• ১ পৌষ ১৪৩২, শনিবার ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Robbery

রাজ্য

জমিদারবাড়ির কালীপুজোয় নাটকীয় মোড় — মেমারি পুলিশের তৎপরতায় উদ্ধার হারানো অলংকার

গতকাল মধ্যরাতের নীরবতা ভেঙে রোমাঞ্চকর এক ঘটনায় সরগরম হয়ে উঠল মেমারি থানার দালুইবাজার গ্রাম। জমিদার ব্যানার্জি পরিবারের ঐতিহ্যবাহী কালীপুজোর মণ্ডপ থেকে চুরি হয়ে গিয়েছিল প্রায় দশ ভরি স্বর্ণালঙ্কার আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মেমারি থানার পুলিশের দক্ষ তদন্তে মিলল তার নাটকীয় পরিসমাপ্তি।রাত প্রায় বারোটা ত্রিশ নাগাদ খবর আসে যে, পূজামণ্ডপে মা কালী মূর্তির অলংকার উধাও। মুহূর্তের মধ্যেই উৎসবমুখর পরিবেশে নেমে আসে আতঙ্কের ছায়া। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান মেমারি থানার ওসি, সিআইবি ও ডিএসপি মেমারি, নেতৃত্বে ছিলেন আইসি পালসিট। জমিদারবাড়ির দেউড়িতে তখন এক অদ্ভুত নিস্তব্ধতা ভক্তির আবেশে মিশে সন্দেহ আর শোকের ছায়া।তদন্তে নেমেই পুলিশ শুরু করে টানা জিজ্ঞাসাবাদ। ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই উঠে আসে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সন্দেহভাজন এক যুবকের নাম দেবজ্যোতি চৌধুরী (৩২), পিতা সুপ্রভাত চৌধুরী, বর্ধমানের খোশবাগান এলাকার বাসিন্দা। জানা যায়, তিনি জমিদারবাড়ির এক শরিকের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং পুজোর সময় উপস্থিতও ছিলেন।কিন্তু খবর পেয়ে পুলিশের আগে তিনিই এলাকা ত্যাগ করেন। এরপরেই তৎপরতায় নামে মেমারি থানার বিশেষ দল। দ্রুত অভিযান চালিয়ে দেবজ্যোতিকে আটক করা হয় এবং দীর্ঘ জেরার পর তিনি স্বীকার করেন নিছক লোভের বশে দেবী মূর্তির গহনা হাতিয়েছিলেন।তার জবানবন্দির ভিত্তিতে পুলিশ উদ্ধার করে সমস্ত চুরি যাওয়া স্বর্ণালঙ্কার। অভিযুক্তকে আজই বর্ধমান আদালতে পেশ করা হচ্ছে।এই ঘটনায় এলাকাবাসীর মুখে একটাই কথা মা তাঁর বিভূষণ ফিরে পেয়েছেন, আর অশুভ শক্তির বিনাশ হয়েছে ঠিক কালীপুজোর পূণ্য লগ্নে।পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের দ্রুততা ও দক্ষতার জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এক কথায়, এটি যেন বাস্তব জীবনের এক নাটকীয় যবনিকা পতন যেখানে অপরাধ পরাস্ত হয়েছে, আর ন্যায়ের বিজয় ঘটেছে।

অক্টোবর ২১, ২০২৫
রাজ্য

শহর বর্ধমানে ব্যাঙ্ক ডাকাতির পর পূর্ব বর্ধমানের ব্যাঙ্কগুলির সুরক্ষা পর্যালোচনা শুরু পুলিশের

এ যেন চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে এমন অবস্থা। বর্ধমানে ব্যাঙ্ক ডাকাতির ঘটনার পর পাঁচ দিন পেরিয়ে গেলেও একজনও দুস্কৃতির নাগাল পায়নি পুলিশ। তবে এই ঘটনার পর জেলার ব্যাঙ্ক গুলির সুরক্ষা ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করার বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ। সেই মতো গত দুদিন ধরে চলছে জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় থাকা ব্যাঙ্ক আধিকারিকদের নিয়ে পুলিশ কর্তাদের বৈঠক। যেমনটা মঙ্গলবার হল জেলার খণ্ডঘোষ, ভাতার, পূর্বস্থলী ও কালনা থানায়। এত কিছুর পরেও ব্যাঙ্কে দুস্কৃতী হানা রোখা যায় কিনা তার উত্তর ভবিষ্যতেই মিলবে বলে মত ওয়াকাবহাল মহলের। ব্যাঙ্কের সুরক্ষা বিষয়ক যে বিষয়গুলি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয় তা যথেষ্টই গুরুত্বপূর্ণ। কালনা মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সপ্তর্ষি ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন, ব্যাঙ্কগুলির সুরক্ষা বিষয়ক মিটিং তাঁরা করেছেন ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের সঙ্গে। মূলত ব্যাঙ্কের ইমার্জেন্সি এলার্ম ও সিসিটিভি সচল রাখা সহ ব্যাঙ্কে আর্মড সিকিউরিটি গার্ড নিয়োগ ইত্যাদি বিষয় গুলি নিয়ে মিটিংয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট থানার নম্বর, দমকল কেন্দ্রের নম্বর, সিকিউরিটি এজেন্সির নম্বর ব্যাঙ্কের অভ্যন্তরে বিভিন্ন জায়গায় টাঙ্গিয়ে রাখার কথা কর্ত্পক্ষকে বলা হয়েছে। এছাড়াও আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ব্যাঙ্কের সুরক্ষা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার বিষয়গুলি নিয়ে মিটিংয়ে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। সোমবার ও মঙ্গলবার এই দুদিনে কালনা মহকুমার নাদনঘাট , মন্তেশ্বর ,পূর্বস্থলী , কালনা প্রভৃতি থানা এলাকায় থাকা ব্যাঙ্ক আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে এমন আলোচনা সম্পূর্ণ হয়েছে বলে এসডিপিও সপ্তর্ষি ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন। ইতিপূর্বে জামালপুর থানার পুলিশ কর্তারাও একই রকম গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সেরেছেন।এদিন ভাতার ও খণ্ডঘোষ থানাতেও ব্যাঙ্ক আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। একই বিষয় নিয়ে এসডিপিও (বর্ধমান দক্ষিন)সুপ্রভাত চক্রবর্তী এদিন মেমারি থানায় এলাকার ব্যাঙ্ক ও পেট্রোল পাম্প কর্তৃপক্ষকে নিয়ে মিটিং করেন। শহর বর্ধমানে ডাকাতির ঘটনা এই প্রথম ঘটলো এমনটা নয় ।ইতিপূর্বে ২০২০ সালের ১৭ জুলাই দিনেদুপুরে শহর বর্ধমানের বিসিরোড এলাকায় থাকা স্বর্ণঋণ দান সংস্থাতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। তার আগে ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে বৈদ্যনাথ ক্যাটরায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক শাখা থেকে ৩৫ লক্ষ টাকা লুট হয়। আর গত শুক্রবার সাত সকালে বর্ধমানের কার্জনগেট সংলগ্ন বৈদ্যনাথ ক্যাটরার বাজারের দোতলায় থাকা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে হানা দেয় সশস্ত্র ডাকাত দল।তারা ব্যাঙ্কে থাকা গ্রাহকদের মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে বসিয়ে রেখে ও ব্যাঙ্ক কর্মীদের মারধোর করে ৩৩ লক্ষ টাকা লুট করেনিয়ে বিনা বাধায় পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময়ে ব্যাঙ্কের মূল গেটে তালাও লাগিয়ে দেয় মুখ ঢাকা থাকা দুস্কৃতিরা। এই ডাকাতির ঘটনার পর তড়িঘড়ি সিট গঠন করে তদন্তে নামার কথা জানান জেলা পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন । দুস্কৃতিদের নাগাল পেতে ঘটনার দিন জেলার বিভিন্ন সড়ক পথে শুরু হয় নাকা চেকিং। কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয়নি। এমনকি ব্যাঙ্ক ডাকাতির ঘটনার পর পাঁচ দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ দুস্কৃতিদের একজনেরও নাগাল পায় নি ।তারই মধ্যে এখন জেলার ব্যাঙ্ক গুলির সুরক্ষার বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন থানা এলাকায় থাকা ব্যাঙ্ক আধিকারিকদের সঙ্গে মিটিং করে চলেছেন পুলিশ কর্তারা ।এই প্রসঙ্গে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন ,তাহলেকি এতদিন জেলার ব্যাঙ্ক গুলির সুরক্ষা নিয়ে পুলিশ সে ভাবে মাথা ঘামায় নি ? বর্ধমানে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়ে ডাকাতরা পালিয়ে যাবার পর পুলিশ কর্তারা জেলার ব্যাঙ্কগুলির সুরক্ষায় খামতি খুঁজে পেলেন? এই সব প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে পূর্ব বর্ধমান জেলাবাসীর মুখে মুখে।

জানুয়ারি ২৬, ২০২২
রাজ্য

বর্ধমানে রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্কে ডাকাতির ২৪ ঘন্টা পরেও অধরা দুস্কৃতিরা

ব্যাঙ্ক ডাকাতির পর পেরিয়ে গিয়েছে ২৪ ঘন্টা। দুস্কৃতীদের বিষয়ে এখনও অথৈ জলে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ। শুক্রবার বর্ধমানের বৈদ্যনাথ ক্যাটরার বাজারের দ্বিতলে থাকা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক শাখায় হানা দিয়ে ৩৩ লক্ষ টাকা লুট করে পালায় সশস্ত্র ডাকাত দল। ঘটনার পর দ্রুত সিট গঠন করে পুলিশ তদন্তে নামে। দুস্কৃতিদের নাগাল পেতে শুরু হয় জেলার বিভিন্ন সড়কপথে নাকা চেকিং। কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছুই হয় না। পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে বেমালুম গায়েব হয়ে যায় দুস্কৃতীরা।জেলা পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন শনিবার জানিয়েছেন, তদন্ত চলছে। ডাকাতির ঘটনায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক বা গ্রেফতার করতে পারেনি । যদিও বর্ধমান থানার এক আধিকারিকের কথায় জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্কে লুট টালিয়ে দুস্কৃতীরা পায়ে হেটে বিসিরোড হয়ে কার্জন গেটের দিকে যায়। তারপর তারা কোন দিকে গেছে বা কোন গাড়িতে করে গেছে তার কোন তথ্য এখনও পুলিশের কাছে নেই। তবে অনুমান করা হচ্ছে দুস্কৃতিরা বাইকে চেপে বর্ধমান থেকে পালিয়েছে।বিভিন্ন জায়গার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে দুস্কৃতিদের চিহ্নিত করার প্রচেষ্টা চলছে সিআইডিও ব্যাঙ্ক ডাকাতির ঘটনার তদন্ত শুরু করতে চলেছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। শুক্রবার দিনে দুপুরে বর্ধমানের প্রাণকেন্দ্রে থাকা ব্যাঙ্কে ঢুকে ৩৩ লক্ষ টাকা লুট করে নিয়ে পালায় হিন্দিভাষী সশস্ত্র ডাকাত দল। এর আগে ২০২০ সালের ১৭ জুলাই বর্ধমানের বিসিরোড এলাকায় থাকা স্বর্ণ ঋণদান সংস্থায় ডাকাতির ঘটনা ঘটায় হিন্দিভাষী দুস্কৃতীরা। তারও আগে ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে বৈদ্যনাথ ক্যাটরায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক শাখা থেকে ৩৫ লক্ষ টাকা লুট হয়।অতি সম্প্রতি এসটিএফের অভিযানে হেরোইনের আন্তারাজ্য কারবারী ডেরার হদিশ উদ্ধার হয় বর্ধমানের বিবেকানন্দ কলেজ মোড় সংলগ্ন এলাকা থেকে। অপরাধের ঘটনা ঘটানোর জন্য কেন বারে বারে হিন্দি ভাষী দুস্কৃতিরা বর্ধমানকেই বেছে নিচ্ছে সেই প্রশ্নই এখন সবাইকে ভাবিয়ে তুলিয়েছে।পুলিশ কর্তারাও বিষয়টি নিয়ে কাঁটা ছেঁড়া চালিয়ে যাচ্ছেন। দুস্কৃতিদের সঙ্গে ভিন রাজ্যের যোগ রয়েছে কিনা সেই বিষয়টিও পুলিশ খতিয়ে দেখছে। বর্ধমানের বৈদ্যনাথ ক্যাটারার বাজারের দোতলায় থাকা ব্যাঙ্কে শুক্রবার পৌনে ১০টার আগেই ঢুকে পড়ে ৫-৬ জনের দুস্কৃতি দল। হিন্দিভাষী দুস্কৃতীদের মুখ ছিল ঢাকা। হাতে ছিল আগ্নেআস্ত্র। তাঁদের সঙ্গে ছিল স্কুল ব্যাগ। ব্যাঙ্কে যে কজন গ্রাহক ছিল তাদের মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে দুস্কৃতিরা আগ্নেআস্ত্র দেখিয়ে বসিয়ে রাখে। এরপর ব্যাঙ্কের অন্য আধিকারিকদের মারধোর করে ব্যাঙ্ক থেকে ৩৩ লক্ষ টাকা লুট করে নিয়ে দুস্কৃতিরা ব্যাঙ্ক থেকে বেরিয়ে পড়ে। ব্যাঙ্কের মূল গেটের দরজায় বাইরে থেকে তালাচাবি দিয়ে দুস্কৃতিরা কাউকে কিছু বুঝতে না দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ব্যাঙ্কের সাইরেন বাজার পর এই দুস্কৃতি হানার বিষয়টি জানাজানি হয় । খবর পেয়ে জেলার পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যান সিংহরায় সহ জেলা পুলিশের অন্য কর্তারা ঘটনাস্থলে পৌছান ।দ্রুত সিট গঠন করে তদন্ত শুরু হলেও পুলিশ দুস্কৃতিদের টিকি এখনও পর্যন্ত ছুঁতে পারেনি।

জানুয়ারি ২২, ২০২২
রাজ্য

ব্যাংক ডাকাত ধরতে নাকা চেকিং, বর্ধমানে বাড়ছে অপরাধ মূলক কাজ

দিনে দুপুরে শহর বর্ধমানের প্রাণকেন্দ্রে থাকা ব্যাঙ্কে ঢুকে ৩৩ লক্ষ টাকা করে নিয়ে পালালো সশস্ত্র ডাকাত দল। দুঃসাহসিক এই ব্যাঙ্ক ডাকাতির ঘটনার কথা জানাজানি হতেই শুক্রবার বেলা থেকে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে শহর বর্ধমানে। খবর পেয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ সুপার কামনাশিষ সেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যান সিংহ রায় সহ বর্ধমান থানার পুলিশ কর্তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছান।পুলিশ কর্তাদের নির্দেশে দুস্কৃতীদের খোঁজে জেলার বিভিন্ন সড়কপথে শুরু হয় নাকা চেকিং। একই সঙ্গে ব্যাঙ্কসহ ঘটনাস্থল এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে দুস্কৃতীদের চিহ্নিতকরণের কাজ দীর্ঘ সময় ধরে চলে। যদিও দুস্কৃতীদের নাগাল পাওয়া না যাওয়ায় সিট গঠন করে শুরু হয়েছে ব্যাঙ্ক ডাকাতির ঘটনার তদন্ত। দুস্কৃতীরা কোথা থেকে এসেছে, কিভাবে এসেছে, কোন পথে পালালো সব প্রশ্নের উত্তর পুলিশের কাছে এখনও অধরাই রয়েছে।শহর বর্ধমানে ডাকাতির ঘটনা এই প্রথম ঘটলো এমনটা নয়। বছর দুই আগে ২০২০ সালের ১৭ জুলাই বর্ধমানের বি সি রোড এলাকায় থাকা স্বর্ণঋণ দানকারী সংস্থাতেও ঘটে ডাকাতির ঘটনা। কয়েকবছর আগে এই ব্যাংকের পাশেই আর একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক থেকে ৩৬ লক্ষ টাকা ডাকাতি হয়েছিল। ফের এদিন শহরের প্রাণকেন্দ্রে থাকা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক শাখায় ঘটলো ডাকাতির ঘটনা। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের হেড কোয়ার্টার শহর বর্ধমানকে কেন বারবার টার্গেট করছে দুস্কৃতীরা সেই বিষয়টি পুলিশ কর্তাদের বিশেষ ভাবে ভাবিয়ে তুলেছে।বর্ধমানের বৈদ্যনাথ ক্যাটারার বাজারের দোতলায় রয়েছে ব্যাঙ্কের শাখা অফিস। প্রত্যক্ষদর্শী ব্যাংকের এক আধকারিকের স্ত্রী দীপা কুমার জানান, তিনি তাঁর অসুস্থ স্বামীকে পৌনে ১০ টা নাগাদ ব্যাঙ্কে দিতে এসেছিলেন। ব্যাঙ্কে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই হিন্দিভাষী কয়েকজন যুবক ভদ্রভাবে তাঁকে ও তাঁর স্বামীকে বসতে বলে। তখন মনে করেছিলেন কোন শোকসভা ব্যাঙ্কে হচ্ছে। এরপরেই তাদের মোবাইল ফোন ওই যুবকরা নিয়ে নেয়। যুবকরা সংখ্যায় ৫-৬ জন ছিল।সবার হাতে আগ্নেআস্ত্র ছিল। যুবকদের মুখ ঢাকা ছিল। পিঠে ছিল স্কুল ব্যাগ। সবাইকে বসিয়ে রেখে যুবকরা ব্যাঙ্কের অন্য আধিকারিকের কাছে চাবি চাইছিল। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই অপারেশন চালিয়ে সাড়ে ১০ টার মধ্যে দুস্কৃতীরা ব্যাঙ্ক ছেড়ে পালায়। যাওয়ার সময়ে ব্যাঙ্কের মূল গেটের দরজার বাইরে তালাচাবি দিয়ে দুস্কৃতীরা চলে যায়। ঘটনার সময়ে ব্যাঙ্কের ভিতরে থাকা অপর গ্রাহক অনিতা সরকার, সুষমা মল্লিক জানান, ব্যাঙ্ক চালু হতেই ৬ জনের একটি দুস্কৃতীদল ব্যাংকে ঢোকে। তাঁদের সকলের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। মুখ ঢাকা ছিল কাপড় দিয়ে। তখন সবেমাত্র ব্যাঙ্কের শাখায় লেনদেন শুরু হয়েছে। সব মিলিয়ে হাতেগোনা ১০ - ১৫ জন গ্রাহক ব্যাংকের ভিতর। গ্রাহকদের সাবার মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে দুস্কৃতীরা ব্যাঙ্ক কর্মীদের মারধর করে লুটপাট চালানো শুরু করে দেয়। দ্রুত লুটপাট চালিয়েই দুস্কৃতিরা পালিয়ে যায়। দুস্কৃতীরা চলে যাওয়ার পরেই ব্যাঙ্কের অ্যালার্ম বেজে ওঠে। এরপরেই খবর পেয়ে জেলা পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা ও বর্ধমান থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে ছূটো আসেন। ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের পাশাপাশি ব্যাঙ্কের ভিতরে থাকা গ্রাহকদের সঙ্গেও কথা বলেন তদন্তে আসা পুলিশ আধিকারিকরা।ব্যাঙ্কের ম্যানেজার কুন্দন কিশোর দাবি করেছেন, ব্যাঙ্কের দুজন কর্মীকে মারধর করে দুস্কৃতিরা ব্যাঙ্ক থেকে ৩৩ লক্ষ টাকা লুট করে নিয়ে গিয়েছে। অপর ব্যাঙ্ক কর্মীদের বক্তব্য, আগ্নেআস্ত্র দেখিয়ে দুস্কৃতীরা ব্যাঙ্কের ভল্টের চাবি কড়ে নেয়। ভল্ট থেকে টাকা বের করে একটি ব্যাগে ভরে নিয়ে দুস্কৃতীরা হেঁটে ব্যাঙ্ক থেকে বেরিয়ে যায়। দুস্কৃতিরা ব্যাঙ্কের হার্ড ডিস্ক নিয়েও পালিয়ে গিয়েছে বলে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ দাবি করেছেন।পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন জানিয়েছেন, সিট গঠন করে তদন্ত শুরু হয়েছে। দুস্কৃতিদের নাগাল পেতে বিভিন্ন এলাকায় নাকা চেকিং চালানো হয়েছে। সি সি টিভি ফুটেজসহ বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দুস্কৃতীরা কোথাকার গ্যাং তা তদন্ত এগোলে জানা যাবে।এদিন যে ব্যাংকে ডাকাতি হয়েছে সেটা অত্যন্ত জনবহুল এলাকা। সেখান থেকে একেবারে কাছেই জেলা পুলিশ সুপার ও জেলাশাসকের অফিস। বর্ধমান থানাও অনতিদূরে। কিছু দিন আগে শহরের বিবেকানন্দ কলেজ মোড়ের কাছে গ্লাসফ্যাক্টরি থেকে দুজন হেরোইন কারবারিকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় এসটিএফ (STF)। তাঁরা ওই এলাকায় বাড়ি কিনে বেআইনি মাদকের কারবার চালাতো বলে অভিযোগ। হেরোইন তৈরি করতো অভিযুক্তরা। ক্রমশ বর্ধমান শহরে আস্তানা গড়ছে অপরাধীরা, বাড়ছে অপরাধ মূলক কারবার।

জানুয়ারি ২১, ২০২২
রাজ্য

বড়সড় ব্যাংক ডাকাতি বর্ধমানে, আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে লুঠ লক্ষ লক্ষ টাকা

বর্ধমানে ঘটে গেল বড়সড় ব্যাঙ্ক ডাকাতি। শুক্রবার সকালে ব্যাঙ্ক চালু হতেই ৬-৭ জনের একটি দুস্কৃতির দল ব্যাঙ্কে ঢোকে। তাদের প্রত্যকেরই হাতেই ছিল আগ্নেয়াস্ত্র। পিঠে ছিল স্কুল ব্যাগ। ডাকাতির ঘটনাটি ঘটে শহরের প্রাণ কেন্দ্র কার্জনগেটের পাশে বৈদ্যনাথ কাটরা-র ১ম তলে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায়। দুস্কৃতিদের মুখ ঢাকা ছিল কাপড় দিয়ে।তখন সবেমাত্র ব্যাঙ্কের শাখায় লেনদেন শুরু হয়েছে। হাতেগোনা ১০-১৫ জন গ্রাহক। দুস্কৃতীরা ব্যাঙ্কে ঢুকে গ্রাহকদের মোবাইল ফোন প্রথমে কেড়ে নেয়। তারপর ব্যাঙ্ক কর্মীদের মারধর করে লুটপাট চালায়। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ডাকাতদলটি লুটপাট করে চম্পট দেয়। লুট করে পালানোর সময় ব্যাঙ্কের গেটে তালা দিয়ে যায় দুস্কৃতীরা, যাতে কেউ বেরিয়ে পুলিশে খবর না দিতে পারে। খবর পেয়েই ব্যাঙ্কে ছুটে যায় বর্ধমান সদর থানার পুলিশ। পৌঁছান জেলার পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিংহ রায়।বর্ধমান শহরে ব্যাঙ্ক ডাকাতির ঘটনায় সিট গঠনের কথা জানানো হয় পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন জানিয়েছেন, আনুমানিক ৩০ লক্ষ টাকা লুঠ করেছে দুস্কৃতীরা। ঘটনার পর জেলা জুড়ে নাকা চেকিং শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি।

জানুয়ারি ২১, ২০২২
রাজ্য

Bank Robbery: মেমারিতে ব্যাঙ্ক ডাকাতির চেষ্টা, গ্রেপ্তার সিভিক ভলেন্টিয়ার সহ চার জন

সমবায় ব্যাঙ্কের শাখায় ডাকাতির চেষ্টার ঘটনায় গ্রেপ্তার হল এক সিভিক ভলেন্টিয়ার সহ আরও ৪ জন। পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার পুলিশ বৃহস্পতিবার ভোরে বাড়ি থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে। ধৃতরা হল চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়, বিপুল শিকারি, আকাশ রায় ও অসীম মণ্ডল। মেমারি থানার দলুই বাজার এলাকা নিবাসী চন্দন মেমারি থানার সিভিক ভলান্টিয়ার। বাকি ধৃতরা মেমারির পারিজাতনগর এলাকার বাসিন্দা।আরও পড়ুনঃ অশোক মাঝি খুনের ঘটনায় গ্রেফতার বিধায়ক ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা ব্যাঙ্ক ডাকাতির চেষ্টার ঘটনায় মেমারি থানার পুলিশ মঙ্গলবার রাতে সঞ্জু ঘোষ, অভিজিৎ দে, শেখ জাবেদ ওরফে চিঙ্কা, বাপি মণ্ডল ও অভিজিৎ দত্তকে গ্রেপ্তার করে। তাদের হেপাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে পুলিশ ঘটনায় সিভিক ভলেন্টিয়ার সহ চার জনের জড়িত থাকার কথা জানতে পেরে গ্রেপ্তার করে। চার ধৃতকেই পুলিশ এদিন পেশ করে বর্ধমান আদালতে। সিজেএম ধৃতদের বিচারবিভাগীয় হেপাজতে পাঠিয়ে ১ সেপ্টেম্বর ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দিয়েছেন।আরও পড়ুনঃ মা হলেন নুসরত, পুত্রসন্তানের জন্ম দিলেন তিনিপুলিশ জানিয়ছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে মেমারির ডাকাত দল রসুলপুরে সাহানুই এসকেইউএস সমবায় ব্যাঙ্কের শাখা অফিসে হানা দেয়। তারা ব্যাঙ্কের সাটার ভেঙে ভিতরে ঢোকে। ব্যাঙ্কের আধিকারিক পার্থ দে বাড়িতে বসেই তাঁর মোবাইলের সিসি ক্যামেরার ফিড থেকে ডাকাতদের ব্যাঙ্কে ঢোকার বিষয়টি জানতে পারেন। তখনই তিনি মেমারি থানায় ঘটনার কথা জানান। খবর পেয়েই মেমারি থানার ওসি দেবাশিষ নাগের নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী দ্রুত ওই ব্যাঙ্ক শাখার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। তখন ডাকাতরা ব্যাঙ্কের ভল্ট ভেঙে টাকা লুটের চেষ্টা করছিল। পুলিশ সেখানে পৌছে প্রথমেই চারজনকে হাতে-নাতে ধরে ফেলে। পরে আরও এক ডাকাত পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায়। এই পাঁচ জনকে হেপাজতে নিয়ে জেরা চালিয়েই পুলিশ ব্যাঙ্ক ডাকাতির চেষ্টায় সিভিক ভলেন্টিয়ার সহ চারজনের জড়িত থাকার কথা জানতে পারে।

আগস্ট ২৬, ২০২১
রাজ্য

বর্ধমানে ফের সোনার দোকানে ডাকাতি, লুঠ বহু গহনা

সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছড়িয়ে পড়ল চাঞ্চল্য। ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান শহরের বি বি ঘোষ রোড আর পার্কাস রোডের জংশনে জনবহুল এলাকায়। জানা গিয়েছে, ডাকাতির ঘটনায় লুঠ হয়েছে দশটি সোনার হার, বেশ কয়েকটি আংটি , মঙ্গলসূত্র সহ বেশ কিছু মূল্যবান গহনা। ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদকের কাছে খবর পেয়ে পুলিশ এসে তদন্ত শুরু করেছে। কিন্তু ততক্ষণে দুই দুস্কৃতী বাইকে চেপে পালিয়ে গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দোকানে কোনো সিসিটিভি নেই। দোকানের মালিক ও তার মেয়ে পর্যায়ক্রমে দোকানে বসেন। আজ দোকানে ছিলেন মালিকের মেয়ে দীপান্বিতা দত্ত। তিনি জানিয়েছেন, দুপুর তিনটে নাগাদ দুই যুবক দোকানে এসে হাজির হয়। তাদের মুখে মাস্ক ছিল না। তারা হিন্দি ভাষায় কথাবার্তা বলছিল। প্রথমে তারা লকেট দেখার অছিলায় কথাবার্তা শুরু করে। আরও পড়ুন ঃ মুখ্যমন্ত্রীকে জেলা সফরে না আসার পরামর্শ রাজুর এভাবে নানাভাবে সময় কাটিয়ে একটার পর একটা গয়না হাতিয়ে নিতে থাকে। এগুলি বেশ কিছু অর্ডারের গয়না ছিল। এরপর তাদের আচরণ সন্দেহজনক বুঝে দোকানদার যুবতী চিৎকার শুরু করে। সে সাধ্যমতো বাধা দেবার চেষ্টা করে। কিন্তু দুস্কৃতীরা রীতিমতো থ্রিলারের কায়াদায় প্রকাশ্য দিবালোকে ডাকাতি সেরে বাইকে চেপে পালিয়ে যায়। বাইকটি দোকানের সামনেই দাঁড় করানো ছিল। মেয়েটির চিৎকার শুনে ছুটে আসেন আশেপাশের দোকানদাররা। এসময় ওখান দিয়ে যাচ্ছিলেন ব্যবসায়ী সুরক্ষা সমিতির সম্পাদক বিশ্বেশ্বর চৌধুরী। তিনি সবটা শুনে থানায় খবর দেন। দ্রুত বর্ধমান থানার আইসি পিন্টু সাহার নেতৃত্ব পুলিশ এসে তদন্ত শুরু করে। প্রত্যক্ষদর্শী সন্দীপ স্যানাল বলেন, বাইকটি দোকানের পাশে ছিল। দুস্কৃতিরা কৌশলে আশ্রয় নেয়। যাতে পাশাপাশি ব্যবসায়ী বা পথচলতি মানুষজন কিছু বুঝতে না পারেন। যখন দোকানের মহিলা চোর চোর করে চিৎকার করছেন, তখন দুস্কৃতিরা টাকা চাইছে আর পাল্টা গালিগালাজ করছে। অনেকেই মনে করেছেন ক্রেতা বিক্রেতা বাগবিতণ্ডা হচ্ছে। কিন্তু যখন সকলের ভুল ভেঙেছে ততক্ষণে দুই দুস্কৃতী দ্রুত বাইক নিয়ে চম্পট দিয়েছে।

নভেম্বর ৩০, ২০২০
রাজ্য

এটিএম লুঠ কাণ্ডের মূল পান্ডা ধৃত

জাতীয় স্তরের এটিএম লুঠ কাণ্ডের মূল পান্ডাকে মালদার রতুয়া থেকে গ্রেফতার করল কালিয়াচক থানার পুলিশ। বুধবার ৯ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রতুয়া থানার বাহারাল মোড়ে অভিযান চালায় কালিয়াচক থানার পুলিশের বিশেষ একটি দল। বাহারাল স্ট্যান্ডের কাছ থেকেই এটিএম লুঠের মূল ওই চক্রীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এটিএম লুঠের চক্র দীর্ঘদিন ধরে চালিয়ে আসছিল ধৃত ওই ব্যক্তি, প্রাথমিক তদন্তে এমনটা জনতে পেরেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ধৃতকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার জন্য মালদা আদালতে আবেদন জানিয়েছে কালিয়াচক থানার তদন্তকারী পুলিশ। জেলা পুলিশের এটা বড় সাফল্য বলেও দাবি করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম ধরমবীর শর্মা, বাড়ি উত্তরপ্রদেশের মথুরা জেলার যোশী থানার কচিকলোণি এলাকায়। গোটা দেশে পৃথক পৃথক ভাবে বিগত দিনে যত এটিএম লুঠ হয়েছে, তার পিছনে মূল মাথা হিসাবে ধৃত এই ব্যক্তি কাজ করে এসেছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে এটিএম লুঠের কথা কবুল করেছে ধৃত। উল্লেখ্য, ১৯ আগস্ট কালিয়াচক থানার সুজাপুরের ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের এটিএম থেকে প্রায় আট লক্ষ টাকা লুঠ করে পালায় দুষ্কৃতীরা। ২০ আগস্ট সকালে বিষয়টি জানার পর তদন্তে ওই এলাকায় যায় এলাকায় ছুটে যান পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) দীপক সরকার সহ জেলা পুলিশের পদস্থ কর্তারা। এরপরই বিভিন্ন সূত্র ধরে এটিএম লুঠ কাণ্ডের মূল চক্রের সন্ধান পায় পুলিশ। তবে শুধু সুজাপুর নয়, মালদায় বিগত দিনে যত এটিএম লুঠ হয়েছে, তার পিছনে ধৃতের দলবল জড়িত রয়েছে বলেও জানতে পেরেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার গভীর রাতে চাঁচোল মহাকুমার রতুয়া থানার বাহারাল মোড় গাড়ি ধরার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিল অভিযুক্ত ব্যক্তি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কালিয়াচক থানার পুলিশের বিশেষ একটি টিম সাদা পোশাকে ওই এলাকায় অভিযান চালায় এবং অভিযুক্তকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন রাজ্যে এটিএম লুঠের ঘটনা ঘটেছে। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার একাধিক এলাকায় এটিএম লুঠের ঘটনা বিগত দিনে ঘটেছে। এতে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েছিল রাজ্য পুলিশ ও প্রশাসন। বিভিন্ন সূত্র ধরে শুরু হয় তদন্ত। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, উত্তরপ্রদেশ , রাজস্থান, হরিয়ানার দুষ্কৃতীদের নিয়ে একটি এটিএম লুঠের চক্র তৈরি করেছিল অভিযুক্ত ধরমবীর শর্মা। তাদের মাধ্যমেই এ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় এই এটিএম লুঠের কারবার চলছিল। এটিএম মেশিন খোলার ক্ষেত্রেও অত্যন্ত পারদর্শী কিছু যুবকদের এই টিমে সামিল করা হয়েছিল। বিনিময়ে দেওয়া হতো মোটা কমিশনও। কালিয়াচক সুজাপুরের এটিএম লুঠের ঘটনার পরই পুলিশের টনক নড়ে যায়। সিসিটিভির ফুটেজ দেখেই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। আর তাতেই উঠে আসে উত্তরপ্রদেশের ধরমবীর শর্মার নাম। পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া জানিয়েছেন, রতুয়া থেকে কালিয়াচক থানার পুলিশ এটিএম লুঠ কাণ্ডের এক পান্ডাকে গ্রেফতার করেছে। রতুয়া বাহারাল এলাকার এক আত্মীয়ের বাড়িতে কয়েকদিন ধরেই ছিল অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে সুজাপুরের এটিএম লুঠ কাণ্ডের পর থেকেই রতুয়াতে গা ঢাকা দিয়েছিল সে। অবশেষে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতের সঙ্গে কারা কারা যুক্ত আছে তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।

সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২০

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

যুবভারতী কাণ্ডে নতুন মোড়, শতদ্রু দত্তের রিষড়ার বাড়িতে হানা বিধাননগর পুলিশের

যুবভারতী কাণ্ডের পর থেকেই রিষড়ার একটি ঝাঁ চকচকে তিনতলা বাড়ি ঘিরে কৌতূহল বেড়েছে। শুক্রবার সকালে সেই বাড়িতেই হাজির হল বিধাননগর পুলিশ। যুবভারতী স্টেডিয়ামে মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে হওয়া বিশৃঙ্খলার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তের এই বাড়িতে এদিন তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। তবে ঠিক কী কারণে এই তল্লাশি, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি পুলিশ আধিকারিকরা।গত ১৩ ডিসেম্বর যুবভারতী স্টেডিয়ামে লিওনেল মেসির অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন শতদ্রু দত্ত। ওই দিন স্টেডিয়ামে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ছড়ায়। সেই ঘটনার পরই আয়োজক সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এবং পুলিশ শতদ্রুকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। ঠিক সেই সময়ই শুক্রবার সকালে তাঁর রিষড়ার বাড়িতে পৌঁছে যায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ বিধাননগর থানার পাঁচজন আধিকারিক, তাঁদের মধ্যে মহিলা পুলিশকর্মীও ছিলেন, এদিন সকালে রিষড়ায় যান। প্রথমে তাঁরা রিষড়া থানায় হাজির হন। পরে স্থানীয় থানার পুলিশের সহযোগিতায় বাঙুর পার্ক এলাকায় শতদ্রু দত্তের বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। সেই সময় বাড়িতে শুধুমাত্র এক পরিচারিকা ছিলেন। তাঁর সঙ্গেও কথা বলেন পুলিশ আধিকারিকরা।এরপর তিনতলা বাড়ির প্রতিটি ঘরে তল্লাশি চালানো হয়। সূত্রের খবর, ওই বাড়িতে একটি ব্যক্তিগত ফুটবল মাঠ এবং একটি সুইমিং পুল রয়েছে। সেগুলিও ঘুরে দেখেন তদন্তকারীরা। তবে তল্লাশির পর বাড়ি থেকে কোনও কিছু বাজেয়াপ্ত করা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন, তাই এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।এদিকে তদন্তকারীদের একাংশের অনুমান, মেসির অনুষ্ঠানে বিপুল পরিমাণ কালো টাকা ব্যবহার হয়ে থাকতে পারে। যুবভারতী কাণ্ডে পুলিশের তরফে ইতিমধ্যেই দুটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সেই এফআইআরের ভিত্তিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ইসিআইআর দায়ের করে আর্থিক লেনদেনের উৎস খতিয়ে দেখতে পারে বলে তদন্তকারী সূত্রে খবর।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
দেশ

সংবাদমাধ্যমে আগুন, ভারত-বিরোধী স্লোগান—ঢাকা পরিস্থিতিতে কড়া নজর দিল্লির

ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ফের তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ঢাকাসহ একাধিক শহরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমের অফিসে আগুন লাগানো হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে এবং কট্টরপন্থীদের একাংশ প্রকাশ্যে ভারত-বিরোধী মন্তব্য করছে। পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, তা নিয়ে কড়া নজর রাখছে ভারত।সূত্রের খবর, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় যেখানে ভারতীয় হাইকমিশনের অফিস রয়েছে, সেখানে কর্মরত ভারতীয় আধিকারিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে নয়া দিল্লি। সাম্প্রতিক পরিস্থিতির জেরে একাধিক জায়গায় ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র ইতিমধ্যেই বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলেও ইঙ্গিত মিলেছে।বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে কট্টরপন্থীদের বিক্ষোভ চলে। কয়েকটি ক্ষেত্রে সেই বিক্ষোভ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ চট্টগ্রামে ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনারের বাসভবন ঘিরে ধরার ডাক দেওয়া হয়েছে বলে খবর আসে। বিভিন্ন দিক থেকে অফিস ঘেরাওয়ের আহ্বান জানানো হয়। এই পরিস্থিতিতে গোটা ঘটনার উপর নজর রাখছে ভারত সরকার। সূত্রের খবর, নিরাপত্তার কারণে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় আজও ভিসা কেন্দ্র বন্ধ থাকতে পারে।উল্লেখ্য, এর আগেও বাংলাদেশের এক রাজনৈতিক মিছিলে ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে আলাদা করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন এনসিপি নেতা হাসনাত। সেই মন্তব্যের পরই দিল্লি কড়া অবস্থান নেয়। বাংলাদেশের হাইকমিশনার মহম্মদ রিয়াজ হামিদুল্লাহকে তলব করে স্পষ্ট জানানো হয়, এই ধরনের উস্কানিমূলক মন্তব্য ভারত কোনওভাবেই বরদাস্ত করবে না। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনার পর স্পষ্ট, সেই বার্তা এখনও পুরোপুরি কার্যকর হয়নি বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
বিদেশ

কে এই ওসমান হাদি? যাঁর মৃত্যুতে গোটা বাংলাদেশে আগুন জ্বলছে

কয়েক মাস আগেও যাঁকে প্রায় কেউ চিনতেন না, অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি ঘরে ঘরে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছিলেন। রাজনীতিতে আচমকা উত্থান, আবার সেই কাহিনি পূর্ণতা পাওয়ার আগেই থেমে গেল। শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। দেশজুড়ে ছড়িয়েছে উত্তেজনা, বহু জায়গায় আগুন ও বিক্ষোভ। যাঁকে ঘিরে এত আলোচনা, আন্দোলন ও বিতর্ক, সেই ওসমান হাদি আসলে কে ছিলেন?অত্যন্ত সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসেছিলেন ওসমান হাদি। শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লিগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তার অন্যতম মুখ ছিলেন তিনি। সেই আন্দোলনের মাধ্যমেই জাতীয় রাজনীতিতে পরিচিতি পান হাদি। বিতর্কিত গ্রেটার বাংলাদেশ-এর মানচিত্র তৈরির সঙ্গেও তাঁর নাম জড়ায়, যেখানে ভারতের সেভেন সিস্টার্স-সহ একাধিক অঞ্চলকে বাংলাদেশের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছিল।১৯৯৩ সালের ৩০ জুন বরিশালে জন্ম ওসমান হাদির। ছয় ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট। ঢাকার রামপুরা এলাকায় থাকতেন। পেশায় শিক্ষক ছিলেন হাদি। জুলাই আন্দোলনের সময় তিনি সক্রিয়ভাবে স্থানীয় সাংগঠনিক কাজে যুক্ত হন। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই রামপুরা এলাকার সমন্বয়ক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পান এবং পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন।শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লিগ নিষিদ্ধ করার দাবিতে যারা সরব হন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন হাদি। সেই সময়েই গড়ে ওঠে ইনকিলাব মঞ্চ। এই মঞ্চের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং ন্যায়বিচারের দাবি। ইনকিলাব মঞ্চের তরফে জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতি সংরক্ষণ, অভিযুক্তদের বিচার, আহত ও নিহতদের স্বীকৃতি এবং জুলাই চার্টার ঘোষণার দাবি তোলেন হাদি। এর ফলে রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন তিনি।ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায়ও হাদির নাম জড়ায়। বিষয়টি নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। ইনকিলাব মঞ্চের ব্যানারে হাদি বারবার আওয়ামী লিগের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন ও হত্যার অভিযোগ তুলে দলটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান। দাবি মানা না হলে সচিবালয় ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন তিনি।সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদি জানিয়েছিলেন, তাঁকে ফোন ও মেসেজ করে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তবুও তিনি পিছিয়ে যাননি। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াইয়ের ঘোষণা দেন। চা-সিঙ্গারা আড্ডার মাধ্যমে প্রচারও শুরু করেছিলেন। ঠিক সেই সময়ই ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা।গত ১২ ডিসেম্বর জুম্মার নামাজের পর ঢাকার বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট এলাকা দিয়ে ফেরার সময় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। গুলি মাথা ভেদ করে বেরিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে একটি বেসরকারি হাসপাতালে এবং সেখান থেকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ করে শুক্রবার, ১৮ ডিসেম্বর রাতে সিঙ্গাপুরে মৃত্যু হয় ওসমান হাদির। আজ তাঁর দেহ বাংলাদেশে আনা হবে।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

নিষিদ্ধপল্লীতে ভোটার উধাও! খসড়া তালিকায় বাদ ২০ শতাংশ নাম

নিজস্ব সংবাদদাতা: খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হতেই চমকে দেওয়ার মতো তথ্য সামনে এল আসানসোলে। উদ্বেগ ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলেও। এসআইআর বা স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশনের প্রাথমিক পর্ব শেষে দেখা যাচ্ছে, কুলটি বিধানসভার নিয়ামতপুর সংলগ্ন নিষিদ্ধপল্লী এলাকার চারটি বুথে মোট ভোটারের প্রায় ২০ শতাংশ নাম তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। পাশাপাশি আরও প্রায় ২০ শতাংশ ভোটারের সঙ্গে পুরনো তালিকার কোনও ম্যাপিং করা যায়নি বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর।এসআইআর শুরু হওয়ার সময় এই চারটি বুথে মোট ভোটার ছিলেন ৩ হাজার ৬২৭ জন। খসড়া তালিকা প্রকাশের পর দেখা যাচ্ছে, ৭৪২ জনের নাম বাদ গিয়েছে। বাদ পড়া ভোটারদের মধ্যে ১৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, ৬৯ জন অন্যত্র চলে গিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি সংখ্যক, অর্থাৎ ৫৩৪ জন ভোটারের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। জানা গিয়েছে, তাঁরা এনুমারেশন ফর্ম তুললেও তা আর জমা দেননি। পাশাপাশি ২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা সম্ভব হয়নি এমন ভোটারের সংখ্যা ৬৮৪ জন।এই তথ্য সামনে আসতেই বিরোধীরা সরব হয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, বছরের পর বছর এই ভূতুড়ে ভোটারদের ব্যবহার করে এসেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। নিষিদ্ধপল্লী এলাকায় বাংলাদেশি নাগরিকদের নাম ভোটার তালিকায় ঢোকানো হয়েছিল বলেও অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা।তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। দলের দাবি, এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী বুথ লেভেল অফিসার বা বিএলও-রা। তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি বাচ্চু রায় বলেন, নিষিদ্ধপল্লীর অনেক যৌনকর্মী নিজের পরিচয় ও ঠিকানা গোপন রেখে সেখানে কাজ করতে আসেন। এসআইআর চলাকালীন তাঁরা ভয় পেয়ে এলাকা ছেড়ে চলে গিয়েছেন বা ফর্ম তুললেও জমা দেননি। তাঁর দাবি, এখানে কোনও বাংলাদেশি যোগ নেই।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

আপাতত স্বস্তি যোগ্য শিক্ষকদের, চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধি সুপ্রিম কোর্টের

অবশেষে কিছুটা স্বস্তির। সৌজন্যে সুপ্রিম কোর্ট। যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ৩১ ডিসেম্বর নয়, ২০২৬ সালের ৩১ অগস্ট পর্যন্ত চাকরিতে বহাল থাকবেন যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এই সময়সীমার মধ্যেই নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে রাজ্য সরকারকে। এমনই স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য অতিরিক্ত সময় চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। রাজ্যের তরফে ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানোর আবেদন জানানো হলেও আদালত সেই আবেদন আংশিক মঞ্জুর করে প্রায় আট মাসের অতিরিক্ত সময় দেয়। আদালত জানিয়ে দেয়, আগামী ৩১ অগস্টের মধ্যেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, এই সময়কালে যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিয়মিত বেতন পাবেন এবং পড়ানোর কাজও চালিয়ে যেতে পারবেন। তবে আদালত স্পষ্ট করেছে, এই সুবিধা শুধুমাত্র শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের ক্ষেত্রে এই নির্দেশ কার্যকর হবে না।আজকের এই রায়ে বড় স্বস্তি পেল রাজ্য সরকারও। কারণ ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শিক্ষা ব্যবস্থা সচল রাখা এবং বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষক সংকট এড়ানো রাজ্যের পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত আগের যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পরিষেবা ও বেতন বহাল থাকবে।উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৩ এপ্রিল ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়ার সময় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন করে পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরকে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই জটিল প্রক্রিয়া শেষ করা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ায় রাজ্য সরকার সময় বাড়ানোর আবেদন জানায়।আদালতে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ স্তরের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া শেষ করতে আরও কয়েক মাস সময় প্রয়োজন। পাশাপাশি যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর আর্জিও জানানো হয়। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই এই গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগে দেওচা–পাঁচামিতে পাথর উত্তোলনের বরাত বাতিল, নতুন দরপত্রে বিতর্ক

চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগে দেওচাপাঁচামি কয়লাখনি প্রকল্প এলাকায় পাথর উত্তোলনের কাজের বরাত বাতিল করল রাজ্য সরকার। প্রাথমিক পর্যায়ে ১২ একর জমিতে পাথর উত্তোলনের দায়িত্বে থাকা মেসার্স পাচামি ব্যাসল্ট মাইনিং প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের দাবি, সংস্থাটি চুক্তির একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শর্ত মানেনি বলেই এই পদক্ষেপ।রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপে ৩১৪ একর জমিতে পাথর উত্তোলনের জন্য নতুন করে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্ত ঘিরে শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক। বিরোধী দল বিজেপির অভিযোগ, দেওচাপাঁচামি কয়লাখনি প্রকল্প নিয়ে রাজ্য সরকার আসলে ধোঁয়াশা তৈরি করছে। বৃহস্পতিবার সিউড়িতে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, গত ১৫ বছরে রাজ্য সরকার একটি বড় শিল্প প্রকল্পও বাস্তবে রূপ দিতে পারেনি। অথচ দেওচাপাঁচামিকে দেশের বৃহত্তম কয়লাখনি বলে প্রচার করা হচ্ছে। তাঁর দাবি, আসন্ন শিল্প সম্মেলনের আগে বরাত বাতিল ও নতুন দরপত্র ডেকে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।বিজেপি নেতার আরও অভিযোগ, নতুন দরপত্রে কোথাও কয়লাখনি স্থাপনের উল্লেখ নেই। বরং আগামী ১৫ বছরের জন্য শুধুমাত্র পাথর উত্তোলনের কথাই বলা হয়েছে। তাঁর বক্তব্য, এর থেকেই স্পষ্ট যে আপাতত কয়লা উত্তোলনের কোনও পরিকল্পনাই রাজ্যের নেই। যদিও গত অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক স্তরে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল, এখনও পর্যন্ত কোনও সংস্থা আগ্রহ দেখায়নি বলেও দাবি করেন তিনি।জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, কেন্দ্রের অনুমোদন ছাড়া এই প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। অথচ এখনও পর্যন্ত কোনও পূর্ণাঙ্গ নকশা বা প্রস্তাব কেন্দ্রের কাছে জমা পড়েনি। পাশাপাশি আদিবাসীদের জমি নেওয়া হলেও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ বা স্থায়ী কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি বলেও অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিকে রাজ্য সরকারের শিল্পনীতির ব্যর্থতার প্রতিফলন বলে দাবি করছে বিরোধীরা।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
কলকাতা

মেসি-কাণ্ডে মানহানির অভিযোগ, লালবাজারে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের এফআইআর

লিওনেল মেসিকে ঘিরে কলকাতার সাম্প্রতিক বিতর্কে এবার আইনি মোড়। প্রকাশ্যে মানহানিকর মন্তব্যের অভিযোগ তুলে কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজারে এফআইআর দায়ের করলেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। অভিযোগের আঙুল উঠেছে কলকাতার আর্জেন্টিনা ফ্যান ক্লাবের প্রধান তথা মেসি-ভক্ত উত্তম সাহার দিকে।সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের আইনজীবীর তরফে জানানো হয়েছে, যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মেসিকে ঘিরে যে বিতর্কিত ঘটনার সূত্রপাত, তা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে সৌরভের ভূমিকা সম্পর্কে একাধিক ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হয়েছে। এই মন্তব্যগুলিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মানহানিকর বলেই দাবি করা হয়েছে অভিযোগে।সৌরভের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানে তিনি শুধুমাত্র একজন আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবেই উপস্থিত ছিলেন। ইভেন্টের আয়োজন বা পরিচালনার সঙ্গে তাঁর কোনও রকম সাংগঠনিক যোগ ছিল না। অনুষ্ঠানের মূল আয়োজক ছিলেন শতদ্রু দত্ত। একই অনুষ্ঠানে অভিনেতা শাহরুখ খান-সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, উত্তম সাহা প্রকাশ্যে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে চিটিংবাজ বলে কটাক্ষ করেন, যা প্রাক্তন অধিনায়কের সামাজিক সম্মান ও দীর্ঘদিনের ভাবমূর্তিকে গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এই কারণেই মানহানির নোটিস পাঠানোর পাশাপাশি লালবাজারে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।উল্লেখ্য, মেসিকে দেখার আশায় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে হাজার হাজার দর্শক মোটা অঙ্কের টিকিট কেটেও শেষ পর্যন্ত হতাশ হন। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতেও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় এবং তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস পদত্যাগ করেন। পুলিশ কর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। একজন ডিসিপি সাসপেন্ড হয়েছে। এই আবহেই দেওয়া উত্তম সাহার মন্তব্যকে ঘিরে এবার আইনি পথে হাঁটলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজনীতি

একেই হুমায়ুন কবীরে অস্থির! এবার দুর্নীতির অভিযোগ জেলা পরিষদের সদস্যপদে ইস্তফা দাপুটে তৃণমূলনেত্রীর

২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুর্শিদাবাদে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে বড়সড় রাজনৈতিক বিস্ফোরণ। দলের হেভিওয়েট নেত্রী ও জেলা পরিষদের প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি শাহনাজ বেগম জেলা পরিষদের সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিলেন। শুধু পদত্যাগই নয়, দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রকাশ্যে নিজের দলের পরিচালিত জেলা পরিষদ বোর্ডকে কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি।১৭ ডিসেম্বর বিভাগীয় কমিশনারের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠান শাহনাজ বেগম। তার প্রতিলিপি জমা পড়েছে জেলা শাসকের কাছেও। তবে প্রশাসনিক চিঠির থেকেও বেশি আলোড়ন তৈরি করেছে তাঁর ফেসবুক পোস্ট। সেখানে তিনি স্পষ্ট ভাষায় লেখেন, চোর জেলা পরিষদের একজন অংশীদার হয়ে থাকা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। এই এক লাইনের মন্তব্যেই জেলা তৃণমূল রাজনীতিতে তীব্র অস্বস্তি ছড়িয়েছে।শাহনাজ বেগম দাবি করেছেন, তিনি কখনও অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি এবং ভবিষ্যতেও করবেন না। দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা ক্ষোভই যে এবার প্রকাশ্যে এসেছে, তা তাঁর বক্তব্যেই স্পষ্ট। রাজনৈতিক মহলের মতে, নির্বাচনের মুখে দাঁড়িয়ে দলের অন্দরে এমন প্রকাশ্য বিদ্রোহ তৃণমূলের জন্য বড় ধাক্কা।মুর্শিদাবাদ জেলা রাজনীতিতে শাহনাজ বেগম অত্যন্ত প্রভাবশালী নাম। একসময় কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি ভেঙে জেলা পরিষদে তৃণমূলের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর। ২০১৩ সাল থেকে সোমপাড়া, রামপাড়া ও রামনগর বাছড়া এলাকা থেকে টানা তিনবার নির্বাচিত হন তিনি। কর্মাধ্যক্ষ থেকে সহকারী সভাধিপতি, একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন শাহনাজ।যদিও আপাতত অন্য কোনও দলে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত দেননি তিনি। তবে পদ ছাড়লেও এলাকার মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। এই বিস্ফোরক ইস্তফা মুর্শিদাবাদের রাজনীতিতে কী প্রভাব ফেলে, এখন সেটাই দেখার।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal