• ৩ আষাঢ় ১৪৩২, বৃহস্পতি ১৯ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Birbhum

রাজ্য

আইপিএস পদে রদবদল, বদলি হচ্ছেন পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার

রাজ্যে আইপিএস পদে রদবদল। বদলি হলেন বর্ধমান ও বীরভূমের পুলিশ সুপার। সোমবার রাজ্য পুলিশ এক বিজ্ঞপ্তিতে তিন আইপিএস অফিসারের বদলির বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। ট্রেনিং থেকে এবার ফিরে বীরভূমের পুলিশ সুপারের দায়িত্ব নিতে চলেছেন আমনদীপ। এসএস সিআইডি সায়ক দাসই এবার অফিসিয়ালি পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ সুপার হিসাবে যোগ দিচ্ছেন। তিনি অস্থায়ীভাবে দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। বর্ধমানের পুলিশ সুপার আমনদীপ ট্রেনিংয়ে ছিলেন। এদিকে বীরভূমের পুলিশ সুপার রাজনারায়ন মুখোপাধ্যায় সরছেন। তার জায়গায় বর্ধমানের পুলিশ সুপার আমনদীপ যোগ দিচ্ছেন বীরভূমের পুলিশ সুপার পদে। অন্যদিকে রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় এসপি ট্রাফিক পদে যোগ দিচ্ছেন।

জানুয়ারি ১০, ২০২৫
রাজনীতি

এবার ৫ কেজির রূপোর মুকুট কাজল শেখের মাথায়, মিলনমেলায় গড়হাজির অনুব্রত মন্ডল

এই মিলনমেলাতেই বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের হাতে দেখা গিয়েছিল রূপোর তরোয়াল। মাথায় পড়েছিলেন ২ কেজির রূপোর মুকুট। বীরভূমের বেতাজ বাদশা ছাড়া নানুরের বাসাপাড়ার মিলনমেলা যেন বেমানান ছিল। তিহার জেল থেকে ফিরে আসার পর দৃশ্য়পটের আমূল বদল ঘটেছে এই মিলনমেলার। এভাবেই যেন রাজ্যপাটের পরিবর্তন ঘটে যায় কালের নিয়মে। শূন্যস্থান কিভাবে যে পূরণ হয়ে যাবে তা বিধাতাই জানে।এবার সেই মেলার মঞ্চ আলো করে থেকেছেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ। তাঁর মাথাতেই এবার দেখা গেল ৫ কেজি ওজনের রূপোর মুকুট। এবার গড়হাজির অনুব্রত মন্ডলও। জানা গিয়েছে, তিনি অবশ্য় আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন। এমনকী বিগত দিনের কর্তারাও এবারের আয়োজনের দায়িত্বে নেই। বীরভূম জেলা পরিষদের প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ কেরিম খান ছিলেন অন্য়তম উদ্যোক্তা। এখন মেলার নিয়ন্ত্রণেও হাতবদল হয়েছে। এই মেলাকে ঘিরে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল দেখছে রাজনৈতিক মহল।

জানুয়ারি ০১, ২০২৫
রাজ্য

গুরুতর অভিযোগ তৃণমূলের চিকিৎসক বিধায়কের বিরুদ্ধে, ক্ষুব্ধ তারাপীঠ মন্দিরের সেবায়েতরা

এর আগে হুমকি, তোলাবাজি মাস্তানী সহ নানা অভিযোগ শোনা তৃণমূলের কোনও কোনও বিধায়কের বিরুদ্ধে। এবার বীরভূমের এক তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগে তোলপাড়। তিনি আবার পেশায় চিকিৎসক। সেই চিকিৎসাক্ষেত্রেই অভিযোগ উঠেছে।মত্ত অবস্থায় অপারেশন করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের এক চিকিৎসক-বিধায়কের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে বুধবার অভিযুক্ত তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন তারাপীঠ মন্দিরের সেবায়েতরা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের চিকিৎসক-বিধায়ক অশোক চট্টোপাধ্যায়। ঘটনাটি ঘটেছে তারাপীঠ শহরের একটি নার্সিংহোমে। বুধবার ওই নার্সিংহোম ও বিধায়কের বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তারাপীঠ মন্দিরের সেবায়েতরা। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, স্ত্রীরোগ সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে দিন কয়েক আগে বীরভূমের হাসানের বিধায়ক চিকিৎসক অশোক চট্টোপাধ্যায়ের নার্সিংহোমে ভর্তি হয়েছিলেন তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী সুজাতা মুখোপাধ্যায়। সুজাতাদেবী সাহাপুর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যাও। অস্ত্রোপচারের পর সোমবার সুজাতাদেবীর মৃত্যু হয়।সুজাতা দেবীর স্বামী তথা তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, চিকিৎসক-বিধায়ক মত্ত অবস্থায় ভুল অপারেশন করেছিলেন। তারই জেরে তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পুর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত চিকিৎসক বিধায়ক। তবে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারাপীঠ শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে ছড়িয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য।

ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪
রাজ্য

অনুব্রতর বাড়ির দরজায় আটকে গেলেন মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক, কান্নায় ভাসলেন সকন্যা "বীরভূমের বাঘ"

গরু পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডল জামিন পাওয়ার পর আজ সকালে কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে সোজা রওয়ানা দেন বোলপুরের নীচুপট্টির বাড়ির দিকে। বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতিকে স্বাগত জানাতে হাজির ছিলেন অসংখ্য অনুগামী।এরই মধ্যে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে যায়, রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা ও বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরীকে অনুব্রত তাঁর বাড়িতে ঢোকার অনুমতি না দেওয়ায়। তাঁদের দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। সাংসদ অসিত মালকেও দরজার বাইরে থেকে ফিরে আসতে হচ্ছে। অনুব্রত মন্ডল ও তাঁর কন্যা সুকন্যাকে দেখা গেল হাত দিয়ে চোখের জল মুছতে। আবেগি অনুব্রত দু হাত দিয়ে চোখ চেপে ছিলেন। আজ বোলপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠক করবেন। অনুব্রতর সঙ্গে দেখা হয়নি দলনেত্রীর। বাড়িতে ঢোকার সময় অনুব্রত এদিন বলেন, তিনি দিদির সঙ্গেই আছেন। পায়ে ব্যথা রয়েছে। শরীর ভালো থাকলে তিনি দেখা করবেন দিদির সঙ্গে। কাজল এখন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি। অনুব্রত তিহাড় জেলে থাকলেও তিনিই দলের সভাপতি পদে বহাল রয়েছেন। ফলে তাঁর প্রত্যাবর্তনে ফের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দেবে কিনা তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। মমতা বরাবরই অনুব্রতর পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে মন্ত্রিসভা থেকে সরানো হয়েছে, কেড়ে নেওয়া হয়েছে দলের সাংগঠনিক পদ। তবে তাঁরা বিধায়ক রয়েছেন। অনুব্রত জেলে থাকলেও দলের সভাপতিই থেকে গিয়েছেন।অনুব্রত বাড়ি ফেরার পর তাঁরা দেখা করতে গিয়েছিলেন দলের জেলা সভাপতির সঙ্গে। যদিও কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের মাধ্যমে তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হয়, বাড়িতে প্রবেশাধিকার নেই। স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়ে সেখান থেকে ফিরে যান চন্দ্রনাথ, বিকাশ, অসিত মাল। তার সঙ্গে সাক্ষাৎ পেয়েছেন জেলা নেতা সুদীপ্ত ঘোষ, নলহাটির বিধায়ক, বোলপুরের পুর প্রধান। অনুব্রতর সঙ্গে জেলা কোর কমিটির সদস্য সুদীপ্ত ঘোষ দীর্ঘক্ষণ কথা বলেছিলেন। সেখানে ছিলেন অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা। ছিলেন আরও কয়েকজন।

সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৪
রাজ্য

বীরভূমে নদীতে উল্টে গেল স্পিড বোট, কোনওমতে প্রাণরক্ষা সাংসদ, বিধায়কসহ প্রশাসনিক কর্তাদের

বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেলেন সাংসদ, বিধায়ক ও প্রশাসনের কর্তারা। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের লাভপুরে।স্থানীয়দের তৎপরতায় তাঁদের উদ্ধার করা হয়। জেলা শাসক, জেলা পুলিশ সুপার, দুই সাংসদ, বিধায়ক সহ মোটব১৩ জন চেপেছিলেন স্পিড বোটে। প্রশ্ন উঠছে সেফটি জ্যাকেট না নিয়ে কেন স্পিড বোডে চড়লেন প্রশাসনের শীর্ষকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা।জানা গিয়েছে, তিনদিনের অতি বৃষ্টিতে বীরভূমের লাভপুরে কুয়ে নদীর বাঁধ ভেঙে যায়। ফলে নদী সংলগ্ন বলরামপুর গ্রাম সম্পূর্ণ ভেসে যায়। পাশেপাশের আরও কয়েকটি গ্রাম এখনও জলমগ্ন। ওই গ্রামগুলির সঙ্গে যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। সেই সমস্ত গ্রামের মানুষদের পাশে দাঁড়াতে বুধবার এলাকা পরিদর্শনে যান জেলা শাসক বিধান রায়, জেলা পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়, বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল, রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম, লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিনহাসহ সহ মোট ১৩ জন। সেফটি জ্যাকেট ছাড়াই একটি স্পিড বোর্ডে তাঁরা দুর্গত এলাকায় যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আচমকা বোর্ডটি কুয়ে নদীতে উল্টে যায়। জেলা পুলিশ সুপার ছাড়া সকলেই নদীতে পরে যান। উদ্ধারকারী দল এবং স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় সকলকে উদ্ধার করা হয়।নদী থেকে উঠে সাংসদ অসিত মাল বলেন, হঠাৎ নদীর স্রোতে স্পিড বোর্ড উল্টে যায়। আমি সাঁতার জানতাম। কিন্তু জলের স্রোতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সাঁতার কাটতে পারছিলাম না। এরপর একটা গাছের ডাল ধরে ঝুলতে থাকি। কিছুক্ষনের মধ্যেই উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা আমাকে উদ্ধার করে। মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে এলাম।

সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৪
রাজ্য

প্রেসক্রিপশনে স্ট্যাম্প! আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ চিকিৎসকের

রোগীর প্রেসক্রিপশনে বিচার চেয়ে, অপরাধীদের বিনাশ চেয়ে আরজি কর নিয়ে নয়া লড়াই শুরু করেছেন বীরভূমের এক চিকিৎসক। আরজি করের বিচার চাই, অরপরাধ চক্রের বিনাশ চাই। এমন লেখা রাবার স্ট্যাম্প বানিয়ে নিয়েছেন ওই চিকিৎসক। এমন ভাবে অন্যরাও লড়াই ছড়িয়ে দিক, বলেন চিকিৎসক দেবব্রত দাস। আরজি কর হাসপাতালের ছাত্র ছিলেন দেবব্রত দাস। চেনে হাসপাতালের সব তল্লাট। আরজি করের প্রাক্তনী প্রতিটি রোগীর প্রেসক্রিপশনে স্ট্যাম্প ব্যবহার করছেন।বীরভূমের রামপুরহাট গভঃ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রাক্তন কনসালট্যান্ট ল্যাপরোস্কোপিক সার্জেন দেবব্রত দাস। বর্তমানে তিনি হাসপাতাল সংলগ্ন ওষুধের দোকানে প্রাইভেট প্র্যাক্টিস করেন। আরজি কর কাণ্ডের পর দেবব্রতবাবু জুনিয়ার- সিনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনে পা মিলিয়েছিলেন। একাধিক আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন। এবার নিজের চেম্বার থেকেই আন্দোলনকে নানা দিকে ছড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তাই লালকালির স্ট্যাম্পে আরজি করের বিচার চাই, অরপরাধ চক্রের বিনাশ চাই লেখা প্রতিবাদ ছড়িয়ে দিচ্ছেন রোগী ও তাদের পরিবারের মধ্যে। শুধু বাংলাতে নয়, ইংরেজিতেও লেখা রয়েছে উই ওয়ান্ট জাস্টিস।দেবব্রত দাস বলেন, আমি আরজি করের প্রাক্তন ছাত্র। ওই কলেজের প্রতিটি গলি আমি চিনি, জানি। সেখানে এই ঘটনা আমাকে ভীষণভাবে নাড়া দিয়েছে। আমি কল্পনাও করতে পারছি না যে স্বাধীন ভারতে পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসে আমার প্রাক্তন কলেজে এমন নৃশংস ঘটনা ঘটতে পারে। সেই জন্য চিকিৎসক সমাজ সহ বিভিন্ন পেশার মানুষ রাস্তায় নেমেছে। বার বার বলা হচ্ছে ঘটনার প্রমান মুছে ফেলা হয়েছে। এর জন্য দায়ী করা হয়েছে রাজ্য সরকারকে। তাই সাধারণ মানুষের মতো আমি চিকিৎসক হিসাবে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে আমার প্রেসক্রিপশনকে ব্যবহার করেছি। সেই প্রেসক্রিপশন প্রতিটি মানুষের পাশাপাশি ওষুধের দোকানেও পৌঁছে যাচ্ছে। এছাড়া আমাদের সারা ভারতে যে সংগঠন রয়েছে সেখানেও আমার প্রেসক্রিপশন পাঠিয়ে দিয়ে প্রতিবাদের ভাষা পৌঁছে দিয়েছি। পশ্চিমবঙ্গের বাইরে প্রতিবাদের ভাষা পৌঁছে দিতে ইংরেজিতেও লেখা রয়েছে।

আগস্ট ৩১, ২০২৪
রাজনীতি

গণনা বহু দূর, সবে চতুর্থ দফা, তৃণমূলের বিজয় মিছিল নানুরে

এর আগে বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রের ভাতারে বিজয় উৎসব করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস, এবার বিজয় মিছিল হল নানুরে। লোকসভা নির্বাচনের গণনা ৪ জুন। মঙ্গলবার বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি ফায়েজুল হক তথা কাজল শেখের নেতৃত্বে সবুজ আবির খেললেন সহস্রাধিক তৃণমূল কর্মী-সমর্থক। বিলি করা হয় প্রচুর মিষ্টি। কাজলের দাবি, বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রে দলীয় প্রার্থী অসিত মাল ৩ লক্ষের বেশি ভোটে জয়ী হবেন। তাই আগাম সবুজ আবির খেলা হল।প্রসঙ্গত, বোলপুর, ময়ূরেশ্বর, লাভপুর, নানুর, কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোট এবং আউসগ্রাম বিধানসভা নিয়ে বোলপুর লোকসভা। এই লোকসভায় ভোট পড়েছে ৮২.৬৬ শতাংশ ভোট। বোলপুর লোকসভায় তৃণমূলের অসিত মাল, বিজেপির পিয়া সাহার পাশাপাশি ছিলেন সিপিএমের শ্যামলী প্রধান। প্রার্থী নিয়ে এই লোকসভায় প্রথম থেকেই ক্ষোভ ছিল বিজেপির। ফলে সাতটি বিধানসভা কার্যত একাই চষে বেরিয়েছেন পিয়া সাহা। একদিকে বিজেপির মধ্যে অসন্তোষ অন্যদিকে সংখ্যালঘু ভোটকে হাতিয়ার করে অনেকটাই এগিয়ে যায় তৃণমূল। তাছাড়া বোলপুর লোকসভার নানুর, মঙ্গলকোট, কেতুগ্রাম বিধানসভা দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল কাজল শেখকে। দলনেত্রীকে খুশি করতে প্রাণপাত করেছিলেন কাজল। ফলে গণনার পর অন্যরা কৃতিত্ব নেওয়ার আগেই বিজয় উৎসব করলেন বলে মনে করছেন অনেকে।মঙ্গলবার কাজলের পাপুড়ি গ্রামের দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিল বের হয়। কর্মী সমর্থকদের হাতে দেওয়া হয় মিষ্টি। সবুজ আবির খেলে গ্রামে প্রদক্ষিণ করে তৃণমূলের বিজয় মিছিল। কাজল শেখ বলেন, আমরা সারা বছর মানুষের সঙ্গে থাকি। ফলে ভোটের সময় আমাদের বেশি পরিশ্রম করতে হয় না। আমরা এখানে ৩ লক্ষের বেশি ব্যবধান জয়ী হব। তাই আমরা আগাম বিজয় মিছিল এবং মিষ্টি মুখ করলাম।যদিও বিজেপির জেলা সভাপতি সন্যাসি চরণ মণ্ডল বলেন, ওরা মূর্খের স্বর্গে বাস করছে। শেষ হাসি হাসব আমরাই।

মে ১৪, ২০২৪
রাজ্য

পোষ্টার ঘিরে তোলপাড় বীরভূম, বিতর্ক ছড়াল বিজেপির অন্দরে

বিজেপির পোষ্টার ঘিরে তোলপাড় বীরভূম ফের অস্বস্তিতে বিজেপি। এবার পোষ্টারকে ঘিরে বিতর্ক ছড়াল বিজেপির অন্দরে। যদিও তার নামে ছাপানো ওই পোষ্টারের বিরুদ্ধে থানায় যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন কলোসোনা মণ্ডল। তাঁর দাবি, কিছু ছদ্মবেশী বিজেপি এবং তৃণমূল এসব করেছে।প্রসঙ্গত, রামকৃষ্ণ রায় জেলা সভাপতি থেকে সরে যাওয়ার পরেই কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়েন সিউড়ির বিজেপি নেতা কালোসোনা মণ্ডল। তবে দেবাশিস ধর প্রার্থী হওয়ার পর তিনি সক্রিয় হয়ে ওঠেন। প্রচারেও দেখা যায় তাঁকে। কিন্তু আইনি জটিলতায় দেবাশিসবাবুর প্রার্থী পদ বাতিল হওয়ায় বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির হয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন দেবতনু ভট্টাচার্য। পরেই অসুস্থ হয়ে পরেন দলের বীরভূম সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ধ্রুব সহ। ফলে প্রচারেও খামতি দেখা যায় বিজেপিতে। অভিযোগ আমোদপুরে প্রধানমন্ত্রীর সভায় দেবাশিস ভট্টাচার্যকে মঞ্চে উঠতে না দেওয়ায় মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। এমনকি দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচারেও দেখা যায় না দেবাশিসবাবুকে। অভিযোগ দলের তরফে ডাক না পাওয়ায় সিউড়িতে গৃহবন্দি হয়ে রয়েছেন প্রাক্তন আই পি এস অফিসার দেবাশিস ধর। এই টানাপোড়েনের বৃহস্পতিবার সকালে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপিকে ভোট না দেওয়ার আবেদন জানানো কালোসোনা মন্ডলের নামাঙ্কিত পোষ্টার লক্ষ্য করা যায়। দলীয় প্যাডে ছাপানো অক্ষরে লেখা ওই পোষ্টারে কারও সাক্ষর না থাকলেও না রয়েছে কালোসোনা মণ্ডলের। ওই ছাপানো প্যাডই জেরক্স করে জেলায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কালোসোনা মণ্ডল বলেন, দলের বিরুদ্ধে কিছু বলার থাকলে সরাসরি বলব। অভাবে চোরের মতো পোস্টার মারব না। আসলে বিজেপিকে ভয় পেয়েছে তৃণমূল। তাই কিছু ছদ্মবেশী বিজেপি এবং তৃণমূলের প্রচার বিভাগ এসব করছে। যাতে আমাদের বিজেপি প্রার্থী দেবতনু ভট্টাচার্য জয়ী হতে না পারে। তবে মনে রাখবেন বিজেপি বীরভূম লোকসভা নির্বাচনে জিতে গিয়েছে। মানুষ আর চোর তৃণমূলকে চায় না। তাই এখন কখন পোষ্টার দিয়ে কখন ভুয়ো ভিডিও করে বিজেপিকে খাটো করার চেষ্টা করছে। আমি এর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করব। পুলিশ সি সি টিভি দেখে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব ভট্টাচার্য বলেন, এসব বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল।

মে ১০, ২০২৪
রাজ্য

শতাব্দীকে বিজেপি পতাকা দেখিয়ে বিক্ষোভ ক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীদের

আগে বলেছিলেন ফালতু খবর পরিবেশন করা হচ্ছে। এবার গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়ে সাংবাদিকদের অসভ্যতা দেখতে পেলেন বিদায়ী সাংসদ, বীরভূম লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়। ক্ষোভের মুখে বার বার মেজাজ হারাচ্ছেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী। অনুব্রতহীন এই নির্বাচনে চড়া রোদে প্রচারে বেরিয়ে ক্ষুব্ধ হচ্ছেন বিদায়ী সাংসদ।এর আগে অধিকাংশ নির্বাচনে ভোট বৈতরণী পার করেছেন দলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। অনুব্রত মণ্ডলের কৌশল এবং হুঙ্কারে চওড়া হাসি হেসেছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। কিন্তু এবার অনুব্রতহীন ভোটে একাই পরিশ্রম করতে হচ্ছে প্রার্থীদের। ফলে ক্ষোভের মুখে পড়ে বার বার মেজাজ হারাচ্ছেন শতাব্দী রায়। সোমবার সাঁইথিয়ার বাতাসপুর গ্রামে ক্ষোভের মুখে পড়ে সাংবাদিকদের আঙুল উঁচিয়ে বলেছিলেন ফালতু খবর করছেন। এবার রামপুরহাট বিধানসভার রামপুর পঞ্চায়েতের বাটের বাঁধ গ্রামে। এদিন দুপুরে গ্রামে ঢুকলে বিজেপির পতাকা নিয়ে শতাব্দীকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা পরিস্কার জানিয়ে দেন অনুন্নয়নের কারণেই বিজেপির পতাকা ধরেছেন। গ্রামের বাসিন্দা শেখ মইনুল বলেন, আমরা সবাই তৃণমূল করতাম। কিন্তু ১৫ বছরে আমাদের গ্রামের জন্য শতাব্দী রায় কোন উন্নয়ন করেনি। পানীয় জল, বিদ্যুৎ, রাস্তাঘাটের কোন উন্নয়ন হয়নি। তাই আমরা উনাকে বিজেপির পতাকা দেখিয়ে গ্রামে সম্বর্ধনা জানালাম। আর এখানকার যিনি বিজেপি নেতা রয়েছেন সেই রাজেশ মণ্ডল শুধু ঝামেলা লাগানোর চেষ্টা করে চলেছেন।শেখ সাবের আলি বলেন, আমরা তৃণমূল করে কোন উন্নয়ন পায়নি। শুধু লাথি খেয়েছি। আর একাধিক মামলায় জর্জরিত হয়েছি। সেই মামলা আজ আমাদের চালাতে হচ্ছে। গুনতে হচ্ছে মোটা টাকা। আমরা মসজিদের সামনে একটা বাতিস্তম্ভ এবং জলের ব্যবস্থা করার আবেদন করেছিলাম। কিন্তু কোন লাভ হয়নি।শতাব্দী রায় বলেন, মজার বিষয় হল যারা বিজেপির পতাকা ধরেছিল তাদের অধিকাংশ বাচ্চা। যারা বিজেপি, তৃণমূল বানানটাও লিখতে পারবে না। আলোর যে অভিযোগ করছে সেটা আমার কাছে জানায়নি। জানালে অবশই আলোর ব্যবস্থা করে দিতাম। আর তৃণমূল ছেড়ে বিজেপির পতাকা ধরাটা অনেকটা প্রেমিকের সঙ্গে রাগ করে অন্য মেয়ের সঙ্গে ঘুরে জেলাসি ফিল করানোর মতো। তবে তাতে খুব একটা কাজ করবে না। স্থানীয় নেতারা কর্মীদের গুরুত্ব দেন না, এপ্রসঙ্গে শতাব্দী বলেন, সবাই সম্মান আশা করে। আমার আসার আগে নেতারা কেন গ্রামবাসীদের সঙ্গে বসেনি সেটা বলতে পারব না। যদি না বসে সেটা নেতাদেরভুল হয়েছে।বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধর বলেন, উন্নয়নের কারণেই মানুষ বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। গ্রামবাসীরা ব্যাঙ্গ করে উন্নয়নের কথা বলেছেন। গ্রামে গ্রামে শুধুই অনুন্নয়নের ছবি। এক কথায় রাজনীতিটা সিনেমা নয়। এখানে পার্ট টাইম জব করলে মানুষের উন্নয়ন করা যায় না। তাই আমি চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে এসেছে। আমরাও অনুন্নয়নের তালিকা তৈরি করছি। জিতলে ওই সমস্ত এলাকা ধরে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে উন্নয়ন করব।

এপ্রিল ১৭, ২০২৪
রাজ্য

শতাব্দী রায়ের সভাতে তৃণমূল কর্মী-রাই সরব পরিশ্রুত পানীয় জলের দাবীতে, মিডিয়াকে তোপ বিদায়ী সাংসদের

এবার পরিশ্রুত পানীয় জলের দাবীতে শতাব্দী রায়ের সভাতেই সরব হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের কয়েকজন কর্মী। ঘটনাটি বীরভূমের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের খড়বোনা গ্রামে। বৃহস্পতিবার ওই এলাকায় শতাব্দী রায়ের নির্বাচনী কর্মীসভা ছিল। মঞ্চ থেকে শতাব্দী রায় যখন কর্মীদের কাছ থেকে বুথের ভোটের হিসেব নিচ্ছিলেন সেই সময় রদিপুর গ্রামের গোপাল মণ্ডল কর্মী শতাব্দী রায়কে বলেন, কলে যে জল পাওয়া যাচ্ছে, সেই জল খাওয়া যাচ্ছে না। প্রায় এক কিলোমিটার দূর থেকে পানীয় জল নিয়ে আসতে হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীর এই অভিযোগ ঢাকা দেওয়ায় জন্য ওই এলাকার জহরুল সেখ নামে এক তৃণমূল নেতা বলতে শুরু করেন পরিশ্রুত পানীয় জলের জন্য টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ট্রেন্ডার ও হয়েছে কিন্তু ওয়ার্কঅর্ডার না পাওয়ায় কাজ শুরু হচ্ছে না। কর্মীদের এই সরব হওয়ার বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমের ওপরেই তোপ দাগলেন শতাব্দী রায়। তিনি বলেন, এটাই মিডিয়া দেখাবে। দশটা কাজের মধ্যে নটা ভালো বললে মিডিয়া সেটা দেখাবে না। একটা খারাপ বললেই সেটাই দেখাবে।

এপ্রিল ১২, ২০২৪
রাজ্য

"টাকা দাও, ভোট নাও", প্রচারে বেরিয়ে শুনতে হল শতাব্দী রায়কে

টাকার বিনিময়ে ভোট। নেতারা টাকা পাচ্ছে তাই তাঁরাও টাকা চাইছে। বলছেন বীরভূমের মহম্মদ বাজারের মহিলা ভোটাররা।টাকা না দিলে ভোট দেব না। প্রচারে বেরিয়ে গ্রামের প্রবীণ মহিলাদের কাছে এমনই কথা শুনতে হল বীরভূম লোকসভার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শতাব্দী রায়কে। সেই সঙ্গে গ্রামের বাসিন্দারা না পাওয়ার ক্ষোভ উগরে দেন প্রাক্তন সাংসদকে কাছে পেয়ে। শনিবার বীরভূমের মহম্মদবাজার ব্লকের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রচার চালান তৃণমূলের শতাব্দী রায়।এদিন বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে লাউতোর গ্রামে। সেখানে তিনবারের প্রাক্তন সাংসদকে কাছে পেয়ে না পাওয়ার ক্ষোভ উগড়ে দেন গ্রামবাসীরা। এরই মধ্যে কয়েকজন মহিলা শতাব্দীকে বলেন টাকা না পেলে ভোট দেব না। কনেজা বিবি বলেন, ভোট দিতে হলে টাকা দিতে হবে। নেতারা ভোটে জিতে নিজেদের পকেট ভরছে। আমরা কিছু পাচ্ছি না। ঘর পায়নি। কোন সাহায্য পায়নি। গ্রামের তেমন কোন উন্নয়ন হয়নি। তাই এবার ভোট নিতে গেলে টাকা দিতে হবে।এই প্রসঙ্গে শতাব্দী রায় বলেন, উনি কত বড় ভোটার জানি না। উনি ভারতের কত গণতন্ত্র বোঝেন, জানি না। এপ্রশ্নের উত্তর আমি দেব না। তবে যারা না পাওয়ার অভিযোগ করছেন সেটা পঞ্চায়েতের কাছে জানতে চাইব।

এপ্রিল ০৬, ২০২৪
রাজ্য

২১ হাজার ডিটোনেটর, ২৪ হাজার জিলোটিন এবং ৫০ কেজির ১৪ বস্তা নাইট্রেট উদ্ধার বীরভূমে

প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক উদ্ধার হল বীরভূমের নলহাটি পাথর শিল্পাঞ্চলে। বোমা বিশেষজ্ঞ দল গ্রামে গিয়ে বিস্ফোরক উদ্ধার করে নিয়ে যায়।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নলহাটি থানার চন্দননগর গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে বিস্ফোরকগুলি উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরকের মধ্যে রয়েছে ২১ হাজার ডিটোনেটর, ২৪ হাজার জিলোটিন এবং ৫০ কেজির ১৪ বস্তা নাইট্রেট। দিন দুয়েক আগেই রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ধীমান মিত্র বিস্ফোরকগুলি উদ্ধার করে বোম স্কোয়াডকে খবর দেয়। শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ সেগুলি উদ্ধার করে বোম স্কোয়াড। তবে এনিয়ে কেউ মুখ খুলতে চায়নি। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরক পাথর শিল্পাঞ্চলে ব্যবহারের জন্য মজুত করা হয়েছিল না অন্য কোনও অভিসন্ধি ছিল দুষ্কৃতীদের। উদ্ধার হওয়া পরিত্যক্ত বাড়ির মালিক মারা যাওয়ায় এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

ডিসেম্বর ১৬, ২০২৩
রাজ্য

স্ত্রীর হাতে 'অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্রের' ছবির রিল ভাইরাল, চর্চায় প্রাক্তন তৃণমূল নেতা

বিবাহবার্ষিকীতে স্ত্রীর হাতে অত্যাধুনিক মেশিনগান ধরিয়ে রিল তৈরি করে ফেসবুকে পোষ্ট করল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন নেতা। প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতার নাম রিয়াজুল হক। তাঁর বাড়ি বীরভূমের রামপুরহাট থানার বগটুই গ্রামে। তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের রামপুরহাট এক নম্বর ব্লকের সভাপতি ছিলেন।মাস দুয়েক আগে তিনি পদ থেকে ইস্তফা দেন। আজ বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ তিনি তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে তাঁর স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের হাতে একটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে রিল তৈরি করে পোষ্ট করেন। একদা বগটুই এলাকার দাপুটে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতার এই পোষ্টে যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।এই আগ্নেয়াস্ত্র খেলনা কিনা তা অবশ্য বলা হয়নি। বিশেষ করে বগটুই গণহত্যা কাণ্ডের পর বগটুই গ্রামের প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতার এই পোষ্টে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। কারণ, রাজ্যের ডেপুটি স্পিকার তথা রামপুরহাটের বিধায়ক আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত রিয়াজুল হক। তাছাড়া বিভিন্ন অনুষ্ঠানে রাজ্য ও জেলার বিভিন্ন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের সঙ্গেও তাকে দেখা যেত।

আগস্ট ৩০, ২০২৩
রাজ্য

মঙ্গলবার ভোটগণনা, তার আগেই ভয়ঙ্কর অভিযোগে এনআইএ-র জালে বীরভূমের তৃণমূল প্রার্থী

বীরভূমের নলহাটি থেকে এনআইএর হাতে গ্রেফতার মনোজ ঘোষ নামে এক অস্ত্র ব্যবসায়ী। অভিযোগ, ওড়িশা ঝাড়খন্ড অন্ধ্রে মাওবাদী ও নকশালদের আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহ করত ধৃত মনোজ ঘোষ। সম্প্রতি অন্ধ্রপ্রদেশের পুলিশ ধৃত এক নকশালবাদী নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর মনোজের হদিস পায়। সেইমতো গত ২৮ শে জুন এন আই এ মনোজের বাড়িতে হানা দিয়ে বিশাল পরিমাণ বিস্ফোরক, ডিটোনেটার, অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট উদ্ধার করে। সেই সময় মনোজ পলাতক ছিল।গত ৭ জুলাই সে গ্রামে ফেরে। সেই খবর যায় এন আই এর কাছে। রবিবার রাতে তাকে নিজের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে এনআইএ। ধৃত মনোজ ঘোষ এবারে নলহাটিতে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন। মনোজের নামে পাথর ও কয়লা খাদান আছে বেশ কয়েকটি। যেগুলির সব কটাই অবৈধ ও বেআইনী। এগুলোর লাইসেন্সও নকল।

জুলাই ১১, ২০২৩
রাজনীতি

ভোটের দিনেও দলবদল। তৃণমূল যোগদান বিজেপি প্রার্থীর

ভোটের দিনেও দলবদল। তৃণমূল যোগদান করলেন বীরভূমের রামপুরহাট ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির ১৯ নম্বর আসনের বিজেপি প্রার্থী কালি চরণ হেমরম ওরফে কালিয়া। পঞ্চায়েত সমিতির ওই আসনে বিজেপি প্রার্থী কালিচরণের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন বনহাট অঞ্চলের বিদায়ী প্রধান জহিরুল ইসলাম। কালিচরণ বলেন, মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উন্নয়নে সামিল হতেই আমি নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে সরে দাঁড়ালাম। ওই আসনে তৃণমূল প্রার্থী রয়েছেন মঙ্গল মুর্মু। ওই আসনে বিজেপি তৃণমূল ছাড়া অন্য কোন দলের প্রার্থী নেই।

জুলাই ০৮, ২০২৩
রাজ্য

চোখের সামনে 'ভোটলুঠ', নিরাপত্তার অভাব, আর কখনও ভোটের কাজে নয়, শপথ প্রিসাডিংয়ের

ভোট গ্রহণের প্রথম তিক্ত অভিজ্ঞতায় মহিলা পরিচালিত বুথের ভোট কর্মীরা তিতিবিরক্ত। চাকরি না থাকলেও আর কখনও ভোটের কাজে অংশগ্রহণ করতে চান না তাঁরা। এদিন ঘটনার পর থেকে তাদের চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ। ভয়ে হাউ হাউ করে কেঁদে ফেললেন প্রিজাইডিং অফিসার অঙ্গনা শেঠ।বীরভূমের ময়ূরেশ্বর ২ নম্বর ব্লকের ময়ূরেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজচন্দ্রপুর গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথ এবার মহিলা পরিচালিত ছিল। সেখানে পাঁচজন মহিলা ভোট কর্মী ছিলেন। তাঁদের নিরাপত্তার জন্য ছিল একজন জুনিয়ার কনস্টেবল এবং একজন সিভিক ভলন্টিয়ার। ভোট কর্মীরা জানান, বেলা ১১ টা পর্যন্ত ভোট শান্তিপূর্ণভাবেই চলছিল। তখন প্রায় ২০০ ভোট হয়ে গিয়েছিল। তারপরেই একদল দুষ্কৃতী মুখে কাপড় বেঁধে লাঠি হাতে ভিতরে ঢুকে ব্যালট পেপার কেড়ে নিয়ে স্ট্যাম্প মেরে বক্সে ঢোকাতে শুরু করে। এরকম কিছুক্ষণ চলার পর আরও কিছু দুষ্কৃতী ভিতরে ঢুকে ব্যালট বাক্স কেড়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। বুথের ভিতর তাণ্ডব চালায়।অঙ্গনা শেঠ বলেন, আমাদের মহিলা পরিচালিত বুথ হলেও ছিল না পর্যাপ্ত নিরাপত্তা। একপ্রকার আমাদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল। দুষ্কৃতীরা আমাদেরও মারতে উদ্যত হয়। জুনিয়ার কনস্টেবল এবং সিভিক দুজনেই নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে ব্যস্ত ছিল। বাইরে তখন ধুন্দুমার চলছে। দাউ দাউ করে জ্বলছে দুটি মোটর বাইক।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, বহিরাগত দুষ্কৃতীরা এখানে মোটরবাইক নিয়ে ভোট লুঠ করতে এসেছিল। এলাকার শান্তিপ্রিয় মানুষই তাদের মোটরবাইক জ্বালিয়ে দিয়েছে।ঘটনার পর থেকে মহিলা ভোট কর্মীদের চোখেমুখে স্পষ্ট ছিল আতঙ্কের চাপ।। সংবাদমাধ্যমের সামনে তাঁরা কান্নায় ভেঙে পরেন। পুলিশকে খবর দেওয়ার পরও দীর্ঘক্ষণ পুলিশের দেখা মেলেনি। ফলে চাকরি চলে গেলেও তাঁরা যে ভোট প্রক্রিয়ায় ভবিষ্যতে কখনও অংশগ্রহণ করবেন না সেটা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।

জুলাই ০৮, ২০২৩
রাজনীতি

বিজেপি কর্মী খুন বীরভূমের মহম্মদবাজারে, অভিযোগের তির তৃণমূলের বিরুদ্ধে

বিজেপির বুথ সহ সভাপতিকে গুলি করে খুনের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।মৃত বিজেপির বুথ সভাপতির নাম দিলীপ মাহারা (৪৮)। বাড়ি বীরভূমের মহম্মদবাজার ব্লকের হিংলো অঞ্চলের সারেন্ডা গ্রামে। বৃহস্পতিবার সকালে গ্রামের কুলু পুকুরের কাছে চন্দ্রপুর গ্রাম যাওয়ার রাস্তার ধারে তাঁর রক্তাক্ত মৃতদেহ পরে থাকতে দেখতে পাওয়া যায়। তাঁর স্ত্রী ছবি হিংলো গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩ নম্বর আসনে নির্দল প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে ওই আসনে সিপিএম, তৃণমূলের পাশাপাশি বিজেপি প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চন্দ্রপুর গ্রামের সারদা সাহা। বিজেপির দাবি কৌশলগত কারণে তারা ছবিকে নির্দল প্রার্থী করেছে।এদিকে ঘটনার পর থেকে চন্দ্রপুর-সারেন্ডা রাস্তার উপর মৃতদেহ রেখে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে বিজেপি। অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম জেলা সাংগঠনিক সভাপতি ধ্রুব সাহা সহ দলের জেলা নেতারা। দাবি ওঠে, পুলিশ কুকুর এনে ঘটনার তদন্ত করতে হবে। বিজেপির দাবি মেনে বিকেলের দিকে পুলিশ কুকুর এলে অবস্থান বিক্ষোভ উঠে যায়। ধ্রুব সাহা বলেন, খুব কাছ থেকে মাথার পিছনে গুলি করা হয়েছে দিলীপ মাহারাকে। গুলির খোল পাওয়া গিয়েছে। তৃণমূলের কালী বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায়রা এরকম ঘটনা ঘটিয়ে ভয়ের বাতাবরণ সৃষ্টি করে পাঁচ বছরের জন্য চুরির লাইসেন্স পেতে চাইছে। পুলিশের পক্ষপাতিত্ব করছে। তাই এই খুনের ঘটনা ঘটল। আমরা মহম্মদবাজার থানার ওসিকে ক্লোজ করার জন্য সাত দিন আগে পুলিশ সুপারকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। জেলা রিটার্নিং অফিসার তথা জেলাশাসককে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। আমরা প্রশাসনকে বলেছিলাম এই ওসি থানায় থাকলে নিরপেক্ষ ভোট হবে না। তাই আমরা ঘটনার সিবিআই তদন্ত চাইছি। আমরা দাবি করছি ওসির বিরুদ্ধেও সিবিআই তদন্ত করতে হবে।ছবি মাহারা বলেন, বুধবার বিকেলে ঘর থেকে বেরিয়ে আর ফেরেনি। এদিন সকালে মৃত্যুর খবর পাই। তৃণমূলের কালী বন্দ্যোপাধ্যায় স্বামীকে খুন করেছে। একই বক্তব্য তাঁর ছেলে উৎপল মাহারার। তিনি বলেন, মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর থেকেই তৃণমূলের কালী বন্দ্যোপাধ্যায় হুমকি দিতে শুরু করে। মনোয়ন তুলে নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছিল। কিন্তু মনোনয়ন প্রত্যাহার না করায় বাবাকে হারাতে হল। আমরা ঘটনার সিবিআই তদন্ত চাইছি।সারেন্ডা গ্রামের বিজেপি প্রার্থী পরিতোষ পাল বলেন, মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার পর থেকে তৃণমূলের কালী বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ি বাড়ি হুমকি দিয়ে আসছিল। সেই কারণে আমরা সব আসনে দুজন করে প্রার্থী দিয়েছিলাম। একজন তুলে নিলে আরেকজন থেকে যাবে এই ভেবে। সেই ভেবেই ছবিকে প্রার্থীকে করা হয়েছিল। কিন্তু ভয়ে গা ঢাকা দেওয়ায় মনোনয়ন তোলার সময় আসতে পারেননি। তবে ওই পরিবার আমাদের বিজেপির সক্রিয় কর্মী। আমরা পুলিশকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ কোনরকম সাহায্য করেনি। এমনকি এদিন সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে গুলির খোল চুপচাপ নিয়ে গিয়েছে। গ্রামবাসীদের চাপে পরে ফের একই জায়গায় রাখতে বাধ্য হয়।এদিকে বিজেপির দাবি মেনে পুলিশ কুকুর এসে ঘটনাস্থলের পর সোজা চলে যায় পুকুর ঘাটে। সেখান থেকে দিলীপের বাড়ি হয়ে পৌঁছে যায় প্রতিবেশী প্রদীপ মাহারার বাড়িতে। পুলিশ প্রদীপ মাহারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ওই ঘটনার সঙ্গে আমাদের কেউ যুক্ত নয়। ওটা বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জন্য হয়েছে। জেলা পুলিস সুপার রাজ নারায়ণ মুখোপাধ্যায় বলেন, তদন্ত চলছে। পরিবারের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।

জুলাই ০৬, ২০২৩
রাজ্য

তৃণমূল প্রার্থীর বাড়ি থেকে বিপুল বিস্ফোরক উদ্ধার এনআইএর, চাঞ্চল্য

রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন নয় তো যেন যুদ্ধের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। স্থানীয় নেতা-কর্মীদের একাংশ বাড়িতে বাড়িতে মজুত করছে নানা ধরনের বিস্ফোরক। এবার অবৈধভাবে বিস্ফোরক মজুত রাখার অভিযোগ উঠল বীরভূমের এক তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, বুধবার এনআইএ ওই তৃণমূল প্রার্থীর বাড়ি থেকে প্রচুর পরিমানে বিস্ফোরক উদ্ধার করে। উদ্ধার করা হয় একটি আগ্নেয়াস্ত্র। যদিও পলাতক ওঔ তৃণমূল প্রার্থী। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের নলহাটি থানার বাহাদুরপুর গ্রামে।জানা গিয়েছে, পেশায় পাথর ব্যবসায়ী মনোজ কুমার ঘোষ এবার পঞ্চায়েতে তৃণমূলের প্রতীকে লড়াই করছেন। নলহাটি ১ নম্বর ব্লকের বানিওর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২১ নম্বর আসনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সাত সকালে তার বাড়িতে হাজির হয় এনআইএ-র দল। বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একটি সিসিটিভির ডিভিআর, একটি খালি ম্যাগজিন সহ দেশি পিস্তল, চারটি কার্তুজ, ১৩০ টি জিলটিন স্টিক, ওজন ১৬.২৫০ কেজি এবং ৫০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট উদ্ধার করেছে পুলিশ। তৃণমূলের অভিযোগ বিজেপি কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়ে এসব করাচ্ছে।ঘাসফুল শিবির অবশ্য পুরো বিষয়টিতে চক্রান্ত হিসাবে দেখছে। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি অশোক ঘোষ বলেন, মনোজ খুব ভালো ছেলে। যেদিন থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছে বিজেপি সেদিন থেকে ওর পিছনে লেগেছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে।বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, তৃণমূল মানেই বোমা বারুদ। ফলে ওদের বাড়ি থেকে তো বিস্ফোরক উদ্ধার হবেই। এটাই স্বাভাবিক।

জুন ২৮, ২০২৩
রাজ্য

এবার গরুপাচার কাণ্ডে দিল্লিতে ইডির হাতে গ্রেফতার অনুব্রত কন্যা সুকন্যা

গরুপাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডলেক ১১ অগাস্ট সিবিআই গ্রেফতার করেছিল। এখন তিনি তিহার জেলে রয়েছেন। এবার গরুপাচার মামলায় দিল্লিতে ইডি তলব করেছিল অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মন্ডলকে। সেখানে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। এদিন জবাবে অসঙ্গতি মেলায় সুকন্যাকে গ্রেফতার করেছে ইডি। এর আগে গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন, তাঁর ব্যক্তিগত হিসাবরক্ষককে। ইডি সূত্রে খবর, বারে বারে ইডিকে বিভ্রান্তি করে চলেছিল সুকন্যা। তিনি নিজে নাকি টাকা পয়সার হিসেব রাখতেন। একধাক্কায় কি করে কোটি কোটি টাকার মালিক হলেন তিনি? এই প্রশ্নের সঠিক জবাব তিনি দিতে পারেননি। শেষমেষ এদিন গ্রেফতার করা হয় সুকন্যাকে। আগামিকাল তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে। জানা গিয়েছে, ৫ দিনের হেফাজত চাইবে ইডি। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিক্রিয়া, আইনি প্রক্রিয়ায় দল নাক গলাবে না{ তবে মাতৃহারা সুকন্যাকে বাইরে রেখে কি তদন্ত করা যেত না? বিজেপির প্রতিক্রিয়া, গরুপাচার কাণ্ডে জড়িত বলেই গ্রেফতার করা হয়েছে অনুব্রত কন্যাকে। আগেই বলা হয়েছিল অভিযুক্ত কেউ ছাড়া পাবে না।

এপ্রিল ২৬, ২০২৩
রাজ্য

অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের ‘দখলীকৃত’ জমি খালি করার চূড়ান্ত নোটিস বিশ্বভারতীর

বিশ্বভারতী ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের মধ্যে জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব যেন কিছুতেই মেটার নয়। এই গন্ডগোলের মাঝে অমর্ত্য সেনের বাড়িতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। জমি সংক্রান্ত বিষয়ে সবরকম আশ্বাস দিয়ে এসেছিলেন অর্থনীতিবিদকে। এদিকে ফের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ। একেবারে অমর্ত্য সেনের বাড়ি প্রতীচীর গেটে সেই নোটিস সাঁটিয়ে দিয়ে এসেছে। নোটিসে বলা হয়েছে ১৫ দিনের মধ্যে অমর্ত্য সেনের বাড়ি প্রতীচীর দখল করা ১৩ ডেসিমেল জায়গা খালি করতে হব। জানা গিয়েছে, বুধবার রাত ১১ টা নাগাদ সেই নোটিস জারি করা হয়েছে। নোটিসে স্পষ্ট বলা হয়েছে, জমি খালি না করলে উচ্ছেদ করা হবে।এর আগেও অমর্ত্য সেনকে নোটিস দিয়েছিল বিশ্বভারতী কতৃপক্ষ। এবার আর শুধু নোটিস দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্ষান্ত থাকেনি। অমর্ত্য সেনের দখল করা জমি উদ্ধারে চূড়ান্ত পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এই পদক্ষেপের পাল্টা আইনি যুক্তি দিয়ে বিশ্বভারতীকে চিঠি দিয়েছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। অমর্ত্য সেন চিঠিতে জানতে চেয়েছেন যে, কোন আইনে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তাঁকে উচ্ছেদ করার কথা বলেছে। গত ১৭ এপ্রিল অর্থনীতিবিদ বিশ্বভারতীর যুগ্ম কর্মসচিবকে এই চিঠি দিয়েছিলেন। চিঠিতেই অমর্ত্য সেন জানিয়েছেন তিনি জুন মাসে শান্তিনিকেতনে ফিরবেন।

এপ্রিল ২০, ২০২৩
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

১০০ দিনের কাজ নিয়ে হাইকোর্টে বড় ধাক্কা কেন্দ্রীয় সরকারকে

গতকালই ওবিসি মামলায় হাইকোর্টে জোরদার ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। এবার ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বড় ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার নজিরবিহীন একটি নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পশ্চিমবঙ্গে ফের ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প চালু করতে হবে, এই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ১ আগস্ট থেকেই এই প্রকল্প চালু করতে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ।উল্লেখ্য, বাংলায় ১০০ দিনের কাজের টাকা বহুদিন ধরে আটকে রেখেছে কেন্দ্র, এই অভিযোগ করে আসছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রাজ্য সরকারের একাধিক মন্ত্রী এই ব্যাপারে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বারবার সমালোচনায় সরব হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে লাগামহীন দুর্নীতি হয়েছে। এই দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্র বেশ কয়েকটি দলও বাংলার জেলায় জেলায় পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী আদালতে জানিয়েছিলেন, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গে মোট ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে গরমিল ধরা পড়েছে।। তার মধ্যে ২ কোটিরও বেশি টাকা পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে। হুগলি, মালদা, বর্ধমান, দার্জিলিংয়ের মতো জেলাগুলিতে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। ১০০দিনের কাজের প্রকল্পে টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে বেনজির দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রের।রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প আটকে থাকা নিয়ে মামলার শুনানি বুধবার ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনেছেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এরপর প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছেন যে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের জন্যই বিশেষ কোনও বেঁধে দিতে পারে কেন্দ্র। এই রায়ের পর সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ১০০ দিনের পুরনো বকেয়া টাকা ফেরত দিতে হবে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর

পাঁচ লক্ষ টাকা তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর এবং সালিশি করে গ্রাম ছাড়া করার অভিযোগ উঠলো স্থানীয় একদল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকায়। এই ঘটনায় আক্রান্ত ব্যবসায়ীর পরিবার কালিয়াচক থানার দ্বারস্থ হলেও চারদিন পরে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে বুধবার ওই ব্যবসায়ী দম্পতি সমস্ত ঘটনার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানালেন পুলিশ সুপারের কাছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব। এদিকে কালিয়াচকের ওই ব্যবসায়ীর ওপর আক্রমণ এবং পাঁচ লক্ষ টাকা তোলাবাজির ঘটনায় রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলার সর্ববৃহৎ ব্যবসায়ীদের সংগঠন মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বারবার যদি ব্যবসায়ীদের ওপর দুষ্কৃতীদের হামলা নেমে আসে, তাহলে আমরা যাব কোথায়। অবিলম্বে পুলিশ সুপার যাতে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে, সেই আবেদন জানাচ্ছি। এদিকে পুলিশকে অভিযোগে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকার পোশাক ব্যবসায়ী মহম্মদ রহিম বিশ্বাস জানিয়েছেন, পুরনো একটি মামলার ঘটনায় গত শনিবার এলাকার এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী জহরুল খান এবং তার দলবল তাকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাদের একটি ডেরায় তাঁকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর পাঁচ লক্ষ টাকার তোলা চাওয়া হয়। সেই টাকা না দেওয়ায় আশেপাশের আরও কিছু সাগরেদদের জুটিয়ে সালিশি ডাকা হয়। সেই সালিশির মাধ্যমে তাদের পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। আর এই ঘটনার পর থেকেই গত চারদিন ধরেই ওই ব্যবসায়ী পরিবার নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন হয়ে রয়েছেন। এমনকি ফতেখানি স্ট্যান্ডের কাছে ওই ব্যবসায়ী তার নিজের পোশাকে শোরুম খুলতে পারছেন না।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

বাংলা দিবস পালন নিয়ে বিজেপিকে কড়া তোপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

বাংলা দিবস পালন নিয়ে ফের বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে বাগযুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। আগামী ২০ জুন বাংলা দিবস পালন করা হবে বলে উত্তরপ্রদেশের বিশেষ সচিব পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি দফতরকে একটি চিঠি দিয়েছে। আলাদা করে বাংলা দিবস পালনের দিন নির্ধারণ নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ইস্যুতে BJP-র কড়া জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২০ জুন প্রতিটি রাজ্যের রাজভবনে বাংলা দিবস পালন করা হবে বলে ঠিক করা হয়েছে। এই তারিখ কীভাবে ঠিক করা হল? দেশ স্বাধীন হয়েছে ১৫ আগস্ট। বাংলার প্রতিষ্ঠা দিবস আপনারা ঠিক করে দেবেন? বিজেপি ইচ্ছা মতো চাপিয়ে দেবে? এটা বাংলাকে চরম অসম্মান বলে আমরা মনে করছি। বাংলা দিবস বাংলার সরকার পালন করবে। সেটা ১ বৈশাখ।এদিন কেন্দ্রকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রীর আরও তোপ, সব বুলডোজ করছে, দেশে জুমলা সরকার চলছে। পেহেলগাঁওয়ের পর সবাই বিশেষ অধিবেশন ডাকার কথা বলেছে। বিরোধীরা সবাই অধিবেশন ডাকার কথা বলেছিল। কেন বিশেষ অধিবেশন ডাকা হবে না?একশো দিনের কাজের টাকা চার বছর ধরে বন্ধ করেছে। আবাস যোজনার টাকা দিচ্ছে না। রাজ্য সরকার নিজে সেই টাকা খরচ করে উন্নয়ন বজায় রেখেছে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

ভাগীরথী সেতুতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, লরির চাকায় পিষ্ঠ হয়ে মৃত্যু রোগীর

মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ভাগীরথী সেতুর উপর ঘটল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বুধবার দুপুরে চলন্ত লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। মৃতের নাম হরেন মণ্ডল (৬৩)। তিনি ঝাড়খণ্ডের পাকুর জেলার বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।জানা গিয়েছে, বুধবার সকালেই অসুস্থতা জনিত কারণে হরেন মণ্ডলকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পুত্রবধূ। দুপুরে বৌমা ফুলতলা বাজারে ফল কিনতে গেলে অনেকক্ষণ কেটে গেলেও তিনি না ফেরায়, চিন্তায় পড়ে বৃদ্ধ খুঁজতে বের হন। খুঁজতে খুঁজতে উঠে পড়েন ভাগীরথী সেতুর উপর। সেই সময় এক চলন্ত লরির সামনে পড়ে যান তিনি। অসাবধানতাবশত লরির চাকায় পিষ্ট হন হরেন মণ্ডল। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ ও রঘুনাথগঞ্জ সদর ট্রাফিক গার্ড। কিছু সময়ের জন্য সেতুর উপর যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে পুলিশ ব্যবস্থা নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ কী, লরি চালকের গাফিলতি ছিল কিনাতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।এই দুর্ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর এমন মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার ও হাসপাতাল চত্বরে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পরেও কি ভাবে রাজ্য সড়কে পৌছালো ঐ রুগী তা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে একলাবাসীর মধ্যে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

রায়নার বিধায়কের কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী

রায়নার বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভাতেই বিধায়ক শম্পা ধারা কন্যা সন্তান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে হাজির হন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নাম রাখেন ঐশী। আশাপূরণ হওয়ায় শম্পা ধারা বেজায় খুশি। মেয়ের অন্নপ্রাসন অনুষ্ঠানের দিনও নির্দিষ্ট করে ফেলেছেন বিধায়ক। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য শম্পা ধারা এদিন মুখ্যমন্ত্রী সহ সকল বিধায়ককে নিমন্ত্রণও করেন।শম্পা ধারার কন্যার এখন বয়স মাত্র সাড়ে চার মাস। বাংলার অগ্নিকন্যা তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্তত তাঁর কন্যার নামকরণ করে আশীর্বাদ করুন, এমনটাই স্বপ্ন ছিল রায়নার তৃণমূল বিধায়কের। সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষে নিজের শিশু কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে সোমবার দুপুরে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের সামনে পৌছে যান পূর্ব বর্ধমানের বিধায়ক। মুখ্যমন্ত্রী ঘর থেকে বের হতেই বিধায়ক শম্পা তাঁর কন্যার নামকরণ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেন। নিজের দলের বিধায়কের সেই অনুরোধ ফেরাননি মুখ্যমন্ত্রী।শম্পা ধাড়া জানান, চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি তাঁর কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে। শম্পা ধারার কথা অনুযায়ী নাম করণ করে দেওয়ার পর তাঁর মেয়ের মাথায় হাত দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশীর্বাদ করেছেন। এটাই তো তাদের কাছে অনেক বড় পাওয়া। এর জন্য তিনি গর্বিত বোধ করছেন।তাঁর খুব আনন্দও হচ্ছে।

জুন ১৭, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

কেশরী চ্যাপ্টার টু, ইতিহাস বিকৃত করার ভয়ঙ্কর অভিযোগ

ইতিহাসের একটি পরিচিত অধ্যায় ইংরেজ শাসনের সময় বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী ও বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বোস ও প্রফুল্ল চাকী কুখ্যাত ইংরেজ জাজকে বধ করার চেষ্টা করেছিল। এর ভিত্তিতে ক্ষুদিরাম বোসের ফাঁসি হয়েছিল এবং প্রফুল্ল চাকীও পুলিশের হাতে যাতে ধরা না পড়ে তার জন্য নিজের প্রাণ নিজের হাতে নিয়েছিল। বিধাননগর দক্ষিণ থানাতে অভিযোগ এসেছে যে একটি সিনেমা ইদানিংকালে লাইভ স্ট্রিমিং হচ্ছে সিনেমাটির নাম হচ্ছে কেশরী চ্যাপ্টার টু। সেই সিনেমাটি জিও হটস্টারে দেখানো হচ্ছে লাইভ স্ট্রিমিং এর মাধ্যমে সেখানে একটা দৃশ্যে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম বোসের নামকে ক্ষুদিরাম সিং বলা হয়েছে এবং প্রফুল্ল চাকির সেখানে কোন উল্লেখ নেই।বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী অরবিন্দ ঘোষের ছোট ভাই বিরেন্দ্র কুমার ঘোষ তিনি ও বিপ্লবী ছিলেন উনার নামটাকে বারিন্দ্রা কুমার বলে বলা হচ্ছে। শুধুমাত্র ঐতিহাসিক তথ্যগুলোকে বিকৃত করা হয়নি, বরঞ্চ স্বাধীনতা সংগ্রামী যারা আছেন তাদের নামটাকে বিকৃত করে তাদের গরিমাটাকে কিছুটা হলেও ম্লান করার চেষ্টা হয়েছে এবং করা হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে একটা কেস করা হয়েছে। এটাও দেখানো হয়েছে খুদিরাম বোস এবং বারিন্দ্র ঘোষ ওনারা অমৃতসরের ছাত্র ছিলেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগটা করা হয়েছে। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিধান নগর দক্ষিণ থানাতে একটি কেস রুজ করা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।

জুন ১৭, ২০২৫
কলকাতা

ভূয়ো কল সেন্টারের পর্দা ফাঁস, বাগুইআটিতে গ্রেফতার ৬

গোপন সূত্রে প্রাপ্ত সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বাগুইহাটি থানা অধীনস্ত সৃষ্টি অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল এবং পর্দা ফাঁস করে একটি ভুয়ো কল সেন্টারের। অভিযুক্তরা বিভিন্ন রাজ্যে সমাজের প্রান্তিক শ্রেণীর মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ করত এবং কম সুদে ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের কস্টার্জিত অর্থ হাতিয়ে নিতো।স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগের ভিত্তিতে বাগুইআটি থানায় কেস নাম্বার ৩৮২/২০২৫ মামলা রুজু হয়। এই অভিযানে মোট ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং উদ্ধার হয়েছে বহু বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ইত্যাদি। এই মামলার তদন্ত চলছে। ধৃতদের আজ আদালতে পেশ করা হলে তাদের প্রত্যেকের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন মঞ্জুর হয়। মামলার তদন্ত চলছে।

জুন ১৭, ২০২৫
রাজ্য

তৃণমূলের দলীয় বৈঠকে মমতাবালাকে কটুক্তির অভিযোগ, উপপ্রধানকে গ্রেফতারের দাবি

দলীয় বৈঠক তৃণমূল উপপ্রধানের গালাগাল ও কটুক্তির শিকার তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতা ঠাকুর। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন তৃণমূল কর্মী। সরব হলেন মতুয়া ভক্তরা। পার্থ ভৌমিকের সম্পর্কে কিছু কথা বলার জন্যে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে, আর কিছু নয় বলে দাবি তৃণমূল জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের।একুশে জুলাই এর প্রস্তুতি সভা ছিল সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙ্গায়। অভিযোগ, সেখানে বক্তব্য রাখার সময় গোপালনগর চৌবেরিয়া ১ নাম্বার গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করেন। এমনকি বৈঠক শেষে মমতা ঠাকুর বাইরে বের হলে তাঁকে উদ্দেশ্য করে সুনীলসহ আরও কয়েকজন কটুক্তি করে এবং অশ্লীল অঙ্গিভঙ্গি করে, এমনকি তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়। এবং ছোট জাত বলে আক্রমণ করা হয়। এই মর্মে সোমবার রাতে সব্যসাচী ভট্ট নামে এক তৃণমূল কর্মী গাইঘাটা থানায় এফ আই আর দায়ের করেন। অভিযোগ করার সময় সব্যসাচীর সঙ্গে ছিলেন মতুয়া ভক্তরা ও গোসাইরা। অভিযুক্তর গ্রেফতারের দাবি করেন তারা। তারা বলেন, মাকে গালাগালি দেওয়া মানে আমাদের মতুয়া সমাজকে গালি দেওয়া। এটা আমরা কোনওভাবেই মেনে নেব না। ২৪ ঘন্টার মধ্যে যদি অভিযুক্তকে গ্রেফতার না করা হয় তাহলে তীব্র প্রতিবাদ হবে।এই বিষয়ে অভিযুক্ত চৌবেড়িয়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার জানিয়েছেন, মমতা ঠাকুর বক্তব্য রাখতে গিয়ে নানা কথার মধ্যে দিয়ে জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস ও পার্থ ভৌমিককে আক্রমণ করছিল। আমি শুধু প্রতিবাদ করে বলেছি আপনাদের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের বৈঠকে এটা আলোচনা করবেন। আমি যদি উনাকে গালাগাল করে থাকি সেটা প্রমাণ করুক। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যদিও বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস জানিয়েছেন, গতকাল একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় চেয়ারম্যান পার্থ ভৌমিক সম্পর্কে কিছু কথা বলাতে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আর কিছু নয়। তৃণমূলের সভায় মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালাগাল ও জাত তুলে কটুক্তি নিয়ে কটাক্ষ করা প্রসঙ্গে শান্তনু ঠাকুর বলেন, ওদের নেত্রী হরিচাঁদ গুরুচাঁদ নিয়ে যা বলেছেন তাতে ছোট নেতা কি বলবে। মমতা ঠাকুর হারিকাঠে গলা দিয়েছে, কি হবে বুঝতে পারছে না। ওর লজ্জা ঘৃণা ভয় কিছু নেই। এই বিষয়ে মমতা ঠাকুরবালার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

জুন ১৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal