• ৪ পৌষ ১৪৩২, সোমবার ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Killed

রাজ্য

বোমা-গুলির লড়াইয়ে প্রাণ গেল ১২ বছরের কৌসেরার! ইসলামপুরে তীব্র উত্তেজনা

এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রক্তাক্ত হয়ে উঠল উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর। বোমাবাজি ও গুলির মাঝেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল এক নাবালিকার। শনিবার গভীর রাতে এই ঘটনাকে ঘিরে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত নাবালিকার নাম কৌসেরা বেগম। বয়স ১২ বছর। সে ইসলামপুর থানার মাটিকুণ্ডা ২ নম্বর পঞ্চায়েতের ঝলঝলি এলাকার বাসিন্দা। কৌসেরা অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। স্থানীয় সূত্রের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই রফিক আলম ও নুর আলমের মধ্যে এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে বিবাদ চলছিল।মৃত নাবালিকার বাবা জাহিদ আলম রফিক আলমের ঘনিষ্ঠ বলে অভিযোগ। শনিবার রাতে নুর আলমের অনুগামীরা জাহিদ আলমের বাড়িতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। সেই সময় একের পর এক বোমা ফাটানো হয় এবং গুলিও চলে। এই হামলার মধ্যেই ছররা গুলিতে গুরুতর জখম হয় কৌসেরা।তড়িঘড়ি নাবালিকাকে উদ্ধার করে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। নাবালিকার মৃত্যুর খবর ছড়াতেই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়।রবিবার সকালেও এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশি টহল চলছে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইলাল আগরওয়াল বলেন, পুরনো জমি বিবাদ থেকেই এই অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। তিনি জানান, পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে তিনি এলাকায় যাবেন। ইসলামপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেন্ডুক শেরপা বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এবং ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫
বিদেশ

ফের পাক হামলা, এক রাতেই খুন ৯ শিশু! উত্তপ্ত আফগান সীমান্ত

আফগানিস্তানে ফের বোমা হামলা পাকিস্তানের। মধ্যরাতের নিস্তব্ধতা চিরে আচমকাই বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠল সীমান্তবর্তী এলাকা। সেই হামলায় প্রাণ গেল নয়-নয়টি শিশু এবং এক মহিলার। আফগান তালিবান সরকারের মুখপাত্র জবিউল্লা মুজাহিদ জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষের বাড়িতে সরাসরি বোমা ফেলেছে পাকিস্তানি বাহিনী। নিহতদের মধ্যে পাঁচজন বালক এবং চারজন বালিকা। এক মুহূর্তে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল কয়েকটি পরিবার।মুজাহিদ তাঁর এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, পাকিস্তানি বাহিনী নিরীহ মানুষের ঘরে বোমা ফেলেছে। ৯ শিশু এবং এক মহিলা শহিদ হয়েছেন। আফগান সরকার এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। বলেছে, কোনও সামরিক লক্ষ্য নয়, এই হামলা ছিল স্পষ্টভাবে বেসামরিকদের ওপর। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগও তুলেছে কাবুল।সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও চার আফগান নাগরিক। তবে পাকিস্তানের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া নেই। সীমান্তেই যে উত্তেজনা দিন দিন বাড়ছে, তা আর আড়াল করা যাচ্ছে না।গত মাস থেকেই ডুরান্ড লাইন ঘিরে নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। দুই দেশই একে অন্যকে দোষারোপ করছে। ইসলামাবাদের দাবি, আফগানিস্তান টিটিপিকে আশ্রয় দিচ্ছে এবং তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এক্ষেত্রে পাকিস্তান চাইছে, সীমান্ত বরাবর একটি বাফার জোন তৈরি হোক।কাবুল অবশ্য টিটিপিকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে জানিয়েছে, ডুরান্ড লাইন নিয়ে পাকিস্তানের দাবিই অবৈধ। ফলে তিন দফা শান্তি বৈঠকেও কোনও সুরাহা আসেনি। আর তারই মাশুল আবারও দিতে হল নিরীহ মানুষকে।এই ঘটনার মধ্যেই পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ ভারত ফ্যাক্টর টেনে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, ভারতের হাতের পুতুল হয়ে নাচছে আফগানিস্তান। পাশাপাশি তালিবানকে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেনআক্রমণ করলে তার ৫০ গুণ জবাব দেবে পাকিস্তান।ফলে সীমান্তে আগুন আরও জ্বলছে। আর দুই দেশের রাজনৈতিক অন্ধকারে একের পর এক নিশ্চিহ্ন হচ্ছে শিশুর মুখ, ঘরের আলো, অগণিত স্বপ্ন।

নভেম্বর ২৫, ২০২৫
দেশ

নকশাল দমন অভিযানে ঐতিহাসিক সাফল্য! নিহত কুখ্যাত মদভি হিদমা ও তার স্ত্রী

ভারতের নকশালবিরোধী অভিযানে বড় সাফল্য। দীর্ঘদিন ধরে নিরাপত্তাবাহিনীর মাথাব্যথার কারণ হওয়া শীর্ষ মাওবাদী কমান্ডার মদভি হিদমা অবশেষে নিহত। অন্ধ্রপ্রদেশের আল্লুরী সীতারামারাজু জেলার গভীর জঙ্গলে সোমবার ভোরে তুমুল বন্দুকযুদ্ধের মধ্যেই শেষ হয় দেশের সবচেয়ে কুখ্যাত নকশাল নেতাদের এক জনের অধ্যায়। হিদমার সঙ্গে তার স্ত্রী রাজে ওরফে রাজাক্কাসহ মোট ছয় মাওবাদীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। নিহতদের মধ্যে আরও আছেন চেল্লুরি নারায়ণ ওরফে সুরেশ, এসজেডসিএম এবং টেক শঙ্কর।ঘটনাস্থল মারুদ পল্লি। পশ্চিম গোদাবরী জেলার গভীর অরণ্যের এক এমন জায়গা, যেখানে ছত্তীসগড়, তেলঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশের সীমানা মিলেছে। স্থানীয় সময় সকাল প্রায় ছটা। ঘন জঙ্গলের নিস্তব্ধতা ভেঙে গুলির শব্দে কেঁপে ওঠে তিন রাজ্যের মিলনসীমা। বিশ্বস্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নিরাপত্তাকর্মীরা রাতে থেকেই ওই এলাকায় কম্বিং অপারেশন শুরু করেছিলেন। জঙ্গলের ভেতরে মাওবাদীরা ক্যাম্প গেড়েছেএমন তথ্য পাওয়ার পরই যৌথ বাহিনী অভিযানে নামে। মুখোমুখি সংঘর্ষ শুরু হতেই দুপক্ষের মধ্যে টানা গুলির লড়াই চলে। সংঘর্ষ থামার পর ধীরে ধীরে জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসে হিদমাসহ ছয়জনের নিথর দেহ।পুলিশ জানিয়েছে, অভিযান এখনও চলছে। জঙ্গলের ভেতর আরও মাওবাদী লুকিয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ। তবে সবচেয়ে বড় খবরমদভি হিদমার মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ায় নিরাপত্তাবাহিনী ও গোয়েন্দা মহলে স্বস্তির হাওয়া। ১৯৮১ সালে ছত্তীসগড়ের সুকমায় জন্ম হিদমার মাথার দাম ছিল ৫০ লক্ষ টাকা। সিপিআই (মাওবাদী)-র সবচেয়ে প্রভাবশালী নেতাদের মধ্যে একসময় তার নাম প্রথম সারিতে ছিল। কমপক্ষে ২৬টি বড় হামলার মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে বহু বছর ধরে তার সন্ধানে ছিল দেশের বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থা। কয়েকটি রাজ্যের সীমান্তজুড়ে তার টিমের ত্রাসের জন্য তাকে ধরা প্রায় অসম্ভব বলে মনে করা হত। এবার সেই অধ্যায় শেষ।এই অভিযানের পরে গোটা অঞ্চলেই নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে। গ্রামবাসীদের নিরাপদ স্থানে সরানো হচ্ছে। পুলিশ সূত্রের দাবি, এ অপারেশন নকশাল নেটওয়ার্কে বড় ধাক্কা দেবে এবং আগামী দিনগুলোতে আরও একাধিক জঙ্গলের গভীরে একই ধরনের অভিযান চালানো হতে পারে।

নভেম্বর ১৮, ২০২৫
বিদেশ

মদিনায় আগুনে পুড়ল ৪২ উমরাহ যাত্রীর দেহ! অধিকাংশই ভারতীয়—বাসে বেঁচে ফিরলেন মাত্র ১ জন

সৌদি আরবের মদিনার কাছে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় নিভে গেল কমপক্ষে ৪২টি প্রাণ। উমরাহ হজে যাওয়া ভারতীয় তীর্থযাত্রীদের নিয়ে মক্কার পথে যাচ্ছিল বাসটি। ভারতীয় সময় অনুযায়ী সোমবার রাত প্রায় একটা বেজে তিরিশ মিনিট নাগাদ মুফরিহাট এলাকায় একটি ডিজেল ট্যাঙ্কারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় বাসটির। প্রচণ্ড ধাক্কার পর মুহূর্তের মধ্যে আগুন ধরে যায় পুরো গাড়িতে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই বাসটি আগুনের গোলায় পরিণত হয়, আর তাতেই মৃত্যু হয় অধিকাংশ যাত্রীর।সৌদি পুলিশের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, দুর্ঘটনার সময় প্রায় সবাই ঘুমিয়ে ছিলেন। আগুন লাগার পর কেউ বেরোনোর সুযোগই পাননি। বাসটিতে ১১ জন মহিলা ও ১০ জন শিশু ছিলএমনটাই জানা গিয়েছে। মৃতদের অধিকাংশই ভারতের হায়দরাবাদের বাসিন্দা। এমন ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দেহগুলি এতটাই পুড়ে গিয়েছে যে কারও পরিচয় নির্ণয় করতেও বড়সড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছেন তদন্তকারীরা। এই মর্মান্তিক ঘটনায় বেঁচে গিয়েছেন মাত্র একজনমহম্মদ আব্দুল শোয়েবযিনি এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।ঘটনার পর শোকপ্রকাশ করেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর। তিনি জানিয়েছেন, রিয়াধের ভারতীয় দূতাবাস এবং জেদ্দার কনস্যুলেট ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছে এবং প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছে। হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়াইসি দ্রুত মৃতদেহগুলো ভারত ফেরাতে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।অন্যদিকে, তেলঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি বলেন, রাজ্য সরকার পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। দিল্লি ও জেদ্দার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। পরিবারগুলিকে সাহায্যের জন্য জরুরি ভিত্তিতে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। শুরু হয়েছে একাধিক হেল্পলাইন নম্বরও।তেলঙ্গনা সরকারের হেল্পলাইন নম্বর: +91 7997959754, +91 9912919545জেদ্দা কনস্যুলেটের নম্বর: 8002440003সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল দেহ শনাক্তিকরণ। দেহগুলি এতটাই অগ্নিদগ্ধ যে DNA পরীক্ষার মতো জটিল প্রক্রিয়া ছাড়া পরিচয় জানা প্রায় অসম্ভব। ফলে দেহ দেশে ফেরানোও দীর্ঘ সময় নিতে পারে। ইতিমধ্যেই কূটনৈতিক স্তরে তৎপরতা বেড়েছে, কারণ পরিবারগুলির একমাত্র দাবিযেন দ্রুত প্রিয়জনদের দেহ বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়।

নভেম্বর ১৭, ২০২৫
দেশ

লাল কেল্লা মেট্রোর সামনে ধীরে ধীরে আসছিল গাড়িটি... তারপরেই ঘটল বিস্ফোরণ, কী বলছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা

ভর সন্ধ্যায় আচমকাই কেঁপে উঠল রাজধানী দিল্লি। লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের কাছেই ভয়াবহ বিস্ফোরণ। ঠিক সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিট নাগাদ লালবাতিতে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মারুতি সুজুকি ইকো ভ্যানে প্রবল বিস্ফোরণ ঘটে। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন গ্রাস করে ফেলে আশপাশের আরও কয়েকটি গাড়িকে। মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে অন্তত ১০, আহত ২০ জনের বেশি।দিল্লি পুলিশের কমিশনার সতীশ গোলচা জানিয়েছেন, একটি ধীরে চলা গাড়ি ট্র্যাফিক সিগন্যালে দাঁড়িয়েছিল। ঠিক সেই সময়ই বিস্ফোরণ হয়। তার পরপরই আশেপাশের গাড়িগুলিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিস্ফোরণের পর ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। স্থানীয়রা আতঙ্কে ছুটে পালাতে শুরু করেন।প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে আশেপাশের বৈদ্যুতিক খুঁটি ও স্ট্রিটলাইট পর্যন্ত ভেঙে পড়ে। অনেক গাড়ি প্রায় ১৫০ মিটার দূরে ছিটকে যায়। লালকেল্লা সংলগ্ন চাঁদনি চক এলাকার ভিড়ের মধ্যে মুহূর্তেই নেমে আসে তীব্র বিশৃঙ্খলা।এই ঘটনার দিনই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে আন্তঃরাজ্য জঙ্গি চক্র। উদ্ধার হয় প্রায় ২,৯০০ কেজি বিস্ফোরক তৈরির রাসায়নিক, যার মধ্যে ছিল অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটও। তবে দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, ওই বিস্ফোরণের সঙ্গে এই জঙ্গি মডিউলের সরাসরি কোনও যোগ এখনও পাওয়া যায়নি।তদন্তে নেমেছে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল, এনআইএ ও এনএসজি। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ভ্যানে বিস্ফোরক বোঝাই করা ছিল, এবং সেটি হয়তো আরও ভিড়ভাট্টার এলাকায় পৌঁছনোর আগেই বিস্ফোরিত হয়ে যায়।এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, এত জোরে আওয়াজ হয়েছিল যে মনে হচ্ছিল ভূমিকম্প হচ্ছে। চারপাশে আগুন, গরম বাতাসে যেন শ্বাস নেওয়া যাচ্ছিল না। বর্তমানে গোটা দিল্লি জুড়ে জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট। তদন্ত চলছে রাতভর।

নভেম্বর ১০, ২০২৫
দেশ

একদিকে ছড়িয়ে আছে কাটা হাত, অন্য়দিকে মাংসপিণ্ড... দিল্লিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ভয়াবহ দৃশ্যে আঁতকে উঠছে প্রত্যক্ষদর্শীরা

ভর সন্ধ্যায় হঠাৎ ভয়ংকর বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল রাজধানী দিল্লি। লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের কাছে পার্কিং লটে দাঁড়িয়ে থাকা দুটি গাড়িতে প্রবল বিস্ফোরণ ঘটে। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের আরও গাড়িতে। চারপাশে ধোঁয়া, আতঙ্ক আর চিৎকারে ভরে ওঠে গোটা এলাকা।সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, একটা বড় বিস্ফোরণ হয়েছে। আমরা দৌড়ে দূরে চলে যাই। দেখি কাটা হাত পড়ে আছে। ধ্বংসস্তুপ পড়ে আছে। মানুষ ভাবতেই পারবে না এমন দৃশ্য। পড়ে আছে খাবলা-খাবলা মাংস। যা দেখেছি তা ভাষা প্রকাশ করতে পারব না।লালকেল্লা মেট্রো এলাকা বরাবরই জনবহুল। পর্যটক ও স্থানীয় মানুষে ভরপুর জায়গাটিতে সোমবার সন্ধ্যাটা যেন এক দুঃস্বপ্ন হয়ে এল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হঠাৎ করেই আকাশ কাঁপিয়ে বিকট আওয়াজ হয়। তারপরেই আগুনের শিখা ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন গ্রাস করে নেয় কয়েকটি গাড়ি ও দোকানঘর।পুলিশ ও দমকলের একাধিক টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শেষ পাওয়া খবরে এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে, আহত বহু মানুষ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।দিল্লি পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। শুরু হয়েছে তদন্ত। বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ এখনও জানা যায়নি, তবে নাশকতার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না প্রশাসন। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে গোটা এলাকায় জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট।এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, যে আওয়াজটা হয়েছিল, তা কখনও ভুলতে পারব না। সবাই দৌড়াতে শুরু করেছিল। যেন এক মুহূর্তে পৃথিবী থেমে গিয়েছিল।

নভেম্বর ১০, ২০২৫
বিদেশ

ভরসন্ধ্যায় কেঁপে উঠল দিল্লি! জোড়া গাড়িতে বিস্ফোরণ, মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে

ভরসন্ধ্যায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল দিল্লি। রাজধানীর ব্যস্ত এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা দুটি গাড়িতে আচমকা বিস্ফোরণ ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশপাশে থাকা আরও কয়েকটি গাড়ি, অটো, রিক্সা ও বাইকে। মিনিটের মধ্যেই আগুনের লেলিহান শিখায় ভস্মীভূত হয়ে যায় গোটা এলাকা। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে আশপাশের দোকান, গাড়ি এমনকি ঘরবাড়িও কেঁপে ওঠে।শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, অন্তত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ২০ জনেরও বেশি মানুষ গুরুতর আহত। আহতদের দ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে পুলিশের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও সরকারি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি।প্রত্যক্ষদর্শীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের পরে এলাকা জুড়ে দেহাংশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখা গেছে। সন্ধ্যার সময় ঘটনাস্থলে প্রচুর মানুষের ভিড় ছিল বলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।ঘটনাস্থলে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গেছেন দিল্লি পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। স্পেশাল সেল, এনআইএ ও এনএসজি-র টিম তদন্তে নেমেছে। স্নিফার ডগ নিয়ে তল্লাশি চলছে এলাকায়। বিস্ফোরণের সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি, তবে নাশকতার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না।উল্লেখ্য, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে জম্মু-কাশ্মীরের পাহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় কয়েকজন পর্যটকের মৃত্যু হয়েছিল। সেই ঘটনার পর ভারত চালায় অপারেশন সিঁদুর। তার মাত্র কয়েক মাস পর রাজধানীতে ফের বিস্ফোরণ নিরাপত্তা মহলে নতুন করে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। দেশের বিভিন্ন বড় শহরে ইতিমধ্যেই জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট।

নভেম্বর ১০, ২০২৫
রাজ্য

বারুইপুরে রেসিং বাইকের ধাক্কায় মর্মান্তিক মৃত্যু পথচারীর

দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে রেসিং বাইকের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক পথচারীর। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম জয়ন্ত মন্ডল (৫০)। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বারুইপুর থানার অন্তর্গত বিশালক্ষী তলা এলাকায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন জয়ন্তবাবু। সেই সময় পিছন দিক থেকে বেপরোয়া গতিতে ছুটে আসে একটি রেসিং বাইক। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে ওই পথচারীকে। প্রবল আঘাতে তিনি রাস্তায় ছিটকে পড়ে যান। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে তড়িঘড়ি বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।অভিযোগ, দুর্ঘটনার পর বাইকচালক পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু স্থানীয়রা সক্রিয় হয়ে তাঁকে ঘাতক বাইকসহ ধরে ফেলে এবং পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরে বারুইপুর থানার পুলিশ বাইকচালককে আটক করে। বর্তমানে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।অকস্মাৎ মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। প্রতিবেশীরা জানান, জয়ন্তবাবু শান্ত স্বভাবের মানুষ ছিলেন। রোজকার মতো বাজার সেরে ফিরছিলেন, তখনই ঘটে যায় এই দুর্ঘটনা। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই এলাকায় প্রায়ই বেপরোয়া বাইক দৌড় চলে। প্রশাসন এ বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ নিলে এ ধরনের ঘটনা রোখা সম্ভব হবে বলে দাবি তাঁদের।এই মর্মান্তিক ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে রাস্তায় রেসিং বাইকের দৌরাত্ম্য নিয়ে। পুলিশের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, দুর্ঘটনার নেপথ্যে কারও গাফিলতি ধরা পড়লে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২৫
দেশ

প্রকৃতির রোষে ভূস্বর্গ! মেঘভাঙা বৃষ্টি ও ভূমিধসে ১১ জনের মৃত্যু, নিহতদের মধ্যে ৫ শিশু

শনিবার সকালে জম্মু ও কাশ্মীরের রামবণ এবং রিয়াসি জেলায় দুই পৃথক ঘটনায় অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন পাঁচজন শিশু।রামবণ জেলার রাজগড় তেহসিলে শনিবার সকালে ভয়াবহ মেঘভাঙা বৃষ্টি হয়। আকস্মিক বন্যায় ভেসে যায় দুটি বাড়ি ও একটি স্কুল ভবন। এতে চার গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়েছে বলে প্রশাসন জানিয়েছে। আরও কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে আশঙ্কা। ইতিমধ্যেই উদ্ধার ও ত্রাণকার্য শুরু হয়েছে।একজন কর্মকর্তা জানান, এখনও পাঁচজন নিখোঁজ বলে খবর পাওয়া গেছে। আমরা তাঁদের খোঁজ চালাচ্ছি। আকস্মিক বন্যায় ওই এলাকায় প্রচুর সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে।অন্যদিকে, রিয়াসি জেলার মহোরে এলাকার দূরবর্তী বাদ্দের গ্রামে শনিবার সকালে ভূমিধসের ঘটনায় মাটি চাপা পড়ে এক পরিবারের ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে বাবা-মা ও তাঁদের পাঁচ শিশু সন্তান (সবাই ১২ বছরের নিচে)।মৃত পরিবারের প্রধান ছিলেন নাজির আহমদ। তাঁর স্ত্রী ওয়াজিরা বেগম (৩৫) এবং তাঁদের সন্তান বিলাল আহমদ (১৩), মোহাম্মদ মুস্তাফা (১১), মোহাম্মদ আদিল (৮), মোহাম্মদ মুবারক (৬) ও মোহাম্মদ ওয়াসিম (৫)-এর মৃত্যু হয়েছে।এদিকে, উধমপুর থেকে বানিহাল পর্যন্ত একাধিক জায়গায় ধস নামায় জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কে টানা পঞ্চম দিন যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে টানা বৃষ্টি, মেঘভাঙা ও ভূমিধসে জম্মু অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে অন্তত ১১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে অধিকাংশই তীর্থযাত্রী।সম্প্রতি কিস্তওয়ার জেলার চিশোটি গ্রামে মেঘভাঙার ঘটনায় মচাইল মাতা যাত্রা চলাকালীন ৬৫ জন তীর্থযাত্রী প্রাণ হারান। আবার, জম্মুর কাটরায় মাতা বৈষ্ণোদেবী মন্দিরের কাছে ভূমিধসে মারা যান আরও ৩০ জন তীর্থযাত্রী।শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকার কাটরা মন্দির সংলগ্ন ভূমিধসে নিহতদের ঘটনা তদন্তে বিশেষ কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটি ভূমিধসের কারণ, উদ্ধার ও ত্রাণ ব্যবস্থার ত্রুটি এবং ভবিষ্যতে এমন বিপর্যয় রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা সংক্রান্ত পরামর্শ দেবে।প্রবল বর্ষণ, মেঘভাঙা ও ভূমিধসের কারণে জম্মু-কাশ্মীরে হাজার কোটি টাকার সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে বলে সরকারি অনুমান।

আগস্ট ৩০, ২০২৫
বিদেশ

সিন্ধু প্রদেশে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের হাতে নিহত শীর্ষ লস্কর সন্ত্রাসী সাইফুল্লাহ খালিদ

পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের হাতে নিহত হয়েছে লস্কর-ই-তৈয়বা (LeT) এর শীর্ষ সন্ত্রাসী রাজাউল্লাহ নিজামানি, যিনি আবু সাইফুল্লাহ খালিদ নামেও পরিচিত। রবিবার বিকেলে সিন্ধুর বাদিন জেলার মাতলি শহরে নিজের বাসার কাছেই একদল অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি গুলি করে হত্যা করেছে তাকে। হত্যাকারীদের পরিচয় এখনও অজানা। সাইফুল্লাহ খালিদ ভারতের তিনটি বড় সন্ত্রাসী হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন:১। ২০০১ সালে উত্তরপ্রদেশের রামপুরে সিআরপিএফ ক্যাম্পে হামলা,২। ২০০৫ সালে বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স (IISc) এ হামলা,৩। ২০০৬ সালে নাগপুরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS) সদর দপ্তরে আত্মঘাতী হামলার চেষ্টা।নেপালে ভিনোদ কুমার নামে ভুয়া পরিচয়ে তিনি দীর্ঘদিন লস্করের নেপাল মডিউলের নেতৃত্ব দেন, যেখানে তিনি অর্থায়ন, নিয়োগ ও লজিস্টিক সহায়তার দায়িত্বে ছিলেন। সেখানে তিনি স্থানীয় এক নারী নাগমা বানুকে বিয়ে করেন। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি তার কার্যক্রম শনাক্ত করার পর তিনি পাকিস্তানে ফিরে যান এবং সিন্ধুর বাদিন জেলায় বসবাস শুরু করেন। সেখানে তিনি লস্কর ও জামাত-উদ-দাওয়ার হয়ে নিয়োগ ও অর্থ সংগ্রহের কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন।তার মৃত্যু ভারতের সাম্প্রতিক অপারেশন সিন্দুর এর পর ঘটেছে, যেখানে ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলিতে হামলা চালিয়ে ১০০-রও বেশি সন্ত্রাসীকে হত্যা করে। সাইফুল্লাহ খালিদের মৃত্যু লস্কর-ই-তৈয়বার জন্য একটি বড় ধাক্কা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, কারণ তিনি সংগঠনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনা ও সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করতেন।

মে ১৮, ২০২৫
রাজ্য

কালিয়াচকে তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় গ্রেফতার এক, একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ পুলিশের

মালদার কালিয়াচকে নওদা যদুপুর এলাকায় তৃণমূল কর্মী খুন এবং অঞ্চল সভাপতি ও প্রাক্তন প্রধানের ওপর হামলার ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করলো পুলিশ। ব্রিজের নাম আমির হামজা। বুধবার ধৃতকে মালদা আদালতে পেশ করেছে পুলিশ। এদিকে এদিন নওদা যদুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোমিনপাড়া নয়াবস্তি এলাকা সকাল থেকেই ছিল জনশূন্য। বন্ধ ছিল বিভিন্ন দোকান, বাজার-হাট। সকাল থেকেই গ্রামে দফায় দফায় টহল দিয়েছে সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী। এলাকা দখল নিয়েই মূলত এই ঝামেলা বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। যার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ সেই জাকির শেখের একটি খুনের হুমকি দেওয়া ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। তা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জেলা জুড়ে। ইতিমধ্যে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন তৃণমূলের জেলা সংখ্যালঘু সেলের সহ-সভাপতি মহম্মদ আজমল শেখ। তিনি বলেন, বকুল ও জাকিরের পুরনো শত্রুতা রয়েছে। জাকিরকে তৃণমূলে নিতে বারণ করেছিলাম। দলে জেলার শীর্ষ নেতৃত্বকে জানিয়েছিলাম এতে গোষ্ঠী কোন্দল বাড়বে। তাও আমার কথা শোনা হয়নি। মালদার কালিয়াচক ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি সারিউল শেখের মদতে দলে ঢোকে। এরপর থেকেই সমস্যা সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ভিডিওতেই দেখা যাচ্ছে জাকির শেখ কিভাবে নওদা যদুপুরে তৃণমূলের অঞ্চল কমিটির সভাপতি, স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান সহ আরো বেশ কয়েকজনকে প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে। তাহলে কেন পুলিশ স্বীকার করছে না যেগুলি চলেছে। সঠিক তদন্তে সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম আমির হামজা(২৪)। তার বাড়ি উত্তর দাড়িরাপুর নয়াবস্তি এলাকায় । এদিকে জাকির ও তার অনুগামীরা এই ঘটনা ঘটানোর পর ভিন রাজ্যে বা বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে পারে এই কারণে বাংলাদেশ সীমান্ত ও বাংলা, বিহার, ঝাড়খন্ড সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়েছে পুলিশ। তবে এই ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ১২ দিন আগেই খুন হয় জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি বাবলা সরকার। তার রেশ কাটতে না কাটতেই আবার এই ঘটনা। এদিকে এই ঘটনার পর ওই এলাকায় স্নিপার ডগ নিয়ে তল্লাশী চালাচ্ছে পুলিশ। বুধবার সকালে স্নিপারডগ নিয়ে নওদা যদুপুর এলাকায় তল্লশী চালায়।রক্তমাখা জামা কাপড় শুকানো হয় কুকুরকে। এই ঘটনার পর ব্যাপক আতংক ছড়িয়েছে ব্যবসায়ী মহলে। মালদা জেলার মার্চেন্ট চেম্বার অফ কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ সভাপতি উজ্জ্বল সাহা বলেন,বর্তমানে জেলার পরিস্থিতি উদ্বেগজনক।মানুষ বাড়ি থেকে কম বেরোচ্ছে। ব্যবসায় প্রচন্ড ক্ষতি হচ্ছে। বেশি রাত পর্যন্ত দোকান খোলা রাখতে ভয় পাচ্ছে অনেক ব্যবসায়ীরা। আমরা চাই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। সন্দেহের তালিকায় রয়েছে আরো ৬ জন। পুলিশের দাবি গুলি চলার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে আহত বকুল শেখ ও তার ভাই মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তৃণমূলের জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী বলেন, কে কি ভিডিও করে হুমকি দিচ্ছে তার দায়ভার তৃণমূল নেবে না। তবে পুলিশের সক্রিয় হওয়া উচিত ছিল। পুলিশ তদন্ত করছে দোষীরা শাস্তি পাবে। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দুপুরে মালদার কালিয়াচক থানা নওদা যদুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোমিনপাড়া নয়াবস্তি এলাকায় তৃণমূল কর্মীদের দিয়ে থেঁতলে খুন করে দুষ্কৃতীরা।গুরুতর আহত হয়ে নওদা যাদবপুর অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি বকুল শেখ ও তার ভাই তথা দলের পঞ্চায়েত সদস্য এসারুদ্দিন শেখ। এই ঘটনায় খুন হন আতাউল হক নামে তৃণমূল কর্মী। আহত দুই তৃণমূল নেতা চিকিৎসাধীন মালদা মেডিকেল কলেজে।

জানুয়ারি ১৫, ২০২৫
রাজনীতি

বাবলা সরকার খুনে নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি ও স্বপন শর্মার ফের পুলিশ হেফাজত, উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ, পোশাক, মোবাইল....

তৃণমূল নেতা বাবলা সরকার খুনের ঘটনায় ধৃত নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি এবং স্বপন শর্মাকে নতুন করে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিল মালদা আদালত। শুক্রবার ধৃত দুইজনকে মালদা সিজিএম কোর্টে পেশ করা হয়। যদিও এদিন ওই দুই অপরাধীর পক্ষে মালদা বার অ্যাসোসিয়েশনের কোনও আইনজীবীরাই পক্ষে দাড়ায়নি। সরকারি পক্ষের আইনজীবী দেবজ্যোতি পাল দুই অপরাধীকে পুলিশের হেফাজতে নেওয়ার বিশদ ব্যাখ্যা তুলে ধরেন। এরপরই সিজিএম কোর্টের বিচারক সুজিত কুমার ব্যানার্জি ধৃত নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি এবং স্বপন শর্মাকে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। এদিকে এদিন মৃত বাবলা সরকারের মামলা চলাকালীন আদালতে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে ছিলেন বাবলা সরকারের স্ত্রী আইনজীবী চৈতালী সরকার। তিনি বলেন, আমাদের বার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এদিন কোন আইনজীবী ওই দুই আসামির পক্ষ নিয়ে সাওয়াল জবাব করেননি। তবে আমি নিজে একজন আইনজীবী হিসাবে এই মামলা শুনেছি। কেউ যাতে কোনওরকম ভাবে প্রভাবিত করতে না পারে সেটিও দেখছি। পুলিশ এখনও আসল অপরাধীদের খুঁজে বার করার জন্য তদন্ত করছে। যার ফলে এদিন ওই মূল চক্রীকে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। এদিকে তৃণমূল নেতা বাবলা সরকার খুনের ঘটনায় দুষ্কৃতীদের ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র, পোশাক উদ্ধার করলো পুলিশ। ২ জানুয়ারি বাবলা সরকার খুনের ঘটনায় একটি নাইন এমএম পিস্তল, দুটি ওয়ান সাটার এবং ৭ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি ২ জানুয়ারি বাবলা সরকার খুনের ঘটনায় দুষ্কৃতীরা যে পোশাক ব্যবহার করেছিল সেটিও উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে এই অস্ত্র এবং পোশাক কোথা থেকে উদ্ধার হয়েছে সেই সম্পর্কে কোনও তথ্য পুলিশ জানায়নি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত বাবলা সরকার খুনের ঘটনায় মোট ৭ জন গ্রেফতার হয়েছে। যাদের মধ্যে তিনজন বিহারের পেশাদার খুনি রয়েছে। এই খুনের ঘটনায় প্রথম পাঁচজনকে ১২ দিনের পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। গত বুধবার ইংরেজবাজার পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি এবং অপর এক অভিযুক্ত স্বপন শর্মাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপরই ধৃত ওই দুইজনকে তিন দিনের পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এই দুই মূল চক্রীর কাছ থেকে আরও বিশদ তথ্য জানার জন্য এদিন মালদা আদালতের কাছে নতুন করে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানানো হয়। বিচারক সেই আবেদন মঞ্জুর করে।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইংরেজবাজার পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল দলের কাউন্সিলর বাবলা সরকার খুনের ঘটনায় ধৃত অমিত রজকের বাড়ি থেকে কৃষ্ণ রজক অরফে রোহানের ব্যবহৃত একটি মোবাইল উদ্ধার হয়েছে। সেই মোবাইলের সূত্র থেকে অনেক তথ্য পুলিশের হাতে উঠে আসতে পারে বলেও ধারণা তদন্তকারী পুলিশকর্তাদের। যদিও বাবলা সরকার খুনের ঘটনায় এখনো পর্যন্ত সাতজন গ্রেফতার হলেও আরও তিনজন বাবলু যাদব, কৃষ্ণ রাজক এবং বিহারের বাসিন্দা আশরাফ খান পলাতক রয়েছে।পুলিশ জানিয়েছে, তৃণমূল নেতা বাবলা সরকার খুনের ঘটনায় প্রাথমিকভাবে দুই মূলচক্রী নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি এবং স্বপন শর্মাকেই মনে করা হচ্ছে। কিন্তু তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারী পুলিশকর্তারা সন্তুষ্ট নয়। তাই এদিন ধৃত ওই দুইজনকে বাড়তি পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজত নেওয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে এই ঘটনার পিছনে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা সেটিও জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। এদিকে বাবলা সরকার খুনের ঘটনায় ধৃত দুই অপরাধী নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি এবং স্বপন শর্মাকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে আলাদাভাবে রাখার ব্যবস্থা করে পুলিশ।

জানুয়ারি ১০, ২০২৫
রাজনীতি

বাবলা সরকার খুনে ধৃত নরেন্দ্রনাথ "চিরস্থায়ী" বহিষ্কৃত, মালদায় তৃণমূলের ঘোষণা

মালদার তৃণমূল নেতা বাবলা সরকার খুনের ঘটনায় গ্রেফতার দলের ইংরেজবাজার টাউন সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারিকে বহিষ্কার করলো দল। বৃহস্পতিবার বিকালে এক সাংবাদিক বৈঠক ডেকে এই বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করেছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সী। এদিন ইংরেজবাজার শহরের স্টেশন রোড এলাকার দলীয় কার্যালয়ে এই সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত হয়েছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী ছাড়া ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী, আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি শুভদীপ সান্যাল সহ অন্যান্য কাউন্সিলাররা। তৃণমূলের জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী বলেন, গত এক বছর ধরে দলের কোনও কর্মসূচিতে দেখা যায়নি তৃণমূলের টাউন সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারিকে। উনি অসুস্থ ছিলেন বলেই জানতাম। তাকে আপাতত চিরস্থায়ী ভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। ইংরেজবাজার টাউন সভাপতির পদে নতুন কাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে সেটা রাজ্য নেতৃত্ব ঠিক করবে। এদিকে এদিন পুলিশের হেফাজতে থাকা বাবলা সরকার খুনে ধৃত নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি ইংরেজবাজার থানা থেকে হাসপাতালে মেডিকেল করতে যাওয়ার পথে বলেন, দল যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটাই মানতে হবে।

জানুয়ারি ০৯, ২০২৫
রাজনীতি

বাবলা সরকার খুনে তৃণমূল সভাপতির পুলিশ হেফাজত, আসল মাথা ধরার দাবিতে অনড় স্ত্রী

মালদার জনপ্রিয় তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার ওরফে বাবলাকে খুন করার ঘটনায় মাস্টারমাইন্ড নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি এবং স্বপন শর্মাকে ৩ দিনের পুলিশি হেফাজত দিল আদালত। বুধবার বিকালে কলকাতার ভবানী ভবন থেকে এডজি(দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার সাংবাদিক বৈঠকে মালদার তৃণমূল নেতা বাবলা সরকার খুনের ঘটনায় মাস্টারমাইন্ড ওই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছেন। এদিকে বুধবার গ্রেফতারের পরই ইংরেজবাজার থানা থেকে আদালতে যাওয়ার পথে ধৃত নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারির বিস্ফোরক দাবি, আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। এর পেছনে বড় মাথা রয়েছে। এদিকে এই ঘটনার পরই মৃত বাবলা সরকারের স্ত্রী চৈতালি সরকার বলেন, এর পেছনে বড় মাস্টারমাইন্ড রয়েছে। তাহলে কে এই মাস্টারমাইন্ড? সবকিছু নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হতে চলেছেন তিনি। এই খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারিসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করলো ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। অধরা এখনও দুই। মঙ্গলবার বেলা একটা থেকে নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি ও তার দুই ভাইকে রাতভর জেরা করেন পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদবের নেতৃত্বে একটি স্পেশাল টিম। বুধবার সকলেই ঘোষণা করা হয় নরেন্দ্রনাথ তেয়াওরি এবং আরেক অভিযুক্ত স্বপন শর্মাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুইজন বাবলু যাদব এবং কৃষ্ণ রজক এখনও গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে। তাদের ছবি প্রকাশ করে দুই লক্ষ টাকার পুরস্কার ঘোষণা করেছে মালদা জেলা পুলিশ। এদিকে নরেন্দ্রনাথ গ্রেপ্তারের ঘটনায় চরম অস্বস্তিতে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। জেলা তৃণমূলের সভাপতি আব্দুর রহিম বকশী বলেন, যে অপরাধ করবে তাকে পুলিশ গ্রেফতার করবে। সে দলের যেই হোন না কেন। তৃণমূলের ইংরেজবাজার টাউন সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। যদিও মন্ত্রীর স্পষ্ট বক্তব্য, নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি আমার কোনদিনও ঘনিষ্ঠ ছিল না। এদিকে এদিন মৃত তৃণমূল নেতা বাবলা সরকারের স্ত্রী চৈতালি সরকার বলেন, নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি এবং স্বপন শর্মা গ্রেপ্তার হয়েছে শুনেছি। তবে ওদের দুইজনকে ধরে চুপ করে থাকলেই হবে না। এই ঘটনার পিছনে আরও বড় মাথা কাজ করেছে। পুলিশের প্রকৃত তদন্ত এবং সঠিক বিচারের আশায় রয়েছি।তৃণমূল পরিচালিত ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ন চৌধুরী বলেন, স্বপন শর্মার বাম জমানায় নানা কর্মকাণ্ড আছে। একসময় স্বপন শর্মা আমাকেও খুন করার চেষ্টা করেছিল। আর নরেন্দ্রনাথ গত পুরসভা নির্বাচনে বাবলার সাথে গোলমালের পর বলেছিল দেখে নেবে। ওকে গুলি করে খুন করবে। আর সেটাই ঘটল। তবে এখানে রাজনীতির কোন বিষয় জড়িত নয়। বিজেপি নেতা অম্লান ভাদুরি বলেন, এটা সম্পূর্ণ তৃণমূলের দলীয় গোষ্ঠী কোন্দল। এলাকা দখল ও এলাকার তোলাবাজির জন্যই খুন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত দেড় মাস আগে এই ষড়যন্ত্র করা হয়। মালদা শহরের একটি বেসরকারি হোটেলে বসে সুপারি দেওয়া হয় বিহারের দুই সুপারি কিলারকে। ৬ দিন ধরে দুষ্কৃতীরা বাবলা সরকারের গতিবিধির রেইকি করছিল। ২৫ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি ভীড়ের সুযোগ নিয়ে খুন করার চক্রান্ত ছিল। কিন্তু তা করতে পারেনি দুষ্কৃতীরা। অবশেষে মহানন্দাপল্লী এলাকায় ২ জানুয়ারি গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন করে বাবলা সরকারকে। এদিন এডিজি(দক্ষিণবঙ্গ) সিআইডি সুপ্রতিম সরকার কলকাতায় এক সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন, এই চক্রান্ত করেছিল নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি ও স্বপন শর্মা। স্বপন শর্মা একজন কুখ্যাত দুষ্কৃতী। তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এদিন দুই অভিযুক্তকে আদালতে তুললে তাদের আইনজীবীরা অসুস্থতা ও বয়সের কারণে তাদের জামিনের আবেদন করে। কিন্তু বিচারক জামিন নাকচ করে দিয়েছেন। সরকারি আইনজীবীর দাবি মেনে ধৃতদের তিন দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠান বিচারক।

জানুয়ারি ০৯, ২০২৫
রাজনীতি

ফিল্মি কায়দায় মালদার তৃণমূল নেতাকে খুন, কেন দেহরক্ষী তুলে নেওয়া হয়েছিল? শুরু জোর বিতর্ক

এ যেন হিন্দি সিনেমার শুটিং। মালদার জনপ্রিয় তৃণমূল নেতাকে শুট আউট করলো দুষ্কৃতীরা। বাড়ির সামনে থেকে ধাওয়া করে দোকানের ভিতর ঢুকে পরপর মাথায় তিনটে গুলি করে খুন করা হল মালদা জেলা তৃণমূল নেতা তথা ইংরেজবাজার পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাবলা সরকারকে(৬২)। বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় এই রোমহর্ষক ঘটনায় গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতা বাবলা সরকারকে তাঁর অনুগামীরা মারাত্মক জখম অবস্থায় উদ্ধার করে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে শেষরক্ষা হয়নি। হাসপাতালের চিকিৎসকরা মৃত বলে জানিয়ে দেন। এরপরই শহরের একটা অংশে কার্যত বন্ধের চেহারা নেই। দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান জেলা তৃণমূলের নেতাকর্মীসমর্থকরা। মালদায় তৃণমূল নেতা বাবলা সরকার খুনের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাবলা সরকার আমার দীর্ঘদিনের সহযোদ্ধা ছিলেন। ওকে দুষ্কৃতীরা খুন করেছে। কি ভাষায় যে কথা বলব কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। বাবলার পরিবারকে আমি সমবেদনা জানাচ্ছি। ওর স্ত্রী চৈতালি সরকার মনকে শক্ত রেখে এগিয়ে চলুক, ঈশ্বরের কাছে এই কামনা করছি।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো এদিন সকালে চার চাকা নিয়ে নিজের দোকানে আসছিলেন তিনি। ঠিক সেই সময় ইংলিশ বাজার পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ঝলঝলিয়ার মহানন্দাপল্লী এলাকায় দোকানের কাছেই একটি মোটর বাইকে চারজন এসে তাঁকে গুলি করে। প্রথমে তাকে এক রাউন্ড গুলি করা হয়। প্রথম রাউন্ডের গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এরপরই প্রাণ রক্ষার জন্য পাশের একটি দোকানে ঢুকে পড়েন বাবলা সরকার। এরপরই চারজন দুষ্কৃতী দোকানে ঢুকে তাঁকে তিন রাউন্ড গুলি করে। একটি গুলি মাথায় এবং দুটি শরীরে লাগে। সিসিটিভি ফুটেছে স্পষ্ট সেই ছবি দেখতে পেয়েছে পুলিশ। মুখ বাধা দুষ্কৃতীরা দোকানে ঢুকে একের পর এক গুলি করছে। এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় বাবলা সরকারকে উদ্ধার করে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে। তাঁর নিরাপত্তা রক্ষী কেন সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল, সেই প্রশ্নও তুলেছে বাবলাবাবুর অনুগামীরা। এদিকে এই ঘটনার পর গোটা এলাকা জুড়ে যেমন আতঙ্ক ছড়িয়েছে ঠিক সেইরকম শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এদিকে বাবলা সরকারের মৃত্যুর খবর পেয়ে মালদায় আসেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সেচ দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন এবং শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। তবে কেন গুলি করে খুন করা হলো বাবলা সরকারকে তা নিয়ে এখনও দ্বন্ধে রয়েছে সকলেই। পুলিশকে বাবলা সরকারের গাড়ির চালক সুমন দাস জানিয়েছেন, প্রতিদিনের মতোই এদিন সকালে দাদাকে বাড়ি থেকে প্লাইউডের দোকান ও কারখানায় ছাড়তে গিয়েছিলাম। মহানন্দাপল্লীতে দাদার দোকানটি রয়েছে। দোকানের সামনে দাদা যখন গাড়ি থেকে নামছিলেন তখনই চারজন দুষ্কৃতী একটি মোটরবাইকে এসে দাদাকে গুলি করে। প্রথম গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। তারপরেই বাবলাদা দৌড়ে দোকানে ঢুকে পড়ে। তখন দুষ্কৃতীরা পিছু ধাওয়া করে দাদাকে দোকানের মধ্যেই মাথায় গুলি করে খুন করে। আমি বাঁচাতে আসলে ওরা আমাকেও বন্দুক দেখিয়ে গুলি করার ভয় দেখায়, তখন প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে যাই। মৃত বাবলা সরকারের স্ত্রী চৈতালি দেবী বলেন, কেন এভাবে আমার স্বামীকে খুন করা হলো কিছু বুঝতে পারছি না। ২০০৭ সালে স্বামীকে একবার দুষ্কৃতীরা গুলি করে মারার চেষ্টা চালিয়েছিল। তারপর দুইজন দেহরক্ষীও নেওয়া হয়েছিল। ২০২১ সালে সেই দেহরক্ষী তুলে নেয় জেলা প্রশাসন। আজকে স্বামীর দেহরক্ষী থাকলে হয়তো ওকে হারাতাম না। এর জবাব পুলিশ কে দিতে হবে। ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান তথা রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু নারায়ন চৌধুরী বলেন, বাবলা সরকারের রাজনৈতিক কোন শত্রু ছিল না। এর পিছনে অন্য কিছু রহস্য থাকতে পারে। পরিকল্পিতভাবেই খুন করা হয়েছে তাঁকে। ভাবতেই পারছি না যে বাবলা সরকার নেই। তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সী বলেন, বাবলা সরকার আমাদের মধ্যে নেই ভাবতেই পারছি না। সাত সকালে দুষ্কৃতীদের এই তান্ডব দেখে রীতিমতো অবাক হচ্ছি। ২৪ ঘন্টার মধ্যে অপরাধীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়েছে।বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুরি বলেন, আসলে শাসকদলের যোগ্য নেতাদের কদর নেই। বাবলাবাবু অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন। সাধারণ মানুষের জন্য অনেক উপকার করেছেন। অথচ তারই দেহরক্ষী তুলে নেওয়া হয়েছে। অযোগ্যদের এখন একগাদা দেহরক্ষী দেওয়া হচ্ছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে আমরাও অসন্তুষ্ট। মানুষ এর বিচার করবে। পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল থেকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। দুষ্কৃতীদের মুখ ঢাকা ছিল বলে চিহ্নিত করতে সমস্যা হচ্ছে। তবে গোটা এলাকায় নাকা তল্লাশি শুরু হয়েছে। আপাতত ২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আটক করা হয়েছে। এদিকে তৃণমূল নেতা খুনের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পরিবারকে সমবেদনা জানাতে হেলিকপ্টারে করে মালদা যান রাজ্যের পুর ও নগরন্নোয়ন দপ্তরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বৃহস্পতিবার বিকেলে মন্ত্রী ফিরহাদের সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের সেচ দপ্তরের আরেক রাষ্ট্রমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন সহ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। এদিন মালদায় মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম প্রথমে মেডিকেল কলেজে বাবলা সরকারের মৃতদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে কনভয় নিয়ে সোজা চলে যান বাবলা সরকারের সুকান্তপল্লী এলাকার বাড়িতে। সেখানে স্ত্রী চৈতালি সরকারের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন। তাঁকে সমবেদনা জানান। মন্ত্রী ফিরাদ হাকিম বলেন, বাবলা সরকার খুনের ঘটনার পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আমি মালদায় এসেছি। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অপরাধী যেই হোক না কেন দ্রুত তাদের গ্রেপ্তারের পর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। একজন তৃণমূল নেতা শহরের বুকে খুন হয়ে যাবে, এটা মেনে নেওয়া সম্ভব না। এছাড়াও বাবলাবাবুর দেহরক্ষী তুলে নেওয়া হয়েছিল সেটাও আমরা জানতাম না। কে এবং কেন বাবলাবাবুর দেহরক্ষী গত তিন বছর আগে তুলে নিয়েছিল, সেটাও আমরা খোঁজ নিয়ে দেখব। অত্যন্ত মিষ্টিভাষী মানুষের এরকম শত্রু হতে পারে ভাবতেই অবাক লাগছে। ওনার পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছি। ইতিমধ্যে দুইজন দুষ্কৃতী ধরা পড়েছে বলেও পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব জানিয়েছেন। ধৃতদের মধ্যে একজনের বাড়ি বিহারে। অপরজনের বাড়ি ইংরেজবাজারে।

জানুয়ারি ০২, ২০২৫
রাজ্য

আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের খুনীদের গ্রেফতারের দাবিতে বৃহস্পতিবার রাজ্যজুড়ে চিকিৎসা ধর্মঘট

আরজি কর কাণ্ডে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের প্রতিবাদে সারা বাংলায় চিকিৎসা ধর্মঘটের ডাক দিল জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টর্স। আগামিকাল সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রাজ্যের সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের ওপিডি বন্ধ থাকবে। শুধু ইমার্জেন্সি বিভাগ খোলা থাকবে। এমনকী বক্তিগত চেম্বার বন্ধ রাখারও আবেদন জানিয়েছে এই সংগঠন। এদিন এনআরএস মেডিক্য়াল কলেজ প্রাঙ্গনে নাগরিক কনভেনশনের আয়োজন করেছিল চিকিৎসকদের এই সংগঠন। জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টর্স সংগঠনের নেতা ড. মানস গুমটা বলেন, আমাদারে দাবি ধর্ষক ও হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। সিবিআই তদন্তের আগে আরজি করের চেষ্ট বিভাগে মেরামতের নামে প্রমান লোপাটের চেষ্টার প্রতিবাদ করছে আমাদের এই সংগঠন। সন্দীপ ঘোষসহ সমস্ত সন্দেহভাজনকে অবিলম্বে হেফাজতে নিয়ে দ্রুত তদন্ত করতে হবে। পাশাপাশি রাজ্যের সমস্ত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। আরজি করে নিহত তরুণী চিকিৎসকের খুনীদের গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে এই হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরা। পাশাপাশি রাজ্যের অন্যান্য হাসপাতালের চিকিৎসকরাও এই আন্দোলনে সামিল হয়েছে। এদিন বুদ্ধিজীবীদের একটি দল ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ও দোষীদের শাস্তির দাবি তুলে মিছিল করে আরজি করে মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালে যায়। রাজনৈতিক দলগুলি চিকিৎসক হত্যার প্রতিবাদে পথে নেমেছে। এদিনই আবার কলকাতা হাইকোর্ট এই মামলা পুলিশের হাত থেকে সিবিআইয়ের হাতে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

আগস্ট ১৪, ২০২৪
রাজ্য

আরজি করে চিকিৎসক খুনের মামলায় সিবিআই তদন্ত, আদালতের নির্দেশ পেয়েই টালা থানায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা

আদালত নির্দেশ দিতেই সিবিআই আধিকারিকরা টালা থানায় পৌঁছে যান। সেখানে আরজি করে চিকিৎসক খুনের নথি নিতে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। এর আগে কলকাতা হাইকোর্ট আরজি কর কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হা। আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ উচ্চ আদালতের। পুলিশ এবং হাসপাতালের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে আদালত।আরজি কর সংক্রান্ত মামলার শুনানির প্রথম দিনেই চূড়ান্ত বিস্ময় প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমকে। তিন সপ্তাহ পর রাজ্য সরকারের রিপোর্ট তলব করেছেন প্রধান বিচারপতি। প্রধান বিচারপতি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন অনুযায়ী ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে CBI নির্দেশ দেওয়া যায়। যে ঘটনায় রাজ্যের ব্যর্থতা রয়েছে বলে মনে হচ্ছে সেক্ষেত্রে সিবিআই নির্দেশ দেওয়া যায়। হাসপাতালের সুপার কিংবা কেউ FIR দায়ের করলেন না, এটা তো বিস্ময়ের। অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ইস্তফার পরেও কেন সমান গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল? পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সন্দীপ ঘোষ কাজে যোগ দিতে পারবেন না বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।আগামিকাল সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে CBI-কে কেস ডায়েরি হস্তান্তর করতে নির্দেশ প্রধান বিচারপতির। কলকাতা পুলিশের কেস ডায়েরিতে সন্তুষ্ট নয় হাইকোর্ট। আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুতে প্রথমেই কেন অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হলো তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ প্রধান বিচারপতি। প্রধান বিচারপতির আরও পর্যবেক্ষণ, ওই হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকের দেহ ওই হাসপাতাল থেকেই উদ্ধার হয়েছে। যিনি হাসপাতালের দায়িত্বে ছিলেন তিনি কেন FIR করলেন না? এদিকে আজই টালা থানায় যান সিবিআই আধিকারিকরা। প্রয়োজনীয় নথি নিয়ে থানা থেকে বেরিয়েছেন বলে খবর।

আগস্ট ১৩, ২০২৪
বিদেশ

নিউ টাউনে খুন বাংলাদেশের এমপি আনোয়ার উল আজিম

গত ১২ তারিখ কলকাতায় আসে চিকিৎসার জন্য। এরপর সেখান থেকে নিউ টাউন এর একটি বিলাসবহুল আবাসনে ফ্ল্যাট ভাড়া নেন তারপর থেকেই নিখোঁজ হয়ে যায়। বাড়ির লোক বারংবার ফোন করলেও যোগাযোগ করতে পারেনি। এরপরই বাংলাদেশ মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা বিভাগে লিখিত অভিযোগ জানানো হয় পরিবারের পক্ষ থেকে। এরপরই আনোয়ার উল আজিম দেহ উদ্ধার হয় নিউটাউনের বিলাসবহুল আবাসন থেকে।পুলিশ সূত্রে খবর, খুলনার ঝিনাইদহ এলাকার চার আসনের এমপি আনোয়ার উল আজিম। তিনি যখন নিউটাউনের বিলাসবহুল আবাসনে ওঠেন তার সঙ্গে ছিল একজন মহিলা সঙ্গী সহ বেশ কয়েকজন। তবে কারা খুন করল, কেনই বা খুন করল এখনো পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। ইতিমধ্যে নিউটাউন থানার পুলিশ এবং বিধান নগর গোয়েন্দা শাখার পুলিশ ও এইচডিএফ আধিকারিকেরা তদন্তে নেমেছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে আবাসনে সিসিটিভি ফুটেজ।

মে ২২, ২০২৪
রাজ্য

নদিয়ায় ছেলের হাতে খুন বাবা, স্বামী কে বাঁচাতে গিয়ে আহত মা

নদিয়ায় ছেলের হাতে খুন হল বাবা, স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর আহত মা। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার নবদ্বীপের চন্দ্র কলোনি এলাকায়। জানা যায় মৃত্যের নাম ইন্দ্র দেবনাথ বয়স ৩৮। আজ ভোরে সৎ ছেলে তার বাবাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে বলে অভিযোগ। অভিযোগ, মা সীমা হালদার ছেলেকে আটকাতে গেলে তাকেও বাঁ হাতে ধারালো অস্ত্রের কোপ মারে ছেলে। ঘটনার খবর পেয়ে নবদ্বীপ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দেহটি উদ্ধার করে নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন চিকিৎসক। এই ঘটনার পর অভিযুক্ত ছেলে বাপন হালদারকে আটক করেছে নবদ্বীপ থানার পুলিশ। কি কারণে বাবাকে খুন করল ছেলে তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

আগস্ট ২৯, ২০২২
রাজ্য

পর পর গাড়ির ধাক্কায় চিতাবাঘের মৃত্যু, উদ্বিগ্ন বনদফতর

গাড়ির ধাক্কায় চিতাবাঘের মৃত্যু যেন কিছুতেই কমছে না। শুক্রবার রাতে ৩১নং জাতীয় সড়কে বাগডোগরার মুনি চাবাগানের কাছে ফের গাড়ির ধাক্কায় চিতাবাঘের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বিগত কয়েক মাসে এই রাস্তা পারাপার করতে গিয়ে তিনটে চিতার মৃত্যু হয়েছে। স্বভাবতই উদ্বিগ্ন বনদফতর।বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে বাগডোগরার ৩১নং জাতীয় সড়কের ওপর ক্ষত বিক্ষত একটি চিতাবাঘের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় পথযাত্রী। খবর দেওয়া হয় বাগডোগরা থানায়। তৎক্ষনাৎ বিষয়টি জানানো হয় বাগডোগরা বন বিভাগে। বাগডোগরা থানার ট্রাফিক গার্ড ও বাগডোগরা বনবিভাগের কর্মীরা ঘটনাস্থলে আসেন। বেঙ্গল সাফারি পার্কে নিয়ে যাওয়া হয় মৃত চিতাটিকে। জানা গিয়েছে, ওই পার্কেই চিতাবাঘটির ময়নাতদন্ত হবে। মাথায় আঘাত পেয়েছে চিতাটি।বাগডোগরা বনদফতরের রেঞ্জ অফিসার সমীরণ রাজ জানিয়েছেন, রাস্তা পার হতে গিয়েই সম্ভবত গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে চিতাবাঘটির। ময়না তদন্তেই জানা যাবে মৃত্য়ুর প্রকৃত কারণ। এর আগেও এই এলাকাতেই রাস্তা পারাপার করতে গিয়ে একের পর এক চিতাবাঘের মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। তাতে উদ্বেগ বেড়েছে বনদফতরের।

এপ্রিল ৩০, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

নরেন্দ্র মোদীর পর এবার রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ, ৩০ ডিসেম্বর বৈঠক করবেন নেতৃত্বের সঙ্গে

একদিন আগেই রাজ্যে এসেছিলেন বিজেপির পোস্টারবয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আগামী ৩০ডিসেম্বর বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন। ওই বৈঠকে আগামী ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের কৌশল রচনা করবেন। তারপর সাংবাদিক বৈঠক করবেন অমিত শাহ। যদিও তাঁর এই বঙ্গসফরকে পাত্তা দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁদের বক্তব্য, বাংলায় নরেন্দ্র মোদী হোক বা অমিত ষশাহ হোক, এঁরা কেউ এখানে বিজেপির জয় এনে দিতে পারবেন না। আগেও নির্বাচনের আগে বারে বারে এসেছেন এবারও আসবেন। তবে ব্যর্থ হবেন বলেই দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
রাজনীতি

বর্ধমানে পৌঁছল বিহারের ৫৫টি বাইক, উদ্দেশ্য ঘিরে তৃণমূল–বিজেপি সংঘাত তুঙ্গে

রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির মধ্যেই পূর্ব বর্ধমানে শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক চাপানউতোর। শনিবার বিহারের নম্বর প্লেটযুক্ত ৫৫টি পুরনো মোটরবাইক বর্ধমান জেলা বিজেপি দলীয় অফিসের ঠিকানায় এসে পৌঁছানোকে ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বাইকগুলি ট্রেন থেকে নামিয়ে বর্ধমান রেল স্টেশনের ইস্টার্ন রেলওয়ের পার্সেল অফিসের সামনে রাখা হয়।এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাস। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের একাধিক নেতা ও কর্মী। বর্ধমান রেল স্টেশনে পার্সেল অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে তৃণমূল। বাইকগুলির মালিকানা, পরিবহণ সংক্রান্ত নথি এবং কেন শুধুমাত্র বিজেপির বর্ধমান জেলা অফিসের ঠিকানায় এই বাইক পাঠানো হয়েছে। তা প্রকাশ্যে আনার দাবি তোলেন বিধায়ক।বিক্ষোভে অংশ নেওয়া তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ, বিহারের রাজেন্দ্রনগর থেকে সুনীল গুপ্তা নামের এক ব্যক্তির নামে এই ৫৫টি বাইক পাঠানো হয়েছে। তাঁদের দাবি, বিধানসভা ভোটের আগে পরিকল্পিতভাবেই বাইকগুলি রাজ্যে ঢোকানো হচ্ছে। তৃণমূল নেতৃত্বের আশঙ্কা, আগামী দিনে এই বাইক ব্যবহার করে বাইরের লোকজন বা দুষ্কৃতীদের রাজ্যে ঢোকানোর চেষ্টা হতে পারে। জানা গিয়েছে, এই ৫৫টি নয়, ২৩ জেলা মিলিয়ে প্রায় ৬০০০ মোটর বাইক আসার কথা।বিধায়ক খোকন দাস স্পষ্ট ভাষায় জানান, এতগুলো বাইক বিহার থেকে কী উদ্দেশ্যে বাংলায় আনা হয়েছে, তা পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। ভোটের আগে এই বাইক ব্যবহার করে রাজ্যে অশান্তি ছড়ানোর পরিকল্পনা থাকতে পারে। একই সঙ্গে তিনি রেল ও জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেন। দলের বর্ধমান শহর সভাপতি তন্ময় সিংহ রায়ও বাইকগুলির সম্পূর্ণ তথ্য জনসমক্ষে আনার দাবি জানান। তাঁর বক্তব্য, রেল কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি জেলা ও রাজ্য প্রশাসনকে এই পরিবহণের বিস্তারিত জানাতে হবে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রয়োজনীয় নথি প্রকাশ না হলে বাইকগুলি পার্সেল অফিস থেকে ছাড়তে দেওয়া হবে না।অন্যদিকে, তৃণমূলের সব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে বিজেপি। জেলা বিজেপি নেতা দেবজ্যোতি সিংহরায় বলেন, কিছুদিন আগেই বিহারে নির্বাচন হয়েছিল। সেই সময় দলীয় কর্মীদের কাজে ব্যবহারের জন্য এই বাইকগুলি ব্যবহার করা হয়েছিল। বিহারের ভোট শেষ হওয়ায় সেগুলি এখন পশ্চিমবঙ্গে আনা হয়েছে। তিনি আরও জানান, বর্ধমান জেলা বিজেপি অফিস রাঢ়বঙ্গ জোনের কেন্দ্রীয় অফিস হওয়ায় এখানকার ঠিকানাতেই বাইক পাঠানো হয়েছে। বিজেপির দাবি, প্রতি নির্বাচনের আগেই এভাবেই বাইক আনা হয় এবং বিষয়টি জেনেও তৃণমূল অহেতুক বিতর্ক তৈরি করছে। বাইক বিতর্কে প্রশাসনের ভূমিকা কী হয়, তা নিয়েই এখন রাজনৈতিক মহলে বাড়ছে কৌতূহল।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

এশিয়া কাপ ফাইনালে স্বপ্নভঙ্গ, দুবাইয়ে পাকিস্তানের কাছে লজ্জার হার ভারতের

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়ল ভারত। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩৪৮ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আয়ুষ মাত্রের দল গুটিয়ে গেল মাত্র ১৫৬ রানে। ফলে ১৯১ রানের বড় ব্যবধানে হার স্বীকার করেই শিরোপা হাতছাড়া করতে হল টিম ইন্ডিয়াকে।টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। কিন্তু শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় পাকিস্তান। দলের হয়ে বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন সামির মিনহাস। মাত্র এক ইনিংসেই তিনি করে ফেলেন ১৭২ রান। উসমান খানের সঙ্গে ৯২ রানের এবং আহমেদ হুসেনের সঙ্গে ১৩৭ রানের দুটি বড় জুটিতে ভর করে দ্রুত ৩০০ রানের গণ্ডি পেরিয়ে যায় পাকিস্তান।বিশেষজ্ঞদের মতে, একসময় পাকিস্তানের ইনিংস ২৭০২৮০ রানের মধ্যেই থামতে পারত। কিন্তু মিনহাসের ব্যাটে ভর করেই ৪৩ ওভারের মধ্যেই ৩০০ ছুঁয়ে ফেলে তারা। পরে তাঁর আউট হওয়ার পর পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে ধস নামে। ৩০২/৩ থেকে ৩২৭/৮ মাত্র ২৫ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারালেও ততক্ষণে ম্যাচ কার্যত একপেশে হয়ে গিয়েছিল।লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ভারতীয় ব্যাটিং সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে। বৈভব সূর্যবংশী, আয়ুষ মাত্রে, অভিজ্ঞান কুণ্ডুর মতো পরিচিত নাম থাকলেও কেউই দায়িত্ব নিতে পারেননি। আশ্চর্যজনকভাবে দলের সর্বোচ্চ রান আসে ১০ নম্বর ব্যাটার দীপেশ দেবেন্দ্রনের ব্যাট থেকে। তিনি মাত্র ১৬ বলে ৩৬ রান করে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিলেও তা যথেষ্ট ছিল না।এই হার যেন সাম্প্রতিক সিনিয়র দলের বিশ্বকাপ ফাইনালের স্মৃতি ফিরিয়ে আনল। সেবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে, এবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মঞ্চ ফাইনাল, ফলাফলও প্রায় একই রকম হতাশাজনক।উল্লেখযোগ্যভাবে, ফাইনালে ওঠার আগে টুর্নামেন্টে একমাত্র অপরাজিত দল ছিল ভারত অনূর্ধ্ব-১৯। গ্রুপ পর্বে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, মালয়েশিয়া ও পাকিস্তানকে হারিয়েছিল তারা। অন্যদিকে পাকিস্তান গ্রুপে ভারতের কাছেই একমাত্র হেরেছিল। কিন্তু ফাইনালের মঞ্চে সম্পূর্ণ ভিন্ন রূপে ধরা দেয় তারা। শেষ পর্যন্ত দুবাইয়ে দাপটের সঙ্গে জয় ছিনিয়ে নিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ নিজেদের ঝুলিতে ভরল পাকিস্তান। আর ফাইনালে বারবার হোঁচট খাওয়ার প্রবণতা নিয়ে বড় প্রশ্নচিহ্ন থেকে গেল ভারতীয় যুব দলের সামনে।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
বিদেশ

প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারে হামলার পরও অকুতোভয় কর্তৃপক্ষ, সন্ত্রাসের নিন্দার ঝড় বিশ্বের সর্বত্র

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠল ঢাকায় প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে। দেশের দুটি প্রথম সারির সংবাদপত্রের দফতরে এই হামলার অভিযোগ সামনে আসতেই তীব্র প্রতিক্রিয়া ছড়িয়েছে সাংবাদিক মহল, নাগরিক সমাজ এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলির মধ্যে। বাংলাদেশ ছাড়িয়ে নিন্দার ঝড় বয়েছে অন্যত্র।ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর বাংলাদেশে আসার পর থেকেই উত্তাল হয়ে ওঠে দেশ। পরবর্তীতে হিংসা ছড়িয়ে পরে নানা জায়গায়। নৃশংস ভাবে হিন্দু যুবক খুন থেকে সংস্কৃতি সংগঠনের ওপর হামাল। সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের ওপর ক্রমাগত হামলা চলতে থাকে।প্রাথমিক অভিযোগ অনুযায়ী, ঢাকায় অবস্থিত প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে একদল দুষ্কৃতী হামলা চালায়। তারা অফিসে ঢুকে ভাঙচুর চালায় এবং কর্মরত সাংবাদিক ও কর্মীদের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। আগুন লাগিয়ে দেয় এই অফিসদুটিতে। যদিও এই ঘটনায় বড় ধরনের শারীরিক ক্ষতির খবর নেই, তবে আচমকা হামলায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং কিছু সময়ের জন্য সংবাদকর্ম ব্যাহত হয়। সংবাদপত্র প্রকাশনা বন্ধ রাখতে হয়। বৃহস্পতিবার রাতে অনলাইন পোর্টালেও আর খবর আপলোড করা যায়নি।হামলার ঘটনার পরপরই বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও সম্পাদকীয় মহল একে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত বলে উল্লেখ করেছে। তাদের বক্তব্য, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা গণতন্ত্রের অন্যতম ভিত্তি, আর সংবাদমাধ্যমকে ভয় দেখিয়ে কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা গভীর উদ্বেগজনক। এই দুই সংবাদপত্র গোষ্ঠীও জানিয়ে দেয় তারা ভয় পায় না। খবর প্রকাশ করতে কোনও পরোয় তারা করবে না। এমনকী দফতরের সামনে মানব বন্ধন কর্মসূচি পালন করে।ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রশাসনের তরফে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।এই ঘটনার পর প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের পক্ষ থেকে পৃথক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হুমকি বা হামলার মাধ্যমে সত্য প্রকাশ থামানো যাবে না। তারা দ্রুত, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে প্রশাসনের কাছে।আন্তর্জাতিক স্তরেও এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সাংবাদিক সংগঠন ও মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এবং মুক্ত সাংবাদিকতার পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে। প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে হামলার ঘটনা শুধু দুটি সংবাদপত্রের ওপর আঘাত নয়, বরং বাংলাদেশের সামগ্রিক গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ভবিষ্যৎ নিয়েই বড় প্রশ্ন তুলে দিল। এখন দেখার, প্রশাসনিক পদক্ষেপ কতটা দ্রুত ও কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয়।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

লাইভ মঞ্চে লগ্নজিতা চক্রবর্তীকে হেনস্থার অভিযোগ, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত, ওসির ভূমিকা নিয়েও তদন্ত

লাইভ পারফরম্যান্স চলাকালীন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী লগ্নজিতা চক্রবর্তীকে হেনস্থার অভিযোগে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি ও সাংস্কৃতিক মহল। পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে একটি বেসরকারি স্কুলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করতে গিয়ে এই ঘটনার মুখে পড়েন তিনি। ঘটনার পর পুলিশ অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে, যার নাম তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জড়িয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সন্ধ্যায় ভগবানপুরের একটি বেসরকারি স্কুল প্রাঙ্গণে। অভিযোগ অনুযায়ী, লগ্নজিতা চক্রবর্তী যখন জাগো মা গানটি পরিবেশন করছিলেন, তখন অনুষ্ঠানের প্রধান উদ্যোক্তা ও ওই স্কুলের মালিক মেহবুব মল্লিক আচমকাই মঞ্চে উঠে আসেন। শিল্পীর অভিযোগ, তিনি গালিগালাজ করেন এবং চিৎকার করে বলেন, অনেক হয়েছে জাগো মা, এবার কিছু সেকুলার গান গাও। পাশাপাশি মারধরের হুমকি ও শারীরিকভাবে আক্রমণের চেষ্টাও করা হয় বলে অভিযোগ।পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে উঠলে অনুষ্ঠান কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। পরে লগ্নজিতা চক্রবর্তী ভগবানপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি জানান, প্রথমে থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসার পর মামলা রুজু হয় এবং অভিযুক্ত মেহবুব মল্লিককে গ্রেপ্তার করা হয়।পূর্ব মেদিনীপুরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মিতুন দে জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে ভগবানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক এবং আরও এক পুলিশকর্মীর ভূমিকা নিয়েও বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের গাফিলতির প্রমাণ মিললে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজাও তীব্র হয়েছে। বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য। বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পাণ্ডা অভিযোগ করেন, একজন শিল্পী কি গান গাইবেন, সেটাও শাসক দলের লোক ঠিক করে দিচ্ছে। এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। তিনি আরও দাবি করেন, পুলিশ প্রথমে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেছিল। যদিও এই ঘটনার বিষয়ে এখনও পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।লাইভ মঞ্চে একজন শিল্পীর গান বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিয়ে ওঠা এই প্রশ্ন এখন আর শুধু ব্যক্তিগত অভিযোগে সীমাবদ্ধ নয়। সাংস্কৃতিক পরিসরে মতপ্রকাশের অধিকার, প্রশাসনের নিরপেক্ষতা এবং রাজনৈতিক প্রভাব সব মিলিয়ে এই ঘটনা রাজ্যজুড়ে বড় বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
বিদেশ

আইএমএফের চাপে লাগামছাড়া জিএসটি! পাকিস্তানে জনবিস্ফোরণের আশঙ্কা

কন্ডোমের উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি নিয়ে চরম উদ্বেগে পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ-এর নির্দেশে এই কর বসানো হয়েছে। এর ফলে কন্ডোমের দাম এতটাই বেড়েছে যে তা এখন নিম্ন ও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ আইএমএফ-এর কাছে কর কমানোর আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আইএমএফ। এই সিদ্ধান্তে দেশে জনসংখ্যা বিস্ফোরণের আশঙ্কা করছে পাক সরকার।আইএমএফ-এর ঋণের উপরই কার্যত নির্ভরশীল পাকিস্তানের অর্থনীতি। দেশের আর্থিক পরিস্থিতি সামাল দিতে চলতি বছরে বড় অঙ্কের ঋণ নিয়েছে ইসলামাবাদ। সেই ঋণের শর্ত হিসেবেই কর আদায় বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে আইএমএফ। তার জেরেই কন্ডোম, স্যানিটারি ন্যাপকিন ও শিশুদের ডাইপারের মতো প্রয়োজনীয় পণ্যের উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি বসানো হয়েছে।পাকিস্তান সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছিল, জনস্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনার কথা ভেবে অন্তত কন্ডোমের উপর থেকে কর কমানো হোক। কিন্তু আইএমএফ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষের মাঝপথে কর কাঠামোয় কোনও পরিবর্তন করা যাবে না। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে ২০২৬-২৭ অর্থবর্ষের বাজেটে। আইএমএফের যুক্তি, কন্ডোমের উপর থেকে কর তুলে নিলে সরকারের কয়েকশো কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হবে, যা এই মুহূর্তে সম্ভব নয়।এই পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগে রয়েছে শাহবাজ শরিফের সরকার। পাকিস্তানে বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার প্রায় ২.৫৫ শতাংশ। অর্থাৎ প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষ বাড়ছে। সরকার মনে করছে, কন্ডোমের দাম বেড়ে যাওয়ায় বহু মানুষ তা ব্যবহার করতে পারছেন না। এর ফলে অনিয়ন্ত্রিত ভাবে জনসংখ্যা বাড়ছে, যা দেশের অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের উপর আরও চাপ ফেলবে।পাক সরকারের আশঙ্কা, এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে ভবিষ্যতে সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা আরও ভয়াবহ আকার নিতে পারে। কিন্তু আইএমএফ-এর কড়া অবস্থানের সামনে আপাতত অসহায় ইসলামাবাদ। এখন পরের বাজেটের দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া শাহবাজ সরকারের হাতে আর কোনও পথ খোলা নেই।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
রাজ্য

তাহেরপুরে প্রধানমন্ত্রীর সভার আগে মর্মান্তিক ঘটনা, কুয়াশায় প্রাণ গেল চারজনের

এসআইআর আবহের মধ্যেই শনিবার পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নদিয়ার তাহেরপুরে তাঁর সভা রয়েছে। সকাল থেকেই সভাস্থলের দিকে ভিড় জমতে শুরু করেছিল। ঠিক সেই সময়েই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ট্রেনের ধাক্কায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে শক্তিনগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।জানা গিয়েছে, মৃত ও আহত সকলের বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলায়। তাঁরা প্রধানমন্ত্রী মোদির সভায় যোগ দিতেই নদিয়ার তাহেরপুরে এসেছিলেন। ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেল ও পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।শনিবার ভোরে তাহেরপুর স্টেশনের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে মুর্শিদাবাদের বড়ঞার সাবলদহ গ্রাম থেকে প্রায় ৪০ জন তাহেরপুরে আসেন। ভোরবেলা তাঁদের মধ্যে কয়েক জন রেললাইনের ধারে প্রাতঃকৃত্য সারতে যান। সেই সময় আচমকাই দ্রুতগতির একটি ট্রেন চলে আসে। ট্রেনের ধাক্কায় চার জন লাইনের উপর ছিটকে পড়েন। আঘাত এতটাই গুরুতর ছিল যে ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়।একই ঘটনায় আরও দুজন আহত হন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। অন্য জনের চিকিৎসা চলছে। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, ভোরের ঘন কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা অনেকটাই কম ছিল। সেই কারণেই ট্রেন আসছে বুঝতে না পারায় এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে অন্য সম্ভাবনাগুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।মতুয়াগড় হিসেবে পরিচিত নদিয়ার তাহেরপুরে এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদির সভা ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে। তার মধ্যেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
বিদেশ

হট টাব থেকে সুইমিং পুল, এপস্টেইন নথিতে একের পর এক চাঞ্চল্যকর ছবি

কুখ্যাত যৌন অপরাধী জেফ্রি এপস্টেইনকে ঘিরে ফের তোলপাড় আমেরিকার রাজনীতি। এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্কিত হাজার হাজার পাতার নথি প্রকাশ করল মার্কিন ন্যায় বিভাগ। সেই নথিতে বারবার উঠে এসেছে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টনের নাম। প্রকাশ্যে এসেছে একাধিক ছবি। কিন্তু বিস্ময়ের বিষয়, বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম ও ছবি সেখানে প্রায় নেই বললেই চলে।প্রকাশিত ছবিগুলির একটিতে তরুণ বিল ক্লিন্টনকে একটি হট টাবে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে। ছবির একটি অংশ কালো রঙে ঢেকে রাখা হয়েছে। অন্য একটি ছবিতে দেখা গিয়েছে, এক মহিলার সঙ্গে সাঁতার কাটছেন ক্লিন্টন। ওই মহিলা এপস্টেইনের ঘনিষ্ঠ ও প্রেমিকা ঘিসলাইন ম্যাক্সওয়েল বলে মনে করা হচ্ছে। আরও একটি ছবিতে ক্লিন্টনের পাশে দেখা গিয়েছে পপ সংগীতের কিংবদন্তি মাইকেল জ্যাকসনকে। তাঁদের পাশেই ছিলেন গায়িকা ডায়ানা রস।এই সব ছবি ও তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রায় সম্পূর্ণ অনুপস্থিতি। নব্বইয়ের দশক এবং দুই হাজার দশকের শুরুতে এপস্টেইনের সঙ্গে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠতার কথা আগে একাধিকবার সামনে এসেছে। কিন্তু সদ্য প্রকাশিত নথিতে তাঁর কোনও ছবি নেই। নামও এসেছে মাত্র একবার, একটি যোগাযোগের খাতায়। সেই খাতাটি কার, তাও স্পষ্ট নয়।অথচ এর আগে প্রকাশিত নথিতে ট্রাম্পের উপস্থিতির কথা জানা গিয়েছিল। এমনকি এপস্টেইনের ব্যক্তিগত বিমানে তাঁকে দেখা যাওয়ার কথাও উঠে এসেছিল। সেই কারণেই নতুন নথিতে তাঁর অনুপস্থিতিকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকের ধারণা, নিজেকে আড়াল করতে বিল ক্লিন্টনের দিকেই আলো ঘোরানোর চেষ্টা করছেন ট্রাম্প। উল্লেখযোগ্য ভাবে, মাসখানেক আগেই এপস্টেইনের সঙ্গে বিল ক্লিন্টনের সম্পর্ক নিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছিলেন ট্রাম্প। সেই তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জানা যায়।এই পরিস্থিতিতে বিল ক্লিন্টনের শিবির থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের এক মুখপাত্র বলেন, এপস্টেইন সংক্রান্ত তদন্ত শুধুমাত্র বিল ক্লিন্টনকে লক্ষ্য করে করা হচ্ছে না। তাঁর বক্তব্য, বহু পুরনো ছবি প্রকাশ করতেই পারে প্রশাসন, কিন্তু গোটা বিষয়টি শুধু ক্লিন্টনকে ঘিরে নয়। তিনি বলেন, এপস্টেইনের ক্ষেত্রে দুধরনের মানুষ ছিলেন। একদল, যাঁরা অপরাধের কথা প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গেই সব সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলেন। আরেক দল, যাঁরা এরপরও যোগাযোগ বজায় রেখেছিলেন। তাঁদের দাবি, বিল ক্লিন্টন প্রথম দলের মধ্যেই পড়েন।নাম না করলেও ক্লিন্টন শিবির যে ডোনাল্ড ট্রাম্পকেই নিশানা করছে, তা স্পষ্ট। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, ট্রাম্প যতই চেষ্টা করুন না কেন, এপস্টেইন কেলেঙ্কারি থেকে নিজের নাম পুরোপুরি সরিয়ে রাখা তাঁর পক্ষে সহজ হবে না।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal