• ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, রবিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Kolka

রাজ্য

অস্বস্তি বাড়ল বিচারপতি অমৃতা সিনহার স্বামীর, তিনবার তলব সিআইডির

একটি সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদ মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিনহার আইনজীবী স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন এক বিধবা মহিলা ও তাঁর কন্যা। ক্ষমতার অপব্যবহার করে একটি জমি সংক্রান্ত মামলায় অবৈধভাবে হস্তক্ষেপের অভিযোগ ছিল বিচারপতির স্বামীর বিরুদ্ধে। সেই মামলার তদন্তে এক মাসে মোট তিনবার বিচারপতির স্বামীকে তলব করা হল। ১ ডিসেম্বরও সিআইডি দফতরের প্রতাপচন্দ্র দে-কে ঘণ্টা তিনেক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। তারপর ফের গত শনিবার চলে ৯ ঘন্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ। এরপর ফের ২২ ডিসেম্বর প্রতাপবাবুকে তলব করেছে সিআইডি। এছাড়া, তাঁর মোবাইলটিও জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।বিচারপতি সিনহার এজলাসে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলার বিচার চলছে। সেই মামলাতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর সংস্থা লিপস এম্ড বাউন্ডসের সম্পত্তি, আয়ের উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি সিনহা। যার প্রেক্ষিতে ইডি আদালতে মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট জমা করেছে ইডি। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে জোর চর্চা চলছে। এসবের মধ্যেই বিতারপতির স্মামীকে বারংবার তলব ও মোবাইল জমার নির্দেশ আদতে চাপ বাড়ানোর কৌশল বলে মনে করা হচ্ছে।বার অ্যান্ড বেঞ্চ (আইন সংক্রান্ত বিষয়ে খবরাখবর পরিবেশনকারী সংবাদমাধ্যম)-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, একটি জমি সংক্রান্ত বিষয়ে এক বিধবার সঙ্গে তাঁর কয়েক জন আত্মীয়ের বিরোধ ছিল। মামলা গড়ায় আদালতে। আবেদনকারী সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছেন, পৈতৃক সম্পত্তি থেকে তাঁকে বঞ্চিত করতে বাপের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। দাদা এবং অন্যান্য আত্মীয়দের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল বিধবার। তাঁকে হুমকি, মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়। সিসি ক্যামেরার ফুটেজও প্রমাণ হিসাবে জমা করা হয় আদালতে। মামলাকারী বৃদ্ধা আত্মীয়দের বিরুদ্ধে দুটি ফৌজদারি অভিযোগ করেন।একটি অপরাধের মামলায় অবৈধ ভাবে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ উঠেছে বিচারপতি সিনহার আইনজীবী স্বামীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, দুটি মামলার তদন্ত যাতে বাধাপ্রাপ্ত হয়, তার সব রকম চেষ্টা করেছেন বিচারপতি সিনহার স্বামী। অভিযোগ করা হয় যে, ওই দুই মামলার প্রাথমিক তদন্তে এক জন অভিযুক্ত গ্রেফতার হওয়ার পরেও তদন্তের গতি আটকে রয়েছে। হলফনামায় জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট তদন্তকারীকে এক বার ডেকে তিরস্কার এবং ভর্ৎসনা করেছেন বিচারপতি। তিনি নাকি বলেছেন, ওই দুটি দেওয়ানি মামলায় কেন ফৌজদারি মামলার তদন্ত হচ্ছে?মামলার প্রেক্ষিতে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। পরে অবশ্য এই মামলায় বাড়তি পদক্ষেপ করা যাবে না বলে জানায় সুপ্রিম কোর্ট। তবে গত ১ ডিসেম্বর শীর্ষ আদালত জানিয়েছি, আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করতে পারবে পুলিশ। সেই সূত্রেই বিচারপতি স্বামীকে তলব করেছে সিআইডি।

ডিসেম্বর ১৮, ২০২৩
রাজ্য

৪৭ দিনের মাথায় রেশন দুর্নীতি মামলায় ইডির প্রথম চার্জশিট, জ্যোতিপ্রিয়, বাকিবুর সহ ১০ জনের নাম

রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারের ৪৭ দিনের মাথায় মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সহ ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে ১৬২ পাতার চার্জশিট জমা করল ইডি। চার্জশিটে নাম রয়েছে ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানের। কীভাবে রেশনের টাকা ঘুরপথে বেহাত হয়েছিল, আদালতে জমা দেওয়া চার্জশিটে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। রেশন দুর্নীতি ১০০ কোটির বলে দাবি করে চার্জশিটে ইডি জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত এই মামলায় ৩০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।তদন্তে নেমে ইডি জানতে পেরেছে, মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় নিজে পাঁচটি কোম্পানির ডিরেক্টর ছিলেন। একইভাবে মন্ত্রী ঘনিষ্ট রেশন ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানও পাঁচটি কোম্পানির মালিক।চার্জশিটের সংক্ষিপ্তসারঃ*জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বাকিবুর রহমান সহ ১২ জনের *নাম রয়েছে চার্জশিটে।*রেশনে ১০০ কোটি টাকারও বেশি দুর্নীতি হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৩১ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।*বাকিবুরের কাছ থেকে প্রায় ৩০ কোটি টাকা গিয়েছে জ্যোতিপ্রিয়র কাছে।*জ্যোতিপ্রিয়র স্ত্রী ও মেয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে থাকা ২ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।*চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে ১০টি সংস্থার নাম। এর মধ্যে রয়েছে বাকিবুরের সংস্থা। এছাড়া ৫ সংস্থা রয়েছে জ্যোতিপ্রিয়র নিয়ন্ত্রণে।*চার্জশিটে এক আইএএস অফিসারের নাম সাক্ষী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। বালু খাদ্যমন্ত্রী থাকাকালীন ওই অফিসার খাদ্য দফতরে কর্মরত ছিলেন।*চার্জশিটে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্তও চলছিল রেশনের এই দুর্নীতি।*শুধুমাত্র ধান কেনার ক্ষেত্রেই সরকারের প্রায় ৪০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। বাকিবুরের ২ সংস্থার মাধ্যমে এই টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৩
রাজ্য

দিদির বাড়ি দেখে হিংসে করেন সলমন খান, বললেন চলচ্চিত্র উৎসবের মঞ্চে

কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রথমবার হাজির মুম্বাইয়ের সুপারস্টার সলমন খান। ছিলেন না অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খানরা। এর আগে তাঁরা প্রতিবারই হাজির থাকবেন বলে ঘোষণা করেছিলেন। এর আগে কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন সলমন। এবার বললেন সেই অভিজ্ঞতা।এবার চলচ্চিত্র উৎসবে হাজির হয়েছেন অনিল কাপুর, শত্রুঘ্ন সিনহা। তাঁরা বক্তব্য রেখে ফেলেছেন। এদিন সলমন বলেন, কালীঘাটে দেখতে গিয়েছিলাম দিদির বাড়ি।এর আগে সাল্লু ভাই তথা ভাইজান এসেছিলেন কলকাতায়। সেদিন আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাসভবনে। পুরনো কথা তুলেই তিনি বললেন, আমি যখন এর আগে আমন্ত্রণ পেলাম তখন একটাই বিষয় মাথায় ঘুরছিল, যে গিয়ে এটাই দেখব দিদির বাড়ি আসলেই এত ছোট কিনা? আমার বাড়ির থেকে ছোট কিনা দেখতে গিয়েছিলাম। আমি আপনার সঙ্গে হিংসা করি দিদি। আমি সত্যিই ভাবিনি যে আপনার বাড়ি আমার থেকে ছোট হবে। এপ্রসঙ্গে অনিল কাপুরের বাংলোর কথাও বললেন।কিন্তু, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার বাড়ি এত ছোট যেন ভাবতেই পারেননি তিনি। বেশ অবাক হয়েছিলেন। বললেন, আমি খুব খুশি, যে সত্যি দিদির বাড়ি এত ছোট। এত ক্ষমতায় থেকেও তাঁর বাড়ি যে এত ছোট হবে, অবিশ্বাস্য! আমার হিংসা হয় দিদি। আমার আর বড় বাড়ির ইচ্ছে নেই।উল্লেখ্য, সলমন এই প্রথমবার এই অনুষ্ঠানে এসেছেন। আর বাংলার মানুষের উন্মাদনা দেখে তিনি আপ্লুত। সলমন খান বললেন, আমরা বাংলার কাছে বাঙালির কাছে ঋণী। এখানের মানুষরা অনেক কিছু দিয়েছেন। আমরা হিন্দি ছবির মানুষ হলেও বাংলার ট্যালেন্টকে কদর করি।

ডিসেম্বর ০৫, ২০২৩
রাজনীতি

কংগ্রেসে থেকেই বিদ্রোহ চালিয়ে যাচ্ছেন কৌস্তভ, মহুয়া ইস্যুতে অধীরের অবস্থানের কড়া সমালোচনা

এখনও কংগ্রেস ছাড়েননি। তবে দলে থেকে শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ চালিয়ে যাচ্ছেন অনবরত। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের ইস্যুতে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের ভূমিকায় চরম ক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী। এর আগে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকের পরেও প্রকাশ্যে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সমালোচনা করেছিলেন কংগ্রেসের এই তরুণ তুর্কী।এর আগে দলীয় নেতৃত্ব কৌস্তভকে মুখপাত্র পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে। যদিও কি জন্য তাঁকে সরানো হয়েছে সেই ব্যাখ্যা দেয়নি কংগ্রেস নেতৃত্ব। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বেশ কয়েকবার এক যোগে পদযাত্রা করেছেন কৌস্তভ। তবুও দল তাঁর বিরুদ্ধে কড়া কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এবার তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের পাশে দাঁড়ানোয় আবার শীর্ষ নেতৃত্বকে তাক করে বোমা ফাটালেন তিনি।কৌস্তভ বাগচী বলেন, মহুয়া মৈত্রের পাশে দাঁড়িয়েছে দলীয় নেতৃত্ব। এরপর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও পাশে দাঁড়াতে হবে। তাঁদের যত রাজ্যের দুর্নীতি তাকে সমর্থন করতে হবে। একটা স্পষ্ট ভাব-ভালোবাসার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। কৌস্তভের বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস কর্মীদের অবস্থা গিনিপিগের থেকেও খারাপ। এত পরীক্ষা নিরীক্ষা গিনিপিগদের নিয়েও হয় না। এবার থেকে চোরকে সাধু বলার অভ্যাস করতে হবে। তপন কান্দুর স্ত্রীকে দিয়ে শুরু করলে ভালো হয়। এই দায়িত্ব দলীয় নেতৃত্বকে নিতে হবে। চোরেদের সাধু বলানো। তৃণমূলীদের ভালো বলা এটা শুরু করতে হবে।এত ক্ষোভ প্রকাশের পরও কংগ্রেস নেতৃত্ব কৌস্তভের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেয়নি। আবার কৌস্তভও দলত্যাগ করে অন্য দলে যোগ দেননি। এখনও স্পষ্ট করেননি তিনি কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেবেন কিনা। কিন্তু নানা সামাজিক ইস্যুতে মমতার বিরুদ্ধে বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে পা মিলিয়েছেন কৌস্তভ। সামনেই ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন। কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের জোট সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না রাজনৈতিক মহলও। লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রদেশ কংগ্রেসের সাংগঠনিক হালের আদৌ কি দশা তা নিয়ে বড় সংশয় দেখছে রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ০২, ২০২৩
খেলার দুনিয়া

বাংলার ক্রীড়া কুলের দাদা-বন্ধু-ভালো মানুষের গল্পে শ্রদ্ধা অরুণ সেনগুপ্তকে

অরুণ সেনগুপ্তকে যে শুধু একজন নামজাদা ক্রীড়া সাংবাদিক ছিলেন, তাই নয়। ছিলেন আপাদমস্তক একজন ভদ্রলোক। ভালো মানুষ। অরুণ কারও কাছে বড়দা, কারও কাছে দাদা-বন্ধু বা কারও কাছে স্নেহের ভাইয়ের মতো। প্রয়াত অরুণ সেনগুপ্তর স্মরণ সভায় বারেবারে উঠে এল সেই প্রসঙ্গই। বৃহস্পতিবার বিকেলে কলকাতা ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাবের স্মরণ সভায় উপচে পড়া ভিড়ে যেমন মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল-ফেডারেশন-আইএফএ কর্তারা ছিলেন, তেমনই ছিলেন ফুটবলাররা। ছিলেন অরুণের সঙ্গে কাজ করা অসংখ্য ক্রীড়া সাংবাদিকেরা। মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, অরুণের চলে যাওয়া আমার কাছে অঞ্জনদার (মিত্র) চলে যাওয়ার মতোই বেদনার। ময়দানের এক প্রকৃত বন্ধুকে হারালাম। ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকারের কথায়, অরুণ ছিল এতটাই বিশ্বস্ত, যার কাছে মন খুলে সব কথা বলা যেত। এত বিশ্বস্ত বন্ধু আমি আর পাইনি। শ্রদ্ধা জানান আইএফএ চেয়ারম্যান সুব্রত দত্ত। যাঁর কথায়, অরুণ সেনগুপ্তই আমায় প্রথম শিখিয়েছিলেন, ময়দানে খেলোয়াড়রাই শেষ কথা। সারা জীবন সেটা মনে রাখব। শ্রদ্ধা জানান আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত, টেবল টেনিসের রবি চট্টোপাধ্যায়, প্রাক্তন ফিফা রেফারি চিত্তদাস মজুমদার সহ অসংখ্য মানুষ। শ্রদ্ধা জানিয়েছে কলকাতা প্রেস ক্লাবও। ছিলেন অরুণবাবুর পরিবারের লোকজনও। বন্ধু ও দাদা অরুণকে নিয়ে নানা গল্প শোনান প্রাক্তন ফুটবলার সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়, গৌতম ঘোষরা। শ্রদ্ধা জানান প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক গোলরক্ষক ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়। রঞ্জিজয়ী প্রাক্তন ক্রিকেটের অধিনায়ক সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এমন লড়াকু সাংবাদিক আমি খুব কম দেখেছি।কলকাতা ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাবের সঙ্গে অরুণ সেনগুপ্তর সম্পর্ক ছিল আজীবন। যখন সাংবাদিকতা করতেন, তখন মাঠ থেকে ফিরে এই তাঁবুই ছিল তাঁর কাজের জায়গা। ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়ে নির্বাচনেও জিতেছিলেন। কয়েক মাস আগে সিএসজেসি বিশেষ সম্মানও জানিয়েছে তাঁকে। বর্তমান ক্লাব প্রেসিডেন্ট শুভেন রাহা বলেন, অরুণদার আদর্শকে নিয়ে এগিয়ে চলাই হবে তাঁর প্রতি আমাদের সঠিক শ্রদ্ধাজ্ঞাপন।

নভেম্বর ৩০, ২০২৩
রাজ্য

লক্ষ্য ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচন, ২৬শে কি করতে হবে ধর্মতলার সভায় জানিয়ে দিলেন অমিত শাহ

২১শে বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় টার্গেট বেধে দিয়েছিলেন। এবার অমিত শাহর নজরে ২৬-শের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভোট। তবে, সেই টার্গেট সফল করেতে ২৪শের লোকসভা ভোটে কী করতে হবে বিজেপির ধর্মতলায়র সভা থেকে তা বাতলে দিলেন পদ্ম অমিত শাহ।এদিন মঞ্চে বক্তব্য দিতে উঠেই রবি ঠাকুর ও নেতাজিকে প্রণাম করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বলেন, ধর্মতলার পবিত্র জমিকে, বাংলার এই পবিত্র জমিকে শুরুতেই প্রণাম জানাই। এই মাটি দেশকে সর্বদা দিশা দেখিয়েছে। আমি শুরুতেই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস, স্বামী বিবেকানন্দ, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, আশুতোষ মুখোপাধ্যায়কে প্রণাম জানাই।এরপরই লোকসভা ও বাংলার বিদানসভা ভোট নিয়ে মুখ খোলেন মোদীর ডেপুটি। বলেন, বাংলার ২ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষ ভোট দিয়ে বিজেপিকে ৭৭টি আসনে জিতিয়েছিল। বাংলার মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছে এখানে পরের সরকার ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার হবে। ২৬ সালে যদি বাংলায় পালাবদল ঘটাতে হয়, তাহলে ২৪ সালে এই রাজ্যে নরেন্দ্র মোদীকে জেতাতে হবে। কারণ, নরেন্দ্র মোদীর সরকার যে লক্ষ কোটি টাকা পাঠাচ্ছে, তা বাংলার সরকার লুটে নিচ্ছে।মঙ্গলবার বিধানসভা থেকে এই অধিবেশনের জন্য বরখাস্ত করা হয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। সেই প্রসঙ্গ এ দিন উঠে এসেছে অমিত শাহর বক্তব্যে। চ্যালেঞ্জের সুরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দিদিকে বলছি, শুভেন্দুকে আপনি বিধানসভার বাইরে সাসপেন্ড করে বের করতে পারেন, কিন্তু বাংলার মানুষ বলছে, দিদি তোমার মেয়াদ শেষ হয়ে এসেছে।শিক্ষা, কয়লা, গরু, রেশন সহ নানা দুর্নীতি নিয়ে বলতে গিয়ে আমিত শাহ পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডল, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকদের নাম উচ্চারণ করেন। দাবি, দিদিকে বাংলাকে বরবাদ করে দিয়েছেন। যদি আপনার সাহস হয় জ্যোতিপ্রিয়, অনুব্রত, পার্থকে তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড করুন। আপনি পারবেন না। যে নিজে দুর্নীতিগ্রস্ত তারা এই রাজ্যকে দুর্নীতি মুক্ত করতে পারবে না। তৃণমূল সাংসদ সংসদকেও অপবিত্র করেছে।অনুপ্রবেশ এ রাজ্যে সব থেকে বেশি বলে অভিযোগ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এর জন্য তৃণমূলকেই দায়ী করেছেন তিনি। বলেছেন, দুর্নীতি, অনুপ্রবেশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রুখতে পারেননি। অনুপ্রবেশের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংসদ চলতে দিতেন না। সেই মমতা বন্দোপাধ্যায় এখন খোলাখুলি অনুপ্রবেশকারীদের আধার কার্ড দিচ্ছেন। এক্ষেত্রে অসমের প্রসঙ্গ তুলে তাঁর দাবি, অসমে বিজেপি সরকার হয়েছে। সেখানে অনুপ্রবেশ বন্ধ হয়েছে।এ রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে বলতে গিয়ে বদলার কথা বলেছেন অমিত শাহ। বলেন, আমাদের ২১২ জন কার্যকর্তা খুন হয়েছেন। আমাদের কার্যকর্তারা আমাদের ভাই। পুরো দেশ এবং বাংলার এক একটি কার্যকর্তা এটার বদলা নেওয়ার জন্য তৈরি।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলার উন্নয়নের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ দিচ্ছেন। কিন্তু, অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দিচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন বাংলার তৃণমূল সরকার। আর, সেই কারণেই বাংলার উন্নয়ন হচ্ছে না। দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গ উন্নয়নে পিছিয়ে পড়ছে, এই অভিযোগ তুলে বাংলার পিছিয়ে পড়ার কারণ হিসেবে অনুপ্রবেশকেই দায়ী করলেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অমিত শাহ। একইসঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন, ২০২৬ সালে বাংলায় বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর এরাজ্যে সিএএ চালু হবে। কারণ, বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকার সিএএ চালু করতে ইচ্ছুক হলেও রাজ্যের তৃণমূল সরকার তা করতে দিচ্ছে না।সভাস্থলে উপস্থিত বিজেপি কর্মীদের শাহ প্রশ্ন করেন, অনুপ্রবেশ চলতে থাকলে কি বাংলার উন্নয়ন সম্ভব? কর্মীদের একাংশের সমস্বরে না উত্তর শোনার পর শাহ তোলেন অসমের প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, অসমে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর সেখানে অনুপ্রবেশ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এরাজ্যেও বিজেপি আসলে অনুপ্রবেশ বন্ধ হয়ে যাবে। বিজেপি সিএএ লাগু করবেই। সভায় ধর্মীয় মেরুকরণের বার্তা দিয়ে শাহ বলেন, প্রতিবেশী রাজ্য (বাংলাদেশ) থেকে যে হিন্দু ভাইয়েরা এসেছেন, এদেশের ওপর আমাদের যতটা অধিকার রয়েছে, তাঁদেরও ততটাই অধিকার আছে। এসব কথা বলেই অনুপ্রবেশ রুখে বাংলার উন্নয়ন করতে ২০২৪-এ ফের নরেন্দ্র মোদীকে ক্ষমতায় ফেরানো আর ২০২৬-এ বাংলায় বিজেপিকে ক্ষমতায় আনার ডাক দেন শাহ।

নভেম্বর ২৯, ২০২৩
রাজ্য

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের ফের স্থগিতাদেশ ডিভিশন বেঞ্চের

ফের কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে স্থগিতাদেশ জারি করল ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের এই নির্দেশের জেরে আপাতত আটকে লিলুয়ায় বেআইনি নির্মাণ ভাঙার সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ। আগামী এক সপ্তাহ পর্যন্ত ডিভিশন বেঞ্চের এই নির্দেশ বহাল থাকবে বলে জানানো হয়েছে।উল্লেখ্য, এর আগে লিলুয়ার ওই বেআইনি নির্মাণ ভাঙার দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক মহিলা। সিঙ্গল বেঞ্চ ওই নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল। ডিভিশন বেঞ্চও ওই রায়ই পরবর্তী সময়ে বহাল রাখে।বালি পুরসভা বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে গিয়েছিল। কিন্তু পুলিশের সাহায্য ছাড়া ওই নির্মাণ ভাঙা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেন পুরকর্মীরা। ওই মামলার পরবর্তী শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বেআইনি ওই নির্মাণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন।গত শুক্রবার পুলিশকে নিয়ে বালি পুরসভার কর্মীরা ওই নির্মাণ ভাঙতে গিয়েছিলেন। তবে পুলিশের কাছে আদালতের লিখিত নির্দেশিকা না থাকায় বাসিন্দারা ওই নির্মাণ ভাঙতে দেননি। শেষমেশ গত শনিবার নির্মাণ ভাঙার কাজ শুরু হয়। মঙ্গলবার ওই মামলার শুনানিতে মূল অভিযোগকারী অনুপস্থিত ছিলেন। আপাতত এক সপ্তাহের জন্য ওই নির্মাণ ভাঙার কাজে স্থগিতাদেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।

নভেম্বর ২৮, ২০২৩
রাজ্য

পারিবারিক বিবাদের জেরে স্ত্রীকে অ্যাসিড ছুড়ে মারল স্বামী

পারিবারিক বিবাদের জেরে সাত মাস ধরে বাপের বাড়িতে থাকা স্ত্রীকে নিজের বাড়িতে ডেকে অ্যাসিড ছুড়ে মারল স্বামী। বাগুইআটি থানা এলাকার কেষ্টপুর রবীন্দ্র পল্লীর ঘটনা। আজ, সোমবার দুপুরে নিজের বাপের বাড়িতে থাকা মাধু দেকে স্বামী সঞ্জীব দে নিজের বাড়িতে ডাকেন এবং আচমকাই স্ত্রীর উপর মগে থাকা অ্যাসিড ছুড়ে মারেন স্বামী সঞ্জীব দে। মহিলার চিৎকারে আশেপাশে থেকে লোক ছুটে আসে এবং তাঁকে উদ্ধার করে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। খবর দেওয়া হয় বাগুইআটি থানার পুলিশকে।পুলিশ ঘটনার স্থলে এসে স্বামী সঞ্জীব দে কে আটক করেছে। সঞ্জীবের দাবি স্ত্রীর উপর অ্যাসিড হামলা করেনি সে আচমকাই অ্যাসিড তার গায়ে পড়ে গেছে। যদিও এই ঘটনায় জখম হয়েছেন স্বামী নিজেও। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই স্বামীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে বাগুইআটি থানার পুলিশ। তাঁদের মধ্যে কেন এ ঘটনা ঘটলো খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

নভেম্বর ২৭, ২০২৩
রাজ্য

২১ জুলাইয়ের সমাবেশও তাহলে বন্ধ করতে হয়, ভিক্টোরিয়ার সামনে বিজেপির সভা নিয়ে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ

ধর্মতলায় বিজেপির সভা নিয়ে বিরাট নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের। আগামী ২৯ নভেম্বর কলকাতায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে সভা করতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছিল বঙ্গ বিজেপি। সেই সভায় অনুমতি দিয়েছিল হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। আজ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চও সিঙ্গল বেঞ্চের আগের নির্দেশই বহাল রাখল। অর্থাৎ আগামী ২৯ নভেম্বর ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে সভা করতে আর বাধা নেই বিজেপির কাছে। গেরুয়া দলের ওই সভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ উপস্থিত থাকতে পারেন।হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশের পরই এক্স-বার্তায় মমতা সরকারকে কটাক্ষ করেছেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, পিসিমনি এবং ভাইপোর নির্দেশে গণতন্ত্রকে স্তব্ধ করার জন্য মমতার পুলিশের সম্মিলিত অপপ্রচেষ্টা কলকাতা হাইকোর্টের মাননীয় প্রধান বিচারপতি প্রত্যাখ্যান করেছেন। মমতা পুলিশ পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে কাজ করছিল, সেই কারণে মাননীয় প্রধান বিচারপতি ২১শে জুলাই তৃণমূলের (আঞ্চলিক) সমাবেশ নিষিদ্ধ করার ভাবনার কথা বলেছেন। কলকাতার হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহজি-র পৃষ্ঠপোষকতায় ভারতীয় জনতা পার্টির মেগা সমাবেশ ২৯শে নভেম্বর একই জায়গায় অনুষ্ঠিত হবে, যেটিকে তৃণমূল তাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি বলে মনে করে। তৃণমূলের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ধর্মতলা চোলো।এর আগে ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে বিজেপিকে সভা করার অনুমতি দেয়নি কলকাতা পুলিশ। সভার অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। গত ২০ নভেম্বর বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা শর্তসাপেক্ষে বিজেপিকে সভা করার অনুমতি দেন। সিঙ্গল বেঞ্চের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। এবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চও বিজেপিকে সভা করার অনুমতি দিয়েছে। তবে কলকাতা হাইকোর্টের এই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে রাজ্য, এমন আশঙ্কা করে ইতিমধ্যেই শীর্ষ আদালতে ক্যাভিয়েট দাখিল করেছে বিজেপি।সিঙ্গল বেঞ্চের পর ডিভিশন বেঞ্চেও ধাক্কা রাজ্যের। যে যুক্তি দেখিয়ে আগামী ২৯ নভেম্বরের সভার অমুমতি বাতিল করেছিল কলকাতা পুলিশ, তা আর ধোপে টিকল না। এই ধরনের সভা করতে গেলে ২-৩ সপ্তাহ আগে পুলিশের অনুমতি নিতে হয়। সেই নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বিজেপি ২ বার সভার জন্য লালবাজারের অনুমতি চেয়েছিল বলে সূত্রের খবর। কিন্তু গেরুয়া দলের আবেদনে কান পাতেনি পুলিশ। সভার অনুমতি দেওয়া হয়নি।এবারও সভার অনুমতি বাতিল চেয়ে একাধিক যুক্তি দেখিয়েছিলেন রাজ্যের আইনজীবী। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের উদ্দেশ্যে তাঁর যুক্তি ছিল, ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে যে সভা হবে সেটা শহরের কেন্দ্রবিন্দু। শহর স্তব্ধ হয়ে যাবে। পাল্টা ২১ জুলাই ওই একই জায়গায় সভার কথা ওঠে। সেপ্রশ্নের উত্তরে রাজ্যের আইনজীবী বলেন, ওখানে ২১ জুলাই ছাড়া আর কোনও সভা হয় না।রাজ্যের আইনজীবীর উদ্দেশ্যে প্রধান বিচারপতি বলেন, বন্ধ করার হলে সব করতে হবে। সবাইকে সমান চোখে দেখতে হবে। তাহলে ২১ জুলাইয়ের সভা বন্ধ করে দিন। ২১ জুলাই তৃণমূল সভা করে। সেই সভা বাতিল হলে অন্যরাও আর সভা করতে চাইবে না। পশ্চিমবঙ্গে এটা নতুন কিছু নয়, কেউ সাধারণ মানুষকে নিয়ে ভাবেন না। সরকারী কর্মচারী, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, রাজনৈতিক দল সবাই রাস্তা আটকে সভা করে। পুলিশ অনুমতি দিয়ে দেয়। এমনকী এক্ষেত্রে তাঁর নিজেরও কয়েকটি অভিজ্ঞতার কথা এদিন জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।

নভেম্বর ২৪, ২০২৩
রাজনীতি

তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের সভাস্থলে বিজেপির সমাবেশ, থাকতে পারেন অমিত শাহ

অবশেষে আদালত থেকে কলকাতায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একুশে জুলাইয়ের সভাস্থলেই জনসভা করার অনুমতি আদায় করল রাজ্য বিজেপি। বারবার আবেদনের পরও, সভা করার আবেদন বাতিল করে দিয়েছিল কলকাতা পুলিশ। অবশেষে সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট বিজেপিকে ২৯ নভেম্বর কলকাতায় সভা করার অনুমতি দিল। সোমবার মামলাটি উঠেছিল বিচারপতি রাজশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চে। সেখানেই বিচারপতি মান্থার সভা করার অনুমতি দিয়েছেন।এই ব্যাপারে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার বলেন, আপনারা বলছেন যে অন্তত দুই থেকে তিন সপ্তাহ আগে সভার আবেদন করতে হয়। এখানে তো দুই সপ্তাহ আগেই আবেদন করা হয়েছে বলে দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু, তারপরও তো সিস্টেম জেনারেটেড মেসেজ পাঠিয়ে আবেদন নাকচ করা হয়েছে বলে দেখতে পাচ্ছি। আপনারা এভাবে যতই আটকাবেন, ততই সন্দেহ বাড়বে। এটি একটি স্বাধীন দেশ। এখানে এভাবে বাধা দেওয়া যায় না।আগামী বছরই লোকসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যে সেই নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। রাজ্য বিজেপিও কেন্দ্রীয় নেতাদের এনে এরাজ্যে সভা করাতে চাইছে। কিন্তু, বিভিন্ন জায়গায় প্রশাসন অনুমতি দিচ্ছে না-বলে অভিযোগ। তারই মধ্যে ২৯ নভেম্বর, অমিত শাহকে ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একুশে জুলাইয়ের সভার স্থানেই সভা করাতে চাইছেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশের কাছে বারবার আবেদন করার পরও অনুমতি দেয়নি। বাধ্য হয়েই আমাদের আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়েছিল। অবশেষে আদালত ২৯ নভেম্বর সভা করার জন্য অনুমতি দিয়েছে। তৃণমূলের তরফে সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, বিজেপিশাসিত রাজ্যে এয়ারপোর্ট থেকেই ঘাড়ধাক্কা দিয়ে ফেরত পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু, এখানে অনুমতি দেওয়ার জন্যই বিভিন্ন সময় বিজেপির নেতা-নেত্রীরা এরাজ্যে এসে সভা করে গিয়েছেন। তবে, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নন। প্রশাসন না-চাইলে, কাউকে অনুমতি না-দিতেই পারে।

নভেম্বর ২০, ২০২৩
খেলার দুনিয়া

Exclusive: মিলার সতীর্থদের নিয়ে ডিনার সারলেন বন্ধুর রেস্তোরাঁয়, জাপানি খাবারে মজলেন ডি কক-মার্করামরা

বৃহস্পতিবারই ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলতে কলকাতায় পৌঁছেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা, কাল অনুশীলন সারেনি। আজ দুপুরে ইডেনে প্রোটিয়াদের অনুশীলন রয়েছে।শুক্রবার রাতে দক্ষিণ কলকাতার মিন্টো পার্কে টাকি টাকি নামে এক রেস্তোরাঁয় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গেলেন একঝাঁক প্রোটিয়া ক্রিকেটার। মেন ইন ব্লু দের মুখোমুখি হওয়ার আগে জাপানি খাবারে মজলেন তাঁরা।সান্ধ্য কলকাতায় তখন ঝিরঝিরে বৃষ্টি নেমেছে। ইডেনের সবুজ গালিচা তখন ঢাকা হয়েছে কভার দিয়ে। বৃষ্টি মাথায় নিয়েও ইডেনের গেটের সামনে লাইফ মেম্বাররা টিকিট না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। ক্লাব হাউসের প্রতিটি তলাতেই টিকিট প্রত্যাশীদের ভিড়। সিএবি কর্তাদের ঘরে রাজ্যের মন্ত্রী, বিধায়ক থেকে বিরোধী রাজনৈতিক দলের বিধায়কদের আনাগোনা।এ সব থেকে অনেকটাই দূরে, ফুরফুরে মেজাজে দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্বকাপের পয়েন্ট তালিকার যা পরিস্থিতি তাতে দক্ষিণ আফ্রিকার সেমিফাইনালে ওঠা প্রায় নিশ্চিতই হয়ে গিয়েছে। ইডেনে ভারতকে গ্রুপ পর্বের সবচেয়ে কঠিন ম্যাচের মোকাবিলা করতে হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থেকে কারা শেষ চারে যাবে তা ঠিক করে দেবে রবিবাসরীয় ইডেন।মাঠমুখো না হলেও স্ত্রী, বান্ধবী বা সন্তানদের নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার একঝাঁক ক্রিকেটার গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ যান মিন্টো পার্কের রেস্তরাঁটিতে। টাকি টাকি নামক রেস্তোরাঁটি জাপানি খাবারের জন্য বিখ্যাত। এই রেস্তরাঁর কর্ণধার রাজদীপ চক্রবর্তী ৭-৮ বছর ধরে দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা ডেভিড মিলারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। রাজদীপের বাবা প্রাক্তন বিধায়ক সমীর চক্রবর্তী, মা কৃষ্ণা চক্রবর্তী বিধাননগরের মেয়র।রাজদীপ জনতার কথাকে জানালেন, আইপিএলের আসরেই মিলারের সঙ্গে আলাপ। সেই থেকেই আমাদের বন্ধুত্ব, যা এখনও অটুট। আমাদের টাকি টাকি রেস্তরাঁয় সবরকম জাপানি খাবারই পাওয়া যায়। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটাররা এখানে আড়াই ঘণ্টা কাটিয়ে গিয়েছেন। মিলার ছাড়াও এসেছিলেন কুইন্টন ডি কক, রাসি ভ্যান ডার ডুসেন, এইডেন মার্করাম, হেইনরিখ ক্লাসেন, মার্কো জানসেন ও তাবরেজ শামসি।রবিবার ম্যাচ। ফলে সোমবারের আগে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারদের রেস্তরাঁয় সময় কাটানোর ছবি বা ফুটেজ প্রকাশ করা যাবে না বলে শর্ত আরোপ করা হয়েছে। কিন্তু রেস্তরাঁয় হাজির অত্যুৎসাহীদের সৌজন্যে সেই সব ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। জানা গিয়েছে, সু সি, সাশিমি-সহ প্রতিটি পদই দারুণ পছন্দ হয়েছে মিলারদের।

নভেম্বর ০৪, ২০২৩
কলকাতা

গাড়ি চালকের অবসরের দিনে মেট্রোকর্তার অদ্ভুত সম্মান প্রদান, যা শুনে আপনারও মন ছুঁয়ে যাবে

কার্তিকচন্দ্র মন্ডল জীবিকা নির্বাহের জন্য পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন গাড়ি চালানোকে। চাকরি হিসেবে তিনি ড্রাইভার পদে যুক্ত হয়েছিলেন কলকাতা মেট্রো রেলে। সেখানেই তিনি কলকাতা মেট্রো রেলের জেনারেল ম্যানেজার পি উদয়কুমার রেড্ডির গাড়ি চালাতেন। স্বাভাবিকভাবে এমন একজন গুরুত্বপূর্ণ মানুষের গাড়ি চালানায় যে বাড়তি সতর্কতা কিংবা নিয়মানুবর্তিতার প্রয়োজন, সে বিষয়কে মাথায় রেখে নিজের কাজ দায়িত্বশীলতার সাথে পালন করেছেন নিজের কর্মজীবনে। ফলস্বরূপ মেট্রোরেলের বিভিন্ন অফিসার এবং সহকর্মীদের স্নেহ ও ভরসার পাত্র হয়ে উঠেছিলেন তিনি। বিশেষ করে জেনারেল ম্যানেজার পি উদয়কুমার রেড্ডির কাছের পাত্র হয়েছিলেন প্রতিদিন একসাথে যাওয়া-আসার সুবাদে। সেই কার্তিক মন্ডল কর্মজীবন থেকে অবসর নিলেন আজ, মঙ্গলবার। এই অবসরের দিনে আনুষ্ঠানিক বিদায় সম্বর্ধনা অনুষ্ঠিত হয় মেট্রো রেল ভবনে। এদিন কার্তিকবাবুর কর্তব্যনিষ্ঠা এবং সময়ানুবর্তিতাকে সম্মান জানিয়ে বিদায়লগ্নে তাঁকে জেনারেল ম্যানেজার পি উদয়কুমার রেড্ডি নিজে গাড়ি চালিয়ে - কার্তিকবাবুকে পেছনে বসিয়ে বাড়িতে পৌঁছে দেন। অবসরের দিন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তার থেকে এহেন সম্মান পেয়ে হতবাক কার্তিকবাবু। আনন্দ এবং গর্ব অনুভব করার প্রতিফলন ধরা পড়ছিল কার্তিকবাবুর অশ্রুসিক্ত চোখের এক কোণে। এই সম্মান ও ভালোবাসা তাঁর অবসরযাপনকালে স্মৃতির মণিকোঠায় অম্লান হয়ে থাকবে। চালকের প্রতি বিশেষ সম্মান জানানোয় মেট্রো রেলের কর্মীরা সাধুবাদ জানিয়েছেন পি উদয়কুমার রেড্ডিকে।মেট্রোরেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শ্রী কৌশিক মিত্র এবিষয়ে জানিয়েছেন, কার্তিক চন্দ্র মন্ডল মেট্রোরেলের জেনারেল ম্যানেজার পি উদয় কুমার রেড্ডির গাড়ি চালানোর কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন এবং তিনি তাঁর দায়িত্ব সাফল্যের সাথে পালন করেছেন। অবসরের দিন স্বয়ং জেনারেল ম্যানেজারের কার্তিকবাবুর প্রতি এহেন সম্মান প্রদর্শন এক দৃষ্টান্ত স্বরূপ।

নভেম্বর ০১, ২০২৩
রাজ্য

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতের কড়া নির্দেশ, নিজাম প্যালেস ছুটলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি

নির্দেশ ছিল। শেষমেশ সেই নির্দেশ কার্যকরী করতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে নিজাম প্যালেসে পৌঁছেও গিয়েছেন। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গৌতম পালকে সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের মুখোমুখি হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নির্দেশ না মানলে গ্রেফতারির হুঁশিয়ারিও ছিল। শেষমেশ নির্ধারিত সময়েই চতুর্থীর ভিড় ঠেলে নিজাম প্যালেসে পৌঁছান পর্ষদ সভাপতি।শুধু গৌতমবাবু নয়, পাশাপাশি পর্ষদের ডেপুটি সেক্রেটারি পার্থ কর্মকারকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। প্রয়োজনে তাঁদের হেফাজতে নিয়ে সিবিআই জেরা করতে পারেন বলে নির্দেশে উল্লেখ করা হয়।বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি চলে। ওএমআর শিট সংক্রান্ত মামলায় এদিন সিবিআইকে আদালতে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। জানা গিয়েছে, সেই রিপোর্টে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। উল্লেখ রয়েছে, এস বসু রায় এণ্ড কোম্পানি এমনভাবে ওএমআর শিট তৈরি করেছিল যাতে প্রার্থীর নাম, রোল নম্বর কোনও কিছু স্পষ্ট বোঝা না যায়। এমনকী পর্ষদের কাছে ওএমআর শিট সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া হলেও তাঁরা নতুন প্রিন্ট করা কপিকেই ডিজিটাইজ ডাটা হিসাবে দাবি করছেন।এরপরই বিচারপতি জানান, সিবিআইয়ের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য ওএমআর শিট দুর্নীতিতে যুক্ত ছিলেন। এই দুর্নীতি সামনে আসার পরও বর্তমান বোর্ড সদস্যরা কীভাবে এস বসু রায় এণ্ড কোম্পানিকেই ওএমআর শিট তৈরির দায়িত্ব দিলেন? এ জন্যই পর্ষদ সভাপতিকে জিজ্ঞসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে। তারপরই পর্ষদের বর্তমান সভাপতি গৌতম পাল ও সেক্রেটারি পার্থ কর্মকারকে আজ সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করার জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দেন বিচারপতি। ফলে গৌতম পালকে বুধবার সন্ধ্যা ৬ টার মধ্যে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে হবে। নির্দেশে বলা হয়েছে, সিবিআই চাইলে সেক্রেটারিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতে পারে। তারপর বোর্ডের অন্যান্য সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতে পারে। যদি বোর্ড সদস্যেদের কেউ সহযোগিতা না করেন তাহলে তাঁদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে সিবিআই।

অক্টোবর ১৮, ২০২৩
রাজ্য

শেষ দিনে ইডির দফতরে নথি জমা দিলেন অভিষেক

১০ অক্টোবরের মধ্যে ইডির কাছে সব নথি জমা করতে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিট নাগাদ তৃণমূলের শীর্ষ নেতার পক্ষ থেকে একগুচ্ছ নথি কেন্দ্রীয় এজেন্সির কাছে জমা দেওয়া হয়।আজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নথি জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। এদিন সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ নাগাদ দুজন ব্যক্তি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট দপ্তরে আসে। তাঁরা আটটা নাগাদ বেরিয়ে যায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দপ্তর থেকে। তাদের প্রশ্ন করলে তারা কোন উত্তর দেয়নি। ED সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নথি জমা দিতেই তারা ED দপ্তরে এসেছিলেন। তাঁরা নথি জমা দিয়েছেন।নথি জমা দেওয়ার জন্য ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ অনুযায়ী রাত ১২টা পর্যন্ত অভিষেকের হাতে সময় ছিল। তার কিছু সময় আগে নথি জমা পড়ল। মঙ্গলবার বিকেলেই অভিষেকের নথি জমা সংক্রান্ত বিষয়টি আদালতকে জানিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। জানা গিয়েছে, এই প্রসঙ্গে বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলেছেন, আদালতের নির্দেশ পালন না করলে অভিষেকের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ অনুযায়ী পদক্ষেপ করতে পারবে ইডি।নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় উঠেছে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস-এর নাম। এই সংস্থার সিইও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কালীঘাটের কাকুকে জেরায় যা জানতে পারে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সেই সূত্রেই ইডি তলব করে অভিষেককে। নিয়োগ মামলায় ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদের কাছ থেকে কী কী নথি প্রয়োজন তা আদালতে বুঝিয়ে দেয় ইডি।এরপরই বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ছিল, নথি ১০ অক্টোবর অভিষেককে জমা দিতেই হবে। তদন্তের স্বার্থেই সেসব নথির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে উল্লেখ ছিল, ১০ তারিখে নথি জমা দিলে, তা খতিয়ে দেখবে ইডি। তারপরও জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজনীয়তা থাকলে ৪৮ ঘণ্টা আগে নোটিস দিয়ে তলব করতে হবে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডকে।এদিন নিয়োগ দুর্নীতি মামলা ফের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে ওঠে। ইডির আইনজীবী আদালতে জানান, এই মামলায় এখনও পর্যন্ত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও নথি জমা দেননি। তখন বিচারপতি সিনহা জানতে চান ডিভিশন বেঞ্চ নথির হার্ড কপি নাকি সফট কপি চেয়েছিল। জবাবে ইডির আইনজীবী জানান, অভিষেককে হার্ড কপি দেওয়ার কথাই বলা হয়েছিল। সফট কপির বিষয়টি জানা নেই।এরপরই বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানান, আদালতের নির্দেশ না মানলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে পারবে ইডি। কিন্তু সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই নথি জমা দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

অক্টোবর ১০, ২০২৩
কলকাতা

সিবিআইয়ের দিনভর তল্লাশি চেতলার বাড়িতে, ক্ষোভ উগরে দিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম

এর আগে নারদাকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। রবিবার পুরনিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সিবিআই ১০ ঘণ্টা তল্লাশি চালালো ফিরহাদের চেতলার বাড়িতে। সেই বাড়ি থেকে সিবিআই আধিকারিকরা চলে যেতেই ক্ষোভ উগরে দিলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র। তিনি বলেন, এভাবে আমার সম্মানহানি করা হচ্ছে। আজ আমার ভাইয়ের শ্রাদ্ধ ছিল। সেখানে আমাকে যেতে দেওয়া হল না। কেন এভাবে আমাকে ও আমার পরিবারকে হেনস্তা করা হবে? রবিবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ ফিরহাদ হাকিমের চেতলার বাড়িতে আচমকা হানা দেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। সেই অভিযান ১০ ঘণ্টা পর শেষ হয় সন্ধে সাড়ে ৬টায়। তদন্তকারীরা বাড়ি ছাড়তেই ফিরহাদ মেয়ে প্রিয়দর্শিনী সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন যে, তাঁদের ওপর, মানসিক নির্যাতন চলছে।মেয়র ফিরহাদ হাকিম স্ত্রী রুবি ও কন্যা প্রিয়দর্শিনীকে পাশে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন। সাংবাদিক বৈঠকে ফিরহাদ হাকিম অভিযোগ করেন, দীর্ঘ বছর ধরে চেতলার মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে আসছেন। তাঁরা আমাকে কাউন্সিলর বানিয়েছেন। বিধায়ক বানিয়েছেন। আজ অবধি কেউ বলতে পারেনি যে আমি দুর্নীতি করেছি। তার পরও কেন আমাকে এই ভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে? বিজেপিকে বলব, আমাকে জেলে রাখুন। কিন্তু, আমাকে এই ভাবে সম্মানহানি করবেন না। একটা অসভ্য, বর্বর দল। এদের কাছে মাথানত করব না।তাঁর বিরুদ্ধে নারদা মামলা প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, ওই একটা মামলাতেই আমি অভিযুক্ত। জেলেও গেছি। কিন্তু, জেলে না-গিয়ে অসুস্থ বলে হাসপাতালে শুয়ে থাকিনি। কিন্তু, ওই একই মামলায় তো শুভেন্দু অধিকারীও অভিযুক্ত। কোথায়, ওকে তো ডাকাই হল না? আমি ২৫ বছর ধরে কাউন্সিলর। কখনও দুর্নীতির সঙ্গে হাত মেলাইনি। বামফ্রন্ট আমলেও মার খেয়েছি। আমার বিরুদ্ধে মামলা পর্যন্ত হয়েছে। কিন্তু, এভাবে আমাকে কখনও হেনস্তা করা হয়নি। এদিন সিবিআই তল্লাশি চালায় প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্রের বাড়িতেও।

অক্টোবর ০৮, ২০২৩
রাজ্য

নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ইডিকে নথি জমা দিতে হবে অভিষেককে, পেলেন না আদালতের রক্ষাকবচও

প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ৯ অক্টোবর ইডি দফতরে হাজিরা দিতে হচ্ছে না তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু, তাঁকে রক্ষাকবচও দিল না কলকাতা হাইকোর্টের ডিভেশন বেঞ্চ। ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, ইডির দাবি মত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ১০ অক্টোবরের মধ্যেই সব নথি জমা করতে হবে। এর চেয়ে ১ ঘন্টাও বেশি সময় তাঁকে দিতে নারাজ কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। সেই জমা করা নথিতে সন্তুষ্ট না হলে ইডি ফের অভিষেককে তলব করতে পারবে। তবে ৪৮ ঘণ্টা আগে সমন পাঠাতে হবে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদকে।ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, ৯ অক্টোবর ইডি দফতরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে হাজিরা দিতে হবে না। আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে অভিষেককে সব নথি ইডির কাছে দিতে হবে। তিনি কোনও নথি জমা দিতে না পারলে ইডির সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। কিন্তু আদালত আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে এক ঘণ্টাও অতিরিক্ত সময় দেবে না। অভিষেকের জমা দেওয়া নথিতে সন্তুষ্ট না হলে তাঁকে হাজিরা দিতে বলতে পারে ইডি। এক্ষেত্রের সমন করার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে উচ্চ আদালত। অভিষেককে সমন পাঠাতে হলে পুজোর আগে অর্থাৎ ১৯ অক্টোবরের আগে বা পুজোর পরে অর্থাৎ ২৬ অক্টোবরের পরে পাঠাতে হবে।তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৩ অক্টোবর ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। পরে বিচারপতি অমৃতা সিনহার একক বেঞ্চের নির্দেশ ছিল ওইদিন তদন্ত প্রক্রিয়া যেন ব্যাহত না হয় তা ইডিকে দেখতে হবে। অভিষেক অবশ্য ওইদিন ইডির দফতরে যাননি। বদলে তিনি সিঙ্গল বেঞ্চের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন।অভিষেক আদালতকে জানিয়েছিলেন, একক বেঞ্চ ওই নির্দেশ দিতে পারে না। বুধবার অভিষেকের সেই আবেদনের শুনানি হয় ডিভিশন বেঞ্চে। ডিভিশন বেঞ্চ অবশ্য সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয়নি। উল্টে একটি প্রস্তাব রাখে ইডির কাছে। যাতে বলা হয়, যা যা নথি চাওয়া হয়েছে অভিষেককে তা দিতে হবে। তাতে সন্তুষ্ট না হলে তদন্তের প্রয়োজনে অভিষেককে তলব করতে পারবে ইডি। ১২ অক্টোবর অভিষেক নথি দেবেন ইডিকে। সব নথি খতিয়ে দেখে পুজোর পরে নয় নতুন করে সমন পাঠাবে ইডি। পাশাপাশি, অভিষেককে তদন্তে সহযোগিতার কথা বলা হয়।বৃহস্পতিবার ইডির বক্তব্য শোনার পরই মামলাটির শুনানি শেষ হয় ডিভিশন বেঞ্চে। তবে রায়দান স্থগিত রয়েছে। এদিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্ত প্রক্রিয়ায় অসন্তুষ্ট কলকাতা হাইকোর্ট। এবার সময়সীমা বেঁধে দিয়ে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত শেষ করতে ইডি-কে নির্দেশ দিল ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই এই তদন্ত শেষ করতে হবে হবে বলে দির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিচারপতির স্পষ্ট কথা, তদন্তের নামে গড়িমসি চলবে না।

অক্টোবর ০৬, ২০২৩
রাজ্য

অভিষেককে ইডির তলব, কি নির্দেশ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের?

শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বাবা-মা ও স্ত্রী রুজিরাকে তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এদিকে অভিষেকের জমা করা নথির তথ্যে সন্তুষ্ট না হলে তবেই তাঁকে ফের সমন পাঠানো হোক। বুধবার ইডিকে এই প্রস্তাব দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। তবে বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশের উপরে কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। অর্থাৎ বুধবার অভিষেকের আবেদনে সাড়া দেয়নি ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক। তাঁর সঙ্গে সম্পর্কহীন তদন্তে কেন তাঁকে ডাকা হচ্ছে সেই প্রশ্ন তোলা হয়েছিল।অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদন শোনার পর বিচারপতি সৌমেন সেনের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ জানতে চান, ইডি শেষ যে সমন পাঠিয়েছিল, তাতে যা জানতে চাওয়া হয়েছিল, তা ইডিকে দিয়ে দিলেই হয়ে যায়। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে আপত্তি কোথায়? উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর বয়ানের ভিত্তিতে ইডির দাবি লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের কর্ণধার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়ও ওই সংস্থার ডিরেক্টর।বিচারপতির কথামত, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। এর সব তথ্য সামনে আসা উচিত। সিইও-র বিষয়ে যা জানতে চাওয়া হয়েছে তা-ও জনসমক্ষে আনা প্রয়োজন। এতে তো কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। ডিভিশন বেঞ্চের প্রশ্ন, একটা কোম্পানির বিরুদ্ধে তদন্তে ইডির অনেক ক্ষমতা রয়েছে। তারা ১৯ মাস ধরে কী করছে? কোনও আর্থিক লেনদেন হয়ে থাকলে তা পরিষ্কার হোক।সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের যুক্তি ছিল, বিচারপতি সিনহার নির্দেশে তাঁকে মামলায় যুক্ত না করেও প্রভাবিত করা যেতে পারে।। এটা কি করে সম্ভব? ডিভিশন বেঞ্চের যুক্তি, এটা কোর্টের নজিরদারিতে তদন্ত চলছে। মাথায় রাখবেন, এটা কোনও সরাসরি তদন্ত নয়। তাই সিঙ্গল বেঞ্চ এটা করতে পারে। তদন্তের প্রয়োজনে তদন্তকারী সংস্থার কাছে জবাব চাইতেই পারে সিঙ্গল বেঞ্চ। এত দিন ধরে তদন্ত চলার পরে কিছু পাওয়া যায়নি। সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি তো এ নিয়ে জানতে চাইতেই পারেন। কোর্টের নজরদারিতে তদন্ত চললে যদি তদন্তকারী সংস্থার রিপোর্টে আদালত সন্তুষ্ট না হয়, তবে আবার নির্দেশ দিতেই পারে।এরপরই অভিষেকের আইনজীবীকে ডিভিশন বেঞ্চের প্রস্তাব, তদন্তকারী সংস্থাকে সহযোগিতা করতে হবে। যে নথি চাওয়া হয়েছে তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই তথ্য দেওয়া উচিত। ১২ অক্টোবর ইডির দফতরে সব নথি জমা দেওয়া দরকার। আগামিকাল দুপুর ২টোয় ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে।

অক্টোবর ০৪, ২০২৩
দেশ

ইডির তদন্তে স্বস্তিতে ডিভিশন বেঞ্চে অভিষেক বন্দ্যেপাধ্যায়, হাইকোর্টে শুনানি আগামীকাল

কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ সর্বভারতীয় তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ তৃণমূল সাংসদ। এর আগে বিচারপতি সিনহা নির্দেশ দিয়েছিলেন, আজ ৩ অক্টোবরের তদন্ত ও অনুসন্ধান প্রক্রিয়া যাতে কোনওভাবে ব্যাহত না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে ইডিকেই। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড। আগামিকাল ডিভিশন বেঞ্চে অভিষেকের মামলার শুনানি হবে।উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্থা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে তল্লাশি অভিযানে গিয়েছিল ইডি। সেখানে তল্লাশি চালিয়ে একগুচ্ছ নথি বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। তারই ভিত্তিতে অভিষেককে ডেকে পাঠিয়ে কলকাতার অফিসে এর আগে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি।ফের একবার আজ ৩ অক্টোবর ফের তাঁকে তলব করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। যদিও পরে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আজ ইডির তলবে যাবেন না বলে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছিলেন।অভিষেকের সেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টের পরেই আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বিষয়টি আদালতের সামনে রেখেছিলেন। তারই ভিত্তিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহা ইডিকে স্পষ্ট করে জানিয়েছিলেন, ৩ অক্টোবরের তদন্ত ও অনুসন্ধান প্রক্রিয়া যাতে কোনওভাবে ব্যাহত না হয় সেই বিষয়টি নিশ্চিত করবে হবে।যদিও এক্ষেত্রে সরাসরি কারও নাম নেননি বিচারপতি। বিচারপতি সিনহার সেই নির্দেশের বিরুদ্ধেই এবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

অক্টোবর ০৩, ২০২৩
দেশ

আবর্জনা মুক্ত ভারত গড়ার অঙ্গীকার কলকাতার জিএসআইয়ের পূর্বাঞ্চলীয় সদর দফতরে

আবর্জনা মুক্ত ভারত-এর যুগের অঙ্গীকারে ভারতের জিওলজিক্যাল সার্ভে, পূর্বাঞ্চলীয় সদর দপ্তর, কলকাতা, রবিবার এক ঘন্টা শ্রমদানের মাধ্যমে Swacchata Hi Seva 2023 অভিযান সম্পন্ন করার উদ্যোগ নেয়। সল্টলেকের জিএসআই কার্যালয়ে ও আনন্দলোক হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকার আবর্জনা অপসারণ এবং পরিচ্ছন্নতার প্রচারের প্রচেষ্টায় ৫০০ জন জিএসআই কর্মীবৃন্দ ও নাগরিক সমবেত হয়েছিলেন। গান্ধী জয়ন্তীর প্রাক্কালে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের উদ্দেশ্যে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছিল। জিএসআই, পূর্বাঞ্চল শাখার অ্যডিশেনাল ডিরেক্টার জেনারেল এবং এইচ ও ডি, শ্রীমতি বর্ষা অশোক আগলাওয়ের তত্ত্বাবধানে Ek Tarikh Ek Ghanta এক ঘণ্টার শ্রমদান অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। অধ্যক্ষা সারা বছর নিয়মিত কার্যালয়ে ও সংলগ্ন এলাকার পরিচ্ছন্নতা রক্ষার বিষয়ে জোর দেন। চিফ ইঞ্জিনিয়ার, সকল ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল, ডিরেক্টর, উচ্চপদস্থ কর্মচারী ও অন্যান্য কর্মীবৃন্দ এবং অস্থায়ী স্টাফ পূর্ণ উৎসাহের সাথে অংশগ্রহণ করেন। প্রবীণ নাগরিকসহ স্থানীয় লোকজন ব্যাপকভাবে এই বৃহৎ পরিচ্ছন্নতা কর্মকাণ্ডে যোগ দেন। অনুষ্ঠানে মুখ্য অতিথি হিসেবে হাজির ছিলেন বিশিষ্ট জাতীয় ফুটবল খেলোয়াড় সন্দীপ নন্দী। তিনি একটি পরিষ্কার পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতা ও দায়িত্ববোধ বৃদ্ধির জন্য এই ধরনের আয়োজনের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে সহমত প্রকাশ করেন।

অক্টোবর ০১, ২০২৩
রাজ্য

শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের ইডির তলব অভিষেককে, সমন বাবা-মাকেও

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আগামী ৩রা অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টায় সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দফতরে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে ডেকে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার নিজেই এই তলবের বিষয়টি এক্সবার্তায় জানিয়েছেন ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক অভিষেকের সংস্থা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের ডিরেক্টর হিসেবে রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাবা অমিত ও মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদেরও তলব করেছে ইডি।সেপ্টেম্বরের শুরুতে বাংলাকে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে দিল্লিতে তৃণমূলের ধর্না কর্মসূচি রয়েছে। ৩রা অক্টোবর ওই ধর্না কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন। ফলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লির পূর্ব ঘোষিত দলীয় কর্মসূচি ফেলে কলকাতায় ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হবেন কিনা সেটাই দেখার।এদিন এক্সবার্তায় অভিষেক লিখেছেন, এখন, আজ আবার তারা আমাকে তাদের সামনে হাজির হওয়ার জন্য আরেকটি সমন পাঠিয়েছে। যেদিন ৩রা অক্টোবর দিল্লিতে পশ্চিমবঙ্গের ন্যায্য পাওনা আদায়ের জন্য প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু হবে। এটাই প্রমাণ করছে যে কারা সত্যিকারের ভীত, সন্ত্রস্ত এবং কারা ভয়ে কাঁপছেন।নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আগামী ৩রা অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টায় সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দফতরে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে ডেকে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার নিজেই এই তলবের বিষয়টি এক্সবার্তায়ন্ড হারবারের বিধায়ক।সেপ্টেম্বরের শুরুতে বাংলাকে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে দিল্লিতে তৃণমূলের ধর্না কর্মসূচি রয়েছে। ৩রা অক্টোবর ওই ধর্না কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন। ফলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লির পূর্ব ঘোষিত দলীয় কর্মসূচি ফেলে কলকাতায় ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হবেন কিনা সেটাই দেখার।এদিন এক্সবার্তায় অভিষেক লিখেছেন, এখন, আজ আবার তারা আমাকে তাদের সামনে হাজির হওয়ার জন্য আরেকটি সমন পাঠিয়েছে। যেদিন ৩রা অক্টোবর দিল্লিতে পশ্চিমবঙ্গের ন্যায্য পাওনা আদায়ের জন্য প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু হবে। এটাই প্রমাণ করছে যে কারা সত্যিকারের ভীত, সন্ত্রস্ত এবং কারা ভয়ে কাঁপছেন।এই প্রথম নয়, এর আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে তলব করেছিল ইডি। সেদিন ছিল ইন্ডিয়া জোটের সমন্বয় কমিটির প্রথম বৈঠক। ওই কমিটির সদস্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, দুর্নীতি মামলার তদন্তে কেন্দ্রীয় এজেন্সির ডাক পড়ায় সেদিন ওই বৈঠকে যোগ দেননি তৃণমূল সাংসদ। ইডির ডাকে সাড়া দিয়ে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছিলেন।এদিনের এক্সবার্তাতেও সেই বিষয়টি জানিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, এই মাসের শুরুতে, দিল্লিতে ইন্ডিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ সমন্বয়কারী বৈঠকের দিনই ইডি আমাকে তলব করেছিল। আমি দায়িত্বশীল হওয়ায় সমনে সাড়া দিয়ে হাজির হয়েছিলাম।তৃণমূল সূত্রে খবর, ওইদিন ইডি-র তলবে অভিষেকের সাড়া দেওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। কারণ, পূর্বঘোষণা মতই ২ ও ৩ অক্টোবর দিল্লিতে কেন্দ্র বিরোধী কর্মসূচি রয়েছে তৃণমূলের। অভিষেকের নেতৃত্বেই হবে সেই কর্মসূচি। সেই কর্মসূচিতে যোগ দেবেন কয়েক হাজার কর্মী। প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। শুক্রবারই থেকেই দিল্লিমুখী জনতা কলকাতায় জড়ো হবেন। তাই ওই কর্মসূচি ছেড়ে অভিষেক কলকাতায় হাজিরা দিতে আসবেন না বলেই মনে করা হচ্ছে।এর আগে গত ১৯ মে বাঁকুড়ায় তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচি ফেলে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তলবে সাড়া দিয়ে হাজিরা দিয়েছিলেন তৃণণূলের সেকেন্ডজ ইন কমান্ড। এরপর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পরপর দুবারই বিরোধীদের ইন্ডিয়া জোট বা তৃণমূলের কর্মসূচির দিনই অভিষেককে ডেকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সি।কেন বেছে বেছে দল বা বিরোধী শিবিরের কর্মসূচির দিনই তলব? তা নিয়েই প্রশ্ন তুলছে তৃণমূল। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের দাবি, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভয় পাচ্ছেন। অভিষেক ভীতিতে ভুগছেন ওরা। তাই তাঁর গুরুত্বপূর্ণ সব কর্মসূচির দিনই কেন্দ্রীয় এজেন্সি মারফৎ তাঁকে হেনস্থা করা হচ্ছে।গত ১৩ সেপ্টেম্বর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক বল্ছিলেন যে, এই দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের নির্যাস শুধু শূন্য নয়, মাইনাস টু। শুধু সময় নষ্ট। আমাকে আবার ডাকলে আবার আসবো। আবারও সেদিন বলব জিজ্ঞাসাবাদের ফল মাইনাস ফোর হবে।

সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • 11
  • 12
  • ...
  • 22
  • 23
  • ›

ট্রেন্ডিং

বিদেশ

ইলন মাস্ককে খোলা চিঠি ইমরান খানের প্রাক্তন স্ত্রীর, এক্সে ‘নীরব সেন্সরশিপ’-এর অভিযোগ

পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রাক্তন স্ত্রী জেমাইমা গোল্ডস্মিথ এবার সরাসরি এক্সের মালিক ইলন মাস্কের কাছে আবেদন জানালেন। তাঁর অভিযোগ, ইমরান খানের গ্রেফতারি, জেলবন্দি জীবন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা তুলে ধরার জন্য এক্স ইচ্ছাকৃত ভাবে তাঁর পোস্টের পৌঁছনো কমিয়ে দিচ্ছে।জেমাইমার দাবি, ২০২২ সালে ক্ষমতা থেকে সরানোর পর গত ২২ মাস ধরে ইমরান খান কার্যত একঘরে বন্দি অবস্থায় রয়েছেন। তাঁর কথায়, এটি কোনও সাধারণ জেল নয়, বরং রাজনৈতিক বন্দি হিসেবে নৃশংস নিঃসঙ্গ কারাবাস। এই সময়ের মধ্যে তাঁদের দুই ছেলে বাবার সঙ্গে দেখা করতে পারেনি। এমনকি মাসের পর মাস ফোনে কথা বলা বা চিঠি পাঠানোরও অনুমতি মেলেনি বলে অভিযোগ।জেমাইমা আরও জানান, পাকিস্তানের টেলিভিশন ও রেডিও থেকে ইমরান খানের নাম কার্যত মুছে ফেলা হয়েছে। তাঁর মতে, একমাত্র স্বাধীন মঞ্চ হিসেবে এক্স-ই ছিল সত্য বলার জায়গা। কিন্তু এখন সেই প্ল্যাটফর্মেও তাঁর কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।এক্স-এ করা দীর্ঘ পোস্টে জেমাইমা জানান, প্ল্যাটফর্মটির নিজস্ব এআই টুল গ্রক-এর তথ্য অনুযায়ী তাঁর অ্যাকাউন্টে গোপন থ্রটলিং করা হচ্ছে। অর্থাৎ, ইমরান খানের জেল পরিস্থিতি বা সন্তানদের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয় নিয়ে পোস্ট করলেই সেগুলি অ্যালগরিদমের মাধ্যমে আড়াল করে দেওয়া হচ্ছে। ইলন মাস্ককে উদ্দেশ করে তিনি লেখেন, আপনি মুক্ত বাক্স্বাধীনতার কথা বলেছিলেন। কিন্তু কথা বললেও যদি কেউ না শোনে, তা হলে সেটি আদৌ স্বাধীনতা নয়।জেমাইমার দাবি অনুযায়ী, তাঁর প্রায় ৩৫ লক্ষ ফলোয়ার থাকা সত্ত্বেও এক্সে তাঁর পোস্টের পৌঁছনো ভয়াবহ ভাবে কমে গিয়েছে। ২০২৩ এবং ২০২৪ সালের শুরু পর্যন্ত প্রতি মাসে তাঁর পোস্টে ৪০০ থেকে ৯০০ মিলিয়ন ইমপ্রেশন হতো। কিন্তু ২০২৫ সালে এখনও পর্যন্ত মোট ইমপ্রেশন নেমে এসেছে মাত্র ২ কোটি ৮৬ লক্ষে, প্রায় ৯৭ শতাংশ পতন।তিনি জানান, ২০২৫ সালের মে মাসে পাকিস্তানে এক্সের উপর নিষেধাজ্ঞা উঠতেই তাঁর একটি পোস্ট চার মিলিয়নের বেশি মানুষ দেখেন। কিন্তু তার পরই আবার হঠাৎ করে পোস্টের পৌঁছনো প্রায় শূন্যে নেমে যায়। জেমাইমার দাবি, গ্রক জানিয়েছে এই চাপ আসছে পাকিস্তানি প্রশাসনের দিক থেকেই, যারা ইমরান খানের পরিবারকে ঘনিষ্ঠ ভাবে নজরদারিতে রেখেছে।এই অভিযোগের পর পাশে দাঁড়িয়েছেন ব্রিটিশ সাংবাদিক পিয়ার্স মরগান। তিনি বলেন, ইমরান খানের পক্ষে কথা বলার বিষয়টি স্পষ্ট ভাবে চাপা দেওয়া হচ্ছে। মরগানের মন্তব্য, ইমরান খানের সঙ্গে যা ঘটছে তা অত্যন্ত লজ্জাজনক এবং পাকিস্তান সরকারকে তাঁর মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।এই ঘটনার মধ্যেই ইমরান খানের পরিবারের তরফে নতুন করে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। কয়েক দিন আগে তাঁর বোন আলিমা খান অভিযোগ করেন, রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেলে ইমরান খানকে নির্যাতন করা হচ্ছে এবং বেআইনি ভাবে একঘরে রাখা হয়েছে। তিনি জানান, গত আট মাস ধরে পরিবার নিয়মিত জেলে গেলেও তাঁদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি।জেলের বাইরে জড়ো হওয়া পিটিআই সমর্থকরাও ইমরান খানের শারীরিক অবস্থা ও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলের চারপাশে কড়া পুলিশি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ক্ষমতা হারানোর পর একাধিক মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে ২০২৩ সালের অগস্ট থেকে জেলে রয়েছেন ইমরান খান। তাঁর গ্রেফতারি নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরেও প্রশ্ন উঠেছে। গত বছর রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল জানায়, ইমরান খানের আটক বেআইনি এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে। যদিও সেই অভিযোগ মানতে চায়নি পাকিস্তান সরকার।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫
দেশ

মেক্সিকোর শুল্ক-বোমা! ভারতের রফতানিতে ৫০ শতাংশ কর, পাল্টা পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিল দিল্লি

মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নেই এমন দেশগুলির পণ্যের উপর হঠাৎ আমদানি শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্তে কড়া আপত্তি জানাল ভারত। মেক্সিকোর এই একতরফা সিদ্ধান্তে ভারতীয় পণ্যের উপর কর ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে ভারত জানিয়েছে, কূটনৈতিক আলোচনা চালু রাখার পাশাপাশি প্রয়োজন হলে রফতানিকারকদের স্বার্থ রক্ষায় উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।ভারত সরকারের বক্তব্য, কোনও আগাম আলোচনা ছাড়াই এমন শুল্ক বৃদ্ধি দুই দেশের সহযোগিতামূলক বাণিজ্য সম্পর্কের পরিপন্থী। পাশাপাশি বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থার স্বচ্ছতার নীতির সঙ্গেও এই সিদ্ধান্ত সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, মেক্সিকোর এই পদক্ষেপ ভারতের বিরুদ্ধে সরাসরি নয়, তা বোঝা গেলেও আগাম আলোচনা ছাড়া এমএফএন শুল্ক বাড়ানো বন্ধুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সম্পর্কের ভাবনার সঙ্গে খাপ খায় না।মেক্সিকোর নতুন শুল্ক কাঠামোয় মোট ১,৪৬৩টি পণ্য অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এর প্রভাব পড়বে ভারত ছাড়াও চিন, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড এবং ইন্দোনেশিয়ার মতো একাধিক এশীয় দেশের উপর। বেশির ভাগ পণ্যের ক্ষেত্রে শুল্ক প্রায় ৩৫ শতাংশ হতে পারে, যদিও কোথাও তা ৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।অপ্রত্যাশিত ভাবে ২০২৫ সালের ৩ ডিসেম্বর মেক্সিকোর অর্থনীতি মন্ত্রক ফের এই প্রস্তাব পেশ করে এবং আইন প্রণয়নের প্রক্রিয়া দ্রুত এগিয়ে নেয়। এর আগে বিভিন্ন দেশের আপত্তি ও মেক্সিকোর শিল্পমহলের চাপে এই সিদ্ধান্ত ২০২৬ সালের অগস্ট পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল।মেক্সিকো সরকার দাবি করেছে, দেশের অভ্যন্তরীণ উৎপাদনকে উৎসাহ দেওয়া এবং বাণিজ্য ঘাটতি কমানোই এই সিদ্ধান্তের মূল উদ্দেশ্য। তবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মহলের একাংশের মতে, আমেরিকার সঙ্গে ইউএসএমসিএ চুক্তি পর্যালোচনার সময় চিনের বিরুদ্ধে শুল্ক নীতি কঠোর করার চাপের সঙ্গেই এই সিদ্ধান্ত জড়িত। বিশেষ করে চিনা পণ্য ঘুরপথে আমেরিকার বাজারে ঢোকা ঠেকাতে মেক্সিকোর উপর চাপ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।এই পরিস্থিতিতে ভারত দ্রুত পদক্ষেপ করেছে। বাণিজ্য সচিব রাজেশ আগরওয়াল ইতিমধ্যেই মেক্সিকোর অর্থনীতি মন্ত্রকের ভাইস মিনিস্টার লুইস রোসেন্দোর সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা করেছেন। খুব শীঘ্রই কারিগরি স্তরের বৈঠকও হতে পারে। এর আগেই, ২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মেক্সিকোয় ভারতীয় দূতাবাস এই শুল্ক বৃদ্ধির বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়ে ভারতীয় পণ্যের জন্য বিশেষ ছাড় চেয়েছিল।বাণিজ্য দফতর জানাচ্ছে, নতুন শুল্কের প্রকৃত প্রভাব কতটা পড়বে, তা নির্ভর করবে মেক্সিকোর সরবরাহ ব্যবস্থায় ভারতীয় পণ্যের গুরুত্বের উপর এবং ভারতীয় সংস্থাগুলি করের বোঝা ভোক্তাদের উপর চাপাতে পারে কি না, তার উপর। এখনও পর্যন্ত কোন কোন পণ্য এই তালিকায় পড়ছে, তার চূড়ান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়নি।সরকারি সূত্রের স্পষ্ট বক্তব্য, ভারতীয় রফতানিকারকদের স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকার ভারত রাখে। তবে একই সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথেই এগোতে চায়।সব মিলিয়ে টানাপড়েন তৈরি হলেও ভারত জানিয়েছে, মেক্সিকোর সঙ্গে অংশীদারিত্বকে তারা গুরুত্ব দেয় এবং দুই দেশের ব্যবসা ও সাধারণ মানুষের স্বার্থে স্থিতিশীল ও ভারসাম্যপূর্ণ বাণিজ্য পরিবেশ বজায় রাখতে আগ্রহী।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫
দেশ

৪৫ বছরের বাম দুর্গ ভাঙল বিজেপি! কেরলের রাজধানীতে ইতিহাস গড়ল এনডিএ

কেরলের রাজধানী তিরুবনন্তপুরমে বড় রাজনৈতিক পরিবর্তন। পুরসভা নির্বাচনে বিজেপি-নেতৃত্বাধীন এনডিএ একক বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে এসেছে। এর ফলে টানা ৪৫ বছর ধরে চলা বামফ্রন্টের দখল ভেঙে গেল রাজধানীর কর্পোরেশনে। এই ফলাফলকে কেরলের রাজনীতিতে ঐতিহাসিক বলেই মনে করা হচ্ছে।১০১টি ওয়ার্ডের মধ্যে এনডিএ জিতেছে ৫০টিতে। শাসক বামফ্রন্ট এলডিএফ নেমে এসেছে মাত্র ২৯টি আসনে। কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ পেয়েছে ১৯টি ওয়ার্ড। দুটি আসনে জয়ী হয়েছেন নির্দল প্রার্থীরা। এক ওয়ার্ডে প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে ভোট বাতিল হয়েছে।এই ফলের ফলে তিরুবনন্তপুরম কর্পোরেশনে সরকার গঠনের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল এনডিএ। শহরের রাজনৈতিক সমীকরণে যে বড় পরিবর্তন এসেছে, তা স্পষ্ট বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।ফলাফলটি আরও তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ তিরুবনন্তপুরম জেলা কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা ও সাংসদ শশী থারুরের নিজের এলাকা। তাঁর ঘাঁটিতেই বিজেপির এই সাফল্য কেরলের রাজনীতিতে নতুন বার্তা দিচ্ছে বলে মত পর্যবেক্ষকদের।এখানেই শেষ নয়। কেরলের স্থানীয় নির্বাচন শেষে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য পেয়েছে এনডিএ। ত্রিপুনিথুরা পুরসভাতেও ক্ষমতা হারিয়েছে এলডিএফ, সেখানে দখল নিয়েছে বিজেপি-নেতৃত্বাধীন জোট।ফল প্রকাশের পর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে শশী থারুর বলেন, কেরলের গণতন্ত্রের জন্য এটি একটি উল্লেখযোগ্য দিন। তিনি ইউডিএফ-এর সামগ্রিক ফলের প্রশংসা করেন এবং একই সঙ্গে তিরুবনন্তপুরম কর্পোরেশনে বিজেপির ঐতিহাসিক জয়ের কথা স্বীকার করেন। থারুর বলেন, মানুষের রায়কে সম্মান জানানোই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য, সে রায় বিরোধীদের পক্ষেও গেলে। তিনি আরও জানান, দীর্ঘদিনের শাসনের বিরুদ্ধে মানুষের পরিবর্তনের ইচ্ছাই এই ফলাফলে প্রতিফলিত হয়েছে। শশী থারুরের কথায়, এলডিএফের ৪৫ বছরের শাসনের বিরুদ্ধে তিনি পরিবর্তনের ডাক দিয়েছিলেন, কিন্তু ভোটাররা অন্য একটি দলকে সেই পরিবর্তনের দায়িত্ব দিয়েছেন। সেটাই গণতন্ত্রের শক্তি।শেষে তিনি বলেন, কংগ্রেস কেরলের মানুষের জন্য কাজ চালিয়ে যাবে এবং ভাল শাসনের পক্ষে তাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫
কলকাতা

মেসি কাণ্ডে বড় ঘোষণা পুলিশের! টিকিটের টাকা ফেরাতে হবে, না হলে আইনি পদক্ষেপ

কেউ ৪ হাজার, কেউ ৮ হাজার, কেউ আবার ১০ হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কেটেছিলেন। মাসের পর মাস অপেক্ষা করেও শেষ পর্যন্ত প্রিয় ফুটবলার লিয়োনেল মেসিকে চোখের সামনে দেখতে পাননি তাঁরা। যুবভারতীতে তৈরি হওয়া চরম বিশৃঙ্খলার জন্য দর্শকদের ক্ষোভ গিয়ে পড়েছে পুলিশ ও উদ্যোক্তাদের উপর।এই পরিস্থিতিতে টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়ার কথা জানালেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, যে টিকিট বিক্রি হয়েছে, তার টাকা দর্শকদের ফেরত দেওয়া উচিত। কারণ, বহু দর্শকই মেসিকে দেখতে পাননি।ডিজি জানান, অনুষ্ঠানে ন্যূনতম টিকিটের দাম ছিল ৩৫০০ টাকা। তার সঙ্গে স্টেডিয়ামের ভিতরে জলের বোতল থেকে শুরু করে পপকর্ন পর্যন্ত চড়া দামে বিক্রি হয়েছে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, উদ্যোক্তারা যদি টাকা ফেরতের বিষয়ে সঠিক ব্যবস্থা না নেন, তা হলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে। ইতিমধ্যেই মূল উদ্যোক্তাকে আটক করা হয়েছে এবং এই বিশৃঙ্খলার জন্য কাউকেই রেয়াত করা হবে না।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে স্টেডিয়ামের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এডিডি আইন-শৃঙ্খলা জাভেদ শামিম জানিয়েছেন, সকল দর্শক নিরাপদে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন এবং ট্রাফিক পরিস্থিতিও স্বাভাবিক হয়েছে।উল্লেখ্য, এদিন যুবভারতীতে আসার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। ফুটবল তারকা মেসির সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। কিন্তু পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় ক্রীড়াঙ্গনে পৌঁছনোর আগেই নিজের কনভয়ের দিক ঘুরিয়ে নেন তিনি। পরে গোটা ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫
কলকাতা

ভিআইপি কালচারের বলি ফুটবলপ্রেমীরা? মেসি বিতর্কে বিজেপি-সিপিএমের তোপ

পাহাড়প্রমাণ প্রত্যাশা মুহূর্তে যেন জল হয়ে গেল। হাজার হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কেটেও প্রিয় তারকা লিয়োনেল মেসিকে ঠিকমতো দেখতে পেলেন না দর্শকরা। মেসি মাঠ ছাড়তেই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সাধারণ মানুষের মুখে ঘুরছে একটাই কথাভিআইপি কালচারের জন্যই বঞ্চিত হল সাধারণ দর্শক। ক্ষোভে ফেটে পড়ে তছনছ হয়ে যায় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন। ভাঙা হয় চেয়ার, তোরণ। গোটা ঘটনায় রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়েছে তীব্র চাপানউতোর।অব্যবস্থার জেরে মাঠে ঢুকতেই পারেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাস্তা থেকেই কনভয় ঘুরিয়ে ফিরে যেতে হয় তাঁকে। পরে মেসির কাছে ক্ষমা চেয়ে গোটা ঘটনার তদন্তে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তাতেও বিতর্ক থামেনি। একের পর এক তোপ দাগছে বিরোধীরা।বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, সাধারণ মানুষ সাড়ে তিন হাজার থেকে আট হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কিনেছেন। একশো দিনের কাজের শ্রমিকের প্রায় এক মাসের মজুরি একটি টিকিটের দামের সমান। তাঁর অভিযোগ, একদল প্রভাবশালী মানুষ মেসিকে ঘিরে রেখে সাধারণ দর্শকদের বঞ্চিত করেছেন। গোটা ঘটনাকে তিনি দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেন।বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। তাঁর দাবি, টিকিটের কালোবাজারি হয়েছে এবং পুরো ব্যবস্থাই ছিল চরম বিশৃঙ্খল। তিনি বলেন, যাঁরা বোতল ছুড়েছেন তাঁদের মধ্যেও শাসকদলের লোকজন রয়েছেন বলে তাঁর কাছে খবর আছে। পুলিশ ভিড় নিয়ন্ত্রণে পুরোপুরি ব্যর্থ বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি।সিপিএমও এই ঘটনায় সরব। দলের নেতা মহম্মদ সেলিম বলেন, বাংলায় যেখানে অনুষ্ঠান হবে, সেখানে দুর্নীতি, কালোবাজারি আর বিশৃঙ্খলা যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। খেলাধুলো থেকে মেলাসব ক্ষেত্রেই একই ছবি দেখা যাচ্ছে বলে তাঁর অভিযোগ।এ দিকে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গের মানুষের আবেগে আঘাত করেছে এবং ফুটবলপ্রেমীদের অপমান করেছে। সব মিলিয়ে মেসিকে ঘিরে এই বিশৃঙ্খলা শুধু মাঠেই নয়, রাজ্য রাজনীতিতেও ঝড় তুলে দিয়েছে।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫
কলকাতা

‘শুধু টাকা আর হ্যাংলামি?’ মেসি বিতর্কে আয়োজকদের তোপ কুণাল ঘোষের

দর্শকাসন থেকে একের পর এক জলের বোতল ছোড়া হল। পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে নির্ধারিত সময়ের আগেই মাঠ ছাড়তে বাধ্য হলেন লিয়োনেল মেসি। হাজার হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কেটেও প্রিয় তারকাকে দেখতে পেলেন না বহু ভক্ত। ক্ষোভে ফেটে পড়ে মাঠে নেমে ভাঙচুর শুরু করেন অনেকে। এই ঘটনার পর প্রকাশ্যে আয়োজকদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।শনিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মেসিকে সংবর্ধনা দেওয়ার কথা ছিল। আয়োজকদের দাবি অনুযায়ী সকাল ১১টা থেকেই স্টেডিয়ামে থাকার কথা ছিল মেসির। মাঠ পরিক্রমাও করার কথা ছিল তাঁর। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল শাহরুখ খানেরও। মেসি সময়মতো মাঠে পৌঁছলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিস্থিতি বদলে যায়। গ্যালারি থেকে বোতল ছোড়া শুরু হয়। চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয় মাঠজুড়ে।দর্শকদের অনেকেই জানান, চার মাস আগে টিকিট কেটেছেন তাঁরা। কেউ আবার ভোর ৪টে থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এত অপেক্ষা আর টাকা খরচ করেও মেসিকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাননি বহু মানুষ।এর পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় কুণাল ঘোষ লেখেন, আয়োজকদের ন্যূনতম পরিকল্পনাও ছিল না। তাঁর প্রশ্ন, সবটাই কি শুধু টাকা আর ব্যবসা? কেন মেসিকে ঘিরে এত লোকের ভিড় রাখা হল? কেন মাঠ পরিক্রমার সময় মেসিকে একা এগোতে দেওয়া হল না? কেন গ্যালারির দর্শকদের বঞ্চিত করা হল? কুণালের মন্তব্য, এই ঘটনা কলকাতার জন্য লজ্জাজনক।তিনি আরও লেখেন, কয়েকজনের আদিখ্যেতার জন্য পুরো আয়োজন নষ্ট হয়ে গেল। মেসিকে দেখার বদলে কেউ কেউ নিজেকে জাহির করতেই ব্যস্ত ছিলেন। কুণাল স্মরণ করিয়ে দেন, ২০১১ সালে এই যুবভারতীতেই খেলতে এসেছিলেন মেসি। তখন কর্নার ফ্ল্যাগের পাশে বসে শান্তিপূর্ণভাবে খেলা দেখেছিলেন তিনি। সেদিন কোনও বিশৃঙ্খলা হয়নি।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫
কলকাতা

মেসিকে নিয়ে মঞ্চের স্বপ্ন ভেস্তে, গাড়িতেই আটকে রইলেন শাহরুখ

শহরে আসবেন লিয়োনেল মেসি। চোখের সামনে ফুটবলের ভগবানকে দেখবেন হাজার হাজার ভক্ত। একই মঞ্চে থাকার কথা ছিল শাহরুখ খান, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও লিয়োনেল মেসির। সংবর্ধনা দেওয়ার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সব পরিকল্পনাই ছিল তৈরি। নির্ধারিত সময়েই শনিবার যুবভারতীতে অনুষ্ঠান শুরু হয়। মাঠে পৌঁছন মেসি। কিন্তু তার পরেই তৈরি হয় চরম বিশৃঙ্খলা, যা আগে কখনও দেখেননি ফুটবলপ্রেমী বাঙালি।এই অশান্ত পরিস্থিতির জেরে মাঠে ঢুকতেই পারলেন না বলিউড তারকা শাহরুখ খান। শনিবার সকালেই কলকাতায় আসেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ছেলে আব্রাম। শহরের এক পাঁচতারা হোটেলে আব্রামের সঙ্গে লিয়োনেল মেসি, লুইস সুয়ারেজ এবং রদ্রিগো ডিপলের সঙ্গে ছবিও তোলেন শাহরুখ। তার পর যুবভারতীর অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর।কিন্তু মেসি যখন মাঠ পরিক্রমা শুরু করেন, ঠিক তখনই গ্যালারি থেকে বোতল ছোড়া শুরু হয়। মুহূর্তের মধ্যে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। নিরাপত্তার কারণে মাঝপথেই মাঠ থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয় মেসিকে। সেই সময় গাড়িতে বসে স্টেডিয়ামের বাইরে অপেক্ষা করছিলেন শাহরুখ খান। বিশৃঙ্খলার কারণে তিনি মাঠে ঢুকতে পারেননি। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর তাঁকে ফিরে যেতে হয়।এই ঘটনার পর শহরের আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন উঠছে পুলিশ-প্রশাসন ও আয়োজকদের ভূমিকা নিয়েও। পুরো ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫
কলকাতা

মন্ত্রীরা মেসিকে দেখলেন, সেলফি তুললেন আর আমরা টাকা দিলাম! ক্ষোভে ফেটে পড়লেন দর্শকরা

যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হল। মাঠের ভিতরে ছোড়া হল চেয়ার, জলের বোতল। ক্ষুব্ধ দর্শকরা ব্যারিকেড ভেঙে মাঠে ঢুকে পড়েন। এমনকি একটি দিকের গোলপোস্টও ভেঙে ফেলা হয় বলে জানা গিয়েছে। মেসিকে সামনে থেকে দেখতে না পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন হাজার হাজার দর্শক।মাঠে উপস্থিত দর্শকদের কথায় উঠে এসেছে চরম হতাশা। এক দর্শক বলেন, মেসিকে নয়, আমরা শুধু অরূপ বিশ্বাসকেই দেখতে পেয়েছি। আর এক জনের অভিযোগ, আমাদের টাকায় সরকার মেসিকে দেখল, আমরা দেখলাম না। কেউ কটাক্ষ করে বলেন, অনিরুদ্ধ ধর আর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে দেখতে এসেছিলাম, আর কাউকে দেখতে আসিনি।এক দর্শকের ক্ষোভ, অরূপ বিশ্বাসকে দেখলাম সেলফি তুলতে ব্যস্ত। মনে হচ্ছিল মেসির জায়গায় উনিই এই অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ। ৩ হাজার ৩৩৮ টাকা দিয়ে টিকিট কেটেছিলাম, কিন্তু এক ঝলকও মেসিকে দেখতে পেলাম না। কেউ ৪ হাজার, কেউ আবার ১০ হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কেটে এসেছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, সাধারণ দর্শকদের থেকে মেসিকে আড়াল করে শুধু নেতা-মন্ত্রীরাই তাঁকে ঘিরে রেখেছিলেন।অনেকেই প্রশাসনের ভূমিকাকেও কাঠগড়ায় তুলেছেন। এক জন বলেন, মাঠে পুলিশ, স্তাবক আর মিডিয়ার ভিড় ছিল। সাধারণ মানুষ কিছুই দেখতে পায়নি। পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কাটা এক যুবক জানান, আগের রাত থেকেই তিনি সেই হোটেলের কাছে অপেক্ষা করছিলেন, যেখানে মেসি ছিলেন। তবুও ভগবান দর্শন হয়নি তাঁর।দর্শকদের ক্ষোভ ক্রমেই তীব্র আকার নেয়। মাঠে ওঠে চোর চোর স্লোগান। কেউ বলেন, নেতা-মন্ত্রীরা মেসিকে দেখল, সেই টাকাই তো আমরা দিয়েছি। সাঁতরাগাছির এক দর্শকের আক্ষেপ, আমরা শুধু মেসির হাতটা দেখেছি। কেউ গোটা ঘটনাকে দুর্নীতির সঙ্গে তুলনা করে বলেন, এটা স্ক্যাম ২০২৫, শতদ্রু দত্তের উদ্যোগ।শুধু রাজ্যের দর্শকরাই নন, অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে আসা এক প্রবাসী ভক্তও মেসিকে দেখতে না পেয়ে ভেঙে পড়েন। এমনকি এক রোনাল্ডো ভক্তও মেসিকে দেখতে এসে হতাশ হয়েছেন। কারও অভিযোগ, পুলিশও গালাগাল করেছে। এক দর্শকের কথায়, এত বড় লজ্জা ঢাকার জায়গা নেই। আর এক জন বলেন, মেসিকে দেখতে এসে শুধু ক্যামেরাম্যানই দেখে গেলাম।সব মিলিয়ে যুবভারতীর এই বিশৃঙ্খলা নিয়ে ক্ষোভ এখন সর্বত্র। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারও রাজ্য সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে বলেন, মেসিকে নিয়ে গোটা বিষয়টাই মেস করে দেওয়া হল।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal