• ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, রবিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Kerala

দেশ

৪৫ বছরের বাম দুর্গ ভাঙল বিজেপি! কেরলের রাজধানীতে ইতিহাস গড়ল এনডিএ

কেরলের রাজধানী তিরুবনন্তপুরমে বড় রাজনৈতিক পরিবর্তন। পুরসভা নির্বাচনে বিজেপি-নেতৃত্বাধীন এনডিএ একক বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে এসেছে। এর ফলে টানা ৪৫ বছর ধরে চলা বামফ্রন্টের দখল ভেঙে গেল রাজধানীর কর্পোরেশনে। এই ফলাফলকে কেরলের রাজনীতিতে ঐতিহাসিক বলেই মনে করা হচ্ছে।১০১টি ওয়ার্ডের মধ্যে এনডিএ জিতেছে ৫০টিতে। শাসক বামফ্রন্ট এলডিএফ নেমে এসেছে মাত্র ২৯টি আসনে। কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ পেয়েছে ১৯টি ওয়ার্ড। দুটি আসনে জয়ী হয়েছেন নির্দল প্রার্থীরা। এক ওয়ার্ডে প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে ভোট বাতিল হয়েছে।এই ফলের ফলে তিরুবনন্তপুরম কর্পোরেশনে সরকার গঠনের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল এনডিএ। শহরের রাজনৈতিক সমীকরণে যে বড় পরিবর্তন এসেছে, তা স্পষ্ট বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।ফলাফলটি আরও তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ তিরুবনন্তপুরম জেলা কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা ও সাংসদ শশী থারুরের নিজের এলাকা। তাঁর ঘাঁটিতেই বিজেপির এই সাফল্য কেরলের রাজনীতিতে নতুন বার্তা দিচ্ছে বলে মত পর্যবেক্ষকদের।এখানেই শেষ নয়। কেরলের স্থানীয় নির্বাচন শেষে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য পেয়েছে এনডিএ। ত্রিপুনিথুরা পুরসভাতেও ক্ষমতা হারিয়েছে এলডিএফ, সেখানে দখল নিয়েছে বিজেপি-নেতৃত্বাধীন জোট।ফল প্রকাশের পর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে শশী থারুর বলেন, কেরলের গণতন্ত্রের জন্য এটি একটি উল্লেখযোগ্য দিন। তিনি ইউডিএফ-এর সামগ্রিক ফলের প্রশংসা করেন এবং একই সঙ্গে তিরুবনন্তপুরম কর্পোরেশনে বিজেপির ঐতিহাসিক জয়ের কথা স্বীকার করেন। থারুর বলেন, মানুষের রায়কে সম্মান জানানোই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য, সে রায় বিরোধীদের পক্ষেও গেলে। তিনি আরও জানান, দীর্ঘদিনের শাসনের বিরুদ্ধে মানুষের পরিবর্তনের ইচ্ছাই এই ফলাফলে প্রতিফলিত হয়েছে। শশী থারুরের কথায়, এলডিএফের ৪৫ বছরের শাসনের বিরুদ্ধে তিনি পরিবর্তনের ডাক দিয়েছিলেন, কিন্তু ভোটাররা অন্য একটি দলকে সেই পরিবর্তনের দায়িত্ব দিয়েছেন। সেটাই গণতন্ত্রের শক্তি।শেষে তিনি বলেন, কংগ্রেস কেরলের মানুষের জন্য কাজ চালিয়ে যাবে এবং ভাল শাসনের পক্ষে তাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫
রাজ্য

কেন বাংলায় নিষিদ্ধ ‘দ্য কেরালা স্টোরি’? কি বলছেন মুখ্যমন্ত্রী ও সংঘ পরিবার?

বাংলায় দ্য কেরালা স্টোরি নিষিদ্ধ করেছে রাজ্য সরকার। নিষিদ্ধ ঘোষণার আগে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে দ্য কেরালা স্টোরি তৈরি করে বিজেপি উদ্দেশ্য প্রণোদিত উসকানি দিচ্ছে। দ্য কেরালা স্টোরি নিষিদ্ধ করতে মুখ্যসচিবকে বিশেষ নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের শান্তি সৌহার্দ্য বজায় রাখতেই এই পদক্ষেপ বলে খবর। যদিও বিজেপি ও হিন্দু সংগঠনগুলির দাবি, সংখ্যালঘু তোষণ করতেই দ্য কেরালা স্টোরি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।সোমবার নবান্নে দ্য কেরালা স্টোরি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আগেই অস্বস্তি ব্যক্ত করেন। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় এই সিনেমা নিয়ে বিজেপিকে নিশানা করেন। মমতার দাবি, ওরা বিভাজনের রাজনীতি করছে। কেন দ্য কাশ্মীর ফাইলস বানালো ওরা? এক শ্রেণীর মানুষকে কটাক্ষ করার জন্য। এখন কেরালা স্টোরি বানিয়েছে। ওটা সিপিএম-এর রাজ্য। আমি ওদের একেবারেই সমর্থন করি না। ওরা বিজেপি-র সঙ্গে চলছে।মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, বিজেপি মনোনীত কিছু তারকা তো বাংলাতেও এসেছিলেন। তাদের টাকা দেয় বিজেপি। তথ্য বিকৃত করে তারা নাকি বেঙ্গল ফাইলস নামে একটি ছবি বানাচ্ছে। আগে কাশ্মীর ফাইলস, তারপর দ্য় কেরল স্টোরি, এবার বাংলার মানুষদের তাতাতে বেঙ্গল ফাইলস তৈরি করা হচ্ছে। এভাবে বাংলাকেও অপমান করার চেষ্টা করছে। ওরা বলছে, সেভ বেঙ্গল। কেন? শান্তিপ্রিয় একটা রাজ্য বাংলা। বিজেপি ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছে কেন?তবে মুখ্য়মন্ত্রীর সিনেমা নিষিদ্ধ ঘোষণার পর বিজেপি ও সংঘ পরিবার একযোগে প্রতিবাদে সামিল হয়েছে। দ্য কেরালা স্টোরির বাঙালি পরিচালক সুদীপ্ত সেন আদালতে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী আইসিসকে সমর্থন করছেন। তিনি সন্ত্রাসবাদীদের পক্ষে সমর্থন করছেন। আরএসএস ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দাবি, সত্যি ঘটনাকে আড়াল করতে চাইছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। সংখ্যালঘু ভোট ব্যাংক টিকিয়ে রাখতেই এই পদক্ষেপ। বাঙালি হিন্দুদের অস্তিত্ব বিপন্ন নিয়ে সিনেমা হওয়া উচিত বলেও মনে করে সংঘ পরিবার। পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য সাংগঠনিক পর্যায়ে বৈঠক করছে আরএসস ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।

মে ০৯, ২০২৩
খেলার দুনিয়া

‌কাট্টিমনির বিশ্বস্ত হাতই আইএসএলে চ্যাম্পিয়ন করল হায়দরাবাদকে

দরকার ছিল মিনিট দশেক রক্ষণ সামলে গোল ধরে রাখা। তাহলে এবারের আইএসএল খেতাব চলে আসত কেরালা ব্লাস্টার্সের দখলে। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। প্রথমে এগিয়ে গিয়ে চ্যাম্পিয়নের স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল। টাইব্রেকারে তিনতিনটি শট বাঁচিয়ে হায়দরাবাদ এফসিকে আইএসএলে চ্যাম্পিয়ন করলেন লক্ষ্মীকান্ত কাট্টিমনি। টাইব্রেকারে ৩১ ব্যবধানে জিতল হায়দরাবাদ এফসি। আইএসএল পেল নতুন চ্যাম্পিয়ন। প্রথমবার ফাইনালে উঠেই খেতাব জিতল হায়দরাবাদ এফসি। চলতি বছর আইএসএল পেল নতুন চ্যাম্পিয়ন। ২০১৬ সালের পর ফের টাইব্রেকারের মাধ্যমেই নির্ধারিত হলো আইএসএলের চ্যাম্পিয়ন। ২০১৪ ও ২০১৬ সালের আইএসএলে ফাইনালে উঠেও এটিকের কাছে পরাস্ত হয়েছিল কেরালা ব্লাস্টার্স। হায়দরাবাদ এফসি এবারই প্রথম আইএসএল ফাইনাল খেলল। নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময় খেলার ফল ছিল ১-১। অবশেষে পেনাল্টি শ্যুটআউটে বাজিমাত হায়দরাবাদের।ফতোরদার পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে এদিন ফাইনাল দেখতে হাজির ছিলেন সাড়ে ১১ হাজার ফুটবলপ্রেমী। এদিনের ম্যাচের প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য। আক্রমণ তুলে আনার নিরিখে কেরালা ব্লাস্টার্স এফসি অনেকটা এগিয়ে থাকলেও হায়দরাবাদ এফসির রক্ষণ ভেদ করতে পারেনি। আদ্রিয়ান লুনা, আলভারো ভাজকেজ ও জর্জ দিয়াজের যুগলবন্দিই কেরালার হয়ে একাধিক সুযোগ তৈরি করে, কিন্তু গোলমুখ খোলেনি। ৩৯ মিনিটে ভাজকেজের শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। বিরতির ঠিক আগে জেভিয়ার সিভেরিওর হেড দারুণভাবে বাঁচান কেরালার গোলরক্ষক প্রভসুখন গিল।Laxmikant Kattimani is the Hero of the Match for @HydFCOfficial after saving 3️⃣ penalties during the penalty shootout! 🧤🏆#HFCKBFC #HeroISLFinal #FinalForTheFans #HeroISL #LetsFootball pic.twitter.com/KCYnkybf0s Indian Super League (@IndSuperLeague) March 20, 2022দ্বিতীয়ার্ধে কেরালা ব্লাস্টার্সকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেয় হায়দরাবাদ এফসি। ৫৫ মিনিটে বার্থোলোমিউ ওগবেচের একটি প্রয়াস অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৬৮ মিনিটে রাহুল কেপির গোলে এগিয়ে যায় কেরালা। জ্যাকসন সিংয়ের পাস থেকে গোল করেন তিনি। ৭৬ মিনিটে ওগবেচের আরেকটি প্রয়াস রুখে দেন কেরালার গোলকিপার। কেরালা যখন আর কয়েক মিনিট পেরোলেও চ্যাম্পিয়ন হওয়া নিশ্চিত বলে ধরে নিয়েছে তখনই সমতা ফেরায় হায়দরাবাদ এফসি। তার ঠিক আগেই ৮৬ মিনিটের মাথায় খাসা কামারা নামতেই হায়দরাবাদের খেলায় ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। ৮৮ মিনিটের মাথায় সাহিল তাভোরার দর্শনীয় গোলে সমতা ফেরায় হায়দরাবাদ এফসি।বাকি সময়ে আর কোনও দলই গোল করতে পারেনি। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধে দাপট দেখায় কেরালাই। একটি শট পোস্টে লেগেও ফিরে আসে। অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে ওগবেচের গোলমুখী শটে গোলকিপার গিল পরাস্ত হলেও বল গোললাইন পার হওয়ার ঠিক আগে অনবদ্য দক্ষতায় বাঁচান মার্কো লেসকোভিচ। লুনা, চেঞ্চোরাও গোলের জন্য মরিয়া প্রয়াস চালান কিন্তু অতিরিক্ত সময়েও খেলার ফল ১১ থাকে। টাইব্রেকারে মার্কো লেসকোভিচ, নিশু কুমার ও জিকসন সিংয়ের শট বাঁচিয়ে দেন হায়দরাবাদ গোলকিপার কাট্টিমনি।

মার্চ ২০, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ছিটকে গেল লিগ টেবিলের চ্যাম্পিয়ন, আইএসএল ফাইনালে কেরালা ব্লাস্টার্স

আইএসএলের লিগ পর্যায়ের শেষ ম্যাচে এটিকে মোহনবাগানের মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়েও শেষরক্ষা করতে পারল না জামশেদপুর এফসি। দ্বিতীয় পর্বের সেমিফাইনালে কেরালা ব্লাস্টার্সের সঙ্গে ড্র করে প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নিতে হল জামশেদপুরকে। প্রথম পর্বের সেমিফাইনালে কেরালা ব্লাস্টার্স জিতেছিল ১০ ব্যবধানে। দ্বিতীয় পর্বের সেমিফাইনালের ফল ১১। দুই পর্ব মিলিয়ে ২১ ব্যবধানে জিতে ফাইনালে পৌঁছে গেল কেরালা ব্লাস্টার্স। ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হলেও লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকার জন্য এফএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার সুযোগ পাবে জামশেদপুর এফসি। এটাই তাদের কাছে একমাত্র সান্তনা। প্রথম পর্বের সেমিফাইনালে হারায় এদিন জেতা ছাড়া রাস্তা ছিল না লিগ পর্যায়ে এটিকে মোহনবাগানকে হারিয়ে লিগ শিল্ড জেতা জামশেদপুর এফসির। কিন্তু ম্যাচের শুরুটা দেখে মনে হচ্ছিল কেরালা ব্লাস্টার্সের তাগিদ যেন বেশি। ম্যাচের প্রথম থেকেই জামশেদপুর এফসির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল কেরালা ব্লাস্টার্স। ২ মিনিটেই গোলের সুযোগ তৈরি হয়েছিল। আলভারো ভাসকোয়েজ জামশেদপুর এফসি গোলকিপার টিপি রেহেনেশকে একা পেয়েও বল বারের ওপর দিয়ে উড়িয়ে দেন। ৬ মিনিটে আবার গোল করার মতো সুযোগ এসেছিল কেরালা ব্লাস্টার্সের কাছে। এবার নষ্ট করেন আয়ূষ অধিকারী। প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলার ফল পায় কেরালা ব্লাস্টার্স। ম্যাচের ১৮ মিনিটে এগিয়ে যায়। আলভারো ভাসকোয়েজের কাছ থেকে বল পেয়ে কেরালাকে এগিয়ে দেন আদ্রিয়ান লুনা। ৩৬ মিনিটে ড্যানিয়েল চিমা কেরালা ব্লাস্টার্সের জালে বল জড়ালেও অফসাইডের কারণে সেই গোল বাতিল হয়ে যায়। প্রথমার্ধে এই একটি আক্রমণ ছাড়া জামশেদপুর এফসির পক্ষে বলার মতো কিছু ছিল না। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই মরিয়া হয়ে ওঠে জামশেদপুর এফসি। কারণ কেরালা গোল করায় ফাইনালে যেতে গেলে তাদের ২ গোলের ব্যবধানে জিততে হত। ৫০ মিনিটে সমতা ফেরায় জামশেদপুর এফসি। গ্রেগ স্টুয়ার্টের কাছ থেকে বল পেয়ে ড্যানিয়েল চিমা শট নিলে প্রতিহত হয়। ফিরতি বলে গোল করেন প্রণয় হালদার। পরের মিনিটেই আবার এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল কেরালা ব্লাস্টার্স। আলভারো ভাসকোয়েজের পুশ গোললাইন থেকে বাঁচান এল সাবিয়া। ম্যাচের শেষ দিকে চাপ রাখলেও আর গোল করতে পারেনি জামশেদপুর এফসি। ২০১৬র পর আবার আইএসএল ফাইনালে কেরালা ব্লাস্টার্স।

মার্চ ১৫, ২০২২
খেলার দুনিয়া

জামশেদপুর এফসি–র ফাইনালের রাস্তা কঠিন করে তুলল কেরালা ব্লাস্টার্স

এটিকে মোহনবাগানকে হারিয়ে সবুজমেরুণ শিবিরের লিগ উইনার্স শিল্ড জয়ের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করে দিয়েছিল জামশেদপুর এফসি। এবার তাদের স্বপ্নের পথেও কাঁটা বিছিয়ে দিল কেরালা ব্লাস্টার্স। আইএসএলের প্রথম পর্বের সেমিফাইনালে ১০ ব্যবধানে জিতে জামশেদপুর এফসির ফাইনালে ওঠার রাস্তা কিছুটা হলেও কঠিন করে তুলল কেরালা। এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে জয়ে আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়িয়ে কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিল জামশেদপুর এফসি। ম্যাচের শুরুর দিকে তারই প্রতিফলন ছিল। পরের দিকে কেরালা ব্লাস্টার্স আস্তে আস্তে খেলায় ফিরে কঠিন লড়াইয়ের সামনে ফেলে দেয় জামশেদপুর এফসিকে। এদিন ৪২৩১ ছকে খেলা শুরু করেছিল জামশেদপুর এফসি। অন্যদিকে কেরালা ব্লাস্টার্স শুরু করেছিল ৪৪২ ছকে। শুরু থেকেই কেরালা ব্লাস্টার্সের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে জামশেদপুর এফসি। ম্যাচের ১০ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত জামশেদপুর। গোলকিপার টিপি রেহেনেশের লম্বা ফ্রিকিক হেডে বক্সের মধ্যে নামিয়ে দেন সেইমিনলেন ডঙ্গেল। সুবিধাজনক জায়গায় বল পেয়ে যান লালহলুদের বাতিল ঘোড়া ড্যানিয়েল চিমা। কিন্তু তিনি বল জালে রাখতে পারেননি। মিনিট দশেক পর আরও একটা সহজ সুযোগ নষ্ট করেন ড্যানিয়েল চিমা। প্রণয় হালদারের কাছ থেকে বল পেয়ে তিনি তিনকাঠি ভেদ করতে পারেননি। ম্যাচের ২৫ মিনিটে ধাক্কা খায় জামশেদপুর এফসি। চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন লেন। এরপরই আস্তে আস্তে মাঝমাঠে খেলা ধরে নেয় কেরালা ব্লাস্টার্স। আক্রমণে ঝাঁঝ বাড়ায়। ৩৮ মিনিটে সুফলও পায়। থ্রো ইন পেয়েছিল কেরালা ব্লাস্টার্স। আলভারো ভাজকোয়েজ যখন থ্রো করতে যান, তখন দৌড় শুরু করেন সাহাল সামাদ। তাঁকে দৌড় শুরু করতে দেখেই সাহালের মাথার ওপর দিয়ে থ্রো করেন আলভারো। লালমাওয়ামা বল বিপদমুক্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু বল চলে যায় সাহালের পায়ে। তিনি এগিয়ে আসা রেহেনেশের মাথার ওপর দিয়ে চিপ করে বল জালে পাঠান। প্রথমার্ধে ১০ ব্যবধানেই এগিয়ে থাকে কেরালা ব্লাস্টার্স। গোল ধরে রাখার জন্য দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই মরিয়া ছিল কেরালা ব্লাস্টার্স। অন্যদিকে, সমতা ফেরানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে জামশেদপুর এফসি। কিন্তু কেরালার আঁটোসাঁটো রক্ষণ ভেদ করতে পারছিলেন না ড্যানিয়েল চিমারা। ৬৫ মিনিটে চিমাকে তুলে জর্ডন মারেকে নামান জামশেদপুর কোচ। ৮১ মিনিটে জিতেন্দ্র সিংকে তুলে ইশান পান্ডিতাকে নামিয়ে আক্রমণ লোক বাড়ান। তাতেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। প্রথম পর্বের সেমিফাইনালে হার স্বীকার করতে হল জামশেদপুর এফসিকে।

মার্চ ১১, ২০২২
খেলার দুনিয়া

শেষ মুহূর্তে চূড়ান্ত নাটক, জনি কাউকোর গোলে হার বাঁচাল এটিকে মোহনবাগান

টানা ১১ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর শেষ পর্যন্ত হারতে হবে? আশঙ্কার কালো মেঘ ঘনিয়ে এসেছিলে এটিকে মোহনবাগানের আকাশে। কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে জ্বলে উঠলেন জনি কাউকো। গোল করে দলের টানা ১২ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড অক্ষুন্ন রাখলেন না, দলকে তুলে নিয়ে গেলেন আইএসএলের লিগ টেবিলের শীর্ষে। দুদুবার পিছিয়ে পড়েও দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন। শেষ পর্যন্ত ২২ গোলে ড্র করল এটিকে মোহনবাগান।দ্বিতীয়ার্ধে তখন ইনজুরি সময়ের খেলা চলছে। প্রায় ৭ মিনিট হয়ে গেছে। ইতিমধ্যেই লালকার্ড দেখে ফেলেছেন প্রবীর দাস। রেফারি শেষ বাঁশি বাজানোর অপেক্ষায়। এটিকে মোহনবাগান রিজার্ভ বেঞ্চে ক্রমশ হতাশা গ্রাস করছে। এমন সময়ই ঝলসে উঠল জনি কাউকোর পা। হুগো বোমাসের পাস থেকে দুর্দান্ত দক্ষতায় বল গোলে পাঠান জনি কাউকো। স্বস্তির নিঃশ্বাস এটিকে মোহনবাগান শিবিরে। অন্তত হার তো বাঁচল। এদিন ম্যাচের শুরু খেকেই পরতে পরতে উত্তেজনা। ম্যাচের ৭ মিনিটেই ফ্রিকিক থেকে দুর্দান্ত গোল করে কেরালা ব্লাস্টার্সকে এগিয়ে দেন আদ্রিয়ান লুনা। পরের মিনিটেই সমতা ফেরায় এটিকে মোহনবাগান। প্রীতম কোটালের মাইনাস থেকে ছোট্ট টোকায় কেরালা ব্লাস্টার্সের জালে পাঠান ডেভিড উইলিয়ামস। এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই এই বিদেশি স্ট্রাইকারকে নামিয়েছিলেন বাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো। এরপরই আক্রমণ প্রতিআক্রমণে খেলাটা জমে ওঠে। দুই দলই গোল করার মতো সুযোগ পায়। কিন্তু তিন কাঠি খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয়। প্রথমার্ধে খেলার ফল ছিল ১১। দ্বিতীয়ার্ধে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে দুদলই। ডেভিড উইলিয়ামসের জায়গায় হুগো বোমাসকে মাঠে নিয়ে আসেন জুয়ান ফেরান্দো। কিন্তু খুব বেশি লাভ হয়নি। এটিকে মোহনবাগানের আক্রমণের ঝাঁঝ তেমন বাড়েনি। ৬৪ মিনিটে আবার এগিয়ে যায় কেরালা ব্লাস্টার্স। পুটিয়ার ক্রস থেকে বল এটিকে মোহনবাগানের জালে পাঠান সেই আদ্রিয়ান লুনা। ৮৩ মিনিটে কিয়ান নাসিরিকে নামান জুয়ান ফেরান্দো। তার আগে মাঠে নিয়ে এসেছিলেন রয় কৃষ্ণাকে। ৮৭ মিনিটে নামার প্রবীর দাসকে। ইনজুরি সময়ে মাথা গরম করে লাল কার্ড দেখেন প্রবীর দাস। হার যে বাঁচবে না, একপ্রকার সবাই ধরে নিয়েছিলেন। একেবারে অন্তিমলগ্নে জনি কাউকোর সেই গোল।

ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‘‌‌‌কেরালা ব্লাস্টার্স ম্যাচ ফাইনাল’‌, কেন একথা বললেন সবুজমেরুণ কোচ?‌

টানা ১১ ম্যাচ অপরাজিত এটিকে মোহনবাগান। ভেঙে দিয়েছে এফসি গোয়ার রেকর্ড। এই রেকর্ড গড়ার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়েছিল কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে। প্রথম পর্বে এই কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে জয় দিয়ে আইএসএল অভিযান শুরু করেছিল এটিকে মোহনবাগান। তখন দলের দায়িত্বে ছিলেন আন্তোনীয় লোপেজ হাবাস। এখন কোচের দায়িত্বে জুয়ান ফেরান্দো। তাঁর সামনে দলকে লিগ টেবিলের শীর্ষে তোলার চ্যালেঞ্জ।এই মুহূর্তে ১৫ ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট পেয়ে লিগ টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এটিকে মোহনবাগান। ১ ম্যাচ বেশি খেলে ২৯ পয়েন্ট হায়দরাবাদ এফসির। গোলপার্থক্যে হায়দরাবাদ শীর্ষে রয়েছে। কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে ড্র করলেই শীর্ষে পৌঁছে যাবে এটিকে মোহনবাগান। ড্র নয়, কেরালা ব্লাস্টার্সকে হারিয়েই লিগ টেবিলের শীর্ষে পৌঁছতে চান এটিকে মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো। তাঁকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে প্রথম পর্বের ফল। প্রথম ম্যাচেই কেরালা ব্লাস্টার্সকে ৪২ ব্যবধানে হারিয়েছিল এটিকে মোহনবাগান। প্রথম পর্বের পারফরমেন্স ধরে রাখতে মরিয়া সবুজমেরুণ শিবির।তবে জুয়ান ফেরান্দোর দলের কাছে লড়াইটা সহজ হবে না। ১৫ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট পেয়ে লিগ টেবিলে চতুর্থ স্থানে রয়েছে কেরালা ব্লাস্টার্স। সেমিফাইনালের লড়াইয়ে তারাও রয়েছে প্রবলভাবে। ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে বেঙ্গালুরু এফসি। ১৬ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ২৫। ফলে কেরালা ব্লাস্টার যে সহজে ছাড়বে না, সেকথা বিলক্ষণ জানেন এটিকে মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো। তাই কেরালার বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে তিনি দারুণ সতর্ক।কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে টানা ১১ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড নিয়ে ভাবতে রাজি নন এটিকে মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো। তিনি বলেন, রেকর্ড নিয়ে ভাবছি না। প্রতিটা ম্যাচ নিয়েই আলাদা করে ভাবছি। আমাদের লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন হওয়া। সেজন্য প্রতিটা ম্যাচেই জিততে হবে। তবে কেরালা ব্লাস্টার্স ম্যাচ জিততেই হবে। এই ম্যাচ আমাদের কাছে ফাইনালের মতো। কেরালার বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে পরিবর্তন করার সম্ভাবনা আছে। ডেভিড উইলিয়ামস হয়তো প্রথম একাদশে ঢুকবেন। রয় কৃষ্ণাকেও খেলাতে পারেন জুয়ান ফেরান্দো।

ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২২
খেলার দুনিয়া

আবার হার, লজ্জা আরও বাড়ছে এসসি ইস্টবেঙ্গলের

এসসি ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর ফিটনেস সমস্যার জন্য দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে বসেই ছিলেন। কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে ফ্রান সোতাকে প্রথম একাদশে জায়গা দিয়েছিলেন মারিও রিভেরা। দিনেন সহজতম সুযোগ নষ্ট করে দলকে পরাজয়ের দিকে ঠেলে দিলেন ফ্রান সোতা। কেরালা ব্লাস্টার্সের কাছে ১০ গোলে হারল এসসি ইস্টবেঙ্গল। আবার টানা দ্বিতীয় হার লালহলুদের। ম্যাচের আগের দিন এসসি ইস্টবেঙ্গল কোচ মারিও রিভেরা বলেছিলেন, তাঁর দলের বিরুদ্ধে যে কোনও দল খেলতে ভয় পাবে। কথাটা খুব একটা ভুল বলেননি। লিগ টেবিলে চার নম্বরে থাকা কেরালা ব্লাস্টার্সকে জয় পেতে রীতিমতো ঘাম ঝড়াতে হল। আর ফ্রান সোতা যদি দিনের সহজতম সুযোগ নষ্ট না করতেন, তাহলে তো জয়ই পেত না কেরালা ব্লাস্টার্স। চোট সমস্যার জন্য কেরালা ব্লাস্টার্সের প্রথম একাদশের কয়েকজন ফুটবলার ছিলেন না। ড্যারেন সিডোয়েল ও গোলকিপার অরিন্দম ভট্টাচার্য জ্বরে আক্রান্ত হওয়ায় এসসি ইস্টবেঙ্গলও সমস্যায় পড়ে। প্রথম একাদশে এদিন বেশ কয়েকটা পরিবর্তন করে দল সাজিয়েছিলেন লালহলুদ কোচ মারিও রিভেরা। ফ্রান সোতা, জয়নার লরেন্সো, মহম্মদ রফিক, শঙ্কর দাস, রাহুল পাসোয়ানদের নিয়ে প্রথম একাদশ সাজিয়েছিলেন। প্রথমার্ধে কেরালা ব্লাস্টার্সের সঙ্গে সমানে সমানে লড়াই করেন লালহলুদ ফুটবলাররা। প্রথমার্ধের ২৫ মিনিট পর্যন্ত এসসি ইস্টবেঙ্গল সেভাবে ছন্দে ছিল না। এরপর আস্তে আস্তে খেলাটা ধরে নেয়। দারুণ ফুটবল উপহার দেন আন্তোনীয় পেরোসেভিচ। বেশ কয়েকবার গোল করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছিলেন। তাঁর সেন্টার থেকে লালহলুদ জার্সি গায়ে অভিষেককারী রাহুল পাসোয়ান গোল করতে পারলে ছবিটা বদলে যেত। প্রথমার্ধে ম্যাচের ফল ছিল গোলশূন্য। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে কেরালা ব্লাস্টার্স। ৪৯ মিনিটে কর্ণার থেকে হেডে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন এনেস সিপোভিচ। পিছিয়ে পড়েও হতদ্যোম হয়ে পড়েনি এসসি ইস্টবেঙ্গল। পেরোসেভিচের নেতৃত্বে আবার ম্যাচে ফিরে আসে। ৮২ মিনিটে সমতা ফেরানোর সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিল ফ্রান সাতো। সামনে শুধু গোলকিপারকে পেয়েও বাইরে মারেন। গোল করতে পারলে অন্তত ড্র করে মাঠ ছাড়তে পারত এসসি ইস্টবেঙ্গল।

ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‘‌যে কোনও দলই এখন আমাদের বিরুদ্ধে খেলতে ভয় পাবে’‌, কেন একথা বললেন লালহলুদ কোচ রিভেরা?‌

প্লে অফের আশা অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। সেমিফাইনালের লড়াই থেকে ছিটকে গেছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। বাকি ৩ ম্যাচ লালহলুদের কাছে শুধুই সম্মানরক্ষার লড়াই। মারিও রিভেরার দলের সামনে হারানোর কিছু নেই। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের বিরুদ্ধে খেলতে যে কোনও দলই যে ভয় পাবে, একথা মনে করিয়ে দিয়েছেন লালহলুদ কোচ। রবিবার কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে খেলতে নামছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। কেরালার কাছে ম্যাচটা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। সেমিফাইনালের দৌড়ে ভালভাবে টিকে থাকার জন্য এই ম্যাচটা জিততেই হবে কেরালা ব্লাস্টার্সকে। হারলেই পিছিয়ে পড়তে হবে। কেরালার কাছে ম্যাচটা সহজ হবে না। সেই ইঙ্গিত পাওয়া গেছে মারিও রিভেরার মুখে। কেরালার বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে লালহলুদ কোচ বলেন, আমার দল আগের থেকে অনেক ভাল ছন্দে রয়েছে। আমাদের এখন হারানো বেশ কঠিন। কোনও দলই এখন আর আমাদের বিরুদ্ধে খেলতে খুশি হবে না। যে কোনও দলই আমাদের এখন ভয় পাবে। দল নিয়ে খুব একটা চিন্তায় নেই লালহলুদ কোচ। জ্যাকিচাঁদ সিং, ফ্রান সোতারা খেলার মতো জায়গায় চলে এসেছেন। কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে থাকতে পারেন সোতা। না হলে পরিবর্ত হিসেবে নামবেন। কয়েকজন ফুটবলারের হালকা চোট থাকলেও তাঁদের মাঠে নামতে কোনও অসুবিধা নেই বলে জানিয়েছেন মারিও রিভেরা। তাঁর কথায়, ফ্রান সোতা পুরোপুরি ফিট। কেরালার বিরুদ্ধে ওকে মাঠে নামানোর কথা ভাবছি। জ্যাকিচাঁদও অনুশীলন করছে। ওকেও স্কোয়াডে রাখব। কয়েকজন একটু মানসিক চাপে ভুগছে। দুএকজন ছাড়া বাকিরা মাঠে নামার জন্য তৈরি। এই মুহূর্তে ১৪ ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট পেয়ে লিগ টেবিলে পঞ্চম স্থানে রয়েছে কেরালা ব্লাস্টার্স। চতুর্থ স্থানে রয়েছে বেঙ্গালুরু এসি। ১৬ ম্যাচে তাদের পয়েন্টও ২৩ পয়েন্ট। ১৪ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে জামশেদপুর এফসি। এসসি ইস্টবেঙ্গলকে হারালে তৃতীয় স্থানে উঠে আসার সুযোগ কেরালা ব্লাস্টার্সের সামনে। তাই বিপক্ষ যে জয়ের জন্য মরিয়া হবে, সেকথা মাথায় রাখছেন মারিও রিভেরা। কেরালাকে যথেষ্ট গুরুত্বও দিচ্ছেন। লালহলুদ কোচ বলেন, কেরালার সব বিভাগেই ভাল ভাল ফুটবলার আছে। দলে যথেষ্ট ভারসাম্য রয়েছে। গুরুত্ব তো দিতেই হবে।

ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২২
খেলার দুনিয়া

SC East Bengal : কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে জয় আসবে?‌ আশা দেখাতে পারছেন না দিয়াজ

পাঁচ ম্যাচ খেলা হয়ে গেছে। এবারের আইএসএলে এখনও জয়ের মুখ দেখেনি এসসি ইস্টবেঙ্গল। কোচ মানোলো দিয়াজকে নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠে গেছে। দলের অভ্যন্তরেই কোচের সিদ্ধান্ত নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। দলগত সংহতিও তলানিতে। ৫ ম্যাচ খেলা হয়ে গেল অথচ এখনও প্রথম একাদশ ঠিক করে উঠতে পারেননি। ফুটবলারদের মধ্যে কোনও বোঝাপড়া নেই। এই অবস্থায় রবিবার কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে মাঠে নামছে এসসি ইস্টবেঙ্গল।কঠিন পরিস্থিতিতেও সমর্থকদের কোনও আশার আলো দেখাতে পারছেন না লালহলুদ কোচ মানোলো দিয়াজ। আগের ৫ ম্যাচে এসসি ফুটবলারদের দেখে মনে হয়নি তাঁরা ফিট। মানোলো দিয়াজ অবশ্য একথা মানতে নারাজ। তাঁর দাবি, দক্ষতার দিক দিয়েই দলকে পিছিয়ে পড়তে হচ্ছে। কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে দল প্রথম জয় তুলতে পারবে কিনা, সে ব্যাপারেও আত্মবিশ্বাসী নন। কেরালার বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে দিয়াজ বলেন, দল খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। সমর্থকদের মানসিক অবস্থা বুঝতে পারছি। সমর্থকরা যেমন জয়ের দিকে তাকিয়ে রয়েছে, আমিও জয়ের খোঁজে রয়েছি। চেষ্টা করব কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটানোর।গোল করেও তা ধরে রাখতে পারছেন না লালহলুদ ডিফেন্ডাররা। এসসি ইস্টবেঙ্গলের খেলায় কোনও ছন্দ দেখা যায়নি। তিনটি ম্যাচে হার, দুটি ম্যাচে ড্র। যে দুটি ম্যাচে মানোলো দিয়াজের দল ড্র করেছে, তাতে নিজেদের থেকে বিপক্ষ দলের ফুটবলারদের কৃতিত্ব বেশি। ফুটবলারদের ভুল শুধরে দিলেও বারবার একই ভুল হচ্ছে। সংশোধনের কোনও ইচ্ছে লালহলুদ ফুটবলারদের নেই। এইরকম চলতে থাকলে কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধেও জয় আসা কঠিন।একেই দল খারাপ অবস্থায়, তার ওপর একাধিক ফুটবলারের চোট। সমস্যা আরও বেড়েছে মানোলো দিয়াজের। কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধেও মাঠে নামার মতো জায়গায় আসেননি গোলকিপার অরিন্দম ভট্টাচার্য। জ্যাকিচাঁদ সিং, সিডোয়েলরাও এখনও পুরো ফিট নন। এই দুই ফুটবলারকেও কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে পাবেন না মানোলো দিয়াজ। আগের ম্যাচে জয়ে ফিরেছে কেরালা ব্লাস্টার্স। বিপক্ষকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন লালহলুদ কোচ।

ডিসেম্বর ১১, ২০২১
খেলার দুনিয়া

ISL : বোমাস ঝড়ে উড়ে গেল কেরালা ব্লাস্টার্স, বড় জয় দিয়ে আইএসএল অভিযান বাগানের

কেরালা ব্লাস্টার্সকে ৪২ ব্যবধানে হারিয়ে দুর্দান্তভাবে আইএসএল অভিযান শুরু করল এটিকে মোহনবাগান। জোড়া গোল করে ম্যাচের নায়ক হুগো বোমাস, একটা করে গোল করেন রয় কৃষ্ণা ও লিস্টন কোলাসো। ম্যাচের সেরা হুগো বোমাস। গত মরশুমে এই কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধেই আইএসএল অভিযান শুরু করেছিল এটিকে মোহনবাগান। সেই ম্যাচে গোল করে দলকে জয় এনে দিয়েছিলেন রয় কৃষ্ণা। এবছরই সেই আইএসএল অভিযানে প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি কেরালা ব্লাস্টার্স। এবারও জয় দিয়ে অভিযান শুরু। গত মরশুমের তুলনায় এবছর কেরালা ব্লাস্টার্সের শক্তি বেড়েছে। তবে এটিকে মোহনবাগানের শক্তি আরও বেড়েছে। মরশুমের শুরুতে মুম্বই সিটি এফসি থেকে হুগো বোমাসকে তুলে নিয়ে সবুজমেরুণ কর্তারা যে ভুল করেননি, প্রথম ম্যাচেই প্রমাম করে দিলেন হুগো বোমাস। তাঁর দুরন্ত ফুটবলে দাঁড়াতেই পারেনি কেরালা ব্লাস্টার্স। ম্যাচের শুরু থেকেই কেরালা ব্লাস্টার্সের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এটিকে মোহনবাগান। ২ মিনিটে এগিয়েও যায়। কর্ণার থেকে বল পেয়ে লিস্টন কোলাসো বল বাড়ান কেরালা ব্লাস্টার্স বক্সের ডানদিকে দাঁড়ানো হুগো বোমাসকে। বক্সের মাথা থেকে ডান পায়ের দুরন্ত শটে বল জালে জড়িয়ে দেন বোমাস। আইএসএলের প্রস্তুতি সেট পিসের ওপর বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছিলেন এটিকে মোহনবাগান কোচ আন্তোনীয় লোপেজ হাবাস। হুগো বোমাসের গোল সেই প্রস্তুতির ফসল।শুরুতে গোল পেয়ে আরও উজ্জীবিত হয়ে ওঠেন এটিকে মোহনবাগান ফুটবলাররা। বারবার কেরালা ব্লাস্টার্সের রক্ষণভাগে আক্রমণ তুলে নিয়ে আসছিলেন রয় কৃষ্ণা, জনি কাউকো, মনবীর সিং, লিস্টন কোলাসোরা। সমতা ফেরানোরল জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে কেরালার ফুটবলাররাও। ২৪ মিনিটে সমতাও ফেরায়। রাহুল প্রবীনের পাস থেকে ডান পায়ের জোরালো শটে গোল করেন সাহাল আব্দুল সামাদ। মিনিট তিনেক পর আবার এগিয়ে যায় এটিকে মোহনবাগান। বক্সের মধ্যে রয় কৃষ্ণাকে ফাউল করেন কেরালা ব্লাস্টার্সের ডিফেন্ডার আলবিনো গোমস। রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। পেনাল্টি থেকে ২১ করেন রয় কৃষ্ণা। ৩৩ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিলেন রয় কৃষ্ণা। বক্সের মাঝখান থেকে নেওয়া তঁার শট বারের ওপর দিয়ে উড়ে যায়। ৩৯ মিনিটে আবার গোল হুগো বোমাসের। বক্সের বাঁদিকের কোণ থেকে নেওয়া তাঁর শট জালে জড়িয়ে যায়। প্রথমার্ধে ৩১ গোলে এগিয়ে গেলেই রাশ আলগা করেননি হাবাসের দলের ফুটবলাররা। ৫০ মিনিটে ৪১ করেন লিস্টন কোলাসো। রয় কৃষ্ণার পাস থেকে বক্সের বাঁদিক থেকে ডানপায়ের দুরন্ত শটে তিনি গোল করেন। ৪ গোল খেয়ে হতদ্যোম না হয়ে মরিয়া হয়ে ওঠে কেরালা ব্লাস্টার্স। ৬৯ মিনিটে আদ্রিয়ান লুনার ডিফেন্স চেরা থ্রু দুজন ডিফেন্ডারের মাঝখান দিয়ে বেরিয়ে ডান পায়ের শটে গোল করে ব্যবধান কমান জর্জ পেরেইরা। শেষ দিকে চাপ রাখলেও আর গোল করতে পারেনি কেরালা ব্লাস্টার্স।

নভেম্বর ১৯, ২০২১
দেশ

Corona: ফের বাড়ছে সংক্রমণ, চিন্তা বাড়াচ্ছে কেরল

দেশে এক লাফে অনেকটা বাড়ল সংক্রমণ। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭ হাজার ৯২ জন। এই সংখ্যা গত দুমাসে সর্বোচ্চ। ১ জুলাই আক্রান্তের সংখ্যা ৪৮ হাজার ছাড়িয়েছিল। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩ কোটি ২৮ লক্ষ ৫৭ হাজার ৯৩৭ জন।করোনা মুক্ত হয়েছেন ৩৫ হাজার ১৮১ জন। মৃত্যু হয়েছে ৫০৯ জনের।দেশের বর্তমানে মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছে কেরল। গতকাল কেরলে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩২ হাজার ৮০৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৭৩ জনের। তথ্য বলছে, বর্তমানে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ২৮ লক্ষ ৫৭ হাজার ৯৩৭ জন। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা ৪ লক্ষ ৩৯ হাজার ৫২৯ জন। সুস্থ হয়েছেন ৩ কোটি ২০ লক্ষ ২৮ হাজার ৮২৫ জন।এখনও পর্যন্ত দেশে মোট টিকা নিয়েছেন ৬৬ কোটি ৩০ লক্ষ ৩৭ হাজার ৩৩৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় টিকা নিয়েছেন ৮১ লক্ষ ৯ হাজার ২৪৪ জন।আরও পড়ুনঃ একযোগে বিষপান লায়লা-মজনু কাকিমা-ভাইপোর, মৃত এক, অন্যজন সংকটজনক গোটা অতিমারি পর্বে দেশে মোট প্রাণ গেল ৪ লক্ষ ৩৯ হাজার ৫২৯ জনের। অগস্টের মাঝামাঝিতে যখন সংক্রমণে কিছুটা হলেও কম ছিল, তখন সক্রিয় রোগী কমে সাড়ে তিন লক্ষের নীচে নেমেছিল। গত কয়েক দিন ধরে তা বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বেড়েছে ১১ হাজার ৪০২। এখন দেশে মোট সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৩ লক্ষ ৮৯ হাজার ৫৮৩ জন।কেরলে আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় তা ৩২ হাজার ৮০৩। মহারাষ্ট্রে সাড়ে চার হাজারের আশপাশেই থাকছে দৈনিক সংক্রমণ। তামিলনাড়ুতে দেড় হাজারের আশপাশে। কর্নাটক এবং অন্ধ্রপ্রদেশে অনেকদিন ধরেই ১২০০-র নীচে থাকছে আক্রান্তের সংখ্যা। ওডিশা এবং পশ্চিমবঙ্গে দৈনিক সংক্রমণ ৬০০ থেকে ৭০০-র ঘরে ওঠানামা করছে। উত্তর-পূর্ব ভারতের বাকি রাজ্যগুলিতে আগের থেকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও মিজোরামের পরিস্থিতির ভয়ঙ্কর অবনতি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাডার ৯৯২ জন।

সেপ্টেম্বর ০২, ২০২১
দেশ

Corona Update: দুয়ারে তৃতীয় ঢেউ? ফের বাড়ছে সংক্রমণ, সতর্ক করল কেন্দ্র

মহারাষ্ট্র নয়, করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে কেরলে। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ জানিয়েছেন, দেশে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি কেরলের।গত এক-দেড় মাসে কোনও জেলার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাই ১০০ পেরোয়নি। কিন্তু আতঙ্ক বাড়িয়ে ফের একবার কলকাতার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা সেঞ্চুরি পার করল। উত্তর ২৪ পরগনার দৈনিক সংক্রমণও ১০০ ছুঁইছুঁই। এই দুই জেলাকে পাল্লা দেওয়ার ইঙ্গিত দেখাচ্ছে দার্জিলিঙের আক্রান্তের সংখ্যাও। বৃহস্পতিবারের কোভিড বুলেটিনে প্রকাশ পেয়েছে শেষ ২৪ ঘণ্টায় ৭১৭ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। এই একই সময়ে সুস্থ হয়েছেন ৭২৬ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমে হয়েছে ৯ হাজার ১৬৭। সুস্থতার হার দাঁড়িয়ে ৯৮.২২ শতাংশে। শেষ একদিনে নতুনা পরীক্ষার সংখ্যা ৪১ হাজার ৪৯৮। পজিটিভিটি রেট কিছুটা বেড়ে হয়েছে ১.৭৩ শতাংশ।আরও পড়ুনঃ প্রয়াত বাচিকশিল্পী গৌরী ঘোষঅন্যদিকে, রাজেশ ভূষণ আজ বলেন, কেরল এমন একটি রাজ্য যেখানে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা ১ লাখ। এছাড়া দেশের অন্যান্য ৪ রাজ্যে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্য়া ১০ হাজার থেকে ১ লাখ। তবে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের ৫১ শতাংশ কেরলের।স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, কেরলে টেস্টের সংখ্যা বাড়াতে হবে, বাড়াতে হবে কন্ট্রাক্ট ট্রেসিং, যারা হোম আইসোলেশনে রয়েছে তাদের উপরে নজরদারি বাড়াতে হবে কারণ কেরলের ৮০ শতাংশেরও বেশি করোনা রোগী রয়েছেন হোম আইসোলেশনে। দেশের ২৭৯ জেলায় জুনের প্রথম সপ্তাহে ১০০ বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। তার পর থেকে ধীরে ধীরে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮,০০০ জন। এর অর্ধেক কেরলের হলেও অন্যান্য রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা কমছে। কেরলের পরেই রয়েছে মহারাষ্ট্র দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট আক্রান্তের ১৬ শতাংশই মহারাষ্ট্রের।

আগস্ট ২৭, ২০২১
দেশ

Zika Virus: আতঙ্ক ছড়াচ্ছে করোনার দোসর জিকা ভাইরাস

করোনার ভয়াবহতার মাঝেই এবার জিকা ভাইরাসের আতঙ্ক ছড়িয়েছে দেশে। ইতিমধ্যে কেরলে মোট ১৪ জনের শরীরে পাওয়া গিয়েছে জিকা ভাইরাসের উপস্থিতি। আক্রান্তদের শরীরে জিকার উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি। ২৪ বছরের এক তরুণীর দেহে জিকা ভাইরাসের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেলে আক্রান্তদের মধ্যে ১৯ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছিল পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে। সেখানে ১৯ জনের মধ্যে ১৩ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। ওই তরুণীর গর্ভাবস্থায় এই ভাইরাস হানা হয়৷ সতর্কতার সঙ্গে চিকিৎসা জারি রয়েছে। আরও পড়ুনঃ ভাতারের বোমা বিস্ফোরণের পিছনে রহস্য কি?বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার রাখা, জল জমতে না দেওয়া, মশার হাত থেকে বাঁচতে মশা প্রতিরোধী ওষুধ ব্যবহার করা যায়৷ এদিকে জিকা ভাইরাস নিয়ে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে রাজ্য। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী। জিকা প্রতিরোধে তৈরি হচ্ছে বিশেষজ্ঞ কমিটিও। জিকা ভাইরাস একটি মশাবাহিত রোগ। বাহক হল এডিস মশা৷ চিকেনগুনিয়া, ডেঙ্গির মতোই উপসর্গ দেখা যায়। প্রবল জ্বর, গাঁটে ব্যাথা ছাড়াও, শরীরে র্যা শ বের হতে দেখা যায়। এমনকী, শরীরের জটিলতা বাড়িয়ে প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে জিকা। খুব দ্রুত এই ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে। এই জিকা ভাইরাস মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে গর্ভস্থ সন্তান ও ভ্রুণের। গর্ভবতী মহিলারা যদি জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হন, তাহলে শিশু বিকলাঙ্গ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

জুলাই ১০, ২০২১

ট্রেন্ডিং

বিদেশ

ইলন মাস্ককে খোলা চিঠি ইমরান খানের প্রাক্তন স্ত্রীর, এক্সে ‘নীরব সেন্সরশিপ’-এর অভিযোগ

পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রাক্তন স্ত্রী জেমাইমা গোল্ডস্মিথ এবার সরাসরি এক্সের মালিক ইলন মাস্কের কাছে আবেদন জানালেন। তাঁর অভিযোগ, ইমরান খানের গ্রেফতারি, জেলবন্দি জীবন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা তুলে ধরার জন্য এক্স ইচ্ছাকৃত ভাবে তাঁর পোস্টের পৌঁছনো কমিয়ে দিচ্ছে।জেমাইমার দাবি, ২০২২ সালে ক্ষমতা থেকে সরানোর পর গত ২২ মাস ধরে ইমরান খান কার্যত একঘরে বন্দি অবস্থায় রয়েছেন। তাঁর কথায়, এটি কোনও সাধারণ জেল নয়, বরং রাজনৈতিক বন্দি হিসেবে নৃশংস নিঃসঙ্গ কারাবাস। এই সময়ের মধ্যে তাঁদের দুই ছেলে বাবার সঙ্গে দেখা করতে পারেনি। এমনকি মাসের পর মাস ফোনে কথা বলা বা চিঠি পাঠানোরও অনুমতি মেলেনি বলে অভিযোগ।জেমাইমা আরও জানান, পাকিস্তানের টেলিভিশন ও রেডিও থেকে ইমরান খানের নাম কার্যত মুছে ফেলা হয়েছে। তাঁর মতে, একমাত্র স্বাধীন মঞ্চ হিসেবে এক্স-ই ছিল সত্য বলার জায়গা। কিন্তু এখন সেই প্ল্যাটফর্মেও তাঁর কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।এক্স-এ করা দীর্ঘ পোস্টে জেমাইমা জানান, প্ল্যাটফর্মটির নিজস্ব এআই টুল গ্রক-এর তথ্য অনুযায়ী তাঁর অ্যাকাউন্টে গোপন থ্রটলিং করা হচ্ছে। অর্থাৎ, ইমরান খানের জেল পরিস্থিতি বা সন্তানদের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয় নিয়ে পোস্ট করলেই সেগুলি অ্যালগরিদমের মাধ্যমে আড়াল করে দেওয়া হচ্ছে। ইলন মাস্ককে উদ্দেশ করে তিনি লেখেন, আপনি মুক্ত বাক্স্বাধীনতার কথা বলেছিলেন। কিন্তু কথা বললেও যদি কেউ না শোনে, তা হলে সেটি আদৌ স্বাধীনতা নয়।জেমাইমার দাবি অনুযায়ী, তাঁর প্রায় ৩৫ লক্ষ ফলোয়ার থাকা সত্ত্বেও এক্সে তাঁর পোস্টের পৌঁছনো ভয়াবহ ভাবে কমে গিয়েছে। ২০২৩ এবং ২০২৪ সালের শুরু পর্যন্ত প্রতি মাসে তাঁর পোস্টে ৪০০ থেকে ৯০০ মিলিয়ন ইমপ্রেশন হতো। কিন্তু ২০২৫ সালে এখনও পর্যন্ত মোট ইমপ্রেশন নেমে এসেছে মাত্র ২ কোটি ৮৬ লক্ষে, প্রায় ৯৭ শতাংশ পতন।তিনি জানান, ২০২৫ সালের মে মাসে পাকিস্তানে এক্সের উপর নিষেধাজ্ঞা উঠতেই তাঁর একটি পোস্ট চার মিলিয়নের বেশি মানুষ দেখেন। কিন্তু তার পরই আবার হঠাৎ করে পোস্টের পৌঁছনো প্রায় শূন্যে নেমে যায়। জেমাইমার দাবি, গ্রক জানিয়েছে এই চাপ আসছে পাকিস্তানি প্রশাসনের দিক থেকেই, যারা ইমরান খানের পরিবারকে ঘনিষ্ঠ ভাবে নজরদারিতে রেখেছে।এই অভিযোগের পর পাশে দাঁড়িয়েছেন ব্রিটিশ সাংবাদিক পিয়ার্স মরগান। তিনি বলেন, ইমরান খানের পক্ষে কথা বলার বিষয়টি স্পষ্ট ভাবে চাপা দেওয়া হচ্ছে। মরগানের মন্তব্য, ইমরান খানের সঙ্গে যা ঘটছে তা অত্যন্ত লজ্জাজনক এবং পাকিস্তান সরকারকে তাঁর মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।এই ঘটনার মধ্যেই ইমরান খানের পরিবারের তরফে নতুন করে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। কয়েক দিন আগে তাঁর বোন আলিমা খান অভিযোগ করেন, রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেলে ইমরান খানকে নির্যাতন করা হচ্ছে এবং বেআইনি ভাবে একঘরে রাখা হয়েছে। তিনি জানান, গত আট মাস ধরে পরিবার নিয়মিত জেলে গেলেও তাঁদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি।জেলের বাইরে জড়ো হওয়া পিটিআই সমর্থকরাও ইমরান খানের শারীরিক অবস্থা ও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলের চারপাশে কড়া পুলিশি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ক্ষমতা হারানোর পর একাধিক মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে ২০২৩ সালের অগস্ট থেকে জেলে রয়েছেন ইমরান খান। তাঁর গ্রেফতারি নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরেও প্রশ্ন উঠেছে। গত বছর রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল জানায়, ইমরান খানের আটক বেআইনি এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে। যদিও সেই অভিযোগ মানতে চায়নি পাকিস্তান সরকার।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫
দেশ

মেক্সিকোর শুল্ক-বোমা! ভারতের রফতানিতে ৫০ শতাংশ কর, পাল্টা পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিল দিল্লি

মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নেই এমন দেশগুলির পণ্যের উপর হঠাৎ আমদানি শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্তে কড়া আপত্তি জানাল ভারত। মেক্সিকোর এই একতরফা সিদ্ধান্তে ভারতীয় পণ্যের উপর কর ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে ভারত জানিয়েছে, কূটনৈতিক আলোচনা চালু রাখার পাশাপাশি প্রয়োজন হলে রফতানিকারকদের স্বার্থ রক্ষায় উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।ভারত সরকারের বক্তব্য, কোনও আগাম আলোচনা ছাড়াই এমন শুল্ক বৃদ্ধি দুই দেশের সহযোগিতামূলক বাণিজ্য সম্পর্কের পরিপন্থী। পাশাপাশি বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থার স্বচ্ছতার নীতির সঙ্গেও এই সিদ্ধান্ত সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, মেক্সিকোর এই পদক্ষেপ ভারতের বিরুদ্ধে সরাসরি নয়, তা বোঝা গেলেও আগাম আলোচনা ছাড়া এমএফএন শুল্ক বাড়ানো বন্ধুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সম্পর্কের ভাবনার সঙ্গে খাপ খায় না।মেক্সিকোর নতুন শুল্ক কাঠামোয় মোট ১,৪৬৩টি পণ্য অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এর প্রভাব পড়বে ভারত ছাড়াও চিন, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড এবং ইন্দোনেশিয়ার মতো একাধিক এশীয় দেশের উপর। বেশির ভাগ পণ্যের ক্ষেত্রে শুল্ক প্রায় ৩৫ শতাংশ হতে পারে, যদিও কোথাও তা ৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।অপ্রত্যাশিত ভাবে ২০২৫ সালের ৩ ডিসেম্বর মেক্সিকোর অর্থনীতি মন্ত্রক ফের এই প্রস্তাব পেশ করে এবং আইন প্রণয়নের প্রক্রিয়া দ্রুত এগিয়ে নেয়। এর আগে বিভিন্ন দেশের আপত্তি ও মেক্সিকোর শিল্পমহলের চাপে এই সিদ্ধান্ত ২০২৬ সালের অগস্ট পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল।মেক্সিকো সরকার দাবি করেছে, দেশের অভ্যন্তরীণ উৎপাদনকে উৎসাহ দেওয়া এবং বাণিজ্য ঘাটতি কমানোই এই সিদ্ধান্তের মূল উদ্দেশ্য। তবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মহলের একাংশের মতে, আমেরিকার সঙ্গে ইউএসএমসিএ চুক্তি পর্যালোচনার সময় চিনের বিরুদ্ধে শুল্ক নীতি কঠোর করার চাপের সঙ্গেই এই সিদ্ধান্ত জড়িত। বিশেষ করে চিনা পণ্য ঘুরপথে আমেরিকার বাজারে ঢোকা ঠেকাতে মেক্সিকোর উপর চাপ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।এই পরিস্থিতিতে ভারত দ্রুত পদক্ষেপ করেছে। বাণিজ্য সচিব রাজেশ আগরওয়াল ইতিমধ্যেই মেক্সিকোর অর্থনীতি মন্ত্রকের ভাইস মিনিস্টার লুইস রোসেন্দোর সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা করেছেন। খুব শীঘ্রই কারিগরি স্তরের বৈঠকও হতে পারে। এর আগেই, ২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মেক্সিকোয় ভারতীয় দূতাবাস এই শুল্ক বৃদ্ধির বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়ে ভারতীয় পণ্যের জন্য বিশেষ ছাড় চেয়েছিল।বাণিজ্য দফতর জানাচ্ছে, নতুন শুল্কের প্রকৃত প্রভাব কতটা পড়বে, তা নির্ভর করবে মেক্সিকোর সরবরাহ ব্যবস্থায় ভারতীয় পণ্যের গুরুত্বের উপর এবং ভারতীয় সংস্থাগুলি করের বোঝা ভোক্তাদের উপর চাপাতে পারে কি না, তার উপর। এখনও পর্যন্ত কোন কোন পণ্য এই তালিকায় পড়ছে, তার চূড়ান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়নি।সরকারি সূত্রের স্পষ্ট বক্তব্য, ভারতীয় রফতানিকারকদের স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকার ভারত রাখে। তবে একই সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথেই এগোতে চায়।সব মিলিয়ে টানাপড়েন তৈরি হলেও ভারত জানিয়েছে, মেক্সিকোর সঙ্গে অংশীদারিত্বকে তারা গুরুত্ব দেয় এবং দুই দেশের ব্যবসা ও সাধারণ মানুষের স্বার্থে স্থিতিশীল ও ভারসাম্যপূর্ণ বাণিজ্য পরিবেশ বজায় রাখতে আগ্রহী।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫
দেশ

৪৫ বছরের বাম দুর্গ ভাঙল বিজেপি! কেরলের রাজধানীতে ইতিহাস গড়ল এনডিএ

কেরলের রাজধানী তিরুবনন্তপুরমে বড় রাজনৈতিক পরিবর্তন। পুরসভা নির্বাচনে বিজেপি-নেতৃত্বাধীন এনডিএ একক বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে এসেছে। এর ফলে টানা ৪৫ বছর ধরে চলা বামফ্রন্টের দখল ভেঙে গেল রাজধানীর কর্পোরেশনে। এই ফলাফলকে কেরলের রাজনীতিতে ঐতিহাসিক বলেই মনে করা হচ্ছে।১০১টি ওয়ার্ডের মধ্যে এনডিএ জিতেছে ৫০টিতে। শাসক বামফ্রন্ট এলডিএফ নেমে এসেছে মাত্র ২৯টি আসনে। কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ পেয়েছে ১৯টি ওয়ার্ড। দুটি আসনে জয়ী হয়েছেন নির্দল প্রার্থীরা। এক ওয়ার্ডে প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে ভোট বাতিল হয়েছে।এই ফলের ফলে তিরুবনন্তপুরম কর্পোরেশনে সরকার গঠনের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল এনডিএ। শহরের রাজনৈতিক সমীকরণে যে বড় পরিবর্তন এসেছে, তা স্পষ্ট বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।ফলাফলটি আরও তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ তিরুবনন্তপুরম জেলা কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা ও সাংসদ শশী থারুরের নিজের এলাকা। তাঁর ঘাঁটিতেই বিজেপির এই সাফল্য কেরলের রাজনীতিতে নতুন বার্তা দিচ্ছে বলে মত পর্যবেক্ষকদের।এখানেই শেষ নয়। কেরলের স্থানীয় নির্বাচন শেষে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য পেয়েছে এনডিএ। ত্রিপুনিথুরা পুরসভাতেও ক্ষমতা হারিয়েছে এলডিএফ, সেখানে দখল নিয়েছে বিজেপি-নেতৃত্বাধীন জোট।ফল প্রকাশের পর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে শশী থারুর বলেন, কেরলের গণতন্ত্রের জন্য এটি একটি উল্লেখযোগ্য দিন। তিনি ইউডিএফ-এর সামগ্রিক ফলের প্রশংসা করেন এবং একই সঙ্গে তিরুবনন্তপুরম কর্পোরেশনে বিজেপির ঐতিহাসিক জয়ের কথা স্বীকার করেন। থারুর বলেন, মানুষের রায়কে সম্মান জানানোই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য, সে রায় বিরোধীদের পক্ষেও গেলে। তিনি আরও জানান, দীর্ঘদিনের শাসনের বিরুদ্ধে মানুষের পরিবর্তনের ইচ্ছাই এই ফলাফলে প্রতিফলিত হয়েছে। শশী থারুরের কথায়, এলডিএফের ৪৫ বছরের শাসনের বিরুদ্ধে তিনি পরিবর্তনের ডাক দিয়েছিলেন, কিন্তু ভোটাররা অন্য একটি দলকে সেই পরিবর্তনের দায়িত্ব দিয়েছেন। সেটাই গণতন্ত্রের শক্তি।শেষে তিনি বলেন, কংগ্রেস কেরলের মানুষের জন্য কাজ চালিয়ে যাবে এবং ভাল শাসনের পক্ষে তাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫
কলকাতা

মেসি কাণ্ডে বড় ঘোষণা পুলিশের! টিকিটের টাকা ফেরাতে হবে, না হলে আইনি পদক্ষেপ

কেউ ৪ হাজার, কেউ ৮ হাজার, কেউ আবার ১০ হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কেটেছিলেন। মাসের পর মাস অপেক্ষা করেও শেষ পর্যন্ত প্রিয় ফুটবলার লিয়োনেল মেসিকে চোখের সামনে দেখতে পাননি তাঁরা। যুবভারতীতে তৈরি হওয়া চরম বিশৃঙ্খলার জন্য দর্শকদের ক্ষোভ গিয়ে পড়েছে পুলিশ ও উদ্যোক্তাদের উপর।এই পরিস্থিতিতে টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়ার কথা জানালেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, যে টিকিট বিক্রি হয়েছে, তার টাকা দর্শকদের ফেরত দেওয়া উচিত। কারণ, বহু দর্শকই মেসিকে দেখতে পাননি।ডিজি জানান, অনুষ্ঠানে ন্যূনতম টিকিটের দাম ছিল ৩৫০০ টাকা। তার সঙ্গে স্টেডিয়ামের ভিতরে জলের বোতল থেকে শুরু করে পপকর্ন পর্যন্ত চড়া দামে বিক্রি হয়েছে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, উদ্যোক্তারা যদি টাকা ফেরতের বিষয়ে সঠিক ব্যবস্থা না নেন, তা হলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে। ইতিমধ্যেই মূল উদ্যোক্তাকে আটক করা হয়েছে এবং এই বিশৃঙ্খলার জন্য কাউকেই রেয়াত করা হবে না।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে স্টেডিয়ামের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এডিডি আইন-শৃঙ্খলা জাভেদ শামিম জানিয়েছেন, সকল দর্শক নিরাপদে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন এবং ট্রাফিক পরিস্থিতিও স্বাভাবিক হয়েছে।উল্লেখ্য, এদিন যুবভারতীতে আসার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। ফুটবল তারকা মেসির সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। কিন্তু পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় ক্রীড়াঙ্গনে পৌঁছনোর আগেই নিজের কনভয়ের দিক ঘুরিয়ে নেন তিনি। পরে গোটা ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫
কলকাতা

ভিআইপি কালচারের বলি ফুটবলপ্রেমীরা? মেসি বিতর্কে বিজেপি-সিপিএমের তোপ

পাহাড়প্রমাণ প্রত্যাশা মুহূর্তে যেন জল হয়ে গেল। হাজার হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কেটেও প্রিয় তারকা লিয়োনেল মেসিকে ঠিকমতো দেখতে পেলেন না দর্শকরা। মেসি মাঠ ছাড়তেই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সাধারণ মানুষের মুখে ঘুরছে একটাই কথাভিআইপি কালচারের জন্যই বঞ্চিত হল সাধারণ দর্শক। ক্ষোভে ফেটে পড়ে তছনছ হয়ে যায় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন। ভাঙা হয় চেয়ার, তোরণ। গোটা ঘটনায় রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়েছে তীব্র চাপানউতোর।অব্যবস্থার জেরে মাঠে ঢুকতেই পারেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাস্তা থেকেই কনভয় ঘুরিয়ে ফিরে যেতে হয় তাঁকে। পরে মেসির কাছে ক্ষমা চেয়ে গোটা ঘটনার তদন্তে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তাতেও বিতর্ক থামেনি। একের পর এক তোপ দাগছে বিরোধীরা।বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, সাধারণ মানুষ সাড়ে তিন হাজার থেকে আট হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কিনেছেন। একশো দিনের কাজের শ্রমিকের প্রায় এক মাসের মজুরি একটি টিকিটের দামের সমান। তাঁর অভিযোগ, একদল প্রভাবশালী মানুষ মেসিকে ঘিরে রেখে সাধারণ দর্শকদের বঞ্চিত করেছেন। গোটা ঘটনাকে তিনি দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেন।বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। তাঁর দাবি, টিকিটের কালোবাজারি হয়েছে এবং পুরো ব্যবস্থাই ছিল চরম বিশৃঙ্খল। তিনি বলেন, যাঁরা বোতল ছুড়েছেন তাঁদের মধ্যেও শাসকদলের লোকজন রয়েছেন বলে তাঁর কাছে খবর আছে। পুলিশ ভিড় নিয়ন্ত্রণে পুরোপুরি ব্যর্থ বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি।সিপিএমও এই ঘটনায় সরব। দলের নেতা মহম্মদ সেলিম বলেন, বাংলায় যেখানে অনুষ্ঠান হবে, সেখানে দুর্নীতি, কালোবাজারি আর বিশৃঙ্খলা যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। খেলাধুলো থেকে মেলাসব ক্ষেত্রেই একই ছবি দেখা যাচ্ছে বলে তাঁর অভিযোগ।এ দিকে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গের মানুষের আবেগে আঘাত করেছে এবং ফুটবলপ্রেমীদের অপমান করেছে। সব মিলিয়ে মেসিকে ঘিরে এই বিশৃঙ্খলা শুধু মাঠেই নয়, রাজ্য রাজনীতিতেও ঝড় তুলে দিয়েছে।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫
কলকাতা

‘শুধু টাকা আর হ্যাংলামি?’ মেসি বিতর্কে আয়োজকদের তোপ কুণাল ঘোষের

দর্শকাসন থেকে একের পর এক জলের বোতল ছোড়া হল। পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে নির্ধারিত সময়ের আগেই মাঠ ছাড়তে বাধ্য হলেন লিয়োনেল মেসি। হাজার হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কেটেও প্রিয় তারকাকে দেখতে পেলেন না বহু ভক্ত। ক্ষোভে ফেটে পড়ে মাঠে নেমে ভাঙচুর শুরু করেন অনেকে। এই ঘটনার পর প্রকাশ্যে আয়োজকদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।শনিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মেসিকে সংবর্ধনা দেওয়ার কথা ছিল। আয়োজকদের দাবি অনুযায়ী সকাল ১১টা থেকেই স্টেডিয়ামে থাকার কথা ছিল মেসির। মাঠ পরিক্রমাও করার কথা ছিল তাঁর। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল শাহরুখ খানেরও। মেসি সময়মতো মাঠে পৌঁছলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিস্থিতি বদলে যায়। গ্যালারি থেকে বোতল ছোড়া শুরু হয়। চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয় মাঠজুড়ে।দর্শকদের অনেকেই জানান, চার মাস আগে টিকিট কেটেছেন তাঁরা। কেউ আবার ভোর ৪টে থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এত অপেক্ষা আর টাকা খরচ করেও মেসিকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাননি বহু মানুষ।এর পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় কুণাল ঘোষ লেখেন, আয়োজকদের ন্যূনতম পরিকল্পনাও ছিল না। তাঁর প্রশ্ন, সবটাই কি শুধু টাকা আর ব্যবসা? কেন মেসিকে ঘিরে এত লোকের ভিড় রাখা হল? কেন মাঠ পরিক্রমার সময় মেসিকে একা এগোতে দেওয়া হল না? কেন গ্যালারির দর্শকদের বঞ্চিত করা হল? কুণালের মন্তব্য, এই ঘটনা কলকাতার জন্য লজ্জাজনক।তিনি আরও লেখেন, কয়েকজনের আদিখ্যেতার জন্য পুরো আয়োজন নষ্ট হয়ে গেল। মেসিকে দেখার বদলে কেউ কেউ নিজেকে জাহির করতেই ব্যস্ত ছিলেন। কুণাল স্মরণ করিয়ে দেন, ২০১১ সালে এই যুবভারতীতেই খেলতে এসেছিলেন মেসি। তখন কর্নার ফ্ল্যাগের পাশে বসে শান্তিপূর্ণভাবে খেলা দেখেছিলেন তিনি। সেদিন কোনও বিশৃঙ্খলা হয়নি।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫
কলকাতা

মেসিকে নিয়ে মঞ্চের স্বপ্ন ভেস্তে, গাড়িতেই আটকে রইলেন শাহরুখ

শহরে আসবেন লিয়োনেল মেসি। চোখের সামনে ফুটবলের ভগবানকে দেখবেন হাজার হাজার ভক্ত। একই মঞ্চে থাকার কথা ছিল শাহরুখ খান, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও লিয়োনেল মেসির। সংবর্ধনা দেওয়ার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সব পরিকল্পনাই ছিল তৈরি। নির্ধারিত সময়েই শনিবার যুবভারতীতে অনুষ্ঠান শুরু হয়। মাঠে পৌঁছন মেসি। কিন্তু তার পরেই তৈরি হয় চরম বিশৃঙ্খলা, যা আগে কখনও দেখেননি ফুটবলপ্রেমী বাঙালি।এই অশান্ত পরিস্থিতির জেরে মাঠে ঢুকতেই পারলেন না বলিউড তারকা শাহরুখ খান। শনিবার সকালেই কলকাতায় আসেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ছেলে আব্রাম। শহরের এক পাঁচতারা হোটেলে আব্রামের সঙ্গে লিয়োনেল মেসি, লুইস সুয়ারেজ এবং রদ্রিগো ডিপলের সঙ্গে ছবিও তোলেন শাহরুখ। তার পর যুবভারতীর অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর।কিন্তু মেসি যখন মাঠ পরিক্রমা শুরু করেন, ঠিক তখনই গ্যালারি থেকে বোতল ছোড়া শুরু হয়। মুহূর্তের মধ্যে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। নিরাপত্তার কারণে মাঝপথেই মাঠ থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয় মেসিকে। সেই সময় গাড়িতে বসে স্টেডিয়ামের বাইরে অপেক্ষা করছিলেন শাহরুখ খান। বিশৃঙ্খলার কারণে তিনি মাঠে ঢুকতে পারেননি। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর তাঁকে ফিরে যেতে হয়।এই ঘটনার পর শহরের আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন উঠছে পুলিশ-প্রশাসন ও আয়োজকদের ভূমিকা নিয়েও। পুরো ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫
কলকাতা

মন্ত্রীরা মেসিকে দেখলেন, সেলফি তুললেন আর আমরা টাকা দিলাম! ক্ষোভে ফেটে পড়লেন দর্শকরা

যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হল। মাঠের ভিতরে ছোড়া হল চেয়ার, জলের বোতল। ক্ষুব্ধ দর্শকরা ব্যারিকেড ভেঙে মাঠে ঢুকে পড়েন। এমনকি একটি দিকের গোলপোস্টও ভেঙে ফেলা হয় বলে জানা গিয়েছে। মেসিকে সামনে থেকে দেখতে না পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন হাজার হাজার দর্শক।মাঠে উপস্থিত দর্শকদের কথায় উঠে এসেছে চরম হতাশা। এক দর্শক বলেন, মেসিকে নয়, আমরা শুধু অরূপ বিশ্বাসকেই দেখতে পেয়েছি। আর এক জনের অভিযোগ, আমাদের টাকায় সরকার মেসিকে দেখল, আমরা দেখলাম না। কেউ কটাক্ষ করে বলেন, অনিরুদ্ধ ধর আর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে দেখতে এসেছিলাম, আর কাউকে দেখতে আসিনি।এক দর্শকের ক্ষোভ, অরূপ বিশ্বাসকে দেখলাম সেলফি তুলতে ব্যস্ত। মনে হচ্ছিল মেসির জায়গায় উনিই এই অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ। ৩ হাজার ৩৩৮ টাকা দিয়ে টিকিট কেটেছিলাম, কিন্তু এক ঝলকও মেসিকে দেখতে পেলাম না। কেউ ৪ হাজার, কেউ আবার ১০ হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কেটে এসেছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, সাধারণ দর্শকদের থেকে মেসিকে আড়াল করে শুধু নেতা-মন্ত্রীরাই তাঁকে ঘিরে রেখেছিলেন।অনেকেই প্রশাসনের ভূমিকাকেও কাঠগড়ায় তুলেছেন। এক জন বলেন, মাঠে পুলিশ, স্তাবক আর মিডিয়ার ভিড় ছিল। সাধারণ মানুষ কিছুই দেখতে পায়নি। পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কাটা এক যুবক জানান, আগের রাত থেকেই তিনি সেই হোটেলের কাছে অপেক্ষা করছিলেন, যেখানে মেসি ছিলেন। তবুও ভগবান দর্শন হয়নি তাঁর।দর্শকদের ক্ষোভ ক্রমেই তীব্র আকার নেয়। মাঠে ওঠে চোর চোর স্লোগান। কেউ বলেন, নেতা-মন্ত্রীরা মেসিকে দেখল, সেই টাকাই তো আমরা দিয়েছি। সাঁতরাগাছির এক দর্শকের আক্ষেপ, আমরা শুধু মেসির হাতটা দেখেছি। কেউ গোটা ঘটনাকে দুর্নীতির সঙ্গে তুলনা করে বলেন, এটা স্ক্যাম ২০২৫, শতদ্রু দত্তের উদ্যোগ।শুধু রাজ্যের দর্শকরাই নন, অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে আসা এক প্রবাসী ভক্তও মেসিকে দেখতে না পেয়ে ভেঙে পড়েন। এমনকি এক রোনাল্ডো ভক্তও মেসিকে দেখতে এসে হতাশ হয়েছেন। কারও অভিযোগ, পুলিশও গালাগাল করেছে। এক দর্শকের কথায়, এত বড় লজ্জা ঢাকার জায়গা নেই। আর এক জন বলেন, মেসিকে দেখতে এসে শুধু ক্যামেরাম্যানই দেখে গেলাম।সব মিলিয়ে যুবভারতীর এই বিশৃঙ্খলা নিয়ে ক্ষোভ এখন সর্বত্র। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারও রাজ্য সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে বলেন, মেসিকে নিয়ে গোটা বিষয়টাই মেস করে দেওয়া হল।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal