• ১ পৌষ ১৪৩২, শনিবার ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Police

রাজ্য

Municipal Election: করোনা আক্রান্ত কমিশনের ৫ পর্যবেক্ষক, কোভিডবিধি মেনেই পুলিশি তত্ত্বাবধানে পুরভোট

রাজ্য পুলিশের তত্ত্বাবধানেই আগামী ২২ জানুয়ারি চার পুরসভার ভোটগ্রহণ হবে। ভোট প্রক্রিয়ার ওপর নজরদারির জন্য ১০০ শতাংশ বুথেই সিসিটিভি থাকবে। প্রতি বুথেই সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী থাকবে।বুধবার পুর ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য প্রশাসনের কর্তাদের মধ্যে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে।ওই বৈঠকে এবং পরে ভোটে নিযুক্ত পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে আরেক দফা বৈঠকে আসন্ন নির্বাচনে করোনা বিধি কঠোরভাবে পালন করতে কমিশনের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত যে কেউ করোনাবিধি না মানলে বিপর্যয় মোকাবিলা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে কমিশনের তরফে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। ইতমধ্যেই কমিশন নিযুক্ত ১২ জন পর্যবেক্ষকের মধ্যে পাঁচ জনই করোনা আক্রান্ত বলে কমিশন সূত্রে খবর।এমত অবস্হায় পুরভোটের কারণে করোনা সংক্রমণের ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফ একগুচ্ছ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।ভোটগ্রহণের ৫ দিন আগে থেকে অর্থাৎ ১৭ থেকে ২১ শে জানুয়ারি পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট পুরো এলাকা গুলির বুথে টিকাকরণের কাজ চলবে বলে কমিশন সূত্রে খবর। প্রচার সবার ক্ষেত্রে জমায়াতের উর্ধ্বসীমা ৫০০ জন থেকে কমিয়ে ২০০ জন করার ব্যাপারেও চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে বলে রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য আগামী ২২ জানুয়ারি আসানসোল, চন্দননগর, শিলিগুড়ি, বিধাননগর এই চার পুরসভাতে ভোট হবে।

জানুয়ারি ০৫, ২০২২
কলকাতা

Kolkata Police: কলকাতা পুলিশের অন্তত ৮৬ জন করোনা আক্রান্ত, রয়েছেন আইপিএস অফিসারেরাও

এবার করোনা হানা লালবাজারে! কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার, অতিরিক্ত যুগ্ম কমিশনার এবং ৫ জন ডেপুটি কমিশনার পর্যায়ের আইপিএস অফিসার করোনায় আক্রান্ত। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮০-র উপরে। মঙ্গলবার নতুন করে তিন জনের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এর ফলে আইপিএস আক্রান্তের সংখ্যাটা গিয়ে দাঁড়িয়েছে সাত।রাজ্যে ক্রমশ বাড়ছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে শহরের সরকারি এবং বেসরকারি একাধিক হাসপাতালের চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে কলকাতায় সংক্রমণের হার সব থেকে বেশি। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুয়াযী ২৬ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত কলকাতার সংক্রমণের হার (পজিটিভিটি রেট) ২৯.০৭ শতাংশ। কোনও বেসরকারি হাসপাতালে ৩৩ জন করোনা আক্রান্ত, তো কোনও সরকারি হাসপাতালে ৬১ জন।

জানুয়ারি ০৪, ২০২২
রাজ্য

VP Vs Civic: পিকনিকে ভিলেজ পুলিশ ও সিভিক ভলেন্টিয়ারদের মারধোর, ধুন্ধুমার পূর্ব বর্ধমানে

পিকনিক স্থলে ডিউটি রত ভিলেজ পুলিশ ও সিভিক ভলেন্টিয়ারদের মারধোরের অভিযোগে গ্রেফতার হল দুই যুবক। পলাতক রয়েছে বেশ কয়েকজন হামলাকারী। শনিবার ইংরাজি নববর্ষ শুরুর দিন সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার গোপালপুর এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে , ধৃতদের নাম সুশান্ত মণ্ডল ওরফে পাপাই ও সঞ্জু মুরমু। ধৃত দুজনেরই বাড়ি জামালপুরের জৌগ্রাম শীতলাতলা এলাকায়। হামলাকারী ওই পিকনিক পার্টিদের বিশাল বাইক সেট ও জেনারেটার পুলিশ নিজেদের কব্জায় নিয়েছে। আক্রান্ত ভিলেজ পুলিশ মলয় ঘোষের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে জামালপুর থানার পুলিশ ধৃতদের বিরুদ্ধে কঠোর ধারায় মামলা রুজু করেছে। রবিবার ধৃতদের পেশ করা হয় বর্ধমান আদালতে। ভারপ্রাপ্ত সিজেএম ধৃতদের জেল হেফাজতে পাঠিয়ে মঙ্গলবার ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দিয়েছেন।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জামালপুরের গোপালপুর এলাকায় রয়েছে মুক্তকেশী মায়ের মন্দির। ওই মন্দিরের খানিকটা দূরে রয়েছে গাছপালা ঘেরা জায়গা। প্রতি বছর শীতের মরশুমে ওই জায়গায় অনেকেই পিকনিক করতে আসেন।শনিবার ইংরাজি নববর্ষ শুরুর দিনে বেশ কয়েকটি দল সেখানে পিকনিকে আসে। তাদের মধ্যে জৌগ্রাম শীতলাতলা এলাকার যুবকদলরাও ছিল। বিশাল মাইকসেট বাজিয়ে ওই যুবকরা পিকনিক স্থলে নাচানাচি করছিল। অন্য পিকনিক দলের মহিলাদের উত্তক্ত করছিল। তা নিয়ে দুপুর থেকেই পিকনিক স্থলে অশান্তি ছড়ায়।এলাকার বাসিন্দা ফিরোজ উদ্দিন সরকার জানান, জৌগ্রাম শীতলাতলা এলাকা থেকে পিকনিক করতে আসা যুবকরা দুপুর থেকে অন্য পিকনিক দলের সঙ্গে বারে বারে আশান্তিতে করে চলে। আবুজহাটি ২ পঞ্চায়েত এলাকার ভিলেজ পুলিশ মলয় ঘোষ ও কয়েকজন সিভিক ভলেন্টিয়ার বারেবারে তাঁদের গিয়ে শান্ত করে। সন্ধ্যার খানিকটা আগে ভিলেজ পুলিশ মলয় ওই পিকনিক স্থলে গিয়ে সবাইকে সন্ধ্যার আগে পিকনিক সেরে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যাবার কথা বলে। অভিযোগ, তখনই পিকনিক স্থলে থাকা জৌগ্রাম শীতলাতলা এলাকার যুবকরা বাঁশ, লাঠি নিয়ে ভিলেজ পুলিশকে মারধোর শুরু করে দেয়। সেই খবর পেয়ে অন্য কয়েকজন সিভিক ভলেন্টিয়াররা পিকনিক স্থলে ছুটে গিয়ে হামলাকারী যুবকদের আটকানোর চেষ্টা করে। কিন্তু নেশা করে থাকা জৌগ্রাম শীতলাতলা এলাকার যুবকরা কোন কিছুকে পরোয়া না করে সিভিক ভলেন্টিয়ারদে উপরেও একই ভাবে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। ওই যুবকরা ভিলেজ পুলিশ মলয় ঘোষকে মাটি ফেলে এলোপাতারি মারধোর শুরু করে। ভিলেজ পুলিশের চোখের অংশে জোর আঘাত লাগে। এই হামলার খবর পেয়ে জামালপুর থানার বিশাল পুলিশ-বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছে দুই হামলাকারী যুবকে ধরে ফেলে।বাকি অভিযুক্তরা পালায়। চিকিৎসা করিয়ে ভিলেজ পুলিশ মলয় ঘোষ এরপর রাতে থানায় গিয়ে সুশান্ত মণ্ডল ও সঞ্জু মুরমু সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সুশান্ত ও সঞ্জুকে গ্রেফতার করে। পুলিশ বাকি অভিযুক্তদেরও খোঁজ চালাচ্ছে।

জানুয়ারি ০২, ২০২২
কলকাতা

Subhendu Adhikari: সল্টলেকে শুভেন্দুর বাড়ি ঘিরে ফেলল পুলিশ

কলকাতা পুরভোট চলাকালীন সল্টলেকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি ঘিরে ফেলল বিশাল পুলিশ বাহিনী। তবে কী কারণে পুলিশের এ পদক্ষেপ, রবিবার বিকেল ৫টা নাগাদ এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তা স্পষ্ট নয়। বিজেপি-র দাবি, কলকাতা পুরসভার নির্বাচনে ভোটের নামে প্রহসন হচ্ছে। অন্যদিকে, শাসক দল সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।রবিবার সল্টলেকের বাড়িতে ১৬ জন বিধায়ককে নিয়ে একটি বৈঠকে বসেছিলেন শুভেন্দু। বিকেলে ওই বাড়ির বাইরে বিশাল পুলিশ বাহিনী দেখা যায়। বিধাননগর কমিশনারেটের ডিসি (হেড কোয়ার্টার্স)-এর নেতৃত্বে পুলিশকর্মীরা বাড়ি ঘিরে ফেলেন। তবে কেন হঠাৎ শুভেন্দুর বাড়ির সামনে পুলিশ মোতায়েন করা হল, তা জানা যায়নি।এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অর্জুনের দাবি, কলকাতায় ভোটের নামে প্রহসন হচ্ছে। কেন শুভেন্দুর বাড়ি ঘিরে ফেলা হল? বিজেপি বিধায়কদের শুভেন্দুর বাড়ি থেকে বেরোতে না দেওয়ার অভিযোগও ওঠে।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২১
কলকাতা

Municipal Election: বুথ থেকে কলার ধরে প্রার্থীকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ বিজেপির, উত্তেজনা বাগবাজারে

রাজ্য পুলিশের সাহায্যেই শান্তিপূর্ণ ভোট করানো সম্ভব বলেই আদালতে দাবি করেছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন । রবিবার সকালে ভোট শুরু হতেই শহরের একাধিক ওয়ার্ডে ধরা পড়ল উত্তেজনার ছবি। এ দিন ভোট শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাগবাজারে । বুথ থেকে নির্দল প্রার্থীকে বের করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে রয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি প্রার্থীর ধস্তাধস্তির ছবিও ধরা পড়ে এই বুথে।৭ নম্বর ওয়ার্ডে নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন রূপা চৌধুরী। জানা গিয়েছে এ দিন তিনি নিজেই পোলিং এডেন্ট হিসেবে বুথে বসতে এসেছিলেন। কিন্তু তাঁকে বুথ থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করেই উত্তেজনা ছড়ায়। বিজেপি প্রার্থী ব্রজেশ ঝা আসেন ঘটনাস্থলে। তাঁর দাবি, তৃণমূল ছাপ্পা দিতে পারবে না বলেই অন্যান্য দলের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হচ্ছে। তিনি জানান, ওই বুথের প্রিসাইডিং অফিসার দাবি করেছেন যে নিয়ম জানতেন না বলে রূপা চৌধুরীকে বলতে বসতে দিয়েছিলেন। পরে তাঁকে বের করে দেওয়া হয়। কেন একজন প্রার্থীকে এজেন্ট হিসেবে বসতে দেওয়া হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশবাহিনী। ঘটনাস্থলে যায় শ্যামপুকুর থানা ওসি। কোনও ক্রমে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। বিজেপি প্রার্থী দাবি করেন, পুলিশ কলার ধরে বের করে দিচ্ছে অন্যান্য দলের প্রার্থীদের। কেন অবাধ ভোট হবে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। বিজেপি প্রার্থী ব্রজেশ ঝা বলেন, অন্যান্য দল থাকলে তৃণমূলের ছাপ্পা দিতে অসুবিধা হবে, তাই তাঁদের বের করে দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিলেও চাপা উত্তেজনা ছড়ায় বাগবাজার চত্বরে।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২১
কলকাতা

Arrest: পুরভোটের আগে শহরে ভিনদেশি যুবকদের আনাগোনা, আটক ২১, চলছে জোরদার তল্লাশি

পুরভোটের দোরগোড়ায় খাস কলকাতায় পাকড়াও ২১ জন বাংলাদেশি। বিনা নথিতেই কলকাতার আনন্দনগর এলাকায় গা ঢাকা দিয়েছিলেন ওই বাংলাদেশিরা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, অভিযান চালায় কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। ২১ জন বাংলাদেশিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে, এদের কাছে কোনো বৈধ কাগজপত্র ছিলনা।জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের লখনউ থেকে এটিএসের একটি দল কলকাতায় আসে। তাঁরা কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করে আসামীটিকে খুঁজতে যায় আনন্দপুর এলাকায়। এটিএসের সঙ্গেই ছিল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা। তখনই আনন্দপুর এলাকায় যৌথ অভিযান করতে গিয়ে ওই বাংলাদেশিদের খোঁজ পায় পুলিশ। সন্দেহবশত জিজ্ঞাসাবাদ করতেই আসল তথ্য ফাঁস হয়ে যায়। বৈধ্য নথি ছাড়াই আনন্দপুরে বসবাস করছে। কীজন্য রয়েছে বাংলাদেশিরা খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। এর আগেও এইভাবে জামাত জঙ্গিদের খোঁজ খাস কলকাতায় পেয়েছিল গোয়েন্দারা। এবার আনন্দপুরের ২১ জন বাংলাদেশি পাকড়াও-এর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।উত্তরপ্রদেশ পুলিশের জঙ্গি দমন শাখা এবং কলকাতা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে রবিবার আনন্দপুরের গুলশন কলোনি এলাকা থেকে মাহফুজ়ুর রহমান নামে বছর তিরিশের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। তার বাড়ি বাংলাদেশের মুন্সিগঞ্জ জেলায়। একই সঙ্গে আটক করা হয়েছে সন্দেহভাজন আরও ১৭ জনকে।দিন কয়েক আগে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের জঙ্গি দমন শাখার তরফে মাহফুজুরের সম্পর্কে জানানো হয় লালবাজারকে। এ-ও জানানো হয়, কলকাতায় লুকিয়ে রয়েছে সে। তার পরেই অভিযুক্তের মোবাইল টাওয়ারের অবস্থানের সূত্রে ধরে এ দিন গুলশন কলোনিতে যৌথ অভিযান চালায় উত্তরপ্রদেশ এটিএস এবং কলকাতা পুলিশের একটি দল।তদন্তকারীদের দাবি, একাধিক অপরাধের সঙ্গে যুক্ত মাহফুজুর। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে যাতায়াত ছিল তার। তবে সে কত দিন আগে ভারতে এসেছিল, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ধৃতের সঙ্গে কোনও জঙ্গি সংগঠনের যোগাযোগ আছে কি না, তা-ও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ধৃতকে ট্রানজিট রিমান্ডে উত্তরপ্রদেশে নিয়ে যাওয়া হবে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২১
কলকাতা

Governor: বিএসএফ-রাজ্য পুলিশ সমন্বয়ে পদক্ষেপের নির্দেশ রাজ্যপালের

রাজ্যপাল জগদীপ ধানখড়ের ডাকে সাড়া দিয়ে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং স্বরাষ্ট্র সচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালিকা শনিবার বিকালে রাজভবনে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। রাজ্যপাল নিজেই টুইট করে জানিয়েছেন সেকথা । কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সাম্প্রতিক নির্দেশিকার প্রেক্ষিতে বিএসএফ ও রাজ্য পুলিশের মধ্যে সুষ্ঠু সমন্বয় সাধন নিয়ে তাঁদের আলোচনা হয়েছে বলে টুইট করে জানান রাজ্যপাল।প্রায় এক ঘণ্টা ধরে তাঁদের এই বৈঠক চলে।সম্প্রতি বিএসএফ এর এক্তিয়ার বৃদ্ধি নিয়ে উত্তপ্ত হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নয়া বিজ্ঞপ্তির পর তা নিয়ে আপত্তি জানান পশ্চিমবঙ্গ ও পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠি দেন প্রধানমন্ত্রীকে। সম্প্রতি দুই দিনাজপুরের প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী এ নিয়ে মন্তব্য করেন।তার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যপাল এদিন মুখ্য ও স্বরাষ্ট্র সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন,বিএসএফ-এর সঙ্গে রাজ্য পুলিশের সমন্বয়ের লক্ষ্যে পদক্ষেপ করুন।কলকাতার পুরভোটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। বিভিন্ন বিশ্ব বিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে আচার্য হিসাবে তাঁর সুপারিশ কতটা কার্যকর হয়েছে প্রশাসনের দুই শীর্ষ কর্তার কাছে তাও জানতে চান রাজ্যপাল।

ডিসেম্বর ১১, ২০২১
কলকাতা

Youth Death: ঘরের সামনেই উদ্ধার রক্তাক্ত যুবকের দেহ

মঙ্গলবার সকালে বাঁশদ্রোণীর সোনালি পার্ক এলাকায় বাড়ির সামনে ওই ব্যক্তিকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁর ভাই সকালে তাঁর দেহ দেখতে পান। তাঁর চিৎকারেই ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। শরীরে রক্তের দাগ দেখে, তাঁরা বুঝতে পান, এই মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। সোনালি পার্ক এলাকার ঘটনা। ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ১১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সোনালি পার্ক এলাকায়। মৃতের নাম মুকেশ সাউ (৪৩)। খবর দেওয়া হয় থানায়। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। তবে দেখা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির ডান হাতে একটি ছুরি ছিল। গলায় গভীর ক্ষত ছিল। ছুরি দিয়েই গলায় কোপ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ওই ছুরি দিয়েই গলায় আঘাত করা হয়েছে। ছুরিতেও রক্তের দাগ রয়েছে।তবে ওই ব্যক্তি নিজেই নিজের গলায় আঘাত করেছেন, নাকি তাঁকে কেউ খুন করেছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। গলায় দিয়ে চাপ চাপ রক্ত বের হচ্ছিল। ভোর রাতেই ঘটনাটি ঘটেছে বলে অনুমান পুলিশের। মৃতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছেন পুলিশ কর্তারা। মৃতের সঙ্গে কারোর কোনও বিবাদ ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই ব্যক্তি এলাকায় কোনও দুষ্কর্মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আপাতত মৃতের পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে, মুকেশ সম্পর্কে নানা তথ্য পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা।

ডিসেম্বর ০৭, ২০২১
রাজ্য

Maldah-New Born Death: টাকা না-পেয়ে সদ্যেজাতকে ছিনিয়ে নিয়ে গেল বৃহন্নলা, সাড়ে তিন ঘণ্টা অভুক্ত থেকে মৃত শিশু

মাত্র কয়েকটা টাকার জন্য প্রাণ গেল সদ্যোজাতর। মালদার মানিকচক থানা এলাকার ঘটনা। টাকার দাবিতে ২০ দিনের শিশুকে মায়ের থেকে দূরে নিয়ে গিয়ে তিনঘণ্টা আটকে রাখার অভিযোগ। গ্রেপ্তার অভিযুক্ত। স্থানীয় সূত্রে খবর, গত ২৯ অক্টোবর তিন সন্তানের জন্ম দেন এক গৃহবধূ। অভিযোগ বুধবার তাঁর বাড়িতে গিয়ে ১২০০ টাকা চান এক বৃহন্নলা। ৩০০ টাকা দিতে রাজি হন পরিবারের লোকজন। কিন্তু এতে সন্তুষ্ট না হওয়ায় ওই শিশুকে মায়ের কোল থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গিয়ে তিনঘণ্টা আটকে রাখা হয়। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় ওই সদ্যোজাতর। মানিকচক থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। খেতে না পেয়ে এবং ঢোলের আওয়াজে ওই শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। মানিকচক থানার বাঙালগ্রামের এই ঘটনায় মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে।বাঙালগ্রামের বাসিন্দা মাম্পি মাঝি গত ২৯ অক্টোবর মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তিন সন্তানের জন্ম দেন। বর্তমানে ওই তিন সন্তানকে নিয়ে বাড়িতে ছিলেন তিনি। গতকাল তাঁর সন্তানদের আশীর্বাদের নামে বাড়িতে হাজির হয় এক স্থানীয় ব্যক্তি। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে তিন ঘণ্টা ধরে শিশুটিকে নিজের কাছে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। এরপর জোরে জোরে ঢোল বাজাতে থাকে। এমনকি খেতেও দেওয়া হয়নি শিশুটিকে। অভিযুক্ত ১২০০ টাকা দাবি করে। তা দিতে অস্বীকার করাতেই দীর্ঘক্ষণ ওই শিশুকে আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ। মৃত্যু হয় শিশুটির। এই নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ঘটনার খবর পেয়ে ওই বাড়িতে ছুটে যান মানিকচক থানার পুলিশ।

নভেম্বর ১৮, ২০২১
কলকাতা

FireArms and Ammunition: মোমিনপুরে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ ধৃত দুই সন্দেহভাজন

কলকাতায় আগ্নেয়াস্ত্র-সহ পাকড়াও দুই সন্দেহভাজন যুবক। রাতের শহরে নাকা চেকিংয়ের জেরেই এই সাফল্য পেল কলকাতা পুলিশ। বুধবার রাতে বিক্রির উদ্দেশ্যেই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছিল দুই সন্দেহভাজন। মোমিনপুর ক্রসিংয়ের কাছে নাকা চেকিংয়ের সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে এক যুবক। নাম শেখ সাদ্দাম হোসেন (১৮)। সে তখন একবালপুরের ফুটপাত দিয়ে যাচ্ছিল।তাকে জেরা করতেই বাবলু আরি (২১) নামক আরও এক যুবকের সন্ধান মেলে। পরে রাতে তাকেও গ্রেপ্তার করে একবালপুর থানার পুলিশ। তাদের কাছ থেকে একটি দেশি পিস্তল ও দুটি তাজা কার্তুজ উদ্ধার হয়। জানা গিয়েছে, তারা আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করত। কিন্তু কাদের সেই অস্ত্র তারা সরবরাহ করত তা এখনও জানা যায়নি। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।চলতি সপ্তাহেই কলকাতা বন্দর এলাকায় অস্ত্র উদ্ধার কাণ্ডে ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। নান্টি ওরফে বাবলু ঘোষ এবং বিলাল ওরফে শেখ আবুল হোসেন নামে ওই দুই দুষ্কৃতীকে গতরাতে গ্রেপ্তার করা হয়।

নভেম্বর ১৮, ২০২১
রাজ্য

Durgapur: চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা দুর্গাপুরে

চিকিৎসায় গাফিলতিতে মৃত্য়ুকে ঘিরে তীব্র উত্তেজনা ছড়াল দুর্গাপুরে। মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও অভিযুক্ত চিকিৎসকের শাস্তির দাবিতে হাসপাতালে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ চলে। হাসপাতালের কর্মীদের সঙ্গে মৃতের পরিবারের ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ এলে ক্ষোভে ফেটে পড়ে মৃতের পরিজনরা। পুলিশকে ঘিরে ধরে প্রবল দেখাতে থাকে। মৃতদেহ নিতে অস্বীকার করতে থাকে পরিবারের লোকেরা। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ধুন্দুমার কান্ড ঘটে দুর্গাপুরের সোভাপুরের কাছে এক বেসরকারি হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনার জেরে হাসপাতাল চত্বরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশকে ঘিরে ধরে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু করে দেয় মৃতের পরিবার-পরিজনরা। হাসপাতালের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে। ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় হাসপাতাল কর্মীদের সঙ্গে। ঠেলাঠেলি শুরু হয়ে যায় পুলিশের সঙ্গেও। হাসপাতালের গেটের সামনে বসে পড়ে প্রবল বিক্ষোভ শুরু করে দেয় মৃতের পরিবার পরিজনরা।মৃতের পরিবারের দাবি. যত ক্ষণ না চিকিৎসক আসছেন ততক্ষন তাঁরা বসে থাকবেন হাসপাতালের গেটের সামনে। এছাড়া তাঁরা ক্ষতিপূরণের দাবি করতে থাকেন। প্রবল বিক্ষোভের জেরে হাসপাতালে চত্বরে চরম বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। বোঝাতে এলে পুলিশকে ঘিরে ধরে শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ। গত ৮ নভেম্বর অন্ডালের কাজোড়ার কাজল মন্ডলকে বুকে ব্যাথা নিয়ে সোভাপুরের এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে ভর্তি করা হয় এই হাসপাতালে। অভিযোগ, বুধবার পর্যন্ত রুগী ভালো আছে বলে জানানো হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎই হাসপাতাল থেকে খবর দেওয়া হয় রুগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক, হাসপাতালে এসে দেখেন তাদেরকে প্রিয়জনের মৃত্য়ু হয়েছে। অবিলম্বে অভিযুক্ত চিকিৎসককে এসে ক্ষমা চাইতে হবে এই দাবিতে তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয় হাসপাতাল গেটের সামনে, এরপরই শুরু হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বচসা, দু এক কথা হতে হতে শুরু হয়ে যায় ধস্তাধস্তি, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে তাদেরকে ঘিরে ধরেও প্রবল বিক্ষোভ শুরু হয় জনতার। গোটা ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এরই মধ্যে হাসপাতালের এক নিরাপত্তারক্ষীর বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুলে উত্তপ্ত হয় হাসপাতাল চত্বর। দাবি ওঠে অবিলম্বে তাঁকে গ্রেপ্তার করতে হবে। ফের চলতে থাকে বিক্ষোভ। পরিস্তিতির সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসে দূর্গাপুর থানার পুলিশ। আটকে দেওয়া হয় হাসপাতালের বাকি রুগীদের পরিবার-পরিজনকে, পুলিশের মধ্যস্থাতায় পরিস্থিতি শান্ত হলেও ক্ষতিপূরণ আর অভিযুক্ত চিকিৎসকের শাস্তির দাবিতে চলতে থাকে বিক্ষোভ। মীমাংসা না হওয়া মৃতদেহ নিতে অস্বীকার করে মৃতের পরিবারের সদস্যরা। প্রবল উত্তেজনা থাকায় হাসপাতাল চত্বরে পুলিশ মোতায়ন রয়েছে। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

নভেম্বর ১১, ২০২১
রাজ্য

Malda Crime: দুই হাত শিকল বাঁধা, মালদায় শ্বশুরবাড়ির নির্যাতনে থানায় অন্তঃসত্ত্বা বধূ

হাতে শিকল বাঁধা, তাতে আবার তালা দেওয়া। সেই অবস্থায় থানায় গিয়ে শ্বশুর বাড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালেন তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ। এই ঘটনায় মালদার চাঁচল থানার মোবারকপুর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বধূ নির্যাতনের এমন তালিবানি কায়দা দেখে চক্ষু চড়কগাছ পুলিশ কর্তাদের। অভিযোগ, পণ না দেওয়ায় এমন শাস্তি দিয়েছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন।দিনের পর দিন শিকলবন্দি অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ নির্যাতনের শিকার হাওয়ায় অবশেষে শশুর বাড়ি থেকে পালিয়ে থানার দ্বারস্থ হয়েছেন। চাঁচল থানার মকদমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোবারকপুর এলাকায় এই ঘটনায় বাকরুদ্ধ পুলিশ কর্তারা। অভিযোগকারিনীর দুই হাত তালা দিয়ে শিকল বাঁধা। গৃহবধূকে শিকলবন্দি অবস্থা থেকে মুক্ত করে পুলিশ। শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই গৃহবধূ। এরপরই তদন্ত শুরু করে চাঁচল থানার পুলিশ। অসুস্থ গৃহবধূকে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করানোর ব্যবস্থা করেন পরিবারের লোকেরা।পুলিশ জানিয়েছে, পাঁচ বছর আগে চাঁচল-এক ব্লকের মকদমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আশ্বিনপুরের বাসিন্দা পিঙ্কি খাতুনের(২২) বিয়ে হয় মোবারকপুর গ্রামের বাসিন্দা সাহেব আলির। সাহেব পেশায় দিনমজুর। তাঁদের দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। ওই বধূ এখন তিনমাসের অন্তঃসত্বা। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের জন্য পিংকি খাতুনকে শিকল বন্দি করে রাখতো শ্বশুর বাড়ির লোকেরা। তারপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চলত পিংকির ওপর। নির্যাতিত গৃহবধূ এই ঘটনার কথা তাঁর বাবা-মায়ের কাছে জানিয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একাধিকবার গ্রামে সালিশি সভা হয়েছে। তাতেও সমস্যা মেটেনি।দুই সন্তান, বধূ অন্তঃসত্ত্বা তবু পণ নিয়ে দিন কয়েক ধরে অত্যাচারের মাত্রা চরমে ওঠ। অভিযোগ, সোমবার রাতে শিকল দিয়ে বেঁধে চরম মারধর করে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরা। গলায় শাড়ির আঁচল পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে প্রাণে মারার চেষ্টাও করা হয়। এমনই অভিযোগ তুলেছে ওই পিংকি। এরপরই কোনওরকমে সেখান থেকে সকলের অলক্ষ্যে বাড়ি থেকে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন ওই বধূ। পিংকি মঙ্গলবার চাঁচল থানায় শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। এদিকে অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসেছে চাঁচল থানার পুলিশ। চাঁচল থানার আইসি সুকুমার ভোজ জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।পিঙ্কি খাতুন জানিয়েছেন, পণের জন্য আমার উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালাত স্বামীর সঙ্গে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। যাতে পালিয়ে যেতে না পারি তাই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা হাতে শিকল পেচিয়ে তালা মেরে রাখতো। মারধরও চলতো। মঙ্গলবার ঝুঁকি নিয়ে শ্বশুর বাড়ি থেকে পালিয়ে থানায় চলে আসি। এছাড়া বাঁচার কোনও আশা ছিল না।

নভেম্বর ০৯, ২০২১
রাজ্য

BJP: জ্বালানির দাম ঘিরে তৃণমূলকে নিশানা রাজ্য বিজেপির, পথ আটকালো রাজ্য পুলিশ

পেট্রোল-ডিজেলে ভ্যাট কমানোর দাবিতে পথে সোমবার পথে নেমেছিল বিজেপি। মুরলীধর সেন লেনের রাজ্য দপ্তর থেকে সেই মিছিল বের হওয়ার কথা থাকলেও কলকাতা পুলিশের কড়া বেষ্টনী পার করে তা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদারদের। অবশেষে বেলা ৩টে ১৫ নাগাদ তাঁরা জানিয়ে দেন, আপাতত এখানেই এদিনের কর্মসূচি শেষ হল। তবে আগামিদিনে এই আন্দোলন যে বৃহত্তর আকার নেবে সে কথাও বলা হয়।মঙ্গলবার রাজ্যের পেট্রোল পাম্প গুলিতে জনসচেতনতা মূলক প্রচার চালাবে দল। প্রয়োজনে নবান্ন অভিযানও করতে পারে বিজেপি। পেট্রোল ডিজেলের ভ্যাট কমানোর পাশাপাশি বিদ্যুতের মাশুল কমানোর দাবিতেও এবার সরব হবে গেরুয়া শিবির। এদিন কর্মসূচির শুরুতেই সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। রীতেশ তিওয়ারি-সহ একাধিক বিজেপি কর্মী-সমর্থককে প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিশ। রীতেশ তিওয়ারির বক্তব্য, বাংলার মানুষের স্বার্থে আমরা পথে নেমেছি। তাই গ্রেপ্তার হতে হচ্ছে। এরা ত্রিপুরায় গিয়ে বড় বড় কথা বলে। প্রতিদিন এক লাখ লোক বুর্জ খলিফা দেখত। তখন অতিমারি ছিল না। এখন করোনার কথা বলছে। এটা প্রমাণ হয়ে গেল বাংলার মানুষের স্বার্থে পথে নামলেই পুলিশ গ্রেফতার করবে।এদিন রাজ্য অফিসের সামনেই বক্তব্য রাখেন শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ রাহুল সিনহা, সুকান্ত মজুমদাররা। প্রত্যেকেই তাঁদের বক্তব্যে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যে মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখে পেট্রোল ডিজেলের দাম কমানোর কথা বলেছিলেন, তিনি কেন এবার ভ্যাটের লভ্যাংশে ছাড় দিচ্ছেন না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলের প্রত্যেকেই।পুলিশের বক্তব্য ছিল, এই মিছিলের জন্য বিজেপির কাছে কোনও অনুমতি নেই। দ্বিতীয়ত, কোভিডের কারণে এই জমায়েতে কোনওভাবেই অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। গেরুয়া শিবিরের দাবি, মানুষের স্বার্থে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে ভ্যাট কমাতেই হবে। কারই প্রতিবাদে এদিনের কর্মসূচি নেওয়া হয়।

নভেম্বর ০৮, ২০২১
রাজনীতি

Kunal Ghosh: কুণালকে ফের তলব আগরতলা পুলিশের

রবিবার ত্রিপুরা যাচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর অভিষেকের সফরের আগেই সরগরম ত্রিপুরা। আগরতলা পশ্চিম থানায় ডেকে পাঠানো হল তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষকে। শনিবার খোয়াই থানায় তাঁকে হাজিরা দিতে হয়েছে।টুইটে কুণাল ঘোষের দাবি, শুক্রবার রাতেই তাঁকে নোটিস ধরানো হয়েছে এবং বেনজিরভাবে এক দিনের মধ্যেই অর্থাৎ আজই থানায় হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রবিবারের সফর উপলক্ষে বর্তমানে ত্রিপুরাতেই রয়েছেন কুণাল ঘোষ।আমি হিন্দু হয়েও বলছি জয় শ্রীরাম রাজনৈতিক শ্লোগান নয়। ধর্ম রাজনীতি থেকে দূরে থাকুক। মহিলারা মা সীতার পাতালপ্রবেশের যন্ত্রণাটাও মনে রাখবেন।এ কথার জন্য শুক্রবার আগরতলা পুলিশ আমার নামে মামলা করেছে।গভীর রাতে নোটিশ ধরিয়েছে। বেনজিরভাবে এক দিনের মধ্যে আজই থানায় ডেকেছে। Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) October 30, 2021তৃণমূলের মুখপাত্র জানিয়েছেন, শুক্রবার আগরতলা পুলিশ আমার নামে মামলা করেছে। গভীর রাতে নোটিস ধরিয়েছে। বেনজিরভাবে এক দিনের মধ্যে আজই থানায় ডেকেছে। টুইট করে তিনি বলেন, আমি হিন্দু হয়েও বলছি জয় শ্রীরাম রাজনৈতিক স্লোগান নয়। ধর্ম রাজনীতি থেকে দূরে থাকুক। মহিলারা মা সীতার পাতালপ্রবেশের যন্ত্রণাটাও মনে রাখবেন। এই মন্তব্যের কারণেই নোটিস পাঠানো হয়েছে তাঁকে।

অক্টোবর ৩০, ২০২১
দেশ

NCB-Aryan: আরিয়ান-কাণ্ডে আটক এনসিবি-র অন্যতম সাক্ষী কিরণ গোসাভি

আরিয়ান-কাণ্ডে ফের নয়া মোড়। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) অন্যতম সাক্ষী কিরণ গোসাভিকে আটক করল পুলিশ। পুণে পুলিশের তরফে এ খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। পুণের পুলিশ কমিশনার অমিতাভ গুপ্ত বলেছেন, মুম্বইয়ের প্রমোদতরীতে মাদক মামলায় এনসিবি-র অন্যতম সাক্ষী কিরণ গোসাভিকে আটক করা হয়েছে।মুম্বইয়ের প্রমোদতরীতে এনসিবি যখন হানা দিয়েছিল তখন সেখানে গোসাভি উপস্থিত ছিলেন বলে অভিযোগ। পরে এনসিবি-র অফিসে আরিয়ান খানের সঙ্গে নিজস্বীও তোলেন তিনি। দুই জায়গার ছবি-ভিডিও জানান দেয় শাহরুখ-পুত্রের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের বিষয়টি। রবিবার গোসাভির দেহরক্ষী হিসাবে দাবি করা এক ব্যক্তি ঘুষ সংক্রান্ত লেনদেনের অভিযোগ তুলেছিলেন তাঁর বিরুদ্ধে। প্রভাকর সইল বলে ওই ব্যক্তি দাবি করেন, টেলিফোনে ২৫ কোটি টাকা ঘুষের বিষয়টি নিয়ে গোসাভিকে কথা বলতে শুনেছিলেন তিনি। সেই ২৫ কোটির মধ্যে আট কোটি টাকা এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেড়েকে দেওয়ার কথাও না কি হয়েছিল। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেন গোসাভি। ঘুষের ব্যাপারে তিনি সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, প্রথম বার এই বিষয়টি আমি শুনছি। ওয়াংখেড়েকেও তিনি ২ অক্টোবরের আগে চিনতেন না বলে দাবি করেছেন।উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের একটি প্রতারণা মামলায় গোসাভির বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করে পুণে পুলিশ। পুলিশের দাবি, তার পর থেকেই খোঁজ মিলছিল না।

অক্টোবর ২৮, ২০২১
রাজ্য

Raina Murder: দুঁদে পুলিশ অফিসার, সিআইডি ও ফরেন্সিক দল তদন্তে, তবু জট কাটছে না ব্যবসায়ী খুনের

পুলিশের দুঁদে অফিসাররা তদন্তে নামলেও জট কাটছে না। প্রতি মুহুর্তে পুলিশকে বদলাতে হচ্ছে খুনি চিহ্নিতকরণের ছক। পূ্র্ব বর্ধমানের রায়নার দেরিয়াপুর গ্রামের দেশ বাড়িতে বেড়াতে আসা কলকাতার ব্যবসায়ী সব্যসাচী মণ্ডলকে কারা খুন করলো তাহলে? ঘটনার পর থেকে ৪৮ ঘন্টা পেরিয়ে যাওয়ার পর এই প্রশ্নের উত্তর এখনও হাঁতরে বেড়াচ্ছেন তদন্তকারী পুলিশ কর্তারা। খুনিদের নাগাল পেতে রবিবার সিআইডি ও ফরেন্সিক দল দেরিয়াপুর গ্রামে তদন্তে যায়। ছেলেকে নৃশংস ভাবে খুনের ঘটনায় জড়িতরা কবে ধরা পড়ে সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন নিহত ব্যবসায়ীর পরিবার।বন্ধু রাজবীর সিংকে সঙ্গে নিয়ে শুক্রবার হাওড়ার শিবপুরের বাড়ি থেকে রায়নার দেরিয়াপুরের দেশ বাড়িতে বেড়াতে আসেন ব্যবসায়ী সব্যসাচী মণ্ডল (৩৮)। ওই দিন রাতে ওই বাড়িতেই তিনি খুন হন। দুস্কৃতীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে কুপিয়ে ব্যবসায়ীকে খুন করে পালায়। ময়নাতদন্তে তাঁর দেহের ২৯ টি জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ধরা পড়েছে। ব্যবসায়ীকে বাঁচাতে গিয়ে তাঁর বন্ধু রাজবীর সিংও চোট পান। এই খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ব্যবসায়ীর গাড়ির চালক আলো সাউ ও রাঁধুনি পার্থ সান্যালকে নিজেদের কব্জায় নিয়ে জেরার পর জেরা চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও খুনের রহস্য উন্মোচন এখনও হয়নি বলে খবর।এদিকে ঘটনার পরদিন মৃত ব্যবসায়ীর বাবা দেবকুমার মণ্ডল রায়না থানায় লিখিত অমিযোগ দায়ের করে দাবি করেন, তাঁর ছেলেকে খুনের ঘটনা নিয়ে তাঁর ভাই গৌরহরি মণ্ডল, তাঁর স্ত্রী পূর্ণিমাদেবীও দুই ভাইপো দীনবন্ধু ও সোমনাথ জড়িত রয়েছে। এরাই সুপারি কিলারদের দিয়ে সব্যসাচীকে খুন করিয়েছে বলে দেবকুমারবাবু পুলিশকে জানিয়েছেন।এদিন বিকালে ফরেন্সিক দলের সিনিয়র সায়েন্টিস্ট চিত্রাক্ষ সরকার ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন। এসডিপিও (বর্ধমান দক্ষিন) আমিনুল ইসলাম খাঁনও সেখানে উপস্থিত থাকেন। ফরেন্সিক টিম বাড়িটির বিভিন্ন জায়গা ঘুরে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে । রায়না থানার হেপাজতে থাকা ব্যবসায়ীর গাড়িটিও চিত্রাক্ষ বাবু পরীক্ষা করেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিত্রাক্ষবাবু পুলিশকে জানিয়ে দেন, দোতলা বাড়ির নিচের তলাতে ১০ মিনিটের বেশী সময় নিয়ে একাধিক আততায়ী মিলে খুনের ঘটনাটি ঘটিয়েছে।এসডিপিও বলেন , সন্দেহভাজনদের এখনও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আততায়ীদের নাগাল পেতে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

অক্টোবর ২৪, ২০২১
দেশ

Priyanka Arrest: গ্রেপ্তার করা হল প্রিয়াঙ্কা গান্ধিকে

৩৫ ঘণ্টা আটক করে রাখার পরে গ্রেপ্তার করা হল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধিকে। তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে সীতাপুর থানার পুলিশ। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে, শান্তিভঙ্গের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রিয়াঙ্কাকে। যে গেস্ট হাউসে প্রিয়াঙ্কাকে আটক করে রাখা হয়েছিল, তাকেই অস্থায়ী জেল হিসাবে তৈরি করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রিয়াঙ্কা-সহ ১১ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কংগ্রেস নেতা দীপেন্দ্র হুডা, অজয় কুমার লাল্লুও রয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারা ভঙ্গের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। প্রিয়াঙ্কার অফিসের তরফে এখনও পর্যন্ত কিছু জানানো না হলেও সূত্রের খবর, শীঘ্রই আদালতে তোলা হবে তাঁদের।বিস্তারিত আসছে-

অক্টোবর ০৫, ২০২১
রাজ্য

Death of Pigeon: পায়রার মৃত্যু নিয়ে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের পক্ষী প্রেমীর

বাড়ির ছাদে পায়রা ও ঘুঘু পাখির ঘোরা ফেরা মেনে নিতে পারেননি এক বাড়ি মালিক। তাই ছাদের গাছ-পালার টবে বিষাক্ত কিছু দিয়ে রেখে নিরীহ পাখিদের প্রাণে মেরে দেওয়ার অভিযোগ উঠলো ওই বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা নিয়ে বুধবার ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় শহর বর্ধমানের নীলপুর কমলাদিঘী পাড় এলাকায়। পাখিদের মৃত্যুর জন্য এলাকার বাসিন্দা নিরুপ কুমার দাসের বিরুদ্ধে বর্ধমান থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন প্রতিবেশী সান্তুনু দাস। পাখিদের প্রাণে মেরে দেওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে বর্ধমানের একাধিক পশু পক্ষী প্রেমী সংগঠন।আরও পড়ুনঃ রাত পোহালেই ভোট, মোতায়েন আরও ২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীনীলপুর কমলাদিঘী পাড় এলাকার বাসিন্দা শান্তনু দাস জানিয়েছেন, বহুদিন হল তিনি তাঁর বাড়ির ছাদে পাখিদের বসবাস করার ব্যবস্থা করে রেখেছেন। তাঁর মধ্যে তাঁর পোষা কয়েকটি পায়রাও রয়েছে। কিছু ঘুঘু পাখিও ওই বাসায় এসে থাকা শুরু করে। প্রতিদিন সকালে তিনি ওইসব পাখিগুলি ছেড়ে দেন। পাখিরা নিজেদের খুশি মতো উড়ে বেড়ায়। শান্তনুবাবু জানান, পাখিগুলি তাঁর বাড়ির ছাদে এবং তাঁর প্রতিবেশীদের বাড়ির ছাদে উড়ে গিয়ে বসতে। সেখানে খেলাও করতো। অন্যরা তা নিয়ে ক্ষুব্ধ না হলেও আপত্তি ছিল তাঁর আত্মীয় তথা প্রতিবেশী নিরূপ কুমার দাসের। তিনি তাঁর বাড়ির ছাদে পাখিদের আনাগোনা মেনে নিতে পারেননি। নিরূপ বাবু অভিযোগ তোলেন পাখিরা তাঁর বাড়ির ছাদ নোংরা করে। শান্তনুবাবু জানান, গত রবিবার তিনি বাড়িতে ছিলেন না। পুলিশের পরীক্ষা দিতে বাইরে গিয়েছিলেন। ওইদিন তাঁর মা এবং পরিবারের সদস্যরা লক্ষ্য করেন পায়রাগুলো ভীষণভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। পরে বাড়ি ফিরে শান্তনু বাবু ৬টি পায়ারকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন। বাকি পায়রাগুলির কোন খোঁজ তিনি পাননি। শান্তনুবাবুর অভিযোগে, বাড়ির ছাদে থাকা গাছের টবে নিশ্চয় বিষ দিয়ে রেখেছিলেন তাঁর প্রতিবেশী নিরুপ রায়। তার কারণেই পায়রাগুলি মারা গিয়েছে। ঘটনার বিহিত চেয়ে ও প্রতিবেশীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে শান্তনুবাবু বর্ধমান থানার অভিযোগ জানিয়েছেন।আরও পড়ুনঃ কাটোয়ায় কর্মীসভা থেকে দলের জেলা সভাপতিকে হুমকি অনুব্রত ঘনিষ্ট তৃণমূল নেতারবর্ধমান থানার আইসি সুখময় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তার ভিত্তিতে তদন্ত হচ্ছে। মৃত পায়রাগুলি উদ্ধার করে পশু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২১
রাজ্য

Husband Killed Wife : স্ত্রীকে খুন করে থানায় আত্মসমর্পণ স্বামীর

স্ত্রীকে খুন করে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করলো স্বামী। এই ঘটনা জানাজানি হতেই মঙ্গলবার ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে পূর্ব বর্ধমানের কালনার বেগপুর পঞ্চায়েতের ধলেশ্বর গ্রামে। বধূ তারমিনা বিবি(৪৫)কে খুনের অভিযোগে পুলিশ স্বামী লালবাবু শেখকে গ্রেপ্তার করেছে। কালনা থানার পুলিশ বধূকে খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধলেশ্বর গ্রাম নিবাসী লালবাবু শেখের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী তারমিনা বিবির বনিবনা হত না। নিত্যদিন তাঁদের মধ্যে অশান্তি হত। লালবাবু তাঁর স্ত্রীকে মারধোরও করতেন বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার অশান্তি চরমে উঠলে লালবাবু তাঁর স্ত্রীকে খুন করে বসেন। এরপরেই স্ত্রীর মৃতদেহ খাটের নিচে রেখে দিয়ে লালবাবু বাড়ি থেকে বেরিয়ে নবদ্বীপ থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। পুলিশ লালবাবুর বাড়িতে গিয়ে বধূ তারমিনা বিবির মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। দম্পতির ছেলে টোটন শেখ জানিয়েছেন, শারীরিক অসুস্থতার জন্য তাঁর মা ভালো করে চলাফেরা করতে পারতো না। তা নিয়ে তাঁর বাবা ও মায়ের মধ্যে অশান্তি লেগে থাকতো। টোটন শেখ বলেন, এদিন বেলায় তিনি কাজে বেরিয়ে যাওয়ার পর তাঁর বাবা ও মায়ের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। অশান্তি চালাকালীন তাঁর মাকে প্রাণে মেরে দেন বাবা। প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে তিনি বাড়িতে ফিরে এসে মাকে মৃত অবস্থায় দেখেন। টোটন জানান, বাবার শাস্তির দাবি করে তিনি পুলিশের কছে অভিযোগ জানিয়েছেন। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(গ্রামীণ) ধ্রুব দাস জানিয়েছেন, স্ত্রীকে খুন করে এক ব্যক্তি নবদ্বীপ থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। স্ত্রীকে খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২১
দেশ

Assam: অনুপ্রবেশকারী রুখতে পুলিশি অভিযানে রণক্ষেত্র অসম, ১২ ঘণ্টা বনধের ডাক

সম্প্রতিই অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছিলেন, চর অঞ্চলগুলিকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের হাত থেকে মুক্ত করার এই অভিযান চলবে। আর সেই অনুপ্রবেশকারীদের উচ্ছেদ করতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে দুই ব্যক্তির মৃত্যু হতেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল গোটা অসম । সরকারের এই পদক্ষেপের প্রতিবাদে অসমের সংখ্যালঘু ছাত্র সংগঠন, জামিয়াত-সহ আরও কয়েকটি সংগঠন মিলিতভাবে ১২ ঘণ্টার বনধের ডাক দিয়েছে। ঘটনায় ইতিমধ্যেই বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সরকার। আরও পড়ুনঃ অত্যাচার, নির্যাতন না হলে বিজেপি ৩০টা আসনও পেত না, দাবি মমতারগতকাল এমনই এক বসতি উচ্ছেদে বৃহস্পতিবার অভিযান চালায় পুলিশ। হঠাৎই এলাকার মানুষ উচ্ছেদ অভিযানে আসা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে। ১১ জন পুলিশ কর্মী পাথরের আঘাতে আহত হন বলে খবর। পরিস্থিতি সামাল দিতে এরপর পুলিশের তরফেও গুলি ছোড়া হয়।সেই গুলির আঘাতে ২ জন আন্দোলনকারীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, রাজ্যের দরং জেলার ঢলপুরের গরুখুঁটিতে উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছিল পুলিশ। তখনই এই সংঘর্ষ বাঁধে। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় দুই আন্দোলনকারীর। অন্যদিকে, আন্দোলনকারীদের ছোড়া ইট-পাটকেলে জখম হন ১১ জন পুলিশ কর্মী। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়াতেও ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিও, যেখানে দেখা যাচ্ছে, সরকারের নিয়োগ করা একজন ফোটোগ্রাফার সহ বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মীরা মিলে এক ব্যক্তিকে নির্মমভাবে মারধর করছে।সোশ্যাল মিডিয়ায় অসম পুলিশের মারধরের যে ভিডিওটি জাতীয়স্তর অবধি চর্চিত হচ্ছে, সেটি গত ২০ সেপ্টেম্বরের বলে জানা গিয়েছে। ওই ব্যক্তি, যাকে পুলিশ অনুপ্রবেশকারী বলে আখ্যা দিয়েছে, তিনি পুলিশকে উচ্ছেদের কাজে বাধা দিতেই তাঁর বুকে গুলি করা হয় এবং নির্মমভাবে লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়। সরকারের তরফে যে ফোটোগ্রাফারকে নিয়োগ করা হয়েছিল, তাঁকেও ওই ব্যক্তির বুকে লাথি মারতে দেখা যাচ্ছে ওই ভিডিওয়।

সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • 11
  • 12
  • ...
  • 15
  • 16
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

যুবভারতী কাণ্ডে নতুন মোড়, শতদ্রু দত্তের রিষড়ার বাড়িতে হানা বিধাননগর পুলিশের

যুবভারতী কাণ্ডের পর থেকেই রিষড়ার একটি ঝাঁ চকচকে তিনতলা বাড়ি ঘিরে কৌতূহল বেড়েছে। শুক্রবার সকালে সেই বাড়িতেই হাজির হল বিধাননগর পুলিশ। যুবভারতী স্টেডিয়ামে মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে হওয়া বিশৃঙ্খলার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তের এই বাড়িতে এদিন তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। তবে ঠিক কী কারণে এই তল্লাশি, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি পুলিশ আধিকারিকরা।গত ১৩ ডিসেম্বর যুবভারতী স্টেডিয়ামে লিওনেল মেসির অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন শতদ্রু দত্ত। ওই দিন স্টেডিয়ামে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ছড়ায়। সেই ঘটনার পরই আয়োজক সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এবং পুলিশ শতদ্রুকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। ঠিক সেই সময়ই শুক্রবার সকালে তাঁর রিষড়ার বাড়িতে পৌঁছে যায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ বিধাননগর থানার পাঁচজন আধিকারিক, তাঁদের মধ্যে মহিলা পুলিশকর্মীও ছিলেন, এদিন সকালে রিষড়ায় যান। প্রথমে তাঁরা রিষড়া থানায় হাজির হন। পরে স্থানীয় থানার পুলিশের সহযোগিতায় বাঙুর পার্ক এলাকায় শতদ্রু দত্তের বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। সেই সময় বাড়িতে শুধুমাত্র এক পরিচারিকা ছিলেন। তাঁর সঙ্গেও কথা বলেন পুলিশ আধিকারিকরা।এরপর তিনতলা বাড়ির প্রতিটি ঘরে তল্লাশি চালানো হয়। সূত্রের খবর, ওই বাড়িতে একটি ব্যক্তিগত ফুটবল মাঠ এবং একটি সুইমিং পুল রয়েছে। সেগুলিও ঘুরে দেখেন তদন্তকারীরা। তবে তল্লাশির পর বাড়ি থেকে কোনও কিছু বাজেয়াপ্ত করা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন, তাই এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।এদিকে তদন্তকারীদের একাংশের অনুমান, মেসির অনুষ্ঠানে বিপুল পরিমাণ কালো টাকা ব্যবহার হয়ে থাকতে পারে। যুবভারতী কাণ্ডে পুলিশের তরফে ইতিমধ্যেই দুটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সেই এফআইআরের ভিত্তিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ইসিআইআর দায়ের করে আর্থিক লেনদেনের উৎস খতিয়ে দেখতে পারে বলে তদন্তকারী সূত্রে খবর।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
দেশ

সংবাদমাধ্যমে আগুন, ভারত-বিরোধী স্লোগান—ঢাকা পরিস্থিতিতে কড়া নজর দিল্লির

ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ফের তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ঢাকাসহ একাধিক শহরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমের অফিসে আগুন লাগানো হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে এবং কট্টরপন্থীদের একাংশ প্রকাশ্যে ভারত-বিরোধী মন্তব্য করছে। পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, তা নিয়ে কড়া নজর রাখছে ভারত।সূত্রের খবর, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় যেখানে ভারতীয় হাইকমিশনের অফিস রয়েছে, সেখানে কর্মরত ভারতীয় আধিকারিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে নয়া দিল্লি। সাম্প্রতিক পরিস্থিতির জেরে একাধিক জায়গায় ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র ইতিমধ্যেই বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলেও ইঙ্গিত মিলেছে।বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে কট্টরপন্থীদের বিক্ষোভ চলে। কয়েকটি ক্ষেত্রে সেই বিক্ষোভ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ চট্টগ্রামে ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনারের বাসভবন ঘিরে ধরার ডাক দেওয়া হয়েছে বলে খবর আসে। বিভিন্ন দিক থেকে অফিস ঘেরাওয়ের আহ্বান জানানো হয়। এই পরিস্থিতিতে গোটা ঘটনার উপর নজর রাখছে ভারত সরকার। সূত্রের খবর, নিরাপত্তার কারণে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় আজও ভিসা কেন্দ্র বন্ধ থাকতে পারে।উল্লেখ্য, এর আগেও বাংলাদেশের এক রাজনৈতিক মিছিলে ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে আলাদা করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন এনসিপি নেতা হাসনাত। সেই মন্তব্যের পরই দিল্লি কড়া অবস্থান নেয়। বাংলাদেশের হাইকমিশনার মহম্মদ রিয়াজ হামিদুল্লাহকে তলব করে স্পষ্ট জানানো হয়, এই ধরনের উস্কানিমূলক মন্তব্য ভারত কোনওভাবেই বরদাস্ত করবে না। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনার পর স্পষ্ট, সেই বার্তা এখনও পুরোপুরি কার্যকর হয়নি বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
বিদেশ

কে এই ওসমান হাদি? যাঁর মৃত্যুতে গোটা বাংলাদেশে আগুন জ্বলছে

কয়েক মাস আগেও যাঁকে প্রায় কেউ চিনতেন না, অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি ঘরে ঘরে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছিলেন। রাজনীতিতে আচমকা উত্থান, আবার সেই কাহিনি পূর্ণতা পাওয়ার আগেই থেমে গেল। শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। দেশজুড়ে ছড়িয়েছে উত্তেজনা, বহু জায়গায় আগুন ও বিক্ষোভ। যাঁকে ঘিরে এত আলোচনা, আন্দোলন ও বিতর্ক, সেই ওসমান হাদি আসলে কে ছিলেন?অত্যন্ত সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসেছিলেন ওসমান হাদি। শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লিগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তার অন্যতম মুখ ছিলেন তিনি। সেই আন্দোলনের মাধ্যমেই জাতীয় রাজনীতিতে পরিচিতি পান হাদি। বিতর্কিত গ্রেটার বাংলাদেশ-এর মানচিত্র তৈরির সঙ্গেও তাঁর নাম জড়ায়, যেখানে ভারতের সেভেন সিস্টার্স-সহ একাধিক অঞ্চলকে বাংলাদেশের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছিল।১৯৯৩ সালের ৩০ জুন বরিশালে জন্ম ওসমান হাদির। ছয় ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট। ঢাকার রামপুরা এলাকায় থাকতেন। পেশায় শিক্ষক ছিলেন হাদি। জুলাই আন্দোলনের সময় তিনি সক্রিয়ভাবে স্থানীয় সাংগঠনিক কাজে যুক্ত হন। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই রামপুরা এলাকার সমন্বয়ক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পান এবং পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন।শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লিগ নিষিদ্ধ করার দাবিতে যারা সরব হন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন হাদি। সেই সময়েই গড়ে ওঠে ইনকিলাব মঞ্চ। এই মঞ্চের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং ন্যায়বিচারের দাবি। ইনকিলাব মঞ্চের তরফে জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতি সংরক্ষণ, অভিযুক্তদের বিচার, আহত ও নিহতদের স্বীকৃতি এবং জুলাই চার্টার ঘোষণার দাবি তোলেন হাদি। এর ফলে রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন তিনি।ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায়ও হাদির নাম জড়ায়। বিষয়টি নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। ইনকিলাব মঞ্চের ব্যানারে হাদি বারবার আওয়ামী লিগের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন ও হত্যার অভিযোগ তুলে দলটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান। দাবি মানা না হলে সচিবালয় ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন তিনি।সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদি জানিয়েছিলেন, তাঁকে ফোন ও মেসেজ করে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তবুও তিনি পিছিয়ে যাননি। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াইয়ের ঘোষণা দেন। চা-সিঙ্গারা আড্ডার মাধ্যমে প্রচারও শুরু করেছিলেন। ঠিক সেই সময়ই ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা।গত ১২ ডিসেম্বর জুম্মার নামাজের পর ঢাকার বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট এলাকা দিয়ে ফেরার সময় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। গুলি মাথা ভেদ করে বেরিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে একটি বেসরকারি হাসপাতালে এবং সেখান থেকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ করে শুক্রবার, ১৮ ডিসেম্বর রাতে সিঙ্গাপুরে মৃত্যু হয় ওসমান হাদির। আজ তাঁর দেহ বাংলাদেশে আনা হবে।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

নিষিদ্ধপল্লীতে ভোটার উধাও! খসড়া তালিকায় বাদ ২০ শতাংশ নাম

নিজস্ব সংবাদদাতা: খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হতেই চমকে দেওয়ার মতো তথ্য সামনে এল আসানসোলে। উদ্বেগ ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলেও। এসআইআর বা স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশনের প্রাথমিক পর্ব শেষে দেখা যাচ্ছে, কুলটি বিধানসভার নিয়ামতপুর সংলগ্ন নিষিদ্ধপল্লী এলাকার চারটি বুথে মোট ভোটারের প্রায় ২০ শতাংশ নাম তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। পাশাপাশি আরও প্রায় ২০ শতাংশ ভোটারের সঙ্গে পুরনো তালিকার কোনও ম্যাপিং করা যায়নি বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর।এসআইআর শুরু হওয়ার সময় এই চারটি বুথে মোট ভোটার ছিলেন ৩ হাজার ৬২৭ জন। খসড়া তালিকা প্রকাশের পর দেখা যাচ্ছে, ৭৪২ জনের নাম বাদ গিয়েছে। বাদ পড়া ভোটারদের মধ্যে ১৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, ৬৯ জন অন্যত্র চলে গিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি সংখ্যক, অর্থাৎ ৫৩৪ জন ভোটারের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। জানা গিয়েছে, তাঁরা এনুমারেশন ফর্ম তুললেও তা আর জমা দেননি। পাশাপাশি ২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা সম্ভব হয়নি এমন ভোটারের সংখ্যা ৬৮৪ জন।এই তথ্য সামনে আসতেই বিরোধীরা সরব হয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, বছরের পর বছর এই ভূতুড়ে ভোটারদের ব্যবহার করে এসেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। নিষিদ্ধপল্লী এলাকায় বাংলাদেশি নাগরিকদের নাম ভোটার তালিকায় ঢোকানো হয়েছিল বলেও অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা।তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। দলের দাবি, এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী বুথ লেভেল অফিসার বা বিএলও-রা। তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি বাচ্চু রায় বলেন, নিষিদ্ধপল্লীর অনেক যৌনকর্মী নিজের পরিচয় ও ঠিকানা গোপন রেখে সেখানে কাজ করতে আসেন। এসআইআর চলাকালীন তাঁরা ভয় পেয়ে এলাকা ছেড়ে চলে গিয়েছেন বা ফর্ম তুললেও জমা দেননি। তাঁর দাবি, এখানে কোনও বাংলাদেশি যোগ নেই।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

আপাতত স্বস্তি যোগ্য শিক্ষকদের, চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধি সুপ্রিম কোর্টের

অবশেষে কিছুটা স্বস্তির। সৌজন্যে সুপ্রিম কোর্ট। যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ৩১ ডিসেম্বর নয়, ২০২৬ সালের ৩১ অগস্ট পর্যন্ত চাকরিতে বহাল থাকবেন যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এই সময়সীমার মধ্যেই নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে রাজ্য সরকারকে। এমনই স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য অতিরিক্ত সময় চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। রাজ্যের তরফে ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানোর আবেদন জানানো হলেও আদালত সেই আবেদন আংশিক মঞ্জুর করে প্রায় আট মাসের অতিরিক্ত সময় দেয়। আদালত জানিয়ে দেয়, আগামী ৩১ অগস্টের মধ্যেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, এই সময়কালে যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিয়মিত বেতন পাবেন এবং পড়ানোর কাজও চালিয়ে যেতে পারবেন। তবে আদালত স্পষ্ট করেছে, এই সুবিধা শুধুমাত্র শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের ক্ষেত্রে এই নির্দেশ কার্যকর হবে না।আজকের এই রায়ে বড় স্বস্তি পেল রাজ্য সরকারও। কারণ ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শিক্ষা ব্যবস্থা সচল রাখা এবং বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষক সংকট এড়ানো রাজ্যের পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত আগের যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পরিষেবা ও বেতন বহাল থাকবে।উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৩ এপ্রিল ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়ার সময় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন করে পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরকে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই জটিল প্রক্রিয়া শেষ করা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ায় রাজ্য সরকার সময় বাড়ানোর আবেদন জানায়।আদালতে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ স্তরের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া শেষ করতে আরও কয়েক মাস সময় প্রয়োজন। পাশাপাশি যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর আর্জিও জানানো হয়। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই এই গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগে দেওচা–পাঁচামিতে পাথর উত্তোলনের বরাত বাতিল, নতুন দরপত্রে বিতর্ক

চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগে দেওচাপাঁচামি কয়লাখনি প্রকল্প এলাকায় পাথর উত্তোলনের কাজের বরাত বাতিল করল রাজ্য সরকার। প্রাথমিক পর্যায়ে ১২ একর জমিতে পাথর উত্তোলনের দায়িত্বে থাকা মেসার্স পাচামি ব্যাসল্ট মাইনিং প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের দাবি, সংস্থাটি চুক্তির একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শর্ত মানেনি বলেই এই পদক্ষেপ।রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপে ৩১৪ একর জমিতে পাথর উত্তোলনের জন্য নতুন করে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্ত ঘিরে শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক। বিরোধী দল বিজেপির অভিযোগ, দেওচাপাঁচামি কয়লাখনি প্রকল্প নিয়ে রাজ্য সরকার আসলে ধোঁয়াশা তৈরি করছে। বৃহস্পতিবার সিউড়িতে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, গত ১৫ বছরে রাজ্য সরকার একটি বড় শিল্প প্রকল্পও বাস্তবে রূপ দিতে পারেনি। অথচ দেওচাপাঁচামিকে দেশের বৃহত্তম কয়লাখনি বলে প্রচার করা হচ্ছে। তাঁর দাবি, আসন্ন শিল্প সম্মেলনের আগে বরাত বাতিল ও নতুন দরপত্র ডেকে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।বিজেপি নেতার আরও অভিযোগ, নতুন দরপত্রে কোথাও কয়লাখনি স্থাপনের উল্লেখ নেই। বরং আগামী ১৫ বছরের জন্য শুধুমাত্র পাথর উত্তোলনের কথাই বলা হয়েছে। তাঁর বক্তব্য, এর থেকেই স্পষ্ট যে আপাতত কয়লা উত্তোলনের কোনও পরিকল্পনাই রাজ্যের নেই। যদিও গত অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক স্তরে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল, এখনও পর্যন্ত কোনও সংস্থা আগ্রহ দেখায়নি বলেও দাবি করেন তিনি।জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, কেন্দ্রের অনুমোদন ছাড়া এই প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। অথচ এখনও পর্যন্ত কোনও পূর্ণাঙ্গ নকশা বা প্রস্তাব কেন্দ্রের কাছে জমা পড়েনি। পাশাপাশি আদিবাসীদের জমি নেওয়া হলেও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ বা স্থায়ী কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি বলেও অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিকে রাজ্য সরকারের শিল্পনীতির ব্যর্থতার প্রতিফলন বলে দাবি করছে বিরোধীরা।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
কলকাতা

মেসি-কাণ্ডে মানহানির অভিযোগ, লালবাজারে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের এফআইআর

লিওনেল মেসিকে ঘিরে কলকাতার সাম্প্রতিক বিতর্কে এবার আইনি মোড়। প্রকাশ্যে মানহানিকর মন্তব্যের অভিযোগ তুলে কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজারে এফআইআর দায়ের করলেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। অভিযোগের আঙুল উঠেছে কলকাতার আর্জেন্টিনা ফ্যান ক্লাবের প্রধান তথা মেসি-ভক্ত উত্তম সাহার দিকে।সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের আইনজীবীর তরফে জানানো হয়েছে, যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মেসিকে ঘিরে যে বিতর্কিত ঘটনার সূত্রপাত, তা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে সৌরভের ভূমিকা সম্পর্কে একাধিক ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হয়েছে। এই মন্তব্যগুলিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মানহানিকর বলেই দাবি করা হয়েছে অভিযোগে।সৌরভের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানে তিনি শুধুমাত্র একজন আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবেই উপস্থিত ছিলেন। ইভেন্টের আয়োজন বা পরিচালনার সঙ্গে তাঁর কোনও রকম সাংগঠনিক যোগ ছিল না। অনুষ্ঠানের মূল আয়োজক ছিলেন শতদ্রু দত্ত। একই অনুষ্ঠানে অভিনেতা শাহরুখ খান-সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, উত্তম সাহা প্রকাশ্যে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে চিটিংবাজ বলে কটাক্ষ করেন, যা প্রাক্তন অধিনায়কের সামাজিক সম্মান ও দীর্ঘদিনের ভাবমূর্তিকে গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এই কারণেই মানহানির নোটিস পাঠানোর পাশাপাশি লালবাজারে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।উল্লেখ্য, মেসিকে দেখার আশায় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে হাজার হাজার দর্শক মোটা অঙ্কের টিকিট কেটেও শেষ পর্যন্ত হতাশ হন। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতেও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় এবং তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস পদত্যাগ করেন। পুলিশ কর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। একজন ডিসিপি সাসপেন্ড হয়েছে। এই আবহেই দেওয়া উত্তম সাহার মন্তব্যকে ঘিরে এবার আইনি পথে হাঁটলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজনীতি

একেই হুমায়ুন কবীরে অস্থির! এবার দুর্নীতির অভিযোগ জেলা পরিষদের সদস্যপদে ইস্তফা দাপুটে তৃণমূলনেত্রীর

২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুর্শিদাবাদে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে বড়সড় রাজনৈতিক বিস্ফোরণ। দলের হেভিওয়েট নেত্রী ও জেলা পরিষদের প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি শাহনাজ বেগম জেলা পরিষদের সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিলেন। শুধু পদত্যাগই নয়, দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রকাশ্যে নিজের দলের পরিচালিত জেলা পরিষদ বোর্ডকে কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি।১৭ ডিসেম্বর বিভাগীয় কমিশনারের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠান শাহনাজ বেগম। তার প্রতিলিপি জমা পড়েছে জেলা শাসকের কাছেও। তবে প্রশাসনিক চিঠির থেকেও বেশি আলোড়ন তৈরি করেছে তাঁর ফেসবুক পোস্ট। সেখানে তিনি স্পষ্ট ভাষায় লেখেন, চোর জেলা পরিষদের একজন অংশীদার হয়ে থাকা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। এই এক লাইনের মন্তব্যেই জেলা তৃণমূল রাজনীতিতে তীব্র অস্বস্তি ছড়িয়েছে।শাহনাজ বেগম দাবি করেছেন, তিনি কখনও অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি এবং ভবিষ্যতেও করবেন না। দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা ক্ষোভই যে এবার প্রকাশ্যে এসেছে, তা তাঁর বক্তব্যেই স্পষ্ট। রাজনৈতিক মহলের মতে, নির্বাচনের মুখে দাঁড়িয়ে দলের অন্দরে এমন প্রকাশ্য বিদ্রোহ তৃণমূলের জন্য বড় ধাক্কা।মুর্শিদাবাদ জেলা রাজনীতিতে শাহনাজ বেগম অত্যন্ত প্রভাবশালী নাম। একসময় কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি ভেঙে জেলা পরিষদে তৃণমূলের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর। ২০১৩ সাল থেকে সোমপাড়া, রামপাড়া ও রামনগর বাছড়া এলাকা থেকে টানা তিনবার নির্বাচিত হন তিনি। কর্মাধ্যক্ষ থেকে সহকারী সভাধিপতি, একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন শাহনাজ।যদিও আপাতত অন্য কোনও দলে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত দেননি তিনি। তবে পদ ছাড়লেও এলাকার মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। এই বিস্ফোরক ইস্তফা মুর্শিদাবাদের রাজনীতিতে কী প্রভাব ফেলে, এখন সেটাই দেখার।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal