• ৩ আষাঢ় ১৪৩২, বৃহস্পতি ১৯ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

IR

রাজ্য

বাংলায় বিপুল বিনিয়োগের সম্ভাবনা! মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ বিড়লা গোষ্ঠাীর কর্ণধারের

বাংলায় নয়া বিনিয়োগের সম্ভাবনা। এবার এখানে বিনিয়োগ করতে পারেন আদিত্য় বিড়লা গ্রুপ। এরাজ্যে তাঁরা বিশ্ব মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার উদ্যেগ নিতে পারে। মঙ্গলবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমাত বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে বিনিয়োগের প্রস্তাব দেন আদিত্য বিড়লা গ্রুপের চেয়ারম্যান কুমার মঙ্গলম বিড়লার। মুখ্যমন্ত্রী ছবি পোস্ট করে এক্স হ্যান্ডেলে এই কথা জানিয়েছেন। এক্স হ্যান্ডেলের মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, আদিত্য বিড়লা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান মিঃ কুমার মঙ্গলম বিড়লা আজ(মঙ্গলবার বিকেলে নবান্নে আমার সাথে দেখা করলেন। এটি একটি সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ। তিনি আমার সঙ্গে বাংলায় ব্যবসার সুযোগ এবং এখানে তাদের বিনিয়োগের উদ্দেশ্য নিয়ে আলোচনা করেছেন। সিমেন্ট এবং রং উৎপাদনের মতো বিভিন্ন খাতে তাদের ৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প রয়েছে। তাঁরা শহরে একটি বিশ্বমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পরিকল্পনা করছে এবং নতুন বিনিয়োগের জন্য তাদের অন্যান্য পরিকল্পনাও রয়েছে। আমরা সব আলোচনা করেছি এবং আমি তাকে আমাদের সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছি।অভিজ্ঞ মহলের মতে, বিড়লা গোষ্ঠীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর এই আলোচনায় রাজ্যে বিনিয়োগ হতে পারে। তার ফলে কর্ম সংস্থানের সুযোগ তৈরি হতে পারে।

জুলাই ৩০, ২০২৪
রাজ্য

জঙ্গির গুলিতে ঝাঝরা দার্জিলিংয়ের ক্যাপ্টেন ব্রিজেশ থাপা, "দেশের জন্য শহিদ"- গর্বিত বাবা

জঙ্গীদের গুলিতে শহিদ হলেন রাজ্যের এক বীর সেনা জওয়ান। সোমবার সন্ধ্যায় জম্মু-কাশ্মীরের ডোডায় সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহিদ হয়েছেন দার্জিলিংয়ের লেবংয়ের বড়াগিঙ্গের বাসিন্দা ক্যাপ্টেন ব্রিজেশ থাপা। ক্যাপ্টেনের বয়স হয়েছিল মাত্র ২৭ বছর। ব্রিজেশ থাপার মৃত্যুতে শোকের ছায়া গোটা শৈলশহরে।ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, সোমবার সন্ধেয় ডোডা থেকে প্রায় ৫৫ কিলোমিটার দূরে দেশা বনাঞ্চলের উরারবাগীতে রাষ্ট্রীয় রাইফেলস এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের যৌথ অভিযান শুরু হয়। এনকাউন্টার শুরু হলে সন্ত্রাসবাদীরা পালানোর চেষ্টা করে। ঘন জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে তাদের তাড়া করেন সেনার একটি দল৷ রাত ৯টা নাগাদ ফের এনকাউন্টার শুরু হয়। গুরুতর আহত হন এক গ্রুপ ক্যাপ্টেন-সহ চার সেনা জওয়ান। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারজনের মৃত্যু হয়৷ আরেক সেনা জওয়ানের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। শহিদের মধ্যে একজন দার্জিলিং এর ব্রিজেশ থাপা। সেনাবাহিনীর আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সন্ত্রাসীদের সঙ্গে গুলিবিনিময়ে অফিসার-সহ চার সেনা সদস্য এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের সদস্য আহত হয়েছেন৷ প্রাথমিকভাবে ২০ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে এনকাউন্টার চলে। ব্রিজেশ থাপার শহিদ হওয়ার খবর ইতিমধ্যে সেনা আধিকারিকদের তরফে তাঁর পরিবারকে জানানো হয়েছে।পরিবার সূত্রে খবর, ১৭ জুলাই অর্থাৎ বুধবার ব্রিজেশের দেহ বিশেষ বিমানে শিলিগুড়ির বাগডোগরা বিমানবন্দরে আনা হবে। এরপর তাঁকে বাগডোগরা সেনা ছাউনিতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অভিবাদন জানানো হবে। সেখান থেকে তাঁর দেহ সড়কপথে দার্জিলিংয়ের লেবংয়ে তাঁর জন্মভূমিতে নিয়ে যাওয়া হবে। ব্রিজেশের বাবা কর্নেল ভুবনেশ থাপা বলেন, ছোট থেকেই ব্রিজেশের সেনার প্রতি খুব টান ছিল। নিজেকে সেইভাবেই তৈরি করেছিল। কষ্ট হচ্ছে, কিন্তু আক্ষেপ নেই। আমার সন্তান দেশকে রক্ষা করতে গিয়ে শহিদ হয়েছেন।জানা গিয়েছে, ব্রিজেশের বাবা কর্নেল ভুবনেশ থাপা ২০১৪ সালে সেনা থেকে অবসর নেন। বর্তমানে তিনি দার্জিলিংয়ের লেবংয়েই এক্স সার্ভিসম্যান হেলথ সার্ভিস স্কিমে কর্মরত রয়েছেন। ব্রিজেশের বাড়িতে সদস্য বলতে বাবা ছাড়াও রয়েছেন মা নীলিমা থাপা ও দিদি নিকিতা থাপা। নিকিতা থাপা বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় সঙ্গীত নিয়ে পড়াশুনো করছেন। ভাইয়ের শহিদ হওয়ার খবর পেতেই তিনিও বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।ব্রিজেশ থাপার জন্ম লেবংয়ে ৷ তিনি প্রাথমিক পড়াশুনো করেন দার্জিলিংয়ে৷ তবে বাবার সেনায় অন্যত্র পোস্টিংয়ের কারণে ব্রিজেশ বাকি পড়াশুনো রাজ্যের বাইরে থেকেই সারেন। শেষে মুম্বই থেকে নিজের উচ্চশিক্ষা শেষ করেন তিনি। সেখানকার কলেজ থেকে বিটেক শেষ করে কম্বাইন্ড ডিফেন্স সার্ভিস পরীক্ষায় বসেন। ২০১৮ সালে তিনি ওই ডিফেন্স সার্ভিসের শর্ট সার্ভিস কমিশন পরীক্ষায় পাশ করেন ও ২০১৯ সালে সেনাতে যোগ দেন।ব্রিজেশ দুবছর ১০ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের মোতায়েন ছিলেন। এরপর তাঁকে এক্সট্রা রেজিমেন্টাল ডিউটির জন্য ভারতীয় সেনার বিশেষ বিভাগ ১৪৫ আর্মি এয়ার ডিফেন্সের অধীন জম্মু ও কাশ্মীরের ডোডা সেনা ছাউনিতে বদলি করা হয়। সেখানে ব্রিজেশ থাপা এ-কোম্পানি কমান্ডার ছিলেন। নিজের ট্রুপ নিয়ে ডোডা থেকে প্রায় চার ঘণ্টা দুরত্বে একটি অভিযানে যাওয়ার সময় আচমকা তাঁদের উপর হামলা হয়। আর সেই হামলাতেই প্রাণ হারান ব্রিজেশ।

জুলাই ১৬, ২০২৪
রাজ্য

গুজরাট থেকে কাদের কান ধরে বাংলায় আনতে চাইছেন ফিরহাদ? কেন এই ঘোষণা?

নাম না করে বিজেপির গুজরাটের নেতাদের প্রথমে মাথা মোটা বলে কটাক্ষ ও তারপরই কান ধরে টেনে নিয়ে এসে বাংলা সংস্কৃতি দেখানোর কথা বললেন পুরো ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। মঙ্গলবার সল্টলেকের উন্নয়ন ভবনে প্রগ্রেসিভ ইউনাইটেড ইঞ্জিনিয়ারস অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিল পুরমন্ত্রী ও কলকাতার মেযর ফিরহাদ হাকিম।ফিরহাদ হাকিম বক্তব্যে বলেন, গুজরাট থেকে মাথা মোটাগুলোকে কান ধরে টেনে নিয়ে এসে দেখাতে হয় যারা মানুষে মানুষে লড়াই করে তাদের দেখাতে হয় যে দেখ রক্তের রং লাল। কে রক্ত দিচ্ছে, কোথায় যাচ্ছে, কার রক্ত কার দেহে যাচ্ছে কেউ জানে না। এখান থেকে বোঝা যায় ভগবান শুধু মানুষ সৃষ্টি করেছে, এইযে ভেদাভেদ, ঝগড়াঝাঁটি, নোংরামি এইসব আমাদের। ভগবানকে ধন্যবাদ জানাই পশ্চিমবঙ্গে আমরা অন্তত এটার থেকে অনেক বাইরে আছি। এই মাথা মোটার দল কিছুটা গ্রাস করেছে কিন্তু পুরোটা আমাদের পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতিকে গ্রাস করতে পারেনি। তাই এখনও আমরা গর্বের সাথে বলি আমরা মানুষ। মানুষ বলেই মানবিকতার সেবা করছি কাজ করছি সংসার চালাচ্ছি তার সাথে সাথে রক্ত দিচ্ছি।

জুলাই ০২, ২০২৪
খেলার দুনিয়া

দেশের হয়ে শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ফেললাম, বিশ্বকাপ জিতে সমর্থকদের কাঁদালেন বিরাট কোহলি

বিশের বিশ্বযুদ্ধে আর পাওয়া যাবেনা তাঁকে। ক্রিকেট মহাকাব্যের রূপকথার নায়ক পরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আর খেল্বেন না। বিশ্বকাপ জিতেই এই ফরম্যাট থেকে তাঁর এই অবসরের কথা ঘোষনা করলেন বিরাট কোহলি। সারা টুর্নামেন্ট নিস্প্রভ থেকেও ফাইনালে জ্বলে ওঠেন বিরাট। ম্যাচের সেরার খেলোয়ারের পুরস্কার নিতে এসে নিজের মুখেই অবসরের কথা ঘোষণা করে দিলেন তিনি। হর্ষ ভোগলের প্রশ্নের উত্তরে জানালেন, টি=২০ বিশ্বকাপ ফাইনালই তাঁর শেষ টি-২০ বিশ্বকাপ ম্যাচ হয়ে থাকল। তিনি আরো জানান, পরের প্রজন্মকে জায়গা ছেড়ে দিতেই তাঁর এই সিদ্ধান্ত।শনিবারের ক্রিকেটের মহারনে প্রচণ্ড ধৈর্যশীল এক ইনিংস খেলে ৭৬ রান করেন। গোটা টুর্নামেন্টে চুড়ান্ত সফল ব্যাটার রোহিত শর্মা ফাইনালে প্রথমেই ফিরে যাওয়ায় বিরাটের ওপর বিশাল চাপ এসে পরে। ক্রিকেট দেবতার বরপুত্র চাপ কাটিয়ে ধীরে ধীরে এল আসাধরণ ইনিংস খেললেন কোহলি। শেষ পর্যন্ত তাঁর ওই ইনিংস-ই ভারতকে বড় স্কোরে দাঁড় করিয়ে দেয়। বিরাট কোহলি ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিতে এসে বলেন, এটাই আমার শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ছিল। ঠিক যেটা অর্জন করতে চেয়েছিলাম সেটাই করেছি। মাঝে মাঝে এটা মনে হয় যে আপনি হয়তো রান পাচ্ছেন না। তার পরেই একটা বড় রান চলে আসে। আসলে আমার কাছে ব্যাপারটা ছিল, হয় এখন, না হলে কখনও নয়।তাঁর আগে অবধি কেউ আন্দাজ করতে পারেননি যে এর পর তিনি সেই সাঙ্ঘাতিক সিদ্ধান্তের কথা জানাবেন! হর্ষের পরবর্তী প্রশ্নের উত্তরে কোহলি বলেন, এটাই ভারতীয় দলের হয়ে আমার শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ছিল। আমরা বিশ্বকাপ জিততে চেয়েছিলাম। জোর করে কোনও পরিস্থিতি তৈরি করার থেকে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া উচিত। সবাই জানত এর পরে কী হতে চলেছে। এটাই সময় নতুন প্রজন্মের হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়ার। অসাধারণ সব ক্রিকেটার রয়েছে আমাদের ভারতীয় দলে। ওরাই দলকে পরবর্তী সময়ে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং দলকে আরও উঁচুতে তুলবে।

জুন ৩০, ২০২৪
রাজ্য

পরিবেশ রক্ষায় দেশ জুড়ে ১ লক্ষ বৃক্ষ রোপণের বিশেষ উদ্যোগ

নিজেদের অচল অবস্থার মধ্যেও কর্তব্যে অবিচল বিএসএন কন্ট্রাক্টরস ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন ও কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া, বিএসএনএল এবং এসএলএ ওয়ার্কার্স-এর কর্মীরা। বেশ কয়েক বছর ধরে নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন না তাঁরা। অথচ পরিবেশ রক্ষা করতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন এই সংস্থার কর্মীরা। সারা দেশ জুড়ে আগামী এক বছরের মধ্যে এক লক্ষ গাছ লাগানোর লক্ষমাত্রা ঘোষণা করেছেন তাঁরা। তার মধ্যে শুধু পশ্চিমবঙ্গেই বৃক্ষ রোপণ করা হবে ৪০ হাজার।শুক্রবার ডালহৌসি টেলিফোন ভবনে গাছ পুঁতে এই বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচির সূচনা করেন সংগঠনের সভাপতি বিধায়ক মদন মিত্র ও সাধারণ সম্পাদক সুভাষ কুমার কর। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য্য, অলোক নন্দী ও শ্রমিক নেতা মানা চক্রবর্তী। নিজেদের আর্থিক প্রতিবন্ধকতা সত্বেও এই সংগঠনের সামাজিক প্রকল্পের এই বিশেষ উদ্যোগ সর্বত্র প্রশংসা কুড়িয়েছে। গাছ কেটে যে ভাবে পরিবেশের ক্ষতি করা হচ্ছে তাতে এই সংগঠনের কর্মসূচিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন পরিবেশবিদরা।

জুন ২৮, ২০২৪
প্রযুক্তি

জানেন কেন AC-র সর্বোনিম্ন তাপমাত্রা বেঁধে দেওয়া আছে?

এবছর যেন গরম থেকে মুক্তি নেই। জুন মাস শেষ হতে চললেও সকলে AC চালাতে বাধ্য হচ্ছে। যাঁদের এয়ার কন্ডিশনড নেই তাঁরাও এখন কিনছেন। এবার গরমের রেকর্ড অতীতের সমস্ত রেকর্ডকে ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে। এসি আর বিলাসিতা নয়। প্রয়োজনীয় বস্তু হয়ে উঠেছে। প্রয়োজন অনুযায়ী AC-র তাপমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। AC-তে তাপমাত্রার যত কম হবে, শীতলতা তত বেশি হবে। কিন্তু প্রতিটি এয়ার কন্ডিশনারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কেন ১৬ ডিগ্রি সেট করা থাকে? এখন আবার তা ১৮ ডিগ্রি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর প্রকৃত কারণ কি জানা আছে?বাংলার গরম এবার প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছে রাজস্থান ও দিল্লিকে।। প্রচণ্ড গরমে দেশের সব জায়গায় এসি বিক্রি রেকর্ড গড়েছে। গরম থেকে বাঁচতে এসি-কুলারের সাহায্য নিচ্ছেন সবাই। কিন্তু বাইরের তাপমাত্রা ৪২ থেকে ৪৫ ডিগ্রি থাকলে কুলারগুলিও সেভাবে কাজ করছে না। এমন পরিস্থিতিতে AC মেশিনই একমাত্র ভরসা। এয়ার কন্ডিশনার মেশিনের ক্ষেত্রে তাপমাত্র ১৬ ডিগ্রির কম এবং ৩০ ডিগ্রির বেশি হতে পারে না। সারা বিশ্বে এসির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা একই নির্ধারিত রয়েছে। কিন্তু এর কারণ কী? কেন ১৬ বা ১৮ ডিগ্রিতে সেট করা থাকে AC।সমস্ত এয়ার কন্ডিশনারগুলি ইভাপোরেটর কুল্যান্টের সাহায্যে ঠান্ডা হয় এবং এটি আপনার ঘরকেও ঠান্ডা করে। এমন পরিস্থিতিতে এসির তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রির কম হলে বাষ্পীভবনে বরফ জমতে শুরু করবে এবং এসি যা আপনার ঘরকে ঠান্ডা করছে সেটি নিজেই ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। অর্থাৎ স্বয়ং এসির স্বাস্থ্যের অবনতি হবে। এই কারণে যে কোনও এসির তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রির কম হতে পারে না। এখন আবার তা ১৮ ডিগ্রি করা হয়েছে।যদি বাতাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা অর্থাৎ ৩০ ডিগ্রির কথা বলি, তাহলে আপনি নিজেই এর কারণ বুঝতে পারবেন। আসলে, যখনই তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত থাকে, আবহাওয়া শীতল থাকে। কিন্তু যখন তাপমাত্রা তার উপরে চলে যায়, তখন গরম অনুভব করতে শুরু করবে। একইভাবে, যদি এসির তাপমাত্রা ৩০ এর উপরে চলে যায় তবে এসি চালানোর কোনও লাভ নেই কারণ এটি ঠান্ডা বাতাসের পরিবর্তে গরম বাতাস বইতে শুরু করবে।

জুন ২৪, ২০২৪
কলকাতা

একের পর এক আগ্নিকাণ্ড কলকাতায়, এবার গার্স্টিন প্লেস

আগুনের গ্রাস থেকে যেন কলকাতাকে আটকানো যাচ্ছে না। পার্ক স্ট্রিট, কসবার শপিং মলের পর এবার গার্স্টিন প্লেস! ফের ভয়াবহ আগুন শহর কলকাতায়। শনিবার ভোর চারটে নাগাদ ব্যাঙ্কশাল কোর্টের পিছনের একটি পুরনো বহুতলে আগুন লাগে। খবর পেয়ে দুদফায় দমকলের ছটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়।যথারীতি আগুনকে কেন্দ্র করে সাতসকালে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে ছড়িয়েছে তীব্র আতঙ্ক। সূত্রের খবর, পুরনো ওই বহুতলের তিনতলা আগুনে পুড়ে গিয়েছে। আগুন ছড়িয়েছে বহুতলের চারতলাতেও। বাড়িটি পুরনো হওয়ায় বহুতলের একাংশ ভেঙে পড়ার আশঙ্কাও রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে দমকলের অনুমান, এসির শর্টসার্কিট থেকেই এই অগ্নিকাণ্ড।

জুন ২২, ২০২৪
প্রযুক্তি

গরমে কোন AC কিনবেন? 3, 4 না 5 স্টার AC, কোনটি বেশি উপযোগী?

এবারের গরম র সহ্য করা যাচ্ছে না। অসহ্য গরম থেকে মুক্তি পেতে এয়ার কন্ডিশনার বা AC মেশিনের কোনও বিকল্প নেই। গত কয়েক বছরে শহর থেকে জেলা, গ্রাম সর্বত্রই AC মেশিন কেনার হিড়িক প্রবলভাবে বেড়ে গিয়েছে। বাজারে 3 স্টার, 4 স্টার ও 5 স্টার রেটিং যুক্ত AC কিনতে পাওয়া যায়। তবে এর মধ্যে কোনটি বেশি উপযোগী? কোন রেটিংযুক্ত AC কিনলে আপনি বিদ্যুতের বিল বাঁচাতে পারবেন? সে ব্যাপারেই রইল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।এয়ার কন্ডিশনার কিংবা AC মেশিন এখন আর বিলাসবহুল সামগ্রীর মধ্যে পড়ে না। বরং সময় যত এগোচ্ছে ততই এই সামগ্রীটি অপরিহার্য্য ঠেকছে অনেকের কাছেই। অসহ্য গরম থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই AC -তেই সকলের ভরসা। ইলেকট্রনিক্সের শোরুমগুলিতে দাবদাহের কালে AC কিনতে ভিড় বাড়ছে। বাজারে 3 স্টার, 4 স্টার, 5 স্টার রেটিংয়ের AC পাওয়া যায়। তবে কোন স্টার রেটিংযুক্ত AC কিনলে আপনি বিদ্যুতের বিল কমাতে পারবেন? কত স্টার যুক্ত রেটিংয়ের AC আপনার পক্ষে ভালো? অনেক ক্রেতা ভেবেই কূল পান না কোন এসি কিনবেন। বরং কিছুটা কনফিউজড হয়ে পড়েন। কত স্টার যুক্ত রেটিংয়ের AC বিদ্যুতের বিল কমাতে পারে সেটা জানার আগে আসুন জেনে নিই AC-র স্টার রেটিংয়ের ব্যাপরটা ঠিক কী?স্টার রেটিং আসলে AC-র শক্তি বা দক্ষতা জানান দেয়। AC-তে স্টারের সংখ্যা যত বেশি হবে সেই মেশিনের দক্ষতাও ততই বেশি হবে। বাজারে ১ থেকে শুরু করে ৫ স্টার এসি পাওয়া যায়।5 স্টার AC এবং 3 স্টার AC-র মধ্যে পার্থক্য কী?3 স্টার AC-র চেয়ে 5 স্টার AC-র শক্তি খরচ কম হয়। সেই কারণেই বাড়িতে 5 স্টার AC আনলে বিদ্যুতের বিল সাশ্রয় হয়।3 স্টার AC-র চেয়ে 5 স্টার AC দ্রুত আপনার ঘর ঠান্ডা করতে পারে। এতে কম সময়ে কম বিদ্যুৎ খরচে আপনার ঘর ঠান্ডা হয়। বিশেষজ্ঞরা তাই বলছেন, 3 স্টার AC-র চেয়ে তাই 5 স্টা র AC কেনা যুক্তিযুক্ত।

জুন ১৬, ২০২৪
রাজ্য

কুয়েতের বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে কফিনবন্দি দেহ ফিরল বাঙালির, শেষশ্রদ্ধা সুজিত বসু, অগ্নিমিত্রা পলের

ভারতীয় বায়ু সেনার বিশেষ বিমানে দিল্লি থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছল কুয়েতের বহুতলে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে মৃত মেদিনীপুরের বাসিন্দা দ্বারিকেশ পট্টনায়কের (৫২) কফিনবন্দি দেহ। গত বুধবার কুয়েতের বহুতলে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মরদেহ শেষ শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত ছিলেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু, উপস্থিত ছিলেন আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল।ওই দুর্ঘটনায় মৃত ৪৯ জনের মধ্যে ৪৫ জনই ভারতীয়। শুক্রবার ভোরে বায়ুসেনার একটি বিমানে কুয়েত থেকে কেরল হয়ে দেহগুলি নিয়ে আসা হয় দিল্লিতে। নিহত ভারতীয়দের মধ্যে ২৩ জন কেরল, ৭ জন তামিলনা়ড়ু, ৩ জন উত্তরপ্রদেশ, ২ জন ওড়িশার বাসিন্দা। এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, পঞ্জাব, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড এবং হরিয়ানার একজন করে বাসিন্দা রয়েছেন। জানা গেছে, দ্বারিকেশের আদি বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন ২ ব্লকের তুরকাগড় এলাকায় হলেও দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর পরিবার রয়েছে মেদিনীপুর শহরের শরৎপল্লী এলাকায়।ঘুমের মধ্যেই মর্মান্তিক পরিণতি অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু-৪৯, নিহতদের মধ্যে ৪৫ জন ভারতীয় বলে জানা গেছে। মৃতদেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে বিশেষ উদ্যোগী ছিল কেন্দ্র। গত বুধবার রাতেই বিদেশ মন্ত্রী জয় শঙ্কর কুয়েতের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। নিহতদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনতে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি হিসেবে কুয়েতে পৌঁছেছেন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তিবর্ধন সিং। কুয়েতের এক বহুতলে বিধ্বংসী আগুন লেগে মৃত্যু হয়েছে ৪৫ জন ভারতীয় এছাড়াও পাকিস্তান, ফিলিপিনস, মিশর এবং নেপালের নাগরিক ছিল। বুধবার ভোরে কুয়েতের মাঙ্গাস এলাকায় একটি আবাসনে বিধ্বংসী আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছিল ওই বহু তলে ১৯৫ জন শ্রমিক ছিল। রান্নাঘর থেকে আগুন লাগে তারপরে সেই আগুন গোটা ঘরের ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৪৫ জন ভারতীয় শ্রমিকের। তাদের মধ্যে ২৩ জন কেরলের বাসিন্দা, সাতজন তামিলনাড়ুর বাসিন্দা, অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, হরিয়ানা, ঝাড়খন্ড, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাবের একজন করে ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

জুন ১৫, ২০২৪
স্বাস্থ্য

মালদায় বার্ড ফ্লু নিয়ে শোরগোল! পরিস্থিতি উদ্বেগজনক নয়, বললেন স্বাস্থ্যকর্তা

মানবদেহে বার্ড ফ্লুর সংক্রমণ খতিয়ে দেখতেই মালদার কালিয়াচকে আক্রান্ত শিশুর বাড়িতে যান রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের তিন প্রতিনিধি দল । শুক্রবার কালিয়াচক ১ ব্লকের আলিপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের সিলামপুর এলাকার আক্রান্ত ওই শিশুর বাড়িতে যান রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের অধিকর্তা ডা: দীপঙ্কর মাঝি সহ তিনজন কর্মকর্তা। তাঁরা কথা বলেন আক্রান্ত শিশুর পরিবারের সঙ্গে। তবে পরিস্থিতি খুব উদ্বেগ জনক নয় বলে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের অধিকর্তা ডা: দীপঙ্কর মাঝি জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে শিশুর শরীরে পশু-পাখির রোগের সংক্রমণ মিলতেই গোটা আলিপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত জুড়ে ব্যাপক আতংক ছড়িয়েছে। করোনার মত এই রোগ মানব দেহে দ্রুত ছড়াতে পারে কিনা তা নিয়েও রীতিমতো চিন্তিত রয়েছেন আক্রান্ত শিশুর পরিবার থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকার গ্রামের বাসিন্দারা।এদিন ওই শিশুর পরিবারের সঙ্গে দেখা করে কথা বলার পর কালিয়াচক ১ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সহ অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মীদের নিয়েও বৈঠক করেন রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মকর্তারা। আক্রান্ত শিশুর মা এবং বাবা জানিয়েছেন, গত চার মাস ধরে তার ছেলে জ্বরে আক্রান্ত রয়েছে। প্রায় দিনই অক্সিজেন দিতে হচ্ছে। একবার অক্সিজেন দিতে গেলে এক হাজার টাকা করে খরচ হচ্ছে। ঘটিবাটি বিক্রি করে তাঁরা ছেলের কোনরকমে চিকিৎসা চালাচ্ছেন । এই অবস্থায় ভালো চিকিৎসা পরিষেবার দাবিও জানিয়েছেন আক্রান্ত শিশুর পরিবার । তাঁরা দাবি করেছেন, ছেলের বার্ড ফ্লু হয়েছে। কিন্তু জানুয়ারি মাসের এই রোগ এতদিন পর কেন জানানো হলো তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।উল্লেখ্য, সিলামপুর এলাকার চার বছরের শিশুর গত জানুয়ারি মাসে জ্বর, পেটে ব্যথা, বমি নিয়ে মালদা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়। প্রায় একমাস চিকিৎসা চলার পর ওই শিশুকে মালদা থেকে কলকাতার নীলরতন সরকার হাসপাতালে রেফার করা হয়। এরপরই ওই শিশুর রক্ত সহ শারীরিক সমস্ত নমুনা সংগ্রহ করে মহারাষ্ট্রের পুনেতে চিকিৎসক বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠানো হয়। প্রায় পাঁচ মাস পর গত তিনদিন আগে বার্ড ফ্লু জড়িত সংক্রমণ ওই শিশুর শরীরে মিলেছে বলে রিপোর্টে পাঠানো হয়। আর তারপর থেকেই রাজ্যজুড়ে চরম শোরগোল পড়ে যায় । ভারতের ইতিমধ্যে মহারাষ্ট্রের একজন এবং পশ্চিমবঙ্গের মালদার কালিয়াচকের একজন মোট দুই মানবদেহে এই ধরনের পশু- পাখির রোগের সংক্রমণ মিলেছে। যা অতীতে ভারতবর্ষের কোথাও কোনদিন দেখা যায়নি। বিগতদিনে বাংলাদেশে একজন ব্যক্তি বার্ড ফ্লু আক্রান্ত হয়েছিল বলে স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে।এদিন রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের অধিকর্তা রাজ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ দীপঙ্কর মাঝি বলেন, বিষয়টি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে এসেছিলাম। আতঙ্ক হওয়ার কিছু নেই। তবে ওই শিশু এবং তার পরিবার নজরদারিতেই থাকবে। পাশাপাশি পুরো বিষয়ের রিপোর্ট রাজ্য সরকারের কাছে জমা দেওয়া হবে।

জুন ১৫, ২০২৪
কলকাতা

পার্ক স্ট্রিটে ভয়াবহ আগুন, কালো ধোঁয়া-আতঙ্ক এলাকাজুড়ে

ফের পার্ক স্ট্রিটে আগুন। মঙ্গলবার পার্ক সেন্টারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড মনে করিয়ে দিল ১৬ বছর আগের ঘটনা! ১/১ নম্বর পার্ক স্ট্রিটে আগুন লাগে এদিন। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় পার্ক স্ট্রিটের আকাশ। ক্যামাক স্ট্রিট ও পার্ক স্ট্রিটের সংযোগ স্থলের কাছাকাছি এই বাড়িটি। এলেন পার্কের উল্টোদিকে। অনর্গল কালো ধোঁয়া ও আগুনের শিখা চোখে পড়ছে বহু দূর থেকে।বহুতলের নিচেই রয়েছে রেস্তরাঁ এবং ক্যাফে। আশেপাশে বেশ কয়েকটি অফিস রয়েছে। পাশে রয়েছে আবাসনও। এলাকা থেকে মানুষজন সরিয়ে দেওয়া হয়। দ্রুত তৎপরতার সঙ্গে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে দমকল। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের ১৫টি ইঞ্জিন। তবে আগুন ইতিমধ্যেই অনেকটা ছড়িয়ে পড়ায় গোটা এলাকা ঢেকে গিয়েছে কালো ধোঁয়ায়।জানা গিয়েছে, পার্ক সেন্টারের উপরে একটি নাইট ক্লাব কাম রেস্তরাঁ রয়েছে। সেখানেই আগুন লেগেছে বলে জানা গিয়েছে। এলাকা খালি করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর নেই। আগুনের তীব্রতায় ভেঙে পড়ছে রেস্তরাঁর অ্যাসবেস্টসের ছাদ। দমবন্ধ করা ধোঁয়ায় ঢেকে গেছে পুরো বহুতল। জল এবং ফোম দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে দমকল। আগুনের উৎসস্থল খুঁজে বার করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে গেছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল। কীভাবে আগুন লাগল তা এখনও জানা যায়নি।ভিতরে যতটুকু যাওয়া যায়। গিয়ে দেখেছি, অস্থায়ী শেড থেকে আগুন লেগেছে। দমকল কর্মীরা ভাল কাজ করেছে। ১২টা ৪২মিনিট নাগাদ দমকলমন্ত্রী আরও জানান আগুন ছড়িয়ে যাওয়ার আর কোনও সম্ভানা নেই।

জুন ১১, ২০২৪
দেশ

গন্ডি মুছে উৎসবে কাশ্মীর

আকাশ জুড়ে অশান্তির কালো মেঘ। সেই মেঘের ছায়ায় রাস্তায়,পাকদন্ডিতে, হাঁটে বাজারে, বাড়ির উঠোনে, অন্দরে ওৎ পেতে থাকা কঠিন শীতল ভয়ার্ত পরিবেশ। বিগত ২৫ বছরে এই ছবি ছড়িয়ে থেকেছে হিমালয়ের নিচে লুটিয়ে থাকা কাশ্মীর উপত্যকায়। এবার ২০২৪ য়ের লোকসভা নির্বাচনে সেই কালো মেঘ মুছে গিয়ে প্রখর সূর্যের কিরণ ছড়িয়েছে বললে বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে। তবে আলোর মুখ যে দেখা গিয়েছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। সেই সঙ্গে জাতীয় সংবাদ পত্র, টেলিভিশন এবং সমাজ মাধ্যমে অবশেষে ঠাঁই পেয়েছে কাশ্মীরের ভোট আবহ। সৌজন্য শ্রীনগর লোকসভা কেন্দ্রের উল্লেখযোগ্য হারে মানুষের ভোট দান। ভোট দান নাগরিকের অধিকার। যোগ্য ভোটার দের ভোট গ্ৰহন কেন্দ্রে টেনে আনতে প্রতি ভোটের আগে এই কথাটা মনে করিয়ে দেয় নির্বাচন কমিশন। ভোট দানের হার বাড়াতে চলে নিরলস প্রচার। গত তিন দশক ধরে গনতন্ত্রের এই উৎসবের দিকে এক অদৃশ্য গন্ডিতে আবদ্ধ থেকে তাকিয়ে থেকেছে অধিকাংশ কাশ্মীর বাসী। গত সোমবার শ্রীনগর লোকসভা কেন্দ্রে ৩০.৮৯% ভোটের হার এক টানে সেই অদৃশ্য গন্ডি মুছে দিয়েছে। ২১৩৫ টি ভোট গ্ৰহন কেন্দ্রেই ছিল ভোটার দের সবল উপস্থিতি। ১৯৯৬ সালে শ্রীনগর কেন্দ্রে ৪০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছিল। সেই ভোট নিয়ে অবশ্য অনেক বিতর্ক রয়েছে। তবে তার পর থেকেই ভোট দানের হার ক্রমশ কমেছে। উজ্জ্বল ব্যতিক্রম ২০২৪। শ্রীনগরে ভোট শেষ। ২৫শে মে ভোট গ্ৰহন হবে অনন্তনাগ-রাজৌলি ও বারামুলা লোকসভা কেন্দ্রে। তিন লোকসভা কেন্দ্র মিলিয়ে ভোটার সংখ্যা ৮৬.৯ লক্ষ। এর মধ্যে ৩.৪ লক্ষ ভোটার এবার প্রথম ভোট দেবেন। শ্রীনগর যে পথ দেখিয়েছে তাতে অনেকের আশা কাশ্মীর উপত্যকায় এবার মোট ভোট দানের হার ৫০% ছাড়িয়ে যাবে। ২০১৯ সালের অগাস্ট মাসে ৩৭০ ধারা এবং এই statehood বাতিলের পরে ঝিলম ও চেনাব পারে এই প্রথম গুরুত্বপূর্ণ ভোট। বাতিল পর্বের আগে পরে চিনার, পাইনের ডালে ডালে নানান ওঠা পড়ার হাওয়া ছুঁয়ে গিয়েছে। তবে দুয়েকটি হাতে গোনা serious magazine আর কিছু সংবাদপত্রে ভোট মুখি কাশ্মীরের যে স্পন্দন ধরা পড়ছিল তাতে বোঝাই যাচ্ছিল যে কাশ্মীর বাসী এবার ভোটের দিন বিপুল সংখ্যায় পথে নামবেন। বিভিন্ন প্রচার সমাবেশ এবং মিছিলে মানুষের যে ঢল দেখা গিয়েছে বিশেষজ্ঞ দের মতে তা বিগত তিন দশকে দেখা যায় নি। কাশ্মীর বাসীর এই , intense and vibrating mood নির্বাচন কমিশন কে ও স্বস্তি দিয়েছে।অনেকের মত উপত্যকা বাসীর মনের ভিতরে জমে থাকা বঞ্চনার ক্ষোভ আর আবেগ এবার EVM এ প্রকাশ পাবে। ১৯৯৬ সালের পর থেকেই কাশ্মীরে ভোট এলেই সন্ত্রাস বাদী দের ভোট বয়কটের ডাকে সন্ত্রস্ত থাকতেন সাধারণ মানুষ। এর পাশাপাশি নানান প্রশাসনিক অবিচারের অভিযোগ ও পা টেনে রাখতো সাধারণ ভোটারদের। এবার সেই চিত্রনাট্য উধাও। সম্প্রতি জঙ্গি গোষ্ঠী the resistant front য়ের commander বশিত দার সহ তিন জঙ্গির নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয়। অতীতে এই ঘটনার পরেই ভোট বয়কটের ডাক ছড়িয়ে পড়ত। মনের ইচ্ছে মনে রেখে ভোটের দিন দুয়ার এঁটে থাকতেন সাধারণ মানুষ। এবার সবকিছুই অন্যরকম। এই ঘটনার পরেও কাশ্মীরের মানুষের ভোট উদ্দিপনায় ভাঁটা পড়েনি। ৫৪৩ সাংসদের লোকসভায় কাশ্মীরের তিনটি আসন হয়তো বিশেষ কোনো প্রভাব ফেলবে না। তবু জাতীয় রাজনীতিতে নিজেদের স্বর গেঁথে দেওয়ার সুযোগ হারাতে চাইছেনা কাশ্মীর। সেই স্বরের ই প্রতিধ্বনি শোনা গেল শ্রীনগর কেন্দ্রের ভোটে। প্রায় তিন দশক দূর থেকে দাঁড়িয়ে গনতন্ত্রের উৎসব দেখেছে কাশ্মীর। এবার স্বর্গ সহোদর ভুখন্ডের মানুষ গনতন্ত্রের উৎসবের একেবারে মাঝখানে। আমরা যারা অখন্ড ভারতে বিশ্বাসী তাদের কাছে এ কম সুখের সময় নয়।

মে ১৬, ২০২৪
রাজ্য

রাজ্যের দুই লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী পদ বাতিলের আবেদন বিজেপির, কি বক্তব্য ঘাসফুল শিবিরের

তৃণমূলের দুই প্রার্থী মালা রায় ও হাজি নুরুল ইসলামের প্রার্থীপদ বাতিল করার দাবিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করেছে বিজেপি। তার মধ্যে বসিরহাটের তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুলের মনোনয়ন বাতিল চেয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছেন ওই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র ও রাজ্য বিজেপি। পাশাপাশি রাজ্য বিজেপির অভিযোগ, মালা রায় কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সন থাকা সত্ত্বেও লোকসভা ভোটে দক্ষিণ কলকাতায় প্রার্থী হয়েছেন। যা অফিস অফ প্রফিট নিয়ম ভঙ্গ করেছে। উলটো দিকে মালা রায়ের বক্তব্য, তিনি ২০১৯ সাল থেকে সাংসদ এবং কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সন।আর, হাজি নুরুলের বিরুদ্ধে বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, তৃণমূল প্রার্থী চূড়ান্ত সময়সীমা অর্থাৎ মঙ্গলবার বেলা ৩ টে-এর মধ্যে তাঁর মনোনয়নের সঙ্গে প্রয়োজনীয় নো ডিউজ সার্টিফিকেট জমা দেননি। তাই নুরুলের মনোনয়নপত্রও বাতিল করতে হবে। এর আগে বীরভূম আসনে বিজেপি প্রথমে প্রার্থী করেছিল আইপিএস, তথা প্রাক্তন অফিসার দেবাশিস ধরকে। কিন্তু, রাজ্য সরকারের থেকে নো ডিউজ সার্টিফিকেট না-পাওয়ার আশঙ্কায় দেবাশিস ধরকে বদলে ওই আসলে প্রার্থী করা হয়েছে দেবতনু ভট্টাচার্যকে। একই নিয়মে এবার হাজি নুরুলেরও মনোনয়ন বাতিল চায় বিজেপি।আগামী ১ জুন, সপ্তম দফা লোকসভা নির্বাচন। ওই দিন বসিরহাট এবং দক্ষিণ কলকাতা আসনে ভোট হবে। তার আগে বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্য বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, হাজি নুরুলের মনোনয়ন বাতিল করার জন্য আমরা কমিশনের কাছে দাবি জানিয়েছি। হাজি নুরুল পঞ্চদশ লোকসভার সাংসদ ছিলেন। ২০১৪ সালের ১৮ মে, ওই লোকসভার মেয়াদ শেষ হয়েছে। নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, কোনও প্রার্থী ১০ বছরে সরকারি পরিষেবা পেলে, তাঁর বিল বাকি থাকলে মিটিয়ে দিতে হয়। সেই সার্টিফিকেট জমা দিতে হয়। কিন্তু, তিনি কোনও সার্টিফিকেট জমা দেননি।তৃণমূল মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী বলেছেন, স্ক্রুটিনির শেষ দিন পর্যন্ত বিভিন্ন তথ্য জমা দেওয়া যায়। বুধবার শেষ দিন। তার মধ্যেই যা জমা দেওয়ার, দিয়ে দেব। বিজেপি জানে যে বসিরহাটে হারবে। তাই বিরোধী প্রার্থীকে সরাতে চাইছে। কিন্তু, ওদের এই কৌশল খাটবে না। মালা রায় বলেছেন, কমিশনের কাছে আমার সব কাগজপত্র জমা দেওয়া আছে। আমি যখন থেকে সাংসদ, পুরসভা থেকে কোনও ভাতা নিই না। তাছাড়া পুরসভা স্বশাসিত সংস্থা। ওরা আসলে হারবে জেনে এসব বলছে।

মে ১৫, ২০২৪
রাজনীতি

গণনা বহু দূর, সবে চতুর্থ দফা, তৃণমূলের বিজয় মিছিল নানুরে

এর আগে বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রের ভাতারে বিজয় উৎসব করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস, এবার বিজয় মিছিল হল নানুরে। লোকসভা নির্বাচনের গণনা ৪ জুন। মঙ্গলবার বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি ফায়েজুল হক তথা কাজল শেখের নেতৃত্বে সবুজ আবির খেললেন সহস্রাধিক তৃণমূল কর্মী-সমর্থক। বিলি করা হয় প্রচুর মিষ্টি। কাজলের দাবি, বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রে দলীয় প্রার্থী অসিত মাল ৩ লক্ষের বেশি ভোটে জয়ী হবেন। তাই আগাম সবুজ আবির খেলা হল।প্রসঙ্গত, বোলপুর, ময়ূরেশ্বর, লাভপুর, নানুর, কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোট এবং আউসগ্রাম বিধানসভা নিয়ে বোলপুর লোকসভা। এই লোকসভায় ভোট পড়েছে ৮২.৬৬ শতাংশ ভোট। বোলপুর লোকসভায় তৃণমূলের অসিত মাল, বিজেপির পিয়া সাহার পাশাপাশি ছিলেন সিপিএমের শ্যামলী প্রধান। প্রার্থী নিয়ে এই লোকসভায় প্রথম থেকেই ক্ষোভ ছিল বিজেপির। ফলে সাতটি বিধানসভা কার্যত একাই চষে বেরিয়েছেন পিয়া সাহা। একদিকে বিজেপির মধ্যে অসন্তোষ অন্যদিকে সংখ্যালঘু ভোটকে হাতিয়ার করে অনেকটাই এগিয়ে যায় তৃণমূল। তাছাড়া বোলপুর লোকসভার নানুর, মঙ্গলকোট, কেতুগ্রাম বিধানসভা দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল কাজল শেখকে। দলনেত্রীকে খুশি করতে প্রাণপাত করেছিলেন কাজল। ফলে গণনার পর অন্যরা কৃতিত্ব নেওয়ার আগেই বিজয় উৎসব করলেন বলে মনে করছেন অনেকে।মঙ্গলবার কাজলের পাপুড়ি গ্রামের দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিল বের হয়। কর্মী সমর্থকদের হাতে দেওয়া হয় মিষ্টি। সবুজ আবির খেলে গ্রামে প্রদক্ষিণ করে তৃণমূলের বিজয় মিছিল। কাজল শেখ বলেন, আমরা সারা বছর মানুষের সঙ্গে থাকি। ফলে ভোটের সময় আমাদের বেশি পরিশ্রম করতে হয় না। আমরা এখানে ৩ লক্ষের বেশি ব্যবধান জয়ী হব। তাই আমরা আগাম বিজয় মিছিল এবং মিষ্টি মুখ করলাম।যদিও বিজেপির জেলা সভাপতি সন্যাসি চরণ মণ্ডল বলেন, ওরা মূর্খের স্বর্গে বাস করছে। শেষ হাসি হাসব আমরাই।

মে ১৪, ২০২৪
রাজ্য

দিলীপ ঘোষ ও কীর্তি আজাদের কোলাকুলিই সার, শেষমেশ গাড়ির কাচও ভাঙলো বিজেপি প্রার্থীর

দিনভর হামলার মুখে পড়ছেন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। বর্ধমানের কালনা গেট কপিবাগান এলাকায় দিলীপের গাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সংঘর্ষে মাথা ফাটল বিজেপি প্রার্থীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক জওয়ানের। দিলীপের দাবি, মোট দুজন জওয়ান আহত হয়েছেন। পাল্টা তাদের চার তৃণমূল কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দিলীপের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা জওয়ানদের বিরুদ্ধে।বিকেলের দিকে একটি বুথে যাওয়ার সময় দিলীপের গাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। কপিবাগানে দিলীপের গাড়িতে ইট ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। দেখা যায়, দিলীপের গাড়ির পিছনের দিকের কাচ ভেঙে গিয়েছে। বিজেপি প্রার্থী জানান, তিনি বুথে গোলমালের খবর পেয়ে কপিবাগানে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই অশান্তির জেরে বেশ কয়েক জন আহত হয়েছেন। গন্ডগোলেট খবর পেয়ে বেশ কিছু ক্ষণ পরে পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী যায় ঘটনাস্থলে। বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয়। আপাতত ওই এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলে খবর।বিজেপি এজেন্টকে বুথ থেকে বার করে দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে তুমুল অশান্তি হয় মন্তেশ্বরের তুল্ল্যা গ্রামে। বিজেপি প্রার্থী দিলীপকে ঘিরে বিক্ষোভ, ইট ছোড়া এমনকি তাড়া করারও অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থলে একাধিক সংবাদমাধ্যমের গাড়ি ভাঙচুর হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। শুশুনিয়া পঞ্চায়েত এলাকায় ওই গন্ডগোল নিয়ে তৃণমূলের অভিযোগ, তাদের এক কর্মীকে বিজেপির লোকেরা মেরে রক্তাক্ত করেছে। তার পরেই বিক্ষুদ্ধ তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা দিলীপের গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন। তখন গো ব্যাক, জয় বাংলা স্লোগানও দেওয়া হয় দিলীপকে ঘিরে। ওই ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলেন দিলীপ। যদিও তৃণমূল তাদের বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করে।ভোট শুরুর পর থেকেই বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভার নানা জায়গায় অশান্তির খবর পাওয়া গিয়েছে। দুই যুযুধান প্রার্থী, বিজেপির দিলীপ এবং তৃণমূলের কীর্তি আজ়াদ দুজনই কোলাকুলি করে সৌজন্য বিনিময় করেন। তবুও দুই দলের কর্মীদের মধ্যে সেই সৌজন্যের ছোঁয়া মেলেনি। যত বেলা গড়িয়েছে, ততই একের পর এক গন্ডগোলের খবর সামনে আসছে। কীর্তির অভিযোগ, যেখানেই দিলীপ ঘোষ যান, সেখানেই উত্তেজনা ছড়ায়। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনে আমরা অভিযোগ জানিয়েছি। কিন্তু তারা কর্ণপাত করেনি।

মে ১৩, ২০২৪
রাজ্য

পোষ্টার ঘিরে তোলপাড় বীরভূম, বিতর্ক ছড়াল বিজেপির অন্দরে

বিজেপির পোষ্টার ঘিরে তোলপাড় বীরভূম ফের অস্বস্তিতে বিজেপি। এবার পোষ্টারকে ঘিরে বিতর্ক ছড়াল বিজেপির অন্দরে। যদিও তার নামে ছাপানো ওই পোষ্টারের বিরুদ্ধে থানায় যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন কলোসোনা মণ্ডল। তাঁর দাবি, কিছু ছদ্মবেশী বিজেপি এবং তৃণমূল এসব করেছে।প্রসঙ্গত, রামকৃষ্ণ রায় জেলা সভাপতি থেকে সরে যাওয়ার পরেই কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়েন সিউড়ির বিজেপি নেতা কালোসোনা মণ্ডল। তবে দেবাশিস ধর প্রার্থী হওয়ার পর তিনি সক্রিয় হয়ে ওঠেন। প্রচারেও দেখা যায় তাঁকে। কিন্তু আইনি জটিলতায় দেবাশিসবাবুর প্রার্থী পদ বাতিল হওয়ায় বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির হয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন দেবতনু ভট্টাচার্য। পরেই অসুস্থ হয়ে পরেন দলের বীরভূম সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ধ্রুব সহ। ফলে প্রচারেও খামতি দেখা যায় বিজেপিতে। অভিযোগ আমোদপুরে প্রধানমন্ত্রীর সভায় দেবাশিস ভট্টাচার্যকে মঞ্চে উঠতে না দেওয়ায় মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। এমনকি দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচারেও দেখা যায় না দেবাশিসবাবুকে। অভিযোগ দলের তরফে ডাক না পাওয়ায় সিউড়িতে গৃহবন্দি হয়ে রয়েছেন প্রাক্তন আই পি এস অফিসার দেবাশিস ধর। এই টানাপোড়েনের বৃহস্পতিবার সকালে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপিকে ভোট না দেওয়ার আবেদন জানানো কালোসোনা মন্ডলের নামাঙ্কিত পোষ্টার লক্ষ্য করা যায়। দলীয় প্যাডে ছাপানো অক্ষরে লেখা ওই পোষ্টারে কারও সাক্ষর না থাকলেও না রয়েছে কালোসোনা মণ্ডলের। ওই ছাপানো প্যাডই জেরক্স করে জেলায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কালোসোনা মণ্ডল বলেন, দলের বিরুদ্ধে কিছু বলার থাকলে সরাসরি বলব। অভাবে চোরের মতো পোস্টার মারব না। আসলে বিজেপিকে ভয় পেয়েছে তৃণমূল। তাই কিছু ছদ্মবেশী বিজেপি এবং তৃণমূলের প্রচার বিভাগ এসব করছে। যাতে আমাদের বিজেপি প্রার্থী দেবতনু ভট্টাচার্য জয়ী হতে না পারে। তবে মনে রাখবেন বিজেপি বীরভূম লোকসভা নির্বাচনে জিতে গিয়েছে। মানুষ আর চোর তৃণমূলকে চায় না। তাই এখন কখন পোষ্টার দিয়ে কখন ভুয়ো ভিডিও করে বিজেপিকে খাটো করার চেষ্টা করছে। আমি এর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করব। পুলিশ সি সি টিভি দেখে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব ভট্টাচার্য বলেন, এসব বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল।

মে ১০, ২০২৪
রাজনীতি

বিজেপির নারদ আদলে তৃণমূল ভবনে সন্দেশখালির ভাইরাল ভিডিও প্রদর্শন, ভয়ঙ্কর আক্রমণ অভিষেকের

নারদ-কাণ্ডে বিজেপি দফতরে ভিডিও ফুটেজ তুলে ধরে তৃণমূলকে নিশানা করেছিলেন গেরুয়া নেতারা। তখনও এরাজ্যে নির্বাচনী আবহ ছিল। এবার সন্দেশখালির ভাইরাল ভিডিও তোলপাড় ফেলতেই একই কায়দায় এবার বিজেপিকে পাল্টা দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পদ্ম বাহিনীকে কার্যত তুলোধনা করলেন তিনি। অভিষেকের সাফ কথা, নির্লজ্জতার সমস্ত নজির ভেঙে দিয়েছে। বিজেপির মণ্ডল সভাপতি বলছেন সাজানো ঘটনা। যাঁকে নির্যাতিত বলে দেখানো হচ্ছে। তিনি বলছেন, তাঁর সঙ্গে কিছু হয়নি। বাংলার সম্মান ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। বিজেপির নেতারা বলতেন, সন্দেশখালি করবে তৃণমূলের চেয়ার খালি। আর আজকের ভিডিও বুঝিয়ে দিয়েছে বিজেপি দলটাই জালি।সন্দেশখালির ভাইরাল ভিডিও ঘিরে শনিবার রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পরে যায়। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে, সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লকের বিজেপি সভাপতি গঙ্গাধর কয়াল স্বীকার করছেন, মহিলাদের ধর্ষণের ঘটনা পুরোটাই সাজানো। সে জন্য তাঁদের টাকা দিয়ে সাহায্য করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।এরপরই এক্স বার্তায় সরব হয়েছিলেন অভিষেক। পরে সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। অভিষেক বলেন, নির্লজ্জতার সমস্ত নজির ভেঙে দিয়েছে। বিজেপির মণ্ডল সভাপতি বলছেন সাজানো ঘটনা। যাঁকে নির্যাতিত বলে দেখানো হচ্ছে। তিনি বলছেন, তাঁর সঙ্গে কিছু হয়নি। ভিডিয়োতে উনি বলেছেন, তাবড় তাবড় মালকে গ্রেফতার করানোর কথা। গঙ্গাধর বলেছেন, শুভেন্দু তাঁদের বলেছেন, তাবড় তাবড় মাল গ্রেফতার না করালে তোমাদের কিছু হবে না। খবর যাচাই না করেই বাংলার নামে খবর প্রকাশ করেছে জাতীয় সংবাদমাধ্যমগুলি। তাতে বাংলার সম্মান ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। এঁদের প্রত্যেকের উচিত বাংলায় এসে ক্ষমা চেয়ে যাওয়া।পরিকল্পনা করে সন্দেশখালিতে রোবটও নামিয়ে দিল ওরা। যেন মনে হচ্ছিল চাঁদে চন্দ্রযানের প্রজ্ঞান নামছে। এই সব কিছুই দেখানোর জন্য। সব পরিকল্পিত।গঙ্গাধর বলেছে ২০০০টাকা দিয়ে অভিযোগ দায়ের করিয়েছে বাংলায়। রেখা পাত্র যিনি ওই এলাকার লোকসভা ভোটের প্রার্থী তিনিও ওই ২০০০ টাকার বিনিময়েই অভিযোগ করেছিলেন। পিঠে পাটিসাপটা বানানো নিয়ে কত কথা বলেছিল সংবাদ মাধ্যম। কী ভাবে খবর প্রকাশ হয়েছিল! আর এখন এরা বলছে ধর্ষণই হয়নি। উল্টে ধর্ষণ নিয়ে যাতে কোনও পরীক্ষা দিতে না হয়, সে জন্য ৭ মাস আগের অভিযোগ দায়ের করেছে।বাংলাকে কলুষিত করার জন্য বিজেপির পাশাপাশি বিচারমাধ্যমের একাংশও দায়ী বলে মনে করি আমি। এ কথা বলার জন্য যদি আমি আদালত অবমাননার দায়ে পড়ি, তবে পড়ব, কিন্তু সত্যি কথা বলা থেকে আমাকে আটকানো যাবে না। বলেছেন অভিষেক। তিনি বলেন, যারা নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে মহিলাদের সম্ভ্রম ২০০০ টাকায় বিক্রি করেন, সেই দলকে ভোট দেওয়ার আগে দশবার ভাববেন।আমি চ্যালেঞ্জ করছি গঙ্গাধর কয়ালকে বিজেপি সাসপেন্ড করুক। এ ব্যাপারে সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যও মিলছে না। বিজেপির নেতারা আলাদা আলাদা কথা বলছেন। ওদের আসল চেহারা, ওদের নগ্নরূপ বেরিয়ে গেছে।বিজেপির নেতারা বলতেন, সন্দেশখালি করবে তৃণমূলের চেয়ার খালি। আর আজকের ভিডিয়ো বুঝিয়ে দিয়েছে বিজেপি দলটাই জালি।বাংলায় ওরা থাকছে, খাচ্ছে আর বাংলার নাম কলুষিত করছে। আসলে বাংলাকে কলুষিত করে দখল করার পরিকল্পনা ছিল বিজেপির। যেভাবে, রাজস্থান, কর্ণাটক দখল করেছে সে ভাবেই বাংলাও দখল করবে। কিন্তু বাংলার দখল নেওয়া অত সহজ নয়। খালি কয়েকটা ভোটের জন্য যা নয় তাই করা হচ্ছে। সমস্যা আদৌ হয়েছে কি না যাচাই না করেই সিবিআই হয়ে যাচ্ছে। সংবিধান মেনে পুলিশকে সুযোগও দেওযা হচ্ছে না। তদন্ত করার সুযোগই দেওয়া হচ্ছে না।ওর (শুভেন্দু অধিকারী) সিবিআইকে বলুন, যদি ক্ষমতা থাকে আমাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাবে। ওর সিবিআই দেখিয়ে রাজনীতি অন্য জায়গায় করতে বলবেন। সিবিআইয়ের তল্পিবাহকতা করার জন্য বাংলার মানুষ বেঁচে আছে। ওর যদি ক্ষমতা থাকে, তা হলে ওদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন? ওই বেইমানটাকে বলবেন, আমি ওকে বেইমান বলছি, গদ্দার বলছি, ঘুষখোর বলছি। কী করবে করে নিক।

মে ০৪, ২০২৪
রাজনীতি

সন্দেশখালি নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী যা বললেন.....

বিরোধী দলনেতার মদতেই হয়েছে। সন্দেশখালি সম্পর্কিত ভাইরাল ভিডিওতে সেই দাবিই শোনা গিয়েছে (সেই ভিডিও জনতার কথা যাচাই করেনি) বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়ালের মুখ থেকে। এরপরই সরব হয়েছে তৃণমূল। শুভেন্দু অধিকারীকে তুলোধনা করেছেন তৃণমূলের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের যুবরাজের সাংবাদিক বৈঠকের পরই এই ইস্যুতে মুখ খুললেন রাজ্যে বিরোধী দলনেতা। তিনি দাবি করলেন, সিবিআইয়ের ডিরেক্টরকে ই-মেল করে সন্দেশখালির বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়াল তাঁর বক্তব্যের বিকৃত ভিডিও অভিযোগ আকারে পাঠিয়েছেন। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, ইতিমধ্যেই সন্দেশখালি থেকে কলকাতায় পৌঁছে গিয়েছেন গঙ্গাধর।ভাইরাল ভিডিওতে বিজেপি নেতার মুখে একাধিকবার শোনা গিয়েছে শুভেন্দুর নাম। এ প্রসঙ্গে শুভেন্দুর দাবি, এই সব কিছু কয়লা ভাইপোর তৈরি। অর্থাৎ শুভেন্দুর নিশানায়, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।এর আগে এক্স বার্তায় এই ইস্যুতে দাবি করেছিলেন যে, ভোটে হারবেন বুঝেই এ সব করিয়েছেন। তাঁর নিশানায় ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।শনিবার সকালে স্টিং অপরেশনের একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। সেই ভিডিয়োতে বিজেপির সন্দেশখালির ২ নং মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়ালকে বলতে শোনা যাচ্ছে যে, সন্দেশখালিতে ধর্ষণের অভিযোগ সাজানো। এ নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করে তৃণমূল। শুভেন্দু সেই আক্রমণ উড়িয়ে দিয়ে দাবি করেছেন, ভিডিয়োটি বিকৃত।গঙ্গাধরের দাবি ওই ভিডিও বিকৃত। ভিডিওয় তাঁর ছবি এবং কথার মধ্যে কোনও মিল নেই। ভিডিয়োয় বক্তার মুখও স্পষ্ট নয়। এমন ভাবে ভিডিয়োটি এডিট করা হয়েছে, যাতে তা বোঝা না যায়। ভিডিও থেকে বক্তার ঠোঁটের নড়াচড়াও স্পষ্ট ভাবে বোঝা যাচ্ছে না বলেই দাবি গঙ্গাধরের। ভিডিয়োর শব্দ স্পষ্ট নয়। ইচ্ছাকৃত অসাধু উদ্দেশ্যেই এমনটা করা হয়েছে বলে অভিযোগ গঙ্গাধরের।

মে ০৪, ২০২৪
রাজ্য

অধীরের দুর্গে তাঁকে হারাতে মরিয়া তৃণমূল নেত্রী, কি কৌশল মমতার?

আগামী ৭ মে, তৃতীয় দফায় ভোট হবে মুর্শিদাবাদ ও জঙ্গিপুর, মালদা উত্তর ও মালদা দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রে। এরপর চতুর্থ দফাতেই রয়েছে প্রেসটিজ ফাইট। ওই পর্বে ভোট হবে অধীর চৌধুরীর বহরমপুরে কেন্দ্রে। নিজের দুর্গে অধীরকে হারাতে মরিয়া তৃণমূল নেত্রী। ইতিমধ্যেই বহরমপুরে ঘাঁটি গেড়েছেন তিনি। আগামী দিন তিনেক বহরমপুরের একটি রিসর্টে থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই জেলার বাকি দুই লোকসভা কেন্দ্রের ভোট পরিচালনা করে চলেছেন। বহরমপুরে পাঁচবারের সাংসদ অধীর চৌধুরীকে হারাতে কৌশল পাকা করে ফেলেছেন মমতা।মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ভগবানগোলায় বিধানসভায় উপনির্বাচন হবে লোকসভা ভোটের সঙ্গেই। শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ চপারে করে বহরমপুরে পৌঁছন দিদি। শাসক দলের অন্দরের খবর, সেখান থেকে বহরমপুরের রিসর্টে যাওয়ার আগে ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর ও বহরমপুর পুরসভার চেয়ারম্যান নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে রণকৌশল তৈরিতে আলাদা করে বৈঠক করেন মমতা।জানা গিয়েছে, বহরমপুরের তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠানকে জেতাতেই রণকৌশলই হুমায়ুনের সঙ্গে প্রায় ১৫ মিনিটের বৈঠকে পাকা করেছেন মমতা। সেই বৈঠকেই ভরতপুরের দলীয় বিধায়ককে বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী।ইউসুফ পাঠানকে প্রার্থী করায় শুরুতে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন এই হুমায়ুনই। তাহলে হঠাৎ কেন দলের এই বিধায়ককেই আস্থা রাখলেন দিদি? তৃণমূল সূত্রে খবর, হুমায়ুন কবীর বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্র হাতের তালুর মতো চেনেন। সব পরিসংখ্যান, ভোটারদের আচরণ তাঁর চেনা। একসময় অধীর চৌধুরীর শিষ্যও ছিলেন তিনি। ফলে হুমায়ুনে ভরসা রেখেই কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলতে মরিয়া চেষ্টায় তৃণমূল সুপ্রিমো।পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বহরমপুর বিধানসভা এলাকা থেকে বিপুল লিড পেয়েছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী। তাতেই তাঁর জয় নিশ্চিত হয়। এবার সেই পথ বন্ধ করতে বহরমপুর পুরসভা এলাকায় পরুসভার চেয়ারম্যান নাড়ুগোপালকে দায়িত্ব দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।নেত্রীর এই ভরসার পর ঘনিষ্ঠ মহলে নাকি হুমায়ুন কবীর জানিয়েছেন, মমতা তাঁর উপর যে আস্থা রেখেছেন, তাঁর আশা তিনি তা রক্ষা করতে পারবেন। অন্যদিকে অধীর চৌধুরী ঘনিষ্ঠ মহলে দাবি করেছেন, বহরমপুরে পরাজয়ের আতঙ্কেই মাননীয়া নাকি ব্যর্থ কৌশল রচনা করছেন

এপ্রিল ২৯, ২০২৪
রাজ্য

সন্দেশখালিতে উদ্ধার বিপুল কার্তুজসহ আগ্নেয়াস্ত্র, সিবিআইয়ের তদন্তে এনএসজি

সন্দেশখালিতে এনএসজি-র বম্ব স্কোয়াড। উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক। শুক্রবার বেলা বাড়তেই সন্দেশখালিতে হানা দেয় সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, শেখ শাহজাহান শেখের এক ঘনিষ্ঠ স্থানীয় তৃণমূল নেতার আত্মীয়ের বাড়িতে প্রচুর অস্ত্র ও বোমা মজুত রয়েছে। সেই খবর মিলতেই অভিযানে নামে সিবিআই। তল্লাশিতে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র মিলেছে বলে খবর। উদ্ধার করা হয়েছে ১২০টি নাইন এমএম বুলেট। বিভিন্ন ধরণের ৩৪৮টি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিবিআই। পাশাপাশি উদ্ধার করা হয়েছে একাধিক বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র।বাড়িটিতে প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক জমা রয়েছে বলে সন্দেহ সিবিআই আধিকারিকদের। যে কোনও মুহূর্তে বড় বিপদ ঘটে যেতে পারে। সেই আশঙ্কায় NSG কম্যান্ডোদের ডাকা হয়। মাইন ডিটেক্টর থেকে রোবোটিক ডিভাইস দিয়ে অস্ত্রভাণ্ডারের তল্লাশি শুরু করে NSG কম্যান্ডোরা।সন্দেশখালির সরবেড়িয়ার মল্লিকপাড়ায় শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ আবু আবু তালেব মোল্লার বাড়িতে এদিন তল্লাশি চালায় সিবিআই গোয়েন্দারা। তার বাড়িতেই লুকিয়ে রাখা রয়েছে প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক। এরপরই গোটা গ্রাম দখলে নেয় NSG কম্যান্ডোরা। ওই এলাকাটি ঘিরে নিয়ে তাঁদের নিজস্ব অত্যাধুনিক মেশিন, রোবট নিয়ে কাজ শুরু করেন তাঁরা।NSG কম্যান্ডোদের তল্লাশিতে সন্দেশখালি থেকে উদ্ধার হয়েছে ৭টি পিস্তল, দেশি বোমা, তিনটি বিদেশি রিভালবার, উদ্ধার হয়েছে একটি পুলিশের রিভালবার, মেঝে খুঁড়তেই উদ্ধার হয় বোমা-বারুদ। উদ্ধার করা হয়েছে ৩৫০ রাউন্ড কার্তুজ। পাশাপাশি মিলেছে বেশ কিছু নথি। যার সবের সঙ্গে যোগ রয়েছে শাহাজানের।এদিকে এই ঘটনার পরই তৃণমূলকে নিশানা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূলের সঙ্গে সিমি বা পিএফআইয়ের কোন ফারাক নেই। মমতা ব্যনার্জিকে গ্রেফতার করে তৃণমূলকে জঙ্গি সংগঠন ঘোষণার দাবি জানান তিনি। পাশাপাশি পুলিশ এই ঘটনায় সরাসরি যুক্ত বলেও দাবি করেন বিরোধী দল নেতা।এদিকে শুভেন্দুর পালটা তৃণমূলের কুণাল ঘোষ বলেন, ওখানে অস্ত্রভান্ডার ছিল নাকি কেউ বদনাম করার জন্য ওখানে রেখে গেছে তা তদন্তসাপেক্ষ। কী পাওয়া গেছে তা আমরা জানি না। অফিসিয়াল কোনও বিবৃতি নেই। তা পুরো বিষয়টাই একটা চিত্রনাট্য ছাড়া এই মুহূর্তে কিছুই মনে হচ্ছে না বলেও দাবি করেন তিনি।

এপ্রিল ২৬, ২০২৪
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • ...
  • 65
  • 66
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

১০০ দিনের কাজ নিয়ে হাইকোর্টে বড় ধাক্কা কেন্দ্রীয় সরকারকে

গতকালই ওবিসি মামলায় হাইকোর্টে জোরদার ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। এবার ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বড় ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার নজিরবিহীন একটি নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পশ্চিমবঙ্গে ফের ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প চালু করতে হবে, এই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ১ আগস্ট থেকেই এই প্রকল্প চালু করতে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ।উল্লেখ্য, বাংলায় ১০০ দিনের কাজের টাকা বহুদিন ধরে আটকে রেখেছে কেন্দ্র, এই অভিযোগ করে আসছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রাজ্য সরকারের একাধিক মন্ত্রী এই ব্যাপারে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বারবার সমালোচনায় সরব হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে লাগামহীন দুর্নীতি হয়েছে। এই দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্র বেশ কয়েকটি দলও বাংলার জেলায় জেলায় পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী আদালতে জানিয়েছিলেন, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গে মোট ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে গরমিল ধরা পড়েছে।। তার মধ্যে ২ কোটিরও বেশি টাকা পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে। হুগলি, মালদা, বর্ধমান, দার্জিলিংয়ের মতো জেলাগুলিতে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। ১০০দিনের কাজের প্রকল্পে টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে বেনজির দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রের।রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প আটকে থাকা নিয়ে মামলার শুনানি বুধবার ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনেছেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এরপর প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছেন যে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের জন্যই বিশেষ কোনও বেঁধে দিতে পারে কেন্দ্র। এই রায়ের পর সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ১০০ দিনের পুরনো বকেয়া টাকা ফেরত দিতে হবে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর

পাঁচ লক্ষ টাকা তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর এবং সালিশি করে গ্রাম ছাড়া করার অভিযোগ উঠলো স্থানীয় একদল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকায়। এই ঘটনায় আক্রান্ত ব্যবসায়ীর পরিবার কালিয়াচক থানার দ্বারস্থ হলেও চারদিন পরে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে বুধবার ওই ব্যবসায়ী দম্পতি সমস্ত ঘটনার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানালেন পুলিশ সুপারের কাছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব। এদিকে কালিয়াচকের ওই ব্যবসায়ীর ওপর আক্রমণ এবং পাঁচ লক্ষ টাকা তোলাবাজির ঘটনায় রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলার সর্ববৃহৎ ব্যবসায়ীদের সংগঠন মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বারবার যদি ব্যবসায়ীদের ওপর দুষ্কৃতীদের হামলা নেমে আসে, তাহলে আমরা যাব কোথায়। অবিলম্বে পুলিশ সুপার যাতে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে, সেই আবেদন জানাচ্ছি। এদিকে পুলিশকে অভিযোগে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকার পোশাক ব্যবসায়ী মহম্মদ রহিম বিশ্বাস জানিয়েছেন, পুরনো একটি মামলার ঘটনায় গত শনিবার এলাকার এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী জহরুল খান এবং তার দলবল তাকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাদের একটি ডেরায় তাঁকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর পাঁচ লক্ষ টাকার তোলা চাওয়া হয়। সেই টাকা না দেওয়ায় আশেপাশের আরও কিছু সাগরেদদের জুটিয়ে সালিশি ডাকা হয়। সেই সালিশির মাধ্যমে তাদের পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। আর এই ঘটনার পর থেকেই গত চারদিন ধরেই ওই ব্যবসায়ী পরিবার নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন হয়ে রয়েছেন। এমনকি ফতেখানি স্ট্যান্ডের কাছে ওই ব্যবসায়ী তার নিজের পোশাকে শোরুম খুলতে পারছেন না।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

বাংলা দিবস পালন নিয়ে বিজেপিকে কড়া তোপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

বাংলা দিবস পালন নিয়ে ফের বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে বাগযুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। আগামী ২০ জুন বাংলা দিবস পালন করা হবে বলে উত্তরপ্রদেশের বিশেষ সচিব পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি দফতরকে একটি চিঠি দিয়েছে। আলাদা করে বাংলা দিবস পালনের দিন নির্ধারণ নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ইস্যুতে BJP-র কড়া জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২০ জুন প্রতিটি রাজ্যের রাজভবনে বাংলা দিবস পালন করা হবে বলে ঠিক করা হয়েছে। এই তারিখ কীভাবে ঠিক করা হল? দেশ স্বাধীন হয়েছে ১৫ আগস্ট। বাংলার প্রতিষ্ঠা দিবস আপনারা ঠিক করে দেবেন? বিজেপি ইচ্ছা মতো চাপিয়ে দেবে? এটা বাংলাকে চরম অসম্মান বলে আমরা মনে করছি। বাংলা দিবস বাংলার সরকার পালন করবে। সেটা ১ বৈশাখ।এদিন কেন্দ্রকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রীর আরও তোপ, সব বুলডোজ করছে, দেশে জুমলা সরকার চলছে। পেহেলগাঁওয়ের পর সবাই বিশেষ অধিবেশন ডাকার কথা বলেছে। বিরোধীরা সবাই অধিবেশন ডাকার কথা বলেছিল। কেন বিশেষ অধিবেশন ডাকা হবে না?একশো দিনের কাজের টাকা চার বছর ধরে বন্ধ করেছে। আবাস যোজনার টাকা দিচ্ছে না। রাজ্য সরকার নিজে সেই টাকা খরচ করে উন্নয়ন বজায় রেখেছে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

ভাগীরথী সেতুতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, লরির চাকায় পিষ্ঠ হয়ে মৃত্যু রোগীর

মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ভাগীরথী সেতুর উপর ঘটল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বুধবার দুপুরে চলন্ত লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। মৃতের নাম হরেন মণ্ডল (৬৩)। তিনি ঝাড়খণ্ডের পাকুর জেলার বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।জানা গিয়েছে, বুধবার সকালেই অসুস্থতা জনিত কারণে হরেন মণ্ডলকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পুত্রবধূ। দুপুরে বৌমা ফুলতলা বাজারে ফল কিনতে গেলে অনেকক্ষণ কেটে গেলেও তিনি না ফেরায়, চিন্তায় পড়ে বৃদ্ধ খুঁজতে বের হন। খুঁজতে খুঁজতে উঠে পড়েন ভাগীরথী সেতুর উপর। সেই সময় এক চলন্ত লরির সামনে পড়ে যান তিনি। অসাবধানতাবশত লরির চাকায় পিষ্ট হন হরেন মণ্ডল। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ ও রঘুনাথগঞ্জ সদর ট্রাফিক গার্ড। কিছু সময়ের জন্য সেতুর উপর যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে পুলিশ ব্যবস্থা নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ কী, লরি চালকের গাফিলতি ছিল কিনাতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।এই দুর্ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর এমন মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার ও হাসপাতাল চত্বরে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পরেও কি ভাবে রাজ্য সড়কে পৌছালো ঐ রুগী তা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে একলাবাসীর মধ্যে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

রায়নার বিধায়কের কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী

রায়নার বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভাতেই বিধায়ক শম্পা ধারা কন্যা সন্তান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে হাজির হন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নাম রাখেন ঐশী। আশাপূরণ হওয়ায় শম্পা ধারা বেজায় খুশি। মেয়ের অন্নপ্রাসন অনুষ্ঠানের দিনও নির্দিষ্ট করে ফেলেছেন বিধায়ক। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য শম্পা ধারা এদিন মুখ্যমন্ত্রী সহ সকল বিধায়ককে নিমন্ত্রণও করেন।শম্পা ধারার কন্যার এখন বয়স মাত্র সাড়ে চার মাস। বাংলার অগ্নিকন্যা তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্তত তাঁর কন্যার নামকরণ করে আশীর্বাদ করুন, এমনটাই স্বপ্ন ছিল রায়নার তৃণমূল বিধায়কের। সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষে নিজের শিশু কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে সোমবার দুপুরে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের সামনে পৌছে যান পূর্ব বর্ধমানের বিধায়ক। মুখ্যমন্ত্রী ঘর থেকে বের হতেই বিধায়ক শম্পা তাঁর কন্যার নামকরণ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেন। নিজের দলের বিধায়কের সেই অনুরোধ ফেরাননি মুখ্যমন্ত্রী।শম্পা ধাড়া জানান, চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি তাঁর কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে। শম্পা ধারার কথা অনুযায়ী নাম করণ করে দেওয়ার পর তাঁর মেয়ের মাথায় হাত দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশীর্বাদ করেছেন। এটাই তো তাদের কাছে অনেক বড় পাওয়া। এর জন্য তিনি গর্বিত বোধ করছেন।তাঁর খুব আনন্দও হচ্ছে।

জুন ১৭, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

কেশরী চ্যাপ্টার টু, ইতিহাস বিকৃত করার ভয়ঙ্কর অভিযোগ

ইতিহাসের একটি পরিচিত অধ্যায় ইংরেজ শাসনের সময় বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী ও বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বোস ও প্রফুল্ল চাকী কুখ্যাত ইংরেজ জাজকে বধ করার চেষ্টা করেছিল। এর ভিত্তিতে ক্ষুদিরাম বোসের ফাঁসি হয়েছিল এবং প্রফুল্ল চাকীও পুলিশের হাতে যাতে ধরা না পড়ে তার জন্য নিজের প্রাণ নিজের হাতে নিয়েছিল। বিধাননগর দক্ষিণ থানাতে অভিযোগ এসেছে যে একটি সিনেমা ইদানিংকালে লাইভ স্ট্রিমিং হচ্ছে সিনেমাটির নাম হচ্ছে কেশরী চ্যাপ্টার টু। সেই সিনেমাটি জিও হটস্টারে দেখানো হচ্ছে লাইভ স্ট্রিমিং এর মাধ্যমে সেখানে একটা দৃশ্যে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম বোসের নামকে ক্ষুদিরাম সিং বলা হয়েছে এবং প্রফুল্ল চাকির সেখানে কোন উল্লেখ নেই।বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী অরবিন্দ ঘোষের ছোট ভাই বিরেন্দ্র কুমার ঘোষ তিনি ও বিপ্লবী ছিলেন উনার নামটাকে বারিন্দ্রা কুমার বলে বলা হচ্ছে। শুধুমাত্র ঐতিহাসিক তথ্যগুলোকে বিকৃত করা হয়নি, বরঞ্চ স্বাধীনতা সংগ্রামী যারা আছেন তাদের নামটাকে বিকৃত করে তাদের গরিমাটাকে কিছুটা হলেও ম্লান করার চেষ্টা হয়েছে এবং করা হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে একটা কেস করা হয়েছে। এটাও দেখানো হয়েছে খুদিরাম বোস এবং বারিন্দ্র ঘোষ ওনারা অমৃতসরের ছাত্র ছিলেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগটা করা হয়েছে। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিধান নগর দক্ষিণ থানাতে একটি কেস রুজ করা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।

জুন ১৭, ২০২৫
কলকাতা

ভূয়ো কল সেন্টারের পর্দা ফাঁস, বাগুইআটিতে গ্রেফতার ৬

গোপন সূত্রে প্রাপ্ত সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বাগুইহাটি থানা অধীনস্ত সৃষ্টি অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল এবং পর্দা ফাঁস করে একটি ভুয়ো কল সেন্টারের। অভিযুক্তরা বিভিন্ন রাজ্যে সমাজের প্রান্তিক শ্রেণীর মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ করত এবং কম সুদে ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের কস্টার্জিত অর্থ হাতিয়ে নিতো।স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগের ভিত্তিতে বাগুইআটি থানায় কেস নাম্বার ৩৮২/২০২৫ মামলা রুজু হয়। এই অভিযানে মোট ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং উদ্ধার হয়েছে বহু বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ইত্যাদি। এই মামলার তদন্ত চলছে। ধৃতদের আজ আদালতে পেশ করা হলে তাদের প্রত্যেকের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন মঞ্জুর হয়। মামলার তদন্ত চলছে।

জুন ১৭, ২০২৫
রাজ্য

তৃণমূলের দলীয় বৈঠকে মমতাবালাকে কটুক্তির অভিযোগ, উপপ্রধানকে গ্রেফতারের দাবি

দলীয় বৈঠক তৃণমূল উপপ্রধানের গালাগাল ও কটুক্তির শিকার তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতা ঠাকুর। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন তৃণমূল কর্মী। সরব হলেন মতুয়া ভক্তরা। পার্থ ভৌমিকের সম্পর্কে কিছু কথা বলার জন্যে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে, আর কিছু নয় বলে দাবি তৃণমূল জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের।একুশে জুলাই এর প্রস্তুতি সভা ছিল সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙ্গায়। অভিযোগ, সেখানে বক্তব্য রাখার সময় গোপালনগর চৌবেরিয়া ১ নাম্বার গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করেন। এমনকি বৈঠক শেষে মমতা ঠাকুর বাইরে বের হলে তাঁকে উদ্দেশ্য করে সুনীলসহ আরও কয়েকজন কটুক্তি করে এবং অশ্লীল অঙ্গিভঙ্গি করে, এমনকি তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়। এবং ছোট জাত বলে আক্রমণ করা হয়। এই মর্মে সোমবার রাতে সব্যসাচী ভট্ট নামে এক তৃণমূল কর্মী গাইঘাটা থানায় এফ আই আর দায়ের করেন। অভিযোগ করার সময় সব্যসাচীর সঙ্গে ছিলেন মতুয়া ভক্তরা ও গোসাইরা। অভিযুক্তর গ্রেফতারের দাবি করেন তারা। তারা বলেন, মাকে গালাগালি দেওয়া মানে আমাদের মতুয়া সমাজকে গালি দেওয়া। এটা আমরা কোনওভাবেই মেনে নেব না। ২৪ ঘন্টার মধ্যে যদি অভিযুক্তকে গ্রেফতার না করা হয় তাহলে তীব্র প্রতিবাদ হবে।এই বিষয়ে অভিযুক্ত চৌবেড়িয়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার জানিয়েছেন, মমতা ঠাকুর বক্তব্য রাখতে গিয়ে নানা কথার মধ্যে দিয়ে জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস ও পার্থ ভৌমিককে আক্রমণ করছিল। আমি শুধু প্রতিবাদ করে বলেছি আপনাদের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের বৈঠকে এটা আলোচনা করবেন। আমি যদি উনাকে গালাগাল করে থাকি সেটা প্রমাণ করুক। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যদিও বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস জানিয়েছেন, গতকাল একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় চেয়ারম্যান পার্থ ভৌমিক সম্পর্কে কিছু কথা বলাতে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আর কিছু নয়। তৃণমূলের সভায় মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালাগাল ও জাত তুলে কটুক্তি নিয়ে কটাক্ষ করা প্রসঙ্গে শান্তনু ঠাকুর বলেন, ওদের নেত্রী হরিচাঁদ গুরুচাঁদ নিয়ে যা বলেছেন তাতে ছোট নেতা কি বলবে। মমতা ঠাকুর হারিকাঠে গলা দিয়েছে, কি হবে বুঝতে পারছে না। ওর লজ্জা ঘৃণা ভয় কিছু নেই। এই বিষয়ে মমতা ঠাকুরবালার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

জুন ১৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal