• ২ পৌষ ১৪৩২, শনিবার ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Rose

বিনোদুনিয়া

ফের একসঙ্গে প্রসেনজিৎ-রচনা ব্যানার্জি, সৌজন্যে জি বাংলা

একসঙ্গে ৩৫টি ছবিতে অভিনয় করেছেন। দর্শকদের উপহার দিয়েছেন একাধিক হিট ছবি। টলিউডের একসময়ের হিট জুটি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও রচনা ব্যানার্জি আবার ফিরছেন একসঙ্গে। ফেসবুক লাইভে এমনটা ঘোষণাও করেছেন দুজনে।নতুন কোনও শো-তে ফের জুটি বাঁধছেন তাঁরা? না কি অন্য কিছু? লাইভ থেকে জানা গেছে, ১৪ জুন জি বাংলার দিদি নম্বর ১-এ অংশ নিচ্ছেন প্রসেনজিৎ। সঙ্গে থাকবে আয় খুকু আয়-এর টিম। সোমবার লাইভ আড্ডায় তাই পাশাপাশি টলিউডের ইন্ডাস্ট্রি আর দিদি নম্বর ১। ৩৫টি ছবির নায়ককে বহু দিন পরে পাশে পেয়ে উচ্ছ্বসিত রচনা। লাল শাড়িতে প্রতিদিনের মতোই নজর কাড়লেন সঞ্চালিকা। অন্যদিকে আয় খুকু আয় এর নির্মল মণ্ডল সুপুরুষ কালো শার্ট, ধূসর ট্রাউজার, ওয়েস্ট কোটে মাতিয়ে দিলেন। এখন শুধু টেলিকাস্টের অপেক্ষায় রয়েছেন সবাই।

জুন ০৮, ২০২২
বিনোদুনিয়া

ঋতুপর্ণ ঘোষের স্মৃতিচারণায় প্রসেনজিৎ

ঋতুর পরিবর্তন হয়। তবে ঋতুপর্ণ ঘোষ বাঙালির জীবনে, বাঙালির মননে চিরজীবনের মতো থেকে যায়।আজ বাঙালির জীবনে তাই বিশেষ দিন। আজ আরও একটা ৩০মে। আজ থেকে ঠিক ৯ বছর আগে বাঙালি কোনো উৎসবে আর ঋতুপর্ণ ঘোষের নতুন ছবি মন ছুঁয়ে যায়নি। সেদিন থেকে শুরু হয়েছিল তার পুরনো ছবির স্মৃতিচারণ। সেদিনই না ফেরার দেশে পারি দিয়েছিলেন ঋতুপর্ণ ঘোষ। টলিউডের বুম্বা দা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ঋতুপর্ণ ঘোষের একাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন। দোসর এ অভিনয় করেছেন জিতেছেন জাতীয় পুরস্কারও। পেশাদার সম্পর্কের বাইরে ঋতুপর্ণ ছিলেন বুম্বাদার খুব কাছের মানুষ। পরিচালকের মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মৃতিমেদুর হয়ে পড়লেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় ঋতুপর্ণের উদ্দেশে একটি আবেগঘন পোস্ট লেখেন বুম্বাদা। হাসিমাখা মুহূর্তের একটি ছবি শেয়ার করে লেখেন, কিছু শূন্যস্থান কখনো পূরণ হয় না... ভালো থাকিস ঋতু।

মে ৩০, ২০২২
দেশ

ভালোবাসা'র বিশেষ দিনে ১০ টাকার গোলাপ ১৫০ টাকাই বিকচ্ছে

আজ বিশ্ব ভালবাসা দিবস। সারা বিশ্বের চরাই উতরাই পেরিয়ে ভারত হয়ে গ্রাম বাংলাতেও ঢুকে পরেছে এই বিশেষ দিনের উৎসব। এই দিনটি উপলক্ষ্যে উপহার দেওয়ার জন্য একটি গোলাপের চাহিদা আকাশছোঁয়া। শহরতলীর ফুল বাজারে একটি গোলাপের দাম ৬০ টাকা থেকে শুরু করে ১৫০ টাকা অবধি পৌছে গেছে। তাতেও খরিদ্দারের অভাব নেই। কিশোর কিশোরী থেকে শুরু করে তরুন-তরুনী-র বক্তব্য, ভালোবাসার মুল্য এইভাবেই চোকাতে হয়। এই বিশেষ দিনটি ভ্যালেন্টাইন্স ডে নামেই অধিক পরিচিত। ১৪ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে সারা বিশ্বেই ভালবাসা দিবস হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে। প্রেমিক-প্রেমিকা, বন্ধু-বান্ধব, স্বামী-স্ত্রী, মা-সন্তান, ছাত্র-শিক্ষক সহ বিভিন্ন বন্ধনে আবদ্ধ মানুষেরা এই দিনে একে অন্যকে তাদের ভালবাসা নিবেদন করে থাকে। আর পাঁচটা অনুষ্ঠানের মত এটি কোনও বিশেষ ধর্মবলম্বিদের অনুষ্ঠান হিসাবে দেখা হয় না। ধর্ম-মত নির্বিশেষে এই দিনটিকে পালন করা হয়। এই দিনে বিভিন্ন বিনোদন পার্ক ও সিনেমা হল, মল ভালবাসার মানুষে পরিপূর্ণ থাকে। এই বিশেষ দিনে প্রিয়জনকে সবাই ফুল ও বিভিন্ন উপহার সামগ্রী দিয়ে থাকে।এই দিনটি বেশ কিছুদিন আগে অবধিও তৃতীয় বিশ্বের দেশ গুলিতে সেভাবে পালন করা হত না। মুলত যুক্তরাষ্ট্র বা পাশ্চাত্য দেশের মানুষজনের মধ্যেই এটা সীমাবদ্ধ ছিল। বহু মানুষের ধারনা তৃতীয় বিশ্বে এই দিনটির জনপ্রিয়তার দাবীদার এক বহুল জনপ্রিয় কার্ড এবং গিফট প্রস্তুতকারী সংস্থা আর্চিস। এখন এই দিনটি সারা বিশ্বে বিভিন্ন দেশে দেশে আনন্দ উন্মাদনার সাথে পালন করা হয়। পালন করলেও, আমরা অনেকেই এই দিনটি বিশেষত্ত্ব না জেনেই পালন করি। কেন এই দিনটিকে ভালোবাসার দিন বলা হয়ে থাকে? এর অর্থ যাঁরা পালন করছেন তাঁদের মধ্যে অনেকেই জানেন না। এই দিনটি কিভাবে বা কোথা থেকে ভালোবাসার দিন হয়ে উঠলো? ইউরোপের দেশ ইতালি-র রোমে প্রাচীনকালে ১৪ ফেব্রুয়ারি দিনটি ছিল রোমান দেবতাদের রানী জুনোর সম্মানে ছুটির দিন। সেখানকার মানুষজন জুনোকে নারী ও প্রেমের দেবী বলে বিশ্বাস করত। অনেকের মতে ১৪ ফেব্রুয়ারি দিনটি সেই কারনেই ভালোবাসা দিন বলে মানা হয়। আবার মতান্তরে অনেক বলে থাকেন, রোমের সম্রাট ক্লডিয়াস ২০০ খ্রিস্টাব্দে সারা দেশে বিবাহ প্রথা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। এবং তিনি আরও নিদান দেন কোনও যুবক বিবাহ করতে পারবেন না। তাঁরদের জন্য শুধুই যুদ্ধ। তাঁর যুক্তি ছিলো যুবকরা যদি বিবাহ করে তবে যুদ্ধ করবে কে? সম্রাটের এই ভয়ঙ্কর ঘোষণায় প্রতিবাদ করেন এক যুবক। তাঁর নাম ভ্যালেন্টাইন। সাহসী এই যুবকের প্রতিবাদে অশনি সংকেত দেখেছিলেন সম্রাট ক্লডিয়াস। রাজ-বিদ্রোহের শাস্তি স্বরুপ তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এবং ১৪ ফেব্রুয়ারি দেশের মানুষ ঘুম থেকে ওঠার আগেই ভোরবেলা তাঁর শিরচ্ছেদ করে ফেলা হয়। ভালোবাসার জন্য প্রান বলিদান দেওয়া ভ্যালেন্টাইনের আত্মত্যাগকে স্মরণ করতেই এই দিনটিকে ভালোবাসার দিন হিসাবে পালন করা হয় এটা আরেক শ্রেনী মানুষের মতামত।তবে সেটিও সর্বজনগৃহীত মতবাদ নয়। প্রচুর দ্বিমত আছে। আরেক শ্রেনী মানুষজনের ধারনা, তৎকালীন রোমে ভ্যালেন্টাইন নামে একজন চিকিৎসক ছিলেন। তিনি রোগীদের প্রতি ছিলেন দারুন স্নেহপরায়ণ। অসুস্থ মানুষের তিক্ত ওষুধ খেতে যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তাই তিনি সেই ওষুধের সাথে দুধ, ওয়াইন, মধু ইত্যাদি নানাবিধ সুস্বাদু জিনিস মিশিয়ে এক মিশ্রন বানিয়ে দিতেন। পরে সেই ডাক্তার খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করেন, সবং সেই সময় রোমে খ্রিস্টধর্ম একেবারেই জনপ্রিয় ছিল না। খ্রিস্টধর্মাবলম্বি-দের শাস্তি দেওয়া হতো। কোনও একদিন রোমের এক কারা প্রধান তাঁর অন্ধ মেয়েকে চিকিৎসার জন্য ভ্যালেন্টাইনের কাছে এনেছিলেন। চিকিৎসক ভ্যালেন্টাইন তাঁকে কথা দিয়েছিলেন তিনি তাঁর জীবনের শ্রেষ্ট চেষ্টা করবেন মেয়েটিকে দৃষ্টি ফিরে পেতে। মেয়েটির চিকিৎসা চলাকালিন হঠাৎ একদিন রোমান সেনাবাহিনী ভ্যালেন্টাইনকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। তিনি তাঁদের আচরণে বুঝতে পেরেছিলেন যে, খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করার অপরাধে তাঁকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হবে। মতান্তরে জানা যায় ২৬৯ অথবা ২৭০ খ্রিস্টাব্দে ১৪ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন রোম সম্রাট ক্লডিয়াসের আদেশে ভ্যালেন্টাইনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। তাঁর আগে ভ্যালেন্টাইন সেই মেয়েটিকে বিদায় জানিয়ে একটি চিরকুট কিছু লিখে রেখে গিয়েছিলেন। তাঁকে হত্যার করার পর সেই কারা প্রধান চিরকুটটি তাঁর মেয়েকে দিয়েছিলেন। তাতে লেখা ছিল, ইতি, তোমার ভ্যালেন্টাইন। মেয়েটি চিরকুট খুলে তার ভিতরে হলুদ রঙের ত্রৌকস ফুলের সুন্দর রং দেখতে পেয়েছিল। ভ্যালেন্টাইনের চিকিৎসায় সারা দিয়ে মেয়েটির দুচোখে দৃষ্টি ফিরে এসেছিল। কথিত আছে ভালবাসার এই অমর কীর্তির জন্য ৪৯৬ খ্রিস্টাব্দে পোপ জেলাসিয়ুস ফেব্রুয়ারির ১৪ দিনটিকে ভ্যালেন্টাইন্স ডে বা ভালোবাসার দিন হিসেবে ঘোষণা করেন। সেই থেকে এই দিনটিকে ভ্যালেন্টাইন্স ডে হিসেবে পালন করা হচ্ছে।৪৯৬ খ্রিষ্টাব্দে ভ্যালেন্টাইন্স ডের ঘোষণা করা হলেও প্রথম দিকে বিশ্বব্যাপী সেইভাবে জনপ্রিয়তা পাইনি। ভ্যালেন্টাইন দিবসের কারণে খ্রিস্টীয় চেতনা বিনষ্ট হওয়ার অভিযোগে ১৭৭৬ এ ফ্রান্স সরকার ভ্যালেন্টাইন্স উৎসব নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। ইংল্যান্ডের তৎকালীন ক্ষমতাসীন পিউরিটানরাও একসময় প্রশাসনিক ভাবে এই দিনটির উৎযাপন নিষিদ্ধ করেছিল। এছাড়া অস্ট্রিয়া,হাঙ্গেরি ও জার্মানিতে বিভিন্ন সময়ে এ দিনটি জনগণ ও সরকারিভাবে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিল।বিংশ শতাব্দিতে এসে ভ্যালেন্টাইন্স ডে কদর দারুন ভাবে প্রচার পাই। বর্তমানে পাচ্য ও পাশ্চাত্যে এ উৎসব মহাসমারোহে পালন করা হয়। ভালবাসা দিনে উদযাপনের জন্য মানুষের অর্থনৈতিক ক্রয় ক্ষমতা অনুযায়ী কার্ড, ফুল, চকোলেট ও অন্যান্য উপহার সামগ্রী ক্রয় করে থাকেন।

ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২
বিনোদুনিয়া

টুইটারে শুভেচ্ছা বলিউড শাহেনশাহ'র, আপ্লুত বুম্বা দা

করোনার ধাক্কা সামলে আসতে আসতে মুক্তি পাচ্ছে বাংলা ছবি। আগামী ফেব্রুয়ারি বড়পর্দায় মুক্তি পাচ্ছে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বহু প্রতীক্ষিত ছবি কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের পরিচালিত এই ছবির ট্রেলার মুক্তি পেয়েছিল গত বছর ২৪ ডিসেম্বর।সিনেপ্রেমীরা ট্রেলারটি বেশ ভালই বলেছিল। সেই ট্রেলার দেখে এবার মুগ্ধ হয়েছেন অমিতাভ বচ্চন। আর তাঁর সেই মুগ্ধতার কথা বিগ বি নিজেই এবার টুইট করে জানালেন। সরস্বতী পুজো উপলক্ষে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি যে মুক্তি পেতে চলেছে এই ছবি সেকথাও টুইট করে সেকথাও উল্লেখ করেছেন অলিউড শাহেনশা। স্বভাবতই অমিতাভ বচ্চনের টুইট ও শুভেচ্ছা পেয়ে আপ্লুত বুম্বাদা। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বিগ বির টুইটের জবাব দিয়েছেন তিনি। অনেক ধন্যবাদ স্যার। আপনার থেকে আশীর্বাদ পাওয়াটাই বিরাট ব্যাপার আমার কাছে।T 4171 -Prosenjit Chatterjee, BUMBA ... সকল শুভ কামনা !!His new movie KakaBabur Pratyaborton directed by National/ International Award winning Director Srijit Mukherjee releasing Saraswati Puja on 4th Feb 22. https://t.co/RmcTS2MBeF Amitabh Bachchan (@SrBachchan) January 25, 2022প্রসঙ্গত করোনার জন্য কাকাবাবুর তিন নম্বর অভিযানে দেরি হচ্ছিল। অবশেষে সব সমস্যা কাটিয়ে মুক্তি পাচ্ছে বহু প্রতীক্ষিত এই ছবি। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কাকাবাবু সিরিজের উপন্যাস জঙ্গলের মধ্যে এক হোটেল অবলম্বনে তৈরি হয়েছে এই ছবির চিত্রনাট্য।

জানুয়ারি ২৬, ২০২২
বিনোদুনিয়া

করোনায় আক্রান্ত টলিউড ইন্ডাস্ট্রি প্রসেনজিত চট্টোপাধ্যায়

করোনা ছাড় দিলনা টলিউড ইন্ডাস্ট্রি বুম্বা দা অর্থাৎ অভিনেতা প্রসেনজিত চট্টোপাধ্যায় কে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রসেনজিত জানিয়েছেন তিনি কোভিড পজিটিভ। টুইট করে প্রসেনজিৎ লিখেছেন, দুর্ভাগ্যজনক ভাবে আমি কোভিড পজিটিভ। চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে আপাতত বাড়িতেই নিভৃতবাসে রয়েছি। আশা করছি, খুব তাড়াতাড়ি সেরে উঠব।প্রসেনজিত ছাড়াও স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে গায়ক রুপম ইসলামের। তবে রুপম একা নন, তাঁর স্ত্রী ও ছেলে দুজনেই কোভিড পজিটিভ।উল্লেখ্য, এর আগে যে টলি তারকারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তাঁরা ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এবার বুম্বাদার দ্রুত সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছেন তাঁর অগুনিত ভক্তরা।

জানুয়ারি ১৩, ২০২২
রাজ্য

সারা শরীরে কেরোসিন তেল ঢেলে জ্বলন্ত উনানে ঝাঁপ! মৃত্যু আদিবাসী যুবকের

গোটা শরীরে কেরোসিন তেল ঢেলে জ্বলন্ত উনানে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হলেন এক আদিবাসী যুবক। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার শিলাকোট গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সুকুল মুর্মু(৩০)। মানসিক অবসাদে থাকার কারণেই যুবক এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবি করেছেন পরিবার সদস্যরা। পুলিশ যদিও অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে যুবকের মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। যুবকের এমন মৃত্যুর ঘটনার কথা জেনে স্তম্ভিত এলাকাবাসী।আরও পড়ুনঃ উৎকণ্ঠা বাড়াচ্ছে অভিজাত আবাসনগুলিই, স্বাস্থ্য দপ্তরের রিপোর্ট পেশ নবান্নেপুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় জনমজুর শিলাকোট গ্রামের বাসিন্দা সুকুল মুর্মুর বাড়িতে তাঁর স্ত্রী, দুই নাবালক ছেলে ও বাবা মা রয়েছে। পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য, সুকুল বেশ কয়েকদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিল। আগে কয়েকবার পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে সে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু স্থানীয় লোকজনের তৎপরতার তাঁর প্রাণ বাঁচে। কিন্তু সোমবার রাতে তাঁর স্ত্রী সরস্বতী মুর্মু যখন উনানে রান্না করছিলেন তখন সুকুল গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আচমকা উনুনে ঝাঁপ দিয়ে দেয়। তাঁর গোটা শরীর দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে। ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব হয়ে যান সরস্বতী মুর্মু। সরস্বতীর চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে সুকুলের শরীরের আগুন নিভিয়ে ফেলে। স্থানীয়রাই আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।মঙ্গলবার সকালে বর্ধমান হাসপাতালে সুকুলের মৃত্যু হয় ।

জানুয়ারি ১২, ২০২২
বিনোদুনিয়া

Nusrat Imrose Tisha : সদ্যোজাতর ভুয়ো ছবি ভাইরাল, ফেসবুক পোস্টে জানালেন অভিনেত্রী তিশা

নতুন বছরের শুরুতেই খুশির খবরটা এসেছে। বাংলাদেশের তারকা দম্পতি পরিচালক মোস্তাফা সারওয়ার ফারুকি ও অভিনেত্রী নুসরত ইমরোজ তি্শার সদ্যোজাত পৃথিবীর আলো দেখেছে ৫ জানুয়ারি। এর মধ্যেই তাকে নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে সংবাদমাধ্যমে খুদের ভুয়ো ছবি ভাইরাল হয়ে গেছে। আর এটা নিয়েই তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন নবজাতকের মা তিশা। তিনি আদর করে সন্তানকে ডাকছেন ইলহাম বলে। ৮ জানুয়ারি নবজাতককে নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিনি। ফেরার ছোট ভিডিও পোস্ট করে অভিনেত্রী লিখেছেন, মায়ের হাত শক্ত করে ধরে বাড়ি যাচ্ছে ছোট্ট ইলহাম!আজ তিশার অভিযোগ, সংবাদমাধ্যম তার সন্তানের ভুয়ো ছবি দিয়েছে। তিনি এখনও কোনও ছবিই কোথাও দেননি। ফেসবুকে পোস্ট করে নবজাতকের মায়ের বক্তব্য, একটা ব্যাপারে বেশ বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এটা আরও ছড়ানোর আগেই আমরা পরিষ্কার করে জানাতে চাই। কিছু কিছু সংবাদ এবং ভিডিয়োর সঙ্গে ইলহামের ছবি হিসাবে একটা পুরনো ছবি জুড়ে দেওয়া হচ্ছে। আমরা জানতে পেরেছি শুরুর দিকে ভুলে এটা যোগ করা হয়েছিল। যেটা পরে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। কিন্তু অনলাইনে একটা কিছু উঠে গেলে সেটা ছড়াতেই থাকে। সে জন্যই এই পোস্ট দেওয়া। যাতে কোনও বিভ্রান্তি না ছড়ায়।

জানুয়ারি ১০, ২০২২
বিনোদুনিয়া

Prosenjit : ছেলের জন্মদিন উদযাপন করলেন বুম্বাদা

একমাত্র ছেলে মিশুকের জন্মদিন। ছেলের জন্মদিন উদযাপনের ছবি কোলাজ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করলেন টলিস্টার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই সব ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখেন, শুভ জন্মদিন মিশুক। তোমার জন্মদিনে ফিরে দেখা কিছু সুন্দর মুহূর্ত। যেমন সুন্দর তোমার মন, তেমনটাই থাকুক চিরকাল।শুভ জন্মদিন মিশুক। On your special day, heres a throwback to some special moments. Always be the good soul that you are ❤️ pic.twitter.com/ifVbr94Gk0 Prosenjit Chatterjee (@prosenjitbumba) January 6, 2022বাড়িতেই ঘরোয়া পরিবেশে ছেলে তৃষাণজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিন পালন করেন প্রসেনজিৎ এবং অর্পিতা। বুম্বাদার সেই কোলাজে দেখা যাচ্ছে মিশুকের সামনে রাখা আছে দুটি কেক। ফুটবলপ্রেমী মিশুকের জন্য রয়েছে ফুটবল কেক। প্রসেনজিৎ-পুত্রকে নেটমাধ্যমে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন টলিউডের একাধিক ব্যক্তিত্ব।উল্লেখ্য, ছোটবেলা থেকেই ফুটবল ভালোবাসে তৃষাণজিৎ। ভবিষ্যতে তার লক্ষ্য ফুটবলার হওয়া। এমনকি দেশের হয়েও খেলতে চায় মিশুক।

জানুয়ারি ০৭, ২০২২
খেলার দুনিয়া

SC East Beengal-Perosevic : এসসি ইস্টবেঙ্গলের নতুন কোচ কে হলেন?‌ রেফারিকে মেরে ৫ ম্যাচ নির্বাসিত পেরোসেভিচ

দুই পক্ষের সমঝোতার ভিত্তিতে মঙ্গলবার সকালে পদত্যাগ করেছেন এসসি ইস্টবেঙ্গল কোচ মানোলো দিয়াজ। বেশ কয়েকজন কোচের নাম নিয়ে আলোচনা চলছে। এলকো শাতোরি, ফিলিপ ডিরাইডার, মারিও রিবেরো, আলেজান্দ্রো মেন্ডেজদের নাম নিয়ে আলোচনা চলছে। নতুন কোচের সঙ্গে চুক্তি করতে কয়েকদিন সময় লাগবে। তারপর কোয়ারেন্টিন পর্ব মিটিয়ে দলের দায়িত্ব নিয়ে আরও কয়েকটা দিন কেটে যাবে। এই পরিস্থিতিতে দলের সহকারী কোচ রেনেডি সিংকে অন্তর্বতী কোচ হিসেবে দায়িত্ব দিলেন এসসি ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। তাঁকে সাহায্য করবেন ম্যানেজারের দায়িত্বে থাকা মৃদুল ব্যানার্জি। মানোলো দিয়াজ পদত্যাগ করার পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এসসি ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। লালহলুদে যোগ দেওয়ার সময় সহকারী হিসেবে স্পেনেরই অ্যাঞ্জেল পাবলো গার্সিয়াকে নিয়ে এসেছিলেন মানোলো দিয়াজ। তিনিও পদত্যাগ করেছেন। দুজনই এখন দেশে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন। দুই কোচের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন এসসি ইস্টবেঙ্গলের সিইও শিবাজি সমাদ্দার। ক্লাবের পক্ষ থেকে দেওয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেছেন, চলতি মরশুমে অবদানের জন্য হোসে ও অ্যাঞ্জেলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ওদের জন্য শুভকামনা রইল।মানোলো দিয়াজ পদত্যাগ করে ক্লাব কর্তাদের স্বস্তি দিলেও আরও বড় অস্বস্তিতে পড়েছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। আন্তোনীয় পেরোসেভিচকে ৫ ম্যাচের জন্য নির্বাসিত করেছে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। সঙ্গে ১ লক্ষ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড ম্যাচে রেফারির সিদ্ধান্তে অখুশি হয়ে তাঁকে সরাসরি ধাক্কা মেরেছিলেন পেরোসেভিচ। রেফারি তাঁকে লালকার্ড দেখান। ২৪ জানুয়ারি হায়দরাবাদ এফসি ম্যাচে তিনি খেলতে পারেননি। অর্থাৎ এক ম্যাচ নির্বাসিত ইতিমধ্যেই হয়ে গেছে। এখনও ৪ ম্যাচ মাঠের বাইরে কাটাতে হবে। তবে এই শাস্তির বিরুদ্ধে আবেদন করতে পারবেন পেরোসেভিচ। ১০ দিনের মধ্যে তাঁকে আবেদন করতে হবে। একেই আইএসএলে এখনও জয় নেই। তার ওপর পেরোসেভিচের নির্বাসন। এসসি ইস্টবেঙ্গলে একমাত্র পেরোসেভিচই ভাল খেলছিলেন। তিনি না থাকলে সমস্যায় পড়তে হবে। সব মিলিয়ে কঠিন সমস্যায় লালহলুদ শিবির।

ডিসেম্বর ২৮, ২০২১
খেলার দুনিয়া

SC East Bengal : আবার হার এসসি ইস্টবেঙ্গলের, লালকার্ড দেখে দলের বিপদ বাড়ালেন পেরোসিভিচ

আইএসএলে পয়েন্ট হারানো অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছে কলকাতার দুই প্রধান। এই ব্যাপারে এটিকে মোহনবাগানকে বরং অনেকটাই টেক্কা দিয়ে চলেছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। আন্তোনীয় লোপেজ হাবাসের দল তাও তে দুটি ম্যাচে জয় পেয়েছে। মানেলো দিয়াজের দলের জয় এখনও অধরা। তাদের থেকে লিগ টেবিলে একধাপ ওপরে থাকা নর্থইস্ট ইউনাইটেডের কাছেও হারতে হল এসসি ইস্টবেঙ্গলকে। ম্যাচের ফল ২০।আগের ম্যাচে তুলনামূলক ভাল খেলে কেরালা ব্লাস্টার্সের সঙ্গে ড্র করেছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। আশায় বুক বেঁধেছিলেন সমর্থকরা। একধাপ ওপরে থাকা নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে যদি জয় আসে। কিন্তু স্বপ্নপূরণ হল না লালহলুদ সমর্থকদের। এদিন আরও জঘন্য ফুটবল উপহার দিলেন পেরোসিভিচরা। চোট সারিয়ে নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে ফিরেছিলেন গোলকিপার অরিন্দম ভট্টাচার্য। মহম্মদ রফিকও সুস্থ হয়ে প্রথম একাদশে। শুরু থেকে মাঠে চিমাও। তাতেও হাল ফেরেনি লালহলুদের।প্রথমার্ধে অধিকাংশ সময়ই মাঝমাঠে খেলা সীমাবদ্ধ ছিল। সেই অর্থে কোনও দলই গোল করার মতো ইতিবাচক সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। তার মধ্যেই ২৯ মিনিটে বড় ধাক্কা খায় এসসি ইস্টবেঙ্গল। চোট পেয়ে মাঠ থেকে বেরিয়ে যান ফ্রাঞ্জো পিরেস। তাঁর পরিবর্তে মানেলো দিয়াজ মাঠে নামান আমির ডার্বিসেভিচকে। তিনি মাঠে নেমেও দলকে নির্ভরতা দিতে পারেননি।দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই অবশ্য চাপ বাড়ায় নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড। ৫১ মিনিটে ভিপি সুহেরের শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৬১ মিনিটে সেই সুহেরের হাত ধরেই এগিয়ে যায় নর্থইস্ট ইউনাইটেড। রাজু গায়কোয়াড়ের ভুল পাস ধরে নর্থইস্ট ইউনাইটেডের এক ফুটবলার বল দেন সুহেরকে। তিনি এগিয়ে গিয়ে দুই ডিফেন্ডারের মাঝখান দিয়ে জোরালো শটে দলকে এগিয়ে দেন সুহের। ৬৮ মিনিটে ইমরান খানের দুরন্ত ফ্রিকিক থেকে হেডে ২০ করেন প্যাট্ট্রিক ফ্লোটম্যান। পরের দিকে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিলেন সুহের। কাজে লাগাতে পারেননি। অন্য দিনের তুলনায় এসসি ইস্টবেঙ্গলের পেরোসিভিচ ছিলেন নিস্প্রভ। ম্যাচের একেবারে অন্তিম লগ্নে রেফারিকে ধাক্কা মেরে লালকার্ড দেখে দলের বিপদ বাড়ালেন।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২১
নিবন্ধ

বিষাক্ত গোলাপ - (ছোট গল্প)

মৌপিয়া আজ বড় শান্ত হয়ে মধুপ এর দেওয়া একগুচ্ছ গোলাপ বুকে নিয়ে শুয়ে আছে। আজ ওদের দ্বিতীয় বিবাহ বার্ষিকী। পাশে ডিভোর্স পেপার হাতে বসে আছে মধুপ। মৌপিয়া পেপার টা মধুপের হাতে দিয়েছে একটু আগে। সসে এ জীবন থেকে মুক্তি চায়। আমরা আজ মুক্ত------ বলে মধুপ। বলে চলে দুজন দুজনকে মুক্তি দিলাম পিয়া। কিন্তু আমি তো এটা চাইনি। আমি যে তোমাকে আজও ভালোবাসি। খুব খুব ভালোবাসি--- বলতে বলতে মধুপ শুয়ে পড়ে মৌপিয়ার পাশে। এই মৌপিয়ার সাথে মধুপের বিয়ে হয় দুবছর আগে ভ্যালেনটাইন ডে তে। তার ঠিক একবছর আগে ঐ দিন ওদের পরিচয় হয় বীরভূমের লাল মাটি তে। বড়ো ব্যবসাদার বাবার আদরের ছোটো ছেলে মধুপ, সখের ফটোগ্রাফার। সখের টানে গেছিল বীরভূম আর মৌপিয়া বন্ধুদের সাথে বেড়াতে গেছিল। সেখানেই দুজনের আলাপ। তারপর এক বছরে নদীতে কত জল বয়ে গেছে। বাড়িতে অমত থাকা সত্ত্বেও মৌপিয়ার সাথেই বিয়ে করে মধুপ। আদরের ছেলের জন্য সব মেনে নেয় মা বাবা। বেশ কাটছিল দুজনের। হঠাৎ করে ওদের জীবনে ঢুকে পড়লেন অরিত্র, মধুপের ছোট্ট বেলার বন্ধু। বিদেশে থাকার জন্য বিয়েতে থাকতে পারেনি তাই দেশে ফিরেই দামি উপহার নিয়ে দেখা করতে আসে। অবাধ যাতায়াত মধুপের বাড়িতে। সবাই বেশ ভালোবাসে অরিত্রকে। অরিত্র ফিল্ম মেকিং এর কাজ করে। নতুন ফিল্মে মৌপিয়া কে কাজের অফার দেয়। মৌপিয়া ও কথা দিয়ে ফেলে মধুপের সাথে না আলোচনা করে। এতে মধুপের খারাপ লাগে ঠিকই কিন্তু মুখে কিছু বলে না। কারণ ব্যক্তি স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। জীবনের পরিবর্তন শুরু হয় তখন থেকেই। আস্তে আস্তে সেটা সকলের চোখে লাগে। ছোটখাটো বিষয়ে অশান্তি লাগে। সব কিছু স্পষ্ট হয়ে যায় যে দিন আলমারি তে ডিভোর্সের পেপার টা দেখতে পায়। আর ফোনে বলা কিছু কথা কানে আসে মধুপের। সেদিন থেকেই মধুপের মনে মুক্তির চিন্তা আসে। ভাবে আর তো কটা দিন পরেই বিবাহ বার্ষিকী ঐদিন মুক্তি হবে অশান্তির জীবন থেকে। তাই আজ একগুচ্ছ বিষাক্ত গোলাপের সঙ্গে জীবন থেকে মুক্তি উপহার দেয়। নিজেও মৌপিয়ার পাশে চিরদিনের মত ঘুমিয়ে পরে। মুক্তি জীবন থেকে দুজনের।।লেখিকাঃ রাখি রায়

সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২১
বিনোদুনিয়া

Prosenjit Chatterjee : অতনু ঘোষের 'শেষ পাতা'-র সঙ্গী প্রসেনজিত

রবিবার -র পর ফের অতনু ঘোষের হাত ধরেই শেষ পাতা-র কাজ শুরু করলেন প্রসেনজিত্। ময়ূরাক্ষী রবিবার- র পর আসতে চলেছে পরিচালক অতনু ঘোষের নতুন ছবি শেষ পাতায় । আর শেষ পাতা ছবিতেও মূল চরিত্রে অভিনয় করতে চলেছেন প্রসেনজিত্ চট্টোপাধ্যায়। সেপ্টেম্বর থেকেই শুরু হবে শেষ পাতা- র শুটিং। কলকাতা, শ্রীরামপুর, শান্তিপুর জুড়ে চলবে শ্যুটিং পর্ব।আরও পড়ুনঃ পর্নোগ্রাফি ছবি তৈরির অভিযোগে গ্রেফতার বলিউড অভিনেত্রীর স্বামীশেষ পাতা- র কাহিনী এগোবে চার জন মানুষকে কেন্দ্র করে। আশি ও নব্বইয়ের দশকে ব্যাপক জনপ্রিয় নাকউঁচু লেখক বাল্মীকি কিন্তু জীবনের ঘনঘটায় অনেক কিছু ঘটে যায় তার জীবনে। এখন তাঁর জীবনটা একাকীত্বে ভরপুর। অন্যদিকে রয়েছে ত্রিশের কোঠার ঝকঝকে একটা ছেলে সৌনক। ডিজিট্যাল জমানার সঙ্গে এঁটে উঠতে না পারায় একসময় টলিগঞ্জে কালারিস্ট হিসাবে কাজ করা সৌনকের বাবা এখন কাজ হারিয়ে বাড়িতে বসে। পরিবারে ছোট ভাই রয়েছে- তাই ওঁর মাথায় অনেক দায়িত্ব । এভাবেই কীভাবে এই চারজনের যাত্রাপথ মিলে যাবে সেটেই বলবে এই ছবি। ছবিতে প্রসেনজিত্ চট্টোপাধ্যায়কে ছাড়াও দেখা যাবে গার্গী রায়চৌধুরী, অভিনেতা বিক্রম, রায়তী ভট্টাচার্য সহ আরও অনেককে। এই ছবিতে দীপার চরিত্র করছেন রায়তী।

জুলাই ২১, ২০২১
কলকাতা

রোজভ্যালি কাণ্ডে প্রথম সাজা ঘোষণা

রোজভ্যালি চিটফান্ড কাণ্ডে এবার সাজা ঘোষণার পালা। সংস্থার এক আধিকারিক অরুণ মুখোপাধ্যায়কে সাত বছরের কারাবাসের সাজা দিল নগর দায়রা আদালত। সেইসঙ্গে আড়াই লক্ষ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ৬ মাস কারাবন্দি থাকতে হবে তাঁকে। এই প্রথমবার রোজভ্যালি সংস্থার একাধিক মামলার মধ্যে একটিতে সাজা ঘোষণা হল।ভুয়ো সংস্থার আর্থিক কেলেঙ্কারি নিয়ে বেশ কয়েকটি মামলা চলছিল রোজভ্যালির। শেয়ার ডিবেঞ্চার সংক্রান্ত একটি মামলায় সংস্থার কর্ণধার গৌতম কুণ্ডু-সহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রায় ১৩ কোটি টাকা আর্থিক তছরূপের মামলার তদন্ত করছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তাদের দেওয়া চার্জশিটে ছিল ৯ জনের নামই। এরপর চার্জ গঠনের সময়ে অন্যতম অভিযুক্ত সংস্থার আধিকারিক অরুণ মুখোপাধ্যায় নিজেই কেলেঙ্কারির দায় নিজের কাঁধে নেন। ফলে তিনি একাই দোষী সাব্যস্ত হন। শুক্রবার তাঁকে ৭ বছরের জন্য কারাবাসের সাজা শোনাল নগর দায়রা আদালত। গ্রেপ্তার হওয়ার পর ইতিমধ্যে অরুণ মুখোপাধ্যায়ের ৪ বছর কারাবাসের মেয়াদ শেষ হয়েছে। ফলে আর তিন বছর জেলে কাটাতে হবে তাঁকে।

ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২১
টুকিটাকি

ত্বকের সৌন্দর্যে গোলাপ জল , রূপ লাবণ্যে হয়ে উঠবেন অনন্য !

ত্বকের সৌন্দর্যে গোলাপের জল ব্যবহারের কোনো জুড়ি নেই। এটি রুক্ষ্ম, শুক্ষ ও তৈলাক্ত সব রকমের ত্বকের জন্যই উপকারি। ফেস প্যাক, স্ক্রাব ও স্কিন টোনার সব কিছুর সঙ্গে গোলাপের জল মিশিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে। ত্বকের পরিচর্যা করার সময় পিইচ লেবেলের দিকে বিশেষ ধ্যান দিতে ভুলবেন না, দূষণ ও সূর্যের ইউবি রশ্মির জন্য আজ আমাদের ত্বক খুবই ক্ষতিগ্রস্ত, এর জন্য ত্বকের বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা যায়, এক্ষেত্রে গোলাপের জল পিএইচ লেবেলের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে ও আমাদের ত্বক সতেজ থাকে। গোলাপ জল এস্ট্রিঞ্জেন্ট-এর মতো কাজ করে, যার ফলে আপনি যখনি নিজের ত্বকে গোলাপ জলের ব্যবহার করেন তখন তা আপনার ত্বক থেকে ধুলো দূর করতে সাহায্য করে। গোলাপ পানির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এই কারণে গোলাপ জল এন্টি-এজিং হিসাবে ব্যবহার করা হয়, এন্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের কোষ গুলিকে ভেতর থেকে দৃঢ়তা প্রদান করে তা সতেজ রাখে। যাতে করে মুখের ত্বক টানটান থাকে। গোলাপ জল এক মুহূর্তে আপনার মুডকে সতেজ করে দিতে পারে। আসলে,আপনি যখনই মুখে গোলাপজল ব্যবহার করেন, তখনি এটির সুন্দর গন্ধ আপনার মন সতেজ করে দেয়, যার ফলে স্ট্রেস আপনার আশেপাশে ঘেঁষতে পারে না। আরও পড়ুন ঃ সারাদিন চোখ কম্পিউটার - মোবাইলে , বিপদ রুখতে কি করণীয় ? এবার জেনে নিন , কিভাবে ব্যবহার করবেন গোলাপ জল । মুখ ধোয়ার পরে, তুলোয় গোলাপ জল নিয়ে মুখের নিচের থেকে ওপর দিকে আলতো করে গোলাপ জল লাগান। আপনি রাতে শোয়ার আগে এর ব্যবহার করতে পারেন।

নভেম্বর ১৭, ২০২০
কলকাতা

রোজভ্যালি কর্তা গৌতম কুণ্ডুকে ফ্ল্যাট ও অফিস খালি করার নোটিস ইডির

রোজভ্যালিকাণ্ডে নয়া মোড়। রোজভ্যালি কর্তা গৌতম কুণ্ডুর সাউথ সিটির ৩টি ফ্ল্যাট খালি করার নোটিস দিল ইডি। এর পাশাপাশি সংস্থার একাধিক অফিসে নোটিস দেওয়া হয়েছে। ইডি বলেছে , অফিস খালি করে দিতে হবে। বুধবার নতুন অ্যাডিশনাল ডিরেকটর আসার পরই রোজভ্যালিকাণ্ড নিয়ে সক্রিয় হল ইডি। গৌতম কুণ্ডু ও শুভ্রা কুণ্ডুকে জেলে গিয়ে জেরা করবেন তদন্তকারীরা। আরও পড়ুন ঃ শুভেন্দুর সঙ্গে আমাদের কোনও কথাবার্তা হয়নিঃ দিলীপ প্রসঙ্গত , ২০১৪ সালে রোজভ্যালিকাণ্ডের তদন্ত শুরু করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। পরের বছর, ২০১৫-র মার্চে গৌতমকে গ্রেফতার করা হয়। গৌতমের স্ত্রী শুভ্রা কুণ্ডুর সঙ্গে ইডি কর্তাদের যোগসাজশের অভিযোগও ওঠে।

নভেম্বর ১৩, ২০২০

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

যুবভারতী কাণ্ডে নতুন মোড়, শতদ্রু দত্তের রিষড়ার বাড়িতে হানা বিধাননগর পুলিশের

যুবভারতী কাণ্ডের পর থেকেই রিষড়ার একটি ঝাঁ চকচকে তিনতলা বাড়ি ঘিরে কৌতূহল বেড়েছে। শুক্রবার সকালে সেই বাড়িতেই হাজির হল বিধাননগর পুলিশ। যুবভারতী স্টেডিয়ামে মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে হওয়া বিশৃঙ্খলার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তের এই বাড়িতে এদিন তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। তবে ঠিক কী কারণে এই তল্লাশি, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি পুলিশ আধিকারিকরা।গত ১৩ ডিসেম্বর যুবভারতী স্টেডিয়ামে লিওনেল মেসির অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন শতদ্রু দত্ত। ওই দিন স্টেডিয়ামে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ছড়ায়। সেই ঘটনার পরই আয়োজক সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এবং পুলিশ শতদ্রুকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। ঠিক সেই সময়ই শুক্রবার সকালে তাঁর রিষড়ার বাড়িতে পৌঁছে যায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ বিধাননগর থানার পাঁচজন আধিকারিক, তাঁদের মধ্যে মহিলা পুলিশকর্মীও ছিলেন, এদিন সকালে রিষড়ায় যান। প্রথমে তাঁরা রিষড়া থানায় হাজির হন। পরে স্থানীয় থানার পুলিশের সহযোগিতায় বাঙুর পার্ক এলাকায় শতদ্রু দত্তের বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। সেই সময় বাড়িতে শুধুমাত্র এক পরিচারিকা ছিলেন। তাঁর সঙ্গেও কথা বলেন পুলিশ আধিকারিকরা।এরপর তিনতলা বাড়ির প্রতিটি ঘরে তল্লাশি চালানো হয়। সূত্রের খবর, ওই বাড়িতে একটি ব্যক্তিগত ফুটবল মাঠ এবং একটি সুইমিং পুল রয়েছে। সেগুলিও ঘুরে দেখেন তদন্তকারীরা। তবে তল্লাশির পর বাড়ি থেকে কোনও কিছু বাজেয়াপ্ত করা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন, তাই এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।এদিকে তদন্তকারীদের একাংশের অনুমান, মেসির অনুষ্ঠানে বিপুল পরিমাণ কালো টাকা ব্যবহার হয়ে থাকতে পারে। যুবভারতী কাণ্ডে পুলিশের তরফে ইতিমধ্যেই দুটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সেই এফআইআরের ভিত্তিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ইসিআইআর দায়ের করে আর্থিক লেনদেনের উৎস খতিয়ে দেখতে পারে বলে তদন্তকারী সূত্রে খবর।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
দেশ

সংবাদমাধ্যমে আগুন, ভারত-বিরোধী স্লোগান—ঢাকা পরিস্থিতিতে কড়া নজর দিল্লির

ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ফের তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ঢাকাসহ একাধিক শহরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমের অফিসে আগুন লাগানো হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে এবং কট্টরপন্থীদের একাংশ প্রকাশ্যে ভারত-বিরোধী মন্তব্য করছে। পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, তা নিয়ে কড়া নজর রাখছে ভারত।সূত্রের খবর, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় যেখানে ভারতীয় হাইকমিশনের অফিস রয়েছে, সেখানে কর্মরত ভারতীয় আধিকারিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে নয়া দিল্লি। সাম্প্রতিক পরিস্থিতির জেরে একাধিক জায়গায় ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র ইতিমধ্যেই বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলেও ইঙ্গিত মিলেছে।বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে কট্টরপন্থীদের বিক্ষোভ চলে। কয়েকটি ক্ষেত্রে সেই বিক্ষোভ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ চট্টগ্রামে ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনারের বাসভবন ঘিরে ধরার ডাক দেওয়া হয়েছে বলে খবর আসে। বিভিন্ন দিক থেকে অফিস ঘেরাওয়ের আহ্বান জানানো হয়। এই পরিস্থিতিতে গোটা ঘটনার উপর নজর রাখছে ভারত সরকার। সূত্রের খবর, নিরাপত্তার কারণে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় আজও ভিসা কেন্দ্র বন্ধ থাকতে পারে।উল্লেখ্য, এর আগেও বাংলাদেশের এক রাজনৈতিক মিছিলে ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে আলাদা করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন এনসিপি নেতা হাসনাত। সেই মন্তব্যের পরই দিল্লি কড়া অবস্থান নেয়। বাংলাদেশের হাইকমিশনার মহম্মদ রিয়াজ হামিদুল্লাহকে তলব করে স্পষ্ট জানানো হয়, এই ধরনের উস্কানিমূলক মন্তব্য ভারত কোনওভাবেই বরদাস্ত করবে না। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনার পর স্পষ্ট, সেই বার্তা এখনও পুরোপুরি কার্যকর হয়নি বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
বিদেশ

কে এই ওসমান হাদি? যাঁর মৃত্যুতে গোটা বাংলাদেশে আগুন জ্বলছে

কয়েক মাস আগেও যাঁকে প্রায় কেউ চিনতেন না, অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি ঘরে ঘরে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছিলেন। রাজনীতিতে আচমকা উত্থান, আবার সেই কাহিনি পূর্ণতা পাওয়ার আগেই থেমে গেল। শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। দেশজুড়ে ছড়িয়েছে উত্তেজনা, বহু জায়গায় আগুন ও বিক্ষোভ। যাঁকে ঘিরে এত আলোচনা, আন্দোলন ও বিতর্ক, সেই ওসমান হাদি আসলে কে ছিলেন?অত্যন্ত সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসেছিলেন ওসমান হাদি। শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লিগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তার অন্যতম মুখ ছিলেন তিনি। সেই আন্দোলনের মাধ্যমেই জাতীয় রাজনীতিতে পরিচিতি পান হাদি। বিতর্কিত গ্রেটার বাংলাদেশ-এর মানচিত্র তৈরির সঙ্গেও তাঁর নাম জড়ায়, যেখানে ভারতের সেভেন সিস্টার্স-সহ একাধিক অঞ্চলকে বাংলাদেশের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছিল।১৯৯৩ সালের ৩০ জুন বরিশালে জন্ম ওসমান হাদির। ছয় ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট। ঢাকার রামপুরা এলাকায় থাকতেন। পেশায় শিক্ষক ছিলেন হাদি। জুলাই আন্দোলনের সময় তিনি সক্রিয়ভাবে স্থানীয় সাংগঠনিক কাজে যুক্ত হন। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই রামপুরা এলাকার সমন্বয়ক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পান এবং পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন।শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লিগ নিষিদ্ধ করার দাবিতে যারা সরব হন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন হাদি। সেই সময়েই গড়ে ওঠে ইনকিলাব মঞ্চ। এই মঞ্চের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং ন্যায়বিচারের দাবি। ইনকিলাব মঞ্চের তরফে জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতি সংরক্ষণ, অভিযুক্তদের বিচার, আহত ও নিহতদের স্বীকৃতি এবং জুলাই চার্টার ঘোষণার দাবি তোলেন হাদি। এর ফলে রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন তিনি।ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায়ও হাদির নাম জড়ায়। বিষয়টি নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। ইনকিলাব মঞ্চের ব্যানারে হাদি বারবার আওয়ামী লিগের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন ও হত্যার অভিযোগ তুলে দলটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান। দাবি মানা না হলে সচিবালয় ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন তিনি।সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদি জানিয়েছিলেন, তাঁকে ফোন ও মেসেজ করে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তবুও তিনি পিছিয়ে যাননি। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াইয়ের ঘোষণা দেন। চা-সিঙ্গারা আড্ডার মাধ্যমে প্রচারও শুরু করেছিলেন। ঠিক সেই সময়ই ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা।গত ১২ ডিসেম্বর জুম্মার নামাজের পর ঢাকার বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট এলাকা দিয়ে ফেরার সময় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। গুলি মাথা ভেদ করে বেরিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে একটি বেসরকারি হাসপাতালে এবং সেখান থেকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ করে শুক্রবার, ১৮ ডিসেম্বর রাতে সিঙ্গাপুরে মৃত্যু হয় ওসমান হাদির। আজ তাঁর দেহ বাংলাদেশে আনা হবে।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

নিষিদ্ধপল্লীতে ভোটার উধাও! খসড়া তালিকায় বাদ ২০ শতাংশ নাম

নিজস্ব সংবাদদাতা: খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হতেই চমকে দেওয়ার মতো তথ্য সামনে এল আসানসোলে। উদ্বেগ ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলেও। এসআইআর বা স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশনের প্রাথমিক পর্ব শেষে দেখা যাচ্ছে, কুলটি বিধানসভার নিয়ামতপুর সংলগ্ন নিষিদ্ধপল্লী এলাকার চারটি বুথে মোট ভোটারের প্রায় ২০ শতাংশ নাম তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। পাশাপাশি আরও প্রায় ২০ শতাংশ ভোটারের সঙ্গে পুরনো তালিকার কোনও ম্যাপিং করা যায়নি বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর।এসআইআর শুরু হওয়ার সময় এই চারটি বুথে মোট ভোটার ছিলেন ৩ হাজার ৬২৭ জন। খসড়া তালিকা প্রকাশের পর দেখা যাচ্ছে, ৭৪২ জনের নাম বাদ গিয়েছে। বাদ পড়া ভোটারদের মধ্যে ১৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, ৬৯ জন অন্যত্র চলে গিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি সংখ্যক, অর্থাৎ ৫৩৪ জন ভোটারের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। জানা গিয়েছে, তাঁরা এনুমারেশন ফর্ম তুললেও তা আর জমা দেননি। পাশাপাশি ২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা সম্ভব হয়নি এমন ভোটারের সংখ্যা ৬৮৪ জন।এই তথ্য সামনে আসতেই বিরোধীরা সরব হয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, বছরের পর বছর এই ভূতুড়ে ভোটারদের ব্যবহার করে এসেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। নিষিদ্ধপল্লী এলাকায় বাংলাদেশি নাগরিকদের নাম ভোটার তালিকায় ঢোকানো হয়েছিল বলেও অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা।তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। দলের দাবি, এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী বুথ লেভেল অফিসার বা বিএলও-রা। তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি বাচ্চু রায় বলেন, নিষিদ্ধপল্লীর অনেক যৌনকর্মী নিজের পরিচয় ও ঠিকানা গোপন রেখে সেখানে কাজ করতে আসেন। এসআইআর চলাকালীন তাঁরা ভয় পেয়ে এলাকা ছেড়ে চলে গিয়েছেন বা ফর্ম তুললেও জমা দেননি। তাঁর দাবি, এখানে কোনও বাংলাদেশি যোগ নেই।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

আপাতত স্বস্তি যোগ্য শিক্ষকদের, চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধি সুপ্রিম কোর্টের

অবশেষে কিছুটা স্বস্তির। সৌজন্যে সুপ্রিম কোর্ট। যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ৩১ ডিসেম্বর নয়, ২০২৬ সালের ৩১ অগস্ট পর্যন্ত চাকরিতে বহাল থাকবেন যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এই সময়সীমার মধ্যেই নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে রাজ্য সরকারকে। এমনই স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য অতিরিক্ত সময় চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। রাজ্যের তরফে ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানোর আবেদন জানানো হলেও আদালত সেই আবেদন আংশিক মঞ্জুর করে প্রায় আট মাসের অতিরিক্ত সময় দেয়। আদালত জানিয়ে দেয়, আগামী ৩১ অগস্টের মধ্যেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, এই সময়কালে যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিয়মিত বেতন পাবেন এবং পড়ানোর কাজও চালিয়ে যেতে পারবেন। তবে আদালত স্পষ্ট করেছে, এই সুবিধা শুধুমাত্র শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের ক্ষেত্রে এই নির্দেশ কার্যকর হবে না।আজকের এই রায়ে বড় স্বস্তি পেল রাজ্য সরকারও। কারণ ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শিক্ষা ব্যবস্থা সচল রাখা এবং বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষক সংকট এড়ানো রাজ্যের পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত আগের যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পরিষেবা ও বেতন বহাল থাকবে।উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৩ এপ্রিল ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়ার সময় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন করে পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরকে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই জটিল প্রক্রিয়া শেষ করা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ায় রাজ্য সরকার সময় বাড়ানোর আবেদন জানায়।আদালতে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ স্তরের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া শেষ করতে আরও কয়েক মাস সময় প্রয়োজন। পাশাপাশি যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর আর্জিও জানানো হয়। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই এই গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগে দেওচা–পাঁচামিতে পাথর উত্তোলনের বরাত বাতিল, নতুন দরপত্রে বিতর্ক

চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগে দেওচাপাঁচামি কয়লাখনি প্রকল্প এলাকায় পাথর উত্তোলনের কাজের বরাত বাতিল করল রাজ্য সরকার। প্রাথমিক পর্যায়ে ১২ একর জমিতে পাথর উত্তোলনের দায়িত্বে থাকা মেসার্স পাচামি ব্যাসল্ট মাইনিং প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের দাবি, সংস্থাটি চুক্তির একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শর্ত মানেনি বলেই এই পদক্ষেপ।রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপে ৩১৪ একর জমিতে পাথর উত্তোলনের জন্য নতুন করে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্ত ঘিরে শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক। বিরোধী দল বিজেপির অভিযোগ, দেওচাপাঁচামি কয়লাখনি প্রকল্প নিয়ে রাজ্য সরকার আসলে ধোঁয়াশা তৈরি করছে। বৃহস্পতিবার সিউড়িতে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, গত ১৫ বছরে রাজ্য সরকার একটি বড় শিল্প প্রকল্পও বাস্তবে রূপ দিতে পারেনি। অথচ দেওচাপাঁচামিকে দেশের বৃহত্তম কয়লাখনি বলে প্রচার করা হচ্ছে। তাঁর দাবি, আসন্ন শিল্প সম্মেলনের আগে বরাত বাতিল ও নতুন দরপত্র ডেকে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।বিজেপি নেতার আরও অভিযোগ, নতুন দরপত্রে কোথাও কয়লাখনি স্থাপনের উল্লেখ নেই। বরং আগামী ১৫ বছরের জন্য শুধুমাত্র পাথর উত্তোলনের কথাই বলা হয়েছে। তাঁর বক্তব্য, এর থেকেই স্পষ্ট যে আপাতত কয়লা উত্তোলনের কোনও পরিকল্পনাই রাজ্যের নেই। যদিও গত অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক স্তরে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল, এখনও পর্যন্ত কোনও সংস্থা আগ্রহ দেখায়নি বলেও দাবি করেন তিনি।জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, কেন্দ্রের অনুমোদন ছাড়া এই প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। অথচ এখনও পর্যন্ত কোনও পূর্ণাঙ্গ নকশা বা প্রস্তাব কেন্দ্রের কাছে জমা পড়েনি। পাশাপাশি আদিবাসীদের জমি নেওয়া হলেও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ বা স্থায়ী কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি বলেও অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিকে রাজ্য সরকারের শিল্পনীতির ব্যর্থতার প্রতিফলন বলে দাবি করছে বিরোধীরা।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
কলকাতা

মেসি-কাণ্ডে মানহানির অভিযোগ, লালবাজারে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের এফআইআর

লিওনেল মেসিকে ঘিরে কলকাতার সাম্প্রতিক বিতর্কে এবার আইনি মোড়। প্রকাশ্যে মানহানিকর মন্তব্যের অভিযোগ তুলে কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজারে এফআইআর দায়ের করলেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। অভিযোগের আঙুল উঠেছে কলকাতার আর্জেন্টিনা ফ্যান ক্লাবের প্রধান তথা মেসি-ভক্ত উত্তম সাহার দিকে।সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের আইনজীবীর তরফে জানানো হয়েছে, যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মেসিকে ঘিরে যে বিতর্কিত ঘটনার সূত্রপাত, তা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে সৌরভের ভূমিকা সম্পর্কে একাধিক ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হয়েছে। এই মন্তব্যগুলিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মানহানিকর বলেই দাবি করা হয়েছে অভিযোগে।সৌরভের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানে তিনি শুধুমাত্র একজন আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবেই উপস্থিত ছিলেন। ইভেন্টের আয়োজন বা পরিচালনার সঙ্গে তাঁর কোনও রকম সাংগঠনিক যোগ ছিল না। অনুষ্ঠানের মূল আয়োজক ছিলেন শতদ্রু দত্ত। একই অনুষ্ঠানে অভিনেতা শাহরুখ খান-সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, উত্তম সাহা প্রকাশ্যে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে চিটিংবাজ বলে কটাক্ষ করেন, যা প্রাক্তন অধিনায়কের সামাজিক সম্মান ও দীর্ঘদিনের ভাবমূর্তিকে গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এই কারণেই মানহানির নোটিস পাঠানোর পাশাপাশি লালবাজারে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।উল্লেখ্য, মেসিকে দেখার আশায় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে হাজার হাজার দর্শক মোটা অঙ্কের টিকিট কেটেও শেষ পর্যন্ত হতাশ হন। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতেও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় এবং তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস পদত্যাগ করেন। পুলিশ কর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। একজন ডিসিপি সাসপেন্ড হয়েছে। এই আবহেই দেওয়া উত্তম সাহার মন্তব্যকে ঘিরে এবার আইনি পথে হাঁটলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজনীতি

একেই হুমায়ুন কবীরে অস্থির! এবার দুর্নীতির অভিযোগ জেলা পরিষদের সদস্যপদে ইস্তফা দাপুটে তৃণমূলনেত্রীর

২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুর্শিদাবাদে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে বড়সড় রাজনৈতিক বিস্ফোরণ। দলের হেভিওয়েট নেত্রী ও জেলা পরিষদের প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি শাহনাজ বেগম জেলা পরিষদের সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিলেন। শুধু পদত্যাগই নয়, দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রকাশ্যে নিজের দলের পরিচালিত জেলা পরিষদ বোর্ডকে কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি।১৭ ডিসেম্বর বিভাগীয় কমিশনারের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠান শাহনাজ বেগম। তার প্রতিলিপি জমা পড়েছে জেলা শাসকের কাছেও। তবে প্রশাসনিক চিঠির থেকেও বেশি আলোড়ন তৈরি করেছে তাঁর ফেসবুক পোস্ট। সেখানে তিনি স্পষ্ট ভাষায় লেখেন, চোর জেলা পরিষদের একজন অংশীদার হয়ে থাকা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। এই এক লাইনের মন্তব্যেই জেলা তৃণমূল রাজনীতিতে তীব্র অস্বস্তি ছড়িয়েছে।শাহনাজ বেগম দাবি করেছেন, তিনি কখনও অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি এবং ভবিষ্যতেও করবেন না। দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা ক্ষোভই যে এবার প্রকাশ্যে এসেছে, তা তাঁর বক্তব্যেই স্পষ্ট। রাজনৈতিক মহলের মতে, নির্বাচনের মুখে দাঁড়িয়ে দলের অন্দরে এমন প্রকাশ্য বিদ্রোহ তৃণমূলের জন্য বড় ধাক্কা।মুর্শিদাবাদ জেলা রাজনীতিতে শাহনাজ বেগম অত্যন্ত প্রভাবশালী নাম। একসময় কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি ভেঙে জেলা পরিষদে তৃণমূলের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর। ২০১৩ সাল থেকে সোমপাড়া, রামপাড়া ও রামনগর বাছড়া এলাকা থেকে টানা তিনবার নির্বাচিত হন তিনি। কর্মাধ্যক্ষ থেকে সহকারী সভাধিপতি, একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন শাহনাজ।যদিও আপাতত অন্য কোনও দলে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত দেননি তিনি। তবে পদ ছাড়লেও এলাকার মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। এই বিস্ফোরক ইস্তফা মুর্শিদাবাদের রাজনীতিতে কী প্রভাব ফেলে, এখন সেটাই দেখার।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal