙ্গে মৈত্রীর বন্ধন আরও মজবুত করতে দুদিন ঢাকায় কাটিয়ে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশে ফিরে আসার আগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে একাধিক মউ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। একই সঙ্গে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পেরও ঘোষণা হয়। পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে মিতালী এক্সপ্রেসের সূচনা করা হবেও বলে জানা গিয়েছে।শনিবার দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তিগুলির মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে বলে আশা করছেন কূটনীতিকরা। একই সঙ্গে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে ঢাকা পর্যন্ত মিতালী এক্সপ্রেসেরও সূচনা হবে বলে জানানো হয়। এই ট্রেনের জন্য বিশেষভাবে তিনটি সীমান্তবর্তী হল্ট স্টেশনেরও নির্মাণ হবে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর এবং দেশে ফিরে আসার আগে একটি টুইট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তিনি লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফসপ্রসূ বৈঠক হয়েছে। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের সমগ্র পরিসর নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। পরবর্তী সময়ে দুই দেশের অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক যোগাযোগ আরও গভীর করা নিয়েও আলোচনা করেছি। এ দিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর হাতে উপহার স্বরূপ ১০৯ টি অ্যাম্বুল্যান্স ও ১২ লক্ষ করোনা ভ্যাকসিনের ডোজ তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। অন্যদিকে, বাংলাদেশের ৫০ তম স্বাধীনতা দিবস এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশতবর্ষের এই বিশেষ অনুষ্ঠান উপলক্ষে নির্মিত সোনা এবং রুপোর মুদ্রাও মোদির হাতে তুলে দেন হাসিনা।

মার্চ ২৮, ২০২১
বিদেশ

বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য জেলে গিয়েছেন, মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণ মোদির

মুজিববর্ষ উদযাপনে আমন্ত্রিত হয়ে শুক্রবার সাড়ে দশটা নাগাদ দুদিনের সফরে ঢাকা পৌঁছন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ীই তিনি ঢাকা বিমানবন্দরে নামেন। শাহজালাল বিমানবন্দরে তাঁকে পুষ্পস্তবক দিয়ে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে তাঁকে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়। তারপর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী জানান, পরাধীন বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য তিনিও লড়াই করেছিলেন।ঢাকা-নয়াদিল্লির সম্পর্কে নতুন দিগন্তের সূচনা করে এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, পরাধীন বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য আমিও লড়াই করেছিলাম। মুক্তি যুদ্ধের জন্য সহযোগীদের সঙ্গে সত্যাগ্রহ করে জেলে গিয়েছিলাম আমরা। এই লড়াইয়ে কৃষক, জওয়ান, শিক্ষক ও চাকুরিজীবী সবাই একসঙ্গে এসে মুক্তিবাহিনী গঠন করে লড়াই করেছেন। এদিন রাজধানী ঢাকার সভামঞ্চে মুজিব চিরন্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মোদি বলেন, এই সংগ্রামে ভারতীয় জওয়ানদের অনেক রক্ত ঝরেছে। মুক্তিযুদ্ধে শহিদ ভারতীয় জওয়ানদের আমি শ্রদ্ধা জানাই। সেসময় পাকিস্তানের সেনারা অকথ্য অত্যাচার চলিয়েছিল। এহেন পরিস্থিতিতে লড়াই চলিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমান। আমাদের উন্নয়নের লক্ষ্যে একসঙ্গে অগ্রসর হতে হবে। এদিন পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, আমরা দুই দেশ গণতন্ত্রের শক্তিতে বলীয়ান। আমাদের সন্ত্রাসবাদীদের রুখে দিতে হবে। একসঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে উন্নয়নের পথে আমরা এগিয়ে যাব। আজকের দিন আমার কাছে স্মরণীয়। আমরা করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশকে সাহায্য করেছি। আমাদের ভ্যাকসিন বাংলাদেশের কাছে পৌঁছেছে, এতে আমি খুশি।শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।উল্লেখ্য, ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস। এ বছর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের শতবর্ষ। মুজিববর্ষ হিসেবে পালন করছেন বাংলাদেশবাসী। এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে মাস কয়েক আগেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। করোনা পরিস্থিতি দেখেশুনে পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থে আমন্ত্রণ গ্রহণ করে সফরসূচি নিশ্চিত করা হয়। সেইমতো শুক্রবার সকালেই ঢাকা পৌঁছে যান নরেন্দ্র মোদি। করোনা মহামারি শুরুর পর ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর এটাই হবে প্রথম বিদেশ সফর।

মার্চ ২৬, ২০২১
দেশ

আজ বাংলাদেশ সফরে হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ মোদির

বাংলাদেশ সফর নিয়ে উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী মোদি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে শুক্রবার বাংলাদেশ যাওয়ার আগে মোদি তাঁর বিবৃতিতে জানিয়েছেন, তিনি খুশি যে, করোনা অতিমারির পর তাঁর প্রথম বিদেশ সফরটিই হচ্ছে বন্ধু প্রতিবেশি দেশে। শুক্রবার বাংলাদেশের জাতীয় দিবস এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশতবর্ষিকী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন মোদি। তিনি শ্রদ্ধা জানাতে যাবেন টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতেও। ৫১ শক্তিপীঠের একটি যশোরেশ্বরী কালীমন্দিরেও পুজো দেবেন মোদি। তিনি যে ওরাকান্দির মতুয়াসমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন, বিবৃতিতে তা-ও জানিয়েছেন মোদি। যাঁদের সঙ্গে মতুয়াদের ঠাকুর হরিচাঁদের সম্পর্ক নিবিড়। বাংলায় ভোটের আগে বাংলাদেশ সফরে গিয়ে মতুয়ামন জয়ের এই চেষ্টাকেই মাস্ট্রারস্ট্রোক হিসেবে বর্ণনা করছে বাংলায় বিরোধী বিজেপি শিবিরের একাংশ। নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মতুয়াদের মধ্যে যে অনুযোগ ছিল, তা দূর করার চেষ্টা সর্বতো ভাবে করছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিজেও মতুয়াদের কর্মসূচিতে গিয়ে বক্তৃতা করেছেন। বলেছেন, মতুয়া এবং নমশূদ্রদের নাগরিকত্ব দেবে। কিন্তু স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী মোদির মতুয়ামন জয়ের চেষ্টা এই প্রথম। ঘটনাচক্রে, বাংলার ২৯৪টি আসনের মধ্যে ৩০টির মতো আসনে মতুয়াদের প্রভাব রয়েছে বলেই রাজনৈতিক দলগুলি মনে করে। ফলে মোদির বাংলাদেশের মতুয়াদের সঙ্গে বার্তালাপ রাজ্যের ভোটে তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারবে বলেই রাজ্যের বিজেপি নেতাদের একাংশ মনে করছে।

মার্চ ২৬, ২০২১
রাজ্য

বঙ্গ সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রীর আরোগ্য কামনা অমিত শাহর

মুখ্যমন্ত্রীর পায়ে চোট ঘিরে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। অথচ সৌজন্যের খাতিরে একবারও ফোন করে খবর নেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যা নিয়ে তীব্র বিতর্ক দানা বেঁধেছে। শেষপর্যন্ত রবিবার বঙ্গ সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরোগ্য কামনা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বললেন, দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন উনি।এদিন দুপুরে খড়গপুরের বিজেপির তারকা প্রার্থী হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থনে রোড শো করার কথা ছিল শাহের। কিন্তু অসম থেকে জনসভা সেরে বাংলায় আসতে বেশ কিছুটা দেরি করে ফেলেন তিনি। তবু জমায়েত করা বিজেপি নেতা-কর্মী-সমর্থকদের উৎসাহে ভাঁটা পড়েনি। শেষপর্যন্ত এদিন সন্ধেবেলা খড়গপুরে রোড শো করলেন শাহ। মাত্র ৯০০ মিটার পথ পেরতে তিন ঘণ্টার বেশি সময় লেগে যায় তাঁর। কারণ, রাস্তায় ভিড় জমিয়েছিলেন বহু মানুষ। এদিন শাহের সঙ্গে ছিলেন খড়গপুরের বিজেপি প্রার্থী অভিনেতা হিরণ, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ।এদিন রোড শো চলাকালীন বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, আজকের এই ব়্যালি দেখে বোঝাই যাচ্ছে বাংলার মানুষ পরিবর্তন চাইছে। দুশোর বেশি আসন নিয়ে বাংলায় ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। এবার আসল পরিবর্তন হবে। তবে নন্দীগ্রামে গিয়ে তৃণমূল নেত্রীর চোটের বিষয় মুখ খুলতে চাননি শাহ। তাঁর কথায়, বাংলার মানুষ সব দেখছেন, সব বুঝছেন। ইভিএমে উত্তর দেবেন। কমিশন ও তদন্তকারী সংস্থা নিজের কাজ করছে। আমি এ নিয়ে কিছু বলতে চাই না।

মার্চ ১৪, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

জলমগ্ন একাধিক গ্রাম, জল ছাড়ছে ডিভিসি, দুর্গাপুর ব্য়ারেজ পরিদর্শন সেচমন্ত্রীর

দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে মঙ্গলবার থেকে ভারি বৃষ্টিপাত চলছে। পাঞ্চেত, মাইথন থেকে জল ছাড়ার পরে দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকেও যথারীতি জল ছাড়া শুরু হয়েছে। আজ, শুক্রবার ৪৬ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে বলে সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া জানিয়েছেন। সেচমন্ত্রী মানস ভুইয়া দুর্গাপুর ব্যারাজের সংস্কারের কাজের পর চালু ব্যারাজ রাস্তা পরিদর্শনে আসেন। সেচমন্ত্রী বলেন, ৪৫ দিনের মধ্যেই কাজ শেষ করা হয়েছে। বর্ষা এসে গিয়েছে। ফলে বাকি যেসব কাজ রয়েছে তা বর্ষার পরেই শুরু হবে।দুর্গাপুর ব্যারাজের পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেচমন্ত্রী বাংলার প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের ইচ্ছাকৃত বঞ্চনার কথা তুলে ধরেন। সেচমন্ত্রী বারবার বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের যে দায়িত্ব রয়েছে তা পালন করছে না এবং রাজ্যের হকের টাকা কেন্দ্র দিচ্ছে না। তাই ড্রেজিং করা সম্ভব হচ্ছে না। রাজ্য ও ডিভিসির মধ্যে বারবার জল ছাড়া নিয়ে যে বিতর্ক দেখা দেয় তা নিয়ে কোন মন্তব্য না করে সেচমন্ত্রী বলেন, এই মুহুর্তে এই বিতর্কে যাব না। ৪৫ দিনের মধ্যেই কাজ শেষ করা হয়েছে। মাঝে ছয় দিন প্রচন্ড বৃষ্টি হয়েছিল বলে কাজে কিছু অসুবিধা দেখা দিয়েছিল। তবু কাজ ৪৫ দিনের মধ্যেই শেষ করা গিয়েছে। হায়দ্রাবাদ থেকে রাবার সিল আসছে তা দিয়ে কাজ করা হবে।সেচমন্ত্রী বলেন, দেড় মাস দুর্গাপুর ব্যারাজে জল ধরে রাখা হয়। এরপরে দুর্গাপুর, মাইথন ও পাঞ্চেত নিয়ে একটি সেল গঠন করা হয়েছে এবং মনিটরিং করা হচ্ছে জল ছাড়া নিয়ে যেন মানুষের ক্ষতি না হয়। সেচমন্ত্রী বলেন, প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে এবং বিভিন্ন জেলা এবং ঝাড়খণ্ডের জল নামছে ফলে সমস্ত বিষয়ের উপরে নজর রাখা হয়েছে।তেনুঘাট নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সেচমন্ত্রী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী, সেচ দপ্তরের কর্তারা এবং আমি নিজে বারবার কথা বলেছি। তেনুঘাটকে নিয়ন্ত্রণে রেখে অপারেট করা যায়।সেচমন্ত্রী একাধিকবার বলেন, মুখ্যমন্ত্রী এবং সেচ দপ্তর মাইথন, পাঞ্চেত এবং দুর্গাপুর ব্যারাজের জল ছাড়া নিয়ে নজর রেখেছেন । আজ ৪১ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। বন্যার যন্ত্রণা যাতে পেতে না হয় তার প্রতি সজাগ রয়েছেন প্রশাসনিক কর্তারা এবং আজ বাঁকুড়ায় আসছেন পরিস্থিতি নিয়ে আলচনা করতে। রাস্তার বিষয় নিয়ে তিনি বলেন, পি ডাব্লু ডিকে নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বৃষ্টি কমলেই।সেচমন্ত্রী ব্যারাজগুলির গভীরতা কমে যাওয়ার জন্য কার্যত কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা না দেওয়ার কথা তুলে ধরেন। সেচমন্ত্রী বলেন, ১২ বছর ধরে কেন্দ্রের জলসম্পদ দপ্তর, প্রধানমন্ত্রীকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার দেখছি দেখছি করে পার করে দিচ্ছে কিন্তু রাজ্যের হকের টাকা দিচ্ছে না। সেচমন্ত্রী বিজেপি সরকারের বাংলাকে বঞ্চনা করার কথা তুলে ধরেন। বন্যার প্রসঙ্গে সেচমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রার্থনা করছি যেন বন্যার মুখে পড়তে না হয় কিন্তু দেড় মাস জল ধরে রাখা হয় আর তারপরে রয়েছে প্রচন্ড বৃষ্টি, ফলে জলের চাপ বাড়ছে, সেদিকেই নজর রাখতে হচ্ছে।দুর্গাপুর ব্যারাজের এক নম্বর গেটে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে । সাংবাদিকেরা এ নিয়ে সেচমন্ত্রীকে প্রশ্ন করলে সেচমন্ত্রী বলেন, সব দিক নজরে রাখা হয়েছে, সংস্কার হবে। তিনি এরপরে আবার বলেন, কেন্দ্রিয় সরকারের কাছ হতে এক কানা কড়ির সাহায্য পাইনি। মুখ্যমন্ত্রী নিজের রাজ্যের কোষাগার থেকেই খরচ করে কাজ করছেন। তিনি এরপরেই পরিসংখ্যান তুলে ধরেন কিভাবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সীমিত আর্থিক ক্ষমতায় এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার পরেও কাজ করে চলেছেন। সেচমন্ত্রী জোড়ের সাথে বলেন, একটা নয়া পয়সা কেন্দ্রের সরকার দেয় নি। তবু একের পর এক কাজ হচ্ছে এবং এটাও করা হবে।

জুন ২০, ২০২৫
রাজ্য

সাতসকালে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা পুরুলিয়ায়, মৃত্যু মিছিল

সাতসকালে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ৯ জনের ৷ পুরুলিয়ায় ১৮ নম্বর জাতীয় সড়কের নামশোল এলাকায় আজ, শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি বোলেরোর সংঘর্ষে ঘটে। তার ফলেই জেরেই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ৷ গাড়িতে থাকা ৯ জনেরই প্রাণ গিয়েছে ৷ এরা সকলেই ঝাড়খন্ডের বাসিন্দা। বিয়ে বাড়ি থেকে ফিরছিলেন বলে জানা গিয়েছে।জানা গিয়েছে, আজ শুক্রবার সকালে পুরুলিয়ার দিক থেকে চারচাকা বোলেরো গাড়িটি বলরামপুরের অভিমুখে যাচ্ছিল। সেই সময় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টো দিক থেকে আসা একটি ট্রাককে সরাসরি ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বলরামপুর থানার পুলিশ। প্রথমে জখম সকলকে উদ্ধার করে স্থানীয় বাঁশগড় ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায় পুলিশ। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা আহতদের সকলকেই ঘোষণা করেন।

জুন ২০, ২০২৫
রাজ্য

দামোদরে বালি তুলতে গিয়ে বিরাট বিপত্তি, জলে ভাসছে ১৫টি লরি

দামোদরে বালি তোলায় কোনও লাগাম নেই। ডিভিসি থেকে জল ছাড়ার খবর থাকা সত্বেও বালি তোলার কাজ চলছিল। লরি নেমেছিল একেবারে নদের ভিতরে। জল ভরে টুইটুম্বুর হওয়ায় ভেসে গেল ১৫টি বালি বোঝাই লরি। পূর্ব বর্ধমানের গলসির গোহগ্রামের এই ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে। পরে লরিগুলিকে উদ্ধারের তৎপরতা শুরু হয়।দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার কথা ডিভিসি ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগাম ঘোষণা করা হয়েছিল। মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে বুধবার জল ছাড়া হয় ৪০ হাজার কিউসেক। এরই মধ্যে নিম্ন দামোদর অববাহিকায় দুদিন ধরে টানা বৃষ্টি চলেছে। এই সব কারণে বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ দামোদর নদে জলের পরিমাণ বেশ বেড়ে যায়। এতেই ঘটে যায় বিপত্তি।স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ১৫টি বালি বোঝাই লরি দামোদর নদের জলে ভাসতে থাকে। তার উপর বৃহস্পতিবার বেলা বাড়তে নদের জল আরও হু হু করে বাড়তে শুরু হয়। বিপদ বুঝে লরিগুলি নদী থেকে তোলার জন্য তৎপরতা শুরু করে চালকরা । ওই সময়েই সামনে থাকা দুটি লরি বিকল হয়ে যাওয়ায় লরি গুলি নদ থেকে পাড়ে তোলা আর সম্ভব হয়নি। জেসিবি মেশিন ব্যবহার করেও কাজ হয়নি। জল কমা পর্যন্ত লরিগুলো তুলতে অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

জুন ১৯, ২০২৫
রাজ্য

"কেশরী: চ্যাপ্টার ২" তে ক্ষুদিরাম বসু সহ বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অপমান, প্রতিবাদে গর্জে উঠল বাংলা পক্ষ

সম্প্রতি কেশরী: চ্যাপ্টার ২ নামের এক বলিউডি হিন্দি সিনেমায় ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সশস্ত্র সংগ্রামের উজ্জ্বল ইতিহাস তথা বীর বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পরিচয় ও ভূমিকা বিকৃত করে এক মনগড়া মিথ্যা ইতিহাস তুলে ধরার অভিযোগ উঠেছে। সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম সিং ও বারীন্দ্র কুমার নামক দুই বিপ্লবী বৃটিশ পুলিশকর্তা কিংসফোর্ডকে বোমা মেরে হত্যার চেষ্টা করে ও তাদের বোমা তৈরীর প্রশিক্ষণ দেয় কৃপাণ সিং! যার সাথে বাস্তবের কোন মিল নেই। প্রকৃত পক্ষে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে বাঙালি বিপ্লবীদের সশস্ত্র সংগ্রামের ইতিহাসের এক যুগান্তকারী ঘটনা কিংসফোর্ড হত্যার প্রচেষ্টা ও পরবর্তীতে মানিকতলা বোমা মামলার ঘটনার কথা সম্পূর্ণ বিকৃত ভাবে এই সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে।সশস্ত্র সংগ্রামের লক্ষ্যে কলকাতার মানিকতলার যুগান্তর গুপ্ত সমিতিতেই অরবিন্দ ঘোষের নেতৃত্বে বোমা তৈরীর কর্মশালা গড়ে ওঠে, ইউরোপ থেকে বোমা তৈরী শিখে এসে এখানে বোমা তৈরী করে বিপ্লবীদের সরবরাহ করতেন হেমচন্দ্র কানুনগো, যিনি বলিউডের দৌলতে হয়েছেন কৃপাণ সিং। এই গুপ্ত সমিতির পক্ষেই ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকী কিংসফোর্ডকে বোমা নিক্ষেপ করে হত্যার চেষ্টা করেন। মেদিনীপুরের বীর বাঙালি কিশোর ক্ষুদিরাম বসুর পদবী সিনেমায় হয়েছে সিং অন্যদিকে প্রফুল্ল চাকীর নামই মুছে গেছে, শোনা গেছে জনৈক বারিন্দর কুমারের নাম, যেকোন ইতিহাস সচেতন ব্যক্তিই বলতে পারবেন এই নাম আসলে মানিকতলা বোমা মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ও পরবর্তীতে আন্দামানে দ্বীপান্তরিত বারীন্দ্র ঘোষের, যিনি সম্পর্কে অরবিন্দ ঘোষের ভাই। এই মানিকতলা বোমা মামলায় বিপ্লবীদের পক্ষে কোর্টে আইনি লড়াই করেন আরেক মহান বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামী দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ। এই গৌরবজনক অধ্যায় সম্পূর্ণ ভাবে বিকৃত করা হয়েছে, যা বাঙালি জাতি তথা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি চূড়ান্ত অবমাননা।এই বিকৃতির বিরুদ্ধে বাঙালির ক্ষোভের প্রকাশ দেখা যাচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থেকে সংস্কৃতি জগতের নানান ব্যক্তিত্ব এই ইতিহাস তথা মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নাম বিকৃতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। ভারতীয় বাঙলির জাতীয় সংগঠন বাংলা পক্ষও সরব হয়েছে, আজ তারা পথে নেমে প্রতিবাদ করল কলকাতার বাংলা একাডেমী সংলগ্ন রানুছায়া মঞ্চে। এই প্রতিবাদ সভায় বাংলা পক্ষর সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি বলেন, কেশরী ২ সিমেমার মূখ্য অভিনেতা অক্ষয় কুমার, তিনি কাদের স্বার্থে বিকৃত ইতিহাস প্রচার করে সিনেমা তৈরি করেন এটা আমাদের সকলের জানা৷ বিজেপি ও বলিউডের উদ্দেশ্য বাঙালির গৌরবজনক বীরত্বের ইতিহাস মুছে দেওয়া। সেই উদ্দেশ্যেই বারবার এই ধরনের ঘটনা দেখা যাচ্ছে। বলিউড এর আগেও অভয় ২ সিরিজে বীর শহীদ ক্ষুদিরাম বসুকে ক্রিমিনাল, জঙ্গি হিসাবে দেখিয়েছিল। বাংলা পক্ষ তখন Zee5 কে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছিল এবং সল্টলেকে Zee5 এর অফিসে বিক্ষোভ করেছিল। পরবর্তীতে Zee5 ক্ষমা চেয়ে সেই অংশ বাদ দিতে বাধ্য হয়। শীর্ষ পরিষদ সদস্য অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় বলেন যতক্ষণ না পর্যন্ত কেশরী ২ সিনেমার নির্মাতারা ক্ষমা না চায়, বাংলা পক্ষর লড়াই চলবে। ক্ষমা চেয়ে এই দৃশ্য বাদ দিতে হবে। বাঙালি বিদ্বেষীদের কিভাবে ক্ষমা চাওয়াতে হয় সেটা বাংলা পক্ষ ভালো ভাবে জানে।শীর্ষ পরিষদ সদস্য সৌম্যকান্তি ঘোড়ই বলেন, ক্ষুদিরাম বসুকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান। প্রফুল্ল চাকীকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান৷ বীর বিপ্লবী বারীন ঘোষদের অপমানের বিরুদ্ধে এই লড়াই চলবে। অক্ষয় কুমারকে ক্ষমা চাইতেই হবে।এছাড়াও আজকের প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন কলকাতা জেলার সম্পাদক সৌম্য বেরা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক কুশনাভ মন্ডল, শিল্পী পক্ষর অধিকর্তা প্রবাল চক্রবর্তী প্রমুখ। এর আগে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় এই সিনেমা নিয়ে একই ইস্যুতে এফআইআর হয়েছে। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন বাঙালি বীর বিপ্লবীদের ইতিহাস বিকৃতি করার জন্য।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স

লর্ডসে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও রাহুল দ্রাবিড়ের। দিনটা ছিল ১৯৯৬ র ২০ জুন। এই টেস্টের কথা উঠলেই মহারাজকীয় শতরানের কথাই সবার আগে মনে আসে। যা এসেছিল ২২ জুন।তবে ২০ জুন বল হাতে কামাল দেখিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ইংল্যান্ডের তৃতীয় ও চতুর্থ উইকেট পড়েছিল চার রানের ব্যবধানে। দলের ৯৮ রানের মাথায় সৌরভের প্রথম শিকার হন তিন নম্বরে নামা নাসের হুসেন। ১১০ বলে ৩৬ রান করে তিনি ফেরেন বিক্রম রাঠোরের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ১০২ রানে ইংল্যান্ডের চতুর্থ উইকেট পড়ে। ৯ বলে ১ রান করে গ্রেম হিক সৌরভের বলেই জাভাগল শ্রীনাথের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। প্রথম ইনিংসে সৌরভের বোলিং ফিগার ছিল ১৫-২-৪৯-২। বেঙ্কটেশ প্রসাদ পাঁচটি, শ্রীনাথ তিনটি ও সৌরভ ২টি উইকেট পান। পরশ মামব্রে, অনিল কুম্বলে ও সচিন তেন্ডুলকর উইকেট পাননি। দ্বিতীয় ইনিংসে সৌরভ তুলে নিয়েছিলেন প্রথম ইনিংসে শতরানকারী জ্যাক রাসেলের উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে মহারাজ ৩ ওভারে মাত্র ৫ রানের বিনিময়ে একটি উইকেট পেয়েছিলেন। ফলে লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

বৃষ্টির মোকাবিলায় ইডেন সেরা, মাঠ ভরানোর আহ্বান মনোজের

আজও বৃষ্টিতে ব্যাহত বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের খেলা। কয়েক দিন ধরেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি চলছে। যার জেরে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের খেলাগুলি পরিত্যক্ত হচ্ছে। ইডেনে বৃষ্টি থামার পর খেলা শুরু হলেও ফের অবিরাম বর্ষণে ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। তবে গতকাল যা হলো তা অন্য কোথাও আর হতে পারতো না।সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত ভাবনাতেই ইডেনের গোটা মাঠ ঢেকে রাখার বন্দোবস্ত হয়েছে। উন্নতমানের কভার আনিয়ে। এমনকী ইডেনের মতো সল্টলেক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস মাঠেও মাঠ ঢেকে রাখা হয় প্রধান কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন অনবদ্য টিম যার ফলে বৃষ্টি থামার কিছুক্ষণের মধ্যেই মাঠ খেলার উপযুক্ত করে দিতে পারেন। ইডেনের এমন ব্যবস্থাপনা বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়াম আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামেও নেই। সুনীল গাভাসকর-সহ অনেকেই তাই বলে থাকেন মাঠ ঢাকার ব্যবস্থাপনায় ইডেনকে অনুসরণ করতে। এই ব্যবস্থাপনার সুফল মিলল আরও একবার। গতকাল বৃষ্টি একটু ধরতেই রাতে ৯ ওভারের ম্যাচ হলো। হারবার ডায়মন্ডস ৪০ রানে হারাল লাক্স শ্যাম কলকাতা টাইগার্সকে। যে পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে শহরে তাতে অন্য কোথাও এটা সম্ভব হতো না। হলো মাঠ ঢাকার ব্যবস্থা ছিল বলেই। হারবার ডায়মন্ডস অধিনায়ক তথা রাজ্যের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি অনুরোধ করেছেন সকলকে কাজ সেরে মাঠে এসে তরুণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করার জন্য। এই লিগে বিনামূল্যে খেলা দেখা যায়। এমনকী হারবার ডায়মন্ডসের সমর্থকদের জল, ইলেক্টোরাল, কেক দেওয়ার কথাও মনোজ বলেছেন। তার কারণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করতে সমর্থকদের উপস্থিতি দরকার। গ্যালারির সিংহভাগ ফাঁকা থাকছে। যে লিগের সম্প্রচার স্টার স্পোর্টসে চলছে সেখানে এমন ফাঁকা গ্যালারি মোটেই ভালো বিজ্ঞাপন নয়।

জুন ১৯, ২০২৫
দেশ

ওরঙ্গাবাদের এই হৃদয়স্পর্শী কাহিনী আপনার মন ছুঁয়ে যাবেই

মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদের সম্ভাজি নগরে ঘটনা এখন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। ওই হৃদয়স্পর্শী ঘটনা নাড়া দিয়েছে পুরো সমাজকে। সেখানে এক গয়নার দোকানে গিয়েছিলেন অতি সাধারণ এক দম্পতি। স্ত্রীকে কিছু উপহার দেওয়াই ছিল স্বামীর উদ্দেশ্য। গয়নার শোরুমের ম্যানেজার তাদের সঙ্গে গল্প জুড়ে দেন। হাসিঠাট্টার মাঝে কথা বলতে বলতে জেনে নেন তাঁদের জীবনকাহিনী। এবার এল জিনিস কেনার পালা। হাতের ঝোলা ব্যাগ থেকে বেরোল একটা ৫০০ টাকার নোট। একে একে ১০, ২০ টাকার নোট। সবশেষে একটা ছোটখাট বোঁচকা। তাতে ভর্তি খুচরো পয়সা।শোরুমের ম্যানেজার গোটা বিষয়টা বুঝতে পেরে তাঁদের একটি হার উপহার দেন। সঙ্গে একজোড়া কানের দুলও। এরপর বৃদ্ধের কাছে সরল আবদার জানান, নিজে হাতে স্ত্রীর হাতে সেটা তুলে দিতে হবে। উপহার তো দিলেন ম্যানেজার, কিন্তু এত বড় দোকানে এসে কোনও টাকা না দিয়ে চলে যাবেন, এতেও যেন সম্মানে বাধে বৃদ্ধের। সমাজের খেটে খাওয়া মানুষের কাছে আত্মসম্মানই বড় কথা। প্রাণ যাক, সম্মান নিয়ে বাঁচাটাই বড় কথা। তাই সবচেয়ে বড় নোটটি তুলে দিতে চেয়েছিলেন ম্যানেজারের হাতে। কিন্তু তাতে ম্যানেজারের উত্তর, আপনার আশীর্বাদের হাত থাকলেই হবে। পান্ডুরঙ্গ (কর্নাটক, মহারাষ্ট্রের পূজিত দেবতা) আছেন, কিছুর অভাব হবে না কোনওদিন। কিন্তু বৃদ্ধ নাছোড়বান্দা, টাকা তিনি দেবেনই। উপায় নেই বুঝে অবশেষে দুটো ১০ টাকার নোট নেন ম্যানেজার।স্বামীর চোখে জল, ধুতির খুঁট দিয়ে মুছে ফেললেন। তা দেখে স্ত্রীও আটকাতে পারলেন না নিজেকে। ভিডিওতেই স্পষ্ট, এমন এক মূল্যবান উপহার পেয়ে বিশ্বাস হচ্ছে না ওই দম্পতির। কিন্তু যেকজন ভিডিওটি দেখেছেন, তাঁরা সবাই বুঝেছেন এই চোখের জল, অবিশ্বাস শুধু মূল্যবান এক উপহারের জন্য নয়, জীবনের অন্যতম এই দিনটি মনের মণিকোঠায় সাজিয়ে রাখছেন দম্পতি।

জুন ১৯, ২০২৫
দেশ

আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা: শিশুদের শনাক্ত করতে বড় সমস্যা, এখনও হস্তান্তর ১৫৯ দেহ

সুরাটের নানাবাওয়া পরিবার ৩৬ বছর বয়সী আকিল এবং ৩১ বছর বয়সী স্ত্রী হান্না ভোরাজির নামাজ-এ-জানাজা (জানাজা) সম্পন্ন হয়। বুধবার ভোরে ফোন করে জানায় যে বোয়িং ড্রিমলাইনার দুর্ঘটনায় তাদের সাথে মারা যাওয়া তাদের মেয়ে সারার মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। আত্মীয়স্বজনরা চার বছর বয়সী মেয়ের দেহাবশেষ দাবি করতে আহমেদাবাদে ছুটে যান। যাতে তাকে তার বাবা-মায়ের পাশে দাফন করা যায়।আহমেদাবাদ-লন্ডন AI-171 বিমান দুর্ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পর, সারার সন্ধানে দেখা যাচ্ছে যে পুড়ে যাওয়া দেহাবশেষের মধ্যে নাবালকদের শনাক্ত করা কতটা কঠিন। বুধবার পর্যন্ত, ডিএনএ ম্যাচিং এবং শনাক্তকরণের পরে ১৫৯টি মৃতদেহ আত্মীয়দের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সারা ছাড়াও, এই মৃতদেহগুলির মধ্যে কেবল একজন নাবালিকা ছিল ফাতিমা শেঠওয়ালা, যার বয়স ১৮ মাস।বিমান সংস্থার তালিকা অনুসারে, AI-171-এ ১২ বছরের কম বয়সী ১৩টি শিশু ছিল, যার মধ্যে তিনজন এখনও ২ বছর পূর্ণ করেনি। আরও বেশ কয়েকজনের বয়স ১১ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে।এই ধরনের দুর্যোগে অপ্রাপ্তবয়স্কদের শনাক্ত করার জন্য ডিএনএ প্রযুক্তি ব্যবহারে অসুবিধা ব্যাখ্যা করে গুজরাটের সরকারি ডেন্টাল কলেজের ফরেনসিক দন্ত বিশেষজ্ঞ ডঃ জয়শঙ্কর পিল্লাই বলেন, শিশুদের শরীরের ভর কম থাকে এবং তাই টিস্যুর ক্ষতি হয় এবং লম্বা হাড় তাপের সংস্পর্শে আসে। তবে দাঁত বেশি শক্তিশালী হওয়ায় তাপ সহ্য করতে পারে।তবে অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে এটিও জটিল। শিশুদের যে কোনও দাঁত থেকে ডিএনএ বের করা যেতে পারে, কিন্তু আগুন লাগার সময় সামনের দাঁত ব্যবহার করা যায় না কারণ তাপ তাদের নষ্ট করে দেয়। তাই আমরা মোলার থেকে ডিএনএ নিই। ছয় বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে, আমরা স্থায়ী মোলার পেতে পারি না... তাদের বেশিরভাগই দুধের দাঁত থাকে, এবং কখনও কখনও সেগুলিও নষ্ট হয়ে যায়। কারণ খিলানটি খুব ছোট। তাই আমরা চোয়ালে একটি ছেদ তৈরি করি এবং ভিতরে স্থায়ী মোলার তৈরি করার চেষ্টা করি, পিল্লাই বলেন, যার বিভাগের সাথে ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ দাঁতের ডিএনএ বের করতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের দাঁতের চার্ট তৈরি করতে সাহায্য করার জন্য যোগাযোগ করেছিল।একজন ফরেনসিক কর্মকর্তা বলেছেন যে দুর্ঘটনার পরে যে আগুন লেগেছিল তা খুব অল্প সময়ের মধ্যে ১৬০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি তাপমাত্রায় পৌঁছেছিল। সুতরাং, কিছু ব্যক্তির জন্য কেবলমাত্র আংশিক ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়া যায়, যাদের আমরা সন্দেহ করি যে তারা নাবালক, কর্মকর্তা বলেন, আরও বলেন যে আত্মীয়দের সাথে নিঃসন্দেহে নির্ভুলতার সাথে মেলানো কঠিন।আকিলের বাবা আবদুল্লাহ স্মরণ করিয়ে দেন যে তিনজন ৬ জুন, ঈদুল আযহার একদিন আগে, এক আকস্মিক পরিদর্শনে এসেছিলেন। এটা একটা ছোট ভ্রমণ ছিল। আমরা জানতাম না যে এটাই তাদের শেষ হবে, কাঁদতে কাঁদতে আবদুল্লাহ বলেন, যিনি বিমানে পরিবারকে নামিয়ে দিতে আহমেদাবাদ গিয়েছিলেন।ভদোদরায়, আসিফ শেঠওয়ালা তার নাতনি ফাতিমার জন্য শোক প্রকাশ করেছেন। যার দেহাবশেষ বুধবার শনাক্ত করা হয়েছে, যখন তার মা সাদিকার মৃতদেহ এখনও পাওয়া যায়নি। আসিফ বলেন, ফাতিমা তার লন্ডন-ভিত্তিক ছেলের একমাত্র সন্তান। সাদিকা এবং ফাতিমা আমার ছোট ছেলের বিয়েতে বেড়াতে এসেছিলেন। তারা প্রায় ২০ দিন ধরে এখানে ছিলেন এবং তাদের ফেরার টিকিট অনেক আগেই বুক করা হয়েছিল।ডিএনএ সরবরাহ করার পাশাপাশি, দাঁতের দেহাবশেষ একজন ব্যক্তির আনুমানিক বয়স নির্ধারণেও সাহায্য করে। যা শনাক্তকরণের জন্য প্রয়োজনীয় সূত্র প্রদান করে। আহমেদাবাদ দুর্ঘটনায় এটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যও, বিস্ফোরণ এবং আগুনের ফলে উদ্ধার করা বেশিরভাগ ডিএনএ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।ডঃ পিল্লাই বলেন, ফরেনসিক ওডন্টোলজি বিভাগ এক থেকে ছয় বছর বয়সী বেশ কয়েকজন প্রাপ্তবয়স্ক যাত্রীর দাঁতের ডিএনএ সংগ্রহ করেছে অথবা ডেন্টাল চার্টিং করেছে এবং অন্তত কিছু ভুক্তভোগীর বয়স মূল্যায়ন করেছে। এরপর এই বয়সের যাত্রীদের জন্য ফ্লাইট ম্যানিফেস্টের সাথে তুলনা করা হয়েছে। কিছু শিশুর ক্ষেত্রে, আমরা দ্বিতীয় মোলার বিকশিত হতে দেখেছি, যা স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে তারা তিন থেকে ছয় বছর বয়সী। এটি অনুসন্ধানকে সংকুচিত করতে সাহায্য করেছে। তারপর তাদের ডিএনএ নমুনা তাদের আত্মীয়দের সাথে মেলানো যেতে পারে।যারা খবরের জন্য অপেক্ষা করছেন তাদের মধ্যে রয়েছে ভদোদরার ভাহোরা পরিবার। তারা দুর্ঘটনায় তিন সদস্যকে হারিয়েছে। সোমবার ইয়াসমিনের মৃতদেহ হস্তান্তর করা হলেও, পারভেজ এবং তার ৪ বছর বয়সী মেয়ে জুভেরিয়ার দেহাবশেষ এখনও পাওয়া যায়নি। প্রাক্তন আইপিএস অফিসার এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ, ডঃ কেশব কুমার বলেছেন, পরিবারগুলির আশা হারানো উচিত নয়। বিমান দুর্ঘটনাটি প্রায় বোমা বিস্ফোরণের মতো ছিল। যেখানে ৫৪,০০০ লিটার বিমান জ্বালানি এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে জ্বলছিল। উৎপন্ন তাপের পরিমাণ শরীরের জন্য ক্ষতিকর। আমরা ভাগ্যবান হব যদি ভালো নমুনা পাওয়া যায়। কিন্তু যদি একটি দাঁতও পাওয়া যায়, তাহলে ডিএনএ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ফরেনসিক পরীক্ষা খড়ের গাদায় সূঁচ পাওয়ার মতো। কিন্তু একজন তদন্তকারী হিসেবে, আমি বলতে পারি যে ম্যাচ পাওয়ার সম্ভাবনা ১০০%। ডিএনএ হাজার হাজার বছর টিকে থাকতে পারে এবং প্রয়োজনে ধ্বংসাবশেষে ডিএনএর আরও চিহ্ন থাকবে। গুজরাট পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন যে তারা দুর্ঘটনাস্থল থেকে একাধিক নমুনা সংগ্রহ নিশ্চিত করেছেন।

জুন ১৯, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal