• ৪ পৌষ ১৪৩২, সোমবার ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Texas

বিদেশ

টেক্সাস ইহুদি উপাসনালয় সন্ত্রাসবাদী মুক্ত! পুলিশের গুলিতে নিহত অপহরণকারী

কারাবন্দী পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদী আফিয়া সিদ্দিকীর মুক্তির দাবীতে, মহম্মদ সিদ্দিকী নামে একজন বন্দুকধারী দুষ্কৃতী আজ টেক্সাসের কোলিভিলে একটি ইহুদি উপাসনালয়ে (সিনাগগে) প্রবেশ করে এবং উপাসনালয়ের রাব্বি-সহ আরও দু-জনকে বন্দী করেছিলেন। আমেরিকায় বন্দী তার বোনের মুক্তির দাবিতেই তিনি এমনটা করেছেন বলে সুত্র থেকে জানা যায়। সকল বন্দি-ই অক্ষত ও সুরক্ষিত অবস্থায় সিনাগগ থেকে বেরিয়ে এসেছেন বলে টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট জানিয়েছেন। পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে ওই ।শনিবার স্থানীয় সময় বিকাল ৫টাই এক জন বন্দিকে উদ্ধার করে পুলিশ। টেক্সাসের কোলিভিলে ওই সিনাগগে কত জন বন্দি রয়েছেন তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান ছিল স্থানীয় পুলিশ। তবে জানা গিয়েছে উপাসনালয়ের রাব্বি-সহ আর মাত্র দু-জনই বন্দী ছিলেন। টেক্সাসের স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, পশ্চিম ডালাস থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে ওই সিনাগগে বেশ কয়েক জনকে পণবন্দি করে রাখার খবর তাঁদের কাছে আসে। এর পর পুলিশ ওই এলাকা সম্পূর্ন ঘিরে ফেলে। তাৎক্ষনিক ভাবে পুলিস সন্ত্রাসবাদী মহম্মদ সিদ্দিকী-র কাছে জানতে চায় কী কারণে তাঁদের বন্দি করা হয়েছে।টেক্সাস পুলিস সংবাদমাধ্যমকে জানায়, জেরার সামনে মহম্মদ সিদ্দিকী বলেন, সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে অভিযুক্ত আমেরিকার জেলে বন্দি তাঁর বোনের মুক্তির দাবিতেই তিনি এই কাজ করেছেন। সিদ্দিকী আরও জানান তাঁর বোনের নাম আফিয়া সিদ্দিকি, তিনি একজন প্রাক্তন পাক বিজ্ঞানী। সুত্র মারফত জানা যায়, তিনি ছিলেন একজন প্রথিতযশা স্নায়ুবিজ্ঞানী এবং খালিদ শেখ মুহাম্মদের ভাগ্নের পত্নী। ২০১০ সালে একজন আমেরিকার এক অধিকারিককে আফগানিস্থানে খুনের চেষ্টার (Attempt to murder) অভিযোগে মার্কিন বাহিনী আফিয়া সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তার করেছিল। আমেরিকান সেনাবাহিনীর রাইফেল লুঠ করার অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি আহত হন এবং পরবর্তীতে তাকে নিউইয়র্কে প্রত্যর্পণ করা হয় এবং নিউইয়র্কের এক আদালত তাঁকে ৮৬ বছরের কারাদণ্ড-র সাজা দেয়। বতর্মানে তিনি টেক্সাসের একটি জেলে বন্দি রয়েছেন।সংবাদ সংস্থা কে উদ্ধৃত করে পুলিশ জানিয়েছে ওই ব্যক্তি জেরার সময় যে আরবি শব্দ ব্যবহার করেছিলেন তার মানে বোন, সে কারনে তাঁদের ধারনা হয় যে সে তাঁর বোনের মুক্তি চেয়ে এই কাজ করছে। কিন্তু পরে জানা যায় ওই দুষ্কৃতী আফিয়ার দাদা নয়। আমেরিকার প্রথম সারির সব সংবাদমাধ্যম-ই প্রাথমিক ভাবে ওই ব্যক্তিকে আফিয়ার ভাই বলেই সম্বোধন করে। পরে তাঁরা সংশোধন করে জানায় আফিয়ার ভাই আমেরিকাতেই হিউস্টনে রয়েছেন। এ খবর জানিয়েছেন আফিয়ার আইনজীবী।

জানুয়ারি ১৬, ২০২২
বিদেশ

ICU: বেড পেতে গেলে "আরেকটি শিশুর মৃত্যু অবধি অপেক্ষা করতে হবে"!

আসমুদ্র হিমাচল যখন অধীর আগ্রহে টিভির পর্দায় তাকিয়ে কে দখল নিলো আফগানিস্থানের? তালিবান না আফগান? সর্বদলীয় বৈঠক হচ্ছে বিদেশনিতী নিয়ে। ঠিক সেই সময়ে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে বেসামাল আমেরিকা। ডালাস প্রদেশের কাউন্টি জজ ক্লে জেনকিন্স এক প্রেস বিবৃতীতে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, কোভিড -১৯ আক্রান্ত শিশুদের জন্য তাঁদের কাছে একটিও শয্যা অবশিষ্ট নেই।তিনি ব্যখ্যা করে বলেন, এর মানে হল যদি আপনার সন্তান জন্মগত হার্টের ত্রুটি বা অন্য গভীর কোনও রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে এবং তার আইসিইউ (ICU) বেডের প্রয়োজন হয়, অথবা যদি তার কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে আমাদের এখানে আপনার বাচ্চাকে ভর্তি করা অসম্ভব। খুব মর্মান্তিক কিন্ত বাস্তব সত্য এটাই যে, আরেকটি শিশুর মৃত্যুর জন্য আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে। তিনি আরও জানান যে আপনি এই প্রদেশের যেকোনও জায়গায় আপনার বাচ্চা কে নিয়ে যেতে পারেন। কিন্তু সাধারণ বেড ছাড়া কোনও সুরাহা হবে না।আরও পড়ুনঃ শিকেয় উঠল সামাজিক দূরত্ব, রণক্ষেত্র দুয়ারে সরকারক্লে জেনকিন্স জানান, হাসপাতালগুলিকে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক শয্যার জন্য লাইসেন্স দেওয়া হয় এবং বেশিরভাগ হাসপাতালই তাদের লাইসেন্সপ্রাপ্ত বেডের সংখ্যার তুলনায় কিছু কম শয্যা ও কর্মচারী নেয়। তারা এমন শয্যা ব্যবহার করতে পারে না যেখানে পর্যাপ্ত সংখ্যায় কর্মী নেই। কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে হাসপাতালগুলিতেও পর্যাপ্ত সংখ্যক কর্মীর ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। যে শয্যাগুলির জন্য তারা লাইসেন্সপ্রাপ্ত, সেইগুলিরও কর্মচারী পাওয়া দুষ্কর হয়ে উঠেছে। বিভাগের মুখপাত্র লারা অ্যান্টন একটি ই-মেলে বলেন, রাজ্যের কর্মী সংস্থাগুলি সমগ্র আমেরিকা জুড়ে আপাতকালীন ভাবে স্বাস্থ্য কর্মী নিয়োগে কাজ করছে।সপ্তাহের শুরুর দিকে, টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট ঘোষণা করেন, যে হাসপাতালগুলিতে কোভিড -১৯ রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির কারনে সহায়তা করার জন্য রাজ্যের হাসপাতালে ২,৫০০ এরও বেশি মেডিকেল কর্মী মোতায়েন করা হবে। সেখানকার সরকারি তথ্য অনুসারে, টেক্সাসে এই মুহুর্তে ১১,২০০ এরও বেশি লোক কোভিড-১৯ (COVID-19) আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন,সারা প্রদেশ জুড়ে মাত্র ৩২৩টি প্রাপ্তবয়স্কদের আইসিইউ শয্যা পড়ে আছে।আরও পড়ুনঃ কেন বন্ধ লোকাল ট্রেন? তা বিস্তারিত জানালেন মুখ্যমন্ত্রীডালাস প্রদেশের কাউন্টি জজ ক্লে জেনকিন্স কিছু বিষয়ে টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট সাথে মতপার্থক্য উল্লেখ করেছেন। জেনকিন্স অন্যান্য নির্বাচিত কর্মকর্তাদের পাশাপাশি ওয়ার্কার্স ডিফেন্স অ্যাকশন ফান্ড এবং অন্যান্য গ্রুপের নেতাদের সাথে কথা বলেছিলেন তাঁরা জানিয়েছেন যে অতিমারীটি সঠিক ভাবে পরিচালনা করার ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়ে এই প্রদেশের বাসিন্দাদের বিপদে ফেলছে অ্যাবট। জুলাই মাসে, কোভিড-১৯ (COVID-19) সংক্রান্ত কিছু আদেশে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেন, সেখানে তিনি উল্লেখ করেছিলেন যে যারা সরকারী কাজের সাথে যুক্ত এবং জেলার স্কুল গুলিতে মাস্ক-এর কোন প্রয়োজন নেই।ডালাস সহ টেক্সাস কাউন্টির সদস্যরা এই মাসে গভর্নরের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন এবং ভাইরাসের বিস্তার রোধের জন্য মাস্ক পরার আদেশ পুনঃ কার্যকর করতে অনুরোধ করা হয়। এবং তাঁরা অ্যাবটের আদেশের বিরুদ্ধে স্টে-অর্ডারও চেয়েছিলেন। মঙ্গলবার, বিচারক টনিয়া পার্কার এই মর্মে নির্দেশ দেন যে, ডালাস কাউন্টির বাসিন্দারা অ্যাবটের আদেশে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এবং কিছু সময় ধরে হতে থাকবেন এবং তিনি রায়ে উল্লেখ করে দিয়েছেন যে, কাউন্টি বিচারক জেনকিন্সকে সাধারণ জনসাধরনকে সুরক্ষার জন্য স্থানীয় পর্যায়ে সমস্ত রকম সতর্কতামূলক ব্যবস্তা বাস্তবায়নের অনুমতি দেওয়া উচিত।আরও পড়ুনঃ অক্টোবরেই চরম আকার নেবে তৃতীয় ঢেউ!উক্ত রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে জেনকিনস এক জরুরী আদেশ জারি করেছেন, কাউন্টির নির্দিষ্ট পাবলিক স্পেসে মাস্ক বাধ্যতামূলক করেছেন, এছাড়াও কাউন্টি অফিস, ভবন এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সহ সরাসরি জনসাধারণকে পণ্য বা পরিষেবা প্রদানকারী সকল ব্যক্তিদেরও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছেন। জরুরী আদেশটিতে আরও বলা হয়েছে টিকা প্রদানকারী স্বাস্থ্য কর্মী, কাউন্টি চাইল্ড কেয়ার সেন্টার, স্কুলের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী এবং অবিভাবকদের জন্যও মাস্ক ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক।রাজ্যে করোনাভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা উত্তোরত্তর বৃদ্ধির ফলে মৃত্যুর সম্ভাবনা বৃদ্ধির আশঙ্কায় টেক্সাসের স্বাস্থ্য আধিকারিকরা ফেডারেল সরকারের কাছ থেকে পাঁচটি শীততাপ নিয়ন্ত্রিত শববাহী মর্চারী ট্রেলারের জন্য অনুরোধ করেছেন। এজেন্সির মুখপাত্র ডগলাস লাভডে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে অনুরোধটি করা হয়েছে। ট্রেলারগুলি সান আন্তোনিওতে রাখা হবে যদি কোন নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে করোনা আক্রান্ত শবদেহ রাখার জন্য অতিরিক্ত যায়গার প্রয়োজন হয়, আমেরিকার বিভিন্ন প্রদেশে এই ট্রেলারগুলির সম্ভাব্য প্রয়োজনের পূর্বাভাস বলে দিচ্ছে যে এই অতিমারির তৃতীয় ঢেউ কি ভয়ঙ্কর রুপ পেতে চলেছে।

আগস্ট ২৪, ২০২১
উৎসব

Jamai Sasthi: হায়দ্রাবাদবাসী দুর্গাপুরের জামাইয়ের ষষ্ঠীর মহাভোজের আয়োজন ভায়া আমেরিকা

পার্বণ আর বাঙালি সমুচ্চারিত শব্দবন্ধ। বাঙালি পার্বণ ছাড়া বাঁচতে পারবে না,আবার পার্বণ-ও বৃথা বাঙালি ছাড়া। ইংরাজি মাধ্যমে পড়া আধো আধো বাংলা বলা বাঙালির বাঙ্গালিত্ব বেঁচে আছে শুধুমাত্র রীতি-রেওয়াজ পালন করেই। বাড়িতে আসকে পিঠে বানাবার সরঞ্জাম না থাকলেও তাঁরা সপরিবারে কোনও এক কর্পোরেট সংস্থা আয়োজিত পৌষ পার্বণ অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে যায়। স্যোসাল প্লাটফর্মে লাইভ না হলেও সেলফী পোস্ট করে অন্তত এই গর্ব শেয়ার না করে ক্ষান্ত হন না। সেই বাঙালির আজ এক বিশেষ দিন জামাই ষষ্ঠী। জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠ দিনটি হল জামাই ষষ্ঠী। বাংলায় দুটো বিশেষ দিন মাংসের (ছাগল) বাজেট পেশ হয়, এক ভাইফোঁটা আর এক জামাই ষষ্ঠী, সেই দাম-ই চলে আগামী দিন গুলিতে। জামাই ষষ্ঠী মানেই বাঙালিদের কাছে কার্যত মহা ভোজন উৎসব। বহু জামাই আছেন এমন দিনে সাবেকি বাঙালি সেজে ধুতি-পাঞ্জাবি পরে হাতে মিষ্টির ঝোলা ও বিশাল মাছ হাতে শ্বশুরবাড়িতে হাজির হতে পছন্দ করেন। কিন্তু, কিছু নারীবাদী আবার রে রে করে এসে বলতে থাকেন জামাই হল গিয়ে মেয়ের বর। মেয়েকে ছেড়ে জামাই আদরের এত ঘটা কেন? সেটা কখনও কেউ কি ভেবেছেন? আসলে তাঁদেরকে সসন্মানে জানায়, তাহলে তো ভাইফোঁটার সাথে সাথে বোনফোঁটাও চালু করা উচিত? আসলে এই এক সমস্যা বাঙালিদের, ভাল কাজেও কাঠি না দিলে চলবে না, সেই জন্য শাশুড়িমায়েদের অনুরোধ চিংড়িমাছের মালাইকারির চিংড়ি থেকে কাঠি টা খুলে জামাইয়ের পাতে দিন। বেচারি একটা দিন শান্তিতে খাওয়া দাওয়া করুক।বাংলা বছরের নতুন ক্যালেন্ডার খুলেই নববিবাহিত বাঙালি যে দুটোদিন প্রথম খুঁজে দেখে তার একটি দুর্গাপুজা হলে অপরটি নিশ্চিত জামাইষষ্ঠী। আজ সেই বঙ্গজীবনের অঙ্গ এক বিশেষ দিন। বিবাহিতা কন্যা তথা জামাই বাবাজীবনদের জন্য বাঙালি সমাজে দারুণ এক পার্বণ। সে আনকোরা নতুন জামাই থেকে পুরনো জামাই বাবাজি সকলের জন্য বাংলা পঞ্জিকার এক বিশেষ দিন। বাংলার জামাইদের জন্য উৎসর্গীকৃত নির্দিষ্ট দিনটিতে জামাইয়ের মঙ্গল কামনায় শাশুড়িরা প্রতি বছর পালন করেন। এটি মূলত ষষ্ঠীদেবীর পার্বণ। দিনবদলের সাথে সাথে এই ধর্মীয় সংস্কার সামাজিকতায় স্থান পেয়েছে গেছে।আধুনিকতার দিক থেকে আমরা যতই সমকালীন হই না কেন, কিছু কিছু রীতিনীতি, প্রথা-পার্বণ আজও বাঙালি ঘরে থেকে গিয়েছে। তাই এই বিশ্বায়নের যুগে বাঙালি জীবন থেকে আচার-অনুষ্ঠান সবই যে এক-এক করে উঠে যাচ্ছে বলে হা হুতাশ করা ঠিক না। কখনও পুরনো লোকাচার হাজির হচ্ছে নব আঙ্গিকে, যেমন নতুন মোড়কে জামাই আদর। গ্রামবাংলা, মফস্বলের পাশাপাশি শহুরে পরিমণ্ডলেও জামাইষষ্ঠী পালনের রীতি-রেওয়াজ খুব একটা ফিকে হয়ে যায়নি আজও। জিভে জল আনা নানান পদ রেঁধে জমিয়ে জামাইকে খাওয়ানোর আহ্লাদ আগেও যেমন ছিল, সেটা এখনও তেমনই আছে। আদরের জামাইকে খাতির-আপ্যায়নের ধরনটা যদিও বদলে বদলে যাচ্ছে। যেমন বদলে যাচ্ছে আয়োজনের রকমও। করোনা অতিমারি পরিস্থিতিতেও আয়োজনের ঘাটতি নেই। যারা কাছাকাছি আছেন তারা সপরিবারে হাজির হয়ে যাচ্ছেন শশুরবাড়ি। দূরপাল্লার ট্রেন ও যানবাহনের সমস্যায় অনেকেই এই মহা-অনুষ্ঠানে হাজির হতে পারেননি। সারা দিন ধরে ঘেমে নেয়ে বাটনা বেঁটে, সব্জী কেটে রান্নার জোগাড় করা থেকে শুরু করে জামাইয়ের জন্য ভুরিভোজ বানানোর ব্যাপার বদলে দিয়েছে কিছু বাঙালি রেস্তোরাঁর ষষ্ঠী স্পেশাল বা স্পেশাল থালি। জামাই প্রবাসী হলেও আজ আর দূরে নয়, জুম, স্কাইপ, হোয়াটসঅ্যাপ এর সৌজন্যে জামাইকে ভার্চুয়াল ফোঁটা দেওয়াও সেরে নেওয়া যাচ্ছে। এইরকমই পশ্চিম-বর্ধমানের দুর্গাপুরের এক পরিবার যাঁদের জামাই থাকেন সৈনিকপুরি, হায়দ্রাবাদে। ইচ্ছে থাকলেও তাঁদের পক্ষে এবারের জামাইষষ্ঠী অধরাই থেকে গিয়েছিলো। তাঁদের মনোকষ্ট বুঝতে পেরে সেটা নিরসন করতে এগিয়ে এলেন তাঁদের আমেরিকাবাসী বহুজাতিক সংস্থায় কর্মরত সন্তান সুরজিৎ বন্দোপাধ্যায়। বহুজাতিক সফটওয়্যার সংস্থায় কর্মরত হায়দ্রাবাদবাসী বাঙালি জামাই প্রীতম রায় সকালে নিয়মমাফিক অফিস যাওয়ার জন্য মধ্যাহ্ন ভোজনে বসার মুহুর্তে বাড়ির কলিং বেল বেজে ওঠে, ওনার সহধর্মিনী সুমানি রায় দরজা খুলে দেখেন হায়দ্রাবাদের এক সংস্থা আহার্ন্য জামাইষষ্ঠী-র মহা-আয়োজন নিয়ে হাজির তার দরজায়। তাঁরা জিঞ্জাসা করতেই জানতে পারেন তাঁর আমেরিকাবাসী দাদা সুরজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ওই রেস্তঁরা-র সাথে যোগাযোগ করে এই জামাইষষ্ঠীর মহা আয়োজন করেছেন। কি ছিলো না -ওই মেনুতে? বাসমতী চালের ভাত, ফিশ কাটলেট, চিকেন কাটলেট, ফিশ ডেভিল, কাসুন্দি,সালাড, মুগের ডাল, বেগুন ভাজা, সুক্তো, দই পটল, মিক্স ভেজিটেবল, দই বেগুন, সর্ষে দিয়ে মাছের ঝাল, মাছের কালিয়া, চিকেন কারি, চিংড়ির মালাইকারি, আলুর দম ও লুচি, লাচ্চা পড়োটা ও কষা মাংস, চাটনি,পাপড়, মোগলাই পড়োটা-আলুর তড়করি ও সালাড, নুডলস, চিকেন মনচুরিয়ান, চিলি মোমো, ডিমের কারি। দুর্গাপুরবাসি কমল বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনাটা জানার পর জনতার কথাকে বলেন আমরা খুব খুসি আমার ছেলে সুরজিৎ আমেরিকা থেকে এই মহা আয়োজন করার জন্য। আক্ষেপ ছিল এবারে এই পরিস্থিতিতে মেয়ে জামাই না আসতে পারার জন্য। তার অনেকটাই আজ কেটে গেলো। সুমানি জনতার কথাকে বলেন আমরা এত দুরে থাকি, একটা দিনের অনুষ্ঠানের জন্য হটাৎ করে যাওয়া খুব চাপের,তারপর এই মহামারীর সময় বাবা মায়ের বয়স হয়েছে বাইরে থেকে গিয়ে ওঁদেরও বিপদে ফেলতে চাইনি। সকালে মা-বাবা ভিডিও কল করে ফোঁটা দেওয়ার সময়ও জানতো না দাদা এই রকম সারপ্রাইজ রেখেছিল আমাদের জন্য। আমি, প্রীতম ও মেয়ে জিনি, মাত্র তিন জন মানুষ কিন্তু খাওয়ার জন্য এটা আনেক বেশী, তাও আকস্মিক আনন্দ-র একটা আলাদা আমেজ আছে। এটাকে মূল্য দিয়ে হিসাব করা যায় না। আমরা এত দূরে থেকেও মুহূর্তের মধ্যে সব দুরত্ব ঘুচে গেল। আমার মেয়ে জিনি তো আনন্দে আত্মহারা হয়ে বলে কি মা সব ভালো করে রেখে দাও, সারা সপ্তাহ ধরে খাবো ।অনুষ্ঠান যেরকমই হোক, আপনার প্রিয় মানুষ সে যত দুরেই থাকুক না কেনও আধুনিক মিডিয়া, সামাজিক মাধ্যম ও বৈদ্যুতিকরণের জন্য সব কিছুই নাগালের মধ্যে। আপনি কি ভাবে পালন করতে চান সেটাই বড় কথা। সামাজিক মাধ্যমের কল্যাণে অনেক আগেভাগেই জানা যায়, কোন অনুষ্ঠানের জন্য কবে, কোথায় কী ব্যবস্থা থাকছে। পত্রিকা, সামাজিক মাধ্যমে সেই বিশেষ দিনের বিজ্ঞাপনী প্রচার, তামাশা, রঙ্গ, কেনাকাটার হরেক আয়োজন। বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে জামাইদের নিয়ে নানা রঙ্গ-তামাশা চলতেই থাকে, এক জায়গায় লিখেছে জামাই কতপ্রকার? তার উত্তরে আরেকজন জানাচ্ছেনঃ ঘরজামাই, প্রবাসী জামাই, দায়িত্বশীল জামাই, উদাসীন জামাই, পেন্নামঠোকা জামাই, ইংলিশ-মিডিয়াম জামাই, ডাকসাইটে জামাই, প্রভাবশালী জামাই, সুবিধাবাদী জামাই, মিষ্টিমুখ জামাই, সুগার-ফ্রি জামাই, শৌখিন জামাই, আপনভোলা জামাই, টি-টোয়েন্টি ভক্ত জামাই, এমনই নানা প্রকার জামাইয়ের নিয়ে মজাদার মিম।জামাই নিয়ে মহান লোকসঙ্গীত শিল্পী স্বপ্না চক্রবর্তির সেই বিখ্যাত লোকগানঃ বলি ও ননদি, আর দুমুঠো চাল ফেলে দে হাঁড়িতেঠাকুরজামাই এল বাড়িতে!জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়

জুন ১৬, ২০২১
বিদেশ

Mud Racing: টেক্সাসে কাদা রেসিং ইভেন্টে দুর্ঘটনায় মৃত ১, গুরুতর আহত ৮

রবিবার রাতে টেক্সাসের একটি কাদা রেসিং (Mud Racing) ইভেন্টে একটি গাড়ি ভিড়ের মধ্যে ঢুকে যাওয়ায় আটজন আহত হয়। এল পাসো কাউন্টি শেরিফ দপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিকাল ৬টা ৩৫ মিনিট নাগাদ প্রতিযোগিতা চলাকালীন একটি গাড়ি মাটির ট্র্যাক ছেড়ে গার্ড রেল ভেঙ্গে দর্শকদের মধ্যে ঢুকে গিয়ে আঘাত করে। তিনজন দর্শককে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে এবং পাঁচজনকে স্থানীয় স্বাস্থকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাদের মধ্যে একজন মারা যান। আহতদের কাউকেই পুলিশ সনাক্ত করতে পারেনি।এল পাসো অঞ্চলের নিরাপত্তা সংস্থা রক সলিড প্রোটেকশন-র কর্নধার স্কট স্মিথ এক সাংবাদিক সন্মেলনে বলেছেন, আজ রেসের সময় যা ঘটল তা আমরা একেবারেই প্রত্যাশা করিনি। সাধারণত কাদামাটিযুক্ত রাস্তাতেই গাড়িগুলির চলে। প্রত্যক্ষদর্শী এক দর্শক কার্ল হুয়ের্তা এই ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। হুয়ের্তা জানান, রেসটা ঠিকঠাক ভাবেই শুরু হয়েছিল এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থাকা গাড়ি এবং দর্শকের মধ্যে গিয়ে পড়ে। তিনি আরও বলেন যে, পর্যাপ্ত সংখ্যায় অ্যাম্বুলেন্স থাকার জন্য খুব তাড়াতাড়ি আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করা গিয়েছে। ঘটনার আকস্মিকতায় বোঝা যায়নি যে ঘাতক গাড়িটি আরও তিনটি গাড়ীকে ধাক্কা মেরে দর্শকদের আঘাত করবে। কাদাযুক্ত রেসের ট্র্যাকটি এল পাসো থেকে প্রায় 40 মাইল দক্ষিণ-পূর্বে এবং মেক্সিকান সীমান্ত থেকে এক মাইলেরও কম টেক্সাসের ফ্যাবেন্সে। স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত চলছে, আসল ঘটনা সামনে এলে জানানো হবে।

জুন ১৫, ২০২১

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

নরেন্দ্র মোদীর পর এবার রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ, ৩০ ডিসেম্বর বৈঠক করবেন নেতৃত্বের সঙ্গে

একদিন আগেই রাজ্যে এসেছিলেন বিজেপির পোস্টারবয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আগামী ৩০ডিসেম্বর বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন। ওই বৈঠকে আগামী ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের কৌশল রচনা করবেন। তারপর সাংবাদিক বৈঠক করবেন অমিত শাহ। যদিও তাঁর এই বঙ্গসফরকে পাত্তা দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁদের বক্তব্য, বাংলায় নরেন্দ্র মোদী হোক বা অমিত ষশাহ হোক, এঁরা কেউ এখানে বিজেপির জয় এনে দিতে পারবেন না। আগেও নির্বাচনের আগে বারে বারে এসেছেন এবারও আসবেন। তবে ব্যর্থ হবেন বলেই দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
রাজনীতি

বর্ধমানে পৌঁছল বিহারের ৫৫টি বাইক, উদ্দেশ্য ঘিরে তৃণমূল–বিজেপি সংঘাত তুঙ্গে

রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির মধ্যেই পূর্ব বর্ধমানে শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক চাপানউতোর। শনিবার বিহারের নম্বর প্লেটযুক্ত ৫৫টি পুরনো মোটরবাইক বর্ধমান জেলা বিজেপি দলীয় অফিসের ঠিকানায় এসে পৌঁছানোকে ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বাইকগুলি ট্রেন থেকে নামিয়ে বর্ধমান রেল স্টেশনের ইস্টার্ন রেলওয়ের পার্সেল অফিসের সামনে রাখা হয়।এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাস। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের একাধিক নেতা ও কর্মী। বর্ধমান রেল স্টেশনে পার্সেল অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে তৃণমূল। বাইকগুলির মালিকানা, পরিবহণ সংক্রান্ত নথি এবং কেন শুধুমাত্র বিজেপির বর্ধমান জেলা অফিসের ঠিকানায় এই বাইক পাঠানো হয়েছে। তা প্রকাশ্যে আনার দাবি তোলেন বিধায়ক।বিক্ষোভে অংশ নেওয়া তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ, বিহারের রাজেন্দ্রনগর থেকে সুনীল গুপ্তা নামের এক ব্যক্তির নামে এই ৫৫টি বাইক পাঠানো হয়েছে। তাঁদের দাবি, বিধানসভা ভোটের আগে পরিকল্পিতভাবেই বাইকগুলি রাজ্যে ঢোকানো হচ্ছে। তৃণমূল নেতৃত্বের আশঙ্কা, আগামী দিনে এই বাইক ব্যবহার করে বাইরের লোকজন বা দুষ্কৃতীদের রাজ্যে ঢোকানোর চেষ্টা হতে পারে। জানা গিয়েছে, এই ৫৫টি নয়, ২৩ জেলা মিলিয়ে প্রায় ৬০০০ মোটর বাইক আসার কথা।বিধায়ক খোকন দাস স্পষ্ট ভাষায় জানান, এতগুলো বাইক বিহার থেকে কী উদ্দেশ্যে বাংলায় আনা হয়েছে, তা পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। ভোটের আগে এই বাইক ব্যবহার করে রাজ্যে অশান্তি ছড়ানোর পরিকল্পনা থাকতে পারে। একই সঙ্গে তিনি রেল ও জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেন। দলের বর্ধমান শহর সভাপতি তন্ময় সিংহ রায়ও বাইকগুলির সম্পূর্ণ তথ্য জনসমক্ষে আনার দাবি জানান। তাঁর বক্তব্য, রেল কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি জেলা ও রাজ্য প্রশাসনকে এই পরিবহণের বিস্তারিত জানাতে হবে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রয়োজনীয় নথি প্রকাশ না হলে বাইকগুলি পার্সেল অফিস থেকে ছাড়তে দেওয়া হবে না।অন্যদিকে, তৃণমূলের সব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে বিজেপি। জেলা বিজেপি নেতা দেবজ্যোতি সিংহরায় বলেন, কিছুদিন আগেই বিহারে নির্বাচন হয়েছিল। সেই সময় দলীয় কর্মীদের কাজে ব্যবহারের জন্য এই বাইকগুলি ব্যবহার করা হয়েছিল। বিহারের ভোট শেষ হওয়ায় সেগুলি এখন পশ্চিমবঙ্গে আনা হয়েছে। তিনি আরও জানান, বর্ধমান জেলা বিজেপি অফিস রাঢ়বঙ্গ জোনের কেন্দ্রীয় অফিস হওয়ায় এখানকার ঠিকানাতেই বাইক পাঠানো হয়েছে। বিজেপির দাবি, প্রতি নির্বাচনের আগেই এভাবেই বাইক আনা হয় এবং বিষয়টি জেনেও তৃণমূল অহেতুক বিতর্ক তৈরি করছে। বাইক বিতর্কে প্রশাসনের ভূমিকা কী হয়, তা নিয়েই এখন রাজনৈতিক মহলে বাড়ছে কৌতূহল।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

এশিয়া কাপ ফাইনালে স্বপ্নভঙ্গ, দুবাইয়ে পাকিস্তানের কাছে লজ্জার হার ভারতের

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়ল ভারত। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩৪৮ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আয়ুষ মাত্রের দল গুটিয়ে গেল মাত্র ১৫৬ রানে। ফলে ১৯১ রানের বড় ব্যবধানে হার স্বীকার করেই শিরোপা হাতছাড়া করতে হল টিম ইন্ডিয়াকে।টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। কিন্তু শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় পাকিস্তান। দলের হয়ে বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন সামির মিনহাস। মাত্র এক ইনিংসেই তিনি করে ফেলেন ১৭২ রান। উসমান খানের সঙ্গে ৯২ রানের এবং আহমেদ হুসেনের সঙ্গে ১৩৭ রানের দুটি বড় জুটিতে ভর করে দ্রুত ৩০০ রানের গণ্ডি পেরিয়ে যায় পাকিস্তান।বিশেষজ্ঞদের মতে, একসময় পাকিস্তানের ইনিংস ২৭০২৮০ রানের মধ্যেই থামতে পারত। কিন্তু মিনহাসের ব্যাটে ভর করেই ৪৩ ওভারের মধ্যেই ৩০০ ছুঁয়ে ফেলে তারা। পরে তাঁর আউট হওয়ার পর পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে ধস নামে। ৩০২/৩ থেকে ৩২৭/৮ মাত্র ২৫ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারালেও ততক্ষণে ম্যাচ কার্যত একপেশে হয়ে গিয়েছিল।লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ভারতীয় ব্যাটিং সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে। বৈভব সূর্যবংশী, আয়ুষ মাত্রে, অভিজ্ঞান কুণ্ডুর মতো পরিচিত নাম থাকলেও কেউই দায়িত্ব নিতে পারেননি। আশ্চর্যজনকভাবে দলের সর্বোচ্চ রান আসে ১০ নম্বর ব্যাটার দীপেশ দেবেন্দ্রনের ব্যাট থেকে। তিনি মাত্র ১৬ বলে ৩৬ রান করে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিলেও তা যথেষ্ট ছিল না।এই হার যেন সাম্প্রতিক সিনিয়র দলের বিশ্বকাপ ফাইনালের স্মৃতি ফিরিয়ে আনল। সেবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে, এবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মঞ্চ ফাইনাল, ফলাফলও প্রায় একই রকম হতাশাজনক।উল্লেখযোগ্যভাবে, ফাইনালে ওঠার আগে টুর্নামেন্টে একমাত্র অপরাজিত দল ছিল ভারত অনূর্ধ্ব-১৯। গ্রুপ পর্বে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, মালয়েশিয়া ও পাকিস্তানকে হারিয়েছিল তারা। অন্যদিকে পাকিস্তান গ্রুপে ভারতের কাছেই একমাত্র হেরেছিল। কিন্তু ফাইনালের মঞ্চে সম্পূর্ণ ভিন্ন রূপে ধরা দেয় তারা। শেষ পর্যন্ত দুবাইয়ে দাপটের সঙ্গে জয় ছিনিয়ে নিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ নিজেদের ঝুলিতে ভরল পাকিস্তান। আর ফাইনালে বারবার হোঁচট খাওয়ার প্রবণতা নিয়ে বড় প্রশ্নচিহ্ন থেকে গেল ভারতীয় যুব দলের সামনে।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
বিদেশ

প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারে হামলার পরও অকুতোভয় কর্তৃপক্ষ, সন্ত্রাসের নিন্দার ঝড় বিশ্বের সর্বত্র

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠল ঢাকায় প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে। দেশের দুটি প্রথম সারির সংবাদপত্রের দফতরে এই হামলার অভিযোগ সামনে আসতেই তীব্র প্রতিক্রিয়া ছড়িয়েছে সাংবাদিক মহল, নাগরিক সমাজ এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলির মধ্যে। বাংলাদেশ ছাড়িয়ে নিন্দার ঝড় বয়েছে অন্যত্র।ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর বাংলাদেশে আসার পর থেকেই উত্তাল হয়ে ওঠে দেশ। পরবর্তীতে হিংসা ছড়িয়ে পরে নানা জায়গায়। নৃশংস ভাবে হিন্দু যুবক খুন থেকে সংস্কৃতি সংগঠনের ওপর হামাল। সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের ওপর ক্রমাগত হামলা চলতে থাকে।প্রাথমিক অভিযোগ অনুযায়ী, ঢাকায় অবস্থিত প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে একদল দুষ্কৃতী হামলা চালায়। তারা অফিসে ঢুকে ভাঙচুর চালায় এবং কর্মরত সাংবাদিক ও কর্মীদের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। আগুন লাগিয়ে দেয় এই অফিসদুটিতে। যদিও এই ঘটনায় বড় ধরনের শারীরিক ক্ষতির খবর নেই, তবে আচমকা হামলায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং কিছু সময়ের জন্য সংবাদকর্ম ব্যাহত হয়। সংবাদপত্র প্রকাশনা বন্ধ রাখতে হয়। বৃহস্পতিবার রাতে অনলাইন পোর্টালেও আর খবর আপলোড করা যায়নি।হামলার ঘটনার পরপরই বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও সম্পাদকীয় মহল একে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত বলে উল্লেখ করেছে। তাদের বক্তব্য, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা গণতন্ত্রের অন্যতম ভিত্তি, আর সংবাদমাধ্যমকে ভয় দেখিয়ে কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা গভীর উদ্বেগজনক। এই দুই সংবাদপত্র গোষ্ঠীও জানিয়ে দেয় তারা ভয় পায় না। খবর প্রকাশ করতে কোনও পরোয় তারা করবে না। এমনকী দফতরের সামনে মানব বন্ধন কর্মসূচি পালন করে।ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রশাসনের তরফে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।এই ঘটনার পর প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের পক্ষ থেকে পৃথক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হুমকি বা হামলার মাধ্যমে সত্য প্রকাশ থামানো যাবে না। তারা দ্রুত, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে প্রশাসনের কাছে।আন্তর্জাতিক স্তরেও এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সাংবাদিক সংগঠন ও মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এবং মুক্ত সাংবাদিকতার পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে। প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে হামলার ঘটনা শুধু দুটি সংবাদপত্রের ওপর আঘাত নয়, বরং বাংলাদেশের সামগ্রিক গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ভবিষ্যৎ নিয়েই বড় প্রশ্ন তুলে দিল। এখন দেখার, প্রশাসনিক পদক্ষেপ কতটা দ্রুত ও কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয়।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

লাইভ মঞ্চে লগ্নজিতা চক্রবর্তীকে হেনস্থার অভিযোগ, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত, ওসির ভূমিকা নিয়েও তদন্ত

লাইভ পারফরম্যান্স চলাকালীন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী লগ্নজিতা চক্রবর্তীকে হেনস্থার অভিযোগে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি ও সাংস্কৃতিক মহল। পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে একটি বেসরকারি স্কুলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করতে গিয়ে এই ঘটনার মুখে পড়েন তিনি। ঘটনার পর পুলিশ অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে, যার নাম তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জড়িয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সন্ধ্যায় ভগবানপুরের একটি বেসরকারি স্কুল প্রাঙ্গণে। অভিযোগ অনুযায়ী, লগ্নজিতা চক্রবর্তী যখন জাগো মা গানটি পরিবেশন করছিলেন, তখন অনুষ্ঠানের প্রধান উদ্যোক্তা ও ওই স্কুলের মালিক মেহবুব মল্লিক আচমকাই মঞ্চে উঠে আসেন। শিল্পীর অভিযোগ, তিনি গালিগালাজ করেন এবং চিৎকার করে বলেন, অনেক হয়েছে জাগো মা, এবার কিছু সেকুলার গান গাও। পাশাপাশি মারধরের হুমকি ও শারীরিকভাবে আক্রমণের চেষ্টাও করা হয় বলে অভিযোগ।পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে উঠলে অনুষ্ঠান কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। পরে লগ্নজিতা চক্রবর্তী ভগবানপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি জানান, প্রথমে থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসার পর মামলা রুজু হয় এবং অভিযুক্ত মেহবুব মল্লিককে গ্রেপ্তার করা হয়।পূর্ব মেদিনীপুরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মিতুন দে জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে ভগবানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক এবং আরও এক পুলিশকর্মীর ভূমিকা নিয়েও বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের গাফিলতির প্রমাণ মিললে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজাও তীব্র হয়েছে। বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য। বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পাণ্ডা অভিযোগ করেন, একজন শিল্পী কি গান গাইবেন, সেটাও শাসক দলের লোক ঠিক করে দিচ্ছে। এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। তিনি আরও দাবি করেন, পুলিশ প্রথমে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেছিল। যদিও এই ঘটনার বিষয়ে এখনও পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।লাইভ মঞ্চে একজন শিল্পীর গান বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিয়ে ওঠা এই প্রশ্ন এখন আর শুধু ব্যক্তিগত অভিযোগে সীমাবদ্ধ নয়। সাংস্কৃতিক পরিসরে মতপ্রকাশের অধিকার, প্রশাসনের নিরপেক্ষতা এবং রাজনৈতিক প্রভাব সব মিলিয়ে এই ঘটনা রাজ্যজুড়ে বড় বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
বিদেশ

আইএমএফের চাপে লাগামছাড়া জিএসটি! পাকিস্তানে জনবিস্ফোরণের আশঙ্কা

কন্ডোমের উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি নিয়ে চরম উদ্বেগে পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ-এর নির্দেশে এই কর বসানো হয়েছে। এর ফলে কন্ডোমের দাম এতটাই বেড়েছে যে তা এখন নিম্ন ও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ আইএমএফ-এর কাছে কর কমানোর আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আইএমএফ। এই সিদ্ধান্তে দেশে জনসংখ্যা বিস্ফোরণের আশঙ্কা করছে পাক সরকার।আইএমএফ-এর ঋণের উপরই কার্যত নির্ভরশীল পাকিস্তানের অর্থনীতি। দেশের আর্থিক পরিস্থিতি সামাল দিতে চলতি বছরে বড় অঙ্কের ঋণ নিয়েছে ইসলামাবাদ। সেই ঋণের শর্ত হিসেবেই কর আদায় বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে আইএমএফ। তার জেরেই কন্ডোম, স্যানিটারি ন্যাপকিন ও শিশুদের ডাইপারের মতো প্রয়োজনীয় পণ্যের উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি বসানো হয়েছে।পাকিস্তান সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছিল, জনস্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনার কথা ভেবে অন্তত কন্ডোমের উপর থেকে কর কমানো হোক। কিন্তু আইএমএফ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষের মাঝপথে কর কাঠামোয় কোনও পরিবর্তন করা যাবে না। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে ২০২৬-২৭ অর্থবর্ষের বাজেটে। আইএমএফের যুক্তি, কন্ডোমের উপর থেকে কর তুলে নিলে সরকারের কয়েকশো কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হবে, যা এই মুহূর্তে সম্ভব নয়।এই পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগে রয়েছে শাহবাজ শরিফের সরকার। পাকিস্তানে বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার প্রায় ২.৫৫ শতাংশ। অর্থাৎ প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষ বাড়ছে। সরকার মনে করছে, কন্ডোমের দাম বেড়ে যাওয়ায় বহু মানুষ তা ব্যবহার করতে পারছেন না। এর ফলে অনিয়ন্ত্রিত ভাবে জনসংখ্যা বাড়ছে, যা দেশের অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের উপর আরও চাপ ফেলবে।পাক সরকারের আশঙ্কা, এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে ভবিষ্যতে সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা আরও ভয়াবহ আকার নিতে পারে। কিন্তু আইএমএফ-এর কড়া অবস্থানের সামনে আপাতত অসহায় ইসলামাবাদ। এখন পরের বাজেটের দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া শাহবাজ সরকারের হাতে আর কোনও পথ খোলা নেই।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
রাজ্য

তাহেরপুরে প্রধানমন্ত্রীর সভার আগে মর্মান্তিক ঘটনা, কুয়াশায় প্রাণ গেল চারজনের

এসআইআর আবহের মধ্যেই শনিবার পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নদিয়ার তাহেরপুরে তাঁর সভা রয়েছে। সকাল থেকেই সভাস্থলের দিকে ভিড় জমতে শুরু করেছিল। ঠিক সেই সময়েই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ট্রেনের ধাক্কায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে শক্তিনগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।জানা গিয়েছে, মৃত ও আহত সকলের বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলায়। তাঁরা প্রধানমন্ত্রী মোদির সভায় যোগ দিতেই নদিয়ার তাহেরপুরে এসেছিলেন। ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেল ও পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।শনিবার ভোরে তাহেরপুর স্টেশনের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে মুর্শিদাবাদের বড়ঞার সাবলদহ গ্রাম থেকে প্রায় ৪০ জন তাহেরপুরে আসেন। ভোরবেলা তাঁদের মধ্যে কয়েক জন রেললাইনের ধারে প্রাতঃকৃত্য সারতে যান। সেই সময় আচমকাই দ্রুতগতির একটি ট্রেন চলে আসে। ট্রেনের ধাক্কায় চার জন লাইনের উপর ছিটকে পড়েন। আঘাত এতটাই গুরুতর ছিল যে ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়।একই ঘটনায় আরও দুজন আহত হন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। অন্য জনের চিকিৎসা চলছে। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, ভোরের ঘন কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা অনেকটাই কম ছিল। সেই কারণেই ট্রেন আসছে বুঝতে না পারায় এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে অন্য সম্ভাবনাগুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।মতুয়াগড় হিসেবে পরিচিত নদিয়ার তাহেরপুরে এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদির সভা ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে। তার মধ্যেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
বিদেশ

হট টাব থেকে সুইমিং পুল, এপস্টেইন নথিতে একের পর এক চাঞ্চল্যকর ছবি

কুখ্যাত যৌন অপরাধী জেফ্রি এপস্টেইনকে ঘিরে ফের তোলপাড় আমেরিকার রাজনীতি। এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্কিত হাজার হাজার পাতার নথি প্রকাশ করল মার্কিন ন্যায় বিভাগ। সেই নথিতে বারবার উঠে এসেছে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টনের নাম। প্রকাশ্যে এসেছে একাধিক ছবি। কিন্তু বিস্ময়ের বিষয়, বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম ও ছবি সেখানে প্রায় নেই বললেই চলে।প্রকাশিত ছবিগুলির একটিতে তরুণ বিল ক্লিন্টনকে একটি হট টাবে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে। ছবির একটি অংশ কালো রঙে ঢেকে রাখা হয়েছে। অন্য একটি ছবিতে দেখা গিয়েছে, এক মহিলার সঙ্গে সাঁতার কাটছেন ক্লিন্টন। ওই মহিলা এপস্টেইনের ঘনিষ্ঠ ও প্রেমিকা ঘিসলাইন ম্যাক্সওয়েল বলে মনে করা হচ্ছে। আরও একটি ছবিতে ক্লিন্টনের পাশে দেখা গিয়েছে পপ সংগীতের কিংবদন্তি মাইকেল জ্যাকসনকে। তাঁদের পাশেই ছিলেন গায়িকা ডায়ানা রস।এই সব ছবি ও তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রায় সম্পূর্ণ অনুপস্থিতি। নব্বইয়ের দশক এবং দুই হাজার দশকের শুরুতে এপস্টেইনের সঙ্গে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠতার কথা আগে একাধিকবার সামনে এসেছে। কিন্তু সদ্য প্রকাশিত নথিতে তাঁর কোনও ছবি নেই। নামও এসেছে মাত্র একবার, একটি যোগাযোগের খাতায়। সেই খাতাটি কার, তাও স্পষ্ট নয়।অথচ এর আগে প্রকাশিত নথিতে ট্রাম্পের উপস্থিতির কথা জানা গিয়েছিল। এমনকি এপস্টেইনের ব্যক্তিগত বিমানে তাঁকে দেখা যাওয়ার কথাও উঠে এসেছিল। সেই কারণেই নতুন নথিতে তাঁর অনুপস্থিতিকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকের ধারণা, নিজেকে আড়াল করতে বিল ক্লিন্টনের দিকেই আলো ঘোরানোর চেষ্টা করছেন ট্রাম্প। উল্লেখযোগ্য ভাবে, মাসখানেক আগেই এপস্টেইনের সঙ্গে বিল ক্লিন্টনের সম্পর্ক নিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছিলেন ট্রাম্প। সেই তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জানা যায়।এই পরিস্থিতিতে বিল ক্লিন্টনের শিবির থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের এক মুখপাত্র বলেন, এপস্টেইন সংক্রান্ত তদন্ত শুধুমাত্র বিল ক্লিন্টনকে লক্ষ্য করে করা হচ্ছে না। তাঁর বক্তব্য, বহু পুরনো ছবি প্রকাশ করতেই পারে প্রশাসন, কিন্তু গোটা বিষয়টি শুধু ক্লিন্টনকে ঘিরে নয়। তিনি বলেন, এপস্টেইনের ক্ষেত্রে দুধরনের মানুষ ছিলেন। একদল, যাঁরা অপরাধের কথা প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গেই সব সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলেন। আরেক দল, যাঁরা এরপরও যোগাযোগ বজায় রেখেছিলেন। তাঁদের দাবি, বিল ক্লিন্টন প্রথম দলের মধ্যেই পড়েন।নাম না করলেও ক্লিন্টন শিবির যে ডোনাল্ড ট্রাম্পকেই নিশানা করছে, তা স্পষ্ট। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, ট্রাম্প যতই চেষ্টা করুন না কেন, এপস্টেইন কেলেঙ্কারি থেকে নিজের নাম পুরোপুরি সরিয়ে রাখা তাঁর পক্ষে সহজ হবে না।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal