• ২ পৌষ ১৪৩২, শনিবার ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

NCB

দেশ

দাউদ যোগে ইডির হাতে গ্রেপ্তার এনসিপি নেতা নবাব মালিক

দাউদ যোগে গ্রেপ্তার করা হল এনসিপি নেতা নবাব মালিককে। ৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর মহারাষ্ট্রের মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করল ইডি। বুধবার সকালেই নবাব মালিকের বাড়িতে ইডি হানা দেয়। তারপর ইডি আধিকারিকরা তাঁকে জেরার জন্য দপ্তরের দিকে নিয়ে যান। কুখ্যাত ডন দাউদ ইব্রাহিম ও তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের অর্থপাচার সংক্রান্ত মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা নবাবকে নিজেদের দপ্তরে নিয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছিল। সকাল ৭ টা নাগাদ এনসিপি নেতাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং সকাল ৮ টা থেকে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। অবশেষে টানা ৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর মহারাষ্ট্রের দোর্দণ্ডপ্রতাপ এনসিপি নেতা নবাব মালিককে।সূত্রের খবর, এনসিপি নেতা নবাব মালিক দাউদের সংযোগীদের সঙ্গে লেনদেন এবং জমি লেনদেনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল। ইডি জানিয়েছে তদন্তের ক্ষেত্রে তিনি কোনও সহযোগিতা করেননি এবং এড়িয়ে গিয়েছেন। সম্প্রতি এই মামলায় ইডি দাউদ ইব্রাহিমের ভাই ইকবাল কাসকারের বাড়িতে অভিযান চালান এবং তাঁকে হেপাজত নেওয়া হয়েছিল। তদন্ত চলাকালীন নবাব মালিকের কেনা কিছু সম্পত্তির প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। মহারাষ্ট্রের মহা বিকাশ আগাধি সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকারের চলতে থাকা চাপা লড়াইয়ের মধ্যে ইডির হাতে গ্রেপ্তার হলেন ৬২ বছরের মন্ত্রী নবাব মালিকের।

ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২২
বিনোদুনিয়া

Aryan Khan : প্রতি সপ্তাহে আরিয়ানকে এনসিবির অফিসে যেতে হবে না, জানাল বম্বে হাইকোর্ট

আরিয়ান খানের জন্য স্বস্তির খবর। প্রতি সপ্তাহে মুম্বইতে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর অফিসে যেতে হবে না তাঁকে। গত সপ্তাহেই মুম্বই এনসিবি অফিসে সাপ্তাহিক হাজিরা লাঘব করার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন আরিয়ান বম্বে হাইকোর্টের কাছে। এবার সেই আবেদনে আরিয়ানের পক্ষে রায় দিল এনসিবি। কিছুটা বদল আনা হয়েছে আরিয়ান খানের জামিনের শর্তে। এবার থেকে এনসিবির তরফ থেকে আরিয়ানকে ডেকে পাঠানো হবে, হাজিরার প্রয়োজন নেই। তবে ডাক পড়লে দিল্লিতে এনসিবি-র সদর দফতরে বা মুম্বই অফিসে যাবেন আরিয়ান। তবে, ৪৮ ঘণ্টা আগে আরিয়ানকে সেটা জানিয়ে দিতে হবে এনসিবিকে। অন্য দরকারে মুম্বই ছাড়লে তা জানিয়ে রাখতে হবে আরিয়ানকে। আরিয়ানের আবেদনে বলা হয়েছিল, এই কেসের সাথে এখন আর মুম্বই এনসিবি অফিসের কোনও সম্পর্ক নেই। এখন এটা দেখছে এনসিবি-র স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন টিম। এমনকী, তাঁদের তরফে ইতিমধ্যে বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছে। আরিয়ানের তরফে আরও জানানো হয়, তিনি যখনই এনসিবির অফিসে হাজির হন তখন বাইরে থিকথিক করে ভিড়। একাধিক পুলিশকে তা সামলাতে হয়। যা সমস্যার হয়ে দাঁড়ায়। এখন এই সমস্যায় কিছুটা ছাড় পেল কিং খানের পুত্র। ৩ ডিসেম্বর প্রমোদতরীর মামলায় গ্রেফতার হন আরিয়ান। এরপর কিছুদিন এনসিবির হেফাজতে ছিলেন তিনি। সেখান থেকে তাকে আরথার রোডের জেলেতে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। ৩১ ডিসেম্বর জামিন পান আরিয়ান।

ডিসেম্বর ১৬, ২০২১
দেশ

Aryan-Wankhede: আরিয়ান মামলা থেকে অপসারিত হয়েও হাল ছাড়তে নারাজ এনসিবি কর্তা ওয়াংখেড়ে

একের পর একর বিতর্কের জেরে অবশেষে শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খানের বিরুদ্ধে শুরু হওয়ায় মাদক মামলার তদন্ত থেকে সরানো হয়েছে এনসিবি আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়ে -কে। তাঁর বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়া, তোলাবাজির অভিযোগ উঠলেও, হাল ছাড়তে নারাজ মুম্বইয়ের এনসিবির জ়োনাল অফিসার। তিনি কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তের দাবি করেছেন বলে জানিয়েছেন।আরিয়ান খানের গ্রেফতারির কিছুদিন পর থেকেই এনসিপি নেতা তথা মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক নিশানা বানিয়েছিলেন এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেড়েকে। তাঁর পরিবার থেকে শুরু করে পরিচয়, বিয়ে-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। এদিকে, মুম্বইয়ের প্রমোদতরীতে মাদক মামলার অন্যতম সাক্ষী প্রভাকর সেইলও এনসিবির অফিসারের বিরুদ্ধেই সাদা কাগজে সই করিয়ে নেওয়ানো এবং ৮ কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ এনেছেন।এদিকে, আরিয়ান খানের মামলা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরই সমীর ওয়াংখেড়ে বলেন, আমি এখনও এনসিবির মুম্বই শাখার জ়োনাল ডিরেক্টর। আমাকে এই পদ থেকে সরানো হয়নি। আমি মাদকচক্রের বিরুদ্ধে তদন্ত জারি রাখব। একইসঙ্গে তিনি জানান, আরিয়ান খানের মাদক মামলার তদন্ত যাতে কোনও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা করে, তার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। আদালতে তিনি এই মর্মে রিট পিটিশন দায়ের করেছেন বলেও জানান।

নভেম্বর ০৬, ২০২১
বিনোদুনিয়া

Aryan Khan : হাজিরা দিতে এনসিবির দফতরে শাহরুখ পুত্র

আবার এনসিবির দফতরে শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খান। শুক্রবার সেখানে হাজিরা দিতে পৌঁছে যান শাহরুখ পুত্র। একটি সাদা রঙের রেঞ্জ রোভারে আরিয়ানের সঙ্গে ছিলেন তার আইনজীবি সতীশ মানশিণ্ডে। ২৬ দিন হাজতবাসের পর ৩০ অক্টোবর জামিন পেয়েছেন শাহরুখ-পুত্র। বাড়ি ফিরেও পুরোপুরি নিশ্চিন্ত হতে পারেননি। আদালতের বেশ কিছু নির্দেশ মেনে চলতে হবে। আরিয়ানের জামিনের শর্ত ছিল সপ্তাহের নির্দিষ্ট একটি দিনে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টোর মধ্যে আরিয়ানকে এনসিবি-র দফতরে হাজিরা দিতে হবে। সেই নিয়ম মেনেই শুক্রবার এনসিবি-র দফতরে যান তিনি। জানা গেছে এখন বেশ কিছু দিন মন্নত-এর বাইরে পা রাখবেন না আরিয়ান। এমনই জানিয়েছিলেন শাহরুখের সহকারী পূজা দাদলানি। তবে জানা গিয়েছে, শাহরুখের জন্মদিনে পরিবারের সঙ্গে আলিবাগে গিয়েছিলেন আরিয়ান। সেখানেই মা-বাবার সঙ্গে সময় কাটান তিনি। তবে এনসিবি দফতরে হাজিরা দেওয়ার তাগিদে ফের শহরে ফিরে এসেছেন শাহরুখ-তনয়।

নভেম্বর ০৬, ২০২১
বিনোদুনিয়া

Aryan Khan: অবশেষে জামিন পেলেন আরিয়ান খান

অবশেষে জামিন পেলেন আরিয়ান খান। বম্বে হাইকোর্ট শাহরুখ-পুত্রের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল বৃহস্পতিবার। দীপাবলির আগেই সম্ভবত বাড়ি ফিরবেন শাহরুখ-গৌরীর ছেলে। মঙ্গলবার এবং বুধবার আরিয়ানের জামিনের শুনানি অসমাপ্ত ছিল। তৃতীয় দিনে রায় শোনাল হাইকোর্ট। শুক্র বা শনিবার ঘরের ছেলে ঘরে ফিরতে পারেন। মুনমুন ধমেচা এবং আরবাজ মার্চেন্টকেও জামিন দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার এই তিন জনকে জামিন দেওয়ার কারণ সবিস্তার জানাবে হাইকোর্ট।দীর্ঘ ২২ দিন মুম্বইয়ের আর্থার রোডের জেলই ছিল সুপারস্টার শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খানের ঠিকানা। অবশেষে নিজের বাড়ি মন্নতে ফিরছেন তিনি।গত ২ অক্টোবর মুম্বই থেকে গোয়াগামী প্রমোদতরী থেকে আটক করা হয়েছিল আরিয়ানকে। তার পর ৩ তারিখ তাঁকে গ্রেপ্তার করে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। মোট দুবার তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। যুক্তি হিসেবে বলা হয়, জামিনে ছাড়া পেলে, আরিয়ান তাঁর বিরুদ্ধে যাবতীয় তথ্য ও প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করতে পারেন।ছেলে জেল থেকে না ফেরা পর্যন্ত মন্নতে মিষ্টি খাওয়া বন্ধ রেখেছিলেন গৌরী। অন্যদিকে সলমনের বাবা-মা সেলিম খান ও হেলেন রোজ আরিয়ানের জন্য প্রাথর্না করতেন। বৃহস্পতিবার সকালেই সোশ্যাল মিডিয়া স্টোরিতে বিচার ব্যবস্থার দিকে আঙুল তুলে আরিয়ানের সমর্থনে মুখ খুলেছিলেন হৃত্বিক। দাদা জেলে, তাই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বোন সুহানা। দুশ্চিন্তা ও ক্লান্তির ছাপ ছিল তাঁর চেহারাতেও শাহরুখের। ২ নভেম্বর শাহরুখের জন্মদিন। ৫৬ বছর বয়সে পা দেবেন তারকা। জন্মদিনের আগে ছেলেকে কাছে পাচ্ছেন, দীপাবলি কাটাবেন একসঙ্গে এতেই বা কম কীসের!

অক্টোবর ২৮, ২০২১
দেশ

NCB-Aryan: আরিয়ান-কাণ্ডে আটক এনসিবি-র অন্যতম সাক্ষী কিরণ গোসাভি

আরিয়ান-কাণ্ডে ফের নয়া মোড়। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) অন্যতম সাক্ষী কিরণ গোসাভিকে আটক করল পুলিশ। পুণে পুলিশের তরফে এ খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। পুণের পুলিশ কমিশনার অমিতাভ গুপ্ত বলেছেন, মুম্বইয়ের প্রমোদতরীতে মাদক মামলায় এনসিবি-র অন্যতম সাক্ষী কিরণ গোসাভিকে আটক করা হয়েছে।মুম্বইয়ের প্রমোদতরীতে এনসিবি যখন হানা দিয়েছিল তখন সেখানে গোসাভি উপস্থিত ছিলেন বলে অভিযোগ। পরে এনসিবি-র অফিসে আরিয়ান খানের সঙ্গে নিজস্বীও তোলেন তিনি। দুই জায়গার ছবি-ভিডিও জানান দেয় শাহরুখ-পুত্রের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের বিষয়টি। রবিবার গোসাভির দেহরক্ষী হিসাবে দাবি করা এক ব্যক্তি ঘুষ সংক্রান্ত লেনদেনের অভিযোগ তুলেছিলেন তাঁর বিরুদ্ধে। প্রভাকর সইল বলে ওই ব্যক্তি দাবি করেন, টেলিফোনে ২৫ কোটি টাকা ঘুষের বিষয়টি নিয়ে গোসাভিকে কথা বলতে শুনেছিলেন তিনি। সেই ২৫ কোটির মধ্যে আট কোটি টাকা এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেড়েকে দেওয়ার কথাও না কি হয়েছিল। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেন গোসাভি। ঘুষের ব্যাপারে তিনি সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, প্রথম বার এই বিষয়টি আমি শুনছি। ওয়াংখেড়েকেও তিনি ২ অক্টোবরের আগে চিনতেন না বলে দাবি করেছেন।উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের একটি প্রতারণা মামলায় গোসাভির বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করে পুণে পুলিশ। পুলিশের দাবি, তার পর থেকেই খোঁজ মিলছিল না।

অক্টোবর ২৮, ২০২১
কলকাতা

Drug: শহরের বুকেই ওঁত পেতে আন্তর্জাতিক মাদকচক্র!

শহরে আন্তর্জাতিক মাদকচক্রের পর্দা ফাঁস। শনিবার কলকাতা থেকে ২০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। পাচারচক্রে জড়িত সন্দেহে দুজন মহিলা-সহ তিন জনকে গ্রেপ্তা করেছে এনসিবি।গ্রেপ্তার হওয়ার পর অভিযুক্তরা জানিয়েছে, প্রসাধনী দ্রব্যের আড়ালে গত ২৭-৩০ জুলাইয়ের মধ্যে ৪২টি বিদেশি পার্সেল কলকাতায় সরবরাহ করা হয়েছে। আপাতত মাদক চক্রের জাল কতদূর পর্যন্ত ছড়ানো, সেটাই এখন খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা।আমেরিকা এবং কানাডা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক পাচার করা হচ্ছিল কলকাতায়। ক্যুরিয়ারের মাধ্যমে এই মাদক পাচার করা হত বলে এনসিবি সূত্রে খবর। ধৃতদের নাম শ্রদ্ধা সুরানা, তারিনা ভাটনগর এবং করণ কুমার গুপ্ত। এদের মধ্যে শ্রদ্ধা সুরানাই পাচার চক্রের কিংপিন বলে দাবি তদন্তকারীদের। ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমে এই মাদক পাচারের লেনদেন চলত বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। এনসিবি সূত্রে খবর, ক্যুরিয়ারের মাধ্যমে আমেরিকা এবং কানাডা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক আসছে ভারতে, গোপন সূত্রে এই খবর পাওয়ার পরই পাচারকারীদের ধরার জন্য ফাঁদ পাতে এনসিবি। সেই সূত্রেই শনিবার মাদক-সহ ধরা পড়েন পাচারকারীরা। বিপুল পরিমাণ মাদক কলকাতা হয়ে কোথায় পাচার করা হচ্ছিল, সেটাই এখন জানতে চেষ্টা করছে পুলিশ।জানা গিয়েছে, ডার্ক নেট ওয়েব প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার করেই মাদকের ব্যবসা ছড়িয়েছিল পাচারকারীরা। অর্ডার নিয়ে টাকার লেনদেন হত ডার্ক ওয়েবেই। তদন্তকারীদের দাবি, সিমরন সিং নামে ভুয়ো পরিচয়ে এই মাদক পাচারের কাজ সামলাতেন আসলে গ্রেপ্তার হওয়া শ্রদ্ধা সুরানা। তাঁর কাছ থেকে ভুয়ো আধার কার্ডও উদ্ধার করেছে এনসিবি।

আগস্ট ০১, ২০২১
বিনোদুনিয়া

এনসিবি-র সমন দীপিকা, সারা, শ্রদ্ধা রকুল প্রীতকে

সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুরহস্যে জোরালো হয়েছে মাদক যোগ। সুশান্তের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী আর তাঁর ভাই সৌভিক ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন। মুম্বাইয়ে তল্লাশি চালিয়ে ৫৯ গ্রাম মারিজুয়ানা উদ্ধারের সঙ্গে সঙ্গেই নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো জানতে পেরেছে, সুশান্তের জন্য নিয়মিত ড্রাগ কিনতেন রিয়া। এর তদন্তে ট্যালেন্ট এজেন্সি এগজিকিউটিভ জয়া সাহার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ও রিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরে বলিউড তারকাদের বিরুদ্ধে মাদক যোগের অভিযোগ পেয়েছে এনসিবি। রিয়া তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, সুশান্তের ফার্মহাউসে সারা, শ্রদ্ধা, রকুলকেও সুশান্তের সঙ্গে পার্টিতে দেখেছেন তিনি। এ জন্য এবার সমন পৌঁছে গেল দীপিকা পাড়ুকোন, সারা আলি খান, শ্রদ্ধা কাপুর, রকুল প্রীত সিংদের কাছে। রিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদে সারা, রকুল প্রীতের নাম উঠে এসেছে। জয়া সাহার হোয়াটসঅ্যাপে দুজনের নামের আদ্যক্ষর ডি ও কে যে দীপিকা ও তাঁর বিজনেস ম্যানেজার করিশ্মা প্রকাশ সে বিষয়ে প্রমাণ রয়েছে তদন্তকারী আধিকারিকদের হাতে। শ্রদ্ধা কাপুরের নামও বেরিয়ে এসেছে জয়া সাহার মাধ্যমেই। মাদক যোগে তাঁর নাম যুক্ত করে মিডিয়া ট্রায়াল বন্ধের আর্জি জানিয়ে গত সপ্তাহে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন রকুল প্রীত। বৃহস্পতিবার ২৪ সেপ্টেম্বর তাঁর সঙ্গেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে ফ্যাশন ডিজাইনার সিমোন খামবাত্তাকে। দীপিকা ও করিশ্মাকে শুক্রবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সমন পাঠানো হয়েছে। শ্রদ্ধা ও সারাকে ডেকে পাঠানো হয়েছে শনিবার। বলিউডে মাদক যোগের তদন্তে বুধবার এনসিবি-র জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন বলিউডের প্রযোজক মধু মান্তেনা। এদিকে, বম্বে হাইকোর্টে রিয়া-সৌভিকের জামিনের আবেদনের শুনানি বৃহস্পতিবার।

সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২০

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

যুবভারতী কাণ্ডে নতুন মোড়, শতদ্রু দত্তের রিষড়ার বাড়িতে হানা বিধাননগর পুলিশের

যুবভারতী কাণ্ডের পর থেকেই রিষড়ার একটি ঝাঁ চকচকে তিনতলা বাড়ি ঘিরে কৌতূহল বেড়েছে। শুক্রবার সকালে সেই বাড়িতেই হাজির হল বিধাননগর পুলিশ। যুবভারতী স্টেডিয়ামে মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে হওয়া বিশৃঙ্খলার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তের এই বাড়িতে এদিন তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। তবে ঠিক কী কারণে এই তল্লাশি, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি পুলিশ আধিকারিকরা।গত ১৩ ডিসেম্বর যুবভারতী স্টেডিয়ামে লিওনেল মেসির অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন শতদ্রু দত্ত। ওই দিন স্টেডিয়ামে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ছড়ায়। সেই ঘটনার পরই আয়োজক সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এবং পুলিশ শতদ্রুকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। ঠিক সেই সময়ই শুক্রবার সকালে তাঁর রিষড়ার বাড়িতে পৌঁছে যায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ বিধাননগর থানার পাঁচজন আধিকারিক, তাঁদের মধ্যে মহিলা পুলিশকর্মীও ছিলেন, এদিন সকালে রিষড়ায় যান। প্রথমে তাঁরা রিষড়া থানায় হাজির হন। পরে স্থানীয় থানার পুলিশের সহযোগিতায় বাঙুর পার্ক এলাকায় শতদ্রু দত্তের বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। সেই সময় বাড়িতে শুধুমাত্র এক পরিচারিকা ছিলেন। তাঁর সঙ্গেও কথা বলেন পুলিশ আধিকারিকরা।এরপর তিনতলা বাড়ির প্রতিটি ঘরে তল্লাশি চালানো হয়। সূত্রের খবর, ওই বাড়িতে একটি ব্যক্তিগত ফুটবল মাঠ এবং একটি সুইমিং পুল রয়েছে। সেগুলিও ঘুরে দেখেন তদন্তকারীরা। তবে তল্লাশির পর বাড়ি থেকে কোনও কিছু বাজেয়াপ্ত করা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন, তাই এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।এদিকে তদন্তকারীদের একাংশের অনুমান, মেসির অনুষ্ঠানে বিপুল পরিমাণ কালো টাকা ব্যবহার হয়ে থাকতে পারে। যুবভারতী কাণ্ডে পুলিশের তরফে ইতিমধ্যেই দুটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সেই এফআইআরের ভিত্তিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ইসিআইআর দায়ের করে আর্থিক লেনদেনের উৎস খতিয়ে দেখতে পারে বলে তদন্তকারী সূত্রে খবর।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
দেশ

সংবাদমাধ্যমে আগুন, ভারত-বিরোধী স্লোগান—ঢাকা পরিস্থিতিতে কড়া নজর দিল্লির

ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ফের তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ঢাকাসহ একাধিক শহরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমের অফিসে আগুন লাগানো হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে এবং কট্টরপন্থীদের একাংশ প্রকাশ্যে ভারত-বিরোধী মন্তব্য করছে। পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, তা নিয়ে কড়া নজর রাখছে ভারত।সূত্রের খবর, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় যেখানে ভারতীয় হাইকমিশনের অফিস রয়েছে, সেখানে কর্মরত ভারতীয় আধিকারিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে নয়া দিল্লি। সাম্প্রতিক পরিস্থিতির জেরে একাধিক জায়গায় ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র ইতিমধ্যেই বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলেও ইঙ্গিত মিলেছে।বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে কট্টরপন্থীদের বিক্ষোভ চলে। কয়েকটি ক্ষেত্রে সেই বিক্ষোভ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ চট্টগ্রামে ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনারের বাসভবন ঘিরে ধরার ডাক দেওয়া হয়েছে বলে খবর আসে। বিভিন্ন দিক থেকে অফিস ঘেরাওয়ের আহ্বান জানানো হয়। এই পরিস্থিতিতে গোটা ঘটনার উপর নজর রাখছে ভারত সরকার। সূত্রের খবর, নিরাপত্তার কারণে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় আজও ভিসা কেন্দ্র বন্ধ থাকতে পারে।উল্লেখ্য, এর আগেও বাংলাদেশের এক রাজনৈতিক মিছিলে ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে আলাদা করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন এনসিপি নেতা হাসনাত। সেই মন্তব্যের পরই দিল্লি কড়া অবস্থান নেয়। বাংলাদেশের হাইকমিশনার মহম্মদ রিয়াজ হামিদুল্লাহকে তলব করে স্পষ্ট জানানো হয়, এই ধরনের উস্কানিমূলক মন্তব্য ভারত কোনওভাবেই বরদাস্ত করবে না। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনার পর স্পষ্ট, সেই বার্তা এখনও পুরোপুরি কার্যকর হয়নি বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
বিদেশ

কে এই ওসমান হাদি? যাঁর মৃত্যুতে গোটা বাংলাদেশে আগুন জ্বলছে

কয়েক মাস আগেও যাঁকে প্রায় কেউ চিনতেন না, অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি ঘরে ঘরে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছিলেন। রাজনীতিতে আচমকা উত্থান, আবার সেই কাহিনি পূর্ণতা পাওয়ার আগেই থেমে গেল। শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। দেশজুড়ে ছড়িয়েছে উত্তেজনা, বহু জায়গায় আগুন ও বিক্ষোভ। যাঁকে ঘিরে এত আলোচনা, আন্দোলন ও বিতর্ক, সেই ওসমান হাদি আসলে কে ছিলেন?অত্যন্ত সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসেছিলেন ওসমান হাদি। শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লিগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তার অন্যতম মুখ ছিলেন তিনি। সেই আন্দোলনের মাধ্যমেই জাতীয় রাজনীতিতে পরিচিতি পান হাদি। বিতর্কিত গ্রেটার বাংলাদেশ-এর মানচিত্র তৈরির সঙ্গেও তাঁর নাম জড়ায়, যেখানে ভারতের সেভেন সিস্টার্স-সহ একাধিক অঞ্চলকে বাংলাদেশের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছিল।১৯৯৩ সালের ৩০ জুন বরিশালে জন্ম ওসমান হাদির। ছয় ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট। ঢাকার রামপুরা এলাকায় থাকতেন। পেশায় শিক্ষক ছিলেন হাদি। জুলাই আন্দোলনের সময় তিনি সক্রিয়ভাবে স্থানীয় সাংগঠনিক কাজে যুক্ত হন। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই রামপুরা এলাকার সমন্বয়ক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পান এবং পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন।শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লিগ নিষিদ্ধ করার দাবিতে যারা সরব হন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন হাদি। সেই সময়েই গড়ে ওঠে ইনকিলাব মঞ্চ। এই মঞ্চের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং ন্যায়বিচারের দাবি। ইনকিলাব মঞ্চের তরফে জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতি সংরক্ষণ, অভিযুক্তদের বিচার, আহত ও নিহতদের স্বীকৃতি এবং জুলাই চার্টার ঘোষণার দাবি তোলেন হাদি। এর ফলে রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন তিনি।ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায়ও হাদির নাম জড়ায়। বিষয়টি নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। ইনকিলাব মঞ্চের ব্যানারে হাদি বারবার আওয়ামী লিগের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন ও হত্যার অভিযোগ তুলে দলটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান। দাবি মানা না হলে সচিবালয় ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন তিনি।সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদি জানিয়েছিলেন, তাঁকে ফোন ও মেসেজ করে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তবুও তিনি পিছিয়ে যাননি। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াইয়ের ঘোষণা দেন। চা-সিঙ্গারা আড্ডার মাধ্যমে প্রচারও শুরু করেছিলেন। ঠিক সেই সময়ই ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা।গত ১২ ডিসেম্বর জুম্মার নামাজের পর ঢাকার বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট এলাকা দিয়ে ফেরার সময় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। গুলি মাথা ভেদ করে বেরিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে একটি বেসরকারি হাসপাতালে এবং সেখান থেকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ করে শুক্রবার, ১৮ ডিসেম্বর রাতে সিঙ্গাপুরে মৃত্যু হয় ওসমান হাদির। আজ তাঁর দেহ বাংলাদেশে আনা হবে।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

নিষিদ্ধপল্লীতে ভোটার উধাও! খসড়া তালিকায় বাদ ২০ শতাংশ নাম

নিজস্ব সংবাদদাতা: খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হতেই চমকে দেওয়ার মতো তথ্য সামনে এল আসানসোলে। উদ্বেগ ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলেও। এসআইআর বা স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশনের প্রাথমিক পর্ব শেষে দেখা যাচ্ছে, কুলটি বিধানসভার নিয়ামতপুর সংলগ্ন নিষিদ্ধপল্লী এলাকার চারটি বুথে মোট ভোটারের প্রায় ২০ শতাংশ নাম তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। পাশাপাশি আরও প্রায় ২০ শতাংশ ভোটারের সঙ্গে পুরনো তালিকার কোনও ম্যাপিং করা যায়নি বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর।এসআইআর শুরু হওয়ার সময় এই চারটি বুথে মোট ভোটার ছিলেন ৩ হাজার ৬২৭ জন। খসড়া তালিকা প্রকাশের পর দেখা যাচ্ছে, ৭৪২ জনের নাম বাদ গিয়েছে। বাদ পড়া ভোটারদের মধ্যে ১৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, ৬৯ জন অন্যত্র চলে গিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি সংখ্যক, অর্থাৎ ৫৩৪ জন ভোটারের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। জানা গিয়েছে, তাঁরা এনুমারেশন ফর্ম তুললেও তা আর জমা দেননি। পাশাপাশি ২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা সম্ভব হয়নি এমন ভোটারের সংখ্যা ৬৮৪ জন।এই তথ্য সামনে আসতেই বিরোধীরা সরব হয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, বছরের পর বছর এই ভূতুড়ে ভোটারদের ব্যবহার করে এসেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। নিষিদ্ধপল্লী এলাকায় বাংলাদেশি নাগরিকদের নাম ভোটার তালিকায় ঢোকানো হয়েছিল বলেও অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা।তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। দলের দাবি, এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী বুথ লেভেল অফিসার বা বিএলও-রা। তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি বাচ্চু রায় বলেন, নিষিদ্ধপল্লীর অনেক যৌনকর্মী নিজের পরিচয় ও ঠিকানা গোপন রেখে সেখানে কাজ করতে আসেন। এসআইআর চলাকালীন তাঁরা ভয় পেয়ে এলাকা ছেড়ে চলে গিয়েছেন বা ফর্ম তুললেও জমা দেননি। তাঁর দাবি, এখানে কোনও বাংলাদেশি যোগ নেই।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

আপাতত স্বস্তি যোগ্য শিক্ষকদের, চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধি সুপ্রিম কোর্টের

অবশেষে কিছুটা স্বস্তির। সৌজন্যে সুপ্রিম কোর্ট। যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ৩১ ডিসেম্বর নয়, ২০২৬ সালের ৩১ অগস্ট পর্যন্ত চাকরিতে বহাল থাকবেন যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এই সময়সীমার মধ্যেই নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে রাজ্য সরকারকে। এমনই স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য অতিরিক্ত সময় চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। রাজ্যের তরফে ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানোর আবেদন জানানো হলেও আদালত সেই আবেদন আংশিক মঞ্জুর করে প্রায় আট মাসের অতিরিক্ত সময় দেয়। আদালত জানিয়ে দেয়, আগামী ৩১ অগস্টের মধ্যেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, এই সময়কালে যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিয়মিত বেতন পাবেন এবং পড়ানোর কাজও চালিয়ে যেতে পারবেন। তবে আদালত স্পষ্ট করেছে, এই সুবিধা শুধুমাত্র শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের ক্ষেত্রে এই নির্দেশ কার্যকর হবে না।আজকের এই রায়ে বড় স্বস্তি পেল রাজ্য সরকারও। কারণ ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শিক্ষা ব্যবস্থা সচল রাখা এবং বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষক সংকট এড়ানো রাজ্যের পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত আগের যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পরিষেবা ও বেতন বহাল থাকবে।উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৩ এপ্রিল ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়ার সময় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন করে পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরকে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই জটিল প্রক্রিয়া শেষ করা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ায় রাজ্য সরকার সময় বাড়ানোর আবেদন জানায়।আদালতে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ স্তরের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া শেষ করতে আরও কয়েক মাস সময় প্রয়োজন। পাশাপাশি যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর আর্জিও জানানো হয়। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই এই গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগে দেওচা–পাঁচামিতে পাথর উত্তোলনের বরাত বাতিল, নতুন দরপত্রে বিতর্ক

চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগে দেওচাপাঁচামি কয়লাখনি প্রকল্প এলাকায় পাথর উত্তোলনের কাজের বরাত বাতিল করল রাজ্য সরকার। প্রাথমিক পর্যায়ে ১২ একর জমিতে পাথর উত্তোলনের দায়িত্বে থাকা মেসার্স পাচামি ব্যাসল্ট মাইনিং প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের দাবি, সংস্থাটি চুক্তির একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শর্ত মানেনি বলেই এই পদক্ষেপ।রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপে ৩১৪ একর জমিতে পাথর উত্তোলনের জন্য নতুন করে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্ত ঘিরে শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক। বিরোধী দল বিজেপির অভিযোগ, দেওচাপাঁচামি কয়লাখনি প্রকল্প নিয়ে রাজ্য সরকার আসলে ধোঁয়াশা তৈরি করছে। বৃহস্পতিবার সিউড়িতে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, গত ১৫ বছরে রাজ্য সরকার একটি বড় শিল্প প্রকল্পও বাস্তবে রূপ দিতে পারেনি। অথচ দেওচাপাঁচামিকে দেশের বৃহত্তম কয়লাখনি বলে প্রচার করা হচ্ছে। তাঁর দাবি, আসন্ন শিল্প সম্মেলনের আগে বরাত বাতিল ও নতুন দরপত্র ডেকে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।বিজেপি নেতার আরও অভিযোগ, নতুন দরপত্রে কোথাও কয়লাখনি স্থাপনের উল্লেখ নেই। বরং আগামী ১৫ বছরের জন্য শুধুমাত্র পাথর উত্তোলনের কথাই বলা হয়েছে। তাঁর বক্তব্য, এর থেকেই স্পষ্ট যে আপাতত কয়লা উত্তোলনের কোনও পরিকল্পনাই রাজ্যের নেই। যদিও গত অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক স্তরে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল, এখনও পর্যন্ত কোনও সংস্থা আগ্রহ দেখায়নি বলেও দাবি করেন তিনি।জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, কেন্দ্রের অনুমোদন ছাড়া এই প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। অথচ এখনও পর্যন্ত কোনও পূর্ণাঙ্গ নকশা বা প্রস্তাব কেন্দ্রের কাছে জমা পড়েনি। পাশাপাশি আদিবাসীদের জমি নেওয়া হলেও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ বা স্থায়ী কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি বলেও অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিকে রাজ্য সরকারের শিল্পনীতির ব্যর্থতার প্রতিফলন বলে দাবি করছে বিরোধীরা।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
কলকাতা

মেসি-কাণ্ডে মানহানির অভিযোগ, লালবাজারে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের এফআইআর

লিওনেল মেসিকে ঘিরে কলকাতার সাম্প্রতিক বিতর্কে এবার আইনি মোড়। প্রকাশ্যে মানহানিকর মন্তব্যের অভিযোগ তুলে কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজারে এফআইআর দায়ের করলেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। অভিযোগের আঙুল উঠেছে কলকাতার আর্জেন্টিনা ফ্যান ক্লাবের প্রধান তথা মেসি-ভক্ত উত্তম সাহার দিকে।সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের আইনজীবীর তরফে জানানো হয়েছে, যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মেসিকে ঘিরে যে বিতর্কিত ঘটনার সূত্রপাত, তা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে সৌরভের ভূমিকা সম্পর্কে একাধিক ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হয়েছে। এই মন্তব্যগুলিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মানহানিকর বলেই দাবি করা হয়েছে অভিযোগে।সৌরভের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানে তিনি শুধুমাত্র একজন আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবেই উপস্থিত ছিলেন। ইভেন্টের আয়োজন বা পরিচালনার সঙ্গে তাঁর কোনও রকম সাংগঠনিক যোগ ছিল না। অনুষ্ঠানের মূল আয়োজক ছিলেন শতদ্রু দত্ত। একই অনুষ্ঠানে অভিনেতা শাহরুখ খান-সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, উত্তম সাহা প্রকাশ্যে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে চিটিংবাজ বলে কটাক্ষ করেন, যা প্রাক্তন অধিনায়কের সামাজিক সম্মান ও দীর্ঘদিনের ভাবমূর্তিকে গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এই কারণেই মানহানির নোটিস পাঠানোর পাশাপাশি লালবাজারে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।উল্লেখ্য, মেসিকে দেখার আশায় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে হাজার হাজার দর্শক মোটা অঙ্কের টিকিট কেটেও শেষ পর্যন্ত হতাশ হন। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতেও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় এবং তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস পদত্যাগ করেন। পুলিশ কর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। একজন ডিসিপি সাসপেন্ড হয়েছে। এই আবহেই দেওয়া উত্তম সাহার মন্তব্যকে ঘিরে এবার আইনি পথে হাঁটলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজনীতি

একেই হুমায়ুন কবীরে অস্থির! এবার দুর্নীতির অভিযোগ জেলা পরিষদের সদস্যপদে ইস্তফা দাপুটে তৃণমূলনেত্রীর

২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুর্শিদাবাদে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে বড়সড় রাজনৈতিক বিস্ফোরণ। দলের হেভিওয়েট নেত্রী ও জেলা পরিষদের প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি শাহনাজ বেগম জেলা পরিষদের সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিলেন। শুধু পদত্যাগই নয়, দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রকাশ্যে নিজের দলের পরিচালিত জেলা পরিষদ বোর্ডকে কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি।১৭ ডিসেম্বর বিভাগীয় কমিশনারের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠান শাহনাজ বেগম। তার প্রতিলিপি জমা পড়েছে জেলা শাসকের কাছেও। তবে প্রশাসনিক চিঠির থেকেও বেশি আলোড়ন তৈরি করেছে তাঁর ফেসবুক পোস্ট। সেখানে তিনি স্পষ্ট ভাষায় লেখেন, চোর জেলা পরিষদের একজন অংশীদার হয়ে থাকা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। এই এক লাইনের মন্তব্যেই জেলা তৃণমূল রাজনীতিতে তীব্র অস্বস্তি ছড়িয়েছে।শাহনাজ বেগম দাবি করেছেন, তিনি কখনও অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি এবং ভবিষ্যতেও করবেন না। দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা ক্ষোভই যে এবার প্রকাশ্যে এসেছে, তা তাঁর বক্তব্যেই স্পষ্ট। রাজনৈতিক মহলের মতে, নির্বাচনের মুখে দাঁড়িয়ে দলের অন্দরে এমন প্রকাশ্য বিদ্রোহ তৃণমূলের জন্য বড় ধাক্কা।মুর্শিদাবাদ জেলা রাজনীতিতে শাহনাজ বেগম অত্যন্ত প্রভাবশালী নাম। একসময় কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি ভেঙে জেলা পরিষদে তৃণমূলের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর। ২০১৩ সাল থেকে সোমপাড়া, রামপাড়া ও রামনগর বাছড়া এলাকা থেকে টানা তিনবার নির্বাচিত হন তিনি। কর্মাধ্যক্ষ থেকে সহকারী সভাধিপতি, একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন শাহনাজ।যদিও আপাতত অন্য কোনও দলে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত দেননি তিনি। তবে পদ ছাড়লেও এলাকার মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। এই বিস্ফোরক ইস্তফা মুর্শিদাবাদের রাজনীতিতে কী প্রভাব ফেলে, এখন সেটাই দেখার।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal