• ৪ আষাঢ় ১৪৩২, শুক্রবার ২০ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Bjp,

রাজ্য

এভাবে সিবিআই থেকে বাঁচতে পারবেন না অনুব্রত', বর্ধমানে মন্তব্য রাজ্য বিজেপি সভাপতির

গতকাল অনুব্রত যখন বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তখন আমি বলেছিলাম ক্যামেরার মুখগুলো উডবার্ন ওয়ার্ডের দিকে ঘুরিয়ে রাখতে। উনি আমার সেই ভবিষ্যৎবাণীকে ঠিক প্রমাণ করলেন। বর্ধমানে এসে অনুব্রত মন্ডলের বিষয়ে এই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিন বর্ধমানে দলের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি।সুকান্ত আরও বলেন, এটা ওনার পূর্ব পরিকল্পিত। এভাবে সিবিআই থেকে বাঁচতে চাইছেন উনি। কিন্তু বাঁচতে পারবেন না। এদিন পুরুলিয়ার ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জন বৈষ্ণবের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুরুলিয়ার তপন কান্দু খুনের প্রত্যক্ষদর্শীর মৃত্যু নিয়ে তিনি বলেন, এই মৃত্যুও খুবই সন্দেহজনক। আগের মৃত্যু অর্থাৎ কাউন্সিলর খুনের সাথে এর যোগ আছে। ইনিই একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন। তথাকথিত সুইসাইড নোটেও উনি পুলিশের হয়রানির অভিযোগ করেছেন। এই মৃত্যুর তদন্তও সিবিআই মারফৎ হওয়া উচিত।এদিকে এসএসসির নিয়োগ নিয়েও আদালতের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত শুরু হয়েছে। এই প্রসঙ্গে তিনি রাজ্য সরকারকে একহাত নেন। রাজ্য বিজেপি সভাপতি বলেন, সিবিআইয়ের হাত শিক্ষামন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক অবধি পৌঁছে গেছে। শিক্ষামন্ত্রী পর্যন্ত পৌঁছে যায় কীনা তা দেখা সময়ের অপেক্ষা। এককালে এই এসএসসিতেই অনেক যুবক-যুবতী চাকরি পেয়েছেন।

এপ্রিল ০৬, ২০২২
রাজ্য

দিল্লির নয়, দার্জিলিঙের লাড্ডুই যথেষ্ট, বিজেপি-কে তোপ মমতার

দার্জিলিঙে প্রশাসনিক সভায় একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিলেন প্রতিশ্রুতি। পেট্রল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রের সমালোচনা করে বললেন, দিল্লির লাড্ডু খাবেন না। দার্জিলিঙের লাড্ডুই যথেষ্ট।শুরুতেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কোভিডের সময় আসার সুযোগ হয়নি। ২-৩ মাস আগে কার্শিয়ঙে এসেছিলাম। দুবছর পরে এলাম দার্জিলিঙে। সভায় বেশ কয়েকটি রাস্তা, হস্টেলের ভার্চুয়াল উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পাহাড়ে তিন লক্ষ ৮০ হাজার চা শ্রমিকের নতুন বাড়ি হয়েছে। ২১ লক্ষ বিধবাকে ভাতা দেওয়া হচ্ছে। ১০ লক্ষ পড়ুয়াকে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হবে। কেউ যদি স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না পেয়ে থাকেন তবে দুয়ারে সরকার কর্মসূচির সাহায্য নিতে বলেন তিনি। এ ছাড়াও পাহাড়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, পাহাড়ে একটি হিল বিশ্ববিদ্যালয় করা হবে। এ নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।মঙ্গলবারও সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দার্জিলিঙে খুব তাড়াতাড়ি জিটিএ নির্বাচন হবে। ভাষণে বিজেপি-কে খোঁচা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দার্জিলিং যখন হাসে তখন একটি দল এসে ভুল বুঝিয়ে ভোট নিয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, এরা বাংলাকে ভালবাসে না। আগুন জ্বালিয়ে এরা বাংলার বদনাম করতে চাইছে।মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের সমালোচনা করেন বলেন, এরা পেট্রল-ডিজেল-গ্যাস-কেরোসিনের দাম বাড়াচ্ছে। বাংলাকে এরা কেউ ভালবাসে না। খালি অশান্তি পাকিয়ে দাম বাড়ানো ভুলিয়ে দাও। এটাই ওদের পলিসি।মঙ্গলবার পাহাড়ে চা বাগান কর্মীদের উন্নয়নে তাঁর সরকার কী কী প্রকল্প করেছে তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। জানান, ২৫০টি চা বাগানে তিন হাজারের বেশি পরিবারকে চা সুন্দরী প্রকল্পে বাড়ি বানিয়ে দেবেন তাঁরা। আগে দিনে ৬৭ টাকা মজুরি ছিল চা বাগান কর্মীদের। তাঁর সরকারের আমলে মজুরি হয়েছে ২০২ টাকা। আগে চা বাগান বন্ধ হলে ছমাস পর ৫০০ টাকা করে পেতেন কর্মীরা। এখন দুমাসের মধ্যে দেড় হাজার টাকা পান। হেল্থ কার্ড, রেশন, বিদ্যুৎ বিনামূল্যে দেয় তাঁর সরকার। বিজেপি সরকারের সমালোচনা করে বলেন, পাহাড়কে কেন্দ্র বঞ্চনা করছে। ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা কেন হল না, এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা।মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ভাষণে ইউক্রেনের প্রসঙ্গ এনে বলেন, ১৭ হাজার পড়ুয়া ইউক্রেন থেকে দেশে ফিরেছে। দেশে ওদের পড়া শেষ করার ব্যবস্থা হোক। এর জন্য রাজ্যকে অনুমতি দেওয়া হোক।

মার্চ ২৯, ২০২২
রাজনীতি

বিধানসভায় তৃণমূল-বিজেপি বিধায়কদের তুমুল হাতাহাতি, জখম বেশ কয়েকজন, সাসপেন্ড ৫ বিজেপি বিধায়ক

রামপুরহাটের বগটুই কাণ্ডের ঢেউ আছড়ে পড়ল বিধানসভায়। সোমবার দিনের শুরুতেই বিজেপি বিধায়কদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য বিধানসভার অন্দর। বগটুইতে নিরীহ মানুষজনের অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুতে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। স্পিকার তাঁদের থামানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু বেড়ে যায় বিক্ষোভ। সেই সময় ওয়েলে যুযুধান দুই শিবির। হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় বিজেপি ও তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে। পরে জয় শ্রীরাম স্লোগান তুলে অধিবেশন কক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে যান বিজেপি বিধায়করা। তৃণমূল বিধায়কদের সঙ্গে বিজেপির জনপ্রতিনিধিদের কার্যত হাতাহাতিতে গেরুয়া শিবিরের ১০ বিধায়ক আহত হয়েছেন বলে দাবি শুভেন্দু অধিকারীর। জানা গিয়েছে, বিজেপির পরিষদীয় দলনেতা মনোজ টিগ্গার জামা ছিঁড়ে দেওয়া হয়। চশমা ভেঙে যায় এক বিধায়কের। চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের নাক ফেটে গিয়েছে। এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁকে। অসিতবাবুর অভিযোগ, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দ্বারা প্রহৃত হয়েছেন তিনি।Absolute pandemonium in the West Bengal Assembly. After Bengal Governor, TMC MLAs now assault BJP MLAs, including Chief Whip Manoj Tigga, as they were demanding a discussion on the Rampurhat massacre on the floor of the house.What is Mamata Banerjee trying to hide? pic.twitter.com/umyJhp0jnE Amit Malviya (@amitmalviya) March 28, 2022সোমবার বিধানসভা অধিবেশন চলাকালীন তৃণমূল ও বিজেপি বিধায়কদের মধ্যে তুমুল হাতাহাতির অভিযোগ ওঠে। একে অপরের উপর হামলে পড়েন বলে অভিযোগ। জামা ধরে টানাটানি, হাত চালানোর পাশাপাশি কারও কারও মুখের কথাও আগলহীন হয়ে পড়ে। রাজনৈতিক মহলের মতে বিধানসভার মত প্রতিষ্ঠানে দাঁড়িয়ে রাজ্যের জনপ্রতিনিধিদের এমন আচরণ নিঃসন্দেহে প্রশ্নের অবকাশ রাখে। বিধানসভায় যে ঘটনা ঘটেছে ইতিমধ্যেই তা প্রকাশ্যে চলে এসেছে। এই ঘটনার জেরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, বিধায়ক মনোজ টিগ্গা-সহ পাঁচজনকে সাসপেন্ড করা হয়।এরপরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে ফোন করেন। গোটা বিষয়টি জানতে চান। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের একজন বিধায়ককে এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তিও করা হয়েছে। ২১০ নম্বর কেবিনে ভর্তি রয়েছেন অসিত মজুমদার। এই সমস্ত বিষয়ে খোঁজ নেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে এই ঘটনা নিয়ে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী শিবিরের উদ্দেশে বলেন, যে ঘটনা ঘটল সেটা অনভিপ্রেত। বিধানসভার নিয়মকানুন নিয়ে পড়াশোনা করেন না। বিধানসভার গুরুত্ব তাঁরা বোঝেন না। সূত্রের দাবি, ইতিমধ্যেই বিধানসভার সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কী কী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার তালিকা তৈরি হবে। কীভাবে সেই ক্ষতিপূরণ আদায় করা যায় সেটাও দেখা হবে বলে জানান বিধানসভার অধ্যক্ষ।

মার্চ ২৮, ২০২২
রাজ্য

তৃণমূল নেতা খুনে অগ্নিগর্ভ রামপুরহাট, ঝলসে মৃত্যু ১২ জনের

বীরভূমের রামপুরহাটে তৃণমূল নেতার মৃত্যুর ঘটনায় অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। বগটুইতে পর পর বাড়িতে আগুন। অগ্নিদগ্ধ বাড়িগুলি থেকে ১২টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে দমকল। বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, একটি বাড়িতে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থলে যাচ্ছে সিআইডি এবং ফরেন্সিক টিম। হেলিকপ্টারে রামপুরহাট যাচ্ছেন ফিরহাদ হাকিম (বীরভূমের দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল নেতা), আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিজিত সিনহা।রামপুরহাটের এই এলাকা কয়েকমাস ধরেই রাজনৈতিকভাবে উত্তপ্ত। আট মাসে আগে বাড়ি ফেরার পথে খুন হয়েছিলেন ভাদু শেখের মেজো ভাই। জানা গিয়েছিল, রাস্তায় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। এর পর সেই একই কায়দায় খুন হলেন তৃণমূলের উপপ্রধান। আর তার ঠিক পরপরই গ্রামে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এতজনের মৃত্যু। ইতিমধ্যে কলকাতা থেকে তদন্তকারী দল পাঠানো হচ্ছে রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে। সূত্রের খবর, সিআইডি টিম যাচ্ছে সেখানে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান রেকর্ড করে প্রাথমিকভাবে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠী। তাঁর দাবি, ৭টি বাড়িতে আগুনের ঘটনায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।সোমবার রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে বোমা হামলায় তৃণমূল নেতা ভাদু শেখের মৃত্যু হয়। ভাদু রামপুরহাট এক নম্বর ব্লকের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ছিলেন। তাঁর বাড়ি রামপুরহাট থানা এলাকার বগটুই গ্রামে। সেখানে একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন ভাদু। সেই সময় তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ছুড়ে পালায় এক দল দুষ্কৃতী। ঘটনার পর স্থানীয়েরা রক্তাক্ত অবস্থায় ভাদুকে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা ভাদুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তার পর থেকেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে ওই গ্রাম। পর পর বাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটে। দমকল আধিকারিক জানিয়েছেন,সোমবার রাতে তিন জনের ঝলসানো মৃতদেহ উদ্ধার করার পর মঙ্গলবার সকালে আরও সাত জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই সাত জনই একটি বাড়িতে ছিলেন। দমকলের হিসেব অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত বারো জনের মৃত্যু হয়েছে। বীরভূমে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, তিন চারটি বাড়িতে আগুন লেগেছিল। টিভি ফেটে আগুন লাগে। দমকল, পুলিশ গিয়েছিল। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক, তার পর বলব। তবে উপপ্রধান খুনের সঙ্গে এর যোগ থাকতে পারে বলে মনে করছেন অনুব্রত।

মার্চ ২২, ২০২২
রাজ্য

বিজেপির বহিরাগত খোঁচা বিহারীবাবুকে, বালিগঞ্জে তৃণমূল প্রার্থী বাবুলকে হুঙ্কার ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের

গতবছর ২১ জুলাই তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দেওয়ার কথা ছিল বিহারীবাবুর। শেষমেশ আসানসোল লোকসভা আসনের টিকিট হাতে নিয়েই তৃণমূলে যোগ দিলেন অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা। বালিগঞ্জে তৃণমূল প্রার্থী করেছে বিজেপি থেকে দলে যোগ দেওয়া প্রাক্তন আরেক বিজেপি সাংসদ গায়ক বাবুল সুপ্রিয়কে। লোকসভা ও বিধানসভা দুই আসনের প্রার্থী আগে বিজেপি করতেন, দুজনই সাংসদ ছিলেন, দুজনই শিল্পী জগতের লোক। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুই প্রার্থীর নাম টুইট করে জানানোর পরই বিজেপির তরফ থেকে নানা ধরনের কটাক্ষ করা হয়।বিজেপির রাজ্য পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য টুইটে লেখেন অভিষেকের লোককে প্রার্থী না করে বহিরাগতকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য, নিজেদের প্রার্থী নেই বলে দুই প্রাক্তন বিজেপি নেতাকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। প্রায় একই মন্তব্য করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা। যদিও তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য, একজন প্রাজ্ঞ রাজনীতিক সাংসদ হলে তৃণমূলের লাভ হবে।It was widely speculated that TMC would field Saayoni Ghosh, president of partys youth wing, considered close to Abhishek Banerjee, from Asansol. But Mamata Banerjee, just to cut her nephew to size has fielded a complete outsider, not just for Asansol but Bengal, from the seat. Amit Malviya (@amitmalviya) March 13, 2022এদিকে এরই মধ্যে বেঙ্গল ইমাম অ্যাসোসিয়েশন বাবুলের বালিগঞ্জে প্রার্থী হওয়া নিয়ে হুঙ্কার ছেড়েছেন। সংগঠনের সভাপতি মহম্মদ ইয়াহ ইয়াহ বলেছেন, একজন দাঙ্গাকারীকে তৃণমূল প্রার্থী করেছে, তা মেনে নেওয়া যায় না। প্রয়োজনে আমি নিজে ওই কেন্দ্রে প্রার্থী হব। ধর্মনিরপেক্ষ মানুষের প্রার্থী হব আমি। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস বহিরাগত তত্বকে হাতিয়ার করেই সর্বত্র প্রচার করেছে বিজেপির বিরুদ্ধে।এবার অন্য রাজ্য থেকে একজন অবাঙালিকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। যদিও তৃণমূলের পক্ষে কেউ কেউ যুক্তি খাড়া করতে চাইছেন এটা লোকসভা নির্বাচন। যার প্রেক্ষিত সর্বভারতীয়। ১২ এপ্রিল উপিনর্বাচনের দিন ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।

মার্চ ১৩, ২০২২
দেশ

উত্তরপ্রদেশে গেরুয়া-ঝড়

উত্তরপ্রদেশে ফের যোগী-রাজ। ৩৫ বছরে এই প্রথম কোনও মুখ্যমন্ত্রী দ্বিতীয়বার মসনদে বসতে চলেছেন। উত্তরপ্রদেশ ফের বিজেপির দখলেই যেতে চলেছে। উত্তরপ্রদেশের ৪০৩টি আসনের মধ্যে ৪০১টি আসনের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ২৫২টি আসনে, সমাজবাদী পার্টি ১১৬টি আসনে, বহুজন সমাজ পার্টি মাত্র ৩টি আসনে এবং কংগ্রেস এগিয়ে দুটি আসনে। সুহেলদেব ভারতীয় সমাজ পার্টি এগিয়ে রয়েছে ৩টি আসনে।বৃহস্পতিবার দুপুর একটা অবধি প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, উত্তরপ্রদেশে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে যোগী আদিত্যনাথের দল। অখিলেশ যাদবের দল আপাতত দ্বিতীয় স্থানে থেকে ১১৬টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। মুখ থুবড়ে পড়েছে কংগ্রেস ও মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি। উত্তরপ্রদেশে আপনা দল (এস) এগিয়ে রয়েছে ৯টি আসনে। রাষ্ট্রীয় লোক দল এগিয়ে ৯টি আসনে, জনসত্তা দল লোকতান্ত্রিক এগিয়ে দুটি আসনে।উত্তরপ্রদেশের জাহুরাবাদ আসনে এগিয়ে রয়েছেন সুহেলদেব ভারতীয় সমাজ পার্টি ও পি রাজভর। রামপুর আসনে এগিয়ে সপা প্রার্থী আজম খান, স্বামী প্রসাদ মৌর্য পিছিয়ে ফজিলনগর আসনে। গোরক্ষপুর আর্বান আসনে এগিয়ে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। উত্তরপ্রদেশে আনন্দে মেতে উঠেছেন বিজেপি কর্মীরা।

মার্চ ১০, ২০২২
রাজ্য

রাজ্যপালের প্রতি মুখ্যমন্ত্রী ও স্পিকারের আচরণও অত্যন্ত অশোভনীয়, বললেন সুকান্ত

এই রাজ্যের সরকার বিরোধীদের কণ্ঠশ্বরকে হত্যা করতে চাইছে। তাই সাসপেণ্ড করা হয়েছে দুই বিজেপি বিধায়ককে। আমরা তো ভোবেছিলাম বিজেপির সব বিধায়ককেই বরখাস্ত করবে। বিধানসভায় রাজ্যপালের ভাষণে বাধা সৃষ্টির অভিযোগে স্পিকারের দুই বিজেপি বিধায়ককে সাসপেণ্ড করা নিয়ে বুধবার বর্ধমানে এসে এই ভাবেই ক্ষোভ ব্যক্ত করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।এমনকি বর্ধমানের জেলা বিজেপি কার্যালয়ে বসে সুকান্ত বাবু রাজ্য সরকার ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও এদিন তীব্র ক্ষোভ উগরে দেন।তিনি বলেন,শুধু স্পীকার নয়, রাজ্যপালের প্রতি এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর আচরণও অত্যন্ত অশোভনীয়।রাজ্যপালের তলব পেয়েও বিধানসভার স্পিকারের তাঁর কাছে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েও এদিন সরব হন রাজ্য বিজেপি সভাপতি।সুকান্ত বাবু এই প্রসঙ্গে বলেন, রাজ্যপালের তলব পেয়েও স্পিকারের না যাওয়াটা গণতন্ত্রের পক্ষে অত্যন্ত অশোভনীয়। এই ঘটনা পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে।শুধু স্পীকার নয়, রাজ্যপালের প্রতি এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর আচরণও অত্যন্ত অশোভনীয় বলে অভিযোগ করেন সুকান্ত মজুমদার। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন উনি (মুখ্যমন্ত্রী) বাংলার সংস্কৃতিকে অপমান করছেন।এর আগে পশ্চিমবঙ্গের কোনও মুখ্যমন্ত্রী মহামান্য রাজ্যপালের সাথে এই ধরনের আচরণ করেননি।রাজ্য সরকারের সমালোচনা করে সুকান্ত মজুমদার এও বলেন, রাজ্য সরকার চলছে কেন্দ্রের টাকায়।অথচ মুখ্যমন্ত্রী বলছেন কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধুই মিথ্যা কথা বলেন।জয়প্রকাশ মজুমদার তৃণমূলে যোগদান সম্পর্কে রাজ্য বিজেপি সভাপতি বলেন, আমরা ওনাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছিলাম। তৃণমূল তাঁকেই সেই পদেই বহাল করেছে। এর থেকেই বোঝা যায় এই রাজ্যে বিজেপির ভাল দম আছে। তাই বিজেপির রিজেক্টেড নেতারাও তৃণমূলে গিয়ে একই পদ পাচ্ছেন। পাশাপাশি সুকান্ত বাবু দাবি করেন, বিজেপি কর্মীরাই বিজেপির সম্পদ। কারণ তাঁরা নরেন্দ্র মোদীকে দেখে দল করেন। বিজেপি বিধায়ক হিরনের বিভীষণ প্রসঙ্গ উত্থাপন সম্পর্কে সুকান্ত বাবু বলেন, আমার সঙ্গে হিরনের কথা হয়েছে। যা বলার ওকে পার্টির ভিতরে বলতে বলেছি। অন্য দল থেকে ভাঙিয়ে দল ভারি করার কথা বিজেপি ভাবছে না বলেও সুকান্ত বাবু এদিন জানান। তবে একই সঙ্গে তিনি বলেন ,কেউ বিজেপি দলে এলে তাঁকে বিজেপির মতাদর্শ মেনে নিয়েই আসতে হবে।

মার্চ ০৯, ২০২২
দেশ

অসমের পুরভোটে বিরাট জয় পেল বিজেপি, শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর

অসমের পুরসভা নির্বাচনে বিরাট জয় হাসিল করল গেরুয়া শিবির। বিরোধী কংগ্রেস ধুয়েমুছে সাফ। অন্যান্য বিরোধী দলগুলিও দাগ কাটতে পারেনি। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এবারই প্রথম অসমের পুরভোট হয়েছিল ইভিএমে। এর ফলে উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যের ভোট গণনার ঠিক আগের দিন বাড়তি আত্মবিশ্বাস পেয়ে গেল বিজেপি ।অসম নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, যে ৮০টি পুরসভায় দিন দুই আগে নির্বাচন হয়েছে তার মধ্যে ৭৭টিতেই বিজেপি এবং জোটসঙ্গীরা বোর্ড গঠন করতে চলেছে। কংগ্রেস মাত্র একটি পুরসভায় বোর্ড গঠনে এগিয়ে। অসম গণ পরিষদ এগিয়ে মাত্র ২টি পুরসভায়। আসনের নিরিখে ফলাফল আরও চমকপ্রদ। অসমের মোট ৯৭৭ আসনের মধ্যে বিজেপির দখলে গিয়েছে ৮০৭টি। কংগ্রেসের দখলে গিয়েছে মাত্র ৭১টি আসন। অন্যান্য এবং নির্দলরাও কংগ্রেসের থেকে বেশি আসন পেয়েছে। তাঁদের দখলে গিয়েছে ৯৯টি আসন।Gratitude to the people of Assam for blessing BJP and our allies in the recently concluded municipal elections. This shows their faith in our Partys development agenda. I applaud our hardworking Karyakartas for their efforts and service among people. @BJP4Assam https://t.co/m4QteI8Ca7 Narendra Modi (@narendramodi) March 9, 2022এই বিরাট সাফল্যে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত গেরুয়া শিবির। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এই জয়ের কৃতিত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। প্রধানমন্ত্রী নিজেও অসমের জয় নিয়ে টুইট করেছেন। এই বিপুল জনসমর্থনের জন্য অসমবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।

মার্চ ০৯, ২০২২
কলকাতা

২ বিজেপি বিধায়কের সাসপেনশন নিয়ে বাজেট অধিবেশনে তুমুল হট্টগোল, ওয়াক আউট বিজেপির

রাজ্য বিধানসভার চলতি বাজেট অধিবেশন যে উত্তপ্ত হবে প্রথম দিনই তার ইঙ্গিত মিলেছিল।সোমবার অধিবেশনের শুরুর দিনই রাজ্যপালের ভাষণের সময় নজিরবিহীন বিক্ষোভ দেখিয়ে সেই চড়া সুর বেঁধে দিয়েছিল বিরোধী বিজেপি। বুধবার অধিবেশনের তৃতীয় দিনেও নিজেদের অবস্থান অপরবর্তিত রাখল শাসক দল। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের দেওয়া বক্তব্যের জবাবি ভাষণ দিতে উঠলে পদ্মশিবিরের বিধায়কেরা চিৎকার চেঁচামেচি জুড়ে দেন।তাদের দাবি সাসপেন্ড হওয়া দুই সদস্যের ওপর থেকে শাস্তি প্রত্যাহার করতে হবে।স্পিকার সেই দাবি না মানলে মুখ্যমন্ত্রীর প্রায় একঘন্টা ভাষণ চলাকালীন স্লোগান শাউটিং চালিয়ে যান তাঁরা।এই ঘটনায় রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। বিজেপি বিধায়কদের লক্ষ্য করে তিনি বলেন, হাউজে রীতিমতো মস্তানি চলছে। বাংলার বহুশ্রুত প্রবাদের উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওরা যত গর্জন করে, তত বর্ষায় না।ওদের কাজ শুধু সভায় বিশৃঙ্খলা তৈরি করা।সোমবার রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের সূচনায় রাজ্যপালের ভাষণের সময় বিধানসভায় অভব্য আচরণ বিশৃঙ্খলা তৈরির অভিযোগে দুই বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হল। বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী এবং সুদীপ মুখোপাধ্যায়কে চলতি অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করেছেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার,বিধানসভায় সরকারপক্ষের তরফে ঐদিন বিধানসভায় গোলমাল জন্য বিরোধী বিজেপিকে দায়ী করে একটি প্রস্তাব আনা হয়। পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ওই প্রস্তাব উত্থাপন করে বলেন সেদিন বিজেপি সদস্যরা যেভাবে চিৎকার-চেঁচামেচি করে কাগজ ছুড়ে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখিয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছেন তাতে শুধুমাত্র রাজ্যপাল নয় বিধানসভারও মর্যাদা লংঘন হয়েছে।মিহির গোস্বামী এবং সুদীপ মুখোপাধ্যায় এই কর্মসূচিতে সামনের সারিতে ছিলেন। এই আচরণের শাস্তি স্বরূপ চলতি অধিবেশনের জন্য ওই দুই বিধায়ক কে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব দেন। অধ্যক্ষ প্রস্তাবটি সভায় ভোটাভুটির জন্য পেশ করলে ধ্বনি ভোটে সেটি গৃহীত হয়।এদিকে দুই বিধায়কের সাসপেনশনের প্রতিবাদে বিরোধী বিজেপি বিধায়করা অধিবেশন থেকে ওয়াক আউট করে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিধায়করা অধিবেশন কক্ষ থেকে বেরিয়ে এসে বিক্ষোভ দেখান। তারা সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবিতে স্লোগান দেন। বিরোধী দলনেতা জানিয়েছেন,সাসপেনশন তোলা না হলে অধিবেশনের বাকি দিনগুলি ওই দুই বিধায়ক লবিতেই বসে থাকবেন। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস পরিষদীয় দল গত সোমবার বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনে সূচনায় রাজ্যপালের ভাষণের সময় বিশৃংখলার ঘটনা নিয়ে একটি প্রস্তাব আনতে চলেছে। এদিন কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।এই ঘটনার পর বিজেপির বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, শাসকদলের হিটলার, মুসোলিনিদের মতো আচরণ আমরা জানি। নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী এদিন বলেছেন, বিধানসভা অধিবেশনে প্রথম দিন রাজ্যপালের বক্তৃতা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা হয়নি। টেবিল হয়েছে। দ্বিতীয় দিন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মৃ্ত্যু নিয়ে শোকজ্ঞাপনের কথা ছিল। সেখানে আমরা অংশগ্রহণ করেছি। কিন্তু আমরা আশা করেছিলাম সাধন পাণ্ডে, যিনি বর্তমানে মন্ত্রী থাকা অবস্থায় মারা গিয়েছেন তাঁর শোক প্রস্তাব আলোচনা হবে। এর আগে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে নোশনে শোকপ্রস্তাব রাখার সবাই সুযোগ পেয়েছিল। তিনি আরও বলেছেন, সাধন পাণ্ডে নিয়ে শোক প্রস্তাব হলে আমাদের তরফ থেকে মনোজ তিগ্গা এবং আরও দুইজন বিধায়ককে তা নিয়ে আলোচনা করার দায়িত্ব দিয়েছিলাম। কিন্তু রীতি ভেঙে এইবার সাধন পাণ্ডেকে স্মরণ করার সুযোগ কোনও বিধায়কদের দেওয় হয়নি। তিনি তাঁর কারণ হিসেবে বলেছেন, এখানে একটাই পোস্ট। সেটা মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি নজরুল মঞ্চে তাঁর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করবেন তাই এখানে দুই মিনিটে হাউস শেষ হয়েছে।

মার্চ ০৯, ২০২২
কলকাতা

বিধানসভায় নজিরবিহীন ঘটনা, বিজেপির বিক্ষোভের মুখে রাজ্যপাল

বিধানসভায় নজিরবিহীন ঘটনা। আজ ছিল বাজেট অধিবেশনের শুরু। অধিবেশনের শুরুতে রাজ্যপালের ভাষণের আগেই বিজেপির বিক্ষোভ। তুলকালাম বিধানসভায়। শেষমেশ ভাষণ পাঠই করতে পারলেন না রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সোমবার সকালে রাজ্যপালের ভাষণ পাঠের আগেই ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পদ্ম বিধায়করা। পুরভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। পরে স্পিকারের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তৃণমূল বিধায়করাও। তাঁরাও দিতে থাকেন পাল্টা স্লোগান। এরইমধ্যে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, রাজ্যপালের বক্তব্য সকলের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। সেটাই টেবিল করা হবে বলে জানান স্পিকার। তখনই রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতেই বলেন, তিনি হতবাক হচ্ছেন। তিনি না বললে কীভাবে তাঁর ভাষণ টেবিল হতে পারে? প্রশ্ন তোলেন রাজ্যপাল। রাজ্যপালের বক্তব্য, তিনি যতক্ষণ না বলছেন,. ততক্ষণ তাঁর বক্তব্য টেবিল করা যায় না। স্পিকার সেটি কীভাবে করতে পারলেন? রাজ্যপালের এ বক্তব্যের মাঝেই বিজেপি ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। টানা এক ঘণ্টা বিক্ষোভ চলে বিধানসভায়।বিধানসভা সোমবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল। রাজ্যপাল আগেও নেমে যেতে উদ্যত হয়েছিলেন। শাসকদলের মহিলা বিধায়করা কার্যত রাজ্যপালকে ঘিরে থাকেন বিধানসভায়। তাঁকে নামতে বাধা দেন তাঁরা।এদিকে রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার পর বিরোধীদের শান্ত হওয়ার অনুরোধ করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তা কাজ না হওয়ায় বক্তৃতা না দিয়েই বসে পড়েন রাজ্যপাল। বিজেপি বিধায়করা স্লোগান দিতে শুরু করেন, ভারত মাতা কী জয়, ছাপ্পা ভোটের সরকার আর নেই দরকার, মানুষ মারা সরকার আর নেই দরকার।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই পরিস্থিতিতে তাঁর আসন ছেড়ে দিয়ে মুখ্যসচিবের সঙ্গে গিয়ে আলাদা করে বৈঠক করেন। ফিরে এসে রাজ্যপালকে অন্তত দুলাইন ভাষণ পাঠ করার অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বিক্ষোভ-অশান্তি-স্লোগানে ভাষণই শুরু করেন রাজ্যপাল। এরপর বেলা ৩.০৭ মিনিট নাগাদ বিধানসভা থেকে বেরিয়ে যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তাঁকে গাড়ি পর্যন্ত এগিয়ে দিতে আসেন মুখ্যমন্ত্রীও। ভাষণ আর পড়তে পারলেন না রাজ্যপাল। কেবল ভাষণের প্রথম ও শেষ লাইন পড়েই নিয়ম রক্ষা করতে হল তাঁকে। আজকের ঘটনা নজিরবিহীন বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এমনকী স্পিকারও বলেন, এমন ঘটনা বিধানসভায় আগে ঘটেনি।

মার্চ ০৭, ২০২২
রাজ্য

তৃণমূলের জয়জয়কারের মধ্যেও কাটোয়ায় রবির গড়ে কুপোকাত বীরভূমের কেষ্টর অনুগত প্রার্থী

বিধানসভা ভোটের পর পুর ভোটেও রাজ্য জুড়ে দাপট অব্যাহত রাখলো ঘাসফুল শিবির। যার ব্যতিক্রম ঘটেনি পূর্ব বর্ধমানেও। এই জেলার ছয়টি পুরসভাতেও নিরঙ্কুশ জয় ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল। একমাত্র কালনা পুরসভায় বামেরা অস্তিত্ব জানান দিতে পেরেছে । তবে এতকিছুর মধ্যেও রবির গড় কাটোয়া পুরসভার ভোটে নজরকাড়া পরিজয় ঘটেছে বীরভূমের কেষ্ট মণ্ডলের অনুগামী তৃণমূল প্রার্থীর।যা নিয়েই এখন সরগরম কাটোয়ার রাজনৈতিক মহল। রাজ্যের ১০৮ টি পুরসভা ভোটের ফলাফল বুধবার ঘোষনা হতেই রাজ্যজুড়ে বইতে শুরু করে সবুজ আবিরের ঝড়। হোলির আগেই এদিন সবুজ আবিরে মাখামাখি হয়ে অকাল হোলিতে মাতোয়ারা হয় বর্ধমান, কালনা, কাটোয়া,দাঁইহাট,মেমারি ও গুসকরা পৌরসভা এলকার তৃণমূল কর্মীরা। বর্ধমান পুরসভায় বিরোধীরা খাতাই খুলতে পারেনি। এমনকি ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বর্ধমান পুরসভার যে যে ওয়ার্ডে বিজেপি ভাল ফল করেছিল সেই সব ওয়ার্ড সহ ৩৫ টি ওয়ার্ডেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল প্রার্থীরা।একই ভাবে গুসকরা পুরসভার ১৬ টি ওয়ার্ড ও দাঁইহাটের ১৪ টি ওয়ার্ডে একচ্ছত্র আধিপত্য লাভ করেছে তৃণমূল।এই তিন পুরসভায় বিরোধীরা খাতা খুলতে না পারলেও মেমারির ঘাসফুলের খেতে অপ্রত্যাশিত ভাবেই হাত তুলে বসেছে কংগ্রেস ।কিন্তু কোনভাবেই অস্তিত্ব জানান দিতে না পেরে বিনয় কোঙারের গড়ে হারিয়েই গেল কাস্তে হাতুড়ি তারা। মেমারি পৌরসভায় মোট ওয়ার্ড ১৬ টি।এরমধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস জয়ী হয়েছে ১৫ টি ওয়ার্ডে।শুধুমাত্র ৪ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী কংগ্রেস প্রার্থী মিঠু সরকার। ভোট প্রাপ্তির হিসাব অনুয়ায়ী মেমারিতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বামেরা। কালনা পৌরসভায় ১৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৭ টি ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছে তৃণমূল প্রার্থীরা।শুধুমাত্র কালনার ২ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএম প্রার্থী শর্মিষ্ঠা নাগ সাহা তাঁর প্রতিদ্বন্দি তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী তনুশ্রী বাগকে ১৮১ ভোটে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন। ঘাসফুলের দখলে গিয়েছে কাটোয়া পুরসভা। পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টপাধ্যায় ওরফে রবি ববুর গড় হিসাবেই পরিচিত কাটোয়া। এই পুরসভার ২০ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৫ টি ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছে তৃণমূলের প্রার্থীরা। ৪ টি ওয়ার্ডে কংগ্রেস প্রার্থী ও ১ টি ওয়ার্ডে নির্দল প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। কাটোয়ায় পরাজিত তৃণমূল প্রার্থীদের মধ্যে যাঁকে নিয়ে সব থেকে বেশী চর্চা হচ্ছে তিনি হলেন অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায়। বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ও ওরফে কেষ্টর অনুগত অরিন্দম বাবু কাটোয়া পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দিতা করেন। এদিন ফল বের হতেই দেখাযায় তিনি কংগ্রেস প্রার্থী রণজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে ১১০ ভোটে পরাজিত হয়েছেন। পরাজয়ের জন্য নিজের দলের লোকজনকেই দায়ী করেন পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন,দলের চক্রান্তের জন্যই হেরেছি। অরিন্দমবাবু অভিযোগে বলেন,তৎকাল তৃণমূল কর্মীরা চক্রান্ত করে আমাকে হারিয়েছে। আমি সমস্ত ঘটনা রাজ্য নেতৃত্বকে জানাব। কর্মীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি নিয়ে তৃণমূলের প্রার্থীকে হারিয়ে জঘন্য রাজনীতি করেছে। কেষ্ট মণ্ডলের ঘনিষ্ট তৃণমূল নেতা অরিন্দম বন্দ্যেপাধ্যায়ের এইসব অভিযোগ নিয়ে রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি । তবে অরিন্দমের বক্তব্য নিয়ে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিতে দেরি করেননি জয়ী কংগ্রেস প্রার্থী রণজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন ,যে প্রার্থী তাঁর নিজের দলের জেলা সভাপতিকে হরিদাস পাল,চোরের সর্দার বলে তাচ্ছিল করেন তাঁর এমন পরিণতি কথা আগে থেকেই ভেবে রেখে ছিলেন কটোয়াবাসী। সেই মতই কাটোয়ার মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে জিতেয়েছে।আমাকে কোন দল সাহায্য করেনি। কোটোয়া পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে হেবি ওয়েট তৃণমূল প্রার্থীর পরাজয়ের জেরে কাটোয়ার নতুন গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব মাথা চাড়া দিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

মার্চ ০২, ২০২২
রাজ্য

বিজেপি-র ডাকা বাংলা বন্ধে মিছিল পাল্টা মিছিলে সরগরম শহর বর্ধমান

বাংলা বন্ধ সফল করতে বর্ধমান আদালতের আইনজীবী ও ল-ক্লার্ক দের সেরেস্তা বন্ধ করানোর জন্য সোমবার আসরে নামে বিজেপি কর্মীরা। যদিও তা সফল করতে তারা ব্যর্থ হয়। তবে এদিন জোরপূর্বক বর্ধমন শহরের দোকান বাজার বন্ধ করার চেষ্টা না করে বিজেপি শহরে মিছিল করে। বর্ধমান শহরের বিরহাটার ক্লক টাওয়ার থেকে এক প্রতিবাদ মিছিল বের হয়ে জি টি রোড পরিক্রমা করে সিটি টাওয়ারে শেষ হয়। মিছিলে অংশ নেন দলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ তা, সন্দীপ নন্দী, অঞ্জন মুখার্জি সহ অন্যান্য নেতারা। অভিজিৎ তা বলেন, যেভাবে রবিবার রাজ্যজুড়ে গণতন্ত্র লঙ্ঘিত হয়েছে তার প্রতিবাদে এই বনধ সমর্থনে সাধারণ মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। এদিন বন্ধের সমর্থনে আদালত চত্বরে প্রচার করেন বিজেপি কর্মীরাও।আদালত চত্ত্বরে আইনজীবী ও ল-ক্লার্ক দের বিভিন্ন সেরেস্তা বন্ধ করার জন্য আবেদন জানান বিজেপি কর্মীরা। যদিও আজ বিজেপির ডাকা ১২ঘন্টার বন্ধে কোনও প্রভাব পড়েনি পূর্ব-বর্ধমান জেলায়। সকাল থেকে বাজার হাট খোলা রয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি বাস চলাচল স্বাভাবিক আছে। অন্যান্য যানবাহন চলাচল করছে।বিজেপির পাল্টা বাংলা বন্ধের বিরোধিতায় এদিন বর্ধমান শহরে মিছিল করল শাসকদল। টাউনহল থেকে শুরু হওয়া তৃণমূলের মিছিল বর্ধমান শহরের জি টি রোড; বি সি রোড পরিক্রমা করে রাজবাটিতে পৌছায়। সেখানে মিছিল শেষ হয়। মিছিলে ছিলেন দলের শহর সভাপতি অরূপ দাস, বিধায়ক খোকন দাস সহ অন্যান্যরা। তাঁরা বলেন, বিজেপির ডাকা বনধ ব্যর্থ করে জনজীবন স্বাভাবিক রাখার জন্য আবেদন জানিয়ে, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টার বিরোধিতা করে এদিন তৃণমূল কংগ্রেস মিছিল করেছে।

ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২২
রাজ্য

বিজেপির বাংলা বনধে অশান্তি জেলায় জেলায় , কঠোর নবান্নও

পুরভোটে অশান্তিকে কেন্দ্র করে আজ রাজ্যজুড়ে ১২ ঘণ্টার বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি।এই পুরভোট বাতিল করে ফের ভোট করার দাবিও তুলেছে তারা। সকাল হতেই জেলায় জেলায় অবরোধ শুরু করেছেন বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। যদিও কলকাতায় বনধের প্রভাব সকালের দিকে তেমন একটা চোখে পড়েনি। আবার কোথাও কোথাও বনধের বিরোধিতা করতে রাস্তায় নামতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল কর্মীরা।এদিকে কাল বনধ ঘোষণার পরই রাজ্য প্রশাসন অবশ্য সঙ্গে সঙ্গেই জানিয়ে দিয়েছে, জনজীবন সচল রাখার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থাই নেওয়া হচ্ছে। কোথাও জোর করে বন্ধ করা বা বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা হলে পুলিশ-প্রশাসন কড়া হাতে তার মোকাবিলা করবে বলেও জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসও আজ শান্তিপূর্ণভাবে বন্ধ বিরোধিতার কথা জানিয়েছে।সোমবার সকাল হতেই হুগলি স্টেশনে রেল অবরোধ করছেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। ডাউন বর্ধমান লোকাল আটকে থাকে হুগলি স্টেশনে। ভোগান্তিতে পড়েন নিত্যযাত্রীরা।বিজেপির ডাকা বনধে এখন পর্যন্ত আলিপুরদুয়ারে কোনও প্রভাব নেই।উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহনের বাস চলছে। রাস্তায় যানবাহনও চলছে। রাস্তায় দেখা মেলেনি কোন বিজেপি বনধ সমর্থনকারীকে।বনধে কোনও প্রভাব পড়েনি পূর্ব বর্ধমানে। সকাল থেকে সবই স্বাভাবিকভাবেই চলছে। পথে নেমেছে সরকারি বাসের পাশাপাশি বেসরকারি বাস। যান চলাচল একেবারে স্বাভাবিক। মানুষজনও রাস্তায় নেমেছে। তবে বেলা বাড়লে পরিস্থিতি বদলাতে পারে।শিলিগুড়িতেও একই ছবি। বিজেপি কর্মী সমর্থকদের জন্য পুলিশের ধস্তাধস্তি। রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।সোমবার সকাল সকাল বালুরঘাট সরকারি বাস স্ট্যান্ডের সামনে বিজেপি কর্মীসমর্থকদের পিকেটিং বনধ সফলের জন্য। রাস্তায় বসে বাস আটকানোর চেষ্টা করেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। পুলিশ তুলতে গেলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ধস্তাধস্তি হয়। বিজেপি কর্মীদের চ্যাঙদোলা করে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ।এদিন উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতায় বেশ কয়েকটি কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বিজেপি।

ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২২
রাজ্য

এ এক ভিন্ন ছবি, বুথ চত্ত্বরে ভোট উৎসবে মাতলেন শাসক-বিরোধী দলের তিন প্রার্থী

পুর ভোটে ভোট লুট হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে রবিবার সারাটি দিন সোচ্চার থাকে বিরোধীরা। কিন্তু তারাই মধ্যে এদিন সম্পূর্ন উল্টোচিত্র দেখা যায় পূর্ব বর্ধমানের কালনা পৌসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে। এখানকার কালনা হিন্দু গার্লস হাই স্কুলের বুথ চত্ত্বরের বেঞ্চে এক সঙ্গে বসে হাসি ঠাট্টা করে খোশ মেজাজেই দিনটা কাটালেন তৃণমূল, বিজেপি ও সিপিএম প্রার্থীরা। যা দেখে শাসক ও বিরোধী সব দলের ভোটাররা ভিমড়ি খেয়ে যাবার মতন অবস্থা। কিন্তু তিন তৃণমূল প্রার্থী তনুশ্রী বাগ, সিপিএম প্রার্থী শর্মিষ্ঠা বাগ ও বিজেপি প্রার্থী মামনি ঘোষ সেইসবকে কোন গুরুত্বই দিলেন না।বরং এক সুরেই তিন প্রার্থী জানিয়ে দিলেন, কোথায় কি হচ্ছে জানি না। তবে তাঁদের এলাকার ভোটাররা ভোট দিয়ে যাকে খুশি জেতাবেন। সেটাই তাঁরা মাথা পেতে নেবেন।পুরভোটে কালনা পুরসভার একাধিক বুথে ভোট লুট হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে সোচ্চার হয় সিপিএম ও বিজেপি দলের প্রার্থী ও এজেন্টরা । কিন্তু তারই মধ্যে ব্যতিক্রম থাকে কালনা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড। এই ওয়ার্ডের হিন্দু গার্লস হাই স্কুলের বুথে বসে আড্ডার মাঝেই তৃণমূল, সিপিএম ও বিজেপি দলের প্রার্থীরা ভোটারদের সুবিধা-অসুবিধার বিষয়টি দেখলেন। একই সঙ্গে ভোটসংক্রান্ত নিজেদের নানা কাজ ও যাঁকে ফোন করার তাও করলেন। পাশাপাশি ওয়ার্ডে যখন শাসক-বিরোধীদের মধ্যে প্রতিনিয়ত হাতাহাতি মারামারির উপক্রম তখন তৃণমূলের তনুশ্রী,সিপিএমের শর্মিষ্ঠা ও বিজেপির মামনি এক বঞ্চে একসঙ্গে বসে টিফিন সেরে চা খেয়ে রীতিমতো জমাটি আড্ডাও দিলেন। এনারই যেন বুঝিয়ে দিতে চাইলেন ভোট আসলে গণতন্ত্রের উৎসব।তৃণমূল প্রার্থী তনুশ্রী বাগ বলেন, ভোট উৎসবে খুব ভালোভাবেই ভোট হচ্ছে। আমরা তিন প্রার্থী একসঙ্গে ভোট উৎসব এনজয় করছি। বিজেপির প্রার্থী মামনি ঘোষ দাস বলেন, সকাল থেকে চা,টিফিন সবই আমরা একসঙ্গে খেয়েছি। কোন বিরোধ নয়। নিজেদের মতন করেই আমরা একসঙ্গে ভোট করছি। কোন অসুবিধা হয়নি। সিপিএমের প্রার্থী শর্মিষ্ঠা নাগ সাহা বলেন, মানুষ যাকে ভালোবাসবে তাঁকেই বেছে নেবে। আমারা সেটাই চেয়েছি। ভোটাররা যে রায় দেবেন সেটা আমরা মাথা পেতে মেনে নেব। ভোট শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হওয়াটাই হওয়াটাই বড় কথা।

ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২২
রাজ্য

BIG BREAKING: সোমবার ১২ ঘণ্টা বাংলা বনধের ডাক বিজেপির, নির্বাচন কমিশনারকে গ্রেফতারের দাবি

আগামিকাল, সোমবার ১২ ঘন্টার বাংলা বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি। পুরভোটে অশান্তি, ব্যাপক ভোট লুট-ছাপ্পার প্রতিবাদে বঙ্গ বিজেপি এই বনধের ডাক দিয়েছে। রাজ্যের এই নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ইনভেলিড বলে দাবি করেছে বিজেপি। পুরভাগুলিতে নির্বাচন না করে প্রশাসক বসানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। নির্বাচন কমিশনকে পুরভোট বাতিল করতে হবে বলে দাবি করেছে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। নতুন করে নির্বাচন করার দাবি জানিয়েছেন তিনি। এদিকে ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংয়ের দাবি, রাজ্য নির্বাচন কমিশন সৌরভ দাসকে গ্রেফতার করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের জন্যই এদিন রাজ্য রক্তপাত, অশান্তি, গন্ডগোল হয়েছে বলে বিজেপি সাংসদের দাবি।

ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২২
কলকাতা

পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়, বিজেপির আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টেও

আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি পুরভোট রাজ্যের ১০৮ টি পুরসভায়। এই নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়ার আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য বিজেপি। আগেই হাইকোর্টে সেই আর্জি খারিজ হয়ে গিয়েছে। নির্বাচনের নিরাপত্তার জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ওপরেই ভরসা করতে বলেছে হাইকোর্ট। আর এবার সেই একই নির্দেশ শীর্ষ আদালতের। রাজ্যের ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট।বিজেপির পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে আবেদনে বলা হয়েছে, ১০৮ পুরসভার নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। কলকাতা হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেই সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন জানায় বিজেপি। বিভিন্ন জেলা থেকে বিরোধীরা হামলার অভিযোগ তুলেছেন। অন্য একটি মামলায় বিজেপি প্রার্থীরা নিরাপত্তার অভাবের কথাও জানিয়েছেন আদালতে। এই সব অভিযোগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল বিজেপি।এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে বলা হয়েছে, যদি কেন্দ্রীয় বাহিনী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন, তাহলে কেন দেওয়া হল না, সেই কারণ আদালতে জানাতে হবে কমিশনারকে। আর তারপর যদি ভোটের দিন কোনও অশান্তির অভিযোগ ওঠে, তাহলে তার দায় নিতে হবে কমিশনারকেই।কমিশন সূত্রের খবর, ১০৮ পুরসভার ভোটের দায়িত্বে থাকবে রাজ্য পুলিশই। মোতায়েন করা হবে ৪৪ হাজার পুলিশ। প্রতি বুথে থাকবে সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী। প্রাথমিকভাবে স্থির হয়েছে, প্রতিটি বুথে সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী থাকবে। এছাড়াও স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স, ইএফআর জওয়ান, র্যা ফের তত্ত্বাবধানে থাকবে বাইরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২২
রাজ্য

প্রচারে বের হওয়া বিজেপি প্রার্থীকে মারধর

পুর ভোটের প্রচার করার সময় বিজেপি প্রার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠলো তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে। সোমবার রাত ৮টা নাগাদ বর্ধমান পৌরসভার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের ভাতছালা কলোনী এলাকায় ঘটনাটি ঘটে ।আহত অবস্থায় প্রার্থী অসিত কুমার কুণ্ডুকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বর্ধমান পৌরসভার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী অমিত কুমার কুণ্ডুর অভিযোগ,নমিনেশন তোলার জন্য চাপ দিচ্ছিল।একা প্রচারে বেড়িয়েছিলাম।ভাতছালা কলোনির ঐক্যতান ক্লাবের কাছে তৃণমূল আশ্রিত দুস্কৃতিরা লাঠি,ঘুষি ও লাথি মারে।পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।এলাকায় আমার প্রভাব আছে হেরে যাবার ভয়ে আমাকে মারধর করে।অভিযোগ অস্বীকার করে পূর্ববর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিত দাস জানান,মিথ্যা অভিযোগ,তৃণমূল এসব কাজ করে না।মারধর কেউ করলে থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।লোকজন নেই, এইসব করে বাজারগরম করার চেষ্টা করছে বিজেপি।

ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২২
রাজ্য

রাজ্যপালকে সমর্থন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা চলে ক্লাবের জেনারেল মিটিংয়ের মতোন

বাংলার ইতিহাসে যা কোনওদিন হয়নি সেটাই এবার করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সাংবিধানিক পদাধিকার প্রয়োগ করে তিনি ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে স্থগিত করে দিয়েছেন এই রাজ্যের বিধানসভার অধিবেশন। এর আগে এতবড় সিদ্ধান্ত বাংলার কোনও রাজ্যপাল নেননি। শাসক দলের মন্ত্রী ও বিধায়করা প্রতিবাদে সোচ্চার হলেও রাজ্যপাল এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ায় যথেষ্টই খুশি। আর এটা যে নিছক কথার কথা নয় তা রবিবার বর্ধমানে এসে স্পষ্ট করে দিয়েছেন, বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রের মন্ত্রী সুভাষ সরকার। যা নিয়ে ক্ষোভ চেপে রাখেন নি তৃণমূল নেতৃত্ব। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার এদিন রাজ্যপালের পক্ষ নিয়ে বলেন, বিধানসভার অধিবেশন বন্ধ রাখা নিয়ে রাজ্যপাল যা করেছেন সেটা সংবিধান মোতাবেকই করেছেন। একই সঙ্গে সুভাষ সরকার অভিযোগ করেন, বিধানসভার অধিবেশনের যে পদ্ধতি রয়েছে সেই রকম ভাবে অধিবেশন আজকাল এই রাজ্যে হয় না। একটা ক্লাবের জেনারেল মিটিং যেমন হয় সেই রকম ভাবে বিধানসভা চলে। এটাতো কাম্য নয়। বিধানসভায় প্রশ্ন, উত্তর এইসবের ব্যবস্থা আছে। কিন্তু এর কোনটাই হয় না।এই বিষয়ে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর বিধানসভার বিধায়ক তথা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অলোক মাঝি বলেন, রাজ্যপাল যা কিছু করছেন তার সবটাই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়েই করছেন। বিধানসভা ভোটে বিজেপির পরাজয়ে হয়তো রাজ্যপালও দুঃখ পেয়েছেন।তাই রাজ্যপাল গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে মানুষের ভোটে নির্বাচিত রাজ্য সরকার কে যতটা সম্ভব বিপাকে ফেলে বিজেপি নেতাদের খুশি করতে চাইছেন। তবে এইসব করে উনি বিজেপির নেতা মন্ত্রীদের সাময়িক খুশি করে পারলেও দীর্ঘস্থায়ী ভাবে পারবেন না। আগামী দিনে বংলার মানুষ এইসব ষড়যন্ত্রের জবাবও বিজেপিকে দিয়ে দেবে।

ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২২
রাজ্য

ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্য সরকারকেই কাঠগড়ায় তুললেন দিলীপ ঘোষ

হাওড়ার আমতায় আইএসফের ছাত্র নেতা আানিস খানের রহস্যজন মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে উত্তাল হয়ে রয়েছে রাজ্য রাজনীতি। এই অবস্থার মধ্যেই রবিবার বর্ধমানে জনসংযোগে এসে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষও আনিস খানের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে স্বোচ্চার হলেন। পুলিশ কর্মী সেজে বাড়িতে গিয়ে কারা আনিস খানকে খুন করলো তার তদন্ত দাবি করে দিলীপ ঘোষ বলেন,পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক খুন নতুন কিছু নয়।পশ্চিমবঙ্গে এনকাউন্টার হয় সেটা জানা নেই। তবে পশ্চিমবঙ্গে এনকাউন্টার হলে এত দুর্বৃত্ত রাস্তায় ঘুরে বেড়াতো না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশের সমস্ত সময়টা বিজেপিকে ঠেকাতেই চলে যাচ্ছে।রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কোনো নজর নেই। পুরভোট থাকায় এদিন সকালে বর্ধমানের বীরহাটা মোড় থেকে রানীগঞ্জ বাজার পর্যন্ত জনসংযোগ যাত্রা করেন দিলীপ ঘোষ। পরে তিনি রানীগঞ্জ বাজারে চা চক্রে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। সেখানে দিলীপ ঘোষ আরো বলেন ,প্রায় সাড়ে চার মাস ধরে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন দাবিতে ছাত্র আন্দোলন হচ্ছে। ওই আন্দোলনের অন্যতম নেতা ছিলেন আনিস খান।পুলিশ কর্মী সেজে বাড়িতে গিয়ে কারা এই আনিস খানকে খুন করলো সেই প্রশ্নই এখন সারা রাজ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পাশাপাশি দিলীপ ঘোষ আরো বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে রজ্যপাল ডেকেছেন।ওনার সৌজন্য দখিয়ে যাওয়া উচিত।কারণ লক্ষ্মী ভাণ্ডার ও দিদির ভাইয়েদের পেট ভরাতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যটা দেউলিয়া হেয়ে যাচ্ছো। একই সঙ্গে দিলীপ ঘোষ ষ্পষ্ট জানিয়েদেন, দেশে বহু মানুষ সিএএ এর বিরোধিতা করছে। তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না। দিনহাটার গুলি কাণ্ড প্রসঙ্গে দিলীপ বাবু বলেন, উদয়ন গুহ গুণ্ডা পুষে রাখেন।তারাই খুন করেছে কিনা তারও তদন্ত হওয়া উচিৎ।যদিও দিলীপ ঘোষের এইসব মন্তব্য নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যের মুখপত্র দেবু টুডুর সাফ জবাব, বিধানসভা ভোটে পরাজয়ের হতাশা থেকে দিলীপ ঘোষ এই সব মন্তব্য করছেন। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য নয় ,বিধনসভা ভোটের পর এই রাজ্যে বিজেপি দলটাই দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে ।

ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২২
রাজ্য

সিবিআই ঠিকমতো তদন্ত করলে তৃণমূল কংগ্রেসের অর্ধেক নেতা জেলে থাকতো, আক্ষেপ রাহুল সিনহার

কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিও এবার ভরসা হারানোর অবস্থা তৈরি হয়েছে বঙ্গ বিজেপির। তেমনটাই সুর শনিবার শোনা গেল কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার কথায়। পুরভোটের প্রচারে এদিন বর্ধমানে এসে রাহুল সিনহা সিবিআই এর বিরুদ্ধে তদন্তে ঢিলেমির অভিযোগ করেন।রাহুলবাবু বলেন,রাজ্যে যেভাবে আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে তাতে সাধারণ মানুষ সর্বশান্ত হয়ে গিয়েছে ।সিবিআই যদি ঠিক মতো তার তদন্ত করতো তাহলে তৃণমূল কংগ্রেসের অর্ধেক নেতা জেলে থাকতো। সিবিআই এর উচিত তদন্তের গতিকে আরও তরান্বিত করা। পাশাপাশি রাহুল সিনহা পুর ভোটে শাসক দলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ তুলে সরব হন। বর্ধমান পৌরসভার ৭,৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে এদিন প্রচারে অংশ নেন রাহুল সিনহা।প্রচারের ফাঁকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাহুল সিনহা পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তোলেন।পাশাপাশি তিনি এও বলেন, বিভিন্ন জায়গায় শাসক দলের তরফে হুমকি দিয়ে বিজেপির প্রার্থীদের প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করানো হয়েছে।এই প্রসঙ্গে সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে তিনি বলেন ,তৃণমূলের স্বজনপোষণ দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানুষ রুখে দাঁড়িয়েছে। এই অবস্থায় ভোট ঠিকঠাক হবে কিনা সেটাই কোটি টাকার প্রশ্ন। ক্ষমতা থাকলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষকে ভোট দিতে দিক। মানুষ ভোট দিতে পারলে বর্ধমান সহ সারা বাংলার সব জায়গাতেই বিজেপি জয়লাভ করবে।বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার এইসব বক্তব্যকে কোন গুরুত্বই দিতে চাননি তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রি অরুপ বিশ্বাস। উল্টে রাহুল সিনহাকে কটাক্ষ করে অরুপবাবু বলেন, রাহুল সিনহা নিজে কখনও কোন নির্বাচনে জেতেন নি।সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন আছে।রাহুলবাবু আগে পঞ্চায়েতের মেম্বার হন ।তার পর ওনার কথার উত্তর দেব।

ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 9
  • 10
  • 11
  • 12
  • 13
  • 14
  • 15
  • ...
  • 26
  • 27
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

দামোদরে বালি তুলতে গিয়ে বিরাট বিপত্তি, জলে ভাসছে ১৫টি লরি

দামোদরে বালি তোলায় কোনও লাগাম নেই। ডিভিসি থেকে জল ছাড়ার খবর থাকা সত্বেও বালি তোলার কাজ চলছিল। লরি নেমেছিল একেবারে নদের ভিতরে। জল ভরে টুইটুম্বুর হওয়ায় ভেসে গেল ১৫টি বালি বোঝাই লরি। পূর্ব বর্ধমানের গলসির গোহগ্রামের এই ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে। পরে লরিগুলিকে উদ্ধারের তৎপরতা শুরু হয়।দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার কথা ডিভিসি ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগাম ঘোষণা করা হয়েছিল। মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে বুধবার জল ছাড়া হয় ৪০ হাজার কিউসেক। এরই মধ্যে নিম্ন দামোদর অববাহিকায় দুদিন ধরে টানা বৃষ্টি চলেছে। এই সব কারণে বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ দামোদর নদে জলের পরিমাণ বেশ বেড়ে যায়। এতেই ঘটে যায় বিপত্তি।স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ১৫টি বালি বোঝাই লরি দামোদর নদের জলে ভাসতে থাকে। তার উপর বৃহস্পতিবার বেলা বাড়তে নদের জল আরও হু হু করে বাড়তে শুরু হয়। বিপদ বুঝে লরিগুলি নদী থেকে তোলার জন্য তৎপরতা শুরু করে চালকরা । ওই সময়েই সামনে থাকা দুটি লরি বিকল হয়ে যাওয়ায় লরি গুলি নদ থেকে পাড়ে তোলা আর সম্ভব হয়নি। জেসিবি মেশিন ব্যবহার করেও কাজ হয়নি। জল কমা পর্যন্ত লরিগুলো তুলতে অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

জুন ১৯, ২০২৫
রাজ্য

"কেশরী: চ্যাপ্টার ২" তে ক্ষুদিরাম বসু সহ বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অপমান, প্রতিবাদে গর্জে উঠল বাংলা পক্ষ

সম্প্রতি কেশরী: চ্যাপ্টার ২ নামের এক বলিউডি হিন্দি সিনেমায় ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সশস্ত্র সংগ্রামের উজ্জ্বল ইতিহাস তথা বীর বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পরিচয় ও ভূমিকা বিকৃত করে এক মনগড়া মিথ্যা ইতিহাস তুলে ধরার অভিযোগ উঠেছে। সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম সিং ও বারীন্দ্র কুমার নামক দুই বিপ্লবী বৃটিশ পুলিশকর্তা কিংসফোর্ডকে বোমা মেরে হত্যার চেষ্টা করে ও তাদের বোমা তৈরীর প্রশিক্ষণ দেয় কৃপাণ সিং! যার সাথে বাস্তবের কোন মিল নেই। প্রকৃত পক্ষে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে বাঙালি বিপ্লবীদের সশস্ত্র সংগ্রামের ইতিহাসের এক যুগান্তকারী ঘটনা কিংসফোর্ড হত্যার প্রচেষ্টা ও পরবর্তীতে মানিকতলা বোমা মামলার ঘটনার কথা সম্পূর্ণ বিকৃত ভাবে এই সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে।সশস্ত্র সংগ্রামের লক্ষ্যে কলকাতার মানিকতলার যুগান্তর গুপ্ত সমিতিতেই অরবিন্দ ঘোষের নেতৃত্বে বোমা তৈরীর কর্মশালা গড়ে ওঠে, ইউরোপ থেকে বোমা তৈরী শিখে এসে এখানে বোমা তৈরী করে বিপ্লবীদের সরবরাহ করতেন হেমচন্দ্র কানুনগো, যিনি বলিউডের দৌলতে হয়েছেন কৃপাণ সিং। এই গুপ্ত সমিতির পক্ষেই ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকী কিংসফোর্ডকে বোমা নিক্ষেপ করে হত্যার চেষ্টা করেন। মেদিনীপুরের বীর বাঙালি কিশোর ক্ষুদিরাম বসুর পদবী সিনেমায় হয়েছে সিং অন্যদিকে প্রফুল্ল চাকীর নামই মুছে গেছে, শোনা গেছে জনৈক বারিন্দর কুমারের নাম, যেকোন ইতিহাস সচেতন ব্যক্তিই বলতে পারবেন এই নাম আসলে মানিকতলা বোমা মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ও পরবর্তীতে আন্দামানে দ্বীপান্তরিত বারীন্দ্র ঘোষের, যিনি সম্পর্কে অরবিন্দ ঘোষের ভাই। এই মানিকতলা বোমা মামলায় বিপ্লবীদের পক্ষে কোর্টে আইনি লড়াই করেন আরেক মহান বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামী দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ। এই গৌরবজনক অধ্যায় সম্পূর্ণ ভাবে বিকৃত করা হয়েছে, যা বাঙালি জাতি তথা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি চূড়ান্ত অবমাননা।এই বিকৃতির বিরুদ্ধে বাঙালির ক্ষোভের প্রকাশ দেখা যাচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থেকে সংস্কৃতি জগতের নানান ব্যক্তিত্ব এই ইতিহাস তথা মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নাম বিকৃতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। ভারতীয় বাঙলির জাতীয় সংগঠন বাংলা পক্ষও সরব হয়েছে, আজ তারা পথে নেমে প্রতিবাদ করল কলকাতার বাংলা একাডেমী সংলগ্ন রানুছায়া মঞ্চে। এই প্রতিবাদ সভায় বাংলা পক্ষর সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি বলেন, কেশরী ২ সিমেমার মূখ্য অভিনেতা অক্ষয় কুমার, তিনি কাদের স্বার্থে বিকৃত ইতিহাস প্রচার করে সিনেমা তৈরি করেন এটা আমাদের সকলের জানা৷ বিজেপি ও বলিউডের উদ্দেশ্য বাঙালির গৌরবজনক বীরত্বের ইতিহাস মুছে দেওয়া। সেই উদ্দেশ্যেই বারবার এই ধরনের ঘটনা দেখা যাচ্ছে। বলিউড এর আগেও অভয় ২ সিরিজে বীর শহীদ ক্ষুদিরাম বসুকে ক্রিমিনাল, জঙ্গি হিসাবে দেখিয়েছিল। বাংলা পক্ষ তখন Zee5 কে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছিল এবং সল্টলেকে Zee5 এর অফিসে বিক্ষোভ করেছিল। পরবর্তীতে Zee5 ক্ষমা চেয়ে সেই অংশ বাদ দিতে বাধ্য হয়। শীর্ষ পরিষদ সদস্য অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় বলেন যতক্ষণ না পর্যন্ত কেশরী ২ সিনেমার নির্মাতারা ক্ষমা না চায়, বাংলা পক্ষর লড়াই চলবে। ক্ষমা চেয়ে এই দৃশ্য বাদ দিতে হবে। বাঙালি বিদ্বেষীদের কিভাবে ক্ষমা চাওয়াতে হয় সেটা বাংলা পক্ষ ভালো ভাবে জানে।শীর্ষ পরিষদ সদস্য সৌম্যকান্তি ঘোড়ই বলেন, ক্ষুদিরাম বসুকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান। প্রফুল্ল চাকীকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান৷ বীর বিপ্লবী বারীন ঘোষদের অপমানের বিরুদ্ধে এই লড়াই চলবে। অক্ষয় কুমারকে ক্ষমা চাইতেই হবে।এছাড়াও আজকের প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন কলকাতা জেলার সম্পাদক সৌম্য বেরা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক কুশনাভ মন্ডল, শিল্পী পক্ষর অধিকর্তা প্রবাল চক্রবর্তী প্রমুখ। এর আগে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় এই সিনেমা নিয়ে একই ইস্যুতে এফআইআর হয়েছে। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন বাঙালি বীর বিপ্লবীদের ইতিহাস বিকৃতি করার জন্য।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স

লর্ডসে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও রাহুল দ্রাবিড়ের। দিনটা ছিল ১৯৯৬ র ২০ জুন। এই টেস্টের কথা উঠলেই মহারাজকীয় শতরানের কথাই সবার আগে মনে আসে। যা এসেছিল ২২ জুন।তবে ২০ জুন বল হাতে কামাল দেখিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ইংল্যান্ডের তৃতীয় ও চতুর্থ উইকেট পড়েছিল চার রানের ব্যবধানে। দলের ৯৮ রানের মাথায় সৌরভের প্রথম শিকার হন তিন নম্বরে নামা নাসের হুসেন। ১১০ বলে ৩৬ রান করে তিনি ফেরেন বিক্রম রাঠোরের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ১০২ রানে ইংল্যান্ডের চতুর্থ উইকেট পড়ে। ৯ বলে ১ রান করে গ্রেম হিক সৌরভের বলেই জাভাগল শ্রীনাথের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। প্রথম ইনিংসে সৌরভের বোলিং ফিগার ছিল ১৫-২-৪৯-২। বেঙ্কটেশ প্রসাদ পাঁচটি, শ্রীনাথ তিনটি ও সৌরভ ২টি উইকেট পান। পরশ মামব্রে, অনিল কুম্বলে ও সচিন তেন্ডুলকর উইকেট পাননি। দ্বিতীয় ইনিংসে সৌরভ তুলে নিয়েছিলেন প্রথম ইনিংসে শতরানকারী জ্যাক রাসেলের উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে মহারাজ ৩ ওভারে মাত্র ৫ রানের বিনিময়ে একটি উইকেট পেয়েছিলেন। ফলে লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

বৃষ্টির মোকাবিলায় ইডেন সেরা, মাঠ ভরানোর আহ্বান মনোজের

আজও বৃষ্টিতে ব্যাহত বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের খেলা। কয়েক দিন ধরেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি চলছে। যার জেরে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের খেলাগুলি পরিত্যক্ত হচ্ছে। ইডেনে বৃষ্টি থামার পর খেলা শুরু হলেও ফের অবিরাম বর্ষণে ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। তবে গতকাল যা হলো তা অন্য কোথাও আর হতে পারতো না।সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত ভাবনাতেই ইডেনের গোটা মাঠ ঢেকে রাখার বন্দোবস্ত হয়েছে। উন্নতমানের কভার আনিয়ে। এমনকী ইডেনের মতো সল্টলেক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস মাঠেও মাঠ ঢেকে রাখা হয় প্রধান কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন অনবদ্য টিম যার ফলে বৃষ্টি থামার কিছুক্ষণের মধ্যেই মাঠ খেলার উপযুক্ত করে দিতে পারেন। ইডেনের এমন ব্যবস্থাপনা বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়াম আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামেও নেই। সুনীল গাভাসকর-সহ অনেকেই তাই বলে থাকেন মাঠ ঢাকার ব্যবস্থাপনায় ইডেনকে অনুসরণ করতে। এই ব্যবস্থাপনার সুফল মিলল আরও একবার। গতকাল বৃষ্টি একটু ধরতেই রাতে ৯ ওভারের ম্যাচ হলো। হারবার ডায়মন্ডস ৪০ রানে হারাল লাক্স শ্যাম কলকাতা টাইগার্সকে। যে পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে শহরে তাতে অন্য কোথাও এটা সম্ভব হতো না। হলো মাঠ ঢাকার ব্যবস্থা ছিল বলেই। হারবার ডায়মন্ডস অধিনায়ক তথা রাজ্যের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি অনুরোধ করেছেন সকলকে কাজ সেরে মাঠে এসে তরুণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করার জন্য। এই লিগে বিনামূল্যে খেলা দেখা যায়। এমনকী হারবার ডায়মন্ডসের সমর্থকদের জল, ইলেক্টোরাল, কেক দেওয়ার কথাও মনোজ বলেছেন। তার কারণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করতে সমর্থকদের উপস্থিতি দরকার। গ্যালারির সিংহভাগ ফাঁকা থাকছে। যে লিগের সম্প্রচার স্টার স্পোর্টসে চলছে সেখানে এমন ফাঁকা গ্যালারি মোটেই ভালো বিজ্ঞাপন নয়।

জুন ১৯, ২০২৫
দেশ

ওরঙ্গাবাদের এই হৃদয়স্পর্শী কাহিনী আপনার মন ছুঁয়ে যাবেই

মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদের সম্ভাজি নগরে ঘটনা এখন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। ওই হৃদয়স্পর্শী ঘটনা নাড়া দিয়েছে পুরো সমাজকে। সেখানে এক গয়নার দোকানে গিয়েছিলেন অতি সাধারণ এক দম্পতি। স্ত্রীকে কিছু উপহার দেওয়াই ছিল স্বামীর উদ্দেশ্য। গয়নার শোরুমের ম্যানেজার তাদের সঙ্গে গল্প জুড়ে দেন। হাসিঠাট্টার মাঝে কথা বলতে বলতে জেনে নেন তাঁদের জীবনকাহিনী। এবার এল জিনিস কেনার পালা। হাতের ঝোলা ব্যাগ থেকে বেরোল একটা ৫০০ টাকার নোট। একে একে ১০, ২০ টাকার নোট। সবশেষে একটা ছোটখাট বোঁচকা। তাতে ভর্তি খুচরো পয়সা।শোরুমের ম্যানেজার গোটা বিষয়টা বুঝতে পেরে তাঁদের একটি হার উপহার দেন। সঙ্গে একজোড়া কানের দুলও। এরপর বৃদ্ধের কাছে সরল আবদার জানান, নিজে হাতে স্ত্রীর হাতে সেটা তুলে দিতে হবে। উপহার তো দিলেন ম্যানেজার, কিন্তু এত বড় দোকানে এসে কোনও টাকা না দিয়ে চলে যাবেন, এতেও যেন সম্মানে বাধে বৃদ্ধের। সমাজের খেটে খাওয়া মানুষের কাছে আত্মসম্মানই বড় কথা। প্রাণ যাক, সম্মান নিয়ে বাঁচাটাই বড় কথা। তাই সবচেয়ে বড় নোটটি তুলে দিতে চেয়েছিলেন ম্যানেজারের হাতে। কিন্তু তাতে ম্যানেজারের উত্তর, আপনার আশীর্বাদের হাত থাকলেই হবে। পান্ডুরঙ্গ (কর্নাটক, মহারাষ্ট্রের পূজিত দেবতা) আছেন, কিছুর অভাব হবে না কোনওদিন। কিন্তু বৃদ্ধ নাছোড়বান্দা, টাকা তিনি দেবেনই। উপায় নেই বুঝে অবশেষে দুটো ১০ টাকার নোট নেন ম্যানেজার।স্বামীর চোখে জল, ধুতির খুঁট দিয়ে মুছে ফেললেন। তা দেখে স্ত্রীও আটকাতে পারলেন না নিজেকে। ভিডিওতেই স্পষ্ট, এমন এক মূল্যবান উপহার পেয়ে বিশ্বাস হচ্ছে না ওই দম্পতির। কিন্তু যেকজন ভিডিওটি দেখেছেন, তাঁরা সবাই বুঝেছেন এই চোখের জল, অবিশ্বাস শুধু মূল্যবান এক উপহারের জন্য নয়, জীবনের অন্যতম এই দিনটি মনের মণিকোঠায় সাজিয়ে রাখছেন দম্পতি।

জুন ১৯, ২০২৫
দেশ

আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা: শিশুদের শনাক্ত করতে বড় সমস্যা, এখনও হস্তান্তর ১৫৯ দেহ

সুরাটের নানাবাওয়া পরিবার ৩৬ বছর বয়সী আকিল এবং ৩১ বছর বয়সী স্ত্রী হান্না ভোরাজির নামাজ-এ-জানাজা (জানাজা) সম্পন্ন হয়। বুধবার ভোরে ফোন করে জানায় যে বোয়িং ড্রিমলাইনার দুর্ঘটনায় তাদের সাথে মারা যাওয়া তাদের মেয়ে সারার মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। আত্মীয়স্বজনরা চার বছর বয়সী মেয়ের দেহাবশেষ দাবি করতে আহমেদাবাদে ছুটে যান। যাতে তাকে তার বাবা-মায়ের পাশে দাফন করা যায়।আহমেদাবাদ-লন্ডন AI-171 বিমান দুর্ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পর, সারার সন্ধানে দেখা যাচ্ছে যে পুড়ে যাওয়া দেহাবশেষের মধ্যে নাবালকদের শনাক্ত করা কতটা কঠিন। বুধবার পর্যন্ত, ডিএনএ ম্যাচিং এবং শনাক্তকরণের পরে ১৫৯টি মৃতদেহ আত্মীয়দের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সারা ছাড়াও, এই মৃতদেহগুলির মধ্যে কেবল একজন নাবালিকা ছিল ফাতিমা শেঠওয়ালা, যার বয়স ১৮ মাস।বিমান সংস্থার তালিকা অনুসারে, AI-171-এ ১২ বছরের কম বয়সী ১৩টি শিশু ছিল, যার মধ্যে তিনজন এখনও ২ বছর পূর্ণ করেনি। আরও বেশ কয়েকজনের বয়স ১১ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে।এই ধরনের দুর্যোগে অপ্রাপ্তবয়স্কদের শনাক্ত করার জন্য ডিএনএ প্রযুক্তি ব্যবহারে অসুবিধা ব্যাখ্যা করে গুজরাটের সরকারি ডেন্টাল কলেজের ফরেনসিক দন্ত বিশেষজ্ঞ ডঃ জয়শঙ্কর পিল্লাই বলেন, শিশুদের শরীরের ভর কম থাকে এবং তাই টিস্যুর ক্ষতি হয় এবং লম্বা হাড় তাপের সংস্পর্শে আসে। তবে দাঁত বেশি শক্তিশালী হওয়ায় তাপ সহ্য করতে পারে।তবে অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে এটিও জটিল। শিশুদের যে কোনও দাঁত থেকে ডিএনএ বের করা যেতে পারে, কিন্তু আগুন লাগার সময় সামনের দাঁত ব্যবহার করা যায় না কারণ তাপ তাদের নষ্ট করে দেয়। তাই আমরা মোলার থেকে ডিএনএ নিই। ছয় বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে, আমরা স্থায়ী মোলার পেতে পারি না... তাদের বেশিরভাগই দুধের দাঁত থাকে, এবং কখনও কখনও সেগুলিও নষ্ট হয়ে যায়। কারণ খিলানটি খুব ছোট। তাই আমরা চোয়ালে একটি ছেদ তৈরি করি এবং ভিতরে স্থায়ী মোলার তৈরি করার চেষ্টা করি, পিল্লাই বলেন, যার বিভাগের সাথে ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ দাঁতের ডিএনএ বের করতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের দাঁতের চার্ট তৈরি করতে সাহায্য করার জন্য যোগাযোগ করেছিল।একজন ফরেনসিক কর্মকর্তা বলেছেন যে দুর্ঘটনার পরে যে আগুন লেগেছিল তা খুব অল্প সময়ের মধ্যে ১৬০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি তাপমাত্রায় পৌঁছেছিল। সুতরাং, কিছু ব্যক্তির জন্য কেবলমাত্র আংশিক ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়া যায়, যাদের আমরা সন্দেহ করি যে তারা নাবালক, কর্মকর্তা বলেন, আরও বলেন যে আত্মীয়দের সাথে নিঃসন্দেহে নির্ভুলতার সাথে মেলানো কঠিন।আকিলের বাবা আবদুল্লাহ স্মরণ করিয়ে দেন যে তিনজন ৬ জুন, ঈদুল আযহার একদিন আগে, এক আকস্মিক পরিদর্শনে এসেছিলেন। এটা একটা ছোট ভ্রমণ ছিল। আমরা জানতাম না যে এটাই তাদের শেষ হবে, কাঁদতে কাঁদতে আবদুল্লাহ বলেন, যিনি বিমানে পরিবারকে নামিয়ে দিতে আহমেদাবাদ গিয়েছিলেন।ভদোদরায়, আসিফ শেঠওয়ালা তার নাতনি ফাতিমার জন্য শোক প্রকাশ করেছেন। যার দেহাবশেষ বুধবার শনাক্ত করা হয়েছে, যখন তার মা সাদিকার মৃতদেহ এখনও পাওয়া যায়নি। আসিফ বলেন, ফাতিমা তার লন্ডন-ভিত্তিক ছেলের একমাত্র সন্তান। সাদিকা এবং ফাতিমা আমার ছোট ছেলের বিয়েতে বেড়াতে এসেছিলেন। তারা প্রায় ২০ দিন ধরে এখানে ছিলেন এবং তাদের ফেরার টিকিট অনেক আগেই বুক করা হয়েছিল।ডিএনএ সরবরাহ করার পাশাপাশি, দাঁতের দেহাবশেষ একজন ব্যক্তির আনুমানিক বয়স নির্ধারণেও সাহায্য করে। যা শনাক্তকরণের জন্য প্রয়োজনীয় সূত্র প্রদান করে। আহমেদাবাদ দুর্ঘটনায় এটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যও, বিস্ফোরণ এবং আগুনের ফলে উদ্ধার করা বেশিরভাগ ডিএনএ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।ডঃ পিল্লাই বলেন, ফরেনসিক ওডন্টোলজি বিভাগ এক থেকে ছয় বছর বয়সী বেশ কয়েকজন প্রাপ্তবয়স্ক যাত্রীর দাঁতের ডিএনএ সংগ্রহ করেছে অথবা ডেন্টাল চার্টিং করেছে এবং অন্তত কিছু ভুক্তভোগীর বয়স মূল্যায়ন করেছে। এরপর এই বয়সের যাত্রীদের জন্য ফ্লাইট ম্যানিফেস্টের সাথে তুলনা করা হয়েছে। কিছু শিশুর ক্ষেত্রে, আমরা দ্বিতীয় মোলার বিকশিত হতে দেখেছি, যা স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে তারা তিন থেকে ছয় বছর বয়সী। এটি অনুসন্ধানকে সংকুচিত করতে সাহায্য করেছে। তারপর তাদের ডিএনএ নমুনা তাদের আত্মীয়দের সাথে মেলানো যেতে পারে।যারা খবরের জন্য অপেক্ষা করছেন তাদের মধ্যে রয়েছে ভদোদরার ভাহোরা পরিবার। তারা দুর্ঘটনায় তিন সদস্যকে হারিয়েছে। সোমবার ইয়াসমিনের মৃতদেহ হস্তান্তর করা হলেও, পারভেজ এবং তার ৪ বছর বয়সী মেয়ে জুভেরিয়ার দেহাবশেষ এখনও পাওয়া যায়নি। প্রাক্তন আইপিএস অফিসার এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ, ডঃ কেশব কুমার বলেছেন, পরিবারগুলির আশা হারানো উচিত নয়। বিমান দুর্ঘটনাটি প্রায় বোমা বিস্ফোরণের মতো ছিল। যেখানে ৫৪,০০০ লিটার বিমান জ্বালানি এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে জ্বলছিল। উৎপন্ন তাপের পরিমাণ শরীরের জন্য ক্ষতিকর। আমরা ভাগ্যবান হব যদি ভালো নমুনা পাওয়া যায়। কিন্তু যদি একটি দাঁতও পাওয়া যায়, তাহলে ডিএনএ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ফরেনসিক পরীক্ষা খড়ের গাদায় সূঁচ পাওয়ার মতো। কিন্তু একজন তদন্তকারী হিসেবে, আমি বলতে পারি যে ম্যাচ পাওয়ার সম্ভাবনা ১০০%। ডিএনএ হাজার হাজার বছর টিকে থাকতে পারে এবং প্রয়োজনে ধ্বংসাবশেষে ডিএনএর আরও চিহ্ন থাকবে। গুজরাট পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন যে তারা দুর্ঘটনাস্থল থেকে একাধিক নমুনা সংগ্রহ নিশ্চিত করেছেন।

জুন ১৯, ২০২৫
রাজ্য

১০০ দিনের কাজ নিয়ে হাইকোর্টে বড় ধাক্কা কেন্দ্রীয় সরকারকে

গতকালই ওবিসি মামলায় হাইকোর্টে জোরদার ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। এবার ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বড় ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার নজিরবিহীন একটি নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পশ্চিমবঙ্গে ফের ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প চালু করতে হবে, এই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ১ আগস্ট থেকেই এই প্রকল্প চালু করতে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ।উল্লেখ্য, বাংলায় ১০০ দিনের কাজের টাকা বহুদিন ধরে আটকে রেখেছে কেন্দ্র, এই অভিযোগ করে আসছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রাজ্য সরকারের একাধিক মন্ত্রী এই ব্যাপারে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বারবার সমালোচনায় সরব হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে লাগামহীন দুর্নীতি হয়েছে। এই দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্র বেশ কয়েকটি দলও বাংলার জেলায় জেলায় পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী আদালতে জানিয়েছিলেন, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গে মোট ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে গরমিল ধরা পড়েছে।। তার মধ্যে ২ কোটিরও বেশি টাকা পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে। হুগলি, মালদা, বর্ধমান, দার্জিলিংয়ের মতো জেলাগুলিতে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। ১০০দিনের কাজের প্রকল্পে টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে বেনজির দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রের।রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প আটকে থাকা নিয়ে মামলার শুনানি বুধবার ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনেছেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এরপর প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছেন যে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের জন্যই বিশেষ কোনও বেঁধে দিতে পারে কেন্দ্র। এই রায়ের পর সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ১০০ দিনের পুরনো বকেয়া টাকা ফেরত দিতে হবে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর

পাঁচ লক্ষ টাকা তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর এবং সালিশি করে গ্রাম ছাড়া করার অভিযোগ উঠলো স্থানীয় একদল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকায়। এই ঘটনায় আক্রান্ত ব্যবসায়ীর পরিবার কালিয়াচক থানার দ্বারস্থ হলেও চারদিন পরে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে বুধবার ওই ব্যবসায়ী দম্পতি সমস্ত ঘটনার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানালেন পুলিশ সুপারের কাছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব। এদিকে কালিয়াচকের ওই ব্যবসায়ীর ওপর আক্রমণ এবং পাঁচ লক্ষ টাকা তোলাবাজির ঘটনায় রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলার সর্ববৃহৎ ব্যবসায়ীদের সংগঠন মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বারবার যদি ব্যবসায়ীদের ওপর দুষ্কৃতীদের হামলা নেমে আসে, তাহলে আমরা যাব কোথায়। অবিলম্বে পুলিশ সুপার যাতে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে, সেই আবেদন জানাচ্ছি। এদিকে পুলিশকে অভিযোগে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকার পোশাক ব্যবসায়ী মহম্মদ রহিম বিশ্বাস জানিয়েছেন, পুরনো একটি মামলার ঘটনায় গত শনিবার এলাকার এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী জহরুল খান এবং তার দলবল তাকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাদের একটি ডেরায় তাঁকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর পাঁচ লক্ষ টাকার তোলা চাওয়া হয়। সেই টাকা না দেওয়ায় আশেপাশের আরও কিছু সাগরেদদের জুটিয়ে সালিশি ডাকা হয়। সেই সালিশির মাধ্যমে তাদের পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। আর এই ঘটনার পর থেকেই গত চারদিন ধরেই ওই ব্যবসায়ী পরিবার নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন হয়ে রয়েছেন। এমনকি ফতেখানি স্ট্যান্ডের কাছে ওই ব্যবসায়ী তার নিজের পোশাকে শোরুম খুলতে পারছেন না।

জুন ১৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal