• ৩ আষাঢ় ১৪৩২, শুক্রবার ২০ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

School

রাজ্য

TMC Flag in School: তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসে পতাকা উড়লো জামালপুরের বিদ্যালয়ে, জোর বিতর্ক

তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ওড়ানো হল দলীয় পতাকা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার বছর শুরুর দিনে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার আবুজহাটি ২ পঞ্চায়েতের রাণাপাড়া গ্রামে। দলের প্রতিষ্ঠাদিবস পালনের নামে এখানকার রক্ষাকালী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা উড়ানোর অভিযোগ উঠেছে দলেরই কর্মীদের বিরুদ্ধে।বিদ্যলয়ে রাজনৈতিক দলের পতাকা ওড়ানোর ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন রাণাপাড়ার বাসিন্দারা। আর তাতেই বেজায় বিড়ম্বনায় পড়ে গিয়েছেন জামালপুরের ব্লকের শাসকদলের নেতৃত্ব।বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অমিত সরেন বলেন, এদিন সকালে বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকা তাঁকে ফোন করে খবর দেয় বিদ্যালয়ে তৃণমূলের দলীয় পতাকার উড়ানো হয়েছে বলে। শুক্রবার রাতে স্থানীয় এক ব্যক্তি ওই শিক্ষিকাকে ফোন করে বিদ্যালয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা উড়ানোর বিষয়টি জানান।প্রধান শিক্ষক বলেন, বিদ্যালয়ে রাজনৈতিক দলের পতাকা উড়ানোর অনুমোদন কাউকে তাঁরা দেননি। তবুও কেন রাজনৈতিক দলের পতাকা বিদ্যালয়ে ওড়ানো হল সেই বিষয়টি তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না। প্রধান শিক্ষক বলেন, গোটা বিষয়টি স্কুল পরিদর্শককে (এসআই) জানাবেন। রাণাপাড়ার স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, কয়েকজন যুবক রাত দশটার পর স্কুলে ঢুকে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা তোলে। তারা সবাই এলাকারই বাসিন্দা।এই বিষয়ে জামালপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মেহমুদ খান বলেন, স্কুলে দলীয় পতাকা তোলা অনুচিত কাজ হয়েছে। এইসব কাজের অনুমতি দল দেয় না। আমরা খোঁজ নিয়ে দেখছি কারা এর সঙ্গে জড়িত। তাঁদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি। অন্যদিকে জামালপুরের বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের যুব কংগ্রেসের সভাপতি অলোক মাঝি জানিয়েছেন, এখন প্রাথমিক স্কুল ঠিক মত খুলছে না। তবে যাঁরাই এ কাজ করুক তারা ভুল করেছে। খোঁজ নিয়ে দেখছি কারা এমন কাজের সঙ্গে জড়িত ছিল ।বিজেপি নেতা কল্লোল নন্দন বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবসে তাঁদের দলীয় পতাকা স্কুলে উড়ছে। এর থেকে লজ্জার আর কি হতে পারে।সরকারি প্রতিষ্ঠানে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা তোলা বেআইনি। আমরা চাই প্রশাসন এর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিক।

জানুয়ারি ০১, ২০২২
কলকাতা

Omicron: জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকেই ফের বন্ধ হতে পারে স্কুল, কমতে পারে লোকাল ট্রেন, ইঙ্গিত মুখ্যমন্ত্রীর

করোনা পরিস্থিতি যে ভাবে ফের অবনতির দিকে যাচ্ছে, তাতে আশঙ্কার মেঘ দেখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে, ফের নতুন করে কিছু বিধিনিষেধ জারি হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিলেন তিনি। পরিস্থিতির অবনতি হলে প্রয়োজনে পুনরায় স্কুল বন্ধ করার পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন তিনি। বুধবার গঙ্গা সাগরে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের এই বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন মমতা।করোনা সংক্রমণ যদি বাড়ে, তাহলে আবার কিছুদিনের জন্য স্কুল- কলেজ বন্ধ করতে হবে। বুধবার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তিনি মণীশ জৈনকে নির্দেশ দেন, করোনা পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে, তাতে খেয়াল রাখতে হবে। মমতা বলেন, থার্ড ওয়েভ আসছে। ওমিক্রনও হচ্ছে। এই সময় স্কুল, কলেজ খোলা রাখা যায় কি না, তা দেখতে হবে। সামনেই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা আছে বলেও উল্লেখ করেন মমতা।মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকেও মমতা নির্দেশ দেন, করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে স্কুল-কলেজ চালু থাকবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এ দিন স্বাস্থ্য সচিব নারায়ন স্বরূপ নিগমের কাছে করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাস্থ্য সচিব জানান, কলকাতা ও শহরতলিতে বাড়ছে সংক্রমণ। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দেন যাতে কনটেনমেন্ট জোন বা মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন তৈরি করার পরিকল্পনা করা হয়। ৩ জানুয়ারি থেকে যাতে সেই সংক্রান্ত বিধি জারি করা যায়, সেই নির্দেশ দিয়েছেন মমতা।মুখ্যমন্ত্রী এ দিন আন্তর্জাতিক বিমানের যাত্রীদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন আন্তর্জাতিক বিমানে আসা যাত্রীদের থেকেই ছড়িয়ে পড়ছে ওমিক্রন সংক্রমণ। তাই সে ক্ষেত্রে কোভিড বিধিতে কোনও বদল আনা যেতে পারে কি না, তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন তিনি। করোনা পরিস্থিতিতে অনেক দিন ধরেই বন্ধ ছিল লোকাল ট্রেন। পরে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসায় পরে চালু হয় লোকাল ট্রেন। এ দিন প্রশাসনিক বৈঠকে মমতা নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে লোকাল ট্রেনের সংখ্যা কিছুটা কমানো যায়। পাশাপাশি, প্রয়োজনে অফিসগুলোতে উপস্থিতি ৫০ শতাংশ করার নির্দেশ দেওয়া হতে পারে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

ডিসেম্বর ২৯, ২০২১
রাজ্য

Christmas: বিশ্বপিতার আবহনে মেতে উঠলো বর্ধমান শহরের স্কুল

কলকাতা সহ সারা রাজ্যে মহা-সমারোহে পালিত হল বড়দিনের উৎসব। বাঙালি বারো মাসে তেরো পার্বন অতিক্রম করে শত-পার্বনের দিকে ধাবিত। পর-কে আপন করে নেওয়া এই জাতির এক সহজাত ক্ষমতা। সেই ব্যাপারে সেরা-র উদাহরণ টানতে গেলে বাঙালির নাম প্রথম সারিতেই আসবে, হয়ত বা প্রথমেই। আদ্যান্ত এক খ্রীস্টান ধর্মাবলাম্বিদের প্রানের উৎসবকে আজ বাঙালি আপন করে নিয়েছে। ২৫ ডিসেম্বরে মহাপ্রান যিশু খ্রিষ্ট বা ঈসা মসিহের জন্মদিনকে বড়দিন বলা হয়। জানা যায় যিশু খ্রিষ্টের জন্ম হয়েছিল, হেরোদ রাজার রাজত্বকালে যিহুদিয়ার বেথলেহেম বলে এক গ্রামে একটি গোয়াল ঘরে পবিত্র আত্মার (পাক-রুহের) শক্তি দ্বারা কুমারী মরিয়মের মাধ্যমে যিশু খ্রিষ্ট জন্ম গ্রহণ করেন। প্রভু যিশু খ্রিষ্টের জন্মগ্রহণ নিয়ে অনেকে অনেক মত পোষণ করেন।রাজ্যের অন্য জায়গার মতই গতকাল সন্ধ্যায় জাঁকজমকপূর্ণভাবে বর্ধমান মডেল স্কুলে পালিত হল বড়দিন। অতিমারির কারণে বিদ্যালয় ছাত্র ছাত্রীদের বাদ দিয়ে শুধুমাত্র শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষা কর্মীরা এই উৎসব পালন করেন। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন যে তারা ছাত্রছাত্রী দের জন্য আগামী তিনদিন বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ খোলা রাখবেন। উৎসব উপলক্ষে এক মনোজ্ঞ সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গান নাচ আবৃত্তি নাটক প্রভৃতির পাশাপাশি মঞ্চে যোগব্যায়াম-ও প্রদর্শিত হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন স্কুলের ছাত্র প্রশংসা ধন্য শিক্ষিকা নাসরিন ম্যাম। অনুষ্ঠানটি ভার্চুয়ালি ছাত্রছাত্রীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানা যায়। ওরিয়েন্টাল অ্যাসোসিয়েসন ফর এডুকেশন এন্ড রিসার্চ-র সম্পাদক ও বিদ্যালয় এর ম্যানেজার অচিন্ত্য কুমার মন্ডল বলেন, অতিমারির কারণে রাজ্যের সর্বত্র প্রাইমারি এবং আপার প্রাইমারি সেকশন বন্ধ রয়েছে। আমরা যীশুর কাছে প্রার্থনা করছি আমাদের দেশ তথা সমগ্র বিশ্ব যেন অতিসত্ত্বর মারণ ভাইরাসের হাত থেকে মুক্তি লাভ করে। নতুন বছর আসছে নতুন আশা নিয়ে। বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী, অভিভাবক অভিভাবিকা, শিক্ষক শিক্ষিকা এবং সংশ্লিষ্ট সকলেই যেন সুস্থ থাকেন। পড়াশুনার ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের শ্রীবৃদ্ধি কামনা করি! আমরা যেন প্রতিটা দিনকেই বড়দিন বলে ভাবি, পবিত্র মনে ভবিষ্যৎ গড়ার কাজে নতুন উদ্যম ঝাঁপিয়ে পড়ি। তিনি বিদ্যালয় এর সুনাম বৃদ্ধির ক্ষেত্রে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি তাঁদের ধন্যবাদ জানান।সন্ধ্যাকালীন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সারেগামাপা খ্যাত সংগীতশিল্পী অতনু ঘোষ। সঙ্গীত পরিবেশনের পাশাপাশি তিনি এমন এক মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হওয়ার জন্য বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কে অভিনন্দন জানান। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয় পরিচালন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডঃ খগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, সদস্য অনন্তদেব গুহ (শিক্ষক), সদস্যা সহকারী অধ্যাপক ডঃ ইন্দ্রানী মুখোপাধ্যায়, বিআইএমএস এর টিচার-ইন-চার্য লিজা বন্দ্যোপাধ্যায়, সহকারি অধ্যাপক ডঃ বিদ্যুৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, বর্ধমান ফিজিওথেরাপি কলেজের (BIMLS) প্রিন্সিপাল ও বিশিষ্ঠ ফিজিওথেরাপিস্ট এবং সহকারী অধ্যাপক ডঃ সত্যেন ভট্টাচার্য্য, ইউআইটি কলেজের অধ্যাপক ডঃ শিবকালী গুপ্ত।ম্যানেজিং কমিটি-র সদস্য অনন্তদেব গুহ বলেন,একটা বিদ্যালয় কথা বলে আপন খেয়ালে! শিক্ষকরাই বিদ্যালয়কে কথা বলায় তাদের ছাত্র ছাত্রীদের মাধ্যমে! আজ সন্ধ্যায় যখন মডেল স্কুলে বড়দিন পালন হচ্ছে তখন হয়তো স্কুলেরই কোন কৃতি ছাত্র বা ছাত্রী প্যারিস কিংবা লস এঞ্জেলেসের কোন বড়দিনের উৎসবের মঞ্চে দাঁড়িয়ে এই স্কুলের গল্প করছে। কনফুসিয়াস বলেছিলেন প্রত্যেকটি পাথরের মধ্যেই মূর্তি আছে। একজন ভাস্কর নিপুণতার সঙ্গে অতিরিক্ত অংশগুলি বাদ দিয়ে সেই মূর্তির প্রকৃত রূপ দেন। শিক্ষাও তেমনি প্রত্যেকটি মানুষের মধ্য থেকে আদর্শ মানুষকে বের করে আনে। আর এখানে ভাস্করের কাজটি করেন শিক্ষকরা তাই তাদের আন্তরিক শ্রদ্ধা জানাই।বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকরা প্রসংসার বন্যা বইয়ে দিচ্ছেন। তাঁরা অনেকেই এই বিদ্যালয়কে শহরের সেরার তকমা দিচ্ছেন। কেউ কেউ বলেছেন শুধুমাত্র পড়াশোনা নই খেলাধুলা, নাচ, গান সব বেপারেই অন্য যেকোনো বিদ্যালয়-কে পিছনে ফেলে দিতে পারেন। গত কয়েকবারের মত এইবারেরও খ্রিস্টমাস যেভাবে পালন করা হল সেটা একটা দৃষ্টান্ত হয়ে রইলো।

ডিসেম্বর ২৫, ২০২১
শিক্ষা

School Re-Open: অবশেষে রাজ্যে খুলছে স্কুলের দরজা, ছাত্র-ছাত্রীদের কলতানে মাতবে ক্লাসরুম

বাজলো ছুটির ঘণ্টা। দীর্ঘ প্রায় দুবছর হতে চলল ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলের মুখ দেখেনি। অবশেষে বছর শেষে আজ, মঙ্গলবার বিদ্যালয়ের দরজা খুলতে চলেছে। স্কুলগুলিতে স্যানাটাইজারের কাজ শেষ। স্কুলে যাওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছে ছাত্র-ছাত্রীরা। যদিও প্রথম দফায় নবম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস হবে। তার মধ্যেও নানান নির্দেশিকা রয়েছে।রাজ্যের অন্য জেলার মত পুর্ব-বর্ধমান জেলার বিভিন্ন স্কুল আজ খুললো, সরকারি নির্দেশিকা ও কোভিড বিধি মেনে তাঁরা ছাত্রদের স্কুলে প্রবেশ করান। জেলার সিবিএসসি ইংরাজি মাধ্যমের স্কুল বর্ধমান মডেল স্কুলে আজ ছাত্রদের গোলাপ ফুল দিয়ে নবীনবরন করে নেওয়া হয়। বর্ধমান মডেল স্কুলের কর্নধার অচিন্ত্য কুমার মণ্ডল জনতার কথা-কে জানান অতিমারীর কারণে দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে আজ আবার স্কুল খুলতে চলেছে এবং ঈশ্বরের কৃপায় আমরা আমাদের বিদ্যালয়ে সন্তানদের ফিরে পেতে যাচ্ছি। শিক্ষক ও শিক্ষা-কর্মীদের কাছে আবেদন দয়া করে ভুলে যাবেন না যে এই অবস্থার মধ্যে তাদের মনের মধ্যে অনেক চাপ গিয়েছে, হয় তো অনেকের মধ্যে কিছু খারাপ অভ্যাস জায়গা করে নিতে পারে। তাই তাদের সাথে সহানুভূতির সঙ্গে আচরণ করুন এবং তাদের সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য চরম ধৈর্য ধরে রাখার চেষ্টা করুন। আশা রাখছি খুব শীঘ্রই আমরা শিশুদেরও স্কুলে আসতে দেখব। এর থেকে ভালো দৃশ্য সমাজে আমরা কিছু আশা করতে পারি না। সকালে ঘুম থেকে উঠে রাস্তার মোড়ে মোড়ে ও বাসের ভিতরে বাচ্ছারা মা-বাবা দের হাত ধরে স্কুল বাস/ক্যাব-র অপেক্ষায় যে কলতান করে তা কোনও সঙ্গীতের থেকে কম মধুর নয়। সকলের ভালো ও শুভ কামনা আশা করছি।যাত্রা শুরুএই সময় ছাত্রী-ছাত্রীরা অনলাইনে ক্লাসে অভ্যস্ত হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে সেই সুযোগ হয়নি লক্ষ লক্ষ পড়ুয়ার। শিক্ষামহল মনে করে, স্কুলে গিয়ে সরাসরি পড়াশুনার মজাটাই আলাদা। তাছাড়া স্কুলে গিয়ে না পড়লে প্রকৃত শিক্ষা সম্পূর্ণ হতে পারে না। বীরভূমের লাভপুরের শম্ভুনাথ কলেজের ভূগোল-র অধ্যাপক ডঃ কুনাল চক্রবর্তী জনতার কথাকে বলেন ছাত্রদের সাথে অফলাইনে ক্লাস নেওয়ার মজাই আলাদা। যে অনুভুতি সামনা-সামনি ক্লাস নিলে হয় তা কোনোদিন-ই অনলাইনের ক্লাসে সম্ভব নয়। আমরা দীর্ঘদিন শিক্ষকতা সঙ্গে যুক্ত, ছাত্রদের চোখের দিকে তাকালেই বুঝতে পারি তারা কতটা নিতে পারছে, সেটা কোনও দিন-ই অনলাইনের ক্লাসে সম্ভব নয়। তাছাড়া অনেকেই প্রত্যন্ত গ্রামে থাকে, সেখানে ইন্টারনেট পরিসেবা ততটা উন্নত নয়, কেউ হয়তো অর্থনৈতিক অবস্থা কারনে মোবাইল কিনতে পারেনি। তবে অনলাইন ক্লাস একটা দিগন্ত খুলে দিল, এটা নিশ্চিত ভাবেই প্রমানিত যে কোনও কিছুই প্রতিবন্ধকতা নয়। মানুষ চাইলে সব কিছুকেই অতিক্রম করতে পারে। আশা রাখি খুব শীঘ্রই ছোটোদেরও স্কুল শুরু হবে।

নভেম্বর ১৬, ২০২১
রাজ্য

School Reopen: স্কুল খোলা নিয়ে একগুচ্ছ নির্দেশিকা-সহ বিজ্ঞপ্তি জারি করল রাজ্য

১৬ নভেম্বর থেকে রাজ্যে খুলছে স্কুল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পঠনপাঠন শুরু হবে স্কুলে। এবার রাজ্য সরকারের তরফে স্কুলের সময়সীমা ধার্য করা হল।রাজ্যের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, নবম ও একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হবে সকাল ১০ টা থেকে। চলবে ৩:৩০ পর্যন্ত। ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে পৌঁছতে হবে ৯:৩০ টার মধ্যে। দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হবে ১১ টা থেকে। চলবে ৪:৩০ পর্যন্ত। ছাত্রীছাত্রীদের স্কুলে পৌঁছতে হবে সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে। এই মর্মে রাজ্য সরকারের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই স্কুলগুলিকে তা জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। তবে অতিমারি পরিস্থিতিতে স্কুলে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার্থে বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করে ওয়েস্ট বেঙ্গল সেকেন্ডারি বোর্ড। সেগুলো কী, আসুন জেনে নেওয়া যাক।১. সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী, সোম থেকে শনিবার পর্যন্তই স্কুল হবে। তবে কিছুটা সময় সীমার পরিবর্তন করা হয়েছে।২.এক-একটি ক্লাসকে দুটি বা তার বেশি শ্রেণি কক্ষে ভেঙে বসাতে হবে। পড়ুয়াদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতেই এই সিদ্ধান্ত।৩. থিওরি ক্লাসের পাশাপাশি প্র্যাকটিক্যাল ক্লাসগুলি নেওয়ার ক্ষেত্রেও এই শর্ত প্রযোজ্য।৪. নবম ও একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হবে সকাল ১০ টা থেকে। চলবে ৩:৩০ পর্যন্ত। ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে পৌঁছতে হবে ৯:৩০ টার মধ্যে। দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হবে ১১ টা থেকে। চলবে ৪:৩০ পর্যন্ত।৫. ক্লাস শুরু হওয়ার অন্তত আধ ঘণ্টা আগে ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে পৌঁছতে হবে।করোনার বিষয়ে অভিভাবক ও পড়ুয়াদের সতর্ক করার দায়িত্বও স্কুলকেই দিয়েছে রাজ্য। করোনা সম্পর্কে অবহিত হতে হবে। কী করা যাবে এবং কী করা যাবে না সে বিষয়ে সতর্ক হতে হবে। ডু অ্যান্ড ডোন্টস-এরও একটি তালিকা রয়েছে বিকাশ ভবনের স্কুল রিওপেন বুকলেটে। সেখানে বলা হয়েছে, জ্বর হলে কোনও অভিভাবক যেন পড়ুয়াকে স্কুলে না পাঠান। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, ক্লাস চলাকালীন একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর পর ক্লাসরুম, ল্যাব বা অন্যান্য ঘরগুলি স্যানিটাইজ করতে হবে।

অক্টোবর ২৯, ২০২১
রাজ্য

School Opening: ১৫ নভেম্বর থেকে স্কুল-কলেজ খুলবে, বড় ঘোষণা মমতার

শিলিগুড়িতে সোমবার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে সরকারি-বেসরকারি স্কুল ও কলেজ খোলার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বৈঠক শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই মুখ্যসচিবকে বলেন, পুজোর মরশুম শেষ হতেই, অর্থাৎ ছট পুজো ও জগদ্ধাত্রী পুজোর পর স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হয়। তার আগে প্রস্তুতির জন্য সময় দেওয়ার কথাও বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, স্কুল-কলেজ খোলার আগে প্রস্তুতির সময় দিতে হবে। দীর্ঘ দিন স্কুল বন্ধ ছিল। তাই কিছুটা সময় দিতে হবে স্কুলগুলিকে যাতে স্কুল কর্তৃপক্ষ পরিকাঠামোগত কাজ সেরে ফেলতে পারেন। তার পরেই স্কুল শুরু হবে।গত বছর ১৬ মার্চ থেকে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মুখ্যমন্ত্রী প্রাথমিকভাবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তার পর করোনা সংক্রমণ নতুন করে বৃদ্ধি পাওয়ায় আর স্কুল-কলেজ খোলা হয়নি। বন্ধ করা হয় বেশ কিছু পরীক্ষাও। তার পর করোনা সংক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসায় ২০ মাস পর স্কুল খোলার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। দীর্ঘ দিন ধরে স্কুল বন্ধ থাকার কারণে একাধিক পরিকাঠামো গত সমস্যা তৈরি হয়েছে স্কুল কলেজগুলির। সেগুলি আগামী কয়েকদিনে যাতে সামলে নেওয়া যায়, তার জন্যও বেশ কিছুটা সময় নির্দিষ্ট করে রাখার কথা বলেছেন তিনি।স্কুল খোলার সিদ্ধান্তে অবশ্য ভিন্ন মত পোষণ করছে চিকিৎসকমহল। আরও বেশ কিছুটা সময় দেখে নেওয়া উচিত ছিল বলে মত অনেকেরই।আবার অনেকেই মনে করছেন, স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত একেবারেই ঠিক।

অক্টোবর ২৫, ২০২১
কলকাতা

Fake Voter: ভুয়ো ভোটারকে ঘিরে ধুন্ধুমার খালসা হাইস্কুলে

ভবানীপুরে খালসা হাইস্কুলে ভুয়ো ভোটার ঘিরে তুমুল গোলমাল বিজেপি-তৃণমূলের। বিজেপির অভিযোগ, ভুয়ো ভোটার এনে ভোট করাচ্ছে তৃণমূল। পাল্টা শাসকদলের অভিযোগ, ভুয়ো ভোটার এনে অশান্তি ছড়াচ্ছে বিজেপি। এই নিয়েই ভোটকেন্দ্রের ভিতর মারামারি শুরু হয়ে যায়। এক যুবককে চুলের মুঠি ধরে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী সেখানে পৌঁছয়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান সংখ্যাও বাড়ানো হয়। এরপরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, কোনও প্রমাণপত্র ছাড়া অন্য একজনের স্লিপ নিয়ে ভোট দিতে এসেছে ওই ছেলেটি। সিআরপিএফ জিজ্ঞাসা করায় ও কোনও জবাব দিতে পারেনি। ও তৃণমূলের লোক। যদিও তৃণমূলের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করে গোটা ঘটনার দায় বিজেপির ঘাড়েই ঠেলেছে।আরও পড়ুনঃ ৩৫ কোম্পানির ঘেরাটোপে তিন বিধানসভা কেন্দ্রে শুরু ভোটগ্রহণএদিকে ভুয়ো ভোটার নিয়ে উত্তেজনার পরই খালসা হাইস্কুলে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছল জয়েন্ট সিপি নীলাঞ্জন বিশ্বাস। এ ছাড়াও ঘটনাস্থলে যান কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকও। বিজেপির অভিযোগ, তাদের প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল খালসা হাইস্কুলে ভোট কেন্দ্রের ভিতরে গিয়ে দেখেন, এক যুবক সেখানে রয়েছেন। তাঁর হাতে কোনও রকম পরিচয়পত্র নেই, অন্যান্য কোনও পরিচয়পত্র নেই। অথচ তিনি ভোট দিতে ঢুকেছেন। তখন তাঁরা তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। অভিযোগ, এরপরই বিজেপির লোকজন ওই যুবককে মারতে মারতে বাইরে নিয়ে আসেন। ওই যুবক তৃণমূলেরই লোক বলে দাবি করেছে বিজেপি।পাল্টা তৃণমূলের দাবি, বিজেপি অশান্তি পাকাতেই এই পরিস্থিতি তৈরি করেছে বিজেপি। যে ছেলেটিকে মারধর করা হয়েছে, বিজেপির লোকজন দীর্ঘক্ষণ ধরে তাঁকে আটকে রাখে। এর সঙ্গে ভুয়ো ভোটারের কোনও সম্পর্কই নেই। সকাল থেকে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোটদান পর্ব চলছিল। বিজেপির প্রার্থী ঢুকতেই গোলমাল শুরু হয়। যদিও বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের বক্তব্য, গোটা রাজ্যটাই ভুয়ো আইপিএস, পুলিশ আধিকারিকে ভর্তি হয়ে রয়েছে।

সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২১
রাজ্য

Maldah Rape: মালদায় স্কুল ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ

মালদায় এক স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল। স্থানীয় সূত্রে অভিযোগ, এলাকারই তিন ব্যক্তি এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। অভিযুক্তরা শাসকদলের ঘনিষ্ট হওয়ায় ব্যবস্থা নিচ্ছে না পুলিশ, এমনটাই দাবি নাবালিকার পরিবারের। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার রতুয়া থানার দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মাকাইয়া গ্রামে।আরও পড়ুনঃ টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হাওড়া ও টিকিয়াপাড়া কারশেড, বাতিল একাধিক ট্রেন এদিকে, ধর্ষিতার পরিবারের অভিযোগ পার্শ্ববর্তী গ্রাম বালুপুর এলাকার বাসিন্দা রহিমুল হক, টিউশনি পড়তে যাওয়ার সময় ওই নাবালিকাকে জোর করে গাড়িতে তুলে নেয়। এরপর মাদক খাইয়ে রহিমুল এবং তার দুই সহযোগী মোট তিনজন মিলে ওই নাবালিকাকে সারাদিন ধর্ষণ করে। এরপর গ্রামে ফেলে রেখে চলে যায়। অচৈতন্য অবস্থায় কোনওরকমে ওই নাবালিকা বাড়িতে আসে।একটু সুস্থ হয়ে উঠলে সমস্ত ঘটনা তাঁর পরিবারের সদস্যদের জানায় সে। এরপরই পরিবারের সদস্যরা রতুয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করে। মূল অভিযুক্ত শাসকদলের ঘনিষ্ঠ হওয়ার ব্যবস্থা নিচ্ছে না পুলিশ অভিযোগ পরিবারের। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত তিনজনের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

সেপ্টেম্বর ২০, ২০২১
দেশ

Modi: স্কুল খোলার আগে বড় ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

আজ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গোটা দেশজুড়ে পালিত হবে শিক্ষক পর্ব। মঙ্গলবার অনুষ্ঠানের প্রারম্ভিক পর্বে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অনুষ্ঠানে শিক্ষাক্ষেত্রে একগুচ্ছ নতুন পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে নিপুণ ভারত বিদ্যাঞ্জলি পোর্টালের জন্য নিষ্ঠা শিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি, বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য সাংকেতিক ভাষার অভিধান, অডিও বুক, সিবিএসই-র জন্য স্কুল কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্স অ্য়ান্ড অ্যাসেসমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক।আরও পড়ুনঃ বিজেপি নেতার মাকে খুনের তদন্তে অভিযুক্তদের বাড়ি থেকে অস্ত্র উদ্ধার সিবিআইয়ের২০২১ সালের শিক্ষক পর্বের মূল থিম হল, মানানসই ও টেকসই স্কুল : ভারতের স্কুল থেকে জ্ঞান অর্জন। এই কর্মসূচি সারা দেশে ১২ দিনের জন্য পালিত হবে। শিক্ষক পর্ব শুধুমাত্র সকল স্তরে শিক্ষার ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করতে নয়, সারা দেশের স্কুলে মান, উন্নত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষণ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বিভিন্ন উদ্ভাবনী পন্থা নিয়ে আলোচনা হবে এই শিক্ষক পর্বে। আগামী দিনগুলিতে অডিও বুক এবং টকিং বুক শিক্ষাক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে বলে মত শিক্ষাবিদদের। এছাড়া সাংকেতিক ভাষাকেও এখন দেশে পাঠক্রমের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।আরও পড়ুনঃ ওভালে জিতে ইতিহাস কোহলিদের, সিরিজ জয়ের হাতছানিদেশে মোদি সরকারের আমলেই প্রথম এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আগামীদিনের ভারত গঠনের জন্য এই প্রকল্পগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন প্রধানমন্ত্রী। ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ এখন স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষপূর্তি উদযাপন করছে। আমরা যখন স্বাধীনতার শতবর্ষ উদযাপন করব, তখন আমাদের দেশ কেমন হবে, তার জন্য আমাদের এখন থেকে সংকল্প করতে হবে। এছাড়া সদ্যসমাপ্ত হওয়া টোকিও অলিম্পিক্স এবং প্যারালিম্পিক্সে অংশগ্রহণকারীরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ৭৫ টি স্কুল যাবেন এবং পড়ুয়াদের অনুপ্রাণিত করবেন বলেও জানান তিনি। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদদের সঙ্গে দেখা করলে পড়ুয়ারা তাঁদের থেকে অনুপ্রাণিত হতে পারবেন বলেও মনে করছেন প্রধানমন্ত্রী।

সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২১
বিনোদুনিয়া

Swapner Canvas : 'স্বপ্নের ক্যানভাস' নিয়ে হাজির শিল্পাঙ্গন আর্ট স্কুল

শিল্পাঙ্গন আর্ট স্কুলের আর্ট এক্সিবিশন স্বপ্নের ক্যানভাস হয়ে গেল দক্ষিণ কলকাতার গ্যালারি গোল্ডে। তিনদিনব্যাপী এই আর্ট এক্সিবিশনের প্রথম দিনে ৩ সেপ্টেম্বর উপস্থিত ছিল কবি ও সমাজকর্মী সুদীপ্ত মন্ডল, পণ্ডিত মল্লার ঘোষ এবং চান্দ্রেয়ী দত্ত গুহ রায়। দ্বিতীয় দিনে উপস্থিত হল সিএবির সিনিয়র আম্পায়ার ও ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়। ৫ তারিখ অর্থাৎ শেষ দিনে অথিতি হিসাবে উপস্থিত হয়ে আর্ট এক্সিবিশনকে আলোকিত করেন বিশিষ্ট অভিনেত্রী রাতাশ্রী দত্ত, লেখিকা ও রিসার্চ স্কলার অনিন্দিতা দে, অঙ্কুরোদগমের নমিতা দাস, সোমনাথ ভদ্র, পরিচালক সত্যজিৎ দাস কবি ও সাংবাদিক সায়ন্তন সেন, ফটোগ্রাফার বুলান ঘোষ, চিত্রশিল্পী শিবা রাহা, ভারতীয় প্যারা ক্রিকেট দলের অধিয়ায়ক শুভ্র জোয়ারদার প্রমুখ।এই আর্ট এক্সিবিশন প্রসঙ্গে এই আর্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক কানু দাস জানান,এবারের আর্ট এক্সিবিশনের মূল উদ্দেশ্য ছিল পিছিয়ে পরা বাচ্চা যারা লকডাউনের সময় ঘরবন্দী হয়ে ছিল তাদের বের করে এনে তাদের জন্য কিছু করা। এই আর্ট এক্সিবিশন থেকে আমরা যে টাকাটা পাবো সেই টাকা পিছিয়ে পরা যে বাচ্চারা লেখাপড়া করতে পারছে না তাদের জন্য ব্যবহার করবো। তিনদিনের এই এক্সিবিশনে ৮ থেকে ৪২ বছর বয়সের ছেলে-মেয়েদের আঁকা রয়েছে। তিনি আরও জানান,এই আর্ট এক্সিবিশনে যারা প্রাইজ পাবে উত্তম মঞ্চে তাদের সেই প্রাইজটা দেওয়া হবে।এই আর্ট স্কুলের অন্যতম প্রধান সদস্য সোমনাথ চক্রবর্তী জানান,সবাইকে অনেক ধন্যবাদ আমাদের এই আর্ট এক্সিবিশনে উপস্থিত থেকে এক্সিবিশনটা সফল করে তোলার জন্য।আর্ট এক্সিবিশনে উপস্থিত হয়ে অভিনেত্রী রাতাশ্রী দত্ত জানালেন,প্রচুর বাচ্চাদের আঁকা রয়েছে। খুব সুন্দরভাবে তারা কাজ করেছে। আমার এখানে আসতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। সবাইকে অনেক শুভেচ্ছা জানাই। অনিন্দিতা দে জানালেন,আমার এখানে এসে সত্যিই খুব ভালো লাগছে। প্রত্যেকটা ছবির মধ্যে একটা অন্তর্নিহিত অর্থ আছে। বিশেষ করে শিশুদের যে প্রতিভা দেখে বোঝাই যায় না যে এত অল্পবয়সী বাচ্চারা এত ভাল ছবি আঁকতে পারে।

সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২১
রাজ্য

Mamata Bannerjee: পুজোর পর কি খুলবে স্কুল? বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

পুজোর পরই খুলবে স্কুল। তবে যদি কোভিড পরিস্থিতি আরও খারাপ না হয়। সোমবার নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, এ রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। সংক্রমণ ১ শতাংশে নেমে এসেছে। তবে আজ ঠিক থাকলেও আগামিকাল কী হবে তা নিয়ে এ ভাবে বলা সম্ভব নয়। সব ঠিকঠাক থাকলে ভাইফোঁটার পরই রাজ্যে স্কুল খোলা হবে বলে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।আদিবাসী উন্নয়নের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ট্রাইবাল অ্যাডভাইসরি কাউন্সিল তৈরি করেছিলেন। সোমবার ছিল সেই পর্ষদের প্রথম বৈঠক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ৫০০ সাঁওতালি স্কুলে অলচিকি হরফে পড়ানো হবে। ২০০ টি রাজবংশী স্কুল, ২টি কামতাপুরি স্কুলও হচ্ছে। এছাড়াও কুর্মি, হিন্দি, গোর্খা, নেপালি সমস্ত ভাষায় নতুন নতুন স্কুল আগামী দিন সিলেবাস তৈরি হওয়ার পর পড়ানো হবে। এটা নিয়ে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা ছিল।আরও পড়ুনঃ তৃণমূলের ত্রিপুরা-চ্যালেঞ্জে নতুন তাস দেবএরপরই স্কুল খোলা প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পুজোর পরই স্কুল খুলবে রাজ্যে। আগেই ঘোষণা করা হয়েছে। পুরো স্কুল স্যানিটাইজ করে তারপর তা খোলা হবে। তবে তা হবে যদি তৃতীয় ঢেউ না আসে। তৃতীয় ঢেউ যদি ভয়ঙ্কর না হয়। এটা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে। এখন বাংলার অবস্থা ঠিকই আছে। ১ শতাংশের আশেপাশে সংক্রমণ। তবে আমরা চাই সকলে ভাল থাকুন। কিন্তু মহারাষ্ট্র, কেরলে যে ভাবে প্রতিদিন সংক্রমণ বাড়ছে, জানি না কাল কী হবে। আজ বলতে পারি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।চলতি মাসের শুরুতেই করোনা মোকাবিলায় গঠিত গ্লোবাল অ্যাডভাইজারি বোর্ডের প্রধান নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নবান্নে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় রোডম্যাপ তৈরি নিয়ে সেই বৈঠকে আলোচনা হয়। এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, পুজোর পরই রাজ্যে স্কুল খোলার পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্যের। কোভিড পরিস্থিতি যদি ঠিক থাকে, তবে পুজোর ছুটির পরই একদিন ছাড়া একদিন স্কুলগুলি খোলা হতে পারে বলে জানান তিনি।আরও পড়ুনঃ বিজেপিকে ভোট, অনাহারে মালদার ৫ হাজার জলবন্দি মানুষ যদিও সোমবার সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউয়ের সম্ভাবনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে একটি রিপোর্ট জমা পড়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের তরফ থেকে এই রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে পিএমওতে। সেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, অক্টোবরেই চরম আকার ধারণ করতে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ। শিশুদের ক্ষেত্রে যে সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি থাকবে, সে ব্যাপারেও সতর্ক করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই দেশের একাধিক রাজ্যে সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। কেরল, মহারাষ্ট্রের ছবিটা নতুন করে আশঙ্কা বাড়াচ্ছে। এর মধ্যে আবার উৎসবের মরশুম। স্বভাবতই বহু মানুষের জমায়েত নতুন করে উদ্বেগের কারণ হতে পারে। এই অবস্থায় আদৌ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভবপর কি না তা তো সময়ই বলবে। আর পরিস্থিতির উপরই নির্ভর করে রাজ্যে স্কুল খোলা হবে এদিন আরও একবার জানিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আগস্ট ২৩, ২০২১
বিদেশ

Taliban: হেরাটে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জারি তালিবানি ফতোয়া, কী সেই ফতোয়া

সরকারি ও বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে একসঙ্গে পড়াশোনা করতে পারবেন না ছেলে ও মেয়েরা। গত রবিবার আফগানিস্তান দখল নিশ্চিত করার পর হেরাটে প্রথম ফতোয়া জারি করল তালিবান। শনিবার ওই প্রদেশের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পরই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংগঠনের নেতৃত্ব, এমনটাই জানা গিয়ে সংবাদ সংস্থা সূত্রে।আরও পড়ুনঃ সেনাবাহিনী থেকে অনন্য সম্মান পেতে চলেছেন অলিম্পিকে সোনাজয়ী নীরজ চোপড়া২০০১ সালে তালিবানি শাসনের প্রথম-পর্ব শেষ হওয়ার পর গত দুই দশক ধরে আফগানিস্তানে ছেলেমেয়েদের একসঙ্গে পড়াশোনা বা কোএডুকেশন শিক্ষানীতি চালু ছিল সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। আফগানিস্তানে তালিবান-রাজ ফিরতেই হেরাটে ফের পুরনো নীতি চালু করা হল। তালিবান নেতৃত্বের এই সিদ্ধান্তের জেরে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির বিশেষ সমস্যা না-হলেও বেকায়দায় পড়বে বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলি, এমনটাই মত সে দেশের শিক্ষাবিদদের। হেরাট প্রদেশের সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়-সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যাপকদের সঙ্গে তিন ঘণ্টার বৈঠকের পর তালিবান নেতা মোল্লা ফরিদ বলেন, সমাজে পচন ধরার মূলেই রয়েছে ছেলেমেয়েদের একসঙ্গে শিক্ষা। বিকল্প কোনও রাস্তা নেই। ছেলেমেয়েদের একসঙ্গে পড়াশোনা বন্ধ করতে হবে। মহিলা অধ্যাপকেরা শুধুমাত্র মেয়েদেরই পড়াতে পারবেন।

আগস্ট ২১, ২০২১
রাজ্য

School re-openning: পড়ুয়াদের জন্য সুখবর, বড় ঘোষণা মমতার

অবশেষে রাজ্যের স্কুল-কলেজ খুলতে চলেছে রাজ্যে! এমনই আশার বাণী শোনালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা মোকাবিলায় গঠিত গ্লোবাল অ্যাডভাইজারি বোর্ডের প্রধান নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৃহস্পতিবার নবান্নে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় রোডম্যাপ তৈরি নিয়ে এ দিনের বৈঠকে আলোচনা হয়। বৈঠকের শেষে সাংবাদিক বৈঠকের মুখোমুখি হয়ে মমতা জানান, পুজোর পরই রাজ্যে স্কুল খোলার পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্যের। কোভিড পরিস্থিতি যদি ঠিক থাকে, তবে পুজোর ছুটির পরই একদিন ছাড়া একদিন স্কুলগুলি খোলা হতে পারে বলে এ দিন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।আরও পড়ুনঃ আবার ব্যর্থ কোহলি, চ্যালেঞ্জ নিয়ে কথা রাখলেন অ্যান্ডারসনযদিও কলেজ খোলা নিয়ে আলাদা করে তিনি এ দিন কিছুই বললেনি। তবে স্কুল খোলা হতে পারে, এমন সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন। কিন্তু কোন ক্লাস থেকে কোন ক্লাসের পড়ুয়াদের স্কুলে ডাকা হবে সেই নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। মমতা বলেন, পুজোর ছুটির পর আমরা চেষ্টা করব একদিন ছাড়া একদিন স্কুলগুলো খোলার। মুখ্যমন্ত্রীর আজকের এই ঘোষণার ফলে রাজ্যের শিক্ষা এবং পড়ুয়া মহলে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে বলা চলে। শিক্ষক সংগঠনের অবশ্য় দাবি, পুজোর পর খুলতে হলে অনেক দেরি হয়ে যাবে। ততদিনে আরও সময় নষ্ট হবে, নতুন করে ঢেউও আসতে পারে। কিন্তু এখন পরিস্থিতি যেমন রয়েছে, তাতে এখনই একদিন ছাড়া একদিন স্কুল চালু করে দেওয়া সম্ভব।তৃতীয় ঢেউয়ের সঙ্গে কোন পথে মোকাবিলা করা সম্ভব, তা নিয়ে পরিকল্পনা নির্ধারিত করতেই এ দিন নবান্নে অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মমতা। বৈঠক শেষে অভিজিৎবাবু বলেন, এই মুহূর্তে যত বেশি পরিমাণে টিকাকরণ করা যায়, তত বেশি মানুষ সুরক্ষিত হবেন। দুর্গা পুজোর পরে যাতে পরিস্থিতির কোনওভাবে অবনতি না হয়, সেই উপলক্ষে পুজোর জন্য একটি পৃথক প্রকোটলও তৈরি করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন এই বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ।

আগস্ট ০৫, ২০২১
শিক্ষা

SFI: ৫ দফা দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি এসএফআই-এর

স্কুল খোলা-সহ ৫ দফা দাবিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখলো এসএফআই। কোভিড পরিস্থিতিতে শিক্ষাক্ষেত্রে অচলাবস্থা কাটাতেই চিঠির মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করা হয়েছে ভারতের ছাত্র ফেডারেশনের তরফে। করোনা মহামারি আছড়ে পড়ার পর গত দেড় বছরে স্কুল-কলেজে গিয়ে পঠনপাঠন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তার বদলে শুরু হয়েছে অনলাইন পঠনপাঠন। যার কুপ্রভাব ইতিমধ্যেই পড়তে শুরু করেছে পড়ুয়াদের ওপর। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে আসাতেই অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখে আবেদন জানানো হয়েছে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ১. অবিলম্বে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আংশিকভাবে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খুলে মুখোমুখি পঠনপাঠন প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।২. সকল পড়ুয়াকে টিকাকরণে অগ্রাধিকার দিতে হবে, বিনামূল্যে মাস্ক ও স্যানিটাইজার দিতে হবে। ৩. মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে ফলাফলের পর একাদশ শ্রেণি ও কলেজের প্রথম বর্ষে সিট বাড়াতে হবে।৪. স্কুল-কলেজ ও বিশ্বিদ্যালয়ে ভর্তির ফি মকুব করতে হবে।৫. বিশেষ স্টিমুলাস প্যাকেজ ঘোষণা করে শিক্ষায় ব্যয়বরাদ্দ বাড়াতে হবে। শিক্ষাক্ষেত্রে অচলাবস্থা দূর করতে অবিলম্বে উপরোক্ত বিষয়গুলোর ওপর বিশেষভাবে দৃষ্টিপাত করার আবেদন করা হয়েছে এসএফআই-এর তরফে।

আগস্ট ০৩, ২০২১
রাজ্য

Road Blockade: কালনায় পথ অবরোধ, বিক্ষোভ উচ্চ মাধ্যমিকে অকৃতকার্য ছাত্রীদের

রাজ্যের অন্যান্য জেলার পাশাপাশি এবার পূর্ব বর্ধমানেও ছড়াল উচ্চমাধ্যমিকের রেজাল্ট নিয়ে ক্ষোভের আঁচ। পরীক্ষা না নিয়ে কেন ফেল করানো হল কোন যুক্তিতে? এই দাবী তুলে শনিবার বিক্ষোভে ফেটে পড়ে উচ্চ মাধ্যমিকে ফেল করা ধাত্রীগ্রাম বালিকা বিদ্যালয়ের ৫০ জন ছাত্রী। তারা কালনা-কাটোয়া রোডে ধাত্রীগ্রাম পোস্ট অফিসের সামনে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভও দেখায়।আরও পড়ুনঃ শাহের দরবারে শুভেন্দু-সৌমিত্র, জল্পনাছাত্রীদের সঙ্গে পথ অবরোধ বিক্ষোভে অংশ নেয় তাঁদের অবিভাবকরা। প্রায় ঘন্টা খানেক ধরে চলে অবরোধ বিক্ষোভ। তার জেরে থমকে যায় কালনা-কাটোয়া এসটিকেকে রোডে যানবাহন চলাচল। প্রায় ঘন্টা খানেক অবরোধ চলার পর পুলিশি হস্তক্ষেপে অবরোধ বিক্ষোভ ওঠে।আরও পড়ুনঃ শিক্ষকদের মমতার উপহার উৎসশ্রী আসলে কী? জানুনউচ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পর ধাত্রীগ্রাম বালিকা বিদ্যালয়ের ৫০ জন ছাত্রী জানতে পারে তারা ফেল করেছে। রেজাল্ট হাতে পাওয়ার ওই ছাত্রীরা দেখে তাদের বেশির ভাগই বাংলা অথবা ইংরাজিতে ফেল করেছে। পথ অবরোধ বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ছাত্রী রিতিশা ঘোষ বলেন, পরীক্ষা হলে আমরা কেউ ফেল করতাম না। কারণ আমরা পড়শুনাটা সিরিয়াসলি করেছি। ছাত্রীদের প্রশ্ন, পরীক্ষা না নিয়ে তাহলে তাঁদের ফেল করানো হল কোন যুক্তিতে? তাই তারা চাইছে অবিলম্বে উচ মাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা হোক। নয়তো তাঁদের সকলকে পাস করিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।আরও পড়ুনঃ টোকিও অলিম্পিকে প্রথম পদক ভারতেরঅবিভাবক ঝুমা দেবনাথ বলেন, এই বছর অতিমারির কারণে পরীক্ষা না হওয়ায় মাধ্যমিকে পাশের হার ১০০ শতাংশ ।অথচ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ভিন্ন মানসিকতা দেখানো হল। পরীক্ষা না নিয়েও উচ্চ মাধ্যমিকে অনেক পড়ুয়াকে উত্তীর্ণ করা হয়নি। ধাত্রীগ্রাম বালিকা বিদ্যালয়ের বেশিরভাগ ছাত্রীকে হয় বাংলা নয়তো ইংরাজিতে ফেল দেখানো হয়েছে। যাদের ফেল দেখানো হয়েছে তাদের সবাইকে পাশ করাতে হবে বলে ঝুমা দেবনাথ সহ অন্য অবিভাবকরা দাবি করেছেন।আরও পড়ুনঃ গোপনে ভারত ঘেষা তিব্বত ঘুরে গেলেন চিনা প্রেসিডেন্টবিক্ষোভরত ছাত্রীদের স্কুলের ভিতর নিয়ে গিয়ে পুলিশ শিক্ষিকাদের সঙ্গে আলোচনায় বসায়। শিক্ষিকাদের কাছেও একই দাবি জানায় পড়ুয়া ও অবিভাবকরা। ব্লক প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের উচ্চ আধিকারিকদের দৃষ্টি আকর্ষণের আশ্বাস দিলে ছাত্রী ও অবিভাবকরা এদিনের মতো আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেয়।

জুলাই ২৪, ২০২১
রাজ্য

Heritage School: হেরিটেজ বিদ্যালয় ভবন সংস্কারে মেলেনি সরকারী অনুদান, প্রতিবাদে সরব প্রাক্তনীরা

হেরিটেজ বিদ্যালয় ভবন সংস্কারের দাবিতে সরব হলেন প্রাক্তনীরা। তাঁরা দাবি করেছেন, সরকারী অনুদানে সংস্কার করা হোক ভগ্নদশা তৈরি হওয়া পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর নীলমনি ব্রহ্মচারি ইন্সটিউট। সংস্কার কাজে সরকারী অনুদান না মিললে প্রাক্তনীরা ব্যক্তিগত ভাবে অর্থ দেওয়ার ব্যপারেও ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। ঐতিহ্যশালী বিদ্যালয় ভবন সংস্কারের দাবিতে প্রাক্তনীদের এই ভাবে সরব হওয়ায় প্রশাসনের কর্তারা ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস না দিয়ে পারেননি।আরও পড়ুনঃ কান্দাহারে নিহত পুলিৎজার জয়ী ভারতীয় চিত্রসাংবাদিকবিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও প্রাক্তনীদের কথায় জানা গিয়েছে, নীলমনি ব্রহ্মচারি ইন্সটিউটটি ১৮৮৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক স্তরে পড়ানোর স্বীকৃতি পায়। তাদানিন্তন সময়ে স্কুলটি ভিক্টরিয়া ইন্সটিটিউশন নামে পরিচিত ছিল। পরবর্তী সময়ে কালাজ্বরের ওষুধের আবিস্কারক উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারির পিতা নীলমনি ব্রহ্মচারির নামে ওই স্কুলের নামকরণ হয়। বর্তমানে এই বিদ্যালয়ের মূল ভবনটির বয়স ১৭২ বছর। সরকার বেশ কয়েক বছর আগে বিদ্যালয়টিকে হেরিটেজ ঘোষনা করেছেন। কিন্তু হেরিটেজ ঘোষনা হলেও ভগ্নদশা তৈরি হওয়া বিদ্যালয় ভবন সংস্কারের কোন উদ্যোগ আজ অবধি নেওয়া হয়নি।আরও পড়ুনঃ কফি ডেটে যেতে চান শ্রীলেখা! কিন্তু কার সঙ্গে?নীলমনি ব্রহ্মচারি ইন্সটিউট কর্তৃপক্ষ এক দশক ধরে ব্লকের উন্নয়ন আধিকারিক, জেলাশাসক থেকে রাজ্যস্তর পর্যন্ত বারবার আবেদন জানিয়ে আসছে। কিন্তু লাভের লাভ ও কিছুই হয়নি। এরইমধ্যে ওই ভবনের ৪০ শতাংশ অংশ ভেঙে পড়েছে। অনেক শিক্ষক চাকরি থেকে অবসরও নিয়েছেন। কিন্তু হেরিটেজ বিল্ডিং সংস্কারের জন্য এক টাকাও বরাদ্দ হয়নি। এই নিয়ে প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা চরম ক্ষুব্ধ। তারা চাইছেন সরকার যত তাড়া তাড়ি সম্ভব বিদ্যালয় ভবন সংস্কারে উদ্যোগী হোক।আরও পড়ুনঃ মঙ্গলকোট-কাণ্ডে তদন্তভার সিআইডি-রইন্সটিটিউটের একদল প্রাক্তন ছাত্র তাঁদের দাবির বিষয়টি নিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মদনমোহন ঘোষের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন। প্রাক্তনী অনিন্দ্য দাস জানান, তাঁরা প্রাক্তন ছাত্ররা প্রধান শিক্ষককে জানিয়েছেন তাঁরা ১০জন মিলিতভাবে বিদ্যালয়ের হেরিটেজ বিল্ডিং সংস্কারে জন্য ২ লক্ষ টাকা দিতে চান। পাশিপাশি সংস্কারের বাকি অর্থের জন্য তারা অন্যান্য প্রাক্তন ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানান। প্রাক্তনীরা মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য প্রধান শিক্ষকের হাতে একটি স্মারকলিপিও তুলে দিয়েছে।আরও পড়ুনঃ আতিউলের সাইকো থ্রিলারে থাকছে চমকএই বিষয়ে জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি দেবু টুডু বলেন, বিষয়টি শুনেছি। কিভাবে বিদ্যালয় ভবন সংস্কার করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

জুলাই ১৮, ২০২১
শিক্ষা

NTSE: বর্ধমানের মেয়ের রাজ্য স্তরে সাফল্য

ন্যাশানাল ট্যালেন্ট সার্চ এক্সাম (NTSE) প্রতিযোগিতায় রাজ্যে সপ্তম ও বর্ধমান জেলায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে সমন্বিতা পাল। বর্ধমান মডেল স্কুলের একাদশ শ্রেনীর বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী সমন্বিতা।প্রতি বছর এন সি ই আর টি (National Council of Educational Research and Training/ NCERT) এই পরীক্ষার আয়োজন করে। সাধারণভাবে দেশের মেধাবী পড়ুয়াদের চিহ্নিত করতেই এই পরীক্ষা নেওয়া হয়। এন সি ই আর টি-র তত্ত্বাবধানে এই পরীক্ষা দুটি পর্যায়ে হয়। পর্যায়-১ (Stage-I), পর্যায়-২ (Stage-II)। প্রথম পর্যায়ের (Stage-I) পরীক্ষার জন্য দশম শ্রেণীর ছাত্ররাই আবেদন করতে পারে। আবেদকারীকে ভারতের কোনও রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের স্বীকৃত স্কুলে শেষ শিক্ষাবর্ষে উত্তীর্ন সহ ৬০% নম্বর পেতে হবে। সংখ্যালঘু ও তপসিলিজাতির আবেদনকারীরা ৫% ছাড় পাবে। অবশ্যই ১৮ বছরের অনুর্দ্ধ হতে হবে। প্রথম পর্যায়ের রাজ্য ভিত্তিক পরীক্ষায় ৮০% বা তার বেশী নম্বরের পরীক্ষার্থীরা দ্বিতীয় পর্যায়ের (Stage-II) প্রতিযোগিতার জন্য যোগ্য বিবেচিত হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে সফল ছাত্রছাত্রীদের জাতীয় স্তরে প্রথম ১০০০ জনকে বৃত্তি প্রদান করা হয় এবং উচ্চশিক্ষা অবধি তাদের দায়িত্ব নেওয়া হয়। ওরিয়েন্টাল এসোসিয়েসান ফর এডুকেসন এন্ড রিসার্চ-এর সেক্রেটারি অচিন্ত্য কুমার মন্ডল ছাত্রছাত্রী দের সাফল্যে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন, তিনি বলেন সমন্বিতার এই সাফল্য প্রতিষ্ঠানের অন্য ছাত্রছাত্রীদের আরও উৎসাহিত করবে। বর্ধমান মডেল স্কুলের অধ্যক্ষ বিপিন বিহারী সিং জনতার কথাকে বলেন, সমন্বিতা প্রাথমিক শ্রেণী থেকে এই স্কুলে পড়ছে, ছোটো থেকেই সে পড়াশোনার ব্যাপারে প্রচন্ড মনযোগী। সিবিএসসি-র নিয়মানুসারে আমরা র্যাঙ্কিং দিতে পারি না। কিন্তু ওর রেজাল্ট বরাবরই প্রথম দিকেই থাকত।ওই স্কুলেরই বাংলার শিক্ষক সুমন নাগ জনতার কথাকে বলেন সমন্বিতা শুধু পড়াশোনা নয় ওর আরও নানা বিষয়ে আগ্রহ আছে। ও অসাধারণ আবৃত্তি করে, স্কুলের বাৎসরিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মেসমারাইজ সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নানা ভূমিকায় অভিনয় করেছে। সমন্বিতা প্রতিভার আরেকদিক হল অঙ্কন শৈলী। অঙ্কনে বর্ধমান জেলা আয়োজিত উৎকর্ষ প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান লাভ করেছে এবং ওই বছরে কুইজ প্রতিযোগিতায় জেলায় তৃতীয় স্থান লাভ করে। আমি একজন শিক্ষক হিসাবে অত্যন্ত গর্ববোধ করি ওর জন্য এবং সাফল্য কামনা করি।স্কুলের সার্বিক সহযোগিতার জন্য এই সাফল্য সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন সমন্বিতা। জনতার কথাকে সমন্বিতা পাল বলেন, আমি পড়াশোনার ফাঁকে সুযোগ পেলেই পেনসিল কাগজ নিয়ে আঁকতে বসে পড়ি। নানা রকমের প্রাকৃতিক দৃশ্যাবলী আঁকতে বেশী পছন্দ করি। তার কথায় আমার বেড়ে ওঠার পিছনে বর্ধমান মডেল স্কুলের অবদান অনস্বীকার্য, কিন্তু মায়ের অবদান কখনও ভুলতে পারব না। মা সারাক্ষণ আমাকে নিয়েই পড়ে থাকেন। এছাড়া আমাদের স্কুলে বছরভর নানা রকম কালচারাল অ্যাক্টিভিটি চলতেই থাকে। তাতে পার্টিসিপেসন করেও অনেক কিছু শিখেছি। শিক্ষকরাও প্রচণ্ড যত্নশীল। কোভিড পরিস্থিতির জন্য আমরা দীর্ঘদিন স্কুল যেতে পারিনি। কিন্তু শিক্ষকরা অনলাইনের মাধ্যমে এতটাই সতর্ক ও আন্তরিক যে আমি তো মাঝে মাঝে ভুলে যাই যে আমি স্কুলে নেই। কোভিডের সময় স্কুল থেকে বাড়িতে এসে আমাদের বই দিয়ে গেছে। এতটা সাহায্য না পেলে হয়ত আমাদের পক্ষে পড়াশোনা করাটা খুব চাপ হয়ে যেত। তিনি আরও জানান তাঁর লক্ষ্য জেইই অ্যাডভান্স। সেই সংক্রান্ত পড়াশোনাই চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়াও ওই স্কুলের সোহম ঘোষ (৭৬) ও আরমান ভট্টাচার্য্য (২০০) ভালো ফলাফল করেন।জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়

জুন ২২, ২০২১
কলকাতা

বাগদেবীর আরাধনায় মেতেছে বাংলা

করোনা অতিমারির আতঙ্কে কেটেছে গোটা একটি বছর। সব বিষাদ ভুলিয়ে সরস্বতী পুজোয় মেতে উঠেছে বাংলা।আজ সরস্বতী পূজা। বসন্ত পঞ্চমীর পূণ্যতিথিতে বাগদেবীর আরাধনায় মেতে উঠেছে গোটা বাংলা। খুলে গিয়েছে স্কুলও। তাই কোভিড বিধি মেনেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের স্কুলেও পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। পড়ুয়ারা নিজেরা গিয়ে সরস্বতীর মূর্তি নিয়ে এসেছেন বাড়িতে, স্কুলে, কলেজে। আপাতত করোনার ভয়কে জয় করে বাঙালির ভ্যালেন্টাইস্ ডে-তে মেতে উঠেছে বাংলা। সোমবার বাগদেবীর আরাধনায় ছাত্র যৌবনের উদ্দেশ্যে নতুন গান লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই গানের মাধ্যমেই সবাইকে বসন্ত পঞ্চমী ও সরস্বতী পুজোর শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী ।সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর ইউটিউব চ্যানেল থেকে গানটি প্রকাশিত হয়েছে। গানটি গেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সঙ্গীত অ্যাকাডেমির শিল্পীরা। সুর দিয়েছেন দেবজ্যোতি বোস। আর গানটির রচনা এবং ভাবনা খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। গানটি প্রকাশ করার পর ফেসবুক পোস্টে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, বসন্ত পঞ্চমীর পুণ্যলগ্নে আপনাদের সকলের জন্য রইল আমার রচনা ও ভাবনায়, দেবজ্যোতি বোসের সুরে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সঙ্গীত অ্যাকাডেমির শিল্পীদের গাওয়া একটি গান। সকলকে জানাই বসন্ত পঞ্চমীর ও সরস্বতী পুজোর আন্তরিক শুভেচ্ছা। বাংলা মেতে উঠুক সম্প্রীতির সুরে।এদিকে পূর্ব বর্ধমানে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সরকারি অনুমতি মেলেনি। তাই এদিন বর্ধমান মডেল স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের অনুপস্থিতিতে সরস্বতী পুজো অনুষ্ঠিত হয়।

ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২১
রাজ্য

টিফিন, পানীয় জল, এমনকি কলমও 'শেয়ার' করা নিষেধ স্কুলে

ছাত্রীদের একসময়ে সব কিছু সকলে ভাগ করে নেওয়ার শিক্ষা দিয়েছিলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। শুক্রবার নিউ নর্মাল পরিস্থিতিতে স্কুল খোলার দিনে ছাত্রীদের ভাগ করতে বারণ করার কথা তাঁর মূখেই শোনা গেল। করোনা পরিস্থিতিতে প্রায় ১১মাস বন্ধ থাকার পরে এদিনই প্রথম খুলল স্কুল। সকালে স্কুলে ঢোকার সময়ে সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে সার দিয়ে দাঁড়াতে হলো ছাত্রীদের। প্রথমেই থার্মালগান দিয়ে তাপমাত্রা মাপা হলো, তারপরে হাত স্যানিটাইজার দিয়ে জীবানুমুক্ত করে তারপরেই ক্লাসরুমে ঢুকতে দেওয়া হলো হাওড়া যোগেশচন্দ্র গার্লস স্কুলের নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীদের। এদিন সকালে স্কুলে আসা ছাত্রীদের করোনা বিধি মেনে চলার বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি, নিজেদের মধ্যে টিফিন, পানীয় জল, এমনকি কলমও শেয়ার করতে বারণ করেন।এদিন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শুভ্রা চক্রবর্তী বলেন, ছোট বেলায় যাদেরকে সবকিছু ভাগ করে নেবার শিক্ষা দিয়েছিলাম, করোনা পরিস্থিতিতে এবারে সেটাই করতে তাদের বারন করতে হচ্ছে। ছাত্রীদের করোনা বিধি মেনে চলার কথা বলেছি। প্রতি বেঞ্চের দুই ধারে দুইজন ছাত্রী বসবে। এদিন প্রায় এক বছর পরে স্কুলে এসে যারপরনাই খুশি ছাত্রীরা।একাদশ শ্রেনীর ছাত্রী রিয়া সাহানির কথায়, প্রায় এক বছর পরে আবার বন্ধুদের সাথে দেখা হচ্ছে। অনেক নতুন বন্ধু হয়েছে। খুব আনন্দ হচ্ছে। এদিন ধর্মঘটের মধ্যে স্কুলে আসা নিয়ে এক অবিভাবকের কথায়, ওরা তো অনেকদিন ধরেই গৃহবন্দী হয়ে রয়েছে। তাই বাংলা বনধে স্কুল খোলায় ওদেরকে আর থামানো যায়নি। বামফ্রন্টের ডাকা বন্ধ না মেনে তাই স্কুলে ছুটেছে পড়ুয়ারা। এদিনের বাংলা বনধে হাওড়ার জনজীবনে বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া কোন প্রভাব পড়েনি। বাস ও ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক ছিল। বন্ধ না মেনে পথে নামেন মানুষজন। হাওড়া স্টেশনে ট্যাক্সি পরিষেবাও প্রায় স্বাভাবিক ছিল।

ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২১
রাজ্য

প্রায় ১১ মাস পর স্কুল খুলল রাজ্যে

প্রায় ১১ মাস পর খুলল সমস্ত সরকারি ও অধিকাংশ বেসরকারি স্কুলের দরজা। আজ অর্থাৎ ১২ ফেব্রুয়ারি সকালে ফের অফলাইন ক্লাসে পড়ুয়ারা। এতদিন পর পুরনো পদ্ধতিতে ফিরতে পেরে খুশি প্রত্যেকে।গত বছর মার্চ মাস থেকে নিরাপত্তার খাতিরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল স্কুল-কলেজ-সহ সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কারণ, জমায়েত থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা ছিল। পরবর্তীতে মারণ ভাইরাসের দাপট বাড়ায় লকডাউন জারি হয় গোটা দেশে। মে মাস পর্যন্ত স্তব্ধ ছিল গোটা ভারত। তবে পড়ুয়াদের যাতে ক্ষতি না হয় সেই কারণে অধিকাংশ স্কুলই শুরু করে অনলাইন ক্লাস। পরবর্তীতে জানুয়ারিতে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, ফেব্রুয়ারির ১২ তারিখ স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে সেক্ষত্রে কঠোরভাবে কোভিড বিধি মানতে হবে। ব্যবহার করতে হবে মাস্ক, স্যানিটাইজার। পালন করতে হবে দূরত্ব বিধি। প্রিয় বন্ধুর সঙ্গেও ভাগ করে খাওয়া যাবে না টিফিন। এত নিষেধাজ্ঞার মাঝেও স্কুলে যেতে পেরে খুশি পড়ুয়ারা। ছাত্র-ছাত্রীদের যাতে কোনও রকম অসুবিধা না হয়, সেদিকে নজর রেখেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

দামোদরে বালি তুলতে গিয়ে বিরাট বিপত্তি, জলে ভাসছে ১৫টি লরি

দামোদরে বালি তোলায় কোনও লাগাম নেই। ডিভিসি থেকে জল ছাড়ার খবর থাকা সত্বেও বালি তোলার কাজ চলছিল। লরি নেমেছিল একেবারে নদের ভিতরে। জল ভরে টুইটুম্বুর হওয়ায় ভেসে গেল ১৫টি বালি বোঝাই লরি। পূর্ব বর্ধমানের গলসির গোহগ্রামের এই ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে। পরে লরিগুলিকে উদ্ধারের তৎপরতা শুরু হয়।দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার কথা ডিভিসি ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগাম ঘোষণা করা হয়েছিল। মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে বুধবার জল ছাড়া হয় ৪০ হাজার কিউসেক। এরই মধ্যে নিম্ন দামোদর অববাহিকায় দুদিন ধরে টানা বৃষ্টি চলেছে। এই সব কারণে বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ দামোদর নদে জলের পরিমাণ বেশ বেড়ে যায়। এতেই ঘটে যায় বিপত্তি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ১৫টি বালি বোঝাই লরি দামোদর নদের জলে ভাসতে থাকে। তার উপর বৃহস্পতিবার বেলা বাড়তে নদের জল আরও হু হু করে বাড়তে শুরু হয়। বিপদ বুঝে লরিগুলি নদী থেকে তোলার জন্য তৎপরতা শুরু করে চালকরা । ওই সময়েই সামনে থাকা দুটি লরি বিকল হয়ে যাওয়ায় লরি গুলি নদ থেকে পাড়ে তোলা আর সম্ভব হয়নি। জেসিবি মেশিন ব্যবহার করেও কাজ হয়নি। জল কমা পর্যন্ত লরিগুলো তুলতে অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

জুন ১৯, ২০২৫
রাজ্য

"কেশরী: চ্যাপ্টার ২" তে ক্ষুদিরাম বসু সহ বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অপমান, প্রতিবাদে গর্জে উঠল বাংলা পক্ষ

সম্প্রতি কেশরী: চ্যাপ্টার ২ নামের এক বলিউডি হিন্দি সিনেমায় ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সশস্ত্র সংগ্রামের উজ্জ্বল ইতিহাস তথা বীর বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পরিচয় ও ভূমিকা বিকৃত করে এক মনগড়া মিথ্যা ইতিহাস তুলে ধরার অভিযোগ উঠেছে। সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম সিং ও বারীন্দ্র কুমার নামক দুই বিপ্লবী বৃটিশ পুলিশকর্তা কিংসফোর্ডকে বোমা মেরে হত্যার চেষ্টা করে ও তাদের বোমা তৈরীর প্রশিক্ষণ দেয় কৃপাণ সিং! যার সাথে বাস্তবের কোন মিল নেই। প্রকৃত পক্ষে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে বাঙালি বিপ্লবীদের সশস্ত্র সংগ্রামের ইতিহাসের এক যুগান্তকারী ঘটনা কিংসফোর্ড হত্যার প্রচেষ্টা ও পরবর্তীতে মানিকতলা বোমা মামলার ঘটনার কথা সম্পূর্ণ বিকৃত ভাবে এই সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে।সশস্ত্র সংগ্রামের লক্ষ্যে কলকাতার মানিকতলার যুগান্তর গুপ্ত সমিতিতেই অরবিন্দ ঘোষের নেতৃত্বে বোমা তৈরীর কর্মশালা গড়ে ওঠে, ইউরোপ থেকে বোমা তৈরী শিখে এসে এখানে বোমা তৈরী করে বিপ্লবীদের সরবরাহ করতেন হেমচন্দ্র কানুনগো, যিনি বলিউডের দৌলতে হয়েছেন কৃপাণ সিং। এই গুপ্ত সমিতির পক্ষেই ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকী কিংসফোর্ডকে বোমা নিক্ষেপ করে হত্যার চেষ্টা করেন। মেদিনীপুরের বীর বাঙালি কিশোর ক্ষুদিরাম বসুর পদবী সিনেমায় হয়েছে সিং অন্যদিকে প্রফুল্ল চাকীর নামই মুছে গেছে, শোনা গেছে জনৈক বারিন্দর কুমারের নাম, যেকোন ইতিহাস সচেতন ব্যক্তিই বলতে পারবেন এই নাম আসলে মানিকতলা বোমা মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ও পরবর্তীতে আন্দামানে দ্বীপান্তরিত বারীন্দ্র ঘোষের, যিনি সম্পর্কে অরবিন্দ ঘোষের ভাই। এই মানিকতলা বোমা মামলায় বিপ্লবীদের পক্ষে কোর্টে আইনি লড়াই করেন আরেক মহান বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামী দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ। এই গৌরবজনক অধ্যায় সম্পূর্ণ ভাবে বিকৃত করা হয়েছে, যা বাঙালি জাতি তথা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি চূড়ান্ত অবমাননা।এই বিকৃতির বিরুদ্ধে বাঙালির ক্ষোভের প্রকাশ দেখা যাচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থেকে সংস্কৃতি জগতের নানান ব্যক্তিত্ব এই ইতিহাস তথা মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নাম বিকৃতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। ভারতীয় বাঙলির জাতীয় সংগঠন বাংলা পক্ষও সরব হয়েছে, আজ তারা পথে নেমে প্রতিবাদ করল কলকাতার বাংলা একাডেমী সংলগ্ন রানুছায়া মঞ্চে। এই প্রতিবাদ সভায় বাংলা পক্ষর সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি বলেন, কেশরী ২ সিমেমার মূখ্য অভিনেতা অক্ষয় কুমার, তিনি কাদের স্বার্থে বিকৃত ইতিহাস প্রচার করে সিনেমা তৈরি করেন এটা আমাদের সকলের জানা৷ বিজেপি ও বলিউডের উদ্দেশ্য বাঙালির গৌরবজনক বীরত্বের ইতিহাস মুছে দেওয়া। সেই উদ্দেশ্যেই বারবার এই ধরনের ঘটনা দেখা যাচ্ছে। বলিউড এর আগেও অভয় ২ সিরিজে বীর শহীদ ক্ষুদিরাম বসুকে ক্রিমিনাল, জঙ্গি হিসাবে দেখিয়েছিল। বাংলা পক্ষ তখন Zee5 কে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছিল এবং সল্টলেকে Zee5 এর অফিসে বিক্ষোভ করেছিল। পরবর্তীতে Zee5 ক্ষমা চেয়ে সেই অংশ বাদ দিতে বাধ্য হয়। শীর্ষ পরিষদ সদস্য অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় বলেন যতক্ষণ না পর্যন্ত কেশরী ২ সিনেমার নির্মাতারা ক্ষমা না চায়, বাংলা পক্ষর লড়াই চলবে। ক্ষমা চেয়ে এই দৃশ্য বাদ দিতে হবে। বাঙালি বিদ্বেষীদের কিভাবে ক্ষমা চাওয়াতে হয় সেটা বাংলা পক্ষ ভালো ভাবে জানে।শীর্ষ পরিষদ সদস্য সৌম্যকান্তি ঘোড়ই বলেন, ক্ষুদিরাম বসুকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান। প্রফুল্ল চাকীকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান৷ বীর বিপ্লবী বারীন ঘোষদের অপমানের বিরুদ্ধে এই লড়াই চলবে। অক্ষয় কুমারকে ক্ষমা চাইতেই হবে।এছাড়াও আজকের প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন কলকাতা জেলার সম্পাদক সৌম্য বেরা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক কুশনাভ মন্ডল, শিল্পী পক্ষর অধিকর্তা প্রবাল চক্রবর্তী প্রমুখ। এর আগে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় এই সিনেমা নিয়ে একই ইস্যুতে এফআইআর হয়েছে। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন বাঙালি বীর বিপ্লবীদের ইতিহাস বিকৃতি করার জন্য।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স

লর্ডসে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও রাহুল দ্রাবিড়ের। দিনটা ছিল ১৯৯৬ র ২০ জুন। এই টেস্টের কথা উঠলেই মহারাজকীয় শতরানের কথাই সবার আগে মনে আসে। যা এসেছিল ২২ জুন।তবে ২০ জুন বল হাতে কামাল দেখিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ইংল্যান্ডের তৃতীয় ও চতুর্থ উইকেট পড়েছিল চার রানের ব্যবধানে। দলের ৯৮ রানের মাথায় সৌরভের প্রথম শিকার হন তিন নম্বরে নামা নাসের হুসেন। ১১০ বলে ৩৬ রান করে তিনি ফেরেন বিক্রম রাঠোরের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ১০২ রানে ইংল্যান্ডের চতুর্থ উইকেট পড়ে। ৯ বলে ১ রান করে গ্রেম হিক সৌরভের বলেই জাভাগল শ্রীনাথের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। প্রথম ইনিংসে সৌরভের বোলিং ফিগার ছিল ১৫-২-৪৯-২। বেঙ্কটেশ প্রসাদ পাঁচটি, শ্রীনাথ তিনটি ও সৌরভ ২টি উইকেট পান। পরশ মামব্রে, অনিল কুম্বলে ও সচিন তেন্ডুলকর উইকেট পাননি। দ্বিতীয় ইনিংসে সৌরভ তুলে নিয়েছিলেন প্রথম ইনিংসে শতরানকারী জ্যাক রাসেলের উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে মহারাজ ৩ ওভারে মাত্র ৫ রানের বিনিময়ে একটি উইকেট পেয়েছিলেন। ফলে লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

বৃষ্টির মোকাবিলায় ইডেন সেরা, মাঠ ভরানোর আহ্বান মনোজের

আজও বৃষ্টিতে ব্যাহত বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের খেলা। কয়েক দিন ধরেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি চলছে। যার জেরে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের খেলাগুলি পরিত্যক্ত হচ্ছে। ইডেনে বৃষ্টি থামার পর খেলা শুরু হলেও ফের অবিরাম বর্ষণে ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। তবে গতকাল যা হলো তা অন্য কোথাও আর হতে পারতো না।সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত ভাবনাতেই ইডেনের গোটা মাঠ ঢেকে রাখার বন্দোবস্ত হয়েছে। উন্নতমানের কভার আনিয়ে। এমনকী ইডেনের মতো সল্টলেক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস মাঠেও মাঠ ঢেকে রাখা হয় প্রধান কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন অনবদ্য টিম যার ফলে বৃষ্টি থামার কিছুক্ষণের মধ্যেই মাঠ খেলার উপযুক্ত করে দিতে পারেন। ইডেনের এমন ব্যবস্থাপনা বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়াম আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামেও নেই। সুনীল গাভাসকর-সহ অনেকেই তাই বলে থাকেন মাঠ ঢাকার ব্যবস্থাপনায় ইডেনকে অনুসরণ করতে। এই ব্যবস্থাপনার সুফল মিলল আরও একবার। গতকাল বৃষ্টি একটু ধরতেই রাতে ৯ ওভারের ম্যাচ হলো। হারবার ডায়মন্ডস ৪০ রানে হারাল লাক্স শ্যাম কলকাতা টাইগার্সকে। যে পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে শহরে তাতে অন্য কোথাও এটা সম্ভব হতো না। হলো মাঠ ঢাকার ব্যবস্থা ছিল বলেই। হারবার ডায়মন্ডস অধিনায়ক তথা রাজ্যের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি অনুরোধ করেছেন সকলকে কাজ সেরে মাঠে এসে তরুণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করার জন্য। এই লিগে বিনামূল্যে খেলা দেখা যায়। এমনকী হারবার ডায়মন্ডসের সমর্থকদের জল, ইলেক্টোরাল, কেক দেওয়ার কথাও মনোজ বলেছেন। তার কারণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করতে সমর্থকদের উপস্থিতি দরকার। গ্যালারির সিংহভাগ ফাঁকা থাকছে। যে লিগের সম্প্রচার স্টার স্পোর্টসে চলছে সেখানে এমন ফাঁকা গ্যালারি মোটেই ভালো বিজ্ঞাপন নয়।

জুন ১৯, ২০২৫
দেশ

ওরঙ্গাবাদের এই হৃদয়স্পর্শী কাহিনী আপনার মন ছুঁয়ে যাবেই

মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদের সম্ভাজি নগরে ঘটনা এখন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। ওই হৃদয়স্পর্শী ঘটনা নাড়া দিয়েছে পুরো সমাজকে। সেখানে এক গয়নার দোকানে গিয়েছিলেন অতি সাধারণ এক দম্পতি। স্ত্রীকে কিছু উপহার দেওয়াই ছিল স্বামীর উদ্দেশ্য। গয়নার শোরুমের ম্যানেজার তাদের সঙ্গে গল্প জুড়ে দেন। হাসিঠাট্টার মাঝে কথা বলতে বলতে জেনে নেন তাঁদের জীবনকাহিনী। এবার এল জিনিস কেনার পালা। হাতের ঝোলা ব্যাগ থেকে বেরোল একটা ৫০০ টাকার নোট। একে একে ১০, ২০ টাকার নোট। সবশেষে একটা ছোটখাট বোঁচকা। তাতে ভর্তি খুচরো পয়সা।শোরুমের ম্যানেজার গোটা বিষয়টা বুঝতে পেরে তাঁদের একটি হার উপহার দেন। সঙ্গে একজোড়া কানের দুলও। এরপর বৃদ্ধের কাছে সরল আবদার জানান, নিজে হাতে স্ত্রীর হাতে সেটা তুলে দিতে হবে। উপহার তো দিলেন ম্যানেজার, কিন্তু এত বড় দোকানে এসে কোনও টাকা না দিয়ে চলে যাবেন, এতেও যেন সম্মানে বাধে বৃদ্ধের। সমাজের খেটে খাওয়া মানুষের কাছে আত্মসম্মানই বড় কথা। প্রাণ যাক, সম্মান নিয়ে বাঁচাটাই বড় কথা। তাই সবচেয়ে বড় নোটটি তুলে দিতে চেয়েছিলেন ম্যানেজারের হাতে। কিন্তু তাতে ম্যানেজারের উত্তর, আপনার আশীর্বাদের হাত থাকলেই হবে। পান্ডুরঙ্গ (কর্নাটক, মহারাষ্ট্রের পূজিত দেবতা) আছেন, কিছুর অভাব হবে না কোনওদিন। কিন্তু বৃদ্ধ নাছোড়বান্দা, টাকা তিনি দেবেনই। উপায় নেই বুঝে অবশেষে দুটো ১০ টাকার নোট নেন ম্যানেজার।স্বামীর চোখে জল, ধুতির খুঁট দিয়ে মুছে ফেললেন। তা দেখে স্ত্রীও আটকাতে পারলেন না নিজেকে। ভিডিওতেই স্পষ্ট, এমন এক মূল্যবান উপহার পেয়ে বিশ্বাস হচ্ছে না ওই দম্পতির। কিন্তু যেকজন ভিডিওটি দেখেছেন, তাঁরা সবাই বুঝেছেন এই চোখের জল, অবিশ্বাস শুধু মূল্যবান এক উপহারের জন্য নয়, জীবনের অন্যতম এই দিনটি মনের মণিকোঠায় সাজিয়ে রাখছেন দম্পতি।

জুন ১৯, ২০২৫
দেশ

আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা: শিশুদের শনাক্ত করতে বড় সমস্যা, এখনও হস্তান্তর ১৫৯ দেহ

সুরাটের নানাবাওয়া পরিবার ৩৬ বছর বয়সী আকিল এবং ৩১ বছর বয়সী স্ত্রী হান্না ভোরাজির নামাজ-এ-জানাজা (জানাজা) সম্পন্ন হয়। বুধবার ভোরে ফোন করে জানায় যে বোয়িং ড্রিমলাইনার দুর্ঘটনায় তাদের সাথে মারা যাওয়া তাদের মেয়ে সারার মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। আত্মীয়স্বজনরা চার বছর বয়সী মেয়ের দেহাবশেষ দাবি করতে আহমেদাবাদে ছুটে যান। যাতে তাকে তার বাবা-মায়ের পাশে দাফন করা যায়।আহমেদাবাদ-লন্ডন AI-171 বিমান দুর্ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পর, সারার সন্ধানে দেখা যাচ্ছে যে পুড়ে যাওয়া দেহাবশেষের মধ্যে নাবালকদের শনাক্ত করা কতটা কঠিন। বুধবার পর্যন্ত, ডিএনএ ম্যাচিং এবং শনাক্তকরণের পরে ১৫৯টি মৃতদেহ আত্মীয়দের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সারা ছাড়াও, এই মৃতদেহগুলির মধ্যে কেবল একজন নাবালিকা ছিল ফাতিমা শেঠওয়ালা, যার বয়স ১৮ মাস।বিমান সংস্থার তালিকা অনুসারে, AI-171-এ ১২ বছরের কম বয়সী ১৩টি শিশু ছিল, যার মধ্যে তিনজন এখনও ২ বছর পূর্ণ করেনি। আরও বেশ কয়েকজনের বয়স ১১ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে।এই ধরনের দুর্যোগে অপ্রাপ্তবয়স্কদের শনাক্ত করার জন্য ডিএনএ প্রযুক্তি ব্যবহারে অসুবিধা ব্যাখ্যা করে গুজরাটের সরকারি ডেন্টাল কলেজের ফরেনসিক দন্ত বিশেষজ্ঞ ডঃ জয়শঙ্কর পিল্লাই বলেন, শিশুদের শরীরের ভর কম থাকে এবং তাই টিস্যুর ক্ষতি হয় এবং লম্বা হাড় তাপের সংস্পর্শে আসে। তবে দাঁত বেশি শক্তিশালী হওয়ায় তাপ সহ্য করতে পারে।তবে অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে এটিও জটিল। শিশুদের যে কোনও দাঁত থেকে ডিএনএ বের করা যেতে পারে, কিন্তু আগুন লাগার সময় সামনের দাঁত ব্যবহার করা যায় না কারণ তাপ তাদের নষ্ট করে দেয়। তাই আমরা মোলার থেকে ডিএনএ নিই। ছয় বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে, আমরা স্থায়ী মোলার পেতে পারি না... তাদের বেশিরভাগই দুধের দাঁত থাকে, এবং কখনও কখনও সেগুলিও নষ্ট হয়ে যায়। কারণ খিলানটি খুব ছোট। তাই আমরা চোয়ালে একটি ছেদ তৈরি করি এবং ভিতরে স্থায়ী মোলার তৈরি করার চেষ্টা করি, পিল্লাই বলেন, যার বিভাগের সাথে ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ দাঁতের ডিএনএ বের করতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের দাঁতের চার্ট তৈরি করতে সাহায্য করার জন্য যোগাযোগ করেছিল।একজন ফরেনসিক কর্মকর্তা বলেছেন যে দুর্ঘটনার পরে যে আগুন লেগেছিল তা খুব অল্প সময়ের মধ্যে ১৬০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি তাপমাত্রায় পৌঁছেছিল। সুতরাং, কিছু ব্যক্তির জন্য কেবলমাত্র আংশিক ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়া যায়, যাদের আমরা সন্দেহ করি যে তারা নাবালক, কর্মকর্তা বলেন, আরও বলেন যে আত্মীয়দের সাথে নিঃসন্দেহে নির্ভুলতার সাথে মেলানো কঠিন।আকিলের বাবা আবদুল্লাহ স্মরণ করিয়ে দেন যে তিনজন ৬ জুন, ঈদুল আযহার একদিন আগে, এক আকস্মিক পরিদর্শনে এসেছিলেন। এটা একটা ছোট ভ্রমণ ছিল। আমরা জানতাম না যে এটাই তাদের শেষ হবে, কাঁদতে কাঁদতে আবদুল্লাহ বলেন, যিনি বিমানে পরিবারকে নামিয়ে দিতে আহমেদাবাদ গিয়েছিলেন।ভদোদরায়, আসিফ শেঠওয়ালা তার নাতনি ফাতিমার জন্য শোক প্রকাশ করেছেন। যার দেহাবশেষ বুধবার শনাক্ত করা হয়েছে, যখন তার মা সাদিকার মৃতদেহ এখনও পাওয়া যায়নি। আসিফ বলেন, ফাতিমা তার লন্ডন-ভিত্তিক ছেলের একমাত্র সন্তান। সাদিকা এবং ফাতিমা আমার ছোট ছেলের বিয়েতে বেড়াতে এসেছিলেন। তারা প্রায় ২০ দিন ধরে এখানে ছিলেন এবং তাদের ফেরার টিকিট অনেক আগেই বুক করা হয়েছিল।ডিএনএ সরবরাহ করার পাশাপাশি, দাঁতের দেহাবশেষ একজন ব্যক্তির আনুমানিক বয়স নির্ধারণেও সাহায্য করে। যা শনাক্তকরণের জন্য প্রয়োজনীয় সূত্র প্রদান করে। আহমেদাবাদ দুর্ঘটনায় এটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যও, বিস্ফোরণ এবং আগুনের ফলে উদ্ধার করা বেশিরভাগ ডিএনএ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।ডঃ পিল্লাই বলেন, ফরেনসিক ওডন্টোলজি বিভাগ এক থেকে ছয় বছর বয়সী বেশ কয়েকজন প্রাপ্তবয়স্ক যাত্রীর দাঁতের ডিএনএ সংগ্রহ করেছে অথবা ডেন্টাল চার্টিং করেছে এবং অন্তত কিছু ভুক্তভোগীর বয়স মূল্যায়ন করেছে। এরপর এই বয়সের যাত্রীদের জন্য ফ্লাইট ম্যানিফেস্টের সাথে তুলনা করা হয়েছে। কিছু শিশুর ক্ষেত্রে, আমরা দ্বিতীয় মোলার বিকশিত হতে দেখেছি, যা স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে তারা তিন থেকে ছয় বছর বয়সী। এটি অনুসন্ধানকে সংকুচিত করতে সাহায্য করেছে। তারপর তাদের ডিএনএ নমুনা তাদের আত্মীয়দের সাথে মেলানো যেতে পারে।যারা খবরের জন্য অপেক্ষা করছেন তাদের মধ্যে রয়েছে ভদোদরার ভাহোরা পরিবার। তারা দুর্ঘটনায় তিন সদস্যকে হারিয়েছে। সোমবার ইয়াসমিনের মৃতদেহ হস্তান্তর করা হলেও, পারভেজ এবং তার ৪ বছর বয়সী মেয়ে জুভেরিয়ার দেহাবশেষ এখনও পাওয়া যায়নি। প্রাক্তন আইপিএস অফিসার এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ, ডঃ কেশব কুমার বলেছেন, পরিবারগুলির আশা হারানো উচিত নয়। বিমান দুর্ঘটনাটি প্রায় বোমা বিস্ফোরণের মতো ছিল। যেখানে ৫৪,০০০ লিটার বিমান জ্বালানি এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে জ্বলছিল। উৎপন্ন তাপের পরিমাণ শরীরের জন্য ক্ষতিকর। আমরা ভাগ্যবান হব যদি ভালো নমুনা পাওয়া যায়। কিন্তু যদি একটি দাঁতও পাওয়া যায়, তাহলে ডিএনএ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ফরেনসিক পরীক্ষা খড়ের গাদায় সূঁচ পাওয়ার মতো। কিন্তু একজন তদন্তকারী হিসেবে, আমি বলতে পারি যে ম্যাচ পাওয়ার সম্ভাবনা ১০০%। ডিএনএ হাজার হাজার বছর টিকে থাকতে পারে এবং প্রয়োজনে ধ্বংসাবশেষে ডিএনএর আরও চিহ্ন থাকবে। গুজরাট পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন যে তারা দুর্ঘটনাস্থল থেকে একাধিক নমুনা সংগ্রহ নিশ্চিত করেছেন।

জুন ১৯, ২০২৫
রাজ্য

১০০ দিনের কাজ নিয়ে হাইকোর্টে বড় ধাক্কা কেন্দ্রীয় সরকারকে

গতকালই ওবিসি মামলায় হাইকোর্টে জোরদার ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। এবার ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বড় ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার নজিরবিহীন একটি নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পশ্চিমবঙ্গে ফের ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প চালু করতে হবে, এই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ১ আগস্ট থেকেই এই প্রকল্প চালু করতে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ।উল্লেখ্য, বাংলায় ১০০ দিনের কাজের টাকা বহুদিন ধরে আটকে রেখেছে কেন্দ্র, এই অভিযোগ করে আসছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রাজ্য সরকারের একাধিক মন্ত্রী এই ব্যাপারে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বারবার সমালোচনায় সরব হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে লাগামহীন দুর্নীতি হয়েছে। এই দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্র বেশ কয়েকটি দলও বাংলার জেলায় জেলায় পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী আদালতে জানিয়েছিলেন, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গে মোট ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে গরমিল ধরা পড়েছে।। তার মধ্যে ২ কোটিরও বেশি টাকা পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে। হুগলি, মালদা, বর্ধমান, দার্জিলিংয়ের মতো জেলাগুলিতে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। ১০০দিনের কাজের প্রকল্পে টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে বেনজির দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রের।রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প আটকে থাকা নিয়ে মামলার শুনানি বুধবার ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনেছেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এরপর প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছেন যে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের জন্যই বিশেষ কোনও বেঁধে দিতে পারে কেন্দ্র। এই রায়ের পর সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ১০০ দিনের পুরনো বকেয়া টাকা ফেরত দিতে হবে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর

পাঁচ লক্ষ টাকা তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর এবং সালিশি করে গ্রাম ছাড়া করার অভিযোগ উঠলো স্থানীয় একদল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকায়। এই ঘটনায় আক্রান্ত ব্যবসায়ীর পরিবার কালিয়াচক থানার দ্বারস্থ হলেও চারদিন পরে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে বুধবার ওই ব্যবসায়ী দম্পতি সমস্ত ঘটনার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানালেন পুলিশ সুপারের কাছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব। এদিকে কালিয়াচকের ওই ব্যবসায়ীর ওপর আক্রমণ এবং পাঁচ লক্ষ টাকা তোলাবাজির ঘটনায় রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলার সর্ববৃহৎ ব্যবসায়ীদের সংগঠন মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বারবার যদি ব্যবসায়ীদের ওপর দুষ্কৃতীদের হামলা নেমে আসে, তাহলে আমরা যাব কোথায়। অবিলম্বে পুলিশ সুপার যাতে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে, সেই আবেদন জানাচ্ছি। এদিকে পুলিশকে অভিযোগে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকার পোশাক ব্যবসায়ী মহম্মদ রহিম বিশ্বাস জানিয়েছেন, পুরনো একটি মামলার ঘটনায় গত শনিবার এলাকার এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী জহরুল খান এবং তার দলবল তাকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাদের একটি ডেরায় তাঁকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর পাঁচ লক্ষ টাকার তোলা চাওয়া হয়। সেই টাকা না দেওয়ায় আশেপাশের আরও কিছু সাগরেদদের জুটিয়ে সালিশি ডাকা হয়। সেই সালিশির মাধ্যমে তাদের পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। আর এই ঘটনার পর থেকেই গত চারদিন ধরেই ওই ব্যবসায়ী পরিবার নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন হয়ে রয়েছেন। এমনকি ফতেখানি স্ট্যান্ডের কাছে ওই ব্যবসায়ী তার নিজের পোশাকে শোরুম খুলতে পারছেন না।

জুন ১৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal