• ৩ পৌষ ১৪৩২, রবিবার ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Fire

দেশ

বাজি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রায় বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট

বাজি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রায় বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। কলকাতা হাইকোর্ট কালীপুজোয় রাজ্যজুড়ে আতসবাজির বিক্রি ও ব্যবহার বন্ধের নির্দেশ দেয়। কালীপুজোয় রাজ্যজুড়ে আতসবাজির বিক্রি ও ব্যবহার বন্ধের নির্দেশ দেয়। বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন। বাজি কেনাবেচার উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। সেটিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যান বাজি ব্যবসায়ীরা। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি ইন্দিরা ব্যানার্জির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, উৎসব গুরুত্বপূর্ণ, তা আমরা বুঝতে পারছি। কিন্তু, এমন এক পরিস্থিতিতে আমরা আছি যখন জীবন এমনিতেই চরম বিপদে। জীবনের থেকে মূল্যবান কিছুই নয়। তাই জীবন রক্ষাই এখন একমাত্র অগ্রাধিকার। আরও পড়ুন ঃ বিহারে মহাগটবন্ধনকে হারিয়ে ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন এনডিএর প্রসঙ্গত , গত সপ্তাহেই কলকাতা হাইকোর্ট কালীপুজোয় বাজি পোড়ানোর উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। কোভিড পরিস্থিতির কারণেই এই নিষেধাজ্ঞা। আতস বাজি সংগঠনের তরফে বাংলায় দুদিন মোট চার ঘন্টার জন্য বাজি পোড়ানোর উপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার আবেদন করেছিল। কলকাতা হাইকোর্ট সেই আবেদন খারিজ করে দেয়।

নভেম্বর ১১, ২০২০
রাজ্য

ডোমজুড়ে অগ্নিকাণ্ডের জেরে ভস্মীভূত ছয়টি কারখানা

অগ্নিকাণ্ডের জেরে পুড়ে ছাই হয়ে গেল ছয়টি কারখানা। ঘটনাটি ঘটেছে , হাওড়ার ডোমজুড় থানা এলাকার নারনায়। সোমবার ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ প্লাস্টিকের কারখানায় আগুন লাগে। সেখানে রাতে কাজ চলছিল। দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ায় অন্য কারখানাগুলিও আগুন লেগে যায়। প্রায় ২০ হাজার বর্গ ফুট এলাকা জুড়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা জল ঢেলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। আরও পড়ুন ঃ রাজনীতির টুপি মাথা থেকে ফেলে আইন মেনে কাজ করুন , বার্তা ধনকড়ের কিন্তু তাতে আগুন আয়ত্তে না আসায় দমকলকে খবর দেওয়া হয়। দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভানোর কাজে হাত দেয়। প্রায় ৬ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার সময় আহত হন এক দমকল কর্মী। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে , অন্যান্য কারখানাগুলিতে জামাকাপড়, চানাচুর এবং পাইপ তৈরি হত।দমকল সূ্ত্রে জানা গিয়েছে , প্রায় ২০ হাজার স্কোয়ার ফুট এলাকা জুড়ে ১০ - ১২টি কারখানা এখানে ছিল। এর মধ্যে ৬টি কারখানায় আগুন ভয়াবহ আকার নিয়েছিল। দমকল কর্মীদের অনুমান, দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। কারখানাগুলিতে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা কতটা আঁটসাঁট ছিল তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি। তবে বেশ কয়েক লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে অনুমান।

নভেম্বর ০৯, ২০২০
কলকাতা

আগামীকাল বাজি ব্যবসায়ী সমিতিকে তলব নবান্নে

আগামীকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বাজি ব্যবসায়ী সমিতিকে ডেকে পাঠানো হল নবান্নে। মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে তারা বৈঠকে মিলিত হবেন বলে জানা গিয়েছে। এর আগে সমিতির তরফ থেকে বাবলা রায় মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে তাদের বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করেন। সেখানে ৩১ লক্ষ মানুষের জীবন ও জীবিকা সংশয়ের বিষয়টি জানানো হয় । তারপরই মুখ্যমন্ত্রী বাজি ব্যবসায়ী সমিতির নেতাদের তলব করেন। আরও ্পড়ুন ঃ মতুয়া উন্নয়ন পর্যদের জন্য ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ মুখ্যমন্ত্রীর প্রসঙ্গত , চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবারে কালীপুজো ও দিওয়ালিতে বাজি না পোড়ানোর জন্য অনুরোধ করা হয় সরকারের তরফ থেকে। কারণ , বাজি ফাটালে করোনা রোগীদের বিস্তর সমস্যা হতে পারে। এনিয়ে এদিন চিকিৎসক ও পরিবেশকর্মীদের সংগঠনগুলির তরফ থেকে রাজ্য সরকারকে চিঠি দেওয়া হয়। সেই চিঠিতে আবেদন করা হয় , এই বছর যেন বাজি বিক্রি ও বাজি পোড়ানো বন্ধ থাকে। চিঠিতে এই দাবি করা হয়েছে , বায়ু দূষণের জেরে কোভিড ৬ থেকে ৭ শতাংশ বেড়ে যেতে পারে।পৃথিবীতে করোনা সংক্রমণের জেরে যাদের মৃত্যু হচ্ছে , তার ১৫ শতাংশের মৃত্যুর কারণ বায়ু দূষণ। তাই দিওয়ালিতে বাজি পুড়লে তা করোনা সংক্রমণ বাড়ানো্র ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে বলে মত চিকিৎসকদের। তাই বাজি বিক্রি ও বাজি পোড়ানো যতটা সম্ভব কম করা যায় , এদিনের চিঠিতে সেই আবেদনই করা হয়েছে।

নভেম্বর ০৪, ২০২০
রাজ্য

চম্পাহাটির বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ , এলাকায় আতঙ্ক

চম্পাহাটির বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের জেরে তীব্র আতঙ্কের সৃষ্টি হল। স্থানীয়দের মতে, বুধবার বেলা ১২টা নাগাদ আচমকাই বিস্ফোরণের শব্দ পান। দৌড়ে গিয়ে দেখেন বাজি কারখানাটি দাউদাউ করে জ্বলছে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে চতুর্দিক। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকে। আজ যারা বাজি কিনতে গিয়েছিলেন , সকলকে নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় দমকলের দুটি ইঞ্জিন। এছাড়াও বারুইপুর থানার পুলিশ আধিকারিকরাও খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান। বেশ কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। আরও পড়ুন ঃ আজ দুদিনের রাজ্য সফরে অমিত শাহ প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে , কারখানায় মজুত থাকা বাজি থেকেই এই বিস্ফো্রণের ঘটনা ঘটেছে। বিপুল পরিমাণে বাজি থাকায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার জেরে এলাকাবাসী ব্যাপক আতঙ্কে রয়েছেন। সামনেই কালীপুজো। তার আগে এই বিস্ফো্রণের ঘটনায় কয়েক লক্ষ টাকার বাজি নষ্ট হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কারখানায় অবৈধভাবে বাজি মজুত ছিল কিনা ও অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা সঠিকভাবে কাজ করছিল কিনা , তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

নভেম্বর ০৪, ২০২০
কলকাতা

কালীপুজোয় বাজি পোড়ানোর বন্ধ রাখার আরজি রাজ্য সরকারের

কোভিড পরিস্থিতিতে কালীপুজোয় বাজি পোড়ানোর বন্ধ রাখার আরজি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যের মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আদালত নির্দেশিত নিষিদ্ধ বাজি তো বটেই, দয়া করে কেউ কোন বাজি ব্যবহার করবেন না। রোগীদের শরীরে বাজির ধোঁয়া থেকে মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। তাই উৎসব সংযত এবং শান্তভাবে পালিত হবে। এছাড়াও ্জানানো হয় , কালীপুজোতে মাস্ক ব্যবহার আবশ্যিক। কালীপুজোর বিসর্জনে শোভাযাত্রা করা যাবে না। আরও পড়ুন ঃ তৃ্ণমূলের গোষ্ঠী্দ্বন্ধের লড়াইতে সাধারণ মানুষ খুন হচ্ছেঃ অর্জু্ন সিং এদিন রাজ্যের তরফে আরও জানানো হয়, দুর্গাপুজোয় অনেকে রাস্তায় বেরিয়ে ছিলেন তা সত্ত্বেও কোভিড সংক্রমণ ক্রমশ কমছে। মৃত্যু হার কমছে। সুস্থতা বাড়ছে। এসব ঘটনা রাজ্য সরকারকে আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছে। এমন আবহে যাতে রাজ্যবাসী সরকারকে সহযোগিতা করে সেই আবেদনও জানানো হয়। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি, কলকাতার পুলিশ কমিশনার-সহ নবান্নের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

নভেম্বর ০৩, ২০২০
কলকাতা

আগুনে পুড়ে মৃত্যু জ্যোতিষী জয়ন্ত শাস্ত্রীর

অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হল জ্যোতিষী জয়ন্ত শাস্ত্রীর। নিজের বাড়িতেই বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে মারা গেলেন তিনি। জানা গিয়েছে , রবিবার সকালে কেষ্টপুর সমর সরণিতে জয়ন্ত শাস্ত্রীর বাড়িতে আগুন লাগে। সেই সময় ঘরেই ছিলেন তিনি। প্রতিবেশীরা আগুন দেখতে পেয়ে দমকল ও কেষ্টপুর থানায় খবর দেয়। জয়ন্তবাবুর বাড়ির দরজায় ধাক্কা বা তাঁকে ডাকাডাকিতেও কাজ হয়নি। আরও পড়ুনঃ বিরাজমান শুভেন্দু, নেই অভিষেক! খোদ কলকাতায় ব্যানার ঘিরে চাঞ্চল্য কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় দমকলের দুটি ইঞ্জিন। বাড়ির দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন দমকল কর্মীরা। বেডরুম থেকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয় জ্যোতিষীকে। বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি। অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত কারণ খুঁজতে তদন্ত শুরু হয়েছে।

নভেম্বর ০১, ২০২০
কলকাতা

আগুন লেগে ভস্মীভূত এফডি ব্লকের পুজো মণ্ডপ

আগুন লেগে ভস্মীভূত হয়ে গেল সল্টলেকের এফডি ব্লকের পুজো মণ্ডপ। ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে দুর্গা প্রতিমাও। কী থেকে এই অগ্নিকাণ্ড তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। জানা গিয়েছে , বুধবার সকাল সাড়ে ৬ টা নাগাদ মণ্ডপ থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেন স্থানীয়রা।তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় দমকলে। ঘটনাস্থল পৌঁছয় দমকলের ৩ টি ইঞ্জিন। শুরু করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ। তবে ততক্ষণে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে মণ্ডপ সহ প্রতিমা। আরও পড়ুনঃ করোনা-বিধি মেনেই চলছে প্রতিমা নিরঞ্জন পর্ব প্রসঙ্গত , এদিনই এফডি ব্লকের ওই মণ্ডপের প্রতিমার বিসর্জনের কথা ছিল। দমকল আধিকারিকদের কথায়, আগুন সম্পূর্ণভাবে নেভার পরই বিষয়টি জানা যাবে। ঘটনাস্থলে যায় বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ । মণ্ডপের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে তারা আগুন লাগার প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। উদ্যোক্তাদের দাবি, আগুন কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে লাগিয়ে দিয়েছে। ঘটনার ফরেন্সিক তদন্ত হবে বলে জানিয়েছেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু।

অক্টোবর ২৮, ২০২০
দেশ

মুম্বইয়ের মলে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড , আহত ২

মুম্বইয়ের একটি মলে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল। বৃহস্পতিবার রাতে ওই অভিজাত শপিং মলে আগুন লাগে। এই শপিং মলটি মুম্বইয়ের নাগপাড়া এলাকায় অবস্থিত। জানা গিয়েছে , সে সময় মলে প্রায় ৫০০ লোক ছিলেন। ঠিক সময়ে তাঁদের বার করে নিয়ে আসায় কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। সকালেও সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এদিকে আগুন নেভানোর কাজ করতে গিয়ে দুজন দমকলকর্মী আহত হয়েছেন । দমকলকর্মীরা জানিয়েছেন, মলের তিনতলায় একটি মোবাইলের দোকানে শর্ট সার্কিটের ফলে আগুন লাগে, তা ছড়িয়ে পড়ে গোটা তলায়। চিকিৎসার জন্য তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আরও পড়ুনঃ ক্ষমতায় এলে বিনামূল্যে করোনা ভ্যাকসিন , বিহারের ইস্তেহারে প্রতিশ্রুতি বিজেপির স্থানীয় সূত্রে খবর, সিটি সেন্টার মলে প্রথম আগুন দেখা গিয়েছিল বৃহস্পতিবার রাত ৯টা নাগাদ। ওই সময় মলের একটি দোকানে আগুন লাগে। তারপর তা মলের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলে ছড়িয়ে পড়ে। ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা না থাকায় ফলে ধোঁয়ায় ভরে যায় গোটা মল। ফলে দমকলকর্মীরা মলের কাচ ভেঙে ধোঁয়া বাইরে আনেন। ততক্ষণে আগুন বিধ্বংসী আকার নেয়। দমকলের বিশাল বাহিনী এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ চালাচ্ছে। এপর্যন্ত দমকলের ২৪টি ইঞ্জিন, ১৬টি জাম্বো ট্যাঙ্ক নিয়ে প্রায় ২৫০ জন দমকলকর্মী আগুন নেভানোর কাজ করছেন।

অক্টোবর ২৩, ২০২০
কলকাতা

গনেশ চন্দ্র অ্যাভিনিউয়ে বহুতলে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড , মৃত ২ , আহত ১

মধ্য কলকাতার গনেশ চন্দ্র অ্যাভিনিউয়ে বহুতলে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হল দুজনের। জখম হয়েছেন মধ্যবয়স্ক এক ব্যক্তি। মধ্য কলকাতার গনেশ চন্দ্র অ্যাভিনিউয়ের একটি বহুতলে আগুন লাগার ঘটনাটি ঘটেছে। আটতলা আবাসনটির বেশ কয়েকটি ফ্ল্যাট পুরোপুরি ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় দমকলের ১০টি ইঞ্জিন। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কলকাতা পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা। প্রথমেই ওই বহুতলের বাসিন্দাদের উদ্ধার করার চেষ্টা করে পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা। আরও পড়ুনঃ জ্বর নেমেছে দিলীপ ঘোষের, কো মর্বিডিটি না থাকায় স্বস্তি দমকলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শুক্রবার রাত ১১টা নাগাদ ধর্মতলার খুব কাছেই গনেশ চন্দ্র এভিনিউয়ের একটি আটতলা বাড়িতে আগুন লাগে। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কে বাসিন্দারা চিৎকার করতে শুরু করেন। খবর পৌঁছায় দমকলের কাছে। যদিও দমকল পৌঁছানোর আগেই ওই আবাসনের বাসিন্দারা ও স্থানীয় মানুষ আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। কিন্তু তাদের পক্ষে আগুন নেভানো সম্ভব হয়নি। বরং আগুন আরও দ্রুত বিভিন্ন তলায় ছড়িয়ে পড়ে। এভাবে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় আবাসনের বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে হুড়োহুড়ি শুরু করেন। কিন্তু চারিদিক কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যাওয়ায় বাসিন্দারা শ্বাসকষ্ট ভুগতে শুরু করেন। এই প্রবল আগুনে এবং ধোঁয়ায় অক্সিজেনের অভাবে দুজনের মৃত্যু হয়। মৃতদের মধ্যে একজন বৃদ্ধা। আতঙ্কে এক কিশোর প্রাণ বাঁচাতে জানলা দিয়ে ঝাঁপ মারলে সে গুরুতর জখম হয়। তাকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। দমকলের অনুমান, শর্ট সার্কিটের কারণে একতলার মিটার বক্সে প্রথম আগুন লাগে। পরে সেই আগুন আবাসনের বিভিন্ন তলায় ছড়িয়ে পড়ে। এদিন পুলিশ স্থানীয় বাসিন্দা ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা দ্রুত ওই আবাসনের বাসিন্দাদের উদ্ধার করে বাইরে বের করে আনেন। বহুতলের উপর দিকে যে সমস্ত বাসিন্দা ছিলেন তাঁদের উদ্ধার করার জন্য হাইড্রোলিক ল্যাডার কাজে লাগানো হয়। অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। মন্ত্রী দাঁড়িয়ে থেকে উদ্ধার কাজ তদারকি করেন। দমকল বাহিনী হাইড্রোলিক ল্যাডার ব্যবহার করে যেভাবে আবাসনের বাসিন্দাদের দ্রুত উদ্ধার করেছে তাতে অনেকেই স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। তবে প্রাণ বাঁচলেও ওই আবাসনের অনেকেই তাদের সর্বস্ব খুইয়েছেন। কেউ কেউ নিজেদের সম্বল বেশ কিছু জিনিস নিয়ে বাইরে এসেছেন। কিন্তু অনেকেই সেটা পারেননি। প্রথম দফায় আগুন নেভানোর কাজ শেষ হলেও ওই আবাসনের কিছু অংশে ফের আগুন জ্বলতে শুরু করে। ওই বহুতলের বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে এখনও ধোঁয়া বের হচ্ছে। তাই দমকলকর্মীরা ওই জায়গাগুলি ভাল করে খতিয়ে দেখছেন এবং আগুন নেভানোর কাজ করছেন। পুরো ঘটনাটির তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

অক্টোবর ১৭, ২০২০
কলকাতা

ইংরেজি বলতে না পারার অপরাধে আয়কর দফতরের পাঁচ কর্মীকে ছাঁটাই , ডেপুটেশন বাংলা পক্ষের

ইংরেজি বলতে না পারার অপরাধে আয়কর দফতর পাঁচজন কর্মীকে ছাঁটাই করেছে। এর প্রতিবাদে শুক্রবার বাঙালিদের জাতীয় সংগঠন বাংলা পক্ষের তরফ থেকে শুক্রবার কলকাতার আয়কর দফতরে ডেপুটেশন জমা দেওয়া হল। আয়কর দফতরের ভাইস চেয়ারম্যান এবং সম্পাদককে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। ভাইস চেয়ারম্যান বাংলা পক্ষের এই দাবি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। আরও পড়ুনঃ দুর্গাপুজোর ষষ্ঠী এবং সপ্তমীতে বৃষ্টির পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের স্মারকলিপিতে তাদের দাবি, অবিলম্বে বরখাস্ত হওয়া পাঁচ কর্মীকে পুনরায় চাকরিতে বহাল করতে হবে। কারণ, যখন এই পাঁচজনকে চাকরিতে নিয়োগ করা হয়েছিল, তখন কোথাও বলা ছিল না যে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে ইংরেজি জানা বাধ্যতামূলক। বাংলা পক্ষের প্রশ্ন, উত্তরপ্রদেশ, বিহারে তো সরকারি অফিসে সকলে হিন্দিতেই কথা বলে। সেখানে তো ইংরেজিতে কেউ কথা বলে না। আর পশ্চিমবঙ্গে সরকারি অফিসে বাংলা বললেই পাপ ? শেষ আদমসুমারী অনুযায়ী বাংলার ৮৩ শতাংশ মানুষ শুধু বাংলা বোঝেন, হিন্দি- ইংরেজি বোঝেন না। বাংলা না জানলে বরং বরখাস্ত করা উচিত। আরও পড়ুনঃ অনুদান কি শুধু দুর্গাপুজোতেই দেয় সরকার? প্রশ্ন হাইাকোর্টের এদিনের কর্মসূচিতে অনৈতিক ও বেআইনিভাবে ছাঁটাই হওয়া পাঁচজন কর্মীই উপস্থিত ছিলেন। তাদের দাবি, কাজ চালানোর মতো ইংরেজি তারা বলতে পারেন। চাকরির শর্ত ছিল না যে ইংরেজি বলতেই হবে। বাংলা পক্ষের তরফ থেকে এদিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন অমিত সেন , জয়দীপ দে, কৌশিক মাইতি ও সম্রাট বোস সহ আরও অনেকে।

অক্টোবর ১৬, ২০২০
কলকাতা

বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড , পুড়ে ছাই প্লাস্টিক কারখানা

বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের জেরে পুড়ে ছাই হয়ে গেল চিৎপুরের প্লাস্টিক কারখানা। সোমবার দুপুর ১ টা নাগাদ কারখানায় আগুন লাগে। দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে কারখানা সংলগ্ন এলাকা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় দমকলের ৬টি ইঞ্জিন। প্রায় ঘণ্টা দুয়েকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর কারখানার আর কোনও কিছুই অবশিষ্ট ছিল না। কিন্তু কীভাবে আগুন লাগল তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা অনুমান করছেন, শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে। আরও পড়ুন ঃ কোভিড রোগীদের জন্য একাধিক জনমুখী পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের জানা গিয়েছে, যখন আগুন লাগে , সেসময় কারখানায় মহিলা ও পুরুষ কর্মীরা কাজ করছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথম আগুনের শিখা দেখতে পেয়ে কারখানার কর্মীদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যান। এরপর দমকল ও পুলিশকে খবর দেওয়া হলে তারা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।

অক্টোবর ১২, ২০২০
রাজ্য

 বর্জ্য প্লাস্টিকের গুদামে বিধ্বংসী আগুন

বর্জ্য প্লাস্টিকের একটি গুদামে বিধ্বংসী আগুন লাগার ঘটনা ঘটল। শনিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার জিয়াদায় । এলাকাবাসীরা দমকলে খবর দেয়। এরপর ঘটনাস্থলে আসে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন। কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। কি কারণে আগুন লেগেছে তা এখনও জানতে যায়নি। আরও পড়ুন ঃ স্পেশাল ট্রেনে উঠতে দেওয়ার দাবিতে রেল অবরোধ যাত্রীদের গুদামের কর্মীরা অবশ্য এর পিছনে অন্তর্ঘাতের আশঙ্কা করছে। তাঁরা জানিয়েছেন, শনিবার বিকেলে তাঁরা কাজ সেরে বাড়ি চলে যান। পরে রাতের দিকে তাঁরা আগুন লাগার খবর পান। প্রচুর দাহ্য প্লাস্টিক মজুদ ছিল সেখানে। ঘটনায় কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

অক্টোবর ১১, ২০২০
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • ›

ট্রেন্ডিং

বিদেশ

আইএমএফের চাপে লাগামছাড়া জিএসটি! পাকিস্তানে জনবিস্ফোরণের আশঙ্কা

কন্ডোমের উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি নিয়ে চরম উদ্বেগে পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ-এর নির্দেশে এই কর বসানো হয়েছে। এর ফলে কন্ডোমের দাম এতটাই বেড়েছে যে তা এখন নিম্ন ও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ আইএমএফ-এর কাছে কর কমানোর আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আইএমএফ। এই সিদ্ধান্তে দেশে জনসংখ্যা বিস্ফোরণের আশঙ্কা করছে পাক সরকার।আইএমএফ-এর ঋণের উপরই কার্যত নির্ভরশীল পাকিস্তানের অর্থনীতি। দেশের আর্থিক পরিস্থিতি সামাল দিতে চলতি বছরে বড় অঙ্কের ঋণ নিয়েছে ইসলামাবাদ। সেই ঋণের শর্ত হিসেবেই কর আদায় বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে আইএমএফ। তার জেরেই কন্ডোম, স্যানিটারি ন্যাপকিন ও শিশুদের ডাইপারের মতো প্রয়োজনীয় পণ্যের উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি বসানো হয়েছে।পাকিস্তান সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছিল, জনস্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনার কথা ভেবে অন্তত কন্ডোমের উপর থেকে কর কমানো হোক। কিন্তু আইএমএফ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষের মাঝপথে কর কাঠামোয় কোনও পরিবর্তন করা যাবে না। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে ২০২৬-২৭ অর্থবর্ষের বাজেটে। আইএমএফের যুক্তি, কন্ডোমের উপর থেকে কর তুলে নিলে সরকারের কয়েকশো কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হবে, যা এই মুহূর্তে সম্ভব নয়।এই পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগে রয়েছে শাহবাজ শরিফের সরকার। পাকিস্তানে বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার প্রায় ২.৫৫ শতাংশ। অর্থাৎ প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষ বাড়ছে। সরকার মনে করছে, কন্ডোমের দাম বেড়ে যাওয়ায় বহু মানুষ তা ব্যবহার করতে পারছেন না। এর ফলে অনিয়ন্ত্রিত ভাবে জনসংখ্যা বাড়ছে, যা দেশের অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের উপর আরও চাপ ফেলবে।পাক সরকারের আশঙ্কা, এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে ভবিষ্যতে সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা আরও ভয়াবহ আকার নিতে পারে। কিন্তু আইএমএফ-এর কড়া অবস্থানের সামনে আপাতত অসহায় ইসলামাবাদ। এখন পরের বাজেটের দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া শাহবাজ সরকারের হাতে আর কোনও পথ খোলা নেই।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
রাজ্য

তাহেরপুরে প্রধানমন্ত্রীর সভার আগে মর্মান্তিক ঘটনা, কুয়াশায় প্রাণ গেল চারজনের

এসআইআর আবহের মধ্যেই শনিবার পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নদিয়ার তাহেরপুরে তাঁর সভা রয়েছে। সকাল থেকেই সভাস্থলের দিকে ভিড় জমতে শুরু করেছিল। ঠিক সেই সময়েই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ট্রেনের ধাক্কায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে শক্তিনগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।জানা গিয়েছে, মৃত ও আহত সকলের বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলায়। তাঁরা প্রধানমন্ত্রী মোদির সভায় যোগ দিতেই নদিয়ার তাহেরপুরে এসেছিলেন। ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেল ও পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।শনিবার ভোরে তাহেরপুর স্টেশনের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে মুর্শিদাবাদের বড়ঞার সাবলদহ গ্রাম থেকে প্রায় ৪০ জন তাহেরপুরে আসেন। ভোরবেলা তাঁদের মধ্যে কয়েক জন রেললাইনের ধারে প্রাতঃকৃত্য সারতে যান। সেই সময় আচমকাই দ্রুতগতির একটি ট্রেন চলে আসে। ট্রেনের ধাক্কায় চার জন লাইনের উপর ছিটকে পড়েন। আঘাত এতটাই গুরুতর ছিল যে ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়।একই ঘটনায় আরও দুজন আহত হন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। অন্য জনের চিকিৎসা চলছে। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, ভোরের ঘন কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা অনেকটাই কম ছিল। সেই কারণেই ট্রেন আসছে বুঝতে না পারায় এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে অন্য সম্ভাবনাগুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।মতুয়াগড় হিসেবে পরিচিত নদিয়ার তাহেরপুরে এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদির সভা ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে। তার মধ্যেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
বিদেশ

হট টাব থেকে সুইমিং পুল, এপস্টেইন নথিতে একের পর এক চাঞ্চল্যকর ছবি

কুখ্যাত যৌন অপরাধী জেফ্রি এপস্টেইনকে ঘিরে ফের তোলপাড় আমেরিকার রাজনীতি। এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্কিত হাজার হাজার পাতার নথি প্রকাশ করল মার্কিন ন্যায় বিভাগ। সেই নথিতে বারবার উঠে এসেছে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টনের নাম। প্রকাশ্যে এসেছে একাধিক ছবি। কিন্তু বিস্ময়ের বিষয়, বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম ও ছবি সেখানে প্রায় নেই বললেই চলে।প্রকাশিত ছবিগুলির একটিতে তরুণ বিল ক্লিন্টনকে একটি হট টাবে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে। ছবির একটি অংশ কালো রঙে ঢেকে রাখা হয়েছে। অন্য একটি ছবিতে দেখা গিয়েছে, এক মহিলার সঙ্গে সাঁতার কাটছেন ক্লিন্টন। ওই মহিলা এপস্টেইনের ঘনিষ্ঠ ও প্রেমিকা ঘিসলাইন ম্যাক্সওয়েল বলে মনে করা হচ্ছে। আরও একটি ছবিতে ক্লিন্টনের পাশে দেখা গিয়েছে পপ সংগীতের কিংবদন্তি মাইকেল জ্যাকসনকে। তাঁদের পাশেই ছিলেন গায়িকা ডায়ানা রস।এই সব ছবি ও তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রায় সম্পূর্ণ অনুপস্থিতি। নব্বইয়ের দশক এবং দুই হাজার দশকের শুরুতে এপস্টেইনের সঙ্গে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠতার কথা আগে একাধিকবার সামনে এসেছে। কিন্তু সদ্য প্রকাশিত নথিতে তাঁর কোনও ছবি নেই। নামও এসেছে মাত্র একবার, একটি যোগাযোগের খাতায়। সেই খাতাটি কার, তাও স্পষ্ট নয়।অথচ এর আগে প্রকাশিত নথিতে ট্রাম্পের উপস্থিতির কথা জানা গিয়েছিল। এমনকি এপস্টেইনের ব্যক্তিগত বিমানে তাঁকে দেখা যাওয়ার কথাও উঠে এসেছিল। সেই কারণেই নতুন নথিতে তাঁর অনুপস্থিতিকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকের ধারণা, নিজেকে আড়াল করতে বিল ক্লিন্টনের দিকেই আলো ঘোরানোর চেষ্টা করছেন ট্রাম্প। উল্লেখযোগ্য ভাবে, মাসখানেক আগেই এপস্টেইনের সঙ্গে বিল ক্লিন্টনের সম্পর্ক নিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছিলেন ট্রাম্প। সেই তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জানা যায়।এই পরিস্থিতিতে বিল ক্লিন্টনের শিবির থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের এক মুখপাত্র বলেন, এপস্টেইন সংক্রান্ত তদন্ত শুধুমাত্র বিল ক্লিন্টনকে লক্ষ্য করে করা হচ্ছে না। তাঁর বক্তব্য, বহু পুরনো ছবি প্রকাশ করতেই পারে প্রশাসন, কিন্তু গোটা বিষয়টি শুধু ক্লিন্টনকে ঘিরে নয়। তিনি বলেন, এপস্টেইনের ক্ষেত্রে দুধরনের মানুষ ছিলেন। একদল, যাঁরা অপরাধের কথা প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গেই সব সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলেন। আরেক দল, যাঁরা এরপরও যোগাযোগ বজায় রেখেছিলেন। তাঁদের দাবি, বিল ক্লিন্টন প্রথম দলের মধ্যেই পড়েন।নাম না করলেও ক্লিন্টন শিবির যে ডোনাল্ড ট্রাম্পকেই নিশানা করছে, তা স্পষ্ট। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, ট্রাম্প যতই চেষ্টা করুন না কেন, এপস্টেইন কেলেঙ্কারি থেকে নিজের নাম পুরোপুরি সরিয়ে রাখা তাঁর পক্ষে সহজ হবে না।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
দেশ

অসমে ট্রেন-হাতির সংঘর্ষ, লাইনচ্যুত রাজধানী, মৃত অন্তত ৮ হাতি

ভোরের ঘন কুয়াশায় কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। সেই অবস্থাতেই একপাল হাতিকে ধাক্কা মারল রাজধানী এক্সপ্রেস। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় লাইনচ্যুত হয়ে যায় রাজধানী এক্সপ্রেসের পাঁচটি কামরা। ট্রেনের ধাক্কায় অন্তত আটটি হাতির মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে। দুর্ঘটনার জেরে ওই রুটে আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে ট্রেন চলাচল।শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ভোরে অসমের যমুনামুখ-কামপুর সেকশনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এলাকাটি নর্থ-ইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ের লুমডিং ডিভিশনের আওতায়। জানা গিয়েছে, সাইরং থেকে নয়া দিল্লিগামী রাজধানী এক্সপ্রেস দ্রুত গতিতে আসছিল। সেই সময়ই জঙ্গল থেকে বেরিয়ে রেললাইন পারাপার করছিল একপাল হাতি। চারদিকে ঘন কুয়াশা থাকায় দূর থেকে কিছুই দেখতে পাওয়া যায়নি। সেই কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক অনুমান।গুয়াহাটি থেকে প্রায় ১২৬ কিলোমিটার দূরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই অংশটি হাতির নির্দিষ্ট করিডর নয়। ট্রেনের লোকো পাইলট জানিয়েছেন, সামনে হাতির পাল দেখতে পেয়েই তিনি সঙ্গে সঙ্গে ইমার্জেন্সি ব্রেক কষেন। কিন্তু হাতিগুলি আরও এগিয়ে আসায় শেষ পর্যন্ত সংঘর্ষ এড়ানো সম্ভব হয়নি।প্রবল ধাক্কার জেরে ট্রেনের ইঞ্জিন ও পাঁচটি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে যায়। তবে স্বস্তির খবর, এই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও যাত্রীর আহত বা নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনার পর যেসব কামরা লাইনচ্যুত হয়েছিল, সেখানকার যাত্রীদের নিরাপদে অন্য কামরায় সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মোট আটটি হাতি রেললাইন পার হচ্ছিল। তাদের মধ্যে একাধিক হাতির মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত একটি রিলিফ ট্রেন পাঠানো হয়। রেল আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করেছেন।রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, লাইনচ্যুত কামরা এবং হাতিগুলির দেহ ট্র্যাকে ছড়িয়ে থাকায় উদ্ধারকাজে বেশ সময় লাগছে। সেই কারণে অসমের উপরের অংশ এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের বেশ কয়েকটি রুটে ট্রেন চলাচল আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।যাত্রীরা যাতে অসুবিধায় না পড়েন, সে জন্য গুয়াহাটি পৌঁছনোর পর রাজধানী এক্সপ্রেসে অতিরিক্ত কোচ জুড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে রেল সূত্রে খবর।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
বিদেশ

হিন্দু যুবককে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা, বাংলাদেশে সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনার নিন্দা বিএনপির

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করল বিএনপি। একই সঙ্গে এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ জুড়ে যে হিংসা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটছে, তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাঁর অভিযোগ, একটি চিহ্নিত মহল পরিকল্পিতভাবে দেশকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিতে চাইছে এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রক্রিয়াকে অনিশ্চিত করে তোলার ষড়যন্ত্র চলছে।শুক্রবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে বিএনপি। একই সঙ্গে অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার ও দ্রুত বিচারের দাবি জানান তিনি। তাঁর বক্তব্য, হাদির মৃত্যুর পর যেভাবে সারা দেশে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে, তা নিছক স্বতঃস্ফূর্ত নয়, বরং পরিকল্পিত বলেই মনে হচ্ছে।হাদির মৃত্যুর পর প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের মতো প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমের দফতরে ভাঙচুর ও আগুন লাগানোর ঘটনাও তীব্র ভাষায় নিন্দা করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, এই হামলার ফলে কর্মরত সাংবাদিকদের জীবন চরম ঝুঁকির মুখে পড়ে। পাশাপাশি নিউ এজ-এর সম্পাদক নূরুল কবীরকে মারধর ও হেনস্থার ঘটনা, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি বিজড়িত ৩২ ধানমন্ডি, ছায়ানট ও উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর উপর হামলারও নিন্দা করেন তিনি। ভারতীয় হাই কমিশনে হামলার প্রসঙ্গও তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে।এই সব ঘটনার মধ্যে সবচেয়ে নৃশংস বলে একটি ঘটনার উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি জানান, ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে এক হিন্দু যুবককে গাছে ঝুলিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় এবং পরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনাকে ভয়াবহ, ঘৃণ্য ও ন্যাক্কারজনক বলে মন্তব্য করেন তিনি।বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই সমস্ত ঘটনা প্রমাণ করে যে পুরনো একটি চিহ্নিত মহল পরিকল্পিতভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে। তাদের লক্ষ্য বহু রক্তের বিনিময়ে অর্জিত ভোটাধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার নস্যাৎ করা এবং দেশে ফ্যাসিবাদের নতুন রূপ প্রতিষ্ঠা করা।বর্তমান ইউনূস সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, সরকারের নাকের ডগাতেই এই সব ঘটনা ঘটছে, অথচ সাধারণ মানুষের কাছে সরকারের ভূমিকা সন্তোষজনক বলে মনে হচ্ছে না। এর ফলে দেশের ভিতরে ও বাইরে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাঁর দাবি, এই হত্যাকাণ্ড ও হিংসার বিরুদ্ধে দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দল প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং দোষীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবি তুলেছে। তবুও হিংসা থামছে না, যা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে গভীর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দিচ্ছে।শেষে তিনি বলেন, শান্তিকামী ও গণতান্ত্রিক দেশবাসীর পক্ষ থেকে এই অপশক্তিকে সতর্ক করে দিতে চায় বিএনপি। এত রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই দেশকে ধ্বংস করতে দেওয়া যাবে না। ঐক্যবদ্ধভাবেই এই ষড়যন্ত্র ও অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
বিদেশ

ওসমান হাদির মৃত্যুর পর আগুনে পুড়ছে বাংলাদেশ? একের পর এক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলা

বাংলাদেশ জুড়ে ফের অশান্তির আগুন। শিল্প ও সংস্কৃতির দেশ হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশে একের পর এক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলা ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সম্প্রতি ঢাকায় সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা সামনে এসেছে। এর আগে ছায়ানট, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের দফতরেও হামলার ঘটনা ঘটে। প্রশ্ন উঠছে, এই সব তাণ্ডব কি শুধুই ওসমান হাদির মৃত্যুর ক্ষোভ, না কি এর পিছনে রয়েছে সংগঠিত কোনও শক্তি?শুক্রবার রাতে ঢাকার তোপখানা সড়কে অবস্থিত উদীচীর কার্যালয়ে প্রথমে ভাঙচুর চালানো হয়। এরপর সেখানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। দমকলের চারটি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। উদীচীর সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে জানিয়েছেন, এটি পরিকল্পিত হামলা। তাঁর দাবি, ছায়ানট, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলার ধারাবাহিকতার মধ্যেই উদীচীর উপর আঘাত এসেছে।উদীচী কার্যালয়ে হামলার খবর পেয়ে সেখানে যান জাতীয় নাগরিক পার্টির একটি প্রতিনিধি দল। ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম ও তাসনিম জারা-সহ দলের নেতৃত্ব। সেখানে ইউনূস সরকার দরকার নেই স্লোগান ওঠে বলে জানা গেছে।এই অশান্তির সূত্রপাত হয় এক সপ্তাহ আগে। ঢাকার রাজপথে গুলিবিদ্ধ হন জুলাই অভ্যুত্থানের মুখ ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি। মাথায় গুলি লাগার পর গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। ১৮ ডিসেম্বর সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পর থেকেই বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা বাড়তে থাকে।ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় আগুন জ্বলে ওঠে। হামলা হয় দেশের প্রথম সারির সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের দফতরে। একই সঙ্গে আক্রমণ চালানো হয় বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত ৩২ ধানমন্ডি এবং প্রখ্যাত সংস্কৃতি কেন্দ্র ছায়ানটেও। ভাঙা হয় বাদ্যযন্ত্র, ছিঁড়ে ফেলা হয় বই। শিল্প ও সংস্কৃতির উপর এই লাগাতার হামলায় উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষ থেকে বুদ্ধিজীবী মহল।যে বাংলাদেশ এক সময় গান, নাটক, কবিতা আর মুক্তচিন্তার জন্য পরিচিত ছিল, আজ সেখানে মৌলবাদী হিংসার ছায়া আরও গাঢ় হচ্ছে কি না, সেই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
রাজ্য

যুবভারতী কাণ্ডে নতুন মোড়, শতদ্রু দত্তের রিষড়ার বাড়িতে হানা বিধাননগর পুলিশের

যুবভারতী কাণ্ডের পর থেকেই রিষড়ার একটি ঝাঁ চকচকে তিনতলা বাড়ি ঘিরে কৌতূহল বেড়েছে। শুক্রবার সকালে সেই বাড়িতেই হাজির হল বিধাননগর পুলিশ। যুবভারতী স্টেডিয়ামে মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে হওয়া বিশৃঙ্খলার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তের এই বাড়িতে এদিন তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। তবে ঠিক কী কারণে এই তল্লাশি, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি পুলিশ আধিকারিকরা।গত ১৩ ডিসেম্বর যুবভারতী স্টেডিয়ামে লিওনেল মেসির অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন শতদ্রু দত্ত। ওই দিন স্টেডিয়ামে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ছড়ায়। সেই ঘটনার পরই আয়োজক সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এবং পুলিশ শতদ্রুকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। ঠিক সেই সময়ই শুক্রবার সকালে তাঁর রিষড়ার বাড়িতে পৌঁছে যায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ বিধাননগর থানার পাঁচজন আধিকারিক, তাঁদের মধ্যে মহিলা পুলিশকর্মীও ছিলেন, এদিন সকালে রিষড়ায় যান। প্রথমে তাঁরা রিষড়া থানায় হাজির হন। পরে স্থানীয় থানার পুলিশের সহযোগিতায় বাঙুর পার্ক এলাকায় শতদ্রু দত্তের বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। সেই সময় বাড়িতে শুধুমাত্র এক পরিচারিকা ছিলেন। তাঁর সঙ্গেও কথা বলেন পুলিশ আধিকারিকরা।এরপর তিনতলা বাড়ির প্রতিটি ঘরে তল্লাশি চালানো হয়। সূত্রের খবর, ওই বাড়িতে একটি ব্যক্তিগত ফুটবল মাঠ এবং একটি সুইমিং পুল রয়েছে। সেগুলিও ঘুরে দেখেন তদন্তকারীরা। তবে তল্লাশির পর বাড়ি থেকে কোনও কিছু বাজেয়াপ্ত করা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন, তাই এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।এদিকে তদন্তকারীদের একাংশের অনুমান, মেসির অনুষ্ঠানে বিপুল পরিমাণ কালো টাকা ব্যবহার হয়ে থাকতে পারে। যুবভারতী কাণ্ডে পুলিশের তরফে ইতিমধ্যেই দুটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সেই এফআইআরের ভিত্তিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ইসিআইআর দায়ের করে আর্থিক লেনদেনের উৎস খতিয়ে দেখতে পারে বলে তদন্তকারী সূত্রে খবর।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
দেশ

সংবাদমাধ্যমে আগুন, ভারত-বিরোধী স্লোগান—ঢাকা পরিস্থিতিতে কড়া নজর দিল্লির

ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ফের তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ঢাকাসহ একাধিক শহরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমের অফিসে আগুন লাগানো হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে এবং কট্টরপন্থীদের একাংশ প্রকাশ্যে ভারত-বিরোধী মন্তব্য করছে। পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, তা নিয়ে কড়া নজর রাখছে ভারত।সূত্রের খবর, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় যেখানে ভারতীয় হাইকমিশনের অফিস রয়েছে, সেখানে কর্মরত ভারতীয় আধিকারিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে নয়া দিল্লি। সাম্প্রতিক পরিস্থিতির জেরে একাধিক জায়গায় ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র ইতিমধ্যেই বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলেও ইঙ্গিত মিলেছে।বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে কট্টরপন্থীদের বিক্ষোভ চলে। কয়েকটি ক্ষেত্রে সেই বিক্ষোভ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ চট্টগ্রামে ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনারের বাসভবন ঘিরে ধরার ডাক দেওয়া হয়েছে বলে খবর আসে। বিভিন্ন দিক থেকে অফিস ঘেরাওয়ের আহ্বান জানানো হয়। এই পরিস্থিতিতে গোটা ঘটনার উপর নজর রাখছে ভারত সরকার। সূত্রের খবর, নিরাপত্তার কারণে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় আজও ভিসা কেন্দ্র বন্ধ থাকতে পারে।উল্লেখ্য, এর আগেও বাংলাদেশের এক রাজনৈতিক মিছিলে ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে আলাদা করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন এনসিপি নেতা হাসনাত। সেই মন্তব্যের পরই দিল্লি কড়া অবস্থান নেয়। বাংলাদেশের হাইকমিশনার মহম্মদ রিয়াজ হামিদুল্লাহকে তলব করে স্পষ্ট জানানো হয়, এই ধরনের উস্কানিমূলক মন্তব্য ভারত কোনওভাবেই বরদাস্ত করবে না। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনার পর স্পষ্ট, সেই বার্তা এখনও পুরোপুরি কার্যকর হয়নি বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal