মেষ/ARIES: মানসিক অবসাদে ভুগতে পারেন।বৃষ/TAURUS: পাওনা থেকে বঞ্চিত হতে পারেন।মিথুন/GEMINI: চিকিৎসায় ব্যয় হতে পারে।কর্কট/CANCER: নতিস্বীকার করতে পারেন।সিংহ/LEO: বিমা কর্মীদের জন্য শুভ।কন্যা/VIRGO: অযথা চিন্তা করতে পারেন।তুলা/ LIBRA: ব্যবসায় শত্রুবৃদ্ধি হতে পারে।বৃশ্চিক/Scorpio: ভোগবিলাসে ব্যয় করতে পারেন।ধনু/SAGITTARIUS: নানাবিধ সমস্যায় পড়তে পারেন।মকর/CAPRICORN: পারিবারিক অশান্তি হতে পারে।কুম্ভ/AQUARIUS: দাম্পত্যে সুখলাভ করতে পারেন।মীন/ PISCES: আতঙ্কিত হতে পারেন।
জমিতে উৎপাদিত ধান সরকারি সহায়ক মূল্যে বিক্রি করতে না পেরে পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন চাষিরা। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের গলসি-১ ব্লকের লোয়া রামগোপালপুর পঞ্চায়েতে। কয়েকশো চাষি পঞ্চায়েত অফিসের গেট আটকে অবস্থান বিক্ষোভ করেন। প্রধান ও অফিস কর্মীদের অফিসে ঢুকতে না দিয়ে চাষিরা তাদের পথ আটকে দিয়ে বিক্ষোভও দেখান। চাষিদের এমন আন্দোলন ঘিরে এদিন লোয়া রামগোপালপুর পঞ্চায়েত অফিসের সামনে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া চাষিরা এদিন অভিযোগ করেন, তাঁরা অনেক কষ্ট করে নিজ নিজ জমিতে ধান উৎপাদন করেছেন। সরকার চাষিদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান কেনার ব্যবস্থাও করেছে। গলসির প্রায় সব পঞ্চায়েত সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান কেনা শুরু করে দিয়েছে। কিন্তু গলসির লোয়া রামগোপালপুর পঞ্চায়েত চাষিদের কাছ থেকে সরকারু সহায়ক মূল্যে ধান কেনা শুরুর কোনও ব্যবস্থাই করতে পারেনি। প্রতিবাদী চাষিরা এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তাঁদের জমিতে উৎপাদিত ধান অবিলম্বে পঞ্চায়েত ও প্রশাসন সরকারি সহায়ক মূল্যে কেনার ব্যবস্থা করুক। তা না হলে তাঁরা আরও বৃহত্তর আন্দোলন শুরু করবেন। চাষি কেষ্ট ঘোষ, চন্দন মুখোপাধ্যায় বলেন,গলসির সব পঞ্চায়েত চাষিদের সরকারি সহায়ক মুল্যে ধান বিক্রি করার জন্য টোকেন দেওয়া শুরু করে দিয়েছে। অথচ তাঁদের এলাকার চাষিরা টোকেন প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত রয়ে আছেন। চাষের জন্য বহু চাষির দেনায় পরে আছে। কেউ মহাজনী ঋন নিয়ে আবার কেউ সোনা-গহনা বন্ধক রেখে চাষ করেছেন। তিন বছর ধরে চাষিরা ফলনে মার খাচ্ছে। এবার আবার ধান বিক্রির টোকেন মিলছে না। এমন চললে তাদের মরন ছাড়া পথ নেই। চন্দন মুখোপাধ্যায় জানান, তিনি ত্রিশ বিঘা জমি চাষ করেছেন। সেই ধান এখনও পযন্ত বিক্রি করতে পারেননি। সব জেনেও পঞ্চায়েত উদাসীনতা দেখিয়ে চলেছে। চাষিদের অভিযোগ প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত প্রধান পম্পা রুইদাস বলেন,তিন মাস ধরে বিডিওর সাথে চাষিদের ধান বিক্রি কথা চলেছে। শেষে সমবায় ছাড়া ডিপিসি-র মাধ্যমে ধান নেওয়া হবে না বলে তাঁকে গলসি ১ ব্লকের ব্লকের বিডিও দেবলীনা দাস জানিয়ে দিয়েছেন। সেই কারণেই তাঁদের অঞ্চলের চোদ্দোশো চাষির ধান বিক্রি হয়নি। প্রধান বলেন, এদিন চাষিদের আন্দোলনে নামা দেখে তিনি বিডিওকে ফোন করেছিলেন । কিন্তু কোন সদুত্তর পাননি। যদিও গলসি ১ ব্লকের বিডিও দেবলীনা দাস জানিয়েছেন, লোয়া রামগোপালপুর পঞ্চায়েত এর সব চাষির ধান নেওয়া হবে। তার একটা পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ওই দিন পঞ্চায়েত প্রধান গোটা বৈঠকে না থাকায় তিনি বিষয়টি জানতে পারেননি। তাই তিনি ম্যাসেজটি চাষিদের জানতে পারেননি। বুদবুদ সমবায় সমিতি ও পোতনা এলাকায় চলা ডিপিসি মাধ্যমে ৪ জানুয়ারী থেকে চাষিদের কাছ থেকে সরকারি সহায়ক মুল্যে ধান কেনা শুরু হবে।
তিন বছর আগে বাংলার অনূর্ধ্ব ১৬ দলের ক্রিকেটারদের বয়স যাচাই প্রক্রিয়া চলছিল। হাড়ের পরীক্ষায় পাশ করতে পারেননি রবি কুমার। সেদিন হতাশায় ইডেন চত্বর ছেড়ে বাড়ি ফিরতে হয়েছিল। তবে ভেঙে পড়েননি। নতুন উদ্যমে আবার প্রস্তুতি শুরু করে দেন। অবশেষে বাংলার অনূর্ধ্ব ১৯ দলে সুযোগ। সেখান থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি বাংলার এই জোরে বোলারকে। একেবারে জাতীয় দল। অনূর্ধ্ব ১৯ এশিয়া কাপ খেলে বিশ্বকাপের আসরে।ওয়েস্ট ইন্ডিজে বিশ্বকাপের সুযোগ পেলেও প্রথম দিকে সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি। কোয়ার্টার ফাইনালে দুরন্ত বোলিং করে সকলের নজর কেড়েছেন রবি কুমার। তাঁর বিষাক্ত সুইংয়ে নাজেহাল হয়ে পড়েছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। অ্যান্টিগুয়ার পরিবেশও সুবিধা করে দিয়েছিল রবি কুমারকে। তাঁর সুইংয়ে মুগ্ধ হয়েছিলেন স্বয়ং কার্লোস ব্রেথওয়েট। কমেন্ট্রি বক্সে বসে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছিলেন রবি কুমারকে।রবি কুমারের বাবা রাজেন্দ্র কুমার সিং আদতে উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা। সিআরপিএফে চাকরি করতেন। চাকরীসূ্ত্রে তিনি কলকাতাতেই থাকতেন। কলকাতাতেই রবির জন্ম। পরে আলিগড়ে চলে যান। সেখানেই প্রথাগত ক্রিকেটে হাতেখড়ি রবি কুমারের। সেখান থেকেই তাঁর ছোট বেলার কোচ অরবিন্দ ভদ্বরাজ রবিকে কলকাতায় পাঠান ক্লাব ক্রিকেট খেলতে। কলকাতায় এসে কাকাকাকীমার কাছে থাকতেন। হাওড়া ইউনিয়নের হয়ে কলকাতা দ্বিতীয় ডিভিশন খেলে নজরে পড়েন। এরপর বালিগঞ্জ ইউনাইটেডে যোগ দেন। সেখানে কোচ হিসেবে পেয়েছিলেন অমিতাভ রায়কে। তারপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি রবি কুমারকে।সিএবির চ্যালেঞ্জার ট্রফিতে ভাল খেলে সুযোগ করে নেন বাংলার অনূর্ধ্ব ১৯ দলে। বাংলা দলে তাঁকে ঘষেমেজে তৈরি করে কোচ দেবাং গান্ধী ও বোলিং কোচ জয়ন্ত ঘোষ দস্তিদার। ছোট থেকেই হাতে সহজাত সুইং ছিল রবি কুমারের। কিন্তু হাতের পেশিতে খুব বেশি জোর ছিল না। অনূর্ধ্ব ১৯ বাংলা দলে রবি কুমারের পেশির শক্তি বাড়ানোর দিকে নজর দেন দেবাং গান্ধী। তবে বোলিং ভঙ্গী বদলানোর চেষ্টা করেননি।অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্কের ভক্ত রবি কুমার। বালিগঞ্জ ইউনাইটেডেই হোক কিংবা বাংলার অনূর্ধ্ব ১৯ দলের অনুশীলনে, নেটে অনেকটা সময় একা একা বোলিং করতেন। কলকাতায় যখন অফ সিজন। চলে যেতেন আলিগড়ে। সেখানে অনুশীলন করতেন অরবিন্দ ভদ্বরাজের কাছে। মরশুম শুরু হলেই আবার কলকাতায় চলে আসতেন রবি কুমার। আলিগড়ে নেটে একটা উইকেট পুঁতে স্পট বোলিং প্র্যাকটিস করাতেন অরবিন্দ ভদ্বরাজ। এইভাবেই অনুশীলন করে লাইনলেংথে নিখুঁত হয়েছেন রবি কুমার। দেশকে সেমিফাইনালে তুলে রবির লক্ষ্য ফাইনাল। বিশ্বকাপ জিতে দেশে ফিরছেন, এখন এই স্বপ্নটাই দেখছেন বাংলার রবি।
করোনা বিধি-নিষেধের মেয়াদ ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়লেও খুশির খবর টলিউডে। প্রেক্ষাগৃহে দর্শকসংখ্যা ৫০ শতাংশ থেকে বেড়ে হল ৭৫ শতাংশ। সোমবার নবান্ন থেকে করোনার নতুন বিধি ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অনুযায়ী, আরও ২৫ শতাংশ বাড়ল প্রেক্ষাগৃহের দর্শকসংখ্যা। এর আগে ওমিক্রনের প্রভাবে প্রেক্ষাগৃহ বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল দিল্লিতে। পশ্চিমবঙ্গে প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ না হলেও ১০০ শতাংশ দর্শকসংখ্যা কমিয়ে করা হয়েছিল ৫০ শতাংশ। যার ফলে, ফের মাথায় হাত পড়েছিল হল-মালিক, পরিচালক, প্রযোজক, অভিনেতাদের। বেশ কিছু ছবি-মুক্তিও পিছিয়েছিল এই কারণেই। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণা কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরিয়ে দিল বিনোদন দুনিয়ায়।অন্যদিকে সরকারি বেসরকারি অফিসে ৭৫ শতাংশ হাজিরা নিয়ে হবে কাজকর্ম।৭৫ শতাংশ নিয়ে সিনেমা হল, থিয়েটার হল, রেস্তোরাঁ এবং বার চালু থাকতে পারবে। স্পোর্টস অ্যাকটিভিজ ৭৫ শতাংশ আসনে লোক নিয়ে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, রাজনৈতিক কর্মসূচিও ৭৫ শতাংশ আসনে লোক নিয়ে করা যাবে। নেতাজি ইনডোরে কোনও অনুষ্ঠান হলে ৭৫ শতাংশ আসন ক্ষমতা নিয়ে অনুষ্ঠান করা যাবে। হলগুলোও ৭৫ শতাংশ লোক নিয়ে চলবে। রাস্তার মিটিং মিছিলে একটু কড়াকড়ি রাখা হয়েছে। সবটা একসঙ্গে ছাড়লে সমস্যা হতে পারে। সিএবিরও আইপিএল আসছে। সুতরাং একটা ভেন্যু থেকে ৭৫ শতাংশ ক্যাপাসিটি রেখে করতে পারবে। সুইমিং পুল খুলে দেওয়া হল। পার্ক খুলে দেওয়া হচ্ছে। বিয়েবাড়িতে ৭৫ শতাংশ উপস্থিতিতে ছাড়। ১৬ ফেব্রুয়ারি ইন্ডাস্ট্রিয়াল মিট হবে। চেম্বার্সগুলোর সঙ্গে। মুম্বই, দিল্লির বিমান নিয়মিত ওঠানামা করবে। ইউকে কলকাতা উড়ান হবে। এখানে নেমে আরটিপিসিআর করতে হবে।
বঙ্গে জাঁকিয়ে পড়েছে শীত। রোজই পারদ নিম্নমুখী। রবিবার রাতেও একাধাক্কায় তিন ডিগ্রি নামল পারদ। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আপাতত শীত থাকলেও বেশিদিনের সঙ্গী হবে না। ৩ ফেব্রুয়ারির পর থেকেই বদলাবে হাওয়া। মাঘের মাঝমাঝিতে বেশ শীত থাকলেও ফের একটি ঝঞ্ঝা পূর্ব ভারতের দিক থেকে আসায় মঙ্গলবার থেকে শীতের দাপট কিছুটা কমবে। আকাশে মেঘ ঢুকতে থাকায় দিনের তাপমাত্রা কমলেও ব্যাহত হবে রাতের পারদ পতন। সেই সঙ্গে বাধা পাবে উত্তুরে হাওয়া। তবে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, সরস্বতী পুজোর পর ফের ফিরতে পারে শীত।আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আপাতত চলতি সপ্তাহে স্থায়ী হবে শীত। তবে সপ্তাহান্তে ৪ ফ্রেবুয়ারি থেকে বদলাতে শুরু করবে আবহাওয়া। বাড়বে তাপমাত্রা। আগামী ৪ ও ৫ তারিখ সরস্বতী পুজোয় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতায় হালকা থেকে মাঝারি ও জেলাগুলিতে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।পশ্চিমী ঝঞ্ঝার ও তামিলনাড়ুতে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্তের জোড়া ফলায় গাঙ্গেয় বঙ্গে প্রচুর জ্বলীয় বাষ্প প্রবেশ করবে। তার জেরেই আগামী ৪ ও ৫ ফেব্রুয়ারি ফের বৃষ্টিপাত হতে পারে। এদিকে ৫ তারিখই সরস্বতী পুজো। তাই ছাতা ছাড়া পুজোর ঘোরাফেরা মাটি হতে পারে বলেই জানিয়েছেন আবহবিদরা।
মেষ/ARIES: সামাজিক কাজে ব্যস্ত থাকতে পারেন।বৃষ/TAURUS: দ্রব্যের ক্ষতি হতে পারে।মিথুন/GEMINI: শ্রীবৃদ্ধি হতে পারে।কর্কট/CANCER: শত্রুভয় হতে পারে।সিংহ/LEO: প্রণয়াসক্তি হতে পারে।কন্যা/VIRGO: পশু দংশন করতে পারে।তুলা/ LIBRA: শুভ যোগাযোগ হতে পারে।বৃশ্চিক/Scorpio: অস্থিরতাভাব হতে পারে।ধনু/SAGITTARIUS: নতুন কাজ আরম্ভ করতে পারেন।মকর/CAPRICORN: সমস্যার সমাধান হতে পারে।কুম্ভ/AQUARIUS: স্বনিযুক্তি প্রকল্পে লাভ হতে পারে।মীন/ PISCES: বাতের ব্যথায় কষ্ট পেতে পারেন।
এলেন, দেখলেন, জয় করলেন জামশিদ নাসিরির সুপুত্র কিয়ান নাসিরি। তাঁর দুরন্ত হ্যাটট্রিকে আইএসএলের ডার্বিতে উড়ে গেল লালহলুদ। তারুণ্যের কাছে বিধ্বস্ত এসসি ইস্টবেঙ্গল। প্রথম পর্বের মতো দ্বিতীয় পর্বের ডার্বিতেও জয় তুলে নিল এটিকে মোহনবাগান। এবার ম্যাচের ফল ৩১। নতুন তারকার জন্ম হল এবারের আইএসএলের ডার্বিতে। পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নেমে বাজিমাত কিয়ান নাসিরির।ধারেভারে অনেকটাই এগিয়ে থেকে ডার্বিতে মাঠে নেমেছিল এটিকে মোহনবাগান। হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট থাকায় রয় কৃষ্ণাকে মাঠে নামাননি কোচ জুয়ান ফেরান্দো। আক্রমণভাগে শুরু করেছিলেন হুগো বোমাস ও ডেভিড উইলিয়ামস। অন্যদিকে, এসসি ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণভাগে ছিলেন দুই বিদেশি আন্তোনীয় পেরোসেভিচ ও মার্সেলো রিবেইরো। বিদেশিদের ছাপিয়ে নায়ক এক ভারতীয় ফুটবলার।শুরু থেকেই ম্যাচ আক্রমণ প্রতিআক্রমণে জমে উঠেছিল। এটিকে মোহনবাগান মূলত বাঁদিক দিয়ে আক্রমণ তুলে নিয়ে আসছিল। লিস্টন কোলাসো বারবার ব্যতিব্যস্ত রাখছিলেন লালহলুদ ডিফেন্সকে। হায়দরাবাদ এফসি ম্যাচে রক্ষণের জন্য ডুবতে হয়েছিল এসসি ইস্টবেঙ্গলকে। ফ্রাঞ্জো পর্চে একেবারেই নিস্প্রভ ছিলেন। ডার্বিতে পর্চেকে একেবারে অন্য মেজাজে দেখা গেল। হুগো বোমাস, ডেভিড উইলিয়ামসদের সেভাবে জ্বলে ওঠার সুযোগ দেননি।এটিকে মোহনবাগানের আক্রমণের চাপ বেশি থাকলেও প্রথম গোলের সুযোগ পেয়েছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। ১৪ মিনিটে নওরেম মহেশ সিংয়ের মাটি ঘেঁসা শট পোস্টের পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। ২৫ মিনিটে সামনে শুধু এটিকে মোহনবাগান গোলকিপার অমরিন্দার সিংকে একা পেয়েও বাইরে মারেন মার্সেলো রিবেইরো। আক্রমণ প্রতিআক্রমণে জমে উঠলেও প্রথমার্ধে কোনও দল গোল করতে পারেনি।গোলের জন্য দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই মরিয়া হয়ে ওঠে এটিকে মোহনবাগান। ৪৭ মিনিটে বাঁদিক থেকে বক্সে ঢুকে ডানপায়ে দুরন্ত শট নিয়েছিলেন লিস্টন কোলাসো। তাঁর শট বারে লেগে ফিরে আসে। ২ মিনিট পরেই গোল করার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিলেন শুভাশিস বসু। ৬ গজ বক্সের মধ্যে থেকে হেডে বল জালে রাখতে পারেননি। ৫১ মিনিটে লিস্টন কোলাসোর আরও একটি দুরপাল্লার শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।৫৪ মিনিটে ডানদিক থেকে ঢুকে গিয়ে বাঁপায়ে দুরন্ত শট নিয়েছিলেন আন্তোনীয় পেরোসেভিচ। তাঁর শট ততোধিক তৎপরতার সঙ্গে কর্ণারের বিনিময়ে বাঁচান এটিকে মোহনবাগান গোলকিপার অমরিন্দার সিং। পেরোসেভিচের কর্ণার বক্সের মধ্যে পেয়ে যান ড্যারেল সিডোয়েল। তাঁর শট মনবীরের গায়ে লেগে গোলে ঢুকে যায়।৬৪ মিনিটে সমতা ফেরায় এটিকে মোহনবাগান। সৌরভ দাসের ভুল ক্লিয়ারেন্স ধেরে ডান পায়ের কোনাকুনি শটে গোল করেন কিয়াম নাসিরি। জামশিদ নাসিরির পুত্র কিয়ামের এটাই প্রথম ডার্বি। ৬৫ মিনিটে লিস্টনকে বক্সের মধ্যে ফাউল করেন অমরজিৎ কিয়াম। পেনাল্টি পায় এটিকে মোহনবাগান। অবিশ্বাস্যভাবে বারের ওপর দিয়ে উড়িয়ে দেন ডেভিড উইলিয়ামস। ৮০ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত এসসি ইস্টবেঙ্গল। নওরেম মহেশ সিংয়ের শট আটকে দেন অমরিন্দার সিং। ৮৬ মিনিটে কোলালোর শট গোল লাইন থেকে সেভ করেন হীরা মণ্ডল।ম্যাচের ইনজুরি সময়ে আবার জ্বলে ওঠেন কিয়ান। লিস্টন কোলাসোর সেন্টার ডেভিড উইলিয়ামস হেড করলে বল পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি বলে দুরন্ত শটে ২১ করেন কিয়ান। ১ মিনিট পরেই হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন। ডার্বির অভিষেকেই হ্যাট্টট্রিক করে ইতিহাস গড়লেন জামশিদ নাসিরির পুত্র।
মেষ/ARIES: কর্মে অগ্রগতি হতে পারে।বৃষ/TAURUS: মতবিরোধ হতে পারে।মিথুন/GEMINI: কর্মে ভুলভ্রান্তি হতে পারে।কর্কট/CANCER: ব্যবসায়ীদের জন্য শুভ।সিংহ/LEO: মিত্রলাভ করতে পারেন।কন্যা/VIRGO: বাণিজ্যে প্রসার হতে পারে।তুলা/ LIBRA: ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে।বৃশ্চিক/Scorpio: হতাশা দেখা দিতে পারে।ধনু/SAGITTARIUS: ঋণযোগ রয়েছে।মকর/CAPRICORN: বিষন্নতা দেখা দিতে পারে।কুম্ভ/AQUARIUS: পাওনা আদায় করতে পারেন।মীন/ PISCES: পদমর্যাদা লাভ করতে পারেন।
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডে আগুন ধরে যাওয়ায় পুড়ে মৃত্যু হয়েছে করোনা আক্রান্ত এক প্রৌঢ়ার। মৃতার নাম সন্ধ্যা মণ্ডল (৭২)। তাঁর বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের গলসির বড়মুরিয়া গ্রামে।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার সকাল থেকে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপালে। হাসপাতাল কর্মীরাই প্রথম আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। পরে খবর পেয়ে দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌছায়। আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখেন দমকলের আধিকারিকরা। ওয়ার্ডে থাকা অক্সিজেন সিলিন্ডার থেকে আগুন লেগেছে নাকি মসা মারার ধূপ থেকে বেডে আগুন ধরে গিয়েছিল তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনা নিয়ে হাসপাতালের তরফে একটি এফআইআর করা হয়েছে। পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। মৃতদেহটি এদিনই ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। ভিসেরা সংগ্রহে রাখারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বর্ধমান হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডে এক রোগীনির মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে বেলা বাড়তেই রাজ্য জুড়ে তোলপাড় পড়ে যায়। ঘটনা নিয়ে সোচ্চার হয় রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা ও বিধায়করা। তড়িঘড়ি রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেয়। স্বাস্থ্য দফতরের তিন সদস্যের কমিটি হাসপাতালে আগুন লাগার ঘটনার তদন্ত করবে। জানা গিয়েছে, ওই কমিটিতে রয়েছেন স্পেশাল সেক্রেটারি অনিরুদ্ধ নিয়োগী, আরজিকর হাসপাতালের ফরেন্সিক মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সোমনাথ দাস ও নার্সিং মেম্বার মণিকা গায়েন। পাশাপাশি বর্ধমান হাসপাতালের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের সমস্ত সরকারী হাসপাতালে ফায়ার অডিটের নির্দেশও দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট উপসর্গ থাকায় পরিবারের লোকজন গত বুধবার প্রৌঢ়া সন্ধ্যা মণ্ডলকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কোভিড ওয়ার্ড অর্থাৎ রাধারানী ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। সেখানেই তাঁর কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ এলে পরদিন সন্ধ্যাদেবীকে হাসপাতালের কোভিড জেনারেল বেডে স্থানান্তরিত করা হয়। তাঁর অক্সিজেন চলছিল। রাতে ওয়ার্ডের বাইরে শুয়েছিলেন রোগীর পরিজনরা। শনিবার ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ সেখানেই ঘটে বিপত্তি। ওয়ার্ডের ৬ নং ব্লকের ৮০ নম্বর বেডে হঠাৎ আগুন ধরে যায়। সেই বেডে থাকা সন্ধ্যাদেবী আগুনে পুড়ে দগ্ধ হন। তাতেই মৃত্যু হয় তাঁর।রাধারানী ওয়ার্ডের বাইরে রাতে শুয়ে থাকা রোগী পরিজনদের একজন হলেন মেমারির নিশিরাগড় নিবসী বাসি হেমব্রম। তিনি জানান, রাধারানী ওয়ার্ডের উল্টোদিকের বপডে তিনি শুয়েছিলেন। হঠাৎ শুনতে পান ওয়ার্ডের ভিতর থেকে আগুন আগুন বলে এক মহিলা চিৎকার করছেন। তেমনটা শুনেই দ্রুত তিনি ছুটে ওয়ার্ডে ভিতর যান। গিয়ে দেখেন ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভিতরের একটি বেডে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। তা দেখে ওয়ার্ডে থাকা বাকি রোগীরা ছুটে বেড়িয়ে আসছে। রোগীদের চিৎকার চেঁচামেচি শুনে হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীরা ওয়ার্ডে পৌছে আগুন নেভায়। তারই মধ্যে আগুনে পুড়ে দগ্ধ হন প্রৌঢ়া রোগী। পরে তিনি মারা যান । অপর এক রোগীর পরিজন সুমিত্রা মাঝি জানান, আগুন দেখে অনেক কোভিড রোগী ভয়ে বাইরে চলে আসে। ঘটনার প্রায় আধঘণ্টা পরে দমকলের একটি ইঞ্জিন হাসপাতালে আসে। তার আগেই হাসপাতালের নিরাপত্তা কর্মীরা আগুন নিভিয়ে ফেললেও প্রৌঢ়া কোভিড রোগী মারা যান। আগুন সম্পূর্ণ নিভে যাওয়ার পর দমকলের আধিকারিকরা ওয়ার্ডে আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা শুরু করেন। দমকলের এক আধিকারিক দীপক সেন জানান, ওয়ার্ডে একটি বেড ছাড়া অন্য কোন বেডে আগুন লাগেনি। মশার ধূপ থেকেই ওই বেডে আগুন লেগেছে বলে তাদের প্রাথমিক অনুমান। ঘটনার পরেই দ্রুত বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পৌছান প্রিন্সিপ্যাল প্রবীর সেনগুপ্ত, সুপার তাপস ঘোষ সহ অন্যা চিকিৎসকরা। বর্ধমান থানার আই সি সুখময় চক্রবর্ত্তীও একই সময়ে হাসপাতালে পৌছান। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে তাঁরা আলোচনা করেন। পরে প্রিন্সিপ্যাল প্রবীর সেনগুপ্ত জানান, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার তদন্তের জন্য ফরেন্সিক দলকে বলা হয়েছে। এছাড়াও একটি পাঁচ সদ্যসের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত কমিটি রিপোর্ট জমা করবে। সুপার তাপস ঘোষ জানান, অক্সিজেন সিলিন্ডার থেকে এই ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক ভাবে আশঙ্কা করাহচ্ছে। মৃতদেহের পাশে গ্যাস লাইটার, দেশালাই পাওয়া গিয়েছে। কোন কারণে ওই রোগীনি আগুন ব্যবহার করেছিলেন কিনা সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।হাসপাতালে উপস্থিত থাকা মৃতার মেয়ে রানু মণ্ডল এদিন বলেন, মায়ের ব্যাগে থালা ও জলের বোতল ছিল। লাইটার, দেশালাই ছিল না। তাঁরাও ওইসব মাকে দেননি। বাড়ি থেকে শুক্রবারই মসারি এনে দিয়ে ছিলেন। তাই মাসা মারার ধূপ জ্বালানোর কোন প্রয়োজনই থাকেনি।বর্ধমান হাসপাতালের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা এদিন রাজনৈতিক মহলেও তোলপাড় ফেলে দেয়। এদিন দুপুরে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান বিজেপির সাত সদস্যদের প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলে ছিলেন দুর্গাপুর পশ্চিমের বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘরুই, বাঁকুড়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানা, বর্ধমান সদর জেলা বিজেপির সভাপতি অভিজিৎ তা সহ বর্ধমান জেলার বিজেপি নেতৃত্ব। বিধানসভার বিরোধি দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নির্দেশেই এই পরিদর্শন বলে জানান বিজেপি নেতারা। এই প্রতিনিধি দল কোভিড ওয়ার্ড পরিদর্শন করতে গেলেও দুর্ঘটনাস্থল সিল থাকার জন্য যেতে পারেননি। পরে তাঁরা হাসপাতাল সুপারের সঙ্গে দেখা করে বিভিন্ন দাবি-দাওয়ার কথা জানান। হাসপাতাল চত্ত্বরে দাঁড়িয়েই রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে বিজেপির প্রতিনিধিরা। মৃতার পরিবারকে ক্ষতিপূরণের দেওয়ার দাবিও তোলেন বিজেপি নেতৃত্ব। বর্ধমান সদর জেলা বিজেপির সম্পাদক অভিজিৎ নন্দী অভিযোগ করেন, সাংসদ কোটার দেড় কোটি টাকা খরচ করেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যের মুখপাত্র তথা পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি দেবু টুডু বলেন, বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার হাল কতটা তলানিতে ঠেকেছে তার রিপোর্ট সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। যা জানার পর লজ্জায় উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দাদের মাথা হেট হয় গেলেও বিজেপি নেতাদের হয়নি। ওদের লজ্জা-শরম নেই বলে বর্ধমান হাসপাতালের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করতে শুরু করে দিয়েছে ।
যতই আইপিএল কিংবা অন্য ফর্ম্যাটের খেলা হোক না কেন, দেশের সেরা ঘরোয়া ক্রিকেট প্রতিযোগিতা যে রনজি ট্রফি, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। করোনার প্রকোপে দুমরশুম রনজি ট্রফি বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। এই মরশুমে আবার রনজি ট্রফি আয়োজনের ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে। সচিব জয় শাহ জানিয়ে দিয়েছেন এ বছর দুটি পর্যায়ে রনজি ট্রফি আয়োজন করা হবে। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন ঘরোয়া ক্রিকেটাররা। তেমনই বোর্ডের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা ও সৌরাশিস লাহিড়ীর মতো বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটাররা।বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক তথা অনূর্ধ্ব ২৫ দলের কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লা বলছিলেন, রনজি ট্রফি দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের স্তম্ভ। দু বছর পর আবার রনজি ট্রফি হচ্ছে এর থেকে ভাল আর কিছু হতে পারে না। ভারতীয় বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলিকে অসংখ্য ধন্যবাদ। মহারাজদা ক্রিকেট প্রশাসনে আসার পর থেকেই সবসময় ক্রিকেটারদের স্বার্থের কথা গুরুত্ব দিয়ে এসেছে। করোনা পরিস্থিতিতেও রনজি ট্রফি আয়োজনের কথা ভেবেছ, এটা দারুণ ব্যাপার। দীর্ঘদিন মাঠে নামতে না পেরে ক্রিকেটাররা হতাশ হয়ে পড়েছিল। মানসিকভাবেও ভেঙে পড়েছিল। এই খবরে ওরা বাড়তি উদ্যম পাবে। রনজি ট্রফি না হওয়ায় ক্রিকেটাররা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। লক্ষ্মীর মতে ভারতীয় বোর্ডের পদক্ষেপে ক্রিকেটাররা উপকৃত হবেন।বাংলার আর এক প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা বাংলা সিনিয়র দলের সহকারী কোচ সৌরাশিস লাহিড়ীও রনজি ট্রফি আয়োজনের খবরে দারুণ খুশি। সৌরাশিস বলছিলেন, যতই আইপিএল হোক না কেন, রনজি ট্রফি হল দেশের সেরা ক্রিকেট প্রতিযোগিতা। দেশের ক্রিকেটাররা এই প্রতিযোগিতা খেলেই উঠে আসে। রনজিতেই ক্রিকেটারদের আসল দক্ষতা বিচার হয়। দুবছর পর আবার সেই প্রতিযোগিতা ফিরছে এর থেকে ভাল কিছু আর হতে পারে না। দুবছর রনজি না হওয়ায় নতুন ক্রিকেটার উঠে আসছে না। সৌরাশিস আরও বলেন, ক্রিকেটাররা রনজি খেলার সুযোগ না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছিল। ওরা হাঁফ ছেড়ে বাঁচবে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে ধন্যবাদ জানাতেই হবে। বোর্ড প্রেসিডিন্ট সৌরভ গাঙ্গুলির জন্যই এটা সম্ভব হয়েছে। ইতিমধ্যেই বাংলার রনজি ট্রফির প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে।
মেষ/ARIES: প্রাপ্তিযোগ রয়েছে।বৃষ/TAURUS: আত্মীয়কলহ হতে পারে।মিথুন/GEMINI: যৌনব্যাধি হতে পারে।কর্কট/CANCER: নৈরাশ্য জন্মাতে পারে।সিংহ/LEO: স্বাস্থ্যের উন্নতি হতে পারে।কন্যা/VIRGO: বাসনা পূরণ হতে পারে।তুলা/ LIBRA: কাঙ্খিত বস্তু লাভ হতে পারে।বৃশ্চিক/Scorpio: জঠোরাগ্নি বৃদ্ধি পেতে পারে।ধনু/SAGITTARIUS: নির্ভিকতা প্রদর্শন করতে পারেন।মকর/CAPRICORN: অনুশোচনা করতে পারেন।কুম্ভ/AQUARIUS: ইন্দ্রিয় সংযমের দরকার।মীন/ PISCES: সুপরামর্শ লাভ করতে পারেন।
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডে আগুনে পুড়ে মৃত্যু হল এক রোগীর। শনিবার ভোররাতে ওই ওয়ার্ডে আগুন লাগে। সেই আগুনে ঝলসে যায় একজন কোভিড রোগী। মৃতের নাম সন্ধ্যা মণ্ডল(৬০)। বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের গলসির বড়মুড়িয়া গ্রামে। জানা গিয়েছে, শনিবার ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ হাসপাতালের রাধারাণী ওয়ার্ডে আগুন লাগে। বর্তমানে রাধারাণী ওয়ার্ডকে কোভিড রুগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওই ওয়ার্ডে ৬ নম্বর ব্লকে ভর্তি ছিলেন কোভিড রোগী সন্ধ্যা মণ্ডল। কোভিড ওয়ার্ডের অন্য রোগীর আত্মীয়রা দাবী, আগুন লাগার সময় হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষী ও অন্য কর্মীরা ঘুমিয়ে ছিল। যদিও নিরাপত্তার গাফিলতির কথা অস্বীকার করেছে হাসপাতাল কতৃপক্ষ। খবর পেয়ে হাসপাতালে যায় দমকলের একটি ইঞ্জিন। ততক্ষণে হাসপাতালের কর্মীরাই আগুন নিভিয়ে ফেলে। জানা গিয়েছে, এক কোভিড রোগীর আত্মীয় প্রথম আগুন দেখতে পান। তারপর তিনি অন্যদের জানান।এদিকে বর্ধমান হাসপাতালে অগ্নিদগ্ধ হয়ে রোগী মৃত্যুর ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হাসপাতাল কতৃপক্ষ। বর্ধমান মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ প্রবীর সেনগুপ্ত জানান, ফরেন্সিক দলকে খবর দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বর্ধমান থানার পুলিশ।
কলকাতা পুরসভার আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ। পুরসভার প্রথম অধিবেশনেই স্বীকার করে নিলেন ফিরহাদ হাকিম। উল্লেখ্য, অর্থনৈতিক সংকটের জেরে কলকাতা পুরনিগমের অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের পেনশন আটকে রয়েছে। পুরনিগমের তরফে বৃহস্পতিবারই এই নোটিস দেওয়া হয়। নোটিসে বড় বড় অক্ষরে লেখা ছিল, ক্রাইসিস অব ফান্ড অর্থাৎ টাকা নেই পুরনিগমের ভাঁড়ারে। তাই কোপ পড়েছে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের পেনশনে। স্বাভাবিকভাবেই এই নোটিসে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের মাথায় হাত পড়ে।পরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেই জানা যায় নোটিসের কথা জানেনই না মেয়র ফিরহাদ হাকিম। প্রাথমিকভাবে টাকার অভাবের কথা তিনি স্বীকার করে নিলেও পরে তড়িঘড়ি তদন্তের নির্দেশও দেন তিনি। কিন্তু শেষমেশ অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে মেয়র নিজেই স্বীকার করে দেন, ভাঁড়ার শূন্য। আর্থিক সংকটে ভুগছে পুরসভা।শুক্রবার কলকাতা পুরসভার প্রথম অধিবেশনে ফিরহাদ বলেন, কলকাতা পুরসভার অর্থনৈতিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। তাই আমরা কোনও নতুন প্রকল্প আমরা হাতে নিতে পারছি না। কাউন্সিলরদের সাম্মানিক বৃদ্ধির জন্য যে দাবি-দাওয়া আসছে, তাও পূরণ করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। কলকাতা পুরসভার বোর্ডের প্রথম অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে পরিস্কার করে বলে দিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।কলকাতা পুরসভার মাসিক অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে কংগ্রেস কাউন্সিলর সন্তোষ পাঠকের প্রশ্নের উত্তরে ফিরহাদ হাকিম বলেন, কলকাতা পুরসভার অনেক দেনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তা সামাল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। অর্থনৈতিক চরম সংকটের মধ্যে রয়েছি আমরা। এই পরিস্থিতিতে কোনওভাবেই মৃত কাউন্সিলরদের সম্মান জানানোর জন্য পেনশন দেওয়ার যে দাবি আসছে তা পূরণ করা সম্ভব হবে না। কলকাতা পুরসভার আর্থিক ভাড়ার অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে। পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ। তাই ইচ্ছা থাকলেও আমরা অনেক কাজ করতে পারছিনা।তবে মেয়র এও জানিয়েছেন, অর্থনৈতিক সংকট কাটানোর জন্য একাধিক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সময় লাগবে। অর্থনৈতিক সংকট কাটানোর জন্য কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ধর্মীয় ভাবাবেগে নাকি আঘাত করেছেন অভিনেত্রী শ্বেতা তিওয়ারি। তাই তার বিরুদ্ধে ভোপালের শ্যামালা হিলস থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু কি এমন হল? নতুন ওয়েব সিরিজের সাংবাদিক সম্মেলন হচ্ছিল। সেখানে শ্বেতা মস্করা করে মন্তব্য করেন,আমার ব্রা-এর মাপ নিচ্ছেন ভগবান। কিন্তু এই মস্করার মাশুল গুনতে হচ্ছে বলিউড অভিনেত্রীকে। এই মন্তব্যের কারণ, শ্বেতা তার সহ-অভিনেতা সৌরভ রাজ জৈনের কথা বলতে গিয়ে তাঁকে ভগবান বলে সম্বোধন করেছেন। মহাভারত ধারাবাহিকে সৌরভ কৃষ্ণের ভূমিকায় অভিনয় করে জনপ্রিয় হয়েছিলেন। নতুন এই ওয়েব সিরিজে পর্দার কৃষ্ণ ব্রা-এর দর্জির চরিত্রে অভিনয় করেছেন। সেই সূত্রেই ঠাট্টা করে এই মন্তব্য করেন শ্বেতা। মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র ভোপাল পুলিশ কমিশনারের কাছে মামলার রিপোর্টটি চেয়েছেন। তিনি বলেছেন, মন্তব্যটি শুনেছি আমি। ঘোরতর প্রতিবাদ জানাচ্ছি শ্বেতা তিওয়ারির ওই কথাটির। তদন্ত করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই মামলার রিপোর্ট চেয়েছি আমি পুলিশ কমিশনারের কাছ থেকে। তার পরে পদক্ষেপ করা হবে অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে।
গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন তৃণমূলের প্রার্থী তথা সে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরো। শুক্রবার সকালে প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করে ফেলেইরো জানান, ফাতোরদা বিধানসভা কেন্দ্রে তাঁর পরিবর্তে তৃণমূলের প্রার্থী হবেন এক মহিলা। কিছুক্ষণ পরে তাঁর পরিবর্তে ফাতোরদা কেন্দ্রে আইনজীবী শেইলা অভিলিয়া ভাসের নাম ঘোষণা করে তৃণমূল।Rumours of my resignation from @AITCofficial are false, mischievous malicious.This is propaganda being spread by those rattled by the support blessings that the people of Goa have showered on my party.Goa TMC is the only party that will fight for Goa emerge victorious! Luizinho Faleiro (@luizinhofaleiro) January 27, 2022সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে ফেলেইরো বলেছেন, আমি গোয়ার ফাতোরদা বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করছি। আমার পরিবর্তে এক মহিলা সেখানে প্রার্থী হবেন। তিনি একজন পেশাদার। আমাদের দলের নীতি, মহিলাদের ক্ষমতায়ন।কংগ্রেসের বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়ে গত সেপ্টেম্বরে কলকাতায় এসে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন ফেলেইরো। তাঁকে দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি করা হয়। পরে অর্পিতা ঘোষের ছেড়ে যাওয়া আসনে তিনি তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদও হন।
একধাক্কায় অনেকটাই কমানো হল করোনা পরীক্ষার খরচ। রাজ্যে প্রায় অর্ধেক করা হল আরটি-পিসিআর টেস্টের খরচ। এতদিন পর্যন্ত আরটি-পিসিআর টেস্ট করাতে খরচ হত ৯৫০ টাকা। এবার সেই খরচ কমিয়ে করা হল ৫০০ টাকা। বৃহস্পতিবারই রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে নির্দেশিকা দিয়ে খরচ কমানোর কথা জানানো হয়েছে। এ দিন থেকেই কার্যকর হচ্ছে এই নির্দেশিকা।করোনার উপসর্গ সাধারণ মানুষের কাছে মোটামুটি পরিচিত হয়ে যাওয়ায় সম্প্রতি দেখা গিয়েছে পরীক্ষা করাতে আগ্রহী নন অনেকেই। পাশাপাশি, খরচ একটা বড় সমস্যা অনেকের কাছেই। সম্ভবত সেই বিষয়টা মাথায় রেখেই খরচ কমানর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।এ দিকে, সারা দেশে করোনার ভ্যাকসিনের দামও কমানো হবে বলে জানা গিয়েছে। কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিনের প্রতি ডোজের দাম কমতে পারে অনেকটাই। প্রতি ডোজ়ের দাম ২৭৫ টাকা করা হতে পারে বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। এর সঙ্গে অতিরিক্ত পরিষেবা চার্জ সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা হতে পারে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনার এই দুই ভ্যাকসিনের জন্য এই দাম কমানোর বিষয়টি ভারতের ওষুধ নিয়ামক সংস্থার কাছে ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে।
এখনও সংকটজনক গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। ইএম বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে অক্সিজেন সাপোর্টেই রয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, নবতিপর শিল্পীর চিকিৎসার জন্য পাঁচ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হচ্ছে। তাঁর হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসে সংক্রমণ রয়েছে বলে খবর। তার মধ্যে তিনি কোভিড আক্রান্তও। সূত্রের খবর, আজ শিল্পীর চিকিৎসা নিয়ে আলোচনায় বসবে মেডিক্যাল বোর্ড।বৃহস্পতিবার সন্ধে নাগাদ গায়িকাকে দেখতে এসএসকেএমে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিই জানান, সন্ধ্যাকে বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হচ্ছে। অসুস্থ গায়িকাকে গ্রিন করিডর করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে একাধিক শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায় তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণ রয়েছে। নিউমোনিয়াও আছে। একই সঙ্গে বিকেলে সন্ধ্যার কোভিড রিপোর্টও পজিটিভ আসে। চিকিৎসাধীন শিল্পীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছেন শিল্পী মহল থেকে সাধারণ মানুষ।
মেষ/ARIES: কার্যোসিদ্ধি হতে পারে।বৃষ/TAURUS: উন্নতির যোগ রয়েছে।মিথুন/GEMINI: বিত্তহানি হতে পারে।কর্কট/CANCER: গোপন পরামর্শে লাভ হতে পারে।সিংহ/LEO: মামলায় হার হতে পারে।কন্যা/VIRGO: রাজনৈতিক সুনাম হতে পারে।তুলা/ LIBRA: অপমানিত হতে পারেন।বৃশ্চিক/Scorpio: যশবৃদ্ধি হতে পারে।ধনু/SAGITTARIUS: হঠাৎ বিপদ হতে পারে।মকর/CAPRICORN: অসাধুতা লাভ করতে পারেন।কুম্ভ/AQUARIUS: আনন্দলাভ করতে পারেন।মীন/ PISCES: একাগ্রতা বৃদ্ধি পেতে পারে।
বিকাশভবনে যাওয়ার সময় পুলিশ বাধা দেয় বিরোধী দলনেত শুভেন্দু অধিকারীকে। স্কুল-কলেজ কবে খুলবে তা জানতেই ৫-৬ জন দলীয় বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে সল্টলেকে বিকাশভবনে স্কুল শিক্ষা দফতরের সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। পুলিশ তাঁকে বাধা দিতেই শুভেন্দু বলেন, আমার বিরুদ্ধে কি লুকআউট নোটিশ আছে? আমি কি মাওবাদী? পুলিশ আধিকারিক আমাকে দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞেস করছেন আমি কোথায় যাব! শুভেন্দুর প্রশ্ন, আমাকে রাস্তায় আটকাচ্ছেন কেন? শিক্ষা সচিব দেখা না করলে আমরা বেরিয়ে আসব। তারপরই তিনি স্লোগান তোলেন স্কুল-কলেজ খুলতে হবে। ১৫টা রাজ্যে স্কুল-কলেজ খুলেছে। এখানে কেন বন্ধ রাখা হচ্ছে।এদিন শুভেন্দু অধিকারী, অগ্নিমিত্রা পাল, মনোজ টিগ্গারা রাস্তায় বসে পড়ে প্রতিবাদ জানান। ব্যাপক উত্তেজনা উত্তেজনা ছড়ায় সল্টলেকে। পুলিশের সঙ্গে বাক-বিতন্ডা চলতেই থাকে শুভেন্দু অধিকারীর। পরিস্থিতি ক্রমশ ঘোরাল হতে থাকে। পুলিশও নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকে। পুলিশ জানিয়ে দেয়, সেখানে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে।কোভিড পরিস্থিতিতে একবার স্কুল খুলে কিছু দিনের মধ্যে তা বন্ধ করেছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু তৃতীয় ঢেউ একটু স্বাভাবিকের পথে যেতেই স্কুল-কলেজ খোলার দাবি জোরাল হতে থাকে। শুধু বিজেপি নয় সমাজের নানা স্তর থেকেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবি উঠতে থাকে। বৃহস্পতিবার সল্টলেকের বিকাশভবনে শিক্ষা দফতরের সচিবের সঙ্গে কয়েকজন বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে দেখা করতে যান শুভেন্দু অধিকারী। তখন পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়।শুভেন্দুর বক্তব্য, ২০০ জন নিয়ে বিয়েবাড়ি হতে পারে, দিনরাত মদের দোকান খোলা, আর স্কুল খুলতেই এই সরকারের সমস্যা? এদিন আটকালেও ফের তিনি বিকাশভবনে যাবেন বলেও ঘোষণা করেন{ রোজ কেউ না কেউ আসবেন বলেও জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। তৃণমূলের বক্তব্য, স্কুল-কলেজ খোলা নিয়ে ভাবনা রয়েছে রাজ্য সরকারের।
সাদা বলের ক্রিকেটে রোহিত শর্মার হাতে নেতৃত্ব তুলে দিয়েছেন জাতীয় নির্বাচকরা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ হারের পরই লাল বলের ক্রিকেটের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বিরাট কোহলি। টেস্টের নেতা এখনও বেছে নেননি নির্বাচকরা, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে নতুন নেতা বেছে নেওয়া হবে। নির্বাচকদের মাথায় রোহিত শর্মা, লোকেশ রাহুলদের নাম ঘোরাফেরা করছে। এর মাঝেই মহম্মদ সামি জানিয়ে দিলেন দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তিনি তৈরি।কদিন আগেই যশপ্রীত বুমরা জানিয়েছিলেন, তাঁকে যদি দেশকে নেতৃত্বের দায়িত্ব দেওয়া হয়, তিনি গ্রহন করতে তৈরি। এবার সেই তালিকায় নাম লেখালেন মহম্মদ সামিও। তবে এখনই নেতৃত্ব নিয়ে ভাবছেন না ভারতীয় দলের এই জোরে বোলার। সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মহম্মদ সামি বলেছেন, দেশকে নেতৃত্ব দিতে কে না চায়। প্রত্যেক ক্রিকেটারেরই স্বপ্ন থাকে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার। আমারও স্বপ্ন রয়েছে। এই মুহূর্তে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়া নিয়ে আমি খুব বেশি ভাবছি না। তবে আমাকে যদি দায়িত্ব দেওয়া হয়, আমি তৈরি। সব রকমভাবে দেশের হয়ে অবদান রাখার চেষ্টা করব।দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল মহম্মদ সামি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সিরিজেও যশপ্রীত বুমরার সঙ্গে তাঁকেও বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। তবে সব ধরণের ক্রিকেটে মাঠে নামার জন্য তিনি তৈরি বলে জানিয়েছেন সামি। তিনি বলেন, আমি সব ধরণের ক্রিকেটের জন্য নিজেকে তৈরি রেখেছি। যখনই মাঠে নামব সেরাটা দেব। আইপিএলে আগের মরশুমে পাঞ্জাব কিংসের হয়ে খেলেছিলেন সামি। এবছর তাঁকে রিটেন করেনি পাঞ্জাব কিংস। আবার নতুন করে নিলামে উঠবেন তিনি। যে কোনও ফ্রাঞ্চাইজিতে খেলার জন্য তৈরি বলে জানিয়েছেন সামি।