• ২ আষাঢ় ১৪৩২, বৃহস্পতি ১৯ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Kesto

কলকাতা

অনুব্রত কলকাতায় তৃণমূলের বৈঠকে, তাঁকে কি নির্দেশ দলের শীর্ষ নেতৃত্বের?

এদিন কলকাতায় তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠকে হাজির ছিলেন বীরভূমের দলের প্রাক্তন সভাপতি অনুব্রত মন্ডল। এসেছিলেন জেলা পরিষদের সভাপতি কাজল শেখ। এই দুই জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তৃণমূল কংগ্রেস। বীরভূমে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার তৃণমূল। লড়াই মূলত অনুব্রত ও কাজলের মধ্যে। তাঁরা বিবৃতিও দেন প্রকাশ্য। সম্প্রতি বোলপুর থানার আইসিকে অকথ্য ভাষায় আক্রমণ করে অনুব্রত মন্ডল। তাতে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে যায়। সমাজের সর্ব স্তর থেকে নিন্দার ঝড় বয়ে যায়।তৃণমূলের একাংশের রোষানলে পড়েন অনুব্রত। দলীয় নির্দেশ মেনে সেই ঘটনার পর তড়িঘড়ি ক্ষমাও চেয়ে নেন কেষ্ট। তারপর অবশ্য এআই তত্ব সামনে আসে। এবার শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁদের স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেদলের ঐক্য রক্ষা করে একসঙ্গে কাজ করতে হবে, এবং নিজেদের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্বকে দূরে সরিয়ে দলীয় স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। বৈঠক থেকে বেরিয়ে ফিরহাদ হাকিম স্পষ্ট জানিয়ে দেন, অনুব্রত মন্ডলকে সতর্ক করা হয়েছে। ভবিষ্য়তে এমন কাজ করলে দল বরদাস্ত করবে না।

জুন ১৫, ২০২৫
রাজ্য

শান্তিনিকেতন থানায় পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি অনুব্রত মন্ডল

অবশেষে পুলিশি জেরার মুখোমুখি বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি অনুব্রত মন্ডল। সাত দিন পর তিনি বোলপুরের এসডিপিও অফিসে যান। ওই চত্বটরে শান্তিনিকেতন থানায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বিকেল ৩ টে ২০ মিনিট নাগাদ অনুব্রত সেখানে আসেন। এর আগে পুলিশ ২বার বোলপুর তৃণমূল কংগ্রেসের কোর কমিটির ওই সদস্যকে তলব করে। অনুব্রত মন্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি বোলপুরের আইসি লিটন হালদারকে ফোনে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন। সেই অডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। এই নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে ঝড় বয়ে যায়। এদিকে বোলপুরের আইসির দুটো মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কে ভাইরাল করল ওই অডিও তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। প্রথম দফায় অনুব্রত ক্ষমা চেয়েছেন, সেই চিঠি প্রকাশ্যে এসেছিল। পরে অনুব্রতর আইনজীবী এআইয়ের অডিও বলে দাবি করেন। অনুব্রত অনুগামীরা বোলপুর আইসির তুলোধোনা করেন। আপাতত শান্তুনিকেতন থানায় অনুব্রত।

জুন ০৬, ২০২৫
রাজ্য

আইসিকে কদর্য ভাষা অনুব্রতর, FIR, শেষমেশ ক্ষমা প্রার্থনা

তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডলের একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হতেই রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় পড়ে যায়। সেই অডিওর শোনা যাচ্ছে, বীরভূম জেলা তৃণমূল কোর কমিটির অন্যতম সদস্য অনুব্রত মণ্ডল বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছেন। দুদিন আগে এই অডিও ক্লিপটি যে কোনও কারণেই ভাইরাল হয়ে যায়। তারপরেই জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ সিং, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার বোলপুর রানা মুখোপাধ্যায় বৈঠক ডেকে আইসি লিটন হালদারকেও ডেকে পাঠান। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বোলপুর এসডিপিও রিকি আগরওয়াল সহ চার পুলিশ কর্তা। উল্লেখ্য, গতকালই অর্থাৎ বৃহস্পতিবার নাগরিক কমিটির ডাকে বোলপুর থানায় এক বিক্ষোভ কর্মসূচি নেওয়া হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামীরা। অভিযোগ, আইসি লিটন হালদার বিভিন্ন জনের কাছ থেকে তোলাবাজি অর্থ দাবি করেন। অনুব্রত মণ্ডলকেও, এ ব্যাপারে সোচ্চার হতে দেখা যায়। যদিও এ ব্যাপারে পুলিশের তরফে কোন বক্তব্য জনসমক্ষে আসেনি। অনুব্রতর কদর্য বক্তব্য সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পরই তীব্র নিন্দা হয় বিভিন্ন মহল থেকে। এমনকি বিজেপির রাজ্য শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব শাসকদলকে আক্রমণ করার হাতিয়ার পেয়ে যায়। একইসঙ্গে তৃণমূল দল থেকে নিজস্ব হ্যান্ডেলে অনুব্রত মণ্ডলের ঘটনার নিন্দা করা হয়। বলা হয় যে, অনুব্রত মণ্ডল একজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন তার সঙ্গে আমাদের দল সম্পূর্ণ দ্বিমত প্রকাশ করছে। এবং এই মন্তব্যকে ও সমর্থন করছে না। পাশাপাশি, দল তাকে নির্দেশ দেয় যে আগামী চার ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে তার বিরুদ্ধে দল শোকজ নোটিশ জারি করবে। ইতিমধ্যে, পুলিশের তরফে একটি মুখবন্ধ খামে চিঠি এসে পৌঁছায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে। অন্যদিকে, বোলপুর থানায় বিএনএস এর ৭৫, ১৩২, ২২৪ ও ৩৫১ ধারায় অনুব্রতর বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। পাশাপাশি, অডিও ক্লিপটি কিভাবে ভাইরাল হল তা নিয়ে তদন্ত করা হবে বলে জানান, বীরভূমের পুলিশ সুপার আমানদীপ সিং। অবমাননাকর মন্তব্যের তদন্ত শুক্রবার বোলপুর দলীয় কার্যালয়ে অনুব্রত মণ্ডল একটি ভিডিও বার্তায় সকলের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেন, যে নানুরের শিঙ্গিতে তার এক দলীয় কর্মীর পা ভেঙে গুড়ো করে দেওয়া হয় সে ব্যাপারে তিনি আইসিকে দেখার অনুরোধ করেন। অনুব্রত বলেন, যে নুরুল নামে সেই দলীয় কর্মী গুরুতর অবস্থায় আহত হন। তারপর সেখান থেকে তাকে ফোন করা হয়। রাত্রি দশটায় ঘুমের ওষুধ খেয়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। ফোনে ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর, তিনি আইসিকে বলেন যে, ওই আহত ব্যক্তিকে বাঁচানোর জন্য আপাতত হাসপাতালে ভর্তি করুন। একইভাবে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ ও আইসিকে অনুরোধ করেন। কিন্তু আইসি তাকে একটি খারাপ কথা বলেন। যেটা তিনি আর বলতে চাইছেন না। তার পক্ষে (অনুব্রতর) এ ধরনের ভাষা ব্যবহার করা উচিত হয়নি। তিনি ক্ষমা চাইছেন।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

অনুব্রতর বাড়ির দরজায় আটকে গেলেন মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক, কান্নায় ভাসলেন সকন্যা "বীরভূমের বাঘ"

গরু পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডল জামিন পাওয়ার পর আজ সকালে কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে সোজা রওয়ানা দেন বোলপুরের নীচুপট্টির বাড়ির দিকে। বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতিকে স্বাগত জানাতে হাজির ছিলেন অসংখ্য অনুগামী।এরই মধ্যে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে যায়, রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা ও বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরীকে অনুব্রত তাঁর বাড়িতে ঢোকার অনুমতি না দেওয়ায়। তাঁদের দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। সাংসদ অসিত মালকেও দরজার বাইরে থেকে ফিরে আসতে হচ্ছে। অনুব্রত মন্ডল ও তাঁর কন্যা সুকন্যাকে দেখা গেল হাত দিয়ে চোখের জল মুছতে। আবেগি অনুব্রত দু হাত দিয়ে চোখ চেপে ছিলেন। আজ বোলপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠক করবেন। অনুব্রতর সঙ্গে দেখা হয়নি দলনেত্রীর। বাড়িতে ঢোকার সময় অনুব্রত এদিন বলেন, তিনি দিদির সঙ্গেই আছেন। পায়ে ব্যথা রয়েছে। শরীর ভালো থাকলে তিনি দেখা করবেন দিদির সঙ্গে। কাজল এখন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি। অনুব্রত তিহাড় জেলে থাকলেও তিনিই দলের সভাপতি পদে বহাল রয়েছেন। ফলে তাঁর প্রত্যাবর্তনে ফের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দেবে কিনা তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। মমতা বরাবরই অনুব্রতর পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে মন্ত্রিসভা থেকে সরানো হয়েছে, কেড়ে নেওয়া হয়েছে দলের সাংগঠনিক পদ। তবে তাঁরা বিধায়ক রয়েছেন। অনুব্রত জেলে থাকলেও দলের সভাপতিই থেকে গিয়েছেন।অনুব্রত বাড়ি ফেরার পর তাঁরা দেখা করতে গিয়েছিলেন দলের জেলা সভাপতির সঙ্গে। যদিও কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের মাধ্যমে তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হয়, বাড়িতে প্রবেশাধিকার নেই। স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়ে সেখান থেকে ফিরে যান চন্দ্রনাথ, বিকাশ, অসিত মাল। তার সঙ্গে সাক্ষাৎ পেয়েছেন জেলা নেতা সুদীপ্ত ঘোষ, নলহাটির বিধায়ক, বোলপুরের পুর প্রধান। অনুব্রতর সঙ্গে জেলা কোর কমিটির সদস্য সুদীপ্ত ঘোষ দীর্ঘক্ষণ কথা বলেছিলেন। সেখানে ছিলেন অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা। ছিলেন আরও কয়েকজন।

সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৪
রাজ্য

দেহরক্ষী হীন কেষ্ট, সুপ্রিম-রায়ে ইডি-র ডাকে দিল্লি চলল সহগল

একদিকে মানিক ভট্টাচার্য্য ও ২৬৯ জন বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকদের সাময়িক স্বস্থিদানের রায় দিচ্ছে সুপ্রিম কোর্ট ঠিক সেই সমইয়েই, গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত, জেলবন্দি বীরভূমের বেতাজ বাদশা তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী রাজ্য সরকারের কনস্টবল পদে কর্মরত সহগল হোসেনের আবেদন খারিজ করে এক অন্য বার্তা দিল শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট।পরিণাম স্বরুপ সহগলকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি-র আর কোনও বাধাই রইল না। উল্লেখ্য এর আগে সহগলকে দিল্লিতে ইডি-র অফিসে নিয়ে গিয়ে জেরার জন্য আসানসোলে আদালতের দ্বারস্থ হয়ে আবেদন করেছিল ইডি। সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। তারপর ইডি কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করে এবং কলকাতা হাইকোর্টে প্রয়োজনীয় নথিপত্রের অভাবে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে তদন্তকারী সংস্থার সেই আবেদনও বাতিল হয়ে যায়।কলকাতা হাইকোর্টে রায় জানার পর পরেই ইডি দিল্লির রউস অ্যাভিনিউ কোর্টের আবেদন করে। সেখানে সোমবার ইডির আবেদনে সম্মতি দিয়ে সহগলকে সহগলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করার অনুমতি দেয়। সেই রায়ের বিরোধিতা করে সহগলের আইনজীবী দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করে, তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দিল্লি হাইকোর্ট রউস আদালতের এই নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তিকালীন স্থগিতাদেশ দেয়। এবং জানায়, শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত সহগলের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না ইডি। কিন্তু বৃহস্পতিবার দিল্লি হাই কোর্টই আবার জানায়, গরু পাচার কান্ডে ধৃত সহগলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আবার দিল্লিতে জেরা এড়াতে মড়িয়া সহগল দিল্লি হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানান। শুক্রবার সহগলের আর্জি খারিজ করে দিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থার দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরার আবেদনে শিলমোহর দিল সুপ্রিম কোর্ট।

অক্টোবর ২১, ২০২২
রাজ্য

তৃণমূলের জয়জয়কারের মধ্যেও কাটোয়ায় রবির গড়ে কুপোকাত বীরভূমের কেষ্টর অনুগত প্রার্থী

বিধানসভা ভোটের পর পুর ভোটেও রাজ্য জুড়ে দাপট অব্যাহত রাখলো ঘাসফুল শিবির। যার ব্যতিক্রম ঘটেনি পূর্ব বর্ধমানেও। এই জেলার ছয়টি পুরসভাতেও নিরঙ্কুশ জয় ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল। একমাত্র কালনা পুরসভায় বামেরা অস্তিত্ব জানান দিতে পেরেছে । তবে এতকিছুর মধ্যেও রবির গড় কাটোয়া পুরসভার ভোটে নজরকাড়া পরিজয় ঘটেছে বীরভূমের কেষ্ট মণ্ডলের অনুগামী তৃণমূল প্রার্থীর।যা নিয়েই এখন সরগরম কাটোয়ার রাজনৈতিক মহল। রাজ্যের ১০৮ টি পুরসভা ভোটের ফলাফল বুধবার ঘোষনা হতেই রাজ্যজুড়ে বইতে শুরু করে সবুজ আবিরের ঝড়। হোলির আগেই এদিন সবুজ আবিরে মাখামাখি হয়ে অকাল হোলিতে মাতোয়ারা হয় বর্ধমান, কালনা, কাটোয়া,দাঁইহাট,মেমারি ও গুসকরা পৌরসভা এলকার তৃণমূল কর্মীরা। বর্ধমান পুরসভায় বিরোধীরা খাতাই খুলতে পারেনি। এমনকি ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বর্ধমান পুরসভার যে যে ওয়ার্ডে বিজেপি ভাল ফল করেছিল সেই সব ওয়ার্ড সহ ৩৫ টি ওয়ার্ডেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল প্রার্থীরা।একই ভাবে গুসকরা পুরসভার ১৬ টি ওয়ার্ড ও দাঁইহাটের ১৪ টি ওয়ার্ডে একচ্ছত্র আধিপত্য লাভ করেছে তৃণমূল।এই তিন পুরসভায় বিরোধীরা খাতা খুলতে না পারলেও মেমারির ঘাসফুলের খেতে অপ্রত্যাশিত ভাবেই হাত তুলে বসেছে কংগ্রেস ।কিন্তু কোনভাবেই অস্তিত্ব জানান দিতে না পেরে বিনয় কোঙারের গড়ে হারিয়েই গেল কাস্তে হাতুড়ি তারা। মেমারি পৌরসভায় মোট ওয়ার্ড ১৬ টি।এরমধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস জয়ী হয়েছে ১৫ টি ওয়ার্ডে।শুধুমাত্র ৪ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী কংগ্রেস প্রার্থী মিঠু সরকার। ভোট প্রাপ্তির হিসাব অনুয়ায়ী মেমারিতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বামেরা। কালনা পৌরসভায় ১৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৭ টি ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছে তৃণমূল প্রার্থীরা।শুধুমাত্র কালনার ২ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএম প্রার্থী শর্মিষ্ঠা নাগ সাহা তাঁর প্রতিদ্বন্দি তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী তনুশ্রী বাগকে ১৮১ ভোটে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন। ঘাসফুলের দখলে গিয়েছে কাটোয়া পুরসভা। পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টপাধ্যায় ওরফে রবি ববুর গড় হিসাবেই পরিচিত কাটোয়া। এই পুরসভার ২০ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৫ টি ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছে তৃণমূলের প্রার্থীরা। ৪ টি ওয়ার্ডে কংগ্রেস প্রার্থী ও ১ টি ওয়ার্ডে নির্দল প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। কাটোয়ায় পরাজিত তৃণমূল প্রার্থীদের মধ্যে যাঁকে নিয়ে সব থেকে বেশী চর্চা হচ্ছে তিনি হলেন অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায়। বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ও ওরফে কেষ্টর অনুগত অরিন্দম বাবু কাটোয়া পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দিতা করেন। এদিন ফল বের হতেই দেখাযায় তিনি কংগ্রেস প্রার্থী রণজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে ১১০ ভোটে পরাজিত হয়েছেন। পরাজয়ের জন্য নিজের দলের লোকজনকেই দায়ী করেন পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন,দলের চক্রান্তের জন্যই হেরেছি। অরিন্দমবাবু অভিযোগে বলেন,তৎকাল তৃণমূল কর্মীরা চক্রান্ত করে আমাকে হারিয়েছে। আমি সমস্ত ঘটনা রাজ্য নেতৃত্বকে জানাব। কর্মীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি নিয়ে তৃণমূলের প্রার্থীকে হারিয়ে জঘন্য রাজনীতি করেছে। কেষ্ট মণ্ডলের ঘনিষ্ট তৃণমূল নেতা অরিন্দম বন্দ্যেপাধ্যায়ের এইসব অভিযোগ নিয়ে রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি । তবে অরিন্দমের বক্তব্য নিয়ে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিতে দেরি করেননি জয়ী কংগ্রেস প্রার্থী রণজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন ,যে প্রার্থী তাঁর নিজের দলের জেলা সভাপতিকে হরিদাস পাল,চোরের সর্দার বলে তাচ্ছিল করেন তাঁর এমন পরিণতি কথা আগে থেকেই ভেবে রেখে ছিলেন কটোয়াবাসী। সেই মতই কাটোয়ার মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে জিতেয়েছে।আমাকে কোন দল সাহায্য করেনি। কোটোয়া পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে হেবি ওয়েট তৃণমূল প্রার্থীর পরাজয়ের জেরে কাটোয়ার নতুন গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব মাথা চাড়া দিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

মার্চ ০২, ২০২২
রাজ্য

Arrest: তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় পুলিশের জালে আরও এক দুস্কৃতি

তৃণমূল নেতাকে খুনের ঘটনায় পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রাম থানার পুলিশের জালে ধরা পড়লো আরও এক দুস্কৃতি। ধৃতের নাম আয়ুব খান। তার বাড়ি আউসগ্রামের ভাতকুন্ডা গ্রামে। সোমবার রাতে পুলিশ বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। আউশগ্রামের দেবশালা অঞ্চলের প্রাক্তন যুব তৃণমূলের সভাপতি চঞ্চল বক্সীকে খুনের ঘটনায় এই নিয়ে গ্রেপ্তার হল চারজন। সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ মঙ্গলবার ধৃতকে পেশ করে বর্ধমান আদালতে। তদন্তের প্রয়োজনে ধৃতকে ১৪ দিন নিজেদের হেপাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানান তদন্তকারী অফিসার। বিচারক ধৃতকে ৬ দিন পুলিশি হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।আরও পড়ুনঃ আউসগ্রামে তৃণমূল যুব নেতার খুনের ঘটনায় ভয়ঙ্কর নিদান অনুব্রতরপুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত হন আউসগ্রামের দেবশালা পঞ্চায়েত প্রধান শ্যামল বক্সীর ছেলে চঞ্চল বক্সী(৪৪)। এই ঘটনার তদন্তে নেমে আউসগ্রাম থানার পুলিশ রবিবার দেবশালা পঞ্চায়েতের দুই তৃণমূল সদস্য আসানুল মোল্লা, মনির হোসেন মোল্লা ও দেবশালা অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি হিমাংশু মণ্ডলের ছেলে বিশ্বরূপ মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে। এরাই সুপারি কিলারদের দিয়ে চঞ্চল বক্সীকে খুন করায় বলে পুলিশ এক প্রকার নিশ্চিৎ হয়ে গিয়েছে। সুপারি কিলারদের নাগাল পেতে পুলিশ সোমবার ওই তিন ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পেশ করে ৭ দিনের জন্য নিজেদের হেপাজতে নিয়েছে। তিন ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে পুলিশ জানতে পারে চঞ্চল বক্সীকে খুনের ঘটনার পর থেকে আয়ুব খান খুনের ঘটনার মূল চক্রীদের সব খবরা খবর জানাচ্ছিল। এমনকি ঘটনার পর সুপারি কিলারদের পালাতে সাহায্য করার ব্যাপারেও আয়ুবের ভূমিকা ছিল বলে পুলিশ মনে করছে। আয়ুব সহ চার ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে পুলিশ খুনের ঘটনার বাকি ষড়যন্ত্রকারীদের জালে ভরার তৎপরতা শুরু করে দিয়েছে।আরও পড়ুনঃ নিহতের বাবার আশঙ্কাই সত্যি, তৃণমূল নেতাকে খুনের ঘটনার গ্রেপ্তার দলেরই তিন কর্মী

সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২১
রাজ্য

Chanchal Bakshi: নিহতের বাবার আশঙ্কাই সত্যি, তৃণমূল নেতাকে খুনের ঘটনার গ্রেপ্তার দলেরই তিন কর্মী

পরিবারের সদস্যদের আশঙ্কাই সত্যি হল। পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রামের দেবশালা অঞ্চলের প্রাক্তন যুব তৃণমূল সভাপতি চঞ্চল বক্সীকে খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার হলেন দলেরই তিন সদস্য। ধৃতরা আসানুল মোল্লা, মনির হোসেন মোল্লা এবং বিশ্বরূপ মণ্ডল। ধৃতরা দেবশালা অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা। ধৃতদের মধ্যে আসানুল ও মনির দেবশালা পঞ্চায়েতে তৃণমূল সদস্য। অপর ধৃত বিশ্বরুপ মণ্ডল দেবশালা অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি হিমাংশু মণ্ডলের ছেলে। রবিবার সন্ধ্যায় এই গ্রেপ্তারির কথা ঘোষণা করেন জেলার পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন। সুপারিকিলারদের দিয়েই যে এই খুনের ঘটনা ঘাটানো হয়েছে সেই বিষয়ে তদন্তকারী পুলিশ কর্তারাও একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছেন।আরও পড়ুনঃ আউসগ্রামে তৃণমূল যুব নেতার খুনের ঘটনায় ভয়ঙ্কর নিদান অনুব্রতরএই গ্রেপ্তারির কথা এদিন জানাজানি হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে আউসগ্রামের রাজনৈতিক মহলে। সবাই বলছেন, নিহত চঞ্চল বক্সীর বাবা শ্যামল বক্সীর আশঙ্কাই শেষ পর্যন্ত সত্যি হল। কারণ এই খুনের ঘটনা ঘটার পর তৃণমূলের অনেক নেতা বিজেপির দিকে আঙুল তুললেও তা মানেননি নিহত চঞ্চল বক্সীর বাবা শ্যামল বক্সী। তিনি প্রথম দিন থেকেই দাবি করে আসছিলেন তাঁর ছেলেকে খুনের ঘটনায় বিজেপি বা সিপিএমের কেউ জড়িত থাকতে পারে না। দেবশালা অঞ্চল তৃণমূলের প্রাক্তন যূব সভাপতি চঞ্চল বক্সীকে খুনের ঘটনায় শেষপর্যন্ত তৃণমূলের লোকজন গ্রেপ্তার হওয়ায় কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন, তাহলে কি অনুব্রত মণ্ডল তাঁর ঘোষিত নিদান মতোই এবার ধৃতদের গুলি করে মারবেন!আরও পড়ুনঃ বাতিল টেস্ট ম্যাচ নিয়ে আইসিসিকে চিঠি ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডেরপুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার আউসগ্রাম ২ ব্লকের গেঁড়াইয়ে হওয়া দলীয় বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন ব্লকের দেবশালা পঞ্চায়েতের প্রধান শ্যামল বক্সী ও তার ছেলে চঞ্চল বক্সী(৪৪)। চঞ্চল একদা দেবশালা অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন। বৈঠক শেষে দুপুর ৩ টে নাগাদ বাবা ও ছেলে একটি বাইকে চেপে দেবশালা গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। বাইক চালাচ্ছিলেন চঞ্চল। পথে আউসগ্রাম ও বুদবুদ থানার বর্ডার লাগোয়া গেঁড়াই-মানকর রোডে উলুগড়িয়া জঙ্গলের কাছে পিছু ধাওয়া করে এসে দুস্কৃতিরা তাঁদের লক্ষ্য করে পর পর গুলি চালায়। ওই পরিস্থিতিতে শ্যামলবাবু বাইক থেকে পড়ে যান। চঞ্চলের বুকের পাঁজরে ও হাতে মোট তিনটি গুলি লাগে। তাঁকে উদ্ধার করে ওই এলাকার লোকজন স্থানীয় জামতারা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক চঞ্চল বক্সীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই খুনের ঘটনার পর দুই বর্ধমান জেলার পুলিশ সিট গঠন করে তদন্তে নামে। সিআইডিও ঘটনাস্থলে তদন্তে যায় । পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চঞ্চল বক্সীকে খুনের ঘটনায় ধৃত তিন জনকে সোমবার বর্ধমান আদালতে পেশ করে তদন্তকারী অফিসাররা ১৪ দিন নিজেদের হেপাজতে নেওয়ার আবদন জানাবেন। ধৃতদের হেপাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে পুলিশ সুপারি কিলারের নাগাল পেতে চাইছে।আরও পড়ুনঃ রাগী ষাঁড়ের গুঁতোয় প্রাণে বাঁচলেও মুখের একপাটি দাঁত খোয়ালেন এক শ্রমিকচঞ্চল বক্সী নিহত হওয়ার দুদিন বাদ তাঁর বাড়িতে যান বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা আউসগ্রামের পর্যবেক্ষক অনুব্রত মণ্ডল। খুনিদের গ্রেপ্তারের জন্য তিনি পুলিশকে ১৫ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেন।একই সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল ওই দিন সংবাদ মাধ্যম ও দেবশালা অঞ্চলের বাসিন্দাদের জানিয়ে দেন , খুনিরা তাঁর দলের লোক হলে তাঁদের গুলি করে মেরে দেওয়া উচিত।

সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২১
রাজ্য

Anubrata: আউসগ্রামে তৃণমূল যুব নেতার খুনের ঘটনায় ভয়ঙ্কর নিদান অনুব্রতর

দিনেদুপুরে গুলি করে তৃণমূলের যুব নেতাকে খুনের ঘটনার পর দুদিন পেরিয়ে গেলেও খুনিরা কেউ ধরা পড়েনি। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বৃহস্পতিবার তাঁর কড়া হুঁশিয়ারি কথা জানিয়ে দিলেন পুলিশকে। এদিন পুলিশকে উদ্দেশ্য করে অনুব্রত মণ্ডল জানিয়ে দেন, ১৫ দিনের মধ্যে গ্রেপ্তার করতে পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রামের দেবশালা অঞ্চল তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি চঞ্চল বক্সীকে খুনের ঘটনায় জড়িত ন্যায্য আসামীদের। তা না হলে ভয়ংকর খেলা খেলে দেবেন বলে তিনি জানিয়ে দেন। একই সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেন, খুনি যদি তাঁদের দলের কেউ হয় তবে তাঁকে আগে গুলি করে মেরে দেওয়া উচিৎ। অনুব্রতর এই ঘোষণাকে সঠিক বলে এদিন দাবি করেছেন নিহত তৃণমূল যুব নেতার বাবা শ্যামল বক্সী।আরও পড়ুনঃ আউশগ্রামে জঙ্গলের রাস্তায় খুন তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলে, চরম উত্তেজনাআউসগ্রামের তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছেন, গত মঙ্গলবার আউসগ্রাম ২ ব্লকের গেঁড়াইয়ে হওয়া দলীয় বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন ব্লকের দেবশালা পঞ্চায়েতের প্রধান শ্যামল বক্সী ও তার ছেলে চঞ্চল বক্সী(৪৪)। চঞ্চল একদা দেবশালা অঞ্চল যুব তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন। বৈঠক শেষে দুপুর ৩ টে নাগাদ বাবা ও ছেলে একটি বাইকে চেপে দেবশালায় গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। বাইক চালাচ্ছিলেন চঞ্চল। পথে আউসগ্রাম ও বুদবুদ থানার বর্ডার লাগোয়া গেঁড়াই-মানকর রোডে উলুগড়িয়া জঙ্গলের কাছে পিছু ধাওয়া করে এসে দুস্কৃতিরা তাঁদের লক্ষ্য করে পর পর গুলি চালায়। ওই পরিস্থিতিতে শ্যামলবাবু বাইক থেকে পড়ে যান। চঞ্চলের বুকের পাঁজরে ও হাতে মোট তিনটি গুলি লাগে। তাঁকে উদ্ধার করে ওই এলাকার লোকজন স্থানীয় জামতারা হাসপাপালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক চঞ্চল বকসিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।আরও পড়ুনঃ আউসগ্রামে তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুনের ঘটনায় যৌথ ভাবে তদন্ত শুরু করলো সিআইডি ও পুলিশদিনে দুপুরে গুলির পর গুলি চালিয়ে তৃণমূল নেতাকে খুনের ঘটনার খবর পেয়েই আউসগ্রাম ও বুদবুদ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছায়। পরে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন ও দুর্গাপুর কমিশনারেটের উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তারাও ঘটনাস্থলে পৌছান। তদন্তে নেমে ঘটনাস্থলের খানিকটা দূর থেকে পুলিশ একটি আগ্নেআস্ত্র পায়। রাতে পুলিশ কুকুর এনেও তদন্ত চলে। বুধবার বেলা ১১ টা নাগাদ ঘটনাস্থলে পৌছায় ৪ সদস্যের সিআইডি আধিকারিক দল। তাঁরা ঘটনাস্থল ছাড়াও যে জায়গা থেকে আগ্নেয়াস্ত্রটি ও একটি জামা উদ্ধার হয়েছিল সেই জায়গা গুলি খতিয়ে দেখেন। তাঁরা মাপযোগ করেন ও ছবি তোলেন। সেখান থেকে সিআইডি আধিকারিক দলটি সোজা চলে যান নিহতের বাড়িতে। দরজা বন্ধ করে তাঁরা কথা বলেন চঞ্চল বক্সীর বাবা শ্যামল বক্সীর সঙ্গে। ওই দিন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে নিহতের দেহের ময়না তদন্ত হয়। সেখানে গিয়েও সিআইডি আধিকারিকরা বিস্তারিত খোঁজ খবর নেন চিকিৎসকদের কাছে। সিআইডি আধিকারিকরা বিকালে ফের ঘটনাস্থলে যান। নিহতের ভাই রাহুল বক্সী বুধবার পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ সুপারের কাছে তাঁর দাদাকে খুনের বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আউসগ্রাম থানার পুলিশ খুনের ধারায় মামলা রুজু করে। তদন্তের জন্য দুই বর্ধমান জেলার পুলিশকে নিয়ে সিট গঠন করা হয়েছে। তবুও দুদিন পার হয়ে যাওয়ার পরেও খুনিরা এখনও অধাই রয়ে গিয়েছে।আরও পড়ুনঃ ঘরের দরজা ভেঙে শিক্ষিকার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারনিহত চঞ্চল বক্সীর বাড়িতে এদিন গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা আউসগ্রামের পর্যবেক্ষক অনুব্রত মণ্ডল। চঞ্চল বক্সীর বাবা শ্যামল বক্সী জানান, তাঁর ছেলেকে বিজেপি বা সিপিএমের কেউ খুন করেছে বলে তিনি মনে করেন না। উল্টে তিনি দাবি করেন, খুনিরা সমাজ বিরোধী হতে পারে, তৃণমূলও হতে পারে। অনুব্রত মণ্ডলের কায়দাতেই এদিন শ্যামল বাবু জানিয়েদেন, তিনি চান তাঁর ছেলেকে খুনের ঘটনায় জড়িত প্রকৃত দোষীরা শাস্তি পাক। গরু, ছাগলের দুটো পাইকেরকে ধরে এনে পুলিশ যদি দেখায় ওরা দোষী তা তিনি মানবেন না। তেমনটা হলে রাস্তা অবরোধ করার পাশাপাশি বিডিও অফিস ও পঞ্চায়েত অফিসেও কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে শ্যামল বাবু এদিন হুঁশিয়ারী দিয়ে রাখেন।

সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২১

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

১০০ দিনের কাজ নিয়ে হাইকোর্টে বড় ধাক্কা কেন্দ্রীয় সরকারকে

গতকালই ওবিসি মামলায় হাইকোর্টে জোরদার ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। এবার ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বড় ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার নজিরবিহীন একটি নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পশ্চিমবঙ্গে ফের ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প চালু করতে হবে, এই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ১ আগস্ট থেকেই এই প্রকল্প চালু করতে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ।উল্লেখ্য, বাংলায় ১০০ দিনের কাজের টাকা বহুদিন ধরে আটকে রেখেছে কেন্দ্র, এই অভিযোগ করে আসছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রাজ্য সরকারের একাধিক মন্ত্রী এই ব্যাপারে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বারবার সমালোচনায় সরব হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে লাগামহীন দুর্নীতি হয়েছে। এই দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্র বেশ কয়েকটি দলও বাংলার জেলায় জেলায় পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী আদালতে জানিয়েছিলেন, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গে মোট ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে গরমিল ধরা পড়েছে।। তার মধ্যে ২ কোটিরও বেশি টাকা পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে। হুগলি, মালদা, বর্ধমান, দার্জিলিংয়ের মতো জেলাগুলিতে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। ১০০দিনের কাজের প্রকল্পে টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে বেনজির দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রের।রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প আটকে থাকা নিয়ে মামলার শুনানি বুধবার ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনেছেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এরপর প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছেন যে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের জন্যই বিশেষ কোনও বেঁধে দিতে পারে কেন্দ্র। এই রায়ের পর সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ১০০ দিনের পুরনো বকেয়া টাকা ফেরত দিতে হবে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর

পাঁচ লক্ষ টাকা তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর এবং সালিশি করে গ্রাম ছাড়া করার অভিযোগ উঠলো স্থানীয় একদল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকায়। এই ঘটনায় আক্রান্ত ব্যবসায়ীর পরিবার কালিয়াচক থানার দ্বারস্থ হলেও চারদিন পরে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে বুধবার ওই ব্যবসায়ী দম্পতি সমস্ত ঘটনার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানালেন পুলিশ সুপারের কাছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব। এদিকে কালিয়াচকের ওই ব্যবসায়ীর ওপর আক্রমণ এবং পাঁচ লক্ষ টাকা তোলাবাজির ঘটনায় রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলার সর্ববৃহৎ ব্যবসায়ীদের সংগঠন মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বারবার যদি ব্যবসায়ীদের ওপর দুষ্কৃতীদের হামলা নেমে আসে, তাহলে আমরা যাব কোথায়। অবিলম্বে পুলিশ সুপার যাতে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে, সেই আবেদন জানাচ্ছি। এদিকে পুলিশকে অভিযোগে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকার পোশাক ব্যবসায়ী মহম্মদ রহিম বিশ্বাস জানিয়েছেন, পুরনো একটি মামলার ঘটনায় গত শনিবার এলাকার এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী জহরুল খান এবং তার দলবল তাকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাদের একটি ডেরায় তাঁকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর পাঁচ লক্ষ টাকার তোলা চাওয়া হয়। সেই টাকা না দেওয়ায় আশেপাশের আরও কিছু সাগরেদদের জুটিয়ে সালিশি ডাকা হয়। সেই সালিশির মাধ্যমে তাদের পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। আর এই ঘটনার পর থেকেই গত চারদিন ধরেই ওই ব্যবসায়ী পরিবার নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন হয়ে রয়েছেন। এমনকি ফতেখানি স্ট্যান্ডের কাছে ওই ব্যবসায়ী তার নিজের পোশাকে শোরুম খুলতে পারছেন না।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

বাংলা দিবস পালন নিয়ে বিজেপিকে কড়া তোপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

বাংলা দিবস পালন নিয়ে ফের বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে বাগযুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। আগামী ২০ জুন বাংলা দিবস পালন করা হবে বলে উত্তরপ্রদেশের বিশেষ সচিব পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি দফতরকে একটি চিঠি দিয়েছে। আলাদা করে বাংলা দিবস পালনের দিন নির্ধারণ নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ইস্যুতে BJP-র কড়া জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২০ জুন প্রতিটি রাজ্যের রাজভবনে বাংলা দিবস পালন করা হবে বলে ঠিক করা হয়েছে। এই তারিখ কীভাবে ঠিক করা হল? দেশ স্বাধীন হয়েছে ১৫ আগস্ট। বাংলার প্রতিষ্ঠা দিবস আপনারা ঠিক করে দেবেন? বিজেপি ইচ্ছা মতো চাপিয়ে দেবে? এটা বাংলাকে চরম অসম্মান বলে আমরা মনে করছি। বাংলা দিবস বাংলার সরকার পালন করবে। সেটা ১ বৈশাখ।এদিন কেন্দ্রকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রীর আরও তোপ, সব বুলডোজ করছে, দেশে জুমলা সরকার চলছে। পেহেলগাঁওয়ের পর সবাই বিশেষ অধিবেশন ডাকার কথা বলেছে। বিরোধীরা সবাই অধিবেশন ডাকার কথা বলেছিল। কেন বিশেষ অধিবেশন ডাকা হবে না?একশো দিনের কাজের টাকা চার বছর ধরে বন্ধ করেছে। আবাস যোজনার টাকা দিচ্ছে না। রাজ্য সরকার নিজে সেই টাকা খরচ করে উন্নয়ন বজায় রেখেছে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

ভাগীরথী সেতুতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, লরির চাকায় পিষ্ঠ হয়ে মৃত্যু রোগীর

মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ভাগীরথী সেতুর উপর ঘটল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বুধবার দুপুরে চলন্ত লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। মৃতের নাম হরেন মণ্ডল (৬৩)। তিনি ঝাড়খণ্ডের পাকুর জেলার বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।জানা গিয়েছে, বুধবার সকালেই অসুস্থতা জনিত কারণে হরেন মণ্ডলকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পুত্রবধূ। দুপুরে বৌমা ফুলতলা বাজারে ফল কিনতে গেলে অনেকক্ষণ কেটে গেলেও তিনি না ফেরায়, চিন্তায় পড়ে বৃদ্ধ খুঁজতে বের হন। খুঁজতে খুঁজতে উঠে পড়েন ভাগীরথী সেতুর উপর। সেই সময় এক চলন্ত লরির সামনে পড়ে যান তিনি। অসাবধানতাবশত লরির চাকায় পিষ্ট হন হরেন মণ্ডল। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ ও রঘুনাথগঞ্জ সদর ট্রাফিক গার্ড। কিছু সময়ের জন্য সেতুর উপর যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে পুলিশ ব্যবস্থা নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ কী, লরি চালকের গাফিলতি ছিল কিনাতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।এই দুর্ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর এমন মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার ও হাসপাতাল চত্বরে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পরেও কি ভাবে রাজ্য সড়কে পৌছালো ঐ রুগী তা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে একলাবাসীর মধ্যে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

রায়নার বিধায়কের কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী

রায়নার বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভাতেই বিধায়ক শম্পা ধারা কন্যা সন্তান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে হাজির হন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নাম রাখেন ঐশী। আশাপূরণ হওয়ায় শম্পা ধারা বেজায় খুশি। মেয়ের অন্নপ্রাসন অনুষ্ঠানের দিনও নির্দিষ্ট করে ফেলেছেন বিধায়ক। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য শম্পা ধারা এদিন মুখ্যমন্ত্রী সহ সকল বিধায়ককে নিমন্ত্রণও করেন।শম্পা ধারার কন্যার এখন বয়স মাত্র সাড়ে চার মাস। বাংলার অগ্নিকন্যা তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্তত তাঁর কন্যার নামকরণ করে আশীর্বাদ করুন, এমনটাই স্বপ্ন ছিল রায়নার তৃণমূল বিধায়কের। সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষে নিজের শিশু কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে সোমবার দুপুরে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের সামনে পৌছে যান পূর্ব বর্ধমানের বিধায়ক। মুখ্যমন্ত্রী ঘর থেকে বের হতেই বিধায়ক শম্পা তাঁর কন্যার নামকরণ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেন। নিজের দলের বিধায়কের সেই অনুরোধ ফেরাননি মুখ্যমন্ত্রী।শম্পা ধাড়া জানান, চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি তাঁর কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে। শম্পা ধারার কথা অনুযায়ী নাম করণ করে দেওয়ার পর তাঁর মেয়ের মাথায় হাত দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশীর্বাদ করেছেন। এটাই তো তাদের কাছে অনেক বড় পাওয়া। এর জন্য তিনি গর্বিত বোধ করছেন।তাঁর খুব আনন্দও হচ্ছে।

জুন ১৭, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

কেশরী চ্যাপ্টার টু, ইতিহাস বিকৃত করার ভয়ঙ্কর অভিযোগ

ইতিহাসের একটি পরিচিত অধ্যায় ইংরেজ শাসনের সময় বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী ও বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বোস ও প্রফুল্ল চাকী কুখ্যাত ইংরেজ জাজকে বধ করার চেষ্টা করেছিল। এর ভিত্তিতে ক্ষুদিরাম বোসের ফাঁসি হয়েছিল এবং প্রফুল্ল চাকীও পুলিশের হাতে যাতে ধরা না পড়ে তার জন্য নিজের প্রাণ নিজের হাতে নিয়েছিল। বিধাননগর দক্ষিণ থানাতে অভিযোগ এসেছে যে একটি সিনেমা ইদানিংকালে লাইভ স্ট্রিমিং হচ্ছে সিনেমাটির নাম হচ্ছে কেশরী চ্যাপ্টার টু। সেই সিনেমাটি জিও হটস্টারে দেখানো হচ্ছে লাইভ স্ট্রিমিং এর মাধ্যমে সেখানে একটা দৃশ্যে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম বোসের নামকে ক্ষুদিরাম সিং বলা হয়েছে এবং প্রফুল্ল চাকির সেখানে কোন উল্লেখ নেই।বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী অরবিন্দ ঘোষের ছোট ভাই বিরেন্দ্র কুমার ঘোষ তিনি ও বিপ্লবী ছিলেন উনার নামটাকে বারিন্দ্রা কুমার বলে বলা হচ্ছে। শুধুমাত্র ঐতিহাসিক তথ্যগুলোকে বিকৃত করা হয়নি, বরঞ্চ স্বাধীনতা সংগ্রামী যারা আছেন তাদের নামটাকে বিকৃত করে তাদের গরিমাটাকে কিছুটা হলেও ম্লান করার চেষ্টা হয়েছে এবং করা হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে একটা কেস করা হয়েছে। এটাও দেখানো হয়েছে খুদিরাম বোস এবং বারিন্দ্র ঘোষ ওনারা অমৃতসরের ছাত্র ছিলেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগটা করা হয়েছে। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিধান নগর দক্ষিণ থানাতে একটি কেস রুজ করা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।

জুন ১৭, ২০২৫
কলকাতা

ভূয়ো কল সেন্টারের পর্দা ফাঁস, বাগুইআটিতে গ্রেফতার ৬

গোপন সূত্রে প্রাপ্ত সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বাগুইহাটি থানা অধীনস্ত সৃষ্টি অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল এবং পর্দা ফাঁস করে একটি ভুয়ো কল সেন্টারের। অভিযুক্তরা বিভিন্ন রাজ্যে সমাজের প্রান্তিক শ্রেণীর মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ করত এবং কম সুদে ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের কস্টার্জিত অর্থ হাতিয়ে নিতো।স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগের ভিত্তিতে বাগুইআটি থানায় কেস নাম্বার ৩৮২/২০২৫ মামলা রুজু হয়। এই অভিযানে মোট ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং উদ্ধার হয়েছে বহু বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ইত্যাদি। এই মামলার তদন্ত চলছে। ধৃতদের আজ আদালতে পেশ করা হলে তাদের প্রত্যেকের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন মঞ্জুর হয়। মামলার তদন্ত চলছে।

জুন ১৭, ২০২৫
রাজ্য

তৃণমূলের দলীয় বৈঠকে মমতাবালাকে কটুক্তির অভিযোগ, উপপ্রধানকে গ্রেফতারের দাবি

দলীয় বৈঠক তৃণমূল উপপ্রধানের গালাগাল ও কটুক্তির শিকার তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতা ঠাকুর। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন তৃণমূল কর্মী। সরব হলেন মতুয়া ভক্তরা। পার্থ ভৌমিকের সম্পর্কে কিছু কথা বলার জন্যে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে, আর কিছু নয় বলে দাবি তৃণমূল জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের।একুশে জুলাই এর প্রস্তুতি সভা ছিল সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙ্গায়। অভিযোগ, সেখানে বক্তব্য রাখার সময় গোপালনগর চৌবেরিয়া ১ নাম্বার গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করেন। এমনকি বৈঠক শেষে মমতা ঠাকুর বাইরে বের হলে তাঁকে উদ্দেশ্য করে সুনীলসহ আরও কয়েকজন কটুক্তি করে এবং অশ্লীল অঙ্গিভঙ্গি করে, এমনকি তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়। এবং ছোট জাত বলে আক্রমণ করা হয়। এই মর্মে সোমবার রাতে সব্যসাচী ভট্ট নামে এক তৃণমূল কর্মী গাইঘাটা থানায় এফ আই আর দায়ের করেন। অভিযোগ করার সময় সব্যসাচীর সঙ্গে ছিলেন মতুয়া ভক্তরা ও গোসাইরা। অভিযুক্তর গ্রেফতারের দাবি করেন তারা। তারা বলেন, মাকে গালাগালি দেওয়া মানে আমাদের মতুয়া সমাজকে গালি দেওয়া। এটা আমরা কোনওভাবেই মেনে নেব না। ২৪ ঘন্টার মধ্যে যদি অভিযুক্তকে গ্রেফতার না করা হয় তাহলে তীব্র প্রতিবাদ হবে।এই বিষয়ে অভিযুক্ত চৌবেড়িয়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার জানিয়েছেন, মমতা ঠাকুর বক্তব্য রাখতে গিয়ে নানা কথার মধ্যে দিয়ে জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস ও পার্থ ভৌমিককে আক্রমণ করছিল। আমি শুধু প্রতিবাদ করে বলেছি আপনাদের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের বৈঠকে এটা আলোচনা করবেন। আমি যদি উনাকে গালাগাল করে থাকি সেটা প্রমাণ করুক। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যদিও বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস জানিয়েছেন, গতকাল একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় চেয়ারম্যান পার্থ ভৌমিক সম্পর্কে কিছু কথা বলাতে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আর কিছু নয়। তৃণমূলের সভায় মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালাগাল ও জাত তুলে কটুক্তি নিয়ে কটাক্ষ করা প্রসঙ্গে শান্তনু ঠাকুর বলেন, ওদের নেত্রী হরিচাঁদ গুরুচাঁদ নিয়ে যা বলেছেন তাতে ছোট নেতা কি বলবে। মমতা ঠাকুর হারিকাঠে গলা দিয়েছে, কি হবে বুঝতে পারছে না। ওর লজ্জা ঘৃণা ভয় কিছু নেই। এই বিষয়ে মমতা ঠাকুরবালার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

জুন ১৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal