• ৪ আষাঢ় ১৪৩২, শুক্রবার ২০ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Bjp

রাজনীতি

BJP New State Committee: বিজেপির রাজ্য কমিটিতে বড়সড় রদবদল

বিজেপির রাজ্য কমিটিতে বড়সড় রদবদল। মহিলা মোর্চার সভানেত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল অগ্নিমিত্রা পলকে । একই সঙ্গে যুব মোর্চার সভাপতির পদ থেকে সরানো হল সৌমিত্র খাঁকে । রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চার নয়া সভানেত্রী হলেন তনুজা চক্রবর্তী। যুব মোর্চার নয়া সভাপতি হলেন ডা: ইন্দ্রনীল খান। মহিলা মোর্চার সভানেত্রীর পদ থেকে সরিয়ে অগ্নিমিত্রা পলকে-কে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। সৌমিত্র খাঁকে করা হয়েছে সহ-সভাপতি। রাজ্য কমিটি থেকে বাদ গিয়েছেন সায়ন্তন বসু। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে লকেট চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, দীপক বর্মন এবং জগন্নাথ চট্টোপাধ্যাকে। দলের সহ-সভাপতি করা হয়েছে জগন্নাথ সরকার, অর্জুন সিং, খগেন মুর্মুকে। আদি বিজেপি এবং নয়া বিজেপির মিশ্রণেই এই রাজ্য কমিটি তৈরি হয়েছে।পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটির তালিকা। pic.twitter.com/aIgDgc3X8k BJP Bengal (@BJP4Bengal) December 22, 2021একুশের বিধানসভা ভোটই হোক বা সদস্য সমাপ্ত কলকাতা পুরভোট। দুক্ষেত্রেই বিপর্যয়ের মুখ দেখেছে বিজেপি । বিধানসভায় ডবল ইঞ্জিন সরকারের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে। ভোট শতাংশের হিসেবে কলকাতায় তৃতীয় স্থান পেয়েছে গেরুয়া শিবির। ফলে আগামী পুর এবং কর্পোরেশন নির্বাচনগুলোকে মাথায় রেখেই এবারের রাজ্য কমিটি তৈরি হয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। রাজ্য কমিটিতে শহরকেন্দ্রীক নেতাদেরও সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। শাসক দলের সঙ্গে টক্কর দিয়ে লড়তে পারবে এবং সংগঠনের দিকেও নজর দিতে পারবে এমন মুখকেই তুলে আনা হয়েছে বলে বিশ্লেষকদের একাংশের মত।এর পাশাপাশি জ্যোতির্ময় মাহাতোকেও রেখে দেওয়া হয়েছে নতুন কমিটিতে। বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটিতে-সহ সভাপতি থাকছেন ১১ জন। সাধারণ সম্পাদকের পদে রয়েছে পাঁচ জনের নাম। বিজেপির সাংগঠনিক পরিকাঠামো অনুযায়ী, সভাপতি পদের পরেই সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন)-এর পদ এবং অন্যান্য সাধারণ সম্পাদকেরা।উল্লেখ্য, বঙ্গ বিজেপির সাংগঠনিক দুর্বলতা নিয়ে বার বার প্রশ্ন উঠেছে। দলের বাইরে হোক বা দলের অন্দরে, এই ধরনের প্রশ্নবাণ সামাল দিতে মাঝে মধ্যেই নাকানি চোবানি খেতে হয়েছে বঙ্গ বিজেপির নেতাদের। সদ্য সমাপ্ত কলকাতা পুরভোটের ফলাফলের পরেও সেই একই প্রশ্ন অনেকেই তুলতে শুরু করেছিলেন। আর ঠিক তার একদিন পরেই এই ব্যাপক সাংগঠনিক রদবদল বঙ্গ বিজেপির অন্দরে।

ডিসেম্বর ২২, ২০২১
রাজনীতি

Municipal Election Result: নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার পথে তৃণমূল, শুরু আবির খেলা

রবিবার কলকাতা পুর নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়েছে। আজ ফল ঘোষণা। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ভোট গণনা। শুরুতে হয় ইডি (ইলেকশন ডিউটি) ভোট গণনা। ইভিএম গণনা শুরু হবে তার পর।মঙ্গলবার সকাল ৭টায় খোলা হয়েছে স্ট্রং রুমে। রবিবার থেকে স্ট্রং রুমের নিরাপত্তায় রয়েছে কলকাতা পুলিশ ও রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র বাহিনী। ভোট গণনার জায়গায় ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে নির্বাচন কমিশন সূত্রে। প্রত্যেক গণনা কেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। কমিশন সূত্রে খবর, দুপুর ২টোর মধ্যেই ফল প্রকাশ হয়ে যেতে পারে।মুখে রঙিন মুখোশ, বাহারি চুলের রঙ, হাতে খেলা হবে পোস্টার। এই প্রতিবেদন যখন লেখা হচ্ছে, তখন কলকাতা পুরনির্বাচনের গণনার ৩ ঘণ্টা পেরিয়েছে। তারই মধ্যে তৃণমূলের জয়ের ধ্বজা উড়তে শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়ির সামনে ভিড় উচ্ছ্বসিত কর্মী সমর্থকদের। আবির খেলা, খেলা হবে গান আর সঙ্গে দেদার নাচ।প্রত্যাশা মতোই প্রায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে জয়ের পথে তৃণমূল। ইতিমধ্যেই ১১৯ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী। তৃণমূল কংগ্রেস এগিয়ে ১১৯, বিজেপি ৩, বাম ৩, কংগ্রেস ২, নির্দল ১ ওয়ার্ডে এগিয়ে। শহর কলকাতায় ফের উঠল সবুজ ঝড়।৮৩ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী প্রবীর মুখোপাধ্যায়, ৬৬ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূলের ফৈয়াজ আহমেদ খান, ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়। জয়ের উল্লাস তৃণমূল শিবিরে। প্রথম দু ঘণ্টাতেই একশোর বেশি আসনে এগিয়ে গিয়েছে তৃণমূল৷ফিরহাদ জানিয়েছেন, ১৩৪ টি আসনে জিতবে তৃণমূল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ৫২ শতাংশের আশেপাশে থাকতে পারে তৃণমূলের ভোটের হার এবং বিজেপির থাকতে পারে প্রায় ২৪ শতাংশ। বাকি বিরোধীরা মোটামুটি ৭ শতাংশের মতো ভোট পেতে পারেন। উল্লেখ্য, গত পুরভোটে বিজেপি ৭ টি আসন পেয়েছিল, এবার তা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, বামেরা পেতে পারেন একটি আসন।

ডিসেম্বর ২১, ২০২১
কলকাতা

BJP: সন্ত্রাসের প্রতিবাদে পথে বিজেপি, রণক্ষেত্র সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ

পুরভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে বিজেপির মিছিল। সেই মিছিলকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার ৬ নম্বর মুরলীধর সেন লেনে। কলকাতা পুরভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে সোমবার পথে নামে বিজেপি। দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিল বের করতেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার অভিযোগ ওঠে। পাল্টা একের পর এক বিজেপি কর্মীকে চ্যাংদোলা করে পুলিশের তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠছে। পুলিশের বক্তব্য, এই মিছিলের কোনওরকম অনুমোদন ছিল না। তাই একের পর এক বিজেপি নেতাকে আটক করে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। প্রিজন ভ্যানের সংখ্যাও বাড়ানো হয়। পাশাপাশি আটকে দেওয়া হয় মিছিল।রবিবারের ভোটে সন্ত্রাস ও পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে বিজেপির এদিনের প্রতিবাদ কর্মসূচি ছিল। এদিকে পুলিশের দাবি, তারা এই মিছিলের জন্য কোনওরকম অনুমতি দেয়নি। ফলে ৬ নম্বর মুরলীধর সেন লেন থেকে মিছিল বের হতেই তা আটকায় পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশের সঙ্গে কয়েকজন বিজেপি নেতা কথা বলেন। কিন্তু পুলিশ জানিয়ে দেয়, এ মিছিল করতে দেওয়া হবে না। তারপরই বিজেপি কর্মী সমর্থকরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ।২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী শশী গণের অভিযোগ, আমাদের অনুমতি ছিল কিছুটা দূর অবধি মিছিল করার। আমরা তাই বেরোই। এরপরই পুলিশ আক্রমণ করল আমাদের উপর। ধরপাকড়, মারামারি, ধাক্কাধাক্কি। আমাকে ধরে গাড়িতে ওঠানোর সময় আমাকে পুলিশ ঘুঁষি মারে মাথায়। চোখেও লেগেছে। একটাও মহিলা পুলিশ নেই। ছেলে পুলিশ মেরেছে। এই অবস্থা দিদির! পুলিশকে তৃণমূলে নিয়ে গিয়ে রাখুন। পুলিশ তো তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে। যদিও পুলিশের তরফে দাবি, পর্যাপ্ত মহিলা পুলিশ সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে রয়েছে।

ডিসেম্বর ২০, ২০২১
কলকাতা

BJP: পুরভোট বাতিলের দাবিতে বিজেপির রাজ্য দপ্তর থেকে প্রতিবাদ মিছিল

শাসকদলের বিরুদ্ধে ভোট লুঠের অভিযোগ। রবিবার দিনভর উত্তপ্ত ছিল কলকাতা। বেলা গড়াতেই পথে নামেন বিরোধীরা। চলে বিক্ষোভ-অবরোধ। দেখা যায় বেনজির বিরোধী ঐক্যও। বড়তলা থানার সামনে একসঙ্গে বসে পড়ল বাম-কংগ্রেস-বিজেপিও। সোমবারও প্রতিবাদে সামিল বিজেপি। আজ, সোমবার বিজেপির রাজ্য দপ্তর থেকে একটি প্রতিবাদ মিছিল বার করা হবে। সমস্ত রাজ্য পদাধিকারী ও রাজ্য কমিটি সদস্যদের এবং জেলা সভাপতিরা এই প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নেবেন।এদিন বেলা দুটোয় বের হবে প্রতিবাদ মিছিল। অন্যায়ভাবে নির্বাচনের প্রতিবাদে শাসকদলের বিরুদ্ধে সরব হবেন তাঁরা। তবে নির্বাচন কমিশনের তরফে দাবি করা হচ্ছে অন্য। কোথাও ভোটে বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটেনি। কোনও বুথে ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়নি। বিরোধীদের দাবি নস্যাৎ করে জানায় কমিশন। পুনর্নির্বাচনের প্রয়োজন নেই, দাবি কমিশনের।নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে বিরোধীদের দরবার সত্ত্বেও পুনর্নির্বাচনের সম্ভাবনা কম। বিজেপি ১৪৪টি ওয়ার্ডেই ফের ভোট চেয়েছে। বাম ও কংগ্রেসও পুনর্নির্বাচন চেয়েছে একগুচ্ছ ওয়ার্ডে। সেসব অভিযোগ খতিয়ে দেখছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তবে সূত্রের খবর, কোনও ওয়ার্ডেই সম্ভবত ফের ভোট নেওয়া হবে না। কমিশনের বক্তব্য, বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া পুরভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে। ৪৫৩টি অভিযোগ জমা পড়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৯৫ জনকে। বোমাবাজি হয়েছে দুই জায়গায়। সিসিটিভি নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে কমিশন। তাদের বক্তব্য, কোথাও সিসিটিভি অচল ছিল না।

ডিসেম্বর ২০, ২০২১
কলকাতা

Subhendu Adhikari: সল্টলেকে শুভেন্দুর বাড়ি ঘিরে ফেলল পুলিশ

কলকাতা পুরভোট চলাকালীন সল্টলেকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি ঘিরে ফেলল বিশাল পুলিশ বাহিনী। তবে কী কারণে পুলিশের এ পদক্ষেপ, রবিবার বিকেল ৫টা নাগাদ এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তা স্পষ্ট নয়। বিজেপি-র দাবি, কলকাতা পুরসভার নির্বাচনে ভোটের নামে প্রহসন হচ্ছে। অন্যদিকে, শাসক দল সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।রবিবার সল্টলেকের বাড়িতে ১৬ জন বিধায়ককে নিয়ে একটি বৈঠকে বসেছিলেন শুভেন্দু। বিকেলে ওই বাড়ির বাইরে বিশাল পুলিশ বাহিনী দেখা যায়। বিধাননগর কমিশনারেটের ডিসি (হেড কোয়ার্টার্স)-এর নেতৃত্বে পুলিশকর্মীরা বাড়ি ঘিরে ফেলেন। তবে কেন হঠাৎ শুভেন্দুর বাড়ির সামনে পুলিশ মোতায়েন করা হল, তা জানা যায়নি।এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অর্জুনের দাবি, কলকাতায় ভোটের নামে প্রহসন হচ্ছে। কেন শুভেন্দুর বাড়ি ঘিরে ফেলা হল? বিজেপি বিধায়কদের শুভেন্দুর বাড়ি থেকে বেরোতে না দেওয়ার অভিযোগও ওঠে।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২১
কলকাতা

BJP: পোশাক ছেঁড়ার অভিযোগ মীনাদেবী পুরোহিতের, রিপোর্ট তলব কমিশনের

২২ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী মীনাদেবী পুরোহিতের উপর আক্রমণের অভিযোগ উঠেছে। রবিবার সকালে জোড়াবাগানে আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ তোলেন পাঁচবারের কাউন্সিলর মীনাদেবী। তাঁর শাড়ি ধরে টানাটানি করা হয় বলে অভিযোগ। মীনাদেবী বলেন, তাঁর ব্লাউজও ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন।মীনাদেবী পুরোহিতের অভিযোগ, মাহেশ্বরী ভবনের বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে অবৈধ জমায়েত হচ্ছিল। প্রতিবাদ করায় তাঁর উপর হামলা হয়। ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশন রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে। মীনাদেবী পুরোহিত বলেন, মারামারি করেছে, ধাক্কাধাক্কি করেছে, গুন্ডা নিয়ে এসেছে। ভোটই করতে দিচ্ছে না। হেনস্থা করছে। শাড়ি খুলে দিয়েছে, ব্লাউজ ছিঁড়ে দিয়েছে। অন্যদের ধাক্কাধাক্কি করছে। সকাল থেকে বুথ জ্যাম করে দিয়েছে। ভোট করতে দিচ্ছে না।মীনাদেবী বলেন, ১০০ জন ছেলেকে নিয়ে এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ স্লোগান দেওয়া হচ্ছে। ১৪৪ ধারা বলবৎ রয়েছে। অথচ পুলিশ কিছুই করছে না। মাহেশ্বরী ভবনে যে বুথ, সেখানে ভোট কেমন হচ্ছে তা দেখতে এদিন পৌঁছন মীনাদেবী পুরোহিত। অভিযোগ, এসে দেখেন লোকজনের জমায়েত। তার প্রতিবাদ করায় হামলা করা হয় বলে অভিযোগ।এই ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। একজন মহিলা প্রার্থীর সঙ্গে এ ধরনের আচরণের অভিযোগ অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে কমিশন।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২১
কলকাতা

Municipal Election: বুথ থেকে কলার ধরে প্রার্থীকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ বিজেপির, উত্তেজনা বাগবাজারে

রাজ্য পুলিশের সাহায্যেই শান্তিপূর্ণ ভোট করানো সম্ভব বলেই আদালতে দাবি করেছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন । রবিবার সকালে ভোট শুরু হতেই শহরের একাধিক ওয়ার্ডে ধরা পড়ল উত্তেজনার ছবি। এ দিন ভোট শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাগবাজারে । বুথ থেকে নির্দল প্রার্থীকে বের করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে রয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি প্রার্থীর ধস্তাধস্তির ছবিও ধরা পড়ে এই বুথে।৭ নম্বর ওয়ার্ডে নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন রূপা চৌধুরী। জানা গিয়েছে এ দিন তিনি নিজেই পোলিং এডেন্ট হিসেবে বুথে বসতে এসেছিলেন। কিন্তু তাঁকে বুথ থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করেই উত্তেজনা ছড়ায়। বিজেপি প্রার্থী ব্রজেশ ঝা আসেন ঘটনাস্থলে। তাঁর দাবি, তৃণমূল ছাপ্পা দিতে পারবে না বলেই অন্যান্য দলের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হচ্ছে। তিনি জানান, ওই বুথের প্রিসাইডিং অফিসার দাবি করেছেন যে নিয়ম জানতেন না বলে রূপা চৌধুরীকে বলতে বসতে দিয়েছিলেন। পরে তাঁকে বের করে দেওয়া হয়। কেন একজন প্রার্থীকে এজেন্ট হিসেবে বসতে দেওয়া হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশবাহিনী। ঘটনাস্থলে যায় শ্যামপুকুর থানা ওসি। কোনও ক্রমে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। বিজেপি প্রার্থী দাবি করেন, পুলিশ কলার ধরে বের করে দিচ্ছে অন্যান্য দলের প্রার্থীদের। কেন অবাধ ভোট হবে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। বিজেপি প্রার্থী ব্রজেশ ঝা বলেন, অন্যান্য দল থাকলে তৃণমূলের ছাপ্পা দিতে অসুবিধা হবে, তাই তাঁদের বের করে দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিলেও চাপা উত্তেজনা ছড়ায় বাগবাজার চত্বরে।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২১
রাজনীতি

BJP-Supreme Court: পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে বিজেপির আবেদন গ্রহণ সুপ্রিম কোর্টে, শুনানি আজই !

রাত পেরোলেই কলকাতা পুরসভার ১৪৪ইট ওয়ার্ডে ভোট। তার আগে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে লড়াইয়ের শেষ দেখে ছাড়ল। পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে বিজেপি-র মামলা গ্রহণ করল সুপ্রিম কোর্ট। জরুরি ভিত্তিতে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে। শনিবার বিজেপি-র তরফে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। এর আগেও একই দাবি নিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় বিজেপি-র। কিন্তু, সেই মামলা হাই কোর্টে ফিরিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। হাইকোর্টের একক বেঞ্চের পর ডিভিশন বেঞ্চেও বিজেপি-র কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি খারিজ হয়ে গিয়েছে।উল্লেখ্য, পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মামলায় শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ রায় দেয়। ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীতে না করে দেয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ বেঞ্চ। এরপরই ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের বিরুদ্ধে বিজেপির পক্ষ থেকে একটা স্পেশ্যাল রিট পিটিশন দাখিল করা হয় সুপ্রিম কোর্টে। যেখানে ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া হয়েছে। ভ্যাকেশন রেজিস্টার সেই আবেদন গ্রহণ করে জরুরি ভিত্তিতে শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে পাঠিয়েছেন। কাল রবিবারই রয়েছে ভোট। তাই জরুরি ভিত্তিতে আজই সম্ভবত শীর্ষ আদালতে পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মামলার শুনানি হতে চলেছে।

ডিসেম্বর ১৮, ২০২১
কলকাতা

High Court: খারিজ বিজেপির আবেদন, কেন্দ্রীয় বাহিনী নয় কলকাতা পুরভোটে

আসন্ন কলকাতা পুরভোটে বিজেপির করা কেন্দ্রীয় বাহিনীর আবেদন খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট। কেন্দ্রীয় বাহিনীর চেয়ে বিজেপির করা আবেদন খারিজ করল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আগেই এই আবেদন খারিজ করেছে হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্জ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল বিজেপি।আদালতের তরফে জানান হয়েছে, এখনই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের মতো পরিস্থিতি নেই। কমিশন দায়িত্বশীল হয়ে নির্বাচন পরিচালনা করবে। রাজ্য প্রশাসন যথাযথ ভাবে কমিশনকে সাহায্য করবে। যদি কোনও ঘটনা ঘটে তাহলে যাঁরা দায়িত্বে থাকবেন, তাঁদের উপরই দায়ভার বর্তাবে। এছাড়া নির্বাচনের পর কমিশনকে বিস্তারিত রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে হবে। ২৩ ডিসেম্বর হবে পরবর্তী শুনানি।উল্লেখ্য কলকাতায় পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি তোলে বিজেপি। বৃহস্পতিবার সেই আবেদন খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল এবং নির্বাচন কমিশন যে বক্তব্য কোর্টে পেশ করেছে, তাতে আদালত মনে হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন নেই। হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করে বিজেপি । এদিন মামলার পূর্ণাঙ্গ শুনানি হয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।শুনানিতে কমিশনের কাছে জানতে চাওয়া হয়, সাম্প্রতিক অশান্তি প্রেক্ষিতে ভোটারদের মনোবল বাড়াতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে? এলাকায় কি রুটমার্চ হচ্ছে? যেখানে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা বেশি, সেখানে পুলিশ কম কেন? সূত্রের খবর, কোনও প্রশ্নেরই যথাযথ উত্তর মেলেনি। এরপর আসরে নামে রাজ্য সরকার। অ্যাডভোকেট জেনারেলের সওয়াল, অধিকাংশ ক্ষেত্রে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি জন্য মিথ্যা মামলা করা হয়। বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ঘটেছে মানে এই নয় যে, রাজ্য পুলিশকে দিয়ে ভোট করানো যাবে না। কেন্দ্রীয় বাহিনীই লাগবে।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২১
কলকাতা

High Court: কলকাতা পুরভোটে কোনও স্থগিতাদেশ নয়, জানাল হাইকোর্ট

নির্দিষ্ট সময়েই হবে কলকাতা পুরসভার নির্বাচন। ভোটে স্থগিতাদেশ না দিয়ে এ কথা জানিয়ে দিল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। পাশাপাশি বকেয়া পুরভোটগুলিও যত দ্রুত সম্ভব করাতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিল আদালত। বুধবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ পুরভোট মামলার শুনানির রায় ঘোষণা করে এ কথা জানিয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২৩ ডিসেম্বর।রাজ্যে সব পুরসভায় একসঙ্গে ভোট করার দাবিতে আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিল বিজেপি। সেই সঙ্গে তাদের দাবি ছিল, কলকাতা-সহ রাজ্যের পুরভোটে ইভিএমের সঙ্গে ভিভিপ্যাট রাখতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। গত শুনানিতে প্রধান বিচারপতি রাজ্যের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, বাকি পুরসভার ভোট কত দফায় এবং কবে ঘোষণা করা হবে? উত্তরে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় আদালতে জানিয়েছিলেন, ১৯ ডিসেম্বরের পর তাঁরা এ নিয়ে সম্ভাব্য দিন ক্ষণ আদালতকে জানাতে পারবেন। এই প্রেক্ষিতে আইনজীবীদের একাংশ মনে করছেন, কলকাতার ভোট মিটলেই বাকি পুরসভায় কবে, কত দফায় ভোট গ্রহণ করা হবে তা আদালতকে জানানোর কথা রাজ্যের। ফলে ২৩ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানি হবে এ কথা বলার মাধ্যমে, বাকি পুরসভায় ভোট নিয়ে রাজ্যকে নিজের সিদ্ধান্তের সময়সীমা বেঁধে দিল আদালত।অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে মামলার শুনানিও পিছিয়ে গেল। বৃহস্পতিবার ফের ওই মামলার শুনানি হবে। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার একক বেঞ্চে সেই শুনানি হবে।

ডিসেম্বর ১৫, ২০২১
রাজ্য

Singur-BJP: সিঙ্গুরে অবস্থান বিক্ষোভ বিজেপির, মিছিলে দিলীপ-সুকান্ত

আত্মহত্যা করেছেন এমন কৃষকদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য, কৃষকদের উপযুক্ত দামে সার, সেচের জন্য ভর্তুকিতে বিদ্যুৎ দেওয়া-সহ কয়েকটি দাবিতে সিঙ্গুরে রাজনৈতিক কর্মসূচি শুরু বিজেপি-র। সেখানে প্রথমে মিছিল করে বিজেপি। তাতে যোগ দেন বঙ্গ বিজেপি-র নেতারা। পরে শুরু হয় ধর্না। টানা তিন দিন হুগলির সিঙ্গুরের গোপালনগরে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ধারে ধরনা দেবে বিজেপি।সিঙ্গুরে বিজেপি-র কর্মসূচির জন্য সোমবার গভীর রাতে অনুমতি দেয় পুলিশ। এর পর মঙ্গলবার ধরনা মঞ্চ বাঁধা হয়। দুপুরে সিঙ্গুরের লোহাপট্টি থেকে মিছিল করে সিংহের ভেড়িতে উপস্থিত হন বিজেপি নেতারা। সঙ্গে ছিলেন কর্মী-সমর্থকরাও।সিংহের ভেড়িতে দূর্গাপুর এক্সপ্রেস হাইওয়ের পাশে ধরনা মঞ্চ বিজেপি-র। ওই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, কৃষকদের পাশে না দাঁড়ালে তাঁদের কাছে দুটো পথ খোলা রয়েছে। হয় পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে যাওয়া না হলে আত্মহত্যা করা। তাঁর মতে, রতন টাটা এখান থেকে চলে যাওয়া দেশের শিল্পমহল পশ্চিমবঙ্গের উপর বিশ্বাস রাখতে পারছেন না। এ ছাড়া মঙ্গলবারের মিছিলে উপস্থিত হন রাহুল সিনহা, অগ্নিমিত্রা পল, চন্দনা বাউড়ি-সহ অনেকে।মিছিল শুরুর আগে বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে বলেন, হয় কৃষকদের জমি ফেরত দিন। না হলে চাকরি দিন। মোদিজি কৃষকদের বছরে ছয় হাজার টাকা দিচ্ছেন। সেটাও উনি দিতে দিচ্ছেন না।

ডিসেম্বর ১৪, ২০২১
রাজনীতি

BJP-Star Campaigner: পুরভোটে প্রচারে জাঁকজমক বিজেপির, প্রচার সারবেন স্টার ক্যাম্পেনাররা

বিজেপি চেয়েছিল রাজ্যের সবকটি পুরসভায় একসঙ্গে ভোট হোক। যদিও বিজেপির সেই দাবি খাটেনি, তাই বলে পুরভোটে কোনও খামতি রাখতে চায় না গেরুয়া শিবির। একুশের বিধানসভায় পদ্ম শিবিরে তারকা প্রচারকদের রমরমা দেখা গিয়েছে। পুরভোটেও বাদ যাবে না সেই প্রচারের জাঁকজমক। এবার তারকা প্রচারকের তালিকায় রয়েছেন স্মৃতি ইরানি, গিরিরাজ সিং-এর মতো দিল্লির নেতা-মন্ত্রীরা। পাশাপাশি এ রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্বকেও দেখা যাবে ভোটের প্রচারে।কলকাতা পুরভোটের জন্য ২০ জন তারকা প্রচারকের তালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি। সেই তালিকায় রয়েছেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি, গিরিরাজ সিং, শান্তনু ঠাকুর, সুভাষ সরকার। তবে পুরভোটের প্রচারে গুরুত্ব পেয়েছে রাজ্য নেতৃত্ব। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ছাড়াও প্রচারে অংশ নেবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাজ্যের কো- অবজারভার অমিত মালব্য। এছাড়াও শহরজুড়ে প্রচার সভায় দেখা যাবে রামকৃপাল যাদব, দেবশ্রী চৌধুরী, এসএস আলুওয়ালিয়া, দীনেশ ত্রিবেদী, মনোজ তিওয়ারি, অর্জুন সিং, লকেট চট্টোপাধ্যায়ের মতো সাংসদদের। থাকবেন বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল। রাজ্য নেতৃত্বের মধ্যে প্রচারের ময়দানে দেখা যাবে শমীক ভট্টাচার্য, রাহুল সিনহা, অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়, মাফুজা খাতুনকে।

ডিসেম্বর ১০, ২০২১
কলকাতা

BJP-Manifesto: 'কলকাতা জিতবে, জিতবে বিজেপি'-তে স্বচ্ছতা-শিক্ষা-সংস্কৃতি

আজ আসন্ন পুরভোটের গেরুয়া শিবিরের ইস্তাহারও প্রকাশিত হয়েছে। রয়েছে একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি। স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে শুরু করে স্বচ্ছতা, শিক্ষা এবং সংস্কৃতির উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে বিজেপির-ইস্তাহারে।আজ ইস্তাহার প্রকাশের সময় শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, কলকাতাতে স্বচ্ছ করার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগিতায় গ্রিন সিটি,স্মার্ট সিটির রূপ দিতে চায় বঙ্গ বিজেপি। তিনি আরও জানিয়েছেন দীনেশ ত্রিবেদীর নেতৃত্বাধীন এক দল এই ঘোষণাপত্র তৈরি করেছে।আগামী দিনে স্বচ্ছ ভারত ২.০-র আওতায় কলকাতাকে পরিচ্ছন্ন শহরের তালিকায় শীর্ষস্থানে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীরা। ইস্তাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, শহরের প্রতিটি বাড়িতে যাতে শৌচাগার থাকে তা নিশ্চিত করা হবে এবং শহরে সর্বজনীন শৌচাগারের সংখ্যা দ্বিগুণ করা হবে। এর পাশাপাশি কলকাতায় কঠিন ও তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শুরু করা হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিজেপির ইস্তাহারে। নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে ধাপার মাঠ পরিষ্কার করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।বাড়তি জোর দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উপরেও। নাগরিকদের সর্বোত্তম স্বাস্থ্য পরিষেবার অধিকার নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। শহরের দূষণ মোকাবিলায় ১০ টি স্মগ টাওয়ার বসানো এবং ভুয়ো ভ্যাকসিন চক্রের হাত থেকে নাগরিকদের বাঁচাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকাকরণের কথা বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণেও বিশেষ ব্যবস্থার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে ইস্তাহারে।বিজেপির পুরভোটের ইস্তেহারের প্রতিশ্রুতিগুলি নিম্নরূপ- ইস্তেহারের নাম দেওয়া হয়েছে কলকাতা জিতবে, জিতবে বিজেপি। পাড়ায় পাড়ায় হবে সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র। হর ঘর জল প্রকল্প ও আম্রুত প্রকল্পে মাধ্যমে ঘরে ঘরে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হবে। বাড়ি-বাড়ি গিয়ে টিকাকরণ। কলকাতাকে দূষণ মুক্ত করতে ১০টি স্মোগ টাওয়ার তৈরি হবে। বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশনের বিশেষ ব্যবস্থা। আদিগঙ্গার পুনরজ্জীবন। দুর্গাপুজোর প্রতিমা তৈরি থেকে বিসর্জন-প্রতিটি ঘটনা তুলে ধরার জন্য জাদুঘর তৈরি হবে। দুর্গাপুজোর প্রধান মণ্ডপগুলি ঘুরিয়ে দেখানোর জন্য থাকবে সরকারি ট্যুর গাইড। রাজ্যের তৃণমূল সরকার দুর্গাপুজোর জন্য একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে। ক্লাবগুলিকে আর্থিক সাহায্য করা থেকে প্রতিমা বিসর্জনের সময় কার্নিভালের আয়োজন করা হয়েছে। পাড়ায়-পাড়ায় সংগীতের শিক্ষাকেন্দ্রে তৈরি হবে। কলকাতা মেট্রো, ট্রেন, ট্রাম, বাস যাত্রীদের জন্য ইউনিফায়েড কার্ড আনার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

ডিসেম্বর ০৮, ২০২১
কলকাতা

BJP: পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি রাজ্য বিজেপির

রাজ্যে ভয়মুক্ত নির্বাচন করানোর জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর আর্জি করেন শুভেন্দু অধিকারী । বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপির এক প্রতিনিধি দল আজ রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি দিয়ে এই দাবি জানিয়েছেন। চিঠিতে তারা বাকি পুরসভাগুলির নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত কলকাতা পুরসভা নির্বাচনের ভোট গণনা স্থগিত রাখার দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে কমিশন কি পদক্ষেপ নিচ্ছে, তা জানানোর দাবি জানিয়েছেন। বিরোধী দলনেতা অভিযোগ করেন, বিধানসভা ভোটের পরবর্তী সময় থেকে প্রার্থী,নির্বাচনী,এজেন্ট-সহ বিরোধী কর্মীদের ভয় দেখানো হচ্ছে। তাই অবিলম্বে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট করতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন প্রয়োজন। কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তার জন্য নির্বাচন কমিশন দায়ী থাকবেন বলে বিরোধী দলনেতা স্পষ্ট জানিয়েছেন। এছাড়া ভোটদাতাদের যেকোনো ধরনের সংশয় দুর করতে ইভিএমের সঙ্গে ভিভিপ্যাট যন্ত্র রাখার দাবি জানিয়েছেন তারা। এর আগেও একাধিকবার এই আবেদন করা হয়েছে বিজেপি শিবিরের তরফে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত যা পরিস্থিতি, তাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী আনার কোনও পরিকল্পনা নেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে এবার সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে রাজ্য বিজেপি।আজ শুভেন্দু অধিকারী কমিশন থেকে বেরিয়ে জানিয়েছেন, ভিভিপ্যাট যুক্ত ইভিএম ব্যবহার করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের রায় আছে এই বিষয়ে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিষয়েও বলেছি। কমিশন রাজ্য ও কলকাতা পুলিশের উপর আস্থা রাখছে। তিনি পুলিশের উপর খুশি। এই আস্থা থাকলে জাতীয় নির্বাচন কমিশন কেন বাহিনী আনবে? রাজ্যের পরিস্থিতি আলাদা, সেটা বুঝেই এখানে বিধানসভা ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তাঁর আরও বক্তব্য, প্রার্থীদের নিরাপত্তা দিতে হবে। প্রচারে প্রার্থীরা যাতে নিরাপত্তা পান, তা দেখবে কমিশন। কলকাতা পুলিশ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে জানানো হয়েছে। আমরা ওনার সঙ্গে কথা বলে সন্তুষ্ট নই।

ডিসেম্বর ০৭, ২০২১
রাজ্য

BJP-TMC: এক ফ্রেমে বিজেপির শীর্ষ নেতা ও বর্ধমানের তৃণমূল বিধায়ক, জল্পনা শুরু রাজনৈতিক মহলে

রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ফল বের হওয়ার পর থেকেই বিজেপি থেকে তৃণমল কংগ্রেসে যোগদানের হিরিক পড়ে গিয়েছে। রাজ্য স্তর থেকে জেলা স্তরে চলছে যোগদান পর্ব। এদিকে বর্ধমানে এক অনুষ্ঠানে জেলা বিজেপির এক নেতা পুষ্পস্তবক তুলে দিচ্ছেন তৃণমূল বিধায়কের হাতে। সৌজন্য়মূলক দৃশ্য মনে হলেও রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে ছবিকে ঘিরে। ছবিটি নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট করেছেন স্বয়ং অঞ্জন মুখোপাধ্যায়।সম্প্রতি বর্ধমানে এক অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস, তৃণমূল নেতা ইন্তেকাব আলম ও শিবশঙ্কর ঘোষ। ওই অনুষ্ঠানে তৃণমূল বিধায়কের হাতে পুষ্পস্তবক তুলে দেন বিজেপি নেতা অঞ্জন মুখোপাধ্যায়। যদিও এই অনুষ্ঠান ছিল বর্ধমান ডিজ-এবেল্ড ওয়েল ফেয়ার সোসাইটির উদ্যোগে। তবু দুই বিপরীত প্রান্তের রাজনৈতিক নেতৃত্ব হাজির থাকায় বিতর্ক সামনে এসেছে। তৃণমূল বিধায়ক ও অন্য তৃণমূল নেতারাই ছিলেন মঞ্চ আলো করে। তবে একাংশের বক্তব্য, উন্নয়ন যজ্ঞে এমন রাজনৈতিক সৌজন্য থাকাটাই স্বাভাবিক।২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে ভাতার বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন অঞ্জন মুখোপাধ্যায়। এর আগে তিনি ছিলেন আরএসপির যুব সংগঠনের রাজ্য নেতা। এবার তৃণমূল বিধায়কের সঙ্গে তাঁকে এক ফ্রেমে দেখা যাওয়ায় নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে বর্ধমানের একাধিক বিজেপি নেতা ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়েছেন।আরও পড়ুনঃ গোয়ার বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছে চোটআঘাতে জর্জরিত এসসি ইস্টবেঙ্গলআরও পড়ুনঃ জোরে বোলার থেকে স্পিনার, আজাজকে দারুণ উপহার ভারতীয় দলের

ডিসেম্বর ০৬, ২০২১
কলকাতা

BJP Candidate list: পুরনোদের উপর ভরসা রাখলেও বিজেপি-র প্রার্থিতালিকায় রইল একঝাঁক তরুণ মুখও

জল্পনা সত্যি করে কলকাতা পুরভোটের প্রার্থিতালিকায় পুরনোদের উপরই ভরসা রাখল রাজ্য বিজেপি। পুরভোটের প্রার্থী করা হল মীনাদেবী পুরোহিত, সুনীতা ঝাওয়ারদের মতো দলের পুরনো কর্মীদের।২২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী হয়েছেন মীনাদেবী। এই বার জিতলে টানা ছবার কাউন্সিলর হবেন তিনি। গত বিধানসভা নির্বাচনে জোড়াসাঁকো কেন্দ্রের প্রার্থী ছিলেন মীনাদেবী। একইভাবে ৪২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী হয়েছেন বিজেপি-র পাঁচ বারের কাউন্সিলর সুনীতা ঝাওয়ার। ১০২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী করা হয়েছে ইন্দিরা গঙ্গোপাধ্যায়কে।তবে বিজেপি-র প্রার্থিতালিকায় সব চেয়ে নজরকাড়া নাম ৫০ নম্বর ওয়ার্ড। প্রার্থী সজল ঘোষ। গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল থেকে বিজেপি-তে গিয়েছিলেন তিনি। গত ১২ অগস্ট মুচিপাড়া থানা এলাকায় একটি গোলমালে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন সজল। এর পরই গেরুয়া রাজনীতিতে নতুন করে খ্যাত হয়ে যান তিনি।সজলকে প্রার্থী করলেও ১০২ নম্বর ওয়ার্ডে রিঙ্কু নস্করকে প্রার্থী করল না বিজেপি। বিধানসভা ভোটের আগে সিপিএম থেকে বিজেপি-তে আসেন তিনি। কলকাতা পুরভোটে যে প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করছে বিজেপি, সেখানে তরুণ মুখ ৪৫, মহিলা ৫০। আইনজীবী রয়েছেন পাঁচ জন, চিকিৎসক তিন জন, শিক্ষক চার জন।প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর শমীক ভট্টাচার্য বলেন, আমাদের দলের কাজের একটা নির্দিষ্ট ধরন রয়েছে। কারও ব্যক্তিগত ইচ্ছা অনিচ্ছার উপর বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঠিক হয় না। পার্টির ইচ্ছা, পার্টির ঐক্যমতই এখানে শেষ কথা। পার্টির সিদ্ধান্তই শেষ কথা। একই সঙ্গে বিজেপির প্রার্থী তালিকায় শহিদ পরিবারের সদস্যের নাম থাকতে পারে বলেও শোনা গিয়েছিল। এ ক্ষেত্রে কাঁকুরগাছির নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের দাদা বিশ্বজিৎ সরকারের প্রার্থী হওয়ার কথাও শোনা গিয়েছিল।এ প্রসঙ্গে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, আমরা পরিবারতন্ত্রের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। তৃণমূল বা কংগ্রেসী ঘরানার রাজনীতির সঙ্গে বিজেপির এখানেই পার্থক্য। আর শহিদ পরিবারকে রাজনীতির প্রাঙ্গনে নিয়ে এসে সব জায়গায় ব্যবহার করতে নেই। নির্দিষ্ট বিশ্বাস আছে। সেই আঙ্গিকে তাঁরা কথা বলবেন। কিন্তু তাঁদের এনে সামগ্রিক রাজনৈতিক লাভের রাজনীতিতে আমরা বিশ্বাস করি না।

নভেম্বর ২৯, ২০২১
দেশ

Tripura Election: পুরভোটের সকাল থেকেই তাণ্ডব ত্রিপুরায়, আক্রান্ত তৃণমূলের দুই পোলিং এজেন্ট

ভোটপর্ব শুরু হতেই উত্তপ্ত ত্রিপুরা। এদিন সকাল সাতটা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ, চলবে বিকেল চারটে অবধি। তারই আগে আগরতলায় আক্রান্ত হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের দুই পোলিং এজেন্ট। আহত কর্মীদের জিবি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে চিকিৎসার জন্য। অভিযোগ উঠেছে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তারও।আগরতলার পুরভোট ঘিরে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। প্রতিবেশী রাজ্য ত্রিপুরায় জায়গা দখলের লড়াইয়ে নেমেছে ওই রাজ্যের শাসক দল বিজেপি ও তৃণমূল। আর তা নিয়েই ত্রিপুরায় শুরু হয়েছে সংঘর্ষ। এ দিন সকালে ভোটগ্রহণ শুরুর আগে আগরতলার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্রে যখন মক পোলিং চলছিল, সেই সময়ই তৃণমূলের দুই এজেন্টের উপর হামলা চালায় বিজেপির বাইক বাহিনী, এমনটাই অভিযোগ। আক্রান্ত দুই তৃণমূলকর্মীর নাম কৃষ্ণ নুপুর মজুমদার ও মনোজ চক্রবর্তী। লাঠির আঘাতে তাদের মাথা ফেটে গিয়েছে। চিকিৎসার জন্য আগরতলার জিবি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।আহতকর্মী কৃষ্ণনুপুর মজুমদার জানান, এদিন সকাল সাড়ে ছটা নাগাদ যখন মক পোলিং চলছিল, সেই সময়ই আচমকা একটি বাইক বাহিনী চড়াও হয়। ভোটগ্রহণ কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আসতে বলা হয় তাদের। বেরতেই তাদের উপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। ব্যাপক মারধর করে। তাঁর অভিযোগ, বিজেপিই এই হামলা চালিয়েছে।১৯ নম্বর ওয়ার্ডেও ভোটগ্রহণে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। বিজেপি নেতা নন্দু বণিক তৃণমূলের ভোটারদের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের ভিতর ঢুকতে দিচ্ছে না বলেই অভিযোগ উঠেছে।

নভেম্বর ২৫, ২০২১
রাজনীতি

Mamata-Swamy: মমতার পাশে আছি, দলবদলের দরকার নেই, কীসের ইঙ্গিত দিলেন বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী?

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করলেন বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। দেখা করতে এসে গাড়ি থেকে নেমে তিনি শুধু বললেন, মমতার পাশেই আছি। আলাদা ভাবে দলবদল করার কোনও প্রয়োজন নেই।সাম্প্রতিক কালে স্বামীর সঙ্গে বিজেপি-র দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক কার্যত তলানিতে ঠেকেছে। গত মাসেই বিজেপি-র সর্বভারতীয় কর্মসমিতি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্যসভার প্রবীণ সাংসদকে। তা ছাড়া এর আগেও তাঁকে বহু বার প্রকাশ্যে মমতার প্রশংসাও করতে দেখা গিয়েছে। অক্টোবরে মমতার রোম-সফরে সম্মতি না দেওয়ায় কেন্দ্রকে তুলোধনাও করেছেন স্বামী।Koo AppToday, Shri @Swamy39 met with our Honble Chairperson Mamata Banerjee. Moments from the meeting Down pointing backhand index View attached media content - All India Trinamool Congress (@AITCOfficial) 24 Nov 2021উল্লেখ্য, এয়ার ইন্ডিয়ার বেসরকারিকরণ নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে বিজেপি সাংসদের বিরোধ চরমে পৌঁছেছে। গত বছর যখন এয়ার ইন্ডিয়ার বেসরকারিকরণের প্রক্রিয়া আবারও শুরু করার কথাবার্তা কেন্দ্র শুরু করেছিল, তখন থেকেই বিরোধিতা করছিলেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। এই নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আদালতে জনস্বার্থ মামলারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। আর এই বিক্ষুব্ধ বিজেপি সাংসদকে হাতিয়ার করেই নতুন রণকৌশল তৈরি করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।যদিও সূত্র মারফত এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে আজই তৃণমূল যোগ দিচ্ছেন না সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। তবে আগামী দিনে তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী এর আগে একাধিকবার দলকে অস্বস্তিতে ফেলেছিলেন। সম্প্রতি বিজেপির কোর কমিটি থেকেও বাদ পড়েছেন। এই পরিস্থিতিতে মমতা-মোদি বৈঠকের ঠিক আগেই তৃণমূল সুপ্রিমোর সঙ্গে সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর এই সাক্ষাৎ যে কেবল সৌজন্য সাক্ষাৎ নয়, সে কথা বলাই যায়।

নভেম্বর ২৪, ২০২১
কলকাতা

BSF-BJP: পদ্ম-মিষ্টি নিয়ে বিএসএফ দপ্তরে ক্ষমা চাইতে গেলেন শুভেন্দু

নিউটাউনে বিএসএফের দপ্তরে গিয়ে তাদের হাতে পদ্মফুল তুলে দিয়ে মিষ্টি খাওয়ালেন বিজেপি নেতা তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরও বেশ কয়েক জন বিজেপি বিধায়কও।বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধি নিয়ে তেঁতে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। বুধবারই বিধানসভায় পাশ হয় বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধির বিরোধিতায় আনা প্রস্তাব। বৃহস্পতিবার বিএসএফের দপ্তরে গিয়ে তাদের মিষ্টি খাইয়ে, হাতে পদ্মফুল তুলে দিল বিজেপি। বৃহস্পতিবার বিকেলে নিউটাউনের বিএসএফ ছাউনিতে হাজির হয় বিজেপি-র পরিষদীয় দল। নেতৃত্বে শুভেন্দু। জওয়ানদের সংবর্ধনা জানানোর পর তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যেকের মনে রাখা উচিত বিএসএফ দেশের অতন্দ্র প্রহরী। তারা দেশের সীমান্ত রক্ষা করছে বলেই দেশবাসী সুরক্ষিত এবং নিশ্চিন্তে বসবাস করতে পারছেন। ভারত সরকারের ঘোষণা মতো বিএসএফের ক্ষমতা বৃদ্ধি নিয়ে তৃণমূল বিধায়করা তাদের কালিমালিপ্ত করেছেন, কদর্য ভাষায় বিধানসভায় আক্রমণ করেছেন। এটা মেনে নেওয়া যায় না। তাই বিএসএফকে সংবর্ধনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি।এর আগে বিএসএফ নিয়ে মন্তব্য করার অভিযোগে অপর্ণা সেনকে আইনি চিঠি পাঠিয়েছেন বিজেপি নেতা অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়। সব মিলিয়ে বিএসএফ নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে চড়ছে উত্তেজনার পারদ।

নভেম্বর ১৮, ২০২১
কলকাতা

BSF: বিএসএফের ক্ষমতাবৃদ্ধি-বিরোধী প্রস্তাব পাশ বিধানসভায়

বিএসএফ-এর এক্তিয়ার বৃদ্ধির বিরোধিতা করে আজ সরকারি প্রস্তাব আনা হয়েছিল বিধানসভায়। ভোটাভুটিতে পাশ হয়ে গেল সেই প্রস্তাব। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়েছে ১১২টি ও বিপক্ষে ভোট পড়েছে ৬৩টি। বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ালে সংবিধানের বিরোধিতা করা হবে বলে দাবি তৃণমূল সরকারের। এই ইস্যুতেই এ দিন সরব হয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়কেরা। এই প্রসঙ্গে বিধানসভার পরিষদীয় নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ক্রমশ সীমান্তবর্তী নয়, এমন এলাকাতেও ক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে বিএসএফ-এর। এ দিন ভোট দেননি আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি।কেন্দ্রীয় সরকার বিএসএফের এলাকাবৃদ্ধির যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা আদতে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ওপরে আঘাত, এই মর্মেই সরকারি প্রস্তাব আনা হয় মঙ্গলবার। এই ইস্যুতে এ দিন বিধানসভায় সরব হন উদয়ন গুহ, তাপস রায়-সহ তৃণমূল বিধায়কেরা।এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, এই বিধানসভায় যেহেতু তৃণমূলের সংখ্যগরিষ্ঠতা আছে, তাই কোনও দিন আমরা হয়ত দেখব ভারতের সীমান্ত সুরক্ষার বিরুদ্ধে এরা প্রস্তাব পাশ করবে, কোনও দিন ভারতের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে এরা প্রস্তাব পাশ করবে। বলবে ভারতের কোনও সুরক্ষার দরকার নেই। এরা ভুলে যায় যে এটা পশ্চিমবঙ্গের সুরক্ষার বিষয় নয়, ভারতের সুরক্ষার বিষয়। তৃণমূল সরকার বিধানসভায় বসে অধিকার বহির্ভূত চর্চা করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর কথায়, এ ভাবে তৃণমূল শত্রুদের ইন্ধন জোগাচ্ছে, সন্ত্রাসবাদীদের ইন্ধন জোগাচ্ছে। সরকারের এই প্রস্তাব নিন্দনীয় বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

নভেম্বর ১৬, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 16
  • 17
  • 18
  • 19
  • 20
  • 21
  • 22
  • ...
  • 47
  • 48
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

দামোদরে বালি তুলতে গিয়ে বিরাট বিপত্তি, জলে ভাসছে ১৫টি লরি

দামোদরে বালি তোলায় কোনও লাগাম নেই। ডিভিসি থেকে জল ছাড়ার খবর থাকা সত্বেও বালি তোলার কাজ চলছিল। লরি নেমেছিল একেবারে নদের ভিতরে। জল ভরে টুইটুম্বুর হওয়ায় ভেসে গেল ১৫টি বালি বোঝাই লরি। পূর্ব বর্ধমানের গলসির গোহগ্রামের এই ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে। পরে লরিগুলিকে উদ্ধারের তৎপরতা শুরু হয়।দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার কথা ডিভিসি ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগাম ঘোষণা করা হয়েছিল। মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে বুধবার জল ছাড়া হয় ৪০ হাজার কিউসেক। এরই মধ্যে নিম্ন দামোদর অববাহিকায় দুদিন ধরে টানা বৃষ্টি চলেছে। এই সব কারণে বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ দামোদর নদে জলের পরিমাণ বেশ বেড়ে যায়। এতেই ঘটে যায় বিপত্তি।স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ১৫টি বালি বোঝাই লরি দামোদর নদের জলে ভাসতে থাকে। তার উপর বৃহস্পতিবার বেলা বাড়তে নদের জল আরও হু হু করে বাড়তে শুরু হয়। বিপদ বুঝে লরিগুলি নদী থেকে তোলার জন্য তৎপরতা শুরু করে চালকরা । ওই সময়েই সামনে থাকা দুটি লরি বিকল হয়ে যাওয়ায় লরি গুলি নদ থেকে পাড়ে তোলা আর সম্ভব হয়নি। জেসিবি মেশিন ব্যবহার করেও কাজ হয়নি। জল কমা পর্যন্ত লরিগুলো তুলতে অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

জুন ১৯, ২০২৫
রাজ্য

"কেশরী: চ্যাপ্টার ২" তে ক্ষুদিরাম বসু সহ বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অপমান, প্রতিবাদে গর্জে উঠল বাংলা পক্ষ

সম্প্রতি কেশরী: চ্যাপ্টার ২ নামের এক বলিউডি হিন্দি সিনেমায় ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সশস্ত্র সংগ্রামের উজ্জ্বল ইতিহাস তথা বীর বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পরিচয় ও ভূমিকা বিকৃত করে এক মনগড়া মিথ্যা ইতিহাস তুলে ধরার অভিযোগ উঠেছে। সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম সিং ও বারীন্দ্র কুমার নামক দুই বিপ্লবী বৃটিশ পুলিশকর্তা কিংসফোর্ডকে বোমা মেরে হত্যার চেষ্টা করে ও তাদের বোমা তৈরীর প্রশিক্ষণ দেয় কৃপাণ সিং! যার সাথে বাস্তবের কোন মিল নেই। প্রকৃত পক্ষে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে বাঙালি বিপ্লবীদের সশস্ত্র সংগ্রামের ইতিহাসের এক যুগান্তকারী ঘটনা কিংসফোর্ড হত্যার প্রচেষ্টা ও পরবর্তীতে মানিকতলা বোমা মামলার ঘটনার কথা সম্পূর্ণ বিকৃত ভাবে এই সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে।সশস্ত্র সংগ্রামের লক্ষ্যে কলকাতার মানিকতলার যুগান্তর গুপ্ত সমিতিতেই অরবিন্দ ঘোষের নেতৃত্বে বোমা তৈরীর কর্মশালা গড়ে ওঠে, ইউরোপ থেকে বোমা তৈরী শিখে এসে এখানে বোমা তৈরী করে বিপ্লবীদের সরবরাহ করতেন হেমচন্দ্র কানুনগো, যিনি বলিউডের দৌলতে হয়েছেন কৃপাণ সিং। এই গুপ্ত সমিতির পক্ষেই ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকী কিংসফোর্ডকে বোমা নিক্ষেপ করে হত্যার চেষ্টা করেন। মেদিনীপুরের বীর বাঙালি কিশোর ক্ষুদিরাম বসুর পদবী সিনেমায় হয়েছে সিং অন্যদিকে প্রফুল্ল চাকীর নামই মুছে গেছে, শোনা গেছে জনৈক বারিন্দর কুমারের নাম, যেকোন ইতিহাস সচেতন ব্যক্তিই বলতে পারবেন এই নাম আসলে মানিকতলা বোমা মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ও পরবর্তীতে আন্দামানে দ্বীপান্তরিত বারীন্দ্র ঘোষের, যিনি সম্পর্কে অরবিন্দ ঘোষের ভাই। এই মানিকতলা বোমা মামলায় বিপ্লবীদের পক্ষে কোর্টে আইনি লড়াই করেন আরেক মহান বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামী দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ। এই গৌরবজনক অধ্যায় সম্পূর্ণ ভাবে বিকৃত করা হয়েছে, যা বাঙালি জাতি তথা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি চূড়ান্ত অবমাননা।এই বিকৃতির বিরুদ্ধে বাঙালির ক্ষোভের প্রকাশ দেখা যাচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থেকে সংস্কৃতি জগতের নানান ব্যক্তিত্ব এই ইতিহাস তথা মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নাম বিকৃতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। ভারতীয় বাঙলির জাতীয় সংগঠন বাংলা পক্ষও সরব হয়েছে, আজ তারা পথে নেমে প্রতিবাদ করল কলকাতার বাংলা একাডেমী সংলগ্ন রানুছায়া মঞ্চে। এই প্রতিবাদ সভায় বাংলা পক্ষর সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি বলেন, কেশরী ২ সিমেমার মূখ্য অভিনেতা অক্ষয় কুমার, তিনি কাদের স্বার্থে বিকৃত ইতিহাস প্রচার করে সিনেমা তৈরি করেন এটা আমাদের সকলের জানা৷ বিজেপি ও বলিউডের উদ্দেশ্য বাঙালির গৌরবজনক বীরত্বের ইতিহাস মুছে দেওয়া। সেই উদ্দেশ্যেই বারবার এই ধরনের ঘটনা দেখা যাচ্ছে। বলিউড এর আগেও অভয় ২ সিরিজে বীর শহীদ ক্ষুদিরাম বসুকে ক্রিমিনাল, জঙ্গি হিসাবে দেখিয়েছিল। বাংলা পক্ষ তখন Zee5 কে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছিল এবং সল্টলেকে Zee5 এর অফিসে বিক্ষোভ করেছিল। পরবর্তীতে Zee5 ক্ষমা চেয়ে সেই অংশ বাদ দিতে বাধ্য হয়। শীর্ষ পরিষদ সদস্য অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় বলেন যতক্ষণ না পর্যন্ত কেশরী ২ সিনেমার নির্মাতারা ক্ষমা না চায়, বাংলা পক্ষর লড়াই চলবে। ক্ষমা চেয়ে এই দৃশ্য বাদ দিতে হবে। বাঙালি বিদ্বেষীদের কিভাবে ক্ষমা চাওয়াতে হয় সেটা বাংলা পক্ষ ভালো ভাবে জানে।শীর্ষ পরিষদ সদস্য সৌম্যকান্তি ঘোড়ই বলেন, ক্ষুদিরাম বসুকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান। প্রফুল্ল চাকীকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান৷ বীর বিপ্লবী বারীন ঘোষদের অপমানের বিরুদ্ধে এই লড়াই চলবে। অক্ষয় কুমারকে ক্ষমা চাইতেই হবে।এছাড়াও আজকের প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন কলকাতা জেলার সম্পাদক সৌম্য বেরা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক কুশনাভ মন্ডল, শিল্পী পক্ষর অধিকর্তা প্রবাল চক্রবর্তী প্রমুখ। এর আগে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় এই সিনেমা নিয়ে একই ইস্যুতে এফআইআর হয়েছে। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন বাঙালি বীর বিপ্লবীদের ইতিহাস বিকৃতি করার জন্য।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স

লর্ডসে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও রাহুল দ্রাবিড়ের। দিনটা ছিল ১৯৯৬ র ২০ জুন। এই টেস্টের কথা উঠলেই মহারাজকীয় শতরানের কথাই সবার আগে মনে আসে। যা এসেছিল ২২ জুন।তবে ২০ জুন বল হাতে কামাল দেখিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ইংল্যান্ডের তৃতীয় ও চতুর্থ উইকেট পড়েছিল চার রানের ব্যবধানে। দলের ৯৮ রানের মাথায় সৌরভের প্রথম শিকার হন তিন নম্বরে নামা নাসের হুসেন। ১১০ বলে ৩৬ রান করে তিনি ফেরেন বিক্রম রাঠোরের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ১০২ রানে ইংল্যান্ডের চতুর্থ উইকেট পড়ে। ৯ বলে ১ রান করে গ্রেম হিক সৌরভের বলেই জাভাগল শ্রীনাথের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। প্রথম ইনিংসে সৌরভের বোলিং ফিগার ছিল ১৫-২-৪৯-২। বেঙ্কটেশ প্রসাদ পাঁচটি, শ্রীনাথ তিনটি ও সৌরভ ২টি উইকেট পান। পরশ মামব্রে, অনিল কুম্বলে ও সচিন তেন্ডুলকর উইকেট পাননি। দ্বিতীয় ইনিংসে সৌরভ তুলে নিয়েছিলেন প্রথম ইনিংসে শতরানকারী জ্যাক রাসেলের উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে মহারাজ ৩ ওভারে মাত্র ৫ রানের বিনিময়ে একটি উইকেট পেয়েছিলেন। ফলে লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

বৃষ্টির মোকাবিলায় ইডেন সেরা, মাঠ ভরানোর আহ্বান মনোজের

আজও বৃষ্টিতে ব্যাহত বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের খেলা। কয়েক দিন ধরেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি চলছে। যার জেরে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের খেলাগুলি পরিত্যক্ত হচ্ছে। ইডেনে বৃষ্টি থামার পর খেলা শুরু হলেও ফের অবিরাম বর্ষণে ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। তবে গতকাল যা হলো তা অন্য কোথাও আর হতে পারতো না।সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত ভাবনাতেই ইডেনের গোটা মাঠ ঢেকে রাখার বন্দোবস্ত হয়েছে। উন্নতমানের কভার আনিয়ে। এমনকী ইডেনের মতো সল্টলেক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস মাঠেও মাঠ ঢেকে রাখা হয় প্রধান কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন অনবদ্য টিম যার ফলে বৃষ্টি থামার কিছুক্ষণের মধ্যেই মাঠ খেলার উপযুক্ত করে দিতে পারেন। ইডেনের এমন ব্যবস্থাপনা বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়াম আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামেও নেই। সুনীল গাভাসকর-সহ অনেকেই তাই বলে থাকেন মাঠ ঢাকার ব্যবস্থাপনায় ইডেনকে অনুসরণ করতে। এই ব্যবস্থাপনার সুফল মিলল আরও একবার। গতকাল বৃষ্টি একটু ধরতেই রাতে ৯ ওভারের ম্যাচ হলো। হারবার ডায়মন্ডস ৪০ রানে হারাল লাক্স শ্যাম কলকাতা টাইগার্সকে। যে পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে শহরে তাতে অন্য কোথাও এটা সম্ভব হতো না। হলো মাঠ ঢাকার ব্যবস্থা ছিল বলেই। হারবার ডায়মন্ডস অধিনায়ক তথা রাজ্যের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি অনুরোধ করেছেন সকলকে কাজ সেরে মাঠে এসে তরুণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করার জন্য। এই লিগে বিনামূল্যে খেলা দেখা যায়। এমনকী হারবার ডায়মন্ডসের সমর্থকদের জল, ইলেক্টোরাল, কেক দেওয়ার কথাও মনোজ বলেছেন। তার কারণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করতে সমর্থকদের উপস্থিতি দরকার। গ্যালারির সিংহভাগ ফাঁকা থাকছে। যে লিগের সম্প্রচার স্টার স্পোর্টসে চলছে সেখানে এমন ফাঁকা গ্যালারি মোটেই ভালো বিজ্ঞাপন নয়।

জুন ১৯, ২০২৫
দেশ

ওরঙ্গাবাদের এই হৃদয়স্পর্শী কাহিনী আপনার মন ছুঁয়ে যাবেই

মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদের সম্ভাজি নগরে ঘটনা এখন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। ওই হৃদয়স্পর্শী ঘটনা নাড়া দিয়েছে পুরো সমাজকে। সেখানে এক গয়নার দোকানে গিয়েছিলেন অতি সাধারণ এক দম্পতি। স্ত্রীকে কিছু উপহার দেওয়াই ছিল স্বামীর উদ্দেশ্য। গয়নার শোরুমের ম্যানেজার তাদের সঙ্গে গল্প জুড়ে দেন। হাসিঠাট্টার মাঝে কথা বলতে বলতে জেনে নেন তাঁদের জীবনকাহিনী। এবার এল জিনিস কেনার পালা। হাতের ঝোলা ব্যাগ থেকে বেরোল একটা ৫০০ টাকার নোট। একে একে ১০, ২০ টাকার নোট। সবশেষে একটা ছোটখাট বোঁচকা। তাতে ভর্তি খুচরো পয়সা।শোরুমের ম্যানেজার গোটা বিষয়টা বুঝতে পেরে তাঁদের একটি হার উপহার দেন। সঙ্গে একজোড়া কানের দুলও। এরপর বৃদ্ধের কাছে সরল আবদার জানান, নিজে হাতে স্ত্রীর হাতে সেটা তুলে দিতে হবে। উপহার তো দিলেন ম্যানেজার, কিন্তু এত বড় দোকানে এসে কোনও টাকা না দিয়ে চলে যাবেন, এতেও যেন সম্মানে বাধে বৃদ্ধের। সমাজের খেটে খাওয়া মানুষের কাছে আত্মসম্মানই বড় কথা। প্রাণ যাক, সম্মান নিয়ে বাঁচাটাই বড় কথা। তাই সবচেয়ে বড় নোটটি তুলে দিতে চেয়েছিলেন ম্যানেজারের হাতে। কিন্তু তাতে ম্যানেজারের উত্তর, আপনার আশীর্বাদের হাত থাকলেই হবে। পান্ডুরঙ্গ (কর্নাটক, মহারাষ্ট্রের পূজিত দেবতা) আছেন, কিছুর অভাব হবে না কোনওদিন। কিন্তু বৃদ্ধ নাছোড়বান্দা, টাকা তিনি দেবেনই। উপায় নেই বুঝে অবশেষে দুটো ১০ টাকার নোট নেন ম্যানেজার।স্বামীর চোখে জল, ধুতির খুঁট দিয়ে মুছে ফেললেন। তা দেখে স্ত্রীও আটকাতে পারলেন না নিজেকে। ভিডিওতেই স্পষ্ট, এমন এক মূল্যবান উপহার পেয়ে বিশ্বাস হচ্ছে না ওই দম্পতির। কিন্তু যেকজন ভিডিওটি দেখেছেন, তাঁরা সবাই বুঝেছেন এই চোখের জল, অবিশ্বাস শুধু মূল্যবান এক উপহারের জন্য নয়, জীবনের অন্যতম এই দিনটি মনের মণিকোঠায় সাজিয়ে রাখছেন দম্পতি।

জুন ১৯, ২০২৫
দেশ

আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা: শিশুদের শনাক্ত করতে বড় সমস্যা, এখনও হস্তান্তর ১৫৯ দেহ

সুরাটের নানাবাওয়া পরিবার ৩৬ বছর বয়সী আকিল এবং ৩১ বছর বয়সী স্ত্রী হান্না ভোরাজির নামাজ-এ-জানাজা (জানাজা) সম্পন্ন হয়। বুধবার ভোরে ফোন করে জানায় যে বোয়িং ড্রিমলাইনার দুর্ঘটনায় তাদের সাথে মারা যাওয়া তাদের মেয়ে সারার মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। আত্মীয়স্বজনরা চার বছর বয়সী মেয়ের দেহাবশেষ দাবি করতে আহমেদাবাদে ছুটে যান। যাতে তাকে তার বাবা-মায়ের পাশে দাফন করা যায়।আহমেদাবাদ-লন্ডন AI-171 বিমান দুর্ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পর, সারার সন্ধানে দেখা যাচ্ছে যে পুড়ে যাওয়া দেহাবশেষের মধ্যে নাবালকদের শনাক্ত করা কতটা কঠিন। বুধবার পর্যন্ত, ডিএনএ ম্যাচিং এবং শনাক্তকরণের পরে ১৫৯টি মৃতদেহ আত্মীয়দের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সারা ছাড়াও, এই মৃতদেহগুলির মধ্যে কেবল একজন নাবালিকা ছিল ফাতিমা শেঠওয়ালা, যার বয়স ১৮ মাস।বিমান সংস্থার তালিকা অনুসারে, AI-171-এ ১২ বছরের কম বয়সী ১৩টি শিশু ছিল, যার মধ্যে তিনজন এখনও ২ বছর পূর্ণ করেনি। আরও বেশ কয়েকজনের বয়স ১১ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে।এই ধরনের দুর্যোগে অপ্রাপ্তবয়স্কদের শনাক্ত করার জন্য ডিএনএ প্রযুক্তি ব্যবহারে অসুবিধা ব্যাখ্যা করে গুজরাটের সরকারি ডেন্টাল কলেজের ফরেনসিক দন্ত বিশেষজ্ঞ ডঃ জয়শঙ্কর পিল্লাই বলেন, শিশুদের শরীরের ভর কম থাকে এবং তাই টিস্যুর ক্ষতি হয় এবং লম্বা হাড় তাপের সংস্পর্শে আসে। তবে দাঁত বেশি শক্তিশালী হওয়ায় তাপ সহ্য করতে পারে।তবে অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে এটিও জটিল। শিশুদের যে কোনও দাঁত থেকে ডিএনএ বের করা যেতে পারে, কিন্তু আগুন লাগার সময় সামনের দাঁত ব্যবহার করা যায় না কারণ তাপ তাদের নষ্ট করে দেয়। তাই আমরা মোলার থেকে ডিএনএ নিই। ছয় বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে, আমরা স্থায়ী মোলার পেতে পারি না... তাদের বেশিরভাগই দুধের দাঁত থাকে, এবং কখনও কখনও সেগুলিও নষ্ট হয়ে যায়। কারণ খিলানটি খুব ছোট। তাই আমরা চোয়ালে একটি ছেদ তৈরি করি এবং ভিতরে স্থায়ী মোলার তৈরি করার চেষ্টা করি, পিল্লাই বলেন, যার বিভাগের সাথে ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ দাঁতের ডিএনএ বের করতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের দাঁতের চার্ট তৈরি করতে সাহায্য করার জন্য যোগাযোগ করেছিল।একজন ফরেনসিক কর্মকর্তা বলেছেন যে দুর্ঘটনার পরে যে আগুন লেগেছিল তা খুব অল্প সময়ের মধ্যে ১৬০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি তাপমাত্রায় পৌঁছেছিল। সুতরাং, কিছু ব্যক্তির জন্য কেবলমাত্র আংশিক ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়া যায়, যাদের আমরা সন্দেহ করি যে তারা নাবালক, কর্মকর্তা বলেন, আরও বলেন যে আত্মীয়দের সাথে নিঃসন্দেহে নির্ভুলতার সাথে মেলানো কঠিন।আকিলের বাবা আবদুল্লাহ স্মরণ করিয়ে দেন যে তিনজন ৬ জুন, ঈদুল আযহার একদিন আগে, এক আকস্মিক পরিদর্শনে এসেছিলেন। এটা একটা ছোট ভ্রমণ ছিল। আমরা জানতাম না যে এটাই তাদের শেষ হবে, কাঁদতে কাঁদতে আবদুল্লাহ বলেন, যিনি বিমানে পরিবারকে নামিয়ে দিতে আহমেদাবাদ গিয়েছিলেন।ভদোদরায়, আসিফ শেঠওয়ালা তার নাতনি ফাতিমার জন্য শোক প্রকাশ করেছেন। যার দেহাবশেষ বুধবার শনাক্ত করা হয়েছে, যখন তার মা সাদিকার মৃতদেহ এখনও পাওয়া যায়নি। আসিফ বলেন, ফাতিমা তার লন্ডন-ভিত্তিক ছেলের একমাত্র সন্তান। সাদিকা এবং ফাতিমা আমার ছোট ছেলের বিয়েতে বেড়াতে এসেছিলেন। তারা প্রায় ২০ দিন ধরে এখানে ছিলেন এবং তাদের ফেরার টিকিট অনেক আগেই বুক করা হয়েছিল।ডিএনএ সরবরাহ করার পাশাপাশি, দাঁতের দেহাবশেষ একজন ব্যক্তির আনুমানিক বয়স নির্ধারণেও সাহায্য করে। যা শনাক্তকরণের জন্য প্রয়োজনীয় সূত্র প্রদান করে। আহমেদাবাদ দুর্ঘটনায় এটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যও, বিস্ফোরণ এবং আগুনের ফলে উদ্ধার করা বেশিরভাগ ডিএনএ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।ডঃ পিল্লাই বলেন, ফরেনসিক ওডন্টোলজি বিভাগ এক থেকে ছয় বছর বয়সী বেশ কয়েকজন প্রাপ্তবয়স্ক যাত্রীর দাঁতের ডিএনএ সংগ্রহ করেছে অথবা ডেন্টাল চার্টিং করেছে এবং অন্তত কিছু ভুক্তভোগীর বয়স মূল্যায়ন করেছে। এরপর এই বয়সের যাত্রীদের জন্য ফ্লাইট ম্যানিফেস্টের সাথে তুলনা করা হয়েছে। কিছু শিশুর ক্ষেত্রে, আমরা দ্বিতীয় মোলার বিকশিত হতে দেখেছি, যা স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে তারা তিন থেকে ছয় বছর বয়সী। এটি অনুসন্ধানকে সংকুচিত করতে সাহায্য করেছে। তারপর তাদের ডিএনএ নমুনা তাদের আত্মীয়দের সাথে মেলানো যেতে পারে।যারা খবরের জন্য অপেক্ষা করছেন তাদের মধ্যে রয়েছে ভদোদরার ভাহোরা পরিবার। তারা দুর্ঘটনায় তিন সদস্যকে হারিয়েছে। সোমবার ইয়াসমিনের মৃতদেহ হস্তান্তর করা হলেও, পারভেজ এবং তার ৪ বছর বয়সী মেয়ে জুভেরিয়ার দেহাবশেষ এখনও পাওয়া যায়নি। প্রাক্তন আইপিএস অফিসার এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ, ডঃ কেশব কুমার বলেছেন, পরিবারগুলির আশা হারানো উচিত নয়। বিমান দুর্ঘটনাটি প্রায় বোমা বিস্ফোরণের মতো ছিল। যেখানে ৫৪,০০০ লিটার বিমান জ্বালানি এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে জ্বলছিল। উৎপন্ন তাপের পরিমাণ শরীরের জন্য ক্ষতিকর। আমরা ভাগ্যবান হব যদি ভালো নমুনা পাওয়া যায়। কিন্তু যদি একটি দাঁতও পাওয়া যায়, তাহলে ডিএনএ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ফরেনসিক পরীক্ষা খড়ের গাদায় সূঁচ পাওয়ার মতো। কিন্তু একজন তদন্তকারী হিসেবে, আমি বলতে পারি যে ম্যাচ পাওয়ার সম্ভাবনা ১০০%। ডিএনএ হাজার হাজার বছর টিকে থাকতে পারে এবং প্রয়োজনে ধ্বংসাবশেষে ডিএনএর আরও চিহ্ন থাকবে। গুজরাট পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন যে তারা দুর্ঘটনাস্থল থেকে একাধিক নমুনা সংগ্রহ নিশ্চিত করেছেন।

জুন ১৯, ২০২৫
রাজ্য

১০০ দিনের কাজ নিয়ে হাইকোর্টে বড় ধাক্কা কেন্দ্রীয় সরকারকে

গতকালই ওবিসি মামলায় হাইকোর্টে জোরদার ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। এবার ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বড় ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার নজিরবিহীন একটি নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পশ্চিমবঙ্গে ফের ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প চালু করতে হবে, এই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ১ আগস্ট থেকেই এই প্রকল্প চালু করতে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ।উল্লেখ্য, বাংলায় ১০০ দিনের কাজের টাকা বহুদিন ধরে আটকে রেখেছে কেন্দ্র, এই অভিযোগ করে আসছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রাজ্য সরকারের একাধিক মন্ত্রী এই ব্যাপারে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বারবার সমালোচনায় সরব হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে লাগামহীন দুর্নীতি হয়েছে। এই দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্র বেশ কয়েকটি দলও বাংলার জেলায় জেলায় পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী আদালতে জানিয়েছিলেন, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গে মোট ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে গরমিল ধরা পড়েছে।। তার মধ্যে ২ কোটিরও বেশি টাকা পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে। হুগলি, মালদা, বর্ধমান, দার্জিলিংয়ের মতো জেলাগুলিতে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। ১০০দিনের কাজের প্রকল্পে টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে বেনজির দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রের।রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প আটকে থাকা নিয়ে মামলার শুনানি বুধবার ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনেছেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এরপর প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছেন যে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের জন্যই বিশেষ কোনও বেঁধে দিতে পারে কেন্দ্র। এই রায়ের পর সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ১০০ দিনের পুরনো বকেয়া টাকা ফেরত দিতে হবে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর

পাঁচ লক্ষ টাকা তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর এবং সালিশি করে গ্রাম ছাড়া করার অভিযোগ উঠলো স্থানীয় একদল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকায়। এই ঘটনায় আক্রান্ত ব্যবসায়ীর পরিবার কালিয়াচক থানার দ্বারস্থ হলেও চারদিন পরে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে বুধবার ওই ব্যবসায়ী দম্পতি সমস্ত ঘটনার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানালেন পুলিশ সুপারের কাছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব। এদিকে কালিয়াচকের ওই ব্যবসায়ীর ওপর আক্রমণ এবং পাঁচ লক্ষ টাকা তোলাবাজির ঘটনায় রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলার সর্ববৃহৎ ব্যবসায়ীদের সংগঠন মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বারবার যদি ব্যবসায়ীদের ওপর দুষ্কৃতীদের হামলা নেমে আসে, তাহলে আমরা যাব কোথায়। অবিলম্বে পুলিশ সুপার যাতে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে, সেই আবেদন জানাচ্ছি। এদিকে পুলিশকে অভিযোগে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকার পোশাক ব্যবসায়ী মহম্মদ রহিম বিশ্বাস জানিয়েছেন, পুরনো একটি মামলার ঘটনায় গত শনিবার এলাকার এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী জহরুল খান এবং তার দলবল তাকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাদের একটি ডেরায় তাঁকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর পাঁচ লক্ষ টাকার তোলা চাওয়া হয়। সেই টাকা না দেওয়ায় আশেপাশের আরও কিছু সাগরেদদের জুটিয়ে সালিশি ডাকা হয়। সেই সালিশির মাধ্যমে তাদের পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। আর এই ঘটনার পর থেকেই গত চারদিন ধরেই ওই ব্যবসায়ী পরিবার নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন হয়ে রয়েছেন। এমনকি ফতেখানি স্ট্যান্ডের কাছে ওই ব্যবসায়ী তার নিজের পোশাকে শোরুম খুলতে পারছেন না।

জুন ১৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal