• ৩ আষাঢ় ১৪৩২, বৃহস্পতি ১৯ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

MP

রাজ্য

সদ্যজাতকে চুরির অভিযোগে তোলপাড় রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, তদন্ত শুরু

সদ্যজাত শিশু চুরির অভিযোগে তোলপাড় বীরভূমের রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। এই ঘটনায় হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। শিশু চুরির অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, সোমবার মুরারই থানার বাহাদুরপুর গ্রাম থেকে এক সন্তান সম্ভবা মহিলাকে ভর্তি করা হয় রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে। ওই দিনই তিনি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন গৃহবধূ। তার দেখভালের জন্য সঙ্গে ছিলেন মা। বুধবার সকালে গৃহবধূর মা চা আনতে হাসপাতালের বাইরে যান। সেই সুযোগে এক অজ্ঞাত মহিলা শিশুকে চুরি করে নিয়ে পালিয়ে যায়।গৃহবধূর মা রওশনা নেওয়া বলেন, আমি সকালে চা বিস্কুট কিনতে গিয়েছিলাম। মেয়ের পেটে ব্যাথা। তাই শুয়েছিল। ফিরে এসে দেখি সদ্যজাত নাতি নেই। মেয়েকে জিজ্ঞাস করলে বলে একজন মহিলা নিয়ে গেল। কথা বলতে বলতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন রওশনা। খবর পেয়ে প্রসূতি বিভাগে যান হাসপাতালের সুপার পলাশ দাস। তিনি বলেন, আমরা খবর পেয়ে প্রসূতির কাছে যাই। তার মুখ থেকে সমস্ত কথা শুনি। এটা দুর্ভাগ্যজনক। এমন ঘটনা কাঙ্ক্ষিত নয়। আমরা নিজেদের মতো করে তদন্ত শুরু করেছি। সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ধীমান মিত্র বলেন, আমরা কোনও লিখিত অভিযোগ পায়নি। হাসপাতাল থেকে ফোনে খবর পেয়ে তদন্ত শুরু করেছি। তবে হাসপাতালের বেশ কয়েকটি সিসি টিভি অকেজো। যেকটি সচল রয়েছে তার ছবি সংগ্রহ করে তদন্ত চালাচ্ছি। দেখা যাক কি হয়।

ডিসেম্বর ২১, ২০২২
কলকাতা

মদ্যপদের তাণ্ডব, সিভিক ভলেন্টিয়ারদের রাস্তায় ফেলে বেধরক মারধর

পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার ভোর রাতে কেষ্টপুর-সল্টলেক যোগাযোগ স্থাপনকারী নতুন ব্রিজের সামনে ডিউটি করছিলেন দুই সিভিক কর্মী। সেই সময় সল্টলেক থেকে কেষ্টপুরের দিকে যাচ্ছিলেন ৮জন মদ্যপ যুবক। তারা সিভিককে দেখে কটূক্তি করতে থাকলে তাদের আটকায় সিভিক ভলেন্টিয়াররা। তবে তাদের আটকাতেই সিভিকদের উপর চড়াও হয় ওই ৮জন বলে পুলিশের দাবি। সেই সময় দুই সিভিক কর্মীকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করে ওই মদ্যপরা। এরপরই ঘটনাস্থলে বিধাননগর পূর্ব থানার পুলিশ পৌঁছালে সেখান থেকে পালিয়ে যায় তারা। তবে ওই এলাকা থেকে দুজন মদ্যপ যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত দুজনের নাম প্রীতম সিং এবং কৃষ্ণ সিং, দুজনেই বিহারের বিহারের বাসিন্দা। কলকাতায় অনলাইন ডেলিভারির কাজের সঙ্গে যুক্ত। আহত সিভিক কর্মীদের বিধাননগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আজ অভিযুক্তদের বিধাননগর আদালতে তোলা হবে। পুলিশ তাদের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এই যুবকদের সঙ্গে যুক্ত বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে বিধাননগর পূর্ব থানার পুলিশ।

ডিসেম্বর ১৪, ২০২২
রাজ্য

হুগলী শিল্পাঞ্চলের বেদখল জমি পুনরুদ্ধারের ডাক দিয়ে শ্রীরামপুরে মিছিল বাংলা পক্ষর

বাংলা পক্ষ হুগলীর শ্রীরামপুরে এক ঐতিহাসিক মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। শ্রীরামপুরের বান্ধবসমিতির মোড় থেকে আরএমএস (RMS) ময়দান হয়ে বটতলা, জিটি রোড হয়ে মাহেশে এসে এই মিছিল শেষ হয়। হুগলী নদীর পাড়ের দখল হয়ে যাওয়া শিল্পাঞ্চলের প্রচুর সহযোদ্ধা এই মিছিলে যোগদান করে। স্থানীয় বাঙালির স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে এই মিছিলের সমর্থনে পা মেলায়।রবিবাসরীয় এই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বাংলা পক্ষের সাধারন সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায়, শীর্ষ পরিষদ সদস্য কৌশিক মাইতি, অরিন্দম বিশ্বাস, মনন মণ্ডল, কালাচাঁদ চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। এছাড়াও হুগলী জেলার সম্পাদক দর্পণ ঘোষ, কলকাতা জেলা সম্পাদক অরিন্দম চ্যাটার্জী, উত্তর ২৪ পরগণা (শিল্পাঞ্চল) এর সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ ও উত্তর ২৪ পরগণা (শহরাঞ্চল) এর সম্পাদক পিন্টু রায়।মিছিল শেষে সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলা পক্ষের সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন দখল হয়ে যাওয়া হুগলী নদীর দুই পাড় পুনরুদ্ধার করতে হবে। ডানকুনির লজিস্টিক হাব সহ হুগলী শিল্পাঞ্চলে যে কাজের সুযোগ তৈরী হচ্ছে, সেখানে বাঙালির কাজ চাই। বাংলা পক্ষ আজ ঐতিহাসিক মিছিল করল। এই মিছিল দেখে হুগলীর বাঙালি তথা বাংলার বাঙালি বুকে বল পাবে। বাঙালির জনজোয়ার বুঝিয়ে দিচ্ছে গঙ্গার দুপারে বহিরাগতদের রাজত্ব শেষ হওয়া সময়ের অপেক্ষা।সংগঠনের শীর্ষ পরিষদ সদস্য তথা সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি বলেন রিষড়া, ভদ্রেশ্বর, চাঁপদানী বিহার না বাংলা বোঝা যায় না, বেশীর ভাগ কাউন্সিলার বহিরাগত, চারদিকে সিং গজিয়ে উঠছে। যে সিং বাঙালিকে গোঁতাতে আসবে আমরা তা ভোঁতা করে দেব। বাংলার চাকরি, কাজ, বাজার, পুঁজি সবকিছুর দখল আমরা চাই।শীর্ষ পরিষদ সদস্য তথা হুগলী জেলার ভূমি সন্তান মনন মণ্ডল বলেন, ব্যান্ডেল থেকে উত্তরপাড়া হুগলীর দুপাড়ে বাঙালি কোনঠাসা হয়ে গেছিল। বাংলা পক্ষর নেতৃত্বে বাঙালি আবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে৷ ৩০ বছরের কম বয়সী ছেলেমেয়েরা মিছিলে হাঁটছে৷ এটা আগামীর স্বপ্ন দেখায়।হুগলী জেলা সংগঠনের সম্পাদক দর্পণ ঘোষ বলেন এই মিছিলে বাঙালির মনে যে আলোড়ন তৈরী হল, তা ঘরে ঘরে বাঙালিকে জাগিয়ে তুলবে। বাঙালি নিজের অধিকার বুঝে নেবে। কারখানায় কাজ থেকে অটো, টোটো লাইন থেকে ফুটপাথ- সর্বত্রই আমরা বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠা করবো। যে স্বপ্ন আমরা ৫ বছর আগে দেখেছিলাম, জিটি রোডের উপর বাঙালির গর্জন বুঝিয়ে দিচ্ছে বাঙালি দ্রুত জাগছে।

ডিসেম্বর ১২, ২০২২
রাজ্য

মেমারি থেকে কাটোয়া রেল প্রকল্পের আশ্বাস দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট প্রচার শুরু বিজেপি সাংসদ আলুওয়ালিয়া'র

পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলীয় কর্মীদের নিয়ে সভা করলেন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ এস এস আলুওয়ালিয়া। শনিবার পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর বিধানসভার কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। পাশপাশি, এদিন মেমারি ২ ব্লকে সাতগেছিয়া এলাকায় একটি হিমঘরে এই পঞ্চায়েত সম্মেলন ও বিশেষ সাংগঠনিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়।পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় কর্মীরা কিভাবে কাজ করবেন, কোন কোন বিষয়গুলিকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মানুষের কাছে তুলে ধরা হবে সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এদিনের বৈঠকে সাংসদ ছাড়াও ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি অভিজিৎ তা ও অন্যান্যরা।সাংসদ এস এস আলুওয়ালিয়া বলেন, মেমারি কাটোয়া ভায়া মন্তেশ্বর একটি রেল লাইন করার দাবি দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে। এই রেল লাইন চালু হলে এলাকার মানুষের উপকার হবে। এই এলাকায় মানুষের উৎপাদিত ফসল সহজেই অন্যত্র পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে। এই রেলপথ দ্রুত চালু করতে চেষ্টা করা হচ্ছে।

ডিসেম্বর ১০, ২০২২
রাজ্য

বর্ধমানে কঙ্কালেশ্বরী কালিমন্দির প্রাঙ্গনে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন ১০১ জোড়া পাত্রপাত্রী

বর্ধমানের কঙ্কালেশ্বরী কালিমন্দির প্রাঙ্গনে রবিবার রাতে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন ১০১ জোড়া পাত্রপাত্রী। এই মহাযজ্ঞের আয়োজন করেন বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস। কাউন্সিলর থাকাকালীন তিনি কঙ্কালেশ্বরী কালিবাড়ি গণবিবাহ কমিটির মাধ্যমে এই গণবিবাহ শুরু করেন। এটা নবমতম বর্ষ। এদের মধ্যে ১৪ জোড়া মুসলিম বাকিরা সবাই হিন্দু। নিজের নিজের ধর্মের নিয়ম মেনেই বিয়ে হল তাদের।এদিনের বিয়ের আসরে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ও চন্দ্রনাথ সিনহা। ছিলেন জেলা সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, সাংসদ সুনীল মণ্ডল, সাংসদ অসিত মাল, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিমাই চন্দ্র সাহা, জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা, জেলার পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন। ছিলেন বিধায়ক তথা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় সহ আরো একঝাঁক বিধায়ক।গণবিবাহ হলেও আয়োজনের খামতি ছিল না। সকাল থেকেই কাঞ্চননগর সহ শহরে ছিল সাজোসাজো রব। বেশ সুন্দর করে মণ্ডপ সাজানো হয়। ছিল আলোকসজ্জা আর সাউণ্ড সিস্টেম।বেলা গড়াতেই টোটো চেপে হাজির হন বরসহ বরযাত্রীরা। তেমনি কনের বাড়ির লোকেরাও হাজির হন। উপস্থিত ছিলেন পুরোহিত ও কাজীরা। যেমন তেমন করে বিয়ে কিন্তু হয়নি। আয়োজকরা সব খরচ দিয়েছেন। পাত্র ওঁ পাত্রীকে দেওয়া হয়েছে সোনার আংটি আর নাকছাবি। যৌতুক হিসাবে দেওয়া হয়েছে কালার টিভি, বিছানা, সাইকেল, সেলাই মেশিন থেকে আরো অনেক দানসামগ্রী। আর দেওয়া হয়েছে জীবন বিমার পলিসি। দেওয়া হয়েছে চাল, আলু, আটা থেকে একমাসের মত রেশন। এছাড়াও পাত্রপক্ষ ও কনেপক্ষের পঞ্চাশজন আত্মীয়ের ভুরিভোজের ব্যবস্থা ও ছিল।

ডিসেম্বর ০৫, ২০২২
রাজ্য

পুরীতে জাল হোটেল বুকিংয়ের অনলাইন ফাঁদ, সতর্ক করল কলকাতা পুলিশ

বাঙালির ভ্রমণের অন্যতম প্রধান ডেস্টিনেশন জগন্নাথধাম পুরী। এই সিজনে পর্যটকদের ভীড় আরও বারবে। সেই পুরীতে অনলাইন হোটেল বুকিং নিয়ে সতর্ক করল কলকাতা পুলিশ। বুধবার কলকাতা পুলিশ ফেসবুক পোস্ট করে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছে। কিভাবে প্রতারণা চক্র সক্রিয় থাকে তা বোঝার জন্য টিপস দিয়েছে কলকাতা পুলিশ।কি লিখেছে কলকাতা পুলিশ?পুরীতে ছুটি কাটাবেন? ভালো কথা। অনলাইনে খুঁজে পেতে হোটেলের ওয়েবসাইট বের করলেন। বুকিং সংক্রান্ত প্রশ্ন নিয়ে ওয়েবসাইটে দেওয়া হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর অথবা ইমেইল-এ যোগাযোগ করলেন। উত্তরও এলো, ঘর ভাড়া বাবদ ৫০ শতাংশ টাকা অগ্রিম পাঠাতে হবে। আপনি পাঠিয়ে দিলেন। কিন্তু পুরীতে নেমে হোটেলে পৌঁছে দেখলেন, আপনার নামে কোনও বুকিং তো হয়ইনি, ওই ৫০ শতাংশ টাকাও হোটেলের কাছে আসেনি। বস্তুত, আপনার অস্তিত্ব সম্পর্কেই জানে না তারা!পরে আপনি জানতে পারলেন, ওই ওয়েবসাইটটি জাল, এবং কিছু জালিয়াত দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে সেখানে দেওয়া ফোন নম্বর ও ইমেইল আইডি।কলকাতাবাসীর কাছে পুরীভ্রমণের জনপ্রিয়তা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মধ্যে এই পুরীরই কিছু হোটেলের নাম করে এই ধরনের একাধিক জালিয়াতির অভিযোগ জমা পড়েছে লালবাজারের সাইবার থানায়। আমাদের তদন্ত তো চলছে বটেই, তবে এই সুযোগে অনলাইন লেনদেন সম্পর্কিত কিছু প্রাথমিক সতর্কতামূলক পদক্ষেপ আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিলাম: ১। ডোমেইন নেম, অর্থাৎ লিঙ্কটি খুঁটিয়ে দেখুন, হোটেল বা অন্যান্য পরিষেবা প্রদানকারীর নামের সঙ্গে সঙ্গতি আছে কিনা যাচাই করুন২। লিঙ্কে ক্লিক করার পর পেজ খুললে লিঙ্কের পাশে তালা চিহ্ন আছে কিনা দেখুন। এতে পেজটি সুরক্ষিত কিনা তা বোঝা যায়৩। ওয়েবসাইট চেকার এবং নিরাপদে ইন্টারনেটে বিচরণ করার প্রক্রিয়া অর্থাৎ সেফ ব্রাউজিং টুল ব্যবহার করুন৪। ওয়েবসাইটে বানান ভুল, কাঁচা হাতের ডিজাইন, ইত্যাদি দেখলে সাবধান হন৫। ওয়েবসাইটের বয়স অর্থাৎ ডোমেইন এজ যাচাই করতে অনলাইন সার্চ করুন৬। অবিশ্বাস্য ভালো কোনওরকম অফার দেখলে সাবধান হন৭। হোটেল বুকিংয়ের ক্ষেত্রে ওই হোটেলে থেকেছেন এমন গ্রাহকদের রিভিউ খুঁজুন, বা কোনও স্ক্যাম-এর রিপোর্ট আছে কিনা সার্চ করে দেখুন৮। শিপিং বা রিটার্ন পলিসি জাতীয় তথ্য ভালো করে পড়ুন৯। কী কী পেমেন্ট অপশন আছে তা ভালো করে দেখে নিন১০। নানারকম বিশ্বস্ততার পরিচয়, অর্থাৎ ট্রাস্ট সিগনাল, যেমন বিবিধ পুরস্কারের উল্লেখ ইত্যাদির দ্বারা প্রভাবিত হবেন না১১। ওয়েবসাইটে ভাইরাস স্ক্যান করুন

নভেম্বর ৩০, ২০২২
রাজনীতি

ফিরহাদ হাকিমের সাথে ভাইপোর লড়াইয়ে বোমা পড়বে! ভবিষ্যত বানী বিজেপি নেতার

বোম তৈরি করা আর সবাইকে বোম ছোড়া, এটাই তৃণমূল কংগ্রেসের কালচার। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে না এটা তার আভাস। কালীঘাটেও বোমা পড়বে, যেদিন ফিরহাদ হাকিমের সাথে ভাইপোর লড়াই হবে বোমা পড়বে আমরা দেখবো। মঙ্গলবার বর্ধমানে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই মন্তব্য করেন বিজেপি নেতা সৌমিত্র খাঁ এর। তিনি আরও বলেন, এই ফিরহাদ হাকিম একদিন কালীঘাটে পাথর ছুঁড়েছিল। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, তৃণমূলের উন্নয়ন মানে পারিবারিক উন্নয়ন। একই সাথে বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাসকে একহাত নেন তিনি। বর্ধমানে যত অপসংস্কৃতি খোকন দাস এনেছেন, উনি বর্ধমানের কেষ্ট হয়ে গেছেন। খুব তাড়াতাড়ি উনি যাবেন বলে মন্তব্য করেন সৌমিত্র খাঁ।মঙ্গলবার বর্ধমান জেলা বিজেপি কার্যালয়ে কার্যাকারিনী বৈঠকে উপস্থিত হয়েছেন সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।

নভেম্বর ২৯, ২০২২
রাজ্য

বর্ধমানে পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে স্বজন পোষণের মারাত্মক অভিযোগ পঞ্চায়েত সদস্যদের

সারা রাজ্য জুড়ে শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে যখন রাজ্য রাজনীতি সরগরম। ঠিক সে সময় পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে শাসক দলের পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে স্বজন পোষণের মারাত্মক অভিযোগে উঠল। ঘটনার জেরে এলাকায় শোরগোল পরেছে। বিষয়টি নিয়ে এদিন গলসি ১ নং ব্লক বিডিওকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন লোয়া রামগোপালপুর পঞ্চায়েতের ৮ জন পঞ্চায়েত সদস্য। এদিন ওই পঞ্চায়েতের ১৪ জন সদস্যের মধ্যে ৮ জন বিডিওকে লিখিত অভিযোগ জানান। জানা গেছে, ওই পঞ্চায়েতে ভিসিটি অর্থাৎ ভেক্টর ডিজিস কন্ট্রোল টিমের জন্য দুটি শুন্যপদ রয়েছে। অভিযোগ, সেই পদে নিয়োগের জন্য পঞ্চায়েত প্রধান নিজের ছেলের নামই রেজুলেশন করে পাঠান লোয়া রামগোপালপুর পঞ্চায়েত প্রধান পম্পা রুইদাস।পঞ্চায়েত সদস্যরা জানিয়েছেন, পঞ্চায়েতে ভিসিটি নিয়োগের জন্য আবেদন জমা করেছে এলাকার বেশ কিছু বেকার যুবক যুবতী। তবে সেই পরিপ্রেক্ষিতে পঞ্চায়েতে জেনারেল মিটিং না করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাঁরা জানান, আচমকা টেলিফোনে গ্রাম সংসদ সভার মিটিং ডেকে সদস্য সদস্যাদের ফাঁকা রেজুলেশনে স্বাক্ষর করিয়ে নেন প্রধান। তারপরই রেজুলেশন কপি বিডিও অফিসে পাঠিয়ে দেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। পঞ্চায়েত প্রধানের এমন কাজে মুখ খুলেছে বিরোধী দল বিজেপি।তবে গলসি ১ নং ব্লকের বিডিও দেবলীনা দাস জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত কোনও নিয়োগ হয়নি। লোয়া রামগোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে দুটি ভ্যাকেন্সি আছে। ওখান থেকে একটি রেজুলেশন পেয়েছিলাম। সেখানে দুইজনের নাম পাঠানো হয়েছিল। আজকে কয়েকজন এসে অভিযোগ করে গেছেন। তাঁরা বলছেন ওই মিটিং এ আমরা ছিলাম না। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।

নভেম্বর ২৮, ২০২২
রাজ্য

অসুস্থ মেয়ে দৈব বলে সুস্থ হবে, আশায় মন্দিরে হত্যে দিয়ে পড়ে মা ও কন্যা

চিকিৎসায় মেয়ে সুস্থ না হলেও বিশালাক্ষী রঙ্কিনীদেবী মাতার কৃপাতেই সুস্থ হয়ে উঠবে বিকলাঙ্গ মেয়ে। এমন বিশ্বাসে ভর করে সেই কোজাগরী লক্ষ্মী পূর্ণিমার দিন থেকে অসুস্থ মেয়ে ঋতু মুদিকে সঙ্গে নিয়ে দেবীর মন্দিরে হত্যে দিয়ে পড়ে আছেন মা তাপসী মুদি। তাঁদের এখন ঠিকানাই হয়ে গিয়েছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার গোপিকান্তপুর গ্রামে থাকা রঙ্কিনীদেবীর মন্দির। ঘর বাড়ি সব ছেড়ে এসে দিন রাত সেখানে থেকেই মেয়ের সুস্থতার জন্য দেবীর কাছে প্রার্থনা করছেন অসহায় মা। এইসব কিছুকে এলাকার বিজ্ঞান মনস্ক ব্যক্তি ও চিকিৎসকরা টেরা চোখে দেখলেও তাপসীদেবী দাবি করেছেন, তাঁর মেয়ে রঙ্কিনী দেবীর কৃপায় সুস্থ হচ্ছে।জামালপুরের চকদিঘী পঞ্চায়েত এলাকার প্রত্যন্ত গ্রাম গোপিকান্তপুর। এই গ্রামের এক পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে ডাকাতিয়া খাল। সেই খালের পাশেই রয়েছে বিশালাক্ষী রঙ্কিনীদেবী মাতার প্রাচীন মন্দির। বিকলাঙ্গ হয়ে পড়া মেয়ে ঋতুকে সুস্থ করে তুলতে মা তাপসী দেবীও ভরসা রেখেছেন রঙ্কিনীদেবী মাতার উপরেই।গোপিকান্তপুর গ্রামের মুদি পাড়ায় বাড়ি তাপসী দেবীর। তাঁর স্বামী যাদব মুদি পেশায় খেত মজুর। দারিদ্রতাই তাঁদের নিত্যসঙ্গী। তাপসীদেবী জানান, তাঁর মেয়ে ঋতু ছোট থেকে সুস্থই ছিল। পড়াশুনাও করছিল গ্রামের বাণী নিকেতন রঙ্কিনী মহুলা বিদ্যালয়ে। ক্লাস সিক্সে পড়ার সময়েই ঋতুর শারীরিক অসুস্থতা দেখা দিতে শুরু করে। ওই সময়ে ঋতুর মুখ দিয়ে লালা ঝরা শুরু হয়, কথাও জড়িয়ে যেতে থাকে। এমনকি কমতে শুরু করে দুই হাতের শক্তি ও দুপায়ে দাঁড়ানোর ক্ষমতা। তাপসীদেবী বলেন, তখন থেকেই চিকিৎসার জন্য ঋতুকে কোলে করে নিয়ে আমি ও আমার স্বামী বিভিন্ন জায়গার ডাক্তার বাবুর কাছে যাই। অনেক কষ্ট করে পয়সা জোগাড় করে ডাক্তার বাবুদের লিখে দেওয়া ওষুধ কিনে মেয়েকে খাইয়েছি। মেয়ের অনেক শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করান। এই ভাবে বছরের পর বছর ধৈর্য্য ধরে বর্ধমান হাসপাতাল সহ বিভিন্ন ডাক্তার বাবুর পরামর্শ মেনে সব কিছু করেন। তা করাতে গিয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে চিকিৎসা করানোর সব টাকাও শেষ হয়ে যায়। ছোট বয়স থেকে চিকিৎসা শুরু হওয়া মেয়ের বয়স এখন ১৯ শে পৌঁছেছে। কিন্তু মেয়ে সুস্থ হয় নাই। রোগটার নাম সেরিব্রাল পলসি (সিপি)।তাপসীদেবী বলেন,রঙ্কিনীদেবী মাতা আমায় স্বপ্নে দেখা দেন। দেবী মা আমাকে আদেশ করেন, আমার অসুস্থ মেয়েকে সুস্থ করার জন্য আমায় মেয়েকে নিয়েই মন্দিরে পড়ে থাকতে হবে। তাই রঙ্কিনীদেবীর আদেশ মতই এই বছরের কোজাগরী লক্ষ্মী পূর্ণিমার দিন ঘর বাড়ি সব ছেড়ে অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে দেবীর মন্দিরে চলে আসেন। সেই থেকে মন্দির সন্মুখের আটচালায় ঠাঁই নিয়ে দেবীর কাছে শুধুই মেয়ের সুস্থতা কামনায় দিন রাত প্রার্থনা জানিয়ে যাচ্ছেন বলে তাপসীদেবী জানান।এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান গৌরসুন্দর মণ্ডল বলেন,দেবীর মাহত্ম্যে অসুস্থ মেয়ে সুস্থ হয়ে ওঠছে কিনা এইসব নিয়ে কোন যুক্তি তক্কে তিনি যেতে চান না। কারণ প্রবাদই আছে ,বিশ্বাসে মিলায় বস্তু- তর্কে বহু দূর। গৌরসুন্দর বাবুও স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তিনিও বিশ্বাস করেন দেবী বিশালাক্ষী রঙ্কিনী মাতার কৃপায় অনেক অসম্ভবই সম্ভব হতে পারে। বিজ্ঞানমঞ্চের সভাপতি চন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায় বলেন, মঙ্গলে রকেট যাচ্ছে। আর এখনো মানুষ এসব বিশ্বাস করছে। আমরা গ্রামে যাবো।

নভেম্বর ২৩, ২০২২
রাজ্য

নামি কোম্পানির নকল চাল পাচার করার অভিযোগে একটি চালবোঝাই লরি বাজেয়াপ্ত

একটি চালবোঝাই লরি বাজেয়াপ্ত করেছে পূর্ব বর্ধমানের মাধবডিহি থানার পুলিস। একটি নামি কোম্পানির ব্যাণ্ডেড নকল চাল লরিতে করে পাচার করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। বস্তায় অন্য কোম্পানির ছাপ মারা নকল চাল পাচারের অভিযোগে লরিটির চালককে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতের নাম কৃষ্ণগোপাল ঘোষ। কেতুগ্রাম থানা এলাকায় তার বাড়ি। পুলিস জানিয়েছে, রবিবার রাতে মাধবডিহি থানা এলাকার একটি রাইস মিল থেকে চাল লোড করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সন্দেহ হওয়ায় পুলিস সেটিকে আটকায়।চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিসের সন্দেহ হয়, একটি নামি কোম্পানির নকল চাল লরিতে করে পাচার করা হচ্ছিল। এর সঙ্গে বর্ধমান শহরের বাদামতলা এলাকার এক ব্যবসায়ী জড়িত। ধৃত চালককে সোমবার বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতের আইনজীবী জানান, চালকের পক্ষে কোনটি আসল চাল, আর কোনটি নকল চাল তা জানা সম্ভব নয়। মূল অভিযুক্তকে পুলিস ধরতে পারেনি। চালককে গ্রেপ্তার করে কোর্টে চালান করেছে।ধৃতকে হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদনও জানায়নি পুলিস। সরকারি আইনজীবী অবশ্য জামিনের বিরোধিতা করেন। দুপক্ষের সওয়াল শুনে মূল অভিযুক্ত ধরা না পড়া এবং ধৃত লরির চালক ও হেফাজতে নেওয়ার আবেদন না জানানোর কথা উল্লেখ করে তদন্ত শেষ না পর্যন্ত সপ্তাহে ৩ দিন তদন্তকারী অফিসারের কাছে হাজিরার শর্তে ধৃতের জামিন মঞ্জুর করেন সিজেএম।

নভেম্বর ১৫, ২০২২
রাজ্য

চার জেলার ডিস্ট্রিক্ট ডিভিশনাল লেভেল ইয়ুথ পার্লামেন্ট প্রতিযোগীতা শুরু বর্ধমানে

চারটে জেলা নিয়ে ডিস্ট্রিক্ট ডিভিশনাল লেভেল ইয়ুথ পার্লামেন্ট প্রতিযোগিতা এবার পূর্ব বর্ধমানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ১১ই নভেম্বর শুক্রবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাপবাগ ক্যাম্পাসের দূরশিক্ষা বিভাগের অডিটোরিয়ামে আনিষ্ঠানিক ভাবে শুভ উদ্বোধন হল। চারটে জেলা নিয়ে ডিস্ট্রিক্ট ডিভিশনাল লেভেল ইয়ুথ পার্লামেন্ট প্রতিযোগিতা শুরু হতে চলেছে পূর্ব বর্ধমানে । প্রতি জেলা থেকে ২টি করে স্কুল ও কলেজ নিয়ে এই প্রতিযোগিতা। অংশগ্রহণ করছে চার জেলা। পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, হুগলি ও বীরভূম জেলা নিয়ে ১১ ও ১২ নভেম্বর পূর্ব বর্ধমান জেলার বর্ধমান বিশ্ব বিদ্যালয়ের দূরশিক্ষা বিভাগ ক্যাম্পাসে আজ থেকে শুরু হলো এই প্রতিযোগিতা।আলাদা আলাদা চারটে বিষয়ের উপর প্রতিযোগতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। চারটে জেলা ৩২ টি স্কুল কলেজের ৩২০ জন প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছে এই প্রতিযোগিতায়। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারীদের জন্য পুরস্কার রয়েছে ১লাখ, ৭৫ হাজার ও ৫০ হাজার টাকা। আজকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, জেলা সভাধিপতি সম্পা ধারা, জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা, সহকারী জেলাশাসক সানা আখতার। এছাড়াও চার জেলার বিধায়ক রাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ তাঁর বক্তব্যে বলেন, এই ধরনের অনুষ্ঠান বাংলার যুব সমাজকে সঠিক পথে চালনার করার জন্য খুব-ই দরকারি। তিনি অতীত ও বর্তমান কালের বিশিষ্ঠ সাংসদ দের নাম উল্লেখ করে বলেন, তাঁদের নাম চিরকাল সংসদে বা বিধানসভায় স্মরণ করা হবে। এই ধরনের অনুষ্ঠান থেকেই হয়ত ভবিষ্যতের নামকরা সাংসদ বিধায়ক উঠে আসবে।মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার নিজেকে ৭৭ বছরের যুবক সম্বোধন করে বলেন, শরীরে বয়সটা গৌন মনের বয়সটাকে বাড়তে দিতে নেই। তিনি বলেন, ভারতের প্রথম মক পার্লামেন্ট-র সাক্ষী ছিলেন। সে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ যারা করেছিলেন তাঁদের অনেকেই পরবর্তীকালে ভারতবর্ষের বিখ্যাত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসাবে পরিচিত হয়েছিলেন। তিনি পার্লামেন্টের বিভিন্ন কাজ সবিস্তারে ব্যখ্যা করেন।পূর্ব-বর্ধমান জেলার জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই পূর্ব বর্ধমান জেলাকে ভেনূ হিসাবে নির্বাচিত করার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞ্যাপন করেন উর্ধতন কতৃপক্ষকে। তিনি বলেন, মোট চারটে জেলা যথা পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম ও হুগলীর মোট ৩২টা স্কুল কলেজ মিলিয়ে এই প্রোগ্রামে ৩২০ জন প্রতিযোগী এই প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহন করছে। তিনি আরও বলেন মোট চারটি বিভাগের এই প্রতিযোগিতায় যুব সংসদ, কুইজ, তাৎক্ষনিক বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তিনি সকল প্রতিযোগীদের সাফল্য কামনা করে অগ্রিম শুভেচ্ছা জানান। প্রিয়াঙ্কা সিংলা আরও বলেন, বিজয়ী-র পুরস্কার থাকলেও; পুরষ্কারের থেকে গুরুত্বপূর্ন প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করা।

নভেম্বর ১১, ২০২২
রাজ্য

ক্যারাটে জেলা চ্যাম্পিয়নশিপ অনুষ্ঠিত হল বর্ধমান শহরে

অল ইন্ডিয়া সোতোকান ক্যারাটে ডু স্কুলের উদ্যোগে সোতোকান ডিস্ট্রিক্ট ক্যারাটে চ্যাম্পিয়নশিপ অনুষ্ঠিত হল বর্ধমানে। বর্ধমানের লোকো কমিউনিটি হলে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের ছাত্রছাত্রীরা অংশগ্রহণ করেন। আয়োজকরা জানান, কাতা (ডেমোস্ট্রেশন) ও কুমিতে(ফাইটিং) এই দুই বিভাগে বয়স অনুপাতে মোট ৯৬ টি ইভেন্ট ছিল। প্রত্যেকটি ইভেন্টে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীদের সার্টিফিকেট ও স্মারক দেওয়া হয় সংস্থার পক্ষ থেকে।এই প্রতিযোগিতা থেকে স্বর্নপদক প্রাপ্তরা সরাসরি জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় সম্পূর্ণ বিনা খরচে অংশগ্রহণ করতে পারবেন বলে সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এই প্রতিযোগিতায় মোট ২১০ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেছিল। এই প্রতিযোগিতায় উপস্থিত ছিল সংস্থার স্টাইল চীফ মনোরঞ্জন বিশ্বাস, রেনসি সেখ মুন্না, রেনসি নিরঞ্জন সাউ, রেনসি দেবব্রত মন্ডল, সেনসাই আশিষ পুরকাইত সহ একাধিক ক্যারাটে প্রশিক্ষক।

নভেম্বর ০৬, ২০২২
রাজ্য

বাংলার বিদ্যুৎ দপ্তরের এর চাকরিতে ডোমিসাইল চালু, বাংলা পক্ষর দীর্ঘ আন্দোলনের ফসল

বিদ্যুৎ দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার সহ সমস্ত চাকরিতে ভিন রাজ্যের কর্মীতে ভরে যাচ্ছিল, বঞ্চিত হচ্ছিল বাঙালি ছেলেমেয়েরা। বাংলা পক্ষের দাবী, এমনও দেখা যাচ্ছিলো চাকরি পাওয়া ৪১ জন ইঞ্জিনিয়ারের ৩৪ জন ছিল বাইরের রাজ্যের। কিন্তু অন্য রাজ্যে বিদ্যুৎ দপ্তরে বাঙালি চাকরি পায় না, কারণ সেই রাজ্যের স্থানীয় ভাষার পেপার বাধ্যতামূলক ও ডোমিসাইল আছে। ২০১৯ থেকে বাংলা পক্ষ লাগাতার আন্দোলন শুরু করে বিদ্যুৎ দপ্তরের হেডকোয়ার্টার বিদ্যুৎ ভবনে। বারবার ডেপুটেশন, বিক্ষোভ চলতে থাকে। তাঁরা বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সাথে বারংবার সাক্ষাৎ করে আসল চিত্রটা বোঝানোর চেষ্টা করেন৷ বাকি রাজ্য কি ভাবে নিয়োগ করে তাঁর বিস্তারিত নিয়ম ডকুমেন্ট আকারে জমা করা হয় বিদ্যুৎ মন্ত্রীর কাছে। সেই আন্দোলনের ফলে এর আগেই বিদ্যুৎ বিভাগের চাকরিতে বাংলা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক হয়েছিল। সেখানেই বাংলা পক্ষ থেমে থাকেনি। তাঁরা বাঙালি ইঞ্জিনিয়ারদের কথা দিয়েছিল, এর থেকেও বড় সুখবর তাঁরা দেবে বলে। বৃহস্পতিবার এলো সেই সুখবর। বিদ্যুৎ দপ্তরের কোম্পানী WBSETCL এর চাকরিতে ডোমিসাইল চালু করার নোটিফিকেশন জারী করা হয়। বাঙালি ছেলেমেয়েদের চাকরি ও কাজের স্বার্থে বাংলা পক্ষ নিরলস পরিশ্রম করে চলেছে। বাংলার মাটিতে যাতে কোনো বাঙালি ছেলেমেয়ে বঞ্চিত না হয়, সেজন্যই এই সংগঠন তৈরি বলে তাঁরা মনে করেন। শুধু বাঙালি না, প্রতিটা ভূমিসন্তানের চাকরি ও কাজে অধিকারের জন্য তাঁরা লড়াই করছে বলে বাংলা পক্ষের দাবী।বাংলা পক্ষের শীর্ষ পারিষদ কৌশিক মাইতি জনতার কথা কে জানান, বাংলার ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে এই সিদ্ধান্তের জন্য তাঁরা বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে ধন্যবাদ জ্ঞপন করেন। তাঁরা ধন্যবাদ জানান বাংলার সরকারকে। আগামীতে বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা WBSEDCL এও চাকরিতে ডোমিসাইল চালু হবে, সেই দাবিতেই লড়াই করছে বাংলা পক্ষ। আশা করি আগামীতে WBSEDCL সহ সব রাজ্য সরকারি দপ্তরে চাকরির পরীক্ষা বাংলা ভাষার পেপার বাধ্যতামূলক হবে এবং ডোমিসাইল চালু হবে বল তাঁদের আশা।

নভেম্বর ০৩, ২০২২
বিদেশ

গুলিবিদ্ধ পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, সিসিটিভি ফুটেজে কি দেখা গেল?

এবার গুলিবিদ্ধ পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। মিছিল চলাকালীন তাঁকে গুলি করা হয়েছে বলেই খবর। কয়েক বছর আগে পাকিস্তানের আরেক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো নির্বাচনী প্রচারে নিহত হয়েছিলেন। তবে এক্ষেত্রে গুলিবিদ্ধ হলেও ইমরান বিপন্মুক্ত বলেই জানা গিয়েছে। ঘটনার সময় ইমরান তাঁর মিছিল নিয়ে ইসলামাবাদের দিকে যাত্রা করেছিলেন। আক্রমণকারী যুবককেও পাল্টা গুলি করা হয়েছে বলে খবর।তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর প্রবীণ নেতা ফারুক হাবিব প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর গুলিবিদ্ধ হওয়ার কথা স্বীকার করে টুইট করেছেন, কাপুরুষদের মুখোশ খুলে গেল। ইমরান খান আহত। আল্লাহ তাঁকে রক্ষা করুক। গোটা জাতির ইমরান খানের জীবনের জন্য প্রার্থনা করা উচিত। জানা গিয়েছে এই রাজনীতিক তথা প্রাক্তন পাক ক্রিকেট দলের অধিনায়কের পায়ে গুলি লেগেছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বেশ কিছুক্ষণ পরে গুলিকাণ্ডের নিন্দা করেছেন। তবে গুলিকাণ্ডের পিছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র দেখছে ইমরানের অনুগামীরা।জানা গিয়েছে, গুলি চালনার ঘটনায় ইমরানের দলের এক কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। গুজরানওয়ালার আল্লাহওয়ালা চকে বিশেষ ক্যাম্পে সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য তোরজোড় চলছিল তখনই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। তবে আক্রমণকারীরা কতজন ছিল তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা গিয়েছে, মোটরসাইকেলে একজন বন্দুক হাতে ছিল। ওই ব্যক্তি নাভিদ বলে পরিচিত। গুলির আওয়াজ শুনতেই নাভিদকে ধরে ফেলে উত্তেজিত জনতা। গনপিটুনির পর তাঁকে পাল্টা গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে এই নাভিদের পিছনে কে তা এখনও স্পষ্ট হয়নি।

নভেম্বর ০৩, ২০২২
রাজ্য

পূর্ব বর্ধমানে অনুষ্ঠিত হবে চার জেলার ইয়ুথ পার্লামেন্ট প্রতিযোগিতা, জানালেন জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা

চারটে জেলা নিয়ে ডিস্ট্রিক্ট ডিভিশনাল লেভেল ইয়ুথ পার্লামেন্ট প্রতিযোগিতা এবার হতে চলেছে পূর্ব বর্ধমানে। এই নিয়েই আজ অংশগ্রহণকারী চার জেলা নিয়ে এক প্রশাসনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো পূর্ব বর্ধমানের বিডিএ হলে। উপস্থিত ছিলেন ডিভিশনাল কমিশনার বিজয় ভারতী, পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধারা, জেলা শাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা, শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ এবং অন্য তিনটি জেলার নোডাল অফিসাররা সহ ডিআই সেকেন্ডারি, ডিআইও।জানা গেছে, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, হুগলি ও বীরভূম জেলা নিয়ে 11 ও 12 নভেম্বর পূর্ব বর্ধমান জেলায় এই প্রতিযোগিতা হবে বর্ধমান বিশ্ব বিদ্যালয়ের দূরশিক্ষা বিভাগ ক্যাম্পাসে। আলাদা আলাদা চারটে বিষয়ের উপর প্রতিযোগতা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিযোগীদের থাকা খাওয়া ও নিরাপত্তা নিয়েই আজকের বৈঠক বলে জানান বিজয় ভারতী। তিনি বলেন, চারটে জেলা থেকে চারটি জেলা থেকে 32 টি স্কুল কলেজের 320 জন প্রতিযোগী অংশ নেবে। প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারীদের জন্য পুরস্কার রয়েছে 1লাখ, 75 হাজার ও 50 হাজার টাকা।

নভেম্বর ০৩, ২০২২
রাজ্য

নিখোঁজ পোস্টারের হিড়িক, এবারে সাংসদ এস এস আহলুয়ালিয়া নিখোঁজের পোস্টার!

এবারে সাংসদ নিখোঁজের পোস্টার পড়ল বর্ধমানে। বিজেপি সাংসদ এস এস আহলুয়ালিয়া নিখোঁজ এই শিরোনাম দিয়ে পোস্টার পড়েছে অনাময় হাসপাতালের এলাকার আশেপাশে।এলাকার মানুষ জানিয়েছেন ; আজ সকালে তারা দেখেন কে বা কারা ওই পোস্টার লাগিয়ে গেছে।এ নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বর্ধমানে।এমনিতেই সাংসদ নির্বাচিত হবার পর থেকেই তাকে এলাকায় পাওয়া যায় না এই অভিযোগ রয়েছে।কোনো কর্মসূচিতেও তাকে তেমন দেখা যায়নি এই আড়াই বছরের বেশি সময়কালে। এমনকি দীর্ঘ কোভিড সংক্রমণের সময়ে বা কোনো বিপর্যয়ের পরে তাকে দেখা যায়নি বলেও অভিযোগ। বিধানসভার ভোটে বিজেপি হারার পরে বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষ চলাকালীন কর্মীরা তাকে পাননি বলেও দলের অভ্যন্তরে ক্ষোভ রয়েছে।যদিও বিজেপি যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক সুধীরঞ্জন কুমার সাউ জানাচ্ছেন ; এটা নির্ঘাত তৃণমূল কংগ্রেসের কাজ। এটা মিথ্যা প্রচার।উনি এলাকায় নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন। নানা সমস্যায় পাশে দাঁড়ান। এমনকি তৃণমূল কংগ্রেসের বহু কর্মী ওনার দ্বারা উপকৃত। আর সাংসদ হিসেবে নানা কাজের জন্য ওনাকে দিল্লি থাকতেই হবে। এর সঙ্গে তিনি একথাও বলেন; এটা সিপিএমের কাজও হতে পারে।এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস জানান ; এটা নতুন কিছু নয়। যেখানেই উনি জেতেন ; মানুষ তাকে পায়না। এটা মানুষের ক্ষোভ। সাধারণ মানুষ হয়তো ক্ষোভপ্রকাশ করে এই পোস্টার দিয়েছেন। ওদের কর্মীরাই ওকে নানা সময়ে পাননি। তা নিয়েও ক্ষোভ রয়েছে ওদের দলেই। তারাও পোস্টার দিয়ে থাকতে পারেন। এসব কাজে তৃণমূল কংগ্রেসের কেউ যুক্ত থাকেন না।

অক্টোবর ৩১, ২০২২
রাজ্য

ছট উৎসবের মুখে কুলটিতে বিহারীবাবুর নামে নিখোঁজ পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য

দীপাবলি উৎসব পেরিয়ে দেশ জুড়ে ছট উৎসবের প্রস্তুতি শুরু। এই পরিস্থিতি তে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রেও বিভিন্ন ছট ঘাট পরিদর্শন সহ তার সংস্কার সাধন করা হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। বাজারে পুজার সামগ্রী কেনার ব্যস্ততা বেড়েছে ক্রেতা বিক্রেতাদের মধ্যে। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যয় কুলটির স্টেশন রোড অঞ্চলে এলাকার সংসদ শত্রুঘ্ন সিনহার নিখোঁজের পোস্টার ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়ে। যদিও এই পোস্টার কে বা কারা লগিয়েছে তার স্পষ্ট কোনো ধারণা পাওয়া যায়নি। তবে পোস্টের তলায় লেখা রয়েছে আসানসোলের বিহারী সমাজ। উল্লেখ্য শত্রুঘ্ন সিনহা নিজেও বিহারীবাবু হিসাবে পরিচিত।তবে পোস্টারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় তৃণমুল পুরপিতা সেলিম আখতার আনসারি বলেন এটি নিশ্চিত ভাবেই কোনো পাগলের কাজ। অন্যদিকে স্থানীয় জিসান কুরেশি নামের ব্যক্তি বলেন পোস্টার কারা লাগিয়েছে জানা নেই। তবে পোস্টারের বক্তব্য সত্যি। ছট উৎসবেও নিজের সাংসদ এলাকায় বিহারীবাবুর দেখা নেই। যখন তার নিজের উপস্থিতিতে এলাকার পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি তে নজর দেওয়া ও স্থানীয় জনগণের পাশে দাঁড়ানো উচিৎ ছিল। অন্য দিকে কুলটি ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতি বিমান দত্ত জানিয়েছেন এটি পুরোপুরি বিজেপির চক্রান্ত। তারা কোনো ভাবেই রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের সাথে পেরে উঠছে না। তাই নানা ছলে তৃণমূলের বদনাম করতে চাইছে। এলাকায় পরিষেবা দেওয়ার কাজ পুরনিগমের। যা যথার্থ ভাবেই পালিত হচ্ছে। এলাকার সংসদ প্রতিনিয়ত মেয়রের সাথে যোগাযোগ রেখে চলছেন।

অক্টোবর ২৮, ২০২২
রাজ্য

ডাম্পার ও বাইকের দুর্ঘটনায় বর্ধমানের জামালপুরে মৃত্য হল এক যুবকের

মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল বাইক আরোহীর। ঘটনা কে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের থানা মোড় সংলগ্ন এলাকায়। বেপরোয়া ডাম্পারের ধাক্কা মোটরসাইকেলে। আরোহী ছিটকে পড়েন রাস্তায়। তারপরেই ডাম্পারের চাকায় পিষ্ঠ হয়ে মর্মান্তিক পরিনতি বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা গেছে। ঘাতক ডাম্পারটিকে আটক করেছে পুলিশ। চালক ও খালাসি পলাতক। মৃত বাইক আরোহীর নাম উজ্জ্বল কোটাল। বয়স ২৩ বছর। বাড়ি হুগলীর খানাকুলের রঘুনাথপুর এলাকায়। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ বর্ধমান মর্গে।জানা গেছে, সুজিপুর থেকে জামালপুর হয়ে খানাকুল ফিরছিলেন উজ্জ্বল কোটাল বাইকে। সে সময় জামালপুর নেতাজী মাঠ এলাকায় থানা মোড় সংলগ্ন রাস্তায় বেপরোয়া ডাম্পার পিছন থেকে বাইকে ধাক্কা মারলে বিপত্তি ঘটে। কিছুক্ষণের জন্য মেমারী তারকেশ্বর রাস্তায় ব্যহত হয় যান চলাচল। জামালপুর থানার পুলিশ দ্রুত হাজির হয় ঘটনাস্থলে। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। ঘাতক ডাম্পারের চালক খালাসি র খোঁজ চলছে ।

অক্টোবর ২৮, ২০২২
নিবন্ধ

'রামের মূর্তি' কিছুতেই সরানো গেলনা রানীর শয়ন কক্ষ থেকে, জানুন বুন্দেলখন্ডের ইতিহাস

বুন্দেলখন্ড, ভারতের মানচিত্রে অতি প্রাচীন ভুখন্ড বলে পরিচিত। বিন্ধ্য পর্বতমালার দক্ষিণে, শাল, সেগুন, পলাশের জঙ্গলের মধ্যে বেতোয়া নদীর ধারে অবস্থিত এই রাজ্য। বুন্দেল রাজারা প্রায় ২০০ বছর এই রাজ্যে রাজত্ব করেছিলেন, যার রাজধানী ছিল ওরছা। সারা রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন ভাঙা পাঁচিল, বাড়ি, বাড়ির দেওয়াল, কুলুঙ্গি সেই গৌরবময় দিনের সাক্ষী । বেতোয়া নদীর ধারে এই বংশের রাজাদের স্মৃতি সৌধ দেখলে তাদের সৌর্য বীর্যের কথা বোঝা যায়। এই স্মৃতি সৌধ গুলো কে বলা হয়, ছত্রী। কথিত আছে, কিংবদন্তি রাজা মধুকর শাহ ছিলেন কৃষ্ণ ভক্ত, তাঁর রানী গণেশ কুমারী ছিলেন রাম ভক্ত। রানী অযোধ্যা থেকে রামের মূর্তি নিয়ে এলেন পুজোর জন্য। রামের জন্য বানানো হলো চতুর্ভুজ মন্দির। মন্দির তো হলো, তবে রামের মূর্তি রানীর শয়ন কক্ষ থেকে সরানো গেলনা কিছুতেই। ফলে রাজা রানীর মহলকেই মন্দির বানিয়ে দিলেন তার নাম হলো রাজারাম মন্দির, এখানেই একমাত্র শ্রী রাম পূজিত হন রাজা রাম হিসেবে। রানী চলে গেলেন অন্য মহলে। আর চতুর্ভুজ মন্দিরে পরে প্রতিষ্ঠিত হলেন বিষ্ণু।বুন্দেলা বংশের সব থেকে উল্লেখ্যযোগ্য রাজা ছিলেন বীর সিং বুন্দেলা। তিন প্রজন্ম ধরে তৈরী হতে থাকা রাজপ্রাসাদ, শেষ করলেন তিনি, নাম দিলেন রাজা মহল। বীর সিংয়ের সময়ে দিল্লীতে রাজত্ব করছেন বাদশা আকবর।বারবার বুন্দেলাদের আক্রমণ করে ক্ষত বিক্ষত করার চেষ্টা করছেন,কিন্তু হার মানবার পাত্র ছিলেন না বীর সিং। খুঁজে বের করলেন আকবরকে জব্দ করার কৌশল। সপ্তদশ শতাব্দীর শুরুর দিক, বাদশা আকবরের পুত্র, রাজকুমার সেলিম বাবার বিরুদ্ধে গিয়ে আগ্রা ছেড়েছেন, আশ্রয় নিয়েছেন, বেনারসের কেল্লায়। বীর সিং, বন্ধুত্বের হাত বাড়ালেন সেলিমের দিকে। দুজনে মিলে, আকবরের বিশ্বস্ত আবুল ফজল কে হত্যা করার ফন্দি করলেন, বারে বারে আকবর এঁদের আঘাতে আহত হতে থাকলেন।ভারতের মানচিত্রে অতি প্রাচীন ভুখন্ড বুন্দেলখন্ডশেষে ১৬০৫ এ আকবরের মৃত্যুর পর, সেলিম, জাহাঙ্গীর নাম নিয়ে মুঘল সিংহাসনে বসলেন। তবে বন্ধু বীর সিং কে জাহাঙ্গীর মনে রেখেছিলেন শেষ দিন পর্যন্ত। বাদশা হবার পর বীর সিং এর নিমন্ত্রণ রক্ষার জন্য একবার তিনি ওরছা আসেন। তাই তৈরি করা হয় অপূর্ব পাঁচ মহলা জাহাঙ্গীর মহল। অপূর্ব তার নকশা আর অপূর্ব তার স্থাপত্য পরিকল্পনা। রাজপুত ও ইসলামীয় রীতি মিশিয়ে এক অনন্য সৃষ্টি। বুন্দেলা রীতি অনুযায়ী প্রতি ঘরে বা দেওয়ালে অসংখ্য কুলুঙ্গি লক্ষ্য করা যায়। ছাদ থেকে গোটা ওরছা শহরটাকে বড়ো সুন্দর দেখতে লাগে। পাথরের জাফরির কাজ যে কি অদ্ভুত হতে পারে, তা এই প্রাসাদ না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। ভাবতে অবাক লাগে, এই সাত মহলা প্রাসাদে কেউ কোনোদিন থাকেনি। পরবর্তী কালে এটি শুধু অতিথি শালা হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। তবে আজ এই বিশাল রাজধানী আজ সবার কাছে অবাঞ্ছিত। সেই দিনের জাক জমক আজ যেন কোথায় হারিয়ে গেছে কালের চাকায়।শ্রেয়া ঘোষ, (বর্ধমান)

অক্টোবর ২৬, ২০২২
রাজ্য

চায়না আলোর দাপটে ম্রিয়মাণ মাটির দীপাবলীর মাটির প্রদীপ

এক সময় পুজোর আগে থেকেই শুরু হত দীপাবলীর জন্য মাটির প্রদীপ তৈরির কাজ। দুর্গা পুজো, লক্ষী পুজো পরপর পেরিয়ে গেলেও হুশ থাকতো না বর্ধমানের মৃত্শিল্পীদের। ঠিক সময় অর্ডারী মাল তৈরি করতে হবে। সেই জন্য নাওয়া খাওয়া ভুলে শুধু মূত্শিল্পীরা নন কার্যত গোটা পরিবার প্রদীপ তৈরিতে ব্যস্ত থাকত। শুধুকি বর্ধমান শহর,শহর ছাড়িয়ে নীলপুরের মাটির প্রদীপ গোটা জেলায় এমন কি ভিন জেলাতেও পৌঁছে যেত। সময় বদলেছে,বদলেছে মৃতশিল্পীদের কাজের ধরণ। বদলেগেছে মানুষের চাহিদাও। ঝাচকচকে এলিডি টুনিতে মজেছে সকলো ব্রাত্য হয়ে পড়েছে মাটির প্রদীপ।এখন আর সেই রকম অর্ডার পাতি হয় না।চাহিদা কমে গেছে তবুও মৃত্শিল্পীরা প্রদীপ তৈরি করেন। বাপ-ঠাকুরদার পেশা কি করেই বা ছেড়ে অন্য পেশায় যাবে। তাই চাহিদা না থাকলেও প্রতি বছরই প্রদীপ তৈরি করেন। ছোট,পাতি,মাঝারি,সাজার সহ বিভিন্ন ধরণের প্রদীপ তৈরি করেন। এক সময় কালী পুজোর আগে নীলপুরের মৃৎশিল্পীদের উঠোনে পা ফেলার জায়গা থাকতো না। শরতের রোদ বৃষ্টি খেলার মাঝেই গোটা উঠোন জুড়ে দীপাবলীর প্রদীপ শুকানো হত। আগে গোটা পাড়ায় ৩০ ঘরের বেশী বাড়িতে প্রদীপ বানানো হত। চাহিদা কমে যাওয়ায় এখন মাত্র তিন থকে চারটি বাড়িতে প্রদীপ তৈরি হয়। নতুন প্রজন্ম জীবিকার টানে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছেন। চাহিদা কমে যাওয়ায় এখন সংকটে মৃৎশিল্পীরা। বাজারে সল্প মূল্যের রীন টুনির হরেকরেকমবা দাপটে পিছিয়ে পড়েছে কুমোর পড়ার গরুর গাড়ি থুরি মৃত্শিল্পীরা।

অক্টোবর ১৭, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • ...
  • 32
  • 33
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

১০০ দিনের কাজ নিয়ে হাইকোর্টে বড় ধাক্কা কেন্দ্রীয় সরকারকে

গতকালই ওবিসি মামলায় হাইকোর্টে জোরদার ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। এবার ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বড় ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার নজিরবিহীন একটি নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পশ্চিমবঙ্গে ফের ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প চালু করতে হবে, এই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ১ আগস্ট থেকেই এই প্রকল্প চালু করতে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ।উল্লেখ্য, বাংলায় ১০০ দিনের কাজের টাকা বহুদিন ধরে আটকে রেখেছে কেন্দ্র, এই অভিযোগ করে আসছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রাজ্য সরকারের একাধিক মন্ত্রী এই ব্যাপারে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বারবার সমালোচনায় সরব হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে লাগামহীন দুর্নীতি হয়েছে। এই দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্র বেশ কয়েকটি দলও বাংলার জেলায় জেলায় পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী আদালতে জানিয়েছিলেন, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গে মোট ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে গরমিল ধরা পড়েছে।। তার মধ্যে ২ কোটিরও বেশি টাকা পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে। হুগলি, মালদা, বর্ধমান, দার্জিলিংয়ের মতো জেলাগুলিতে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। ১০০দিনের কাজের প্রকল্পে টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে বেনজির দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রের।রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প আটকে থাকা নিয়ে মামলার শুনানি বুধবার ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনেছেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এরপর প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছেন যে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের জন্যই বিশেষ কোনও বেঁধে দিতে পারে কেন্দ্র। এই রায়ের পর সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ১০০ দিনের পুরনো বকেয়া টাকা ফেরত দিতে হবে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর

পাঁচ লক্ষ টাকা তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর এবং সালিশি করে গ্রাম ছাড়া করার অভিযোগ উঠলো স্থানীয় একদল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকায়। এই ঘটনায় আক্রান্ত ব্যবসায়ীর পরিবার কালিয়াচক থানার দ্বারস্থ হলেও চারদিন পরে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে বুধবার ওই ব্যবসায়ী দম্পতি সমস্ত ঘটনার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানালেন পুলিশ সুপারের কাছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব। এদিকে কালিয়াচকের ওই ব্যবসায়ীর ওপর আক্রমণ এবং পাঁচ লক্ষ টাকা তোলাবাজির ঘটনায় রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলার সর্ববৃহৎ ব্যবসায়ীদের সংগঠন মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বারবার যদি ব্যবসায়ীদের ওপর দুষ্কৃতীদের হামলা নেমে আসে, তাহলে আমরা যাব কোথায়। অবিলম্বে পুলিশ সুপার যাতে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে, সেই আবেদন জানাচ্ছি। এদিকে পুলিশকে অভিযোগে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকার পোশাক ব্যবসায়ী মহম্মদ রহিম বিশ্বাস জানিয়েছেন, পুরনো একটি মামলার ঘটনায় গত শনিবার এলাকার এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী জহরুল খান এবং তার দলবল তাকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাদের একটি ডেরায় তাঁকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর পাঁচ লক্ষ টাকার তোলা চাওয়া হয়। সেই টাকা না দেওয়ায় আশেপাশের আরও কিছু সাগরেদদের জুটিয়ে সালিশি ডাকা হয়। সেই সালিশির মাধ্যমে তাদের পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। আর এই ঘটনার পর থেকেই গত চারদিন ধরেই ওই ব্যবসায়ী পরিবার নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন হয়ে রয়েছেন। এমনকি ফতেখানি স্ট্যান্ডের কাছে ওই ব্যবসায়ী তার নিজের পোশাকে শোরুম খুলতে পারছেন না।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

বাংলা দিবস পালন নিয়ে বিজেপিকে কড়া তোপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

বাংলা দিবস পালন নিয়ে ফের বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে বাগযুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। আগামী ২০ জুন বাংলা দিবস পালন করা হবে বলে উত্তরপ্রদেশের বিশেষ সচিব পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি দফতরকে একটি চিঠি দিয়েছে। আলাদা করে বাংলা দিবস পালনের দিন নির্ধারণ নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ইস্যুতে BJP-র কড়া জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২০ জুন প্রতিটি রাজ্যের রাজভবনে বাংলা দিবস পালন করা হবে বলে ঠিক করা হয়েছে। এই তারিখ কীভাবে ঠিক করা হল? দেশ স্বাধীন হয়েছে ১৫ আগস্ট। বাংলার প্রতিষ্ঠা দিবস আপনারা ঠিক করে দেবেন? বিজেপি ইচ্ছা মতো চাপিয়ে দেবে? এটা বাংলাকে চরম অসম্মান বলে আমরা মনে করছি। বাংলা দিবস বাংলার সরকার পালন করবে। সেটা ১ বৈশাখ।এদিন কেন্দ্রকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রীর আরও তোপ, সব বুলডোজ করছে, দেশে জুমলা সরকার চলছে। পেহেলগাঁওয়ের পর সবাই বিশেষ অধিবেশন ডাকার কথা বলেছে। বিরোধীরা সবাই অধিবেশন ডাকার কথা বলেছিল। কেন বিশেষ অধিবেশন ডাকা হবে না?একশো দিনের কাজের টাকা চার বছর ধরে বন্ধ করেছে। আবাস যোজনার টাকা দিচ্ছে না। রাজ্য সরকার নিজে সেই টাকা খরচ করে উন্নয়ন বজায় রেখেছে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

ভাগীরথী সেতুতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, লরির চাকায় পিষ্ঠ হয়ে মৃত্যু রোগীর

মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ভাগীরথী সেতুর উপর ঘটল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বুধবার দুপুরে চলন্ত লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। মৃতের নাম হরেন মণ্ডল (৬৩)। তিনি ঝাড়খণ্ডের পাকুর জেলার বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।জানা গিয়েছে, বুধবার সকালেই অসুস্থতা জনিত কারণে হরেন মণ্ডলকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পুত্রবধূ। দুপুরে বৌমা ফুলতলা বাজারে ফল কিনতে গেলে অনেকক্ষণ কেটে গেলেও তিনি না ফেরায়, চিন্তায় পড়ে বৃদ্ধ খুঁজতে বের হন। খুঁজতে খুঁজতে উঠে পড়েন ভাগীরথী সেতুর উপর। সেই সময় এক চলন্ত লরির সামনে পড়ে যান তিনি। অসাবধানতাবশত লরির চাকায় পিষ্ট হন হরেন মণ্ডল। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ ও রঘুনাথগঞ্জ সদর ট্রাফিক গার্ড। কিছু সময়ের জন্য সেতুর উপর যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে পুলিশ ব্যবস্থা নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ কী, লরি চালকের গাফিলতি ছিল কিনাতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।এই দুর্ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর এমন মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার ও হাসপাতাল চত্বরে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পরেও কি ভাবে রাজ্য সড়কে পৌছালো ঐ রুগী তা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে একলাবাসীর মধ্যে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

রায়নার বিধায়কের কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী

রায়নার বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভাতেই বিধায়ক শম্পা ধারা কন্যা সন্তান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে হাজির হন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নাম রাখেন ঐশী। আশাপূরণ হওয়ায় শম্পা ধারা বেজায় খুশি। মেয়ের অন্নপ্রাসন অনুষ্ঠানের দিনও নির্দিষ্ট করে ফেলেছেন বিধায়ক। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য শম্পা ধারা এদিন মুখ্যমন্ত্রী সহ সকল বিধায়ককে নিমন্ত্রণও করেন।শম্পা ধারার কন্যার এখন বয়স মাত্র সাড়ে চার মাস। বাংলার অগ্নিকন্যা তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্তত তাঁর কন্যার নামকরণ করে আশীর্বাদ করুন, এমনটাই স্বপ্ন ছিল রায়নার তৃণমূল বিধায়কের। সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষে নিজের শিশু কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে সোমবার দুপুরে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের সামনে পৌছে যান পূর্ব বর্ধমানের বিধায়ক। মুখ্যমন্ত্রী ঘর থেকে বের হতেই বিধায়ক শম্পা তাঁর কন্যার নামকরণ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেন। নিজের দলের বিধায়কের সেই অনুরোধ ফেরাননি মুখ্যমন্ত্রী।শম্পা ধাড়া জানান, চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি তাঁর কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে। শম্পা ধারার কথা অনুযায়ী নাম করণ করে দেওয়ার পর তাঁর মেয়ের মাথায় হাত দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশীর্বাদ করেছেন। এটাই তো তাদের কাছে অনেক বড় পাওয়া। এর জন্য তিনি গর্বিত বোধ করছেন।তাঁর খুব আনন্দও হচ্ছে।

জুন ১৭, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

কেশরী চ্যাপ্টার টু, ইতিহাস বিকৃত করার ভয়ঙ্কর অভিযোগ

ইতিহাসের একটি পরিচিত অধ্যায় ইংরেজ শাসনের সময় বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী ও বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বোস ও প্রফুল্ল চাকী কুখ্যাত ইংরেজ জাজকে বধ করার চেষ্টা করেছিল। এর ভিত্তিতে ক্ষুদিরাম বোসের ফাঁসি হয়েছিল এবং প্রফুল্ল চাকীও পুলিশের হাতে যাতে ধরা না পড়ে তার জন্য নিজের প্রাণ নিজের হাতে নিয়েছিল। বিধাননগর দক্ষিণ থানাতে অভিযোগ এসেছে যে একটি সিনেমা ইদানিংকালে লাইভ স্ট্রিমিং হচ্ছে সিনেমাটির নাম হচ্ছে কেশরী চ্যাপ্টার টু। সেই সিনেমাটি জিও হটস্টারে দেখানো হচ্ছে লাইভ স্ট্রিমিং এর মাধ্যমে সেখানে একটা দৃশ্যে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম বোসের নামকে ক্ষুদিরাম সিং বলা হয়েছে এবং প্রফুল্ল চাকির সেখানে কোন উল্লেখ নেই।বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী অরবিন্দ ঘোষের ছোট ভাই বিরেন্দ্র কুমার ঘোষ তিনি ও বিপ্লবী ছিলেন উনার নামটাকে বারিন্দ্রা কুমার বলে বলা হচ্ছে। শুধুমাত্র ঐতিহাসিক তথ্যগুলোকে বিকৃত করা হয়নি, বরঞ্চ স্বাধীনতা সংগ্রামী যারা আছেন তাদের নামটাকে বিকৃত করে তাদের গরিমাটাকে কিছুটা হলেও ম্লান করার চেষ্টা হয়েছে এবং করা হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে একটা কেস করা হয়েছে। এটাও দেখানো হয়েছে খুদিরাম বোস এবং বারিন্দ্র ঘোষ ওনারা অমৃতসরের ছাত্র ছিলেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগটা করা হয়েছে। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিধান নগর দক্ষিণ থানাতে একটি কেস রুজ করা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।

জুন ১৭, ২০২৫
কলকাতা

ভূয়ো কল সেন্টারের পর্দা ফাঁস, বাগুইআটিতে গ্রেফতার ৬

গোপন সূত্রে প্রাপ্ত সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বাগুইহাটি থানা অধীনস্ত সৃষ্টি অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল এবং পর্দা ফাঁস করে একটি ভুয়ো কল সেন্টারের। অভিযুক্তরা বিভিন্ন রাজ্যে সমাজের প্রান্তিক শ্রেণীর মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ করত এবং কম সুদে ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের কস্টার্জিত অর্থ হাতিয়ে নিতো।স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগের ভিত্তিতে বাগুইআটি থানায় কেস নাম্বার ৩৮২/২০২৫ মামলা রুজু হয়। এই অভিযানে মোট ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং উদ্ধার হয়েছে বহু বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ইত্যাদি। এই মামলার তদন্ত চলছে। ধৃতদের আজ আদালতে পেশ করা হলে তাদের প্রত্যেকের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন মঞ্জুর হয়। মামলার তদন্ত চলছে।

জুন ১৭, ২০২৫
রাজ্য

তৃণমূলের দলীয় বৈঠকে মমতাবালাকে কটুক্তির অভিযোগ, উপপ্রধানকে গ্রেফতারের দাবি

দলীয় বৈঠক তৃণমূল উপপ্রধানের গালাগাল ও কটুক্তির শিকার তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতা ঠাকুর। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন তৃণমূল কর্মী। সরব হলেন মতুয়া ভক্তরা। পার্থ ভৌমিকের সম্পর্কে কিছু কথা বলার জন্যে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে, আর কিছু নয় বলে দাবি তৃণমূল জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের।একুশে জুলাই এর প্রস্তুতি সভা ছিল সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙ্গায়। অভিযোগ, সেখানে বক্তব্য রাখার সময় গোপালনগর চৌবেরিয়া ১ নাম্বার গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করেন। এমনকি বৈঠক শেষে মমতা ঠাকুর বাইরে বের হলে তাঁকে উদ্দেশ্য করে সুনীলসহ আরও কয়েকজন কটুক্তি করে এবং অশ্লীল অঙ্গিভঙ্গি করে, এমনকি তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়। এবং ছোট জাত বলে আক্রমণ করা হয়। এই মর্মে সোমবার রাতে সব্যসাচী ভট্ট নামে এক তৃণমূল কর্মী গাইঘাটা থানায় এফ আই আর দায়ের করেন। অভিযোগ করার সময় সব্যসাচীর সঙ্গে ছিলেন মতুয়া ভক্তরা ও গোসাইরা। অভিযুক্তর গ্রেফতারের দাবি করেন তারা। তারা বলেন, মাকে গালাগালি দেওয়া মানে আমাদের মতুয়া সমাজকে গালি দেওয়া। এটা আমরা কোনওভাবেই মেনে নেব না। ২৪ ঘন্টার মধ্যে যদি অভিযুক্তকে গ্রেফতার না করা হয় তাহলে তীব্র প্রতিবাদ হবে।এই বিষয়ে অভিযুক্ত চৌবেড়িয়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার জানিয়েছেন, মমতা ঠাকুর বক্তব্য রাখতে গিয়ে নানা কথার মধ্যে দিয়ে জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস ও পার্থ ভৌমিককে আক্রমণ করছিল। আমি শুধু প্রতিবাদ করে বলেছি আপনাদের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের বৈঠকে এটা আলোচনা করবেন। আমি যদি উনাকে গালাগাল করে থাকি সেটা প্রমাণ করুক। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যদিও বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস জানিয়েছেন, গতকাল একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় চেয়ারম্যান পার্থ ভৌমিক সম্পর্কে কিছু কথা বলাতে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আর কিছু নয়। তৃণমূলের সভায় মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালাগাল ও জাত তুলে কটুক্তি নিয়ে কটাক্ষ করা প্রসঙ্গে শান্তনু ঠাকুর বলেন, ওদের নেত্রী হরিচাঁদ গুরুচাঁদ নিয়ে যা বলেছেন তাতে ছোট নেতা কি বলবে। মমতা ঠাকুর হারিকাঠে গলা দিয়েছে, কি হবে বুঝতে পারছে না। ওর লজ্জা ঘৃণা ভয় কিছু নেই। এই বিষয়ে মমতা ঠাকুরবালার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

জুন ১৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal