• ৪ আষাঢ় ১৪৩২, শুক্রবার ২০ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

UP,

খেলার দুনিয়া

U-10 Asia Cup: অনূর্ধ্ব ১৯ এশিয়া কাপে ভারতীয় দলে সুযোগ পেলেন বাংলার দুই ক্রিকেটার

ভারতীয় অনূর্ধ্ব ১৯ দলে জায়গা করে নিলেন বাংলার দুই বোলার অমৃত রাজ উপাধ্যায় ও রবি কুমার। এই মাসের তৃতীয় সপ্তাহে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে অনুষ্ঠিত হতে চলা অনূর্ধ্ব ১৯ এশিয়া কাপে দেশের জার্সি গায়ে মাঠে নামবেন এই দুই ক্রিকেটার। ২৩ ডিসেম্বর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে বসবে অনূর্ধ্ব ১৯ এশিয়া কাপের আসর। এই প্রতিযোগিতার জন্য শুক্রবার ২০ সদস্যের ভারতীয় দল বেছে নিয়েছে জাতীয় জুনিয়র নির্বাচক কমিটি। সেখানে বাংলার মুখ দুই বোলার অমৃত রাজ উপাধ্যায় ও রবি কুমার। দলকে নেতৃত্ব দেবেন যশ ঢুল। এবছর ভিনু মানকড় ট্রফিতে তিনি সর্বোচ্চ রান করেছেন। ৫ ম্যাচে তাঁর মোট রান ৩০২। ২০ জন ক্রিকেটারকে বেছে নেওয়া ছাড়াও ৫ জনকে স্ট্যান্ডবাই হিসেবে রাখা হয়েছে। চূড়ান্ত ২০ জনের দলে সুযোগ পেয়েছেন : হার্নুর সিং পান্নু, অঙ্কৃশ রঘুবংশী, অংশ গোসাই, এস কে রশিদ, যশ ঢুল (অধিনায়ক), অন্নেশ্বর গৌতম, সিদ্ধার্থ যাদব, কুশল তাম্বে, নিশান্ত সিন্ধু, দীনেশ বানা (উইকেটকিপার), আরাধ্য যাদব (উইকেটরক্ষক), রাজাঙ্গদ বাওয়া, রাজবর্ধন হাঙ্গারগেকর, গর্ব সাঙ্গওয়ান, রবি কুমার, রিশিত রেড্ডি, মানব পারেখ, অমৃত রাজ উপাধ্যায়, ভিকি ওস্তাবাল, বাসু ভাটস (ফিটনেস পরীক্ষার ওপর নির্ভর করছে)। স্ট্যান্ডবাই হিসেবে সুযোগ পেয়েছেন: আয়ূষ সিং ঠাকুর, উদয় সাহারান, শাশ্বত ডাঙ্গওয়াল, ধানুস গৌড়া, পিএম সিং রাঠৌর।সংযুক্ত আরব আমিরশাহি উড়ে যাওয়ার আগে ১১ থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত বেঙ্গালুরুতে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে প্রস্তুতি শিবির হবে। কিছুদিন আগে ইডেনে অনু্ষ্ঠিত ত্রিদেশীয় প্রতিযোগিতায় অমৃত রাজ উপাধ্যায় জাতীয় দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। কিন্তু রবি কুমারের কাছে এটাই প্রথম জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া। জাতীয় দলে সুওদ পেয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত রবি কুমার। এই বাঁহাতি স্পিনার বলেন, একসময় স্বপ্ন দেখতাম দেশের হয়ে খেলব। সেই স্বপ্ন সত্যি হতে চলেছে। আমি দারুণ খুশি। একই সঙ্গে উত্তেজিত। আমার সব কোচদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। অন্যদিকে, অমৃত রাজ উপাধ্যায় বলেন, দেশের হয়ে ইডেনে ত্রিদেশীয় প্রতিযোগিতায় খেলেছি। এশিয়া কাপে সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চাই। দেবাং স্যার আমাকে যেভাবে সাহায্য করেছেন, তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।

ডিসেম্বর ১০, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Sourav Ganguly : টি২০ বিশ্বকাপে ভারতের জঘন্য পারফরমেন্স নিয়ে কী বললেন সৌরভ গাঙ্গুলি?

ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা টি২০ বিশ্বকাপে বিরাট কোহলিদের নিয়ে স্বপ্ন দেখেছিলেন। আশা করেছিলেন এবছর টি২০ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হবে ভারত। দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের মতো স্বপ্ন দেখেছিলেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক তথা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলি। কিন্তু কোহলিদের পারফরমেন্সে তিনি খুবই হতাশ। সেই হতাশা গোপন রাখেননি সৌরভ। টি২০ বিশ্বকাপে ভারতের জঘন্য পারফরমেন্স নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। বিরাট কোহলিদের টি২০ বিশ্বকাপের পারফরমেন্স প্রসঙ্গে সৌরভ বলেন, এই ভারতীয় দলের অনেক দক্ষতা ছিল। কিন্তু সেই ক্ষমতার ১৫ শতাংশও মেলে ধরতে পারেনি। গত ৫৬ বছরে এত খারাপ খেলতে ভারতীয় দলকে কখনও দেখিনি। সত্যি কথা বলতে ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি কিংবা ২০১৯ একদিনের বিশ্বকাপেও ভারত এর থেকে অনেক ভাল খেলেছিল। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে ভারত হেরেছিল। তখন আমি ধারাভাষ্যকারের ভুমিকায় ছিলাম। ২০১৯ একদিনের বিশ্বকাপেও সব দলকে হারিয়েছিলাম। সেমিফাইনালে অবশ্য নিউজিল্যান্ডের কাছে হারতে হয়েছিল। একটা বাজে দিনে দুমাসের কঠোর পরিশ্রমের জলাঞ্জলি হয়েছিল।এবারের টি২০ বিশ্বকাপে কেন ভারতের এই ব্যর্থতা? এই প্রসঙ্গে সৌরভ অবশ্য নির্দিষ্ট কোনও কারণের কথা উল্লেখ করেননি। তিনি বলেন, নির্দিষ্ট কোনও একটা কারণ বলা খুবই কঠিন। তবে ক্রিকেটারদের দেখে মনে হয়েছে ওরা স্বাধীনভাবে খেলতে পারছিল না। কখনও কখনও এমন হয়ে থাকে। পাকিস্তান এবং নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে আমরা গুটিয়ে ছিলাম। এই দুটি ম্যাচে ক্রিকেটাররা ১৫ শতাংশর বেশি দিতে পারেনি। বড় প্রতিযোগিতায় এইরকম খারাপ সময় আসে।সৌরভের আশা, এই বিশ্বকাপে ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে দল ঘুরে দাঁড়াবে। তিনি বলেন, আমাদের সময় দীর্ঘদিন পরপর বড় প্রতিযোগিতা হত। আর এখন প্রায় প্রতিবছর বিশ্ব খেতাব জেতার মতো প্রতিযোগিতা হয়। আগামী ৮ বছরে আটটি বড় আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। আশা করছি এবারের ব্যর্থতা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়ে সামনের বছর অস্ট্রেলিয়ায় টি২০ বিশ্বকাপে ভাল ফল করবে। এই ভারতীয় দলে অনেক প্রতিভা রয়েছে। সব ক্রিকেটারের প্রচুর দক্ষতা রয়েছে। কিন্তু নিজেদের সঠিকভাবে মেলে ধরতে পারেনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এবছর সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে টি২০ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের কাছে প্রথম ম্যাচে ১০ উইকেটে হারতে হয়েছিল ভারতকে। দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে হার ৮ উইকেটে। গ্রুপ লিগের বাকি ৩ ম্যাচে জিতলেও সেমিফাইনালে উঠতে পারেনি বিরাট কোহলি ব্রিগেড। গ্রুপ লিগ থেকেই বিদায় নিতে হয় ভারতকে।

ডিসেম্বর ০৫, ২০২১
খেলার দুনিয়া

World Cup : আবার কবে বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেল ভারত?‌ জানতে পড়ুন

২০২৩ সালে একদিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপ আয়োজন করবে ভারত। আগে থেকেই বিষয়টি চূড়ান্ত হয়ে আছে। ৩ বছর পর আবার বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ পেল ভারত। তবে একদিনের নয়, ২০২৬ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত হবে টি২০ বিশ্বকাপ। তবে এককভাবে নয়, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথভাবে টি২০ বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে ভারত। ২০৩১ সালে আবার বিশ্বকাপ আয়োজন করবে বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে। তবে ২০২৯ সালে এককভাবে আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে ভারত। ২০২৩ সাল পর্যন্ত আইসিসির ইভেন্টের সূচি আগে থেকেই চূড়ান্ত ছিল। পরবর্তী ১০ বছর অর্থাৎ ২০৩১ সাল পর্যন্ত আবার নতুন সূচি ঘোষণা করল আইসিসি। ২০২৪ সালে আবার হবে টি২০ বিশ্বকাপ। যৌথভাবে আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আমেরিকা। জুন মাসে হবে এই প্রতিযোগিতা। আমেরিকায় ক্রিকেট প্রসারের উদ্দেশ্যে আইসিসি ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে আমেরিকাকে জুড়ে দিয়েছে। ২০১৭ সালের পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ২০২৫ সাল থেকে এই প্রতিযোগিতা আবার ফেরানো হচ্ছে। ফেব্রুয়ারি মাসে পাকিস্তানে হবে এই প্রতিযোগিতা। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ভারত ও শ্রীলঙ্কায় যৌথভাবে হবে টি২০ বিশ্বকাপ। পরের বছর একদিনের বিশ্বকাপ যৌথভাবে আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবোয়ে ও নামিবিয়া। ২০২৮ সালে টি২০ বিশ্বকাপ আয়োজন করবে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। পরের বছর আবার ভারতে হবে আইসিসির প্রতিযোগিতা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে ভারত। অক্টোবর মাসে হবে এই প্রতিযোগিতা। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল বাদে ১১ বছর পর আবার কোনও আইসিসির প্রতিযোগিতা আয়োজন করার সুযোগ পাবে ইংল্যান্ড। ২০৩০ সালে আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ডের সঙ্গে যৌথভাবে টি২০ বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে। কোন দেশ প্রতিযোগিতার আয়োজনের দায়িত্ব পাবে, তা নিলামের মাধ্যমে ঠিক হয়েছে। সৌরভ গাঙ্গুলি, মার্টিন স্নেইডেন, রিকি স্কেরিটকে নিয়ে আইসিসি একটা সাবকমিটি তৈরি করেছিল। বিভিন্ন দেশ প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য যে প্রস্তাব পাঠিয়েছিল, সেই প্রস্তাবের যাবতীয় নথিপত্র যাচাই করে এই কমিটি আয়োজকদের নাম সুপারিশ করেছিল। সেই সুপারিশের ভিত্তিতে আইসিসি আয়োজক বেছে নিয়েছে। ৮টি ইভেন্টের জন্য ১৭টি দেশের মোট ২৮টি প্রস্তাব জমা পড়েছিল।

নভেম্বর ১৬, ২০২১
খেলার দুনিয়া

David Warner : ‌সানরাইজার্সের চূড়ান্ত অসম্মানই কি বিশ্বকাপে ওয়ার্নারের জ্বলে ওঠার কারণ?‌

আইপিএলে চূড়ান্ত অসম্মান কি ধাক্কা দিয়েছিল ডেভিড ওয়ার্নারকে? না হলে মাত্র মাস খানেকের ব্যবধানে এইরকম জ্বলে উঠবেন কেন? অস্ট্রেলিয়ার টি২০ বিশ্বকাপ জয়ের পেছনে এই ওপেনারের অবদান কিন্তু সব থেকে বেশি। প্রতিযোগিতার সেরার পুরস্কার ছিনিয়ে নিয়ে সামনের মরশুমে আইপিএলের নিলামের আগে নিজের চাহিদা অনেকটাই বাড়িয়ে নিয়েছেন এই অস্ট্রেলীয় ওপেনার। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ যদি ক্রিকেটার ধরে রাখার নিয়মে তাঁকে যদি আটকে না রাখে, তাহলে নিলামে ওয়ার্নারকে নিয়ে আকাশছোঁয়া চাহিদা হবে। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সুনীল গাভাসকারের মুখেও তেমন কথা শোনা গেছে। গাভাসকারের যুক্তি, আইপিএলে সামনের মরশুমে দুটি দল বাড়ছে। সুতরাং ক্রিকেটারের সংখ্যাও বেশি প্রয়োজন। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ যদি ক্রিকেটার ধরে রাখার নিয়মে ডেভিড ওয়ার্নারকে আটকে না রাখে, অন্য দলগুলি ওকে নেওয়ার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়বে। ওয়ার্নারের অভিজ্ঞতার কথা ভুললে চলবে না। ওর মধ্যে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার দক্ষতা রয়েছে। মাঠের নেমে বোলারদের ওপর আধিপত্য বিস্তার করতে ওস্তাদ। এবছর আইপিএলে খুব খারাপ সময়ের মধে দিয়ে গেছেন ডেভিড ওয়ার্নার। প্রথম পর্বে ৭ ম্যাচের মধ্যে ৬ ম্যাচ হারায় তাঁর হাত থেকে নেতৃত্ব কেড়ে নিয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কর্তারা। দ্বিতীয় পর্বে তো প্রথম একাদশ থেকেই ছেঁটে ফেলা হয়েছিল। এমনকি একটা ম্যাচে অন্য সাধারণ ক্রিকেটারদের সঙ্গে হোটেলেই রেখে যাওয়া হয়েছিল ওয়ার্নারকে। তাঁর মতো ক্রিকেটারের এইরকম অসম্মান প্রাপ্য ছিল না বলে মনে করেন গাভাসকার। তিনি বলেন, সাধারণ ক্রিকেটারদের সঙ্গে ওয়ার্নারকে হোটেলে রেখে গিয়ে ঠিক করেনি সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। টিম ম্যানেজমেন্টের ওটা খুব খারাপ সিদ্ধান্ত ছিল। তবে ওয়ার্নারের মতো ইতিবাচক চিন্তাধারার ক্রিকেটার ওই ঘটনা মনে রাখবেন না বলে মনে করছেন গাভাসকার। তিনি বলেন, ওয়ার্নারের চিন্তাভাবনা সবসময় ইতিবাচক। অতীতে কী ঘটেছে, তার দিকে ফিরেও তাকায় না। আমার মনে হয়, ওয়ার্নার অবশ্যই নিজেকে বলেছে যে, অতীতে যা ঘটেছে তা ঘটেছে, ভবিষ্যত আমার হাতে। এছাড়াও, ভুলে যাবেন না, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুরুতে প্রস্তুতি ম্যাচেও ভাল করতে পারেনি। দলে ওর জায়গা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। আত্মবিশ্বাসই ওয়ার্নারকে এই জায়গায়।

নভেম্বর ১৫, ২০২১
খেলার দুনিয়া

T20 World Cup : প্রতিশোধের স্বপ্ন চূরমার, নিউজিল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়ে প্রথম টি২০ বিশ্বজয় অস্ট্রেলিয়ার

২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ফাইনালে হেরে একদিনের বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন অধরা থেকে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ডের। এবছর টি২০ বিশ্বকাপে প্রতিশোধ নেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ ছিল। প্রতিশোধ নিতে ব্যর্থ কিউয়িরা। ৭ বল বাকি থাকতে নিউজিল্যান্ডকে ৮ উড়িয়ে প্রথমবারের মতো টি২০ বিশ্বকাপ ঘরে তুলল অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচের নায়ক মিচেল মার্শ। ৫০ বলে ৭৭ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টস জিতেও সেই একই সিদ্ধান্ত। সতর্কভাবে শুরু করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার ড্যারিল মিচেল ও মার্টিন গাপটিল। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। চতুর্থ ওভারের পঞ্চম বলে জস হ্যাজেলউড তুলে নেন ড্যারিল মিচেলকে। ৮ বলে ১১ রান করে তিনি ম্যাথু ওয়েডের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। শুরুতে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় নিউজিল্যান্ড। এরপর দলকে টেনে নিয়ে যান মার্টিন গাপটিল ও অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।১০ ওভারে কিউয়িরা তোলে ৫৭/১। একাদশতম ওভারে মিচেল স্টার্কের বলে ১৯ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। পরের ওভারের প্রথম বলে অ্যাডাম জাম্পাকে ছয় মারতে গিয়ে মার্কাস স্টয়নিসের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন গাপটিল। ৩৫ বলে তিনি করেন ২৮। এরপর গ্লেন ফিলিপকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে নিয়ে যান উইলিয়ামসন। জুটিতে ওঠে ৬৮। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে পরপর দুটি ৬ মেরে ৩৩ বলে অর্ধশতরান পূর্ণ করেন উইলিয়ামসন। ১৭ তম ওভারের দ্বিতীয় বলে গ্লেন ফিলিপকে তুলে নেন জস হ্যাজেলউড। ১৭ বলে ১৮ রান করেন তিনি। একই ওভারের পঞ্চম বলে আউট হন কেন উইলিয়ামসন। ৪৮ বলে ৮৫ রান করেন তিনি। উইলিয়ামসনের ইনিংসে রয়েছে ১০টি ৪ ও ৩টি ৬। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৭২ তোলে নিউজিল্যান্ড। ৭ বলে ১৩ রান করে অপরাজিত থাকেন জিমি নিশাম। দুর্দান্ত বল করেন জস হ্যাজেলউড। ৪ ওভারে মাত্র ১৬ রানে ৩ উইকেট তুলে নেন তিনি।ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলে আউট হন অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। ট্রেন্ট বোল্টের বলে ড্যারিল মিচেলের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ৭ বলে ৫ রান করেন ফিঞ্চ। এরপর জ্বলে ওঠেন ডেভিড ওয়ার্নার। সেমিফাইনালের মতো ফাইনালেও তিনি ধারাবাহিকতা বজায় রেখে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান। ৩৮ বলে ৫৩ রান করে বোল্টের বলে বোল্ড হন ওয়ার্নার। তিনি মারেন চারটি ৪ ও ৩টি ৬। ওয়ার্নার ফিরে গেলেও চাপে পড়েনি অস্ট্রেলিয়া। কিউয়ি বোলারদের ওপর নিরঙ্কুশ প্রভাব বিস্তার করেন মিচেল মার্শ। তাঁর দাপটে ইশ সোধি, টিম সাউদিরা দিশা খুঁজে পাননি। তাঁকে যোগ্য সহায়তা করেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ১৮.৫ ওভারে ১৭৩/২ রান তুলে প্রথম বারের মতো টি২০ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয় অস্ট্রেলিয়া। ৫০ বলে ৭৭ রান করে অপরাজিত থাকেন মিচেল মার্শ। তিনি মারেন ৬টি ৪ ও ৪টি ৬। ১৮ বলে ২৮ রান করে অপরাজিত থাকেন ম্যাক্সওয়েল। ট্রেন্ট বোল্ট ১৮ রানে ২ উইকেট নেন।

নভেম্বর ১৪, ২০২১
খেলার দুনিয়া

T20 World Cup : ফাইনালে কারা এগিয়ে?‌ কনওয়ের না থাকা বড় ধাক্কা নিউজিল্যান্ডের

টি২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে নিউজিল্যান্ড। অন্যদিকে পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে এসেছে অস্ট্রেলিয়া। দুটি সেরা দল যে ফাইনালে মুখোমুখি হতে চলেছে, সে ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই।এখন প্রশ্ন হল ফাইনালে এগিয়ে কোন দল? সত্যি কথা বলতে কী এই ধরণের ম্যাচে বিশেষ কোনও দলকে এগিয়ে রাখা বোকামি। একেই খেলাটার নাম ক্রিকেট। তার ওপর টি২০ ফর্ম্যাট। এই ফর্ম্যাটে ভবিষ্যতবানী করা খুবই কঠিন। টি২০ ক্রিকেটে টস জেতাটা অনেক সময় বড় ফ্যাক্টর হয়ে যায়। যেটা চলতি বিশ্বকাপের প্রায় সব ম্যাচেই দেখা গেছে। সুতরাং আমার মনে হয় না ফাইনালেও এর ব্যতিক্রম হতে পারে।ফাইনালে মুখোমুখি দুটি দল এর আগে কখনও টি২০ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়নি। ফলে অস্ট্রেলিয়া যেমন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য মুখিয়ে, তেমনই নিউজিল্যান্ডও মুখিয়ে থাকবে। ২০১০ সালের টি২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে হেরেছিল অস্ট্রেলিয়া। সেই পরাজয়ের পর আবার টি২০ বিশ্বকাপ ফাইনালে অসিরা। অন্যদিকে নিউজিল্যান্ড এই প্রথমবার। ফলে এবারের বিশ্বকাপ উপহার দেবে নতুন চ্যাম্পিয়নকে। নিউজিল্যান্ড ২০১৯ সালে একদিনের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের ফাইনালে হেরেছিল। এইবছর আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়েছে। আইসিসি ইভেন্টে টানা তিনটি ফাইনাল খেলতে চলেছে। ফলে মানসিকভাবে ড়িউজিল্যান্ড কিন্তু এগিয়ে থেকে মাঠে নামবে।আইসিসির প্রতিযোগিতায় অস্ট্রেলিয়া কিন্তু বড় শক্তি। ধারাবাহিকতার দিক দিয়ে ওরা অনেক এগিয়ে। এই বিশ্বকাপের প্রথম থেকে ভাল ক্রিকেট উপহার দিয়েছে। সবথেকে বড় কথা দলে একাধিক ম্যাচ জেতানোর ক্রিকেটার রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার ওপেনিং জুটি দারুণ ভয়ঙ্কর। ছন্দে থাকলে ডেভিড ওয়ার্নার ও অ্যারন ফিঞ্চ জুটি যে কোনও দলের বোলিং শক্তিকে গুঁড়িয়ে দিতে পারে। আইপিএলের ব্যর্থতা কাটিয়ে ওয়ার্নার ছন্দ ফিরে পেয়েছেন। মিডল অর্ডারে রয়েছে স্টিভ স্মিথের মতো ব্যাটসম্যান। বড় ম্যাচের ঘোড়া। ম্যাক্সওয়েলও যে কোনও মুহূর্তে ম্যাচের রং বদলে দিতে পারেন। ম্যাথু ওয়েড সেমিফাইনালে দেখিয়ে দিয়েছেন কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন। বোলিং শক্তিও অসাধারণ। প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক, জস হ্যাজেলউডের মতো জোরে বোলার রয়েছে। অ্যাডাম জাম্পার মতো স্পিনার যে কোনও দলকে বেগ দিতে পারেন।নিউজিল্যান্ডে সেই অর্থে কোনও তারকা নেই। ওদের আসল শক্তি দলগত খেলা। নিউজিল্যান্ড বরাবরই দল হিসেবে খেলে। এই বিশ্বকাপেও সেই একই ধারা অব্যাহত। মার্টিন গাপটিল, ড্যারিল মিচেল ছন্দে থাকলে যে কোনও বোলারের মাথাব্যথা হয়ে উঠতে পারে। কেন উইলিয়ামসন নিঃশব্দে বিপক্ষে খুন করতে পারেন। তবে ফাইনালে ডেভন কনওয়ের খেলতে না পারাটা বড় ধাক্কা। মিডল অর্ডারে বড় শূন্যতা তৈরি হবে। এমনিতেই লকি ফার্গুসন আগেই ছিটকে যাওয়ায় বোলিং কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েছে। ডেভিড ওয়ার্নারদের থামানোর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ নিতে হবে ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি, জিমি নিশামদের। দল হিসেবে খেললে নিউজিল্যান্ডকে আটকানো মুশকিল হবে। ভারতপাকিস্তান ম্যাচে যেমন চাপ থাকে, তেমনই অস্ট্রেলিয়ানিউজিল্যান্ড ম্যাচও স্নায়ুচাপের। এটাও অনেকটা ফ্যাক্টর করবে ফাইনালে।

নভেম্বর ১৩, ২০২১
রাজনীতি

Suvendu Adhikari: বিশ্বকাপে পাকিস্তানের হার নিয়ে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়লেন শুভেন্দু, কি বললেন তিনি?

টি ২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে গ্রুপ লিগ থেকেই বিদায় নিয়েছে ভারত। প্রথম ম্যাচেই ভারতকে হারিয়েছে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান। এবার সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে দিল অষ্ট্রেলিয়া। পাকিস্তানকে পরাজিত করার জন্য অষ্ট্রেলিয়াকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোশাল মিডিয়ায় উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছেন গেরুয়া শিবিরের এই নেতা।সেমিফাইনাল ম্যাচে পাকিস্তানের পরাজয়ের পর সোশাল মিডিয়ায় রাজ্য বিজেপি নেতা শুভেন্দু লিখেছেন..দেশদ্রোহীদের জোর কা ঝটকা,পাকিস্তানের হারে ফাটছে পটকা।ভারত পাকিস্তান ম্যাচে ভারতের হারে যারা পটকা ফাটিয়েছিল, উল্লাস করেছিল, আজ সেইসব দেশদ্রোহীদের জন্য কালো দিন। অষ্ট্রেলিয়ার কাছে পাকিস্তানের হার আজ তাদের মুখে ঝামা ঘসে দিল ।অষ্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট টিম কে অভিনন্দন।তবে এখানেই থামেননি গেরুয়া শিবিরের এই নেতা। নন্দীগ্রামের বিধায়ক টুইটে লিখেছেন, পাকিস্তানকে হারানোর জন্য অষ্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট দলকে আন্তরিক অভিনন্দন। এই মুহূর্তটি উদযাপন করতে আমার নন্দীগ্রাম বিধানসভা এলাকার লোকেরা অন্য ভারতীয়দের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। আতশবাজি থামবে না, দীপাবলি চলছে। আমাদের শত্রুকে পরাজিত করার জন্য আবার ধন্যবাদ।নন্দীগ্রাম বিধানসভায় প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই সরাসরি বিভাজনের পথে হেঁটেছিলেন শুভেন্দু অধিকরী। একেবারেই ঢাক-গুড়গুড় করেননি। গত ১০ নভেম্বর নন্দীগ্রামে শহিদ দিবসের দিনও ফের তিনি বলেছেন, নন্দীগ্রামের ৬৫ হাজার বাদ দিয়ে বাকিদের একসঙ্গে থাকতে হবে। সেই আবেদন জানিয়েছিলেন শহিদ মঞ্চ থেকে। এবার পাকিস্থানের হার নিয়ে ব্যাপক উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তাঁর অবস্থান স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন।

নভেম্বর ১২, ২০২১
খেলার দুনিয়া

T20 World Cup : থেমে গেল বিজয়রথ, অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় পাকিস্তানের

বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ থেকেই অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগোচ্ছিল পাকিস্তান। সেমিফাইলানে এসে সব জারিজুরি শেষ। অসিদের কাছে থেমে গেল বিজয় রথ। পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে টি২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছে গেল অস্ট্রেলিয়া। ১৪ নভেম্বর ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়াকে ফাইনালে তোলার মূল কারিগড় মার্কাস স্টয়নিস ও ম্যাথু ওয়েড। টস জিতলে বিপক্ষকে ব্যাট করতে পাঠানোর ঐতিহ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে চলতি টি২০ বিশ্বকাপে। একদিকে যেমন টার্গেট দেখে ব্যাট করার সুবিধা পাওয়া যায়, তেমনই শিশিরের জন্য সমস্যায় পড়তে হয় না। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ টস জিতে শিশিরের কথা মাথায় রেখে পাকিস্তানকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন। গ্রুপ লিগের মতোই সেমিফাইনালে ধারাবাহিতা দুই পাক ওপেনারের। দারুণ শুরু করেছিলেন মহম্মদ রিজওয়ান ও বাবর আজম। ওপেনিং জুটিতে ওঠে ৭১। দশম ওভারের শেষ বলে জুটি ভাঙেন অ্যাডাম জাম্পা। জাম্পাকে ৬ মারতে গিয়ে লং অনে ডেভিড ওয়ার্নারের হাতে ধরা পড়েন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। ৩৪ বলে তিনি করেন ৩৯। বাবর আজম ফিরে যাওয়ার পর দলকে টেনে নিয়ে যান মহম্মদ রিজওয়ান ও ফখর জামান। শুরুর দিকে কিছুটা মন্থর ব্যাটিং করলেও পরের দিকে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন দুই পাক ব্যাটসম্যান। ৫৭ বলে ৬৭ রান করে মিচেল স্টার্কের বলে স্টিভ স্মিথের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন মহম্মদ রিজওয়ান। তিনি মারেন ৩টি ৪ এবং ৪টি ৬। রিজওয়ান যখন আউট হন পাকিস্তান ১৭.২ ওভারে ১৪৩। পরের ওভারেই ১ বল খেলে কোনও রান না করে আউট হন আসিফ আলি। তাঁকে তুলে নেন প্যাট কামিন্স। শেষ দিকে ঝড় তুলেছিলেন ফখর জামান। শোয়েব মালিক (২ বলে ১) ব্যর্থ হলেও দলকে দারুণ জায়গায় পৌঁছে দেন ফখর। ৩২ বলে ৫৫ রান করে তিনি অপরাজিত থাকেন। ফখর জামানের ইনিংসে রয়েছে ৩টি ৪ ও ৪টি ৬। ২০ ওভারে পাকিস্তান শেষ পর্যন্ত তোলে ৪ উইকেটে ১৭৬। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ভাল বল করেন অ্যাডাম জাম্পা। ৪ ওভারে মাত্র ২২ রান দেন তিনি। তুলে নেন ১ উইকেট। মিচেল স্টার্ক ৪ ওভারে ৩৮ রানে ২ উইকেট তুলে নেন। ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই ফিরে যান অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। মাত্র ১ বল খেলে তিনি কোনও রান না করেই শাহিন আফ্রিদির বলে এলবিডব্লু হন। এরপর ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে চাপে পড়ে যান পাকিস্তান বোলাররা। জুটিতে ওঠে ৫১। শাদাব খানের বলে আফি আলির হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন মার্শ (২২ বলে ২৮)। স্টিভ স্মিথ (৬ বলে ৫) ব্যর্থ। তিনিও শাদাব খানের শিকার। ডেভিড ওয়ার্নার (৩০ বলে ৪৯) জ্বলে ওঠার চেষ্টা করছিলেন। তঁকে তুলে নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে বড় ধাক্কা দেন শাদাব। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে (১০ বলে ৭) ফিরিয়ে অসিদের আরও চাপে ফেলে দেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার রান তখন ১২.২ ওভারে ৯৬/৫। এরপর অস্ট্রেলিয়াকে জয়ের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান মার্কাস স্টয়নিস ও ম্যাথু ওয়েড। শাহিন আফ্রিদির ১৯ তম ওভারই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয়। শেষ ১২ বলে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের জন্য দরকার ছিল ২২ রান। শাহিন আফ্রিদির প্রথম বলে কোনও রান হয়নি। দ্বিতীয় বলে ১ রান লেগ বাই থেকে আসে। তৃতীয় বলে ম্যাথু ওয়েডের ক্যাচ ফেলে দেন হাসান আলি। পরের ৩ বলে তিনটি ছক্কা মেরে দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন ম্যাথু ওয়েড। ১৭ বলে ৪১ রান করে তিনি অপরাজিত থাকেন। মার্কাস স্টয়নিস ৩১ বলে ৪০ রান করে অপরাজিত থাকেন। ১৯ ওভারে ১৭৭/৫ তুলে ফাইনালে পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া। পাকিস্তানের হয়ে শাদাব খান ২৬ রানে ৪টি, শাহিন আফ্রিদি ৩৫ রানে ১ উইকেট নেন।

নভেম্বর ১১, ২০২১
খেলার দুনিয়া

TWO World Cup : মধুর প্রতিশোধ নিয়ে ফাইনালে নিউজিল্যান্ড

২০১৯ একদিনের বিশ্বকাপ ফাইনালের হারের মধুর প্রতিশোধ। আবু ধাবিতে টি২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ১ ওভার বাকি থাকতে ইংল্যান্ডকে ৫ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেল নিউজিল্যান্ড। কিউয়িদের স্মরণীয় জয় এনে দেন ড্যারিল মিচেল। তিনিই ম্যাচের সেরা।টস জিতে এদিন ইংল্যান্ডকে ব্যাট করতে পাঠান নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। চোটের জন্য জেসন রয় খেলতে না পারায় সেমিফাইনালে জস বাটলারের সঙ্গে ইংল্যান্ডের হয়ে ওপেন করতে নামেন জনি বেয়ারস্টো। ১৭ বলে ১৩ রান করে দলের ৩৭ রানের মাথায় আউট হন তিনি। অ্যাডাম মিলনের বলে বেয়ারস্টোর ক্যাচ অসামান্য দক্ষতায় তালুবন্দি করেন কিউয়ি অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। পাওয়ার প্লে-র ৬ ওভারে ইংল্যান্ডের রান ছিল ১ উইকেটে ৪০। ৭.৩ ওভারে ৫০ রান পূর্ণ হয়। দলের ৫৩ রানের মাথায় আউট হন ইংল্যান্ডের অন্য ওপেনার জস বাটলার। ২৪ বলে ২৯ রান করে তিনি ইশ সোধির বলে এলবিডব্লু হন। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৬৩ রান যোগ করেন ডেভিড মালান ও মইন আলি। চারটি চার ও একটি ছয়ের সাহায্যে ৩০ বলে ৪১ রান করে আউট হন মালান।মালান ফিরে গেলেও লিভিংস্টোনকে সঙ্গে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান মইন আলি। ১৮ তম ওভারে অ্যাডাম মিলনের বলে ১৬ রান তোলেন মইন ও লিভিংস্টোন। ১৯.২ ওভারে জিমি নিশামের বলে মিচেল স্যান্টনারের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন লিভিংস্টোন। ১০ বলে তিনি করেন ১৭। টি২০ বিশ্বকাপে প্রথম অর্ধশতরান করে ৩৭ বলে ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন মইন আলি। তিনি মারেন ৩টি ৪ ও ২টি ৬। অধিনায়ক মর্গ্যান ২ বলে ৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রান তোলে ইংল্যান্ড। টিম সাউদি ৪ ওভারে ২৪ রানে ১ উইকেট পান। ট্রেন্ট বোল্ট ৪ ওভারে ৪০ রান দিয়ে কোনও উইকেট পাননি। অ্যাডাম মিলনে, ইশ সোধি ও জিমি নিশাম ১টি করে উইকেট নেন।ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় নিউজিল্যান্ড। প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই আউট হন মার্টিন গাপটিল (৪)। তাঁকে তুলে নেন ক্রিস ওকস। কেন উইলিয়ামসনও (৫) দ্রুত ফেরেন। তিনিও ওকসের শিকার। ১৩ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পরে নিউজিল্যান্ড। সেখান থেকে দলকে টেনে নিয়ে যান ড্যারেল মিচেল ও ডেভন কনওয়ে। জুটিতে ওঠে ৯২ রান। ৩৮ বলে ৪৬ রান করে আউট হন কনওয়ে। তাঁকে ফেরান লিয়াম লিভিংস্টোন। জিমি নিশাম ১১ বলে ১৭ রান করে আউট হন। দুর্দান্ত ব্যাট করেন মিচেল। ৪৭ বলে ৭২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে তিনি দলকে জয় এনে দেন। ১৯ ওভারে ১৬৭/৫ তুলে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় নিউজিল্যান্ড।

নভেম্বর ১০, ২০২১
খেলার দুনিয়া

T20 World Cup: হেড স্যার হিসেবে শেষ দিনে শাস্ত্রী ব্যর্থতার জন্য কেন দুষলেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে?‌

অবশেষে দীর্ঘ পথের যাত্রার সমাপ্তি। আর কয়েক ঘন্টার মধ্যে গায়ে সেঁটে যাব প্রাক্তনের ট্যাগ। ভারতীয় দলের হেড স্যার হিসেবে সোমবারই শেষদিন রবি শাস্ত্রীর। দুদফার কার্যকালে দেশকে সাফল্য এনে দিতে পারেননি। সে সীমিত ওভারের ক্রিকেটেই বলুন, কিংবা টি২০ ক্রিকেটে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপেও ব্যর্থতা। মেয়াদ শেষ হওয়ার দিনে আবেগপ্রবণ রবি শাস্ত্রী। ভারতীয় দলের হেড কোচ হিসেবে সোমবার টি২০ বিশ্বকাপে নামিবিয়া ম্যাচই ছিল শেষ ম্যাচ। খেলা শুরুর আগে রবি শাস্ত্রী বলেন, ভারতীয় দলের কোচ হিসেবে আমার কাছে এই যাত্রাটা অসাধারণ। যখন ভারতীয় দলের দায়িত্ব নিয়েছিলাম, আমি নিজেকে মনে মনে বলেছিলাম, পার্থক্য করতে চাই। আমার মনে হয় কাজটি আমি করতে সক্ষম হয়েছি। জীবনে কখনও কখনও সবকিছু অর্জন করা সম্ভব হয়না। তা সত্ত্বেও এই ছেলেরা গত ৫ বছরে যা অর্জন করেছে, যেভাবে বিশ্বজুড়ে খেলে বেড়িয়েছে, এবং সব ধরণের ফর্ম্যাটে যেভাবে পারফর্ম করেছে, তাতে বিশ্বে দুর্দান্ত দল হিসেবে নিজেদের প্রতিপন্ন করেছে। এ বিষয়ে আমার মনে কোনও সন্দেহ নেই। তবে এটা দুর্ভাগ্যজনক যে, আমরা এই বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেছি। এই ব্যর্থতা দুর্দান্ত ভারতীয় দলের কাছ থেকে কিছু নিয়ে যায়নি। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ব্যর্থতা সঙ্গী হলেও টেস্ট ক্রিকেটে নিজের দলকে এগিয়ে রেখেছেন রবি শাস্ত্রী। তিনি বলেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে লাল বলের ক্রিকেটে সিরিজ জিতে আমরা এগিয়ে আছি। এই এগিয়ে থাকাটা আমরা দীর্ঘদিন ধরে রাখতে পারব। কারণ ওদের বিরুদ্ধে আবার পরের বছর সিরিজ খেলব। সাদা বলের ক্রিকেটে প্রতিটি দলকে তাদের ঘরের মাঠে পরাজিত করেছি, যা আমার প্রচেষ্টা এবং দলের প্রচেষ্টা ছিল।এই দলটা দেখিয়েছে যে তাদের আরও অনেক দক্ষতা রয়েছে। ২০১৭ সালে পাকিস্তানের কাছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত পরাজিত হওয়ার পর হেড কোচ নিযুক্ত হন রবি শাস্ত্রী। বিদেশের মাটিতে সাফল্য থেকে এক নম্বর টেস্ট দল হওয়ার লক্ষ্যপূরণ হলেও কোহলিশাস্ত্রী জুটি ভারতকে কোনও আইসিসি ইভেন্টে চ্যাম্পিয়ন করাতে পারেনি।রবি শাস্ত্রীর উত্তরাধিকারী হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন রাহুল দ্রাবিড়। উত্তরসূরীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শাস্ত্রী। তিনি বলেন, ভারতীয় দল একজন ভাল কোচ পাচ্ছে। দ্রাবিড়কে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আমি মনে করি অভিজ্ঞতা দিয়ে দ্রাবিড় সময়মতো সেরাটা বার করে নিয়ে আসবে। এই দলে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার রয়েচে যারা আরও ৩৪ বছর খেলবে। ভারতের এই দলটা রূপান্তরিত দল নয়। এটাই বড় পার্থক্য তৈরি করবে। কোহলিই এখনও দলে রয়েছে। অধিনায়ক হিসেবে দারুণ কাজ করেছে। গত ৫ বছর ধরে টেস্ট ক্রিকেটে সবথেকে বড় ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর। যেভাবে দলকে খেলাতে চায় এবং গোটা দল যেভাবে তাকে আঁকড়ে ধরেছে, দল সম্পর্কে যেভাবে চিন্তা করে, তার জন্য অনেক কৃতিত্ব দিতে হবে। বিশ্বকাপে ব্যর্থতা প্রসঙ্গে শাস্ত্রী বলেন, আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। আর সেটা আমার বয়সের কারণে। দীর্ঘ ৬ মাস বায়ো বাবলে থেকে এই দলের ক্রিকেটাররাও শারীরিক এবং মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। আইপিএল এবং বিশ্বকাপের মধ্যে একটা বড় ব্যবধান থাকলে ভাল হত। যখন কোনও বড় প্রতিযোগিতা আসে, চাপ তৈরি হয়, তখন পরিবর্তনের দরকার হয়। তবে বিশ্বকাপে ব্যর্থতার জন্য এটা কোনও অজুহাত হতে পারে না। আমরা হারকে মেনে নিতে পারি, কারণ হারতে ভয় পাই না। আমরা জেতার চেষ্টা করেও পারিনি, কারণ এক্সফ্যাক্টর অনুপস্থিত ছিল। তবে এটা কোনও অজুহাত হতে পারে না।

নভেম্বর ০৯, ২০২১
খেলার দুনিয়া

T20 World Cup : ‌কোহলি–শাস্ত্রী জুটির পরিসমাপ্তি, এক নজরে দেখে নেওয়া যাক পরিসংখ্যান

টি২০ ক্রিকেটে ভারতীয় দলের আর্ম ব্যান্ড হাতে আর মাঠে নেতৃত্ব দিতে দেখা যাবে না বিরাট কোহলিকে। বিশ্বকাপে নামিবিয়ার বিরুদ্ধে ক্যাপ্টেন হিসেবে কোহলির ছিল শেষ ম্যাচ। কোচ হিসেবে রবি শাস্ত্রীরও এটাই ছিল শেষ ম্যাচ। শাস্ত্রীকোহলি জুটির সেরা সাফল্য ইংল্যান্ডের মাটিতে ও অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজ জয়। তার মধ্যে অস্ট্রেলিয়াকে তাদের ঘরের মাটেতে দুদুবার টেস্ট সিরিজে হারিয়েছে ভারত। তবে আসল জায়গায় ব্যর্থ। আইসিসির কোনও প্রতিযোগিতায় দেশকে চ্যাম্পিয়ন করতে পারেনি এই জুটি। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক অধিনায়ক হিসেবে বিরাট কোহলি ও কোচ রবি শাস্ত্রীর পরিসংখ্যান। ২০১৭ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনির হাত থেকে টি২০ ক্রিকেটে দেশের দায়িত্ব তুলে নেন বিরাট কোহলি। তারপর থেকে তিনি দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ৫০টি টি২০ ম্যাচে। সোমবার বিশ্বকাপে নামিবিয়ার বিরুদ্ধেই কোহলির ছিল অধিনায়ক হিসেবে ৫০ তম ম্যাচ। ৫০ তম ম্যাচে দলকে জয় এনে দিলেও বিশ্বকাপে ব্যর্থতার তকমা গায়ে সেঁটেই নেতৃত্ব থেকে সরে যেতে হল কোহলিকে। দেশকে ৫০টি টি২০ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে ৩০টিতে জয় এনে দিয়েছেন কোহলি। হেরেছেন ১৬টিতে। ২টি ম্যাচ টাই হয়েছে। আর ২টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। কোহলির পূর্বসূরী মহেন্দ্র সিং ধোনি দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ৭২ ম্যাচে। জিতেছিলেন ৪১টি ম্যাচ। ২৮টি ম্যাচে হারতে হয়েছিল। ১ট ম্যাচ টাই, ২টি ম্যাচে কোনও ফলাফল হয়নি। অধিনায়ক হিসেবে বিরাট কোহলি ৫০টি টি২০ ম্যাচে রান করেছেন ১৫৭০। নামিবিয়ার বিরুদ্ধে অধিনায়ক হিসেবে জীবনের শেষ টি২০ ম্যাচে ব্যাট হাতে মাঠে নামেননি কোহলি। টি২০ ক্রিকেটে সর্বাধিক রান সংগ্রহকারী অধিনায়কদের মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছেন তিনি। তবে অধিনায়ক হিসেবে দ্রুততম ১ হাজার টি২০ রানের মালিক বিরাট কোহলি। মাত্র ৩০টি ইনিংসে তিনি এই মাইলস্টোনে পৌঁছেছিলেন। অধিনায়ক হিসেবে সর্বাধিক হাফ সেঞ্চুরির মালিক ছিলেন কোহলি। এই বিশ্বকাপে তাঁকে টপকে গেছেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম, অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ ও নিউজিল্যানন্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। পাকিস্তান, বাংলাদেশ বাদে সব টেস্ট খেলিয়ে দেশের বিরুদ্ধে টি২০ সিরিজ জেতারও নজির রয়েছে বিরাট কোহলির। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আর জুটি হিসেবে দেখা যাবে না অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও কোচ রবি শাস্ত্রীকে। কোচ হিসেবে শাস্ত্রীর জমানায় ভারত ৪৩টি টেস্ট খেলেছে। জিতেছে ২৫টি এবং হেরেছে ১৩টিতে। একদিনের ক্রিকেটে ৭৬টি ম্যাচের মধ্যে ভারত জিতেছে ৫১টিতে, হেরেছে ২২টি। টি২০ ক্রিকেটে ৬৪টি ম্যাচে ভারতকে কোচিং করিয়েছেন শাস্ত্রী। জয় এসেছে ৪২টিতে এবং হার ১৮টিতে।

নভেম্বর ০৯, ২০২১
খেলার দুনিয়া

T20 World Cup : ‌নিময়রক্ষার ম্যাচে নামিবিয়াকে উড়িয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শেষ ভারতের

রবিবারই নিউজিল্যান্ড ও আফগানিস্তান ম্যাচের পরেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল টি২০ বিশ্বকাপে ভারতের ভাগ্য। নামিবিয়ার বিরুদ্ধে সোমবারের ম্যাচ ছিল নিয়মরক্ষার। সেই নিয়মরক্ষার ম্যাচে নামিবিয়াকে ৯ উইকেটে উড়িয়ে দিয়ে এবারের টি২০ বিশ্বকাপ অভিযান শেষ করল ভারত। ভারতের দুই ওপেনার লোকেশ রাহুল ও রোহিত শর্মাই ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিলেন। তবে বোলাররাও এদিন দারুণ বোলিং করেন। টস জিতে এদিন নামিবিয়াকে ব্যাট করতে পাঠান ভারতীয় দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩২ রানের বেশি তুলতে পারেনি নামিবিয়া। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে নামিবিয়া তোলে ৩৪/২। ৪.৪ ওভারে ৩৩ রানের মাথায় মাইকেল ভ্যান লিঞ্জেনকে তুলে নেন মহম্মদ সামি। ৫.৩ ওভারে রবীন্দ্র জাদেজা আউট করেন ক্রেগ উইলিয়ামসকে (০)। ৯.১ ওভারে ৪৭ রানের মাথায় চতুর্থ উইকেট হারায় নামিবিয়া। এরপর নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়তে থাকায় বড় রান তুলতে পারেনি। ২৫ বলে সর্বাধিক ২৬ রান করেন ডেভিড উইসে। স্টিফেন বার্ড করেন ২১। অধিনায়ক এরাসমাস আউট হন ১২ রানে। জান ফ্রাইলিঙ্ক ১৫ বলে ১৫ ও রুবেন ট্রাম্পেলম্যান ৬ বলে ১৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। রবীন্দ্র জাদেজা ১৬ রানে ৩টি, রবিচন্দ্রন অশ্বিন ২০ রানে ৩টি, যশপ্রীত বুমরা ৪ ওভারে ১৯ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট পান।ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করেন ভারতের দুই ওপেনার লোকেশ রাহুল ও রোহিত শর্মা। ওপেনিং জুটিতে ওঠে ৮৬। ৯.৫ ওভারের মাথায় জ্যাঁ ফ্রাইলিঙ্কের বলে আউট হন রোহিত শর্মা। ৭টি চার ও ২টি ছয়ের সাহায্যে ৩৭ বলে ৫৬ রান করে আউট হন রোহিত। চলতি বিশ্বকাপে এটি তাঁর দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি। এদিন বিশ্বের তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে টি ২০ আন্তর্জাতিকে ৩ হাজার রানের মাইলস্টোন পেরোলেন রোহিত শর্মা। প্রথম এই কীর্তি গড়েছিলেন বিরাট কোহলি। চলতি বিশ্বকাপে মার্টিন গাপটিল ও রোহিত শর্মা টি ২০ আন্তর্জাতিকে তিন হাজার রান পূর্ণ করলেন। চলতি বিশ্বকাপে তৃতীয় তথা কেরিয়ারের ১৫তম টি ২০ অর্ধশতরান পূর্ণ করে ভারতকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দিলেন লোকেশ রাহুল। টি ২০ বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে সবচেয়ে বেশি রানও করলেন রাহুল। তবে নিজে না নেমে বিরাট কোহলি তিনে কেন সূর্যকুমার যাদবকে নামালেন তা নিয়ে চলছে চর্চা। লোকেশ রাহুল চারটি চার ও দুটি ছয়ের সাহায্যে ৩৬ বলে ৫৪ রানে অপরাজিত থাকেন। ১৯ বলে ২৫ রানে অপরাজিত থাকেন সূর্যকুমার যাদব। ২৮ বল বাকি থাকতে ১ উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রান তুলে ম্যাচ জিতে নেয় ভারত। ম্যাচের সেরা রবীন্দ্র জাদেজা।

নভেম্বর ০৮, ২০২১
খেলার দুনিয়া

t20 World Cup : দেশের খেলার চেয়ে আইপিএলকে বেশি প্রাধান্য কোহলিদের?‌ গর্জে উঠলেন প্রাক্তন ক্রিকেট মহাতারকা

টি২০ বিশ্বকাপে ভারত সেমিফাইনালে উঠতে না পারায় ফুঁসছে গোটা দেশ। ক্রিকেটপ্রেমীরা থেকে শুরু করে প্রাক্তন ক্রিকেটার, প্রত্যেকেই হতাশ। ভারতের বিপর্যয় নিয়ে তর্কবিতর্ক চলছে। শুরু হয়েছে সমালোচনা। বিরাট কোহলিদের বিদায়ে গর্জে উঠেছেন প্রাক্তন বিশ্বজয়ী অধিনায়ক কপিলদেব। তাঁর মতে, দেশের হয়ে খেলার চেয়েও ক্রিকেটাররা আইপিএলকে বেশি অগ্রাধিকার দিয়েছে। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কপিলদেব বলেছেন, ক্রিকেটাররা যদি দেশের হয়ে খেলার চেয়ে আইপিএলকে বেশি প্রাধান্য দেয়, তখন আমরা কী বলত পারি? ক্রিকেটারদের তাদের দেশের হয়ে খেলার জন্য অবশ্যই গর্বিত হওয়া উচিত। আমি ক্রিকেটারদের আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে জানি না তাই বেশি কিছু বলতে পারছি না। তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি প্রথমে দেশের হয়ে খেলাটাই প্রাধান্য পাওয়া উচিত। তারপর ফ্র্যাঞ্চাইজি হয়ে খেলা। আমি বলছি না যে ক্রিকেটাররা আইপিএলে খেলবে না। বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার দেশের হয়ে খেলাটাকে বেশি গুরুত্ব দেয় না, আইপিএলে খেলাটাকেই বেশি প্রাধান্য দেয়। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে বিষয়টি দেখতে হবে। এখন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের দায়িত্ব আরও ভালভাবে পরিকল্পনা করে দেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। এই টি২০ বিশ্বকাপে আমরা যে ভুল করেছি তার পুনরাবৃত্তি যেন না হয়, সেটাই হবে আমাদের কাছে বড় শিক্ষা। পরের বছরই আবার বসবে টি২০ বিশ্বকাপের আআসর। কপিলদেব মনে করেন, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ও ভারতীয় ক্রিকেট দলের উচিত পরের বিশ্বকাপের জন্য এখন থেকেই পরিকল্পনা শুরু করা। প্রাক্তন এই বিশ্বজয়ী অধিনায়ক বলেন, এখন ভবিষ্যতের দিকে তাকানোর সময়। এখন থেকেই ভবিষ্যতের পরিকল্পনা শুরু করা উচিত। এমন নয় যে বিশ্বকাপ শেষ হয়েছে মানেই ভারতীয় দলের ক্রিকেটও শেষ হয়ে গেছে। বসে না থেকে এখন থেকেই পরিকল্পনা করুক। আইপিএলের পরপরই বিশ্বকাপ শুরু হয়েছে। ক্রিকেটাররা একেবারেই বিশ্রাম পায়নি। এই বিষয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডেরও সমালোচনা করতে দ্বিধা করেননি কপিলদেব। তিনি বলেন, আমি মনে করি আইপিএল এবং টি২০ বিশ্বকাপের মধ্যে কিছুটা ব্যবধান থাকা উচিত ছিল। যাতে ক্রিকেটাররা বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সময় পেত। তবে আমাদের দেশের ক্রিকেটারদের প্রচুর এক্সপোজার রয়েছে। ক্রিকেটাররা তার সঠিক প্রয়োগ করতে পারেনি। প্রত্যেক ক্রিকেটারের উচিত এই ব্যর্থতার দায় নেওয়া। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ২০১২ সালের পর এই প্রথম আইসিসির কোনও প্রতিযোগিতা থেকে ভারত এত তাড়াতাড়ি বিদায় নিয়েছে।

নভেম্বর ০৮, ২০২১
খেলার দুনিয়া

T20 World Cup : স্কটল্যান্ডকে উড়িয়ে গ্রুপ শীর্ষে থেকে সেমিফাইনালে পাকিস্তান

সেমিফাইনালের ছাড়পত্র আগেই এসে গিয়েছিল। স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচ ছিল লিগ টেবিলে শীর্ষে থাকার লড়াই। বিপক্ষকে ৭২ রানে উড়িয়ে ৫ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষ স্থানে শেষ করল পাকিস্তান। সেমিফাইনালে পাকিস্তান খেলবে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। অন্য সেমিফাইনালে মুখোমুখি ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড।রবিবার স্কটল্ল্যান্ডের বিরুদ্ধে জ্বলে উঠলেন বাবর আজম ও শোয়েব মালিক। এই দুজনের দাপটে খড়কুটোর মতো উড়ে গেল স্কটল্যান্ডের বোলাররা। চলতি টি২০ বিশ্বকাপে ৪টি অর্ধশতরানের মালিক হয়ে গেলেন বাবর। একই সঙ্গে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীর তালিকায় শীর্ষে পৌঁছলেন। টপকে গেলেন জস বাটলারকে। বাটলার মত রান ২৪০। অন্যদিকে বাবরের সংগ্রহ ২৬৪।স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। শুরুতে সতর্ক ছিলেন দুই পাক ওপেনার মহম্মদ রিজওয়ান ও বাবর আজম। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ওঠে মাত্র ৩৫। সপ্তম ওভারের প্রথম বলেই আউট হন মহম্মদ রিজওয়ান (১৯ বলে ১৫)। ফকর জামান (১৩ বলে ৮) দ্রুত ফিরলেও পাকিস্তানকে টেনে নিয়ে যান বাবর আজম ও মহম্মদ হাফিজ। হাফিজ ক্রিজে এসে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে রান তোলার গতি বাড়ানোর দিকে নজর দেন। ১৯ বলে ৩১ রান করে তিনি আউট হন। বাবর আজম ৪৭ বলে করেন ৬৬। শেষ দিকে ঝড় তোলেন শোয়েব মালিক। মাত্র ১৮ বলে ৫৪ রান করে তিনি অপরাজিত থাকেন। মারেন ১টি চার ও ৬টি ছয়। চলতি টি২০ বিশ্বকাপে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরির দিক দিয়ে ছুঁয়ে ফেললেন ভারতের লোকেশ রাহুলকে। ২০ ওভারে পাকিস্তান তোলে ১৮৯/৪।ব্যাট করতে নেমে ২৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় স্কটল্যান্ড। কাইল কোয়েটজারকে (৯) তুলে নেন হাসান আলি। এরপর ৫ রান করে রান আউট হন ম্যাথু ক্রস। ৩১ বলে ১৭ রান করে একাদশতম ওভারে শাদাব খানের প্রথম বলে ফিরে যান জর্জ মুনসে। এরপর স্কটল্যান্ডকে টেনে নিয়ে যান ব্যারিংটন ও লিয়াস্ক। ১৪ বলে ১৪ রান করে শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে বোল্ড হন লিয়াস্ক। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১১৭/৬ তোলে স্কটল্যান্ড। ৩৭ বলে ৫৪ রান করে অপরাজিত থাকেন ব্যারিংটন। শাদাব খান ৪ ওভারে ১৪ রানে ২ উইকেট নেন। ৫ ম্যাচে সব কটি জিতে ১০ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ শীর্ষে থেকে সেমিফাইনালে পৌঁছয় পাকিস্তান। ৮ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে দ্বিতীয় হয়ে শেষ চারে নিউজিল্যান্ড।

নভেম্বর ০৭, ২০২১
খেলার দুনিয়া

T20 World Cup : সর্ব কনিষ্ঠ বোলার হিসেবে টি২০ ক্রিকেটে ৪০০ উইকেটের মালিক রশিদ খান

অনেক আশা নিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল আফগানিস্তান। যদি কোনও রকম অঘটন ঘটানো যায়। লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেননি মহম্মদ নবিরা। কিন্তু এবারের টি২০ বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে মাইলস্টোনে পৌঁছে গেলেন আফগানিস্তানে লেগস্পিনার রশিদ খান। সর্ব কনিষ্ঠ বোলার হিসেবে টি২০ ক্রিকেটে ৪০০ উইকেটের মালিক হয়ে গেলেন।নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে মার্টিন গাপটিলকে আউট করে ৪০০ উইকেটের মাইলস্টোনে পৌঁছন রশিদ খান। একই সঙ্গে এলিট লিস্টে নিজের নাম তুলে ফেললেন আফগানিস্তানের এই লেগস্পিনার। সব ধরণের টি২০ ক্রিকেট ম্যাচে রশিদ খানের আগে ৩ জন বোলার ৪০০র বেশি উইকেট নিয়েছেন। তাঁরা হলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডোয়েন ব্র্যাভো। তিনি রয়েছেন সকলের ওপরে। সব ধরণের টি২০ ম্যাচ মিলিয়ে এই ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার নিয়েছেন ৫৫৩টি উইকেট। ডোয়েন ব্র্যাভোর পর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজেরই সুনীল নারাইন। এই ক্যারিবিয়ান রহস্যময় স্পিনারের ঝুলিতে রয়েছে ৪২৫ উইকেট। তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইমরান তাহির। এই প্রোটিয়া স্পিনারের সংগ্রহে রয়েছে ৪২০ উইকেট। ৪০০র এলিট ক্লাবে নতুন সংযোজন রশিদ খান। তবে এই কৃতিত্ব তিনি অর্জন করলেন সর্ব কনিষ্ট্ঠ হিসেবে।দেশের হয়ে খেলতে নেমে রশিদ খান ১০৩ টি উইকেট ঝুলিতে ভরেছেন। আর আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে খেলতে নেমে ৯৩ টি উইকেট নিয়েছেন রশিদ খান। বাকি ২০৪টি উইকেট নিয়েছেন বিভিন্ন দেশে টি২০ লিগে খেলে। এর মধ্যে যেমন রয়েছে বিগ ব্যাশ, তেমনই রয়েছে পাকিস্তান প্রিমিয়ার লিগ, ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ, আফগানিস্তান টি২০ লিগ, ইংল্যান্ডের ঘরোয়া টি২০ ক্রিকেটে। দুরন্ত স্পিন বোলিংয়ের সুবাদে টি২০ ক্রিকেটে রীতিমতো সমীহ জাগানো নাম হয়ে উঠেছেন রশিদ খান।চলতি বিশ্বকাপে টি২০ ক্রিকেটে শুধু ৪০০ উইকেটের মালিক হননি রশিদ খান, আরও একটা নজির গড়েছেন এই আফগান স্পিনার। দ্রুততম বোলার হিসেবে টি২০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০০ উইকেট দখল করার নজিরও গড়েছেন রশিদ খান। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে তিনি এই কৃতিত্ব অর্জন করেন। রশিদ খান ছাড়া মাত্র ৩ জন বোলার আন্তর্জাতিক টি২০ ক্রিকেটে ১০০ উইকেটের মালিক হয়েছেন। এরা হলেন শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন জোরে বোলার লসিথ মালিঙ্গা, বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান এবং নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদি। এই তালিকায় সকলের আগে রয়েছেন সাকিব আল হাসান।

নভেম্বর ০৭, ২০২১
খেলার দুনিয়া

TWO World Cup : আফগানদের ৮ উইকেটে হারিয়ে ভারতের সেমিফাইনালের স্বপ্ন শেষ করল কিউয়িরা

নিউজিল্যান্ডআফগানিস্তান ম্যাচের দিকেই তাকিয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা। যদি কোনও ভাবে অঘটন ঘটে। ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের প্রত্যাশা পূরণ হল না। রবিবার আবু ধাবিতে ১১ বল বাকি থাকতে আফগানিস্তানকে ৮ উইকেটে হারিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিতীয় দল হিসেবে গ্রুপ ২ থেকে টি২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল নিউজিল্যান্ড। আফগানিস্তানকে কিউয়িরা হারিয়ে দিতেই টি২০ বিশ্বকাপ অভিযান শেষ হয়ে গেল ভারতের। ভারতের সঙ্গে ছিটকে গেল আফগানিস্তানও। নিউজিল্যান্ড জেতায় সোমবার নামিবিয়ার বিরুদ্ধে ভারতের ম্যাচ হয়ে দাঁড়াল নিয়মরক্ষার।রবিবার দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তান খেলতে নেমেছে স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে। বাবর আজমের দল যদি স্কটল্যান্ডের কাছে না হারে, তাহলে গ্রুপ ২ থেকে নিউজিল্যান্ড সেমিফাইনালে যাবে দ্বিতীয় দল হিসেবে। সেক্ষেত্রে সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ড খেলবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। আর পাকিস্তান মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়ার।২০১৯ সালে একদিনের বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরেই ছিটকে গিয়েছিল ভারত। আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও কিউয়িদের কাছেই হারতে হয়েছে বিরাট কোহলির দলকে ভারত। টি২০ বিশ্বকাপ থেকেও বিরাট কোহলিদের ছিটকে দিল আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে কেন উইলিয়ামসনদের জয়। টি২০ বিশ্বকাপসহ আইসিসি ট্রফি অধরাই থেকে গেল ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলির কাছে।টস জিতে এদিন নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন আফগান অধিনায়ক মহম্মদ নবি। ৮ উইকেটে ১২৪ রানের বেশি তুলতে পারেনি আফগানরা। ৪৮ বলে সর্বাধিক ৭৩ রান করেন নাজিবুল্লাহ জারদান। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ৬টি চার ও ৩টি ছয়। গুলবদিন নঈব ১৫ ও অধিনায়ক মহম্মদ নবি ১৪ রান করেন। ৪ ওভারে ১৭ রানে ৩ উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট। দুর্দান্ত বোলিং করে তিনিই ম্যাচের সেরা। টিম সাউদি ৪ ওভারে ২৪ রানে ২ উইকেট নেন। অ্যাডাম মিলনে, জিমি নিশাম, ইশ সোধি ১টি করে উইকেট নেন।ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেট হারিয়ে ৪৫ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। দলের ২৬ রানের মাথায় আউট হন ড্যারিল মিচেল (১২ বলে ১৭)। ৮.৫ ওভারের মাথায় আউট হন মার্টিন গাপটিল। ২৩ বলে তিনি করেন ২৮। এরপর দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন কেন উইলিয়ামসন (৪২ বলে ৪০) ও ডেভন কনওয়ে (৩২ বলে ৩৬)। ১৮.১ ওভারে ১২৫/২ তুলে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে নিউজিল্যান্ড।

নভেম্বর ০৭, ২০২১
খেলার দুনিয়া

T20 World Cup : সামনের বছর দুবারের বিশ্বকাপজয়ী দলকে খেলতে হবে প্রথম রাউন্ডের ম্যাচ

দুবারের বিশ্বজয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজের কী হাল! এবছর সেমিফাইনালে তো উঠতেই পারেনি, পরের বছর টি২০ বিশ্বকাপে সরাসরি সুপার ১২তে খেলার যোগ্যতাও নেই! ২০২২ টি২০ বিশ্বকাপে সরাসরি সুপার ১২তে খেলার সুযোগ পাবে না ক্যারিবিয়ানরা। প্রথম রাউন্ডের বাধা টপকে সুপার ১২তে উঠে আসতে হবে। সরাসরি সুপার ১২র খেলার সুযোগ নেই শ্রীলঙ্কারও। তাদেরও প্রথম রাউন্ডের ম্যাচ খেলে সুপার ১২তে উঠে আসতে হবে। অন্যদিকে, সরাসরি সুপার ১২তে খেলার সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান।২০২২ বিশ্বকাপের জন্য সুপার ১২র অটোমেটিক কোয়ালিফায়ার নির্ধারিত হল বিশেষ পদ্ধতির মাধ্যমে। এবছর বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স দলের সঙ্গে আইসিসির টি২০ র্যাঙ্কিংয়ে সেরা ছটি দল সরাসরি আগামী বছর সুপার ১২তে খেলবে। এবছর সুপার ১২তে বাংলাদেশ সব ম্যাচ হারলেও বিশ্বকাপের আগে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়াকে টি২০ সিরিজে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এই মুহূর্তে র্যাঙ্কিংয়ে ৮ নম্বরে রয়েছে বাংলাদেশ। ৮ নম্বরে থাকার জন্য সামনের বছর সরাসরি বিশ্বকাপে খেলবে তারা। আফগানিস্তানও র্যাঙ্কিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও শ্রীলঙ্কার থেকে এগিয়ে রয়েছে। তারা রয়েছে সপ্তম স্থানে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ যদি শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে হারাত, তাহলে র্যাঙ্কিংয়ে ৮ নম্বরে উঠে আসত। সেক্ষেত্রে পরের বিশ্বকাপে সরাসরি সুপার ১২তে জায়গা করে নিত। অসিরা জেতায় ক্যারিবিয়ানরা র্যাঙ্কিংয়ে দশম স্থানে নেমে গেছে। গতবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হিসেবে এবছর বিশ্বকাপে সরাসরি সুপার ১২তে খেলার সুযোগ পেয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।প্রাক্তন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কাকে অবশ্য প্রথম রাউন্ডের ম্যাচ খেলে উঠে আসতে হয়েছিল। শ্রীলঙ্কা রয়েছে নবম স্থানে। তারা এই বিশ্বকাপে সুপার ১২তে দুটি ম্যাচ জিতেছে। তা সত্ত্বেও র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানকে টপকে যেতে পারেনি। সামনের বছর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কা, স্কটল্যান্ড, নামিবিয়া এবং কোয়ালিফায়ার থেকে উঠে আসা চারটি দলকে নিয়ে প্রথম রাউন্ডের খেলা হবে। সেখান থেকে চারটি দল সুপার ১২তে উঠে আসবে।

নভেম্বর ০৭, ২০২১
খেলার দুনিয়া

T20 World Cup : জিতেও শেষরক্ষা হলে না দক্ষিণ আফ্রিকার, সেমিফাইনালে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া

ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধ গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচে জ্বলে উঠেও শেষরক্ষা হল না দক্ষিণ আফ্রিকার। টি২০ বিশ্বকাপের গ্রুপ লিগ থেকেই বিদায় নিতে হল প্রোটিয়াদের। শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ১০ রানে হারিয়ে ৮ পয়েন্টে পৌঁছে গেলেও নেট রান রেটের বিচারে ছিটকে যেতে হল তেম্বা বাভুমাদের।শুক্রবার দিনের প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৮ উইকেটে হারিয়ে গ্রুপের অঙ্ক জমিয়ে দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। চাপ বেড়ে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। সেমিফাইনালে যেতে গেলে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শুধু জিতলেই হত না, নেট রান রেটও অনেকটাই বাড়িয়ে নিতে হত। দক্ষিণ আফ্রিকা জিতলেও নেট রান রেটে টপকে যেতে পারল না অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডকে। তিন দলই শেষ করল ৮ পয়েন্টে। নেট রান রেটে শীর্ষে ইংল্যান্ড (+২.৪৬৪), দ্বিতীয় স্থানে অস্ট্রেলিয়া (+১.২১৬), তৃতীয় স্থান দক্ষিণ আফ্রিকা (+০.৭৩৯)। ইংল্যান্ডও যে খুব একটা স্বস্তিতে ছিল, একথা বলা যাবে না। তাদেরও নেট রান রেটের কথা মাথায় রাখতে হয়েছিল। তাই টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাট করতে পাঠায়। ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় ওভারেই ধাক্কা খায় দক্ষিণ আফ্রিকা। রেজা হেনড্রিকসকে (২) তুলে নেন মইন আলি। কুইন্টন ডিকক ও ভ্যান ডার ডুসেন জুটি দলকে টেনে নিয়ে যায়। ২৭ বলে ৩৪ রান করে আদিল রশিদের বলে আউট হন ডিকক। দক্ষিণ আফ্রিকার রান তখন ৮৬। এরপর দলকে টেনে নিয়ে যান ভ্যান ডার ডুসেন ও এইডেন মার্করাম। দুজনেই বিধ্বংসী মেজাজে ব্যাট করতে থাকেন। ৫টি চার এবং ৬টি ছয়ের সাহায্যে ৬০ বলে ৯৪ রান করে অপরাজিত থাকেন ভ্যান ডার ডুসেন। ২৫ বলে ৫২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন এইডেন মার্করাম। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ২টি চার ও ৪টি ছয়। এই দুজনের দাপটে নির্ধারিত ২০ ওভারে ২ উইকেটে ১৮৯ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ডও দারুণ জবাব দিতে শুরু করে। ওপেনিং জুটিতে ৪ ওভারে ওঠে ৩৭। এরপরই হ্যামস্ট্রিংয়ে চোটের জন্য মাঠ ছাড়েন জেসন রয় (১৫ বলে ২০)। বাটলার (১৫ বলে ২৬), মইন (২৭ বলে ৩৭), মালানরা (২৬ বলে ৩৩) দলকে টেনে নিয়ে যান। লিভিংস্টোন করেন ২৮। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ১৪ রান। কাগিসো রাবাডা পরপর ৩ বলে তুলে নেন মর্গ্যান (১৭), ওকস (০) ও জর্ডনকে (০)। সেখানেই শেষ হয়ে যায় ইংল্যান্ডের জয়ের স্বপ্ন। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ইংল্যান্ড ৮ উইকেট হারিয়ে তোলে ১৭৯।

নভেম্বর ০৬, ২০২১
খেলার দুনিয়া

‌T20 World Cup : ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৮ উইকেটে উড়িয়ে প্রোটিয়াদের চাপে ফেলল অস্ট্রেলিয়া

এক দলের কাছে নিয়মরক্ষার হলেও অন্য দলের কাছে ম্যাচের গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের লড়াই থেকে আগেই ছিটকে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অন্যদিকে, শেষ চারে যাওয়ার জন্য অস্ট্রেলিয়াকে জিততেই হত। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৮ উইকেটে হারিয়ে সেমিফাইনালে যাওয়ার পথ অনেকটাই মসৃন করল। তবে শেষ চারে যাওয়ার জন্য অ্যারন ফিঞ্চদের তাকিয়ে থাকতে হবে ইংল্যান্ডদক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের দিকে। ইংল্যান্ড জিতলে সেমিফাইনালে পৌঁছে যাবে অস্ট্রেলিয়া। দক্ষিণ আফ্রিকা জিতলে সেক্ষেত্রে নেট রান রেটের অঙ্ক সামনে এসে পড়তে। এই মুহূর্তে দক্ষিণ আফ্রিকার নেট রান রেট ০.৭৪২। ৪ ম্যাচে পয়েন্ট ৬। অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়ার ৫ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট, নেট রান রেট ১.২১৬। ইংল্যান্ডের ৪ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট, নেট রান রেট ৩.১৮৩। ইংল্যান্ডকে হারালেও দক্ষিণ আফ্রিকার শেষ চারে ওঠার সম্ভাবনা খুবই কম। সেক্ষেত্রে খুব বড় ব্যবধানে জিততে হবে। টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। শুরুতেই ঝড় তুলেছিলেন ক্রিস গেল ও এভিন লুইস। ২.১ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তুলে ফেলে ৩০। এরপরই কামিন্সের বলে বোল্ড হন গেল (৯ বলে ১৫)। পরের তৃতীয় ওভারে এক বলের ব্যবধানে জস হ্যাজেলউড তুলে নেন নিকোলাস পুরান (৪) ও রস্টন চেজকে (০)। এরপর রুখে দাঁড়ান লুইস ও শিমরন হেটমায়ের। দশম ওভারের মাথায় অ্যাডাম জাম্পা তুলে নেন লুইসকে (২৬ বলে ২৯)। ২৮ বলে ২৭ রান করে হ্যাজেলউডের বলে ফিরে যান হেটমায়ের। জীবনের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচে রান পেলেন না ডোয়েন ব্র্যাভোও (১২ বলে ১০)। শেষ দিকে কায়রন পোলার্ড (৩১ বলে ৪৪) ও আন্দ্রে রাসেলের (৭ বলে অপরাজিত ১৮) সৌজন্যে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫৭ তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে জস হ্যাজেলউড ৩৯ রানে ৪ উইকেট নেন। মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্স নেন ১ করে উইকেট। ২০ রানে ১ উইকেট নিয়ে চলতি বিশ্বকাপে ১১তম উইকেট পেলেন অ্যাডাম জাম্পা। ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়াও শুরু থেকে ঝড় তোলে। অসিদের লক্ষ্য ছিল কম ওভারের মধ্যে জয় তুলে নিয়ে নেট রান রেট বাড়িয়ে নেওয়া। ওপেনিং জুটিতে ৩.২ ওভারে তুলে ফেলে ৩৩। এরপর আকিল হোসেনের বলে বোল্ড হন অ্যারন ফিঞ্চ (১১ বলে ৯)। এরপর অস্ট্রেলিয়াকে টেনে নিয়ে যান ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শ। জুটিতে ওঠে ১২৪। ৩২ বলে ৫৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে ক্রিস গেলের বলে মিচেল মার্শ আউট হন। অন্যদিকে, ৫৬ বলে ৮৯ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন ডেভিড ওয়ার্নার। ১৬.২ ওভারে ২ উইকেটে ১৬১ রান তুলে ম্যাচ জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া।

নভেম্বর ০৬, ২০২১
খেলার দুনিয়া

T‌20 World Cup: নামিবিয়াকে ৫২ রানে হারিয়ে ভারতের সেমিফাইনালের আশা আরও কমাল নিউজিল্যান্ড

টি২০ বিশ্বকাপে ভারতের সেমিফাইনালে ওঠার কাজ আরও কঠিন করে দিল নিউজিল্যান্ড। শুক্রবার নামিবিয়াকে ৫২ রানে হারিয়ে শুধু ৩ পয়েন্টই ঘরে তুলল না, নেট রান রেটও অনেকটাই বাড়িয়ে নিল কেন উইলিয়ামসনের দল। সেমিফাইনালে যেতে গেলে ভারতকে এখন তাকিয়ে থাকতে হবে শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে নিউজিল্যান্ডের হারের দিকে। স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিরাট কোহলিরা মাঠে নামার আগে ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা তাকিয়েছিল নিউজিল্যান্ড ম্যাচের দিকে। যদি কোনও ভাবে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে অঘটন ঘটায় নামিবিয়া। অঘটন তো দূর অস্ত, ২০ ওভারের মধ্যে নামিবিয়াকে ১১১ রানে বেঁছে রেখে বিরাট কোহলিদের ওপর চাপ আরও বাড়িয়ে দিল কিউয়িরা। টস জিতে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন নামিবিয়ার অধিনায়ক জেরার্ড এরাসমাস। শুরুর দিকে নামিবিয়ার বোলাররা নিউজিল্যানন্ডের ব্যাটারদের ওপর যথেষ্ট চাপ তৈরি করেছিল। আগের ম্যাচে বিধ্বংসী হয়ে ওঠা মার্টিন গাপটিল তেমন সুবিধা করতে পারছিলেন না। ১৮ বলে ১৮ রান করে ডেভিড উইসের বলে ট্রাম্পেলম্যানের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন গাপটিল। নিউজিল্যান্ডের রান তখন ৪.১ ওভারে ৩১। এক ওভার পরেই আউট হন ড্যারেল মিচেল। ১৫ বলে তিনি করেন ১৯। অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন, ডেভন কনওয়েরাও নামিবিয়ার বোলারদের বিরুদ্ধে সুবিধা করতে পারছিলেন না। ২৮ বলে ২৮ রান করে আউট হন উইলিয়ামসন। কনওয়ে ১৮ বলে করেন ১৭। ১৪ ওভারে নিউজিল্যান্ডের রান ছিল ৮৭/৪। কনওয়ে আউট হওয়ার পর নিউজিল্যান্ডকে টেনে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন গ্লেন ফিলিপ ও জিমি নিশাম। পঞ্চম উইকেটের জুটিতে দুজনে তোলেন ৭৬। টি২০ ক্রিকেটে পঞ্চম উইকেটের জুটিতে এটাই নিউজিল্যান্ডের সর্বোচ্চ রান। নির্ধারিত ২০ ওভারে নিউজিল্যান্ড তোলে ১৬৩/৪। শেষ ৬ ওভারে ওঠে ৭৩। ২১ বলে ৩৯ রান করে অপরাজিত থাকেন গ্লেন ফিলিপ। ২৩ বলে ৩৫ রান করে অপরাজিত থাকেন জিমি নিশাম। নিউজিল্যান্ডের যা বোলিং শক্তি, ১৬৩ রান তাড়া করে জেতা যথেষ্ট কঠিন ছিল নামিবিয়ার কাছে। ওপেনিং জুটিতে নামিবিয়া তোলে ৪৭। টিম সাউদি, ট্রেন্ট বোল্টরা শুরুতে উইকেট না পেলেও নামিবিয়াকে প্রথম ধাক্কা দেন জিমি নিশাম। তুলে নেন ভ্যান লিঙ্গেনকে (২৫ বলে ২৫)। অন্য ওপেনার স্টিফেন বার্ডকে (২১ বলে ২২) ফেরান মিচেল স্যান্টনার। এরপর আর তেমন প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি নামিবিয়া। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে তোলে ১১১/৭। সাউদি ১৫ রানে ২টি, বোল্ট ২০ রানে ২টি উইকেট নেন। মিচেল স্যান্টনার, জিমি নিশাম, ইস সোধি ১টি করে উইকেট পান।

নভেম্বর ০৫, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

দামোদরে বালি তুলতে গিয়ে বিরাট বিপত্তি, জলে ভাসছে ১৫টি লরি

দামোদরে বালি তোলায় কোনও লাগাম নেই। ডিভিসি থেকে জল ছাড়ার খবর থাকা সত্বেও বালি তোলার কাজ চলছিল। লরি নেমেছিল একেবারে নদের ভিতরে। জল ভরে টুইটুম্বুর হওয়ায় ভেসে গেল ১৫টি বালি বোঝাই লরি। পূর্ব বর্ধমানের গলসির গোহগ্রামের এই ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে। পরে লরিগুলিকে উদ্ধারের তৎপরতা শুরু হয়।দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার কথা ডিভিসি ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগাম ঘোষণা করা হয়েছিল। মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে বুধবার জল ছাড়া হয় ৪০ হাজার কিউসেক। এরই মধ্যে নিম্ন দামোদর অববাহিকায় দুদিন ধরে টানা বৃষ্টি চলেছে। এই সব কারণে বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ দামোদর নদে জলের পরিমাণ বেশ বেড়ে যায়। এতেই ঘটে যায় বিপত্তি।স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ১৫টি বালি বোঝাই লরি দামোদর নদের জলে ভাসতে থাকে। তার উপর বৃহস্পতিবার বেলা বাড়তে নদের জল আরও হু হু করে বাড়তে শুরু হয়। বিপদ বুঝে লরিগুলি নদী থেকে তোলার জন্য তৎপরতা শুরু করে চালকরা । ওই সময়েই সামনে থাকা দুটি লরি বিকল হয়ে যাওয়ায় লরি গুলি নদ থেকে পাড়ে তোলা আর সম্ভব হয়নি। জেসিবি মেশিন ব্যবহার করেও কাজ হয়নি। জল কমা পর্যন্ত লরিগুলো তুলতে অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

জুন ১৯, ২০২৫
রাজ্য

"কেশরী: চ্যাপ্টার ২" তে ক্ষুদিরাম বসু সহ বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অপমান, প্রতিবাদে গর্জে উঠল বাংলা পক্ষ

সম্প্রতি কেশরী: চ্যাপ্টার ২ নামের এক বলিউডি হিন্দি সিনেমায় ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সশস্ত্র সংগ্রামের উজ্জ্বল ইতিহাস তথা বীর বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পরিচয় ও ভূমিকা বিকৃত করে এক মনগড়া মিথ্যা ইতিহাস তুলে ধরার অভিযোগ উঠেছে। সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম সিং ও বারীন্দ্র কুমার নামক দুই বিপ্লবী বৃটিশ পুলিশকর্তা কিংসফোর্ডকে বোমা মেরে হত্যার চেষ্টা করে ও তাদের বোমা তৈরীর প্রশিক্ষণ দেয় কৃপাণ সিং! যার সাথে বাস্তবের কোন মিল নেই। প্রকৃত পক্ষে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে বাঙালি বিপ্লবীদের সশস্ত্র সংগ্রামের ইতিহাসের এক যুগান্তকারী ঘটনা কিংসফোর্ড হত্যার প্রচেষ্টা ও পরবর্তীতে মানিকতলা বোমা মামলার ঘটনার কথা সম্পূর্ণ বিকৃত ভাবে এই সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে।সশস্ত্র সংগ্রামের লক্ষ্যে কলকাতার মানিকতলার যুগান্তর গুপ্ত সমিতিতেই অরবিন্দ ঘোষের নেতৃত্বে বোমা তৈরীর কর্মশালা গড়ে ওঠে, ইউরোপ থেকে বোমা তৈরী শিখে এসে এখানে বোমা তৈরী করে বিপ্লবীদের সরবরাহ করতেন হেমচন্দ্র কানুনগো, যিনি বলিউডের দৌলতে হয়েছেন কৃপাণ সিং। এই গুপ্ত সমিতির পক্ষেই ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকী কিংসফোর্ডকে বোমা নিক্ষেপ করে হত্যার চেষ্টা করেন। মেদিনীপুরের বীর বাঙালি কিশোর ক্ষুদিরাম বসুর পদবী সিনেমায় হয়েছে সিং অন্যদিকে প্রফুল্ল চাকীর নামই মুছে গেছে, শোনা গেছে জনৈক বারিন্দর কুমারের নাম, যেকোন ইতিহাস সচেতন ব্যক্তিই বলতে পারবেন এই নাম আসলে মানিকতলা বোমা মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ও পরবর্তীতে আন্দামানে দ্বীপান্তরিত বারীন্দ্র ঘোষের, যিনি সম্পর্কে অরবিন্দ ঘোষের ভাই। এই মানিকতলা বোমা মামলায় বিপ্লবীদের পক্ষে কোর্টে আইনি লড়াই করেন আরেক মহান বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামী দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ। এই গৌরবজনক অধ্যায় সম্পূর্ণ ভাবে বিকৃত করা হয়েছে, যা বাঙালি জাতি তথা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি চূড়ান্ত অবমাননা।এই বিকৃতির বিরুদ্ধে বাঙালির ক্ষোভের প্রকাশ দেখা যাচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থেকে সংস্কৃতি জগতের নানান ব্যক্তিত্ব এই ইতিহাস তথা মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নাম বিকৃতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। ভারতীয় বাঙলির জাতীয় সংগঠন বাংলা পক্ষও সরব হয়েছে, আজ তারা পথে নেমে প্রতিবাদ করল কলকাতার বাংলা একাডেমী সংলগ্ন রানুছায়া মঞ্চে। এই প্রতিবাদ সভায় বাংলা পক্ষর সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি বলেন, কেশরী ২ সিমেমার মূখ্য অভিনেতা অক্ষয় কুমার, তিনি কাদের স্বার্থে বিকৃত ইতিহাস প্রচার করে সিনেমা তৈরি করেন এটা আমাদের সকলের জানা৷ বিজেপি ও বলিউডের উদ্দেশ্য বাঙালির গৌরবজনক বীরত্বের ইতিহাস মুছে দেওয়া। সেই উদ্দেশ্যেই বারবার এই ধরনের ঘটনা দেখা যাচ্ছে। বলিউড এর আগেও অভয় ২ সিরিজে বীর শহীদ ক্ষুদিরাম বসুকে ক্রিমিনাল, জঙ্গি হিসাবে দেখিয়েছিল। বাংলা পক্ষ তখন Zee5 কে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছিল এবং সল্টলেকে Zee5 এর অফিসে বিক্ষোভ করেছিল। পরবর্তীতে Zee5 ক্ষমা চেয়ে সেই অংশ বাদ দিতে বাধ্য হয়। শীর্ষ পরিষদ সদস্য অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় বলেন যতক্ষণ না পর্যন্ত কেশরী ২ সিনেমার নির্মাতারা ক্ষমা না চায়, বাংলা পক্ষর লড়াই চলবে। ক্ষমা চেয়ে এই দৃশ্য বাদ দিতে হবে। বাঙালি বিদ্বেষীদের কিভাবে ক্ষমা চাওয়াতে হয় সেটা বাংলা পক্ষ ভালো ভাবে জানে।শীর্ষ পরিষদ সদস্য সৌম্যকান্তি ঘোড়ই বলেন, ক্ষুদিরাম বসুকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান। প্রফুল্ল চাকীকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান৷ বীর বিপ্লবী বারীন ঘোষদের অপমানের বিরুদ্ধে এই লড়াই চলবে। অক্ষয় কুমারকে ক্ষমা চাইতেই হবে।এছাড়াও আজকের প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন কলকাতা জেলার সম্পাদক সৌম্য বেরা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক কুশনাভ মন্ডল, শিল্পী পক্ষর অধিকর্তা প্রবাল চক্রবর্তী প্রমুখ। এর আগে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় এই সিনেমা নিয়ে একই ইস্যুতে এফআইআর হয়েছে। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন বাঙালি বীর বিপ্লবীদের ইতিহাস বিকৃতি করার জন্য।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স

লর্ডসে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও রাহুল দ্রাবিড়ের। দিনটা ছিল ১৯৯৬ র ২০ জুন। এই টেস্টের কথা উঠলেই মহারাজকীয় শতরানের কথাই সবার আগে মনে আসে। যা এসেছিল ২২ জুন।তবে ২০ জুন বল হাতে কামাল দেখিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ইংল্যান্ডের তৃতীয় ও চতুর্থ উইকেট পড়েছিল চার রানের ব্যবধানে। দলের ৯৮ রানের মাথায় সৌরভের প্রথম শিকার হন তিন নম্বরে নামা নাসের হুসেন। ১১০ বলে ৩৬ রান করে তিনি ফেরেন বিক্রম রাঠোরের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ১০২ রানে ইংল্যান্ডের চতুর্থ উইকেট পড়ে। ৯ বলে ১ রান করে গ্রেম হিক সৌরভের বলেই জাভাগল শ্রীনাথের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। প্রথম ইনিংসে সৌরভের বোলিং ফিগার ছিল ১৫-২-৪৯-২। বেঙ্কটেশ প্রসাদ পাঁচটি, শ্রীনাথ তিনটি ও সৌরভ ২টি উইকেট পান। পরশ মামব্রে, অনিল কুম্বলে ও সচিন তেন্ডুলকর উইকেট পাননি। দ্বিতীয় ইনিংসে সৌরভ তুলে নিয়েছিলেন প্রথম ইনিংসে শতরানকারী জ্যাক রাসেলের উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে মহারাজ ৩ ওভারে মাত্র ৫ রানের বিনিময়ে একটি উইকেট পেয়েছিলেন। ফলে লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

বৃষ্টির মোকাবিলায় ইডেন সেরা, মাঠ ভরানোর আহ্বান মনোজের

আজও বৃষ্টিতে ব্যাহত বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের খেলা। কয়েক দিন ধরেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি চলছে। যার জেরে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের খেলাগুলি পরিত্যক্ত হচ্ছে। ইডেনে বৃষ্টি থামার পর খেলা শুরু হলেও ফের অবিরাম বর্ষণে ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। তবে গতকাল যা হলো তা অন্য কোথাও আর হতে পারতো না।সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত ভাবনাতেই ইডেনের গোটা মাঠ ঢেকে রাখার বন্দোবস্ত হয়েছে। উন্নতমানের কভার আনিয়ে। এমনকী ইডেনের মতো সল্টলেক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস মাঠেও মাঠ ঢেকে রাখা হয় প্রধান কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন অনবদ্য টিম যার ফলে বৃষ্টি থামার কিছুক্ষণের মধ্যেই মাঠ খেলার উপযুক্ত করে দিতে পারেন। ইডেনের এমন ব্যবস্থাপনা বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়াম আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামেও নেই। সুনীল গাভাসকর-সহ অনেকেই তাই বলে থাকেন মাঠ ঢাকার ব্যবস্থাপনায় ইডেনকে অনুসরণ করতে। এই ব্যবস্থাপনার সুফল মিলল আরও একবার। গতকাল বৃষ্টি একটু ধরতেই রাতে ৯ ওভারের ম্যাচ হলো। হারবার ডায়মন্ডস ৪০ রানে হারাল লাক্স শ্যাম কলকাতা টাইগার্সকে। যে পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে শহরে তাতে অন্য কোথাও এটা সম্ভব হতো না। হলো মাঠ ঢাকার ব্যবস্থা ছিল বলেই। হারবার ডায়মন্ডস অধিনায়ক তথা রাজ্যের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি অনুরোধ করেছেন সকলকে কাজ সেরে মাঠে এসে তরুণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করার জন্য। এই লিগে বিনামূল্যে খেলা দেখা যায়। এমনকী হারবার ডায়মন্ডসের সমর্থকদের জল, ইলেক্টোরাল, কেক দেওয়ার কথাও মনোজ বলেছেন। তার কারণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করতে সমর্থকদের উপস্থিতি দরকার। গ্যালারির সিংহভাগ ফাঁকা থাকছে। যে লিগের সম্প্রচার স্টার স্পোর্টসে চলছে সেখানে এমন ফাঁকা গ্যালারি মোটেই ভালো বিজ্ঞাপন নয়।

জুন ১৯, ২০২৫
দেশ

ওরঙ্গাবাদের এই হৃদয়স্পর্শী কাহিনী আপনার মন ছুঁয়ে যাবেই

মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদের সম্ভাজি নগরে ঘটনা এখন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। ওই হৃদয়স্পর্শী ঘটনা নাড়া দিয়েছে পুরো সমাজকে। সেখানে এক গয়নার দোকানে গিয়েছিলেন অতি সাধারণ এক দম্পতি। স্ত্রীকে কিছু উপহার দেওয়াই ছিল স্বামীর উদ্দেশ্য। গয়নার শোরুমের ম্যানেজার তাদের সঙ্গে গল্প জুড়ে দেন। হাসিঠাট্টার মাঝে কথা বলতে বলতে জেনে নেন তাঁদের জীবনকাহিনী। এবার এল জিনিস কেনার পালা। হাতের ঝোলা ব্যাগ থেকে বেরোল একটা ৫০০ টাকার নোট। একে একে ১০, ২০ টাকার নোট। সবশেষে একটা ছোটখাট বোঁচকা। তাতে ভর্তি খুচরো পয়সা।শোরুমের ম্যানেজার গোটা বিষয়টা বুঝতে পেরে তাঁদের একটি হার উপহার দেন। সঙ্গে একজোড়া কানের দুলও। এরপর বৃদ্ধের কাছে সরল আবদার জানান, নিজে হাতে স্ত্রীর হাতে সেটা তুলে দিতে হবে। উপহার তো দিলেন ম্যানেজার, কিন্তু এত বড় দোকানে এসে কোনও টাকা না দিয়ে চলে যাবেন, এতেও যেন সম্মানে বাধে বৃদ্ধের। সমাজের খেটে খাওয়া মানুষের কাছে আত্মসম্মানই বড় কথা। প্রাণ যাক, সম্মান নিয়ে বাঁচাটাই বড় কথা। তাই সবচেয়ে বড় নোটটি তুলে দিতে চেয়েছিলেন ম্যানেজারের হাতে। কিন্তু তাতে ম্যানেজারের উত্তর, আপনার আশীর্বাদের হাত থাকলেই হবে। পান্ডুরঙ্গ (কর্নাটক, মহারাষ্ট্রের পূজিত দেবতা) আছেন, কিছুর অভাব হবে না কোনওদিন। কিন্তু বৃদ্ধ নাছোড়বান্দা, টাকা তিনি দেবেনই। উপায় নেই বুঝে অবশেষে দুটো ১০ টাকার নোট নেন ম্যানেজার।স্বামীর চোখে জল, ধুতির খুঁট দিয়ে মুছে ফেললেন। তা দেখে স্ত্রীও আটকাতে পারলেন না নিজেকে। ভিডিওতেই স্পষ্ট, এমন এক মূল্যবান উপহার পেয়ে বিশ্বাস হচ্ছে না ওই দম্পতির। কিন্তু যেকজন ভিডিওটি দেখেছেন, তাঁরা সবাই বুঝেছেন এই চোখের জল, অবিশ্বাস শুধু মূল্যবান এক উপহারের জন্য নয়, জীবনের অন্যতম এই দিনটি মনের মণিকোঠায় সাজিয়ে রাখছেন দম্পতি।

জুন ১৯, ২০২৫
দেশ

আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা: শিশুদের শনাক্ত করতে বড় সমস্যা, এখনও হস্তান্তর ১৫৯ দেহ

সুরাটের নানাবাওয়া পরিবার ৩৬ বছর বয়সী আকিল এবং ৩১ বছর বয়সী স্ত্রী হান্না ভোরাজির নামাজ-এ-জানাজা (জানাজা) সম্পন্ন হয়। বুধবার ভোরে ফোন করে জানায় যে বোয়িং ড্রিমলাইনার দুর্ঘটনায় তাদের সাথে মারা যাওয়া তাদের মেয়ে সারার মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। আত্মীয়স্বজনরা চার বছর বয়সী মেয়ের দেহাবশেষ দাবি করতে আহমেদাবাদে ছুটে যান। যাতে তাকে তার বাবা-মায়ের পাশে দাফন করা যায়।আহমেদাবাদ-লন্ডন AI-171 বিমান দুর্ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পর, সারার সন্ধানে দেখা যাচ্ছে যে পুড়ে যাওয়া দেহাবশেষের মধ্যে নাবালকদের শনাক্ত করা কতটা কঠিন। বুধবার পর্যন্ত, ডিএনএ ম্যাচিং এবং শনাক্তকরণের পরে ১৫৯টি মৃতদেহ আত্মীয়দের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সারা ছাড়াও, এই মৃতদেহগুলির মধ্যে কেবল একজন নাবালিকা ছিল ফাতিমা শেঠওয়ালা, যার বয়স ১৮ মাস।বিমান সংস্থার তালিকা অনুসারে, AI-171-এ ১২ বছরের কম বয়সী ১৩টি শিশু ছিল, যার মধ্যে তিনজন এখনও ২ বছর পূর্ণ করেনি। আরও বেশ কয়েকজনের বয়স ১১ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে।এই ধরনের দুর্যোগে অপ্রাপ্তবয়স্কদের শনাক্ত করার জন্য ডিএনএ প্রযুক্তি ব্যবহারে অসুবিধা ব্যাখ্যা করে গুজরাটের সরকারি ডেন্টাল কলেজের ফরেনসিক দন্ত বিশেষজ্ঞ ডঃ জয়শঙ্কর পিল্লাই বলেন, শিশুদের শরীরের ভর কম থাকে এবং তাই টিস্যুর ক্ষতি হয় এবং লম্বা হাড় তাপের সংস্পর্শে আসে। তবে দাঁত বেশি শক্তিশালী হওয়ায় তাপ সহ্য করতে পারে।তবে অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে এটিও জটিল। শিশুদের যে কোনও দাঁত থেকে ডিএনএ বের করা যেতে পারে, কিন্তু আগুন লাগার সময় সামনের দাঁত ব্যবহার করা যায় না কারণ তাপ তাদের নষ্ট করে দেয়। তাই আমরা মোলার থেকে ডিএনএ নিই। ছয় বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে, আমরা স্থায়ী মোলার পেতে পারি না... তাদের বেশিরভাগই দুধের দাঁত থাকে, এবং কখনও কখনও সেগুলিও নষ্ট হয়ে যায়। কারণ খিলানটি খুব ছোট। তাই আমরা চোয়ালে একটি ছেদ তৈরি করি এবং ভিতরে স্থায়ী মোলার তৈরি করার চেষ্টা করি, পিল্লাই বলেন, যার বিভাগের সাথে ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ দাঁতের ডিএনএ বের করতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের দাঁতের চার্ট তৈরি করতে সাহায্য করার জন্য যোগাযোগ করেছিল।একজন ফরেনসিক কর্মকর্তা বলেছেন যে দুর্ঘটনার পরে যে আগুন লেগেছিল তা খুব অল্প সময়ের মধ্যে ১৬০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি তাপমাত্রায় পৌঁছেছিল। সুতরাং, কিছু ব্যক্তির জন্য কেবলমাত্র আংশিক ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়া যায়, যাদের আমরা সন্দেহ করি যে তারা নাবালক, কর্মকর্তা বলেন, আরও বলেন যে আত্মীয়দের সাথে নিঃসন্দেহে নির্ভুলতার সাথে মেলানো কঠিন।আকিলের বাবা আবদুল্লাহ স্মরণ করিয়ে দেন যে তিনজন ৬ জুন, ঈদুল আযহার একদিন আগে, এক আকস্মিক পরিদর্শনে এসেছিলেন। এটা একটা ছোট ভ্রমণ ছিল। আমরা জানতাম না যে এটাই তাদের শেষ হবে, কাঁদতে কাঁদতে আবদুল্লাহ বলেন, যিনি বিমানে পরিবারকে নামিয়ে দিতে আহমেদাবাদ গিয়েছিলেন।ভদোদরায়, আসিফ শেঠওয়ালা তার নাতনি ফাতিমার জন্য শোক প্রকাশ করেছেন। যার দেহাবশেষ বুধবার শনাক্ত করা হয়েছে, যখন তার মা সাদিকার মৃতদেহ এখনও পাওয়া যায়নি। আসিফ বলেন, ফাতিমা তার লন্ডন-ভিত্তিক ছেলের একমাত্র সন্তান। সাদিকা এবং ফাতিমা আমার ছোট ছেলের বিয়েতে বেড়াতে এসেছিলেন। তারা প্রায় ২০ দিন ধরে এখানে ছিলেন এবং তাদের ফেরার টিকিট অনেক আগেই বুক করা হয়েছিল।ডিএনএ সরবরাহ করার পাশাপাশি, দাঁতের দেহাবশেষ একজন ব্যক্তির আনুমানিক বয়স নির্ধারণেও সাহায্য করে। যা শনাক্তকরণের জন্য প্রয়োজনীয় সূত্র প্রদান করে। আহমেদাবাদ দুর্ঘটনায় এটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যও, বিস্ফোরণ এবং আগুনের ফলে উদ্ধার করা বেশিরভাগ ডিএনএ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।ডঃ পিল্লাই বলেন, ফরেনসিক ওডন্টোলজি বিভাগ এক থেকে ছয় বছর বয়সী বেশ কয়েকজন প্রাপ্তবয়স্ক যাত্রীর দাঁতের ডিএনএ সংগ্রহ করেছে অথবা ডেন্টাল চার্টিং করেছে এবং অন্তত কিছু ভুক্তভোগীর বয়স মূল্যায়ন করেছে। এরপর এই বয়সের যাত্রীদের জন্য ফ্লাইট ম্যানিফেস্টের সাথে তুলনা করা হয়েছে। কিছু শিশুর ক্ষেত্রে, আমরা দ্বিতীয় মোলার বিকশিত হতে দেখেছি, যা স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে তারা তিন থেকে ছয় বছর বয়সী। এটি অনুসন্ধানকে সংকুচিত করতে সাহায্য করেছে। তারপর তাদের ডিএনএ নমুনা তাদের আত্মীয়দের সাথে মেলানো যেতে পারে।যারা খবরের জন্য অপেক্ষা করছেন তাদের মধ্যে রয়েছে ভদোদরার ভাহোরা পরিবার। তারা দুর্ঘটনায় তিন সদস্যকে হারিয়েছে। সোমবার ইয়াসমিনের মৃতদেহ হস্তান্তর করা হলেও, পারভেজ এবং তার ৪ বছর বয়সী মেয়ে জুভেরিয়ার দেহাবশেষ এখনও পাওয়া যায়নি। প্রাক্তন আইপিএস অফিসার এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ, ডঃ কেশব কুমার বলেছেন, পরিবারগুলির আশা হারানো উচিত নয়। বিমান দুর্ঘটনাটি প্রায় বোমা বিস্ফোরণের মতো ছিল। যেখানে ৫৪,০০০ লিটার বিমান জ্বালানি এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে জ্বলছিল। উৎপন্ন তাপের পরিমাণ শরীরের জন্য ক্ষতিকর। আমরা ভাগ্যবান হব যদি ভালো নমুনা পাওয়া যায়। কিন্তু যদি একটি দাঁতও পাওয়া যায়, তাহলে ডিএনএ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ফরেনসিক পরীক্ষা খড়ের গাদায় সূঁচ পাওয়ার মতো। কিন্তু একজন তদন্তকারী হিসেবে, আমি বলতে পারি যে ম্যাচ পাওয়ার সম্ভাবনা ১০০%। ডিএনএ হাজার হাজার বছর টিকে থাকতে পারে এবং প্রয়োজনে ধ্বংসাবশেষে ডিএনএর আরও চিহ্ন থাকবে। গুজরাট পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন যে তারা দুর্ঘটনাস্থল থেকে একাধিক নমুনা সংগ্রহ নিশ্চিত করেছেন।

জুন ১৯, ২০২৫
রাজ্য

১০০ দিনের কাজ নিয়ে হাইকোর্টে বড় ধাক্কা কেন্দ্রীয় সরকারকে

গতকালই ওবিসি মামলায় হাইকোর্টে জোরদার ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। এবার ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বড় ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার নজিরবিহীন একটি নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পশ্চিমবঙ্গে ফের ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প চালু করতে হবে, এই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ১ আগস্ট থেকেই এই প্রকল্প চালু করতে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ।উল্লেখ্য, বাংলায় ১০০ দিনের কাজের টাকা বহুদিন ধরে আটকে রেখেছে কেন্দ্র, এই অভিযোগ করে আসছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রাজ্য সরকারের একাধিক মন্ত্রী এই ব্যাপারে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বারবার সমালোচনায় সরব হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে লাগামহীন দুর্নীতি হয়েছে। এই দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্র বেশ কয়েকটি দলও বাংলার জেলায় জেলায় পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী আদালতে জানিয়েছিলেন, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গে মোট ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে গরমিল ধরা পড়েছে।। তার মধ্যে ২ কোটিরও বেশি টাকা পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে। হুগলি, মালদা, বর্ধমান, দার্জিলিংয়ের মতো জেলাগুলিতে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। ১০০দিনের কাজের প্রকল্পে টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে বেনজির দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রের।রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প আটকে থাকা নিয়ে মামলার শুনানি বুধবার ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনেছেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এরপর প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছেন যে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের জন্যই বিশেষ কোনও বেঁধে দিতে পারে কেন্দ্র। এই রায়ের পর সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ১০০ দিনের পুরনো বকেয়া টাকা ফেরত দিতে হবে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর

পাঁচ লক্ষ টাকা তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর এবং সালিশি করে গ্রাম ছাড়া করার অভিযোগ উঠলো স্থানীয় একদল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকায়। এই ঘটনায় আক্রান্ত ব্যবসায়ীর পরিবার কালিয়াচক থানার দ্বারস্থ হলেও চারদিন পরে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে বুধবার ওই ব্যবসায়ী দম্পতি সমস্ত ঘটনার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানালেন পুলিশ সুপারের কাছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব। এদিকে কালিয়াচকের ওই ব্যবসায়ীর ওপর আক্রমণ এবং পাঁচ লক্ষ টাকা তোলাবাজির ঘটনায় রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলার সর্ববৃহৎ ব্যবসায়ীদের সংগঠন মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বারবার যদি ব্যবসায়ীদের ওপর দুষ্কৃতীদের হামলা নেমে আসে, তাহলে আমরা যাব কোথায়। অবিলম্বে পুলিশ সুপার যাতে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে, সেই আবেদন জানাচ্ছি। এদিকে পুলিশকে অভিযোগে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকার পোশাক ব্যবসায়ী মহম্মদ রহিম বিশ্বাস জানিয়েছেন, পুরনো একটি মামলার ঘটনায় গত শনিবার এলাকার এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী জহরুল খান এবং তার দলবল তাকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাদের একটি ডেরায় তাঁকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর পাঁচ লক্ষ টাকার তোলা চাওয়া হয়। সেই টাকা না দেওয়ায় আশেপাশের আরও কিছু সাগরেদদের জুটিয়ে সালিশি ডাকা হয়। সেই সালিশির মাধ্যমে তাদের পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। আর এই ঘটনার পর থেকেই গত চারদিন ধরেই ওই ব্যবসায়ী পরিবার নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন হয়ে রয়েছেন। এমনকি ফতেখানি স্ট্যান্ডের কাছে ওই ব্যবসায়ী তার নিজের পোশাকে শোরুম খুলতে পারছেন না।

জুন ১৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal