• ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, বুধবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Teacher

রাজ্য

শুধু টাকার বিনিময়ে প্রাথমিক শিক্ষক, ৯৪ জনের চাকরি গেল পাকাপাকি

টেটই পাস করেননি, তবে চাকরি জুটেছিল প্রাথমিক শিক্ষক পদে। টাকার বিনিময়ে নাকি এই চাকরি হয়েছিল। শেষরক্ষা হল না শেষপর্যন্ত আদালতেও সঠিক নথি পেশ করতে ব্যর্থ হন ওই ৯৪ জন প্রাথমিক শিক্ষক। এরপরই প্রথামিক শিক্ষা পর্ষদ ওই ৯৪ জনের চাকরি বাতিলের কথা আদালতে জানিয়েছে।উল্লেখ্য, মানিক ভট্টাচার্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি থাকালীনই ওই ৯৪ জনকে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরিতে নিয়োগ করা হয়েছিল। যাঁরা টেট পাস করেননি।প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক মামলা হয়েছে। সেই সংক্রান্ত একটি মামলাতেই বিচারপতি অমৃতা সিনহা প্রশ্ন তুলেছিলেন যে কীভাবে টেট পাশ না করে চাকরি পেলেন প্রার্থীরা। পর্ষদের কাছে রিপোর্ট তলবও করেছিলেন বিচারপতি সিনহা। সেই রিপোর্টেই পর্ষদ জানিয়েছিল, টেট পাশ না করেই ২০১৪ ও ২০১৬ সালে চাকরি পেয়েছেন এমন ৯৬ জন প্রাথমিকে শিক্ষক হিসাবে কাজ করে চলেছেন। যা নিয়ে সর্বত্র শোরগোল পড়ে যায়।এরপরই বিচারপতি সিনহা ওই ৯৬ জনকে পর্ষদের কাছে তাঁদের নিয়োগ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নথি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। উচ্চ আদালতের নির্দেশ মোতাবেক ওই ৯৬ জনের থেকে নথি চেয়ে পাঠায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। জানা যায়, ৯৬ জনের মধ্যে ৯৪ জনই সঠিক নথি পেশ করতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে ওই ৯৪ জনের চাকরি বাতিল করল পর্ষদ। চাকরি বাতিলের নির্দেশ ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট ডিপিএসসি চেয়ারম্যানদের জানানো হয়েছে। আগামী সোমবার থেকেই পর্ষদের নির্দেশ কার্যকর হবে।

নভেম্বর ০৪, ২০২৩
রাজ্য

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ‍্যাসাগরের জন্মদিনে শিক্ষক দিবস পালন বাংলা পক্ষের

২৬ সেপ্টেম্বর বাঙালির গর্ব পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জন্মদিবস। বাংলা পক্ষ বিগত ২০১৮ সাল থেকেই এই দিনটিকে বাঙালির জাতীয় শিক্ষক দিবস রূপে পালন করে আসছে। সংগঠনের মতে রাধাকৃষ্ণণের মত গবেষণা নকলের অভিযোগে অভিযুক্ত বিতর্কিত ব্যক্তির জন্মদিনে নয়, শিক্ষক দিবস পালন হোক বাঙালি জাতির মহান শিক্ষক বিদ্যাসাগরের জন্মদিনেই। বাঙালি জাতিকে তিনি আক্ষরিক অর্থেই বর্ণ পরিচয়ের মাধ্যমে শিক্ষা দান করেছিলেন, আধুনিক শিক্ষাবিস্তারে তাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাঁর জন্মদিনের মত উপযুক্ত দিন শিক্ষক দিবসের জন্য আর নেই। বাংলা পক্ষর এই দাবিকে অতীতে সমর্থন করেছেন সমাজের বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি, এই সমর্থন প্রতিদিনই বাড়ছে। বিশিষ্ট বাঙালিদের স্বাক্ষর সহ একটি চিঠি মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও পৌঁছে দিয়েছে বাংলা পক্ষ। চিঠিতে আবেদন করা হয়েছে যাতে এইদিনটিকে বাংলার জাতীয় শিক্ষক দিবস ঘোষণা করা হয় ও সংসদে বাংলার প্রতিনিধিরা এই দিনটিকে রাষ্ট্রীয় শিক্ষক দিবস করার দাবি উত্থাপন করেন। বিগত বছরগুলোর মত আজকের দিনে ২৪টি সাংগঠনিক জেলার একজন করে বিশিষ্ট শিক্ষককে বিদ্যাসাগর জাতীয় শিক্ষক সম্মান ১৪৩০ এ ভূষিত করা হয়। প্রাতিষ্ঠানিক, প্রথাগত শিক্ষার বাইরে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পেরেছেন এমন ব্যক্তিদেরই নির্বাচন করা হয়েছে। চাবাগানের হতদরিদ্র শ্রমিক পরিবার থেকে পুরুলিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষাবিস্তারে কাজ, দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের উচ্চশিক্ষায় ব্যক্তিগত স্কলারশিপ, পুলিশ, সেনার চাকরির উপযুক্ত করে বাঙালি যুবসমাজকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার মত ব্যতিক্রমী কাজ করে যাওয়া শিক্ষকরা রয়েছেন এবারের তালিকায়। আছেন বাঙালির অপমানের প্রতিবাদ করে সাসপেণ্ড হওয়া বিশ্বভারতীর সোজা মেরুদণ্ডের অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য। তালিকায় আছেন বিশিষ্ট ক্রীড়া প্রশিক্ষক কুন্তল রায়, আছেন নাট্য অভিনেতা, প্রশিক্ষক পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথাগত শিক্ষার বাইরেও ক্রীড়া, সামাজিক, সাংস্কৃতিক শিক্ষার গুরুত্বের কথাও স্মরণ করিয়েছে এই তালিকার নির্বাচন। রাজ্য জুড়ে সারাদিনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই সম্মাননা অনুষ্ঠান পরিচালিত হয়। বীরসিংহে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জন্মভিটায় বাংলা পক্ষ এদিন সকালে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, বীরসিংহের পুণ্যভূমিতে দাঁড়িয়ে বাংলার সরকারের কাছে আরও একবার দাবি করছি আজকের দিনটিকে বাংলার জাতীয় শিক্ষক দিবস ঘোষণা করা হোক। বাংলা ভাষার উন্নতিসাধন ও আধুনিক শিক্ষা বিস্তারে বিদ্যাসাগরের যা ভূমিকা, তারপরও অন্য কোন ব্যক্তির জন্মদিনে শিক্ষক দিবস বাঞ্ছনীয় নয়। বাংলার সকল সাংসদ, বিশেষত ঘাটালের সংসদের কাছে অনুরোধ বিদ্যাসাগরের জন্মদিনকে রাষ্ট্রীয় শিক্ষক দিবস করার দাবিতে সংসদে সোচ্চার হন। বাংলা পক্ষ বিগত ছবছর এই দাবিতে লড়ছে, আমরা দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি আগামিদিনে এই ২৬ শে সেপ্টেম্বরই হবে শিক্ষক দিবস।বিশ্ববভারতীর প্রতিবাদী অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যকে সম্মানিত করেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি সহ জেলার সহযোদ্ধারা। বিশ্বাভারতীতে হিন্দি সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সুদীপ্তবাবুর প্রতিবাদ বাঙালি জাতি শ্রদ্ধার সাথেই স্মরণ করছে, বাঙালি তাঁর পাশে আছে বলে কৌশিকবাবু উল্লেখ করেন। এরপর পশ্চিম বর্ধমান জেলার শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করে কৌশিক মাইতি বলেন - বিদ্যাসাগর বাঙালি জাতির শিক্ষক। তাঁর জন্মদিনে শিক্ষক দিবস পালন করতে পেরে আমরা গর্বিত। আজ বাংলা পক্ষর নেতৃত্বে বাঙালি বাংলা জুড়ে মহাসমারোহে শিক্ষক দিবস পালন করলো। অনেক স্কুলেও শিক্ষক দিবস পালিত হল আজ। আমরা আপ্লুত। আগামীতে প্রতিটা স্কুলে ২৬ শে সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস পালিত হবে।আজকের দিনের স্মরণে রক্তদান শিবির করে শিলিগুড়ি জেলা সংগঠন, সেখানে শতাধিক রক্তদাতা রক্তদান করেন। এছাড়াও মালদা, উত্তর ২৪ পরগণা, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ দিনাজপুর সহ একাধিক জেলায় মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৩
শিক্ষা

প্রতিটা দিনই 'শিক্ষক দিবস'; শিক্ষক দিবসে এই বার্তা-ই দিল বর্ধমানের ইংরাজি মাধ্যম স্কুল

১৫ থেকে ৫ই অক্টোবর দিনটিকে বিশ্ব আন্তর্জাতিক শিক্ষক দিবস হিসাবে পালন করা হয়। কিন্তু ভারতে এই বিশেষ দিনটি পালন করা হয় ৫ সেপ্টেম্বর। সাধরণ রেওয়াজ অনুযায়ী সমগ্র দেশে এই বিশেষ দিনে ছাত্র ছাত্রীরা তাঁদের শিক্ষক শিক্ষিকা দের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে নানাবিধ অনুষ্ঠান অয়োজন করে। সরস্বতী পুজার মত এই দিনের অনুষ্ঠানের সকল দায়িত্ব ছাত্ররাই বহন করে। নাচ গান আবৃত্তির মাধ্যমে দেশজুড়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নানাবিধ অনুষ্ঠান হয়। আন্তর্যাতিক সংস্থা ইউনেস্কো আন্তর্জাতিক শিক্ষকদের সন্মাননা জানানোর জন্য তাঁদের স্মরণে ৫ অক্টোবর দিনটিকে বিশ্ব শিক্ষক দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। সেক্ষেত্রে ভারতে কেন শিক্ষক দিবস এক্মাস আগে পালন হয়? এই প্রশ্নই অনেকের মনে।স্বাধীন ভারতের প্রথম উপ-রাষ্ট্রপতি এবং দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের জন্মদিনে ভারতের শিক্ষক দিবস পালন করা হয়। একাধারে দার্শনিক, প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ও ভারতরত্ন প্রাপক ডঃ রাধাকৃষ্ণান ১৮৮৮ র ৫ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন তৎকালীন মদ্রাজ আধুনা চেন্নাইয়ের প্রেসিডেন্সি কলেজ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সহ বেশ কয়েকটি মহাবিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। তিনি অন্ধ্রপ্রদেশ বিশ্ববিদ্যালয়, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নমানের সহিত উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৫২ তে স্বাধীন ভারতের প্রথম উপ-রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন। এর ঠিক ১০ বছর অতিক্রান্ত করে ১৯৬২ তে ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি হিসাবে নিযুক্ত হন ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনে।১৯৬২ তে রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর সারা দেশ জুড়ে ছড়িয়ে থাকা অগুনতি ছাত্র ছাত্রীরা তাঁর জন্মদিনটি পালনের জন্য অনুরোধ রাখেন ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের কাছে। তার প্রত্যুত্তরে তিনি জানান, তাঁর জন্মদিনকে আলাদাভাবে পালন করার চেয়ে, যদি ৫ সেপ্টেম্বর দিনটিকে শিক্ষক দিবস হিসাবে পালন করা হয় তবে তাতে আমি অধিকতর খুশি হব। সে থেকেই, সারা বিশ্বে শিক্ষক দিবস ৫ অক্টোবর পালিত হলেও, ভারতে ১৯৬২ থেকে ৫ সেপ্টেম্বরই শিক্ষক দিবস উদযাপন করা হয়।সারা দেশ সহ পশ্চিমবঙ্গের ও বিভিন্ন বিদ্যালয়, কলেজ সহ শিক্ষা সাথে জুড়ে থাকা নানান প্রতিষ্ঠানে এই দিনটি পালিত হল মহা সমারোহে। বর্ধমানের বেসরকারি ইংরাজি মাধ্যম স্কুল বর্ধমান মডেল স্কুলেও এই দিনটি খুব জাঁকজমক পূর্ণ ভাবে পালিত হয়। সকাল থেকেই রঙ্গিন পোষাকে চকলেট, গোলাপ, হাতে তৈরি গ্রিটিংস কার্ড নিয়ে উপস্থিত কচিকাঁচারা। তাঁদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মত। ওরিয়েন্টাল এসোশিয়েশান ফর এডুকেশন এন্ড রিসার্চ সংস্থার অধিনস্ত এই স্কুলে বরাবরই পড়াশোনার সাথে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের এক সুন্দর মেলবন্ধন আছে। সেই রেশ রেখেই ছাত্র ছাত্রীরা নাচ, গান, আবৃত্তি, নাটকের মাধ্যমের তাঁদের শিক্ষকদের শ্রদ্ধা জ্ঞ্যাপন করেন। সকালে অনুষ্ঠানের শুরুতেই ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের প্রতিকৃতিতে মাল্যদাল ও পুষ্পার্ঘ প্রদান করে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন সংস্থার সেক্রেটারি ও বিদ্যালের কর্নধার অচিন্ত্য কুমার মণ্ডল।অচিন্ত্য কুমার মণ্ডল ছাত্র ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, শিক্ষক দিবস কোনও একটা বিশেষ দিন নয়, সারা বছরের প্রতিটা দিনই শিক্ষক দিবস। শিক্ষক কথাটার অর্থ ব্যপক...। শুধুমাত্র তোমাদের ক্লাসের মধ্যে যিনি ক্লাস নিচ্ছেন তিনিই একমাত্র শিক্ষক নন। পিতা, মাতা, গুরুজন, প্রতিবেশী, ক্রীড়াবিদ এরা সকলেই তোমাদের শিক্ষক। এমনকি আমরা অনেক ছোট ছোট জিনিস শিক্ষা লাভকরি এমন কিছু মানুষের থেকে যাঁদের শিক্ষক ভাবতে আমরা লজ্জা পাই তারাও এক অর্থে আমাদের শিক্ষক। তাই শিক্ষক কে অনুসরণ করে যদি চলা যায় তাঁকে যদি সারা জীবন তোমরা শ্রদ্ধা করতে পারো কোনোদিনই তোমরা তোমাদের জীবনের চলার পথে হোঁচট খাবে না।তিনি আরও বলেন, যে মানুষটি তাঁর নিজের জন্মদিনটি পালন না করে, সকল শিক্ষকদের স্মরণ ও শ্রদ্ধাজ্ঞ্যাপন করার কথা বলেন, তাঁর অর্থ এটাই দাঁড়ায় যেকোনো সফল মানুষের পিছনে একগুচ্ছ সফল শিক্ষক। তোমাদের সফল দেখাটাই শিক্ষদের সফলতা, তাই তাঁদের কথা আদেশ ভেবে মেনে চললেই জীবনে সফল হওয়ার চাবিকাঠির সন্ধান পেয়ে যাবে।

সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২৩
রাজ্য

শিক্ষক দিবসে মায়েদের সংবর্ধনা দিল জামালপুর এক গ্রাম পঞ্চায়েত

শিক্ষক দিবস উপলক্ষে আমাদের প্রথম শিক্ষক মা যার মাধ্যমে আমাদের জীবনের প্রথম শিক্ষালাভ শুরু হয়। আজকে সেই মায়েদের জামালপুর এক গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা জানানো হলো।মা-ই প্রথম পাঠশালা, প্রথম আদর্শ শিক্ষক। তাই সন্তান আদর্শ ও সৎ হওয়ার পিছনে মায়ের ভূমিকাই বেশি। একটি সন্তান পৃথিবীতে কত বড় হবে, কত ভালো হবে, তার অনেকটাই নির্ভর করে মায়ের উপর। তাই শিক্ষক দিবসে এবার জীবনের প্রথম শিক্ষক মায়েদের সংবর্ধনা দিলো জামালপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েত।উপপ্রধান শাহাবুদ্দিন মন্ডলের সার্বিক উদ্যোগে জামালপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরেই মায়েদের সম্মান জানালো হলো। উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক অলোক কুমার মাঝি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পূর্ণিমা মালিক, প্রধান ডলি নন্দী সহ বিশিষ্টরা।

সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২৩
রাজ্য

এসএসিটি প্রতিনিধি দলের সাথে শিক্ষা মন্ত্রীর বৈঠকে আশার আলো দেখছেন শিক্ষকরা

রাজ্যের প্রায় ১৪৫০০ এসএসিটি-র পক্ষ থেকে নয় দফা দাবি সম্বলিত এক স্মারকলিপি নিয়ে বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে বৈঠক করলেন স্টেট এডেড কলেজ টিচার্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েসন এক প্রতিনিধি দল। সংগঠনের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক গোপাল চন্দ্র ঘোষের নেতৃত্বে তৃণমূল ভবনে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে এই প্রতিনিধি দল।বেতন বৃদ্ধি, প্রভিডেন্ট ফান্ড, চাইন্ড কেয়ার লিভ, কলেজ সার্ভিস কমিশনের নিয়োগে সহ আরও নয় দফা দাবি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে তাঁদের আলোচনা হয়। গোপাল চন্দ্র ঘোষ জানান, দাবিগুলি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী তাঁদের আস্বস্ত করেছেন। সংগঠনের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক গোপাল চন্দ্র ঘোষ আরও বলেন, এই প্রথম রাজ্যের কোনও শিক্ষক সংগঠন শিক্ষামন্ত্রী অধ্যাপক ব্রাত্য বসুর সাথে তাঁদের দাবী দাওয়া নিয়ে বৈঠক করলো। যথেষ্ট ইতিবাচক হয়েছে এই আলোচনা। মন্ত্রী মশায় দীর্ঘ সময় ধরে মনোযোগ সহকারে আমাদের দাবীগুলি শুনেছেন। আমাদের দাবীর মধ্যে অনেকগুলো দাবি প্রাসঙ্গিক বলে তিনি নিজেই সহমত হয়েছেন এবং এবিষয়ে নির্দিষ্ট এক আধিকারিককে দায়িত্বও দিয়েছেন যাতে অতি সত্তর এর সমাধান বার করা যায়। গোপাল ঘোষ জানান, তাঁরা আশাবাদী, এবং আগামীদিনে আরো অনেক সমস্যা নিয়ে খুব শীঘ্রই তাঁরা আবার আলোচনায় বসবেন মন্ত্রীর সঙ্গে।প্রতিনিধি দলের অন্যতম সদস্য এসএসিটি অধ্যাপক ও স্টেট এডেড কলেজ টিচার্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েসন পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রেসিডেন্ট তারকনাথ মুখোপাধ্যায় জনতার কথা কে জানান, তাঁরা তাঁদের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক গোপাল চন্দ্র ঘোষের নেতৃত্বে সাত জনের এক প্রতিনিধি দল শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সাথে সাক্ষাৎ করে নয় দফা দাবী সম্বলিত এক স্মারকলিপি পেশ করেন।তিনি আরও জানান, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য ব্রাত্য বসু এই প্রথমবার কোনও শিক্ষক সংগঠনের সাথে সাক্ষাত করেন। তারকনাথ আরও জানান, তাঁদের দীর্ঘদিনের যে সমস্যা, মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী দীর্ঘক্ষণ সময় দিয়ে অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে শুনেছেন, এবং এ ব্যাপারে যথাযত ব্যবস্তা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তারকনাথ বলেন, শিক্ষা মন্ত্রী তাঁদের প্রতিনিধি দলকে আশ্বস্ত করেছেন সব সমস্যার সমাধান এক্ষনি করা সম্ভব না হলেও, প্রাইরিটি দিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এক এক করে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করবেন বলে কথা দিয়েছেন।স্টেট এডেড কলেজ টিচার্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েসন পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রেসিডেন্ট তারকনাথ মুখোপাধ্যায় জানান, শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু তাঁদের সামনেই তাঁর দপ্তরের এক আধিকারিককে দায়িত্ব দিয়েছেন প্রতিনিধি দল ও শিক্ষা দপ্তরের মধ্যে সমন্বয় সাধন করার জন্য। প্রতিনিধি দলের তরফে সংগঠনের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক গোপাল চন্দ্র ঘোষ জানিয়েছেন, তাঁরা অত্যন্ত খুশি এই বৈঠকে, বৈঠক যথেষ্ট ফলপ্রসু হয়েছে এবং আমরা আশাবাদী আমাদের দাবিদাওয়া সবিচার পাওয়ার ব্যাপারে।

সেপ্টেম্বর ০২, ২০২৩
রাজ্য

প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের উদ্যোগে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও রক্তদান শিবির বর্ধমানে

রবিবার (৩০/০৭/২০২৩) উস্থী ইউনাইটেড প্রাইমারী টিচার্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন (UUPTWA)পূর্ব বর্ধমান জেলা শাখার উদ্যোগে টেরেসা ওম ব্লাড সেন্টার এর সহযোগিতায় এক রক্তদান শিবির ও বৃক্ষচারা প্রদান এবং ফোর্টিস হাসপাতাল (Fortis Hospital) এর সহযোগিতায় উস্থী সংগঠনের অভয় গ্রুপ মেডিক্লেম এর বিনামূল্যে স্বাস্থ্যপরীক্ষা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় লায়ন্স ক্লাব অফ বর্ধমান মিডটাউন, ইন্দ্রকানন, শ্রীপল্লীতে।পূর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মোট ৪১ জন রক্তদাতা রক্তদান করেন ও ৬৬ জন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। উস্থী ইউনাইটেড প্রাইমারী টিচার্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির সদস্য অভীক নন্দী ও অমলেশ রায় বলেন যে প্রাথমিক শিক্ষকদের ঐতিহাসিক দিন ২৬/০৭/২০১৯ কে সামনে রেখেই প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরও রক্তদান শিবির ও বৃক্ষচারা প্রদান অনুষ্ঠান করা হয়েছে। এছাড়া আরও বলেন যে উস্থী ইউনাইটেড প্রাইমারী টিচার্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের গ্রুপ মেডিক্লেম AVAY পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য এক ইতিহাস সৃষ্টি করেছে।

জুলাই ৩১, ২০২৩
রাজ্য

‘হঠাৎ করে চাকরি চলে গেলে সে খাবে কী?’ আক্ষেপ মুখ্যমন্ত্রীর

শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতিতে চাকরি বাতিলের ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য। তবে পর পর চাকরি বাতিলের ঘোষণায় উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার আলিপুর আদালতের একটি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, কথায় কথায় লোকের চাকরি খাবেন না। কালও দুজন আত্মহত্যা করেছেন। হঠাৎ করে চাকরি চলে গেলে সে খাবে কী? এটা রাজনীতির বিষয় নয়। দয়া করে রাজ্যের বদনাম করবেন না।বেআইনি নিয়োগের কারণে সম্প্রতি ৮৮৪ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তার আগে একই কারণে গ্রুপ ডি এবং শিক্ষক পদেও চাকরি হারাতে হয়েছে অনেককে। সদ্য প্রকাশিত শিক্ষা দফতরের ওএমআর শিটে নম্বরের মহিমা যে কাউকে অবাক করতে বাধ্য। ০, ১, ২ নম্বর পাওয়া পরিক্ষার্থীদের নম্বর বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫৪, ৫৫, ৫৬। সাদা চোখেই ধরা পড়েছে সীমাহীন দুর্নীতি। তবে চাকরি চলে যাওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী আবেগ তাড়িত হয়ে পড়েছেন।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, এখন রোজ কথায় কথায় ৩ হাজার চাকরি বাদ, ৪ হাজার চাকরি বাদ। নীচুতলার কেউ অন্যায় করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব, এটা আমার চিরকালের স্বভাব। তবে কালও দুজন আত্মহত্যা করেছেন। কেউ ভুল করলে তার দায় তাঁরা নেবেন কেন? হঠাৎ করে চাকরি চলে গেলে সে খাবে কী? যাঁরা অন্যায় করেছে অ্যাকশন নিন। আমার কোনও দয়া নেই তাঁদের জন্য।এমনকী চাকরি বাতিল হওয়াদের ফের নতুন করে সুযোগ দেওয়ার কথাও বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর যুক্তি, ছেলেমেয়েদের সুযোগ দিন। দরকার হলে তাঁদের পরীক্ষা নিন। আদালত যেটা বলবে সেটা আমরা করব। দয়া করে চাকরি খাবেন না। এটা আমার মনের ভাবনা। কথায় কথায় লোকের চাকরি খাবেন না। এটা রাজনীতির বিষয় নয়। অন্য রাজ্যে তো এটা হচ্ছে না। এরাজ্যে কেন হচ্ছে? আমাকে দুবেলা গালাগালি দিন। দরকার হলে মারুন। দয়া করে রাজ্যটার বদনাম করবেন না। তাঁর বক্তব্য, ক্ষমতায় এসে একটা সিপিএম ক্যাডারেরও চাকরি খাইনি। তোমরা কেন খাচ্ছ? দেওয়ার ক্ষমতা নেই, কাড়ছ কেন?

মার্চ ১৪, ২০২৩
রাজ্য

আপাতত চাকরি ফিরে পাচ্ছে এইচআইভি পজিটিভ শিক্ষক

বিগত কয়েক দিন ধরেই এইচআইভি পজিটিভ শিক্ষকের চাকরি খোওয়ানো নিয়ে বিস্তর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শিক্ষকের এইচআইভি পজিটিভ জানতে পেরেই দীর্ঘ ছুটিতে পাঠিয়ে দেওয়ায় ময়দানে নেমে পড়েছিল সমাজকর্মীরাও। তাঁদের আশঙ্কা ছিল এই ছুটিতে পাঠিয়ে দেওয়া মানেই চাকরি কেড়ে নেওয়ার প্রাথমিক প্রক্রিয়া। গর্জে ওঠে সমাজকর্মীরা। এই পরিস্থিতিতে গতকাল, সোমবার নিউ সেক্রেটারিয়েটে রাজ্যের অ্য়াডমিনিস্ট্রেটর জেনারেল বিপ্লব দত্তের দফতরে দফায় দফায় বৈঠক হয়। অবশেষে জটিতলা কেটেছে। আগামিকাল বারাসতের ওই মানসিকভাবে বিশেষ সক্ষমদের স্কুলে ফের কাজে যোগ দেবেন সৌমিত্রা গায়েন।গত ১২ ফেব্রুয়ারি সৌমিত্র ও সুনীতা শুভ পরণয়ে আবদ্ধ হন। দুজনেই এইচআইভি পজিটিভ। এই খবর জানতে পেরে বারাসত ভিসিয়ন ট্রাস্টের অধীনস্ত ওই বিদ্যালয় কতৃপক্ষ সৌমিত্রকে ছুটিতে যেতে। অভিযোগ, একইসঙ্গে বলা হয় যেদিন কতৃপক্ষ বলবে সেদিন তাঁকে স্কুলে আসতে হবে। বিয়ে করার চার-পাঁচ দিনের মধ্যে চাকরি নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেওয়ায় মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে সৌমিত্রর। সমাজকর্মী অলোক ঘোষ পুরো বিষয়টি অ্যাডমিনিস্ট্রেটর জেনারেলকে বিষয়টি জানায়। এরপরই গতকাল, সোমবার দফায় দফায় বৈঠকে বসেন বিপ্লব রায়, সৌমিত্র-সুনীতা, কল্লোল ঘোষ ও স্কুলের পক্ষে ট্রাস্টের চেযারম্যান ডা. রণজিত মন্ডল। দীর্ঘ আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হয় ফের কাজে যোগ দেবেন সৌমিত্র। স্কুলের অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা ফিরিয়ে আনতে হবে।সমাজকর্মী কল্লোল ঘোষের কথায়, অত্যন্ত অন্যায় কাজ করছেন স্কুল কতৃপক্ষ। একজন এইচআইভি পজিটিভ শিক্ষককে চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছিল কতৃপক্ষ। যাই হোক শেষমেশ তাঁকে ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্কুল। তবে খেয়াল রাখতে হবে ফের এমন কোনও কান্ড যেন না ঘটে। তাহলেই ফের প্রতিবাদ হবে। এদিকে, মঙ্গলবার বিপ্লব বায় সাংবাদিকদের বলেন, কাজে যোগ দেবে সৌমিত্র। সুনীতাকে মেয়ে হিসাবে মর্যাদা দিয়ে একটি পেন গিফ্ট করেন বিপ্লববাবু। রণজিত মন্ডল বলেন, আমরা ওকে তাড়িয়ে দিইনি। ছুটিতে যেতে বলেছিলাম। কারণ এটা বিশেষভাবে মানসিক সক্ষমদের স্কুল। শিক্ষকের পজিটিভ শুনে অভিভাবকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। তবে ও ফের এই স্কুলেই কাজ করবে।

ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৩
রাজ্য

গুলিবিদ্ধ শিক্ষক, বীরভূম থেকে আপাতকালীন নিয়ে আসা হল বর্ধমান মেডিকেল কলেজে

বীরভূমের মহম্মদবাজারে গুলিবিদ্ধ শিক্ষককে ভর্তি করা হয়েছে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সোমবার রাতে মহম্মদবাজার থানা এলাকার হাবরাপাহাড়ী গ্রামে সুটআউট হয়। গুলিতে মৃত্যু হয় এক খাদান কর্মীর, গুলিতে জখম হন শিক্ষক ধনা হাঁসদা। তিনি বীরভূমের স্থানীয় ডোলকাটা প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকতা করেন। জখম শিক্ষক ধনা হাঁসদাকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা জন্য নিয়ে যাওয়া হয়, তার অবস্থার অবনতি হওয়ার তাকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।বর্তমানে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। নিহত খাদান কর্মী ধানু সেখ ও শিক্ষক ধনা হাঁসদা একটি ক্লাবে বসে রাতে গল্প করছিলেন। সেই সময় এক অজ্ঞাত পরিচয়ে ব্যাক্তি সাইকেলে করে এসে গুলি চালায়। গুলি ধানু সেখের বুকে লাগলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। অন্য গুলিতে জখম হন শিক্ষক ধনা হাঁসদা।

ডিসেম্বর ০৬, ২০২২
রাজ্য

বকেয়া ডিএ সহ একাধিক দাবী জানিয়ে ডেপুটশন প্রাথমিক শিক্ষকদের

বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে জেলা বিদ্যালয় প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানকে ডেপুটেশন দিলেন প্রাথমিক শিক্ষকেরা। পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির পূর্ব বর্ধমান জেলা শাখার উদ্যোগে এদিন বিজয় তোরণ এলাকায় প্রতিবাদ সভা আয়োজন করা হয়। সংগঠনের জেলা সম্পাদক রাজকুমার বারিক জানান; প্রধান শিক্ষক পদগুলি দ্রুত পুরণ করা, বকেয়া ডি এ প্রদান, মিড ডে মিলের বরাদ্দ বৃষ্টি করা সহ আরো কিছু দাবি রয়েছে তাদের।পশ্চিম বঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক ফেডারেশনের পুর্ব বর্ধমান জেলার সাধারণ সম্পাদক রাজকুমার বারিক জানান, শিক্ষকরা কোনও দিন-ই রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখায় নি। আমাদের বেশ কিছু দাবী আছে সেগুলি সরকারের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষন করার জন্য আমরা আজ রাস্তায়। তিনি জানান, ২০১১ থেকে এই জেলা সহ গোটা রাজ্যে প্রাথমীক বিদ্যালয় গুলতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ। তার ফলেই গোটা রাজ্যে ৯০% প্রাথমীক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক হীন পঠন পাঠন চলছে। তাঁরা এই সভা থেকে অতি সত্তর প্রধান শিক্ষক নিয়োগের দাবী তলেন। তাঁরা এই সভা থেকে অবিলম্বে ৩০ শতাংশ ডিএ প্রদানের দাবী জানান সরকারের কাছে, এছাড়াও তাঁদের দাবী ডিএ বাবদ যে বকেয়া সেই টাকাও সরকার যেনো অতি সত্তর তাঁদের প্রদান করে। এছাড়াও তাঁদের দাবী শিক্ষক দের শিক্ষা ভিন্ন নানা কাজে ব্যস্ত রাখা হয়, সেটা যেন না করা হয় তার আবেদন রাখেন সরকারের কাছে। তাঁরা জানেন বেশীর ভাগ প্রাথমীক বিদ্যালয়ে এক থেকে দুজন শিক্ষক, সেই দুজনের ভিতর থেকে কাউকে যদি সরকারি প্রকল্পের কাজে তুলে নেওয়া হয়,সেক্ষেত্রে যে কাজের জন্য তাঁরা নিযুক্ত সেই কাজটিই ব্রাত্য হয়ে যাচ্ছে।

নভেম্বর ১৬, ২০২২
রাজ্য

অভিষেকের কথা শুনে অবস্থান ছেড়ে উঠে গেলে অনেক আগেই ওদের চাকরি হয়ে যেতঃ নির্মল মাঝি

কোর্টে না গিয়ে অভিষেকের কথা শুনে উঠে গেলে কবে সমস্যা মিটে যেত। আজ বর্ধমানে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন পূর্ব বর্ধমান জেলা স্বাস্থ্য শাখার প্রীতি সম্মেলন ও কর্মীসভায় এসে এই মন্তব্য করলেন প্রগ্রেসিভ ডক্টর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তথা বিধায়ক নির্মল মাঝি। তিনি বলেন, আন্দোলনকারীদের কাছে যেদিন অভিষেক গিয়েছিল সেদিন অভিষেকের কথা শুনে তারা উঠে গেলে কবে এটা মিটে যেত।এমনকি দিদিও নিজে বলেছিলেন এদের চাকরি দিয়ে দেব। কিন্তু তারা শোনেনি। তারা বামপন্থী আইনজীবীদের কথা শুনে কোর্টে চলে গেল। এখন কোর্ট যা করার করবে। দিদির উপর ছেড়ে দিলে কবে হয়ে যেত। এখন মমতাকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। সিপিএম কথায় কথায় কেস দিচ্ছে আর বিজেপি পিছন থেকে টাকা সাপ্লাই দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। নির্মল বাবু আরও বলেন, এখন কত জায়গায় আন্দোলন হচ্ছে। ইট ছুড়ছে, পাথর ছুড়ছে, বোম ছুড়ছে, কিন্তু পুলিশ মার খেয়েও কোথাও কিছু করছে না।বামফ্রন্টের সময় পুলিশ গুলি চালাত বলে মন্তব্য করেন তিনি। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীরা শুন্য হয়ে যাবে, মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসকে উজাড় করে ভোট দেবে বলে মন্তব্য করেন নির্মল বাবু। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ কনফারেন্স হলে আয়োজিত এদিনের সভায় নির্মল মাঝি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, বিধায়ক খোকন দাস, শম্পা ধারা সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতা কর্মীরা।

নভেম্বর ১৩, ২০২২
রাজ্য

কাজের বদলে জুটল কুপ্রস্তাব, তৃণমূল পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগে ছিঃছিঃ রব পূর্ব বর্ধমানে

চেয়েছিলেন কাজ, জুটেছে সহবাসের প্রস্তাব। অভিযোগ তরুণীর। অভিযুক্ত তৃণমূল পুরপ্রধান। আর ওই দুজনের সেই অডিও ভাইরাল হতেই চারিদিকে ছিঃছিঃ রব উঠেছে। তরুণীর অভিযোগের তীরে বিদ্ধ পূর্ব বর্ধমানের দাঁইহাট পুরসভার চেয়ারম্যান শিশির মণ্ডল। যদিও শিশির মন্ডল পুরো বিষয়টাকে চক্রান্ত বলে দাবি করেছেন। এই ঘটনায় তোলপাড় জেলার রাজনৈতিক মহল।দাঁইহাট পুরসভার চেয়ারম্যান শিশির মণ্ডল দীর্ঘদিন কাটোয়ার অগ্রদ্বীপ ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। ২০০০-তে তিনি প্রথম দাঁইহাট পুরসভার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে তিনি ওই পুরসভার বিরোধী দলনেতা হন। ২০১৮-তে অনাস্থা এনে পুরবোর্ডের পতন ঘটিয়ে শিশির মণ্ডল পুরপ্রধান হন। তারপর ২০২২-এর পুরনির্বাচনে ফের জয়ী হয়ে শিশির মণ্ডল দাঁইহাট পুরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। প্রাক্তন শিক্ষক ও দীর্ঘ দিনের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বর বিরুদ্ধে মেয়ের বয়সী তরুণীকে সহবাসের প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে বিস্মিত দাঁইহাটের বাসিন্দা।সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া অডিও ও ভিডিও কথোপকথনে পুরুষ কন্ঠের ব্যক্তি দাঁইহাট পুরসভার চেয়ারম্যান শিশির মণ্ডল বলে দাবি করা হচ্ছে। ভাইরাল হওয়া ওই অডিও এবং ভিডিওর সত্যতা জনতার কথা যাচাই করেনি। সেই কথোপকথন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২০-তে স্নাতক হয়েছেন তরুণী। ফোনের শুরুতেই ওই তরুণী চেয়ারম্যানকে কাকু সম্মোধন করে একটা কাজের ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানান। চেয়ারম্যান তাঁর কাছে জানতে চান কোন স্কুলে পড়াশুনা করেছেন, বাড়ি কোথায়, বাবার নাম, পরিবারের অবস্থা কেমনসহ নানা বিষয়। অভিযোগ, সেই কথোপকথনেই সহবাসের প্রস্তাব দিয়ে বসেন চেয়ারম্যান। তবে দাঁইহাট পুরপ্রধান শিশির মণ্ডল ওই অডিও এবং ভিডিও কথোপকথন তাঁর নয় বলে দাবি করেছেন। তাঁর দাবি, ওই অডিওতে আমার গলায় অন্য কেউ এইসব কথা বলছে। এই ধরনের অশালীন কাজ কোনদিনও আমি করতে পারি না। তাঁর রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নষ্ট করার জন্যই এই চক্রান্ত হয়েছে বলে তিনি দাবি করেছেন। পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, বিষয়টি দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে জানানো হবে। বিজেপির বক্তব্য, এটাই তৃণমূল নেতাদের আসল রূপ।

নভেম্বর ০২, ২০২২
রাজ্য

১৪ দিনের ইডি হেফাজত মানিকের, আদালত চত্বরে চোর চোর স্লাগান

প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে ১৪ দিনের ইডি হেফাজত দিল আদালত। প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সোমবার রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় মানিক ভট্টাচার্যকে। ইডি সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, মানিক ভট্টাচার্যের ছেলের সংস্থার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে হদিশ মিলেছে আড়াই কোটি টাকার বেশি। এমনকী ২০১৮-তে বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে মানিক পুত্রের সংস্থার চুক্তিও সামনে উঠে আসছে। ওই চুক্তির মাধ্যমে অর্থ উপায়ের মূল কারণ কি ছিল? তা-ও ইডির নজরে রয়েছে। পাশাপাশি মানিকের পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখছে ইডি। ওই অ্যাকাউন্টে কাদের কাছ থেকে টাকা আসত। কাদের সঙ্গেই বা যৌথ অ্যাকাউন্ট রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।এদিন ব্যাংকশাল আদালতে মানিক ভট্টাচার্যকে লক্ষ্য করে জুতো দেখানো হয়। তাঁর উদ্দেশে চলে চোর চোর স্লোগান। এর আগে জোকা হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে গিয়ে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জুতো ছুড়ে মেরেছিলেন এক মহিলা। তাছাড়া গরুপাচার মামলায় বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডলকে গরু চোর গরু চোর বলেও স্লোগান দেওয়া হয়েছিল আসানসোলে। এবার প্রকাশ্যে পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে লক্ষ্য করে চোর চোর স্লোগান চলল।

অক্টোবর ১১, ২০২২
কলকাতা

বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবে ঝলমলে বাংলা, কলকাতার রাস্তায় অবস্থানে অনড় এসএসসি চাকরি প্রার্থীরা

একদিকে মহাসপ্তমীর দিন ঝলমলে মহানগরসহ সারা বাংলা তখনও কলকাতার রাস্তায় অবস্থানে বসে রয়েছেন এসএসসি চাকরি প্রার্থীরা। নিয়োগপত্র হাতে না নিয়ে তাঁরা অবস্থান থেকে কোনওমতেই উঠবে না বলেই পন করেছে। কোনও প্রতিশ্রুতিতে যে তাঁরা ভুলবেন না, সেকথা স্পষ্ট ঘোষণা করেছেন অবস্থানকারীরা। এদিন অবস্থানের ৫৬৭ দিন পার করল আন্দোলনকারীরা। বাঙালীর শ্রেষ্ঠ উৎসবের মহাসপ্তমীতে পথে বসে চোখের জলে ভাসাচ্ছেন শিক্ষক চাকরি প্রার্থীরা।২০১৯-এ কলকাতা প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থানে বসেছিলেন এসএসসি চাকরি প্রার্থীরা। তখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। অভিযোগ, তখন নেতৃত্বস্থানীয়রা শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে এবং তাঁদের কয়েকজন চাকরিতে যোগ দেন। এভাবে আন্দোলন ভেস্তে দেওয়ার চক্রান্ত করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ করছেন আন্দোলনকারীরা। পরবর্তীতে একাধিকবার প্রতিশ্রুতি দিলেও মেলেনি নিয়োগপত্র। তাই কোনও আনন্দ-উৎসবে অংশ না নিয়ে তাঁরা অবস্থানে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সম্প্রতি নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলেও কাজে যোগ না দেওয়া পর্যন্ত আন্দোলনকারীরা ভরসা করছেন না কোনও প্রতিশ্রুতি বা বিজ্ঞপ্তিকে। তাই পুজোর কয়েকটা দিন মেয়োরোডে রাস্তার ধারে বসেই তাঁরা দাবি-দাওয়া জানাবেন।

অক্টোবর ০২, ২০২২
রাজ্য

বাংলা পক্ষের উদ্যোগে বাংলা জুড়ে পালিত হল বাঙালীর 'শিক্ষক দিবস'

আমাদের সকলেরই জানা ডঃ সর্বপল্লীরাধাকৃষ্ণনের জন্মদিন কেই সারা ভারতে শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করা হয়। বাংলা ও বাঙ্গালীর জাগরণের জন্য সদা লড়াই করে চলা বাংলা পক্ষ আজ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মদিন কে শিক্ষক দিবস হিসাবে পালন করার ডাক দিয়েছিল। তাদের দাবী, বাঙালি জাতির শিক্ষক বিদ্যাসাগরের জন্মদিন ২৬ এ সেপ্টেম্বরই হল বাংলার জাতীয় শিক্ষক দিবস। সেই কারনেই বাংলা পক্ষের উদ্যোগে আজ সারা বাংলা জুড়ে প্রত্যেক জেলায় বাংলার জাতীয় শিক্ষক দিবস পালন করল বাংলা পক্ষ। এই উদ্যোগ তারা শুরু করে ৫ বছর আগে, ২০১৭ র ২৬ এ সেপ্টেম্বর প্রথমবার বাংলা পক্ষ শিক্ষক দিবস পালন শুরু করে। তাদের দাবী, আজ বাংলার অনেক স্কুলেই শিক্ষক দিবস পালিত হয়েছে। তারা মনে করে, প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে বাংলা পক্ষর দাবি, আবেদনে সাড়া দিচ্ছে বাঙালি। আমরা গর্বিত জাতির মহাপুরুষ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে সম্মান জানাতে পেরে।আজকে শিক্ষক দিবস উপলক্ষ্যে উত্তরবঙ্গে শিলিগুড়িতে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে বাংলা পক্ষের সমর্থকেরা, নদীয়া বাংলা পক্ষের তরফে এক অঙ্কন প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়, কলকাতার যোধপুর পার্কে সূর্যসেন হলে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, দক্ষিণ দিনাজপুরে খাঁপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, দুর্গাপুরে সুরেন্দ্রচন্দ্র মর্ডান স্কুলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কিশোর ভারতী বিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, হুগলীতে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান সহ বাংলার নানা প্রান্তে মহা সমারোহে বাঙালীর শিক্ষক দিবস পালিত হয়। উল্লেখযোগ্য, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা শাখার পক্ষ থেকে বিদ্যাসাগরের জন্মভিটা বীরসিংহে গিয়ে শিক্ষক দিবস পালন করে বাংলা পক্ষ। বাংলা পক্ষর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক গর্গ চট্টোপাধ্যায় পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর বাস স্ট্যান্ডে শিক্ষক দিবসের মিছিল ও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।বাংলা পক্ষের শীর্ষ পারিষদ কৌশিক মাইতি জনতার কথা কে জানান, আমরা ২৩ টি সাংগঠনিক জেলায় একজন করে মহান শিক্ষক কে (যিনি শিক্ষার প্রসারে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন) বিদ্যাসাগর জাতীয় শিক্ষক সম্মাননা য় ভূষিত করতে পেরে আমরা গর্বিত।তিনি আরও বলেন, আমরা আশা রাখি আগামীতে বাংলার প্রতিটা স্কুলে, কলেজে ২৬ এ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস হিসাবে পালিত হবে। আমরা আশাবাদী, বাংলা সরকারও আমাদের আবেদন মেনে ২৬ এ সেপ্টেম্বর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মদিনকে বাংলার জাতীয় শিক্ষক দিবস হিসাবে স্বীকৃতি দেবেন। তাঁরা সমাজের বিভিন্ন অংশের যে সমস্ত বিশিষ্টর ব্যক্তি বাংলা পক্ষর এই দাবির সপক্ষে দাঁড়িয়েছেন, তাঁদের সকলকে সংগঠনের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তাঁদের আশা, আগামী বছর সরকারি ভাবে ২৬ এ সেপ্টেম্বর দিনটিকে বাংলার জাতীয় শিক্ষক দিবস হয়ে উঠবে।

সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২২
রাজ্য

রাজ্যে টেট ১১ ডিসেম্বর, প্রাথমিকে শূন্য পদে ১১ হাজার নিয়োগের সম্ভাবনা

আগামী ১১ ডিসেম্বর প্রাথমিকে টেটের দিন ঘোষণা করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদের অ্যাড হক কমিটির সভাপতি গৌতম পাল জানিয়েছেন, পুজোর আগে চলতি সপ্তাহে জারি করা হবে টেটের বিজ্ঞপ্তি।লক্ষ্মীপুজোর পর থেকে প্রাথমিকের টেটের জন্য নির্দিষ্ট একটি পোর্টাল চালু হবে। ওই পোর্টালে পরীক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে। আবেদনের পদ্ধতি পরে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হবে।১১ হাজারের বেশি শূন্যপদে প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগের ঘোষণা করা হয়েছে এদিন। এক্ষেত্রেও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, নিয়োগ জট কেটে যাবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়য়ের উপর ভরসা রাখুন। উনিই নিয়োগ সংক্রান্ত সব জট ছাড়াতে পারবেন।এদিন ফের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক পদে ২০২০ সালে প্রাথমিকে নিয়োগের পর এখনও যে শূন্যপদগুলি রয়ে গিয়েছে সেখানে ৩৯২৯ জনকে চাকরি দেওয়ার প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ দিলেন বিচারপতি।

সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২২
রাজ্য

আপার প্রাইমারি চাকরি প্রার্থীদের নিয়োগ পক্রিয়া অবিলম্বে শুরু করার দাবীতে ডেপুটেশন

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্য জুড়ে আন্দোলন-আদালত-গ্রেফতার তার সাথে কোটি কোটি কালো টাকা উদ্ধার দেখতে দেখতে রাজ্যের মানুষ ক্লান্ত অবসন্ন। তার মাঝেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠলো আপার প্রাইমারী চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন। বুধবার বর্ধমান শহরে বঞ্চিত আপার প্রাইমারি চাকরি প্রার্থীরা বর্ধমান ইউনিট জেলা প্রাইমারির সংশ্লিষ্ট আধিকারিককে ডেপুটেশন প্রদান করেন।তাদের দাবি, ২০১৪ তে নোটিফিকেশন জারি হয় এবং ২০১৫ তে পরীক্ষা হয়। এই পরীক্ষার ফলাফল বের হয় ২০১৬ তে, সেই লিস্টের ভিত্তিতে ইন্টারভিউ হয়। সেই ইন্টারভিউ প্যানেল ২০১৯-এর ডিসেম্বর মাসে হাইকোর্টের মহামান্য বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্যের বেঞ্চে বাতিল হয়। তাদের আরও অভিযোগ পরবর্তীকালে আবার প্যানেল ঘোষণা করা হয়, তাতে দেখা যায় যাঁরা কম নাম্বার পেয়েছিল তাঁদের নাম উঠেছে যোগ্য পার্থিদের নাম বাদ দিয়ে, পিছনে থাকা প্রার্থীদের নাম ঢোকানো হয়। তারা এই সভা থেকে দাবি তোলেন গত আট বছরের সমস্ত সিট আপডেট করে পুর্বতন ইন্টারভিউ লিস্টকে মান্যতা দিয়ে সমস্ত শূন্য পদে আপার প্রাইমারি চাকরি প্রার্থী নিয়োগ করতে হবে।

সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২
রাজ্য

প্যারা টিচারের মারে মাথায় চোট পেয়ে অসুস্থ শিশু

মেমারি দুনম্বর ব্লকের অন্তর্গত সোতলা মহিষডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষককে ঘেরাও করে বিক্ষোভ সামিল হলো গ্রামবাসীরা। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় মেমারি থানার সাতগেছিয়া ফাঁড়ির পুলিশ। অভিযোগ জুন মাসের শেষের দিকে এক সেচ্ছাসেবক শিক্ষকের মারে আহত হন। এক স্কুল পড়ুয়া।আহত ওই স্কুল পড়ুয়া জিৎ শিল অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র মহিষডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা। স্কুলে পড়া না পারার জন্য তাকে মারধর করা হয় এবং সেই মারেই মাথায় চোট পান বলে অভিযোগ। বর্তমানে ওই ছাত্র ঠিকমতো হাঁটতে পারছেন না এবং অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলে তার পরিবারের দাবি।বর্তমানে ওই ছাত্রের সমস্ত চিকিৎসা খরচ স্কুল কর্তৃপক্ষকে বহন করতে হবে বলে জানিয়েছেন আহত ছাত্রের পরিবার। বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সহ অন্যান্য শিক্ষকরা জানিয়েছেন আহত হওয়ার পর ওই ছাত্রের প্রথম চিকিৎসা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকেই এবং পরবর্তী সময়ও তাদের চিকিৎসার জন্য সহযোগিতার আশ্বাস দেয়া হয়েছে। শুনবো এই দিনে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং বাংলা বিভাগের শিক্ষক কি জানিয়েছেন।

সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২২
কলকাতা

কোচিং সেন্টারের শিক্ষকের দ্বারা ধর্ষিতা ছাত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা, গ্রেফতার অভিযুক্ত শিক্ষক

নরেন্দ্রপুর থানার একটি কোচিং সেন্টারের এক ছাত্রীকে দিনের পর দিন ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন বলবীর সিং নামে এক কোচিং সেন্টারের মালিক কাম শিক্ষক। ঐ শিক্ষককে গ্রেপ্তার করলেন নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। নরেন্দ্রপুর থানার লস্করপুর এলাকার সিং এন্ড শাও নামে ওই কোচিং সেন্টারের এক ছাত্রীর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হলো বলবীর সিং নামে ওই শিক্ষককে।ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ স্পোকেন ইংলিশ শেখানোর জন্য নিজের খুশি মত সময়ে ওই ছাত্রীকে ডেকে পাঠাতেন। তারপরে ওই ছাত্রী কে দিনের পর দিন ধর্ষণ করতেন। কাউকে না জানানোর আবেদনের সঙ্গে ছিল খুনের হুমকি। লজ্জায়, ভয়ে, কাউকে বলতে না পেরে বাথরুমে আত্মহত্যার করার চেষ্টা করেন ওই নির্যাতিতা ছাত্রী টি। পরে মায়ের কাছে সমস্ত কথা খুলে বলায় নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই ছাত্রীতির মা।মায়ের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করেন নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ।

আগস্ট ২৬, ২০২২
রাজ্য

শিক্ষারত্ন পুরস্কারে ভূষিত শিক্ষক পেনশন না পেয়ে আত্মঘাতী

তিন বছর অবসর নেবার পরও পেনশন না পেয়ে আত্মঘাতী হলেন এক শিক্ষক। মৃত শিক্ষকের নাম সুনীল কুমার দাস (শিক্ষারত্ন)। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। তার মৃত্যুর খবরে এলাকায় গভীর শোকের ছায়া দেবীপুর রাজবাগান এলাকায়। ২০১৯ সালে তিনি শিক্ষারত্ন উপাধি পেয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে।নানা স্কুলে চাকরি করার পরে তিনি কলকাতার হেয়ার স্কুলের প্রধান শিক্ষক হয়ে অবসর নেন বলে পরিজন সুত্রে জানা গেছে। তাঁর পরিবারে কোনও সমস্যা ছিলনা বলেও তাঁরা জানান। সুনীল দাসের দুই কন্যার বিয়ে হয়ে গেছে।এছাড়াও ছেলে পি এইচ ডি সম্পূর্ণ করেছেন। গতকাল বাড়িতেই গলায় দড়ি দিয়ে তিনি আত্মঘাতী হয়েছে বলে পরিবারের মানুষজন জানিয়েছেন।তার আত্মীয়রা জানান, তিনি খুবই চাপা স্বভাবের হওয়ার দরুন, তার মনের কথা কাউকে জানতে দেন নি। হঠাৎ এই ঘটনায় সবাই মুষড়ে পড়েছে। তার স্ত্রী সাধনা দাস জানান, পেনশন না পাওয়ায় তিনি হতাশায় ভুগছিলেন। কীভাবে সংসার চলবে তা নিয়ে ভীষণ উদ্বেগে ভুগছিলেন। অনেক চেষ্টা করেও পেনসানের সুরাহা করতে পারেননি। ২০১৯ সালে তিনি শিক্ষারত্ন পান। ওই বছরই তিনি অবসর নেন। এলাকার মানুষেরা জানিয়েছেন তার শিক্ষাবিস্তারে অনেক অবদান ছিল। অনেককে সাহায্য পড়াশোনার ব্যাপারে করেছেন। তাঁর এই পরিণতিতে সবাই ভেঙে পড়েছেন।

আগস্ট ১৭, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • ›

ট্রেন্ডিং

কলকাতা

বুধবারই সিদ্ধান্ত! ৩২ হাজার শিক্ষকের ভবিষ্যৎ কি তবে চূড়ান্ত?

শেষ হল প্রাথমিকের ৩২ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি। গত ১২ নভেম্বর এই মামলার শুনানি হয়েছিল কলকাকা ডিভিশন বেঞ্চে। বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রায়দান সেই সময় স্থগিত রেখেছিলেন। অবশেষে বুধবার এই গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় ঘোষণা করা হবে।২০১৬ সালে SSC-এর নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসে। সেই সময় সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দেয় হাইকোর্ট, পরে সেই রায় বহাল রাখে Supreme Court of India। এরপর প্রাথমিকে নিয়োগেও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। সেই মামলায় তৎকালীন বিচারপতি Abhijit Gangopadhyay ২০২৩ সালে প্রশিক্ষণহীন ৩২ হাজার শিক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন। যদিও তিনি বলেছিলেন, শিক্ষকরা স্কুলে যেতে পারবেন এবং তিন মাসের মধ্যে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি বহাল রাখার কথাও বলা হয়েছিল।২০১৪ সালে প্রাথমিক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় এবং ২০১৬ সালে প্রায় ৪২,৫০০ শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। সেই পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াতেই বেনিয়মের অভিযোগ ওঠে। মামলাকারীদের দাবি ছিল, ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। অন্য দিকে পর্ষদের বক্তব্য, কিছু ক্ষেত্রে ভুল হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু তা পরে সংশোধন করা হয়েছে।এরপর একক বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মামলাটি যায় ডিভিশন বেঞ্চে। সেই সময় বিচারপতি Subrata Talukdar ও বিচারপতি Supratim Bhattacharya একক বেঞ্চের চাকরি বাতিলের নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেন। তবে তাঁরা নতুন করে নিয়োগ শুরু করার নির্দেশও দিয়েছিলেন। পরে রাজ্য সরকার ও পর্ষদ সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায়। শীর্ষ আদালত মামলাটি আবার হাইকোর্টে ফেরত পাঠায় এবং দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেই মামলা শুনেই এবার রায় ঘোষণা করতে চলেছে বর্তমান ডিভিশন বেঞ্চ।

ডিসেম্বর ০২, ২০২৫
কলকাতা

মোদী গেলে বিজেপি শেষ, মমতা থাকলে তৃণমূল অজেয়—কল্যাণের বিস্ফোরক মন্তব্য

বিজেপিতে যেমন নরেন্দ্র মোদি সবার মূল মুখ, তেমনই তৃণমূলে একমাত্র মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমনই মন্তব্য করলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, যত দিন মোদী রয়েছেন, তত দিন বিজেপি টিকে থাকবে। ঠিক সেই ভাবেই যত দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন, তত দিন তৃণমূলকে কেউ নড়াতে পারবে না। কল্যাণের কথায়, দল চলে মমতার নামেই, বাকিরা কী বলছেন, তাতে দলের কিছু আসে যায় না।মুর্শিদাবাদে বাবরি মসজিদ সংক্রান্ত মন্তব্যে ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে ঘিরে তৈরি হওয়া বিতর্ক প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এই মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, মোদী থাকলে যেমন পদ্মফুল ফুটবে, তেমনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকলে তৃণমূলকে কেউ ঠেকাতে পারবে না। আগেও একাধিকবার তিনি বলেছেন, তাঁর কাছে একমাত্র নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্য কিছু তাঁর মাথায় থাকে না।তৃণমূলের অন্দরে নবীন ও প্রবীণ নেতৃত্ব নিয়ে টানাপোড়েন নতুন নয়। এক সময় দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বয়সের ঊর্ধ্বসীমা নিয়ে বক্তব্য রাখায় বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। তখন অনেকেরই মত ছিল, এতে তৃণমূলের অন্দরের নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। সেই সময় কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো প্রবীণ নেতাদের অবস্থান বারবার আলোচনায় এসেছে।এই প্রসঙ্গে বিজেপির সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, তৃণমূলে এখনও এমন অনেক প্রবীণ নেতা রয়েছেন, যাঁরা সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রয়েছেন। অন্য দিকে, তৃণমূলের মুখপাত্রের বক্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখই আসলে তৃণমূলের মুখএ নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই।

ডিসেম্বর ০২, ২০২৫
কলকাতা

করদাতা কমল বাংলায়! অমিতের খোঁচা—অভিষেকের কড়া পালটা

পশ্চিমবঙ্গেই করদাতার সংখ্যা কমে গিয়েছেএই তথ্য ঘিরে সরাসরি আক্রমণ করেছেন বিজেপির আইটি সেল প্রধান অমিত মালব্য। তিনি সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, রাজ্যে শিল্প নেই, কাজের সুযোগ কম এবং তাই আয়ও কম হচ্ছে; মোদী সরকারের আয়কর ছাড়ের সুবিধা গ্রহণ করায় বাংলায় করদাতা কমেছেএটাকে তিনি মোদী সরকারের উপহার হিসেবে বর্ণনা করেছেন। বিষয়টি সামনে চলে আসার পর বালুরঘাটের বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ি সাংবাদিক বৈঠক করে এ নিয়ে কথা বলেন।বিধায়ক অশোক দাবি করেন, ২০২৪-২৫ সালের অ্যাসেসমেন্টে করদাতার সংখ্যা বৃদ্ধি মাত্র ২ লাখ হয়েছে, আগের বছরে যা ছিল ৩ লাখঅর্থাৎ বাড়তি সংখ্যা কমেছে। তিনি বলেন, মোদী সরকার ইনকাম ট্যাক্সে ছাড় দেয়ায় মধ্যবিত্তদের কর কমেছে, তাই ট্যাক্স রিলিফ পাওয়া নিয়েই এই পতন হয়েছে।দুইপাশেই পালটা দাবি ও প্রতিক্রমা তুঙ্গে। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এসকল হিসেব তুলে ধরে বলেছেন, গত সাত বছরে কেন্দ্রীয় সরাসরি ও পরোক্ষ কর যোগ করে বাংলা থেকে বিপুল অঙ্কের রাজস্ব সংগ্রহ করা হয়েছেমোট প্রায় ৬ লক্ষ ৫০ হাজার কোটি টাকারও বেশি। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, ওই সময়ে কেন্দ্র থেকে বাংলায় ফেরত দেওয়া বকেয়া প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকা। অভিষেকের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ২০১৭১৮ থেকে ২০২৩২৪ অর্থবর্ষ পর্যন্ত কন্ট্রিবিউশন ক্রমানুসারে বেড়েছে; ২০১৭১৮ সালে রাজ্য দিয়েছে ৬৩,৪০৭ কোটি, ২০১৮১৯ এ ৮৪,৪১৯ কোটি, ২০১৯২০ এ ৮৪,০১৫ কোটি, ২০২০২১ এ ৮০,০০৪ কোটি, ২০২১২২ এ ১,০১৭৬৭৩ কোটি, ২০২২২৩ এ ১,১৩,৬২১ কোটি এবং ২০২৩২৪ এ ১,২২,৯৮৮ কোটি টাকা।অভিষেকের তথ্যে ফের অমিত মালব্য রাতারাতি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেনআর এতে রাজনীতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তৃণমূলের রাজ্য সহসভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার পালটা বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাকে পিছিয়ে রাখার চেষ্টাই করছে; বাংলায় শিল্প প্রতিষ্ঠা না করতে নানা কৌশল চালানো হচ্ছে। তিনি যুক্তি দেখান যে অনেক ক্ষেত্রে এমএসএমই-তে বাংলা এগিয়ে আছে এবং অমিতবাবুর আঙুল তোলা তথ্য মিথ্যা মন্তব্যের ওপর ভিত্তি করে। তাঁর শব্দে, বাংলা থেকে কত ট্যাক্স নেওয়া হচ্ছে, সেটা আগে খতিয়ে দেখতে হবে।রাজনৈতিক তর্ক-ঝগড়ার মাঝেই সাধারণ মানুষ, শিল্প এবং চাকরির বাজার নিয়েও যে প্রশ্ন তুলেছে এই বিতর্ক, তা স্পষ্ট। আগামী দিনে কর-সংশ্লিষ্ট পরিসংখ্যান এবং কেন্দ্ররাজ্য আর্থিক লেনদেন নিয়ে আরও তৎপরতার সম্ভাবনা দেখছেন সব পক্ষই।

ডিসেম্বর ০২, ২০২৫
রাশিফল

আজকের দিনে 'মীন' রাশির জাতকের "নথিতে সুবিধা"। আজ মঙ্গলবার আপনার কেমন যাবে জেনে নিন

২ ডিসেম্বর ২০২৫ মঙ্গলবার, আপনার রাশিচক্র অনুযায়ী দিনটি কেমন কাটবে তা জানতে নিচে প্রতিটি রাশির জন্য সংক্ষিপ্ত রাশিফল দেওয়া হলো:🐏 মেষ (Aries): নতুন দায়িত্ব আসবে।🐂 বৃষ (Taurus): কেনাকাটায় আনন্দ।👥 মিথুন (Gemini): মিটিং সফল।🦀 কর্কট (Cancer): মানসিক চাপ কমান।🦁 সিংহ (Leo): আয়ের সুযোগ।🌾 কন্যা (Virgo): সঙ্গীর সমর্থন।⚖️ তুলা (Libra): সংযোগ বাড়বে।🦂 বৃশ্চিক (Scorpio): পুরনো কাজ এগোবে।🏹 ধনু (Sagittarius): ভাগ্য সহায়।🐐 মকর (Capricorn): কাজে মনোযোগ দিন।🌊 কুম্ভ (Aquarius): পরিচিত বাড়বে।🐟 মীন (Pisces): নথিতে সুবিধা।যে কোনও সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য যোগাযোগ করুনঃ শ্রী সূপর্ণ (জ্যোতিষী)যোগাযোগঃ ৯৮৩০০৬৫২৪০, ওয়েবসাইটঃ www.srisuparna.com

ডিসেম্বর ০২, ২০২৫
কলকাতা

৭ হাজার ২৯৩ ‘দাগি’র পুরো নাম প্রকাশ করতেই হবে, SSC-কে কড়া নির্দেশ

নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হতেই ফের মামলার মুখে পড়ল এসএসসি। অযোগ্য প্রার্থীরা কীভাবে আবার পরীক্ষায় বসছে, তা নিয়েই মামলা ওঠে কলকাতা হাইকোর্ট-এ। এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহা আবারও কড়া নির্দেশ দিলেন। বুধবারের মধ্যেই ৭ হাজার ২৯৩ জন দাগি বা অযোগ্য প্রার্থীর পুরো তালিকা প্রকাশ করতে হবে এসএসসি-কে।এটা এই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিক বার শীর্ষ আদালত ও হাইকোর্ট এসএসসি-কে অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করতে বলেছিল। সেই মতো কিছু তালিকা প্রকাশও করা হয়েছিল। পরে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আবার দাগি প্রার্থীদের নাম উঠে আসায় নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়।বিচারপতি অমৃতা সিনহা আগেই নির্দেশ দিয়েছিলেন, অযোগ্যদের নাম, অভিভাবকের নাম, রোল নম্বর-সহ সব তথ্য প্রকাশ করতে হবে। সেই মতে গত ২৭ নভেম্বর এসএসসি ১ হাজার ৮০৬ জন নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক-শিক্ষিকার নাম প্রকাশ করে, যাঁরা তখন চাকরি করছিলেন।কিন্তু এ দিন আদালত জানায়, এসএসসি যে তালিকা প্রকাশ করেছে, তা সম্পূর্ণ নয়। এসএসসি আগেই জানিয়েছিল মোট অযোগ্য প্রার্থীর সংখ্যা ৭ হাজার ২৯৩ জন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত শুধু গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি-র ৩ হাজার ৫১২ জন এবং ১ হাজার ৮০৬ জন শিক্ষকের তালিকা প্রকাশ হয়েছে। বাকি সবার সম্পূর্ণ তথ্য এখনও প্রকাশ করা হয়নি।এ বার আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, আউট অফ প্যানেল, র্যাঙ্ক জাম্প এবং ওএমআর মিস ম্যাচএই সব ধরনের অনিয়মে যুক্ত মোট ৭ হাজার ২৯৩ জনের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করতেই হবে। শুধু তাই নয়, নিয়োগ প্রক্রিয়া যাতে পুরোপুরি স্বচ্ছ হয়, তা নিশ্চিত করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। প্যানেল প্রকাশের পর যাঁদের নিয়োগ করা হয়েছে, তাঁদের তালিকাও আগামী শুনানিতে আদালতে জমা দিতে হবে।এই ৭ হাজার ২৯৩ জনের মধ্যে রয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অশিক্ষক কর্মীদুপক্ষই। অনেকেই তখন চাকরি করছিলেন, আবার কেউ কেউ তালিকায় থাকলেও চাকরিতে যুক্ত ছিলেন না। তবে এবার আদালত সকলেরই সম্পূর্ণ তথ্য প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে। এই ঘটনায় রাজ্য জুড়ে আবারও চাকরি কেলেঙ্কারি নিয়ে চরম রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

ডিসেম্বর ০১, ২০২৫
কলকাতা

ভুয়ো নাম ঢোকানোর অভিযোগের পরই কি কমিশনের ইউ-টার্ন? বদলে গেল পুরো সিস্টেম

৯৯ শতাংশ এনুমারেশন ফর্ম জমা পড়ে গিয়েছে। তবুও এসআইআর প্রক্রিয়া নিয়ে একের পর এক অভিযোগ উঠে চলেছে। এক দিকে সোমবার বিএলও-দের বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। অন্য দিকে বিজেপি ও বিরোধীদের অভিযোগ, ব্লক লেভেল অফিসারদের উপর চাপ দিয়ে ভুয়ো নাম ঢোকানোর চেষ্টা চলছে। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই সোমবার থেকেই বিএলও অ্যাপে আনা হল বড় বদল।এখন পর্যন্ত এনুমারেশন ফর্ম সংগ্রহ করার পর বিএলও-রা সেই তথ্য অ্যাপে এন্ট্রি করতেন। কিন্তু একবার এন্ট্রি হয়ে গেলে আর সংশোধনের কোনও সুযোগ ছিল না। মঙ্গলবার থেকে সেই নিয়ম বদলে যাচ্ছে। এবার অ্যাপে যুক্ত করা হল এডিট অপশন। অর্থাৎ কোনও ভুল হলে এবার বিএলও-রা নিজেরা সংশোধন করতে পারবেন, পাশাপাশি ইআরও-রাও সেই তথ্য এডিট করতে পারবেন।সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকের আসার পরেই এই বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগের চাপেই কি এই বদল? সেই প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে। কারণ বিরোধীদের দাবি ছিল, জোর করে ভুয়ো নাম এন্ট্রি করানো হচ্ছে বিএলও-দের দিয়ে।সোমবার রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নিজে সিইও দফতরে গিয়ে এই অভিযোগ জানান। তিনি বলেন, বিএলও-দের থেকে ওটিপি নিয়ে আইপ্যাক-এর লোকেরা বেআইনিভাবে নাম ঢোকাচ্ছে। তাঁর নেতৃত্বেই বিজেপির প্রতিনিধিরা সেদিন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে ডেপুটেশন দেন।এই অভিযোগের পরই নির্বাচন কমিশন বিএলও অ্যাপে এই গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। নতুন ব্যবস্থায় ভুল ধরার পাশাপাশি সংশোধনের সুযোগ থাকায় এবার নাম এন্ট্রি নিয়ে স্বচ্ছতা বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।

ডিসেম্বর ০১, ২০২৫
কলকাতা

CEO দফতরের সামনে নজিরবিহীন ধুন্ধুমার! মুখোমুখি বিএলও আর বিজেপি বিধায়করা

সোমবার সকাল থেকেই কলকাতার মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দফতরের সামনে তুমুল উত্তেজনার ছবি ধরা পড়ল। একেবারে নজিরবিহীন পরিস্থিতি তৈরি হয়। একদিকে তৃণমূলপন্থী বিএলও-দের একাংশ স্মারকলিপি জমা দিতে দফতরের সামনে জমায়েত করেন। ঠিক সেই সময় পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিজেপি বিধায়করা সেখানে পৌঁছন। শুরু হয় স্লোগান আর পাল্টা স্লোগান। মুহূর্তে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।বিএলও-দের দাবি ছিল, এসআইআর-এর কাজে যুক্ত থাকা মৃত কর্মীদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং সাত দিনের সময়সীমা বাড়িয়ে অন্তত দুমাস করতে হবে। তাঁরা স্মারকলিপি দিতে এসেছিলেন। সকাল থেকেই ওই এলাকায় পুলিশের বিশাল বাহিনী মোতায়েন ছিল। বিএলও-রা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করতেই সেখানে পৌঁছে যান বিজেপি বিধায়করা। তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ আরও তীব্র হয়। পুলিশ ব্যারিকেড দেয়। সেই ব্যারিকেড টপকে অনেকেই সামনে চলে আসেন।এই উত্তপ্ত অবস্থার মধ্য দিয়েই বিজেপি বিধায়করা ভিতরে প্রবেশ করেন। তাঁরা প্রায় দেড় ঘণ্টা ভিতরে ছিলেন এবং মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল-এর সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি জমা দেন। ভিতরে থেকেই ফেসবুক লাইভও করা হয়। রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ তুলে বলেন, ২৬, ২৭ এবং ২৮ নভেম্বরের ভোটার তালিকার সব এন্ট্রি আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে অডিট করাতে হবে।বিধায়করা বাইরে বেরোতেই পরিস্থিতি আরও তপ্ত হয়ে ওঠে। শুভেন্দুকে ঘিরে বিএলও-রা স্লোগান দিতে থাকেন। সেই সময় গাড়িতে ওঠার আগে শুভেন্দু গাড়ির দরজায় দাঁড়িয়ে হাত তুলে পাল্টা চোর চোর স্লোগান দেন। মুহূর্তে ভিড় আরও উত্তেজিত হয়ে ওঠে। গোটা পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খায় পুলিশ।রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতার এই ধরনের প্রকাশ্য স্লোগান রাজ্যের রাজনীতিতে বিরল। দিনভর মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দফতরের সামনে কার্যত রাজনৈতিক যুদ্ধক্ষেত্রের ছবি দেখা গেল।

ডিসেম্বর ০১, ২০২৫
রাজ্য

SIR-এর আতঙ্কের মাঝেই বড় স্বস্তি! নদিয়ায় বাংলাদেশি দম্পতির হাতে ভারতীয় নাগরিকত্ব

কেন্দ্র সরকার আগেই জানিয়েছিল, বাংলাদেশ থেকে আসা মুসলিম শরণার্থী ছাড়া হিন্দু-সহ অন্যান্য ধর্মের শরণার্থীরা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করলে নাগরিকত্ব পাবেন। ভোটার তালিকার বিশেষ পরিমার্জন বা SIR ঘিরে যখন রাজ্য জুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ, ঠিক সেই সময় নদিয়ার রানাঘাটে এক বাংলাদেশি দম্পতির হাতে এসে পৌঁছল ভারতীয় নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট। তা পেয়ে স্বস্তিতে বুক ভরেছে তাঁদের।নদিয়ার তাহেরপুর থানার কামগাছি জয়পুর এলাকার বাসিন্দা লাতুরাম সিকদার ও তাঁর স্ত্রী পদ্ম সিকদার কয়েক বছর আগে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসেন। লাতুরাম বাংলাদেশের সনাতনপুরে থাকতেন, আর পদ্ম থাকতেন পন্ডিতপুর এলাকায়। কট্টরপন্থীদের অত্যাচারের ভয়ে তাঁরা সীমান্ত পেরিয়ে নদিয়ায় চলে এসে বসবাস শুরু করেন। তাঁদের কাছে আগে থেকেই আধার কার্ড ছিল।চলতি বছরে বাংলায় SIR শুরু হলে তাঁরা চিন্তায় পড়ে যান, কারণ ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তাঁদের নাম ছিল না। তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশ অনুযায়ী তাঁরা Citizenship Amendment Act অনুযায়ী ক্যাম্পে গিয়ে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেন। তাঁরা ১০ অক্টোবর আবেদন করেছিলেন এবং ১৯ নভেম্বর হাতে পান নাগরিকত্বের শংসাপত্র।নাগরিকত্ব পেয়ে পদ্ম সিকদার বলেন, তাঁরা খুব খুশি এবং কেন্দ্র যে পদ্ধতিতে আবেদন করতে বলেছে, সকলকে সেই নিয়ম মেনে আবেদন করার অনুরোধ জানান। লাতুরাম সিকদার বলেন, তাঁরা এক কাপড়ে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে এসেছিলেন প্রায় ৩৫-৩৬ বছর আগে। এখানেই বড় হয়েছেন, এখানেই তাঁদের সংসার। SIR শুরু হওয়ার পর ভবিষ্যৎ নিয়ে কিছুটা দুশ্চিন্তায় ছিলেন, তবে কেন্দ্রীয় সরকার যে আশ্বাস দিয়েছিল, সেই অনুযায়ী আবেদন করেই তাঁরা নাগরিকত্ব পেয়ে গেলেন। এখন ভোট দেওয়ার অধিকারও পেলেন তাঁরা।এই বিষয়ে রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক পার্থসারথী চ্যাটার্জি বলেন, শুরু থেকেই তাঁরা জানিয়েছিলেন আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এই দম্পতি নাগরিকত্ব পেয়েছেন, ভবিষ্যতে যাঁরা আবেদন করবেন, তাঁরাও নাগরিকত্ব পাবেন।উল্লেখ্য, এর আগেও জঙ্গি হামলায় নিহত বিতান অধিকারীর স্ত্রী ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন। নদিয়ার এই দম্পতির নাগরিকত্ব পাওয়ার ঘটনায় নতুন করে আশা দেখছেন অনেক শরণার্থী পরিবার।

ডিসেম্বর ০১, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal