• ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, বুধবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Nandigram

রাজনীতি

এবার ভোট পরবর্তী হিংসা খতিয়ে দেখতে নন্দীগ্রাম যাচ্ছেন রাজ্যপাল

শাসকদলের সমালোচনায় দমছেন না রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। কোচবিহারের পর ভোটপরবর্তী হিংসার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে তিনি যাচ্ছেন রাজ্যের সবচেয়ে হেভিওয়েট কেন্দ্র নন্দীগ্রামে। এই কেন্দ্র থেকেই এবারের নির্বাচনে লড়াই করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর কাছে সামান্য ভোটের ব্যবধানে হারতে হয়েছে মমতাকে।রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসায় আক্রান্তদের পাশে দাঁড়াতে গতকাল থেকেই জেলা সফর শুরু করেছেন রাজ্যপাল। বৃহস্পতিবার দিনভর অশান্ত কোচবিহারের বিভিন্ন জায়গা ঘুরেছেন জগদীপ ধনখড় । তাঁর সাংবিধানিক অধিকারের কথা মনে করিয়ে রাজ্যবাসীর সুরক্ষা কতটা, তা সরেজমিনে দেখেছেন। আজ আবার তিনি গিয়েছিলেন অসমে। অসমের ধুবুড়ি জেলার আগমনিতে যান তিনি। রাঙ্গাপালি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শরণার্থী শিবিরে আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলেন ৷ অভিযোগ, এই রাঙ্গাপালি প্রাথমিক বিদ্যালয়েই আশ্রয় নিয়েছেন কোচবিহারের বক্সিরহাট, তুফানগঞ্জ, ঝাউকুঠি এলাকার আক্রান্ত বিজেপি কর্মীরা৷ ধনখড় তাঁদের দ্রুত ঘরে ফেরানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কোচবিহার, অসমের পর শনিবারই তিনি যাবেন নন্দীগ্রাম। সকালেই বিএসএফের কপ্টারে নন্দীগ্রামে যাচ্ছেন তিনি। নন্দীগ্রাম বাজারে, বঙ্কিম মোড়, কেন্দামারিতে যাবেন রাজ্যপাল। এলাকা পরিদর্শনের পর জানকীনাথ মন্দির যাবেন রাজ্যপাল। সেখানে পুজো দিয়ে শনিবারই কলকাতা ফিরবেন তিনি। তাৎপর্যপূর্ণভাবে রাজ্যপালের সফরের একদিন আগে নন্দীগ্রামের বিরুলিয়া বাজারে কর্মীকে খুনের অভিযোগে মৌন মিছিল করেছে বিজেপি।এদিকে, রাজ্যপালের জেলা সফরের মধ্যেই ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর দাবি, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা রাজ্যে বহু মহিলার শ্লীলতাহানি করেছে। আধার কার্ড, ভোটার কার্ড সব নিয়ে নেওয়া হয়েছে। তৃণমূল নেতারা বিজেপি কর্মীদের রেশন নিতে দিচ্ছে না। পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, দুই বর্ধমানের অবস্থা মারাত্মক। ওডিশা, অসমে বহু মানুষ চলে গিয়েছেন প্রাণ বাঁচাতে। দিল্লি থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দল এসেও আক্রান্ত হচ্ছে। তপসিলি কমিশন এসেও আক্রান্ত হচ্ছেন। দিলীপের দাবি, রাজ্যের গণতান্ত্রিক পরিবেশ মোটেই সুখকর নয়।

মে ১৪, ২০২১
রাজনীতি

অনেক টানাপড়েনের পর নন্দীগ্রামে জয়ী শুভেন্দু অধিকারী

ভোটের ফল প্রকাশ পাওয়ার পর একেবারে শেষ লগ্নে এসেও ধোঁয়াশা কাটল না নন্দীগ্রাম নিয়ে। জেলার রিটার্নিং অফিসার অবশ্য শুভেন্দু অধিকারীকেই জয়ী ঘোষণা করেছেন। যার কিছুক্ষণ পরই রীতিমতো গণনার কাগজ প্রকাশ করে নিজেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে জয়ী ঘোষণা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।সাম্প্রতিক সময়ে যে যে নেতা তৃণমূল নেতা দলবদল করে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে একমাত্র শুভেন্দু অধিকারীই এ দিন সামান্য কিছু ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেন নন্দীগ্রামে। যদিও তাঁর জয়ের রাস্তাটা সহজ ছিল না। ভোটগণনা শুরু হওয়ার পর থেকে এগিয়েই ছিলেন শুভেন্দু। কিন্তু, কয়েক রাউন্ড ভোট গণনার পরই এগিয়ে যান মমতা। চলতে থাকে সাপ লুডোর খেলা। কখনও এগিয়ে যান শুভেন্দু, কখনও এগোতে থাকেন মমতা।এই প্রবণতা অব্যাহত ছিল শেষ রাউন্ড গণনা পর্যন্ত। বিকেলে সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১২০০ ভোটের ব্যবধানে নন্দীগ্রামে জিতেছেন মমতা। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই আবার বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, শুভেন্দু জিতেছেন নন্দীগ্রামে। কমিশনের পক্ষ থেকেও এমনটাই জানানো হয়। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়ে তৃণমূল। মমতা জানান যে তিনি আদালতে যাবেন। যা নিয়ে এখনও জলঘোলা অব্যাহত। পুর্নগণনার আবেদন জানিয়েছে শাসকদল।অন্যদিকে, কমিশনের তরফে জয়ী তকমা পাওয়ার পর শুভেন্দু টুইটে লেখেন, আমার ওপর বিশ্বাস এবং ভরসা রাখার জন্য নন্দীগ্রামের প্রতিটি মানুষকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এই জয় নন্দীগ্রামে প্রতিটি মানুষের জয়। আগামী দিনে নন্দীগ্রামের উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করাই আমার সংকল্প।

মে ০২, ২০২১
রাজ্য

দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে নজর কাড়ল নন্দীগ্রামই

দ্বিতীয় দফার ভোটের সারা দিনই ছিল ঘটনাবহুল। ভোটের দিন ঘড়ির কাঁটা যত এগিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর, পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে উত্তেজনার পারদ চড়েছে। নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যেতে হয়েছে বুথে। শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়েও হামলা হয়েছে। ইটবৃষ্টিতে ভেঙেছে সংবাদমাধ্যমের গাড়ি। যদিও দ্বিতীয় দফায় বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণ ভাবেই ভোট শেষ হয়েছে বলে দাবি করল নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ৩০টি আসনে মোট ৮০.৪৩ শতাংশ ভোট পড়েছে। তার মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরে ৮১.২৩, পশ্চিম মেদিনীপুরে ৭৮.০৫, বাঁকুড়ায় ৮২.৭৮ এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৭৯.৬৬ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) আরিজ আফতাব। চার জেলায় ৩০টি আসনে ভোট হলেও নজর কেড়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারীর দ্বৈরথ। গোলমালের আশঙ্কা আঁচ করে নন্দীগ্রামের ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। সিল করে দেওয়া হয়েছিল গোটা এলাকা। দুই মেদিনীপুর জুড়েই ছিল কড়াকড়ি। কিন্তু তার পরেও গোলমাল আটকানো যায়নি। বয়ালে কার্যত সম্মুখসমরে দাঁড়িয়েছিলেন বিজেপি এবং তৃণমূলের সমর্থকেরা। আরিজ আফতাব সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, বিক্ষিপ্ত কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। দ্রুত পদক্ষেপও করেছে কমিশন। মোটের উপর ভোট শান্তিপূর্ণ ছিল। নন্দীগ্রামে বহু বুথে তাদের এজেন্ট বসতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল। বয়ালে তেমনই একটি অভিযোগ পেয়ে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছন। সেখানে প্রায় দুঘণ্টা ছিলেন তিনি। কেন্দ্রীয় ও রাজ্যের বাহিনীকে আসরে নামতে হয়। বুথ থেকে বেরিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, কমিশন নিজের দায়িত্ব পালন করছে না। ব্যর্থ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে চলছে। কেন নির্বাচনের দিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জনসভা করছে়ন, তা নিয়েও সরব হন তৃণমূল সুপ্রিমো। ভোটের দিন পরিস্থিতি অবনতি এবং ব্যর্থতার জন্য তৃণমূল, সিপিএম-সহ বিরোধীদল কমিশনের দিকেই আঙুল তুলছে। যদিও ভোট পরিচালনা করতে কমিশন ব্যর্থ হয়েছে, তা মানতে নারাজ কর্তারা। সিইও স্পষ্টতই বলেন, অভিযোগ পেয়েই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ব্যর্থ হয়নি। ভোট শেষ হওয়ার পরেও বেশ কয়েকটি বুথ এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে।কমিশন জানিয়েছে, কেশপুরে মিডিয়া এবং বিজেপি প্রার্থীর গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কেশপুরে উত্তম দলুইয়ের মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত চলছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২, ১৪৩ ধারায় মামলাও হয়েছে।

এপ্রিল ০১, ২০২১
রাজ্য

ভোটের দিন সকালেই নন্দীগ্রামে আত্মঘাতী বিজেপি কর্মী

ভোটের দিন সকালে বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল নন্দীগ্রামের ভেকুটিয়ায়। অভিযোগ, বুধবার রাতে তৃণমূলের তরফে উদয়শংকর দেব নামে ওই ব্যক্তিকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। মৃতের পরিবারের দাবি, সেই আতঙ্কেই আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। যদিও অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবি তৃণমূলের তরফে। জানা গিয়েছে, নন্দীগ্রামের পূর্ব ভেকুটিয়ার বাসিন্দা উদয়শংকর দেব। দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপির সঙ্গে যুক্ত তিনি। সক্রিয় কর্মী হিসেবেই এলাকায় পরিচিত ছিলেন। অভিযোগ, সেই কারণেই বারবার তৃণমূলের হুমকির মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। রাস্তাঘাটে হেনস্তা করা হত তাঁকে। মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, বুধবার গভীর রাতে একদল তৃণমূল কর্মী তাঁদের বাড়িতে যান। অভিযোগ, ভোট দিতে গেলে তাঁদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই অত্যন্ত আতঙ্কে ভুগছিলেন উদয়শংকর। পরে বৃহস্পতিবার সকালে বাড়িতেই উদ্ধার হয় ওই ব্যক্তির দেহ। ভোটের দিন সকালে অধিকারীদের গড় নন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। তৃণমূলের হুমকির জেরেই আত্মঘাতী হয়েছেন উদয়শংকর, এই অভিযোগ তুলে পথে নামেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারির দাবিতে সরব হন তাঁরা। বলেন, তৃণমূল যেভাবে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে তাতে আমাদের পক্ষে ভোট দিতে যাওয়া কার্যত অসম্ভব।পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত হবে।

এপ্রিল ০১, ২০২১
রাজ্য

সাতসকালে নন্দীগ্রামে ভোট দিলেন শুভেন্দু

এতদিন ছিলেন বিধায়ক। প্রথমবার নন্দীগ্রামের ভোটার হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার সাতসকালেই নন্দীগ্রামের নন্দনায়েকবাড়ের ৭৬ নং বুথে গিয়ে ভোট দিয়ে এসেছেন তিনি। এদিন সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ নন্দনায়েকবাড়ের ওই ভোটকেন্দ্র পৌঁছন বিজেপি প্রার্থী। এক দলীয় কর্মীর বাইকে চেপে ভোট দিতে আসেন তিনি। তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরাও আসেন বাইকে চেপেই। পরনে ছিল সাদা পাজামা-পাঞ্জাবী। গলায় গেরুয়া উত্তরীয়। বিজেপি প্রার্থী পৌঁছাতেই ওই ভোটকেন্দ্রের আশেপাশে জড়ো হন প্রচুর মানুষ। আশেপাশের বাড়ির ছাদে এবং বুথের বাইরেও মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। জমায়েতের পাশাপাশি বিজেপি কর্মীদের জয় শ্রীরাম স্লোগানের বহরও ছিল লক্ষনীয়। নন্দনায়েকবাড়ের এই বুথে মোট ভোটার মাত্র ৬০০ জন। স্বভাবিকভাবেই ভোটারদের ভিড় তেমন চোখে পড়েনি। তবে, শুভেন্দু অধিকারী বুথে আসতেই তাঁকে ঘিরে যে উন্মাদনা সৃষ্টি হয়, সেটা বেশ লক্ষনীয়। ভোট দিয়ে বেরিয়ে বিজেপি প্রার্থী দাবি করেন, এবারে উন্নয়ন জিতবে এবং তোষণ পরাস্ত হবে। তাঁর কথায়, সকাল থেকেই শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হচ্ছে। আমার তরফ থেকে তেমন কোনও অভিযোগ নেই। দুটি বুথে আমার এজেন্টদের বাধা দেওয়া হয়েছিল। তবে, সমস্যা মিটে গিয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হোক। নিয়ম মেনেই হোক। বিজেপি প্রার্থীর দাবি, সব বুথেই তাঁর নির্বাচনী এজেন্ট রয়েছে। তবে, অন্তত ৮০টি বুথে তৃণমূল এজেন্ট দিতে পারেনি। যদিও তৃণমূলের তরফে সেই অভিযোগ নাকচ করে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল নেতা স্বদেশ দাস সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, শুভেন্দু মিথ্যে বলে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন।

এপ্রিল ০১, ২০২১
রাজ্য

নজিরবিহীন নিরাপত্তায় আজ হাইভোল্টেজ ভোট নন্দীগ্রামে

আজ নন্দীগ্রামে হাইভোল্টেজ ভোট। ভোটগ্রহণের অনেক আগে থেকেই নন্দীগ্রাম জুড়ে টহল দিচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। রয়েছে মহিলা সিআরপিএফ-এর দল। বুধবারই নন্দীগ্রামে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। বিকেল থেকেই মাইকে ঘোষণা শুরু করে দেয় পুলিশ। নন্দীগ্রামে ঢোকা ও বেরনোর প্রতিটি সীমানায় শুরু হয়েছে নাকা চেকিং। চলছে হেলিকপ্টারে নজরদারি। সব মিলিয়ে নন্দীগ্রাম কার্যত দুর্গের চেহারা নিয়েছে।এদিকে ভোটগ্রহণের কয়েক ঘণ্টা আগেই সিল করে দেওয়া হয় নন্দীগ্রাম। জলে এবং স্থলে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং রাজ্য পুলিশ দিয়ে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন। দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের আগে বেশ কিছু দিন ধরেই নন্দীগ্রাম এলাকায় বহিরাগত প্রবেশের অভিযোগ তুলে আসছিল তৃণমূল। বুধবার সন্ধ্যায় কার্যত সেই অভিযোগকে কার্যত মান্যতা দিয়েই বাড়তি নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়। যে ভাবে শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তায় মহিলা সিআরপিএফ নিয়োগ করা হয়েছে, একই ভাবে সংযুক্ত মোর্চা প্রার্থী মীনাক্ষীর নিরাপত্তাতেও জোর দেওয়া হয়েছে। বুধবার থেকেই তাঁর জন্য ৪ জন সশস্ত্র নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।বুধবার পুর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক সুমিতা পাণ্ডে জানিয়েছেন, কোনও রকম ঝামেলা বরদাস্ত নয়। প্রতিটি ক্ষেত্রে সুরক্ষায় কোনও খামতি থাকছে না বলে তিনি জানান। সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী যে কোনও বুথ এলাকাতেই ১৪৪ ধারা জারি থাকে। কিন্তু নন্দীগ্রামের ক্ষেত্রে শুধু এটুকুই নয়, গোটা বিধানসভা এলাকাতেই ১৪৪ ধারা বজায় থাকবে। জেলাশাসক বলেন, এ বার নন্দীগ্রামে ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে, যা বুধ ও বৃহস্পতিবার বলবৎ থাকবে। পাশাপাশি অতি সংবেদনশীল বুথগুলিতে ৪ ধরনের নজরদারির ব্যবস্থা থাকবে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি বুথে থাকবে লাইভ ওয়েবকাস্টিং, সিসিটিভি, ভিডিওগ্রাফি এবং অবজার্ভার। এ ছাড়াও নন্দীগ্রামের ৫০ শতাংশ বুথে লাইভ ক্যামেরায় নজরদারি চলবে, যা তদারক করা হবে তমলুকের নিমতৌড়িতে জেলাশাসকের কার্যালয় থেকে।নন্দীগ্রামের মোট ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ ৫৭ হাজার ৯৯৯। তার মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ৩৩ হাজার ২৫৭। মহিলা ভোটারের সংখ্যা ১ লক্ষ ২৩ হাজার ৮৯৮। পূর্ব মেদিনীপুরের নিরাপত্তা আরও আটোসাঁটো করতে হলদিয়ায় পাঠানো হয়েছে আইপিএস অফিসার প্রবীণ ত্রিপাঠীকে। নন্দীগ্রামে থাকবেন গেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী। এ ছাড়াও নজিরবিহীন ভাবে সুন্দরবন অঞ্চলে ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফায় যে ৩০ কেন্দ্রে ভোট হবে, সেখানে ৫ হাজার ৫৩৫ বুথে ওয়েবকাস্টিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে, যাতে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ায় অনলাইন নজরদারি চালানো যায়। এ মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৭৩২, পূর্ব মেদিনীপুরে ১ হাজার ৬১১, পশ্চিম মেদিনীপুরে ১ হাজার ৮০২ আর বাঁকুড়াতে ১ হাজার ৩৯০টি বুথে ওয়েবকাস্টিংয়ের ব্যস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়াও ৩ হাজার ৪৯টি বুথে থাকছে সিসিটিভি ক্যামেরা। মাইক্রো অবজার্ভার থাকবে ১ হাজার ৯১৫টি বুথে। ২৮৬টি বুথে ভিডিয়ো ক্যামেরায় নজরবন্দি করা হবে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া। ইতিমধ্যেই ৬৩২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে ৩০ কেন্দ্রে। রাজ্যে এই মুহূর্তে ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে। আরও ২০০ কোম্পানি আসছে ৮ এপ্রিলের মধ্যে।শেষবার এমন নিরাপত্তার মধ্যে কবে ভোট দেখেছে নন্দীগ্রাম তা স্থানীয়রা বলতে পারছেন না। তাই এবার ভালোয় ভালোয় ভোট মিটলেই তারা খুশি।

এপ্রিল ০১, ২০২১
রাজ্য

নন্দীগ্রামে বহিরাগতদের ঢুকতে না দেওয়ার সতর্কবার্তা মমতার

পায়ে চোট নিয়েই প্রায় মাসখানেক ধরে হুইলচেয়ারে বসে নির্বাচনী প্রচার সারছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ১০ মার্চ নন্দীগ্রামে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর মন্দির দর্শনে গিয়ে পায়ে আঘাত পান তিনি। হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর বিশ্রাম নেননি তেমন। হুইলচেয়ারকে সঙ্গী করেই বেরিয়ে পড়েছেন। ঘুরেফিরে আজ ফের নন্দীগ্রামে তৃণমূল সুপ্রিমো। টানা তিনদিন এখানেই রয়েছেন, একাধিক জায়গায় জনসভা করছেন। আর প্রায় প্রতিবারই ঘুরেফিরে আসছে তাঁর চোটের প্রসঙ্গ। মঙ্গলবার বাঁশুলিয়াচকের সভা থেকে নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থীর গলায় ফের শোনা গেল সেই কথা। বললেন, নন্দীগ্রামের মানুষকে দোষ দিই না। আমার পায়ে চোট করানো হয়েছে বহিরাগত গুন্ডাদের দিয়ে। এরপরই তাঁর বার্তা, সন্ধে ৬টার পর কাউকে ঢুকতে দেবেন না। এদিন তাঁকে দেখেই জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিতে শোনা যায়। এরপরই তিনি বহিরাগত গুন্ডাদের কথা বলেন। সোমবার নন্দীগ্রামের বয়াল-২র সভা থেকে মমতা নাম না করে তাঁর আঘাতের জন্য শুভেন্দু অধিকারীকে দায়ী করেছিলেন। বলেছিলেন, আমাকে মেরেছে। আমার পা জখম করেছে। তোমার নির্দেশ ছাড়া এটা হতে পারে না। নন্দীগ্রামের কেউ এই ঘটনা ঘটায়নি। বহিরাগত গুণ্ডাদের এনে এই কাণ্ড ঘটানো হয়েছে। আর এখন দলের লোকেদের মারছে। হাইভোল্টেজ কেন্দ্র নন্দীগ্রামে ভোটের আগে বহিরাগতদের আনাগোনা নিয়ে ইতিমধ্যেই কমিশনে গিয়েছে তৃণমূল। তাঁদের অভিযোগ, ভোটে অশান্তি তৈরির জন্য এসব ষড়যন্ত্র চলছে। এবার নন্দীগ্রামে অশান্তি রুখতে একজন প্রশাসনিক প্রধানের মতোই পরামর্শ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাইরের মানুষজনের আনাগোনা ভোটের দিন যে কতটা বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থির অবনতি হতে পারে, সর্বোপরি সাধারণ মানুষজন আতঙ্কিত হয়ে বাড়ি থেকে বেরনোর ঝুঁকিও না নিতে পারেন, এসব সম্ভাবনা বেশ টের পেয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এই পরিস্থিতিতে কিন্তু তিনি সজাগ, এক অভিভাবকের মতোই। তাই স্থানীয়দের প্রতি তাঁর সরাসরি বার্তা, বাইরের কাউকে আর ঢুকতে দেবেন না। শুধু ইনসাইডাররা থাকবেন, আর আমি থাকব। আমি ভোটার, আমাকে তো থাকতেই হবে। এই প্রসঙ্গেই তিনি আরও বলেন, আপনারা শান্ত থাকুন, কোনও অশান্তি করবেন না। কেউ অন্য়ায় করলে আমি আছি তো শাস্তি দেওয়ার জন্য। আসলে, নন্দীগ্রামে কতটা শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হবে, তা নিয়ে চিন্তায় সবমহলই।

মার্চ ৩০, ২০২১
রাজ্য

নন্দীগ্রামের প্রেস্টিজ ফাইটে জয় হবে শুভেন্দুর: আত্মবিশ্বাসী অমিত শাহ

রোড শো-এর পর রেয়াপাড়ার সাংবাদিক বৈঠক থেকে রাজ্যের নারী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বলেন, নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাড়া নেওয়া বাড়ি থেকে ৫ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে এক মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মাঝে মধ্যেই নারী সুরক্ষা নিয়ে নানা কথা বলেন, কিন্তু আজ আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করতে চাইব, আপনার উপস্থিতিতেই নন্দীগ্রামে এক মহিলাকে ধর্ষণ করা হল। তাহলেই বুঝুন, পশ্চিমবঙ্গে নারী সুরক্ষা কোথায় দাঁড়িয়ে আছে। নন্দীগ্রামের জনসভা থেকে পাল্টা মন্তব্য করেন মমতাও। বলেন, একটা পরিকল্পনা আছে ওদের। নিজের দলের কোনও একটি মেয়েকে ওরা মারবে। বিহার, উত্তরপ্রদেশের গুন্ডাদের দিয়ে অত্যাচার করাবে। তারপর মারবে। মেরে বাংলার নামে দোষ দিয়ে হিন্দু-মুসলমান করবে। এটা ওদের পরিকল্পনা।দ্বিতীয় দফার ভোটের আগে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে প্রচারের ঝড় তুলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে অমিত শাহ , শুভেন্দু অধিকারীরা। আক্রমণ পালটা আক্রমণে বাড়ছে প্রচারের উত্তাপ। কারণ নন্দীগ্রাম সবার কাছেই প্রেস্টিজ ফাইট। সেই নন্দীগ্রামের মাটি থেকে কোনও রকম রাখঢাক না করে সে কথাই বুঝিয়ে দিলেন অমিত শাহ। শুভেন্দুকে পাশে বসিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে শাহ বলেন, নন্দীগ্রামে পরিবর্তন হলেই বাংলায় পরিবর্তন আসবে।নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর সমর্থনে পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী রোড শো করেন শাহ। তার পর রোয়াপাড়া শিবমন্দিরে পুজো দিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। সাংবাদিক বৈঠক থেকে প্রত্যাশামতোই প্রধান প্রতিপক্ষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন অমিত শাহ। নারী সুরক্ষা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বারাবরের দাবিকে কটাক্ষ করেন তিনি বলেন, নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে উপস্থিত। আর যে বাড়িতে মমতা দিদি রয়েছেন তার পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যেই এক মহিলা ধর্ষণের শিকার হলেন। তাই এই পরিস্থিতির পরিবর্তন প্রয়োজন। বাংলায় পরিবর্তন চাই। আর নন্দীগ্রামে দিদিকে হারালেই গোটা বাংলায় পরিবর্তন আসবে। নিমতায় বিজেপি সমর্থকের মায়ের মৃত্যুর ঘটনাও উল্লেখ করেন শাহ।

মার্চ ৩০, ২০২১
রাজ্য

আজ শুভেন্দু ও অভিষেক-গড়ে রোড শো অমিত শাহর

দ্বিতীয় দফার ভোটের শেষ দিনের পদ্ম-প্রচারের ঝড় তুলতে ফের বাংলায় অমিত শাহ। একই দিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্র নন্দীগ্রামের পাশাপাশি যুব তৃণমূল সভাপতি তথা ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড়ে যাচ্ছেন তিনি। মঙ্গলবার পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ৩টি রোড-শো করার পরে তিনি সভা করবেন ডায়মন্ডহারবারে। প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় দফাতেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ভোট শুরু হয়ে গেলেও ডায়মন্ডহারবার আসনে ভোট রয়েছে তৃতীয় দফায় ৬ এপ্রিল।বিজেপি সূত্রে অমিতের যে সফরসূচি জানা গিয়েছে তাতে, নন্দীগ্রামে তিনি রোড শো করবে দুপুর ১২টায়। সেখান থেকে চলে যাবেন পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরায়। রোড-শো শুরু হবে দুপুর দেড়টায়। এর পরে বিকেল ৩টের সময় পাঁশকুড়া পশ্চিম বিধানসভা এলাকায় রোড-শো করে অমিত চলে যাবেন ডায়মন্ডহারবারে। সূচি অনুযায়ী, সেখানে তাঁর সভা শুরু হবে বিকেলে সাড়ে ৪টের সময়। এই আসনে যুযুধান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিজেপি শিবিরে নবাগত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। মমতা এখন নন্দীগ্রামেই রয়েছেন। তিনি নিজেই জানিয়েছেন, দ্বিতীয় দফার ভোট পর্যন্ত সেখানেই থাকবেন। সুতরাং, অমিতের রোড-শো চলার সময় নন্দীগ্রামেই থাকবেন মমতা। নন্দীগ্রামে প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে প্রচারের শেষবেলায় শুধু অমিত নন, মঙ্গলবার রোড-শো করবেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীও। বিজেপি-র পরিকল্পনা মতো অমিত ছাড়াও, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সভা করার কথা প্রতিটি জেলায়। কিন্তু ভিআইপি আসন নন্দীগ্রামের জন্য কার্যত ৩ জনই এলেন প্রচারে। মোদি কাঁথি শহরে সভা করলেও তার অনেকটাই ছিল নন্দীগ্রাম জয়ের লক্ষ্যে। পাশাপাশি যোগী নন্দীগ্রামের তেখালিতে সভা করে গিয়েছেন। এ বার আসছেন অমিত।

মার্চ ৩০, ২০২১
কলকাতা

কুটিল চিত্রনাট্য ছিল নন্দীগ্রামে, সরব তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী

বর্তমানের পরে এ বার প্রাক্তন। প্রায় দেড় দশক আগে নন্দীগ্রামে এবং সিঙ্গুরের জমি রক্ষা আন্দোলনের পিছনে কুটিল চিত্রনাট্যের অভিযোগ তুললেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। সিঙ্গুর এবং নন্দীগ্রামে জমি রক্ষা আন্দোলনের পিছনে চক্রান্ত, তার জেরে রাজ্যের যুবসমাজের কর্মসংস্থানের সুযোগ হাতছাড়া হওয়া নিয়ে সোমবার এ বিষয়ে একটি লিখিত বিবৃতি দিয়েছেন বুদ্ধ। তৃণমূল এবং বিজেপি-কে দুষে লিখেছেন, নন্দীগ্রাম, সিঙ্গুরে এখন শশ্মানের নীরবতা। সে সময়ের কুটিল চিত্রনাট্যের চক্রান্তকারীরা আজ দুভাগে বিভক্ত হয়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি করছে। কর্মসংস্থানের সুযোগ হারিয়েছে বাংলার যুব সমাজ।পাশাপাশি, দেড় দশক আগে বামফ্রন্টের স্লোগানের প্রসঙ্গ তুলে বুদ্ধ লিখেছেন, বামফ্রন্ট সরকারের সময় থেকেই যে অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক ভাবনা আমরা রাজ্যের মানুষকে বলার চেষ্টা করেছি, তা হল কৃষি আমাদের ভিত্তি-শিল্প আমাদের ভবিষ্যৎ। আমরা সেই পথ ধরেই এগিয়েছি। ঘটনাচক্রে, নন্দীগ্রামের জমি রক্ষা আন্দোলনে পুলিশের গুলি চালানোর ঘটনা নিয়ে রবিবার রেয়াপাড়ায় তৃণমূলের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুষেছিলেন শিশির এবং শুভেন্দু অধিকারীকে। ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ বাপ-ব্যাটার অনুমতি নিয়েই পুলিশ নন্দীগ্রামে অভিযান চালিয়েছিল বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। এমনকী, হাওয়াই চটি-পরা পুলিশ ঢোকানোর দায়ও মমতা চাপিয়ে দেন তাঁদের ঘাড়ে। তবে স্থানের উল্লেখ করেও সরাসরি কাল এবং পাত্রের নাম না করেননি সে সময়ের পুলিশমন্ত্রী বুদ্ধ। ২০০৭ সালে ১৪ মার্চের পুলিশের গুলিতে ১৪ জনের মৃত্যু কিংবা নভেম্বরের সূর্যোদয় (নন্দীগ্রামে সিপিএমের পুনর্দখল) প্রসঙ্গ নিয়েও কিছু বলেননি। রবিবার মমতার মন্তব্যের পরেই নন্দীগ্রামে গুলিচালনার ঘটনা নিয়ে নেটমাধ্যমে প্রচারে নামে সিপিএম। তাদের বক্তব্য, তৎকালীন বিরোধী নেত্রী স্বীকার করে নিলেন যে, ওই ঘটনা তৃণমূলের চক্রান্ত ছিল! কারণ, শিশির-শুভেন্দু এবং মমতা তিনজনেই তখন বিরোধী তৃণমূলে ছিলেন। বুদ্ধ অবশ্য এর আগেও নন্দীগ্রামের ঘটনার (পুলিশি গুলিচালনা) পিছনে চক্রান্ত আছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন। পরবর্তী কালে নন্দীগ্রামে পুলিশি অভিযানে গ্রামবাসীদের মৃত্যু নিয়ে দুঃখপ্রকাশও করেছিলেন তৎকালীন পুলিশমন্ত্রী।

মার্চ ২৯, ২০২১
রাজ্য

‘তোমার নির্দেশ ছাড়া এটা ঘটেনি’, নাম না করে শুভেন্দুকে নিশানা মমতার

আর মাত্র দুদিন। তার পরই নন্দীগ্রামে নির্বাচন। সেই ভোটের প্রচারে এসে পায়ে চোট পেয়েছিলেন এই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সেদিন তাঁর উপর হামলা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। এবার সেই হামলার জন্য নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকেই দায়ী করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, তাঁর নির্দেশ ছাড়া এই ঘটনা ঘটতে পারে না।সোমবার নন্দীগ্রাম বিধানসভার অন্তর্গত বয়াল-২ এলাকায় প্রচার সভা ছিল মমতার। সেই সভার শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন তৃণমূল নেত্রী। একসময়ে নিজের অনুগত সৈনিক শুভেন্দুর নাম না করেই তুলোধোনা করলেন তিনি। বললেন, আমাকে মেরেছে। আমার পা জখম করেছে। তোমার নির্দেশ ছাড়া এটা হতে পারে না। নন্দীগ্রামের কেউ এই ঘটনা ঘটায়নি। বহিরাগতদের এনে এই কাণ্ড ঘটিয়েছিল। আমাকে মেরেছে। আর এখন দলের লোকেদের মারছে। দলীয় কর্মীদের উপর হামলা প্রসঙ্গে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা পুলিশের বিরুদ্ধেও তোপ দাগলেন মমতা। বললেন, অভিযোগ থাকার পরেও কেন অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করছেন না? কীসের জন্য পক্ষপাতিত্ব করছেন? এদিন বহিরাগত ইস্যুতেও নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থীকে তোপ দাগেন মমতা। বললেন, আমি এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। আমি বহিরাগত? তুমি তো কাঁথির ছেলে। কবে নন্দীগ্রামের ভূমিপুত্র হলে? এটা কবে তোমার জমি হল? আক্রমণের সুর চড়িয়ে মমতা বলেন, একসময় সিপিএমের দালালি করেছে। এখন বিজেপির দালালি করছে। এ প্রসঙ্গ ফের নন্দীগ্রামে পুলিশ প্রবেশ ইস্যু টেনে আনলেন মমতা। বললেন, সেদিন তোমাদের অনুমতি ছাড়া পুলিশ নন্দীগ্রামে ঢুকতে পারত না। সেদিনের সিপিএমের নবকুমার সামন্ত মানুষ খুন করেছে। আজ সে বিজেপিতে। আর আরেকজন ওর নেতা হয়েছে। সভার শেষে নন্দীগ্রামের মানুষকে গুন্ডামির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর ডাক দিলেন তৃণমূল নেত্রী। বললেন, নন্দীগ্রামের মানুষ কি ভয় পাচ্ছে? তাঁরা তো কোনওদিন গুন্ডামিকে ভয় পায় না। ওঁরা গুন্ডামি করলে আপনারা রুখে দাঁড়ান। পাল্টা তাড়া করুন।

মার্চ ২৯, ২০২১
কলকাতা

নন্দীগ্রামে ঘুরছে বহিরাগত গুন্ডারা, কমিশনে অভিযোগ দায়ের তৃণমূলের

নির্বাচনের আগে বহিরাগতরা রাজ্যে অশান্তির চেষ্টা করছে আর তা চলছে বিজেপির মদতে। বিভিন্ন জনসভা থেকে এই অভিযোগ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের সভা থেকে তিনি বৃহস্পতিবার রাতে কাঁথির ঘটনার কথা উল্লেখ করে বলেন, কাল রাতে কাঁথি বাসস্ট্যান্ড থেকে উত্তরপ্রদেশের ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওদের কাছে নাকি অস্ত্রও পাওয়া গিয়েছে। ওই মীরজাফররা ওদের এনেছে। কিন্তু এসব করে কোনও লাভ হবে না। নন্দীগ্রাম, কাঁথি কোথাও কোনও অশান্তি করতে দেব না। এবার এই ইস্যু নিয়েই প্রমাণ-সহ নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল তৃণমূল নেতৃত্ব। শনিবার ডেরেক ও ব্রায়েন, কাকলি ঘোষ দস্তিদাররা গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। স্পর্শকাতর জায়গায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েনের কথাও জানানো হয়।এদিন দুপুরে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়েরের পর বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, আমাদের কাছে খবর আছে, মেদিনীপুরের বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি তৈরির চেষ্টা চলছে। এগরা, পটাশপুর, নন্দীগ্রামে নির্বাচনের দিন বহিরাগতরা এসে বাধানোর চেষ্টা করবে। মানুষের ভিড়ে মিশেই বহিরাগতরা নিজেদের কাজ করবে। তাই আমরা কমিশনে এসে বলেছি, যাতে সুষ্ঠুভাবে এসব জায়গায় ভোট হয়, তার ব্যবস্থা করতে। আগেও কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু সুরাহা হয়নি। আমাদের আশঙ্কা, বিজেপি সব বানচাল করে দিতে পারে।

মার্চ ২৬, ২০২১
রাজনীতি

নন্দীগ্রামে ভোটের দিন বাংলায় প্রচারে মোদি

আগামী ১ এপ্রিল নন্দীগ্রামে ভোটের ময়দানে যেদিন পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হবেন যুযুধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-শুভেন্দু অধিকারী, সেদিনই নির্বাচনী প্রচারে বাংলায় থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওইদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর এবং হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় দুটি নির্বাচনী সভা করবেন তিনি। প্রসঙ্গত, ওইদিনই প্রথম মোদি একইদিনে বাংলায় দুটি জনসভা করবেন। বিজেপি সূত্রের খবর, অসমে ভোট মিটে যাওয়ার পর বাংলায় দিনে তিনটি করে সভা করতে চাইছেন মোদি। ঘটনাচক্রে, তার আগেই শুক্র এবং শনিবার দুদিনের সফরে বাংলাদেশ যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। সেখানে মতুয়ামন জয়ের চেষ্টা করবেন তিনি। বৃহস্পতিবার জারি করা তাঁর সফরসূচি তেমনই বলছে। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থাকবেন মতুয়াদের ঠাকুরবাড়ির সদস্য তথা বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর।ওয়াকিবহালরা মনে করছেন, পরিকল্পনা করেই প্রধানমন্ত্রী প্রচারে আসার জন্য এমন একটি দিন বেছেছেন, যেদিন সারা রাজ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আসনের নির্বাচন। বস্তুত, নন্দীগ্রাম আসনের ভোটের দিকে রাজ্য তো বটেই, তাকিয়ে রয়েছে গোটা দেশের রাজনৈতিক মহলও। নিজের কেন্দ্র ভবানীপুর ছেড়ে মমতা নন্দীগ্রামে ভোট লড়বেন বলে ঘোষণা করেছেন। অন্যদিকে, নন্দীগ্রাম আসনের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু আগে থেকেই চ্যালেঞ্জ নিয়ে বসে রয়েছেন যে, মমতাকে অন্তত ৫০,০০০ ভোটে হারাতে না পারলে তিনি রাজনীতি করা ছেড়ে দেবেন! ফলে নন্দীগ্রাম নিয়ে সমস্ত মহলেই একটা কী হয়-কী হয় ভাব রয়েছে। প্রশাসনিক মহলের একাংশের মতে, নন্দীগ্রামে ভোটের দিন একদিকে তৃণমূল শিবিরের উপর বাড়তি চাপ তৈরির জন্য এবং অন্যদিকে, বিজেপি শিবিরের মনোবল বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী ওইদিন রাজ্যে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও বিজেপি ওই তত্ত্ব উড়িয়ে দিচ্ছে। তাদের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রচারসূচি তৈরি হয়েছে একেবারেই প্রধানমন্ত্রীর সময়ের উপর ভিত্তি করে। এর সঙ্গে কোথায় কবে ভোট, তার কোনও সম্পর্ক নেই। এটা একেবারেই কাকতালীয় যে, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী সভার দিনের সঙ্গে নন্দীগ্রামের ভোটের দিন মিলে গিয়েছে। এর মধ্যে অন্য কোনও অভিসন্ধি নেই। ভোট দেবেন মানুষ। তাঁদের সঙ্গে রাজ্যে প্রধানমন্ত্রীর থাকা বা না-থাকার কী সম্পর্ক!

মার্চ ২৬, ২০২১
রাজ্য

অপসারিত রাজ্যের নিরাপত্তা অধিকর্তা

নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আহত হওয়ার জের। অপসারিত রাজ্যের নিরাপত্তা অধিকর্তা বিবেক সহায়।পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক বিভু গোয়েল ও পুলিশ সুপারকেও সরানোর নির্দেশ দিল কমিশন। ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে স্থানীয় দুই থানার ওসি ও এডিএমের বিরুদ্ধে। গত বুধবার সন্ধেয় নন্দীগ্রামের বিরুলিয়ায় গিয়ে জখম হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পায়ে গুরুতর চোট পান তিনি। অসুস্থ অবস্থায় রাতেই কলকাতায় ফিরে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। দেড়দিন এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জখম হওয়ার এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই রাজনীতির রং লেগেছিল। একাধিক অভিযোগ নিয়ে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। অন্যদিকে পর্যাপ্ত তদন্তের দাবিতে কমিশনে যায় বিজেপি। এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জখম হওয়ার ঘটনায় মুখ্যসচিব ও সিইও-র কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়েছিল নির্বাচন কমিশন। একইসঙ্গে দুই বিশেষ পর্যবেক্ষককে নিজেদের মতামত জানানোর কথাও বলা হয়েছিল। তাঁদের রিপোর্ট নিয়ে রবিবার কমিশনের ফুলবেঞ্চ বৈঠকে বসে। ওই বৈঠকেই রাজ্যের নিরাপত্তা অধিকর্তা পদ থেকে বিবেক সহায়কে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জানা যাচ্ছে, কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগেই সরানো হচ্ছে তাঁকে। পাশাপাশি, সরানো হচ্ছে পূ্র্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক বিভু গোয়েলকে। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব পাচ্ছেন স্মৃতি পাণ্ডে। সরানো হচ্ছে পূ্র্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার প্রবীণ প্রকাশকে। তাঁর জায়গায় আসছেন সুনীলকুমার যাদব। সূত্রের খবর, আরও কয়েকজনের অপসারণের সম্ভাবনা রয়েছে। এই বদলি যথেষ্ট ইঙ্গিতবাহী বলে মনে করছে ওয়াকিবহলমহল।

মার্চ ১৪, ২০২১
কলকাতা

'আহত বাঘ আরও ভয়ঙ্কর', নন্দীগ্রাম দিবসে হুংকার মমতার

জীবনে অনেক আঘাত, লড়াই এসেছে। সেসব পেরিয়ে এসেছেন। এখনও শরীরে যন্ত্রণা। কিন্তু চক্রান্তের বিরুদ্ধে সেই যন্ত্রণা নিয়ে পথে বেরতেও কোনও ক্লান্তি নেই। আগাগোড়া লড়াকু নেত্রীর কাছ থেকে এই বার্তা প্রত্যাশিত ছিল। তবে রবিবারের দুপুরে হাজরা মোড়ের মিছিল শেষে হুইলচেয়ারে বসে থাকা নেত্রীর কিছুটা ক্লান্ত কণ্ঠে এসব কথা যেন ভোটের মুখে নতুন করে লড়াইয়ে উৎসাহ জোগাল দলের তৃণমূল কর্মী, সমর্থকদের। শহরবাসীকে সাক্ষী রেখে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৃপ্ত শপথ, হুইলচেয়ারে, ভাঙা পায়েই গোটা বাংলা ঘুরে বেড়াব, খেলা হবে। আর তাতেই বাড়তি উদ্দীপনা তাঁর সঙ্গে থাকা প্রার্থী, দলীয় কর্মী, সমর্থকদের মধ্যে। বার্তা দিলেন চক্রান্তকারীদেরও।শুক্রবার সন্ধেবেলা বাড়ি ফিরেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। শনিবার বিশ্রাম নিয়ে রবিবারই ফের রাজপথে বেরিয়েছেন। নন্দীগ্রাম দিবসে মেয়ো রোড থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত তৃণমূলের মিছিলে হুইলচেয়ারে বসেই নেতৃত্ব দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর আহত নেত্রী মিছিল শেষে আরও দাঁতে দাঁত চেপে লড়াইয়ের ডাক দিয়েছেন তিনি।হাজরা মোড়ে মিছিল পৌঁছনোর পর তিনি বলেন, সকলকে অভিনন্দন। এমনিই ৫-৬ দিন নষ্ট হয়েছে। সোমবার থেকে পুরুলিয়া সফর দিয়ে শুরু করব প্রচার। এটুকুই বলব, জীবনে অনেক আঘাত, লড়াই পেরিয়েছি। চক্রান্ত যারা করছে আমার বিরুদ্ধে তাদের বলতে চাই, বেরতেই হবে আমাকে। সেই মনের জোর আপনাদের কাছ থেকে পেয়েছি। এই কদিন মা-মাটি-মানুষ যেভাবে উদ্বিগ্ন, তাতে আমি কৃতজ্ঞ। আমার যন্ত্রণা আছে। তবে শারীরিক যন্ত্রণার চেয়েও বড় হৃদয়ের যন্ত্রণা। আমি হেঁটে চলার লোক। তখন আমার মাথাও হাঁটে, হৃদয়ও হাঁটে। আঘাতের কালো দাগে ভর্তি আমার সারা শরীর। মনে রাখবেন, আহত বাঘ আরও ভয়ংকর।লক্ষ্য একটাই। স্বৈরাচারীদের হাত থেকে গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হবে। তার দায়িত্ব অনেক বেশি। হাজরা মোড়ে হুইলচেয়ারে বসে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনই বললেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বলেন, অশুভ শক্তির বিনাশ হোক, শুভ শক্তির উদয় হোক। বাংলা ঘিরে যে চক্রান্ত, তা যেন নস্যাৎ হয়ে যায়।

মার্চ ১৪, ২০২১
রাজ্য

নন্দীগ্রাম দিবসে হুইল চেয়ারেই রাস্তায় নামতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেকে পরিচয় দেন স্ট্রিট ফাইটার হিসেবে। রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেই দাপুটে বিরোধী নেত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী হয়ে ওঠা তাঁর। তাই নিজের এবং দলের কঠিন সময়ে রাস্তাকে ভুলছেন না মমতা। দিন তিনেক আগেই নন্দীগ্রামে গিয়ে আহত হয়েছেন তিনি। এখনও পায়ে ব্যান্ডেজ বাঁধা। হাঁটাচলা করতে পারছেন না। আজ ঐতিহাসিক নন্দীগ্রাম দিবস উপলক্ষে ফের রাস্তায় নেমে পড়ছেন তৃণমূল নেত্রী। হয়তো হাঁটাচলা করতে পারবেন না। কিন্তু দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে উপস্থিত থেকে বার্তা তো দিতে পারবেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বহুবার বহু আঘাত পেলেও এই প্রথমবার হুইল চেয়ারে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে দেখা যাবে মমতাকে। রবিবার শহরে নন্দীগ্রাম ঘটনার প্রতিবাদে মহামিছিলে নামছে তৃণমূল। গান্ধিমূর্তির পাদদেশ থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত মিছিল। মিছিলে উপস্থিত থাকবেন তৃণমূল যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সমস্ত নেতৃত্বের সঙ্গে থাকতে বলা হয়েছে কলকাতার সব প্রার্থীকে। দলের একটি সূত্রের দাবি, গান্ধিমূর্তির পাদদেশে অর্থাৎ এই মিছিলের শুরুতে থাকতে পারেন মমতাও। বিকেল তিনটে নাগাদ এই মিছিল শুরু হবে। সূত্রের খবর, শুরুর দিকে সেখানে থাকবেন মমতা। কাল থেকেই শুরু হচ্ছে তৃণমূলনেত্রীর জেলা সফর। সেজন্য আজ বিকেলেই আকাশপথে শহর ছাড়ার কথা তাঁর। তার আগে শহরে দলের কর্মসূচিতে কিছুক্ষণের জন্য হলেও থাকবেন তিনি।

মার্চ ১৪, ২০২১
রাজ্য

নন্দীগ্রাম কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন পেশ করে হুংকার শুভেন্দুর

পূর্বসূচি অনুযায়ী শুক্রবার মনোনয়ন পেশ করলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী । হলদিয়া এসডিও অফিসে মনোনয়ন জমা দিলেন তিনি। দাবি করলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি হারাবেনই। একুশের ভোটে বাংলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আসন নন্দীগ্রাম। কারণ, এই আসনই বাংলার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে দিতে পারে। তৃণমূল নিশ্চিত বিপুল ভোটে নন্দীগ্রামে জয়ী হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে জয় নিয়ে আশাবাদী শুভেন্দু অধিকারীও। ইতিমধ্যেই প্রচার শুরু করেছেন তিনি। শুক্রবার সকাল থেকে একাধিক কর্মসূচিতে শামিল হন বিজেপি নেতা। মন্দিরে পুজো দিয়ে, যজ্ঞ করে হলদিয়ায় জনসভা করেন নন্দীগ্রামের গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী। এরপরই হলদিয়া এসডিও অফিসে যান তিনি। সেখানে মনোনয়নপত্র পেশ করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের প্রচুর কর্মী-সমর্থক। প্রার্থীর মতোই নন্দীগ্রামে বিজেপির জয় নিয়ে আশাবাদী তাঁরা। জানা যাচ্ছে, শুভেন্দু অধিকারীর মনোনয়নের প্রস্তাবক নন্দীগ্রাম আন্দোলনের শহিদের স্ত্রী।শুক্রবার নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীকে একহাত নেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় । তিনি বলেন, ওর জয় কোনওভাবে সম্ভব নয়। শুভেন্দুর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। পাশাপাশি এদিন বিজেপি নেতার মানসিক অবস্থা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন পার্থ। দাবি করেন, শুভেন্দু অধিকারী যা করছেন, তা সুস্থ মানুষের পক্ষে করা সম্ভব নয়।

মার্চ ১২, ২০২১
কলকাতা

নন্দীগ্রামে ‘চক্রান্তের শিকার’ মুখ্যমন্ত্রী, কটাক্ষ বিরোধীদের

নন্দীগ্রামে গিয়ে প্রচারে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মাথায়, কোমড়ে, পায়ে চোট লেগেছে। পুরো ঘটনায় ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করা হয়েছে। যদিও তৃণমূল নেত্রীর সেই অভিযোগ মানতে নারাজ বিরোধীরা। পাল্টা বলছেন, সমবেদনা পাওয়ার জন্য নাটক করছেন মমতা। আহত হওয়া নেহাতই রাজনৈতিক ভণ্ডামি। তবে বিজেপি নেতারা, এই ঘটনার সিবিআই তদন্ত চেয়েছেন। মনোনয়ন পেশের পর নন্দীগ্রামে একের পর এক মন্দিরে যাচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আমজনতার সঙ্গে মিশে জনসংযোগও সারছিলেন তিনি। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশে গিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। আচমকাই ধাক্কাধাক্কিতে পায়ে গুরুতর চোট পান মমতা। এই ঘটনার পিছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে সরব তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের অভিযোগ, এটা চক্রান্ত। বিরোধীদের পায়ের তলায় মাটি সরে যাচ্ছে বলে মুখ্যমন্ত্রীর উপর আঘাত হানা হল। চরম নিন্দনীয় ঘটনা। মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সরাসরি অভিযোগ করেছেন বিজেপির বিরুদ্ধে। তাঁর কথায়, বিজেপি এই ঘটনা ঘটিয়েছে। প্রচারের প্রথমদিনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দিয়েছিলেন নন্দীগ্রামের মানুষ তাঁর সঙ্গেই রয়েছেন। তার পরই এই হামলা হল। তবে তৃণমূল নেতা-নেত্রীরা যতই বলুন, সে কথায় কান দিতে নারাজ বিরোধীরা। বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের কথায়, উনি তো মুখ্যমন্ত্রী। জেড প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পান। রাজ্যে আইন -শৃঙ্খলা তো তাঁর হাতেই। তিনি যদি এরকমভাবে আক্রান্ত হন, তাহলে রাজ্যবাসীর কী অবস্থা হবে? এর পরই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সিবিআই তদন্তের দাবি জানান। তাঁর কথায়, যাই হোক না কেন, তদন্তে করে দেখা হোক। মুখ্যমন্ত্রীর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ খতিয়ে দেখুক নির্বাচন কমিশনও। বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় জানান, এই ঘটনায় রাজনীতি হওয়া উচিৎ নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর কোনও রাজনৈতিক দলের হামলা করার হিম্মত আছে কি না, তা জানা নেই। তবে উনি নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছেন। সিবিআই তদন্ত হোক, দোষীদের শাস্তি পাওয়া উচিৎ। ওঁর দ্রুত সুস্থতা কামনা করি। অর্জুন সিংও এই ঘটনাকে নাটক বলে আখ্যা দিয়েছেন। ভিন্ন সুর শোনা গিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর গলাতে। তাঁর কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগাগোড়া এমন নাটক করেন। এটা সমবেদনা পেতে রাজনৈতিক ভণ্ডামি। এদিকে নন্দীগ্রামে মমতার প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএম প্রার্থী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবসময় নাটক করেন। এটা তাঁর আরও একটা নাটকই। একই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।

মার্চ ১০, ২০২১
রাজনীতি

নন্দীগ্রামে আক্রান্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর চক্রান্ত করে আক্রমণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নন্দীগ্রামে রেয়াপাড়ায় তিনি ঘরভাড়াও নিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবিযোগ করেছেন,গাড়ি দাঁড় করিয়ে মন্দিরে প্রণাম করছিলাম তখন চার-পাঁচ জন আমাকে ঠেলে দেয়। তখনই আমার মুখে ও পায়ে আগাত লাগে। আপাতত কলকাতায় যাচ্ছি।এদিন হলদিয়ায় মনোনয়নপত্র জমা দেন। রাণীচকে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানেই ঘটনাটি ঘটে। এদিন নন্দীগ্রামে থাকার কথা ছিল। বিজেপি পুরো বিষয়টা নাটক হিসাবে দেখছেন। বিজেপির রাজ্য সহসভাপতি তথা সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, এই ঘটায় দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্তাদের সাসপেন্ড করা উচিত। সূত্রের খবর,, ভিড়ের মধ্যে নন্দীগ্রামের বিরুলিয়ায় ধাক্কা-ধাক্কিতে মুখ থুবড়ে পড়ে যান মমতা। তাঁর পায়ে প্রচণ্ড চোট লেগেছে। মুখ্যমন্ত্রীকে তড়িঘড়ি কলকাতায় আনা হচ্ছে। জানা গিয়েছে এসএসকেএম-এ তাঁর চিকিৎসা হবে। ঘটনার সময় পুলিশ সুপার বা কোনও রাজ্য পুলিশ ছিল না। বলেই অভিযোগ মমতার। জানা গগিয়েছে, খবর জানাজানি হতেই নির্বাচন কমিশন জেলা প্রশাসনের থেকে রিপোর্ট তলব করেছে।ভোটের বাংলায় এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠে গেল। জেড প্লাস নিরাপত্তা রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তার মধ্যেই নিরাপত্তার বেড়াজাল ভেঙে কীভাবে এত মুখ্যমন্ত্রীকে ধাক্কা দিলেন? সব মহলেই এই প্রায় উঠেছে।

মার্চ ১০, ২০২১
রাজনীতি

নন্দীগ্রামে আজ যুযুধান মমতা-শুভেন্দু

ভোট যুদ্ধের দামামা বেজে গিয়েছে। আর তার আগে কার্যত একই এলাকায় কর্মসূচিতে আসছেন মমতা-শুভেন্দু। সামনাসামনি না হলেও দুই প্রতিপক্ষই আজ নন্দীগ্রামের মাটিতে। হলদিয়ায় মহকুমা শাসকের দপ্তরে মনোনয়ন পেশ করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সকালে রেয়াপাড়ার শিব মন্দিরে পুজো দিয়ে নন্দীগ্রাম থেকে চপারে হলদিয়ার উদ্দেশে রওনা।হলদিয়া হেলিপ্যাডে নেমে রোড শো করে মমতা যাবেন হলদিয়া মহকুমাশাসকের দপ্তরে। নন্দীগ্রাম আসনের তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেবেন তিনি। আজ আন্দোলনের মাটিতে শুভেন্দুও। গেরুয়া পতাকা হাতে নিয়ে এক সময়ের নেত্রীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রস্তুত ভূমিপুত্র। প্রায় কাছাকাছি সময়ে আজ নন্দীগ্রামে নির্বাচনী কার্যালয়ের উদ্বোধনে করবেন শিশির পুত্র বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীও। নন্দীগ্রামে প্রার্থী হতে চান বলে আগে মমতাই ঘোষণা করেছিলেন। গত শুক্রবার প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করে তাতে নিজেই সিলমোহর দেন। এরপর একদা পূর্ব মেদিনীপুরের কৃষিজমি রক্ষা আন্দোলনের কেন্দ্রে শুভেন্দুকে দাঁড় করানোর কথা জানায় বিজেপি। প্রার্থী হওয়ার পর মঙ্গলবার প্রথম নন্দীগ্রামে হাজির হয়েছিলেন মমতা। স্টেট ব্যাংক লাগোয়া মাঠে কর্মিসভা করেন তিনি।এর আগেও একাধিকবার নন্দীগ্রামে দেখা গিয়েছে তাঁদের দুজনকে। তবে সহযোদ্ধা হিসেবে, একই মঞ্চে পাশাপাশি। বুধবার প্রথম বার প্রতিপক্ষ হিসেবে নন্দীগ্রামের মাটিতে তাঁদের দেখা যাবে। আগামী ১ এপ্রিল বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্যায়ে নন্দীগ্রামে ভোটগ্রহণ হবে। আর আগামী ২ মে সেই মহারণের ফল জানতে এখন থেকেই প্রতীক্ষার প্রহর গুণছে নন্দীগ্রাম-সহ গোটা রাজ্য।

মার্চ ১০, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • ›

ট্রেন্ডিং

কলকাতা

বুধবারই সিদ্ধান্ত! ৩২ হাজার শিক্ষকের ভবিষ্যৎ কি তবে চূড়ান্ত?

শেষ হল প্রাথমিকের ৩২ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি। গত ১২ নভেম্বর এই মামলার শুনানি হয়েছিল কলকাকা ডিভিশন বেঞ্চে। বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রায়দান সেই সময় স্থগিত রেখেছিলেন। অবশেষে বুধবার এই গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় ঘোষণা করা হবে।২০১৬ সালে SSC-এর নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসে। সেই সময় সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দেয় হাইকোর্ট, পরে সেই রায় বহাল রাখে Supreme Court of India। এরপর প্রাথমিকে নিয়োগেও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। সেই মামলায় তৎকালীন বিচারপতি Abhijit Gangopadhyay ২০২৩ সালে প্রশিক্ষণহীন ৩২ হাজার শিক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন। যদিও তিনি বলেছিলেন, শিক্ষকরা স্কুলে যেতে পারবেন এবং তিন মাসের মধ্যে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি বহাল রাখার কথাও বলা হয়েছিল।২০১৪ সালে প্রাথমিক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় এবং ২০১৬ সালে প্রায় ৪২,৫০০ শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। সেই পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াতেই বেনিয়মের অভিযোগ ওঠে। মামলাকারীদের দাবি ছিল, ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। অন্য দিকে পর্ষদের বক্তব্য, কিছু ক্ষেত্রে ভুল হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু তা পরে সংশোধন করা হয়েছে।এরপর একক বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মামলাটি যায় ডিভিশন বেঞ্চে। সেই সময় বিচারপতি Subrata Talukdar ও বিচারপতি Supratim Bhattacharya একক বেঞ্চের চাকরি বাতিলের নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেন। তবে তাঁরা নতুন করে নিয়োগ শুরু করার নির্দেশও দিয়েছিলেন। পরে রাজ্য সরকার ও পর্ষদ সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায়। শীর্ষ আদালত মামলাটি আবার হাইকোর্টে ফেরত পাঠায় এবং দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেই মামলা শুনেই এবার রায় ঘোষণা করতে চলেছে বর্তমান ডিভিশন বেঞ্চ।

ডিসেম্বর ০২, ২০২৫
কলকাতা

মোদী গেলে বিজেপি শেষ, মমতা থাকলে তৃণমূল অজেয়—কল্যাণের বিস্ফোরক মন্তব্য

বিজেপিতে যেমন নরেন্দ্র মোদি সবার মূল মুখ, তেমনই তৃণমূলে একমাত্র মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমনই মন্তব্য করলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, যত দিন মোদী রয়েছেন, তত দিন বিজেপি টিকে থাকবে। ঠিক সেই ভাবেই যত দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন, তত দিন তৃণমূলকে কেউ নড়াতে পারবে না। কল্যাণের কথায়, দল চলে মমতার নামেই, বাকিরা কী বলছেন, তাতে দলের কিছু আসে যায় না।মুর্শিদাবাদে বাবরি মসজিদ সংক্রান্ত মন্তব্যে ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে ঘিরে তৈরি হওয়া বিতর্ক প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এই মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, মোদী থাকলে যেমন পদ্মফুল ফুটবে, তেমনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকলে তৃণমূলকে কেউ ঠেকাতে পারবে না। আগেও একাধিকবার তিনি বলেছেন, তাঁর কাছে একমাত্র নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্য কিছু তাঁর মাথায় থাকে না।তৃণমূলের অন্দরে নবীন ও প্রবীণ নেতৃত্ব নিয়ে টানাপোড়েন নতুন নয়। এক সময় দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বয়সের ঊর্ধ্বসীমা নিয়ে বক্তব্য রাখায় বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। তখন অনেকেরই মত ছিল, এতে তৃণমূলের অন্দরের নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। সেই সময় কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো প্রবীণ নেতাদের অবস্থান বারবার আলোচনায় এসেছে।এই প্রসঙ্গে বিজেপির সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, তৃণমূলে এখনও এমন অনেক প্রবীণ নেতা রয়েছেন, যাঁরা সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রয়েছেন। অন্য দিকে, তৃণমূলের মুখপাত্রের বক্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখই আসলে তৃণমূলের মুখএ নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই।

ডিসেম্বর ০২, ২০২৫
কলকাতা

করদাতা কমল বাংলায়! অমিতের খোঁচা—অভিষেকের কড়া পালটা

পশ্চিমবঙ্গেই করদাতার সংখ্যা কমে গিয়েছেএই তথ্য ঘিরে সরাসরি আক্রমণ করেছেন বিজেপির আইটি সেল প্রধান অমিত মালব্য। তিনি সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, রাজ্যে শিল্প নেই, কাজের সুযোগ কম এবং তাই আয়ও কম হচ্ছে; মোদী সরকারের আয়কর ছাড়ের সুবিধা গ্রহণ করায় বাংলায় করদাতা কমেছেএটাকে তিনি মোদী সরকারের উপহার হিসেবে বর্ণনা করেছেন। বিষয়টি সামনে চলে আসার পর বালুরঘাটের বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ি সাংবাদিক বৈঠক করে এ নিয়ে কথা বলেন।বিধায়ক অশোক দাবি করেন, ২০২৪-২৫ সালের অ্যাসেসমেন্টে করদাতার সংখ্যা বৃদ্ধি মাত্র ২ লাখ হয়েছে, আগের বছরে যা ছিল ৩ লাখঅর্থাৎ বাড়তি সংখ্যা কমেছে। তিনি বলেন, মোদী সরকার ইনকাম ট্যাক্সে ছাড় দেয়ায় মধ্যবিত্তদের কর কমেছে, তাই ট্যাক্স রিলিফ পাওয়া নিয়েই এই পতন হয়েছে।দুইপাশেই পালটা দাবি ও প্রতিক্রমা তুঙ্গে। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এসকল হিসেব তুলে ধরে বলেছেন, গত সাত বছরে কেন্দ্রীয় সরাসরি ও পরোক্ষ কর যোগ করে বাংলা থেকে বিপুল অঙ্কের রাজস্ব সংগ্রহ করা হয়েছেমোট প্রায় ৬ লক্ষ ৫০ হাজার কোটি টাকারও বেশি। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, ওই সময়ে কেন্দ্র থেকে বাংলায় ফেরত দেওয়া বকেয়া প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকা। অভিষেকের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ২০১৭১৮ থেকে ২০২৩২৪ অর্থবর্ষ পর্যন্ত কন্ট্রিবিউশন ক্রমানুসারে বেড়েছে; ২০১৭১৮ সালে রাজ্য দিয়েছে ৬৩,৪০৭ কোটি, ২০১৮১৯ এ ৮৪,৪১৯ কোটি, ২০১৯২০ এ ৮৪,০১৫ কোটি, ২০২০২১ এ ৮০,০০৪ কোটি, ২০২১২২ এ ১,০১৭৬৭৩ কোটি, ২০২২২৩ এ ১,১৩,৬২১ কোটি এবং ২০২৩২৪ এ ১,২২,৯৮৮ কোটি টাকা।অভিষেকের তথ্যে ফের অমিত মালব্য রাতারাতি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেনআর এতে রাজনীতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তৃণমূলের রাজ্য সহসভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার পালটা বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাকে পিছিয়ে রাখার চেষ্টাই করছে; বাংলায় শিল্প প্রতিষ্ঠা না করতে নানা কৌশল চালানো হচ্ছে। তিনি যুক্তি দেখান যে অনেক ক্ষেত্রে এমএসএমই-তে বাংলা এগিয়ে আছে এবং অমিতবাবুর আঙুল তোলা তথ্য মিথ্যা মন্তব্যের ওপর ভিত্তি করে। তাঁর শব্দে, বাংলা থেকে কত ট্যাক্স নেওয়া হচ্ছে, সেটা আগে খতিয়ে দেখতে হবে।রাজনৈতিক তর্ক-ঝগড়ার মাঝেই সাধারণ মানুষ, শিল্প এবং চাকরির বাজার নিয়েও যে প্রশ্ন তুলেছে এই বিতর্ক, তা স্পষ্ট। আগামী দিনে কর-সংশ্লিষ্ট পরিসংখ্যান এবং কেন্দ্ররাজ্য আর্থিক লেনদেন নিয়ে আরও তৎপরতার সম্ভাবনা দেখছেন সব পক্ষই।

ডিসেম্বর ০২, ২০২৫
রাশিফল

আজকের দিনে 'মীন' রাশির জাতকের "নথিতে সুবিধা"। আজ মঙ্গলবার আপনার কেমন যাবে জেনে নিন

২ ডিসেম্বর ২০২৫ মঙ্গলবার, আপনার রাশিচক্র অনুযায়ী দিনটি কেমন কাটবে তা জানতে নিচে প্রতিটি রাশির জন্য সংক্ষিপ্ত রাশিফল দেওয়া হলো:🐏 মেষ (Aries): নতুন দায়িত্ব আসবে।🐂 বৃষ (Taurus): কেনাকাটায় আনন্দ।👥 মিথুন (Gemini): মিটিং সফল।🦀 কর্কট (Cancer): মানসিক চাপ কমান।🦁 সিংহ (Leo): আয়ের সুযোগ।🌾 কন্যা (Virgo): সঙ্গীর সমর্থন।⚖️ তুলা (Libra): সংযোগ বাড়বে।🦂 বৃশ্চিক (Scorpio): পুরনো কাজ এগোবে।🏹 ধনু (Sagittarius): ভাগ্য সহায়।🐐 মকর (Capricorn): কাজে মনোযোগ দিন।🌊 কুম্ভ (Aquarius): পরিচিত বাড়বে।🐟 মীন (Pisces): নথিতে সুবিধা।যে কোনও সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য যোগাযোগ করুনঃ শ্রী সূপর্ণ (জ্যোতিষী)যোগাযোগঃ ৯৮৩০০৬৫২৪০, ওয়েবসাইটঃ www.srisuparna.com

ডিসেম্বর ০২, ২০২৫
কলকাতা

৭ হাজার ২৯৩ ‘দাগি’র পুরো নাম প্রকাশ করতেই হবে, SSC-কে কড়া নির্দেশ

নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হতেই ফের মামলার মুখে পড়ল এসএসসি। অযোগ্য প্রার্থীরা কীভাবে আবার পরীক্ষায় বসছে, তা নিয়েই মামলা ওঠে কলকাতা হাইকোর্ট-এ। এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহা আবারও কড়া নির্দেশ দিলেন। বুধবারের মধ্যেই ৭ হাজার ২৯৩ জন দাগি বা অযোগ্য প্রার্থীর পুরো তালিকা প্রকাশ করতে হবে এসএসসি-কে।এটা এই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিক বার শীর্ষ আদালত ও হাইকোর্ট এসএসসি-কে অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করতে বলেছিল। সেই মতো কিছু তালিকা প্রকাশও করা হয়েছিল। পরে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আবার দাগি প্রার্থীদের নাম উঠে আসায় নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়।বিচারপতি অমৃতা সিনহা আগেই নির্দেশ দিয়েছিলেন, অযোগ্যদের নাম, অভিভাবকের নাম, রোল নম্বর-সহ সব তথ্য প্রকাশ করতে হবে। সেই মতে গত ২৭ নভেম্বর এসএসসি ১ হাজার ৮০৬ জন নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক-শিক্ষিকার নাম প্রকাশ করে, যাঁরা তখন চাকরি করছিলেন।কিন্তু এ দিন আদালত জানায়, এসএসসি যে তালিকা প্রকাশ করেছে, তা সম্পূর্ণ নয়। এসএসসি আগেই জানিয়েছিল মোট অযোগ্য প্রার্থীর সংখ্যা ৭ হাজার ২৯৩ জন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত শুধু গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি-র ৩ হাজার ৫১২ জন এবং ১ হাজার ৮০৬ জন শিক্ষকের তালিকা প্রকাশ হয়েছে। বাকি সবার সম্পূর্ণ তথ্য এখনও প্রকাশ করা হয়নি।এ বার আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, আউট অফ প্যানেল, র্যাঙ্ক জাম্প এবং ওএমআর মিস ম্যাচএই সব ধরনের অনিয়মে যুক্ত মোট ৭ হাজার ২৯৩ জনের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করতেই হবে। শুধু তাই নয়, নিয়োগ প্রক্রিয়া যাতে পুরোপুরি স্বচ্ছ হয়, তা নিশ্চিত করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। প্যানেল প্রকাশের পর যাঁদের নিয়োগ করা হয়েছে, তাঁদের তালিকাও আগামী শুনানিতে আদালতে জমা দিতে হবে।এই ৭ হাজার ২৯৩ জনের মধ্যে রয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অশিক্ষক কর্মীদুপক্ষই। অনেকেই তখন চাকরি করছিলেন, আবার কেউ কেউ তালিকায় থাকলেও চাকরিতে যুক্ত ছিলেন না। তবে এবার আদালত সকলেরই সম্পূর্ণ তথ্য প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে। এই ঘটনায় রাজ্য জুড়ে আবারও চাকরি কেলেঙ্কারি নিয়ে চরম রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

ডিসেম্বর ০১, ২০২৫
কলকাতা

ভুয়ো নাম ঢোকানোর অভিযোগের পরই কি কমিশনের ইউ-টার্ন? বদলে গেল পুরো সিস্টেম

৯৯ শতাংশ এনুমারেশন ফর্ম জমা পড়ে গিয়েছে। তবুও এসআইআর প্রক্রিয়া নিয়ে একের পর এক অভিযোগ উঠে চলেছে। এক দিকে সোমবার বিএলও-দের বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। অন্য দিকে বিজেপি ও বিরোধীদের অভিযোগ, ব্লক লেভেল অফিসারদের উপর চাপ দিয়ে ভুয়ো নাম ঢোকানোর চেষ্টা চলছে। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই সোমবার থেকেই বিএলও অ্যাপে আনা হল বড় বদল।এখন পর্যন্ত এনুমারেশন ফর্ম সংগ্রহ করার পর বিএলও-রা সেই তথ্য অ্যাপে এন্ট্রি করতেন। কিন্তু একবার এন্ট্রি হয়ে গেলে আর সংশোধনের কোনও সুযোগ ছিল না। মঙ্গলবার থেকে সেই নিয়ম বদলে যাচ্ছে। এবার অ্যাপে যুক্ত করা হল এডিট অপশন। অর্থাৎ কোনও ভুল হলে এবার বিএলও-রা নিজেরা সংশোধন করতে পারবেন, পাশাপাশি ইআরও-রাও সেই তথ্য এডিট করতে পারবেন।সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকের আসার পরেই এই বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগের চাপেই কি এই বদল? সেই প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে। কারণ বিরোধীদের দাবি ছিল, জোর করে ভুয়ো নাম এন্ট্রি করানো হচ্ছে বিএলও-দের দিয়ে।সোমবার রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নিজে সিইও দফতরে গিয়ে এই অভিযোগ জানান। তিনি বলেন, বিএলও-দের থেকে ওটিপি নিয়ে আইপ্যাক-এর লোকেরা বেআইনিভাবে নাম ঢোকাচ্ছে। তাঁর নেতৃত্বেই বিজেপির প্রতিনিধিরা সেদিন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে ডেপুটেশন দেন।এই অভিযোগের পরই নির্বাচন কমিশন বিএলও অ্যাপে এই গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। নতুন ব্যবস্থায় ভুল ধরার পাশাপাশি সংশোধনের সুযোগ থাকায় এবার নাম এন্ট্রি নিয়ে স্বচ্ছতা বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।

ডিসেম্বর ০১, ২০২৫
কলকাতা

CEO দফতরের সামনে নজিরবিহীন ধুন্ধুমার! মুখোমুখি বিএলও আর বিজেপি বিধায়করা

সোমবার সকাল থেকেই কলকাতার মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দফতরের সামনে তুমুল উত্তেজনার ছবি ধরা পড়ল। একেবারে নজিরবিহীন পরিস্থিতি তৈরি হয়। একদিকে তৃণমূলপন্থী বিএলও-দের একাংশ স্মারকলিপি জমা দিতে দফতরের সামনে জমায়েত করেন। ঠিক সেই সময় পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিজেপি বিধায়করা সেখানে পৌঁছন। শুরু হয় স্লোগান আর পাল্টা স্লোগান। মুহূর্তে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।বিএলও-দের দাবি ছিল, এসআইআর-এর কাজে যুক্ত থাকা মৃত কর্মীদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং সাত দিনের সময়সীমা বাড়িয়ে অন্তত দুমাস করতে হবে। তাঁরা স্মারকলিপি দিতে এসেছিলেন। সকাল থেকেই ওই এলাকায় পুলিশের বিশাল বাহিনী মোতায়েন ছিল। বিএলও-রা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করতেই সেখানে পৌঁছে যান বিজেপি বিধায়করা। তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ আরও তীব্র হয়। পুলিশ ব্যারিকেড দেয়। সেই ব্যারিকেড টপকে অনেকেই সামনে চলে আসেন।এই উত্তপ্ত অবস্থার মধ্য দিয়েই বিজেপি বিধায়করা ভিতরে প্রবেশ করেন। তাঁরা প্রায় দেড় ঘণ্টা ভিতরে ছিলেন এবং মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল-এর সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি জমা দেন। ভিতরে থেকেই ফেসবুক লাইভও করা হয়। রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ তুলে বলেন, ২৬, ২৭ এবং ২৮ নভেম্বরের ভোটার তালিকার সব এন্ট্রি আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে অডিট করাতে হবে।বিধায়করা বাইরে বেরোতেই পরিস্থিতি আরও তপ্ত হয়ে ওঠে। শুভেন্দুকে ঘিরে বিএলও-রা স্লোগান দিতে থাকেন। সেই সময় গাড়িতে ওঠার আগে শুভেন্দু গাড়ির দরজায় দাঁড়িয়ে হাত তুলে পাল্টা চোর চোর স্লোগান দেন। মুহূর্তে ভিড় আরও উত্তেজিত হয়ে ওঠে। গোটা পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খায় পুলিশ।রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতার এই ধরনের প্রকাশ্য স্লোগান রাজ্যের রাজনীতিতে বিরল। দিনভর মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দফতরের সামনে কার্যত রাজনৈতিক যুদ্ধক্ষেত্রের ছবি দেখা গেল।

ডিসেম্বর ০১, ২০২৫
রাজ্য

SIR-এর আতঙ্কের মাঝেই বড় স্বস্তি! নদিয়ায় বাংলাদেশি দম্পতির হাতে ভারতীয় নাগরিকত্ব

কেন্দ্র সরকার আগেই জানিয়েছিল, বাংলাদেশ থেকে আসা মুসলিম শরণার্থী ছাড়া হিন্দু-সহ অন্যান্য ধর্মের শরণার্থীরা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করলে নাগরিকত্ব পাবেন। ভোটার তালিকার বিশেষ পরিমার্জন বা SIR ঘিরে যখন রাজ্য জুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ, ঠিক সেই সময় নদিয়ার রানাঘাটে এক বাংলাদেশি দম্পতির হাতে এসে পৌঁছল ভারতীয় নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট। তা পেয়ে স্বস্তিতে বুক ভরেছে তাঁদের।নদিয়ার তাহেরপুর থানার কামগাছি জয়পুর এলাকার বাসিন্দা লাতুরাম সিকদার ও তাঁর স্ত্রী পদ্ম সিকদার কয়েক বছর আগে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসেন। লাতুরাম বাংলাদেশের সনাতনপুরে থাকতেন, আর পদ্ম থাকতেন পন্ডিতপুর এলাকায়। কট্টরপন্থীদের অত্যাচারের ভয়ে তাঁরা সীমান্ত পেরিয়ে নদিয়ায় চলে এসে বসবাস শুরু করেন। তাঁদের কাছে আগে থেকেই আধার কার্ড ছিল।চলতি বছরে বাংলায় SIR শুরু হলে তাঁরা চিন্তায় পড়ে যান, কারণ ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তাঁদের নাম ছিল না। তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশ অনুযায়ী তাঁরা Citizenship Amendment Act অনুযায়ী ক্যাম্পে গিয়ে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেন। তাঁরা ১০ অক্টোবর আবেদন করেছিলেন এবং ১৯ নভেম্বর হাতে পান নাগরিকত্বের শংসাপত্র।নাগরিকত্ব পেয়ে পদ্ম সিকদার বলেন, তাঁরা খুব খুশি এবং কেন্দ্র যে পদ্ধতিতে আবেদন করতে বলেছে, সকলকে সেই নিয়ম মেনে আবেদন করার অনুরোধ জানান। লাতুরাম সিকদার বলেন, তাঁরা এক কাপড়ে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে এসেছিলেন প্রায় ৩৫-৩৬ বছর আগে। এখানেই বড় হয়েছেন, এখানেই তাঁদের সংসার। SIR শুরু হওয়ার পর ভবিষ্যৎ নিয়ে কিছুটা দুশ্চিন্তায় ছিলেন, তবে কেন্দ্রীয় সরকার যে আশ্বাস দিয়েছিল, সেই অনুযায়ী আবেদন করেই তাঁরা নাগরিকত্ব পেয়ে গেলেন। এখন ভোট দেওয়ার অধিকারও পেলেন তাঁরা।এই বিষয়ে রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক পার্থসারথী চ্যাটার্জি বলেন, শুরু থেকেই তাঁরা জানিয়েছিলেন আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এই দম্পতি নাগরিকত্ব পেয়েছেন, ভবিষ্যতে যাঁরা আবেদন করবেন, তাঁরাও নাগরিকত্ব পাবেন।উল্লেখ্য, এর আগেও জঙ্গি হামলায় নিহত বিতান অধিকারীর স্ত্রী ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন। নদিয়ার এই দম্পতির নাগরিকত্ব পাওয়ার ঘটনায় নতুন করে আশা দেখছেন অনেক শরণার্থী পরিবার।

ডিসেম্বর ০১, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal