• ৩ আষাঢ় ১৪৩২, শুক্রবার ২০ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Mukul Roy

রাজনীতি

মুকুল রায়ের খবরে তোলপাড় সোশাল মিডিয়া, শুভ্রাংশু জানিয়েছেন কেমন আছেন তাঁর বাবা

কৃষ্ণনগরের বিধায়ক মুকুল রায়ের চিকিৎসা চলছে বাইপাশের এক বেসরকারি হাসপাতালে। পড়ে গিয়ে মাথায় রক্ত জমাট বাধায় অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে। এদিকে সোশাল মিডিয়ায় মুকুল রায়ের ছবি দিয়ে শ্রদ্ধার্ঘের হিড়িক পড়ে গিয়েছে। মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায় জানিয়েছেন, বাবার শরীর মুটামুটি রয়েছে। কিন্তু একদল হুজুগে মানুষ সারা দিন ধরেই একসময়ের তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড ও বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সহসভাপতির প্রয়াণের গুজবে মেতে উঠেছে। তোলপাড় করে ছেড়েছে সোশাল মিডিয়াকে। রীতিমতো ভাইরাল এই খবর। না জেনে শুনে এমন পোস্ট কান্ডজ্ঞানহীন কাজ বলে মনে করছে অভিজ্ঞ মহল। হাসপাতাল সূত্রে খবর, শারীরিক অবস্থা এখনও সংকটজনক। আইসিইউতে আছেন তিনি।

জুলাই ০৬, ২০২৪
রাজনীতি

মুকুল, শুভেন্দুকে ভাঙিয়েছে বিজেপি, অভিষেকের সরাসরি চ্যালেঞ্জ গেরুয়া শিবিরকে

মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী এখন বিজেপিতে। তাঁদের পুরনো দল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায় দাবি করেছেন, তাঁকেও ভাঙাতে চেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু তাঁকে এভাবে দমানো যাবে না বলেও স্পষ্ট ঘোষণা করেছেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। অভিষেকের অভিযোগ, গেরুয়া শিবিরে নাম লেখালেই সাত খুন মাফ। দল বদলে যে নেতা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, তাঁরা ইডি-সিবিআইয়ের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন। কয়লা পাচার থেকে শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়কে তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-ইডি। কখনও দিল্লিতে কখনও নিজাম প্যালেস, সম্প্রতি ইডি তলব করেছিল সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে। পঞ্চায়েত ভোট চলাকালীন রবিবার ডায়মন্ড হারবারের ফলতার জনসভা থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ আনেন অভিষেক।অভিষেক বলেন, রাজনৈতিক লড়াইয়ে পেরে না উঠে, ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে। ইডি-সিবিআইকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের দলকে শ্রীবৃদ্ধি করছে বিজেপি। যেমনভাবে মুকুল রায়, হেমন্ত বিশ্বশর্মা, শুভেন্দু অধিকারীদের ভাঙিয়ে নিয়ে গিয়েছে, তেমনই চেষ্টা করছে হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভাঙাও, নইলে বসাও, নইলে জেলে ঢোকাও। কিন্তু এভাবে আমাকে দমানো যাবে না। তাঁর বক্তব্য, আমি যতদিন রাজনীতি করব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই করব। আমার গলা কেটে দিলেও জয় বাংলাই বেরবে। আর যেদিন রাজনীতি করব না, সেদিন নিষ্ক্রিয় হয়ে যাব। চব্বিশে প্রধানমন্ত্রী পাল্টানোর ডাক দিয়েছেন অভিষেক।

জুন ১৮, ২০২৩
রাজনীতি

দিল্লিতে ঘাঁটি গেড়েছেন মুকুল, আদৌ বিজেপি নেতৃত্ব নতুন করে তাঁকে স্বীকৃতি দেবে?

মুকুল রায় গতকাল থেকে দিল্লিতে প্রকাশ্যে এসেছেন, বিজেপির হয়ে গলা ফাটাচ্ছেন। প্রথম সিপিএমের নাম মুখে এনেও পরে তৃণমূল কংগ্রেসকে তুলোধোনা করেছেন। ছেলেকে বিজেপি করতে পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু বিজেপির কোনও নেতার সঙ্গে এখনও অবধি মুকুল রায়ের বৈঠক করতে দেখা যায়নি। কেন্দ্রীয় বিজেপি মুকুল রায় সম্পর্কে কি ভাবছে তা-ও কিছু জানায়নি। বরং তৃণমূল কংগ্রেস মুকুলকে ঝেড়ে ফেলে দিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র মুকুল ইস্যুতে উৎপাত থেকে জঞ্জাল বলতেও ছাড়েননি। তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, বঙ্গ রাজনীতিতে অপ্রাসঙ্গিক মুকুল দিনভর মিডিয়াতে ভেসে থাকলেন। উত্তাপ ছড়ালেন রাজনৈতিক মহলে। মুকুল কেন দিল্লিতে? রাজনৈতিক মহল তাঁর দিল্লি যাত্রা নিয়ে নানা মতে বিভক্ত। সিপিএম সাংসদ আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য স্পষ্ট দাবি করেছেন, মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় মুকুলকে বিজেপির কাছে পাঠিয়েছে। এটা তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির গট-আপ। বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব মুকুলের বক্তব্যকে কোনও গুরুত্ব দিতে চাইছে না। মুকুল রায় নিজে সারদা ও নারদা-কাণ্ডে অভিযুক্ত। অন্য দিকে বিধায়কদের দ্বারা প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে নিয়ে ময়দানে জোরালো ভাবে নেমে পড়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তারপর শুভ্রাংশুর নিখোঁজ তত্ব নিজেই খারিজ করে দিয়েছেন মুকুল রায়। কৃষ্ণনগরের বিধায়ক দিল্লি গিয়েছেন কোনও পারিবারিক সদস্য বা কোনও সক্রিয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে নয়, গাড়ির চালক ও রাধুনিকে নিয়ে দিল্লি গিয়েছেন। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, যে উদ্দেশ্যেই মুকুল রায় দিল্লি যাক না কেন বিজেপির হয়ে তার বানী ও তৃণমূলের বিরুদ্ধএ যতই আক্রমণ করুক রাজনীতিতে তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। বিজেপি নেতাদের তাঁর সঙ্গে কোনও বৈঠক না হওয়ায় চাতক পাখির মতো মুকুল যেন যেন জল জল করে যাচ্ছেন, অভিমত রাজনৈতিক মহলের। এবার দেখার বিষয় বাংলার রাজনীতিতে চানক্য বলে পরিচিত মুকুল কতদিন ধরে দিল্লিতে থেকে যান। কবে বিজেপি নেতৃত্ব প্রকাশ্যে নতুন করে তাঁকে স্বীকৃতি দেয়, সেটাই এখন দেখার।

এপ্রিল ১৯, ২০২৩
রাজনীতি

দিল্লিতে 'নিখোঁজ' মুকুল শেষমেশ রাতে ধরা দিলেন, জানালেন তিনি বিজেপিতেই রয়েছেন

মুকুল রায় নাকি নিখোঁজ? বাবাকে কোন দুজন যুবক সল্টলেকের বাড়ি থেকে এয়ারপোর্টে নিয়ে গিয়েছে। রীতমতো এয়ারপোর্ট অথরিটি, এয়ারপোর্ট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মুকুলপুত্র শুভ্রাংশু রায়। এমনকী বীজপুর থানায়ও অভিযোগ দায়ের করে শুভ্রাংশু। বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ দিল্লিও চলে গিয়েছে মুকুল রায়ের খোঁজ করতে। কিন্তু রাতেই সংবাদ মাধ্যমে মুকুল রায় জানিয়ে দেন, তিনি স্বেচ্ছায় দিল্লি এসেছেন। কেউ তাঁকে জোর করেনি। তাঁর সঙ্গে শুভ্রাংশুর সঙ্গে কথা হয়েছে।গতকাল রাতে মুকুল রায় দুজন সঙ্গীকে নিয়ে দিল্লিতে যাওয়ার পর থেকে রাজ্য-রাজনীতি তোলপাড় হয়ে যায়। প্রথম দফায় মুকুল নিখোঁজ বলে তোলপাড় হয়ে যায় শুভ্রাংশুর বক্তব্যের পর। তারপর গতকাল রাতেই দিল্লি বিমানবন্দরে দেখা মেলে মুকুল রায়ের। তিনি দিল্লিতে কয়েক দিন থাকবেন বলেও প্রতিক্রিয়ায় জানিয়ে দেন। পরবর্তীতে মঙ্গলবার সারা দিন মুকুলের কোনও খোঁজ মেলেনি। তারই মধ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা ফেসবুক পোস্ট করেন প্রত্যাবর্তন। ফের হইচই শুরু হয়ে যায় এই পোস্টকে কেন্দ্র করে।শেষমেশ রাতে এক সংবাদ মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে মুকুল রায় জানিয়ে দেন, তিনি বিজেপিতে থেকেই রাজনীতি করবেন। শুভ্রাংশুর বিজেপিত যোগদান করা উচিত। কোনও দিন আমি তৃণমূল করিনি। ১০০ শতাংশ নিশ্চিত তৃণমূল আর করব না। মুকুলের এই বক্তব্য প্রকাশ্যে আশার পর ফের শোরগোল পরে যায় রাজনৈতিক মহলে। সেভাবে আর মুকুলের প্রতিক্রিয়ার জবাব দিতে পারেননি পুত্র শুভ্রংশু। এখন দেখার বিষয় ফের কি গেরুয়া উত্তরীয় গলায় পরতে চলেছেন মুকুল? এই চর্চাই চলছে রাজনৈতিক মহলে।

এপ্রিল ১৮, ২০২৩
রাজনীতি

৬ বছর পর মমতার সভায় পাশে থাকছেন মুকুল, ফের সক্রিয় 'চানক্য'!

রাস উৎসবের মরসুমে কৃষ্ণনগরে তিন দিনের নদিয়া সফরে পা রেখেছেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মতুয়া অধ্যুষিত নদিয়া জেলা নিয়ে ঘোর দুশ্চিন্তায় রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নদিয়া সফরের দিকে নজর রয়েছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। মমতার নদিয়া সফরকে কেন্দ্র করে কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায় সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।রানাঘাটে প্রশাসনিক বৈঠকে ডাকও পেয়েছেন মুকুল রায়। এমনকী বুধবার কৃষ্ণনগরে তৃণমূলের প্রকাশ্য সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশেই মঞ্চে দেখা যেতে পারে একসময়ের তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডকে। তাহলে কী ঘাসফুল শিবিরে ফের মুকুলের উত্তোরন ঘটতে চলেছে, এই জল্পনাই ঘুরপাক খাচ্ছে তৃণমূলে। পর্যবেক্ষক মহল মনে করছে, নদিয়ায় মতুয়াদের একটা বড় অংশ গেরুয়া শিবিরের দিকে ঝুঁকে রয়েছে। এক্ষেত্রে চানক্য মুকুলকে কাজে লাগাতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। ২০২১-এ বিজেপির প্রতীকে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে জয় পান মুকুল রায়। জয়ের কয়েকদিনের মধ্যেই সপুত্র তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দেন তিনি। যদিও শুভ্রাংশু রাজনীতিতে সক্রিয় থাকলেও মুকুল রায় অনেকটা আড়ালে চলে যান।কিছু দিন আগে তৃণমূল ভবনে যাওয়া, তারপর নেতাজি ইন্ডোরের সভায় হাজির, তারপর কালীঘাটে ভাইফোঁটায় যাওয়া। এবার সরাসরি মমতার সভায় থাকতে চলেছেন মুকুল রায়। তৃণমূলের মমতা ঘনিষ্ঠ পুরনোদের অনেকেই এখন ইতিহাস। তাহলে কী ফের মমতা মুকুলকে ভরসা করতে চলেছেন? তৃণমূলে সক্রিয় হচ্ছেন মুকুল? এই গুঞ্জন চলছে রাজ্য-রাজনীতিতে।

নভেম্বর ০৮, ২০২২
কলকাতা

মুকুল রায় বিজেপিরই বিধায়ক! জানিয়ে দিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ

মুকুল রায় দলত্যাগ করেননি। দীর্ঘ টানাপোড়েন শেষে শুক্রবার মুকুল রায়ের দলত্যাগ মামলায় সিদ্ধান্ত জানালেন বিধানসভার অধ্যক্ষ। কোনও দলত্যাগ হয়নি বলেই এদিন জানিয়ে দেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, মুকুল রায়ের দলত্যাগ করেছেন, এমন কোনও প্রমাণ তাঁর হাতে আসেনি। এই দলত্যাগ নিয়ে বারবার বিজেপির তরফে অভিযোগ তোলা হলেও, এর সপক্ষে তেমন কোনও প্রমাণ দিতে পারেননি অভিযোগকারীরা।অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মুকুল রায়ের দলত্যাগ সংক্রান্ত কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই। অর্থাৎ বিজেপির টিকিটে জয়ী মুকুল রায় যে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন এর কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই। তাই এই মামলা তিনি খারিজ করে দিচ্ছেন।মুকুল রায় এক দল ছেড়ে অন্য দলে গিয়েছেন, তার প্রমাণ দিতে পারেননি শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী। শুভেন্দু অধিকারীর একটি ৬৪ পাতার পিটিশন দাখিল ঘিরেই এই মামলার শুরু। গত ১১ জুন এই পিটিশন দেন তিনি। এর পর ১২টি শুনানি হয় এই নিয়ে।কিন্তু মুকুল রায়ের আইনজীবীরা শুনানি পর্বে বারবার দাবি করেন, কোনও দলত্যাগ ঘটেনি। সে সময় মুকুল রায়ের কিছু ব্যক্তিগত সমস্যা ছিল। সে কারণেই অন্য একটি রাজনৈতিক দলের দফতরে গিয়েছিলেন। কিন্তু তা সৌজন্যের কারণে গিয়েছিলেন। কোনও পতাকা তিনি হাতে নেননি।

ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২২
কলকাতা

মুকুল-সিদ্ধান্ত দু’সপ্তাহেই নিতে হবে স্পিকারকে: সুপ্রিম কোর্ট

দুসপ্তাহের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় মুকুল রায়ের দলত্যাগ সংক্রান্ত মামলার নিষ্পত্তি করবেন। সোমবার এমনটাই জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, ১৭ জানুয়ারির মধ্যে এই বিষয়টি নিষ্পত্তি করার কথা আগেই স্পিকারকে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু এখনও এই মামলার কোনও নিষ্পত্তি হয়নি। সোমবার ফের সুপ্রিম কোর্টে মুকুল রায়ের পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল।প্রসঙ্গত, গত ১৪ জানুয়ারি বিধানসভায় মুকুল রায়ের দলত্যাগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। সেদিন শুনানি চলাকালীন সমস্ত বিষয় বিধানসভা কর্তৃপক্ষ রেকর্ড করে। তবে সেই একই যুক্তি সামনে আনছেন মুকুল রায়ের আইনজীবী। মুকুল অন্য রাজনৈতিক দলের মঞ্চে সৌজন্যের খাতিরে গিয়েছিলেন। তিনি কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দেননি। মুকুল বিজেপিতেই আছেন। বিজেপিও মুকুল রায়কে সাসপেন্ড করেননি। অর্থাৎ বিষয়টির সারমর্ম, মুকুল রায় কোনওদিনও তৃণমূলে যোগই দেননি। সেক্ষেত্রে তাঁর দল পরিবর্তনের কোনও প্রশ্নই আসছে না।

জানুয়ারি ১৭, ২০২২
দেশ

Mukul Roy-Supreme Court: মুকুল রায়কে নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্তের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ নিয়ে যা সিদ্ধান্ত তা বিধানসভার অধ্যক্ষকেই নিতে হবে। সোমবার এমনই ইঙ্গিত দিল সুপ্রিম কোর্ট। অধ্যক্ষ দ্রুত যাতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন, সে কথাই বলা হয়েছে। ২০২২ সালের জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে ফের এই মামলার শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে।মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ সংক্রান্ত এক মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সেই মামলারই শুনানি ছিল। এদিন বর্ষীয়ান আইনজীবী অভিষেক মনুসিংভি অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে বিচারপতি নাগেশ্বর রাও ও বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চে জানান, আগামী ২১ ডিসেম্বর মুকুল রায়ের সদস্যপদ খারিজের আর্জি নিয়ে অধ্যক্ষের কাছে শুনানি রয়েছে।Justice triumphs again....historic observation by Honble Supreme Court of India leaves no discretion to the Honble Speaker to delay Mukul Roys defection proceedings. First time since 2011 when a defection petition will be finally decided in West Bengal. Suvendu Adhikari শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) November 22, 2021আগামী জানুয়ারিতে ফের সুপ্রিম কোর্টে শুনানি। তার আগে ২১ ডিসেম্বর এই বিষয়ে অধ্যক্ষ পদক্ষেপ করবেন বলেই আশা করছে সুপ্রিম-আদালত। আইনের পথে হেঁটেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের।এ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে আমরা স্বাগত জানাই। মুখ্যমন্ত্রী নাকি বলেছেন উনি সুপ্রিম কোর্টের রায়কে খুব মানেন। আশা করব মুখে ও কাজে একইরকম হবে। উনি বা ওনার পার্টি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত বিধানসভার অধ্যক্ষ, যাঁর নিরপেক্ষ থাকার কথা কিন্তু থাকেন না, তাঁর কাজে মুখ্যমন্ত্রীর কথার প্রমাণ থাকবে। অন্যদিকে টুইটারে শুভেন্দু অধিকারী লেখেন, সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক পর্যবেক্ষণ। আবারও আইনের জয়।অন্যদিকে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যদি সুপ্রিম কোর্টের কোনও নির্দেশিকা থাকে তা আমরা নিশ্চয়ই মেনে চলব। এটা তো খুব স্বাভাবিক কথা। আইনের বিচার প্রক্রিয়াকে আমরা সব সময় মর্যাদা দিই। সম্মান করি। নতুন করে বলার কিছু নেই। যে পিটিশনটা ফাইল হয়েছে ওর (মুকুল রায়) সদস্যপদ খারিজ করার জন্য, সেটা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েই দেখছি।

নভেম্বর ২২, ২০২১
রাজনীতি

PAC-Mukul: পিএসি চেয়ারম্যান পদে মুকুলের নিয়োগের শুনানি মুলতুবি

পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (পিএসি) চেয়ারম্যান পদে মুকুল রায়ের নিয়োগের বিরুদ্ধে বিজেপি পরিষদীয় দলের দায়ের করা অভিযোগের শুনানি মুলতুবি করে দিলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন শেষে স্পিকারের ঘরে এই শুনানি হয়। তাতে অংশ নেন কল্যাণীর বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায় ও আইনজীবী বিল্বদল মুখোপাধ্যায়। প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে চলার পর শুনানি মুলতুবি করে দেন বিমান। পরবর্তী শুনানির দিন ঘোষণা হয়েছে ২১ ডিসেম্বর। বিজেপি পরিষদীয় দল সূত্রে খবর, মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে তাঁর (স্পিকার) দায়ের করা মামলাটির কথা উল্লেখ করেই শুনানি মুলতুবি করে দেন। এই শুনানিতে অংশ নেননি মুকুল। এমনকী, তাঁর অনুপস্থিতির কারণও উল্লেখ করেননি বলেই জানিয়েছে বিজেপি পরিষদীয় দল।প্রসঙ্গত, ১১ জুন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি বিধায়ক মুকুল। এরপরেই তাঁকে করা হয় পিএসি-র চেয়ারম্যান। মুকুলের দলবদলের বিরুদ্ধে স্পিকারের কাছে বিধায়ক পদ খারিজ আবেদন করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সঙ্গে তাঁকে পিএসসি-র চেয়ারম্যান করার বিরুদ্ধেও স্পিকারের কাছে আবেদন করে বিজেপি পরিষদীয় দল। তিন মাসেও বিধায়ক পদ খারিজের আবেদনের নিষ্পত্তি না হলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিরোধী দলনেতা। গত ৭ অক্টোবর এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে স্পিকারকে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। সে ক্ষেত্রে মেঘালয়ের কেশম মেঘাচন্দ্র সিং মামলায় সুপ্রিম কোর্ট তিন মাসের মধ্যে বিধায়ক পদ খারিজ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশের কথা উল্লেখ করেই হাইকোর্টে আবেদন করেছিল বিজেপি। হাইকোর্টের সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন স্পিকার। সেই মামলার কথা উল্লেখ করেই তিনি শুনানি মুলতবি করে দেন বলেই দাবি করা হয়েছে। স্পিকার এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পিএসি-র চেয়ারম্যান পদে থাকতে পারবেন মুকুল।

নভেম্বর ১২, ২০২১
রাজনীতি

Sabyasachi Dutta: বিধনসভায় পরিষদীয়মন্ত্রীর ঘরে সব্যসাচীর তৃণমূলে যোগ, রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক তুঙ্গে

বিধানসভায় দলবদল। বিজেপি থেকে তৃণমূলে ফিরলেন প্রাক্তন বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত। দলবদল হল একেবারে বিধানসভা চত্বরে। বৃহস্পতিবার পরিষদীয়মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘরে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের উপস্থিতিতে মুকুলপন্থী বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্ত তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন। এই দলবদল নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। সমালোচনা করেছে বিজেপি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, এটা একটি বিরল এবং ব্যতিক্রমী ঘটনা। দেশের অন্য কোনও বিধানসভা কখনও এমন দৃশ্য দেখেনি বা প্রত্যক্ষ করেনি। বিধানসভাকে নিজের দলীয় অফিস হিসেবে ব্যবহার করছে।বিজেপি থেকে তৃণমূলে ফিরে আসার যেন মিছিল পড়ে গিয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল আসন নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য় ক্ষমতায় আসার পর থেকে তৃণমূলে ফেরার হিরিক লেগেছে। একাধিক বিজেপি বিধায়ক তৃণমূলে এসেছেন। হেরে যাওয়া বিজেপি প্রার্থীদেরও দলে নিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপি গিয়েছিলেন সব্যসাচী দত্ত। বিধানসভার ফল বেরনোর পর সর্বপ্রথম কৃষ্ণনগরের বিধায়ক মুকুল রায় তৃণমূলে ফেরেন। তখনও অনেকটাই পরিস্কার হয়ে গিয়েছিল মুকুলপন্থীরা ঘাসফুল শিবিরে ফিরবেন। তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সেই আভাস দিয়েছিলেন। এদিন তা একেবারে স্পষ্ট হল।তবে সব্যসাচীর দলে ফেরা নিয়ে তৃণমূলের অভ্যন্তরেই ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় সাংবাদমাধ্যমে বলেছেন, নির্বাচনে যাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গলমন্দ করলেন, তাঁরাই এখন দলে ফিরছেন। এতে কর্মীদের মনোবল ভেঙে যায়।এর আগে কখনও রাজ্য বিধানসভা সত্বরে দলবদল হয়েছে, এমন নজির নেই। বিরোধী নেতৃত্ব নবান্নে গিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন। সেখানে ঘোষণা হয়েছে। কিন্তু বিধানসভা চত্বরে এই প্রথম দলবদলের ঘটনা ঘটেছে। এবার ঘটেছে একেবারে পরিষদীয়মন্ত্রীর ঘরে। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলেরও বক্তব্য, বিধানসভা চত্বরে এই দলবদলের ঘটনা ঐতিহাসিক নজির হয়ে থাকবে। আবার এমন দিনে তৃণমূলে যোগ দিলেন সব্যসাচী দত্ত যেদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় রাজ্যপালের কাছে বিধায়ক হিসেবে শপথ নিলেন।

অক্টোবর ০৭, ২০২১
কলকাতা

Mukul Roy-PAC: মুকুলের পিএসি চেয়ারম্যান পদ নিয়ে স্পিকারকে সিদ্ধান্তের সময়সীমা দিল হাইকোর্ট

বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (পিএসি) চেয়ারম্যান পদে মুকুল রায় বহাল থাকবেন কি না, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত বিধানসভার স্পিকারকে নিতে বলল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ৭ অক্টোবরের মধ্যেই বিধানসভার স্পিকারকে ওই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তারপর পরবর্তী পদক্ষেপ করবে কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার এই রায় দিয়েছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। উল্লেখ্য, গত ২৪ অগস্ট এই মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি জানতে চান, পিএসি চেয়ারম্যান হতে কি কোনও রাজনৈতিক ছাড়পত্র লাগে? তিনি এও জানতে চান, পিএসি-র চেয়ারম্যান কি বিরোধী দল থেকে করাটাই নিয়ম? সরকার ও মামলাকারীর আইনজীবী উভয় পক্ষের কাছেই এ বিষয়ে মতামত চেয়েছিলেন তিনি।আরও পড়ুনঃ ভবানীপুর উপনির্বাচন: নির্বাচন কমিশনকে জরিমানা হাইকোর্টেরপিএসি-র চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়। দলত্যাগী বিধায়ক মুকুলের চেয়ারম্যান হওয়া নিয়ে আপত্তি রয়েছে বিজেপি-র। রাজ্য বিজেপি-র নেতারা ওই পদ থেকে মুকুলের অপসারণ চাইছেন। এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন কল্যাণীর বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়। বিজেপি-র অভিযোগ, পিএসি-র চেয়ারম্যান পদে মুকুলকে নিয়োগ করতে গিয়ে বিধানসভার কার্যবিধির ৩০২ ধারা লঙ্ঘন করা হয়েছে। এ রাজ্যে আগে এমন নজির নেই। বিরোধী দলের বিধায়ক অম্বিকার দাবি, পিএসি-র শীর্ষ পদে দলত্যাগী মুকুলের নিয়োগ অবৈধ। প্রথা অনুযায়ী, ওই পদ বিরোধী দলের প্রাপ্য। বিজেপি কোনওভাবেই তাঁর নাম পিএসি সদস্যদের তালিকায় রাখেনি, এই তথ্যই আদালতের আবেদনে তুলে ধরেছেন বিজেপি বিধায়ক।কিন্তু মুকুলের বিষয়টি নিয়ে বিধানসভার স্পিকারকেই সিদ্ধান্ত নিতে বলেছে হাইকোর্ট। এ ব্যাপারে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় কী সিদ্ধান্ত নেন সে দিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।

সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২১
রাজনীতি

Suvendu-Mukul: মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে হাইকোর্টে মামলা শুভেন্দুর

দলত্যাগী মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে এ বার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবারই রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা হাইকোর্টে এসে মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে মামলা দায়ের করেন।আরও পড়ুনঃ ভবানীপুরে দিলীপের প্রচারে ধুন্ধুমার, মাথা ফাটল বিজেপি কর্মীরসোমবার শুভেন্দু জানান, বিধানসভা ভোটে নদিয়ার কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে বিজেপি-র টিকিটে জেতা মুকুলের দলত্যাগ এবং তৃণমূলে যোগদানের পর প্রায় চার মাস হতে চললেও স্পিকার এ বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেননি। তিনি বলেন, আদলতের কাছে বিচার চেয়েছি। আইন কার্যকরের আবেদন জানিয়েছি। গোটা ভারতবর্ষে সব বিধানসভায় হয়। গত ১০ বছর ধরে এ দিক-ও দিক ৫০ জনকে করিয়েছে কিন্তু কার্যকর হয়নি। আমরা আদালতের উপর আস্থাশীল। শুভেন্দুর আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য বলেন, বিরোধী দলনেতা হিসেবে শুভেন্দু অধিকারী আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ আছে, তিন মাসের মধ্যে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে হয়। এ ক্ষেত্রে তিন মাস অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বার বার সময় নেওয়া হচ্ছে বিভিন্নভাবে। তাই আদালতের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে, হয় এক সপ্তাহের মধ্যে শেষ করতে বলা হোক মহামান্য স্পিকারকে, নয়তো বিকল্প হিসেবে সরাসরি আদালতের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হোক, মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ হয়ে গিয়েছে।

সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২১
রাজনীতি

Mukul Roy: সময় চেয়ে শিশিরের পথেই হাঁটলেন মুকুল

দলত্যাগ বিরোধী আইন নিয়ে মঙ্গলবারের মধ্যেই জবাব চেয়ে পাঠানো হয়েছিল মুকুল রায়ের কাছে। সোমবার রাতেই তিনি চিঠি দিয়ে উত্তর দেওয়ার জন্য এক মাস সময় চেয়ে নিয়েছেন। শিশির অধিকারীর পথেই এ বার উত্তর দিতে এক মাস সময় চাইলেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়। কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায় গত ১১ জুন তৃণমূলে যোগ দেন। তারপরে তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৬৪ পাতার একটি আবেদন জমা দেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানি শুরু করেছেন অধ্যক্ষ। ইতিমধ্যেই দুটি শুনানিও হয়েছে।আরও পড়ুনঃ খেলা হবে দিবসে ডিজে বাজিয়ে চিয়ার লিডারদের মাঠে নাচানো নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্কশুনানিতে স্থির হয়, ১৭ অগস্টের মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের জবাব দিতে হবে মুকুলকে। সে ক্ষেত্রে ফুল বদলানো মুকুল সশরীরে বিধায়সভায় এসে তাঁর বক্তব্য রাখতে পারেন কিংবা চিঠি পাঠিয়েও বক্তব্য জানাতে পারেন। কিন্তু দুটির কোনওটাই করেননি মুকুল। অভিযোগের জবাব দিতে এক মাস সময় চেয়ে নিয়েছেন তিনি।একইভাবে গত কয়েকদিন আগে শিশির অধিকারীও এরকমই একটি সিদ্ধান্ত নেন। লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে চিঠি পাঠিয়ে সময় চেয়ে নিয়েছেন সাংসদ তথা শুভেন্দু অধিকারীর বাবা শিশির অধিকারী। তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপিতে যোগদানের অভিযোগ করেছে তৃণমূল। তা নিয়ে তৃণমূল শিবির লোকসভার অধ্যক্ষকে একটি চিঠিও দিয়েছিল। তার প্রেক্ষিতেই কাঁথির সাংসদের জবাব চেয়েছিল লোকসভা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তাঁর বক্তব্য জানানোর জন্য এক মাস সময় চেয়ে নেন শিশির। এবার সেই একই পথে হাঁটলেন মুকুল রায়ও।

আগস্ট ১৭, ২০২১
রাজনীতি

Mukul Roy: ফের মুকুলের মুখে বিজেপি! নতুন কোন ইঙ্গিত দিলেন?

কৃষ্ণনগরে আবারও নির্বাচন হলে তিনিই জিতবেন। তবে তৃণমূলের টিকিটে নয়, বিজেপির টিকিটে লড়লেই জিতবেন। শুক্রবার বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়ে হাসি মুখে বললেন তৃণমূল নেতা মুকুল রায়। বারবার তাঁর মুখে চলে আসছে বিজেপির নাম। এটা কেন, প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। মুকুল বলেন, বিজেপির কাছে প্রশ্ন করা হলে, তার হিসাবেই উত্তর পাবে। অন্য রাজনৈতিক দলের কাছে প্রশ্ন করলে, সে জবাব দেবে। আমি বিজেপি দল হিসাবে বলেছি। আমি এখন স্বাভাবিকভাবে পুরোপুরি তৃণমূলে আছি।আরও পড়ুনঃ শাশুড়িকে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার জামাই এদিন পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির দ্বিতীয় দিনের বৈঠক ছিল। বৈঠক শুরু হওয়ার ৩৬ মিনিট পর তিনি পৌঁছন। ১.৩০ নাগাদ তিনি বিধানসভা থেকে বেরিয়ে যান। যাওয়ার সময়ে সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেন, কৃষ্ণনগর থেকে দাঁড়ালে জিতবেন কী না প্রশ্ন করা হলে, আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তিনি বলেন, আবারও বিপুল ভোটে জিতব। তবে বিজেপির টিকিটে দাঁড়াতে হবে। তৃণমূলের হয়ে দাঁড়ালে কী হবে, সেটা মানুষ ঠিক করবে।বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ, যিনি বঙ্গ রাজনীতিতে পরিচিত চাণক্য নামে। তাঁর এই মন্তব্যের পিছনে গূঢ় কোনও মানে রয়েছে কি না তা খোঁজার চেষ্টা করছেন বিশেষজ্ঞরা।। তৃণমূলে যোগ দিয়ে কেবলই কৌতুক করতেই তাঁর এই উক্তি, নাকি এর পিছনে লুকিয়ে অন্য সমীকরণ, তা বোঝার চেষ্টা করছেন সকলেই।ত্রিপুরা ইস্যুতেও মুকুল এদিন মুখ খোলেন। সেখানে যা হচ্ছে, তা অন্যায়। তৃণমূল সেখানে ভালো ফল করবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

আগস্ট ১৩, ২০২১
কলকাতা

Mukul Roy: মুকুলের 'অসলগ্ন' কথার পিছনে আসলে কী কারণ, জানালেন শুভ্রাংশু

তৃণমূলে ফিরেও কেন বিজেপি-র গুণগান, তা নিয়ে লাগাতার প্রশ্নবাণ ধেয়ে আসছে। তার মধ্যেই তৃণমূল নেতা মুকুল রায়ের অসংলগ্ন মন্তব্য নিয়ে মুখ খুললেন তাঁর ছেলে শুভ্রাংশু। তাঁর দাবি, স্ত্রীর মৃত্যুর ধাক্কা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি মুকুল। তার উপর রাজনীতি সংক্রান্ত নানা চাপ রয়েছে তাঁর মাথায়। দুইয়ে মিলে শরীরের উপরও প্রভাব পড়েছে। সাধারণ কথাও মনে রাখতে পারছেন না। তাতেই তৃণমূলের প্রতিনিধি হিসেবে কথা বলতে গিয়ে মুকুলের মুখে ভুলবশত বিজেপি-র নাম উঠে এসেছে বলে দাবি শুভ্রাংশুর।আরও পড়ুনঃ বিগ বি-র বাড়িতে বোমা! মুম্বইয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যশুক্রবার কৃষ্ণনগরে সংবাদমাধ্যমের সামনে তৃণমূল-বিজেপি-র মধ্যেকার ফারাক গুলিয়ে ফেলেন মুকুল। উপনির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করলে বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে আমি বলতে পারি, তৃণমূল পর্যুদস্ত হবে এবং এই কৃষ্ণনগরে নিজেদের স্বমহিমায় নিজেদের প্রতিষ্ঠা করবে বিজেপি নিজের ক্ষমতায় নিজেকে প্রতিষ্ঠা করবে। চার পাশ থেকে একাধিক বার ভুল ধরিয়ে দেওয়া সত্ত্বেও বিজেপি-র পক্ষ নিয়েই কথা বলেন মুকুল। পরে ভুল শুধরে নিলেও মুকুলের এই মন্তব্যেই শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে। প্রশ্ন ওঠে, দুঁদে রাজনীতিক হিসেবে যাঁকে চেনেন সকলে, তাঁর মতো নেতার এমন ভুল হয় কী করে। তৃণমূল থেকে বিজেপি , ফের বিজেপি থেকে তৃণমূল, বার বার ফুল পাল্টে মুকুল নিজেই বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছেন, এমন কটাক্ষও শোনা যায়। কিন্তু এইসব কিছুর জন্য মুকুলের শারীরিক অবস্থাকেই দায়ী করেছেন ছেলে শুভ্রাংশু।এদিকে, কৃষ্ণনগরে বেফাঁস এবং অসংলগ্ন বক্তব্যের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঝাড়গ্রাম সফরে মুকুল রায়ের যোগ দেওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত ঠিক ছিল, আগামী সোমবার বিশ্ব আদিবাসী দিবসে মমতার ঝাড়গ্রাম সফরে যোগ দেবেন মুকুলও। কিন্তু শুক্রবার দুপুরে কৃষ্ণনগরে তৃণমূলের প্রথমসারির নেতা যা বলে ফেলেছেন, তাতে তাঁর ঝাড়গ্রাম সফর নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

আগস্ট ০৭, ২০২১
রাজনীতি

Mukul Roy: কৃষ্ণনগরে সাংগঠনিক কাজে গিয়ে এ কি বললেন মুকুল! তুঙ্গে জল্পনা

তৃণমূলের সাংগঠনিক কাজে কৃষ্ণনগরে গিয়ে তৃণমূলের হেরে যাওয়ার ভবিষ্যৎবাণী করে চমকে দিলেন মুকুল রায়। খাতায় কলমে কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি বিধায়ক তিনি। এদিকে তৃণমূল ভবনে গিয়ে পুরনো দলে আবারও যোগ দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। শুক্রবার কৃষ্ণনগরে গিয়ে মুকুল রায় নিজের দলীয় অবস্থান রীতিমত গুলিয়ে দিয়ে বলেন, দেখা যাক উপনির্বাচন হোক। ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে আমি বলতে পারি তৃণমূল উপনির্বাচনে পর্যুদস্ত হবে। কৃষ্ণনগরে ভারতীয় জনতা পার্টি স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠা পাবে। তৃণমূল কংগ্রেস হেরে যাবে এখানে। পরক্ষণেই আবার মুকুল রায় বলেন, বিজেপির অস্তিত্ব থাকবে না। মা মাটি মানুষের কাছে তাদের সংকট প্রতিষ্ঠিত হবে।কেন মুকুল রায় এ ধরনের মন্তব্য করলেন তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠছে। এটা কি মুকুলের কোনও রাজনৈতিক কৌশল না কি শারীরিক কোনও সমস্যা থেকে তিনি একই মুখে দুকথা বলছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে রাজনৈতিক মহল। প্রসঙ্গত, মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে মামলা চলছে। সে কারণে নিজের নির্বাচন কেন্দ্রে নিয়ে মুকুল রায় বিজেপি নেতা বলেই নিজেকে প্রমাণের চেষ্টা করে থাকতে পারেন বলে মনে করছেন একাংশ। এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, মুকুল রায় যা বলেন কিছুক্ষণের মধ্যেই তার উল্টো প্রতিক্রিয়া দেন। যেদিন উনি বিজেপি ছেড়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূলে যোগ দিলেন, তার এক ঘণ্টা আগে উনি আমাদের এক দলীয় নেতাকে বলেছিলেন আমার স্ত্রী অসুস্থ, আমার মানসিক অবস্থার ঠিক নেই। অথচ লোকজন বলছে, আমি নাকি তৃণমূলে যাচ্ছি। তার পর তিনি চলে গেলেন। ওনাকে দীর্ঘদিন ধরে চিনি। মানসিক চাপে আছেন। উনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কথা বলেন এবং অবস্থান বদলে ফেলেন।কেউ বলতে পারেন ওনার শারীরিক অবস্থা ঠিক নেই, কেউ বলতে পারেন মানসিক চাপে আছেন। আমরা ওনার সুস্থ জীবন, দীর্ঘায়ু কামনা করি।

আগস্ট ০৬, ২০২১
রাজনীতি

TMC: 'পদত্যাগ করিনি, তৃণমূলেই আছি', বললেন মুকুল-অনুগামী সাংসদ

আপাতত নানা জল্পনার অবসান ঘটালেন পূর্ব বর্ধমানের তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডল। বিধানসভা ভোটের মুখে হঠাৎই বেসুরো শোনা গিয়েছিল সুনীলকে। কিন্তু এরইমধ্যে রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতির অন্যরকম হয়ে গিয়েছে। তৃণমূল থেকে মোহভঙ্গ হয়ে যাঁরা গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন, অনেকেই নিজেদের সিদ্ধান্ত বদল করে ঘাসফুলেই ফিরে এসেছেন। এরমধ্যে বড় নাম মুকুল রায়।একদা মেদিনীপুরে অমিত শাহর সভায় দেখা গিয়েছিল সুনীল মণ্ডলকে। তখন থেকেই গুঞ্জন শুরু হয়েছিল। তাহলে কী রাজনীতির স্রোতে গা ভাসিয়ে বিজেপিতে নাম লেখাতে চলেছেন তৃণমূলের সাংসদ? প্রশ্ন উঠেছিল। এতদিনে সব প্রশ্নের উত্তর দিলেন সুনীল নিজেই। সাংসদ জানালেন, তৃণমূলে ছিলাম, আছি। কবে তৃণমূল থেকে পদত্যাগ করেছি? যদিও বিজেপিকে নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।আরও পড়ুনঃ বেপরোয়া গতি প্রাণ কাড়ল ৬ শ্রমিকেরসম্প্রতি, মুকুল রায়ের বাসভবনে গিয়েছিলেন সুনীল, সেখানে বেশ কিছুক্ষণ ২ জনের মধ্যে বৈঠকও হয় বলে খবর। মনে করা হচ্ছে, এই বৈঠকেই হয়তো সুনীলের মনের ভাব বুঝে নিয়েছেন মুকুল। আর কাজ হয়েছে তাতেই। তাই এবার তিনি ঘোষণা করেই ফেললেন, তৃণমূল থেকে পদত্যাগ করেননি। দলেই আছেন ও থাকবেনও। উল্লেখ্য, গলসির ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ক থেকে সুনীলের তৃণমূলে যোগদানের পিছনে মুকুল রায়ের বড় হাত ছিল। এরপর থেকেই মুকুলের অনুগামী হিসেবেই পরিচিত সুনীল মণ্ডল। এরপর মুকুল রায় বিজেপিতে যাওয়ার পর তিনিও হয়তো মন তৈরিই করে ফেলেছিলেন বিজেপিতে যাওয়ার। কিন্তু এরইমধ্যে বিধানসভা ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর আপাতত সেই চিন্তাধারায় আপাতত ইতি পড়ল বলে মত রাজনৈতিক মহলের। বিশেষজ্ঞদের মতে, মুকুল যেখানে, সুনীলও সেখানে।

আগস্ট ০২, ২০২১
রাজনীতি

Suvendu: পিএসি কমিটির বৈঠক বয়কট শুভেন্দুর

প্রথা ভেঙে মুকুল রায়কে পিএসি কমিটির চেয়ারম্যান মনোনীত করার কারণে আগামী ৩০ জুলাই বিধানসভায় পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির বৈঠক বয়কট করল বিজেপি। সোমবার নিজেই বিসয়টি স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একই সঙ্গে পেগাসাস কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর গঠিত তদন্ত কমিশনকেও বেআইনি আখ্যা দিয়েছেন তিন। ফলে আগামী ৩০ জুলাই বিধানসভায় যে শুভেন্দু ও মুকুলের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছিল, তা আপাতত হচ্ছে না।আরও পড়ুনঃ দিল্লি রওনার আগে বড় ঘোষণা মমতারশুভেন্দুর সাফ বক্তব্য, তৃণমূল রুল ৩০২ লঙ্ঘন করেছে। সেই কারণে বিজেপি আদালতের দ্বারস্থ হবে বলে এ দিন আবারও জানান তিনি। যদিও কবে আদালতে এই সংক্রান্ত মামলা করা হবে তা এখনও খোলসা করেননি শুভেন্দু। তিনি জানান, আইনজীবীরা ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে। বিজেপিও প্রস্তুত। সঠিক সময় এলেই আইনি পদক্ষেপ করা হবে। আমরা আত্মবিশ্বাসী, তৃণমূল বেআইনি কাজ করেছে। আইনি লড়াইটা আমরা করব। অন্যদিকে, আগামী ৩০ জুলাই হতে চলা পিএসি-র বৈঠক প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমরা ওই চেয়ারম্যানকে মানি না। আমি-সহ কেউ ওই চেয়ারম্যানকে স্বীকৃতি দিতে ওই বৈঠকে যাব না।আরও পড়ুনঃ শিক্ষকদের মমতার উপহার উৎসশ্রী আসলে কী? জানুনফোনে আড়িপাতা কাণ্ডে রাজ্য সরকারের তৈরি তদন্ত কমিশন নিয়েও এ দিন তোপ দেগেছেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী শুধুমাত্র রাজনৈতিক গিমিক এবং প্রচারের জন্য এটা করেছেন। আর পশ্চিমবঙ্গে যত কমিশন গঠন করা হয়েছে, তার রিপোর্ট কেউ জানে না। এই সরকারের আমলে কোনও তদন্ত কমিটির রিপোর্টও প্রকাশ হয়নি। এটা কেবলই সস্তার রাজনীতি।

জুলাই ২৬, ২০২১
রাজ্য

Suvendu Adhikari: আত্মতুষ্টিই ধস নামিয়েছে বিজেপিতে, মুখ খুললেন শুভেন্দু

একুশের ভোটে হারের কারণ বিজেপির আত্মতুষ্টিই। দলের হারের কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এর আগে বাংলায় বিজেপির পর্যুদস্তের কারণ হিসাবে অনেক কথাই উল্লেখ করেছেন দিলীপ ঘোষ থেকে তথাগত রায়রা। এবার মুখ খুললেন শুভেন্দু।আরও পড়ুনঃ নিশীথের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্নচিহ্নএদিন চণ্ডীপুরে বিজেপির এক সাংগঠনিক সভায় বক্তব্য রাখেন বিধানসভার বিরোধী নেতা। সেখানে বিজেপির হারের কারণ উল্লেখ করতে শোনা যায় তাঁকে। বলেন, আত্মতুষ্টির কারণেই বিধানসভার ভোট পরাজয় হয়েছে বিজেপির। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন রাজ্যে ২৯৪ এর মধ্যে ১৭০-১৮০ সিট পেয়ে যাব, খেজুরি নন্দীগ্রাম, ভগবানপুর, নন্দকুমার জিতে যাব, চণ্ডীপুরটা হারলে হারুক। এই আত্মতুষ্টির কারণেই আমাদের পরাজয় ঘটেছে।আরও পড়ুনঃ নতুন সিনেমার শুটিং শুরু করলেন জুন মালিয়াদলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে শুভেন্দু বলেন, আপনারা অনেকে, নিজেদের প্রার্থীর সম্পর্কে খারাপ কথা বলেছেন। নিজেরা অনেকেই আত্মতুষ্টিতে ভুগেছেন। ভেবেছেন পূর্ব মেদিনীপুর ১৬ টা সিট, রাজ্যে ২৯৪ সিট। ১৭০-৮০ তো হয়ে গিয়েছে। চণ্ডীপুরটা হারলে হারুক। নন্দকুমার তো জিতে গিছে, ভগবানপুর তো জিতে গিয়েছে, নন্দীগ্রাম তো জিতে গেছে, আমারটা হারলে হারুক। এই করতে গিয়ে হেরেছেন।আরও পড়ুনঃ মুকুল রায়ের বিধায়কপদ খারিজ শুনানি: এবার আদালতেরও আশ্রয় নেব, বললেন শুভেন্দুউল্লেখ্য, মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে ফের তৃণমূলে যাওয়ার পর বিজেপিতে ভাঙন আরও তীব্র হয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। যদিও বিষয়টিকে আমল দিতে নারাজ শুভেন্দু।তিনি বলেন, ভাবছেন এ চলে গেল, ও চলে গেল। এতে এতটুকু বিচলিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। মুকুলবাবু কোথা থেকে আগে জেতেননি। ২০০১ সালে জগদ্দলে প্রার্থী হয়েছিলেন হেরেছেন। আর এবার যেখানে বিজেপির লোকসভা ভোটে লিড ছিল ৫০ হাজার। ওই আসনে সহায়কের কাজ করেন এমন লোককে দাঁড় করালেও ৫০ হাজার ভোটে জিতত। সেই আসনে ভারতীয় জনতা পার্টি সিনিয়র নেতার মর্যাদা দিয়ে তাঁকে দাঁড় করিয়েছিলেন। ছেলের ব্যবসা রক্ষা করে তিনি বিজেপি ছেড়েছেন, তাতে আমাদের কী?

জুলাই ১৮, ২০২১
রাজনীতি

Mukul -Suvendu: মুকুল রায়ের বিধায়কপদ খারিজ শুনানি: "এবার আদালতেরও আশ্রয় নেব", বললেন শুভেন্দু

দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকরী করতে মরিয়া শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের শুনানিতে বিধানসভার অধ্যক্ষে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে হাজির ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন শুনানি চলে সাড়ে ৩ মিনিট। পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ৩০ জুলাই।আরও পড়ুনঃ পিএসি নিয়ে রাজনীতিকরণ-্এর বিরুদ্ধে রাজভবনে শুভেন্দু, প্রচার চলবে গোটা দেশেওঅধ্যক্ষের ঘর থেকে বেরিয়ে এসে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, মুকুল রায় তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তাঁর সদস্য পদ বাতিলের জন্য আবেদন করেছিলাম। এখানে ভূয়ো ভ্যাকসিন চলে, শাসকের আইন এখানেই চলে বলেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। এখানে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকরী হয় না। আমরা আইনের আশ্রয় নেব। তথ্যপ্রমান, অডিও, ভিডিও, টুইটার হ্যান্ডেল সব প্রমাণ রয়েছে দলত্যাগের। তৃণমূলের ১৪ জন সদস্যের মধ্য থেকেই তিনি পিএসি কমিটির চেয়ারম্যান হন।কৃষ্ণনগরের বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায় তৃণমূল ভবনে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেন। তারপর ৬৪ পাতার নথি বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে জমা দিয়ে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন করেন শুভেন্দু অধিকারী। তারই প্রেক্ষিতে শুক্রবার ছিল প্রথম শুনানি। অধ্যক্ষের ডাকা সেই শুনানিতে হাজির হয়েছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তাঁর কাছে আরও নথি চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু।আরও পড়ুনঃ মুকুলই পিএসির চেয়ারম্যানএদিন বিরোধী দলনেতা বলেন, এর আগে দলবদলু এক বিধায়কের দলত্যাগের আবেদনের ২৩ বার শুনানি হয়েছিল। আগামী ৩০ জুলাই ফের শুনানিতে হাজির হলেও আমরা আদালতের দ্বারস্থ হব। এরাজ্যে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকরী করে ছাড়ব।

জুলাই ১৬, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

দামোদরে বালি তুলতে গিয়ে বিরাট বিপত্তি, জলে ভাসছে ১৫টি লরি

দামোদরে বালি তোলায় কোনও লাগাম নেই। ডিভিসি থেকে জল ছাড়ার খবর থাকা সত্বেও বালি তোলার কাজ চলছিল। লরি নেমেছিল একেবারে নদের ভিতরে। জল ভরে টুইটুম্বুর হওয়ায় ভেসে গেল ১৫টি বালি বোঝাই লরি। পূর্ব বর্ধমানের গলসির গোহগ্রামের এই ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে। পরে লরিগুলিকে উদ্ধারের তৎপরতা শুরু হয়।দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার কথা ডিভিসি ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগাম ঘোষণা করা হয়েছিল। মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে বুধবার জল ছাড়া হয় ৪০ হাজার কিউসেক। এরই মধ্যে নিম্ন দামোদর অববাহিকায় দুদিন ধরে টানা বৃষ্টি চলেছে। এই সব কারণে বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ দামোদর নদে জলের পরিমাণ বেশ বেড়ে যায়। এতেই ঘটে যায় বিপত্তি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ১৫টি বালি বোঝাই লরি দামোদর নদের জলে ভাসতে থাকে। তার উপর বৃহস্পতিবার বেলা বাড়তে নদের জল আরও হু হু করে বাড়তে শুরু হয়। বিপদ বুঝে লরিগুলি নদী থেকে তোলার জন্য তৎপরতা শুরু করে চালকরা । ওই সময়েই সামনে থাকা দুটি লরি বিকল হয়ে যাওয়ায় লরি গুলি নদ থেকে পাড়ে তোলা আর সম্ভব হয়নি। জেসিবি মেশিন ব্যবহার করেও কাজ হয়নি। জল কমা পর্যন্ত লরিগুলো তুলতে অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

জুন ১৯, ২০২৫
রাজ্য

"কেশরী: চ্যাপ্টার ২" তে ক্ষুদিরাম বসু সহ বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অপমান, প্রতিবাদে গর্জে উঠল বাংলা পক্ষ

সম্প্রতি কেশরী: চ্যাপ্টার ২ নামের এক বলিউডি হিন্দি সিনেমায় ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সশস্ত্র সংগ্রামের উজ্জ্বল ইতিহাস তথা বীর বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পরিচয় ও ভূমিকা বিকৃত করে এক মনগড়া মিথ্যা ইতিহাস তুলে ধরার অভিযোগ উঠেছে। সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম সিং ও বারীন্দ্র কুমার নামক দুই বিপ্লবী বৃটিশ পুলিশকর্তা কিংসফোর্ডকে বোমা মেরে হত্যার চেষ্টা করে ও তাদের বোমা তৈরীর প্রশিক্ষণ দেয় কৃপাণ সিং! যার সাথে বাস্তবের কোন মিল নেই। প্রকৃত পক্ষে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে বাঙালি বিপ্লবীদের সশস্ত্র সংগ্রামের ইতিহাসের এক যুগান্তকারী ঘটনা কিংসফোর্ড হত্যার প্রচেষ্টা ও পরবর্তীতে মানিকতলা বোমা মামলার ঘটনার কথা সম্পূর্ণ বিকৃত ভাবে এই সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে।সশস্ত্র সংগ্রামের লক্ষ্যে কলকাতার মানিকতলার যুগান্তর গুপ্ত সমিতিতেই অরবিন্দ ঘোষের নেতৃত্বে বোমা তৈরীর কর্মশালা গড়ে ওঠে, ইউরোপ থেকে বোমা তৈরী শিখে এসে এখানে বোমা তৈরী করে বিপ্লবীদের সরবরাহ করতেন হেমচন্দ্র কানুনগো, যিনি বলিউডের দৌলতে হয়েছেন কৃপাণ সিং। এই গুপ্ত সমিতির পক্ষেই ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকী কিংসফোর্ডকে বোমা নিক্ষেপ করে হত্যার চেষ্টা করেন। মেদিনীপুরের বীর বাঙালি কিশোর ক্ষুদিরাম বসুর পদবী সিনেমায় হয়েছে সিং অন্যদিকে প্রফুল্ল চাকীর নামই মুছে গেছে, শোনা গেছে জনৈক বারিন্দর কুমারের নাম, যেকোন ইতিহাস সচেতন ব্যক্তিই বলতে পারবেন এই নাম আসলে মানিকতলা বোমা মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ও পরবর্তীতে আন্দামানে দ্বীপান্তরিত বারীন্দ্র ঘোষের, যিনি সম্পর্কে অরবিন্দ ঘোষের ভাই। এই মানিকতলা বোমা মামলায় বিপ্লবীদের পক্ষে কোর্টে আইনি লড়াই করেন আরেক মহান বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামী দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ। এই গৌরবজনক অধ্যায় সম্পূর্ণ ভাবে বিকৃত করা হয়েছে, যা বাঙালি জাতি তথা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি চূড়ান্ত অবমাননা।এই বিকৃতির বিরুদ্ধে বাঙালির ক্ষোভের প্রকাশ দেখা যাচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থেকে সংস্কৃতি জগতের নানান ব্যক্তিত্ব এই ইতিহাস তথা মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নাম বিকৃতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। ভারতীয় বাঙলির জাতীয় সংগঠন বাংলা পক্ষও সরব হয়েছে, আজ তারা পথে নেমে প্রতিবাদ করল কলকাতার বাংলা একাডেমী সংলগ্ন রানুছায়া মঞ্চে। এই প্রতিবাদ সভায় বাংলা পক্ষর সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি বলেন, কেশরী ২ সিমেমার মূখ্য অভিনেতা অক্ষয় কুমার, তিনি কাদের স্বার্থে বিকৃত ইতিহাস প্রচার করে সিনেমা তৈরি করেন এটা আমাদের সকলের জানা৷ বিজেপি ও বলিউডের উদ্দেশ্য বাঙালির গৌরবজনক বীরত্বের ইতিহাস মুছে দেওয়া। সেই উদ্দেশ্যেই বারবার এই ধরনের ঘটনা দেখা যাচ্ছে। বলিউড এর আগেও অভয় ২ সিরিজে বীর শহীদ ক্ষুদিরাম বসুকে ক্রিমিনাল, জঙ্গি হিসাবে দেখিয়েছিল। বাংলা পক্ষ তখন Zee5 কে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছিল এবং সল্টলেকে Zee5 এর অফিসে বিক্ষোভ করেছিল। পরবর্তীতে Zee5 ক্ষমা চেয়ে সেই অংশ বাদ দিতে বাধ্য হয়। শীর্ষ পরিষদ সদস্য অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় বলেন যতক্ষণ না পর্যন্ত কেশরী ২ সিনেমার নির্মাতারা ক্ষমা না চায়, বাংলা পক্ষর লড়াই চলবে। ক্ষমা চেয়ে এই দৃশ্য বাদ দিতে হবে। বাঙালি বিদ্বেষীদের কিভাবে ক্ষমা চাওয়াতে হয় সেটা বাংলা পক্ষ ভালো ভাবে জানে।শীর্ষ পরিষদ সদস্য সৌম্যকান্তি ঘোড়ই বলেন, ক্ষুদিরাম বসুকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান। প্রফুল্ল চাকীকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান৷ বীর বিপ্লবী বারীন ঘোষদের অপমানের বিরুদ্ধে এই লড়াই চলবে। অক্ষয় কুমারকে ক্ষমা চাইতেই হবে।এছাড়াও আজকের প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন কলকাতা জেলার সম্পাদক সৌম্য বেরা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক কুশনাভ মন্ডল, শিল্পী পক্ষর অধিকর্তা প্রবাল চক্রবর্তী প্রমুখ। এর আগে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় এই সিনেমা নিয়ে একই ইস্যুতে এফআইআর হয়েছে। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন বাঙালি বীর বিপ্লবীদের ইতিহাস বিকৃতি করার জন্য।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স

লর্ডসে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও রাহুল দ্রাবিড়ের। দিনটা ছিল ১৯৯৬ র ২০ জুন। এই টেস্টের কথা উঠলেই মহারাজকীয় শতরানের কথাই সবার আগে মনে আসে। যা এসেছিল ২২ জুন।তবে ২০ জুন বল হাতে কামাল দেখিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ইংল্যান্ডের তৃতীয় ও চতুর্থ উইকেট পড়েছিল চার রানের ব্যবধানে। দলের ৯৮ রানের মাথায় সৌরভের প্রথম শিকার হন তিন নম্বরে নামা নাসের হুসেন। ১১০ বলে ৩৬ রান করে তিনি ফেরেন বিক্রম রাঠোরের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ১০২ রানে ইংল্যান্ডের চতুর্থ উইকেট পড়ে। ৯ বলে ১ রান করে গ্রেম হিক সৌরভের বলেই জাভাগল শ্রীনাথের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। প্রথম ইনিংসে সৌরভের বোলিং ফিগার ছিল ১৫-২-৪৯-২। বেঙ্কটেশ প্রসাদ পাঁচটি, শ্রীনাথ তিনটি ও সৌরভ ২টি উইকেট পান। পরশ মামব্রে, অনিল কুম্বলে ও সচিন তেন্ডুলকর উইকেট পাননি। দ্বিতীয় ইনিংসে সৌরভ তুলে নিয়েছিলেন প্রথম ইনিংসে শতরানকারী জ্যাক রাসেলের উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে মহারাজ ৩ ওভারে মাত্র ৫ রানের বিনিময়ে একটি উইকেট পেয়েছিলেন। ফলে লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

বৃষ্টির মোকাবিলায় ইডেন সেরা, মাঠ ভরানোর আহ্বান মনোজের

আজও বৃষ্টিতে ব্যাহত বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের খেলা। কয়েক দিন ধরেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি চলছে। যার জেরে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের খেলাগুলি পরিত্যক্ত হচ্ছে। ইডেনে বৃষ্টি থামার পর খেলা শুরু হলেও ফের অবিরাম বর্ষণে ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। তবে গতকাল যা হলো তা অন্য কোথাও আর হতে পারতো না।সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত ভাবনাতেই ইডেনের গোটা মাঠ ঢেকে রাখার বন্দোবস্ত হয়েছে। উন্নতমানের কভার আনিয়ে। এমনকী ইডেনের মতো সল্টলেক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস মাঠেও মাঠ ঢেকে রাখা হয় প্রধান কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন অনবদ্য টিম যার ফলে বৃষ্টি থামার কিছুক্ষণের মধ্যেই মাঠ খেলার উপযুক্ত করে দিতে পারেন। ইডেনের এমন ব্যবস্থাপনা বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়াম আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামেও নেই। সুনীল গাভাসকর-সহ অনেকেই তাই বলে থাকেন মাঠ ঢাকার ব্যবস্থাপনায় ইডেনকে অনুসরণ করতে। এই ব্যবস্থাপনার সুফল মিলল আরও একবার। গতকাল বৃষ্টি একটু ধরতেই রাতে ৯ ওভারের ম্যাচ হলো। হারবার ডায়মন্ডস ৪০ রানে হারাল লাক্স শ্যাম কলকাতা টাইগার্সকে। যে পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে শহরে তাতে অন্য কোথাও এটা সম্ভব হতো না। হলো মাঠ ঢাকার ব্যবস্থা ছিল বলেই। হারবার ডায়মন্ডস অধিনায়ক তথা রাজ্যের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি অনুরোধ করেছেন সকলকে কাজ সেরে মাঠে এসে তরুণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করার জন্য। এই লিগে বিনামূল্যে খেলা দেখা যায়। এমনকী হারবার ডায়মন্ডসের সমর্থকদের জল, ইলেক্টোরাল, কেক দেওয়ার কথাও মনোজ বলেছেন। তার কারণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করতে সমর্থকদের উপস্থিতি দরকার। গ্যালারির সিংহভাগ ফাঁকা থাকছে। যে লিগের সম্প্রচার স্টার স্পোর্টসে চলছে সেখানে এমন ফাঁকা গ্যালারি মোটেই ভালো বিজ্ঞাপন নয়।

জুন ১৯, ২০২৫
দেশ

ওরঙ্গাবাদের এই হৃদয়স্পর্শী কাহিনী আপনার মন ছুঁয়ে যাবেই

মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদের সম্ভাজি নগরে ঘটনা এখন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। ওই হৃদয়স্পর্শী ঘটনা নাড়া দিয়েছে পুরো সমাজকে। সেখানে এক গয়নার দোকানে গিয়েছিলেন অতি সাধারণ এক দম্পতি। স্ত্রীকে কিছু উপহার দেওয়াই ছিল স্বামীর উদ্দেশ্য। গয়নার শোরুমের ম্যানেজার তাদের সঙ্গে গল্প জুড়ে দেন। হাসিঠাট্টার মাঝে কথা বলতে বলতে জেনে নেন তাঁদের জীবনকাহিনী। এবার এল জিনিস কেনার পালা। হাতের ঝোলা ব্যাগ থেকে বেরোল একটা ৫০০ টাকার নোট। একে একে ১০, ২০ টাকার নোট। সবশেষে একটা ছোটখাট বোঁচকা। তাতে ভর্তি খুচরো পয়সা।শোরুমের ম্যানেজার গোটা বিষয়টা বুঝতে পেরে তাঁদের একটি হার উপহার দেন। সঙ্গে একজোড়া কানের দুলও। এরপর বৃদ্ধের কাছে সরল আবদার জানান, নিজে হাতে স্ত্রীর হাতে সেটা তুলে দিতে হবে। উপহার তো দিলেন ম্যানেজার, কিন্তু এত বড় দোকানে এসে কোনও টাকা না দিয়ে চলে যাবেন, এতেও যেন সম্মানে বাধে বৃদ্ধের। সমাজের খেটে খাওয়া মানুষের কাছে আত্মসম্মানই বড় কথা। প্রাণ যাক, সম্মান নিয়ে বাঁচাটাই বড় কথা। তাই সবচেয়ে বড় নোটটি তুলে দিতে চেয়েছিলেন ম্যানেজারের হাতে। কিন্তু তাতে ম্যানেজারের উত্তর, আপনার আশীর্বাদের হাত থাকলেই হবে। পান্ডুরঙ্গ (কর্নাটক, মহারাষ্ট্রের পূজিত দেবতা) আছেন, কিছুর অভাব হবে না কোনওদিন। কিন্তু বৃদ্ধ নাছোড়বান্দা, টাকা তিনি দেবেনই। উপায় নেই বুঝে অবশেষে দুটো ১০ টাকার নোট নেন ম্যানেজার।স্বামীর চোখে জল, ধুতির খুঁট দিয়ে মুছে ফেললেন। তা দেখে স্ত্রীও আটকাতে পারলেন না নিজেকে। ভিডিওতেই স্পষ্ট, এমন এক মূল্যবান উপহার পেয়ে বিশ্বাস হচ্ছে না ওই দম্পতির। কিন্তু যেকজন ভিডিওটি দেখেছেন, তাঁরা সবাই বুঝেছেন এই চোখের জল, অবিশ্বাস শুধু মূল্যবান এক উপহারের জন্য নয়, জীবনের অন্যতম এই দিনটি মনের মণিকোঠায় সাজিয়ে রাখছেন দম্পতি।

জুন ১৯, ২০২৫
দেশ

আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা: শিশুদের শনাক্ত করতে বড় সমস্যা, এখনও হস্তান্তর ১৫৯ দেহ

সুরাটের নানাবাওয়া পরিবার ৩৬ বছর বয়সী আকিল এবং ৩১ বছর বয়সী স্ত্রী হান্না ভোরাজির নামাজ-এ-জানাজা (জানাজা) সম্পন্ন হয়। বুধবার ভোরে ফোন করে জানায় যে বোয়িং ড্রিমলাইনার দুর্ঘটনায় তাদের সাথে মারা যাওয়া তাদের মেয়ে সারার মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। আত্মীয়স্বজনরা চার বছর বয়সী মেয়ের দেহাবশেষ দাবি করতে আহমেদাবাদে ছুটে যান। যাতে তাকে তার বাবা-মায়ের পাশে দাফন করা যায়।আহমেদাবাদ-লন্ডন AI-171 বিমান দুর্ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পর, সারার সন্ধানে দেখা যাচ্ছে যে পুড়ে যাওয়া দেহাবশেষের মধ্যে নাবালকদের শনাক্ত করা কতটা কঠিন। বুধবার পর্যন্ত, ডিএনএ ম্যাচিং এবং শনাক্তকরণের পরে ১৫৯টি মৃতদেহ আত্মীয়দের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সারা ছাড়াও, এই মৃতদেহগুলির মধ্যে কেবল একজন নাবালিকা ছিল ফাতিমা শেঠওয়ালা, যার বয়স ১৮ মাস।বিমান সংস্থার তালিকা অনুসারে, AI-171-এ ১২ বছরের কম বয়সী ১৩টি শিশু ছিল, যার মধ্যে তিনজন এখনও ২ বছর পূর্ণ করেনি। আরও বেশ কয়েকজনের বয়স ১১ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে।এই ধরনের দুর্যোগে অপ্রাপ্তবয়স্কদের শনাক্ত করার জন্য ডিএনএ প্রযুক্তি ব্যবহারে অসুবিধা ব্যাখ্যা করে গুজরাটের সরকারি ডেন্টাল কলেজের ফরেনসিক দন্ত বিশেষজ্ঞ ডঃ জয়শঙ্কর পিল্লাই বলেন, শিশুদের শরীরের ভর কম থাকে এবং তাই টিস্যুর ক্ষতি হয় এবং লম্বা হাড় তাপের সংস্পর্শে আসে। তবে দাঁত বেশি শক্তিশালী হওয়ায় তাপ সহ্য করতে পারে।তবে অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে এটিও জটিল। শিশুদের যে কোনও দাঁত থেকে ডিএনএ বের করা যেতে পারে, কিন্তু আগুন লাগার সময় সামনের দাঁত ব্যবহার করা যায় না কারণ তাপ তাদের নষ্ট করে দেয়। তাই আমরা মোলার থেকে ডিএনএ নিই। ছয় বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে, আমরা স্থায়ী মোলার পেতে পারি না... তাদের বেশিরভাগই দুধের দাঁত থাকে, এবং কখনও কখনও সেগুলিও নষ্ট হয়ে যায়। কারণ খিলানটি খুব ছোট। তাই আমরা চোয়ালে একটি ছেদ তৈরি করি এবং ভিতরে স্থায়ী মোলার তৈরি করার চেষ্টা করি, পিল্লাই বলেন, যার বিভাগের সাথে ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ দাঁতের ডিএনএ বের করতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের দাঁতের চার্ট তৈরি করতে সাহায্য করার জন্য যোগাযোগ করেছিল।একজন ফরেনসিক কর্মকর্তা বলেছেন যে দুর্ঘটনার পরে যে আগুন লেগেছিল তা খুব অল্প সময়ের মধ্যে ১৬০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি তাপমাত্রায় পৌঁছেছিল। সুতরাং, কিছু ব্যক্তির জন্য কেবলমাত্র আংশিক ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়া যায়, যাদের আমরা সন্দেহ করি যে তারা নাবালক, কর্মকর্তা বলেন, আরও বলেন যে আত্মীয়দের সাথে নিঃসন্দেহে নির্ভুলতার সাথে মেলানো কঠিন।আকিলের বাবা আবদুল্লাহ স্মরণ করিয়ে দেন যে তিনজন ৬ জুন, ঈদুল আযহার একদিন আগে, এক আকস্মিক পরিদর্শনে এসেছিলেন। এটা একটা ছোট ভ্রমণ ছিল। আমরা জানতাম না যে এটাই তাদের শেষ হবে, কাঁদতে কাঁদতে আবদুল্লাহ বলেন, যিনি বিমানে পরিবারকে নামিয়ে দিতে আহমেদাবাদ গিয়েছিলেন।ভদোদরায়, আসিফ শেঠওয়ালা তার নাতনি ফাতিমার জন্য শোক প্রকাশ করেছেন। যার দেহাবশেষ বুধবার শনাক্ত করা হয়েছে, যখন তার মা সাদিকার মৃতদেহ এখনও পাওয়া যায়নি। আসিফ বলেন, ফাতিমা তার লন্ডন-ভিত্তিক ছেলের একমাত্র সন্তান। সাদিকা এবং ফাতিমা আমার ছোট ছেলের বিয়েতে বেড়াতে এসেছিলেন। তারা প্রায় ২০ দিন ধরে এখানে ছিলেন এবং তাদের ফেরার টিকিট অনেক আগেই বুক করা হয়েছিল।ডিএনএ সরবরাহ করার পাশাপাশি, দাঁতের দেহাবশেষ একজন ব্যক্তির আনুমানিক বয়স নির্ধারণেও সাহায্য করে। যা শনাক্তকরণের জন্য প্রয়োজনীয় সূত্র প্রদান করে। আহমেদাবাদ দুর্ঘটনায় এটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যও, বিস্ফোরণ এবং আগুনের ফলে উদ্ধার করা বেশিরভাগ ডিএনএ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।ডঃ পিল্লাই বলেন, ফরেনসিক ওডন্টোলজি বিভাগ এক থেকে ছয় বছর বয়সী বেশ কয়েকজন প্রাপ্তবয়স্ক যাত্রীর দাঁতের ডিএনএ সংগ্রহ করেছে অথবা ডেন্টাল চার্টিং করেছে এবং অন্তত কিছু ভুক্তভোগীর বয়স মূল্যায়ন করেছে। এরপর এই বয়সের যাত্রীদের জন্য ফ্লাইট ম্যানিফেস্টের সাথে তুলনা করা হয়েছে। কিছু শিশুর ক্ষেত্রে, আমরা দ্বিতীয় মোলার বিকশিত হতে দেখেছি, যা স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে তারা তিন থেকে ছয় বছর বয়সী। এটি অনুসন্ধানকে সংকুচিত করতে সাহায্য করেছে। তারপর তাদের ডিএনএ নমুনা তাদের আত্মীয়দের সাথে মেলানো যেতে পারে।যারা খবরের জন্য অপেক্ষা করছেন তাদের মধ্যে রয়েছে ভদোদরার ভাহোরা পরিবার। তারা দুর্ঘটনায় তিন সদস্যকে হারিয়েছে। সোমবার ইয়াসমিনের মৃতদেহ হস্তান্তর করা হলেও, পারভেজ এবং তার ৪ বছর বয়সী মেয়ে জুভেরিয়ার দেহাবশেষ এখনও পাওয়া যায়নি। প্রাক্তন আইপিএস অফিসার এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ, ডঃ কেশব কুমার বলেছেন, পরিবারগুলির আশা হারানো উচিত নয়। বিমান দুর্ঘটনাটি প্রায় বোমা বিস্ফোরণের মতো ছিল। যেখানে ৫৪,০০০ লিটার বিমান জ্বালানি এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে জ্বলছিল। উৎপন্ন তাপের পরিমাণ শরীরের জন্য ক্ষতিকর। আমরা ভাগ্যবান হব যদি ভালো নমুনা পাওয়া যায়। কিন্তু যদি একটি দাঁতও পাওয়া যায়, তাহলে ডিএনএ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ফরেনসিক পরীক্ষা খড়ের গাদায় সূঁচ পাওয়ার মতো। কিন্তু একজন তদন্তকারী হিসেবে, আমি বলতে পারি যে ম্যাচ পাওয়ার সম্ভাবনা ১০০%। ডিএনএ হাজার হাজার বছর টিকে থাকতে পারে এবং প্রয়োজনে ধ্বংসাবশেষে ডিএনএর আরও চিহ্ন থাকবে। গুজরাট পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন যে তারা দুর্ঘটনাস্থল থেকে একাধিক নমুনা সংগ্রহ নিশ্চিত করেছেন।

জুন ১৯, ২০২৫
রাজ্য

১০০ দিনের কাজ নিয়ে হাইকোর্টে বড় ধাক্কা কেন্দ্রীয় সরকারকে

গতকালই ওবিসি মামলায় হাইকোর্টে জোরদার ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। এবার ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বড় ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার নজিরবিহীন একটি নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পশ্চিমবঙ্গে ফের ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প চালু করতে হবে, এই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ১ আগস্ট থেকেই এই প্রকল্প চালু করতে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ।উল্লেখ্য, বাংলায় ১০০ দিনের কাজের টাকা বহুদিন ধরে আটকে রেখেছে কেন্দ্র, এই অভিযোগ করে আসছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রাজ্য সরকারের একাধিক মন্ত্রী এই ব্যাপারে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বারবার সমালোচনায় সরব হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে লাগামহীন দুর্নীতি হয়েছে। এই দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্র বেশ কয়েকটি দলও বাংলার জেলায় জেলায় পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী আদালতে জানিয়েছিলেন, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গে মোট ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে গরমিল ধরা পড়েছে।। তার মধ্যে ২ কোটিরও বেশি টাকা পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে। হুগলি, মালদা, বর্ধমান, দার্জিলিংয়ের মতো জেলাগুলিতে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। ১০০দিনের কাজের প্রকল্পে টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে বেনজির দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রের।রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প আটকে থাকা নিয়ে মামলার শুনানি বুধবার ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনেছেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এরপর প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছেন যে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের জন্যই বিশেষ কোনও বেঁধে দিতে পারে কেন্দ্র। এই রায়ের পর সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ১০০ দিনের পুরনো বকেয়া টাকা ফেরত দিতে হবে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর

পাঁচ লক্ষ টাকা তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর এবং সালিশি করে গ্রাম ছাড়া করার অভিযোগ উঠলো স্থানীয় একদল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকায়। এই ঘটনায় আক্রান্ত ব্যবসায়ীর পরিবার কালিয়াচক থানার দ্বারস্থ হলেও চারদিন পরে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে বুধবার ওই ব্যবসায়ী দম্পতি সমস্ত ঘটনার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানালেন পুলিশ সুপারের কাছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব। এদিকে কালিয়াচকের ওই ব্যবসায়ীর ওপর আক্রমণ এবং পাঁচ লক্ষ টাকা তোলাবাজির ঘটনায় রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলার সর্ববৃহৎ ব্যবসায়ীদের সংগঠন মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বারবার যদি ব্যবসায়ীদের ওপর দুষ্কৃতীদের হামলা নেমে আসে, তাহলে আমরা যাব কোথায়। অবিলম্বে পুলিশ সুপার যাতে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে, সেই আবেদন জানাচ্ছি। এদিকে পুলিশকে অভিযোগে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকার পোশাক ব্যবসায়ী মহম্মদ রহিম বিশ্বাস জানিয়েছেন, পুরনো একটি মামলার ঘটনায় গত শনিবার এলাকার এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী জহরুল খান এবং তার দলবল তাকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাদের একটি ডেরায় তাঁকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর পাঁচ লক্ষ টাকার তোলা চাওয়া হয়। সেই টাকা না দেওয়ায় আশেপাশের আরও কিছু সাগরেদদের জুটিয়ে সালিশি ডাকা হয়। সেই সালিশির মাধ্যমে তাদের পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। আর এই ঘটনার পর থেকেই গত চারদিন ধরেই ওই ব্যবসায়ী পরিবার নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন হয়ে রয়েছেন। এমনকি ফতেখানি স্ট্যান্ডের কাছে ওই ব্যবসায়ী তার নিজের পোশাকে শোরুম খুলতে পারছেন না।

জুন ১৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal