মেষ/ ARIES: প্রণয়ে বিঘ্ন হতে পারে। বৃষ/ TAURUS: শিক্ষায় ব্যাঘাত ঘটতে পারে। মিথুন/ GEMINI : আজ স্বার্থত্যাগ করতে পারেন। কর্কট/ CANCER : আজ প্রসন্নতা লাভ করতে পারেন। সিংহ/ LEO: মানসিক আঘাত পেতে পারেন। কন্যা/ VIRGO: কোনও কারণে বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। তুলা/ LIBRA: আজ রোগমুক্তি হবে। বৃশ্চিক/ Scorpio: মনে কোনও কারণে আঘাত লাগতে পারে। ধনু/ SAGITTARIUS: রাজনৈতিক বিবাদে জড়িয়ে পড়তে পারেন। মকর/ CAPRICORN: পরিবারে কোনও শুভ যোগাযোগ হতে পারে। কুম্ভ/ AQUARIUS: কর্মক্ষেত্রে অশান্তি দেখা দিতে পারে। মীন/ PISCES : আজ অনর্থপাত হতে পারে।
দ্য হান্ড্রেড ক্রিকেট লিগে ম্যাঞ্চেস্টার অরিজিনালসের বিরুদ্ধে সবে খেলে উঠেছেন। স্কাই স্পোর্টসের টিভি ক্যামেরায় ডাগ আউটে লেন্সবন্দী করতেই অন্য ছবি। দলের জয় সত্ত্বেও মুখে হাসি নেই। চোখেমুখে শূন্যতা। গ্রাস করেছে হতাশা। উৎকন্ঠার স্পষ্ট ছবি।দেশে টালমাটাল পরিস্থিতি। পরিবার নিয়ে চিন্তিত রশিদ খান। ইংল্যান্ডে বসে শঙ্কাউৎকন্ঠায় দিন কাটছে এই আফগানিস্তানের ক্রিকেটারের। পরিবার নিয়ে উৎকন্ঠার মাঝেও দেশের মানু্ষকে নিয়ে চিন্তার শেষ নেই। নেমে পড়েছেন মহৎ উদ্দেশ্যে। আফগানিস্তানের সাধারন মানুষের জন্য অর্থ সংগ্রহে।আরও পড়ুনঃ ১৫ দিন অন্তর এসএসকেএমে কয়েক ঘণ্টা বসবেন মুখ্যমন্ত্রী, কেন?তালিবানদের ক্ষমতা দখলের প্রয়াস শুরু হতেই শান্তির আবেদন জানিয়েছিলেন এই আফগান ক্রিকেটার। টুইট করে বিশ্ব নেতাদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছিলেন। অনুরোধ করেছিলেন আফগানিস্তানকে বিশৃঙ্খল অবস্থার মধ্যে যেন ফেলে না রাখেন। শান্তির আবেদন জানিয়েছিলেন। টুইটারে তিনি লিখেছিলেন, প্রতিদিন হাজার হাজার শিশু, মহিলা শহীদ হচ্ছে। আতঙ্কে অনেকে দেশ ছেড়ে পালাচ্ছে। আফগানদের হত্যা ও আফগানিস্তানকে ধ্বংস করা বন্ধ হোক। আমরা শান্তি চাই। বিশ্ব নেতাদের কাছে অনুরোধ, আমাদের বিশৃঙ্খল অবস্থার মধ্যে ফেলে রাখবেন না।আরও পড়ুনঃ শচীন, দ্রাবিড়ের সঙ্গে এক আসনে বিরাট কোহলি? আবেগে মুগ্ধ পিটারসেনবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের মানুষের পাশে দাঁড়াতে তহবিল সংগ্রহের কাজে নেমে পড়েছেন রশিদ খান। নিজের ইনস্টাগ্রামে সোয়াইপআপ লিঙ্ক দেশের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন। ইনস্টাগ্রামে তিনি লিখেছেন, আপনাদের প্রত্যেকের অবদান কারও জীবনকে সহজ করে তুলতে পারে। আফগান ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন রশিদ খান ফাউন্ডেশনের সাথে এই তহবিল সংগ্রহে সহযোগিতা করছে।আরও পড়ুনঃ লর্ডসে বেঙ্গসরকারের অনন্য নজির আজও অমিলদেশের বর্তমান অবস্থা নিয়ে ঘোরের মধ্যে রয়েছেন রশিদ খান। দেশে ফেরার পথ বন্ধ। নিজের পরিবারকেও দেশ থেকে বার করে নিয়ে আসতে পারছেন না। কয়েকদিন আগে বিশ্ব নেতাদের কাছে রশিদ খান আকুতি জানান, যেন আফগানিস্তানের লোকদের আর মারা না হয়। তাঁর আবেদনের কয়েকদিনের মধ্যেই পুরো আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তালিবান। তবে রশিদ খানের বক্তব্যকে নাকচ করে দিয়ে তালিবানদের মুখপাত্র সুহাইল শাহীন জানিয়েছেন, আফগান ক্রিকেটের ধ্বংস নয় বরং উন্নতি করতে চান তারা। তিনি দাবি করেচেন, আফগানিস্তানকে ক্রিকেটে এনেছেন তাঁরাই। এক সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে তালিবান মুখপাত্র বলেন, আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের খেলা নিজস্ব গতিতেই চলবে। অতীতের মতো এখনও আমরা ক্রিকেটের উন্নতি সাধনে কাজ করব। আমরা ক্ষমতায় থাকার সময়ই আফগানিস্তানকে ক্রিকেটের সাথে পরিচয় করিয়েছি। ক্রিকেটাররা আমাদেরই থাকবে। দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবে। শাহীন আরও বলেছেন, রশিদ খানকে দিয়ে যারা ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করছে সবাইকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। আমরা কখনোই অশান্তি চাইনি।আরও পড়ুনঃ কলকাতা লিগে দুর্দান্ত শুরু মহমেডানের, নায়ক সার্বিয়ান নিকোলাআফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোরাফেরা করছে। সেই ছবিতে দেখা গেছে, আফগানিস্তানের জাতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার আবদুল্লাহ মাজারিকে সঙ্গে নিয়ে তালিবানরা পৌঁছে গিয়েছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সদর দফতরে। তা দেখে অনেকে মজা করে লিখছেন, এটা আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড, নাকি তালিবান ক্রিকেট বোর্ড? যদিও আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সিইও অবশ্য আগাগোড়া দাবি করে এসেছেন, তালিবানরা ক্রিকেট-অনুরাগী, তাই ক্রিকেট চলবে আপন পথেই। উল্লেখ্য, আফগানিস্তানে তালিবান সরকার প্রথমে অন্য খেলাধুলোর সঙ্গে ক্রিকেট খেলার অনুমতি না দিলেও ২০০০ সালে নিজেদের অবস্থান পাল্টায় আফগানিস্তান যাতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার স্বীকৃতি লাভ করে সেজন্য পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে সমর্থনের আর্জিও জানানো হয়েছিল। পাকিস্তানে শরণার্থী শিবিরে থাকাকালীন আফগানরা ক্রিকেটে দক্ষ হয়ে ওঠেন। তিন ফরম্যাটেই খেলার স্বীকৃতি রয়েছে আফগানিস্তানের। ১২ বছরের মধ্যেই নিজেদের খেলাকে উন্নত জায়গায় নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি রশিদ খানরা বিশ্বের সেরা দশজনেও ঠাঁই পেয়েছেন।
এই মুহূর্তে বিশ্ব ক্রিকেটে সবথেকে জনপ্রিয় টি২০। অনেক ক্রিকেটারই যেমন ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত ফর্ম্যাটকে বেশি গুরুত্ব দেন, ক্রিকেটপ্রেমীদের আগ্রহও তুঙ্গে। তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে টেস্ট ক্রিকেট। কিন্তু লালবলের ক্রিকেটের প্রতি বিরাট কোহলির আবেগ দেখে মুগ্ধ ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক কেভিন পিটারসেন। তাঁর মতে, টেস্টে সাফল্যের জন্য কোহলি সবকিছুই করতে পারেন। পাশাপাশি শচীন তেন্ডুলকার, রাহুল দ্রাবিড়দের সঙ্গেও তুলনা করেছেন পিটারসেন।আরও পড়ুনঃ ১৫ দিন অন্তর এসএসকেএমে কয়েক ঘণ্টা বসবেন মুখ্যমন্ত্রী, কেন?কোহলির চিন্তাভাবনা ও সাহসের প্রশংসা করে ইংল্যান্ডের এই প্রাক্তন অধিনায়ক বলেন, টেস্ট ক্রিকেটে কোহলির চিন্তাভাবনা ও সাহসের প্রশংসা করতেই হবে। নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। টি২০ ক্রিকেটের যুগেও টেস্ট ক্রিকেট ওর কাছে অন্যরকম আবেগের। অন্য ফর্ম্যাটের ক্রিকেটের মতো সমান গুরুত্ব দেয়। শচীন তেন্ডুলকার, রহুল দ্রাবিড়ের যোগ্য উত্তরসুরী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। কোহলি জানে বিশ্ব ক্রিকেটে ও একজন কিংবদন্তী। নিজের মানসিকতা দলের বাকিদের মধ্যেও ঢুকিয়ে দিতে পেরেছে।আরও পড়ুনঃ অতিরিক্ত টোল আদায়, অভব্য আচরণের অভিযোগ বালি টোল সংস্থার বিরুদ্ধেইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে লর্ডস টেস্ট জয়ে কোহলির উর্বর ক্রিকেট মস্তিষ্ক বড় ভুমিকা পালন করেছে বলে মনে করেন পিটারসেন। তিনি বলেন, একসময় ভারত খুব চাপে ছিল। সেখান থেকে সামি, বুমরার ব্যাটিংয়ে ভারত ম্যাচে ফেরে। তবে কোহলির ক্রিকেট মস্তিস্কের প্রশংসাও করতে হবে। শেষদিকে বোলিং পরিবর্তনে দারুণ মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাদেরই ঘরের মাঠে টেস্ট ম্যাচ জেতা যে উপমহাদেশের দলগুলির পক্ষে সহজসাধ্য নয়, তা জানিয়েই ভারতীয় ক্রিকেট দলের লর্ডস টেস্ট জয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন কেভিন পিটারসেন। তাঁর মতে, ট্রেন্ট ব্রিজ টেস্ট বৃষ্টিতে পণ্ড না হলে ওই টেস্ট ম্যাচেও জিততে পারত বিরাট কোহলির দল। সেক্ষেত্রে সিরিজে টিম ইন্ডিয়া ২০ ব্যবধানে এগিয়ে যেত। কোনও অঘটন না ঘটলে চলতি টেস্ট সিরিজ জিততে চলেছে ভারতই।
বাঁকুড়ার শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ উঠল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বামী-সন্তানকে ছেড়ে গাড়ির চালককে বিয়ে করেছেন চন্দনা। সেই মর্মে বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন অভিযুক্ত গাড়িচালক কৃষ্ণ কুণ্ডুর স্ত্রী রুম্পা কুণ্ডু। যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চন্দনা। স্বামী শ্রবণের সঙ্গে পারিবারিক গোলমালকেই রাজনৈতিক উদ্দেশে অন্য কারণ হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তিনি।আরও পড়ুনঃ ফের বাড়ছে দৈনিক সংক্রমণ, চিন্তা বাড়াচ্ছে কেরলগরিব ঘরের বধূ চন্দনা বাউড়ি বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই খবরের শিরোনামে থেকেছেন। ভোটের প্রচারে বাঁকুড়া এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও চন্দনার কথা আলাদা করে বলেছিলেন। সেই চন্দনা সম্পর্কে পরকীয়ার খবর নিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই নানা জল্পনা শুরু হয়। বিজেপি-র পক্ষ থেকে অবশ্য এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি দুপুর পর্যন্ত। তবে চন্দনা তাঁর স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে একটি ফেসবুক লাইভ করে তাঁদের বক্তব্য প্রকাশ্যে জানান। সেখানেও তিনি গোটা বিষয়টিকেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন। তবে জেলা বিজেপি-র একাংশের দাবি, কৃষ্ণ গাড়িচালক নন। তিনি শালতোড়া বিধানসভার দলীয় কো-কনভেনর।আরও পড়ুনঃ অতিরিক্ত টোল আদায়, অভব্য আচরণের অভিযোগ বালি টোল সংস্থার বিরুদ্ধেপুলিশ জানিয়েছে, বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি থানায় বধূ নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে চন্দনার বিরুদ্ধে। গাড়িচালক কৃষ্ণর স্ত্রী রুম্পার দাবি, বুধবার রাতে চন্দনা এবং কৃষ্ণা বিয়ে করেছেন। পুলিশের একাংশের দাবি, বিবাহের বিষয়টি নাকি পুলিশের কাছে চন্দনা স্বীকার করেছেন। যদিও চন্দনার দাবি, তিনি একেবারেই তা বলেননি। পুলিশের একাংশের ওই দাবি অসত্য। প্রসঙ্গত, চন্দনা এবং কৃষ্ণ দুজনেই নিজের নিজের জীবনে বিবাহিত। তাঁদের সন্তানও রয়েছে। অভিযোগ পেয়ে গঙ্গাজলঘাটি থানার পুলিশ চন্দনা ও কৃষ্ণর বিরুদ্ধে ৪৯৮-এ ধারায় বধূ নির্যাতনের মামলা রুজু করেছে।এ ছাড়াও,৫০৬ ধারায় দুজনের বিরুদ্ধেই ভয় দেখানোর অভিযোগও আনা হয়েছে।
মেষ/ ARIES: মিথ্যাপবাদে জড়িয়ে পড়তে পারেন। বৃষ/ TAURUS: অযথা অর্থব্যয় হতে পারে। মিথুন/ GEMINI : ভুল বোঝাবুঝির শিকার হতে পারেন। কর্কট/ CANCER : কোনও আঘাত পেতে পারেন। সিংহ/ LEO: আজ বিরহে ভুগতে পারেন। কন্যা/ VIRGO: দাম্পত্যসুখ পেতে পারেন আজ। তুলা/ LIBRA: আজ কোনও মনোবাঞ্ছা পূরণ হতে পারে। বৃশ্চিক/ Scorpio: কোনও কার্যসিদ্ধি হতে পারে। ধনু/ SAGITTARIUS: কোনও বিয়োগবার্তা পেতে পারেন। মকর/ CAPRICORN: চাকরিক্ষেত্রে সুনাম বৃদ্ধি পেতে পারেন। কুম্ভ/ AQUARIUS: গীতবাদ্যানুরাগ হতে পারে। মীন/ PISCES : বাড়িতে চোরের ভয় হতে পারে।
লর্ডস টেস্টে দুর্দান্ত পারফরমেন্স করে চমকে দিয়েছে বিরাট কোহলির ভারত। ২০০৩ সালে এই লর্ডসেই ন্যাটওয়েস্ট ট্রফি জিতেছিল সৌরভ গাঙ্গুলির টিম ইন্ডিয়া। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর মহারাজের ঔদ্ধত্য অবাক দৃষ্টিতে দেখেছিল গোটা ক্রিকেট বিশ্ব। কিন্তু লর্ডসে দেশের টেস্ট জয়ের শুভ সূচনার নায়ক কে জানেন? দিলীপ বেঙ্গসরকার। তাঁর হাত ধরেই লর্ডসে টেস্টে ভারতের প্রথম জয়ে এসেছিল ১৯৮৬ সালে। দিলীপ বেঙ্গসরকার এমন একটা কৃতিত্ব লর্ডসে স্থাপন করেছেন, আজও অমিল হয়ে আছে।আরও পড়ুনঃ জয় দিয়ে এএফসি কাপ অভিযান শুরু করল এটিকে মোহনবাগান১৯৮৬ সালে লর্ডস টেস্টে ডেভিড গাওয়ারের ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে তুলেছিল ২৯৪। জবাবে ভারত তুলেছিল ৩৪১। দিলীপ বেঙ্গসরকার ১২৬ রানে অপরাজিত ছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৮০ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। ভারতের সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্য ছিল ১৩৪। ৫ উইকেট হারিয়ে ৪২ ওভারে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ভারত। সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন বেঙ্গসরকার। লর্ডসে ভারতের প্রথম টেস্ট জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। সেই জয়ের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ১৯৮৬ সালে লর্ডস টেস্টের শেষদিনে চতুর্থ ইনিংসে জয়ের জন্য আমাদের দরকার ছিল ১৩৪। দ্রুত ৫ উইকেট পড়ে গেলেও আমরা ৪২ ওভারে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে গিয়েছিলাম। ওই জয়টা আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ ওটাই ছিল লর্ডসে দেশের প্রথম টেস্ট জয়।আরও পড়ুনঃ কলকাতা লিগে দুর্দান্ত শুরু মহমেডানের, নায়ক সার্বিয়ান নিকোলালর্ডস অনেক কীর্তির সাক্ষী। অনেক রেকর্ড এই মাঠে হয়েছে। আবার ভেঙেছে। কিন্তু দিলীপ বেঙ্গসরকার যে রেকর্ড লর্ডসে গড়েছেন, আজও অমলিন হয়ে রয়েছে। লর্ডসে টানা তিনটি সেঞ্চুরি করার অনন্য নজির রয়েছে বেঙ্গসরকারের। ১৯৭৯ সালে তিনি প্রথম লর্ডসে সেঞ্চুরি করেন। লর্ডসে পরের টেস্ট খেলেন ১৯৮২ সালে। সেই টেস্টেও সেঞ্চুরি করেছিলেন বেঙ্গসরকার। ১৯৮৬র সিরিজেও লর্ডসের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছিলেন। এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যাটসম্যান লর্ডসে টানা তিনটি সেঞ্চুরি করতে পারেননি।আরও পড়ুনঃ হিন্দোলের তবলার দোলায় মাতোয়ারা শিকাগোচলতি সিরিজে ভারতীয় বোলিং সংস্কৃতির পরিবর্তন দেখে মুগ্ধ দিলীপ বেঙ্গসরকার। পরপর দুটি টেস্টে ভারতীয় জোরে বোলিংয়ের বিপ্লব হিসেবে দেখে মুগ্ধ দেশের এই প্রাক্তন অধিনায়ক। তিনি বলেছেন, এই প্রথম আমরা চারজন জোরে বোলার নিয়ে টেস্ট খেললাম। আগে আমরা কখনও এই ধরনের বোলিং কম্বিনেশনের কথা চিন্তাভাবনা করিনি। ১৯৭৯ সালে ইংল্যান্ডে আমি যখন প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলি, তিনজন স্পিনার নিয়ে মাঠে নেমেছিলাম। এখন মানসিকতার বদল ঘটেছে। চারজন জোরে বোলার খেলানোর পরিকল্পনা কাজে দিয়েছে। লর্ডস টেস্টে ইংল্যান্ডের ২০টা উইকেটের মধ্যে ১৯টা তুলে নিয়েছে জোরে বোলাররা।
ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষ পুর্তিতে মেতে উঠল আমেরিকা। সারা ভারত যখন স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে মাতোয়ারা ঠিক সেই উপলক্ষ্যেই আমেরিকার শিকাগো শহরে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো আজাদী কি অমৃত মহোৎসব।শিকাগো নামটার সাথে ভারতীদের বিশেষ করে বাঙালীর নাড়ির টান। নামটা শুনলেই স্বামী বিবেকানন্দের সিস্টার্স অ্যান্ড ব্রাদার্স অব আমেরিকা... গলাটা কানে ভেসে ওঠে। ১৮৯৩র ১১ ই সেপ্টেম্বর, শিকাগোর বিশ্ব ধর্ম সম্মেলনে সনাতন হিন্দু ধর্মের কথা তুলে ধরেছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসের পরমপ্রিয় শিষ্য স্বামী বিবেকানন্দ। এহেন নাস্টালজিক শহরে অবস্থিত শিকাগো কালচারাল সেন্টারে এক মনোজ্ঞ পরিবেশে ভারতীয় কনস্যুলেট জেনারেলের উদ্যোগে আজাদী কি অমৃত মহোৎসব অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়। শিকাগোর ভারতীয় কনস্যুলেট অমিত কুমার এই অনুষ্ঠানটির আয়োজন ও পৌরহিত্য করেন। উপস্থিত ছিলেন তাঁর সহধর্মিনী।অনুষ্ঠান শুরু হয় ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে। পতাকা উত্তোলন করেন শিকাগোর ভারতীয় কনস্যুলেট জেনারেল অমিত কুমার। তিনি উপস্থিত আমন্ত্রিতদের উদ্দেশে ভারতের রাষ্ট্রপতির ভাষন পাঠ করে শোনান। কনস্যুলেট শিকাগো সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে কিছু নির্বাচিত প্রতিনিধি, উর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি অংশগ্রহণ করেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শুরু হয় বিশিষ্ট নৃত্য শিল্পী সঞ্চিতা ভট্টাচার্যর নৃত্য পরিবেশনার মধ্য দিয়ে।আরও পড়ুনঃ যারা অদৃশ্য রয়ে গেলেনঃ শ্রমিক ঠিকাদার বা দালালতন্ত্র!শিকাগো সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মুল আকর্ষন ছিল বিশিষ্ট তবলিয়া পণ্ডিত হিন্দোল মজুমদারের তবলা ও সাথে লিয়ন লিফার-র বাঁশরী। হিন্দোল মজুমদার এই প্রজন্মের তরুণ তবলা বাদকদের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় তবলিয়া। সঙ্গীত তাঁর রক্তে ছিল। তাঁর মাতামহ প্রয়াত চিত্তরঞ্জন রায়, একজন বিশিষ্ট সঙ্গীত প্রেমী এবং তাঁর মা প্রয়াত সুনন্দা মজুমদার, পেশায় একজন শিক্ষক ছিলেন, এবং তিনি জয়পুর ঘরানার পণ্ডিত রামগোপাল মিশ্রের কাছে কত্থক নৃত্য শিক্ষালাভ করেন। তাঁর মায়ের অকাল প্রয়াণের পর, হিন্দোল মজুমদার প্রতি বছর তাঁর মায়ের স্মরণে বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী, ছাত্র-ছাত্রী ও তাঁর অনুরাগীদের সঙ্গে নিয়ে এক সঙ্গীত সন্ধ্যা আয়োজন করেন। পারিবারিক সঙ্গীত আবহে অনুপ্রাণিত হয়ে হিন্দোল ছোট বয়সেই তবলা শেখা শুরু করেন। মাত্র ৫ বছর বয়েসে তাঁর তবলায় হাতে খড়ি, ১০ বছর বয়সে তিনি প্রথম মঞ্চে অনুষ্ঠান করেন। তারপর আর তাঁকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।আরও পড়ুনঃ দত্ত কুলোদ্ভব কবি শ্রীমধুসূদনহিন্দোল মজুমদারের তবলা ও সঙ্গে লিয়ন লিফার-এর বাঁশরী এক অনবদ্য সন্ধ্যার উপহার দেয় শিকাগো কালচারাল সেন্টারে। তাঁদের অনুষ্ঠান প্রথম উপস্থাপনা রাগ দেশ। দেশ হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সংগীতের খম্বাজ ঠাটের অন্তর্ভুক্ত একটি রাগ। বেশ কয়েকটি দেশাত্মবোধক গান দেশ রাগের উপর আধারিত। তার মধ্যে ভারতের জাতীয় সংগীত ও বন্দে মাতরম অন্যতম। লিয়ন লিফার আমেরিকার এক প্রথিতযশা বাঁশরী শিল্পী, তাঁর সঙ্গীত শিক্ষার গুরু ভারত বিখ্যাত বাঁশরী শিল্পী প্রয়াত পণ্ডিত পান্নালাল ঘোষের জামাই ও প্রধান শিষ্য প্রয়াত দেবেন্দ্র মুর্দেশ্বর। দীর্ঘদিন তাঁর কাছে থেকে শিক্ষা লাভ করেন লিয়ন।তাঁদের পরবর্তী উপস্থাপনা কাজরী, কাহারবা তালের উপর আধারিত এই কম্পোজিসন খুবই মনোরম। কাজরি (বা কাজরী), হিন্দি শব্দ কাজরা বা কাজল থেকে এসেছে, (যার অর্থ কোহল বা কালো), কাজরী হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের অনবদ্য সৃষ্ঠি, এটি উত্তর প্রদেশ এবং বিহারে খুব জনপ্রিয়। তীব্র গরমের দেশে কালো বর্ষার মেঘ তাদের কাছে ভীষন স্বস্তি এবং দারুন আনন্দ নিয়ে আসে। সেই আনন্দের বহিঃপ্রকাশ করতে সেই মুহূর্তে কাজরী গাওয়া হয়। তবলায় হিন্দোল মজুমদারের সঙ্গত এক অন্য মাত্রা পায়, তিন ঘরানার মহান গুরুর শিক্ষা তাঁর বাদন শৈলিতে প্রকট। তাঁর তেরেকেটে-এর লয়কারী শুনলে অনেকেরই ফারুকাবাদ ঘরানার মাহান শিল্পী ওস্তাদ কেরামতউল্লাহ খাঁর কথা মনে পরতে বাধ্য। মহান তবলিয়া ওস্তাদ কেরামতউল্লাহ খাঁ-এর সুযোগ্য শিষ্য শিবশঙ্কর কর্মকার-ই তাঁর প্রথম গুরু। তারপর তিনি ফারুকখাবাদ ঘরানার বিশিষ্ট তবলা গুরু পণ্ডিত শঙ্খ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে নাড়া বাধেন।আরও পড়ুনঃ মহানায়ক উত্তম কুমার ও মান্না দে বাংলার সিনেমার আমি যামিনী তুমি শশীঅনুষ্ঠানের সর্বশেষ অংশে শিল্পী লিয়ন ঠুংরি পরিবেশন করেন। লগী কাহারবা তালের ওপর আধারিত কম্পজিসনটি উপস্থিত বিশিষ্টজন উপভোগ করেন। হিন্দোল মাজুমদারের তবলা সঙ্গত এক কথায় অনবদ্য। তাঁর লয়কারি, সাথ সঙ্গত, সাওয়াল জবাব মনমুগ্ধ করে দেয়। বাঁশরী শিল্পী লিয়নের উপস্থাপনা উপস্থিত দর্শককূলকে মোহিত করে দেয়, আদ্যন্ত ভারতীয় এক বাদ্যযন্ত্র বাঁশরী একজন আমেরিকান শিল্পী যে যেভাবে রপ্ত করেছেন তা এক কথায় অনবদ্য। শিল্পী লিয়ন শিকাগোতে অবস্থিত পূর্ব ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ে (Northeastern Illinois University, Chicago, IL) প্রাক্তন বাঁশি বিভাগের অধ্যাপক।আরও পড়ুনঃ বিরোধী বিধান-র জ্যোতি স্নেহপণ্ডিত হিন্দোল মজুমদার আমেরিকা থেকে জনতার কথাকে জানান, ভারতের বেশীরভাগ শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিল্পী-ই বছরের বেশ কিছু সময় আমেরিকা ও ব্রিটেনে কাটান। এই প্রয়াস অনেক আগে থেকেই শুরু হয়েছে, সেখানকার মানুষের ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শেখার প্রবল ইচ্ছা, ভারতীয় মার্গ সঙ্গীতের প্রসার ও ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানের জন্য তাঁরা সেখানে বছরের বেশ কিছু সময় থেকে যান। ২০২০ র করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় তাঁরা অনেকেই দেশে ফিরে এসেছিলেন। হিন্দোল বাবু আরও জানান যে, তিনি গত ২০২১ এপ্রিলে আমেরিকা গিয়েছেন। অনেকদিন ধরে অনলাইন মাধ্যমে শিক্ষা দান করেছেন, এখন আমেরিকার মিলওয়াক শহরে তাঁর বাসভবনে শাস্ত্রবিধি মেনে প্রবাসী ভারতীয় ও আমেরিকান কিছু ছাত্র-ছাত্রীকে সরাসরি শিক্ষা দান করছেন। তিন বলেন ভারতীয় কনস্যুলেটের আমন্ত্রণ পেয়ে আমি গর্বিত বোধ করছি। দেশের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসে বিশেষ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি, তাছাড়া শিকাগো সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে (Chicago Cultural Centre) অনুষ্ঠান করা যেকোনও শিল্পীর কাছেই স্বপ্ন। এটা শিল্পীর জীবনপঞ্জিতে লিখে রাখার মত বিষয়।
পেগাসাস নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের গঠন করা তদন্ত কমিশন বাতিলের দাবিতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। ওই মামলায় এ বার রাজ্যকে নোটিস পাঠাল শীর্ষ আদালত। রাজ্যের গঠন করা তদন্ত কমিশন খারিজের দাবিতে বুধবার সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেছেন মামলাকারীর পক্ষে আইনজীবী সৌরভ মিশ্র। কিন্তু এখনই ওই কমিটি ভাঙার নির্দেশ দেয়নি আদালত।রাজ্য সরকার কমিটি গঠনের ঘোষণা করতেই বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। আইনজীবী মহলের একাংশের বক্তব্য ছিল, পেগাসাসের মতো আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে তদন্ত কমিশন গঠন করার এক্তিয়ারই নেই কোনও রাজ্য সরকারের। আদালতে মামলা হলেই খারিজ হয়ে যাবে ওই কমিটি। কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাও এ দিন বলেন, এই তদন্ত কমিশন অসাংবিধানিক, এটুকুই বলতেই পারি।আরও পড়ুনঃ ১০০ পুরসভায় বড়সড় রদবদলউল্লেখ্য, বিরোধী নেতা, বিচারপতি, সাংবাদিক এবং সমাজকর্মীদের ফোনে আড়িপাতার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর রাজ্যে তদন্ত কমিশন গঠন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রশান্ত কিশোরের ফোনেও নজরদারি চালানো হয়েছিল, এই রিপোর্ট সামনে আসতেই জুলাই মাসে দিল্লি সফরের আগেই তদন্ত কমিশন গঠনের ঘোষণা করে মমতা জানিয়েছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি মদন বি লোকুর নেতৃত্বে গঠন করা হয়েছে ওই দুই সদস্যের তদন্ত কমিশন। বাংলার সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তার পরই মামলা দায়ের হয় শীর্ষ আদালতে। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৫ অগস্ট।
মেষ/ ARIES: অন্যের জন্য ব্যয় করতে পারেন। বৃষ/ TAURUS: আজ ধন ও মান বৃদ্ধি পেতে পারে। মিথুন/ GEMINI : কোনও কারণে অশান্তি হতে পারে। কর্কট/ CANCER : নতুন কর্মোদ্যমে লাগতে পারেন। সিংহ/ LEO: আজ সাফল্য লাভ করতে পারেন। কন্যা/ VIRGO: কর্মক্ষেত্রে অশান্তি হতে পারে। তুলা/ LIBRA: আজ কোনও শুভ যোগাযোগ হতে পারে। বৃশ্চিক/ Scorpio: সাংসারিক ঝামেলায় জড়িয়ে পরতে পারেন। ধনু/ SAGITTARIUS: আনন্দ লাভ করতে পারেন আজ। মকর/ CAPRICORN: অহংকার বোধ করতে পারেন আজ। কুম্ভ/ AQUARIUS: শুভ যোগাযোগ হতে পারে। মীন/ PISCES : কোনও কারণে উদ্বেগ বৃদ্ধি পেতে পারে।
রাজ্যের প্রায় ১০০টি পুরসভার প্রশাসক এবং প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্যপদে কিছু রদবদল ঘটানো হল। পুর ও নগরোন্নয় দপ্তর থেকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। এ বিষয় মঙ্গলবার দপ্তরের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, পুরসভাগুলি যাতে মসৃণভাবে মানুষকে পরিষেবা দিতে পারে তাই এই সিদ্ধান্ত। যেখানে যেমন প্রয়োজন তেমনই বদল করা হয়েছে।আরও পড়ুনঃ ময়দানে ফিরে এল পরিচিত ফু...রু...ফু...রু..শব্দ, শুরু কলকাতা লিগহাওড়া পুর নিগমের প্রশাসকমণ্ডলীর প্রধান হলেন বিশিষ্ট শিশু চিকিৎসক ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী। ১০ জনের প্রশাসক বোর্ড করা হয়েছে। এতদিন প্রশাসকমণ্ডলীর প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায়। এদিকে, বারাসত পুরসভার উপপুরপ্রশাসক হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছেন সমীর তালুকদার। মধ্যমগ্রাম পুরসভার পুরপ্রশাসকের দায়িত্বে এলেন নিমাই ঘোষ। বসিরহাট পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর প্রধান হয়েছেন বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা অসিত মজুমদার। বিধাননগর পুর নিগমের প্রশাসকমণ্ডলীর প্রধান আছেন কৃষ্ণা চক্রবর্তী। এছাড়া বোর্ডে ৬ জন সদস্য আছেন। বাদ পড়েছেন ৩ জন। প্রশাসক বদল হল বারুইপুর, জয়নগরমজিলপুর, রাজপুরসোনারপুর, বজবজ পুরসভায়।
ইংরেজদের সঙ্গে সিরাজের লড়াইয়ের ইতিহাস সুদীর্ঘ। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি যখন ভারতবর্ষ শাসন করছিল, বাংলার নবাব সিরাজউদদৌল্লাকে সহজে বশ্যতা স্বীকার করাতে পারেননি। তিনিই ছিলেন বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব। সিরাজউদদৌল্লাকে বাগে আনতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল। পলাশীর যুদ্ধে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে হেরে বশত্যা স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছিলেন বাংলার নবাব।আরও পড়ুনঃ টি২০ বিশ্বকাপে ভারতের প্রথম ম্যাচ কবে? সূচি প্রকাশ করল আইসিসিবাংলার শেষ স্বাধীন নবাবকে বশে নিয়ে এলেও লর্ডসে অবশ্য মহম্মদ সিরাজকে বাগে নিয়ে আসতে পারেনি ইংরেজরা। লর্ডস যুদ্ধে বরং সিরাজেরই দাপট। কেন দাপট থাকবে না? এই যুদ্ধে মীর্জাফরের মতো তো কেউ ছিলেন না মহম্মদ সিরাজের সঙ্গে। বরং পাশে পেয়েছিলেন যশপ্রীত বুমরা, ইশান্ত শর্মার মতো সতীর্থদের। যাঁদের ভুমিকা ছিল মীর মদনের মতোই। ভারতের লর্ডস অভিযানের সাফল্যের পেছনে মহম্মদ সিরাজের অবদান অস্বীকার করা যাবে না।আরও পড়ুনঃ দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন ঘটিয়ে ঐতিহাসিক লর্ডসে অবিস্মরনীয় জয় ভারতেরলর্ডস টেস্টের প্রথম ইনিংসে মহম্মদ সিরাজের ধাক্কাতেই শুরুতে বেসামাল হয়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। পরপর দুবলে ডম সিবলে ও হাসিব হামিদকে তুলে নিয়ে দলকে ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছিল। রুট ও বেয়ারস্টোর ১২১ রানের পার্টনারশিপ ভেঙে ভারতকে ম্যাচে ফিরিয়েছিলেন সিরাজই। প্রথম ইনিংসে তুলে নিয়েছিলেন ৯৪ রানে ৪ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে জ্বলে ওঠেন সিরাজ ৩২ রানে তুলে নেন ৪ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে জস বাটলার ও মঈন আলির জুটি গড়ে উঠছিল। এই জুটি ভাঙতে না পারলে ভারতের জয় কঠিন হয়ে যেত। মঈন ও বাটলার, দুজনকেই তুলে নেন সিরাজ। সুতরাং লর্ডস জয়ে সিরাজের অবদান অস্বীকার করা যাবে না। নবাব সিরাজউদদৌল্লা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে হেরে গেলেও বাইশ গজের অন্য যু্দ্ধে এই প্রজন্মের সিরাজের কাছে পরাভূত ইংরেজরা।আরও পড়ুনঃ ময়দানে ফিরে এল পরিচিত ফু...রু...ফু...রু..শব্দ, শুরু কলকাতা লিগলর্ডস টেস্টের পঞ্চম দিনের শেষ বেলায় মহম্মদ সিরাজ যে ফাস্ট বোলিংটা করেন, তাতে মুগ্ধ না হয়ে উপায় নেই। কীভাবে এই হায়দরাবাদি জোরে বোলার উঠে এসেছেন, দেখে নেওয়া যাক। অস্ট্রেলিয়া সফরে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেও ভারতীয় টেস্ট দলে জায়গা পাকা করতে পারছিলেন না মহম্মদ সিরাজ। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ এবং নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ পাননি হায়দরাবাদের তরুণ ফাস্ট বোলার। তবে ইংল্যান্ডে সফরের প্রথম ম্যাচেই টিম ইন্ডিয়ার প্রথম একাদশে সুযোগ পান সিরাজ। দুই ইনিংস মিলিয়ে তিনি তিন উইকেট নিয়েছিলেন। তরুণ ক্রিকেটারকে লর্ডসে আরও একটা সুযোগ দেন কোহলি। যা হাতছাড়া করতে চাননি সিরাজ। মোট আট উইকেট নিয়ে ম্যাচে ভারতের জয় নিশ্চিত করেন ২৭ বছরের ফাস্ট বোলার। যিনি হায়দরাবাদের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৮১টি উইকেট নিয়েছেন। আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে ৪৫টি উইকেট নেওয়া সিরাজকে চিনতে ভুল করেননি নির্বাচক। তবে বর্তমান চিত্র সম্পূর্ণ আলাদা। লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর চলতি সিরিজে অন্তত সিরাজের জায়গা টিম ইন্ডিয়ার প্রথম একাদশে পাকা বলে ধরে নেওয়া যায়। সিরিজ জুড়ে ফর্মের ধারা অব্যাহত রাখতে পারলে আগামী দিনেও যে তিনি দেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের নিয়মিত সদস্য হতে চলেছেন, তা মেনে নিচ্ছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।আরও পড়ুনঃ দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন ঘটিয়ে ঐতিহাসিক লর্ডসে অবিস্মরনীয় জয় ভারতের২০১৭ সালে ভারতীয় দলে প্রথম সুযোগ পেয়েছিলেন মহম্মদ সিরাজ। যদিও টি২০ এবং ওয়ান ডে ফর্ম্যাটে নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছিলেন ২৭ বছরের ফাস্ট বোলার। দেশের হয়ে সাতটি টেস্ট ম্যাচ খেলে ২৭ উইকেট নিয়েছেন মহম্মদ সিরাজ। ভারতীয় দলের জার্সিতে একটি ওয়ান ডে ও তিনটি টি২০ ম্যাচ খেলে মোট তিনটি উইকেট নিয়েছেন হায়দরাবাদের তরুণ ফাস্ট বোলার।
লর্ডস টেস্টের পঞ্চম দিন ঋষভ পন্থ আউট হতেই মাথায় হাত দিয়ে লর্ডসের ব্যালকনিতে চেয়ারে বসে পড়েছিলেন বিরাট কোহলি। ম্যাচ বাঁচবে তো? আশঙ্কায় দুলছিলেন। মহম্মদ সামিযশপ্রীত বুমরার অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে ম্যাচে ফেরে ভারত। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পরই বদলে যায় ছবিটা। মাত্র দুটো সেশনেই ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনকে গুঁড়িয়ে অবিস্মরণীয় জয় তুলে নেই ভারত। লর্ডসের এই জয়কে বিদেশের মাটিতে অন্যতম সেরা জয় বলে অভিহিত করেছেন বিরাট কোহলি। সতীর্থদের এই পারফরমেন্সে তিনি গর্বিত বলেও জানিয়েছেন তিনি।আরও পড়ুনঃ মুখে বিষ ঢেলে সৎ মাকে খুনের দায়ে গ্রেপ্তার ছেলে ও বৌমাম্যাচের পর বিরাট কোহলি বলেন, বিদেশের মাটিতে এখনও পর্যন্ত যেকটা টেস্ট জিতেছি, লর্ডসের এই জয় অন্যতম সেরা। সতীর্থরা যেরকম একাগ্রতা ও মানসিকতা নিয়ে মাঠে নেমেছিল, এককথায় অসাধারণ। দলগত প্রচেষ্টায় এই জয় এসেছে। দলের প্রত্যেকে নিজের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেছে। কোথায় খেলছি, সেটা নিয়ে মাথাব্যাথা ছিল না। বিদেশের মাটিতে অনেকগুলো ভাল জয় পেয়েছি। লর্ডসের এই জয় তাদের সঙ্গে এক আসনে রাখব।আরও পড়ুনঃ ১০০ পুরসভায় বড়সড় রদবদল২০১৪র টেস্ট সিরিজে লর্ডসে জিতলেও, ২০১৮র সিরিজে হারতে হয়েছিল। আগের সিরিজের সেই হারের কথা মাথায় রাখেনি শিবির। সেই কথাই ম্যাচের পর তুলে ধরেছেন কোহলি। তিনি বলেন, ২০১৪তে আমরা লর্ডসে জিতেছিলাম। কিন্তু ২০১৮তে খুবই খারাপভাবে হারতে হয়েছিল। তবুও আমাদের বিশ্বাস ছিল, লর্ডসে ইংল্যান্ডকে হারাতে পারব। সতীর্থদের এই পারফরমেন্স আমাকে গর্বিত করেছে। বিদেশের মাটিতে এখনও পর্যন্ত যেকটা টেস্ট জিতেছি, লর্ডস তাদের মধ্যে ওপরের দিকেই থাকবে।আরও পড়ুনঃ বর্ধমান পুরসভায় ৫ জনের পুরপ্রশাসক বোর্ড, দায়িত্বে প্রণব, আইনুলদ্বিতীয় ইনিংসে সামিবুমরা জুটি অবিশ্বাস্য ব্যাটিং করলেও জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার লোকেশ রাহুল ও রোহিত শর্মা। প্রথম ইনিংসে বড় রানের মূলে এই জুটি। দুজনকেই প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন কোহলি। তবে সামিবুমরার ইনিংসকে অবিশ্বাস্য বলে বর্ণনা করেছেন। কোহলির কথায়, রাহুল ও রোহিত প্রথম ইনিংসে ভিত তৈরি করে দিয়েছিল। সামি ও বুমরার পার্টনারশিপ তো অবিশ্বাস্য। ঋষভের ওপর আরও প্রত্যাশা ছিল। ওর কাছ থেকে আরও কিছু রানের আশা করেছিলাম। ভেবেছিলাম ২০০ রানের লিড নিলেই লড়াই করতে পারব। ২৭১ রানের লিড হবে ভাবিনি। সামি ও বুমরা অসাধারন ব্যাটিং করেছে। ওরাই ইংল্যান্ডকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছিল। জানতাম ইংল্যান্ড ম্যাচ বাঁচানোর জন্য লড়াই করবে। আশা ছিল ওদের ৬০ ওভারের মধ্যে আউট করতে পারব। সেটাই হয়েছে।
তালিবানে আতঙ্কে তটস্থ আফগানিস্তান। এরই মধ্যে অভয়বাণী শোনাচ্ছে তালিবান নেতা। কেমন অভয়বাণী? তালিবান নেতার দাবি, মহিলারাও সরকারের কাজে অংশগ্রহণ করতে পারবেন, তবে সবটাই হবে শরিয়তি আইন মেনে। তালিবানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এখন বিরোধীদের ক্ষমা করার রাস্তাতেই হাঁটবে তারা। তাই অকারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হওয়ার কোনও মানে হয় না। শান্তি বজায় রাখার বার্তাও দেওয়া হয়েছে মঙ্গলবার। কিন্তু সত্যিই কি নতুন এক তালিবানি শাসন দেখতে চলেছে আফগানিস্তান? এখন উত্তর স্পষ্ট নয়।আরও পড়ুনঃ আফগানিস্তান থেকে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে তালিবান সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রধান এমানুল্লাহ সামাগনি বলেছেন, নয়া তালিবানি শাসনে মহিলাদের উপর অত্যাচার চলুক, আমরা চাই না। সব কিছু পরিচালিত হয় শরিয়তের আইন অনুসারে। তার মধ্যে থেকে যদি মহিলারা প্রশাসন ও সরকারে অংশ নিতে চান তাঁদের স্বাগত। আমরা সমস্ত বৃত্তের প্রতিনিধিকে প্রশাসনে চাইছি। এর পাশপাশি তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, পুরোপুরি শরিয়তের আইন মেনে এই দেশ চলবে। তবে নিয়মের খসড়া এখনও তৈরি হয়নি। মহিলাদের কী মেনে চলতে হবে, তা নিয়েও স্পষ্ট কোনও নিয়ম তৈরি হয়নি।রবিবার তালিবান আফগানিস্তান দখল নেওয়ার পর থেকে মহিলাদের পরিস্থিতি নিয়ে বারবার উদ্বেগের কথা উঠে এসেছে। আফগান প্রশাসনিক পদে থাকা বা খ্যাতনামা মহিলারা ছাড়াও উদ্বেগে রয়েছেন সাধারণ মানুষও। মহিলাদের মনে হয়েছে, আবার ফিরবে সেই অত্যাচারের দিন। যদিও কোনও ভয়ের কারণ দেখছে না তালিবান। তারা বলেছেন, পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে। নারীর অধিকার সুরক্ষিত হবে।খবর এসেছিল, জঙ্গিরা মহিলাদের জোর করে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। সে অভিযোগ অস্বীকার করেছিল জঙ্গি গোষ্ঠী। ক্ষমতা দখলের পর এমন খবরও পাওয়া গিয়েছিল যে ব্যাংকের মহিলা কর্মীদের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে জঙ্গিরা। তার মধ্যেই তালিবানদের ঘোষণা পরিবর্তিত তালিবানি শাসনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। তবে তা বাস্তবে কতটা কার্যকর হবে, তা দেখা যাবে ভবিষ্যতেই।
মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে ৩ বছর। পুরনো পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীতেই কাজ চলছিল। এর মধ্যে কোনও পুর নির্বাচন হয়নি। অবশেষে বর্ধমান পুরসভার এই অচলাবস্থা কাটতে চলেছে। মঙ্গলবারই পাঁচ সদস্যের কমিটি নিয়ে গঠিত হল বর্ধমান পুরসভার নতুন প্রশাসক মণ্ডলী। বর্ধমান পুরসভার নতুন প্রশাসক হলেন বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা প্রণব চট্টোপাধ্যায়। আরও পড়ুনঃ গেষ্ঠীকলহের জেরেই কি জেলার শীর্ষে বর্ধমান শহরের কারও স্থান হয়নি? সরানো হল দুই যুব নেতাকেওকমিটিতে স্থান পেয়েছেন বাম আমলে বর্ধমান পুরসভার পুরপিতা আইনুল হক। বর্ধমান পুরসভার পুরপতি হিসেবে দীর্ঘসময় দায়িত্বে ছিলেন। প্রশাসকের দ্বায়িত্ব পেয়েছেন প্রণব চট্টোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, একসময়ের বাম-তৃণমূলের দুই বিপক্ষ শিবিরের দুই যযুধান প্রতিপক্ষ এবার একই পক্ষে। সহ প্রশাসক মণ্ডলীতে স্থান পেয়েছেন আলপনা হালদার ও আইনুল হক, প্রশাসক বোর্ডের সদস্য হয়েছেন ডাঃ শঙ্ঘশুভ্র ঘোষ ও উমা সাঁই। প্রসাশক পদে দায়িত্ব পাওয়ার পরই প্রণব চট্টোপাধ্যায় জানান, আগে আমি পুরসভার দায়িত্বে ছিলাম। নতুন করে কিছু বলার নেই। সবে দ্বায়িত্ব পেয়েছি, সব জায়গা ঘুরে কাজ বুঝে যা বলার বলবো। অন্যদিকে, দায়িত্ব পাওয়ার পর আইনুল হক বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে মানুষকে সঙ্গে নিয়ে মানুষের জন্য কাজ করেন, আমরাও মানুষকে সঙ্গে নিয়ে তাদের পরামর্শ মত বর্ধমানে উন্নয়নের কাজ করবো।
টি২০ বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান একই গ্রুপে রয়েছে, আগেই জানা গিয়েছিল। সেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধেই টি২০ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ খেলবেন বিরাট কোহলিরা। সুপার ১২-র গ্রুপ দুইতে খেলবে ভারতীয় ক্রিকেট দল। মঙ্গলবারই টি ২০ বিশ্বকাপের পূর্ণাঙ্গ সূচি প্রকাশ করল আইসিসি।আরও পড়ুনঃ দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন ঘটিয়ে ঐতিহাসিক লর্ডসে অবিস্মরনীয় জয় ভারতের২৩ অক্টোবর শুরু হবে সুপার ১২-র খেলা। প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২৩ অক্টোবরই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২৪ অক্টোবর বাবর আজমদের বিরুদ্ধে দুবাইতে খেলতে নামবেন বিরাট কোহলিরা। ৩১ অক্টোবর নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচে খেলবে ভারত। ভারতের পরের ম্যাচ ৩ নভেম্বর আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে। আফগানিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি খুবই খারাপ। এই পরিস্থিতিতে তারা টি২০ বিশ্বকাপে খেলবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে।আরও পড়ুনঃ এএফসি কাপের প্রথম প্রতিপক্ষ নিয়ে কেন সতর্ক হাবাস?৫ নভেম্বর ও ৮ নভেম্বর যোগ্যতা অর্জনকারী দলের বিরুদ্ধে ম্যাচ বিরাট কোহলিদের। সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ১০ ও ১১ নভেম্বর। ফাইনাল হবে ১৪ নভেম্বর। তবে ফাইনালের জন্য একটা দিন রিজার্ভ রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসি। বিরাট কোহলিদের গ্রুপ পর্বের সবকটি ম্যাচ দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত হবে। ১৭ অক্টোবর থেকে মূলপর্বের যোগ্যতা অর্জনের খেলা শুরু হবে। দুপুর ২টোয় ঘরের মাঠে পাপুুয়া নিউ গিনির বিরুদ্ধে রাউন্ড ওয়ানের গ্রুপ বি-র প্রথম ম্যাচ খেলবে ওমান। রাউন্ড ওয়ানের গ্রুপ বি-র প্রথম ম্যাচও একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে। সন্ধ্যে ওমানের মাঠে স্কটল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। একদিন পর সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর আবু ধাবিতে রাউন্ড ওয়ানের গ্রুপ এ-র মোকাবিলা শুরু হবে। এই গ্রুপে আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, শ্রীলঙ্কা, নামিবিয়ার মতো দলগুলি লড়াই করবে। ২২ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে রাউন্ড ওয়ানের মোকাবিলা। দুই গ্রুপের দুটি করে দল সুপার ১২ রাউন্ডে খেলার সুযোগ পাবে।আরও পড়ুনঃ অবশেষে ইস্টবেঙ্গলকে চূড়ান্ত চুক্তিপত্রের সংশোধিত খসড়া পাঠাল শ্রী সিমেন্টপাঁচ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে চলেছে টি২০ বিশ্বকাপ। ১৭ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে প্রতিযোগিতা। ২০১৬ সালে শেষবার টি২০ বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ২০২০ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল প্রতিযোগিতার পরবর্তী সংস্করণ। করোনা ভাইরাসের জেরে দুই বছরের জন্য পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে ওই টুর্নামেন্ট। চলতি বছরের টি২০ বিশ্বকাপ ভারতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও অতিমারীর জেরে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে বাধ্য হয় আইসিসি। সংযুক্ত আরব আমিরশাহী এবং ওমানে আয়োজিত হবে টুর্নামেন্ট। উদ্যোক্তার ভূমিকায় থাকবে বিসিসিআই। কবে থেকে শুরু হচ্ছে টুর্নামেন্ট, তা জানা গিয়েছিল আগেই।
মেষ/ ARIES: আজ প্রীতিলাভ করতে পারেন।বৃষ/ TAURUS: কোনও মামলায় জয় পেতে পারেন।মিথুন/ GEMINI : মনে আশার সঞ্চার হতে পারে। কর্কট/ CANCER : নৈতিক জয় হতে পারে আজ।সিংহ/ LEO: আজ পরাক্রম বৃদ্ধি পেতে পারে। কন্যা/ VIRGO: কর্মে কোন্ও কারণে বিভ্রান্তি দেখা দিতে পারে। তুলা/ LIBRA: কোনও কারণে চিন্তান্বিত থাকতে পারেন। বৃশ্চিক/ Scorpio: উদারতা প্রদর্শন করতে পারেন। ধনু/ SAGITTARIUS: ধর্মে আগ্রহ বৃদ্ধি পেতে পারে। মকর/ CAPRICORN: কোনও কারণে অসন্তুষ্ট হতে পারেন। কুম্ভ/ AQUARIUS: আজ স্বার্থত্যাগ করতে পারেন। মীন/ PISCES : মনে কোনও কারণে উৎকণ্ঠা দেখা দিতে পারে।
লর্ডস টেস্টের শেষ দিনে নতুন বলে দ্রুত ভারতের শেষ ৪ উইকেট তুলে নেওয়া লক্ষ্য ছিল ইংল্যান্ডের। অন্তরায় হয়ে দাঁড়ালেন মহম্মদ সামি ও যশপ্রীত বুমরা। দুজনের অবিস্মরনীয় ইনিংস ভারতকে শুধু সঙ্কটজনক অবস্থা থেকে বার করে নিয়ে আসেনি, পৌঁছে দিয়েছিল জয়ের দোরগোড়ায়। সামিবুমরা জুটি শুধু দেশের মান বাঁচায় নি, কেড়ে নিয়েছিল রুটের মুখের গ্রাস। দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন ঘটিয়ে ঐতিহাসিক লর্ডসে অবিস্মরনীয় জয়। ইংল্যান্ডকে ১৫১ রানে হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল ভারত।আরও পড়ুনঃ খেলা হবে দিবসে ডিজে বাজিয়ে চিয়ার লিডারদের মাঠে নাচানো নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্কটি২০ যুগে টেস্ট ক্রিকেট নাকি হারিয়ে যাচ্ছে। সাম্প্রতিককালে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাস ঘাটলে কথাটার সঙ্গে মিল খুঁজে পাওয়া কঠিন। একদিন আগেই টানটান উত্তেজনার ম্যাচে পাকিস্তানকে ১ উইকেটে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর ভারতইংল্যান্ড টেস্টও পৌঁছে গিয়ে চূড়ান্ত ক্লাইম্যাক্সে। প্রথম দিন থেকেই পেন্ডুলামের মতো দৌদুল্যমান। কখনও ভারতের দিকে, কখনও আবার ইংল্যান্ডের দিকে। পঞ্চম দিন তো একসময় মনে হচ্ছিল ইংল্যান্ডের জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা। সেখান থেকে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন টিম ইন্ডিয়ার। নায়ক অবশ্যই মহম্মদ সামিযশপ্রীত বুমরা। ব্যাট হাতে এই দুজন পৌঁছে দিয়েছিল লড়াই করার জায়গায়। ক্রিকেট দেবতাও নিশ্চিতভাবে কুর্নিশ করবে সামিবুমরার প্রাইসলেস ইনিংস।আরও পড়ুনঃ এএফসি কাপের প্রথম প্রতিপক্ষ নিয়ে কেন সতর্ক হাবাস?তৃতীয় দিল শেষ বেলা থেকেই উত্তপ্ত লর্ডস। জিমি অ্যান্ডারসনকে একের পর এক বুমরার বাউন্সার দেওয়াকে কেন্দ্র করে। অ্যান্ডারসনের সঙ্গে বুমরার বাকযুদ্ধ। পরে বাটলারের সঙ্গে, যোগ দেন মার্ক উডও। উডের বাউন্সার হেলমেটে লাগতেই অন্য চেহারায় বুমরা। মুখে নয়, জবাব দিয়ে গেলেন ব্যাটে। লর্ডসেই ব্রিটিশ রাজের পতন ঘটাতে যেন বদ্ধপরিকর।ভারতের লড়াইয়ে ফেরার ভিত গড়ে দিয়েছিলেন চেতেশ্বর পুজারা ও অজিঙ্কা রাহানে। চাপে পড়লেই জ্বলে ওঠা অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন এই দুই ব্যাটসম্যান। চতুর্থ দিন ভারত যখন ৫৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল, রুখে দাঁড়ান পুজারারাহানে। দুজনে মিলে জুটিতে ১০০ রান তুলে দলকে প্রাথমিক বিপদ থেকে উদ্ধার করেন। দুই ওপেনার রাহুল (৫), রোহিত (২১) দ্বিতীয় ইনিংসে দলকে ভরসা দিতে পারেননি। কোহলিও (২০)। দলের সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে রুখে দাঁড়ান পুজারা ও রাহনে। দুর্ভাগ্যের শিকার না হলে বড় রান পেতেন পুজারা (৪৫)। মার্ক উডের হঠাৎ লাফিয়ে ওঠা বল ব্যাটের কানায় লেগে রুটের হাতে। রাহানে (৬১) অবশ্য অর্ধশতরান হাতছাড়া করেননি।আরও পড়ুনঃ অবশেষে ইস্টবেঙ্গলকে চূড়ান্ত চুক্তিপত্রের সংশোধিত খসড়া পাঠাল শ্রী সিমেন্টচতুর্থ দিনের শেষে ভারতের রান ছিল ১৮১/৬। ক্রিজে ছিলেন ঋষভ পন্থ (১৪) ও ইশান্ত শর্মা (৪)। ঋষভের (২২) ওপর দায়িত্ব ছিলে দলকে টেনে নিয়ে যাওয়া। কিন্তু পঞ্চম দিন সকালে দলকে বেশি টানতে পারেননি। ইশান্ত মূল্যবান ১৬ রান যোগ করেন। তিনি যখন ফিরে যান, দলের রান ২০৯। সকলেই ধরে নিয়েছিলেন, ভারতের প্রথম ইনিংসের সমাপ্তি শুধু সময়ের অপেক্ষা। এরপরই শুরু সামি (অপরাজিত ৫৬) ও বুমরার (৩৪) সেই অবিস্মরনীয় লড়াই। ইশান্ত ১৬ রানে লেগ বিফোর হতে ভারতের অষ্টম উইকেট পড়ে ২০৯ রানে। লিড তখন ১৮২। ইংল্যান্ড যখন জয়ের স্বপ্ন দেখছে, তখনই রুখে দাঁড়ান সামি ও বুমরা। শেষ পর্যন্ত তাঁদের জুটি ভাঙতে পারেননি ইংল্যান্ডের বোলাররা। অসমাপ্ত নবম উইকেট জুটিতে সামি ও বুমরা যোগ করেন রেকর্ড ৮৯ রান। লাঞ্চের পর ৮ উইকেটে ২৯৮ তুলে যখন ইংল্যান্ডকে জেতার জন্য ২৭২ রানের টার্গেট ছুড়ে দিতে ইনিংস ডিক্লেয়ার করেন কোহলি, তখন সামি অপরাজিত ৫৬ রানে।আরও পড়ুনঃ ১২ ঘন্টার দীর্ঘ লড়াই শেষে ১২ তম ইন্ডিয়ান আইডল স্নিগ্ধ হাওয়া পবনদীপসামিবুমরা জুটি ব্যাট করার সময় বারবার মাথায় হাত দিচ্ছিলেন রুট। দেওয়াল লিখনটা তখনই হয়তো চোখের সামনে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। চতুর্থ ইনিংসে ভারতীয় বোলিংয়ের সামনে ভেঙে পড়ার ঐতিহ্য রয়েছে রুটের ইংল্যান্ডের। লর্ডসেও তার ব্যাতিক্রম নয়। ২৭১ রানে এগিয়ে থাকাটাই আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছিল কোহলি ব্রিগেডকে। রুটদের ওপর শুরু থেকেই ঝাঁপিয়ে পড়ার রসদ ছিল ওই ২৭১র মধ্যে। প্রথম দুই ওভারে সামিবুমরা জুটি যেভাবে ইংল্যান্ডের ওপর আঘাত হেনেছিলেন, তা থেকে বেরিয়ে আসার মতো দক্ষতা নেই এই ইংল্যান্ড দলের। রুট (৩৩), বাটলার (২৫) কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তার আগেই রক্তের স্বাদ পেয়ে গিয়েছিলেন বুমরা (৩/৩৩), সিরাজরা (৪/৩২)। শেষ পর্যন্ত ৫১.৫ ওভারে ১২০ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস।
এক ব্যক্তি এক পদ নীতি-কে কার্যকর করে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস তাদের সাংগঠনিক পর্যায় আজ বড়সড় রদবদল করেছে। মন্ত্রী এবং অন্যান্য প্রশাসনিক ও সাংবিধানিক পদে থাকা ব্যক্তিদের সরিয়ে তার জায়গায় সংগঠনে বেশ কিছু নতুন মুখকে জায়গা করে দেওয়া হয়েছে। সংগঠনকে মজবুত করতে উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই জেলা সভাপতি পদে রদবদল করা হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনার মতো বড় জেলাগুলিকে ২-৩টি ভাগে ভেঙে নতুন ব্যক্তিদের সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে।আরও পড়ুনঃ এএফসি কাপের প্রথম প্রতিপক্ষ নিয়ে কেন সতর্ক হাবাস?মুর্শিদাবাদ জেলাকে জঙ্গিপুর ও বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা থেকে বিভক্ত করে নতুন জেলা সভাপতি নিযুক্ত করা হয়েছে। একইভাবে নদিয়া জেলাকে ও নদিয়া উত্তর বা কৃষ্ণনগর এবং নদিয়া দক্ষিণ বা রানাঘাট নামে দুই সাংগঠনিক জেলায় ভাগ করা হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলাকে ভাগ করা হয়েছে ৪টি সাংগঠিক জেলায়।এগুলি হল দমদম-ব্যারাকপুর, বনগাঁ, বসিরহাট ও বারাসত। কলকাতায় উত্তর ও দক্ষিণ দুটি সাংগঠনিক জেলা তৈরি করা হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সংগঠন ভেঙে তৈরি করা হয়েছে সুন্দরবন ও যাদবপুর-ডায়মণ্ডহারবার সাংগঠনিক জেলায়।পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সংগঠনকে তমলুক ও কাঁথি এই দুই সাংগঠনিক জেলায় এবং পশ্চিম মেদিনীপুরকে ঘাটাল ও মেদিনীপুর এই দুই সাংগঠনিক জেলায় ভাগ করা হয়েছে। বাঁকুড়া জেলা সংগঠনকে বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর এই দুই জেলায় ভাগ করা হয়েছে। হুগলি জেলা সংগঠনকে ভাগ করা হয়েছে আরামবাগ ও হুগলি-শ্রীরামপুর এই দুই সাংগঠনিক জেলায়। হাওড়া জেলা সংগঠন অবশ্য আগের মতোই হাওড়া সদর ও হাওড়া গ্রামীণ সংগঠনে বিভক্ত থাকছে। তবে ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান ও বীরভূম জেলার ক্ষেত্রে নতুন করে কোনও সাংগঠিক জেলা তৈরি করা হয়নি। তৃণমূল কংগ্রেসের এই সাংগঠনিক রদবদল যে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ মুখ তাদের সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন তাদের মধ্যে রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক প্রমুখের নাম উল্লেখযোগ্য। এছাড়া মৌসম বেনজির নূর, কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী মত মুখেরাও তাদের সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে বাদ পড়েছেন।আরও পড়ুনঃ ধুন্ধুমার ধর্মতলা, গ্রেপ্তার শুভেন্দু-দিলীপ-জয়প্রকাশরাযে সব জেলা সভাপতি এবার মন্ত্রী হয়েছেন, তাঁদের জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে নতুন মুখদের জায়গা দেওয়া হতে পারে বলেও জল্পনা ছিল। বাস্তবেও তাই হল। সেইসঙ্গে এক একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলাকে বেশ কয়েকটি ভাগে ভাগ করে দেওয়া হল। রাজ্য সহ সভাপতি করা হল ২ জনকে।রাজ্য-সহ সম্পাদক করা হল ৮ জনকে। রাজ্য কমিটিতে ১০ জনকে স্পেশ্যাল নিয়োগ করা হয়েছে।
বিজেপির কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার কলকাতায় রানি রাসমনি রোডে। সোমবার বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও কর্মসূচি ঘিরে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি নেতারা। অভিযোগ, কর্মসূচি শুরুর আগেই অতি তৎপর হয়ে পড়ে পুলিশ। রানি রাসমণি রোডে পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় বিজেপি কর্মীদের। মহামারি আইনে গ্রেপ্তার করা হয় শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, জয়প্রকাশ মজুমদার, দেবশ্রী চৌধুরী, সৌমিত্র খাঁ, শীলভদ্র দত্তদের আটক করে পুলিশ। প্রসঙ্গত, রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও দিবস কর্মসূচি পালন বিজেপির রানি রাসমনি অ্যাভিনিউতে বিক্ষোভ সমাবেশের পর গান্ধি মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি নেতারা। এরপর মহামারি আইনে গ্রেপ্তার করা হয় বিজেপি নেতারা। আরও পড়ুনঃ তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত? কংগ্রেস ছাড়লেন সুস্মিতা দেবমূলত এ রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার কী পরিস্থিতি কিংবা একুশের বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর রাজ্যের কী ছবি তা বাংলার মানুষের কাছে তুলে ধরতেই এই পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি। নারী নিগ্রহের ঘটনা থেকে টিকা নিয়ে কারচুপি, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীদের। তা নিয়েই এদিনের ধরণা।রাজ্যজুড়ে বিজেপি একাধিক কর্মসূচি নিয়েছে গত আটদিন ধরে। ১৬ অগস্ট তার শেষদিন। এদিন কলকাতার পাশাপাশি জেলায় জেলায় বিক্ষোভ, ধরণার আয়োজন করেছে গেরুয়া শিবির। কলকাতায় রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়েও তৈরি হয় ধরণা মঞ্চ। সেখানে থাকার কথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীদের। পাশাপাশি রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাছে স্মারকলিপিও দেওয়ারও কর্মসূচি নিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। এদিন সেই কর্মসূচির শুরুতেই ঝামেলা জড়িয়ে পড়ে পুলিশ ও বিজেপি কর্মীরা।
দেবাদিত্য রায়চৌধুরীর উদ্যোগে তার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা লেক গার্ডেনস বর্ণপরিচয় ২৫ জন কোভিড যোদ্ধাকে কোভিড যোদ্ধা সম্মানে ভূষিত করল। এই বিশেষ দিনে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার সম্বরণ ব্যানার্জি, অভিনেতা দেবরাজ মুখার্জি সহ আরও অনেকে।আরও পড়ুনঃ ন১২ ঘন্টার দীর্ঘ লড়াই শেষে ১২ তম ইন্ডিয়ান আইডল স্নিগ্ধ হাওয়া পবনদীপএখানে উপস্থিত হলে দেবরাজ মুখার্জি জানালেন,সাবধানে থাকতে হবে আমাদের। পরিবার, বন্ধু-বান্ধব থেকে শুরু করে অন্য মানুষদেরও সাবধানে রাখতে হবে। মন ভালো রাখতে হবে। ভালো খেতে হবে এবং নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। তাহলে আমরা ভালো থাকবো। এদিন যারা কোভিড যোদ্ধা সম্মানে ভূষিত হল তাদের সম্মান জানিয়েছেন এবং বলেছেন এদের সম্বর্ধনা দেওয়াটা খুব ভালো একটা পদক্ষেপ।আরও পড়ুনঃ মুক্তি পেল হরোর স্টোরিসদেবাদিত্য জানালেন,২৫টি কোভিড আক্রান্ত পরিবারের বাচ্চাদের আমরা পড়াশোনার দায়িত্ব নিচ্ছি। তাদের হাতে পড়াশোনার সামগ্রী তুলে দেবো ৮ সেপ্টেম্বর বিশ্ব সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে। পুজোর সময় আমরা শারদ সম্মান করে থাকে। এবারের শারদ সম্মান অষ্টম বছরে পদার্পণ করবে। শারদ সম্মান মানে শুধু পুরস্কার দেওয়া নয়। সোশ্যাল অ্যাস্পেক্টটাও তুলে ধরা।