• ৩ পৌষ ১৪৩২, রবিবার ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Mask

কলকাতা

কলকাতার হাসপাতালে 'নমস্তে', মুখে কালো কাপড় বেঁধে মৌন প্রতিবাদ বাংলা পক্ষের

আর এন ট্যাগর হাসপাতালে নমস্কারের বদলে নমস্তে বলার ফরমানের বিরুদ্ধে অভিনব প্রতিবাদ জানালো বাংলা পক্ষ। মুখে কালো কাপড় বেঁধে মৌন এই প্রতিবাদে বাংলা পক্ষের সহযোদ্ধাদের হাতে ছিল নমস্তে নয় নমস্কার বলুন। হিন্দি ভারতের রাষ্ট্র ভাষা নয় লেখা ব্যানার ও পোষ্টার। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বাংলায় যেখানে ৮৬ শতাংশ নাগরিক বাঙালি এমন একটি রাজ্যের রাজধানীতে অবস্থিত হাসপাতালে আগত রোগী, রোগীর আত্মীয় সহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গকে নমস্কারের বদলে নমস্তে বলা হচ্ছে।এমনকি বহির্বিভাগে চিকিৎসা করাতে চাওয়া রোগীরা চিকিৎসকের সময় চাইলে তাদের হিন্দিতে তথ্য দিতে বলা হচ্ছে। এই কথায় সহজেই অনুমেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ভিন্ন এই কাজ অসম্ভব। বাংলা পক্ষের তরফে ডাকা প্রতিবাদ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বাংলা পক্ষের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক গর্গ চট্টোপাধ্যায়। বাংলা পক্ষের দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার সম্পাদক প্রবাল চক্রবর্তী, উত্তর চব্বিশ পরগণা (গ্রামীণ)-এর জেলা সম্পাদক দেবাশীষ মজুমদার এবং কলকাতা জেলার সম্পাদক অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়।বাংলা পক্ষের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন, বাংলার মাটিতে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম সামনে রেখে চলা হাসপাতালে বাংলা ভাষায় নমস্কার না বলে নমস্তে বলা চলবে না। তিনি বলেন, এটি হিন্দি চাপানোর প্রাথমিক ধাপ, এর পরের ধাপেই বাঙালি কর্মী ছাঁটাই করে বহিরাগত কর্মীদের হাসপাতালে নিযুক্ত করা হবে। কাজ হারাবে বাঙালি কর্মচারীরা।বাংলা পক্ষের শীর্ষ পরিষদ সদস্য কৌশিক মাইতি বলেন, কলকাতার বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে রোগীদের আমিষ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কারণ হিসেবে হাস্যকর যুক্তি দেওয়া হচ্ছে হাসপাতালের মালিক আমিষ খায় না। তিনি বলেন, বাংলার সরকারের দেওয়া জায়গায় হাসপাতাল তৈরি করে, বাংলার প্রাতঃস্মরণীয় মনিষীর নাম ব্যবহার করে বাঙালির উপর হিন্দি চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরপ বলেন, বহিরাগত এইচ আর কেন এগুলি করছেন তার উদ্দেশ্য বাংলা পক্ষ-র অজানা নয়। বাঙালি কর্মীদের সরিয়ে বহিরাগত কর্মীদের সেই জায়গায় কাজে নিয়োগ এই চক্রান্তের আসল লক্ষ্য। তিনি আরও বলেন হাসপাতাল একটি বিশেষ আপৎকালীন জায়গা। তাই কোনও প্রবেশ দ্বার না আটকে, মুখে কালো কাপড় বেঁধে মৌন প্রতিবাদ করা হচ্ছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার এই চক্রান্ত চালাতে থাকলে বাংলা পক্ষ বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে। তিনি আরও বলেন, বাংলা পক্ষ বাঙালির পাশে আছে। কোন ভাবেই বাংলা ভাষা তথা বাঙালির উপর এই হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত মেনে নেওয়া হবে না। কর্মসূচি চলাকালীন কলকাতা এবং বাইরের থেকে আশা বহু রোগীর আত্মীয়, পথ চলতি মানুষ বাংলা পক্ষ-র দাবির সঙ্গে সহমত পোষণ করেন। চারজনের একটি প্রতিনিধি দল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন। কর্তৃপক্ষের তরফে স্মারকলিপি গ্রহণ করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

সেপ্টেম্বর ১০, ২০২২
প্রযুক্তি

Mask: ডাক্তার ও নার্সদের জন্য অভিনব মাস্ক আবিস্কার করে সাড়া ফেলেছে বাংলার কিশোর বিজ্ঞানী

কোভিড আক্রান্তদের প্রাণে বাঁচানোর জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিন রাত এক করে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা। কোভিড যুদ্ধে নিজে সামিল হতে না পারলেও প্রথম সারির সেইসব কোভিড যোদ্ধাদের জন্য বিশেষ কিছু একটা করার ব্যাপারে মনস্থির করে বসে দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্র দেবর্ষি দে। সেই অনুযায়ী নিজের বিজ্ঞান ভাবনা ও উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেবর্ষি তৈরি করে ফেলেছে ইউনিভার্সাল মাস্ক এয়ার সাপ্লায়ার। পিপিই কিট পরিহিত প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের মুখে থাকা তাঁর তৈরি মাস্ক ফ্রেশ অক্সিজেন সরবরাহ করবে। পাশাপাশি শ্বাস কষ্টের রোগীরা নেবুলাইজেশনের সহায়তাও তাঁর আবিস্কৃত মাস্কের মাধ্যমে পাবেন বলে দেবর্ষি দাবি করেছে। খুব শীঘ্রই কোভিড সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা। তার প্রাক্কালে এক খুদে বিজ্ঞানীর তৈরি সামান্য মূল্যের এমন অভিনব মাস্ক প্রশাসন ও চিকিৎসক মহলে সাড়া ফেলে দিয়েছে।আরও পড়ুনঃ ভাইরাস ধ্বংসকারী মাস্ক আবিষ্কারে বাঙালি তরুণীর বিশ্বজয়মেধাবী ছাত্র দেবর্ষি দে-র বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার প্রত্যন্ত গ্রাম বেত্রাগড়ে। সে জামালপুরের সেলিমাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেনীর বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র। দেবর্ষি জানিয়েছে, দুই ধরণের ইউনিভার্সাল মাস্ক এয়ার সাপ্লায়ার সে তৈরি করেছে। তার মধ্যে একটি প্রথম সারির কোভিড যোদ্ধা অর্থাৎ ডাক্তার ও নার্সদের ব্যবহারের জন্য। অপরটি সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য।দেবার্ষি আরও জানিয়েছে, দুটি মাস্ক এয়ার সাপ্লায়ার সে একই প্রযুক্তিতে তৈরি করেছে। তবে ডাক্তার ও নার্সদের জন্যে তাঁর তৈরি মাস্ক এয়ার সাপ্লায়ারটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন। সেই কারণে সাধারণ মানুষদের ব্যবহারের জন্যে তাঁর তৈরি করা মাস্ক এয়ার সাপ্লায়ারটি আকারে একটু ছোট। আর ডাক্তার ও নার্সদের জন্য তৈরি মাস্ক এয়ার সাপ্লায়ারটি আকারে একটু বড়। মুলত ১২ ভোল্ট ডিসি রি-চার্জেবল লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি,বাজার থেকে কেনা একটি টিপি ৪০৫৬ এবং একটি এক্স এল ৬০০৯ সার্কিট বোর্ড এবং নিজের তৈরি করা অপর একটি সার্কিট বোর্ড ইউনিভার্সাল মাস্ক এয়ার সাপ্লায়ার এর ভিভাইসটিতে রয়েছে বলে দেবর্ষি জানিয়েছে।আরও পড়ুনঃ হেরেও আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন বিরাটনিজের তৈরি করা ডিভাইসের ব্যখ্যা দিতে গিয়ে দেবর্ষি জানিয়েছে, সাধারণ মানুষের জন্য তৈরি করা তাঁর মাস্ক এয়ার সাপ্লায়ারের ডিভাইসটিতে ২ টি এয়ার সাকার রয়েছে। আর ডাক্তার ও নার্সদের ব্যবহারের জন্যে তৈরি করা ডিভাইসটিতে রয়েছে ৫ টি এয়ার সাকার। প্রতিটি এয়ার সাকারের মধ্যে রয়েছে ৬ টি ০.১-০.৩ মাইক্রোনের ফিল্টার। যা বাতাসকে ১০০ শতাংশ বিশুদ্ধ করে পাইপ লাইনের মধ্যমে মাস্কের ভিতরে পাঠিয়ে দেয়। ছোট ডিভাইস টিতে থাকা সুইচ দ্বারাই ডিভাইসটি কন্ট্রোল করা যাবে। আর বড় ডিভাইসটি তার (wire) দ্বারা যুক্ত রিমোটের মাধ্যমে কন্ট্রোল করতে হয়। ছোট ডিভাইসটির ওজন ২০২ গ্রাম আর বড় ডিভাইসটির ওজন ৪০৫ গ্রাম। যা সহজেই ব্যবহার যোগ্য। সরু পাইপের ইনপুট লাইন ডিভাইসের সঙ্গে যুক্ত থাকবে আর আউটপুট পাইপ লাইন মাস্কের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। এছাড়াও নিমুলাইজার ব্যবহারের ক্ষেত্রে ১৫ এমএল এর নিমুলাইজার চেম্বারটি ইনপুট পাইপ লাইন ডিভাইসের সাথে এবং চেম্বারের আউটপুট পাইপ লাইনটি মাস্কের সাথে যুক্ত করতে হবে। শ্বাস কষ্টের রোগীরা এক্ষেত্রে উপকার পাবেন। ডাক্তার ও নার্সদের ব্যবহারের জন্য তৈরি করা বড় ডিভাইসের ইউনিভার্সাল মাস্ক এয়ার সাপ্লায়ারটি তৈরি করতে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা। আর একই প্রযুক্তিতে সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্যে তৈরি করা ছোট ডিভাইসের মাস্ক এয়ার সাপ্লায়ারটি তৈরী করতে সর্বোচ্চ ৩০০- ৩৫০ টাকা খরচ পড়েছে বলে দাবি দেবর্ষির।আরও পড়ুনঃ মুকুল রায় তো বিজেপি পার্টির মেম্বার, বললেন মমতাদেবর্ষির বাবা ব্রজেন দে হাওড়ার লিলুয়ার এমসিকেবি ইনস্টিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে কেমিস্ট্রির প্রফেসার। মা হীরা দে সাধারণ গৃহবধূ। দেবর্ষির দিদি দেবর্পিতা কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে এমসিকেবি ইনস্টিটিউটে তৃতীয় বর্ষে পাঠরত। বৃহস্পতিবার ব্রজেন বাবু ও হীরাদেবী বলেন,ছোট থেকেই বিজ্ঞান ভিত্তিক কারিগরি বিষয় নিয়ে দেবর্ষির আগ্রহ বাড়তে শুরু করে। ইলেকট্রনিক্স খেলনা বা অন্য যা কিছু সে হাতের কাছে পেত তার সবটা খুলে ভিতরে কিকি পার্টস আছে , সেই পার্টসগুলি কীভাবে কাজ করছে তা বোঝার চেষ্টা করতো দেবর্ষি। এইসব ছাড়াও ফেলে দেওয়া ইলেকট্রনিক্সের সরঞ্জাম থেকে নতুন কিছু তৈরি করা যায় কিনা তারও প্রচেষ্টা ছেলে দেবর্ষি চালাতো। ব্রজেনবাবু বলেন, এখন স্কুল বন্ধ রয়েছে। বাড়িতে বসেই নিজের বিজ্ঞান ভাবনা ও উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেবর্ষি প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা ডাক্তার ও নার্স এবং একই সঙ্গে সাধারণ মানুষের জন্যে ইউনিভার্সাল মাস্ক এয়ার সাপ্লায়ার তৈরি করে ফেলেছে জেনে তিনি গর্বিত বোধ করছেন। দেশ ও দেশের মানুষের কল্যানে লাগবে এমন আরও অনেক কিছু দেবর্ষি আবিস্কার করুক এমটাই ইচ্ছার কথা মা হীরাদেবী শুনিয়েছেন।আরও পড়ুনঃ বজ্রপাত বৃদ্ধি, বর্ধমানের জামালপুরে কারণ অনুসন্ধানে ব্যস্ত বিশেষজ্ঞরা, বললেন মমতাজামালপুর ব্লক হাসপাতালের বিএমওএইচ চিকিৎসক ঋত্বিক ঘোষ জানিয়েছেন,পিপিই কিট পরিহিত হয়ে কাজ করা ডাক্তার ও নার্সদের ক্ষেত্রে দেবর্ষির আবিস্কৃত মাস্ক সহায়ক হতে পারে বলেই তাঁর মনে হয়েছে। অন্যদিকে ব্লকের বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার জানিয়েছেন, দেবর্ষির আবিস্কৃত মাস্কটি অভূতপূর্ব হওয়াই তিনি বিষয়টি সম্বন্ধে বিএমওএইচ কে জানান। এমন মাস্ক প্রথমসারির কোভিড যোদ্ধারের কাজের ক্ষেত্রে বিশেষ সহায়ক ভূমিকা নেবে বলেই তাঁর মনে হয়েছে। সার্টিফিকেশনের জন্য বিএমওএইচ মাস্কের বিষয়টি নিয়ে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। সার্টিফিকেশন পাওয়া গেলে সরকারিভাবে দেবর্ষির আবিস্কৃত মাস্ক ব্যবহার করা যাবে বলে বিডিও জানিয়েছেন।

জুন ২৪, ২০২১
প্রযুক্তি

ভাইরাস ধ্বংসকারী মাস্ক আবিষ্কারে বাঙালি তরুণীর বিশ্বজয়

গুগল আর্টস অ্যান্ড কালচার - উচ্চ-রেজোলিউশন চিত্র ও ভিডিও আকারে বিশ্বজুড়ে বিশ্ব সেরা শিল্পকর্ম পন্য এবং সাংস্কৃতিক নিদর্শন গুলির সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের একটি অনলাইন মিউজিয়াম। গুগল ফেব্রুয়ারি ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠা করে এই ভার্চুয়াল মিউজিয়াম টি । এই মিউজিয়াম উচ্চ- রেজুলেশন চিত্র প্রযুক্তি ব্যবহার করে দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত রেখেছে। বিশ্ব সেরা দশটি শিল্পকর্ম, পন্য এবং সাংস্কৃতিক নিদর্শন গুলির দেখার জন্য গুগল আর্টস অ্যান্ড কালচার এর মিউজিয়ামে প্রবেশ করলে দেখা মিলবে ভারতের গর্ব দিগন্তিকা বোস এর উদ্ভাবিত ভাইরাস ডিটারেন্ট মাস্ক ২০২০। তার উদ্ভাবিত মাস্ক টি গুগল এর মিউজিয়ামে উপস্থাপনে সহযোগিতা করেছে মিউজিয়াম অফ ডিজাইন এক্সিলেন্সের যাদুঘর মুম্বাই। গুগল আর্টস অ্যান্ড কালচার মিউজিয়ামে দিগন্তিকার উদ্ভাবিত ভাইরাস ডিটারেন্ট মাস্ক এর মডেল সংরক্ষণ করেছে । সাথে উল্লেখ করেছে ভাইরাস ডিটারেন্ট মাস্ক,2020, উদ্ভাবক দিগন্তিকা বোস এর নাম । আরো উল্লেখ করেছে এই ধুলোমুক্ত এবং ভাইরাস-নিরোধকমাস্কটি ভারতের সতের বছর বয়সী কনিষ্ঠ তম উদ্ভাবক হিসাবে ডিজাইন টির প্রোটোটাইপ করেছেন দিগন্তিকা, মিউজিয়ামে আরো উল্লেখ করেছে যে তাঁর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জ্ঞানকে ব্যবহারিক ব্যবহারের জন্য প্রয়োগ করে দিগন্তিকা আবিষ্কার করেছিলেন যে নেতিবাচক আয়নগুলি আমাদের চারপাশের বাতাসের সংস্পর্শে আসে তখন তারা বেশিরভাগ ভাইরাসকে ধ্বংস করে দেয়। সম্পূর্ণ ভাইরাস ধ্বংস নিশ্চিত করতে, একটি সাবান-জল মিশ্রণ দুটি রাসায়নিক ফিল্টারে যুক্ত করা হয়েছে যা গৃহীত বাতাসকে বিশুদ্ধ করে যার মধ্যে ভাইরাসের অবশিষ্ট ধ্বংস করে প্রবেশ করতে দেয়। এই ভাবে সমগ্ৰ উদ্ভাবন টির বর্ণনা দিয়েছে গুগল। দিগন্তিকা মেমরি ভি এম ইনস্টিটিউশন ইউনিট ২ এর দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। এতি মধ্যে তার এগারো টি উদ্ভাবনের জন্য এই বয়সেই উদ্ভাবক হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে।দিগন্তিকা জানায় আমার খুব ভালো লাগছে এটা জানতে পেরে যে আমার উদ্ভাবিত ভাইরাস ধ্বংসকারী মাস্ক কে গুগল আর্টস অ্যান্ড কালচার বিশ্ব সেরা দশটি অনুপ্রেরণামূলক ডিজাইনের মধ্যে স্থান দিয়েছেন গুগলের মিউজিয়ামে।

মে ০৭, ২০২১
কলকাতা

করোনার সংক্রমণ রুখতে কড়া কলকাতা পুলিশ, একদিনে গ্রেপ্তার ১৬৭ জন

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত করছে কলকাতাকে। করোনা রুখতে চৈত্র সংক্রান্তির দিন থেকেই কলকাতার প্রত্যেকটি বাজারে শুরু হয়েছে পুলিশের প্রচার। মাইক নিয়ে করোনা সম্পর্কে সতর্কতা প্রচার শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে ধরপাকড়ের উপর আরও গুরুত্ব দিল পুলিশ। বুধবার কলকাতার বিভিন্ন জায়গা থেকে মাস্ক না পরার অভিযোগে ১৫০ জনের উপর পথচারীকে ধরা হয়। এর মধ্যে নিউ মার্কেট এলাকা থেকে হাতেনাতে ধরা পড়ে ১৫ জন। অন্যান্য বাজারেও মাস্ক না পরলেই তাকে ধরেছে পুলিশ। পুলিশের অভিযোগ, করোনা আক্রান্তর সংখ্যা কলকাতায় বৃদ্ধি পাওয়া সত্ত্বেও বহু পথচারী ও গাড়ি, বাস আরোহীর মুখে মাস্ক নেই। মাস্ক নেই বাজারের ক্রেতা ও বিক্রেতাদেরও। এবার সেদিকেও বিশেষ নজর পুলিশের। পুলিশের উপর ভোটের ডিউটির চাপ রয়েছেই। সেই সঙ্গে এবার করোনা রোখারও ব্যবস্থা নিল পুলিশ।গত বছর করোনার ঢেউ কলকাতায় আছড়ে পড়ার পর লাগাতার সচেতনতার প্রচার শুরু করে কলকাতা পুলিশ। কিন্তু আক্রান্তর সংখ্যা কমতে থাকায় সেই প্রচারে ভাটা পড়ে। যদিও সংখ্যায় কম হলেও মাস্ক না পরার অভিযোগে চলছিল ধরপাকড়। গত মাস থেকে ধরপাকড়ের ব্যাপারে আরও গুরুত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু করোনা আক্রান্তর সংখ্যা বাড়তে থাকায় এবার গত বছরের আদলেই প্রচার করতে শুরু করেছে পুলিশ।এদিকে, বুধবার দুপুর থেকেই কলকাতার প্রত্যেকটি বাজারে করোনা বিরোধী সচেতনতার প্রচার শুরু করে প্রায় প্রত্যেকটি থানা। পুলিশের অভিযোগ, এই বছর এখনও পর্যন্ত বেশিরভাগ মানুষই করোনা নিয়ে সচেতন নন। তাই বাজারগুলিতে আসা বেশিরভাগ ক্রেতা, এমনকী, বিক্রেতাদের মুখেও নেই মাস্ক। পারস্পরিক দূরত্বও মানা হচ্ছে না। এদিন নিউ মার্কেট অঞ্চলে মাস্ক না পরে নামতে দেখলেই ওই যাত্রীকে ধরেছে পুলিশ। একই দৃশ্য দেখা গিয়েছে গড়িয়াহাট, যদুবাবুর বাজার, যাদবপুর, হাতিবাগানের মতো বাজারগুলিতেও। এ ছাড়াও ওই বাজারগুলিতে মাস্ক না পরে কেনাকাটা করার অভিযোগেও পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে বেশ কয়েকজন।

এপ্রিল ১৫, ২০২১
টুকিটাকি

করোনাকালে মাস্ক কিভাবে ব্যবহার করে সুরক্ষিত থাকবেন, জেনে নিন !

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে মাস্ক ব্যবহারের কথা বলা হচ্ছে। নিজে সুস্থ থাকলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বা সন্দেহ করা হচ্ছেএমন ব্যক্তির শুশ্রূষা করার সময়ই শুধু আপনার মাস্ক পরার প্রয়োজন রয়েছে। হাঁচি বা কাশি থাকলে মাস্ক ব্যবহার করুন, যেন আপনার শরীরে করোনাভাইরাস থাকলে তা অন্যদের মধ্যে না ছড়ায়। মাস্ক ব্যবহার তখনই কার্যকর, যখন আপনি অ্যালকোহলভিত্তিক হ্যান্ড রাব বা সাবান-জল দিয়ে ঘন ঘন হাত পরিষ্কার করেন। মাস্ক পরার আগে হাত (সাবান-জল দিয়ে অন্তত ২০ সেকেন্ড বা হ্যান্ড রাব দিয়ে) পরিষ্কার করে নিন। আরও পড়ুন ঃ কানে ব্যথা হলে কি করণীয়, জেনে নিন ! মাস্ক পরার সময় এর সামনের অংশ ধরবেন না। নাক ও মুখ মাস্ক দিয়ে ঢেকে ফেলুন এবং মনে রাখবেন, মুখ ও মাস্কের মধ্যে যেন কোনো ফাঁকা স্থান না থাকে। ব্যবহৃত মাস্কটি আর্দ্র বা ভেজা বা স্যাঁতসেঁতে মনে হওয়ামাত্রই তা বদলে ফেলুন। ডিসপোজিবল বা একবার ব্যবহারের জন্য তৈরি মাস্ক বারবার ব্যবহার করবেন না। মাস্ক অপসারণের পর হাত পরিষ্কার করে নিন।

ডিসেম্বর ০৭, ২০২০
দেশ

কোভিড সতর্কতা অবলম্বন করে ভোট দিন বিহারবাসী , টুইট মোদির

শুরু হয়েছে বিহার বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ পর্ব । এদিন ৭১ টি আসনে ভোট নেওয়া হচ্ছে। লড়াইয়ের রয়েছেন ১,০৬৬ প্রার্থী। নীতিশ কুমার মন্ত্রিসভার ৮ সদস্যের ভাগ্য নির্ধারিত হচ্ছে এদিন। বুধবার সকালে বিহার ভোট নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইট করেন। আরও পড়ুনঃ আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে না লোকাল ট্রেন , সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের তিনি লেখেন , বিহার বিধানসভা নির্বাচনে আজ প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ। কোভিড সম্পর্কিত সতর্কতা অবলম্বন করে আমি সকল ভোটারকে গণতন্ত্রের এই উৎসবে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ করছি। দূরত্ব বিধি মেনে চলুন।পাশাপাশি মাস্ক পরুন। মনে রাখবেন, আগে ভোট দিন, তারপরে জলপান ! প্রসঙ্গত , এই প্রথম করোনা পরিস্থিতিতে সমস্তরকম সতর্কতা মেনে নির্বাচন কমিশনের গাইডলাইন অনুসরণ করেই সমস্ত রকম ব্যবস্থা করা হয়েছে।

অক্টোবর ২৮, ২০২০
রাজ্য

"আমরা দাদার অনুগামীদের" উদ্যো্গে মাস্ক বিতরণ

পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর অনুপ্রেরণায় আমরা দাদার অনুগামীদের পক্ষ থেকে পথচলতি মানুষ এবং সিভিক ভলেন্টিয়ার ও মোহনপুর থানার পুলিশদের প্রায় ১৫০০ মাস্ক বিতরণ করা হল রবিবার। এছাড়াও ১০০০ টি সাবান এবং ২০০ টি গ্লাভস বিতরণ করা হয় এদিন। এদিনের এই কর্মসূচি সফল করার পিছনে যাদের অবদান অস্বীকার করা যাবে না তারা হলেন দেবদীপ অধিকারী(বিলু) , প্রদীপ কুমার পাত্র, রাজীব নায়ক ও সুদীপ পাত্র , অর্নিবান আচার্য , সোহারব আলি।

অক্টোবর ১২, ২০২০
বিদেশ

হোয়াইট হাউসে ফিরেই মাস্ক খুলে ফেললেন ট্রাম্প

চার দিনের জরুরি চিকিৎসার পরে সোমবার হাসপাতাল থেকে হোয়াইট হাউসে ফিরেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসে ফিরেই নিজের মাস্ক খুলে ফেলে তিনি জানান, খুব শীঘ্রই নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেবেন।রবিবারই চিকিৎসকরা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন শিগগিরি ছেড়ে দেওয়া হতে পারে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে। সেই সম্ভাবনা সত্যি করে সোমবারই সেনা হাসপাতাল থেকে স্থানীয় সময় অনুসারে সাড়ে ৬ টায় ছুটি দেওয়া হয় ট্রাম্পকে।এরপর হোয়াইট হাউসে ফিরে আসেন তিনি। ট্রাম্প জানিয়ে দেন, তিনি সুস্থই বোধ করছেন। তাঁর এভাবে দ্রুত হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসা নিয়ে ট্রাম্প বলেন, কোনও নেতাই এমন করত না যা আমি করেছি। আমি জানি এতে ঝুঁকি আছে। বিপদ আছে। কিন্তু সব ঠিকই আছে।কিন্তু এটাকে আপনার জীবনে আধিপত্য বিস্তার করতে দেবেন না। এর থেকে বেরিয়ে আসুন। তবে সতর্ক থাকুন। তিনি আরও বলেন, কোনও ভয় নেই। করোনাকে ভয় পাবেন না। উল্লেখ্য, করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসলে ও শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ার পরেই ট্রাম্পকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আমেরিকার সেনা হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল ট্রাম্পের।ওই হাসপাতালে ট্রাম্পকে মূলত রেমডিসিভির দেওয়া হয়। দেখা যাচ্ছে তার জেরেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন ট্রাম্প।

অক্টোবর ০৬, ২০২০

ট্রেন্ডিং

বিদেশ

আইএমএফের চাপে লাগামছাড়া জিএসটি! পাকিস্তানে জনবিস্ফোরণের আশঙ্কা

কন্ডোমের উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি নিয়ে চরম উদ্বেগে পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ-এর নির্দেশে এই কর বসানো হয়েছে। এর ফলে কন্ডোমের দাম এতটাই বেড়েছে যে তা এখন নিম্ন ও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ আইএমএফ-এর কাছে কর কমানোর আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আইএমএফ। এই সিদ্ধান্তে দেশে জনসংখ্যা বিস্ফোরণের আশঙ্কা করছে পাক সরকার।আইএমএফ-এর ঋণের উপরই কার্যত নির্ভরশীল পাকিস্তানের অর্থনীতি। দেশের আর্থিক পরিস্থিতি সামাল দিতে চলতি বছরে বড় অঙ্কের ঋণ নিয়েছে ইসলামাবাদ। সেই ঋণের শর্ত হিসেবেই কর আদায় বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে আইএমএফ। তার জেরেই কন্ডোম, স্যানিটারি ন্যাপকিন ও শিশুদের ডাইপারের মতো প্রয়োজনীয় পণ্যের উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি বসানো হয়েছে।পাকিস্তান সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছিল, জনস্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনার কথা ভেবে অন্তত কন্ডোমের উপর থেকে কর কমানো হোক। কিন্তু আইএমএফ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষের মাঝপথে কর কাঠামোয় কোনও পরিবর্তন করা যাবে না। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে ২০২৬-২৭ অর্থবর্ষের বাজেটে। আইএমএফের যুক্তি, কন্ডোমের উপর থেকে কর তুলে নিলে সরকারের কয়েকশো কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হবে, যা এই মুহূর্তে সম্ভব নয়।এই পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগে রয়েছে শাহবাজ শরিফের সরকার। পাকিস্তানে বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার প্রায় ২.৫৫ শতাংশ। অর্থাৎ প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষ বাড়ছে। সরকার মনে করছে, কন্ডোমের দাম বেড়ে যাওয়ায় বহু মানুষ তা ব্যবহার করতে পারছেন না। এর ফলে অনিয়ন্ত্রিত ভাবে জনসংখ্যা বাড়ছে, যা দেশের অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের উপর আরও চাপ ফেলবে।পাক সরকারের আশঙ্কা, এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে ভবিষ্যতে সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা আরও ভয়াবহ আকার নিতে পারে। কিন্তু আইএমএফ-এর কড়া অবস্থানের সামনে আপাতত অসহায় ইসলামাবাদ। এখন পরের বাজেটের দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া শাহবাজ সরকারের হাতে আর কোনও পথ খোলা নেই।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
রাজ্য

তাহেরপুরে প্রধানমন্ত্রীর সভার আগে মর্মান্তিক ঘটনা, কুয়াশায় প্রাণ গেল চারজনের

এসআইআর আবহের মধ্যেই শনিবার পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নদিয়ার তাহেরপুরে তাঁর সভা রয়েছে। সকাল থেকেই সভাস্থলের দিকে ভিড় জমতে শুরু করেছিল। ঠিক সেই সময়েই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ট্রেনের ধাক্কায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে শক্তিনগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।জানা গিয়েছে, মৃত ও আহত সকলের বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলায়। তাঁরা প্রধানমন্ত্রী মোদির সভায় যোগ দিতেই নদিয়ার তাহেরপুরে এসেছিলেন। ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেল ও পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।শনিবার ভোরে তাহেরপুর স্টেশনের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে মুর্শিদাবাদের বড়ঞার সাবলদহ গ্রাম থেকে প্রায় ৪০ জন তাহেরপুরে আসেন। ভোরবেলা তাঁদের মধ্যে কয়েক জন রেললাইনের ধারে প্রাতঃকৃত্য সারতে যান। সেই সময় আচমকাই দ্রুতগতির একটি ট্রেন চলে আসে। ট্রেনের ধাক্কায় চার জন লাইনের উপর ছিটকে পড়েন। আঘাত এতটাই গুরুতর ছিল যে ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়।একই ঘটনায় আরও দুজন আহত হন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। অন্য জনের চিকিৎসা চলছে। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, ভোরের ঘন কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা অনেকটাই কম ছিল। সেই কারণেই ট্রেন আসছে বুঝতে না পারায় এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে অন্য সম্ভাবনাগুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।মতুয়াগড় হিসেবে পরিচিত নদিয়ার তাহেরপুরে এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদির সভা ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে। তার মধ্যেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
বিদেশ

হট টাব থেকে সুইমিং পুল, এপস্টেইন নথিতে একের পর এক চাঞ্চল্যকর ছবি

কুখ্যাত যৌন অপরাধী জেফ্রি এপস্টেইনকে ঘিরে ফের তোলপাড় আমেরিকার রাজনীতি। এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্কিত হাজার হাজার পাতার নথি প্রকাশ করল মার্কিন ন্যায় বিভাগ। সেই নথিতে বারবার উঠে এসেছে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টনের নাম। প্রকাশ্যে এসেছে একাধিক ছবি। কিন্তু বিস্ময়ের বিষয়, বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম ও ছবি সেখানে প্রায় নেই বললেই চলে।প্রকাশিত ছবিগুলির একটিতে তরুণ বিল ক্লিন্টনকে একটি হট টাবে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে। ছবির একটি অংশ কালো রঙে ঢেকে রাখা হয়েছে। অন্য একটি ছবিতে দেখা গিয়েছে, এক মহিলার সঙ্গে সাঁতার কাটছেন ক্লিন্টন। ওই মহিলা এপস্টেইনের ঘনিষ্ঠ ও প্রেমিকা ঘিসলাইন ম্যাক্সওয়েল বলে মনে করা হচ্ছে। আরও একটি ছবিতে ক্লিন্টনের পাশে দেখা গিয়েছে পপ সংগীতের কিংবদন্তি মাইকেল জ্যাকসনকে। তাঁদের পাশেই ছিলেন গায়িকা ডায়ানা রস।এই সব ছবি ও তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রায় সম্পূর্ণ অনুপস্থিতি। নব্বইয়ের দশক এবং দুই হাজার দশকের শুরুতে এপস্টেইনের সঙ্গে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠতার কথা আগে একাধিকবার সামনে এসেছে। কিন্তু সদ্য প্রকাশিত নথিতে তাঁর কোনও ছবি নেই। নামও এসেছে মাত্র একবার, একটি যোগাযোগের খাতায়। সেই খাতাটি কার, তাও স্পষ্ট নয়।অথচ এর আগে প্রকাশিত নথিতে ট্রাম্পের উপস্থিতির কথা জানা গিয়েছিল। এমনকি এপস্টেইনের ব্যক্তিগত বিমানে তাঁকে দেখা যাওয়ার কথাও উঠে এসেছিল। সেই কারণেই নতুন নথিতে তাঁর অনুপস্থিতিকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকের ধারণা, নিজেকে আড়াল করতে বিল ক্লিন্টনের দিকেই আলো ঘোরানোর চেষ্টা করছেন ট্রাম্প। উল্লেখযোগ্য ভাবে, মাসখানেক আগেই এপস্টেইনের সঙ্গে বিল ক্লিন্টনের সম্পর্ক নিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছিলেন ট্রাম্প। সেই তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জানা যায়।এই পরিস্থিতিতে বিল ক্লিন্টনের শিবির থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের এক মুখপাত্র বলেন, এপস্টেইন সংক্রান্ত তদন্ত শুধুমাত্র বিল ক্লিন্টনকে লক্ষ্য করে করা হচ্ছে না। তাঁর বক্তব্য, বহু পুরনো ছবি প্রকাশ করতেই পারে প্রশাসন, কিন্তু গোটা বিষয়টি শুধু ক্লিন্টনকে ঘিরে নয়। তিনি বলেন, এপস্টেইনের ক্ষেত্রে দুধরনের মানুষ ছিলেন। একদল, যাঁরা অপরাধের কথা প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গেই সব সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলেন। আরেক দল, যাঁরা এরপরও যোগাযোগ বজায় রেখেছিলেন। তাঁদের দাবি, বিল ক্লিন্টন প্রথম দলের মধ্যেই পড়েন।নাম না করলেও ক্লিন্টন শিবির যে ডোনাল্ড ট্রাম্পকেই নিশানা করছে, তা স্পষ্ট। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, ট্রাম্প যতই চেষ্টা করুন না কেন, এপস্টেইন কেলেঙ্কারি থেকে নিজের নাম পুরোপুরি সরিয়ে রাখা তাঁর পক্ষে সহজ হবে না।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
দেশ

অসমে ট্রেন-হাতির সংঘর্ষ, লাইনচ্যুত রাজধানী, মৃত অন্তত ৮ হাতি

ভোরের ঘন কুয়াশায় কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। সেই অবস্থাতেই একপাল হাতিকে ধাক্কা মারল রাজধানী এক্সপ্রেস। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় লাইনচ্যুত হয়ে যায় রাজধানী এক্সপ্রেসের পাঁচটি কামরা। ট্রেনের ধাক্কায় অন্তত আটটি হাতির মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে। দুর্ঘটনার জেরে ওই রুটে আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে ট্রেন চলাচল।শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ভোরে অসমের যমুনামুখ-কামপুর সেকশনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এলাকাটি নর্থ-ইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ের লুমডিং ডিভিশনের আওতায়। জানা গিয়েছে, সাইরং থেকে নয়া দিল্লিগামী রাজধানী এক্সপ্রেস দ্রুত গতিতে আসছিল। সেই সময়ই জঙ্গল থেকে বেরিয়ে রেললাইন পারাপার করছিল একপাল হাতি। চারদিকে ঘন কুয়াশা থাকায় দূর থেকে কিছুই দেখতে পাওয়া যায়নি। সেই কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক অনুমান।গুয়াহাটি থেকে প্রায় ১২৬ কিলোমিটার দূরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই অংশটি হাতির নির্দিষ্ট করিডর নয়। ট্রেনের লোকো পাইলট জানিয়েছেন, সামনে হাতির পাল দেখতে পেয়েই তিনি সঙ্গে সঙ্গে ইমার্জেন্সি ব্রেক কষেন। কিন্তু হাতিগুলি আরও এগিয়ে আসায় শেষ পর্যন্ত সংঘর্ষ এড়ানো সম্ভব হয়নি।প্রবল ধাক্কার জেরে ট্রেনের ইঞ্জিন ও পাঁচটি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে যায়। তবে স্বস্তির খবর, এই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও যাত্রীর আহত বা নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনার পর যেসব কামরা লাইনচ্যুত হয়েছিল, সেখানকার যাত্রীদের নিরাপদে অন্য কামরায় সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মোট আটটি হাতি রেললাইন পার হচ্ছিল। তাদের মধ্যে একাধিক হাতির মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত একটি রিলিফ ট্রেন পাঠানো হয়। রেল আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করেছেন।রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, লাইনচ্যুত কামরা এবং হাতিগুলির দেহ ট্র্যাকে ছড়িয়ে থাকায় উদ্ধারকাজে বেশ সময় লাগছে। সেই কারণে অসমের উপরের অংশ এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের বেশ কয়েকটি রুটে ট্রেন চলাচল আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।যাত্রীরা যাতে অসুবিধায় না পড়েন, সে জন্য গুয়াহাটি পৌঁছনোর পর রাজধানী এক্সপ্রেসে অতিরিক্ত কোচ জুড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে রেল সূত্রে খবর।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
বিদেশ

হিন্দু যুবককে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা, বাংলাদেশে সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনার নিন্দা বিএনপির

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করল বিএনপি। একই সঙ্গে এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ জুড়ে যে হিংসা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটছে, তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাঁর অভিযোগ, একটি চিহ্নিত মহল পরিকল্পিতভাবে দেশকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিতে চাইছে এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রক্রিয়াকে অনিশ্চিত করে তোলার ষড়যন্ত্র চলছে।শুক্রবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে বিএনপি। একই সঙ্গে অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার ও দ্রুত বিচারের দাবি জানান তিনি। তাঁর বক্তব্য, হাদির মৃত্যুর পর যেভাবে সারা দেশে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে, তা নিছক স্বতঃস্ফূর্ত নয়, বরং পরিকল্পিত বলেই মনে হচ্ছে।হাদির মৃত্যুর পর প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের মতো প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমের দফতরে ভাঙচুর ও আগুন লাগানোর ঘটনাও তীব্র ভাষায় নিন্দা করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, এই হামলার ফলে কর্মরত সাংবাদিকদের জীবন চরম ঝুঁকির মুখে পড়ে। পাশাপাশি নিউ এজ-এর সম্পাদক নূরুল কবীরকে মারধর ও হেনস্থার ঘটনা, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি বিজড়িত ৩২ ধানমন্ডি, ছায়ানট ও উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর উপর হামলারও নিন্দা করেন তিনি। ভারতীয় হাই কমিশনে হামলার প্রসঙ্গও তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে।এই সব ঘটনার মধ্যে সবচেয়ে নৃশংস বলে একটি ঘটনার উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি জানান, ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে এক হিন্দু যুবককে গাছে ঝুলিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় এবং পরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনাকে ভয়াবহ, ঘৃণ্য ও ন্যাক্কারজনক বলে মন্তব্য করেন তিনি।বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই সমস্ত ঘটনা প্রমাণ করে যে পুরনো একটি চিহ্নিত মহল পরিকল্পিতভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে। তাদের লক্ষ্য বহু রক্তের বিনিময়ে অর্জিত ভোটাধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার নস্যাৎ করা এবং দেশে ফ্যাসিবাদের নতুন রূপ প্রতিষ্ঠা করা।বর্তমান ইউনূস সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, সরকারের নাকের ডগাতেই এই সব ঘটনা ঘটছে, অথচ সাধারণ মানুষের কাছে সরকারের ভূমিকা সন্তোষজনক বলে মনে হচ্ছে না। এর ফলে দেশের ভিতরে ও বাইরে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাঁর দাবি, এই হত্যাকাণ্ড ও হিংসার বিরুদ্ধে দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দল প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং দোষীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবি তুলেছে। তবুও হিংসা থামছে না, যা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে গভীর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দিচ্ছে।শেষে তিনি বলেন, শান্তিকামী ও গণতান্ত্রিক দেশবাসীর পক্ষ থেকে এই অপশক্তিকে সতর্ক করে দিতে চায় বিএনপি। এত রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই দেশকে ধ্বংস করতে দেওয়া যাবে না। ঐক্যবদ্ধভাবেই এই ষড়যন্ত্র ও অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
বিদেশ

ওসমান হাদির মৃত্যুর পর আগুনে পুড়ছে বাংলাদেশ? একের পর এক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলা

বাংলাদেশ জুড়ে ফের অশান্তির আগুন। শিল্প ও সংস্কৃতির দেশ হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশে একের পর এক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলা ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সম্প্রতি ঢাকায় সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা সামনে এসেছে। এর আগে ছায়ানট, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের দফতরেও হামলার ঘটনা ঘটে। প্রশ্ন উঠছে, এই সব তাণ্ডব কি শুধুই ওসমান হাদির মৃত্যুর ক্ষোভ, না কি এর পিছনে রয়েছে সংগঠিত কোনও শক্তি?শুক্রবার রাতে ঢাকার তোপখানা সড়কে অবস্থিত উদীচীর কার্যালয়ে প্রথমে ভাঙচুর চালানো হয়। এরপর সেখানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। দমকলের চারটি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। উদীচীর সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে জানিয়েছেন, এটি পরিকল্পিত হামলা। তাঁর দাবি, ছায়ানট, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলার ধারাবাহিকতার মধ্যেই উদীচীর উপর আঘাত এসেছে।উদীচী কার্যালয়ে হামলার খবর পেয়ে সেখানে যান জাতীয় নাগরিক পার্টির একটি প্রতিনিধি দল। ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম ও তাসনিম জারা-সহ দলের নেতৃত্ব। সেখানে ইউনূস সরকার দরকার নেই স্লোগান ওঠে বলে জানা গেছে।এই অশান্তির সূত্রপাত হয় এক সপ্তাহ আগে। ঢাকার রাজপথে গুলিবিদ্ধ হন জুলাই অভ্যুত্থানের মুখ ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি। মাথায় গুলি লাগার পর গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। ১৮ ডিসেম্বর সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পর থেকেই বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা বাড়তে থাকে।ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় আগুন জ্বলে ওঠে। হামলা হয় দেশের প্রথম সারির সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের দফতরে। একই সঙ্গে আক্রমণ চালানো হয় বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত ৩২ ধানমন্ডি এবং প্রখ্যাত সংস্কৃতি কেন্দ্র ছায়ানটেও। ভাঙা হয় বাদ্যযন্ত্র, ছিঁড়ে ফেলা হয় বই। শিল্প ও সংস্কৃতির উপর এই লাগাতার হামলায় উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষ থেকে বুদ্ধিজীবী মহল।যে বাংলাদেশ এক সময় গান, নাটক, কবিতা আর মুক্তচিন্তার জন্য পরিচিত ছিল, আজ সেখানে মৌলবাদী হিংসার ছায়া আরও গাঢ় হচ্ছে কি না, সেই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
রাজ্য

যুবভারতী কাণ্ডে নতুন মোড়, শতদ্রু দত্তের রিষড়ার বাড়িতে হানা বিধাননগর পুলিশের

যুবভারতী কাণ্ডের পর থেকেই রিষড়ার একটি ঝাঁ চকচকে তিনতলা বাড়ি ঘিরে কৌতূহল বেড়েছে। শুক্রবার সকালে সেই বাড়িতেই হাজির হল বিধাননগর পুলিশ। যুবভারতী স্টেডিয়ামে মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে হওয়া বিশৃঙ্খলার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তের এই বাড়িতে এদিন তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। তবে ঠিক কী কারণে এই তল্লাশি, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি পুলিশ আধিকারিকরা।গত ১৩ ডিসেম্বর যুবভারতী স্টেডিয়ামে লিওনেল মেসির অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন শতদ্রু দত্ত। ওই দিন স্টেডিয়ামে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ছড়ায়। সেই ঘটনার পরই আয়োজক সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এবং পুলিশ শতদ্রুকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। ঠিক সেই সময়ই শুক্রবার সকালে তাঁর রিষড়ার বাড়িতে পৌঁছে যায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ বিধাননগর থানার পাঁচজন আধিকারিক, তাঁদের মধ্যে মহিলা পুলিশকর্মীও ছিলেন, এদিন সকালে রিষড়ায় যান। প্রথমে তাঁরা রিষড়া থানায় হাজির হন। পরে স্থানীয় থানার পুলিশের সহযোগিতায় বাঙুর পার্ক এলাকায় শতদ্রু দত্তের বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। সেই সময় বাড়িতে শুধুমাত্র এক পরিচারিকা ছিলেন। তাঁর সঙ্গেও কথা বলেন পুলিশ আধিকারিকরা।এরপর তিনতলা বাড়ির প্রতিটি ঘরে তল্লাশি চালানো হয়। সূত্রের খবর, ওই বাড়িতে একটি ব্যক্তিগত ফুটবল মাঠ এবং একটি সুইমিং পুল রয়েছে। সেগুলিও ঘুরে দেখেন তদন্তকারীরা। তবে তল্লাশির পর বাড়ি থেকে কোনও কিছু বাজেয়াপ্ত করা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন, তাই এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।এদিকে তদন্তকারীদের একাংশের অনুমান, মেসির অনুষ্ঠানে বিপুল পরিমাণ কালো টাকা ব্যবহার হয়ে থাকতে পারে। যুবভারতী কাণ্ডে পুলিশের তরফে ইতিমধ্যেই দুটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সেই এফআইআরের ভিত্তিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ইসিআইআর দায়ের করে আর্থিক লেনদেনের উৎস খতিয়ে দেখতে পারে বলে তদন্তকারী সূত্রে খবর।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
দেশ

সংবাদমাধ্যমে আগুন, ভারত-বিরোধী স্লোগান—ঢাকা পরিস্থিতিতে কড়া নজর দিল্লির

ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ফের তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ঢাকাসহ একাধিক শহরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমের অফিসে আগুন লাগানো হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে এবং কট্টরপন্থীদের একাংশ প্রকাশ্যে ভারত-বিরোধী মন্তব্য করছে। পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, তা নিয়ে কড়া নজর রাখছে ভারত।সূত্রের খবর, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় যেখানে ভারতীয় হাইকমিশনের অফিস রয়েছে, সেখানে কর্মরত ভারতীয় আধিকারিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে নয়া দিল্লি। সাম্প্রতিক পরিস্থিতির জেরে একাধিক জায়গায় ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র ইতিমধ্যেই বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলেও ইঙ্গিত মিলেছে।বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে কট্টরপন্থীদের বিক্ষোভ চলে। কয়েকটি ক্ষেত্রে সেই বিক্ষোভ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ চট্টগ্রামে ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনারের বাসভবন ঘিরে ধরার ডাক দেওয়া হয়েছে বলে খবর আসে। বিভিন্ন দিক থেকে অফিস ঘেরাওয়ের আহ্বান জানানো হয়। এই পরিস্থিতিতে গোটা ঘটনার উপর নজর রাখছে ভারত সরকার। সূত্রের খবর, নিরাপত্তার কারণে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় আজও ভিসা কেন্দ্র বন্ধ থাকতে পারে।উল্লেখ্য, এর আগেও বাংলাদেশের এক রাজনৈতিক মিছিলে ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে আলাদা করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন এনসিপি নেতা হাসনাত। সেই মন্তব্যের পরই দিল্লি কড়া অবস্থান নেয়। বাংলাদেশের হাইকমিশনার মহম্মদ রিয়াজ হামিদুল্লাহকে তলব করে স্পষ্ট জানানো হয়, এই ধরনের উস্কানিমূলক মন্তব্য ভারত কোনওভাবেই বরদাস্ত করবে না। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনার পর স্পষ্ট, সেই বার্তা এখনও পুরোপুরি কার্যকর হয়নি বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal