• ২৪ আশ্বিন ১৪৩২, মঙ্গলবার ১৪ অক্টোবর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

West BEngal

রাজ্য

তীব্র দহনে ছাড়খাড় বাংলা, বর্ষা কবে প্রবেশ করবে বঙ্গে? জানুন আপডেট

তীব্র দাবদহে ঝলসে যাচ্ছে বাংলা। সকাল হতেই রোদের জ্বলন, বেলা বাড়তেই গরমও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি এখন যেন স্বাভাবিকের কোটায়। দক্ষিণবঙ্গ ও জঙ্গলমহল পুড়ে ছাড়খাড়। এখন বঙ্গবাসীর মনে একটাই প্রশ্ন বৃষ্টি কবে আসছে? চাতক পাখীর মতো অবস্থা সারা বাংলার। তবে বর্ষা নিয়ে কোনও আশারবানী শোনাতে পারছে না হাওয়া অফিস। বরং আলিপুর হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী তাপপ্রবাহ চলতে থাকবে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হলেও বর্ষার কোনও সম্ভাবনাই এখন নেই। বর্ষা আসতে এবার দেরি হবে। সাধারণত বঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করে ৮-১০ জুন নাগাদ। উল্টে রাজ্যের বেশ কিছু জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয় দফতর। আলিপুর হাওয়া অফিসের আধিকারিক সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কেরলে বর্ষা প্রবেশের ইতিমধ্যে ৬দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত তা লাক্ষাদ্বীপের কাছেই আটকে আছে। এদিকে দক্ষিণ-পূর্ব আরব সাগরে ঘুর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এই নিম্নচাপ আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টায় গভীর থেকে অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। শেষ পর্যন্ত এর হাত ধরেই কেরলে বর্ষা প্রবেশ করতে পারে। ভারতের মূল ভূখণ্ড কেরলের পর দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু একেবারে দক্ষিণ ভারত থেকে উত্তর-পূর্ব ভারতে চলে আসে। উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্য অসম, মেঘালয় হয়ে তা উত্তরবঙ্গে প্রবেশ করে বর্ষা। সাধারণত জলপাইগুড়িতে ৭ জুন বর্ষা প্রবেশের স্বাভাবিক দিন। এখন রাজ্যে যে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি চলছে তাতে এবার বর্ষা বেশ কয়েক দিন পরে ঢুকবে বলে অনুমান আবহাওয়াবিদদের। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অনুকূল পরিস্থিতি না থাকার কারণেই দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢুকবে দেরিতে।

জুন ০৬, ২০২৩
রাজনীতি

বঙ্গে কেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ? কটাক্ষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

কলকাতায় এসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সোমবার রাতে দমদমে নেতাজি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অমিত শাহকে স্বাগত জানান বিজেপির রাজ্য় সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীসহ রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। অমিত শাহর রাজ্য সফর নিয়ে গতকাল নবান্নে কটাক্ষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগে মনিপুর যাওয়া উচিত ছিল বলে মনে করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।মনিপুরে সংঘর্ষে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বাড়ির পর বাড়িতে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। মনিপুর জুড়ে ১৪৪ কার্ফু জারি রয়েছে। সেই মনিপুর ছেড়ে বাংলায় কেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ? প্রশ্ন তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, অমিত শাহ বাংলায় আসতেই পারেন। তাতে মনে করার কিছু নেই। কিন্তু আগে মনিপুরে নয় কেন? যে রাজ্য হিংসায় জ্বলছে। বাংলায় কিছু ঘটলে পরের দিনই তো প্রতিনিধি পাঠিয়ে দেন।মঙ্গলবার একাধিক কর্মসূচি রয়েছে অমিত শাহর। ভারত-বাংলাদেশ পেট্রোপল সীমান্তে সরকারি অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। রবীন্দ্র জয়ন্তী উপলক্ষ্যে অমিত শাহ যাবেন জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে। এদিন বিকেলে সায়েন্স সিটির মঞ্চে খোলা হাওয়া আয়োজিত রবীন্দ্র স্মরণ অনুষ্ঠানেও হাজির থাকবেন অমিত শাহ। রাজনৈতিক মহলের মতে, বিজেপিকে বহিরাগত তকমা দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসে। সেই তকমা ঘোচাতেই বিজেপির রবীন্দ্র স্মরণ। বিজেপি যে বাঙালি বিদ্বেষী নয় তা বোঝাতে মরিয়া গেরুয়া শিবির।

মে ০৯, ২০২৩
রাজ্য

কেন বাংলায় নিষিদ্ধ ‘দ্য কেরালা স্টোরি’? কি বলছেন মুখ্যমন্ত্রী ও সংঘ পরিবার?

বাংলায় দ্য কেরালা স্টোরি নিষিদ্ধ করেছে রাজ্য সরকার। নিষিদ্ধ ঘোষণার আগে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে দ্য কেরালা স্টোরি তৈরি করে বিজেপি উদ্দেশ্য প্রণোদিত উসকানি দিচ্ছে। দ্য কেরালা স্টোরি নিষিদ্ধ করতে মুখ্যসচিবকে বিশেষ নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের শান্তি সৌহার্দ্য বজায় রাখতেই এই পদক্ষেপ বলে খবর। যদিও বিজেপি ও হিন্দু সংগঠনগুলির দাবি, সংখ্যালঘু তোষণ করতেই দ্য কেরালা স্টোরি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।সোমবার নবান্নে দ্য কেরালা স্টোরি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আগেই অস্বস্তি ব্যক্ত করেন। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় এই সিনেমা নিয়ে বিজেপিকে নিশানা করেন। মমতার দাবি, ওরা বিভাজনের রাজনীতি করছে। কেন দ্য কাশ্মীর ফাইলস বানালো ওরা? এক শ্রেণীর মানুষকে কটাক্ষ করার জন্য। এখন কেরালা স্টোরি বানিয়েছে। ওটা সিপিএম-এর রাজ্য। আমি ওদের একেবারেই সমর্থন করি না। ওরা বিজেপি-র সঙ্গে চলছে।মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, বিজেপি মনোনীত কিছু তারকা তো বাংলাতেও এসেছিলেন। তাদের টাকা দেয় বিজেপি। তথ্য বিকৃত করে তারা নাকি বেঙ্গল ফাইলস নামে একটি ছবি বানাচ্ছে। আগে কাশ্মীর ফাইলস, তারপর দ্য় কেরল স্টোরি, এবার বাংলার মানুষদের তাতাতে বেঙ্গল ফাইলস তৈরি করা হচ্ছে। এভাবে বাংলাকেও অপমান করার চেষ্টা করছে। ওরা বলছে, সেভ বেঙ্গল। কেন? শান্তিপ্রিয় একটা রাজ্য বাংলা। বিজেপি ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছে কেন?তবে মুখ্য়মন্ত্রীর সিনেমা নিষিদ্ধ ঘোষণার পর বিজেপি ও সংঘ পরিবার একযোগে প্রতিবাদে সামিল হয়েছে। দ্য কেরালা স্টোরির বাঙালি পরিচালক সুদীপ্ত সেন আদালতে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী আইসিসকে সমর্থন করছেন। তিনি সন্ত্রাসবাদীদের পক্ষে সমর্থন করছেন। আরএসএস ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দাবি, সত্যি ঘটনাকে আড়াল করতে চাইছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। সংখ্যালঘু ভোট ব্যাংক টিকিয়ে রাখতেই এই পদক্ষেপ। বাঙালি হিন্দুদের অস্তিত্ব বিপন্ন নিয়ে সিনেমা হওয়া উচিত বলেও মনে করে সংঘ পরিবার। পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য সাংগঠনিক পর্যায়ে বৈঠক করছে আরএসস ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।

মে ০৯, ২০২৩
কলকাতা

পোষ্যকে হাতে নিয়েই ট্রেডমিলে ঘাম ঝড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ভিডিও ভাইরাল

ট্রেডমিলে হাঁটতে হাঁটতে বাজেট তৈরির কথা আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যখন তিনি হাঁটার সময় পান না তখন ট্রেডমিলেই সেই কাজ সেরে নেন। রবিবার ছুটির দিনে ইনস্টাতে ট্রেড মিলে হাঁটার ভিডিও পোস্ট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে পোষ্যকে হাতে নিয়েই ট্রেডমিলে ঘাম ঝড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। কয়েক সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে তাঁর হাতে মিষ্টি দেখতে একটি লোমশ বিদেশি কুকুর রয়েছে। সেই কুকুরটি হাতে নিয়েই ট্রেডমিলে হাঁটছেন মমতা। অবাক পানে তাকিয়ে রয়েছে কুকুরটি। সে কোনও দুষ্টমি করছে না।বাংলার মুখ্যমন্ত্রী যখন মিছিলে হাঁটেন তখন তাঁর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পারেন না নেতা-নেত্রীরাও। এমনকী তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরাও প্রায় ছুটতে থাকেন। যখন বাইরে হাঁটার সময় পান না তখন ট্রেড মিলেই হাঁটা সেরে নেন তিনি। এবার ট্রেডমিলে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে ওই মিষ্টি পোষ্যকে দেখে নেটিজেনরা মজার মজার মন্তব্য করেছেন।

মে ০৭, ২০২৩
রাজ্য

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সোমবার থেকে ছুটির ঘোষণা সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে

মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে ছুটির বিজ্ঞপ্তি জারি করল রাজ্য সরকার। আগামী কাল সোমবার থেকে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় এক সপ্তাহ ছুটি থাকবে অতিরিক্ত গরমের জন্য। মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিও ছুটির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। সরকারি নির্দেশ মেনে বর্ধমান মডেল স্কুলও ছুটি ঘোষণার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।গত কয়েক দিন ধরেই টানা রোদে-গরমে পুড়ে ছারখার বাংলা। তীব্র দাবদাহের পরিস্থিতি বিবেচনা করে রবিবার সকালেই রাজ্যের সব সরকারি স্কুলে কাল থেকেই ছুটি ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী সপ্তাহেই রাজ্যের সরকারি-বেসরকারি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়কে ছুটি দিতে বলেছেন। সপ্তাহের শুরু সোমবার থেকে শনিবার পর্যন্ত সরকারি স্কুল-কলেজ সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটির ঘোষণার কথা জানিয়ে দেন তিনি। বেসরকারি স্কুল-কলেজগুলিকেও ছুটি দিতে অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের পাহাড়ী এলাকা এই ছুটির আওতা থেকে বাদ যাবে। রাজ্যে একাধিক জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি রয়েছে। যা আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত থাকার সম্ভাবনা আছে। তীব্র গরমে ছাত্র-ছাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে বলে মনে করছে রাজ্য। তাই আগাম গরমের ছুটির ঘোষণা।

এপ্রিল ১৬, ২০২৩
সম্পাদকীয়

ডিএ নিয়ে মিছিল, অনশন-অবস্থানে উত্তপ্ত রাজ্য, বাকি বিষয়গুলির কি হবে?

ডিএ থেকে সরকারি কর্মীরা যেন বঞ্চিত না হন, এই দাবিতে জোরদার আন্দোলন চলছে। সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে ডিএ নিয়ে। আইনের কচকচানি ছেড়ে ডিএ নিয়ে কোনও প্রশ্ন না তুলেও বলা যায় বাকি কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করা জরুরি। সেদিকেও সরকারের নজর দেওয়া বাঞ্ছনীয়।সরকারি অফিসে কি দালালরাজ বন্ধ হয়েছে? ভূমিসংস্কার দফতরে কি সহজেই কোনও কাজ করানো সম্ভব? কলকাতার সরকারি হাসপাতালে সহজেই কি ভর্তি হওয়া যায়? পেনশনের ফাইল কি সময়ে নড়াচড়া করে? পুরসভাগুলিতে কি অবস্থা? যে কোনও সরকারি অফিসে অভিজ্ঞতা কমবেশি সকলেরই আছে। অধিকাংশ সরকারি অফিসে কিভাবে রোজ দিন লক্ষ লক্ষ মানুষের কাজ করাতে গিয়ে কি হাল হয় তা অজানা নয় কারও। আর যদি সেই ব্যক্তি একটু কম বোঝেন তার কপালে দুঃখের শেষ থাকে না। সিবিআই, সিআইডি, এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ যে কেউ তদন্ত করলেই এমন দৃশ্য দেখতে পাবেন। ১০-৫টা অফিস করার জন্য সরকারি দফতরে প্রয়োজন বায়োমেট্রিক এটেনডেন্স। তা কি এখনও হয়েছে? প্রয়োজন কাজ ভিত্তিক পারফর্মেন্স রিপোর্ট। কাধে ঝোলা ব্যাগ আর পার্টির নেতা সরকারি কর্মীদের একটা অংশ বাম আমলেও কোনও কাজ করতো কিনা প্রশ্ন রয়েছে। এখনও এই অংশের কর্মীরা কাজ করেন? কাজের নিরিখেই কর্মীর যোগ্যতা নির্ধারিত হওয়া উচিত। সেই অনুযায়ী আধিকারিক বা কর্মী সেই সুযোগ-সুবিধা পাবে, গায়ে হাওয়া লাগানোর দিন কবে বন্ধ হবে?এছাড়া যে বেআইনিভাবে শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী ও গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগ হয়েছে তা আদালতের রায়েই প্রমান মিলেছে। অর্থাৎ এখনও এই সংখ্যা কত বাড়বে তার কোনও ইয়াত্তা নেই। তাহলে এই সব লোকজন জনগণের অর্থ এভাবে আত্মসাৎ করতে পারে? শুধু শিক্ষাকর্মী বা শিক্ষকদের কথা নয়, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, পুরসভায় যে সব কর্মী রয়েছেন তদন্ত করলেই তাঁদের নিয়োগের করুণ কাহিনী প্রকাশ পেতে বাধ্য। আগে বাম আমলে স্কুল ম্যানেজমেন্টের ম্যানেজের বিষয় ছিল। অর্থাৎ কমপিটিটিভ পরীক্ষা দিয়ে স্বচ্ছভাবে কতজন সরকারি কর্মী নিয়োগ হয়েছেন তার পরিসংখ্যান কি সরকার প্রকাশ করতে পাবরে? কিন্তু ডিএ-এর জন্য প্রত্যেকের মাথাব্যথা।প্রশ্ন উঠেছে, যে ভাবে সরকারি ও সরকারি পোষিত সংস্থায় নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে সেক্ষেত্রে ডিএ নিয়ে সাধারণের মনে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক নয় কি? সরকারি নিয়োগে স্বচ্ছতা, বায়োমেট্রিক হাজিরা, কর্মক্ষেত্রের সুষ্ঠু পরিবেশ, সাধারণের জন্য কাজ করার মানসিকতা তৈরি হওয়া প্রয়োজন। ডিএ-র সঙ্গে এই সব দাবি দাওয়া পূরণ করা উচিত নয় কি?

মার্চ ১৫, ২০২৩
রাজ্য

'পাঠান' শাহরুখ প্রচন্ড ব্যস্ত, সাংসদ অভিনেতা দেবকে বড় দায়িত্ব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা

তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেতা দেবকে পর্যটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হওয়ার প্রস্তাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেব ঘাড় নেড়ে সেই প্রস্তাবে রাজিও হয়ে যান। রাজ্যের পর্যটন দফতরের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসাবে কাজ করবেন টলি অভিনেতা।বুধবার নবান্ন সভাগৃহে ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোমোশনের বৈঠক চলছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দেবও। হঠাৎই মুখ্যমন্ত্রী দেবকে বলেন, তুমি বাংলার অ্যাম্বাসাডর হও। দেব মাথা নাড়ে। প্রশ্ন ওঠে তাহলে কি বলিউডের বাদশা শাহরুখ খান থাকছে না। বিষয়টি স্পষ্ট করে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, তা নয়। শাহরুখ ব্যস্ত। তাই পর্যটনের ব্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হচ্ছে দেব। এ ব্যাপারে বিজ্ঞাপন তৈরির জন্য গৌতম ঘোষকে দায়িত্ব দেওয়ার কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী দেবকে বলেন, তুমি আরও দু তিনজনকে সঙ্গে নিয়ে নাও।

মার্চ ১৫, ২০২৩
রাজ্য

১০ মার্চ ছাত্র ধর্মঘটের ডাক বাম ছাত্র সংগঠনের

আজ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এআইডিএসও র ছাত্র মিছিল কলেজ স্কোয়ার পরিক্রমা করে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে শেষ হয়। বিষয়ঃ রাজ্যের ৮২০৭ টি সরকারি স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার চক্রান্ত রুখতে, দুর্নীতি মুক্তভাবে সমস্ত শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ সহ সরকারি স্কুলের পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২০ বাতিলের দাবিতে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার সুযোগ হরণকারী শিক্ষা নীতির বিরুদ্ধে, সরকারি শিক্ষা বাঁচানোর লক্ষ্যে রাজ্যের সংগ্রামী শিক্ষাপ্রেমী মানুষ, এবং এই উদ্দেশে আগামী ১০ মার্চ সারা বাংলা ছাত্র ধর্মঘটের ডাক । এআইডিএসও র আরো দাবী রাজ্যের ৮২০৭ টি স্কুলের যে ভয়াবহ চিত্র প্রকাশিত হয়েছে তা পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র শিক্ষক অভিভাবক সহ সমস্ত শিক্ষাপ্রেমী মানুষকে উদ্বিগ্ন করেছে। সম্প্রতি রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের স্কুল পর্যবেক্ষনের রিপোর্ট অনুযায়ী রাজ্যে ৩০ জনের কম ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে চলছে এমন স্কুলের সংখ্যা কলকাতা সহ প্রতিটি জেলায় কয়েকশ। সরকারি স্কুলে ছাত্র সংখ্যা কমে যাওয়ার ঘটনা আকস্মিক নয়। বামফ্রন্ট সরকারের সময়েও ছাত্র সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া স্কুলের সংখ্যা নেহাতই কম ছিল না। বর্তমান তৃণমূল সরকার এখনও পর্যন্ত এবিষয়ে সদর্থক কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। বামফ্রন্ট সরকার প্রাথমিকে পাশফেল তুলে দিয়ে স্কুল শিক্ষার সর্বনাশ শুরু করে ড্রপআউট বৃদ্ধির প্রচেষ্টা শুরু করেছিল আর বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাশফেল তুলে দিয়ে স্কুল শিক্ষাকে পুরোপুরি ধ্বংসের দিকে নিয়ে এসেছে৷ পাশাপাশি সরকারি স্কুলে প্রত্যেক বছর ব্যাপক ফি বাড়ানো হচ্ছে, যার ফলে সাধারণ দরিদ্র পরিবারের ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারছে না। কোভিড পরিস্থিতির পরে পরিবারগুলোর রোজগারের পথ যখন বন্ধ হয়ে পড়েছে এবং এখনও রাজ্য সরকার শিক্ষার ফি মকুব করার মতন ছাত্রস্বার্থবাহী পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। উপরন্তু মুখে কেন্দ্র সরকারের বিরোধিতা করলেও কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের নিয়ে আসা জাতীয় শিক্ষা নীতিকে তারা এ রাজ্যে চালু করেছে। যে শিক্ষা নীতি গণতান্ত্রিক, সার্বজনীন শিক্ষাকে ধ্বংস করে গোটা শিক্ষা ব্যবস্থাকে কর্পোরেট পুঁজির লুঠের মৃগয়াক্ষেত্রে পরিনত করছে। আর এক দিকে পাশ ফেল না থাকা, রাজ্যের স্কুলগুলোতে শিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি এবং শিক্ষকের অভাব সরকারি স্কুলের পরিকাঠামোর বেহাল পরিস্থিতি তৈরি করেছে। ফলে সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংখ্যা কমে যাওয়া কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। আরও আশঙ্কা এই শিক্ষা নীতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ছাত্র সংখ্যা কম এই অজুহাতে এই সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকেই পিপিপির আওতায় এনে সাধারণ মানুষের ট্যাক্সের টাকায় গড়ে ওঠা প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেশি বিদেশি মালিকদের হাতে তুলে দেবে সরকার। সেখানে রমরমিয়ে চলবে শিক্ষা ব্যাবসা। যার সাথে দেশের গরীব পরিবারের ছাত্রছাত্রীদেরর কোনও সম্পর্ক থাকবে না। এই প্রক্রিয়ার একটু একটু করে চলে যাবে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার সুযোগ। তাই সরকারের এই শিক্ষা স্বার্থবিরোধী, সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার সুযোগ হরণকারী শিক্ষা নীতির বিরুদ্ধে, সরকারি শিক্ষা বাঁচানোর লক্ষ্যে রাজ্যের সংগ্রামী শিক্ষাপ্রেমী মানুষ, ছাত্র শিক্ষক অভিভাবকদের উদ্দ্যেশ্যে আগামী ১০ মার্চ ছাত্র ধর্মঘটের আহ্বান রাখছি আমরা।

মার্চ ০২, ২০২৩
রাজ্য

DA-র দাবিতে নাছোড়বান্দা সরকারি কর্মীরা এবার ধর্মঘটের পথে, অচল হবে অফিস

কর্মবিরতির পর এবার ধর্মঘটের ডাক। বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আগামী ১০ মার্চ সরকারি দফতরে বনধের ডাক দিলেন যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ ও কো অর্ডিনেশন কমিটি। এর আগে ধর্মঘটের দিন ঘোষণা হয়েছিল ৯ মার্চ। ওই দিন মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা আছে। তাই এই পরিবর্তন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি ডিএ-র দাবিতে কর্মবিরতি পালন করে সরকারি কর্মীদের একাংশ।বকেয়া ডিএ-র দাবিতে ১০ মার্চ বন্ধ ডাক। কো-অর্ডিনেশন কমিটির সঙ্গে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। কর্মবিরতির দিন সরকার বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিশেষ নির্দেশ দিয়েছিল সরকারি কর্মীদের অফিসের কাজে যোগ দিতে। বনধেরও যে বিরোধিতা করবে রাজ্য তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। পর পর দুদিনের কর্মবিরতিতে সরকারের টনক না নড়ায় এবার পুরোপুরি ধর্মঘটের রাস্তায় হাঁটলেন সরকারি কর্মচারীরা। আগামী ১০ মার্চ হকের ডিএ-র দাবিতে প্রশাসনিক কাজকর্মে ধর্মঘটের ডাক দিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মী সংগঠনগুলি। ওই দিন সরকারি দফতরে কাজকর্ম যে লাটে উঠবে। ডিএ নিয়ে যে সরকারি কর্মচারিদের সংগঠন সহজে ছেড়ে কথা বলবে না তা স্পষ্ট করেছে তাঁরা।

ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৩
রাজ্য

রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বাজেট ভাষণে ক্ষুব্ধ বিজেপি, এক বছরেই উলোট-পূরাণ

রাজ্যপাল হায় হায় বলে স্লোগান দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্য সরকারের দেওয়া লিখিত ভাষণ পাঠ করা নিয়েই যাবতীয় বিতর্কের সূত্রপাত। রাজ্যপালের ভাষণ চলাকালীন চোর ধরো জেল ভরো স্লাগান দিতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। ছিঁড়ে দেওয়া হয় রাজ্যপালের ভাষণের কপি। ওয়াকআউট করে বিজেপি বিধায়করা। এমনকী রাজ্যপাল বিধানসভা চত্বরে গাড়িতে ওঠার সময়ও গেরুয়া শিবিরের বিধায়করা স্লোগান দিতে থাকেন।এর আগে প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের সময় বিপরীত দৃশ্য দেখা যেত। তখন রাজ্যপালকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাত তৃণমূলের মন্ত্রী-বিধায়করা, এখন রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়ছে বিজেপি বিধায়করা। একেবারেই উলোট-পূরাণ।গতবছর ২০২২ রাজ্য বাজেট অধিবেশনে তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ভাষণ না পাঠ করেই বিধানসভার কক্ষ ত্যাগ করছিলেন। তখন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজা, শিউলি সাহারা ঘেরাও করে ফেলেছিলেন ধনকড়কে। কোনওরকম ভাবে নামকা ওয়াস্তে রাজ্য সরকারের লিখিত ভাষণ পাঠ করে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর চোখের ইশারায় তৃণমূলের মহিলা বিধায়করা এমন কান্ড ঘটিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এখন বিজেপির স্লোগান-বিক্ষোভের সমালোচনা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যপাল বদলে যেতেই বদলে গেল বিধানসভার পরিস্থিতি। এমনকী রাজভবনকে তৃণমূল বলত বিজেপির সদর দফতর। এখন পরিস্থিতির অনেকটাই বদল ঘটেছে। জগদীপ ধনকড় রাজ্যপালের পদ ছেড়ে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হলে তাঁর বিরুদ্ধে ভোটই দেয়নি তৃণমূল কংগ্রেস।২৬ জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র দিবসে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের জয় বাংলা স্লোগান নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছিল। তখনও কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছে বিজেপি। তারপর সেন্ট জেভিয়ার্সে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডি লিট প্রদান অনুষ্ঠানে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করেছিলেন রাজ্যপাল।মোদ্দা কথা রাজ্যপালের কর্মকান্ডে খুশি নয় বঙ্গ বিজেপি। এখনও অবধি রাজ্যপালের অবস্থানে তৃণমূল স্বস্তিতে।

ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২৩
রাজ্য

বাংলায় স্থায়ী রাজ্যপাল ড. সিভি আনন্দ বোস

স্থায়ী রাজ্যপাল পেল পশ্চিমবঙ্গ। কেরলের বাসিন্দা ড. সিভি আনন্দ বোস নয়া রাজ্যপাল হচ্ছেন বাংলায়। অস্থায়ী রাজ্যপাল লা গণেশনের ভূমিকা নিয়ে সম্প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিজেপি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সরাসরি ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন অস্থায়ী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে। এমনকী অভিযোগত্র তুলে দেওয়ার সময় রাজ্যপাল ছিলেন না রাজভবনে। রাজ্যপালের সেক্রেটারির কাছে দাবি সনদ পেশ করেন শুভেন্দুরা। এরপরই ঘোষণা হল বাংলার নয়া রাজ্যপালের নাম।I heartily welcome the appointment of Dr. C V Ananda Bose; IAS (Retd.) as the Honble Governor of West Bengal.An eminent Civil Servant, he accomplished great feats in his career. Before retirement he served as the Chief Secretary Secretary to Government of India. pic.twitter.com/TF13XTlaFN Suvendu Adhikari শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) November 17, 2022৭১ বছরের ডঃ সি ভি আনন্দ বোস পেশায় প্রাক্তন আইএএস অফিসার। জেলা থেকে রাজ্যস্তরের প্রশাসনে নানা সময় গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। এখন আনন্দ বোস মেঘালয় সরকারের উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করছেন। নয়া রাজ্যপাল জানিয়েছেন বাংলার সঙ্গে তাঁর আত্মিক সম্পর্ক। তিনি কর্মজীবন শুরু করেছিলেন এরাজ্যেই। সেখানেই এবার রাজ্যপালের দায়িত্বভার সামলাবেন

নভেম্বর ১৭, ২০২২
কলকাতা

পুলিশের কাজে বাধা, হিংসা ছড়ানো, গ্রেফতার ৩০ জনকে আদালতে পেশ করবে পুলিশ

২০১৪ টেট উত্তীর্ণ আন্দোলনকারীদের গ্রেফতার ৩০ জনকে বৃহস্পতিবার আদালতে পেশ করা হবে। জানা গিয়েছে, এঁদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করেছে কলকাতা পুলিশ। পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া, হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। বুধবার আন্দোলনকারী অরুনিমা পালকে কামড়ে দেয় এক মহিলা পুলিশকর্মী। সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই চারিদিকে নিন্দার ঝড় ওঠে। সেই অরুনিমা পালকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যদিও কামড়ে দেওয়া পুলিশ কর্মী ভর্তি হয়েছেন এসএসকেএমে। চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলনের জেরে গতকাল উত্তাল হয়ে যায় কলকাতার রাজপথ।এর আগে সল্টলেকে করুনাময়ীতে লাগাতার অনশন অবস্থানে বসেছিল ২০১৪ টেট উত্তীর্ণরা। তখন আদালত থেকে ১৪৪ ধারা অর্ডার বের করে গভীর রাতে আন্দোলন তুলে দিয়েছিল পুলিশ। সেদিনও টেনে-হিঁচড়ে পুলিশ ভ্যানে তোলা হয়েছিল। তারপর থেকে আগের মতো ধর্মতলায় মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে আন্দোলন করছিল। এদিন এক্সাইড মোড় ও ক্যামাকস্ট্রিটে চাকরি প্রার্থীরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। পুলিশ প্রায় ২৮০ জন বিক্ষোভকারীকে আটক করে। মাথা ফেটে যায় আন্দোলনকারীদের, পুলিশের গাড়ির তলায় শুয়ে পড়ে চাকরি প্রার্থীরা। পুলিশ কামড়ে দেয় অরুনিমা পালকে। তাঁকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ২৮০ জনের মধ্যে ৩০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের আজ আদালতে পেশ করা হবে।

নভেম্বর ১০, ২০২২
রাজ্য

এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং, মাটি হতে পারে উৎসব

উৎসবের মধ্যেই ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং নিয়ে চূড়ান্ত সতর্কতা এরাজ্যেও। কালীপুজোর আনন্দ মাটি করে দিতে পারে সিত্রাং। হাওয়া অফিসের চূড়ান্ত আপডেট, মঙ্গলবার ভোরেই আছড়ে পড়বে প্রবল শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়। তবে গতি অনুযায়ী ল্যান্ডফল হবে বাংলাদেশের বরিশালে। কিন্তু এই ঝড়ের ব্যাপক প্রভাব পড়তে চলেছে উপকূলবর্তী জেলাগুলি ও দক্ষিণবঙ্গের একাংশে। ইতিমধ্যেই ভোর থেকে বেশ কয়েকটি জেলায় বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, বেলা বাড়তেই পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ভোড়ে সিত্রাং বাংলাদেশের তিনকোনা দ্বীপ ও সন্দ্বীপের মাঝামাঝি কোনও একটা জায়গায় আছড়ে পড়বে। এখানে ল্যান্ডফল না হলেও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়বে এরাজ্যেও। পূর্ব মেদিনীপুর ছাড়া সিত্রাংয়ের প্রভাব পড়বে দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনায়। বৃষ্টি হবে কলকাতাতেও।বঙ্গোপসাগরে ইতিমধ্যেই শক্তি সঞ্চয় করেছে সিত্রাং, জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এদিন ভোর থেকেই রাজ্যের একাধিক জেলায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ভারি বর্ষণের সঙ্গে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, সিত্রাং সমুদ্র থেকে স্থলভাগের কাছাকাছি আসতেই ঝড়-বৃষ্টির দাপট বাড়বে।ইতিমধ্যেই জরুরি ভিত্তিতে সরকারি দফতরের ছুটি বাতিল করেছে নবান্ন। সতর্ক রাজ্য প্রশাসন। পূর্ব মেদিনীপুর ও দুই ২৪ পরগনার জেলা প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। দুর্যোগ মোকাবিলায় সমস্তরকম ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া আগেই নিষেধ করা হয়েছে।

অক্টোবর ২৪, ২০২২
শিক্ষা

পুজোতে এসএসসি চাকরি প্রার্থীদের জন্য সুখবর, ইন্টারভিউ কালীপুজোর আগেই

এসএসসি চাকরি প্রার্থীদের পুজোর মুখে সুখবর শোনালেন স্কুল সার্ভিস কমিশন। নবম-দশম শ্রেণির চাকরি প্রার্থীরা ৫শো দিনের বেশি লাগাতার অবস্থানে বসে রয়েছেন মেয়ো রোডে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে। বিভিন্ন সময় সেখানে গিয়েছেন শাসক দল থেকে বিরোধী দলের নেতৃত্ব। আন্দোলনকারী চাকরি প্রার্থীদের আশার বানী শোনালেও তাঁদের অবস্থা না আঁচালে বিশ্বাস নেইয়ের মতো। ২০১৬ সালে এসএসসি পরীক্ষা হওয়ার ৬ বছর পর ইন্টারভিউয়ের জন্য তাঁরা ডাক পেলেন। এসএসসি সূত্রে খবর, ইন্টারভিউয়ের জন্য ১৫৮৫ জনকে ডাকা হয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে। পুজোর পর ইন্টারভিউতে ডাকা হবে চাকরিপ্রার্থীদের। স্টেট লেভেল সিলেকশন টেস্ট বা এসএলএসটি বঞ্চিত প্রার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন করে চলেছেন। মেধা তালিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। এদিন নয়া বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহ অর্থাৎ কালীপুজোর আগে ইন্টারভিউ শুরু হবে। এসএসসি-র ওয়েবসাইট http://www.westbengalssc.com থেকে চাকরিপ্রার্থীরা ইন্টারভিউয়ের চিঠি ডাউনলোড করতে পারবেন। তারপর প্রয়োজনীয় নথি নিয়ে কমিশনের অফিসে যোগাযোগ করতে হবে প্রার্থীদের।

সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২২
রাজনীতি

বঙ্গ বিজেপিতে বড় চমকঃ একমাসের মাথায় বিজেপির পর্যবেক্ষক বদল, আদিবাসী নেত্রী নয়া সহকারি

২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের পরে এরাজ্যে আর মুখ দেখা যায়নি বঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে। নির্বাচনের ১৫ মাস বাদে বাংলার পর্যবেক্ষক পদে বিজয়বর্গীয়কে সরিয়ে আনা হয় সুনীল বনশলকে। বাংলা সহ একাধিক রাজ্যের দায়িত্বে ছিলেন বনশল। দলে অমিত শাহের ঘনিষ্ঠ এই নেতাকে এক মাসের মাথায় ফের সরিয়ে দিল বিজেপি। শুক্রবার সন্ধ্যায় দলের পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করে নতুন পর্যবেক্ষক ও দুজন সহকারি পর্যবেক্ষকের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা নতুন পর্যবেক্ষক নিযুক্ত করেছেন মঙ্গল পান্ডেকে। পান্ডে বিহার বিজেপির প্রদেশ সভাপতি ছিলেন। তাছাড়া ওই রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীও ছিলেন মঙ্গল পান্ডে। এরই পাশাপাশি রাঁচির দুবারের মেয়র ও আদিবাসী নেত্রী আশা লাকড়াকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সহকারি পর্যবেক্ষক হিসাবে। তিনি দলের সর্বভারতীয় সম্পাদক পদে রয়েছেন। একইসঙ্গে অমিত মালব্যকে রেখে দেওয়া হয়েছে সহকারি পর্যবেক্ষক হিসাবে।সম্প্রতি কলকাতায় এসেছিলেন সুনীল বনশল। হঠাৎ একমাসের মধ্যে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ায় বিভ্রান্তিতে পড়েছে দলের একাংশ। কার্যত সুনীল বনশল এরাজ্যে কাজই শুরু করতে পারলেন না, তারই মধ্যে তাঁকে সরে যেতে হল দায়িত্ব থেকে।

সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২২
রাজ্য

সারদার 'লাল ডায়েরী'র পর এবার রহস্যময় 'কালো ডায়েরী', কার কার নাম আছে ওই ডায়েরীতে?

সরদা মামলায় লাল ডায়েরী পর এবার কালো ডায়েরী নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। সারদা মামলায় লাল ডায়েরী উদ্ধার হওয়ার পর অনেকেই প্রবল উৎসুক ছিলেন কি কি বা কার কার নাম আছে এই লাল ডায়েরীতে। ইডি সুত্রে জানানো হয়েছে, পার্থ ঘনিষ্ট অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে একটি কালো ডায়েরী ও একটি পকেট ডায়েরী উদ্ধার করা হয়েছে। ভারতবর্ষের অর্থনৈতিক অপরাধের ইতিহাস ঘাঁটতে গেলে বেশ কয়েকটি ডায়েরি রহস্য সামনে আসবেই। যেমন, নব্বইয়ের দশকের হাওয়ালা কেলেঙ্কারিতে সুরেন্দ্র জৈনের রহস্যময় ডায়েরী বা ২০১৭-১৮ তে সাহারার সর্বময় কর্তা সুব্রত রায়ের ডায়েরী, ২০১১-১২তে আলোড়ন সৃষ্টিকারি সারদা কর্তার লাল ডায়েরী এবার রহস্যের কেন্দ্রে এক কালো ডায়েরী যা ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ট অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জের অভিজাত আবাসবনের ফ্ল্যাটে তল্লাশি করে পাওয়া গেছে। এছাড়াও সেখানের তল্লাশিতে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় মুদ্রা, বিদেশী মুদ্রা এবং গয়না উদ্ধার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর তদন্তকারী দল।ইডি-র একটি সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, রাজ্যের শিক্ষা দফতরের নাম লেখা ওই কালো ডায়েরিতে অর্থিক লেনদেন সহ বেশ কিছু হিসাব এবং বিশেষ কয়েকজনের নামের উল্লেখ রয়েছে ওই রহস্যময় ডায়েরীতে। কয়েকদিন আগে ইডি জানিয়েছিল, তাঁদের প্রাথমিক তদন্তের শেষে মনে হচ্ছে, পার্থ ঘনিষ্ট অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া রাশি রাশি টাকা, গহনা ও সম্পত্তির দলিলের সাথে এসএসসি-র নিয়োগে সংক্রান্ত দুর্নীতির অদৃশ্য কোনও যোগসূত্র রয়েছে। তদন্তকারী অফিসারেরা এখন ওই ডায়েরির সূত্র ধরেই সেই যোগ সূত্র খোঁজার চেষ্টা করছেন।বিশেষ সুত্রে জানা যাচ্ছে, রাজ্য শিক্ষা দফতরের ও স্কুল শিক্ষা দপ্তরের নাম লেখা ওই কালো ডায়েরিতে অর্থিক লেনদেনের কিছু হিসাব এবং বিশেষ কিছু ব্যক্তির নামের লেখা আছে। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) আগেই জানিয়েছিল, অর্পিতার মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া পাহাড় প্রমান টাকার সঙ্গে এসএসসি-র শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির বিশেষ যোগসূত্র রয়েছে বলে তাঁদের প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। এখন রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে কালো ডায়েরী। এমনটা মনে করাই যায়, সামনের কয়েকটা দিন মানুষ অধীর আগ্রহে তাকিয়ে থাকবে ওই কালো ডায়েরীর কথা জানতে। কে বা কাদের কাদের নাম ওই রহস্যময় ডায়েরীতে লেখা আছে। মনে করা হচ্ছে ইডির তদন্তকারী দল ওই ডায়েরির সূত্র ধরেই রহস্যের কেন্দ্রবিন্দুতে পৌছানোর চেষ্টা করবেন।

জুলাই ২৬, ২০২২
রাজ্য

বিজেপির আবার 'মাস্টারস্ট্রোক'? একজন শিয়া মুসলিম নেতা ধনখড়ের স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন বাংলায়

ভারতীয় জনতা পার্টি-র সংসদীয় বোর্ড পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে উপ-রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হিসাবে বেছে নেওয়ায় পশ্চিমবঙ্গের পরবর্তী রাজ্যপাল কে হবেন তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চুড়ান্ত জল্পনা শুরু হয়েছে। মাত্র দুবছর পর ২০২৪-এ লোকসভা নির্বাচন। ২০১৯ সালে পশ্চিমবঙ্গে আশাতীত ভালো ফলের পর ২০২৪-এও রাজ্যে ভালো ফল পেতে মরিয়া বিজেপি শিবির। এই অবস্থায় পশ্চিমবঙ্গে রাজ্যপাল পদে কে বসতে পারেন তা নিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। বিজেপি সূত্রের খবর, তারা পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের পদের জন্য উত্তরপ্রদেশের একজন শিয়া মুসলিম নেতা মুখতার আব্বাস নকভির কথা ভাবছেন। অতি সম্প্রতি রাজ্যসভার সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রক থেকে পদত্যাগ করেছেন তিনি।জগদীপ ধনখড়কে ২০১৯-এ পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছিল৷ সাধারণভাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজ্যপালের নাম চূড়ান্ত করার আগে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এই নাম নিয়ে প্রাথমিকভাবে পরামর্শ করে ঘোষণা করেন। যদিও সাংবিধানিক ভাবে এই আলোচনা কনওভাবেই বাধ্যতামূলক নয়। তবে, ফেডারেল কাঠামোতে এটি একটি প্রচলিত প্রথা। কিন্তু জগদীপ ধনখড়ের ক্ষেত্রে, তৎকালীন তৃণমূল সরকার অভিযোগ করেছিল, রাজ্যপাল হিসাবে ধনখড়ের নাম ঘোষণা করার পরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্যপালের নিয়োগের বিষয়ে অবহিত করার জন্য ডেকেছিলেন।সেই সময় পশ্চিমবঙ্গের মুখমন্ত্রী খোলাখুলি ক্ষোভ প্রকাশ করছিলেন। ফলস্বরূপ, ধনখড়ের নিয়োগকে ঘিরে প্রাথমিকভাবে যে ফাটল তৈরি হয়েছিল তা সময়ের সঙ্গে ক্রমশ প্রসারিত হয়। তিক্ততা চরমে পৌঁছয়। ধনখড়ের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হয়ে রাজ্য বিধানসভায় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে নজিরবিহীনভাবে একটি নিন্দা প্রস্তাব নিয়ে আসে।অভিজ্ঞ রাজনৈতিক সচেতন মানুষের প্রশ্ন, এবার কী হবে? পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল নিয়োগের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে ফোন করবেন অমিত শাহ? লোকসভা নির্বাচনের আগে ধনকড়কে সরিয়ে কেন্দ্র ইতিমধ্যেই তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে ইতিবাচক বার্তা পাঠিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে, আগামী দিনে যে নতুন গভর্নর আসবেন, তিনি কি সংঘাতের পথ ধরে রাখবেন না সমঝোতার পথে হাঁটবেন? বিজেপি সূত্রে খবর, নকভি এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গে যাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন। তিনি একজন প্রাজ্ঞ রাজনৈতিক নেতা। তিনি অটল বিহারী বাজপেয়ী মন্ত্রিসভায় মমতার এক সময়ের সহকর্মীও ছিলেন। একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে নকভি যথেষ্ট দক্ষ ও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছে এর আগে। অনেক রাজনীতিবিদই মনে করেন যে ধনখড় যেভাবে মমতার প্রকাশ্যে বিরোধিতা করতেন সে পথে হয়তো তিনি হাঁটবেন না। এছাড়া নকভির ওপর সরাসরি আক্রমণ রাজ্যের সংখ্যালঘু ভোটে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। বিষয়টি একদিকে মমতাকে অস্বস্তিতে ফেলবে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা।

জুলাই ১৭, ২০২২
দেশ

দ্রৌপদী মুর্মু ভোটপ্রচারে শিলিগুড়িতে, কাল কলকাতায়

এনডিএ-র রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু শিলিগুড়ি পৌঁছেছেন। সোমবার তিনি বাগডোগরা বিমান বন্দরে অবতরণ করেন। বিধায়ক-সাংসদদের কাছে ভোট চাইতে তিনি বাংলায় এসেছেন। শিলিগুড়িতে দ্রৌপদী মুর্মু সিকিম ও আশেপাশের রাজ্যের বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। আগমিকাল তিনি কলকাতায় যাবেন। সেখানে এরাজ্যের দলীয় বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন উত্তরবঙ্গে আছেন। তৃণমূল নেত্রী এর আগে রাষ্ট্রপতি পদে বিরোধীদের বিজেপির বিরুদ্ধে একজোট করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। অবিজেপি দলের রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন যশবন্ত সিনহা। যদিও পরবর্তীতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, বিজেপি প্রার্থী নিয়ে আলোচনা করেনি। দ্রোপদী মুর্মুর জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়ে দেন তিনি।

জুলাই ১১, ২০২২
রাজ্য

করোনা আক্রান্ত অমর্ত্য সেন, রাজ্যে বেড়েই চলেছে সংক্রমিতের সংখ্যা

করোনার থাবা কিছুতেই কমছে না রাজ্যে। বরং ক্রমশ বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এদিকে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন নোবলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। তিনি শান্তিনিকেতনের বাড়িতেই আইসোলেশনে আছেন। বাড়িতে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছে। আপাতত নোবেলজয়ীর ইংল্যান্ড যাত্রা বাতিল হয়েছে।গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় সংক্রিমত হয়েছেন ২,৯৬৮ জন। গতকাল এই সংখ্যাটা ছিল ২,৯৫০ জন। এদিনও জেলাগুলির মধ্যে আক্রান্তের সংখ্য়ায় শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা। এই জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭৪৩ জন। ঠিক পরের স্থান কলকাতার। মহানগরে আক্রান্ত হয়েছে ৭৪২জন। মোট ৯টি জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ১০০-এর ওপর। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরকে চিন্তায় ফেলেছে করোনার এই বাড়বাড়ন্ত। কমার কোনও লক্ষণ আপাতত দেখা যাচ্ছে না।করোনা আক্রান্ত হয়ে একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। এদিন মোট সুস্থ হয়েছেন ৬৬২ জন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৬০৪ জন। হোম আইসোলেশনে আছেন ২০,৫৫৫জন। এদিন পজিটিভিটি রেট ছিল ১৫.৬৯।

জুলাই ০৯, ২০২২
রাজ্য

বাংলায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, চতুর্থ ঢেউ কী শুধু সময়ের অপেক্ষা?

বাংলায় করোনা সংক্রমণ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। তাহলে কী সত্যি চতুর্থ ঢেউ কি শুধু সময়ের অপেক্ষা? সেই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা চতুর্থ ঢেউ নিয়ে আগেই সতর্ক করেছিলেন। একদিকে যেমন লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, সেই সঙ্গে পজিটিভিটি রেটও রোজ বৃদ্ধি পাচ্ছে।রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী গত ২৪ ঘন্টায় বাংলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২,৮৮৯ জন। গতকালের তুলনায় বেড়েছে ৫৩৭ জন। গতকাল আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২,৩৫২। এই মাসের শুরুর দিন ১জুলাই করোনায় সংক্রমিত হয়েছিলেন ১,৭৩৯জন। তখন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ৩২৭ জন। এদিন পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৪৫৯জন।কলকাতাকে ছাপিয়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে উত্তর ২৪ পরগনায়। পাশাপাশি ৯ জেলায় করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১০০-র ওপর। গত ২৪ ঘন্টায় ২ জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। এদিন পজিটিভিটি রেট ১৮.৭৪ শতাংশ। গতকাল পজিটিভিটি রেট ছিল ১৬.২৪ শতাংশ। ২৪ ঘন্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৬১১ জন।রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২০,৪২,৮৩১ জন। সুস্থতার হার ৯৮.১৫ শতাংশ। বাংলায় মোট করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ২২,২৩৩ জন। মৃত্যু হার ১.০৪ শতাংশ। গত ২৪ ঘন্টায় কলকাতায় আক্রান্ত হয়েছে ৮১৯ জন, উত্তর ২৪ পরগনায় ৮৩৪ জন।

জুলাই ০৭, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • ...
  • 18
  • 19
  • ›

ট্রেন্ডিং

দেশ

বিহার বিধানসভা ভোটে বিজেপি ও আরজেডি কটা আসনে লড়ছে? শরিকরা কতগুলি আসন পেল?

রবিবার এনডিএ আগামী মাসে বিহার বিধানসভা নির্বাচনের জন্য আসন ভাগাভাগিতে সম্মত হয়েছে। বিজেপি এবং জনতা দল (ইউনাইটেড) ১০১টি করে আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সম্মত হয়েছে। জেডি(ইউ) জাতীয় কার্যকরী সভাপতি সঞ্জয় ঝা এবং বিজেপির নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা ধর্মেন্দ্র প্রধানের দ্বারা নিশ্চিত করা এই চুক্তি অনুসারে, চিরাগ পাসওয়ানের নেতৃত্বাধীন লোক জনশক্তি পার্টি (রাম বিকাশ) ২৯টি আসন পাবে, যেখানে জিতন রাম মাঝির হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা (ধর্মনিরপেক্ষ) এবং উপেন্দ্র কুশওয়াহার জাতীয় লোক মোর্চা (আরএলএম) ছয়টি করে আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।১৯৯৬ সালে জোট গঠনের পর এই প্রথমবারের মতো বিজেপি এবং জেডি(ইউ) বিধানসভা নির্বাচনে সমান সংখ্যক আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। ২০২০ সালে, জেডি(ইউ) ১২২টি আসনে এবং বিজেপি ১২১টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল, জেডি(ইউ) তাদের ভাগ থেকে এইচএএম(এস)-কে সাতটি আসন দিয়েছিল এবং বিজেপি তাদের ভাগ থেকে ১১টি আসন মুকেশ সাহানির বিকাশশীল ইনসান পার্টি (ভিআইপি)-কে বরাদ্দ করেছিল।এই চুক্তির ফলে কয়েক সপ্তাহ ধরে জোটের মধ্যে আলোচনার অবসান ঘটে, যেখানে এলজেপি (আরভি) এবং এইচএএম(এস) আক্রমণাত্মকভাবে আরও বেশি আসনের জন্য চাপ দিয়েছিল। পাসওয়ানের দল প্রথমে ৪০টি এবং পরে ৩৫টি আসনের জন্য চাপ দিলেও, মাজি ১৫টি আসন দাবি করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে।এনডিএ সূত্র জানিয়েছে, যে জোট প্রথমে এলজেপি (আরভি)-কে ২০-২৫টি আসনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে চেয়েছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের নির্বাচনী প্রভাবের কারণে তা মেনে নেওয়া হয়েছিল। দিল্লিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির (সিইসি) এক বৈঠকের পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং দিল্লি ও বিহারের শীর্ষ বিজেপি নেতৃত্ব হাজির ছিলেন।আলোচনায় এলজেপি (আরভি) এর দাবি একটি বড় বাধা ছিল। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে দলটির শক্তিশালী পারফরম্যান্স, যখন তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা পাঁচটি আসনেই জয়লাভ করে এবং মোট ভোটের ৬% এরও বেশি ভোট অর্জন করে, তাদের দর কষাকষির ক্ষমতা দেয়। তবে বিজেপির সূত্র জানিয়েছে, যে দলটি রাজনৈতিক স্থায়িত্বের কারণে নয়, বরং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বের কারণে এই আসনগুলি জিতেছে।২০২০ সালে, বিভক্ত হওয়ার এক বছর আগে, এলজেপি বিহারের ২৪৩টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ১৩৫টিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল, যার ফলে এনডিএকে চরম মূল্য দিতে হয়েছিল। ৬৪টি আসনে, যেখানে দল তৃতীয় বা তার কম স্থানে ছিল, সেখানে জয়ের ব্যবধানের চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছিল। এই আসনগুলির মধ্যে, এটি সরাসরি ২৭টি আসনে জেডি(ইউ)কে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, যেখানে এটি দ্বিতীয় স্থানে ছিল।এলজেপি (আরভি) এখনও তার প্রাপ্যের চেয়ে বেশি আসন পেয়েছে। আমরা প্রথমে দলের জন্য ২০টির বেশি আসনের পক্ষে ছিলাম না। পরে তা ২৩ এবং পরে ২৬-এ সংশোধন করা হয় কারণ চিরাগ ক্রমাগত চাপ প্রয়োগ করছিলেন। জোটকে শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ রাখার স্বার্থে, আমরা ২৯-এ সম্মত হয়েছি, বিহারের একজন প্রবীণ বিজেপি নেতা বলেন।আরেকজন বিজেপি নেতা বলেন, চিরাগ পাসোয়ান ছিলেন কঠোর দর কষাকষিকারী। যেহেতু তিনি কেন্দ্রে একজন গুরুত্বপূর্ণ মিত্র, তাই আমাদের তার দাবি মেনে নিতে হয়েছিল। এলজেপি ৪০টি আসন দিয়ে শুরু করে, পরে ৩৫টিতে নামিয়ে আনা হয় এবং অবশেষে ২৯টি আসন নিয়ে মীমাংসা করে। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানের পর মাঝি ছয়টি আসন নিয়ে রাজি হন। ভবিষ্যতে তিনি একটি এমএলসি পদ দাবি করবেন বলে জানা গেছে।

অক্টোবর ১৩, ২০২৫
রাজ্য

বর্ধমান স্টেশনে ট্রেন ঢুকতেই হুড়োহুড়ি — পদপিষ্টে অন্তত ১২ জন আহত

রবিবার ছুটির সন্ধ্যায় বর্ধমান (Bardhaman) রেল স্টেশনে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। বহু যাত্রী একযোগে ট্রেন ধরার চেষ্টায় মুখ্য সিঁড়ি ও ওভারব্রিজ এলাকায় ঠাসাঠাসিতে পদপিষ্ট হয়ে পড়েন। এই ঘটনায় অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন বলে প্রাথমিক খবর পাওয়া গেছে। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে (Burdwan Medical College Hospital) ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশের অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া সূত্র অনুযায়ী, একসঙ্গে ৩৪টি ট্রেন ৪, ৫ ও ৬ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ছিল। যাত্রীরা ট্রেনে ওঠা ও নামার জন্য সিঁড়ি ও ওভারব্রিজ এলাকায় একসাথে ওটানামা করতে থাকেন, তখন ভিড় গিজ গিজ করছিল। সিঁড়িতে অতিরিক্ত চাপ ও ধাক্কাধাক্কির ফলে কয়েকজন পড়ে যান। এতেই আঘাত পান। প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করেছেন, বেশ কিছু দিন ধরে ওভারব্রিজ একাধিক অংশ কাজ করছে না বা সংস্কার হচ্ছে, ফলে যাত্রীদের মূল সিঁড়িগুলো ব্যবহার করতে হয়। রেলের উদ্ধার দল ও রেলে নিয়োজিত স্টাফ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধারে মনোনিবেশ করে। রেল প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়ন করা হবে এবং ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা এড়াতে পরিকল্পিত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অক্টোবর ১২, ২০২৫
বিদেশ

গাজা শান্তি সম্মেলনে ভারতের প্রতিনিধি কীর্তি বর্ধন সিং

মিশরের শর্ম-এল-শেখে সোমবার অনুষ্ঠিত হতে চলেছে গাজা শান্তি সম্মেলন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিশেষ দূত হিসেবে ভারতকে প্রতিনিধিত্ব করবেন কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং।সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ এল-সিসি শেষ মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে আমন্ত্রণ জানান। তবে মোদি নিজে অংশ না নিয়ে প্রতিনিধিত্বের দায়িত্ব দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রীকে।এই সম্মেলনে অংশ নেবেন আরও বেশ কয়েকজন বিশ্বনেতা জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ, ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমমানুয়েল মাক্রোঁ, স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদরো স্যাঞ্চেজ এবং জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।কূটনৈতিক মহল মনে করছে, গাজা উপত্যকার সংঘাত পরিস্থিতি নিয়ে এই বৈঠকে আন্তর্জাতিক পরিসরে শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার রূপরেখা তৈরি হতে পারে। উল্লেখ্য গাজায় আপাতত যুদ্ধবিরতি চলছে।

অক্টোবর ১২, ২০২৫
রাজ্য

দুর্গাপুরে ডাক্তারি ছাত্রীর ‘গণধর্ষণ’, তিন অভিযুক্ত গ্রেফতার — সহপাঠীর ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে

দুর্গাপুরে কলেজ ছাত্রীকে অপহরণ করে গণধর্ষণের অভিযোগে তীব্র চাঞ্চল্য। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রেফতার করা হয়েছে তিন অভিযুক্তকে। তাঁদের রবিবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।ঘটনাস্থল কলেজ ক্যাম্পাস থেকে মাত্র ৭০০ মিটার দূরে, ঘন ঝোপঝাড়ে ঘেরা এলাকায়। পুলিশ জানায়, সেখানে দীর্ঘদিন ধরেই বসে নেশার ঠেকমদ ও গাঁজা বিক্রির আড্ডা। শনিবার রাতে ওই ঠেকেই ছিলেন তিন অভিযুক্ত। তখনই তাঁরা কলেজের ডাক্তারি ছাত্রী এবং তাঁর এক সহপাঠীকে রাস্তায় হাঁটতে দেখে প্রথমে তরুণীকে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করেন। এর পর তাঁকে জোর করে টেনে নিয়ে গিয়ে জঙ্গলে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাকালীন তরুণীর মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় অভিযুক্তরা। পরে তদন্তে ধৃতদের কাছ থেকেই তরুণীর ফোন উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ দাবি করেছে, তিন জনের বিরুদ্ধেই প্রত্যক্ষ প্রমাণ মিলেছে। তদন্তকারীদের একটি সূত্র জানিয়েছে, সহপাঠীকে পালিয়ে যেতে দেখে তরুণী কলেজের বন্ধুদের ফোন করেছিলেন। পরে তাঁর বন্ধুরাই ওই সহপাঠীকে ঘটনাস্থলে ফের যেতে বলেন। এই সময়েই নির্যাতিতাকে ধর্ষণ করা হয় বলে প্রাথমিক তদন্তে ধারণা পুলিশের।ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই পুলিশ ওই সহপাঠীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। তাঁর বয়ানেই পুরো ঘটনার প্রাথমিক তথ্য মিলেছে বলে সূত্রের খবর। তরুণীর সঙ্গে কথা বলেছেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট রঞ্জনা রায়।কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, রাত ৭টা ৫৮ মিনিটে সহপাঠীর সঙ্গে ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়েছিলেন তরুণী। ৮টা ৪২ মিনিটে সহপাঠী একা ফিরে আসেন, গেটের কাছে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে ফের বাইরে যান। পরে রাত ৯টা ২৯ মিনিটে দুজন একসঙ্গে কলেজে ফেরেন। ৯টা ৩১ মিনিটে তরুণী নিজের হস্টেলে ফিরে যান।অভিযোগ, তরুণীর বাবার দাবি অনুযায়ী, তাঁর মেয়েকে বাইরে নিয়ে গিয়েছিলেন সেই সহপাঠীই, এবং ধৃত তিন জন ওই ছাত্রেরই বন্ধু। তাঁর কথায়, রাত ১০টার দিকে ওর বন্ধু ফোন করে জানায়, আমার মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে। ওর এক বন্ধু ওকে খেতে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু যখন দু-তিন জন মেয়েকে ঘিরে ধরে, তখন ওর বন্ধুটি পালিয়ে যায়।এখনও পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে পুলিশ মনে করছে, ঘটনায় আরও কয়েক জন যুক্ত থাকতে পারে। তাঁদের খোঁজে চলছে তল্লাশি অভিযান

অক্টোবর ১২, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

১৪ বছর পর কলকাতায় মেসি! “মাঠ কাঁপাবে” ডিসেম্বরে?

কলকাতার ফুটবলপ্রেমীদের জন্য এক বিশাল সুখবর! ফুটবল কিংবদন্তি লিওনেল মেসি (Lionel Messi) তাঁর বহু প্রতীক্ষিত GOAT Tour of India 2025-এর জন্য এ বছরের ডিসেম্বর মাসে কলকাতা ময়দান মাতাতে আসছেন। ১৪ বছর পর বিশ্বকাপজয়ী এই মহাতারকার ভারতে ফেরা নিঃসন্দেহে এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত হতে চলেছে।আগামী ডিসেম্বরে আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি তাঁর ভারত সফরের সূচনা করবেন কলকাতাতেই। আয়োজকদের ঘোষণা অনুযায়ী, তিনি ১২ই ডিসেম্বর রাতে মহানগরে পৌঁছাবেন এবং ১৩ই ডিসেম্বর কলকাতায় বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।কলকাতার আইকনিক সল্টলেক স্টেডিয়ামে (যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন) মূল অনুষ্ঠানগুলি হবে, যেখানে ২০১১ সালে মেসি আর্জেন্টিনার হয়ে ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে একটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ফুটবল ম্যাচে খেলেছিলেন।GOAT কনসার্ট এবং GOAT কাপ, ১৩ই ডিসেম্বর এই দুটি প্রধান ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। GOAT কাপ হবে একটি সেলিব্রেটর সেভেন-এ-সাইড (seven-a-side) সফট-টাচ ফুটবল ম্যাচ। বেশ কয়েকজন ভারতীয় কিংবদন্তির উপস্থিতির সম্ভবনা ওই খেলায়, সুত্রের খবর, এই বিশেষ ম্যাচে মেসির সঙ্গে মাঠে নামতে পারেন ভারতীয় ক্রীড়া জগতের তারকারা, যেমন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, বাইচুং ভুটিয়া এবং লিয়েন্ডার পেজ প্রমুখ।ম্যচের শেষে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে মেসিকে বিশেষ সংবর্ধনা দেওয়া হতে পারে। এছাড়াও এই সফরের অঙ্গ হিসাবে কলকাতা শহরে মেসির একটি মূর্তি উন্মোচন-র আয়োজন চলছে।এই সফরে নানাবিধ অনুষ্ঠানের মধ্যে, ফুড অ্যান্ড টি ফেস্টিভ্যালঅনুষ্ঠিত হবে। কলকাতায় তাঁর প্রিয় পানীয় আর্জেন্তিনীয় ভেষজ চা মাটে-এর সঙ্গে আসামের চায়ের ফিউশন করে একটি বিশেষ খাদ্য ও চা উৎসবের আয়োজন করা হবে।কলকাতা ছাড়াও মেসি ভারতে আরও কয়েকটি শহর সফর করবেন, সেকারনে তাঁর নিরাপত্তা ব্যবস্থাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কলকাতার পর মেসি আরও চারটি-শহরে সফর করবেন। যেগুলি হল আহমেদাবাদ, মুম্বাই এবং নয়া দিল্লী। ১৫ই ডিসেম্বর তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করে তাঁর ভারত সফর শেষ করবেন। এই সফরের ইভেন্টগুলোর টিকিটের মূল্য ৩,৫০০ টাকা থেকে শুরু হতে পারে বলে জানা গেছে।মেসির প্রতিক্রিয়াদীর্ঘ ১৪ বছর পর ভারতে আসা নিয়ে মেসি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। একটি সরকারি বিবৃতিতে তিনি বলেন, এই সফর করতে পারা আমার জন্য খুবই সম্মানের। ভারত খুব স্পেশাল একটি দেশ, এবং ১৪ বছর আগে আমার সেখানে কাটানো মুহূর্তগুলোর খুব ভালো স্মৃতি আছে এখানকার ভক্তরা ছিল অসাধারণ। ভারত ফুটবল প্রেমী দেশ (passionate football nation), এবং আমি ফুটবলের প্রতি আমার ভালোবাসা নতুন প্রজন্মের ভক্তদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছি।২০২৫ এর ডিসেম্বর মাসে ফুটবল কিংবদন্তির আগমন শুধু কলকাতার নয়, গোটা ভারতের ক্রীড়াপ্রেমীদের কাছে এক বিশাল উৎসবের বার্তা নিয়ে আসছে।

অক্টোবর ০৭, ২০২৫
রাজ্য

সাংসদের ওপর হামলায় রাজ্যকে নিয়ে বড় প্রশ্ন মোদির, কড়া জবাব মমতার

বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের ওপর হামলা নিয়ে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার পাল্টা কড়া জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া লিখেছেন, এটা খুবই দুর্ভাগ্যের এবং গভীর উদ্বেগের বিষয় যে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী একটি প্রাকৃতিক বিপর্যয় নিয়ে রাজনীতি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কোনো উপযুক্ত অনুসন্ধানের জন্য অপেক্ষা না করেই তা-ও আবার যখন উত্তরবঙ্গের মানুষ ভয়াবহ বন্যা ও ধসের সঙ্গে যুঝছেন।যখন সমগ্র স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ ত্রাণ ও উদ্ধারের কাজে ব্যস্ত হয়ে আছে, তখন বিজেপি নেতারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়েছিলেন বিপুল সংখ্যক গাড়ির কনভয় নিয়ে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা নিয়ে এবং স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনকে কোনো খবর না দিয়ে। রাজ্য প্রশাসন, স্থানীয় পুলিশ বা তৃণমূল কংগ্রেসকে কীভাবে এই ঘটনার জন্য দায়ী করা যাবে?এখানেই থামেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী পদের গরিমা নিয়েও। প্রশ্ন তুলেছেন মোদির নৈতিকতা নিয়েও। তাছাড়া কোনও প্রমান ছাড়াই প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেসকে দায়ী করেছে বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেস এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ওপর দোষারোপ করেছেন কিছুমাত্র প্রমাণ ছাড়া, আইনানুগ কোনো তদন্ত ছাড়া এবং কোনো প্রশাসনিক রিপোর্ট ছাড়া। এটা শুধু রাজনৈতিক নিম্নতা স্পর্শ করল না, যে সাংবিধানিক নৈতিকতা তুলে ধরতে প্রধানমন্ত্রী শপথ নিয়েছেন, সেই নৈতিকতারও লঙ্ঘন হল। যে কোনো গণতন্ত্রে আইন তার নিজস্ব পথ নেয় এবং কোনো ঘটনার দায় নির্ধারিত হয় যথাযথ প্রক্রিয়ায় -কোনো রাজনৈতিক বেদীর উচ্চতা থেকে করা একটি ট্যুইটের মাধ্যমে নয়।উত্তরবঙ্গ কাল যাবো, আজ কার্নিভাল !!!কার্নিভাল নাকি বাংলার ঐতিহ্য ! তা দশমীর চার দিন পর সরকারি অনুদান আর প্রশাসনিক চোখ রাঙানির জেরে প্রতিমা নিরঞ্জন আটকে রেখে, মিছিল করিয়ে ঘাটে যাওয়া কবে থেকে বাংলার ঐতিহ্য হয়ে গেলো?আর মুখ্যমন্ত্রী চটজলদি উত্তরবঙ্গ যেতে আগ্রহী নন কেন, pic.twitter.com/mD0TeqWIaz Suvendu Adhikari (@SuvenduWB) October 5, 2025মমতা বলেছেন, সংশ্লিষ্ট ঘটনা ঘটেছিল একটি কেন্দ্রে, যেখানে মানুষ নিজেরাই বিজেপির একজন বিধায়ককে নির্বাচন করেছেন। তথাপি এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের তথাকথিত শক্তিমত্তা দেখায় প্রধানমন্ত্রী দ্বিচারিতা অনুভব করলেন না। এই ধরনের অসার এবং অতি-সরলীকৃত সাধারণীকরণ শুধু অপরিণতই নয়, তা দেশের সর্বোচ্চ পদের সঙ্গে মানানসইও নয়।

অক্টোবর ০৭, ২০২৫
রাজ্য

বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কের ওপর হামলা, নিন্দা নরেন্দ্র মোদীর, ফোন রাজনাথ সিংয়ের

বন্যা ও ভমি ধ্বসে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। এরই মধ্যে নাগরাকাটায় বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গিয়েছিলেন মালদা উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মু ও শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তাঁদের ওপর তৃণমূল কংগ্রেস প্রাণঘাতী হমলা করেছে বলে অভিযোগ। মাথা ফেটে রক্তাক্ত হয়েছেন খগেন মুর্মু। আঘাত পেয়েছেন শঙ্কর ঘোষ। যদিও তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এবার এই ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খুললে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জখম সাংসদের সঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং।প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আক্রমণের তীব্র নিন্দা করেছেন। নরেন্দ্র মোদী এক্স হ্যান্ডেলে বলেছেন, যেভাবে আমাদের দলের সহকর্মীরাযাদের মধ্যে একজন বর্তমান সাংসদ ও বিধায়কও রয়েছেনপশ্চিমবঙ্গে বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সেবা করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এটি তৃণমূল কংগ্রেসের অসংবেদনশীলতা এবং রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার করুণ রূপের স্পষ্ট প্রতিফলন।যেভাবে আমাদের দলের সহকর্মীরাযাদের মধ্যে একজন বর্তমান সাংসদ ও বিধায়কও রয়েছেনপশ্চিমবঙ্গে বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সেবা করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এটি তৃণমূল কংগ্রেসের অসংবেদনশীলতা এবং রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার করুণ রূপের স্পষ্ট প্রতিফলন।আমার Narendra Modi (@narendramodi) October 6, 2025আমার একান্ত কামনা পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেস এই কঠিন পরিস্থিতিতে হিংসায় লিপ্ত না হয়ে মানুষের সাহায্যে আরও মনোযোগী হোক। আমি বিজেপি কার্যকর্তাদের আহ্বান জানাই, তারা যেন জনগণের পাশে থেকে চলতি উদ্ধার কাজে সহায়তা করে যান।এদিকে নাগরাকাটায় বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের ওপর হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংজি। রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য এক্স হ্যান্ডেলে বলেছেন, তিনি টেলিফোনে আমার সঙ্গে কথা বলে ঘটনার বিস্তারিত জানতে চান এবং স্পষ্ট বার্তা দেন রাজনীতিতে হিংসার কোনো স্থান নেই। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ এই অন্যায় ও অত্যাচার কখনো মেনে নেবে না। সবাই মিলে এই হিংসার রাজনীতি প্রতিহত করতে হবে। বাংলার মানুষ গণতন্ত্রের শক্তিতে বিশ্বাস রাখে।

অক্টোবর ০৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal