• ৩ আষাঢ় ১৪৩২, বৃহস্পতি ১৯ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

MI

খেলার দুনিয়া

সৌরভ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, খোঁজ নিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী

মৃদু হৃদরোগে আক্রান্ত ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার বাড়িতে জিম করার সময় মাথা ঘুরে পড়ে যান সৌরভ। তড়িঘড়ি তাঁকে দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। সৌরভের দাদা স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আপাতত সৌরভের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।সৌরভের আরোগ্য কামনায় টুইট করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সৌরভের অসুস্থতার খবরে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। জানা গেছে সৌরভের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, এরাজ্যের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় প্রমুখ। প্রয়োজনে সৌরভকে দিল্লির এইমসে নিয়ে চিকিৎসা করা হলে সবরকম সহযোগিতা করা হবে বলে জানিয়েছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। এদিকে সৌরভের এই অসুস্থতার খবরে বাংলার ক্রীড়াজগতে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। তাঁকে দেখতে হাসপাতালে যান রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লা।সৌরভকে জরুরি পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে হাসপাতালে। ইতিমধ্যে একাধিক শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আ্যাঞ্জিওগ্রাফি করার জন্য মহারাজকে ক্যাথ ল্যাবে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁর ইসিজি করা হয়েছে। সেখানেই বেশ কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা গিয়েছে। এছাড়া, ইকো কার্ডিওগ্রাম করা হয়েছে। রাজ্য সরকার তাঁর চিকিৎসার ব্যাপারে সবরকম সহযোগিতা করবে বলে জানিয়ে দিয়েছে।

জানুয়ারি ০২, ২০২১
রাজ্য

হাওড়ায় তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসে গড়হাজির দুই মন্ত্রী, বাড়ছে জল্পনা

শুক্রবার হাওড়াতেও পালিত হল তৃণমূলের ২৪তম প্রতিষ্ঠা দিবস। এই প্রতিষ্ঠা দিবসেও পিছু ছাড়ল না গোষ্ঠীকলহের বিতর্ক। এদিন দলের হাওড়ার কদমতলার জেলা সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হয় দলের প্রতিষ্ঠা দিবসের মূল অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে রাজের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় উপস্থিত থাকলেও গরহাজির ছিলেন তৃণমূলের সদর সভাপতি তথা মন্ত্রী লক্ষীরতন শুক্লা। দেখা মিলল না দলের কোর্ডিনেটর তথা আর এক মন্ত্রী রাজীব বন্দোপাধ্যায়ের। দলের প্রতিষ্ঠা দিবসের মুল অনুষ্ঠানে জেলার দুই মন্ত্রী তথা হেভিওয়েট নেতার অনুপস্থিতিতে জল্পনা ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এই প্রসঙ্গে, তৃণমূলের সদর চেয়ারম্যান অরূপ রায় বলেন, কে বা কারা আসেননি জানি না। তবে আসা উচিত ছিল। প্রথম থেকে দল করে আসা তৃণমূল কর্মীরা সবাই এসেছে। যাঁরা আসেননি তাঁদেরকে আসার জন্য অনুরোধ করব। অন্যদিকে এদিন জেলা নেতৃত্বের এমন ধরনের মনোভাবের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন হাওড়ার সাংসদ প্রসূণ বন্দোপাধ্যায়। তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠা দিবসে এই ধরনের ঘটনা খুবই দুঃখজনক। দলীয় কর্মীরা দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভুগছেন। ক্ষোভের সঙ্গে সাংসদ বলেন, আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি জেলার তিন নেতা তিন দিকে আলাদা আলাদা কেন র্যালি করছে? আমার খুব মন খারাপ, আমি খুব শকড। এইভাবে চললে হাওড়ার ১৬টা আসন ধরে রাখা সম্ভব হবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। দলীয় হোর্ডিং নিয়েও এদিন তিনি ক্ষোভ জানিয়েছেন। একই সঙ্গে দল না থাকলে লালবাতি নীলবাতি পাব না এই বার্তাও দিলেন দলীয় নেতৃত্বকে। উল্লেখ্য, কয়েক মাস ধরে রাজ্যের দুই মন্ত্রী তথা হাওড়ার হেভিওয়েট নেতা অরূপ রায় এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে চলছে ঠান্ডা লড়াই। সম্প্রতি একাধিক অনুষ্ঠানে তাঁদের দুজনকে একসঙ্গে হাজির হতে দেখতে পাওয়া যায়নি। এরই মধ্যে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। তাই জল্পনাও শুরু হয়ে গিয়েছে বিভিন্ন মহলে। তারই মধ্যে এদিন প্রতিষ্ঠা দিবসে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং লক্ষ্মীরতন শুক্লার উপস্থিতি না থাকা উষ্কে দিচ্ছে নয়া বিতর্ক।

জানুয়ারি ০১, ২০২১
কলকাতা

রাজ্যপালকে ঘুমের ওষুধ খেতে পরামর্শ তৃণমূল মহাসচিবের

রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে ঘুমের ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। একই সঙ্গে তিনি রাজ্যপালকে রাজনৈতিক দলের মুখপাত্র বলে অভিহিত করেছেন তিনি। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, রাজ্যপালের প্রতিদিন কিছু না কিছু বললে ঘুম হয় না। ওনাকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো উচিত। কেন না কোনও না কোনও দিন কোনও না কোনও বিষয়ে ওনাকে বলতেই হবে। রাজনৈতিক দলের মুখপাত্রের মত লাগছে তাঁকে। বাংলার রক্তাক্ত নির্বাচন নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। এক প্রশ্নের জবাবে তৃণমূলের মহাসচিব বলেন, নির্বাচন কমিশন দেখবে কিভাবে ভোট হবে। কিন্তু রাজ্যপাল নির্বাচন কমিশনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। রাজ্যপাল রাজ্যের উন্নয়নে সহযোগিতা করছেন না। বছরের প্রথম দিনই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবস। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করা হয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, এদিন ঘুরে মনে হল দল আরও শক্তিশালী হয়েছে। অন্যদিকে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতন বাংলার ঐতিহ্যের প্রাণকেন্দ্র। পাঁচিল তোলা হচ্ছে, পৌষ মেলা বন্ধ করা হচ্ছে এসব করে সেখানকার ঐতিহ্য ম্লোন করা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিছিলে পা মিলিয়ে এসব ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন শান্তিনিকেতনের মানুষ।

জানুয়ারি ০১, ২০২১
কলকাতা

অবৈধ অর্থ ভান্ডারের খোঁজে তৃণমূল নেতার সন্ধানে সিবিআই

কয়লা ও গরু পাচারকারীদের লিংক ম্যান বিনয় মিশ্রের অফিস ও বাড়িতে দিনভর তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। বিনয় মিশ্র গরু পাচারকারী এনামুল ও কয়লার বেআইনি কারবারি অনুপ মাঝি ওরফে লালা এই দুজনেরই খুবই ঘনিষ্ঠ। সিবিআই তদন্তে তেমনি তথ্য উঠে আসে। বিনয় মিশ্রের নামে লুকআউট নোটিশও জারি করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। উল্লেখ্য, তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন বিনয় মিশ্র। এই প্রথম সরাসরি তৃণমূলের কোনও নেতার নাম জড়িয়ে গেল গরু ও কয়লা পাচারচক্রে।সিবিআই সূত্রের খবর, এনামুল ও লালার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা পৌঁছে যেত বিনয় মিশ্রর কাছে। তদন্তকারীদের মতে, সম্ভবত সেই কালো টাকা ঘুরপথে বিদেশ থেকে ঘুরে সাদা টাকায় পরিণত হত। আবার কখনও ভুয়ো সংস্থার নামে ওই টাকা সাদা হতে সময় লাগত না। কিন্তু সেই টাকা কোথায়? অবৈধ টাকার ভান্ডারের সন্ধান খুঁজতেই সিবিআই তদন্ত শুরু করেছে। এদিন তল্লাশিতে বহু নথি উদ্ধার হলেও বিনয় মিশ্রের খোঁজ পায়নি সিবিআই।বেশ কিছু দিন ধরেই রাজ্য় রাজনীতি তোলপাড় গরু ও কয়লা পাচারচক্র নিয়ে। বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব এই পাচার নিয়ে বিভিন্ন জনসভায় সরব হয়েছেন। কিন্তু এই প্রথম শাসকদলের কোনও নেতার কলকাতার তিনটে অফিস-বাড়িতে তল্লাশি চালাল সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালিয়েছে রাসবিহারী, চেতলা ও লেকটাইউনে। সিবিআইয়ের মাথা যন্ত্রনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তৃণমূলের এই যুব নেতা কয়লা ও গরুর টাকা কোথায় গচ্ছিত রেখেছেন তা নিয়ে।

ডিসেম্বর ৩১, ২০২০
খেলার দুনিয়া

সৌরভকে রাজনীতিতে না আসার পরামর্শ অশোকের

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে রাজনীতিতে না আসার পরামর্শ দিলেন শিলিগুড়ির সিপিএম বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্য। বুধবার নিজের ফেসবুক পেজে বিষয়টি পোস্ট করেন শিলিগুড়ির পুরপ্রশাসক। তাঁকে ক্রিকেটার হিসাবেই দেখতে চান তিনি। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের আমন্ত্রণে বেহালার বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজে গিয়েছিলেন অশোক ভট্টাচার্য। সেখানে রাজনীতি ও ক্রিকেট নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয় সৌরভ ও ডোনার সঙ্গে। নিজের ফেসবুক পেজে এদিন অশোক ভট্টাচার্য লিখেছেন, তিনি ভারতের ক্রিকেট আইকন সৌরভ গাঙ্গুলীকে রাজনীতিতে না আসার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি সৌরভকে বলেছেন, ক্রিকেট তাকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে দিয়েছে। দেশের মানুষ চায় তা সৌরভের জনপ্রিয়তা যেন অক্ষুন্ন থাকে। সেই সঙ্গে শিলিগুড়ির ক্রিকেট নিয়েও বিস্তর আলোচনা হয়েছে। শিলিগুড়ির ক্রিকেটের উন্নয়নে সবরকম সহযোগিতা করার আশ্বাস মহারাজের কাছ থেকে পেয়েছেন বলেও দাবী করেছেন অশোক ভট্টাচার্য। সময় পেলে সৌরভ শিলিগুড়িতে আসবেন, তাঁর বাসভবনে আসবেন বলেও তাঁকে কথা দিয়েছে সৌরভ গাঙ্গুলী। ক্রিকেটের পাশাপাশি অশোক ভট্টাচার্যের সাথে রাজনীতি নিয়েও কথা হয়েছে সৌরভ জায়া ডোনার। ডোনা জানতে চেয়েছেন আসন্ন বিধানসভায় তিনি লড়ছেন কিনা। তারজন্য ডোনা আগাম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বলেও নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট করেছেন অশোক ভট্টাচার্য। সৌরভের বিজেপি যোগ নিয়ে বিস্তর জল্পনা ছড়িয়েছে। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে একান্ত বৈঠক। তারপর এক মঞ্চে দিল্লিতে অমিত শাহর সঙ্গে দেখা গিয়েছে সৌরভকে। সেই জল্পনার মাঝেই সৌরভের বাড়িতে অশোক ভট্টাচার্যের মধ্যাহ্নভোজন, আলোচনা। পরে সিপিএম নেতার ফেসবুকে পোস্ট বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করে রাজনৈতিক মহল। ফেসবুকে অশোক ভট্টাচার্য লিখেছেন: আজ সৌরভ গাঙ্গুলির বাড়িতে বসে সৌরভ আর ডোনার সাথে অনেক গল্প হলো। শিলিগুড়ির খবর, ক্রিকেট নিয়ে আলোচনা হলো। আমি ইলেকশনে লড়ছি কিনা তাও জানতে চাইলো! তার জন্যে আগাম শুভেচ্ছাও জানিয়ে রাখলো। রাজনীতির কথা প্রসঙ্গে আমার মত,ওর রাজনীতিতে যুক্ত না হওয়া, তাও বলেছি। কথা প্রসঙ্গে বলেছি ক্রিকেট ওকে জন প্রিয়তার তুঙ্গে নিয়ে গেছে। দেশের মানুষ চায় তা যেন অব্যাহত থাকে। ওর সাথে শিলিগুড়ির ক্রিকেট নিয়েও কথা হয়। ও সব রকম সহযোগিতা করবে। একবার এসব নিয়ে কথা বলতে শিলিগুড়িতে আসবে। তখন আমাদের বাড়িতে গিয়ে ওর কাকিমার সাথে দেখা করে আসবে বললো। ছবিটা তুলেছে ডোনা।

ডিসেম্বর ৩০, ২০২০
কলকাতা

ধনকর- সৌরভ বৈঠকে রাজনৈতিক মহলে বড় প্রশ্ন

রাজভবনকে বিজেপির দলীয় কার্যালয় বলে একাধিকবার কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যপালকে বিজেপির মুখপাত্রের থেকেও ভয়ঙ্কর বলে মন্তব্য করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক করে বাংলার রাজনীতিতে নতুন করে জল্পনা বাড়ালেন ক্রিকেটের মহারাজ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। দীর্ঘ দিন ধরেই গুঞ্জন ছড়িয়েছে বাংলায় বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীর মুখ হতে পারেন বেহালার ছেলে। যদিও একথা কেউও প্রকাশ্যে স্বীকার করেনি। তবে রবিবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর ও সৌরভের সাক্ষাৎকার রাজনৈতিক মহলে চর্চার বিষয়বস্তু হিসাবে দাঁড়ায়। বৈঠক নিয়ে টুইট করে রাজ্যপাল ধনকর লিখেছেন, “সৌরভের সঙ্গে অনেক বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। দেশের সবচেয়ে পুরনো স্টেডিয়াম ইডেন গার্ডেন্সে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন আমাকে।” সৌরভ কিন্তু বৈঠক নিয়ে মুখ খোলেননি। সৌরভ রাতারাতি ভারতীয় ক্রিকেটে বোর্ডের সভাপতি হয়েছেন। তাঁর নেপথ্যে ছিলেন ভারতীয় রাজনীতির চানক্য বিজেপি নতা অমিত শাহ। ধনকর-রাজ্যপাল বৈঠক নিয়ে ধন্দে পড়েছেন রাজনৈতিক মহল। সম্প্রতি অমিত শাহর সাংবাদিক বৈঠকে সৌরভের বিজেপি যোগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। শাহ কিন্তু সরাসরি কোনও জবাব দেননি। না-ও বলেননি। এমনকী সৌরভের রাজনীতি নিয়ে প্রশ্নে স্ত্রী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ও ঘুরিয়ে জবাব দিয়েছেন। তবে অতীতে দেখা গিয়েছে সৌরভ শেষ মুহূর্তে সিএবির সভাপতি হয়েছেন। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতিও হয়েছেন একেবারে শেষ পর্যায়ে। কেই টের পায়নি। অভিজ্ঞ মহলের মতে, একটা জিজ্ঞাসা রয়েই গেল।

ডিসেম্বর ২৮, ২০২০
শিক্ষা

গৌড়বঙ্গের মুকুটে নতুন পালক, খুলে গেল মহাকাশ গবেষণা ও কর্পোরেট ফার্মিং-এর দরজা

মহাকাশ গবেষণার দরজা খুলে গেল এবার গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সামনে। মালদার ভূমিপুত্র তথা মহাকাশ বিজ্ঞানী সন্দীপ চক্রবর্তীর হাত ধরেই এই ঐতিহাসিক সুযোগ আসতে চলেছে গৌড়বঙ্গে। সম্প্রতি সন্দীপ বাবুর মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ' ইন্ডিয়ান সেন্টার ফর স্পেস ফিজিক্স'-এর সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। আর তাতেই আশার আলো দেখছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও পড়ুয়ারা। একইসঙ্গে হায়দ্রাবাদের 'আর আর এনিম্যাল হেল্থকেয়ার' সংস্থার সঙ্গে কর্পোরেট ফার্মিং প্রোগ্রাম বিষয়েও একটি মউ স্বাক্ষর করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরবিদ্যা বিভাগ। এর ফলে অ্যানিম্যাল হাজবেন্ড্রির গবেষণার পাশাপাশি আর্থ সামাজিক উন্নয়ন সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিতর্ককে পিছনে ফেলে ক্রমেই উৎকর্ষতার দিকে এগিয়ে চলেছে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই অধ্যাপক বিশ্বের সেরা বিজ্ঞানীদের তালিকায় নাম তুলেছিলেন। এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সামনে খুলে গেল মহাকাশ গবেষণার সুবর্ণ সুযোগ। সম্প্রতি 'ইন্ডিয়ান সেন্টার ফর স্পেস ফিজিক্স' নামে এক মহাকাশ গবেষণা সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর মালদার ভূমিপুত্র তথা জ্যোতির্বিজ্ঞানী সন্দীপ চক্রবর্তী প্রতিষ্ঠিত ওই সংস্থার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় গাঁটছড়া বাঁধার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে এখানকার পড়ুয়ারা মহাকাশ গবেষণার সুযোগ পাবেন বলে জানা গেছে। যারা উপযুক্ত পরিকাঠামোর অভাবে গৌড়বঙ্গ অথবা উত্তরবঙ্গের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে তেমনভাবে মহাকাশ গবেষণার সুযোগ পাচ্ছিলেন না, তারাও এখন উপকৃত হবেন। এমনকি সন্দীপ বাবুর 'সেন্টার ফর স্পেস ফিজিক্স' থেকে গবেষণা করে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করতে পারবেন পড়ুয়ারা। এর ফলে একদিকে যেমন বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষার উৎকর্ষতা বাড়বে তেমনই সেন্টার ফর স্পেস ফিজিক্সের পরিকাঠামো ব্যবহার করে গবেষণার সুযোগ পাবেন ছাত্র-ছাত্রীরা। প্রসঙ্গত বিজ্ঞানী সন্দীপ চক্রবর্তীর জন্ম ও বেড়ে ওঠা মালদা জেলাতেই। এমনকি তাকে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন উৎসবে সাম্মানিক 'ডক্টর অফ সায়েন্স' উপাধি দেওয়া হয়। মহাকাশ গবেষণার জন্য সন্দীপ চক্রবর্তীকে আমেরিকার স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির সাম্প্রতিক সমীক্ষায় ভারতবর্ষের সেরা বিজ্ঞানীর শিরোপা দেওয়া হয়েছে। তার 'সেন্টার ফর স্পেস ফিজিক্স' সংস্থাটি ইতিমধ্যেই মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে যথেষ্ট সাড়া ফেলে দিয়েছে। পূর্ব ভারতের সবচেয়ে উন্নত মানের টেলিস্কোপ রয়েছে ওই সংস্থার কাছে। এমনকি মহাকাশ গবেষণার জন্য বিশাল আকারের বেলুন ও যন্ত্রপাতি সংস্থার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় চল্লিশ কিলোমিটার উচ্চতায় ভেসে থাকা সেই বেলুন থেকেই সম্প্রতি বৃহস্পতি ও শণি গ্রহের নৈকট্য লেন্সবন্দী করেছে সেন্টার ফর স্পেস ফিজিক্স। এমনকি কৃত্রিম উপগ্রহ তৈরির প্রশিক্ষণও দিয়ে থাকে ওই সংস্থা। স্বভাবতই এমন সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে পেরে উচ্ছ্বসিত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তথা পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান প্রফেসর চঞ্চল চৌধুরী জানান," সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল সন্দীপবাবু সেন্টার ফর স্পেস ফিজিক্স প্রতিষ্ঠানকে সহযোগী সংস্থা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিভিন্ন ভাবনার আদান-প্রদান, প্রশিক্ষণ এবং গবেষণার দরজা খুলে যাবে। গৌড়বঙ্গের পড়ুয়ারাও মহাকাশ গবেষণার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তাদের অবদান রাখতে পারবেন। এমনকি গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় বা সেন্টার ফর স্পেস ফিজিক্স থেকে গবেষণা করলে পিএইচডি ডিগ্রি এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাওয়ার সুযোগ থাকছে।" এ প্রসঙ্গে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বিপ্লব গিরি বলেন," সন্দীপবাবু সংস্থার সঙ্গে কাজ করতে পারাটা সৌভাগ্যের ব্যাপার। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি তার একটা নাড়ির টান রয়েছে। তিনি মালদার ভূমিপুত্র। তাই গৌড়বঙ্গ তথা উত্তরবঙ্গের জন্য তিনি কিছু করতে চেয়েছিলেন। তিনি যখন মহাকাশ গবেষণার প্রস্তাব আমাদের দেন, তখন আমরা তাতে সম্মত জানাতে দেরি করিনি। এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। এরফলে এস্ট্রোফিজিক্স নিয়ে গবেষণার নতুন দিক উন্মোচিত হবে।" অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে পারে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানী সন্দীপ চক্রবর্তী। তিনি জানান," গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কাজ করার জন্য আমার সংস্থার তরফ থেকে একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সে প্রস্তাবে তারা রাজি হয়েছেন। এর ফলে আখেরে গৌড়বঙ্গ ও উত্তরবঙ্গের পড়ুয়াদের সামনে মহাকাশ গবেষণার সুযোগ তৈরি হবে। আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে ইতিমধ্যেই এখানকার ৪৫ জন ছাত্র-ছাত্রী গবেষণায় সফলতা পেয়েছেন। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার ফলে এখানকার পড়ুয়ারা আমার সংস্থায় গবেষণা করার সুযোগ পাবেন। গবেষণার পর পিএইচডি ডিগ্রি দেবে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। এর ফলে যে সমস্ত প্রতিভা বিকশিত হওয়ার সুযোগ পেত না, তাদেরও প্রতিভার বিচ্ছুরণ ঘটবে বলে আশা করি।" একদিকে যখন মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে নতুন দিগন্ত খুলতে চলেছে তখন অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরবিদ্যা বিভাগের সঙ্গে মউ স্বাক্ষর করলো হায়দ্রাবাদের প্রাণী সম্পদ বিকাশ সংস্থা 'আর আর এনিমেল হেলথ কেয়ার'। উন্নত মানের প্রাণীজ খাদ্য উৎপাদনের জন্য কর্পোরেট ফার্মিং অর্থাৎ ভক্ষ প্রাণীর উন্নত পরিপালন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়ে গবেষণা ও কাজকর্ম করে থাকে সংস্থাটি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরবিদ্যা বিভাগের সঙ্গে ওই সংস্থা গাঁটছড়া বাঁধায় এবার এখানকার পড়ুয়ারাও কর্পোরেট ফার্মিং প্রোগ্রাম বিষয়ে যেমন তালিম পাবেন যেমন তেমনিই তাদের সামনে খুলে যাবে গবেষণার রাস্তাও। গরু, ছাগল,ভেড়া,হাঁস, মুরগি, মাছ সমেত পোলট্রি ফার্মিং বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে ওই সংস্থা। সাধারণ মানুষের কাছে দূষণমুক্ত উন্নত মানের প্রাণীজ খাদ্য পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে গবেষণা ও উৎপাদনের কাজ করে ওই সংস্থা। এর আগেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরবিদ্যা বিভাগের পড়ুয়াদের নিয়ে এই সংক্রান্ত গবেষণার কাজ করেছে সংস্থাটি। শারীরবিদ্যা বিভাগ সূত্রে খবর, যারা পোলট্রি তথা অ্যানিম্যাল হাজবেন্ড্রির সঙ্গে যুক্ত তারা যাতে নিজেরাই উন্নত মানের প্রজাতির প্রাণীর ব্রিডিং করতে পারেন সেজন্য সিমেন এক্সটেন্ডার মেশিন তৈরির চেষ্টা যৌথ ভাবে করা হবে। ওই মেশিন তৈরি হলে উন্নত মানের পুরুষ পশু বা পাখির বীর্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করে তার সফল প্রয়োগ বাস্তবায়িত হবে বলে জানা গেছে। শারীরবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক তথা ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বিপ্লব গিরি জানান," যে সমস্ত প্রাণীর মাংস, দুধ, ডিম আমাদের খাদ্য তালিকায় রয়েছে তাদের বিজ্ঞানসম্মতভাবে প্রতিপালন করা এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা করার বিষয়ে পড়ুয়ারা গবেষণার সুযোগ পাবেন। আমরা গবেষণার মাধ্যমে যদি উন্নততর কিছু আবিষ্কার করতে পারি তবে তার বাণিজ্যিক প্রয়োগের মাধ্যমে লাভবান হতে পারেন পশু পালক ও পোলট্রি ফার্মাররা। আর্থ সামাজিক ক্ষেত্রে আমূল সংস্কার আনা সম্ভব হবে এর মাধ্যমে। নিঃসন্দেহে এটি বড় প্রাপ্তি।" এ প্রসঙ্গে 'আর আর এনিমেল হেলথ কেয়ার' এর রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট উইংয়ের প্রধান লাবণ্যময় কোলে জানান," গৃহপালিত প্রাণীর উন্নত প্রতিপালন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি সম্পর্কে পড়ুয়ারা যেমন জানতে পারবেন তেমনি এখানে গবেষণার মাধ্যমে উচ্চ প্রজননক্ষম গৃহপালিত প্রাণী ও তার উৎপাদনের বিষয়টিও সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে। এর ফলে গ্রামের পশুপালকরাও উপকৃত হবেন।" নানা ইস্যুকে কেন্দ্র করে যখন গৌড়বঙ্গে অচলাবস্থা তৈরীর চক্রান্ত চলছে বলে বারবার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এমন দু'টি বিজ্ঞান গবেষণা সংস্থার গাঁটছড়া বাঁধার ঘটনা নিঃসন্দেহে আশার আলো দেখাচ্ছে শিক্ষাপ্রেমীদের।

ডিসেম্বর ২৮, ২০২০
রাজ্য

এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি চ্যালেঞ্জ শুভেন্দু অধিকারীর

নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দেগেছেন। ফিরহাদ হাকিম, সৌগত রায়, অমিত মিত্রকও আক্রমণ শানাতে ছাড়েননি। শেষমেশ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন নন্দীগ্রামের প্রাক্তন বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। ৭ জানুয়ারির বদলে ৮ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে সভা করবেন শুভেন্দু। জবাব দেবেন মমতার সভার। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর এদিন প্রথম কাঁথিতে মিছিল ও সভা করেন শুভেন্দু অধিকারী। ভিড়ে ঠাসা ছিল মিছিল দাবি করেছে বিজেপি। এদিন শুভেন্দু একের পর এক তির ছুড়তে থাকেন। শুভেন্দু বলেন, মিনি পাকিস্তান বলা মন্ত্রী বলছেন শুভেন্দুর মুখে পরিবারতন্ত্র বলা মানায় না। আরে মাননীয় মিনি পাকিস্তান বলা মন্ত্রী আমি আপনার জামাইকে বলিনি তৃণমূলের যুব নেতা। লাল চুল, কানে দুল তার নাম যুবা তৃণমূল। আমি তাঁর কথা বলিনি। সৌগত রায়ের দাদা আমাদের বড় নেতা, প্রাক্তন রাজ্যপাল। আমি তাঁর কথাও বলিনি। আমি বলেছি কয়লা চোর, বালি চোর, পাথর চোর, গরুপাচারকারী ভাইপোর কথা। আবার চাকরি দিতে পারেনি পাউচ বিক্রি করার ব্যবস্থা করেছেন অর্থমন্ত্রী, বলেছেন শুভেন্দু। এতদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করেননি শুভেন্দু। এদিন কাঁথির সভায় তৃণমূলনেত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণও করেছেন তিনি। প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী বলেন, আপনি ৭জানুয়ারী, ১৪মার্চ, ১০ নভেম্বর কোনও দিন আসেননি। কাল টিভিতে দেখলাম আপনি আসছেন। আপনি এলে রাস্তা সারাবে। আমার জেলার লাভ হবে। আমি ৭ তারিখে প্রতিবছর আমি যাই। এবার ওই দিন বড় কর্মসূচি নেব না। ৭ তারিখ আসছেন, ভাল কথা মোস্ট ওয়েলকাম। এতদিন আসেননি। আসুন। আমি যা যা বলতে আসছেন আমি জানি। ১০০০টা শুভেন্দু তৈরি হয়। কে ওটা, কী হবে। শুভেন্দুকে কাউন্টার করতে হাটবারে হাটবারে চারটা-পাঁচটা পুলিশের পাইলট কার নিয়ে জোড়া জোড়া মন্ত্রী। শুভেন্দুর চ্যালেঞ্জ, ৭ তারিখে আসুন, ভাষন দিন। আমি ৮ তারিখে সভা করা আপনার সব কথার জবাব দিয়ে দেব। আমি শৃঙ্খলাপরায়ন লোক। আমি আজই কৈলাশ বিজয়বর্গীয় জানিয়েছি নন্দীগ্রামে ৮ তারিখ সভা হবে। উনি সরকারি ক্ষমতায় লোক আনবেন, আমি আবেগ-ভলবাসায় লোক আনব। শুভেন্দু এদিন একাধিকবার ফিরহাদ হাকিমকে আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেন, উপনির্বাচনে টিকিট পায়নি বলে তৃণমূলনেত্রীর বাড়িতে ঢিল মারতে গিয়েছে। আমফানের পর কলকাতার লোক বুঝে গিয়েছিল কী তাঁর যোগ্য়তা। গ্রামের সঙ্গে লড়াই দক্ষিণ কলকাতার চার-পাঁচটা লোকের। ৪০ টা দফতর ওই চার-পাঁচটা লোকের। শুভেন্দুর ঘোষণা, গোপীবল্লভপুরের দিলীপ ঘোষ ও শুভেন্দু হাত মিলিয়েছে। যেতে তোমাদের হবেই। পদ্ম ফুটিয়ে ঘুমাতে যাব।

ডিসেম্বর ২৪, ২০২০
কলকাতা

তাজপুর থেকে সিঙ্গুর: নতুন কর্মপথ, নতুন দিশা

বড়দিনের আগেই রাজ্যে নতুন বিনিয়োগ ও বিপুল কর্মসংস্থানের সম্ভাবনার কথা জানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার ২৪ ডিসেম্বর ২০২০ তিনি বলেন, তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরি করছে রাজ্য সরকার। আন্তর্জাতিক টেন্ডার ডাকা হচ্ছে। ৪,২০০ কোটি টাকার প্রকল্প। আমরা কোথাও জোর করে কোনও জমি অধিগ্রহণ করি না। এই বন্দর তৈরি হলে ১৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হবে। ২৫ হাজার কর্মসংস্থান হবে। ব্যবসা-বাণিজ্যের বিপুল প্রসার ঘটবে। দেশে লৌহ-ইস্পাত রফতানির ১৩ শতাংশ হয় এই রাজ্যে। বন্দর হলে তা বৃদ্ধি পাবে। খড়গপুর ও সংলগ্ন এলাকায় ইস্পাত শিল্পের রফতানি বৃদ্ধি পাবে। দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বর্ধমানে নতুন কর্মপথ, নতুন দিশা তৈরি হবে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া-সহ বিভিন্ন দেশে সি-ফুড রফতানি বাড়বে। মৎস্যজীবীরা উপকৃত হবেন, বহু মানুষ কাজ পাবেন। এটা একটা যুগান্তকারী পদক্ষেপ। সিঙ্গুরে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরির ঘোষণা করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, কৃষি আর শিল্প একসঙ্গে, এটা আমি হাসি আর খুশি বলে থাকি। অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক গড়ে উঠবে এখানে। রেল স্টেশন ও ট্রমা কেয়ার সেন্টারের কাছে ১১ একর জমিতে শিল্প পার্ক গড়ে উঠবে। উৎপাদিত ফসল বিক্রি, প্রদর্শনী, ডিসপ্লে আইটেম তৈরি ইত্যাদি ব্যবস্থা থাকবে। ১০ থেকে ৩০ কাঠা জমি প্লট করে শিল্পপতিদের দেওয়া হবে। পানাগড় ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে ৪০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে ধানুকা ধানসেরি গোষ্ঠী। সিলিকন ভ্যালিতেও জমি পাওয়ার আবেদন প্রক্রিয়া মসৃণ করছে হিডকো, আইটি ক্ষেত্রে জোর দিচ্ছি। উইপ্রো, ইনফোসিস লগ্নি করার কথা জানিয়েছে।

ডিসেম্বর ২৪, ২০২০
রাজনীতি

সায়ন্তনের পর অগ্নিমিত্রাকে শোকজ, কেন এই পদক্ষেপ বিজেপির?

একদিকে তৃণমূল কংগ্রেস সহ বাম-কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগপর্ব চলছে। একইসঙ্গে চলছে রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে শোকজের পালা। মঙ্গলবার সায়ন্তনসহ তিনজনকে শোকজ করার পর বুধবার শোকজ করা হল রাজ্য মহিলা মোর্চার সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পালকে। রাজ্য বিজেপি জানিয়েছে, দলবিরোধী মন্তব্যের জন্য অগ্নিমিত্রাকে শোকজ করা হযেছে। ১৮ ডিসেম্বর তিনি সংবাদ মাধ্যমে ওই মন্তব্য করেছিলেন। তবে কী মন্তব্য করার জন্য তাঁকে শোকজ করা হয়েছে তা সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া চিঠিতে লেখা নেই। চিঠিতে অগ্নিমাত্রা পালকে বলা হযেছে ৭ দিনের মধ্যে দিলীপ ঘোষের কাছে তাঁকে জবাব দিতে হবে। উত্তর সন্তোষজনক না হলে দল কঠোর শাস্তি দেবে বলেও তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুকে শোকজ করে রাজ্য নেতৃত্ব। তাঁকে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছিল। শুভেন্দু তৃণমূল ছাড়ার পরপরই জিতেন্দ্র তেওয়ারী তৃণমূল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। তাঁর বিজেপি যোগের সম্ভাবনা প্রবল হয়। তৎকালীন তৃণমূল সাংসদ সুনীল মন্ডলের বাড়িতে তাঁরা বৈঠকও করেন। কিন্তু তারপরই আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়, সায়ন্তন বসু, অগ্নিমিত্রা পাল জিতেন্দ্রকে নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের কাছে আপত্তি জানান। বাবুল তো সরাসরি তাঁর আপত্তির কথা জানিয়ে দেন। বাকিরা সেই মতকে সমর্থন করে। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, সম্ভবত এই কারণেই অগ্নিমিত্রা পালকে শোকজ করা হল।

ডিসেম্বর ২৩, ২০২০
রাজ্য

পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষের পদত্যাগের হুঁশিয়ারি, শোরগোল তৃণমূলে

জেলার এক সাংসদ ও দুই বিধায়ক বিজেপি শিবিরে যোগ দিয়েছেন। এবার পদত্যাগের হুঁশিয়ারি দিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের এক কর্মাধ্যক্ষ। দলের জেলা সাধারণ সম্পাদিকার পদ ছেড়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারিতে তোলপাড়। এবার বেসুরো পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মিঠু মাঝি। মঙ্গলবার মিঠু মাঝি জানিয়ে দিলেন কর্মাধ্যক্ষ পদ থেকে পদত্যাগ করবেন। তবে তিনি পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের নারী ও শিশু এবং সমাজ কল্যাণ দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ পদ ছাড়লেও দল থেকে পদত্যাগ করছেন না। মিঠু মাঝি জানান, দীর্ঘদিন ধরেই তিনি অপমানিত হচ্ছেন। তাঁকে না জানিয়েই সব কাজ করা হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়েই তিনি এই কর্মাধ্যক্ষের পদ ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আরও পড়ুন-- আমাকে বিধায়কের টিকিট দেওয়ার দরকার নেই-শুভেন্দু মিঠু পরপর দুবার জেলাপরিষদের জামালপুর আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে তিনি বন ও ভূমি দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ হিসাবে কাজ করেছেন। কিন্তু শেষ পঞ্চায়েত নির্বাচনে তিনি জয়লাভ করার পর তাঁকে নারী ও শিশু, সমাজকল্যাণ দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ করা হয়। কিন্তু তাঁকে কোনো কিছু না জানিয়েই সবরকমের সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। তাঁর দপ্তরের অধীন যে সমস্ত বিষয় সে সম্পর্কেও তাঁকে কিছু জানানো হচ্ছে না। সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরই তাঁকে জানানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মিঠু মাঝি। আরও পড়ুন-- তোলা না পেয়ে মারধরের অভিযোগ, খতিয়ে দেখা হচ্ছে সিসিটিভি তাঁর অভিযোগ, আমাকে না জানিয়েই গতবছর সবলা মেলা গলসিতে করা হয়েছিল। এবছর সবলা মেলা করা হচ্ছে মেমারির সাতগেছিয়ায়। কিন্তু এবিষয়েও আমাকে কিছুই আগাম জানানো হয়নি। সবকিছু ঠিক করে আমাকে জানানো হয়েছে। এভাবে দিনের পর দিন আমি আর উপেক্ষার পাত্রী হয়ে থাকতে রাজি নই। গোটা বিষয়টি আমি দলের জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথসহ জেলা নেতৃত্ব এমনকি খোদ সভাধিপতিকেও জানিয়েছিলেন। কিন্তু কোনে সুরাহা হয়নি। এমনকি এব্যাপারে কথা তোলায় আ্মাকে কার্যত অপমানিতও করা হয়। আরও পড়ুন-- প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর মিঠু জানিয়েছেন, তিনি ত্রাণ বিভাগেরও কর্মাধ্যক্ষ। সাম্প্রতিককালে আমফানে ক্ষতিগ্রস্থদের সাহায্যের জন্য তিনি প্রতিটি জেলা পরিষদ সদস্যকে ৫টি করে ত্রিপল দেবার দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে অপমান করা হয়। স্বাভাবিকভাবেই তিনি সরকারি অর্থ খরচ করে প্রতিদিন জেলা পরিষদে আসা তিনি মানতে পারছেন না। তাই বাধ্য হয়েই তিনি পদত্যাগ করছেন। যদিও তিনি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ পদ থেকে ইস্তফা দিলেও তিনি তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদিকা হিসাবে এবং জেলা পরিষদের সদস্য হিসাবেই কাজ করে যাবেন। এমনকি তিনি তৃণমূল ছেড়ে অন্য দলেও যাচ্ছেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন। এই বিষয়ে জেলা সভাধিপতি শম্পা ধাড়া বলেন, এখনও এব্যাপারে আমাকে কিছু জানানো হয়নি। জেলা পরিষদের সব কর্মাধ্যক্ষই নিজের মত স্বাধীনভাবে কাজ করেন।কাউকে কাজ বাধা দেওয়া হয় না। মিঠু মাঝির পদত্যাগ নিয়ে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র তথা জেলা পরিষদের সহসভাধিপতি দেবু টুডু বলেন, কোনও সমস্যা হতেই পারে। ওসব বড় ব্যাপার নয়। সব আলোচনা করে মিটিয়ে নেওয়া হবে।

ডিসেম্বর ২২, ২০২০
রাজনীতি

"আমাকে বিধায়কের টিকিট দেওয়ার দরকার নেই"-শুভেন্দু

বিধানসভার টিকিট চান না সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর একটাই লক্ষ্য রাজ্যে পরিবর্তন আনা। পূর্বস্থলীতে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর প্রথম জনসভায় কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না তৃণমূল কংগ্রেসকে। তাঁর কথায় দেড় জনে মিলে তৃণমূল চালাচ্ছে। শনিবার মেদিনীপুরে এক জনসভায় অমিত শাহর(amit shah) হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari)। তারপর পূর্ব বর্ধমানে এটাই ছিল তাঁর প্রথম জনসভা। এই জনসভায় হাজির ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আরও পড়ুন--প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর শুভেন্দু বলেন, দলকে আমাকে বিধায়কের টিকিট দেওয়ার দরকার নেই। ২৪ ঘণ্টার মধ্য়ে ১৬ ঘণ্টা খাটবো। যেখানে বলবে সেখানে যাব। হারবই হারাব। আমরা জিতবই। নতুন বাংলা গড়ব, সোনার বাংলা গড়ব। পরিবর্তনের পরিবর্তন চাই। দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে যা নির্দেশ দেবে তা আমরা পালন করব। মীরজাফরের সঙ্গে তুলনা টানা হচ্ছে শুভেন্দু অধিকারীকে। বিজেপি যোগ নিয়েই তৃণমূল নেতৃত্ব তোপ দেগে চলেছে শুভেন্দুকে। প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী মীরজাফরের জবাবে বলেন, ১৯৯৮ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা হয়। ১৯৯৮-এ পঞ্চায়েত ভোট, ১৯৯৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের সঙ্গে কারা ছিল। সেদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী তৃণমূল কংগ্রেসকে আশ্রয় না দিতেন, লালকৃষ্ণ আদবানী আশ্রয় না দিতেন এই দলটা ২০০১ সালেই উঠে চলে যেত। এটাকে অস্বীকার করতে পারবেন না। আরও পড়ুন--এক মাসেই ২২৩টি ধর্ষণের অভিযোগ নথিভুক্ত বাংলায়, টুইটে তোপ মালব্যের বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের যোগ নিয়ে তিনি আরও বলেন, ২০০৪ সালে তমলুক লোকসভায় কেউ লড়তে রাজি হয়নি। সেদিন আমি এনডিএ-র প্রার্থী হয়ে লড়েছিলাম। একদিকে বিজেপির ঝান্ডা অন্যদিকে তৃণমূলের ঝান্ডা নিয়ে লড়েছিলাম। ২০০৭ সালে নন্দীগ্রামের গণহত্য়ার দিন অন্য় কোনও রাজনৈতিক দলের নেতা আসেননি। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব পাশে ছিলেন।

ডিসেম্বর ২২, ২০২০
রাজ্য

অমিত শাহর পাল্টা র‍্যালিতে ২ লক্ষ জমায়েতের চ্যালেঞ্জ

র্যালির পাল্টা র্যালি। অমিত শাহ বনাম মমতা। একদিকে যেমন দলবদলের খেলা জমে উঠেছে তেমনই চলছে একে অপরকে চ্যালেঞ্জ, পাল্টা চ্যালেঞ্জ। জনসভা পাল্টা জনসভা। ২০১১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই কৌশল নিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার ফের সেই পথেই হাটছে। সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারীও কাঁথিতে মিছিল করবেন তৃণমূলের জনসভার পরের দিন, ২৪ ডিসেম্বর। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রবিবারের র্যালি নিয়ে যারপরনাই খুশি। সেই আনন্দে তিনি বলেই ফেলেছেন, বাংলায় এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির জয় কেউ আটকাতে পারবে না। সেই ঘোষনাকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বোলপুরেই অমিত শাহর র্যালির ১০ দিনের মাথায় রোড শো করবেন মমতা। না তাড়াহুড়ো নয়, একেবারে সময় নিয়েই কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। ২৯ ডিসেম্বর বোলপুরে রোড শো করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের দাবি, ওই দিন ২ লক্ষ মানুষের জমায়েত হবে। এর আগে তিনি অভিযোগ করেছেন বিজেপি বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসেছে। যদিও বিজেপি পাল্টা জানিয়ে দিয়েছে শুধু বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা নয়, তাদের রোড শোতে বিক্ষুব্ধ তৃণমূলীরাও ছিলেন।

ডিসেম্বর ২১, ২০২০
রাজনীতি

বাংলায় বিজেপিতে মুখমন্ত্রী পদে মুখ ৬ জন ও উপমুখ্যমন্ত্রী পদে ১৩ জন

বাংলায় বিজেপিতে ৬ জন মুখ্যমন্ত্রী, ১৩ জন উপমুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন পদের লড়াইয়ে। জানালেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের স্ত্রী সুজাতা মন্ডল খাঁ। এদিন তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর কথা বললেই দলের নেতৃত্ব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দেখিয়ে দেন। তৃণমূল ভবনে এদিন তৃণমূলে যোগ দিয়ে একথা বলেন সুজাতা মন্ডল খাঁ। সুজাতা বলেন, আগামী দিন তাঁর এই সিদ্ধান্তে সৌমিত্র খাঁ সামিল হবেন কী না তা কে বলতে পারে? এরাজ্যে বিজেপির মুখ কে এ নিয়ে বারে বারে প্রশ্ন উঠেছে। কখনও জল্পনায় উঠেছে এসেছে ক্রিকেটার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী, রামকৃষ্ণ আশ্রমের সন্যাসী সহ অনেকের নাম। এবার সুজাতা দাবি করলেন, বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ৬ জন, উপমুখ্যমন্ত্রী ১৩ জন দাবিদার আছেন বিজেপিতে। তবে তাঁরা কারা সেকথা বিস্তারিত জানাননি সৌমিত্র পত্নী। বিজেপিতে মর্যাদা পাচ্ছেন না বলে দল ছেড়েছেন সুজাতা। তিনি জানান, বিজেপির অনেক মুখ থাকলেও তৃণমূলে একজনই মুখ্যমন্ত্রী। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখনও তিনি মুখ্যমন্ত্রী, ভবিষ্যতেও তিনি মুখ্যমন্ত্রী হবে। তিনিই দলের মুখ। বিজেপির সেখানে কোনও মুখ নেই। বিজেপিতে কোনও নেতা নেই। বিজেপি এখন তৃণমূলের বি-টিম। তাই আসল দল তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

ডিসেম্বর ২১, ২০২০
রাজ্য

‘বিজেপি বহিরাগতদের এনে ব়্যালি করছে’, দাবি অনুব্রতর

ডাকবাংলো মোড় থেকে চৌরাস্তা গোটা রাস্তাতেই ব্যান্ড বাজছে। বাড়ির উপর থেকে ফুল পড়ছে। জনজোয়ারে ভেসে এগিয়ে চলেছেন অমিত শাহ। পরে শাহের জয় শ্রীরাম ধ্বনিতে যেন জনতার বাঁধ ভাঙল। বোলপুরে এ দিন অমিত শাহের মেগা ব়্যালিতে ভিড় ছিল উপচে পড়া। তবে, একে আমল দিতে নারাজ খোদ বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। উল্টে এখানেও বহিরাগত তত্ত্ব হাজির করলেন নেত্রীর আস্থাভাজন কেষ্ট। দলীয় বঙ্গধ্বনী কর্মসূচির মাঝেই নিজস্ব কায়দায় বললেন, বিজেপি বহিরাগতদের এনে এই ব়্যালি করছে। আমি জেলার লোক নিয়ে মিছিল করি। কয়েকটা ব্লক নিয়ে মিছিল করলেই এর থেকে বেশি ভিড় জমিয়ে দিতে পারি। আরও পড়ুন ঃ রোড শোতে উপচে পড়া ভিড়, হুডখোলা গাড়ি থেকে পরিবর্তনের ডাক শাহের এখানেই থেমে থাকেননি অনুব্রত। উল্টে কিছুটা চ্যালেঞ্জের সুরেই তাঁর দাবি, আগামী ৪ জানুয়ারি থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকায় সভা শুরু হবে। প্রতিটা ব্লকে ৮০ হাজার করে লোক থাকবে। এরপরই তৃণমূল নেত্রীর পদযাত্রার প্রসঙ্গ উত্থাপ করে তিনি বলেন, মমতাদির সবা-মিছিল হলে পাঁচ-ছয়টা ব্লক থেকে মিছিল তাতেই চার-পাঁচ লাখ লোক হয়ে যায়। এসব আমাদের কাছে কোনও ব্যাপার নয়। বিজেপির এ দিনের কর্মসূচিতে যে ভিড় হয়েছে তাতে কি তিনি ভীত? অনুব্রত মণ্ডল বলেন, আমিত শাহ রোজ আসুন। এতে তৃণমূলের কোন ক্ষতি হবে না। উৎসাহিত হবে দলের কর্মীরা। একই সঙ্গে বলেন, শুভেন্দু হোক বা অন্য কেউ- তৃণমূল ছাড়লে ক্ষতি দলত্যাগীদের। ফের বাংলার ক্ষমতায় আসবে তৃণমূল।

ডিসেম্বর ২০, ২০২০
রাজ্য

রোড শো’তে উপচে পড়া ভিড়, হুডখোলা গাড়ি থেকে পরিবর্তনের ডাক শাহের

রবিবার অনুব্রত মণ্ডলের খাস তালুকে রোড শো করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কর্মীদের ভিড় এতটাই ছিল এক কিলোমিটার রাস্তা পেরোতে সময় লেগে গেল এক ঘণ্টারও বেশি। শুধু তাই নয় রাস্তার দুপাশে বিজেপির কর্মী সমর্থকদের ভিড় এতটাই ছিল যে রাস্তার দুপাশে দড়ি দিয়ে আটকে রাখা যাচ্ছিল না কর্মী-সমর্থকদের। রীতিমতো পুলিশকে বেগ পেতে হয় কর্মী-সমর্থকদের আটকানোর জন্য। অমিত শাহের রোড শো এর একদম প্রথমে ছিলেন বীরভূমের পুলিশ সুপার। হুডখোলা গাড়িতে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ কে সঙ্গে নিয়ে এদিন রোড শো-র প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ভালো মুডে দেখা গেল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। রোড শো-র প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত গোলাপের পাপড়ি কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ছুঁড়তে ছুঁড়তে গেলেন অমিত শাহ। আরও পড়ুন ঃ পাহাড়ে বিমলের সভার আগে আদিবাসীদের হুঁশিয়ারি আগুন জ্বলবে এরপর হুডখোলা গাড়িতে দাঁড়িয়ে সুর চড়ালেন অমিত শাহ। বলেন, এরকম রোড শো জীবনে দেখিনি। এটা ঐতিহাসিক। ডাকবাংলো মোড় থেকে চৌরাস্তা পর্যন্ত রোড শোতে ভিড় প্রসঙ্গে বার্তা দেন শাহ। মেদিনীপুরের পর বীরভূমে অনুব্রতর গড়ে ফের পরিবর্তনের বার্তা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। এছাড়াও বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতায় আসলে সোনার বাংলা গড়ার ডাক শাহের। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করে শাহ বলেন, তোলাবাজি বন্ধে পরিবর্তন দরকার। বিজেপি বাংলার উন্নয়ন করবে। রোড শো ঐতিহাসিক। এরকম র্যালি আগে দেখিনি। মোদিজির প্রতি ভালবাসা দেখছি। হিংসা বদলে বদল জরুরি। ভাইপোর দাদাগিরি বন্ধ হবে। অমিতের দাবি, বাংলার উন্নয়ন করবে বিজেপির সরকারই। বলেন, যেখানে বিজেপির শাসন, সেখানেই উন্নয়ন। উন্নয়নের রাস্তা থেকে সরে গিয়েছে বাংলা। পাশাপাশি মানুষের কাছে বিজেপিকে ভোটে জয়ী করার আহ্বানও জানান তিনি। বলেন, এতদিন তো কংগ্রেস, কমিউনিস্ট, তৃণমূলকে দেখলেন। কিন্তু তাতে কি অবস্থার কোনও বদল হয়েছে? বিজেপিকে একটি বার সুযোগ দিন, সোনার বাংলা গড়ব।

ডিসেম্বর ২০, ২০২০
কলকাতা

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনওদিন দলবদল করেনি, দাবি সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনওদিন দলবদল করেনি। ১৯৯৮ সালে কংগ্রেস ছেড়ে নিজের দল প্রতিষ্ঠা করেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেটাকে দলবদল বলে না। এভাবেই রবিবার মেদিনীপুর কলেজ মাঠের জনসভায় করা অমিত শাহের বক্তব্যের জবাব দিলেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, অমিত শাহর মতো একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সেটা জানা উচিত ছিল। বারবার বাংলায় এসে একটা দল যদি তৃণমূলকে অপমানজনকভাবে উপেক্ষা করার চেষ্টা করে তা হলে আমরা অবশ্যই প্রতিবাদ করব। রাজ্য সরকারের নামে একের পর এক মিথ্যে কথা বললে আমরা চুপ করে বসে থাকব না। বাংলার মানুষ এই বঞ্চনার জবাব বিজেপিকে দেবে। আরও পড়ুন ঃ অনুব্রত বিজেপিতে যোগ দিতে চাইলে ভেবে দেখবেনঃ দিলীপ ঘোষ সুব্রত মুখোপাধ্যায় এদিন আরও বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী বারবার দাবি করেছেন, তাঁর সরকার নাকি বাংলাকে ধান, শস্য দিয়েছে। কিন্তু তৃণমূলের কর্মীরা সেই ধান, শস্য রাজ্যবাসীকে দেয়নি। নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিয়েছে। কিন্তু আসল সত্যি অন্য। মমতার সরকার রাজ্যের দশ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল। মহামারীর সময় দেশের কোনও রাজ্য সরকার মানুষের জন্য এমন ব্যবস্থা করতে পারেনি। মমতার সরকার যেটা করেছে তা ভারতের ইতিহাসে লেখা থাকবে। কেন্দ্র দাবি করেছে, আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সুবিধা তারা বাংলার জনগণকে দিতে চেয়েছে। কিন্তু তৃণমূল নাকি রাজ্যে তা চালু করতে দেয়নি। এই রাজ্যে দেড় কোটির বেশি মানুষ বার্ষিক ৫ লাখ টাকা করে স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা পেয়েছেন। তৃণমূল সরকার কেন্দ্রের উপর নির্ভর করে ছিল না। অমিত শাহ হোম মিনিস্টার। এত বড় পদে থেকে ভুল তথ্য দিলে আমরা প্রতিবাদ করব। বাংলার মানুষও প্রতিবাদ করবে। তিনি এদিন আরও বলেন, যাঁরা বাংলার সংস্কৃতি বোঝেন না, বাংলার গর্ব বিদ্যাসাগর-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে সম্মান দেয় না, তাঁরা আবার বাংলা দখলের স্বপ দেখেন। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিদ্যাসাগরের মূর্তিভাঙা প্রসঙ্গও টেনে আনেন তিনি। আক্রমণ শানান শুভেন্দু-সহ দলত্যাগী সকল নেতাদের উদ্দেশেও। বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতার অভিযোগ, যাঁরা এভাবে দল ছাড়েন তাঁরা বিশ্বাসঘাতক। তাঁরা মীরজাফর, জগৎ শেঠ। মানুষ এঁদের ক্ষমা করে না। বিজেপিকে খোঁচা দিয়ে সুব্রতবাবুর শ্লেষ, একা শুভেন্দুকে নিয়েই ২৫০ আসনের স্বপ্ন দেখছে। এরপর কোনদিন তো বলে বসবেন ৩০০-এর বেশি আসন পাবে! এখনই সামলে নেওয়া উচিৎ। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে পূর্ব মেদিনীপুরের দাপুটে তৃণমূল নেতা মামুদ হোসেন তার ৫০০ অনুগামীকে নিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন। সুব্রত মুখোপাধ্যায় তার হাতে পতাকা তুলে দিয়ে দলে স্বাগত জানান।

ডিসেম্বর ২০, ২০২০
রাজ্য

বোলপুরের বাউল বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ অমিত শাহর

শ্যমবাটিতে বাউল শিল্পী বাসুদেব দাসের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। নির্দিষ্ট সময়ের খানিকটা পরেই অমিত শাহ পৌঁছন বাউল বাসুদেবের বাড়িতে। সেখানকার শিবমন্দিরে প্রথমে পুজো দেন। এরপর দাওয়ায় এসে বসেন। তাঁকে উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করে নেন বাড়ির মেয়েরা। তোমায় হৃদমাঝারে রাখব গান শুনে মধ্যাহ্নভোজ সারেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়, অনুপম হাজরা প্রমুখ। কথা ছিল, বোলপুরে গেলে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একেবারে স্থানীয় খাবার খাবেন বাউল পরিবারে। আরও পড়ুন ঃ ৭০ বছর পর ঐতিহাসিক সাফল্য ভারত সরকারের সেইমতো রবিবার অতিথি আপ্যায়ণের জন্য সকাল থেকেই তোড়জোড় শুরু হয় রতনপল্লির বাউল বাসুদেব দাসের পরিবারে। পাতে ছিল, ভাত, মুগের ডাল, বেগুন ভাজা, পালং শাকের তরকারি, আলু পোস্ত, চাটনি। কলাপাতায় এই সব পদ সাজিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, নিজের গলায় একখানা গানও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে শোনান শিল্পী। মাটির দাওয়ায় বসেই তা বেশ উপভোগও করলেন অমিত শাহ।

ডিসেম্বর ২০, ২০২০
রাজ্য

৭০ বছর পর ঐতিহাসিক সাফল্য ভারত সরকারের

৭০ বছর ধরে ভারত সরকার তেলের খোঁজ চালাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। ১৯৪৯ সালে থেকেভারত সরকার খোঁজা শুরু করে এরপর ষাটের দশক থেকে ওএনজিসি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তেলের খোঁজ শুরু করে। কিন্তু বড় কোন সাফল্য দেখতে পাইনি ভারত সরকার। মোদি সরকারের নেতৃত্বে ২০১৪ সালে সরকার আরও জোর দিতে শুরু করে খনিজ তেলের ওপর। এরপরই পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাইগাছি এলাকায় শুরু হয় খননের কাজ। প্রথম পর্যায় অনেক প্রধান জানায় তিনি এলাকা পরিদর্শন করবেন।সেই মতই রবিবার সকালে উত্তর ২৪ পরগনার অশোক নগর বাইগাছি এলাকায় আসেন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। মন্ত্রী নিজে খনিজ তেল উৎপাদন স্থলের কাছে গিয়ে হাত দিয়ে দেখে জানায় উৎকৃষ্টমানের তেল এই এলাকা থেকে পাওয়া যাচ্ছে। এরপর এই তেল হলদিয়ায় নিয়ে গিয়ে সংশোধন করা হবে বলে জানায় মন্ত্রী। এছাড়া তিনি জানায়, স্থানীয় উন্নতির আরো একধাপ নতুন পালক হয়ে উঠবে এই অশোকনগরের খনিজ তেল উৎপাদন কেন্দ্র। আরো দুধাপ জায়গা নিয়ে আরো বড় প্লান্ট তৈরি করা হবে। স্থানীয় যুবকদের কর্মসংস্থান আরো বাড়বে বলে দাবি করেন তিনি। আরও পড়ুন ঃ বিশ্বভারতীর সঙ্গীতানুষ্ঠানে যোগ দিলেন অমিত শাহ এছাড়াও রাজ্যের অর্থনীতি আরো ভালো তৈরি হবে বলে জানান তিনি।পশ্চিমবঙ্গের অশোকনগর কেন্দ্রের যে তেল উৎপাদন হচ্ছে তা উৎকৃষ্টমানের তেল। এখান থেকে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে তেল সাপ্লাই করা হবে। এর জন্য তিনি ধন্যবাদ জানান স্থানীয় ওএনজিসি কর্মীদের। মন্ত্রী জানায় স্থানীয় মানুষদের সাহায্য অত্যন্ত জরুরী এছাড়াও এখানে যে ট্রাক বা যোগাযোগ ব্যবস্থা হবে তার ফলে স্থানীয় যুবকদের কর্মসংস্থান বাড়বে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছাশক্তির বলে দেশ আরও আত্মনির্ভর হচ্ছে। পূর্ব ভারতে বেশি করে সাফল্য মিলছে। আমরা একদিকে যেমন সোনার বাংলা গড়বে পাশাপাশি জয় বাংলা স্লোগানও তুলব। তিনি বলেন, আমরা এই এলাকায় আরও অনুসন্ধানের কাজ শুরু করব। স্থানীয় প্রশাসনের তাতে সহযোগিতা চাই। যদিও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এদিনের অনুষ্ঠানে স্থানীয় প্রশাসন বা জনপ্রতিনিধিদের দেখা যায়নি।

ডিসেম্বর ২০, ২০২০
রাজ্য

বিশ্বভারতীর সঙ্গীতানুষ্ঠানে যোগ দিলেন অমিত শাহ

লাল মাটির বোলপুরে অমিত শাহর কর্মসূচি ঘিরে সাজো সাজো রব। শাহী পোস্টার এবং কাটআউটে ছেয়ে গিয়েছে বোলপুরের চারদিক। বোলপুরে সকালেই পৌঁছেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পৌঁছানোর পর উপাসনা গৃহ ঘুরে দেখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এরপর সঙ্গীত ভবনে যান শাহ। সঙ্গীত ভবনের পড়ুয়াদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দর্শকাসনে বসে অনুষ্ঠান দেখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষ ও রাহুল সিনহা। শান্তিনিকেতনে ভিজিটর্স বুকে নিজের প্রতিক্রিয়া লেখেন তিনি। সেখান থেকে বাংলাদেশ ভবনের অনুষ্ঠানে যোগ দেন শাহ। আরও পড়ুন ঃ কৃষক পরিবারে মধ্যাহ্নভোজন অমিত শাহর, খেলেন কলাপাতায় অমিত শাহ বলেন, আমি এসে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে সম্মান জানালাম। আজ খুব সৌভাগ্যের দিন। জগতকে বাংলার সঙ্গে যুক্ত করতে শান্তিনিকেতন তৈরি করা হয়েছিল। শতবর্ষ উদযাপিত হতে চলেছে বিশ্বভারতীর। তাই এটাই সময় বাংলার শিক্ষা, সংস্কৃতি সঙ্গে সকলের পরিচয় ঘটানোর। কদিকে বাঙলি মনন-আবেগকে নাড়া দেওয়া, অন্যদিকে হিন্দুত্বের মোড়কে বিজেপির প্রচার। এই দুয়ের লক্ষ্যে ভোটের আগে এবার বঙ্গ সফরে অমিত শাহ।

ডিসেম্বর ২০, ২০২০
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 76
  • 77
  • 78
  • 79
  • 80
  • 81
  • 82
  • ...
  • 93
  • 94
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

১০০ দিনের কাজ নিয়ে হাইকোর্টে বড় ধাক্কা কেন্দ্রীয় সরকারকে

গতকালই ওবিসি মামলায় হাইকোর্টে জোরদার ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। এবার ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বড় ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার নজিরবিহীন একটি নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পশ্চিমবঙ্গে ফের ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প চালু করতে হবে, এই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ১ আগস্ট থেকেই এই প্রকল্প চালু করতে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ।উল্লেখ্য, বাংলায় ১০০ দিনের কাজের টাকা বহুদিন ধরে আটকে রেখেছে কেন্দ্র, এই অভিযোগ করে আসছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রাজ্য সরকারের একাধিক মন্ত্রী এই ব্যাপারে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বারবার সমালোচনায় সরব হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে লাগামহীন দুর্নীতি হয়েছে। এই দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্র বেশ কয়েকটি দলও বাংলার জেলায় জেলায় পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী আদালতে জানিয়েছিলেন, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গে মোট ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে গরমিল ধরা পড়েছে।। তার মধ্যে ২ কোটিরও বেশি টাকা পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে। হুগলি, মালদা, বর্ধমান, দার্জিলিংয়ের মতো জেলাগুলিতে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। ১০০দিনের কাজের প্রকল্পে টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে বেনজির দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রের।রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প আটকে থাকা নিয়ে মামলার শুনানি বুধবার ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনেছেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এরপর প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছেন যে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের জন্যই বিশেষ কোনও বেঁধে দিতে পারে কেন্দ্র। এই রায়ের পর সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ১০০ দিনের পুরনো বকেয়া টাকা ফেরত দিতে হবে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর

পাঁচ লক্ষ টাকা তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর এবং সালিশি করে গ্রাম ছাড়া করার অভিযোগ উঠলো স্থানীয় একদল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকায়। এই ঘটনায় আক্রান্ত ব্যবসায়ীর পরিবার কালিয়াচক থানার দ্বারস্থ হলেও চারদিন পরে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে বুধবার ওই ব্যবসায়ী দম্পতি সমস্ত ঘটনার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানালেন পুলিশ সুপারের কাছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব। এদিকে কালিয়াচকের ওই ব্যবসায়ীর ওপর আক্রমণ এবং পাঁচ লক্ষ টাকা তোলাবাজির ঘটনায় রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলার সর্ববৃহৎ ব্যবসায়ীদের সংগঠন মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বারবার যদি ব্যবসায়ীদের ওপর দুষ্কৃতীদের হামলা নেমে আসে, তাহলে আমরা যাব কোথায়। অবিলম্বে পুলিশ সুপার যাতে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে, সেই আবেদন জানাচ্ছি। এদিকে পুলিশকে অভিযোগে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকার পোশাক ব্যবসায়ী মহম্মদ রহিম বিশ্বাস জানিয়েছেন, পুরনো একটি মামলার ঘটনায় গত শনিবার এলাকার এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী জহরুল খান এবং তার দলবল তাকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাদের একটি ডেরায় তাঁকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর পাঁচ লক্ষ টাকার তোলা চাওয়া হয়। সেই টাকা না দেওয়ায় আশেপাশের আরও কিছু সাগরেদদের জুটিয়ে সালিশি ডাকা হয়। সেই সালিশির মাধ্যমে তাদের পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। আর এই ঘটনার পর থেকেই গত চারদিন ধরেই ওই ব্যবসায়ী পরিবার নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন হয়ে রয়েছেন। এমনকি ফতেখানি স্ট্যান্ডের কাছে ওই ব্যবসায়ী তার নিজের পোশাকে শোরুম খুলতে পারছেন না।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

বাংলা দিবস পালন নিয়ে বিজেপিকে কড়া তোপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

বাংলা দিবস পালন নিয়ে ফের বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে বাগযুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। আগামী ২০ জুন বাংলা দিবস পালন করা হবে বলে উত্তরপ্রদেশের বিশেষ সচিব পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি দফতরকে একটি চিঠি দিয়েছে। আলাদা করে বাংলা দিবস পালনের দিন নির্ধারণ নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ইস্যুতে BJP-র কড়া জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২০ জুন প্রতিটি রাজ্যের রাজভবনে বাংলা দিবস পালন করা হবে বলে ঠিক করা হয়েছে। এই তারিখ কীভাবে ঠিক করা হল? দেশ স্বাধীন হয়েছে ১৫ আগস্ট। বাংলার প্রতিষ্ঠা দিবস আপনারা ঠিক করে দেবেন? বিজেপি ইচ্ছা মতো চাপিয়ে দেবে? এটা বাংলাকে চরম অসম্মান বলে আমরা মনে করছি। বাংলা দিবস বাংলার সরকার পালন করবে। সেটা ১ বৈশাখ।এদিন কেন্দ্রকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রীর আরও তোপ, সব বুলডোজ করছে, দেশে জুমলা সরকার চলছে। পেহেলগাঁওয়ের পর সবাই বিশেষ অধিবেশন ডাকার কথা বলেছে। বিরোধীরা সবাই অধিবেশন ডাকার কথা বলেছিল। কেন বিশেষ অধিবেশন ডাকা হবে না?একশো দিনের কাজের টাকা চার বছর ধরে বন্ধ করেছে। আবাস যোজনার টাকা দিচ্ছে না। রাজ্য সরকার নিজে সেই টাকা খরচ করে উন্নয়ন বজায় রেখেছে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

ভাগীরথী সেতুতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, লরির চাকায় পিষ্ঠ হয়ে মৃত্যু রোগীর

মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ভাগীরথী সেতুর উপর ঘটল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বুধবার দুপুরে চলন্ত লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। মৃতের নাম হরেন মণ্ডল (৬৩)। তিনি ঝাড়খণ্ডের পাকুর জেলার বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।জানা গিয়েছে, বুধবার সকালেই অসুস্থতা জনিত কারণে হরেন মণ্ডলকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পুত্রবধূ। দুপুরে বৌমা ফুলতলা বাজারে ফল কিনতে গেলে অনেকক্ষণ কেটে গেলেও তিনি না ফেরায়, চিন্তায় পড়ে বৃদ্ধ খুঁজতে বের হন। খুঁজতে খুঁজতে উঠে পড়েন ভাগীরথী সেতুর উপর। সেই সময় এক চলন্ত লরির সামনে পড়ে যান তিনি। অসাবধানতাবশত লরির চাকায় পিষ্ট হন হরেন মণ্ডল। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ ও রঘুনাথগঞ্জ সদর ট্রাফিক গার্ড। কিছু সময়ের জন্য সেতুর উপর যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে পুলিশ ব্যবস্থা নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ কী, লরি চালকের গাফিলতি ছিল কিনাতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।এই দুর্ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর এমন মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার ও হাসপাতাল চত্বরে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পরেও কি ভাবে রাজ্য সড়কে পৌছালো ঐ রুগী তা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে একলাবাসীর মধ্যে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

রায়নার বিধায়কের কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী

রায়নার বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভাতেই বিধায়ক শম্পা ধারা কন্যা সন্তান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে হাজির হন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নাম রাখেন ঐশী। আশাপূরণ হওয়ায় শম্পা ধারা বেজায় খুশি। মেয়ের অন্নপ্রাসন অনুষ্ঠানের দিনও নির্দিষ্ট করে ফেলেছেন বিধায়ক। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য শম্পা ধারা এদিন মুখ্যমন্ত্রী সহ সকল বিধায়ককে নিমন্ত্রণও করেন।শম্পা ধারার কন্যার এখন বয়স মাত্র সাড়ে চার মাস। বাংলার অগ্নিকন্যা তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্তত তাঁর কন্যার নামকরণ করে আশীর্বাদ করুন, এমনটাই স্বপ্ন ছিল রায়নার তৃণমূল বিধায়কের। সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষে নিজের শিশু কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে সোমবার দুপুরে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের সামনে পৌছে যান পূর্ব বর্ধমানের বিধায়ক। মুখ্যমন্ত্রী ঘর থেকে বের হতেই বিধায়ক শম্পা তাঁর কন্যার নামকরণ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেন। নিজের দলের বিধায়কের সেই অনুরোধ ফেরাননি মুখ্যমন্ত্রী।শম্পা ধাড়া জানান, চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি তাঁর কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে। শম্পা ধারার কথা অনুযায়ী নাম করণ করে দেওয়ার পর তাঁর মেয়ের মাথায় হাত দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশীর্বাদ করেছেন। এটাই তো তাদের কাছে অনেক বড় পাওয়া। এর জন্য তিনি গর্বিত বোধ করছেন।তাঁর খুব আনন্দও হচ্ছে।

জুন ১৭, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

কেশরী চ্যাপ্টার টু, ইতিহাস বিকৃত করার ভয়ঙ্কর অভিযোগ

ইতিহাসের একটি পরিচিত অধ্যায় ইংরেজ শাসনের সময় বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী ও বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বোস ও প্রফুল্ল চাকী কুখ্যাত ইংরেজ জাজকে বধ করার চেষ্টা করেছিল। এর ভিত্তিতে ক্ষুদিরাম বোসের ফাঁসি হয়েছিল এবং প্রফুল্ল চাকীও পুলিশের হাতে যাতে ধরা না পড়ে তার জন্য নিজের প্রাণ নিজের হাতে নিয়েছিল। বিধাননগর দক্ষিণ থানাতে অভিযোগ এসেছে যে একটি সিনেমা ইদানিংকালে লাইভ স্ট্রিমিং হচ্ছে সিনেমাটির নাম হচ্ছে কেশরী চ্যাপ্টার টু। সেই সিনেমাটি জিও হটস্টারে দেখানো হচ্ছে লাইভ স্ট্রিমিং এর মাধ্যমে সেখানে একটা দৃশ্যে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম বোসের নামকে ক্ষুদিরাম সিং বলা হয়েছে এবং প্রফুল্ল চাকির সেখানে কোন উল্লেখ নেই।বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী অরবিন্দ ঘোষের ছোট ভাই বিরেন্দ্র কুমার ঘোষ তিনি ও বিপ্লবী ছিলেন উনার নামটাকে বারিন্দ্রা কুমার বলে বলা হচ্ছে। শুধুমাত্র ঐতিহাসিক তথ্যগুলোকে বিকৃত করা হয়নি, বরঞ্চ স্বাধীনতা সংগ্রামী যারা আছেন তাদের নামটাকে বিকৃত করে তাদের গরিমাটাকে কিছুটা হলেও ম্লান করার চেষ্টা হয়েছে এবং করা হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে একটা কেস করা হয়েছে। এটাও দেখানো হয়েছে খুদিরাম বোস এবং বারিন্দ্র ঘোষ ওনারা অমৃতসরের ছাত্র ছিলেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগটা করা হয়েছে। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিধান নগর দক্ষিণ থানাতে একটি কেস রুজ করা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।

জুন ১৭, ২০২৫
কলকাতা

ভূয়ো কল সেন্টারের পর্দা ফাঁস, বাগুইআটিতে গ্রেফতার ৬

গোপন সূত্রে প্রাপ্ত সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বাগুইহাটি থানা অধীনস্ত সৃষ্টি অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল এবং পর্দা ফাঁস করে একটি ভুয়ো কল সেন্টারের। অভিযুক্তরা বিভিন্ন রাজ্যে সমাজের প্রান্তিক শ্রেণীর মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ করত এবং কম সুদে ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের কস্টার্জিত অর্থ হাতিয়ে নিতো।স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগের ভিত্তিতে বাগুইআটি থানায় কেস নাম্বার ৩৮২/২০২৫ মামলা রুজু হয়। এই অভিযানে মোট ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং উদ্ধার হয়েছে বহু বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ইত্যাদি। এই মামলার তদন্ত চলছে। ধৃতদের আজ আদালতে পেশ করা হলে তাদের প্রত্যেকের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন মঞ্জুর হয়। মামলার তদন্ত চলছে।

জুন ১৭, ২০২৫
রাজ্য

তৃণমূলের দলীয় বৈঠকে মমতাবালাকে কটুক্তির অভিযোগ, উপপ্রধানকে গ্রেফতারের দাবি

দলীয় বৈঠক তৃণমূল উপপ্রধানের গালাগাল ও কটুক্তির শিকার তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতা ঠাকুর। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন তৃণমূল কর্মী। সরব হলেন মতুয়া ভক্তরা। পার্থ ভৌমিকের সম্পর্কে কিছু কথা বলার জন্যে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে, আর কিছু নয় বলে দাবি তৃণমূল জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের।একুশে জুলাই এর প্রস্তুতি সভা ছিল সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙ্গায়। অভিযোগ, সেখানে বক্তব্য রাখার সময় গোপালনগর চৌবেরিয়া ১ নাম্বার গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করেন। এমনকি বৈঠক শেষে মমতা ঠাকুর বাইরে বের হলে তাঁকে উদ্দেশ্য করে সুনীলসহ আরও কয়েকজন কটুক্তি করে এবং অশ্লীল অঙ্গিভঙ্গি করে, এমনকি তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়। এবং ছোট জাত বলে আক্রমণ করা হয়। এই মর্মে সোমবার রাতে সব্যসাচী ভট্ট নামে এক তৃণমূল কর্মী গাইঘাটা থানায় এফ আই আর দায়ের করেন। অভিযোগ করার সময় সব্যসাচীর সঙ্গে ছিলেন মতুয়া ভক্তরা ও গোসাইরা। অভিযুক্তর গ্রেফতারের দাবি করেন তারা। তারা বলেন, মাকে গালাগালি দেওয়া মানে আমাদের মতুয়া সমাজকে গালি দেওয়া। এটা আমরা কোনওভাবেই মেনে নেব না। ২৪ ঘন্টার মধ্যে যদি অভিযুক্তকে গ্রেফতার না করা হয় তাহলে তীব্র প্রতিবাদ হবে।এই বিষয়ে অভিযুক্ত চৌবেড়িয়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার জানিয়েছেন, মমতা ঠাকুর বক্তব্য রাখতে গিয়ে নানা কথার মধ্যে দিয়ে জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস ও পার্থ ভৌমিককে আক্রমণ করছিল। আমি শুধু প্রতিবাদ করে বলেছি আপনাদের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের বৈঠকে এটা আলোচনা করবেন। আমি যদি উনাকে গালাগাল করে থাকি সেটা প্রমাণ করুক। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যদিও বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস জানিয়েছেন, গতকাল একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় চেয়ারম্যান পার্থ ভৌমিক সম্পর্কে কিছু কথা বলাতে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আর কিছু নয়। তৃণমূলের সভায় মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালাগাল ও জাত তুলে কটুক্তি নিয়ে কটাক্ষ করা প্রসঙ্গে শান্তনু ঠাকুর বলেন, ওদের নেত্রী হরিচাঁদ গুরুচাঁদ নিয়ে যা বলেছেন তাতে ছোট নেতা কি বলবে। মমতা ঠাকুর হারিকাঠে গলা দিয়েছে, কি হবে বুঝতে পারছে না। ওর লজ্জা ঘৃণা ভয় কিছু নেই। এই বিষয়ে মমতা ঠাকুরবালার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

জুন ১৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal