• ২৩ আশ্বিন ১৪৩২, সোমবার ১৩ অক্টোবর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

MLA

রাজ্য

রাজ্যের মন্ত্রী, তৃণমূলের বিধায়ক ও নেতার বাড়িতে সাতসকালে ইডির হানা

সন্দেশখালির ঘটনার পর ফের ময়দানে ইডি। এবার শহর কলকাতায় ত্রিফলা অভিযানে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। শুক্রবার সকালে সল্টলেক সিজিও কমল্পেক্স থেকে ইডির একাধিক দল বিভিন্ন দিকে বেরোয়। রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর বাড়িতে হানা দেয় ইডি। এরই পাশাপাশি বরাহনগরের তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের বাড়িতেও পৌঁছে যায় ইডির আরও একটি দল। এছাড়াও উত্তর দমদম পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবোধ চক্রবর্তীর বাড়িতেও পৌঁছে যায় ইডির অন্য একটি দল। মূলত পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তেই এই অভিযান বলে খবর।শুক্রবার সাতসকালে রাজ্যের এক মন্ত্রী ও আরেক বিধায়কের বাড়িতে হানা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিরা। সুজিত বসুর দুটো বাড়িতেই হানা দেয় ইডি। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি তল্লাশি চলছে বলে জানা গিয়েছে। একইসঙ্গে তল্লাশি চলছে বরানগরের বিধায়ক তাপস রায়ের বৌবাজারের বাড়িতে। উত্তর দমদম পুরসভার প্রাক্তন প্রধান সুবোধ চক্রবর্তীর বিরাটির খলিসাকোটার বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে ইডির আধিকারিকরা। পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির এই তল্লাশি বলে জানা গিয়েছে।

জানুয়ারি ১২, ২০২৪
কলকাতা

লেকটাউন যেন মিনি পার্কস্ট্রিট, সৌজন্যে দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু

বড়দিন লেকটাউন পরিণত হয় মিনি পার্কস্ট্রিটে। রীতিমতো টেক্কা দিচ্ছে পার্ক স্ট্রিটকে। রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর তত্ত্বাবধানে শ্রীভূমি স্পোটিং ক্লাবের ব্যবস্থাপনায় লেকটাউন পরিণত হল মিনি পার্কস্ট্রিটে। বছরের শেষ কটা দিন আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠে শহরবাসী। পার্কস্ট্রিটে অ্যালেন পার্কে ভিড় জমান লক্ষ লক্ষ মানুষ। সেই ভিড় এবার লেকটাউন শ্রীভূমিতে।গত কয়েক বছর ধরে লেকটাউনে শুরু হয়েছে পৌষ পার্বন উৎসব। সেই উৎসব রবিবার সন্ধ্যায় উন্মোচন হল সুজিত বসুর হাত ধরে। এদিন এক বর্ণাঢ্য শোভা যাত্রার মাধ্যমে উৎসবের সূচনা করেন মন্ত্রী। শোভাযাত্রায় সান্তা ক্লজ থেকে শুরু করে বাঙালিদের পিঠেপুলি সবই সামিল। এক কথায় বড়দিনের প্রাক্কালে আলোয় সেজে উঠেছে শ্রীভূমি।

ডিসেম্বর ২৫, ২০২৩
রাজ্য

তৃণমূল বিধায়ক বাবাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছেন, নিম্ন আদালতে আবেদনের নির্দেশ বিচারপতির

জেলবন্দি মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবকৃষ্ণ সাহা। চলতি বছর এপ্রিলে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁকে কান্দির বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে সিবিআই। জীবনকৃষ্ণের বাড়িতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের তল্লাশির সময় মহানাটক হয়েছিল। নিজের ফোন পাঁচিল বেয়ে উঠে বাড়ির পাশে পুকুরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ ছিল শাসক দলের এই বিধায়কের বিরুদ্ধে। জীবনের গ্রেফতারের পরই অনেকে বিদায়কের প্রতাপ ও প্রভাব নিয়ে অনেক কথা বলেছিলেন। সেই তালিকায় ছিলেন জীবনকৃষ্ণের বাবা বিশ্বনাথ সাহাও। তাঁর দাবি নিয়ে শোরগোল পড়েছিল। বিশ্বনাথ সাহার দাবি ছিল, ছেলে বিধায়ক হওয়ার পর তাঁকে মারধর করে কান্দির বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে।ছেলের গ্রেফতারির পর নিজের কান্দির বাড়ি ফেরৎ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে অভিযোগ জানিয়ে একটি মামলা করেছিলেন বিধায়ক জীবনকৃষ্ণের বাবা বিশ্বনাথ। বুধবার সেই মামলা শুনলেন না বিচারপতি। উল্টে তা ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছেন নিম্ন আদালতে। এ দিন মামলাটি কলকাতা হাইোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে উঠলে তাঁর পরামর্শ ছিল, এটি একান্তই পারিবারিক একটি বিষয়। নিম্ন আদালতে আবেদন করা হোক।কান্দির বিধায়ক জীবনকৃষ্ণের বাবা বিশ্বনাথ সাহা অভিযোগ করেছিলেন যে, ২০২৩-য়ের প্রথম দিকে তাঁকে মারধর করে ছেলে বাড়ি থেকে বের করে দেন। ওই বাড়িতে তাঁর রেশন ডিলারশিপ অফিস ছিল। ছেলের ভয়ে এখন সেটা খুলতে পারছেন না তিনি। স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানালেও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি। পাল্টা পুলিশের দাবি, ওই বাড়িটি ভাড়ার, ওটার মালিকানা নিয়ে জটিলতা রয়েছে।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৩
রাজ্য

ফের নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের হানা, লক্ষ লক্ষ উদ্ধার বিধায়কের বাড়ি থেকে

নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে আবারও টাকা পাহাড় মিললো। এবার মুর্শিদাবাদের ডোমকলের তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়িতে মিলল কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা। টাকা গুণতে মেশিন আনেন তদন্তকারীরা। বিপুল পরিমাণ এই টাকার উৎসের খোঁজ শুরু করেছে সিবিআই। তবে বিধায়কের দাবি, একটি জমি বিক্রি করেই এই টাকা পেয়েছেন তিনি। জাফিকুল ইসলামের এই দাবির পিছনে সত্যতা রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।রাজ্যজুড়ে আজ ফের একবার ম্যারাথন তল্লাশি অভিযানে নামে সিবিআই। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কলকাতার একাধিক এলাকার পাশাপাশি কোচবিহার ও মুর্শিদাবাদে তল্লাশি অভিযানে নামে সিবিআই। রাজ্যে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তেই দিকে দিকে চলে এই অভিযান। মুর্শিদাবাদের ডোমকলের তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়িতে হানা দেন তদন্তকারীরা।সেই বাড়িতেই তল্লাশিতে মোট ২৪ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রের দাবি। তবে বিধায়ক নিজে দাবি করেছেন, এই টাকা একটি জমি বিক্রি মাধ্যমে তাঁর কাছে এসেছে। যদিও তৃণমূল বিধায়কের এই দাবির পিছনে আদৌ সত্যতা রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা নাগা জাফিকুল ইসলামের বাড়িতে ঢোকেন তদন্তকারীরা।জানা গিয়েছে, জাফিকুল ইসলামের বেশ কয়েকটি কলেজ রয়েছে। বিএড এবং ডিএড-এর পাশাপাশি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ রয়েছে তাঁর। এদিন বেশ কিছুক্ষণ তাঁর বাড়িতে তল্লাশির পর ওই বাড়িতে ব্যাঙ্ক আধিকারিকদের ডাকে সিবিআই। আনা হয় টাকা গোনার মেশিন। সূত্রের খবর মোট ২৪ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি থেকে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল জাফিকুলের।

নভেম্বর ৩০, ২০২৩
রাজনীতি

প্রবীণ সিপিএম নেতার বাড়িতে তৃণমূল বিধায়ক, কি নিয়ে আলোচনা?

দোর্দদণ্ডপ্রতাপ সিপিআইএম নেতা তরিৎ তোপদার, ব্যারাকপুরের বেশ কয়েকবারের সাংসদ। আরেজন রাজ চক্রবর্তী, চিত্র পরিচালক। পরে রাজনীতিতে যোগদান। ২০২১ সালে তৃণমূলের প্রতীকে ব্যারাকপুরেরই বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। রাজনীতির পরিসরে এই দুজন যুযুধান দুই শিবিরের। এবার ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সিপিআইএম সাংসদ তড়িৎবরণ তোপদারের বাড়িতে আচমকা দেখা গেল তৃণমূলের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীকে। হঠাৎ কেন এই সাক্ষাৎ? তা নিয়েই আপাতত জল্পনা তুঙ্গে।তবে এই সাক্ষাৎ রাজনৈতিক নয়, নেহাতই সৌজন্য বলে দাবি দুতরফেরই। কিন্তু, দাপুটে সিপিএম নেতার বাড়িতে তৃণমূল বিধায়কের যাওয়া নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।শুক্রবার প্রবীণ বাম রাজনীতিবিদ তড়িৎবরণ তোপদারের বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন ব্যারাকপুরের তৃণমূল বিধায়ক। জানা গিয়েছে, বেশ কিছুক্ষণ তাঁদের কথা হয়েছে। কী নিয়ে কথা হল?প্রাক্তন সাংসদ তড়িৎ তোপদারের পুত্র নীলাদ্রি সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, চিত্রপরিচালক তথা বিধায়ক রাজ ব্যারাকপুর নিয়ে একটি ছবি তৈরি করতে আগ্রহী। সেইসব নিয়ে আলোচনার জন্যই রাজ তড়িৎবাবুর বাড়িয়ে গিয়েছিলেন। নীলাদ্রি তোপদারের কথায়, উনি (রাজ চক্রবর্তী) একটি তথ্যচিত্র তৈরি করবেন। তাতে বাবার নানা কাজের কথা থাকবে।সেসব নিয়ে কথা বলতেই উনি এসেছিলেন। বাবা বাড়িতেই ছিলেন। তবে ঠিক কী কথা হয়েছে তা বলতে পারব না। অফিস থেকে ফিরে এসে জানতে পারি বাবার সঙ্গে ব্যারাকপুরের রাজনীতি নিয়ে কথা হয়েছে রাজের। ব্যারাকপুরের আগে কী পরিস্থিতি ছিল, তারপর কীভাবে অবস্থার বদল ঘটলো, এসবই কথা হয়েছে বলে জেনেছি।

সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৩
রাজ্য

এক ধাক্কায় কত বেতন বাড়ল বাংলার মন্ত্রী-বিধায়কদের বেতন?

শহিদ মিনারের নীচে এখন অবস্থানে বসে আছে ডিএ আন্দোলনকারীরা। মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। এদিকে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি করার কথা ঘোষণা করেন। এই ঘোষণায় এক ধাক্কায় অনেকটাই বাড়ল বিধায়ক মন্ত্রীদের বেতন। বাংলা দিবস নিয়ে বিধানসভায় আলোচনার শেষে এই বেতন বৃদ্ধির ঘোষণা করেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী।রাজ্য সরকারী কর্মীদের ডিএ বৃদ্ধি নিয়ে দীর্ঘদিন আন্দোলন চলছে। টানা শহিদ মিনারে বসে রয়েছেন সরকারী কর্মীরা। নতুন নিয়োগ বা উন্নয়ন প্রকল্পও থমকাচ্ছে অর্থের অভাবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের রাজ্যের বিধায়কদের বেতন দেশের মধ্যে সবচেয়ে কম। চলাফেরা, দুটো খাওয়া, সবই ওই টাকায় করতে হয়। সেটা পর্যবেক্ষণ করেই আমাদের সরকার তাই বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।কত বাড়ছে বেতন?মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা মোতাবেক- বিধায়ক, রাজ্যের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, বিধায়কদের বেতন একধাক্কায় ৪০ হাজার টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে।এতদিন বিধায়কদের বেতন ছিল প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা করে। তা বেড়ে হল ৫০ হাজার টাকা।রাজ্যের প্রতিমন্ত্রীরা এত দিন মাসে ১০ হাজার ৯০০ টাকা করে বেতন পেতেন। এখন তা বেড়ে হল ৫০ হাজার ৯০০ টাকা।পূর্ণমন্ত্রীদের বেতন ছিল ১১ হাজার টাকা। তাঁরা বেতন বাবদ এবার থেকে পাবেন ৫১ হাজার টাকা করে।বিভিন্ন ভাতা মিলিয়ে পূর্ণমন্ত্রীরা মন্ত্রীরা এখন থেকে প্রতি মাসে পাবেন দেড় লক্ষ টাকার বেশি। প্রতিমন্ত্রীরা পাবেন প্রায় ১ লক্ষ ৪৯ হাজার ৯০০ টাকা। বিধায়করা পেতে চলছেন মাসিক ১ লাখ ২১ হাজার টাকা বেতন। মুখ্যমন্ত্রী নিজে বেতন নেন না বলে জানিয়েছেন।মন্ত্রী, বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, আমরা মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণাকে সমর্থন করছি না। আমরা চাই আশাকর্মী, ভিলেজ পুলিশ, সিভিক পুলিশ, চুক্তিভিত্তিক সব শিক্ষক, ভোকেশনাল টিচাররা সম কাজে সম বেতন পাক। আর আমরা যখন হাউজে ছিলাম না তখন উনি একতরফাভাবে মন্ত্রী, বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধির ঘোষণা করেছেন।সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, কর্মীরা ডিএ বাড়াতে বললেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন টাকা নেই। কর্মীও বহু জায়গায় নিয়োগ হচ্ছে না। অথচ মন্ত্রী, বিধায়কদের বেতন বাড়ালেন উনি। এটাকেই বলে তেলা মাথায় তেল দেওয়া। বাংলার মানুষকে পুরোটায় নজর রাখতে অনুরোধ করছি। আদালতেও এটা আমরা জানাবো। আমরা আন্দোলন আরও জোরদার করবো।

সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২৩
রাজ্য

শর্তসাপেক্ষে আগাম জামিন নওশাদের, নির্দেশ মতো থানায় হাজিরা

সহবাস ও ধর্ষণ সংক্রান্ত মামলায় শর্তসাপেক্ষে আগাম জামিন মঞ্জুর হল ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির। সোমবার আগাম জামিন মঞ্জুর করেছে কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ।হাইকোর্টের নির্দেশ, তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করতে হবে নওশাদকে। হাইকোর্ট জানিয়েছে, তদন্তকারী আধিকারিকের অনুমতি ছাড়া রাজ্যের বাইরে যেতে পারবেন না নওশাদ। এছাড়াও, নওশাদ সিদ্দিকিকে সপ্তাহে দুদিন তাঁকে বউবাজার থানায় হাজিরা দিতে হবে।ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদের বিরুদ্ধে সহবাস, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ করেন মুর্শিদাবাদের ডোমকল শহর তৃণমূল কমিটির অন্যতম সাধারণ সম্পাদিকা। ওই তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতার বৌবাজার থানায় নওশাদ সিদ্দিকির বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের হয়। এফআইআরে অভিযোগকারিণীর দাবি, দেড় বছর আগে তাঁকে বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটে নিজের অফিসে আটকে রেখে ধর্ষণ করেছেন নওশাদ। পরে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েও বেশ কয়েক বার সহবাস করেছেন আইএসএফ বিধায়ক। অভিযোগ, এরপর অভিযোগকারিণী বিয়ের জন্য চাপ দিলে তাঁকে এড়িয়ে যেতে থাকেন নওশাদ। বিধায়ক কখনও নিজে, কখনও সহকারীদের দিয়ে তরুণীকে হুমকি দিয়েছেনএরপর গত ৭ জুলাই আগাম জামিনের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নওশাদ সিদ্দিকি। মামলা দায়েরের অনুমতি দেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নওশাদকে এদিন আগাম জামিন দিল কলকাতা হাইকোর্ট।

সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২৩
রাজ্য

জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ককে নাম না করে কটাক্ষ সাংসদ অর্জুন সিংয়ের

বর্ষা এলে মশা, মাছি, মৌমাছির উৎপাত বাড়ে। ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ে। ওষুধ দিলে ঠিক হয়ে যায়। নাম না করে দলীয় কার্যালয়ের জবরদখলের ঘটনায় এভাবেই জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যামকে কটাক্ষ করলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। কয়েকদিন আগেই ভাটপাড়া পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাটাডাঙ্গায় সম্মেলনী ক্লাব সন্নিহিত তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের দখলদারী নিয়ে আচমকা বির্তকের অভিযোগ উঠেছিল দলেরই একাংশের বিরুদ্ধে। এমনকি ওই কার্যালয়ে তৃণমূলের শ্রমিক ইউনিয়নের ব্যানার ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সেই খবর পৌঁছেছিল সাংসদ অর্জুন সিং এর কাছে। দিল্লি থেকে ফিরে শনিবার সাংসদ পৌছলেন ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সেই দলীয় কার্যালয়ে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর দেবপ্রসাদ সরকার। এছাড়াও ছিলেন তৃণমূল নেতা মন্নু সাউ ও অন্যরা। এদিন অর্জুন সিং বলেন, সিপিএম আমলে যখন কোথাও কোনও বসার জায়গা ছিল না এটাই ছিলো আমাদের দলীয় কার্যালয়। তখন কোনও তৎকাল তৃণমূল নেতাকে সেখানে দেখা যায়নি। শ্রমিক ইউনিয়নের পার্টি অফিস মিলের গেটের সামনে হয়। এখানে কারা এরকম ঘটনা করাচ্ছে সেই বিষয়ে আমি কিছু জানি না। কিছু অ্যাকসিডেন্টাল তৃণমূল নেতার জন্য দলের এভাবে বদনাম হচ্ছে বলে দাবি অর্জুন সিংয়ের। যদিও বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের প্রতিক্রিয়া জানতে তার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার সাড়া মেলেনি। জানা গিয়েছে, তিনি এদিন শনি পুজো দিতে ব্যাস্ত ছিলেন।

আগস্ট ১৩, ২০২৩
রাজ্য

পূর্ব বর্ধমানের পর্ষদ চেয়ারম্যান মধুসূদন ভট্টাচার্যকে বরখাস্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

প্রাথমিকের পোস্টিং দুর্নীতির তদন্তে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে তোলপাড় কাণ্ড। মঙ্গলবার রাতেই অপসারিত পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে জেরা করতে প্রেসিডেন্সি জেলে পৌঁছেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এরপর বুধবার সকাল থেকে মানিককে দফায় দফায় জেরা চলে। এসবের মধ্যেই এদিন হাইকোর্টে ফের কড়া নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যানকে বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। হাইকোর্টের তরফে শিক্ষা দফতরের সচিবকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।পূর্ব বর্ধমানের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন মেমারির তৃণমূল বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য। শিক্ষকের স্থানান্তর সংক্রান্ত একটি মামলার প্রেক্ষিতে এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, পূর্ব বর্ধমান জেলা শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যানকে আদালতে হলফনামা জমা দিতে হবে। কিন্তু চেয়ারম্যানের পরিবর্তে পর্ষদের একজন আপার ডিভিশন ক্লার্ক এই হলফনামা জমা দেওয়ায় চরম অসন্তুষ্ট কলকাতা হাইকোর্ট। সেই কারণে পর্ষদ চেয়ারম্যানকে ছুটিতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।কেন তিনি নিজে যাননি? তারওপর আপার ডিভিশন ক্লার্ককে পাঠিয়েছেন দিয়ে হলফনামা জমা দিতে। জবাবে মধুসূদন ভট্টাচার্য আদালতে জানান, তিনি করোনা ও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ছিলেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণেই তিনি নিজে না গিয়ে অন্য একজন পর্ষদ কর্মীকে দিয়ে হলফনামা জমা করিয়েছেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনাও করেন তৃণমূল বিধায়ক।মধুসূদনের বক্তব্য শুনে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, অসুস্থ হলে পদত্যাগ করুন। অন্য লোক কাজ করবেন। আমি মনে করি আপনি শারীরিকভাবে এই পদে কাজ করতে অপারগ। এরপরই পর্ব বর্ধমানের জেলা পর্ষদের চেয়ারম্যানকে ছুটিতে পাঠানোর নির্দেশের দেন বিচারপতি। পাশাপাশি শিক্ষাসচিবকে আদালতের নির্দেশ কার্যকরে উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে বলেন।দিল্লি থেকে দুপুরে কলকাতায় ফিরে বিমানবন্দরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রণম্য। আমি আমার রাজনৈতিক পরিচয় সরিয়ে বলছি, উনি সমাজ সংস্কারক। তাঁর একের পর এক নির্দেশ বঞ্চিত হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থীদের আশার আলো দেখাচ্ছে। শুধু চাইব দোষীদের শাস্তি হোক।

জুলাই ২৬, ২০২৩
রাজনীতি

খুনের আশঙ্কা করেছিলেন, এবার বিশেষ নিরাপত্তার ঘেরাটোপে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ

নিজেই খুনের আশঙ্কা প্রকাশ করছিলেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। বিশেষ করে ভাঙড়ে পঞ্চায়েতে মনোনয়নে অশান্তি হওয়ার পর সেই শঙ্কা বেড়ে যায় নওশাদের। তাঁর বক্তব্য, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারকে জানিয়েও কোনরকম নিরাপত্তা না পাওয়ার কারণে মাননীয় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলাম।নওশাদ বলেন, কলকাতা হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছিলেন আমার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার ব্যাপারে। সেই অনুযায়ী রবিবার বেলা চারটের সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সের (CISF) সাতজনের একটা টিম আমার বাড়িতে এসে পৌঁছায় এবং আমার নিরাপত্তার দায়িত্ব গ্রহণ করে।তবে কোন ক্যাটাগরির নিরাপত্তা তিনি পেয়েছেন তা জানা যায়নি। নওশাদ বলেন, কোন ক্যাটাগরির নিরাপত্তা চূড়ান্ত করা হচ্ছে সে বিষয় এখনো স্পষ্ট হয়নি, আগামীকাল কলকাতা হাইকোর্টে আমার নিরাপত্তা বিষয়ক মামলার শুনানি আছে হয়তো সেখানে বিস্তারিত জানতে পারবো।

জুন ২৫, ২০২৩
দেশ

পাটনায় এক মঞ্চে কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিএম, এরপর বৈঠক সিমলায়

পাটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে একযোগে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের ডাক দিলেন নীতীশ, রাহুল, মমতারা, শারদ পাওয়াররা। কোন পথে বিরোধীদের লড়াই হবে? তা নিয়ে এখনও কোনও নেতৃত্বই মুখ খোলেননি। জুলাইতে সিমলায় পরবর্তী বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক হওয়ার কথা ঘোষণা করেন মমতা।এদিন পাটনার বৈঠকে যোগ দেন ১৫টি অ-বিজেপি রাজনৈতিক দলের ৩০ জন প্রতিনিধি। ঘন্টাখানেকের বৈঠক শেষে মুখ খোলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, রাহুল গান্ধী, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার।একনজরে কে কি বললেন?নীতীশ কুমার-বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে নীতীশ কুমার বলেন, আগামীদিনে আমরা একসঙ্গে লড়াই করব। সর্বসম্মতিক্রমে তা ঠিক করা হয়েছে। সকলেই মনে করছেন ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে জোটবদ্ধ হয়ে লড়াই করা বাঞ্ছনীয়। সকলেই এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন। আগামীদিনে আরও আলোচনা হবে। সিমলায় আরও একটি মেগা বৈঠক হবে বিরোধীদের। সেই বৈঠক ডাকবেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে।মল্লিকার্জুন খাড়গে-আরও একটি বৈঠকের প্রয়োজন রয়েছে। সেখানে আগামীদিনের অ্যাজেন্ডা নির্ধারণ করা হবে। সারা দেশের প্রতিনিধিরা এদিনের বৈঠকে যোগদান করেছেন। এটাই বড় সাফল্য। রাহুল গান্ধী যেখানে যেখানে ভারত জোড়ো যাত্রা করেছেন, সেখান থেকেই অ-বিজেপি প্রতিনিধিরা এসেছেন। তবে সব রাজ্যের রাজনৈতির সমীকরণ এক নয়। তাই এই নিয়ে আমাদের স্ট্র্যাটেজি করতে হবে। ১০ বা ১২ জুলাই আমরা একসঙ্গে আবার বসব।রাহুল গান্ধী-ভারতের গণতান্ত্রিক বুনোটে আক্রমণ করছে বিজেপি। আমাদের প্রত্যেকের মতবাদ রক্ষা করেই আগামীদিনে একসঙ্গে বিজেপি-র বিরুদ্ধে লড়াই করব। মহাজোট তৈরি হওয়ার একটি প্রক্রিয়া রয়েছে। তা ধীরে ধীরে সম্পন্ন হবে।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-১৭টি দলের প্রতিনিধি এই বৈঠকে যোগাদান করেন। শরদজি, লালুজির মতো বর্ষীয়ান রাজনৈতিক নেতারা এখানে এসেছেন। রাহুল, ইয়েচুরিজি, অখিলেশ সকলেই এসেছেন। পাটনা থেকে শুরু হওয়া আন্দোলন গণআন্দোলনের রূপ নেয়। দিল্লিতে আমরা অনেক মিটিং করেছি কিন্তু ভালো ফল হয়নি। তাই পাটনা থেকে শুভারম্ভ। আমরা সবাই এক। উই আর ইউনাইটেড। আমরা একসঙ্গে লড়ব। আমরা বিরোধী নয়, আমরাও দেশপ্রেমিক, আমরাও ভারতমাতা বলি। মণিপুর জ্বলছে, আমাদেরও কষ্ট হচ্ছে। বিজেপি যেভাবে একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছে, তা মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। আমাদের রাজ্যে রাজভবনে জবরদখল করে সমান্তরাল সরকার চালাচ্ছে। আমাদের বিরুদ্ধে ইডি-সিবিআই-কে হাতিয়ার করা হচ্ছে। বিজেপি-র সমস্ত অনৈতিক আইনের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়াই করব। রক্ত ঝরলে ঝরুক। কিন্তু, মাথা নত করব না। বিহার থেকে ইতিহাস তৈরি হল।শরদ পাওয়ার-বিজেপির বিরুদ্ধে আমরা একসঙ্গে লড়াই করব। বিজেপিকে হারানো সম্ভব। আশা করছি এবার বিরোধীদের প্রচেষ্টা সফল হবে।

জুন ২৩, ২০২৩
রাজনীতি

পঞ্চায়েতে অন্তর্কলহ: মনোরঞ্জন, করিমের পর এবার বেসুরো আরও এক তৃণমূল বিধায়ক

মনোরঞ্জন ব্যাপারী, আব্দুল করিম চৌধুরীর পর এবার বেসুরো আরও এক তৃণমূল বিধায়ক। মুখ খুললেন শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। এবার পঞ্চায়েতের প্রচার থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট পশ্চিমের বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লা। বিধায়ক বলেন, এবার যাঁরা প্রার্থী হয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে কাজ করা সম্ভব নয়।পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অশান্তির খবর প্রকাশ্যে আসছে। একাধিক জায়গায় তৃণমূলের অন্তর্কলহ সামনে চলে এসেছে। প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় একাধিক দাপুটে নেতা মুখ খুলেছেন দলের বিরুদ্ধে। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন মগরাহাটের গিয়াসউদ্দিন মোল্লা।তাঁর কথায়, আমি ৪৯ হাজার ভোটে জিতেছি। কিন্তু এবার প্রার্থী হয়েছে ৫০-৫০। অর্থাৎ তাঁর প্রার্থী ৫০ শতাংশ। বাকি অন্যদের। গিয়াসউদ্দিন সাফ জানিয়েছে, এই প্রার্থীদের হয়ে তিনি প্রচার করতে পারবেন না।অভিমানের সুরে গিয়াসউদ্দিন বলেন, আমার উপর হয়তো দল আর ভরসা করতে পারছে না। আমি তালিকা দিয়েছিলাম। পরে দেখলাম সেখান থেকে ৫০ শতাংশ প্রার্থী। বাকি ৫০ শতাংশের সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। মগরাহাট ১-নম্বরে ব্লকের তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক মানবেন্দ্র মণ্ডলকে নিশানা করেছেন তিনি। বিধায়কের দাবি, বাকি ৫০ শতাংশ প্রার্থী তাঁর। যাঁদের সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। যদিও বিধায়কের দাবি মানতে নারাজ মানবেন্দ্র। তাঁর কথায়, দল যাকে ঠিক মনে করেছে তাঁকে প্রার্থী করেছেন। উনি অবসাদে ভুগছেন।

জুন ২৩, ২০২৩
রাজনীতি

পঞ্চায়েতের ভোটের মাঝেই দলীয় পদ ছাড়লেন তৃণমূল বিধায়ক সাহিত্যিক মনোরঞ্জন ব্যাপারী, ব্যাপক শোরগোল

দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করলেন বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। ২০২৩ পঞ্চায়েত নির্বাচন কমিটির সদস্য, হুগলী জেলা (জোনাল ৬) ও সাধারণ সম্পাদক পশ্চিম বঙ্গ রাজ্য তৃণমুল কংগ্রেস কমিটি, উক্ত দুটি দলীয় পদ থেকে ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করলাম, বুধবার তিনি ফেসবুকে ঘোষণা করেন।মনোরঞ্জন ব্যাপারী লিখেছেন, বিধায়ক পদ থেকেও ইস্তফা দেবার ইচ্ছা ছিল যেহেতু আগে আমি একটি চাকরি করতাম, নির্বাচনে দাঁড়াবার জন্য সেটি ছাড়তে হয়েছিল। দু বছরের অধিক সময় হয়ে গেল পঞ্চাশ বার ছোটাছুটি করেও যার পেনশন ও গ্রাচুইটির কিছু পাইনি, তাই এই মুহূর্তে বিধায়ক পদ ছাড়তে পারছি না। তা হলে খাবো কী? যেদিন পেনশন পেতে আরম্ভ করব এই পদ থেকেও সরে দাঁড়াব।তাঁর কথায়, এতদিনে বুঝতে পেরেছি এই রাজনীতি আমার মতো মানুষের জন্য নয়।

জুন ২১, ২০২৩
রাজনীতি

পঞ্চায়েতে টাকা নিয়ে টিকিট বিক্রি, ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে তৃণমূল বিধায়কের ভয়ঙ্কর অভিযোগে শোরগোল

তৃণমূল বিধায়ক এবার সরাসরি দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন ব্লক সভাপতির দিকে। হুগলির বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারির দাবি, ব্লক সভাপতি নবীন গঙ্গোপাধ্য়ায় টাকার বিনিময়ে পঞ্চায়েতের টিকিট বিক্রি করেছেন। এর আগে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়ে ওই তৃণমূল ব্লক সভাপতি ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন বলেও ফেসবুক পোস্টে স্পষ্ট লিখেছেন বলাগড়ের বিধায়ক। তাঁর লেখা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। ব্লক সভাপতি যে চোর সেই প্রমানও বিধায়কের কাছে আছে বলে ওই পোস্টে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। বিরোধীরা বলতে শুরু করেছে, বিধায়কই যেখানে দুর্নীতির অভিযোগ করছেন দলীয় নেতার বিরুদ্ধে তাহলে কিছু আর বলার নেই। দুর্নীতিতে যুক্তদের নিয়ে তৃণমূল চলছে বলে স্বয়ং বিধায়কই প্রকাশ্যে অভিযোগ করছেন।রবিবার মনোরঞ্জন ব্যাপারি ফেসবুকে কি লিখেছেন?আজ টিভিতে সংবাদ পরিবেশন হচ্ছে আমি নাকি টাকার বিনিময়ে পঞ্চায়েত প্রার্থীকে নির্বাচনে টিকিট দিচ্ছি। এই অভিযোগ এনেছে সেই ব্লক সভাপতি যে নিজে কয়েকদিন আগে চাকরি দেওয়ার কথা বলে লোকের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে নাক কান মুলে সেই টাকা ফেরত দিয়েছেন। ফেরত দিতে আমি বাধ্য করেছি। এক প্রমাণিত চোর আমার গায়ে কাদা ছেটাচ্ছে। এর চেয়ে অবাক ব্যাপার আর কী হয়। বলাগড় ব্লকে সর্বমোট পঞ্চায়েত সিট ২২৪, আমি তার মধ্যে পেয়েছি ১০৯টি টিকিট। বাকি সব টিকিট পেয়েছে ওই ব্লক সভাপতি। যার নামে বলাগড়ের আকাশে বাতাসে ভাসছে টাকা নিয়ে পঞ্চায়েতে প্রার্থী টিকিট বিক্রির গল্প। আমি যে টিকিট পেয়েছি কাল সেই টিকিট প্রার্থীদের হাতে তুলে দেব। আমি চ্যালেঞ্জ করছি যে কেউ এসে তাদের কারও মুখ থেকে যদি বলাতে পারেন কারও কাছ থেকে আমি পাঁচ পয়সা নিয়েছি আমি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেব! আর কেউ যদি প্রমান চান ব্লক সভাপতি কত বড় চোর আমার কাছে তার অনেক প্রমাণ আছে। নিজের চোখে দেখে যেতে পারেন। যদিও ব্লক সভাপতির কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।মমতা বন্দ্য়োপাধ্যাযের দলের বিধায়কের এই পোস্ট নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসেও শোরগোল পড়ে গিয়েছে। একেই বিরোধীরা ক্রমাগত চুরি ও দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আসছে, পঞ্চায়েত নির্বাচন চলাকালীন এভাবে তৃণমূল বিধায়ক ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে গুরুতর দুর্নীতির অভিযোগ তোলায় চরম অস্বস্তিতে পড়ছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।

জুন ১৮, ২০২৩
রাজ্য

সাগরদিঘি উপনির্বাচনে তৃণমূলের জয়ের ব্যবধান বেঁধে দিলেন অভিষেক

মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি উপনির্বাচনের প্রচার একেবারে জমজমাট। ইতিমধ্যেই সেখানে প্রচার সেরেছেন রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রবিবাসরীয় প্রচারে গিয়ে জয়ের ব্যবধানের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেকের স্পষ্ট বার্তা, উপনির্বাচনে একটা বুথেও হারলে সেটা হবে মীরজাফরের বুথ। কোনও বুথেই হারা চলবে না বলেই জনসভায় জানিয়ে দিলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ।সাগরদিঘি উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থীর সঙ্গে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর ছবি দেখান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, কংগ্রেস প্রার্থীর সঙ্গে বিজেপির যোগসাজশ চলছে। ভোটে জিতলেই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিজেপিতে চলে যাবে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কি করে শুভেন্দু বলছেন সংখ্যালঘু বুথগুলিতে আর যেই হোক জোড়াফুল জিতবে না। সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছি।আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি কেন্দ্রে উপনির্বাচন। ২ মার্চ ভোটগণনা। এখানে বিজেপি, তৃণমূল ও কংগ্রেসের প্রার্থীর মধ্যে লড়াই হচ্ছে। বামেরা এই কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থীকে সমর্থন করছে। লড়াই ত্রিমুখি হতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ২০১৬-তে কোনওরকমে জয় পেয়েছিল তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত সাহা। রাজ্যর এই মন্ত্রীর অকাল প্রয়াণের কারণেই এই উপনির্বাচন। সামনেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। স্বভাবতই তার আগে এই উপনির্বাচন সব দলের কাছেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৩
রাজ্য

খুনের দায়ে প্রাক্তন বিধায়ক সহ ৩ জনের যাবজ্জীবন সাজা

প্রাক্তন সিপিআইএম বিধায়ককে যাবজ্জীবন সাজার নির্দেশ দিল বিধান নগর এমপি, এমএলএ কোর্ট। ২০১০ সালে বাঁকুড়ার তালডাংরা থানার অন্তর্গত তৃণমূল কর্মী মদন খাঁ খুনের ঘটনায় গতকালই দোষী প্রমাণিত করা হয় প্রাক্তন সিপিআইএম এমএলএ মনোরঞ্জন পাত্র সহ মোট তিন জন। আজ, বৃহস্পতিবার বিধাননগর এমপি, এমএলএ আদালতে তাঁদের সাজা ঘোষণ করা হল। এই তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়।এর পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত। যদি দিতে না পারে তাহলে আরপ ছয় মাস সাজা।এমপি, এমএলএ কোর্টের পিপি ইনচার্জ সোমা মন্ডল জানান, ২০১০ সালে বাঁকুড়ার তালডাংরার প্রাক্তন এমএলএ মনোরঞ্জন পাত্র তৃণমূল কর্মী ইসমাইল খাঁয়ের বাবা মদন খাঁয়ের বাড়িতে যায়। যেটা আমরা অভিযোগে পেয়েছি তখনকার দিনে মদন খাঁ তৃণমূল পার্টি করতেন। মনোরঞ্জন পাত্র দলবল নিয়ে ওনার বাড়িতে গিয়েছিলেন উনাকে তৃণমূল থেকে সিপিএমে আসতে বলছিলেন সেই নিয়ে একটা বচসা তৈরি হয়। সেই সময় এই মনোরঞ্জন পাত্র, জিতেন পাত্র, আজবাহার খাঁ সহ আরো লোকজন ওনার বাড়িতে যায়। তারা গিয়ে ওনাকে চাপ দিতে থাকেন। উনি যখন এই ব্যাপারটা মানতে না চান তখন ওনাকে খুন করা হয়। ওনার বাড়িতে যারা ছিলেন তাদের সামনেই বাড়ির ভেতরে গুলি করা হয়। উনার বডি লোপাট করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এটা ছিল ২৯/৬/২০১০ এর ঘটনা। ৩০ তারিখে ছেলে ইসমাইল খাঁ তালডাংরা পিএসএ অভিযোগ জানায়। এই ঘটনায় মোট ২১ জনের বিরুদ্ধে কেস শুরু হয়। কিছুটা সাক্ষী ওখানেই হয়ে গেছিল। বাদবাকি সাক্ষী সাক্ষ্য প্রমাণ আর্গুমেন্ট সবকিছু এমপি, এমএলএ কোর্টে সম্পন্ন হয়। এদিন মোট ২১ জনের মধ্যে তিন জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন বিচারক। তিনজনের মধ্যে একজন হল প্রাক্তন সিপিআইএমের এম এলএ মনোরঞ্জন পাত্র, জিতেন পাত্র ও আজবাহার খান। গুলিটা আজবাহার খান চালিয়েছিলেন উনাদের নির্দেশে। বাকি ১৯ জনের ক্ষেত্রে তথ্য প্রমাণ সেভাবে সাপোর্ট করেনি সাক্ষীরা তাদেরকে সেইভাবে আইডেন্টিফাই করতে পারিনি যে ওখানে তারা হাজির ছিলেন বা কিছু সেই কারণে তাদেরকে এই মামলা থেকে খালাস করে দেওয়া হয়েছে। আজ বাকি তিনজনের যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করল বিধান নগরএমপি, এমএলএ কোর্টে।

ডিসেম্বর ২২, ২০২২
রাজ্য

পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কালে উল্টো পুরান বর্ধমানে! দলীয় কর্মিদেরই প্রকাশ্যে হুমকি বিধায়কের

পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঢাকে কাঠি পড়ে গেছে। রাজ্যে নেতৃত্বের নির্দেশে ইতিমধ্যেই রাজ্যে জুড়ে গুটি সাজাতে শুরু করেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। বিরোধী রাজনৈতিক দল বিশেষ করে বিজেপিকে কোনঠাসা করতে ছোট-বড় বিভিন্ন জনসভা থেকে আক্রমণ শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব। কিন্তু পূর্ব বর্ধমানে বর্ধমান ১ নম্বর ব্লকে চিত্রটা ঠিক উল্টো। বিরোধীদের পরিবর্তে প্রকাশ্যে নিজের দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্য হুমকি দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ধমান-উত্তরের বিধায়ক নিশীথ কুমার মালিক।রবিবার বর্ধমান ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল পক্ষ থেকে আয়োজিত শীতবস্ত্র প্রদান অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে বিধায়ক তার দলের বেশ কয়েকজন নেতার নাম না করেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর কুত্তার দশা হবে বলে হুঁশিয়ারী করেন। সেই সঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর তাদের দেখে নেওয়ার হুমকিও দেন তিনি। বিধায়ক নিশীথ কুমার মালিক বলেন, আমি প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে বলছি, খেলা শুরু হয়ে গেছে। জামালের (সেখ জামাল রায়ান ১ নম্বর অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি) টিম রেডি আছে। তুমি তোমার দম নিয়ে রেডি হও। যেদিন বলবে, যে জায়গায় বলবে সেখানে দেখা হবে। কার কত প্লেয়ার আছে।বিধায়ক নিশীথ মালিকের এই মন্তব্যর পরেই রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে। তৃণমূলের অন্দরমহলেও শুরু হয় চাপান উতর। উল্টোদিকে এই মন্তব্যর পরিপেক্ষিতে ব্লকের জেলাপরিষদ সদস্য নরুল হাসান জানান, বিধায়ক অনেক পরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। আমরা দলের পুরাতন কর্মী, দলের জন্মলগ্ন থেকে আছি। বিধায়ক ১১ সালের পর তৃণমূলে এসেছেন। উচ্চ নেতৃত্বের নির্দেশ সত্ত্বেও বিধায়ক পুরানো দিনের নেতা-কর্মীদের নিয়ে কাজ করছেন না, তাদের প্রাপ্য সম্মান টুকুও দেন না। বিধায়ক নিশীথ মালিক নিজেই একজন অশিক্ষিত, তাই তিনি বিরোধী রাজনৈতিক দলকে ছেড়ে নিজের দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন বলে দাবী নরুল হাসানের।বিজেপি অবশ্য গোটা বিষয়টি তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করছে। বিজেপি নেতা সুধীররঞ্জন সাউ বলেন, পঞ্চায়েত ভোটে এলাকায় রক্তগঙ্গা বয়ে যাবে। কারণ তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের মধ্যেই লড়াই করবে। গোটা ব্লক দুর্নীতিতে ভরে গেছে। এলাকার সাধারণ মানুষ পঞ্চায়েতে গেলে পরিষেবা পাচ্ছেন না।

ডিসেম্বর ০৫, ২০২২
রাজ্য

বর্ধমানে কঙ্কালেশ্বরী কালিমন্দির প্রাঙ্গনে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন ১০১ জোড়া পাত্রপাত্রী

বর্ধমানের কঙ্কালেশ্বরী কালিমন্দির প্রাঙ্গনে রবিবার রাতে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন ১০১ জোড়া পাত্রপাত্রী। এই মহাযজ্ঞের আয়োজন করেন বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস। কাউন্সিলর থাকাকালীন তিনি কঙ্কালেশ্বরী কালিবাড়ি গণবিবাহ কমিটির মাধ্যমে এই গণবিবাহ শুরু করেন। এটা নবমতম বর্ষ। এদের মধ্যে ১৪ জোড়া মুসলিম বাকিরা সবাই হিন্দু। নিজের নিজের ধর্মের নিয়ম মেনেই বিয়ে হল তাদের।এদিনের বিয়ের আসরে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ও চন্দ্রনাথ সিনহা। ছিলেন জেলা সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, সাংসদ সুনীল মণ্ডল, সাংসদ অসিত মাল, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিমাই চন্দ্র সাহা, জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা, জেলার পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন। ছিলেন বিধায়ক তথা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় সহ আরো একঝাঁক বিধায়ক।গণবিবাহ হলেও আয়োজনের খামতি ছিল না। সকাল থেকেই কাঞ্চননগর সহ শহরে ছিল সাজোসাজো রব। বেশ সুন্দর করে মণ্ডপ সাজানো হয়। ছিল আলোকসজ্জা আর সাউণ্ড সিস্টেম।বেলা গড়াতেই টোটো চেপে হাজির হন বরসহ বরযাত্রীরা। তেমনি কনের বাড়ির লোকেরাও হাজির হন। উপস্থিত ছিলেন পুরোহিত ও কাজীরা। যেমন তেমন করে বিয়ে কিন্তু হয়নি। আয়োজকরা সব খরচ দিয়েছেন। পাত্র ওঁ পাত্রীকে দেওয়া হয়েছে সোনার আংটি আর নাকছাবি। যৌতুক হিসাবে দেওয়া হয়েছে কালার টিভি, বিছানা, সাইকেল, সেলাই মেশিন থেকে আরো অনেক দানসামগ্রী। আর দেওয়া হয়েছে জীবন বিমার পলিসি। দেওয়া হয়েছে চাল, আলু, আটা থেকে একমাসের মত রেশন। এছাড়াও পাত্রপক্ষ ও কনেপক্ষের পঞ্চাশজন আত্মীয়ের ভুরিভোজের ব্যবস্থা ও ছিল।

ডিসেম্বর ০৫, ২০২২
রাজনীতি

চাঞ্চল্যকর মন্তব্য বিধায়কের! বাংলাদেশ থেকে যারা নতুন আসছে তাঁরা সবাই বিজেপির

নতুন লোক আসছেই। নতুন লোক মানে সব বাংলাদেশ থেকে আসা লোক। তাদের ভোট বেশি তুলতে যাওয়া বেশি ক্ষতি। কারণ তারাতো বেশি হিন্দু হিন্দু করে বেশীটাই ভোট দিয়ে দেয় বিজেপিকে। এটাকে নিয়ে অস্বীকার করার কিছু নেই। নতুন লোকের ভোট তুলবেন যারা আমাদের দলের সাথে যুক্ত তাদের। বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক খোকন দাসের এই মন্তব্য ঘিরে তৈরী হয়েছে বির্তক।মঙ্গলবার বর্ধমানের টাউনহলে বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভা তৃণমূল কংগ্রেসের ভোটার লিষ্ট সংক্রান্ত বুথ ভিত্তিক এজেন্টদের আলোচনা সভায় এই মন্তব্য করেন বিধায়ক খোকন দাস। যা ঘিরে জেলায় আলোড়ন শুরু হয়ে গেছে।বিজেপি বর্ধমান জেলা কমিটির সহ-সভাপতি তথা জেলা মুখপাত্র সৌম্যরাজ ব্যানার্জীর অভিযোগ, এর মাধ্যমেই প্রমাণিত হচ্ছে যে তৃণমূলই ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে বিজেপি নয়। বাংলাদেশ থেকে আসা লোক সম্পর্কে যদি বিধায়কের কাছে কোন তথ্য থাকে তাহলে বিধায়কের উচিত ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি না করে সেই তথ্য রাজ্য ও কেন্দ্রকে জানানো। আমরা তো এই কারণেই সিএএ লাগু করার কথা বলেছি,যার প্রযোজনীয়তা আজ বিধায়কের কথাতেই স্পষ্ট।যদিও পূর্ব-বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, বিজেপিই অভিযোগ করেছিল পশ্চিমবাংলায় বাংলাদেশী লোক ঢুকছে তো বিধায়ক এটাই বলতে চেয়েছেন যে বাংলাদেশ থেকে যদি কোনো লোক ঢোকে তাদের নাম ভোটার লিষ্টে তুলবেন না। অযথা কথার অপব্যাখ্যা করা হচ্ছে। তৃণমূল ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে না। সিএএ লাগু করা বিজেপির একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে। ভোটের সময়ই তা প্রতিফলিত হয়।

নভেম্বর ১৬, ২০২২
রাজ্য

বর্ধমানের পূজা কার্নিভালের মঞ্চে বসতে চলেছে বলিউডি তাড়কাদের চাঁদের হাট

শুক্রবার বর্ধমান শহরে হতে চলে দুর্গাপূজা কার্নিভালের জন্য যানচলাচলে নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে নির্দেশিকা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারী করল পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ। পূর্ব বর্ধমান জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক রামশংকর মন্ডল জানিয়েছেন, কার্নিভাল শুরু হবে বিকাল ৫ টে নাগাদ নীলপুর মোড় সংলগ্ন সৎসঙ্গ ভবন এলাকা থেকে। এই র্যালী শেষ হবে লক্ষ্মীপুর মাঠের পাঞ্জাবী পাড়া মোড়ে। ইতিমধ্যেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্জন গেটের সামনে করা হয়েছে তিনটি ভাগে প্রায় বিশাল মঞ্চ বাঁধা হয়েছে যা প্রায় ২০০ ফুট লম্বা । যেখানে উপস্থিত থাকবেন পূর্ব বর্ধমান জেলার মন্ত্রীরা-সহ বিধায়ক অন্যান্য জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনিক আধিকারিকরা। গড়ে তোলা হয়েছে কড়া পুলিশি নিরাপত্তা। বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসনের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ এবং বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়কের ব্যবস্থাপনায় বর্ধমান শহরের ৩১ টি পুজো কমিটিকে নিয়ে হচ্ছে দুর্গাপূজা এবারের কার্নিভাল।আরও জানা গেছে, জি টি রোড ধরে চলবে এই কার্নিভালের র্যালী। সুত্র মারফত জানা গেছে কার্নিভ্যালে হাজির থাকবেন মুম্বাইয়ের বিশিষ্ট অভিনেতা চাংকি পান্ডে-সহ আরও অনেক সেলিব্রেটিরাই। কার্জনগেট চত্বরে প্রত্যেকটি পুজো কমিটিকে ৩-৪ মিনিট করে নিজেদের পারফরম্যান্স তুলে ধরার জন্য সময় দেওয়া হবে। সামগ্রিক বিচারের নিরিখে তাদের মধ্য থেকে পুরস্কৃতও করা হবে। প্রসঙ্গত, দুর্গাপূজাকে ইউনেস্কো হেরিটেজ ঘোষণা করাতে, মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্যে সমস্ত জেলাতেই কালকে এই কার্নিভ্যালের আয়োজন করা হয়েছে।জি টি রোড ধরে হতে চলা এই কার্নিভালের জন্য বর্ধমান শহরে যানচলাচলে নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে একটি নির্দেশিকা জারী করল পূর্ব-বর্ধমান জেলা পুলিশ। শুক্রবার আলিশা বাস স্ট্যান্ড থেকে কার্জনগেট এলাকা ও রেলওয়ে ওভারব্রিজ হয়ে গোলাপবাস মোড় পর্যন্ত জি টি রোড বরাবর এই নির্দিশিকা কার্যকরী থাকবে। নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, সকাল ৮ টা থেকেই পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলা নিষেধাজ্ঞা থাকছে (যতক্ষন কার্নিভাল চলবে)। বাস চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকছে দুপুর ১২ টা থেকে। ইকো-রিক্সায় (টোটো) নিষেধাজ্ঞা থাকছে দুপুর ২ টো থেকে। চারচাকা গাড়ীতে নিষেধাজ্ঞা থাকছে বিকেল চারটে থেকে এবং দু-চাকা যানে নিষেধাজ্ঞা থাকছে বিকেল সাড়ে চারটে থেকে।

অক্টোবর ০৬, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

বর্ধমান স্টেশনে ট্রেন ঢুকতেই হুড়োহুড়ি — পদপিষ্টে অন্তত ১২ জন আহত

রবিবার ছুটির সন্ধ্যায় বর্ধমান (Bardhaman) রেল স্টেশনে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। বহু যাত্রী একযোগে ট্রেন ধরার চেষ্টায় মুখ্য সিঁড়ি ও ওভারব্রিজ এলাকায় ঠাসাঠাসিতে পদপিষ্ট হয়ে পড়েন। এই ঘটনায় অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন বলে প্রাথমিক খবর পাওয়া গেছে। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে (Burdwan Medical College Hospital) ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশের অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া সূত্র অনুযায়ী, একসঙ্গে ৩৪টি ট্রেন ৪, ৫ ও ৬ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ছিল। যাত্রীরা ট্রেনে ওঠা ও নামার জন্য সিঁড়ি ও ওভারব্রিজ এলাকায় একসাথে ওটানামা করতে থাকেন, তখন ভিড় গিজ গিজ করছিল। সিঁড়িতে অতিরিক্ত চাপ ও ধাক্কাধাক্কির ফলে কয়েকজন পড়ে যান। এতেই আঘাত পান। প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করেছেন, বেশ কিছু দিন ধরে ওভারব্রিজ একাধিক অংশ কাজ করছে না বা সংস্কার হচ্ছে, ফলে যাত্রীদের মূল সিঁড়িগুলো ব্যবহার করতে হয়। রেলের উদ্ধার দল ও রেলে নিয়োজিত স্টাফ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধারে মনোনিবেশ করে। রেল প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়ন করা হবে এবং ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা এড়াতে পরিকল্পিত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অক্টোবর ১২, ২০২৫
বিদেশ

গাজা শান্তি সম্মেলনে ভারতের প্রতিনিধি কীর্তি বর্ধন সিং

মিশরের শর্ম-এল-শেখে সোমবার অনুষ্ঠিত হতে চলেছে গাজা শান্তি সম্মেলন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিশেষ দূত হিসেবে ভারতকে প্রতিনিধিত্ব করবেন কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং।সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ এল-সিসি শেষ মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে আমন্ত্রণ জানান। তবে মোদি নিজে অংশ না নিয়ে প্রতিনিধিত্বের দায়িত্ব দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রীকে।এই সম্মেলনে অংশ নেবেন আরও বেশ কয়েকজন বিশ্বনেতা জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ, ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমমানুয়েল মাক্রোঁ, স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদরো স্যাঞ্চেজ এবং জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।কূটনৈতিক মহল মনে করছে, গাজা উপত্যকার সংঘাত পরিস্থিতি নিয়ে এই বৈঠকে আন্তর্জাতিক পরিসরে শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার রূপরেখা তৈরি হতে পারে। উল্লেখ্য গাজায় আপাতত যুদ্ধবিরতি চলছে।

অক্টোবর ১২, ২০২৫
রাজ্য

দুর্গাপুরে ডাক্তারি ছাত্রীর ‘গণধর্ষণ’, তিন অভিযুক্ত গ্রেফতার — সহপাঠীর ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে

দুর্গাপুরে কলেজ ছাত্রীকে অপহরণ করে গণধর্ষণের অভিযোগে তীব্র চাঞ্চল্য। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রেফতার করা হয়েছে তিন অভিযুক্তকে। তাঁদের রবিবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।ঘটনাস্থল কলেজ ক্যাম্পাস থেকে মাত্র ৭০০ মিটার দূরে, ঘন ঝোপঝাড়ে ঘেরা এলাকায়। পুলিশ জানায়, সেখানে দীর্ঘদিন ধরেই বসে নেশার ঠেকমদ ও গাঁজা বিক্রির আড্ডা। শনিবার রাতে ওই ঠেকেই ছিলেন তিন অভিযুক্ত। তখনই তাঁরা কলেজের ডাক্তারি ছাত্রী এবং তাঁর এক সহপাঠীকে রাস্তায় হাঁটতে দেখে প্রথমে তরুণীকে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করেন। এর পর তাঁকে জোর করে টেনে নিয়ে গিয়ে জঙ্গলে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাকালীন তরুণীর মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় অভিযুক্তরা। পরে তদন্তে ধৃতদের কাছ থেকেই তরুণীর ফোন উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ দাবি করেছে, তিন জনের বিরুদ্ধেই প্রত্যক্ষ প্রমাণ মিলেছে। তদন্তকারীদের একটি সূত্র জানিয়েছে, সহপাঠীকে পালিয়ে যেতে দেখে তরুণী কলেজের বন্ধুদের ফোন করেছিলেন। পরে তাঁর বন্ধুরাই ওই সহপাঠীকে ঘটনাস্থলে ফের যেতে বলেন। এই সময়েই নির্যাতিতাকে ধর্ষণ করা হয় বলে প্রাথমিক তদন্তে ধারণা পুলিশের।ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই পুলিশ ওই সহপাঠীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। তাঁর বয়ানেই পুরো ঘটনার প্রাথমিক তথ্য মিলেছে বলে সূত্রের খবর। তরুণীর সঙ্গে কথা বলেছেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট রঞ্জনা রায়।কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, রাত ৭টা ৫৮ মিনিটে সহপাঠীর সঙ্গে ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়েছিলেন তরুণী। ৮টা ৪২ মিনিটে সহপাঠী একা ফিরে আসেন, গেটের কাছে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে ফের বাইরে যান। পরে রাত ৯টা ২৯ মিনিটে দুজন একসঙ্গে কলেজে ফেরেন। ৯টা ৩১ মিনিটে তরুণী নিজের হস্টেলে ফিরে যান।অভিযোগ, তরুণীর বাবার দাবি অনুযায়ী, তাঁর মেয়েকে বাইরে নিয়ে গিয়েছিলেন সেই সহপাঠীই, এবং ধৃত তিন জন ওই ছাত্রেরই বন্ধু। তাঁর কথায়, রাত ১০টার দিকে ওর বন্ধু ফোন করে জানায়, আমার মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে। ওর এক বন্ধু ওকে খেতে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু যখন দু-তিন জন মেয়েকে ঘিরে ধরে, তখন ওর বন্ধুটি পালিয়ে যায়।এখনও পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে পুলিশ মনে করছে, ঘটনায় আরও কয়েক জন যুক্ত থাকতে পারে। তাঁদের খোঁজে চলছে তল্লাশি অভিযান

অক্টোবর ১২, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

১৪ বছর পর কলকাতায় মেসি! “মাঠ কাঁপাবে” ডিসেম্বরে?

কলকাতার ফুটবলপ্রেমীদের জন্য এক বিশাল সুখবর! ফুটবল কিংবদন্তি লিওনেল মেসি (Lionel Messi) তাঁর বহু প্রতীক্ষিত GOAT Tour of India 2025-এর জন্য এ বছরের ডিসেম্বর মাসে কলকাতা ময়দান মাতাতে আসছেন। ১৪ বছর পর বিশ্বকাপজয়ী এই মহাতারকার ভারতে ফেরা নিঃসন্দেহে এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত হতে চলেছে।আগামী ডিসেম্বরে আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি তাঁর ভারত সফরের সূচনা করবেন কলকাতাতেই। আয়োজকদের ঘোষণা অনুযায়ী, তিনি ১২ই ডিসেম্বর রাতে মহানগরে পৌঁছাবেন এবং ১৩ই ডিসেম্বর কলকাতায় বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।কলকাতার আইকনিক সল্টলেক স্টেডিয়ামে (যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন) মূল অনুষ্ঠানগুলি হবে, যেখানে ২০১১ সালে মেসি আর্জেন্টিনার হয়ে ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে একটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ফুটবল ম্যাচে খেলেছিলেন।GOAT কনসার্ট এবং GOAT কাপ, ১৩ই ডিসেম্বর এই দুটি প্রধান ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। GOAT কাপ হবে একটি সেলিব্রেটর সেভেন-এ-সাইড (seven-a-side) সফট-টাচ ফুটবল ম্যাচ। বেশ কয়েকজন ভারতীয় কিংবদন্তির উপস্থিতির সম্ভবনা ওই খেলায়, সুত্রের খবর, এই বিশেষ ম্যাচে মেসির সঙ্গে মাঠে নামতে পারেন ভারতীয় ক্রীড়া জগতের তারকারা, যেমন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, বাইচুং ভুটিয়া এবং লিয়েন্ডার পেজ প্রমুখ।ম্যচের শেষে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে মেসিকে বিশেষ সংবর্ধনা দেওয়া হতে পারে। এছাড়াও এই সফরের অঙ্গ হিসাবে কলকাতা শহরে মেসির একটি মূর্তি উন্মোচন-র আয়োজন চলছে।এই সফরে নানাবিধ অনুষ্ঠানের মধ্যে, ফুড অ্যান্ড টি ফেস্টিভ্যালঅনুষ্ঠিত হবে। কলকাতায় তাঁর প্রিয় পানীয় আর্জেন্তিনীয় ভেষজ চা মাটে-এর সঙ্গে আসামের চায়ের ফিউশন করে একটি বিশেষ খাদ্য ও চা উৎসবের আয়োজন করা হবে।কলকাতা ছাড়াও মেসি ভারতে আরও কয়েকটি শহর সফর করবেন, সেকারনে তাঁর নিরাপত্তা ব্যবস্থাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কলকাতার পর মেসি আরও চারটি-শহরে সফর করবেন। যেগুলি হল আহমেদাবাদ, মুম্বাই এবং নয়া দিল্লী। ১৫ই ডিসেম্বর তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করে তাঁর ভারত সফর শেষ করবেন। এই সফরের ইভেন্টগুলোর টিকিটের মূল্য ৩,৫০০ টাকা থেকে শুরু হতে পারে বলে জানা গেছে।মেসির প্রতিক্রিয়াদীর্ঘ ১৪ বছর পর ভারতে আসা নিয়ে মেসি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। একটি সরকারি বিবৃতিতে তিনি বলেন, এই সফর করতে পারা আমার জন্য খুবই সম্মানের। ভারত খুব স্পেশাল একটি দেশ, এবং ১৪ বছর আগে আমার সেখানে কাটানো মুহূর্তগুলোর খুব ভালো স্মৃতি আছে এখানকার ভক্তরা ছিল অসাধারণ। ভারত ফুটবল প্রেমী দেশ (passionate football nation), এবং আমি ফুটবলের প্রতি আমার ভালোবাসা নতুন প্রজন্মের ভক্তদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছি।২০২৫ এর ডিসেম্বর মাসে ফুটবল কিংবদন্তির আগমন শুধু কলকাতার নয়, গোটা ভারতের ক্রীড়াপ্রেমীদের কাছে এক বিশাল উৎসবের বার্তা নিয়ে আসছে।

অক্টোবর ০৭, ২০২৫
রাজ্য

সাংসদের ওপর হামলায় রাজ্যকে নিয়ে বড় প্রশ্ন মোদির, কড়া জবাব মমতার

বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের ওপর হামলা নিয়ে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার পাল্টা কড়া জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া লিখেছেন, এটা খুবই দুর্ভাগ্যের এবং গভীর উদ্বেগের বিষয় যে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী একটি প্রাকৃতিক বিপর্যয় নিয়ে রাজনীতি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কোনো উপযুক্ত অনুসন্ধানের জন্য অপেক্ষা না করেই তা-ও আবার যখন উত্তরবঙ্গের মানুষ ভয়াবহ বন্যা ও ধসের সঙ্গে যুঝছেন।যখন সমগ্র স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ ত্রাণ ও উদ্ধারের কাজে ব্যস্ত হয়ে আছে, তখন বিজেপি নেতারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়েছিলেন বিপুল সংখ্যক গাড়ির কনভয় নিয়ে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা নিয়ে এবং স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনকে কোনো খবর না দিয়ে। রাজ্য প্রশাসন, স্থানীয় পুলিশ বা তৃণমূল কংগ্রেসকে কীভাবে এই ঘটনার জন্য দায়ী করা যাবে?এখানেই থামেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী পদের গরিমা নিয়েও। প্রশ্ন তুলেছেন মোদির নৈতিকতা নিয়েও। তাছাড়া কোনও প্রমান ছাড়াই প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেসকে দায়ী করেছে বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেস এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ওপর দোষারোপ করেছেন কিছুমাত্র প্রমাণ ছাড়া, আইনানুগ কোনো তদন্ত ছাড়া এবং কোনো প্রশাসনিক রিপোর্ট ছাড়া। এটা শুধু রাজনৈতিক নিম্নতা স্পর্শ করল না, যে সাংবিধানিক নৈতিকতা তুলে ধরতে প্রধানমন্ত্রী শপথ নিয়েছেন, সেই নৈতিকতারও লঙ্ঘন হল। যে কোনো গণতন্ত্রে আইন তার নিজস্ব পথ নেয় এবং কোনো ঘটনার দায় নির্ধারিত হয় যথাযথ প্রক্রিয়ায় -কোনো রাজনৈতিক বেদীর উচ্চতা থেকে করা একটি ট্যুইটের মাধ্যমে নয়।উত্তরবঙ্গ কাল যাবো, আজ কার্নিভাল !!!কার্নিভাল নাকি বাংলার ঐতিহ্য ! তা দশমীর চার দিন পর সরকারি অনুদান আর প্রশাসনিক চোখ রাঙানির জেরে প্রতিমা নিরঞ্জন আটকে রেখে, মিছিল করিয়ে ঘাটে যাওয়া কবে থেকে বাংলার ঐতিহ্য হয়ে গেলো?আর মুখ্যমন্ত্রী চটজলদি উত্তরবঙ্গ যেতে আগ্রহী নন কেন, pic.twitter.com/mD0TeqWIaz Suvendu Adhikari (@SuvenduWB) October 5, 2025মমতা বলেছেন, সংশ্লিষ্ট ঘটনা ঘটেছিল একটি কেন্দ্রে, যেখানে মানুষ নিজেরাই বিজেপির একজন বিধায়ককে নির্বাচন করেছেন। তথাপি এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের তথাকথিত শক্তিমত্তা দেখায় প্রধানমন্ত্রী দ্বিচারিতা অনুভব করলেন না। এই ধরনের অসার এবং অতি-সরলীকৃত সাধারণীকরণ শুধু অপরিণতই নয়, তা দেশের সর্বোচ্চ পদের সঙ্গে মানানসইও নয়।

অক্টোবর ০৭, ২০২৫
রাজ্য

বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কের ওপর হামলা, নিন্দা নরেন্দ্র মোদীর, ফোন রাজনাথ সিংয়ের

বন্যা ও ভমি ধ্বসে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। এরই মধ্যে নাগরাকাটায় বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গিয়েছিলেন মালদা উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মু ও শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তাঁদের ওপর তৃণমূল কংগ্রেস প্রাণঘাতী হমলা করেছে বলে অভিযোগ। মাথা ফেটে রক্তাক্ত হয়েছেন খগেন মুর্মু। আঘাত পেয়েছেন শঙ্কর ঘোষ। যদিও তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এবার এই ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খুললে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জখম সাংসদের সঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং।প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আক্রমণের তীব্র নিন্দা করেছেন। নরেন্দ্র মোদী এক্স হ্যান্ডেলে বলেছেন, যেভাবে আমাদের দলের সহকর্মীরাযাদের মধ্যে একজন বর্তমান সাংসদ ও বিধায়কও রয়েছেনপশ্চিমবঙ্গে বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সেবা করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এটি তৃণমূল কংগ্রেসের অসংবেদনশীলতা এবং রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার করুণ রূপের স্পষ্ট প্রতিফলন।যেভাবে আমাদের দলের সহকর্মীরাযাদের মধ্যে একজন বর্তমান সাংসদ ও বিধায়কও রয়েছেনপশ্চিমবঙ্গে বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সেবা করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এটি তৃণমূল কংগ্রেসের অসংবেদনশীলতা এবং রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার করুণ রূপের স্পষ্ট প্রতিফলন।আমার Narendra Modi (@narendramodi) October 6, 2025আমার একান্ত কামনা পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেস এই কঠিন পরিস্থিতিতে হিংসায় লিপ্ত না হয়ে মানুষের সাহায্যে আরও মনোযোগী হোক। আমি বিজেপি কার্যকর্তাদের আহ্বান জানাই, তারা যেন জনগণের পাশে থেকে চলতি উদ্ধার কাজে সহায়তা করে যান।এদিকে নাগরাকাটায় বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের ওপর হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংজি। রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য এক্স হ্যান্ডেলে বলেছেন, তিনি টেলিফোনে আমার সঙ্গে কথা বলে ঘটনার বিস্তারিত জানতে চান এবং স্পষ্ট বার্তা দেন রাজনীতিতে হিংসার কোনো স্থান নেই। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ এই অন্যায় ও অত্যাচার কখনো মেনে নেবে না। সবাই মিলে এই হিংসার রাজনীতি প্রতিহত করতে হবে। বাংলার মানুষ গণতন্ত্রের শক্তিতে বিশ্বাস রাখে।

অক্টোবর ০৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal